আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة سبع وستين

مقتل المختار بن أبي عبيد الثقفي الكذاب على يدي مصعب بن الزبير وأهل البصرة

مقتل المختار بن أبي عبيد الثقفي الكذاب على يدي مصعب بن الزبير وأهل البصرة

পৃষ্ঠা - ৬৯৫০


পড়ে ৷ এভাবে সাপটি অন্যান্য মাথা বাদ দিয়ে৩ তার মাথায় ঢুকতে ও রেরুতে থাকে ৷ ইমাম
তিরমিযী অন্য সুত্রেও অন্য শ্াব্দমালায় এ ক হিনীটি বর্ণনা করেছেন ৷ তার বর্ণনাটি হল
ওয়াসিল ইবন আবদুল আ সা ইবন আবু মুআবিয়া যথাক্রমে আ মাশ, উমার৷ ইবন উমাইর
থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি উবাইদুল্লাহ্ ও তার সহচরদের মস্তকগুলো এনে যখন মসজিদে
রাখ৷ হল, আমি সেদিকে এগিয়ে গেলাম ৷ শুনতে পেলাম জনতা বলছে, এল এল ৷ আমি
তাকিয়ে দেখি একটি সাপ এসে মাথাগুলাের ভেতরে ঢুকে পড়েছে ৷ খানিকক্ষণ অবস্থান করেই
সাপটি বেরিয়ে এসে চলে যায় এবং অদৃশ্য হয়ে যায় ৷ পরক্ষণে লোকে আবারো বলল
এসেছে! এসেছো৷ এবার সর্পঢি দুই কি তিনবার পুর্বের কাণ্ড করে ৷ তিরমিযী বলেন, এটি
হাসান ও সহীহ হাদীস ৷

আবু সুলাহমান ইবন যায়দ বলেন, ঐতিহাসিকদের মতে ইবন যিয়াদ ও হুসাইন ইবন
নুমাইর-এর হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল ছেষট্টি হিজরীতে ৷ তাদের হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্ব দেন ইব্রাহীম
ইবনুল আশতার ৷ তিনিই তাদের মাথাগুলো মুখতার-এর নিকট প্রেরণ করেন এবং মুখতার
সেগুলো ইবন যুবাইর এর নিকট পাঠিয়ে দেয় ৷ পরে এগুলো মক্কা ও মদীনায় স্থাপন করে রাখা
হয় ৷ ইবন আসাকির আবু আহমাদ আল-হাকিম প্রমুখ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, এ ঘটনাটা
ঘটেছিল ছেসট্টি হিজরীতে ৷ আবু আহমাদ অতিরিক্ত করে বলেছেন, এটা ছিল আশুরার দিন ৷
কিন্তু ইবন আসাকির এ ব্যাপারে নীরব থেকেছেন ৷ প্রসিদ্ধ মতে এ ঘটনাটি ঘটেছে সাতযট্টি
হিজরীতে ৷ যেমনটি ইবন জারীর প্রমুখ উল্লেখ করেছেন ৷ কিন্তু এ বছর যুবাইর-এর নিকট
মস্তক প্রেরণ দুঃসাধ্য ছিল বলে প্রতীয়মান হয় ৷ কেননা, এ বছরই মুখতার ও ইবন যুবাইর-
এর মাঝে শত্রুত৷ জোরদার হয়েছিল এবং অল্প ক’দিন পরই ইবন যুবাইর তার ভাই
মুসআবকে আদেশ প্রদান করেন, যেন তিনি বসরা থেকে কৃফ্৷ গিয়ে মুখতারকে অবরোধ
করেন ও তাকে হত্যা করেন ৷ আল্লাহই ভাল জানেন ৷

মুস আব ইবন যুবাইর-এর হাতে মুখতার
ইবন আবু উবাইদ-এর হত্যাকাণ্ড

এ বছর আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর বসরার শাসন ক্ষমতা থেকে হারিছ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবু
প্ রবীআ আল মাখয়ুমীকে-যিনি কুব৷ নামে পরিচিত ছিলেন বরখাস্ত করেন এবং আপন ভাই মুসআব
ইবন যুবাইরকে বসরার গভর্নর নিযুক্ত করেন, যাতে তিনি মুখতারএর মুকাবিলায় তার সমর্থক ও
সহযোগীর ভমিক৷ পালন করতে পারেন ৷ মুসআব নেকাবাবৃত অবস্থায় বসরার ঢুকে মসজিদের মিম্বরে
আরোহণ করতে উদ্যত হন ৷ তিনি যখন যিম্বরে আরোহণ করেন, তখন মানুষ বলতে শুরু করল-
আমীর, আমীর ৷ যখন তিনি নেকাব সরিয়ে ফেলেন, তখন মানুষ তাকে চিনে ফেলে এবং তীর দিকে
এগিয়ে আসে ৷ ইতিমধ্যে কৃবা ও এসে উপস্থিত হলেন এবং তার এক সিড়ি নীচে উপবেশন করেন ৷
লোকেরা সমবেত হলে ঘুসআব ভাষণ দিতে দণ্ডায়মান হন ৷ তিনি সুরা আল-কাসা স-এর প্রথম
থেকে তিলাওয়াত শুরু করেন ৷

(ফেরাউন দেশে পরাক্রমশালী) হয়েছিল এবং তথাকার অধিবাসীবৃন্দকে বিভিন্ন শ্রেণীতে

বিভক্ত করেছিল-২৮০ : এই আয়াত পর্যন্ত পৌছার পর তিনি হাত দ্বারা সিরিয়া কিংবা কুফার
প্ৰতি ইঙ্গিত করেন ৷ও তারপর তিলাওয়াত করলেন-


ذَلِكَ كَانَ فِي سَنَةِ سَبْعٍ وَسِتِّينَ كَمَا ذَكَرَهُ ابْنُ جَرِيرٍ وَغَيْرُهُ. وَلَكِنَّ بَعْثَ الرُّءُوسِ إِلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مُتَعَذِّرٌ ; لِأَنَّ الْعَدَاوَةَ كَانَتْ قَدْ قَوِيَتْ وَتَحَقَّقَتْ بَيْنَ الْمُخْتَارِ، وَابْنِ الزُّبَيْرِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ كَمَا ذَكَرْنَا، وَعَمَّا قَلِيلٍ أَمَرَ ابْنُ الزُّبَيْرِ أَخَاهُ مُصْعَبًا أَنْ يَسِيرَ مِنَ الْبَصْرَةِ إِلَى الْكُوفَةِ لِحِصَارِ الْمُخْتَارِ وَقِتَالِهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [مَقْتَلُ الْمُخْتَارِ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ الثَّقَفِيِّ الْكَذَّابِ عَلَى يَدَيْ مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ وَأَهْلِ الْبَصْرَةِ] كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ قَدْ عَزَلَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَنْ نِيَابَةِ الْبَصْرَةِ الْحَارِثَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ الْمَخْزُومِيَّ الْمَعْرُوفَ بِالْقُبَاعِ، وَوَلَّاهَا لِأَخِيهِ مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ ; لِيَكُونَ رِدْءًا وَقَرْنًا وَكُفُؤًا لِلْمُخْتَارِ، فَلَمَّا قَدِمَ مُصْعَبٌ الْبَصْرَةَ دَخْلَهَا مُتَلَثِّمًا فَيَمَّمَ الْمِنْبَرَ، فَلَمَّا صَعِدَهُ قَالَ النَّاسُ: أَمِيرٌ أَمِيرٌ. فَلَمَّا كَشَفَ اللِّثَامَ عَرَفَهُ النَّاسُ فَأَقْبَلُوا إِلَيْهِ، وَجَاءَ الْقُبَاعُ فَجَلَسَ تَحْتَهُ بِدَرَجَةٍ، فَلَمَّا اجْتَمَعَ النَّاسُ قَامَ مُصْعَبٌ خَطِيبًا، فَاسْتَفْتَحَ (الْقَصَصَ) حَتَّى بَلَغَ {إِنَّ فِرْعَوْنَ عَلَا فِي الْأَرْضِ وَجَعَلَ أَهْلَهَا شِيَعًا} [القصص: 4] وَأَشَارَ بِيَدِهِ نَحْوَ الشَّامِ أَوِ الْكُوفَةِ، ثُمَّ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৬৯৫১




— এ৩ৰ্বা
আমি ইচ্ছা করলাম, সে দেশে যাদেরকে হীনবল করা হয়েছিল, তাদের প্রতি অনুমহ
করতে, তাদেরকে নেতৃতৃ দান করতে ও দেশের অধিকারী হতে এবং তাদেরকে দেশে ক্ষমতায়
প্রতিষ্ঠিত’ (২৮ : ৫) ৷
এই আয়াত তিলাওয়াত করে তিনি হিজাযের প্রতি ইঙ্গিত করেন এবং বললেন, হে বসরার
অধিবাসীগণ! তোমরা তোমাদের শাসকবর্গকে নানা উপাধিতে ষিত করে থাক ৷ আর আমি
আমার নাম রেখেছি জাযযার (কস ই) ৷ ফলে মানুষ তার আগে পাশে সমবেত হল এবং তাকে
পেয়ে খুশী হল ৷৩ তারপর যখন কৃফাবাসী মুখ৩ তারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ কারর পর পরাজিত হল,
ফলে মুখতার তাদের যাকে খুশী হত্যা করল, তখন তারা পরাজয়বরণ করে বসরার চলে যেতে
শুরু করল ৷ তারপর যখন মুখতার যে লেকটি (ইবন ইয়ায়ীদ প্রমুখের) মস্তক ও সুসৎবাদ নিয়ে
এসেছিল, তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বেরিয়ে গেল,তখন মুখতার-এর শক্রদের যারা কুফার
অবশিষ্ট রয়ে গিয়েছিল, তারা তার এই অনুপস্থিতিকে গনীমত হিসেবে গ্রহণ করল তারা
মুখতার এর ধ র্মহীন৩ , কুফরী কর্মকাণ্ড তার নিকট ওহী আগমনের মিথ্যা দাবী এবং সস্রান্ত
লোকদের উপর দাসদেরকে প্রাধান্য দেয়ার কারণে মুখতার থেকে পালিয়ে বসরা চলে যেতে
শুরু করে ৷ অপরদিকে ইবনুল আশতর ইবন যিয়াদকে খুন করে সেই অঞ্চলের একক
অধিপতিতে পরিণত হন ৷ বেশ ক টি শহর-নগর নিজের করায়ত্ত নিয়ে নেন এবং মুখতরকে
অবহেলা করতে শুরু করেন ৷ ফলে এ বিষয়ে মুস অবের মনে ক্ষমতার মোহ জাগ্রত হয় এবং
তিনি মুহাম্মাদ ইবনুল আশআছ ইবন কায়সকে দুত হিসেবে মুহল্লব ইবন আবু সফরর
নিকট প্রেরণ করেন ৷ মুহল্লাব ছিলেন খুরাসানে৩ তাদের পক্ষ থেকে নিযুক্ত শ সক ৷ তিনি বিপুল
ৎখ্যক সৈন্য, সরঞ্জাম ও ধন-সম্পদ নিয়ে মহাসমরোহে এসে পৌছেন ৷ তাকে পেয়ে বসরার
মানুষ খুশী হয় এবং মুখতার তাকে পেয়ে শক্তি লাভ করেন ৷ এবার মুসআব বসরবসী এবং
কুফার যারা তার অনুসারী, তাদেরকে নিয়ে জল ও স্থলপথে কুফার উদ্দেশ্যে রওনা হন ৷
মুসআব আব্বাদ ইবনুল হুসইনকে আগে-ভাগে সম্মুখ পানে পাঠিয়ে দেন ৷ তার ডান
পার্শে উমর ইবন উবাইদুল্লাহ্ ইবন মামরকে এবং বাম পার্শে মুহাল্লাব ইবন সাফরাকেনিষুক্ত
করেন এবং আমীরগণকে নিজ নিজ পতাকা ও গোত্রের সেনাপতি হিসাবে নিয়োগ দিয়ে বিন্যস্ত
করেন ৷ যেমন মালিক ইবন ঘুসাম্মা, আহনাফ ইবন কায়স, যিয়াদ ইবন মুখ৩ তার তার সৈন্য-
সমন্ত নিয়ে রওয়না হয়ে যাবার নামক স্থানে অবতরণ করেন ৷ সে তার বাহিনীর অগ্নভগে
আবু কামিল অশ-শাকিরীকে ডান পাংর্শ্ব আবদুল্লাহ ইবন কামিলকে, বাম পহ্রর্শ্ব আবদুল্লাহ
ইবন ওহ্ব আল-জুশামীকে, অশ্ববাহিনীতে ওয়াযীর ইবন আবদুল্লাহ আস-সামুলীকে, এবং
গো লামদের উপর পুলিশ প্রধান আবু আমরকে সেনাপতি নিয়োগ করে ৷
তারপর লোকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ প্রদান করে এবং তাদেরকে অভিযানে বেরিয়ে পড়ার
জন্য উদ্বুদ্ধ করে ৷ যে নিজের আগে একদল সৈন্য পাঠিয়ে দেয় এবং কিছুসং খ্যক সহচর নিয়ে
ঘোড়ার আরোহণ করে র ওয়ান৷ করে ৷ তখন সে তাদেরকে জয়ের সুসৎবাদ প্রদান করেছিল ৷
মুখতার যখন কুফার নিকটে গিয়ে পৌছল, তাদের সঙ্গে মুখতার বাহিনী তাদের উপর হামলা
করে বসে ৷ মুখতার বাহিনী বেশীক্ষণ টিকতে না পেরে অত্মগ্লানি মাথায় নিয়ে পালিয়ে যায়


