আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة إحدى وخمسين

ثم دخلت سنة إحدى وخمسين

ثم دخلت سنة إحدى وخمسين

ثم دخلت سنة إحدى وخمسين

ثم دخلت سنة إحدى وخمسين

ثم دخلت سنة إحدى وخمسين

ثم دخلت سنة إحدى وخمسين

পৃষ্ঠা - ৬৪০৩

হিজয়ী ৫১ সন

এই হিজ্যয়ীভে হুসাঃ ইবন আদী (রা) নিহত হয়েছেন ৷ তিনি হলেন হুজর ইবন আদী
ইবন জাবাল ইবন রাবী আ ইবন মু আবিয়৷ আল-আকরার ইবন হারিস ইবন মুআবি য়া ইবন
সাওর ইবন বাঘীগ ইবন কিনৃদী আল-কুফী ৷ তিনি হুজ়ৱলখায়ৱ নামেও পরিচিত ৷ তাকে ইবন
আদৰারও বলা হত ৷ কারণ র্তার্ পিতা আদী জনৈক পলাতককে আঘাত কয়েছিল ৷ সেই
থেকে তাকে আদৰাৱ নামে ডাকা হয় ৷ হুজর (বা) হলেন কিনৃদ৷ গোত্রের লোক ৷ তিনি ছিলেন
কুফ৷ অধিবাসীদের অন্যতম নেতা ৷
ইবন আসাকির বলেন যে, হুজর (বা) প্রতিনিধি দল হিসেবে রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর সাথে
সাক্ষাত করেন৷ হযরত আলী (রা), আম্মার এবং শুরাহীল ইবন মুর রা মতাম্ভার শুরাহবীল ইবন
মুবৃরা (রা)-,এর নিকট থেকে হাদীস শ্যুনছেন ৷ তার মুক্ত বল্পা দাস আবু লায়লা আবদুর রহমান
ণ্ ইবন আব্বাস, আবুল বাখৃতারী তাঈ প্রমুখ তার থেকে হাদীস বর্ণনা ক্যরছেন ৷ যে সেনাবাহিনী
আযরা’ জয় করেছিল ওদের দল্ভুক্ত হয়ে তিনি সিরিয়ার যুদ্ধে অংশঙ্কুনিয়েছিলেন ৷ তিনি হযরত
আলী (রা)-এর , পক্ষে সিফ্ফিনের যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন ৷ কেউ বলেছেন, দামেশৃকের
একটি জনপদ আযরাতেতীর কবর রয়েছে ৷ সেখানে তার কবর ও মসজিদ প্রসিদ্ধ স্থাপনা ৷
এরপর ইবন আসাকির আপন সনদে হুজর ইবন আদীর একটি উত্তম বর্ণনার কিছু অংশ
উদ্ধৃত করেছেন, যা তিনি হযরত আলী (রা) ও অন্যদের সুত্রে উল্লেখ করেছেন ৷
মুহাম্মদ ইবন সা দ হুজর ইবন আদী (রা) কে চ চুর্থ স্তরের সাহাবীরুভ্রুপ উন্নে লখ করেছেন ৷
এবং তিনি বিভিন্ন প্রতিনিধি দলে অন্তর্ভুক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ৷
পরবর্তীতে তিনি আবার তাকে কুফা অধিবাসী প্রথম সারির দলভুক্ত করেছো ৷ তিনি এও মন্তব্য
করেছেন যে, হুজর ইবন আদী একজন প্রসিদ্ধ এবং আস্থাভাজন লোক ৷ তবে তিনি হযরত
আলী (রা) ব্যতীত অন্য কারো হাদীস বর্ণনা করেন নি ৷ ইবন আসাকির বরং এটুকু বলেছেন
যে, হুজর ইবন আদী আমার এবং শুরাহবীল ইবন মুবৃরা থেকেও হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷
আবু আহমদ আসাকির বলেছেন যে, অধিকাংশ মুহাদ্দিস তাকে সাহাবী বলা বিশুদ্ধ মনে
করেন নি ৷ তিনি কাদেসিয়া যুদ্ধে অংশ্যাহণ করেছেন এবং আমরা বুরুজ দখল করেছিলেন ৷
তিনি উটের যুদ্ধ এবং সিফ্ফিনের যুদ্ধে অৎ শগ্রহণ করেছিলেন ৷ এই যুদ্ধে হুজর হযরত আলী
(রা) কে সমর্থন করেছিলেন ৷ হুজর নামের লোক ছিলেন দু’ জন ৷ একজন আলোচ্য হুজর ইবন
আদী ৷ ইনি হুজর খায়র নামে পরিচিত ছিলেন ৷ অন্যজন হলেন হুজরুশ শারাক ৷ তিনি হলেন
হুজর ইবন ইয়াযীদ ইবন সালমা ইবন মুররাহ ৷
মারযুবানী বলেছেন, বর্ণিত আছে যে, হুজর ইবন আদী তার ভইি হানী ইবন আদীর সাথে
দলতুংফ্ল হয়ে রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর নিকট উপস্থিত হন ৷ হুজর ইবন আদী খুবই ইবাদত কারী ও
নির্মোহ লোক ছিলেন ৷ তিনি তার মাতার প্রতি ছিলেন অসাধারণ নিবেদিত প্রাণ ব্যক্তি ৷ তিনি
প্রচুর নামায আদায় করতেন এবং বোমা রাখতেন ৷
আবু মা শার বলেছেন, হুজর ইবন আদী (-রা) এর যখনই ওবু নষ্ট হতে তা ওঘু করে নিতেন ৷
আর যখনই ওবু করতেন দৃরাকা আত নামায আদায় করে নিতেন ৷ আরো অনেকেই এরুপ
বর্ণনা উদ্ধৃত করেছেন ৷


[ثُمَّ دَخَلَتْ سُنَّةُ إِحْدَى وَخَمْسِينَ] فِيهَا كَانَ مَقْتَلُ حُجْرِ بْنِ عَدِيٍّ وَأَصْحَابُهُ، وَهُوَ حُجْرُ بْنُ عَدِيِّ بْنِ جَبَلَةَ بْنِ عَدِيِّ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ مُعَاوِيَةَ الْأَكْرَمِينِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ مُعَاوِيَةَ بْنِ ثَوْرِ بْنِ مَرْتَعِ بْنِ كِنْدِيٍّ الْكُوفِيُّ. وَيُقَالُ لَهُ: حُجْرُ الْخَيْرِ. وَيُقَالُ لَهُ: حُجْرُ بْنُ الْأَدْبَرِ. لِأَنَّ أَبَاهُ عَدِيٍّا طُعِنَ مُولِّيًا فَسُمِّيَ الْأَدْبَرَ، وَيُكَنَّى حُجْرٌ بِأَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَهُوَ مِنْ كِنْدَةَ مِنْ رُؤَسَاءِ أَهْلِ الْكُوفَةِ. قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَفَدَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسَمِعَ عَلِيًّا وَعَمَّارًا وَشَرَاحِيلَ بْنَ مُرَّةَ. وَيُقَالُ: شُرَحْبِيلُ بْنُ مُرَّةَ. وَرَوَى عَنْهُ أَبُو لَيْلَى مَوْلَاهُ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَابِسٍ، وَأَبُو الْبَخْتَرِيِّ الطَّائِيُّ. وَغَزَا الشَّامَ فِي الْجَيْشِ الَّذِينَ افْتَتَحُوا عَذْرَاءَ وَشَهِدَ صِفِّينَ مَعَ عَلِيٍّ أَمِيرًا، وَقُتِلَ بِعَذْرَاءَ مِنْ قُرَى دِمَشْقَ. وَمَسْجِدُ قَبْرِهِ بِهَا
পৃষ্ঠা - ৬৪০৪
مَعْرُوفٌ. ثُمَّ سَاقَ ابْنُ عَسَاكِرَ بِأَسَانِيدِهِ إِلَى حُجْرٍ، فَذَكَرَ طَرَفًا صَالِحًا مِنْ رِوَايَتِهِ عَنْ عَلِيٍّ وَغَيْرِهِ. وَقَدْ ذَكَرَهُ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ فِي الطَّبَقَةِ الرَّابِعَةِ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَذَكَرَ لَهُ وِفَادَةً، ثُمَّ ذَكَرَهُ فِي الْأُولَى مِنْ تَابِعِي أَهْلِ الْكُوفَةِ قَالَ: وَكَانَ ثِقَةً مَعْرُوفًا، وَلَمْ يَرْوِ عَنْ غَيْرِ عَلِيٍّ شَيْئًا. قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: بَلْ قَدْ رَوَى عَنْ عَمَّارٍ وَشُرَاحِيلَ بْنِ مُرَّةَ. وَقَالَ أَبُو أَحْمَدَ الْعَسْكَرِيُّ: أَكْثَرُ الْمُحَدِّثِينَ لَا يُصَحِّحُونَ لَهُ صُحْبَةً، شَهِدَ الْقَادِسِيَّةَ، وَافْتَتَحَ مَرْجَ عَذْرَاءَ، وَشَهِدَ الْجَمَلَ وَصِفِّينِ، وَكَانَ مَعَ عَلِيٍّ حُجْرُ الْخَيْرِ، وَهُوَ حُجْرُ بْنُ عَدِيٍّ هَذَا، وَحُجْرُ الشَّرِّ، وَهُوَ حُجْرُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ سَلَمَةَ بْنِ مُرَّةَ. وَقَالَ الْمَرْزُبَانِيُّ: قَدْ رَوَى أَنَّ حُجْرَ بْنَ عَدِيٍّ وَفَدَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ أَخِيهِ هَانِئِ بْنِ عَدِيٍّ.
পৃষ্ঠা - ৬৪০৫
وَكَانَ هَذَا الرَّجُلُ مِنْ عُبَّادِ النَّاسِ وَزُهَّادِهِمْ، وَكَانَ بَارًّا بِأُمِّهِ، وَكَانَ كَثِيرَ الصَّلَاةِ وَالصِّيَامِ. قَالَ أَبُو مَعْشَرٍ: مَا أَحْدَثَ قَطُّ إِلَّا تَوَضَّأَ، وَلَا تَوَضَّأَ إِلَّا صَلَّى رَكْعَتَيْنِ. هَكَذَا قَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ النَّاسِ. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنِي الْأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ قَالَ: قَالَ سَلْمَانُ لِحُجْرٍ: يَا ابْنَ أُمِّ حُجْرٍ، لَوْ تَقَطَّعْتَ أَعْضَاءً مَا بَلَغْتَ الْإِيمَانَ. وَكَانَ، إِذْ كَانَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ عَلَى الْكُوفَةِ إِذَا ذَكَرَ عَلِيًّا فِي خُطْبَتِهِ يَتَنَقَّصُهُ بَعْدَ مَدْحِ عُثْمَانَ وَشِيعَتِهِ، فَيَغْضَبُ حُجْرٌ هَذَا، وَيُظْهِرُ الْإِنْكَارُ عَلَيْهِ، وَلَكِنْ كَانَ الْمُغِيرَةُ فِيهِ حِلْمٌ وَأَنَاةٌ، فَكَانَ يَصْفَحُ عَنْهُ وَيَعِظُهُ فِيمَا بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ، وَيُحَذِّرُهُ غَبَّ هَذَا الصَّنِيعِ، فَإِنَّ مُعَارَضَةَ السُّلْطَانِ شَدِيدٌ وَبَالُهَا، فَلَمْ يَرْجِعْ حُجْرٌ عَنْ ذَلِكَ. فَلَمَّا كَانَ فِي آخِرِ أَيَّامِ الْمُغِيرَةِ قَامَ حُجْرٌ يَوْمًا، فَأَنْكَرَ عَلَيْهِ فِي الْخُطْبَةِ وَصَاحَ بِهِ، وَذَمَّهُ بِتَأْخِيرِهِ الْعَطَاءِ عَنِ النَّاسِ، وَقَامَ مَعَهُ فِئَامٌ مِنَ النَّاسِ لِقِيَامِهِ، يُصَدِّقُونَهُ وَيُشَنِّعُونَ عَلَى الْمُغِيرَةِ، وَدَخَلَ الْمُغِيرَةُ بَعْدَ الصَّلَاةِ قَصْرَ الْإِمَارَةِ، وَدَخَلَ مَعَهُ جُمْهُورُ النَّاسِ مِنَ الْأُمَرَاءِ وَغَيْرِهِمْ، فَأَشَارُوا عَلَى الْمُغِيرَةِ بِأَنْ يَرُدَّ حُجْرًا عَمَّا يَتَعَاطَاهُ مِنَ الْجُرْأَةِ عَلَى السُّلْطَانِ وَشَقِّ الْعَصَا وَالْقِيَامِ عَلَى الْأَمِيرِ وَذَمَرَوهُ
পৃষ্ঠা - ৬৪০৬

মুগীরা (রা) এর শাসনামলে হুজর (রা) যেমন দাড়িয়ে প্রতিবদি করতেন এদিকে যিয়াদের
খুত্ব৷ দান কালেও তিনি তেমন প্রতিবাদ করতে থাকেন ৷ ঘুগীরা (রা) কে যেমন বলতেন
যিযাদকেওওে তমন বললেন ৷ যিয়াদ কোন উত্তর দেয় নি ৷ এরপর যিয়াদ বসরা যাত্রা করেন ৷
যাবার সময় তিনি হুজর (রা) ফে সাথে নিতে চেয়েছিলেন, যাতে এখানৈ তিনি কোন অঘটন না
ঘটান ৷ কিন্তু হুজর (রা) বললেন, আমি অসুস্থ ৷ যিয়াদ বললেন, ছুা, আপনি ধর্মের দিক
থেকে; অন্তারর দিক থেকে এবং বৃদ্ধির দিক থেকে অসুস্থ বটে ৷ তবে আল্লাহর কসম ৷ আমার
অবর্ত্যা৷নে আপনি যদি এখানে কোন অঘটন ঘটান তাহলে আমি আপনাকে ;খুন করে ফেলব ৷
যিয়াদ বসরা চলে গেলেন ৷ ওখানে তিনি সংবাদ পেলেন হুজর (রা) ও তার অনুসারীর৷ কুফায়
যিয়াদের নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত শাসনকর্তার বিরোধিতা করছে এবং জুমুআ দিবসে তার প্রদত্ত
খুত্বার প্রতিবাদ করে তার প্রতি পাথর নিক্ষেপ করছে সেখানে যিয়াদের ভারপ্রাপ্ত শাসনকর্তা
ছিলেন আমর ইবন হুরায়ছ ৷

এ পরিস্থিতিতে যিয়াদ কুফায় ফিরে আসেন এবং সরকারী প্রাসাদে অবস্থান গ্রহণ করেন ৷
এরপর৩ তিনি মিম্বয়ে আরোহণ করেন ৷ তার পরিধা নে ছিল সুক্ষ্ম রেশমের জুববা এবং লাল নক্সা
কারুকার্য খচিত চাদর ৷ চুল ছিল তাচডুানাে ৷ হুজর (রা) ছিলেন বসা ৷ তার চারদিকে ঘিরে
বসা ছিল তার অনুসারীরা ৷৩ তাদের সংখ্যা ছিল অন্যান্য দিনের তুলনায় অধিক ৷ প্রায় তিন
হাজার ৷ তারা সশস্ত্র অবস্থায় তার চারদিকে বসা ছিল ৷

যিয়াদ খুতবা দিলেন ৷ তিনি আল্লাহর প্ৰশং না ও গুণগান করলেন ৷ তারপর বললেন,
রাষ্ট্রদ্রোহিতার পরিণাম খুবই ভয়াবহ ৷ এরা আমাকে নিরুপদ্ৰব পেয়ে আমার বিরুদ্ধে ধৃষ্টতা
দেখিয়েছে ৷ আল্লাহর কসম ! তোমরা যদি সঠিক পথে না আস আমি তার উচিত শিক্ষা দিব ৷
তারপর তিনি বললেন যে, আমি যদি কুফায় জনপদকে হুজর এবং তার অনুসারীদের দৌরাত্ম্য
থেকে মুক্ত করর্ভেনা পারি এবং দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দিতে না পারি তবে আমি কোন ব্যক্তি ই
নই ৷ হে হুজর ৷ দুঃখ তোমার মায়ের জন্যে ৷ তুমি তো সন্ধ্য৷ বেলায় নেকড়ের মুখে পড়েছ ৷
এরপর যিয়াদ বললেন,

ওর নিকট একটা উপদেশ পৌছে দাও ৷ তার উট পাল ডাক ছেড়েছে ৷ আর সন্ধ্য৷ বেলায়
সে ৫নকড়ের মুখে পড়েছে ৷

যিয়াদ তার খুৎ তবায় বলছিলেন যে, আমীকল ঘু মিনীন তথা খলীফার জনগণের উপর এই
দাবী রয়েছে ৷ সে মুহুর্তে হুজর (বা) এক মুষ্ঠি কৎকর হাতে নিয়ে যিয়াদের প্ৰতি নিক্ষেপ
করলেন ৷ আপনি মিথ্যা বলেছেন, আপনার উপর আল্লাহর লানত বর্নিত হোক !’ তারপর
যিয়াদ মিম্বর থেকে নেমে যান এবৎ নামায আদায় করেন ৷ এরপর তিনি সরকারী কার্যালয়ে
যান এবং হুজর ইবন আদী (রা) কে সেখানে ডেকে পাঠান ৷

