আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة أربع وأربعين

পৃষ্ঠা - ৬৩৪০

হিজবী ৪৪ সন

এই বছর আবদুর রহমান ইবন খালিদ ২বৃন ওয়ালীদ রোমান শহরগুলাে আক্রমণ করেন
এবং সেগুলোতে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন ৷ বহু মুসলিম সৈন্য তার সাথেছিক্ষো ৷ এই বহ্ব বুসর
ইবন আবী আরতাত সমুদ্র অভিযান বা নৌযুদ্ধ পরিচালনা করেন ৷ এই বছর আমীর মুআবিরা (বা)
আবদুল্লাহ ইবন আমিরকে বসরার শাসনকর্তার পদ থেকে অপসারণ করেন ৷ কারণ তখন বসরা
নগরীতে বিশৃগ্রল৷ ও অরাজকতা চলছিল ৷ আবদুল্লাহ্ ইবন আমির ছিলেন, কোমল হৃদয় ও নম্র প্
স্বভাবের মানুষ ৷ কথিত আছে যে, তিনি চােরের হাত কাটতেন না ৷ মানুষের সাথে বন্ধুত্বের সনন্ার্ক
স্থাপন করতে চাইতেন ৷

ইতিমধ্যে আবদুল্লাহ্ ইবন আবী আওফ ওরফে ইবনুল কাওয়৷ আমীর মু আবিয়৷ (রা)-এর

নিকট গমন করে এবং শ্া৷সনকর্তা আবদুল্ল৷ হ্ ইবন আমিরের বিরুদ্ধে খলীফার নিকট অভিযোগ
দায়ের করেন ৷ আমীর মুআবিয়া (যা) তখন আবদুল্লাহ্কে বরখাস্ত করে তার স্থলে হারিছ ইবন
আবদিল্লাহ্ আযদীকে নিয়োগ করেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, মুআবিয়া (রা) আবদুর৷ হকে
তার সাথে দেখা করতে বলেছিলেন ৷ ইবন আমির দাটুমেশৃক এসে তার সাথে দেখা
করেছিলেন ৷ অসিার মুআবিয়া তাকে সম্মান দেখিয়েছিলেন এবং পুর্ব পদে বহাল করেছিলেন ৷

বিদায়ের সময় মু আবিয়৷ (রা)৩ তাকে বলেছিলেন, আমি তে মোর নিকট তিনটি ত্ান্যুরাধ্

বতুমি বলবে ঠিক আছে, ঐগুলােতে আমি সম্মতি নাম, আমি উ ম্মে হাকাং র পুত্রা

তুমি বল, আমীরুল যু’মিনীন, আপনি আমাকে আমার কর্ম ও পদ ফিরিয়ে দিন,৷ আ র আমার
প্রতি অসম্ভষ্ট হবেন না ৷’ ইবন আমির বললেন, হ্যা, আমি তা বললাম ৷ মৃআবিয়া বললেন,
আরাফাতে তোমার যে মাল-সম্পদ আছে আমাকে দান করে দাও ৷ ইবন আমীর বললেন
হ্যা, আমি তাই করলাম, যুআবিয়া বললেন মক্কায় তোমার যে ঘর-বাডি ও জমি-জমা আছে
ত আমাকে দান করে দাও ৷ণ্ ৷ ইবন আমির বললেন, ৰুা৷, আমি তাই করলাম এবার
যুআবিয় ৷ বললেন, তাহলে আমি তোমার সাথে আ ৷ত্মীয়তা ৷র বন্ধন অটুট রাখলাম ৷

তারপর ইবন আমির বললেন, আমীরুল মু মিনীন ! আমি আপনার নিক্য,ষ্ট অনুরোধ রাখব,
আপনি বলবেন যে, ঠিক আছে, আমি ওগুলোতে সম্মতি দিলাম, আমি হিন্দার পুত্র ৷ ইবন
আমির বললেন আরাফাতে থাকা আমার মাল পত্র আর কে ফিরিয়ে দিন’ ৷ যুআ ৷বিয়৷ ন্
বললেন, হা, আমি৩ ই করলাম ৷’ ইবন আমির বললেন, “আপনি আমাকে কর্মচ৷ ৷র কিংবা

শাসনকর্তা ৷দিয়ে আমার জবাদিহি করবেন না ৷ “ামুঅবিয়৷ (রা) বললেন, হ্যা, আমি তাই

করলাম ৷’ ইবন আমির বললেন, আপনার কন্যা হিন্দা ৷াক আমার নিকট বিয়ে দিবেন ৷
মুআৰিয়৷ (রা) বললেন, হীা, তাই করলাম ৷’

কেউ কেউ বলেছেন যে, আমির মু আবিয়৷ (বা) ইবন আমিরকে ইখৃতিরার দিয়েছিলেন যে,
হয় এই তিনটি বিষয় নিয়ে যাবেন নতুবা বসরার শাসনকর্তার পদে ফিরে যাবেন ৷ ইবন আমির
তিনটি প্রার্থিত বিষয় গ্রহণ করলেন এবং ,শাসনকর্তার পদ থেকে অব্যাহতি নিলেন ৷

ইবন জারীর (র) বলেছেন, এই বছর ষুআবিয়া (বা) যিয়াদ ইবন আবীহীকে পৈত্রিক
সম্পর্ক নির্ধারণের ব্যবস্থা করলেন ৷ যিয়াদকে তিনি আবু সুফিয়ানের পুত্র বলে মেনে নিলেন ৷


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ أَرْبَعٍ وَأَرْبَعِينَ] فِيهَا غَزَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ بِلَادَ الرُّومِ، وَمَعَهُ الْمُسْلِمُونَ، وَشَتُّوا هُنَالِكَ. وَفِيهَا غَزَا بُسْرُ بْنُ أَبِي أَرْطَاةَ فِي الْبَحْرِ. وَفِيهَا عَزَلَ مُعَاوِيَةُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَامِرٍ عَنْ إِمْرَةِ الْبَصْرَةِ ; وَذَلِكَ أَنَّهُ ظَهَرَ فِيهَا الْفَسَادُ بِسَبَبِ لَيِنَهِ ; لِأَنَّهُ كَانَ لَيِّنَ الْعَرِيكَةِ، سَهْلًا كَرِيمًا، وَكَانَ لَا يَأْخُذُ عَلَى أَيْدَى السُّفَهَاءِ، وَلَا يَقْطَعُ لِصًّا، وَيُرِيدُ أَنْ يَتَأَلَّفَ النَّاسُ فَفَسَدَتِ الْبَصْرَةُ بِسَبَبِ ذَلِكَ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: شَكَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرٍ إِلَى زِيَادٍ فَسَادَ النَّاسِ، فَقَالَ: جَرِّدْ فِيهِمُ السَّيْفَ. فَقَالَ ابْنُ عَامِرٍ: إِنِّي أَكْرَهُ أَنْ أُصْلِحَهُمْ بِفَسَادِ نَفْسِي. قَالَ: فَذَهَبَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي أَوْفَى الْمَعْرُوفُ بِابْنِ الْكَوَّاءِ فَشَكَاهُ إِلَى مُعَاوِيَةَ، فَعَزَلَ مُعَاوِيَةُ ابْنَ عَامِرٍ عَنِ الْبَصْرَةِ وَبَعْثَ إِلَيْهَا الْحَارِثَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْأَزْدِيَّ، وَيُقَالُ: إِنَّ مُعَاوِيَةَ اسْتَدْعَاهُ إِلَيْهِ لِيَزُورَهُ، فَقَدِمَ ابْنُ عَامِرٍ عَلَى مُعَاوِيَةَ دِمَشْقَ، فَأَكْرَمَهُ وَرَدَّهُ عَلَى عَمَلِهِ، فَلَمَّا وَدَّعَهُ قَالَ لَهُ مُعَاوِيَةُ: ثَلَاثٌ أَسْأَلُكَهُنَّ فَقُلْ: هُنَّ لَكَ. قَالَ: هُنَّ لَكَ وَأَنَا ابْنُ أُمِّ حَكِيمٍ. قَالَ: مُعَاوِيَةُ: تَرُدُّ عَلَيَّ عَمَلِي وَلَا تَغْضَبْ. قَالَ ابْنُ عَامِرٍ: قَدْ فَعَلْتُ. قَالَ: وَتَهَبُ لِي مَالَكَ بِعَرَفَةَ. قَالَ: قَدْ فَعَلْتُ. قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৬৩৪১

ঘটনা কাি এই যে, আবু সুফিয়ান জাহেলী যুগে এক সময় যিয়াদের মাতা সৃমাইয়ার সাথে যিনা
করেছিল ৷ এর ফলে যিয়াদ ইবন আবীহী তার মাতার গর্ভে আসে ৷ আবু সুফিয়ানের এই
স্বীকারোক্তির পক্ষে এক লোক সাক্ষীও ছিলেন ৷ তাই মুআবিয়া (বা) যিয়াদ্যে৷ জন্যে আবু
সুফিয়ানের সাথে পিতৃত্নের সম্পর্কের স্বীকৃতি দেন এবং তখন থেকে সে যিয়াদ ইবন আবী
সুফিয়ানরুপে পরিচিত হতে লাগল ৷ হযরত হাসান বসরী (র) এই সম্পর্ক স্থাপনের বিরোধিতা
করেছেন ৷ তিনি বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন

সন্তান হবে মহিলার স্বামীর আর ব্যভিচারীর জন্যে রয়েছে পাথর নিক্ষেপে হত্যা ৷ ইমাম
আহমদ (র) হুশায়ম খালিদ সুত্রে আবু উসমান হতে বর্ণনা করেস্ফো, যিয়াদ যখন অন্যকে তার
পিতা বলে দাবী করল, তখন আমি আবু বাকরা (রা) এর সাথে সাক্ষাত করে বললাম,
াআপন বা এটা কি করলেন?’ আমি তো সা দ ইবন আবী ওয়াক্কাস (রা)- কে বলতে শুনেছি
আমার দু কান সরাসরি রাসুল (সা) কে বলা ত শুনেছে,

মোঃ

পু,

কোন মুসলমান যদি জোন শুরুন তার পিতা নয় এমন বক্তক্তিক্কক পিতা বলে দাবী করে ,
তার জন্যে জান্নাত হারাম ৷ তখন আবু বাকরা বললেন, হা৷ ঠিক, আমিও রাসুল (সা) কে
তা বলতে শুনেছি ৷ তার৷ দু জমে এটি আবু উসমান সুত্রে তাদের দু জন থেকে উদ্ধৃত
করেছেন ৷ আমি বলি আবু বাকরা (রা) এর মুল নাম নুকায় এবং তার মায়ের নাম সুমাইয়া ৷
এই বছর হজ্যের ণ্৩ তৃতু দেন হযরত মু আবিয়া (রা) ৷ এই বছরেই আমীর মুআবি য়া (রা)
সিরিয়ার প্রাসাদ তৈরী করেন, আব মারওয়ান মদীনায় ঐ রকম একটি প্রাসাদ তৈরী
করেছিলেন ৷
এই বছর আবু সুফিয়ানের (রা) কন্যা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সহধ্র্মিণী উ ম্মুল মু মির্নীন উম্মু
হাবীব৷ (রা) ইন্তিকাল করেন ৷ তার নাম ছিল রামালা ৷ তিনি মুআবিয়৷ (রা) এর বোন ৷ প্রথম
যুশ্চেইি তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন ৷ তিনি এবং তার স্বামী আম্দুল্লাহ্ ইবন জাহাশ
আবিসিনিয়ায় হিজরত করেছিলেন ৷ স্বামী উবায়দুল্লাহ্১ ইবন জাহাশ ওখানে খ্রীস্টধর্য গ্রহণ
করে ৷ কিন্তু উম্মু হাবীব৷ (রা) ইসলামে অবিচল থাকেন ৷ হাবীব৷ উবায়দুল্লাহ্ ইবন জাহ্াশের
ঔরসে তার বড় সন্তান ৷ হাবীবায় জন্ম হয় আবিসিনিয়ায় ৷ কেউ বলেছেন, আবিসিনিয়ায়
হিজরেতের পুর্বে মক্কায় হাবীবায় জন্ম হয় ৷ খ্রীস্টধর্মে দীক্ষিত তার স্বামী তবায়দুল্লাহ্ (তার
প্রতি ৩আল্লাহ্র ল৷ নত) আবিসিনিয়াতে মারা যায় ৷
উম্মু হাবীব৷ (রা) বিধ্ব৷ হবার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিবাহের প্রস্তাব সহ আমর ইবন
উমাইয়৷ দামারীকে রাজা নাজ্জাশীর নিকট প্রেরণ করেন, যাতে নাজ্জাশী নিজ্যে৷ তত্ত্বাবধানে
উম্মু হাবীব৷ (রা) এর সঙ্গে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বিবাহ সম্পাদন করে দেন ৷ ফলে নাজ্জাশী
উম্মু হাবীব৷ (রা) এর সঙ্গেরাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বিয়ে সম্পন্ন করে দেন ৷ খালিদ ইবন সাল্পিদ
ইবন আস বিয়ের অতিঃাবক নিযুক্ত হয়েছিলেন ৷ রাসুল (না)-এর পক্ষ থেকে নাজ্জাশী দ্যো-



১ মুল গ্রন্থে আবদুল্লাহ মুদ্রিত রয়েছে ৷ স্পটতই এটা মুদ্রণ বিভ্রাট ৷ ষ্সম্পাদক


وَتَهَبُ لِي دَوْرَكَ بِمَكَّةَ. قَالَ: قَدْ فَعَلْتُ. فَقَالَ لَهُ مُعَاوِيَةُ: وَصَلَتْكَ رَحِمٌ. فَقَالَ ابْنُ عَامِرٍ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، وَإِنَّى سَائِلُكَ ثَلَاثًا فَقُلْ: هِيَ لَكَ. قَالَ: هُنَّ لَكَ وَأَنَا ابْنُ هِنْدٍ. قَالَ: تَرُدُّ عَلَيَّ مَالِي بِعَرَفَةَ قَالَ: قَدْ فَعَلْتُ قَالَ: وَلَا تُحَاسِبْ لِي عَامِلًا وَلَا تَتَّبِعْ لِي أَثَرًا. قَالَ: قَدْ فَعَلْتُ. قَالَ: وَتُنْكِحُنِي ابْنَتَكَ هِنْدًا. قَالَ: قَدْ فَعَلْتُ. وَيُقَالُ: إِنَّ مُعَاوِيَةَ خَيَّرَهُ بَيْنَ هَذِهِ الثَّلَاثِ وَبَيْنَ الْوِلَايَةِ عَلَى الْبَصْرَةِ، فَاخْتَارَ هَذِهِ الثَّلَاثَ، وَانْعَزَلَ عَنِ الْبَصْرَةِ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ اسْتَلْحَقَ مُعَاوِيَةُ زِيَادَ ابْنِ أَبِيهِ فَأَلْحَقَهُ بِأَبِي سُفْيَانَ. وَذَلِكَ أَنَّ رَجُلًا شَهِدَ عَلَى إِقْرَارِ أَبِي سُفْيَانَ أَنَّهُ عَاهَرَ بِسُمَيَّةَ أُمِّ زِيَادٍ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، وَأَنَّهَا حَمَلَتْ بِزِيَادٍ هَذَا مِنْ أَبِي سُفْيَانَ، فَلَمَّا اسْتَلْحَقَهُ مُعَاوِيَةُ قِيلَ لَهُ: زِيَادُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ. وَقَدْ كَانَ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ يُنْكِرُ هَذَا الِاسْتِلْحَاقَ، وَيَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْوَلَدُ لِلْفِرَاشِ وَلِلْعَاهِرِ الْحَجَرُ ".» وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا هُشَيْمٌ، ثَنَا خَالِدٌ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ قَالَ: لَمَّا ادَّعَى زِيَادٌ لَقِيتُ أَبَا بَكْرَةَ، فَقُلْتُ: مَا هَذَا الَّذِي صَنَعْتُمْ؟ إِنِّي سَمِعْتُ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ يَقُولُ: سَمْعُ أُذُنِي مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَقُولُ: «مَنِ ادَّعَى أَبًا فِي الْإِسْلَامِ غَيْرَ أَبِيهِ وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّهُ غَيْرُ أَبِيهِ، فَالْجَنَّةُ عَلَيْهِ حَرَامٌ ".» فَقَالَ أَبُو بَكْرَةَ: وَأَنَا سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. أَخْرَجْنَاهُ مِنْ حَدِيثِ أَبِي عُثْمَانَ عَنْهُمَا. قُلْتُ: أَبُو بَكْرَةَ
পৃষ্ঠা - ৬৩৪২


মোহর বাবদ : :০ দিনার (স্বর্ণ মুদ্রা) উম্মু হাৰীবা (রা) কে প্রদান করেন ৷ ৭ম হিজরীতে উ
, হাৰীবা (রা) কে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে নিয়ে আসা হয় ৷

মক্কা বিজয়ের বছর উম্মু হাবীবার (রা) এর পিতা আবু সুফিয়ান বিবাহ সম্পর্কে খোজ
খবর নিতে যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরবারে উপস্থিত হয়, তখন উম্মু হাৰীবা (বা) তাকে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বিছানা থেকে দুরে থাকতে বলেন ৷ তখন আবুসুফিরান বলেছিল, প্রিয়
কন্যা ! তুমি কি বিছানার প্রতি দরদ দেখিয়ে আমাকে ওখান থেকে সরিয়ে দিলে, নাকি
আমার প্রতি সম্মান দেখিয়ে এ বিছানা আমার কাছ থেকে সরিয়ে দিলে তা তো বুঝতে
পারলাম না ৷’ উম্মু হাৰীবা (রা) বললেন, বরং এটি হল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ৰিছানা আর
আপনি হলেন মুশরিক ৷ আবু সুফিয়ান বলল, হে আমার কন্যা ! আমাকে ছেড়ে এসে তুমি
তো অকল্যাণের মধ্যে জড়িয়ে গিয়েছ ৷’

উম্মু হাৰীবা (রা) ছিলেন উম্মুল মু’মিনীনদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মতাি৷ এবং তিনি ছিলেন
ইবাদতকারিণী ও পরহেযগার ৷

মুহাম্মদ ইবন ওয়াকিদী বলেছেন, আবুবকর ইবন আবদিল্লাহ্ আওৰু ইবন হারিস থেকে
ব৭ন৷ করেছেন যে, তিনি বলেছেন, আমি হযরত আয়েশা (বা) কে বলতে শুনেছি, উম্মু
হাৰীবা (রা) এর ওফ্যা৩ র সময় তিনি আমাকে ডেকে বললেন, সভীনদ্যে মাঝে যা হয়ে
থাকে আমার দ্বারা আপনার মাঝে হয়ত সে রকম কিছু হয়ে থাকতে পারে’ ৷ তখন আমি
বললাম, মহান আল্লাহ্ আমাকে এবং আপনাকে ক্ষমা করে দিন ৷ আমার এবং আপনার
মাঝে অসৌজন্যমুলক যা-ই ঘটে থাকুক আল্লাহ্ তার সবগুলো ক্ষমা করে দিন ৷ আমি
আপনাকে ক্ষমা করে দিলাম ৷ জানা-অজানা সব কিছু থেকে দায়মুক্ত করে দিলাম ৷ তিনি
তখন বললেন, আহ ! আপনি আমাকে সুখী করলেন, আল্লাহ্ আপনাকে সুখী ও আনন্দিত
করুন ৷ তিনি উম্মু সালমা (রা)-কেও এরুপ’ বলেছিলেন ৷ আমি যেরুপ বলেছি উম্মু সালমা
(রা) ও উত্তরে তা-ই বলেছিলেন ৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (৮ম ৰু৯

اسْمُهُ نُفَيْعٌ، وَاسْمُ أُمِّهِ سُمَيَّةُ أَيْضًا. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مُعَاوِيَةُ. وَفِيهَا عَمِلَ مُعَاوِيَةُ الْمَقْصُورَةَ بِالشَّامِ، وَعَمِلَ مَرْوَانُ مَثَلَهَا بِالْمَدِينَةِ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ تُوُفِّيتْ أُمُّ حَبِيبَةَ بِنْتُ أَبِي سُفْيَانَ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ، وَاسْمُهَا رَمْلَةُ، أُخْتُ مُعَاوِيَةَ. أَسْلَمَتْ قَدِيمًا، وَهَاجَرَتْ هِيَ وَزَوْجُهَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ جَحْشٍ إِلَى أَرْضِ الْحَبَشَةِ، فَتَنَصَّرَ هُنَاكَ زَوجُهَا، وَثَبَتَتْ هِيَ عَلَى دِينِهَا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، وَحَبِيبَةُ هِيَ أَكْبَرُ أَوْلَادِهَا مِنْهُ، وَلَدَتْهَا بِالْحَبَشَةِ. وَقِيلَ: بِمَكَّةَ قَبْلَ الْهِجْرَةِ. وَمَاتَ زَوْجُهَا هُنَالِكَ، لَعَنَهُ اللَّهُ وَقَبَّحَهُ. وَلَمَّا تَأَيَّمَتْ بَعْدَ زَوْجِهَا بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَمْرَو بْنَ أُمَيَّةَ الضَّمْرِيَّ إِلَى النَّجَاشِيِّ فَزَوَّجَهَا مِنْهُ، وَوَلِيَ الْعَقْدَ خَالِدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، وَأَصْدَقَهَا عَنْهُ النَّجَاشِيُّ أَرْبَعَمِائَةِ دِينَارٍ، وَحَمَلَهَا إِلَيْهِ فِي سَنَةِ سَبْعٍ، وَلَمَّا جَاءَ أَبُوهَا عَامَ الْفَتْحِ لِيَشُدَّ الْعَقْدَ، دَخَلَ عَلَيْهَا، فَثَنَتْ عَنْهُ فِرَاشَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهَا: وَاللَّهِ يَا بُنَيَّةُ، مَا أَدْرِي أَرَغِبْتِ بِهَذَا الْفِرَاشِ عَنِّي أَمْ بِي عَنْهُ؟ ! فَقَالَتْ: بَلْ هُوَ فِرَاشُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنْتَ رَجُلٌ مُشْرِكٌ. فَقَالَ لَهَا: وَاللَّهِ يَا بُنَيَّةَ لَقَدْ لَقِيتِ بَعْدِي شَرًّا. وَقَدْ كَانَتْ مِنْ سَيِّدَاتِ أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ، وَمِنَ الْعَابِدَاتِ الْوَرِعَاتِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَبْرَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَجِيدِ بْنِ سُهَيْلٍ، عَنْ عَوْفِ بْنِ الْحَارِثِ قَالَ: سَمِعْتُ عَائِشَةَ تَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ৬৩৪৩
دَعَتْنِي أُمُّ حَبِيبَةَ عِنْدَ مَوْتِهَا فَقَالَتْ: قَدْ يَكُونُ بَيْنَنَا مَا يَكُونُ بَيْنَ الضَّرَائِرِ. فَقُلْتُ: يَغْفِرُ اللَّهُ لِي وَلَكِ مَا كَانَ مِنْ ذَلِكَ كُلِّهِ وَتَجَاوَزَ وَحَلَّلَكِ. فَقَالَتْ: سَرَرْتِنِي سَرَّكِ اللَّهُ. وَأَرْسَلَتْ إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ فَقَالَتْ لَهَا مِثْلَ ذَلِكَ.