{وَنُرِيدُ أَنْ نَمُنَّ عَلَى الَّذِينَ اسْتُضْعِفُوا فِي الْأَرْضِ} [القصص: 5] وَأَشَارَ إِلَى الْحِجَازِ، وَقَالَ: يَا أَهْلَ الْبَصْرَةِ، إِنَّكُمْ تُلَقِّبُونَ أُمَرَاءَكُمْ، وَقَدْ سَمَّيَتُ نَفْسِي الْجَزَّارَ. فَاجْتَمَعَ عَلَيْهِ النَّاسُ وَفَرِحُوا بِهِ. وَلَمَّا انْهَزَمَ أَهْلُ الْكُوفَةِ حِينَ خَرَجُوا عَلَى الْمُخْتَارِ فَقَهَرَهُمْ وَقَتَلَ مِنْهُمْ مَنْ قَتَلَ، كَانَ لَا يَنْهَزِمُ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِهَا إِلَّا قَصَدَ الْبَصْرَةَ، ثُمَّ لَمَّا خَرَجَ الْمُخْتَارُ لِتَلَقِّي ابْنِ الْأَشْتَرِ حِينَ بَلَغَهُ أَنَّهُ قَتَلَ ابْنَ زِيَادٍ، اغْتَنَمَ مَنْ بَقِيَ بِالْكُوفَةِ مِنْ أَعْدَاءِ الْمُخْتَارِ غَيْبَتَهُ، فَذَهَبُوا إِلَى الْبَصْرَةِ فِرَارًا مِنَ الْمُخْتَارِ ; لِقِلَّةِ دِينِهِ وَكَفْرِهِ وَدَعْوَاهُ أَنَّهُ يَأْتِيهِ الْوَحْيُ، وَأَنَّهُ قَدَّمُ الْمَوَالِي عَلَى الْأَشْرَافِ. وَاتَّفَقَ أَنَّ ابْنَ الْأَشْتَرِ حِينَ قَتَلَ ابْنَ زِيَادٍ اشْتَغَلَ بِتِلْكَ النَّوَاحِي، فَأَحْرَزَ بِلَادًا وَأَقَالِيمَ وَرَسَاتِيقَ لِنَفْسِهِ، وَاسْتَهَانَ بِالْمُخْتَارِ، فَطَمِعَ مُصْعَبٌ فِيهِ وَبَعَثَ مُحَمَّدُ بْنُ الْأَشْعَثِ بْنِ قَيْسٍ عَلَى الْبَرِيدِ إِلَى الْمُهَلَّبِ بْنِ أَبِي صُفْرَةَ، وَهُوَ نَائِبُهُمْ عَلَى خُرَاسَانَ، فَقَدِمَ فِي تَجَمُّلٍ عَظِيمٍ وَمَالٍ وَرِجَالٍ وَعَدَدٍ وَعُدَدٍ وَجَيْشٍ كَثِيفٍ، فَفَرِحَ بِهِ أَهْلُ الْبَصْرَةِ وَتَقَوَّى بِهِ مُصْعَبٌ، فَرَكِبَ فِي أَهْلِ الْبَصْرَةِ وَمَنِ اتَّبَعَهُمْ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ فَرَكِبُوا فِي الْبَحْرِ وَالْبَرِّ قَاصِدِينَ الْكُوفَةَ. وَقَدَّمَ مُصْعَبٌ بَيْنَ يَدَيْهِ عَبَّادَ بْنَ الْحُصَيْنِ، وَجَعَلَ عَلَى مَيْمَنَتِهِ عُمَرَ بْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْمَرٍ، وَعَلَى الْمَيْسَرَةِ الْمُهَلَّبَ بْنَ أَبِي صُفْرَةَ، وَرَتَّبَ الْأُمَرَاءَ
পৃষ্ঠা - ৬৯৫২
عَلَى رَايَاتِهَا وَقَبَائِلِهَا كَمَالِكِ بْنِ مِسْمَعٍ، وَالْأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ، وَزِيَادِ بْنِ عُمَرَ، وَقَيْسِ بْنِ الْهَيْثَمِ وَغَيْرِهِمْ. وَخَرَجَ الْمُخْتَارُ بِعَسْكَرِهِ فَنَزَلَ الْمَذَارَ، وَقَدْ جَعَلَ عَلَى مُقَدِّمَتِهِ أَبَا كَامِلٍ الشَّاكِرِيَّ، وَعَلَى مَيْمَنَتِهِ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ كَامِلٍ، وَعَلَى مَيْسَرَتِهِ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ وَهْبٍ الْجُشَمِيَّ، وَعَلَى الْخَيْلِ وَزِيرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ السَّلُولِيَّ، وَعَلَى الْمَوَالِي أَبَا عَمْرَةَ صَاحِبَ شُرْطَتِهِ. ثُمَّ خَطَبَ النَّاسَ وَحَثَّهُمْ عَلَى الْخُرُوجِ، وَبَعَثَ بَيْنَ يَدَيْهِ الْجُيُوشَ، وَرَكِبَ هُوَ وَخَلْقٌ مِنْ أَصْحَابِهِ وَهُوَ يُبَشِّرُهُمْ بِالنَّصْرِ. فَلَمَّا انْتَهَى مُصْعَبٌ إِلَى قَرِيبِ الْكُوفَةِ لَقِيَتْهُمُ الْكَتَائِبُ الْمُخْتَارِيَّةُ، فَحَمَلَتْ عَلَيْهِمُ الْفُرْسَانُ الزُّبَيْرِيَّةُ، فَمَا لَبِثَتِ الْمُخْتَارِيَّةُ إِلَّا يَسِيرًا حَتَّى هَرَبُوا عَلَى حِمْيَةٍ، وَقَدْ قُتِلَ مِنْهُمْ جَمَاعَةٌ مِنَ الْأُمَرَاءِ، وَخَلْقٌ مِنَ الْقُرَّاءِ، وَطَائِفَةٌ كَثِيرَةٌ مَنِ الشِّيعَةِ الْأَغْبِيَاءِ، ثُمَّ انْتَهَتِ الْهَزِيمَةُ إِلَى الْمُخْتَارِ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: لَمَّا انْتَهَتْ مُقَدِّمَةُ الْمُخْتَارِ إِلَيْهِ، جَاءَ مُصْعَبٌ فَقِطَعَ الدِّجْلَةَ إِلَى الْكُوفَةِ وَقَدْ حَصَّنَ الْمُخْتَارُ الْقَصْرَ وَاسْتَعْمَلَ عَلَيْهِ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ شَدَّادٍ، وَخَرَجَ الْمُخْتَارُ بِمَنْ بَقِيَ مَعَهُ فَنَزَلَ حَرُورَاءَ، فَلَمَّا قَرُبَ جَيْشُ مُصْعَبٍ مِنْهُ جَهَّزَ إِلَى كُلِّ قَبِيلَةٍ كُرْدُوسًا، فَبَعَثَ إِلَى بَكْرِ بْنِ وَائِلٍ سَعِيدَ بْنَ مُنْقِذٍ، وَإِلَى عَبْدِ الْقَيْسِ مَالِكَ
পৃষ্ঠা - ৬৯৫৩


তাদের একদল আমীর বেশ কিছু কারী এবং বিপুলসং খ্যক শী আ ধনপতি নিহত হয় ৷ তারপর
পরাজয়ের ঢেউ মুখতাব পর্যন্ত গিয়ে পৌছে ৷
ওয়াকিদী বলেন, মুখতাব-এর অগ্রবাহিনী যখন তার নিকট গিয়ে পৌছে, তখন মুসআব
এসে কুফা পর্যন্ত দজলার পথ বন্ধ করে দেন ৷ অপরদিকে মুখতাব তার প্রসাদের নিরাপত্তা শক্ত
করে এবং আবদুল্লাহ ইবন শাদ্দাদকে তার হেফাজতের দায়িত্ব অর্পণ করে ৷ মুখতাব নিজে
অবশিষ্ট সঙ্গীদের নিয়ে হারুরা চলে যায় ৷ ণ্মুসআব-এর বাহিনী যখন তার নিকটে এসে পড়ে,
তখন সে প্রতিটি গোত্রের নিকট একজন করে অশ্বারোহী প্রেরণ করে ৷ আবদুল কাইম-এর
নিকট সাঈদ মুনযিরকে আলিয়ার নিকট আবদুল্লাহ ইবন জাদাকে, আবৃদ-এর নিকট মুসাফির
ইবন সাঈদকে, বনু তামীম-এর সুলাইমএর নিকট সায়িব ইবন মালিককে প্রেরণ করে ৷
মুখতার নিজে অবশিষ্ট সঙ্গীদের সঙ্গে যথাস্থানে অবস্থান করে রক্তে পর্যন্ত প্রচণ্ড লড়াই চালিয়ে
যায় ৷ তাতে মুখতার-এর বেশ ক’জন ঘনিষ্ট সহচর নিহত হৃ৷ ৷ সেরাতে মুহাম্মাদ ইবন
আশআছ ও উমাইর ইবন আবু তালিব নিহত হয় ৷ মুখতাব-এর অবশিষ্ট সঙ্গীরা তাকে ফেলে
এদিক ওদিক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে তাকে বলা হল, আপনি প্রাসাদে চলুন, আপনি প্রাসাদে চলুন ৷
সে বলল, আল্লাহর শপথ ৷ আমি সেখান থেকে এই সংকল্প নিয়ে বের হই নি যে, আবার
সেখানে ফিরে যাব ৷ কিন্তু এটা আল্লাহ্র সিদ্ধান্ত ৷ তারপর তারা প্রাসাদ অভিমুখে রওয়ানা হয়ে
গেল ৷ মুসআব তার নিকট আসলেন ৷ তিনি গোত্রগুলোকে কুফার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দেন
এবং মহলগুলোর দখল করে রাজপ্রাসাদের প্রতি মনোনিবেশ করেন ৷ মুখতাব-এর
জীবনােপকরণ ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেন ৷ মুখতার বেরিয়ে এসে তাদের সঙ্গে লড়ইি
করত এবং আবার প্রাসাদে ফিরে যেত ৷ পরে যখন অবরোধ তার জন্য অসহনীয় হয়ে পড়ে,
তধন সে সঙ্গীদেরকে বলল, এ অবরোধ কেবল আমাদের দুর্বলতাই বৃদ্ধি করবে ৷ তোমরা
আমার সঙ্গে নেমে আস, আমরা রাত পর্যন্ত যুদ্ধ করে সম্মানের সাথে মৃত্যুবরণ করব ৷ বিস্তু
তারা দুর্বলত৷ প্রকাশ করল ৷ ফলে মুখতাব বলল, আল্লাহর শপথ ! আমি আত্মসমর্পণ করব
না ৷ তারপর সে গোসল করল, পায়ে সুগন্ধি মাখল ৷ তারপর সে তার সঙ্গীরা যুদ্ধে অবতীর্ণ
হল ৷ অবশেষে তারা নিহত হল ৷
কেউ কেউ বলেন, মুখতাব-এর একদল ভীরন্দাজ তাকে পরামর্শ দিল, আপনি আপনার
রাজ-প্রাসাদে ঢুকে পড়ুন ৷ সে বিমর্ষ ও অপদস্থরুপে তাতে প্রবেশ করল ৷ একটু পরই তার
ক্ষেত্রে চুড়ান্ত ভাগ্যলিপি বাস্তবায়িত হবে ৷ মুসআব সেখানেই তাকে ও তার সকল সঙ্গীকে
অবরোধ করে ফেলেন ৷ এক পর্যায়ে তারা চরমভাবে গিপাসার্ত হয়ে পড়ল, যা আল্লাহ্ই ভাল
জানেন ৷ তাদের চলাচল ও লক্ষ্য অর্জনের পথ সংকীর্ণ হয়ে গেল এবং তাদের জন্য সব কলা;
কৌশলের দ্বার বন্ধ হয়ে গেল ৷ এখন তাদের মাঝে বুদ্ধিমান ও সহনশীল বলতে কেউ নেই ৷
মুখতাব উদ্ভুত ৩পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় বের বস্মার লক্ষে তার ভাবনাট৷ ঝালইি করে
নিল ৷ মুখতাব সঙ্গের দাসগােলামস্থদর সঙ্গে পরামর্শ করল, যাদের পরিণতিও তার পরিণতির
সঙ্গে সম্পৃক্ত ৷ কিন্তু ভাগ্য ও শরী আতের ভাষা তাকে ডাক দিয়ে বলছে-
ছুাদ্ব
ব,ল সত্য এসে পড়েছে এবং অসত্য না পারে নতুন কিছু সৃষ্টি করতে, না পারে পুনরাবৃত্তি
করতে (৩৪৪ ৩৯) ৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া-৬৫
ণোমোঃ(হ্রাড়াশ্রা৪র্নো০ওোড়া

بْنَ الْمُنْذِرِ، وَإِلَى الْعَالِيَةِ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ جَعْدَةَ، وَإِلَى الْأَزْدِ مُسَافِرَ بْنَ سَعِيدٍ، وَإِلَى بَنِي تَمِيمٍ سُلَيْمَ بْنَ يَزِيدَ الْكِنْدِيَّ، وَإِلَى مُحَمَّدِ بْنِ الْأَشْعَثِ السَّائِبَ بْنَ مَالِكٍ، وَوَقَفَ الْمُخْتَارُ فِي بَقِيَّةِ أَصْحَابِهِ فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا إِلَى اللَّيْلِ ; فَقُتِلَ أَعْيَانُ أَصْحَابِ الْمُخْتَارِ وَقُتِلَ تِلْكَ اللَّيْلَةَ مُحَمَّدُ بْنُ الْأَشْعَثِ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ. وَتَفَرَّقَ عَنِ الْمُخْتَارِ بَاقِي أَصْحَابِهِ فَقِيلَ لَهُ: الْقَصْرَ الْقَصْرَ. فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا خَرَجْتُ مِنْهُ وَأَنَا أُرِيدُ أَنَّ أَعُودَ إِلَيْهِ، وَلَكِنَّ هَذَا حُكْمُ اللَّهِ. ثُمَّ سَارَ إِلَى الْقَصْرِ فَدَخَلَهُ، وَجَاءَهُ مُصْعَبٌ فَفَرَّقَ الْقَبَائِلَ فِي نَوَاحِي الْكُوفَةِ، وَاقْتَسَمُوا الْمَحَالَّ، وَخَلَصُوا إِلَى الْقَصْرِ، وَقَدْ مَنَعُوا الْمُخْتَارَ الْمَادَّةَ وَالْمَاءَ، وَكَانَ الْمُخْتَارُ يَخْرُجُ فَيُقَاتِلُهُمْ ثُمَّ يَعُودُ إِلَى الْقَصْرِ. وَلَمَّا اشْتَدَّ عَلَيْهِ الْحِصَارُ قَالَ لِأَصْحَابِهِ: إِنَّ الْحِصَارَ لَا يَزِيدُنَا إِلَّا ضَعْفًا، فَانْزِلُوا بِنَا حَتَّى نُقَاتِلَ حَتَّى اللَّيْلِ حَتَّى نَمُوتَ كِرَامًا. فَوَهَنُوا، فَقَالَ: أَمَّا أَنَا فَوَاللَّهِ لَا أُعْطِي بِيَدِي. ثُمَّ اغْتَسَلَ وَتَطَيَّبَ وَتَحَنَّطَ وَخَرَجَ، فَقَاتَلَ هُوَ وَمَنْ مَعَهُ حَتَّى قُتِلُوا. وَقِيلَ: بَلْ أَشَارَ عَلَيْهِ جَمَاعَةٌ مِنْ أَسَاوِرَتِهِ بِأَنْ يَدْخُلَ الْقَصْرَ دَارَ إِمَارَتِهِ فَدَخَلَهُ وَهُوَ مَلُومٌ مَذْمُومٌ، وَعَنْ قَرِيبٍ يَنْفُذُ فِيهِ الْقَدَرُ الْمَحْتُومُ، فَحَاصَرَهُ مُصْعَبٌ فِيهِ وَجَمِيعَ أَصْحَابِهِ، حَتَّى أَصَابَهُمْ مِنْ جَهْدِ الْعَطَشِ مَا اللَّهُ بِهِ عَلِيمٌ،
পৃষ্ঠা - ৬৯৫৪
وَضَيَّقَ عَلَيْهِمُ الْمَسَالِكَ وَالْمَقَاصِدَ وَانْسَدَّتْ عَلَيْهِمْ أَبْوَابُ الْحِيَلِ، وَلَيْسَ فِيهِمْ رَجُلٌ رَشِيدٌ وَلَا حَلِيمٌ، ثُمَّ جَعَلَ الْمُخْتَارُ يُجِيلُ فِكْرَتَهُ وَيُكَرِّرُ رَوِيَّتَهُ فِي الْأَمْرِ الَّذِي قَدْ حَلَّ بِهِ، وَاسْتَشَارَ مَنْ عِنْدَهُ مِنَ الْمَوَالِي وَالْعَبِيدِ وَلِسَانُ الْقَدَرِ وَالشَّرْعِ يُنَادِيهِ {قُلْ جَاءَ الْحَقُّ وَمَا يُبْدِئُ الْبَاطِلُ وَمَا يُعِيدُ} [سبأ: 49] ثُمَّ قَوَّى عَزْمَهُ قُوَّةُ الشُّجَاعَةِ الْمُرَكَّبَةِ فِيهِ عَلَى أَنْ أَخْرَجَتْهُ مِنْ بَيْنِ أَظْهُرِ مَنْ كَانَ يُحَالِفُهُ وَيُوَالِيهِ، وَرَأَى أَنْ يَمُوتَ عَلَى فَرَسِهِ، حَتَّى يَكُونَ عَلَيْهَا انْقِضَاءُ آخَرِ نَفَسِهِ، فَنَزَلَ حَمِيَّةً وَغَضَبًا، وَشُجَاعَةً وَكَلَبًا، وَهُوَ مَعَ ذَلِكَ لَا يَجِدُ مَنَاصًا وَلَا مَفَرًّا وَلَا مَهَرَبًا، وَلَيْسَ مَعَهُ مِنْ أَصْحَابِهِ سِوَى تِسْعَةَ عَشَرَ. وَلَعَلَّهُ إِنْ كَانَ قَدِ اسْتَمَرَّ عَلَى مَا عَاشَ عَلَيْهِ أَنْ لَا يُفَارِقَهُ التِّسْعَةَ عَشَرَ الْمُوَكَّلُونَ بِسَقَرَ. وَلَمَّا خَرَجَ مِنَ الْقَصْرِ قَالَ لِأَصْحَابِ مُصْعَبٍ: أَتُؤَمِّنُونِي؟ قَالُوا: لَا، إِلَّا عَلَى حُكْمِ الْأَمِيرِ. فَقَالَ: إِلَّا حُكْمَ نَفْسِي أَبَدًا. ثُمَّ قَاتَلَ قِتَالًا شَدِيدًا، وَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ رَجُلَانِ شَقِيقَانِ أَخَوَانِ، وَهَمَا طَرَفَةُ، وَطَرَّافُ ابْنَا عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دَجَاجَةَ مِنْ بَنِي حَنِيفَةَ، فَقَتَلَاهُ بِمَكَانِ الزَّيَّاتِينَ مِنَ الْكُوفَةِ وَاحْتَزَّا رَأْسَهُ وَأَتَيَا بِهِ إِلَى مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَقَدْ دَخَلَ قَصْرَ الْإِمَارَةِ، فَوُضِعَ بَيْنَ يَدَيْهِ كَمَا وُضِعَ رَأْسُ ابْنِ زِيَادٍ بَيْنَ يَدَيِ الْمُخْتَارِ، وَكَمَا وُضِعَ
পৃষ্ঠা - ৬৯৫৫


তারপর মুখতার দৃঢ় প্ৰতিজ্ঞ হয়ে মনে শক্তি সঞ্চয় করে, যে শক্তি তাকে বৃদ্ধ সহযােগীদের
মধ্যে থেকে বাইরে বের করে আগে ৷ সে ঘোড়৷ র পিঠে আরোহীরুপে মৃত্যুবরণ করার সিদ্ধান্ত
গ্রহণ করে যে, তার জীবনের শেষ নিঃশ্বাসট৷ ঘোড়ার পিঠে থাকা অবস্থায় হোক ৷ সে
আত্মমর্যাদা, ক্রোধ, বীরত্বের সাথে নেমে আসে ৷ কিন্তু তা সত্বেও যে যুক্তি ও পলায়নের কোন
পথ পেল না ৷ তখন তার সঙ্গে উনিশ ব্যক্তি ছাড়৷ সঙ্গীদের আর কেউ ছিল না ৷ মনে হচ্ছিল,
তার জীবনের অবসান না হওয়া পর্যন্ত জাহান্নামের দায়িত্বে নিয়োজিত উনিশজন তার থেকে
বিচ্ছিন্ন হয়ে না ৷ মুখ৩ তার প্রাসাদ থেকে বের হয়ে আল্লাহর যমীনের কোথাও চলে যাওয়ার জন্য
সুযোগ প্রার্থনা করে ৷ জবাবে প্রতিপক্ষ বলল, আমীরের নির্দেশ ছাড়া যেতে পারবে না
যাহোক, ঘুখতার যখন প্রাসাদ থেকে বের হল, তখন সহোদর দুভাই তার দিকে এগিয়ে
আসে ৷ তারা হল, বনু হানাফিয়্যা গোত্রের আবদুল্লাহ ইবন দাজাজাহ্এর পুত্র তারাফ৷ ও
তাররাফ্ ৷ তারা মুখতারকে কুফার যিয়া৩ ৷ইন নামক স্থানে হত্যা করে ফেলে এবং তার মাথাটা
বিচ্ছিন্ন করে মুসআব ইবন যুরাইর এর নিকট চলে আসে ৷ ততক্ষণে মুস আর রাজ প্রাসাদে
ঢুকে পড়েছেন ৷ তারা মুখতার এর মাথাটা তার সম্মুখে রাখে, যেমনটি রাখা হয়েছিল ইবন
যিয়াদ এর সম্মুখে হুসাইন (রা) এর ছিন্ন শির এবং অল্প কিছুকাল পরেই রাখা হয়েছিল
আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান এর সামনে মুস আর এর ছিন্ন শির ৷ মুখতার এর কর্ভিত মস্ত
কটা ৷যখন ঘুস আ-ব এর সম্মুখে রাখা হয়, তখন তিনি তাদের জন্য ণ্ত্রিশ হাজ৷ র দীনায় পুরস্কার
প্রদানের নির্দেশ ৷দেন ৷
মুস আর ঘুখতার সমর্থকদের একদল লোককে হত্যা করেন এবং তাদের পাচশত
ব্যক্তিকে বন্দী করেন ৷ বন্দীদেরও সব ক জনকে একদিনে হত্যা করে ফেলেন ৷ আবার এক
যুদ্ধে ঘুসআব-এর সমর্থক মুহাম্মাদ ইবনুল আশআছ নিহত হন ৷ অপরদিকে মুসআব-এর
নির্দেশে ঘুখতারের হাতশ্কােট নিয়ে মসজিদের একদিকে পেরেকবিদ্ধ করে রাখা হয় ৷ হাজ্জাজ
ইবন ইউসুফ-এর আগমন পর্যন্ত সেটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তাকে বলা হল, এটি মুখতার-
এর হাত ৷ তার নির্দেশে সেটি খুলে ফেলা হল এবং সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হল ৷ কেননা,
মুখতার হাজ্জাজ এর গোত্রের লোক ছিলেন ৷ মুখ৩ তার হল (হাদীসে বর্ণিত) কাঘৃয়াব’
(মিথ্যাবাদী) আর মুবীর (ধরং সকারী) হলেন হজোজ ৷ সে কারণে হাজ্জাজ ইবন যুবইির
থেকে তার প্রতিশোধ গ্রহণ করেন যে তিনি তাকে হত্যা কক্লো এবং কদ্ভয়ুরু মা স পর্যম্ভতাকে ,
শুলিতে ৩ঝুলিয়ে রাখেন ৷ মুস আব মুখ৩ আর এর শ্রী উম্মে ছাবিত বিনত সামুর৷ ইবন §fififi€¢
মুখতার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন ৷ জবাবে তিনি বললেন, তার ব্যাপারে তোমরা যা যা
বলে থাক, আমি তার ব্যতিক্রম বলব না ৷ ফলে মুস আর তাকে ছেড়ে দেন এবং মুখতার এর
অপর এক শ্ৰীকে তােক পাঠাল ৷ সে ছিল আমরা বিনৃত ৩নু মান ইবন বশ্লীর ৷ ঘুস আর তাকে
জিজ্ঞাসা করলেন তুমি তার ব্যাপারে কী বল ? সে বলল, আল্লাহ তাকে রহম করুন ৷ তিনি
আল্লাহর সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের একজন ছিলেন ৷ মুস আর তাকে কারারুদ্ধ করেন এবং তার
ভাইকে পত্র লিখে জানান যে, তোমার বোন দাবী করছে মুখ৩ তার নবী ৷ ভইি জবাবে লিখেন,
আপনি তাকে বের করে এনে হত্যা করে ফেলুন ৷ মুসআব তাকে জনসম্মুখে বের করে
আনেন ৷ তাকে কয়েকটি আঘাত করা হয় ৷ তাতেই সে মারা যায় ৷ উমর ইবন আবু রিম্ছ৷ এ
ব্যাপারে বলেছেন-

এসৌং প্লে০




رَأْسُ الْحُسَيْنِ بَيْنَ يَدِيِ ابْنِ زِيَادٍ - وَكَمَا سَيُوضَعُ رَأْسُ مُصْعَبٍ بَيْنَ يَدَيْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ - فَلَمَّا وُضِعَ رَأْسُ الْمُخْتَارِ بَيْنَ يَدَيْ مُصْعَبٍ أَمْرَ لَهُمَا بِثَلَاثِينَ أَلْفًا. وَقَدْ قَتَلَ مُصْعَبٌ جَمَاعَةً مِنَ الْمُخْتَارِيَّةِ وَأَسَرَ مِنْهُمْ خَمْسَمِائَةِ أَسِيرٍ، فَضُرِبَتْ أَعْنَاقُهُمْ عَنْ آخِرِهِمْ فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ، وَقَدْ قُتِلَ مِنْ أَصْحَابِ مُصْعَبٍ فِي الْوَقْعَةِ مُحَمَّدُ بْنُ الْأَشْعَثِ بْنِ قَيْسٍ. وَأَمَرَ مُصْعَبٌ بِكَفِّ الْمُخْتَارِ فَقُطِعَتْ وَسُمِرَتْ إِلَى جَانِبِ الْمَسْجِدِ فَلَمْ يَزَلْ هُنَالِكَ حَتَّى قَدِمَ الْحَجَّاجُ، فَسَأَلَ عَنْهَا فَقِيلَ لَهُ: هِيَ كَفُّ الْمُخْتَارِ، فَأَمَرَ بِهَا فَرُفِعَتْ وَانْتُزِعَتْ مِنْ هُنَالِكَ ; لِأَنَّ الْمُخْتَارَ كَانَ مِنْ قَبِيلَةِ الْحَجَّاجِ - فَالْمُخْتَارُ هُوَ الْكَذَّابُ وَالْمُبِيرُ الْحَجَّاجُ - وَلِهَذَا أَخَذَ الْحَجَّاجُ بِثَأْرِهِ مِنَ ابْنِ الزُّبَيْرِ فَقَتْلَهُ وَصَلْبَهُ شُهُورًا. وَقَدْ سَأَلَ مُصْعَبٌ أُمَّ ثَابِتٍ بِنْتَ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ امْرَأَةَ الْمُخْتَارِ عَنْهُ فَقَالَتْ: مَا عَسَى أَنْ أَقُولَ فِيهِ إِلَّا مَا تَقُولُونَ أَنْتُمْ فِيهِ؟ فَتَرَكَهَا وَاسْتَدْعَى بِزَوْجَتِهِ الْأُخْرَى، وَهِيَ عَمْرَةُ بِنْتُ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ فَقَالَ لَهَا مَا تَقُولِينَ فِيهِ؟ فَقَالَتْ: رَحِمَهُ اللَّهُ، لَقَدْ كَانَ عَبْدًا مِنْ عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ. فَسَجَنَهَا وَكَتَبَ إِلَى أَخِيهِ: إِنَّهَا تَقُولُ إِنَّهُ نَبِيٌّ. فَكَتَبَ إِلَيْهِ أَنْ أَخْرِجْهَا فَاقْتُلْهَا. فَأَخْرَجَهَا إِلَى ظَاهِرِ الْبَلَدِ فَضُرِبَتْ ضَرَبَاتٍ حَتَّى مَاتَتْ، فَقَالَ فِي ذَلِكَ عُمَرُ بْنُ أَبِي رَبِيعَةَ الْمَخْزُومِيُّ:
পৃষ্ঠা - ৬৯৫৬
إِنَّ مِنْ أَعْجَبِ الْعَجَائِبِ عِنْدِي ... قَتْلَ بَيْضَاءَ حُرَّةٍ عُطْبُولِ قُتِلَتْ هَكَذَا عَلَى غَيْرِ جُرْمٍ ... إِنَّ لِلَّهِ دَرَّهَا مِنْ قَتِيلِ كُتِبَ الْقَتْلُ وَالْقِتَالُ عَلَيْنَا ... وَعَلَى الْغَانِيَاتِ جَرُّ الذُّيُولِ وَقَالَ أَبُو مِخْنَفٍ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ أَنَّ مُصْعَبًا لَقِيَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ، فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ مَنْ أَنْتَ؟ فَقَالَ: أَنَا ابْنُ أَخِيكَ مُصْعَبُ بْنُ الزُّبَيْرِ. فَقَالَ لَهُ ابْنُ عُمَرَ: نَعَمْ، أَنْتَ الْقَاتِلُ سَبْعَةَ آلَافٍ مِنْ أَهْلِ الْقِبْلَةِ فِي غَدَاةٍ وَاحِدَةٍ؟ عِشْ مَا اسْتَطَعْتَ! فَقَالَ مُصْعَبٌ: إِنَّهُمْ كَانُوا كَفَرَةً سَحَرَةً. فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: وَاللَّهِ لَوْ قَتَلْتَ عِدَّتَهُمْ غَنَمًا مِنْ تُرَاثِ أَبِيكَ لَكَانَ ذَلِكَ سَرَفًا. وَهَذِهِ تَرْجَمَةُ الْمُخْتَارِ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ الْكَذَّابِ هُوَ الْمُخْتَارُ بْنُ أَبِي عُبَيْدِ بْنِ مَسْعُودِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عُمَيْرِ بْنِ عَوْفِ بْنِ عُقْدَةَ بْنِ غِيَرَةَ بْنِ عَوْفِ بْنِ ثَقِيفٍ الثَّقَفِيُّ، أَسْلَمَ أَبُوهُ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَكِنْ لَمْ يَرَهُ، فَلِهَذَا لَمْ يَذْكُرْهُ أَكْثَرُ النَّاسِ فِي الصَّحَابَةِ، وَإِنَّمَا ذَكَرَهُ ابْنُ الْأَثِيرِ فِي الْغَابَةِ،
পৃষ্ঠা - ৬৯৫৭


