আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة إحدى وأربعين من الهجرة النبوية

পৃষ্ঠা - ৬৩১১

হিজরী ৪১ সন

মুআবিয়া ইবন আবু সুফিয়ানের (রা) সপক্ষে হযরত হাসান (রা) এর শাসন ক্ষমতা ছেড়ে
দেয়ার বিষয়ে ইবন জারীর ,(র) বলেফো যে, যুহরী থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন,
ইরাকী জনগণ যখন হযরত হাসান (রা)-এর হাতে বায়আত করছিল তখন তিনি তাদেরকে
শর্তের বন্ধনে আবদ্ধ করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে, তোমরা আমার নির্দেশ পালন করবে,
আনুগত্য প্রকাশ করবে,, আমি যার সাথে সন্ধি করি তার সাথে সন্ধি করবে, আমি যার বিরুদ্ধে
যুদ্ধ করি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে ৷ এতে কতক ইরাকীর মনে সংশয় সৃষ্টি হয়েছিল, তারা
বলেছিল আশ্চর্য, ইনি এমন করছেন কেন? এবং অবিলম্বে তারা তার কুৎসা বর্ণনা বন্মা শুরু
করল ৷ ফলে তিনি তাদের প্রতি অধিক বিরুপ হয়ে উঠলেন ৷ ওদের ব্যাপারে আরো অধিক
শংকিত হয়ে পড়লেন ৷ এক পর্যায়ে তিনি তাদের মধ্যে তার বিরোধিতা ও নিজেদের বিজ্জিতা
ভাব উপলব্ধি করলেন ৷ তখন তিনি সন্ধি ও আপােষ-মীমাংসায় প্রস্তাব বিয়ে মু আবিয়া (রা) এর
নিকট পত্র প্রেরণ কঃালেন ৷

ইমাম বুখারী (র) “মীমাংসা অধ্যায়ে উল্লেখ কারছো ৷ আবল্লোহ্ ইবন মুহাম্মদ আবু মুসা
থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি হাসানকে বলতে শুনেছি, তিনি বলছিলেনৃ আল্লাহর
কসম ! হাসান ইবন আলী (বা) পর্বতের ন্যায় সেনাদল নিয়ে মুআৰিয়া (রা)-এর মুখোমুখি হবোা’
তখন আমর ইবনুল আস বললেন, আমি উপলব্ধি বলতে পারছি যে, ওদের বিরুদ্ধে এমন এক
সেনাদল পাঠাতে হয়ে যারা ওদের নির্মুল না করে ঘরে ফিরবে না ৷

মুআবিয়া (রা) বললেন, (বস্তুত আমর ও মুআবিয়া (রা) দুজনের মধ্যে মুআবিয়৷ (রা) ই
উত্তম লোক ছিলেন-) যদি এরা ওদেরকে হত্যা করে আর ওরা এদেরকে হত্যা করে তবে
জ্যাসাধারণের উপর রাজত্ব করতে আমি সাহায্যকারী পাব কোথায়? এই বুদ্ধিমান, সাহসী
লোকহিওলে৷ নিহত হলে ওদের দুর্বল ও মহিলাদের সেবা করতে আমি সহযোগী পাব কাকে?

এরপর তিনি আবদ্ শামস গোত্রের দদ্বুজন কুরায়শী লোক হযরত হাসান (রা)-এর নিকট প্রেরণ
কংলেন ৷ লোক দু’জন হলেন আবদুর রহমান ইবন সামুরা এবং আবদুল্লাহ ইবন আমীর ৷
মুঅবিয়া (বা) বললেন, ভোমরা দু জন তার নিকট যাও এবং মীমাত্সার প্রস্তাব দাও ৷ তাকে
বুঝাও এবং তার সম্মতি কামনা কর ৷ তারা দুজন পেলেন ৷ হযরত হাসান (রা) এর সাথে কথা
বললেন এবং মীমাংসা করে তার সম্মতি কামনা করলেন ৷

হযরত হাসান (রা) তাদেরকে বললেন, আমরা আবদুল মুত্তালিব গোত্র, এই ধন-সম্পদের
পরিচালনার মালিক হয়েছি ৷ আর এই সমগ্র উম্মত এখন নিজেদের মধ্যে রক্তপাতের মুখোমুখি !
প্রতিনিধি দুজন বললেন, ঘুআবিয়া (বা) তা আপোষমীমাৎ সার প্রস্তাব দিয়ে আমাদরকে
পাঠিয়েছেন তিনি আপোষ-মীমাংসায় আপনার সম্মতি কামনা করছেন ৷ হযরত হাসান (রা),
বললেন আমি মীমাংসায় রাষী হলে৩ তা বাস্তবায়নের যিম্মাদার ও নিশ্চয়তা প্রদানকারী হবে ক্লে?
তারা দু জনে বললেন, আমরা সেই যিম্মাদারী গ্রহণ করব ৷ তিনি যত প্রভাব ও সর্ত করলেন, তারা
দুজনে তার সবগুল্যের বাস্তবায়নের যিম্মাদার গ্রহণ করলেন ৷ তারপর ইমাম হাসান (বা)
মুআবিয়া (রা)-এর সঙ্গে আংপাষ-মীমাংসা করলেন ৷ বর্ণনাকারী হাসান বলেছেন, আমি আবু “


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ مِنَ الْهِجْرَةِ النَّبَوِيَّةِ] [تَسْلِيمُ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ الْأَمْرَ لِمُعَاوِيَةَ بْنِ أَبَى سُفْيَانَ] قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: فِيهَا سَلَّمَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْأَمْرَ لِمُعَاوِيَةَ بْنَ أَبَى سُفْيَانَ. ثُمَّ رَوَى عَنِ الزُّهْرِيِّ أَنَّهُ قَالَ: لَمَّا بَايَعَ أَهْلُ الْعِرَاقِ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ طَفِقَ يُشْتَرَطُ عَلَيْهِمْ: إِنَّكُمْ سَامِعُونَ مُطِيعُونَ، مُسَالِمُونَ مَنْ سَالَمْتُ، مُحَارِبُونَ مَنْ حَارَبْتُ. فَارْتَابَ بِهِ أَهْلُ الْعِرَاقِ وَقَالُوا: مَا هَذَا لَكُمْ بِصَاحِبٍ. فَمَا كَانَ عَنْ قَرِيبٍ حَتَّى طَعَنُوهُ فَأَشْوَوْهُ، فَازْدَادَ لَهُمْ بُغْضًا، وَازْدَادَ مِنْهُمْ ذُعْرًا، فَعِنْدَ ذَلِكَ عَرَفَ تَفَرُّقَهُمْ وَاخْتِلَافَهُمْ عَلَيْهِ، وَكَتَبَ إِلَى مُعَاوِيَةَ يُسَالِمُهُ وَيُرَاسِلُهُ فِي الصُّلْحِ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ عَلَى مَا يَخْتَارَانِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ فِي كِتَابِ الصُّلْحِ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبَى مُوسَى قَالَ: سَمِعْتُ الْحَسَنَ يَقُولُ: اسْتَقْبَلَ وَاللَّهِ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبَى سُفْيَانَ بِكَتَائِبَ أَمْثَالِ الْجِبَالِ، فَقَالَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ: إِنِّي لَأَرَى كَتَائِبَ لَا تُوَلِّي حَتَّى تَقْتُلَ أَقْرَانَهَا. فَقَالَ مُعَاوِيَةُ، وَكَانَ وَاللَّهِ خَيْرَ الرَّجُلَيْنِ: أَيْ عَمْرُو، إِنَّ قَتَلَ هَؤُلَاءِ هَؤُلَاءِ، وَهَؤُلَاءِ هَؤُلَاءِ، مَنْ لِي بِأُمُورِ النَّاسِ؟ مَنْ لِي بِضَيْعَتِهِمْ؟ مَنْ لِي بِنِسَائِهِمْ؟ فَبَعَثَ إِلَيْهِ رَجُلَيْنِ مِنْ قُرَيْشٍ مِنْ بَنَى
পৃষ্ঠা - ৬৩১২


প্ বাকরা (রা) কে বলতে শ্যুনছি, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে মিস্বরের উপর দেখেছিলাম হযরত
হাসান (রা) তপ্নন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পাশে ছিলেন ৷ তিনি একবার শ্রোতাদের দিকে
তাকাচ্ছিলেন একবার হযরত হাসানের্ দিকে তাকাচ্ছিলেন আর বলছিলেন,

মৈং স্পেত্র
আমার এই বংশধর হলো নেতা ও পথপ্রদর্শক এমন হবে যে, তার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা
বড়বড় দৃ’দল মুষলমানদের মধ্যে আপােষমীমাৎসার ব্যবস্থা করে দিবেন ৷
ইমাম বুখারী (র) বলেছেন যে, আলী, ইবনুল মাদীনী আমাকে বলেছেন, বর্ণনাকারী হাসান এই
হাদীস আবু বাকর৷ (রা) থেকে শ্যুনছেন্, আমাদের নিকট ত৷ প্রমাণিত হয়েছে ৷ আমি বলি, ইমাম
বুখারী (র) বিশৃগ্রল৷ ও বিপর্যয় অধ্যায়ে এই হাদীস আলী ইবন আবদুল্লাহ মাদীনী থেকে বর্ণনা

করেছেন, আর “ইমাম হাসানের্ মর্যাদা” অধ্যায়ে বর্ণনা করেছেন সাদাকা ইবন ফাদাল থেকে ৷ তাব৷

তিন জনেই বর্ণনা কঃরছেন, সুফিয়ান ইবন উয়ায়ন৷ থেকে ৷ ইমাম আহমদ (র) এটি বর্ণনা করেছেন,
সুফিয়ান ইবন উয়ায়না থেকে ৷ তিনি বর্ণনা করেছেন, ইসরাঈল ইবৃ ন মুসা বাসরী থেকে তা ছাড়া
“দালাইল আল-নুবুওযা৩ ” অধ্যায়ে তিনি এই হাদীস উদ্ধৃত ক্যরস্ফো আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ ইবন
আবী শায়ব ৷ এবং ইয়াহ্য়া ইবন আদান থেকে ৷ তার দু জলে হুসায়ন ইবন আলী জু ফী সুত্রে বর্ণনা
করেন, ইসরাঈলের মা ধ্যমে হাসান বসরী থেকে ৷ ইমাম আহমদ, আবু দাউদ ও নাসাঈ (র) এটি
বর্ণনা করেছেন, হ্াম্মাদ ইবন যায়দ সুত্রে আলী ইবন বাবদ-এর মাধ্যমে হাসান বসরী (র)এর
থেকে ৷ ইমাম আবু দাউদ ও ইমাম তিবমিযী এটি বর্ণনা করেছেন, আশআস সুত্রে হাসান বসরী (র)
থেকে ৷ ,
ইমাম তিবমিযী বলেছেন যে, এই হাদীসটি উত্তম ও বিশুদ্ধ ৷ ইমাম নাসাঈ (না) এটি বর্ণনা
করেছেন আওফ আৱাবী ও অন্যদের থেকে ঘুরসাল পদ্ধতিতে ৩হাসান বসরী (র) থেকে ৷ ইমাম
আহমদ (র) পর্যায়ক্রমে আবদুর রযেযাক মা মার সুত্রে এমন এক লোক থেকে বর্ণনা কারন, যিনি
সরাসরি হাসান থেকে তা শুনেছেন, হাসান বর্ণনা করছিলেন, আবু বাব্বা থেকে আবু বাবল্পা
বলেছেন, একদিন রাসুলুল্পাহ্ (না) আমাদের সাথে কথা বলছিলেন, তখন হযরত হাসান (বা) তার
কোলে বসা ছিলেন ৷ তিনি একবার সাহাবীদের মুখোমুখি হয়ে কথা বলছিলেন আবার হাসানের দিকে
মুখ করে র্তাকে ঢুমু দিচ্ছিলেন ৷ তারপর তিনি বললেন, আমার এই বংশধর এক্ষো পথ প্রদর্শক ৷
সে জীবিত থাকলে তার মাধ্যমে আল্লাহ্ তাআলা দু’দলের মাঝে মীমাৎ সার ব্যবস্থা করে দিবেন ৷

হাফিজ ইবন আসা ৷কির বলেন, বর্ণনাকারী মা যায় এভাবে বর্ণনা করেছেন ৷ ৰুহাসান থেকে কোন
ব্যক্তি তীকে হাদীস শুনিয়েছেন তীর নাম তিনি উল্লেখ করেন নি ৷ বম্ভত একাধিক লোক হযরত
হাসান (র) থেকে এই হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তাদের মধ্যে আছেন, আবু মুসা ইসরাঈল, ইউনুস ,
ইবন উবায়ুদ, মানসুর ইবন যাযান, আলী,ইবন যায়েদ, হিশাম ইবন হাসৃসান, আশআছ ইবন
সিঅওয়ার্বু,ন্ মুবারক ইবন ফুদাল৷ ও আমর ইবন উবায়দ কাদরী ৷ এরপর ইবন আসাকির এই
সনদগুলো উত্তমরুপে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন ৷ ন্

আমি বলি যে, স্পষ্টত বুঝা যায় যে, ম৷ মার এই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, আমর ইবন
উবায়দ থেকে, কিং তিনি পরিষ্কাবভাবে ওই নাম উল্লেখ করেন নি ৷ অবশ্য মুহাম্মদ ইবন
ইসহাক এই হাদীস আমর ইবন উবায়দ থেকে বর্ণনা করেছেন এবং পরিষ্কারভাবে তার নাম


