আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة تسع وستين

من توفي فيها من الأعيان

من توفي فيها من الأعيان

من توفي فيها من الأعيان

من توفي فيها من الأعيان

من توفي فيها من الأعيان

من توفي فيها من الأعيان

পৃষ্ঠা - ৭০১৬


হলে একটি অপরটিাক না তাড়িয়ে ছাড়ে না ৷ আমাদের দৃষ্টান্ত হল, যেমন বনু ইয়ারবু এর
করি বলেছেন




যে ব্যক্তি আমাকে উত্তম বিনিময় দান করে, আমিও তাকে উত্তম বিনিময় প্রদান করি ৷ আর
উত্তম বিনিময় প্রদানকারী বখৃশিশসহ বিনিময় প্রদান করে থাকে৷ আর যে আমাকে মন্দ
বিনিময় দেয়, আমিও তাকে মন্দ বিনিময় প্রদান করে থাকি ৷ যেমন, এক জুতা অপর জুতার
সাথে তালি দেয়া হয়ে থাকে ৷

খলিফা ইবন খাইয়াত বলেন, আব্দুল মালিক যে আমর ইবন সাঈদকে হত্যা করেছেন, সে
ব্যাপারে আবুল ইয়াক্যান আব্দুল মালিক সম্পর্কে বলেছেন,




যে শপথ ইবন সাঈদ এর রক্ত প্রবাহিত করেছে, সেই শপথ সঠিক প্রমাণিত হয়েছে ৷ ব্যর্থ

হয়নি এবং শত্রুর ক্ষতিসাধন করেছে ৷’

আমি মারওয়ানের পুত্রাক এমন অবস্থায় পেয়েছি যে, তার কোন বুদ্ধি সুদ্ধি ৷নই ৷ যে মানুষের
প্রচণ্ড ক্ষতিকারক এবং নিাবাধ ৷ মারওয়ান এবং তার পিতৃপুরুাষর তুলনায় সে আবুল আস-এর
বংশধর, একটি সম্রাম্ভ পরিবার পর্যন্ত গিয়ে যার সমাপ্তি ঘটে ৷

ওয়াকিদী বলা৩ ন, আব্দুল মালিক কর্তৃক আমর ইবন সাঈদ এর অবরোধের ঘটনা
সংঘটিত হয়েছিল উনসত্তর হিজরী সনে ৷ বাতনান থেকে ফিরে এসে তিনি দামেশৃকে তাকে
এই অবরোধ করেছিলেন ৷ তারপর তার হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় সত্তর হিজ্যধীতে ৷ আল্লাহ্ই
ভাল জানেন ৷

আল-আশৃদাক-এর জীবন-চরিত

, তার নাম আমরইবন সাঈদ ইবনুল আছ ইবন উমাইয়া ইবন আবৃদ:শাম্স আবু উমাইয়া
আল-কুরাশী আলউমাবী ৷ তার ডাকনাম ছিল আলআশৃদাক ৷ কথিত আছে যে, তিনি
রাসুলুল্পাহ্ (না) কে দেখেছেন এবং তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তন্মধ্যে একটি হাদীস
হল, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলোছনং কোন
পিত ৷ সন্তানাক উত্তম আদর অপেক্ষা উত্তম আর কিছু দান করে না ৷’ তিনি দাসমুক্তি বিষয়েও
একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তাছাড়া৩ তিনি উমর, উ সমান, আলী এবং স্লায়শা (না) থেকেও
হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ আবার তার থেকেও তার পুত্র উমাইয়া, সাঈদ ও মুসা প্রমুখ হাদীস
বর্ণনা করেছেন ৷ হযরত মু আবিয়৷ (রা)৩ তাকে মদীনায় শাসনকর্তা নিযুক্ত করেছিলেন ৷ অনুরুপ
পিতার পর ইয়াযীদ ইবন মু আবিয়াত্ত তাকে নায়ব নিযুক্ত করেছিলেন ৷ তিনি ছিলেন



১ এটার সম্ভাবনা ক্ষীণ ৷ কেননা, তার পিতা সাঈাদর জন্মসাল ছিল এক বর্ণনা মতে হিজরতের বছর ৷ অপর
বর্ণনায় রাসুলুল্লাহ (সা) এর ইনতিকালের সময় সাঈদের বয়স ছিল নয় বছর ৷


