আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة إحدى وأربعين من الهجرة النبوية

ومن أعيان من توفي في هذا العام

ومن أعيان من توفي في هذا العام

ومن أعيان من توفي في هذا العام

ومن أعيان من توفي في هذا العام

ومن أعيان من توفي في هذا العام

ومن أعيان من توفي في هذا العام

ومن أعيان من توفي في هذا العام

পৃষ্ঠা - ৬৩২৬


মুআবিয়া (রা) আবু বাবল্পাহ (রা) কে বলেছিলেন, আপনি আমার থেকে কোন প্ৰতিঃ ন্তি ও ন্
অঙ্গীকার নিতে চান? আবু বাকরাহ্ বলেছিলেন, হা৷ তাই ৷ হে আযীরুপ্স মুমিনীন ৷ আমি আপনাকে
এই প্রতিশ্রুতিতে আবদ্ধ করতে চাই যে, আপনি নিজের ও জনসাধারণের বঅ্যাণ সাধন করবেন
এবং সৎকাজ বরৈক্যে, কারণ আপনি একটি গুরুদায়িতু র্কাধে নিয়েছেন ৷ সেটি হল আল্লাহর
সৃষ্টিজগতে তার খিলাফতের দায়িত্ব পালন ৷ সুত্যাৎ আল্পাহ্কে ভর করল ৷ আপনার জন্যে একটি
শেষ সীমা রয়েছে সেটি অতিক্রম ব্বাত পারবেন না ৷ আপনার পেছনে আছে এক তাড়াকারী, যে
আপনাকে তাড়া করে ফিরছে, তারপর আপনি উপস্থিত হবেন সেই মহান সত্তাৱ দরবারে, যিনি
আপনাকে আপনার অবস্থান ও কর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেন ৷ বস্তুত তিনি আপনার সম্পর্কে
আপনার চাইতেও অধিক ওয়াকিবহাল ৷ মুক্তির পথ হল আত্ম-পর্যালোনো ও গভীর জ্ঞানের
অনুসরণ ৷ সুতরাং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভাে বিপরীতে কোন কিছুকে ই প্রাধান্য দিবেন না ৷
এরপর এই বছরের শেষ দিকে মুআবিয়৷ (বা) আবদুল্লাহ ইবন আমরকে বসরার শাসনকর্তা

নিযুক্ত করেন ৷ ঘুআবিয়৷ (রা) ণ্ছেঃয়ছিলেনঃ তার ভাই উত্বা ইবন আবী সুফিয়ানাক বসরার
শাসনকর্তা নিযুক্ত করবেন ৷ বিত্ণ্ইবন আমীর বললেন, ওখানে আমার বেশ কিছু ধ্নসম্পদ ও
আমানভীমাল-পত্র রয়েছে ৷ আপনি যদি আমাকে সেখানকার শাসনকর্তা নিযুক্ত না করেন, তাহলে
ওই সব কিছু ধ্বং স হয়ে যাবে ৷ তারপর আমীর মুআবিয়া তার অনুরোধ রক্ষা বহ্বলেন এবং র্তাকে
সেখানকার শাসনকর্তা নিয়োগ করলেন ৷

ন্ আবু মাশার বলেছেন যে, এই বছর অর্থাৎ ৪১ হিজরী সনে আমীরে হ্জ্জ্ব নিযুক্ত হয়ে

লোকজনকে নিয়ে হজ্জ সম্পাদন করেন উত্বা ইবন আবী সুফিয়ান ৷

ওয়াকিদী বলেছেন, এই বছর আমীর ই হজ্জ হিসেবে হশুজ্জা ৫নতৃ তুদিয়েছেন, আম্বাসাহ্ ইবন
আবী সুফিয়ান ৷ আল্লাহ্ ই ভাল জানেন ৷ ’

ণ্ণ্ইিজরী ৪১ সনে যাদের ওফাত হয়
রিফা আ ইবন রাফি ইবন ম্ালিৰু ইবন অজ্যোান

তিনি আকাবার শপথ, বদরের যুদ্ধ এবং পরবর্তী যুদ্ধসমুহে অংশ গ্রহণ করেছিলেন ৷
রুকানা ইবন আবদিল আষীষ ইবনহিশাম ইবন আবদ্রিল মুত্তালিব কুরায়শী
ইনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে কুস্তি লড়েছিলেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে পয়াস্তক্যরহিঃলন ৷
এই লোক ছিল অভ্যস্ত সরল, সুঠাম দেহ এবং অন্যতম শ্রেষ্ঠ শক্তিমান ৷ তার বিরুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর বিজয় ছিল তার যুজিয৷ এবং নবুওতের দলীল ৷ “নবুওতের প্রমাণ” অধ্যায়ে আমরা তা
উল্লেখ করেছি ৷ তিনি মক্কা বিজয়ের বছর ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ অবশ্য কেউ কেউ বলেছেন যে, মক্কা
বিজয়ের পুর্বে মক্কায় তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

