আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ست وأربعين

পৃষ্ঠা - ৬৩৪৯

হিজরী ৪৬ সন

এই হিজরী সনে মুসলমানগণ তাদের নেতা আবদুর রহমান ইবন খালিদ ইবন ওয়ালিদের
নেতৃত্বে কতক রোমান নগরী দখল করেন ৷ £ন্টে কেউ বলেছেন, এই অভিংাহ্রন তাদের নেতা
আবদুর রহমান ইবন খালিদ নয় বরং অন কেউ ছিলেন ৷ আল্লাহ ই ভাল জানেন ৷ এই সালে
হৰুজ্জ্বর নেতৃতৃ দেন আমীর মুআবিয়ার রা) ভাই উত্বা ইবন আবী সুফিয়ান ৷ বিভিন্ন প্রদেশে
শাসনকর্তা পদে ঐ সব ব্যক্তিই নিয়োজিত ছিলেন, র্যাদের কথা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে ৷

এই বছর যারা ইন্তিকাল করেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন সালিন ইবন ন্উমায়র ৷ কুরআন

মজীদে র্যাদের কান্নার কথা উল্লেখ করা হয়েছে তিনি তাদের একজন ৷ বদ্দা ও এর পরবর্তী
যুদ্ধসমুহেতিনি অৎ শপ্রহণ করেছেন ৷

এই বছর মৃত্যুবরণকারীদের একজন হলেন সুরাকা ইবন কা ব (রা) ৷৩ তিনি বদর যুদ্ধে এবং
এর পরবর্তী যুদ্ধগুলােতে অংশ গ্রহণ করেছেন ৷ এই বছর যারা ইম্ভিকাল করেছেন,৩ তাদের
একজন হলেন, আবদুর রহমান ইবন খালিদ ইবন ওয়ালিদ কুরায়শী মাৰবুযী ৷ তিনি তার
পিতার ন্যায় প্রসিদ্ধ বীর যোদ্ধা, সাহসী এবং খ্যাতনামা নেতা ছিক্ষো ৷ তার সাহস ও কীর্তির
প্রেক্ষিতে সিরিয়ার লোকদের নিকট তীর একটি বিশেষ মর্যাদা জ্জি ৷ এমনকি আমীর মু আবিরা
(রা) ও তাকে সমীহ করতেন ৷ খাদ্যে কিংক্রিরার ফলে তার মৃত্যু হয় ৷ (আল্লাহ তাকে দয়া
করুন ও মহিমাম্বিত করুন) ৷

ইবন৷ ম৷ নদা হ্ ও আ বু নৃ আয়ম ইস্পাহানী (রা) বলেছেন যে, আবদুর রহমান ইবন খালিদ (বা)
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাহচর্য পেয়েছিলেন, ইবন আ ৷সাকির আবু উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন
যে, আমর ইবন কায়স তার সুত্রে রাসুলুল্লাহ্ (না) থেকে দু’র্কাধের মধ্যখঃানে শিঙ্গা লাগানো সম্পর্কে
হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম বুখারী (র) বলেছেন, এটির সনদ বিচ্ছিন্ন মুরসাল হাদীস ৷ কাব
ইবন জাঈল তীর এবৎ৩ ৷ ৷র দু’ভাই মুহাজির এবং আবদুল্লাহ এর খুব প্রশংসা করতেন ৷ যুৰায়র
ইবন ব ককাব বলেছেন, সিরিয়ার অধিবাসীদের মধ্যে৩ তার একটা গুরুত্বপুর্ণ অবস্থান ও সম্মান
ছিল ৷ সিফ্ফীনেয় যুদ্ধে৩ তিনি মুআ ৷বিয়৷ ৷র (রা) সাথে অংশ নিয়েছিলেন ৷

ইবন সাযী (রা) বলেছেন, মুআবিয়া (রা)-এর শাসনামলে তিনি রাজকার্ফ থেকে দুরে সরে
থাকতেন ৷ মুআবিয়৷ (রা) এর সংস্পর্শ থেকেও তিনি নিজেকে দুরে রাখতেন ৷ ইবন জারীর
(র) প্রমুখ উল্লেখ করেছেন যে, ইবন আসলে নামে এক লোক সে হিম্স প্রদেশে ষিশীদের
নেতা ছিল ৷ ইবন আসাল হযরত আবদুর রহমান ইবন খালিদ ইবন ওয়ালিদঃক বিষ মিশ্রিত
শরবত পান করিয়ে দিয়েছিল ৷ তাতে তিনি মারা যান ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, আমীর
ঘু আবিয়৷ (রা) এর ইঙ্গিতে সে এই অপকর্য করেছে ৷ অবশ্য এরুপ মন্তব্য সঠিক নয় ৷ জনৈক
ব্যক্তি ওন্আবদুর রহমান ইবন খালিদ ইবন ওয়া ৷লিদের মৃত্যুতে শোক প্রকা ৷শ করে নিম্নের কবিতা
রচনা করেছেন

তিনি আ পনা র ৷পত৷ ৷ যিনি প্রচণ্ড বীর বিক্রমে রোমান রাজ্যের বিরুদ্ধে সৈন্য প্রেরণ
করেছিলেন ৷ যখন পারসিকগণ ৷খাজন৷ ও জিযিয়া কর দিতে রাযী হয়েছিল’ ৷


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سِتٍّ وَأَرْبَعِينَ] فِيهَا شَتَّى الْمُسْلِمُونَ بِبِلَادِ الرُّومِ مَعَ أَمِيرِهِمْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ وَقِيلَ: كَانَ أَمِيرُهُمْ غَيْرَهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِيهَا عُتْبَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ أَخُو مُعَاوِيَةَ، وَالْعُمَّالُ عَلَى الْبِلَادِ هُمُ الْمُتَقَدِّمُ ذِكْرُهُمْ. وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ سَالِمُ بْنُ عُمَيْرٍ، أَحَدُ الْبَكَّائِينَ الْمَذْكُورِينَ فِي الْقُرْآنِ، شَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا مِنَ الْمَشَاهِدِ كُلِّهَا. سُرَاقَةُ بْنُ كَعْبٍ، شَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا. عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ الْقُرَشِيُّ الْمَخْزُومِيُّ، وَكَانَ مِنَ الشُّجْعَانِ الْمَعْرُوفِينَ وَالْأَبْطَالِ الْمَشْهُورِينَ كَأَبِيهِ، وَكَانَ قَدْ عَظُمَ بِبِلَادِ الشَّامِ كَذَلِكَ حَتَّى خَافَ مِنْهُ مُعَاوِيَةُ، وَمَاتَ وَهُوَ مَسْمُومٌ، رَحِمَهُ اللَّهُ وَأَكْرَمَ مَثْوَاهُ. وَقَالَ ابْنُ مَنْدَهْ وَأَبُو نُعَيْمٍ الْأَصْبَهَانِيُّ: أَدْرَكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَدْ رَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ أَبَى عُمَرَ، أَنَّ عَمْرَو بْنَ قَيْسٍ رَوَى عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْحِجَامَةِ بَيْنَ الْكَتِفَيْنِ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَهُوَ مُنْقَطِعٌ. يَعْنِي مُرْسَلًا.
পৃষ্ঠা - ৬৩৫০



কত যুবক আপনি তাকে জাগিয়ে ভুলেছেন সন্ধ্য৷ রাতের পর লাগামের আঘাতে ৷ সে হ্নিা

কাপুরুষ, তন্দ্রাচ্ছন্ন ৷’


এমন দৃটো সারি কখনও সমান হবে না, যেখানে এক সারির নেতৃত্বে আছেন খালিদ জায়
অন্য সারির নেতৃত্বে আছেন দামেশৃকের সোকজন ৷

ঐতিহাসিকপণ বলেছেন যে আবলুর রহমান ইবন খালিদের পুত্র একদা মদীনা এসেছিলেন ৷
তখন উরওয়া ইবন যুবায়র তাকে বলেছিলেন, “আপনার পিতার হত্যাকারী ইবন আসালের শের
পরিণতি কি হয়েছে? উত্তরে তিনি কিছুই বলেন নি, চুপ রইলেন ৷ এরপর তিনি হ্নিমসকািরপ্
গেলেন এবং তার পিতার হভ্যাকারী ইবন আসালকে খুন করলেন ৷ তিনি উঃওয়ারষিৰুট্ট এসে
বললেন, আমি তাকে শেষ করে দিয়েছি ৷ তবে অলোঃ পিতার হত্যাকার্বী ইবন যারমুৰের কি
পরিণাম হলঃ’ উত্তরে উরওয়া ঢুপ করে রইলেন ৷

কেউ কেউ বলেছেন যে, এ বছর করা ইস্তিকাল করেন্ডো র্তাদের একজনে হলেন মুহাম্মদ
ইবন মাসৃলামা ৷ তার জীবন বৃত্তান্ত ইতিপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে ৷

হারম ইবন হিব্বান আব্যদী তিনি হযরত উমার ইবন পাতায় (বা) এর একজন কর্মচারী
ছিলেন ৷ প্রখ্যাত ওলী হযরত ওয়ায়স কারার্নী (র) এর সাথে তার সাক্ষাত হয়েছিল ৷
খ্যাতিমান, জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান ব্যক্তি ছিলেন ৷ কথিত আছে যে, তাকে দাফন করার পর এক খন্তু
মেঘ তার কবরের উপর এসে বৃষ্টি বর্ষণ করে যায়৷ তাতে শুধু তার কংরঢিই সিক্ত হয় এবং
তখনই সেখানে ঘাস লতা-পাত৷ পজিয়ে উঠে ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷


وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: كَانَ عَظِيمَ الْقَدْرِ فِي أَهْلِ الشَّامِ، شَهِدَ صِفِّينَ مَعَ مُعَاوِيَةَ، وَكَانَ كَعْبُ بْنُ جُعَيْلٍ مَدَّاحًا لَهُ وَلِأَخَوَيْهِ مُهَاجِرٍ وَعَبْدِ اللَّهِ. وَقَالَ ابْنُ سُمَيْعٍ: كَانَ يَلِي الصَّوَائِفَ زَمَنَ مُعَاوِيَةَ، وَقَدْ حَفِظَ عَنْ مُعَاوِيَةَ. وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ وَغَيْرُهُ أَنَّ رَجُلًا يُقَالُ لَهُ ابْنُ أُثَالٍ - وَكَانَ رَئِيسَ الذِّمَّةِ بِأَرْضِ حِمْصَ - سَقَاهُ شَرْبَةً فِيهَا سُمٌّ فَمَاتَ. وَزَعَمَ بَعْضُهُمْ أَنَّ ذَلِكَ عَنْ أَمْرِ مُعَاوِيَةَ لَهُ فِي ذَلِكَ، وَلَا يَصِحُّ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَثَاهُ بَعْضُهُمْ فَقَالَ: أَبُوكَ الَّذِي قَادَ الْجُيُوشَ مَغْرِبًا ... إِلَى الرُّومِ لَمَّا أَعْطَتِ الْخَرْجَ فَارِسُ وَكَمْ مِنْ فَتًى نَبَّهْتَهُ بَعْدَ هَجْعَةٍ ... بِقَرْعِ اللِّجَامِ وَهُوَ أَكْتَعُ نَاعِسُ وَمَا يَسْتَوِي الصَّفَّانِ صَفٌّ لِخَالِدٍ ... وَصَفٌّ عَلَيْهِ مِنْ دِمَشْقَ الْبَرَانِسُ وَقَدْ ذَكَرُوا أَنَّ خَالِدَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ قَدِمَ الْمَدِينَةَ فَقَالَ لَهُ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ: مَا فَعَلَ ابْنُ أَثَالٍ؟ فَسَكَتَ خَالِدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى حِمْصَ فَثَارَ عَلَى ابْنِ أُثَالٍ فَقَتَلَهُ، فَحَبَسَهُ مُعَاوِيَةُ ثُمَّ أَطْلَقَهُ، ثُمَّ قَدِمَ الْمَدِينَةَ،
পৃষ্ঠা - ৬৩৫১
فَقَالَ لَهُ عُرْوَةُ: مَا فَعَلَ ابْنُ أُثَالٍ؟ فَقَالَ: قَدْ كَفَيْتُكَ إِيَّاهُ، وَلَكِنْ مَا فَعَلَ ابْنُ جُرْمُوزٍ؟ فَسَكَتَ عُرْوَةُ. وَفِيهَا تُوُفِّيَ مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ، فِي قَوْلٍ، وَقَدْ تَقَدَّمَ. هَرِمُ بْنُ حَيَّانَ الْعَبْدِيُّ، كَانَ أَحَدَ عُمَّالِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَلَقِيَ - أُوَيْسًا الْقَرْنِيَّ، وَكَانَ مِنْ عُقَلَاءِ النَّاسِ وَعُلَمَائِهِمْ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ لَمَّا دُفِنَ جَاءَتْ سَحَابَةٌ فَرَشَّتْ قَبْرَهُ وَحْدَهُ، وَنَبَتَ الْعُشْبُ عَلَيْهِ مِنْ وَقْتِهِ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ.