আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثنتين وسبعين

وممن توفي فيها من الأعيان

وممن توفي فيها من الأعيان

وممن توفي فيها من الأعيان

وممن توفي فيها من الأعيان

وممن توفي فيها من الأعيان

وممن توفي فيها من الأعيان

وممن توفي فيها من الأعيان

وممن توفي فيها من الأعيان

পৃষ্ঠা - ৭০৫৯


করেছিলেন ৷ তারপর ইবন খাযিম ওয়াকী এর মুখমণ্ডলে থুথু নিক্ষেপ করেন ৷ ওয়াকী বলে,
সেই অবস্থায়৩ তার তুলনায় অন্য কারো এত থুথু আমি দেখি নি ৷ আবু হুরায়রা (রা) যখন এই
কাহিনী বর্ণনা করতেন, তখন তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ ! এই হল বীরতৃ ৷ য ৷হোক ইবন
খাযিম তাকে বললেন, আল্লাহ তোমাকে ধ্ব স বব্রুন ৷ তুমি কি আমাংক৫ তামার ভাইয়ের
প্রতিগােধে হত্যা করবে ? আল্লাহ্ ভোমার প্রতি লানত করুন ৷ তুমি কি তোমার অনাৱব
কাফির ভাইয়ের বিনিময়ে মিশরের নেতাকে হত্যা করবে : তোমার ভইি₹৩ ৷ এক মুষ্টি মাটিরও
লতু ছিল না ৷ কিৎবা বলেছেন, যে এক মৃষ্টি খেজুর বীচিরও সমান ছিল না ৷
বর্ণনাকারী বলেন, এর পরই ওয়াকী তার মাথাটা ছিন্ন করে ফেলে এবং বৃকাইর ইবন
বিশ্া৷হ এসে মাথাটা নিয়ে নিতে চান ৷ কিন্তু বুজইির ইবন ওয়ারাক৷ তাতে বাধা দেন ৷ বুজাইর
তাকে তারই লাঠি দ্বারা আঘাত করেন এবং তাকে বন্দী করে ফেলেন ৷ পরে তিনি মাথাটা নিয়ে
সেটি আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের নিকট প্রেরণ করেন এবং পত্র লিখে তাকে বিজয়ের
সুসৎ বাদ প্রদান করেন ৷ আবদুল মালিক বেজায় খুশি হন এবং খুরাসানের নায়েব পদের
স্বীকৃতি ৩প্রদান করে বুকাইর ইবন বিশাহ্-এর নিকট পত্র লিখেন ৷
এ বছর ইবনুয যুবাইর এর হাত থেকে মদীনা উদ্ধার করা হয় এবং আবদুল মালিক তারিক
ইবন আমরকে সেখানকার নারেব নিযুক্ত করেন, যাকে তিনি হাজ্জাজের সাহায্যার্থে প্রেরণ
করেছিলেন ৷

আবদুল্লাহ ইবন খাযিম-এর জীবন-চরিত

তার নাম আবদুল্লাহ ইবন খাযিম ইবন আসমা আস-সুলামী ৷ আবু সালিহ আল-মিসরী ৷
তিনি ছিলেন খুরাসানের আমীর,উল্লেখযােপ্য বীর ও প্রশংসাই অশ্বার্নোহীদের একজন ৷

শায়খ আল-হাফিয আবুল হাজ্জাজ আল-মিযযী তার তাহযীব নামক কিভাবে উল্লেখ
করেছেন, কারো কারো মতে আবদুল্লাহ আল খাযিম সাহাবী ছিলেন এবং রুব্লাসুলুল্লাহ্ (সা)
থেকে কালো পাগড়ী বিষয়ে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ আবু দাউদ, তিরযিষী এবং নাসায়ীরও
এই অভিমত ৷ কিন্তু তারা তার নাম উল্লেখ করেন নি ৷ সা দ ইবন উসমান আর রাযী ও সাঈদ
ইবনুল আযরাক তার থেকে বর্ণনা করেছেন আবু বাণীর আদ-দুলাবী বর্ণনা করেছেন যে,৩ তিনি
একাত্তর হিজরীতেৰু হত হন ৷ কারো কারো মতে সাতাশি হিজ রী সনে, তবে এই অভিমত
ভিত্তিহীন ৷ ,

আবুল হাসান ইবনুল আহীর তার উসদুল পাবার সাহাবাদের নামের তালিকায় তার নাম
উল্লেখ করেছেন ৷ তিনি বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন খাযিম ইবন আসমা ইবনুসসালত ইবন
হাবীব ইবন হারীছ৷ ইবন ইিলাল ইবন সাম্মাক ইবন আউফ ইবন আউফ ইবন ইমরুল কাইস
ইবন নাহীত ইবন সালীম ইবন মানসুর, আবু সালিহ আস-সুলামী, খুরাসানের আমীর, বিখ্যাত
বীর ও আলোচিত দুসোহসী ৷ সাঈদ ইবনুল আযরাক ও সা দ ইবন উসমান তার থেকে বর্ণনা
করেছেন৷ কারো কারো মতে তিনি সাহাবী ছিলেন ৷ তিনি সারাখৃম জয় করেছেন ৷

ইবনুয যুবইির-এর ফেতনার সময় তিনি খুরাসানের গভর্নর ছিলেন ৷ ইয়াযীদ ইবন
মুআবিয়া ও তদীয় পুত্র মুআবিয়ার মৃত্যুর পর চৌষট্টি হিজরীতে ইনিই সর্বপ্রথম খুরাসানের
গভর্নর নিযুক্ত হন ৷ তার শাসনামলে সেখানে বহু যুদ্ধ সংঘটিত ৩হয় ৷ এই অবস্থায়ই সেখানে