ৰু


দীর্ঘ লম্বা গ্রীবওয়ালী সুন্দরী ও সম্রাত মহিলাকে হত্যা করা আমার নিকট বিস্ময়কর
বিষয়সমুহের একটি ৷ এভাবে তাকে বিনা দােষে হত্যা করা হয়েছে ৷ সে হত্যাকাণ্ডের বিচার
আল্পাহ্ই করবেন ৷ আল্লাহ আমাদের উপর যুদ্ধের বিধান আরোপ করেছেন ৷ আর রুপসী সতী-
সাধধীর নারীর কর্তব্য তার জাচল সামলানাে ৷

আবু মিখন্ড়াফ বলেন, মুহাম্মাদ ইবন ইউসুফ বলেছেন, মুসআব একদিন আবদুল্লাহ ইবন
উমর ইবন খাত্তাব (রা-) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ৷ তিনি তাকে সালাম দিলে ইবন উমর (রা)
বললেন, কে তুমি ? মুস আব বললেন, আমি আপনার ভ্রাতৃম্পুত্র মুস আর ইবন যুবাইর ৷ ইবন
উমর (রা) বললেন, হ্যা, ভুমিই কি এক সকালে সাত হাজার আহলে কিবলার (মুসলিম)
ব্যক্তির খুনী ? বেচে থাক যে ক’দিন পার ৷ জবাবে মুসআব তাকে বললেন, তারা কাফির ও
যাদুকর ছিল ৷ ইবন উমর (রা) বললেন, আল্লাহর শপথ ! তমি যদি তাদের পরিবর্তে তোমার
পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত সমসংখর্বৃক ছাগলকে খুন করতে, তবু৩ তা সীমালংঘন বলে বিইবচিত হত ৷

মুখতার ইরন আবু উবায়দ আছ-ছাকাফীর জীবন-চরিত

ঘুখতার ইবন আবু উবইিদ ইবন মাসউদ ইবন আমর ইবন উমাইর ইবন আউফ ইবন আফ্রা

ইবন ন্উমাইরা ইবন আউফ ইবন ছাকীফ আছ,-ছাকাফী ৷ তার পিতা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
জীবদ্দশায় ইসলাম গ্রহণ করেন, বিস্তু তাকে দেখেন নি ৷ সে কারণে অধিকাংশ লোক তাকে
সাহাবীদের মধ্যে গণ্য করেন নি৷ শুধু ইবনুল আহীর তার উসদুল পাবার তার কথা উল্লেখ
করেছেন ৷ হিজরী৩ তেইশ সনে হযরত উমর (রা) বিশাল এক সেনাদলের সঙ্গে পারস্যের বিক্কাদ্ধ
যুদ্ধ করার জন্য প্রেরণ কারছিলেন ৷ যুদ্ধে তিনি শাহাদাতবরণ করেন ৷ তার সঙ্গে প্রায় চার হাজার
মুসলমান নিহত হয়েছিল, যেমনটি আমরা পুর্বে উল্লেখ করেছি ৷ দাজলার উপর নির্মিত একটি পুল
তার নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে ৷ সেদিন থেকে আজ অবধি সেটি ন্আবুউবইিদ পুল নামে খ্যাত ৷ তার
একটি কন্যাও ফ্লি ৷ তার নাম সাফিয়্যা বিনৃত আবু উঃাইদ ৷ তিনি লেককার ও ইবাদাতগুজার
ছিলেন ৷ তিনিই আবদুল্লাহ ইবন উমর ইবনুল খাত্তাব (রা)এর শ্রী ৷ আবদুল্লাহ তাকে সম্মান বল্মতেন
ৰুও ভালবাসতেন ৷৩ তিনি আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) এর জীবদ্দশাতেই মারা যান ৷ পক্ষাভরে তার এই
ভইি মুখতার প্রথমে নাসিবী ছিল ৷ সে হযরত আলী (রা) এর প্ৰতি প্রচন্ড বিদ্ধেষ পোষণ করত ৷ সে
মাদায়িনে চাচার সঙ্গে বাস কঃাত ৷ত তার চাচা ছিলেন মাদায়িনের গভর্নর ৷ পরবর্তীতে হাসান ইবন
আলী (রা) যখন মাদায়িনে প্রবেশ করেন, তখন ইরাকীর৷ তার পক্ষত্যাগ করে ৷ সে সময় তিনি
তার পিতার শাহাদাতের পর ঘু আবিয়া (রা)-এর সঙ্গে যুদ্ধ করার লক্ষো সিরিয়া যাচ্ছিলেন ৷ হাসান
(রা) যখন কুফাবাসীর পক্ষ থেকে বিশ্বাসঘাতকতার বিষয় আচ করলেন, তিনি তাদের থেকে
পালিয়ে স্বল্পসং থ্যক সৈন্য নিয়ে মাদায়িনে চলে যান ৷ তখন যুখতারত তার চাচাকে বলল, আপনি
যদি হাসানকে ধরে যুআৰিয়ার নিকট পাঠিয়ে দেন, তাহলে তার কাছে চিরকালের জন্য আপনার
সুনাম বয়ে আনবে ৷ জবারে চাচা তাকে বললেন, ভাতিজা ! তুমি আমাকে বা পরামর্শ দিচ্ছ তা
নিতাস্তই মন্দ ৷ ফলে শীয়ারা আজীরনের জ্যা৷ তার প্ৰতি বিদ্বেষ পোষণ করতে থাকে ৷ শেষ পর্যন্ত
শ্ মুসলিম ইবন আ কীল-এর ভাগ্যে যা ঘটনার হিল, সৎ ঘটিত ৩হ্ল ৷ ণ্




وَقَدْ كَانَ عُمَرُ بَعْثَهُ فِي جَيْشٍ كَثِيفٍ فِي قِتَالِ الْفُرْسِ سَنَةَ ثَلَاثَ عَشْرَةَ، فَقُتِلَ يَوْمَئِذٍ شَهِيدًا، وَقُتِلَ مَعَهُ نَحْوٌ مِنْ أَرْبَعَةِ آلَافٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ - كَمَا قَدَّمْنَا - وَعُرِفَ ذَلِكَ الْجِسْرُ بِهِ، وَهُوَ جِسْرٌ عَلَى دِجْلَةَ، فَيُقَالُ لَهُ إِلَى الْيَوْمِ جِسْرُ أَبِي عُبَيْدٍ، وَكَانَ لَهُ مِنَ الْوَلَدِ صَفِيَّةُ بِنْتُ أَبِي عُبَيْدٍ، وَكَانَتْ مِنَ الصَّالِحَاتِ الْعَابِدَاتِ، وَهِيَ زَوْجَةُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ لَهَا مُكْرِمًا وَمُحِبًّا وَمَاتَتْ فِي حَيَاتِهِ. وَأَمَّا أَخُوهَا الْمُخْتَارُ هَذَا فَإِنَّهُ كَانَ أَوَّلًا نَاصِبِيًّا يُبْغِضُ عَلِيًّا بُغْضًا شَدِيدًا، وَكَانَ عِنْدَ عَمِّهِ بِالْمَدَائِنِ، وَكَانَ عَمُّهُ نَائِبَهَا، فَلَمَّا دَخَلَهَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ يَوْمَ خَذَلَهُ أَهْلُ الْعِرَاقِ وَهُوَ سَائِرٌ إِلَى الشَّامِ لِقِتَالِ مُعَاوِيَةَ بَعْدَ مَقْتَلِ أَبِيهِ عَلِيٍّ، فَلَمَّا أَحَسَّ الْحَسَنُ مِنْهُمْ بِالْغَدْرِ، فَرَّ مِنْهُمْ إِلَى الْمَدَائِنِ فِي جَيْشٍ قَلِيلٍ، فَقَالَ الْمُخْتَارُ لِعَمِّهِ: لَوْ أَخَذْتَ الْحَسَنَ فَبَعَثْتَهُ إِلَى مُعَاوِيَةَ لَاتَّخَذْتَ عِنْدَهُ بِذَلِكَ الْيَدَ الْبَيْضَاءَ أَبَدًا. فَقَالَ لَهُ عَمُّهُ: بِئْسَ مَا تَأْمُرُنِي بِهِ يَابْنَ أَخِي. فَمَا زَالَتِ الشِّيعَةُ تُبْغِضُهُ حَتَّى كَانَ مِنْ أَمْرِ مُسْلِمِ بْنِ عَقِيلٍ بِالْكُوفَةِ مَا كَانَ، وَكَانَ الْمُخْتَارُ مِنَ الْأُمَرَاءِ بِالْكُوفَةِ، فَجَعَلَ يَقُولُ: أَمَا لَأَنْصُرَنَّهُ، فَبَلَغَ ابْنَ زِيَادٍ ذَلِكَ فَحَبْسَهُ بَعْدَمَا ضَرَبَهُ مِائَةَ جَلْدَةٍ، فَأَرْسَلَ ابْنُ عُمَرَ إِلَى يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ يَشْفَعُ فِيهِ، فَأَرْسَلَ يَزِيدُ إِلَى ابْنِ زِيَادٍ فَأَطْلَقَهُ وَسَيَّرَهُ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৬৯৫৮


মুখতার ছিলেন কুফার আমীরদের আনট্টতম ৷ সে বলতে শুরু করল, আমি অবশ্যই
অবশ্যই মুসলিমকে সাহায্য করব ৷ ইবন যিয়াদ এর নিকটএ ৎবাদ পৌছলে তিনি একশত
বেত্রাঘাত করে তাকে অটিক করে ফেলেন ৷ স বাদ শুনে ইবন উমর তার জন্য সুপারিশ করে
ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়ার নিকট পত্র লিখেন ৷ ইয়াযীদ পত্র লিখেন ইবন যিয়াদ এর নিকট ৷
ইবন যিয়াদ তাকে মুক্ত করে একটি চোপা পরিয়ে হিজায পাঠিয়ে দেন ৷ মুখ৩ তার মক্কায় ইবন
যুবায়রের নিকট চলে যায় এবং সিরীয়রা যখন যুবাইরকে অবরোধ করে, তখন সে তার সঙ্গে
যোগ দিয়ে ঘোরতর যুদ্ধ করে ৷৩ তারপর মুখতার ইরাকবাসী কর্তৃক তার কথা শুনতে পায় ৷
তাই সে ইবন যুবাইরকে হত্যা করে ইরাক চলে যায় ৷
কথিত আছে, সে ইবন যুবইিরকে কুফার গভার ইবন মুভীর নিকট একটি পত্র লিখে
দেয়ার অনুরোধ করে ৷ ইবন যুবইির পত্র লিখেন তখন সে কুফা চলে যায় ৷ সে প্রকাশ্যে ইবন
যুবাইরের প্রশংসা করত এবং গোপনে তাকে গালিপালাজ করত আর মুহাম্মাদ ইবন
হানাফিয়্যার প্রশংসা করত ও মানুষকে তার প্রতি আনুগত্যের আহবান করত ৷ এভাবে সে
শিয়াবাদ অবলম্বনের মাধ্যমে এবং হুসাইন (না)-এর প্রতিশোধ নেয়ার কথা বলে কুফার কর্তৃত্ব
দখল করে নেয় ৷ আর সেই সুত্রে শীয়াদের বহু গোষ্ঠী তার প্রতি ঝুকে পড়ে এবং ইবন
যুবাইরের প্রতিনিধিকে সেখান থেকে বের করে দেয় ৷ ফলে সেখানে মুখতার সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে
যায় ৷ পরে সে ইবন যুবাইরের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে পত্র লিখেন এবং তাকে সংবাদ দেয়
যে ইবন মুভী বনু উমাইয়্যার সঙ্গে তােষামােদমুলক আচরণ করে থাকেন ৷ তখন তিনি কুফা
থেকে বেরিয়ে গেছেন এবং আমি ও কুফাবাসী আপনার অনুগত হয়ে কাজ করছি ৷ ইবন
যুবইির তাকে সত্য বলে মেনে নেন ৷ কারণ ,মুখতার জুযু আর দিন মিম্বরে দাড়িয়ে জনসম্মুখে
তার প্রতি আহবান জানাত এবং তার আনুগত্য প্রকাশ করত ৷ তারপর সে হুসাইন (বা) এর
ঘাতকচক্র এবং যারা ইবন যিয়াদের পক্ষ থেকে কারবালার ঘটনায় উপস্থিত ছিল, তাদের
অনুসন্ধান করতে শুরু করে ৷ সে তাদের বিপুল স ×খ্যাক লোককে হত্যা করে এবং তাদের
শীর্ষস্থানীয় কয়েকজনের মাথা কেটে আনতে সক্ষম হয় ৷ যেমন, হুসইিন (রা)-এর ঘাতক
বাহিনীর নেতা উমর ইবন সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাস, হুসইিন (রা)-এর ঘাতক চক্রের এক ,
হাজার সৈন্যের অধিনায়ক শাম্মারইবন যিল জাওশান, সিনান ইবন আবু আনাস, খাওলা ইবন
ইয়াযীদ আল-আসবাহী প্রমুখ ৷ মুখতার এভাবেই চলতে থাকে ৷ এক পর্যায়ে সে বিশ হাজার
সৈন্যসহ তার প্রতিশোধের তরবারি ইব্রাহীম ইবনুল আশতারকে ইবন যিয়াদের মোকাবেলায়
প্রেরণ করে ৷ ইবন যিয়াদের সৈন্য অধিক সংখ্যক ছিল, ইবন আশতারের বাহিনীর কয়েক গুণ ৷
তারা ছিল আশি হাজার মতান্তরে ষটি হাজার তারা মুথোমুখী হন ৷ ইবনুল আশতার ইবন
যিয়াদকে হত্যা করে ফেলেন, তার বাহিনীকে ছিন্নভিন্ন করে দেন এবং তার সেনা ছাউনীতে যা
কিছু ছিল সব নিয়ে নেন ৷ তারপর তিনি বিজয়ের সুসংবাদসহ ইবন যিয়াদ ও তার সঙ্গীদের
মস্তক মুখতারের নিকট পাঠিয়ে দেন ৷ তা পেয়ে মুখতার বেজায় খুশী হয় ৷ তারপর মুখতার
ইবন যিয়াদ, হুসাইন ইবন নুমইির ও তাদের সঙ্গীদের মাথাগুলো মক্কায় ইবন যুবইিরের নিকট
প্রেরণ করে ৷ ইবন যুবইির-এর নির্দেশে সেগুলো হাজুন-এর ঘাটিতে ঝুলিয়ে রাখা হয় ৷
তারা এই মর্ন্তকগুলো মদীনায়ও ঝুলিয়ে ব্লেখেছিল এবং মুখতারের মন ক্ষমতা নিয়ে
আনন্দিত হয় ৷ সে তােবছিল তার আর কোন শত্রু এবং প্রতিপক্ষ রইল না ৷ কিন্তু পরে যখন
ইবন যুবইির তার প্রতারণা, ষড়যন্ত্র ও কুউদ্দেশ্য বুঝে ফেললেন, তখন তিনি তার ভইি


الْحِجَازِ فِي عَبَاءَةٍ، فَضَوَى إِلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ بِمَكَّةَ، فَقَاتَلَ مَعَهُ حِينَ حَصَرَهُ أَهْلُ الشَّامِ قِتَالًا شَدِيدًا، ثُمَّ بَلَغَ الْمُخْتَارُ مَا أَهْلُ الْعِرَاقِ فِيهِ مِنَ التَّخْبِيطِ، فَسَارَ إِلَيْهِمْ وَتَرَكَ ابْنَ الزُّبَيْرِ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ سَأَلَ ابْنَ الزُّبَيْرِ أَنْ يَكْتُبَ لَهُ كِتَابًا إِلَى ابْنِ مُطِيعٍ نَائِبِ الْكُوفَةِ فَفَعَلَ، فَسَارَ إِلَيْهَا. وَكَانَ يُظْهِرُ مَدْحَ ابْنِ الزُّبَيْرِ فِي الْعَلَانِيَةِ وَيَسُبُّهُ فِي السِّرِّ، وَيَمْدَحُ مُحَمَّدَ ابْنَ الْحَنَفِيَّةِ وَيَدْعُو إِلَيْهِ، وَمَا زَالَ حَتَّى اسْتَحْوَذَ عَلَى الْكُوفَةِ بِطَرِيقِ التَّشَيُّعِ وَإِظْهَارِ الْأَخْذِ بِثَأْرِ الْحُسَيْنِ، وَبِسَبَبِ ذَلِكَ الْتَفَّتْ عَلَيْهِ جَمَاعَاتٌ كَثِيرَةٌ مِنَ الشِّيعَةِ حَتَّى قَاوَمَ نُوَّابَ ابْنِ الزُّبَيْرِ عَلَى الْكُوفَةِ، وَأَخْرَجَ عَامِلَ ابْنِ الزُّبَيْرِ مِنْهَا، وَاسْتَقَرَّ مُلْكُ الْمُخْتَارِ بِهَا، ثُمَّ كَتَبَ إِلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ يَعْتَذِرُ إِلَيْهِ وَيُخْبِرُهُ أَنَّ ابْنَ مُطِيعٍ كَانَ مُدَاهِنًا لِبَنِي أُمَيَّةَ، وَقَدْ خَرَجَ مَنَ الْكُوفَةِ، وَأَنَا وَمَنْ بِهَا فِي طَاعَتِكَ، فَصَدَّقَهُ ابْنُ الزُّبَيْرِ ; لِأَنَّهُ كَانَ يَدْعُو لَهُ عَلَى الْمِنْبَرِ يَوْمَ الْجُمْعَةِ عَلَى رُءُوسِ النَّاسِ، وَيُظْهِرُ طَاعَتَهُ. ثُمَّ شَرَعَ فِي تَتَبُّعِ قَتَلَةِ الْحُسَيْنِ وَمَنْ شَهِدَ الْوَقْعَةَ بِكَرْبَلَاءَ مِنْ نَاحِيَةِ ابْنِ زِيَادٍ، فَقَتَلَ مِنْهُمْ خَلْقًا كَثِيرًا، وَظَفِرَ بِرُءُوسِ كِبَارٍ مِنْهُمْ كَعُمَرَ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ أَمِيرِ الْجَيْشِ الَّذِينَ قَتَلُوا الْحُسَيْنَ، وَشَمِرِ بْنِ ذِي الْجَوْشَنِ أَمِيرِ الْأَلْفِ الَّذِينَ وَلُوا قَتْلَ الْحُسَيْنِ، وَسِنَانَ بْنَ أَبِي أَنَسٍ، وَخَوْلِيِّ بْنِ يَزِيدَ الْأَصْبَحِيِّ، وَخَلْقًا غَيْرَ هَؤُلَاءِ، وَمَا زَالَ حَتَّى بَعَثَ سَيْفَ نِقْمَتِهِ إِبْرَاهِيمَ بْنَ الْأَشْتَرِ النَّخَعِيِّ فِي عِشْرِينَ أَلْفًا
পৃষ্ঠা - ৬৯৫৯
إِلَى ابْنِ زِيَادٍ، وَهُوَ فِي جَيْشٍ أَعْظَمَ مِنْ جَيْشِ الْمُخْتَارِ بِأَضْعَافٍ، كَانُوا سِتِّينَ أَلْفًا، وَقِيلَ: ثَمَانِينَ أَلْفًا، فَقَتَلَ ابْنُ الْأَشْتَرِ بْنَ زِيَادٍ وَكَسَرَ جَيْشَهُ، وَاحْتَازَ مَا فِي مُعَسْكَرِهِ، - وَاتَّفَقَ ذَلِكَ فِي يَوْمِ عَاشُورَاءَ سَنَةَ سَبْعٍ وَسِتِّينَ -، ثُمَّ بَعَثَ بِرَأْسِ ابْنِ زِيَادٍ وَرُءُوسِ أَصْحَابِهِ مَعَ الْبِشَارَةِ إِلَى الْمُخْتَارِ، فَفَرِحَ بِذَلِكَ فَرَحًا شَدِيدًا. ثُمَّ إِنَّ الْمُخْتَارَ بَعْثَ بِرَأْسِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ وَرَأْسِ حُصَيْنِ بْنِ نُمَيْرٍ وَمَنْ مَعَهُمَا إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ بِمَكَّةَ فَأَمَرَ ابْنُ الزُّبَيْرِ بِهَا فَنُصِبَتْ عَلَى عَقَبَةِ الْحَجُونَ، وَقَدْ كَانُوا نَصَبُوهَا بِالْمَدِينَةِ. وَطَابَتْ نَفْسُ الْمُخْتَارِ بِالْمُلْكِ وَظَنَّ أَنَّهُ لَمْ يَبْقَ لَهُ عَدُوٌّ وَلَا مُنَازِعٌ، ثُمَّ إِنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ تَبَيَّنَ خِدَاعَهُ وَمَكْرَهُ وَسُوءَ مَذْهَبِهِ، فَبَعَثَ أَخَاهُ مُصْعَبًا أَمِيرًا عَلَى الْعِرَاقِ، فَسَارَ إِلَى الْبَصْرَةِ فَاجْتَمَعَ إِلَيْهِ أَهْلُهَا، وَوَفَدَ إِلَيْهِ جَمَاعَاتٌ مِنَ الْكُوفَةِ فَلَمْ يَتِمَّ سُرُورُ الْمُخْتَارِ حَتَّى سَارَ إِلَيْهِ مُصْعَبُ بْنُ الزُّبَيْرِ مِنَ الْبَصْرَةِ فِي جَيْشٍ هَائِلٍ فَحَاصَرَهُ بِالْكُوفَةِ، وَضَيَّقَ عَلَيْهِ، وَمَا زَالَ حَتَّى أَمْكَنَ اللَّهُ مِنْهُ، فَقَتَلَهُ وَاحْتَزَّ رَأْسَهُ، وَأَمَرَ بِصَلْبِ كَفِّهُ عَلَى بَابِ الْمَسْجِدِ، وَبَعَثَ مُصْعَبٌ بِرَأْسِ الْمُخْتَارِ مَعَ رَجُلٍ مِنَ الشُّرَطِ عَلَى الْبَرِيدِ إِلَى أَخِيهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، فَوَصَلَ مَكَّةَ بَعْدَ الْعِشَاءِ فَوَجَدَ عَبْدَ اللَّهِ يَتَنَفَّلُ، فَمَا زَالَ يُصَلِّي حَتَّى أَسْحَرَ، وَلَمْ يَلْتَفِتْ إِلَى الْبَرِيدِ الَّذِي جَاءَ بِالرَّأْسِ، فَلَمَّا كَانَ قَرِيبَ الْفَجْرِ قَالَ: مَا جَاءَ بِكَ؟ فَأَلْقَى إِلَيْهِ الْكِتَابَ فَقَرَأَهُ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، مَعِي الرَّأْسُ. فَقَالَ: أَلْقِهِ عَلَى بَابِ
পৃষ্ঠা - ৬৯৬০


যুস আবকে ইরাকের প৩ র্ন,র নিযুক্ত করে পাঠিয়ে দেন ৷ তিনি সদলবলে বসরা রওয়ানা হয়ে
যান ৷ সেখানে পৌছে মুসআব আরো সৈন্য সংগ্রহ করেন ৷ মুখতার এর আনন্দ পুর্ণতা লাভ
করতে ন করতে যুস আ ব ইবন যুব ৷ইর ভয়ঙ্কর একদল সৈন্য নিয়ে বসরা থেকে৩ তার উদ্দেশ্যে
রওয়ানা হয়ে যান ৷ মুসআব তাকে হত্যা করে ফেলেন এবং৩ র মাথাট৷ কেটে ছিন্ন করেন,
হাল্টে৷ কেটে মসজিদের দরজায় ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দেন ৷ তিনি মুখতার-এর মাথাটা
পুলিশের এক ব্যক্তির সঙ্গে তার ভাই আবদুল্পাহ্ ইবন যুবাইর-এর নিকট পাঠিয়ে দেন ৷ দুত
ইশার পর মক্কা গিয়ে পৌছে দেখতে পান আবদুল্লাহ্ নফল নামায আদায় করছেন ৷ তিনি
নামায আদায় করতে থাকেন এভাবে ভোর হয়ে যায় ৷ এই সময়ের মধ্যে তিনি মস্তক নিয়ে
আসা দুতের প্ৰতি মুখ ফিরিয়ে তাকান নি ৷ ফজ্যরর পুর্ব মুহুর্তে তিনি বললেন, কে এল ? দুত
পত্রখানা তার দিকে এগিয়ে ধরে ৷ তিনি পত্রখানা পাঠ করেন৷ দুত বলল, হে আমীরুল
মু’মিনীন আমি মাথাট৷ নিয়ে এসেছি ৷ তিনি বললেন, ওটা মসজিদের দরজায় সামনে ফেলে
দাও ৷ দুত মাথাট৷ মসজিদের দরজায় ছুড়ে মারে ৷ তারপর ফিরে এসে বলল, আমীরুল
মু’মিনীন ! আমার বখৃশিশ ? তিনি বললেন, যে মাথাট৷ ভুমি নিয়ে এসেই ওটাই তোমার
বখৃশিশ ৷ ওটা সঙ্গে করে তুমি ইরাক নিয়ে যাও ৷
তারপর যুখতার এর রাজত্ব এমনভাবে শেষ হয়ে গেল, যেন তার অস্তিত্বই ছিল না ৷

তেমনি অন্যসব রাজত্বেরও এবইি পরিণতি ঘটল ৷ মুসলমানরা৩ তার পতনে উল্লাসিত হল ৷ তার
কারণ, লোকটি ব্যক্তিগতভাবে সত্যবাদী ছিল না ৷ বরং সে ছিল মিথ্যাবাদী , ৷ যে মনে করত
জিবরাঈল (আ)-এর মাধ্যামে তার নিকট ওহী আসে ৷ ইবন নুমায়র রিফাঅ৷ আল-কাবারী
সুত্রে ইমাম আহমাদ বর্ণনা করেন যে, রিফাআ বলেছেন, আমি মুখতারের নিকট গমন
করলাম ৷ সে বসবার জন্য আমাকে একখানা বিছান৷ বিছিয়ে দিয়ে বলল, আমার ভইি
জিবরাঈল যদি এখান থেকে না উঠতেন, তাহলে আমি এটি আপনার জন্য ছেড়ে দিতাম ৷
রিফাআ আল-কাবারী বলেন, একথা শুনে আমি তার গর্দানে আঘাত হানার মনস্থ করলাম ৷
কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আমার একটি হাদীস মনে পড়ে গেল, যেটি আমার ভাই আমর ইবনুল হুমুক
আমাকে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, কােন মু’মিন যদি
কোন মু ’মিনকে জীবনের নিরাপত্তা প্রদান করে, পরে তাকে খুন করে ফেলে তা হলে আমি সেই
হত্যাকারী থেকে দায়মুক্ত ৷

ইমাম আহমাদ ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ রিফা আ ইবন শাদ্দাদ থেকে বর্ণনা করেছেন যে,
তিনি বলেছেন, আমি যুখতার-এর মাথার কাছে দাড়িয়ে থাকতাম ৷ কিন্তু পরে যখন আমি তার
মিথ্যাচার বুঝতে পারলাম, তখন সংকল্প করলাম, আমার তরবাবিট৷ কােষমুক্ত করে তার ঘাড়ে
আঘাত হানি ৷ কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আমার একখানা হাদীস মনে পড়ে গেল, যেটি আমর ইবনুল
হুমুক আমাকে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বলতে ৩শুনেছি-

কেউ যদি কাউকে নিরাপত্তা প্রদান করে পরে তাকে হত্যা করে ফেলে, তাহলে কিয়ামতের
দিন তাকে ৰিশ্বাসঘাতকতার ঝাণ্ডা প্রদান করা হবে ৷’

ইমাম নাসায়ী, ইবন মাজাহ্ অন্য এক সুত্রে আবদুল মালিক ইবন উমাইর থেকে হাদীসটি
বর্ণনা করেছেন ৷৩ তাদের ভাষ্য হল নিম্নরুপ-


الْمَسْجِدِ. فَأَلْقَاهُ ثُمَّ جَاءَ فَقَالَ: جَائِزَتِي يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ: جَائِزَتُكَ الرَّأْسُ الَّذِي جِئْتَ بِهِ تَأْخُذُهُ مَعَكَ إِلَى الْعِرَاقِ. ثُمَّ زَالَتْ دَوْلَةُ الْمُخْتَارِ كَأَنْ لَمْ تَكُنْ، وَكَذَلِكَ سَائِرُ الدُّوَلِ، وَفَرِحَ الْمُسْلِمُونَ بِزَوَالِهَا، وَذَلِكَ لِأَنَّ الرَّجُلَ لَمْ يَكُنْ فِي نَفْسِهِ صَادِقًا، بَلْ كَانَ كَاذِبًا وَكَاهِنًا، وَكَانَ يَزْعُمُ أَنَّ الْوَحْيَ يَنْزِلُ عَلَيْهِ عَلَى يَدِ جِبْرِيلَ يَأْتِي إِلَيْهِ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى الْقَارِئُ أَبُو عُمَرَ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا السُّدِّيُّ، عَنْ رِفَاعَةَ الْقِتْبَانِيِّ قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى الْمُخْتَارِ فَأَلْقَى لِي وِسَادَةً وَقَالَ: لَوْلَا أَنَّ أَخِي جِبْرِيلَ قَامَ عَنْ هَذِهِ لَأَلْقَيْتُهَا لَكَ. قَالَ: فَأَرَدْتُ أَنْ أَضْرِبَ عُنُقَهُ. قَالَ: فَذَكَرْتُ حَدِيثًا حَدَّثَنِيهِ أَخِي عَمْرُو بْنُ الْحَمِقِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَيُّمَا مُؤْمِنٍ أَمَّنَ مُؤْمِنًا عَلَى دَمِهِ فَقَتَلَهُ، فَأَنَا مِنَ الْقَاتِلِ بَرِيءٌ» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ، عَنْ رَفَاعَةَ بْنِ شَدَّادٍ، قَالَ: كُنْتُ أَقُومُ عَلَى رَأْسِ الْمُخْتَارِ، فَلَمَّا عَرَفْتُ كَذِبَهُ هَمَمْتُ أَنْ أَسُلَّ سَيْفِي فَأَضْرِبَ عُنُقَهُ، فَذَكَرْتُ حَدِيثًا حَدَّثْنَاهُ عُمَرُ بْنُ الْحَمِقِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ أَمَّنَ رَجُلًا عَلَى نَفْسِهِ فَقَتَلَهُ أُعْطِيَ لِوَاءَ غَدْرٍ يَوْمَ الْقِيَامَةِ» وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ، وَابْنُ مَاجَهْ
পৃষ্ঠা - ৬৯৬১
مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ بِهِ. وَفِي لَفْظٍ لَهُمَا: «مَنْ أَمَّنَ رَجُلًا عَلَى دَمٍ فَقَتَلَهُ، فَأَنَا بَرِيءٌ مِنَ الْقَاتِلِ وَإِنْ كَانَ الْمَقْتُولُ كَافِرًا» وَفِي سَنَدِ هَذَا الْحَدِيثِ اخْتِلَافٌ. وَقَدْ قِيلَ لِابْنِ عُمَرَ: إِنَّ الْمُخْتَارَ يَزْعُمُ أَنَّ الْوَحْيَ يَأْتِيهِ. فَقَالَ: صَدَقَ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَإِنَّ الشَّيَاطِينَ لَيُوحُونَ إِلَى أَوْلِيَائِهِمْ} [الأنعام: 121] وَرَوَى ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ قَالَ: قَدِمْتُ عَلَى الْمُخْتَارِ فَأَكْرَمَنِي وَأَنْزَلَنِي حَتَّى كَانَ يَتَعَاهَدُ مَبِيتِي بِاللَّيْلِ، قَالَ: فَقَالَ لِي: اخْرُجْ فَحَدِّثَ النَّاسَ. قَالَ: فَخَرَجْتُ فَجَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ: مَا تَقَوُلُ فِي الْوَحْيِ؟ فَقُلْتُ: الْوَحْيُ وَحْيَانِ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {بِمَا أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ هَذَا الْقُرْآنَ} [يوسف: 3] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَكَذَلِكَ جَعَلْنَا لِكُلِّ نَبِيٍّ عَدُوًّا شَيَاطِينَ الْإِنْسِ وَالْجِنِّ يُوحِي بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ زُخْرُفَ الْقَوْلِ غُرُورًا} [الأنعام: 112] قَالَ: فَهَمُّوا بِي أَنْ يَأْخُذُونِي، فَقُلْتُ: مَا لَكُمْ وَذَاكَ، إِنِّي مُفْتِيكُمْ وَضَيْفُكُمْ، فَتَرَكُونِي. وَإِنَّمَا أَرَادَ عِكْرِمَةُ أَنْ يُعَرِّضَ بِالْمُخْتَارِ وَكَذِبِهِ فِي ادِّعَائِهِ أَنَّ الْوَحْيَ يَنْزِلُ عَلَيْهِ. وَرَوَى الطَّبَرَانِيُّ، مِنْ طَرِيقِ أُنَيْسَةَ بِنْتِ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، أَنَّ أَبَاهَا دَخَلَ
পৃষ্ঠা - ৬৯৬২