بَيْعَةِ نَفْسِهِ، وَاسْتَقَرَّ لَهُ الشَّامُ وَدَخَلَ مَعَهُ عَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ فَفَتَحَ مِصْرَ، وَقَدْ كَانَ وَعَدَ عَمْرًا أَنْ يَكُونَ وَلِيَّ الْعَهْدِ مِنْ بَعْدِ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَأَنْ يَكُونَ قَبْلَ ذَلِكَ نَائِبًا بِدِمَشْقَ، فَلَمَّا قَوِيَتْ شَوْكَةُ مَرْوَانَ رَجَعَ عَنْ ذَلِكَ، وَجَعَلَ الْأَمْرَ مِنْ بَعْدِ عَبْدِ الْمَلِكِ لِوَلَدِهِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، وَخَلَعَ عَمْرَو بْنَ سَعِيدٍ مِنْ ذَلِكَ، فَمَا زَالَ ذَلِكَ فِي نَفْسِهِ، حَتَّى كَانَتْ هَذِهِ السَّنَةُ، وَعَزَمَ عَبْدُ الْمَلِكِ عَلَى الدُّخُولِ إِلَى الْعِرَاقِ لِقِتَالِ مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ، فَرَجَعَ مِنْ جَيْشِهِ وَدَخَلَ عَمْرٌو دِمَشْقَ وَتَحَصَّنَ بِهَا، وَأَجَابَهُ أَهْلُهَا، فَاتَّبَعَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ فَحَاصَرَهُ، ثُمَّ اسْتَنْزَلَهُ عَلَى أَمَانٍ صُورِيٍّ، ثُمَّ قَتَلَهُ كَمَا قَدَّمْنَا. وَكَانَ ذَلِكَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَلَى الْمَشْهُورِ عِنْدَ الْأَكْثَرِينَ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ، وَأَبُو سَعِيدِ بْنُ يُونُسَ: سَنَةَ سَبْعِينَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمِنَ الْغَرِيبِ مَا ذَكَرَهُ هِشَامُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْكَلْبِيُّ بِسَنَدٍ لَهُ: أَنْ رَجُلًا سَمِعَ فِي الْمَنَامِ قَائِلًا يَقُولُ عَلَى سُورِ دِمَشْقَ قَبْلَ أَنْ يَخْرُجَ عَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ بِالْكُلِّيَّةِ، وَقَبْلَ قَتْلِهِ بِمُدَّةٍ، هَذِهِ الْأَبْيَاتِ: أَلَا يَا لِقَوْمِي لِلسَّفَاهَةِ وَالْوَهْنِ ... وَلِلْفَاجِرِ الْمَوْهُونِ وَالرَّأْيِ ذِي الْأَفْنِ وَلِابْنِ سَعِيدٍ بَيْنَمَا هُوَ قَائِمٌ ... عَلَى قَدَمَيْهِ خَرَّ لِلْوَجْهِ وَالْبَطْنِ رَأَى الْحِصْنَ مَنْجَاةً مِنَ الْمَوْتِ فَالْتَجَا ... إِلَيْهِ فَزَارَتْهُ الْمَنِيَّةُ فِي الْحِصْنِ قَالَ: فَأَتَى الرَّجُلُ عَبْدَ الْمَلِكِ فَأَخْبَرَهُ، فَقَالَ: وَيَحَكَ، سَمِعَهَا مِنْكَ أَحَدٌ؟ قَالَ: لَا. قَالَ: ضَعْهَا تَحْتَ قَدَمَيْكَ. ثُمَّ بَعْدَ ذَلِكَ خَلَعَ عَمْرٌو الطَّاعَةَ، وَقَتَلَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ أَيْضًا أَبُو الْأَسْوَدِ الدُّؤَلِيُّ وَيُقَالُ: الدِّيلِيُّ. قَاضِي الْبَصْرَةَ، تَابِعِيٌّ جَلِيلٌ، وَاسْمُهُ ظَالِمُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سُفْيَانَ بْنِ جَنْدَلِ بْنِ يَعْمَرَ بْنِ حِلْسِ بْنِ نُفَاثَةَ بْنِ عَدِيِّ بْنِ الدُّئِلِ بْنِ بَكْرٍ أَبُو
পৃষ্ঠা - ৭০১৭


মুসলমানদের নেতৃস্থানীয় ও খ্যাতিমান সম্মানিত ব্যক্তিবর্পের একজন ৷ এ বিষয়ে পুর্বে
আলোচনা হয়েছে ৷ তিনি অত্যধিক পরিমাণ দান খয়রাত করতেন এবং কঠিন কঠিন বিপদ
সহ্য করতেন ৷ পিতার অন্যান্য পুত্রদের মাঝে তিনি ছিলেন তার প্রতিনিধি (ওয়াসী) ৷ তার
পিত ৷ বিখ্যাত সম্মা ৷নিতদের এবং সম্রান্ত লেতৃন্থানীয়ল্কদর একজন ছিলেন ৷ যেমনটি আমরা পুর্বে
উল্লেখ করেছি ৷
আমর বলেছেন, আমি বয়৪প্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে কাউকে পালি দেইনি এবং কিছু
চাওয়ার জন্য যে আমার নিকট এসেছে,৩ তাকে আমি কষ্ট দেইনি ৷ ফলে আমি তার যতটুকু
উপকার করেছি, যে আমাকে তার চাইতে বেশী প্ৰতিদান দিয়েছে’ ৷
সাঈদ ইবন মুসায়্যাব বলেন, জা ৷হেলী যুগে মানুষের খতীব ছিলেন আসওয়াদ ইবন আব্দুল
মুত্তালিব ও সুহাইল ইবন আমর ৷ আর ইসলামে মানুষের খতীব হলেন মুআবিয়া ও তার পুত্র
সাঈদ ইবনুল আস ও তার পুত্র এবং আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) ৷
আব্দুস সামাদ সুত্রে ইমাম আহমাদ বর্ণনা করেছেন যে, আবু হুরায়রা (বা) বলেছেন,
আমি রাসুলুল্লাহ্ (সার্চু কে বলতে ওনেছি, বনু উমইিয়্যার স্বৈরাচারী শাসকদের কোন এক
শাসক আমার মিম্বরের উপর নাক থেকে রক্ত ঝরাবে ৷ এমনকি তার নাক-নিসৃত রক্ত
প্রবাহিত হয়ে ৷ ’
আমর ইবন সাঈদ সেই ব্যক্তি, যিনি ইয়াযীদ ইবন মু আবিয়ার যুগে হারবার ঘটনার পর ইবন
যুবইির এর সঙ্গে যুদ্ধ বন্মার জন্য মক্কা অভিমুখে অভিযান প্রেরণ করতেন ৷ কিন্তু আবু শুরইিহ্
আল খুযায়ী তাকে বারণ করেছিলেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে মক্কার মর্যাদা সংরক্ষণ সং ক্রাম্ভ
যে হাদীসটি ওনেছিলেন, সেটি তাকে ওনিয়েছিলেন ৷ জবাবে আমর ইবন সাঈদ বলেছিলেন, এ
ব্যাপারে তোমার অপেক্ষা আমি ভাল জানি হে শুরইিহ ! হারাম না আশ্রয় দেয় কোন পাপিষ্ঠকে না
খুন করে পলায়নকারীকে, না জিযিয়া না দিয়ে পলায়নকারীকে ৷ এ হাদীসটি সহীহ্ বুখারী ও
মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে ৷ তারপর মারওয়ান জনগণকে নিজের আনুগত্যের আহবান করার এবং
সিরিয়ার তীর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর মিশর প্রবেশ করেন ৷ তার সঙ্গে আমর ইবন সাঈদও
ছিলেন ৷ তিনি মিশর জয় করে ফেলেন ৷ তিনি আমরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, আব্দু৷ মালিক-
এর পর তিনি সিংহাসনের অধিকারী হবেন এবং তার আগে তিনি দামেশবেল্ম গভর্নর নিযুক্ত
হবেন ৷ কিন্তু পরে যখন মারওয়ান-এর ক্ষমতা পােক্ত হল, তখন তিনি সেইপ্রতিশ্রুতি থেকে ফিরে
গেলেন এবং নিজ পুত্র আব্দুল আযীযকে সিংহাসনের পরবর্তী উত্তরাধীকারী মনোনীত করে ফেলেন
ও আমরের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন ৷ পুর্বে বর্ণিত ঘটনাবলী সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত তিনি এই
মানসিকতাই পোষণ করতে থাকেন ৷ ফলে আমর দামেশকে প্রবেশ করে সেখানেদুর্গ স্থাপন করেন
বংসেখানকার জনগণ তার ডাকে সাড়া দেয় ৷ বিস্তু আব্দুল মালিক র্তাকে অবরোধ করে ফেলেন
এবং নিরাপত্তার নাম করে তাকে বের করে আনেন ৷ তারপর তাকে হত্যা করেন, যেমনটি আমরা
পুর্বে উল্লেখ করেছি ৷
অধিকাংশ ইতিহাসবিদের নিকট প্রসিদ্ধ অভিমত হল, এসব ঘটনা এ বছর সংঘটিত
হয়েছে ৷ ওয়াকিদী ও আবু সাঈদ ইবন ইউনুসএর মতে এটা সত্তর হিজরী সনের ঘটনা ৷
আল্লাহ ভাল জানেন ৷ হিশাম ইবন মুহাম্মদ আল-কালবী বর্ণিত একটি দুর্লভ বর্ণনা আছে যে,



১ তার পিতার মৃত্যুকালে তার ঋণের পরিমাণ ছিল ৮০ হাজার দীনার ৷ যা তার পক্ষ থেকে পরিশোধ করা হয় ৷


الْأَسْوَدِ، الَّذِي نُسِبَ إِلَيْهِ عِلْمُ النَّحْوِ وَيُقَالُ: إِنَّهُ أَوَّلُ مَنْ تَكَلَّمَ فِيهِ، وَإِنَّمَا أَخَذَهُ عَنْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَقَدِ اخْتُلِفَ فِي اسْمِهِ عَلَى أَقْوَالٍ ; أَشْهَرُهَا أَنَّ اسْمَهُ ظَالِمُ بْنُ عَمْرٍو. وَقِيلَ: عَكْسُهُ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: اسْمُهُ عَوَيْمِرُ بْنُ ظُوَيْلِمٍ. قَالَ: وَقَدْ أَسْلَمَ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَمْ يَرَهُ، وَشَهِدَ الْجَمَلَ مَعَ عَلِيٍّ، وَهَلَكَ فِي وِلَايَةِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ. وَقَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْعِجْلِيُّ: كَانَ ثِقَةً، وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ تَكَلَّمَ فِي النَّحْوِ، وَقَالَ ابْنُ مَعِينٍ وَغَيْرُهُ: مَاتَ فِي طَاعُونِ الْجَارِفِ سَنَةَ تِسْعٍ وَسِتِّينَ. قَالَ ابْنُ خَلِّكَانَ، وَقِيلَ: إِنَّهُ تُوُفِّيَ فِي خِلَافَةِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، وَقَدْ كَانَ ابْتِدَاؤُهَا فِي سَنَةِ تِسْعٍ وَتِسْعِينَ. قُلْتُ: وَهَذَا غَرِيبٌ جِدًّا. قَالَ ابْنُ خَلِّكَانَ وَغَيْرُهُ: كَانَ أَوَّلَ مَنْ أَلْقَى إِلَيْهِ عِلْمَ النَّحْوِ عَلِيُّ بْنُ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৭০১৮


আমর ইবন সাঈদ-এর সম্পুর্ণরুপে বিদ্রোহী হওয়ার এবং নিহত হওয়ার বেশ কিছুদিন আগে
এক ব্যক্তি স্বপ্নে জনৈক ব্যক্তিকে দামেশকের দেয়ালের উপর দাড়িয়ে নিম্নলিখিত পঙ্ক্তিগুলাে
আবৃত্তি করতে শুনেছে :
ধ্;াএ
হে লোকসকল ৷ তোমরা নির্বোধ, দুর্বল, পাপিষ্ঠ ও অস্থিরচিত্ত লোকটির ব্যপারে সতর্ক
থাক ৷ তোমরা দুঃখ প্রকাশ কর ইবন সাঈদ এর জন্য ৷ লোকটি তার দু’ পায়ের উপর দণ্ডায়মান
ছিল ৷ হঠাৎ সে উপুড় হয়ে লুটিয়ে পড়ল ৷ সে দুর্গকে মৃত্যু থেকে নিরাপদ স্থান মনে করেজ্যি ৷
ফলে সেখানে পিত্তুয় সে আশ্রয় নিয়েছিল ৷ কিন্তু মৃত্যু দুর্গে গিয়েই তার সঙ্গে সাক্ষাত্করেছে ৷’
বর্ণনাকারী বলেন, লোকটি আব্দুল মালিক এর নিকট এসে তাকে স্বপ্ন সম্পর্কে অব
করে ৷ শুনে আব্দুল মালিক বললেন, তােমার ধ্বংস হোক, কেউ কি ৫৩ামার থেকে এ কাহিনী
শুনেছে ? লোকটি বলল, না ৷’ আব্দুল মালিক বললেন, তাহ লে৩ ৩াকে তোমার দু পায়ের নীচে
রেখে দাও ৷’ বর্ণনাকারী বলেন, তারপরই আমর আনুগত্য ত্যাগ করেন এবং আব্দুল মালিক
ইবন মারওয়ান তাকে হত্যা করে ফেলেন ৷
কথিত আছে যে, আব্দুল মালিক যখন আমর ইবন সাঈদকে অবরোধ করেন, তখন তিনি
তীর নিকট পত্র লিখেন যে, আমি আল্লাহ্ ও আত্মীয়তার দোহাই দিয়ে বলছি, তুমি তোমার
পরিবারের ব্যাপারটি ত্যাগ কর এবং৩ তারা যে পরি৷ স্থতির শিকার হয়েছে, তাদেরকে সে
অবস্থায় ফেলে রাখ ৷ কেননা, তুমি যা করেছ, তাতে আমাদের বিপক্ষে ইবন যুব৷ ৷ইব-এর শক্তি
বৃদ্ধি পেয়েছে ৷ সুতরাং তুমি তোমার বায়আতের দিকে ফিরে আস ৷ তোমার জন্য আমার
যিম্মায় আল্লাহ্র প্রজ্যিতি ৩রয়েছে ৷ তিনি তার জন্য ঈমানের দোহ্াই দিয়ে শক্ত শপথ করেন
যে, আমার পরে তৃমিই সিংহাসনের অধিকারী হবে ৷৩ তারা দু জন পরস্পর একটি চুক্তি লিপিবদ্ধ
করেন ৷ এভাবে আমর প্রতারণার শিকার হন এবং আব্দুল মালিক এর জন্য দামেশৃকের দরজা
খুলে দেন ৷ ফলে আব্দুল মালিক তাতে প্রবেশ করেন ৷ তারপর দুজনের মাঝে যেসব ঘটনা
সংঘটিত হয়েছে তা আমরা পুর্বে উল্লেখ করেছি ৷

এ বছর যেসব বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ইনতিকাল করেন
আবুল আসওয়াদ আদ-দুয়ালী

তাকে আদ-দায়লীও বলা হয় ৷ তিনি ছিলেন কুফার কাজী ও মহান তাবেয়ী ৷ তার নাম
জালিম ইবন আমর ইবন সুফিয়ান ইবন জানদাল ইবন ইয়ামুর ইবন জালস ইবন শাবাহা ইবন
আদী ইবন আদ-দুয়াল ইবন বকর ৷ ইনি সেই আবুল আসওয়াদ, যাকে ইলমুন নাহু ( ,১১)এর
আবিষ্কারক বলা হয় ৷ কথিত আছে যে, ইনিই সর্বপ্রথম ইলমুন নাহু সম্পর্কে কথা বলেছেন ৷
তিনি আমীরুল মু’মিনীন আলী ইবন আবী তালিব (রা) থেকে তা অর্জন করেছেন ৷ তার নামের
ব্যাপারে একাধিক অভিমত রয়েছে ৷ প্রসিদ্ধ অভিমত হল, তার নাম জালিম ইবন আমর ৷ কেউ
কেউ বলেছেন, তার উল্টে৷ ৷ ওয়াকিদী বলেন, তার নাম উয়াইমির ইবন জুয়াইলিম ৷ ওয়াকিদী
বলেন, তিনি নবী করীম (না)-এর জীবদ্দশায় ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ তবে তিনি তাকে


طَالِبٍ وَذَكَرَ لَهُ أَنَّ الْكَلَامَ اسْمٌ وَفِعْلٌ وَحَرْفٌ، ثُمَّ إِنَّ أَبَا الْأَسْوَدِ نَحَا نَحْوَهُ وَفَرَّعَ عَلَى قَوْلِهِ، وَسَلَكَ طَرِيقَهَ فَسُمِّيَ هَذَا الْعِلْمُ النَّحْوَ لِذَلِكَ. وَكَانَ الْبَاعِثَ لِأَبِي الْأَسْوَدِ عَلَى بَسْطِ ذَلِكَ تَغَيُّرُ لُغَةِ النَّاسِ، وَدُخُولُ اللَّحْنِ فِي كَلَامِ بَعْضِهِمْ أَيَّامَ وِلَايَةِ زِيَادٍ عَلَى الْعِرَاقِ، وَكَانَ أَبُو الْأَسْوَدِ مُؤَدِّبَ بَنِيهِ ; فَإِنَّهُ جَاءَ رَجُلٌ يَوْمًا إِلَى زِيَادٍ فَقَالَ: تُوُفِّيَ أَبَانَا وَتَرَكَ بَنُونَ، فَأَمَرَهُ زِيَادٌ أَنْ يَضَعَ لِلنَّاسِ شَيْئًا يَهْتَدُونَ بِهِ إِلَى مَعْرِفَةِ كَلَامِ الْعَرَبِ. وَيُقَالُ: إِنَّ أَوَّلَ مَا وَضَعَ مِنْهُ بَابُ التَّعَجُّبِ ; مِنْ أَجْلِ أَنَّ ابْنَتَهُ قَالَتْ لَهُ لَيْلَةً: يَا أَبَهْ، مَا أَحْسَنُ السَّمَاءِ! فَقَالَ: نُجُومُهَا. فَقَالَتْ: إِنِّي لَمْ أَسْأَلْ عَنْ أَحْسَنِهَا، إِنَّمَا تَعَجَّبْتُ مِنْ حُسْنِهَا. فَقَالَ قُولِي: مَا أَحْسَنَ السَّمَاءَ! قَالَ ابْنُ خَلِّكَانَ: وَقَدْ كَانَ أَبُو الْأَسْوَدِ يَبْخَلُ، وَكَانَ يَقُولُ: لَوْ أَطَعْنَا الْمَسَاكِينَ فِي أَمْوَالِنَا لَكُنَّا مِثْلَهُمْ، وَعَشَّى لَيْلَةً مِسْكِينًا، ثُمَّ قَيَّدَهُ وَبَيَّتَهُ عِنْدَهُ، وَمَنَعَهُ أَنْ يَخْرُجَ لَيْلَتَهُ تِلْكَ ; لِئَلَّا يُؤْذِيَ الْمُسْلِمِينَ بِسُؤَالِهِ، فَقَالَ لَهُ الْمِسْكِينُ: أَطْلِقْنِي. فَقَالَ: هَيْهَاتَ، إِنَّمَا عَشَّيْتُكَ لِأُرِيحَ مِنْكَ الْمُسْلِمِينَ اللَّيْلَةَ. فَلَمَّا أَصْبَحَ أَطْلَقَهُ. وَلَهُ شِعْرٌ حَسَنٌ - رَحِمَهُ اللَّهُ.
পৃষ্ঠা - ৭০১৯


দেখেননি ৷ তিনি জামাল যুদ্ধে অং শঃাহণ করেন এবং উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ এর শাসনামলে
ইনতিকাল করেছেন ৷ ইয়াহইয়া ইবন মাঈন ও আহমাদ ইবন আবদুল্লাহ্ আল আজালী
বলেছেন, তিনি নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি ছিলেন এবং তিনিই সর্বপ্রথম নাহ্ব সম্পর্কে কথা বলেছেন ৷
ইবন মাঈন প্রমুখ বলেন, তিনি উনসত্তর হিজরী সনে ৫প্লগে আক্রান্ত হয়ে ইনতিকাল করেন ৷

ইবন খাল্লিকান বলেন, কথিত আছে যে, তিনি উমর ইবন আব্দুল আযীয-এর খিলাফ্ত
আমলে ইনতিকাল করেন ৷ আর উমর ইবন আব্দুল আষীযএর খিলাফত শুরু হয়েছিল
নিরানব্বই হিজরীতে ৷ আমার মতে এই অজািতটি অত্যন্ত গরীব পর্যায়ের ৷ ইবন খাল্লিকান
প্রমুখ বলেন, আলী ইবন আবী তালিব (রা) সর্বপ্রথম তাকে ইলমুন নাহ্ব এর ধারণা প্রদান
করেন এবং তাকে জানান যে, কালাম হল-ইসৃম, ফেল ও হরফ ৷ পরে আবুল আসওয়াদ
তাকে অনুসরণ করেন, তার বক্তব্যের সুত্র ধরে শ্া৷খা-প্রশাখ৷ বের করেন এবং তার পথ ধরে
পথ চলেন ৷ তাই পরবর্তীতে এর নাম রাখেন ইলমুন নাহ্ব ৷ আর যে বিষয়টি আবুল
আসওয়াদকে এ কাজের জন্য উদ্বুদ্ধ করেছে তা হল মানুষের ভাষার বিবর্তন এবং যিয়াদ এর
ইরাক শাসনামলে মানুষের ভাষায় ভুলের অনুপ্রবেশ ৷ আবুল আসওয়াদ যিয়াদ এর পুত্রদের
ওস্তাদ ছিলেন ৷ এ ক দিন এক ব্যক্তি যিয়াদ এর নিকট এসে বলল


তখনই যিয়াদ তাকে বলেন, মানুষের জন্য এমন একটা কিছু আবিষ্কার করুন, যার মাধ্যমে
তারা আরবী ভাষার সঠিক পরিচয় লাভ করতে পারে৷ কথিত আছে যে, আবুল আসওয়াদ
সর্বপ্রথম তা আজ্জব অধ্যায় উদ্ভাবন করেন ৷ত তার পটভুমি হল, আবুল আসওয়াদ এর কন্যা
এক রাতে তাকে বলল--


আবুল আসওয়াদ বললেন, ৷রু; কন্যা বলল, আমি আপনাকে আকাশের সবচাইতে
সুন্দর বস্তু সম্পর্কে জিজ্ঞেস করিনি ৷ আমিত ৷র সৌন্দর্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছি ৷ তখন আবুল
আসওয়াদ বললেন, তাহলে তুমি

ইবন খাল্লিকান বলেন, আবুল আসওয়াদ কার্পণ্য করতেন ৷ তিনি বলভ্রু ত,ন আমরা যদি
আমাদের ধন সম্পদে মিসকীনদের অনুসরণ কবি,৩ তাহলে আমরা অবশ্যই তাদের মত হয়ে
যাব ৷ এক রাতে তিনি একজন মিসকীনকে খাবার খাওয়ান ৷ পরে তাকে আটক করে
রাখেন, তাকে নিজের নিকট রাত যাপনে বাধ্য করেন এবং সে রাতে তাকে বের হতে রাবণ
করেন, যাতে ভিক্ষার মাধ্যমে সে মুসলমানদেরকে কষ্ট দিতে না পারে ৷ মিসকীন তাকে
বলল, আপনি আমাকে ছেড়ে দিন ৷ তিনি বললেন, তা হবে না ৷ আমি এই রাতটা
মুসলমানদেরকে তোমার ভিক্ষার কষ্টদান থেকে রেহাই দেয়ার জন্য তোমাকে রাতের
খাবার খাইয়েছি ৷ অবশেষে যখন ভোর হল, তখন তিনি তাকে ছেড়ে দেন ৷ তার সুন্দর
কবিতা রয়েছে ৷

ইবন জারীর বলেন, এ বছর আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) লোকদের নিয়ে হজ্জ পরিচালনা

করেন ৷ একজন খারেজী মিনার স্বাধীনতা ঘোষণা করলে আব্দুল্লাহ ইবন যুবাইর হুজরার নিকট
তাকে হত্যা করে ফেলেন ৷ বিগত বছর যারা বিভিন্ন শহরে প্রতিনিধি ছিলেন, এ বছরও তারাই
প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেন ৷




قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَقَدْ أَظْهَرَ خَارِجِيٌّ التَّحْكِيمَ بِمِنًى فَقُتِلَ عِنْدَ الْجَمْرَةِ. وَالنُّوَّابُ فِيهَا هُمُ الَّذِينَ كَانُوا فِي السَّنَةِ الَّتِي قَبْلَهَا. وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ جَابِرُ بْنُ سَمُرَةَ بْنِ جُنَادَةَ ، لَهُ صُحْبَةٌ وَرِوَايَةٌ، وَلِأَبِيهِ أَيْضًا صُحْبَةٌ وَرِوَايَةٌ. نَزَلَ الْكُوفَةَ وَبِهَا تُوُفِّيَ هَذِهِ السَّنَةَ، وَقِيلَ: تُوُفِّيَ سَنَةَ سِتٍّ وَسِتِّينَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. أَسْمَاءُ بِنْتُ يَزِيدَ بْنِ السَّكَنِ الْأَنْصَارِيَّةُ ، بَايَعَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَتَلَتْ بِعَمُودِ خَيْمَتِهَا يَوْمَ الْيَرْمُوكِ تِسْعَةً مِنَ الرُّومِ لَيْلَةَ عُرْسِهَا، وَسَكَنَتْ دِمَشْقَ وَقَبْرُهَا بِبَابِ الصَّغِيرِ. حَسَّانُ بْنُ مَالِكِ بْنِ بَحْدَلٍ، الْأَمِيرُ أَبُو سُلَيْمَانَ الْبَحْدَلِيُّ
পৃষ্ঠা - ৭০২০

জাবির ইবন সামুরা ইবন জুনদাে (বা)

তীর সাহাবী হওয়া ও রাসুল (সা) থেকে হাদীস বর্ণনা করা প্রমাণিত ৷ তার পিতাও সাহাবী
ছিলেন ও রাসুল (সা) থেকে হাদীস রেওয়ায়াত করেছেন ৷ কারো কারো মতে, তিনি ছেষট্টি
হিজরীতে ইনতিকাল করেছেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

আসমা বিনতে ইয়াযীদ (রা)

আসমা বিনতে ইয়াযীদ ইবনুস সাক ন আল-আনসারিয়্যা ৷ নবী কবীম (সা) এর নিবল্ট
বায় আত গ্রহণ করেছিলেন ৷ ইয়ারমুকের দিন তার বাসর রাতে তিনি নিজ৩ র্তীবুর খুটি দ্বারা
নয়জন রোমান সৈন্যকে হত্যা করেছিলেন ৷ পরে তিনি দামেশকে বসবাস করেন এবং ব!বুসৃ
সাগীর এর নিকটে তাকে দাফন করা হয় ৷ ৰু

হাসৃসান ইবন মালিক

আবু সুলাইমান আল-বাহদালী ৷ মারওয়ান যখন খিলাফতের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন,
তখন তিনি তার বায়আণ্ডে র যিম্মাদারী নিজ কাধে তুলে নেন ৷ তিনি এ বছর ইনতিকাল
করেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷


الْكَلْبِيُّ. وَهُوَ الَّذِي قَامَ بِبَيْعَةِ مَرْوَانَ. وَقِيلَ: إِنَّهُمْ سَلَّمُوا عَلَيْهِ بِالْخِلَافَةِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا، ثُمَّ سَلَّمَهَا لِمَرْوَانَ. وَقَصْرُ حَسَّانَ بِدِمَشْقَ، وَيُعْرَفُ بِقَصْرِ ابْنِ أَبِي الْحَدِيدِ، وَهُوَ قَصْرُ الْبَحَادِلَةِ. مَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ أَعْلَمُ. يُوسُفُ بْنُ الْحَكَمِ الثَّقَفِيُّ وَالِدُ الْحَجَّاجِ. قَدِمَ مِنَ الطَّائِفِ إِلَى الشَّامِ ثُمَّ ذَهَبَ إِلَى مِصْرَ وَالْمَدِينَةِ، وَكَانَ يَلْزَمُ مَرْوَانَ. عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْحَكَمِ أَخُو مَرْوَانَ، شَهِدَ الدَّارَ مَعَ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، وَكَانَ شَاعِرًا مُحْسِنًا، وَلَهُ مَنْزِلَةٌ عِنْدَ مُعَاوِيَةَ وَابْنُهُ.