তার ক্ষমতার অবসান ঘটে ৷ ইতিহাস গ্রন্থ আল-কামিলে আমরা তার বিস্তারিত কাহিনী উল্লেখ


وَكَذَا رَأَيْتُ فِي " التَّارِيخِ " لِشَيْخِنَا أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الذَّهَبِيِّ، وَالَّذِي ذَكَرَهُ ابْنُ جَرِيرٍ فِي سِيَاقِ " تَارِيخِهِ " أَنَّهُ قُتِلَ سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَزَعَمَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ إِنَّمَا قُتِلَ بَعْدَ مَقْتَلِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَأَنَّ عَبْدَ الْمَلِكِ بَعَثَ بِرَأْسِ ابْنِ الزُّبَيْرِ إِلَى ابْنِ خَازِمٍ، وَيَدْعُوهُ إِلَى طَاعَتِهِ وَلَهُ خُرَاسَانُ عَشْرَ سِنِينَ، وَأَنَّ ابْنَ خَازِمٍ لَمَّا رَأَى رَأْسَ ابْنِ الزُّبَيْرِ حَلَفَ لَا يُعْطِيهِ طَاعَةً أَبَدًا، وَدَعَا بِطَسْتٍ فَغَسَلَ رَأْسَ ابْنِ الزُّبَيْرِ - وَاللَّهُ أَعْلَمُ - وَأَطْعَمَ الْكِتَابَ لِلرَّسُولِ الَّذِي جَاءَ بِهِ، وَقَالَ: لَوْلَا أَنَّكَ رَسُولٌ لَضَرَبْتُ عُنُقَكَ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: بَلْ قَطَعَ يَدَيْهِ وَرِجْلَيْهِ، وَضَرَبَ عُنُقَهُ. [وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] الْأَحْنَفُ بْنُ قَيْسِ بْنِ مُعَاوِيَةَ بْنِ حُصَيْنٍ، التَّمِيمِيُّ السَّعْدِيُّ، أَبُو بَحْرٍ الْبَصْرِيُّ ابْنُ أَخِي صَعْصَعَةَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، وَالْأَحْنَفُ لَقَبٌ لَهُ، وَإِنَّمَا اسْمُهُ الضَّحَّاكُ، وَقِيلَ: صَخْرٌ، أَسْلَمَ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَمْ يَرَهُ، وَجَاءَ فِي حَدِيثٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعَا لَهُ.
পৃষ্ঠা - ৭০৬০


করেছি ৷ তিনি একাত্তর হিজরীব্লুত হত হন ৷ আমাদের শায়খও দুলাবী থেকে অনুরুপ বর্ণনা
করেছেন ৷ শায়খ আয়-যাহাবীর ইতিহাস গ্রন্থেও অনুরুপ দেখেছি ৷ ইবন জ বীর তার ইতিহাস
গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, আবদুল্লাহ ইবন খাযিম বাহাত্তর হিজরীতে নিহত হয়েছেন ৷ তিনি
বলেন, কারো কারো ধারণা, তিনি আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর-এর নিহত হওয়ার পরে নিহত হন
ন্ এবৎ আবদুল মালিক ইবনুয যুবাইর এর ছিন্ন মাথাট৷ ইবন খাযিম এর নিকট খুব সান প্রেরণ
করেন এবং তাকে ত র আনুগত্য করে চলার আহবান জানিয়ে রাত ৷ পাঠান এবং ঘোষণা দেন,
থুরাসান দশ বছরের জন্য তােমার’ ৷ আর ইবন খাযিম যখন ইবনুয যুব হয় এর ছিন্ন মস্তক
দেখতে পান, তৎক্ষণাৎ তিনি শপথ করে বলেন যে, তিনি কখনো আবদুল মালিক-এর
আনুগত্য করবেন না ৷ তিনি একটি ব্লুপয়াল৷ তলব করেন ৷ তাতে ইবনুয যুবাইর এর মাথাটা
ধৌত করে তাকে কাফন পরিধান করান, সুগন্ধি মাখান এবং সেটি মদীনায় তার পবিজনের
নিকট পাঠিয়ে দেন ৷ আবার কথিত আছে যে, বরং তিনি সেটি তার নিকট খুরাসাব্লুন দাফন
করে রাখেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

আবদুল মালিক এর পত্রখান৷ যে দুত বহন করে নিয়ে এসেছিল, তিনি সেটি তাকে খাইয়ে
দিলেন এবং বললেন, তুমি যদি দুত না হতে তাহলে আমি তোমার গর্দান উড়িয়ে দিতাম ৷
কেউ কেউ বলেন, আবদুল্লাহ ইবন খাযিম উভয় হাত ও উভয় পা কতনি করে তাকে হত্যা করে
ফেলেন ৷ এবছর যারা ইনতিকাল করেন৩ তাদের অন্যতম বিশিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন ৷

আল-আহনাফ ইবন কাইস

আবু ঘুআবিয়া ইবন হুসাইন আত-তামীমি আস-সাদী আবু বাহুর আল-বসরী আথী
ছাছাআ ইবন ঘুআবিয়৷ ৷ তার উপাধি ছিল আল-আহনাফ ৷ তার নাম হল সাম্মাক ৷ কেউ
কেউ বলেন, সামর ৷ তিনি নবী করীম (সা) এর জীবদ্দশায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন, কিন্তু
তাকে ব্লুদব্লুখন নি ৷ এক হাদীব্লুস এসেছে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তার জন্য দু আ করেছেন ৷ তিনি
ছিলেন সমাজপতি সর্বজনমান্য ঈমানদার ও ভাষা বিশেষজ্ঞ ৷৩ তার সহনশীল৩ ৷ দ্বারা দৃষ্টান্ত
উপস্থাপন করা হত ৷৩ার সহনশীলতার এমন বহু কাহিনী আছে যা পর্যৰ্টকপণ ব্লুদশবিদেব্লুশ
প্রচার করেছেন ৷ হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা)৩ তার সম্পর্কে বলেন, তিনি ঈমানদার ও
ভাষা বিশেষজ্ঞ ৷ হাসান বসরী বলেছেন, তীর চইিতে শ্রেষ্ঠ, ভদ্র মানুষ আমি আর দেখি নি ৷
আহমদ ইবন আবদুল্লাহ আল আজালী বলেছেন, তিনি বসরী তাবেয়ী ও নিভরিব্লুযাগ্য ব্যক্তিত্ব ৷
তিনি ছিলেন সমাজপতি ৩৷ তিনি ছিলেন এক চক্ষু বিশিষ্ট ৷৩ তার পা দুটো ছিল ক্ষীণ ৷ তার
মুখমণ্ডব্লুল দাগ ছিল ৷ তিনি খাট ছিলেন ৷ শুধু থুত তনীব্লুত তার অল্প কটি দাড়ি ছিল ৷ তার
অণ্ডকোষ ছিল একটি ৷ হযরত উমর (রা) পরীক্ষা করার জন্য তাকে এক বছর তীর সমাজ
থেকে আলাদা করে রাখেন ৷ তারপর বললেন, আল্লাহর শপথ ! ইনি নেতা ৷
কথিত ৩আছে, তিনি একদিন হযরত ৩উমর (রা) এর উপস্থিতিতে ভাষণ দান করেন ৷ তাৱ
বক্তব্য তাকে চমৎকৃত করে ৷ কেউ কেউ বলেন, বসন্ত রোগে তবে একটি চোখ নষ্ট হব্লুয়ছিল
সমরকন্দ বিজয়ের সময় ৷ ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান বলেন, আহনাফ দানশীল ও সহনশীল লোক



১ইসাবা গ্রন্থে উল্লেখ আছে যে ,আবদুল মালিক মুসআব ইবন যুবইিব্লুরর ছিন্ন মস্তক ইবন খাযিব্লুমর নিকট
পাঠান ৷ তিনি তা গোসল করান এবং জানায৷ আদায় করেন ৷


وَكَانَ سَيِّدًا شَرِيفًا مُطَاعًا مُؤْمِنًا، عَلِيمَ اللِّسَانِ، وَكَانَ يُضْرَبُ بِحِلْمِهِ الْمَثَلُ، وَلَهُ أَخْبَارٌ فِي حِلْمِهِ سَارَتْ بِهَا الرُّكْبَانُ، قَالَ عَنْهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: هُوَ مُؤْمِنٌ عَلِيمُ اللِّسَانِ. وَقَالَ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ: مَا رَأَيْتُ شَرِيفَ قَوْمٍ أَفْضَلَ مِنْهُ. وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْعِجْلِيُّ: هُوَ بَصْرِيٌّ تَابِعِيٌّ ثِقَةٌ، وَكَانَ سَيِّدَ قَوْمِهِ، وَكَانَ أَعْوَرَ أَحْنَفَ الرِّجْلَيْنِ، دَمِيمًا قَصِيرًا كَوْسَجًا، لَهُ بَيْضَةٌ وَاحِدَةٌ، احْتَبَسَهُ عُمَرُ سَنَةً يَخْتَبِرُهُ، ثُمَّ قَالَ: هَذَا وَاللَّهِ السَّيِّدُ. وَقِيلَ: إِنَّهُ خَطَبَ عِنْدَ عُمَرَ فَأَعْجَبَهُ مَنْطِقُهُ، قِيلَ: ذَهَبَتْ عَيْنُهُ بِالْجُدَرِيِّ، وَقِيلَ: فِي فَتْحِ سَمَرْقَنْدَ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: كَانَ الْأَحْنَفُ جَوَادًا حَلِيمًا، وَكَانَ رَجُلًا صَالِحًا، أَدْرَكَ الْجَاهِلِيَّةَ ثُمَّ أَسْلَمَ، وَذُكِرَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاسْتَغْفَرَ لَهُ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: كَانَ ثِقَةً مَأْمُونًا قَلِيلَ الْحَدِيثِ، وَكَانَ كَثِيرَ
পৃষ্ঠা - ৭০৬১
الصَّلَاةِ بِاللَّيْلِ، وَكَانَ يُسْرِجُ الْمِصْبَاحَ، وَكَانَ يَضَعُ إِصْبَعَهُ فِيهِ، ثُمَّ يَقُولُ لِنَفْسِهِ: إِذَا لَمْ تَصْبِرْ عَلَى الْمِصْبَاحِ، فَكَيْفَ تَصْبِرُ عَلَى نَارِ جَهَنَّمَ؟ وَقِيلَ لَهُ: بِأَيِّ شَيْءٍ سَوَّدَكَ قَوْمُكَ؟ قَالَ: لَوْ عَابَ الْمَاءَ النَّاسُ مَا شَرِبْتُهُ. وَكَانَ الْأَحْنَفُ لَا يَحْسُدُ، وَلَا يَجْهَلُ، وَلَا يَدْفَعُ الْحَقَّ، وَقَالَ: إِنَّ مِنَ السُّؤْدُدِ الصَّبْرَ عَلَى الذُّلِّ، وَكَفَى بِالْحِلْمِ نَاصِرًا. وَقَالَ: مَا نَازَعَنِي أَحَدٌ إِلَّا أَخَذْتُ مِنْ أَمْرِي إِحْدَى ثَلَاثٍ: إِنْ كَانَ فَوْقِي عَرَفْتُ قَدْرَهُ، وَإِنْ كَانَ دُونِي رَفَعْتُ نَفْسِي عَنْهُ، وَإِنْ كَانَ مِثْلِي تَفَضَّلْتُ. وَقَالَ: مَا ذَكَرْتُ أَحَدًا بِسُوءٍ بَعْدَ أَنْ يَقُومَ مِنْ عِنْدِي، وَلَا سَمِعْتُ كَلِمَةً تَسُوءُنِي إِلَّا طَأْطَأَتُ رَأْسِي ; لِمَا هُوَ أَعْظَمُ مِنْهَا. وَأَغْلَظَ لَهُ رِجْلٌ فِي الْكَلَامِ، فَلَمَّا وَصَلَ إِلَى نَادِي قَوْمِهِ وَقَفَ، وَقَالَ: إِنْ كَانَ عِنْدَكَ شَيْءٌ آخَرُ فَقُلْ ; لِئَلَّا يَسْمَعَكَ قَوْمِي فَيُؤْذُوكَ. وَقِيلَ: إِنَّ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ كَتَبَ إِلَيْهِ يَدْعُوهُ لِنَفْسِهِ، وَيَعِدُهُ بِوِلَايَةِ الشَّامِ، فَقَالَ: يَدْعُونِي ابْنُ الزَّرْقَاءِ إِلَى وِلَايَةِ الشَّامِ، وَاللَّهِ وَدِدْتُ أَنَّ بَيْنِي وَبَيْنَهُمْ جَبَلًا مِنْ نَارٍ. وَكَانَ زِيَادُ بْنُ أَبِيهِ يَقُولُ: قَدْ بَلَغَ الْأَحْنَفُ مِنَ السُّؤْدُدِ وَالشَّرَفِ مَا لَا يَنْفَعُهُ مَعَهُ وِلَايَةٌ، وَلَا يَضُرُّهُ عَزْلٌ، وَإِنَّهُ لَيَفِرُّ مِنَ الشَّرَفِ وَهُوَ يَتْبَعُهُ. وَقَالَ الْحَاكِمُ: وَهُوَ الَّذِي افْتَتَحَ مَرْوَ الرُّوذِ، وَكَانَ الْحَسَنُ وَابْنُ سِيرِينَ فِي
পৃষ্ঠা - ৭০৬২


ছিলেন ৷ ছিলেন সৎকর্মপরায়ণ মানুষ ৷ জা ৷৫হলী যুগ পেয়েছিলেন ৷ পরে ইসলাম গ্রহণ করেন ৷
নবী করীম (সা) ৫ক তার কথা বলা হলেও তিনি তার জন্য দু আ করেছিলেন ৷ তিনি ছিলেন
নির্ত্যা৫যাগ্য, আমানতদার ও স্বল্পভাষী ৷ রাতে অত্যধিক নামায পড়৫ত তন প্রদীপ জ্বালিয়ে নামায
পড়৫তন এবং ক্রন্দন করতেন ৷ এই ধারা চলত ভোর পর্যন্ত ৷ তিনি আগুনে আঙ্গুল রেখে
বলতেন, অনুভব কর হে আহনাফ ! কি৫স তোমাকে এর জন্য উদ্বুদ্ধ করেছে ? এবং তিনি
নিজেকে উদ্দেশ্য করে বলা ন, প্রদীপের আগুনই যদি সহ্য করতে না পার, তাহলে
জাহান্না৫য়র আগুন কিভাবে সহ্য করবে ? তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আপনার সম্প্রদায়
কিভাবে আপনাকে ৫নতা মনোনীত করল, অথচ দৈনিক গঠন প্রকৃতি৫ ত আপনি তাদের নিকৃষ্ট
ব্যক্তি ? তিনি বললেন, আমার সম্প্রদায় যদি পানিকে দোষযুক্ত বলেত তাহলে আমি তা পান
করব না ৷ সিফফীন যুদ্ধে আহনাফ হযরত আলী (না)-এর আমীরদের একজন ছিলেন ৷ তিনি-
ই বছরে চার লাখ দীনা৫রর বিনিময়ে বলুখবাসীর সঙ্গে সন্ধি করেছিলেন ৷ তার অনেক বাস্তব
ঘটনা আছে, যা সকলের কাছে সুবিদিত ৷ তিনি যুদ্ধে অনেক খুরাসানীকে হত্যা করেছিলেন
এবং তাদের উপর জয়ী হয়েছিলেন ৷ ,
হাকিম বলেন, তিনিই মারবুররাওয জয় করেন ৷ হাসান ও ইবন সীরীন তার বাহিনীর
সৈনিক ছিলেন ৷ তিনিই সেই ব্যক্তি, যিনি সমরকন্দ ও অন্যান্য শহর জয় করেছিলেন ৷ কেউ
কেউ বলেন, তিনি সাত ষট্টি বছর বয়সে ইনতিকাল করেন ৷ কেউ বলেছেন সত্তর, আবার কেউ
৫কউ তার চাইতে বেশী বয়সের কথাও বলেছেন ৷ আহনাফ ইবন কইিস এর বাণী, তা৫ক
জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, হিল্’ম কী, ? তিনি বলেন, ধৈর্যের সঙ্গে অপমান সহ্য করা ৷ মানুষ
যখন তার সহনশীলতা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করত, তখন তিনি বলতেন, আল্লাহ্ব্র শপথ ! তারা
বা অনুভব; করে আমিও তা অনুভব করি ৷ বিস্তু আমি ধৈর্ষধারণ করি ৷ তিনি আরো বললেন, আমি
সহনশীলতাকে আমার জন্য মানুষ ন্অ৫পক্ষা বেশী সহায়ক পেয়েছি ৷ তিনি ছিলেন উচু স্তরের
সহয়শীল ও:জন৫নত৷ তিনি আরো বলেন, তুমি তোমার সৎকর্মগুলাে৫ক তার আলোচনা না করার
মাধ্যমে জীবিত রাখ ৷ তিনি বলেন, আমার নিকট আশ্চর্য লাগে, ৫য় প্রাণীটি ৫পশাবের নালী প্
দি৫য়:দু’বার চলাচল করে থাকে, সে কিভাবে অহংকার করে ? তিনি আরো বলেন, আমি আহত
না হয়ে এদের কারো দ্বা৫র গমন করি না এবং দু’ব্যক্তির মধ্যখা৫ন প্রবেশ করি না, যতক্ষণ না
তারা ৰুন্আমা৫ক তাদের মাঝে প্রবেশ করার ৷ তাকে জিজ্ঞাসা , করা হয়েছিল, আপনি কোন গু৫ণ
সমাজের ৫নতৃত্ট্রু লাভ করলেন ? তিনি বললেন, আমার জন্য অপ্রয়োজনীয় বিষয়সমুহ বর্জ৫নর
বিনিময়ে ৷ যেমন, আমাকে নিয়ে ভাবনা বন্ধুরা তোমার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ নয় ৷
এক ব্যক্তি তাকে রুঢ় কথা বলল ৷ ৫স বলল, আল্লাহ্র শপথ ! <:হ আহনাফ ৷ যদি তুমি
আমাকে একটি কথা বল, তার বিনিময়ে তুমি নিঃসন্দেহে দশটি কথা শুন৫ব ৷ জবাবে তিনি
বললেন, তুমি নিশ্চিত থাক যে, যদি তুমি আমাকে দশটি কথা বল,তবু আমার পক্ষ থেকে তুমি
একটি কথাও নেবে না ৷ তিনি তার দুআয় বলতেন, হে আল্লাহ্ ! তুমি যদি আমাকে শাস্তি
দান ক্যা, তাহলে আমি তার উপযুক্ত ৷ আর যদি আমাকে ক্ষমা করে দাও, তাহলে তুমি তার
, ৫যাগ্য ৷ যিয়াদ ইবন আবীহি তাকে মযদাি দিতেন এবং তার নিকটে স্থান দিতে তন ৷ যিয়াদ যখন
ইনতিকাল করেন এবং তার পুত্র উবাইদৃল্লাহ্ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন, তিনি তার প্রতি মাথা ভুলে
তাকান নি ৷ ফলে উনইিদুল্লাহ্-এর নিকট তার মযদাি কমে যায় ৷ পরবর্তীতে যখন যিয়াদ
ইরাকী৫দর ৫নতৃবৃন্দসহ মুআবিয়া (র) এর নিকট গমন করেন, তখন তিনি তার বিবেচনায়