কেউ কেউ বলেছেন, যিয়াদ তখন দীর্ঘ খুতবা দিয়ে যাচ্ছিলেন, আর নামায বিলম্বিত
করছিলেন তখন হুজর চিৎকার করে বলছিলেন, “আসৃ সালাত অর্থাৎ নামায আদায় করুন ৷
তার কথায় কান না দিয়ে যিয়াদ তার খুত্ব৷ চালিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ নামাষের ওয়াক্ত শেষ হয়ে
যাবে এমন আশংকা সৃষ্টি হবার পর হুজর (রা) এক মুষ্ঠি কৎকর নিয়ে যিয়াদের প্রতি ছুড়ে
মারলেন ৷ আর চিৎকার করে বলে উঠলেন, “আস্ সালাত” আস্ সালাত” তাড়াতাড়ি নামায


وَحَثُّوهُ عَلَى التَّنْكِيلِ بِهِ، فَصَفَحَ عَنْهُ وَحَلُمَ. وَذَكَرَ يُونُسُ بْنُ عُبَيْدٍ أَنَّ مُعَاوِيَةَ كَتَبَ إِلَى الْمُغِيرَةِ يَسْتَمِدُّهُ بِمَالٍ يَبْعَثُهُ مِنْ بَيْتِ الْمَالِ، فَبَعَثَ عِيرًا تَحْمِلُ مَالًا فَاعْتَرَضَ لَهَا حُجْرٌ، فَأَمَسَكَ بِزِمَامِ أَوَّلِهَا، وَقَالَ: لَا وَاللَّهِ حَتَّى يُوَفِّيَ كُلَّ ذِي حَقٍّ حَقَّهُ. فَقَالَ شَبَابُ ثَقِيفٍ لِلْمُغِيرَةِ: أَلَّا نَأْتِيكَ بِرَأْسِهِ؟ فَقَالَ: مَا كُنْتُ لِأَفْعَلَ ذَلِكَ بِحُجْرٍ. فَتَرَكَهُ، فَلَمَّا بَلَغَ مُعَاوِيَةَ ذَلِكَ عَزَلَ الْمُغِيرَةَ وَوَلَّى زِيَادًا. وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ لَمْ يَعْزِلِ الْمُغِيرَةَ حَتَّى مَاتَ، فَلَمَّا تُوُفِّيَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَجُمِعَتِ الْكُوفَةُ مَعَ الْبَصْرَةِ لِزِيَادٍ دَخَلَهَا، وَقَدِ الْتَفَّ عَلَى حُجْرٍ جَمَاعَاتٌ مِنْ شِيعَةِ عَلِيٍّ يُقَوُّونَهُ وَيَشُدُّونَ أَمْرَهُ عَلَى يَدِهِ، وَيَسُبُّونَ مُعَاوِيَةَ وَيَتَبَرَّءُونَ مِنْهُ، فَلَمَّا كَانَ أَوَّلُ خُطْبَةٍ خَطَبَهَا زِيَادٌ بِالْكُوفَةِ، ذَكَرَ فِي آخِرِهَا فَضْلَ عُثْمَانَ، وَذَمَّ مَنْ قَتَلَهُ أَوْ أَعَانَ عَلَى قَتْلِهِ. فَقَامَ حُجْرٌ كَمَا كَانَ يَقُومُ فِي أَيَّامِ الْمُغِيرَةِ، وَتَكَلَّمَ بِنَحْوٍ مِمَّا قَالَ لِلْمُغِيرَةِ، فَلَمْ يَعْرِضْ لَهُ زِيَادٌ، ثُمَّ رَكِبَ زِيَادٌ إِلَى الْبَصْرَةِ وَأَرَادَ أَنْ يَأْخُذَ حُجْرًا مَعَهُ إِلَى الْبَصْرَةِ لِئَلَّا يُحْدِثُ حَدَثًا، فَقَالَ: إِنِّي مَرِيضٌ. فَقَالَ: وَاللَّهِ إِنَّكَ لَمَرِيضُ الدِّينِ وَالْقَلْبِ وَالْعَقْلِ وَاللَّهِ لَئِنْ أَحْدَثْتَ شَيْئًا لَأَسْعَيَنَّ فِي قَتْلِكَ ثُمَّ سَارَ زِيَادٌ إِلَى الْبَصْرَةِ فَبَلَغَهُ أَنَّ حُجْرًا وَأَصْحَابَهُ أَنْكَرُوا عَلَى نَائِبِهِ بِالْكُوفَةِ، وَهُوَ عَمْرُو بْنُ حُرَيْثٍ، وَحَصَبُوهُ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، فَرَكِبَ زِيَادٌ إِلَى الْكُوفَةِ فَنَزَلَ الْقَصْرَ، ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الْمِنْبَرِ وَعَلَيْهِ قَبَاءُ سُنْدُسٍ، وَمِطْرَفُ خَزٍّ أَحْمَرُ، قَدْ فَرَقَ شَعْرَهُ، وَحُجْرٌ جَالِسٌ وَحَوْلَهُ أَصْحَابُهُ أَكْثَرَ مَا كَانُوا يَوْمَئِذٍ، وَكَانَ مَنْ لَبِسَ مِنْ أَصْحَابِهِ يَوْمَئِذٍ نَحْوًا مِنْ ثَلَاثَةِ آلَافٍ،
পৃষ্ঠা - ৬৪০৭


আদায় করুন ৷” তার সমর্থনে অন্যান্য লোকজনও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠল ৷ অবস্থা রেগতিক দেখে
যিয়াদ মিম্বর থেকে নেমে এলেন এবং নামায আদায় করলেন ৷

নামায শে মে যিয়াদ সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা এবং কিছুটা বাড়িয়ে আমীর মুআৰিয়৷ (রা)-
কে লিখে জানালেন ৷ উত্তরে আমীর মুআবিয়া (রা) বললেন, ওকে লোহার শিকলে বেধে
আমার নিকট নিয়ে এস ৷ নির্দেশ পালনে ব্লিয়াদ সেখানকার পুলিশ প্রধান শাদ্দাদ ইবন
হায়সামকে হযরত হুজর (রা)-এর নিকট তাকে গ্রেপ্তার করার জন্যে প্রেরণ করলেন ৷ তখন
তার সমর্থক ও সহয়ােগীগণ তার নিকট ছিল ৷ পুলিশ প্রধান গিয়ে বললেন, শাসনকর্তা যিয়াদ
আপনাকে তলব করেছেন ৷ তিনি ওখানে যেতে অস্বীকৃতি জানালেন ৷ তার সমর্থকগণ তীর
রক্ষার প্রস্তুতি নিল ৷ পুলিশ প্রধান শাদ্দাদ যিয়াদের নিকট গিয়ে ভীকে পরিস্থিতি জানালেন ৷
তারপর যিয়াদ বিভিন্ন গোত্রের লোকদের সমন্বয়ে একটি ৰাহির্ণী গঠন করে পুলিশ প্রধানের
নেতৃত্বে তার নিকট পাঠ ল ৷ এই দল সেখানে উপস্থিত হয়ে৩ তাকে ধরে আনার চেষ্টা করে ৷
তাতে উভয় পক্ষে সংঘর্ষ হয় ৷ উভয় পক্ষ অপর পক্ষের প্রতি পাথর ও লাঠি ব্যবহার করে ৷
শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে ৷ এবার যিয়াদ ওখানে প্রেরণ করে মুহাম্মদ ইবন
আশ্ৰু আসকে ৷ তার নেতৃত্বে গঠন করে একটি সেনাদল প্রেরণ করেন ৷ হ্যার (রা)-কে অন্যত্র
চলে যাবার জন্যে তিন দিনের সময় দেয়৷ হয় ৷ তিনি যান নি ৷ যথাসময়ে, সেনাদল গিয়ে ন্থজ্যা
(রা)-কে গ্রেপ্তার করে এবং শাসনকর্তা যিয়াদের নিকট নিয়ে আসে ৷ হুজর (রা)-এর সমর্থক,
গােত্রীয় লোকজন এবং শুভাকাভফী কেউ এ যাত্রার তাকে রক্ষা করতে পারেনি ৷

এ পর্যায়ে যিয়াদ র্ত;ঙাও বন্দী করে দশ দিন কারাগারে রেখে দেন এবং তারপর আমীর
মুত্ৰুাৰিয়া (রা)-এর নিকট চালান করে দেন ৷ তীর সাথে এমন কতক লোকও পাঠান যারা
খলীফার নিকট এ সাক্ষ্য দিয়ে যে, হজর (রা) খলীফাকে গালমন্ন্দ করেছেন এবং শাসনকদু-র্ট
যিয়াদের ৷বরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন ৷ তিনি আলী (রা)-এর পরিবার ব্যতীত অন্য কারো খিলাফত
মানেন না ৷ এ সকল সাক্ষীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আবু বরদ৷ ইবন আবু মসা, ওবৃাইল
হ্বন হুজর, উমর ইবন সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাস, তালর্চহ৷ ইবন উবারদুল্লাহ্-এর তিন পুত্র
ইস২াক, ইসমাঈল এবং মুসা, মুনযির ইবন যুবায়র, কাহীর ইবন শিহাব সাবিত ইবন রিবঈ
প্রমুখ ৷ তারা ছিলেন সর্বমোট ৭০ জন ৷ কেউ কেউ বলেছেন, কযী শুরায়হের সাক্ষীত্ত্ব লিখা
হয়েছিল কিন্তু তিনি ঐ সাক্ষ্য প্রদানে রাযী হন নি ৷ তিনি বরং বলেছেন যে, আমি যিফ্রাদকে
বলেছিলাম, ঐ লোক অর্থাৎ হুজর (বা) একজন রােযাদার ও প্রচুর ইবাদতকারী মানুষ ৷

শাসনকর্তা যিয়াদ তখন হুজর (রা)কে এবং তার সাথীদেরকে,সিরিয়া পাঠিয়ে দিলেন
ওয়াইল ইবন হুজর এবং কাসীর ইবন শিহাবের তত্ত্বাবধানে ৷ হুজর (রা)-এর সাথে ছিল র্তার
একদল সমর্থক ৷ র্তারা ছিল প্রায় ২০ জন ৷ কেউ কেউ বলেছেন, ১৪ জন ৷ তাদের মধ্যে
উল্লেখ যোগ্য হলেন, আরকাম ইবন আবদুল্লাহ কিনৃদী, শারীক ইবন শাদ্দাদ হাদ্রামী, সায়ফী
ইবন কাসীল, কাৰিসা ইবন দুবাযআ ইবন হারমালা মাবাসী, কারীম ইবন আফিন খাসআমি,
আসিম ইবন আওফ কাজালী, ওয়ারাক৷ ইবন সুমাই বাজালী, কুদাম ইবন হিব্বান, আবদুর
রহমান ইবন হাসৃসান আ ল উরয়ান তামীমী, মুহাররিয ইবন শিহাব তামীমী, উবায়দুল্লাহ্ ইবন
হুওয়৷ ৷ইয়া সা দী তামীমী হুজর (রা) এর সমর্থক তারা ৷ তার সাথে যাত্রা করেন ৷ তারা সিরিয়া
গিয়ে পৌছেন ৷৩ তাদের পেছনে যিয়াদ অতিরিক্ত দু জন লোক পা ৷ঠিয়েছিলেন ৷ তারা হল বানু

স৷ সপ্ গোত্রের ইবন আখৃনাম এবং সাঈদ ইবন ইমরান হামদানী ৷ ফলে তারা হলেন ১৪ জন ৷


وَجَلَسُوا حَوْلَهُ فِي الْمَسْجِدِ فِي الْحَدِيدِ وَالسِّلَاحِ، فَخَطَبَ زِيَادٌ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ غِبَّ الْبَغْيِ وَالْغَيِّ وَخِيمٌ، وَإِنَّ هَؤُلَاءِ الْقَوْمَ جَمُّوا فَأَشِرُوا وَأَمِنُونِي فَاجْتَرَءُوا عَلَيَّ، وَايْمُ اللَّهِ لَئِنْ لَمَّ تَسْتَقِيمُوا لِأُدَاوِيَنَّكُمْ بِدَوَائِكُمْ. ثُمَّ قَالَ: مَا أَنَا بِشَيْءٍ إِنْ لَمْ أَمْنَعْ سَاحَةَ الْكُوفَةِ مِنْ حُجْرٍ، وَأَدَعْهُ نَكَالًا لِمَنْ بَعْدَهُ، وَيْلُ أُمِّكُ يَا حُجْرُ، سَقَطَ بِكَ الْعَشَاءُ عَلَى سِرْحَانٍ. ثُمَّ قَالَ: أَبْلِغْ نُصَيْحَةَ أَنَّ رَاعِيَ إِبْلِهَا ... سَقَطَ الْعَشَاءُ بِهِ عَلَى سِرْحَانِ وَجَعَلَ زِيَادٌ يَقُولُ فِي خُطْبَتِهِ: إِنَّ مِنْ حَقِّ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ مِنْ حَقِّ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ حُجْرٌ: كَذَبْتَ. فَسَكَتَ زِيَادٌ وَنَظَرُ إِلَيْهِ، ثُمَّ عَادَ زِيَادٌ: إِنَّ مِنْ حَقِّ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ مِنْ حَقِّ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ. يَعْنِي كَذَا وَكَذَا، فَأَخَذَ حُجْرٌ كَفًّا مِنْ حَصًا فَحَصَبَهُ، وَقَالَ: كَذَبْتَ عَلَيْكَ لَعْنَةُ اللَّهِ. فَانْحَدَرَ زِيَادٌ فَصَلَّى، ثُمَّ دَخَلَ الْقَصْرَ، وَاسْتَحْضَرَ حُجْرًا، وَيُقَالُ: إِنْ زِيَادًا لَمَّا خَطَبَ طَوَّلَ الْخُطْبَةَ وَأَخَّرَ الصَّلَاةَ، فَقَالَ لَهُ حُجْرٌ: الصَّلَاةَ. فَمَضَى فِي خِطْبَتِهِ، ثُمَّ قَالَ لَهُ: الصَّلَاةَ. فَمَضَى فِي خِطْبَتِهِ فَلَمَّا خَشِيَ حُجْرٌ فَوْتَ الصَّلَاةِ عَمِدَ إِلَى كَفٍّ مِنْ حَصَا، وَثَارَ إِلَى الصَّلَاةِ، وَثَارَ النَّاسُ مَعَهُ، فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ زِيَادٌ نَزَلَ، فَصَلَّى بِالنَّاسِ،
পৃষ্ঠা - ৬৪০৮
فَلَمَّا انْصَرَفَ مِنْ صِلَاتِهِ كَتَبَ إِلَى مُعَاوِيَةَ فِي أَمْرِهِ وَكَثَّرَ عَلَيْهِ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ مُعَاوِيَةُ أَنْ شُدَّهُ فِي الْحَدِيدِ وَاحْمِلْهُ إِلَيَّ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ زِيَادٌ وَالِيَ الشُّرْطَةِ، وَهُوَ شَدَّادُ بْنُ الْهَيْثَمِ وَمَعَهُ أَعْوَانُهُ فَقَالَ لَهُ: إِنَّ الْأَمِيرَ يَطْلُبُكَ. فَامْتَنَعَ مِنَ الْحُضُورِ إِلَى زِيَادٍ، وَقَامَ دُونَهُ أَصْحَابُهُ، فَرَجَعَ الْوَالِي إِلَى زِيَادٍ فَأَعْلَمَهُ، فَاسْتَنْهَضَ زِيَادٌ جَمَاعَاتٌ مِنَ الْقَبَائِلِ، فَرَكِبُوا مَعَ الْوَالِي إِلَى حُجْرٍ وَأَصْحَابِهِ، فَكَانَ بَيْنَهُمْ قِتَالٌ بِالْحِجَارَةِ وَالْعِصِيِّ، فَعَجَزُوا عَنْهُ، فَنَدَبَ لَهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْأَشْعَثِ، وَأَمْهَلَهُ ثَلَاثًا، وَجَهَّزَ مَعَهُ جَيْشًا، فَرَكِبُوا فِي طَلَبِهِ وَلَمْ يَزَالُوا حَتَّى أَحْضَرُوهُ إِلَى زِيَادٍ، وَمَا أَغْنَى عَنْهُ قَوْمُهُ وَلَا مَنْ كَانَ يَظُنُّ أَنَّهُ يَنْصُرُهُ، فَعِنْدَ ذَلِكَ قَيَّدَهُ زِيَادٌ وَسَجَنَهُ عَشَرَةَ أَيَّامٍ، ثُمَّ بَعَثَ بِهِ إِلَى مُعَاوِيَةَ، وَبَعَثَ مَعَهُ جَمَاعَةً يَشْهَدُونَ عَلَيْهِ أَنَّهُ سَبَّ الْخَلِيفَةَ، وَأَنَّهُ حَارَبَ الْأَمِيرَ، وَأَنَّهُ يَقُولُ: إِنَّ هَذَا الْأَمْرَ لَا يَصْلُحُ إِلَّا فِي آلِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَكَانَ مِنْ جُمْلَةِ الشُّهُودِ عَلَيْهِ ; أَبُو بُرْدَةَ بْنُ أَبِي مُوسَى، وَوَائِلُ بْنُ حُجْرٍ، وَعُمَرُ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، وَإِسْحَاقُ وَإِسْمَاعِيلُ وَمُوسَى بَنُو طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ وَالْمُنْذِرُ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَكَثِيرُ بْنُ شِهَابٍ، وَشَبَثُ بْنُ رِبْعِيٍّ، فِي سَبْعِينَ رَجُلًا، وَيُقَالُ: إِنَّهُ كُتِبَتْ شَهَادَةُ شُرَيْحٍ الْقَاضِي فِيهِمْ، وَإِنَّهُ أَنْكَرَ ذَلِكَ وَقَالَ: إِنَّمَا قُلْتُ لِزِيَادٍ: إِنَّهُ كَانَ صَوَّامًا قَوَّامًا. ثُمَّ بَعَثَ زِيَادٌ حُجْرًا وَأَصْحَابَهُ مَعَ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ وَكَثِيرِ بْنِ شِهَابٍ إِلَى الشَّامِ. وَكَانَ مَعَ حُجْرِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ جَبَلَةَ الْكِنْدِيِّ مِنْ أَصْحَابِهِ جَمَاعَةٌ قِيلَ: عِشْرُونَ رَجُلًا. وَقِيلَ: أَرْبَعَةَ عَشَرَ رَجُلًا. مِنْهُمُ ; الْأَرْقَمُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৬৪০৯

কথিত আছে যে, আমীর মুআবিয়৷ (রা) দরবারে প্রবেশ করে হুজর (রা) বলেছিলেন
“আসসালামু আলাইকা ইয়৷ আমীরাল মু মিনীন !” সাথে সাথে আমীর মুআবিয়া (রা) তােল ’
বেগুনে জ্বলে উঠলেন ৷ তিনি ক্রোধে ফেটে পড়লেন এবং হুজর (রা) ও তার সাথীদেরকে
হত্যার আদেশ দিয়ে দিলেন ৷
কেউ কেউ বলেছেন, মুআবিয়া এই বন্দী কাজােব্র দিকে এগিয়ে এসেছিলেন ৷ “বুকজ
আল-আ য়রা’ নামক স্থানে এসে তিনি মুখোমুখি হন ৷ আবার কেউ কেউ বলেছেন যে, আমীর
মুআবিয়া নিজে ওদের সাথে সাক্ষাত করনে নি ৷ বরং তার পক্ষ থেকে লোক পাঠিয়েছিলেন ৷
ওরা “সানিয়্যা আল-ইকাব” গিরী পথের মোড়ে “আমরা” নামক স্থানে হযরত হুজর (রা) এবং
তীর সাথীদের সাথে মিলিত হয় এবং তাদেরকে হত্যা করে ৷ আমীর মুআবিয়া (বা) তাদেরকে
হত্যা করার জন্যে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি ঘাতক দল পাঠিয়েছিলেন ৷ ঐ দলে ছিলেন হুদবা
ইবন ফাইয়াদ কুদায়ী, হুদায়র ইবন আবদুল্লাহ কিলাবী এবৎআবু শারীক বাদাবী ৷ ওরা বন্দী
দলের সাথে মিলিত হয় ৷ হযরত হুজর (রা) ও র্তাব সাথীগণ সারা রাত নামায আমার ও
ইবাদত বন্দেপী করেন ৷ ফজরের নামাষের পর ঘাতক দল ওদেরকে হত্যা করে ৷ এটি এসিদ্ধ
অভিমত ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
মুহাম্মদ সা দ উল্লেখ করেছেন যে,হুজব (বা) ও তার সাথীপণআমীর মুআবিয়৷ (রা) এর
নিকট হাজ্যিশ্ব হয়েছিলেন ৷ তিনি তাদেরকে ফেরত পাঠিয়ে ছিলেন এবং ফিরতি পথে আমরা
নামক স্থানে তাদেরকে হত্যা করা হয় ৷ তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আমীর
মু আবিয়া লোকজনদের সাথে পরামর্শ করেছিলেন ৷ কেউ কেউ তাদেরকে হত্যা করার পরামর্শ
দিয়েছিল ৷ কেউ তাদেরকে বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে দেয়ার কথা বলেছিল ৷ শেষ পর্বত আমীর
ঘুআবিয়া (রা) তাদের ব্যাপারে যিয়াদকে অন্য একটি পত্রে লিখেন ৷ যিয়াদ উত্তরে ইঙ্গিত ,
করেন যে, ইরাক দখলে এবং সেখানে শাসনঃকার্য পরিচালনার যদি ইচ্ছা থাকে তবে এদেরকে
হত্যা করে ফোপুন ৷ তখনই তাদেরকে হত তা৷র চুড়াত নির্দেশ দেয়৷ হয় ৷ অবশ্য বিভিন্ন রাজ্যের
প্রশাসকগণ তাদের মধ্য থেকে একে একে ছয় জনের এাণর্তিক্ষ৷ প্রার্থনা করে তাদেরকে
নিজেদের তত্ত্বাবধানে নিয়ে যান ৷ অবশিষ্ট ছয়জনকে হত্যা করা হয় ৷ সবার আগে হত্যা করা
হয় হুজর ইবন আদীকে ৷
অন্য একজন এই মতবাদ পরিত্যাগ করে ৷ ফলে আমীর ঘু আৰিযা (রা) তাকে ক্ষমা করে
দেন ৷ অন্য একজন হযরত উসমান (রা) এর আমলে ক্ষডিএস্ত হয়েছিল এবং সে দাবী
করেছিল যে, সেই সর্বপ্রথম আরবী বাক্যে হরফ্ ই যার”৩ তত্ত্ব আবিষ্কার করেন এবং সে
হযরত আলী (রা) এর প্রশংসা ও সুনাম করেছিল ৷ আমীর মুআবিয়৷ (রা)৩ তাকে এই বলে
যিয়াদের নিকট ফেরত পাঠালেন যে, ঐ দলে এর চাইতে আরো অধিক মন্দ লোক থাকা
সত্বেও একে আমার নিকট পাঠালে কেন? ল্যেকটি যিয়াদের নিকট ফিরে আসার পর যিয়াদ
তাকে নিয়ে গভীর সমুদ্রে ফেলে দেয় ৷ ইনি ছিলেন আবদুর রহমান ইবন হাসৃসান ফারাবী ৷
যীরা এই ঘটনায় আযরাতে নিহত হয়েছিলেন, তারা হলেন হুজর (রা), শারীক ইবন শাদ্দাদ,

সায়ফী ইবন ফাসীল কাবীস৷ ইবন দুব৷ ৷য়আ, মুহরিয় ইবন শিহাব মুনকিরী এবং কুদাস ইবন , ন্

হিবৃবান ৷ কেউ কেউ মনে করেন যে, আরাফারুএর মসজিদ আল-কাসাব-এ তাদেরকে দাফন
করা হয় ৷ তবে বিশুদ্ধ অভিমত এই যে, তাদেরকে দাফন করা হয় আযরা’ অঞ্চলে ৷


عَبْدِ اللَّهِ الْكِنْدِيُّ، وَشَرِيكُ بْنُ شَدَّادٍ الْحَضْرَمِيُّ، وَصَيْفِيُّ بْنُ فَسِيلٍ، وَقَبِيصَةُ بْنُ ضُبَيْعَةَ بْنِ حَرْمَلَةَ الْعَبْسِيُّ، وَكَرِيمُ بْنُ عَفِيفٍ الْخَثْعَمِيُّ، وَعَاصِمُ بْنُ عَوْفٍ الْبَجَلِيُّ، وَوَرْقَاءُ بْنُ سُمَيٍّ الْبَجَلِيُّ، وَكِدَامُ بْنُ حَيَّانَ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ حَسَّانَ الْعَنَزِيَّانُ مِنْ بَنَى تَمِيمٍ، وَمُحْرِزُ بْنُ شِهَابٍ التَّمِيمِيُّ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَوِيَّةَ السَّعْدِيُّ التَّمِيمِيُّ أَيْضًا. فَهَؤُلَاءِ أَصْحَابُهُ الَّذِينَ وَصَلُوا مَعَهُ، فَسَارُوا بِهِمْ إِلَى الشَّامِ، ثُمَّ إِنَّ زِيَادًا أَتْبَعَهُمْ بِرَجُلَيْنِ آخَرَيْنِ ; عُتْبَةَ بْنِ الْأَخْنَسِ مِنْ بَنِي سَعْدٍ، وَسَعْدِ بْنِ نَمِرَانَ الْهَمْدَانِيِّ، فَكَمَلُوا أَرْبَعَةَ عَشَرَ رَجُلًا. فَيُقَالُ: إِنَّ حُجْرًا لَمَّا دَخَلَ عَلَى مُعَاوِيَةَ قَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَغَضِبَ مُعَاوِيَةُ غَضَبًا شَدِيدًا، وَأَمَرَ بِضَرْبِ عُنُقِهِ هُوَ وَمَنْ مَعَهُ. وَيُقَالُ: إِنَّ مُعَاوِيَةَ رَكِبَ فَتَلَقَّاهُمْ إِلَى مَرْجِ عَذْرَاءَ. وَيُقَالُ: بَلْ بَعَثَ إِلَيْهِمْ مَنْ تَلَقَّاهُمْ إِلَى عَذْرَاءَ تَحْتَ الثَّنِيَّةِ ; ثَنِيَّةِ الْعُقَابِ فَقُتِلُوا هُنَاكَ، وَكَانَ الَّذِينَ بَعَثَ إِلَيْهِمْ ثَلَاثَةَ نَفَرٍ، وَهُمْ ; هُدْبَةُ بْنُ فَيَّاضٍ الْقُضَاعِيُّ، وَالْحُصَيْنُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْكِلَابِيُّ، وَأَبُو شَرِيفٍ
পৃষ্ঠা - ৬৪১০
الْبَدِّيُّ، فَجَاءُوا إِلَيْهِمْ عَشَاءً فَبَاتَ حُجْرٌ وَأَصْحَابُهُ يَصِلُونَ طُولَ اللَّيْلِ، فَلَمَّا صَلَّوُا الصُّبْحَ قَتَلُوهُمْ، وَهَذَا هُوَ الْأَشْهَرُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَذَكَرَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ أَنَّهُمْ دَخَلُوا عَلَيْهِ، ثُمَّ رَدَّهُمْ، فَقُتِلُوا بِعَذْرَاءَ. وَكَانَ مُعَاوِيَةُ قَدِ اسْتَشَارَ النَّاسَ فِيهِمْ حِينَ وَصَلُوا إِلَى مَرْجِ عَذْرَاءَ وَقِيلَ: إِنَّهُمْ حُبِسُوا بِهَا. فَمِنْ مُشِيرٍ بِقَتْلِهِمْ، وَمِنْ مُشِيرٍ بِتَفْرِيقِهِمْ فِي الْبِلَادِ، فَكَتَبَ مُعَاوِيَةُ إِلَى زِيَادٍ كِتَابًا آخَرَ فِي أَمْرِهِمْ، فَأَشَارَ عَلَيْهِ بِقَتْلِهِمْ إِنْ كَانَ لَهُ حَاجَةٌ فِي مُلْكِ الْعِرَاقِ، فَعِنْدَ ذَلِكَ أَمَرَ بِقَتْلِهِمْ، فَاسْتَوْهَبَ مِنْهُ الْأُمَرَاءُ وَاحِدًا بَعْدَ وَاحِدٍ، حَتَّى اسْتَوْهَبُوا مِنْهُ سِتَّةً، وَقَتَلَ مِنْهُمْ سِتَّةً، أَوَّلُهُمْ حُجْرُ بْنُ عَدِيٍّ وَرَجَعَ آخَرُ، فَعَفَا عَنْهُ مُعَاوِيَةُ، وَبَعَثَ بِآخَرَ نَالَ مِنْ عُثْمَانَ وَزَعَمَ أَنَّهُ أَوَّلُ مَنْ جَارَ فِي الْحُكْمِ، وَمَدَحَ عَلِيًّا، فَبَعَثَ بِهِ مُعَاوِيَةُ إِلَى زِيَادٍ، وَقَالَ لَهُ: لَمْ تَبْعَثْ إِلَيَّ فِيهِمْ أَرْدَى مِنْ هَذَا. فَلَمَّا وَصَلَ إِلَى زِيَادٍ دَفَنَهُ فِي قُسِّ النَّاطِفِ حَيًّا، وَهُوَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ حَسَّانَ الْعَنَزِيُّ. وَهَذِهِ تَسْمِيَةُ الَّذِينَ قُتِلُوا بِعَذْرَاءَ ; حُجْرُ بْنُ عَدِيٍّ وَشَرِيكُ بْنُ شَدَّادٍ،
পৃষ্ঠা - ৬৪১১


বর্ণিত আছে যে, ওরা যখন হুজ্বর (রা)-কে হত্যা করার প্রস্তুতি নিল তখন তিনি বললেন
যে, তোমরা আমাকে একটু ংসুযোপ দাও আমি ওঘু করে নিই ৷ তারা বলল, ওবু করে নিন ৷
তিনি বললেন, দু ’রাকা আত নামায আদায়ের সুযোগ দাও ৷ তারা সুযোপ ল্পি ৷ তিনি
সংক্ষিপ্তভাবে দু’রাকা আত নামায আদায় করলেন ৷ এরপর বললেন, আমি মৃত্যু ভয়ে ভীত হয়ে
পড়েছি ওরা তেমন বলবে এ আশংকা না থাকলে আমি নামায দৃরক্যেআত দীর্ঘ করে আমার
করতাম ৷ তিনি আরো বললেন যে, বহ নামায এই দৃরাকআেত এর পুর্বে আদায় করা
হয়েছে ৷
এরপর তারা তাকে হত্যা করার জন্যে নিয়ে গেল ৷ ইতিমধ্যে তাদের অ্যাংলা খনন করে
ফেলা হয়েছে এবং কাফনগুলো বিছিয়ে রখাে হয়েছে ৷ জল্লাদ যৰ্ন তরবারী হাতে তার দিকে

এগিয়ে এল হঠাৎ তার ঘাড়ের রগ কেপে উঠল ৷ তখন তাকে বলা হল যে, আপনি (তা , ,

বলেছেন আমি মৃত্যু ভয়ে ভীত নই’ ৷ তিনি বললেন, আযি ভীত হল না কােম্র আমি তো
আমার জন্যে খননকৃত কবর স্বচক্ষে দেখছি, বিছানো কাফ্ফা দেখছি এবং খাপ খোলা তলোরার
দেখছি ৷ এবার ত্তল্লোদ এগিয়ে গেল তার দিকে ৷ জল্লাদেয় নাম ছিল আবু শরীফ বাদাবী ৷ কেউ
কেউ বলেছেন, তার দিকে এগিয়ে গিয়েছিল একজন কানা ট্টলাক ৷ “যে হযরত হুজর (রা) কে
বলল, আপনার ঘাড় লম্বা করুন ৷ ’ তিনি বললেন, না, তা হবে না, আমাকে হত্যা করার আমি
সহযোগিতা করব না ৷’ তারপর ঐ জ্যাদ তার ঘাড়ে আঘাত করে এবং তাকে হত্যা করো
তিনি ওসীয়ত করে ন্ গিয়েছিলেন যে, তাকে যেন শিকলবদ্ধ অবস্থার দাফন ৰল্পা, হয় ৷ তারপর
তাই করা হয়েছিল ৷ ,;কেউ কেউ বলেছেন, তাকে গোসল দেয়া হয়েছিল এবং জানফুযার নামায
আদায় করা হয়েছিল ৷ বর্ণিত আছে যে, এ প্রসঙ্গে হযরত হাসান ইবন আলী (রা) বলেছিলেন,
ওরা কি তাকে বন্দী অবস্থায় দাফন করেছে? তার জানাযা আদায় করেছে৷ জৈব তাকে
জানানো হল যে, হরু৷ তাই করা হয়েছে ৷ তখন তিনি বললেন, আল্লাহর কলম ! তিনি ওদের
, উপর জয়ী হয়েছেন ৷ কিন্তু স্পষ্টত প্রতীয়মান হয় যে, এ কথাটি বলেছিলেন, হযরত হুসাযন
(বা) ৷ কারণ হযরত হুজর বা) নিহত হয়েছিলেন ৫১ হিজঃ৷ সনে ৷ মতাস্তরে ৫৩ হিজ্জী
সনে ৷ ত্ত্বার হযরত ইমাম হাসান (রা) এর ওফাত হয়েছিল তার পুর্বে ৷ আল্লাহ্ও ভাল জানেন ৷
শেষ পর্যন্ত লোকেরা তাকে হত্যা করল ৷
বর্ণিত আছে যে, আমীর মুআবিয়া (রা) হযরত আয়েশা (রাএর নিকট গিয়ে পর্দার
বাইরে থেকে তাকে সালাম দিয়েছিলেন, এটা হল হযরত হুজঃ (বা) ও তার সাথীগণ নিহত
হবার পর ৷ হযরত আয়েশা (রা) মুআবিয়া (রা) কে বলেছিলেন, আপনার ধৈর্য কোথার
গিয়েছিল, যখন আপনি হুজর (রা) ও তার সাৰীদেরকে হত্যা কংরহিংলনঃ আমীর মুআবিয়া
(রা) বললেন, আম্মাজান ! আমার নিকট থেকে আমার আশপশে থেকে আপনার মত মুরবৰীরা
যখন দুরে চলে যায় তখন আমার ধৈর্য বিলুপ্ত হয়ে যায় ৷ তারপর আমীর মুআৰিয়া (রা)
বললেন, আম্মাজান আমি এখন কি করে আপনার সেবা করতে পারি? হযরত আয়েশাপ্ (বা)
বললেন, আপনি তাে আমার প্রতি সেবাদানকারী আছেনই ৷ আমীর মুআবিয়৷ (রা) বললেন,
আমার জন্যে আল্লাহর সম্মুখে এতটুবুই যথেষ্ট ৷ কিয়ামতেব্ ময়দানে ন্থজর (বা) ও আমার
মধ্যে আল্লাহ্ই ফয়সালা বলবেন ৷
এক বর্ণনায় আছে যে, তিনি বলেছিলেন, যারা হযরত হুজর (রা)এর বিরুদ্ধে আমীর
,মুআবিয়া, (রা)-এর দরবারে সাক্ষ্য দিয়েছিল্দো, তারাই তাকে হত্যা করেছিলেন ৷’ ইবন জারীর


