আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة خمسين من الهجرة

سنة خمسين من الهجرة

سنة خمسين من الهجرة

سنة خمسين من الهجرة

سنة خمسين من الهجرة

سنة خمسين من الهجرة

سنة خمسين من الهجرة

سنة خمسين من الهجرة

سنة خمسين من الهجرة

سنة خمسين من الهجرة

سنة خمسين من الهجرة

سنة خمسين من الهجرة

পৃষ্ঠা - ৬৩৮৯

হিজরী ৫০ সন ,
এর বর্ণনা মুতাবিক এই বছর হযরত আবুন্মুস৷ আশআরী (রা) ইন্তিকাল করেন ৷ তবে
বিশুদ্ধ অভিমত হল তিনি ইন্তিকাল করেছেন ৫২ ইিত্তারী সনে ৷ এই আলোচনা সামনে আসবে ৷
এই বছর আমীর মুআবিয়া (রা) নিজে ৫নতৃতু দিয়ে লোকজনকে নিয়ে হজ্জ পালন করেছেন ৷
কেউ কেউ বলেছেন, এই বছর হ্যজ্জর নেতৃত্ব দিয়েছে ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়৷ (রা) ৷ এই
সনে মদীনার শাসনকর্তা ছিলেন সাঈদ ইবনুল আস (রা) ৷ কুফা, বসরা, পুৰ্বাঞ্চল, সিজিস্থান,
পারস্য, সিন্ধু ও ভারতীয় অঞ্চলে ছিলেন যিয়াদ ৷ এই বছর বানু নাহশাল গোত্রের লোকেরা
করি ফারাযদাকের বিরুদ্ধে যিয়াদের নিকট অঅিযাগ দায়ের করে ৷ ফলে তিনি পালিয়ে
মদীনায় চলে আসেন ৷ এর কারণ ছিল যে, এক কবি৩ যে তিনি আমীর মুআবিয়৷ (বা) এর
সমালোচনা করেছিলেন ৷ ফলে শাসনকর্তা যিয়াদ তাকে কড়াভাবে তলব করেছিলেন ৷ তিনি
পালিয়ে মদীনায় চার্লআসেন এবং সাঈদ ইবনুল আস (না)-এর নিকট আশ্রয় গ্রহণ করেন ৷
এ বিষয়ে তিনি যেশ কিছু কবিতাও রচনা করেন ৷ যিয়াদের মৃত্যু পর্যন্ত তিনি মক্কায় ও মদীনায়
বসবাস করেন ৷ যিয়াদ মারা যাবার পর তিনি স্বদেশ ফিরে যান ৷ ইবন জারীর এই ঘটনা
আরও বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন ৷ ইবন জারীর এই সনে সংঘটিত আরো কিছু ঘটনা ওয়াকিদী
সুত্রে উদ্ধৃত করেছেন ৷
ওয়াকিদী বলেছেন, ইয়াহয়া ইবন সাঈদ তার পিতা সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, আমীর
মুআবিয়া রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর মিম্বরটি মদীনা থেকে দামেশৃকে নিয়ে যেতে এবং রাসুলুল্পাহ্
(সা) যে সকল আসন বা লাঠিতে ডঃ দিয়ে মিম্বরে র্দাড়াতেন সেগুলােও সরিয়ে নিতে
চেয়েছিলেন ৷ এক পর্যায়ে হযরত আবু হুরায়রা (রা) ও জাবির ইবন আবদিল্পাহ্ (রা) বললেন
আমীম্মে মু ’মিনীন ! এমন কাজ করার ক্ষেত্রে আমরা আপনাকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে
দিচ্ছি ৷ কারণ রাসুলুল্লাহ্ (সা) স্বহস্তে সেখানে মিম্বর স্থাপন করেছেন, সেখান থােক মিম্বর বের
করে নেয়া এবং মদীনা থেকে তার লাঠি সরিয়ে নেয়া মোটেই উচিত হবে না ৷ শেষ পর্যন্ত
মুআবিয়া ওই পরিকল্পনা ত্যাগ করলেন ৷৩ তবে তিনি মিম্বরের সিড়ি ছয় পর্যন্ত বর্ধিত করেন
এক এ জন্যে জনসাধারণের নিকট আঅপক্ষ সমর্থনে যুক্তি পেশ করেন ৷ ধ্
এরপর ওয়াকিদী উল্লেখ করেছেন যে, পরবর্তীতে আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান তার
শাসনামলে মিম্বর স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ৷ তখন তাকে স্মরণ করিয়ে দেয়৷ হয় যে,
আমীর মুআব্লিয়৷ একবার এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে তা পরিত্যাগ করেছিলেন ৷ তারপরও তিনি ফিরে
ভুলে নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন ৷ বিস্তু ওই মিম্বরে নাড়৷ দেয়ার সাথে সাথে সুর্যআলোকহীন হয়ে
যায়, সুর্যপ্রহণ লেগে যায়৷ ফলে তিনি ওই পরিকল্পনা পরিত্যাগ করেন ৷ এরপর উমইিয়া
শাসক ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিক হজ্জ বম্মাত এসে মিম্বব স্থানান্তরের চেষ্টা কারন ৷ তখন
তাকে বলা হল যে, আমীর মু আবিয়৷ এবং আপনার পি৩ ৷ দু জলে ওই পরিকল্পনা করেছিলেন
এবৎ শের পর্যন্ত তা পরিত্যাগ করেছিলেন ৷ অবশ্য শেষ পর্যন্ত ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিকণ্ড
সেই পরিকল্পনা ত্যাগ করেন ৷ তার এই পরিকল্পনা ত্যাগের কারণ জ্জি যে, সাঈদ-ইবন
মুসায় য়িব (রা) এ বিষয়ে উমার ইবন আবদুল আযী ষের সাথে কথা বলেছিলেন যে, তিনি যেন


[سَنَةُ خَمْسِينَ مِنَ الْهِجْرَةِ] فِي هَذِهِ السَّنَةِ تُوُفِّيَ أَبُو مُوسَى الْأَشْعَرِيُّ، فِي قَوْلٍ، وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ مَاتَ سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَخَمْسِينَ كَمَا سَيَأْتِي. وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ مُعَاوِيَةُ، وَقِيلَ: ابْنُهُ يَزِيدُ. وَكَانَ نَائِبَ الْمَدِينَةِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ سَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ، وَعَلَى الْكُوفَةِ وَالْبَصْرَةِ وَالْمَشْرِقِ وَسِجِسْتَانَ وَفَارِسَ وَالسِّنْدِ وَالْهِنْدِ زِيَادٌ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ اسْتَعْدَى بَنُو نَهْشَلٍ عَلَى الْفَرَزْدَقِ زِيَادًا، فَهَرَبَ الْفَرَزْدَقُ مِنْهُ إِلَى الْمَدِينَةِ، وَكَانَ سَبَبَ ذَلِكَ أَنَّهُ عَرَّضَ بِمُعَاوِيَةَ فِي قَصِيدَةٍ لَهُ، فَطَلَبَهُ زِيَادٌ أَشَدَّ الطَّلَبِ فَفَرَّ مِنْهُ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَاسْتَجَارَ بِسَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، وَمَدَحَهُ بِأَشْعَارٍ فَأَجَارَهُ، وَلَمْ يَزَلِ الْفَرَزْدَقُ يَتَرَدَّدُ فِيمَا بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ حَتَّى تُوُفِّيَ زِيَادٌ، فَرَجَعَ إِلَى بِلَادِهِ، وَقَدْ طَوَّلَ ابْنُ جَرِيرٍ هَذِهِ الْقِصَّةَ. وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنَ الْحَوَادِثِ مَا رَوَاهُ مِنْ طَرِيقِ الْوَاقِدِيِّ: حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ مُعَاوِيَةَ كَانَ قَدْ عَزَمَ عَلَى تَحْوِيلِ الْمِنْبَرِ النَّبَوِيِّ مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى دِمَشْقَ، وَأَنْ يَأْخُذَ الْعَصَا الَّتِي كَانَ
পৃষ্ঠা - ৬৩৯০


এ বিষয়ে উপদেশ দেন, যেন তিনি পরিকল্পনা পরিত্যাগ করেন ৷ এরপর সুলায়মান যখনন্হজ্জ
করতে আসেন উমর ইবন আবদুল আযীয তার সাথে কথা বলেন এবং ওয়ালীদের পরিকল্পনা
ও সাঈদ ইবন মুসায়য়িৰের এই কাজে বারণ বরোর কথাও তাকে জানান ৷ তখন সুলায়মান
প্ বললেন, কি আবদুল মালিক কি ওয়ালীদ কারো নামের সাথে এমন অপবাদ সংযুক্ত হোক
আমি তা চাই না ৷ আমরা এমন কোন কাজ করব না ৷ এতে আমাদের কি-ই বা লভের্ন্তআমারা
পার্থিব ক্ষ্ণমতা শাসন ক্ষমতা অর্জন করেছি ৷ সেটি এখনো আমাদের হাতের যুঠোয়৷ তাহলে
আমরা কেন ইসলামের একটি নিদর্শন নিয়ে টানা হেচড়া বরের যে নিদর্শন দেখার জন্যে দলে দলে
লোক এখানে আগমন বনর ৷ এমন দুষগীয় কাজ করে আমাদের পুর্ব পুরুষদের উপর আমরা ওই
দায় চাপিয়ে দিব কেন? এটি আমাদের উচিত হবে না ৷ মহান আল্লাহ এই শুভ বৃদ্ধির জন্যে
সুলায়মানের প্ৰতি দয়া করুন ৷
এই বছর আমীর যুআংয়া (বা) মিসব্লুরর শাসনকর্তা পদ থেকে যুআৰিয়া ইবন খাদীজকে
অপসারণ করে তার স্থলে মাসলামা ইবন মুখাল্লাদ আফ্রিকীব্লুক নিয়োগ করেন ৷ এই বছর আমীর
মু আবিয়া (রা) এর নির্দেশে উক্বা ইবন নাফি ফিহুরী আফ্রিকার শহর-নগরগুলো জয় করেন এবং
কায়রাওয়ান শহ্র প্রতিষ্ঠা করেন ৷ ওই অঞ্চলটি ছিল গভীর বন-জঙ্গলাকীর্ণ এলাকা ৷ বড় বড় হিংসৃ
পশুপ্রাণী ও সাপ-বিচ্ছুর বাসস্থান ছিল ওই বন-জঙ্গল ৷ উকব৷ নাফি আল্লাহর নিকট দু আ
করলেন ৷ ফলে ওই জীব-ত্তম্ভে ও সাপ বিচ্ছুর কিছুই ওখানে থাকল না ৷ এমনকি হিংস্র জীব-জন্তু

ড়াদের ছানা-বাচচসহ হোখান থেকে বেরিয়ে গেল এবং নিজ নিজ্ব, গর্ত থেকে সাপবিচ্ছুগুলে৷ বেরিয়ে

অন্যত্র পালিয়ে গেল ৷ এ ঘটনা দেখে বহু বর্বর সম্প্রদ্যায়র মোঃ ইসলাম গ্রহণ করে ৷ সেনাপতি
উক্ব৷ সেখানে কায়রাওয়ান শহর পত্তন করেন ৷ এই বছর বুসর ইবন আবী আরতাত ও সুফিয়ান

ইবন আওফ রোমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করেন ৷ এই বছর ফুদালা ইবন উবায়দ নৌযুদ্ধে

অংশ নেন ৷ এই বছর প্রখ্যাত ও বুযর্গ সাহাবী হযরত মিদলাজ ইবন আমর সুলামী ইন্তিকাল করেন ৷

তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথী হয়ে সবপ্স যুদ্ধে অংশ্যাহণ করেন ৷ অবশ্য সাহাবীগণের তালিকায়

আমি তার উল্লেখ দেখি নি ৷

সাফিয়্যা বিনত হৃা৷ই ইবন আখতার (রা)

এই বছর র্যার৷ ইন্তিকাল করেছেন তাদের একজন হলেন উম্মুল মু’ যির্নীন হযরত সাফিয়্যা
বিনৃত হুয়ইি ইবন আখতার ইবন ও না ইবন ছালাবা ইবন আবদ ইবন কার ইবন খাযরাজ ইবন
আবী হাবিব ইবন নাদীর ইবন নাহ্হাম ইবন নাহুম তিনি হযরত হারুন (আ) এর বংশধর
ছিলেন ৷ হযরত সাফিয়ভু৷ (বা) তার পিতা ও চাচাব্লুত৷ ভইি আখতাব্লুবর সাথে মদীনায় বসবাস
করতেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইয়াহুদী গোত্র বানু নাদীয়কে যখন মদীনা থেকে বহিষ্কার করলেন
তখন এরা স্বব্লুগাত্রীয় লোকদের সাথে খায়রার চলে যায় ৷ পরবর্তীতে বানু কুরায়য৷ ব্লুগাত্রের
ইয়াহুদী পুরুষদের সাথে সাফিয়্যা এর পিতা দুয়ইিও নিহত হয় ৷ বাসুলুল্লাহ (সা) তখন
খায়বার দুর্গ জয় করেন তখন বন্দী লোকদের মধ্যে সাফিয়া৷ও বন্দী হয়ে আসেন ৷ তারপর
বণ্টব্লুন তিনি দাহয়৷ ইবন খালীফ কালবীর ভাগে পড়লেন ৷ ইতিমধ্যে তার রুপ গুণ ও বংশ
অভিজাত্যের কথা রাসুলুল্লাহ (সা) এর নিকট উত্থাপন করা হয় ৷ ফলে তিনি উপযুক্ত বিনিময়
প্রদান করে সাফিয়্যাকে নিজের জন্যে নিয়ে আসেন এবংস সাফিয়্যা ইসলাম গ্রহণ করেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে যুক্তি দিয়ে বিয়ে করেন ৷ সাহবা অঞ্চলে পৌছে হযরত সাফিয়্যা পাক-


النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُمْسِكُهَا فِي يَدِهِ إِذَا خَطَبَ، فَيَقِفُ عَلَى الْمِنْبَرِ وَهُوَ مُمْسِكُهَا، فَقَالَ لَهُ أَبُو هُرَيْرَةَ وَجَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، نُذَكِّرُكَ اللَّهَ أَنَّ تَفْعَلَ هَذَا، فَإِنَّ هَذَا لَا يَصْلُحُ أَنَّ تُخْرِجَ الْمِنْبَرَ مِنْ مَوْضِعٍ وَضَعَهُ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَّ تُخْرِجَ عَصَاهُ مِنَ الْمَدِينَةِ. فَتَرَكَ ذَلِكَ مُعَاوِيَةُ، وَلَكِنْ زَادَ فِي الْمِنْبَرِ سِتَّ دَرَجَاتٍ، وَاعْتَذَرَ إِلَى النَّاسِ. ثُمَّ رَوَى الْوَاقِدِيُّ: أَنَّ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ مَرْوَانَ فِي أَيَّامِ خِلَافَتِهِ هَمَّ بِذَلِكَ وَعَزَمَ عَلَيْهِ فَقِيلَ لَهُ: إِنَّ مُعَاوِيَةَ كَانَ قَدْ عَزَمَ عَلَى هَذَا ثُمَّ تَرَكَهُ، وَإِنَّهُ لَمَّا حَرَّكَ الْمِنْبَرَ، كَسَفَتِ الشَّمْسُ ; فَتَرَكَ ذَلِكَ. ثُمَّ لَمَّا حَجَّ الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ أَرَادَ ذَلِكَ أَيْضًا، فَقِيلَ لَهُ: إِنَّ مُعَاوِيَةَ وَأَبَاكَ أَرَادَا ذَلِكَ ثُمَّ تَرَكَاهُ. وَكَانَ السَّبَبَ فِي تَرْكِهِ أَنَّ سَعِيدَ بْنِ الْمُسَيَّبِ كَلَّمَ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَنْ يُكَلِّمَهُ فِي ذَلِكَ وَيَعِظَهُ، فَتَرَكَ. ثُمَّ لَمَّا حَجَّ سُلَيْمَانُ أَخْبَرَهُ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بِمَا كَانَ عَزَمَ عَلَيْهِ الْوَلِيدُ، وَأَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ نَهَاهُ عَنْ ذَلِكَ، فَقَالَ: مَا أُحِبُّ أَنَّ يُذْكَرَ هَذَا عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ وَلَا عَنِ الْوَلِيدِ، وَمَا يَكُونُ لَنَا أَنْ نَفْعَلَ هَذَا، مَالَنَا وَلِهَذَا، وَقَدْ أَخَذْنَا الدُّنْيَا فَهِيَ فِي أَيْدِينَا فَنُرِيدُ أَنْ نَعْمِدَ إِلَى عَلَمٍ مِنْ أَعْلَامِ الْإِسْلَامِ يُوفَدُ إِلَيْهِ، فَنَحْمِلَهُ إِلَى مَا قِبَلَنَا، هَذَا مَا لَا يَصْلُحُ. رَحِمَهُ اللَّهُ.
পৃষ্ঠা - ৬৩৯১
وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ عَزَلَ مُعَاوِيَةُ عَنْ مِصْرَ مُعَاوِيَةَ بْنَ حُدَيْجٍ وَوَلَّى عَلَيْهَا وَإِفْرِيقِيَةَ مَسْلَمَةَ بْنَ مُخَلَّدٍ وَفِيهَا افْتَتَحَ عُقْبَةُ بْنُ نَافِعٍ الْفِهْرِيُّ عَنْ أَمْرِ مُعَاوِيَةَ، بِلَادَ إِفْرِيقِيَّةَ، وَاخْتَطَّ الْقَيْرَوَانَ - وَكَانَ مَكَانُهَا غَيْضَةً تَأْوِي إِلَيْهَا السِّبَاعُ وَالْوُحُوشُ وَالْحَيَّاتُ الْعِظَامُ - فَدَعَا اللَّهَ تَعَالَى، فَلَمْ يَبْقَ فِيهَا شَيْءٌ مِنْ ذَلِكَ حَتَّى إِنِ السِّبَاعَ صَارَتْ تَخْرُجُ مِنْهَا تَحْمِلُ أَوْلَادَهَا، وَالْحَيَّاتُ يَخْرُجْنَ مِنْ أَجْحَارِهِنَّ هَوَارِبَ، فَعِنْدَ ذَلِكَ أَسْلَمَ خَلْقٌ كَثِيرٌ مِنَ الْبَرْبَرِ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ غَزَا بُسْرُ بْنُ أَبِي أَرْطَاةَ وَسُفْيَانُ بْنُ عَوْفٍ أَرْضَ الرُّومِ، وَفِيهَا غَزَا فَضَالَةُ بْنُ عُبَيْدٍ الْبَحْرَ. وَفِيهَا تُوُفِّيَ مِدْلَاجُ بْنُ عَمْرٍو السُّلَمِيُّ، صَحَابِيٌّ جَلِيلٌ، شَهِدَ الْمَشَاهِدَ كُلَّهَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَمْ أَرَ لَهُ ذِكْرًا فِي الصَّحَابَةِ. وَذَكَرَ أَبُو الْفَرَجِ بْنُ الْجَوْزِيِّ فِي كِتَابِهِ " الْمُنْتَظِمِ "، أَنَّ فِي هَذِهِ السَّنَةِ تُوُفِّيَ جُبَيْرُ بْنُ مُطْعِمٍ، وَحَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ، وَالْحَكَمُ بْنُ عَمْرٍو الْغِفَارِيُّ،
পৃষ্ঠা - ৬৩৯২

পবিত্র হন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার সাথে বাসর করেন ৷ হযরত উম্মু সুলায়ম্ (রা) তাকে
বাসর ঘরে যাবার জন্যে সাজিয়ে দিয়েছিলেন ৷ ইতিপুর্বে সাফিয়্যা তার চাচাভাে ভাই কিনান৷
ইবন আবী হুকায়কের শ্রী ছিলেন ৷ যুাক কিনানা নিহত হয়েছিল ৷ বিয়ের পর রাসুলুল্পাহ্ (সা)
, হযরত সাফিয়্যার মুখমণ্ডাল থাপৃপড়ের চিহ্ন দেখতে পেয়েছিলেন ৷ তিনি এর কারণ জিজ্ঞেস
ব্বায় তিনি বলেছিলেন, একদিন আমি স্বাপ্ন দেখলাম যে, একটি চাদের মত বস্তু ইয়াসরিব
থেকে এসে আমার কাোলর মধ্যে পড়েছে ৷আমি এই স্বপ্নের কথা আমার চাচাভাে ভীইয়ের
নিকট ব্য ক্ত করি ৷ তাতে সে আমাকে খাপৃপড় যাবে এবং বলে যে, তুই এই কামনায় বাস
আছিস যে, ইয়াসরিবের রাজা তােকে বিয়ে করবেঃ এই হ্যা: সেই থাপড়েৰ্ চিহ্ন,াইবাদত
বন্দেগী, তাকওয়া পরহেযপারী, দানসাদকা ও পুণ্য কর্মে তিনি অন্যতম শীর্ষস্থানীয়চুমহিলা
ছিলেন ৷ আল্লাহ তাআলা তার প্রতি সন্তুষ্ট হোন এবং তাকে সন্তুষ্ট করুন ৷ ওয়াকিদী বলেছেন
যে, ৫০ হিজরী সনে হযরত সাফিয়্যা (রা) ইভিকাল করেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, তার
ইতিকাল হয়েছে ৩৬ হিজরী সনে ৷ তবে প্রথম অভিমত সঠিক ও বিশুদ্ধ ৷ ন্