جَيْشِهِ. وَقِيلَ: إِنَّهُ مَاتَ سَنَةَ سَبْعٍ وَسِتِّينَ - وَقِيلَ غَيْرُ ذَلِكَ - عَنْ سَبْعِينَ سَنَةٍ. وَقِيلَ: عَنْ أَكْثَرِ مِنْ ذَلِكَ. وَمِنْ كَلَامِهِ وَقَدْ سُئِلَ عَنِ الْحِلْمِ مَا هُوَ؟ فَقَالَ: الذُّلُّ مَعَ الصَّبْرِ. وَكَانَ إِذَا تَعَجَّبَ النَّاسُ مِنْ حِلْمِهِ يَقُولُ: وَاللَّهِ إِنِّي لَأَجِدُ مَا تَجِدُونَ وَلَكِنِّي صَبُورٌ. وَقَالَ: وَجَدْتُ الْحِلْمَ أَنْصَرَ لِي مِنَ الرِّجَالِ. وَقَدِ انْتَهَى إِلَيْهِ الْحِلْمُ وَالسُّؤْدُدُ، وَقَالَ: أَحْيِ مَعْرُوفَكَ بِإِمَاتَةِ ذِكْرِهِ. وَقَالَ: عَجِبْتُ لِمَنْ يَجْرِي فِي مَجْرَى الْبَوْلِ مَرَّتَيْنِ كَيْفَ يَتَكَبَّرُ؟ ! وَقَالَ: مَا أَتَيْتُ بَابَ أَحَدٍ مِنْ هَؤُلَاءِ إِلَّا أَنْ أُدْعَى، وَلَا دَخَلْتُ بَيْنَ اثْنَيْنِ إِلَّا أَنْ يُدْخِلَانِي بَيْنَهُمَا. وَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: بِمَ سُدْتَ قَوْمَكَ؟ قَالَ: بِتَرْكِي مِنْ أَمَرِكَ مَا لَا يَعْنِينِي، كَمَا عَنَاكَ مِنْ أَمْرِي مَا لَا يَعْنِيكَ. وَأَغْلَظَ لَهُ رِجْلٌ فِي الْكَلَامِ، وَقَالَ: وَاللَّهِ يَا أَحَنَفُ، لَئِنْ قُلْتَ لِي وَاحِدَةً لَتَسْمَعَنَّ بَدَلَهَا عَشْرًا. فَقَالَ لَهُ: إِنَّكَ إِنْ قُلْتَ لِي عَشْرًا لَا تَسْمَعُ مِنِّي وَاحِدَةً. وَكَانَ يَقُولُ فِي دُعَائِهِ: اللَّهُمَّ إِنْ تُعَذِّبْنِي فَأَنَا أَهْلٌ لِذَلِكَ، وَإِنْ تَغْفِرْ لِي فَأَنْتَ أَهْلٌ لِذَلِكَ. وَقَدْ كَانَ زِيَادُ بْنُ أَبِيهِ يُقَرِّبُهُ وَيُعَظِّمُهُ وَيُدْنِيهِ، فَلَمَّا مَاتَ زِيَادٌ وَوَلِيَ ابْنُهُ عُبَيْدِ اللَّهِ لَمْ يَرْفَعْ بِهِ رَأْسًا، فَتَأَخَّرَتْ عِنْدَهُ مَنْزِلَتُهُ ; لِقُبْحِ مَنْظَرِهِ، وَصَارَ يُقَدِّمُ عَلَيْهِ مَنْ هُوَ دُونَهُ، فَلَمَّا وَفَدَ بِرُؤَسَاءِ أَهْلِ الْعِرَاقِ عَلَى مُعَاوِيَةَ، أَدْخَلَهُمْ
পৃষ্ঠা - ৭০৬৩


যার যা মযদাি, সে অনুপাতে তাদেরকে যুআবিয়ার নিকট প্রেরণ করেন ৷ আহনাফ ছিলেন
সেই ব্যক্তি যাকে তিনি সকলের শেষে তার নিকট প্রবেশ করান ৷ কিন্তু যুআবিয়া (রা)
৫দখামাত্র তাকে সম্মান প্রদর্শন করেন, তাকে কাছে নিয়ে নিজের সঙ্গে উপবেশন করাল ৷
তারপর অন্যদের বাদ দিয়ে তার প্রতি মুখ করে তার সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন ৷ তারপর
উপস্থিত ব্যক্তিরর্গ ইবন যিয়াদের প্রশংসা করতে শুরু করে ৷ কিন্তু আহনাফ নিচ্চুপ ৷ ফলে
মুআবিয়া (রা)৩ তাকে বললেন, কি ব্যাপার, আপনি কথা বলছেন না কেন ? তিনি বললেন, আমি
যদি কথা বলি তাহলে তাদের থেকে ভিন্ন কথা বলব,৷ মুআবিয়া (রা) বললেন, আমি
৫তামাদেরকে সাক্ষী রেখে বলছি, আমি ইবন যিয়াদকে ইরাক থেকে বরখাস্ত করলাম ৷ তারপর
তিনি: তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, তোমরা নিজের জন্য একজন নায়েব খুজে দেখ ৷ তিনি
তাদেরকে তিনদি৫নরসময় প্রদান করেন ৷ ফলে তারা পরস্পরে ব্যাপক মতবিরোধ করল ৷ কিন্তু
তার পরে না তাদের এজােও উংাইদুল্পাহ্রণ্কথা উল্লেখ করল, না কেউ তাকে দাবি করল ৷
আহনাফ সে ব্যাপারে তাদের কারো সঙ্গে একটি শব্দও উচ্চারণ কঃালেন না ৷ তিনদিন পর যখন
তারা একত্রিত হল, যে প্ বিষয়ে তারা প্রচণ্ড বাক বিতণ্ডায় লিপ্ত হল ৷ অথচ আহনাফ নিচুপ ৷ ফলে
মুআবিয়া (রা) র্তা৫ক বললেন, আপনি কথা বলুন ৷ জবাবে আহনাফ বললেন, আপনি যদি
আপনার পরিবারভুক্ত কাউকে ইরাকের নারের নিযুক্ত করতে চান তাহলে তাদের মাঝে
উবইিদুল্লাহ্র সমকক্ষ কেউ নেই ৷ তিনি বিচক্ষণ লোক ৷ তার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার মত কেউ
নেই ৷ আর যদি আপনি অন্য কাউকে কামনা করে থাকেন, তাহলে আপনার ঘনিষ্ঠত৷ সম্পর্কে
আপনিই ভাল জানেন ৷ অপত্য৷ মুআবিয়৷ (রা) উবাইদুল্লাহ্কে ক্ষমতায় পুণর্বহাল করেন ৷
তারপর মুআবিয়া (রা) উবায়দৃল্লাহ্কে উদ্দেশ্য করে বললেন, আহনাফ-একমত ব্যক্তিকে তুমি
কিভাবে উপেক্ষা করলে ? তিনি ই সেই লোক, যে তোমাকে ক্ষমতাচ্যুতও করেছে আবার
ক্ষমতায় পুনর্বহালও করেছে ৷ অথচ তিনি কোন কথাই বললেন না ৷ তার পর থেকে ইবন যিয়াদ-
এর নিকট আহনাফের মর্যাদা অনেক বেড়ে যায় ৷
আহনাফ কুফায় ইনতিকাল করেন ৷ মুসআব ইবনুয যুবইির তার জানাযার ইমামতি করেন
এবং জানাযার সঙ্গে হাটেন ৷ উপরে তার কাহিনী বর্ণিত হয়েছে ৷ ওয়াকিদী বলেন, একদিন
আহনাফ মু-আবিয়া (রা) এর নিকট এসে তাকে তার পুত্র ইয়াযীদের উপর রাগাম্বিত অবস্থায়
দেখতে পান ৷ তখন তিনি শুধু কথার দ্বারা উভয়ের মাঝে মীমাং না করে দেন ৷ ফলে ণ্মু আবিয়া
ইয়াযীদের নিকট প্রচুর মালামাল ও বিপুল পরিমাণ কাপড়-৫চাপড় প্রেরণ করেন ৷ ইয়াষীদ তার
অর্ধেক আহনাফকে দিয়ে দেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

আল-বার৷ ইবন আযিব (রা)

ইবনুল হারিছ ইবন আদী ইবন মাজদা আ ইবন হারীছা ইবনুল হারিছ ইবনুল খাজরাজ
ইবন আমর ইবন মালিক ইবন আউস আল-আনসারী আলহারিহী আল-আউসী ৷ তিনি
একজন মহান সাহাবী ৷৩ তার গিতাও সাহাবী ছিলেন ৷ তিনি রাসুল (না) থেকে বহু হাদীস বর্ণনা
করেছেন ৷ হাদীস বর্ণনা করেছেন, আবু বকর, উমর, উসমান ও আলী (বা) প্রমুখ থেকেও ৷
তার থেকে বর্ণনা করেছেন একদল তাবেয়ী এবং কোন কোন সাহাবী ৷ কারো কারো মতে,
তিনি মুসআব ইবনুয যুবইির এর ইরাক শাসনামলে কুফায় ইনতিকাল করেন ৷


عَلَيْهِ عَلَى مَرَاتِبِهِمْ عِنْدَهُ، فَكَانَ الْأَحْنَفُ آخِرَ مَنْ أَدْخَلَهُ عَلَيْهِ، فَلَمَّا رَآهُ مُعَاوِيَةُ أَجَلَّهُ وَعَظَّمَهُ، وَأَدْنَاهُ وَكَرَّمَهُ، وَأَجْلَسَهُ مَعَهُ عَلَى الْفِرَاشِ، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْهِ يُحَادِثُهُ دُونَهُمْ، ثُمَّ شَرَعَ الْحَاضِرُونَ فِي الثَّنَاءِ عَلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ، وَالْأَحْنَفُ سَاكِتٌ، فَقَالَ لَهُ مُعَاوِيَةُ: مَا لَكَ لَا تَتَكَلَّمُ؟ قَالَ: إِنْ تَكَلَّمْتُ خَالَفْتُهُمْ. فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: اشْهَدُوا عَلَيَّ أَنِّي قَدْ عَزَلْتُ عُبَيْدَ اللَّهِ عَنِ الْعِرَاقِ. ثُمَّ قَالَ لَهُمْ: انْظُرُوا لَكُمْ نَائِبًا عَلَيْكُمْ. وَأَجَّلَهُمْ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، فَاخْتَلَفُوا بَيْنَهُمُ اخْتِلَافًا كَثِيرًا، وَلَمْ يَذْكُرْ أَحَدٌ مِنْهُمْ بَعْدَ ذَلِكَ عُبَيْدَ اللَّهِ، وَلَا طَلَبَهُ أَحَدٌ مِنْهُمْ، وَلَمْ يَتَكَلَّمِ الْأَحْنَفُ فِي هَذِهِ الْأَيَّامِ فِي ذَلِكَ كَلِمَةً وَاحِدَةً مَعَ أَحَدٍ مِنْهُمْ، فَلَمَّا اجْتَمَعُوا بَعْدَ ثَلَاثٍ أَفَاضُوا فِي ذَلِكَ، وَكَثُرَ اللَّغَطُ وَارْتَفَعَتِ الْأَصْوَاتُ، وَالْأَحْنَفُ سَاكِتٌ، فَقَالَ لَهُ مُعَاوِيَةُ: تَكَلَّمْ. فَقَالَ لَهُ: إِنْ كُنْتَ تُرِيدُ أَنْ تُوَلِّيَ فِيهَا أَحَدًا مِنْ أَهْلِ بَيْتِكَ فَلَيْسَ فِيهِمْ مَنْ هُوَ مِثْلُ عُبَيْدِ اللَّهِ فَإِنَّهُ رَجُلٌ حَازِمٌ، وَلَا يَسُدُّ أَحَدٌ مِنْهُمْ مَسَدَّهُ، وَإِنْ كُنْتَ تُرِيدُ غَيْرَهُ فَأَنْتَ أَعْلَمُ بِنُوَّابِكَ. فَرَدَّهُ مُعَاوِيَةُ إِلَى الْوِلَايَةِ، ثُمَّ قَالَ لَهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ: كَيْفَ جَهِلْتَ مِثْلَ الْأَحْنَفِ؟ إِنَّهِ عَزَلَكَ وَوَلَّاكَ وَهُوَ سَاكِتٌ. فَعَظُمَتْ مَنْزِلَةُ الْأَحْنَفِ بَعْدَ ذَلِكَ عِنْدَ ابْنِ زِيَادٍ. تُوُفِّيَ الْأَحْنَفُ بِالْكُوفَةِ، وَصَلَّى عَلَيْهِ مُصْعَبُ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَمَشَى فِي
পৃষ্ঠা - ৭০৬৪
جِنَازَتِهِ. ذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ أَنَّهُ قَدِمَ عَلَى مُعَاوِيَةَ فَوَجَدَهُ غَضْبَانَ عَلَى ابْنِهِ يَزِيدَ، وَأَنَّهُ أَصْلَحَ بَيْنَهُمَا بِكَلَامٍ، قَالَ: فَبَعَثَ مُعَاوِيَةُ إِلَى يَزِيدَ بِمَالٍ جَزِيلٍ، وَقُمَاشٍ كَثِيرٍ، فَأَعْطَى يَزِيدُ نِصْفَهُ لِلْأَحْنَفِ. وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ أَعْلَمُ. الْبَرَاءُ بْنُ عَازِبِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ مُجْدَعَةَ بْنِ حَارِثَةَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ بْنِ عَمْرِو بْنِ مَالِكِ بْنِ الْأَوْسِ الْأَنْصَارِيُّ، الْحَارِثِيُّ الْأَوْسِيُّ صَحَابِيٌّ جَلِيلٌ، وَأَبُوهُ أَيْضًا صَحَابِيٌّ، رَوَى عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَادِيثَ كَثِيرَةً، وَحَدَّثَ عَنْ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ وَعَلِيٍّ وَغَيْرِهِمْ، وَعَنْهُ جَمَاعَةٌ مِنَ التَّابِعَيْنِ، وَبَعْضُ الصَّحَابَةِ، وَقِيلَ: إِنَّهُ مَاتَ بِالْكُوفَةِ فِي أَيَّامِ مُصْعَبٍ عَلَى الْعِرَاقِ. عُبَيْدَةُ السَّلْمَانِيُّ الْقَاضِي وَهُوَ عُبَيْدَةُ بْنُ عَمْرٍو - وَيُقَالُ: ابْنُ قَيْسِ بْنِ عَمْرٍو - السَّلْمَانِيُّ، الْمُرَادِيُّ، أَبُو عَمْرٍو الْكُوفِيُّ، وَسَلْمَانُ بَطْنٌ مِنْ مُرَادٍ، أَسْلَمَ عُبَيْدَةُ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرَوَى عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَعَلِيٍّ وَابْنِ الزُّبَيْرِ، وَحَدَّثَ عَنْهُ جَمَاعَةٌ مِنَ التَّابِعِينَ، وَقَالَ الشَّعْبِيُّ: كَانَ يُوَازِي شُرَيْحًا فِي الْقَضَاءِ. وَقَالَ ابْنُ
পৃষ্ঠা - ৭০৬৫



উবাইদা আস-সালমান আল-কাজীপু

তীর নাম উবাইদ৷ ইবন আমর ৷ তাকে ইবন কাইস ইবন আমর আস-সালমানী আল
মুরাদী আমর আল-কুফীও বলা হয় ৷ সা ৷লমান হল মুরাদ গোত্রের একটি শাখা গোত্র ৷ উবায়দা
নবী করীম (না)-এর জীবদ্দশায় ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ তিনি ইবন মাসউদ, আলী ও ইবনুয়
যুবাইর (রা) থেকে হ ৷দীস বর্ণনা করেছেন ৷

শা বী বলেন, তিনি বিচারে শুরাইহ্-এর সমকক্ষ ছিলেন ৷ ইবন নুম৷ ৷ইর বলেন, শুরাইহ-এর
নিকট যদি কোন বিষয় জটিল মনে হত, তিনি উবাইদারধ্ নিকট পত্র লিখতেন এবং তার
অভিমত অনুসরণ করতেন ৷ অনেক মানুষ তার প্রশংসা করেছেন ৷ এ বছরে তার মৃত্যু হয়েছে ৷
কেউ বলেন, তেহাত্তর হিজরীতে ৷ কেউ বলেন, চুয়াত্তর হিজরীতে ৷ কথিত আছে যে, মুসআব
ইবনুয যুবাইরও এ বছর ইনতিকাল করেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ এ বছর আরো যারা
ইনতিকাল করেন তাদের একজন হলেন আবদুল্লাহ ইবনুস সা ৷য়িব ইবন সাইফী আল-মাখয়ুমী
(বা ) ৷ ইনি সাহাবী ছিলেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি উবাই
ইবন কা ব (রা) কে কুরআন পাঠ করে পােনান এবং তাকে শোনান মুজাহিদ প্রমুখ ৷

আতিয়্যা ইবন বিশর (রা)
আল-মাযিনী ৷ তিনি ছিলেন সাহাবী এবং রাসুল (না) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷

উবাইদা ইবন নাযীলা

আবু যুআবিয়া আল খুযায়ী ৷ কুফাবাসীর্দের কারী ৷ জনসেবা ও সৎকর্ম পরায়ণতার জন্য
বিখ্যাত ৷ এ বছর কুফায় ইনতিকাল করেন ৷

আব্দুল্লাহ ইবন কইিস আৱ-রম্ফাইরাত

আল-কুরাশী আল-আমেরী ৷ তিনি ছিলেন কবি ৷ তিনি মুসআব এবং ইবন জাফর এর
প্রশ সা করেছেন ৷ ,

আব্দুল্লাহ ইবন হামাম
আবু আবদুর রহমান আশ-শায়ির আস-সালুলী ৷ বনু উমাইয়ার নিন্দাবাদ করেছেন
এ ভাবে
, আমরা সামান্য পান করেছি ৷ এখন আমরা এমন অবস্থায় উপনীত হয়েছি যে, আমরা যদি
বনু উমইিয়াব রক্তও পান করি,৩ তবু আমরা পরিতৃপ্ত হয় না ৷ তারা যদি বাংলা কি বা হিন্দকে
নিয়ে আসত, তাহলে অবশ্যই আমরা আমীরুল মু মিনীনএর হাতে যায় তাতে নিতাম ৷
উবাইদা আস-সালমানী এক চক্ষুবিশিষ্ট ছিলেন ৷ তিনি হযরত ইবন মাসউদ (রা) এর

সেই সহচরদের একজন ছিলেন, যারা মানুষকে ফাতওয়া প্রদান করতেন ৷ তিনি কুফায়
ইনতিকাল করেন ৷


نُمَيْرٍ: كَانَ شُرَيْحٌ إِذَا أَشْكَلَ عَلَيْهِ أَمْرٌ كَتَبَ إِلَى عُبَيْدَةَ فِيهِ، وَانْتَهَى إِلَى قَوْلِهِ. وَقَدْ أَثْنَى عَلَيْهِ غَيْرُ وَاحِدٍ، وَكَانَتْ وَفَاتُهُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَقِيلَ: سَنَةَ ثَلَاثٍ، وَقِيلَ: أَرْبَعٍ وَسَبْعِينَ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ مُصْعَبَ بْنَ الزُّبَيْرِ قُتِلَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنَ الْأَعْيَانِ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ السَّائِبِ بْنِ صَيْفِيٍّ الْمَخْزُومِيِّ، قَارِئُ أَهْلِ مَكَّةَ، لَهُ صُحْبَةٌ وَرِوَايَةٌ، وَقَرَأَ عَلَى أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ، وَقَرَأَ عَلَيْهِ مُجَاهِدٌ وَغَيْرُهُ. عَطِيَّةُ بْنُ بُسْرٍ الْمَازِنِيُّ لَهُ صُحْبَةٌ وَرِوَايَةٌ، تُوُفِّيَ بِالْمَدِينَةِ. عُبَيْدُ بْنُ نَضْلَةَ، أَبُو مُعَاوِيَةَ، الْخُزَاعِيُّ الْكُوفِيُّ مُقْرِئُ أَهِلِ الْكُوفَةِ، مَشْهُورٌ بِالْخَيْرِ وَالْعِبَادَةِ، تُوُفِّيَ بِالْكُوفَةِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ قَيْسِ الرُّقَيَّاتِ، الْقُرَشِيُّ الْعَامِرِيُّ أَحَدُ الشُّعَرَاءِ، مَدَحَ
পৃষ্ঠা - ৭০৬৬
مُصْعَبَ بْنَ الزُّبَيْرِ، وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ جَعْفَرٍ. عَبْدُ اللَّهِ بْنُ هَمَّامٍ، أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الشَّاعِرُ، السَّلُولِيُّ أَحَدُ الشُّعَرَاءِ الْفُصَحَاءِ، مَدَحَ يَزِيدَ بْنَ مُعَاوِيَةَ بَعْدَ أَنْ هَجَاهُ بِقَوْلِهِ: شِرِبْنَا الْغَيْضَ حَتَّى لَوْ سُقِينَا ... دِمَاءَ بَنِي أُمَيَّةَ مَا رَوِينَا وَلَوْ جَاءُوا بِرَمْلَةَ أَوْ بِهِنْدٍ ... لَبَايَعْنَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَا