আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثلاث وأربعين

ثم دخلت سنة ثلاث وأربعين

ثم دخلت سنة ثلاث وأربعين

পৃষ্ঠা - ৬৩৩২

হিজরী ৪৩ যান

এই বহ্ব বুসর ইবন আবী আরতাত রোমানদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেন ৷ প্রচণ্ড
শক্তিতে শত্রুপক্ষকে রাওয়া করে, তিনি কনষ্ট্যান্টিনােপল পর্যন্ত পৌছে যান ৷ ওয়াকিদী
বলেছেন, যে, এ পর্যায়ে তিনি রোমান শহারগুলো থেকে ছত্রতঙ্গ করে দেন ৷ বিক্ষ্ম অন্যরা
বলেছেন যে, ওই সব শহর থেকে তাদেরকে কেউ ছত্রভঙ্গ করেনি আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
ইবন জারীর বলেছেন, এই বছর আমর ইবনুল আস (রা) মিসরে ইন্তিকাল করেছেন ৷
শেষ দিকে আমরা তাদের জীবনী উল্লেখ করব ৷ আমর ইবনুল আস (রা) এর ইনৃতিকালের
পর আমীর মু আবিয়া তার পুত্র আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবনুল আসকে মিসরের শাসনকর্তা
নিযুক্ত করেন ৷ ওয়াকিদী বলেন, আবদুল্লাহ ইবনন্আমর দুবছর শাসনকর্তা পদে বহাল
ছিলেন ৷
এই বছর খারিজী সম্প্রদায় ও কুফাবাসী সৈন্যদের মধ্যে প্রচণ্ড সংঘর্ষ সংঘটিত হয় ৷

আমরা আগে উল্লেখ করেছি যে, সে সময়ে খারিজীসম্প্রদায়ের লোকেরা সাধারণ মানুষের
বিরুদ্ধে আন্দেলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ৷ ফলে তারা মুসৃতাওরিদ ইবন আলকামা-এর
নেতৃত্বে প্রায় ৩০০ লোকের সমাবেশ ঘটায় ৷ তারা প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্বিশৃত্খলা সৃষ্টির
অপচেষ্ট৷ চালায় ৷ মুপীরা ইবন শু বা (বা) ওদেরকে প্রতিরোধ করার জন্য মাকিল ইবন কায়স
এর ৷নতৃত্বেত তিন হাজার সৈন্যের একটি বৃহৎ সেনাদল প্রেরণ করেন ৷ মাকিল ইবন কারন
ওদের প্রতিরোধের জন্যে অগ্রসর হলেন ৷ তিনি খারিব্জীদের সং খ্যার সমান ৩০০ জন্যে একটি
অগ্নবাহিনী পাঠান আবু রাওয়া-এর নেতৃত্বে ৷ মাযাৱ নামক স্থানে গিয়ে আবু রাওয়া
খারিব্জীদের মুখোমুখি হন ৷ উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয় ৷ খারিজীগণ সরকারী বাহিনীকে
পরাজিত করে ৷ সরকারী বাহিনী পুনর্বার হামলা চালায় ৷ এবারও খারিজীগণ জয়লাভ করে ৷

তবে কেউ নিহত হয় নি ৷ সরকারী বাহিনী প্রধান সেনাপতি মাকিল ইবন কায়সের আগমনের
অপেক্ষায় ওই যুদ্ধ ক্ষেত্রে অবস্থান করতে থাকে ৷ মুল বাহিনীসহ প্রধান সেনাপতি যখন
সেখানে পৌছান, তখন সুর্য ডুবে গিয়েছে ৷ তিনি সেখানে অবতরণ করলেন এবং
সাথীদেরকে নিয়ে নামায আদায় করলেন ৷
এরপর তিনি অগ্রবাহিনীর নেতা আবু রাওয়া-এর প্রশংসা করতে লাগলেন ৷, আবু রাওয়া
বললেন, হে অধিনায়ক ৷ শত্রুপক্ষের কিন্তু প্রচণ্ড শক্তি রয়েছে এবং তারা কঠোরভাবে
হামলা চালায় ৷ আপনি বরং আমাদের সাহায্যকারীরুপে পেছনে থাকুন ৷ আর অশ্বারােহী
সৈন্যগণ সম্মুখে এগিয়ে গিয়ে ওদের সাথে লড়াই করুক ৷ মাকিল ইবন কায়স বললেন,

তবে তুমি যা বলেছ৩ তা অতি উত্তম ৷ এই কথোপকথনের পরপরই খারিজীগণ মাকিল ও
তার সৈন্যদের উপর হামলা চালায় ৷ অতর্কিত ৩হামলায় দিশেহারা হয়ে মাকিা লর সহযোগী
অধিকাংশ সৈন্য তাকে ছেড়ে ছত্রতঙ্গ হয়ে চারিদিকে পালিয়ে যায় ৷ মাকিল ইবন করেন
তখন ঘোড়া থেকে নেমে পদাতিক যুদ্ধের প্রস্তুতি নেন এবং তার সাথীদেরকে ডেকে
বললেন, হে মুসলিমগণ ৷ মাটিতে নেমে পড়ুন ৷ ফলে প্রায় ২০০ অশ্মরোহী সাহসী
সৈনিক পদাতিক বাহিনীতে পরিণত হয়ে তার পাশে এসে দাড়ায় ৷ আবু রাওয়া শাকিরাও

আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া-৮


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثَلَاثٍ وَأَرْبَعِينَ] فِيهَا غَزَا بُسْرُ بْنُ أَبِي أَرْطَاةَ بِلَادَ الرُّومِ، فَوَغَلَ فِيهَا حَتَّى بَلَغَ مَدِينَةَ قُسْطَنْطِينِيَّةَ، وَشَتَّى بِبِلَادِهِمْ فِيمَا زَعَمَهُ الْوَاقِدِيُّ، وَأَنْكَرَ ذَلِكَ آخَرُونَ، وَقَالُوا: لَمْ يَكُنْ بِهَا مَشْتًى لِأَحَدٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَفِيهَا مَاتَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ بِمِصْرَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ. قُلْتُ: وَسَنَذْكُرُ تَرْجَمَةَ كُلٍّ مِنْهُمَا فِي آخِرِهَا. فَوَلَّى مُعَاوِيَةُ بَعْدَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ عَلَى دِيَارِ مِصْرَ وَلَدَهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: فَعَمِلَ لَهُ عَلَيْهَا سَنَتَيْنِ. وَقَدْ كَانَتْ فِي هَذِهِ السَّنَةِ - أَعْنِي سَنَةَ ثَلَاثٍ وَأَرْبَعِينَ - وَقْعَةٌ عَظِيمَةٌ بَيْنَ الْخَوَارِجِ وَجُنْدِ الْكُوفَةِ وَذَلِكَ أَنَّهُمْ صَمَّمُوا، كَمَا قَدَّمْنَا، عَلَى الْخُرُوجِ عَلَى النَّاسِ فِي هَذَا الْحِينِ، فَاجْتَمَعُوا فِي قَرِيبٍ مِنْ ثَلَاثِمِائَةٍ، عَلَيْهِمُ الْمُسْتَوْرِدُ بْنُ عُلَّفَةَ، فَجَهَّزَ إِلَيْهِمُ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ جُنْدًا عَلَيْهِمْ مَعْقِلُ بْنُ قَيْسٍ فِي ثَلَاثَةِ آلَافٍ، فَسَارَ إِلَيْهِمْ، وَقَدِمَ بَيْنَ يَدَيْهِ أَبَا الرَّوَّاغِ فِي طَلِيعَةٍ، هِيَ ثَلَاثُمِائَةٌ عَلَى عِدَّةِ الْخَوَارِجِ، فَلَقِيَهُمْ أَبُو الرَّوَّاغِ بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: الْمَذَارُ. فَاقْتَتَلُوا مَعَهُمْ، فَهَزَمَتْهُمُ الْخَوَارِجُ، ثُمَّ كَرُّوا عَلَيْهِمْ، فَهَزَمَتْهُمُ الْخَوَارِجُ، وَلَكِنْ لَمْ يُقْتَلْ أَحَدٌ مِنْهُمْ، فَلَزِمُوا
পৃষ্ঠা - ৬৩৩৩


তাদের মধ্যে ছিলেন ৷ খারিজী সেনাপতি মুসতাওরিদ তাদের উপর আক্রমণ পরিচালনা
করে ৷ তারা তরবারী ও বর্শা ব্যাবহার করে তাদের আক্রমণ পরিচালনা করে ৷ অবশিষ্ট
সরকারী সৈন্য পলায়নরত অশ্বারোহীদের সাথে মিলিত হয় এবং তাদের পলায়নপরতার
জন্যে তিরস্কার ও ধিক্কার দেয়৷ অবশেষে পালিয়ে যাওয়া সৈনিকগণ প্রধান সেনাপতি
মাকালেব নিকট ফিরে আসে ৷ তিনি তখনও তার সহ৫যাগী৫দর নিয়ে খারিজী৫দর বিরুদ্ধে
প্রচণ্ডভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ এদি৫ক পালিয়ে যাওয়া সৈনিকগণ ফিরে আসছিল

মাকিল ওদেরকে ডান দল বাম দ৫ল সাজিয়ে সারিবদ্ধ করলেন ৷ তিনি ওদেরকে
বললেন ভোর, না হওয়া পর্যন্ত সব ই সারিতে অবস্থান করবে ৷ ভোর হলে আমরা
শত্রুপক্ষের উপর আক্রম করব ৷ ভো রঠু না হতেই খারিব্জীণণ পালিয়ে যায় এবং যেদিক

থেকে এসেছিল সেদিকে ফিরে যায় ৷ প্রধান সেনাপতি মাকাল তাদের খোজে যাত্রা করেন ন্

ন্ন্এবং ৬০০ সৈন্য সমন্বয়ে গঠিত একটি বাহিনী গঠন করে আবুরাওয়াব্যে দল৫নত৷ ৰু
মনােনীত করে পাঠিয়ে দেন ৷ আবু রাওয়৷ দ্রুত, রেগে এগিয়ে যান এবং সুর্যোদ৫রর সময়
ওদের, নগােলন্ৰুপানইান্খারিজীণণ পাল্টা আক্রমণ করে প্ ৷ কিছুক্ষণ উভয় পক্ষে যুদ্ধ চ৫লা

হঠাৎ খারিজীপণ সরকারী সৈন্যের উপর সম্মিলিত ও ঐক্যবদ্ধ আক্রমণ চালায় ৷ আবু

ৰুাওর৷ তার সইযােপীদের পলায়৫ন তিরস্কার ও অপমা৫নর কথা স্মরণ করিয়ে ধৈর্যধারণ ও

অবিচল থাকতে উৎসাহিত করেন ৷ তারা ধৈর্যধারণ করে এবং অবিচল থাকে ৷ তারা

খারিজী৫দর৫ক ওদের পণ্ডির মধ্যে থামিরে ৫দয়,ণ্ এগুতে দেয় নি৷ এ অবস্থা দেখে
খারিজীগণ প্রধান সেনাপতি মাকি৫লর উপস্থিতির আশঙ্কা করে ৷ তারা , উপলব্ধি করে যে,
মার্কিন বাহিনী এ,সে পৌছলে তাদের নিহতণ্হওয়া ছাড়া কোন উপায়“ থাকবে না ৷ তারপর

তারা পালিয়ে যায় ৷ তারা“ দাজলা নদীপার হয়ে নাহারশীর নগরে চলে যায় ৷ আবুরাওয়া , ,

এগিয়ে গিয়ে তাদেরকে ধাওয়া করেন-৷ মাকাল এসে আবু রাওয়ার সাথে যোগ দিলেন ৷
খারিজীগণ সেখান থেকে পালিয়ে পৌছে গেল আর্তীকা fifi%fi(&fifi মাদাই৫নর
শাসনকর্তা শারীফ ইবন উবায়দ খারিজীদেরকে তাড়া করেন ৷ আবু রাওয়৷ তার
অগ্রবাহিনীর সদস্য৫দরকে নিয়ে সেখানে গিয়ে পৌছান ৷ এই বছর মদীনায় শাসনকর্তা
মাবওয়ান ইবন হাকাম হ৫জ্জব ৫নতৃ তুদিয়ে হজ্জ সম্পন্ন করেন ৷
এই বছর যী র৷ ইন্তিকাল করলেন,৩ তাদের মধ্যে আছেন আমর ইবনুল আস্ (বা) এবং মুহাম্মদ
ন্ ইবন আসৃলামা (রা) ৷ আমর ইবনুল আস হলেন, আমর ইবনুল আ,স ইবন ওয়াইল ইবন হিশাম
ইবন সা দ ইবন সাহ্ম ইবন হ্াশীম্ ইবন কা ব ইবন লুওয়াই ইবন পালিব কুরায়শী সাহ্মী ৷ তার
উপনাম আবু আবদিল্লাহ্ ৷ মতাত্ত৫র আবু ঘুহাশ্মদ ৷ তিনি জাহেলী যুগে কুরায়শ সম্প্রদায়ের
অন্যতম নেতা ছিলেন ৷ মুসলমানগণ যখন আবিসিনিয়ায় হিজরত করেন তখন তাদেরকে ফেরত
৫দবার জন্যে নাজ্জাশীর নিকট কুর৷ ৷য়শীগণ আমর ইবনুল আস৫ক পাঠিয়েছি৫লন বিস্তু বাদশাহ
নাজ্জাশী তার না৷য়পরায়ণার জন্য অনুরোধ রক্ষা করেন নি ৷ বরং তিনি আমর ইবনুল আসকে এ
ব্যাপারে উপদেশ দেন ৷
কথিত আছে, আমর নাজ্জাশীর সামনেই ইসলাম গ্রহণ করেন ৷৩ তবে বিশুদ্ধ অভিমত এই যে,
মক্কা বিজয়ের ছয়মাস পুর্বে আমর ইবনুল আস নিজে, খালিদ ইবন ওয়ালীদ এবং উসমান ইবন


مَكَانَهُمْ فِي مُقَابَلَتِهِمْ يَنْتَظِرُونَ قُدُومَ أَمِيرِ الْجَيْشِ مَعْقِلِ بْنِ قَيْسٍ عَلَيْهِمْ، فَمَا قَدِمَ عَلَيْهِمْ إِلَّا فِي آخِرِ نَهَارٍ بَعْدَ أَنْ غَرَبَتِ الشَّمْسُ، فَنَزَلَ وَصَلَّى بِأَصْحَابِهِ، ثُمَّ شَرَعَ فِي مَدْحِ أَبِي الرَّوَّاغِ، فَقَالَ لَهُ: أَيُّهَا الْأَمِيرُ، إِنْ لَهُمْ شَدَّاتٍ مُنْكَرَةً، فَكُنْ أَنْتَ رِدْءَ النَّاسِ، وَمُرِ الْفُرْسَانَ فَلْيُقَاتِلُوا بَيْنَ يَدَيْكَ. فَقَالَ مَعْقِلُ بْنُ قَيْسٍ: نِعْمَ مَا رَأَيْتَ. فَمَا كَانَ إِلَّا رَيْثَمَا قَالَ لَهُ ذَلِكَ حَتَّى حَمَلَتِ الْخَوَارِجُ عَلَى مَعْقِلٍ وَأَصْحَابِهِ، فَانْجَفَلَ عَنْهُ عَامَّةُ أَصْحَابِهِ، فَتَرَجَّلَ عِنْدَ ذَلِكَ مَعْقِلُ بْنُ قَيْسٍ وَقَالَ: يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ، الْأَرْضَ الْأَرْضَ. فَتَرَجَّلَ مَعَهُ جَمَاعَةٌ مِنَ الْفُرْسَانِ وَالشُّجْعَانِ قَرِيبٌ مِنْ مِائَتَيْ فَارِسٍ مِنْهُمْ أَبُو الرَّوَّاغِ الشَّاكِرِيُّ، فَحَمَلَ عَلَيْهِمُ الْمُسْتَوْرِدُ بْنُ عُلَّفَةَ أَمِيرُ الْخَوَارِجِ بِأَصْحَابِهِ، فَاسْتَقْبَلُوهُمْ بِالرِّمَاحِ وَالسُّيُوفِ، وَلَحِقَ بَقِيَّةَ الْجَيْشِ بَعْضُ الْفُرْسَانِ، فَذَمَّرُهُمْ وَعَيَّرَهُمْ وَأَنَّبَهُمْ عَلَى الْفِرَارِ، فَرَجَعَ النَّاسُ إِلَى مَعْقِلٍ وَهُوَ يُقَاتِلُ الْخَوَارِجَ بِمَنْ مَعَهُ قِتَالًا شَدِيدًا، وَالنَّاسُ يَتَرَاجَعُونَ فِي أَثْنَاءِ اللَّيْلِ، فَصَفَّهُمْ مَعْقِلُ بْنُ قَيْسٍ مَيْمَنَةً وَمَيْسَرَةً وَرَتَّبَهُمْ وَقَالَ: لَا تَبْرَحُوا عَلَى مَصَافِّكُمْ حَتَّى نُصْبِحَ فَنَحْمِلَ عَلَيْهِمْ. فَمَا أَصْبَحُوا حَتَّى هُزِمَتِ الْخَوَارِجُ، فَرَجَعُوا مِنْ حَيْثُ أَتَوْا، فَسَارَ مَعْقِلٌ فِي طَلَبِهِمْ، وَقَدَّمَ بَيْنَ يَدَيْهِ أَبَا الرَّوَّاغِ فِي سِتِّمِائَةٍ، فَالْتَقَوْا بِهِمْ عِنْدَ طُلُوعِ الشَّمْسِ، فَثَارَ إِلَيْهِمُ الْخَوَارِجُ، فَتَبَارَزُوا سَاعَةً، ثُمَّ حَمَلُوا حَمْلَةَ رَجُلٍ وَاحِدٍ، فَصَبَرَ لَهُمْ أَبُو الرَّوَّاغِ بِمَنِّ مَعَهُ، وَجَعَلَ يُذَمِّرُهُمْ وَيَنْهَاهُمْ عَنِ الْفِرَارِ، وَيَحُثُّهُمْ عَلَى الصَّبْرِ، فَصَبَرُوا وَصَدَقُوا فِي الثَّبَاتِ، حَتَّى رَدُّوا الْخَوَارِجَ إِلَى أَمَاكِنِهِمْ، فَلَمَّا رَأَتِ الْخَوَارِجُ ذَلِكَ خَافُوا مِنْ هُجُومِ مَعْقِلٍ عَلَيْهِمْ، فَمَا يَكُونُ دُونَ
পৃষ্ঠা - ৬৩৩৪


তালহ৷ আবদায়ী ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ আমৱ ইবনুল আস ইসলামের অন্যতম ৫সনাপতি, প্
, ছিলেন ৷ যাতৃ সুলাসিল যু৫দ্ধ৩ তিনি সর্বাধিনায়৫কর দায়িত্ব পালন করেন ৷ আবু উবারদা (রা)-এর ৰু
নেতৃত্বে আবু ববন্ম সিদ্দীক (রা) এবং উমর ফারুক (রা) কে পাঠিয়ে বাসুলুল্লাহ্ (না) এই যুদ্ধে
আমর ইবনুল আস (রা)-৫ ক সাহায্য করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) তাকে ওমানের শাসনকর্তা নিয়োগ
করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ওফাতের পুর্ব পর্যন্ত তিনি ঐ পদে কর্মরত ছিলেন ৷ হযরত আবু
বকর সিদ্দীক (বা) তার শাসনামলে আমৱ ইবনুল আস (রা)-৫ক ঐ পদে বহাল রাখেন ৷ ইমাম
তিরমিযী (র) কুতায়বা উক্বাহ ইবন আমীর (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেছেন,

-৫লাস্ফো ইসলাম গ্রহণ করেছেন এবং আমর ইবনুল আস ঈমান আনয়ন করেছেন ৷’

ইমাম কিংমিষী (ব) আ৫র৷ উল্লেখ করেছেন যে ইসহাক ইবন মনসুব তালহা ইবন উবাযদিল্পাহ ন্

, ৫খ৫ক বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি বাসুলুল্লাহ্ (সা) ৫ক বলতে শুনেছি আম্ৰু ষ্টুবনুল ন্
আস; ক্যুায়৫শব সৎকর্মশীল ৫লাকদেব অন্যতম ৷- অপর বর্ণনায় এসেছে তিনি ব্লােহ্ন যে
বাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেছেন, , ,

আবদুল্লাহ আবদৃল্লাহব পিতা এবং আবদৃল্লাহ্ব মাতা মি৫ল কী ভাল একটি পরিবার ৷’
এটি আমর ইবনুল আ,স (রা) এর ফযীলত ও মর্যাদা অধ্যায়ে তারা উদ্ধৃত করেছেন ৷
এরপর আবু ববল্ম সিদ্দীক (রা) তার শাস্নাম্লে সিরিয়ার যে ৫সন৷ অভিযান প্রেরণ

? করেছিলেন, তাতে আমৱ ইবনুল আসকে অন্যতম ৫সনঃাপতি নিযুক্ত করেছিলেন ৷ ফলে ঐ

যুদ্ধে৩ তিনি অংশ নিয়েছিলেন ৷ তার মতামত ছিল সঠিক ও বাস্তবসম্মত ৷ ফারুকী শাসনামলে

খ্লীফা উমর (রা) তা৫ক মিশর অভিযানে প্রেরণ বমরছি৫লন ৷ তিনি মিশর জয় করেন ৷ খলীফা

তা৫ক সেখানকার শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন ৷ উসমানী যুগে হযরত উসমান (রা) জ৫ক : বছর
পর্যন্ত ওই পদে বহাল রাখেন ৷
এরপর তাকে অপসারণ করেন এবং তার স্থলে আব্দুল্লাহ ইবন সা দ আৰী সারাহষ্র্মু৫ ক

শাসনকর্তা নিয়োগ করেন ৷ ক্ষোভে-দুঃ৫খ আমৱ ইবনুল আস (রা) ফিলিন্তিনে একাকী জীবন

প্ যাপন করতে থাকেন এবং তার মনে খলীফা উসমান (রা) এর প্রতি ক্ষোভ বিরাজমান থাকে ৷

”হযরত উসমান (রা) নিহত হবার পর তিনি মুআবিয়া (রা) এর নিকট আসেন এবং তার পক্ষে

সিফ্ফিনসই সকল যুদ্ধ কািহে অংশ ৫নন ৷ সিফ্ফিন যুদ্ধে তিনি আপোষ্ণমীমাংসাকায়ী সালিশ
দু’জ৫নব একজন ছিলেন ৷

মুহাম্মদ ইবন আবী বকরের হাত থেকে মুআবিয়৷ (রা) যখন মিশরের কর্তৃত্ব ছিনিয়ে
নিলেন, তখন আমৱ ইবনুল আস৫ক সেখানকার শাসনকর্তা নিয়োগ করেন ৷ তিনি ৪৩ হিজয়ী
সনে মৃত্যুর পুর্ব পর্যন্ত মিশরের শাসনকর্তা পদে বহাল ছিলেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, তিনি
ইন্তিকাল করেছেন ৪৭ হিজরীতে, কেউ বলেছেন ৪৮ হিজরীতে ,আবার কেউ বলেছেন ৫১

ন্হিজয়ী৫ত তার মৃত্যু হয় ৷ তিনি আরবের শক্তিশালী, সাহসী, বি-চক্ষণ ও অজ্যি বজিংপ

পরিগণিত হতেন ৷ তার বেশ কিছু দৃষ্টান্তমুলক বচন ও উত্তম কবিতা রয়েছে ৷ তার থেকে বর্ণিত


قَتْلِهِمْ شَيْءٌ فَهَرَبُوا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ حَتَّى قَطَعُوا دِجْلَةَ، وَوَقَعُوا فِي أَرْضِ بَهُرَسِيرَ، وَتَبِعَهُمْ أَبُو الرَّوَّاغِ، وَلَحِقَهُ مَعْقِلُ بْنُ قَيْسٍ، وَوَصَلَتِ الْخَوَارِجُ إِلَى الْمَدِينَةِ الْعَتِيقَةِ، فَرَكِبَ إِلَيْهِمْ سِمَاكُ بْنُ عُبَيْدٍ نَائِبُ الْمَدَائِنِ، وَلَحِقَهُمْ أَبُو الرَّوَّاغِ بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُقَدِّمَةِ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ نَائِبُ الْمَدِينَةِ. وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ بِهَا عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا. أَمَّا عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ بْنِ وَائِلِ بْنِ هَاشِمِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ سَهْمِ بْنِ عَمْرِو بْنِ هُصَيْصِ بْنِ كَعْبِ بْنِ لُؤَيِّ بْنِ غَالِبٍ الْقُرَشِيُّ السَّهْمِيُّ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ، وَيُقَالُ: أَبُو مُحَمَّدٍ. أَحَدُ رُؤَسَاءِ قُرَيْشٍ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، وَهُوَ الَّذِي أَرْسَلُوهُ إِلَى النَّجَاشِيِّ لِيَرُدَّ عَلَيْهِمْ مَنْ هَاجَرَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ إِلَى بِلَادِهِ، فَلَمْ يُجِبْهُمْ إِلَى ذَلِكَ لِعَدْلِهِ، وَوَعَظَ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ فِي ذَلِكَ، فَيُقَالُ: إِنَّهُ أَسْلَمَ عَلَى يَدَيْهِ. وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ إِنَّمَا أَسْلَمَ قَبْلَ الْفَتْحِ بِسِتَّةِ أَشْهُرٍ هُوَ وَخَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ وَعُثْمَانُ بْنُ طَلْحَةَ الْعَبْدَرِيُّ. وَكَانَ أَحَدَ أُمَرَاءِ الْإِسْلَامِ، وَهُوَ أَمِيرُ غَزْوَةِ ذَاتِ السَّلَاسِلِ، وَأَمَدَّهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَدَدٍ، عَلَيْهِمْ أَبُو عُبَيْدَةَ وَمَعَهُ الصِّدِّيقُ وَعُمَرُ الْفَارُوقُ، وَاسْتَعْمَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى عُمَانَ، فَلَمْ يَزَلْ عَلَيْهَا مُدَّةَ حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَقَرَّهُ عَلَيْهَا الصِّدِّيقُ.
পৃষ্ঠা - ৬৩৩৫
وَقَدْ قَالَ التِّرْمِذِيُّ: ثَنَا قُتَيْبَةُ، ثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ ثَنَا مِشْرَحُ بْنُ هَاعَانَ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «: " أَسْلَمَ النَّاسُ وَآمَنَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ ".» وَقَالَ أَيْضًا: ثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، ثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ نَافِعِ بْنِ عُمَرَ الْجُمَحِيِّ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ قَالَ: قَالَ طَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ مِنْ صَالِحِي قُرَيْشٍ ".» وَفِي الْحَدِيثِ الْآخَرِ «ابْنَا الْعَاصِ مُؤْمِنَانِ» وَفِي الْحَدِيثِ الْآخَرِ «نِعْمَ أَهْلُ الْبَيْتِ عَبْدُ اللَّهِ وَأَبُو عَبْدِ اللَّهِ وَأُمُّ عَبْدِ اللَّهِ» رَوَوْهُ فِي فَضَائِلِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ ثُمَّ إِنَّ الصِّدِّيقَ بَعَثَهُ فِي جُمْلَةِ مَنْ بَعَثَ مِنْ أُمَرَاءِ الْجَيْشِ إِلَى الشَّامِ، فَكَانَ مِمَّنْ شَهِدَ تِلْكَ الْحُرُوبَ، وَكَانَتْ لَهُ الْآرَاءُ السَّدِيدَةُ، وَالْمَوَاقِفُ الْحَمِيدَةُ، وَالْأَحْوَالُ السَّعِيدَةُ، ثُمَّ بَعَثَهُ عُمَرُ إِلَى مِصْرَ فَافْتَتَحَهَا وَاسْتَنَابَهُ عَلَيْهَا، وَأَقَرَّهُ عَلَيْهَا عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ أَرْبَعَ سِنِينَ، ثُمَّ عَزَلَهُ، كَمَا قَدَّمْنَا، وَوَلَّى عَلَيْهَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ، فَاعْتَزَلَ عَمْرٌو بِفِلَسْطِينَ، وَبَقِيَ فِي نَفْسِهِ مِنْ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، فَلَمَّا قُتِلَ عُثْمَانُ سَارَ إِلَى مُعَاوِيَةَ، فَشَهِدَ مَوَاقِفَهُ كُلَّهَا بِصِفِّينَ وَغَيْرِهَا، وَكَانَ هُوَ أَحَدَ الْحَكَمَيْنِ، ثُمَّ لَمَّا أَنِ اسْتَرْجَعَ مُعَاوِيَةُ مِصْرَ وَانْتَزَعَهَا مِنْ يَدِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ اسْتَعْمَلَ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ عَلَيْهَا، فَلَمْ يَزَلْ نَائِبَهَا إِلَى أَنَّ مَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَلَى الْمَشْهُورِ، وَقِيلَ: إِنَّهُ تُوُفِّيَ سَنَةَ سَبْعٍ وَأَرْبَعِينَ. وَقِيلَ: سَنَةَ ثَمَانٍ
পৃষ্ঠা - ৬৩৩৬


আছে, তিনি বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে সহস্র সংখ্যক উপম৷ ও প্রবচন মুখস্ত
করেছি ৷ তার একটি কবিতা এইশু “
া১া
কোন লোক যদি তার মায়ের ও পছন্দের খাদ্য বর্জন না করে এবং পােমরাহ হৃদয়কে
তার কামনা (থহ্ক বিরত রাখে--
তাহলে নির্ঘাত তার মৃত্যু হবে এবং দীর্ঘ যুগ সে ছেড়ে চলে যাবে ৷ আর যদি তার
উদাহরণ দিতে যাই৩ তাহলে মুখ৬ ভর্তি ৩হয়ে যাবে’ ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেছেন, আলী ইবন ইসহাক-আবদুর রহমান ইবন শাম্মাসা থেকে
বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, যখন-আমর ইবনুল আস (রা) মৃত্যুর মুখোমুখি তখন তিনি ;
কেদে ফেললেন ৷ তখন তার পুত্র আবদুল্লাহ (রা) বললেন, বাবা র্কাদছেন কেন? মৃত্যু ভয়ে
কাদছেন কি? উত্তরে তিনি বললেন, না, তা নয় ৷ বরং মৃত্যু পরবর্তী অবস্থার কথা চিন্তা করে
কাদছি’ ৷ তার পুত্র বললেন, কেন, আপনি তো ভাল লোক ছিলেন’ ৷ এ প্রসঙ্গে তিনি তার ন্
পি ৷তার রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাহচর্য এবং সিরিয়া বিজয় ইত্যাদি কল্যাণকর কাজগুলো উল্লেখ
করছিলেন ৷ এক পর্যায়ে আমর (রা) বললেন, হ্যা,৩ তা ঠিক ৷৩ তবে এই সবগুলাের শ্রে ষ্ঠ যেটি
অর্থাৎ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ আমি সেটি ছেড়ে দিয়েছিলাম ৷ সেটির যিকির থেকে বঞ্চিত
থেকেছিলাম ৷ আমি জীবনে তিনটি পর্যায় অতিত্রন্ ম করে এসেছি ৷ প্রত্যেক পর্যায়ে আমি আমার
সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল জ্জিাম ৷ আমার আত্ম উপলব্ধি ছিল ৷ আমি কুরায়শ বংশের প্রথম সারির
কাফির ছিলাম ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বিরুদ্ধাচারী ছিলাম ৷ তখন আমার মৃত্যু হলে আমার
জন্যে জাহ্ান্নাম অনিবার্য ছিল ৷
পরবর্তী পর্যায়ে আমি যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর হাতে বায়আত করলাম তখন তাকে
, দেখলে আমার খুবই লজ্জা হত ৷ ফলে আমি নয়ন ভরে রাসুলুল্লাহ্ (সা)ণ্কে দেখতে পারি নি ৷
এবং চক্ষুলজ্জার কারণে আমার কাডিংংত বিষয় তার নিকট দ্বিতীয়বার উচ্চারণ করতে পারি
নি ৷ আমি এ পর্যায়ে থাকতে থাকতে তার ওফাত হয়ে যায় ৷ তখন আমার মৃত্যু হলে লোকজন
বলত, ধনাবাদ আমরকে, সে ইসলাম গ্রহণ করেছে এবং সে ভাল কাজে লিপ্ত ছিল এবং ঐ
ভাল কাজে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে ৷ আমরা তার জন্যে জান্নাতের আশা করি ৷ এরপর
আমি রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ি ৷ আমি জানি না ওগুলো আমার জন্যে
কল্যাণকর হল না অকল্যাণকব ৷ এখন আমি যদি মারা যইি আমার জন্যে কেউ যেন না কাদে ৷
কোন প্ৰশ ন্সাকারী এবং কোন প্রকারের আগুন যেন আমার পেছনে না যায় ৷ তোমরা আমার
পরিধানের কাপড় ভাল করে বেধে দিও কারণ আমি সেখ৷ ৷নে আঅপক্ষ সমর্থনে বিতর্ক করব ৷
আমার কবরে তোমরা চাবিদিক থেকে মাটি টেনে দািব ৷ কারণ মাটি পাওয়ার ক্ষেত্রে আমার
ডানদিক আমার বামদিক থেকে অগ্নাধিকারী নয় ৷ আমার কবরে তোমরা কোন কাঠ ব৷ পাথর
চুকিয়ে দািব না ৷ আমাকে কবরে মাটি ঢেলে ঢেকে দেবার পর তোমরা পশু জবাই করে
অপেক্ষা করার সময় পরিমাণ কবরের পাশে অবস্থান করবে, তাহলে তে ৷মাদের উপস্থিতিতে
আমি কিছুটা নির্ভর ও প্রকৃতিস্থ থাকর ৷


وَأَرْبَعِينَ. وَقِيلَ: سَنَةَ إِحْدَى وَخَمْسِينَ. رَحِمَهُ اللَّهُ. وَقَدْ كَانَ مَعْدُودًا مِنْ دُهَاةِ الْعَرَبِ وَشُجْعَانِهِمْ وَذَوِي آرَائِهِمْ، وَلَهُ أَمْثَالٌ حَسَنَةٌ وَأَشْعَارٌ جَيِّدَةٌ. وَقَدْ رُوِيَ أَنَّهُ قَالَ: حَفِظْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَلْفَ مَثَلٍ. وَمِنْ شِعْرِهِ: إِذَا الْمَرْءُ لَمْ يَتْرُكْ طَعَامًا يُحِبُّهُ ... وَلَمْ يُنْهَ قَلْبًا غَاوِيًا حَيْثُ يَمَّمَا قَضَى وَطَرًا مِنْهُ وَغَادَرَ سُبَّةً ... إِذَا ذُكِرَتْ أَمْثَالُهَا تَمْلَأُ الْفَمَا وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ إِسْحَاقَ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ - يَعْنِي ابْنَ الْمُبَارَكِ - أَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ شِمَاسَةَ حَدَّثَهُ قَالَ: لَمَّا حَضَرَتْ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ الْوَفَاةُ بَكَى، فَقَالَ لَهُ ابْنُهُ عَبْدُ اللَّهِ: لِمَ تَبْكِي؟ أَجَزَعًا مِنَ الْمَوْتِ؟ فَقَالَ: لَا وَاللَّهِ، وَلَكِنْ مِمَّا بَعْدَ الْمَوْتِ. فَقَالَ لَهُ: قَدْ كُنْتَ عَلَى خَيْرٍ. فَجَعَلَ يُذَكِّرُهُ صُحْبَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفُتُوحَهُ الشَّامَ. فَقَالَ عَمْرٌو: تَرَكْتَ أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ كُلِّهِ ; شَهَادَةَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، إِنَّى كُنْتُ عَلَى ثَلَاثَةِ أَطْبَاقٍ، لَيْسَ فِيهَا طَبَقٌ إِلَّا عَرَفْتُ نَفْسِي فِيهِ، كُنْتُ أَوَّلَ شَيْءٍ كَافِرًا، وَكُنْتُ أَشَدَّ النَّاسِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَوْ مِتُّ حِينَئِذٍ وَجَبَتْ لِيَ النَّارُ، فَلَمَّا بَايَعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُنْتُ أَشَدَّ النَّاسِ حَيَاءً مِنْهُ، فَمَا مَلَأْتُ عَيْنَي مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا رَاجَعْتُهُ فِيمَا أُرِيدُ، حَتَّى لَحِقَ بِاللَّهِ ; حَيَاءً مِنْهُ، فَلَوْ مِتُّ
পৃষ্ঠা - ৬৩৩৭


ইমাম মুসলিম (র) এই হাদীস তার সহীহ্ গ্রন্থে ইয়াষীদ ইবন আৰী হার্বীব সুত্রে অনুরুপ
উদ্ধৃত করেছেন ৷ তবে তাতে কিছুটা অতিরিক্ত বিবরণ রয়েছে ৷ তার একটা হল এই তােমরা
পশু জবইি করা পরিমাণ সময় আমার কবরের পাশে দাড়িয়ে থাকবে, যাতে ৷তামাদের
উপস্থিতিতে আমি নিঃসঙ্গতা কাটিয়ে উঠতে পারি, যাকু ত তােমরহু মোঃ প্লুাব্ল যে, অলোঃ

দুত মুনকার-নার্কীর ফিরিশতাকে আমি কি উত্তর দিচ্ছি ৷ , ন্
এক বর্ণনায় এসেছে যে, এরপর তিনি দেয়ালের দিকে মুখ করে বলতে ল্া ষ্স্কো, “৫হ:
আল্লাহ ! আপনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, আমি আপনার অৰাধ্যষ্ ,হয়েছি ৷ আপনি
আমাকে কিছু কাজে নিষেধ করেছিলেন আমি তা থেকে বিরত থাকি নি ৷ এখনৃ আপনার ক্ষমা
ছাড়া আমার কোন শক্তি নেই ৷ অপর এক রণ্নিায় এস্থেছে যে তিনি তার ন্মোশে চিবুকে
হাত রেখে মাথা উপরের দিকে উঠিয়ে বলেছিলেন, “হে অল্লোহ্ আমি শ্বন্ডিমান নই, আমি
দুর্বল ৷ আপনি আমাকে সাহায্য করুন ৷ আমি দোষমুত্তক্ট্র নই, আমার অক্ষমত৷ গ্রহণ কো ৷
আমি আপনার প্রতি বিরুপ নই বরৎ আমি ক্ষমা প্রার্থনাকরীি ৷ আপনি ব্যতীত ণ্কান ইলাহ্
নেই ৷ তিনি অনবরত এ কথাগুলো বনছিলেন ৷ আর এরই এক পর্ষান্নে তার মৃত্যু হয় ৷
আল্লাহ্ তার প্রতি সন্তুষ্ট হোন ৷

মুহাম্মদ ইবন মাসৃলামা আনফুা৷ৰী (বা)

মুহাম্মদ ইবন মাসৃলাম৷ (রা) আনসারী ইসলাম গ্রহণ কারছিল্টো ন্মো মুস আর ইবন
উমায়র (রা) এর হাতে ৷ তার ইসলাম গ্রহণ ছিল হযরত ৩উসায়দ ইবন হ্লার ও সন্দে ইবন , ’
মু আর (রা) এর পুর্বে ৷ তিনি বদরের যুদ্ধে এবং পরবর্তী যুদ্ধসসুহুহ মোঃ ক্যরছো ৷ তবে ং
তাবুকের যুদ্ধে তিনি অংশ নিতে পারেন নি৷ কারণ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ভবন র্তাকে মদীনায়
শাসনভার দিয়ে গিয়েছিলেন ৷ মতান্তরে তখন তাকে কারকলো-আল-ক্যুরে-এর শাসনভার
দিয়ে গিয়েছিলেন ৷ যারা কাব ইবন আশৃরাফ ইয়াহুদীকে হত্যা রররহিঃলন তিনি তাদ্যো
অন্যতম ছিলেন ৷

কেউ কেউ বলেছেন যে, খায়বারের যুদ্ধে ইয়াহুদী নেতা মারহাৰ কে তিনি হত্যা
করেছিলেন ৷ প্রায় ১৫টি সেনা অভিযানে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে প্রধান সেনাপতির দাফ্লিৎ ন্
দিয়েছিলেন ৷ উৰ্ষ্ট্ৰর যুদ্ধে ও সিফ্ফীদ্দের যুদ্ধের ন্যায় কতক যুদ্ধে৩ তিনি নিজ্যেকজড়িত
করেন নি ৷৩ তা থেকে নিজেকে দুরে ব্লেখেছিলেন ৷ তার একটি কাঠের ভৈজ্জী তররারি ছিল ৷
ইতিপুর্বে বর্ণিত হাদীসে আমরা উঃল্লর করেছি যে, রাসুলুল্লাহ্ (যা) তাকে এরুপ নির্দেশ ,
দিয়েছিলেন, তিনি রাবাযা’ তে বসবাস করেছিলেন ৷ তিনি নেতৃস্থানীয় সাহাবীদেব একজন
ছিলেন ৷ তিনি হবরত উমর (রা) এর র্শাসনামলে তার পক্ষ থেকে সরকারী কর্মচারীদের প্রতি
খলীফার প্রতিনিধিত্ব করতেন এবং ভুাদেব্র খলীফার নির্দেশ বুঝিয়ে দিআে তাকে উপল্হ্ম
করেঅনেক বড় বড় ঘটনা ঘটেছে ৷ তার আমানতদারী ও বিশ্বস্ততা ছিল অকােশচুষি ৷ আল্লাহ
তা আলা তার প্রতি সন্তুষ্ট হোন ৷ খলীফা উমর (রা) তাকে জুহারন৷ গোত্র থেকে সাদাকা
আদায়ের দায়িত্ব দিয়েছিলেন ৷

কেউ কেউ বলেছেন যে,৩ তিনি ৪৬ কিংবা ৪৭ হিজরী সনে ইন্তিকাল করেন ৷ কেউ কেউ
অন্য কথাও বলেছেন ৷ তবে তার বয়স সত্তর বছর অতিক্রম করেছিল ৷ তিনি শ্রী, ১০ জন


يَوْمَئِذٍ قَالَ النَّاسُ: هَنِيئًا لِعَمْرٍو ; أَسْلَمَ وَكَانَ عَلَى خَيْرٍ فَمَاتَ عَلَيْهِ، نَرْجُو لَهُ الْجَنَّةَ. ثُمَّ تَلَبَّسْتُ بَعْدَ ذَلِكَ بِالسُّلْطَانِ وَأَشْيَاءَ، فَلَا أَدْرِي عَلَيَّ أَمْ لِي، فَإِذَا مِتُّ فَلَا تَبْكِيَنَّ عَلَيَّ بَاكِيَةٌ، وَلَا تُتْبِعْنِي مَادِحًا وَلَا نَارًا، وَشُدُّوا عَلَيَّ إِزَارِي فَإِنِّي مُخَاصِمٌ، وَشُنُّوا عَلَيَّ التُّرَابَ شَنًّا، فَإِنَّ جَنْبِي الْأَيْمَنَ لَيْسَ بِأَحَقَّ بِالتُّرَابِ مِنْ جَنْبِي الْأَيْسَرِ، وَلَا تَجْعَلُنَّ فِي قَبْرِي خَشَبَةً وَلَا حَجَرًا، وَإِذَا وَارَيْتُمُونِي فَاقْعُدُوا عِنْدِي قَدْرَ نَحْرِ جَزُورٍ وَتَقْطِيعِهَا ; أَسْتَأْنِسُ بِكُمْ. وَقَدْ رَوَى مُسْلِمٌ هَذَا الْحَدِيثَ فِي " صَحِيحِهِ " مِنْ حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ بِإِسْنَادِهِ نَحْوَهُ، وَفِيهِ زِيَادَاتٌ عَلَى هَذَا السِّيَاقِ حَسَنَةٌ، فَمِنْهَا قَوْلُهُ: كَيْ أَسْتَأْنِسَ بِكُمْ لِأَنْظُرَ مَاذَا أُرَاجِعُ بِهِ رُسُلَ رَبِّي، عَزَّ وَجَلَّ. وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّهُ بَعْدَ هَذَا حَوَّلَ وَجْهَهُ إِلَى الْجِدَارِ وَجَعَلَ يَقُولُ: اللَّهُمَّ أَمَرْتَنَا فَعَصَيْنَا، وَنَهَيْتَنَا فَمَا انْتَهَيْنَا، وَلَا يَسَعُنَا إِلَّا عَفْوُكَ. وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّهُ وَضَعَ يَدَهُ عَلَى مَوْضِعِ الْغُلِّ مِنْ عُنُقِهِ، وَرَفَعَ رَأَسَهُ إِلَى السَّمَاءِ، وَقَالَ: اللَّهُمَّ لَا قَوِيٌّ فَأَنْتَصِرَ، وَلَا بَرِيءٌ فَأَعْتَذِرَ، وَلَا مُسْتَكْبِرٌ بَلْ مُسْتَغْفِرٌ، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ. فَلَمْ يَزَلْ يُرَدِّدُهَا حَتَّى مَاتَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
পৃষ্ঠা - ৬৩৩৮


ছেলে এবং ৬ জা যেয়ে ৫রখে গিয়েছিলেন ৷ তার গায়ের রং ছিল বাদামী ৷ দেহের আকার ছিল
লম্বা এবং যারা ছিল টাকযুক্ত ৷ ,

আবদুল্লাহ ইবন সালামা (বা)

এই হিজয়ী সনে যাব! ইন্তিকাল করেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন, আবদুল্লাহ ইবন
সালাম আবু ইউসুফ ইসরাঈলী, ইয়াহুদীদের অন্যতম পণ্ডিত ব্যক্তি৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন
হিজরত করে মদীনায় আগমন করেন তখন আবদুল্লাহ ইসলামে দীক্ষিত হন ৷ তিনি নিজে
বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন মদীনায় আগমন করেন তখন দলে দলে লোক তাকে
দেখতে আসে ৷ আমি ওই আগমনকাবীদেব একজন ছিলাম ৷ আমি যখন তার চেহারা দেখলাম
তখন আমি উপলব্ধি করলাম যে, র্তাদ চেহারা কোন মিথ্যাবাদীর চেহারা নয় ৷ সর্বপ্রথম আমি
তাকে বল৫ত শু৫নছি, তিনি বলছিলেন
-৫হ লোক সকল ! ৫তামরা সালাম আদান-প্রদানের ব্যাপক প্রচলন ঘটাও ৷ মানুষ৫ক খাদ্য
দা,ও আত্মীয়ত৷ রক্ষা কর, তাহলে তোমরা শান্তির সাথে জান্না৫ত প্রবেশ করবে ৷’
হিজরতের প্রথম দিককার আলোচনায় তার চমৎকারভাবে ইসলামের বিধি-বিধান পালনের
কথা উ৫ক্ট্রাখ করেছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-৫ক৩ তিনি কী কী প্রশ্ন কারস্কইনঃ, তাও আমরা উল্লেখ
করেছি ৷ রাসুলুল্পাহ্ (যা) যাদেরকে জান্না৫ত যাবার সুসংবাদ দিয়েছেন এবং যাদের জান্নাতে
’ যাওয়া সুনিশ্চিতৃ হ্রয্রত আবদুল্লাহ সালাম তাদের অন্যতম ৷


وَأَمَّا مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ الْأَنْصَارِيُّ، فَإِنَّهُ أَسْلَمَ عَلَى يَدَيْ مُصْعَبِ بْنِ عُمَيْرٍ قَبْلَ أُسَيْدِ بْنِ حُضَيْرٍ وَسَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ، شَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا إِلَّا تَبُوكَ ; فَإِنَّهُ اسْتَخْلَفَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْمَدِينَةِ فِي قَوْلٍ، وَقِيلَ: اسْتَخْلَفَهُ فِي قَرْقَرَةِ الْكُدْرِ. وَكَانَ فِيمَنْ قَتَلَ كَعْبَ بْنَ الْأَشْرَفِ الْيَهُودِيَّ، وَقِيلَ: إِنَّهُ الَّذِي قَتَلَ مَرْحَبًا الْيَهُودِيَّ يَوْمَ خَيْبَرَ أَيْضًا. وَقَدْ أَمَّرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى نَحْوٍ مِنْ خَمْسَ عَشْرَةَ سَرِيَّةً، وَكَانَ مِمَّنِ اعْتَزَلَ تِلْكَ الْحُرُوبَ بِالْجَمَلِ وَصِفِّينَ وَغَيْرِهِمَا، وَاتَّخَذَ سَيْفًا مِنْ خَشَبٍ. وَقَدْ وَرَدَ فِي حَدِيثٍ قَدَّمْنَاهُ أَنَّهُ أَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ، وَخَرَجَ إِلَى الرَّبَذَةِ. وَكَانَ مِنْ سَادَاتِ الصَّحَابَةِ، وَكَانَ هُوَ بَرِيدَ عُمَرَ إِلَى عُمَّالِهِ، وَهُوَ الَّذِي شَاطَرَهُمْ عَنْ أَمْرِهِ، وَلَهُ وَقَائِعُ عَظِيمَةٌ وَصِيَانَةٌ وَأَمَانَةٌ بَلِيغَةٌ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَاسْتَعْمَلَهُ عُمَرُ عَلَى صَدَقَاتِ جُهَيْنَةَ، وَقِيلَ: إِنَّهُ تُوُفِّيَ سَنَةَ سِتٍّ أَوْ سَبْعٍ وَأَرْبَعِينَ. وَقِيلَ غَيْرُ ذَلِكَ. وَقَدْ جَاوَزَ السَّبْعِينَ، وَتَرَكَ بَعْدَهُ عَشَرَةَ ذُكُورٍ وَسِتَّ بَنَاتٍ، وَكَانَ أَسْمَرَ شَدِيدَ السُّمْرَةِ طَوِيلًا أَصْلَعَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ، أَبُو يُوسُفَ الْإِسْرَائِيلِيُّ، أَحَدُ أَحْبَارِ الْيَهُودِ، كَانَ حِينَ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ فِي نَخْلٍ لَهُ، قَالَ: لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ انْجَفَلَ النَّاسُ إِلَيْهِ، فَكُنْتُ فِيمَنِ انْجَفَلَ إِلَيْهِ، فَلَمَّا رَأَيْتُ وَجْهَهُ
পৃষ্ঠা - ৬৩৩৯
عَرَفْتُ أَنَّ وَجْهَهُ لَيْسَ بِوَجْهِ كَذَّابٍ، فَكَانَ أَوَّلَ مَا سَمِعْتُهُ يَقُولُ: «أَيُّهَا النَّاسُ، أَفْشَوُا السَّلَامَ، وَأَطْعَمُوا الطَّعَامَ، وَصِلُوا الْأَرْحَامَ، وَصَلُّوا بِاللَّيْلِ وَالنَّاسُ نِيَامٌ، تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ بِسَلَامٍ ".» وَقَدْ ذَكَرْنَا صِفَةَ إِسْلَامِهِ أَوَّلَ الْهِجْرَةِ، وَمَاذَا سَأَلَ عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْأَسْئِلَةِ النَّافِعَةِ الْحَسَنَةِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَهُوَ مِمَّنْ شَهِدَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْجَنَّةِ، وَهُوَ مِمَّنْ يُقْطَعُ لَهُ بِدُخُولِهَا.