আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثمان وستين

পৃষ্ঠা - ৬৯৬৬

৬৮ ইিজরী সন

এ বছর আৰ্দুল্লাহ্ তার ভইি মুসআবকে বসরার ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনেন ৷ ফলে তিনি
এসে বসরায় অবস্থান গ্রহণ করেন ৷ এ বছর আবদুল্লাহ হারিছ ইবন আবু রবীআ আল মাখবুত্নী
ওরফে কুবাকে কুফার এবং আবদুর রহমান ইবনুল আশআছকে বরখাস্ত করে জাবির ইবনৃভৈন্
আসওয়াদ আয় যুহরীকে মদীনার গভর্নর নিযুক্ত করেন ৷ আবদুর রহমান ইবনুল আশআছঝে
বরখাস্থ করার কারণ ছিল এই যে তিনি সাঈদ ইবনুল মুসায়াবকে ষটিটি বেত্রাঘাৰুশু
করেছিলেন ৷ তার কারণ তিনি সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব (রা) থেকে ইবন যুবাইর এর পঅে
বায়অাত নিতে চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু সাঈদ তাতে অস্বীকৃতি জানান ৷ সে কারণে তিনি ত
প্রহার করেন৷ এই অপরাধে ইবন যুবাইর তাকে পদচ্যুত করেন ৷ আর এ বছর রোমরাওা
কনষ্টাটাইনের পুত্র নিজ শহরে মৃত্যুবরণ করেন ৷ এ বছরই আযাবিকার ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল
ঘটনাটি নিম্নরুপ

মুস আব পারস্যের সীমান্তবর্তী এলাকার শাসনক্ষমতা থেকে মুহাল্লাব ইবন আবু সুফরারে;
বরখাস্ত করেন ৷ তিনি জনগণের উপর অত্যাচার করতেন ৷ তাকে তিনি দ্বীপাঞ্চলের গভর্নর নিযুক্ত
করেন ৷ দুমুহাল্লাব আযারিকা গোত্রের উপর অত্যাচার করতেন, তার স্থলে মুসআব উমর ইবন
উবায়দৃল্লাহ্ ইবন মামারকে পারস্যের গভর্নর নিযুক্ত করেন ৷ ফলে উমর ইবন উবায়দৃল্লাহ্ খুন
করে তাদেরকে কাবু করে ফেলেন ও তাদেরকে পরাজিত বল্মলেন ৷ তারা তাদের নেতা যুবাইর
ইবন মাহুয এর সঙ্গে ছিল ৷ কিন্তু তাকে ফেলে রেখেই তারা ইসতাখারের দিকে পালিয়ে গেল ;
উমর ইবন উবইিদুল্লাহ্ ইবন মা মার ধাওরা করে তাদের বিপুলসংখ্যক লোককে হত্যা করেন ৷
কিন্তু তারা তার পৃত্র্যক হত্যা করে ৷ তারপর দ্বিতীয়বারের মত তিনি তাদের উপর জয়লাভ করেন
আর তারা ইস্পাহান ও তার আশ-পাশের এলাকায় পালিয়ে যায় ৷ সেখানে তারা শক্তি সঞ্চয়
করে এবং তাদের স খ্য৷ ও উপকরণ বৃদ্ধি পায় ৷ এবার তারা বসরা অভিমুখে রওয়ানা হয় ৷ তারা
উমর ইবন উবাইদুল্লাহ্ ইবন মা মারকে পেছনে ফেলে পারস্যের কোন এক শহর অতিক্রম করে

চলে যায় ৷ মুসআব যখন তাদের আগমন সংবাদ শুনতে পেলেন, তখন তিনি ঘোড়ার চড়ে
জনতার মাঝে বেরিয়ে পড়লে এবং বিদ্রোহীদেরকে ন্ শহর অতিক্রম করার সুযোগ দানের জন্য
উমর ইবন উবইিদুল্লাহ্কে তিরস্কার করতে শুরু করেন ৷

ওদিকে উমর ইবন উবাইদুল্লাহ্ ঘোড়ার আরোহণ করে তাদের পেছন পেছন চলতে শুরু
করেন ৷ বিদ্রোহীরা যখন জানতে পারল যে, মুসআব তাদের সম্মুখে আর উমর ইবন
উবর্হিদুল্লাহ্ তাদের পেছনে, তখন তারা গতি পরিবর্তন করে মাদায়িন অভিমুখে রওয়ানা হয় ৷

তারা নারী ও শিশুদেরকে হত্যা করতে ও গভর্বিভী মহিলাদের পেট চিরে ফেলতে শুরু করে
এবং এমন অপকর্ম করতে শুরু করে যা তাদের ছাড়া আর কোন গোষ্ঠী করে নি ৷ ফলে কুফার
নায়েব হারিছ ইবন আবু রবী আ কুফার জনগণ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের একদলকে নিয়ে ইবনুল
ন্ন্’আশতার ও শাবছ ইবন রিবয়ী যাদের অন্তণ্ডুক্তি ছিলেন ৷ তাদের বিরুদ্ধে অভিযানে রওয়ানা
হন ৷ তারা যখন আস-সিরাত পুলের নিকটণ্ডু গিয়ে পৌছে তখন বিদ্রোহীরা তার ও তাদের
মধ্যখানে পুলট৷ ভেঙে ফেলে ৷ কিন্তু দলের আমীর পুলটি পুনরায় নির্মাণ করার নির্দেশ প্রদান

আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া-৬৬

[ثُمَّ دَخَلَتْ سُنَّةُ ثَمَانٍ وَسِتِّينَ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] فَفِيهَا رَدَّ عَبْدُ اللَّهِ أَخَاهُ مُصْعَبًا إِلَى إِمْرَةِ الْبَصْرَةِ، فَأَتَاهَا فَأَقَامَ بِهَا. وَاسْتَخْلَفَ عَلَى الْكُوفَةِ الْحَارِثَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ الْمَخْزُومِيَّ ; قُبَاعًا، وَاسْتَعْمَلَ عَلَى الْمَدِينَةِ جَابِرَ بْنَ الْأَسْوَدِ الزُّهْرِيَّ، وَعَزَلَ عَنْهَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الْأَشْعَثِ ; لِكَوْنِهِ ضَرَبَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ سِتِّينَ سَوْطًا، فَإِنَّهُ أَرَادَ مِنْهُ أَنْ يُبَايِعَ لِابْنِ الزُّبَيْرِ فَامْتَنَعَ مِنْ ذَلِكَ فَضَرَبَهُ فَعَزَلَهُ ابْنُ الزُّبَيْرِ وَفِيهَا هَلَكَ مَلِكُ الرُّومِ قُسْطَنْطِينُ بْنُ قُسْطَنْطِينَ بِبَلَدِهِ، لَعَنَهُ اللَّهُ. وَفِيهَا كَانَتْ وَقْعَةُ الْأَزَارِقَةِ. وَذَلِكَ أَنَّ مُصْعَبًا كَانَ قَدْ عَزَلَ عَنْ نَاحِيَةِ فَارِسَ الْمُهَلَّبَ بْنَ أَبِي صُفْرَةَ، وَكَانَ قَاهِرًا لَهُمْ، وَوَلَّاهُ الْجَزِيرَةَ، وَوَلَّى عَلَى فَارِسَ عُمَرَ بْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْمَرٍ فَثَارُوا عَلَيْهِ فَقَاتَلَهُمْ عُمَرُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ فَقَهَرَهُمْ وَكَسَرَهُمْ، وَكَانُوا مَعَ أَمِيرِهِمِ الزُّبَيْرِ بْنِ الْمَاحُوزِ، فَفَرُّوا بَيْنَ يَدَيْهِ إِلَى إِصْطَخْرَ، فَاتَّبَعَهُمْ فَقَتَلَ مِنْهُمْ مَقْتَلَةً عَظِيمَةً، وَقَتَلُوا ابْنَهُ، ثُمَّ ظَفِرَ بِهِمْ مَرَّةً أُخْرَى ثُمَّ هَرَبُوا إِلَى بِلَادِ أَصْبَهَانَ، وَنَوَاحِيهَا فَتَقَوَّوْا هُنَالِكَ، وَكَثُرَ عَدَدُهُمْ وَعُدَدُهُمْ، ثُمَّ أَقْبَلُوا يُرِيدُونَ الْبَصْرَةَ، فَمَرُّوا بِبَعْضِ بِلَادِ فَارِسَ، وَتَرَكُوا عُمَرَ بْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْمَرٍ وَرَاءَ ظُهُورِهِمْ، فَلَمَّا سَمِعَ مُصْعَبٌ بِقُدُومِهِمْ رَكِبَ فِي النَّاسِ، وَجَعَلَ يَلُومُ عُمَرَ بْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ بِتَرْكِهِ هَؤُلَاءِ يَجْتَازُونَ بِبِلَادِهِ إِلَى الْبَصْرَةِ وَقَدْ رَكِبَ عُمَرُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৬৯৬৭


করেন ৷ ফলে বিড্রোহীরা পালিয়ে যায় ৷ এবার আবদুর রহমান ইবন মিখনাফ ছয় হাজার সৈন্য
নিয়ে তাদের পেছনে ধাওয়৷ করেন ৷ ধাওয়৷ খেয়ে কুফা হয়ে পুণরায় ইস্পাহান চলে যায় ৷
আবদুর রহমান ইবন মিখনাফ যুদ্ধ না করেই তাদের ছেড়ে ফিরে আসেন ৷ তারা পুনরায়
এগিয়ে এসে আত্তাব ইবন ওয়ারাকাকে জিয়া নগরীতে একমাস পর্যন্ত অবরুদ্ধ , করে রাখে ৷
তারা মানুষের জীবনযাত্রা অচল করে দেয় ৷ অপত্যা জ্যাতা বেরিয়ে এসে তাদের উপর বাপিয়ে
পড়ল ৷ তারা যুদ্ধ করে তাদেরকে পরাজিতৰুকরল, তাদের আমীর যুবইির ইবন মাহুযকে হত্যা
ন্ করে ফেলল এবং তাদের ছাউনীতে যা কিছু ছিল সব পনীমত হিসেবে নিয়ে নিল ৷ বিদ্রোহী
খারিজীরা কা৩ারী ইবনুল ফুজা আকে তাদের আমীর নিযুক্ত করে নেয় এবং আহওয়ায শহরের
দিকে রওয়ানা হয়ে যায় ৷ এদিকে মুস আব ইবন যুবইির মুহাল্লাধ্ আবু সৃফরার নিকট সে সময়
তিনি মাওসিলে অবস্থান করছিলেনপত্র লিখেন, যেন তিনি বিদ্রোহদের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য
রওয়ান৷ হয়ে যান ৷ তিনি ছিলেন তাদের সঙ্গে যুদ্ধ বরোর ব্যাপারে অভিজ্ঞ ৷ আর তার স্থানে
ইব্রাহীম ইবনুল আশতাকে মাওসিল পাঠিয়ে দেন ৷ মুহাল্লাব আহণ্ডয়ায়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা
হয়ে যান ৷ সেখানে তিনি বিদ্রোহীদের সঙ্গে আট মাস যাবত এমন লড়াই লড়েন, যেমনটি আর
শোনা যায় নি ৷ ,
ইবন জারীর বলেন, এ বছর সিরিয়ার প্রচণ্ড দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় ফলে দুর্বলতা ও আহার্য
বস্তুরঅভাবের কারণে মানুষ মুহাল্লাবের সঙ্গে যেতে পারে নি ৷ ইবন জারীর বলেন, এ বছর
উবইিদুল্লাহ্ ইবনুল হুবৃর নিহত হন৷ লোকঢির পরিচয় হল, তিনি এবজা সাহসী মানুষ
ছিলেন ৷৩ তার কথায় পরিবেশ পরিস্থিতি, সময়-কাল ও মত-অভিমত পাল্টে যেত ৷ তার অবস্থা
এমন র্দাড়িয়েজ্যি যে,৩ তিনি বনু উমইিয়া এবং যুবইির বংশের কাউকে মান্য করতেনন৷ ৷ তিনি
ইরাক প্রভৃতি শহরের বিভিন্ন জনপদে গমনাগমন করতেন এবং রাদ্রীয় কোষাগারে যা পেতেন,
নিয়ে নিতেন এবং দায়যুক্তি লিখিয়ে নিা তন ৷ এসব সম্পদ তিনি নিজ সঙ্গী-সহচরদের মাঝে
ব্যয় করতেন ৷ খলীফ৷ ও আমীরগণ তার প্রতি সেনা অভিযান প্রেরণ করলে তারা সং খ্যায় কম
হোক কিংবা বেশী হোক, তাদেরকে ন্তাড়িয়ে দািক্তা ও পরাজিত করতেন ৷ এ অবস্থা এমন
দীড়িয়েফ্লি যে, যুসআব ইবন যুবইির এবৎ৩ তার ইরাকের গভর্নরগণ তাকে সমীহ করে চলতে
শুরু করেন ৷ এক পর্যায়ে তিনি আবদুল ম লিক ইবন মারওয়ানের নিকট যান ৷ আবদুল মালিক
তাকে দ শজন ৷লাকসহ কুফায় প্রেরণ করেন ৷ তিনি তাকে বললেন, আপনি কুফায়স্ব গিয়ে
জনগণকে জানিয়ে দিন যে, শীঘ্রই তাদের নিকট বাহিনী আসছে ৷ কিন্তু আবদুল মালিক
গোপনে তার ভাইদের নিকট সংবাদ প্রেরণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন ৷ সংবাদট৷ তিনি
কুফায় আমীর হারিছরু ইবন আবদুল্লাহ্র গোচরে দেন ৷ হারিছ ইবন আবদুল্লাহ উবাইদুল্লাহ্র
বিরুদ্ধে বাহিনী প্রেরণ করেন ৷ তারা তার অবস্থানন্থলেই তাকে হত্যা করে ফেলেন এবং তার
মাথাটা প্রথমে কুফ৷ এবং পরে বসরা নিয়ে যায় ৷ মানুষ৩ তার নিপীড়ন থেকে মুক্তি লাভ করে ৷
এ বছর আবাফার ময়দানে পৃথক পৃথক চারটি ঝাণ্ডা পরিলক্ষিত হয়; যার প্রত্যেকটি হ্নিা
অপরটি থেকে আলাদা ৷ একটি সহচর বেষ্টিত মুহাম্মদ ইবন হানাফিয়ব্রুায় ৷ দ্বিতীয়টি নাজ্বদা
হারুরী (খারিজী) ও তার সঙ্গীদের ৷৩ তভীয়টি বনু উমাইয়্যার ৷ চতুর্থটি আবদুল্লাহ ইবন যুবইির-
এর ৷ সর্বপ্রথম যিনি নিজের ঝাণ্ড৷ ফেরত দেন, তিনি হলেন ইবনুল হানাফিয়্যা ৷ তারপর
নাজ্বদ৷ ৷ তারপর বনু উমইিয়্যা ৷ তারপর বা৷ও৷ ফেরত দেন ইবন যুবইির ৷ তারপর তার সঙ্গে
সকল মানুষ ৷ যারা ইবন যুবইির-এর ঝাণ্ড৷ ফেরত প্রদানে অপেক্ষায় অপেক্ষমান হািলন,


بْنِ مَعْمَرٍ فِي آثَارِهِمْ، فَبَلَغَ الْخَوَارِجَ أَنَّ مُصْعَبًا أَمَامَهُمْ وَعُمَرَ بْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ وَرَاءَهُمْ، فَعَدَلُوا إِلَى الْمَدَائِنِ فَجَعَلُوا يَقْتُلُونَ النِّسَاءَ وَالْوِلْدَانَ، وَيَبْقُرُونَ بُطُونَ الْحَبَالَى، وَيَفْعَلُونَ أَفْعَالًا لَمْ يَفْعَلْهَا غَيْرُهُمْ ; فَقَصَدَهُمْ نَائِبُ الْكُوفَةِ الْحَارِثُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ وَمَعَهُ أَهْلُهَا وَجَمَاعَاتٌ مِنْ أَشْرَافِهَا، مِنْهُمُ ابْنُ الْأَشْتَرِ، وَشَبَثُ بْنُ رِبْعِيٍّ، فَلَمَّا وَصَلُوا إِلَيْهِمْ عِنْدَ جِسْرِ الصَّرَاةِ، قَطَعَهُ الْخَوَارِجُ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ النَّاسِ، فَأَمَرَ الْأَمِيرُ بِإِعَادَتِهِ، فَأُعِيدَ، فَفَرَّتِ الْخَوَارِجُ هَارِبِينَ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَاتَّبَعَهُمْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مِخْنَفٍ فِي سِتَّةِ آلَافٍ فَمَرُّوا عَلَى الْكُوفَةِ، ثُمَّ صَارُوا إِلَى أَرْضِ أَصْبَهَانَ، فَانْصَرَفَ عَنْهُمْ وَلَمْ يُقَاتِلْهُمْ، ثُمَّ أَقْبَلُوا فَحَاصَرُوا عَتَّابَ بْنَ وَرْقَاءَ شَهْرًا، بِمَدِينَةِ جُبَّا حَتَّى ضَيَّقُوا عَلَى النَّاسِ، فَنَزَلُوا إِلَيْهِمْ فَقَاتَلُوهُمْ فَكَشَفُوهُمْ وَقَتَلُوا أَمِيرَهُمِ الزُّبَيْرَ بْنَ الْمَاحُوزِ، وَغَنِمُوا مَا فِي مُعَسْكَرِهِمْ، وَأَمَّرَتِ الْخَوَارِجُ عَلَيْهِمْ قَطَرِيَّ بْنَ الْفُجَاءَةِ، ثُمَّ سَارُوا إِلَى بِلَادِ الْأَهْوَازِ، فَكَتَبَ مُصْعَبُ بْنُ الزُّبَيْرِ إِلَى الْمُهَلَّبِ بْنِ أَبِي صُفْرَةَ - وَهُوَ عَلَى الْمَوْصِلِ - أَنَّ يَسِيرَ إِلَى قِتَالِ الْخَوَارِجِ، وَكَانَ أَبْصَرَ النَّاسَ بِقِتَالِهِمْ، وَبَعَثَ مَكَانَهُ إِلَى الْمَوْصِلِ إِبْرَاهِيمَ بْنَ الْأَشْتَرِ فَانْصَرَفَ الْمُهَلَّبُ إِلَى الْأَهْوَازِ فَقَاتَلَ فِيهَا الْخَوَارِجَ ثَمَانِيَةَ أَشْهُرٍ قِتَالًا لَمْ يُسْمَعْ بِمِثْلِهِ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ كَانَ الْقَحْطُ الشَّدِيدُ بِبِلَادِ الشَّامِ ; بِحَيْثُ لَمْ يَتَمَكَّنُوا مَعَهُ مِنَ الْغَزْوِ لِضَعْفِهِمْ وَقِلَّةِ طَعَامِهِمْ وَمِيرَتِهِمْ.
পৃষ্ঠা - ৬৯৬৮
قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِيهَا قُتِلَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ الْحُرِّ وَكَانَ مَنْ خَبَرِهِ أَنَّهُ كَانَ رَجُلًا شُجَاعًا تَتَقَلَّبُ بِهِ الْأَحْوَالُ وَالْأَيَّامُ وَالْآرَاءُ، حَتَّى صَارَ مِنْ أَمْرِهِ أَنَّهُ لَا يَنْطَاعُ لِأَحَدٍ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ وَلَا لِآلِ الزُّبَيْرِ، وَكَانَ يَمُرُّ عَلَى عَامِلِ الْكُورَةِ مِنَ الْعِرَاقِ وَغَيْرِهِ، فَيَأْخُذُ مِنْهُ جَمِيعَ مَا فِي بَيْتِ مَالِهِ مِنَ الْحَوَاصِلِ قَهْرًا، وَيَكْتُبُ لَهُ بَرَاءَةً، وَيَذْهَبُ فَيُنْفِقُهُ عَلَى أَصْحَابِهِ، وَكَانَ الْخُلَفَاءُ وَالْأُمَرَاءُ يَبْعَثُونَ إِلَيْهِ الْجُيُوشَ فَيَطْرُدُهَا وَيَكْسِرُهَا، قَلَّتْ أَوْ كَثُرَتْ حَتَّى كَاعَ فِيهِ مُصْعَبُ بْنُ الزُّبَيْرِ وَعُمَّالُهُ بِبِلَادِ الْعِرَاقِ، ثُمَّ إِنَّهُ وَفَدَ عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ فَبَعْثَهُ فِي عَشَرَةِ نَفَرٍ، وَقَالَ: ادْخُلِ الْكُوفَةَ فَأَعْلِمْهُمْ أَنَّ الْجُنُودَ سَتَصِلُ إِلَيْهِمْ سَرِيعًا. فَبَعَثَ فِي السِّرِّ إِلَى جَمَاعَةٍ مِنْ إِخْوَانِهِ فَظَهَرَ عَلَى أَمْرِهِ، فَأَعْلَمَ أَمِيرَ الْكُوفَةِ الْحَارِثَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ جَيْشًا، فَقَتَلُوهُ فِي الْمَكَانِ الَّذِي هُوَ فِيهِ، وَحُمِلَ رَأْسُهُ إِلَى الْكُوفَةِ، ثُمَّ إِلَى الْبَصْرَةِ، وَاسْتَرَاحَ النَّاسُ مِنْهُ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِيهَا شَهِدَ مَوْقِفَ عَرَفَةَ أَرْبَعُ رَايَاتٍ مُتَبَايِنَةٍ، كُلُّ وَاحِدَةٍ مِنْهَا لَا تَأْتَمُّ بِالْأُخْرَى ; الْوَاحِدَةُ لِمُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ فِي أَصْحَابِهِ، وَالثَّانِيَةُ لِنَجْدَةَ الْحَرُورِيِّ وَأَصْحَابِهِ، وَالثَّالِثَةُ لِبَنِي أُمَيَّةَ، وَالرَّابِعَةُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَكَانَ أَوَّلَ مَنْ دَفَعَ رَايَةَ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ، ثُمَّ نَجْدَةُ، ثُمَّ بَنُو أُمَيَّةَ، ثُمَّ دَفَعَ ابْنُ الزُّبَيْرِ فَدُفَعَ النَّاسَ مَعَهُ وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ فِيمَنِ انْتَظَرَ دَفْعَ ابْنِ الزُّبَيْرِ، وَلَكِنَّهُ تَأَخَّرَ دَفْعُهُ فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: أَشْبَهَ بِتَأْخِيرِهِ دَفْعَ الْجَاهِلِيَّةِ، فَدَفَعَ ابْنُ عُمَرَ فَدَفَعَ ابْنُ الزُّبَيْرِ وَتَحَاجَزَ النَّاسُ فِي هَذَا الْعَامِ فَلَمْ يَكُنْ بَيْنَهُمْ قِتَالٌ، وَكَانَ عَلَى نِيَابَةِ الْمَدِينَةِ
পৃষ্ঠা - ৬৯৬৯
لِابْنِ الزُّبَيْرِ جَابِرُ بْنُ الْأَسْوَدِ بْنِ عَوْفٍ الزُّهْرِيُّ، وَعَلَى الْكُوفَةِ وَالْبَصْرَةِ أَخُوهُ مُصْعَبٌ، وَعَلَى مُلْكِ الشَّامِ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنَ الْأَعْيَانِ] عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْأَوْسِيُّ شَهِدَ الْحُدَيْبِيَةَ. وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْأَسْوَدِ بْنِ عَبْدِ يَغُوثَ. وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ الْعَدَوِيُّ ابْنِ أَخِي عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَدْرَكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتُوُفِّيَ بِالْمَدِينَةِ عَنْ نَحْوِ سَبْعِينَ سَنَةً. عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ الْأَنْصَارِيُّ. عَدِيُّ بْنُ حَاتِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعْدِ بْنِ امْرِئِ الْقَيْسِ، صَحَابِيٌّ جَلِيلٌ سَكَنَ الْكُوفَةَ ثُمَّ سَكَنَ قَرْقِيسْيَاءَ. زَيْدُ بْنُ أَرَقَمَ بْنِ زَيْدٍ، صَحَابِيٌّ جَلِيلٌ.
পৃষ্ঠা - ৬৯৭০


আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) ছিলেন তাদের অন্যতম ৷ কিন্তু তিনি ঝাণ্ডা প্রদানে বিলম্ব করেন ৷
ফলে উমর (রা) বললেন, বিলম্ব করে তিনি জাহেলী যুগের ঝাণ্ডা ফেরত দানের সাদৃশ্য
করলেন ৷ অবশেষে ইবন উমর এর ঝাণ্ডা প্রদানের পর ইবন যুবা ৷ইর ঝাণ্ডা প্রদান করলেন ৷

এবছর মানুষ পরস্পর সং ঘর্য থেকে বিরত থাকে ৷ ফলে তাদের মধ্যে কোন যুদ্ধ সংঘটিত
হয় নি ৷ এ বছর ইবন যুবইির এর নিয়োজিত মদীনায় গভর্নর ছিলেন জা ৷বির ইবনুল আসওয়াদ
ইবন আউফ আয় যুহ্রী ৷ কুফ৷ ও বসরার গভর্নর ছিলেন ইবন যুবইির-এর ভাই মুসআব ৷
সিরিয়া ও মিশরের আবদুল মালিক ইবনমারওয়ান ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

এবছর যে সব বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্পেৱ ইনতিকাল হয়

