আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة أربعين من الهجرة النبوية

فصل في ذكر شيء من سيرته العادلة وطريقته الفاضلة ومواعظه وقضاياه الفاصلة

পৃষ্ঠা - ৬২৭৮



দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহ্র নামে

হজরত আলী (রা) এর মহান চরিত্র, ওয়াজ ও নসীহত,
যুগাম্ভকারী রায়, ভাষণ এবং হৃদয়গ্রাহী ও জ্ঞানগর্ভ উক্তি

আবদুল ওয়ারিছ আবু আমর ইবন আ লা এর পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি
বলেছেন, একদিন হযরত আলী (রা) জ্যাগ্যণর উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেন, হে লোক
সবলে ! ঐ আল্লাহ্র শপথ করে বলছি, যিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, এই বস্তটি ছাড়া আলী

তামাদের সম্পদের কম বেশি অন্য কিছুর জন্য অভিযুক্ত হয়নি ৷ আমার উপর দোষারোপ করা
হয়েছে শুধু এটির জন্য ৷ এ কথা বলে তিনি তার আমার আস্তিন থেকে একটি শিশি বের
করলেন, তাতে ছিল খুশবু ৷ তিনি বলেন, এক গোত্রপতি :াহ্রা১ বা ;,া; ;,ও আমাকে উপহার
দিয়েছেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এরপর হযরত আলী রান্থীয় কোষাগার বায়ত্যু৮ামালের নিকট
আসেন এবং বলেন, ;লও ৷’ তারপর তিনি নিম্নের পঙ্ক্তিটি আবৃত্তি করেন-


ধন্য জীবন তার, সফলকাম সে, যার আছে একটি ঝুড়ি ৷ তা থেকে প্রতিদিন মাত্র একটি
করে খেজুর সে খাদ্যরুপে গ্রহণ করে ৷ অপর বর্ণনায় আছে যে, প্রতিদিন মাত্র একবার তা গ্রহণ
করে ৷ অপর বর্ণনায় আছে সৌভাগ্য তার জন্যে যার আছে একটি ঝুড়ি ৷

হারমালা ইবন আবদুল্লাহ্ন্ইবন আবী রায়ীন গাফিকী (র) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, একদিন কুরবানীর ঈদের দিন আমরা হযরত আলী (রা)-এর বাড়িতে উপস্থিত হলাম,
তিনি আমাদের আতিথেয়তার জন্য নিয়ে এলেন ওার ঘরে থাকা ঝোল ৷ আমরা বললাম, আল্লাহ
আপনার মঙ্গল করপ্স ৷ আপনি যদি ঐ হাসটি আমাদের জন্য নিয়ে আসতেন তাহলে ভাল হত ৷
কারণ এখন আল্লাহ তা জানা তো মুসলমানদেরকে অনেক ধন-সম্পদের মালিক বানিয়েছেন ৷
তখন হযরত আলী (রা) বললেন, হে রাযীনের পুত্র ! আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)কে বলতে শুনেছি,
তিনি, বলেছিলেন, খলীফার জন্য আল্লাহ্রমাল থেকে অর্থাৎ বায়ভুলমাল থেকে মাত্র দৃ’পাত্র
খাবার নেয়াই বৈধ ৷ একপাত্র খাবার তিনি পরিবারশুপরিজন নিয়ে খাবেন এবং একপাত্র অন্য
লোকদের খাওয়াবেচুন ৷ ,

ইমাম আহমদ (র) হাসান ও আবু সাঈদ আবদুল্লাহ্ ইবন রায়ীন থেকে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, আমি একদিনহযরত আলী ইবন আবী তালিব (রা) এর বাড়ি গেলাম ৷ হাসান
বলেন, ঐ দিন ছিল কুরবানীর ঈদের দিন ৷ হযরত আলী (রা) আমাদের আপ্যায়নের জন্যে
ঝোল নিয়ে এলেন ৷ আমি বললাম, আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন, এই ছুাসটি যদি আমাদেরকে
খেতে তন ৷ মহান আল্লাহ তাে এখন আমাদের ধন-সম্পদ বৃদ্ধি করে দিয়েছেন ৷ হযরত
আলী (রা) বললেন, হে রাযীনের পুত্র ! আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ্র
সাল থেকে খলীফার জন্যে শুধু দু বাটি খাদ্য নেওয়া বৈধ ৷ এক বাটি পরিবার-পরিজনসহ তিনি


حَدِيثِ أَبِي نُعَيْمٍ، عَنْ فِطْرِ بْنِ خَلِيفَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَجَاءٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ بِهِ. وَرَوَاهُ فُضَيْلُ بْنُ مَرْزُوقٍ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ. وَرُوِيَ مِنْ حَدِيثِ عَلِيٍّ نَفْسِهِ. وَقَدْ قَدَّمْنَا هَذَا الْحَدِيثَ فِي مَوْضِعِهِ فِي قِتَالِ عَلِيٍّ أَهْلَ الْبَغْيِ وَالْخَوَارِجَ. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَقَدَّمْنَا أَيْضًا «حَدِيثَ عَلِيٍّ لِلزُّبَيْرِ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَكَ إِنَّكَ تُقَاتِلُنِي وَأَنْتَ ظَالِمٌ. فَرَجَعَ الزُّبَيْرُ، وَذَلِكَ يَوْمَ الْجَمَلِ، ثُمَّ قُتِلَ بَعْدَ مَرْجِعِهِ فِي وَادِي السِّبَاعِ» . وَقَدَّمْنَا صَبْرَهُ وَصَرَامَتَهُ وَشَجَاعَتَهُ فِي يَوْمَيِ الْجَمَلِ وَصِفِّينَ، وَبَسَالَتَهُ وَفَضْلَهُ فِي يَوْمِ النَّهْرَوَانِ، وَمَا وَرَدَ فِي فَضْلِ طَائِفَتِهِ الَّذِينَ قَتَلُوا الْخَوَارِجَ، مِنَ الْأَحَادِيثِ، وَذَكَرْنَا الْحَدِيثَ الْوَارِدَ مِنْ غَيْرِ طَرِيقٍ، عَنْ عَلِيٍّ وَأَبِي سَعِيدٍ وَأَبِي أَيُّوبَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهُ بِقِتَالِ الْمَارِقِينَ وَالْقَاسِطِينَ وَالنَّاكِثِينَ، وَفَسَّرُوا النَّاكِثِينَ بِأَصْحَابِ الْجَمَلِ، وَالْقَاسِطِينَ بِأَهْلِ الشَّامِ، وَالْمَارِقِينَ بِالْخَوَارِجِ وَالْحَدِيثُ ضَعِيفٌ. [فَصْلٌ فِي ذِكْرِ شَيْءٍ مِنْ سِيرَتِهِ الْعَادِلَةِ وَطَرِيقَتِهِ الْفَاضِلَةِ وَمَوَاعِظِهِ وَقَضَايَاهُ الْفَاصِلَةِ] ِ، وَخُطَبِهِ الْكَامِلَةِ وَحِكَمِهِ الَّتِي هِيَ إِلَى الْقُلُوبِ وَاصِلَةٌ قَالَ عَبْدُ الْوَارِثِ عَنْ أَبِي عَمْرِو بْنِ الْعَلَاءِ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: خَطَبَ عَلِيٌّ
পৃষ্ঠা - ৬২৭৯
فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، وَاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ مَا رَزَأْتُ مِنْ مَالِكُمْ قَلِيلًا وَلَا كَثِيرًا إِلَّا هَذِهِ. وَأَخْرَجَ قَارُورَةً مِنْ كُمِّ قَمِيصِهِ فِيهَا طِيبٌ. فَقَالَ: أَهْدَاهَا إِلَى الدِّهْقَانُ. ثُمَّ أَتَى بَيْتَ الْمَالِ فَقَالَ: خُذُوا. وَأَنْشَأَ يَقُولُ: أَفْلَحَ مَنْ كَانَتْ لَهُ قَوْصَرَّهْ ... يَأْكُلُ مِنْهَا كُلَّ يَوْمٍ تَمْرَهْ وَفِي رِوَايَةٍ: مَرَّهْ. وَفِي رِوَايَةٍ: طُوبَى لِمَنْ كَانَتْ لَهُ قَوْصَرَّهْ . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . وَقَالَ حَرْمَلَةُ عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ، عَنِ ابْنِ هُبَيْرَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زُرَيْرٍ الْغَافِقِيِّ قَالَ: دَخَلْنَا مَعَ عَلِيٍّ يَوْمَ الْأَضْحَى، فَقَرَّبَ إِلَيْنَا خَزِيرَةً، فَقُلْنَا: أَصْلَحَكَ اللَّهُ، لَوْ قَدَّمْتَ إِلَيْنَا هَذَا الْبَطَّ وَالْإِوَزَّ، فَإِنَّ اللَّهَ قَدْ أَكْثَرَ الْخَيْرَ. فَقَالَ: يَا ابْنَ زُرَيْرٍ، إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا يَحِلُّ لِلْخَلِيفَةِ مِنْ مَالِ اللَّهِ إِلَّا قَصْعَتَانِ ; قَصْعَةٌ يَأْكُلُهَا هُوَ وَأَهْلُهُ، وَقَصْعَةٌ يُطْعِمُهَا النَّاسَ ".» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حَسَنٌ وَأَبُو سَعِيدٍ مَوْلَى بَنَى هَاشِمٍ، قَالَا: ثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ هُبَيْرَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زُرَيْرٍ أَنَّهُ قَالَ دَخَلْتُ عَلَى عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ - قَالَ حَسَنٌ: يَوْمَ الْأَضْحَى - فَقَرَّبَ إِلَيْنَا خَزِيرَةً، فَقُلْتُ: أَصْلَحَكَ اللَّهُ، لَوْ قَرَّبْتَ إِلَيْنَا مِنْ هَذَا الْبَطِّ - يَعْنِي الْوَزِّ - فَإِنَّ اللَّهَ قَدْ أَكْثَرَ
পৃষ্ঠা - ৬২৮০
الْخَيْرَ. فَقَالَ: يَا ابْنَ زُرَيْرٍ، إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا يَحِلُّ لِلْخَلِيفَةِ مِنْ مَالِ اللَّهِ إِلَّا قَصْعَتَانِ ; قَصْعَةٌ يَأْكُلُهَا هُوَ وَأَهْلُهُ، وَقَصْعَةٌ يَضَعُهَا بَيْنَ يَدَيِ النَّاسِ» ". وَقَالَ أَبُو عُبَيْدٍ: ثَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ، عَنْ هَارُونَ بْنِ عَنْتَرَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ بِالْخَوَرْنَقِ وَعَلَيْهِ قَطِيفَةٌ وَهُوَ يُرْعِدُ مِنَ الْبَرْدِ، فَقُلْتُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ اللَّهَ قَدْ جَعَلَ لَكَ وَلِأَهْلِ بَيْتِكَ نَصِيبًا فِي هَذَا الْمَالِ، وَأَنْتَ تَفْعَلُ بِنَفْسِكَ هَذَا؟ ! فَقَالَ: إِنِّي وَاللَّهِ لَا أَرْزَأُ مِنْ مَالِكُمْ شَيْئًا، وَهَذِهِ الْقَطِيفَةُ هِيَ الَّتِي خَرَجْتُ بِهَا مِنْ بَيْتِي. أَوْ قَالَ: مِنَ الْمَدِينَةِ. وَقَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: سَمِعْتُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيَّ يَقُولُ: مَا بَنَى عَلِيٌّ لَبِنَةً عَلَى لَبِنَةٍ، وَلَا قَصَبَةً عَلَى قَصَبَةٍ، وَإِنْ كَانَ لَيُؤْتَى بِجَبُوبِهِ مِنَ الْمَدِينَةِ فِي جِرَابٍ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْحُمَيْدِيُّ، ثَنَا سُفْيَانُ، ثَنَا أَبُو حَيَّانَ، عَنْ مُجِمِّعِ بْنِ سَمْعَانَ التَّيْمِيِّ قَالَ: خَرَجَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ بِسَيْفِهِ إِلَى السُّوقِ فَقَالَ: مَنْ يَشْتَرِي مِنِّي سَيْفِي هَذَا؟ فَلَوْ كَانَ عِنْدِي أَرْبَعَةُ دَرَاهِمَ أَشْتَرِي بِهَا إِزَارًا مَا بِعْتُهُ.
পৃষ্ঠা - ৬২৮১





১৬ , আল-বির্দায়া ওয়ান নিহায়া

নিজে খাবেন ৷ অন্য বাটি অন্য সোকজ্যাকে থাওয়াবেন ৷ আবু উবায়দ (র) বলেছেন, আব্বাদ
ইবন আওয়াম মারওয়ান ইবনআনতারার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেহ্নো, আমি
একদিন হযরত আলী (রা)-এর নিকট উপস্থিত হলাম ৷ তিনি খুওয়ারনিক নামক স্থানে অবস্থান
করছিলেন ৷ তীর শরীরে একটি চাদর জড়ানাে জ্জি ৷ ঠাণ্ডায় তিনি খরথর;করে র্কাপছিলেন ৷
আমি বললাম, আমীরম্স মু’মিনীন ৷ আল্লাহ তাে এ মাসে আপনার এবং আপনার পরিজসের
হক ব্লেখেছেঃ অথচ আপনি শীতে কাপছেঃ ৷ তিনি বললেন, আল্লাহর কসমৰ্৷ আমি তোমাদের
মাল থােক অর্থাৎ বায়তৃলমাল থেকে কিছুই নেইনি ৷ আমার এই চাদর আমি মর থােক নিয়ে
এসেছি ৷ অন্য বর্ণনায়, মদীনা থেকে নিয়ে এসেছি ৷

আবু নুআয়ম বলেন, আমি সুফিয়ান ছাওরীকে বলতে শ্যুনছি, হ্যরত আলী (রা) ঘর
বানানোর জন্যে একটি ইটও প্রস্তুত করেন সি আর কোন ইটের উপর ৰ্বাশ কিংৰা খুটি স্থাপন
করেন নি ৷ তার জন্যে খাদ্য হিসেবে মঞ্জুরকৃত শস্য থলিতে করে মদীনা থেকে নিয়ে আসা
হত ৷

ইয়াকুব ইবন সামআন তায়মী থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, ত্রবন্দিন হযরত আলী

(বা) তার তরবারি নিয়ে বাজারে এলেন ৷ তিনি বললেন, আমার এই তরবারি কেউ র্কিনবে কি?

তবে আমার নিকট লুঙ্গি কেনার চারটি দিরহাম থাকত আমি এটি বিক্রি করতাম না ৷

যুবায়র ইবন বাক্কার বলেছেন, সুফিয়ান জাফর-এর পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, হযরত
আলী (রা) যখন কোন জামা পরিধান করতেন ত্যান্ আমার আস্তিনতার হাতের সাথে সমান
সমান মেপে নিতেন ৷ তারপর আস্তিনের যে অংশটুকু তার আঙুলগুলো হাত্যির লম্বা হতো তিনি

ত৷ কেটে ফেলতেন এবং বলতেন, আঙুলের অতিরিক্ত আস্তিনের কোনগ্রহণযোপ্যতা নেই ৷

আবু বকর ইবন অইিয়াশ ইয়াষীদ ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, হযরত আলী (রা) একদিন তিন দিরহাম দিয়ে একটি জামা কিনছিলেন ৷ তখন তিনি
খলীফা ৷ তারপর আমার আস্তিনের যে অংশটুকু হাতের কজির অতিরিক্ত ছিল তিনি ততটুকু
কোট ফেলে দিলেন এবং বললেন, সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর, যার যেয়া £বশভুযার
অন্যতম এই জামা ৷ এই জামা তারই দেয়৷ বসন ভুষণের অন্তর্ভুক্ত ৷ ৰু

ইমাম আহমদ (র) “সংসার বিমুখতা” অধ্যায়ে উল্লেখ করেছেন, আব্বাদ ইবন আওয়াম
আবু গুসায়নের ক্রীতদাস সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি একদিন দেখলাম যে,
হযরত আলী (রা) জনৈক সুতী কাপড় ব্যিফ্তোর নিকট এলেন ৷ তিনি বললেন, জ্যোার নিকট
কি শ্সুনবুলানী জামা আছে? যে একটি জামা বের করে তাকে দিল ৷ তিনি সেটি পরিধান ন্
করলেন ৷ জামাটি লম্বায় তার পায়ের নলার অর্ধেক পর্যন্ত (নিসফষ্ই-সাক) পৌহ্ন৷ ৷ তিনি ডান

দিকে ও বাম দিকে তাকিয়ে দেখলেন এবং বললেন, বেশ তো মাপ মত হয়েছে! ঠিক আছে
দাম কত? দােকানী বলল, আমীরুল মু’মিনীন ! দাম হল চার দিরহাম ৷ (এত দামের কথা
শুনে) তিনি জামাটি খুলে ফেললেন এবং দোকানীর হাতে জামা বুঝিয়ে দিয়ে চলে গেলেন ৷
মুহাম্মদ ইবনসাদ ফযল ইবন দার্কীন বর্ণনা করেছেন, জারমুয সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, আমি একদিন হযরত আলী (রা)-ফে দেখলাম তিনি ঘর থেকে বের হলেন ৷ তার

পরিমানে ছিল দৃ’খণ্ড কিবভী কাপড় ৷ একটি লুঙ্গি নলার অর্ধেক পর্যন্ত অপরটি চাদর তাও প্রায়
সে পর্যস্তই ৷ তীর হাতে ছিল একটি ছড়ি ৷ তিনি ছড়ি হাতে বাজারে ঘুরছিলেনঃ আর মানুষকে
আল্লাহ্হুভীতি অত্তনি ও সততার সঙ্গে ক্রয়-ৰিক্রয় করার নির্দেশ দিচ্ছিলেন ৷; তিনি বলছিলেন,


وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: حَدَّثَنِي سُفْيَانُ، عَنْ جَعْفَرٍ - قَالَ: أَظُنُّهُ عَنْ أَبِيهِ - أَنَّ عَلِيًّا كَانَ إِذَا لَبِسَ قَمِيصًا مَدَّ يَدَهُ فِي كُمِّهِ، فَمَا فَضَلَ مِنَ الْكُمِّ عَنِ الْأَصَابِعِ قَطَعَهُ، وَقَالَ: لَيْسَ لِلْكُمِّ فَضْلٌ عَنِ الْأَصَابِعِ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: اشْتَرَى عَلِيٌّ قَمِيصًا بِثَلَاثَةِ دَرَاهِمَ وَهُوَ خَلِيفَةٌ، وَقَطَعَ كُمَّهُ مِنْ مَوْضِعِ الرُّسْغَيْنِ، وَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي هَذَا مِنْ رِيَاشِهِ. وَرَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ فِي " الزُّهْدِ "، عَنْ عَبَّادِ بْنِ الْعَوَّامِ، عَنْ هِلَالِ بْنِ خَبَّابٍ، عَنْ مَوْلًى لِأَبِي عُصَيْفِيرٍ قَالَ: رَأَيْتُ عَلِيًّا خَرَجَ فَأَتَى رَجُلًا مِنْ أَصْحَابِ الْكَرَابِيسِ، فَقَالَ لَهُ: عِنْدَكَ قَمِيصٌ سُنْبُلَانِيٌّ؟ قَالَ: فَأَخْرُجُ إِلَيْهِ قَمِيصًا فَلَبِسَهُ، فَإِذَا هُوَ إِلَى نِصْفِ سَاقَيْهِ، فَنَظَرَ عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ فَقَالَ: مَا أَرَى إِلَّا قَدْرًا حَسَنًا، بِكَمْ هُوَ؟ قَالَ: بِأَرْبَعَةِ دَرَاهِمَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. قَالَ: فَحَلَّهَا مِنْ إِزَارِهِ فَدَفَعَهَا إِلَيْهِ، ثُمَّ انْطَلَقَ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَنَا الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ، أَنَا الْحَسَنُ بْنُ جُرْمُوزٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: رَأَيْتُ عَلِيًّا وَهُوَ يَخْرُجُ مِنَ الْقَصْرِ وَعَلَيْهِ قِطْرِيَّتَانِ ; إِزَارٌ إِلَى نِصْفِ السَّاقِ، وَرِدَاءٌ مُشَمَّرٌ قَرِيبٌ مِنْهُ، وَمَعَهُ دِرَّةٌ لَهُ يَمْشِي بِهَا فِي الْأَسْوَاقِ، وَيَأْمُرُ النَّاسَ بِتَقْوَى اللَّهِ وَحُسْنِ الْبَيْعِ، وَيَقُولُ: أَوْفُوا الْكَيْلَ وَالْمِيزَانَ. وَيَقُولُ: لَا تَنْفُخُوا اللَّحْمَ.
পৃষ্ঠা - ৬২৮২
وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ فِي " الزُّهْدِ ": أَنَا رَجُلٌ، حَدَّثَنِي صَالِحُ بْنُ مِيثَمٍ، ثَنَا زَيْدُ بْنُ وَهْبٍ الْجُهَنِيُّ قَالَ: خَرَجَ عَلَيْنَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ ذَاتَ يَوْمٍ وَعَلَيْهِ بُرْدَانِ، مُتَّزِرٌ بِأَحَدِهِمَا مُرْتَدٍ بِالْآخَرِ، قَدْ أَرْخَى جَانِبَ إِزَارِهِ وَرَفَعَ جَانِبًا، وَقَدْ رَفَعَ رِدَاءَهُ بِخِرْقَةٍ، فَمَرَّ بِهِ أَعْرَابِيٌّ فَقَالَ: أَيُّهَا الْإِنْسَانُ، الْبَسْ مِنْ هَذِهِ الثِّيَابِ فَإِنَّكَ مَيِّتٌ أَوْ مَقْتُولٌ. فَقَالَ: أَيُّهَا الْأَعْرَابِيُّ، إِنَّمَا أَلْبَسُ هَذَيْنِ الثَّوْبَيْنِ لِيَكُونَا أَبْعَدَ لِي مِنَ الزَّهْوِ، وَخَيْرًا لِي فِي صَلَاتِي، وَسُنَّةً لِلْمُؤْمِنِ. وَقَالَ عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، ثَنَا الْمُخْتَارُ بْنُ نَافِعٍ، عَنْ أَبِي مَطَرٍ قَالَ: خَرَجْتُ مِنَ الْمَسْجِدِ فَإِذَا رَجُلٌ يُنَادِي مِنْ خَلْفِي: ارْفَعْ إِزَارَكَ ; فَإِنَّهُ أَنْقَى لِثَوْبِكَ وَأَتْقَى لَكَ، وَخُذْ مِنْ رَأْسِكَ إِنْ كُنْتَ مُسْلِمًا. فَمَشَيْتُ خَلْفَهُ وَهُوَ بَيْنَ يَدَيَّ مُؤْتَزِرٌ بِإِزَارٍ مُرْتَدٍ بِرِدَاءٍ وَمَعَهُ الدِّرَّةُ، كَأَنَّهُ أَعْرَابِيٌّ بَدَوِيٌّ، فَقُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ فَقَالَ لِي رَجُلٌ: أَرَاكَ غَرِيبًا بِهَذَا الْبَلَدِ. فَقُلْتُ: أَجَلْ، أَنَا رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ. فَقَالَ: هَذَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ. حَتَّى انْتَهَى إِلَى دَارِ بَنَى أَبِي مُعَيْطٍ وَهِيَ سُوقُ الْإِبِلِ، فَقَالَ: بِيعُوا وَلَا تَحْلِفُوا ; فَإِنَّ الْيَمِينَ تُنْفِقُ السِّلْعَةَ وَتَمْحَقُ الْبَرَكَةَ. ثُمَّ أَتَى أَصْحَابَ التَّمْرِ، فَإِذَا خَادِمٌ تَبْكِي فَقَالَ: مَا يُبْكِيكِ؟ فَقَالَتْ: بَاعَنِي هَذَا الرَّجُلُ تَمْرًا بِدِرْهَمٍ فَرَدَّهُ مَوَالِيَّ، فَأَبَى أَنْ يَقْبَلَهُ. فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: خُذْ تَمْرَكَ وَأَعْطِهَا دِرْهَمَهَا ; فَإِنَّهَا لَيْسَ لَهَا أَمْرٌ. فَدَفَعَهُ، فَقُلْتُ: أَتَدْرِي مَنْ هَذَا؟ فَقَالَ: لَا. فَقُلْتُ: هَذَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ. فَصَبَّتْ تَمْرَهُ وَأَعْطَاهَا دِرْهَمَهَا، ثُمَّ قَالَ الرَّجُلُ: أُحِبُّ أَنْ تَرْضَى عَنِّي يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. قَالَ: مَا
পৃষ্ঠা - ৬২৮৩
أَرْضَانِي عَنْكَ إِذَا أَوْفَيْتَ النَّاسَ حُقُوقَهُمْ. ثُمَّ مَرَّ مُجْتَازًا بِأَصْحَابِ التَّمْرِ فَقَالَ: يَا أَصْحَابَ التَّمْرِ، أَطْعِمُوا الْمَسَاكِينَ يَرْبُ كَسْبُكُمْ. ثُمَّ مَرَّ مُجْتَازًا وَمَعَهُ الْمُسْلِمُونَ، حَتَّى انْتَهَى إِلَى أَصْحَابِ السَّمَكِ، فَقَالَ: لَا يُبَاعُ فِي سُوقِنَا طَافٍ. ثُمَّ أَتَى دَارَ فُرَاتٍ وَهِيَ سُوقُ الْكَرَابِيسِ، فَأَتَى شَيْخًا فَقَالَ: يَا شَيْخُ، أَحْسِنْ بَيْعِي فِي قَمِيصٍ بِثَلَاثَةِ دَرَاهِمَ. فَلَمَّا عَرَفَهُ لَمْ يَشْتَرِ مِنْهُ شَيْئًا، ثُمَّ آخَرَ، فَلَمَّا عَرَفَهُ لَمْ يَشْتَرِ مِنْهُ شَيْئًا، فَأَتَى غُلَامًا حَدَثًا فَاشْتَرَى مِنْهُ قَمِيصًا بِثَلَاثَةِ دَرَاهِمَ، وَكُمُّهُ مَا بَيْنَ الرُّسْغَيْنِ إِلَى الْكَفَّيْنِ يَقُولُ فِي لُبْسِهِ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي رَزَقَنِي مِنَ الرِّيَاشِ مَا أَتَجَمَّلُ بِهِ فِي النَّاسِ، وَأُوَارِي بِهِ عَوْرَتِي. فَقِيلَ لَهُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، هَذَا شَيْءٌ تَرْوِيهِ عَنْ نَفْسِكَ، أَوْ شَيْءٌ سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ: لَا، بَلْ شَيْءٌ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُهُ عِنْدَ الْكِسْوَةِ. فَجَاءَ أَبُو الْغُلَامِ صَاحِبُ الثَّوْبِ فَقِيلَ لَهُ: يَا فُلَانُ، قَدْ بَاعَ ابْنُكَ الْيَوْمَ مِنْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ قَمِيصًا بِثَلَاثَةِ دَرَاهِمَ. قَالَ: أَفَلَا أَخَذْتَ مِنْهُ دِرْهَمَيْنِ؟ فَأَخَذَ مِنْهُ أَبُوهُ دِرْهَمًا، ثُمَّ جَاءَ بِهِ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ وَهُوَ جَالِسٌ مَعَ الْمُسْلِمِينَ عَلَى بَابِ الرَّحْبَةِ، فَقَالَ: أَمْسِكْ هَذَا الدِّرْهَمَ. فَقَالَ: مَا شَأْنُ هَذَا الدِّرْهَمِ؟ فَقَالَ: كَانَ قَمِيصًا ثُمِّنَ دِرْهَمَيْنِ. فَقَالَ: بَاعَنِي رِضَايَ وَأَخَذَ رِضَاهُ. وَقَالَ عُمَرُ بْنُ شِمْرٍ، عَنْ جَابِرٍ الْجُعْفِيِّ، عَنِ الشَّعْبِيِّ قَالَ: وَجَدَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ دِرْعَهُ عِنْدَ رَجُلٍ نَصْرَانِيٍّ، فَأَقْبَلَ بِهِ إِلَى شُرَيْحٍ يُخَاصِمُهُ. قَالَ: فَجَاءَ عَلِيٌّ حَتَّى جَلَسَ إِلَى جَنْبِ شُرَيْحٍ وَقَالَ: يَا شُرَيْحُ، لَوْ كَانَ خَصْمِي مُسْلِمًا مَا جَلَسْتُ إِلَّا مَعَهُ، وَلَكِنَّهُ نَصْرَانِيٌّ، وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِذَا كُنْتُمْ
পৃষ্ঠা - ৬২৮৪
وَإِيَّاهُمْ فِي طَرِيقٍ فَاضْطَرُّوهُمْ إِلَى مَضَايِقِهِ، وَصَغِّرُوا بِهِمْ كَمَا صَغَّرَ اللَّهُ بِهِمْ مِنْ غَيْرِ أَنْ تَطْغَوْا ".» ثُمَّ قَالَ: هَذَا الدِّرْعُ دِرْعِي وَلَمْ أَبِعْ وَلَمْ أَهَبْ. فَقَالَ شُرَيْحٌ لِلنَّصْرَانِيِّ: مَا تَقَولُ فِيمَا يَقُولُ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ؟ فَقَالَ النَّصْرَانِيُّ: مَا الدِّرْعُ إِلَّا دِرْعِي، وَمَا أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عِنْدِي بِكَاذِبٍ. فَالْتَفَتَ شُرَيْحٌ إِلَى عَلِيٍّ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، هَلْ مِنْ بَيِّنَةٍ؟ فَضَحِكَ عَلِيٌّ وَقَالَ: أَصَابَ شُرَيْحٌ، مَا لِي بَيِّنَةٌ. فَقَضَى بِهَا شُرَيْحٌ لِلنَّصْرَانِيِّ. قَالَ: فَأَخْذُهَا النَّصْرَانِيُّ، وَمَشَى خُطًى ثُمَّ رَجَعَ فَقَالَ: أَمَّا أَنَا فَأَشْهَدُ أَنَّ هَذِهِ أَحْكَامُ الْأَنْبِيَاءِ، أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ قَدَّمَنِي إِلَى قَاضِيهِ، وَقَاضِيهِ يَقْضِي عَلَيْهِ! أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، الدِّرْعُ وَاللَّهِ دِرْعُكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، اتَّبَعْتُ الْجَيْشَ وَأَنْتَ مُنْطَلِقٌ إِلَى صِفِّينَ فَخَرَجَتْ مِنْ بَعِيرِكَ الْأَوْرَقِ. فَقَالَ: أَمَا إِذْ أَسْلَمْتَ فَهِيَ لَكَ. وَحَمَلَهُ عَلَى فَرَسٍ. قَالَ الشَّعْبِيُّ: فَأَخْبَرَنِي مَنْ رَآهُ يُقَاتِلُ الْخَوَارِجَ مَعَ عَلِيٍّ يَوْمَ النَّهْرَوَانِ. وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ رَبِيعَةَ: جَاءَ جَعْدَةُ بْنُ هُبَيْرَةَ إِلَى عَلِيٍّ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، يَأْتِيكَ الرَّجُلَانِ أَنْتَ أَحَبُّ إِلَى أَحَدِهِمَا مِنْ أَهْلِهِ وَمَالِهِ، وَالْآخَرُ لَوْ يَسْتَطِيعُ أَنْ يَذْبَحَكَ لَذَبَحَكَ، فَتَقْضِي لِهَذَا عَلَى هَذَا! قَالَ: فَلَهَزَهُ عَلِيٌّ وَقَالَ: إِنَّ هَذَا شَيْءٌ لَوْ كَانَ لِي فَعَلْتُ، وَلَكِنْ إِنَّمَا ذَا شَيْءٌ لِلَّهِ. وَقَالَ أَبُو الْقَاسِمِ الْبَغَوِيُّ: حَدَّثَنِي جَدِّي، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ هَاشِمٍ، عَنْ صَالِحٍ بَيَّاعِ الْأَكْسِيَةِ، عَنْ جَدَّتِهِ قَالَتْ: رَأَيْتُ عَلِيًّا اشْتَرَى تَمْرًا بِدِرْهَمٍ، فَحَمَلَهُ فِي مِلْحَفَتِهِ، فَقَالَ رَجُلٌ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، أَلَا نَحْمِلُهُ عَنْكَ. فَقَالَ: أَبُو الْعِيَالِ أَحَقُّ بِحَمْلِهِ.
পৃষ্ঠা - ৬২৮৫


মা৫প-ওজনে পুর্ণত৷ অবলম্বন করবে ৷ তিনি আরো বলছিলেন, খবরদার কু দিরে বাতাস ভরে
৫গাশৃত ফুলি ৫য় বের না ৷
আবদুল্লাহ, ইবন মুবারক (র) সংসার বিমুখত৷ প্রসঙ্গে উল্লেষ্৷ করেছো ৷ ইরাষীদ ইবন
ওয়াহাব জুহানী বলেছেন, একদিন হযরত হযরত আলী (রা) আমাদের নিকট উপস্থিত হলেন ৷
তার পুরিধানে ছিল দুটি চাদর ৷ একটি ব্যবহার করছিলেন লুঙ্গি হিসেবে আর অপরটি চানর ণ্
রুপে ৷ লুঙ্গির এক দিক জ্জি ঝুলন্ত আর অপর দিক উপরে উঠা৫না ৷ এক টুকরো কাপড় দিয়ে
তিনি লুঙ্গিটি উপরে উঠিয়ে রেখেছিলেন ৷ তাকে অতিক্রম করছিল আরবের এক বেদুইন ৷
হযরত আলী (রা) ৫ক ডেকে সে বলল, এই যে লোক ! কাপড়গুলে ৷ সুন্দরভা৫ব পরিধান প্
করুন, আপনি হয় যারা যাবেন নতুবা নিহত হবেন ৷’ উত্তরে হযরত আলী (বা) বল্যাংন, ওহে
বেদৃইন ৷ আমি এভাবে কাপড় দৃটো পরিধান করেছি চাকচিক্য ও জা কজ মক থেকে দুরে
থাকার জন্যে, নামা৫য অধিকতর মনােযােগী থাকার জন্যে এবং ঈমানদার মানুষের জীবনাচরণ
বাস্তবার্য৫নর জন্যে ৷
আবদ ইবন হুমায়দ মুহাম্মদ ইবন উবায়দ আবু মাতার (র) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, আমি একদিন, মসজিদ থেকে বের হ্লাম ৷ তখন শুনতে পেলাম যে, একজন লোক
পেছন থেকে আমাকে ডাকছে আর বলছে, ৫তামার লুঙ্গি উপরে উঠাও, তোমার লুঙ্গি উপরে
উঠাও ৷ তাতে তোমার লুঙ্গি ৫বশিদিন টি ৫ক থাকবে আর তোমার জন্যে অধিকতর তাক্ওয়া
অবলযনও করা হবে ৷ আর তুমি যদি খাটি মুসলমান হয়ে থাক তবে মাথার চুল কেটে নিও ৷
আমি ঐ লো৫কর পেছনে ৫পছ৫ন রওদ্মানা হলাম, তিনি একটি চাদর পরিধান করে ছিলেন,
একটিম্রদর পারে জড়িয়ে ছিলেন এবং তার হাতে ছিল একটি ছড়ি ৷ মনে হচ্ছিল উনি একজন
গ্রাম্য বেদুইন ৷ আমি বললাম ইনি কো এক লোক আমাকে বলল, আমার তো মনে হয় এই
শহরে তুমি নতুন এসেছ! আমি বললাম,হা, তা ব৫ট, আমি বসরার অধিবাসী ৷ ৫র্লাকটি
আমাকে বলল যে, ইনি হলেন আমীরুল মু’মিনীন হযরত আলী ইবন আবী তালিব (রা) ৷ তিনি
যেতে যেতে আবু মুআতের ছেলেদের এলাকায় গিয়ে পৌছলেন ৷ এক ব্যক্তি উট নি৫য়
যাচ্ছিল ৷ নলীফা আলী (রা) তাকে বললেন, ত্রুয়-বিক্র৫য় মিথ্যা কলম করে৷ না ৷ কারণ মিথ্যা
কলমে পণ্য বেশি পরিমাণে বিক্রয় হয় জ্যি বরকত থাকে না ৷
একবার তিনি ৫খজ্বর বাজারে এলেন ৷ সেখানে দেখতে পেলেন যে, জনৈক দাসী কাদহে ৷ ন্
কাদছ ৫কনঃ তিনি জ্যিজ্ঞস করলেন ৷ মহিলা বলল, ঐ যে ৫লাকঢিকে ৫দখছো, আমি এক
দিরহাম মুল্য পরিশোধ করে, তার থেকে কিছু খেজুর কিনে নিয়েছিলাম, কিং আমার মালিকের
ঐ খেজুর পছন্দ হয়নি, তা ফেরত পাঠালেন ৷ এখন তো এই বিক্রেত৷ ৫খজ্বর নিচ্ছে না ৷
হযরত আলী (রা) ৫খডুরে ৰিক্রেতাকে বললেন, ভুমি তোমার মাল ফেরত নাও এবং ওর এক
দিরহাম ওকে দিয়ে দাও ৷ কারণ ওই দাসীর এখন কোন পর সেই ৷ সে তাকে ৫ঠলে (দিল ৷ আমি
বাংলায়, ইনি ৫ক তা কি ন্তুমি জান? যে কাল, না, জানি না ৷ আমি বলর্লাম, ইনি আমীরুল
মুমিনীন, খলীফ৷ আলী ইবন আবী তালিব (রা) ৷ তপন ওই দাসী বিক্রেতার ৫খজ্বর ফেরত দিল ৷
আর বিক্রেতা মহিলাকে একটি দিরহাম ফেরত দিয়ে দিল ৷ এরপর দোকানী বলল, আমীরুল
মুমিনীন ! আপনি আমার প্রতি সন্তুষ্ট হোন ৷ খলীফা বললেন, তুমি যদি অন্যের হক ও পাওনা
পুরোপুরি পরিশোধ কর তবে আমি তোমার প্রতি খব সন্তুষ্ট থাকর ৷ এরপর তিনি অন্যান্য খেজুর
বি৫ক্রতা৫দর নিকট গেলেন এবং বললেন, যে খেজুর মালিকগণ ! তোমরা পরীবৰুমিসকীনদেয়কে

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া-৩

وَعَنْ أَبِي هَاشِمٍ، عَنْ زَاذَانَ قَالَ: كَانَ عَلِيٌّ يَمْشِي فِي الْأَسْوَاقِ وَحْدَهُ وَهُوَ خَلِيفَةٌ، يُرْشِدُ الضَّالَّ وَيُعِينُ الضَّعِيفَ، وَيَمُرُّ بِالْبَيَّاعِ وَالْبَقَّالِ فَيَفْتَحُ عَلَيْهِ الْقُرْآنَ، وَيَقْرَأُ {تِلْكَ الدَّارُ الْآخِرَةُ نَجْعَلُهَا لِلَّذِينَ لَا يُرِيدُونَ عُلُوًّا فِي الْأَرْضِ وَلَا فَسَادًا} [القصص: 83] . ثُمَّ يَقُولُ: نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ فِي أَهْلِ الْعَدْلِ وَالتَّوَاضُعِ مِنَ الْوُلَاةِ وَأَهْلِ الْقُدْرَةِ مِنْ سَائِرِ النَّاسِ. وَعَنْ عُبَادَةَ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَمَّنْ حَدَّثَهُ، أَنَّهُ رَأَى عَلِيًّا قَدْ رَكِبَ حِمَارًا وَدَلَّى رِجْلَيْهِ إِلَى مَوْضِعٍ وَاحِدٍ، ثُمَّ قَالَ: أَنَا الَّذِي أَهَنْتُ الدُّنْيَا. وَقَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْجَعْدِ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ صَالِحٍ قَالَ: تَذَاكَرُوا الزُّهَّادَ عِنْدَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، فَقَالَ قَائِلُونَ: فُلَانٌ. وَقَالَ قَائِلُونَ: فُلَانٌ. فَقَالَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ: أَزْهَدُ النَّاسِ فِي الدُّنْيَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَقَالَ هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ: بَيْنَا نَحْنُ عِنْدَ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ إِذْ أَقْبَلَ رَجُلٌ مَنِ الْأَزَارِقَةِ فَقَالَ: يَا أَبَا سَعِيدٍ، مَا تَقُولُ فِي عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ؟ قَالَ: فَاحْمَرَّتْ وَجْنَتَا الْحَسَنِ، وَقَالَ: رَحِمَ اللَّهُ عَلِيًّا، إِنَّ عَلِيًّا كَانَ سَهْمًا لِلَّهِ صَائِبًا فِي أَعْدَائِهِ، وَكَانَ فِي مَحَلَّةِ الْعِلْمِ أَشْرَفَهَا وَأَقْرَبَهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ رَبَّانِيَّ هَذِهِ الْأُمَّةِ، لَمْ يَكُنْ لَمِالِ اللَّهِ بِالسَّرُوقَةِ، وَلَا فِي أَمْرِ اللَّهِ بِالنَّئُومَةِ، أَعْطَى الْقُرْآنَ عَزَائِمَهُ وَعَمَلَهُ وَعِلْمَهُ، فَكَانَ مِنْهُ فِي رِيَاضٍ مُونِقَةٍ، وَأَعْلَامٍ بَيِّنَةٍ، ذَاكَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ يَا لُكَعُ.
পৃষ্ঠা - ৬২৮৬
وَقَالَ هُشَيْمٌ، عَنْ سَيَّارٍ، عَنْ عَمَّارٍ قَالَ: حَدَّثَ رَجُلٌ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ بِحَدِيثٍ فَكَذَبَهُ، فَمَا قَامَ حَتَّى عَمِيَ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنِي شُرَيْحُ بْنُ يُونُسَ، ثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ سَالِمِ عَنْ عَمَّارٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ زَاذَانُ أَبِي عُمَرَ، أَنْ رَجُلًا حَدَّثَ عَلِيًّا بِحَدِيثٍ، فَقَالَ: مَا أَرَاكَ إِلَّا قَدْ كَذَبْتَنِي. قَالَ: لَمْ أَفْعَلْ. قَالَ: أَدْعُو عَلَيْكَ إِنْ كُنْتَ كَذَبْتَ؟ قَالَ: ادْعُ. فَدَعَا فَمَا بَرِحَ حَتَّى عَمِيَ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ سَالِمٍ ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ أَبِي مَكِينٍ قَالَ: مَرَرْتُ أَنَا وَخَالِي أَبُو أُمَيَّةَ عَلَى دَارٍ فِي مَحَلِّ حَيٍّ مِنْ مُرَادٍ، فَقَالَ: تَرَى هَذِهِ الدَّارَ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: فَإِنَّ عَلِيًّا مَرَّ عَلَيْهَا وَهُمْ يَبْنُونَهَا، فَسَقَطَتْ عَلَيْهِ قِطْعَةٌ فَشَجَّتْهُ، فَدَعَا اللَّهَ أَنْ لَا يَكْمُلَ بِنَاؤُهَا. قَالَ: فَمَا وُضِعَتْ عَلَيْهَا لَبِنَةٌ. قَالَ: فَكُنْتُ أَمُرُّ عَلَيْهَا لَا تُشْبِهُ الدُّورَ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ الشَّيْبَانِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ الْغَفَّارِ بْنِ الْقَاسِمِ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَبِي بَشِيرٍ الشَّيْبَانِيِّ قَالَ: شَهِدْتُ الْجَمَلَ مَعَ مَوْلَايَ، فَمَا رَأَيْتُ يَوْمًا قَطُّ أَكْثَرَ سَاعِدًا نَادِرًا وَقَدَمًا نَادِرَةً مِنْ يَوْمَئِذٍ، وَلَا مَرَرْتُ بِدَارِ الْوَلِيدِ قَطُّ إِلَّا ذَكَرْتُ يَوْمَ الْجَمَلِ. قَالَ: فَحَدَّثَنِي الْحَكَمُ بْنُ عُتَيْبَةَ أَنَّ عَلِيًّا دَعَا يَوْمَ الْجُمَلَ فَقَالَ: اللَّهُمَّ خُذْ أَيْدِيَهُمْ وَأَقْدَامَهُمْ.
পৃষ্ঠা - ৬২৮৭
وَمِنْ كَلَامِهِ الْحَسَنِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: قَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ، أَنَا عَمْرُو بْنُ شِمْرٍ، حَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ السُّدِّيُّ، سَمِعْتُ أَبَا أَرَاكَةَ يَقُولُ: صَلَّيْتُ مَعَ عَلِيٍّ صَلَاةَ الْفَجْرِ، فَلَمَّا انْفَتَلَ عَنْ يَمِينِهِ مَكَثَ كَأَنَّ عَلَيْهِ كَآبَةً، حَتَّى إِذَا كَانَتِ الشَّمْسُ عَلَى حَائِطِ الْمَسْجِدِ قَيْدَ رُمْحٍ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ قَلَّبَ يَدَهُ، فَقَالَ: وَاللَّهِ لَقَدْ رَأَيْتُ أَصْحَابَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَا أَرَى الْيَوْمَ شَيْئًا يُشْبِهُهُمْ، لَقَدْ كَانُوا يُصْبِحُونَ صُفْرًا شُعْثًا غُبْرًا، بَيْنَ أَعْيُنِهِمْ كَأَمْثَالِ رُكَبِ الْمِعْزَى، قَدْ بَاتُوا لِلَّهِ سُجَّدًا وَقِيَامًا، يَتْلُونَ كِتَابَ اللَّهِ، يُرَاوِحُونَ بَيْنَ جِبَاهِهِمْ وَأَقْدَامِهِمْ، فَإِذَا أَصْبَحُوا فَذَكَرُوا اللَّهَ مَادُوا كَمَا يَمِيدُ الشَّجَرُ فِي يَوْمِ الرِّيحِ، وَهَمَلَتْ أَعْيُنُهُمْ حَتَّى تَبُلَّ ثِيَابَهُمْ، وَاللَّهِ لَكَأَنَّ الْقَوْمَ بَاتُوا غَافِلِينَ. ثُمَّ نَهَضَ، فَمَا رُئِيَ بَعْدَ ذَلِكَ مُفْتَرًّا يَضْحَكُ، حَتَّى قَتَلَهُ ابْنُ مُلْجَمٍ عَدُوُّ اللَّهِ الْفَاسِقُ. وَقَالَ وَكِيعٌ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَوْفَى بْنِ دَلْهَمٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَنَّهُ قَالَ: تَعَلَّمُوا الْعِلْمَ تُعْرَفُوا بِهِ، وَاعْمَلُوا بِهِ تَكُونُوا مِنْ أَهْلِهِ، فَإِنَّهُ يَأْتِي مِنْ بَعْدِكُمْ زَمَانٌ يُنْكَرُ فِيهِ مِنَ الْحَقِّ تِسْعَةُ أَعْشَارِهِ، وَإِنَّهُ لَا يَنْجُو مِنْهُ إِلَّا كُلُّ نُوَمَةٍ مُنْبَتِّ الدَّاءِ، أُولَئِكَ أَئِمَّةُ الْهُدَى وَمَصَابِيحُ الْعِلْمِ، لَيْسُوا بِالْعُجُلِ الْمَذَايِيعِ الْبُذُرِ. ثُمَّ قَالَ: إِنَّ الدُّنْيَا قَدِ ارْتَحَلَتْ مُدْبِرَةً، وَإِنَّ الْآخِرَةَ قَدْ أَتَتْ مُقْبِلَةً، وَلِكُلِّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا بَنُونَ، فَكُونُوا مِنْ أَبْنَاءِ الْآخِرَةِ، وَلَا تَكُونُوا مِنْ أَبْنَاءِ الدُّنْيَا، أَلَّا وَإِنَّ الزَّاهِدِينَ فِي الدُّنْيَا اتَّخَذُوا الْأَرْضَ بِسَاطًا، وَالتُّرَابَ فِرَاشًا، وَالْمَاءَ طِيبًا،
পৃষ্ঠা - ৬২৮৮


” ৮০া৷া৪া৷া$

ন্ ১৮ আল-বিদায়া ওয়াননিহায়া

কিছু খাদ্য দান বলবে, তাদেরকে দান-সাদক৷ কররুৰ তাহ্হুঘ ণ্তামাদের আয়-উর্দুপার্জনে বরকত , ,
হবে, কজি বোজপৰি বৃদ্ধি পাবে ৷

এরপর তিনি সম্মুখে অগ্রসর হলেন ৷ তার সাথে ছিলেন কতেক মুসলমান ৷ তিনি মাছ
বিক্রেতাদেব নিকট পেলেন ৷ তাদেরকে বললেন, আমাদের বাজারে “তড়াফী অর্থাৎ কোন
আঘাত ছাড়া স্বভােঘিকভাবে মরে ভেসে উঠা মাছ বিক্রি করা যাবে না ৷ এরপর তিনি এলেন
“দারই-কুরাত” নামক স্থানে ৷ সেটি হল সুর্তী কানছুড়ব্ বাজার ৷ তিনি একজন বৃদ্ধ লোকের ,
নিকট এসে বললেন, হে শায়খ৷ আমাকে তিন দিরহামে একটি ভাল জামা দিন ৷ পরে তিনি
দেখতে পেলেন যে, বৃদ্ধ লোকটি ভাবে চিনে ফেলেছে, তখন তিনি তার নিকট থেকে জামা না
কিনেই টলে এলেন ৷ এরপর অন্য এক বিত্রেভাের নিকট পেলেন ৷ সেও তাকে খলীফা হিসাব্রে
চিনে ফেলল ৷ তিনি কিছু না কািন ওখান থেকে চলে এলেন ৷ এবার এলেন স্বল্প বয়সী এক

বিক্রেতার নিকট ৷ যে তাকে খলীফা হিসেবে চিনেনি ৷ তিনি তিন দিরহামে তার থেকে একটি
জামা কিনলেন ৷ জামাটির আস্তিনঃ ছিল হাতের কজি থেকে গিট পর্যন্ত লম্বা ৷ তিনি সেটি
পরিধান করলেন ৷ পরিধান করার সময়ু এই দু অ৷ পড়লেন ৷


অর্থাৎ (সকল প্রশং সা আল্লাহ তা জানার যিনি আমাকে এই ভুষণ দান করেছেন ৷ এটি
দ্বারা আমি লোক সমাজে শালীনত৷ বজায় ও সৌন্দর্য প্ৰকাশ করছি আর এটি দ্বারা আমার
সতর ঢাকাট্রহু ৷) এই দু আ শুনে কেউ কেউ প্রশ্ন করলেন যে, আমীরুল মু’স্থির্নীন! এই দু আটি
কি আপনি নিজে রচনা করেছেন, না কি রাসুলুল্লাহ্ (না) এর নিকট থেকে শুনেহ্নো? তিনি
বললেন না আমি রচ ন৷ করিনি, এটি বরং আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে শুনেছি ৷ নতুন কাপড়
পরিধান করার সময় তিনি এ দু আ পাঠ করতেন ৷ কিছুক্ষণ পর ছেলেটির বাবা দোকানের
মালিক দোকানে আসে ৷ তাকে জানানো হয় যে, আপনার পুত্র আজ খন্সীফার নিকট বিন
দিরহামে একটি জামা বিক্রয় করেছে ৷ সে তার পুত্রাক বলেন, হার তুমি ওই জামাটি দুই
দিরহাম কেন বিক্রয় করলে না? সে তার পুত্রের নিকট থেকে এক দিরহাম নিয়ে খলীকার
খোজে বের হয়, ৷ তিনি আর মুসল্মানদেরকে নিয়ে একটি খোলা মাঠের, প্রবেশ পথে বসা; ;
ছিলেন ৷ লোকটি সেখানেউপন্থিত হয়েবলল, আমীরুল মুমিনীন ! এই যে, এক দিরহাম
ফেরত নিন ৷ খলীফা , বললেন, ৰুৰুক্লেন; এটি কিসের দিরহাম, ব্যাপার কি? সে বলল, আপনি যে
জামাটি ক্রয় করেছেন সেটির মুল্য দুই দিরহাম ৷ সুত্রাত্;অেতিরিতন্ এক দিরহাম ফেরত নিন ৷
তিনি বললেন, এই মুল্যের ক্রয়-বিক্রয়ে আমিও সন্তুষ্ট ছিলাম, সেও সন্তুষ্টীছিল ৷ (তাই এই
এক দিরহাম নিয়েই যাও) ৷
আমর ইবন শিমার জাৰির জুফী সুত্রে ন্া৷ৰী থেকে বর্ণনা কারন যে, তিনি বলেছেন,
হযরত আলী (বা) তার একটি হারানো বর্ষ জনৈক খ্রিস্টান লোকের হাতে দেখতে পেলেন ৷
তিনি ওই লােকটিকে নিম্নে তত্কালীন কাষী শুরারহের নিকট এলেন এবং সােকঢির বিরুদ্ধে
মােকদ্দমা দায়ের করলেন ৷ এই উপলক্ষে হযরত আলী (রা) এসে বিচারক শুরায়হএর পাশে

বসলেন ৷ তিনি বললেন, যে শুরায়হ ! আমার বিবাদী যদি মুসলমান হতো তবে আমি আপনার ঠু

পাশে এসে বসতাম না বরং ফরিয়াদীর আসলেই থাকতাম ৷ বিস্তু আমার বিবাদী খ্রিফ্লুান ন্াণ্ প্
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বস্যেছন ণ্


أَلَا مَنِ اشْتَاقَ إِلَى الْآخِرَةِ سَلَا عَنِ الشَّهَوَاتِ، وَمَنْ أَشْفَقَ مِنَ النَّارِ رَجَعَ عَنِ الْحُرُمَاتِ، وَمَنْ طَلَبَ الْجَنَّةَ سَارَعَ إِلَى الطَّاعَاتِ، وَمَنْ زَهِدَ فِي الدُّنْيَا هَانَتْ عَلَيْهِ الْمُصِيبَاتُ، أَلَا إِنَّ لِلَّهِ عِبَادًا كَمَنْ رَأَى أَهْلَ الْجَنَّةِ فِي الْجَنَّةِ مُخَلَّدِينَ، وَأَهْلَ النَّارِ فِي النَّارِ مُعَذَّبِينَ، شُرُورُهُمْ مَأْمُونَةٌ، وَقُلُوبُهُمْ مَحْزُونَةٌ، وَأَنْفُسُهُمْ عَفِيفَةٌ، وَحَوَائِجُهُمْ خَفِيفَةٌ، صَبَرُوا أَيَّامًا قَلِيلَةً لِعُقْبَى رَاحَةٍ طَوِيلَةٍ، أَمَّا اللَّيْلُ فَصَافُّونَ أَقْدَامَهُمْ، تَجْرِي دُمُوعُهُمْ عَلَى خُدُودِهِمْ، يَجْأَرُونَ إِلَى رَبِّهِمْ: رَبَّنَا رَبَّنَا. يَطْلُبُونَ فِكَاكَ رِقَابِهِمْ، وَأَمَّا النَّهَارُ فَعُلَمَاءُ حُلَمَاءُ، بَرَرَةٌ أَتْقِيَاءُ، كَأَنَّهُمُ الْقِدَاحُ، يَنْظُرُ إِلَيْهِمُ النَّاظِرُ فَيَقُولُ: مَرْضَى. وَمَا بِالْقَوْمِ مِنْ مَرَضٍ، وَ: خُولِطُوا. وَلَقَدْ خَالَطَ الْقَوْمَ أَمْرٌ عَظِيمٌ. وَعَنِ الْأَصْبَغِ بْنِ نُبَاتَةَ قَالَ: صَعِدَ عَلِيٌّ ذَاتَ يَوْمٍ الْمِنْبَرَ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَذَكَرَ الْمَوْتَ، فَقَالَ: عِبَادَ اللَّهِ، الْمَوْتُ لَيْسَ مِنْهُ فَوْتٌ، إِنْ أَقَمْتُمْ لَهُ أَخَذَكُمْ، وَإِنْ فَرَرْتُمْ مِنْهُ أَدْرَكَكُمْ، فَالنَّجَاءَ النَّجَاءَ، وَالْوَحَاءَ الْوَحَاءَ، وَرَاءَكُمْ طَالِبٌ حَثِيثٌ ; الْقَبْرُ، فَاحْذَرُوا ضَغْطَتَهُ وَظُلْمَتَهُ وَوَحْشَتَهُ، أَلَا وَإِنَّ الْقَبْرَ حُفْرَةٌ مِنْ حُفَرِ النَّارِ، أَوْ رَوْضَةٌ مِنْ رِيَاضِ الْجَنَّةِ، أَلَّا وَإِنَّهُ يَتَكَلَّمُ فِي كُلِّ يَوْمٍ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ فَيَقُولُ: أَنَا بَيْتُ الظُّلْمَةِ، أَنَا بَيْتُ الدُّودِ، أَنَا بَيْتُ الْوَحْشَةِ. أَلَا وَإِنَّ وَرَاءَ ذَلِكَ يَوْمًا يَشِيبُ فِيهِ الصَّغِيرُ، وَيَسْكَرُ فِيهِ الْكَبِيرُ، وَتَضَعُ كُلُّ ذَاتِ حَمْلٍ حَمْلَهَا، وَتَرَى النَّاسَ سُكَارَى، وَمَا هُمْ بِسُكَارَى وَلَكِنَّ عَذَابَ اللَّهِ شَدِيدٌ، أَلَا وَإِنَّ وَرَاءَ ذَلِكَ مَا هُوَ أَشَدُّ مِنْهُ ; نَارٌ حَرُّهَا شَدِيدٌ، وَقَعْرُهَا بَعِيدٌ، وَحَلْيُهَا حَدِيدٌ، وَمَاؤُهَا صَدِيدٌ،
পৃষ্ঠা - ৬২৮৯
وَخَازِنُهَا مَلَكٌ لَيْسَ لِلَّهِ فِيهِ رَحْمَةٌ. قَالَ: ثُمَّ بَكَى وَبَكَى الْمُسْلِمُونَ حَوْلَهُ، ثُمَّ قَالَ: أَلَا وَإِنَّ وَرَاءَ ذَلِكَ جَنَّةً، عَرْضُهَا السَّمَاوَاتُ وَالْأَرْضُ أُعِدَّتْ لِلْمُتَّقِينَ، جَعَلَنَا اللَّهُ وَإِيَّاكُمْ مِنَ الْمُتَّقِينَ، وَأَجَارَنَا وَإِيَّاكُمْ مِنَ الْعَذَابِ الْأَلِيمِ. وَرَوَاهُ لَيْثُ بْنُ أَبِي سُلَيْمٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، حَدَّثَنِي مَنْ سَمِعَ عَلِيًّا، فَذَكَرَ نَحْوَهُ. وَقَالَ وَكِيعٌ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَوْفَى بْنِ دَلْهَمٍ قَالَ: خَطَبَ عَلِيٌّ فَقَالَ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ الدُّنْيَا قَدْ أَدْبَرَتْ وَآذَنَتْ بِوَدَاعٍ، وَإِنَّ الْآخِرَةَ قَدْ أَقْبَلَتْ وَأَشْرَفَتْ بِاطِّلَاعٍ، وَإِنَّ الْمِضْمَارَ الْيَوْمَ، وَغَدًا السِّبَاقُ، أَلَا وَإِنَّكُمْ فِي أَيَّامِ أَمَلٍ مِنْ وَرَائِهِ أَجْلٌ، فَمَنْ قَصَّرَ فِي أَيَّامِ أَمَلِهِ قَبْلَ حُضُورِ أَجْلِهِ فَقَدْ خُيِّبَ عَمَلُهُ، أَلَا فَاعْمَلُوا لِلَّهِ فِي الرَّغْبَةِ كَمَا تَعْمَلُونَ لَهُ فِي الرَّهْبَةِ، أَلَا وَإِنِّي لَمْ أَرَ كَالْجَنَّةِ نَامَ طَالِبُهَا، وَلَمْ أَرَ كَالنَّارِ نَامَ هَارِبُهَا، أَلَا وَإِنَّهُ مَنْ لَمْ يَنْفَعْهُ الْحَقُّ ضَرَّهُ الْبَاطِلُ، وَمَنْ لَمْ يَسْتَقِمْ بِهِ الْهُدَى حَارَ بِهِ الضَّلَالُ، أَلَا وَإِنَّكُمْ قَدْ أُمِرْتُمْ بِالظَّعْنِ، وَدُلْلِتُمْ عَلَى الزَّادِ، أَلَا أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّمَا الدُّنْيَا عَرَضٌ حَاضِرٌ، يَأْكُلُ مِنْهَا الْبَرُّ وَالْفَاجِرُ، وَإِنَّ الْآخِرَةَ وَعْدٌ صَادِقٌ، يَحْكُمُ فِيهَا مَلِكٌ قَادِرٌ، أَلَا إِنَّ الشَّيْطَانَ يَعِدُكُمُ الْفَقْرَ وَيَأْمُرُكُمْ بِالْفَحْشَاءِ، وَاللَّهُ يَعِدُكُمْ مَغْفِرَةً مِنْهُ وَفَضْلًا، وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ، أَيُّهَا النَّاسُ، أَحْسِنُوا فِي عُمْرِكُمْ تُحْفَظُوا فِي عَقِبِكُمْ، فَإِنَّ اللَّهَ وَعَدَ جَنَّتَهُ مَنْ أَطَاعَهُ، وَأَوْعَدَ نَارَهُ مَنْ عَصَاهُ، إِنَّهَا نَارٌ لَا يَهْدَأُ زَفِيرُهَا، وَلَا يُفَكُّ أَسِيرُهَا، وَلَا يُجْبَرُ كَسِيرُهَا، حَرُّهَا شَدِيدٌ، وَقَعْرُهَا بَعِيدٌ، وَمَاؤُهَا صَدِيدٌ، وَإِنَّ أَخْوَفَ مَا أَخَافُ عَلَيْكُمُ اتِّبَاعُ الْهَوَى وَطُولُ الْأَمَلِ. وَفِي رِوَايَةٍ: فَإِنَّ اتِّبَاعَ الْهَوَى يَصُدُّ عَنِ الْحَقِّ، وَطُولُ
পৃষ্ঠা - ৬২৯০
الْأَمَلِ يُنْسِي الْآخِرَةَ. وَعَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ قَالَ: ذَمَّ رَجُلٌ الدُّنْيَا عِنْدَ عَلِيٍّ، فَقَالَ عَلِيٌّ: الدُّنْيَا دَارُ صِدْقٍ لِمَنْ صَدَقَهَا، وَدَارُ نَجَاةٍ لِمَنْ فَهِمَ عَنْهَا، وَدَارُ غِنًى لِمَنْ تَزَوَّدَ مِنْهَا، مَهْبِطُ وَحْيِ اللَّهِ، وَمُصَلَّى مَلَائِكَتِهِ، وَمَسْجِدِ أَنْبِيَائِهِ، وَمَتْجَرُ أَوْلِيَائِهِ، رَبِحُوا فِيهَا الرَّحْمَةَ، وَاكْتَسَبُوا فِيهَا الْجَنَّةَ، فَمَنْ ذَا يَذُمُّهَا وَقَدْ آذَنَتْ بِبَيْنِهَا، وَنَادَتْ بِفِرَاقِهَا، وَشَبَّهَتْ بِشُرُورِهَا السُّرُورَ، وَبِبَلَائِهَا إِلَيْهِ تَرْغِيبًا وَتَرْهِيبًا، فَيَا أَيُّهَا الذَّامُّ لِلدُّنْيَا الْمُعَلِّلُ نَفْسَهُ، مَتَى خَدَعَتْكَ الدُّنْيَا، أَوْ مَتَى اسْتَذَمَّتْ إِلَيْكَ؟ أَبِمَصَارِعِ آبَائِكَ فِي الْبِلَى؟ أَمْ بِمَضَاجِعِ أُمَّهَاتِكَ تَحْتَ الثَّرَى؟ ! كَمْ مَرِضْتَ بِيَدَيْكَ، وَعَلَّلَتْ بِكَفَّيْكَ، تَطْلُبُ لَهُ الشِّفَاءَ، وَتَسْتَوْصِفُ لَهُ الْأَطِبَّاءَ، لَا يُغْنِي عَنْكَ دَوَاؤُكَ، وَلَا يَنْفَعُكَ بُكَاؤُكَ. وَقَالَ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَالْأَعْمَشُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى عَلِيٍّ فَأَطْرَاهُ، وَكَانَ يُبْغِضُ عَلِيًّا، فَقَالَ لَهُ: لَسْتُ كَمَا تَقُولُ، وَأَنَا فَوْقَ مَا فِي نَفْسِكَ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّ رَجُلًا قَالَ لِعَلِيٍّ: ثَبَّتَكَ اللَّهُ. قَالَ: عَلَى صَدْرِكَ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، ثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ،
পৃষ্ঠা - ৬২৯১
عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عُقَيْلٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ قَالَ: قَالَ عَلِيٌّ: إِنَّ الْأَمْرَ يَنْزِلُ مِنَ السَّمَاءِ كَقَطْرِ الْمَطَرِ، لِكُلِّ نَفْسٍ مَا كَتَبَ اللَّهُ لَهَا مِنْ زِيَادَةٍ أَوْ نُقْصَانٍ، فِي نَفْسٍ أَوْ أَهْلٍ أَوْ مَالٍ، فَمَنْ رَأَى نَقَصَا فِي نَفْسِهِ أَوْ أَهْلِهِ أَوْ مَالِهِ، وَرَأَى لِغَيْرِهِ غَفِيرَةً فَلَا يَكُونَنَّ ذَلِكَ لَهُ فِتْنَةً، فَإِنَّ الْمُسْلِمَ مَا لَمْ يَغْشَ دَنَاءَةً يُظْهِرُ تَخَشُّعًا لَهَا إِذَا ذُكِرَتْ، وَتُغْرِي بِهِ لِئَامَ النَّاسِ، كَالْيَاسِرِ الْفَالِجِ يَنْتَظِرُ أَوَّلَ فَوْزَةٍ مِنْ قِدَاحِهِ تُوجِبُ لَهُ الْمَغْنَمَ وَتَدْفَعُ عَنْهُ الْمَغْرَمَ، فَكَذَلِكَ الْمُسْلِمُ الْبَرِيءُ مِنَ الْخِيَانَةِ بَيْنَ إِحْدَى الْحُسْنَيَيْنِ إِذَا مَا دَعَا اللَّهَ، فَمَا عِنْدَ اللَّهِ خَيْرٌ لَهُ، وَإِمَّا أَنْ يَرْزُقَهُ اللَّهُ مَالًا فَإِذَا هُوَ ذُو أَهْلٍ وَمَالٍ، وَمَعَهُ حَسَبُهُ وَدِينُهُ، الْحَرْثُ حَرْثَانِ ; فَحَرْثُ الدُّنْيَا الْمَالُ وَالْبَنُونَ، وَحَرْثُ الْآخِرَةِ الْبَاقِيَاتُ الصَّالِحَاتُ، وَقَدْ يَجْمَعُهُمَا اللَّهُ تَعَالَى لِأَقْوَامٍ. قَالَ سُفْيَانُ: وَمَنْ يُحْسِنُ أَنْ يَتَكَلَّمَ بِهَذَا الْكَلَامِ إِلَّا عَلِيٌّ؟ ! وَقَالَ الثَّوْرِيُّ عَنْ زُبَيْدٍ الْيَامِيِّ، عَنْ مُهَاجِرٍ الْعَامِرِيِّ قَالَ: كَتَبَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ عَهْدًا لِبَعْضِ أَصْحَابِهِ عَلَى بَلَدٍ، فِيهِ: أَمَّا بَعْدُ، فَلَا تُطَوِّلَنَّ حِجَابَكَ عَلَى رَعِيَّتِكَ، فَإِنَّ احْتِجَابَ الْوُلَاةِ عَنِ الرَّعِيَّةِ شُعْبَةُ الضِّيقِ، وَقِلَّةُ عِلْمٍ بِالْأُمُورِ، وَالِاحْتِجَابُ يَقْطَعُ عَنْهُمْ عِلْمَ مَا احْتُجِبُوا دُونَهُ، فَيَضْعُفُ عِنْدَهُمُ الْكَبِيرُ، وَيَعْظُمُ الصَّغِيرُ، وَيَقْبُحُ الْحَسَنُ، وَيَحْسُنُ الْقَبِيحُ، وَيُشَابُ الْحَقُّ بِالْبَاطِلِ، وَإِنَّمَا الْوَالِي بَشَرٌ
পৃষ্ঠা - ৬২৯২


ধ্
যখন তোমরা এবং ওরা কোন রাস্তায় চলতে থাক তবে ওদেরকে সংকীর্ণ স্থান দিয়ে চলতে
বাধ্য করবে এবং ওদেরকে লাঙ্কুনা র দিকে ঠেলে দিয়ে, যেমনটি মহান আ৷ল্লাহ্ জ্যোকে
লাঞ্ছিত করেছেন ৷ ’ তবে এ ক্ষেত্রে তোমরা সীমাপ্সঙ্ঘন করেছে৷ ৷ এরপর খলীফা বললেন, এই
বর্ম আমার, আমি এটি বিক্রিও করিনি কাউকে দানও করিনি ৷ বিচারক শুরায়হ্ খ্রিস্টান
লোকটিকে জিজ্ঞেস করলেন, আমীরুল মুমিনীন, খলীফার অভিযোগ সম্পর্কে তোমার বক্তব্য-
কি?’ খ্রিস্টান লোকটি বলল, এই বর্মটি আমারই, তবে আমি খলীফাকে যিখ্যাবাদী মনে করি
না ৷ এবার বিধি অনুযায়ী খলীফার দিকে দৃষ্টিপাত করে বললেন, আমীরুল মুসিনীনদ্র আপনার
দাবীর পক্ষে কোন প্রমাণ আছে কি? হযরত আলী (বা) ৷হসে উঠলেন এবং বললেন, শুরায়হ্
তো বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছেন, তবে আমার নিকট তো কোন প্রমাণ ৷নই ৷ বিচারক
আইনানুঘায়ী বর্মটি খ্রিস্টানের বলে ঘোষণা করলেন ৷’
খ্রিস্টান লোকটি ধর্ম নিয়ে চলে যাচ্ছিল ৷ একটু এগিয়ে গিয়ে বিচ৷ ৷রকের দরবারে ত্যির
এলো এবং বলল, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, এই বিচার পদ্ধতি মুলত নবী-রাসুলেৱ বিচার
পদ্ধতি ৩৷ খলীফা নিজে আমাকে র্তারই নিয়ােজ্যি বিচারক্যেধ কাছেনিয়ে এলেন, আর বিচারক
, রায় দিলেন খলীফার বিরুদ্ধে ৷ আমি এখন সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই,

আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সা) আল্লাহ্র বান্দ৷ ও প্রেরিত রাসুল ৷ বস্তত, এই বর্ষ হে
আমীরুল মুমিনীন আপনারই, আপনি এটি গ্রহণ করুন ৷ আপনি যখন সিফ্ফীনের যুদ্ধে
যাচ্ছিলেন তখন আমি আপনার সেনাবাহিনীর পেছন প্রেহ্ন৷ যাচ্ছিলাম্, আপনার ছাই রঙের উট
থেকে এই বর্মটি পড়ে গিয়েছিল ৷ আমি সেটি তুলে নিয়েছিলাম ৷ খলীফা বললেন, তুমি যখন
আত্মসমর্পণ করলে তখন এটি তােমাকেই দিয়ে দিলাম ৷ এই বলে খলীফা আলী (রা) ওই
সােকটিকে একটি ঘোড়ার আরোহী করে দিলেন ৷

শা বী বলেছেন, ওই লোকঢিকে দেখছে এমন এক লোক আমাকে জানিয়েছে যে, সে
লোকটিকে নাহ্রাওয়ানের যুদ্ধে খারিজীদের বিরনদ্ধ যুদ্ধ করতে দেখেছে ৷

সাঈদ ইবন উবায়দ আলী ইবন ৱাবীআ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, জান্ন্াহ্ ইবন হুরায়রা
একদিন আলী (রা) এর নিকট উপস্থিত হলেন এবং বললেন, হে আর্মীরুল মুমিনীন ! ধরুন,
আপনার নিকট দু জন লোক বিচারপ্রার্ণী হয়ে এল ৷ ওদের একজন এমন যে, তার পরিবার-
পরিত্তনে ও ধন-সম্পদের চইিতে আপনি তার নিকট: ত্মধিক প্রিয় ৷ আর অন্যজন এমন যে,
আপনাকে জবাই করার সুযোগ গেলে সে আপনাকে জবাই করে ফেলবে ৷ তাহলে আপনি কি
প্রথমজনের পক্ষে দ্বিতীয়জনেব্র বিপক্ষে রায় দিবেন? বর্ণনাকারী বলেন, এ কথা শুনে খলীফা
আলী (রা) জাদ ইবন হুরায়রার পিঠ চাপড়ে বললেন, না, বিচার কার্যটি যদি আমার
ব্যক্তিপ বিষয় হতো তাহলে হয়তো আমি তা করতাম কিন্তু বিচার কার্যতো মুলত অস্লোহ্র
নিকট জবাবদিহিতার কাজ (তাই একতরফা ওর পক্ষে অন্যজনের বিপক্ষে আলী রায় দিতে
পারবে না)’ ৷

আবুল কাসেম বাগী (র) বলেছেন, আমাকে আমার দাদা কাপড় ব্যবসায়ী সালিহ এর দাদী
থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছো, আমি একদিন হযরত আলী (রা) কে দেখলাম যে,
তিনি এক দিরহামে কতগুলো খেজুর ক্রয়করালন ৷ তারপর তিনি সেগুলোকে নিজের চাদরে

া৷ামোঃ : এচুচুা€দ্র^০€০া৷া





لَا يَعْرِفُ مَا تَوَارَى عَنْهُ النَّاسُ بِهِ مِنَ الْأُمُورِ، وَلَيْسَ عَلَى الْقَوْلِ سِمَاتٌ يُعْرَفُ بِهَا ضُرُوبُ الصِّدْقِ مِنَ الْكَذِبِ، فَتَحَصَّنْ مِنَ الْإِدْخَالِ فِي الْحُقُوقِ بِلِينِ الْحِجَابِ، فَإِنَّمَا أَنْتَ أَحَدُ الرَّجُلَيْنِ ; إِمَّا امْرُؤٌ سَخَتْ نَفْسُكَ بِالْبَذْلِ فِي الْحَقِّ، فَفِيمَ احْتِجَابُكَ مِنْ حَقٍّ وَاجِبٍ أَنْ تُعْطِيَهُ، أَوْ خُلُقٍ كَرِيمٍ تُسَدِّدُ بِهِ؟ وَإِمَّا مُبْتَلًى بِالْمَنْعِ وَالشُّحِّ، فَمَا أَسْرَعَ كَفَّ النَّاسِ عَنْ مَسْأَلَتِكَ إِذَا يَئِسُوا مِنْ خَيْرِكِ، مَعَ أَنَّ أَكْثَرَ حَاجَاتِ النَّاسِ إِلَيْكَ مَا لَا مُؤْنَةَ فِيهِ عَلَيْكَ ; مِنْ شَكَاةِ مَظْلَمَةٍ، أَوْ طَلَبِ إِنْصَافٍ، فَانْتَفِعْ بِمَا وَصَفْتُ لَكَ، وَاقْتَصِرْ عَلَى حَظِّكَ وَرُشْدِكَ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ. وَقَالَ الْمَدَائِنِيُّ: كَتَبَ عَلِيٌّ إِلَى بَعْضِ عُمَّالِهِ: رُوَيْدًا، فَكَأَنْ قَدْ بَلَغْتَ الْمَدَى، وَعُرِضَتْ عَلَيْكَ أَعْمَالُكَ بِالْمَحَلِّ الَّذِي يُنَادِي الْمُغْتَرُّ بِالْحَسْرَةِ، وَيَتَمَنَّى الْمُضَيِّعُ التَّوْبَةَ، وَالظَّالِمُ الرَّجْعَةَ. وَقَالَ هُشَيْمٌ: أَنَا عُمَرُ بْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ قَالَ: كَانَ أَبُو بَكْرٍ يَقُولُ الشِّعْرَ، وَكَانَ عُمَرُ يَقُولُ الشِّعْرَ، وَكَانَ عَلِيٌّ يَقُولُ الشِّعْرَ، وَكَانَ عَلِيٌّ أَشْعَرَ الثَّلَاثَةِ. وَرَوَاهُ هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ أَعْيَنَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي السَّفَرِ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، فَذَكَرَهُ.
পৃষ্ঠা - ৬২৯৩
وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ دُرَيْدٍ: وَأَخْبَرَنَا عَنْ دَمَاذٍ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ قَالَ: كَتَبَ مُعَاوِيَةُ إِلَى عَلِيٍّ: يَا أَبَا الْحَسَنِ، إِنَّ لِي فَضَائِلَ كَثِيرَةً، وَكَانَ أَبِي سَيِّدًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ، وَصِرْتُ مَلِكًا فِي الْإِسْلَامِ، وَأَنَا صِهْرُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَخَالُ الْمُؤْمِنِينَ، وَكَاتِبُ الْوَحْيِ. فَقَالَ عَلِيٌّ: أَبَالْفَضَائِلِ يَفْخَرُ عَلَيَّ ابْنُ آكِلَةِ الْأَكْبَادِ؟ ! ثُمَّ قَالَ: اكْتُبْ يَا غُلَامُ: مُحَمَّدٌ النَّبِيُّ أَخِي وَصِهْرِي ... وَحَمْزَةُ سَيِّدُ الشُّهَدَاءِ عَمِّي وَجَعْفَرٌ الَّذِي يُمْسِي وَيُضْحِي ... يَطِيرُ مَعَ الْمَلَائِكَةِ ابْنُ أُمِّي وَبِنْتُ مُحَمَّدٍ سَكَنِي وَعِرْسِي ... مَسُوطٌ لَحْمُهَا بِدَمِي وَلَحْمِي وَسِبْطَا أَحْمَدَ وَلَدَايَ مِنْهَا ... فَأَيُّكُمُ لَهُ سَهْمٌ كَسَهْمِي سَبَقْتُكُمْ إِلَى الْإِسْلَامِ طُرًّا ... صَغِيرًا مَا بَلَغْتُ أَوَانَ حُلْمِي قَالَ: فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: أَخْفُوا هَذَا الْكِتَابَ لَا يَقْرَؤُهُ أَهْلُ الشَّامِ فَيَمِيلُوا إِلَى ابْنِ أَبِي طَالِبٍ. وَهَذَا مُنْقَطِعٌ بَيْنَ أَبِي عُبَيْدَةَ وَزَمَانِ عَلِيٍّ وَمُعَاوِيَةَ. وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ وَغَيْرُهُ: حَدَّثَنِي بَكْرُ بْنُ حَارِثَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «سَمِعْتُ عَلِيًّا يُنْشِدُ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْمَعُ
পৃষ্ঠা - ৬২৯৪
أَنَا أَخُو الْمُصْطَفَى لَا شَكَّ فِي نَسَبِي ... مَعْهُ رَبِيتُ وَسِبْطَاهُ هُمَا وَلَدِي جَدِّي وَجَدُّ رَسُولِ اللَّهِ مُنْفَرِدٌ ... وَفَاطِمٌ زَوْجَتِي لَا قَوْلَ ذِي فَنَدِ صَدَّقْتُهُ وَجَمِيعُ النَّاسِ فِي بُهَمٍ ... مِنَ الضَّلَالَةِ وَالْإِشْرَاكِ وَالنَّكَدِ فَالْحَمْدُ لِلَّهِ شُكْرًا لَا شَرِيكَ لَهُ ... الْبَرِّ بِالْعَبْدِ وَالْبَاقِي بِلَا أَمَدِ قَالَ: فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ صَدَقْتَ يَا عَلِيٌّ» وَهَذَا بِهَذَا الْإِسْنَادِ مُنْكَرٌ، وَالشِّعْرُ فِيهِ رَكَاكَةٌ، وَبَكْرٌ هَذَا لَا يُقْبَلُ مِنْهُ تَفَرُّدَهُ بِهَذَا السَّنَدِ وَالْمَتْنِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرَوَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ أَبِي زَكَرِيَّا الرَّمْلِيِّ، ثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ نُوحِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ سَلَامَةَ الْكِنْدِيِّ، عَنِ الْأَصْبَغِ بْنِ نُبَاتَةَ، عَنْ عَلِيٍّ أَنَّهُ جَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ لِي إِلَيْكَ حَاجَةً قَدْ رَفَعْتُهَا إِلَى اللَّهِ قَبْلَ أَنْ أَرْفَعَهَا إِلَيْكَ، فَإِنْ أَنْتَ قَضَيْتَهَا حَمِدْتُ اللَّهَ وَشَكَرْتُكَ، وَإِنْ أَنْتَ لَمْ تَقْضِهَا حَمِدْتُ اللَّهَ وَعَذَرْتُكَ. فَقَالَ عَلِيٌّ: اكْتُبْ عَلَى الْأَرْضِ ; فَإِنِّي أَكْرَهُ أَنْ أَرَى ذُلَّ السُّؤَالِ فِي وَجْهِكَ. فَكَتَبَ: إِنِّي مُحْتَاجٌ. فَقَالَ عَلِيٌّ: عَلِيَّ بِحُلَّةٍ. فَأَتَى بِهَا، فَأَخَذَهَا الرَّجُلُ فَلَبِسَهَا، ثُمَّ أَنْشَأَ يَقُولُ: كَسَوْتَنِي حُلَّةً تَبْلَى مَحَاسِنُهَا ... فَسَوْفَ أَكْسُوكَ مِنْ حُسْنِ الثَّنَا حُلَلَا إِنْ نِلْتَ حَسَنَ ثَنَائِي نِلْتَ مَكْرُمَةً ... وَلَسْتَ تَبْغِي بِمَا قَدْ قُلْتُهُ بَدَلًا إِنَّ الثَّنَاءَ لَيُحْيِي ذِكْرَ صَاحِبِهِ ... كَالْغَيْثِ يُحْيِي نَدَاهُ السَّهْلَ وَالْجَبَلَا
পৃষ্ঠা - ৬২৯৫


বেধে রওনা হলেন ৷ এক ব্যক্তি বলল, আমীরন্দ মুমিনীন ! আপনি তো অন্য কাউকে এগুলো
বহন করে নিয়ে যেতে বলতে পারতেন ৷ উত্তরে খলীফা বললেন, পরিবার প্রধানকেই এগুলো
বহন করতে হয় ৷ এটি তারই কর্তব্য ৷ আবু হাসেম যাফন থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি
বলেছেন, খলীফার পদে অধিষ্ঠিত থাকা অবস্থায়ও হযরত আলী (রা) একাকী হাট-বাজারে
প্রদক্ষিণ করতেন ৷ পরিদর্শনে যেতেন ৷ পথে তিনি পথহারাদেরকে পথ দেখিয়ে দিতেন, দুর্বল
ও কমজােরালাকদেরকে সাহায্য করেতেন এবং বিক্রেতা ও দোকানীদের নিকট গিয়ে কুরআন
শরীফ খুলে নিজে এ আয়াত পাঠ মোঃ

“এটি আখি ৱাতের সেই আবাস যা আমি নির্ধারিত করি তাদের জন্যে যারা এই পৃথিবীতে
উদ্ধত হতে এবং বিপর্যয় সৃষ্টি করতে চায় না (সুরা-কাসাস ২৮৪ ৮৩) ৷
তারপর তিনি বলতেন, এ আয়াত নাযিল হয়েছে ন্যায়পরায়ণ ও বিনয়ী প্রশাসক ও
ক্ষমতাশীল সকল মানুষকে উপলক্ষ করে ৷ উবাদা ইবন যিয়াদ সালিহ ইবন আসওয়াদ গ্লেকে,
তিনি জনৈক ব্যক্তি থেকে বণুন৷ করেছেন যে, ঐ ব্যক্তি একদিন হযরত আলী (রা) কে গারার
তিনি বলেন, আমি সেই ব্যক্তি যে দুনিয়াকে অব্জ্ঞা ও তাচ্ছিল্য করি ৷ ইয়াহ্ইয়া ইবন আলী
ইবন জাদ থেকে তিনি হাসান ইবন সালিহ থ্যেক বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একদিন
হযরত উমর ইবন আবদুল আযী ষেব্র দরবারে পার্থিব ণ্মাহ ত্যাগৃ ব৷ পরহেযগারী সম্পর্কে
আলোচন৷ চলছিল ৷ কেউ বললেন, যুহদ বা সষ্ সারবিমুখতায় অমুক ব্যক্তি শ্রেষ্ঠ ৷ কেউ
বললেন, অমুক ব্যক্তি শ্রেষ্ঠ ৷ প্ৰসংঙ্গত্রুমে উমর ইবন আবদুল আযীয (র) রলেন দুনিরাতে
সবচাইতে ব্লেশি পরাহযগার হলেন হযরত আলীইংন আবী ভাবিব (রা) ৷
ইিশাম ইবন হ্াসৃসান বলেছেন, একদিন আমরা হাসান বসরী (ব)এয় দরবারে হ্নিা৷ম্ ৷ তখন
খারিজী সম্প্রদায়ের আযারিকা গোষ্ঠীর এক সোৰ্ৰুন্ সেখানে উপস্থিত হয়ে বলে, (হ আবু সাঈদ ৷
ন্ আপনি আলী ইবন আৰী তানিব (রা) সম্পর্কে কি ধারণা পোষণ করেন? বর্ণনাকারী বলেন এ কবা প্-
শুনে হযরত হাসান বসরীর দু ’গাল লাল হয়ে উঠা ৷৩ তিনি বলেন, মহান অল্পোহ্ হযরত আলী (রা)
কে দয়া বব্রুন, বস্তুত তিনি ছিলেন আল্লাহ্ তা আলার একটি তীর যেটি শত্রু পক্ষের সঠিক স্থানে
গিয়ে আঘাত বল্মত ৷ জ্ঞানের জগতে তিনি ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ ৷৩ তিনি ছিলেন এ ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-
এর অভ্যস্ত ঘনিষ্ঠ ও কাছের লোক ৷ তিনি স্কিলন এই উম্মভের সংসারবিমুখ ব্যক্তিত্ব ৷ আল্লাহর
সম্পদে তিনি কােনদিন খেয়ানত করেন নি৷ আল্লাহর নির্দেশ বাস্তবায়ান অলসত৷ ও উদাসীনতা
প্রদর্শন করেন নি ৷ কুরআন জ্জীমই তার জীবনে দৃঢ়তা, কর্মতৎপরত৷ ও জ্ঞানে সমৃদ্ধি দান করেছে ৷
কুরআন মজীদ সম্পর্কে তিনি ছিলেন, আশ্চর্য বাগিচ৷ এবং সুউচ্চ পর্বতস্বরুপ ৷ হে দুর্ভাগ৷ ! ঐ
বহুণ্ডাণ গুণট্রুবানই হলেন হযরত আলী (বা) ৷
হুসায়ন ইয়াসার সুত্রে আম্মার থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, এক লোক হযরত
আলী (রা) এর নিকট এসে একটি মিথ্যা হাদীস তাকে শুনিয়েছিল ৷ পরে দেখা গেল যে, ঐ
বসা থেকে দাড়ানাের আগেই যে অন্ধ হয়ে গেল ৷

আবু বকর ইবন আবীদ দুনয়৷ বলেছেন, শুরা হ আবু উষার যাষান থেকে বর্ণন৷ করে যে,

এক লোক এসে হযরত আলী (রা) এর নিকট একটি মিবা৷ হাদীস বর্ণনা করে ৷ হযরত আলী


لَا تَزْهَدِ الدَّهْرَ فِي خَيْرٍ تُوَاقِعُهُ ... فَكُلُّ عَبْدٍ سَيُجْزَى بِالَّذِي عَمِلَا فَقَالَ عَلِيٌّ: عَلَيَّ بِالدَّنَانِيرِ. فَأُتِيَ بِمِائَةِ دِينَارٍ، فَدَفَعَهَا إِلَيْهِ. قَالَ الْأَصْبَغُ: فَقُلْتُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، حُلَّةً وَمِائَةَ دِينَارٍ؟ ! قَالَ: نَعَمْ. «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " أَنْزِلُوا النَّاسَ مَنَازِلَهُمْ» ". وَهَذِهِ مَنْزِلَةُ هَذَا الرَّجُلِ عِنْدِي. وَرَوَى الْخَطِيبُ الْبَغْدَادِيُّ مِنْ طَرِيقِ أَبِي جَعْفَرٍ أَحْمَدَ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ نُبَيْطِ بْنِ شَرِيطٍ، حَدَّثَنِي أَبِي إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ نُبَيْطٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ قَالَ: قَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ: إِذَا اشْتَمَلَتْ عَلَى الْيَأْسِ الْقُلُوبُ ... وَضَاقَ بِمَا بِهِ الصَّدْرُ الرَّحِيبُ وَأَوْطَنَتِ الْمَكَارِهُ وَاطْمَأَنَّتْ ... وَأَرْسَتْ فِي أَمَاكِنِهَا الْخُطُوبُ وَلَمْ تَرَ لِانْكِشَافِ الضُّرِّ وَجْهًا ... وَلَا أَغْنَى بِحِيلَتِهِ الْأَرِيبُ أَتَاكَ عَلَى قُنُوطٍ مِنْكَ غَوْثٌ ... يَجِيءُ بِهِ الْقَرِيبُ الْمُسْتَجِيبُ وَكُلُّ الْحَادِثَاتِ إِذَا تَنَاهَتْ ... فَمَوْصُولٌ بِهَا الْفَرَجُ الْقَرِيبُ وَمِمَّا أَنْشَدَهُ أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الصُّولِيُّ لِأَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ: أَلَّا فَاصْبِرْ عَلَى الْحَدَثِ الْجَلِيلِ ... وَدَاوِ جَوَاكَ بِالصَّبْرِ الْجَمِيلِ
পৃষ্ঠা - ৬২৯৬
وَلَا تَجْزَعْ فَإِنْ أَعْسَرْتَ يَوْمًا ... فَقَدْ أَيْسَرْتَ فِي الدَّهْرِ الطَّوِيلِ وَلَا تَظْنُنْ بِرَبِّكَ ظَنَّ سَوْءٍ ... فَإِنَّ اللَّهَ أَوْلَى بِالْجَمِيلِ فَإِنَّ الْعُسْرَ يَتْبَعُهُ يَسَارٌ ... وَقَوْلُ اللَّهِ أَصْدَقُ كُلِّ قِيلِ فَلَوْ أَنَّ الْعُقُولَ تَجُرُّ رِزْقًا ... لَكَانَ الرِّزْقُ عِنْدَ ذَوِي الْعُقُولِ فَكَمْ مِنْ مُؤْمِنٍ قَدْ جَاعَ يَوْمًا ... سَيُرْوَى مِنْ رَحِيقِ السَّلْسَبِيلِ فَمِنْ هَوَانِ الدُّنْيَا عَلَى اللَّهِ أَنَّهُ سُبْحَانَهُ يُجِيعُ الْمُؤْمِنَ مِنْ نَفَاسَتِهِ، وَيُشْبِعُ الْكَلْبَ مَعَ خَسَاسَتِهِ، وَالْكَافِرُ يَأْكُلُ وَيَشْرَبُ، وَيَلْبَسُ وَيَتَمَتَّعُ، وَالْمُؤْمِنُ يَجُوعُ وَيَعْرَى، وَذَلِكَ لِحِكْمَةٍ اقْتَضَتْهَا حِكْمَةُ أَحْكَمِ الْحَاكِمِينَ. وَمِمَّا أَنْشَدَهُ عَلِيُّ بْنُ جَعْفَرٍ الْوَرَّاقُ لِأَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ: أَجِدِ الثِّيَابَ إِذَا اكْتَسَيْتَ فَإِنَّهَا ... زَيْنُ الرِّجَالِ بِهَا تُعَزُّ وَتُكْرَمُ وَدَعِ التَّوَاضُعَ فِي الثِّيَابِ تَخَوُّفًا ... فَاللَّهُ يَعْلَمُ مَا تُجِنُّ وَتَكْتُمُ فَرَثَاثُ ثَوْبِكَ لَا يَزِيدُكَ زُلْفَةً ... عِنْدَ الْإِلَهِ وَأَنْتَ عَبْدٌ مُجْرِمٌ وَبَهَاءُ ثَوْبِكَ لَا يَضُرُّكَ بَعْدَ أَنْ ... تَخْشَى الْإِلَهَ وَتَتَّقِي مَا يَحْرُمُ وَهَذَا كَمَا جَاءَ فِي الْحَدِيثِ: «إِنَّ اللَّهَ لَا يَنْظُرُ إِلَى صُوَرِكُمْ وَلَا إِلَى ثِيَابِكُمْ، وَإِنَّمَا يَنْظُرُ إِلَى قُلُوبِكُمْ وَأَعْمَالِكُمْ» . وَقَالَ الثَّوْرِيُّ: لَيْسَ الزُّهْدُ فِي
পৃষ্ঠা - ৬২৯৭
الدُّنْيَا بِلُبْسِ الْعَبَاءِ وَلَا بِأَكْلِ الْخَشِنِ، إِنَّمَا الزُّهْدُ فِي الدُّنْيَا قِصَرُ الْأَمَلِ. وَقَالَ أَبُو الْعَبَّاسُ مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الْأَكْبَرِ الْمُبَرِّدُ: كَانَ مَكْتُوبًا عَلَى سَيْفِ عَلِيٍّ: لِلنَّاسِ حِرْصٌ عَلَى الدُّنْيَا وَتَدْبِيرُ ... وَصَفْوُهَا لَكَ مَمْزُوجٌ بِتَكْدِيرِ لَمْ يُرْزَقُوهَا بِعَقْلٍ عِنْدَمَا قُسِمَتْ ... لَكِنَّهُمْ رُزِقُوهَا بِالْمَقَادِيرِ كَمْ مِنْ أَدِيبٍ لَبِيبٍ لَا تُسَاعِدُهُ ... وَمَائِقٍ نَالَ دُنْيَاهُ بِتَقْصِيرِ لَوْ كَانَ عَنْ قُوةٍ أَوْ عَنْ مُغَالَبَةٍ ... طَارَ الْبُزَاةُ بِأَرْزَاقِ الْعَصَافِيرِ وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ: ثَنَا سَلَمَةُ بْنُ بِلَالٍ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ قَالَ: قَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ لِرَجُلٍ كَرِهَ لَهُ صُحْبَةَ رَجُلٍ: فَلَا تَصْحَبْ أَخَا الْجَهْلِ ... وَإِيَّاكَ وَإِيَّاهُ فَكَمْ مِنْ جَاهِلٍ أَرْدَى ... حَلِيمًا حِينَ آخَاهُ يُقَاسُ الْمَرْءُ بِالْمَرْءِ ... إِذَا مَا هُوَ مَاشَاهُ وَلِلشِيءِ عَلَى الشَّيْءِ ... مَقَايِيسٌ وَأَشْبَاهُ
পৃষ্ঠা - ৬২৯৮
وَلِلْقَلْبِ عَلَى الْقَلْبِ دَلِيلٌ حِينَ يَلْقَاهُ وَعَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَلَاءِ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: وَقَفَ عَلِيٌّ عَلَى قَبْرِ فَاطِمَةَ، فَأَنْشَأَ يَقُولُ: ذَكَرْتُ أَبَا أَرْوَى فَبِتُّ كَأَنَّنِي ... بِرَدِّ الْهُمُومِ الْمَاضِيَاتِ وَكِيلُ لِكُلِّ اجْتِمَاعٍ مِنْ خَلِيلَيْنِ فُرْقَةٌ ... وَكُلِّ الَّذِي قَبْلَ الْمَمَاتِ قَلِيلُ وَإِنَّ افْتِقَادِي وَاحِدًا بَعْدَ وَاحِدٍ ... دَلِيلٌ عَلَى أَنْ لَا يَدُومَ خَلِيلُ سَيُعْرَضُ عَنْ ذِكْرِي وَتُنْسَى مَوَدَّتِي ... وَيَحْدُثُ بَعْدِي لِلْخَلِيلِ خَلِيلُ إِذَا انْقَطَعَتْ يَومًا مِنَ الْعَيْشِ مُدَّتِي ... فَإِنَّ عَنَاءَ الْبَاكِيَاتِ قَلِيلُ وَأَنْشَدَ بَعْضُهُمْ لِعَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: حَقِيقٌ بِالتَّوَاضُعِ مَنْ يَمُوتُ ... وَيَكْفِي الْمَرْءَ مِنْ دُنْيَاهُ قُوتُ فَمَا لِلْمَرِءِ يُصْبِحُ ذَا هُمُومٍ ... وَحِرْصٍ لَيْسَ تُدْرِكُهُ النُّعُوتِ صَنِيعُ مَلِيكِنَا حَسَنٌ جَمِيلٌ ... وَمَا أَرْزَاقُهُ عَنَّا تَفُوتُ فَيَا هَذَا سَتَرْحَلُ عَنْ قَلِيلٍ ... إِلَى قَومٍ كَلَامُهُمُ السُّكُوتُ وَهَذَا الْفَصْلُ يَطُولُ اسْتِقْصَاؤُهُ، وَقَدْ ذَكَرْنَا مِنْهُ مَا فِيهِ مَقْنَعٌ لِمَنْ أَرَادَهُ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَقَالَ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، أَنَّهُ قَالَ: مَنْ أَحَبَّ أَبَا بَكْرٍ