ৰুফুস্পো
যে ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে প্রাণের নিরাপত্তা প্রদান করল এবং পরে তাকে হত্যা করে
ফেলল, তাহলে আমি হত্যাকারী থেকে দয়মুক্ত, নিহত ব্যক্তি ক ফির হলেও ’ এই হাদীসের
সনদে মতবিরোধ রয়েছে
ইবন উমর (রা) কে বলা হয়েছিল, যুখতর মনে করছে, তার নিকট ওহী আসে ৷ ইবন
উমর (রা) বললেন, যে সত্য বলেছে ৷ আল্লাহ তা আলা বলেছেন
টুড্রুধ্,
শয়তন তার বন্ধুর প্রতি প্রত্যাদেশ করে ৷’ (৬৪ ১২১) ইবন আবু হাতিম ইকরিমা থেকে
বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি যুখত তার এর নিকট গমন করলাম সে আমাকে তার
নিকট থাকতে দিল সে রাত আমার খোজ খবর নিত ত৷ সে আমাকে বলল, আপনি বের হয়ে
মানুষের সঙ্গে কথ-বর্তা বলুন ৷ ইকরিমা বলেন, তার কথা অনুযায়ী আমি বের হলাম এক
ব্যক্তি বলল, আপনি ওহীব ব্যাপারে কী বলেন ? আমি বললাম, ওহী দুই প্রকার আল্লাহ


নিশ্চয়ই আমিণ্ তামার নিকট উত্তম কাহিনী বর্ণনা করছি, ওহীব মাধ্যমে তোমার নিকট এই
কুরআন প্রেরণ করে ৷’ (১২৪ ৩)
এরুপে আমি মানব ও জিনের মধ্যে শয়তনদেরকে প্রত্যেক নবীর শত্রু করেছি, প্রতারণার
উদ্দেশ্যে তাদের একে অন্যকে চমকপ্রদ বাক্য দ্বারা প্ররােচিত করে (৬৪ ১১২)
ইকরিমা বলেন, ফলে তারা আমাকে ধরে ফেলতে উদ্যত হয় ৷ আমি বললাম, তোমরা
একী করছ ? আমি তাে তোমাদের মুফভী ও যেহমন ফলে তারা আমকে ছেড়ে দেয়া
ইকরিমা মুখতা ৩রাক উপেক্ষা করতে এবং তার উপর ওহী নাযিল হওয়ার দাবীকে মিথ্যা ,
প্রতিপন্ন করতে চেয়েছিলেন ৷
আনীস বিনৃত যয়দ ইবনৃল আরকাম থেকে তাবারানী বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন,
তার পিতা মুখতর ইবন আবু উবাইদ-এর নিকট গমন করেন তখন মুখতর তাকে বললেন,
হে আবুআমির আমি যদি জিবরাঈল ও মীকাঈলকে দেখে ধন্য হতম ! জবাবে যয়দ তাকে
বললেন, তুমি ব্যর্থ হও এবং ধ্বংস হও তুমি আল্লাহর নিকট এর চেয়ে অনেক তৃচ্ছ তুমি
মিথ্যাবাদী, আল্লাহ ও তীর রাসুলের প্রতি মিথ্যা আরােপকারী
ইমাম আহমাদ ইসহাক ইবন ইউসুফ ইবন আউফ আস সিদ্দীক আন নাজী থেকে বর্ণনা
করেছেন, ইবন আউফ বলেন, আসম বিনৃত আবু বকর আস সিদ্দীর্ক-এর পুত্র আবদুল্লাহ্ ইবন
যুবইর (রা)-কে হত্যা কারার পর হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ আসম (র)-এর রিকট গমন করে








عَلَى الْمُخْتَارِ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ فَقَالَ لَهُ: يَا أَبَا عَامِرٍ لَوْ سَبَقْتَ رَأَيْتَ جِبْرِيلَ وَمِيكَائِيلَ. فَقَالَ لَهُ زَيْدٌ: حُقِرْتَ وَتَعِسْتَ، أَنْتَ أَهْوَنُ عَلَى اللَّهِ مِنْ ذَلِكَ، كَذَّابٌ مُفْتَرٍ عَلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ، ثَنَا ابْنُ عَوْفٍ، عَنْ أَبِي الصِّدِّيقِ النَّاجِيِّ، أَنَّ الْحَجَّاجَ بْنَ يُوسُفَ دَخْلَ عَلَى أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، بَعْدَمَا قَتَلَ ابْنَهَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ، فَقَالَ: إِنَّ ابْنَكِ أَلْحَدَ فِي هَذَا الْبَيْتِ، وَإِنَّ اللَّهَ أَذَاقَهُ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ، وَفَعَلَ بِهِ وَفَعَلَ، فَقَالَتْ: كَذَبْتَ، كَانَ بَرًّا بِالْوَالِدَيْنِ، صَوَّامًا قَوَّامًا، وَاللَّهِ لَقَدْ أَخْبَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَنَّهُ سَيَخْرُجُ مِنْ ثَقِيفٍ كَذَّابَانِ الْآخِرُ مِنْهُمَا شَرٌّ مِنَ الْأَوَّلِ وَهُوَ مُبِيرٌ» . هَكَذَا رَوَاهُ أَحْمَدُ بِهَذَا السَّنَدِ وَاللَّفْظِ. وَقَدْ أَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ فِي " صَحِيحِهِ " فِي كِتَابِ الْفَضَائِلِ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ مُكْرَمٍ الْعَمِّيِّ الْبَصْرِيِّ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِسْحَاقَ الْحَضْرَمِيِّ، عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ شَيْبَانَ، عَنْ أَبِي نَوْفَلٍ عَنْ أَبِي عَقْرَبٍ - وَاسْمُهُ مُعَاوِيَةُ بْنُ مُسْلِمٍ - عَنْ
পৃষ্ঠা - ৬৯৬৩
أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «إِنَّ فِي ثَقِيفٍ كَذَّابًا وَمُبِيرًا» . وَفِي الْحَدِيثِ قِصَّةٌ طَوِيلَةٌ فِي مَقْتَلِ الْحَجَّاجِ وَلَدَهَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ فِي سَنَةِ ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ، كَمَا سَيَأْتِي. وَقَدْ ذَكَرَ الْبَيْهَقِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ فِي دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ. وَذَكَرَ الْعُلَمَاءُ أَنَّ الْكَذَّابَ هُوَ الْمُخْتَارُ بْنُ أَبِي عُبَيْدٍ، وَكَانَ يُظْهِرُ التَّشَيُّعَ وَيُبْطِنُ الْكَهَانَةَ، وَيُسِرُّ إِلَى أَخِصَّائِهِ أَنَّهُ يُوحَى إِلَيْهِ، وَلَكِنْ مَا أَدْرِي هَلْ كَانَ يَدَّعِي النُّبُوَّةَ أَمْ لَا؟ وَكَانَ قَدْ وُضِعَ لَهُ كُرْسِيٌّ يُعَظَّمُ، وَيُحَفُّ بِالرِّجَالِ وَيُسْتَرُ بِالْحَرِيرِ، وَيُحْمَلُ عَلَى الْبِغَالِ، وَكَانَ يُضَاهِي بِهِ تَابُوتَ بَنِي إِسْرَائِيلَ الْمَذْكُورُ فِي الْقُرْآنِ، وَلَا شَكَّ أَنَّهُ كَانَ ضَالًّا مُضِلًّا، أَرَاحَ اللَّهُ الْمُسْلِمِينَ مِنْهُ بَعْدَمَا انْتَقَمَ بِهِ مِنْ قَوْمٍ آخَرِينَ مِنَ الظَّالِمِينَ، كَمَا قَالَ تَعَالَى {وَكَذَلِكَ نُوَلِّي بَعْضَ الظَّالِمِينَ بَعْضًا بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ} [الأنعام: 129] . وَأَمَّا الْمُبِيرُ فَهُوَ الْقَتَّالُ وَهُوَ الْحَجَّاجُ بْنُ يُوسُفَ الثَّقَفِيُّ، نَائِبُ الْعِرَاقِ لِعَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، الَّذِي انْتَزَعَ الْعِرَاقَ مِنْ يَدِ مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ قَرِيبًا. وَذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ أَنَّ الْمُخْتَارَ لَمْ يَزَلْ مُظْهِرًا مُوَافَقَةَ ابْنِ الزُّبَيْرِ حَتَّى قَدِمَ مُصْعَبٌ إِلَى الْبَصْرَةِ فِي أَوَّلِ سَنَةِ سَبْعٍ وَسِتِّينَ، وَأَظْهَرَ مُخَالَفَتَهُ، فَسَارَ إِلَيْهِ مُصْعَبٌ فَقَاتَلَهُ، وَكَانَ الْمُخْتَارُ فِي نَحْوٍ مَنْ عِشْرِينَ أَلْفًا، وَقَدْ حَمَلَ عَلَيْهِ الْمُخْتَارُ مَرَّةً فَهَزَمَهُ، وَلَكِنْ لَمْ يَثْبُتْ جَيْشُ الْمُخْتَارِ حَتَّى جَعَلُوا يَنْصَرِفُونَ إِلَى مُصْعَبٍ وَيَدْعُونَ الْمُخْتَارَ،