সাফ্ওয়ান ইবন উমাইষা ইবন খালাফ ইবন ওয়াহাব
ইবন হযায়ফ৷ ইবন ওয়াহ্ব কুরায়শী
তিনি একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন ৷ মক্কা বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নাণালের
বাইরে পালিয়ে গিয়েছিলেন ৷ পরে এসে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং সুন্দরভ্যবে ইসলামের

বিধি-বিধান পালন করেন ৷ উমায়ের ইবন ওয়াহ্ব জুমাহী তার জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (না) থেকে
নিরাপত্তা আশ্রয় প্রার্থনা করেন ৷ উমায়ের এবং সাফওয়ান উভমুে জাহেলীযুগে বন্ধু ছিলেন ৷


حَثِيثٌ، وَأَوْشَكَ أَنْ تَبْلُغَ الْمَدَى، فَيَلْحَقَ الطَّالِبُ، فَتَصِيرَ إِلَى مِنْ يَسْأَلُكُ عَمَّا كُنْتَ فِيهِ، وَهُوَ أَعْلَمُ بِهِ مِنْكَ، وَإِنَّمَا هِيَ مُحَاسَبَةٌ وَتَوْقِيفٌ، فَلَا تُؤْثِرَنَّ عَلَى رِضَا اللَّهِ شَيْئًا. ثُمَّ وَلَّى مُعَاوِيَةُ فِي آخِرِ هَذِهِ السَّنَةِ الْبَصْرَةَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرٍ، وَذَلِكَ أَنَّ مُعَاوِيَةَ أَرَادَ أَنْ يُوَلِّيَهَا لِعُتْبَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، فَقَالَ لَهُ ابْنُ عَامِرٍ: إِنَّ لِي بِهَا أَمْوَالًا وَوَدَائِعَ، وَإِنْ لَمْ تُوَلِّنِيهَا هَلَكَتْ. فَوَلَّاهُ إِيَّاهَا وَأَجَابَهُ إِلَى سُؤَالِهِ فِي ذَلِكَ. قَالَ أَبُو مَعْشَرٍ: وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عُتْبَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: إِنَّمَا حَجَّ بِهِمْ عَنْبَسَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. [وَمِنْ أَعْيَانِ مَنْ تُوُفِّيَ فِي هَذَا الْعَامِ] رِفَاعَةُ بْنُ رَافِعِ بْنِ مَالِكِ بْنِ الْعَجْلَانِ: شَهِدَ الْعَقَبَةَ وَبَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا. رُكَانَةُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ هَاشِمِ بْنِ الْمُطَّلِبِ الْقُرَشِيُّ، وَهُوَ الَّذِي صَارَعَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَرَعَهُ، وَكَانَ رُكَانَةُ مِنْ أَشَدِّ النَّاسِ، وَكَانَ صَرْعُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَهُ مِنَ الْمُعْجِزَاتِ، كَمَا قَدَّمْنَا فِي دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ. أَسْلَمَ عَامَ الْفَتْحِ، وَقِيلَ: قَبْلَ ذَلِكَ
পৃষ্ঠা - ৬৩২৭


এটা আমরা পুর্বে উল্লেখ করেছি ৷ উমায়ের (রা) সাফওয়ানকে নিয়ে রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর

দরবারে উপস্থিত হন আসরের নামাষের সময় ৷ তিনি তার জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট ,
নিরাপত্ত৷ চাইলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) : মাসের জন্যে তার জন্যে নিরাপত্তা মদ্ভুর করেন এবং
তার যুদ্ধবর্ম, অস্ত্রশ্াস্ত্র এবং মাল-পত্র ধার হিসেবে গ্রহণ করেন ৷ সাফওয়ান ইব ন উমাই য়া
মুশ্ারিক অবস্থায় হুনারনের যুদ্ধে অংশ নেন ৷ পরে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং তার অতৰুর

ইসলাম দৃঢ় হয়৷ তারপর তিনি মুসলমানদের মধ্যে নেতা ও ড্ডাপথিকরুপে গণ্য হলেন ৷

যেমন জাহেলী যুগে তিনি নেতা ছিলেন ৷ ওয়াকেদী বলেছেন যে, ইসলাম গ্রহণের পর থেকে
সাফওয়ান ইবন উমাইর ৷ সর্বক্ষণ মক্কাতে অবস্থান করেছেন ৷ এরপর আমীর মুআবিয়ার
শ্া৷সনামলের সুচনালরুগ্ন তিনি ইন্তিকলে করেন ৷

উসমান ইবন তালহ৷ (বা)

তিনি উসমান ইবৃন তালহ ৷ স্থৰুন্ৰু আবৃদিল উঘৃযা ইবন আরদিদ্ দার আল আব্দারী আনন্
হ্াজাবী ৷ মক্কা বিজয়ের পুর্বে ৮-ম হিজরীর সুচনায়৩ তিনি, খালীদ ইবন ওয়ালীদ এবং আমর

ন্ইবনুল আসসহ ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ তার ইসলামের বিধি বিধ ৷ ৷ন পালন সম্পর্কে ওয়াবিল্দী

তার £ র্থকে একটি সুদীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ মক্কা বিজয়ের দিবসে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তারই

হাত থেকে বা বা ঘরের চাবি নিয়েছিলেন এবং তারপর তার হাতে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ৷ তখন ,

রাসুলুল্পাহ্ (না) এই আয়াত তিলাওয়াত করছিলেন


আমানত সেটির হ্কদারকে এতার্পণ করার জন্যে আল্লাহ্ আেমাদেবকে নিঃদশ দিচ্ছেন ৷ ,

(সুরা-নিসাশু ৫৮) ৷

তিনি চাবি প্ৰর্ত্যর্পণ করে উসমান ইবন তালহ৷ (বা) কে বলেছিলেন, হে উসমান ! এটি

স্থায়ীভাবে চিরদিন তোমার নিকট থাকবে, কোন জালিম ও অন্যয়কারী ছাড়া, কেউই এটি

তোমার নিকট থেকে ছি নিয়ে নিতে পারবে না ৷ হযরত আলী (রা) ওই চাবি জ্যোছিলোঃ, তিঃ
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাটুাক তা ৷দননি ৷

ওয়াকিদী বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর জীবদ্দশায় উসমান ইবন তালহ৷ মদীনায়

বসবাস করেছিলেন ঘটে কিন্তু রাসুলুরাহ্ (সা) এর ইনুতিকালের পর তিনি মক্কায় ফিরে

আসেন এবং মৃত্যুর সময় পর্যন্ত মক্কাতেই বসবাস করেন৷ তারপৱ মুআবিয়৷ (রা) এর

শাসনামলের শুকতে তার ইন্তিকাস হয় ৷

থাঃইক্ষ্ণন আসওয়াদ সাকুনী (রা)

আমর ইবন আসওয়াদ সাকু:নী ছিলেন খুব ইবাদর্তকারী ও দুনিয়া বির্মুন ব্যক্তি ৷ তার ছিন
দুশ দিরহাম মুল্যের একটি পোশাক ৷ রাতে তাহাজ্জ্বদ নামাযের সময় তিনি সেটি পরিধান
করতেন ৷ যখন তিনি মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হতেন তখন অহংকার এদর্শন হয়ে যায় নাকি ন্
এই আপ করে তিনি তার ডান হাত নাম হাতের উপর রেখে পথ চললেম্ ৷ তিনি মুআন
(রা); উরাদ৷ ইবন সামিত (রা), ইরবায ইবন সারিয়৷ (রা) এমুখ থেকে হাদীস বর্ণনা
করেছেন ৷


بِمَكَّةَ لَمَّا صَرَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. صَفْوَانُ بْنُ أُمَيَّةَ بْنِ خَلَفِ بْنِ وَهْبِ بْنِ حُذَافَةَ، أَبُو وَهَبٍ الْقُرَشِيُّ، أَحَدُ الرُّؤَسَاءِ، تَقَدَّمَ أَنَّهُ هَرَبَ يَوْمَ الْفَتْحِ، ثُمَّ جَاءَ فَأَسْلَمَ وَحَسُنَ إِسْلَامُهُ، وَكَانَ الَّذِي اسْتَأْمَنَ لَهُ عُمَيْرُ بْنُ وَهْبٍ الْجُمَحِيُّ وَكَانَ صَاحِبُهُ وَصَدِيقُهُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ كَمَا تَقَدَّمَ، وَقَدِمَ بِهِ فِي وَقْتِ صَلَاةِ الْعَصْرِ، فَاسْتَأْمَنَ لَهُ، فَأَمَّنَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ، وَاسْتَعَارَ مِنْهُ أَدْرُعًا وَسِلَاحًا وَمَالًا، وَحَضَرَ صَفْوَانُ حُنَيْنًا مُشْرِكًا، ثُمَّ أَسْلَمَ وَدَخَلَ الْإِيمَانُ قَلْبَهُ، فَكَانَ مِنْ سَادَاتِ الْمُسْلِمِينَ، كَمَا كَانَ مِنْ سَادَاتِ الْجَاهِلِيَّةِ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: ثُمَّ لَمْ يَزَلْ صَفْوَانُ مُقِيمًا بِمَكَّةَ حَتَّى تُوُفِّيَ بِهَا فِي أَوَّلِ خِلَافَةِ مُعَاوِيَةَ. عُثْمَانُ بْنُ طَلْحَةَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى بْنِ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ الدَّارِ الْعَبْدَرِيُّ الْحَجَبِيُّ، أَسْلَمَ هُوَ وَخَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ وَعَمْرُو بْنُ الْعَاصِ فِي أَوَّلِ سَنَةِ ثَمَانٍ قَبْلَ الْفَتْحِ. وَقَدْ رَوَى الْوَاقِدِيُّ حَدِيثًا طَوِيلًا عَنْهُ فِي صِفَةِ إِسْلَامِهِ. وَهُوَ الَّذِي أَخَذَ مِنْهُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِفْتَاحَ الْكَعْبَةِ عَامَ الْفَتْحِ، ثُمَّ رَدَّهُ إِلَيْهِ وَهُوَ يَتْلُو قَوْلَهُ تَعَالَى: {إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكُمْ أَنْ تُؤَدُّوا الْأَمَانَاتِ إِلَى أَهْلِهَا} [النساء: 58] . وَقَالَ لَهُ:
পৃষ্ঠা - ৬৩২৮


ইমাম আহমদ (র) দুনি য়া বিমুখ’, অধ্যায়ে উল্লেখ করেছেন যে, আবু ইয়ামান উমর ইবন
পাতায় (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, ৱাসুলুল্লাহ্ (সা) এর জীবন-যাপন
পদ্ধতি দেখতে যদি কেউ আগ্রহী হয় তবে যে যেন আমর ইবন আসওয়াদ এর জীবন পদ্ধতি
প্রত্যক্ষ করে

আতিক ৰিনত্ত যাযদ (বা)

ইনি আতিক বিনৃত যায়দ ইবন নুফায়ল ইবন আবদিল উযুয৷ ৷ তিনি আশারা-ই-মুবাশশাবার
অন্যতম ৷ হযরত সাঈদ ইবন যায়দ (বা) এর বোন ৷ তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং মদীনায়
হিজংাত করেন ৷ তিনি অন্যতম সুন্দরী ও ইবদেতকারিণী মহিলা ছিলেন ৷ উবায়দুল্লাহ্ ইবন
আবী বকর (বা) তাকে বিয়ে করেন ৷ এক সময় উবায়দুল্লাহ্ (রা) শহীদ হন এবং আতীকা

(রা) বিধবা হয়ে পড়েন, তায়েফের যুদ্ধে উৰায়দুল্লাহ্ (রা) শহীদ হবার পর তিনি শপথ করে

বললেন যে, আর কাউকে স্বামীত্বে বরণ করবেন না ৷

এক পর্যায়ে হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (বা) তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন ৷ হযরত উমর
(মা) ছিলেন তার চাচাত ভাই ৷ এই প্রস্তাব গ্রহণ করে তিনি উমর (রা) এর সাথে বিবাহ বন্ধনে
আবদ্ধ হন ৷ এক সময় হযরত উমর (রা) আত্তায়ীর হাতে নিহত হন ৷৩ তখন যুবাইর ইবুন
আওয়াম (রা) তাকে বিয়ে করেন ৷ ওয়াদীসস্থ সিবাতে যুবায়র ইবন আওয়াম নিহত হন ৷

এবার হযরত আলী ইবন আবী তালিব (বা) তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ৷

তখন আতিকা (রা) বললেন, আমি আশংকা বল্পছি যে, তাহলে আপনিও নিহত হবেন ৷ ফানং

তিনি এই বিয়েতে অস্বীকৃতি জানান ৷ অবশ্য বিয়ে সম্পাদিত হলে তাকে রেখে হযরত আলী (বা)
নিহত হতেনই ৷ কারণ হযরত আলী (রা) যখন নিহত হন তখন আতিকা (রা) জীবিত ছিলেন ৷
অবশেষে এই বহ্ব অর্থাৎ ৪১ হিজ্বরী সালে আমীর মুআবিয়৷ (রা)-এর শাসনামলের সুলাকক্রো

ন্ আতিক৷ (বা) এর ওফাত হয় ৷


" «خُذْهَا يَا عُثْمَانُ خَالِدَةً تَالِدَةً، لَا يَنْزِعُهَا مِنْكُمْ إِلَّا ظَالِمٌ» ". وَكَانَ عَلِيٌّ قَدْ طَلَبَهَا مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَمَنَعَهُ ذَلِكَ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: نَزَلَ الْمَدِينَةَ حَيَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا مَاتَ نَزَلَ بِمَكَّةَ، فَلَمْ يَزَلْ بِهَا حَتَّى مَاتَ فِي أَوَّلِ خِلَافَةِ مُعَاوِيَةَ. عَمْرُو بْنُ الْأَسْوَدِ الْعَنْسِيُّ: كَانَ مِنَ الْعُبَّادِ الزُّهَّادِ، وَكَانَتْ لَهُ حُلَّةً بِمِائَتَيْ دِرْهَمٍ يَلْبَسُهَا إِذَا قَامَ إِلَى صَلَاةِ اللَّيْلِ، وَكَانَ إِذَا خَرَجَ إِلَى الْمَسْجِدِ وَضَعَ يَمِينَهُ عَلَى شِمَالِهِ مَخَافَةَ الْخُيَلَاءِ، رَوَى عَنْ مُعَاذٍ، وَعُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، وَالْعِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ وَغَيْرِهِمْ. وَقَالَ أَحْمَدُ فِي " الزُّهْدِ ": ثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، ثَنَا أَبُو بَكْرٍ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ عُمَيْرٍ وَضَمْرَةَ بْنِ حَبِيبٍ قَالَا: قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى هَدْيِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلْيَنْظُرْ إِلَى هَدْيِ عَمْرِو بْنِ الْأَسْوَدِ. عَاتِكَةُ بِنْتُ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى: وَهِيَ أُخْتُ سَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ أَحَدُ الْعَشَرَةِ، أَسْلَمَتْ وَهَاجَرَتْ، وَكَانَتْ مِنْ حِسَانِ النِّسَاءِ وَعُبَّادِهِنَّ، تَزَوَّجَهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ فَتَتَيَّمَ بِهَا، فَلَمَّا قُتِلَ عَنْهَا فِي غَزْوَةِ الطَّائِفِ آلَتْ أَنْ لَا تَتَزَوَّجَ بَعْدَهُ، فَبَعَثَ إِلَيْهَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ - وَهُوَ ابْنُ عَمِّهَا - فَتَزَوَّجَهَا، فَلَمَّا
পৃষ্ঠা - ৬৩২৯
قُتِلَ عَنْهَا خَلَفَ بَعْدَهُ عَلَيْهَا الزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ، فَقُتِلَ عَنْهَا بِوَادِي السِّبَاعِ، فَبَعَثَ إِلَيْهَا عَلِيُّ بْنُ أَبَى طَالِبٍ يَخْطُبُهَا فَقَالَتْ لَهُ: إِنِّي أَخْشَى عَلَيْكَ أَنْ تُقْتَلَ. فَأَبَتْ أَنْ تَتَزَوَّجَهُ، وَلَوْ تَزَوَّجَتْهُ لَقُتِلَ عَنْهَا أَيْضًا، ثُمَّ لَمْ تَزَلْ بِلَا زَوْجٍ حَتَّى مَاتَتْ فِي أَوَّلِ خِلَافَةِ مُعَاوِيَةَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، رَحِمَهَا اللَّهُ.