আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثلاث وسبعين

পৃষ্ঠা - ৭০৬৭

৭৩ হিজয়ী সন ,

এ বছর হজ্জাজ ইবন ইউসুফ্ আছ-ছুকাফী আল-মুবীর এর হাতে আবদুল্লাহ ইবনুয
যুবাইর (রা ) এর ইত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে আল্লাহ তার মঙ্গল করুন ও তাকে লাঞ্ছিত করুন ৷
মুসআব ইবন ন যিব সুত্রে ওয়কিদী বর্ণনা করেন যে, নফি শ্যিনি ইবনুয যুবাইর এর
ফিতন সম্পর্কে অভিজ্ঞ ছিলেন ৷ তিনি বলেন, বহত্তর হিজরীর যিলহজ্জ মাসের প্রথম তারিখ
রাতে ইবনুয যুবাইর অবরুদ্ধ হন এবং তেহাত্তর হিজরীর জুমদাল উলর সতের তারিখ রাতে
তিনি নিহত হন ৷ এই হিসেবে হাজ্জাজ তাকে পাচ মাস সতের রাত অবরোধ করে
রেখেছিলেন ৷ অমর উপরে উংল্লখ করেছি যে, হজ্জাজ এই স্রোহেৱ বছর মানুষকে নিয়ে হজ্জ
পরিচালনা করেন ৷ এই হহ্রজ্জ ইবন উমর (রাটুও শরীক ছিলেন ৷ আবদুল মালিক হাজ্জাজকে
এই মর্মে পত্র লিখেন যেন তিনি হত্ত্বজ্জর কার্যক্রমে ইবন উমর (রা) এর অনুসরণ করেন
যেমনটি বুখরী ও মুসলিংম বর্ণিত আছে ৷
যহেক যখন এই বছরঢির প্রথম চাদ উদিত হয়, তখন সিরীয়বাসী মক্কবসীদেরকে
অবরোধ করে রেখেছে ৷ হজ্জাজ মক্কায় মানজামীক স্থাপন করে রাখেন, যাতে তার অধিবাসীরা
অতিষ্ট হয়ে আবদুল মালিক প্রদত্ত নিরাপত্তা ও আনুনত্যের জন্য বৈরিয়ে আসে ৷ হজ্জাজ এর
ন্^ন্সগে হাবশী লোকও ছিল তার মানজামীক ছুডতে শুরু করে ৷ এভাবে তার বিপুলসং খক
মানুষকে হত্যা করে ৫ফরুক্ষীহজ্জৰুজর সঙ্গে পাচটি মানজামীক ছিল ৷ তার চতুর্দিক থেকে
মক্কার উপর উপর্বুপরি মানজামীক ইর্ডতে থাকে এবং তাদের রসদ ও পানি আটকে দেয় ৷ ফলে
মক্কারাসীর যমযয়ের পানি পাস করতে ওরু করে ক বার পাথর নিক্ষিপ্ত হতে থাকে তখন
হজ্জাজ় চিৎকার করে বলহািলন, হে সিরীয়বাসী ! আনুগত্যেব ক্ষেত্রে তোমরা আল্লাহ্কে ভয়
কর, অল্লীহ্কে ভয় কর ৷ তারীইবনুয যুবইরৰুএর উপর আক্রমণ করতে থাকে ৷ ” এমনকি ন্
বলাবলি হতে থাকে যে, এই ৰুসৎঘতেইশ্ংতারইবনুয যুবাইরকে ররে ফেল হবে ৷ কিন্তু ইবনুয
যুবইিরও তাদের উপর কঠোর প্রতি আক্রমণ করেন৷ তখন তার সঙ্গে একজন লোকও ছিল
না৷ তবুও তিনি তাদেরকে বনু শয়ৰার দরজা থেকে তাড়িয়ে দেন ৷ তার পুনবার আক্রমণ
করে ৷ তিনিও পুনবরি তাদের উপর কঠোর হন ৷ তিনি একাধিকবার এরুপ করেনা“ সেদিন
তাদের একদল মানুষ নিহত হয় ৷ তখন তিনি বলেছিলেন, এমন ঘটনা ঘটে পেল, অথচ আমি
হাওয়ারীর পুত্র ৷ ধ্ কেউ ইবনুয যুবইিরকে বলল, আপনি তাদের সঙ্গে সন্ধির ব্যাপারে কথা
বলছেন ন কেন ? উত্তরে তিনি বললেন, আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি, তার যদি
তােমদেরকে কদুৰুবর অভ্যন্তরে পেয়ে যায়, তবে অবশ্যই তার তোমাদের সকলকে যবাই করে
ফেলার ৷ আল্লাহর শপথ আমি কখনো তাঃদর কাছে সন্ধি প্রার্থনা করব ন ৷
একাধিক ঐতিহসিকগণ বলেছেন, তার যখন ষ্মনজামীক নিক্ষেপ করে, তখন বিকট
শব্দে বজ্রপাত হয় এবং বিদ্যুৎ চমকায় ৷ ত এতই বিকট ছিল যে, তার শব্দ মানজমীকের
শ্বন্দুকে ছাড়িয়ে যায় ৷ তারপর এমন্;এক বজ্বপাত হয় যে, তাতে আক্রান্ত হয়ে বার জন সিরীয়
মৃত্যুবরণ করে ৷ এই ঘটনা, তাদের হৃদয় অবরােধের ব্যাপারে দুর্বল হয়ে যায় ৷কিম্ভ হাজ্জাজ
তাদেরকে সাহস দিতে থাকেন এবং বলতে থাকেন, আমি এই নগরীর সব খবরজানি এ হল

আলবিদায় ওয়ান নিহায়া ৭৩

ণোমোঃ

[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ] [مَقْتَلُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ] فِيهَا كَانَ مَقْتَلُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَلَى يَدَيِ الْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ الثَّقَفِيِّ، الْمُبِيرِ، قَبَّحَهُ اللَّهُ وَأَخْزَاهُ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي مُصْعَبُ بْنُ ثَابِتٍ، عَنْ نَافِعٍ مَوْلَى بَنِي أَسَدٍ - وَكَانَ عَالِمًا بِفِتْنَةِ ابْنِ الزُّبَيْرِ - قَالَ: حُصِرَ ابْنُ الزُّبَيْرِ لَيْلَةَ هِلَالِ ذِي الْحِجَّةِ سِنَةَ ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ، وَقُتِلَ لِسَبْعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ جُمَادَى الْأُولَى، سَنَةَ ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ، فَكَانَ حَصْرُ الْحَجَّاجِ لَهُ خَمْسَةَ أَشْهُرٍ، وَسَبْعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً. وَقَدْ ذَكَرْنَا فِيمَا تَقَدَّمَ أَنَّ الْحَجَّاجَ حَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ الْخَارِجَةِ، وَكَانَ فِي الْحَجِّ ابْنُ عُمَرَ، وَقَدْ كَتَبَ عَبْدُ الْمَلِكِ إِلَى الْحَجَّاجِ أَنْ يَأْتَمَّ بِابْنِ عُمَرَ فِي الْمَنَاسِكِ، كَمَا ثَبَتَ ذَلِكَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ ". فَلَمَّا اسْتَهَلَّتْ هَذِهِ السَّنَةُ، اسْتَهَلَّتْ وَأَهْلُ الشَّامِ مُحَاصِرُونَ أَهْلَ مَكَّةَ، وَقَدْ
পৃষ্ঠা - ৭০৬৮


তেহামার চমক ও তার গর্জন ৷ তোমরা যার শিক কার হয়েছো, নগরীর মানুষ তার শিকার হয়ে ৷
ঘটনাক্রব্লুম তার পরদিন ও একটি বজ্রপাত হয় ৷ তাতে ইববু য যুবাইব্লুরর বিপুল সং খ্যক লোক
প্রাণ হারায় ৷ তখন হাজ্জাজ বলতে লাগলেন, আমি বব্লুচ্;ছলাম না, তারাও তোমাদের মত এর
শিকার হয়ে ৷ তোমরা অনুগত আর তারা বিরোধী ৷ €পু২ান মানজামীক নিক্ষেপ করার সময়

— এ-প্রুষ্ম্ণ্ন্


ব্লুফন৷ উদপীরণকারী উব্লুটর ন্যায় আমরা এর দ্বারা এই মসজিদের কাষ্ঠগুব্লুলাতে আঘাত
হানব ৷’

ঠিক এমন সময় মানজযীব্লুকর উপর একটি বজ্র আপতিত হয়ে তাকে তার করে দিল ৷
ফলে সিরীয়বাসী মানজামীক নিক্ষেপ ও অবরোধ স্থগিত করে ফেলল ৷ এবার হাজ্জাজ তাদের
উদ্দেশ্যে ভাষণ প্রদান করেন ৷ তিনি বললেন, তোমাদের অমঙ্গল হোক ৷ তোমরা কি আর না
যে, আমাদের পুর্ববর্তী উম্মতের যুগে আগুন অবতরণ করত এবং তাদের কুরবানীকৃত পশুব্লুক
খেয়ে ফেলত, যদি তা কবুল হত ৷ কা ৷জেই তোমাদের আমল যদি কবুল না হত তাহলে আগুন
অবতরণ করে সেটি খেয়ে ফেলত না ৷ এবার তারা পুনরায় অবরোধ প্রত্যাবর্তন করল ৷

এবার মক্কাবাসী ইবনুয যুব৷ ৷ইরব্লুক ত্যাগ করে নিরাপত্তার জন্য হাজ্জা জ এর দিকে ছুটতে
শুরু করে ৷ এভাবে প্রায় দশ হাজার মানুষ তার নিকট চলে যায় ৷ তিনি তাদেরকে নিরাপত্তা
প্রদান করেন এবং ইবনুয যুবাইর এর দুই পুত্র হাময৷ এবং থুবাইবও হাজ্জাজ এর নিকট চলে
যায় ৷ তারা তা ৷র কাছে নিজেদের নিরাপত্তা প্রার্থনা করে ৷ হাজ্জাজত তাদের নিরাপত্তা প্রাদান
করেন ৷ আবদুল্লাহ ইবনুয যুবা ৷ইর তার মায়ের নিকট গিয়ে তার সমর্থক কমে যাওয়ার, এমনকি
নিজের সন্তানাদি ও পরিজন পর্যন্ত হাজ্জাজের নিকট চলে যাওয়ার অভিযোগ করেন এবং
বললেন, আমার সঙ্গে এখন স্বল্প সংখ্যক লোক ছাড়া কেউ নেই ৷ তারাও ব্লুবশীক্ষণ টিকে
থাকতে পারবে না ৷ আর শত্রুপক্ষ আমাকে আমার চাহিদা অনুপাতে দুনিয়ার সম্পদ প্রদানের ’
প্রলােভন দেখাচ্ছে ৷ এমতাবস্থায় আপনার অভিমত কি ? মা বললেন, শোন পুত্র ৷ তোমার
নিজের ব্যাপারে তুমিই ভাল জান ৷ তুমি যদি মনে কর তুমি সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছ,
এবং তুমি দেশ্াবাসীকে সতে তার প্রতি আহবান করছ, তাহলে দৃঢ়পদ থাক ৷ এর জন্যই তো
তোমার সঙ্গীরা জীবন দিয়েছে ৷ বনু উমাইয়ার শিশুর্কিশোররা তোমার গর্দড়ান নিয়ে খেলার
সুযোগ যেন না পায় ৷ আর যদি দুনিয়া তোমার লক্ষ্য হয়ে থাকে, তাহলে তুমি আমার অপদার্থ
সন্তান ৷ তুমি নিজেকেও ধ্বং স করেছ, তোমার সঙ্গে যারা নিহত হয়েছে তাদেরকেও ধ্বংস
করেছ ৷ তুমি যদি সব্লু৩ তার উপর প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাক,৩ তাহলে মনে রেখ, দীন দুর্বল নয় ৷ আর
তুমিই বা কতকাল দুনিয়ার বেব্লুচ থাকবে ? কাজেই নিহত হওয়াই উত্তম ৷ মায়ের জবাব শুনে
আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর তার নিকটে গিয়ে তার মাথায় চুম্বন করলেন এবং বললেন, আল্লাহর
শপথ ! এটাই আমার অভিমত

তারপর তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ ! আমি দুনিয়ার প্রতি আকৃষ্ট হইনি, তাতে জীবন-
যাপন করাকেও প্রিয় ভাবি নি ৷ আর একমাত্র আল্লাহর দীনের মর্যাদা হানি হচ্ছে দেখে আমি
আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লব্লুক্ষ্য বিদ্রোহ করেছি ৷ আমি আপনার অভিমত জানতে চেয়েছিলাম


نَصَبَ الْحَجَّاجُ الْمَنْجَنِيقَ عَلَى مَكَّةَ ; لِيَحْصُرَ أَهْلَهَا، حَتَّى يَخْرُجُوا إِلَى الْأَمَانِ وَالطَّاعَةِ لِعَبْدِ الْمَلِكِ، وَكَانَ مَعَ الْحَجَّاجِ خَلْقٌ قَدِمُوا عَلَيْهِ مِنْ أَرْضِ الْحَبَشَةِ، فَجَعَلُوا يَرْمُونَ بِالْمَنْجَنِيقِ، فَقَتَلُوا خَلْقًا كَثِيرًا، وَكَانَ مَعَهُ خَمْسُ مَجَانِيقَ، فَأَلَحَّ عَلَيْهَا بِالرَّمْيِ مِنْ كُلِّ مَكَانٍ، وَحَبَسَ عَنْهُمُ الْمِيرَةَ فَجَاعُوا، وَكَانُوا يَشْرَبُونَ مِنْ مَاءِ زَمْزَمَ، وَجَعَلَتِ الْحِجَارَةُ تَقَعُ فِي الْكَعْبَةِ، وَالْحَجَّاجُ يَصِيحُ بِأَصْحَابِهِ: يَا أَهْلَ الشَّامِ، اللَّهَ اللَّهَ فِي الطَّاعَةِ! فَكَانُوا يَحْمِلُونَ عَلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ حَتَّى يُقَالَ: إِنَّهُمْ آخِذُوهُ فِي هَذِهِ الشِّدَّةِ، فَيَشُدُّ عَلَيْهِمُ ابْنُ الزُّبَيْرِ وَلَيْسَ مَعَهُ أَحَدٌ، حَتَّى يُخْرِجَهُمْ مِنْ بَابِ بَنِي شَيْبَةَ، ثُمَّ يَكُرُّونَ عَلَيْهِ فَيَشُدُّ عَلَيْهِمْ ; فَعَلَ ذَلِكَ مِرَارًا، وَقَتَلَ يَوْمَئِذٍ جَمَاعَةً مِنْهُمْ وَهُوَ يَقُولُ: خُذْهَا وَأَنَا ابْنُ الْحَوَارِيِّ. وَقِيلَ لِابْنِ الزُّبَيْرِ: أَلَا تُكَلِّمُهُمْ فِي الصُّلْحِ؟ فَقَالَ: وَاللَّهِ لَوْ وَجَدُوكُمْ فِي جَوْفِ الْكَعْبَةِ لَذَبَحُوكُمْ جَمِيعًا، وَاللَّهِ لَا أَسْأَلُهُمْ صُلْحًا أَبَدًا. وَذَكَرَ غَيْرُ وَاحِدٍ أَنَّهُمْ لَمَّا رُمُوا بِالْمَنْجَنِيقِ، جَاءَتِ الصَّوَاعِقُ وَالْبُرُوقُ
পৃষ্ঠা - ৭০৬৯
وَالرُّعُودُ، حَتَّى جَعَلَتْ تَعْلُو أَصْوَاتُهَا عَلَى صَوْتِ الْمَنْجَنِيقِ، وَنَزَلَتْ صَاعِقَةٌ فَأَصَابَتْ مِنَ الشَّامِيِّينَ اثْنَيْ عَشَرَ رَجُلًا، فَضَعُفَتْ عِنْدَ ذَلِكَ قُلُوبُهُمْ عَنِ الْمُحَاصَرَةِ، فَلَمْ يَزَلِ الْحَجَّاجُ يُشَجِّعُهُمْ، وَيَقُولُ: إِنِّي خَبِيرٌ بِهَذِهِ الْبِلَادِ، هَذِهِ بُرُوقُ تِهَامَةَ وَرُعُودُهَا وَصَوَاعِقُهَا، وَإِنَّ الْقَوْمَ يُصِيبُهُمْ مِثْلَ الَّذِي يُصِيبُكُمْ. وَجَاءَتْ صَاعِقَةٌ مِنَ الْغَدِ فَقَتَلَتْ مِنْ أَصْحَابِ ابْنِ الزُّبَيْرِ جَمَاعَةً كَثِيرَةً أَيْضًا، فَجَعَلَ الْحَجَّاجُ يَقُولُ: أَلَمْ أَقُلْ لَكُمْ إِنَّهُمْ يُصَابُونَ مِثْلَكُمْ، وَأَنْتُمْ عَلَى الطَّاعَةِ وَهُمْ عَلَى الْمُخَالَفَةِ؟ وَكَانَ أَهْلُ الشَّامِ يَرْتَجِزُونَ وَهُمْ يَرْمُونَ بِالْمَنْجَنِيقِ ; يَقُولُونَ: خَطَّارَةٌ مِثْلُ الْفَنِيقِ الْمُزْبِدِ ... نَرْمِي بِهَا عُوَّاذَ هَذَا الْمَسْجِدِ فَنَزَلَتْ صَاعِقَةٌ عَلَى الْمَنْجَنِيقِ فَأَحْرَقَتْهُ، فَتَوَقَّفَ أَهَّلُ الشَّامِ عَنِ الرَّمْيِ وَالْمُحَاصَرَةِ، فَخَطَبَهُمُ الْحَجَّاجُ فَقَالَ: وَيْحَكُمُ، أَلَمْ تَعْلَمُوا أَنَّ النَّارَ كَانَتْ تَنْزِلُ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَنَا فَتَأْكُلَ قُرْبَانَهُمْ إِذَا تُقُبِّلَ مِنْهُمْ؟ فَلَوْلَا أَنَّ عَمَلَكُمْ مَقْبُولٌ مَا نَزَلَتِ النَّارُ فَأَكَلَتْهُ. فَعَادُوا إِلَى الْمُحَاصَرَةِ. وَمَا زَالَ أَهْلُ مَكَّةَ يَخْرُجُونَ إِلَى الْحَجَّاجِ بِالْأَمَانِ، وَيَتْرُكُونَ ابْنَ الزُّبَيْرِ، حَتَّى خَرَجَ إِلَيْهِ قَرِيبٌ مِنْ عَشَرَةِ آلَافٍ، فَأَمَّنَهُمْ، وَقَلَّ أَصْحَابُ ابْنِ الزُّبَيْرِ جِدًّا، حَتَّى خَرَجَ إِلَى الْحَجَّاجِ حَمْزَةُ وَخُبَيْبٌ ابْنَا عَبْدِ اللَّهِ ابْنِ الزُّبَيْرِ، فَأَخَذَا
পৃষ্ঠা - ৭০৭০


আপনি আমার প্রজ্ঞার সঙ্গে আরো প্রজ্ঞা বাড়িয়ে দিলেন ৷ আপনি দেখবেন মা ! আমি এই
আজই খুন হয়ে যাব ৷ তাতে আপনার দুঃখ যেন বৃদ্ধি না পায় ৷ আপনি আমাকে আল্লাহর
সিদ্ধান্তের কাছে র্সপে দিন ৷ কেননা, আপনার পুত্র কখনো কোন অন্যায় করার ইচ্ছা করেনি,
কখনো কোন অশ্লীল কাজ করেনি, আল্লাহর বিধানে বাড়াবাড়ি করে নি, কাউকে নিরাপত্তা দিয়ে
বিশ্বাসঘাতকতা করে নি, কোন মুসলিম ও চুক্তিবদ্ধ ব্যক্তির উপর জুলুম করার ইচ্ছা করে নি ৷
কখনো এমন হয়নি যে, আমার নিকট কোন কর্মকর্তার নামে জুলুম করার না ৷৷লিশ্ এসেছে আর
আমি তাকে প্রশ্রয় দিয়েছি ৷ আমি বরং তাকে অপছন্দই করেছি ৷ আমার নিকট আমার প্রভুর
সন্তুষ্টির চাইতে কোন বস্তু ড্ডাপুিকায়যােগ্য নেই ৷ হে আল্লাহ ! আমাকে আমার নিজের এবং
অন্যদের তুলনায় তুমিশ্ই ভাল জান ৷ কিন্তু আমি এসব বলছি, আমার মাকে সান্তুনা দেয়ার
জন্য, যাতে তিনি আমার কথা ভুলে যান ৷ একথা শুনে তার মা তাকে বললেন, আ ৷মি আল্লাহর
নিকট এই কামনা করছি, যেন৫ তোমার ব্যাপারে আমার ধৈর্য উত্তম প্রমাণিত হয় ৷ তুমি আমার
অগ্রগামী হও বা আমি তোমার অগ্রগামী হই, তুমি আমার হৃদয়ে রয়েছ ৷ বেরিয়ে পড় হে
আমার পুত্রধন ! আমি দেখব, তোমার পরিণাম কি র্দাড়ায় ৷
ইবনুয যুবাইর বললেন, আল্লাহ আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন আম্মাজ্বান ! আপনি
আগে ও পরে আমার জন্য দৃ’আ করতে ভুলবেন না ৷ মা বললেন, দেখ, মিথ্যার জন্য যে খুন
হয়, আমি তার জন্যও দু আ ত্যাগ করি না ৷ তুমি তো নিহত হচ্ছ সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত
থেকে ৷ তারপর তিনি বললেন, হে আল্লাহ ! এই দীর্ঘ অবস্থায়, উচচস্বরে ক্রন্দন, মক্কা-মদীনার
দ্বি-প্রহরের তৃষ্ণ৷ এবং তার পিতা ও আমার সঙ্গে তার সদাচারের বিনিময়ে তার প্ৰতি তুমি
অনুগ্রহ কর ৷ হে আল্লাহ্ ! আমি তাকে তোমার নির্দেশের কাছে সমর্পণ করলাম এবং আমি
তোমার সিদ্ধান্ত মেনে নিলাম ৷ কাজেই আবদুল্লাহ্ ইবনুয যুবইির-এর উসিলায় তুমি আমাকে
ধৈর্যৰু ধারণকারী ও গােকরগুজারকারীর সওয়াব দান কর ৷
তারপর তিনি বিদায় জানানোর জন্য তাকে ধরে নিজের কাছে এসে জড়িয়ে ধরেন ও
কােলাকুলি করেন এবং ইবনুয যুবইিরও মায়ের নিকট থেকে বিদায় গ্রহণের জন্য তাকে গলায়
জড়িয়ে ধরেন ৷ উল্লেখ্য, ইবনুয যুবইির-এর যা শেষ জীবনে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন ৷ জড়িয়ে
ধরার পর তিনি বুঝতে ৩পারেন যে, তার পুত্র লোহার বর্ম পরিহিত ৷ তাই তিনি বললেন, বৎস !
এ-ভাে শাহাদাত প্রত্যাশী মানুষের পোশাক নয় ৷
ইবনুয যুবাইর বললেন, আম্মাজান ! এই পোশাক আপুনার মনোরঞ্জনের জন্য পরিধান
করেছিলাম ৷ মা বললেন, না বৎস ! তুমি বরং এগুলো খুলে ফেল ৷ অপত্যা ইবনুয যুবাইর
লৌহবর্ম খুলে ফেলে অবশিষ্ট পোশাক পরিধান করতে লাগলেন এবং নিজেকে শক্ত
করলেন ৷ তখন তার মা বলছিলেন, কাপড় পায়ের গোছা থেকে উপরে উঠাও ৷ আর ইবনুয
যুবাইর পোশাকের নিস্নাৎ শ সংরক্ষণ করতে লাগলেন, যাতে নিহত হওয়ার পর তার সতর
খুলে না যায় ৷ মা তাকে তার পি৩ ৷ যুবাইর নানা আবু বকর সিদ্দীক, দাদী সাফিয়্যা বিনৃতে
আবদুল মুত্তালিব ও খালা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর শ্রী অএয়শা (রা) এর কথা স্মরণ করিয়ে
দিচ্ছিলেন এবং তাকে আশান্বিত করছিলেন যে, শহীদ হলে তুমি তাদের নিকট চলে যাবে ৷
তারপর ইবনুয যুবাইর তার নিকট থেকে বিদায় নিয়ে গেলেন এই সাক্ষাৎই ছিল মায়ের
’ সঙ্গে আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর এর শেষ সাক্ষা ৷ত আল্লাহ তাদের উভয়ের প্ৰতি তার পিতা
ও নানার প্রতি সন্তুষ্ট হোন ৷




لِأَنْفُسِهِمَا أَمَانًا مِنَ الْحَجَّاجِ فَأَمَّنَهُمَا، وَدَخَلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ عَلَى أُمِّهِ فَشَكَا إِلَيْهَا خِذْلَانَ النَّاسِ لَهُ، وَخُرُوجَهُمْ إِلَى الْحَجَّاجِ حَتَّى أَوْلَادِهِ وَأَهْلِهِ، وَأَنَّهُ لَمْ يَبْقَ مَعَهُ إِلَّا الْيَسِيرُ، وَلَمْ يَبْقَ لَهُمْ صَبْرُ سَاعَةٍ، وَالْقَوْمُ يُعْطُونَنِي مَا شِئْتُ مِنَ الدُّنْيَا، فَمَا رَأْيُكِ؟ فَقَالَتْ: يَا بُنَيَّ، أَنْتَ أَعْلَمُ بِنَفْسِكَ ; إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّكَ عَلَى حَقٍّ وَتَدْعُو إِلَى حَقٍّ فَاصْبِرْ عَلَيْهِ، فَقَدْ قُتِلَ عَلَيْهِ أَصْحَابُكَ، وَلَا تُمَكِّنْ مِنْ رَقَبَتِكَ، يَلْعَبْ بِهَا غِلْمَانُ بَنِي أُمَيَّةَ، وَإِنْ كُنْتَ إِنَّمَا أَرَدْتَ الدُّنْيَا فَلَبِئْسَ الْعَبْدَ أَنْتَ ; أَهْلَكْتَ نَفْسَكَ وَأَهْلَكْتَ مَنْ قُتِلَ مَعَكَ، وَإِنْ كُنْتَ عَلَى حَقٍّ فَمَا وَهَنَ الدِّينُ، وَإِلَى كَمْ خُلُودُكُمْ فِي الدُّنْيَا؟ الْقَتْلُ أَحْسَنُ. فَدَنَا مِنْهَا، فَقَبَّلَ رَأْسَهَا، وَقَالَ: هَذَا وَاللَّهِ رَأْيِي. ثُمَّ قَالَ: وَاللَّهِ مَا رَكَنْتُ إِلَى الدُّنْيَا وَلَا أَحْبَبْتُ الْحَيَاةَ فِيهَا، وَمَا دَعَانِي إِلَى الْخُرُوجِ إِلَّا الْغَضَبُ لِلَّهِ أَنْ تُسْتَحَلَّ حُرْمَتُهُ، وَلَكِنِّي أَحْبَبْتُ أَنْ أَعْلَمَ رَأْيَكِ، فَزِدْتِينِي بَصِيرَةً مَعَ بَصِيرَتِي، فَانْظُرِي يَا أُمَّاهُ، فَإِنِّي مَقْتُولٌ مِنْ يَوْمِي هَذَا، فَلَا يَشْتَدُّ حُزْنُكِ، وَسَلِّمِي لِأَمْرِ اللَّهِ، فَإِنَّ ابْنَكِ لَمْ يَتَعَمَّدْ إِتْيَانَ مُنْكَرٍ، وَلَا عَمِلَ بِفَاحِشَةٍ قَطُّ، وَلَمْ يَجُرْ فِي حُكْمِ اللَّهِ، وَلَمْ يَغْدُرْ فِي أَمَانٍ، وَلَمْ يَتَعَمَّدْ ظُلْمَ مُسْلِمٍ وَلَا مُعَاهَدٍ، وَلَمْ يَبْلُغْنِي ظُلْمٌ عَنْ عَامِلٍ فَرَضِيتُهُ؛ بَلْ أَنْكَرْتُهُ، وَلَمْ يَكُنْ عِنْدِي آثَرُ مِنْ رِضَا رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ، اللَّهُمَّ إِنِّي لَا أَقُولُ هَذَا تَزْكِيَةً لِنَفْسِي، اللَّهُمَّ أَنْتِ أَعْلَمُ بِي مِنِّي وَمِنْ غَيْرِي، وَلَكِنِّي أَقُولُ ذَلِكَ تَعْزِيَةً لِأُمِّي لِتَسْلُوَ عَنِّي. فَقَالَتْ أُمُّهُ: إِنِّي لَأَرْجُو مِنَ اللَّهِ أَنْ يَكُونَ عَزَائِي فِيكَ حَسَنًا إِنْ تَقَدَّمْتَنِي، أَوْ تَقَدَّمْتُكَ فَفِي نَفْسِي، اخْرُجْ يَا بُنَيَّ حَتَّى أَنْظُرَ مَا يَصِيرُ إِلَيْهِ أَمْرُكَ. فَقَالَ: جَزَاكِ اللَّهُ يَا أُمَّهْ خَيْرًا، فَلَا تَدَعِي الدُّعَاءَ قَبْلُ وَبَعْدُ لِي. فَقَالَتْ: لَا أَدَعَهُ أَبَدًا، فَمَنْ قُتِلَ عَلَى بَاطِلٍ فَلَقَدْ قُتِلْتَ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৭০৭১
حَقٍّ. ثُمَّ قَالَتْ: اللَّهُمَّ ارْحَمْ طُولَ ذَلِكَ الْقِيَامِ فِي اللَّيْلِ الطَّوِيلِ، وَذَلِكَ النَّحِيبِ، وَالظَّمَأِ فِي هَوَاجِرِ الْمَدِينَةِ وَمَكَّةَ، وَبِرَّهُ بِأَبِيهِ وَبِي، اللَّهُمَّ إِنِّي قَدْ سَلَّمْتُهُ لِأَمْرِكَ فِيهِ، وَرَضِيتُ بِمَا قَضَيْتَ، فَقَابِلْنِي فِي عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ بِثَوَابِ الصَّابِرِينَ الشَّاكِرِينَ، ثُمَّ قَالَتْ لَهُ: ادْنُ مِنِّي أُوَدِّعْكَ. فَدَنَا مِنْهَا فَقَبَّلَتْهُ، ثُمَّ أَخَذَتْهُ إِلَيْهَا فَاحْتَضَنَتْهُ لِتُوَدِّعَهُ، وَاعْتَنَقَهَا لِيُوَدِّعَهَا، وَكَانَتْ قَدْ أَضَرَّتْ فِي آخِرِ عُمْرِهَا، فَوَجَدَتْهُ لَابِسًا دِرْعًا مِنْ حَدِيدٍ، فَقَالَتْ: يَا بُنَيَّ، مَا هَذَا لِبَاسُ مَنْ يُرِيدُ مَا تُرِيدُ مِنَ الشَّهَادَةِ. فَقَالَ: يَا أُمَّاهُ، إِنَّمَا لَبِسْتُهُ لِأُطَيِّبَ خَاطِرَكِ، وَأُسَكِّنَ قَلْبَكِ بِهِ. فَقَالَتْ: لَا يَا بُنَيَّ، وَلَكِنِ انْزِعْهُ. فَنَزَعَهُ، وَجَعَلَ يَلْبَسُ بَقِيَّةَ ثِيَابِهِ وَيَتَشَدَّدُ، وَهِيَ تَقُولُ: شَمِّرْ ثِيَابَكَ. وَجَعَلَ يَتَحَفَّظُ مِنْ أَسْفَلِ ثِيَابِهِ ; لِئَلَّا تَبْدُو عَوْرَتَهُ إِذَا قُتِلَ، وَجَعَلَتْ تُذَكِّرُهُ بِأَبِيهِ الزُّبَيْرِ، وَجَدِّهِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، وَجَدَّتِهِ صَفِيَّةَ بِنْتِ عَبْدِ الْمَطْلَبِ، وَخَالَتِهِ عَائِشَةَ زَوْجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتُرَجِّيهِ الْقُدُومَ عَلَيْهِمْ إِذَا هُوَ قُتِلَ شَهِيدًا، ثُمَّ خَرَجَ مِنْ عِنْدِهَا، فَكَانَ ذَلِكَ آخِرَ عَهْدِهِ بِهَا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا وَعَنْ أَبِيهِ وَأَبِيهَا، ثُمَّ قَالَتْ: امْضِ عَلَى بَصِيرَةٍ. فَوَدَّعَهَا، وَخَرَجَ وَهُوَ يَقُولُ: وَلَسْتُ بِمُبْتَاعِ الْحَيَاةِ بِسُبَّةٍ ... وَلَا مُرْتَقٍ مِنْ خَشْيَةِ الْمَوْتِ سُلَّمَا
পৃষ্ঠা - ৭০৭২


ইতিহাসবিদগণ বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর মসজিদুল হারামের দরজা দিয়ে বের
হতে তন ৷ তখন সেখানে অশ্বারোহী ও পদাতিক মিলে পাচশত সৈন্য ছিল ৷ তিনি তাদের উপর
আক্রমণ করতেন ৷ তারা তার থেকে ডানে রায়ে ছড়িয়ে যেত এবং তার ঘোকাবেলায় একজনও
দাড়াতে পারত ন ৷ তখন তিনি বলছিলেন :


আমি যখন আমার দিবসকে ঢিনে ফেলি, তখন আমি ধৈর্যধারণ করি ৷ অথচ, অনেকে
জানা সয়ুত্তুও অস্বীকার করে ৷’
ততক্ষণ হরোম শরীফের দরজাগুলোতে ইবনুয যুবইির এর প্রহরীদের সংখ্যা কমে গেছে ৷
কা বার দরজার সম্মুখস্থ দরজাটি অবরোধ করে রেখেছিল হিম্সবাসী ৷ দামেশক্বাসীঅবরােধ করে
রেখেছিলেন বনু শায়বার দরজা ৷ জর্দানীর৷ অবরোধ করে রেখেছিল বাবুস সাফা ৷ ফিলিস্তী সিরা
অবরুদ্ধ করে রেখেছিল রনু জুমাহু দরজা এবং কিন্নাসিরীনবাসী অবরোধ করে রাখে রনু সাহম
দরজা ৷ প্রতিটি দরজায় একজন করে সেনাপতি নিয়োজিত ছিল ৷ তাদের সঙ্গে ছিল সংশ্লিষ্ট
নগরীর সেনাদল ৷ হাজ্জাজ ও তারিক ইবন আমর ছিলেন আবতাহ-এর দিকে ৷ ইবনুয যুবাইর
যখনই যে দরজা দিয়ে বের হতে ন, তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে দিতেন এবং তাদের বিন্যাস
তছনছ করে দিতেন ৷ অথচ, তিনি বর্মপরিহিত ছিলেন না ৷ তিনি তাদেরকে আবৃতাহ-এর দিকে
তাড়িয়ে নিয়ে যেতেন ৷ তারপর চীৎকার করে বলতে ন, আমার প্রতিপক্ষ যদি একজন হত
তাহলে আমিত তার জন্য যথেষ্ট ছিলাম ৷ জবাবে ইবন সাফওয়ান এবং সিরীয়বাসীও বলত হীা
আল্লাহর শপথ ! এক হাজার যােদ্ধার ডন্যেও আপনি যথেষ্ট ৷
মানজামীকের পাথর গিয়ে ইবনুয যুবাইরের কাপড়ের কো ৷ণে গিয়ে নিক্ষিপ্ত হত ৷ কিন্তু
তাতে তিনি বিচলিত হতেন না ৷ তারপর তাদের দিকে এগিয়ে গিয়ে তিনি তাদের সঙ্গে
লড়াই করতেন, যেন তিনি হিৎস্র ব্যান ৷ মানুষ তার দু :সাহসী আক্রমণ ও বীরত্বে বিস্ময়
প্রকাশ করতে শুরু করে ৷ অবশেষে এই বছরের জুমাদাল উলার সতের তারিখে মঙ্গলবার
ইবনুয ষুবাইর গভীর রাত পর্যন্ত নামায আদায় করেন ৷ তারপর তরবারি ঝুলানাের ফিতা
দ্বারা পা-পিঠ একত্র করে বসলেন ৷ ফলে তিনি তন্দ্রচ্ছেন্ন হয়ে পড়েন ৷ তারপর স্বভাব
অনুযায়ী ফজরের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেগে উঠেন এবং বললেন, সা-দ ! আযান
দাও ৷ সাদ মাকামে ইবরাহীমের নিকট দাড়িয়ে আযান দিলেন ৷ ইবনুয যুবাইর ওয়ু করে
দু’রাকাআত সুন্নাত আদায় করলেন ৷ তারপর ইকামত দেয়া হল ৷ তিনি ফজর আদায়
করলেন ৷ নামাযে তিনি সম্পুর্ণ সুরা নুন১ বর্ণে বর্ণে পাঠ করলেন ৷ তারপর সালাম ফিরিয়ে
আল্লাহ্র প্রশং সা জ্ঞাপন করলেন ৷
তারপর বললেন, তোমরা তোমাদের চেহারাগুলো খুলে দাও আমি তােমাদেরকে দেখব ৷
তারা তাদের চেহারা খুলে দেয় ৷ তারা তখন ছিল শিরস্ত্রাণ পরিহিত ৷ ইবনুয যুবাইর তাদেরকে
উৎসাহ প্রদান করলেন এবৎ যুদ্ধ ও দৃঢ়পদ থাকার জন্য উদ্বুদ্ধ করলেন ৷৩ তারপর উঠে প্রথমে
নিজে আক্রমণ করলেন ৷ পরে তারাও আক্রমণ করল ৷৩ তারা প্রতিপক্ষকে হাজুন পর্যন্ত তাড়িয়ে



১ ইবনুল আছমের বর্ণনায় সুরা নুর ও ইখলাসের উল্লেখ রয়েছে ৷

قَالُوا: وَكَانَ يَخْرُجُ مِنْ بَابِ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ، وَهُنَاكَ خَمْسُمِائَةِ فَارِسٍ وَرَاجِلٍ، فَيَحْمِلُ عَلَيْهِمْ فَيَتَفَرَّقُونَ عَنْهُ يَمِينًا وَشِمَالًا، وَلَا يَثْبُتُ لَهُ أَحَدٌ، وَهُوَ يَقُولُ: إِنِّي إِذَا أَعْرِفُ يَوْمِي أَصْبِرْ ... إِذْ بَعْضُهُمْ يَعْرِفُ ثُمَّ يُنْكِرْ وَيَقُولُ أَيْضًا: الْمَوْتُ أَكْرَمُ مِنْ إِعْطَاءِ مَنَقَصَةٍ ... مَنْ لَمْ يَمُتْ غِبْطَةً فَالْغَايَةُ الْهَرَمُ وَكَانَتْ أَبْوَابُ الْحَرَمِ قَدْ قَلَّ مَنْ يَحْرُسُهَا مِنْ أَصْحَابِ ابْنِ الزُّبَيْرِ، وَكَانَ لِأَهْلِ حِمْصَ حِصَارُ الْبَابِ الَّذِي يُوَاجَهُ بَابَ الْكَعْبَةِ، وَلِأَهْلِ دِمَشْقَ بَابُ بَنِي شَيْبَةَ، وَلِأَهْلِ الْأُرْدُنِ بَابُ الصَّفَا، وَلِأَهْلِ فِلَسْطِينَ بَابُ بَنِي جُمَحَ، وَلِأَهْلِ قِنَّسْرِينَ بَابُ بَنِي سَهْمٍ، وَعَلَى كُلِّ بَابٍ قَائِدٌ، وَمَعَهُ أَهْلُ تِلْكَ الْبِلَادِ، وَكَانَ الْحَجَّاجُ وَطَارِقُ بْنُ عَمْرٍو فِي نَاحِيَةِ الْأَبْطَحِ. وَكَانَ ابْنُ الزُّبَيْرِ لَا يَخْرُجُ عَلَى أَهْلِ بَابٍ إِلَّا فَرَّقَهُمْ وَبَدَّدَ شَمْلَهُمْ، وَهُوَ غَيْرُ مُلْبِسٍ حَتَّى يُخْرِجَهُمْ إِلَى الْأَبْطَحِ، ثُمَّ يَصِيحُ: لَوْ كَانَ قِرْنِي وَاحِدًا كَفَيْتُهُ فَيَقُولُ ابْنُ صَفْوَانَ وَأَهْلُ الشَّامِ أَيْضًا: إِي وَاللَّهِ، وَأَلْفُ رَجُلٍ. وَلَقَدْ كَانَ حَجَرُ الْمَنْجَنِيقِ يَقَعُ عَلَى طَرَفِ ثَوْبِهِ فَلَا يَنْزَعِجُ بِذَلِكَ، ثُمَّ يَخْرُجُ إِلَيْهِمْ، فَيُقَاتِلُهُمْ
পৃষ্ঠা - ৭০৭৩
كَأَنَّهُ أَسَدٌ ضَارٍ، حَتَّى جَعَلَ النَّاسُ يَتَعَجَّبُونَ مِنْ إِقْدَامِهِ وَشَجَاعَتِهِ، فَلَمَّا كَانَ لَيْلَةَ الثُّلَاثَاءِ السَّابِعَ عَشَرَ مِنْ جُمَادَى الْأُولَى مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ بَاتَ ابْنُ الزُّبَيْرِ يُصَلِّي طُولَ لَيْلَتِهِ، ثُمَّ جَلَسَ فَاحْتَبَى بِحَمِيلَةِ سَيْفِهِ، فَأَغْفَى ثُمَّ انْتَبَهَ مَعَ الْفَجْرِ عَلَى عَادَتِهِ، ثُمَّ قَالَ: أَذِّنْ يَا سَعْدُ. فَأَذَّنَ عِنْدَ الْمَقَامِ، وَتَوَضَّأَ ابْنُ الزُّبَيْرِ، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتِي الْفَجْرِ، ثُمَّ أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ فَصَلَّى الْفَجْرَ ثُمَّ قَرَأَ سُورَةَ " ن " حَرْفًا حَرْفًا، ثُمَّ سَلَّمَ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ لِأَصْحَابِهِ: مَا أُرَانِي الْيَوْمَ إِلَّا مَقْتُولًا ; فَإِنِّي رَأَيْتُ فِي مَنَامِي كَأَنَّ السَّمَاءَ فُرِجَتْ لِي، فَدَخَلْتُهَا، وَإِنِّي وَاللَّهِ قَدْ مَلِلْتُ الْحَيَاةَ، وَجَاوَزَتْ سِنِّي اثْنَتَيْنِ وَسَبْعِينَ سَنَةً، اللَّهُمَّ إِنِّي أُحِبُّ لِقَاءَكَ، فَأَحِبَّ لِقَائِي. ثُمَّ قَالَ: اكْشِفُوا وُجُوهَكُمْ حَتَّى أَنْظُرَ إِلَيْكُمْ، فَكَشَفُوا عَنْ وُجُوهِهِمْ وَعَلَيْهِمُ الْمَغَافِرُ، فَحَرَّضَهُمْ وَحَثَّهُمْ عَلَى الْقِتَالِ وَالصَّبْرِ، ثُمَّ نَهَضَ بِهِمْ، فَحَمَلَ وَحَمَلُوا حَتَّى كَشَفُوهُمْ إِلَى الْحَجُونِ، فَجَاءَتْهُ آجُرَّةٌ فَأَصَابَتْهُ فِي وَجْهِهِ، فَارْتَعَشَ لَهَا، فَلَمَّا وَجَدَ سُخُونَةَ الدَّمِ يَسِيلُ عَلَى وَجْهِهِ تَمَثَّلَ بِقَوْلِ بَعْضِهِمْ: وَلَسْنَا عَلَى الْأَعْقَابِ تَدْمَى كُلُومُنَا ... وَلَكِنْ عَلَى أَقْدَامِنَا تَقْطُرُ الدِّمَا ثُمَّ رَجَعَ، فَجَاءَهُ حَجَرُ مَنْجَنِيقٍ مِنْ وَرَائِهِ فَأَصَابَهُ فِي قَفَاهُ فَوَقَذَهُ، ثُمَّ
পৃষ্ঠা - ৭০৭৪


নিয়ে গেল ৷ এ সময়ে একটি ইট এসে৩ তার মুখমণ্ডলে আঘাত হানে ৷ তিনি কেপৈ ওঠেন ৷ যখন
তিনি মুখে রক্তধারা প্রবা হিভ হতে দেখলেন খনত তিনি কবিতা আবৃত্তি করলেনং :


আমাদের জখম আমাদের পায়ের রক্ত প্রবাহিত করে না ৷ কিন্তু আমাদের পায়ের উপর
রক্ত ফৌট৷ নিক্ষিপ্ত হয় ৷ পরক্ষণেই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ৷ তা দেখে শত্রুসেনারা দৌড়ে
এসে তাকে হত্যা করে ফেলে ৷ আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হোন ৷ তারা এসে হাজ্জাজকে সংবাদ
জানায় ৷ হাজ্জাজ সিজদায় লুটিয়ে পড়েন ৷ আল্লাহ তার অমঙ্গল করুন ৷ তারপর তিনি ও
তারিক ইবন আমর ইবনুয যুবইিরশ্এর নিকট গিয়ে দীড়ান ৷ তিনি তখন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে
আছেন ৷ তারিক বললেন, কোন নারী তার চাইতে অধিক সাহসী লোক প্রসৰ করে নি ৷ তা
শুনে হাজ্জাজ্ব বললেন, তুমি কি সেই ব্যক্তির প্রশংসা করছ, যে আমীকাং যু’যিনীন-এর
আনুগত্যের বিরুদ্ধাচরণ করে ? তারিক বললেন, হীা, ইনি প্রশংসার-উপযুক্তৃ বটে ৷ কেননা,
ইনি না হািলন কোন দু র্ভেদ্য দুর্গে, না কোন কাব্রিগায়, না তার অন্য কোন প্রতিরোধ ব্যবস্থা
ছিল ৷ বরং প্রতি ক্ষেত্রে তিনি আমাদের চাইতে অধিক মযদািসম্পন্ন ৷ পরে এ সংবাদ শুনে
আবদুল মালিক তারিককে প্ৰহার করলেন ৷ ন্
ইবন আসাকির হাজ্জাজ ইবন ইউসুফএর জীবনচবিতে কনাি করেছেন যে, হাজ্জাজ যখন
উবনুব য়ুবাইরকে হত্যা করেন, তখন মক্কা আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইরএর জন্য ক্রন্দন করতে
করতে কেপে উঠেছিল ৷ ফলে হাজ্জাজ জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দান করেন ৷ তিনি বললেন,
লোক সকল ! আবদুল্লাহ ইবনুয যুবইির এই উম্মতেৱ ভাল মানুষের একজন ছিলেন ৷ কিন্তু
এক পর্যায়ে তিনি খিলাফহ্র তর জন্য প্ৰলুব্ধ হয়ে এর প্রকৃত হকদারের সঙ্গে বিবাদে লিপ্ত হয়ে
পড়েন এবং হারাম শরীফের অভ্যন্তরে ধর্মাবিরোধী কাজে লিপ্ত হন ৷ ফলে আল্লাহ তাকে তার
যস্ত্রণাদায়ক র্শাস্তি আস্বাদন করা“ম্ ৷ আদম তো আল্লাহর নিকট ইবনুয যুবইির অপেক্ষা অধিক
মর্যাদাবান ছিলেন এবং তিনি ছিলেন জান্নাতে, যা মক্কা অপেক্ষা অধিক মর্যাদন্যেম্পন্ন ৷ কিন্তু
তিনি যখন ম্সক্রমে আল্লাহর আদেশ অমান্য করে নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফলশ্ভক্ষণ করলেন, তখন
আল্লাহ তাকে জান্নাত থেকে রের করে দিলেন ৷ এবার (৩ ৷মরা নামাষে দাড়িয়ে যাও ৷ আল্লাহ
তােমাদেয়প্ৰতি দয়া করবেন ৷
কেউ কেউ, বলেন, হাজ্জজৈ বলেছিলেন, হে মক্কাবাসী ! তোমাদের বড়তৃ ,ও মাহাত্ম্য ইবনুয
যুবাইরকে হত্যা করেছে ৷ ৫কননা, ইবনুয যুবইির এই উস্মতের লোকদের একজন ছিলেন ৷ কিন্তু
একৃ সময়ে তিনি দুনিয়ার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন এবং খিলাফত নিয়ে তার যথাযােগ্য র্ব্যক্তির
সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন ৷ এভাবে তিনি আল্লাহ্ৱআনুগত্য ছুড়ে ফেলেন এবং আল্লাহর হারাম
শরীফের অভ্যন্তরে ধর্যাবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন ৷ মক্কা যদি তাকদীর প্রতিহত করার মত কিছু
হত, তাহলে তা আদ্ম যে জান্নাত থেকে বঞ্চিত হলেন, সেটা প্রতিহত করত ৷
অথচ, আল্লাহ র্তা কে নিজ কুদরভী হাতে সৃষ্টি করেছো, তাতে কুকে দিয়েছেন তীর রুহ
, থেকে, ফোরশতাদ্বের দ্বারা তাকে সিজদা করিয়েছেন ও তাকে সকল কিছুর নাম শিক্ষা
দিয়েছেন ৷ কিন্তু যখন তিনি জ্ঞাবশত আল্লাহর হুকুম অমান্য করলেন, তাকে জান্নাত থেকে
বের করে দিলেন এবং তাকে পৃথিবীতে নামিয়ে দিলেন ৷ অথচ, আদম ইবনুয যুবইির অপেক্ষা


وَقْعَ إِلَى الْأَرْضِ عَلَى وَجْهِهِ، ثُمَّ انْتَهَضَ فَلَمْ يَقْدِرْ عَلَى الْقِيَامِ، وَابْتَدَرَهُ النَّاسُ، فَشَدَّ عَلَيْهِ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ، فَضَرَبَ الرَّجُلَ فَقَطَعَ رِجْلَيْهِ، وَهُوَ مُتَّكِئٌ عَلَى مِرْفَقِهِ الْأَيْسَرِ، وَجَعَلَ يَضْرِبُ وَمَا يَقْدِرُ أَنْ يَنْتَهِضَ حَتَّى كَثُرُوا عَلَيْهِ، فَابْتَدَرُوهُ بِالسُّيُوفِ، فَقَتَلُوهُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَجَاءُوا إِلَى الْحَجَّاجِ فَأَخْبَرُوهُ، فَخَرَّ سَاجِدًا - قَبَّحَهُ اللَّهُ - ثُمَّ قَامَ هُوَ وَطَارِقُ بْنُ عَمْرٍو حَتَّى وَقَفَا عَلَيْهِ، وَهُوَ صَرِيعٌ، فَقَالَ طَارِقُ: مَا وَلَدَتِ النِّسَاءُ أَذْكَرَ مِنْ هَذَا. فَقَالَ الْحَجَّاجُ: تَمْدَحُ مَنْ يُخَالِفُ طَاعَةَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ؟ قَالَ: نَعَمْ، هُوَ أَعْذَرُ لَنَا ; إِنَّا مُحَاصِرُوهُ وَلَيْسَ هُوَ فِي حِصْنٍ وَلَا خَنْدَقٍ وَلَا مَنَعَةٍ يَنْتَصِفُ مِنَّا، بَلْ يُفَضَّلُ عَلَيْنَا فِي كُلِّ مَوْقِفٍ، فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ عَبْدَ الْمَلِكِ صَوَّبَ طَارِقًا. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ فِي تَرْجَمَةِ الْحَجَّاجِ أَنَّهُ لَمَّا قَتَلَ ابْنَ الزُّبَيْرِ ارْتَجَّتْ مَكَّةَ بُكَاءً عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ رَحِمَهُ اللَّهُ، فَخَطَبَ الْحَجَّاجُ النَّاسَ فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ كَانَ مِنْ خِيَارِ هَذِهِ الْأُمَّةِ حَتَّى رَغِبَ فِي الْخِلَافَةِ، وَنَازَعَهَا أَهْلَهَا، وَأَلْحَدَ فِي الْحَرَمِ، فَأَذَاقَهُ اللَّهُ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ، وَإِنَّ آدَمَ كَانَ أَكْرَمَ عَلَى اللَّهِ مِنِ ابْنِ الزُّبَيْرِ، وَكَانَ فِي الْجَنَّةِ، وَهِيَ أَشْرَفُ مِنْ مَكَّةَ، فَلَمَّا خَالَفَ أَمْرَ اللَّهِ وَأَكَلَ مِنَ الشَّجَرَةِ الَّتِي نُهِيَ عَنْهَا أَخْرَجَهُ اللَّهُ مِنَ الْجَنَّةِ، قُومُوا إِلَى صَلَاتِكُمْ يَرْحَمُكُمُ اللَّهُ.
পৃষ্ঠা - ৭০৭৫
وَقِيلَ: إِنَّهُ قَالَ: يَا أَهْلَ مَكَّةَ، بَلَغَنِي إِكْبَارُكُمْ وَاسْتِعْظَامُكُمْ قَتْلَ ابْنِ الزُّبَيْرِ، فَإِنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ كَانَ مِنْ خِيَارِ هَذِهِ الْأُمَّةِ، حَتَّى رَغِبَ فِي الدُّنْيَا، وَنَازَعَ الْخِلَافَةَ أَهْلَهَا، فَخَلَعَ طَاعَةَ اللَّهِ، وَأَلْحَدَ فِي حَرَمِ اللَّهِ، وَلَوْ كَانَتْ مَكَّةُ شَيْئًا يَمْنَعُ الْقَضَاءَ لَمَنَعَتْ آدَمَ حُرْمَةُ الْجَنَّةِ، وَقَدْ خَلَقَهُ اللَّهُ بِيَدِهِ، وَنَفَخَ فِيهِ مِنْ رُوحِهِ، وَأَسْجَدَ لَهُ مَلَائِكَتَهُ، وَعَلَّمَهُ أَسْمَاءَ كُلِّ شَيْءٍ، فَلَمَّا عَصَاهُ أَخْرَجَهُ مِنَ الْجَنَّةِ، وَأَهْبَطَهُ إِلَى الْأَرْضِ، وَآدَمُ أَكْرَمُ عَلَى اللَّهِ مِنِ ابْنِ الزُّبَيْرِ، وَإِنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ غَيَّرَ كِتَابَ اللَّهِ، فَقَالَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ: لَوْ شِئْتُ أَنْ أَقُولَ لَكَ: كَذَبْتَ ; لَقَلْتُ، وَاللَّهِ إِنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ لَمْ يُغَيِّرْ كِتَابَ اللَّهِ، بَلْ كَانَ قَوَّامًا بِهِ، صَوَّامًا، عَامِلًا بِالْحَقِّ. وَكَتَبَ الْحَجَّاجُ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بِمَا وَقَعَ، وَبَعَثَ بِرَأْسِ ابْنِ الزُّبَيْرِ مَعَ رَأْسِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَفْوَانَ، وَعُمَارَةَ بْنِ حَزْمٍ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ، وَأَمَرَهُمْ إِذَا مَرُّوا بِالْمَدِينَةِ أَنْ يَنْصِبُوا الرُّءُوسَ بِهَا، ثُمَّ يَسِيرُوا بِهَا إِلَى الشَّامِ، فَفَعَلُوا مَا أَمَرَهُمْ بِهِ. ثُمَّ أَمَرَ الْحَجَّاجُ بِجُثَّةِ ابْنِ الزُّبَيْرِ فَصُلِبَتْ عَلَى ثَنِيَّةِ كَدَاءٍ عِنْدَ الْحَجُونِ - يُقَالُ: مُنَكَّسَةً - فَمَا زَالَتْ مَصْلُوبَةً حَتَّى مَرَّ بِهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ فَقَالَ: رَحْمَةُ اللَّهِ عَلَيْكَ يَا أَبَا خُبَيْبٍ، أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ كُنْتَ صَوَّامًا قَوَّامًا، ثُمَّ قَالَ: أَمَا آنَ لِهَذَا الرَّاكِبِ أَنْ يَنْزِلَ؟ فَبَعَثَ الْحَجَّاجُ، فَأُنْزِلَ عَنِ الْجِذْعِ، وَدُفِنَ هُنَاكَ. وَدَخَلَ الْحَجَّاجُ إِلَى مَكَّةَ، فَأَخَذَ الْبَيْعَةَ مِنْ أَهْلِهَا لِأَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ
পৃষ্ঠা - ৭০৭৬


অধিক মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি ৷ আর ইবনুয যুবইির আল্লাহর কিতাবকে বিকৃত করেছেন ৷ একথা
বলা মাত্র আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) বলে উঠলেন, আমি যদি বলতে চাই যে, আপনি মিথ্যা
বলেছেন, তাহলে তা মানতে পারি ৷ আল্লাহর শণ থ ! ইবনুয যুবইির আল্লাহর কিতাব বিকৃত
করেন নি ৷ বরং তিনি কুরআনের বাস্তবায়নকড়ারী, অধিক রোয৷ পালনকারীও সৎকর্ম পরায়ণ
ছিলেন ৷

দুতারপর হাজ্জাজ ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করে আবদুল মালিক-এর নিকট পত্র লিখেন এবং
ইবনুয যুবইির এর ছিন্ন মাথা আবদুল্লাহ ইবন আফওয়ান ও উমার৷ ইবন হাযম এর ছিন্ন মাথার
সঙ্গে আবদুল মালিক এর নিকট পাঠিয়ে দেন ৷৩ তারপর তাদেরকে নির্দেশ প্রদান করেন, যখন
তারা মদীনা দিয়ে অতিক্রম করবে, তখন যেন মাথাগুলাে সেখানে স্থাপন করে রাখে এবং পরে
সেগুলো নিয়ে সিরিয়া চলে যায় ৷ হাজ্জাজ-এর নির্দেশ মোতাবেক তারা তা ই করে ৷ মাথাগুলো
তিনি এক আয়দী লোকের হাতে প্রেরণ করেছিলেন ৷ আবদুল মালিক তাকে পাচশত দীনার
পুরস্কার প্রদান করেন ৷ তারপর তিনি একটি র্কাচি চেয়ে নিয়ে ইবনুয যুবাইরের নিহত হওয়ার
আনন্দে নিজের ও তার সন্তানদের কপাল থেকে কিছু চুল কর্তন করেন ৷ আল্লাহ তাদের সঙ্গে
সেই আচরণ করুন, যা তাদের প্রাপ্য ৷

তারপর আবদুল মালিক এর নির্দেশে ইবনুয যুবইির-এর দেহট৷ হাজুন-এর নিকট কাদা
নামক, ঘাটিতে শুলিতে চড়ানাে হয় ৷ লাশটি এভাবে শুলিবিদ্ধ অবন্থায়ই থাকে ৷ কিছুদিন পর
আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) সেই পথ দিয়ে অতিক্রম করেন ৷ লাশ দেখে তিনি বললেন, আল্লাহ

তামার প্রতি ৩রহম করুন হে আবু যুবইির ! হায় ! তুমি তে ৷ অধিক রোযা পালনকারী ও নামায
আদায়কারী ছিলে ! তারপর তিনি বললেন, এই আরোহীটার কি অবতরণ করার সময় হয়নি?
ফলে হাজ্জাজ লোক পাঠিয়ে তাকে শুলি থেকে সামনে এবং তাকে সেখানেই দাফন করা হয় ৷
হাজ্জাজ মক্কায় প্রবেশ করে তার অধিবাসীদের থেকে আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান-এর জন্য
বায়আত গ্রহণ করেন ৷ তারপর এ বছর মানুষকে হজ্জ করানো পর্যন্ত হাজ্জাজ মক্কায়ই অবস্থান
করেন ৷ তখন তিনি মক্কা, ইয়ামামা ও ইয়েমেনের গভর্নর ৷

আমীরুন্স মু মিনীন আবদুল্লাহ ইবনুয যুবইির-এর জীবন-চরিত

তার নাম আবদুল্লাহ ইবনুয যুবইির ইবনুল আওয়াম ইবন খুয়াইলিদ ইবন আসাদ ইবন
আবদুল উঘৃয়৷ ইবন কৃসাই ইবন কিলাব, আবু বকর ৷ কেউ কেউ তাকে আবু থুযাইব আলশ্
কুরায়শী আল আসাদী বলে থাকেন ৷ তিনি মদীনায় হিজরতের পর মুজাহিরদের সর্বপ্রথম
জন্মগ্রহণকারী সন্তান ৷ তার মতে ৷ হলেন আসমা বিনত আবু ববস্ত্র য৷ ভুন্নিতাকাইন’ ৷ আসমা
(রা) যখন হিজরত করেন, তখন আবদুল্লাহ ইবনুয যুবইির তার গর্ভে ৷ তাদের মদীনা
আগমনের পর সর্বপ্রথম কুবায় তার জন্ম হয় ৷

কারো কারো মতে, আসমা বিনত আবু বকর দ্বিতীয় হিজরীর শাওয়াল মাসে আবদুল্লাহ
ইবনুয যুবাইরকে প্রসব করেন ৷ ওয়াকিদী, মুসআব আয-যুবাইরী প্রমুখ এই অভিমত ব্যক্ত
করেছেন ৷ তবে প্রথম অভিমতটিই বেশী সঠিক ৷ তার প্রমাণ হল ইমাম আহমাদ যথাক্রমে
আবু উসামা, হিশাম ও আবু হিশাম সুত্রে আসমা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি
আবদুল্লাহ্কে মক্কায় থাকা অবস্থায় গর্ভে ধারণ করেন ৷ তিনি বলেছেন,৩ তারপর যখন আমি
তাকে গর্ভে নিয়ে রওয়ান৷ হই, তখন আমার গভেরি পুর্ণ মেয়াদ ৷ আমি মদীনায় আগমন করে


عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، وَلَمْ يَزَلِ الْحَجَّاجُ مُقِيمًا بِمَكَّةَ حَتَّى أَقَامَ لِلنَّاسِ الْحَجَّ عَامَهُ هَذَا أَيْضًا، وَهُوَ عَلَى مَكَّةَ وَالْيَمَامَةِ وَالْيَمَنِ. [تَرْجَمَةُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ] وَهَذِهِ تَرْجَمَةُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ هُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ بْنِ خُوَيْلِدِ بْنِ أَسَدِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى بْنِ قُصَيِّ بْنِ كِلَابٍ، أَبُو بَكْرٍ، وَيُقَالُ لَهُ: أَبُو خُبَيْبٍ، الْقُرَشِيُّ الْأَسَدِيُّ، أَوَّلُ مَوْلُودٍ وُلِدَ بَعْدَ الْهِجْرَةِ بِالْمَدِينَةِ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ، وَأُمُّهُ أَسْمَاءُ بِنْتُ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، ذَاتُ النِّطَاقَيْنِ، هَاجَرَتْ بِهِ - وَهِيَ حَامِلٌ بِهِ مُتِمٌ - فَوَلَدَتْهُ بِقُبَاءَ أَوَّلَ مَقْدِمِهِمِ الْمَدِينَةَ، وَقِيلَ: إِنَّمَا وَلَدَتْهُ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ ثِنْتَيْنِ مِنَ الْهِجْرَةِ. قَالَهُ الْوَاقِدِيُّ، وَمُصْعَبُ بْنُ الزُّبَيْرِ وَغَيْرُهُمَا، وَالْأَوَّلُ أَصَحُّ ; لِمَا رَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنْ أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَسْمَاءَ، أَنَّهَا حَمَلَتْ بِعَبْدِ اللَّهِ بِمَكَّةَ، قَالَتْ: فَخَرَجْتُ بِهِ، وَأَنَا مُتِمٌّ، فَأَتَيْتُ الْمَدِينَةَ، فَنَزَلْتُ فَوَلَدْتُهُ، ثُمَّ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَوَضَعْتُهُ فِي حِجْرِهِ، ثُمَّ دَعَا بِتَمْرَةٍ فَمَضَغَهَا ثُمَّ تَفَلَ فِي فِيهِ، فَكَانَ أَوَّلَ مَا دَخَلَ فِي جَوْفِهِ رِيقُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ: ثُمَّ حَنَّكَهُ، ثُمَّ دَعَا لَهُ وَبَرَّكَ عَلَيْهِ، وَكَانَ أَوَّلَ مَوْلُودٍ وُلِدَ فِي الْإِسْلَامِ. وَهُوَ صَحَابِيٌّ جَلِيلٌ، رَوَى عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَادِيثَ، وَرَوَى عَنْ
পৃষ্ঠা - ৭০৭৭


কুবায় অবতরণ করলাম ৷ তখন আমি তাকে প্রসব করলাম ৷ আমি তাকে নিয়ে রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর নিকট গেলাম ৷ তিনিও শকে কোলে তুলে নেন ৷ তারপর একটি খেজুর চেয়ে নিয়ে
সেটি চিবিয়ে তার মুখে লালা দেন ৷ এভাবে সর্বপ্রথম তার পােট যে বস্তুটি প্রবেশ করল, তা
ছিল নবী করীম (না)-এর লাল৷ ৷ আসম৷ (রা) বলেন,৩ তারপর নবী করীম (সা)ত তাকে তাহনীক
করেন, তার জন্য দৃঅ৷ করেন ও তার জন্য বরকত কামনা করেন ৷ কাজেই তিনি ইসলাম যুগে
(মদীনায়) জন্মগ্রহণকারী প্রথম ব্যক্তি ৷

তিনি একজন মহান সাহাবী ছিলেন ৷ তিনি নবী কয়ীম (সা) থেকে বহু হাদীস বর্ণনা
করেছেন ৷ হাদীস বর্ণনা করেছেন৩ তার পিতা, উমর ও উসযান (রা) প্রমুখ থেকে ৷ আর তার
থেকে বর্ণনা করেছেন একদল তাবেয়ী ৷ তিনি কিশোর বয়সে পিতার সঙ্গে জামাল যুদ্ধে
উপস্থিত হয়েছিলেন ৷ হযরত উমর (রা) জাবিয়ায় যে ভাষণ দান করেছিলেন, তিনি তাতেও
উপস্থিত ছিলেন এবং’তার সেই ভাষণ আনুপুর্বিক বর্ণনা করেছেন ৷ এ তথ্যটি একাধিক সুত্রে
প্রমাণিত ৷ তিনি ’কৃন্তুন্তুনিয়ার (কনস্টান্টিনােপাল) যুদ্ধে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে দামেশৃক
গিয়েছিলেন ৷ পরে আরো একবার সে দেশে গিয়েছিলেন ৷ মুআবিয়া ইবন ইয়াযীদ এর মৃত্যুর
পর ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়ার আমলে মানুষ তার হাতে খিলাফতৈর বায় আত গ্রহণ করে ৷
তিনি হিজায, ইয়েমেন, ইরাক, মিশর, খােরাসান এবৎ দামেশ্ ক ব্যতীত সিরিয়ার সব কটি
প্রদেশের শাসন ক্ষমতা লাভ করেন ৷ চৌষট্টি হিজরীতে তার বায় আত গ্রহণের কার্যক্রম সমাপ্ত
হয় ৷ তার শাসনামলে মানুষ সুখ-শাস্তিতে ছিল ৷

একাধিক সুত্রে বর্ণিত আছে যে, আসমা (রা) যখন আবদুল্লাহ্কে নিয়ে হিজরতের উদ্দেশ্যে
মক্কা থেকে রওয়ানা হন, তখন তিনি তার গর্ভে ৷ মুহাজিরদের মদীনা গমনের পর এই
সর্বপ্রথম কুবায় তিনি আবদুল্পাহ্কে প্ৰসব করেন ৷ আসমা বিনত আবু বকর (রা) তাকে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট নিয়ে যান ৷ রাসুলুল্লাহ্ (মা) তাকে তাহনীক করেন এবং তার নাম
রাখেন আবদুল্লাহ ও তার জন্য দুআ করেন ৷ তার জন্যে যুসলমানগণ আনন্দিত হন ৷ কারণ,
ইহুদীদের ধারণা ছিল যে, তারা মুহাজিরদেরকেযাদু করেছে, যার ফলে মদীনায় তাদের কোন
সন্তান তুমিষ্ঠ হবে না ৷ এমতাবস্থায় যখন ইবনুয যুবইির ত্তন্মে লাভ করেন, মুসলমানগণ আল্লাহ
আকবার ধ্বনি তৃললেন ৷ তাকে হত্যা করার সময় সিরীয় বাহিনীকে তাকবীর ধ্বনি দিতে শুনে
হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) বলেছিলেন, আল্লাহর শপথ ! এই লোকটির ভুমিষ্ঠ হওয়ার
পর যা রা তাকবীর ধ্বনি দিয়েছিল, তারা এদের তুলনায় উত্তম, যারা তার খুন হওয়ার সময়
তাকবীর ধ্বনি দিল ৷ তার জন্মের পর হযরত আবু বকর (বা) তার কানে আধান দিয়েছিলেন ৷
যে ব্যক্তি বলেছেন যে, হযরত সিদ্দীক (রা) তাকে বস্ত্রখণ্ডে পেছিয়ে সঙ্গে নিয়ে কাবার
চারদিকে তাওয়াফ করেছিলেন, যে ব্যক্তির ধারণা ভুল ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ সত্য হল,
আবু বকর সিদ্দীক (রা) ইহুদীদের ধারণার বিপরীতে তার জন্মের বিষয়টি প্রচার করার
উদ্দেশ্যে তাকে নিয়ে মদীনায় ঘোরাফেরা করেছিলেন ৷

মুসআব আয-যুবইিরী বলেন, আবদুল্লাহ্র গণ্ডদ্বয় পাতলা ছিল এবং তার দাড়ি ছিল হালকা
যা তার ষাট বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত পুর্ণতা প্রাপ্ত হয় নি ৷ যুব৷ ৷ইর ইবন বক্কোর, আলী ইবন ’
fi!fi§, আবদুল্লাহ ইবন উরওয়া থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কয়েকজন যুবকের
ব্যাপারে কথা বলেছেন ৷ তাদের মধ্যে কতক ট্রুজন হলেন আবদুলুহ ইবন জা ফর, আবদুল্লাহ
ইবনুয যুবাইরুও উমর ইবন আবু সালাম৷ (রা) ৷ তখন বলা হয়েছিল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আপনি


أَبِيهِ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ وَغَيْرِهِمْ، وَعَنْهُ جَمَاعَةٌ مِنَ التَّابِعَيْنِ، وَشَهِدَ الْجَمَلَ مَعَ أَبِيهِ وَهُوَ صَغِيرٌ، وَحَضَرَ خُطْبَةَ عُمَرَ بِالْجَابِيَّةِ، وَرَوَاهَا عَنْهُ بِطُولِهَا، ثَبَتَ ذَلِكَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ. وَقَدِمَ دِمَشْقَ لِغَزْوِ الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ، ثُمَّ قَدِمَهَا مَرَّةً أُخْرَى، وَبُويِعَ بِالْخِلَافَةِ أَيَّامَ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، وَلَمَّا مَاتَ يَزِيدُ غَلَبَ عَلَى الْحِجَازِ وَالْيَمَنِ وَالْعِرَاقَيْنِ وَمِصْرَ وَخُرَاسَانَ وَسَائِرِ بِلَادٍ الشَّامِ إِلَّا دِمَشْقَ، وَتَمَّتِ الْبَيْعَةُ لَهُ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَسِتِّينَ، وَكَانَ النَّاسُ بِخَيْرٍ فِي زَمَانِهِ. وَثَبَتَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَسْمَاءَ، أَنَّهَا خَرَجَتْ بِعَبْدِ اللَّهِ مِنْ مَكَّةَ مُهَاجِرَةً وَهِيَ حُبْلَى بِهِ، فَوَلَدَتْهُ بِقُبَاءَ أَوَّلَ مَقْدِمِهِمِ الْمَدِينَةَ، فَأَتَتْ بِهِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَحَنَّكَهُ، وَسَمَّاهُ عَبْدَ اللَّهِ، وَدَعَا لَهُ، وَفَرِحَ الْمُسْلِمُونَ بِهِ ; لِأَنَّهُ كَانَتِ الْيَهُودُ قَدْ زَعَمُوا أَنَّهُمْ قَدْ سَحَرُوا الْمُهَاجِرِينَ ; فَلَا يُولَدُ لَهُمْ فِي الْمَدِينَةِ، فَلَمَّا وُلِدَ ابْنُ الزُّبَيْرِ كَبَّرَ الْمُسْلِمُونَ، وَقَدْ سَمِعَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ جَيْشَ الشَّامِ حِينَ كَبَّرُوا عِنْدَ قَتْلِهِ، فَقَالَ: أَمَا وَاللَّهِ لَلَّذِينِ كَبَّرُوا عِنْدَ مَوْلِدِهِ خَيْرٌ مِنْ هَؤُلَاءِ الَّذِينَ كَبَّرُوا عِنْدَ قَتْلِهِ. وَأَذَّنَ الصِّدِّيقُ فِي أُذُنَيْهِ حِينَ وُلِدَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا.
পৃষ্ঠা - ৭০৭৮
وَمَنْ قَالَ: إِنِ الصِّدِّيقَ طَافَ بِهِ حَوْلَ الْكَعْبَةِ، وَهُوَ فِي خِرْقَةٍ فَهُوَ وَاهِمٌ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ، وَإِنَّمَا طَافَ الصِّدِّيقُ بِهِ فِي الْمَدِينَةِ لِيَشْتَهِرَ أَمْرُ مِيلَادِهِ عَلَى خِلَافِ مَا زَعَمَتِ الْيَهُودُ. وَقَالَ مُصْعَبٌ الزُّبَيْرِيُّ: كَانَ عَارِضَا عَبْدِ اللَّهِ خَفِيفَيْنِ، وَمَا اتَّصَلَتْ لِحْيَتُهُ حَتَّى بَلَغَ سِتِّينَ سَنَةً. وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُلِّمَ فِي غِلْمَةٍ تَرَعْرَعُوا ; مِنْهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَعُمَرُ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، فَقِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوْ بَايَعْتَهُمْ فَتُصِيبَهُمْ بَرَكَتُكَ، وَيَكُونُ لَهُمْ ذِكْرٌ. فَأُتِيَ بِهِمْ إِلَيْهِ، فَكَأَنَّهُمْ تَكَعْكَعُوا، وَاقْتَحَمَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ: إِنَّهُ ابْنُ أَبِيهِ وَبَايَعَهُ» . وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ شَرِبَ مِنْ دَمِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ; كَانَ
পৃষ্ঠা - ৭০৭৯


যদি তাদের রায় আত নিতেন, তাহলে তারা আপনার বরকত লাভ করত এবং খ্যাতি লাভ
করত ৷ ফলে তাদেরকে নবী কারীম্ (সা) এর নিকট নিয়ে আসা হল ৷ কিন্তু তারা যেন ভয়ে
থমকে যাচ্ছিলেন, কিন্তু আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রা) সরাসরি ঢুকে পড়লেন ৷ দেখে নবী
করীম (না) মুচকি হাসলেন এবং বললেন, এ হল৩ তার বাপের বেটা ৷ তিনি তাকে বায়আর্ত
করে নিলেন ৷

একাধিক সুত্রে বর্ণিত আছে যে, আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (বা) নবী কারীম (সা) এর কিছু
রক্ত পান করেছিলেন ৷ ঘটনাটি হল, নবী করীম (সা) সিঙ্গ৷ দিয়ে একটি ৫পয়াল৷ য় রক্ত রেখে
তা ফেলে দেওয়ার জন্য আবদুল্লাহ্ ইবনুয যুবাইরকে দিলেন ৷ কিন্তু তিনি না ফেলে তা পান
করে নিলেন ৷৩ তা শুনে নবী করীম (সা) র্তাকে বললেন, শপথ ভঙ্গ করা ব্যতীত অন্য কোন
কারণে আগুন ৫ত,ামাকে স্পর্শ করবে না ৷ তুমি মানুষের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং মানুষও
তোমার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৷

অপর এক বর্ণনায় আছে, নবী করীম (সা) তাকে বললেন, আবদুল্লাহ ! এই রক্তগুলো
নিয়ে এমনভাবে ফেলে আস, ৫যন কেউ তোমাকে দেখতে না পায় ৷ কিন্তু কতটুকু দুরে গিয়ে
তিনি সে রক্ত পান করে ফেলেন ৷ তিনি ফিরে আসলে নবী কবীম (সা)৩ তাকে জিজ্ঞাসা
করলেন, রক্ত কী করেছ ? তিনি বললেন আমি তা পান করে ফেলেছি ৷ এ উদ্দেশ্যে যাতে এর
দ্বারা আমার ইলম ও ঈমান বৃদ্ধি পায় ৷ আর যাতে আমার শরীরে আল্লাহ্র রাসুল (সা) এর
একটি অংশও থাকে ৷ আর যমীনের তুলনায় আমার শরীরই তার বেশী উপযুক্ত ৷ তা শুনে নবী
কয়ীম্ (না) বললেন, তুমি সুসৎ বাদ গ্রহণ কর, আগুন কখনো ৫র্তামাকে স্পর্শ করবে না ৷ আর

৷ তুমি মানুষেরদ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং মানুষও তোমার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৷

মুহাম্মদ ইবন সাদ মুসলিম ইবন ইবরাহী ম সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আবু ইমবান আল-জুনী
বলেছেন, নুফ বলতেন, আমি আল্লাহ্র নাযিলকৃত কিভাবে পাচ্ছি ৫য, ইবনুয যুবাইর
খলীফাদের শাহসাওয়ার ৷ ,
হাম্মাদ ইবন ছাবিত আল-বুনানী বলেছেন, আমি একদিন আবদুল্লাহ্ ইবনুয যুবইির-এর
নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম ৷ তিনি তখন মাকামে ইবরাহীমের পেছনে এমনভাবে নামায
পড়ছিলেন,যেন তিনি ৫গড়ে রাখা একটি কাঠ ৷ তিনি একটুও নড়াচড়৷ করছিলেন না ৷ ন্
আ মাশ ইয়াহ্ইয়া ইবন ওয়াছুছাব থেকে বর্ণনা করেছেন যে, ইবনুয যুবইির যখন সিজদা
করতেন, তখন তার পিঠে চভুই এসে পড়ত ৷ চভুইগুলো তার পিঠে উঠানামা করত যেন
তাদের দৃষ্টিতে৩ তিনি দেয়ালের একটি অংশ ছাড়া কিছু নন ৷ অন্যরা বলেন, ইবনুয যুবাইর
রাতে দাড়িয়ে ইৰাদত করতেন ৷ এ অবস্থায়ই রাত পোহাত ৷ আবার রুকুতে যেতেন সে
অবস্থায়ই ভোর হত ৷ সিজদ৷ কর৫ তেন ৷ সেই অবস্থায় ই সকাল হয়ে যেত ৷ অনেকে বলেন,
ইবনুয যুবাইর একদিন রুকু করেন ৷ তাতে তিনি সুরা বাকারা, আল ইমরান, নিসা ও মায়িদা
পাঠ করেন ৷ এর মধ্যে তিনি মাথা ৫৩ালেন নি ৷
আবদুর রাজ্জাক ইবন জুরইিজ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আত৷ বলেন, আমি যখনই ইবনুয
যুবাইরকে নামায আদায় করতে দেখতাম, ৫দখতায তিনি যেন দেবে যাওয়া কোন বস্তু ৷
ইমামাদ আহমাদ বলেন, আবদুর রয্যাক নামায শিখেছেন ইবন জুরইিজ থেকে, ইবন জুরইিজ
আতা থেকে, আতা ইবনুয যুবইির (রা) থেকে, ইবনুয যুবইির (রা) আবুরকর (না) থেকে,
আর আবু বকর সিদ্দীক (বা) শিখেছেন রাসুলুল্লাহ্ (না) থেকে ৷


النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدِ احْتَجَمَ فِي طَسْتٍ، فَأَعْطَاهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ لِيُرِيقَهُ فَشَرِبَهُ، فَقَالَ لَهُ: «لَا تَمَسُّكَ النَّارُ إِلَّا تَحِلَّةَ الْقَسَمِ، وَوَيْلٌ لَكَ مِنَ النَّاسِ، وَوَيْلٌ لِلنَّاسِ مِنْكَ» وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّهُ قَالَ لَهُ: «يَا عَبْدَ اللَّهِ، اذْهَبْ بِهَذَا الدَّمِ فَأَهْرِقْهُ حَيْثُ لَا يَرَاكَ أَحَدٌ فَلَمَّا بَعُدَ عَمَدَ إِلَى ذَلِكَ الدَّمِ فَشَرِبَهُ، فَلَمَّا رَجَعَ قَالَ: مَا صَنَعْتَ بِالدَّمِ؟ قَالَ: عَمَدْتُ إِلَى أَخْفَى مَوْضِعٍ عَلِمْتُ فَجَعَلْتُهُ فِيهِ. قَالَ: فَلَعَلَّكَ شَرِبْتَهُ؟ قَالَ: نَعَمْ. فَقَالَ: لَا تَمَسُّكَ النَّارُ إِلَّا تَحِلَّةَ الْقَسَمِ، وَيْلٌ لِلنَّاسِ مِنْكَ، وَوَيْلٌ لَكَ مِنَ النَّاسِ» فَكَانَتْ تِلْكَ الْقُوَّةُ الَّتِي بِهِ مِنْ ذَلِكَ الدَّمِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثَنَا الْحَارِثُ بْنُ عُبَيْدٍ، ثَنَا أَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ، أَنَّ نَوْفًا الْبِكَالِيَّ كَانَ يَقُولُ: إِنِّي لَأَجِدُ فِي كِتَابِ اللَّهِ الْمُنَزَّلِ أَنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ فَارِسُ الْخُلَفَاءِ. وَقَالَ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ قَالَ: كُنْتُ أَمُرُّ بِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ وَهُوَ يُصَلِّي خَلْفَ الْمَقَامِ كَأَنَّهُ خَشَبَةٌ مَنْصُوبَةٌ لَا يَتَحَرَّكُ. وَقَالَ الْأَعْمَشُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ وَثَّابٍ: كَانَ ابْنُ الزُّبَيْرِ إِذَا سَجَدَ وَقَعَتِ الْعَصَافِيرُ عَلَى ظَهْرِهِ، تَصْعَدُ وَتَنْزِلُ لَا تَرَاهُ إِلَّا جِذْمَ حَائِطٍ. وَقَالَ غَيْرُهُ: كَانَ ابْنُ الزُّبَيْرِ يَقُومُ
পৃষ্ঠা - ৭০৮০


০ ৷ ৷ ৷ : ৷ ৷ ৷ :

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৫৮৫

সৃফিয়ান ইবন উআইনা সুত্রে বর্ণনা করেন ৷,যে ইবনুল মুনকাদির বলেন আমি যখনই
ইবনুয যুবইির (রা) কে নামায আদায়রত দেথ৩ ৷ম ৷ দেখতাম, তিনি যেন একটি গাছের ডাল
বাতাস যাকে দােলাচ্ছে ৷ আর তার আশপাশে মানজানীক নিক্ষিপ্ত পাথর এসে পড়ে থাকত ৷

ন্ লুফিয়ান বলেন, তিনি এমন এমন ব্যক্তি ছিলেন, যেন তিনি তার (পাথরের) ভ্রক্ষেপ করতেন না

এবং তাকে কিছু বলে হিসাব করতেন না

কেউ উমর ইবন আবদুল আবীর-এর নিকট ঘটনা বর্ণনা করল যে, মানজানীকের একটি
পাথরশ্চ গিয়ে মসজিদে নিক্ষিপ্ত হয় ৷৩ তার একটি টুকরা ছিটকে আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইরেব্দাড়ি

ওপলার মধ্যখান দিয়ে চলে দে ল ৷ তিনি তার অবস্থান থেকে একটুও নড়লেন না এবং তার

চেহারায় এর যে ৷ন প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেল না ৷ তা শুনে উমর ইবন আবদুল আযীয
বললেন, লা ইলাহ৷ ইল্লাল্পাহ্ ৷ তুমি যে ঘটনাট৷ শুনিয়েছ, তা আমি আগেই জেনেছি ৷

উমর ইবন আবদুল অষীয একদিন ইবন আবু খুলাইফাকে বললেন, আমাকে আপনি
আৰ্দু ল্লাহ্ ইবনুয যুবইির (রা) সম্পর্কে কিছু বলুন ৷ ইবন আবু খৃল৷ ৷ইফ৷ বললেন, তার চামড়ার
ন্যায় চামড়া, যা পােশব্লু তর উবৃার সওয়ার হয়েছে, তার গোশতের ন্যায় গোশত, যা স্নায়ুর উপর
স্থাপিত হয়েছে, তার স্নায়ুর ন্যায় স্নায়ু যা হাভিদ্রর উপর স্থাপিত হয়েছে, আমি আর কারো দেখি
নি ৷ আবার তার প্রাণের ন্যায় প্রাণ, বা দুই পজেরের মাঝে অবস্থান নিয়েছে, আর দেখি নি ৷
একদা মানজানীক নিক্ষিপ্ত একটি পোড়৷ ইট তার দাড়ি ও বুকের মধ্যখান দিয়ে অতিক্রম
করে ৷ কিন্তু তিনি ভয়ও পেলেন না, সে কারণে কৃরঅ ন তিলাওয়ার্ত বন্ধ’ করলেন না এবং যে
নিয়মে রুকু করতেন, সেই নিয়মের ব্যতিক্রম করে রুকু করলেন না৷ তিনি যখন নামাযে

প্রবেশ করতেন, তখন সব কিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েই তাতে প্রবেশ করতেন ৷ তিনি যখন রুকু

করতেন, তখন এমন হত, যেন শকুন এসে তার পিঠে পতিত হওয়ার উপক্রম হত ৷ যখন
সিজদা করতেন, তখন মনে হত, যেন তিনি একটি ফেলে রাখা কাপড় ৷
আলী ইবনুল জাদ সুত্রে আবদুল কাসিম আল-বগবী বর্ণনা করেন যে, মানসুর ইবন
ঝাযান বলেছেন, ইবনুয যুবইিরকে নামাযে যেতে দেখেছেন এমন এক ব্যক্তি আমার নিকট
বর্ণনা করেছেন যে, ইবনুয যুবইির প্রকৃত নামায আদায়কারী ছিলেন ৷ ইবন আব্বাস (রা)-কে
ইবনুয যুবইির (রা) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, তিনি আল্পাহ্ৱ কিতাবের
পাঠকারী, সুন্নাতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর অনুসারী, আল্লাহর অনুগত এবং আল্লাহ্র ভয়ে গরমের
সময়ও রোয৷ পা লনক৷ ৷রী ছিলেন ৷ তিনি ছিলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর হাওয়ারীর পুত্র ৷ তার মা
হলেন আবু বকর সিদ্দীক (রা) এর কন্যা ৷ আল্লাহর বন্ধুর প্রিয়পাত্রী, আল্লাহ্র রাসুল (সা) এর

,স্তী হযরত আয়েশা (রা)৩ তার খালা ৷ কাণ্ডেইি আল্পাহ্ যাকে অন্ধ করে দিয়েছেন, এমন ব্যক্তি

ছাড়া কেউ তারমর্যাদা তুলতে পারে না ৷

বর্ণিত আছে, ইবনুয যুবইির (রা) একদিন নামায আদায় করছিলেন ৷ এমন সময় ছাদ
থেকে একটি সাপ পড়ে গিয়ে তার পুত্র হাশিম এর পেট পেচিয়ে ধরে ৷৩ তা দেখে মহিলারা
চীৎকার জুড়ে দেয় এবং ঘরের লোকজন ভয় পেয়ে যায় ৷৩ তারা একত্রিত হয়ে সাপটিকে মেরে
ফেলে এবং ছেলেটি রক্ষা পেয়ে যায় ৷৩ তারা এত কিছু করল, অথচ ইবনুয যুবইির নামাযে
এ তই নিম গ্ন ছিলেন যে, তিনি বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ করলেন না এবং জানলেনই না কি ঘটেছে ৷ এ
অবস্থায় সালাম ফেরালেন ৷


لَيْلَهُ حَتَّى يُصْبِحَ، وَيَرْكَعُ لَيْلَهُ حَتَّى يُصْبِحَ، وَيَسْجُدُ لَيْلَهُ حَتَّى يُصْبِحَ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: رَكَعَ ابْنُ الزُّبَيْرِ يَوْمًا فَقَرَأْتُ الْبَقَرَةَ وَآلَ عِمْرَانَ وَالنِّسَاءَ وَالْمَائِدَةَ وَمَا رَفَعَ رَأْسَهُ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ قَالَ: كُنْتُ إِذَا رَأَيْتُ ابْنَ الزُّبَيْرِ يُصَلِّي كَأَنَّهُ كَعْبٌ رَاتِبٌ. وَفِي رِوَايَةٍ: ثَابِتٌ. وَقَالَ أَحْمَدُ: تَعَلَّمَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ الصَّلَاةَ مَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، وَابْنُ جُرَيْجٍ مِنْ عَطَاءٍ، وَعَطَاءٌ مِنِ ابْنِ الزُّبَيْرِ، وَابْنُ الزُّبَيْرِ مِنَ الصِّدِّيقِ، وَالصِّدِّيقُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ الْحُمَيْدِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنِ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ قَالَ: لَوْ رَأَيْتَ ابْنَ الزُّبَيْرِ يُصَلِّي كَأَنَّهُ غُصْنُ شَجَرَةٍ تَصْفِقُهَا الرِّيحُ، وَالْمَنْجَنِيقُ يَقَعُ هَاهُنَا وَهَاهُنَا. قَالَ سُفْيَانُ: كَأَنَّهُ لَا يُبَالِي. وَحَكَى بَعْضُهُمْ لِعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَنَّ حَجَرًا مِنَ الْمَنْجَنِيقِ وَقَعَ عَلَى شُرَّافَةِ الْمَسْجِدِ فَطَارَتْ فِلْقَةٌ مِنْهُ فَمَرَّتْ بَيْنَ لِحْيَةِ ابْنِ الزُّبَيْرِ وَحَلْقِهِ، فَمَا زَالَ عَنْ مَقَامِهِ، وَلَا عُرِفَ ذَلِكَ فِي صَوْتِهِ. فَقَالَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، جَادَ مَا وَصَفْتَ. وَقَالَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ يَوْمًا
পৃষ্ঠা - ৭০৮১
لِابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ: صِفْ لَنَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ. فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا رَأَيْتُ جِلْدًا قَطُّ رُكِّبَ عَلَى لَحْمٍ، وَلَا لَحْمًا عَلَى عَصَبٍ، وَلَا عَصَبًا عَلَى عَظْمٍ مِثْلَهُ، وَلَا رَأَيْتُ نَفْسًا رُكِّبَتْ بَيْنَ جَنْبَيْنِ مِثْلَ نَفْسِهِ، وَلَقَدْ مَرَّتْ آجُرَّةٌ مِنْ رَمْيِ الْمَنْجَنِيقِ بَيْنَ لِحْيَتِهِ وَصَدْرِهِ، فَوَاللَّهِ مَا جَشِعَ وَلَا قَطَعَ لَهَا قِرَاءَتَهُ، وَلَا رَكَعَ دُونَ مَا كَانَ يَرْكَعُ، وَكَانَ إِذَا دَخَلَ فِي الصَّلَاةِ خَرَجَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ إِلَيْهَا، وَلَقَدْ كَانَ يَرْكَعُ فَيَكَادُ يَقَعُ الرَّخَمُ عَلَى ظَهْرِهِ، وَيَسْجُدُ فَكَأَنَّهُ ثَوْبٌ مَطْرُوحٌ. وَقَالَ أَبُو الْقَاسِمِ الْبَغَوِيُّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْجَعْدِ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مَنْصُورِ بْنِ زَاذَانَ قَالَ: أَخْبَرَنِي مَنْ رَأَى ابْنَ الزُّبَيْرِ يَشْرَبُ فِي صَلَاتِهِ، وَكَانَ ابْنُ الزُّبَيْرِ مِنَ الْمُصَلِّينَ. وَسُئِلَ ابْنُ عَبَّاسٍ عَنِ ابْنِ الزُّبَيْرِ فَقَالَ: كَانَ قَارِئًا لِكِتَابِ اللَّهِ، مُتَّبِعًا لِسُنَّةِ رَسُولِ اللَّهِ، قَانِتًا لِلَّهِ، صَائِمًا فِي الْهَوَاجِرِ مِنْ مَخَافَةِ اللَّهِ، ابْنُ حَوَارِيِّ رَسُولِ اللَّهِ، وَأُمُّهُ بِنْتُ الصِّدِّيقِ، وَخَالَتُهُ عَائِشَةُ حَبِيبَةُ حَبِيبِ اللَّهِ، زَوْجَةُ رَسُولِ اللَّهِ، فَلَا يَجْهَلُ حَقَّهُ إِلَّا مَنْ أَعْمَاهُ اللَّهُ. وَرُوِيَ أَنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ كَانَ يَوْمًا يُصَلِّي فَسَقَطَتْ حَيَّةٌ مِنَ السَّقْفِ تَطَوَّقَتْ عَلَى بَطْنِ ابْنِهِ هَاشِمٍ، فَصَرَخَ النِّسْوَةُ، وَانْزَعَجَ أَهْلُ الْمَنْزِلِ، وَاجْتَمَعُوا عَلَى قَتْلِ تِلْكَ
পৃষ্ঠা - ৭০৮২

৫৮৬ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

যুব ইব ইবন বাক্কার যথাত্রন্ মে মুহাম্মদ ইবনুয যাহ্হাক আল খুযামী, আবদুল মালিক
ইবন আবদুল আযীয এবং বিপুল সং খ্যক আলিম সুত্রে বর্ণনা করেন যে, ইবনুয যুবাইর
(বা) এক নাগাড়ে সাতদিন রােযা রাখতে ন ৷ তিনি এক শুক্রবার বোমা রাখতেন এবং
পরবর্তী জুম আর রাত না হওয়া পর্যন্ত আর ইফতার করতে তন না ৷ তিনি মদীনায় রােযা
রাখতেন এবং মক্কায় না গিয়ে ইফতার করতেন না ৷ আবার মক্কায় রােযা রাখভ্রুর্দ ৩ন, মদীনায়
না গিয়ে ইফতার করতেন না ৷ যখন তিনি ইফতার করতেন সববিগ্র যা দ্বারা ইফতার
করতেন, তা হল উদ্রীর দুধ, ঘি ও পিলু (ঘৃ৩ তকুমারী পা৩ার রস) ৷ অপর এক বর্ণনায়
আছে, দুধ তাকে সুস্থ সরল রাখ৩ , মধু তার পিপাসা নিবারণ করত এবং পিলু তার অন্সের
রোগ নিরাময় করত ৷

রাওহ সুত্রে ইবন মাঈন বর্ণনা করেন যে, ইবন আবুমালীকা বলেছেন, ইবনুয যুবাইর (রা)
লাপাতার সাতদিন রোযা রাখতে ন ৷ অথচ, অষ্টম দিন সকাল বেলা যখন তিনি বেরিয়ে
আসতেন, তখন শক্তিমত্তায় তিনি আমাদের সকলের বাড়া থাকতে ন ৷ আরো একাধিক সুত্রে
অনুরুপ বর্ণিত হয়েছে ৷

কেউ কেউ বলেন, ইবনুয যুবাইর (রা) রমযান মাসের মঝামাঝি সময়ে একবার ব্যতীত
আর আহার করতেন না ৷ খালিদ ইবন আবু ইমরান বলেন, ইবনুয যুবাইর মাসের মাত্র তিনদিন
রোযাবিহীন অতিবাহিত করতেন ৷ এবং চল্লিশটি বছর এমনভাবে অতিবাহিত করেছেন যে,
তিনি পিঠ থেকে কাপড় সরান নি ৷ লাইস মুজাহিদ থেকে বর্ণনা করেছেন, ইবনুয যুবইিৱ (বা)
যে পরিমাণ ইবাদত করার শক্তি রাখতেন, অন্য কারো ততটুকু শক্তি ছিল না ৷ একবার ঢল
নেমে বাইতু ল্লাহ্কে প্লাবিত করে ফেলল ৷ ফলে ইবনুয যুবাইর সা৩ার কেটে তাওয়াফ করতে
, শুরু করেন ৷

কেউ কেউ বলেন, তিনটি বিষয়ে ইবনুয ষুবাইর-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করা সম্ভব হত
না ৷ সেগুলো হল, ইবাদত, বীরতু ও বাগ্নিতা ৷ প্রমাণ আছে যে, হযরত উসমান (বা) তীকে
যাইদ ইবন ছাবিত, সাঈদ ইবনুল আস ও আবদুর রহমান ইবনুল হারিছ ইবন হিশাম-এর
দলের অন্তর্ভুক্ত করেন যারা পবিত্র কুরআনের কপি প্রস্তুত করেছেন ৷ সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাৰ্
তাকে হযরত মুআৰিয়া ও তার পুত্র সাঈদ ইবনুল আস ও তার পুত্রের সঙ্গে ইসলামের
খতীবদের অন্তর্ভুক্ত বলে উল্লেখ করেছেন ৷ আবদুল ওয়াহিদ ইবন আইমান বলেছেন, আমি
ইবনুয যুবাইরকে একটি ইযামানী আদানী চাদর গায়ে দিয়ে নামায আদায় করতে দেখেছি ৷
তিনি উচ্চকণ্ঠ লোক ছিলেন ৷ যখন তিনি ভাষণ দান করতেন ৷ তখন আবু কুবাইস ও যারুরা
পর্বতদ্বয় তার ধ্বনির প্রতিধ্বনি করত ৷ তিনি ছিলেন পিঙ্গালবর্ণ ও ক্ষীনকায় ৷ তিনি লম্বা ছিলেন
না ৷ তার কপালে সিজদার চিহ্ন ছিল ৷ তিনি অধিক ইবাদ৩ কারী, মুজতাহিদ, তীক্ষ্মধী, বান্নী,
অধিক রোযা পালনকারী, অধিক নামায আদায়কারী, দুর্ধর্ষ যোদ্ধা ও আত্মমর্যাদাবােধসম্পন্ন
ব্যক্তি ছিলেন ৷ তার ছিল একটি অভিজাত হৃদয় এবং সুউচ্চ হিম্মত ৷ তিনি ছিলেনা হ লকা
শ্াশ্রুমণ্ডিত ৷ মুখমওলে অল্প ক টি ছাড়া কোন সোম ছিল না ৷ কাধ পর্যন্ত তার ঝুলন্ত চুল ছিল,
ছিল হরিদ্রা বর্ণের দাড়ি ৷

আমরা উল্লেখ করে এসেছি যে, ইবনুয যুবাইর (বা) ইবন আবুস সারহ্-এর সঙ্গে বর্বরদের
যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন ৷ স০ খ্যায় তারা ছিল একলাখ বিশ হাজার আর মুসলমানরা ছিল


الْحَيَّةَ، فَقَتَلُوهَا وَسَلِمَ الْوَلَدُ ; فَعَلُوا هَذَا كُلَّهُ وَابْنُ الزُّبَيْرِ فِي الصَّلَاةِ لَمْ يَلْتَفِتْ، وَلَا دَرَى بِمَا جَرَى لِابْنِهِ حَتَّى سَلَّمَ. وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الضَّحَّاكِ الْحِزَامِيُّ، وَعَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، وَمَنْ لَا أُحْصِي كَثْرَةً مِنْ أَصْحَابِنَا، أَنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ كَانَ يُوَاصِلُ الصَّوْمَ سَبْعًا ; يَصُومُ يَوْمَ الْجُمْعَةِ وَلَا يُفْطِرُ إِلَّا لَيْلَةَ الْجُمْعَةِ الْأُخْرَى، وَيَصُومُ بِالْمَدِينَةِ وَلَا يُفْطِرُ إِلَّا فِي مَكَّةَ، وَيَصُومُ بِمَكَّةَ فَلَا يُفْطِرُ إِلَّا فِي الْمَدِينَةِ، وَكَانَ إِذَا أَفْطَرَ أَوَّلُ مَا يُفْطِرُ عَلَى لَبَنِ لِقْحَةٍ، وَسَمْنٍ، وَصَبِرٍ. وَفِي رِوَايَةٍ أُخْرَى: فَأَمَّا اللَّبَنُ فَيَعْصِمُهُ، وَأَمَّا السَّمْنُ فَيَقْطَعُ عَنْهُ الْعَطَشَ، وَأَمَّا الصَّبِرُ فَيُفَتِّقُ الْأَمْعَاءَ. وَقَالَ ابْنُ مَعِينٍ، عَنْ رَوْحٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ الشَّهِيدِ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ قَالَ: كَانَ ابْنُ الزُّبَيْرِ يُوَاصِلُ سَبْعَةَ أَيَّامٍ، وَيُصْبِحُ فِي الْيَوْمِ الثَّامِنِ وَهُوَ أَلْيَثُنَا. وَرُوِيَ مِثْلُهُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَمْ يَكُنْ يَأْكُلُ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ سِوَى مَرَّةٍ وَاحِدَةٍ فِي وَسَطِهِ. وَقَالَ خَالِدُ بْنُ أَبِي عِمْرَانَ: كَانَ ابْنُ الزُّبَيْرِ لَا يُفْطِرُ مِنَ الشَّهْرِ إِلَّا ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، وَمَكَثَ أَرْبَعِينَ سَنَةً لَمْ يَنْزِعْ ثَوْبَهُ عَنْ ظَهْرِهِ. وَقَالَ لَيْثٌ عَنْ
পৃষ্ঠা - ৭০৮৩
مُجَاهِدٍ: لَمْ يَكُنْ أَحَدٌ يُطِيقُ مَا يُطِيقُهُ ابْنُ الزُّبَيْرِ مِنَ الْعِبَادَةِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَلَقَدْ جَاءَ سَيْلٌ مَرَّةً فَطَبَّقَ الْبَيْتَ، فَجَعَلَ ابْنُ الزُّبَيْرِ يَطُوفُ سِبَاحَةً. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: كَانَ ابْنُ الزُّبَيْرِ لَا يُنَازَعُ فِي ثَلَاثٍ: فِي الْعِبَادَةِ، وَالشَّجَاعَةِ، وَالْفَصَاحَةِ، وَقَدْ ثَبَتَ أَنَّ عُثْمَانَ جَعَلَهُ فِي النَّفَرِ الَّذِينَ نَسَخُوا الْمَصَاحِفَ مَعَ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، وَسَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، وَذَكَرَهُ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ فِي خُطَبَاءِ الْإِسْلَامِ مَعَ مُعَاوِيَةَ وَابْنِهِ، وَسَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ وَابْنِهِ، وَقَالَ عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ أَيْمَنَ: رَأَيْتُ عَلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ رِدَاءً يَمَانِيًّا عَدَنِيًّا يُصَلِّي فِيهِ، وَكَانَ صَيِّتًا ; إِذَا خَطَبَ يُجَاوِبُهُ الْجَبَلَانِ أَبُو قُبَيْسٍ، وَزَرُودُ. وَكَانَ آدَمَ نَحِيفًا، لَيْسَ بِالطَّوِيلِ، وَكَانَ بَيْنَ عَيْنَيْهِ أَثَرُ السُّجُودِ، كَثِيرَ الْعِبَادَةِ، مُجْتَهِدًا، شَهْمًا، فَصِيحًا، صَوَّامًا قَوَّامًا، شَدِيدَ الْبَأْسِ، ذَا أَنَفَةٍ، لَهُ نَفْسٌ شَرِيفَةٌ وَهِمَّةٌ عَالِيَةٌ، وَكَانَ خَفِيفَ اللِّحْيَةِ، لَيْسَ فِي وَجْهِهِ مِنَ الشَّعْرِ إِلَّا قَلِيلًا، وَكَانَتْ لَهُ جُمَّةٌ، وَكَانَ لَهُ لِحْيَةٌ صَفْرَاءُ. وَقَدْ ذَكَرْنَا أَنَّهُ شَهِدَ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ قِتَالَ الْبَرْبَرِ ; وَكَانُوا فِي عِشْرِينَ وَمِائَةِ أَلْفٍ، وَالْمُسْلِمُونَ عِشْرِينَ أَلْفًا، فَأَحَاطُوا بِهِمْ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ،
পৃষ্ঠা - ৭০৮৪


বিশ হাজার ৷ ফলে তারা মুসলমানদেরকে চতুর্কিং থেকে ঘিরে ফেলে ৷ এমতাবস্থায় আবদুল্লাহ
ইবনুয যুবইির (রা) কৌশলে ত্রিশজন অশ্বড়ারোহী নিয়ে বর্বর রাজার অভিমুখে রওয়ানা হয়ে
যান ৷ রাজা তখন বাহিনীর পেছনে একাকী অবস্থান করছিলেন এবং তার দাসীগণ তাকেশ্
উটপাখির পালক দ্বারা ছায়া দিচ্ছিল ৷ ইবনুয যুবাইর তার দিকে এগিয়ে যান এবং তার
সন্নিকটে চলে যান৷ মানুষ ধারণা করেছিল, তিনি রাজার নিকট পত্র নিয়ে যাচ্ছেন ৷ কিন্তু
রাজা যখনই তার উদ্দেশ্য আচ করতে পারলেন, তিনি মোড় ঘুরিয়ে পেছন দিকে পালাতে
উদ্যত হলেন ৷ এই সুযোগে আবদুল্লাহ ইবনুয যুবইির যেয়ে গিয়ে তাকে হত্যা করে ফেলেন
এবং তার মাথাটা বিচ্ছিন্ন করে একটি বর্শার মাখায় পেথে নিয়ে তাকবীর ধ্বনি তোলেন ৷
মুসলমানগণও তাকবীর ধ্বনি দিয়ে বর্বর বাহিনীর উপর আক্রমণ করে অল্প সময়ের মধ্যে
তাদের গরাভুত করে ফেলেন ৷ মুসলমানরা তাদের বহু লোককে হত্যা করেন এবং বিপুল
পরিমাণ সম্পদ গনীমত লাভ করেন ৷ ইব ন আবুসৃ সারহ্ ইবনুয যুবাইর-এর মাধ্যমে
সুসংবাদ প্রেরণ করেন ৷ ইবনুয যুবইির (রা) হযরত উসমান (রা)-কে ঘটনা ও ইতিবৃত্ত
গােনান ৷ শুনে উসমান (বা) বললেন, সম্ভব হলে তুমি মিম্বরে দাড়িয়ে জনতাকে এই কাহিনী
শ্যেনাও ৷

ইবনুয যুবইির (রা) বললেন, ঠিক আছে ৷ তিনি মিম্বরে আরোহণ করে জনতার উদ্দেশ্যে
ভাষণ দেন এবং তাদের কাছে ঘটনা প্রবাহ বিবৃত করেন ৷ আবদুল্লাহ বলেন, এক পর্যায়ে আমি
মোড় ঘুরিয়ে দেখি, আমার পিতা যুবাইরও মজলিসে উপস্থিত ৷ তার চেহারাটা যখন আমার
চোখে পড়ল, সঙ্গে সঙ্গে আমার অন্তরে বিরাজমান তার প্রভাবে আমার কণ্ঠ রুদ্ধ হওয়ার
উপক্রম হল ৷ কিন্তু তিনি চোখে ইশারা করলেন, যেন আমি তাকে এগিয়ে যাই ৷ এবার আমি
পুর্বের ন্যায় ভাষণ শুরু করলাম ৷ ভাষণ শেষে আমি যখন মিম্বর থেকে অবতরণ করলাম, তখন
তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ, বৎস ! আমি যখন তোমার ভাষণ শুনলাম, তখন নিশ্চিতভারে
আমার মনে হয়েছিল, যেন আমি আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এৱ ভাষণ শুনছি ৷

আহমাদ ইবন আবুল হাওয়ারী বলেন, আমি আবু সুলইিমান আদ-দারানীকে বলতে
শুনেছি, এক জোছনা রাতে ইবনুয যুবইির (রা) নিজ বাহনে চড়ে সফরে বের হলেন এবং
তাবুকে গিয়ে অবতরণ করলেন ৷ আমি হঠাৎ দেখতে পেলাম, সাদা চুল-দাড়িওয়ালা একজন
বয়ােবৃদ্ধ লোক বাহনে চড়ে আছে ৷ ইবনুয যুবইির তার উপর আক্রমণ করে বললেন ৷ তিনি
বাহন ফেলে রেখে পেছনে সরে যান ৷ ইবনুয যুবাইর তার বাহনটিতে চড়ে স্থান ত্যাগ করেন ৷
বর্ণনাকারী বলেন, লোকটি তাকে হাক দিয়ে বলল, ওহে ইবনুয যুবইির ! আজ রাত যদি
তোমার অম্ভরে আমার একটি সোম প্রবেশ করত, তাহলে তা তোমাকে পাগল বানিয়ে ছাড়ত ৷
ইবনুয যুবইির বললেন, তোমার কোন অংশ আমার অম্ভরে ঢুকবে হে অভিশপ্ত ? এই ঘটনার
সপক্ষে ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে আরো অনেক সমর্থক রয়েছে ৷

আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক ইসহাক ইবন ইয়াহইয়া সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আমির ইবন
আবদুল্লাহ বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবনুয যুবইির উমরাহ্ পালন করে কুরায়শদের এক কাফেলার
সঙ্গে ফেরত বওয়ানা হল ৷ ইয়ানাসিব১ নামক স্থানে পৌছে তারা একটি গাছের নিকট এক
ব্যক্তিকে দেখতে পান ৷ ইবনুয যুবইির একাকী সামনের দিকে এগিয়ে যান ৷ লোকটির নিকটে



১ বনু বকর বা বনু আসাদ অধ্যুষিত পর্বতমালা ৷


فَمَا زَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ يَحْتَالُ حَتَّى رَكِبَ فِي ثَلَاثِينَ فَارِسًا، وَسَارَ نَحْوَ مَلِكِ الْبَرْبَرِ، وَهُوَ مُنْفَرِدٌ وَرَاءَ الْجَيْشِ، وَجَوَارِيهِ يُظَلِّلْنَهُ بِرِيشِ النَّعَامِ، فَسَاقَ حَتَّى انْتَهَى إِلَيْهِ، وَالنَّاسُ يَظُنُّونَ أَنَّهُ ذَاهِبٌ فِي رِسَالَةٍ إِلَيْهِ، فَلَمَّا فَهِمَهُ الْمَلِكُ وَلَّى مُدْبِرًا، فَلَحِقَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ فَقَتَلَهُ، وَاحْتَزَّ رَأْسَهُ، وَجَعَلَهُ فَوْقَ رُمْحِهِ، وَكَبَّرَ وَكَبَّرَ الْمُسْلِمُونَ، وَحَمَلُوا عَلَى الْبَرْبَرِ فَهَزَمُوهُمْ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ، فَقَتَلُوا مِنْهُمْ خَلْقًا كَثِيرًا، وَغَنِمُوا مَغَانِمَ كَثِيرَةً جِدًّا، وَبَعْثَ ابْنُ أَبِي سَرْحٍ بِالْبِشَارَةِ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، فَقَصَّ عَلَى عُثْمَانَ الْخَبَرَ، وَكَيْفَ جَرَى، فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ: أَتَسْتَطِيعُ أَنَّ تُؤَدِّيَ هَذَا لِلنَّاسِ فَوْقَ الْمِنْبَرِ؟ قَالَ: نَعَمْ. فَصَعِدَ ابْنُ الزُّبَيْرِ فَوْقَ الْمِنْبَرِ، فَخَطَبَ النَّاسَ، وَذَكَرَ لَهُمْ كَيْفِيَّةَ مَا جَرَى. قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: فَالْتَفَتُّ فَإِذَا أَبِي الزُّبَيْرُ فِي جُمْلَةِ مِنْ حَضَرَ، فَلَمَّا تَبَيَّنْتُ وَجْهَهُ كَادَ أَنْ يُرْتَجَ عَلَيَّ فِي الْكَلَامِ مِنْ هَيْبَتِهِ فِي قَلْبِي، فَزَبَرَنِي بِعَيْنِهِ، وَأَشَارَ إِلَيَّ لِيَحْصِبَنِي، فَمَضَيْتُ فِي الْخُطْبَةِ كَمَا كُنْتُ، فَلَمَّا نَزَلْتُ قَالَ: وَاللَّهِ لَكَأَنِي أَسْمَعُ خُطْبَةَ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ حِينَ سَمِعْتُ خُطْبَتَكَ يَا بُنَيَّ. وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ أَبِي الْحَوَارِيِّ: سَمِعْتُ أَبَا سُلَيْمَانَ الدَّارَانِيَّ يَقُولُ: خَرَجَ ابْنُ الزُّبَيْرِ فِي لَيْلَةٍ مُقْمِرَةٍ عَلَى رَاحِلَةٍ لَهُ، فَنَزَلَ يَبُولُ، فَالْتَفَتَ فَإِذَا عَلَى الرَّاحِلَةِ شَيْخٌ أَبْيَضُ الرَّأْسِ وَاللِّحْيَةِ، فَشَدَّ عَلَيْهِ ابْنُ الزُّبَيْرِ فَتَنَحَّى عَنْهَا، فَرَكِبَ ابْنُ الزُّبَيْرِ رَاحِلَتَهُ وَمَضَى، قَالَ: فَنَادَاهُ: وَاللَّهِ يَابْنَ الزُّبَيْرِ لَوْ دَخَلَ قَلْبَكَ اللَّيْلَةَ مِنِّي شَعْرَةٌ
পৃষ্ঠা - ৭০৮৫


পৌছে র্তাকে সালাম করেন ৷ কিন্তু লোকটি তার প্রতি ভ্রুক্ষেপ করল না এবং দুর্বলভাবে জবাব
দিল ৷ এবার ইবনুয যুবাইর বাহন থেকে অবতরণ করলেন ৷ কিন্তু লােকটি একটুও নড় ল না ৷
ফলে ইবনুয যুবাইর তাকে বললেন, তুমি ছায়া থেকে সরে যাও ৷ ল্যেকটি অনীহার সাথে সরে
দীড়াল ৷

ইবনুয যুবাইর বলেন, এবার আমি তার হাত ধরে বললাম, কে তুমি ? লােকটি বলল,
আমি একজন পুরুষ জিন, ৷ কথাটা বলামাত্র আমার শরীরের প্রতিটি নােম খাড়া হয়ে উঠে ৷
আমি তাকে নিজের দিকে টেনে এনে বললাম, তুমি জিন হয়ে এভাবে আমার সামনে
আত্মপ্রকাশ করছ ? হঠাৎ দেখলাম, তার নিমাংশ খসে পড়ল ৷ আমি তাকে ধমক দিয়ে
বললাম, তুমি এভাবে আমার নিকট আত্মপ্রকাশ করছ ? অথচ তুমি পৃথিবীর বাসিন্দা ৷ এবার
সে পালিয়ে গেল ৷ আমার সঙ্গীরা এসে বলল, আপনার নিকট যে লোকটি জ্জি সে কোথায় ?
আমি বললাম, যে পালিয়ে গ্যেছ ৷ ইবনুয যুবাইর বলেন, সঙ্গে সঙ্গে তাদের প্রত্যেকে নিজ নিজ
বাহন থেকে মাটিতে পড়ে গেল ৷ আমি তাদেরকে যার যার বাহনে তুলে বেধে গন্তব্যেনিয়ে
আসি ৷ তখন তারা প্রত্যেকে অচেতন ৷

সুফিয়ান ইবন উয়াইন৷ বলেন, ইবনুয যুবাইর বলেছেন, আমি এক রাতে মসজিদুল
হরােম্নে প্রবেশ করলাম ৷ দেখলাম, একদল মহিলা ববৃইতৃল্লাহ্ তাওয়াফ করছে ৷ তারা
আমাকে বিস্মিত করল ৷ তাওয়াফ সমাপ্ত করে তারা বের হল ৷ তারা কোথায় যায়, আমার
জন্য আমিও তাদের পেছনে পেছনে হীটতে শুরু করলাম ৷ তারা মক্কা থেকে বের হয়ে
অকােবায় পৌছল ৷ এবার তারা একটি ৰিরাম গৃহে প্রবেশ করল ৷ আমিও তাদের পেছনে
পেছনে তাতে ঢুকে পড়লাম ৷ দেখলাম, বেশ কজন প্রবীণ লোক বসে আছে ৷ তারা বলল,
ইবনুয যুবাইর ৷ কেন এসেছেন ? আমি বললাম, আমি তাজা পাকা থ্রেজুর চাই ৷ অথচ,
তখন মক্কায় তাজা পাকা খেজুর ছিল না ৷ তারা আমাকে কতগুলো খেজুর দিল ৷ আমি
খেলায় ৷ তারপর তারা বলল, অবশিষ্টগুলো সঙ্গে নিয়ে যান ৷ আমি সেগুলো বাড়িতে নিয়ে
এসে একটি পাত্রে ভরে বাক্ার মধ্যে রেখে দিলাম ৷ তারপর ঘুমাবার জন্য বিছানয় মাথা
রাখলাম ৷ তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় আমি ঘছুরর মধ্যে শোরগােল শুনতে পেলাম ৷ শুনলাম,
একজন অপরজনকে বলছে, লোকটা থেজুরগুলাে কোথায় রাথল ? অন্যরা বলল, বাক্সের
ভেতরে ৷ তারা বকােটা খুলল, দেখতে পেল, থেজুরগুলো একটি পাত্রের মধ্যে রাখা ৷ তারা
ন্পত্রেট৷ খুলতে চাইল, একজন বলল, তিনি রাখার সময় বিসমিল্লাহ্ বলেছেন ৷ ফলে তারা
ভেতরের জিনিসসহ পাএটা নিয়ে চলে গেল ৷ ইবনুয যুবাইর বলেন, এখন আমার
আফস্যেস হয়, ল্যেকগুলাে আমার ঘরে থাকা সত্বেও কেন আমি সেদিন তাদের উপর

ঝাপিয়ে পড়লাম না ৷

ইয়াউমুদ্দার (উসমান হত্যার দিন)-এ যারা হযরত উসমান (রা)-এর পক্ষে মোকাবেলা
করেছিলেন, আবদুল্লাহ্ ইবনুয যুবাইর (বা) তাদের একজন ছিলেন ৷ সেদিন তিনি তেরটি
আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিলেন ৷ জামাল যুদ্ধের দিন তিনি পদাতিক বাহিনীর সেনা অধিনায়ক ছিলেন ৷
সেই যুদ্ধে তিনি উনিশটি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিলেন ৷ সেদিন তিনি এবং মালিক ইবনুল হারিছ
ইবন আশতার দ্বন্দ্ব যুদ্ধে অবতীর্ণ হন৷ এক পর্যায়ে তারা একে অপরকে জা পটে ধরেন ৷
অবশষে মালিক ইবনুল হারিছ ইবনুয ষুবাইরকে ধরাশায়ী করে ফেলেন বিস্তু ইবনুয যুবাইবকে
ছাড়িয়ে উঠে দীড়াতে পারলেন না ৷ বরং ইবন যুবাইর মালিককে জড়িয়ে ধরে ছুাক দিতে শুরু


لَخَبَلْتُكَ. قَالَ: وَمِنْكَ أَنْتَ يَا لَعِينُ يَدْخُلُ قَلْبِي شَيْءٌ؟ ! وَقَدْ رُوِيَ لِهَذِهِ الْحِكَايَةِ شَوَاهِدُ مِنْ وُجُوهٍ أُخْرَى جَيِّدَةٍ. وَرَوَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ يَحْيَى، عَنْ عَامِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ قَالَ: أَقْبَلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ مِنَ الْعُمْرَةِ فِي رَكْبٍ مِنْ قُرَيْشٍ، فَلَمَّا كَانُوا عِنْدَ التَّنَاضِبِ أَبْصَرُوا رَجُلًا عِنْدَ شَجَرَةٍ، فَتَقَدَّمَهُمُ ابْنُ الزُّبَيْرِ، فَلَمَّا انْتَهَى إِلَيْهِ سَلَّمَ عَلَيْهِ فَلَمْ يَعْبَأْ بِهِ، وَرَدَّ رَدًّا ضَعِيفًا، وَنَزَلَ ابْنُ الزُّبَيْرِ فَلَمْ يَتَحَرَّكْ لَهُ الرَّجُلُ، فَقَالَ لَهُ ابْنُ الزُّبَيْرِ: تَنَحَّ عَنِ الظِّلِّ. فَانْحَازَ مُتَكَارِهًا، قَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ: فَجَلَسْتُ، وَأَخَذْتُ بِيَدِهِ، وَقَلْتُ: مَنْ أَنْتَ؟ فَقَالَ: رَجُلٌ مِنَ الْجِنِّ. فَمَا عَدَا أَنْ قَالَهَا حَتَّى قَامَتْ كُلُّ شَعْرَةٍ مِنِّي فَاجْتَذَبْتُهُ، وَقَلْتُ: أَنْتَ رَجُلٌ مِنَ الْجِنِّ وَتَبْدُو لِي هَكَذَا؟ وَإِذْ لَيْسَ لَهُ سُفْلَةٌ، وَانْكَسَرَ وَنَهَرْتُهُ، وَقُلْتُ: إِلَيَّ تَتَبَدَّى وَأَنْتَ مِنْ أَهْلِ الْأَرْضِ، فَذَهَبَ هَارِبًا، وَجَاءَ أَصْحَابِي، فَقَالُوا: أَيْنَ الرَّجُلُ الَّذِي كَانَ عِنْدَكَ؟ فَقُلْتُ: إِنَّهُ كَانَ مِنَ الْجِنِّ فَهَرَبَ. قَالَ: فَمَا مِنْهُمْ رَجُلٌ إِلَّا سَقَطَ إِلَى الْأَرْضِ عَنْ رَاحِلَتِهِ، فَأَخَذْتُ كُلَّ رَجُلٍ مِنْهُمْ، فَشَدَدْتُهُ عَلَى رَاحِلَتِهِ، حَتَّى أَتَيْتُ بِهِمْ أَمَجَ وَمَا يَعْقِلُونَ. وَقَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ: قَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ: دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ ذَاتَ لَيْلَةٍ، فَإِذَا نِسْوَةٌ يَطُفْنَ بِالْبَيْتِ، فَأَعْجَبْنَنِي، فَلَمَّا قَضَيْنَ طَوَافَهُنَّ خَرَجْنَ، فَخَرَجْتُ فِي إِثْرِهِنَّ ; لِأَعْلَمَ أَيْنَ مَنْزِلُهُنَّ، فَخَرَجْنَ مِنْ مَكَّةَ حَتَّى أَتَيْنَ الْعَقَبَةَ، ثُمَّ انْحَدَرْنَ حَتَّى أَتَيْنَ
পৃষ্ঠা - ৭০৮৬
فَجًّا فَدَخَلْنَ فِي خَرِبَةٍ، فَدَخَلْتُ فِي إِثْرِهِنَّ، فَإِذَا مَشْيَخَةٌ جُلُوسٌ فَقَالُوا: مَا جَاءَ بِكَ يَابْنَ الزُّبَيْرِ؟ فَقُلْتُ لَهُمْ: مَنْ أَنْتُمْ؟ قَالُوا: الْجِنُّ، وَتِلْكَ النِّسْوَةُ نِسَاؤُنَا، فَمَا تَشْتَهِي يَابْنَ الزُّبَيْرِ؟ فَقُلْتُ: أَشْتَهِي رُطَبًا، وَمَا بِمَكَّةَ يَوْمَئِذٍ مِنْ رُطَبَةٍ، فَأَتَوْنِي بِرُطَبٍ فَأَكَلْتُ، ثُمَّ قَالُوا: احْمِلْ مَا بَقِيَ مَعَكَ، فَجِئْتُ بِهِ الْمَنْزِلَ، فَوَضَعْتُهُ فِي سَفَطٍ، وَوَضَعْتُ السَّفَطَ فِي صُنْدُوقٍ، ثُمَّ وَضَعْتُ رَأْسِي لِأَنَامَ، فَبَيْنَمَا أَنَا بَيْنَ النَّائِمِ وَالْيَقْظَانِ إِذْ سَمِعْتُ جَلَبَةً فِي الْبَيْتِ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ: أَيْنَ وَضَعَهُ؟ قَالُوا: فِي الصُّنْدُوقِ. فَفَتَحُوهُ، فَإِذَا هُوَ فِي السَّفَطِ دَاخِلَهُ، فَهَمُّوا بِفَتْحِهِ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ: إِنَّهُ ذَكَرَ اسْمَ اللَّهِ عَلَيْهِ، فَأَخَذُوا السَّفَطَ بِمَا فِيهِ، فَذَهَبُوا بِهِ، قَالَ: فَلَمْ آسَفْ عَلَى شَيْءٍ أَسَفِي كَيْفَ لَمْ أَثِبْ عَلَيْهِمْ وَهُمْ فِي الْبَيْتِ. وَقَدْ كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ مِمَّنْ حَاجَفَ عَنْ عُثْمَانَ يَوْمَ الدَّارِ، وَجُرِحَ يَوْمَئِذٍ بِضْعَ عَشْرَةَ جِرَاحَةً، وَكَانَ عَلَى الرَّجَّالَةِ يَوْمَ الْجَمَلِ، وَجُرِحَ يَوْمَئِذٍ تِسْعَ عَشْرَةَ جِرَاحَةً أَيْضًا، وَقَدْ تَبَارَزَ يَوْمَئِذٍ هُوَ وَمَالِكُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ الْأَشْتَرِ فَاتَّحَدَا فَصَرَعَ الْأَشْتَرُ ابْنَ الزُّبَيْرِ، فَلَمْ يَتَمَكَّنِ الْأَشْتَرُ مِنَ الْقِيَامِ عَنْهُ، بَلِ احْتَضَنَهُ ابْنُ الزُّبَيْرِ وَجَعَلَ يُنَادِي، وَيَقُولُ: اقْتُلُونِي وَمَالِكًا وَاقْتُلُوا مَالِكًا مَعِي فَأَرْسَلَهَا مَثَلًا، ثُمَّ تَفَرَّقَا، وَلَمْ يَقْدِرْ عَلَيْهِ الْأَشْتَرُ، وَقَدْ قِيلَ: إِنَّهُ جُرِحَ يَوْمَئِذٍ
পৃষ্ঠা - ৭০৮৭


করেন তোমরা আমাকে ও মালিককে হত্যা করে ফেল, তোমরা মালিককে আমার সঙ্গে হত্যা
করে ফেল ৷ তারপর তারা পৃথক হয়ে গেলেন ৷ আশতায় ইবনুয ষুরাইরকে কাবু করতে
পারলেন না ৷

কথিত আছে, জামাল যুদ্ধের দিন তার শরীরে তে তাল্লিশঢি আঘাত লেগেছি ল ৷ ই বনুয
ষুবাইরকে র্পাওয়া গেল নিহতদের মাঝে ৷ ৩খনাে তার দেহে প্রাণ অবশিষ্ট ছিল ৷ যে ব্যক্তি
হযরত আয়েশ৷ (রা) কে সুসং বাদ প্রদান করেছিলেন যে, ইবনুয যুব৷ ৷ইর নিহত হন নি ৷ তাতে
তিনি দশ হাজার দিরহাম্ পুরস্কার দিয়েছিলেন এবংঅ ৷ল্লাহ্র সমীপে সিজদায়ে গোকর আদায়
করেছিলেন ৷ আয়েশা (রা) ইরনুয যুরাইরকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন ৷ কারণ, তিনি তার
বোনপো ৷ ইবনুয যুব ইবও আয়েশা (রা) কে তালবাসতেন ৷ উরওয়া থেকে বর্ণিত আছে যে,
হযরত আন্ধ্রয়ুশা (রা) রাসুবুল্লাহ্ (মা) ও আবু বকর (রা) এর পর ইবনুয় যুবাইরকে যতটুকু
তালবাসতেন, তর্তর্টুকু অন্য কাউকে ভালৰাসতেন না ৷ উরওয়৷ বলেন, আমার পিতা এবং
আয়েশা (রা) ইবনুয যুবাইরের জন্য যে পরিমাণ দৃঅ৷ করতেন অন্য কারো জন্য আমি
তাদেরকে যে পরিমাণ দৃ আ করতে দেখি নি ৷ ণ্ ব্রুন্
হযরত ইবন আবু বকর সুত্রে যুবাই র ইবন বাক্কার বর্ণনা করেন, আবদুল্লাহ ইবন উরওয়া
বলেন, আমি একবার বনু জাদার জনৈক তাষাবিদ নাবিগাকে নিরুত্তর করে দিয়েছিলাম ৷
ফলে লোকটি মসজিদুল হারামে আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর এর নিকট গিয়ে নিম্নলিখিত
পঙ্ক্তিগুলে৷ আবৃত্তি করে
স্পো :গ্রা-ণ্ডে
আপনি আমাদেরকে আবু বকরসিদ্দীক (রা) এর শাসনের কথা শুনিয়েছেন ৷ শুনিয়েছেন
উসমান ও ফারুক (রা) এর কথা ৷৩ তাদের সুশাসনে অভাবী মানুষ শান্তি লাভ করেছিল ৷
অধিকারের বেলায় আপনি মানুষের মাঝে সমতা সৃষ্টি করেছেন ৷ ফলে তারা সমান হয়ে
গেছে ৷ এখন আবার ঘোর অমানিশা নেমে এসেছে ৷ আবু লাইলা আপনার সমীপে এসেছে এই
উদ্দেশ্যে যে, বীর যোদ্ধ৷ যেভাবে বিজন মরু প্রান্তর অতিক্রম করে, তেমনি সে অন্ধকারকে

অতিক্রম্কব্রবৈ ৷

তাতে আশা করা যায় যে, আপনি এমন এক শরণার্থীকে আশ্রয় দান করবেন, রাতের
বিবউন ও হাড় ভেদকারী কাল যার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতক্তা করেছে ৷ তা শুনে ইবনুয যুবাইর
তাকে বললেন, নিজেকে তার মুক্তৃ রয়ে হে আবুলাইলা ৷ কারণ, আমাদের নিকট কাব্য হল
তোমার সবচাইতে দুর্বল পত্র ৷ আর তার পরিচ্ছন্নতা যুবাইর বংশের জন্য নয় ৷ পক্ষান্তরে তার


بِضْعًا وَأَرْبَعِينَ جِرَاحَةً، وَلَمْ يُوجَدْ إِلَّا بَيْنَ الْقَتْلَى وَبِهِ رَمَقٌ، وَقَدْ أَعْطَتْ عَائِشَةُ لِمَنْ بَشَّرَهَا أَنَّهُ لَمْ يُقْتَلْ عَشَرَةَ آلَافِ دِرْهَمٍ، وَسَجَدَتْ لِلَّهِ شُكْرًا، وَقَدْ كَانَتْ تُحِبُّهُ حُبًّا شَدِيدًا ; لِأَنَّهُ ابْنُ أُخْتِهَا، وَكَانَ عَزِيزًا عَلَيْهَا، وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عُرْوَةَ أَنَّهُ قَالَ: لَمْ تَكُنْ عَائِشَةُ تُحِبُّ أَحَدًا بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبِي بَكْرٍ مِثْلَ حُبِّهَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ. وَقَالَ: وَمَا رَأَيْتُ أَبِي وَعَائِشَةَ يَدْعُوَانِ لِأَحَدٍ مِنَ الْخَلْقِ مِثْلَ دُعَائِهِمَا لِابْنِ الزُّبَيْرِ. وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: حَدَّثَنِي أَخِي هَارُونُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمِّهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُرْوَةَ قَالَ: أَقْحَمَتِ السَّنَةُ نَابِغَةَ بَنِي جَعْدَةَ، فَدَخَلَ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ، فَأَنْشَدَهُ هَذِهِ الْأَبْيَاتِ: حَكَيْتَ لَنَا الصِّدِّيقَ لَمَّا وَلِيتَنَا ... وَعُثْمَانَ وَالْفَارُوقَ فَارْتَاحَ مُعْدِمُ وَسَوَّيْتَ بَيْنَ النَّاسِ فِي الْحَقِّ فَاسْتَوَوْا ... فَعَادَ صَبَاحًا حَالِكُ اللَّيْلِ مُظْلِمُ أَتَاكَ أَبُو لَيْلَى يَجُوبُ بِهِ الدُّجَا ... دُجَى اللَّيْلِ جَوَّابُ الْفَلَاةِ عَثَمْثَمُ لِتَجْبُرَ مِنْهُ جَانِبًا ذَعْذَعَتْ بِهِ ... صُرُوفُ اللَّيَالِي وَالزَّمَانُ الْمُصَمِّمُ
পৃষ্ঠা - ৭০৮৮


ক্ষমা বনু আসাদ তোমার সে ব্যাপারটিতে সম্পুর্ণ উদাসীন ৷ তবে আল্লাহর সম্পদে তোমার
জন্য দু টি ৷গ রয়েছে ৷ এক তা ৷গ হল, তুমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে দেখেছ, তার জন্য ৷ আর
এক ভাগ হল, তুমি মুসলমানদের সঙ্গে গনীমতে শরীক হয়েছ, তার জন্য ৷ তারপর ইবনুয
যুবাইর হাত ধরে তাকে ঘোয়াড়ে নিয়ে গিয়ে তাকে সাতটি উট্রি এবং একটি উট ও একটি
ঘোড়া দান করেন এবং তার বাহনগুলােকে আট৷ খেজুর ও কাপড় দ্বারা বোঝাই করে দেন ৷
এসব পেয়ে বনু জা দার ভাষাবিদ নাবিগাত ড়াহুড়৷ শুরু করে দেয় এবং শস্যদান৷ যেতে শুরু
করেন ৷

ইবনুয যুবাইর বললেন, তুমি ধ্বং স হও হে আবু লাইল৷ ! কষ্ট অনেক হয়েছে ৷ লোকটি
বলল, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বলতে শুনেছি, কুরায়শ ক্ষমতা লাভ
করবে এবং তারা ন্যায় অনুযায়ী শাসন করবে ৷৩ তাদের নিকট অনুগ্রহ কামনা করা হলে তারা
অনুগ্রহ করবে ৷ তারা যখন কথা বলবে, সত্য বলবে এবং কল্যাণেৱ প্রতিশ্রুতি ৩দািয় তা পুরণ
করবে ৷ আর আমিও (নবীগা) হলাম দ্রুতপামী ঝড়ের অগ্রগামী ৷

নাসীর আল-আয়দী সুত্রে মাজালিস৷ গ্রন্থের লেখক মুহাম্মদ ইবন মারওয়ান বর্ণনা করেন
যে, সুলাইম৷ আল-মাখযুনী বলেন, মুআবিয়া (রা) একদিন লোকদেরকে আহবান জানালেন ৷
তারা এসে তার নিকট সমবেত হল ৷ মাহফিল বসল ৷ মুআবিয়৷ (রা)৩ তার সিংহাসনে উপবিষ্ট ৷
তিনি জনতার মাঝে চোখ বুলিয়ে বললেন, তোমরা আমাকে আরবের পুর্ববর্তী লোকদের এমন
তিনটি পঙ্ক্তি আবৃত্তি করে শোনাও, যা হবে আরবের সর্বাপেক্ষা বেশী ব্যাপক অর্থ্যবাধক
পঙ্ক্তি ৷ তারপর বললেন, আবু খুবইিব ! আবু খুবইিব বললেন, জী হী ৷

মুআবিয়া (রা) বললেন, তুমি আবৃত্তি কর ৷ আবু খুবইিব বললেন, হ্যা শোনব হে
আমীরুল মু’মিনীন ! ত বে প্রতিটি পঙ্ক্তির বিনিময়ে এক লাখ করে আমাকে তিন লাখ দীনার
প্রদান করতে হবে৷ মুআবিয়৷ (রা) বললেন, দেব, যদি তা ঠিক ঠিকৃ হয় ৷ আবু খুবইিব
বললেন, আপনি ভাল জানেন ৷ আর আপনিই যথেষ্ট ৷৩ তারপর আবু খুবইিব আফ্ওয়াহ্ আল-
আঘৃদীর নিম্নবর্ণিত পঙ্ক্তিগুলে৷ আবৃত্তি করে শোনান ৷

এা ন্তব্লু

আমি যুগ যুগ ধরে মানুষকে পরীক্ষা করেছি ৷ কিন্তু প্র৩ ৷রক আর চাপাবাজ ছাড়া কাউকে

পাইনি’ ৷ মুআবিয়া (রা) বললেন, যে সত্য বলেছে ৷

বিপদাপদে মানুষের পারস্পরিক শত্রুতা অপেক্ষা বড় আঘাত ও চক্রাস্ত আর কিছু আমি
দেখিনি’ ৷ মু আবিযা (রা) বললেন, যে স৩৷ বলেছে ৷

এ্যা১ব্লু

আমি সব কিছুর আস্বাদন করেছি ৷ তবে ড়িক্ষা করা অপেক্ষা তিক্ত বিষয় দ্বিতীয়টি
নেই’ ৷ মুআবিয়৷ (রা) বললেন, যে সত্য বলেছে ৷ তারপর মুআবিয়া (রা) বললেন, আস
খুবইিব খুবইিব বললেন, কোথায় যাব ? বর্ণনাকারী বলেন, এবার মুআবিয়া ত্রিশজন
গোলামকে ডেকে পাঠান তারা প্রত্যেকে যাতে করে একটি থলে নিয়ে আসে ৷ প্রতিটি থলের
মধ্যে দশ হাজার দিরহাম ছিল ৷ র্তার৷ ইবনুয যুব ইব (রা) এর সামনে সামনে হোট তার ন্
গৃহে পৌছে যায় ৷


فَقَالَ لَهُ ابْنُ الزُّبَيْرِ: هَوِّنْ عَلَيْكَ أَبَا لَيْلَى، فَإِنَّ الشِّعْرَ أَهْوَنُ وَسَائِلِكَ عِنْدَنَا، أَمَّا صِفْوَةُ مَالِنَا فَلِآلِ الزُّبَيْرِ، وَأَمَّا عَفْوُهُ فَإِنَّ بَنِي أَسَدٍ يَشْغَلُهَا عَنْكَ وَتَيْمًا، وَلَكِنْ لَكَ فِي مَالِ اللَّهِ حَقَّانِ: حَقٌّ بِرُؤْيَتِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَحَقٌّ لِشَرِكَتِكَ أَهْلَ الْإِسْلَامِ فِي فَيْئِهِمْ. ثُمَّ أَخَذَ بِيَدِهِ فَأَدْخَلَهُ دَارَ النَّعَمِ، فَأَعْطَاهُ قَلَائِصَ سَبْعًا، وَجَمَلًا رَحِيلًا، وَأَوْقَرَ لَهُ الرِّكَابَ بُرًّا وَتَمْرًا وَثِيَابًا، فَجَعَلَ النَّابِغَةُ يَسْتَعْجِلُ، وَيَأْكُلُ الْحَبَّ صِرْفًا، فَقَالَ لَهُ ابْنُ الزُّبَيْرِ: وَيْحَ أَبِي لَيْلَى، لَقَدْ بَلَغَ الْجَهْدُ. فَقَالَ النَّابِغَةُ: أَشْهَدُ لَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَا وَلِيَتْ قُرَيْشٌ فَعَدَلَتْ، وَاسْتُرْحِمَتْ فَرَحِمَتْ، وَحَدَّثَتْ فَصَدَقَتْ، وَوَعَدَتْ خَيْرًا فَأَنْجَزَتْ، فَأَنَا وَالنَّبِيُّونَ فُرَّاطُ الْقَاصِفِينَ» .
পৃষ্ঠা - ৭০৮৯
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ مَرْوَانَ صَاحِبُ كِتَابِ " الْمُجَالَسَةِ ": أَخْبَرَنِي حَبِيبُ بْنُ نَصْرٍ الْأَزْدِيُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ دِينَارٍ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ الضَّبِّيُّ، ثَنَا هِشَامُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمَخْزُومِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: أَذِنَ مُعَاوِيَةُ لِلنَّاسِ فَدَخَلُوا عَلَيْهِ، فَاحْتَفَلَ الْمَجْلِسُ، وَهُوَ عَلَى سَرِيرِهِ، فَأَجَالَ بَصَرَهُ فِيهِمْ، ثُمَّ قَالَ: أَنْشِدُونِي لِقُدَمَاءِ الْعَرَبِ ثَلَاثَةَ أَبْيَاتٍ جَامِعَةٍ، مِنْ أَجْمَعَ مَا قَالَتْهَا الْعَرَبُ. ثُمَّ قَالَ: يَا أَبَا خُبَيْبٍ. فَقَالَ: مَهْيَمْ؟ قَالَ: أَنْشِدْنِي ذَلِكَ. فَقَالَ: نَعَمْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، بِثَلَاثِمِائَةِ أَلْفٍ ; كُلُّ بَيْتٍ بِمِائَةِ أَلْفٍ. قَالَ: نَعَمْ، إِنْ سَاوَتْ. قَالَ: أَنْتَ بِالْخِيَارِ، وَأَنْتَ وَافٍ كَافٍ. فَأَنْشَدَهُ لِلْأَفْوَهِ الْأَوَدِيِّ: بَلَوْتُ النَّاسَ قَرْنًا بَعْدَ قَرْنٍ ... فَلَمْ أَرَ غَيْرَ خَتَّالٍ وَقَالِ فَقَالَ: صَدَقَ. وَلَمْ أَرَ فِي الْخُطُوبِ أَشَدَّ وَقْعًا ... وَكَيْدًا مِنْ مُعَادَاةِ الرِّجَالِ فَقَالَ: صَدَقَ.
পৃষ্ঠা - ৭০৯০


আবু ইয়াযীদ আন-নৃমাইরী সুত্রে ইবন আবিদ্দুনিয়া বর্ণনা করেন যে, জুয়াইরিয়৷ বলেন,
যুআবিয়া (রা ) যখন হজ্জ করেন তখন লোকজন তার নিকট এসে সাক্ষাৎ করে ৷ কিন্তু ইবনুয
যুবাইর পেছনে থেকে যান ৷ তিনি পরে এসেত তার সঙ্গে মিলিত হন ৷ তিনি যখন আ সেন তখন
যু আবিয়া যুণ্ডন করে ফেলেছেন ৷
ণ্ ইবনুয যুবাইর বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন ৷ কত বিরাট আপনার মাথার প্রান্ত ! তিনি
বললেন, দেখুন আবার ওখান থেকে সাপ বেরিয়ে এসে আপনাকে মেরে ফেলে না যেন ৷
যাহােক মুআবিয়া (র ) যখন তাওয়াফে ইফাজ৷ করেন, তখন ইবনুয যুবাইরও তার সঙ্গে
তাওয়াফ করেন ৷ ইবনুয যুব ইব তখন মুআৰিয়ার হাত ধরে রেখেছিলেন ৷ তারপর ইবনুয
যুব ৷ইর (রা) তাকে কু আয় কা আসে অবস্থিত তার ব ৷ড়ি যাওয়া র আহবান জানালেন ৷
মু আ ৷বিয়৷ তার সঙ্গে গেলেন ৷
তারপর যখন দু জন বের হলেন, ইবনুয যুবাইর (রা) বললেন, হে আমীরুল মু ’মিনীন !
মানুষ বলাবলি করছে যে, আমীরুল মু মিনীন তার সঙ্গে তার বাড়ি আসলেন,৩ তিনি তার সঙ্গে
কিরুপ আচরণ করলেন ? না, আল্লাহ্র শপথ ! একলাখ মুদ্রা না দিয়ে আমি আপনাকে ছাড়ব

না ৷ তিনি তাকে এক লাখ মুদ্রা দান করলেন ৷ ইতিমধ্যে মারওয়ান এসে উপস্থিত হলেন ৷

তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ! হে আমীরুল মু’মিনীন ! আপনার ন্যায় মানুষ আমি আর দেখি
নি ৷ আপনার নিকট একজন লোক আসল ৷ তিনি বাইতুল মাল, বই ল খিলাফাহ, অমুক
অমুক ঘরের নাম নিলেন আর আপনি তাকে এক লাখ মুদ্রা দিয়ে দিলেন ! মু আবিয়া (রা)
বললেন, তোমার জন্য আফসােস ! ইবনুয যুবাইর এর সঙ্গে আমি কিরুপ আচরণ্করব বল
উমর ইবন বুকাইর সুত্রে ইবন আবুদ দুনৃয়৷ বর্ণনা করেছেন যে, আলী ইবন মুজাহিদ ইবন

উবওয৷ বলেছেন, ইবনুয যুবাইর মুআবিয়৷ (বা) এর নিকট কিছু প্লাংনি৷ করলেন ৷ কিন্তু

মু আবিয়৷ (বা) তাকে তা দিতে অস্বীকার করলেন ৷ ফলে ইবনুয যুবাইর বললেন, আল্লাহর
শপথ ! আমি এই অবকাঠামােকে তাকড়ে থাকতে তুংাব না ৷ কিন্তু আমি পালি দিয়েও আপনার
মর্যাদা ক্ষুগ্ন করব না এবং আপনার বা শমর্যাদাও গুড়িয়ে দেব না ৷ তবে আমি আমার পাপড়ির
এক হাত সামনে আর এক হাত পেছনে ঝুলিয়ে দিয়ে সিরিয়ার পথে বসে থাকর আর আবু
বকর সিদ্দীক ও উমর (রা)এর চরিত্রের কথা বলে বেড়াব ৷ মানুষ জিজ্ঞাসা করবে ইনি কে ?
আবার তারাই বলবে, ইনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর একান্ত সহচর-এর ও সিদ্দীক কন্যার পুত্র ৷
জবাবে মুআবিয়া বললেন, মর্যাদার জন্য আপনার এটাই যথেষ্ট ৷ তারপর তিনি বললেন,
আপনার প্রয়োজনের কথা বলুন ৷

গাসৃসান ইবন নাসর সুত্রে আসমায়ী বর্ণনা করেন যে, সাঈদ ইবন ইয়াযীদ বলেছেন,
একদিন ইবনুয যুবইির যুআবিয়া (রা) এর নির্দেশে তার এক বালক পুত্র৩ ৩াকে চড় দিলেন ৷
ফলে তার মাথা চক্কর দিয়ে উঠে ৷ চৈতন্য ফিরে পে য়ে ইবনুয যুবাইর বালটিকে বললেন,
আমার কাছে এস ৷ ৫ছলেটি তার নিকটে এলে তিনি তাকে বললেন,৩ তুমি যুআবিয়াকে চড়
যায় ৷ বালক বলল, তা করব না ৷ ইবনুয যুবাইর বললেন, কেন ? বালক বলল, কারণ, তিনি
আমার পিতা ৷ এবার ইবনুয যুবাইর হাত উপরে লে ছেলেটিকে করে এক চড় মারলেন, যার
ফলে তার মাথাট৷ লাটিম ঘোরাব ন্যায় ঘুরতে শুরু করল ৷ তা দেখে মুআ ৷বিয়া (বা) বললেন,
আপনি এমন একটি ছেলের সঙ্গে এরুপ আচরণ করলেন, যার উপর এখনো শরীয়তের বিধান
জারী হয়নি? প্ইবনুয যুবাইর বললেন, আল্লাহর শপথ ! সে তার লাভক্ষতি বুঝতে শিখেছে ৷
ফলে আমি তাকে আদর শিক্ষা দেয়৷ শ্রেয় মনে করেছি ৷


وَذُقْتُ مَرَارَةَ الْأَشْيَاءِ طُرًّا ... فَمَا شَيْءٌ أَمَرُّ مِنَ السُّؤَالِ فَقَالَ: صَدَقَ. ثُمَّ قَالَ مُعَاوِيَةُ: هِيهِ يَا أَبَا خُبَيْبٍ. قَالَ: إِلَى هَاهُنَا انْتَهَى. قَالَ: فَدَعَا مُعَاوِيَةُ بِثَلَاثِينَ عَبْدًا، عَلَى عُنُقِ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ بَدْرَةٌ، وَهِيَ عَشَرَةُ آلَافِ دِرْهَمٍ، فَمَرُّوا بَيْنَ يَدَيِ ابْنِ الزُّبَيْرِ حَتَّى انْتَهَوْا إِلَى دَارِهِ. وَرَوَى ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا عَنْ أَبِي يَزِيدَ النُّمَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي عَاصِمٍ النَّبِيلِ، عَنْ جُوَيْرِيَّةَ بْنِ أَسْمَاءَ، أَنَّ مُعَاوِيَةَ لَمَّا حَجَّ تَلَقَّاهُ النَّاسُ، وَتَخَلَّفَ ابْنُ الزُّبَيْرِ، ثُمَّ جَاءَهُ وَقَدْ حَلَقَ رَأْسَهُ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، مَا أَكْثَرَ جِحَرَةَ رَأْسِكَ؟ فَقَالَ لَهُ: اتَّقِ ; لَا تَخْرُجْ عَلَيْكَ مِنْهَا حَيَّةٌ فَتَقْتُلَكَ. فَلَمَّا أَفَاضَ مُعَاوِيَةُ طَافَ مَعَهُ ابْنُ الزُّبَيْرِ وَهُوَ آخِذٌ بِيَدِهِ، ثُمَّ اسْتَدْعَاهُ إِلَى دَارِهِ وَمَنَازِلِهِ بِقُعَيْقِعَانَ، فَذَهَبَ مَعَهُ إِلَيْهَا، فَلَمَّا خَرَجَا قَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ النَّاسَ يَقُولُونَ: جَاءَ مَعَهُ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ إِلَى دُورِهِ وَمَنَازِلِهِ فَفَعَلَ مَاذَا؟ لَا وَاللَّهِ لَا أَدَعُكَ حَتَّى تُعْطِيَنِي مِائَةَ أَلْفٍ. فَأَعْطَاهُ، فَجَاءَ مَرْوَانَ فَقَالَ: وَاللَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ مَا رَأَيْتُ مِثْلَكَ ; جَاءَكَ رَجُلٌ قَدْ سَمَّى بَيْتَ مَالِ الدِّيوَانِ، وَبَيْتَ الْخِلَافَةِ، وَبَيْتَ كَذَا وَبَيْتَ كَذَا، فَأَعْطَيْتَهُ مِائَةَ أَلْفٍ. فَقَالَ لَهُ: وَيْلَكَ؛ فَكَيْفَ أَصْنَعُ بِابْنِ الزُّبَيْرِ؟ وَقَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا: أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُجَاهِدٍ،
পৃষ্ঠা - ৭০৯১
عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ قَالَ: سَأَلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ مُعَاوِيَةَ شَيْئًا فَمَنَعَهُ، فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا أَجْهَلُ أَنْ أَلْزَمَ هَذِهِ الْبَنِيَّةَ، فَلَا أَشْتُمُ لَكَ عِرْضًا، وَلَا أَقَصِبُ لَكَ حَسَبًا، وَلَكِنِّي أَسْدُلُ عِمَامَتِي مِنْ بَيْنِ يَدَيَّ ذِرَاعًا، وَمِنْ خَلْفِي ذِرَاعًا فِي طَرِيقِ أَهْلِ الشَّامِ، وَأَذْكُرُ سِيرَةَ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ وَعُمَرَ، فَيَقُولُ النَّاسُ: مَنْ هَذَا؟ فَيَقُولُونَ: ابْنُ حَوَارِيِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَابْنُ بِنْتِ الصِّدِّيقِ. فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: حَسْبُكَ بِهَذَا شَرًّا. ثُمَّ قَالَ: هَاتِ حَوَائِجَكَ. وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ: ثَنَا غَسَّانُ بْنُ مُضَرَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَزِيدَ قَالَ: دَخَلَ ابْنُ الزُّبَيْرِ عَلَى مُعَاوِيَةَ، فَأَمَرَ ابْنًا لَهُ صَغِيرًا فَلَطَمَهُ لَطْمَةً دَوَّخَ مِنْهَا رَأْسَهُ، فَلَمَّا أَفَاقَ ابْنُ الزُّبَيْرِ قَالَ لِلصَّبِيِّ: ادْنُ مِنِّي. فَدَنَا مِنْهُ، فَقَالَ لَهُ: الْطِمْ مُعَاوِيَةَ. قَالَ: لَا أَفْعَلُ. قَالَ: وَلِمَ؟ قَالَ: لِأَنَّهُ أَبِي. فَرَفَعَ ابْنُ الزُّبَيْرِ يَدَهُ، فَلَطَمَ الصَّبِيَّ لَطْمَةً جَعَلَ يَدُورُ مِنْهَا كَمَا تَدُورُ الدُّوَّامَةُ، فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: تَفْعَلُ هَذَا بِغُلَامٍ لَمْ تَجْرِ عَلَيْهِ الْأَحْكَامُ؟ قَالَ: إِنَّهُ وَاللَّهِ قَدْ عَرَفَ مَا يَضُرُّهُ مِمَّا يَنْفَعُهُ، فَأَحْبَبْتُ أَنْ أُحْسِنَ أَدَبَهُ. وَقَالَ أَبُو الْحَسَنِ عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَدَائِنِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ قَالَ: لَحِقَ ابْنُ الزُّبَيْرِ مُعَاوِيَةَ وَهُوَ سَائِرٌ إِلَى الشَّامِ مِنَ الْمَدِينَةِ، فَوَجَدَهُ وَهُوَ يَنْعَسُ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৭০৯২




৫৯২ আলশ্বিদয়া ওয়ান নিহয়

আবুল হাসান আলী ইবন মুহাম্মদ আল-মদায়িনী বর্ণনা করেন যে, আবদুল্লাহ ইবন
আবু বকর বলেছেন, মুআৰিয়া (রা) সিরিয়া যাচ্ছিলেন ৷ পথে আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর
এসে তার সঙ্গে মিলিত হন ৷ ইবনুয যুব ইব এক সময়৩ তার বহনে বসে ঝিযুচিছলেন ৷
মু আবিয় তাকে বললেন আপনি ঝিমুচ্ছেন অথচ আমি আপনার “সঙ্গে রয়েছি ৷ আপনার
কি এই ভয় নেই যে আমি আপনাকে খুন করে ফেলতে পাবি ? ইবনুয যুবাইর (রা)
বললেন, আপনি যুদ্ধবজ রাজা বাদশাহ্দের মত লোক নন ৷ প্রতে তক পাখি নিজ নিজ সধ্য
অনুপাতেই শিকার করে থাকে ৷

ইবনুয যুবাইর বলেন, আমি একবার আমার পিতার পতাকার অধীনে অ লী ইবন অবী
তলিব এর নিকট পমন করি ৷ আলী কেমন লোক তা তো আপনি জানেন ৷ তিনি বললেন,
তিনি তে তােমদেবকে তার নাম হাত দিয়ে হত্যা করে ফেলেনঃ ৷ ইবনুয যুবাইর বললেন, তা
হয়েছিল উসমন-এর সহযর্থে ৷ কিন্তু তাতে কাজ হয়নি ৷ যুঅবিয় (রা) বললেন, তা
হয়েছিল আলীর প্ৰতি বিদ্বেষের ফলে ৷ উসমান-এর সাহয্যার্থে নয় ৷ এবার ইবনুয যুবইর’
বললেন, আমরা আপনাকে একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি ৷ যত দিন বেচে থাকি আমরা সেই
প্রতিশ্রুতি পুরণ করব ৷ আপনার পরে যারা আসবে,৩ আর অবশ্যই টের পাবে ৷

যুআৰিয়া (রা) বললেন, শোন , আল্লাহর শপথ আমি তে কাল আপনার জীবনের
আশংকা করি ৷ আমি মনে করি আপনি ফীদে আটক পড়েছেন এবং আপনার ফসকা পেরে
শক্ত হয়ে গেছে ৷ সেই অবস্থার মধ্যে থেকেই আপনি আমাকে তা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন ৷
আমি বললাম, আবদুর রহমান এর পিতার অবস্থা যদি৫৩ ৩মন হত আমার অবস্থা আসলেই
যদি তেমন হত ৷ তাহলে অবশ্যই আমি আপনাকে শান্তভরে ছেড়ে দিতম ৷ অবশ্যই
আপন কে দ্রুত মুক্ত করে দি৩ ম ৷ সােই সময়ের জন্য আপনি ক৩ইন মন্দ অভিভবক !

আবু আবদুল্লাহ্ও অনুরুপ বংনাি করেছেন ৷ উপরে বর্ণিত হয়েছে যে, মু আৰিয়া (রা) যখন ,
ইনতিকাল করেন এবং মদীনায় ইয়াষীদ ইবন মুআযিয়র বয়অত শুরু হয়, তখন ইবনুয ,
যুবাইর ও হুসইন ইবন আলী (রা) মদীনা ছেড়ে মক্কা চলে যন৷ তার মক্কায় অবস্থান গ্রহণ
করেন ৷ হুসইন (বা) পরে ইরাক চলে যান ৷ তারপর য ঘটনার ঘটল ৷ ইবনুয যুবাইর (রা)
এককভরে মক্কার শাসনভার গ্রহণ করেন ৷ সেই জন্য ইবন আব্বাস (রা) কবিতা আবৃত্তি
করতেন-



ওহে মানব সমাজে বসবাসকারী চভুই ণ্তামাৱ জন্য অ কশ যুক্ত হয়েছে ৷ এবার তুমি ডিম
দাও পান গাও আর যাকে খুশী ঠোকর মার

কৰিতাটিতে ইবনুঘৃ যুবাইরকে কটক্ষ কর হয়েছে ৷

কথিত আছে ইয়ায়ীদ ইবন মু অ বিষ ইবনুয় যুবাইর (রা) এর নিক্ট এ মর্মে পত্র
লিখলেন যে, আমি আপনার সযীপে রুপার শিকল, সোনার রশি ও রুপার ণ্বড়ী পঠলাম ন্
আর আমি শপথ করছি যে, আপনি তাতে আবদ্ধ হয়ে অবশ্যই আমার নিকট চলে আসবেন ৷
অতএব, আপনি আমার শপথ পুরণ করুন এবং বিভেদ সৃষ্টি করবেন না৷ ইবনুয ঘুবইির
পত্রখনা পাঠ করে হাত থেকে ছুড়ে ফেললেন এবং বললেন,


رَاحِلَتِهِ، فَقَالَ لَهُ: أَتَنْعَسُ وَأَنَا مَعَكَ؟ أَمَا تَخَافُ مِنِّي أَنْ أَقْتُلَكَ؟ فَقَالَ: إِنَّكَ لَسْتَ مِنْ قُتَّالِ الْمُلُوكِ، إِنَّمَا يَصِيدُ كُلُّ طَائِرٍ قَدْرَهُ. فَقَالَ: أَمَا لَقَدْ سِرْتُ تَحْتَ لِوَاءِ أَبِي إِلَى عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَهُوَ مَنْ تَعْلَمُ. فَقَالَ: لَا جَرَمَ قَتَلَكُمْ وَاللَّهِ بِشِمَالِهِ. فَقَالَ: أَمَا إِنَّ ذَلِكَ كَانَ فِي نُصْرَةِ عُثْمَانَ، ثُمَّ لَمْ يُجْزَ بِهَا. فَقَالَ: إِنَّمَا كَانَ لِبُغْضِ عَلِيٍّ لَا لِنُصْرَةِ عُثْمَانَ. فَقَالَ لَهُ ابْنُ الزُّبَيْرِ: إِنَّا قَدْ أَعْطَيْنَاكَ عَهْدًا، فَنَحْنُ وَافُونَ لَكَ بِهِ مَا عِشْتَ، فَسَيَعْلَمُ مَنْ بَعْدَكَ. فَقَالَ: أَمَا وَاللَّهِ مَا أَخَافُكَ إِلَّا عَلَى نَفْسِكَ، وَكَأَنِّي بِكَ قَدْ خُبِطْتَ فِي الْحِبَالَةِ، وَاسْتُحْكِمَتْ عَلَيْكَ الْأُنْشُوطَةُ، فَذَكَرْتَنِي وَأَنْتَ فِيهَا، فَقُلْتُ: لَيْتَ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ لَهَا، لَيْتَنِي وَاللَّهِ لَهَا، أَمَا وَاللَّهِ لَأَحْلُلَنَّكَ رُوَيْدًا، وَلَأُطْلِقَنَّكَ سَرِيعًا، وَلَبِئْسَ الْوَلِيُّ أَنْتَ تِلْكَ السَّاعَةَ. وَحَكَى ابْنُ عُيَيْنَةَ نَحْوَ هَذَا، وَقَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ مُعَاوِيَةَ لَمَّا مَاتَ، وَجَاءَتْ بَيْعَةُ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ إِلَى الْمَدِينَةِ انْشَمَرَ مِنْهَا ابْنَ الزُّبَيْرِ وَالْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، فَقَصَدَا مَكَّةَ فَأَقَامَا بِهَا، ثُمَّ خَرَجَ الْحُسَيْنُ إِلَى الْعِرَاقِ، وَكَانَ مِنْ أَمْرِ مَقْتَلِهِ بِأَرْضِ كَرْبَلَاءَ مَا تَقَدَّمَ، وَتَفَرَّدَ بِالرِّيَاسَةِ وَالسُّؤْدُدِ
পৃষ্ঠা - ৭০৯৩


শ্বপ্লু
আমি অন্যায়ের সামনে অবনত হব না, যতক্ষণ না পাথর চর্বনকারী মাড়ির দাত হয় ৷
তারপর যখন ইয়াযীদ ইবন মু আবিয়া এবং তারপর তার পুত্র মু আবিয়া মৃত্যু বরণ করেন, তখন
আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর এর ক্ষমতা সুসংহত হল এবং সব ক টি ইসলামী রাজ্যের মানুষ তার
হাতে খিলাফতের বায় আত গ্রহণ করে ৷ যাহহ ক ইবন কাইস ও৩ তার কর্মকর্তাপণও তার
হাতে বায়আত ৩গ্রহণ করেন ৷ কিন্তু মারওয়া ন ইবনুল হ ৷কাম এ ব্যাপারে তার বিকদ্ধাচরণ
করেন এবুত্৩ তার নায়েবদের হাত থেকে সিরিয়া ও মিশর ছিনিয়ে নেন ৷ তারপর তিনি
ইরাকে অভিযান প্রেরণ করেন ৷ তার মৃত্যুর পর আব্দুল আসিফ ইবন মাৱওয়ান ক্ষমতা
গ্রহণ করেন ৷ তিনি মুসআব ইবনুয যুবাইরকে হত্যা করে ইরাক দখল করেন ৷ তারপর
হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ প্রায় সাত মাস যাবত ইবনুয যুবাইরকে মক্কায় রুদ্ধ করে রাখেন ৷
তারপর তেহ৷ ত্তর হিজরীর জুমাদ৷ ল উলার সতে র তারিখ মঙ্গলবার তিনি ইবনুয যুবাইরকে
পরাজিত করতে সক্ষম হন ৷
ইবনুয যুবইির ক্ষম৩ ৷য় আসীন হন চৌষট্টি হিজরীতে ৷ সে বছর৩ তিনি সব মানুষকে নিয়ে
হজ্জ পরিচালনা করেন ৷ তিনি তার শাসনামলে কা ব৷ পুননির্মাণ করেন এবং তাতে রেশমী
গেলাফ চড়ান ৷ তার আগে কাবার যেলাফ ছিল চামড়া ও পশমের ৷
ইবনুয যুবাইর আলিম, ইবাদতকারী, আল্লাহ্ভীরু, আত্ম-মর্যাদাবোধসম্পন্ন, অধিক রোযা-
নামায আদায়কায়ী, অত্যধিক বিনয়ী ও উত্তম রাজনীতিবিদ ছিলেন ৷
আবু হামিদ ইবন জাবালা সুত্রে আবু নুআঈম আল ইসফা বর্ণনা করেন যে, উমর ইবন
কাইস বলেন, ইবনুয যুবাইর এর একশত গোলাম ছিল ৷৩ তারা প্রত্যেকে ভিন্ন ভিন্ন ভাষায়
কথা বলত ৷ আর ইবনুয যুবাইর তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে যার যার ভাষায় কথা বলতেন ৷ আমি
যখন তার দুনিয়াবী বিষয়াবলীর দিকে দৃষ্টিপাত করতাম, তখন বলতাম, আল্লাহর শপথ ! ইনি
এমন এক ব্যক্তি যিনি পলকের জন্যও আমিরাত কামনা করেন না ৷ আর যখন তার
আখিরাতে র কাজের প্ৰতি ৩দৃষ্টিপাত করতাম, তখন বলতাম, ইনি এক পলকের জন্যও দুনিয়ার
কথা ভাবেন না ৷
ছাওরী আ মাশ সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, আবুয্ যুহ৷ বলেছেন, আমি ইবনুয যুবইির এর
মাথায় এত পরিমাণ মেশক দেখেছিলাম যে, যদি তা আমার হত তাহলে তা একটা পুজি হত ৷
তিনি কা বা ব পায়ে সুগন্ধি মাখাতেন, দুর-দুরান্ত থেকে ত্রাণ পাওয়া যেত ৷
মা মার সুত্রে ইবনুল মুবারক বর্ণনা করেছেন যে, তাউস বলেছেন, ইবনুয যুবাইর ৩ার শ্রীর-
যিনি ছিলেন হাসান (রা) এর কন্যা নিকট গিয়ে তিনটি বিছান৷ দেখতে পান ৷ তিনি

বললেন, এটি আমার, এটি হাসান (রা)-এর ণ্ল্দোার আর এটি শয়তানের ৷ কাজেই এটি বের
করে নাও ৷

আব্দুল্লাহ ইবন বাশীব সুত্রে ছাওরী বর্ণনা করেন যে, আব্দুল্লাহ্ ইবন মুসাবির বলেছেন, আমি
ইবন আব্বাস (রা) কে কৃপণতার জন্য ইবনুয যুবাইরকে তিরস্কার করতে শুনেছি ৷ তিনি
বলতেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন,


بِمَكَّةَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ ; وَلِهَذَا كَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ يُنْشِدُ بَعْدَ مَخْرَجِ الْحُسَيْنِ: يَا لَكِ مِنْ قُنْبَرَةٍ بِمَعْمَرِ ... خَلَا لَكِ الْجَوُّ فَبِيضِي وَاصْفِرِي وَنَقِّرِي مَا شِئْتِ أَنْ تُنَقِّرِي يُعَرِّضُ بِابْنِ الزُّبَيْرِ. وَقِيلَ: إِنَّ يَزِيدَ بْنَ مُعَاوِيَةَ كَتَبَ إِلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ يَقُولُ: إِنِّي قَدْ بَعَثْتُ إِلَيْكَ بِسِلْسِلَةٍ مِنْ فِضَّةٍ وَقَيْدٍ مِنْ ذَهَبٍ، وَجَامِعَةٍ مِنْ فِضَّةٍ، وَحَلَفْتُ لَتَأْتِيَنِي فِي ذَلِكَ، فَأَبِرَّ قَسَمِي، وَلَا تَشُقَّ الْعَصَا. فَلَمَّا قَرَأَ كِتَابَهُ أَلْقَاهُ مِنْ يَدِهِ وَقَالَ: وَلَا أَلِينُ لِغَيْرِ الْحَقِّ أَسْأَلُهُ ... حَتَّى يَلِينَ لِضِرْسِ الْمَاضِغِ الْحَجَرُ فَلَمَّا مَاتَ يَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، وَابْنُهُ مُعَاوِيَةُ بْنُ يَزِيدَ مِنْ بَعْدِهِ قَرِيبًا، اسْتَفْحَلَ أَمْرُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ جِدًّا، وَبُويِعَ لَهُ بِالْحِجَازِ وَالْعِرَاقِ وَمِصْرَ، وَبَايَعَ لَهُ الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ بِدِمَشْقَ وَأَعْمَالِهَا، وَلَكِنْ عَارَضَهُ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ فِي ذَلِكَ، وَمَا زَالَ حَتَّى قَتَلَهُ وَجَمَاعَةً بِمَرْجِ رَاهِطٍ كَمَا تَقَدَّمَ، فَبَايَعَ لَهُ أَهْلُ الشَّامِ، ثُمَّ دَخَلَ مِصْرَ فَانْتَزَعَهَا مِنْ نُوَّابِ ابْنِ الزُّبَيْرِ، ثُمَّ جَهَّزَ السَّرَايَا إِلَى الْعِرَاقِ، وَمَاتَ
পৃষ্ঠা - ৭০৯৪
وَاسْتَخْلَفَ بَعْدَهُ ابْنَهُ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ مَرْوَانَ، فَمَا زَالَ حَتَّى قُتِلَ مُصْعَبُ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَأَخَذَ الْعِرَاقَ مِنْهُ، ثُمَّ بَعَثَ الْحَجَّاجُ بْنُ يُوسُفَ، فَحَاصَرَ ابْنَ الزُّبَيْرِ بِمَكَّةَ قَرِيبًا مِنْ سَبْعَةِ أَشْهُرٍ، حَتَّى ظَفِرَ بِهِ فِي يَوْمِ الثُّلَاثَاءِ سَابِعَ عَشَرَ مِنْ جُمَادَى الْأُولَى سَنَةَ ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ. وَكَانَتْ وِلَايَةُ ابْنِ الزُّبَيْرِ فِي سَنَةِ أَرْبَعٍ وَسِتِّينَ، وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِيهَا كُلِّهَا، وَبَنَى الْكَعْبَةَ فِي أَيَّامِهِ، كَمَا أَشَارَ إِلَيْهِ الرَّسُولُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرَدَّ بِنَاءَهَا كَمَا كَانَتْ عَلَيْهِ، كَمَا أَخْبَرَتْهُ عَائِشَةُ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ، وَكَسَا الْكَعْبَةَ الْحَرِيرَ، وَكَانَتْ كُسْوَتُهَا قَبْلَ ذَلِكَ الْأَنْطَاعَ وَالْمُسُوحَ. وَكَانَ ابْنُ الزُّبَيْرِ عَالِمًا عَابِدًا، مَهِيبًا وَقُورًا، كَثِيرَ الصِّيَامِ وَالصَّلَاةِ، شَدِيدَ الْخُشُوعِ، قَوِيَّ السِّيَاسَةِ، قَالَ أَبُو نُعَيْمٍ الْأَصْبَهَانِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو حَامِدِ بْنُ جَبَلَةَ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ الثَّقَفِيُّ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الدَّارِمِيُّ، ثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ: كَانَ لِابْنِ الزُّبَيْرِ مِائَةُ غُلَامٍ يَتَكَلَّمُ كُلُّ غُلَامٍ مِنْهُمْ بِلُغَةٍ غَيْرِ لُغَةِ الْآخَرِ، وَكَانَ ابْنُ الزُّبَيْرِ يُكَلِّمُ كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ بِلُغَتِهِ، وَكُنْتَ إِذَا نَظَرْتَ إِلَيْهِ فِي أَمْرِ دُنْيَاهُ قُلْتَ: هَذَا رَجُلٌ لَمْ يُرِدِ اللَّهَ طَرْفَةَ عَيْنٍ، وَإِذَا نَظَرْتَ إِلَيْهِ فِي أَمْرِ آخِرَتِهِ قُلْتَ: هَذَا رَجُلٌ لَمْ يُرِدِ الدُّنْيَا طَرْفَةَ عَيْنٍ.
পৃষ্ঠা - ৭০৯৫


সেই লোক মু মিন নয় যে ভরাপ্টি রাত কটিায় আর তারই পা৷র্শ্ব তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত
থাকে ৷’

ইসমাঈল ইবন আর ন সুত্রে ইমাম আহমাদ বর্ণনা রয়েছেন যে উসমান ইবন আফ্ফান
’(§¥ ) বলেছেন, তিনি যখন অবরুদ্ধ হন, তখন আব্দুল্লাহ্ ইবনুয যুবাইন (রা)ত ও-াকে না,লছিলেন,

আমার নিকট ক টি ভালো জ্জী আছে ৷ আমি সেগুলো আপনার জন্য প্রস্তুত রেখেছি ৷ ভাল
হবে, আপনি মক্কায় ফিরে যান ৷ তারপর যার ইচ্ছা ৷আপনার নিকট আগমন করা,ব ৷ তিনি
বললেন, না, আমি রাসুলুল্পাহ্ন্ (না)-কে বলতে শুনেছি, আব্দুল্লাহ্ নামক এমন এক কুরায়শ
ানতা দীন পরিপন্থীংকাজ করবে, যে সব মানুষের সমান পাপের বোঝা বহন করবে ৷

এ হ৷ ৷দীসঢি অতিশয় র্মুনকান (অমহণযােগ্য) ৷ এর সনদে দৃর্বলত৷ আছে ৷ সনদৈ উল্লিখিত
রাবী ইয়াকুবই ইয়াকুব আল-কাত্মী, যিনি শীয়াবা৷দর অআিথাঃপ অভিযুক্ত ৷ আনণ্ এ জাশীয
একক হাদীস গ্রহণযোগ্য নয় ৷ ইমাম আহমাদ একাই হাদীসঢি বণ্নাি করেছেন ৷ তাছাড়া যদি
হাদীসটির ৰিশুদ্ধত৷ মোনও নেয়া হয়, তাহলেও এই fi!fi§¥§-fifi§!§ ইবনুয যুবাইর নন ৷
কেননা, তিনি বহু সত্গু ণে গুনান্বিত ছিলেন ৷৩ ৩ার ক্ষমতায় অধিষ্ঠ হওয়া ছিল মহান আল্লাহর
সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ৷ তারপর মু আবিয়া ইবন ইয়াযীাদর মৃত্যুর পর নিঃসন্দেহে তিনি ইমাম
ছিলেন ৷ হাকাম ইবন মারওয়ান-এর সঙ্গে তীর যে দ্বন্দ্ব জ্জি, তাতে তিনিই সঠিক পথের
অনুসারী ছিলেন ৷ দিক-দিপস্তে তার বায়আত সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এনৎ তার শৃাসন সুয়ত্হ
হয়েছিল ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

আবুন নায়র হ শিম ইবনুল কাসিম সুাএ ইমামৃ আহমাদ বর্ণনা করেছেন যে, সাঈদ ইবন
আমর বলেছেন, আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রা) আব্দুল্লাহ ইবন যুবাইর এর নিকট আগমন
করলেন ৷ ইবনুয যুবাইর তখন হাভীতে উপবিষ্ট ৷ আব্দুল্লাহ্ ইবন উমর (রা) নলদ্বুলন, হে
ইবনুয় যুবাইর ! হারম শরীাফ দীন পরিপন্থী কাজ করা থেকে নিজেকে রক্ষা ককন ৷ কারণ,
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বলতে শুনেছি, কুরায়শৈর জনৈক ব্যক্তি

হারম শ্ারীফকে হালাল বানাবে এবং হারম শরীফও তার জন্য হালাল হয়ে যাবে ৷ তুমি যদি
তার পাপরাশিকে মানব ও জ্বিন উভয় জাতির পাপের সঙ্গে পবিমাপ কর, তাহলে তার ওজন
অধিক হয়ে যাবে’ ৷ কাজেই দেখ, তুমি আবার সেই ব্যক্তি হয়ে৷ না যেন ৷ জবাবে ইবনুয
যুবাইর ওাকে বললেন, ইবন উমর ৷ আপনি তো কিতাব পাঠ করেছেন এবং নবী করীম (সা)-
এর সাহচর্য লাভ করেছেন ৷ ইবন উমর (রা) বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, এই হাদীস
আমার মুজাহিদ বেশে সিরিয়া যাওয়ার সময়কার শোনা ৷
এই হাদীসঢি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর না হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল ৷ এটি আক্যুাহ্ ইবন উমর
(রা) এর নিজের বক্তব্য ৷ আর ইয়ারমুকের যুদ্ধে প্রাপ্ত তার দুই থলে ভর্তি বিষয়বস্তু আহলে
কিতাবের মনগড৷ উক্তি ৷ আল্লা ইে ভাল জানেন ৷
ছাওরী সুত্রে ওয়াফী বর্ণনা করেন যে, সালমান আল-ফারসী (রা) বলেন, এই গৃহটি
(কা বা) যুবাইর বংশের জনৈক ব্যক্তির হাতে ভদ্দীতুংদু হয়ে ৷
ইয়াহ্ইয়৷ ইবন,মাঈন সুত্রে আবু বকর ইবন আবুন্খাইছামা বণ্নাি করেন যে, ষুনযির আছ-
ছাওরী ৷বলেন, ইবনুল হানাফিয়্যা বললেন, হে আল্লাহ্ ! তুমি তাে জান যে, আমি তোমার প্রদত্ত


وَقَالَ الثَّوْرِيُّ، عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي الضُّحَى، قَالَ: رَأَيْتُ عَلَى رَأْسِ ابْنِ الزُّبَيْرِ مِنَ الْمِسْكِ مَا لَوْ كَانَ لِي كَانَ رَأْسَ مَالٍ. وَكَانَ يُطَيِّبُ الْكَعْبَةَ حَتَّى كَانَ يُوجَدُ رِيحُهَا مِنْ مَسَافَةٍ بَعِيدَةٍ. وَقَالَ ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ مَعَمَرٍ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: دَخَلَ ابْنُ الزُّبَيْرِ عَلَى امْرَأَتِهِ بِنْتِ الْحَسَنِ، فَرَأَى ثَلَاثَةَ مُثُلٍ - يَعْنِي أَفَرِشَةً - فَقَالَ: هَذَا لِي، وَهَذَا لِابْنَةِ الْحَسَنِ، وَهَذَا لِلشَّيْطَانِ. فَأَخْرَجُوهُ. وَقَالَ الثَّوْرِيُّ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي بَشِيرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُسَاوِرٍ، قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يُعَاتِبُ ابْنَ الزُّبَيْرِ عَلَى الْبُخْلِ وَيَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيْسَ بِالْمُؤْمِنِ مَنْ يَبِيتُ شَبْعَانَ، وَجَارُهُ إِلَى جَنْبِهِ جَائِعٌ» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبَانٍ الْوَرَّاقُ، ثَنَا يَعْقُوبُ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي الْمُغِيرَةَ، عَنِ ابْنِ أَبْزَى، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ قَالَ: قَالَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ حِينَ حُصِرَ: إِنَّ عِنْدِي نَجَائِبَ قَدْ أَعْدَدْتُهَا لَكَ، فَهَلْ لَكَ أَنْ تَحَوَّلَ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৭০৯৬
مَكَّةَ، فَيَأْتِيكَ مَنْ أَرَادَ أَنْ يَأْتِيَكَ؟ قَالَ: لَا، إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «يُلْحِدُ بِمَكَّةَ كَبْشٌ مِنْ قُرَيْشٍ اسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ، عَلَيْهِ مِثْلُ أَوْزَارِ النَّاسِ» وَهَذَا الْحَدِيثُ مُنْكَرٌ جِدًّا، وَفِي إِسْنَادِهِ ضَعْفٌ، وَيَعْقُوبُ هَذَا هُوَ الْقُمِّيُّ، وَفِيهِ تَشَيُّعٌ وَضَعْفٌ، وَمِثْلُ هَذَا لَا يُقْبَلُ تَفَرُّدُهُ بِهِ، وَبِتَقْدِيرِ صِحَّتِهِ فَلَيْسَ هُوَ بِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، فَإِنَّهُ كَانَ عَلَى صِفَاتٍ حَمِيدَةٍ، وَقِيَامُهُ فِي الْإِمَارَةِ إِنَّمَا كَانَ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، ثُمَّ هُوَ كَانَ الْأَمْرُ بَعْدَ مَوْتِ مُعَاوِيَةَ بْنِ يَزِيدَ لَا مَحَالَةَ، وَهُوَ أَرْشَدُ مِنْ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ، حَيْثُ نَازَعَهُ بَعْدَ أَنِ اجْتَمَعَتِ الْكَلِمَةُ عَلَيْهِ، وَقَامَتِ الْبَيْعَةُ لَهُ فِي الْآفَاقِ، وَانْتَظَمَ لَهُ الْأَمْرُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، ثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سَعِيدٍ، ثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو، قَالَ: أَتَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ، وَهُوَ جَالِسٌ فِي الْحِجْرِ، فَقَالَ: يَابْنَ الزُّبَيْرِ، إِيَّاكَ وَالْإِلْحَادَ فِي حَرَمِ اللَّهِ، فَإِنِّي أَشْهَدُ لَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «يُحِلُّهَا وَيَحُلُّ بِهِ رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ، لَوْ وُزِنَتْ ذُنُوبُهُ بِذُنُوبِ الثَّقَلَيْنِ لَوَزَنَتْهَا» قَالَ: فَانْظُرْ أَنْ لَا
পৃষ্ঠা - ৭০৯৭


জ্ঞান দ্বারা জানি, ইবনুয যুবাইর সেখান থেকে লাশ না হয়ে বের হবেন না এবং তীর মাথাটা
বাজারে বাজারে ঘোরানাে হবে ৷
যুবাইর ইবনৰু বাক্কার হিশাম ইবন,উরওয়৷ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, শৈশবে
ইবনুয যুবাইরন্স্পষ্টভাবে যে শব্দটি উচ্চারণ করেছিলেন, ,তা হল আস সাইফ আস সাইফ
(তরবারি) ৷ কথা বলা শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি শব্দটা মুখ থেকে বাদ দিতেন না ৷ যুবাইর
(রা) যখন তার মুখ থেকে শব্দটা শুনতে পেলেন, তিনি তাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, আল্লাহর
শপথ ! একদিন না একদিন তুমি এটি পাবেই ৷ তার নিহত হওয়ার ধরন উপরে বর্ণিত হয়েছে ৷
হাজ্জাজ তাকে ছানিয়্যা’র (গিরিপথের) উপরে একটি ডালর সঙ্গে র্ফাসিতে ঝুলান ৷ মা এসে
৩ার সম্মুখে দাড়িয়ে তার জন্য দীর্ঘ দুআ করেন ৷ জ্যি তার চোখ থেকে এক কোটা অশ্রুও
নির্গত হয়নি ৷ তারপর তিনি ফিরে যান ৷ অনুরুপ ইবন উমর (রা) ও তার নিকটে দাড়িয়ে তার
জন দু আ করেন এবং তার ভুয়সী প্রশংসা কারন ৷
ন্ ওয়াকিদী নাফি সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আসমা বিনতৰুশ্ন্রু আবু বকর (রা) এর গোলাম
আব্দুল্লাহ্ বলেছেন, আব্দুল্লাহ ইবনুয যুবাইর নিহত হওয়ার পর তার না এলে বাহানর উপর
বসা অবস্থায়ই তার লাশর সন্নিকটে দাড়িয়ে যান ৷ তা দেখে হাজ্জাজ দলবলসহ এগিার এসে
তার সম্পর্কে ঙিজ্ঞোসা করেন ৷ লোকেরা তাকে তার পরিচয় দেয় ৷ তিনি আরো এগিয়ে এসে
তীর সম্মুখে দাড়িয়ে বললেন, কেমন দেখলেন ? আল্পাহ্সত্যকে সাহায্য করেছেন এবং বিজয়
দান করেছেন৷ জবাবে ইবনুয যুবাইর এর মা বললেন, অনেক সময় মিথ্যাও হকর্পন্থীদের
উপরুজয়লাভ কন্সেকাকে ৷ আর তুমি তো জান্নাত ও তার ৷গাবারর মাঝেই বিচরণ করছ ৷
হাজ্জাজ বললেন, আপনার পুত্র এই ঘরে ধর্মপরিপন্থী কাজ করেছে ৷ আর আল্লাহ্ তা আলা
বলেছেন ন্
“যে লোকাসখা৷ন (বাইতৃল্লায়) সীমাল্াষ্ ঘনপুর্বক পাপ কার্যের ইচ্ছা করে, তাকে আমি
আস্বাদন করার মর্মম্ভদ শাস্তির ৷ (২২ং২৫) ’
আর আল্লাহ তাকে এই মর্মন্তুদ শাস্তি আস্বাদন করিায়া ছা ৷ তিনি বললেন, তুমি মিথ্যা
বলেছ ৷ সে ইসলামের যুগে মদীনায় সর্বএথম জন্মলাভকারী সভুান ৷ তার জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
আনন্দিত হয়েছিলেন এবং তাকে নিজ হা৷ত তাহয়ীক করেছেন ৷ মুসলমানরা সেদিন তাকবীর
ৰ্টধ্বনি দিয়েছিল ৷ এমনকি তার প্রতি আনন্দ প্রকাশ করতে গিয়ে মদীনা প্ৰকম্পিত হয়ে
উঠেছিল ৷ অথচ ভুমি এবং তোমার সহচরপণ খুশী তার হত্যাকাণ্ডে ৷ সেদিন তার জান্ম যারা
আনন্দিত হয়েছিলেন র্তার৷ তোমার এবং তােম্ার সহচরাদর তুলনায় উত্তম ছিলেন ৷ তা ছাড়া
সে পিতা মাতার সঙ্গে সদ্ববেহায়কারী, অধিক ৷রযাে পালনকারী, আল্লাহ্র কিতাব প্রতিষ্ঠাকারী
এবং হার ষ্মেব্র মর্যাদা রক্ষাকারী ছিলেন ৷ যারা আল্লাহ্র নাফরমানী করত, সে তা৷দরকে ঘৃণা
করত
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি ব্লাসুলুল্লাই (সা)াক কাত শুয়েছি, ছাকীফ থেকে একজন
মিথ্যাবাদী ও একজন অত্যাচাবী আত্মপ্রবমশ্ব করবে ৷’ অপর এক বর্ণনায় আছে, ছাকীফ থেকে
র্দু’ অন নিথ্যাবাদী আবির্ভুত হয়ে, য়াদের শ্যেরর জ্বা প্রথমজন অপেক্ষা অধিক নিকৃষ্ট ৷ ফলে
হাজ্জাজ ক্ষুব্ধ হন ও ডগ্নহৃদায় ফিরে যান ৷ এই রটনাৱ সংবাদ আব্দুল মালিক এর নিকট

ামোঃ (হ্র ৷৷ ৷ব্র ৷৷€ র্নো০ ওো৷া



تَكَوُنَهُ يَابْنَ عَمْرٍو، فَإِنَّكَ قَرَأْتَ الْكُتُبَ، وَصَحِبْتَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: فَإِنِّي أُشْهِدُكَ أَنَّ هَذَا وَجِهِي إِلَى الشَّامِ مُجَاهِدًا. وَهَذَا قَدْ يَكُونُ رَفْعُهُ غَلَطًا، وَإِنَّمَا هُوَ مِنْ كَلَامِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، مِمَّا أَصَابَهُ مِنَ الزَّامِلَتَيْنِ مِنْ عُلُومِ أَهْلِ الْكِتَابِ يَوْمَ الْيَرْمُوكِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ وَكِيعٌ، عَنِ الثَّوْرِيِّ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ أَبِي صَادِقٍ، عَنْ حَنَشٍ الْكِنَانِيِّ، عَنْ عُلَيْمٍ الْكِنْدِيِّ، عَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ قَالَ: لَيُحْرَقَنَّ هَذَا الْبَيْتُ عَلَى يَدَيْ رَجُلٍ مِنْ آلِ الزُّبَيْرِ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي خَيْثَمَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ مَعِينٍ، عَنِ ابْنِ فُضَيْلٍ، ثَنَا سَالِمُ بْنُ أَبِي حَفْصَةَ، عَنْ مُنْذِرٍ الثَّوْرِيِّ قَالَ: قَالَ ابْنُ الْحَنَفِيَّةِ:
পৃষ্ঠা - ৭০৯৮


পৌছলে তিনি আপনার সঙ্গে কথোপকথ!নর জন্য হ!জ্জা জ!ক৩ তিরস্কার করে পত্র লিখেন এবং
বলেন, একজন সংকর্যপর!য়ণ ব্যক্তির কন্যার স!ঙ্গ তোমার কথা ক!ট!কাটির কী প্রয়োজন
ছিল ?’ ,

উকব! ইবন মুকাব’রম সুত্রে মুসলিম ইবন হ!জ্জাজ তীর সহীহ গ্র!ছু বর্ণনা করেছেন যে, আবু
নওফল বলেছেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনুখ যুব!ইরকে ছানিয়!!তুল হ!জু!ন শুলিবিদ্ধ অবস্থায়
দেখেছি ! কুরায়শ ও অন্যান্য ম!নুষর্তার পার্শ্ব দিয়ে আনাগােনা করতে শুরু করে ৷ এক পর্যায়ে
আব্দুল্লাহ ইবন উমর (র!) তার নিকট দিয়ে অতিক্রম করতে গিয়ে দাড়িয়ে যান ৷ তিনি
বললেন, আসস!ল!যু অ!লাইকুম হয়! আর! খুব!ইব ! আসসালামুআলাইকুম ইয়্! ,আবা
খুব!ইব ! আসস!লামু আলাইক্যুধ্ ইয়! আর! খুব!ইব ! আহ’ ! আল্লাহর শপথ ! আপনাকে এ
কাজ করতে রারণ করেছিলাম ! আহ ! আল্লাহর শপথ ! আমি আপনাকে এ কাজ করতে বারণ
করেছিলাম! আহ ! আল্লাহর শপথ ! আমি আপনাকে এ কাজ করতে যারা! করেছিলাম !
আল্লাহর শপথ ! আ !মি যতটুকু জানি, আপনি অধিক রােয! পালনকারী, নামায আদায়কারী ও
, আত্মীয় বৎসল ছিলেন ৷ আল্লাহর শপথ ! যতই খারাপ হোন আপনি শ্রেষ্ঠ উম্মতের অন্তভুক্তি
ছিলেন ৷ তারপর আব্দুল্লাহ ইবন উমর (র!) লু!র চলে যান ৷ ইবন উমর (র!) ইরনুয যুব!ইর-

এর লাশের নিকট র্দ!ড়াবার এক তিনি য! বলেছেন, তার সংবাদ হাজ্জাজ পেয়ে যান ৷ ফলে
তিনি লোক প্রেরণ করে আব্দুল্লাহ ইবনুয যুব!ইর এর লাশ গাছের ডাল ঘে!ক নামিয়ে এনে
ইহুদী!দর কবরস্থা!ন ফেলে !দন ৷ তারপর তার মাতা আসম! বিনৃত আবু বকর (র!)কে ডেকে
পাঠান! কিন্তু আসন! (র!) যেতে অস্বীকার করেন ! হ!জ্জাজ পুনরায় তার নিকট দুত প্রেরণ
করেন যে, আপনি হয় আমার নিকট আসুন, অন্যথ!র আমি এমন ব!তিঃক প্রেরণ বয়িব যে
আপনার মাথার ঝুটি ধরে আপনাকে আমার নিকট টে!ন নিয়ে আসবে! কিন্তুআসমা (র!)
এবারও অস্বীকৃতি জানি!য় বললেন, আল্লাহর শপথ ! অ মি তার নিকট যাব ন! ! সে !ল!ক

পাঠিয়ে ঝুটি ধরে আমাকে টেনে হেচড়ে নিয়ে যাক ৷

এ কথা শুনে হ!জ্জাজ বললেন, আমার জুতা জোড়া এনে দাও, ! জুতা জোড়া পায়ে দিয়ে
র্দন্তুভ!র চলতে শুরু করেন ৷ আব্দুল্লাহ ইবনুয যুব!ইর এর ন! আলম! বিনৃত আবু বকর (বা)
এর নিকট পি গ!য় বললেন, আমি আল্লাহর দৃশমন্টার সঙ্গে যে আচরণ করলাম, আপনার দৃষ্টিতে
ত! !কমন হল আসন! (র!) বললেন, আমার দৃষ্টিতে তার নষ্ট হয়েছে দুনিয়! আর তুমি ধ্বংস
করেছ নিজের আথিরাত ! আমি জ!ন!ত !পরেছি তুমি ত!!ক হে খাতুন নিক!কইিনএর পুত্র
বলে ড!কতে ৷ আল্লাহর শপথ ! আমি য!তু ন নিত!ক!ইন’ ই রটে ৷ একটি হল যাতে করে আমি
র!সুলুল্লাহ্ (স!) ও আবু বকর (রা) এর খ!বার বহন করত!ম ৷ অপরটি হল, মহিলাদের দেহের
নিম্ন!হুশে পরিধেয় সেই বস্ত্রখণ্ড য! ছাড়! !ক!ন ন!রীই চলতে পারে ন! ৷ শোন ! র!সুলুল্লাহ্ (স!)
আমাদেরকে বলেছেন, ছ!র্কীফ গোত্রে একজন মিথ্যাব!দী ও একজন অত্যাচ!রীর আবির্ভাব
ঘট!ব’ ! মিথ্যাব!দীকে !৩ ! আমরা দেখেছি ! আর অত্যাচারী সে তে! তুমি ছাড়া (কউ নয় !

বর্ণন!কারী বলেন, এই জব!ব শুনে হ!জ্জ!জ উঠে দ!ড়!!লন এবং তার বক্তব্যের কোন
প্ৰত্যুত্তর করলেন ন! ৷ ইমাম মুসলিম একইি হ!দীসঢি বর্ণনা করেছেন ! ওয়!কিদী বর্ণনা করেন
যে, হ!জ্জাজ হু!খন ইৰনুয যুব!ইরকে ছানিয়!!তৃল জাহুনের উপর শুলিতে চড়!ন, তুখন আসন!
(র!) তাকে দ!ফন করার দাবি জানিয়ে হাজ্জাজ-এর নিকট লোক প্রেরণ করেন ৷ ৰিস্তু হ!জ্জ্ব!জ,
সে দাবি প্ৰতশ্নো!ন করেন ৷ অবশেষে হ!জ্জাজ আব্দুল মালিক এর নিকট এ ব্যাপারে পত্র


اللَّهُمَّ إِنَّكَ تَعْلَمُ أَنِّي كُنْتُ أَعْلَمُ مِمَّا عَلَّمْتَنِي أَنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ لَا يَخْرُجُ مِنْهَا إِلَّا قَتِيلًا، يُطَافُ بِرَأْسِهِ فِي الْأَسْوَاقِ. وَقَدْ رَوَى الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ قَالَ: إِنَّ أَوَّلَ مَا أَفْصَحَ بِهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ وَهُوَ صَغِيرٌ: السَّيْفُ، فَكَانَ لَا يَضَعُهُ مِنْ فِيهِ. وَكَانَ الزُّبَيْرُ إِذَا سَمِعَ ذَلِكَ مِنْهُ يَقُولُ لَهُ: أَمَا وَاللَّهِ لَيَكُونُنَّ لَكَ مِنْهُ يَوْمٌ وَيَوْمٌ وَأَيَّامٌ. وَقَدْ تَقَدَّمَ كَيْفِيَّةُ مَقْتَلِهِ، وَأَنَّ الْحَجَّاجَ صَلَبَهُ عَلَى جِذْعٍ فَوْقَ الثَّنِيَّةِ، وَأَنَّهُ رَبَطَ إِلَى جَنْبِهِ هِرَّةً مَيِّتَةً، فَكَانَ رِيحُ الْمِسْكِ يَغْلِبُ عَلَى رِيحِهَا، وَأَنَّ أُمَّهُ أَرْسَلَتْ إِلَى الْحَجَّاجِ تَقُولُ لَهُ: قَاتَلَكَ اللَّهُ، عَلَامَ تَصْلُبُ وَلَدِي؟ فَقَالَ: إِنِّي اسْتَبَقْتُ أَنَا وَإِيَّاهُ إِلَى هَذِهِ الْخَشَبَةِ فَسَبَقَنِي إِلَيْهَا. وَأَنَّ أُمَّهُ جَاءَتْ حَتَّى وَقَفَتْ عَلَيْهِ فَدَعَتْ لَهُ طَوِيلًا، وَلَا يَقْطُرُ مِنْ عَيْنِهَا دَمْعَةٌ، ثُمَّ انْصَرَفَتْ، وَكَذَلِكَ وَقَفَ عَلَيْهِ ابْنُ عُمَرَ فَدَعَا لَهُ، وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثَنَاءً كَثِيرًا جِدًّا. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي نَافِعُ بْنُ ثَابِتٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ مَوْلَى أَسْمَاءَ، قَالَ: لَمَّا قُتِلَ عَبْدُ اللَّهِ خَرَجَتْ إِلَيْهِ أُمُّهُ حَتَّى وَقَفَتْ عَلَيْهِ، وَهِيَ عَلَى دَابَّةٍ، فَأَقْبَلَ الْحَجَّاجُ فِي أَصْحَابِهِ فَسَأَلَ عَنْهَا فَأُخْبِرَ بِهَا، فَأَقْبَلَ حَتَّى وَقَفَ عَلَيْهَا، فَقَالَ: كَيْفَ رَأَيْتِ
পৃষ্ঠা - ৭০৯৯
نَصَرَ اللَّهُ الْحَقَّ وَأَظْهَرَهُ؟ قَالَتْ: رُبَّمَا أُدِيلَ الْبَاطِلُ عَلَى الْحَقِّ، وَإِنَّكَ بَيْنَ فَرْثِهَا وَالْجِيَّةِ. فَقَالَ: إِنَّ ابْنَكِ أَلْحَدَ فِي هَذَا الْبَيْتِ، وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَمَنْ يُرِدْ فِيهِ بِإِلْحَادٍ بِظُلْمٍ نُذِقْهُ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ} [الحج: 25] وَقَدْ أَذَاقَهُ اللَّهُ ذَلِكَ الْعَذَابَ الْأَلِيمَ ; قَطْعَ السُّبُلِ. قَالَتْ: كَذَبْتَ، كَانَ أَوَّلَ مَوْلُودٍ فِي الْإِسْلَامِ بِالْمَدِينَةِ، وَسُرَّ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَحَنَّكَهُ بِيَدِهِ، وَكَبَّرَ الْمُسْلِمُونَ يَوْمَئِذٍ حَتَّى ارْتَجَّتِ الْمَدِينَةُ فَرَحًا بِهِ، وَقَدْ فَرِحْتَ أَنْتَ وَأَصْحَابُكَ بِمَقْتَلِهِ، فَمَنْ كَانَ فَرِحَ يَوْمَئِذٍ خَيْرٌ مِنْكَ وَمِنْ أَصْحَابِكَ، وَكَانَ مَعَ ذَلِكَ بَرًّا بِالْوَالِدَيْنِ، صَوَّامًا، قَوَّامًا بِكِتَابِ اللَّهِ، مُعَظِّمًا لِحُرُمِ اللَّهِ، يُبْغِضُ أَنْ يُعْصَى اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، أَشْهَدُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِسَمِعْتُهُ يَقُولُ: «سَيَخْرُجُ مِنْ ثَقِيفٍ كَذَّابَانِ، الْآخِرُ مِنْهُمَا شَرٌّ مِنَ الْأَوَّلِ، وَهُوَ مُبِيرٌ» فَانْكَسَرَ الْحَجَّاجُ وَانْصَرَفَ، فَبَلَغَ ذَلِكَ عَبْدَ الْمَلِكِ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ يَلُومُهُ فِي مُخَاطَبَتِهِ أَسْمَاءَ، وَقَالَ: مَا لَكَ وَلِابْنَةِ الرَّجُلِ الصَّالِحِ؟ وَقَالَ مُسْلِمُ بْنُ الْحَجَّاجِ فِي " صَحِيحِهِ ": ثَنَا عَقَبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِسْحَاقَ الْحَضْرَمِيُّ، أَنَا الْأَسْوَدُ بْنُ شَيْبَانَ، عَنْ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৭১০০


লিখেন ৷ আব্দুল মালিক তাকে দাফন করার আদেশ দিয়ে পত্র প্রেরণ করেন ৷ ফলে হাজ্জাজ
ইবনুয যুব ইবকে জ হ্নে দাফন করেন ৷ ইতিহাসবিদপণ উল্লেখ করেছেন, আব্দুল্লাহ ইবনুয
যুবাইব (রা) এর কবরের দিক থেকে মেশকের সুঘাণ বিচ্ছুরিত হত ৷
হাজ্জাজ সিরিয়া থেকে দুই হাজার অশ্বারোহী সৈন্য নিয়ে আগমন করেছিলেন ৷ তার সঙ্গে
যুক্ত হয় পাচ হাজার সৈন্য নিয়ে৩ারিক ইবন আমর ৷ মুহাম্মদ ইবন সা দ প্রমুখ বর্ণনা করেছেন
যে হাজ্জা জ ইবনুয যুবইিরব্লুক অবরোধ করার পর চল্লিশ হাজার সৈন্য এসে তার সঙ্গে যোগ
দিয়েছিল ৷ তিনি মসজিদুল হারামে পাথর নিক্ষেপ করার লব্লুক্ষ্য আবু কুবাইস পবব্লুত
মানজা ৷নীক স্থাপন করেছিলেন ৷ মক্কাবাসীব্লুদর মারা তার নিকট চলে আসবে, তাদের জন্যও তিনি
নিরাপত্তার ঘোষণা প্রদান করেছিলেন ৷ এ ব্যাপারে জনতার মাঝে ঘোষণা প্রদান করে তিনি
, বলেছিলেন, ভুা৷মৃরা ইবনুয যুবাইব ব্যতীত ৩অন্য কারো সব্লুঙ্গ যুদ্ধ করতে আমি নি ৷ তিনি ইবনুয
যুবাইব (রা) কে তিনটি পব্লুার যে কোন একটি পন্থা অবলম্বব্লুনর সুযোগ প্রদান করেছিলেন ৷
হয়৩ তিনি পৃথিবীর অন্য যে কোন অঞ্চলে ইচ্ছা চলে যাবেন ৷ কিংবা র্তীকে লোহার শিকলে
বেধে সিরিয়া পাঠিয়ে দেয়৷ হবে ৷ অথবা লড়ইি করে নিহত হবেন ৷ আব্দুল্লাহ্ ইবনুয যুব ইব
(বা) এ ব্যাপারে তার মায়ের সঙ্গে পরামর্শ করেন ৷ মা র্তাকে শুধু তৃতীয় পন্থা অবলম্বন করার
পরামর্শ দেন ৷
আরো বর্ণিত আছে যে, মা তাকে কাফব্লুনর কাপড় এনে দেন, তাকে সুপন্ধি মাখিয়ে
দেন এবং যুদ্ধ করার জন্য উৎসাহ প্রদান করেন ৷ ফলে তিনি লড়াই করে জীবন দেয়ার
সিদ্ধাত্যুঃনিব্লুয়ইটু বেরিয়ে যান এবং তেহত্তের হিজরী সনের জুমাদাল উলার সতের তারিখ
মঙ্গলবার ঘোরতর যুদ্ধে লিপ্ত হন ৷ একটি পােড়া ইট এসে তার গায়ে আঘাত হাব্লুন ৷ তাতে
তার মাথা ফেটে যায় ৷ তিনি উপুড় হয়ে মাটিতে পড়ে যান ৷ তারপর তিনি উঠে দীড়াবার
চেষ্টা করে ব্যর্থ হন৷ অগত্যা তিনি বাম কনুইয়ে ভর করে তার দিকে এগিয়ে আসা
ব্লুলাকদেরকে তরবারি দ্বারা আঘাত করতে থাকেন ৷ এক পর্যায়ে এক সিরীয় ব্যক্তি এগিয়ে
এসে আঘাত করে তার পা কেটে দেয় ৷ তারপর বহুসং খ্যক লোক তার উপর বাপিয়ে
পড়ে ৷ তারা তাকে হত্যা করে ফেলে এবং মাথাট৷ দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে ৷ ইবনুয
যুবাইব জাহুব্লুনর নিকটবভী এক স্থাব্লুন নিহত হন ৷
কেউ কেউ বলেন, বরং তিনি যখন নিহত হন, তখন তিনি কাবার গিলাফ ধরে ন্ঝুলে
ছিলেন ৷ আল্লাহ্ই ভালজাব্লুনন ৷ তারপর হাজ্জাজ তাকে জাহুব্লুনর সন্নিকব্লুণ্ট ছানিয়াভুল
কাদা’ নামক স্থানে পা দুটো উপরে ভুলে নীচের দিকে ঝুলিয়ে তাকে শুলিতে চড়ান ৷ পরে
সেখান থােক নামিয়ে তাকে ইহুদীদের কবরস্থাব্লুন দাফন করেন ৷ যেমনটি ইমাম মুসলিম
বর্ণনা করেছেন ৷ কেউ কেউ বলেন, জাহুব্লুনর যে ন্থানটিতে শুব্লুল চড়ানাে হয়েছিল, তাকে
সেখানেই দাফন করা হয় ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
মা মার সুত্রে আব্দুর রাযযাক বর্ণনা করেন যে, আব্দুল্লাহ ইবনুয যুবাইব বলেছেন, যখন
মুখতার এর মাথা এসে উপস্থিত করা হল, তখন আমি বললাম, কা ব আর্ল-আস্থবার
, আমাদেরকে যে ক টি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, তার সব ক টিই দেখতে পেয়েছি ৷ পইিনি শুধু
, এই উক্তি যে, ছাকীব্লুফর এক যুবক আমাকে হত্যা করবে ৷ অথচ এখন তার মাপ৷ আমার
সম্মুখে ৷ ইবন সীবীন বলেন, ইবনুয যুবাইব (রা) বুঝতে পারেন নি যে, তার জন্য হ জ্জাজ
লুকিয়ে রয়েছে ৷ অন্য সুত্রেও এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে ৷

শ্ ণোমোঃ(হ্রব্লুাশ্রোা৪র্নো০ওোড়া

نَوْفَلٍ قَالَ: رَأَيْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ عَلَى عَقَبَةِ الْمَدِينَةِ، قَالَ: فَجَعَلَتْ قُرَيْشٌ تَمُرُّ عَلَيْهِ وَالنَّاسُ، حَتَّى مَرَّ عَلَيْهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، فَوَقَفَ عَلَيْهِ، فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكَ أَبَا خُبَيْبٍ، السَّلَامُ عَلَيْكَ أَبَا خُبَيْبٍ، السَّلَامُ عَلَيْكَ أَبَا خُبَيْبٍ، أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ كُنْتُ أَنْهَاكَ عَنْ هَذَا، أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ كُنْتُ أَنْهَاكَ عَنْ هَذَا، أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ كُنْتُ أَنْهَاكَ عَنْ هَذَا، أَمَا وَاللَّهِ إِنْ كُنْتَ مَا عَلِمْتُ صَوَّامًا قَوَّامًا وَصُولًا لِلرَّحِمِ، أَمَا وَاللَّهِ لَأُمَّةٌ أَنْتَ شَرُّهَا لَأُمَّةُ خَيْرٍ. ثُمَّ نَفَذَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، فَبَلَغَ الْحَجَّاجُ وُقُوفُ ابْنِ عُمَرَ عَلَيْهِ وَقَوْلُهُ، فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ، فَأُنْزِلَ عَنْ جِذْعِهِ، وَأُلْقِيَ فِي قُبُورِ الْيَهُودِ، ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَى أُمِّهِ أَسْمَاءِ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، فَأَبَتْ أَنْ تَأْتِيَهُ، فَأَعَادَ عَلَيْهَا الرَّسُولَ: لِتَأْتِيَنِّي أَوْ لَأَبْعَثَنَّ إِلَيْكِ مَنْ يَسْحَبُكِ بِقُرُونِكِ. فَأَبَتْ، وَقَالَتْ: وَاللَّهِ لَا آتِيهِ حَتَّى يَبْعَثَ إِلَيَّ مَنْ يَسْحَبُنِي بِقُرُونِي. قَالَ: فَقَالَ الْحَجَّاجُ: أَرَوْنِي سِبْتَيَّ. فَأَخَذَ نَعْلَيْهِ، ثُمَّ انْطَلَقَ يَتَوَذَّفُ حَتَّى دَخَلَ عَلَيْهَا، فَقَالَ: كَيْفَ رَأَيٍتِينِي صَنَعْتُ بِعَدُوِّ اللَّهِ؟ قَالَتْ: رَأَيْتُكَ أَفْسَدْتَ عَلَيْهِ دُنْيَاهُ، وَأَفْسَدَ عَلَيْكَ آخِرَتَكَ، بَلَغَنِي أَنَّكَ تَقُولُ: يَابْنَ ذَاتِ النِّطَاقَيْنِ، أَنَا وَاللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৭১০১


আমার মতে প্রসিদ্ধ অভিমত হল, ইবনুয যুবাইর (রা)-এর হত্যার ঘটনা সংঘটিত
হয়েছিল তেহাত্তর ইিজরীর সতের জুমাদাল উলা মঙ্গলবার ৷ কেউ কেউ বলেন, জুম্াদাল
উখরায় ৷ মালিক প্রমুখ থেকে বর্ণিত যে, ইবনুয যুবাইর (বা) নিহত হয়েছিলেন বাইাত্তর
হিজরীর শেষ দিকে ৷ তবে প্রথম অভিমতঢি-ই প্রসিদ্ধ ও সঠিক ৷ আর তার বায়আত
তহয়েছিল চৌষট্টি হিজয়ীর রজব মাসের সাত তারিখ ৷ তার জন্ম হয়েছিল প্রথম
হিজরীর শুরুর দিকে ৷ কেউ কেউ বলেন, দ্বিতীয় হিজরীব শাওয়াল মাসে ৷ এই হিসেবে
আব্দুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রা) সুনিশ্চিতভাবে সত্তর অতিক্রম করার পর ইনতিকাল
করেছিলেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
পক্ষাম্ভার তার যা তার মৃত্যুর পর একশত দিনের বেশী জীবিত থাকেন নি ৷ কেউ কেউ
বলেন, দশদিন ৷ কেউ বলেন, পাচদিন ৷ তবে প্রথম অভিমত টিই প্রসিদ্ধ ৷ অল্প পরে তার
জীবন-চরিত নিয়েও আলোচনা করা হবে ৷ আল্লাহ তার প্রতি তার পিতা ও পুত্রের প্রতি সম্ভষ্ট
হোন ৷ উল্লেখ্য যে, ইবনুয যুবাইর ও তীর ভইি মুস আব-এর মৃভুাৰট্রুত অল্ঙ্কাৰ্পুর্ণ সুন্দর সুন্দর
বহু গােকপাথ৷ আবৃত্তি করা হয়েছিল ৷ তন্মধ্যে মামার ইবন আবু মামার আয্যাহানীর
কৰিতাগুলাে অন্যতম ৷ তা হল০ ং

সুা প্
এা১ন্,
é“ ণ্-ষ্া১




ষ্ণ্া৷ষ্গ্লু ষ্টুট্রু )া৷ এেশু
ষ্া ষ্
আপনার জীবনের শপথ ৷ আপনি মানুনুের কোন প্রয়োজন না পুরণ রাখেননি এবং আপনি
হিদায়াতের পোশাক দ্বিধ্াম্বিত অবস্থায় পরিধান করেন নি’ ৷
একদিন সকালে মুস আব আমাকে ডা কলেন ৷ আমি তার ডাকে সাড়া দিলাম এবং বললাম,
আহ্লান সাহলান মারহাব৷ ! আপনার পিত৷ হলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বিশেষ সহচৱ ও তার

তরবারি ৷ কাজেই আল হামদুলিল্লাহ্ আপনি পিতার দিক থেকে আমাদের সকলের চইিতে
াশ্রষ্ঠ ৷




ذَاتُ النِّطَاقَيْنِ، أَمَّا أَحَدُهُمَا فَكُنْتُ أَرْفَعُ بِهِ طَعَامَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَطَعَامَ أَبِي بَكْرٍ، وَأَمَّا الْآخَرُ فَنِطَاقُ الْمَرْأَةِ الَّذِي لَا تَسْتَغْنِي عَنْهُ، أَمَا إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ حَدَّثَنَا أَنَّ فِي ثَقِيفٍ كَذَّابًا وَمُبِيرًا، فَأَمَّا الْكَذَّابُ فَرَأَيْنَاهُ، وَأَمَّا الْمُبِيرُ فَلَا إِخَالُكَ إِلَّا إِيَّاهُ. قَالَ: فَقَامَ عَنْهَا وَلَمْ يُرَاجِعْهَا. انْفَرَدَ بِهِ مُسْلِمٌ. وَرَوَى الْوَاقِدِيُّ أَنَّ الْحَجَّاجَ لَمَّا صَلَبَ ابْنَ الزُّبَيْرِ عَلَى ثَنِيَّةِ الْحَجُونَ بَعَثَتْ إِلَيْهِ أَسْمَاءُ تَدْعُو عَلَيْهِ، وَطَلَبَتْ مِنْهُ أَنْ يُدْفَنَ، فَأَبَى عَلَيْهَا، حَتَّى كَتَبَ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ فِي ذَلِكَ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ أَنْ يُدْفَنَ، فَدُفِنَ بِالْحَجُونِ، وَذَكَرُوا أَنَّهُ كَانَ يُشْتَمُّ مِنْ عِنْدِ قَبْرِهِ رِيحُ الْمِسْكِ. وَكَانَ الْحَجَّاجُ قَدْ قَدِمَ مِنَ الشَّامِ فِي أَلْفَيْ فَارِسٍ، وَانْضَافَ إِلَيْهِ طَارِقُ بْنُ عَمْرٍو فِي خَمْسَةِ آلَافٍ، وَرَوَى مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ وَغَيْرُهُ بِسَنَدِهِ أَنَّ الْحَجَّاجَ حَاصَرَ ابْنَ الزُّبَيْرِ، وَأَنَّهُ اجْتَمَعَ مَعَهُ أَرْبَعُونَ أَلْفًا، وَأَنَّهُ نَصَبَ الْمَنْجَنِيقَ عَلَى أَبِي قُبَيْسٍ لِيَرْمِيَ بِهِ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ الَّذِي فِيهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَأَنَّهُ جَعَلَ يُؤْمِّنُ، وَأَنَّهُ أَمَّنَ مَنْ خَرَجَ إِلَيْهِ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ، وَنَادَى فِيهِمْ بِذَلِكَ، وَقَالَ: إِنَّا لَمْ نَأْتِ لِقِتَالِ أَحَدٍ سِوَى ابْنِ الزُّبَيْرِ. وَأَنَّهُ خَيَّرَ ابْنَ الزُّبَيْرِ بَيْنَ ثَلَاثٍ، إِمَّا أَنْ يَذْهَبَ فِي الْأَرْضِ حَيْثُ شَاءَ، أَوْ يَبْعَثَهُ إِلَى الشَّامِ مُقَيَّدًا بِالْحَدِيدِ، أَوْ يُقَاتِلَ حَتَّى يَقْتُلَ. فَشَاوَرَ أُمَّهُ فِي ذَلِكَ، فَأَشَارَتْ عَلَيْهِ بِالثَّالِثِ فَقَطْ، وَيُرْوَى أَنَّهَا اسْتَدْعَتْ بِكَفَنٍ لَهُ
পৃষ্ঠা - ৭১০২
وَبَخَّرَتْهُ وَشَجَّعَتْهُ عَلَى الْقَتْلِ، فَخَرَجَ بِهَذِهِ النِّيَّةِ، فَقَاتَلَ يَوْمَ الثُّلَاثَاءِ السَّابِعَ عَشَرَ مِنْ جُمَادَى الْأُولَى سَنَةَ ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ قِتَالًا شَدِيدًا، فَجَاءَتْهُ آجُرَّةٌ فَفَلَقَتْ رَأْسَهُ فَسَقَطَ عَلَى وَجْهِهِ إِلَى الْأَرْضِ، ثُمَّ أَرَادَ أَنْ يَنْهَضَ فَلَمْ يَقْدِرْ، فَاتَّكَأَ عَلَى مَرْفِقِهِ الْأَيْسَرِ وَجَعَلَ يَحْذِمُ بِالسَّيْفِ مَنْ جَاءَهُ، فَأَقْبَلَ إِلَيْهِ رَجُلٌ مَنْ أَهَّلِ الشَّامِ، فَضَرَبَهُ فَقَطَعَ رِجْلَيْهِ، ثُمَّ تَكَاثَرُوا عَلَيْهِ حَتَّى قَتَلُوهُ وَاحْتَزُّوا رَأْسَهُ، وَكَانَ مَقْتَلُهُ قَرِيبًا مِنَ الْحَجُونِ، وَيُقَالُ: بَلْ قُتِلَ وَهُوَ مُتَعَلِّقٌ بِأَسْتَارِ الْكَعْبَةِ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ صَلَبَهُ الْحَجَّاجُ مُنَكَّسًا عَلَى ثَنِيَّةِ كَدَاءٍ عِنْدَ الْحَجُونِ، ثُمَّ لَمَّا أَنْزَلَهُ دَفَنَهُ فِي مَقَابِرِ الْيَهُودِ كَمَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ، وَقِيلَ: دُفِنَ بِالْحَجُونِ بِالْمَكَانِ الَّذِي صُلِبَ فِيهِ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقِيلَ: إِنَّ وَالِدَتَهُ أَسْمَاءَ غَسَّلَتْهُ بَعْدَمَا تَقَطَّعَتْ أَوْصَالُهُ، وَخَيَّطَتْهُ وَكَفَّنَتْهُ، وَصَلَّتْ عَلَيْهِ، وَحَمَلَتْهُ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَدَفَنَتْهُ فِي دَارِ صَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيٍّ، وَأَنَّ هَذِهِ الدَّارَ زِيدَتْ فِي الْمَسْجِدِ، فَهُوَ مَدْفُونٌ فِي الْمَسْجِدِ مَعَ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ لَمَّا جِيءَ بِرَأْسِ الْمُخْتَارِ: مَا كَانَ يُحَدِّثُنَا كَعْبُ الْأَحْبَارِ شَيْئًا إِلَّا وَجَدْنَاهُ إِلَّا قَوْلَهُ: إِنَّ فَتَى ثَقِيفٍ يَقْتُلُنِي، وَهَذَا رَأْسُهُ بَيْنَ يَدَيَّ. قَالَ ابْنُ سِيرِينَ: وَلَمْ يَشْعُرْ أَنَّهُ قَدْ خُبِّئَ لَهُ الْحَجَّاجُ. وَرُوِيَ هَذَا مِنْ وَجْهٍ آخَرَ.
পৃষ্ঠা - ৭১০৩


আর ঐ যে আপনার ভাই ৷ তিনিও তার আলোকমাল৷ দ্বারা মক্কায় হিদায়াত বিস্তার করে
গেছেন ৷ তিনি আমাদেরকে উচচকষ্ঠে আহবান জানাতেন ৷ ’
আমি দু ’মুথো মানুষ নই যে, এক রুগ্ন মুখ মুস আর এর জন্য এক মুখ মারওয়ান এর জন্য
থাকবে ৷’
আমি ইবন মারওয়ান এর হিত কামনা করেছিলাম ৷ কিন্তু তা তান্ববন্ এভাবিত করেনি এবং
সে আমার কাছেও আসেনি ৷ আসলে হয়ত মুসআবএর চোখ কিছুটাসাত্না পেত ৷ কিন্ত আমি
আল্লাহ্র খাতিরে ঘুসআব এরও হিত কামনা করেছি ৷’
তারপর এমন একটি সময় আসল যে, বিপদ তাকে ভীরবিদ্ধ করল ৷ কত সঠিক লক্ষভেদী
ছিল সেই তীর’ ৷
সেই যুগ মুসআ বহুক ধ্বংস করে দিয়েছে এবং আব্দুত্মাহ্ও টুকরো টুকরো হয়ে গেছেন ৷
এভাবে এতিঢি মানুষ্যর্কই মৃত্যুর ঢোক পিলত্তে হবে ৷ তার থেকে রক্ষা পাওয়ার যত চেষ্টাই
মানুষ করুন না কেন ৷ ,
কথিত আছে যে, আব্দুল্লাহ্ ইবনুয ঘুবইির (রা) কে জোড়ায় জোড়ায় আলাদা করে
ফেলার পর তার যা তাকে গোসল দিয়েছিলেন এবং সুগন্ধি মৃাখি রে কাফন পরিয়ে জানাযা
পড়েন এবং তাকে বহন করে মদীনা নিয়ে গিয়ে সাফিয়্যা নিনত হুয়াই এর গৃহে দাফন
করেন ৷ তারপর এই গৃহঢিকে সম্প্রসারিত করে মসজিদে নববীর অন্তর্ভুক্ত করে (নয়৷ হয় ৷
কাজেই আব্দুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রা) এখন নবীজী (সা), আবু বকর (রা) ও উমর (রা)
এর সঙ্গে মসজিদে নববীতে দাফন হয়ে আছেন ৷ একাধিক রাবী এই বর্ণনাটি উল্লেখ
করেছেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
তাবারানী আমির ইবন আব্দুল্লাহ ইবনুয ষুবাইর (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তার পিতা
তাকে বলেছেন, নবী করীম (সা) ফেলে দেয়ার জন্য সিঙ্গার রক্ত তার হাতে দেন ৷ কিন্তু তিনিত
পান করে ফেলেন ৷ ফিরে আসার পর নবী করীম (সা) বললেন, আব্দুল্লাহ ! রক্ত কী করেছ ?
আমি বললাম, তা এমন এক জায়গায় রেখে দিয়েছি যে, আমার ধারণা তা মানুষের নিকট
গোপন থাকবে ৷
নবী করীম (সা) বললেন, মনে হচ্ছে তুমি সেগুলো পান করে ফেলেছ ? আমি বললাম, জী
হ্যা ৷ নবী করীম (সা) বললেন, তোমাকে রক্ত পান করার কে নির্দেশ দিল ? মানুষের দ্বারা তুমি
ধ্বংস হয়ে আর ত্বোমার দ্বার৷ মানুষ ধ্বংস হয়ে ৷
সালমান আল-ফারসী (রা) একদিন নবী করীম (সা)-এরং নিকট গিয়ে দেখতে পেলেন,
ন্ আব্দুল্লাহ্ ইবনুয যুবাইর (রা) বারান্দায় র্দাড়িম্নে আছেন ৷ তার হাতে একটি ;চিলমচি, তা থেকে
তিনি পান করছেন ৷ সালমান (বা) নবী করীম ,(র্সা)-এর নিকট প্রবেশ করলেনহ্র৷ আব্দুল্লাহ
ইবনুয যুবাইর :(রা)-ও প্রবেশ করলেন ৷ নবী করীম (সা) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কাজ শেষ
করেছ ? তিনি বললেন, হা৷ ৷ সালমান (রা) বললেন, কী কাজ হে আল্লাহর রাসুল ? নবী করীম
(সা) বললেন, আমি সিঙ্গ৷ লাগিয়েছিলাম ৷ তার রক্ত ফেলে আসার জন্য তার হাতে দিয়েছিলাম ৷
সালমান (রা) বললেন, যে সত্তা আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন তার শপথ ! তিনি তো
সেগুলো পান করে ফেলেছেন ৷
নবী করীম (সা) বললেন, তুমি যেগুলো পান করেছ ?৩ তিনি বললেন, জী হ্যা ৷ নবী করীম
(সা) বললেন, কেন ? ইবনুয যুবইিরচু(রা) বললেন, আল্লাহ্র রাসুল (সা) এর রক্ত আমার


قُلْتُ: وَالْمَشْهُورُ أَنَّ مَقْتَلَ ابْنِ الزُّبَيْرِ كَانَ فِي سَنَةِ ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ، فِي يَوْمِ الثُّلَاثَاءِ سَابِعَ عَشَرَ مِنْ جُمَادَى الْأُولَى، وَقِيلَ: الْآخِرَةِ مِنْهَا. وَعَنْ مَالِكٍ وَغَيْرِهِ أَنَّ مَقْتَلَهُ كَانَ عَلَى رَأْسِ اثْنَتَيْنِ وَسَبْعِينَ، وَالصَّحِيحُ الْمَشْهُورُ هُوَ الْأَوَّلُ، وَكَانَتْ بَيْعَتُهُ فِي سَابِعِ رَجَبٍ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَسِتِّينَ، وَكَانَ مَوْلِدُهُ فِي أَوَّلِ سَنَةِ إِحْدَى مِنَ الْهِجْرَةِ، وَقِيلَ: فِي شَوَّالٍ مِنْ سَنَةِ ثِنْتَيْنِ مِنَ الْهِجْرَةِ، فَجَاوَزَ السَّبْعِينَ قَطْعًا، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمَّا أُمُّهُ فَإِنَّهَا لَمْ تَعِشْ بَعْدَهُ إِلَّا مِائَةَ يَوْمٍ، وَقِيلَ: إِنَّمَا عَاشَتْ بَعْدَهُ عَشَرَةَ أَيَّامٍ. وَقِيلَ: خَمْسَةً. وَالْأَوَّلُ هُوَ الْمَشْهُورُ، وَسَتَأْتِي تَرْجَمَتُهَا قَرِيبًا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا. وَكَانَ لَهُ مِنَ الْوَلَدِ: خُبَيْبٌ وَحَمْزَةُ وَعَبَّادٌ وَثَابِتٌ، وَأُمُّهُمْ تُمَاضِرُ بِنْتُ مَنْظُورٍ الْفَزَارِيِّ، وَهَاشِمٌ وَقَيْسٌ وَعُرْوَةُ - قُتِلَ مَعَ أَبِيهِ - وَالزُّبَيْرُ، وَأُمُّهُمْ أُمُّ هَاشِمٍ بِنْتُ حُلَّةَ بْنِ مَنْظُورٍ، وَعَامِرٌ وَمُوسَى وَأُمُّ حَكِيمٍ وَفَاطِمَةُ وَفَاخِتَةُ، وَأُمُّهُمْ جُثَيْمَةُ بِنْتُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، وَبَكْرٌ وَرُقَيَّةُ، وَأُمُّهُمْ عَائِشَةُ بِنْتُ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، وَعَبْدُ اللَّهِ وَمُصْعَبٌ مِنْ أُمِّ وَلَدٍ. وَقَدْ أَسْنَدَ ثَلَاثَةً وَثَلَاثِينَ حَدِيثًا. وَقَدْ رُثِيَ ابْنُ الزُّبَيْرِ وَأَخُوهُ مُصْعَبٌ بِمَرَاثٍ كَثِيرَةٍ حَسَنَةٍ بَلِيغَةٍ، رَحِمَهُمَا اللَّهُ، مِنْ ذَلِكَ قَوْلُ عَمْرِو بْنِ مَعْمَرٍ الذُّهْلِيِّ يَرْثِيهُمَا بِأَبْيَاتٍ:
পৃষ্ঠা - ৭১০৪
لَعَمْرُكَ مَا أَبْقَيْتُ فِي النَّاسِ حَاجَةً ... وَلَا كُنْتُ مَلْبُوسَ الْهُدَى مُتَذَبْذِبًا غَدَاةَ دَعَانِي مُصْعَبٌ فَأَجَبْتُهُ ... وَقَلْتُ لَهُ أَهْلًا وَسَهْلًا وَمَرْحَبًا أَبُوكَ حَوَارِيُّ الرَّسُولِ وَسَيْفُهُ ... فَأَنْتَ بِحَمْدِ اللَّهِ مِنْ خَيْرِنَا أَبَا وَذَاكَ أَخُوكَ الْمُهْتَدَى بِضِيَائِهِ ... بِمَكَّةَ يَدْعُونَا دُعَاءً مُثَوَّبَا وَلَمْ أَكُ ذَا وَجْهَيْنِ وَجْهٍ لِمُصْعَبٍ ... مَرِيضٍ وَوَجْهٍ لِابْنِ مَرْوَانَ إِذْ صَبَا وَكُنْتُ امْرَأً نَاصَحْتُهُ غَيْرَ مُؤْثِرٍ ... عَلَيْهِ ابْنَ مَرْوَانَ وَلَا مُتَقَرِّبَا إِلَيْهِ بِمَا تُقْذَى بِهِ عَيْنُ مُصْعَبٍ ... وَلَكِنَّنِي نَاصَحْتُ فِي اللَّهِ مُصْعَبَا إِلَى أَنْ رَمَتْهُ الْحَادِثَاتُ بِسَهْمِهَا ... فَلِلَّهِ سَهْمًا مَا أَسَدَّ وَأَصْوَبَا فَإِنْ يَكُ هَذَا الدَّهْرُ أَوْدَى بِمُصْعَبٍ ... وَأَصْبَحَ عَبْدُ اللَّهِ شِلْوًا مُلَحَّبَا فَكُلُّ امْرِئٍ حَاسٍ مِنَ الْمَوْتِ جُرْعَةً ... وَإِنْ حَادَ عَنْهَا جُهْدَهُ وَتَهَيَّبَا وَقَدْ رَوَى الطَّبَرَانِيُّ، عَنْ عَامِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ «أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْطَاهُ دَمَ مَحَاجِمِهِ يُهَرِيقُهُ، فَحَسَاهُ، فَلَمَّا رَجَعَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَا صَنَعْتَ يَا عَبْدَ اللَّهِ بِالدَّمِ؟ قُلْتُ: جَعَلْتُهُ فِي مَكَانٍ ظَنَنْتُ أَنَّهُ خَافٍ عَلَى النَّاسِ. قَالَ: فَلَعَلَّكَ شَرِبْتَهُ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: وَمَنْ أَمَرَكَ أَنْ تَشْرَبَ الدَّمَ؟ وَيْلٌ لَكَ مِنَ النَّاسِ، وَوَيْلٌ لِلنَّاسِ مِنْكَ» .
পৃষ্ঠা - ৭১০৫


০ ৷ ৷ ট : ৷ ৷ ট :

৬০০ , আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

পেটে থাকুক, তা ভাল মনে করলাম ৷ এবার নবী করীম (সা) ইবনুয যুবাইর-এর মাথায় হাত
রেখে বললেন, তুমি মানুষের দ্বারা ক্ষতিঃাস্ত হবে এবং মানুষ তোমার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৷
কসম ভঙ্গ ছাড়া আগুন তোমাকে স্পর্শ করবে না ৷
ইয়াযীদ ইবন যুআবিয়া যখন ইবনুয যুবাইর-এর নিকট সোনার রশি, রুপার শিকল ও
বেড়ী প্রেরণ করেছিলেন এবং শপথ করেছিলেন, আপনি এগুলোতে আবদ্ধ হয়ে অবশ্যই
আমার নিকট চলে আসবে ৷ ফলে লোকেরা তাকে বলল, আপনি আযীরুল মু মিনীনের কসম
পুরণ করুন ৷ জবাবে তিনি বললেন, ন্
আমি অসত্যের কাছে নত হয় না ৷ আল্লাহ্র শপথ ! যতক্ষণ না চর্বনকারী দাতের জন্য
পাথর কোমল হয় ৷’
তারপর তিনি বললেন, আল্লাহ্র শপথ ! সম্মানজনক তরবারির আঘাত আমার নিকট
অপমানের বেত্রাঘাত অপেক্ষা বেশী প্রিয় ৷ তারপর তিনি সোকদেরকে নিজের আনুপত্যের
আহবান জানালেন এবং ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন ৷
, তাবারানী বর্ণনা করেন, ইবনুয যুবইির (রা) একদিন তার মায়ের নিকট বললেন, নিশ্চয়
মৃত্যুতে প্রশান্তি রয়েছে ৷ তার মায়ের বয়স তখন একশত বছর ৷ অথচ, তখনো তার একটি
র্দাতও পড়েনি এবং দুটি শক্তিও নষ্ট হয়নি ৷ তিনি বললেন, তোমাকে দুই কুলেব্ল যে কােন
এক কুলে না দেখা পর্যন্ত আমি ইনতিকাল করতে চইি না ৷ হয় ’ তুমি রাজত্ব লাভ করবে,
যার ফলে আমার চোখ শীতল হবে৷ কিত্বা ভুমি নিহত হবে আর আমি তোমার জন্য
সওয়াব লাভ করব ৷ তারপর ইবনুয যুবাইর (বা) তার থেকে বিদায় গ্রহণ করেন ৷ তখন
তিনি বলছিলেন ৪

আমি লাষ্কৃনার বিনিময়ে জীবন ক্রয় করবার নই ৷ আর মৃত্যুর ভয়ে আমি সিড়ি
অনুসন্ধানকারীও নই ৷
তারপর তিনি যুবাইর বংশের লোকদের নিকট গিয়ে তাদেরকে উপদেশ প্রদান করেন ৷
তিনি বললেন, তোমাদের প্রত্যেকেই নিজেকে একটি করে তরবারি করে নেয়, যেমন
প্রত্যেকের এবল্ট করে আছে ৷ যাতে তোমরা নিজ্যোইি নিজেদেরকে সুরক্ষা করতে পার ৷ যেন
নিজেই নিজের আমীর ৷
তারপর বললেন, আল্লাহ্র শপথ ! আমি যখনই যে যুদ্ধে অংশ্যাহণ করেছি, অগ্রবাহিনীতে
ছাড়া যুদ্ধ করি নি ৷ আর যখনই জখম হয়েছি, চিকিৎসা পেয়েছি ৷ তারপর তিনি শত্ররে উপর
আক্রমণ করেন ৷ তখন সুফিয়ান তার সঙ্গে ৷ যে সময় সর্বপ্রথম আসওয়াদ তার মুখোমুখী হয় ৷
তিনি তরবারি দ্বারা আঘাত করে তার মা কেটে দেন ৷ ফলে আসওয়াদ তাকে বলল, আহ ! হে
ব্যভিচারিণীর পুত্র ! তারপর তিনি তাদেরকে মসজিদ থেকে তাড়িয়ে দেন ৷ তখন মসজিদের
ছাদে তার সহযােণীদের একটি দল ছিল, যারা শত্রুর উপর ইট ছুড়ছিল ৷ অনিচ্ছাবশত তাদের
একজনের একটি ইট এসে ইবনুয যুবাইরের মাথার তালুতে আঘাত হানে ৷ তাতে তার মাথা


«وَدَخَلَ سَلْمَانُ الْفَارِسِيُّ مَرَّةً عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِذَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ قَائِمٌ فِي الدِّهْلِيزِ، وَمَعَهُ طَسْتٌ يَشْرَبُ مِنْهُ، فَدَخَلَ سَلْمَانُ، وَدَخَلَ عَبْدُ اللَّهِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُ: فَرَغْتَ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ سَلْمَانُ: وَمَا ذَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: أَعْطَيْتَهُ غُسَالَةَ مَحَاجِمِي يُهَرِيقُ مَا فِيهَا. قَالَ سَلْمَانُ: شَرِبَهَا، وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ. قَالَ: شَرِبْتَهُ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: لِمَ؟ قَالَ: أَحْبَبْتُ أَنْ يَكُونَ دَمُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي جَوْفِي. فَقَالَ بِيَدِهِ عَلَى رَأْسِ ابْنِ الزُّبَيْرِ، وَقَالَ: وَيْلٌ لَكَ مِنَ النَّاسِ، وَوَيْلٌ لِلنَّاسِ مِنْكَ، لَا تَمَسُّكَ النَّارُ إِلَّا تَحِلَّةَ الْقَسَمِ» . وَلَمَّا بَعَثَ يَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ إِلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ ذَلِكَ الْقَيْدَ مِنْ ذَهَبٍ، وَسِلْسِلَةً مِنْ فِضَّةٍ، وَجَامِعَةً مِنْ فِضَّةٍ، وَأَقْسَمَ لَتَأْتِيَنِّي فِيهَا، فَقَالُوا لَهُ: بِرَّ قَسَمَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ: وَلَا أَلِينُ لِغَيْرِ الْحَقِّ أَسْأَلُهُ ... حَتَّى يَلِينَ لِضِرْسِ الْمَاضِغِ الْحَجَرُ ثُمَّ قَالَ: وَاللَّهِ لَضَرْبَةٌ بِسَيْفٍ بِعِزٍّ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ ضَرْبَةٍ بِسَوْطٍ فِي ذُلٍّ. ثُمَّ دَعَا إِلَى نَفْسِهِ، وَأَظْهَرَ الْخِلَافَ لِيَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ. وَرَوَى الطَّبَرَانِيُّ أَنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ دَخَلَ عَلَى أُمِّهِ فَقَالَ: إِنَّ فِي الْمَوْتِ لَرَاحَةٌ. وَكَانَتْ أُمُّهُ قَدْ أَتَتْ عَلَيْهَا مِائَةُ سَنَةٍ لَمْ يَسْقُطْ لَهَا سِنٌّ، وَلَمْ يَفْسُدْ لَهَا بَصَرٌ، فَقَالَتْ لَهُ: مَا أُحِبُّ أَنْ أَمُوتَ حَتَّى آتِيَ عَلَى أَحَدِ طَرَفَيْكَ، إِمَّا أَنْ تَمْلِكَ فَتَقَرَّ عَيْنِي، وَإِمَّا أَنْ تُقْتَلَ فَأَحْتَسِبَكَ. ثُمَّ خَرَجَ عَنْهَا، وَهُوَ يَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ৭১০৬


কেটে যায় ৷ তিনি দাড়িয়ে গিয়ে বললেন, আমার প্রতিপক্ষ যদি একজন হত, তাহলে আমি
তার জন্য যথেষ্ট ছিলাম ৷ তিনি আরো বলেন,

আমরা এমন নই যে, আমাদের জখম পােড়ালীতে রক্ত ঝরাবে ৷ রক্ত ঝরে থাকে বরং
আমাদের পায়ের উপর ৷ তারপর তিনি পড়ে গেলেন ৷৩ তার দু’জন গোলাম এসে তার প্ৰতি
মাথা ঝুকিয়ে বলল, গোলাম তার মনিবকেও রক্ষা করে এবং নিজেও নিরাপদ থাকে ৷ তারপর
শত্রুসেনারা ছুটে এসে৩ তার মাথাটা কেটে ফেলে ৷

তাবারানী ইসহাক ইবন আবু ইসহাক থেকে বর্ণনা করেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনুয যুবইির
(রা) এর নিহত হওয়ার সময় মসজিদুল হারামে উপস্থিত কািাম ৷ তিনি যেদিন নিহত হন,
সেদিন সৈন্যরা দলে দলে মসজিদের বিজ্যি দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে থাকে ৷ কিন্তু যখনই
একটি দল প্রবেশ করত ৷ তিনি হামলা করে তাদেরকে বের করে দিতেন ৷ এমনি অবস্থায়
মসজিদের একটি ঝুলবারান্দা ছুটে এসে তার মাথায় পতিত হল এবং তাকে মাটিতে ফেলে
দিল ৷ তিনি তখন এই পঙ্ক্তিগুলো আবৃত্তি বহ্বছিলেন :

আসমা ! হে আসম৷ ! তুমি আমার জ্যাক্র কেদ না ৷ আমার বংশমর্ষাদা, আমার দীন আর
সেই ধারাল ঙ্ঘবারি ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট রইল না, যার দ্বারা আমার ডানহাত মসৃন হয়েছিল ৷
বর্ণিত আছে যে, আবদুল্লাহ ইবনুয যুবইির (রা) এর মা হাজ্জাজকে বলেছিলেন, এই
আরােহীর কি এখনও অবতরণ করার সময় হয়নি ? উত্তরে হাজ্জাজ বললেন, তোমার ছেলে
মুনাফিক

ইবনুয যুবইির এর মা বললেন, আল্লাহর শপথ ! সে মুনাযিক ছিল না ৷ নিঃসন্দেহে সে
অধিক ণ্রাযা পালনকারী, নামায আদায়কারী ও আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষাকারী জ্যি ৷ হাজ্জাজ
বললেন, বৃদ্ধ৷ ! তুমি চলে যাও ৷ কেননা, তুমি তো ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছ ৷ ইবনুয যুবইির-এর
মা বললেন, আল্লাহর শপথ ! আমি ছিন্নজ্যি হইনি ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্ (-সা) কে বলতে শুনেছি
যে, ছাকীফ থেকে একজন মিথ্যাবাদী ও একজন ধ্বংসকারী আবির্ভুত হবে ৷ আমরা
মিথ্যাবাদীকেণ্ তা দেখেছি ৷ আর ধ্ব ত্সকারী হলে তুমি ৷

মুজাহিদ বলেন, আমি ইবন উমর (রা) এর সঙ্গে জ্জিাম ৷ তিনি ইবনুয যুবইির (রা)-এর
(লাৱশ্যা) নিকট দিয়ে অতিক্রম করেন ৷ তখন তিনি দাড়িয়ে গিয়ে তার জন্য দু আ করেন ৷
তারপর তিনি আমার প্ৰতি মুখ ফিরিয়ে বললেন, আমাকে আবু বকর সিদ্দীক (রা) বর্ণনা
করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি মন্দ কাজ করবে, তাকে তার প্ৰতিফ্ফা দেয়া
হবে ৷’ ইবন জুরাইজ সুফিয়ান বর্ণনা করেন যে, আবু মালিক বলেছেন, আমি ইবন আব্বাস
(রা) এর নিকট ইবনুয যুবইির (রা)এর কথা উল্লেখ করি ৷

তিনি বললেন,৩ তিনি ইসলামে একজন সচচরিত্রবান, কুরআন পাঠকারী, অধিক রোযা
পালনকারী ও অধিক নামায আদায়কারী ব্যক্তি ছিলেন, তার পিতা হলেন যুবইির ৷ মা আসম৷ ৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (৮ম খণ্ড) ৭৬

وَلَسْتُ بِمُبْتَاعِ الْحَيَاةِ بِسُبَّةٍ ... وَلَا مُرْتَقٍ مِنْ خَشْيَةِ الْمَوْتِ سُلَّمَا ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى آلِ الزُّبَيْرِ يَعِظُهُمْ وَيَقُولُ: لِيُكِنَّ أَحَدُكُمْ سَيْفَهُ كَمَا يُكِنُّ وَجْهَهُ، فَيَدْفَعَ عَنْ نَفْسِهِ بِيَدِهِ كَأَنَّهُ امْرَأَةٌ، وَاللَّهِ مَا لَقِيتُ زَحْفًا قَطُّ إِلَّا فِي الرَّعِيلِ الْأَوَّلِ، وَمَا أَلِمْتُ جُرْحًا إِلَّا أَلَمَ الدَّوَاءِ، ثُمَّ حَمَلَ عَلَيْهِمْ وَمَعَهُ سَيْفَانِ، فَأَوَّلُ مَنْ لَقِيَهُ الْأَسْوَدُ، فَضَرَبَهُ بِسَيْفِهِ حَتَّى أَطَنَّ رِجْلَهُ، فَقَالَ لَهُ الْأَسْوَدُ: أَخُّ يَابْنَ الزَّانِيَةِ. فَقَالَ لَهُ ابْنُ الزُّبَيْرِ: اخْسَأْ يَابْنَ حَامٍ، أَسْمَاءُ زَانِيَةٌ؟ ! ثُمَّ أَخْرَجَهُمْ مِنَ الْمَسْجِدِ، وَكَانَ عَلَى ظَهْرِ الْمَسْجِدِ جَمَاعَةٌ مِنْ أَعْوَانِهِ يَرْمُونَ أَعْدَاءَهُ بِالْآجُرِّ، فَأَصَابَتْهُ آجُرَّةٌ مِنْ أَعْوَانِهِ مِنْ غَيْرِ قَصْدٍ فِي مَفْرِقِ رَأْسِهِ، فَفَلَقَتْ رَأْسَهُ، فَوَقَفَ قَائِمًا وَهُوَ يَقُولُ: لَوْ كَانَ قَرْنِي وَاحِدًا كَفَيْتُهُ وَيَقُولُ: وَلَسْنَا عَلَى الْأَعْقَابِ تَدْمَى كُلُومُنَا ... وَلَكِنْ عَلَى أَقْدَامِنَا تَقْطُرُ الدِّمَا ثُمَّ وَقَعَ، فَأَكَبَّ عَلَيْهِ مَوْلَيَانِ لَهُ، وَهُمَا يَقُولَانِ:
পৃষ্ঠা - ৭১০৭
الْعَبْدُ يَحْمِي رَبَّهُ وَيَحْتَمِي ثُمَّ أَرْسَلُوا إِلَيْهِ فَحَزُّوا رَأْسَهُ. وَرَوَى الطَّبَرَانِيُّ أَيْضًا، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ قَالَ: أَنَا حَاضِرٌ مَقْتَلَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ فِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ، يَوْمَ قُتِلَ جَعَلَتِ الْجُيُوشُ تَدَخُلُ مِنْ أَبْوَابِ الْمَسْجِدِ، وَكُلَّمَا دَخَلَ قَوْمٌ مِنْ بَابٍ حَمَلَ عَلَيْهِمْ حَتَّى يُخْرِجَهُمْ، فَبَيْنَمَا هُوَ عَلَى تِلْكَ الْحَالِ إِذْ جَاءَتْ شُرْفَةٌ مِنْ شُرُفَاتِ الْمَسْجِدِ، فَوَقَعَتْ عَلَى رَأْسِهِ فَصَرَعَتْهُ، وَهُوَ يَتَمَثَّلُ بِهَذِهِ الْأَبْيَاتِ: أَسْمَاءُ يَا أَسْمَاءُ لَا تَبْكِينِي ... لَمْ يَبْقَ إِلَّا حَسَبِي وَدِينِي وَصَارِمٌ لَانَتْ بِهِ يَمِينِي وَقَدْ رُوِيَ أَنَّ أُمَّهُ قَالَتْ لِلْحَجَّاجِ: أَمَا آنَ لِهَذَا الرَّاكِبِ أَنْ يَنْزِلَ؟ فَقَالَ الْحَجَّاجُ: ابْنُكُ الْمُنَافِقُ؟ فَقَالَتْ: وَاللَّهِ مَا كَانَ مُنَافِقًا، إِنْ كَانَ لَصَوَّامًا قَوَّامًا وَصُولًا لِلرَّحِمِ. فَقَالَ: انْصَرِفِي يَا عَجُوزُ، فَإِنَّكِ قَدْ خَرِفْتِ. فَقَالَتْ: وَاللَّهِ مَا خَرِفْتُ مُنْذُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «يَخْرُجُ مِنْ ثَقِيفٍ كَذَّابٌ وَمُبِيرٌ» فَأَمَّا الْكَذَّابُ فَقَدْ رَأَيْنَاهُ، وَأَمَّا الْمُبِيرُ فَأَنْتَ. وَقَالَ مُجَاهِدٌ: كُنْتُ مَعَ ابْنِ عُمَرَ فَمَرَّ عَلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ، فَوَقَفَ فَتَرَحَّمَ عَلَيْهِ،
পৃষ্ঠা - ৭১০৮


নানা আবু বকর (রা) ৷ ফুফু খাদীজা, দাদী সাফিয়্যা এবং খালা হলেন আয়েশা (বা) ৷ আল্লাহর
শপথ ! আামি তাকে ব্যক্তিগত ভাবে এমন মুল্যায়ন করি, যা আবু বকর (বা)-কেও করিনি, উমর
(রা) কেও নয় ৷ ,
যাকারিয়া আন নাজী সুত্রে৩ তাবারানী বর্ণনা করেন যে, মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ-
বলেছেন, আমি ইবনুয যুবাইর (রা)-এর হরুজ্জর ভাষণটি শুনেছি ৷ তিনি তারবিয়ার
আগের দিন (সাত যিলহজ্জ) আমাদের নিকট আগমন করেন ৷ তিনি তখন ইহ্রাম বাধা
অবস্থায় ছিলেন ৷ তিনি এত উত্তমরুপে তাল্ৰিয়া পাঠ করলেন, যা আমি কখনো শুনিনি ৷
তারপর আল্লাহ্র প্রশং না ও হামদ্পুর্ণ বর্ণনা করে বললেন, পর সমাচার এই যে, নিশ্চয়
আপনারা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আল্লাহর যেহমানরুপে এসেছেন ৷ আল্লাহর হক হল, তার
যেহমড়ানের যথাযথ সম্মান করা ৷ আপনাদের মধ্যে থেকে যে ব্যক্তি আল্লাহ্র নিকট যা
আছে, তার প্রত্যাশা করেন, তিনি ৫জনেরাখুন আল্লাহর নিকট যা কিছু আছে তার
অন্বেষণকারী ব্যর্থ হয় না ৷ কাজেই আপনারা আপনাদের মুখের কথাকে কাজের দ্বারা
সত্য প্রমাণিত করুন ৷ কেননা, কথার মুলধন হল কাজ, নিয়ঙে র নিয়ত আর হৃদয়ের হৃদয় ৷
এইদিনভৃল্যেতে আপনারা আল্লাহ্কে ভয় বব্রুন ৷ কারণ এ দিনণ্ডলোতে গুনাহ্ মাফ করা হয় ৷
আপনারা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসেছেন ৷ এখানে আপনাদের উদ্দেশ্য ব্যবসা, অর্থোপার্জ্যা
কিংবা দুনিয়া অন্বেষণ নয় ৷ তারপর তিনি তালবিয়া পাঠ করেন ৷ লোকেরাও তালবিয়া পাঠ
করে ৷ সেদিন আমি তাকে এত র্কাদতে দেখেছি, যা পুর্বে কখনো দেখিনি ৷
হাইয়ান ইবন মুসা সুত্রে হামান ইবন সুফিয়ান বর্ণনা করেন যে, ওহ্ব ইবন কায়সান
বলেন, আবদুল্লাহ ইবনুয যুবইির আমার নিকট একটি উপদেশ লিখে পাঠান, হামদ ও
সালাতের পর ৷ তাকওয়ার অধিকারীদের এমন কিছু চিহ্ন আছে, যা দ্বারা তাদরেকে চেনা যায়
এবং তারা নিজেরাও তা অনুভব করে থাকে ৷ সত্য বলা, আমানত আদায় করা, রাগ হজম
করা, বিপদে ধৈর্যধারণ করা, তাকদীরে সন্তুষ্ট থাকা, নিয়ামতের শুকরিয়া আদায়ন্ করা ও
কুরআনের নির্দেশের সামনে অবনত হওয়া ৷ যুগ হল বাজারের ন্যায় ৷ বাজারে যা চলে,
তাই সেখানে বয়ে নেয়া যায় ৷ তেমনি যুপেটু যদি সত্য চালু হয়ে যায়, তাহলে মানুষ তা-ই
বহন করে এবং এবং সত্যের ধারকরা এসে ভিড় জমায় ৷ আর যদি মিথ্যার প্রচলন ঘটে,
তাহলে তা-ই বহন করা হয় এবং তার ধারকরা ছুটে আসে ৷
হিশাম ইবন উরওয়া সুত্রে আবু যুআবিয়া বর্ণনা করেন যে, ওহ্ব ইবন কায়সার বলেছেন,
রাজা-বাদশাহ্ হোক কিংবা অন্য কেউ ভয়ে বা আশায় ইবনুয যুবাইরকে কখনো কারো কাছে
আমি নত হতে দেখিনি ৷ এই সুত্রে সিরিয়বাসী র্তাকে নিন্দা করত এবং হে দুই
কােমরবন্দওয়ালীর পুত্র বলে ডাকত ৷ তা শুনে আসমা (রা) তাকে বললেন, বৎস ৷ তারা
তোমাকে দুই কােমরবন্দের উল্লেখ করে লজ্জা দের ৷ আমার আসলে একটিই কােমরবন্দজ্জি ৷
সেটিকে ছিড়ে আমি দৃ’টুকরা করি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (মা) ও আবু বকর তখন হিজরছুতর উদ্দেশ্যে
রওয়ানা হন তখন তার একঢিকে রাসুলুল্লাহ (সা) এর দস্তরখানা বানাই, আর অপরটি দ্বারা
মশক বেধে ৫ইে ৷
এরপর মানুষ যখন ইবনুয যুবাইরকে দুই কােমরবন্দ (যাতুন নিতাকইিন) বলে লজ্জা দিত,
তখন তিনি বলতেন, আল্লাহ্র শপথ ! সেটি একটি ব্যাধি, তোমার থেকে যার লজ্জা দুর হয়ে
যাবে ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ ন্


وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَيَّ وَقَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ يَعْمَلْ سُوءًا يُجْزَ بِهِ» . وَرَوَى سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ: ذَكَرْتُ ابْنَ الزُّبَيْرِ عِنْدَ ابْنِ عَبَّاسٍ فَقَالَ: كَانَ عَفِيفًا فِي الْإِسْلَامِ، قَارِئًا لِلْقُرْآنِ، صَوَّامًا قَوَّامًا، أَبُوهُ الزُّبَيْرُ، وَأُمُّهُ أَسْمَاءُ، وَجَدُّهُ أَبُو بَكْرٍ، وَعَمَّتُهُ خَدِيجَةُ، وَجَدَّتُهُ صَفِيَّةُ، وَخَالَتُهُ عَائِشَةُ، وَاللَّهِ لَأُحَاسِبَنَّ لَهُ بِنَفْسِي مُحَاسَبَةً لَمْ أُحَاسِبْهَا لِأَبِي بَكْرٍ وَلَا لِعُمَرَ. وَقَالَ الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا السَّاجِيُّ، ثَنَا حَوْثَرَةُ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، ثَنَا سَعِيدُ بْنُ الْمَرْزُبَانِ أَبُو سَعِيدٍ الْعَبْسِيُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الثَّقَفِيُّ قَالَ: شَهِدْتُ خُطْبَةَ ابْنِ الزُّبَيْرِ بِالْمَوْسِمِ، خَرَجَ عَلَيْنَا قَبْلَ التَّرْوِيَةِ بِيَوْمٍ وَهُوَ مُحْرِمٌ، فَلَبَّى بِأَحْسَنِ تَلْبِيَةٍ سَمِعْتُهَا قَطُّ، ثُمَّ حَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّكُمْ جِئْتُمْ مِنْ آفَاقٍ شَتَّى وُفُودًا إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، فَحَقٌّ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكْرِمَ وَفْدَهُ، فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ يَطْلُبُ مَا عِنْدَ اللَّهِ فَإِنَّ طَالِبَ مَا عِنْدَ اللَّهِ لَا يَخِيبُ، فَصَدِّقُوا قَوْلَكُمْ بِفِعْلٍ، فَإِنَّ مَلَاكَ الْقَوْلِ الْفِعْلُ، وَالنِّيَّةَ النِّيَّةَ، وَالْقُلُوبَ الْقُلُوبَ، اللَّهَ اللَّهَ فِي أَيَّامِكُمْ هَذِهِ ; فَإِنَّهَا أَيَّامٌ تُغْفَرُ فِيهَا الذُّنُوبُ، جِئْتُمْ مِنْ آفَاقٍ شَتَّى فِي غَيْرِ تِجَارَةٍ، وَلَا طَلَبِ مَالٍ، وَلَا دُنْيَا تَرْجُونَهَا هَاهُنَا. ثُمَّ لَبَّى وَلَبَّى النَّاسُ، فَمَا رَأَيْتُ بَاكِيًا أَكْثَرَ مِنْ يَوْمِئِذٍ.
পৃষ্ঠা - ৭১০৯
وَرَوَى الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ قَالَ: ثَنَا حِبَّانُ بْنُ مُوسَى، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، ثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ قَالَ: كُتِبَ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ بِمَوْعِظَةٍ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ لِأَهْلِ التَّقْوَى عَلَامَاتٌ يُعْرَفُونَ بِهَا، وَيَعْرِفُونَهَا مِنْ أَنْفُسِهِمْ: صِدْقُ الْحَدِيثِ، وَأَدَاءُ الْأَمَانَةِ، وَكَظْمُ الْغَيْظِ، وَصَبْرٌ عَلَى الْبَلَاءِ، وَرِضًا بِالْقَضَاءِ، وَشُكْرٌ لِلنَّعْمَاءِ، وَذُلٌّ لِحُكْمِ الْقُرْآنِ، وَإِنَّمَا الْإِمَامُ كَالسُّوقِ ; مَا نَفَقَ فِيهَا حُمِلَ إِلَيْهَا، إِنْ نَفَقَ الْحَقُّ عِنْدَهُ حُمِلَ إِلَيْهِ وَجَاءَهُ أَهْلُهُ، وَإِنْ نَفَقَ الْبَاطِلُ عِنْدَهُ حُمِلَ إِلَيْهِ وَجَاءَهُ أَهْلُهُ. وَقَالَ أَبُو مُعَاوِيَةَ: ثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ قَالَ: مَا رَأَيْتُ ابْنَ الزُّبَيْرِ يُعْطِي سَلَمَهُ قَطُّ لِرَغْبَةٍ وَلَا لِرَهْبَةِ سُلْطَانٍ وَلَا غَيْرِهِ. وَبِهَذِهِ الْإِسْنَادَاتِ أَهْلُ الشَّامِ كَانُوا يُعَيِّرُونَ ابْنَ الزُّبَيْرِ وَيَقُولُونَ لَهُ: يَابْنَ ذَاتِ النِّطَاقَيْنِ. فَقَالَتْ لَهُ أَسْمَاءُ: يَا بُنَيَّ، إِنَّهُمْ يُعَيِّرُونَكَ بِالنِّطَاقَيْنِ، وَإِنَّمَا كَانَ لِي نِطَاقٌ وَاحِدٌ شَقَقْتُهُ نِصْفَيْنِ ; فَجَعَلْتُ فِي سُفْرَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَدَهُمَا، وَأَوْكَيْتُ قِرْبَتَهُ بِالْآخَرِ لَمَّا خَرَجَ هُوَ وَأَبُو بَكْرٍ يُرِيدَانِ الْهِجْرَةَ إِلَى الْمَدِينَةِ. فَكَانَ ابْنُ الزُّبَيْرِ بَعْدَ ذَلِكَ إِذَا عَيَّرُوهُ بِالنِّطَاقَيْنِ يَقُولُ: إِيهًا وَاللَّهِ:
পৃষ্ঠা - ৭১১০
وَتِلْكَ شَكَاةٌ ظَاهِرٌ عَنْكَ عَارُهَا وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ. [مَنْ قُتِلَ مَعَ ابْنِ الزُّبَيْرِ فِي سَنَةِ ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ بِمَكَّةَ مِنَ الْأَعْيَانِ] وَمِمَّنْ قُتِلَ مَعَ ابْنِ الزُّبَيْرِ فِي سَنَةِ ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ بِمَكَّةَ مِنَ الْأَعْيَانِ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَفْوَانَ بْنِ أُمَيَّةَ بْنِ خَلَفٍ الْجُمَحِيُّ، أَبُو صَفْوَانَ الْمَكِّيُّ وَكَانَ أَكْبَرَ وَلَدِ أَبِيهِ، أَدْرَكَ حَيَاةَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرَوَى عَنْ عُمَرَ وَجَمَاعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَحَدَّثَ عَنْهُ خَلْقٌ مِنَ التَّابِعَيْنِ، وَكَانَ سَيِّدًا شَرِيفًا مُطَاعًا حَلِيمًا، يَحْتَمِلُ الْأَذَى، لَوْ سَبَّهُ عَبْدٌ أَسْوَدُ، مَا اسْتَنْكَفَ عَنْهُ، وَلَمْ يَقْصِدْهُ أَحَدٌ فِي شَيْءٍ فَرَدَّهُ خَائِبًا، وَلَا سَمِعَ بِمَفَازَةٍ إِلَّا حَفَرَ جُبًّا، أَوْ عَمِلَ فِيهَا بِرْكَةً، وَلَا عَقَبَةٍ إِلَّا سَهَّلَهَا. وَقِيلَ: إِنَّ الْمُهَلَّبَ بْنَ أَبِي صُفْرَةَ قَدِمَ عَلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ مِنَ الْعِرَاقِ، فَأَطَالَ الْخَلْوَةَ مَعَهُ، فَجَاءَ ابْنُ صَفْوَانَ فَقَالَ: مَنْ هَذَا الَّذِي شَغَلَكَ مُنْذُ الْيَوْمِ؟ قَالَ: هَذَا سَيِّدُ الْعَرَبِ مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ. فَقَالَ: يَنْبَغِي أَنْ يَكُونَ الْمُهَلَّبَ. فَقَالَ الْمُهَلَّبُ لِابْنِ الزُّبَيْرِ: وَمَنْ هَذَا الَّذِي يَسْأَلُ عَنِّي يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ قَالَ: هَذَا سَيِّدُ قُرَيْشٍ بِمَكَّةَ. فَقَالَ: يَنْبَغِي أَنْ يَكُونَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ صَفْوَانَ. وَكَانَ ابْنُ صَفْوَانَ كَرِيمًا جِدًّا. وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ بِسَنَدِهِ: إِنَّ مُعَاوِيَةَ قَدِمَ حَاجًّا فَتَلَقَّاهُ النَّاسُ، فَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَفْوَانَ فِي جُمْلَةِ مَنْ تَلَقَّاهُ، فَجَعَلَ يُسَايِرُ مُعَاوِيَةَ، وَجَعَلَ أَهْلُ
পৃষ্ঠা - ৭১১১
الشَّامِ يَقُولُونَ: مَنْ هَذَا الَّذِي يُسَايِرُ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ فَلَمَّا انْتَهَى إِلَى مَكَّةَ إِذَا الْجَبَلُ أَبْيَضُ مِنَ الْغَنَمِ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، هَذِهِ غَنَمٌ أَجْزَرْتُكَهَا ; تُقَسِّمُهَا بَيْنَ الْجُنْدِ. فَإِذَا هِيَ أَلَفَا شَاةٍ، فَقَالُوا: مَا رَأَيْنَا أَكْرَمَ مِنِ ابْنِ عَمِّ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ. ثُمَّ كَانَ ابْنُ صَفْوَانَ مِنْ جُمْلَةِ مَنْ صَبَرَ مَعَ ابْنِ الزُّبَيْرِ حِينَ حَصَرَهُ الْحَجَّاجُ، فَقَالَ لَهُ ابْنُ الزُّبَيْرِ: إِنِّي قَدْ أَقَلْتُكَ بَيْعَتِي، فَاذْهَبْ حَيْثُ شِئْتَ. فَقَالَ: إِنِّي إِنَّمَا قَاتَلْتُ عَنْ دِينِي. ثُمَّ صَبَّرَ نَفْسَهُ، حَتَّى قُتِلَ وَهُوَ مُتَعَلِّقٌ بِأَسْتَارِ الْكَعْبَةِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، رَحِمَهُ اللَّهُ وَأَكْرَمَ مَثْوَاهُ. عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُطِيعِ بْنِ الْأَسْوَدِ بْنِ حَارِثَةَ الْقُرَشِيُّ الْعَدَوِيُّ الْمَدَنِيُّ وُلِدَ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَحَنَّكَهُ، وَدَعَا لَهُ بِالْبَرَكَةِ، وَرَوَى عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «لَا يُقْتَلُ قُرَشِيٌّ بَعْدَ الْيَوْمِ صَبْرًا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ» . وَعَنْهُ ابْنَاهُ: إِبْرَاهِيمُ، وَمُحَمَّدٌ، وَالشَّعْبِيُّ، وَعِيسَى بْنُ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَبِي مُوسَى. قَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: كَانَ ابْنُ مُطِيعٍ مِنْ كِبَارِ رِجَالِ قُرَيْشٍ جَلَدًا وَشَجَاعَةً،
পৃষ্ঠা - ৭১১২
وَأَخْبَرَنِي عَمِّي مُصْعَبٌ أَنَّهُ كَانَ عَلَى قُرَيْشٍ يَوْمَ الْحَرَّةِ، وَقُتِلَ مَعَ ابْنِ الزُّبَيْرِ بِمَكَّةَ، وَهُوَ الَّذِي يَقُولُ: أَنَا الَّذِي فَرَرْتُ يَوْمَ الْحَرَّةْ ... وَالشَّيْخُ لَا يَفِرُّ إِلَّا مَرَّةْ لَأُجْبُرَنَّ كَرَةً بِفَرَّةْ رَحِمَهُ اللَّهُ. عَوْفُ بْنُ مَالِكِ بْنِ أَبِي عَوْفٍ الْأَشْجَعِيُّ الْغَطَفَانِيُّ صَحَابِيٌّ جَلِيلٌ، شَهِدَ مُؤْتَةَ مَعَ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ وَالْأُمَرَاءِ قَبْلَهُ، وَشَهِدَ الْفَتْحَ، وَكَانَتْ مَعَهُ رَايَةُ قَوْمِهِ يَوْمَئِذٍ، وَشَهِدَ فَتْحَ الشَّامِ، وَرَوَى عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَادِيثَ، وَرَوَى عَنْهُ جَمَاعَةٌ مِنَ التَّابِعَيْنِ، وَأَبُو هُرَيْرَةَ، وَقَدْ مَاتَ قَبْلَهُ، وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ، وَخَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ، وَأَبُو عُبَيْدٍ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ: تُوُفِّيَ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ بِالشَّامِ. أَسْمَاءُ بِنْتُ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ وَالِدَةُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، يُقَالُ لَهَا: ذَاتُ النِّطَاقَيْنِ، وَإِنَّمَا سُمِّيَتْ بِذَلِكَ عَامَ الْهِجْرَةِ حِينَ شَقَّتْ نِطَاقَهَا، وَرَبَطَتْ بِهِ سُفْرَةَ
পৃষ্ঠা - ৭১১৩
النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبِي بَكْرٍ حِينَ خَرَجَا إِلَى غَارِ ثَوْرٍ لِلْهِجْرَةِ. وَأُمُّهَا قَيْلَةُ، وَقِيلَ: قُتَيْلَةُ بِنْتُ عَبْدِ الْعُزَّى مِنْ بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ. أَسْلَمَتْ أَسْمَاءُ قَدِيمًا، وَهُمْ بِمَكَّةَ فِي أَوَّلِ الْإِسْلَامِ، وَهَاجَرَتْ هِيَ وَزَوْجُهَا الزُّبَيْرُ، وَهِيَ حَامِلٌ مُتِمٌّ بِوَلَدِهَا عَبْدِ اللَّهِ، فَوَضَعَتْهُ بِقُبَاءٍ، أَوَّلَ مَقْدِمِهِمِ الْمَدِينَةَ، ثُمَّ وَلَدَتْ لِلزُّبَيْرِ بَعْدَ ذَلِكَ عُرْوَةَ، وَالْمُنْذِرَ، ثُمَّ لَمَّا كَبُرَتْ طَلَّقَهَا الزُّبَيْرُ، وَقِيلَ: بَلْ قَالَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ ابْنُهُ: إِنَّ مِثْلِي لَا تُوطَأُ أُمُّهُ. فَطَلَّقَهَا الزُّبَيْرُ، وَقِيلَ: بَلِ اخْتَصَمَتْ هِيَ وَالزُّبَيْرُ، فَجَاءَ عَبْدُ اللَّهِ لِيُصْلِحَ بَيْنَهُمَا، فَقَالَ الزُّبَيْرُ: إِنْ دَخَلْتَ فَهِيَ طَالِقٌ. فَدَخَلْتُ فَبَانَتْ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৭১১৪
وَقَدْ عُمِّرَتْ أَسْمَاءُ دَهْرًا صَالِحًا وَأَضَرَّتْ فِي آخِرِ عُمُرِهَا، وَقِيلَ: بَلْ كَانَتْ صَحِيحَةَ الْبَصَرِ، لَمْ يَسْقُطْ لَهَا سِنٌّ، وَأَدْرَكَتْ قَتْلَ وَلَدِهَا فِي هَذِهِ السَّنَةِ كَمَا ذَكَرْنَا، ثُمَّ مَاتَتْ بَعْدَهُ بِخَمْسَةِ أَيَّامٍ. وَقِيلَ: بِعَشَرَةٍ. وَقِيلَ: بِعِشْرِينَ. وَقِيلَ: بِبِضْعَةٍ وَعِشْرِينَ يَوْمًا. وَقِيلَ: عَاشَتْ بَعْدَهُ مِائَةَ يَوْمٍ. وَهُوَ الْأَشْهَرُ، وَبَلَغَتْ مِنَ الْعُمُرِ مِائَةَ سَنَةٍ، وَلَمْ يَسْقُطْ لَهَا سِنٌّ، وَلَمْ يُنْكَرْ لَهَا عَقْلٌ، رَحِمَهَا اللَّهُ وَرَضِيَ عَنْهَا، وَقَدْ رَوَتْ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِدَّةَ أَحَادِيثَ طَيِّبَةٍ مُبَارَكَةٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَرَحِمَهَا. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ - يَعْنِي سَنَةَ ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ - عَزَلَ عَبْدُ الْمَلِكِ خَالِدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ الْبَصْرَةِ، وَأَضَافَهَا إِلَى أَخِيهِ بِشْرِ بْنِ مَرْوَانَ مَعَ الْكُوفَةِ، فَارْتَحَلَ إِلَيْهَا بِشْرٌ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَى الْكُوفَةِ عَمْرَو بْنَ حُرَيْثٍ. وَفِيهَا غَزَا مُحَمَّدُ بْنُ مَرْوَانَ الصَّائِفَةَ، فَهَزَمَ الرُّومَ. وَقِيلَ: إِنَّهُ كَانَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ وَقْعَةُ عُثْمَانَ بْنِ الْوَلِيدِ بِالرُّومِ، مِنْ نَاحِيَةِ أَرْمِينِيَّةَ، وَهُوَ فِي أَرْبَعَةِ آلَافٍ، وَالرُّومُ فِي سِتِّينَ أَلْفًا، فَهَزَمَهُمْ، وَأَكْثَرَ الْقَتْلَ فِيهِمْ. وَأَقَامَ لِلنَّاسِ الْحَجَّ فِي هَذِهِ السَّنَةِ الْحَجَّاجُ بْنُ يُوسُفَ الثَّقَفِيُّ أَيْضًا، وَهُوَ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৭১১৫
مَكَّةَ وَالْيَمَنِ وَالْيَمَامَةِ، وَعَلَى الْكُوفَةِ وَالْبَصْرَةِ بِشْرُ بْنُ مَرْوَانَ، فِي قَوْلِ الْوَاقِدِيِّ، وَفِي قَوْلِ غَيْرِهِ: عَلَى الْكُوفَةِ بِشْرُ بْنُ مَرْوَانَ، وَعَلَى الْبَصْرَةِ خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَعَلَى قَضَاءِ الْكُوفَةِ شُرَيْحُ بْنُ الْحَارِثِ. وَعَلَى قَضَاءِ الْبَصْرَةِ هِشَامُ بْنُ هُبَيْرَةَ. وَعَلَى إِمْرَةِ خُرَاسَانَ بُكَيْرُ بْنُ وِشَاحٍ، يَعْنِي الَّذِي كَانَ نَائِبًا لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَازِمٍ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا غَيْرُ مَنْ تَقَدَّمَ ذِكْرُهُ مَعَ ابْنِ الزُّبَيْرِ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ خَيْثَمَةَ الْأَنْصَارِيُّ لَهُ صُحْبَةٌ، وَشَهِدَ الْيَرْمُوكَ، وَكَانَ كَثِيرَ الْعِبَادَةِ وَالْغَزْوِ. عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي حَدْرَدٍ الْأَسْلَمِيُّ أَبُو مُحَمَّدٍ، لَهُ صُحْبَةٌ وَرِوَايَةٌ، تُوُفِّيَ بِالْمَدِينَةِ. مَالِكُ بْنُ مِسْمَعِ بْنِ غَسَّانَ الْبَصْرِيُّ كَانَ شَدِيدَ الِاجْتِهَادِ فِي الْعِبَادَةِ وَالزَّهَادَةِ. ثَابِتُ بْنُ الضَّحَّاكِ الْأَنْصَارِيُّ لَهُ صُحْبَةٌ وَرِوَايَةٌ، تُوُفِّيَ بِالْمَدِينَةِ، يُقَالُ
পৃষ্ঠা - ৭১১৬
لَهُ: أَبُو زَيْدٍ الْأَشْهَلِيُّ، وَهُوَ مِنْ أَهْلِ الْبَيْعَةِ تَحْتَ الشَّجَرَةِ، قَالَ يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ: أَخْبَرَنِي أَبُو قِلَابَةَ، أَنَّ ثَابِتَ بْنَ الضَّحَّاكِ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ بَايَعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ، وَأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ قَذَفَ مُؤْمِنًا بِكُفْرٍ فَهُوَ كَقَتْلِهِ» . زَيْنَبُ بِنْتُ أَبِي سَلَمَةَ الْمَخْزُومِيَّةُ رَبِيبَةُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَدَتْهَا أُمُّهَا بِالْحَبَشَةِ، وَلَهَا رِوَايَةٌ وَصُحْبَةٌ. تَوْبَةُ بْنُ الْحُمَيِّرِ وَهُوَ الَّذِي يُقَالُ لَهُ: مَجْنُونُ لَيْلَى. كَانَ تَوْبَةُ يَشُنُّ الْغَارَاتِ عَلَى بَنِي الْحَارِثِ بْنِ كَعْبٍ، فَرَأَى لَيْلَى، فَهَوَاهَا وَتَهَتَّكَ بِهَا، وَهَامَ بِهَا مَحَبَّةً وَعِشْقًا، وَقَالَ فِيهَا الْأَشْعَارَ الْكَثِيرَةَ الْقَوِيَّةَ الرَّائِقَةَ، الَّتِي لَمْ يُسْبَقْ إِلَيْهَا، وَلَمْ يُلْحَقْ فِيهَا ; لِكَثْرَةِ مَا فِيهَا مِنَ الْمَعَانِي وَالْحِكَمِ، وَقَدْ قِيلَ لَهُ مَرَّةً: هَلْ كَانَ بَيْنَكَ وَبَيْنَ لَيْلَى رِيبَةٌ قَطُّ؟ فَقَالَ: بَرِئْتُ مِنْ شَفَاعَةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنْ كُنْتُ قَطُّ حَلَلْتُ سَرَاوِيلِي عَلَى مُحَرَّمٍ. وَقَدْ دَخَلَتْ لَيْلَى عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ تَشْكُو ظُلَامَةً، فَقَالَ لَهَا: مَاذَا رَأَى مِنْكِ تَوْبَةُ حَتَّى عَشِقَكِ هَذَا الْعِشْقَ كُلَّهُ؟ فَقَالَتْ: وَاللَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، لَمْ يَكُنْ بَيْنِي وَبَيْنَهُ قَطُّ رِيبَةٌ، وَلَا خَنَا، وَإِنَّمَا الْعَرَبُ تَعْشَقُ وَتَعِفُّ،
পৃষ্ঠা - ৭১১৭
وَتَقُولُ الْأَشْعَارَ فِي مَنْ تَهْوَى وَتُحِبُّ، مَعَ الْعِفَّةِ وَالصِّيَانَةِ لِأَنْفُسِهَا عَنِ الدَّنَاءَاتِ. فَأَزَالَ ظُلَامَتَهَا وَأَجَازَهَا. تُوُفِّيَ تَوْبَةُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَقِيلَ: إِنَّ لَيْلَى جَاءَتْ إِلَى قَبْرِهِ فَبَكَتْ عَلَيْهِ حَتَّى مَاتَتْ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.