আবদুল্লাহ ইয়াষীদ আল আওসী, যিনি হুদায়বিয়ায় উপস্থিত ছিলেন ৷ আবদুর রহমান ইবনুল
আসওয়াদ ইবন আবদে ইয়াগুছ উমর ইবনুল খাত্তাব এর ভ্রাতুম্পুত্র আবদুর রহমান ইবন যায়দ
ইবনুল খাত্তাব আল আবদী, যিনি নবী করীম (সা) কে পেয়েছিলেন এবং সত্তর বছর বয়সে
মদীনায় ইনতিকাল করেন ৷ আবদুর রহমান ইবন হাসৃসান ইবন ছাবিত আল আ ৷নসারী বিশিষ্ট
সাহাবী আদী ইবন হাতিম ইবন আবদুল্লাহ ইবন সাদ ইবন ইমরুল কাইস, যিনি প্রথমে মক্কায়
ও পরে কুমিসিয়ায় বসবাস করেন ৷ বিশিষ্ট সাহাবী আরকাম ইবন যইিদ (বা) ৷

এবহ্ব তরজমানুল কুরআন আবদুল্লাহ ইবন
আব্বাস (রা) এর ইনতিকাল করেন ,

তিনি হলেন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব ইবন হাশিম ইবন আবৃদ
মানাফ ইবন কুসাই আবুল আব্বাস আল-হাশেমী ৷ রাসুল (সা)-এর চাচাতাে ভাই ৷ এই
উম্মতেয় জ্ঞানের সাগর ৷ আল্লাহর কিতাবের ব্যাখ্যাকারী ও মুখপাত্র ৷ র্তাকে আল হিবরু’
(জ্ঞানী) এবং আল:বাইরু’ (জ্ঞানের সাগর) বলা হত ৷ তিনি রাসুল (সা) থেকে এবং সাহাবী
থেকেও অনেক হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ আবার তার থেকে অনেক সাহাবী ও তাবেঈন হাদীস
গ্রহণ করেছেন ৷ ইলমের গভীরতা, প্রজ্ঞার আধিক্য, জ্ঞানের পবিপুংতাি, মর্যাদার ব্যাপকতা
এবং বংশের আভিজাত্যের কারণে তিনি এমন কিছু একক গুণে গুণান্বিত, যার সমাহার৩ তিনি
ব্যতীত অন্য কোন সাহাবীর মধ্যে নেই ৷ আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হোন এবং তিনিও আল্লাহর
প্রতি সন্তুষ্ট থাকুন ৷
তার মা হলেন উম্মুল মু ’মিনীন মাইযুনা বিনতৃল হারিছ-এর বোন উম্মুল ফজল বিনতৃল হারিছ
আল হিলালিয়া ৷ তিনি হলেন আব্বাসী খলীফাগণের পুর্ব পুরুষ এবং আব্বাসের ঔরসজাত
উম্মুল ফজল এর গর্তজাত দশ ভাই এর অন্যতম ৷ জন্মের দিক থেকে তিনি তাদের সর্বকনিষ্ঠও ৷
তারা প্রত্যেকে একজন অপরজন থেকে দুর দুরান্ত শহরে ইনতিকাল করেছেন ৷ এ স ক্রান্ত
আলোচনা পরে আসছে ৷
মুসলিম ইবন খালিদ অযি-যানজী আল মাকী বর্ণনা করেছেন যে, ইবন আব্বাস (রা)
বলেছেন, রাসুল (সা) যখন (আবৃত তালিবের) ৷পরি সৎকটে অবস্থান করছিলেন তখন আমার
পিতা রাসুল (সা) এর নিকট এসে বললেন ,হে মুহাম্মদ ! উম্মুল ফজ্যা তাে পর্ভধারণ করে
ফেলেছে দেখছি ৷ তিনি বললেন, আশা করি অ ল্লাহ আপনাদের চোখ শীতল করবেন ৷ ইবন
€০া৷া

ধ্

[ذِكْرُ وَفَاةِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ تُرْجُمَانِ الْقُرْآنِ] وَفِيهَا تُوُفِّيَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ تُرْجُمَانُ الْقُرْآنِ، وَابْنُ عَمِّ رَسُولِ الْمَلِكِ الدَّيَّانِ هُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ هَاشِمِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ قُصَيٍّ أَبُو الْعَبَّاسِ الْهَاشِمِيُّ بْنُ عَمِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَبْرُ هَذِهِ الْأُمَّةِ، وَمُفَسِّرُ كِتَابِ اللَّهِ وَتُرْجُمَانُهُ، كَانَ يُقَالُ لَهُ: الْحَبْرُ وَالْبَحْرُ، رَوَى عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَيْئًا كَثِيرًا، وَعَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَأَخَذَ عَنْهُ خَلْقٌ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَأُمَمٌ مِنَ التَّابِعَيْنِ، وَلَهُ مُفْرَدَاتٌ لَيْسَتْ لِغَيْرِهِ مِنَ الصَّحَابَةِ ; لِاتِّسَاعِ عِلْمِهِ وَكَثْرَةِ فَهْمِهِ وَكَمَالِ عَقْلِهِ وَسِعَةِ فَضْلِهِ وَنُبْلِ أَصْلِهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ. وَأُمُّهُ أُمُّ الْفَضْلِ لُبَابَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ الْهِلَالِيَّةُ أُخْتُ مَيْمُونَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، وَهُوَ وَالِدُ الْخُلَفَاءِ الْعَبَّاسِيِّينَ وَهُوَ أَحَدُ إِخْوَةٍ عَشَرَةٍ ذُكُورٍ لِلْعَبَّاسِ مِنْ أُمِّ الْفَضْلِ، وَهُوَ آخِرُهُمْ مَوْلِدًا، وَقَدْ مَاتَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ فِي بَلَدٍ بَعِيدٍ مِنَ الْآخَرِ جِدًّا، كَمَا سَيَأْتِي ذَلِكَ. قَالَ مُسْلِمُ بْنُ خَالِدٍ الزِّنْجِيُّ الْمَكِّيُّ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: لَمَّا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الشِّعْبِ جَاءَ أَبِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৬৯৭১
فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ أَرَى أُمَّ الْفَضْلِ قَدِ اشْتَمَلَتْ عَلَى حَمْلٍ، فَقَالَ: " «لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يُقِرَّ أَعْيُنَكُمْ» " قَالَ: فَأَتَى بِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَا فِي خِرْقَةٍ فَحَنَّكَنِي بِرِيقِهِ. قَالَ مُجَاهِدٌ: فَلَا نَعْلَمُ أَحَدًا حَنَّكَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرِيقِهِ غَيْرَهُ. وَفِي رِوَايَةٍ أُخْرَى: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يُبَيِّضَ وُجُوهَنَا بِغُلَامٍ» فَوَلَدَتْ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، وَعَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ قَالَ: وُلِدَ ابْنُ عَبَّاسٍ عَامَ الْهِجْرَةِ. وَرَوَى الْوَاقِدِيُّ، مِنْ طَرِيقِ شُعْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ: وُلِدْتُ قَبْلَ الْهِجْرَةِ بِثَلَاثِ سِنِينَ وَنَحْنُ فِي الشِّعْبِ، وَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا ابْنُ ثَلَاثَ عَشْرَةَ سَنَةً، ثُمَّ قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَهَذَا مَا لَا خِلَافَ فِيهِ بَيْنَ أَهْلِ الْعِلْمِ، وَاحْتَجَّ الْوَاقِدِيُّ بِأَنَّهُ كَانَ قَدْ نَاهَزَ الْحُلُمَ عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ. وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا مَخْتُونٌ، وَكَانُوا لَا يَخْتِنُونَ الْغُلَامَ حَتَّى يَحْتَلِمَ. وَقَالَ شُعْبَةُ، وَهُشَيْمٌ
পৃষ্ঠা - ৬৯৭২


আব্বাস বলেন, পরবর্তীতে আমার না যখন আমাকে প্রসব করলেন, তখন আমার পিতা রাসুল
(সা)-এর নিকট আসলেন ৷ আমি তখন ছোড়া কাপড় পেছানো ৷ তিনি তার মুখের লালা দ্বারা
আমাকে তাহনীক (মিষ্টিযুখ) করলেন ৷ মুজাহিদ বলেন, রাসুল (সা) নিজের লালা দ্বারা
আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস ব্যতীত অন্য কাউকে তাহনীক’ করেছেন বলে আমি জানি না ৷ অপর
এক বর্ণনায় আছে , আব্বাস (রা)-এর বক্তব্যের জবাবে রাসুল (সা) বলেছিলেন, আশা করি
আল্লাহ একটি পুত্র সন্তান দ্বারা আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবেন ৷ অবশেষে উম্মুল ফজল
আবদুল্লাহ ইবন আব্বাসকে প্রসব করেন ৷ ত্বামৱ ইবন দীনার থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন,
ইবন আব্বাস হিজরতের বছর জন্মগ্রহণ করেন ৷ ওয়াকিদী শুব৷ সুত্রে ইবন আব্বাস থেকে
বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, আমি হিজরতের তিন বছর পুর্বে জনাখহণ করেছি ৷ আমরা
তখন গিরি সংকটে অবস্থান করছিলাম ৷ আর রাসুল (না) যখন ইনতিকাল করেন আমি তখন
তের বছর বয়সের বালক ৷ ওয়াকিদী তারপর বলেন, এ ব্যাপারে আলিমদের মাঝে কোন
মতবিরোধ নেই ৷ তিনি দলীল উপস্থাপন করেন যে, আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস বিদায় হাজ্জর
বছর বালেপ হওয়ার কাছাকাছি বয়সে উপনীত হয়েছিলেন ৷ সহীহ্ বুখারীতৈ ইবন আব্বাস
(বা) থেকে বর্ণিত আছে যে,৩ তিনি বলেছেন, রাসুল (না) যখন ইনতিকাল করেন,আমি তখন
র্লখত্নাকৃত ৷ আর সে সময়কার মানুষ বালেগ না হওয়া পর্যন্ত ছেলেদের খতনা করতেন না ৷
শুবা, হিশাম, ও ইবন আওয়ালা আবু বিশর ও সাঈদ ইবন জুবইির সুত্রে ইবন আব্বাস (রা)
থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুল (না) যখন ইনতিকাল করেন তখন আমি
খত্নাকৃত দশ বছরের বালক ৷ হিশাম অতিরিক্ত বলেছেন, আর আমি রাসুল (না)-এর যুগে
মুহকাম-এর সংকলন করেছি ৷ আমি বললাম, মুহকাম আবার কী? তিনি বললেন, মুফাসৃসাল ৷

আবু দাউদ তায়ালিসী শুবা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, ইবন আব্বাস বলেছেন, রাসুল (সা)
যখন ইনতিকাল করেন, তখন আমি খত্নাকৃত পনের বছরের বালক ৷ এ বর্ণনাটিই সর্বাধিক
প্রসিদ্ধ ৷ সহীহ্ বুখারী ও মুসলিমের একটি হাদীস এই বক্তব্যকে সমর্থন,ৰুকরে ৷ সেটি যুহরী ও
উবাইদুল্লাহ্ সুত্রে ইবন আব্বাস (বা) থেকে মালিক বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন আব্বাস (রা)
বলেছেন, একদিন আমি একটি উষ্টিতে আরোহণ করে গমন করি ৷ তখন আমি বালেগ হওয়ার
কাছাকাছি পর্যায়ে উপনীত হয়েছি ৷ রাসুল (না) তখন মিনার উন্মুক্ত স্থানে নামাযেরইমামতি
করছিলেন ৷ আমি একটি সারির সম্মুখ দিয়ে অতিক্রম করি ৷ তারপর নেমে আমি উষ্টীটিকে
ঘাস খাওয়ার জন্য ছেড়ে দেই এবং নিজে সারির মধ্যে ঢুকে পড়ি ৷ কিন্তু আমার এ আচরণের
জন্য কেউ আপত্তি উত্থাপন করেন নি ৷

সহীহ্ বুখারীতে ইবন আব্বাস (বা) থেকে অপর একটি হাদীস বর্ণিত আছে যে, তিনি
বলেছেন, আমি ও আমার যা মুলত তাযআফদের (দুর্বল) অন্তর্ভুক্ত ছিলাম ৷ মা ছিলেন নারী
সমাজের আর আমি ছিলাম বালক শ্রেণীর ৷ তিনি মক্কা জয়ের সময় তার পিতার সঙ্গে হিজরত
করেছিলেন ৷ ঘটনাক্রমে জুহফায় রাসুল (সা) এর সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ ঘটে ৷ তিনি তখন মক্কা
জয় করার জন্য যাচ্ছিলেন ৷ এভাবে তিনি অষ্টম হিজরীতে মক্কা জয়, হুনাইন ও তায়িফ যুদ্ধে
অংশগ্রহণ করেন ৷ কেউ কেউ বলেন, নরম হিজরীতে ৷ আর বিদায় হজ্জ অনুষ্ঠিত হয় দশম
হিজরীতে ৩৷ তখন থেকেই তিনি নবী করীম (সা) এর সাহচর্য লাভ করেন, তার সঙ্গে সঙ্গে
থাকেন, তার থেকে শিক্ষা লাভ করেন এবং বাণী, কর্ম ও অবস্থাদি সংরক্ষণ করেন ৷ নিজের
প্ৰখর জ্ঞান থাকা সত্বেও সাহাবীগণ থেকে মহান শিক্ষা, ভাষুার বালাগাত, (অলংকার) ফাসাহাত,


وَأَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا ابْنُ عَشْرِ سِنِينَ، مَخْتُونٌ. زَادَ هُشَيْمٌ: وَقَدْ جَمَعْتُ الْمُحْكَمَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قُلْتُ: وَمَا الْمُحْكَمُ؟ قَالَ: الْمُفَصَّلُ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا ابْنُ خَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً مَخْتُونٌ. وَهَذَا هُوَ الْأَصَحُّ، وَيُؤَيِّدُهُ صِحَّةُ مَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ "، وَرَوَاهُ مَالِكٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: أَقْبَلْتُ رَاكِبًا عَلَى حِمَارٍ أَتَانٍ، وَأَنَا يَوْمَئِذٍ قَدْ نَاهَزْتُ الِاحْتِلَامَ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي بِالنَّاسِ بِمِنًى إِلَى غَيْرِ جِدَارٍ، فَمَرَرْتُ بَيْنَ يَدَيْ بَعْضِ الصَّفِّ، فَنَزَلْتُ وَأَرْسَلْتُ الْأَتَانَ تَرْتَعُ وَدَخَلْتُ فِي الصَّفِّ، فَلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ عَلَيَّ أَحَدٌ. وَثَبَتَ عَنْهُ فِي " الصَّحِيحِ " أَنَّهُ قَالَ: كُنْتُ أَنَا وَأُمِّي مِنَ الْمُسْتَضْعَفِينَ ;
পৃষ্ঠা - ৬৯৭৩
كَانَتْ أُمِّي مِنَ النِّسَاءِ وَكُنْتُ أَنَا مِنَ الْوِلْدَانِ. وَهَاجَرَ مَعَ أَبِيهِ قَبْلَ الْفَتْحِ، فَاتَّفَقَ لُقْيَاهُمَا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْجُحْفَةِ وَهُوَ ذَاهِبٌ لِفَتْحِ مَكَّةَ، فَشَهِدَ الْفَتْحَ وَحُنَيْنًا وَالطَّائِفَ عَامَ ثَمَانٍ، وَقِيلَ: كَانَ فِي سَنَةِ تِسْعٍ، وَحَجَّةُ الْوَدَاعِ سَنَةَ عَشْرٍ. وَصَحِبَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ حِينَئِذٍ وَلَزِمَهُ وَأَخَذَ عَنْهُ وَحَفِظَ، وَضَبَطَ الْأَقْوَالَ وَالْأَفْعَالَ وَالْأَحْوَالَ، وَأَخَذَ عَنِ الصَّحَابَةِ عِلْمًا عَظِيمًا مَعَ الْفَهْمِ الثَّاقِبِ وَالْبَلَاغَةِ وَالْفَصَاحَةِ وَالْجَمَالِ وَالْمَلَاحَةِ وَالْأَصَالَةِ وَالْبَيَانِ، وَدَعَا لَهُ رَسُولُ الرَّحْمَنِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَذَلِكَ كَمَا وَرَدَتْ بِهِ الْأَحَادِيثُ الثَّابِتَةُ الْأَرْكَانِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعَا لَهُ بِأَنْ يُعَلِّمَهُ اللَّهُ التَّأْوِيلَ، وَأَنْ يُفَقِّهَهُ فِي الدِّينِ. وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: حَدَّثَنِي سَاعِدَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيُّ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ: إِنَّ عُمَرَ كَانَ يَدْعُو عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ فَيُقَرِّبُهُ وَيَقُولُ: «إِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعَاكَ يَوْمًا فَمَسَحَ رَأْسَكَ، وَتَفَلَ فِي فِيكَ وَقَالَ: اللَّهُمَّ فَقِّهْهُ فِي الدِّينِ وَعَلِّمْهُ التَّأْوِيلَ» ، وَبِهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «اللَّهُمَّ بَارِكْ فِيهِ وَانْشُرْ مِنْهُ» ، وَقَالَ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: «بِتُّ فِي بَيْتِ خَالَتِي مَيْمُونَةَ فَوَضَعْتُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৬৯৭৪


(বাগ্নিতা) সৌন্দর্য, লালিত্য, বিশুদ্ধত৷ ও সুন্দর উপস্থাপনা শিক্ষা লাভ করেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) তার জন্য দুআ করেছেন ৷ যেমন, এ সংক্রান্ত কয়েকটি বিশুদ্ধ হাদীসে বলা হয়েছে যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইবন আব্বাস (রা)-এর জন্য দুআ করেছেন, যেন আল্লাহ তাকে ব্যাখার জ্ঞান
এবং দীনের বুঝ দান করেন ৷ যুবাইর ইবন বাক্কার বর্ণনা করেছেন যে, ইবন উমর (রা)
বলেছেন, উমর (রা) আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা)কে ডেকে পাঠাতেন এবং তাকে নিজের
কাছে বসাতেন ও বলতেন, আমি দেখেছি, রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদিন তোমাকে ডেকে তোমার
মাথায় হাত বুলিয়েছেন ও তোমার মুখে লালা দিয়েছেন এবং বল্যেছন : হে আল্লাহ! একে
তুমি দীনের বুঝ দান কর এবং ব্যাখ্যা করার জ্ঞান দান কর ৷’ একই সুত্রে বর্ণিত অপর এক
হাদীসে আছে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, হে আল্লাহ! তুমি এর মধ্যে বরকত দান কর এবং
এর দ্বারা (দীনের) প্রসার ঘটাও ৷

হাম্মাদ ইবন সালামা বর্ণনা করেছেন যে, ইবন আব্বাস (রা) বলেছেন ? আমি আমার
খালা মাইমুনার ঘরে রাতযাপন করি ৷ রাতে আমি নবী করীম (না)-এর জন্য পানি রেখে দেই ৷
তা দেখে নবী করীম (সা) জিজ্ঞেস করলেন : এটা কে রাখল ? লোকেরা বলল, আবদুল্লাহ
ইবন আব্বাস ৷ নবী করীম (সা) বললেন : “হে আল্লাহ ৷ তুমি তাকেব্যাখ্যা করার জ্ঞান দান
কর ৷ ইবন খাইছাম থেকে এ হাদীসটি হুবহু এভাবে আরো অনেকে বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম আহমাদ আবদুল্লাহ ইবন বাকর সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, ইবন আব্বাস (রা),
বলেছেন : আমি শেষ রাতে পেছনে দাড়িয়ে নামায পড়ি ৷ তিনি আমাকে টেনে নিয়ে নিজের
পাশাপাশি দীড় করান ৷ বিক্ষ্ম যখন তিনি নামাযে নিমগ্ন হন, তখন আমি পেছনে সরে আসি ৷
নামায সমাপ্ত করে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, কী ব্যাপার ৷ আমি তোমাকে আমার পার্শে এনে
র্দাড় করাচ্ছি আর তুমি পেছনে সরে যাচ্ছ ? আমি বললাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! আপনি আল্লাহর
মর্যাদসৈম্পন্ন রাসুল ৷ আপনার বরাবর দাড়িয়ে নামায আদায় করা কি কারো পক্ষে শোভা
পায় ৷ ইবন আব্বাস (রা) বলেন, এ কথায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুগ্ধ হন ৷ ফলে তিনি আমার জন্য
আল্লাহর নিকট দুআ করেন, তারপর আমি দেখলাম যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঘুমিয়ে পড়লেন ৷
এমনকি আমি তার নিশ্বাস শুনেছি ৷৩ তারপর বিলাল এসে বললেন, হে আল্লাহ্র রাসুল ! নামায
! শুনে৩ তিনি উঠে গেলেন এবং নামায আদায় করলেন পুনরায় ওয়ু করলেন না ৷

ইমাম আহমাদ প্রমুখ হাশিম ইবনুল কাসিম ও ওয়ারাক৷ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন , আমি উবাইদুল্লাহ্ ইবন আবু ইয়াযীদকে ইবন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণনা করতে
শুনেছি যে, ইবন আব্বাস (রা) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) শৌচাপারে প্রবেশ করলে আমি তীর
জন্য পানি রেখে দিলাম ৷ বের হয়ে৩ তিনি বললেন, হে আল্লাহ্ ! এটা কে রাখল ? তুমি তাকে
দীনের বুঝ দান কর এবং তাকে ব্যাখ্যা শিক্ষা দাও ৷

ছাওরী প্রমুখ লইিছ ও আবু জাহজাম মুসা ইবন সালিম সুত্রে ইবন আব্বাস (রা) থেকে
বর্ণনা করেছেন যে ইবন আব্বাস (রা) জিবরীলকে দেখেছেন ৷ অপর বর্ণনায় আছে, তিনি তার
জন্য দু ’বার ইল্মের জন্য দু আ করেছেন ৷

দারু কুতনী প্রমুখ বর্ণনা করেছেন যে, ইবন আব্বাস (রা) বলেছেন, আমি জিবরীলকে

দুবার দেখেছি এবং রাসুলুল্লাহ্, (না) আমার জন্য দুবার ইলুমের দুআ করলেন ৷ দারু কুতনী
বলেছেন, এ হাদীসটি আবু ইসহাক সুবইিয়ী ও ইকরিমা সুত্রে বর্ণিত হওয়ার কারণে গরীব


غُسْلًا فَقَالَ: مَنْ وَضَعَ هَذَا؟ قَالُوا: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ. فَقَالَ: اللَّهُمَّ عَلِّمْهُ التَّأْوِيلَ، وَفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ» وَقَدْ رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ، عَنِ ابْنِ خُثَيْمٍ بِنَحْوِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَكْرٍ، ثَنَا حَاتِمُ بْنُ أَبِي صَغِيرَةَ أَبُو يُونُسَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ أَنْ كُرَيْبًا أَخْبَرَهُ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ قَالَ: «أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ آخَرِ اللَّيْلِ فَصَلَّيْتُ خَلْفَهُ، فَأَخَذَ بِيَدِي فَجَرَّنِي حَتَّى جَعَلَنِي حِذَاءَهُ، فَلَمَّا أَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى صِلَاتِهِ خَنَسْتُ، فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ لِي: مَا شَأْنِي أَجْعَلُكَ فِي حِذَائِي فَتَخْنِسُ؟ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَوَيَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ يُصَلِّيَ حِذَاءَكَ، وَأَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ الَّذِي أَعْطَاكَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ؟ قَالَ: فَأَعْجَبْتُهُ، فَدَعَا اللَّهَ لِي أَنْ يَزِيدَنِي عِلْمًا وَفَهْمًا، قَالَ: ثُمَّ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَامَ حَتَّى سَمِعْتُهُ يَنْفُخُ، ثُمَّ أَتَاهُ بِلَالٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، الصَّلَاةُ. فَقَامَ فَصَلَّى مَا أَعَادَ وُضُوءًا» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَغَيْرُهُ: حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، ثَنَا وَرْقَاءُ، سَمِعْتُ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي يَزِيدَ يُحَدِّثُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: «أَتَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْخَلَاءَ فَوَضَعْتُ لَهُ وُضُوءًا، فَلَمَّا خَرَجَ قَالَ: مَنْ وَضَعَ ذَا؟ فَقِيلَ: ابْنُ عَبَّاسٍ. فَقَالَ: اللَّهُمَّ فَقِّهْهُ فِي الدِّينِ وَعَلِّمْهُ التَّأْوِيلَ»
পৃষ্ঠা - ৬৯৭৫
وَقَالَ الثَّوْرِيُّ وَغَيْرُهُ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ أَبِي جَهْضَمٍ مُوسَى بْنِ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ رَأَى جِبْرِيلَ، وَأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعَا لَهُ بِالْحِكْمَةِ - وَفِي رِوَايَةٍ بِالْعِلْمِ - مَرَّتَيْنِ. وَقَالَ الدَّارَقُطْنِيُّ: حَدَّثَنَا حَمْزَةُ بْنُ الْقَاسِمِ الْهَاشِمِيُّ وَآخَرُونَ، قَالُوا: حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُصْعَبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مَالِكٍ النَّخَعِيُّ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: رَأَيْتُ جِبْرِيلَ مَرَّتَيْنِ وَدَعَا لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْحِكْمَةِ مَرَّتَيْنِ. ثُمَّ قَالَ: غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ أَبِي إِسْحَاقَ السَّبِيعِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ. تَفَرَّدَ بِهِ عَنْهُ أَبُو مَالِكٍ النَّخَعِيُّ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ حُسَيْنٍ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «ضَمَّنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ: اللَّهُمَّ عَلِّمْهُ الْحِكْمَةَ» . وَرَوَاهُ أَحْمَدُ أَيْضًا، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عُلَيَّةَ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْهُ، قَالَ: «ضَمَّنِي إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ: اللَّهُمَّ عَلِّمْهُ الْكِتَابَ» . وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، وَالتِّرْمِذِيُّ، وَالنَّسَائِيُّ، وَابْنُ مَاجَهْ، مِنْ حَدِيثِ خَالِدٍ - وَهُوَ ابْنُ مِهْرَانَ
পৃষ্ঠা - ৬৯৭৬


পর্যায়ের ৷ আবু মালিক আন-নাখয়ী আবদুল মালিক ইবন হুসাইন থেকে এককভাবে হাদীসটি
বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম আহমাদ হাশিম সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, ইবন আব্বাস (রা) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্
(সা) আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেন, হে আল্লাহ ! একে তুমি হিকমত শিক্ষা দাও ৷ ইমাম
আহমাদ ইসমা ঈল ইবন উলাইয়া, খালিদ আলহায্যা ও ইকরিমা সুত্রেও ইবন আব্বাস (রা)
থেকে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন যে, ইবন আব্বাস (রা) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে
তার সঙ্গে জড়িয়ে ধরে বললেন, হে আল্লাহ ! একে তুমি কিতাব শিক্ষা দাও ৷ ইমাম বুখারী,
তিরমিযী, নাসায়ী এবং ইবন মাজাহ ও ইকরিমা সুত্রে বর্ণিত খালিদ ইবন আবু মিহরানএর
বরাতে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম তিরমিযী বলেছেন, হাদীসটি হাসান সহীহ্ ৷
ইমাম আহমাদ আবু সাঈদ সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, ইবন আব্বাস (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেছেন, হে আল্লাহ ! তুমি ইবন আব্বাসকে হিকমত দান কর এবং তাকে ব্যাখ্যা শিক্ষা
দাও ৷ ইমাম আহমাদ এককভাবে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইকরিমা সুত্রে একাধিক রাবী

ণ্ , হাদীসটি হুবহু বর্ণনা করেছেন ৷ কেউ কেউ ইকরিমা থেকে মুরসাল সুত্রেও হাদীসটি বর্ণনা

করেছেন ৷ তবে মুত্তাসিল হওয়াই সঠিক ৷ একাধিক তাবেঈও ইবন আব্বাস (রা) থেকে
হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ আমীরুল মু’মিনীন আল-মাহ্দী-এর পিতা ও আমীরুল মু’মিনীন
আলমানসুর সুত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, ইবন আব্বাস (রা) বলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন,
হে আল্লাহ ! তুমি র্তাকে কিতাব শিক্ষা দান কর এবং তাকে দীনের বুঝ দান ক্যা ৷

ইমাম আহমাদ আবু কামিল ও আফ্ফান সুত্রে বর্ণনা করেছেঃ যে, ইবন আব্বাস (বা)
বলেছেন, আমি আমার পিতার সঙ্গে রাসুল (না)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম ৷ সে সময় তার নিকট
এক ব্যক্তি তার সঙ্গে কানে কানে কথা বলছিলেন ৷ আফ্ফান বলেন, রাসুল (সা) যেন আব্বাসকে
উপেক্ষা করছিলেন ৷ ফলে আমরা তার নিকট থেকে বেরিয়ে এলাম৷ আব্বাস বললেন, তুমি কি
তোমার চাচাতো ভইিকে দেখেছ, যেন তিনি আমাকে উপেক্ষা করলেন ? আমি বললাম, তার নিকট
একজন লোক ছিল, যে তার সঙ্গে কানে কানে কথা বলছিল ৷ আফ্ফান বলেন, আব্বাস
বললেন, তীর নিকট কেউ ছিল নাকি ? আমি বললাম হ্যা ৷ শুনে তিনি আবার গেলেন এবং
বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! এই একটু আগে আপনার নিকট কেউ ছিল কি ? আবদুল্লাহ বলল,
আপনার নিকট নাকি একজন লোক ছিল, যে আপনার সঙ্গে কানে কানে কথা বলছিল ৷ নবী
করীম (সা) বললেন, তাকে দেখেছ নাকি হে আবদুল্লাহ ? ইবন আব্বাস (রা) বলেন, আমি
বললাম জী হী৷ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তিনি ছিলেন জিবরীল (আ) ৷ ইমাম আহমাদ
মাহ্দীর সুত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, তাতে আছে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইবন আব্বাসকে
বললেন, শুনে রাখ, অদুর ভবিষ্যতে তোমার দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যাবে ৷ বাস্তবেও তা-ই
হয়েছিল ৷ ইমাম আহমাদ অন্য সুত্রেও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷

হযরত ইবন আব্বাস (রা)-এর জিবরীল (আ)-কে দেখার অপর বর্ণনা

কুতায়বা যথাক্রমে দারাওয়ারদী, ছাওর ইবন ইয়াষীদ ও মুসা ইবন মাইসারা সুত্রে বর্ণনা
করেছেন যে, আব্বাস (বা) তার পুত্র আবদুল্লাহ্কে কোন এক প্রয়োজনে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
নিকট প্রেরণ করেছিলেন ৷ ইবন আব্বাস (রা) তার নিকট এমন এক ব্যক্তিকে দেখতে পেয়ে
ফিরে আসলেন এবং সেই ল্যেকটির উপস্থিতির কারণে নবী করীম (না)-এর সঙ্গে কথা


الْحَذَّاءُ - عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْهُ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ، ثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ، ثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «اللَّهُمَّ أَعْطِ ابْنَ عَبَّاسٍ الْحِكْمَةَ وَعَلِّمْهُ التَّأْوِيلَ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ عِكْرِمَةَ بِنَحْوِ هَذَا. وَمِنْهُمْ مَنْ أَرْسَلَهُ عَنْ عِكْرِمَةَ، وَالْمُتَّصِلُ هُوَ الصَّحِيحُ، فَقَدْ رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ التَّابِعَيْنِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَرُوِيَ مِنْ طَرِيقِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ الْمَهْدِيِّ، عَنْ أَبِيهِ أَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «اللَّهُمَّ عَلِّمْهُ الْكِتَابَ وَفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، وَعَفَّانُ، الْمَعْنَى، قَالَا: ثَنَا حَمَّادٌ، ثَنَا عَمَّارُ بْنُ أَبِي عَمَّارٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «كُنْتُ مَعَ أَبِي عِنْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعِنْدَهُ رَجُلٌ يُنَاجِيهِ، قَالَ عَفَّانُ: وَهُوَ كَالْمُعْرِضِ عَنِ الْعَبَّاسِ، فَخَرَجْنَا مِنْ عِنْدِهِ فَقَالَ الْعَبَّاسُ: أَلَمْ تَرَ إِلَى ابْنِ عَمِّكَ كَالْمُعْرِضِ عَنِّي؟ فَقُلْتُ: إِنَّهُ كَانَ عِنْدَهُ رَجُلٌ
পৃষ্ঠা - ৬৯৭৭
يُنَاجِيهِ. قَالَ عَفَّانُ: قَالَ: أَوَكَانَ عِنْدَهُ أَحَدٌ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. فَرَجَعَ إِلَيْهِ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ كَانَ عِنْدَكَ أَحَدٌ ; فَإِنَّ عَبْدَ اللَّهِ أَخْبَرَنِي أَنَّهُ كَانَ عِنْدَكَ رَجُلٌ تُنَاجِيهِ؟ قَالَ: هَلْ رَأَيْتَهُ يَا عَبْدَ اللَّهِ؟ قَالَ: قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: ذَاكَ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ» . وَقَدْ رُوِيَ مِنْ حَدِيثِ الْمَهْدِيِّ عَنْ آبَائِهِ، وَفِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُ: «أَمَا إِنَّكَ سَتُصَابُ فِي بَصَرِكَ» فَكَانَ كَذَلِكَ، وَقَدْ رُوِيَ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ أَيْضًا، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ذِكْرُ صِفَةٍ أُخْرَى لِرُؤْيَتِهِ جِبْرِيلَ ، رَوَاهَا قُتَيْبَةُ، عَنِ الدَّرَاوَرْدِيِّ، عَنْ ثَوْرِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ مُوسَى بْنِ مَيْسَرَةَ «أَنَّ الْعَبَّاسَ بَعَثَ ابْنَهُ عَبْدَ اللَّهِ فِي حَاجَةٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَوَجَدَ عِنْدَهُ رَجُلًا، فَرَجَعَ وَلَمْ يُكَلِّمْهُ مِنْ أَجْلِ مَكَانِ ذَلِكَ الرَّجُلِ، فَلَقِيَ الْعَبَّاسُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ ذَلِكَ، فَقَالَ الْعَبَّاسُ: أَرْسَلْتُ إِلَيْكَ ابْنِي فَوَجَدَ عِنْدَكَ رَجُلًا فَلَمْ يَسْتَطِعْ أَنْ يُكَلِّمَكَ فَرَجَعَ وَرَاءَهُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا عَمِّ، تَدْرِي مَنْ ذَاكَ الرَّجُلُ؟ قَالَ: لَا. قَالَ: ذَاكَ جِبْرِيلُ
পৃষ্ঠা - ৬৯৭৮


বললেন না ৷ পরে আব্বাস (র!) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সঙ্গে সাক্ষ!ৎকরে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়!
র!সুলাল্লাহ্! আমি আপনার নিকট আমার পুত্রকে পাঠিয়েছিল!ম ৷ যে আপনার নিকট এক
ব্যক্তিকে পেল ৷ সে কারণে আর আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারেনি ৷ ফলে সে ফিরে যায় ৷
রাসুলুল্লাহ্ (স!) বললেন, জানেন চাচা লোকটি কে ?’ তিনি বললেন, না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, তিনি জিবরীল ৷ আর আপনার ছেলে তার দৃষ্টিশক্তি না হারিয়ে ইনতিক!ল করবে না
এবং তাকে ইলম দান করা হবে৷ সুল!ইমান ইবন বিল ল ছাওর ইবন ইয়াযীদ থেকেও
হাদীসটি অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷৩ তার আরো একটি সুত্র আছে ৷ উল্লেখ্য, ইবন আব্বাস (রা)
এর ফ!য!য়িল বিষয়ে বহু হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷ তার মধ্যকার কিছু হাদীস অত্যন্ত মুনক!ব
(অপ্রহণযোগ্য) ৷ এ জাতীয় অনেক হাদীস থেকে আমরা হাত গুটিয়ে নিয়েছি এবং সেসব বাদে
যেসব হাদীস যথেষ্ট, আমরা যে গুলােই উল্লেখ করেছি ৷
আবু অ!বদুল্লাহ্ আল-হ!ফিজ সুত্রে বায়হাকী বর্ণনা করেছেন যে, ইবন আব্বাস (র!)
বলেছেন, র!সুলুল্লাহ্ (স!) এর ওফ!তের পর আমি এক আনসার ব্যক্তিকে বললাম, চল আমরা
রাসুলুল্লাহ্ (স)-এর সাহাবীদেরকে (বিজ্যি বিষয়) ৰু জিজ্ঞাসা করি ৷ এখনও তার! অনেকে
রয়েছেন ৷ লোকটি বলল, কী আশ্চর্য হে ইবন আব্বাস ! আপনি কি মনে করেন যে, অ!ল্লাহ্র
রাসুলের এত সাহাবী থাকতে মানুষ আপনারই শরণাপন্ন হবে ? ইবন আব্বাস (র!) বলেন, এই
বলে লোকটি কেটে পড়ল আর আমি রাসুলুল্লাহ্র (সা) এর সাহাবীদেরকে জিজ্ঞাসা করতে শুরু
করলাম ৷ যদি আমার নিকট কারো কাছে কোন হাদীস থাকার সংবাদ পৌছত আমি তীর দ্বারে
চলে যেতাম ৷ এমন হত যে, তিনি তখন নিদ্র! যাচ্ছেন ৷ তখন আমি পায়ের চাদরটা বিছিয়ে
র্তারদবজায় বসে পড়তাম ৷ বাতাস ধুলা-বালি উড়িয়ে এনে আমার পায়ে ফেলত ৷ এক সময়
তিনি বের হতেন এবং আমাকে দেখে বলে উঠতে ন, হে আল্লাহ্র রাসুলের চাচার পুত্র ! আপনি
এখানে কেন ? সংবাদ পাঠ লে আমিই তে! আপনার নিকট চলে যেতাম ৷ আমি বল৩ !,ম জী
না, আমার-ই আপনার নিকট আগমন করার অধিক প্রয়োজন ৷ ইবন আব্বাস (র!) বলেন,
এবার আমি তাকে হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতাম ৷ ইবন আব্বাস (র!) বলেন, সেই
আনসারী লোকটি বেচে ছিল ৷ এমনকি সে আমাকে এমন অবস্থায় দেখতে পেয়েছে যে, আমার
চারপার্শে জড়ো হয়ে মানুষ আমাকে জিজ্ঞাসা করছে ৷ ফলে সে বলত, এই যুবক আম!-
অপেক্ষা বুদ্ধিমান ছিল ৷ ’ সবেঃ
: ম্হাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ্ আলঅ!নসারী বর্ণনা করেছেন যে, ইরুিন আব্বাস (র!) বলেছেন :
আমি রাসুল (না)-এর অধিকাংশ ইল ম এই আনসারী গোত্রের নিকট পেয়েছি ৷ আমি
তাদের অনেকের দরজায় শুয়ে কাটিয়েছি ৷ অথচ, আমি যদি তাদের ঘরে প্রবেশ করার
অনুমতি চ!ইতাম তার! আমাকে অনুমতি দিতে ন ৷ কিন্তু এভাবে আমি তাদের সন্তুষ্টি কামনা
করতাম ৷
মুহাম্মাদ ইবন সাদ বর্ণনা করেছেন যে, আবু সালামা আল-হাবৃরামী বলেছেন, আমি ইবন
আব্বাসকে বলতে শুনেছি, অ!মি রাসুলুল্লাহ্ (স!)এর বড় বড় আনসার ও মুহ!জির স!হ!বীদের
সঙ্গে সঙ্গে থাকতাম এবং তাদেরকে রাসুল (না)-এর যুদ্ধ-বিগ্রহ ও সে বিষয়ে কুরআনের
আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতাম ৷ আমি তাদের হা!র নিকটই গমন করতাম, আমার পমনে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠত! থাকার ফলে তিনি ই তার নিকট আমার গমনে
আনন্দিত হতেন ৷ এই ধারাবাহিকতায় আমি একদিন উব!ই ইবন ক! বকে জিজ্ঞাসা করতে শুরু


وَلَنْ يَمُوتَ ابْنُكَ حَتَّى يَذْهَبَ بَصَرُهُ وَيُؤْتَى عِلْمًا» وَرَوَاهُ سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ، عَنْ ثَوْرِ بْنِ يَزِيدَ كَذَلِكَ، وَلَهُ طَرِيقٌ أُخْرَى. وَقَدْ وَرَدَ فِي فَضَائِلِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَحَادِيثُ كَثِيرَةٌ مِنْهَا مَا هُوَ مُنْكَرٌ جِدًّا أَضْرَبْنَا عَنْ كَثِيرٍ مِنْهَا صَفْحًا، وَذَكَرْنَا مَا فِيهِ مَقْنَعٌ وَكِفَايَةٌ عَمَّا سِوَاهُ. وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، أَنْبَأَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَسَنِ الْقَاضِي بِمَرْوَ، ثَنَا الْحَارِثُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ يَعْلَى بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: لَمَّا قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُلْتُ لِرَجُلٍ مِنَ الْأَنْصَارِ: هَلُمَّ فَلْنَسْأَلْ أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِنَّهُمُ الْيَوْمَ كَثِيرٌ. فَقَالَ: يَا عَجَبًا لَكَ يَابْنَ عَبَّاسٍ! أَتَرَى النَّاسَ يَفْتَقِرُونَ إِلَيْكَ وَفِي النَّاسِ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ فِيهِمْ؟ قَالَ: فَتَرَكَ ذَلِكَ، وَأَقْبَلْتُ أَنَا أَسْأَلُ أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَإِنْ كَانَ لَيَبْلُغُنِي الْحَدِيثُ عَنِ الرَّجُلِ فَآتِي بَابَهُ وَهُوَ قَائِلٌ، فَأَتَوَسَّدُ رِدَائِي عَلَى بَابِهِ يَسْفِي الرِّيحُ عَلَيَّ مِنَ التُّرَابِ، فَيَخْرُجُ فَيَرَانِي فَيَقُولُ: يَابْنَ عَمِّ رَسُولِ اللَّهِ، مَا جَاءَ بِكَ؟ هَلَّا أَرْسَلْتَ إِلَيَّ فَآتِيكَ؟ فَأَقُولُ: لَا، أَنَا أَحَقُّ أَنْ آتِيَكَ. قَالَ: فَأَسْأَلُهُ عَنِ الْحَدِيثِ. قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৬৯৭৯
فَعَاشَ هَذَا الرَّجُلُ الْأَنْصَارِيُّ حَتَّى رَآنِي وَقَدِ اجْتَمَعَ حَوْلِي النَّاسُ يَسْأَلُونِي، فَيَقُولُ: هَذَا الْفَتَى كَانَ أَعْقَلَ مِنِّي. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيُّ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَلْقَمَةَ، ثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: وَجَدْتُ عَامَّةَ عِلْمِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ هَذَا الْحَيِّ مِنَ الْأَنْصَارِ، إِنْ كُنْتُ لَأَقِيلُ بِبَابِ أَحَدِهِمْ، وَلَوْ شِئْتُ أَنْ يُؤْذَنَ لِي عَلَيْهِ لَأَذِنَ، وَلَكِنْ أَبْتَغِي بِذَلِكَ طِيبَ نَفْسِهِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنِي قُدَامَةُ بْنُ مُوسَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ الْحَضْرَمِيِّ، قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ: كُنْتُ أَلْزَمُ الْأَكَابِرَ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ، فَأَسْأَلُهُمْ عَنْ مَغَازِي رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَا نَزَلَ مِنَ الْقُرْآنِ فِي ذَلِكَ، وَكُنْتُ لَا آتِي أَحَدًا مِنْهُمْ إِلَّا سُرَّ بِإِتْيَانِي ; لِقُرْبِي مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَعَلْتُ أَسْأَلُ أُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ يَوْمًا - وَكَانَ مِنَ الرَّاسِخِينَ فِي الْعِلْمِ - عَمَّا نَزَلَ مِنَ الْقُرْآنِ بِالْمَدِينَةِ. فَقَالَ: نَزَلَ سَبْعٌ وَعِشْرُونَ سُورَةً وَسَائِرُهَا بِمَكَّةَ. وَقَالَ أَحْمَدُ: عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ،، عَنْ مَعْمَرٍ، قَالَ: عَامَّةُ عِلْمِ ابْنِ عَبَّاسٍ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৬৯৮০


করলাম, তিনি গভীর জ্ঞানের অধিকারী সাহাবীদের অন্য৩ ম ছিলেন ৷ কুরআনের কোন কোন
সুরা মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে ? জবাবে তিনি বললেন, সা ৷তাশঢি সুরা মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে ৷
অবশিষ্ট সবগুলো সুরা মাকী ৷ ,

আবদুর রায্যাক সুত্রে ইমাম আহমাদ বর্ণনা করেছেন যে, মা মার বলেছেন, ইবন আব্বাস
(রা) এর অধিকাংশ ইলম তিন ব্যক্তি থেকে ক্ষ্যর্জিত৷ তারা হলেন উমর, আলী ও উবাই ইবন
কার (রা) ৷ তাউস ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, ইবন আব্বাস (রা)
বলেছেন, আমি একটি বিষয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ত্রিশজন সাহাবীকে জিজ্ঞাসা করতাম ৷
মৃপীর৷ শাবী থেকে বর্ণনা করেছেন যে, শাবী বলেছেন, ইবন আব্বাস (রা)কে জিজ্ঞাসা করা
হল, আপনি এই ইল্ম কোথা থেকে অর্জন করেছেন ? তিনি বললেন, অধিক প্ৰশ্নকারী জিহবা
ও বুদ্ধিমত্তাপুর্ণ অন্তর দ্বারা ৷’ হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) সম্পর্কে বর্ণিত, তিনি ইবন
আব্বাস (রা)-কে শীর্ষস্থানীয় সাহাবীদের সঙ্গে বসাতেন এবং বলতেন, আবদুল্লাহ ইবন
আব্বাস কুরআনের কতই না ভালো ব্যাথ্যাতা ৷ তিনি যখন আগমন করক্তেৰ, তখন উমর (রা)
বলতেন, গৌঢ় যুবক, অধিক প্রশ্নকারী যবান এবং বিজ্ঞ অতরওয়ালা এসেছে ৷

সহীহ্ বুখারীতে বর্ণিত আছে, উমর (রা) সাহাবীদেরকে সুরা নাসর এর প্রথম আয়াত
ব্লুৰুন্া৷, ন্া৷ ,ষ্;ং ;া ;া১৷ এই আয়াতের ব্যাখ্যা জিজ্ঞাসা করলেন ৷ ফলে কেউ কেউ নিরব
বইলেন কেউ কেউ এমন জবাব দিলেন, যা উমর (রা) কে সন্তুষ্ট করতে পারে নি ৷ তারপর
তিনি ইবন আব্বাসকে সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন ৷ তিনি বললেন, হ্যা, এই আয়াতে
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এরওফাতের ঘোষণা দেয়া হয়েছে ৷ উমর (রা) বললেন, আয়াতটির ব্যাখ্যা
আমি তাই জানিা’ এভাবে হযরত উমর (রা) সকলের মাঝেৱইবন আব্বাস (না)-এর ব্যক্তিত্ব
এবং ইলুম ও বুঝ:বুদ্ধিতে তার সুউচ্চ মর্যাদা সুপ্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন ৷ হযরত উমর
(রা) একবার ইবন আব্বাস (রা)-কে লাইলাতৃল কদর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন ৷ তিনি
চিন্তা গবেষণা করে অভিমত ব্যাক্ত করেন যে, লাইলাতৃল কদর শেষ দশকের সপ্তম দিনে ৷
উমর (রা)৩ তার এইে অভিমতটি পছন্দ করেন ৷ যেমনটি আমরা তাফসীরে উল্লেখ করেছি ৷

হাসান ইবন আরাফা বর্ণনা করেছেন যে, হযরত উমর (রা) ইবন আব্বাস (রা)-কে
প্ বললেন, তৃমি এমন ইলম শিক্ষা লাভ করেছ যা আমরা শিখিনি ৷ ’ আওযা য়ী বলেহ্নেৰ, উমর
(রা) ইবন আব্বাস (রা) কে বললেন, নিশ্চয় তুমি আমাদের যুবকদের মাঝে চেহারায়
সবচাইতে দীপ্তিমানব্লু জ্ঞানে সবগৈক্ষা উত্তম এবং আল্লাহর কিভাবে সৰ্বাধিক বিজ্ঞ ৷ ,

মুজাহিদ শা বী সুত্রে ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, ইবন আব্বাস (রা)
বলেছেন, আমার পিতা আমাকে বললেন, উমর তোমাকে কাছে ডেকে নেয় এবং বড় বড়
সাহাবীদের সঙ্গে বসার ৷ এ ক্ষেত্রে তুমি আমার তিনটি উপদেশ মনে ব্লেখ ৷ তুমি কক্ষনাে তীর
ভেদ ফাস করবে না ৷ তার নিকট কারো গীবত করবে না এবং মিথ্যা বলে নিজেকে পরীক্ষায়
ফলবে না ৷’ শাবী বলেন, আমি ইবন আব্বাস (রা) কে বললাম, এর প্রতিটি উপদেশ এক
হাজার দীনার অপেক্ষা উত্তম ৷ “জবাবে ইবন আব্বাস (রা) বললেন, বরং প্রতিটি দশ হাজ্বার
দীনার অপেক্ষা উত্তম ৷

আবদুল্লাহ্ ইবন ফজল সুত্রে ওয়াকিদী বর্ণনা করেছেন যে, আতা ইবন ইয়াসার বলেছেন,
উমর ও উসমান দু’জনই ইবন আব্বাস (রা) কে ডেকে পাঠাতেন ৷ তিনি বদরী সাহাবীদের
সঙ্গে ভ্রমণ করতেন ৷ তিনি উমর ও উসমান (রা)এর খিলাফতকালে মৃত্যু পর্যন্ত ফতােয়া

ণোমোঃ(হ্রাশ্রোা৪র্নো০ওোড়া

ثَلَاثَةٍ مِنْ عُمَرَ، وَعَلِيٍّ، وَأُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ. وَقَالَ طَاوُسٌ: عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ: إِنْ كُنْتُ لَأَسْأَلُ عَنِ الْأَمْرِ الْوَاحِدِ ثَلَاثِينَ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ مُغِيرَةُ، عَنِ الشَّعْبِيِّ قَالَ: قِيلَ لِابْنِ عَبَّاسٍ: أَنَّى أَصَبْتَ هَذَا الْعِلْمَ؟ قَالَ: بِلِسَانٍ سَئُولٍ، وَقَلْبٍ عَقُولٍ. وَثَبَتَ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَنَّهُ كَانَ يُجْلِسُ ابْنَ عَبَّاسٍ مَعَ مَشَايِخِ الصَّحَابَةِ، وَيَقُولُ: نِعْمَ تُرْجُمَانُ الْقُرْآنِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ، وَكَانَ إِذَا أَقْبَلَ يَقُولُ عُمَرُ: جَاءَ فَتَى الْكُهُولِ، وَذُو اللِّسَانِ السَّئُولِ وَالْقَلْبِ الْعُقُولِ. وَثَبَتَ فِي الصَّحِيحِ أَنَّ عُمَرَ سَأَلَ الصَّحَابَةَ عَنْ تَفْسِيرِ {إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ} [النصر: 1] فَسَكَتَ بَعْضٌ وَأَجَابَ بَعْضٌ بِجَوَابٍ لَمْ يَرْتَضِهِ عُمَرُ، ثُمَّ سَأَلَ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنْهَا فَقَالَ: أَجَلُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نُعِيَ إِلَيْهِ، فَقَالَ: لَا أَعْلَمُ مِنْهَا إِلَّا مَا تَعْلَمُ. وَأَرَادَ عُمَرُ بِذَلِكَ أَنْ يُقَرِّرَ عِنْدَهُمْ جَلَالَةَ قَدْرِهِ، وَكَبِيرَ مَنْزِلَتِهِ فِي الْعِلْمِ وَالْفَهْمِ. وَسَأَلَهُ مَرَّةً عَنْ لَيْلَةِ الْقَدْرِ، فَاسْتَنْبَطَ أَنَّهَا فِي اللَّيْلَةِ السَّابِعَةِ مِنَ الْعَشْرِ الْأَخِيرِ، فَاسْتَحْسَنَهُ عُمَرُ وَاسْتَجَادَهُ، كَمَا ذَكَرْنَا
পৃষ্ঠা - ৬৯৮১
فِي التَّفْسِيرِ. وَقَدْ قَالَ الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الْيَمَانِ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ: قَالَ عُمَرُ لِابْنِ عَبَّاسٍ: لَقَدْ عَلِمْتَ عِلْمًا مَا عَلِمْنَاهُ. وَقَالَ الْأَوْزَاعِيُّ: قَالَ عُمَرُ لِابْنِ عَبَّاسٍ: إِنَّكَ لَأَصْبَحُ فِتْيَانِنَا وَجْهًا، وَأَحْسَنُهُمْ عَقْلًا وَأَفْقَهُهُمْ فِي كِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ. وَقَالَ مُجَالِدٌ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ لِي أَبِي: إِنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يُدْنِيكَ وَيُجْلِسُكَ مَعَ أَكَابِرِ الصَّحَابَةِ، فَاحْفَظْ عَنِّي ثَلَاثًا ; لَا تُفْشِيَنَّ لَهُ سِرًّا، وَلَا تَغْتَابَنَّ عِنْدَهُ أَحَدًا، وَلَا يُجَرِّبَنَّ عَلَيْكَ كَذِبًا. قَالَ الشَّعْبِيُّ: قُلْتُ لِابْنِ عَبَّاسٍ: كُلُّ وَاحِدَةٍ خَيْرٌ مِنْ أَلْفٍ، فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: بَلْ كُلُّ وَاحِدَةٍ خَيْرٌ مِنْ عَشَرَةِ آلَافٍ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْفَضْلِ بْنِ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّ عُمَرَ، وَعُثْمَانَ كَانَا يَدْعُوَانِ ابْنَ عَبَّاسٍ
পৃষ্ঠা - ৬৯৮২

০ ৷ ৷ ট : ৷ ৷ ট :


আল বিশ্ব ৷য়৷ ওয়ান নিহায়া ৫২৯

প্রদান করতেন ৷ গ্রন্থকারের মতে তিনি সাতাশ হিজরী সনে ইবন আবু সারহ্-এয় সঙ্গে

আফ্রিকা ৷জয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন ৷

ইমাম যুহয়ী বর্ণনা করেছেন যে, হুস৷ ইন বলেছেন, জামাল যুদ্ধের দিন আমার পিতা ইবন
আব্বাস (রা) কে দুই সারীর মধ্যখানে হাটতে দেখেছেন ৷ তিনি বললেন, যে র্ব্যক্তির ইনারমত
চড়াচাতো ভাই আছে, আল্লাহ তার চোখ শীতল কবুন ৷ তিনি আলী (রা) এর সঙ্গে জামাল ও
সিফ্ফীন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং তিনি বাম বাহুর আমীর ছিলেন ৷ তাছাড়া তিনি
আলী (রা) এর সঙ্গে থারেজীদের সঙ্গে সংঘটিত যুদ্ধেও শরীক হয়েছিলেন ৷ তিনি সেই
ব্যক্তিবশ্চেরি একজন ছিলেন ৷ যারা হযরত আলী (রা) কে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, আপনি
হযরত মুআবিয়া (রা)কে সিরিয়ার গভর্নর নিযুক্ত করুন এবং শুরুতেই তাকে বরখাস্ত করবেন
না ৷ এমনকি আলী (রা)-এর বক্তব্যের জবাবে তিনি একথাও বলেছিলেন যে, যদি আপনি
তাকে বরখাস্ত করা প্রয়োজন মনে করেন, তাহলে এক মাসের জন্য তাকে গভর্নর হিসাবে
নিয়োগ দিন, তারপর আজীবনের জন্য বরখাস্ত করুন ৷ বিস্তু আলী (রা) তার সঙ্গে যুদ্ধ ছাড়া
সব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন ৷ করুন যা ঘটবার ঘটে পেল ৷ উপরে এ বিষয়টি আলোচিত
হয়েছে ৷ পরবর্তীতে যখন দু’ জন ৰিচারককে সালিশ নিয়োগ করার ব্যাপারে উভয় পক্ষ বিতর্কে
লিপ্ত হল, ইবন আব্বাস (বা) তাকে আমর ইবনুল আস-এর মোকাবিলা করার জন্য আলী
(রা)এর পক্ষ থেকে তাকে নিয়ােগদানের দাবী জানালেন ৷ কিন্তু মায্হাজ গোত্র ও
ইয়ামামবাসী তার দাবী প্রত্যাখ্যান করে বসল যে, আমরা আলী (রা) এর পক্ষ থেকে আবু
মুসা আশ আরী (রা) ব্যতীত অন্য কাউকে মানব না ৷ দুই বিচারক সং ক্রান্ত আলোচনা পুর্বে
বিবৃত হয়েছে ৷

হযরত আলী (রা) ইবন আব্বাস (রা) কে বসরার গভর্নর নিযুক্ত করেছিলেন ৷ তিনি কয়েক
বছর মানুষের জন্যু হজ্জ পরিচালনা করেছিলেন ৷ আরাফার ময়দানে তিনি হাজীদের উদ্দেশ্যে
ভাষণ প্রদান করেন ৷ এক বর্ণনায় সুরা আন-নুর এর তাফসীর পেশ করেছিলেন ৷ উক্ত

তাফসীর যারা শুনছিলেন তাদের একজন বলেছেন, হযরত ইবন আব্বাস (রা) এমনভাবে

তাফসীর করেছেন যে, যদি তা রোম, তুরস্ক ও দায়লামবাসী শুনত, তাহলে তারা অবশ্যই
মুসলমান হয়ে যেত ৷ ’ তিনিই প্রথম ব্যক্তি, যিনি লোকদের নিয়ে বসরায় আরাফাহ’ উদযাপন
করেন ৷ তা এভাবে যে, তিনি সে রাতে মিম্বরে বসতেন এবং বসরার মানুষ৩ তার চারপার্ণে
সমবেত হত ৷ তারপর তিনি কুরআনের কোন অংশের তাফসীর করতেন এবং আসরের পর
থেকে মাগরিব পর্যন্ত ওয়াজ করতেন ৷ তারপর মিম্বর থেকে নেমে লোকদের নিয়ে মাগরিবের
নামায আদায় কব্তেন ৷ কিন্তু তার মৃত্যুর পর আলিমগণ সে ব্যাপারে ভিন্ন জ্যি অভিমত ব্যক্ত
করেছেন কোন কোন আলিম একাজকে অপছন্দ করেছেন এবং বলেছেন, এটা বিদআত, ,
রাসুলুল্লাহ্ (না) এটা করেননি এবং ইবন আব্বাস (রা) ব্যতীত অন্য কোন সাহাবীও এ কাজ
করে নি ৷ আবার কেউ কেউ এই আমলকে মুস্তাহাব বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন কেননা,
এতে অ ৷ল্লাহ্র যিকর এবং হাজীদের সাদৃশ্য বিদ্যমান ৷

ইবন আব্বাস (বা) কোন কোন ক্ষেত্রে হযরত আলী (রা) এর সমালোচনা করতেন ৷ তখন
আলী (বা) যে বিষয়ে তার মতই গ্রহণ করতেন ৷ ইসমাঈল সুত্রে ইমাম আহমাদ বর্ণনা
করেছেন যে, ইকরিমা বলেছেন, আলী (রা) ইসলাম ত্যাপকারী একদল লোককে আগুনে
পুড়িয়ে ফেলেছেন ৷ এ সং বাদ শুনে ইবন আব্বাস (রা) বললেন, যদি আমি হতাম তাহলে

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া-৬ ৭


فَيُشِيرُ مَعَ أَهْلِ بَدْرٍ، وَكَانَ يُفْتِي فِي عَهْدِ عُمَرَ، وَعُثْمَانَ إِلَى يَوْمِ مَاتَ. قُلْتُ: وَشَهِدَ فَتْحَ إِفْرِيقِيَّةَ سَنَةَ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ مَعَ ابْنِ أَبِي سَرْحٍ. وَقَالَ الزُّهْرِيُّ: عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: نَظَرَ أَبِي إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ يَوْمَ الْجَمَلِ يَمْشِي بَيْنَ الصَّفَّيْنِ، فَقَالَ: أَقَرَّ اللَّهُ عَيْنَ مَنْ لَهُ ابْنُ عَمٍّ مِثْلُ هَذَا. وَقَدْ شَهِدَ مَعَ عَلِيٍّ الْجَمَلَ وَصِفِّينَ، وَكَانَ أَمِيرًا عَلَى الْمَيْسَرَةِ، وَشَهِدَ مَعَهُ قِتَالَ الْخَوَارِجِ، وَكَانَ مِمَّنْ أَشَارَ عَلَى عَلِيٍّ أَنْ يَسْتَنِيبَ مُعَاوِيَةَ عَلَى الشَّامِ وَأَنْ لَا يَعْزِلَهُ عَنْهَا فِي بَادِئِ الْأَمْرِ، حَتَّى قَالَ لَهُ فِيمَا قَالَ: إِنْ أَحْبَبْتَ عَزْلَهُ فَوَلِّهِ شَهْرًا وَاعْزِلْهُ دَهْرًا. فَأَبَى عَلِيٌّ إِلَّا أَنْ يُقَاتِلَهُ، فَكَانَ مَا كَانَ مِمَّا قَدْ سَبَقَ بَيَانُهُ. وَلَمَّا تَرَاوَضَ الْفَرِيقَانِ عَلَى تَحْكِيمِ الْحَكَمَيْنِ، طَلَبَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَنْ يَكُونَ مِنْ جِهَةِ عَلِيٍّ ; لِيُكَافِئَ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ، فَامْتَنَعَتْ مَذْحِجُ وَأَهْلُ الْيَمَنِ إِلَّا أَنْ يَكُونَ مِنْ جِهَةِ عَلِيٍّ أَبُو مُوسَى الْأَشْعَرِيُّ، فَكَانَ مِنْ أَمْرِ الْحَكَمَيْنِ مَا سَلَفَ أَيْضًا. وَقَدِ اسْتَنَابَهُ عَلِيٌّ عَلَى الْبَصْرَةِ، وَأَقَامَ لِلنَّاسِ الْحَجَّ فِي بَعْضِ السِّنِينَ، فَخَطَبَ بِهِمْ فِي عَرَفَاتٍ خُطْبَةً، وَفَسَّرَ فِيهَا سُورَةَ الْبَقَرَةِ، وَفِي رِوَايَةٍ: سُورَةَ النُّورِ. قَالَ مَنْ سَمِعَهُ: فَسَّرَ ذَلِكَ تَفْسِيرًا لَوْ سَمِعَتْهُ الرُّومُ وَالتُّرْكُ وَالدَّيْلَمُ لَأَسْلَمُوا. وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ عَرَّفَ بِالنَّاسِ فِي الْبَصْرَةِ، فَكَانَ يَصْعَدُ الْمِنْبَرَ لَيْلَةَ عَرَفَةَ، وَيَجْتَمِعُ أَهْلُ الْبَصْرَةِ حَوْلَهُ فَيُفَسِّرُ شَيْئًا مِنَ الْقُرْآنِ، وَيُذَكِّرُ النَّاسَ مِنْ بَعْدِ الْعَصْرِ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৬৯৮৩
الْغُرُوبِ، ثُمَّ يَنْزِلُ فَيُصَلِّي بِهِمُ الْمَغْرِبَ. وَقَدِ اخْتَلَفَ الْعُلَمَاءُ بَعْدَهُ فِي ذَلِكَ ; فَمِنْهُمْ مَنْ كَرِهَ ذَلِكَ وَقَالَ: هُوَ بِدْعَةٌ لَمْ يَعْمَلْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَا أَحَدٌ مِنَ الصَّحَابَةِ إِلَّا ابْنَ عَبَّاسٍ، وَمِنْهُمْ مَنِ اسْتَحَبَّ ذَلِكَ لِأَجْلِ ذِكْرِ اللَّهِ وَمُوَافَقَةِ الْحُجَّاجِ. وَقَدْ كَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ يَنْتَقِدُ عَلَى عَلِيٍّ فِي بَعْضِ أَحْكَامِهِ فَيَرْجِعُ إِلَيْهِ عَلِيٌّ فِي ذَلِكَ، كَمَا قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عِكْرِمَةَ أَنَّ عَلِيًّا حَرَّقَ نَاسًا ارْتَدَوْا عَنِ الْإِسْلَامِ، فَبَلَغَ ذَلِكَ ابْنَ عَبَّاسٍ فَقَالَ: لَمْ أَكُنْ لِأُحَرِّقُهُمْ بِالنَّارِ ; إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا تُعَذِّبُوا بِعَذَابِ اللَّهِ» . وَكُنْتُ قَاتِلَهُمْ ; لِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «مَنْ بَدَّلَ دِينَهُ فَاقْتُلُوهُ» . فَبَلَغَ ذَلِكَ عَلِيًّا فَقَالَ: وَيْحَ ابْنِ عَبَّاسٍ! وَفِي رِوَايَةٍ: وَيْحَ ابْنِ عَبَّاسٍ إِنَّهُ لَغَوَّاصٌ عَلَى الْهَنَاتِ. وَقَدْ كَافَأَهُ عَلِيٌّ، فَإِنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ كَانَ يَرَى إِبَاحَةَ الْمُتْعَةِ، وَتَحْلِيلَ الْحُمْرِ الْإِنْسِيَّةِ، فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: إِنَّكَ امْرُؤٌ تَائِهٌ ; «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ نِكَاحِ الْمُتْعَةِ، وَعَنْ لُحُومِ الْحُمُرِ الْإِنْسِيَّةِ يَوْمَ خَيْبَرَ» . وَهَذَا الْحَدِيثُ مُخْرَّجٌ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " وَغَيْرِهِمَا، وَلَهُ أَلْفَاظٌ هَذَا مِنْ أَحْسَنِهَا، وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৬৯৮৪


তাদেরকে আগুনে পুড়িয়ে মারতাম না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, তােমরা আল্লাহর শাস্তির
অনুরুপ শাস্তি দিও না ৷ আমি বরং তাদেরকে হত্যা করতাম ৷ কেননা রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেছেন,
যেব্যক্তি তীর দীনকে পরিবর্তন করে ফেলল, তাকে হত্যা কর ৷’ এই সংবাদ পেয়ে আলী (রা)
বললেন, ইবনআব্বাসকেআল্লাহ্-রহম করুন ! অন্য বর্ণন্চুন্ন আছে, আলী (রা) বলেছেন, ইবন
আব্বাসকে আল্লাহ রহম করুন ! সে সমস্যার গভীরে ডুব দিয়ে থাকে ৷ ’ হযরত আলী (রা)এর
বদলাও নিয়েছিলেন ৷ তা এভাবে যে, ইবন আব্বাস (রা)-এর অভিমত ছিল, মুতআ বিবাহ
জায়েয এবং এর বৈধতা অব্যাহত আছে ৷ তা ছাড়া তিনি পোষা গাধ হালাল মনে করতেন ৷
এর জবাবে আলী (রা) বললেন, তুমি বিভ্রান্ত ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) খাইবারের দিন মুতআ বিবাহ
এবং পােষ৷ গাধার গোশত নিষিদ্ধ করেছেন ৷’ এ হাদীসটি সহীহ্ বুখারী মুসলিম ও অন্যান্য
গ্রন্থে উল্লিখিত হয়েছে ৷৩ তার এক একটির ভাষ্য ভিন্ন জ্যি ৷ তবে এটিই সরেত্তিম ৷ আল্লাহ্ই
ভাল জানেন ৷

আবু আবদুল্লাহ আল হ৷ ৷ফিজ সুত্রে বায়হাকী বর্ণনা করেছেন, যে তিনি বলেছেন, আমি আবু
বকর ইবনুল মুআম্মালকে বলতে শুনেছি, আমি শুনেছি, আবু নাসুৱ ইবন আবু রবী আ
বলেছেন, সাসাআ ইবন সাওহান বসরা থেকে আলী (রা) ইবন আবু তালিব-এর নিকট

আগমন করলে আলী ইবন আবৃত তালিব (রা)ত ৷কেও ইবন আব্বাস (রা) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা

করেন ৷ ইবন আব্বাস তখন আলী (রা) কবৃকি নিয়োজিত বসরার গভর্নর ৷ জবাবে সাসাআ
বললেন, আমীরুল মু’মিনীন ৷ তিনি তিনটি বিষয় গ্রহণকারী ও তিনটি বিষয় বর্জনকারী ৷ তিনি
যখন কথা বলেন, তখন মানুষের অন্তরকে আকৃষ্ট করে ফোলন,,৷ মানুষ যখন তাকে উদ্দেশ্য
করে কথা বলে তিনি উত্তমরুপে তা শ্রবণ করেন এবং যখন তার বিরোধিতা করা হয় তখন
তিনি সহজতর পন্থাট৷ অবলম্বন করেন ৷ আর তিনি বর্জন করেন বিবাদ, ইতর লোকদের
সাহচর্য এবং নিজের সাফাই গাওয়া ৷

আবু বকর ইবন আবুসাবরা সুত্রে ওয়াকিদী বর্ণনা করেন যে, সা দ ইবন আবু ওয়াক্কাস
(বা) বলেছেন, আমি ইবন আব্বাস (বা) অপেক্ষ অধিক বুদ্ধি সম্পন্ন, নির্ভেজাল জ্ঞানের
অধিকারী, অধিক বিদ্যান ও ব্যাপক সহনশীল মানুষ আর কাউকে দেখিনি, আমি উমর
(না)-কে দেখেছি, তিনি র্তাকে জটিল জটিল সমস্যা সমাধানের জন্য তলব করতেন এবং
বলতেন, একটি) জটিল বিষয় তোমার সম্মুখে উপস্থিত ৷ তারপর তিনি তার অভিমত
উপেক্ষা করতেন না ৷ অখচ তার আশ-প্া৷শে ঘুহাজির ও আনসারদেয় বদরী সাহাবীগণ
বর্তমান থাকতেন ৷

আ মাশ বর্ণনা করেছেন যে, আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (বা) বলেছেন ইবন আব্বাস (রা)
যদি আমাদের বয়স পেতেন, তাহলে আমাদের একজ়নও তার দশভাগের একভাগ হতে পারত
না ৷ আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (বা) বলতে তন, ইবন আব্বাস কুরআনের কতইন৷ উত্তম
ব্যাখ্যাত৷ ৷’ ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেন, আল্লাহ্ মুহাম্মাদ (সা) এর প্রতি
যা নাযিল করেছেন, ইবন আব্বাস সে বিষয়ে সবচাইতে অধিক বিদ্বান ব্যক্তি’ ৷

মুহাম্মাদ ইবন উমর সুত্রে মুহাম্মদ ইবন সাদ বর্ণনা করেন যে, যায়দ বলেছেন, জাবির

ইবনআবদুল্লাহ্-এর নিকট ষখন আরদুল্লাহ্ইবনঃ আব্বাস (রা)-এর মৃত্যু সংবাদ পৌছে, তখন
আমি তাকে হাতের উপর হাত মেরে বলতে ন্শ্যুনছি, আজ সবচাইতে অধিক বিদ্বান ও সবচাইতে


وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا بَكْرِ بْنَ الْمُؤَمِّلِ يَقُولُ: سَمِعْتُ أَبَا نَصْرِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ يَقُولُ: وَرَدَ صَعْصَعَةُ بْنُ صُوحَانَ عَلَى عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ مِنَ الْبَصْرَةِ، فَسَأَلَهُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ - وَكَانَ عَلَى خِلَافَتِهِ بِهَا - فَقَالَ صَعْصَعَةُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّهُ آخِذٌ بِثَلَاثٍ، وَتَارِكٌ لِثَلَاثٍ ; آخِذٌ بِقُلُوبِ الرِّجَالِ إِذَا حَدَّثَ، وَبِحُسْنِ الِاسْتِمَاعِ إِذَا حُدِّثَ، وَبِأَيْسَرِ الْأَمْرَيْنِ إِذَا خُولِفَ، وَتَرْكِ الْمِرَاءِ، وَمُقَارَنَةِ اللَّئِيمِ، وَمَا يُعْتَذَرُ مِنْهُ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: ثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي سَبْرَةَ، عَنْ مُوسَى بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَحْضَرَ فَهْمًا وَلَا أَلَبَّ لُبًّا، وَلَا أَكْثَرَ عِلْمًا، وَلَا أَوْسَعَ حِلْمًا مِنَ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَلَقَدْ رَأَيْتُ عُمَرَ يَدْعُوهُ لِلْمُعْضِلَاتِ، ثُمَّ يَقُولُ: عِنْدَكَ، قَدْ جَاءَتْكَ مُعْضِلَةٌ. ثُمَّ لَا يُجَاوِزُ قَوْلَهُ، وَإِنَّ حَوْلَهُ لَأَهْلُ بَدْرٍ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ. وَقَالَ الْأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ لَوْ أَدْرَكَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَسْنَانَنَا مَا عَشَّرَهُ مِنَّا أَحَدٌ. وَكَانَ يَقُولُ: نِعْمَ تُرْجُمَانُ الْقُرْآنِ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ: ابْنُ عَبَّاسٍ أَعْلَمُ
পৃষ্ঠা - ৬৯৮৫
النَّاسِ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ عَلَى مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ الْعَلَاءِ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ حِينَ بَلَغَهُ مَوْتُ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَصَفَّقَ بِإِحْدَى يَدَيْهِ عَلَى الْأُخْرَى: مَاتَ الْيَوْمَ أَعْلَمُ النَّاسِ وَأَحْلَمُ النَّاسِ، وَقَدْ أُصِيبَتْ بِهِ هَذِهِ الْأُمَّةُ لَا تُرْتَقُ. وَبِهِ إِلَى يَحْيَى بْنِ الْعَلَاءِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ قَالَ: لَمَّا مَاتَ ابْنُ عَبَّاسٍ قَالَ رَافِعُ بْنُ خَدِيجٍ: مَاتَ الْيَوْمَ مَنْ كَانَ يَحْتَاجُ إِلَيْهِ مَنْ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ فِي الْعِلْمِ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَبْرَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو، عَنْ عِكْرِمَةَ قَالَ: سَمِعْتُ مُعَاوِيَةَ يَقُولُ: مَوْلَاكَ وَاللَّهِ أَفْقَهُ مَنْ مَاتَ وَمَنْ عَاشَ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى مُعَاوِيَةَ حِينَ كَانَ الصُّلْحُ وَأَوَّلُ مَا الْتَقَيْتُ أَنَا وَهُوَ فَإِذَا عِنْدَهُ أُنَاسٌ، فَقَالَ: مَرْحَبًا بِابْنِ عَبَّاسٍ، مَا تَحَاكَتِ الْفِتْنَةُ بَيْنِي وَبَيْنَ أَحَدٍ كَانَ أَعَزَّ عَلَيَّ بُعْدًا وَلَا أَحَبَّ إِلَيَّ قُرْبًا، الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَمَاتَ عَلِيًّا، فَقُلْتُ لَهُ: إِنَّ اللَّهَ لَا يُذَمُّ فِي قَضَائِهِ، وَغَيْرُ هَذَا
পৃষ্ঠা - ৬৯৮৬


অধিক সহনশীল লোকঢির ইনতিকাল হল ৷ তার মৃত্যুতে জাতি এমন এক বিপদে আপতিত
হল, যা থেকে উত্তরণ সম্ভব নয় ৷ ’

আবু বকর ইবন মুহাম্মাদ ইবন আমর ইবন, হাযম থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেন, ইবন
আব্বাস (রা) যখন ইনতিকাল করেন, তখন রাফি ইবন খাদীজ (রা) বললেন, আজ এমন এক
ব্যক্তি-ইনতিকাল করলেন, ইলমের দিক থেকে পুর্ব ও পশ্চিমের মধ্যকার সকল মানুষ যার
মুখাপেক্ষী ছিল ৷

আবু বকর ইবন আবদুলল্লাহ্ ইবন আবু সুবৃরা সুত্রে ওয়াকিদী বর্ণনা করেছেন যে, ইকরিমা
বলেছেন, আমি মুআবিয়াকে বলতে শুনেছি, আল্লাহর শপথ ৷ মৃত ও জীবিতদের মধ্যে
সবচাইতে প্রজ্ঞাবান লোকটি (আজ) মারা গেলেন !

ইবন আসাকির ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি, বলেছেন, সন্ধিচুক্তি
সম্পাদিত হওয়ার পর আমি মুআবিয়ার নিকট গমন করলাম ৷ আর এটাই ছিল তার ও আমার
প্রর্থম সাক্ষাত ৷ আমি দেখলাম, তীর নিকট অনেক লোকের সমাগম ঘটেছে ৷ তিনি বললেন,
ইবন আব্বাসকে স্বাগতম ৷ ফিতনা আমার ও এমন ব্যক্তির যার দুরত্ব আমার জন্য কষ্টকর এবং
নৈকট্য আমার জন্য সর্বাধিক পছন্দনীয় মুখোমুখি করে দেয়নি ৷ সবলে প্রশংসা সেই আল্লাহর,
যিনি আলীকে মৃতুদােন করেছেন ৷ আমি তাকে বললাম, আল্লাহ্র ফায়সালার নিন্দাবাদ করা যায়
না অন্য কথা বলা উত্তম ৷ তারপর আমি তাকে বললাম, আমি ভাল মনে করছি, আপনি আমাকে
ন্ আমার চাচাতো ভইি-এর পক্ষ থেকে ক্ষমা করে দিন আর আমিও আপনাকে আপনার চাচাতো
ভইিন্এর পক্ষ থেকে ক্ষমা করে দিই ৷ তিনি বললেন, তা-ই হবে ৷

ইবন আব্বাস (রা) যখন লোকদেরকে নিয়ে হজ্জ পরিচালনা করলেন, তখন হযরত আয়েশা
ও উম্মে সালামা (রা) বললেন, তিনি হজ্জ বিষয়ে সবচাইতে বিজ্ঞ ব্যক্তি ৷ ইবনুল মুবারক বর্ণনা
করেন যে, শাবী বলেছেন, যায়দ ইবন ছাবিত (রা) বাহান আরোহণ করলে ইবন আব্বাস (রা)
তীর রিকাব ধরে রাখলেন ৷ যায়দ বললেন, হে আল্লাহ্র রাসুল (সা)-এয় চাচাতো ভাই ! আপনি
এমনটি করবেন না ৷ ইবন আব্বাস (রা) বললেন, আমরা আমাদের আলিমদের সঙ্গে এরুপ
করার জন্যই নির্দেশিত হয়েছি ৷ যায়দ বললেন, আপনার হাত দুটো কোথায় ? ইবন আব্বাস
(বা) তার হাত দুটো বের করলেন ৷ যায়দ তাতে চুম্বন করলেন এবং বললেন, আমরাও
আমাদের নবীর বাইতদের সঙ্গে এরুপ আচরণ করার জন্যই নির্দেশিত হয়েছি ৷

দাউদ ইবন আবু হিন্দ সুত্রে ওয়াকিদী বর্ণনা করেছেন যে, সাইদ ইবন জুবাইর (রা)
বলেছেন, আমি ইবনুল মুসায়্যাবকে বলতে শুনেছি, ইবন আব্বাস (রা) সবচাইতে বিজ্ঞ ব্যক্তি ৷

আবদুর রহমান ইবন আবুয যিনাদ সুত্রে ওয়াকিদী বর্ণনা করেছেন যে, উবাইদল্লাহ্ ইবন
উতবা বলেছেন, ইবন আব্বাস (রা) কয়েকটি ,গুণে সকল মানুষকে ছাড়িয়ে গেছেন ৷ প্রথমত,
ইলম, এ ক্ষেত্রে কেউ তাকে অতিক্রম করতে পারেনি ৷ দ্বিতীয়ত, প্রজ্ঞা ৷ এ ক্ষেত্রে মানুষ তার
অভিমত গ্রহণে বাধ্য ছিল ৷ তৃতীয়ত, সহনশীলতা ৷ চতৃর্থত, বংশ ৷ পঞ্চমত, কল্যাণকামিতা ৷
নবী করীম (না)-এর হাদীস, আবু বকর, উমর ও উসমান (রা)-এর বিচার সম্পর্কে অভিজ্ঞ
এবং সিদ্ধান্ত প্রদানে বিজ্ঞ, কাব্য,আরবী ভাষা, তাফসীরুল কুরআন, অংক এবং উত্তরাধিকার
বণ্টনঃ তার চাইতে বেশী জ্ঞানী আর কাউকে আমি দেখিনি ৷ অতীত বিষয়ে জ্ঞানী এবং সিদ্ধান্ত
প্রদানে পরিপক্ক ণ্লাকও তীর চইিতে প্রাজ্ঞ আর কাউকে আমি দেখিনি ৷ তিনি একদিন ত্তলেসা
করতেন, ফিক্হ ব্যতীত অন্য কিছু আলোচনা করতেন না ৷ একদিন আলোচনা করতেন


الْحَدِيثِ أَحْسَنُ مِنْهُ، ثُمَّ قُلْتُ لَهُ: إِنِّي أُحِبُّ أَنْ تُعْفِيَنِي مِنِ ابْنِ عَمِّي وَأُعْفِيَكَ مِنِ ابْنِ عَمِّكَ. قَالَ: ذَلِكَ لَكَ. وَقَالَتْ عَائِشَةُ وَأُمُّ سَلَمَةَ حِينَ حَجَّ ابْنُ عَبَّاسٍ بِالنَّاسِ: هُوَ أَعْلَمُ النَّاسِ بِالْمَنَاسِكِ. وَقَالَ ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ قَالَ: رَكِبَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ فَأَخْذَ ابْنُ عَبَّاسٍ بِرِكَابِهِ، فَقَالَ: لَا تَفْعَلْ يَابْنَ عَمِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ هَكَذَا أُمِرْنَا أَنْ نَفْعَلَ بِعُلَمَائِنَا. فَقَالَ لَهُ زَيْدٌ: أَرِنِي يَدَيْكَ. فَأَخْرَجَ يَدَيْهِ، فَقَبَّلَهُمَا، وَقَالَ: هَكَذَا أُمِرْنَا أَنْ نَفْعَلَ بِأَهْلِ بَيْتِ نَبِيِّنَا. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي دَاوُدُ بْنُ جُبَيْرٍ، سَمِعْتُ ابْنَ الْمُسَيَّبِ يَقُولُ: ابْنُ عَبَّاسٍ أَعْلَمُ النَّاسِ. وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ قَالَ: كَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ قَدْ فَاتَ النَّاسَ بِخِصَالٍ ; بِعِلْمِ مَا سَبَقَهُ، وَفِقْهٍ فِيمَا احْتِيجَ إِلَيْهِ مِنْ رَأْيِهِ، وَحِلْمٍ وَنَسَبٍ وَنَائِلٍ، وَمَا رَأَيْتُ أَحَدًا كَانَ أَعْلَمَ بِمَا سَبَقَهُ مِنْ حَدِيثِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْهُ، وَلَا بِقَضَاءِ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ
পৃষ্ঠা - ৬৯৮৭
مِنْهُ وَلَا أَفْقَهَ فِي رَأْيٍ مِنْهُ، وَلَا أَعْلَمَ بِشِعْرٍ وَلَا عَرَبِيَّةٍ، وَلَا بِتَفْسِيرِ الْقُرْآنِ وَلَا بِحِسَابٍ، وَلَا بِفَرِيضَةٍ مِنْهُ، وَلَا أَعْلَمَ بِمَا مَضَى، وَلَا أَثْبَتَ رَأْيًا فِيمَا احْتِيجَ إِلَيْهِ مِنْهُ، وَلَقَدْ كَانَ يَجْلِسُ يَوْمًا مَا يَذْكُرُ فِيهِ إِلَّا الْفِقْهَ، وَيَوْمًا التَّأْوِيلَ، وَيَوْمًا الْمَغَازِيَ، وَيَوْمًا الشِّعْرَ، وَيَوْمًا أَيَّامَ الْعَرَبِ، وَمَا رَأَيْتُ عَالِمًا قَطُّ جَلَسَ إِلَيْهِ إِلَّا خَضَعَ لَهُ، وَمَا رَأَيْتُ سَائِلًا قَطُّ سَأَلَهُ إِلَّا وَجَدَ عِنْدَهُ عِلْمًا. قَالَ: وَرُبَّمَا حَفِظْتُ الْقَصِيدَةَ مِنْ فِيهِ يَنْشِدُهَا ثَلَاثِينَ بَيْتًا. وَقَالَ هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ: مَا رَأَيْتُ مِثْلَ ابْنِ عَبَّاسٍ قُطُّ. وَقَالَ عَطَاءٌ: مَا رَأَيْتُ مَجْلِسًا أَكْرَمَ مِنْ مَجْلِسِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَكْثَرَ فِقْهًا، وَلَا أَعْظَمَ هَيْبَةً ; أَصْحَابُ الْقُرْآنِ يَسْأَلُونَهُ، وَأَصْحَابُ الْعَرَبِيَّةِ يَسْأَلُونَهُ، وَأَصْحَابُ الشِّعْرِ عَنْهُ يَسْأَلُونَهُ، فَكُلُّهُمْ يَصْدُرُ فِي وَادٍ وَاسِعٍ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي بِشْرُ بْنُ أَبِي سُلَيْمٍ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: كَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ قَدْ بَسَقَ عَلَى النَّاسِ فِي الْعِلْمِ كَمَا تَبْسُقُ النَّخْلَةُ
পৃষ্ঠা - ৬৯৮৮


তাফসীর ৷ একদিন শুধু যুদ্ধসমৃহ ৷ একদিন কবিতা এবং একদিন আরবের যুদ্ধবিগ্রহ ৷ আমি
বখনো এমন কো ন আলিমকে দেখিনি, যিনি তার নিকট বসালেন আর তার প্রতি বিনয়াবনত
হননি ৷ আর এমন একজন প্রশ্নকারীকে দেখিনি, যিনি জিজ্ঞাসা করে তার নিকট ইলম পাননি ৷
ইবনৃল যুসায়্যাব বলেন অনেক সময় আমি তার মুখ থেধ্ ৷চ শুনে কবিতা মুখস্থ করেছি যা ত্রিশ
পঙক্তি সম্বলিত ৷ তিনি আবৃত্তি করতেন আর আমি মুখস্থ করতাম ৷ হিশাম তার পিতা উরওয়া
থেকে থেকে বর্ণ-া৷, করেন যে, তিনি বলেছেনং : আমি ইবন আব্বাস (রা) এর মত মানুষ
কখনো দেখিনি ৷ আতা বলেন৪ আমি ইবন আব্বাস (রা) এর মাহফিল অপেক্ষা মুল্য রান তথা
প্রজ্ঞ ৷পুর্ণ ও প্রভাব বিস্তারকারী মাহফিল দ্বিতীয়টি দেখিনি ৷ কুরআনের বিশেষ জ্ঞান সম্পর্কে
তাকে প্রশ্ন করতেন ৷ কাব্য বিশারদগণ তার নিকট জানতে চাইতেন ৷ এভাবে প্রত্যেক শ্রেণীর
মানুষ জ্ঞানের প্ৰশ ৷স্ততম উপত্যকায় বিচরণের সুযোগ পেতেন ৷
বিশর ইবন আবু সালীম সুত্রে ওয়াকিদী বর্ণনা করেন যে, ৩াউস বলেন লম্বা খেজুর ণাছ
যেমন ছোট খেজুর চা রাকে অতিক্রম করে, (ও মনি ইবন আব্বাস (রা) সকল মানুষকে
অতিত্রন্ ম করে ফেলেছেন ৷ লাইছ ইবন আবু সুলাইম বলেন, আমি তাউসকে জিজ্ঞ৷ ৷স৷ করলাম,
তমি কেন এই বালকটির সঙ্গে তথা ইবন আব্বাসের সঙ্গে লেগে আছ ? এবং বড় বড়
সাহাবীদের ত্যাগ করেছ ? জবাবে তিনি বললেন, আমি সত্তরজন সাহাবীকে দেখেছি, যখন
তারা কোন বিষয়ে মতবিরোধ করেন তখন তারা ইবন আব্বাসের মতামতের শরণাপ :ৰ্ হন ৷
তাউস আরো বলেন, তার সঙ্গে দ্বিমত করে কেউ কখনো ৩াকে হারাতে পারেনি ৷ তিনি নিজের
অভিমত সম্প্রসারিত করে ছাড়তেন ৷
আলী ইবনুল মাদীনী, ইয়াইেয়৷ ইবন মঈন ও আবু নুআইম প্রমুখ বর্ণন৷ করেন যে,
মুজাহিদ বলেছেন, আমি ^-র্তর্বৃর মত মানুষ কখনো ণ্দখিনি ৷ যেদিন তিনি ইনতিকাল করলেন,
তিনি ছিলেন এই উম্মতেয় বিজ্ঞ আলিম ব্যক্তি অর্থাৎ ইবন আব্বাস (রা) ৷ ,
আবু বকর ইবন আবু শ্া৷ৰুযব৷ প্রমুখ আবু উসাম৷ ও আমাশ সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, মুজাহির
বলেছেন, ইবন আব্বাস (রা) সর্বাপেক্ষা দীর্ঘকায় ব্যক্তি ছিলেন ৷ তার খাবার পাত্রট৷ ছিল সকলের
পাত্র অপেক্ষা বড় এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানে ছিলেন সর্বাধিক ব্যপ্তির অধিকারী ৷ আমর ,ইবন দীনার
বলেন, আমি ইবন আব্বাস (রা) এর মজলিস অপেক্ষা সবম্স বঅ্যাপের আধার আর কোন মজলিস
দেবিনি ৷ হালাল-হারাম, তাফসীরুল কুরআন, আরবী ভাষা, কাব্য ও খাবারণ্দাবার সব ব্যাপারেই ৷
মুজাহিদ বলেন, আমি ইবন আব্বাস (রা) অপেক্ষা শুদ্ধভাষী মানুষ আর দেখিনি ৷
মুহাম্মাদ ইবন সা দ বর্ণনা করেন যে, সুলাইমান তাইমীকে তিনি সেই ব্যক্তি, যাকে হাকাম
ইবন আদীব হাসান (র) এর নিকট প্রেরণ করেছিলেন ৷ জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, সর্বপ্রথম কোন ,
ব্যক্তি আরাফার দিন এই মসজিদে লোকদেরকে সমবেত করেছিলেন ? তিনি বললেন, ইবন
আব্বাস (রা) ৷ তিনি বাপ্লী ও অগাধ ৰিদ্যার অধিকারী ব্যক্তি ছিলেন ৷ তিনি মিম্বরে
আরোহণ করে সুরা বাকারা পাঠ করতেন এবং এক আয়াত এক আঘাত করে তার তাফসীর
করতেন ৷ হাসান বসরী (রা) থেকে অন্য সুত্রেও হাদীসটি অনুরুপ বর্ণিত হয়েছে ৷
আবদল্লাহ্ ইবন মুসলিম ইবন কুতায়বা বর্ণনা করেছেন যে, হাসান বলেছেন, ইবন আব্বাস
প্রথম ব্যক্তি যিনি বসরায় আরাফাহ উদযাপন করেছেন ৷ তিনি মিম্বরে আরোহণ করে সুরা
বাকারা ও সুরা আলে ইমরান পাঠ করেন এবং অক্ষরে অক্ষরে সুরা দু টোর তাফসীর করেন ৷
হাদীসে বর্ণিত ,,১ এর ব্যাখ্যার কুতায়বা বলেন, প্রু শব্দটি গ্লুএ৷ থেকে উৎপন্ন যার অর্থ
প্রবাহ ৷ যেমন, আল্লাহ্ তা জানা বলেন


السَّحُوقُ عَلَى الْوَدِيِّ الصِّغَارِ، وَقَالَ لَيْثُ بْنُ أَبِي سُلَيْمٍ: قُلْتُ لِطَاوُسٍ: لِمَ لَزِمْتَ هَذَا الْغُلَامَ - يَعْنِي ابْنَ عَبَّاسٍ - وَتَرَكْتَ الْأَكَابِرَ مِنَ الصَّحَابَةِ؟ فَقَالَ: إِنِّي رَأَيْتُ سَبْعِينَ مِنَ الصَّحَابَةِ إِذَا تَدَّارَءُوا فِي شَيْءٍ صَارُوا إِلَى قَوْلِهِ. وَقَالَ طَاوُسٌ أَيْضًا: مَا رَأَيْتُ أَفْقَهَ مِنْهُ. قَالَ: وَمَا خَالَفَهُ أَحَدٌ قَطُّ فَتَرَكَهُ حَتَّى يُقَرِّرَهُ. وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ، وَيَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، وَأَبُو نُعَيْمٍ، وَغَيْرُهُمْ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيجٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ: مَا رَأَيْتُ مِثْلَهُ قَطُّ، وَلَقَدْ مَاتَ يَوْمَ مَاتَ وَإِنَّهُ لَحَبْرُ هَذِهِ الْأُمَّةِ. يَعْنِي ابْنَ عَبَّاسٍ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَغَيْرُهُ، عَنْ أَبِي أُسَامَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ مُجَاهِدٍ. قَالَ: كَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ يُسَمَّى الْبَحْرَ ; لِكَثْرَةِ عِلْمِهِ.
পৃষ্ঠা - ৬৯৮৯
وَرَوَى الْوَاقِدِيُّ، وَالزَّبِيرُ بْنُ بَكَّارٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ أَنَّهُ قَالَ: كَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَمَدَّهُمْ قَامَةً، وَأَعْظَمَهُمْ جَفْنَةً، وَأَوْسَعَهُمْ عِلْمًا. وَقَالَ مُجَاهِدٌ أَيْضًا: مَا رَأَيْتُ أَحَدًا قَطُّ أَعْرَبَ لِسَانًا مِنَ ابْنِ عَبَّاسٍ ; وَعَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، قَالَ: مَا رَأَيْتُ مَجْلِسًا قَطُّ أَجْمَعَ لِكُلِّ خَيْرٍ مِنْ مَجْلِسِ ابْنِ عَبَّاسٍ ; الْحَلَالُ وَالْحَرَامُ وَتَفْسِيرُ الْقُرْآنِ، وَالْعَرَبِيَّةُ وَالشِّعْرُ، وَالطَّعَامُ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: ثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، ثَنَا سُلَيْمُ بْنُ أَخْضَرَ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، قَالَ: أَنْبَأَنِي مَنْ أَرْسَلَهُ الْحَكَمُ بْنُ أَيُّوبَ إِلَى الْحَسَنِ يَسْأَلُهُ: مَنْ أَوَّلُ مَنْ جَمَّعَ بِالنَّاسِ فِي هَذَا الْمَسْجِدِ يَوْمَ عَرَفَةَ؟ فَقَالَ: إِنَّ أَوَّلَ مَنْ جَمَّعَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَكَانَ رَجُلًا مِثَجًّا - أَحْسَبُ فِي الْحَدِيثِ - كَثِيرَ الْعِلْمِ، وَكَانَ يَصْعَدُ الْمِنْبَرَ فَيَقْرَأُ سُورَةَ الْبَقَرَةِ وَيُفَسِّرُهَا آيَةً آيَةً. وَقَدْ
পৃষ্ঠা - ৬৯৯০


আস্তি বর্যণ করেছি ৷মঘমালা হতে প্রবাহমান পানি ৷ ( ৭৮ ১ : )
কারো কারো তে শু১ন্এে অর্থ বিপুল, অনেক ৷ অ৷ ৷বু হড়াময৷ আছ ছুমালী সুত্রে ইউনস ইবন
বৃকাইর বর্ণনা করেন যে, আবু সালিহ বলেনঃ, আমি ইবন ন্নাব্বাস (রা) এর এমন মজলিস
দেখেছি যদি কুরায়শের সব মানুষ তা নিয়ে গৌরব করত, তাহলে তাদের সকলের জন্য তা
গৌবাবর বিষয় হত ৷ আমি দেখেছি যে, তার দরজায় এত মানুষের সমাগম ঘটেছিল যে, সে
কারণে চলাচলের পথ সংকীর্ণ হয়ে পড়েছিল, যার ফলে মানুষ আসা-যাওয়৷ করতে পারছিল ন৷ ৷
আৰু সা ৷লিহ বলেন এই অবস্থায় আমি তার নিকট প্রবেশ করে তার দরজায় এই লোক সমাগমের
কথা অবহিত করলাম ৷৷ তিনি আম ৷াক বললেন, আমার জন্য কিছু পা৷ন আন ৷ আবু সা ৷লিহ বলেন
তিনি ৷ন ওষু করলেন এবং বসে ৷পড়লেন তারপর বললেন, তুমি বাইরে গিয়ে তাদেরকে বল যে
ব্যক্তি ৩কুরআন, কুরআনের বর্ণমালা এবং ভারত তাৎপর্য সম্পর্কে জিজ্ঞা৷স ৷করতে চায়, সে যেন
ভেতরে প্রবেশ করে৷ আবু সালিহ বলেন, ফলে আমি বের হলাম এবং জনতার মাঝে ঘোষণাটা
দিলাম ৷ তারা প্রবেশ করল ৷ এমনকি ঘরও কক্ষ ভরে গেল ৷ তারা ৩ ৷ক যা বা প্রশ্ন করেছে
তািন্গু ৷ তার প্রতিটির জবাব দিয়েছেন তারা প্রশ্ন বা করেছে, তার চাইতেও অধিক জ্ঞান দান
করেছেন ৷ তারপর বললেন, তোমরা তোমাদের ভাইদের নিকট চলে যাও ৷ তারা বেরিয়ে গেল ৷
তারপর তিনি বললেন, তুমি বাইরে গিয়ে বল, যারা হালাল-হারাম, ও ফিক্হ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা
করতে চায় তারাপ্ৰবেশ করুন ৷ এমনকি তারা বর ও কক্ষ ভরে ফেলল ৷ তারা তাকে যা যা প্রশ্ন
করল, তি তার জবাব দান করেন ৷ এমনকি জিজ্ঞাসার অধিক জ্ঞান দান করেন ৷
তারপর বললেন, তোমরা তোমাদের ভাইয়ের নিকট চলে যাও ৷ তারা বেরিয়ে গেল ৷
তারপর তিনি বললেন, তুমি বাইরে গিয়ে বল, যারা উত্তরাধিকার বন্টন প্রভৃতি বিষয়ে জানতে
চায় তারা ভেতরে প্রবেশ করুন ৷ আমি বেরিয়ে গিয়েত ৷সব জানিয়ে দিলাম ৷ যখন তারা
ভেতরে প্রবেশ করল এবং কক্ষ ও ঘর ভরে ফেলল, তারা তাকে যা যা জিজ্ঞাসা করল তিনি
তার জবাব দিলেন ৷ এমনকি অতিরিক্ত জ্ঞান দান করলেন ৷ তারপর তিনি বললেন, তোমরা
তোমাদের ভাইদের নিবল্ট ফিরে যাও ৷ তারা বেরিয়ে গেল ৷ তারপর তিনি বললেন, তুমি
বাইরে গিয়ে বল, যারা আরবী ভাষা ও দুর্বোধ্য শব্দ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে চায়, তারা
ভেতরে প্রবেশ করুন ৷ আমি বাইরে গিয়ে তাদের মাঝে ঘোষণা দিলাম ৷ তারা ভেতরে প্রবেশ
করল ৷ এমনকি তারা ঘর ও কক্ষ ভরে ফেলল,৩ তারা তাকে যা যা ৷জজ্ঞাস৷ করল,৩ তিনি
তাদেরকে তার জবাব দেন ৷ এমনকি জিজ্ঞাসার অধিক জ্ঞান দান করেন ৷ তারপর বললেন,
তোমরা তোমাদের ভাইদের নিকট চলে যাও ৷ তার বাবেরিয়ে গেল ৷ আবু সালিহ বলেন,
কুরায়শাদর প্রতিটি মানুষ যদিত ৷নিয়ে গৌরব করত৩ ত ৷গৌরবের বিষয় হত ৷ আমি অন্য
কারো ক্ষেত্রে এরুপ দৃশ্য দেখিনি ৷
তাউস ও মাইমুন ইবন মিহরান বলেন, আমরা ইবন উমর (রা) অপেক্ষা অধিক মুত্তাকী
এবং ইবন আব্বাস (রা ) অপেক্ষা বড় ফিকাহবিদ আর কাউকে দেখিনি ৷ মাইমুন বলেন, ইবন
আব্বাস (বা) উভয়ের মধ্যে বড় ফিকাহ্বিদ ছিলেন ৷ শুরাইক আল কাজী বর্ণনা করেন যে,
মাসবুক বলেন, আমি যখন ইবন আব্বাস (রা) কে দেখতাম, রলতামইনি সব চাইতে সুন্দর
মানুষ ৷ তিনি যখন কথা বলতেন, বলতাম ইনি সব চাইতে স্পষ্টভাষী মানুষ ৷ আর যখন তিনি

€মাো



رُوِيَ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ نَحْوُهُ. وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُسْلِمِ بْنِ قُتَيْبَةَ الدِّينَوَرِيُّ: رَوَى سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي بَكْرِ الْهُذَلِيِّ، عَنِ الْحَسَنِ قَالَ: كَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَوَّلَ مَنْ عَرَّفَ بِالْبَصْرَةِ ; صَعِدَ الْمِنْبَرَ فَقَرَأَ الْبَقَرَةَ، وَآلَ عِمْرَانَ فَفَسَّرَهُمَا حَرْفًا حَرْفًا، وَكَانَ مِثَجًّا. قَالَ ابْنُ قُتَيْبَةَ: مِثَجًّا مِنَ الثَّجِّ وَهُوَ السَّيَلَانُ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {وَأَنْزَلْنَا مِنَ الْمُعْصِرَاتِ مَاءً ثَجَّاجًا} [النبأ: 14] وَقِيلَ: كَثِيرًا بِسُرْعَةٍ. وَقَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ: حَدَّثَنَا أَبُو حَمْزَةَ الثُّمَالِيُّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، قَالَ: لَقَدْ رَأَيْتُ مِنَ ابْنِ عَبَّاسٍ مَجْلِسًا لَوْ أَنَّ جَمِيعَ قُرَيْشٍ فَخَرَتْ بِهِ لَكَانَ لَهَا فَخْرًا، لَقَدْ رَأَيْتُ النَّاسَ اجْتَمَعُوا حَتَّى ضَاقَ بِهِمُ الطَّرِيقُ، فَمَا كَانَ أَحَدٌ يَقْدِرُ عَلَى أَنْ يَجِيءَ وَلَا يَذْهَبَ. قَالَ: فَدَخَلْتُ عَلَيْهِ فَأَخْبَرْتُهُ بِمَكَانِهِمْ عَلَى بَابِهِ. فَقَالَ لِي: ضَعْ لِي وَضَوْءًا. قَالَ: فَتَوَضَّأَ وَجَلَسَ، وَقَالَ: اخْرُجْ فَقُلْ لَهُمْ: مَنْ كَانَ يُرِيدُ أَنْ يَسْأَلَ عَنِ الْقُرْآنِ وَحُرُوفِهِ وَمَا أُرِيدَ مِنْهُ فَلْيَدْخُلْ. قَالَ: فَخَرَجْتُ
পৃষ্ঠা - ৬৯৯১
فَآذَنْتُهُمْ فَدَخَلُوا حَتَّى مَلَئُوا الْبَيْتَ وَالْحُجْرَةَ، فَمَا سَأَلُوهُ عَنْ شَيْءٍ إِلَّا أَخْبَرَهُمْ عَنْهُ وَزَادَهُمْ مِثْلَ مَا سَأَلُوا عَنْهُ أَوْ أَكْثَرَ. ثُمَّ قَالَ: إِخْوَانَكُمْ. فَخَرَجُوا. ثُمَّ قَالَ: اخْرُجْ فَقُلْ: مَنْ كَانَ يُرِيدُ أَنْ يَسْأَلَ عَنْ تَفْسِيرِ الْقُرْآنِ أَوْ تَأْوِيلِهِ فَلْيَدْخُلْ. قَالَ: فَخَرَجْتُ، فَآذَنْتُهُمْ. قَالَ: فَدَخَلُوا حَتَّى مَلَئُوا الْبَيْتَ وَالْحُجْرَةَ، فَمَا سَأَلُوهُ عَنْ شَيْءٍ إِلَّا أَخْبَرَهُمْ بِهِ، وَزَادَهُمْ مِثْلَ مَا سَأَلُوا أَوْ أَكْثَرَ. ثُمَّ قَالَ: إِخْوَانَكُمْ، فَخَرَجُوا، ثُمَّ قَالَ: اخْرُجْ فَقُلْ: مَنْ أَرَادَ أَنْ يَسْأَلَ عَنِ الْحَلَالِ وَالْحَرَامِ وَالْفِقْهِ فَلْيَدْخُلْ. فَخَرَجْتُ فَقُلْتُ لَهُمْ، فَدَخَلُوا حَتَّى مَلَئُوا الْبَيْتَ وَالْحُجْرَةَ، فَمَا سَأَلُوهُ عَنْ شَيْءٍ إِلَّا أَخْبَرَهُمْ بِهِ وَزَادَهُمْ مِثْلَهُ، ثُمَّ قَالَ إِخْوَانَكُمْ. فَخَرَجُوا ثُمَّ قَالَ: اخْرُجْ فَقُلْ مَنْ أَرَادَ أَنْ يَسْأَلَ عَنِ الْفَرَائِضِ وَمَا أَشْبَهَهَا فَلْيَدْخُلْ. قَالَ: فَخَرَجْتُ فَآذَنْتُهُمْ فَدَخَلُوا حَتَّى مَلَئُوا الْبَيْتَ وَالْحُجْرَةَ. فَمَا سَأَلُوهُ عَنْ شَيْءٍ إِلَّا أَخْبَرَهُمْ بِهِ وَزَادَهُمْ مِثْلَهُ، ثُمَّ قَالَ: إِخْوَانَكُمْ. فَخَرَجُوا، ثُمَّ قَالَ: اخْرُجْ فَقُلْ مَنْ أَرَادَ أَنْ يَسْأَلَ عَنِ الْعَرَبِيَّةِ وَالشِّعْرِ وَالْغَرِيبِ مِنَ الْكَلَامِ فَلْيَدْخُلْ. قَالَ: فَدَخَلُوا حَتَّى مَلَئُوا الْبَيْتَ وَالْحُجْرَةَ، فَمَا سَأَلُوهُ عَنْ شَيْءٍ إِلَّا أَخْبَرَهُمْ بِهِ وَزَادَهُمْ مِثْلَهُ. قَالَ أَبُو صَالِحٍ: فَلَوْ أَنَّ قُرَيْشًا كُلَّهَا فَخَرَتْ بِذَلِكَ لَكَانَ فَخْرًا،
পৃষ্ঠা - ৬৯৯২


ইয়াকুব ইবন সৃফিয়ান বর্ণনা করেন যে, ইকরিমা বলেছেন, ইবন আব্বাস (রা) কুরআনের
বড় আলিম ছিলেন আর আলী (রা) ছিলেন মুবহাম বিষয়ে তার চাইতে বড় আলিম ৷

ইসহাক ইবন রাহয়াই বলেন, বিষয়টা তেমনই ছিল ৷ কারণ ইবন আব্বাস (বা) আলী
(রা) এর তাফসীর বিদ্যা অর্জন করেছেন ৷ তার সঙ্গে যোগ করেছেন আবু বকর, উমর,
উসমান ও উবাই ইবন কাব (রা) প্রমুখ শীর্ষস্থানীয় সাহাবীদের ইলম ৷ সঙ্গে ছিল রাসুলল্লাহ্
(সা)এর দুআ আল্লাহ্ যেন তাকে কিতড়াবের জ্ঞান দান করেন ৷

আবু মুআবিয়া আমাশ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আবু ওয়ায়িল বলেছেন, ইবন আব্বাস (রা)
হবজ্জর সময় ভাষণ দান করেন ৷ তিনি সুরা বাকারা তিলাওয়াত করে ভাষণ শুরু করেন ৷ তিনি
সুরাটির তাফসীর পেশ করেন ৷ শুনে আমি বললাম, এই ব্যক্তির বক্তব্যের ন্যায় বক্তব্য আর
শুনিনি ৷ পারস্য ও রােমবাসী যদি তা শুনত, তাহলে তারা অবশ্যই মুসলমান হয়ে যেত

আবু বকর ইবন আয়্যাশ বর্ণনা করেন যে, যে বছর হযরত উসমান (বা) শহীদ হন, ইবন
আব্বাস (রা) সে বছর ৷লাকদেরকে নিয়ে হজ্জ পরিচালনা করেন ৷ সেই হত্তজ্জ্বর ভাষণে তিনি
সুরা আন-নুর তিলাওয়াত করেন ৷ সম্ভবত প্রথম ভাষণটি ছিল হযরত আলী (রা)এর আমলে ৷
সেই হত্জ্জ তিনি সুরাতুল বাকারা পাঠ করেছিলেন ৷ আর উসমান (রা)-এর সময় পাঠ
করেছিলেন আন-নুর ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, আমি সেইসব জ্ঞানে সুগভীর জ্ঞানী
লোকদের একজন, যারা সঠিক ব্যাখ্যা জানেন ৷ মুজাহিদ বলেন, আমি দৃবার ইবন আব্বাসকে
কুরআন৩ তিলাওয়াত করে শুনিয়েছি ৷ তখন আমি প্রতিটি আঘাতের নিকট থেমে যেতাম এবং সে
ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসা করতাম ৷ ইবন আব্বাস থেকে আরো বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন,
কুরআনের চারটি শব্দ এমন আছে, আমি সেগুলোর মম জানি না ৷ সেগুলো হল :া ;া৷
ষ্া,ষ্৷ ,,ন্১া৷ ,ণ্ প্রুষ্কৃ)া৷ এই চারটি শব্দ ব্যতীত আমি কুরআনের সবই জানি ৷

ইবন ওহ্ব প্রমুখ সুফিয়ান ইবন উঅইিন৷ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, উবাইদল্লাহ্ ইবন আবু
যিয়াদ বলেছেন, ইবন আব্বাস (রা) কে কোন প্রশ্ন করা হলে যদি তা আল্লাহর কিভাবে
থাকত তাহলে তার জবাব দিতেন ৷ যদি তা আল্লাহর কিভাবে না থাকত এবং হাদীসে থাকত,

তাহলে এর জবাব দিতেন ৷ যদি রাসুলের হাদীসেও না পাওয়া যেত এবং আবু বকর উমর

(রা) থেকে পাওয়া যেত তাহলে তার জবাব দিতেন ৷ অন্যথায় ইজতিহাদ করে নিজের
অভিমত ব্যক্ত করতেন ৷

ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান বর্ণনা করেন যে, আবদুল্লাহ্ ইবন বুরাইদা বলেছেন, এক ব্যক্তি
ইবন আব্বাস (রা) কে গালমন্দ করল ৷ জবাবে তিনি তাকে বললেন, তুমি আমাকে পালি
দিয়েছ; অথচ আমার মধ্যে তিনটি গুণ আছে ৷ আমি যখন কুরআনের কোন আয়াত তিলাওয়াত
করি, তখন কামনা করি এই আঘাতের মর্ম আমি যেমন জানি, সকল মানুষ তা জানুক ৷ যখন
আমি কোন মুসলিম বিচারক সম্পর্কে শুনতে পাই যে,৩ তিনি ইনৃসাফ ও ন্যায় নীতির সঙ্গে
বিচার করেন, আমি তাতে আন ৷নন্দিত হই এবৎত তার পক্ষে আহবান জানাই ৷ অথচ এমন কোন
সম্ভাবনা নেই যে, কখনো আমি তার কাছে বিচার প্রার্থী হব ৷ আমি যখন শুনতে পাই যে,
মুসলমানদের অমুক ভুখণ্ডে বৃষ্টি বর্ষিত হচ্ছে, তখন আমি উৎফুল্ল ইে ৷ অথচ, সেখানে কখনোই
আমার কোন পশুপাল ছিল না ৷ ইমাম বায়হাকী যথাক্রমে হাকিম আসান্ম, হাসান ইবন মুকরিম
ও ইয়াযীদ ইবন হারুন সুত্রে কাহমাস থেকে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷


فَمَا رَأَيْتُ مِثْلَ هَذَا لِأَحَدٍ مِنَ النَّاسِ. وَقَالَ طَاوُسٌ، وَمَيْمُونُ بْنُ مِهْرَانَ: مَا رَأَيْنَا أَوْرَعَ مِنَ ابْنِ عُمَرَ، وَلَا أَفْقَهَ مِنَ ابْنِ عَبَّاسٍ. قَالَ مَيْمُونٌ: وَكَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَفْقَهَهُمَا. وَقَالَ شُرَيْكٌ الْقَاضِي، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ قَالَ: كُنْتُ إِذَا رَأَيْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ قُلْتُ: أَجْمَلُ النَّاسِ. فَإِذَا نَطَقَ قُلْتُ: أَفْصَحُ النَّاسِ. فَإِذَا تَحَدَّثَ قُلْتُ: أَعْلَمُ النَّاسِ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ الْخِرِّيتِ، عَنْ عِكْرِمَةَ قَالَ: كَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَعْلَمَهُمَا بِالْقُرْآنِ، وَكَانَ عَلِيٌّ أَعْلَمَهُمَا بِالْمُبْهَمَاتِ. وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ رَاهَوَيْهِ: إِنَّمَا كَانَ كَذَلِكَ ; لِأَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ كَانَ قَدْ أَخَذَ مَا عِنْدَ عَلِيٍّ مِنَ التَّفْسِيرِ، وَضَمَّ إِلَى ذَلِكَ مَا أَخَذَهُ عَنْ أَبِي بَكْرٍ، وَعُمَرَ، وَعُثْمَانَ، وَأُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ، وَغَيْرِهِمْ مِنْ كِبَارِ الصَّحَابَةِ، مَعَ
পৃষ্ঠা - ৬৯৯৩
دُعَاءِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَهُ أَنْ يُعَلِّمَهُ اللَّهُ الْكِتَابَ. وَقَالَ أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ شَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ قَالَ: خَطَبَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَهُوَ عَلَى الْمَوْسِمِ فَافْتَتَحَ سُورَةَ الْبَقَرَةِ فَجَعَلَ يَقْرَؤُهَا وَيُفَسِّرُ، فَجَعَلْتُ أَقُولُ: مَا رَأَيْتُ وَلَا سَمِعْتُ كَلَامَ رَجُلٍ مِثْلَهِ، لَوْ سَمِعَتْهُ فَارِسُ وَالرُّومُ لَأَسْلَمَتْ. وَقَدْ رَوَى أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ حَجَّ بِالنَّاسِ عَامَ قَتْلِ عُثْمَانَ، فَقَرَأَ سُورَةَ النُّورِ فَفَسَّرَهَا. وَذَكَرَ نَحْوَ مَا تَقَدَّمَ، فَلَعَلَّ الْأَوَّلَ كَانَ فِي زَمَانِ عَلِيٍّ، فَقَرَأَ فِي تِلْكَ الْحَجَّةِ سُورَةَ الْبَقَرَةِ، وَفِي فِتْنَةِ عُثْمَانَ سُورَةَ النُّورِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رُوِّينَا عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ: أَنَا مِنَ الرَّاسِخِينَ فِي الْعِلْمِ الَّذِينَ يَعْلَمُونَ تَأْوِيلَهُ، وَقَالَ مُجَاهِدٌ: عَرَضْتُ الْقُرْآنَ عَلَى ابْنِ عَبَّاسٍ مَرَّتَيْنِ، مِنْ أَوَّلِهِ إِلَى آخِرِهِ، أَقِفُ عِنْدَ كُلِّ آيَةٍ فَأَسْأَلُهُ عَنْهَا. وَرُوِيَ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৬৯৯৪


ইবন আবু ষুলাইকা বলেছেন আমি মদীনা থেকে মক্কা পর্যন্ত ইবন আব্বাস (রা)-এর সঙ্গে
সফর করি ৷ তিনি নামায দু বাকাআত করে আমার করতেন ৷ রাতে একন্থানে অবস্থান গ্রহণ
করলেন ৷ তিনি মধ্যরাতে দাড়িয়ে দাড়িয়ে নামায পড়লেন এবং বর্ণে বর্ণে তারভীল করে
কুরআন৩ তিলাওয়াত করলেন ও তাতে উচ্চস্বরে ত্রুন্দন করলেন এবং ;,হ্র ষ্া শ্,
অর্থ৪ মৃত্যু যস্ত্রণ৷ সত্যিই আসবে, এ থেকে
তোমরা অব্যাহতি চেয়ে এসেছ (৫০ : ১৯) আয়াতটি পাঠ করলেন ৷
মু ৩ মেয়ে ইবন সুলাইমান বর্ণনা করেছেন যে, শু আইব গালের যে স্থানঢিতে অশ্রু প্রবাহিত
হয়, নিজের সেই স্থানটির প্রতি ইশারা করে বলেছেন, ইবন আব্বাস (রা)-এর এই জায়গায়
কান্নাব্ল কারণে পুরাতন ফিতার ন্যায় দাগ পড়ে গিয়েছিল ৷ অন্যরা বলেন, ইবন আব্বাস (রা)
সোম ও বৃহস্পতিবার রোয৷ রাখতেন এবং বলা তেন, আমি চাই রে ৷যাদার অবস্থায় আমার আমল
উপস্থাপিত হোক ৷ হাশিম , প্রমুখ আলী ইবন যায়দ ও ইউসুফ ইবন মিহ্রান সুত্রে ইবন আব্বাস
(বা) থেকে বর্ণনা করেন, রোম সম্রাট হযরত মৃআবিয়া (বা) এর নিকট পত্র লিখেন ৷ তাতে
তিনি মু আবিয়া (রা) কে কয়েকটি প্রশ্ন করেন ৷ তা-হল আল্লাহর নিকট সবচাইতে প্রিয় বাক্য
কী ? আল্লাহর নিকট সবচইিতে সম্মানিত পুরুষ কে ? আল্লাহর নিকট সবাপেক্ষা মযদািসম্পন্ন
নারী কে ? সেই চারটি প্রাণী কি ? যাদের মধ্যে আত্মা আছে, কিন্তু তারা মাতৃউদরে নড়াচড়া
করেনি ৷ কোন কবর তার অধিবাসীদের নিয়ে চলাচল করেছিল? প্পৃথিবীর কােনৃ ভুখণ্ডে একবার
ব্যতীত সুর্যোদয় হয়নি ? র০ ধনু (কাউস কুযাহ) কী জিনিস ? এবং মাজাররা কী ?
হযরত মুআবিয়া (বা) পত্র লিখে ইবন আব্বাস (রা) এর নিকট প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে
চান ৷ ইবন আব্বাস (বা) মুআবিয়া (রা)কে লিখে পাঠান
আল্লাহর নিকট সবচইিতে প্রিয় বাক্য হল
আল্লাহর নিকট সবচাইতে মযাদা সম্পন্ন পুরুষ হলেন আদম (আ) ৷ তাকে তিনি নিজ
’ কুদরভী হাতে সৃষ্টি করেছেন, তার মধ্যে তার রুহ থেকে সঞ্চারিত করেছেন, তার সম্মুখে
নিজের ফেরেশতাগণকে সিজদাবনত করিয়েছেন এবং তাকে সকল বস্তুর নাম শিক্ষা দিয়েছেন ৷
আল্লাহর নিকট সবচইিতে সম্মানিতা নারী হলেন মারয়াম বিনৃত ইমরান ৷ যে চারটি প্রাণী
মাতৃউদরে নড়াচড়া করেনি; তারা হলেন, আদম (আ), হাওয়া (আ), মুসা (আ) এর লাঠি এবং
হযরত ইবরাহীম (আ) এর সেই দুম্ব৷ যেটি ইসমাঈল (আ) এর বদলে কুরবানী করা হয়েছিল ৷
এক বর্ণনায় স লিহ (আ) এর উন্থীর কথা বলা হয়েছে ৷ যে কবর তার অধিবাসীদের নিয়ে
ভ্রমণ করেছিল, সেটি হল ইউনুস (আ) এর মৎস্য ৷ যে জায়পাঢিতে সুর্য একবারের বেশী
পৌছেনি, সমুদ্র, যখন সেটি মুসা (আ) এর জন্য দ্বিখণ্ডিত হয়, যাতে বনু ইসরাঈল অতিক্রম

করেছিল ৷ কাউস কুযাহ’ (র০ ধনু) হল পৃথিবীবাসীর জন্য নিমজ্জন থেকে নিরাপত্তা ৷ মাজাবৃরাণ্

হল আকাশে অবস্থিত একটি দরজা ৷
রোমের স্যাট জবাব পাঠ করে বিস্মিত হলেন এবং বললেন, আল্লাহর শপথ ! এই জবাব
য়ুআ ৷বিয়ার নয়, এটা তার বক্তব্যও নয় ৷ এই জবাব নিশ্চয় নবী পরিবারের কারো না কারো হবে ৷
এসব প্রশ্ন সম্বলিত আরো বহু রে ওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে, যার কোন কোনটি সন্দেহমুক্ত
নয় ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ওো৷া


أَرْبَعٌ مِنَ الْقُرْآنِ لَا أَدْرِي مَا هِيَ ; الْأَوَّاهُ، وَالْحَنَّانُ، وَالرَّقِيمُ، وَالْغِسْلِينُ، وَكُلُّ الْقُرْآنِ أَعْلَمُهُ إِلَّا هَذِهِ الْأَرْبَعَ. وَقَالَ ابْنُ وَهْبٍ وَغَيْرُهُ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي يَزِيدَ، قَالَ: كَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ إِذَا سُئِلَ عَنْ مَسْأَلَةٍ ; فَإِنْ كَانَتْ فِي كِتَابِ اللَّهِ قَالَ بِهَا، وَإِنْ لَمْ تَكُنْ وَهِيَ فِي السُّنَّةِ قَالَ بِهَا، فَإِنْ لَمْ يَقُلْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوَجَدَهَا عَنْ أَبِي بَكْرٍ، وَعُمَرَ قَالَ بِهَا، وَإِلَّا اجْتَهَدَ رَأْيَهُ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنَ بْنُ حَمَّادٍ الشَّعْبِيُّ، عَنْ كَهْمَسِ بْنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، قَالَ: شَتَمَ رَجُلٌ ابْنَ عَبَّاسٍ فَقَالَ: إِنَّكَ لَتَشْتُمُنِي وَفِيَّ ثَلَاثُ خِصَالٍ، إِنِّي لَآتِي عَلَى الْآيَةِ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ فَلَوَدِدْتُ أَنَّ النَّاسَ عَلِمُوا مِنْهَا مِثْلَ الَّذِي أَعْلَمُ، وَإِنِّي لَأَسْمَعُ بِالْحَاكِمِ مِنْ حُكَّامِ الْمُسْلِمِينَ يَقْضِي بِالْعَدْلِ، فَأَفْرَحُ بِهِ، وَلَعَلِّي لَا أُقَاضِي إِلَيْهِ، وَلَا أُحَاكِمُ أَبَدًا، وَإِنِّي لَأَسْمَعُ بِالْغَيْثِ يُصِيبُ الْأَرْضَ مِنْ أَرْضِ الْمُسْلِمِينَ فَأَفْرَحُ بِهِ،
পৃষ্ঠা - ৬৯৯৫
وَمَا لِي بِهَا مِنْ سَائِمَةٍ أَبَدًا. وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ، عَنِ الْحَاكِمِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ مَكْرَمٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ، عَنْ كَهْمَسٍ بِهِ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: سَأَلَ رَجُلٌ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنْ قَوْلِهِ تَعَالَى {أَنَّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ كَانَتَا رَتْقًا فَفَتَقْنَاهُمَا} [الأنبياء: 30] فَقَالَ: كَانَتِ السَّمَاءُ رَتْقًا لَا تَمْطُرُ، وَالْأَرْضُ رَتْقًا لَا تُنْبِتُ، فَفَتَقَ هَذِهِ بِالْمَطَرِ، وَهَذِهِ بِالنَّبَاتِ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ: صَحِبْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى مَكَّةَ، وَكَانَ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ، فَإِذَا نَزَلَ قَامَ شَطْرَ اللَّيْلِ، وَيُرَتِّلُ الْقُرْآنَ يَقْرَأُ حَرْفًا حَرْفًا، وَيُكْثِرُ فِي ذَلِكَ مِنَ النَّشِيجِ وَالنَّحِيبِ، وَيَقْرَأُ {وَجَاءَتْ سَكْرَةُ الْمَوْتِ بِالْحَقِّ ذَلِكَ مَا كُنْتَ مِنْهُ تَحِيدُ} [ق: 19] وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ، عَنِ الْمُعْتَمِرِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ شُعَيْبِ بْنِ دِرْهَمٍ، قَالَ: كَانَ فِي هَذَا الْمَكَانِ - وَأَوْمَأَ إِلَى مَجْرَى الدُّمُوعِ مِنْ خَدَّيْهِ - مِنْ خَدَّيِ ابْنِ عَبَّاسٍ - مِثْلُ الشِّرَاكِ الْبَالِي مِنَ الْبُكَاءِ. وَقَالَ غَيْرُهُ: كَانَ يَصُومُ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ وَالْخَمِيسِ، وَيَقُولُ: أُحِبُّ أَنْ يُرْفَعَ عَمَلِي وَأَنَا صَائِمٌ. وَرَوَى هُشَيْمٌ
পৃষ্ঠা - ৬৯৯৬
وَغَيْرُهُ عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مِهْرَانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ مَلِكَ الرُّومُ كَتَبَ إِلَى مُعَاوِيَةَ يَسْأَلُهُ عَنْ أَحَبِّ الْكَلَامِ إِلَى اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، وَمَنْ أَكْرَمُ الْعِبَادِ عَلَى اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، وَمَنْ أَكْرَمُ الْإِمَاءِ عَلَى اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، وَعَنْ أَرْبَعَةٍ فِيهِمُ الرُّوحُ لَمْ يَرْكُضُوا فِي رَحِمٍ، وَعَنْ قَبْرٍ سَارَ بِصَاحِبِهِ، وَعَنْ مَكَانٍ فِي الْأَرْضِ لَمْ تَطْلُعْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ إِلَّا مَرَّةً وَاحِدَةً، وَعَنْ قَوْسِ قُزَحَ مَا هُوَ؟ وَعَنِ الْمَجَرَّةِ. فَبَعَثَ مُعَاوِيَةُ فَسَأَلَ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنْهُنَّ، فَكَتَبَ ابْنُ عَبَّاسٍ إِلَيْهِ: أَمَّا أَحَبُّ الْكَلَامِ إِلَى اللَّهِ فَسُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ، وَأَكْرَمُ الْعِبَادِ عَلَى اللَّهِ آدَمُ، خَلَقَهُ بِيَدِهِ، وَنَفَخَ فِيهِ مِنْ رُوحِهِ، وَأَسْجَدَ لَهُ مَلَائِكَتَهُ، وَعَلَّمَهُ أَسْمَاءَ كُلِّ شَيْءٍ، وَأَكْرَمُ الْإِمَاءِ عَلَى اللَّهِ مَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ، وَأَمَّا الْأَرْبَعَةُ الَّذِينَ لَمْ يَرْكُضُوا فِي رَحِمٍ، فَآدَمُ وَحَوَّاءُ، وَعَصَا مُوسَى، وَكَبْشُ إِبْرَاهِيمَ الَّذِي فَدَى بِهِ إِسْمَاعِيلَ - وَفِي رِوَايَةٍ: وَنَاقَةُ صَالِحٍ - وَأَمَّا الْقَبْرُ الَّذِي سَارَ بِصَاحِبِهِ فَهُوَ حُوتُ يُونُسَ، وَأَمَّا الْمَكَانُ الَّذِي لَمْ تُصِبْهُ الشَّمْسُ إِلَّا مَرَّةً وَاحِدَةً فَهُوَ الْبَحْرُ الَّذِي انْفَلَقَ لِمُوسَى حَتَّى جَازَ بَنُو إِسْرَائِيلَ فِيهِ، وَأَمَّا قَوْسُ قُزَحَ فَأَمَانٌ لِأَهْلِ الْأَرْضِ مِنَ الْغَرَقِ، وَالْمَجَرَّةُ بَابُ السَّمَاءِ، وَفِي رِوَايَةٍ: الَّذِي تَنْشَقُّ مِنْهُ، فَلَمَّا قَرَأَ مَلِكُ الرُّومِ ذَلِكَ أَعْجَبَهُ، وَقَالَ: وَاللَّهِ مَا هِيَ مِنْ عِنْدِ مُعَاوِيَةَ، وَلَا مِنْ قَوْلِهِ، وَإِنَّمَا هِيَ مِنْ عِنْدِ أَهْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَدْ وَرَدَ فِي هَذِهِ
পৃষ্ঠা - ৬৯৯৭

পরিচ্ছেদ

৩৫ হিজরী সনে হযরত উসমান ইবন আফফান (রা)শ্এর নির্দোশ ইবন আব্বাস (রা) হজ্জ
পরিচালনার দায়িতু গ্রহণ করেন ৷ উসমান (রা) তখন অবরুদ্ধ ৷ তার এই অনুপস্থিতিতেই
উসমান (রা) নিহত হন ৷ ইবন আব্বাস (রা) হযরত আলী (রা)-এর সঙ্গে জামাল যুদ্ধে
অশংগ্রহণ করেছিলেন ৷ সিফ্ফীন যুদ্ধে তিনি বাম বাহুর দায়িত্ব পালন করেছিলেন ৷ তিনি
খারেজী বিরোধী যুদ্ধেও উপস্থিত ছিলেন এবং আলী (রা)এর পক্ষ থেকে বসরার গভর্নরের
দায়িত্ব পালন করেছিলেন ৷ তিনি যখন বসর৷ থেকে বের হতেন তখন আবুল আসওয়াদ
দুয়ালীকে নামাষের এবং যিয়াদ ইবন আবুসুফিয়ানকে৷ খ ৷জন৷ উসুলেব জন্য স্থলাভিষিক্ত নিযুক্ত
করে যেতেন ৷ বসৰাবাসী তার জন্য ঈর্যর্ণীয় ছিল ৷ তিনি তাদেরকে ফিকাহ শিক্ষা দিতেন,

তাদের অজ্ঞদেরকে জ্ঞান দান করতেন, অপরাধীদেরকে উপদেশ দিতেন এবং গরীবদেরকে
দান করতেন ৷ আলী (রা) এর মৃত ত্যু পর্যন্ত তিনি বসরার গভর্নর হািলন ৷ তবে কথিত আছে

যে, হযরত আলী (রা)ত তার মৃত্যুর প্রাক্কালে তাকে বরখাস্ত করেছিলেন ৷ পরে তিনি হযরত
মুআবিয়৷ (রা) এর নিকট চলে যান ৷ মুআবিয়া (রা) তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে বরণ করে নেন এবং
তাকে ঘনিষ্ট করে নেন ৷ মুআবিয়৷ (রা) জটিল জটিল সমস্যাগুলো তার সম্মুখে উপস্থাপন
করতেন এবং তিনি ঝটপট তার জবাব দিয়ে দিতেন ৷ সে কারণে মুআবিয়া (রা) বলতেন,
ইবন আব্বাস অপেক্ষা উপস্থিত দ্রুত জবাব দেয়ার মানুষ আমি আর দেখিনি ৷ যখন হযরত
হাসান (রা)-এর মৃত্যুর বার্তা আসে তখন ইবন আব্বাস (রা) ঘটনাক্রাম মুআবির৷ (না)-এর
নিকট উপ ৩ছিলেন ৷ ফলে তিনি তার মৃত্যুতে উত্তমরুপে সমবেদনা প্রকাশ করেন ৷ আমরা
এবিষয়ে পুর্বে আলোচনা করেছি ৷ মুআবির৷ (রা)ত তার পুত্রকে প্রেরণ করলে তিনি ইবন
আব্বাস (রা) এর সম্মুখে উপরেশন ব্যক্ত করেন ৷ এর জন্য ইবন আব্বাস (বা) তার প্রতি
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ৷ হযরত ঘুআবিয়৷ (রা) এর মৃত্যুর পর হযরত হুসাইন (রা) যখন
ইরাক চলে যাওয়ার মনস্থু করেন, তখন ইবন আব্বাস (রা)ত তাকে কঠোরভ৷ ৷বে নিষেধ করেন ৷
ইবন আব্বাস (রা) তার কাপড় ধরে ঝুলে থাকতে চেয়েছিলেন ৷ কারণ ইবন আব্বাস (রা)
জীবনের শেষ সময়ে দৃষ্টিহীন হয়ে গিয়েছিলেন ৷ কিন্তু হুসাইন (রা) তার আবেদন গ্রহণ
করলেন না ৷ পরবর্তীতে যখন তিনি হুসাইন (রা) এর শাহাদতের সংবাদ শুনলেন, তখন তিনি
চরমভাবে শোক সস্তপ্ত হলেন এবং ঘরেই পড়ে রইলেন ৷ তিনি বলতে ন, হে জিহ্ব৷ ! ভাল কথা
বল, বিনা পরিশ্রমে বিনিময় লাভ করার ৷ মন্দ কথন থেকে নীরব থাক, নিরাপদ থাকবে ৷
কেননা, যদি তুমি তা না কর, তাহলে অনুতপ্ত হবে ৷

জুনদুব নামক এক ব্যক্তি ইবন আব্বাস (রা) এর নিকট এসে বলল, আমাকে উপদেশ

দিন ৷ তিনি বললেন, আমি তোমাকে আল্লাহ্র একতু অবলম্বনের, তার জ্যা আমল করার
সালাত আদায় করার এবং যাকাত আদায় করার উপদেশ দিচ্ছি ৷ কারণ, এরপর তুমি যত
নেক ও সৎকর্ম করবে সেগুলো গৃহীত হবে এবং আল্লাহর সমীপে উথিত হবে ৷ হে জুনদুব !
তুমি (ত আমার মৃত্যু দ্বারা (করল ভৈনকট্যকেই বৃদ্ধি করবে ৷ কাজেই তুমি বিদায়ীর নামাযের ন্যায়
নামায আদায় কর এবং দুনিয়াতে এমনভাবে জীবন-যাপন কর, যেন একজন মুসাফির ৷
কেননা, তুমি কবরবাসীদের একজন ৷ আর তুমি তোমার পাপের জন্য কান্নাকাটি কর এবং


الْأَسْئِلَةِ رِوَايَاتٌ كَثِيرَةٌ، وَزِيَادَاتٌ كَثِيرَةٌ فِيهَا، وَفِي بَعْضِهَا نَظَرٌ ; أَنَّهُ سَأَلَهُ عَنْ مَنْ لَا قَبْلَ لَهُ، وَعَنْ مَنْ لَا عَشِيرَةَ لَهُ، وَعَنْ مَنْ لَا أَبَ لَهُ، وَعَنْ شَيْءٍ، وَنِصْفِ شَيْءٍ، وَلَا شَيْءٍ، وَأَرْسَلَ قَارُورَةً ; فَقَالَ: ابْعَثْ إِلَيَّ فِي هَذِهِ بِبَزْرِ كُلِّ شَيْءٍ. فَكَتَبَ إِلَيْهِ يَقُولُ: أَمَّا الَّذِي لَا قَبْلَ لَهُ فَاللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، وَأَمَّا مَنْ لَا عَشِيرَةَ لَهُ فَآدَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَأَمَّا مَنْ لَا أَبَ لَهُ فَعِيسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَأَمَّا عَنْ شَيْءٍ فَهُوَ الْعَاقِلُ يَعْمَلُ بِعَقْلِهِ، وَأَمَّا نِصْفُ شَيْءٍ، فَالَّذِي لَهُ عَقْلٌ وَيَعْمَلُ بِرَأْيِ غَيْرِهِ، وَأَمَّا لَا شَيْءَ فَالَّذِي لَا عَقْلَ لَهُ وَلَا يَعْمَلُ بِعَقْلِ غَيْرِهِ. وَمَلَأَ الْقَارُورَةَ مَاءً وَقَالَ: هَذَا بَزْرُ كُلِّ شَيْءٍ. فَأَعْجَبَ ذَلِكَ مَلِكَ الرُّومِ جِدًّا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [تَوَلِّي ابْنِ عَبَّاسٍ إِمَامَةَ الْحَجِّ سَنَةَ خَمْسٍ وَثَلَاثِينَ، بِأَمْرِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ] فَصَلٌ (تَوَلِّي ابْنِ عَبَّاسٍ إِمَامَةَ الْحَجِّ سَنَةَ خَمْسٍ وَثَلَاثِينَ بِأَمْرِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ) تَوَلَّى ابْنُ عَبَّاسٍ إِمَامَةَ الْحَجِّ سَنَةَ خَمْسٍ وَثَلَاثِينَ بِأَمْرِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ لَهُ وَهُوَ مَحْصُورٌ، وَفِي غَيْبَتِهِ هَذِهِ قُتِلَ عُثْمَانُ. وَحَضَرَ مَعَ عَلِيٍّ يَوْمَ الْجَمَلِ، وَكَانَ عَلَى الْمَيْسَرَةِ يَوْمَ صِفِّينَ، وَشَهِدَ قِتَالَ الْخَوَارِجِ، وَتَأَمَّرَ عَلَى الْبَصْرَةِ مِنْ جِهَةِ عَلِيٍّ، فَكَانَ إِذَا خَرَجَ مِنْهَا يَسْتَخْلِفُ أَبَا الْأَسْوَدِ الدُّؤَلِيَّ عَلَى الصَّلَاةِ، وَزِيَادَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ عَلَى الْخَرَاجِ، وَكَانَ أَهْلُ الْبَصْرَةِ مَغْبُوطِينَ بِهِ، يُفَقِّهُهُمْ وَيُعَلِّمُ جَاهِلَهُمْ، وَيَعِظُ مُجْرِمَهُمْ، وَيُعْطِي فَقِيرَهُمْ، فَلَمْ يَزَلْ عَلَيْهَا حَتَّى مَاتَ عَلِيٌّ، وَيُقَالُ: إِنَّ عَلِيًّا عَزَلَهُ عَنْهَا قَبْلَ مَوْتِهِ، ثُمَّ وَفَدَ عَلَى مُعَاوِيَةَ، فَأَكْرَمَهُ وَقَرَّبَهُ وَاحْتَرَمَهُ
পৃষ্ঠা - ৬৯৯৮


ঢুচ্ছ বিবেচিত হয় যেন নতুমি দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পেছ এর০ আল্লাহর ইনসাফের নিকট
চলে থেছ ৷ যা ৷তুমি পেছনে রেখে যাবে তা দ্বারা তুমি উপকৃত হবে না ৷ তোমার আমল ছাড়া
কিছুই তোমার উপকা ৷র করবে না৷ ষ্

কেউ কেউ বলেন, ইবন আব্বাস (বা) এমন কিছু বাক্য দ্বারা উপদেশ প্রদান করেন, যা গাঢ়
কাল রঙের অশ্বপাল অপেক্ষা উত্তম ৷ তিনি বলেছেন, স্থান না দেখে অনর্থক কথা বলবে না ৷
কোন নির্বোধ লোকের সঙ্গে ঝগড়া করবে না এবং কে ন সহনশীল লোকের সঙ্গেও নয় ৷
কেননা, সহনশীল ওে ৷মাকে পরাজিত করে দেবে আর নিবেধি করবে অপদন্থ ৷ তোমার
ভাইয়ের অগােচরে তার সমাভ্রু ৷৷চনড়া করবে না ৷ করলেও ততট্রুকু, যতটুকু তোমার অগােচরে
তোমার সমালোচনা করা তুমি পছন্দ কর ৷ যে ব্যক্তি জা নে তাকে সৎ কর্মের জন্য পুরস্কৃত এবং
অপকর্মের জন্য পাক,ড়াও করা হবে, তুমি সেই ব্যক্তির আমলের ন্যায় আমল কর ৷ শুনে
উপস্থিত এক লোক বলে উঠল, এ তাে দশ হাজার দীনার অপেক্ষা উত্তম হে ইবন আব্বাস ৷
ইবন আব্বাস (রা) বললেন, এর এক একটি শব্দ দশ হাজার দীনার অপেক্ষা উত্তম ৷ ইবন
আব্বাস (বা) আরো বললেন, সৎকর্মের পুর্ণতা হল, তা দ্রুত সম্পাদন করে ফেলা, তাকে ছোট
জ্ঞান করা এবং গোপন রাখা ৷ অর্থাৎ তুমি যাকে দান করবে তাকে দ্রুত দিয়ে দেবে যাকে দান
করা হল,৩ তার চোখে নিজে ছোট হয়ে থাকবে এবং তাকে মানুষ থেকে গোপন রাখবে তা
প্রচার করবে না ৷ কেননা, দানের কথা প্রচার করে বেঃড়ালে রিয়ার (লোক দেখানোর) দ্বার
খুলে যায়, যাকে দান করা হয়েছে, তার মন ভেঙে যায় এবং যে মানুষের কাছে লজ্জিত হয় ৷
ইবন আব্বাস (রা ) আরো বলেন, আমার নিকট সবচাইতে সম্মানিত ব্যক্তি হলেন সহচর ৷ তার
মুখে মাছি বসা প্রতিহত করা যদি আমার পক্ষে সম্ভব হয়, আমি অবশ্যই তাও করব ৷ তিনি
আরো বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজের প্রয়োজন যেটানাের প্রত্যাশা নিয়ে আমার নিকট এসে
আমাকে তার জন্য অপারগ পেল, তার বাংলা অ্াল্লাহ্ ছাড়া কেউ দিতে পারবে না ৷ তেমনি যে
ব্যক্তি আমাকে প্রথমে সালাম করল কিংবা মজলিসে আমার জন্য জায়গা করে দিল কিংবা
আমাকে স্থান দেয়ার জন্য মজলিস থেকে উঠে গেল কিংবা যে ব্যক্তি তৃষ্ণার সময় আমাকে
পানি পান করাল এবং যে ব্যক্তি নেপথ্য থেকে আমার হয়ে প্রতিশোধ করল, তার বদলাও
আল্লাহ ব্যতীত আর কেউ দিতে পারবে না ৷

ইবন আব্বাস (বা) এর এসব গুণাবলী বিষয়ক বর্ণনা অনেক ৷ আমরা যেসব বর্ণনা উল্লেখ
করেছি, তাতে যেগুলো উল্লেখ করিনি, তার প্ৰতি ইঙ্গিত রয়েছে ৷

হাইছম ইবন আদী ইবন আব্বাস (রা ) কে বিশিষ্ট দৃষ্টিহীন ব্যক্তিদের মধ্যে গণ্য করেছেন ৷
তার থেকে বর্ণিত কোন কো ন হাদীস এ দাবির পক্ষে প্রমাণ বহন করে ৷ যখন তার একটি চক্ষু
দৃষ্টিহীন হয়ে গেল তখন তার দেহ শীর্ণ হয়ে গেল ৷ পরে যখন অপর চােখটিও আক্রান্ত হল,
তখন তার দেহে গোশত ফিরে এল ৷ এ ব্যাপারে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে৩ তিনি বললেন,
প্রথম চে খটি দৃষ্টিহীন হওয়ার পর ৫৩ ৷মর৷ আমাকে যে বিপদগ্রস্থ হতে দেখেছ, তা হয়েছিল
অপরটি নষ্ট হওয়ার অশঙ্কায় ৷৩ তারপর যখন দু টিই চলে গেল তখন আমার মন শান্ত হল ৷

আলী ইবনুল জা দ সুত্রে আবুল কাসিম বগবী বর্ণনা করেছেন যে, ইবন আব্বাস (রা) এর
চোখে পানি জমে গিয়েছিল ৷ ডাক্তার তাকে বললেন আমি আপনার চোখ থেকে পানি সরিয়ে
দেব ৷ শর্ত হল, আপনি সাতদিন নামায পড়বেন না ৷ জবাবে ইবন আব্বাস (বা) বললেন, না,

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৬৮

وَعَظَّمَهُ، وَكَانَ يُلْقِي عَلَيْهِ الْمَسَائِلَ الْمُعْضِلَةَ فَيُجِيبُ فِيهَا سَرِيعًا، فَكَانَ مُعَاوِيَةُ يَقُولُ: مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَحَضَرَ جَوَابًا مِنَ ابْنِ عَبَّاسٍ. وَلَمَّا جَاءَ الْكِتَابُ بِمَوْتِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ اتَّفَقَ كَوْنُ ابْنِ عَبَّاسٍ عِنْدَ مُعَاوِيَةَ فَعَزَّاهُ فِيهِ بِأَحْسَنِ تَعْزِيَةٍ، وَرَدَّ عَلَيْهِ ابْنُ عَبَّاسٍ رَدًّا حَسَنًا كَمَا قَدَّمْنَا، وَبَعَثَ مُعَاوِيَةُ ابْنَهُ يَزِيدَ فَجَلَسَ بَيْنَ يَدَيِ ابْنِ عَبَّاسٍ فَعَزَّاهُ بِعِبَارَةٍ فَصِيحَةٍ بَلِيغَةٍ وَجِيزَةٍ، شَكَرَهُ عَلَيْهَا ابْنُ عَبَّاسٍ - وَقَدْ تَقَدَّمَ ذَلِكَ أَيْضًا - وَلَمَّا مَاتَ مُعَاوِيَةُ وَرَامَ الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخُرُوجَ إِلَى الْعِرَاقِ، نَهَاهُ ابْنُ عَبَّاسٍ أَشَدَّ النَّهْيِ، وَأَرَادَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَنْ يَتَعَلَّقَ بِثِيَابِ الْحُسَيْنِ ; - لِأَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ كَانَ قَدْ أَضَرَّ فِي آخِرِ عُمْرِهِ - فَلَمْ يَقْبَلْ مِنْهُ، فَلَمَّا بَلَغَهُ مَوْتُهُ حَزِنَ عَلَيْهِ حُزْنًا شَدِيدًا وَلَزِمَ بَيْتَهُ، وَكَانَ يَقُولُ: يَا لِسَانُ قُلْ خَيْرًا تَغْنَمْ، وَاسْكُتْ عَنْ شَرٍّ تَسْلَمْ، فَإِنَّكَ إِنْ لَا تَفْعَلْ تَنْدَمْ، وَجَاءَ إِلَيْهِ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: جُنْدَبٌ. فَقَالَ لَهُ أَوْصِنِي: فَقَالَ: أُوصِيكَ بِتَوْحِيدِ اللَّهِ، وَالْعَمَلِ لَهُ، وَإِقَامِ الصَّلَاةِ وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، فَإِنَّ كُلَّ خَيْرٍ أَنْتَ آتِيهِ بَعْدَ ذَلِكَ مَقْبُولٌ، وَإِلَى اللَّهِ مَرْفُوعٌ، يَا جُنْدَبُ، إِنَّكَ لَنْ تَزْدَادَ مِنْ يَوْمِكَ إِلَّا قُرْبًا، فَصَلِّ صَلَاةَ مُوَدِّعٍ، وَأَصْبِحْ فِي الدُّنْيَا كَأَنَّكَ غَرِيبٌ مُسَافِرٌ، فَإِنَّكَ مِنْ أَهْلِ الْقُبُورِ، وَابْكِ عَلَى ذَنْبِكَ، وَتُبْ مِنْ خَطِيئَتِكَ، وَلْتَكُنِ الدُّنْيَا عَلَيْكَ أَهْوَنَ مِنْ شِسْعِ
পৃষ্ঠা - ৬৯৯৯
نَعْلِكَ، وَكَأَنْ قَدْ فَارَقْتَهَا وَصِرْتَ إِلَى عَدْلِ اللَّهِ، وَلَنْ تَنْتَفِعَ بِمَا خَلَّفْتَ، وَلَنْ يَنْفَعَكَ إِلَّا عَمَلُكَ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: أَوْصَى ابْنُ عَبَّاسٍ بِكَلِمَاتٍ خَيْرٍ مِنَ الْخَيْلِ الدُّهْمِ قَالَ: لَا تَكَلَّمَنَّ فِيمَا لَا يَعْنِيكَ حَتَّى تَرَى لَهُ مَوْضِعًا، وَلَا تُمَارِيَنَّ سَفِيهًا وَلَا حَلِيمًا ; فَإِنَّ الْحَلِيمَ يَغْلِبُكَ وَالسَّفِيهَ يَزْدَرِيكَ، وَلَا تَذْكُرَنَّ أَخَاكَ إِذَا تَوَارَى عَنْكَ إِلَّا بِمَثَلِ الَّذِي تُحِبُّ أَنْ يَتَكَلَّمَ فِيكَ إِذَا تَوَارَيْتَ عَنْهُ، وَاعْمَلْ عَمَلَ رَجُلٍ يَعْلَمُ أَنَّهُ مَجْزِيٌّ بِالْإِحْسَانِ مَأْخُوذٌ بِالْإِجْرَامِ. فَقَالَ رَجُلٌ عِنْدَهُ: يَابْنَ عَبَّاسٍ، هَذَا خَيْرٌ مِنْ عَشَرَةِ آلَافٍ. فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: كَلِمَةٌ مِنْهُ خَيْرٌ مِنْ عَشَرَةِ آلَافٍ. وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: تَمَامُ الْمَعْرُوفِ تَعْجِيلُهُ وَتَصْغِيرُهُ وَسَتْرُهُ. يَعْنِي أَنْ تُعَجَّلَ الْعَطِيَّةَ لِلْمُعْطَى، وَأَنْ تَصْغُرَ فِي عَيْنِ الْمُعْطِي، وَأَنْ تَسَتُرَهَا عَنِ النَّاسِ فَلَا تُظْهِرَهَا ; فَإِنَّ فِي إِظْهَارِهَا فَتْحَ بَابِ الرِّيَاءِ وَكَسْرَ قَلْبِ الْمُعْطَى، وَاسْتِحْيَاءَهُ مِنَ النَّاسِ. وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: أَعَزُّ النَّاسِ عَلَيَّ جَلِيسِي ; لَوِ اسْتَطَعْتُ أَنْ لَا يَقَعَ الذُّبَابُ عَلَى وَجْهِهِ لَفَعَلْتُ. وَقَالَ أَيْضًا: لَا يُكَافِئُ مَنْ أَتَانِي يَطْلُبُ حَاجَةً فَرَآنِي لَهَا مَوْضِعًا إِلَّا اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، وَكَذَا رَجُلٌ بَدَأَنِي بِالسَّلَامِ، أَوْ أَوْسَعَ لِي فِي مَجْلِسٍ، أَوْ قَامَ لِي عَنِ الْمَجْلِسِ أَوْ رَجُلٌ سَقَانِي شَرْبَةَ مَاءٍ عَلَى ظَمَأٍ،
পৃষ্ঠা - ৭০০০


যে ব্যক্তি শক্তি থাকা সত্বে ও নামায ত্যাগ করল, যে আল্লাহর সঙ্গে এমন অবস্থায় সাক্ষাৎ করবে
যে, তিনি৩ার উপর অসম্ভষ্ট থাকবেন ৷ অপর এক বর্ণনায় আছে,৩ তাকে বলা হয়েছিল, আমি
আপনার চোখ থেকে এই শর্তে প নি বের করে দেব যে, আপনি পাচদিন এক স্থানে পড়ে
থাকবেন এবং কাঠ ছাড়া অন্য কিছুর উপর নামায পড়রেন না ৷ এক বর্ণনায় আছে, শুয়ে শু য়ে
নামায আদায় করবেন ৷ জবাবে তিনি বললেন, না, আল্লাহর শপথ ! এক রাকআতও নয় ৷
কারণ, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে এক ওয়াক্ত নামায ত্যাগ করল, যে আল্লাহর সঙ্গে এমন
অবস্থায় সাক্ষাৎ করবে যে তিনি তার উপর রুষ্ট থাকবেন ৷
ইবন আব্বাস (রা) যখন দৃষ্টিহীন হয়ে যান তখন আল মাদায়ীনি তার রচিত কয়েকটি
পঙ্ক্তি আবৃত্তি করেন-
দু, :ন্
র্লোণ্ড্র শু ন্ধ্র ,
আল্লাহ্ যদি আমার দু চোখের আলো নিয়ে গিয়ে থাকেন, তো আমার জিহ্বা ও কানে
তাদের আলো রয়েছে ৷
আমার হৃদয় ধী শক্তির অধিকারী এবং আমার বিবেক-বুদ্ধি সিখুত ৷ আমার মুখে আছে
তরবারির ন্যায় ধার ৷’
যখন ইবন যুবাইর ও আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান-এর মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হল, তখন
ইবন আব্বাস ও ইবন হানাফিয়্যা নিজ়নিত ৩ অবলম্বন করলেন ৷ ফলে ইবন যুবাইর তীর হাতে
বায় আত গ্রহণের জন্য তাদেরকে ণ্৩ ষ্কে পাঠান ৷ কিন্তু তারা তার হাতে বায় আত গ্রহণ করতে
অস্বীকার করলেন ৷৩ তারা উভয়েই বললেন, আমরা আপনার হাতে বায়আত গ্রহণ করব না,
আবার আপনার বিরোধিতাও করব না ৷ ফলে ইবন যুবাইর তাদেরকে শায়েস্তা করার উদ্যেগ
গ্রহণ করেন ৷ ইবন আব্বাস ও ইবনুল হ নাফিয্যা আবৃত তুফইিল আমির ইবন ওয়াছিলাকে
প্রেরণ করেন ৷ তিনি ইরাক গিয়ে তাদের গোত্রের লোকদের থেকে তাদের পক্ষে সাহায্য কামনা
করেন ৷ ফলে চার হাজার লোক এসে মক্কায় সমস্বরে তাকবীর ধ্বনি ণ্তালে এবং ইবন যুবাইর-
এর উপর ঝাপিয়ে পড়ে ৷ ইবন যুবাইর পালিয়ে গিয়ে কা বার পর্দা ধরে ঝুলে পড়েন এবং
বললেন, আমি আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি ৷ ফলে জনতা তার থেকে নিবৃত্ত থাকে ৷
তারপর তারা ইবন আব্বাস ও ইবনুল হানাফিয়্যার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে যায় ৷ অপরদিকে
ইবন যুবাইর তাদের বাড়ি-ঘরের চারপার্থে কাঠ জড়ো করে রাখেন ৷ উদ্দেশ্য তিনি তাদের
বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে ফেলবেন ৷ ফলে তারা ইবন আব্বাস ও ইবনুল হানাফিয়া৷কে নিয়ে তায়িফ
চলে যায় ৷ ইবন আব্বাস (রা) দু’ বছর কারো হাতে রায়আত গ্রহণ না করেই তায়িফে অবস্থান
করেন, যেমনটা পুর্বে আলোচিত হয়েছে ৷
হিজরী আটষট্টি সনে ইবন আব্বাস (রা)৩ ৩ায়িফে ইনতিকাল করেন এবং মুহাম্মাদ ইবনুল
হানা ৷ফিয়্যা তার নামায়ে জ ৷নাযায় ইমামতি করেন ৷ কবরে নামানাের জন্য যখন ৩াকে উত্তোলন
করা হল তখন সাদা বর্ণের এমন একটি পাখি আসল, যার গঠন-আকৃতির পাখি কখনো দেখা
যায়নি ৷ পাখিটি৩ ৷র কাফনের ভিতর ঢুকে কাফনের সঙ্গে জড়িয়ে গেল ৷ অগত্য৷ পাখিটিকেও তার


أَوْ رَجُلٌ حَفِظَنِي بِظَهْرِ الْغَيْبِ. وَالْمَأْثُورُ عَنْهُ مِنْ هَذِهِ الْمَكَارِمِ كَثِيرٌ جِدًّا، وَفِيمَا ذَكَرْنَا إِشَارَةٌ إِلَى مَا لَمْ نَذْكُرْهُ. وَقَدْ عَدَّهُ الْهَيْثَمُ بْنُ عَدِيٍّ فِي الْعُمْيَانِ مِنَ الْأَشْرَافِ، وَفِي بَعْضِ الْأَحَادِيثِ الْوَارِدَةِ عَنْهُ مَا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ. وَقَدْ أُصِيبَتْ إِحْدَى عَيْنَيْهِ فَنَحَلَ جِسْمُهُ، فَلَمَّا أُصِيبَتِ الْأُخْرَى عَادَ إِلَيْهِ لَحْمُهُ فَقِيلَ فِي ذَلِكَ، فَقَالَ: أَصَابَنِي مَا رَأَيْتُمْ فِي الْأُولَى شَفَقَةً عَلَى الْأُخْرَى، فَلَمَّا ذَهَبَتَا اطْمَأَنَّ قَلْبِي. وَقَالَ أَبُو الْقَاسِمِ الْبَغَوِيُّ: ثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ، ثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ وَقَعَ فِي عَيْنِهِ الْمَاءُ فَقِيلَ لَهُ: نَنْزِعُ مَنْ عَيْنِكَ الْمَاءَ، عَلَى أَنَّكَ لَا تُصَلِّي سَبْعَةَ أَيَّامٍ؟ فَقَالَ: لَا، إِنَّهُ مَنْ تَرْكَ الصَّلَاةَ وَهُوَ يَقْدِرُ عَلَيْهَا لَقِيَ اللَّهَ وَهُوَ عَلَيْهِ غَضْبَانُ. وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّهُ قِيلَ لَهُ: نُزِيلُ هَذَا الْمَاءَ مِنْ عَيْنِكَ عَلَى أَنْ تَبْقَى خَمْسَةَ أَيَّامٍ لَا تُصَلِّي إِلَّا عَلَى عُودٍ، وَفِي رِوَايَةٍ: إِلَّا مُسْتَلْقِيًا، فَقَالَ: لَا، وَاللَّهِ وَلَا رَكْعَةً وَاحِدَةً، إِنَّهُ مَنْ تَرَكَ صَلَاةً وَاحِدَةً مُتَعَمِّدًا، لَقِيَ اللَّهَ وَهُوَ عَلَيْهِ غَضْبَانُ. وَقَدْ أَنْشَدَ الْمَدَائِنِيُّ لِابْنِ عَبَّاسٍ حِينَ عَمِيَ: إِنْ يَأْخُذِ اللَّهُ مِنْ عَيْنَيَّ نُورَهُمَا ... فَفِي لِسَانِي وَسَمْعِي مِنْهُمَا نُورُ قَلْبِي ذَكِيٌّ وَعَقْلِي غَيْرُ ذِي دَخَلٍ ... وَفِي فَمِي صَارِمٌ كَالسَّيْفِ مَأْثُورُ
পৃষ্ঠা - ৭০০১
وَلَمَّا وَقَعَ الْخُلْفُ بَيْنَ ابْنِ الزُّبَيْرِ وَبَيْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، اعْتَزَلَ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَمُحَمَّدُ ابْنُ الْحَنَفِيَّةِ النَّاسَ، فَدَعَاهُمَا ابْنُ الزُّبَيْرِ ; لِيُبَايِعَاهُ فَأَبَيَا عَلَيْهِ، وَقَالَ كُلٌّ مِنْهُمَا: لَا نُبَايِعُكَ وَلَا نُخَالِفُكَ، فَهَمَّ بِهِمَا، فَبَعَثَا أَبَا الطُّفَيْلِ عَامِرَ بْنَ وَاثِلَةَ فَاسْتَنْجَدَ لَهُمَا مِنَ الْعِرَاقِ مِنْ شِيعَتِهِمَا فَقَدِمَ أَرْبَعَةُ آلَافٍ فَكَبَّرُوا بِمَكَّةَ تَكْبِيرَةً وَاحِدَةً، وَهَمُّوا بِابْنِ الزُّبَيْرِ، فَانْطَلَقَ ابْنُ الزُّبَيْرِ هَارِبًا وَتَعَلَّقَ بِأَسْتَارِ الْكَعْبَةِ، وَقَالَ: أَنَا عَائِذٌ بِاللَّهِ. فَكَفُّوهُمْ عَنْهُ، ثُمَّ مَالُوا إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ، وَابْنِ الْحَنَفِيَّةِ وَقَدْ حَمَلَ ابْنُ الزُّبَيْرِ حَوْلَ دُورِهِمُ الْحَطَبَ لِيَحْرِقَهُمْ، فَخَرَجُوا بِهِمَا حَتَّى نَزَلُوا الطَّائِفَ، وَأَقَامَ ابْنُ عَبَّاسٍ سَنَتَيْنِ لَمْ يُبَايِعْ أَحَدًا، كَمَا تَقَدَّمَ. فَلَمَّا كَانَ فِي سَنَةِ ثَمَانٍ وَسِتِّينَ تُوُفِّيَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ بِالطَّائِفِ، وَصَلَّى عَلَيْهِ مُحَمَّدُ ابْنُ الْحَنَفِيَّةِ، وَقَالَ: مَاتَ الْيَوْمَ حَبْرُ هَذِهِ الْأُمَّةِ. فَلَمَّا وَضَعُوهُ لِيُدْخِلُوهُ فِي قَبْرِهِ جَاءَ طَائِرٌ أَبْيَضُ لَمْ يُرَ مِثْلُ خِلْقَتِهِ، فَدَخَلَ فِي أَكْفَانِهِ وَالْتَفَّ فِيهَا حَتَّى دُفِنَ مَعَهُ. قَالَ عَفَّانُ: فَكَانُوا يَرَوْنَهُ
পৃষ্ঠা - ৭০০২


সঙ্গে দাফন করা হল ৷ আফ্ফান বলেন, লোকেরা একে তার ইল্াম ও আমল বলে অভিহিত
কবতেন ৷ তারপর যখন তাকে কবরে রাখা হল, তখন অজ্ঞাত পরিচয় এক তিলাওয়াতকাবী
তিলাওয়াত করল ৷ এক বর্ণনায় আছে যে তারা তার কবর থেকে ইৰু,া ৰুা৷ ;,এ্া দ্বুএ্৷ ৷ ,;ঙ্

হে প্রশান্ত চিত্ত তুমি তোমার প্রতিপালকের নিকট ফিরে এস সন্তুষ্ট ও সন্তোষভজ্যো
হয়ে (সুরা আল-ফাজর-এর ২৮নৎ-এ এই আয়াতটি শুনেছে ৷

ইবন আব্বাস (রা)-এর ওফাত সংক্রান্ত এই অভিমতটিকে একাধিক ইমাম সঠিক সাব্যস্ত
করেছেন ৷ ইমাম আহমাদ ইবন হাস্বল, ওয়াকিদী এবং ইবন আসাকির এ ব্যাপারে সস্পষ্ট
বক্তব্য প্রদান করেছেন তেষট্টি হিজরীতে ৷ কারো মতে, তেহাত্তর হিজরীতে ৷ কারো মতে,
সাতষট্টি হিজরীতে ৷ কারো মতে, উনসত্তর হিজরীতে ৷ কারো মতে, সত্তর হিজরীতে ৷ তবে
প্রথম অভিমতটি সৰ্বাধিক বিশুদ্ধ এবং এই সব কটি অভিমতই বিরল একক বর্ণনা ও
প্ৰভ্যাথ্যাত ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ ইনতিকালের সময় হযরত ইবন আব্বাস (না)-এর বয়স
ছিল বাহাত্তর বছর ৷ কারো কারো মতে, একাত্তর বছর ৷ কারো মতে, চুয়াত্তর বছর ৷ তবে প্রথম
অভিমতটি অধিকতর সঠিক ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইবন আব্বাস (রা)-এর গঠন৷ আ কৃতি

ইবন আব্বাস (বা) স্থুলকায় লোক ছিলেন ৷ তিনি যখন বসতে ন, দুইজনের জায়গা নিয়ে
বসতেন ৷ তিনি সুদর্শন ছিলেন ৷ তার আকর্ণ লম্বিত চুল ছিল,মাথার সম্মুখভাগের চুল থেকে
গিয়েছিল ৷ তিনি মেহেদী দ্বারা থেযাব করতেন ৷ কারো কারো মতে কাল রং দ্বারা ৷ তিনি নিজে
সুশ্ৰী ছিলেন, সুন্দর পোশাক পরিধান করতেন এবং এত বেশী সুগন্ধি ব্যবহার করতেন যে,
যখন তিনি পথ চলতেন, মহিলারা বলত, ইনি ইবন আব্বাস’ কিৎব৷ এই লোকঢির সঙ্গে
যেশক আছে ৷ ’ তিনি সুন্দর যুখাবয়ব, ফর্সা, লম্বা, স্থুলকায় এবং শুদ্ধভাষী ছিলেন ৷ তিনি যখন
দৃষ্টিহীন হয়ে যান, তখন তীর শরীর ঈষৎ হরিদ্র৷ বর্ণ ধারণ করে ৷

আব্বাস (রা)-এর পুত্ররা ছিলেন দশজন ৷ তারা হলেন, ফজল, আবদুল্লাহ, উবাইদুল্লাহ্,
মাবাদ, কুছড়াম, আবদুর রহমান, কাহীর, হারিছ, আওন ও তামাম ৷ তাদের সর্বক্নিষ্ঠ হলেন
তামাম ৷ সে কারণে আব্বাস (রা) তাকে বহন করে ফিরতেন এবং বলতেন-

, ৷, ধুব্লু

তার৷ তামাম দ্বারা পুর্ণতা লাভ করল ৷ ফলে তারা দশজন হল ৷ হে বব ! ভুমি তাদেরকে
সম্মানিত ও লেককার বানাও, তাদের তুমি স্মরণীয় বানাও এবং ফল বাড়িয়ে দাও ৷’
ফজল আজনাদাইনের যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন ৷ আবদুল্লাহ মারা যান তায়িফে ৷ উব৷ ৷ইদুল্লাহ্

ইয়েমেনে, মা বাদ ও আবদুর রহমান আফ্রিক য় এবং কুছাম ও কাহীয় ইয়ামবুয়ে ৷ কেউ কেউ
বলেন, কুছাম৷ মারা যান সমরকন্দে ৷

বনু মাখযুমের আযাদকৃত গোলাম মুসলিম ইবন হাম্মাদ বলেছেন, এক মায়ের অনেকগুলো
সন্তান, যারা জন্মগ্রহণ করল একই গৃহে, কিন্তু তাদের কবর একটি থেকে অপরটি দুরে, এরুপ




عِلْمَهُ، فَلَمَّا وُضِعَ فِي اللَّحْدِ تَلَا تَالٍ لَا يُعْرَفُ مَنْ هُوَ - وَفِي رِوَايَةٍ: أَنَّهُمْ سَمِعُوا مِنْ قَبْرِهِ: {يَا أَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ ارْجِعِي إِلَى رَبِّكِ رَاضِيَةً مَرْضِيَّةً فَادْخُلِي فِي عِبَادِي وَادْخُلِي جَنَّتِي} [الفجر: 27] هَذَا الْقَوْلُ فِي وَفَاتِهِ هُوَ الَّذِي صَحَّحَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْأَئِمَّةِ، وَنَصَّ عَلَيْهِ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ وَالْوَاقِدِيُّ، وَابْنُ عَسَاكِرَ، وَهُوَ الْمَشْهُورُ عِنْدَ الْحُفَّاظِ. وَقِيلَ: إِنَّهُ تُوُفِّيَ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ، وَقِيلَ: سَنَةَ ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ، وَقِيلَ: سَنَةَ سَبْعٍ وَسِتِّينَ. وَقِيلَ: سَنَةَ تِسْعٍ وَسِتِّينَ، وَقِيلَ: سَنَةَ سَبْعِينَ، وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ، وَهَذِهِ الْأَقْوَالُ كُلُّهَا شَاذَّةٌ غَرِيبَةٌ مَرْدُودَةٌ. وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ. وَكَانَ عُمْرُهُ يَوْمَ مَاتَ ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ سَنَةً. وَقِيلَ إِحْدَى وَسَبْعِينَ. وَقِيلَ أَرْبَعًا وَسَبْعِينَ. وَالْأَوَّلُ أَصَحُّ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [صِفَةُ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ] كَانَ جَسِيمًا إِذَا قَعَدَ يَأْخُذُ مَكَانَ رَجُلَيْنِ، جَمِيلًا لَهُ وَفْرَةٌ، قَدْ شَابَ مُقَدَّمُ رَأْسِهِ، وَشَابَتْ لِمَّتُهُ، وَكَانَ يَخْضِبُ بِالْحِنَّاءِ، وَقِيلَ: بِالسَّوَادِ. حَسَنَ الْوَجْهِ،
পৃষ্ঠা - ৭০০৩
يَلْبَسُ حَسَنًا وَيُكْثِرُ مِنَ الطِّيبِ، بِحَيْثُ إِنَّهُ كَانَ إِذَا مَرَّ فِي الطَّرِيقِ تَقُولُ النِّسَاءُ: هَذَا ابْنُ عَبَّاسٍ. أَوْ: رَجُلٌ مَعَهُ مِسْكٌ، وَكَانَ وَسِيمًا أَبْيَضَ، طَوِيلًا، صَبِيحًا، فَصِيحًا، وَلَمَّا عَمِيَ اعْتَرَى لَوْنَهُ صُفْرَةٌ يَسِيرَةٌ، وَقَدْ كَانَ بَنُو الْعَبَّاسِ عَشَرَةً، وَهُمُ الْفَضْلُ، وَعَبْدُ اللَّهِ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ، وَمَعْبَدٌ، وَقُثَمُ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ، وَكَثِيرٌ، وَالْحَارِثُ، وَعَوْنٌ، وَتَمَّامٌ، وَكَانَ أَصْغَرَهُمْ تَمَّامٌ ; وَلِهَذَا كَانَ الْعَبَّاسُ يَحْمِلُهُ وَيَقُولُ: تَمُّوا بِتَمَّامٍ فَصَارُوا عَشَرَهْ ... يَا رَبِّ فَاجْعَلْهُمْ كِرَامًا بَرَرَهْ وَاجْعَلْهُمْ ذِكْرًا وَأَنْمِ الثَّمَرَهْ فَأَمَّا الْفَضْلُ فَمَاتَ بِأَجْنَادِينَ شَهِيدًا، وَعَبْدُ اللَّهِ بِالطَّائِفِ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بِالْيَمَنِ، وَمَعْبَدٌ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بِإِفْرِيقِيَّةَ،، وَقُثَمُ، وَكَثِيرٌ بِيَنْبُعَ وَقِيلَ: إِنَّ قُثَمَ مَاتَ بِسَمَرْقَنْدَ. وَقَدْ قَالَ مُسْلِمُ بْنُ قَمَّادِينَ الْمَكِّيُّ مَوْلَى بَنِي مَخْزُومٍ: مَا رَأَيْتُ مِثْلَ بَنِي أُمٍّ وَاحِدَةٍ أَشْرَافًا، وُلِدُوا فِي دَارٍ وَاحِدَةٍ، أَبْعَدَ قُبُورًا مِنْ بَنِي أُمِّ الْفَضْلِ، ثُمَّ ذَكَرَ مَوَاضِعَ قُبُورِهِمْ، كَمَا تَقَدَّمَ. إِلَّا أَنَّهُ قَالَ: الْفَضْلُ مَاتَ بِالْمَدِينَةِ،، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بِالشَّامِ. وَقَدْ كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ يَلْبَسُ الْحُلَّةَ بِأَلْفِ دِرْهَمٍ، وَكَانَ لَهُ مِنَ الْوَلَدِ
পৃষ্ঠা - ৭০০৪


উম্মুল ফজল ছাড়৷ আশ্৷ আর কারো ণ্,ক্ষত্রে দেখি ৷ন তারপর তিনি তাদের কবরের অবস্থান
উল্লেখ করেন যেমনটি উপরে উল্লিখিত ৩হয়েছে ৷ তবে তিনি বলেছেন, ফজল ইনতিকাল করেন
মদীনায় আর উবাইদুল্লাহ্ সিরিয়ার ৷ ন্

আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) হাজার দিরহাম মুল্যের পোশাক পরিধান করতেন ৷ তার
পুত্রদের মধ্যে দু’জন হলেন আব্বাস ও আলী ৷ অধিক নামায পড়ার কারণে আলীকে সাজ্জাদ’
উপাধিতে অভিহিত করা হত ৷ পৃথিবীর বুকে তিনি ছিলেন সবাপেক্ষ৷ সৃদনি কুরায়শী ৷ কথিত
আছে, তিনি প্ৰতাহ এক হাজার রাকআত নামায আদায় করতেন ৷ কারো কারো মতে, তিনি
পুর্ণ সৌন্দর্য বজায় রেখে রাতেদািন এক হাজার রাকাআত পড়তেন ৷ এই হিসেবে ইনি হলেন
আব্বাসী খলীফাগণের আদী পুরুষ ৷ তার সন্তানদের মধ্যেই খিলাফতে আব্বাসিয়ার সুচন হয় ৷

সংক্রান্ত আলোচনা পরে আসছে ৷

এআবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) এর আরো তিন পুত্র ছিলেন ৷ তারা হলেন, মুহাম্মাদ, ফজল
ও আবদুল্লাহ ৷ এদের ম৷ হলেন যুর আ বিনৃত যুসাবৃরাহ ইবন মাদীক৷ রিব ৷ আসম৷ নাশ্মী তার
আরো এক ত্রী ছিলেন ৷ তিনি ছিলেন উম্মে ওয়ালাদ ৷ তার কয়েকজন আযাদকৃত গােলামও
ছিলেন ৷ তাদের কয়েকজন হলেন ইকরিমা, কুরইব, আবু মা বাদ, শু ব,৷ দাকীক, আবু আমরা
ও আবু উবাইদ ৷ ইবন আব্বাস (বা) এক হাজার ছয়শত সত্তরটি হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ এ
বছর ইনতিকাল করেন আবু শুরাইহ আল-খুযায়ী আল-আদাবী আল-কাবী ৷ ইনার নামের
ব্যাপারে বিভিন্ন অভিমত রয়েছে ৷, তার মধ্যে বিশুদ্ধতম অভিমত হল-থুয়াইলিদ ইবন আমর ৷
ইনি মক্কা বিজয়ের বছর ইসলাম গ্রহণ করেছেন ৷ বনু কা র এর তিনটি পতাকা ৷র একটি তার
হাতে ছিল ৷ মুহাম্মাদ ইবন সা দ বলেনঘ্র তিনি এ বছর ই ইনতিকাল করেন ৷ তার বর্ণিত
অনেকগুলো হাদীসও রয়েছে ৷

এ বছর ইনতিকাল করেন প্রখ্যাত সাহাবী আবু ওয়াকিদী লাইহী (রা) ৷ তার নাম ও তার

বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণের ব্যাপারে মতভিন্নত৷ রয়েছে ৷ ওয়াকিদী বলেন, তিনি আটষট্টি হিজরী
সনে পয়য়ট্টি বছর বয়সে ইনতিকাল করেন একাধিক ঐতিহাসিকগণ তার মৃত্যু তারিখের
ব্যাপারে অনুরুপ অভিমত ব্যক্ত করেছেন ৷ কারো কারো ধারণা, তিনি সত্তর বছর বেচে
ছিলেন ৷ এক বছর মক্কায় অবস্থান করার পর সেখানে ইনতিকাল করেন এবং মুহাজিরদের
কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয় ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷


الْعَبَّاسُ، وَعَلِيٌّ، وَيُدْعَى السَّجَّادَ ; لِكَثْرَةِ صِلَاتِهِ، وَكَانَ أَجْمَلَ قُرَشِيٍّ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ، وَقَدْ قِيلَ: إِنَّهُ كَانَ يُصَلِّي كُلَّ يَوْمٍ أَلْفَ رَكْعَةٍ. وَقِيلَ فِي اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ مَعَ الْجَمَالِ التَّامِّ. وَعَلَى هَذَا فَهُوَ أَبُو الْخُلَفَاءِ الْعَبَّاسِيِّينَ، فَفِي وَلَدِهِ كَانْتِ الْخِلَافَةُ الْعَبَّاسِيَّةُ، كَمَا سَيَأْتِي، وَكَانَ لِابْنِ عَبَّاسٍ أَيْضًا مُحَمَّدٌ، وَالْفَضْلُ، وَعَبْدُ اللَّهِ، وَلُبَابَةُ، وَأُمُّهُمْ زُرْعَةُ بَنَتُ مُسَرَّحِ بْنِ مَعْدِيَكَرِبَ. وَأَسْمَاءُ وَهِيَ لِأُمِّ وَلَدٍ. وَكَانَ لَهُ مِنَ الْمَوَالِي عِكْرِمَةُ، وَكُرَيْبٌ، وَأَبُو مَعْبَدٍ، وَشُعْبَةُ، وَدَقِيقٌ، وَأَبُو عَمْرَةَ، وَأَبُو عُبَيْدٍ، وَمِقْسَمٌ. وَقَدْ أَسْنَدَ أَلْفًا وَسِتَّمِائَةٍ وَسَبْعِينَ حَدِيثًا. وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ. وَفِيهَا تُوُفِّيَ أَبُو شُرَيْحٍ الْخُزَاعِيُّ الْعَدَوِيُّ الْكَعْبِيُّ، اخْتُلِفَ فِي اسْمِهِ عَلَى أَقْوَالٍ ; أَصَحُّهَا خُوَيْلِدُ بْنُ عَمْرٍو، أَسْلَمَ عَامَ الْفَتْحِ، وَكَانَ مَعَهُ أَحَدُ أَلْوِيَةِ بَنِي كَعْبٍ الثَّلَاثَةِ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: مَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَلَهُ أَحَادِيثُ. وَأَبُو وَاقِدٍ اللَّيْثِيُّ، صَحَابِيٌّ جَلِيلٌ مُخْتَلَفٌ فِي اسْمِهِ وَفِي شُهُودِهِ بَدْرًا. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: تُوُفِّيَ سُنَّةَ ثَمَانٍ وَسِتِّينَ، عَنْ خَمْسٍ وَسِتِّينَ سَنَةً، وَكَذَا قَالَ غَيْرُ
পৃষ্ঠা - ৭০০৫
وَاحِدٍ فِي تَارِيخِ وَفَاتِهِ، وَزَعَمَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ عَاشَ سَبْعِينَ سَنَةً. وَكَانَتْ وَفَاتُهُ بِمَكَّةَ بَعْدَمَا جَاوَرَ بِهَا سَنَةً، وَدُفِنَ فِي مَقَابِرِ الْمُهَاجِرِينَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. حُمَيْدُ بْنُ ثَوْرٍ الْهِلَالِيُّ، الشَّاعِرُ الْمَشْهُورُ، قَالَ الشِّعْرَ فِي أَيَّامِ عُمَرَ، وَهُوَ مِنْ فُحُولِ الشُّعَرَاءِ.