উম্মু সুরায়ক আনসারী (বা)

৫০ হিজরী সনে যারা ইস্তিকাল কয়েছো তাদের একজ্যা হলেন হযরত উম্মু সুরায়ক (রা)৷

, ইনি নিজেকে রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর জন্যে নিবেদন করেছিলেন ৷ বিনা দাবীতে বিবাহের প্রস্তাব -
দিয়েছিলেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ওই প্রস্তাব গ্রহণ কংরছিলেন ৷ আর কেউ
াকউ বলেছেন, তিনি ওই প্রস্তাব গ্রহণ করেন নি ৷ এরপর থেকে তিনি কোন বিবাহ বন্ধনে
আবদ্ধ হন নি ৷ কোন এক (ঘটনায় মুশরিকগণতা৷ক পান করার জন্যে পানি দেয় নি ৷ শত
নিাবদানও তার৷ তাকে পানি সরবরাহ করে নি৷ তারপর সরাসরি আকাশ থেকে এক পাত্র ন্
পানি তার নিকট নেমে এ ৷সছিল ৷৩ তিনি তা পান করেছিলেন এবং তখন র্তার গোত্রের লোকেরা
ইসলাম গ্রহণ করে ৷ তার মুল নাম সাফিয়্যা ৷ কেউ বলেছেন, আযীলা ৷ বিশুদ্ধ মতৃানুসাব তিনি
বানু আমীর গোত্রের লোক ৷ ইবনুল জাওযী বলেছেন, ৫০ হিজরী সনে তার ওর্ফাত হয় ৷ এই
বিষয়ে অন্য কা৷ রা মন্তব্য আমি পইি নি ৷

আমর ইবন উমাইয়া দামারী (বা)

এই বছর আমর ইবন উয়াইয়া দামারী (রা)-এর ওফাত হয় ৷ তিনি একজন শীর্ষস্থানীয়
সাহাবী ছিলেন ৷ তিনি উহুদ যুদ্ধের পর ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন ৷ সর্বপ্রুথম; যে যুদ্ধে তিনি
অংশ নেন সেটি, হলো বিব-ই-মাউনার যুদ্ধ ৷ তিনিরাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর বিশেষ ৷খদমতপার ৰু
ছিলেন ৷ উম্মু হাবীব৷ (রা) কে বিবাহে প্রস্তাব দিয়ে রাসুলুল্লাহ (সা) নিজের প্রতিনিধি হিসেবে
আমর ইবন উমাইয়৷ (রা) কে বাদশাহ নাজ্জা শীৱ নিকট প্রেরণ করেছিলেন ৷ তা৷ক রাসুলুল্পাহ্
, (না) এই দায়িত্বও দিয়েছিলেন যে, আবিসিনিয়ায় অবস্থানরত অবশিষ্ট মুসলমানদেরাক যেন
তিনি মদীনায় নিয়ে আসেন, তার বহু প্ৰশং সনীয় ও উল্লেখযোগ্য সৎকর্য রয়েছে ৷ আমীর
মু আবিয়৷ (রা) এর শাসনামলে তার ইন্তিকাল হয় ৷
আবু ফারাজ ইবন জাওযী তার “আল-মুনতাযম” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, এই বছর
অর্থাৎ ৫০ হিজরী সনে আরো যারা ইস্তিকাল করেছেন, তারা হলেন জুবায়র ইবন ৰুতঈম,,;
হাসৃসান ইবিন সাবিত, হাকাম ইবন আমর গিফারী, দাহ্য়াহ ইবন খন্সীফা কানৃবী, আকীহ্ব

আল বিদায়৷ ৷ওয়ানলোঃ৩


وَدِحْيَةُ بْنُ خَلِيفَةَ الْكَلْبِيُّ، وَعَقِيلُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَعَمْرُو بْنُ أُمَيَّةَ الضَّمْرِيُّ، وَكَعْبُ بْنُ مَالِكٍ، وَالْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ، وَجُوَيْرِيَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ، وَصَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَيٍّ، وَأُمُّ شَرِيكٍ الْأَنْصَارِيَّةُ. رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ. أَمَّا جُبَيْرُ بْنُ مُطْعِمِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ نَوْفَلِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ الْقُرَشِيُّ النَّوْفَلِيُّ أَبُو مُحَمَّدٍ، وَقِيلَ: أَبُو عَدِيٍّ الْمَدَنِيُّ، فَإِنَّهُ قَدِمَ وَهُوَ مُشْرِكٌ فِي فِدَاءِ أَسَارَى بَدْرٍ فَلَمَّا سَمِعَ قِرَاءَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سُورَةِ " الطُّورِ ": {أَمْ خُلِقُوا مِنْ غَيْرِ شَيْءٍ أَمْ هُمُ الْخَالِقُونَ} [الطور: 35] . دَخَلَ فِي قَلْبِهِ الْإِسْلَامُ، ثُمَّ أَسْلَمَ عَامَ خَيْبَرَ وَقِيلَ: زَمَنَ الْفَتْحِ. وَالْأَوَّلُ أَصَحُّ، وَكَانَ مِنْ سَادَاتِ قُرَيْشٍ وَأَعْلَمِهَا بِالْأَنْسَابِ، أَخَذَ ذَلِكَ عَنِ الصِّدِّيقِ، وَالْمَشْهُورُ أَنَّهُ تُوُفِّيَ سَنَةَ ثَمَانٍ وَخَمْسِينَ، وَقِيلَ: سَنَةَ تِسْعٍ وَخَمْسِينَ، كَمَا سَيَأْتِي. وَأَمَّا حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ شَاعِرُ الْإِسْلَامِ، فَالصَّحِيحُ أَنَّهُ تُوُفِّيَ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَخَمْسِينَ، كَمَا سَيَأْتِي. وَأَمَّا الْحَكَمُ بْنُ عَمْرِو بْنِ مُجَدَّعٍ الْغِفَارِيُّ، أَخُو رَافِعِ بْنِ عَمْرٍو
পৃষ্ঠা - ৬৩৯৩


ইক্বাআবী তালির, আমর ইবন উমাইয়া দামারীবদরী, কাব ইবন মালিক, মুপীরা ইবন শুবা,
জুওয়াইরিয়া বিনৃত হারিস, সাফিয়ব্ল৷ বিনৃত হুয়াই এবং উম্মু শুরাহ্বাক আনসারিয়্যা ট্রুরা) ৷
জুবায়র ইবন মুতইম (বা)

তিনি হলেন জুবহরর ইবন মুত তইম ইবন আদী ইবন নাওফাল ইবন আবদ-মানাফ
কুরায়শী, নাওফালী ৷ তার উপনাম আবু আহমদ, কেউ বলেছেন, আবু আদী মাদানী ৷ বদর
যুদ্ধে বন্দী হওয়া কাষিরদের মুক্তিপণ হিসেবে তিনি মুসলমানদের দখলে আসেন ৷ তখন তিনি
ছিলেন মুশৃব্লিক ৷ এক পর্যায়ে তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না) এর কুরআন৩ তিলাওয়াত শুনলেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (যা) তখন সুরা তৃরএর

ণ্ শ্ ণ্া

( ওরা কি স্রষ্টা ব্যতীত সৃষ্টি হয়েছে ন৷ ওরা নিজেরইি স্রষ্টা? সুরা ৫২, তুরং ৩৫) আয়াতটি

পাঠ করছিলেন ৷ এটি শুনে তার অন্তার ইসলামের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি হয় ৷ এরপর খায়বায়

যুদ্ধের বছর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন, তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছেন

মক্কা বিজয়ের সমর ৷ প্রথম অভিমতটি সঠিক ৷ তিনি বৰায়শ বংদুার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি
ছিলেন ৷ বংশ পরিচয় হিসেবে তার ছিল প্রচুর অভিজ্ঞতা ৷ তিনি এসব সঞ্চাহ্ করেছিলেন
হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) থেকে ৷ প্রসিদ্ধ অভিমত হল তিনি ইস্তিকাল করেছেন ৫৮
হিজ্বরী সান ৷ আর কেউ কেউ বলেছেন, ৫৯ হিজরী সনে ৷

হাসৃসান ইবন সাধিত (রা)

হাস্সান ইবন সাধিত (রা) হলেন ইসলামের করি ৷ বিশুদ্ধ ও সঠিক অভিমত হল৩ তিনি
ইস্তিকাল করেছেন ৫৪ ইিজরী সনে ৷ পরবর্তীাত তার আলোচনা আসবে ৷

হাকাম ইবন আমর ইবন মুজাদ্দা ণিফারী (রা)

হাকাম ইবন আম্র হলেন রাফী ইবন আমরেৱ ভইি ৷ তাকে হাকাম ইবন অকেরাও ব্লা

হয় ৷ তিনি একজন বুযুর্গ সাহাৰী ৷ তার: একটি হাদীস ইমাম বুখারী (র) উদ্ধৃত করেছেন,
গৃহপালিত গাধ্ার গোশত খাওয়া নিষিদ্ধ বিষয়ে ৷ উমাইয়া প্রশাসক যিয়াদ ইবন আবিহী র্তাকে
“জাবালুন আশার” যুদ্ধে সেনাপতি নিযুক্ত করেছিলেন ৷ যুদ্ধে জয়লাভ করে তিনি প্রচুর
গনীমতের মাল দখল করেন ৷ এ সময়ে আমীর মুআবিয়৷ (রা) এর পক্ষে যিয়াদ তাকে চিঠি
লিখেন যে, গনীমতের সালে যত রুপা রাঃয়ছে তার সবগুলো আলাদা করে মুআবিয়া (রা)এর
বায়তুলমাল তথা ৷ সরকারী কােষাপারের জন্যে যেন সংরক্ষিত করে রাখা হয় ৷ বিষয়টি
কুরআনের বিধানের বিপরীত হওয়ায় সেনাপতি হাকাম ইবন আমর (রা) যিয়াদকে লিখলেন
যে, কুরআনের বিধান আমীরুলু মু’মিনীনের ৰিধা৷নব উপর প্রাধান্য পাবে ৷ আপনি কি শুনেননি
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বাণী-


— আল্লাহ্র নির্দেশের বিরােধিতাঃ কোন মানুষের আনুগত্য করা যাবে না ৷’ তারপর তিনি
কুরআনের বিধান অনুযায়ী সৈনিকদের মাঝে গনীমরুতুর মাল বন্টন করে দেন ৷ কথিত আছে ন্


الْغِفَارِيِّ، وَيُقَالُ لَهُ: الْحَكَمُ بْنُ الْأَقْرَعِ. فَصَحَابِيٌّ جَلِيلٌ، لَهُ عِنْدَ الْبُخَارِيِّ حَدِيثٌ وَاحِدٌ فِي النَّهْيِ عَنْ لُحُومِ الْحُمُرِ الْإِنْسِيَّةِ، وَقَدِ اسْتَنَابَهُ زِيَادُ بْنُ أَبِيهِ عَلَى غَزْوِ جَبَلِ الْأَشَلِّ، فَغَنِمَ شَيْئًا كَثِيرًا مِنَ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَغَيْرِ ذَلِكَ، فَجَاءَهُ كِتَابُ زِيَادٍ عَنْ أَمْرِ مُعَاوِيَةَ أَنْ يَصْطَفِيَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ مِنَ الْغَنِيمَةِ لِبَيْتِ الْمَالِ، فَرَدَّ عَلَيْهِ الْحَكَمُ: إِنَّ كِتَابَ اللَّهِ أَوْلَى أَنْ يُتَّبَعَ مِنْ كِتَابِ مُعَاوِيَةَ، وَقَدْ سَبَقَ كِتَابُ اللَّهِ كِتَابَ مُعَاوِيَةَ، وَقَدْ قَالَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ: «لَا طَاعَةَ لِمَخْلُوقٍ فِي مَعْصِيَةِ الْخَالِقِ ".» ثُمَّ نَادَى فِي النَّاسِ أَنِ اغْدُوَا عَلَى غَنَائِمِكُمْ، فَقَسَّمَهَا فِي النَّاسِ وَلَمْ يَتْرُكْ إِلَّا الْخُمُسَ، فَيُقَالُ: إِنَّهُ حُبِسَ إِلَى أَنَّ مَاتَ بِمَرْوَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. وَقِيلَ: فِي سَنَةِ إِحْدَى وَخَمْسِينَ. رَحِمَهُ اللَّهُ. وَأَمَّا دِحْيَةُ بْنُ خَلِيفَةَ الْكَلْبِيُّ فَصَحَابِيٌّ جَلِيلٌ، كَانَ جَمِيلَ الصُّورَةِ، فَلِهَذَا كَانَ جِبْرِيلُ يَأْتِي عَلَى صُورَتِهِ كَثِيرًا. وَأَرْسَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى قَيْصَرَ. أَسْلَمَ قَدِيمًا، وَلَكِنْ لَمْ يَشْهَدْ بَدْرًا، وَشَهِدَ مَا بَعْدَهَا، ثُمَّ شَهِدَ الْيَرْمُوكَ وَأَقَامَ بِالْمِزَّةِ غَرْبِيَّ دِمَشْقَ إِلَى أَنْ مَاتَ فِي خِلَافَةِ مُعَاوِيَةَ. وَفِيهَا تُوُفِّيَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَمُرَةَ بْنِ حَبِيبِ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ الْقُرَشِيُّ أَبُو سَعِيدٍ الْعَبْشَمِيُّ، أَسْلَمَ يَوْمَ الْفَتْحِ، وَقِيلَ: شَهِدَ مُؤْتَهَ، وَغَزَا
পৃষ্ঠা - ৬৩৯৪
خُرَاسَانَ وَفَتْحَ سِجِسْتَانَ وَكَابُلَ وَغَيْرَهَا، وَكَانَتْ لَهُ دَارٌ بِدِمَشْقَ، وَأَقَامَ بِالْبَصْرَةِ، وَقِيلَ: بِمَرْوَ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ: مَاتَ بِالْبَصْرَةِ سَنَةَ خَمْسِينَ. وَقِيلَ: سَنَةَ إِحْدَى وَخَمْسِينَ. وَصَلَّى عَلَيْهِ زِيَادٌ، وَتَرَكَ عِدَّةً مِنَ الذُّكُورِ، وَكَانَ اسْمُهُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ عَبْدَ كُلَالٍ، وَقِيلَ: عَبْدُ كَلُوبٍ. وَقِيلَ: عَبْدُ الْكَعْبَةِ. فَسَمَّاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ، وَكَانَ أَحَدَ السَّفِيرَيْنِ بَيْنَ مُعَاوِيَةَ وَالْحَسَنِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا. وَقَدْ قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ سَمُرَةَ لَا تَسْأَلِ الْإِمَارَةَ ; فَإِنَّكَ إِنْ أُعْطِيتَهَا عَنْ مَسْأَلَةٍ وُكِلْتَ إِلَيْهَا، وَإِنَّ أُعْطِيتَهَا عَنْ غَيْرِ مَسْأَلَةٍ أُعِنْتَ عَلَيْهَا ".» وَفِيهَا تُوُفِّيَ عُثْمَانُ بْنُ أَبِي الْعَاصِ الثَّقَفِيُّ، أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الطَّائِفِيُّ، لَهُ وَلِأَخِيهِ الْحَكَمِ صُحْبَةٌ، قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي وَفْدِ ثَقِيفٍ، فَاسْتَعْمَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الطَّائِفِ، وَأَمَّرَهُ عَلَيْهَا أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ، فَكَانَ أَمِيرَهُمْ وَإِمَامَهُمْ مُدَّةً طَوِيلَةً حَتَّى مَاتَ سَنَةَ خَمْسِينَ. وَقِيلَ: سَنَةَ إِحْدَى وَخَمْسِينَ. رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَأَمَّا عَقِيلُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ أَخُو عَلِيٍّ، فَكَانَ أَكْبَرَ مِنْ جَعْفَرٍ بِعَشْرِ سِنِينَ، وَجَعْفَرٌ أَكْبَرُ مِنْ عَلِيٍّ بِعَشْرِ سِنِينَ، كَمَا أَنَّ طَالِبًا أَكْبَرُ مِنْ عَقِيلٍ بِعَشْرِ سِنِينَ، وَكُلُّهُمْ أَسْلَمَ إِلَّا طَالِبًا، أَسْلَمَ عَقِيلٌ قَبْلَ الْحُدَيْبِيَةِ، وَشَهِدَ مُؤْتَةَ، وَكَانَ مِنْ أَنْسَبِ قُرَيْشٍ، وَكَانَ قَدْ وَرِثَ أَقَارِبَهُ الَّذِينَ هَاجَرُوا وَتَرَكُوا أَمْوَالَهُمْ وَدِيَارَهُمْ بِمَكَّةَ،
পৃষ্ঠা - ৬৩৯৫

যে, এ জন্যে তাকে বন্দী করে রাখা হয়েছিল এবং বন্দী অবস্থায় তিনি মার্ভ অঞ্চলে ৫০ হিজয়ী
সনে ইন্তিকাল করেন ৷ কেউ কেউ ব্যলহ্নো, ৫১ হিজয়ী সনে ৷রুণ্

প্ দাহয়া ইবন খালীফ৷ কালবী (রা)

হযরত দাহ্যা ইবন খলীফা কালবী (বা) উচু পর্যায়ের সাহাবী ছিলেন ৷৩ তিনি অত্যর্চুত পুল্দোস্ধ্ন্ণ্
ছিলেন বটে ৷ এজন্যে হযরত ৩জিবরাঈল (আ) অধিকাংশ সময়ে তার আকৃতিতে রাসুণ্কুল্লাহ্ (না)
এর নিকট আসতেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার প্রতিনিধি হিসেবে দাহ্য়া কালবী (রা)-কেস্টুরনীিন ন্ন্
সুমাট হিরাক্লিয়াসের নিকট পাঠিয়েছিলেন ৷ ইসলামের সুনো যুগে তিনি ইসলামে দীক্ষিত হন ৷
তবে তিনি বদর যুদ্ধে অংশ নিতে পারেন নি ৷ পরবর্তী যুদ্ধগুলোতে তিনি অংশ্যাহণ রুক্সেচুন ৷
এরপরে ইয়ারমুকের যুদ্ধেও৩ তিনি অংশ নেন ৷ দামেশৃকের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মিয্ঘার্ভে তিনি
বসবাস করতেন ৷ আমীর মু আবিয়া (রা) এর শাসনকালে তিনি মারা যান ৷
এই বছর অর্থাৎ ৫০ হিজয়ী সনে ইস্তিকাল করেন ৷ আবদুর রহমান ইবন সার্মুরী ইবন ৰু
হাবিব ইবন আবদ শামৃস কুরায়শী আবু সাঈদ আবশামী (রা) ৷ তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন মক্কা
বিজয়ের দিন ৷ কেউ কেউ বলেছেন, তিনি মুতার যুদ্ধে অংশ নিঃযছিলেন ৷ তিনি খুরাসান যুদ্ধে

ৎশগ্রহণ করেছিলেন ৷ সিজিন্থান, কাবুল ও অন্যান্য শহর৩ তিনি জয় করেন ৷ দামেশৃকে তার
একটি বাসস্থান ছিল ৷ তবে তিনি বসরাতে বসবাস করতেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন, তিনি
বসবাস করতেন মার্ভ অঞ্চলে ৷

মুহাম্মদ ইবন সা দ ও অন্যরা বলেছেন, যে, ৫০ হিজয়ী সনে বসরাতে আবদুর রহমান
ইবন সামুরার মৃত্যু হয় ৷ কেউ কেউ বলেছেন, তার মৃত্যু হয়েছে ৫১ হিজয়ী সনে ৷ যিয়াদ তার
জানাযায় ইমামতি করেন ৷ তিনি কয়েকজন পুত্র সন্তান রেখে যান ৷ জাহিলী যুগে, তার নাম ছিল
আবদ কুলাল ৷ কেউ বলেছেন, আবদ কালুব ৷ আবার কেউ বলেছেন, আবদ কা-বা ৷ ইসলাম ৰু
গ্রহণের পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার নাম রাখলেন আবদুর রহমান ৷ হযরত আলী (রা) ও আমীর
মু আবিয়া (রা) এর মধ্যে আ৷ পাষ-মীমাংসাকালে তিনি অন্যতম দুত হিঃসরে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা
পালন করেন ৷

এই বছর উসমান ইবন আরিল আস ছাকাফী আবু আবদিল্পাহ্ তায়িফী ইন্তিকাল করেন,
তিনি এবং তার ভাই হিংনম্ দু জঃনই রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাহচর্য পেয়েছেন ৷৩ তারা দুজনেই
রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর সাহাবী ৷ সাকীফ গোত্রের প্রতিনিধি দলে র্পো হয়ে তিনি রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর দরবারে উপস্থিত হয়েছিলেন ৷ পরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ডাকে তারিঃক্ষ্য প্রশাসক নিযুক্ত
করেন ৷ হযরত আবু বকর (রা) ও হযরত ,উমররু(রা) তাকেনিজন্ নিজ শাসনামলে তায়িফোা

শাসনকর্তা পদে বহাল রাখেন ৷ দীর্ঘদিন পর্যন্ত তিনি তায়িফবাসীদেৱ ইমামতি ও প্রশাসক ণ্

ছিলেন ৷ অবশেষে ৫০ হিজয়ী সনে তার ইস্তিকাল হয় ৷ কেউ কেউ বলােছা-, তার মৃত্যু হয়েছে
৫১ হিজয়ী সনে ৷

আকীল ইবনআবীর্বৃতানিব (রা) ,
এই বছর অর্থাৎ ৫০ হিজরীট্রুসনে হযরত,আকীলইবন আবী ৰু,তালিব (বা) ইন্তিকাল করেন ৷

, তিনিহলেন হযরত আলী (রা)-এর ভাইান্আকীল (রা) হিংল্ন্ৰুহযরউ জাফর রােন্ন্ম্পির,
চইিতে ১০ বছরের বড় ৷ আর হযরত জাফ্ৱ (রা) ছিলেন হযরত আলী (রা)-এর চইিতে ১০


وَمَاتَ فِي خِلَافَةِ مُعَاوِيَةَ. وَأَمَّا عَمْرُو بْنُ أُمَيَّةَ الضَّمْرِيُّ فَصَحَابِيٌّ جَلِيلٌ أَسْلَمَ بَعْدَ أُحِدٍ، وَأَوَّلُ مَشَاهِدِهِ بِئْرُ مَعُونَةَ، وَكَانَ سَاعِيَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بَعَثَهُ إِلَى النَّجَاشِيِّ فِي تَزْوِيجِ أُمِّ حَبِيبَةَ، وَأَنْ يَأْتِيَ بِمَنْ بَقِيَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ هُنَاكَ، وَلَهُ أَفْعَالٌ حَسَنَةٌ، وَآثَارٌ مَحْمُودَةٌ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، تُوُفِّيَ فِي خِلَافَةِ مُعَاوِيَةَ. وَكَانَ لَا يُلْحَقُ وَلَا يُسْبَقُ بِالْخَيْلِ. وَفِيهَا كَانَتْ وَفَاةُ عَمْرِو بْنِ الْحَمِقِ بْنِ الْكَاهِنِ الْخُزَاعِيِّ، أَسْلَمَ قَبْلَ الْفَتْحِ وَهَاجَرَ، وَقِيلَ: إِنَّهُ إِنَّمَا أَسْلَمَ عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ. وَقَدْ وَرَدَ فِي حَدِيثٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعَا لَهُ أَنْ يُمَتِّعَهُ اللَّهُ بِشَبَابِهِ ; فَبَقِيَ ثَمَانِينَ سَنَةً لَا يُرَى فِي لِحْيَتِهِ شَعْرَةٌ بَيْضَاءُ، وَمَعَ هَذَا كَانَ أَحَدَ الْأَرْبَعَةِ الَّذِينَ دَخَلُوا عَلَى عُثْمَانَ، ثُمَّ صَارَ بَعْدَ ذَلِكَ مِنْ شِيعَةِ عَلِيٍّ، فَشَهِدَ مَعَهُ الْجَمَلَ وَصِفِّينَ، وَكَانَ مِنْ جُمْلَةِ الَّذِينَ قَامُوا مَعَ حُجْرِ بْنِ عَدِيٍّ، فَتَطَلَّبَهُ زِيَادٌ، فَهَرَبَ إِلَى الْمَوْصِلِ، فَبَعَثَ مُعَاوِيَةُ إِلَى نَائِبِهَا، فَطَلَبُوهُ فَوَجَدُوهُ قَدِ اخْتَفَى فِي غَارٍ فَنَهَشَتْهُ حَيَّةٌ، فَمَاتَ فَقَطَعَ رَأْسَهُ، فَبَعَثَ بِهِ إِلَى مُعَاوِيَةَ، فَطِيفَ بِهِ فِي الشَّامِ وَغَيْرِهَا، فَكَانَ أَوَّلَ رَأْسٍ طِيفَ بِهِ، ثُمَّ بَعَثَ مُعَاوِيَةُ بِرَأْسِهِ إِلَى زَوْجَتِهِ آمِنَةَ بِنْتِ الشَّرِيدِ - وَكَانَتْ فِي سِجْنِهِ - فَأُلْقِيَ فِي حِجْرِهَا، فَوَضَعَتْ كَفَّهَا عَلَى جَبِينِهِ وَلَثَمَتْ فَمَهُ، وَقَالَتْ: غَيَّبْتُمُوهُ عَنِّي طَوِيلًا، ثُمَّ أَهْدَيْتُمُوهُ إِلَيَّ قَتِيلًا، فَأَهْلًا بِهَا مِنْ هَدِيَّةٍ غَيْرَ قَالِيَةٍ وَلَا مَقْلِيَّةٍ.
পৃষ্ঠা - ৬৩৯৬


বছরের বড় ৷ আবার তালিব ছিল হযরত আকীল (রা) এর চইিতে ১০ বছরের বড় ৷৩ ভাইদের
মধ্যে তালির ছাড়া অন্য সকলে ইসলাম গ্রহণ করেছেন ৷ আকীর্ল (রা) ইসলাম গ্রহণ করেছেন
হুদায়বিয়া সন্ধির পুর্বে ৷ তিনি মু তার যুদ্ধে অংশ নিঃয়ছিলেন ৷ তিনি ছিলেন কুরায়শের অন্যতম
অভিজাত লোক ৷ তার আত্মীয়-স্বজ্যা যারা মক্কা থেকে মদীনায় হিজয়ত করেছিলেন তিনি
তাদের মক্কাস্থ ধন-সম্পদের উত্তরাধিকারী হয়েছিলেন ৷ আমীর মুআবিয়৷ (রা) এর শাসনামলে
তার মোঃ হয় ৷
এই বছর ঘামর ইবন হুমুক ইবন কাহিন খুযাঈ এর ওফাত হয় ৷ তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন

মক্কা জািয়র পুর্বে ৷ তিনি মদীনায় হিজরত করেছিলেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন,৩ তিনি ইসলাম
গ্রহণ করেন বিদায় হজের বছর ৷ হাদীস শরীফে এসেছে যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) তার জন্যে দুআ-
করেছিলেন যে, আল্লাহ্তঅোলা যেন যৌবন দ্বারা তাকে উপকৃত করেন ৷ ফলে ৮০ বছর পর্যন্ত
তিনি জীবিত ছিলেন, কিন্তু এই দীর্ঘ জীবনে তার একটি দাড়িও সাদা হয় নি ৷ তা সত্বেও তিনি
সেই চারজনের একজন হিঃলন, যারা হযরত উসমান (রা)-এর গৃহে প্রবেশ টু করেছিলেন ৷
এরপর তিনি হযরত আলী (রা)-এর ভক্তদলে শামিল হন ৷ তীর সাথে , উটের যুদ্ধে ’ এবং
সিফ্ফিনের ন্-ঘুদ্ধে অংশ নেন ৷ হুজ্যা ইবন আদীকে ব্া৷রা সহযোগিতা করেছিল তিনি তাদের

দলের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ৷ ফ্লে গ্রশাসক যিয়াদ ক্রোধান্বিত হয়ে তবে বিরুদ্ধে গ্রেফতারী
পরওরান৷ জারী করলেন ৷ তিনি পালিয়ে মুসেল চলে যান ৷ মুআৰিয়া (রা)ত তাকে খুজে বের
করার জন্যে ঙ্গুস্যেলর প্রশাসককে নির্দেশ দিলেন ৷ সরকা ৷য়ী লোকজন তাকে এক গুহায় খুজে
ষ্ পেল ৷ ওই গুহায় লুকিয়ে তিনি আত্মরক্ষার চেষ্টা কঃরছিলেন ৷ কিন্তু বিষাক্ত সাপ র্ভাকে দংশন
করে৷ তাতে তিনি ওখানেই মারা যান৷ সরকারী লোকজন তীর মাথা কোট’ নিয়ে আমীর
মুআৰিয়া (রা)এর নিকট প্রেরণ করে ৷ ঐ কর্তিত মাথা সিরিয়া ও অন্যান্য এলাকায়ঘুরানাে
হয়৷ এরপর আমীর মৃআবিয়া (বা) ঐ ছিন্ন মাথা তার শ্রী আমিরা বিনৃত শায়ীদের নিকট
প্রেরণ কারন ৷ আমিরাও তখন জেলে বন্দী ছিলেন ৷ ছিন্ন মাথাটি তীর কোলের উপর নিক্ষেপ
করা হয় ৷ আমির পরম আদয়ে তার স্বামীর মুখঃমণ্ডর্লে হাত রাখেন এবং মুখে নিয়ে চুমু খান ৷
আর বলেন, তোমরা দীর্ঘদিন যাবত তাকে আমার নিকট অদৃশ্য করে রেখেছ ৷ তারপর উপহার
হিসেবে তার পণ্ডিত মস্তক আমাকে দিয়েছ ৷ আমি পরম মমতায় এই উপহার গ্রহণ করেছি ৷

, কাব ইবন মালিক আনসারী (বা)

৫০ হিজয়ী flfi fifi!’ ইন্তিকাল করেন, তাদের একজন ছিলেন ইবন মালিক আনসারী
(রা) তিনি ছিলেন ইসলামের করি ৷ ইসলাম প্রকাশের সুচন৷ যুগে৩ তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷
আকাবার শপথ অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত ছিলেন ৷ তিনি বদর যুদ্ধে অংশ নেন নি ৷ তার তওবা ন্
কবুল হওয়া সম্পর্কিত সহীহ্ ৰুখায়ী ও সহীহ্ মুসলিম গ্রন্থে এরুপ উল্লেখ রয়েছে ৷ তাবুক
ৰুযুদ্ধে অনুপস্থিতির শ্ পর যে তিনজনের তওবা আল্লাহ তাআলা কবুল করেছেন, কার ইবন
মালিক (রা) তাদের একজন ৷ তাফসীর গ্রন্থে আমরা এই ঘটনা বিস্তারিত উল্লেখ করেছি ৷
তাবুক যুদ্ধের অধ্যায়েও তা উল্লেখ করান্হয়োছ ৷ কালবী বলেছেন, তিনি বদর যুদ্ধে অংশ
নিয়েছেন ৷ কিন্তু কালবীর এই বর্ণনা সঠিক নয় ৷ কালবী এও বলেছেন, হযরত ক্াব, ইবন
মালিক (বা) ৪১ হিজ়রীর পুর্বে ইন্তিকাল করেছেন ৷ তার এই মন্তব্য“ সঠিক নয় ৷ কারণ তার
চইিতে অভিজ্ঞ: ও , অধিক জ্ঞানী ব্যক্তিত্ব ওয়াকিদী বলেছেন, হযরত কাব ইন্তিকাল করেছেন


وَأَمَّا كَعْبُ بْنُ مَالِكٍ الْأَنْصَارِيُّ السُّلَمِيُّ شَاعِرُ الْإِسْلَامِ، فَإِنَّهُ أَسْلَمَ قَدِيمًا، وَشَهِدَ الْعَقَبَةَ، وَلَمْ يَشْهَدْ بَدْرًا، كَمَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " فِي سِيَاقِ تَوْبَةِ اللَّهِ عَلَيْهِ، فَإِنَّهُ كَانَ أَحَدَ الثَّلَاثَةِ الَّذِينَ تِيبَ عَلَيْهِمْ مِنْ تَخَلُّفِهِمْ عَنْ غَزْوَةِ تَبُوكَ، كَمَا ذَكَرْنَا ذَلِكَ مُفَصَّلًا فِي " التَّفْسِيرِ "، وَكَمَا تَقَدَّمَ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ، وَغَلِطَ ابْنُ الْكَلْبِيِّ فِي قَوْلِهِ: إِنَّهُ شَهِدَ بَدْرًا. وَفِي قَوْلِهِ: إِنَّهُ تُوُفِّيَ قَبْلَ الْأَرْبَعِينَ. فَإِنَّ الْوَاقِدِيَّ - وَهُوَ أَعْلَمُ مِنْهُ - قَالَ: تُوُفِّيَ سَنَةَ خَمْسِينَ. وَقَالَ الْهَيْثَمُ بْنُ عَدِيٍّ: سَنَةَ إِحْدَى وَخَمْسِينَ. رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَأَمَّا الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ بْنِ أَبِي عَامِرِ بْنِ مَسْعُودٍ، أَبُو عِيسَى، وَيُقَالُ: أَبُو عَبْدِ اللَّهِ. الثَّقَفِيُّ. وَعُرْوَةُ بْنُ مَسْعُودٍ الثَّقَفِيُّ عَمُّ أَبِيهِ، كَانَ الْمُغِيرَةُ مِنْ دُهَاةِ الْعَرَبِ، وَذَوِي آرَائِهَا، أَسْلَمَ عَامَ الْخَنْدَقِ بَعْدَ مَا قَتَلَ ثَلَاثَةَ عَشَرَ رَجُلًا مِنْ ثَقِيفٍ مَرْجِعَهُمْ مِنْ عِنْدِ الْمُقَوْقِسِ، وَأَخَذَ أَمْوَالَهُمْ، فَغَرِمَ دِيَاتِهِمْ عُرْوَةُ بْنُ مَسْعُودٍ، وَشَهِدَ الْحُدَيْبِيَةَ، وَكَانَ وَاقِفًا يَوْمَ الصُّلْحِ عَلَى رَأْسِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالسَّيْفِ صَلْتًا،
পৃষ্ঠা - ৬৩৯৭
وَبَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ إِسْلَامِ أَهْلِ الطَّائِفِ هُوَ وَأَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ، فَهَدَمَا اللَّاتَ، وَقَدْ قَدَّمْنَا كَيْفِيَّةَ ذَلِكَ، وَبَعَثَهُ الصِّدِّيقُ إِلَى الْبَحْرَيْنِ، وَشَهِدَ الْيَمَامَةَ وَالْيَرْمُوكَ، فَأُصِيبَتْ عَيْنُهُ يَوْمَئِذٍ، وَقِيلَ: بَلْ نَظَرَ إِلَى الشَّمْسِ وَهِيَ كَاسِفَةٌ، فَذَهَبَ ضَوْءُ عَيْنِهِ. وَشَهِدَ الْقَادِسِيَّةَ، وَوَلَّاهُ عُمَرُ فُتُوحًا كَثِيرَةً، مِنْهَا هَمَذَانُ وَمَيْسَانُ، وَهُوَ الَّذِي كَانَ رَسُولَ سَعْدٍ إِلَى رُسْتُمَ، فَكَلَّمَهُ بِذَلِكَ الْكَلَامِ الْبَلِيغِ، فَاسْتَنَابَهُ عُمَرُ عَلَى الْبَصْرَةِ فَلَمَّا شُهِدَ عَلَيْهِ بِالزِّنَا وَلَمْ يَثْبُتْ عَلَيْهِ، عَزَلَهُ عَنْهَا، وَوَلَّاهُ الْكُوفَةَ، وَاسْتَمَرَّ بِهِ عُثْمَانُ حِينًا، ثُمَّ عَزَلَهُ، فَبَقِيَ مَعْزُولًا حَتَّى كَانَ أَمْرُ الْحَكَمَيْنِ، فَلَحِقَ بِمُعَاوِيَةَ، فَلَمَّا قُتِلَ عَلِيٌّ وَصَالَحَ الْحَسَنُ مُعَاوِيَةَ وَدَخَلَ الْكُوفَةَ، وَلَّاهُ مُعَاوِيَةُ عَلَيْهَا، فَلَمْ يَزَلْ أَمِيرَهَا حَتَّى مَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَلَى الْمَشْهُورِ. قَالَهُ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ وَغَيْرُهُ. وَقَالَ الْخَطِيبُ: أَجْمَعَ النَّاسُ عَلَى ذَلِكَ، وَذَلِكَ فِي رَمَضَانَ مِنْهَا، عَنْ سَبْعِينَ سَنَةً. وَقَالَ أَبُو عُبَيْدٍ: مَاتَ سَنَةَ تِسْعٍ وَأَرْبَعِينَ. وَقَالَ ابْنُ عَبْدِ الْبَرِّ: سَنَةَ إِحْدَى وَخَمْسِينَ. وَقِيلَ: سَنَةَ ثَمَانٍ وَخَمْسِينَ.
পৃষ্ঠা - ৬৩৯৮


৫০ হিজরী সনে ৷ কাসীম ইবন আদী বলেছেন, হযরত কা ব ইবন ৰুন্ন্লিৰু (রা) ৫১ হিজরী
সনে ইন্তিক৷ ল করেন ৷

মুগীরা ইবন শুব৷ (বা)

৫০ হিজরী সনে যাদের ইন্তিকাল হয় র্তাদের একজন হলেন হযরত মুগীরা ইবৃ ন শুবা
ইবন আবী আমীর ইবন মাসউদ আবু ঈস৷ (রা) ৷ কারো কারো ম্তে,আবু আবদিল্লাহ্ উরওয়া
ইবন মাসউদ ছাকাফী হলেন তার পিতার চাচা ৷ মুগীরা (রা) হিংপ্স আরবের নেতৃস্থানীয়
ৰিচক্ষণ ও বুদ্ধিমান ব্যক্তি ৷ ছার্কীফ গোত্রের ১৩ জন লোককে খুন ব্বাৰ পর খন্দকের যুদ্ধের
বছর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ ঐ ১৩ জন লোককে তিনি মুকাওরুিস#এর নিকট থেকে
প্রত্যাবর্তনকালে ধরে নিয়ে এসেছিলেন এবং তাদেরকে হত্যা করে আদর ধন-সম্পদ লুট
করেছিলেন ৷ পরে উরওয়৷ ইবন না সেটা ঐ লোকদের রক্তপণ পরিশেষে কঃরন ৷

মুগীরা ইবন শু ব৷ (রা)হু দায়বিয়ার সন্ধি অনুষ্ঠানে ই স্থিত হািলন ৷ সন্ধির প্রাক্কা ৷লে তিনি
থােব্লা ৮রবারি নিয়ে রাসুলুল্লাহ (া’) এর প্রহরায় তীর মাথ র নিকট দণ্ডায়মান ছিলেন ৷

তায়িফবসীদের ইসলাম গ্রহণের পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে এবং আবু সুফিয়ানকে প্রেরণ
করেছিলেন সেখানকার মুর্তিগুলো ভেঙ্গে ফেলার জন্যে ৷ তীরা লাভ নামের প্রসিদ্ধ মুর্তিটি ভেঙ্গে
ফেলেন ৷ ঐ মুর্তি ভাঙ্গার ঘটনা আমারা ইতিপুর্বে উল্লেখ করেছি ৷ হযরত আবু বকর সিদ্দিক
(র তীর খিলাফতের সময়ে হযরত মুগীরা (রা) ফে বড়াহরাযন প্রেরপ করেছিলেন ৷ তিনি
ইয়ামামাগু ইয়ারমুকের যুদ্ধে অংশ নেন ৷ ইয়ারমুকের যুদ্ধে৩ তিনি চোখে আঃত পান ৷

কেউ কেউ বলেছেন, যে, সুর্য গ্রহণের সময় তিনি সুর্যের দিকে ভ্রাকািরছিলেন ৷ তাতে
তীর দৃষ্টিশক্তি বিনষ্ট হয় ৷ তিনি কাদেসিয়াব্র যুদ্ধেও অংশ নেন ৷ হযরত উমর (রা) বহু
অভিযানে সেনাপতির দায়িত্ব দেন ৷ ফলে তিনি বহু রাজা জয় করেন ৷ হামাদান ও মায়মান
রাত, তিনিই জয় করেন ৷ মুসলিম সেনাপতি সাদ (রা)-এর পক্ষে এতিনিধি হয়ে তিনি
পারস্য সেনাপতি রুস্তমের নিকট গমন করেছিলেন এবং তার সাথে অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ ও
কার্যকর আলাপ করেছিলেন ৷ ’হয়রত উমর (রা) র্তাৰু শাসনামলে হম্রত মুগীরা (রা)কে
বসরার শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন ৷ তীর বিরুদ্ধে ব্যভিচারের অভিযােপ আনার পর তা
প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বসরা থেকে সরিয়ে কুফার শাসনকর্তা পদে নিয়োগ করা হয় ৷
হযরত উসমান (বা) তার শাসনামলে কিছু সময় মুগীরা (রা)-কে ঐ পদে বহাল রাখেন এবং
পরে অপসারিত করেন ৷ হযরত উসমান (রা)-এর শাসনের শেষ পর্বত তিনি অপসারিত
থাকেন ৷ এক পর্যায়ে হযরত আলী (রা) ও মুআবিয়ার ভৈদ্বতনিশাসন শুরু হলে তিনি মুআবিয়া
(রা) এর সাথে যোগ দেন ৷ হযরত আলী (রা) নিহত হবার পর আমীর মুআরিয়া (রা) ও
হযরত হাসান (রা) এর মধ্যে যখন আপোয মীমাত্স৷ ও সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত হল তখন
কুফায় প্রবেশ করেন এবং আমীর মুআবিয়া (রা)৩ তাকে কুফাব শাসনকর্তা নিয়োগ করেন ৷
ঐ পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় ৫০ হিজরী সনে তিনি ইন্তিক৷ ৷ল করেন ৷ মুহাম্মদ ইবন সা দ
ও অন্যরা তাই বলেছেন ৷ খতীব বলেছেন যে, হযরত মুগীরা (রা) ৫০ হিজরী সনে ইন্তিকাল
করেন৷ সে বিষয়ে সকলে একমত ৷ তিনি মারা গেলেন ৫০ হিজ্জী সনের রমযান মাসে ৷
তখন তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর ৷


وَقِيلَ: سَنَةَ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ. وَهُوَ غَلَطٌ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: وَكَانَ الْمُغِيرَةُ أَصْهَبَ الشَّعْرِ جِدًّا، أَكْشَفَ، مُقَلَّصَ الشَّفَتَيْنِ، أَهْتَمَ، ضَخْمَ الْهَامَةِ، عَبْلَ الذِّرَاعَيْنِ، بَعِيدَ مَا بَيْنَ الْمَنْكِبَيْنِ، وَكَانَ يَفْرُقُ رَأْسَهُ أَرْبَعَةَ قُرُونٍ. وَقَالَ الشَّعْبِيُّ: الْقُضَاةُ أَرْبَعَةٌ ; عُمَرُ، وَعَلِيٌّ، وَابْنُ مَسْعُودٍ، وَأَبُو مُوسَى، وَالدُّهَاةُ أَرْبَعَةٌ ; مُعَاوِيَةُ، وَعَمْرُو بْنُ الْعَاصِ، وَالْمُغِيرَةُ، وَزِيَادٌ. وَقَالَ الزُّهْرِيُّ: الدُّهَاةُ فِي الْفِتْنَةِ خَمْسَةٌ ; مُعَاوِيَةُ، وَعَمْرُو بْنُ الْعَاصِ، وَالْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ، وَكَانَ مُعْتَزِلًا، وَقَيْسُ بْنُ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُدَيْلِ بْنِ وَرْقَاءَ، وَكَانَا مَعَ عَلِيٍّ. قُلْتُ: وَالشِّيعَةُ يَقُولُونَ: الْأَشْيَاخُ خَمْسَةٌ ; رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعَلِيٌّ، وَفَاطِمَةُ، وَالْحَسَنُ، وَالْحُسَيْنُ، وَالْأَضْدَادُ خَمْسَةٌ ; أَبُو بَكْرٍ، وَعُمَرُ، وَمُعَاوِيَةُ، وَعَمْرُو بْنُ الْعَاصِ، وَالْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ.
পৃষ্ঠা - ৬৩৯৯


আবু উবায়দ বলেছেন, হযরত মুগীর৷ (রা) এর মৃত্যু হয়েছে ৪৯ হিজরী সনে ৷ ইবন
আবদিল বার বলেছেন, ৫১ হিজরী সনে ৷ কেউ বলেছেন, ৫৮ হিজরীতে আকাবায় কেউ
বলেছেন, ৩৬ হিজরী সনে তিনি মারা গিয়েহ্নে৷ ৷ এসব মন্তব্য সঠিক নয় ৷
মুহাম্মদ ইবন সা দ বলেছেন, মুগীর৷ (রা) এর চুলগুলো ছিল লালচে-ঝরঝরে ৷ ঠোট দুটো
মোটা ও উচু ৷ সামনের বড় দাত ভাঙ্গ৷ ৷ মাথা ছিল বড় ৷ দু বাহু মোটা ৷ প্রশস্ত র্কাধ্ ৷ তিনি
তার চুলে চারটি সির্থি করে চারটি ঝুটি বাধ্৫তন ৷ শাবী বলেছেন, যথার্থ বিচারক ছিলেন
চারজন৪ আবু বকর (রা), উমর (রা), ইবন মাসউদ (বা) এবং আবু মুসা (রা) ৷ বিচক্ষণ ও
পণ্ডিত ব্যক্তি ছিলেন চারউন্ন মুআবিয়া (রা) আমর ইবনুল আস (রা) মুগীরা (রা) এবং
, যিয়াদ ৷
যুহ্রী (রা) বলেছেন, যে, হযরত আলী (রা) ও যুআবিয়৷ (রা) এর মধ্যকার বিবাদ ও
বিশৃৎখল অবস্থায় বুদ্ধিমান ও বিচক্ষণতার অধিকারী ছিলেন ৫ জন ৷ মুআবিয়৷ (রা), আমর
ইবনুল আস (রা), মুগীরা ইবন শু আ (রা), ইনি তখন ক্ষমতাহীন লোক ছিলেন, কায়স ইবন
সা দ ইবন উবদাে (রা) এবং আবদুল্লাহ ইবন বুদায়ল ইবন ওরাক৷ ৷ শেষ দু’ জন হযরত আলী
(রা) এর পক্ষে ছিলেন ৷
আমি বলি, শীয়াগণ বলত যে, পরস্পর ঐকমত্যের লোক ছিলেন ৫ জন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা),
আলী (রা), ফাতিম৷ (বা), হাসান (রা) এবং হুসায়ন (রা) ৷ আর পরস্পর বিরুদ্ধ ম৫নাভা৫বর
লোক ছিলেন ৫ জন ৷ আবুবকর (রা), উমর (রা), মু আবিয়৷ (রা), আমর ইবনুল আস (রা)
এবং মুগীরা ইবন শু ব৷ (রা) ৷
শাবী বলেছেন, আমি যুগীর৷ (রা) কে বলতে শুনেছি তিনি বলেছেন, কেউই আমাকে
বৃদ্ধিতে ঠকাতে পারে নি ৷ কিন্তু একটি যুবক আমাকে একবার ঠকিয়েছিল ৷ আমি একটি
মেয়েকে বিয়ে কঃ৫ত ন্চেয়েছিলাম ৷ এ বিষয়ে আমি যুবকটির সাথে পরামর্শ করেছিলাম ৷ সে
ব৫লছিল, সম্মানিত আমীর ! আপনি ওকে বিয়ে করবেন ত্ন৷ আমি সমর্থন করি না ৷ আমি
বললাম, কেন কি হ্য়ে,৫,ছ’ বিয়ে করব না কেন?’ সে বলল, আমি দেখেছি একজন পুরুষ
ওকে চুমু খাচ্ছে ৷ মুপীরা (রা) বললেন, এরপর আমি সংবাদ পেয়েছি যে, ঐ যুবকটি ঐ
মেয়েকে বিয়ে করেছে ৷ আমি ওকে বললাম, তুমি না বলেছি৫ল যে, একজন লোককে তুমি ঐ
মেয়েকে চুমু ৫খ৫ ত ৫দখেছ, তাহলে তুমি ওকে বিয়ে করলে কেমন করে? হ্যা, দেখেছিলাম
বটে, আর ঐ লোক হল আমার ৷পত৷ স্ব-৫স্বহে তাকে চুমু ৫খ৫য়ছিলেন ৷
শা বী আরো বলেছেন, যে, আমি কাবীস৷ ইবন জাবির (রা)-কে বলতে শু৫নছি, আমি ঘুগীরা
ইবন শু ব৷ (রা) এর সাথে ছিলাম ৷ আমার অজ্যিত৷ থেকে বলছি যে, যদি কোন শহরের ৮ টি
দরজা থাকে এবং কঠিন কঠিন কৌশল ব্যতীত কোন একটি দরজা দিয়েও ৫য়র হওয়া না যায়,
তবুও ঘুগীর৷ ইবন শু ব৷ ৮ টি দরজার সব ক ”টি দিয়ে বের হয়ে ৫য৫তপার৫বন ৷
ইবন ওয়াহাব বলেছেন, আমি মালিক (রা) কে বলতে শু৫নছি, মুগীরা হবৃন ও বা (রা)
বলতেন, এক স্তীর স্বামী এমন পুরুষ, শ্রীর ঋভুস্রাব হলে তারও ঋভুস্রাব হয় (সহবাস বন্ধ
থাকে), ত্রীর ৫রাপ হলে ৫সও ৫রাগী হয়ে পড়ে ৷ আর দু স্তীর স্বামী এমন যে, জ্বলম্ভ
দৃ’অগ্নিশিখার মাঝখানে অবস্থান করে ৷ আর চার শ্রীর স্বামী হল নরম নয়ন, মন, শান্ত পরম
সুখী ব্যক্তি ৷ মুপীরা (রা) একই সাথে : জন মহিলাকে বিয়ে করতেন এবং একই সাথে ঐ :
জনকে তালাক দি৫তন ৷ আবদুক্ট্রাহ্ ইবন নাফি বলেছেন, মুগীরা ইবন শুবা (বা) ৩০০


وَقَالَ الشَّعْبِيُّ: سَمِعْتُ الْمُغِيرَةَ يَقُولُ: مَا غَلَبَنِي أَحَدٌ إِلَّا فَتًى مَرَّةً، أَرَدْتُ أَنْ أَتَزَوَّجَ امْرَأَةً فَاسْتَشَرْتُهُ فِيهَا، فَقَالَ: أَيُّهَا الْأَمِيرُ، لَا أَرَى لَكَ أَنْ تَتَزَوَّجَهَا. فَقُلْتُ لَهُ: لِمَ؟ فَقَالَ: إِنِّي رَأَيْتُ رَجُلًا يُقَبِّلُهَا. ثُمَّ بَلَغَنِي عَنْهُ أَنَّهُ قَدْ تَزَوَّجَهَا، فَقُلْتُ لَهُ: أَلَمْ تَزْعُمْ أَنَّكَ رَأَيْتَ رَجُلًا يُقَبِّلُهَا؟ فَقَالَ: نَعَمْ رَأَيْتُ أَبَاهَا يُقَبِّلُهَا وَهِيَ صَغِيرَةٌ. وَقَالَ أَيْضًا: سَمِعْتُ قَبِيصَةَ بْنَ جَابِرٍ يَقُولُ: صَحِبْتُ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ، فَلَوْ أَنَّ مَدِينَةً لَهَا ثَمَانِيَةُ أَبْوَابٍ لَا يُخْرَجُ مِنْ بَابٍ مِنْهَا إِلَّا بِمَكْرٍ لَخَرَجَ الْمُغِيرَةُ مِنْ أَبْوَابِهَا كُلِّهَا. وَقَالَ ابْنُ وَهْبٍ سَمِعْتُ مَالِكًا يَقُولُ: كَانَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ يَقُولُ: صَاحِبُ الْمَرْأَةِ الْوَاحِدَةِ يَحِيضُ مَعَهَا وَيَمْرَضُ مَعَهَا، وَصَاحِبُ الْمَرْأَتَيْنِ بَيْنَ نَارَيْنِ تَشْتَعِلَانِ. وَكَانَ يَتَزَوَّجُ أَرْبَعَةً مَعًا وَيُطَلِّقُهُنَّ مَعًا، وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نَافِعٍ الصَّائِغُ: أَحْصَنَ الْمُغِيرَةُ ثَلَاثَمِائَةِ امْرَأَةٍ. وَقَالَ غَيْرُهُ: أَلْفَ امْرَأَةٍ. وَقِيلَ: مِائَةَ امْرَأَةٍ. وَقِيلَ: ثَمَانِينَ امْرَأَةً. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمَّا جُوَيْرِيَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ بْنِ أَبِي ضِرَارٍ الْخُزَاعِيَّةُ الْمُصْطَلِقِيَّةُ أُمُّ
পৃষ্ঠা - ৬৪০০
الْمُؤْمِنِينَ، فَسَبَاهَا رَسُولُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ الْمُرَيْسِيعِ ; وَهِيَ غَزْوَةُ بَنِي الْمُصْطَلَقِ، وَكَانَ أَبُوهَا مَلِكَهُمْ فَأَسْلَمَتْ، فَأَعْتَقَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَتَزَوَّجَهَا، وَكَانَتْ قَدْ وَقَعَتْ فِي سَهْمِ ثَابِتِ بْنِ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ وَكَاتَبَهَا «فَأَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَسْتَعِينُهُ فِي كِتَابَتِهَا فَقَالَ: أَوَ خَيْرٌ مِنْ ذَلِكَ؟ " قَالَتْ: وَمَا هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " أَشْتَرِيكِ وَأُعْتِقُكِ وَأَتَزَوَّجُكِ» فَأَعْتَقَهَا فَقَالَ النَّاسُ: أَصْهَارُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَأَعْتَقُوا مَا بِأَيْدِيهِمْ مِنْ سَبْيِ بَنِي الْمُصْطَلَقِ، وَكَانُوا نَحْوًا مِنْ مِائَةِ أَهْلِ بَيْتٍ. فَقَالَتْ عَائِشَةُ: لَا أَعْلَمٌ امْرَأَةً أَعْظَمَ بَرَكَةً عَلَى أَهْلِهَا مِنْهَا. وَكَانَ اسْمُهَا بَرَّةَ، فَسَمَّاهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جُوَيْرِيَةَ. وَكَانَتِ امْرَأَةً مُلَّاحَةً - أَيْ حُلْوَةَ الْكَلَامِ - تُوُفِّيَتْ فِي هَذَا الْعَامِ سَنَةَ خَمْسِينَ، كَمَا ذَكَرَهُ ابْنُ الْجَوْزِيِّ وَغَيْرُهُ عَنْ خَمْسٍ وَسِتِّينَ سَنَةً، وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: سَنَةَ سِتٍّ وَخَمْسِينَ. رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَأَرْضَاهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمَّا صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَيِّ بْنِ أَخْطَبَ بْنِ سَعْيَةَ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ كَعْبِ بْنِ الْخَزْرَجِ بْنِ أَبِي حَبِيبِ بْنِ النَّضِيرِ بْنِ النَّحَّامِ بْنِ يَنْحَوْمَ، أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ
পৃষ্ঠা - ৬৪০১


মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন ৷ কেউ বলেছেন, ১০০০ জন আবার কেউ বলেছেন, ১০০ ক্ষা
আবার কেউ কেউ বলেছেন, ৮০ জন মহিলাকে বিয়ে করেহিঃলন ৷

জুওয়ইিরিয়া বিনৃত হারিস ইবন আৰী দিরার খুযাঈ

৫০ হিজরী সনে যারা ইন্তিকাল করেন তাদের একজন হলেন জুওয়ইিরিয়া বিনৃত হাব্লিস
(বা) ৷ মুরাইসী যুদ্ধে’ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে বন্দী করেন ৷ মুরইিসী বুদ্ধের’ অপর নাম বনুে
মুসৃতালিকের যুদ্ধ ৷ জুওয়ইিরিয়া (রা)-এর পিতা ছিলেন ঐ গোত্রের পােত্রপতি ৷ বন্দী হবার পর
জুওয়ইিরিয়া (বা) ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (যা) তাকে দাসৎ যেকে যুক্তি
দিয়ে বিয়ে করেন ৷ প্রথমে যুদ্ধ বন্দী ক্রীতদাস্ হিসেবে জুওয়ইিরিয়া (বা) পড়েছিলেন স্মহাবী
কায়স ইবন স৷ ৷বিত (রা) এর ভাগে ৷ কায়স ইবন সাবিত তার সাথে চুন্ডিংদ্ধ হয়েছিলেন যে,
জুওয়ইিরিয়া যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ পরিঃশাধ করতে পারেন তাহলে দাসতৃ থেকে মুক্তি
পাবেন ৷ এ প্রেক্ষাপটে জুওয়ইিরিয়া (রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট ঐ সম্পদ পরিশ্যেধে
সাহায্য প্রার্থনা করতে এসেছিলেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (না) তাকে বললেন, তার চাইতে একটি উত্তম
প্রস্তাব তুমি গ্রহণ করবে কি? জুওয়ইিরিয়া (বা) বললেন, সেটি কি? ইয়া রাসুলাল্পাহ্ (না) !
উত্তরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমি চইি তোমাকে ক্রয় করে যুক্তি দিয়ে বিয়ে করতে ৷
জুওয়ইিরিয়া (রা) রাযী হলেন ৷ এরপর রাসুলুল্পাহ্ (সা) তাকে দাসতু থেকে যুক্তি দিয়ে ব্যিয়
করলেন ৷ এ সংবাদ শুনে সাহাবা ই কিরাম বললেন, হার ও বানু মুস্তালিক গোত্র তো এখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর শ্বশুর পক্ষ ৷ ওদেরকে আমরা দাস হিসেবে রাখব কেমন করে? তারপর
এই উপলক্ষে প্রায় ১০০ পরিবারের বন্দী দোস্কোক র্তারা মুতি দিয়ে দেয় ৷ হযরত আংশো
(বা) বলেছিলেন, নিজ পরিবারের প্রতি অধিক বঅ্যাণকর জুওয়ইিরিয়া (বা) ত্মগেক্ষা অন্য
কেউ আছেন বলে আমার জ্বানা নেই ৷ এজন্যে যে,তার একজনের উসিলার শতাধিক লেকে
দাসতৃ ও বন্দিতৃ থেকে মুক্তি পায় ৷ জুওয়ইিরিয়া (ৱা)-এর নাম জ্জি বার রাহ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তাকে জুওয়ইিরিয়া নামে ডাকতেন ৷ তিনি খুব মিষ্টভাষী মহিলা ছিলেন ৷ ৫০ হিজ্জী সনে জর
ওফাত হয় ৷ ইবন জাওযী ও অন্যরা তইি উল্লেখ করেছেন ৷ ইন্তিকালের সময় তার বয়স মাি
৬৫ বছর ৷ ওয়াকিদী বলেছেন, যে, হযরত জুওয়ইিরিয়া (বা) ইস্তিকাল করেছো ৫৬হিজ্বরী

সনে ৷ আল্লাহ্ তীর প্রতি সন্তুষ্ট হোন এবং তাকে সন্তুষ্ট বব্রুন ৷ আল্লাহই ভাল জানেন ৷


النَّضَرِيةُ، فَمِنْ سُلَالَةِ هَارُونَ أَخِي مُوسَى، عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، وَكَانَتْ مَعَ أَبِيهَا وَعَمِّهَا جُدَيِّ بْنِ أَخْطَبَ بِالْمَدِينَةِ، فَلَمَّا أَجْلَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَنِي النَّضِيرِ سَارُوا إِلَى خَيْبَرَ وَقُتِلَ أَبُوهَا مَعَ بَنِي قُرَيْظَةَ صَبْرًا، كَمَا قَدَّمْنَا ذَلِكَ، فَلَمَّا فَتَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْبَرَ كَانَتْ فِي جُمْلَةِ السَّبْيِ، فَوَقَعَتْ فِي سَهْمِ دِحْيَةَ بْنِ خَلِيفَةَ الْكَلْبِيِّ، فَذَكَرَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَمَالَهَا وَأَنَّهَا بِنْتُ مَلِكِهِمْ، فَاصْطَفَاهَا لِنَفْسِهِ وَعَوَّضَ دِحْيَةَ عَنْهَا، وَأَسْلَمَتْ فَأَعْتَقَهَا وَتَزَوَّجَهَا، فَلَمَّا حَلَّتْ بِالصَّهْبَاءِ بَنَى بِهَا، وَكَانَتْ مَاشِطَتَهَا أُمُّ سُلَيْمٍ، وَقَدْ كَانَتْ تَحْتَ ابْنِ عَمٍّ لَهَا، يُقَالُ لَهُ: كِنَانَةُ بْنُ أَبِي الْحُقَيْقِ. فَقُتِلَ فِي الْمَعْرَكَةِ وَوَجَدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِخَدِّهَا لَطْمَةً، فَقَالَ: " مَا هَذِهِ؟ " فَقَالَتْ: إِنِّي رَأَيْتُ كَأَنَّ الْقَمَرَ أَقْبَلَ مِنْ يَثْرِبَ، فَسَقَطَ فِي حِجْرِي، فَقَصَصْتُ الْمَنَامَ عَلَى ابْنِ عَمِّي، فَلَطَمَنِي وَقَالَ: تَتَمَنَّيْنَ أَنْ يَتَزَوَّجَكِ مَلِكُ يَثْرِبَ؟ فَهَذِهِ مِنْ لَطْمَتِهِ. وَكَانَتْ مِنْ سَيِّدَاتِ النِّسَاءِ عِبَادَةً وَوَرَعًا وَزَهَادَةً وَبِرًّا وَصَدَقَةً، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَأَرْضَاهَا. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: تُوُفِّيَتْ سَنَةَ خَمْسِينَ. وَقَالَ غَيْرُهُ: سَنَةَ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ. وَالْأَوَّلُ أَصَحُّ. وَأَمَّا أُمُّ شَرِيكٍ الْأَنْصَارِيَّةُ وَيُقَالُ: الْعَامِرِيَّةُ، فَهِيَ الَّتِي وَهَبَتْ نَفْسَهَا لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقِيلَ، قَبِلَهَا. وَقِيلَ: لَمْ يَقْبَلْهَا. وَلَمْ تَتَزَوَّجْ حَتَّى مَاتَتْ ; تَرْجُو بِذَلِكَ أَنْ تَكُونَ مِنْ أَزْوَاجِهِ، وَهِيَ الَّتِي سُقِيَتْ بِدَلْوٍ مِنَ السَّمَاءِ لَمَّا مَنَعَهَا
পৃষ্ঠা - ৬৪০২
الْمُشْرِكُونَ الْمَاءَ، فَأَسْلَمُوا عِنْدَ ذَلِكَ، وَاسْمُهَا غُزَيَّةُ، وَقِيلَ: عُزَيْلَةُ. بِنْتُ دُودَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَامِرِ بْنِ رَوَاحَةَ بْنِ مُنْقِذِ بْنِ عَمْرِو بْنِ مُعَيْصِ بْنِ عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ، أَسْلَمَتْ قَدِيمًا مَاتَتْ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَلَى الصَّحِيحِ، قَالَ ابْنُ الْجَوْزِيِّ: مَاتَتْ سَنَةَ خَمْسِينَ، وَلَمْ أَرَهُ لِغَيْرِهِ.