আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثنتين وأربعين

পৃষ্ঠা - ৬৩৩০

হিজরী ৪২ সাল

এই বছর মুসলমানগণ লাল ও রোমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হন এবং শত্রু পক্ষের বহু
সামরিক সদস্য ও সেনাপতিকে হত্যা করেন ৷ত,ারা প্রচুর ধন -সম্পদ দখল করে নেন এবং শেষ
পর্যন্ত সন্ধি স্থাপন করেন ৷ এই বছর আমীর মুআবিয়া (রা) মারওয়ান ইবন হাকামকে মদীনায়
শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন ৷ খালিদ ইবন আস ইবন হিশামকে মক্কার প্রশাসক এবং ঘুগীরা ইবন
শুবাকে কুফার শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন ৷ কুফার বিচারক নিযুক্ত করেন, শুরায়হ্ আল শ্কাযীকে ৷
বসরার শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন আবদুল্লাহ ইবন আযীরকে, আবদুল্লাহ ইবন আমিরের পক্ষে
খুরাসানের শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন কাযস ইবন হায়ছামকে ৷ এই বছর খারিজীপণ মাথাচাড়া
দিয়ে ওঠে এবং উৎপাত শুরু করে ৷ নাহরাওয়ানের যুদ্ধে হযরত আলী (রা) ওদেরকে ক্ষমা করে
দািয়ছিলেন ৷ ইতিমধ্যে তাদের আহত ৷লাকপণ সুস্থ হয়ে উঠে এবং শক্তিমান সোকপণ
অসুস্থদেৱ সাথে মিলিত হয় ৷ হযরত আলী (রা) এর নিহত হবার সংবাদ শুনে তার৷ ঘাতক ইবন
মুলজিমেব প্রতি সহানুভুতি প্রকাশ করে ৷ তাদের একজন বলেছিল যে হাত তৱবারিসহ আলী
(রা)-এর ঘাড়ে উঠেছে আল্পাহ্ যেন ওই হাত কর্তন না করেন১ ৷ হযরত আলী (রা) এর নিহত
হবার ঘৃটনা য় তারা আল্লাহ্র প্রশংসা করে৷ এরপর তারা জনসমক্ষে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয়
এবং তাদের ধারণা অনুযায়ী সৎকর্মের আদেশ এবং অসৎ কর্মের নিষেধের মিশন শুরুর কর্মসুচি
গ্রহণ করে ৷ এই বছর যিয়াদ ইবন আবিদী আমীর মুআবিয়া (রা)-এর দরবারে উপস্থিত হয় ৷
যে প্রায় দীর্ঘ এক বছর যাবত আমীর মুআবিয়া (রা) থেকে দুরে থেকেছিল এবং বায়আত করা
থেকে বিরত রয়েছিল ৷ এই সময়ে যে যিয়াদের দুর্প নামে এক সুরক্ষিত দুর্ণে অবস্থান করে ৷
এক পর্যায়ে আমীর মুআবিয়া (রা) তাকে পত্র লিখেন, ভুমি কেন আত্মহনন ও নিজেকে ধ্বংস
করার পথে যাচ্ছ? তুমি আমার নিকট এসো, পারসিকদের নিকট থেকে তৃমি যে ধন-সম্পদ
আয়ত্ত করেছ এবং তা হতে যে পরিমাণ ব্যয় করেছ, তা আমাকে জানাও, আর যতটুকু আছে তা
নিয়ে আমার দরবারে উপস্থিত হও ৷ আমি তোমাকে নিরাপত্তা দিব, তুমি নিরাপদে থাকবে ৷
এরপর তোমার মন চাইলে তুমি আমার এখানে থাকবে নতুবা পৃথিবীর যে কোন স্থানে যেতে
চাও, যেতে পারবে ৷ তোমার জন্যে নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে ৷ এই চিঠি পেয়ে যিয়াদ আমীর
মু আবিয়া (রা) এর সাথে সাক্ষাত করার সিদ্ধান্ত নেয় ৷ এদিকে ষিয়াদের আগমন সংবাদ অবগত
হন শাসনকর্তা মুগীরা ইবন শুবা (বা) ৷ তার আগে যিয়াদ মুআবিয়া (রা)-এর সাথে মিলিত হয়ে
যায় কিনা এই আশংকায় মুগীরা (রা)ও দামেশৃক-এর উদ্দেশ্যে মুআবিয়া (রা)এর সাক্ষাত
, করার জন্যে রওয়ানা হন ৷ তিঃ মুগীরা দামেশৃক পৌছার এক মাস আগে যিয়াদ ঘুআবিয়া (রা)-
এর নিকট পৌছে যায় ৷ তখন আমীর মুআবিয়া (রা) মুপীরা (রা)-কে বললেন, ব্যাপার কী?
যিয়াদ তো আপনার চইিতে দুরে অবস্থান ক্যজ্জি তবুও আপনার আগমনের একমাস পুর্বে সে
দরবারে পৌছে গিয়েছে, আর আপনি পৌছালন একমাস পর ৷ মুগীরা, (রা) বললেন, সে তো
অতিরিক্ত প্রাপ্তির আশায় আছে, আর আমি ঘটিতির আশঙ্কায় অপেক্ষা করছি ৷ আমীর মুআবিয়া
(রা) যিয়াদ্যক সম্মান দেখালেন এবং তার হাতে থাকা অবশিষ্ট সম্পদ গ্রহণ করলেন আর যে