وَصَيْفِيُّ بْنُ فَسِيلٍ الشَّيْبَانِيُّ، وَقَبِيصَةُ بْنُ ضُبَيْعَةَ الْعَبْسِيُّ، وَمُحْرِزُ بْنُ شِهَابٍ الْمِنْقَرِيُّ السَّعْدِيُّ، وَكِدَامُ بْنُ حَيَّانَ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ حَسَّانَ الْعَنَزِيُّ الْمَبْعُوثُ إِلَى زِيَادٍ الْمَدْفُونُ فِي قُسِّ النَّاطِفِ، فَلَمَّا قُتِلُوا صُلِّيَ عَلَيْهِمْ وَدُفِنُوا. وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَزْعُمُ أَنَّهُمْ مَدْفُونُونَ بِمَسْجِدِ الْقَصَبِ، - وَمِنْهُمْ مَنْ يَزْعُمُ أَنَّهُمْ مَدْفُونُونَ بِمَسْجِدِ السَّبْعَةِ خَارِجَ بَابِ تُومَاءَ - وَإِنَّمَا نُسِبَتِ السَّبْعَةُ إِلَيْهِمْ ; لِأَنَّهُمْ سَبْعَةٌ - فِي شَرْقِيَّهِ، وَقِيلَ: هُمْ فِي غَرْبِيِّ مَسْجِدِ الْقَصَبِ. وَالصَّحِيحُ أَنَّهُمْ مَدْفُونُونَ بِعَذْرَاءَ مِنْ غُوطَةِ دِمَشْقَ رَحِمَهُمُ اللَّهُ. وَيُذْكَرُ أَنَّ حُجْرًا لَمَّا أَرَادُوا قَتْلَهُ قَالَ: دَعُونِي حَتَّى أَتَوَضَّأَ. فَقَالُوا: تَوَضَّأْ. فَقَالَ: دَعَونِي حَتَّى أُصَلِّيَ رَكْعَتَيْنِ. فَصَلَّاهُمَا وَخَفَّفَ فِيهِمَا. ثُمَّ قَالَ: وَاللَّهِ مَا صَلَّيْتُ صَلَاةً قَطُّ أَخَفَّ مِنْهُمَا، وَلَوْلَا أَنْ يَقُولُوا: إِنَّ مَا بِي جَزَعٌ مِنَ الْمَوْتِ. لَطَوَّلْتُهُمَا. ثُمَّ قَالَ: قَدْ تَقَدَّمَ لَهُمَا صَلَوَاتٌ كَثِيرَةٌ. ثُمَّ قَدَّمُوهُ لِلْقَتْلِ وَقَدْ حُفِرَتْ قُبُورُهُمْ وَنُشِرَتْ أَكْفَانُهُمْ، فَلَمَّا تَقَدَّمَ إِلَيْهِ السَّيَّافُ ارْتَعَدَتْ فَرَائِصُهُ، فَقِيلَ لَهُ: إِنَّكَ قُلْتَ: لَسْتُ بِجَازِعٍ مِنَ الْقَتْلِ. فَقَالَ: وَمَا لِي لَا أَجْزَعُ وَأَنَا أَرَى قَبْرًا مَحْفُورًا وَكَفَنًا مَنْشُورًا وَسَيْفًا مَشْهُورًا. فَأَرْسَلَهَا مَثَلًا. ثُمَّ تَقَدَّمَ إِلَيْهِ الْأَعْوَرُ هُدْبَةُ بْنُ فَيَّاضٍ بِالسَّيْفِ، فَقَالَ لَهُ: امْدُدْ عُنُقَكَ. فَقَالَ: لَا أُعِينُ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৬৪১২


(র!) উদ্ধৃত করেছেন যে, আমীর মুঅ!বিয়া (রা) এর প্রাণ যখন ওষ্ঠাগত তিনি যখন মুমুর্বু
তখন তিনি বলেছিলেন, ওহে হুজর ইবন অ!দী ! তোমার কারণে এই মৃভু!ক্ষণ আমার নিকট
অনেক দীর্ঘমনে হচ্ছে ৷ এ কথাটি তিনি তিনবার বলেহ্নে! ৷

মুহাম্মদ ইবন স! দ ত!ব!ক!ত গ্রন্থে বলেছেন যে, কোন কোন ঐতিহাসিক বলেছেন, হুজর
ইবন আদী (রা)ত তার ভাই হানী ইবন আদী (রা)-এর সাথে র!সুলুল্লাহ্ (স!) এর নিকট
উপস্থিত হয়েছিলেন ৷ তিনি ছিলেন হযরত আলী (রা) এর সমর্থক ৷ যিয়াদ ইবন আবু সুফিয়ান
কুফার শাসনকর্তা নিযুক্ত হয়ে সেখানে আগমন করার পর হুজর ইবন আদীকে ডেকে পাঠান ৷
হুজর ইবন আদী (রা)ত তার নিকট উপস্থিত হন ৷ হুজর (র!) কে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন,
আপনি জানেন যে, আমি আপনাকে চিনি ৷ আমি এবং আপনার পিতা দু’জনে একসাথে
ছিলাম ৷ এক বিষয়ে ঐকমত্যে কাি!ম ৷ হযরত আলী (র!) এর মহব্বত ও ভালবাসার এক মত
ছিলাম ৷ যিস্তু শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে !

আমি আপনাকে আল্লাহর দোহাই দিয়ে বলছি, আমার দ্বার! যেন আপনার একটুও রক্তপাত
ন! হয় ৷ তাহলে পুরো রক্তই ঝরে পড়বে ৷ আপনি আপনার জিহ্ব! সংযত করুন ৷ আপনার
ব!সস্থানই যেন আপনাকে সামনে নেয় ৷ এই হল অ !ম!য় র!জ-অ!সন আর ওটি আপনার বসার
স্থান ৷ আপনার যত প্রয়োজন আমার এখানে তার সমাধান পাবেন ৷ আপনার দ্বার! যেন আমার
ক্ষতি ন! হয় আপনি সেই ব্যবস্থা করুন ৷ আপনার দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রবণত ! সম্পর্কে আমি
ওয়াকিফহ!ল আছি ৷ আপনার নিজেকে সংযত রাখার জন্যে আমি আপনাকে আল্লাহর দােহইি
দিচ্ছি ৷ ঐ মুখ ও ভক্ত লোকদের সংস্পর্শ থেকে আপনি নিজেকে দুরে রাখুন ৷ ওর! যেন
আপনাকে আপনার মতবাদ থেকে বিচ্যুত করতে ন! পারে ৷’

হুজর (র!) বললেন, আপনার বক্তব্য আমি অনুধাবন করেছি ৷ এরপর হুজর (র!) আপন
গৃহে প্রবেশ করলেন-৷ শীয়ান্ স প্ৰদ!ষেব লোকজন তার নিকট উপস্থিত হল ৷ তার! বলল , :
যিয়াদ আপনাকে কী বলেছে?৩ তিনি বললেন, সে তো আমাকে এই এই কথা বলেছে ৷ ’

ইতিমধ্যে যিয়াদ বসর! গমন করেন ৷ শীয়া সন্ন্স্রদায়ের লোকজন হুজর (র!)ত্রর নিকট
নিয়মিত যাতায়াত করতে থাকে ! তার! তাকে বলতে থাকে যে, আপনি আমাদের শায়খৃ ৷ তিনি
মসজিদে আসার সময় তারা তার সাথে থাকে ৷ এ অবস্থা দেখে কুফার ভ!রুপ্র!প্ত প্রশাসক আমর
ইবন হুরায়ছ লোক পাঠিয়ে হুজর (রা) কে বললেন, একি ব্যাপার? আপনি তে! জানেন যে,
আপনি শাসনকর্তা যিয়াদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছেন, তার কর্তৃত্ব মেনে নিয়েছেন!
হুজর(র!) সরকারী প্রতিনিধির মাধ্যমে উত্তর পাঠালেন যে, তোমরা যে পথ ও মতের অনুসরণ
করছে! এর! ত! মানে ন! ৷ তুমি বরং ফিরে যাও ৷ সেটিই তোমার জন্য ভাল হবে ৷ হযরত হুজর
(রা) এর উত্তর পেয়ে আমর ইবন হুরায়ছ বসর!য় অবস্থানকারী শাসনকর্তা যিয়াদের নিকট ’
লিখলেন যে, কুফার শাসনকর্তা পদে বহাল থাকতে চইিলে তাড়াতাড়ি চলে আসুন ৷ যিয়াদ
কালবিলম্ব ন! করে কুফার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন ৷ ,

কুফার পৌছার পর সে আদী ইবন হ!তীম, জারীর ইবন আবদুল্লাহ ব!জালী ও পানির ইবন
উরফুতাসহ নেত তস্থানীয় লোকদের একটি প্রতিনিধি দল পাঠ!ল হযরত হুজর (রা)এর নিকট,
যাতে তার! হুজর (রা) কে ঐ বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠিঢির সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করতে এবং ওদের সাথে
উঠাবসা ত্যাগ করতে বলেন ৷ তার! তার নিকটে এসে উপস্থিত হলেন ! তার! তাদের প্রস্তাব
পেশ করছিলেন ! তাদের অভিমত ব্যক্ত করছিলেন ৷ হুজর (র!) ত! নীরবে শুনছিলেন ৷ কোন


قَتْلِ نَفْسِي. فَضَرَبَهُ فَقَتَلَهُ. وَكَانَ قَدْ أَوْصَى أَنْ يُدْفَنَ فِي قُيُودِهِ، فَفَعَلُوا بِهِ ذَلِكَ، وَقِيلَ: بَلْ غَسَّلُوهُ وَصَلَّوْا عَلَيْهِ. وَرَوَى أَنَّ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ قَالَ: أَصَلَّوْا عَلَيْهِ وَدَفَنُوهُ فِي قُيُودِهِ؟ ! قَالُوا: نَعَمْ. قَالَ: حَجَّهُمْ وَاللَّهِ. وَالظَّاهِرُ أَنَّ قَائِلَ هَذَا إِنَّمَا هُوَ الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ فَإِنَّ حُجْرًا إِنَّمَا قُتِلَ فِي سَنَةِ إِحْدَى وَخَمْسِينَ، وَقِيلَ: سَنَةَ ثَلَاثٍ وَخَمْسِينَ. وَعَلَى كُلِّ تَقْدِيرٍ فَالْحَسَنُ كَانَ قَدْ مَاتَ قَبْلَهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. رَضِيَ اللَّهُ عَنِ الْحَسَنِ، وَرَحِمَ اللَّهُ حُجْرًا وَأَصْحَابَهُ. وَرُوِّينَا أَنَّ مُعَاوِيَةَ لَمَّا دَخَلَ عَلَى أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ، فَسَلَّمَ عَلَيْهَا مِنْ وَرَاءِ الْحِجَابِ، وَذَلِكَ بَعْدَ مَقْتَلِ حُجْرٍ وَأَصْحَابِهِ، قَالَتْ لَهُ: أَيْنَ ذَهَبَ عَنْكَ حِلْمُكَ يَا مُعَاوِيَةَ حِينَ قَتَلْتَ حُجْرًا وَأَصْحَابَهُ؟ فَقَالَ لَهَا: فَقَدْتُهُ حِينَ غَابَ عَنِّي مِنْ قَوْمِي مِثْلُكِ يَا أُمَّاهُ. ثُمَّ قَالَ لَهَا: فَكَيْفَ بِرِّي بِكِ يَا أُمَّهْ؟ فَقَالَتْ: إِنَّكَ بِي لَبَارٌّ. فَقَالَ: يَكْفِينِي هَذَا عِنْدَ اللَّهِ، وَغَدًا لِي وَلِحُجْرٍ مَوْقِفٌ بَيْنَ يَدَيِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ. وفِي
পৃষ্ঠা - ৬৪১৩
رِوَايَةٍ أَنَّهُ قَالَ لَهَا: إِنَّمَا قَتَلَهُ الَّذِينَ شَهِدُوا عَلَيْهِ. وَرَوَى ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ مُعَاوِيَةَ لَمَّا حَضَرَهُ الْمَوتُ جَعْلَ يُغَرْغِرُ بِرُوحِهِ وَهُوَ يَقُولُ: إِنَّ يَوْمِي بِكَ يَا حُجْرُ بْنَ عَدِيٍّ لَطَوِيلٌ. قَالَهَا ثَلَاثًا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ فِي " الطَّبَقَاتِ ": ذَكَرَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ حُجْرًا وَفَدَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ أَخِيهِ هَانِئِ بْنِ عَدِيٍّ، وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ عَلِيٍّ، فَلَمَّا قَدِمَ زِيَادُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ وَالِيًا عَلَى الْكُوفَةِ دَعَا بِحُجْرِ بْنِ عَدِيٍّ، فَقَالَ: تَعْلَمُ أَنِّي أَعْرِفُكَ، وَقَدْ كُنْتُ أَنَا وَإِيَّاكَ عَلَى مَا قَدْ عَلِمْتَ - يَعْنِي مِنْ حُبِّ عَلِيٍّ - وَأَنَّهُ قَدْ جَاءَ غَيْرُ ذَلِكَ، وَإِنِّي أَنْشُدُكَ اللَّهَ أَنْ تُقْطِرَ لِي مِنْ دَمِكَ قَطْرَةً فَأَسْتَفْرِغَهُ كُلَّهُ، امْلِكْ عَلَيْكَ لِسَانَكَ، وَلْيَسَعْكَ مَنْزِلُكَ، وَهَذَا سَرِيرِي فَهُوَ مَجْلِسُكَ، وَحَوَائِجُكَ مَقْضِيَّةٌ لَدَيَّ، فَاكْفِنِي نَفْسَكَ فَإِنِّي أَعْرِفُ عِجْلَتَكَ، فَأَنْشُدُكَ اللَّهَ فِي نَفْسِكَ، وَإِيَّاكَ وَهَذِهِ السَّفِلَةَ وَهَؤُلَاءِ السُّفَهَاءَ أَنْ يَسْتَنَزِلُّوكَ عَنْ رَأْيِكَ. فَقَالَ حُجْرٌ: قَدْ فَهِمْتُ. ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى مَنْزِلِهِ، فَأَتَاهُ الشِّيعَةُ فَقَالُوا: مَا قَالُ لَكَ؟ قَالَ: قَالَ لِي كَذَا وَكَذَا. فَقَالُوا: مَا نَصَحَ لَكَ. وَسَارَ زِيَادٌ إِلَى الْبَصْرَةِ، ثُمَّ جَعَلُوا يَتَرَدَّدُونَ إِلَيْهِ يَقُولُونَ لَهُ: أَنْتَ شَيْخُنَا. وَإِذَا جَاءَ إِلَى الْمَسْجِدِ مَشَوْا مَعَهُ، فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ عَمْرُو بْنُ حُرَيْثٍ نَائِبُ زِيَادٍ عَلَى الْكُوفَةِ، يَقُولُ: مَا هَذِهِ
পৃষ্ঠা - ৬৪১৪

উত্তর দিচ্ছিলেন না ৷ বরং৩ তিনি বললেন, হে বালক ! উটটি কি ঘাস থেয়ােছ?’ উট তো ঘরে
বাধা ছিল ৷ এ পর্যায়ে আদী ইবন হাতিম বললেন তুমি কি পাগল হয়ে গিংরচুছ? আমরা

তামার সাথে কথা বলছি আর তুমি বলছ,ন্ উট কি ঘাস থেয়েছে?’ এরপর আদী তার
সাথীদেরকে বললেন,, আমি দেখছি যে, এই৩ হত ভাগ৷ দুর্বলতার শেষ সীমানায় পৌছে গেছে ৷
দেহে এবং মস্তিষ্কে সে দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়ে পডেছে’ ৷ এরপর তারা চলে গেলেন ৷ তারা
যিয়াদকে তার কিছু বিষয় জানা ল আর কিছু গোপন রাখেন ৷ত তারা হুজর (বা) সম্পকে যিয়াদের
নিকট ভাল প্রতিবেদন পেশ করেন এবং তার প্ৰতি নমনীয় হওয়ার সুপারিশ করেন ৷ যিয়াদ ঐ
সুপারিশ গ্রহণ করেন নি ৷

যিয়াদ বরং হুজর (রা) এর প্রতি পুলিশ পাঠিয়েছেন ৷ তারা বল প্রয়ােগে হযরত হুজর (রা)

ওতার সাথীদেরকে যিয়াদের দরবারে নিয়ে আসে ৷ যিয়াদ তাকে বললেন, তোমার কি হল?
কি অবস্থা তোমার? হুজর (বা) বললেন, আমি তে ৷ মুআবিয়৷ (বা) এর বায আভে ও শপথে
অবিচল আছি’ ৷ যিয়াদ প্রায় ৭০ জন কুফাবাসী লোককে ডেকে আনলেন এবং তাদেরকে
বললেন, তোমরা হুজর (বা) ও তার সাথীদের বিরুদ্ধে তোমাদের সাক্ষোর করা লিখে রাখ ৷
ওরা তাই করল ৷ এরপর ওদের সকলকে মুআবিয়ার নিকট পাঠিয়ে দেওয়া হল ৷ এই সংবাদ
হযরত আয়েশা (রা)-এব নিকট পৌছে ৷ তিনি আবদুর রহমান ইবন হারীস ইবন ইিশামকে
মুআবিয়ার নিকট পাঠালেন এই অনৃরোবসহ যে, তিনি যেন হুজর (বা) ও তার সাথীদেরকে
যুক্তি দেন ৷ হুজর ও তার সাথীপণ মুআবিয়৷ (রা) এর নিকট পৌছার পর তিনি যিয়াদের
পাঠানো প্রতিবেদন পাঠ করে বললেন, ওদেরকে “আমরা” অঞ্চলে নিয়ে যাও এবং সবাইকে
মৃত্যুদণ্ড দাও ৷’ লোকজন তাদেরকে “আযরা অঞ্চলে নিয়ে যায় এবং তাদের মধ্য থেকে
সাতজনকে হত্যা করে ৷ এরপর ওদেরকে মুভি দেয়ার নির্দেশ সম্বলিত আমীর মুআবিয়ার পত্র

সেখানে পৌছে ৷ পত্রবা হক ণ্সখৃালে গিয়ে দেখতে পায় যে, ইতিমধ্যে সাতজ্যাকে হত্যা করা

হয়েছে ৷ অবশিষ্ট বন্দীদেয়াক মুক্তি দেয়া হয়৷ ইতিমধ্যে নিহত সা তজনের অন্যতম ছিলেন
হযরত হুজর (বা) ৷ ওর৷ যখন তাকে হত্যা করতে প্রস্তুত তখন দু রাকআ৩ নামায আদায়ের
সুযোগ দানের জন্য তিনি ওর্দেরকে অনুরোধ জ নিয়েছিলেন তারা সুযোগ দিয়েছিল ৷ তিনি
দীর্ঘ সময় নিয়ে দু বাক৩া৷৩ নামায আদায় করলেন ৷৩ তারপর বললেন, আমার জীবনে এটি
হল সবচইিতে সংক্ষিপ্ত নামায’ ৷ ওদের হত্যাকাণ্ড শেষ হবার পর হযরত আয়েশা (বা) এর
পত্রবাহক সেখানে পৌছে ৷
হজ্জ উপলক্ষে আয়েশা (রা)-এর সাথে আমীর যুআবিয়া (রা)-এর সক্ষোত হবার পর তিনি
আমীর যুআবিয়া (বা)-কে বলেছিলেন, হুজ্জা (রা)-কে মৃতৃাদণ্ডে দত্তিত করার সময় আপনার ধৈর্য
কোথায় গিয়েছিল?’ উত্তরে যুআবিয়া (বা) বলেছিলেন যে,আপনার মত ব্যক্তিত্ব যখন আমার
সম্প্রদায়ের মধ্যে অনুপস্থিত ছিল তখন আমার ধৈর্য লোপ পেয়েজ্জি ৷’
বর্ণিত আছে যে, হযরত আয়েশা (রা)-এর পত্রবাহক আবদুর রহমান ইবন হাব্রিছ অামীর
মুআবিয়৷ (রা) কে বলেছিলেন যে, আপনি কি হুজর ইবন আদবারকে হত্যা করেছেন?’ উত্তরে
আমীর মুআবিয়া (বা) বলেছিলেন, তার সাৰী এক লক্ষ লোককে হত্যা করার চাইতে শুধু
তাকে হত্যা করা আমার নিকট ভাল মনে হয়েছে ৷’
ইবন জারীর প্রমুখ হুজর ইবন আদী (বা) ও তার সাথীদের সুত্রে উল্লেখ করেছেন যে,
তারা হযরত উসমান (বা) এর পক্ষ থেকে দুঃখজনক আচরণ পেরু তন ৷ তারা হষ্রত উসমান ণ্


الْجَمَاعَةُ وَقَدْ أَعْطَيْتَ الْأَمِيرَ مَا قَدْ عَلِمْتَ؟ فَقَالَ لِلرَّسُولِ: إِنَّهُمْ يُنْكِرُونَ مَا أَنْتُمْ عَلَيْهِ، إِلَيْكَ وَرَاءَكَ أَوْسَعَ لَكَ. فَكَتَبَ عَمْرُو بْنُ حُرَيْثٍ إِلَى زِيَادٍ: إِنْ كَانَتْ لَكَ حَاجَةٌ بِالْكُوفَةِ فَالْعَجَلَ. فَأَعْجَلَ زِيَادٌ السَّيْرَ إِلَى الْكُوفَةِ، فَلَمَّا وَصَلَ بَعَثَ إِلَيْهِ عَدِيَّ بْنَ حَاتِمٍ وَجَرِيرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيَّ، وَخَالِدَ بْنَ عُرْفُطَةَ فِي جَمَاعَةٍ مِنْ أَشْرَافِ أَهْلِ الْكُوفَةِ لِيَنْهَوْهُ عَنْ هَذِهِ الْجَمَاعَةِ، فَأَتَوْهُ فَجَعَلُوا يُحَدِّثُونَهُ وَلَا يَرُدُّ عَلَيْهِمْ شَيْئًا، بَلْ جَعَلَ يَقُولُ: يَا غُلَامُ، اعْلِفِ الْبَكْرَ. لِبَكْرٍ مَرْبُوطٍ فِي الدَّارِ. فَقَالَ لَهُ عَدِيُّ بْنُ حَاتِمٍ: أَمْجَنُونٌ أَنْتَ؟ نُكَلِّمُكَ وَأَنْتَ تَقُولُ: يَا غُلَامُ، اعْلِفِ الْبَكْرَ! ثُمَّ قَالَ عَدِيٌّ لِأَصْحَابِهِ: مَا كُنْتُ أَظُنُّ هَذَا الْبَائِسَ بَلَغَ بِهِ الضَّعْفُ كُلَّ مَا أَرَى. ثُمَّ نَهَضُوا فَأَخْبَرُوا زِيَادًا بِبَعْضِ الْخَبَرِ وَكَتَمُوهُ بَعْضًا، وَحَسَّنُوا أَمْرَهُ وَسَأَلُوهُ الرِّفْقَ بِهِ، فَلَمْ يَقْبَلْ، بَلْ بَعَثَ إِلَيْهِ الشُّرَطَ وَالْبُخَارِيَّةَ، فَأَتَى بِهِ وَبِأَصْحَابِهِ، فَقَالَ لَهُ: زِيَادٌ: وَيْلَكَ مَا لَكَ؟ قَالَ: إِنِّي عَلَى بَيْعَتِي لِمُعَاوِيَةَ. فَجَمَعَ زِيَادٌ سَبْعِينَ مِنْ وُجُوهِ أَهْلِ الْكُوفَةِ، فَقَالَ: اكْتُبُوا شَهَادَتَكُمْ عَلَى حُجْرٍ وَأَصْحَابِهِ. فَفَعَلُوا ثُمَّ أَوْفَدَهُمْ إِلَى مُعَاوِيَةَ، وَبَلَغَ الْخَبَرُ عَائِشَةَ، فَأَرْسَلَتْ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ إِلَى مُعَاوِيَةَ تَسْأَلُهُ أَنْ يُخَلِّيَ سَبِيلَهُمْ، فَلَمَّا دَخَلُوا عَلَى مُعَاوِيَةَ قَرَأَ كِتَابَ زِيَادٍ، وَشَهِدَ الشُّهُودُ فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: اخْرُجُوا بِهِمْ إِلَى عَذْرَاءَ، فَاقْتُلُوهُمْ هُنَاكَ. فَذَهَبُوا بِهِمْ، ثُمَّ قَتَلُوا مِنْهُمْ سَبْعَةً، ثُمَّ جَاءَ رَسُولُ مُعَاوِيَةَ بِالتَّخْلِيَةِ عَنْهُمْ، وَأَنْ يُطْلِقُوهُمْ كُلَّهُمْ، فَوَجَدَهُمْ قَدْ قَتَلُوا مِنْهُمْ سَبْعَةً فَأَطْلَقُوا السَّبْعَةَ
পৃষ্ঠা - ৬৪১৫


(রা) সম্মুখে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনত ৷ তারা প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সমালোনাে করত
এবং ওদের প্ৰতি আনুগত্যহীনতা প্রদর্শন করত ৷ তারা হযরত আলী (রা)-এর ভক্তদেরকে
ভালবাসত এবং দীনের ক্ষেত্রে কঠোরত৷ অবলম্বন করত ৷
বণিক্তি আছে যে, বন্দী অবস্থায় হযরত হুজর ইবন-আদী (রা )-ণ্ক যখন কুফ৷ থেকে সিরিয়া
নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন তার কন্যাগণ ক্রন্দনরত অবস্থায় তার সম্মুখে আসে ৷ তিনি তাদের
প্রতি মাথা বাড়িয়ে বললেন, তােমাদেৱ ভ্যণ-পােষণের ব্যবস্থা করেন তো আল্লাহ তা“আলা ৷
আমার পরেও তিনি তো আছেনই ৷ ৰু সুতরাং তোমাদের কর্তব্য হল আল্লাহ্ভীতি অর্জন করা এবং
তার ইবাদত করা ৷ আমি যদি এই যাত্রার নিহত হই তবে আমি শাহাদাতেয় মর্যাদার ভুষিত
হব ৷ আর যদি তোমাদের নিকট ফিরে আমি তবে সম্মান ও মর্যাদাবান হয়ে ফিরে আসর ৷
আমার অবর্তমানে মহান আল্লাহ-ই তোমাদের তত্ত্বাবধান করবেন ৷’ তারপর তিনি তার
সাথীদের সাথে বন্দী অবস্থায় যাত্রা করলেন ৷
কেউ কেউ বলেছেন যে, তিনি ওসীয়ত করে গিয়েছিলেন যে, তার মৃত্যুর পর তাকে যেন
ঐ বন্দী অবস্থায় দাফন করা হয় ৷ শেষ পর্যন্ত তাই করা হয়েছিল ৷ তবে তাদের জানাযা
আদায় করা হয়েছিল এবং কেবলামুখী করে দাফন করা হয়েছিল ৷ আল্লাহ তাদের সকলের
প্রতি দয়া করুন ৷ ,
হযরত আলী (রা) এর ভক্তবৃন্দের জনৈক মহিল৷ হযরত হুজর (রা) এর শোক প্রকাশে
নিম্নের শোকগাথা রচনা করেছিলেন ৷ ঐ মহিলা হিন্দা বিনৃতে যায়দ ইবন মাখরামা
আনসারিয়্যা ৷ কেউ কেউ বলেছেন, ঐ হিন্দা হল হুজর (রা) এর বোন ৷ আল্লাহ্ ই ভাল
জানেন ৷ ণ্
হে প্রদীপ্ত চন্দ্র তুমি ওপরের দিকে উঠতে থাক ৷ আর তাকিয়ে দেখ, তুমি নি১ হুজর (রা)
কে পথ চলতে দেখতে পাচ্ছা
ভিনি যাচ্ছেন মুআবিয়া ইবন হারবের দরবারে ৷ যাতে মুাআবিয় ৷(রা) তাকে হত্যা
করেন ৷ মু আবিয়া (রা) এর নিযুক্ত প্রশাসকণ্ তমনটি দাবী জানিয়েছেন ৷
আমীর মুআবিয়৷ মনে করেন যে, ভাল মানুষকে হত্যা করা তার ক৩ব্যি ৷ তার একজন
পরামর্শদাতা ৷আছেন, যে খুবই মন্দ লোক ৷’
ৰুা৷
আহ ! হুজর (রা) এর যদি স্বাভাবিক মৃত্যু হত ৷ যদি উট যবইি করার ন্যায় তাকে যবইি
করা না হত, তবে কতই ন৷ ভাল হত ৷’
জর (রা) এর মৃত্যুর পর স্বৈরাচারী শাসক তার স্বৈরাচারী শাসন চালাচ্ছিল বাধাহীন
ভাবেহ ৷ তার জন্য তখন থুওয়ারনিক ও সাদীর নামের দুই অঞ্চল নিরাপদ ও নিষ্কণ্টক হয়ে
ওঠে ৷





الْبَاقِينَ، وَلَكِنْ كَانَ حُجْرٌ فِيمَنْ قُتِلَ، وَكَانَ قَدْ سَأَلَهُمْ أَنْ يُصَلِّيَ رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يَقْتُلُوهُ، فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ فَطَوَّلَ فِيهِمَا، وَقَالَ: إِنَّهُمَا لَأَخَفُّ صَلَاةٍ صَلَّيْتُهَا. وَجَاءَ رَسُولُ عَائِشَةَ بَعْدَ مَا فُرِغَ مِنْ شَأْنِهِمْ، فَلَمَّا حَجَّ مُعَاوِيَةُ قَالَتْ لَهُ عَائِشَةُ: أَيْنَ عَزَبَ عَنْكَ حِلْمُكَ حِينَ قَتَلْتَ حُجْرًا؟ فَقَالَ: حِينَ غَابَ عَنِّي مِثْلُكِ مِنْ قَوْمِي. وَيُرْوَى أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الْحَارِثِ قَالَ لِمُعَاوِيَةَ أَقَتَلْتَ حُجْرَ بْنَ الْأَدْبَرِ؟ فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: قَتْلُهُ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَقْتُلَ مَعَهُ مِائَةَ أَلْفٍ. وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ وَغَيْرُهُ عَنْ حُجْرِ بْنِ عَدِيٍّ وَأَصْحَابِهِ أَنَّهُمْ كَانُوا يَنَالُونَ مِنْ عُثْمَانَ، وَيَقُولُونَ فِيهِ مَقَالَةَ الْجَوْرِ، وَيَنْتَقِدُونَ عَلَى الْأُمَرَاءِ، وَيُسَارِعُونَ فِي الْإِنْكَارِ عَلَيْهِمْ، وَيُبَالِغُونَ فِي ذَلِكَ، وَيَتَوَلَّوْنَ شِيعَةَ عَلِيٍّ، وَيَتَشَدَّدُونَ فِي الدِّينِ. وَيُرْوَى أَنَّهُ لَمَّا أُخِذَ فِي قُيُودِهِ سَائِرًا مِنَ الْكُوفَةِ إِلَى الشَّامِ، تَلَقَّتْهُ بَنَاتُهُ فِي الطَّرِيقِ وَهُنَّ يَبْكِينَ، فَمَالَ نَحْوَهُنَّ فَسَكَتَ سَاعَةً ثُمَّ قَالَ: إِنِ الَّذِي يُطْعِمُكُنَّ وَيَسْقِيكُنَّ وَيَكْسُوكُنَّ هُوَ اللَّهُ، وَهُوَ بَاقٍ لَكُنَّ بَعْدِي، فَعَلَيْكُنَّ بِتَقْوَى اللَّهِ وَعِبَادَتِهِ، وَالصَّبْرِ ابْتِغَاءَ وَجْهِهِ، وَالتَّوَكُّلِ عَلَيْهِ، فَإِنَّهُ حَيٌّ لَا يَمُوتُ أَبَدًا، فَاتَّقِينَ اللَّهَ وَاصْبِرْنَ، فَإِنِّي لَأَرْجُو مِنْ رَبِّي، عَزَّ وَجَلَّ، فِي وَجْهِي هَذَا إِحْدَى الْحُسْنَيَيْنِ ; إِمَّا
পৃষ্ঠা - ৬৪১৬
الشَّهَادَةَ وَهِيَ السَّعَادَةُ الْكُبْرَى، وَإِمَّا الِانْصِرَافَ إِلَيْكُنَّ فِي عَافِيَةٍ، وَإِنِّي لَأَرْجُو مِنَ اللَّهِ الَّذِي كَانَ يَكْفِينِي مُؤْنَتَكُنَّ أَنْ لَا يُضَيِّعَكُنَّ وَأَنْ يَحْفَظَنِي فَيْكُنَّ. ثُمَّ انْصَرَفَ فَمَرَّ بِقَوْمِهِ فَجَعَلُوا يَدْعُونَ اللَّهَ لَهُ بِالْعَافِيَةِ، فَأَتَوْا بِهِ وَبِأَصْحَابِهِ مَرْجَ عَذْرَاءَ فَقُتِلُوا وَدَفَنُوهُمْ مُسْتَقْبِلِي الْقِبْلَةِ، رَحِمَهُمُ اللَّهُ وَعَفَا عَنْهُمْ. وَقَدْ قَالَتِ امْرَأَةٌ مِنَ الْمُتَشَيِّعَاتِ تَرْثِي حُجْرًا، وَهِيَ هِنْدُ بِنْتُ زَيْدِ بْنِ مَخْرَمَةَ - الْأَنْصَارِيَّةُ - وَيُقَالُ: إِنَّهَا لِهِنْدٍ أُخْتِ حُجْرٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ -: تَرَفَّعْ أَيُّهَا الْقَمَرُ الْمُنِيرُ ... تَبَصَّرْ هَلْ تَرَى حُجْرًا يَسِيرُ يَسِيرُ إِلَى مُعَاوِيَةَ بْنِ حَرْبٍ ... لِيَقْتُلَهُ كَمَا زَعَمَ الْأَمِيرُ يَرَى قَتْلَ الْخِيَارِ عَلَيْهِ حَقًّا ... لَهُ مِنْ شَرِّ أُمَّتِهِ وَزِيرُ أَلَّا يَا لَيْتَ حُجْرًا مَاتَ مَوْتًا ... وَلَمْ يُنْحَرْ كَمَا نُحِرَ الْبَعِيرُ تَجَبَّرَتِ الْجَبَابِرُ بَعْدَ حُجْرٍ ... وَطَابَ لَهَا الْخَوَرْنَقُ وَالسَّدِيرُ وَأَصْبَحَتِ الْبِلَادُ لَهُ مُحُولًا ... كَأَنْ لَمْ يُحْيِهَا مُزْنٌ مَطِيرُ أَلَّا يَا حُجْرُ حُجْرَ بَنِي عَدِيٍّ ... تَلَقَّتْكَ السَّلَامَةُ وَالسُّرُورُ
পৃষ্ঠা - ৬৪১৭


এ সময়ে সকল শহর-নগর তার জন্য মরুভুমিতে পরিণত হয় ৷ যেন কোন ঝড়-বৃষ্টি
এগুলোকে প্রাণ সং হার করেনি উবরতা দেয় নি’ ৷

ওহে হুজর ! আদীর পুত্র হুজর! আপনি তো শান্তি, নিরাপত্তা ও আনন্দের দেখা
পেয়েছেন ৷’
আমিণ্ তো আপনার জন্য সেই পরিস্থিতির আশঙ্কা করতাম য৷ ধ্ব স করেছে আদীকে এবং
দামেশৃকেব একজন বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী ব্যক্তিকে ৷
;ব্লু,াট্রুা
আপনি যদি ধ্বংসই হয়ে থাকেন তবে দুনিয়ার সকল নেতা দলপতি ধ্বংসের পখেই
যাবে ৷’
ওরা এ বিষয়ে খুশি হয়েছে যে, আপনার মৃত্যুর পর আপনি বিভিন্ন প্রকারের সুখ-শান্তি,
বেহেশৃত ও আনন্দময় পরিণতি লাভ করুন ৷
ইবন আসাকির হযরত হুজর (রা) এর মৃত্যুতে রচিত রহ গােকপাথা উল্লেখ করেছেন ৷
ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান বলেছেন, হারমালাহ অ ৷বু আসওয়াদ থেকে বর্ণনা করেন যে,৩ তিনি
বলেছেন, একদা আমীর মুআবিয়া (রা) হযরত আয়েশা (না)-এর নিকট গেলেন ৷ হযরত
আয়েশা (রা) বলেছিলেন, আযরায় নিহত হুজৱ (রা) ও তবে সাখীদেরকে হত্যা করতে কিসে
আপনাকে প্ররোচিত করেছিল?’ উত্তরে মুআৰিয়া বলেছিলেন, হে উম্মুল মু’মিনীন৷ ওদেরকে
হত্যা করার মধ্যে আমি সাধারণ জনগণের কল্যাণ দেখতে পেয়েছিলাম ৷ আর ওদেরকে
র্বীচিয়ে রাখার মধ্যে জনসাধারণের অশান্তি দেখতে পেয়েছিলাম ৷’ অতপর হৰৱত আয়েশা
(রা) বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বলতে ওনেছি ,
মোঃ
আযর৷ অঞ্চলে কিছু লোককে হত্যা করা হবে ৷ তাদের হ্ত্যাকাণ্ডে মহান আল্পাহ্ নারাজ
হবেন এবং আকাশের অধিবাসী সকলেই নারাজ হবে ৷
ল্দো এই হাদীসের সনদটি দুর্বল ও বিজ্জি ৷ আবদুল্লাহ্ইবন মুবারক ইবন লাহীআ সুত্রে
আবু আসওয়াদ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত আয়েশা (রা) বলেছিলেন, আমার নিকট
এই মর্মে বর্ণনা পৌছেছে যে, আমরা অঞ্চলে কতক লোক নিহত হবে, তাদের হত্যাকাণ্ডে মহান
আল্লাহ ও আকাশবাসীগণ অসন্তুষ্ট হবেন ৷
ইয়াকুব বলেছেন, ইবন লাহী আ অ ৷বদুল্লাহ্ ইবন রাযীন গাফিকী থেকে বর্ণনা করেন
যে, তিনি বলেছেন, আমি হযরত আলী (রা) কে বলতে ওনেছি, হে ইরাকী জ্ঞাপণ! তোমাদের
সাতজন লোক আযরা অঞ্চলে নিহত হবে ৷’ ওদের অবস্থা হবে ইতিহাসে প্রসিদ্ধ আসহাব-ই
উখদুদ তথা অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষিপ্ত হয়ে মৃত্যুবরপকারী লোকদের ন্যায় ৷’ কবিতার ব্যাখ্যার
বর্ণনাকারী বলেন, এত ৩হুজর (রা) ও তার সাথীদের কথা বুঝানো হয়েছে ৷ এই সনদে
বর্ণনা কারী ইবন লাহী আ একজন দুর্বল বর্ণনার্কায়ী ৷

আল-বিদায়য়ু ওয়ান নিহায়া-১ ৫

أَخَافُ عَلَيْكَ مَا أَرْدَى عَدِيٍّا ... وَشَيْخًا فِي دِمَشْقَ لَهُ زَئِيرُ فَإِنْ تَهْلِكْ فَكُلُّ زَعِيمِ قَوْمٍ ... مِنَ الدُّنْيَا إِلَى هُلْكٍ يَصِيرُ وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ عَسَاكِرَ لَهُ مَرَاثِيَ كَثِيرَةً. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ، أَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ قَالَ: دَخَلَ مُعَاوِيَةُ عَلَى عَائِشَةَ، فَقَالَتْ: مَا حَمَلَكَ عَلَى قَتْلِ أَهْلِ عَذْرَاءَ حُجْرٍ وَأَصْحَابِهِ؟ فَقَالَ: يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ، إِنِّي رَأَيْتُ فِي قَتْلِهِمْ صَلَاحًا لِلْأُمَّةِ، وَفِي بَقَائِهِمْ فَسَادًا لِلْأُمَّةِ. فَقَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «سَيُقْتَلُ بِعَذْرَاءَ أُنَاسٌ يَغْضَبُ اللَّهُ لَهُمْ وَأَهْلُ السَّمَاءِ ".» وَهَذَا إِسْنَادٌ ضَعِيفٌ مُنْقَطِعٌ. وَقَدْ رَوَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ، أَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: بَلَغَنِي أَنَّهُ سَيُقْتَلُ بِعَذْرَاءَ أُنَاسٌ يَغْضَبُ اللَّهُ لَهُمْ وَأَهْلُ السَّمَاءِ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنِي ابْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ،
পৃষ্ঠা - ৬৪১৮
حَدَّثَنِي الْحَارِثُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زُرَيرٍ الْغَافِقِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ عَلِيًّا يَقُولُ: يَا أَهْلَ الْعِرَاقِ، سَيُقْتَلُ مِنْكُمْ سَبْعَةُ نَفَرٍ بِعَذْرَاءَ، مَثَلُهُمْ كَمَثَلِ أَصْحَابِ الْأُخْدُودِ. قَالَ: فَقُتِلَ حُجْرٌ وَأَصْحَابُهُ. ابْنُ لَهِيعَةَ ضَعِيفٌ. وَرَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَنِ ابْنِ عُلَيَّةَ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ نَافِعٍ قَالَ: كَانَ ابْنُ عُمَرَ فِي السُّوقِ، فَنُعِيَ لَهُ حُجْرٌ، فَأَطْلَقَ حُبْوَتَهُ، وَقَامَ وَغَلَبَ عَلَيْهِ النَّحِيبُ. وَرَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ أَيْضًا، عَنْ عَفَّانَ، عَنِ ابْنِ عُلَيَّةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ أَوْ غَيْرِهِ قَالَ: لَمَّا قَدِمَ مُعَاوِيَةُ الْمَدِينَةَ دَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ فَقَالَتْ: أَقَتَلْتَ حُجْرًا؟ فَقَالَ: يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ، إِنِّي وَجَدْتُ قَتْلَ رَجُلٍ فِي صَلَاحِ النَّاسِ خَيْرًا مِنِ اسْتِحْيَائِهِ فِي فَسَادِهِمْ. وَقَالَ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ قَالَ: دَخَلْتُ مَعَ مُعَاوِيَةَ عَلَى أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ فَقَالَتْ: يَا مُعَاوِيَةُ، قَتَلْتَ حُجْرًا وَأَصْحَابَهُ وَفَعَلْتَ الَّذِي فَعَلْتَ، أَمَّا خَشِيتَ أَنْ أُخَبِّئَ لَكَ رَجُلًا يَقْتُلُكَ؟ فَقَالَ: لَا، إِنِّي فِي بَيْتِ الْأَمَانِ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ৬৪১৯

ইমাম আহমদ (র) ইবন উলাইর৷ সুত্রে ইবন আওনের মাধ্যমে নাফি (র) থেকে বর্ণনা
করেছেন যে, তিনি বলেছেন, হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) বাজারে ছিলেন ৷ এ সম্য়ে
হযরত হুজর (রা)-এর নিহত হবার সংবাদ তার নিকটে আসে ৷ এই সংবাদ শুনে তিনি তার
পাপড়ী খুলে ফেললেন এবং উঠে দাড়িয়ে গেলেন ৷ এরপর প্রুচুণ্ড কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন ৷’
ইমাম আহমদ ইবন উলাইয়৷ আবদুল্লাহ ইবন আবী মুলায়ক৷ থেকে কিংবা অন্য কারো,
থােক বর্ণনা করেছেন যে, আমীর মুআবিয়৷ (রা) যখন মদীনায় এলেন তখন তিনি হযরত
আয়েশা (রা)-এর নিকট গেলেন ৷ হযরত আয়েশা (বা) তাকে বললেন, আপনি কি হুজর
(রা)কে হত্যা করেছেন?’ উত্তরে আমীর মুআবিয়া (রা) বললেন, হে উম্মুল মু’মিনীন ৷ আমি
উপলব্ধি করেছিলাম যে, জনসাধারণের ক্ষতিসাধনের পথ উন্মুক্ত রেখে একজন লোককে
বাচিয়ে রাখার চাইতে তাদের বল্যোণার্থে ঐ লোককে হত্যা করা গ্রেয় হবে ৷’

হাম্মাদ ইবন সালাম৷ মারওয়ান থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছিলেন, আমি আমীর
মু আৰিয়া (রা) এর সাথে হযরত আয়েশা (রা) এর নিকটে গিয়েছিলেন ৷ হযরত আয়েশা (রা)
তখন বলেছিলেন, হে মুআবিয়া (রা) ! আপনি তাে হুজর (রা) ও তার সাথীদেরকে হত্যা
করেছেন এবং যা অপকর্ম করার করেছেন ৷ এখন আপনি কি এই ভয় করেন না যে, আপনাকে
হত্যার জন্য আমি কাউকে লুকিয়ে ব্লেখেছি এবং সে আপনাকে হত্যা করবেঃ’ মুআবিয়া (রা)
বললেন, না, আর্মি ঐ ভয় করি না৷ কারণ আমি একটি নিরাপদ গৃহে অবস্থান করছি ৷ আমি
রাসুলুল্লাহ্ ঈমান
হল গুপ্তহত্যার বিরোধী ৷ ঈমানদার মানুষ কাউকে £ণ্া ৷পনে ও ছলচান্দী করে হত্যা করে না’ ৷
অতঃপর হে উম্মুল মু মিনীন! এই বিষয় ছাড়া অন্যান্য বিষযে আপনার প্রতি আমার আচরণ
কেমন পেয়েছেন?” আয়েশা (রা) বললেন ভাল পেয়েছি ৷ ঘুআবিরা (রা) বললেন, তবে
আমার আর হুজরের বিষয়টি আমাদের প্ৰতি ছেড়ে দিন, আমি এবং হুজর মহান আল্লাহর
দরবারে উপস্থিত হলে তখন তার ফয়সালা হবে ৷ এক বর্ণনায় আছে যে, হযরত আয়েশা (রা)
আমীর মুআবিয়৷ (রা) এর প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারী করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে, তিনি যেন
কখনো আমার নিকট না আসেন ৷ এদিকে আমীর মুআৰিয়া (রা) কৌশল খুজছিলেন অনুমতি
পাবার জন্য ও অনুনয় করছিলেন ৷ এক পর্যায়ে তিনি হযরত আঃয়শা (রা) এর নিকট উপস্থিত
হলেন ৷ তখন হুজর (রা) ও তার সাথীদেরকে হত্যা বন্মার জন্য হযরত আয়েশা (রা) আমীর ন্
মুআবিয়া (রা) কে ভর্ষসনা করলেন ৷ আমীর মুআবিয়া (বা) বারবার ওযর পেশ করছিলেন ৷
শেষ পর্যন্ত হযরত আয়েশা (বা) তার ওযরগ্রহণ কর ;লন ৷

এক বর্ণনায় আছে যে, হযরত আয়েশা (রা) আমীর মুআবিযা (বা)-কে ধমক দিয়ে

আসছিলেন এবং বলছিলেন যে, আমাদের দুর্মুখ §;fififi§ যদি হস্তক্ষেপ বরোর আশঙ্কা না
থাকত তাহলে হুজর (রা) কে হত্যার জন্য আমি আমীর মুআবিয়া (রা) কে দেখে নিতাম ৷
অবশেষে আমীর মুআবিয়া (বা) ওযর পেশ করেন ৷ হযরত আয়েশা (রা) তার ওযর গ্রহণ
করেন ৷

ইবনুল জাওযী “আল মুনতাযাম গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, এই হিজরী সনে অর্থাৎ ৫১
হিজরী সনে শীর্ষস্থানীয় যেসব লোক ইন্তিকাল কহ্ররছেঃ, তাদের মধ্যে রয়েছেন জারীর ইবন
আবদুল্লাহ বাজালী, জাফর ইবন আবু সুফিয়ান ইবন হারিছ, হারিছাণ্ইবন নুমান, হুজর ইবন


«الْإِيمَانُ قَيَّدَ الْفَتْكَ، لَا يَفْتِكُ مُؤْمِنٌ ".» يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ، كَيْفَ أَنَا فِيمَا سِوَى ذَلِكَ مِنْ حَاجَاتِكَ وَأَمْرِكَ؟ قَالَتْ: صَالِحٌ. قَالَ: فَدَعِينِي وَحُجْرًا حَتَّى نَلْتَقِيَ عِنْدَ رَبِّنَا، عَزَّ وَجَلَّ. وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّهَا حَجَبَتْهُ وَقَالَتْ: لَا يَدْخُلُ عَلَيَّ أَبَدًا. فَلَمْ يَزَلْ يَتَلَطَّفُ حَتَّى دَخَلَ، فَلَامَتْهُ فِي قَتْلِهِ حُجْرًا، فَلَمْ يَزَلْ يَعْتَذِرُ حَتَّى عَذَرَتْهُ. وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّهَا كَانَتْ تَتَوَعَّدُهُ وَتَقُولُ: لَوْلَا يَغْلِبُنَا سُفَهَاؤُنَا لَكَانَ لِي وَلِمُعَاوِيَةَ فِي قَتْلِهِ حُجْرًا شَأْنٌ. فَلَمَّا اعْتَذَرَ إِلَيْهَا عَذَرَتْهُ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ وَلَّى زِيَادٌ عَلَى خُرَاسَانَ بَعْدَ مَوْتِ الْحَكَمِ بْنِ عَمْرٍو، الرَّبِيعَ بْنَ زِيَادٍ الْحَارِثِيَّ، فَفَتَحَ بَلْخَ صُلْحًا، وَكَانُوا قَدْ أَغْلَقُوهَا بَعْدَمَا صَالَحَهُمُ الْأَحْنَفُ بْنُ قَيْسٍ، وَفَتَحَ قُوهِسْتَانَ عَنْوَةً، وَكَانَ عِنْدَهَا أَتْرَاكٌ فَقَتَلَهُمْ، وَلَمْ يَبْقَ مِنْهُمْ إِلَّا نَيْزَكُ طَرْخَانَ، فَقَتَلَهُ قُتَيْبَةُ بْنُ مُسْلِمٍ بَعْدَ ذَلِكَ، كَمَا سَيَأْتِي. وَفِيهَا غَزَا الرَّبِيعُ مَا وَرَاءَ النَّهْرِ، فَغَنِمَ وَسَلِمَ، وَكَانَ قَدْ قَطَعَ مَا وَرَاءَ النَّهْرِ قَبْلَهُ الْحَكَمُ بْنُ عَمْرٍو، وَكَانَ أَوَّلَ مَنْ شَرِبَ مِنَ النَّهْرِ غُلَامٌ لِلْحَكَمِ، فَسَقَى سَيِّدَهُ، وَتَوَضَّأَ الْحَكَمُ وَصَلَّى وَرَاءَ النَّهْرِ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ رَجَعَ، فَلَمَّا كَانَ الرَّبِيعُ هَذَا غَزَا مَا وَرَاءَ النَّهْرِ، فَغَنِمَ وَسَلِمَ. وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ يَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، فِيمَا قَالَهُ أَبُو مَعْشَرٍ وَالْوَاقِدِيُّ.
পৃষ্ঠা - ৬৪২০

আদী, সাঈদ ইবন যায়দ ইবন আমর ইবন নুফ্ায়ল, আবদুল্লাহ ইবন ট্যাং, আবু বাকরা
নুফায় ইবনহারিছসাকাফী (বা) ৷ ;

আবীর ইবনআবদুরাহ্রাজলীে (বা)

জারীর ইবন আবদুল্লাহ বজোলী (বা) ল্দোম্ গ্রহণ , ? সুব৷ মজাি নহব্লি;ল হওয়ার
পর ৷ ১ :ম হিজরী সনের রমষান মাসে তিনি ইসলাম গ্রহণ করুবুাছুলেন্ ৷ তিব্লিল্যাং (সা)-
এর দরবারে যখন আসেন তখন রাসুলুল্পাহু (সা) খুত্বা দিচ্ছিস্ফো ৷ স্কো তিনি বলহিলেন
যে, এই পার্বত ত পথে তোমাদের নিকট একজন লোক আসবে যে ইয়াবান দোসর অনতম
ভাল মানুন ৷ তার চেহারায় রয়েছে ফি;রিঃআর স্পর্শ ৷ সে সমব হযরত জরিঃ ইবন আবম্নোহ্

(রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট প্রবেশ করা সবাই দেখতে পাব যে, মোঃ (যা) যা যা
রু বলেছিলেন তার মধ্যে তার সবই বিদ্যমান ৷ উপস্থিত লোকজন তার সম্পর্কেক্রোহ্ (সা)-
এর বক্তব্য তাকে জানায় ৷ তিনি তাতে মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তার
প্রশংসা করেন ৷
বর্ণিত আছে যে, জারীর ইবন আবদুরহ্ (রা) উপস্থিত হ্ব্াব্ল পর বঅ্যাং (সা ) নিক্ষো
চাদর বিছিয়ে তাকে বসতে দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, ণ্,াব্লু ;এণ্হ্রাষ্াএ

,;এএ্ ভোমাদের নিকট কোন সম্প্রদায়ের সম্মানিতু; যোক অক্ষো ক্ষো তোমঃৰুা৷
তাকে সম্মান দেখাবে’ ৷

রাসুলুল্লাহ্ (না) তাকে যুলখুলাসা নামক স্থানে প্রেরণ কংরহিঃসন ৷ পৌ ছিন একটি
উপাসনালয় ৷ জাহেলী যুগে দাওস পােক্রো লোকেরা সেটিকে সম্মান:;ণ্মোঃ ৷ তখন জারীর
(রা) এই ওযর পেশ করেছিলেন যে, তিনি ঘোড়ার পিঠে স্থিব থাকাত পাব্রেনন্যন্ ৷ বাসুলুল্লাহ্
(সা) তার বুকে হাত ব্লেখে এই দু আ পাঠ করলেন,

াটু: ; ,; হে আল্লাহ! তাকে স্থির ও অৰিচন রাখুন এবং তাকে সত পপ ল্দোরী সত্যপথ
প্রাপ্ত বানিয়ে দিন’ ৷ অতংপর জারীর (বা) ৰুলখুলাস৷ উপাসনাল্যাং গিযে সেটি ভেঙ্গে ফেলেন ৷ ন্
সহীহ্ বুখারী ও সহীহ্ সুসলিমে আছে যে, জারীর (বা) বলেইছা গুষ্াদ্ব ইসলাম গ্রহণ
করার পর থেকে রাসুলুল্পাহ (সা) কখনো আমার থেকে পর্দা করেন নি এবং অ্যাংক দেখে না
হেসে থাকেন নি ৷
হযরত উমর ইবন খাত্তাব (রা) বলভাে যে, জারীব হইলন রুপ ও সৌন্দর্বে এই উম্মতেব
ইউসুফ ৷ আবদুল মালিক ইবন উমায়র ল্যাংহুন্৷ আমি জার্বীর (বা) ইক দেখেছি, তিনি যেন
একখণ্ড চাদ ৷ শা বী বলেছেন, হযরত জাৰীর (না) ও একদল যোক হযরত উমর (রাএর
সাথে একটি গৃহে অবস্থান করছিলেন ৷ হঠাৎ হযরত উমর (বা) মজলিইস প্টে ইববে নির্গত



দুষিত বায়ুর দুর্গন্ধ অনুভব বহ্বলেন ৷ তখন তিনি বললেন, আনি নির্দেশ দিচ্ছি যে, যার পেট

থেকে এই বায়ু বের হয়েছে সে যেন গিয়ে ওধু করে আসে ৷’ তখন আবীর (ম্ব) কাংলন, হে
আমীরুল মু’মির্নীন! আমরা সকলে গিয়ে ওধু ক্যর আসি? উত্তরৈ হযরত উমর (রা) ক্যালন, (
’ আপনি জাহেলী যুগেও উচু স্তরের যেত র্হিক্ষো আর এখন ইসল্মর্মী টীবলোঃ উচু স্তরের ফ্তো

রয়েছেন ৷’


وَذَكَرَ ابْنُ الْجَوْزِيِّ فِي " الْمُنْتَظِمِ " أَنَّهُ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنَ الْأَكَابِرِ جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيُّ، وَجَعْفَرُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ بْنِ الْحَارِثِ، وَحَارِثَةُ بْنُ النُّعْمَانِ، وَحُجْرُ بْنُ عَدِيٍّ، وَسَعِيدُ بْنُ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَنِيسٍ، وَأَبُو بَكْرَةَ نُفَيْعُ بْنُ الْحَارِثِ الثَّقَفِيُّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. فَأَمَّا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيُّ فَأَسْلَمَ بَعْدَ نُزُولِ الْمَائِدَةِ، وَكَانَ إِسْلَامُهُ فِي رَمَضَانَ سَنَةَ عَشْرٍ، وَكَانَ قُدُومُهُ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ، وَكَانَ قَدْ قَالَ فِي خُطْبَتِهِ: «إِنَّهُ يَقْدَمُ عَلَيْكُمْ مِنْ هَذَا الْفَجِّ مِنْ خَيْرِ ذِي يَمَنٍ، وَإِنَّ عَلَى وَجْهِهِ مَسْحَةَ مَلَكٍ ".» فَلَمَّا دَخَلَ جَرِيرٌ رَمَاهُ النَّاسُ بِأَبْصَارِهِمْ يَنْظُرُونَ. وَأَخْبَرُوهُ بِمَا قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَحَمِدَ اللَّهَ تَعَالَى. وَيُرْوَى أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا جَالَسَهُ بَسَطَ لَهُ رِدَاءَهُ وَقَالَ: «إِذَا جَاءَكُمْ كَرِيمُ قَوْمٍ فَأَكْرَمُوهُ ".» وَبَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى ذِي الْخَلَصَةِ - وَهُوَ بَيْتٌ كَانَتْ تُعَظِّمُهُ دَوْسٌ فِي الْجَاهِلِيَّةِ - فَذَكَرَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ لَا يَثْبُتُ عَلَى الْخَيْلِ، فَضَرَبَ فِي صَدْرِهِ وَقَالَ: «اللَّهُمَّ ثَبِّتْهُ وَاجْعَلْهُ هَادِيًا مَهْدِيًّا ".» فَذَهَبَ إِلَيْهِ فَهَدَمَهُ. وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: مَا حَجَبَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُنْذُ أَسْلَمْتُ، وَلَا رَآنِي إِلَّا تَبَسَّمَ. وَكَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَقُولُ: جَرِيرٌ يُوسُفُ هَذِهِ الْأُمَّةِ.
পৃষ্ঠা - ৬৪২১
وَقَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ: رَأَيْتُ جَرِيرًا كَأَنَّ وَجْهَهُ شَقَّةُ قَمَرٍ. وَقَالَ الشَّعْبِيُّ: كَانَ جَرِيرٌ هُوَ وَجَمَاعَةٌ مَعَ عُمَرَ فِي بَيْتٍ، فَاشْتَمَّ عُمَرُ مِنْ بَعْضِهِمْ رِيحًا، فَقَالَ: عَزَمْتُ عَلَى صَاحِبِ هَذِهِ الرِّيحِ لَمَا قَامَ فَتَوَضَّأَ. فَقَالَ جَرِيرٌ أَوَ نَقُومُ كُلُّنَا فَنَتَوَضَّأَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ فَقَالَ عُمَرُ: نِعْمَ السَّيِّدُ كَنْتَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، وَنِعْمَ السَّيِّدُ أَنْتَ فِي الْإِسْلَامِ. وَقَدْ كَانَ عَامِلًا لِعُثْمَانَ عَلَى هَمَذَانَ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ أُصِيبَتْ عَيْنُهُ هُنَاكَ. فَلَمَّا قُتِلَ عُثْمَانُ اعْتَزَلَ عَلِيًّا وَمُعَاوِيَةَ، وَلَمْ يَزَلْ مُقِيمًا بِالْجَزِيرَةِ حَتَّى تُوُفِّيَ بِالسَّرَاةِ سَنَةَ إِحْدَى وَخَمْسِينَ. قَالَهُ الْوَاقِدِيُّ، وَقِيلَ: سَنَةَ أَرْبَعٍ وَقِيلَ: سَنَةَ سِتٍّ وَخَمْسِينَ. وَأَمَّا جَعْفَرُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَأَسْلَمَ مَعَ أَبِيهِ حِينَ تَلَقَّيَاهُ بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ عَامَ الْفَتْحِ، فَلَمَّا رَدَّهُمَا قَالَ أَبُو سُفْيَانَ: وَاللَّهِ لَئِنْ
পৃষ্ঠা - ৬৪২২


হযরত উস্মান (রা) এর শাসনামলে তিনি হামাদা৷নর শাসনকর্তা পদে নিয়োজিত ছিলেন ৷
বর্ণিত আছে যে, ঐ সময়ে তিনি চোখে আঘাত পান ৷ হযরত উসমান (রা)এর হত্যাকাণ্ডের পর ’
তিনি হযরত আলী (রা) এবং মুআবিয়া (রা) দুজ্যা থেকেই নিজেকে দুরে সরিয়ে রাখেন ৷ এ
সময়ে তিনি জাযীরাতে বসবাস ব্বাক্তা ৷ ৫১ হিজরী সনে তিনি সুরাত নামক স্থানে ইন্তিকাল
করেন ৷ ওয়াকিদী তা- ই বলোঃ;হ্নকু ৷ কেউ কেউ বলেছেন, ৫৪ হিজরী সনে আবার কেউ
বলেছেন ৫৬ হিজরী সান তার ইন্তিকাল হয় ৷ ,

এই হিজরী সনেই হাকাম ইবন আমর রাবী এর ইন্তিকালে খােরাসানের শাসনকর্তার পদ
শুন্য হয় এবং যিয়াদ ঐ পদে নিযুক্ত হন ৷ তারপর তিনি সমঝোতা ঢুজ্যি মাধ্যমে বালুখ নগরী
জয় করেন ৷ ইতিমধ্যে আহ্নাযেস্ম সাথে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবাৱ পরও তারা মুসলমানদের জন্য
বালখের দরজা বন্ধু করে রেখেছিল ৷ তিনি যুদ্ধের মাধ্যবুম কােহেতান জয় বনরন ৷ ওখানে বহু

তুর্কী লোক ছিল ৷ তিনি তাদের সকনকে হত্যা করেন ৷ তুরখান তুর্কী ব্যভীত কেউ ঐ

হত্যাকাণ্ড থেকে রক৷ পায়নি ৷ অবশেষে কুতায়ব৷ ইবন মুসলি য়ের হাতে তুরখান তুর্কীও নিহত
হয় ৷ এ বিষয়ে অবিলম্বে আলোচনা হবে ৷

এই বৎসরে রাবী “যা ওয়ার৷ আন নাহর” অঞ্চলে যুদ্ধ পরিচালনা করেন ৷ তিনি সেখানে
অনেক ধন-সম্পদ করায়তু করেন এবং সন্ধি স্থাপন করেন ৷ তার পুর্বে হাকাম ইবন আমর ঐ
অঞ্চলে পদার্পণ করেছিলেন ৷ ঐ নাহর ব৷ নদী থেকে সর্বপ্রথম পানি পান করেছিল হাকামের
এক ক্রীতদাস ৷ সে তার মালিকহাকামকেণ্ড ঐ নদীর পানি পান করিয়েছিন ৷ হাকাম ঐ পানি
দ্বারা ওষু করেছিলেন এবং ওখানে দুরাকআত নামায আদায় করেছিলেন ৷ এরপর তিনি
সেখান থেকে ফিরে এসেছিলেন ৷ পরে য়াৰী ঐ অঞ্চলে যুদ্ধ পরিচালনা করে তা জয়
করেছিলেন এবং অনেক ধন-ঙ্গীস্পদ দখল করে সন্ধি স্থাপন করেন ৷ এই বু বছর হস্বজ্জা নেতুর্তৃ
দিয়েছিলেন ইয়াষীদ ইবন মু আবিয়া ৷ আবুমাশার ও ওয়াকিদী এটা বলেছেন ৷

জা ফ্র ইৰ্ন আবু সুফিয়ান ইবন আবদুল মুতালিব

এই বছর যারা ইন্তিকা ন করেন তাদের; অন্যতম হলেন, জা ফর ইবন আবু সুফিয়ান ইবন
আবদুল মু ত্ত্বালিব ৷ তিনি তার পিতা আবু সুফিয়ানের সাথে এরই সময়ে ইসলাম গ্রহণ করেন ৷
তারা ইসলাম গ্রহণ কায়হিঃনন ম্ক্ক৷ বিজয়ের বছর, মক্ক৷ বিজয় অভিযানের প্রাক্কালে ৷ তখন মক্কা
ও মদীনায় মধ্যবর্তী এক স্থানে তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নামনাসামনি হন ৷ প্রথমত রাসুলুল্পাহ্ ’
(সা) ওদের সাথে সাক্ষাতে অস্বীকৃতি জানানৰুা, এ প্রেক্ষাপটে আবু সুফিয়ান বলেছিলেন, আল্লাহ্র
কসম তিনি যদি আমাকে তার সাথে সাক্ষাতের অনুমতি না দেন তবে আমি আমার এই পুত্রের
হাত ধরে নিরুদ্যো যাত্রা করব এবং কোথায় হারিয়ে যাব তা আমিও জানি না ৷ তার এই বতল্য
রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর গোত্রের এলে তিনি আবু সুফিয়ানের প্রতি সহাষুভুতিশীয় হয়ে পড়েন এবং
তাকে সাক্ষা৷তর অনুমতি দেন ৷ তাদেরকে ইসলামে দীক্ষিত করেন ৷ তাদের ইসলাম গ্রহণ
অনুমোদন করেন ৷

তারপর তারা ভাল মুসনমান্ ছিসারে জীবন যাপন করেন৷ ইতিপুর্বে আবু সুফিয়ান ভো
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে৬ ভীষণভারে কষ্ট দিয়েছিলেন এবং অত্যাচার নির্যাতন করেছিলেন ৷ আলোচ্য
জাযম্ম (রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথী হয়ে হুনায়নের যুদ্ধে অংশ নৈন এবং অন্যদের পালিয়ে


لَمْ يَأْذَنْ لِي لَآخُذَنَّ بِيَدِ بُنَيَّ هَذَا فَأَذْهَبَنَّ فِي الْأَرْضِ، فَلَا يُدْرَى أَيْنَ أَذْهَبُ. فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَقَّ لَهُ وَأَذِنَ لَهُ، وَقَبِلَ إِسْلَامَهُمَا، فَأَسْلَمَا إِسْلَامًا حَسَنًا، بَعْدَ مَا كَانَ أَبُو سُفْيَانَ هَذَا يُؤْذِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَذًى كَثِيرًا، وَشَهِدَ حُنَينًا، وَكَانَ مِمَّنْ ثَبَتَ يَوْمَئِذٍ. رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا. وَأَمَّا حَارِثَةُ بْنُ النُّعْمَانِ الْأَنْصَارِيُّ النَّجَّارِيُّ فَشَهِدَ بَدْرًا وَأُحُدًا وَالْخَنْدَقَ وَالْمَشَاهِدَ كُلَّهَا، وَكَانَ مِنْ فُضَلَاءِ الصَّحَابَةِ، وَرُوِيَ أَنَّهُ رَأَى جِبْرِيلَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَقَاعِدِ يَتَحَدَّثَانِ بَعْدَ خَيْبَرَ. وَأَنَّهُ رَآهُ يَوْمَ بَنِي قُرَيْظَةَ فِي صُورَةِ دِحْيَةَ. وَفِي الْحَدِيثِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَمِعَ قِرَاءَتَهُ فِي الْجَنَّةِ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ يُونُسَ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي فُدَيْكٍ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ أَنَّ حَارِثَةَ بْنَ النُّعْمَانِ كَانَ قَدْ كُفَّ بَصَرُهُ، فَجَعَلَ خَيْطًا مِنْ مُصَلَّاهِ إِلَى بَابِ حُجْرَتِهِ، وَكَانَ يَضَعُ عِنْدَهُ مِكْتَلًا فِيهِ تَمْرٌ وَغَيْرُهُ، فَإِذَا جَاءَهُ الْمِسْكِينُ أَخَذَ مِنْ ذَلِكَ التَّمْرِ، ثُمَّ أَخَذَ يُمْسِكُ
পৃষ্ঠা - ৬৪২৩


যাওয়ায় মুখে৩ তিনি যুদ্ধ ময়দানে অকিলে থাৰেপ্স ৷ মহান অস্রোহু জা বর (বা) এর প্রতি তএবং
আবু সুফিয়ান (রা) এর প্রতি সন্তুষ্ট হোন ৷

হারিছা ইবনৰুমান মাংসায়ীনআেবী (বা)

এই সনে যীরা ইন্তিকাল কাক্রো জাদের অন্যতম হলেন, হযরত হব্লিছা ইবন কুমানন্
আনসারী নাজ্জারী (বা) ৷ তিনি ৰদর,প্উহুদ, ,ণন্দক এবং অন্যান্য ষুদ্বে অশে নেন ৷ তিনি
শীর্ষস্থানীয় সাহাবীদের একজন ছিলেন, ৷ বর্ণিত আছে যে, তিনি হযরত জিবৃরাঈল (আ)ক্লে
স্বচক্ষে দেখেছিলেন ৷ একবার দেৰেহিঃলন খায়ৰার যুদ্ধের পর “মোঃ” নামক স্থানে,
যেখানে হযরত জিবৃরাঈল (আ) ও র সুলুল্লাহ (সা) অলােপব্লুত ছিলেন ৷ ৰনুেবুৱায়যার যুদ্ধের
সময়ে৩ তিনি হযরত জিবরাঈল (আ)কে দেখেছিলেন ৷ মোঃ সাহাবী হ্বরত দাহ্য়া (রা)-এর
আকৃতিতে ৷ সহীহ্ গ্রন্থে উল্লেখিত আছে যে, রাসুলুল্লুহ (সা) জান্নাতে হযরত হারিছা (রা)এর
কুরআন পাঠ শুনেছিলেন ৷
মুহাম্মদ ইবন সা দ বলেছেন, আবদুর রহমান ইবন ইউনুস মুহাম্মদ ইবন উসমানের পিতা
থেকে বর্ণনা করেছেন যে, শেষ বরু মুন হারিছা (রা) এৱ দৃষ্টিশৰ্বা ৷ন্ক্ত নষ্ট হয়ে গািয়ছিল ৷ তখন
তিনি শ্র্তার নামাংযর স্থান থেকে ঘরের দ্যাজ্বা পর্যন্ত একটি রশি বেধেছিক্রো ৷ কোন ভিক্ষুক
তার ঘরের দরজায় এলে তিনি একটি খেজুর হাতে নিয়ে ঐ রশি ধরে ধরে দরজায় গিয়ে
ভিক্ষুকের হাতে থেজুরটি তুলে দিভাে ৷৩ তার পরিবারের লোকজন রলত যে, আপনার পক্ষে
আমরা তো ভিক্ষুককে ভিক্ষা দিতে ক্রোম ৷ তখন তিনি রলতেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে
বলতে শুনেছি তিনি বলছিলেন-
দরিদ্রকে স্বহস্তে দান করলে মন্দ মৃত্যু থেকে রেহাই পাওয়া যায় ৷’
, এই হিজরী সনে নিহত হুজর ইবন আদী (রা) এর বিবরণ পুর্বে টাল্লখ করা হয়েছে ৷

সাঈদ ইবন নারদ ইবন আমর ইবন নুফায়ল ক্ষা (বা)

৫১ হিজরী সনে যীরা ইন্তিকাল করেন তাদের অন্যতম হলেন, হযরত সাঈদ ইবন ষন্দে
ইবন আমর ইবন নুফায়ল কুরহ্রশী (রা) ৷ তিনি আশা ৷রইিমুবাশৃশ্যা তথা জান্নাতের
সুসং বাদপ্রাপ্ত ১০ জনের একজন ৷ত তিনিহযরত্ত উমর ইবন খাত্তাব (রা)এর চচােত তইি ৷ তার
বোন আ ৷তিকা, হযরত ৩উমর (রা) এর শ্রী ৷ আর হযরত উমর (রা) এর বোন ফাতিমা হযরত
সাঈদ (রা)-এর শ্রী ৷ হযরত উমর (রা)-এৱ ইসলাম গ্রহণের পুর্বে হযরত সাঈদ (রা) ও তার
শ্রী ফ ৷তিমা (বা) ইসলাম গ্রহণ করেন৷ তরাে দৃজ;নই হিজরত করেছিলেন ৷ হযরত সাঈদ
(রা) ছিলেন শীর্ষস্থানীয় সাহাবীদের একজন ৷

উরওয়া, যুহরী, মুসা ইবন উকরা, মুহাম্মদ ইবন ইসহাক, ওয়াকিদী প্রমুখ রলেছেঃ যে,
হযরত সাঈদ (রা) বদরের যুদ্ধে অংশ্যাহণ করতে পারেন নি ৷ কারণ ভাবে এবং তালহা ইবন
উবায়দুল্লাহ্ (রা)-কে রাসুলুল্লাহ্ (যা) গোপনে ক্যুাইশদের অবস্থান ও ণতিবিধি লক্ষ্য করার
জন্য গোয়েন্দা হিসেবে প্রেরণ কঃরহিঃলন ৷ এদিকে ঐ দায়িত্বে নিন্নেজিং থাকা অবস্থায়
বদরের যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷৩ তাই যুদ্ধে অংশ নেয়া তার পক্ষে সম্ভব হয় নি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)


بِذَلِكَ الْخَيْطِ حَتَّى يَضَعَ ذَلِكَ فِي يَدِ الْمِسْكِينِ، وَكَانَ أَهْلُهُ يَقُولُونَ لَهُ: نَحْنُ نَكْفِيكَ ذَلِكَ. فَيَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ مُنَاوَلَةَ الْمِسْكِينِ تَقِي مَيْتَةَ السُّوءِ ".» وَأَمَّا حُجْرُ بْنُ عَدِيٍّ فَقَدْ تَقَدَّمَتْ قِصَّتُهُ مَبْسُوطَةً. وَأَمَّا سَعِيدُ بْنُ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ الْقُرَشِيُّ أَبُو الْأَعْوَرِ الْعَدَوِيُّ فَهُوَ أَحَدُ الْعَشَرَةِ الْمَشْهُودِ لَهُمْ بِالْجَنَّةِ، وَهُوَ ابْنُ عَمِّ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَأُخْتُهُ عَاتِكَةُ زَوْجَةُ عُمَرَ، وَأُخْتُ عُمَرَ فَاطِمَةُ زَوْجَةُ سَعِيدٍ. أَسْلَمَ قَبْلَ عُمَرَ هُوَ وَزَوْجَتُهُ فَاطِمَةُ، وَهَاجَرَا، وَكَانَ مِنْ سَادَاتِ الصَّحَابَةِ. قَالَ عُرْوَةُ وَالزُّهْرِيُّ وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ وَالْوَاقِدِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ: لَمْ يَشْهَدْ بَدْرًا ; لِأَنَّهُ كَانَ قَدْ بَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ وَطَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بَيْنَ يَدَيْهِ يَتَجَسَّسَانِ أَخْبَارَ قُرَيْشٍ، فَلَمْ يَرْجِعَا حَتَّى فَرَغَ مِنْ بَدْرٍ، فَضَرَبَ لَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِسَهْمِهِمَا وَأَجْرِهِمَا. وَلَمْ يَذْكُرْهُ عُمَرُ فِي أَهْلِ الشُّورَى لِئَلَّا يُحَابَى بِسَبَبِ قَرَابَتِهِ مِنْ عُمَرَ فَيُوَلَّى، فَتَرَكَهُ لِذَلِكَ، وَإِلَّا فَهُوَ مِمَّنْ شَهِدَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْجَنَّةِ فِي جُمْلَةِ الْعَشَرَةِ، كَمَا صَحَّتْ بِذَلِكَ الْأَحَادِيثُ الْمُتَعَدِّدَةُ الصَّحِيحَةُ، وَلَمْ يَتَوَلَّ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وِلَايَةً، وَمَا زَالَ كَذَلِكَ حَتَّى مَاتَ بِالْكُوفَةِ، وَقِيلَ: بِالْمَدِينَةِ. وَهُوَ الْأَصَحُّ.
পৃষ্ঠা - ৬৪২৪
قَالَ الْفَلَّاسُ وَغَيْرُهُ: سَنَةَ إِحْدَى وَخَمْسِينَ. وَقِيلَ: سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَخَمْسِينَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَكَانَ رَجُلًا طُوَالًا أَشْعَرَ، وَقَدْ غَسَّلَهُ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ، وَحُمِلَ مِنَ الْعَقِيقِ عَلَى رِقَابِ الرِّجَالِ إِلَى الْمَدِينَةِ، وَكَانَ عُمْرُهُ يَوْمَئِذٍ بِضْعًا وَسَبْعِينَ سَنَةً. وَأَمَّا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُنَيْسٍ الْجُهَنِيُّ أَبُو يَحْيَى الْمُدْنِيُّ فَصَحَابِيٌّ جَلِيلٌ، شَهِدَ الْعَقَبَةَ، وَلَمْ يَشْهَدْ بَدْرًا، وَشَهِدَ مَا بَعْدَهَا، وَكَانَ هُوَ وَمُعَاذٌ يَكْسِرَانِ أَصْنَامَ الْأَنْصَارِ. لَهُ فِي " الصَّحِيحِ " حَدِيثٌ أَنَّ لَيْلَةَ الْقَدْرِ لَيْلَةُ ثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ. وَهُوَ الَّذِي بَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى خَالِدِ بْنِ سُفْيَانَ الْهُذَلِيِّ، فَقَتَلَهُ بَعُرَنَةَ، وَأَعْطَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِخْصَرَةً، وَقَالَ: «هَذِهِ آيَةُ مَا بَيْنِي وَبَيْنَكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ» فَأَمْرَ بِهَا. فَدُفِنَتْ مَعَهُ فِي أَكْفَانِهِ. وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ الْجَوْزِيِّ أَنَّهُ تُوُفِّيَ سَنَةَ إِحْدَى وَخَمْسِينَ. وَقَالَ غَيْرُهُ: سَنَةَ أَرْبَعٍ وَخَمْسِينَ. وَقِيلَ: سَنَةَ ثَمَانِينَ.
পৃষ্ঠা - ৬৪২৫
১১৮ অ্াক্ট্রা-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া

তার জন্য বদর যুদ্ধের গনীমতেয় মালের অংশ বরাদ্দ করেছিলেন এবং প্ৰতক্ষে জিহাদকারীর
ন্যায় সওয়াবের ঘোষণা দিয়েছিলেন ৷

খলীফা নির্বাচনের জন্য গঠিত পরামর্শ পরিষদে হযরত ৩উমর (রা) সাঈদ (রা) এর নাম
পক্ষপাতিভু করার সম্ভাবনা থাকর্ডেণ্ড পারে ৷ এজান৷ তিনি তার নাম অন্তর্ভুক্ত করেন নি ৷ বস্তুত
রাসুলুল্লাহ্ (সা) যে দশ ব্যক্তির জন্যে জান্নাতেয়সুসংবাদ দিয়েছেন হযরত সাঈদ (রা) তাদের
অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ৷ এই বিষয়ে একাধিক বিশুদ্ধ হাদীস বর্ণিত আছে ৷ হযরত উমর (রা)-এর
শাসনামল অবসা৷নর পর তিনি কোন প্রশাসনিক দায়িত্বে নিয়োজিত হন নি৷ এই অবস্থায়-
কৃফায় তীর ণ্ডফাত হয় ৷ কেউ ৷কউ বলেছেন তার ইন্তিকাল হয়েছে মদীনা৷ত ৷ এটাই
বিশুদ্ধতর অভিমত ৷ ন্

ফাল্লাম ও অন্যরা বলেছেন যে, হযরত সাঈদ (রা) ইন্তিকাল করেছেন ৫১ হিজরী সনে ৷
কেউ কেউ বলেছেন, ৫২ হিজরী সনে ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

তিনি ছিলেন একজন দীর্ঘদেহী ও ঘন চুল বিশিষ্ট মানুষ ৷ তার ওফাতেব পর তাকে গোসল
করিয়েছেন হযরত সাদ (রা) ৷ আকীক থেকে মানুষের র্কাধে বহন করে র্তাকে মদীনায় নিয়ে
আসা হয় ৷ মৃভ্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছরের কিছু বেশি ৷

আবদুল্লাহ উনায়স ইবন জুহানী আবু ইয়াহ্য়৷ আন মাদানী (রা)

৫১ হিজরী সনে যাদের ওফাত হয় তাদের অন্যতম হলেন, হযরত আবদুল্লাহ উনায়স ইবন
জুহানী আবু ইরাহয়৷ আল মাদানী (রা) ৷ তিনি উচু মর্যাদার সাহাবী ছিলেন ৷ আকাবার শপথ
অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত ছিলেন, তবে বদর যুদ্ধে উপস্থিত ছিলেন না ৷ পরবর্তী যুদ্ধসমুহে

ৎশগ্রহণ করেছেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন উনায়ন এবং হযরত প্ঘুআয (রা) দু’জনে মিলে
আনসারদের প্রতিমাগুলো ভেঙ্গে ছিলেন ৷ সহীহ গ্রন্থে তীর একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে যে,
লায়লাতুল কদর হল ২৩ রমযান ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে খালিদ ইবন সুফিয়ান হুযালীর প্রতি
প্রেরণ করেছিলেন ৷ তিনি খালিদ ইবন সুফিয়ানকে হত্যা করেছিলেন ৷ উরায়না১ নামক স্থানে ৷
রাসুলুল্লাহ (সা) র্তা৷ক খালিদের কােমড়বন্দটি প্রদান করেছিলেন ৷ আর বলেছিলেন, এটি হল
কিয়ামতের দিন আমার নিকট তোমার পরিচিতি চিহ্ন ৷ ইনৃতিকালের সময় তিনি বলেছিলেন ঐ
কোমরবন্ধ তার সাথে দাফন করে দেয়ার জন্যে ৷ নির্দো৷ মুতাবিক র্তার কাফানৱই মধ্যে রেখে
ঐ কােমরবন্দ তার সাথে দাফন করে দেয়৷ হয় ৷ ইবনুল জাওয়ী উল্লেখ করেছেন যে, ৫১
হিজরী সনে আবদুল্লাহ উনায়স (রা) এর ওফাত হয় ৷ অন্যরা বলেছেন যে, ৫৪ হিজরী সনে,
, আবার কেউ কেউ বলেছেন, ৮০ হিজরী সনে তার ওফাত হয় ৷

ন্ , আবুবাকরা নুফায় ইবন হারিছ (রা)

৫১ হিজরী সানযীদের ওফাত হয় তাদের একজন হলেন, হযরত আবু বাকরা নুফায় ইবন
হারিছ ইবন কালদ৷ ইবন আমর ইবন ইলাজ ইবন আবু সালাম৷ ছাকাফী (রা) ৷ তিনি অত্যন্ত
উচুদরের সাহাবী ছিলেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, তার নাম ছিল মাসরুহ ৷ তায়িফ যুদ্ধের দিনে



১ আরাফাংতর বরাবর একটি উপত্যকা ৷ (মুজামুল বুলদান)


وَأَمَّا أَبُو بَكْرَةَ نُفَيْعُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ كَلَدَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ عِلَاجِ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ الثَّقَفِيُّ، فَصَحَابِيٌّ جَلِيلٌ كَبِيرُ الْقَدْرِ، وَيُقَالُ: كَانَ اسْمَهُ مَسْرُوحٌ. وَإِنَّمَا قِيلَ لَهُ: أَبُو بَكْرَةَ. لِأَنَّهُ تَدَلَّى فِي بَكْرَةَ يَوْمَ الطَّائِفِ، فَأَعْتَقَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكُلَّ مَنْ نَزَلَ مِنْ مَوَالِيهِمْ يَوْمَئِذٍ. وَأُمُّهُ سُمَيَّةُ هِيَ أُمُّ زِيَادٍ، وَكَانَ مِمَّنْ شَهِدَ عَلَى الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ بِالزِّنَى هُوَ وَأَخُوهُ زِيَادٌ، وَمَعَهُمَا شِبْلُ بْنُ مَعْبَدٍ، وَنَافِعُ بْنُ الْحَارِثِ، فَلَمَّا تَلَكَّأَ زِيَادٌ فِي الشَّهَادَةِ جَلَدَ عُمَرُ الثَّلَاثَةَ الْبَاقِينَ، ثُمَّ اسْتَتَابَهُمْ فَتَابُوا إِلَّا أَبَا بَكْرَةَ فَإِنَّهُ صَمَّمَ عَلَى الشَّهَادَةِ، وَقَالَ الْمُغِيرَةُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، اشْفِنِي مِنْ هَذَا الْعَبْدِ. فَنَهَرَهُ عُمَرُ وَقَالَ لَهُ: اسْكُتْ لَوْ كَمَلَتِ الشَّهَادَةُ لَرَجَمْتُكَ بِأَحْجَارِكَ. وَكَانَ أَبُو بَكْرَةَ خَيْرَ هَؤُلَاءِ الشُّهُودِ، وَكَانَ مِمَّنِ اعْتَزَلَ الْفِتَنَ، فَلَمْ يَحْضُرْ شَيْئًا مِنْهَا، وَمَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَقِيلَ: قَبْلَهَا بِسَنَةٍ. وَقِيلَ: بَعْدَهَا بِسَنَةٍ. وَصَلَّى عَلَيْهِ أَبُو بَرْزَةَ الْأَسْلَمِيُّ، وَكَانَ قَدْ آخَى بَيْنَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
পৃষ্ঠা - ৬৪২৬
وَفِيهَا تُوُفِّيَتْ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ مَيْمُونَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ الْهِلَالِيَّةُ، تَزَوَّجَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي عُمْرَةِ الْقَضَاءِ سَنَةَ سَبْعٍ. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَكَانَ ابْنَ أُخْتِهَا أُمِّ الْفَضْلِ لُبَابَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ: تَزَوَّجَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مُحْرِمٌ. أَخْرَجَاهُ. وَثَبَتَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " عَنْهَا أَنَّهُمَا كَانَا حَلَالَيْنِ. وَقَوْلُهَا مُقَدَّمٌ عِنْدَ الْأَكْثَرِينَ عَلَى قَوْلِ ابْنِ عَبَّاسٍ. وَرَوَى التِّرْمِذِيُّ عَنْ أَبِي رَافِعٍ - وَكَانَ هُوَ السَّفِيرَ بَيْنَهُمَا - أَنَّهُمَا كَانَا حَلَالَيْنِ. وَيُقَالُ: كَانَ اسْمُهَا بَرَّةَ، فَسَمَّاهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَيْمُونَةَ. وَتُوُفِّيتُ بِسَرَفٍ بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ حَيْثُ بَنَى بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. وَقِيلَ: فِي سَنَةِ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ. وَقِيلَ: سَنَةَ سِتٍّ وَسِتِّينَ. وَالْمَشْهُورُ الْأَوَّلُ، وَصَلَّى عَلَيْهَا ابْنُ أُخْتِهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا.