আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة تسع وأربعين

পৃষ্ঠা - ৬৩৫৬


হওয়া পর্যন্ত তিনি তার মাথার কাপড় সরালেন না ৷ এরপর মসজিদে থাকা তার এক ছেলেকে
লক্ষ্য করে বললেন, তোমার চাচাত ভইিকে ছেড়ে দাও ৷ তোমার ভাইকে দাফন করে আস ৷
তার মাকে একর্শটি উট দিয়ে দাও ৷ কারণ সে মুসাফির ৷’
বর্ণিত আছে যে, তখন তার মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এল তখন তার ছেলেরা সকলে তার পাশে
বসা ছিল ৷ ওরা ছিল ৩২ জন ৷ তিনি ওদেরকে বললেন, বাবারা ৷ তোমাদের মধ্যে বয়ােজ্যেষ্ঠ
ভইিকে তোমরা নেতা নিযুক্ত করবে ৷ সে হবে তোমার পিতার প্রতিনিধি ৷ কনিষ্ঠ ভইিকে নেতা
মনোনীত করবে না ৷ , তাহলে তোমাদের প্রতিদ্বন্দি লোকেরা তোমাদেরকে তিরস্কার করবে ৷
তোমরা অবশ্যই ধন-সম্পদ অর্জন করবে এবং তা অর্জনের কৌশল অবলম্বন করবে ৷ কারণ
সম্রম্ভে ব্যক্তিরা যা দান করে তার মধ্যে মাল-সম্পদই সর্বোৎকৃষ্ট ৷ সম্পদের মালিক হওয়ার
মাধ্যমে ইতর লোকদের হাত থেকে নিজের মানইজ্জত রক্ষা করা যায় ৷ সাবধান ! কখনও
কারো নিকট হাত পাতবে না, ভিক্ষা চাইবে না ৷ একজন মানুষের জন্যে এটি নিকৃষ্টতম পেশা ৷
আমার মৃত্যুর পর শ্ তোমরা আমার জন্যে চিৎকার করে কেদ্যে না ৷ কারণ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
ইনৃতিকালের পর চিৎকার করে কান্নাকাঢি করা হয় নি ৷ বকর ইবন ওয়ইিল গোত্রের লোকেরা
দেখতে পায় বা অবগত হয়, এমন স্থানে তোমরা আমাকে দাফন করে৷ না ৷ কারণ জাহেলী
যুগে আমার সাথে তাদের শত্রুতা ছিল ৷ তার সম্পর্কে করি বলেছেন-
হে কায়স ইবন আসিম ৷ আপনার প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে শান্তি বর্ষিত হোক এবং
বর্ষিত হোক তার রহমত ৷ তিনি যত পরিমাণ রহমত বর্ষণ করতে চান” ৷
যারা আপনার কৃপা ও অনুগ্রহে ধন্য হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে অভিবাদন ৷ এমন
অভিবাদন যা উচ্চারণে মুখ ভরে যায়’ ৷
চ্ষ্এ্
কায়সের মৃত্যু কোন একক ব্যক্তির মৃত্যু নয় ৷ তিনি ছিলেন একটি ধৎসোন্মুখ সম্প্রদায়ের
খুটি ও ভিত্তি’ ৷

৪৮ হিজরী সন
এই বছর আবু আবদির রহমান কা৩ ৷বী মুসলিম সৈন্যদেরকে নিয়ে ইনৃতাকিয়া শহর
আক্রমণ করেন ৷ এই বছর উক্বা ইবন আমির মিসর-অধিবাসীদের বিরুদ্ধে নৌযুদ্ধ পরিচালনা

করেন ৷ এই বছর আমীর-ই-হজ্জ নিযুক্ত হয়ে হাজীদেরকে নিয়ে হজ্জ সম্পাদন করেন মদীনায়
প্রশাসক মারওয়ান ইবন হাকাম ৷

: ৯ হিজরী সন

এই বছর মুআবিয়া (রা)-এর পুত্র ইয়াযীদ রোমানদের বিরদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করে ৷ অনবরত
রোমান শহরনগর জয় করতে করতে সে কনষ্টান্টিনােপল্ গিয়ে পৌছে ৷ নেতৃস্থানীয় অনেক সাহবী
(বা) এ অভিযানে তার সঙ্গে ছিল্পেন ৷ তাদের মধ্যে ইবন উমর (রা) ইবন আব্বাস (বা) ইবন
যুবায়র (বা) এবং হযরত আবু আইয়ুব আনসারী (রা) প্রমুখ ছিলেন উঃল্লখযোগ্য ৷


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ تِسْعٍ وَأَرْبَعِينَ] [مَا وَقَعَ فِيهَا مِنْ أَحْدَاثٍ] فِيهَا غَزَا يَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ بِلَادَ الرُّومِ حَتَّى بَلَغَ قُسْطَنْطِينِيَّةَ، وَمَعَهُ جَمَاعَةٌ مِنْ سَادَاتِ الصَّحَابَةِ، مِنْهُمْ ; ابْنُ عُمَرَ، وَابْنُ عَبَّاسٍ، وَابْنُ الزُّبَيْرِ، وَأَبُو أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيُّ. وَقَدْ ثَبَتَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَوَّلُ جَيْشٍ يَغْزُونَ مَدِينَةَ قَيْصَرَ مَغْفُورٌ لَهُمْ» فَكَانَ هَذَا الْجَيْشُ أَوَّلَ مَنْ غَزَاهَا، وَمَا وَصَلُوا إِلَيْهَا حَتَّى بَلَغُوا الْجَهْدَ. وَفِيهَا تُوُفِّيَ أَبُو أَيُّوبَ خَالِدُ بْنُ زَيْدٍ الْأَنْصَارِيُّ، وَقِيلَ: لَمْ يَمُتْ فِي هَذِهِ الْغَزْوَةِ، بَلْ بَعْدَهَا سَنَةَ إِحْدَى أَوْ ثِنْتَيْنِ أَوْ ثَلَاثٍ وَخَمْسِينَ كَمَا سَيَأْتِي. وَفِيهَا عَزَلَ مُعَاوِيَةُ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ عَنِ الْمَدِينَةِ وَوَلَّى عَلَيْهَا سَعِيدَ بْنَ الْعَاصِ، وَاسْتَقْضَى سَعِيدٌ عَلَيْهَا أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ. وَفِيهَا شَتَّى مَالِكُ بْنُ هُبَيْرَةَ الْفَزَارِيُّ بِأَرْضِ الرُّومِ. وَفِيهَا كَانَتْ غَزْوَةُ فَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ، وَشَتَّى هُنَالِكَ، فَفَتَحَ الْبَلَدَ وَغَنِمَ شَيْئًا كَثِيرًا. وَفِيهَا كَانَتْ صَائِفَةُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كُرْزٍ الْبَجَلِيِّ.
পৃষ্ঠা - ৬৩৫৭


৮ংা৷া৪া৷ঙ্কে

সহীহ্ বুখারীতে উদ্ধৃত রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ কারন্ডো-

প্রথম যে মুসলিম বাহিনী রোমান সম্রাটের নগরে যুদ্ধ করবে, তারা অল্লোহ্র পক্ষ থেকে

ক্ষমাপ্রাপ্ত হবে’ বস্তুত এই বাহিনী জ্যি রোমান নগরে যুদ্ধের সুচন কােরী বাহ্নিন্নী৷ ৷ তারা রোমান
এলাকায় পৌছাৱ পর খুব দুঃখ-কষ্টে পতিত হন ৷ এই যুদ্ধে গিয়ে আবু আইয়ুব খালিদ ইবন
যায়দ আনসারীর মৃত্যু হয়েছে পরবর্তী সময়ে ৷ ৫১, ৫২ কিংবা ৫৩ হিজরী সনে ৷

এই বছর আমীর মুআবিয়া (র) মারওয়ানকে মদীনায় শাসনকর্তা পদ থেকে অপসারণ
করেন এবং সাঈদ ইবনুল আস (রা)-ফে ওই পদে নিয়োগ করেন ৷ সাঈদ ইবনুল, আস (রা)
তখন আবু সালামা ইবন আ ৷বদির রহমানকে মদীনায় বিচারক পদে নিয়োগ করেন ৷ এই বছর
মালিক ইবন হুরায়রা ফাযারী রোমান এলাকায় অক্রে মণ চালান ৷ ফুদলাে ইবন উবায়দের যুদ্ধ
অনুষ্ঠিত ৩হয় এই বছর ৷ তিনি ওই এলাকায় প্রচণ্ড আক্রমণ চালান এবং ওই শহর দখল করে
প্রচুর গনীমতের সাল লাভ করেন ৷ এই বছর রোমানদের বিরুদ্ধে আবদুল্লাহ ইবন কুর;য
অভিযান পরিচালনা করেন ৷ এই বছর কুফা নগরীতে মহামারীরুপে প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব
ঘটে ৷৩ তইি মুগীরা (বা) সেখান থেকে পালিয়ে এসেছিলেন ৷ ওই ব্লোগ সরে যাওয়ার পর তিনি
পুনরায় কুফা গমন করেন ৷ তখনই তিনি সেখানে ওই রোগে আক্রান্ত হন এবং মারা যান ৷
তবে বিশুদ্ধ অভিমত হল তিনি মারা যান হিজরী ৫০ সনে ৷ এ আলোচনা অবিলম্বে আসবে ৷

মুগীরা (রা)শ্এর ইন তিকালেন পর আমীর মুআবিয়া (রা) যিয়াদকে বসরার শাসনকর্তা
নিয়োগ করেন ৷ একই ব্যক্তিতে একসাথে এই দুটো রাজ্যের শাসনকর্তা প্া৷ম্ভৰু নিয়ােগের ঘটনা
এই প্রথম ঘটল ৷ যিয়াদ ছয় মাস বসরয়ে অবস্থান করতেন আর ছয় মাস কুফায় অবস্থান
করতেন ৷ র্তার কুফায় অবস্থানকালে সামুরা ইবন জুনদুব (রা)-কে বসরার উপপ্রশাসক
নিয়োগ করে যান ৷ এই বছর আমীর-ইষ্হ্নজ্জ নিযুক্ত হয়ে হাজীদের নিয়ে হজ্জ সম্পাদন কারন
হযরত সাঈদ ইবনুল আস (রা) ৷

এ বছর , যে সকল গুরুত্পুর্ণব্যজ্যি ওফতে হয়

হাসান ইবন আলী (বা) ইবন আৰী তালিব

তার উপনাম ছিল আবু মুহাম্মদ ৷ তিনি হলেন কুরায়শী হাশিযী এবং রমুেলুল্পাহ্ (না)-এর
দৌহিত্র ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রাণপ্রিয় কন্যা ফাতিমা যাহ্রা (রা)-এর গৃহ ৷ হযরত হাসান
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সুগন্ধী-সৌরভ ৷ তীর চেহারার সাথে রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর চেহরাের সৰ্বাধিক
মিল ছিল ৷ তৃতীয় হিজবীর বমযান মাসের মধ্যবর্তী সময়ে তিনি লোঃহণ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) আপন লালা মিলিয়ে তীর তাহনীক মিষ্টি মুখ বল্পান ৷ তিনি তীর নাম রাখেন হাসান ৷
হযরত হাসান (রা) হলেন তীর পিতা-মতাের জ্যেষ্ঠ সভান ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) হাসান (রা)কে
অত্যন্ত আদর করতেন ৷ এমনকি হযরতহাসানের শৈশবাবস্থায় তিনি তীর ঠোটে চুমু খেতেন ৷
কখনো কখনো তিনি হাসানের জিহ্বা চুষতেন ৷ কােলাকুলি করতেন এবং তবে সাথে হাসি-
ন্কৌতুক করতেন ৷ মাঝে মাঝে রাসুলুল্কাহ্ (সা) নমোযেরত থাকা অবস্থায় হযরত হাসান
আসতেন এবং রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর পিঠে চড়ে বসজ্ঞে৷ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) র্ত£কে পিঠে বসিয়ে
রাখতেন এবং তারই কারণে সিজদায় দেরী করতেন ৷ কখনো কখনো হধরত হাসান (বা)
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে মিম্বরে উঠে ৰুসতেন ৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (৮ম খণ্ড)- ১ :


وَفِيهَا وَقَعَ الطَّاعُونُ بِالْكُوفَةِ، فَخَرَجَ مِنْهَا الْمُغِيرَةُ فَارًّا، فَلَمَّا ارْتَفَعَ الطَّاعُونُ رَجَعَ إِلَيْهَا، فَأَصَابَهُ الطَّاعُونُ فَمَاتَ، وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ مَاتَ سَنَةَ خَمْسِينَ كَمَا سَيَأْتِي. فَجَمَعَ مُعَاوِيَةُ لِزِيَادٍ الْكُوفَةَ إِلَى الْبَصْرَةِ، فَكَانَ أَوَّلَ مِنْ جُمِعَ لَهُ بَيْنَهُمَا، فَكَانَ زِيَادٌ يُقِيمُ فِي هَذِهِ سِتَّةَ أَشْهُرٍ، وَفِي هَذِهِ سِتَّةَ أَشْهُرٍ، وَكَانَ يَسْتَخْلِفُ عَلَى الْبَصْرَةِ سَمُرَةَ بْنَ جُنْدَبٍ وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ سَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ. [ذِكْرُ مَنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنَ الْأَعْيَانِ] الْحَسَنُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَبُو مُحَمَّدٍ الْقُرَشِيُّ الْهَاشِمِيُّ، سِبْطُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ابْنُ ابْنَتِهِ فَاطِمَةُ الزَّهْرَاءُ وَرَيْحَانَتُهُ، وَأَشْبَهُ خَلْقِ اللَّهِ بِهِ فِي وَجْهِهِ، وُلِدَ لِلنِّصْفِ مِنْ رَمَضَانَ سَنَةَ ثَلَاثٍ مِنَ الْهِجْرَةِ، فَحَنَّكَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرِيقِهِ، وَسَمَّاهُ حَسَنًا، وَهُوَ أَكْبَرُ وَلَدِ أَبَوَيْهِ، وَقَدْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُحِبُّهُ حُبًّا شَدِيدًا حَتَّى كَانَ يُقَبِّلُ زَبِيبَتَهُ وَهُوَ صَغِيرٌ، وَرُبَّمَا مَصَّ لِسَانَهُ وَاعْتَنَقَهُ وَدَاعَبَهُ، وَرُبَّمَا جَاءَ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَاجِدٌ فِي الصَّلَاةِ فَيَرْكَبُ عَلَى ظَهْرِهِ، فَيُقِرُّهُ عَلَى ذَلِكَ وَيُطِيلُ السُّجُودَ مِنْ أَجْلِهِ، وَرُبَّمَا صَعِدَ مَعَهُ إِلَى الْمِنْبَرِ.
পৃষ্ঠা - ৬৩৫৮



বিশুদ্ধ হাদীসে রয়েছে যে, একদিন রাসুলুল্পাহ্ (সা) থুত্ব৷ দিচ্ছিলেন ৷ হঠাৎ দেখতে
পেলেন হাসান ও হুসায়ন (বা) তার দিকে এগিয়ে আসছেন ৷ তিনি মিম্বর থেকে নেমে তাদের
নিকট গেলেন এবং তাদেরকে কোলে নিয়ে মিম্বরে এসে বসলেন ৷ তারপর তিনি বললেন,

নিচয়ই তোমাদের

ধনসম্পদ ও সন্তান-সস্তুতি পরীক্ষা বিশেষ ৷’ (সুরা তাপাবুন : ১৫) ৷ আমি দেখলাম, ওরা

দু’জন গুটিন্গুটি পায়ে এগিয়ে আসছে আর কাপড়ে পেচিয়ে পড়ে যাচ্ছে ৷ তা দেখে আমি
সইতে পারি নি৷ তাদের নিকট নেমে পেলাম ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তােমরা
দু’জন আল্লাহ্র রহমত, তোমরা সম্মানিত হবে এবং তোমরা গ্রীতিভাজন হবে ৷ ’

সহীহ বুখারীতে আবু আসিম-উক্বাহ ইবন হারিছ থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
এর ওফাতের কয়েকদিন পরের ঘটনা ৷ হযরত আবু বকঃ (রা) মুসল্লীদেরকে নিয়ে আস্য রর
নামায আদায় করলেন ৷ এরপর তিনি এবং হযরত আলী (রা) পায়ে হোট যাত্রা করলেন ৷
হযরত আবু বকর (রা) দেখতে পেলেন যে, হযরত হাসান (রা) অন্য বাচ্চাদের সাথে খেলা
করছেন ৷ তিনি হযরত হাসানকে কাধে তুলে নিলেন এবং বলতে লাগলেন, ওহ বাবা ! এ যে
নবী করীম (সা) এর মত, আলী (রা)-এর মত নয় ৷’ হযরত আলী (না) এ কথা শুনছিলেন
আর হাসছিলেন ৷

সুফিয়ান ছাওরী প্রমুখ ওয়াকী আবু জুহায়ফা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি
বলেছেন, আমি রাসুল (সা) কে দেখেছি, হযরত হাসান (রা) ছিলেন তার মত ৷ ইমাম বুখারী
ও মুসলিম ইস মাঈল ইবন খালিদের হাদীস উদ্ধৃত করে বলেছেন, ওয়াকী বলেছেন যে, ণ্
ইসমাঈল শুধুমাত্র এই হাদীসটি ছাড়া অন্য কোন হাদীস আবু জুহায়ফা থেকে শুনেন নি ৷

ইমাম আহমদ যথাক্রাম আবু দাউদ তায়ালিসী ইবন আবী মৃলায়কাহ্ (রা) থেকে বর্ণনা
করেছেন যে,৩ তিনি বলেছেন, হযরত ফাতিমা (রা) হযরত হাসানের চুলে আঙুল বুলাতেন এবং
বলতেন, ওহ বাবা ! এ যে নবী করীম (না)-এর মত, আলীর মত নয় ৷ আবদুর রায্যাক ও
অন্যরা মামার আনাস (না)-এর সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, হযরত হাসান (রা)-
এর চেহারা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর চেহারার সাথে সবচইিতে বেশি মিল ছিল ৷ ইমাম আহমদ
(র) এটি আবদুর রাষ্যাক থেকে এরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম আহমদ হাজ্জাজ হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেস্ফো, হযরত
হাসানের বুক থেকে মাথা পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে সবচাইতে বেশি মিল জ্যি আর হযরত
হুসায়নের বুক থেকে নিম্নের দিকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে অধিক মিল ছিল ৷ ইমাম তিরমিযী
(র) এটি ইসরাঈল সুত্রে উদ্ধৃত করেছেন, তিনি বলেহ্নে৷ যে, এটি গরীব পর্যায়ের হাদীস ৷
আবু দাউদ তায়ালিসী বলেছেন, কায়স হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি

বলেছেন, চেহারা থেকে বাড়ি পর্যন্ত হযরত হাসান (রা) এর সবচাইতে বেশি মিল ছিল

রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে, আর নাভী থেকে নীচের দিকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে অধিক
মিল ছিল হযরত ইমাম হুসায়ন (রা)-এর ৷ ইবন আব্বাস ও ইবন যুবায়র থেকে বর্ণিত আছে
যে, ইমাম হাসান ইবন আলী (রা)-এর সাথে রাসুলুল্লাহ্(সা)-এর চেহারার মিল ছিল ৷ ইমাম
আহমদ (র) হামিম’ ইবন ফুদায়ল উসাম৷ ইবন যায়দ (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে কোলে নিয়ে তার ডান উরুতে বসাতেন ৷ আর হাসান
(রা)-কে বসাতেন অন্য উরুতে ৷ তারপর আমাদের দু’জং,নর বুকে চেপে ধরে বলতেনপ্রু


وَقَدْ ثَبَتَ فِي الْحَدِيثِ أَنَّهُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، «بَيْنَمَا هُوَ يَخْطُبُ إِذْ رَأَى الْحَسَنَ وَالْحُسَيْنَ مُقْبِلِينِ، فَنَزَلَ إِلَيْهِمَا فَاحْتَضَنَهُمَا، وَأَخَذَهُمَا مَعَهُ إِلَى الْمِنْبَرِ، وَقَالَ: " صَدَقَ اللَّهُ {إِنَّمَا أَمْوَالُكُمْ وَأَوْلَادُكُمْ فِتْنَةٌ} [التغابن: 15] ، إِنِّي رَأَيْتُ هَذَيْنِ يَمْشِيَانِ وَيَعْثُرَانِ، فَلَمْ أَمْلِكْ أَنْ نَزَلْتُ إِلَيْهِمَا ". ثُمَّ قَالَ: " إِنَّكُمْ لِمَنْ رَوْحِ اللَّهِ، وَإِنَّكُمْ لَتُبَخِّلُونَ وَتُجَبِّنُونَ» . وَقَدْ ثَبَتَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " عَنْ أَبِي عَاصِمٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ سَعِيدِ أَبِي حُسَيْنٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ الْحَارِثِ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ صَلَّى بِهِمُ الْعَصْرَ - بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِلَيَالٍ - ثُمَّ خَرَجَ هُوَ وَعَلِيٌّ يَمْشِيَانِ، فَرَأَى الْحَسَنَ يَلْعَبُ مَعَ الْغِلْمَانِ فَاحْتَمَلَهُ عَلَى عُنُقِهِ، وَجَعَلَ يَقُولُ: بِأَبِي بِأَبِي شِبْهُ النَّبِيِّ، لَيْسَ شَبِيهًا بِعَلِيٍّ. قَالَ: وَعَلِيٌّ يَضْحَكُ. وَرَوَى سُفْيَانُ وَغَيْرُ وَاحِدٍ قَالُوا: ثَنَا وَكِيعٌ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ،
পৃষ্ঠা - ৬৩৫৯


“হে আল্লাহ্ ! এ দৃজনকে আপনি দয়া বব্রুন ৷ কারণ আমি এদের দু জনকে দয়া ব্বছি ৷

ইমাম বুখারী (র) এরুপ উদ্ধৃত করেছেন, আবু উসমান নাহ্দী সুত্রে মুহাম্মদ ইবন ফুদায়েন
থেকে ৷ ইনি আবু হাযিমের ভাই ৷ ইমাম বুখারী এই হাদীস আলী ইবন মাদীনা উসাম৷ শ্সুঞ্জো
বর্ণনা করেছেন ৷ অনুরুপভারে৩ তিনি মুসা ইবন ইসমাঈল ও মুসাদ্দাদ থেকে উসামা সুত্রে এটি
বর্ণনা করেছেন ৷ এই বর্ণনায় আবু৩ তামীআহ-এর উল্লেখ নেই ৷ আল্লাহই ভাল জানেন ৷

এক বর্ণনায় আছে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন-


হে আল্লাহ ! আমি এদের দু’জনকে ভালবাসি ৷ আপনিও ওদের দৃজনকে ভানবাসুনা
শুব৷ বলেছেন, আদি ইবন ছাৰিত সুত্রে বারা ইবন আমির (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি
বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে দেখেছি, তখন ইমাম হাসান (বা) ছিলেন রাসুলুল্পাহ্ (সা)
এর কাধে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলছিলেন,


হে আল্লাহ ! আমি একে ভালবাসি ৷ সুতরাং আপনিও ভীকে ভালবাসুন ৷’ তারা দৃজৰে
এটি শুবা (রা) থেকে উদ্ধৃত করেছেন ৷ আলী ইবন জাদ ফুদায়ল ইবন মারবুক সুত্রে খ্যাঃ
এর মাধ্যমে হযরত বারা (রা) থেকে এটি উদ্ধৃত কারছেন ৷ তাতে এতটুকু অতিরিক্ত আছে ৷
যে ব্যক্তি তাকে তালবাসবে আপনি তাকেও ভালবাসুন ৷
ইমাম তিরমিযী (ব ) বলেছেন, এটি বিশুদ্ধ উত্তম হা ৷দীস ৷

ইমাম আহমদ সুফয়ান ইবন উয়ায়ন৷ আবু হুরায়র৷ (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলোঃ
(সা) হাসান ইবন আলী (রা) সম্পর্কে বলেছেন

ন্

হে আল্লাহ্ ! আমি একে ভালবাসি সুরুন্ণ্ন্ৰা ৷ত্আপনি তাকে ভালবাসুন এবং যারা র্ভান্ধে

ভালবাসবে আপনি তাদেরকে ভালবাসুন ৷ ইমাম মুসলিম এটি আহমদ থেকে এবং তার
দুজনে এটি ভাষা থেকে উদ্ধৃত করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) আবু নাসর আবু হুরায়র৷ (রা) বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে মদীনায় এক বাজারে উপস্থিত ছিলাম ৷ তিনি বাজার থেকে
ফিরে এলেন ৷ আমিও তার সাথে ফিরে এলাম ৷ তিনি হযরত ফাতিমার ঘরের আঙ্গিনায় এসে
ডেকে বললেন, ওহে বাছাধন ৷ ওহে বাছাধন কিন্তু কেউ কোন উত্তর দিল না ৷ তিনি এর্গিব্রে
গিয়ে উঠানে বসলেন ৷ একটু পর হযরত হাসান (রা) এলেন ৷ আবু হুরায়র৷ (রা) বলেন যে,
আমার মনে হয় গলায় মালা পরিচয় দেয়ার জন্যে এতক্ষণ মা ফাতিম৷ তাকে ধ্ব্রে
রেখেছিলেন ৷ হযরত হাসান (রা) এলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তাকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন ৷
তিনিও রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে জড়িয়ে ধরলেন ৷ এরপর রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন

আমি একে ভালবাসি এবং যে ব্যক্তি একে ভালবাসে আমি তাকেও ভালবাসি ৷ তিনি এ
কথাটি তিনবার বললেন ৷৩ তারা দু জনে এই হাদীসঢি সুফিয়ান ইবন উয়ায়ন৷ ৷সুত্রে আবল্লোহ্
থেকে উদ্ধৃত করেছেন ৷




سَمِعْتُ أَبَا جُحَيْفَةَ يَقُولُ: «رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ يُشْبِهُهُ.» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ. قَالَ وَكِيعٌ: لَمْ يَسْمَعْ إِسْمَاعِيلُ مِنْ أَبِي جُحَيْفَةَ إِلَّا هَذَا الْحَدِيثَ. وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، ثَنَا زَمْعَةُ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ قَالَ: كَانَتْ فَاطِمَةُ تَنْقُزُ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ، وَتَقُولُ: يَا بِأَبِي شِبْهُ النَّبِيِّ ... لَيْسَ شَبِيهًا بِعَلِيِّ وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ وَغَيْرُهُ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «كَانَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ أَشْبَهَهُمْ وَجْهًا بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَرَوَاهُ أَحْمَدُ عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ بِنَحْوِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا حَجَّاجٌ، ثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ هَانِئٍ عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «الْحَسَنُ أَشْبَهُ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا بَيْنَ الصَّدْرِ إِلَى الرَّأْسِ، وَالْحُسَيْنُ أَشْبَهُ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا أَسْفَلَ مِنْ ذَلِكَ» . وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ إِسْرَائِيلَ،
পৃষ্ঠা - ৬৩৬০
وَقَالَ: حَسَنٌ غَرِيبٌ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: ثَنَا قَيْسٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ هَانِئِ بْنِ هَانِئٍ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «كَانَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ أَشْبَهَ النَّاسِ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ وَجْهِهِ إِلَى سُرَّتِهِ، وَكَانَ الْحُسَيْنُ أَشْبَهَ النَّاسِ بِهِ مَا أَسْفَلَ مِنْ ذَلِكَ» . وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَابْنِ الزُّبَيْرِ، «أَنَّ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ كَانَ يُشْبِهُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا عَارِمُ بْنُ الْفَضْلِ، ثَنَا مُعْتَمِرٌ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا تَمِيمَةَ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، يُحَدِّثُهُ أَبُو عُثْمَانَ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ قَالَ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْخُذُنِي فَيُقْعِدُنِي عَلَى فَخِذِهِ، وَيَقْعُدُ الْحَسَنَ عَلَى فَخِذِهِ الْأُخْرَى، ثُمَّ يَضُمُّنَا ثُمَّ يَقُولُ: " اللَّهُمَّ ارْحَمْهُمَا فَإِنِّي أَرْحَمُهُمَا ".» وَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنِ النَّهْدِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْفَضْلِ عَارِمٌ بِهِ، وَعَنْ عَلِيِّ بْنِ الْمَدِينِيِّ، عَنْ يَحْيَى الْقَطَّانِ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي تَمِيمَةَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أُسَامَةَ، وَأَخْرَجَهُ أَيْضًا عَنْ مُوسَى بْنِ إِسْمَاعِيلَ وَمُسَدَّدٍ، عَنْ مُعْتَمِرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أُسَامَةَ، فَلَمْ يَذْكُرْ أَبَا تَمِيمَةَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَفِي رِوَايَةٍ «اللَّهُمَّ إِنِّي أُحِبُّهُمَا فَأَحِبَّهُمَا ".»
পৃষ্ঠা - ৬৩৬১
চাচান্ ন্ ৮ংা৷া৪া৷া$


ইমাম আহমদ (র) বলেছেন, হাম্মাদ আল-খাইয়াত আবুহুরায়রা (রা) বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, একদিন আমার হাতে ভাব করে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বানু কায়নুকার বাজারে
গেলেন ৷ এরপর বাজার থেকে ফিরে এলেন এবং কাপড় ঘুড়ি দিয়ে মসজিদে বসে বইলেন ৷
এরপর বললেন, বাছাধন কোথায়? ওকে ডেকে আমার নিকট নিয়ে” এস ৷ হযরত হাসান (রা)
এলেন ৷ তিনি এলেন লাফিয়ে লাফিয়ে, দৌড়ে দৌড়ে এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কোলে
বাপিয়ে পড়লেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তার মুখে হাসানের মুখ ঢুকিয়ে দিলেন এবং বললেন-

হে আল্লাহ ! আমি একে ভালবাসি, সুতরাং আপনিও তাকে ভালবাসুন এবং যে তাকে
ভালবাসবে তাকেও ভালবাসুন ৷’ এট্রি,তিনি৩ তিনবার বলেছিলেন ৷ হযরত আবু হুরায়রা (বা)
বলেন, আমি যখনই হযরত হাসান (রা),-কে দেখতাম আদরে স্লেহে ভালবাসার আমার
দৃ চোখ থেকে অশ্রু পড়িয়ে পড়ত ৷ আমি কেদে ফেলতাম ৷’ এই হদীসটি ইমাম মুসলিংময় শর্ত

ন্ পুরণ করে, তবে তিনি এটি৩ার গ্রন্থে উদ্ধৃত করেন নি ৷ এভাবে সুফিয়ান ছাওরী (রা) ও এটি

নাঈম আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ আর মু আবিয়া ইবন আবী বারুদ এটি তার

পি৩ ৷ সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ তবে তাতে কিছুটা বাড়তি কথা

আছে ৷ আবুইসৃহাক এটি হারিছ সুত্রে হযরত আলী (রা) থেকে প্রায় এরুপই বর্ণনা করেছেন ৷
উসমান ইবন আবী লুবাব এটি ইবন আবী য়ুল্ায়কা সুত্রে হযরত আয়েশ৷ (বা) থেকে এরুপই
বর্ণনা করেছেন ৷ তবে তাতে কিছুটা বাড়তি কথা আছে ৷ আবু ইসহাক হারিছ সুত্রে হযরত

; আলী (বা) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ সুফিয়ান ছাওরী ও অন্যান্যর৷ সালিম ইবন আবী

হাফসা সুত্রে আবু হাযিমের মাধ্যমে আবু হুরায়রা (রা) থেকে রর্ণন৷ করেছেন ৷ তিনি বলেছেন
যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন,

যে ব্যক্তি হাসান ও হুসায়নকে ভালবালে সে মুলত আমাকেই ভালবাসে আর যে ব্যক্তি
ওদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, সে মুলত আমার প্রতি ই বিদ্বেষ পোষণ করে ৷’ অবশ্য এই
সনদে এটি গরীব পর্যায়ের হাদীস ৷ ,

ইমাম আহমদ (র) ইবন নুমায়ম হযরত;গু আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, একদিন র ৷সুলুল্পাহ্ (না) আমাদের নিকট এলেন ৷৩ তার সাথে ছিলেন হযরত হাসান
ও হুসায়ন (রা) ৷ একজন তার ডান কাধে অন্যজন অন্য কাধে ৷ তিনি একবার একে চুমু
থাচ্ছিলেন একবার ওকে ৷ এভাবে তিনি আমাদের নিবন্টু এসে পৌছলেন ৷ একজন লোক
বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আপনি ওদেরকে খুব আদর করেন? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,

যে ব্যক্তি ওদের দৃ জনকে ভালবাসে সে আমাকে ভালবাসে আর যে ব্যক্তি ওদের প্রতি
শত্রুত৷ পোষণ করে সে আমার প্রতি শত্রু৩ ৷ পোষণ করে ৷ ইমাম আহমদ (র) একা এটি
উদ্ধৃত করেছেন ৷
আবু বকর ইবন আইয়াশ আসিম সুত্রে যিরবৃ এর মাধ্যমে আবদুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেন
যে,৩ তিনি বলেছেন, কোন কোন সময় এমন হত যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) নামায আদায় করতেন


وَقَالَ شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ: رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ عَلَى عَاتِقِهِ، وَهُوَ يَقُولُ: «اللَّهُمَّ إِنِّي أُحِبُّهُ فَأَحِبَّهُ» أَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ. وَرَوَاهُ عَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ، عَنْ فُضَيْلِ بْنِ مَرْزُوقٍ، عَنْ عَدِيٍّ، عَنِ الْبَرَاءِ، فَزَادَ: «وَأَحِبَّ مَنْ يُحِبُّهُ ".» وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي يَزِيدَ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «قَالَ لِلْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ: " اللَّهُمَّ إِنِّي أُحِبُّهُ فَأَحِبَّهُ، وَأُحِبَّ مَنْ يُحِبُّهُ ".» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ أَحْمَدَ، وَأَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ. وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو النَّضْرِ، ثَنَا وَرْقَاءُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِي يَزِيدَ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سُوقٍ مِنْ أَسْوَاقِ الْمَدِينَةِ فَانْصَرَفَ وَانْصَرَفْتُ مَعَهُ، فَجَاءَ إِلَى فِنَاءِ فَاطِمَةَ، فَنَادَى الْحَسَنَ فَقَالَ: " أَيْ لُكَعُ، أَيْ لُكَعُ، أَيْ لُكَعُ ". فَلَمْ يُجِبْهُ أَحَدٌ فَانْصَرَفَ وَانْصَرَفْتُ
পৃষ্ঠা - ৬৩৬২


তখন হাসান ও হুসায়ন (না) এসে তার সিজদ রত অবস্থায় পিঠে চড়ে বস্যতন ৷ উপব্বি
লোকজন তাদেরকে ধমৃক মেরে সরিয়ে দিতে চইতেন ৷ সালাম ফের নঢুর পর লেকাংন্যে ’
উদ্দেশ্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,
এরা দু’জন আমার বংশধর ৷ যে বক্তি ওদেরকে ভলবসৰে সে আমাকে ভলবসবে
ইমম নসঈ (র) এটি উবয়দুল্লাহ্ ইবন মুসা আসিম্ সুত্রে বর্ণন কব্রেছো হযরত আয়েশ্
(না) ও হযরত উম্মু সালাম (বা) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লহ্ (সা) হযরত হসান (বা)
হুসায়ন (বা) এবং তাদের মাতা পিতকে চদরের মধ্যে জড়িয়ে বলেছিলেন
দিন এবং তাদের পবিপুর্ণভবে পবিত্র করে দিন ৷
মুহাম্মদ ইবন স দ বলেছেন, মুহম্মদ ইবন অবদিল্লাহ্ আসদী জব্বি হুরুন্া আবদিল্লাহু
(রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রসুলুল্লহ্ (সা) ইরশদ কঃরছো-
ন্
এর পুত্র হাসান (রা) (ক দেখে নেয় ৷’ ওয়াকী (র) এই হাদীস রবী ইবন সা দ জৰীর (রা)
থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ এটির সনদে কোন দোষ নেই তিঃ প্রসিদ্ধ হাদ্রীসু
সংকলকগণ এটি উদ্ধৃত করেন নি ৷
হযরত আলী (রা), আবু সাঈদ (রা) ও বুরায়দ (রা) এর বর্ণিত জৌন্থে এসেছে যে,
রাসুলুল্লহ্ (সা) বলেছেন ,
হাসান এবং হুসায়ন হল জান্নভী যুবকদের নেতা ৷ তবে তা দের পিতা তাদ্যো চাইতে উত্তম ৷
আবু কাসিম বপাবী (রা) বলেছেন, দাউদ ইবন অমর ইয়ল ইবন মুবরহ্ (রা) থেকে“ন্ৰুন্;
বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একদিন হযরত হাসান এবং হুসায়ন (বা) দৃ’ক্ষা দৌড়ে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট এসেছিলেন ৷ একজন অন্যজনের আগে তার নিকট পৌছে যনা:
তিনি তার ঘাড়ের নীচে হাত রেখে তাকে বপলের নীচে জড়িয়ে ধরেন ৷ এরপর দ্বিতীরজন্ ; ন্
এলেন ৷ তিনি দ্বিতীয় জনের ঘাড়ের নীচে অন্য হাত ঢুকিয়ে ত্তীকে কঃলরনীচে স্টঃর
ধরেন ৷ তারপর একে চুমু খেলেন ৷ তারপর ওকে চুমু খেলেন ৷ তারপর বললেন, ষ্ ণ্ ণ্াশ্ণ্

এই
দু জনকে ভালবাসুন ৷ এরপর রসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,

হে লোকসকল ! ছেলে যেয়ে হল কৃপণতা,৩ ভীরুতা ও জ্ঞনহীনতা সৃষ্টির মাধ্যম




مَعَهُ، فَجَاءَ إِلَى فِنَاءِ عَائِشَةَ فَقَعَدَ. قَالَ: فَجَاءَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ. قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ ظَنَنَّا أَنَّ أُمَّهُ حَبَسَتْهُ لِتَجْعَلَ فِي عُنُقِهِ السِّخَابَ، فَلَمَّا دَخَلَ الْتَزَمَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَالْتَزَمَ هُوَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قَالَ:» «اللَّهُمَّ إِنِّي أُحِبُّهُ فَأَحِبَّهُ، وَأَحِبَّ مَنْ يُحِبُّهُ ".» ثَلَاثَ مَرَّاتٍ. وَأَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا حَمَّادٌ الْخَيَّاطُ، ثَنَا هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ نُعَيمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُجْمِرِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى سُوقِ بَنِي قَيْنُقَاعَ مُتَّكِئًا عَلَى يَدِي، فَطَافَ فِيهَا، ثُمَّ رَجَعَ فَاحْتَبَى فِي الْمَسْجِدِ، وَقَالَ: " أَيْنَ لُكَاعُ؟ ادْعُوَا لِي لُكَاعُ ". فَجَاءَ الْحَسَنُ فَاشْتَدَّ حَتَّى وَثَبَ فِي حَبْوَتِهِ، فَأَدْخَلَ فَمَهُ فِي فَمِهِ، ثُمَّ قَالَ: " اللَّهُمَّ إِنِّي أُحِبُّهُ فَأَحِبَّهُ، وَأَحِبَّ مَنْ يُحِبُّهُ " ثَلَاثًا. قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: مَا رَأَيْتُ الْحَسَنَ إِلَّا فَاضَتْ عَيْنِي. أَوْ قَالَ: دَمَعِتْ عَيْنِي. أَوْ: بَكَيْتُ» . وَهَذَا عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ، وَقَدْ رَوَاهُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ نُعَيمٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ أَوْ نَحْوَهُ. وَرَوَاهُ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي مُزَرِّدٍ،
পৃষ্ঠা - ৬৩৬৩
عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ بِنَحْوِهِ، وَفِيهِ زِيَادَةٌ. وَرَوَى أَبُو إِسْحَاقَ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَلِيٍّ نَحْوًا مِنْ هَذَا السِّيَاقِ. وَرَوَاهُ عُثْمَانُ بْنُ أَبِي الْكَنَّاتِ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ بِنَحْوِهِ، وَفِيهِ زِيَادَةٌ. وَقَالَ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَغَيْرُهُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي حَفْصَةَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَحَبَّ الْحَسَنَ وَالْحُسَيْنَ فَقَدْ أَحَبَّنِي، وَمَنْ أَبْغَضَهُمَا فَقَدْ أَبْغَضَنِي» غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، ثَنَا الْحَجَّاجُ - يَعْنِي ابْنَ دِينَارٍ - عَنْ جَعْفَرِ بْنِ إِيَاسٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَعَهُ حَسَنٌ وَحُسَيْنٌ، هَذَا عَلَى عَاتِقِهِ وَهَذَا عَلَى عَاتِقِهِ، وَهُوَ يَلْثَمُ هَذَا مَرَّةً وَهَذَا مَرَّةً، حَتَّى انْتَهَى إِلَيْنَا، فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّكَ لَتُحِبُّهُمَا. فَقَالَ: " مَنْ أَحَبَّهُمَا فَقَدْ أَحَبَّنِي، وَمَنْ أَبْغَضَهُمَا فَقَدْ أَبْغَضَنِي» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرٍّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلَّى، فَجَاءَ الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ، فَجَعَلَا يَتَوَثَّبَانِ عَلَى ظَهْرِهِ إِذَا سَجَدَ، فَأَرَادَ النَّاسُ زَجْرَهُمَا، فَلَمَّا سَلَّمَ قَالَ لِلنَّاسِ: " هَذَانِ ابْنَايَ، مَنْ أَحَبَّهُمَا
পৃষ্ঠা - ৬৩৬৪


আবদুর রায্যাক মুহাম্মদ ইবন আসওয়াদ এর পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, একদিন
রাসুলুল্লট্রুহ্ (সা) হযরত হাসান (রা) কে কাছে টেনে নিয়ে চুমু খাে লন ৷ তারপর সোকজানর ’
দিকে মুখ ফিরিয়ে বললেন, মেয়ে কৃপণত৷ ও
ভীরুতা সৃষ্টির মাধ্যম ৷
ইবন খুযায়ম৷ আবদাহ্ ইবন আবদিল্লাহ্ আবদুল্লাহ ইবন বুরায়দার পিতা থেকে বর্ণনা
করেন যে, তিনি বলেছেন, একদিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) খুতবা দিচ্ছিলেন, এ সময় হাসান (রা)
ত্হুসায়ন (রা) মসজিদে প্রবেশ করলেন ৷ তাদেব গায়ে ছিল লাল জামা ৷ জামা বড়
হওয়াতে তারা জামা পেচিয়ে হোচট খাচ্ছিলেন আর উঠছিলেন ৷ এক পর্যায়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মিম্বর থেকে নেমে তাদের নিকট গেলেন এবং তাদেরকে তুলে এনে মিম্বরে তার কোলে
বসালেন ৷ এরপর তিনি বললেন, মহান আল্লাহ যথার্থই বলেছেন,
ন্
“তোমাদের ধন-সম্পদ ও সতান-সন্ততি তো এক পরীক্ষাস্বরুপ্ন ৷ আমি এই বাচ্চা দুটিাক
দেখে স্থির থাকতে পারি নি’ ৷ এরপর তিনি পুনরায় খুতবা শুরু করলেন ৷ ইমাম আবু দাউদ,
তিরমিযী ও ইবন মজোহ্ (র) প্রমুখ হুসায়ন ইবন ওঘারুিদী সুত্রে এই হাদীস উদ্ধৃত করেছেন ৷
ইমাম তিরমিযী (র) বলেছেন, এটি পরীব পর্যায়ের হাদীস ৷ এই সনদ ব্যতীত ৩অন্য সনদে এটি
বর্ণিত হয়েছে বলে আমার জানা নেই ৷ মুহাম্মদ ইবন দামারী এটি যায়দ ইবন আকরাম (রা)
থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ তবে সেই বর্ণনায় শুধু হযরত হাসান (রা) এর আগমনের কথা আছে ৷
আবদুল্লাহ্ ইবন শাদ্দাদ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, একদিন বাসুলুরাহ (সা)
তাদেরকে নিঃয় মাপরিব কি বা ঈশার নামায আদায় করছিলেন ৷ ওই নামাযে এক সিজদায়
গিছুয় অঘেকক্ষণ থেকে যান, দীর্ঘক্ষণ সিজদায় থাকেন ৷ সালাম ফিরানাের পর লোকজন -
দীর্ঘক্ষণ সিজদ৷ করার রহস্য জানতে চইিলেন ৷ উত্তরে তিনি বললেন, আমার এই দৌহিত্র
অর্থাৎ হাসান (রা) নামায়ের মধ্যে আমার পিঠে চড়ে বসে ৷ তার সাধ পুর্ণ হবার আগে তাকে
পিঠ থেকে নামিয়ে দেয়াট৷ আমি পছন্দ করি নি ৷ তাই সিজদ৷ দীর্ঘায়িত করেছি ৷
ইমাম তিরমিযী (র) আবু যুবায়র সুত্রে জাবির (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
একদা আসি রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর নিকট গেলাম ৷ তখন তার পিঠে হযরত হাসান এবং হুসায়ন
(রা) ৷ তিনি তাদেরকে তীর পিঠে নিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে অগ্রসর হচ্ছিলেন ৷ আমি বললাম, বাহ !
কত উত্তম আপনাদের দু’জঃনর বাহন ৷’ রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, এবং কত উত্তম এই দুই
আরােহী ৷ এই হাদীসটি ইমাম মুসলিম-এর শর্ত পুরণ করে, তবে তিনি এটি তার সহীহ্ গ্রন্থে
উল্লেখ করেন নি ৷
আবু ইয়াল৷ আবু হাশিম ইবন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ্ (;সা) হযরত হাসান (বা) কে র্কাধে চড়িয়ে বাইরে বের হলেন ৷ তা দেখে এক লোক
বলল, ,বাছাধন ! কত উত্তম তোমার বাহন!’ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, এবং কত উত্তম এই
আরোহী’ ৷ ণ্
ইমাম আহমদ (র) তালীদ ইবন সুলারমান হযরত আবু হুরায়রা (রা) বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, একদিন বাসুলুল্পাহ্ (সা) হযরত আলী (রা), হাসান (বা), হযরত হুসায়ন (বা)
ও ফাতিমা (রা) এর দিকে তাকিয়ে বললেন


فَقَدْ أَحَبَّنِي» . وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مُوسَى، عَنْ عَلِيِّ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ عَاصِمٍ بِهِ. وَقَدْ وَرَدَ عَنْ عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ أُمَّيِ الْمُؤْمِنِينَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اشْتَمَلَ عَلَى الْحَسَنِ وَالْحُسَيْنِ وَأُمِّهِمَا وَأَبِيهِمَا، فَقَالَ: " اللَّهُمَّ هَؤُلَاءِ أَهْلُ بَيْتِي فَأَذْهِبْ عَنْهُمُ الرِّجْسَ وَطَهِّرْهُمْ تَطْهِيرًا» . وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْأَسَدِيُّ، ثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَابِطٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى سَيِّدِ شَبَابِ أَهْلِ الْجَنَّةِ، فَلْيَنْظُرْ إِلَى الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ» . وَقَدْ رَوَاهُ وَكِيعٌ، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَابِطٍ، عَنْ جَابِرٍ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ، وَإِسْنَادُهُ لَا بَأْسَ بِهِ، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ. وَجَاءَ مِنْ حَدِيثِ عَلِيٍّ وَأَبِي سَعِيدٍ وَبُرَيْدَةَ وَحُذَيْفَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ سَيِّدَا شَبَابِ أَهْلِ الْجَنَّةِ، وَأَبُوهُمَا خَيْرٌ مِنْهُمَا» . وَقَالَ أَبُو الْقَاسِمِ الْبَغَوِيُّ: ثَنَا دَاوُدُ بْنُ عَمْرٍو، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ،
পৃষ্ঠা - ৬৩৬৫



তােমরা যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে আমিও তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব ৷ আর ণ্ভামরা
যাদের সাথে শান্তি স্থাপন করবে আমিও তাদের সক্রো শাস্তি স্থাপন ক্যাব ৷’ ইমাম নসোঈ (র)
এই হাদীস আবু নুআয়ম থেকে এবং ইমাম ইবন মালাহ (র) এটি ওয়াকী থেকে এবংর্তরাে
দু’জ্বনে সুফিয়ান ছাওরী সুত্রে আবু জিহাক দাউদ ইবন আবী আওফ থেকে বর্ণনা কক্সেহ্ব ৷
ওয়াকী আবু হাযিম সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে অসুস্থ অবস্থায় বর্ণনা করেন যে, অ্যাং
(সা) হযরত হাসান এবং হুসায়ন (রা) সম্পর্কে বলোহ্ব-

যে এ দু ’জনকে ভালবাসরে সে আমাকে ভলোঃবে আর যে এই দুজনের প্ৰতি নত্রুতা ,
পোষণ করবে সে আমার প্রতি শত্রুতা পোষণ ব্বাব ৷’ বর্ণনাকারী আসৰাত এই হাদীস সুদ্দী
যায়দ ইবন আ রকাম সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷
বাকিয়্যা বুজায়র মিক্দাম ইবন যা দী কারাব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি
হুসায়ন (রা)-কে বলতে শুনেছি



হাসান আমার ন্যায় আর হুসায়ন আলী (রা) এর ন্যায় ৷ অবশ্য এই হাদীস শব্দ এবং অর্থ
উভয় দিক থেকে অন্যান্য হাদীসের বিপরীত এবং এতে অগ্রহণযােপ্যতা রয়েছে
ইমাম আহমদ (ব) বলেছেন, মুহাম্মদ ইবন আৰী আদী উমায়র ইবন ইসহাক (বা)

থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একদিন আমি হযরত হাসান ইবন আলী (রা)-এব

সাথে ছিলাম ৷ তখন আবু হুরায়রা (রা)-এর সাথে আমাদের সাক্ষাত হন ৷ আবু হুরায়রা (রা)
হযরত হাসান (রা)-কে বললেন, আমাকে একটু আপনার সেই স্থানটি দেখান ৰেমোঃন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) চুম্বন করতেন ৷ আমি ওই স্থানটি চুম্বন করব ৷’ হযরত হাসান (র!) তার
জামা উপরে তুললেন ৷ আবু হুরায়রা (বা) তার নচভিতে চুনন করলেন ৷ এই বর্ণনাঢি ইমাম
আহমদ ( ব ) একা উদ্ধৃত করেছেন ৷ এরপর তিনি ইম্যাঈল ইবন উলাইয়া সুত্রে ইবন আওফ
থেকে বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) হাশিম ইবন কাসিম ঘুঅ্ফ্লি (র) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে দেখেছি তিনি হযৰ্ত হাসান (রা)-এর জিহবা অন্য বর্ণনায়
ঠোট চুষছিলেন ৷ যে জিহবা অথবা যে ঠোট দৃ’টো রঢোল্লাহ্ (সা) চুষছিলেন সেগুলো বাংলা
আমার ভোগ করবে না ৷ সহীহ গ্রন্থে আবু ৰাহ্রা (বা) থেকে বর্ণিত হয়েছে, আর ইমাম
আহমদ (র) হযরত জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, র!সুলুল্লাহ্ সো)
বলেছেন-

ন্;ঙ্কু
ভৌ
আমার এই দৌহিত্র হল জননেতা পথ প্রদর্শক ৷ নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ্ তার মাধ্যমে
দু ’টো বিরাট মুসলিম দলের মধ্যে মীমাংসার ব্যবস্থা ন্দ্রবেন ৷ ’ “নবুওয়াতেৱ দলীল অধ্যায়ে
এই হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে এবং একটু পুর্বে আমীর মুআ ৷বিয়ার সমর্থ্যন হযরত হমোঃনর
খিলাফত ত্যাগ প্রসন্সেও হাদীসটি উল্লেখ করা হয়েছে ৷’ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ভবিষ্যদ্বনীির




حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ رَاشِدٍ، عَنْ يَعْلَى بْنِ مُرَّةَ قَالَ «جَاءَ الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ يَسْعَيَانِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَاءَ أَحَدُهُمَا قَبْلَ الْآخَرِ، فَجَعَلَ يَدَهُ فِي رَقَبَتِهِ، ثُمَّ ضَمَّهُ إِلَى إِبِطِهِ، ثُمَّ جَاءَ الْآخَرُ فَجَعَلَ يَدَهُ الْأُخْرَى فِي رَقَبَتِهِ، ثُمَّ ضَمَّهُ إِلَى إِبِطِهِ، ثُمَّ قَبَّلَ هَذَا، ثُمَّ قَبَّلَ هَذَا، ثُمَّ قَالَ: " اللَّهُمَّ إِنِّي أُحِبُّهُمَا فَأَحِبَّهُمَا ". ثُمَّ قَالَ: " أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ الْوَلَدَ مَبْخَلَةٌ مَجْبَنَةٌ مَجْهَلَةٌ» . وَقَدْ رَوَاهُ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي خُثَيمٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْأَسْوَدِ بْنِ خَلَفٍ، عَنْ أَبِيهِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَذَ حَسَنًا فَقَبَّلَهُ، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْهِمْ فَقَالَ: " إِنَّ الْوَلَدَ مَبْخَلَةٌ مَجْبَنَةٌ» . وَقَالَ ابْنُ خُزَيْمَةَ ثَنَا عَبْدَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْخُزَاعِيُّ، ثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ (ح) وَقَالَ أَبُو يَعْلَى: ثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ: ثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنِي حُسَيْنُ بْنُ وَاقِدٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ، فَجَاءَ الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ وَعَلَيْهِمَا قَمِيصَانِ أَحْمَرَانِ، يَعْثُرَانِ وَيَقُومَانِ، فَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِمَا فَأَخَذَهُمَا، فَوَضَعَهُمَا فِي حِجْرِهِ عَلَى الْمِنْبَرِ، ثُمَّ قَالَ: " صَدَقَ اللَّهُ: {إِنَّمَا أَمْوَالُكُمْ وَأَوْلَادُكُمْ فِتْنَةٌ} [التغابن: 15] . رَأَيْتُ هَذَيْنِ الصَّبَّيْنِ فَلَمْ أَصْبِرْ عَنْهُمَا ". ثُمَّ أَخَذَ فِي خُطْبَتِهِ» وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ، مِنْ حَدِيثِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ غَرِيبٌ، لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِهِ. وَقَدْ رَوَاهُ
পৃষ্ঠা - ৬৩৬৬
مُحَمَّدٌ الضَّمْرِيُّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، فَذَكَرَ الْقِصَّةَ لِلْحَسَنِ وَحْدَهُ. وَفِي حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ أَبِيهِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى بِهِمْ إِحْدَى صَلَاتَيِ الْعَشِيِّ، فَسَجَدَ سَجْدَةً أَطَالَ فِيهَا السُّجُودَ، فَلَمَّا سَلَّمَ قَالَ النَّاسُ لَهُ فِي ذَلِكَ، قَالَ: " إِنَّ ابْنِي - يَعْنِي الْحَسَنَ - ارْتَحَلَنِي فَكَرِهْتُ أَنْ أُعَجِّلَهُ حَتَّى يَقْضِيَ حَاجَتَهُ ".» وَقَالَ الثَّوْرِيُّ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «دَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ حَامِلٌ الْحَسَنَ وَالْحُسَيْنَ عَلَى ظَهْرِهِ، وَهُوَ يَمْشِي بِهِمَا عَلَى أَرْبَعٍ، فَقُلْتُ: نِعْمَ الْجَمَلُ جَمَلُكُمَا. فَقَالَ: " وَنِعْمَ الْعَدْلَانِ هُمَا» . إِسْنَادُهُ عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ. وَقَالَ أَبُو يَعْلَى: ثَنَا أَبُو هِشَامٍ، ثَنَا أَبُو عَامِرٍ، ثَنَا زَمْعَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ وَهْرَامٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ حَامِلٌ الْحَسَنَ عَلَى عَاتِقِهِ، فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: يَا غُلَامُ، نِعْمَ الْمَرْكَبُ رَكِبْتَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " وَنِعْمَ الرَّاكِبُ هُوَ» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا تَلِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، ثَنَا أَبُو الْجَحَّافِ، عَنْ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৬৩৬৭


সত্য!য়নস্বরুপ ওই অ!পে!ষ মীমাংস! বাস্তবায়িত হয়েছে ৷ আমাদের কিতাব সালাইল অ!ন
নুবুওয়াত’ এন্থেও আমরা এই হাদীস উল্লেখ করেছি ৷

হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) হযরত হাসান (বা) কে সম্মান করতেন ৷ শ্রদ্ধা প্রদর্শন
করতেন, ভালবাসতেন এবং তার জন্যে নিবেদিত প্রাণ ছিলেন ৷ হযরত উমর ইবন খাত্তাব
(রা) ও তাই করতেন ৷ ওয়!কিদী মুসা ইবন মুহাম্মদ সুত্রে তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন
যে, হযরত উমর (র!) যখন সরকারী কোষ!পার ও রাজস্ব বিভাগ প্ৰবতনিঃ করে ভাতা ব্যবস্থার
প্রচলন করেন, তখন তিনি বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ষোদ্ধাদের সমহ!রে হযরত হাসান এবং
হুসায়ন (রা) এর প্রত্যেকের জন্যে ৫০০০ দিরহাম করে সরকারী ভাত ! নির্ধারণ করে দেন ৷
তৃতীয় খলীফা হযরত ৩উসমান (রা) ও ইমাম হাসান (রা) ও হুসায়ন (র!) কে সম্মান করতেন,
ভ!লবাসতেন ৷ শেষ জীবনে হযরত উসমান (র!) যখন কার্যত গৃহবন্দী অবস্থায় তখন হযরত
হাসান (র!) অন্যদের সাথে গলায় তরবারি ঝুলিয়ে বিদ্রোহীদের আক্রমণ থেকে তাকে রক্ষা
করার জন্যে খলীফার দরজায় প্রহর!রত ছিলেন ! এতে খলীফা উসমান (বা) আশংকা করলেন,
ন! জানি বিদ্রোহীদের আক্রমণে হযরত হাসান (রা)-এর কোন ক্ষতি হয় ৷ তাই তিনি কসম
করে র্তীকে নিজ গৃহে ফিরে যাবার অনুরোধ করলেন ৷ খলীফা উসমান (র!) এ অনুরোধ
করেছিলেন হযরত, আলী (রা)-এর মানসিক প্ৰশান্তির লক্ষে! এবং হযরত হাসান (রা)-এর
জীবনের ঝুকির আশংকায় ৷

হযরত আলী (রা) নিজে তার পুত্র হ!সানকে খুবই সম্মান করতে ত,ন মর্যাদা দিতেন ৷
একদিন তিনি হযরত হাসান (রা) কে বললেন, বৎস ! তুমি একটু খুতবা দাও, আমি তা
আর ৷ হযরত হাসান (র!) বললেন, আব্বা আপনি সামনে থাকলে আমার তে ! খুতবা দিতে
লজ্জা করে ৷ হযরত আলী (রা) আড়ালে গিয়ে বসলেন, যেখান থেকে খুতবা শোনা যায়া
হযরত হাসান (র!) দাড়িয়ে খুতবা দিতে শুরু করলেন ৷ অ!ড়!ল থেকে হযরত আলী (রা)ত
শুনছিলেন ৷ তিনি একটি সারগর্ভ ও সুন্দর খুত তব! দিলেন ৷ খুতবা শেষ হবার পর খুশি মনে
হযরত আলী (র!) বললেন, এর! একে অপরের বংশধর, আল্লাহ্ সর্ব্যশ্র!ত!, সর্বোত্তম ৷ হযরত
হাসান ও হুসায়ন (র!) যখন কোন ব!হনে আরোহণ করতেন তখন হযরত ইবন আব্বাস (ব!)
ঐ ব!হনের:রেকাব ধরে থাকতেন ৷ এতে তিনি নিজেকে ধন্য মনে করতেন ৷ হযরত হাসান ও
হুসায়ন (র!) যখন ব!য়তৃল্লাহ্ শরীফ ত!ওয়াফ করতেন তখন তাদেরকে দেখার জন্যে লোকের
প্রচণ্ড ভিড় জমে যেত ৷ ণ্ল!কজন যেন৩ তাদের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়বে এমন অবস্থা সৃষ্টি হত ৷
হযরত আবদুল্লাহ ইবন যুব!য়র (র!) বলতে ৩ন, হযরত হাসান (রা) এর মত শিষ্য কোন মহিলা
গর্ভে ধারণ করেনি ৷ ,

অন্যরা বলেছেন, হযরত হাসান (রা) এর নিয়ম ছিল যে, মসজিদ ই নববীতে ফ্লজরের
নামায আদায় করার পর তিনি সুর্যে!দ্য় পর্যত জয়েন!মলোঃঅ্যাং ৰিকির৮করতেন ৷
সমক!লীন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ তার সাথে বসতেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ আলোচনা
করতেন ৷ এরপর তিনি উঠে !গয়ে নবী করীম (সা) এর সহধর্মিণীদের সাথে স!ক্ষ!ত করতেন,
তাদেরকে সালাম জান!তেন ৷ মাঝে মাঝে তার! তাকে কিছু হ!দিয়! তোহ্ফা !দিতেন ৷
মুসলম!নদেরচক রক্তপাত রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে থেকে ব!চাব!র জন্যেও তিনি যখন আমীর মুআবিয়া
(রা) এর সমর্থ্যন নিজে খিলাফত ছেড়ে দিলেন তখন ঘুঅ!বিয়া (র!) এতি ৩বছর তার জন্যে
উপহার-উপচৌকন ও ভাত! পাঠ!তেন ৷ হযরত হাসান (রা)ত ৬ত!! এহণের জন্যে মুআবিয়!


حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «نَظَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى عَلِيٍّ وَحَسَنٍ وَحُسَيْنٍ وَفَاطِمَةَ فَقَالَ: " أَنَا حَرْبٌ لِمَنْ حَارَبْتُمْ وَسِلْمٌ لِمَنْ سَالَمْتُمْ» وَقَدْ رَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي نُعَيْمٍ، وَابْنِ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ وَكِيعٍ، كِلَاهُمَا عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ أَبِي الْجَحَّافِ دَاوُدَ بْنِ أَبِي عَوْفٍ - قَالَ وَكِيعٌ: وَكَانَ مَرْضِيًّا - عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ عَنِ الْحَسَنِ وَالْحُسَيْنِ: " مَنْ أَحَبَّهُمَا فَقَدْ أَحَبَّنِي، وَمَنْ أَبْغَضَهُمَا فَقَدْ أَبْغَضَنِي» . وَقَدْ رَوَاهُ أَسْبَاطٌ عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ صُبَيْحٍ مَوْلَى أُمِّ سَلَمَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ فَذَكَرَهُ. وَقَالَ بَقِيَّةُ، عَنْ بِحِيرِ بْنِ سَعِدٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِيكَرِبَ قَالَ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " الْحَسَنُ مِنِّي وَالْحُسَيْنُ مِنْ عَلِيٍّ» . فِيهِ نَكَارَةٌ لَفْظًا وَمَعْنًى. وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ عُمَيْرِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৬৩৬৮

আল-বিদায়াওয়াননিহায়৷ ৮১

(রা) এর নিকট যেতেন ৷ কখনও কখনও ঐ ভাতার পরিমাণ : লক্ষ দিরহ্া মেৰুপৌছত এর
অতিরিক্ত আরো ১ লক্ষ দিরহাম প্রতি বছর প্রেরণ করতেন ৷ এক বছর আমীর মু আবিয়৷ (রা)
এর নিকট যেতে পারলেন না ৷ এদিকে ভাত৷ প্রেরণের সময় হ্যবৃ গেল ৷ হযরত হাসানেব
ন্ জীবন বক্রোর জন্যে তখন অর্থের প্ৰয়ােজন ৷ বস্তুত তিনি অত্যন্ত সম্রান্ত লোক ছিলেন ৷ তিনি
শ্ তাতাৱ কথা উঃল্লখ করে আমীর মুআবিয়া (রা) এর নিকট পত্র লিখতে মনস্থ করলেন ৷ ঐ
রাতে তিনি ঘুমের মাঝে দেখতে পেলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) তাকে বলছেন, বৎস ৷
সৃষ্টিকর্তাকে বাদ দিয়ে তুমি কি তোমার প্রয়োজনের কথা সৃষ্টবু ব্যক্তির নিকট লিখতে যাচ্ছ’ এবং
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে একটি দু আ শিখিয়ে দিলেন যা দ্বারা তিনি আল্লাহ্র নিকট প্রার্থনা
জানাবেন ৷ তারপর হযরত ঠুহাসান (রা) মুআবিয়া (রা) এর নিকট চিঠি লিখার যে ইচ্ছা
করেছিলেন তা পরিত্যাগ করলেন ৷ এদাির্কহাসান (রা)-এর ভাতা প্রদানের বিষয়টি মুআবিয়া
(রা)-এর স্মরণ হল ৷ তিনি খোজ নিয়ে দেখলেন যে, এবার হযরত ;হাসান (রা) ভাতা নিতে
আসেননির্চু৷ তিনি এবার দৃই লক্ষ দিরহার্মইাসান (না)-এর প্ৰতি পাঠানোর নির্দেশ দিলেন ৷
তিনি বললেন যে, সম্ভবত অর্থ কড়ির অধিক, প্রয়োজনের কারণে ইমাম হাসান (রা) এবার
আসতে পারেন নি ৷ ফলে চাওয়া ব্যতীত ঐ ভাতা হযরত হাসান (রা) এর নিকট প্রেরিত হল ৷
সালিহ ইবন আহমদ বলেছেন, আমি আমার বাবাকে বলতে শুনেছি, হযরত আলী (রা)
এর পুত্র হাসান মদীনায় নাগরিক ৷ তিনি আস্থাভাজন ও বিশ্বস্ত লোক ৷’ ইবন আসাকির তার
ইতিহাস গ্রন্থে একথা উল্লেখ করেছেন ৷ ঐতিহাসিকগণ বলেছেন, আল্লাহ তা আনা হযরত
হাসান (রা) এর ধনশ্সম্পদ্যাক র্তিনৰ্ার বণ্টন করিয়েছেন এবং হাসান (রা) দু আর তার ধন-
সম্পদ বিলিয়ে দিয়েছিলেন ৷ তিনি ২৫ বার পায়ে হেটে হজ্জ করেছেন ৷ সফরকালে বড় বড়
উটগুলো তার সম্মুখে থাকত ৷ আল্লাম৷ বায়হার্কী (র) এটি উবায়দুল্লাহ্ ইবন উমায়র সুত্রে ইবন
আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷
আলী ইবন যায়দ ইবন জাদ আন বলেছেন যে, ইমাম বুখারী (র)ত তার সহীহ্ গ্রন্থে
সনদহীনতাতৃব উল্লেখ করেছেন যে, হযরত হাসান (রা) পায়ে হেটে হজ্জ করেছেন আর
উটগুলো তার সম্মুখে চলছিল ৷ দাউদ ইবন রাশীদ হাফস সুত্রে জা ফর ইবন মুহাম্মদের পিতা
থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, হযরত হাসান (বা) হজ্জ করেছেন পাযে হেটে ৷ বড়
বড় উটগুলাে চলত তার সম্মুখে ৷ আর তার উটগুলো চলত তার পাশে ৷
আব্বাস ইবন ফাদল হাসান ইবন আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন,
মহান আল্লাহর গৃহে পায়ে হেটে যাওয়া ব্যতীত আমি মৃত্যুর পর তার সাথে সাক্ষাত করব
তাতে আমি লজ্জাবােধ্ করি ৷ এ সুত্রে ২০ বার তিনি হজ্জ শেষে পায়ে হেটে মদীনায় আসেন ৷
ঐতিহাসিকগণ বলেন, হযরত হাসান (রা)ত তার কোন কোন খৃত্বায় সুরা ইব্রাহীম পাঠ
করতেন ৷ প্রতি রাতে ঘুমানাের পুবে তিনি সুরা কাহ্ফ পাঠ করতেন ৷ তার নিকট রক্ষিত একটি
ফলক থেকে দেখে দেখে তিনি এই সুরা পাঠ করতেন ৷৩ তার ত্রীদের নিকট যেখানে তিনি
যেতেন ঐ লিপি ফলক সেখানে১ তার সাথে থাকত ৷ তারপর নিজ বিছানায় শুয়ে ঘুমানাের পুর্বে
তিনি ঐ সুরা পাঠ করতেন ৷ দানশীলতায় তিনি ছিলেন বড় মাপের দানশীল ৷
মুহাম্মদ ইবন সীরীন বলেছেন, কোন কোন সময় হযরত হাসান ইবন আলী (বা) এক
ব্যক্তিকে এক লক্ষ দিরহাম দান করতেন ৷ সাঈদ ইবন আবদুল আযীয বলেছেন, একদিন
হযরত হাসান (বা) তার পাশে থাকা এক ব্যক্তিকে দেখলেন যে, সে মহান আল্পাহ্র কাছে ১০

আল বিদায়৷ ওয়ান নিহাযা-১ ১

إِسْحَاقَ قَالَ: كُنْتُ مَعَ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، فَلَقِينَا أَبُو هُرَيْرَةَ فَقَالَ: «أَرِنِي أُقَبِّلْ مِنْكَ حَيْثُ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقَبِّلُ. فَقَالَ بِقَمِيصِهِ. قَالَ: فَقَبَّلَ سُرَّتَهُ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. ثُمَّ رَوَاهُ عَنْ إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ. وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ حَرِيزٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عَوْفٍ الْجُرَشِيِّ، عَنْ مُعَاوِيَةَ قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمُصُّ لِسَانَهُ - أَوْ قَالَ: شَفَتَهُ. يَعْنِي الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ - وَإِنَّهُ لَنْ يُعَذَّبَ لِسَانٌ أَوْ شَفَتَانِ مَصَّهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَقَدْ ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحِ " عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، وَرَوَى أَحْمَدُ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " إِنَّ ابْنِي هَذَا سَيِّدٌ، وَلَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يُصْلِحَ بِهِ بَيْنَ فِئَتَيْنِ عَظِيمَتَيْنِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ» . وَقَدْ تَقَدَّمَ هَذَا الْحَدِيثُ فِي دَلَائِلَ النُّبُوَّةِ، وَتَقَدَّمَ قَرِيبًا عِنْدَ نُزُولِ الْحَسَنِ لِمُعَاوِيَةَ عَنِ الْخِلَافَةِ، وَوَقَعَ ذَلِكَ تَصْدِيقًا لِقَوْلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَذَا، وَكَذَلِكَ ذَكَرْنَاهُ فِي كِتَابِ دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَقَدْ كَانَ الصِّدِّيقُ يُجِلُّهُ وَيُعَظِّمُهُ وَيُكْرِمُهُ وَيُحِبُّهُ وَيَتَفَدَّاهُ، وَكَذَلِكَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ; فَرَوَى الْوَاقِدِيُّ عَنْ مُوسَى بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ
পৃষ্ঠা - ৬৩৬৯
التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنْ عُمَرَ لَمَّا عَمِلَ الدِّيوَانَ فَرَضَ لِلْحَسَنِ وَالْحُسَيْنِ مَعَ أَهْلِ بَدْرٍ فِي خَمْسَةِ آلَافٍ. وَكَذَلِكَ كَانَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ يُكْرِمُ الْحَسَنَ وَالْحُسَيْنَ وَيُحِبُّهُمَا. وَقَدْ كَانَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ يَوْمَ الدَّارِ - وَعُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ مَحْصُورٌ - عِنْدَهُ وَمَعَهُ السَّيْفُ مُتَقَلِّدًا بِهِ يُجَاحِفُ عَنْ عُثْمَانَ، فَخَشِيَ عُثْمَانُ عَلَيْهِ، فَأَقْسَمَ عَلَيْهِ لَيَرْجِعَنَّ إِلَى مَنْزِلِهِمْ تَطْيِيبًا لِقَلْبِ عَلِيٍّ وَخَوْفًا عَلَيْهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. وَكَانَ عَلِيٌّ يُكْرِمُ الْحَسَنَ إِكْرَامًا زَائِدًا، وَيُعَظِّمُهُ وَيُبَجِّلُهُ، وَقَدْ قَالَ لَهُ يَوْمًا: يَا بُنَيَّ، أَلَا تَخْطُبُ حَتَّى أَسْمَعَكَ؟ فَقَالَ: إِنِّي أَسْتَحِي أَنْ أَخْطُبَ وَأَنَا أَرَاكَ. فَذَهَبَ عَلِيٌّ فَجَلَسَ حَيْثُ لَا يَرَاهُ الْحَسَنَ، ثُمَّ قَامَ الْحَسَنُ فِي النَّاسِ خَطِيبًا وَعَلِيٌّ يَسْمَعُ، فَأَدَّى خُطْبَةً بَلِيغَةً فَصِيحَةً، فَلَمَّا انْصَرَفَ جَعَلَ عَلِيٌّ يَقُولُ: {ذُرِّيَّةً بَعْضُهَا مِنْ بَعْضٍ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ} [آل عمران: 34] . وَقَدْ كَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ يَأْخُذُ الرِّكَابَ لِلْحَسَنِ وَالْحُسَيْنِ إِذَا رَكِبَا، وَيَرَى هَذَا مِنْ نِعَمِ اللَّهِ عَلَيْهِ. وَكَانَا إِذَا طَافَا بِالْبَيْتِ يَكَادُ النَّاسُ يُحَطِّمُونَهُمَا مِمَّا يَزْدَحِمُونَ عَلَيْهِمَا لِلسَّلَامِ عَلَيْهِمَا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا وَأَرْضَاهُمَا. وَكَانَ ابْنُ الزُّبَيْرِ يَقُولُ: وَاللَّهِ مَا قَامَتِ النِّسَاءُ عَنْ مِثْلِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ. وَقَالَ غَيْرُهُ: كَانَ الْحَسَنُ إِذَا صَلَّى الْغَدَاةَ فِي مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَجْلِسُ فِي مُصَلَّاهُ يَذْكُرُ اللَّهَ حَتَّى تَرْتَفِعَ الشَّمْسُ، وَيَجْلِسُ إِلَيْهِ مِنْ يَجْلِسُ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৬৩৭০


হাজার দিরহাম প্রদানের আবে দন জানাচ্ছেন ৷ এটি শুনে হযরত হাসান (বা) নিজ গৃহে গমন
করলেন এবং লোকঢিয় জন্যে ১০ হাজার দিরহাম পাঠিয়ে দিলেন ৷
ইতিহাসবিদ্দগণ বলেছেন যে, একদিন হযরত হাসান (বা) এক কালো বর্ণ ক্রীতদাসকেৰু
দেখলেন যে, সে একটি রুটি খাচ্ছে ৷ তার পাশে ৷হল একটি কুকুর ৷ যুবকটি নিজে এক :
লোকমা খাচ্ছেন আর কুকুরকে এক লোকমা খাওয়াচ্ছেন ৷ পালাত্রুমে সে রুটি খাচ্ছিলেন আর
কুকুরকে খাওয়াচ্ছিলেন ৷ হযরত হাসান (বা) বললেন, কিসে তুমি এ মহৎ কাজে উৎসাহিত
হয়েছো? যুবকটি বলল, আমি খাব আর কুকুরটি উপোস থাকবে এটি আমার নিকট লজ্জাকর
মনে হচ্ছে ৷ তাই এমনটি করছি ৷ হযরত হাসান (বা) যুবকটিকে বললেন, আমি ফিরে না
আশা পর্যন্ত তুমি এখানে থাক ৷ হযরত হাসান (রা), গেলেন ক্রীতদাসটির মালিকের নিকট ৷
তার নিকট থেকে ক্রীতদাসঢিকে ক্রয় করে নিয়ে তাকে মুক্ত করে দিলেন ৷ন্ যে বাগানে তিনি
ছিলেন ওই বাপানটিও ক্রয় করে তাকে দান করে দিলেন ৷ ক্রীতদাসটি বলল, ওহে আমার
মালিক ! যার সম্ভষ্টির জন্যে আপনি আমাকে এই রাপান দান করেছেন তারই::লন্তষ্টির জন্যে
আমি এই বাগান দান করে দিলাম ৷ ৰু
ঐতিহাসিকগণ উল্লেখ করেছেন যে, হযরত হাসান (বা) বহু বিবাহকারী লোক ছিলেন ৷ সব
সময় চারজন স্বাধীন মহিলা তার শ্রী হিসেবে থাকত্বেনই ৷ তিনি বহু শ্রীকে তালাক প্রদান
করেছেন ৷ কথিত আছে যে, তিনি সর্বমোট ৭০ জন মহিলাকে বিবাহ করেছিলেন ৷১ তারা
আরো বলেছেন যে, একদিন তিনি তার দৃ ’জন শ্রীকে তালাক প্রদান করেছিলেন ৷ একওনে জ্জি
বানু আসাদ গোত্রের অনজেন বানু ফাযারা গোত্রের ৷ তারপর তিনি ওদের প্রত্যেককে ১০
হাজার দিরহাম ও কয়েক বোতল মধু প্রদান করেছিলেন ৷ তিনি তার সেবককে বলেছিলেন,
ওরা কি মন্তব্য করে তা তুমি মনোযোগ দিয়ে শুনা,ব ৷ বস্তুত বানু ফাযাৱা গোত্রের মহিলাটি
উপহার পেয়ে বলেছিল, আল্লাহ্ তা জানা হযরত হাসান (রা) কে উত্তম প্রতিদান প্রদান
করুন ৷’ সে হযরত হাসান (বা) এর জন্যে আরো দু অ৷ ও বন্দাণ কামনা করেছিল ৷ অন্যদিকে
বানু আসাদ গোত্রের মহিলাটি বলেজ্যি, একজন ভালবাসার মানুষের সাথে যিচ্ছেদের নু
যােকাবেলায় নিতাস্তই তুচ্ছ ৷’ তীর সেবক ফিরে এসে উভয়ের বত্তল্য জালাল ৷ পরবর্তীতে
হযরত হাসান ,(রা) বানু আসাদ গোত্রের মহিলাটিকেৰুদম্পেত্য জীবনে ফিরিয়ে নিলেন এবং বানু
ফাযারা গোত্রের মহিলাটিকে ত্যাগ-ন্ করলেন ৷ হযরত আলী (রা) কুফার অধিবাসী লোকদেরকে
বলতেন, তোমাদের মজািাদেরকে হযরত হাসান (রা) এর নিকট বিয়ে দিও না ৷ কারণ সে
একত্তনে অতিশয় তালাক দানকারী পুরুষ ৷’ উত্তরে তারা বলত, আমীরুল মু যিনীন ! আল্লাহ্র
কসম ! হযরত হাসান (রা) যদি প্রতিদিন আমাদের মহিলাদেরকে বিয়ে করতে চইিতেন তবে ন্
তাদের সকলকে আমরা তার নিকট বিয়ে দিয়ে দিব আর তা শুধু এই উদ্দেশ্যে যে, রাসুলুল্লাহ
(সা) এর পরিবারের সাথে যেন আমরা বিবাহ সুত্রে আত্মীয় হতে পারি ৷
কথিত আছে যে, একদিন হযরত হাসান (রা) তার শ্রীদের সাথে ছাদের উপর ঘুমিয়ে
ছিলেন ৷ ঐ শ্রীর নাম ছিল খাওলা বিনুত মানবুরফাযারী ৷ৰুকেউ বলেছেন, ংহিন্দা বিনৃত
সুহায়লৰু ৰুঘুমপ্ত অবস্থায় মহিলাটি তার ওডন৷ দ্বার৷ হযরত হাসান (রা)-এর না তার নুপুরের ;



১ আহ্লে বায়তের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে আগহী লোকজঃনর তীব্র আকাক্ষোই হ্নিা-এর অন্যতম কারণ, যেমনটি
পরের আলোচনা থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় ৷


سَادَاتِ النَّاسِ يَتَحَدَّثُونَ عِنْدَهُ، ثُمَّ يَقُومُ فَيَدْخُلُ عَلَى أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ فَيُسَلِّمُ عَلَيْهِنَّ. وَرُبَّمَا أَتْحَفْنَهُ، ثُمَّ يَنْصَرِفُ إِلَى مَنْزِلِهِ. وَلَمَّا نَزَلَ لِمُعَاوِيَةَ عَنِ الْخِلَافَةِ مِنْ وَرَعِهِ صِيَانَةً لِدِمَاءِ الْمُسْلِمِينَ، كَانَ لَهُ عَلَى مُعَاوِيَةَ فِي كُلِّ عَامٍ جَائِزَةٌ، وَكَانَ يَفِدُ إِلَيْهِ، فَرُبَّمَا أَجَازَهُ بِأَرْبَعِمِائَةِ أَلْفِ دِرْهَمٍ، وَرَاتِبُهُ فِي كُلِّ سَنَةٍ مِائَةُ أَلْفٍ، فَانْقَطَعَ سَنَةً عَنِ الذَّهَابِ، وَجَاءَ وَقْتُ الْجَائِزَةِ، فَاحْتَاجَ الْحَسَنُ إِلَيْهَا - وَكَانَ مِنْ أَكْرَمِ النَّاسِ - فَأَرَادَ أَنْ يَكْتُبَ إِلَى مُعَاوِيَةَ لِيَبْعَثَ بِهَا إِلَيْهِ، فَلَمَّا نَامَ تِلْكَ اللَّيْلَةَ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَنَامِ، فَقَالَ لَهُ: " يَا بُنَيَّ، أَتَكْتُبُ إِلَى مَخْلُوقٍ بِحَاجَتِكَ؟ ! " وَعَلَّمَهُ دُعَاءً يَدْعُو بِهِ، فَتَرَكَ الْحَسَنُ مَا كَانَ هَمَّ بِهِ مِنَ الْكِتَابَةِ، فَذَكَرَهُ مُعَاوِيَةُ وَافْتَقَدَهُ، وَقَالَ: ابْعَثُوا إِلَيْهِ بِمِائَتَيْ أَلْفٍ، فَلَعَلَّ لَهُ ضَرُورَةً فِي تَرْكِهِ الْقُدُومَ عَلَيْنَا. فَحُمِلَتْ إِلَيْهِ مِنْ غَيْرِ سُؤَالٍ. قَالَ صَالِحُ بْنُ أَحْمَدَ: سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ مَدَنِيٌّ ثِقَةٌ. حَكَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي " تَارِيخِهِ ". قَالُوا: وَقَاسَمَ اللَّهَ مَالَهُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، وَخَرَجَ مِنْ مَالِهِ مَرَّتَيْنِ، وَحَجَّ خَمْسًا وَعِشْرِينَ مَرَّةً مَاشِيًا وَإِنَّ الْجَنَائِبَ لَتُقَادُ بَيْنَ يَدَيْهِ. وَرَوَى ذَلِكَ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنِ ابْنِ
পৃষ্ঠা - ৬৩৭১

আল-বিদামা ওযাননিহাযা , ৮৩

সাথে ৫বধে রাখে ৷ হযরত হাসান ঘুম থেকে জেগে এ অবস্থা দেখে শ্রী৫ক বললেন, ব্যাপার
কি, এমন করেছ কােন্ এই ভয়ে করেছি যে, আপনি ঘু৫মর ৫ঘা৫র যদি উঠে পড়েন এবং
অসতর্ক হয়ে ছাদ থেকে পড়ে যান, তাহলে আমি তো নিকৃষ্টতম্ আরব মহিলারু৫প চিহ্নিত হয়ে
যাব ৷ তার এই উত্তরে হযরত হাসান (বা) খুব খুশি হলেন এবং মহিলাটিকে নিয়ে অনবরত
সাতদিন দাম্পত্য জীবন-যাপন বল্ম৫লন ৷ আবু জা ফর বাকির বলেছেন, এক লোক হযরত
হুসায়ন ইবন ইবন আলী (রা)-এর নিকট কোন এক প্র৫য়াজ৫ন তার সাহায্য নিতে এ৫সছিল,
হযরত হুসায়ন (রা) ইতিকা৫ফ ছিলেন ৷ ফলে তিনি সাহায্য করতে অপয়াপতা প্রকাশ
করলেন ৷ ৫লাকটি সাহায্যের ন্ জন্যে হযরত হাসান (রা)-এর নিকট গেল ৷ সে তার নিকট
সাহায্য চইিল ৷ তিনি তার প্রয়োজন পুর্ণ করে দিলেন এবং বললেন, আল্লাহ্র ওয়াস্তে আমার
একজন ভাইয়ের প্রযোজ্য পুরণ করে দেয়া আমার নিকট এক মাসের ই তিকা৫ফব চাই৫তও
অধিক প্রিয় ৷

হুশায়ম মানসুর :সুত্রে ইবন সীরীন থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, হাসান ইবন
আলী (বা) কাউকে তার খাবারের সাথে খেতে ডাক৫ড্ডা না ৷ তিনি বল৫র্দও তন যে, তার নিকট
কাউকে ডাকা হবে তার চাইতে তিনি অধম ৷

আবু জাফর (র) বলেছেন যে, হযরত আলী (রা) বলেছেন, ৫হ কুফার অধিৰাসীবৃন্দ !
৫তামরা তোমাদের কোন মহিলা৫ক হাসান (রা) এর নিকট বিয়ে দিও না ৷ কারণ সে অধিকহা৫র
শ্রী৫দর৫ক তালাক দেয় ৷’ তখন হামাযান গোত্রের এক লোক বলল, আল্লাহ্র কসম ! আমরা

অবশ্যই তার নিকট আমাদের ৫ম৫য়দেরকে বিয়ে দিব ৷ তারপর যাকে তার রাখতে মন চায়,-
রাখবেন আর যাকে ইচ্ছা তালাক দিবেন’ ৷

আবু ববল্ম খারা ইভী তার মাকারিমু আখল্াক” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, ইবরাহীম ইবন
মুনয়ির মুহাম্মদ ইবন সীরীন থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার হাসান ইবন
আলী (বা) একজন মহিলা৫ক বিয়ে করেছিলেন ৷ তারপর তাকে ১০০ টি দাসী দিয়েছিলেন ৷
প্রত্যেক দাসীর সাথে ১০০০ দিরহাম করে দিয়ে ছিলেন ৷ ,

আবদুর ৱাবৃযাক হাসান ইবন সা দেব পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, চিনি ৫ল৫ছন,
হযরত হাসান ইবন আলী (রা) তার তালাক ৫দয়া দু জন শ্রী৫ক দশ হাজার দশ হাজ্বার করে
বিশ হাজার দিরহাম ও বহু বোতল মধু উপহার দিয়েছিলেন ৷ ওদের একজন বলেছিল, রাবী
বলেন, আমার মনে হয় সে ছিল হানাফিয়া, একজন অকৃতিম বন্ধুর বি৫চ্ছ৫দর বিপরীতে এ
তাে একেবারেই নগণ্য ৷’

ওয়াকিদী বলেছেন, আলী ইবন উমর আলী ইবন হুসায়ন থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, হষরত হাসান (রা) শ্রী৫দর কে অধিকহা৫র তালাক দিতেন ৷ যত ত্রীকেই তিনি তালাক ’
দিতেন সবইি কিং৫ তাকে অধিকহা৫র ভালবাসত জুওয়ইিরিয়া ইবন আসৃমা (রা) বলেছেন
হযরত হাসান (রা)-এর ইনতিকা৫লয় পর তার জানাযায় মারওয়ান র্কাদছিলেন ৷ তখন হুসায়ন
,(রা) বলেছিলেন, একি আপনি হাসান (বা) এর মৃত্যুতে কাদছেন ৷ অথচ আপনি তাকে চিবিয়ে

৫খতে চেয়েছেন ৷ উত্তরে মারওয়ান একটি পাহাড়ো দিকে ইঙ্গিত করে বলেছিলেন, আমি তাে
এই আচরণ করতাম এটির চেয়েও অর্থাৎ পাহাড়ের চেয়েও অধিক ধৈর্যগীল এক ব্যক্তির প্রতি’ ৩া

মুহাম্মদ ইবন সাদ যথাক্রমে ইসমাঈল ইবন ইবরাহীম আসাদী, ইবন আওন, মুহাম্মদ

ইবন ইসৃহাক থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি-ব্লেছেন, কারো সাথে আলাপকা৫ল তিনি ত্যান্ণ্


عَبَّاسٍ. وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ. وَقَدْ عَلَّقَ الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ " أَنَّهُ حَجَّ مَاشِيًا وَالْجَنَائِبُ تُقَادُ بَيْنَ يَدَيْهِ. وَرَوَى دَاوُدُ بْنُ رَشِيدٍ، عَنْ حَفْصٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: حَجَّ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ مَاشِيًا، وَالْجَنَائِبُ تُقَادُ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَنَجَائِبُهُ تُقَادُ إِلَى جَنْبِهِ وَقَالَ الْعَبَّاسُ بْنُ الْفَضْلِ عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ قَالَ: قَالَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ: إِنِّي لَأَسْتَحْيِي مِنْ رَبِّي، عَزَّ وَجَلَّ، أَنْ أَلْقَاهُ وَلَمْ أَمْشِ إِلَى بَيْتِهِ. فَمَشَى عِشْرِينَ مَرَّةً مِنَ الْمَدِينَةِ عَلَى رِجْلَيْهِ. قَالُوا: وَكَانَ يَقْرَأُ فِي بَعْضِ خُطَبِهِ سُورَةَ " إِبْرَاهِيمَ ". وَكَانَ يَقْرَأُ كُلَّ لَيْلَةٍ سُورَةَ " الْكَهْفِ " قَبْلَ أَنْ يَنَامَ، يَقْرَؤُهَا مِنْ لَوْحٍ يَدُورُ مَعَهُ حَيْثُ كَانَ مِنْ بُيُوتِ نِسَائِهِ، فَيَقْرَؤُهُ بَعْدَ مَا يَدْخُلُ فِي الْفِرَاشِ قَبْلَ أَنْ يَنَامَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَقَدْ كَانَ مِنَ الْكَرَمِ عَلَى جَانِبٍ عَظِيمٍ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ: رُبَّمَا أَجَازَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الرَّجُلَ الْوَاحِدَ بِمِائَةِ أَلْفٍ. وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ: سَمِعَ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ إِلَى جَانِبِهِ رَجُلًا يَدْعُو اللَّهُ أَنْ يُمَلِّكَهُ عَشَرَةَ آلَافِ دِرْهَمٍ، فَقَامَ إِلَى مَنْزِلِهِ فَبَعَثَ بِهَا إِلَيْهِ.
পৃষ্ঠা - ৬৩৭২
وَذَكَرُوا أَنَّ الْحَسَنَ رَأَى غُلَامًا أَسْوَدَ يَأْكُلُ مِنْ رَغِيفٍ لُقْمَةً، وَيُطْعِمُ كَلْبًا هُنَاكَ لُقْمَةً، فَقَالَ لَهُ: مَا حَمَلَكَ عَلَى هَذَا؟ ! فَقَالَ: إِنِّي أَسْتَحِي مِنْهُ أَنْ آكُلَ وَلَا أُطْعِمَهُ. فَقَالَ لَهُ الْحَسَنُ: لَا تَبْرَحْ مِنْ مَكَانِكَ حَتَّى آتِيَكَ. فَذَهَبَ إِلَى سَيِّدِهِ، فَاشْتَرَاهُ وَاشْتَرَى الْحَائِطَ الَّذِي هُوَ فِيهِ، فَأَعْتَقَهُ وَمَلَّكَهُ الْحَائِطَ، فَقَالَ الْغُلَامُ: يَا مَوْلَايَ، قَدْ وَهَبْتُ الْحَائِطَ لِلَّذِي وَهَبَتْنِي لَهُ. قَالُوا: وَكَانَ كَثِيرَ التَّزَوُّجِ، وَكَانَ لَا يُفَارِقُهُ أَرْبَعُ حَرَائِرَ، وَكَانَ مِطْلَاقًا مِصْدَاقًا. يُقَالُ: إِنَّهُ أَحْصَنَ بِسَبْعِينَ امْرَأَةً. وَذَكَرُوا أَنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَيْنِ فِي يَوْمٍ ; وَاحِدَةً مِنْ بَنِي أَسَدٍ وَأُخْرَى فَزَارِيَّةً، وَبَعَثَ إِلَى كُلِّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا بِعَشَرَةِ آلَافٍ وَبِزُقَاقٍ مِنْ عَسَلٍ، وَقَالَ لِلْغُلَامِ: اسْمَعْ مَا تَقُولُ كُلُّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا. فَأَمَّا الْفَزَارِيَّةُ فَقَالَتْ: جَزَاهُ اللَّهُ خَيْرًا. وَدَعَتْ لَهُ، وَأَمَّا الْأَسَدِيَّةُ فَقَالَتْ : مَتَاعٌ قَلِيلٌ مِنْ حَبِيبٍ مُفَارِقِ فَرَجَعَ الْغُلَامُ إِلَيْهِ بِذَلِكَ، فَارْتَجَعَ الْأَسْدِيَةَ وَتَرَكَ الْفَزَارِيَّةَ. وَقَدْ كَانَ عَلِيٌّ يَقُولُ لِأَهْلِ الْكُوفَةِ: لَا تُزَوِّجُوهُ فَإِنَّهُ مِطْلَاقٌ. فَيَقُولُونَ: وَاللَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ لَوْ خَطَبَ إِلَيْنَا كُلَّ يَوْمٍ لَزَوَّجَنَاهُ مِنَّا مَنْ شَاءَ ; ابْتِغَاءً فِي صِهْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَذَكَرُوا أَنَّهُ نَامَ مَعَ امْرَأَتِهِ خَوْلَةَ بِنْتِ مَنْظُورٍ الْفَزَارِيِّ - وَقِيلَ: هِنْدَ بِنْتِ سُهَيْلٍ - فَوْقَ إِجَّارٍ، فَعَمَدَتِ الْمَرْأَةُ فَرَبَطَتْ رِجْلَهُ بِخِمَارِهَا إِلَى خَلْخَالِهَا، فَلَمَّا
পৃষ্ঠা - ৬৩৭৩


আলাপ করুন, এমন প্রিয় মানুষ আমার নিকট হাসান ব্যতীত অন্য কেউ নয় ৷ আমি তাকে
কোন দিন অশ্লীল কথা বলতে শুনি নি, শুনেছি মাত্র একবার তখন তার এবং আমর ইবন
উসমানের মাঝে বিবাদ চলছিল ৷ তখন তিনি বলেছিলেন যে, আমাদের নিকট শুধু তাই রয়েছে
যা তার জন্যে শুধু অপমানকর ৷ চরম অশ্লীলরুপে শুধু এটুকুই আমি তার মুখে শুনেছি ৷
মুহাম্মদ ইবন সা দ ফাদল ইবন দা কীন রাষীন, ইবন সিওয়ার থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি

বলেছেন, হযরত হাসান (বা) এবং মারওয়ানের মধ্যে বিবাদ ছিল ৷ মারওয়ান এক সুত্রে হযরত

হাসানকে অনেক কটু ও কঠোর কথা বলছিল আর হযরত হাসান (রা) নিরবে সব সহ্য করেন ৷

এক পর্যায়ে মারওয়ান ডান হাতে তার নাকের , ময়লা পরিষ্কার করল ৷ তখন হযরত হাসান (রা)

র্তাকে বললেন, আফসােস ! তুমি কি যান না যে, ডান হাত মুখমণ্ডলের জন্যে আর বাম হাত

লজ্জাস্থানের জন্যে ৷ দুঃখ তোমার জন্যে ৷ ’ তখন মারওয়ান চুপ হয়ে যায় ৷

আবুল আব্বাস মুহাম্মদ ইবন ইয়াযিদ আল মাবরাদ বলেছেন যে, হাসান ইবন আলী (রা)-

কে বলা হয়েছিল যে, আবু যির৷ তো বলে থাক্যো, ধন-সম্পদ অপেক্ষা দারিদ্র আমার নিকট

অধিকতর প্রিয় , সৃস্থুত৷ অপেক্ষা রুগ্নতা আমার অধিক প্রিয়া’ তখন হযরত হ্াসান (রা)

বলেছিলেন, আল্লাহ্ তাআল৷ আবু যিরাকে দয়া করুন ৷ আমি বরং বলি আল্লাহ্ তাআলা যার

জন্যে যা কল্যাণকর হিসেবে মঞ্জুর করেন তার উপর যে নির্ত্য৷ করে সে কখনও আল্লাহর মঞ্জুর

করা বিষয়ের বিপরীতটি কামনা কঃাবে না এ পর্ষায়টি হল আল্লাহর ফায়সালার রানী থাকার

পর্যায় এবং এটি দ্বারা আল্লাহর ফায়সালা সম্বন্ধে অকা৩ হওয়া যায় ৷

আবু বকর মুহাম্মদ ইবন কায়মান আল আস্যম্ম বলেছেন যে হযরত হাসান (রা) একদিন

১৩র সাথীদেরকে বললেন, আমি আমার এক ভাই সম্পর্কে আপনাদেরকে বলব যে, ভইিটি

আমার নিকট মহান ব্যক্তিত্ব ৷ আমার দৃষ্টিতে ওার মাহাত্ম্য এ জন্যে যে, তিনি দুনিয়াকে নিতাম্ভ

তুচ্ছ ও অবজ্ঞার পাত্র মনে করেন ৷ তিনি তার পেটের কর্তৃত্ব থেকে মুক্ত ৷ ফলে যা পান না তা
তিনি চলে না আর যতটুকু পান তার অতিরিক্ত চান না ৷ তিনি তার যৌনাচারের কর্তৃত্ব থেকে

মুক্ত ৷ ফলে যৌন কামনায় মাতাল হয়ে তার বিবেক ও বিচাকবুদ্ধিকে গুরুত্বহীন করেন না ৷

তিনি তার আত্মার কতৃতৃ থেকে মুক্ত, ফলে নিশ্চিত কল্যাণ না জেনে তিনি কোন কিছুর দিকে

হাত বাড়ান না এবং পুণ্য না হলে যে দিকে নিনি অ্যাসর হন না ৷ তিনি কারো প্রতি অসন্তুষ্ট
হন না এবং কাউকে ধমক দেন না ৷ উলামা-ই কিংামের য়জলিসে গেলে বলার চেয়ে শুনতে
বেশি আগ্নহী থাকেন ৷ তিনি কখনও কখনও কথা বলতে ব্যর্থ হন বটে বিস্তু নিজেকে নিরব

রাখতে ব্যর্থ হন না ৷ অধিকা ত্শ সময় তিনি চুপ থাকতেন ৷ কথা বলতে গেলে অন্যদেরকে

বলার সুযোগ দেন ৷ তিনি কােন্ দাবীতে অন্যকে শরীক কারন না ৷ কোন ঝগড়া বিবাদে ন্
নিজেকে জড়ান না ৷ কোন একটি প্রমাণের পেছনে ঝুলে থাকেন না ৷ তিনি ৰর একক
প্রমাণকে মনে কারন এটি এমন একটি বিচারক যে, তাই বলে যা সে করে না আর তাই করে

যা সে বলে না ৷ সম্মান ও মর্যাদার খাতিরে তার ভইি-বোনদের সম্পর্কে তিনি গাষ্কেল থাকেন

না ৷ ওদেয়কে বাদ দিয়ে এক্বড্ডাবে নিজে কিছু গ্রহণ করেন না ৷ কোন অযোপ্যব্য জ্যিক তিনি

সম্মান করেন না ৷ দু’টো বিষয় তার সম্মুখে এলে তীর কোনটি অধিকতর হক ও সত্য তা তিনি

দেখেন না ৷ তিনি বরং দেখেন কোনটি তার কু-প্রবৃত্তির কাছাকাছি, তারপর তিনি সেটির
বিরোধিতা করেন ৷ ’ইবন আসাকির ও খবিস এটি বর্ণনা করেছেন ৷


اسْتَيْقَظَ قَالَ لَهَا: مَا هَذَا؟ فَقَالَتْ: خِفْتُ أَنْ تَقُومَ مِنْ وَسَنِ النَّومِ فَتَسْقُطَ، فَأَكُونُ أَشْأَمَ سَخْلَةٍ عَلَى الْعَرَبِ. فَأَعْجَبَهُ ذَلِكَ مِنْهَا، وَاسْتَمَرَّ بِهَا سَبْعَةَ أَيَّامٍ بَعْدَ ذَلِكَ. وَقَالَ أَبُو جَعْفَرٍ الْبَاقِرُ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ فَاسْتَعَانَ بِهِ فِي حَاجَةٍ، فَوَجَدَهُ مُعْتَكِفًا، فَاعْتَذَرَ إِلَيْهِ، فَذَهَبَ إِلَى الْحَسَنِ فَاسْتَعَانَ بِهِ، فَقَضَى حَاجَتَهُ وَقَالَ: لَقَضَاءُ حَاجَةِ أَخٍ لِي فِي اللَّهِ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنِ اعْتِكَافِ شَهْرٍ. وَقَالَ هُشَيْمٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ قَالَ: كَانَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ لَا يَدْعُو إِلَى طَعَامِهِ أَحَدًا ; يَقُولُ: هُوَ أَهْوَنُ مِنْ أَنْ يُدْعَى إِلَيْهِ أَحَدٌ. وَقَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: قَالَ عَلِيٌّ: يَا أَهْلَ الْكُوفَةِ لَا تُزَوِّجُوا الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ فَإِنَّهُ مِطْلَاقٌ. فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ هَمْدَانَ: وَاللَّهِ لَنُزَوِّجَنَّهُ، فَمَا رَضِيَ أَمْسَكَ، وَمَا كَرِهَ طَلَّقَ. وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ الْخَرَائِطِيُّ فِي كِتَابِ " مَكَارِمِ الْأَخْلَاقِ ": ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْجُنَيْدِ، ثَنَا الْقَوَارِيرِيُّ، ثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ قَالَ: تَزَوَّجَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ امْرَأَةً، فَبَعَثَ إِلَيْهَا بِمِائَةِ جَارِيَةٍ، مَعَ كُلِّ جَارِيَةٍ أَلْفُ دِرْهَمٍ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ الثَّوْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ،
পৃষ্ঠা - ৬৩৭৪

আল-ৰিদায়া ওয়ান নিহায়া ৮৫

আবু ফারাজ আল-মুআকী ইবন যাকারিয়৷ হারীরী বলেছেন, মুহাম্মদ ইবন আবদিল্লাহ্ আবু
রাজা হারিস ইবন আওয়ার থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, হযরত আলী (বা) তার পুত্র
হাসান (রা) কে মানবতাবােধ ও সৌজন্যমুলক আচরণ সম্পর্কে কতেক প্রশ্ন কঃরস্কিলন, এ প্রসঙ্গে
তিনি বলেছিলেন, বৎস ! সরলতা কী?’ হযরত হাসান বলেন, বাবা ! সরলতা হ্না ভাল আন্মেণ
দ্বারা মন্দ আরােণর জংাব দেয়া ৷’ হযরত আলী (রা) বললেন, ড্ডতাফী? হাসান (বা) বললেন,
ড্ডতা হল আত্মীয়-াজনের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং ওদের দায়-দেনার বোঝা নিজের
কাধে“ তুলে নেয়া ৷’ হযরত আলী (রা) বললেন, নীচতা কী? হাসান (বা) বলঃলন,ও নীতো হল
াল্প পরিসরে দৃষ্টি সীমিত রাখা এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কিছু অন্যকে প্রদানে বিরত থাকা ৷ হযরত আলী
(রা) বললেন, সমালোচনায়ােগ্য কাজ কী? হাসান (রা) বললেন, তা হল ত্রীর জন্যে দ্রেদারছে
ব্যয় করা আর নিজেকে বঞ্চিত রাখা ৷ হযরত আলী (বা) বললেন, দানশীলতা কী? হাসান (রা)
বললেন, সচ্ছাতো ও অভাব সর্বাবস্থায় দান করা ৷ হযরত আলী (রা) বললেন, কার্পণ্য কী?
হাসান (রা) বললেন হাতে নগদ যা আছে তাকে অল্প মনে করা আর যা ব্যয় করা হয়েছে সেটাকে

দুঃখে অঙ্গীকার পালন করা ৷ হযরত আলী (রা) বললেন, কাপুরুষতা কী? হাসান (রা) বললেন,
বন্ধুর বিরুদ্ধে বীরতৃ দেখানো আর শত্রুর বিরুদ্ধে মাথা নত করা ৷’ হযরত আলী (রা) বললেন,
সাফল্য কিসে? হাসান (রা) বললেন, তার্কওয়া ও আল্লাহ্ভীতির প্রতি আকর্ষণ এবং দুনিয়ার
প্রতি বিমুখ হওয়া ৷
হযরত আলী (রা) বললেন, ধৈর্য কী?’ হাসান (রা) বললেন, ৫ক্রুহ্ধ্ সংবরণ ও
আত্মনিঃয়ন্ত্রণ্া ৷ হযরত আলী (রা) বললেন, অভাব মুক্তি কী? হাসান (রা) বললেন, আল্লাহ্ যা
ৰ্ণ্টন্ করে দিয়েছেন, তাতে পরিতৃপ্ত থাকা সেটি কম হলেও ৷ কারণ অভাব মুক্তি হল মনের অভাব
মুক্তি ৷ হযরত ৩আলী (রা) বললেন, দাব্লিদ্র ও অভাব কী?’ হাসান (রা) বললেন, সকল ক্ষেত্রে
লোভী হওয়া ৷’ হযরত আলী (রা) বললেন, প্রতিরক্ষা কী?’ হাসান (বা) বললেন, প্ৰচণ্ড যুদ্ধ ও ,,
কঠোরতম শত্রুকে পরাজিত করা ৷ হযরত আলী (বা) বললেন, হীনতা কী?’ হাসান (রা) বললেন, ,
প্রয়োজনের সময় ঘাবড়ে যাওয়া ৷’ হযরত আলী (বা) বললেন, সাহসিকতা কী?’ হাসান (রা)
বললেন, সমবরসী ও সতীর্থদের সাথে মিলে মিশে থাকা ৷ হযরত আলী (রা) বললেন, ভড়হ্
কী?’ হাসান (রা) বললেন, অপ্রয়োজনীয় ও নিরর্থক বিষয়ে কথা বলা” ৷ হযরত আলী (রা)
বললেন, আভিজা৩ তা কী?’ হাসান (রা) বললেন, জরিমানা আদায় করা আর অন্যের দোষ ক্ষমা
করা ৷’ হযরত আলী (রা) বললেন, গভীর জ্ঞান কী?’ হাসান (রা) বললেন, অর্জিত সকল বিষয়
স্মরণ রাখা ৷ ’ হযরত আলী (রা) বললেন, ফাটল কী? হাসান (রা) বললেন, নিজের নেতার সাথে
শত্রুতা পোষণ বরাে এবং তার বিরুদ্ধে উচ্চাব্রে কথা বলা ন্ হযরত আলী (রা) বললেন,
প্রশংসাযােপ্য কাজ কী?’ ন্হাসান (রা) বললেন, ভুসুন্দরের বাস্তবায়ন অসুন্দরেয় বর্জন ৷’ হযরত আলী
(রা) বললেন, বুদ্ধিমত্তা কী?’ হাসানন্ (রা) বললেন, উচ্চপদস্থদেস্টুসাথে বিনীত আচরণ করা এবং
নেতিবাচক সংশয়ের প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ থেকে নিজেকে-য়ক্ষাকরা হল বুদ্ধিমত্তা ৷’ হযরত
আলী (বা) বললেন, আভিজাত্যতা কী?’ হাসান (রা) বললেন, ভ্রাতৃবগারু সহযোগির্ত’াক্যা এবং
প্রতিবেশীর অধিকার রক্ষা করা ৷’ হযরত আলী (রা) বললেন, মুর্থতা কী?’ হাসান (বা) বললেন,
হীন ও তৃচ্ছ বিষয়ে অনুগামী হওয়া এবং বিপথগামী লোকদের সাথে বন্ধুত্ব করা ৷ হযরত আলী
(রা) বললেন, উদাসীনতা কী?’ হাসান (রা) বললেন, মসজিদের পথ পরিহার করে ভ্রান্ত পথে


عَنِ الْحَسَنِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: مَتَّعَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ امْرَأَتَيْنِ بِعِشْرِينَ أَلْفًا وَزُقَاقٍ مِنْ عَسَلٍ، فَقَالَتْ إِحْدَاهُمَا وَأُرَاهَا الْحَنَفِيَّةَ: مَتَاعٌ قَلِيلٌ مِنْ حَبِيبٍ مُفَارِقِ وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ قَالَ: كَانَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ مِطْلَاقًا لِلنِّسَاءِ، وَكَانَ لَا يُفَارِقُ امْرَأَةً إِلَا وَهِيَ تُحِبُّهُ. وَقَالَ جُوَيْرِيَةُ بْنُ أَسْمَاءَ: لَمَّا مَاتَ الْحَسَنُ بَكَى عَلَيْهِ مَرْوَانُ فِي جِنَازَتِهِ، فَقَالَ لَهُ الْحُسَيْنُ: أَتَبْكِيهِ وَقَدْ كُنْتُ تُجَرِّعُهُ مَا تُجَرِّعُهُ؟ ! فَقَالَ: إِنِّي كُنْتُ أَفْعَلُ ذَلِكَ إِلَى أَحْلَمَ مِنْ هَذَا. وَأَشَارَ بِيَدِهِ إِلَى الْجَبَلِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْأَسَدِيُّ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ عُمَيْرِ بْنِ إِسْحَاقَ قَالَ: مَا تَكَلَّمَ عِنْدِي أَحَدٌ كَانَ أَحَبَّ إِلَيَّ إِذَا تَكَلَّمَ أَلَّا يَسْكُتَ مِنَ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، وَمَا سَمِعْتُ مِنْهُ كَلِمَةَ فُحْشٍ قَطُّ إِلَّا مَرَّةً ; فَإِنَّهُ كَانَ بَيْنَ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ وَبَيْنَ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ خُصُومَةٌ، فَقَالَ الْحَسَنُ: لَيْسَ لَهُ عِنْدَنَا إِلَّا مَا رَغِمَ أَنْفُهُ. فَهَذِهِ أَشَدُّ كَلِمَةِ فُحِشٍ سَمِعْتُهَا مِنْهُ قَطُّ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: وَأَنَا الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ، أَنَا مُسَافِرٌ الْجَصَّاصُ، عَنْ رُزَيْقِ بْنِ سَوَّارٍ قَالَ: كَانَ بَيْنَ الْحَسَنِ وَبَيْنَ مَرْوَانَ خُصُومَةٌ، فَجَعَلَ مَرْوَانُ يُغْلِظُ لِلْحَسَنِ، وَحَسَنٌ سَاكِتٌ، فَامْتَخَطَ مَرْوَانُ بِيَمِينِهِ، فَقَالَ لَهُ الْحَسَنُ: وَيْحَكَ! أَمَا
পৃষ্ঠা - ৬৩৭৫


চলা ৷’ হযরত আলী (রা) বললেন, বঞ্চনা কী?’ হাসান (রা) বললেন, লাভজনক বস্তু সামনে
আসার পরও ;সটি প্রত্যাখ্যান করা ৷ হযরত আলী (রা) বললেন, ;নত৷ কী?’ হাসান (রা)
বললেন, যে ব্যক্তি মানের ব্যাপারে উর্দাসীন ও সমাজের সেবার সদা নিয়োজিত, ;বক্কুফ্ ও মুর্ক্স
লোকেরা পালি দিলেও যে রাপ করেনা, উত্তর ;দয় না ৷

বর্ণনাকারী বলেন, এরপর হযরত আলী (বা) বললেন, হে বৎস ও আমি তাে রাসুলুল্লাহ্
১া,



অজ্ঞতাব চাইতে কঠিন দারিদ্র; ;নই ৷ বিদ্যার চাইতে উত্তম সম্পদ ;নই ৷ আঅশ্নাঘাব
চইিতে ভয়ানক নির্জ্যাতা নেই ৷ পরামর্শের চইিতে কার্যকঃ সাহায্য ;নই ৷ পরিকল্পনার ন্যায়
কোন বুদ্ধিমত্তা ;নই ৷ সৎ চরিত্রের ন্যায় কোন আভিজাত্য নেই ৷ আত্মরক্ষার ন্যায় পর;হযপারী ন্
নেই ৷ ধ্যা;নর না৷য ;কান ইবাদত ;নই ৷ লজ্জার ন্যায় কোন ঈমান ;নই ৷ ঈমা;নর মুল হ্যা
সবর ও ধৈর্য ৷ কথার বিপদ হল মিথ্যা বলা ৷ বিদ্যার বিপদ হল ভুলে যাওয়া ৷ সহনশীলতার
বিপদ হল অজ্ঞত৷ ৷ ইবাদ; তর বিপদ হল বিরতি ;দয়ায় দানশীলতার বিপদ হল পর্ব ৰম্ম৷ ৷
বীররুতু ববিপদ হল বিদ্রোহ করা ৷ ভালবাসার বিপদ হল দন্তু করা ৷ —

হযরত আলী (বা) বললেন, বৎস ৷ যাকে তুমি সব সময় ;দখে থাক তাকে অব;হল৷ কর
না, সে যদি ;৩ামার চইিতে বয়স্ক হয় তুমি তাকে পিতার ন্যায় সম্মান করবে, আর যদি
তোমার সমবয়স্ক হয় তবে তাকে ভইিরুপে গ্রহণ করবে ৷ ;স তোমার চাইতে ছোট হলে তাকে
তোমার পুত্র হিসেবে গ্রহণ্ করবে ৷ হযরত আলী (রা) তার পুত্র হাসান (রা) ;ক মানবতা ও
ভদ্রতা বিষয়ক এ প্রশ্নগুলো করেছেন ৷

কাজী আবু যৰুপরাজ বলেন, গভীর প্রজ্ঞা ও অনেক কল্যাণৰুর বিষয় এই হাদীসেবিবৃর্ভ
হয়েছে ৷ যে এগুলো স্মরণ রাখবে এবং ;ম;ন লােব সে অবশ্যই প্রকৃত কল্যাণ লাভ করবে ৷
পরম উপকারিত ৷ অর্জন করবে ৷ আমীরুল মুমিনীল হযরত আলী (রা) ও অন্যরা রাসুলুল্লাহ্
(সা) থেকে যা বর্ণনা করেছেন, তা কণ্ঠস্থ ও তাতে প;বষণা কঃ৷ ছাড়া তো জ্ঞানী ও গুণীজ;নর
জন্যে বিকল্প কিছু, ;নুই ৷ ৰুসৌভাগ্যবান যে ব্যক্তি, যে এগুলো অর্জনের ত্তনাে পথে ;বর হয় ৷
সফলতা লাভকারী সেই ব্যক্তি, যে তা গ্রহণ করে এবং বাস্তবায়ন করে ৷ আমি বলি হযরত
আলী ং(রা)-এর, এই বর্ণনাণ্ এবং এর সাথে সংযুক্ত রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর বাণী এর সনদ দুর্বল
বটে ৷ বংনািরৰু;কান কোন স্থানে কিছু শব্দ ও বিষয় আছে যা অন্যান্য বর্ণনা দ্বারা সমর্থিত নয়
এবং তাতে অগ্রহণযােগ্যতা রয়েছে ৷ আল্লাহ ই ভাল জানেন




عَلِمْتَ أَنَّ الْيُمْنَى لِلْوَجْهِ وَالشِّمَالَ لِلْفَرَجِ؟ ! أُفٍّ لَكَ. فَسَكَتَ مَرْوَانُ. وَقَالَ أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الْمُبَرِّدُ: قِيلَ لِلْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ: إِنَّ أَبَا ذَرٍّ يَقُولُ: الْفَقْرُ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنَ الْغِنَى، وَالسَّقَمُ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنَ الصِّحَّةِ. فَقَالَ: رَحِمَ اللَّهُ أَبَا ذَرٍّ، أَمَّا أَنَا فَأَقُولُ: مَنِ اتَّكَلَ عَلَى حُسْنِ اخْتِيَارِ اللَّهِ لَهُ لَمْ يَتَمَنَّ أَنْ يَكُونَ فِي غَيْرِ الْحَالَةِ الَّتِي اخْتَارَ اللَّهُ لَهُ، وَهَذَا حَدُّ الْوُقُوفِ عَلَى الرِّضَا بِمَا تَصَرَّفَ بِهِ الْقَضَاءُ. وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ كَيْسَانَ الْأَصَمُّ: قَالَ الْحَسَنُ ذَاتَ يَوْمٍ لِأَصْحَابِهِ: إِنِّي أُخْبِرُكُمْ عَنْ أَخٍ لِي كَانَ مِنْ أَعْظَمِ النَّاسِ فِي عَيْنِي، وَكَانَ عَظِيمَ مَا عَظَّمَهُ فِي عَيْنِي صِغَرُ الدُّنْيَا فِي عَيْنِهِ، كَانَ خَارِجًا مِنْ سُلْطَانِ بَطْنِهِ، فَلَا يَشْتَهِي مَا لَا يَجِدُ، وَلَا يُكْثِرُ إِذَا وَجَدَ، وَكَانَ خَارِجًا مِنْ سُلْطَانِ فَرْجِهِ، فَلَا يَسْتَخِفُّ لَهُ عَقْلُهُ وَلَا رَأْيُهُ، وَكَانَ خَارِجًا مِنْ سُلْطَانِ الْجَهَلَةِ، فَلَا يَمُدُّ يَدًا إِلَّا عَلَى ثِقَةِ الْمَنْفَعَةِ، كَانَ لَا يَسْخَطُ وَلَا يَتَبَرَّمُ، كَانَ إِذَا جَامَعَ الْعُلَمَاءَ يَكُونُ عَلَى أَنْ يَسْمَعَ أَحْرَصَ مِنْهُ عَلَى أَنْ يَتَكَلَّمَ، وَكَانَ إِذَا غُلِبَ عَلَى الْكَلَامِ لَمْ يُغْلَبْ عَلَى الصَّمْتِ، كَانَ أَكْثَرَ دَهْرِهِ صَامِتًا، فَإِذَا قَالَ بَذَّ الْقَائِلِينَ، وَكَانَ لَا يُشَارِكُ فِي دَعْوَى، وَلَا يَدْخُلُ فِي مِرَاءٍ، وَلَا يُدْلِي بِحُجَّةٍ حَتَّى يَرَى قَاضِيًا، يَقُولُ مَا يَفْعَلُ، وَيَفْعَلُ مَا لَا يَقُولُ تَفَضُّلًا وَتَكَرُّمًا، كَانَ لَا يَغْفُلُ عَنْ إِخْوَانِهِ، وَلَا يَسْتَخِصُّ بِشَيْءٍ دُونَهُمْ، كَانَ لَا يَلُومُ أَحَدًا فِيمَا يَقَعُ الْعُذْرُ بِمِثْلِهِ، كَانَ إِذَا ابْتَدَأَهُ أَمْرَانِ لَا يَرَى
পৃষ্ঠা - ৬৩৭৬
أَيُّهُمَا أَقْرَبُ إِلَى الْحَقِّ، نَظَرَ فِيمَا هُوَ أَقْرَبُ إِلَى هَوَاهُ فَخَالَفَهُ. رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ وَالْخَطِيبُ. وَقَالَ أَبُو الْفَرَجِ الْمُعَافَى بْنُ زَكَرِيَّا الْجَرِيرِيُّ: ثَنَا بَدْرُ بْنُ الْهَيْثَمِ الْحَضْرَمِيُّ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُنْذِرِ الطَّرِيقِيُّ، ثَنَا عُثْمَانُ بْنُ سَعِيدٍ الدَّارِمِيُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ أَبُو رَجَاءٍ مِنْ أَهْلِ تُسْتَرَ ثَنَا شُعْبَةُ بْنُ الْحَجَّاجِ الْوَاسِطِيُّ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيِّ، عَنِ الْحَارِثِ الْأَعْوَرِ، أَنْ عَلِيًّا سَأَلَ ابْنَهُ - يَعْنِي الْحَسَنَ - عَنْ أَشْيَاءَ مِنَ الْمُرُوءَةِ، فَقَالَ: يَا بُنَيَّ، مَا السَّدَادُ؟ قَالَ: يَا أَبَةِ، السَّدَادُ دَفْعُ الْمُنْكَرِ بِالْمَعْرُوفِ. قَالَ: فَمَا الشَّرَفُ؟ قَالَ: اصْطِنَاعُ الْعَشِيرَةِ وَحَمْلُ الْجَرِيرَةِ. قَالَ: فَمَا الْمُرُوءَةُ؟ قَالَ: الْعَفَافُ وَإِصْلَاحُ الْمَرْءِ مَالَهُ. قَالَ: فَمَا الدِّقَّةُ؟ قَالَ: النَّظَرُ فِي الْيَسِيرِ وَمَنْعُ الْحَقِيرِ. قَالَ: فَمَا اللُّؤْمُ؟ قَالَ: إِحْرَازُ الْمَرْءِ نَفْسَهُ وَبَذْلُهُ عِرْسَهُ. قَالَ: فَمَا السَّمَاحَةُ؟ قَالَ: الْبَذْلُ فِي الْعُسْرِ وَالْيُسْرِ. قَالَ: فَمَا الشُّحُّ؟ قَالَ: أَنْ تَرَى مَا فِي يَدَيْكَ شَرَفًا وَمَا أَنْفَقْتَهُ تَلَفًا. قَالَ: فَمَا الْإِخَاءُ؟ قَالَ: الْوَفَاءُ فِي الشِّدَّةِ وَالرَّخَاءِ. قَالَ: فَمَا الْجُبْنُ؟ قَالَ: الْجُرْأَةُ عَلَى الصَّدِيقِ وَالنُّكُولُ عَنِ الْعَدُوِّ. قَالَ: فَمَا الْغَنِيمَةُ؟ قَالَ: الرَّغْبَةُ فِي التَّقْوَى، وَالزَّهَادَةُ فِي الدُّنْيَا هِيَ الْغَنِيمَةُ الْبَارِدَةُ. قَالَ: فَمَا الْحِلْمُ؟ قَالَ: كَظْمُ الْغَيْظِ وَمَلْكُ النَّفْسِ. قَالَ: فَمَا الْغِنَى؟ قَالَ: رِضَا
পৃষ্ঠা - ৬৩৭৭

আসমাঈ, অতোবী এবং মাদইিনী সহ অন্যরা উল্লেখ ক্যরছেন যে, আমীর মুআবিয়া (রা)ং
হযরত হাসান (রা) কে এ জাতীয় কিছু বিষয় জিজ্ঞেস করেছিলেন এবং তিনি প্রায় এরুপ উত্তর
দিয়েছিলেন ৷ তবে পুর্বের বর্ণনার চাইতে এই বর্ণনা অধিকতর দীর্ঘ ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
, আলী ইবন আব্বাস তাবারানী বলেছেন যে, হ্ম্রত হাসান (রা)-এরসীল মোহরে নিম্নের
পংক্তিদ্বয় লিখিত ছিল৪

যতটুকু সম্ভব তোমরা পরকালের জন্যে তাকণ্ডয়া ও পরহেযগারী প্রেরণ কর ৷ হে যুবক !
মৃত্যু তো নিশ্চয়ই তোমার উপর আপতিত হবে ৷’ ,

তৃমি তে৷ অনিন্দে-উল্লার্সে দিন কাটচ্ছে যেন তুমি কববস্থানগুলোতে এবং মৃত লোকদের
মাঝে তোমার প্রিয় ও আকর্ষণীয় কিছুই দেখতে পাচ্ছ না ৷

ইমাম আহমদ (র) মুত্তালিব ইবন যিয়াদ মুহাম্মদ ইবন আবান থেকে বর্ণনা করেছেন যে,
তিনি বলেছেন, হযরত হাসান (বা) তার পুত্রদেরকে এবং তার ভাতিজাদেরকে লক্ষ্য করে
বলেছিলেন, “তোমরা জ্ঞান অর্জন কর ৷ কারণ আজ তোমরা জাতির শিশু সমাজ, পরবর্তীতে
তোমরা হবে জাতির কর্ণধার” ৷ একথা যারা স্মরণে রাখতে পারবে না তারা লিখে রাখ ৷ এই
হাদীস বায়হাকী হাকিম সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন আহমদের পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন ৷

মুহাম্মদ ইবন সা দ যথাক্রমে হাসান ইবন মুসা এবং আহমদ ইবন ইউনুস যুহায়র ইবন
মুআবিয়া আবু ইসহাক আমর ইবন আসাম্ম থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি
হযরত হাসান ইবন আলী (রা) কে বলেছিলাম শীয়া সম্প্রদায় বিশ্বাস করে যে, কিয়ামতের
পুর্বে হযরত আলী (রা) পুনরায় পৃথিবীতে প্রেরিত হবেন (এটা কি?) ন্৷ উত্তরে হযরত“ হাসান
(রা) বললেন, আল্লাহ্র কসম ! তারা মিথ্যা বলেছে ৷ ওরা মুলত ন্হ্যৰুত শ্অালী (রা)ণ্এরৰু দৃল
নয় ৷ আমরা যদি জানতাম যে, হযরত আলী (রা) পুনরায় পৃথিবীতে প্রেরিত হবেন, তাহ্লে
আমরা তার শ্রীদেরকে অন্যত্র বিবাহে, আবদ্ধ হবার সুযোগ দিতাম না এবং তীর তজ্যে-সম্পত্তি
ভাপ-বাটোয়ারা করে নিতাম না ৷
আবদুল্লাহ ইবন আহমদ আবু আলী সুওয়াইদ আলতাহহান সাফীনা (রা) থেকে বর্ণনা
করেছেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (যা) বলেছেন, ইা১; ১;;১ শ্রুান্ক্কু এে১৮;া৷
আসার পর ৩০ বছর খিলাফত ভিত্তিক শাসন চলমান থাকবে ৷ এ বাণী শুনে জনৈক
শ্রোতা বলল, ঐ ৩০ বছরের মধ্যে ছয় মনে হল আমীর মু আবিয়৷ (রা)-এর শাসনকাল ৷ তখন
সাফীন৷ বলেছেন, ঐ ছয় মাস কেমন করে মুআবিয়ার শাসনামল থেকে স ৎযোজ্বিত তহবেপ্রু ঐ
ছয মাস গণ্য হবে ববং হযরত হাসান (রা)-এর শাসনর্কাল ৷ কারণ বৈধ খলীফ৷ হিসেবে
জনসাধারণ হযরত হাসান (রা) এর হাতে বায়আত করেছিল ৷ প্রায় ৪০ কিংবা ৪২ হাজার
লোক তখন খলীফারুপে হযরত হাসানের হাতে বায় আত করেছিলেন” ৷

খালিদ ইবন আহমদ বলেছো, আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি, ৯০ ^হাজার লোক
হযরত হাসান (রা)-এর হাতে রায়আত ক্যরছিল ৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি খিলাফত থেকে সরে
ছুাড়ান এবং আমীর মুআবিয়া (রা)-এর সাথে আপােষ-মীমাংসায় উপনীত হন ৷ হযরত হাসান
(রা) এর খিলাফতকালে সামান্য রক্তপাতও ঘটে নি ৷ এক শিংগা পরিমাণ রক্তও ঝরে নি ৷


€০া৷া



النَّفْسِ بِمَا قَسَمَ اللَّهُ لَهَا وَإِنْ قَلَّ، فَإِنَّمَا الْغِنَى غِنَى النَّفْسِ. قَالَ: فَمَا الْفَقْرُ؟ قَالَ: شَرَهُ النَّفْسِ فِي كُلِّ شَيْءٍ. قَالَ: فَمَا الْمَنَعَةُ؟ قَالَ: شِدَّةُ الْبَأْسِ وَمُقَارَعَةُ أَشَدِّ النَّاسِ. قَالَ: فَمَا الذُّلُّ؟ قَالَ: الْفَزَعُ عِنْدَ الْمَصْدُوقَةِ. قَالَ: فَمَا الْجُرْأَةُ؟ قَالَ: مُوَافَقَةُ الْأَقْرَانِ. قَالَ: فَمَا الْكُلْفَةُ؟ قَالَ: كَلَامُكَ فِيمَا لَا يَعْنِيكَ. قَالَ: فَمَا الْمَجْدُ؟ قَالَ: أَنْ تُعْطِي فِي الْغُرْمِ وَأَنْ تَعْفُوَ عَنِ الْجُرْمِ. قَالَ: فَمَا الْعَقْلُ؟ قَالَ: حِفْظُ الْقَلْبِ كُلَّ مَا اسْتَرْعَيْتَهُ. قَالَ: فَمَا الْخُرْقُ؟ قَالَ: مُعَادَاتُكَ إِمَامَكَ وَرَفْعُكَ عَلَيْهِ كَلَامَكَ. قَالَ: فَمَا الثَّنَاءُ؟ قَالَ: إِتْيَانُ الْجَمِيلِ وَتَرْكُ الْقَبِيحِ. قَالَ: فَمَا الْحَزْمُ؟ قَالَ: طُولُ الْأَنَاةِ، وَالرِّفْقُ بِالْوُلَاةِ، وَالِاحْتِرَاسُ مِنَ النَّاسِ بِسُوءِ الظَّنِّ، هُوَ الْحَزْمُ. قَالَ: فَمَا الشَّرَفُ؟ قَالَ: مُوَافَقَةُ الْإِخْوَانِ، وَحِفْظُ الْجِيرَانِ. قَالَ: فَمَا السَّفَهُ؟ قَالَ: اتِّبَاعُ الدُّنَاةِ، وَمُصَاحَبَةُ الْغُوَاةِ. قَالَ: فَمَا الْغَفْلَةُ؟ قَالَ: تَرْكُكَ الْمَسْجِدَ وَطَاعَتُكَ الْمُفْسِدَ. قَالَ: فَمَا الْحِرْمَانُ؟ قَالَ: تَرْكُكَ حَظَّكَ وَقَدْ عُرِضَ عَلَيْكَ. قَالَ: فَمَا السَّيِّدُ؟ قَالَ: الْأَحْمَقُ فِي الْمَالِ، الْمُتَهَاوِنُ بِعِرْضِهِ ; يُشْتَمُ فَلَا يُجِيبُ، الْمُتَحَزِّنُ بِأَمْرِ الْعَشِيرَةِ، هُوَ السَّيِّدُ. قَالَ: ثُمَّ قَالَ عَلِيٌّ: يَا بُنَيَّ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " «لَا فَقْرَ أَشَدُّ مِنَ الْجَهْلِ، وَلَا مَالَ أَعْوَدُ مِنَ الْعَقْلِ، وَلَا وَحْدَةَ أَوْحَشُ مِنَ الْعُجْبِ، وَلَا مُظَاهَرَةَ أَوْثَقُ مِنَ الْمُشَاوَرَةِ، وَلَا عَقْلَ كَالتَّدْبِيرِ، وَلَا حَسَبَ كَحُسْنِ الْخُلُقِ، وَلَا وَرَعَ كَالْكَفِّ، وَلَا عِبَادَةَ كَالتَّفَكُّرِ،
পৃষ্ঠা - ৬৩৭৮


ইবন আবী খায়ছামা বলেছেন যে ইবন জারীর থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
হযরত আলী (বা) যখন নিহত হলেন, তখন কুফার লোকেরা হযরত হাসান (রা) এর হাতে
বায়আত করেছিল ৷৩ তারা তার প্ৰতি পুর্ণ আনুগত্য প্রকাশ করেছিল এবং তারা তাকে তার
পিতার চাইতে ও অধিক ভালবেসেছিলেন ৷
ইবন আবী খায়ছাম৷ হারুন ইবন মারুফ ইবন শাওয়াব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, হযরত আলী (রা)এর হত্যাকাণ্ডের পর হযরত হাসান (বা) ইরাকীদের নিকট
গেলেন, আর আমীর মুআবিয়া সিরীয়দের সাথে মিলিত হলেন ৷ তারপর উভয় পক্ষ যুদ্ধের
মুখোমুখি হল ৷ হযরত হাসান (বা) যুদ্ধ-কািহ অপছন্দ করলেন এবং এই শর্তে আমীর
যুআবিয়া (র£)শ্এর সাথে সমঝোতা করলেন যে, তার শাসনামলের পর হযরত হাসান (রা)-
এর নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে৷ বর্ণনাকারীবলেন, তারপর হযরত হাসান (রা) এর
সমর্থকগণ এই আপােষ-মীমা সায় ক্ষুব্ধ হয়ে হযরত হাসান (রা) কে উদ্দেশ্য করে বলত
ওহে মুমিনদের গ্নানি ! উত্তরে হাসান (বা) বলতে ন, জাহান্নামের আগুন অরুপক্ষ৷ দুনিয়ার
গ্নানি ও অপমান অনেক ভাল ৷ ,
, আবু বকর ইবন আবিদ দুনয়৷ আব্বাস ইবন হিশামের পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি
বলেছেন যে, হযরত আলী (রা) নিহত হবার পর তার পুত্র হযরত হাসান (রা) এর হাতে প্
জনসাধারণ বার আত করেছিল ৷ তারপর তিনি ৭ মাস ১১ দিন খিলাফতে র দায়িত্ব পালন
করেন ৷ আব্বাস ব্যতীত অন্য ঐতিহাসিকগণ বলেছেন যে, হযরত আলী (বা) নিহত হবার পর
কুফার অধিবাসিগণ হযরত হাসান (রা)-এর হাতে বায়আত করেফ্লি, আর আমীর মুআবিয়া
(রা)এর হাতে সিরীয়গণ বায়ভুল ঘুকাদ্দাসে বায়আত করেছিল ৷ ৪০ হিজরী সনের শেষ ’
দিকে জুমআবারে বায়তৃল মুকাদ্দাসে সার্বজনীন বায়আত অনুষ্ঠিত হয় ৷ এরপর ৪১ সনে
হযরত হাসান (রা) কুফা রাজ্যের এক জনপদে এক গৃ হুহ আমীর মুআবিয়া (রা)-এর সাথে
সাক্ষাত করেন এবং উত্তরে সমঝোতায়্ , উপনীত হন, সন্ধিচুক্তি সম্পাদন করেন এবং হযরত
হাসান (রা) তখনকার মত মুআবিয়া (রা) এর প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেন ৷ অন্যরা বলেছেন
যে, আমীর মুআবিয়া (রা)-এর কুফা গমন এবং উভয়ের মধ্যে সমঝোতায় উপনীত হওয়ার
ঘটনা ঘটেছে ৪১ হিজরী রবিউল্ আউয়াল মাসে ৷ এ বিষয়ে আমরা ইতিপুর্বে আলোচনা
করেছি ৷৩ তা পুনরুল্লেখের প্রয়োজন (নই ৷
মােদ্দাকথা হযরত হাসান (রা) আমীর মুআবিয়া (রা)-এর সাথে এ মর্মে সন্ধি করলেন,
যে, কুফার বায়ভুলমালে যে সম্পদ রয়েছে তা তিনি নিয়ে যাবেন৷ মুআবিয়া (বা) এই
অঙ্গীকার পুর্ণ করেছেন ৷ বস্তুত ওই রার্জকােষে তখন ৫ঙ্কু১,০০০০০ (পঞ্চাশ লক্ষ) দিরহাম
মুল্যের সম্পদ ছিল ৷ যেল্ট বলেছেন, ৭০ লক্ষ ৷ একটি” শর্ত এই ছিল যে, প্রতিবছর
আবজারাদ “অঞ্চল “অথবা ওই অঞ্চলের খাজনা হযরত হাসান (রা) ভোগ করবেন ৷ কিন্তু
পরবর্তীতে ওই অঞ্চলের লোকেরা তার নিকট খাজনা প্রদান থেকে বিরত থাকে ৷ ফলে আমীর
মুআবিয়া (বা) তার বিনিময়ে ওখানকার প্রতি ছয় হাজার দিরহামের বিপরীতে বাৎসরিক
একহাজার দিরহাম হযরত হাসান (রা)-কে প্রদানের ব্যবস্থা করলেন ৷ বস্তুত প্ৰতিবহ্ব হযরত
হাসান (রা) আমীর মৃআবিয়া (রা) এর সাথে সাক্ষার্তেমিলিত হবার পর এই সকল ভাতা,
উপহারষ্উপচৌকন নিয়ে আসতেন ৷ ৪৯ হিজরী সনে তার ওফাতকাল পর্যন্ত এইভাবে তিনি
ভাতা ও উপহার সামগ্রী পেয়ে এসেছিলেন ৷


وَلَا إِيمَانَ كَالْحَيَاءِ، وَرَأْسُ الْإِيمَانِ الصَّبْرُ، وَآفَةُ الْحَدِيثِ الْكَذِبُ، وَآفَةُ الْعِلْمِ النِّسْيَانُ، وَآفَةُ الْحِلْمِ السَّفَهُ، وَآفَةُ الْعِبَادَةِ الْفَتْرَةُ، وَآفَةُ الظَّرْفِ الصَّلَفُ، وَآفَةُ الشُّجَاعَةِ الْبَغْيُ، وَآفَةُ السَّمَاحَةِ الْمَنُّ، وَآفَةُ الْجَمَالِ الْخُيَلَاءُ، وَآفَةُ الْحُبِّ الْفَخْرُ» ". ثُمَّ قَالَ عَلِيٌّ: يَا بُنَيَّ، لَا تَسْتَخِفَّنَّ بِرَجُلٍ تَرَاهُ أَبَدًا، فَإِنْ كَانَ أَكْبَرَ مِنْكَ فَعُدَّ أَنَّهُ أَبُوكَ، وَإِنْ كَانَ مِثْلَكَ فَهُوَ أَخُوكَ، وَإِنْ كَانَ أَصْغَرَ مِنْكَ فَاحْسَبْ أَنَّهُ ابْنُكَ. فَهَذَا مَا سَاءَلَ عَلِيٌّ ابْنَهُ عَنْ أَشْيَاءَ مِنَ الْمُرُوءَةِ. قَالَ الْقَاضِي أَبُو الْفَرَجِ: فَفِي هَذَا الْخَبَرِ مِنَ الْحِكْمَةِ وَجَزِيلِ الْفَائِدَةِ مَا يَنْتَفِعُ بِهِ مَنْ رَاعَاهُ وَحَفِظَهُ وَوَعَاهُ، وَعَمِلَ بِهِ، وَأَدَّبَ نَفْسَهُ بِالْعَمَلِ عَلَيْهِ، وَهَذَّبَهَا بِالرُّجُوعِ إِلَيْهِ، وَتَتَوَفَّرُ فَائِدَتُهُ بِالْوُقُوفِ عِنْدَهُ، وَفِيمَا رَوَاهُ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ وَأَضْعَافَهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا لَا غِنَى لِكُلِّ لَبِيبٍ عَلِيمٍ، وَمِدْرَهٍ حَكِيمٍ عَنْ حِفْظِهِ وَتَأَمُّلِهِ، وَالْمَسْعُودُ مَنْ هُدِيَ لِتَقَبُّلِهِ، وَالْمَجْدُودُ مِنْ وُفِّقَ لِامْتِثَالِهِ وَتَقَبُّلِهِ. قُلْتُ: وَلَكِنَّ إِسْنَادَ هَذَا الْأَثَرِ وَمَا فِيهِ مِنَ الْحَدِيثِ الْمَرْفُوعِ ضَعِيفٌ، وَمِثْلُ هَذِهِ الْأَلْفَاظِ فِي عِبَارَتِهَا مَا يَدُلُّ مَا فِي بَعْضِهَا مِنَ النَّكَارَةِ عَلَى أَنَّهُ لَيْسَ بِمَحْفُوظٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ ذَكَرَ الْأَصْمَعِيُّ وَالْعُتْبِيُّ وَالْمَدَائِنِيُّ وَغَيْرُهُمْ أَنَّ مُعَاوِيَةَ سَأَلَ الْحَسَنَ عَنْ أَشْيَاءَ تُشْبِهُ هَذَا، فَأَجَابَهُ بِنَحْوِ مَا تَقَدَّمَ، لَكِنَّ هَذَا السِّيَاقَ أَطْوَلُ بِكَثِيرٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ الْعَبَّاسِ الطَّبَرَانِيُّ: كَانَ عَلَى خَاتَمِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ مَكْتُوبٌ:
পৃষ্ঠা - ৬৩৭৯
قَدِّمْ لِنَفْسِكَ مَا اسْتَطَعْتَ مِنَ التُّقَى ... إِنَّ الْمَنِيَّةَ نَازِلٌ بِكَ يَا فَتَى أَصْبَحْتَ ذَا فَرَحٍ كَأَنَّكَ لَا تَرَى ... أَحْبَابَ قَلْبِكَ فِي الْمَقَابِرِ وَالْبِلَى وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُطَّلِبُ بْنُ زِيَادٍ أَبُو مُحَمَّدٍ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبَانٍ قَالَ: قَالَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ لِبَنِيهِ وَبَنِي أَخِيهِ: تَعَلَّمُوا فَإِنَّكُمْ صِغَارُ قَوْمٍ الْيَوْمَ، وَتَكُونُونَ كِبَارَهُمْ غَدًا، فَمَنْ لَمْ يَحْفَظْ مِنْكُمْ فَلْيَكْتُبْ. رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَحْمَدَ، عَنْ أَبِيهِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: ثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى وَأَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ قَالَا: ثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، ثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْأَصَمِّ قَالَ: قُلْتُ لِلْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ: إِنَّ هَذِهِ الشِّيعَةَ تَزْعُمُ أَنَّ عَلِيًّا مَبْعُوثٌ قَبْلَ يَوْمِ الْقِيَامَةِ. قَالَ: كَذَبُوا وَاللَّهِ، مَا هَؤُلَاءِ بِالشِّيعَةِ، لَوْ عَلِمْنَا أَنَّهُ مَبْعُوثٌ مَا زَوَّجْنَا نِسَاءَهُ وَلَا اقْتَسَمْنَا مَالَهُ. وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ: حَدَّثَنِي أَبُو عَلِيٍّ سُوَيْدٌ الطَّحَّانُ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَاصِمٍ، ثَنَا أَبُو رَيْحَانَةَ عَنْ سَفِينَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْخِلَافَةُ مِنْ بَعْدِي ثَلَاثُونَ سَنَةً» . فَقَالَ رَجُلٌ كَانَ حَاضِرًا فِي الْمَجْلِسِ: قَدْ دَخَلَتْ مِنْ هَذِهِ الثَّلَاثِينَ سِتَّةُ شُهُورٍ فِي خِلَافَةِ مُعَاوِيَةَ. فَقَالَ: مِنْ هَاهُنَا أُتِيتَ، تِلْكَ الشُّهُورَ كَانَتِ الْبَيْعَةُ لِلْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، بَايَعَهُ أَرْبَعُونَ أَلْفًا أَوِ اثْنَانِ وَأَرْبَعُونَ أَلْفًا. وَقَالَ صَالِحُ بْنُ أَحْمَدَ: سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ: بَايَعَ الْحَسَنَ تِسْعُونَ أَلْفًا، فَزَهِدَ
পৃষ্ঠা - ৬৩৮০


মুহাম্মদ ইবন সা দ হাওদাহ ইবন খালীফাহ্ মুহাম্মদ ইবন সীরিন থেকে বর্ণনা করেছেন যে,
তিনি বলেছেন, আমীর মু আবিয়া (রা) যখন কৃফ্ায় গেলেন এবং হযরত হাসান (রা) এর সাথে
সন্ধি চুক্তি সম্পাদন করলেন তখন মুআবিয়া (বা)-এর পক্ষের লোকজন তাকে বলল, তিনি
যেন হযরত হাসান (রা)-কে ভাষণ দানের নির্দেশ দেন ৷ কারণ হযরত হাসান (বা) একজন শ্
অল্প বয়সী যুবক, খিলাফত পরিচালনায় অক্ষম হয়ে পড়েহ্নে৷ ৷ তারা মনে করেছিল এমন
নির্দেশ দিলে এই আর বয়সী যুবক ভাষণ প্রদানে ইতস্তত করবেন অপাৱগতা প্রকাশ করবেন,
ফলে জনসাধারাণর মধ্যে তার জনপ্রিয়তা কমে যাবে ৷ আমীর মুআবিয়৷ (বা) তবে ভাষণ
প্রদানের আহবান জানলেন ৷ হযরত হাসান দাড়িয়ে , ভাষণ দেয়৷ শুরু করলেন ৷ ভাষণে তিনি
বললেন, হে সােকসকল ! আপনারা যদি সুদুর জাবলাক নগরী ও জাররাম নগরীর মধ্যবর্তী
অঞ্চলে এমন একজন পুরুষ লোক ঘোজেন যার নানা স্বয়ং নবী করীম (না) তাহলে আমি আর
আমার ভইি ছাড়া শ্কাউকে পাবেন না ৷ এই মুহুর্তে আমরা মুআবিয়া (রা)-এর প্রতি আনুগত্য
প্রকাশ করেছি ৷ আমরা ভেবে দেখেছি যে, মুসলমানদের রক্তপাত ঘটানোর চাইতে রক্তপাত
বন্ধ করা কল্যাণকর ৷ তবে আমি জানি না এটি আপনাদের জন্যে পরীক্ষা এবং অল্প দিনের
ভোগ-বিলাসও হতে পারে ৷ এই কথায় তিনি আমীর মুআবিয়া (রা)-এর প্ৰতি ইঙ্গিত
করেছেন ৷ ফলে মুআবিয়া (রা) রেগে গেলেন এবং হাসান (রা) কে বললেন, এটি দ্বারা
আপনি কী বুঝাতে চেয়েছেন? উত্তরে হাসান (রা) বললেন, আমি তা ই বুঝাতে ৩চেয়েছি তা
দ্বারা আল্লাহ তা আলা যা বুঝিয়েছেন ৷ এরপর আমীর মু আবিয়া মিম্বরে আরোহণ করলেন এবং
খুত্র৷ দিলেন ৷

আমরা ইতিপুর্বে উল্লেখ করেছি ,যে কেউ কেউ বর্ণনা করেছেন যে, যারা হাসান (রা) কে
থুত্বার সুযোগ দিতে ৩মু আবিয়া (রা) কে পরামর্শ দিয়েছিল আমীর মু আবি য়৷ (রা) তাদেরকে
তিরস্কার করেছিলেন ৷ মুহাম্মদ ইবন সাদ আবু দাউদ তায়ালিসী, জুবায়র ইবন নাফীর
হাদরামীর পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, আমি হযরত, হাসান (রা)-কে
রলেহ্নিা৷ম , লোকজন তো রলারলি করছে যে, আপনি খিলাফত দাবী করেছেন ৷ ’ তিনি উত্তরে
বলেছিলেন, আরবের মাথাগুলে৷ আমার হাতে ছিল অর্থাৎ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ আমার অনুগত
জ্জি, আমি যার সাথে সন্ধি করতাম তারা তীর সাথে সন্ধি করত, আর আমি যাব বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করতাম তারা তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করত ৷ তবুও আল্লাহর সম্ভষ্টি অর্জনের আশায় আমি ওই
খিলাফতের মসনদ ছেড়ে দিয়েছি ৷ এখন কি আমি আবার সেটিকে প্রাধান্য দিব ?

মুহাম্মদ ইবন সা দ আলী ইবন মুহাম্মদ-বায়দ ইবন আসলাম থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, হযরত হাসান (রা) এর নিকট এক লোক উপস্থিত হল ৷ তিনি তখন মদীনা
তাইয়েবাতে ৩অবস্থান করছিলেন ৷ তার হাতে ছিল ছোট্ট একটি পুস্তিক৷ ৷ লোকটি তাকে জিজ্ঞেস

করল, এটি কি?’ উত্তরে হযরত হাসান (বা) বললেন, মুআবিয়া (রা) এর পুত্র এই পত্রের
মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে সীমালংঘন করতে চায় এবং আমাকে ভয় দেখায় ৷’ নােকটি বলল,
আপনি অর্ধেক রাজত্বের মালিক ছিলেন ৷ হাসান (রা) বললেন, হীা, তা রটে তবে আমি এই
ভয় করেছিলাম যে, ৭০৮০ হাজার লোক যদি রক্তক্ষরণ নিয়ে কিংবা ৭০৮০ হাজারের
চাইতে কম কিংবা বেশি কিয়ামস্তু তর দিন উপস্থিত হয়, তারা যদি আল্লাহ তা আলার দরবারে

তাদের রক্তক্ষবণের কারণ জানতে চায় এজন্যে খিলাফত ত্যাগ করে রক্তপাত বন্ধ করেছি ৷

আল-বিদাযু৷ ওয়ান নিহায়া-১ ২


فِي الْخِلَافَةِ وَصَالَحَ مُعَاوِيَةَ، وَلَمْ يُسْفَكْ فِي أَيَّامِهِ مِحْجَمَةٌ مِنْ دَمٍ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي خَيْثَمَةَ: حَدَّثَنَا أَبِي، ثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ قَالَ: قَالَ أَبِي: فَلَمَّا قُتِلَ عَلِيٌّ بَايَعَ أَهْلُ الْكُوفَةِ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ وَأَطَاعُوهُ وَأَحَبُّوهُ أَشَدَّ مِنْ حُبِّهِمْ لِأَبِيهِ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي خَيْثَمَةَ: ثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، ثَنَا ضَمْرَةُ، عَنِ ابْنِ شَوْذَبٍ قَالَ: لَمَّا قُتِلَ عَلِيٌّ سَارَ الْحَسَنُ فِي أَهْلِ الْعِرَاقِ، وَسَارَ مُعَاوِيَةُ فِي أَهْلِ الشَّامِ فَالْتَقَوْا، فَكَرِهَ الْحَسَنُ الْقِتَالَ، وَبَايَعَ مُعَاوِيَةَ عَلَى أَنْ جَعَلَ الْعَهْدَ لِلْحَسَنِ مِنْ بَعْدِهِ. قَالَ فَكَانَ أَصْحَابُ الْحَسَنِ يَقُولُونَ: يَا عَارَ الْمُؤْمِنِينَ. قَالَ: فَيَقُولُ لَهُمْ: الْعَارُ خَيْرٌ مِنَ النَّارِ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: لَمَّا قُتِلَ عَلِيٌّ بَايَعَ النَّاسُ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ فَوَلِيَهَا سَبْعَةَ أَشْهُرٍ وَأَحَدَ عَشَرَ يَوْمًا. وَقَالَ غَيْرُ عَبَّاسٍ: بَايَعَ الْحَسَنَ أَهْلُ الْكُوفَةِ، وَبَايَعَ أَهْلُ الشَّامِ مُعَاوِيَةَ بِإِيلِيَاءَ بَعْدَ قَتْلِ عَلِيٍّ، وَبُويِعَ بَيْعَةَ الْعَامَّةِ بِبَيْتِ الْمَقْدِسِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ مِنْ آخِرِ سَنَةِ أَرْبَعِينَ، ثُمَّ لَقِيَ الْحَسَنُ مُعَاوِيَةَ بِمَسْكِنَ - مِنْ سَوَادِ الْكُوفَةِ - فِي سَنَةِ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ، فَاصْطَلَحَا وَبَايَعَ الْحَسَنُ مُعَاوِيَةَ. وَقَالَ غَيْرُهُ: كَانَ صُلْحُهُمَا وَدُخُولُ مُعَاوِيَةَ الْكُوفَةَ فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْ سَنَةِ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ. وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى تَفْصِيلِ ذَلِكَ فِيمَا تَقَدَّمَ بِمَا أَغْنَى عَنْ إِعَادَتِهِ هَاهُنَا.
পৃষ্ঠা - ৬৩৮১



৯০ আল-ৰিদায়া ওয়ান নিহায়া

আসমাঈ সালামা ইবন মিসকীন ইমরান ইবন আব্দুল্লাহ্ থেকে বণ্নাি করেছেন যে,
তিনি বলেছেন, একদিন হযরত হাসান ইবন আলী (রা) স্বপ্নে দেখলেন যে, তার কপালে লেখা
রয়েছে, ১;১৷ হ্া৷৷ ,: এে এ স্বপ্ন দেখে তিনি খুব খুশি হলেন ৷ এ ঘটনা জানতে পারলেন
হযরত সাঈদ ইবন মুসায়য়িব (রা) ৷ তিনি বললেন, যদি হযরত হাসান (বা) এমন বপ্ন দেখে
থাকেন তবে বুঝতে হবে যে, তার আযু আর বেশি দিন নেই ৷ বর্ণনাকারী বলেন, বস্তুত এই
স্বপ্ন দেখার পর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তার ওফাত হয় ৷

আবু বকর ইবন আবিদ দুনয়া আবদুর রহমান ইবন সালিম আতিকীউমায়র ইবন
ইসহাক থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, আমি এবং একজন কুরায়শ বংশীয় লোক
একদিন হযরত হাসান ইবন আলী (রা) এর নিকট গেলাম ৷ আমাদেরকে দেখে তিনি উঠ লেন ,
এবং শৌচাগারে গিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে এলেন ৷৩ তারপর বললেন, আমি আমার কলিজার

কিছু অংশ এখন ফেলে এলাম ৷ এই কাঠি দিয়ে আমি সেটি নেড়ে ন্যেড় দেখে এলাম ৷
, , আমাকেও বহু বিষ পান ববােনাে হয়েছে বিস্তু এবারের বিষ পান করানো ছিল সবচেয়ে কঠিন ৷
তখন হযরত হাসান (বা) ওই কুরায়শী লোকটিকে বলেছিলেন, আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করার
সুযোগ হারিয়ে ফেলার আগে যা জিজ্ঞেস করার জিজ্ঞেস করে নাও ৷’ লো কটি বলল, এখন
আমি আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস করব না ৷ আল্লাহ আপনাকে সুস্থ করে তৃলুন ৷ বর্ণনাকারী,
বলেন, তারপর আমরা তার নিকট থেকে বিদায় নিলাম ৷ পরদিন আমরা তার নিকট গেলাম ৷
তখন তিনি মুমুর্বু অবস্থায় , তার প্রাণ ওষ্ঠাগত ৷ তার ভাই হযরত হুসায়ন (রা) এসে তার মাথার
ন্ নিকট বসলেন এবং বললেন, ভইিজান ! কে আপনাকে বিষ পান করিয়েছে?’ হযরত হাসান
(বা) বললেন, তৃমি কি তাকে হত্যা করতে চাও ? সায়ন (রা) বললেন, হ্যা, তাই ৷ হাসান
(রা) বললেন, আমি যাকে সন্দেহ করি যে-ই যদিহ্ প্রকৃত শত্রু হয়ে থাকে, বিষ পান করিয়ে
থাকে তাহলে আল্লাহ্ই তো আর কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করবেন’ ৷ অপর বর্ণনায় আছে যে, তার
আল্লাহ্ শক্তিতে প্রবলতর শাস্তিদানে কঠোরতর ৷ আর যদি আমি যাকে সন্দেহ করি যে প্রকৃত
দোষী না হয় তাহলে আমার কারণে তুমি একজন নির্দোষ মানুষকে হত্যা ক্যাবে, তা আমিচইি
না ৷ ’ মুহাম্মদ ইবন সাদ ইবন উলাইয়া সুত্রে ইবন আওন থেকে এটি বর্ণনা করেছে-৷ ৷
মুহাম্মদ ইবন আমর ওয়াকিদী আবদুল্লাহ ইবন জাফর উম্মু বকর বিনৃত মিসওয়ার থেকে
বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, হযরত হাসান (রা) কে কয়েকবার বিষপান করানো হয়েছে ৷
প্রতিবারহ তিনি রক্ষা পেয়েছেন ৷ বিস্তু শেষবারে যে করে তিনি মারা গেলেন আর রক্ষা পেলেন
না ৷ তখন বিষক্রিয়ায় তার কলিজা ছিড়ে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গিয়েছিল ৷ তার ইনৃতিকালের পর
হাংশমী গোত্রের মহিলাগণ একমাস তার জন্যে কেদেছেন, শোক প্রকাশ করেছেন ৷ ওয়াকিদী
বলেছেন, আবদাহ্ বিনৃত নাহল হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন,
হাশিমী মহিলাগণ হযরত হাসান (রা)-এয় ইন্তিকালের এক বছর যাবত শোক পালন
করেছেন ৷ ওয়াকিদী আরো বল্যেছা যে, আবদুল্লাহ ইবন জাফর আবদুল্লাহ ইবন হাসান (বা)
থেকে তিনি বলেছেন, হযরত হাসান (বা) বহু বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ পুরুষ ছিলেন ৷ বহু মহিলা
শ্রী হিসেবে তার গৃহে এসেছেন ৷ কিন্তু তার গৃহে দীর্ঘদিন অবস্থান করতে পেরেছেন খুব কম
মহিলা ৷ যে মহিলাকেই তিনি বিয়ে করেছেন তিনিই তাকে খুব ভালবেসেছেন এবং তাকে
একান্ত আপন করে নিয়েছিলেন ৷ কথিত আছে যে, তাকে বিষ পান করানো হয়েছিল তাতে
তিনি রক্ষা পেয়েছিলেন শু৷ পরবর্তীতে আবার আবার বিষ পান করােনাে হয়েছিল, তিনি আবার


وَحَاصِلُ ذَلِكَ أَنَّهُ اصْطَلَحَ مَعَ مُعَاوِيَةَ عَلَى أَنْ يَأْخُذَ مَا فِي بَيْتِ الْمَالِ الَّذِي بِالْكُوفَةِ، فَوَفَّى لَهُ مُعَاوِيَةُ بِذَلِكَ، فَإِذَا فِيهِ خَمْسَةُ آلَافِ أَلْفٍ، وَقِيلَ: سَبْعَةُ آلَافِ أَلْفٍ. وَعَلَى أَنْ يَكُونَ خَرَاجُ الْبَصْرَةِ - وَقِيلَ: دَارَابْجِرْدَ - لَهُ فِي كُلِّ عَامٍ. فَامْتَنَعَ أَهْلُ تِلْكَ النَّاحِيَةِ عَنْ أَدَاءِ الْخَرَاجِ إِلَيْهِ، فَعَوَّضَهُ مُعَاوِيَةُ عَنْ ذَلِكَ سِتَّةَ آلَافِ أَلْفِ دِرْهَمٍ فِي كُلِّ عَامٍ، فَلَمْ يَزَلْ يَتَنَاوَلُهَا مَعَ مَا لَهُ فِي كُلِّ عَامٍ فِي وِفَادَتِهِ ; مِنَ الْجَوَائِزِ وَالتُّحَفِ وَالْهَدَايَا، إِلَى أَنْ تُوُفِّيَ فِي هَذَا الْعَامِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ هَوْذَةَ بْنِ خَلِيفَةَ، عَنْ عَوْفٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ قَالَ: لَمَّا دَخَلَ مُعَاوِيَةُ الْكُوفَةَ وَبَايَعَهُ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ قَالَ أَصْحَابُ مُعَاوِيَةَ لِمُعَاوِيَةَ: مُرِ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ أَنْ يَخْطُبَ ; فَإِنَّهُ حَدِيثُ السِّنِّ عَيِيٌ، فَلَعَلَّهُ يَتَلَعْثَمُ فَيَتَّضِعَ فِي قُلُوبِ النَّاسِ. فَأَمَرَهُ، فَقَامَ فَاخْتَطَبَ، فَقَالَ فِي خُطْبَتِهِ: أَيُّهَا النَّاسُ، وَاللَّهِ لَوِ ابْتَغَيْتُمْ بَيْنَ جَابَلْقَ وَجَابَرْسَ رَجُلًا جَدُّهُ نَبِيٌّ غَيْرِي وَغَيْرَ أَخِي لَمْ تَجِدُوهُ، وَإِنَّا قَدْ أَعْطَيْنَا بَيْعَتَنَا لِمُعَاوِيَةَ، وَرَأَيْنَا أَنَّ حَقْنَ دِمَاءِ الْمُسْلِمِينَ خَيْرٌ مِنْ إِهْرَاقِهَا، وَاللَّهِ مَا أَدْرِي {لَعَلَّهُ فِتْنَةٌ لَكُمْ وَمَتَاعٌ إِلَى حِينٍ} [الأنبياء: 111] . وَأَشَارَ إِلَى مُعَاوِيَةَ، فَغَضِبَ مِنْ ذَلِكَ وَقَالَ: مَا أَرَدْتَ مِنْ هَذِهِ؟ قَالَ: أَرَدْتُ مِنْهَا مَا أَرَادَ اللَّهُ مِنْهَا. فَصَعِدَ مُعَاوِيَةُ وَخَطَبَ بَعْدَهُ. وَقَدْ رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ، وَقَدَّمْنَا أَنْ مُعَاوِيَةَ عَتَبَ عَلَى أَصْحَابِهِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: ثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৬৩৮২
خُمَيْرٍ قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيرٍ الْحَضْرَمِيَّ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قُلْتُ لِلْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ: إِنَّ النَّاسَ يَزْعُمُونَ أَنَّكَ تُرِيدُ الْخِلَافَةَ. فَقَالَ: كَانَتْ جَمَاجِمُ الْعَرَبِ بِيَدِي، يُسَالِمُونَ مَنْ سَالَمْتُ وَيُحَارِبُونَ مَنْ حَارَبْتُ، فَتَرَكْتُهَا ابْتِغَاءَ وَجْهِ اللَّهِ، ثُمَّ أُثِيرُهَا بِأَتْيَاسِ أَهْلِ الْحِجَازِ؟ ! وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ قَالَ: دَخْلَ رَجُلٌ عَلَى الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ الْمَدِينَةَ وَفِي يَدِهِ صَحِيفَةٌ، فَقَالَ: مَا هَذِهِ؟ فَقَالَ: مِنْ مُعَاوِيَةَ يَعِدُ فِيهَا وَيَتَوَعَّدُ. قَالَ: قَدْ كُنْتَ عَلَى النِّصْفِ مِنْهُ. قَالَ: أَجَلْ، وَلَكِنْ خَشِيتُ أَنْ يَجِيءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ سَبْعُونَ أَلْفًا، أَوْ ثَمَانُونَ أَلْفًا، أَوْ أَكْثَرُ أَوْ أَقَلُّ، كُلُّهُمْ تَنْضَحُ أَوْدَاجُهُمْ دَمًا، كُلُّهُمْ يَسْتَعْدِي اللَّهَ فِيمَ هُرِيقَ دَمُهُ؟ . وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ، عَنْ سَلَّامِ بْنِ مِسْكِينٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: رَأَى الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ فِي مَنَامِهِ أَنَّهُ مَكْتُوبٌ بَيْنَ عَيْنَيْهِ {قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ} [الإخلاص: 1] فَفَرَحِ بِذَلِكَ، فَبَلَغَ ذَلِكَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ فَقَالَ: إِنْ كَانَ رَأَى هَذِهِ الرُّؤْيَا فَقَلَّ مَا بَقِيَ مِنْ أَجْلِهِ. قَالَ: فَلَمْ يَلْبَثِ الْحَسَنُ بَعْدَ ذَلِكَ إِلَّا أَيَّامًا حَتَّى مَاتَ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ صَالِحٍ الْعَتَكِيُّ وَمُحَمَّدُ
পৃষ্ঠা - ৬৩৮৩

রক্ষা পেয়েছিলেন ৷ এরপর ; তৃতীয়বার তাকে বিষপান ক্যান্মেৰু হয়েছিল এবং সেবার তিনি
ইন্তিকাল করেন ৷ তার মৃত্যু মখন খুব নিকটে তখন সত্শ্লিষ্টচিকিৎসক বলেছিলেন যে, বিয়ে
তার নাড়ি-ভুড়ি কেটে ছিন্ন-জ্যি হয়ে গিয়েছে ৷ এ চিকিসত্ক তখন বারবার হযরত হাসান
(রা)-কে দেখতে আসতেন ৷ এক পর্যায়ে হুসায়ন (রা), বললেন, ভইি আবু মুহাম্মদ ৷ আপনি
আমাকে বলে দিন, কে আপনাকে বিষ পান করিয়েছেঃ হযরত হাসান (রা) বললেন, কেন
যে ভৃাই তুমি কি করবে? হুসায়ন (বা) বললেন, আমি আপনাকে দাফন করার আগে তাকে ৰু
হত্যা করব ৷ এখনি তাকে ধরতে না পারলে যে এমন কোন স্থানে চলে যেতে পারে যেখানে

তাঃক আর ধরা যাবে না ৷ হযরত হাসান (রা) বললেন, ভইি ! দুনিয়া তো কয়েকদিনের
সংসার ,! এটি ধ্বংসশীল ৷ ওকে ছেড়ে দাও ৷ আমি এবং সে উভয়ে তে৷ আল্লাহ্র সম্মুপে
উপস্থিত হব ৷ হযরত হাসান (রা) ওই দোষী ব্যজ্যি নাম প্রকাশ করেন নি৷ কেউ কেউ
বলেছেন যে, আমীর যু আবিয়া (রা) হযরত হাসান (রা) এর জনৈক খেদমতগারকে বিষ পান
করানোর জন্যে কৌশলে ইঙ্গিত করেছিলেন ৷

মুহাম্মদ ইবন সা দ বলেন, ইয়াহয়া ইবন হাম্মাল উম্মু মুসা থেকে বর্ণনা করেছেন যে,

জা দা বিনৃত আশ আছ ইবন কারন হযরত হাসান (ৱা)-কে বিষ পান করিয়েছিলেন ৷ তাতে
তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ৷ এভাবে চল্লিশ দিন যাবত তার নিকট পর্ষায়ক্রাম একটি পাত্র
রাখা হর্তই ৷ একটি তুলে নিলে আরেকটি রাখা হত ৷

কেউ কেউ বর্ণনা করেছেন ,যে আমীর যুআবিয়া (রা) এর পুত্র ইয়াযীদ জা দা বিনৃত

আশ আছেৱ নিকট সংবাদ পাঠিয়েছেন যে, সে যদি হাসান (রা) কে বিষপান করাতে পারে প্
তবে ইয়াযীদ তাকে বিয়ে করবে ৷ তারপরৰুজাদা ওই অপকর্ম করে ৷ বিষক্রিয়ায় হযরত
হাসান (রা)-এর ইনৃতিকালের পর পুর্ব প্রস্তাব সুত্রে জা দ৷ তাকে বিয়ে বন্মার জ়ন্যে
ইয়াযীদের নিকট লোক পাঠায় ৷ উত্তরে ইয়াযীদ বিবাহে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলে, আল্পাহ্র
কসম ! তুমি হাসানের শ্রী হিসেবে ঘর সংসার কর তাআমরা চাই নি, এখন কিতৃমি আমার
শ্রী হও তা আমি চইিব?’ অবশ্য আমার মতে এই বর্ণনা সঠিক নয় ৷ আর মুআবিয়া (রা )-

এর ইশারায় বিষ পান করানোর বর্ণনা বিশুদ্ধ না হওয়টি৷ তো অধিকতর সুস্পষ্ট ৷ এ প্রসঙ্গে

কাহীর নামরাহ বললেন
হে জা দ ! ভোর কৃত কর্মের জন্যে তুই কেদে কেদে বুক ভাসিয়ে ফেল ৷ তুই কোদই
যাবি ৷ এটি অসত্য কথা নয় ৷’
জুতা পরিধানকারী এবং খালি পায়ে চলাচলকারী সকল মানুষের মধ্যে তো তুই তার মত
লাক খুজে পারি না ৷
আমি সেই মহান ব্যজ্যি কথা বলছি, যাকে তার পরিবার পরিজ্বনঃ সুন্দর ও সুখী জীবনের

পথে সােপর্দকরে এসেছে ৷’

া১৷ ছু;াঠু


بْنُ عُثْمَانَ الْعِجْلِيُّ، قَالَا: ثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ عُمَيْرِ بْنِ إِسْحَاقَ قَالَ: دَخَلْتُ أَنَا وَرَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ عَلَى الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ فَقَامَ فَدَخَلَ الْمَخْرَجَ، ثُمَّ خَرَجَ فَقَالَ: لَقَدْ لَفَظْتُ طَائِفَةً مِنْ كَبِدِي أُقَلِّبُهَا بِهَذَا الْعُودِ، وَلَقَدْ سُقِيتُ السُّمَّ مِرَارًا، وَمَا سُقِيتُ مَرَّةً هِيَ أَشَدُّ مِنْ هَذِهِ. قَالَ: وَجَعَلَ يَقُولُ لِذَلِكَ الرَّجُلِ: سَلْنِي قَبْلَ أَنْ لَا تَسْأَلَنِي. فَقَالَ: مَا أَسْأَلُكَ شَيْئًا، يُعَافِيكَ اللَّهُ. قَالَ: فَخَرَجْنَا مِنْ عِنْدِهِ، ثُمَّ عُدْنَا إِلَيْهِ مِنَ الْغَدِ وَقَدْ أَخَذَ فِي السُّوقِ، فَجَاءَ حُسَيْنٌ حَتَّى قَعَدَ عِنْدَ رَأْسِهِ، فَقَالَ: أَيْ أَخِي، مَنْ صَاحِبُكَ؟ قَالَ: تُرِيدُ قَتْلَهُ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: لَئِنْ كَانَ صَاحِبَيِ الَّذِي أَظُنُّ، لَلَّهُ أَشَدُّ نِقْمَةً - وَفِي رِوَايَةٍ: فَاللَّهُ أَشَدُّ بَأْسًا وَأَشَدُّ تَنْكِيلًا - وَإِنْ لَمْ يَكُنْهُ مَا أُحِبُّ أَنْ تَقْتُلَ بِي بَرِيئًا. وَرَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ عَنِ ابْنِ عُلَيَّةَ، عَنْ أَبِي عَوْنٍ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ أُمِّ بَكْرٍ بِنْتِ الْمِسْوَرِ قَالَتْ: كَانَ الْحَسَنُ سُقِيَ مِرَارًا، كُلُّ ذَلِكَ يُفْلِتُ مِنْهُ، حَتَّى كَانَتِ الْمَرَّةُ الْآخِرَةُ الَّتِي مَاتَ فِيهَا، فَإِنَّهُ كَانَ يَخْتَلِفُ كَبِدُهُ، فَلَمَّا مَاتَ أَقَامَ نِسَاءُ بَنِي هَاشِمٍ عَلَيْهِ النَّوْحَ شَهْرًا.
পৃষ্ঠা - ৬৩৮৪


৮০ ৷৪
,
৯২ আল-বিদায়া ওযাননিহায়া



তিনি এমন দানশীল ব্যক্তি ছিলেন যে, তার খাবার রান্নার জন্যে আগুন জ্বালালে ওই
আগুনেরশিখা অনেক উপরে ভুলে দিতেন যাতে দুর-দৃরান্তের মুসাফির ব্যক্তিরা ওই আগুন
দেখে খাবার ও আশ্রয়ের আশায় সেদিকে ছুটে আসেন ৷ এটি তার বংশীয় আভিজাত্যের
গো ৩া


যাতে সহায় সম্বলহীন সুখী মানুষ কিংবা পরিবার-পবিজনহীন নিঃলঙ্গ মানুর ওই আগুন
দেখতে পায় ৷’

এো

কাচা গোশতকে ওই আগুন টগবপ করে ফুটায়, অবশেষে গোশত যখন ভালভাবে রান্না
হয়ে যায় তখন খাবার গ্রহণকারীর নিকট তা পরিবেশন করা হয় ৷ ক্ষুধার্তকে সামনে রেখে
গোশত রান্না করার দরকার হয় না ৷

সুফিয়ান ইবন উয়ায়না রাকাবাহ ইবন মুসকালাহ্ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
হযরত হাসান (রা) যখন মৃত্যু পথযাত্রী তখন তিনি বললেন, তোমরা আমাকে উঠানে নিয়ে
যাও, আমি আল্লাহর; এই বিশাল জগত দোখনিই’ ৷ তারা বিছানাসহ তাকে উঠানে নিয়ে এল ৷
তিনি উপরের দিকে তাকিয়ে বললেন, হে আল্পাহ্ ৷ আমি আমার প্রাণ ৰিসর্জনের বিনিময়ে
আপনার নিকট সওয়াব কামনা করছি ৷ কারণ আমার এই প্রাণ আমার অত্যন্ত প্রিয় বস্তু ৷’
বংনািকারী বলেন, রস্তুত মহান আল্লাহ্ন্ ওার যে পরিণতি ঘটালেন তার বিনিময়ে তিনি আল্লাহর
নিকট নওয়াব কামনা করলেন ৷

আবদুর রহমান ইবন মাহ্দী বলেছেন, হযরত সুফ্য়ান ছাওরী (রা) এর অসুস্থতা যখন ন্
মারাত্মক রুপ ধারণ করল তখন তিনি ভীষণ৩াবে অস্থির হয়ে উঠলেন ৷ এ সময়ে উমর ইবন
আবদুল আষীয তার নিকট গেলেন এবং বললেন, হে আবু আবদিল্লাহ্ ! এমন অস্থিরতা
রে ৷? আপনি তো এখন আপনার সেই প্রতিপালকের সাক্ষাণ্ডে র দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন ৷ ৬০
বছর যাবত আপনি যার ইবাদত করেছেন, যার জন্যে রােয৷ রেখেছেন, নামায আদায়
করেছেন এবং হজ্জ করেছেন ৷’ বর্ণনাকারী বলেন, এ কথা শুনে হযরত সুফিয়ান ছাওরী
(রা) এর অন্থিরতা কেটে গেল এবং তিনি স্বাভাবিক হয়ে উঠলেন ৷

আবু নুআয়ম বলেছেন, হযরত হাসান (রা) এর বেদনা যখন বেড়ে গেল তখন তিনি খুব
অস্থির হয়ে পড়লেন ৷ তখন একজন লোক তার নিকট উপস্থিত হয়ে বলল, হে আবু মুহাম্মদ ৷
এত অস্থিরতা, ধৈর্যহীনতা কেন? এখন শুধু এটুকু হবে যে, আপনার দেহ থেকে প্রাণ পৃথক
হবে আর তারপর আপনি পৌছে যাবেন আপনার পিতা-মাত৷ আলী ও ফাতিম৷ (রা)-এর
নিকট, আপনার নানা-নানী নবী কবীম (না) ও খাদীজা (না)-এর নিকট ৷ আপনার চাচা লম্বা
ও জাফরের নিকট, আপনার খালা রুকাইয়া, উম্মু কুলসুম ও ংযায়নাব (রা)-এর নিকট ৷’
বংনািকারী বলেন, এ কথা শুনে হযরত হ্াসান (রা) সম্বিৎ ফিরে গেলেন এবং সুস্থির হয়ে
ট্টঠলেন ৷ ন্

এক বর্ণনায় আছে যে, হযরত হাসান (রা) তখন হুসায়ন (রা)-কে বলেছিলেন, তইি আমি
তা এখন আল্লাহর এমন এক বিষয়ের মধ্যে প্রবেশ করছি ইতিপুর্বে যেখানে প্রবেশ করি নি
াবং আমি এখন আল্লাহর এমন কিছু সৃষ্টি দেখছি যা আমি কখনো দেখি নি ৷ এটা শুনে হযরত


وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَتْنَا عُبَيْدَةُ بِنْتُ نَابِلٍ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: حَدَّ نِسَاءُ بَنِي هَاشِمٍ عَلَى الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ سَنَةً. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ قَالَ: كَانَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ كَثِيرَ نِكَاحِ النِّسَاءِ، وَكَانَ قَلَّ مَا يَحْظَيْنَ عِنْدَهُ، وَكَانَ قَلَّ امْرَأَةٌ يَتَزَوَّجُهَا إِلَّا أَحَبَّتْهُ وَصَبَتْ بِهِ، فَيُقَالُ: إِنَّهُ كَانَ سُقِيَ، ثُمَّ أَفْلَتَ، ثُمَّ سُقِيَ فَأَفْلَتَ، ثُمَّ كَانَتِ الْآخِرَةُ تُوُفِّيَ فِيهَا، فَلَمَّا حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ قَالَ الطَّبِيبُ وَهُوَ يَخْتَلِفُ إِلَيْهِ: هَذَا رَجُلٌ قَدْ قَطَّعَ السُّمُّ أَمْعَاءَهُ. فَقَالَ الْحُسَيْنُ: يَا أَبَا مُحَمَّدٍ، أَخْبِرْنِي مَنْ سَقَاكَ؟ قَالَ: وَلِمَ يَا أَخِي؟ قَالَ: أَقْتُلُهُ وَاللَّهِ قَبْلَ أَنْ أَدْفِنَكَ، أَوْ لَا أَقْدِرَ عَلَيْهِ، أَوْ يَكُونُ بِأَرْضٍ أَتَكَلَّفُ الشُّخُوصَ إِلَيْهِ. فَقَالَ: يَا أَخِي، إِنَّمَا هَذِهِ الدُّنْيَا لَيَالٍ فَانِيَةٌ، دَعْهُ حَتَّى أَلْتَقِيَ أَنَا وَهُوَ عِنْدَ اللَّهِ. وَأَبَى أَنْ يُسَمِّيَهُ. وَقَدْ سَمِعْتُ بَعْضَ مِنْ يَقُولُ: كَانَ مُعَاوِيَةُ قَدْ تَلَطَّفَ لِبَعْضِ خَدَمِهِ أَنْ يَسْقِيَهُ سُمًّا. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، أَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ أُمِّ مُوسَى، أَنَّ جَعْدَةَ بِنْتَ الْأَشْعَثِ بْنِ قَيْسٍ سَقَتِ الْحَسَنَ السُّمَّ، فَاشْتَكَى مِنْهُ شَكَاةً. قَالَ: فَكَانَ يُوضَعُ تَحْتَهُ طَسْتٌ وَيُرْفَعُ آخَرُ نَحْوًا مِنْ أَرْبَعِينَ يَوْمًا. وَرَوَى بَعْضُهُمْ أَنَّ يَزِيدَ بْنَ مُعَاوِيَةَ بَعْثَ إِلَى جَعْدَةَ بِنْتِ الْأَشْعَثِ أَنْ
পৃষ্ঠা - ৬৩৮৫
سُمِّي الْحَسَنَ وَأَنَا أَتَزَوَّجُكِ بَعْدَهُ. فَفَعَلَتْ، فَلَمَّا مَاتَ الْحَسَنُ بَعَثَتْ إِلَيْهِ، فَقَالَ: إِنَّا وَاللَّهِ لَمْ نَرْضَكِ لِلْحَسَنِ أَفَنَرْضَاكِ لِأَنْفُسِنَا؟ وَعِنْدِي أَنَّ هَذَا لَيْسَ بِصَحِيحٍ، وَعَدَمُ صِحَّتِهِ عَنْ أَبِيهِ مُعَاوِيَةَ بِطَرِيقِ الْأُولَى وَالْأَحْرَى، وَقَدْ قَالَ كُثَيِّرُ عَزَّةَ فِي ذَلِكَ: يَا جَعْدُ بَكِّيهِ وَلَا تَسْأَمِي ... بُكَاءَ حَقٍّ لَيْسَ بِالْبَاطِلِ لَنْ تَسْتُرِي الْبَيْتَ عَلَى مَثَلِهِ ... فِي النَّاسِ مِنْ حَافٍ وَلَا نَاعِلِ أَعْنَى الَّذِي أَسْلَمَهُ أَهْلُهُ ... لِلزَّمَنِ الْمُسْتَخْرَجِ الْمَاحِلِ كَانَ إِذَا شَبَّتْ لَهُ نَارُهُ ... يَرْفَعُهَا بِالنَّسَبِ الْمَاثِلِ كَيْمَا يَرَاهَا بَائِسٌ مُرْمِلٌ ... أَوْ فَرْدُ قَوْمٍ لَيْسَ بِالْآهِلِ يُغْلِي بِنِيِّ اللَّحْمِ حَتَّى إِذَا ... أُنْضِجَ لَمْ يَغْلُ عَلَى آكِلِ قَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ رَقَبَةَ بْنِ مِصْقَلَةَ قَالَ: لَمَّا حُضِرَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ قَالَ: أَخْرِجُونِي إِلَى الصَّحْنِ حَتَّى أَنْظُرَ فِي مَلَكُوتِ السَّمَاوَاتِ. فَأَخْرَجُوا فِرَاشَهُ، فَرَفَعَ رَأْسَهُ، فَنَظَرَ فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَحْتَسِبُ نَفْسِي عِنْدَكَ، فَإِنَّهَا أَعَزُّ الْأَنْفُسِ عَلَيَّ. قَالَ: فَكَانَ مِمَّا صَنَعَ اللَّهُ لَهُ أَنَّهُ احْتَسَبَ نَفْسَهُ عِنْدَهُ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ: لَمَّا اشْتَدَّ بِسُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ الْمَرَضَ جَزِعَ جَزَعًا شَدِيدًا، فَدَخَلَ عَلَيْهِ مَرْحُومُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَقَالَ: مَا هَذَا الْجَزَعُ يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ؟ تَقْدَمُ عَلَى رَبٍّ عَبَدْتَهُ سِتِّينَ سَنَةً، صُمْتَ لَهُ، صَلَّيْتَ لَهُ، حَجَجْتَ لَهُ، قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৬৩৮৬


হুসায়ন (রা) র্কাদতে শুরু করেন ৷ এই হাদীস আবৰুাস দুওয়ারী উল্লেখ করেছেন, ইবন মাঈন
থেকে ৷ ওদের কেউ কেউ এটি বর্ণনা করেছেন, জা ফর ইবন মুহাম্মদের পিতা সুত্রে ৷
ওয়াকিদী বলেছেন, ইব্রাহীম ইবন ফাদাল আবু আতীক থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি
বলেছেন, আমি জাবির ইবন আবদিল্লাহ্ (রা) কে বলতে শুনেছি যেদিন হযরত হাসান (রা)-
এর মৃত্যু হয়, সেদিন আমি সেখানে ছিলাম ৷ তপন হযরত হুসায়ন (বা) এবং মাবওয়ান ইবন
হাকাংমর্ব মধ্যে চরম গণ্ডগােল সৃষ্টি হবার উপক্রম হয়েছিল ৷ হযরত হাসান (রা) তার ভইি
হুসায়ন (রা) কে এ মর্মে ওসীয়ত করে গিয়েছিলেন যে, তাকে যেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পাশে
দাফন করা হয় ৷ তবে তাতে যদি কোন গণ্ডগােল কিংবা ঝগড়া বিবাদের আশঙ্কা হয় তাহলে
যেন ,জান্নাতৃল বাকীতে দাফন করা হয় ৷ হযরত হাসান (রা)-এর লাশ রাসুলুল্লাহ্ (সা)ৰুএর
পাশে দাফন করতে মারওয়ান বাধা দিয়েছিল ৷ৰু ওই সময় মারওয়ান ছিল চাকুরীচ্যুত ৷ এটা ,
দ্বারা সে আমীর মুআবিয়া (রা)-এর মানােবঞ্জনের চেষ্টা করেজ্জি ৷ মারওয়ানকিন্তু আজীবন
হাশির্মীসম্প্রদায়ের ঘোর দৃশমন ছিল ৷ হযরত জ়াবির (রা) বলেন, তারপর আমি হযরত
হুসায়ন (রা) এর সাথে কথা বললাম, আমি বললাম, হে আবু আবদিল্পাহ্ ! আল্লাহ্কে ভয়
করুন, যেহেরবানী করে তানভির জন্ম দিবেন না, রক্তপাতের সুচনা করবেন না ৷ আপনার প্রিয়
ভাইকে আপনার মায়ের পাশে দাফা করুন ৷ আপনার তাই তো তাও বলে গিয়েছেন ৷ তারপর
হযরত হুসায়ন (রা) তাই করলেন ৷ ইমাম হাসান (রা) কে আপন মায়ের পাশে জান্নাতৃল
বাকী তে দাফন করলেন
ওয়াকিদী হযরত আবু হুরায়রা (য ৷) থেকেও অনুরুপ বর্ণনা <রেছেন ৷ এক বষ্ঠাং এসেছে প্
যে, হযরত হাসান (রা) তার জীবদ্দশায় হযরত আয়েশা (রা) এর অনুমতি চেয়েছিলেন, যাতে
তাকে মৃত্যুর পর রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পাশে দাফন করা হয় ৷ হযরত আয়েশা (রা) অনুমতি
দিয়েছিলেন ৷ হযরত হাসান (রা) ইন্তিকাল করলেন ৷ তাকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পাশে দাফন
করার উদ্যোগ নেয়া হল ৷ উমাইয়৷ বংশের লোকজন বাধা দিল ৷ হযরত হুসায়ন (রা) ওদের
বাধা অতিক্রম করার জন্যে অত্রে সজ্জিত হলেন ৷ উমাইয়াগ৭ও অস্তে সজ্জিত হল ৷ তারা
বলল, আমরা হাসান (রা)-কে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পাশে দাফন করতে দিব না ৷ হযরত
উসমান (রা)কে দাফন করা হয়েছে জান্নাতুল বাকীতে আর হাসান (রা) কে দাফন (করা হবে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পাশে? তা হবে না ৷ এ নিয়ে ঘোরতর সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিল ৷ এই
পরিস্থিতিতে হযরত সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাস (রা) আবু হুরায়রা (রা), জাবির (রা) ,ও ইবন
উমর (রা) প্রমুখ সংঘর্ষে না জভাতে হযরতহ্ ম্সায়ন (রা) (ক পরামর্শ দিলেন ৷ তিনি র্তাদের
পরামর্শ মেনে নিলেন এবৎ হযরত হাসান (বা) কে তার মায়ের কবরের নিকট জান্নাভুল
বাকী তে দাফন করলেন ৷
সুফিয়ান ছাওরী (রা) থেকে সালিম ইবন আবী হাফস৷ সুত্রে আবু হাযিম থেকে বর্ণনা
করেছেন যে, তিনি বলেছেন, আমি দেখেছি সেদিন ইমাম হুসায়ন (রা) সাঈদ ইবন আস
(রা) কে এগিয়ে দিলেন, তিনি হযরত হাসান (রা) এর জানাযার নামাযে ইমামতি ৩বহ্বলেন ৷
হযরত হুসায়ন (বা) বললেন, এটি যদি সুন্নাত না হত আমি তাকে এগিয়ে দিতাম ন৷ ৷
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেছেন, মুসাবির বলেছেন, যেদিন ইমাম হাসান (বা) এর মৃত্যু হল
সেদিন হযরত আবু হুরায়রা (রা)-কে দেখেছি তিনি মসজিদ-ই-নববীতে দাড়িয়ে চিৎকার করে
করে বলছিলেন, হে লোক সকল ! আজ ৱাসন্নুল্লাহ্ (না)-এর পরম স্লেহধন্য প্রিয় মানুষের

ামোঃ (হ্র ৷ ৷ব্র ৷৷€ র্নোা০ €০া৷া



فَسُرِّيَ عَنِ الثَّوْرِيِّ. قَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: لَمَّا اشْتَدَّ بِالْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ الْوَجَعُ جَزِعَ، فَدَخَلَ عَلَيْهِ رَجُلٌ فَقَالَ لَهُ: يَا أَبَا مُحَمَّدٍ، مَا هَذَا الْجَزَعُ؟ مَا هُوَ إِلَّا أَنْ تُفَارِقَ رُوحُكَ جَسَدَكَ فَتَقْدَمَ عَلَى أَبَوَيْكَ عَلِيٍّ وَفَاطِمَةَ، وَعَلَى جَدَّيْكَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَخَدِيجَةَ، وَعَلَى أَعْمَامِكَ حَمْزَةَ وَجَعْفَرٍ، وَعَلَى أَخْوَالِكَ الْقَاسِمِ وَالطَّيِّبِ وَمُطَهِّرٍ وَإِبْرَاهِيمَ، وَعَلَى خَالَاتِكَ رُقَيَّةَ وَأُمِّ كُلْثُومٍ وَزَيْنَبَ. قَالَ: فَسُرِّيَ عَنْهُ. وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّ الْقَائِلَ لَهُ ذَلِكَ الْحُسَيْنُ، وَأَنَّ الْحَسَنَ قَالَ لَهُ: يَا أَخِي، إِنِّي أَدْخُلُ فِي أَمْرٍ مِنْ أَمْرِ اللَّهِ لَمْ أَدْخُلْ فِي مَثَلِهِ، وَأَرَى خَلْقًا مِنْ خَلْقِ اللَّهِ لَمْ أَرَ مَثَلَهُ قَطُّ. قَالَ: فَبَكَى الْحُسَيْنُ. رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا. وَرَوَاهُ عَبَّاسُ الدُّورِيُّ، عَنِ ابْنِ مَعِينٍ بِهِ. وَرَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، فَذَكَرَ نَحْوَهُمَا. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْفَضْلِ، عَنْ أَبِي عَتِيقٍ قَالَ: سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ: شَهِدْنَا حَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ يَوْمَ مَاتَ، فَكَادَتِ الْفِتْنَةُ تَقَعُ بَيْنَ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ وَمَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ، وَكَانَ الْحَسَنُ قَدْ عَهِدَ إِلَى أَخِيهِ أَنْ يُدْفَنَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَإِنْ خَافَ أَنْ يَكُونَ فِي ذَلِكَ قِتَالٌ أَوْ شَرٌّ فَلْيُدْفَنْ بِالْبَقِيعِ. فَأَبَى مَرْوَانُ أَنْ يَدَعَهُ، وَمَرْوَانُ يَوْمَئِذٍ مَعْزُولٌ يُرِيدُ أَنْ يُرْضِيَ مُعَاوِيَةَ بِذَلِكَ، فَلَمْ يَزَلْ مَرْوَانُ عَدُوًّا لِبَنِي هَاشِمٍ حَتَّى مَاتَ. قَالَ جَابِرٌ: فَكَلَّمْتُ يَوْمَئِذٍ حُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ فَقُلْتُ: يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ، اتَّقِ اللَّهَ ; فَإِنَّ أَخَاكَ كَانَ لَا يُحِبُّ مَا تَرَى، فَادْفِنْهُ بِالْبَقِيعِ مَعَ أُمِّهِ. فَفَعَلَ.
পৃষ্ঠা - ৬৩৮৭


ওফাত হল ৷ তোমরা সকলে তার জন্যে কাদ’ ৷ তার জানাযায় সর্বস্তরের মানুষ সমবেত ইয় ৷ «

মনে হচ্ছিল যে, জান্নাতুল বাকী তে মানুবুয়র দাড়ানোর জ্বায়গ৷ ছিল না ৷ এই মহান ব্যক্তির ইন্তি
কালে অনবরত সাত দিন নারী পুরুষ র্সকলে কেদেছে ৷ বানু হাশিম গোত্রের মইিলাগণ তার
ণ্শাকে এক মাস যাবর্ত কেদেছেন ৷ আর তার শোকে বানু হাশিম গোত্রের মহিলাগণ এক বছর
শোক পালন করেছেন ৷ এ সময়ে তারা সকল প্রকারের সাজ-সজ্জা বর্জন করেছেন ৷ ; ন্
ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান মুহাম্মদ ইবন ইয়াহয়া জাফর ইবন মুহাম্মদের পিতা থােক বণ্নাি
করেছেন যে, তিনি বলেছেন, হযরত আলী (রা) নিহত হয়েছেন, যখন তার বয়স ছিল ৫৮
বছর ৷ হযরত হাসান (রা)ও একই বয়সে ইস্তিকাল করেন ৷ হযরত হুসায়ন (রা)ও শহীদ হন
ওই বয়সে ৷
শু বা আবু বকর ইবন হাফ্স থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমীর মু আবিয়া
(রা) এর শাসনামলে ১০ বছর অতিক্রম হবার পর,,কয়েক দিনের মধ্যে হযরত সা“ দ (বা)

এবং হযরত হাসান ইন্তিকাল করেন ৷ উলাইয়া জাকর ইবন মুহাম্মদের পিতা থেকে বর্ণনু৷
করেন যে, তিনি বলেছেন, হযরত হাসান (রা) এর মৃত্যু হয়েছে তার ৪৭ বহ্ব বয়সে ৷ ৰুৰু

আ রো একাধিক ব্যক্তি এরুপ বলেছেন ৷ এটি বিশুদ্ধ অভিমত ৷ তবে প্রসিদ্ধ অভিমত হল ৪৯ ন্
হিজরী সনে তীর ইন্তিকাল হয় ৷ যেমনটি আমরা উল্লেখ করেছি ৷ কেউ কেউ বলেছেন, তার
ইন্তিকাল হয়েছে ৫০ হিজরী সনে ৷ কারো মতে ৫১ হিজরী এবং কারো মতে ৫৮ হিজ়রীণ্
সনে ৷ ,


ثُمَّ رَوَى الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نَافِعٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: حَضَرْتُ مَوْتَ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، فَقُلْتُ لِلْحُسَيْنِ: اتَّقِ اللَّهَ وَلَا تُثِرْ فِتْنَةً وَلَا تَسْفِكِ الدِّمَاءَ، وَادْفِنْ أَخَاكَ إِلَى جَنْبِ أُمِّهِ ; فَإِنَّ أَخَاكَ قَدْ عَهِدَ بِذَلِكَ إِلَيْكَ. قَالَ: فَفَعَلَ الْحُسَيْنُ. وَقَدْ رَوَى الْوَاقِدِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ نَحْوًا مِنْ هَذَا. وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّ الْحَسَنَ بَعَثَ يَسْتَأْذِنُ عَائِشَةَ فِي ذَلِكَ، فَأَذِنَتْ لَهُ، فَلَمَّا مَاتَ لَبِسَ الْحُسَيْنُ السِّلَاحَ وَتَسَلَّحَ بَنُو أُمَيَّةَ، وَقَالُوا: لَا نَدَعُهُ يُدْفَنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَيُدْفَنُ عُثْمَانُ بِالْبَقِيعِ، وَيُدْفَنُ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ فِي الْحُجْرَةِ؟ فَلَمَّا خَافَ النَّاسُ وُقُوعَ الْفِتْنَةِ أَشَارَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ وَأَبُو هُرَيْرَةَ وَجَابِرٌ وَابْنُ عُمَرَ عَلَى الْحُسَيْنِ أَنْ لَا يُقَاتِلَ، فَامْتَثَلَ وَدَفَنَ أَخَاهُ قَرِيبًا مِنْ قَبْرِ أُمِّهِ بِالْبَقِيعِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَقَالَ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي حَفْصَةَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ قَالَ: رَأَيْتُ الْحُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ قَدَّمَ يَوْمَئِذٍ سَعِيدَ بْنِ الْعَاصِ فَصَلَّى عَلَى الْحَسَنِ. وَقَالَ: لَوْلَا أَنَّهَا سُنَّةٌ مَا قَدَّمْتُهُ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي مُسَاوِرٌ مَوْلَى بَنِي سَعْدِ بْنِ بَكْرٍ قَالَ: رَأَيْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ قَائِمًا عَلَى مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ مَاتَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ وَهُوَ يُنَادِي بِأَعْلَى صَوْتِهِ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، مَاتَ الْيَوْمَ حِبُّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَابْكُوا. وَقَدِ اجْتَمَعَ النَّاسُ لِجِنَازَتِهِ، حَتَّى مَا كَانَ الْبَقِيعُ يَسَعُ أَحَدًا مِنَ الزِّحَامِ، وَقَدْ بَكَاهُ الرِّجَالُ وَالنِّسَاءُ سَبْعًا، وَاسْتَمَرَّ نِسَاءُ بَنِي هَاشِمٍ يَنُحْنَ عَلَيْهِ شَهْرًا، وَحَدَّتْ
পৃষ্ঠা - ৬৩৮৮
نِسَاءُ بَنِي هَاشِمٍ عَلَيْهِ سَنَةً. قَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قُتِلَ عَلِيٌّ وَهُوَ ابْنُ ثَمَانٍ وَخَمْسِينَ سَنَةً، وَمَاتَ لَهَا حَسَنٌ، وَقُتِلَ لَهَا الْحُسَيْنُ. رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. وَقَالَ شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَفْصٍ قَالَ: تُوُفِّيَ سَعْدٌ وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ فِي أَيَّامٍ بَعْدَ مَا مَضَى مِنْ إِمَارَةِ مُعَاوِيَةَ عَشْرُ سِنِينَ. وَقَالَ ابْنُ عُلَيَّةَ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: تُوُفِّيَ الْحَسَنُ وَهُوَ ابْنُ سَبْعٍ وَأَرْبَعِينَ. وَكَذَا قَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ، وَهُوَ أَصَحُّ. وَالْمَشْهُورُ أَنَّهُ مَاتَ سَنَةَ تِسْعٍ وَأَرْبَعِينَ كَمَا ذَكَرْنَا، وَقَالَ آخَرُونَ: مَاتَ سَنَةَ خَمْسِينَ. وَقِيلَ: سَنَةَ إِحْدَى وَخَمْسِينَ أَوْ ثَمَانٍ وَخَمْسِينَ.