আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة أربعين من الهجرة النبوية

غريبة من الغرائب وآبدة من الأوابد

غريبة من الغرائب وآبدة من الأوابد

পৃষ্ঠা - ৬২৯৯


(রা) বললেন, আমি তো মনে করি তুমি আমার নিকট মিথ্যা হাদীস বর্ণনা করেছ ৷’ সে বলল,
,না আমি মিথ্যা হাদীস বর্ণনা করিনি ৷ হযরত আলী (রা) বললেন, তুমি যদি মিথ্যা বলে থাক
তবে আমি কিন্তু আল্লাহর দরবারে তোমার প্রতি ৩বদ দু আ করে সিং’ ৷ সে বলল ঠিক আছে,
বদ দুআ করুন ৷ হযরত আলী (রা) বদ দুআ করলেন ৷ অবিলম্বে সে অন্ধ হয়ে গেল ৷ ইবন
আবীদ দৃনয়া আরো বলেছেন, খালক ইবন সালিম আবুমাষিন থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি
বলেছেন যে, আমি আর আমার মামা আবু উমইিয়া মুরাদ গোত্রের একটি উপগােত্রের একটি
বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম্ ৷ মামা আমাকে বললেন, এই বাড়িটি দেখতে পাচ্ছ? আমি বললাম
হা৷ দেখছি তো ৷’ তিনি বললেন যখন এই বাড়িটি নির্মিত হচ্ছিল তখন একদিন হযরত আলী
(রা) এপথ দিয়ে যাচ্ছিলের্ন ৷ হঠাৎ নির্মাণ সামযীর একটি খণ্ড তার উপর গিয়ে পড়ে ৷ তাতে
তিনি আহত হন ৷ তার শরীর রক্তাক্ত হয়ে যায় ৷ তখন তিনি আল্লাহর কাছে বলেছিলেন, এই
বাড়ি যেন পুর্ণভাবে নির্মিত না হয় ৷ পরে দেখা গেল যে, আর একটি ইটও এই বাড়িতে

ৎয়াে ৷জিত করা যায় নি ৷

বর্ণনাকারী বলেন, পরবর্তীতে আমি এ বাড়ির পাশ দিয়ে অনেক যাতায়াত করেছি আমি
দেখতে পেয়েছি যে, এই বাড়িটির সংগে অন্য কোন বাড়ি-ঘরের কোন মিল ও সামঞ্জস্য নেই
ইবন আবীদ দুনয়া বলেন, আবদুল্লাহ ইবন ইউনুস আবু বাশীর শায়বানী থেকে বর্ণনা করেছেন,
তিনি বলেছেন যে, আমি আমার মালিকের সাথে উটের যুদ্ধে উপস্থিত হয়েছিলাম ৷ সে দিন
যুদ্ধের ময়দানে আমি যত কর্তিত ও পতিত হাত এবং পা দেখেছি অন্য কোন দিন, আমি যুদ্ধের
ময়দানে তত কর্তিত হাত-পা দেখিনি ৷ আর আমি যখনই ওয়ালীদের বাড়ির পাশ দিয়ে যাই
তখনই “উটের যুদ্ধের” ঘটনা আমার মনে পড়ে ৷ তিনি আরো বলেছেন যে, হিকাম ইবন
উয়ায়না আমাকে জানিয়েছেন যে, “উটের যুদ্ধের” দিন হযরত আলী (বা) এই বলে দৃআ
করেছিলেন, হে আল্পাহ্ ! আপনি বিরোধী পক্ষের হাত ও পা-গুলোর ব্যপোরে ব্যবস্থা নিন ৷ ’

হযরত আলী (না)-এর উত্তম বাণী

ইবন আবীদ দুনয়া বলেছেন, আলী ইবন জাদ ইসমাঈল সুদ্দি থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, আমি আবু ইরাকাকে বলতে শুনেছি, একদিন আমি হযরত আলী (না)-এর সাথে
ফজরের নামায আদায় করি ৷ নামায শেষে তিনি ডান দিকে ঘুরে বসঃলন এবং এমন স্থিরভাবে
বসে রইলেন, মনে হচ্ছিল তিনি, যেন ভীষণভাবে দুজ্যিাগ্নস্ত ৷ তারপর সৃর্ধ যখন মসজিদের দেয়াল
বরাবর উঠল তখন তিনি দু’রাকাত নামায আদায় করলেন ৷ তারপর হাত ঘুরিয়ে বললেন,

ণ্া৮

আল্লহ্র কসম ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর সাহাবীগণকে যেমনটি দেখেছি এখন তো তেমন
কোন, দৃশ্য দেখি না ৷ তাদের ভোর হত এভাবে যে, যুখমণ্ডল হলুদ, মাধ্ার চুল এলােমেলাে,
চোখে-মৃখে ধুলোবালির চিহ্ন যেন তারা পাথুয়ে অঞ্চলের অশ্বারােহী ৷ তীরা রাত কাট্যতেন দাড়িয়ে
ও সিজদারত হয়ে ইবাদত বন্দেগী ও কুরআন তিলাওয়৷ ৷তের মাধ্যমে ৷ কখনো কপালে ডঃ করে
সিজদা দিতেন ৷ কখনও দাড়িয়ে কুরঅ৷ ন ৷তিলাওয়াত করতে ন ৷ ভোর হলে তরাে আল্লাহর যিকির
করতেন ৷ ঝড়োহ হাওয়ার বৃক্ষের ন্যায় তারা দৃলতে থাকতেন ৷ তাদের চোখের পানি বারবার
করে গড়িয়ে পড়ত এবং তাদের জামা কাপড় ভিজে যেত ৷ আর আল্লাহ্ৰু কসম ! এখন মনে
হচ্ছে পুরো জাতি গাফিল, উদাসীন, বেঃখবর হয়ে সারা র৷ ত কাটিয়ে দেয় ৷ এরপর খলীফা


فَقَدْ أَقَامَ الدِّينَ، وَمَنْ أَحَبَّ عُمَرَ فَقَدْ أَوْضَحَ السَّبِيلَ، وَمَنْ أَحَبَّ عُثْمَانَ فَقَدِ اسْتَنَارَ بِنُورِ اللَّهِ، وَمَنْ أَحَبَّ عَلِيًّا فَقَدِ اسْتَمْسَكَ بِالْعُرْوَةِ الْوُثْقَى، وَمَنْ قَالَ الْحُسْنَى فِي أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدْ بَرِئَ مِنَ النِّفَاقِ. [غَرِيبَةٌ مِنَ الْغَرَائِبِ وَآبِدَةٌ مِنَ الْأَوَابِدِ] قَالَ ابْنُ أَبَى خَيْثَمَةَ: ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنْصُورِ بْنِ سَيَّارٍ، ثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَ: قَالَ مَعْمَرٌ مَرَّةً وَأَنَا مُسْتَقْبِلُهُ، وَتَبَسَّمَ وَلَيْسَ مَعَنَا أَحَدٌ فَقُلْتُ لَهُ: مَا شَأْنُكَ؟ قَالَ: عَجِبْتُ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ، كَأَنَّ الْكُوفَةَ إِنَّمَا بُنِيَتْ عَلَى حُبِّ عَلِيٍّ، مَا كَلَّمْتُ أَحَدًا مِنْهُمْ إِلَّا وَجَدْتُ الْمُقْتَصِدَ مِنْهُمُ الَّذِي يُفَضِّلُ عَلِيًّا عَلَى أَبَى بَكْرٍ وَعُمَرَ، مِنْهُمْ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ. قَالَ: فَقُلْتُ لِمَعْمَرٍ: وَرَأَيْتَهُ؟ - كَأَنِّي أَعْظَمْتُ ذَاكَ - فَقَالَ مَعْمَرٌ: وَمَا ذَاكَ؟ ! لَوْ أَنَّ رَجُلًا قَالَ: عَلِيٌّ أَفْضَلُ عِنْدِي مِنْهُمَا. مَا عَنَّفْتُهُ إِذَا ذَكَرَ فَضْلَهُمَا إِذَا قَالَ: عِنْدِي. وَلَوْ أَنَّ رَجُلًا قَالَ: عُمَرُ عِنْدِي أَفْضَلُ مِنْ عَلِيٍّ وَأَبِي بَكْرٍ. مَا عَنَّفُتُهُ. قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِوَكِيعِ بْنِ الْجَرَّاحِ وَنَحْنُ خَالِيَانِ فَاشْتَهَاهَا أَبُو سُفْيَانَ وَضَحِكَ وَقَالَ: لَمْ يَكُنْ سُفْيَانُ يَبْلُغُ بِنَا هَذَا الْحَدَّ، وَلَكِنَّهُ أَفْضَى إِلَى مَعْمَرٍ مَا لَمْ يُفْضِ إِلَيْنَا، وَكُنْتُ أَقُولُ لِسُفْيَانَ: يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ، أَرَأَيْتَ إِنْ فَضَّلْنَا عَلِيًّا عَلَى أَبَى بَكْرٍ وَعُمَرَ، مَا تَقُولُ فِي ذَلِكَ؟ فَيَسْكُتُ سَاعَةً ثُمَّ يَقُولُ: أَخْشَى أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ طَعْنًا عَلَى أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ، وَلَكِنَّا نَقِفُ.
পৃষ্ঠা - ৬৩০০


হ লাকসকল ! তােম!দর জীবদ্দশায় তোমরা সৎকাজ কর তাহলে পরকালে নাজাত
পাবে ৷ কারণ যারা ৰুআল্লাহ্রশুআনুপত করবে তাদের:জন্য আল্লাহ্ তার জান্নাতর প্রতিশ্রুতি
দিয়েছেন ৷ আর যারা তার অবাধ হবে তাদেরকে জ্বাহান্নামের ভয় দেখিয়েছেন ৷ জাহান্নাম শুধু-
আগুন, স খান চিত্ক্কুাৱপ্লাম্ররে না, যেখানে বন্দী লোক মুক্তি পাবে না ৷ যেখানে আহত লোক
সুস্থ হবে না ৷ যার উত্তাপ সু-কঠোর ৷ যার গভীরতা বহু নীচ “পর্যন্ত জ্যিত ৷ যার পানীয় হল
গলি৩ পুজ ৷ আমি তোমাদের ব্যাপারে যা সবচেয়ে বেশি ভয় পাচ্ছি তা হচ্ছে তোমাদের
প্ৰবৃত্তির অনুসরণ ও দীর্ঘ কামনা ৷ ন্ৰু ন্

অপর বর্ণনায় আছে যে-

ষ্দ্রি
, কু-প্রবৃত্তির অনুসরণ সৎব্যজ্যিক সত থ কৈ বির্চুত করে ৷ আর দীর্ঘ কামনা ও আশা

ব্যক্তিকে আখিরাতৰ কথা ভুলিয়ে দয় ৷’
আসিম ইবন দামরা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, হযরত আলী (রা) এর সম্মুখে জনৈক
ব্যক্তি দুনিয়ার নিন্দা করে সমালোচনা করেছিল ৷ তখন হযরত আলী (রা) বললেন, যারা
দুনিয়াকে সততার সাথে গ্রহণ করে দুনিয়া তাদর জন সততার ই স্থান ৷ যারা দুনিয়ার প্রকৃত
রুপ উপলব্ধি করে, তাদের জন্যে দুনিয়া মুক্তি লাব স্থান ৷ যে ব্যক্তি দুনিয়ার জীবনে
আখিরাতের সম্বল সংগ্রহর চেষ্টায় থাকে তার জন্যে দুনিয়া স্বচ্ছলত৷ ও পাথয় সৎগ্রহরই
স্থুান ৷ এই দুনিয়া আল্পাহ্র ওহী নাযিল হওয়ার স্থান ৷ ফেরেশৃতাদের ইবাদত করার স্থান ৷
নবীদের সিজদায় স্থান ৷ আউলিয়া-ই কিরামের,ব্যব্সা করারটু:-স্থান ৷ তারা সেখানে আল্লাহ্র
রহমত লাভ করেন এবং সেখানে অবস্থান করে জান্নাত অর্জন করেন ৷ দুনিয়ার সমালোচনা ও
দুর্নাম করবে কেন? দুনিয়া তো তার প্রতারণার কথা প্রকাশ্যে জানিয় দিয়েছে ৷ তাকে ছেড়ে
যেতে হবে তা ঘোষণা করে করে দিয়েছে ৷ এখানে আনন্দের মধ্যে অকল্যাণ মিশ্রিত আছে তা

বলে দিয়েছে ৷ এখানে বার্লামুসিৰ্তেও আকর্ষণ আছে তা জানিয়ে দিয়েছে ৷ মানুষকে সতর্ক
করা ও আকর্ষণ করার জন্য দুনিয়া তার আসল রুপ র্জাইির করে দিয়েছে ৷ সুতরাং যে ব্যক্তি
নিজেকে কামনা ও বাসনার বেড়াজালে আব্রর্দ্ধ রেখে দুনিয়াকে দােষারোপ করছা, বলতাে -
দুনিয়া ৩ ৷মাকে কখন প্রভাবিত করেছে? কিংবা তুমি কী পরিমাণে তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে
রয়েছা? তোমাদের পিতৃপুরুষদরক বিবাদে ফেলো না কি তোমার মায়েদেরকে কবরে টেনে
নিয়ে? তুমি নিজ হাতে স্বেচ্ছায় কত রাগ সৃষ্টি করেছ ৷ কত ত্রুটি কামাই করেছ ৷ তুমি ওই
রাগ থেকে মুক্তি চাচ্ছ কার নিকট ’ রাগর বর্ণনা দিচ্ছ কোন ডাক্তারের নিকট? এমন ব্যজ্যি
নিকট কি যার থেকে চিকিৎসা গ্রহণ তামাকে আরোপ করবে না, তোমার কান্না যার কোন
কল্যাণ করবে না প্

সুফিয়ান ছাওরী (রা) আ মাশ (রা) যথাক্রমে আমর ইবন মুররা আবু বুখতারী থেকে বর্ণনা
করেছেন, তিনি বলেছেন, এক লোক হযরত আলী (রা) এর নিকট এসেছিল ৷ সে তার সাথে
ন্ অসৌজন্যমুলক আচরণ ও কথাবার্তা বলাছল ৷ মুলত হযরত আলী (রা) এর প্রতি তার
ভালোবাসা ছিল না ! তখন হযরত আলী (রা) বললেন, তৃমি আমাকে যেভাবে উপস্থাপন করছ
আমি মুলত তেমন নই, বরং আমার সম্মুখে তোমার মধ্যে যে ধারণা রয়েছে আমি তা হতে বহু


قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: وَأَخْبَرَنَا ابْنُ التَّيْمِيِّ - يُعْنَى مُعْتَمِرًا - قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ: فَضَلَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِائَةِ مَنْقَبَةٍ، وَشَارَكَهُمْ فِي مَنَاقِبِهِمْ، وَعُثْمَانُ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْهُ. هَكَذَا رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي " تَارِيخِهِ " بِسَنَدِهِ، عَنِ ابْنِ أَبَى خَيْثَمَةَ بِهِ. وَهَذَا الْكَلَامُ فِيهِ تَخْبِيطٌ كَثِيرٌ، وَلَعَلَّهُ اشْتَبَهَ عَلَى مَعْمَرٍ، فَإِنَّ الْمَشْهُورَ عَنْ بَعْضِ الْكُوفِيِّينَ تَقْدِيمُ عَلِيٍّ عَلَى عُثْمَانَ، فَأَمَّا عَلَى الشَّيْخَيْنِ فَلَا، وَلَا يَخْفَى فَضْلُ الشَّيْخَيْنِ عَلَى سَائِرِ الصَّحَابَةِ إِلَّا عَلَى غَبِيٍّ، فَكَيْفَ يَخْفَى عَلَى هَؤُلَاءِ الْأَئِمَّةِ؟ ! بَلْ قَدْ قَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْعُلَمَاءِ، كَأَيُّوبَ وَالدَّارَقُطْنِيِّ: مَنْ قَدَّمَ عَلِيًّا عَلَى عُثْمَانَ فَقَدْ أَزْرَى بِالْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ. وَهَذَا الْكَلَامُ حَقٌّ وَصِدْقٌ وَصَحِيحٌ وَمَلِيحٌ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ أَبَى سُفْيَانَ: ثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْأُوَيْسِيِّ، ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي عَوْنٍ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الثَّقَفِيِّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ الْحَنَفِيِّ قَالَ: رَأَيْتُ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ أَخَذَ الْمُصْحَفَ فَوَضَعَهُ عَلَى رَأْسِهِ، حَتَّى أَنِّي لَأَرَى وَرَقَهُ يَتَقَعْقَعُ. قَالَ: ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ إِنَّهُمْ مَنَعُونِي مَا فِيهِ فَأَعْطِنِي مَا فِيهِ. ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي قَدْ مَلَلْتُهُمْ وَمَلُّونِي وَأَبْغَضْتُهُمْ وَأَبْغَضُونِي، وَحَمَلُونِي عَلَى غَيْرِ طَبِيعَتِي وَخُلُقِي وَأَخْلَاقٍ لَمْ تَكُنْ تُعْرَفُ لِي، اللَّهُمَّ فَأَبْدِلْنِي بِهِمْ خَيْرًا مِنْهُمْ، وَأَبْدِلْهُمْ بِي شَرًّا مِنِّي، اللَّهُمَّ أَمِثْ قُلُوبَهُمْ مَيْثَ الْمِلْحِ فِي الْمَاءِ. قَالَ
পৃষ্ঠা - ৬৩০১


সতবােদী মিখ্যাবাদী থেকে আলাদা ব্ব৷ যাবে ৷ সুতরাং পর্দা স্থাপন করেদুরৎ সৃষ্টি করে মানুষের
হক নষ্ট করা থেকে নিজেকে রক্ষা বব্রুন ৷ কারণ আপনি দুর্টগ্রকার মানুষের যে কোন এক প্রকারের
অন্তর্ভুক্ত ৷ হয়ত আপনি দানশীল মানুষ ৰিস্তু মানুষের প্রাপ্য পরিশোধে কার্পণ্য করেছো ৷ তাহলে
অবশ্য প্রদেয় প্রাপ্য প্রদান থেকে পর্দা করার যুক্তি কি? সেটি দ্বারা তো আপনি নিজের সৎ
চরিত্রতেই বাধা সৃষ্টি করবেন ৷ অথবা আপনি মুলত কৃপণ মানুষ, তাহলে আপনার ধন-সম্পদ তো
খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে ৷ তাহলে একসময় তো জ্যাণ এমনিতেই আপনার প্রতি নিরাশ
হয়ে যাবে ৷ সুতরাং এখনই তাদেরকে কিছু চাওয়া থেকে বাধা প্রদানের সার্থকতা কোথায়? বস্তুত
আপনার নিকট তাে মানুষের অনেক প্রয়োজন রয়েছে ৷ তারা জুলুমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবে ৷
ইনসাফ প্রাপ্তির আবেদন জানাবে ৷ সুতরাং আমি যা বললাম, তা থেকে উপকৃত হোন এবং আল্লাহ
চাহেন তাে নিজের অংশ ও হিদায়াতে অবিলে থাকুন ৷
মাদাইনী বলেন, হযরত আলী (রা) তীর জনৈক কর্মচারীকে লিখেছিলেন,
,
“থেমে যাও, ফিরে আস, ভুমি সম্ভবত চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌছে গেছ ৷ তুমি তোমার করক্যগুহুক্
এমন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছ যেখানে প্রভাবিত ব্যক্তি আহাজাব্লি করে, ক্ষতি সাধনকারী ব্যক্তি
ওবাত কামনা করে এবং জালিম ব্যক্তি প্রত্যাবর্তন কামনা করে ৷’
হুশায়ম বলেন, উমার ইবন আবী যায়দা শ্া৷ বী থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন,
হযরত আবু বকর (রা) কবিত ৷ রচনা করতেন ৷ হযরত উমর (রা) কবিতা রচনা করতেন এবং
হযরত আলী ব্রো) কবিতা রচনা করতেন ৷ তিনজনের মধ্যে হযরত আলী (রা) ছিলেন কবি
হিসেবে শ্রেষ্ঠ ৷ এই বংনািটি হিশাম ইবন আম্মার শা বী থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ আবু
বকর ইবন বায়দ আবু উবায়দ৷ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, হযরত মু আবিয়৷ (রা)
হযরত আলী (রা) এর নিকট লিখেছিলেন,
হে হাসা;নৱ পিতা ও আমারণ্ তা বহু সম্মান ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে ৷ আমার পিতা জাহিলী যুগে
নেতা ছিলেন ৷ আমি ইসলামী যুগে বাদশাহ হলাম ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর শ্যালক এবং
মু মিন সমাজের মামা ৷ আমি ওহী লেখক ৷
উত্তরে হযরত আলী (রা) বললেন, হায় ৷ মানুষের কলিজা ভোজনকারিণীর পুত্র, আবার ,
আমার বিরুদ্ধে শ্রেষ্ঠত্বের অহংকার করে৷ ৷’ এরপর তিনি তার খাদেমকে বললেন, তুমি লিখ :
নবী মুহাম্মদ (সা) আমার ভাই এবং আমার শ্বশুর ৷ শহীদগণের নেতা হযরত হামযা (বা)
আমার চাচা ৷




হযরত জা ফর (রা) যিনি সকাল-সন্ধ্য৷ সর্বক্ষণ ফেরেশৃতাদের সাথে উতছেন তিনি আমার
সহোদর ভাই ৷


إِبْرَاهِيمُ: يَعْنِي أَهْلَ الْكُوفَةِ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ صَالِحٍ، ثَنَا عَمْرُو بْنُ هَاشِمٍ الْجَنْبِيُّ، عَنْ أَبِي جَنَابٍ، عَنْ أَبِي عَوْنٍ الثَّقَفِيِّ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ قَالَ: قَالَ لِي الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ: قَالَ لِي عَلِيٌّ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ سَنَحَ لِيَ اللَّيْلَةَ فِي مَنَامِي، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا لَقِيتُ مِنْ أُمَّتِكَ مِنَ الْأَوَدِ وَاللَّدَدِ؟ قَالَ: " ادْعُ عَلَيْهِمْ ". فَقُلْتُ: اللَّهُمَّ أَبْدِلْنِي بِهِمْ مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنْهُمْ، وَأَبْدِلْهُمْ بِي مَنْ هُوَ شَرٌّ مِنِّي. فَخَرَجَ فَضَرَبَهُ الرَّجُلُ. الْأَوَدُ: الْعِوَجُ، وَاللَّدَدُ: الْخُصُومَةُ. وَقَدْ قَدَّمْنَا الْحَدِيثَ الْوَارِدَ بِالْإِخْبَارِ بِمَقْتَلِهِ، وَأَنَّهُ تُخَضَّبُ لِحْيَتُهُ مِنْ قَرْنِ رَأْسِهِ، فَوَقَعَ كَمَا أَخْبَرَ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَى رَسُولِهِ. وَرَوَى أَبُو دَاوُدَ فِي كِتَابِ " الْقَدَرِ " أَنَّهُ لَمَّا كَانَ أَيَّامُ الْخَوَارِجِ كَانَ أَصْحَابُ عَلِيٍّ يَحْرُسُونَهُ كُلَّ لَيْلَةٍ عَشَرَةٌ يَبِيتُونَ فِي الْمَسْجِدِ بِالسِّلَاحِ، فَرَآهُمْ عَلِيٌّ فَقَالَ: مَا يُجْلِسُكُمْ؟ فَقَالُوا: نَحْرُسُكَ. فَقَالَ: مِنْ أَهْلِ السَّمَاءِ؟ ثُمَّ قَالَ: إِنَّهُ لَا يَكُونُ فِي الْأَرْضِ شَيْءٌ حَتَّى يُقْضَى فِي السَّمَاءِ، وَإِنَّ عَلَيَّ مِنَ اللَّهِ جَنَّةً حَصِينَةً. وَفِي رِوَايَةٍ: وَإِنَّ الْأَجَلَّ جَنَّةٌ حَصِينَةٌ، وَإِنَّهُ لَيْسَ مِنَ النَّاسِ أَحَدٌ إِلَّا وَقَدْ وُكِّلَ بِهِ
পৃষ্ঠা - ৬৩০২


মুমিনীন ! আপনার নিকট আমার কিছু চাওরার ছিল ৷ তবে আপনার নিকট তা পেশ করার
আগে তা আল্লাহর নিকট পেশ করছি ৷ এখন আপনি যদি আমার সেই চাহিদা পুরণ করেন,
অভাব মােচন করেন তবে আমি আল্লাহর প্রশংসা করব ৷ এবং আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
করব ৷ আর আপনি যদি তা পুরণ করতে না পারেন তবে আমি আল্গুাহর প্রশংসা করব এবং
আপনার অক্ষমতা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে মেনে (নব ৷ হযরত আলী (রা) , বল্যলন ঠিক আছে তুমি
তোমার অভাব ও চাহিদার কথা মাটিতে লিখে দাও ৷ কারণ তোমার মুখে৩ ভিখারীর বিনয়
দেখলে আমার ভাল লাগবে না ৷ ল্যেকটি মাটিতে লিখে দিল যে, আমি অভাবগ্রস্ত’ ৷ হযরত
আলী (বা) তার কর্মচারীকে নির্দেপ দিলেন একটি দামী জামা উপস্থিত করতে ৷ জামা আনীত
হল ৷ হযরত আলী (রা) সেটি লােকঢিাক দিলেন ৷ সে সেটি পরিধান করল ৷ তারপর নিম্নের
বিত৷ আবৃত্তি করল ং
;;
আপনি আমাকে একটি দামী জামা উপহার দিয়েছেন ৷ £সটির সৌন্দর্য এক সময় পুরাতন
হয়ে করে ৷ আমি আপনাকে সুন্দরতম প্রশংসার উপহার দিব’ ৷
০ষ্
আপনি যদি আমার সুন্দর প্রশং সা গ্রহণ করেন তবে আপনি মর্যাদার বস্তুই গ্রহণ করবেন ৷
আমি যা বলছি তার বিনিময়ে আমি কোন কিছু দাবী করব না ৷’
ব্লু;া

ৎসা ও সুনাম সং শ্রিষ্ট ব্যক্তির স্মরণকে সজীব ও দীর্ঘ্যযু করে, যেমন বৃষ্টির পানি সমতল
ও পাহাড়ী অঞ্চলকে নবজীরন দান করে ৷’ ,



আপনার দ্বারা যতটুকু বঅ্যাণ সাধ্ন সম্ভব তা থেকে যুপরুক আপনি বঞ্চিত করবেন না,
কারণ প্রত্যেকেই তার কৃত কর্মের জন্য পুরস্কার ও প্রতিদান পাবে ৷ ,
এবার হযরত আলী (বা) তার কর্মচারীকে বললেন, আমার নিকট কিছু স্বর্ণমুদ্র৷ নিয়ে আস ৷
, তার নিকট স্বর্ণমুদ্র৷ উপস্থিত করা হল ৷ তিনি তা ওই আগন্তুককে প্রদান করলেন ৷ আসবাগ,
বললেন, হে আমীরুল মু মিনীন ! আপনি তাকে একটি দামী জামা এবং একশত স্বর্ণযুদ্রা দিয়ে
দিলেন ৷ খলীফা বললেন, হ্যা, তাই করলাম ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) ণ্ক বলতে শুনেছি-প্
মানুষকেষ্ তার সঠিক মর্যাদার অধিষ্ঠিত কর ৷’ এটি হল
আমার নিকট এই ব্যক্তির সঠিক মর্যাদা ৷
খত্তীব বাপদাদী যথাত্র মে আবু জাকির আহমদ ইবন ইসহাক ইবন ইব্রাহীম ইবন নাৰীত
ইবন শারীত এর দাদা থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন যে, হযরত আলী (বা) নিম্নের
কবিতা


مَلَكٌ، فَلَا تُرِيدُهُ دَابَّةٌ وَلَا شَيْءٌ إِلَّا قَالَ: اتَّقِهِ اتَّقِهِ. فَإِذَا جَاءَ الْقَدَرُ خَلَّى عَنْهُ - وَفِي رِوَايَةٍ: مَلَكَانِ يَدْفَعَانِ عَنْهُ، فَإِذَا جَاءَ الْقَدَرُ خَلَّيَا عَنْهُ - وَإِنَّهُ لَا يَجِدُ عَبْدٌ حَلَاوَةَ الْإِيمَانِ حَتَّى يَعْلَمَ أَنَّ مَا أَصَابَهُ لَمْ يَكُنْ لِيُخْطِئَهُ، وَمَا أَخْطَأَهُ لَمْ يَكُنْ لِيُصِيبَهُ. وَكَانَ عَلِيٌّ يَدْخُلُ الْمَسْجِدَ كُلَّ لَيْلَةٍ فَيُصَلِّي فِيهِ، فَلَمَّا كَانَتِ اللَّيْلَةُ الَّتِي قُتِلَ فِي صَبِيحَتِهَا قَلِقَ تِلْكَ اللَّيْلَةَ، وَجَمَعَ أَهْلَهُ، فَلَمَّا خَرَجَ إِلَى الْمَسْجِدِ صَرَخَ الْإِوَزُّ. فِي وَجْهِهِ، فَسَكَّتُوهُنَّ عَنْهُ، فَقَالَ: ذَرُوهُنَّ فَإِنَّهُنَّ نَوَائِحُ. فَلَمَّا خَرَجَ إِلَى الْمَسْجِدِ ضَرَبَهَ ابْنُ مُلْجَمٍ، فَكَانَ مَا ذَكَرْنَا قَبْلُ. فَقَالَ النَّاسُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، أَلَا نَقْتُلُ مُرَادًا كُلَّهَا؟ فَقَالَ: لَا، وَلَكِنِ احْبِسُوهُ وَأَحْسِنُوا إِسَارَهُ، فَإِنْ مِتُّ فَاقْتُلُوهُ، وَإِنْ عِشْتُ فَالْجُرُوحُ قِصَاصٌ. وَجَعَلَتْ أُمُّ كُلْثُومٍ بِنْتُ عَلِيٍّ تَقُولُ: مَا لِي وَلِصَلَاةِ الْغَدَاةِ، قُتِلَ زَوْجِي عُمَرُ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ صَلَاةَ الْغَدَاةِ، وَقُتِلَ أَبِي أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ صَلَاةَ الْغَدَاةِ. رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا. وَقِيلَ لِعَلِيٍّ: أَلَا تَسْتَخْلِفُ؟ فَقَالَ: لَا، وَلَكِنْ أَتْرُكُكُمْ كَمَا تَرَكَكُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَإِنْ يُرِدِ اللَّهُ بِكُمْ خَيْرًا يَجْمَعْكُمْ عَلَى خَيْرِكُمْ كَمَا جَمَعَكُمْ عَلَى خَيْرِكُمْ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَهَذَا اعْتِرَافٌ مِنْهُ فِي آخِرِ وَقْتٍ مِنَ الدُّنْيَا بِفَضْلِ الصِّدِّيقِ. وَقَدْ ثَبَتَ عَنْهُ بِالتَّوَاتُرِ أَنَّهُ خَطَبَ بِالْكُوفَةِ فِي أَيَّامِ خِلَافَتِهِ وَدَارِ إِمَارَتِهِ، فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ خَيْرَ هَذِهِ الْأُمَّةِ بَعْدَ نَبِيِّهَا أَبُو بَكْرٍ، ثُمَّ عُمَرُ، وَلَوْ
পৃষ্ঠা - ৬৩০৩


আলী ইবন জাকির ওয়াররাক আমীরুল মু মিনীন হযরত আলী (রা) সম্পর্কে নিম্নের
কবিতাটি আবৃত্তি করেছেন : ন্
ণ্স্টোএ
তুমি যখন কাপড় পরিধান করবে তখন ভাল কাপড় পরিধান করবে ৷ কারণ জানা কাপড়
হল পুরুষের অলংকার ও ভুষণ ৷ জামা কাপ ম্বা , ;:ন্কারণে তুমি সম্মানিত ও মর্যাদবােন হবে ৷
জামা কাপড় পারধ৷ নে বিনয় বর্জন কর ৷ কারণ তোমার ভেতরের খবর আল্লাহ তা আলার
জানা আছে ৷
ন্সৌং
তোমার আমার সৈন্য ও জীর্ণত৷ ঠুতামস্টাকে আঃল্লাহ্ ল্ম স্টুনকট্য এ্যা,ন দিবে না যদি তুমি মুলত
দো;ল্পী ও অপরাধী হয়ে থাক ৷
তৃমি যদি মহান আল্লাহ্র্কে তয় কর এবং তিনি যা হারাম ও নিষিদ্ধ করেছেন, তা বর্জন কর
ও ২ দামী ও মুল্যবান জামাকাপড় পরিধানে তোমার কোন ক্ষতি হবে না ৷’
অবশ্য হাদীস শরীফেও এ মর্মে বর্ণনা রয়েছে ৷ রাসুল (সা) বলেছেন-
ব্লো৷ ব্লুব্লুা

শক্তণ্ আল্লাহ তোমাদের চেহারা ও মুখমওলের দিকে দেখেন না, তােমাদ্যের জামা

’ব্ নয় ৷ তিনি বরং দেখেন তোমাদের অন্তর ও স্বামাদের কর্ম’ ৷
ব ভ জুব্বা পরিধান ষ্ণ্ ণ্ন্াৰুন্ার কৃচ্ছসাধন পরহেযগারী নয় ৷



বরং পরহেযপাছুা৷ ণ্ রুা-আকৰুষ্ন্ষ্ ” রাখা ৷
আবু আব্বাস মুহাম্মদ ইয়াযী ৷ন আকবা র মুবরাদ বলেছেন, হযরত আলী

(রা) এর তরবারিতে নিম্নের কবিতাঢ লেখা ছিল০ ং
“দুনিয়ার প্রতি মানুষের রয়েছে লোভ-লালসা ও দৃৰ্বার আকর্ষণ ৷ লীেয় ও কামনার বস্তু
অর্জনে তার রয়েছে চাতুর্যপুর্ণ কৌশল ও বুদ্ধি ভিত্তিক প্রস্তুতি ৷
ষ্াষ্
াএ্
তারা যদি আপন প্রতিপালক মহান আল্লাহ্র ইবাদত ও আনুগতে ৷র দিকে আর তো এই
আনুগত্যের তত্ত্ব ও হার্কীকত অনুধাবনে৩ তান্সেণ্র বুদ্ধি ও বিবেক অক্ষর হয়ে পড়ে ৷’
এ জন্যে এবং ঐ সােভ-লালসার জংন্য তাত্তো জীবনের স্বচ্ছেতা ও উজ্জ্বলর্তা দৃ;ং;খ ও
অন্ধকারে পরিণত হয় ৷


شِئْتُ أَنْ أُسَمِّيَ الثَّالِثَ لَسَمَّيْتُ. وَعَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: وَهُوَ نَازِلٌ مِنَ الْمِنْبَرِ: ثُمَّ عُثْمَانُ ثُمَّ عُثْمَانُ. وَلَمَّا مَاتَ عَلِيٌّ وَلِيَ غُسْلَهُ وَدَفْنَهُ أَهْلُهُ، وَصَلَّى عَلَيْهِ ابْنُهُ الْحَسَنُ فَكَبَّرَ أَرْبَعًا وَقِيلَ: أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ. وَدُفِنَ عَلِيٌّ بِدَارِ الْخِلَافَةِ بِالْكُوفَةِ. وَقِيلَ: تُجَاهَ الْجَامِعِ مِنَ الْقِبْلَةِ، فِي حُجْرَةٍ مِنْ دُورِ آلِ جَعْدَةَ بْنِ هُبَيْرَةَ بِحِذَاءِ بَابِ الْوَرَّاقِينَ. وَقِيلَ: بِظَاهِرِ الْكُوفَةِ. وَقِيلَ: بِالْكُنَاسَةِ. وَقِيلَ: دُفِنَ بِالثَّوِيَّةِ. وَقَالَ شَرِيكٌ الْقَاضِي وَأَبُو نُعَيْمٍ الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ: نَقَلَهُ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ بَعْدَ صُلْحِهِ مَعَ مُعَاوِيَةَ إِلَى الْمَدِينَةِ فَدَفَنَهُ بِالْبَقِيعِ إِلَى جَانِبِ فَاطِمَةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ عِيسَى بْنُ دَأْبٍ: بَلْ لَمَّا أَرَادُوا أَنْ يَحْمِلُوهُ إِلَى الْمَدِينَةِ لِيَدْفِنُوهُ بِهَا جَعَلُوهُ فِي صُنْدُوقٍ عَلَى بَعِيرٍ، فَلَمَّا مَرُّوا بِهِ بِبِلَادِ طَيِّئٍ أَضَلُّوا الْبَعِيرَ، فَأَخَذَتْ طَيِّئٌ ذَلِكَ الْبَعِيرَ بِمَا عَلَيْهِ يَحْسَبُونَهُ مَالًا، فَلَمَّا وَجَدُوا بِالصُّنْدُوقِ مَيِّتًا دَفَنُوهُ بِالصُّنْدُوقِ فِي بِلَادِهِمْ، فَلَا يُعْرَفُ قَبْرُهُ إِلَى الْآنَ. وَالْمَشْهُورُ أَنَّ قَبْرَهُ إِلَى الْآنَ بِالْكُوفَةِ كَمَا ذَكَرَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ أَنَّ خَالِدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيَّ نَائِبَ بَنِي أُمَيَّةَ فِي زَمَانِ هِشَامِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، لَمَّا كَانَ أَمِيرًا عَلَى الْعِرَاقِ هَدَمَ دُورًا لِيَبْنِيَهَا دَارًا وَجَدَ قَبْرًا فِيهِ شَيْخٌ أَبْيَضُ الرَّأْسِ وَاللِّحْيَةِ، فَإِذَا هُوَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، فَأَرَادَ أَنْ يُحَرِّقَهُ بِالنَّارِ، فَقِيلَ لَهُ: أَيُّهَا الْأَمِيرُ، إِنَّ بَنَى أُمَيَّةَ لَا يُرِيدُونَ مِنْكَ هَذَا كُلَّهُ. فَلَفَّهُ فِي قَبَاطِيَّ وَدَفَنَهُ هُنَاكَ. قَالُوا: فَلَا يَقْدِرُ أَحَدٌ
পৃষ্ঠা - ৬৩০৪

একটি অস্বাভাবিক বিরল বর্ণনা
ইবন আবু খড়ায়দামা আহমদ ইবন মনসুর-আবদুর রায্যাক থেকে বর্ণনা ক্যরছো যে তিনি
বলেছেন, একদিন মা মার বললেন, আমি তখন তার সম্মুখে ছিলাম ৷ তিনি মুচক্কি হাসলেন ৷
আমাদের সাথে তখন অন্য কেউ ছিল না ৷ আমি তাকে বললাম, ব্যাপার কি? হাসহ্নে৷ কো?
তিনি বললেন, কুফাবাসীদের কাণ্ড দেখে আমি অবাক হচ্ছি-৷ পুরো কুফা নগরী যেন হযরত
আলী (রা)-এর ভালবাসার উপর স্থাপিত ৷ সেখানে যার সাথেই আমি আলাপ করেছি ড্যাক
দেখেছি এমনকি ওদের মধ্যপন্থি লোকদেরকেও দেখেছি যে, তারা হযরত আলী (রা) কে
হযরত আবু বকর ও উমর (রা) এর উপর প্রাধান্য দেয়৷ এমনকি হযরত সুফিয়ান ছাওরী
(রা) ণ্কও তেমনি দেখতে পেয়েছি ৷
আবদুর রায্যাক বললেন, আমি মা মার কে বলল৷ ম, আপনি সুফিয়ান ছুাওরী (রা)-কেও
তেমন দেখতে পেয়েছেন প্ তার বক্তব্য আমার কাছে অবিশ্ব৷ ৷স্য মনে হয়েছিল ৷ মা ম৷ র বললেন,
তা নয় তো কি? যদি কেউ বলে, আমার নিকট হযরত আলী (রা) শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হযরত আবু
বকর (রা) ও উমর (রা) থেকে’ তা হলে আমি তাকে দৌষারোপ করব না ৷ যদি তাদের
ফযীলত ও উল্লেখ করে ৷ আর কেউ যদি বলে, হযরত উমর (বা) আমার নিকট হযরত আবু
বকর ও আলী (রা) থেকে শ্রেষ্ঠ আমি তার প্রতি দোষারোপ করব না ৷
আবদুর রাঘৃযাক বললেন, মামারের এই বক্তব্য আমি ওমাকী ইবন জাররাহ-এর নিকট
পেশ করলাম ৷ আমরা দু’ জনে তখন একান্তে ছিলাম ৷ সেখানে অন্য কেউ ছিল না ৷ সুফিয়ান
ছাওরী (রা) এর পক্ষ থেকে এমন মন্তব্য তিনি ভয়ংকর বলে মন্তব্য বরেন এবং তিনি হেসে
উঠে বলেন, সুফিয়ান ছা ৷ওরী (রা) আমাদের সম্মুখে কখনো এমন চরম বক্তব্য পেশ করেন নি ৷
বরং আমলের নিকট যা প্রকাশ করেন নি মামারের নিকট তাই প্রকাশ করেছেন ৷ আমি
সুফিয়ান ছাওরীকে যখন বলতাম, হে আবুআবদুল্লাহ্ ! বলুন তো, আমরা যদি হযরত আলী
(রা)-কে হযরত আবু বকর এবং উমর (রা)-এর উপর প্রাধান্য দিই এবং শ্রেষ্ঠ বলে মন্তব্য
করি তাহলে এ বিষয়ে কি বলবেন? সুফিয়ান ছাওরী (রা) বিছুক্ষণ চুপ থেকে বলতেন, আমি
তো আশডক৷ করি যে, তাতে হযরত আবু বকর ও উমর (রা)এর মানহানি করা হবে ৷ আমরা
বরং এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকর ৷

আবদুর রাযযাক বলেছেন যে, মা’মার বলেছেন, আমি আমার পিতাকে বলতে শুৰেছি,
হযরত আলী (রা) এর শ্রেষ্ঠতৃ ও সম্মান শত বিষয়ে ৷ অন্যান্য খলীফাগণ যে সব বৈশিষ্টেব্লে
অধিকারী ছিলেন হযরত আলী (রা) ওই সব বৈশিক্টোর অধিকারীণ্ তা ছিলেনই ৷ তবে আমার
নিকট হযরত আলী (রা) অপেক্ষা হযরত উসমান (রা) অধিক প্রিয় ৷ ইবন আসাকির তার ইতিহাস
গ্রন্থে ইবন আবী খায়ছাফ৷ থেকে এরুপই উল্লেখ করেছেন ৷ কিন্তু উপরোক্ত মতব্যগুলোভে প্রচুর
অসলত ও তথ্য বিভ্রাট রয়েছে ৷ হতে পারে যে, প্রকৃত বিষয়গুলো মামারের নিকট অস্পষ্ট ছিল ৷
কারণ জনশ্রুতি আছে যে, কুফাবা ৷সীদের কেউ কেউ হযরত আলী (রা) কে হযরত উসম৷ ৷ন (বা)
এর চাইতে শ্রেষ্ঠ বলে দাবী করে ৷ কিন্তু তাকে হযরত আবু বকর ও উমর (রা) এর চাইতে শ্রেষ্ঠ
দাবী করে এমন কেউ ছিল না ৷ সকল সাহাবীর উপর হযরত আবু বকর (রা) ও উমর (রা)-

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৫


أَنْ يَسْكُنَ تِلْكَ الدَّارَ الَّتِي هُوَ فِيهَا إِلَّا ارْتَحَلَ مِنْهَا. كَذَا ذَكَرَهُ ابْنُ عَسَاكِرَ. ثُمَّ إِنَّ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ اسْتَحْضَرَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ مُلْجَمٍ مِنَ السِّجْنِ فَأَحْضَرَ النَّاسَ النِّفْطَ وَالْبَوَارِيَّ لِيُحَرِّقُوهُ، فَقَالَ لَهُمْ أَوْلَادُ عَلِيٍّ: دَعَوْنَا نَشْتَفِي مِنْهُ. فَقُطِعَتْ يَدَاهُ وَرِجْلَاهُ، فَلَمْ يَجْزَعْ وَلَا فَتَرَ عَنِ الذِّكْرِ، ثُمَّ كُحِلَتْ عَيْنَاهُ، وَهُوَ فِي ذَلِكَ يَذْكُرُ اللَّهَ وَقَرَأَ سُورَةَ: {اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ} [العلق: 1] إِلَى آخِرِهَا، وَإِنَّ عَيْنَيْهِ لَتَسِيلَانِ عَلَى خَدَّيْهِ، ثُمَّ حَاوَلُوا لِسَانَهُ لِيَقْطَعُوهُ، فَجَزِعَ عِنْدَ ذَلِكَ جَزَعًا شَدِيدًا، فَقِيلَ لَهُ فِي ذَلِكَ، فَقَالَ: إِنِّي أَخَافُ أَنْ أَمْكُثَ فِي الدُّنْيَا فَوَاقًا لَا أَذْكُرُ اللَّهَ فِيهِ. فَقُتِلَ عِنْدَ ذَلِكَ وَحُرِّقَ بِالنَّارِ، قَبَّحَهُ اللَّهُ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: كَانَ ابْنُ مُلْجَمٍ رَجُلًا أَسْمَرَ، حَسَنَ الْوَجْهِ، أَبْلَجَ، شَعْرُهُ مَعَ شَحْمَةِ أُذُنِهِ، فِي جَبْهَتِهِ أَثَرُ السُّجُودِ. قَالَ الْعُلَمَاءُ: وَلَمْ يُنْتَظَرْ بِقَتْلِهِ بُلُوغُ الْعَبَّاسِ بْنِ عَلِيٍّ ; فَإِنَّهُ كَانَ صَغِيرًا يَوْمَ قُتِلَ أَبُوهُ. قَالُوا: لِأَنَّهُ كَانَ قُتِلَ مُحَارَبَةً لَا قِصَاصًا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَكَانَ طَعْنُ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَوْمَ الْجُمْعَةَ السَّابِعَ عَشَرَ مِنْ رَمَضَانَ سَنَةَ أَرْبَعِينَ، بِلَا خِلَافٍ. فَقِيلَ: مَاتَ مِنْ يَوْمِهِ، وَقِيلَ: يَوْمَ الْأَحَدِ التَّاسِعَ عَشَرَ مِنْهُ. قَالَ الْفَلَّاسُ: وَقِيلَ: ضُرِبَ لَيْلَةَ إِحْدَى وَعِشْرِينَ، وَمَاتَ لَيْلَةَ أَرْبَعٍ وَعِشْرِينَ عَنْ تِسْعٍ أَوْ سَبْعٍ أَوْ ثَمَانٍ وَخَمْسِينَ سَنَةً. وَقِيلَ: عَنْ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ سَنَةً. وَهُوَ
পৃষ্ঠা - ৬৩০৫


যত কিছুই ঘটে তার সব কিছুর সিদ্ধান্ত হয় আকাশে ৷ অলোঃশ গৃহীত সিদ্ধান্ত ব্যতীত
পৃথিবীতে কিইে ঘটে না ৷ আমার জন্যে তো আল্লাহ্র পক্ষ থেকে ,সুদৃঢ় নিরাপত্তা ব্যবস্থা
রয়েছে ৷’ অন্য বর্ণনায় রয়েছে, প্রত্যেকটি মানুষ সুদৃঢ় নিরাপত্তার পরিৰেষ্টিত ৷ প্রত্যেক
মানুষের জন্যে রয়েছে নিরাপত্তা রক্ষাকারী একজন করে ফেৰেশৃতা ৷ যত কিছুই ওই ব্যক্তির
ক্ষতি করতে আসুক, ওই ফেরেশৃত৷ তাকে বলে, সাবধান, সাবধান ! তবে ড্রোস্ত তাকদীর ও
অদৃষ্টের লিখন যখন এসে যায় তখন ওই ফেরেশৃতা তাকে ছেড়ে সরে যান ৷’ অপর বর্ণনায়
আছে, প্রত্যেক ব্যক্তির জন্যে দুজন করে নিরাপত্তারক্ষী ফেরেশৃতা থাকাে ৷ তারা দুজনে ওই
ব্যক্তিকে বিপদাপদ থেকে রক্ষা করেন ৷ তাকদীর ও অদৃষ্টের লেখক যখন এসে যায় তখন
ফেরেশৃত৷ দু জন তাকে ছেড়ে সরে যান ৷ কোন ব্যক্তি ততক্ষা ঈমস্কো স্বাধ অনুঙ্ঘ, করতে
পারবে না যতক্ষণ না সে বিশ্বা স করে যে, তার উপর যা বিপদ এসেছে তা অন্যত্র যাবার ছিল
না আর যা তাকে স্পর্শ করে নি তার উপর আমার ছিল না ৷
হযরতঅ আলী (যা) প্রতি রাতে মসজিদে গমন করতেন এবং সেখানে নামায আদায়
করতেন ৷ যে রাতে ভোর বেলা তিনি শহীদ হলেন সে রাতে তিনি অস্থিরতা ও অশান্তি অনুভব
করছিলেন ৷ তিনি তার পরিবারের লোকজনকে ডেকে একত্রিত কংরহিঃনন ৷ ভোরে যখন তিনি
মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হচ্ছিলেন তখন ছুাসগুলো চিৎকার করে ডাক দিফ্লি ৷ তার
পরিবারের লোকেরা এগুলোকে চুপ করাচ্ছিল ৷ তিনি ,বললেন ওওলােৰে ছেড়ে দাও, চিৎকার
করুক ৷ ওগুলো তো শোক প্রকাশকারী ৷ তিনি মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হলেন ৷ ইবন যুলঙ্গিম
তাকে আঘাত করল ৷ এ বিষয়ে আমরা পুর্বে আলোচনা করেছি

লোকজন বলল, হে আ ৷লমীরু মু মিনীন ! আমরা কি ওই সঅ্যাংাহী খরীিজ্যিক হত্যা কঃবেঃ
তিনি বললেন, না ৷ বরং তোমরা ওকে বন্দী করে রাখ এবং বন্দী অৰস্থুার তার সাথে তাল
আচরণ কর ৷ ইতিমধ্যে আমি যদি মারা ৷ইি তোমরা তাকে হত্যা করবে ৷ আর আমি যদি জীবিত
থাকি তবে আঘাতের সমপরিমাণ প্রতিশোধ নেয়া হবে ৷

হযরত আ ৷লী (রা) এর কন্যা উম্মু কুলছুম (রা) তখন বলছিলেন, আহ ! য জয়ের নামায
আমার জন্যে কী বয়ে আনে ৷ আমার স্বামী আমীরুল মুমিনীন উমর নো) ফজরের নামাষের
সময় নিহত হলেন ৷ আমার পিতা আমীরুল মুমিনীন আলী (রা)-ও নিহত হলেন ফজরের
নামাযের সময় ৷

এ সময়ে হযরত আলী (রা) কে বলা হল, আপনি কি পরবর্তী খলীফ৷ মনোনীত করে
যাবেন? তিনি উত্তরে বললেন, না ৷ আমি খলীফা মনোনীত করব না ৷ বরং রাসুলুল্লাহ্ (বা)
যেমন তোমাদের খলীফা মনোনয়ন না করে রেখে গিয়েছেন আমিও যেটি তোমাদের উপর
ছেড়ে যাব ৷ আল্লাহ্ তাআলা যদি“ তোমাদের বল্যাণ চান তবে ভেসোদের মধ্যে সর্বোত্তম
ব্যক্তিকে খলীফা নির্বাচনে তোমাদের মধ্যে ঐকমত্য সৃষ্টি করে দিবেন ৷ ফোন রাসুলুল্লাহ্ (রা)
এর ওফাতের পর তোমাদের উত্তম ব্যক্তির খলীফা নির্বাচনে তোমাদের মধ্যে ঐকমত্য সৃষ্টি
করেছিলেন ৷ তার এই বক্তব্য মুলত৩ ৩তার পক্ষ থেকে জীবন সায়াহ্নে হষরত আবু বকর (রা)-
এর গ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি ৩া

অবশ্য এও বর্ণিত আছে যে, তার খিলাফতকালে কুফায় এক ভাষণে তিনি বলেছিলেন, হে
লোকসকল ! নিশ্চয়ই মহানবী (সা) এর পর এই উম্মতের শ্রেষ্ঠ বজ্যি হলেন হযরত আবু
বকর (রা) ৷ এরপর হযরত উমর (রা) অবশ্য তৃতীয় মর্যাদাবান বতিঢির নামও আমি ইচ্ছা


الْمَشْهُورُ. قَالَهُ مُحَمَّدُ ابْنُ الْحَنَفِيَّةِ، وَأَبُو جَعْفَرٍ الْبَاقِرُ، وَأَبُو إِسْحَاقَ السَّبِيعِيُّ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: عَنْ ثَلَاثٍ أَوْ أَرْبَعٍ وَسِتِّينَ سَنَةً. وَعَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الْبَاقِرِ: خَمْسٍ وَسِتِّينَ سَنَةً. وَكَانَتْ خِلَافَتُهُ خَمْسَ سِنِينَ إِلَّا ثَلَاثَةَ أَشْهُرٍ، وَقِيلَ: أَرْبَعَ سِنِينَ وَتِسْعَةَ أَشْهُرٍ وَثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، وَقِيلَ: وَسِتَّةَ أَيَّامٍ. وَقِيلَ: وَأَرْبَعَةَ عَشَرَ يَوْمًا. وَقِيلَ: أَرْبَعَ سِنِينَ وَثَمَانِيَةَ أَشْهُرٍ وَثَلَاثَةً وَعِشْرِينَ يَوْمًا. رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَقَالَ جَرِيرٌ عَنْ مُغِيرَةَ قَالَ: لَمَّا جَاءَ نَعْيُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ إِلَى مُعَاوِيَةَ، وَكَانَ ذَلِكَ فِي وَقْتِ الْقَائِلَةِ، وَكَانَ نَائِمًا مَعَ امْرَأَتِهِ فَاخِتَةَ بِنْتِ قَرَظَةَ فِي يَوْمٍ صَائِفٍ، جَلَسَ وَهُوَ يَقُولُ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. وَجَعَلَ يَبْكِي، فَقَالَتْ لَهُ فَاخِتَةُ: أَنْتَ بِالْأَمْسِ تَطْعَنُ عَلَيْهِ، وَالْيَوْمَ تُبْكِي عَلَيْهِ! فَقَالَ: وَيْحَكَ! إِنَّمَا أَبْكِي لِمَا فَقَدَ النَّاسُ مِنْ حِلْمِهِ وَعِلْمِهِ وَفَضْلِهِ وَسَوَابِقِهِ وَخَيْرِهِ. وَذَكَرَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا فِي كِتَابِ " مَكَائِدِ الشَّيْطَانِ " أَنَّ رَجُلًا مِنَ أَهْلِ الشَّامِ مِنْ أُمَرَاءِ مُعَاوِيَةَ غَضِبَ ذَاتَ لَيْلَةٍ عَلَى ابْنِهِ، فَأَخْرَجَهُ مِنْ مَنْزِلِهِ، فَخَرَجَ الْغُلَامُ لَا يَدْرِي أَيْنَ يَذْهَبُ، فَجَلَسَ وَرَاءَ الْبَابِ مِنْ خَارِجٍ، فَنَامَ سَاعَةً ثُمَّ اسْتَيْقَظَ، فَإِذَا هُوَ بَهِرٍّ أَسْوَدَ بَرِيٍّ قَدْ جَاءَ إِلَى الْبَابِ الَّذِي لَهُمْ فَنَادَى: يَا سُوَيْدُ، يَا سُوَيْدُ. فَخَرَجَ إِلَيْهِ الْهِرُّ الَّذِي فِي مَنْزِلِهِمْ، فَقَالَ لَهُ الْبَرِيُّ: وَيْحَكَ! افْتَحْ. فَقَالَ: لَا أَسْتَطِيعُ. فَقَالَ: وَيْحَكَ! ائْتِنِي بِشَيْءٍ أَتَبَلَّغُ بِهِ فَإِنِّي جَائِعٌ وَتَعْبَانُ، هَذَا أَوَانُ مَجِيئِي مِنَ
পৃষ্ঠা - ৬৩০৬


পাঠ করফ্লি ৷ তার দু টো চোখ তার মুখমণ্ডলে ঝুলে পড়া ৷ এরপর তার জিহব৷ কোট ফেলা
হল ৷ এবার সে প্রচণ্ডভাবে অস্থির হয়ে পড়া এবং বলল, হার ! আমি কি দুনিয়াডে ৩থাককােলীন
কিছু সময় আল্লাহর যিকিং থেকে বঞ্চিত থাকর ৷ তারপর তাকে হত্যা করা হল এবং আগুনে শ্
পুড়িয়ে ফেলা হল ৷:আল্লাহ্ তার পরিণাম মন্দ করে দিন ৷
, মুহাম্মদ ইবন সাদ বলেছেন, ঘাতক ইবন মুলজ্বিম ছিল খাকী বর্ণের, সুন্দর চেহৃারাঃ ধ্র্সা
লোক ৷ তার চুল, ছিল কানের লতি পর্যন্ত ঝুলনাে ৷ কপালে তার সিজদার চিহ্ন ছিল ৷ ,
উলামা ই কিরাম বলেছেন, ঘাতক ইবন মুসজিমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ব্বার ব্যাপারে হব্বত
আলী (রা) এর পুত্র আববাসের সাবালকত্বে পৌছ৷ পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয়নি ৷ হযরত আলী
(রা) এর শাহাদাতের সময় তার পুত্র আব্বাস নাবালক ছিলেন ৷ ইবন মুলজিমকে হত্যার
ক্ষেত্রে সরা ৷সরি তরবারির আঘাতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না করে প্রথমে হাতপা কাটা, তারপরে
চোখ উপড়িয়ে ফেলা এবং তারপরে হত্যা ক্যা সম্পার্ক উলামায়ে কিরাম এ ব্যাখ্যা সিংরক্ষো
তাকে কিসাস বা শুধু হত্যার শাস্তি দেয়৷ হয়নি বরং তাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে আল্লাহর
বিরুদ্ধে, রাসুলের বিরদ্ধে এবং খলীফার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার অপরাধে ৷ আল্লাহ্ই ভাল ,
জানেন ৷
এ বিষয়ে সবাই একমত যে, ৪০ ইিজরী সনের ১ ৭ই রমযান জুম আবার হযরত আলী
(রা) কে আঘাত করা হয় ৷ তবে তার ওফাত দিবস সম্পর্কে কেউ বলেছো, ওই দিনই জার
ওফাত হয়েছে ৷ কেউ বলেছেন, ১৯ শে র মষান রবিবারে তীর ওফাত হয়েছে ৷ ফড়োাস
বলেছেন যে, কারো মতে, আহত হয়েছেন ২১ শে রমযান রাতে আর ওফাত হয়েছে ২৪ শে ,
রমযান রাতে ৷ তখন তীর বয়স ৫৮ কিংবা ৫৯ বছর ৷ কেউ বলেছেন, তখন তার বয়স ছিল
৬৩ বছর ৷ এটিই প্রসিদ্ধ অভিমত ৷ মুহাম্মদ ইবন হানাফিয়্যা আবুজা ফ ররাকিংরু, আবুইসহৃক
সুবাঈ এবং আবু বকর অইিয়াশ প্রমুখ শেষ অভিমতটি সমর্থন করেছেঃ ৷ ,
বেস্ট কেউ বলেছেন, ওফাতের সময় হযরত আলী (রা)-এর বয়স ছিল ৬৩ কিংব৷ ৬৪ বহ্ব ৷
আর জা ফর বাকির (বা) থেকে বর্ণিত যে,৩ তখন তার বয়স ছিল ৬৫ বছর ৷ তার খিলাকল্দো
মেয়াদ ছিল চার বছর নয় মাস ৷ কেউ কেউ বলেছেন, চার বছর,আট মাস ২৩ দিন ৷
জারীর মুগীরা থােক বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, হযরত আলী (রা)-এর মৃত্যু
ৎবাদ যখন যুআবিয়া (না)-এর নিকট পৌছে তখন তিনি তার শ্রী কাখতা বিনৃত বুল্মতাশ্এর
সাথে ঘুমিয়ে ছিলেন , ৷ তখন ছিল গ্রীষ্মকাল ৷ সংবাদ শুনে তিনি উঠে বসলেন এবং ইন্না লিল্লাইি
চুওয়া ইন্ন৷ ইলা ইহি রাজিউন’ পাঠ করে র্কাদংত শুরু করলেন ৷ তার ত্রী কাখৃত৷ বললেন, বাপাের
কী স্ব গতকালও ওে ৷ আপনি খলীফার বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছেন, আর আজ তার জন্যে শ্
র্কাদছেন? ঘু আবিয়া (রা) বললেন, তোমার জন্য আফ্সােস ৷ আজ কাদছি এজন্যে যে, হযরত
আলী (রা) কে হারিয়ে মানুষ মুলত তার ধৈর্য, জ্ঞান, মর্যাদা, সৎকার্যে অ্যাগাক্ষিত৷ ও তবে
কল্যাণ হারাল ৷
ইবন আবীদ দ্বারা তার মাব ৷ঈদ-আশ-শায়তান কিভাবে উল্লেখ করেছেন যে, মুআবিয়া
(বা) কর্তৃক নিযুক্ত সিরিয়ার জনৈক প্রশাসক এক রাতে তার পুত্রের প্রতি রাপাযিভ হয়ে তাকে
ঘর থেকে বের করে দেয় ৷ ছেলেটি তখন দিশেহার৷ ৷ কোথায় যাবে বুঝে উঠতে পারছিব না ৷
সে দরজার বইিরে বসে থাবপ্স ৷ কিছুক্ষণ সে ঘুমিয়েছিল ৷ তারপর সজাগ হলে সে দেখতে
পেল যে, একটি কালো জংলী বিড়াল তার দরজার খামছি দিচ্ছে ৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের


الْكُوفَةِ، وَقَدْ حَدَثَ اللَّيْلَةَ حَدَثٌ عَظِيمٌ، قُتِلَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ. قَالَ: فَقَالَ لَهُ الْهِرُّ الْأَهْلِيُّ: وَاللَّهِ إِنَّهُ لَيْسَ هَاهُنَا شَيْءٌ إِلَّا وَقَدْ ذَكَرُوا اسْمَ اللَّهِ عَلَيْهِ غَيْرَ سَفُّودٍ كَانُوا يَشْوُونَ عَلَيْهِ اللَّحْمَ. فَقَالَ: ائْتِنِي بِهِ. فَجَاءَ بِهِ فَجَعَلَ يَلْحَسُهُ حَتَّى أَخَذَ حَاجَتَهُ وَانْصَرَفَ، وَذَلِكَ بِمَرْأَى مِنَ الْغُلَامِ وَمَسْمَعٍ، فَقَامَ إِلَى الْبَابِ فَطَرَقَهُ، فَخَرَجَ إِلَيْهِ أَبُوهُ فَقَالَ: مَنْ؟ فَقَالَ لَهُ: افْتَحْ. فَقَالَ: وَيْحَكَ! مَا لَكَ؟ فَقَالَ: افْتَحْ. فَفَتَحَ، فَقَصَّ عَلَيْهِ خَبَرَ مَا رَأَى. فَقَالَ لَهُ: وَيْحَكَ! أَمَنَامٌ هَذَا؟ قَالَ: لَا وَاللَّهِ. قَالَ: وَيْحَكَ! أَفَأَصَابَكَ جُنُونٌ بَعْدِي؟ قَالَ: لَا وَاللَّهِ، وَلَكِنَّ الْأَمْرَ كَمَا وَصَفْتُ لَكَ، فَاذْهَبْ إِلَى مُعَاوِيَةَ الْآنَ فَاتَّخِذْ عِنْدَهُ يَدًا بِمَا قُلْتُ لَكَ. فَذَهَبَ الرَّجُلُ فَاسْتَأْذَنَ عَلَى مُعَاوِيَةَ، فَأَخْبَرُهُ الْخَبَرَ عَلَى مَا ذَكَرَ وَلَدُهُ، فَأَرَّخُوا ذَلِكَ عِنْدَهُمْ قَبْلَ مَجِيءِ الْبُرُدِ، وَلَمَّا جَاءَتِ الْبُرُدُ وَجَدُوا مَا أَخْبَرُوهُمْ بِهِ مُطَابِقًا لِمَا كَانَ أَخْبَرَ بِهِ أَبُو الْغُلَامِ. هَذَا مُلَخَّصُ مَا ذَكَرَهُ. وَقَالَ أَبُو الْقَاسِمِ الْبَغَوِيُّ: ثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ، ثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْأَصَمِّ قَالَ: قُلْتُ لِلْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ: إِنَّ هَذِهِ الشِّيعَةَ يَزْعُمُونَ أَنَّ عَلِيًّا مَبْعُوثٌ قَبْلَ يَوْمِ الْقِيَامَةِ. فَقَالَ: كَذَبُوا وَاللَّهِ، مَا هَؤُلَاءِ بِالشِّيعَةِ، لَوْ عَلِمْنَا أَنَّهُ مَبْعُوثٌ مَا زَوَّجْنَا نِسَاءَهُ وَلَا قَسَمْنَا مَالَهُ. وَرَوَاهُ أَسْبَاطُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْأَصَمِّ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ بِنَحْوِهِ.