عَبْدِ شَمْسٍ ; عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ سَمُرَةَ وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَامِرٍ، فَقَالَ: اذْهَبَا إِلَى هَذَا الرَّجُلِ فَاعْرِضَا عَلَيْهِ، وَقُولَا لَهُ، وَاطْلُبَا إِلَيْهِ. فَأَتَيَاهُ فَدَخَلَا عَلَيْهِ فَتَكَلَّمَا، وَقَالَا لَهُ، وَطَلَبَا إِلَيْهِ، فَقَالَ لَهُمَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ: إِنَّا بَنُو عَبْدِ الْمُطَّلِبِ قَدْ أَصَبْنَا مِنْ هَذَا الْمَالِ، وَإِنَّ هَذِهِ الْأُمَّةَ قَدْ عَاثَتْ فِي دِمَائِهَا. قَالَا: فَإِنَّهُ يَعْرِضُ عَلَيْكَ كَذَا وَكَذَا، وَيَطْلُبُ إِلَيْكَ وَيَسْأَلُكَ. قَالَ: فَمَنْ لِي بِهَذَا؟ قَالَا: نَحْنُ لَكَ بِهِ. فَمَا سَأَلَهُمَا شَيْئًا إِلَّا قَالَا: نَحْنُ لَكَ بِهِ. فَصَالَحَهُ. قَالَ الْحَسَنُ: وَلَقَدْ سَمِعْتُ أَبَا بَكْرَةَ يَقُولُ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْمِنْبَرِ وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ إِلَى جَنْبِهِ، وَهُوَ يُقْبِلُ عَلَى النَّاسِ مَرَّةً وَعَلَيْهِ أُخْرَى، وَيَقُولُ: " إِنَّ ابْنِي هَذَا سَيِّدٌ، وَلَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يُصْلِحَ بِهِ بَيْنَ فِئَتَيْنِ عَظِيمَتَيْنِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ» " قَالَ الْبُخَارِيُّ: قَالَ لِي عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ: إِنَّمَا ثَبَتَ عِنْدَنَا سَمَاعُ الْحَسَنِ مِنْ أَبِي بَكْرَةَ بِهَذَا الْحَدِيثِ. قُلْتُ: وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ الْبُخَارِيُّ فِي كِتَابِ الْفِتَنِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، وَهُوَ ابْنِ الْمَدِينِيِّ، وَفِي فَضَائِلِ الْحَسَنِ، عَنْ صَدَقَةَ بْنِ الْفَضْلِ، ثَلَاثَتُهُمْ عَنْ سُفْيَانَ. وَرَوَاهُ أَحْمَدُ عَنْ سُفْيَانَ، وَهُوَ ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ إِسْرَائِيلَ بْنِ مُوسَى الْبَصْرِيِّ بِهِ. وَرَوَاهُ أَيْضًا فِي دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدٍ، وَهُوَ ابْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَيَحْيَى بْنُ آدَمَ، كِلَاهُمَا عَنْ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ الْجُعْفِيِّ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنِ الْحَسَنِ، وَهُوَ الْبَصْرِيُّ، بِهِ. وَأَخْرَجَهُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ بِهِ. وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ أَيْضًا
পৃষ্ঠা - ৬৩১৩
وَالتِّرْمِذِيُّ مِنْ طَرِيقِ أَشْعَثَ، عَنِ الْحَسَنِ بِهِ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَقَدْ رَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ طَرِيقِ عَوْفٍ الْأَعْرَابِيِّ وَغَيْرِهِ، عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ مُرْسَلًا. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنَا مَعْمَرٌ، أَخْبَرَنِي مَنْ سَمْعِ الْحَسَنَ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي بَكْرَةَ قَالَ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُحَدِّثُنَا يَوْمًا وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ فِي حِجْرِهِ، فَيُقْبِلُ عَلَى أَصْحَابِهِ فَيُحَدِّثُهُمْ، ثُمَّ يَقْبَلُ عَلَى الْحَسَنِ فَيُقَبِّلُهُ، ثُمَّ قَالَ: " إِنَّ ابْنِي هَذَا سَيِّدٌ، إِنْ يَعِشْ يُصْلِحْ بَيْنَ طَائِفَتَيْنِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ» ". قَالَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ: كَذَا رَوَاهُ مَعْمَرٌ، وَلَمْ يُسَمِّ الَّذِي حَدَّثَهُ بِهِ عَنِ الْحَسَنِ، وَقَدْ رَوَاهُ جَمَاعَةٌ عَنِ الْحَسَنِ، مِنْهُمْ ; أَبُو مُوسَى إِسْرَائِيلُ، وَيُونُسُ بْنُ عُبَيْدٍ، وَمَنْصُورُ بْنُ زَاذَانَ، وَعَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ، وَهِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، وَأَشْعَثُ بْنُ سَوَّارٍ، وَالْمُبَارَكُ بْنُ فَضَالَةَ، وَعَمْرُو بْنُ عُبَيْدٍ الْقَدَرِيُّ. ثُمَّ شَرَعَ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي تَطْرِيقِ هَذِهِ الرِّوَايَاتِ كُلِّهَا، فَأَفَادَ وَأَجَادَ. قُلْتُ: وَالظَّاهِرُ أَنْ مَعْمَرًا رَوَاهُ عَنْ عَمْرِو بْنِ عُبَيْدٍ فَلَمْ يُفْصِحُ بِاسْمِهِ، وَقَدْ رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ عَنْهُ وَسَمَّاهُ. وَرَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنْ هَاشِمٍ، عَنْ مُبَارَكِ بْنِ فَضَالَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، فَذَكَرَ الْحَدِيثَ. قَالَ الْحَسَنُ: فَوَاللَّهِ وَاللَّهِ بَعْدَ أَنْ وَلِيَ لَمْ يُهْرَقْ فِي خِلَافَتِهِ مِلْءُ مِحْجِمَةٍ مِنْ دَمٍ.
পৃষ্ঠা - ৬৩১৪


উল্লেখ করেছেন ৷ আহমদ ইবন হাশিম এই হাদীস বর্ণনা করেছেন, মুবাব্লৰু ইবন ফুদান৷ সুত্রে
হাসানের মাধ্যমে আবু বাকর৷ (রা) থেকে এবং যথানিয়ষ্মে হাদীসটি উল্লে খ করেক্ষো ৷ হাসান
বলেছেন, আল্লাহ্র কসম ! হযরত হাসান (বা) খিলাফাতঃ দায়িতু গ্রহণের পর শিঙ্গা
লাগানোর শিঙ্গা পরিমাণ রক্তপাতও ঘটে নি’ ৷
আমাদের শায়খ আবু হাজ্জাজ মিবৃযী তার “আতরাফ গ্রন্থে বলেছেন, কেউ কেউ এই
হাদীস হাসান সুত্রে উম্মে সালামা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ এই হাদীস হযরত জ্বাবির ইবন
আবদুল্লাহ্ (রা) থেকেও বর্ণিত হয়েছে ৷ তিনি বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত হাসান
(রা) এর প্ৰতি ইঙ্গিত করে বলেছেন
;)
প্-জৌ ধে
আমার এই বংশধর হল নেতা ও পথ প্রদর্শক ৷ আল্লাহ তাআলা তার দ্বারা দু দল মুসলমানের
মধ্যে আ₹পাষ যীমাংসার ব্যবস্থা করলেন ৷ আবদুর রহমান ইবন মা মার এই হাদীস এভাবে
আ মাশ থেকে বর্ণনা করেহ্নে৷ ৷
আবু ইয়ালা (রা) বলেছেন আবু বকর আবু সাঈদ মাদানী (রা) থেকে, বর্ণন৷ করেছেন যে,
তিনি বলেছেন, আমরা হযরত আবু হুরায়র৷ (রা) এর সাথে ছিলাম ৷ তন্ান হযরত হাসান (রা)
সেখানে উপস্থিত হলেন এবং আমাদেরকে সালাম” দিলেন ৷ হযরত আবু হুরায়র৷ (রা) হযরত
হাসানের পেছনে পেছনে গিয়ে তার নিকট পৌছলেন এবং বললেন, “ওয়ালইিকাস্ সালাম ইয়া
সইিয়েদী আপনার প্রতিও শান্তি বর্ধিত হোক হে আমাদের নেতা !” এরপর আবু হ্বায়রা
(রা) বললেন আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছিলেন, “নিশ্চয়ই ইনি
আবু হাসান আলী ইবন মাদানী (রা) বলেছেন, মুআবিয়া (না)-এর পক্ষে হযরত হাসান ,
(রা) এর খিলাফতের দায়িত্ব অর্পণের ঘটনাটি ঘটেছিল : ১ হিজরী সনের ৫ই রবিউল আউয়াল
তারিখে ৷ কেউ কেউ বলেস্ফো, রবিউল আখির মাসে ৷ কারো কারো মতে, এ ঘটনা ঘাটজ্জি
জুমাদাল উলা মাসের শুরুতে ৷ আল্লাহ ভাল জানেন ৷
বর্ণনাকারী আলী ইবন মাদানী বলেন যে, তারপর মু আবিয়া (রা) কুফা প্রবেশ করেন ৷ তার
হাতে সকলে ব্যয় আত সম্পন্ন হবার পর তিনি জনসাধারণের উদ্দেশ্যে ভাযপ প্রদান করেন ৷
ইবন জারীর উল্লেখ করেন যে, আসর ইবনুল আস মুআবিয়া (রা ) ণ্ক ইঙ্গিতে বলেছিলেন,
যেন হযরত হাসান (রা) কে ভাষণের সুযোগ দেয়৷ হয় ৷ এবং ভাষণের মাধ্যমে তিনি যেন
প্রকাশ্যে সবাইকে জ্বালিয়ে দেন যে, মুআবিয়া (রা) হযরত হাসান (রা) কে ভাষণ দানের
অনুরোধ করলেন ৷ হযরত হাসান (রা) ভাষণ দানের জন্যে দাড়ালের্ল ৷ ভাষণে তিনি আল্লাহর
প্রশংসা, গুণগান ও রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর প্রতি দরুদ শরীফ পাঠের পর বললেন হে লোক
সকল ! আমাদের প্রথম ব্যক্তিত্ব হযরত মুহাম্মদ (সা) এর মাধ্যমে আল্পাহ্ তাআলা
আপনাদেরকে সত্য পথের দিশা দান করেছেন ৷ আর আমাদের শেষ ব্যক্তি (হযরত হাসান
(বা) নিজের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন) দ্বারা আপনাদেরকে রক্তপাত থেকে রক্ষা করেছেন ৷ এ
বিষয় অর্থাৎ শাসন ক্ষমতার একটি মেয়াদ নির্ধারিত রয়েছে ৷ আর দুনিয়া হলো কুপেৱ থেকে


قَالَ شَيْخُنَا أَبُو الْحَجَّاجِ الْمِزِّيُّ فِي " أَطْرَافِهِ ": وَقَدْ رَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ. وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ طَرِيقِ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيِّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ; قَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ: ثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْأُمَوِيُّ، عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْحَسَنِ «إِنَّ ابْنِي هَذَا سَيِّدٌ، يُصْلِحُ اللَّهُ بِهِ بَيْنَ فِئَتَيْنِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ» ". وَكَذَا رَوَاهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَغْرَاءَ، عَنِ الْأَعْمَشِ بِهِ. وَقَدْ رَوَاهُ غَيْرُهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ; فَقَالَ أَبُو يَعْلَى: ثَنَا أَبُو بَكْرٍ، ثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ صَالِحٍ التَّمَّارُ الْمَدَنِيُّ، ثَنَا مُسْلِمُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَدَنِيِّ قَالَ: كُنَّا مَعَ أَبِي هُرَيْرَةَ، إِذْ جَاءَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ فَسَلَّمَ فَرَدَدْنَا عَلَيْهِ، وَلَمْ يَعْلَمْ بِهِ أَبُو هُرَيْرَةَ وَمَضَى، فَقُلْنَا: يَا أَبَا هُرَيْرَةَ، هَذَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ قَدْ سَلَّمَ عَلَيْنَا. قَالَ: فَتَبِعَهُ فَلَحِقَهُ، وَقَالَ: وَعَلَيْكَ السَّلَامُ يَا سَيِّدِي. وَقَالَ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ " إِنَّهُ سَيِّدٌ» ".
পৃষ্ঠা - ৬৩১৫


পানি তােলার বালতি ৩সদৃশ ৷ কখঙ্গুন৷ এর হাতে কখনো ওর হাতে ৷ মহান আল্লাহ তীর নবীকে
(সা) বলেস্ফো,

হ্১ক্ট্রটুা
আমি জানি না, হয়ত এটি তোমাদের জন্যে এক পরীক্ষা; এবং জীবনের ভোগ কিছুকান্সের
জন্যে ৷ (সুরা ২১, আম্বিয়াং ১১১) ৷ হযরত হাসান (রা)এর এতটুকু বলার মুআবিয়া (রা)
রেগে গেলেন এবং তাকে বসে যেতে নির্দেশ দিলেন ৷ র্তাকে বক্তব্য প্রদানের অনুমতি দেয়ার
ইঙ্গিত করায় তিনি আমর ইবনুল আস (রা) কেও ভর্ধসনা করলেন এবং বিষয়টি আজীবন তার
মনে অক্ষুগ্ন ছিল ৷ আল্লাহই ভাল জানেন ৷
ইমাম আবু ঈস৷ তিরমিযী (র) জামে তিরমিযী গ্রন্থে একটি হাদীস উল্লেখ করেছেন, তা
হল মুহাম্মদ ইবন পায়লান ইউসুফ ইবন সা দ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
মু অ ৷বিয়া (রা) এর সাথে হযরত হাসান (রা) এর সমঝোতা চুক্তি সম্পন্ন হবার পর এক ব্যক্তি
হযরত ইাসান (রা) কে সম্বোধন করে বলল, “আপনি মু’মিনদের চেহারায় কালিমা লেপন
করেছেন ৷ অথবা লোকটি বলেছে, হে মু মিনদের মুখে কালিমা লেপনকারী ব্যক্তি !’ উত্তরে
তিনি বললেন, মহান আল্লাহ তােমকে দয়া করুন, আমাকে দুঃখ দিও না ৷ কারণ নবী করীম
(সা) কে স্বপ্নে দেখানো হয়েছিল যে, তার মিম্বরে বানু উমাইয়ার লোক বসেছে ৷ এতে তিনি
মনংক্ষুগ্ন হলেন ৷ তখন নাযিল অবশ্যই আপনাকে
কাওসার দান করেছি ৷ (সুবা ১ :৮ কাওসারষ্ক ১ ) ৷ অর্থাৎ জান্নার্ভের কাওসার দান করেছি ৷
তখন আরো নাযিল হল-

, আমি এটি অবর্তীণ করেছি মহিমান্বিত ৱজনীতে ৷ আর মহিমান্বিত রজ়নী সম্বন্ধে আপনি
কি জানেন? মহিমান্বিত রজনী হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ৷ (সুরা-৯৭, কাদর ং ১-৩) ৷ এত
দ্বারা আল্লাহ তাআলা রাসুলুল্পাহ্ (সা) কে বললেন, হে র্মুহাম্মদ (সা) ৷ আপনার পরে বনু
উমাইয়৷ গোত্র খিলাফতেব অধিকারী হবে ৷ ফাদল বলেন, আমি উমইিয়াদের শসনকাল গণনা
করে দেখেছি যে, তা হয়েছে হাজার মাস ৷ একদিন কম কিংবা একদিন বেশি নয় ৷
ইমাম তিরমিযী (রা) এই হাদীস উদ্ধৃত করার পর বলেস্ফো যে, এই হাদীসটি গরীব বা
একক বর্ণনাকারীর বর্ণিত হাদীস ৷ কাসিম ইবন ফাদল ব্যতীত অন্য কোন রর্ণনাকারী থেকে
আমি এই হাদীস পইি নি ৷ কাসিম ইবন ফাদল একজন বিশ্বস্ত বর্ণনাকারী ৷
ইয়াহ্য়৷ আলফাত্তান এবং ইবন মাহ্দী দু জনেই তাকে আস্থাভজ্যো হিসেবে ঘোষণা
দিয়েছেন ৷ ইমাম তিরমিয (বা) আরো বলেছেন যে, কাসিমের শায়খসম্বহ্মে বলা হয়েছে যে,
তিনি ইউসুফ ইবন সাদ কিংবা ইউসুফ ইবন মাযান, তিনি অজ্ঞাত পরিচয় লোক ৷ এই
হাদীসটি এই ভাষা ও শব্দমাল৷ ব্যতীত অন্যরকম বর্ণিত হয় নি৷ এটি একটি পরীব বরং
মুনকার বা প্ৰত্যাখ্যানযােগ্য হাদীস ৷ আমাদের তাফসীর গ্রন্থে আমরা “এই বিষয়ে পর্যাপ্ত
আলোচনা করেছি এবং এটির অগ্রহণযােগ্যত ৷ প্রমাণ করেছি ৷ কাসিম ইবন ফাদল যা বর্ণনা
করেছেন, তার চুলচেঝুবিশ্নেষণ করেছি ৷ কেউ চাইলে তা আমাদের তাফসীর গ্রন্থে দেখুন ৷
আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷


وَقَالَ أَبُو الْحَسَنِ عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَدَائِنِيُّ: كَانَ تَسْلِيمُ الْحَسَنِ الْأَمْرَ لِمُعَاوِيَةَ فِي الْخَامِسِ مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ سَنَةَ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ. وَقَالَ غَيْرُهُ: فِي رَبِيعٍ الْآخَرِ. وَيُقَالُ: فِي غُرَّةِ جُمَادَى الْأُولَى. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ: وَحِينَئِذٍ دَخَلَ مُعَاوِيَةُ إِلَى الْكُوفَةِ فَخَطَبَ النَّاسَ بِهَا بَعْدَ الْبَيْعَةِ. وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ أَشَارَ عَلَى مُعَاوِيَةَ أَنْ يَأْمُرَ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ أَنْ يَخْطُبَ النَّاسَ وَيُعْلِمَهُمْ بِنُزُولِهِ عَنِ الْأَمْرِ لِمُعَاوِيَةَ، فَأَمَرَ مُعَاوِيَةُ الْحَسَنَ، فَقَامَ فِي النَّاسِ خَطِيبًا، فَقَالَ فِي خُطْبَتِهِ بَعْدَ حَمْدِ اللَّهِ وَالثَّنَاءِ عَلَيْهِ وَالصَّلَاةِ عَلَى رَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَمَّا بَعْدُ، أَيُّهَا النَّاسُ، فَإِنَّ اللَّهَ هَدَاكُمْ بِأَوَّلِنَا، وَحَقَنَ دِمَاءَكُمْ بِآخِرِنَا، وَإِنَّ لِهَذَا الْأَمْرِ مُدَّةً، وَالدُّنْيَا دُوَلٌ، وَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَالَ لِنَبِيِّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ {وَإِنْ أَدْرِي لَعَلَّهُ فِتْنَةٌ لَكُمْ وَمَتَاعٌ إِلَى حِينٍ} [الأنبياء: 111] . فَلَمَّا قَالَهَا غَضِبَ مُعَاوِيَةُ وَأَمَرَهُ بِالْجُلُوسِ، وَعَتَبَ عَلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ فِي إِشَارَتِهِ بِذَلِكَ، وَلَمْ يَزَلْ فِي نَفْسِهِ مِنْهُ لِذَلِكَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ فِي " جَامِعِهِ ": حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ، ثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، ثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ الْفَضْلِ الْحُدَّانِيُّ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ سَعْدٍ قَالَ: قَامَ رَجُلٌ إِلَى الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ بَعْدَ مَا بَايَعَ مُعَاوِيَةَ فَقَالَ: سَوَّدْتَ وُجُوهَ الْمُؤْمِنِينَ - أَوْ: يَا مُسَوِّدَ وُجُوهِ الْمُؤْمِنِينَ - فَقَالَ: لَا تُؤَنِّبْنِي رَحِمَكَ اللَّهُ ; فَإِنَّ
পৃষ্ঠা - ৬৩১৬
النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُرِيَ بَنِي أُمَيَّةَ عَلَى مِنْبَرِهِ، فَسَاءَهُ ذَلِكَ فَنَزَلَتْ {إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ} [الكوثر: 1] يَا مُحَمَّدُ. يَعْنِي نَهْرًا فِي الْجَنَّةِ، وَنَزَلَتْ {إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ - وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ - لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ} [القدر: 1 - 3] يَمْلِكُهَا بَعْدَكَ بَنُو أُمَيَّةَ يَا مُحَمَّدُ. قَالَ الْقَاسِمُ: فَعَدَدْنَا فَإِذَا هِيَ أَلْفُ شَهْرٍ، لَا تَزِيدُ يَوْمًا وَلَا تَنْقُصُ. ثُمَّ قَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ الْقَاسِمِ بْنِ الْفَضْلِ، وَهُوَ ثِقَةٌ، وَثَّقَهُ يَحْيَى الْقَطَّانُ وَابْنُ مَهْدِيٍّ. قَالَ: وَشَيْخُهُ يُوسُفُ بْنُ سَعْدٍ - وَيُقَالُ: يُوسُفُ بْنُ مَازِنٍ - رَجُلٌ مَجْهُولٌ. قَالَ: وَلَا يُعْرَفُ هَذَا الْحَدِيثُ بِهَذَا اللَّفْظِ إِلَّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. فَإِنَّهُ حَدِيثٌ غَرِيبٌ بَلْ مُنْكَرٌ جِدًّا، وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَيْهِ فِي كِتَابِ " التَّفْسِيرِ " بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ، وَبَيَّنَّا وَجْهَ نَكَارَتِهِ، وَنَاقَشْنَا الْقَاسِمَ بْنَ الْفَضْلِ فِيمَا ذَكَرَهُ، فَمَنْ أَرَادَ ذَلِكَ فَلْيُرَاجِعِ " التَّفْسِيرَ ". وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْخَطِيبُ الْبَغْدَادِيُّ ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَخْلَدِ بْنِ جَعْفَرٍ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الْحَكِيمِيُّ، ثَنَا عَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، ثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، ثَنَا أَبُو رَوْقٍ الْهَمْدَانِيُّ، ثَنَا أَبُو الْغَرِيفِ قَالَ: كُنَّا فِي مُقَدِّمَةِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ اثْنَيْ عَشَرَ أَلْفًا بِمَسْكِنَ مُسْتَمِيتِينَ، تَقْطُرُ أَسْيَافُنَا مِنَ الْجِدِّ
পৃষ্ঠা - ৬৩১৭


হাফিজ আবু বকর খতীব বাগদাদী ইব্রাহীম ইবন মাখলাদ আবু আরীফ থেকে বর্ণনা করেন
যে, তিনি বলেছেন, ইমাম হাসান (রা)-এর প্রেরণ করা অগ্রবর্তী সেনাদলে আমরা অন্তর্ভুক্ত
কািাম ৷ আমরা ছিলাম সংখ্যায় ১২,০০০ ৷ সিরিয়াবাসীদেছু৷ বিরুদ্ধে প্রচণ্ড যুদ্ধ পরিচালনার পুর্ণ
প্রস্তুতি নিয়ে আমরা ৰুমাসকান-ই-মুসতামীতীন’ নামক স্থানে অবস্থান করছিলাম ৷ আমাদের
নেতৃত্বে ছিল আবুজামর তুাহা ৷ ইমাম হাসান (বা) উমাইয়াদের সাথে সন্ধি স্থাপন করেছেন এই
সংবাদ যখন আমাদের নিকট পৌছে তখন মনে হফ্লি যে, ক্ষোভে-দুঃখে আমাদের ,মেরুদণ্ড
ভেঙে গিয়েছে ৷ পরে হযরত হাসান (বা) যখন কুফ্ায় ফিরে এলেন তখন আমির সাঈদ ইবন
নাতল নামে আমাদের এক লোক তাকে সম্বোধন করে বলল, ছু১ট্রু১’ণ্ন্ শ্র;া; হ্রন্১াদ্বুষ্া৷

য়ু, #ৰুণ্;শু-া৷ “হে মু’মিনদেরকে লাঞ্ছিতকারী ৷ আপনাকে সালাম ৷ ’
হযরত হাসান (রা) বললেন, হে আবু আমির ! এমন কথা বলো না ৷ আমিমু’মিনদেরাক
অপমানিত ও সাহিত্যে করি নি বরং রাজত্বের লোভে মুমিনদেরকে হত্যা করাকে ঘৃণ ৷ করেছি ৷ ’

শহর-উপশহ্বগুল্যেতে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার পর মুআবিয়া (রা) কুফা এলেন এবং সেখানে একটি
ভাষণ দিলেন ৷ এ সময়ে সর্বত্র তার প্রতি একক আনুগত্য ঘোষণা করা হল ৷ প্রচণ্ড সাহসী আরব
সেনাপতি কায়স ইবন সাদও তার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করলেন ৷ ইতিপুর্বে তিনি মুআবিয়া
(রা)-এর বিরুদ্ধাচরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন ৷ ওই বছরই মুআবিয়া (রা) সৃর্বএ একক
আনুগত্য অর্জন করেন ৷ তখন ইমাম হাসান (বা) তার তদীয় ভাই ইমাম হুসায়ন (বা), তাদের
অবশিষ্ট ভাইয়েরা এবং তাদের চাচাত ভইি আবদুল্লাহ ইবন জাফর ইরাক থােক মদীনা-মুনাওয়ারা
চলে এলেন ৷ তারা তাদের সমর্থক যে গোত্রের পাশ দিয়েই আসছিলেন, সেই গোত্রই খিলাফত
প্ পরিত্যাগের জন্য ইমাম হাসান (রা) কে তিরস্কার ও মন্দ বলছিল ৷

অথচ উক্ত ঘটনায় তিনি ছিলেন পুন্যবান, সত্যানুসরীি এবং প্রশংসিত ৷ এ কাজের জন্য তিনি
মানসিকভাবে সামান্যও দুঃখিত-সজ্জিত কিংবা মর্মাহত হ্ন৷ নি ৷ বরং তাতে তিনি সম্পুর্ণ স্বতক্ষুর্ত
ও আনন্দিত ছিলেন ৷ তার পরিবারের সমর্থকঃদর মধ্যে বহু লোক তার সমালোচনা করেছে বটে ৷
দীর্ঘ সময় পর এ যুগেও অনেক লোক ওই সমালোনাের পথে চলেছে ৷ বস্তুত এই ঘটনার সত্য
বিষয় এই যে, ইমাম হাসান (রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর হাদীসের অনুসরণ করেছেন এবং উম্মতের
রক্তপাত বন্ধ করে প্রশংসা কৃড়িয়েছেন ৷ এ কাজের জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (না) তার প্রশংসা করেছেঃ ৷
যেমনটি ইতিপুর্বে বিশুদ্ধ ও সঠিক ধারায় বর্ণিত ওই হাদীস আমরা উল্লেখ করেছি ৷ সবলে প্রশংসা
মহান আল্লাহর ৷ ,

ইমাম হাসান (রা) এর ওফাতের আলোচনার তার ফযীলত সম্পর্কিত হাদীসঢি পুনরায়
উল্লেখ করব ৷ মহান আল্লাহ ইমাম হাসান (রা) এর প্রতি সন্তুষ্ট হোন এবং জান্নাভৃল যিম্মদাউসে
মহান আল্লাহ তার শেষ ঠিকানা করুন ৷ বস্তুত আল্লাহ্ তাআলা তা-ই করেছেন ৷

মুহাম্মদ ইবন সাদ বলেছেন, আবু নুআয়মআবু রাযীন থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, একদিন ৰু ইমাম হাসান (রা) আমাদের জুমআর নামাযে ইমামতি করলেন ৷ তিনি
মিম্বরে পুর্ণ সুরা ইব্রাহীম পাঠ করলেন ৷ ইবন আসাবিরে ইমাম হাসান (রা) থেকে বর্ণনা
করেছেন যে, তিনি প্রতি রাতে সুরা-কাহ্ফ পুরো৩ তিলাওয়াত করতেন ৷ সুরাটি একটি ফলকে
লিখিত ছিল ৷ তিনি নিজ বিছানায় ঘুমাতে যাবার পুর্ব পর্যন্ত যে শ্রীর নিকট যেখানে যেতেন সেই
ফলকটি তার সাথে থাকত ৷


عَلَى قِتَالِ أَهْلِ الشَّامِ وَعَلَيْنَا أَبُو الْعَمَرَّطَةِ، فَلَمَّا جَاءَنَا صُلْحُ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ كَأَنَّمَا كُسِرَتْ ظُهُورُنَا مِنَ الْغَيْظِ، فَلَمَّا قَدِمَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْكُوفَةَ قَالَ لَهُ رَجُلٌ مِنَّا يُقَالُ لَهُ: أَبُو عَامِرٍ سُفْيَانُ بْنُ اللَّيْلِ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا مُذِلَّ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ: لَا تَقُلْ هَذَا يَا أَبَا عَامِرٍ، لَسْتُ بِمُذِلِّ الْمُؤْمِنِينَ، وَلَكِنِّي كَرِهْتُ أَنْ أَقْتُلَهُمْ عَلَى الْمُلْكِ. وَلَمَّا تَسَلَّمَ مُعَاوِيَةُ الْبِلَادَ وَدَخْلَ الْكُوفَةَ وَخَطْبَ بِهَا، وَاجْتَمَعَتْ عَلَيْهِ الْكَلِمَةُ فِي سَائِرِ الْأَقَالِيمِ وَالْآفَاقِ، وَرَجَعَ إِلَيْهِ قَيْسُ بْنُ سَعْدٍ أَحَدُ دُهَاةُ الْعَرَبِ، وَقَدْ كَانَ عَزَمَ عَلَى الشِّقَاقِ، وَحَصَلَ عَلَى بَيْعَةِ مُعَاوِيَةَ عَامَئِذٍ الْإِجْمَاعُ وَالِاتِّفَاقُ، تَرَحَّلَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَمَعَهُ أَخُوهُ الْحُسَيْنُ وَبَقِيَّةُ إِخْوَتِهِمْ وَابْنُ عَمِّهِمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ مِنْ أَرْضِ الْعِرَاقِ إِلَى أَرْضِ الْمَدِينَةِ النَّبَوِيَّةِ، عَلَى سَاكِنِهَا أَفْضَلُ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَجَعَلَ كُلَّمَا مَرَّ بِحَيٍّ مِنْ شِيعَتِهِمْ يُبَكِّتُونَهُ عَلَى مَا صَنَعَ مِنْ نُزُولِهِ عَنِ الْأَمْرِ لِمُعَاوِيَةَ، وَهُوَ فِي ذَلِكَ مُصِيبٌ بَارٌّ رَاشِدٌ مَمْدُوحٌ، وَلَيْسَ يَجِدُ فِي صَدْرِهِ حَرَجًا وَلَا تَلَوُّمًا وَلَا نَدَمًا، بَلْ هُوَ رَاضٍ بِذَلِكَ مُسْتَبْشِرٌ بِهِ، وَإِنَّ كَانَ قَدْ سَاءَ هَذَا خُلُقًا مِنْ ذَوِيهِ وَأَهْلِهِ وَشِيعَتِهِ، وَلَا سِيَّمَا بَعْدَ ذَلِكَ بِمُدَدٍ، وَهَلُمَّ جَرًّا إِلَى يَوْمِنَا هَذَا. وَالْحَقُّ فِي ذَلِكَ اتِّبَاعُ السُّنَّةِ وَمَدْحُهُ فِيمَا حَقَنَ بِهِ دِمَاءَ الْأُمَّةِ، كَمَا مَدَحَهُ عَلَى ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَمَا تَقَدَّمَ فِي الْحَدِيثِ الصَّحِيحِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَسَيَأْتِي فَضَائِلَ الْحَسَنِ عِنْدَ ذِكْرِ وَفَاتِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ، وَجَعَلَ جَنَّاتِ الْفِرْدَوْسِ مُتَقَلَّبَهُ
পৃষ্ঠা - ৬৩১৮
وَمَثْوَاهُ، وَقَدْ فَعَلَ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، ثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي رَزِينٍ قَالَ: خَطَبَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ يَوْمَ جُمُعَةٍ، فَقَرَأَ سُورَةَ " إِبْرَاهِيمَ " عَلَى الْمِنْبَرِ حَتَّى خَتَمَهَا. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ عَنِ الْحَسَنِ، أَنَّهُ كَانَ يَقْرَأُ كُلَّ لَيْلَةٍ سُورَةُ " الْكَهْفِ " فِي لَوْحٍ مَكْتُوبٍ يَدُورُ مَعَهُ حَيْثُ دَارَ مِنْ بُيُوتِ أَزْوَاجِهِ قَبْلَ أَنْ يَنَامَ، وَهُوَ فِي الْفِرَاشِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
পৃষ্ঠা - ৬৩১৯


মু আবিয়৷ ইবন আবু সুফিরান (রা) ও তার রাজত্ব
ইতিপুর্বে আমরা হাদীস উল্লেখ করেছি যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পর পুিলাফত ভিত্তিক
শাসন চলবে ৩০ বছর ৷ তারপর শুরু হয়ে রাজতন্ত্র ৷ হযরত হাসান (রা) এর খিলাফতকাল
অবসানর সাথে সাথে ৩০ বছরের খিলাফত ভিত্তিক শাসন পুর্ণ হয় ৷ সুতরাং মুআবিয়া (বা)
হলেন প্রথম রাজা বা বাদশাহ ৷ তার যুগ প্রথম রাজত্ব যুগ ৷ তিনি ছিলেন রাজাদের মধ্যে উত্তম
রাজা ৷ আল্লাম৷ তাব৷ আলী ইবন আবদুল আমীর মু আর ইবন জাবাল ও আবু উবা য়দা (রা)
থেকে বর্ণনা করেন যে, তারা বালহ্নো, রাসুলুল্পাহ্ (সা) ইরশাদ করেছেনং
ষ্স্পো ঞ

াদশ শাসানৱ এই বিষয়টি শুরু হয়েছে রহমত ও নবুওাতর ভিত্তিতে ৷ এরপর এটি
পরিণত হবে রহমত ও খিলাফত রীতিতে ৷ এরপর এটি পরিণত হবে জুলুমবাজ রাজতান্ত্র ৷
এরপর এটি পরিণত হবে স্বৈরাষ্ারী, সীমালঙ্ঘন, বল প্রয়োগ ও পৃথিবীতে বিপর্যয় ও ৰিশৃৎখলা
সৃষ্টির মাধামরুাপ ৷ তখন তারা ৷রশর্মী কাপড় পরিধান, ব্যভিচার ও মদপান বৈধ করে নিয়ে ৷
তবুও তারা রিযিকপ্রাপ্ত হবে এবৎ সাহায্য পাবে ৷ মৃত্যুর মাধ্যমে আল্লাহর সাথে সাক্ষাত ঘটার
পুর্ব পর্যন্ত এভাবে চলতে থাকবে’ ৷ এই হাদীসের সনদ উত্তম ৷
দালইিলুল নুবুওয়াত অধ্যায়ে আমরা উল্লেখ করেছি একটি হাদীস যেটি ইসমাঈল ইবন
ইব্রাহীম ইবন মুহাজ্যি সুত্রে আবদুল মালিক ইবন উমর থেকে বর্ণিত হয়েছে৷ আবদুল
প্ মালিক ইবন উমর বলেছেন যে, মুআৰিয়া (রা) বলেছেন, আমাকে দেশ শাসনের দায়িত্ব
গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেছে বাসুলুল্লাহ (সা) এর একটি হাদীস ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে সম্বোধন
করে বলেছিলেন
াহ মুআৰিয়া ! তুমি যদি রাজা হও তবে ভালভাবে রাজকার্য পরিচালনা করবে ৷ ইমাম
বায়হাকী (রা) হাদীসঢি হাকীমে ইসমাঈল সুত্রে উল্লেখ করেছেন৷ এরপর বায়হাকী (রা)
বলেছেন যে, অন্যান্য সুত্রে এই হাদীসের সমর্থনে হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷ তার একটি হল
আমর ইবন ইয়াহ্য়াএর হাদীস ৷ তিনি তার দাদা সাঈদ থেকে বর্ণনা কারহ্নে৷ ৷ তিনি
বলেছেন যে, একদিন মুআবিয়৷ (রা) পানির পাত্র হাতে বাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পেছন পেছন
যাচ্ছিালন ৷ এক পর্যায়ে রাসুলুল্লাহ্ (না) তার দিাক ফিরে তাকালেন এবং বললেন,

াহ মু আবিয়৷ ! তুমি যদি দেশ শাসনের দায়িত্ব পাও তবে আল্লাহ্কে ভয় করবে এবং ন্যায়
পরায়ণত৷ অবলম্বন বল্মবে ৷ মুআবিয়া (রা) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে
সর্বদা আমার মনে হয়েছে যে, আমি ওই দায়িতুপ্রাপ্ত হব এবং আমাকে ওই ঝামেলা পােহাতে
হবে ৷


[ذِكْرُ أَيَّامِ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبَى سُفْيَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَمُلْكِهِ] قَدْ تَقَدَّمَ فِي الْحَدِيثِ أَنَّ الْخِلَافَةَ بَعْدَهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، ثَلَاثُونَ سَنَةً، ثُمَّ تَكُونُ مُلْكًا، وَقَدِ انْقَضَتِ الثَّلَاثُونَ سَنَةً بِخِلَافَةِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، فَأَيَّامُ مُعَاوِيَةَ أَوَّلُ الْمُلْكِ، فَهُوَ أَوَّلُ مُلُوكِ الْإِسْلَامِ وَخِيَارِهِمْ. قَالَ الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، ثَنَا الْفُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ عَنْ لَيْثٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَابِطٍ، عَنْ أَبِي ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيِّ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ وَأَبِي عُبَيْدَةَ قَالَا: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «إِنَّ هَذَا الْأَمْرَ بَدَأَ رَحْمَةً وَنُبُوَّةً، ثُمَّ يَكُونُ رَحْمَةً وَخِلَافَةً، ثُمَّ كَائِنٌ مُلْكًا عَضُوضًا، ثُمَّ كَائِنٌ عُتُوًّا وَجَبْرِيَّةً وَفَسَادًا فِي الْأَرْضِ، يَسْتَحِلُّونَ الْحَرِيرَ وَالْفُرُوجَ وَالْخُمُورَ، وَيُرْزَقُونَ عَلَى ذَلِكَ وَيُنْصَرُونَ حَتَّى يَلْقَوُا اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ» ". إِسْنَادُهُ جَيِّدٌ. وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ الْحَدِيثَ الْوَارِدَ مِنْ طَرِيقِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُهَاجِرٍ - وَفِيهِ ضَعْفٌ - عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ قَالَ: قَالَ مُعَاوِيَةُ: وَاللَّهِ مَا حَمَلَنِي عَلَى الْخِلَافَةِ إِلَّا «قَوْلُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِي: " يَا مُعَاوِيَةُ، إِنْ مَلَكْتَ فَأَحْسِنْ» ". رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ، عَنِ الْحَاكِمِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৬৩২০
مُحَمَّدِ بْنِ سَابِقٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ. ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَلَهُ شَوَاهِدُ مِنْ وُجُوهٍ أُخَرَ، مِنْهَا حَدِيثُ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، عَنْ جَدِّهِ سَعِيدٍ «أَنَّ مُعَاوِيَةَ أَخَذَ الْإِدَاوَةَ فَتَبِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَنَظَرَ إِلَيْهِ فَقَالَ لَهُ: " يَا مُعَاوِيَةَ، إِنْ وَلَيْتَ أَمْرًا فَاتَّقِ اللَّهَ وَاعْدِلْ ". قَالَ مُعَاوِيَةُ: فَمَا زِلْتُ أَظُنُّ أَنِّي مُبْتَلًى بِعَمَلٍ ; لِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَمِنْهَا حَدِيثُ رَاشِدِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّكَ إِنِ اتَّبَعْتَ عَوْرَاتِ النَّاسِ أَفْسَدْتَهُمْ ". قَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ: كَلِمَةٌ سَمِعَهَا مُعَاوِيَةُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَنَفَعَهُ اللَّهُ بِهَا» . ثُمَّ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ، مِنْ طَرِيقِ هُشَيْمٍ، عَنِ الْعَوَّامِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «الْخِلَافَةُ بِالْمَدِينَةِ، وَالْمُلْكُ بِالشَّامِ» ". غَرِيبٌ جِدًّا. وَرَوَى مِنْ طَرِيقِ أَبِي إِدْرِيسَ، عَنْ أَبَى الدَّرْدَاءِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بَيْنَا أَنَا نَائِمٌ رَأَيْتُ عَمُودَ الْكُتَّابِ احْتُمِلَ مِنْ تَحْتِ رَأْسِي، فَظَنَنْتُ أَنَّهُ مَذْهُوبٌ بِهِ، فَأَتْبَعْتُهُ بِصَرِي فَعُمِدَ بِهِ إِلَى الشَّامِ أَلَا وَإِنَّ الْإِيمَانَ حِينَ تَقَعُ الْفِتَنُ بِالشَّامِ» ". وَقَدْ رَوَاهُ سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ عَطِيَّةَ بْنِ قَيْسٍ وَيُونُسَ بْنِ مَيْسَرَةَ،
পৃষ্ঠা - ৬৩২১
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو. وَرَوَاهُ الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ عَفِيرِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ سُلَيْمِ بْنِ عَامِرٍ، عَنْ أَبَى أُمَامَةَ. وَرَوَى يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ عَنْ نَصْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ سُلَيْمَانَ السُّلَمِيِّ الْحِمْصِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَيْسٍ، سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " «رَأَيْتُ عَمُودًا مِنْ نُورٍ خَرَجَ مِنْ تَحْتِ رَأْسِي سَاطِعًا حَتَّى اسْتَقَرَّ بِالشَّامِ» ". وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَفْوَانَ قَالَ: قَالَ رَجُلٌ يَوْمَ صِفِّينِ: اللَّهُمَّ الْعَنْ أَهْلَ الشَّامِ. فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: لَا تَسُبَّ أَهْلَ الشَّامِ جَمًّا غَفِيرًا ; فَإِنَّ بِهَا الْأَبْدَالَ، فَإِنَّ بِهَا الْأَبْدَالَ، فَإِنَّ بِهَا الْأَبْدَالَ. وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ مَرْفُوعًا.
পৃষ্ঠা - ৬৩২২



আল-বিদায়া ওয়াননিহায়া ৪৯

শু এই বিষয়ে আর একটি হাদীস হল রাশেদ ইবন সা৫দর বর্ণিত হাদীস ৷ মুআবিয়৷ (বা)
থেকে তিনি বলেছেন; মু আবিয়া (রা) বলেন, আমাকে লক্ষ্য করে ৱাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন-
তৃমি যদি জনসাধারণের ব্যক্তিগত ও গোপনীয় বিষয়সমুহ খুজতে ৫ল৫গ মাও তাহলে তুমি
৩াদ৫রকে বিশৃৎখলায় নিঃক্ষপ করবে ৷ আবুদারদা (রা) বলেছেন, “মুআবিয়৷ (রা) রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর এই বাণী শু৫নছেন তারপর এটি দ্বারা আল্লাহ্ তা আলা তাকে উপকৃত করেছেন ৷
এরপর বায়হাকী হুশায়ম আবু হুরায়র৷ (রা) থেকে বর্ণনা ক৫রছো, তিনি বলেহ্নে৷ যে,
রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেছো ণ্

খিলাক৫তর ৫কন্দ্রবিন্দু হবে মদীনা নগরী ৷ আর রজোত্র ৫কন্দ্রবিন্দু হবে সিরিয়া ৷ অবশ্য
এই হাদীস গরীব বা একক বাতিঃ৷ বর্ণন্৷ ৷ বায়হাকী (র) আরেকটি হাদীস উদ্ধৃত; করেস্ফো,
আবু ইদ্ৰীস সুত্রে আবু দারদ৷ (রা) ৫থ৫ক, তিনি বলেছেন যে, বাসুলুল্পাহ্ (সা) ব্লেছেঃ








আমি একদিন ঘুমিয়ে ন্ডিংাম ৷ তখন দেখতে পেলাম যে, আমার মাথার নীচ ৫থ ৫ক
কিতাবটি তুলে ৫নয়া হল ৷ আমি মনে করত্যিাম সেটি একেবারেই তুলে ৫নশ্ন৷ হয়েছে ৷ আমার
দৃষ্টি ৫সঢির ৫পছন পেছন ছুটল ৷ আমি দেখতে লাগলাম ৫সটি ৫কাথার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ৷

পরে দেখলাম সেটি সিবিয়াতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ বস্তুত যখন ফিত্না শুরু হবে তখন ঈমান

সজীব থাকবে সিবিয়াতে ৷’ এই হাদীসটি সা ঈদ আবন্মোহ্ ইবন আমর স্যুন্নাও বর্ণিত হয়েছে ৷
আবার এটি ওয়ালীদ ইবৃ ন মুসলিম বর্ণনা ক৫রছেঃ, উফ্ায়র ইবন মা দান আবুউমাম৷ সুত্রে ৷

ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান আবদুল্লাহ্ ইবন কারন ৫থর্কে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি

উমার ইবন খাত্তাব (রা) থেকে শু৫নছি তিনি বলছিলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন,

ন্
আমি একটি নুরের স্তম্ভ দেখলাম ৷ সেটি আমার মাথার নীচ থেকে চারদিক আলোকিত করে
বের হল ৷ তারপর সেটি সিবিয়াতে গিয়ে অবস্থান নিল ৷ আবদুর রাবৃযাক মা মার আবদুল্লাহ ইবন :
সাফওয়ান সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, এক ব্যক্তি সিফ্ফীনেব্ল যুদ্ধের দিন বলেছিল,
৫হ, আল্লাহ্ ! সিরিয়াবাসীদের উপর লানত নাযিল করুন ৷’ তখন হযরত আলী (রা) তাকে
৫ড৫ ক বললেন, সিরিয়াবাসী৫দর পালি দিও না, কারণ নিশ্চিড্ডাবে সেখানে রয়েছে আবদাল,
নিশ্চয়ই সেখানে রয়েছে আবদাল, নিশ্চয়ই ৫স খা৫ন রয়েছে আবদাল ৷ এই হাদীসটি অন্য সনদে
সরাসরি রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে বর্ণিত হাদীসরু৫প উল্লেখিত হয়েছে ৷

মু আবিয়া ইবন আবু সুফিয়ানেব্ল ফযীলত ও মর্যাদা

তিনি হলেন মুআবিয়৷ ইবন আবু সুফিয়ান ইবন সাখর হারব ইবন উমাইয়া ইবন আরদ্
শাম্স ইবন আবদ মানাফ ইবন কুসইি ৷ তার উপনাম আবু আবদুর রহমান কুশায়রী উমাবী ৷

আল বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া-৭


[فَضْلُ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ] هُوَ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ صَخْرِ بْنِ حَرْبِ بْنِ أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ قُصَيٍّ، أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقُرَشِيُّ الْأُمَوِيُّ، خَالُ الْمُؤْمِنِينَ، وَكَاتِبُ وَحْيِ رَبِّ الْعَالَمِينَ، أَسْلَمَ هُوَ وَأَبَوْهُ وَأُمُّهُ هِنْدُ بِنْتُ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ يَوْمَ الْفَتْحِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ مُعَاوِيَةَ أَنَّهُ قَالَ أَسْلَمْتُ يَوْمَ عُمْرَةِ الْقَضَاءِ، وَلَكِنْ كَتَمْتُ إِسْلَامِي مِنْ أَبِي وَأُمِّي إِلَى يَوْمِ الْفَتْحِ. وَقَدْ كَانَ أَبُوهُ مِنْ سَادَاتِ قُرَيْشٍ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، وَآلَتْ إِلَيْهِ رِيَاسَةُ قُرَيْشٍ بَعْدَ يَوْمِ بَدْرٍ فَكَانَ هُوَ أَمِيرَ الْحُرُوبِ مِنْ ذَلِكَ الْجَانِبِ، وَكَانَ رَئِيسًا مُطَاعًا ذَا مَالٍ جَزِيلٍ، وَلَمَّا أَسْلَمَ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مُرْنِي حَتَّى أُقَاتِلَ الْكُفَّارَ كَمَا كُنْتُ أُقَاتِلُ الْمُسْلِمِينَ. قَالَ: " نَعَمْ ". قَالَ: وَمُعَاوِيَةُ تَجْعَلُهُ كَاتِبًا بَيْنَ يَدَيْكَ. قَالَ: " نَعَمْ ". ثُمَّ سَأَلَ أَنْ يُزَوِّجَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِابْنَتِهِ الْأُخْرَى، وَهِيَ عَزَّةُ بِنْتُ أَبِي سُفْيَانَ، وَاسْتَعَانَ عَلَى ذَلِكَ بِأُخْتِهَا أُمِّ حَبِيبَةَ، فَلَمْ يَقَعْ ذَلِكَ، وَبَيَّنَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ ذَلِكَ لَا يَحِلُّ لَهُ. وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ فِي غَيْرِ مَوْضِعٍ، وَأَفْرَدَنَا لَهُ مُصَنَّفًا عَلَى حِدَةٍ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَالْمَقْصُودُ أَنْ مُعَاوِيَةَ كَانَ يَكْتُبُ الْوَحْيَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ غَيْرِهِ مِنْ كُتَّابِ الْوَحْيِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، وَلَمَّا فُتِحَتِ الشَّامُ وَلَّاهُ عُمَرُ نِيَابَةَ دِمَشْقَ بَعْدَ أَخِيهِ يَزِيدَ
পৃষ্ঠা - ৬৩২৩


তিনি মৃ মিন সম্প্রদায়ের মাম৷ ৷ (কারণ তার বৈমাত্রের বোন উম্মু হাবীবা (বা) রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর সহধ্র্মিণী এবং সেই সুত্রে মুবিন সম্প্রদায়ের মতো ছিলেন) ৷ হযরত মু আবিয়৷ (রা)
কাবিত ই-ওহী তথ্য ওহী কােক ছিলেন ৷ মুআবিয়া (রা) নিজে তার পিতা আবুসুফিয়ান এবং
মতো হিন্দা (বা) মক৷ বিজয়ের দিন ইসলাম এহণ করেন ৷

মুআৰিয়া (বা) থােক বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আমি উমরাতুল কাযা দিবসে (অর্থাৎ ৭ম
হিজরীর যেদিন রাসুলুলাহ্ (সা) পুর্বেকার উমরাহর কায৷ আদায় করেছিলেন সেদিন) ইসলাম
গ্রহণ করেছিলেন ৷ তিঃ আমার ইসলাম গ্রহণের বিষয়টি আমার পিতা থেকে মক্কা বিজয়ের দিন
পর্যন্ত গোপন রেখেছিলাম ৷ মুআবিয়া (রা) পিতা আবু সুফিয়ান জাহলী যুগে কুরায়নদের

অন্যতম নেতা ছিলেন ৷ বদর যুদ্ধের কুরায়শ বংশের নেতৃত্ব এককভাবে তার প্রতি ৩নাস্ত হয় ৷ এ
জন্যেও তিনি মুশরিকাদর পক্ষে যুদ্ধনায়ক ও প্রধান সেনাপতি ছিলেন ৷ তিনি প্রচুর ধনৈশ্বর্যের
মালিক এবং মুশৰিক সমা৷জ সর্বজনমান্য নেতা ছিলেন ৷ ইসলাম গ্রহণের পর তিনি
বলেছিলেন, হয়৷ ৱা ষুলাল্পাহ ৷ আপনি আমাকে অনুমতি দিন আমি কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করি যেমন ইতিপুর্বে আমি মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বমরছিলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) বললেন
হ্যা, অনুমতি দিলাম ৷ এরপর আবু সুফিয়ান (রা) বললেন, আপনি আমার পুত্র মু আবিয়৷ (রা)-

কে ওহী লেখক হিসেবে নিযুক্ত করুন, ৷স আপনার সম্মুখে বসে বসে ওহী লিখবে ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন, ছুা৷, তইি হবে ৷ এরপর আবু সুফিয়ান (রা) তার কন্যা ইজ্জাহ্ বিনৃত আবু

-সুফিয়ানকে শ্রীরুাপ গ্রহণ করতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে অনুরোধ করেন ৷ এ ব্যাপারে তিনি
ইজ্জাহ্-এর বোন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর শ্রী উম্মু হাবীবা (রা) এর সহায়তা নেন ৷ কিন্তু
রাসুলুল্লাহ্ (না) তা প্রত্যাখ্যান করেন ৷ তিনি বা৷খ্যা দিয়ে বলেন যে, এটা করা বৈধ হবে না ৷
আমরা অবশ্য এই হাদীস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি একাধিক ষ্টুচৈন এবং এই বিষয়ে
একটি পৃথক মোঃ রচনা করেছি ৷ সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর ৷

মোদ্দাক থা অন্যান্য ওহী লেখকদের সাথী হয়ে মুআবিয়া (রা)ও রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ওহী
লিখাতন ৷ হযরত উমক(রা)-এর শাসনামলে মুসলমানগণ সিরিয়া জয় করলেন ৷ হযরত উমর

(রা) মুআবিয়াৰু (রা) এর ভইি ইয়াষীদ ইর ন আবু সুফ্লিয়ানকে দা৷মশৃাকর প্রশাসক নিযুক্তৃ,ৰু
করেছিলেন এবং ইরাযীদের পর ঞা ৷ সক নিযুক্ত করলেন সেখানে মুআবিয়া (রা) ৷ক ৷ তৃতীয়
খলীফা হযরত উসমান (রা)এর শাসনামলে মুআবিয়৷ (রা) কে ওই পদে বহাল রাখা হয় ৷
সাথে আরো কয়েকটি শহর তার অধীনস্ত করে দেয়৷ হয় ৷ দা৷মশৃাকর ইতিহাস খ্যাত “সবুজ
গম্বুজ তার কীর্তি ৷ তিনি ৪০ বছর দামেশৃাক বসবাস করেন ৷ ইবন আসাকিয় এট৷ বলেছেন ৷

হযরত আলী (না) যখন খলীফা নিযুক্ত হলেন তখন হযরত উসমান (রা) এর হত্যার সাথে
সরাসরি জড়িত তার নিযুক্তকতক প্রশাসক মুআবিয়া (রা) কে সিরিয়ার প্রশাসক পদ থেকে
অপসারণের জন্যে এবং তার স্থ লে সা হ্ন৷ ইবন হনায়ফকে নিয়োগ দানের জন্যে তাকে পরামর্শ
দিল ৷ হযরত আলী (রা) তাকে অপসারিত করলেন ৷ কিন্তু এই অপসারণ কার্যকর হল না ৷
সিরিয়ার একদল ৷লাক মুআবিয়৷ ৰু(রা)এর সমর্থনে হযরত আলী (রা) কে তা কার্যকর করতে
বারণ করল ৷ ইতিমধ্যে যুআবিয়৷ (রা) ঘোষণা করেন যে, হযরত উসমান (রা)এর
হতা৷কারীাদরকে যতক্ষণ খলীফা র্তার নিকট না পাঠাবেন ততক্ষণ তিনি খলীফার প্রতি আনুগত্য
প্রকাশ করবেন নাবায়আত করবেন না ৷ কারণ হযরত উসমান (রা) নিহত হয়েছেন অন্যায়ভাব ৷
মহান আল্লাহ রালাছন-


بْنِ أَبِي سُفْيَانَ وَأَقَرَّهُ عَلَى ذَلِكَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ وَزَادَهُ بِلَادًا أُخْرَى، وَهُوَ الَّذِي بَنَى الْقُبَّةَ الْخَضْرَاءَ بِدِمَشْقَ، وَسَكَنَهَا أَرْبَعِينَ سَنَةً. قَالَهُ الْحَافِظُ بْنُ عَسَاكِرَ. وَلَمَّا وَلِيَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ الْخِلَافَةَ أَشَارَ عَلَيْهِ كَثِيرٌ مِنْ أُمَرَائِهِ، مِمَّنْ بَاشَرَ قَتْلَ عُثْمَانَ، أَنْ يَعْزِلَ مُعَاوِيَةَ عَنِ الشَّامِ، وَيُوَلِّيَ عَلَيْهَا سَهْلَ بْنَ حَنِيفٍ، فَعَزَلَهُ فَلَمْ يَنْتَظِمْ لَهُ عَزْلُهُ، وَالْتَفَّ عَلَى مُعَاوِيَةَ جَمَاعَةٌ مِنَ أَهْلِ الشَّامِ وَمَانَعَ عَلِيًّا عَنْهَا، وَقَدْ قَالَ: لَا أُبَايِعُهُ حَتَّى يُسَلِّمَنِي قَتَلَةَ عُثْمَانَ، فَإِنَّهُ قُتِلَ مَظْلُومًا، وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {وَمَنْ قُتِلَ مَظْلُومًا فَقَدْ جَعَلْنَا لِوَلِيِّهِ سُلْطَانًا} [الإسراء: 33] . وَرَوَى الطَّبَرَانِيُّ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ قَالَ: مَا زِلْتُ مُوقِنًا أَنَّ مُعَاوِيَةَ سَيَلِي الْمُلْكَ وَالسُّلْطَانَ مِنْ هَذِهِ الْآيَةِ. وَقَدْ أَوْرَدْنَا سَنَدَهُ وَمَتْنَهُ عِنْدَ تَفْسِيرِ هَذِهِ الْآيَةِ. فَلَمَّا امْتَنَعَ مُعَاوِيَةُ مِنَ الْبَيْعَةِ لِعَلِيٍّ حَتَّى يُسَلِّمَهُ الْقَتَلَةَ، كَانَ مِنْ أَمْرِ صِفِّينِ مَا قَدَّمْنَا ذِكْرَهُ، ثُمَّ آلَ الْأَمْرُ إِلَى التَّحْكِيمِ، فَكَانَ مِنْ أَمْرِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ وَأَبِي مُوسَى مَا أَسْلَفْنَاهُ مِنْ قُوَّةِ جَانِبِ أَهْلِ الشَّامِ فِي الصُّورَةِ الظَّاهِرَةِ، وَاسْتَفْحَلَ أَمْرُ مُعَاوِيَةَ جِدًّا، وَلَمْ يَزَلْ أَمْرُ عَلَيٍّ فِي اخْتِلَافٍ مَعَ أَصْحَابِهِ حَتَّى قَتَلَهُ ابْنُ مُلْجَمٍ كَمَا تَقَدَّمَ، فَعِنْدَ ذَلِكَ بَايَعَ أَهْلُ الْعِرَاقِ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ، وَبَايَعَ أَهْلُ الشَّامِ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ ثُمَّ رَكِبَ الْحَسَنُ فِي جُنُودِ الْعِرَاقِ عَنْ غَيْرِ إِرَادَةٍ مِنْهُ، وَرَكِبَ مُعَاوِيَةُ فِي أَهْلِ الشَّامِ، فَلَمَّا تَوَاجَهَ الْجَيْشَانِ وَتَقَابَلَ الْفَرِيقَانِ، سَعَى النَّاسُ بَيْنَهُمَا
পৃষ্ঠা - ৬৩২৪




াকউ অনা৷য়ভা বে নিহ্ত হলে, তার উত্ত্বরাধীকাবীকোতা আমি তা প্রতিকারের অধিকার

দিষেছি(সুব৷ বনীইসবাঈল ১ ৭-৩৩) ৷ ,

তাব৷ ইবন আব্বাস (বা) থেকে উদ্ধৃত করেছেন, তিনি বলেছেন এই মর্মানুসাবে

মুআবিযা (রা) শ্ছুা৷সন ক্ষমতার অধিকারী হবেন আমি সৃব্লসময় এটা বিশ্বাস করতাম ৷ এই
আয়াতের ব্যাখা৷ট্রুয় আমরা তাফসীব গ্রন্থে উক্ত হাদীসের সনদ ও মুলপাঠ উল্লেখ করেছি ৷

উসমান (রা) এর হত্যাকারীদেরকে এত্যর্পণ না করা পর্যন্ত ,মুআবিয়া (রা) হযরত আলী

(রা) এর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করবেন না এই ঘোষণার ফলশ্রুবিতে সিফ্ফিনের যুদ্ধ

ন্ সংঘটিত হয় ৷ সিফ্ফিানর যুদ্ধের বিবরণ আমরা পুর্বে টুল্লেখ করেছি ৷ পরবর্তীতে দুমাতুল্

জানদাশে আপােষমীমাত্সাব সিদ্ধান্ত হয় ৷ মোঃন্ আমর ইবনুল আস ও আবু মুসা


মধ্যে বিরোধ চলতেই থাকে ৷ এক পর্যায়ে ইবন মুল্জাি৷ তাকে হত্যা করে ৷ এরপর ইরাকী
জ্যাগণ হযরত আলী (রা) এর পুএ ইমাম হাসান (রা) এর হা৷ত বায়আত করে তাকে

অন্যদিকে সিরিয়ার অধিবাসীগণ, মুআবিয়৷ (রা) এর হা৷ত বায়আত করে তাকে
খলীফ্ ৷ ঘোষণা করে ৷ খলীফা ইমাম হাসান (রা) তার অনিচছু৷ সত্বেও সমর্থরুদের চা৷প
ইরাকীাদর নিয়ে মু আবিযার বিরুদ্ধে যুদ্ধে বের হন ৷ মু আবিয়া (রা)ও সিবিযদেবাক বিায়
ন্ ইরাকীাদর বিরুদ্ধে যুদ্ধে“াবর হন ৷ উভয় পক্ষ, যখন মুখোর্মুবি, যুদ্ধ তখন অত্যাসন্ন, তখন
কতক লোক উভয় দলের মধ্যে সমঝোত৷ ও আপোষমীমাং সা র আপ্রা ৷ চেষ্টা চালান এবং
শেষ পর্যন্ত হযরত হাসান (রা) খলীকার পদ থেকে সরে দাড়ান এবং মুআবিয়া (রা) ইবন
আবু সুফিয়াসের প্র তি ক্ষমতা হস্তান্তর করেন ৷ এই ঘটনা ঘটে ৪১ হিজরী সনের রবিউল

আউয়াল মা৷স ৷ জনসাধারণ্৷ মুআবিযা (রা) এর হাতে যায় তাতে করে এবং তারপর তিনি

ন্ কৃফার প্রবেশ কার এক বাগ্নিতাপুণ্৷ ভাষ ণ দেন ৷ বস্তুত তখন পুার্বৃ পশ্চিমে, দুরে কা৷ছু
সর্বত্র তার রার্জত্পু প্রতিষ্ঠিত হয় ৷ সর্বত্র তার প্রতি ৩আনুগতু ৷ একা৷ করা হয় ৷ শাসন ক্ষমতা
ও খলীফা পদ নিয়ে মতবিারার থাকার পর, এই পর্যায়ে ঐকম৩৷ প্রতিষ্ঠা হবার কারগে এই ,
বইরকে ঐকমত্যের বছর বলা হয় ৷

প্রশাসনিক ব্যবস্থা হিসেবে এই সময়ে মুআবিয়া (রা) সিবিয়াব বিচারক পদে ফুদাল৷ ইবন
উবায়দকে এবং তারপর আবু ইদ্রীস খাওলানীকে নিয়োগ দেনা৩ তার পুলিশ বাহিনীর প্রধান
হিসেবে নিয়োগ করেন কায়স ইবন হামযাকে ৷ তার ব্যক্তিগত সহ্ক্ারী হিসেবে আসে রোমক
সারহুস ইবন মানসুর ৷ তিনিই সর্বএথম্ ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করেন ৷ সহকারী চিঠি
পত্র সংরক্ষণের জন্য রেজিট্রি বিভাগ স্থাপন এবং সকল চিঠি পত্র ৷মাহরাঙ্কিত বন্মার ব্যবস্থা
করেন ৷ এটি ছিল তার শৃাসনামলের এথম প্ৰশাসবিক সটু করে ৷

মু আবিরা (রা),-:এর বিরুদ্ধে খারিজী-ৰিদ্রোহ

এই বিদ্রোহের কারণ হল, মু আরিয়া (রা) যখন কু কায় প্রবেশ বল্মালন আর ইমাম হাস শ্হ্ব ও
তীর পরিবার-পরিজন কুফ৷ ছেড়ে মদীনা যাত্রা করলেন, তখন প্রায় ৫০০ আমর এ ক খা: ম্পে হল


فِي الصُّلْحِ، فَانْتَهَى الْحَالُ إِلَى أَنْ خَلَعَ الْحَسَنُ نَفْسَهُ مِنَ الْخِلَافَةِ، وَسَلَّمَ الْمُلْكَ إِلَى مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ وَكَانَ ذَلِكَ فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ - أَعْنِي سَنَةَ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ - وَدَخْلَ مُعَاوِيَةُ إِلَى الْكُوفَةِ فَخَطْبَ النَّاسَ بِهَا خُطْبَةً بَلِيغَةً بَعْدَ مَا بَايَعَهُ النَّاسُ، وَاسْتَوْسَقَتْ لَهُ الْمَمَالِكُ شَرْقًا وَغَرْبًا، وَبُعْدًا وَقُرْبًا، وَسُمِّيَ هَذَا الْعَامُ عَامُ الْجَمَاعَةِ ; لِاجْتِمَاعِ الْكَلِمَةِ فِيهِ عَلَى أَمِيرٍ وَاحِدٍ بَعْدَ الْفُرْقَةِ، فَوَلِيَ مُعَاوِيَةُ قَضَاءَ الشَّامِ لِفَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ، ثُمَّ بَعْدَهُ لِأَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيِّ، وَكَانَ عَلَى شُرْطَتِهِ قَيْسُ بْنُ حَمْزَةَ، وَكَانَ كَاتِبَهُ وَصَاحِبَ أَمْرِهِ سَرْجُونُ بْنُ مَنْصُورِ الرُّومِيُّ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ أَوَّلُ مَنِ اتَّخَذَ الْحَرَسَ، وَأَوَّلُ مِنْ حَزَمَ الْكُتُبَ وَخَتَمَهَا. وَكَانَ أَوَّلَ الْأَحْدَاثِ فِي دَوْلَتِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ [خُرُوجُ طَائِفَةٍ مِنَ الْخَوَارِجِ عَلَيْهِ] وَكَانَ سَبَبَ ذَلِكَ أَنْ مُعَاوِيَةَ لَمَّا دَخَلَ الْكُوفَةَ وَخَرَجَ الْحَسَنُ وَأَهْلُهُ مِنْهَا قَاصِدِينَ إِلَى الْحِجَازِ، قَالَتْ فِرْقَةٌ مِنَ الْخَوَارِجِ نَحْوٌ مِنْ خَمْسِمِائَةٍ: جَاءَ مَا لَا يَشُكُّ فِيهِ، فَسِيرُوا إِلَى مُعَاوِيَةَ فَجَاهِدُوهُ. فَسَارُوا حَتَّى قَرَبُوا مِنَ الْكُوفَةِ وَعَلَيْهِمْ فَرْوَةُ بْنُ نَوْفَلٍ، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ مُعَاوِيَةُ خَيْلًا مِنَ أَهْلِ الشَّامِ، فَطَرَدُوا الشَّامِيِّينَ، فَقَالَ مُعَاوِيَةُ لِأَهْلِ الْكُوفَةِ: لَا أَمَانَ لَكُمْ عِنْدِي حَتَّى تَكُفُّوا بَوَائِقَكُمْ. فَخَرَجُوا إِلَى الْخَوَارِجِ، فَقَالَتْ لَهُمُ الْخَوَارِجُ: وَيْلَكُمْ، مَا تَبْغُونَ؟ أَلَيْسَ مُعَاوِيَةُ عَدُوَّكُمْ
পৃষ্ঠা - ৬৩২৫


বলল, এখনই যুদ্যো উপযুক্ত সময় তাতে কোন সন্দেহ নেই, এগিয়ে যাও, সকলে মিলে
মুআবিয়ার বিরুদ্ধে জিহাদ কর ৷ ওরা যাত্রা কার-ন্ চুফ৷ নগরীর কৃাছুাগ্লুক্বাছি এসে গেল ৷ তাদের ,
দলানতা ছিল ফারওয়া ইবন নাওফাল ৷ সংবাদ পেয়ে ওদ্দেরর্কে প্রতিরোধ করার জন্য মুআবিয়া
(রা); একদল সিরীর অশ্বরােহী পাঠালেন ৷ ওরা সিরী,য়াদরাক পছুায়ান রাধা করল ৷ মুআবিয়া
(রা) কুফাবাসীদেরকে বললেন, এই ব্যিদ্রাহ দল তোমাদের জ্যা নিশ্চি৩ বিপদ ৷ ওদেরাক দমন
করতে ন৷ পারলে ভোমর৷ আমার পক্ষ থেকে কোন নিারাপত্তা পারে না ৷ কুফারাসীস্বাণ
নারিজীদের প্রতিরোধ করার জন্য ৷ বর হল ৷ ’
খারিব্জীর্গপ ওদেরকে বলল, ৷-তামাদের জ্যা ৷ আকসোস ! ৷তামর৷ কী চাওষ্ মুর্দুর্সআবিয়া (বা)
কি আমাদের এবং ৷ তামা৷দর শত্রু নয়৷ তােমর৷ আমাদেরকে ছেড়ে দাও আমরা তার সাথে যুদ্ধ
করি ৷ আমরা যদি তাকে হত্যা করাত পারি ;তবে তার হাত থেকে আমর৷ ৷তামাদেরকে বাচাতে
পারর ৷ আর যদি আমরা পরাজিত ও নিহত হই তাহলে অভত আমাদের থেকে ত্বোমর৷ ৷রহ্াই
পা৷ব ৷ কুফাবাসীরা বলল, না, আল্লাহর, কসম ! আমরা ৷অ্যাংদর বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর৷ ছাড়া অন্য
কিছু মেনে নিতে রাষী নই ৷ খারিব্জীণণ ওই কুফাবাসীদেবাক বলল, না হ্রাওয়ানর যুদ্ধে নিহত
আমদের ডাইদেরাক আল্লাহ্ তা আলা দান করুন ৷ ৷হ কুফাবানীগণ ৷ ’আাম্দেৰু ওই ভাইগণ
৷র্তামদ্বের ভাল করে চিানছিালন ৷ তারপর উভয় পক্ষে যুদ্ধ শুরু হল ৷ কুফাবাসীস্বাণ
খাব্রিজীদেরকে পরাজিত করে তাড়িায় দিল ৷ এরপর মুআবিয়া (রা) আমর ইবনুল আস-এর
পুত্র আবদুল্পাহ্কে কুফার শাসনকর্তা নিযুক্ত করতে চইিালন ৷ তখন মুগীর৷ ইবন শু বা যুক্তি
দেখিয়ে বললেন যে, আপনি ওকে কুফার শাসৃনকর্তা নিযুক্ত করাবন ৷ আর তার পিতাকে
মিশরের শ্া৷সনকর্তা ! তাহলে াগুতা আপনি বাঘের দু চোযা৷লর মাঝে অবস্থান কররেন ৷ এাতৃ
ঘুআবিয়া, (রা) আবদুল্লাহ্কে বৃাদ দিলেন এবং মুপীর৷ ইবন ও বাকে কুফার শাসনকর্তা নিযুক্ত
করলেন ৷ এক সময় আমৱ আস মুআবিয়া (রা) এর সাথে একান্ত সাক্ষাত মিলিত
হলেন এবং বললেন, আপনি কি মুগীরাকে খাজনা সঞ্চাহের দায়িত্ব দিায়ফো৷ অন্য কাউকে কি
ওই পদে নিয়োগ দিতে পারলেন না? ফলে মুআবিয়া (রা) মুগীরাকে খাজন৷ সংগ্রহের দায়িত্ব
থেকে সরিয়ে নামাব আদায়ের দায়িত্ব দিলেন ৷ একান্ত সাক্ষ্ণাঅে এক পর্যায়ে মুপীব৷ (রা) আমর
ইবনুল আস (বা) কে এই কুপরামার্শর জন্যে অভিযুক্ত করে কথা বললেন ৷ উত্তরে আসর ইবনুল
আস (রা) মুপীবাকে বললেন, আপনি কি আমীরুল মু’মিনীন মুআবিয়া (রাক আমার পুত্র
আবদুল্লাহ সম্পর্কে নেতিবাচক পরামর্শ দেন নি? মুপীরা (রা) বললেন, হ্যা, তাইতাে দিয়েজ্জিা৷ম
ণ্বাট’ ৷ আমর (রা) বললেন, এটা তার প্ৰতিশোধ ৷ এই বছরেই হামরান ইবন আবার রসরা
আত্রমণ করে, এবং সেটি দখল করে নেয় ৷ আমীর মুআবিয়া (রা) তাকে ও তার সাথীদ্যোক্ষেৰু
হত্যা ক্যার ত্তন্যে একদল সৈনিক প্রেরণ করেন ৷ এবহু পর্বৃায়ে অদরৰু পক্ষে আবু বকর ছাকাকী
ঘু অাব্লিয়৷ (রা) এর নিকট এসে ক্ষমা প্রার্থনা করেন ৷ তিনি ওদেরকে ক্ষমা করে দেন এবং ছেড়ে
দেন ৷ এ পর্যায়ে তিনি বুসর ইবন আরতাতাক রসরার শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন৷ বুসর ইবন
আরতাত তখন যিয়াদের পুত্রদেরাক হ্তা৷বল্পাব জন্য ভুার আয়ত্তে,নিম্নে আসে ৷ আর কারণ
জ্জি এই যে, আমীর মুআবিয়৷ তাদের পিতাকে তার দরবারে ডেকে পাঠিয়েছিলেন ৷ কিন্তু তিনি
সেখানে যান নি ৷ শাসনকর্তা বুসর তখন যিয়াদকে লিখেছিলেন যে, আপনি যদি শীঘ্রই আমীরুল
মুমিনীনেব্র দরবারে না রান তাহলে আপনার সন্তানদেবকে আমি হত্যা করে ভোর ৷ এ ঘটনায়



আবু বাবরোহ (রা) মু আবিয৷ (রা) এর নিকট লোক পাঠিয়েছিল্লেন ৷


وَعَدُوَّنَا؟ فَدَعَوْنَا حَتَّى نُقَاتِلَهُ، فَإِنْ أَصَبْنَاهُ كُنَّا قَدْ كَفَيْنَاكُمُوهُ، وَإِنْ أَصَابَنَا كُنْتُمْ قَدْ كَفَيْتُمُونَا. فَقَالُوا: لَا وَاللَّهِ حَتَّى نُقَاتِلَكُمْ. فَقَالَتِ الْخَوَارِجُ: يَرْحَمُ اللَّهُ إِخْوَانَنَا مِنْ أَهْلِ النَّهْرِ كَانُوا أَعْلَمَ بِكُمْ يَا أَهْلِ الْكُوفَةِ. فَاقْتَتَلُوا فَهَزَمَهُمْ أَهْلُ الْكُوفَةِ وَطَرَدُوهُمْ، ثُمَّ إِنَّ مُعَاوِيَةَ أَرَادَ أَنْ يَسْتَخْلِفَ عَلَى الْكُوفَةِ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، فَقَالَ لَهُ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ: أَتُوَلِّيهِ الْكُوفَةَ وَأَبُوهُ بِمِصْرَ وَتَبْقَى أَنْتَ بَيْنَ لَحْيَيِ الْأَسَدِ؟ ! فَثَنَاهُ عَنْ ذَلِكَ، وَوَلَّى عَلَيْهَا الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ، فَاجْتَمَعَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ بِمُعَاوِيَةَ، فَقَالَ: أَتَجْعَلُ الْمُغِيرَةَ عَلَى الْخَرَاجِ، هَلَّا وَلَّيْتَ الْخَرَاجَ رَجُلًا آخَرَ. فَعَزَلَهُ عَنِ الْخَرَاجِ وَوَلَّاهُ عَلَى الصَّلَاةِ، فَقَالَ الْمُغِيرَةُ لِعَمْرٍو فِي ذَلِكَ، فَقَالَ لَهُ: أَلَسْتَ الْمُشِيرَ عَلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ فِي عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو؟ قَالَ: بَلَى. قَالَ: فَهَذِهِ بِتِلْكَ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ وَثَبَ حُمْرَانِ بْنُ أَبَانَ عَلَى الْبَصْرَةَ فَأَخَذَهَا وَتَغَلَّبَ عَلَيْهَا، فَبَعَثَ مُعَاوِيَةُ إِلَيْهِ جَيْشًا لِيَقْتُلُوهُ وَمَنْ مَعَهُ، فَجَاءَ أَبُو بَكْرَةَ الثَّقَفِيُّ إِلَى مُعَاوِيَةَ، فَسَأَلَهُ فِي الصَّفْحِ عَنْهُمْ وَالْعَفْوِ، فَعَفَا عَنْهُمْ وَأَطْلَقَهُمْ، وَوَلَّى عَلَى الْبَصْرَةِ بُسْرَ بْنَ أَبِي أَرْطَاةَ، فَتَسَلَّطَ عَلَى أَوْلَادِ زِيَادٍ يُرِيدُ قَتْلَهُمْ ; وَذَلِكَ أَنْ مُعَاوِيَةَ كَتَبَ إِلَى أَبِيهِمْ لِيَحْضُرَ إِلَيْهِ فَتَلَبَّثَ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ بُسْرٌ: لَئِنْ لَمْ تُسْرِعُ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، وَإِلَّا قَتَلْتُ بَنِيكَ. فَبَعَثَ أَبُو بَكْرَةَ إِلَى مُعَاوِيَةَ فِي ذَلِكَ، فَأَخَذَ لَهُ أَمَانًا مِنْهُ، وَقَدْ قَالَ مُعَاوِيَةُ لَأَبَى بَكْرَةَ: هَلْ مِنْ عَهِدٍ تَعْهَدُهُ إِلَيْنَا؟ قَالَ: نَعَمْ، أَعْهَدُ إِلَيْكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَنْ تَنْظُرَ لِنَفْسِكَ وَرَعِيَّتِكَ وَتَعْمَلَ صَالِحًا، فَإِنَّكَ قَدْ تَقَلَّدْتَ عَظِيمًا، خِلَافَةُ اللَّهِ فِي خَلْقِهِ، فَاتَّقِ اللَّهَ، فَإِنَّ لَكَ غَايَةً لَا تَعْدُوهَا، وَمِنْ وَرَائِكَ طَالِبٌ
পৃষ্ঠা - ৬৩২৬


মুআবিয়া (রা) আবু বাবল্পাহ (রা) কে বলেছিলেন, আপনি আমার থেকে কোন প্ৰতিঃ ন্তি ও ন্
অঙ্গীকার নিতে চান? আবু বাকরাহ্ বলেছিলেন, হা৷ তাই ৷ হে আযীরুপ্স মুমিনীন ৷ আমি আপনাকে
এই প্রতিশ্রুতিতে আবদ্ধ করতে চাই যে, আপনি নিজের ও জনসাধারণের বঅ্যাণ সাধন করবেন
এবং সৎকাজ বরৈক্যে, কারণ আপনি একটি গুরুদায়িতু র্কাধে নিয়েছেন ৷ সেটি হল আল্লাহর
সৃষ্টিজগতে তার খিলাফতের দায়িত্ব পালন ৷ সুত্যাৎ আল্পাহ্কে ভর করল ৷ আপনার জন্যে একটি
শেষ সীমা রয়েছে সেটি অতিক্রম ব্বাত পারবেন না ৷ আপনার পেছনে আছে এক তাড়াকারী, যে
আপনাকে তাড়া করে ফিরছে, তারপর আপনি উপস্থিত হবেন সেই মহান সত্তাৱ দরবারে, যিনি
আপনাকে আপনার অবস্থান ও কর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেন ৷ বস্তুত তিনি আপনার সম্পর্কে
আপনার চাইতেও অধিক ওয়াকিবহাল ৷ মুক্তির পথ হল আত্ম-পর্যালোনো ও গভীর জ্ঞানের
অনুসরণ ৷ সুতরাং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভাে বিপরীতে কোন কিছুকে ই প্রাধান্য দিবেন না ৷
এরপর এই বছরের শেষ দিকে মুআবিয়৷ (বা) আবদুল্লাহ ইবন আমরকে বসরার শাসনকর্তা

নিযুক্ত করেন ৷ ঘুআবিয়৷ (রা) ণ্ছেঃয়ছিলেনঃ তার ভাই উত্বা ইবন আবী সুফিয়ানাক বসরার
শাসনকর্তা নিযুক্ত করবেন ৷ বিত্ণ্ইবন আমীর বললেন, ওখানে আমার বেশ কিছু ধ্নসম্পদ ও
আমানভীমাল-পত্র রয়েছে ৷ আপনি যদি আমাকে সেখানকার শাসনকর্তা নিযুক্ত না করেন, তাহলে
ওই সব কিছু ধ্বং স হয়ে যাবে ৷ তারপর আমীর মুআবিয়া তার অনুরোধ রক্ষা বহ্বলেন এবং র্তাকে
সেখানকার শাসনকর্তা নিয়োগ করলেন ৷

ন্ আবু মাশার বলেছেন যে, এই বছর অর্থাৎ ৪১ হিজরী সনে আমীরে হ্জ্জ্ব নিযুক্ত হয়ে

লোকজনকে নিয়ে হজ্জ সম্পাদন করেন উত্বা ইবন আবী সুফিয়ান ৷

ওয়াকিদী বলেছেন, এই বছর আমীর ই হজ্জ হিসেবে হশুজ্জা ৫নতৃ তুদিয়েছেন, আম্বাসাহ্ ইবন
আবী সুফিয়ান ৷ আল্লাহ্ ই ভাল জানেন ৷ ’

ণ্ণ্ইিজরী ৪১ সনে যাদের ওফাত হয়
রিফা আ ইবন রাফি ইবন ম্ালিৰু ইবন অজ্যোান

তিনি আকাবার শপথ, বদরের যুদ্ধ এবং পরবর্তী যুদ্ধসমুহে অংশ গ্রহণ করেছিলেন ৷
রুকানা ইবন আবদিল আষীষ ইবনহিশাম ইবন আবদ্রিল মুত্তালিব কুরায়শী
ইনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে কুস্তি লড়েছিলেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে পয়াস্তক্যরহিঃলন ৷
এই লোক ছিল অভ্যস্ত সরল, সুঠাম দেহ এবং অন্যতম শ্রেষ্ঠ শক্তিমান ৷ তার বিরুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর বিজয় ছিল তার যুজিয৷ এবং নবুওতের দলীল ৷ “নবুওতের প্রমাণ” অধ্যায়ে আমরা তা
উল্লেখ করেছি ৷ তিনি মক্কা বিজয়ের বছর ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ অবশ্য কেউ কেউ বলেছেন যে, মক্কা
বিজয়ের পুর্বে মক্কায় তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

সাফ্ওয়ান ইবন উমাইষা ইবন খালাফ ইবন ওয়াহাব
ইবন হযায়ফ৷ ইবন ওয়াহ্ব কুরায়শী
তিনি একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন ৷ মক্কা বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নাণালের
বাইরে পালিয়ে গিয়েছিলেন ৷ পরে এসে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং সুন্দরভ্যবে ইসলামের

বিধি-বিধান পালন করেন ৷ উমায়ের ইবন ওয়াহ্ব জুমাহী তার জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (না) থেকে
নিরাপত্তা আশ্রয় প্রার্থনা করেন ৷ উমায়ের এবং সাফওয়ান উভমুে জাহেলীযুগে বন্ধু ছিলেন ৷


حَثِيثٌ، وَأَوْشَكَ أَنْ تَبْلُغَ الْمَدَى، فَيَلْحَقَ الطَّالِبُ، فَتَصِيرَ إِلَى مِنْ يَسْأَلُكُ عَمَّا كُنْتَ فِيهِ، وَهُوَ أَعْلَمُ بِهِ مِنْكَ، وَإِنَّمَا هِيَ مُحَاسَبَةٌ وَتَوْقِيفٌ، فَلَا تُؤْثِرَنَّ عَلَى رِضَا اللَّهِ شَيْئًا. ثُمَّ وَلَّى مُعَاوِيَةُ فِي آخِرِ هَذِهِ السَّنَةِ الْبَصْرَةَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرٍ، وَذَلِكَ أَنَّ مُعَاوِيَةَ أَرَادَ أَنْ يُوَلِّيَهَا لِعُتْبَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، فَقَالَ لَهُ ابْنُ عَامِرٍ: إِنَّ لِي بِهَا أَمْوَالًا وَوَدَائِعَ، وَإِنْ لَمْ تُوَلِّنِيهَا هَلَكَتْ. فَوَلَّاهُ إِيَّاهَا وَأَجَابَهُ إِلَى سُؤَالِهِ فِي ذَلِكَ. قَالَ أَبُو مَعْشَرٍ: وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عُتْبَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: إِنَّمَا حَجَّ بِهِمْ عَنْبَسَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. [وَمِنْ أَعْيَانِ مَنْ تُوُفِّيَ فِي هَذَا الْعَامِ] رِفَاعَةُ بْنُ رَافِعِ بْنِ مَالِكِ بْنِ الْعَجْلَانِ: شَهِدَ الْعَقَبَةَ وَبَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا. رُكَانَةُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ هَاشِمِ بْنِ الْمُطَّلِبِ الْقُرَشِيُّ، وَهُوَ الَّذِي صَارَعَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَرَعَهُ، وَكَانَ رُكَانَةُ مِنْ أَشَدِّ النَّاسِ، وَكَانَ صَرْعُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَهُ مِنَ الْمُعْجِزَاتِ، كَمَا قَدَّمْنَا فِي دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ. أَسْلَمَ عَامَ الْفَتْحِ، وَقِيلَ: قَبْلَ ذَلِكَ
পৃষ্ঠা - ৬৩২৭


এটা আমরা পুর্বে উল্লেখ করেছি ৷ উমায়ের (রা) সাফওয়ানকে নিয়ে রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর

দরবারে উপস্থিত হন আসরের নামাষের সময় ৷ তিনি তার জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট ,
নিরাপত্ত৷ চাইলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) : মাসের জন্যে তার জন্যে নিরাপত্তা মদ্ভুর করেন এবং
তার যুদ্ধবর্ম, অস্ত্রশ্াস্ত্র এবং মাল-পত্র ধার হিসেবে গ্রহণ করেন ৷ সাফওয়ান ইব ন উমাই য়া
মুশ্ারিক অবস্থায় হুনারনের যুদ্ধে অংশ নেন ৷ পরে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং তার অতৰুর

ইসলাম দৃঢ় হয়৷ তারপর তিনি মুসলমানদের মধ্যে নেতা ও ড্ডাপথিকরুপে গণ্য হলেন ৷

যেমন জাহেলী যুগে তিনি নেতা ছিলেন ৷ ওয়াকেদী বলেছেন যে, ইসলাম গ্রহণের পর থেকে
সাফওয়ান ইবন উমাইর ৷ সর্বক্ষণ মক্কাতে অবস্থান করেছেন ৷ এরপর আমীর মুআবিয়ার
শ্া৷সনামলের সুচনালরুগ্ন তিনি ইন্তিকলে করেন ৷

উসমান ইবন তালহ৷ (বা)

তিনি উসমান ইবৃন তালহ ৷ স্থৰুন্ৰু আবৃদিল উঘৃযা ইবন আরদিদ্ দার আল আব্দারী আনন্
হ্াজাবী ৷ মক্কা বিজয়ের পুর্বে ৮-ম হিজরীর সুচনায়৩ তিনি, খালীদ ইবন ওয়ালীদ এবং আমর

ন্ইবনুল আসসহ ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ তার ইসলামের বিধি বিধ ৷ ৷ন পালন সম্পর্কে ওয়াবিল্দী

তার £ র্থকে একটি সুদীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ মক্কা বিজয়ের দিবসে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তারই

হাত থেকে বা বা ঘরের চাবি নিয়েছিলেন এবং তারপর তার হাতে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ৷ তখন ,

রাসুলুল্পাহ্ (না) এই আয়াত তিলাওয়াত করছিলেন


আমানত সেটির হ্কদারকে এতার্পণ করার জন্যে আল্লাহ্ আেমাদেবকে নিঃদশ দিচ্ছেন ৷ ,

(সুরা-নিসাশু ৫৮) ৷

তিনি চাবি প্ৰর্ত্যর্পণ করে উসমান ইবন তালহ৷ (বা) কে বলেছিলেন, হে উসমান ! এটি

স্থায়ীভাবে চিরদিন তোমার নিকট থাকবে, কোন জালিম ও অন্যয়কারী ছাড়া, কেউই এটি

তোমার নিকট থেকে ছি নিয়ে নিতে পারবে না ৷ হযরত আলী (রা) ওই চাবি জ্যোছিলোঃ, তিঃ
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাটুাক তা ৷দননি ৷

ওয়াকিদী বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর জীবদ্দশায় উসমান ইবন তালহ৷ মদীনায়

বসবাস করেছিলেন ঘটে কিন্তু রাসুলুরাহ্ (সা) এর ইনুতিকালের পর তিনি মক্কায় ফিরে

আসেন এবং মৃত্যুর সময় পর্যন্ত মক্কাতেই বসবাস করেন৷ তারপৱ মুআবিয়৷ (রা) এর

শাসনামলের শুকতে তার ইন্তিকাস হয় ৷

থাঃইক্ষ্ণন আসওয়াদ সাকুনী (রা)

আমর ইবন আসওয়াদ সাকু:নী ছিলেন খুব ইবাদর্তকারী ও দুনিয়া বির্মুন ব্যক্তি ৷ তার ছিন
দুশ দিরহাম মুল্যের একটি পোশাক ৷ রাতে তাহাজ্জ্বদ নামাযের সময় তিনি সেটি পরিধান
করতেন ৷ যখন তিনি মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হতেন তখন অহংকার এদর্শন হয়ে যায় নাকি ন্
এই আপ করে তিনি তার ডান হাত নাম হাতের উপর রেখে পথ চললেম্ ৷ তিনি মুআন
(রা); উরাদ৷ ইবন সামিত (রা), ইরবায ইবন সারিয়৷ (রা) এমুখ থেকে হাদীস বর্ণনা
করেছেন ৷


بِمَكَّةَ لَمَّا صَرَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. صَفْوَانُ بْنُ أُمَيَّةَ بْنِ خَلَفِ بْنِ وَهْبِ بْنِ حُذَافَةَ، أَبُو وَهَبٍ الْقُرَشِيُّ، أَحَدُ الرُّؤَسَاءِ، تَقَدَّمَ أَنَّهُ هَرَبَ يَوْمَ الْفَتْحِ، ثُمَّ جَاءَ فَأَسْلَمَ وَحَسُنَ إِسْلَامُهُ، وَكَانَ الَّذِي اسْتَأْمَنَ لَهُ عُمَيْرُ بْنُ وَهْبٍ الْجُمَحِيُّ وَكَانَ صَاحِبُهُ وَصَدِيقُهُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ كَمَا تَقَدَّمَ، وَقَدِمَ بِهِ فِي وَقْتِ صَلَاةِ الْعَصْرِ، فَاسْتَأْمَنَ لَهُ، فَأَمَّنَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ، وَاسْتَعَارَ مِنْهُ أَدْرُعًا وَسِلَاحًا وَمَالًا، وَحَضَرَ صَفْوَانُ حُنَيْنًا مُشْرِكًا، ثُمَّ أَسْلَمَ وَدَخَلَ الْإِيمَانُ قَلْبَهُ، فَكَانَ مِنْ سَادَاتِ الْمُسْلِمِينَ، كَمَا كَانَ مِنْ سَادَاتِ الْجَاهِلِيَّةِ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: ثُمَّ لَمْ يَزَلْ صَفْوَانُ مُقِيمًا بِمَكَّةَ حَتَّى تُوُفِّيَ بِهَا فِي أَوَّلِ خِلَافَةِ مُعَاوِيَةَ. عُثْمَانُ بْنُ طَلْحَةَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى بْنِ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ الدَّارِ الْعَبْدَرِيُّ الْحَجَبِيُّ، أَسْلَمَ هُوَ وَخَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ وَعَمْرُو بْنُ الْعَاصِ فِي أَوَّلِ سَنَةِ ثَمَانٍ قَبْلَ الْفَتْحِ. وَقَدْ رَوَى الْوَاقِدِيُّ حَدِيثًا طَوِيلًا عَنْهُ فِي صِفَةِ إِسْلَامِهِ. وَهُوَ الَّذِي أَخَذَ مِنْهُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِفْتَاحَ الْكَعْبَةِ عَامَ الْفَتْحِ، ثُمَّ رَدَّهُ إِلَيْهِ وَهُوَ يَتْلُو قَوْلَهُ تَعَالَى: {إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكُمْ أَنْ تُؤَدُّوا الْأَمَانَاتِ إِلَى أَهْلِهَا} [النساء: 58] . وَقَالَ لَهُ:
পৃষ্ঠা - ৬৩২৮


ইমাম আহমদ (র) দুনি য়া বিমুখ’, অধ্যায়ে উল্লেখ করেছেন যে, আবু ইয়ামান উমর ইবন
পাতায় (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, ৱাসুলুল্লাহ্ (সা) এর জীবন-যাপন
পদ্ধতি দেখতে যদি কেউ আগ্রহী হয় তবে যে যেন আমর ইবন আসওয়াদ এর জীবন পদ্ধতি
প্রত্যক্ষ করে

আতিক ৰিনত্ত যাযদ (বা)

ইনি আতিক বিনৃত যায়দ ইবন নুফায়ল ইবন আবদিল উযুয৷ ৷ তিনি আশারা-ই-মুবাশশাবার
অন্যতম ৷ হযরত সাঈদ ইবন যায়দ (বা) এর বোন ৷ তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং মদীনায়
হিজংাত করেন ৷ তিনি অন্যতম সুন্দরী ও ইবদেতকারিণী মহিলা ছিলেন ৷ উবায়দুল্লাহ্ ইবন
আবী বকর (বা) তাকে বিয়ে করেন ৷ এক সময় উবায়দুল্লাহ্ (রা) শহীদ হন এবং আতীকা

(রা) বিধবা হয়ে পড়েন, তায়েফের যুদ্ধে উৰায়দুল্লাহ্ (রা) শহীদ হবার পর তিনি শপথ করে

বললেন যে, আর কাউকে স্বামীত্বে বরণ করবেন না ৷

এক পর্যায়ে হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (বা) তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন ৷ হযরত উমর
(মা) ছিলেন তার চাচাত ভাই ৷ এই প্রস্তাব গ্রহণ করে তিনি উমর (রা) এর সাথে বিবাহ বন্ধনে
আবদ্ধ হন ৷ এক সময় হযরত উমর (রা) আত্তায়ীর হাতে নিহত হন ৷৩ তখন যুবাইর ইবুন
আওয়াম (রা) তাকে বিয়ে করেন ৷ ওয়াদীসস্থ সিবাতে যুবায়র ইবন আওয়াম নিহত হন ৷

এবার হযরত আলী ইবন আবী তালিব (বা) তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ৷

তখন আতিকা (রা) বললেন, আমি আশংকা বল্পছি যে, তাহলে আপনিও নিহত হবেন ৷ ফানং

তিনি এই বিয়েতে অস্বীকৃতি জানান ৷ অবশ্য বিয়ে সম্পাদিত হলে তাকে রেখে হযরত আলী (বা)
নিহত হতেনই ৷ কারণ হযরত আলী (রা) যখন নিহত হন তখন আতিকা (রা) জীবিত ছিলেন ৷
অবশেষে এই বহ্ব অর্থাৎ ৪১ হিজ্বরী সালে আমীর মুআবিয়৷ (রা)-এর শাসনামলের সুলাকক্রো

ন্ আতিক৷ (বা) এর ওফাত হয় ৷


" «خُذْهَا يَا عُثْمَانُ خَالِدَةً تَالِدَةً، لَا يَنْزِعُهَا مِنْكُمْ إِلَّا ظَالِمٌ» ". وَكَانَ عَلِيٌّ قَدْ طَلَبَهَا مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَمَنَعَهُ ذَلِكَ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: نَزَلَ الْمَدِينَةَ حَيَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا مَاتَ نَزَلَ بِمَكَّةَ، فَلَمْ يَزَلْ بِهَا حَتَّى مَاتَ فِي أَوَّلِ خِلَافَةِ مُعَاوِيَةَ. عَمْرُو بْنُ الْأَسْوَدِ الْعَنْسِيُّ: كَانَ مِنَ الْعُبَّادِ الزُّهَّادِ، وَكَانَتْ لَهُ حُلَّةً بِمِائَتَيْ دِرْهَمٍ يَلْبَسُهَا إِذَا قَامَ إِلَى صَلَاةِ اللَّيْلِ، وَكَانَ إِذَا خَرَجَ إِلَى الْمَسْجِدِ وَضَعَ يَمِينَهُ عَلَى شِمَالِهِ مَخَافَةَ الْخُيَلَاءِ، رَوَى عَنْ مُعَاذٍ، وَعُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، وَالْعِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ وَغَيْرِهِمْ. وَقَالَ أَحْمَدُ فِي " الزُّهْدِ ": ثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، ثَنَا أَبُو بَكْرٍ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ عُمَيْرٍ وَضَمْرَةَ بْنِ حَبِيبٍ قَالَا: قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى هَدْيِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلْيَنْظُرْ إِلَى هَدْيِ عَمْرِو بْنِ الْأَسْوَدِ. عَاتِكَةُ بِنْتُ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى: وَهِيَ أُخْتُ سَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ أَحَدُ الْعَشَرَةِ، أَسْلَمَتْ وَهَاجَرَتْ، وَكَانَتْ مِنْ حِسَانِ النِّسَاءِ وَعُبَّادِهِنَّ، تَزَوَّجَهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ فَتَتَيَّمَ بِهَا، فَلَمَّا قُتِلَ عَنْهَا فِي غَزْوَةِ الطَّائِفِ آلَتْ أَنْ لَا تَتَزَوَّجَ بَعْدَهُ، فَبَعَثَ إِلَيْهَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ - وَهُوَ ابْنُ عَمِّهَا - فَتَزَوَّجَهَا، فَلَمَّا
পৃষ্ঠা - ৬৩২৯
قُتِلَ عَنْهَا خَلَفَ بَعْدَهُ عَلَيْهَا الزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ، فَقُتِلَ عَنْهَا بِوَادِي السِّبَاعِ، فَبَعَثَ إِلَيْهَا عَلِيُّ بْنُ أَبَى طَالِبٍ يَخْطُبُهَا فَقَالَتْ لَهُ: إِنِّي أَخْشَى عَلَيْكَ أَنْ تُقْتَلَ. فَأَبَتْ أَنْ تَتَزَوَّجَهُ، وَلَوْ تَزَوَّجَتْهُ لَقُتِلَ عَنْهَا أَيْضًا، ثُمَّ لَمْ تَزَلْ بِلَا زَوْجٍ حَتَّى مَاتَتْ فِي أَوَّلِ خِلَافَةِ مُعَاوِيَةَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، رَحِمَهَا اللَّهُ.