বাতে ব্যয় করার বিবরণ দিয়েছে, তাতে ন্র্তাকে সত্যবাদী বলে মেনে নিলেন ৷



১ এটা ছিল পালিম ইবন র্ৰীআ আবাসিৱ উক্তি ৷


[ثُمَّ دَخَلَتْ سُنَّةُ ثِنْتَيْنِ وَأَرْبَعِينَ] فِيهَا غَزَا الْمُسْلِمُونَ الْلَّانَ وَالرُّومَ، فَقَتَلُوا مِنْ أُمَرَائِهِمْ وَبَطَارِقَتِهِمْ خَلْقًا كَثِيرًا، وَغَنِمُوا وَسَلِمُوا. وَفِيهَا وَلَّى مُعَاوِيَةُ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ نِيَابَةَ الْمَدِينَةِ، وَعَلَى مَكَّةَ خَالِدُ بْنُ الْعَاصِ بْنِ هِشَامٍ، وَعَلَى الْكُوفَةِ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ، وَعَلَى قَضَائِهَا شُرَيْحٌ الْقَاضِي، وَعَلَى الْبَصْرَةِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرٍ، وَعَلَى خُرَاسَانَ قَيْسُ بْنُ الْهَيْثَمِ مِنْ قِبَلِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرٍ وَاسْتَقْضَى مَرْوَانُ عَلَى الْمَدِينَةِ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْحَارِثِ، وَعَلَى قَضَاءِ الْبَصْرَةِ عُمَيْرَةُ بْنُ يَثْرِبِيٍّ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ تَحَرَّكَتِ الْخَوَارِجُ الَّذِينَ كَانُوا قَدْ عَفَا عَنْهُمْ عَلِيٌّ يَوْمَ النَّهْرَوَانِ وَقَدْ عُوفِيَ جَرْحَاهُمْ وَثَابَتْ إِلَيْهِمْ قُوَاهُمْ، فَلَمَّا بَلَغَهُمْ مَقْتَلُ عَلِيٍّ تَرَحَّمُوا عَلَى قَاتِلِهِ ابْنِ مُلْجَمٍ، وَقَالَ قَائِلُهُمْ: لَا يَقْطَعُ اللَّهُ يَدًا عَلَتْ قَذَالَ عَلِيٍّ بِالسَّيْفِ. وَجَعَلُوا يَحْمَدُونَ اللَّهَ عَلَى قَتْلِ عَلِيٍّ، ثُمَّ عَزَمُوا عَلَى الْخُرُوجِ عَلَى النَّاسِ، وَتَوَافَقُوا عَلَى الْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنِ الْمُنْكَرِ فِيمَا يَزْعُمُونَ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ قَدِمَ زِيَادُ بْنُ أَبِيهِ عَلَى مُعَاوِيَةَ، وَكَانَ قَدِ امْتَنَعَ عَلَيْهِ قَرِيبًا مِنْ سَنَةٍ فِي قَلْعَةٍ عُرِفَتْ بِهِ يُقَالُ لَهَا: قَلْعَةُ زِيَادٍ. فَكَتَبَ إِلَيْهِ مُعَاوِيَةُ: مَا يَحْمِلُكَ عَلَى أَنْ تُهْلِكَ نَفْسَكَ؟ أَقْدِمْ عَلَيَّ فَأَخْبِرْنِي بِمَا صَارَ إِلَيْكَ مِنْ أَمْوَالِ فَارِسَ
পৃষ্ঠা - ৬৩৩১
وَمَا صَرَفْتَ مِنْهَا وَمَا بَقِيَ عِنْدَكَ، فَائْتِنِي بِهِ وَأَنْتَ آمِنٌ، فَإِنْ شِئْتَ أَنْ تُقِيمَ عِنْدَنَا فَعَلْتَ، وَإِلَّا ذَهَبْتَ حَيْثُمَا شِئْتَ مِنَ الْأَرْضِ فَأَنْتَ آمِنٌ. فَعِنْدَ ذَلِكَ أَزْمَعَ زِيَادٌ السَّيْرَ إِلَى مُعَاوِيَةَ، فَبَلَغَ الْمُغِيرَةَ قُدُومَهُ، فَخَشِيَ أَنْ يَجْتَمِعَ بِمُعَاوِيَةَ قَبْلَهُ، فَسَارَ نَحْوَ دِمَشْقَ إِلَى مُعَاوِيَةَ، فَسَبَقَهُ زِيَادٌ إِلَى مُعَاوِيَةَ بِشَهْرٍ، فَقَالَ مُعَاوِيَةُ لِلْمُغِيرَةِ: مَا هَذَا وَهُوَ أَبْعَدُ مِنْكَ وَأَنْتَ جِئْتَ بَعْدَهُ بِشَهْرٍ؟ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّهُ يَنْتَظِرُ الزِّيَادَةَ، وَأَنَا أَنْتَظِرُ النُّقْصَانَ. فَأَكْرَمَ مُعَاوِيَةُ زِيَادًا، وَقَبَضَ مَا كَانَ مَعَهُ مِنَ الْأَمْوَالِ، وَصَدَّقَهُ فِيمَا صَرَفَهُ وَمَا بَقِيَ عِنْدَهُ.