আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة سبع وستين

ترجمة ابن زياد

পৃষ্ঠা - ৬৯৪১


০ ৷ ৷ ৷ : ৷ ৷ ৷ :

৫০৬ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

হবে ৷ অথচ, সুসংবাদদাত৷ বলে পেল তারা মাওসিলের থাযির নামক স্থানে ছিল ৷ লোকটি
বলল, হে শাবী ! আমি তা ৷ল্লাহ্র শপথ করে বলছি, যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি না দেখা পর্যন্ত আপনি
বিশ্বাস করবেন না ৷ তারপর মুখ৩ তার কৃফা ফিরে যায়
জিবানাত সাবী এবং কিনামার যুদ্ধে যারা মুখ৩ তারের সঙ্গে লড়াই করেছিল, তার এই

অনুপন্থিতির সুযোগেত তাদের একদল লোক বসরায় মুসআব ইবনুয যুবায়রের নিকট চলে
যেতে সক্ষম হয় ৷ শাবৃছ ইবন রিবয়ী তাদের একজন ছিলেন ৷ এদিকে ইবনৃল আশতার
সুসৎ বাদ ও ইবন যিয়াদের মাথা প্রেরণ করে এক ব্যক্তির হাতে নাসীবীনের শাসন ক্ষমতা অর্পণ
করে নিজে সেই এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করেন এবং প্রশাসক প্রেরণ করে
সানজার দ্বারা এবং জাযীরার আশে পাশের এলাকাসমুহ দখল করে নেন ৷

আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ-এর হত্যাকাণ্ড ছেষট্টি হিজরী
আশুরার দিন সংঘ টিত হয়েছিল ৷ সঠিক সন হল, সাতষট্টি হিজরী ৷ ইবনুল আশতার কর্তৃক
ইবন যিয়াদ এর হতভৃার প্ৰশ্া০ না করে সুরাকা ৷ইবন মিরদাস আলবারেকী বলেন-

তোমাদের নিকট মাযহাজ গোত্রের এমন একজন সরদারের আগমন ঘটেছে যিনি শত্রুর
মোকাবিলায় দুঃসাহসী এবং পিছু হটবার লোক নন ৷
ওহে যিয়াদের পুত্র ! তুমি মহান ব্যক্তির থুনের বদলায় খুন হও এবং দোধারী ধারাল
তরবারির ধার আস্বাদন কর ৷ ন্
তুমি যখন নিহতের বদলে নিহত হয়ে আমাদের নিকট এসেছিলে, তখন আমরা তোমাকে
ধারাল তরবারি দ্বারা আঘাত করেছি ৷
আল্লাহ্ তার সৈনিকদেরকে উত্তম বিনিময় দান করুন ৷ তারইি গতকাল আমাকে উবাইদুল্লাহ্
, খুনের পিপাসা থেকে নিষ্কৃতি দান করেছে ৷ ’

ইবন যিয়াদের জীবন-চরিত

তার নাম উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ ইবন উবাইদ ৷ ইবন যিয়াদ ইবন আবু সুফিয়ান নামে
সমধিক পরিচিত ৷৩ তাকে যিয়াদ ইবন আবীহি এবং যিয়াদ ইবন সুমাইয়াও বলা হত ৷ পিতা
যিয়াদের পর তিনি ইরাকের গভর্নর ছিলেন ৷ ইবন মাঈন বলেন, তাকে উবাইদুল্লাহ্ ইবন
মারজানাও বলা হয় ৷ মারজ ৷ন৷ ছিল তার মাতা ! অন্যরা বলেন, উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদের মা
মারজান৷ অগ্নিপুজারী ছিলেন ৷৩ তার উপনাম আবু হাফস ৷ ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়ার পর তিনি
দামেশৃকে বসবাস করেন ৷ দীমাসের নিকট তার একটি বাড়ী ছিল ৷৩ তার মৃত্যুর পর সেটি ইবন
আজরানের বাড়ী বলে পরিচিত লাভ করে ৷ আবুল আব্বাস আহমাদ ইবন ইউনুস আযযাবী
থেকে ইবন আসাকিরের বর্ণনা মতে তার জন্ম হয় উনচল্পিশ হিজরী সনে ৷ ইবন আসাকির
বলেন, তিনি মুআবিয়া, সা দ ইবন আবী ওয়াক্কাস ও মা কিল ইবন ইয়াসার থেকে হাদীস
বর্ণনা করেছেন এবং হাসান আলশ্বসরী ও আবুল মালীহ ইবন উসামা তার থেকে হাদীস বর্ণনা






وَقَدْ قَالَ سُرَاقَةُ بْنُ مِرْدَاسٍ الْبَارِقِيُّ يَمْدَحُ ابْنَ الْأَشْتَرِ عَلَى قَتْلِهِ ابْنَ زِيَادٍ: أَتَاكُمْ غُلَامٌ مِنْ عَرَانِينِ مَذْحِجٍ ... جَرِيءٌ عَلَى الْأَعْدَاءِ غَيْرُ نَكُولِ فَيَا ابْنَ زِيَادٍ بُؤْ بِأَعْظَمِ مَالِكٍ ... وَذُقْ حَدَّ مَاضِي الشَّفْرَتَيْنِ صَقِيلِ ضَرَبْنَاكَ بِالْعَضْبِ الْحُسَامِ بِحَدِّهِ ... إِذَا مَا أَبَأْنَا قَاتِلًا بِقَتِيلِ جَزَى اللَّهُ خَيْرًا شُرْطَةَ اللَّهِ إِنَّهُمْ ... شَفَوْا مِنْ عُبَيْدِ اللَّهِ أَمْسِ غَلِيلِي [تَرْجَمَةُ ابْنِ زِيَادٍ] وَهَذِهِ تَرْجَمَةُ ابْنِ زِيَادٍ هُوَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادِ بْنِ عُبَيْدٍ الْمَعْرُوفُ بِابْنِ زِيَادِ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ وَيُقَالُ لَهُ: زِيَادُ بْنُ أَبِيهِ، وَابْنُ سُمَيَّةَ. أَمِيرُ الْعِرَاقِ بَعْدَ أَبِيهِ زِيَادٍ، وَقَالَ ابْنُ مَعِينٍ: وَيُقَالُ لَهُ: عُبَيْدُ اللَّهِ ابْنُ مَرْجَانَةَ - وَهِيَ أُمُّهُ. وَقَالَ غَيْرُهُ: وَكَانَتْ مَجُوسِيَّةً. وَكُنْيَتُهُ أَبُو حَفْصٍ وَقَدْ سَكَنَ دِمَشْقَ بَعْدَ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، وَكَانَتْ لَهُ دَارٌ عِنْدَ
পৃষ্ঠা - ৬৯৪২


করেছেন ৷ আবু নৃআইমআলষ্ফজল ইবন দাকীন বলেন, ঐতিহাসিকগণ উল্লেখ করেছেন যে,
উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ যখন হুসাইনকে হত্যা করে তখন তার বয়স ছিল আটাশ বছর ৷
আমার মতে, এতে প্রমাণিত হয় তার জন্ম হয় তেত্রিশ হিজরী সনে ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
ইবন আসাকির বর্ণনা করেছেন, মুআঘিয়া (রা) যিয়াদ এর নিকট পত্র লিখেন আপনি
আপনার পুত্রকে আমার নিকট পাঠিয়ে দিন ৷ পুত্র আসলে মুআবিয়া (রা)৩ তাকে যে কটি প্রশ্ন
করেন, তিনি সবগুলো প্রশ্নের উত্তরদানে সক্ষম হন ৷ অবশেষে মুআবিয়া (রা)৩ তাকে কবিতা
বিয়য়ে প্রশ্ন করেন ৷ কিন্তু তিনি এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারলেন না ৷ মুআবিয়া (রা)৩ তাকে
বললেন, কিসে তোমাকে কাব্য শিক্ষা থেকে বিরত রেখেছে ? তিনি বললেন, হে আমীরুল
মুমিনীন : আমি আমার বুকে আল্লাহর কথার সঙ্গে শয়তানের কথাকে একত্রিত করাকে অপছন্দ
করেছি ৷ একথা শুনে মুআবিয়া (বা) বললেন, তুমি বড় অভিনব কথা বললে, আল্লাহর শপথ ৷
সিফ্ফীনের দিন ইবনুল আতনাবার পঙ;ক্তিমালা ছাড়া অন্য কিছু আমাকে পলায়ন থেকে নিবৃত্ত



;
আমার সচ্চরিত্র, আমার বিপদাপদ, লাভজনক মুল্যের বিনিময়ে প্রশং সা কুড়ানাে, নিঃস্বকে
দান করা,৩ ভয়ানক বীর সৈনিকের প্রতি এগিয়ে যাওয়া, বিপদের সময় আমার বসা তুমি
াযখানে আট, দাড়িয়ে থাক, প্রশংসা পারে কিংবা স্বস্তি লাভ করবে এসব আমাকে সৎক্র্ম
পরিহার এবং সঠিক কাজের সহযোগিতা করতে অস্বীকা ৷র করে ৷ ’
তারপর হযরত মু আবিয়া (রা)৩ তার পিতার নিকট পত্র লিখেন আপনি আপনার ছেলেটাকে
কাব্য দ্বারা পরি৩ প্ত করুন ৷ তিনি পুত্রকে কাব্য দ্বারা পরিতৃপ্ত করলেন ৷ ফলে পরে তার এমন
তাবন্থা হয়েছে যে, কোন কবি৩ ৷মালাই তার অজানা রইল না ৷ উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ পরে
যেসব কাবতা আবৃত্তি করতেন, তার দ ’টি পঙ্ক্তি হল এই
৷ ৰুা ১া১৷ ঢাচ্া,
উভয় অশ্বারোহী যখন মুখোমুথী হবে তখন মারওয়ান ইবন নিসওয়৷ জানতে পারবে যে, তাকে
তেরছা বর্শা দ্বারা আ ৷৷ত হানছি ৷ যখন যেহমানের আগমন ঘটে, আর আমি আমার ঘোড়াটা ছাড়া
আর কিছু না পাই, তখন আমি সেটিই জবইি করে তাদের যথোপযুক্ত আপ্যায়ন করি ৷
হযরত মুআবিয়া (বা) একদিন বসরার লোকদেরশুক ইবন যিয়াদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা
করেছিলেন, তারা বলল, তিনি রসিক্ মানুষ ৷ কিন্তু তিনি আরবীতে ভুল করে থাকেন ৷
মুআবিয়া (রা) বললেন, এই ভুলটাই তার রসিকতার পরিচয় নয় কি ? ইবন কুতাইবা প্রমুখ
বলেছেন, তারা বুঝতে চেয়েছিল যে,৩ তিনি ভাষায় ভুল করে থাকেন ৷ অর্থাৎ তিনি কথা অস্পষ্ট
বলেন ৷ এ প্রসঙ্গে করি বলেন







الدِّيمَاسِ تُعْرَفُ بَعْدَهُ بِدَارِ ابْنِ عَجْلَانَ، وَكَانَ مَوْلِدُهُ فِي سَنَةِ تِسْعٍ وَثَلَاثِينَ فِيمَا حَكَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ عَنْ أَبِي الْعَبَّاسِ أَحْمَدَ بْنِ يُونُسَ الضَّبِّيِّ. قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَرَوَى الْحَدِيثَ عَنْ مُعَاوِيَةَ، وَسَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، وَمَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ. وَحَدَّثَ عَنْهُ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ، وَأَبُو الْمُلَيْحِ بْنُ أُسَامَةَ، وَقَالَ أَبُو نُعَيْمٍ الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ: ذَكَرُوا أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ زِيَادٍ حِينَ قَتَلَ الْحُسَيْنَ كَانَ عُمْرُهُ ثَمَانِيًا وَعِشْرِينَ سَنَةً. قُلْتُ: فَعَلَى هَذَا يَكُونُ مَوْلِدُهُ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَثَلَاثِينَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّ مُعَاوِيَةَ كَتَبَ إِلَى زِيَادٍ أَنْ أَوْفِدْ إِلَيَّ ابْنَكَ. فَلَمَّا قَدِمَ عَلَيْهِ لَمْ يَسْأَلْهُ مُعَاوِيَةُ عَنْ شَيْءٍ إِلَّا نَفَذَ مِنْهُ، حَتَّى سَأَلَهُ عَنِ الشِّعْرِ فَلَمْ يَعْرِفْ مِنْهُ شَيْئًا، فَقَالَ لَهُ مَا مَنَعَكَ مِنْ تَعَلُّمِ الشِّعْرِ؟ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنِّي كَرِهْتُ أَنْ أَجْمَعَ فِي صَدْرِي مَعَ كَلَامِ الرَّحْمَنِ كَلَامَ الشَّيْطَانِ. فَقَالَ: اغْرُبْ، فَوَاللَّهِ مَا مَنَعَنِي مِنَ الْفِرَارِ يَوْمَ صِفِينَ إِلَّا قَوْلُ ابْنِ الْإِطْنَابَةِ حَيْثُ يَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ৬৯৪৩
أَبَتْ لِي عِفَّتِي وَأَبَى بَلَائِي ... وَأَخْذِي الْحَمْدَ بِالثَّمَنِ الرَّبِيحِ وَإِعْطَائِي عَلَى الْإِعْدَامِ مَالِي ... وَإِقْدَامِي عَلَى الْبَطَلِ الْمُشِيحِ وَقَوْلِي كُلَّمَا جَشَأَتْ وَجَاشَتْ ... مَكَانَكِ تُعْذَرِي أَوْ تَسْتَرِيحِي لِأَدْفَعَ عَنْ مَآثِرَ صَالِحَاتٍ ... وَأَحْمِي بَعْدُ عَنْ أَنْفٍ صَحِيحِ ثُمَّ كَتَبَ إِلَى أَبِيهِ: أَنْ رَوِّهِ مِنَ الشِّعْرِ، فَرَوَّاهُ حَتَّى كَانَ لَا يَسْقُطُ عَنْهُ مِنْهُ شَيْءٌ. وَمِنْ شِعْرِهِ بَعْدَ ذَلِكَ: سَيَعْلَمُ مَرْوَانُ ابْنُ نِسْوَةِ أَنَّنِي ... إِذَا الْتَقَتِ الْخِيلَانِ أَطْعَنُهَا شَزْرًا وَإِنِّي إِذَا حَلَّ الضُّيُوفُ وَلَمْ أَجِدْ ... سِوَى فَرَسِي أَوْسَعْتُهُ لَهُمْ نَحْرًا وَقَدْ سَأَلَ مُعَاوِيَةُ يَوْمًا أَهْلَ الْبَصْرَةِ عَنِ ابْنِ زِيَادٍ فَقَالُوا: إِنَّهُ لَظَرِيفٌ وَلَكِنَّهُ يَلْحَنُ. فَقَالَ: أَوَلَيْسَ اللَّحْنُ أَظْرَفَ لَهُ؟ قَالَ ابْنُ قُتَيْبَةَ وَغَيْرُهُ: إِنَّمَا أَرَادُوا أَنَّهُ يَلْحَنُ فِي كَلَامِهِ، أَيْ يُلْغِزُ. وَهُوَ أَلْحَنُ بِحُجَّتِهِ كَمَا قَالَ الشَّاعِرُ: مَنْطِقٌ رَائِعٌ وَتَلْحَنُ أَحْيَا ... نًا وَخَيْرُ الْحَدِيثِ مَا كَانَ لَحْنَا
পৃষ্ঠা - ৬৯৪৪


তিনি চমৎকার কথা বলেন, কিন্তু মাঝে-মধ্যে ভুলও করে থাকেন ৷ উত্তম কথা তো তা ই,
যাতে কিছু কিছু ভুলও থাকে ৷

কেউ কেউ বলেন, তারা বুঝাতে চেয়েছেন যে, তিনি বাচনভঙ্গিতে ত্যু’৷ করেন ৷ অর্থাৎ
আরবীর বিপরীত উচ্চারণ করেন ৷ কারো কারো মতে, তারা যে ভুলের কথা বুঝাতে চেয়েছেন,
তা হল শুদ্ধের বিপরীত ৷ এ ব্যাখ্যাই অধিক যুক্তিযুক্ত ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ যাহোক হযরত
মুআবিয়া (রা) উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদের কথায় সরলতাকে পছন্দ করেছেন ৷ তিনি কথা
বলতেন না এবং কথায় জটিলতা সৃষ্টি করতেন না ৷ কেউ কেউ বলেন, তার মধ্যে কিছুটা
তােতলামি ছিল ৷ ফলে তার ভাষায় অন বরের সুর প্রকাশ পেত ৷ কারণ, তার মাতা মারজানা
ছিলেন সিরীয় ৷ তিনি ছিলেন ইয়াযদড়াগিরদ বা কোন এক অনারব রাজার কন্যা ৷ ফলে
উবাইদৃল্লাহ্ ইবন যিয়াদের ভাষায় অনারব ভাষার মিশ্রণ ছিল ৷ একদিন তিনি এক খারেজীকে
জিজ্ঞাসা করলেন, :ন্প্রু৷ ,,,,, ণ্৷ কিন্তু বলার প্রয়োজন ছিল, ধ্ধ্াষ্৷ ;;,,, ন্৷ একদিন তিনি
বললেন, আর এই যে, হযরত
মুআবিয়া (রা) বললেন, ৰু ৷ এ্,ড়ু৷ এা; তার অর্থ হল, ৰু ৷ ১,৷ এা; অর্থাৎ এটাই তার জন্য
উত্তম ৷ কেননা, তিনি তার মাতৃকুলের চরিত্র লাভ করেছেন ৷ আর তারা ভাল রাজনীতি
জানতেন, প্রজাদের সঙ্গে উত্তম আচরণ করতেন এবং ব্যক্তিগতভাবে তারা ছিলেন
সচচরিত্রবান ৷ তারপর৫ তেপ্পান্ন হিজরী সনে যখন যিয়াদের মৃত্যু হয় তখন মুআবিয়া (রা)
সামুরা ইবন জুনদুবকে দেড় বছরের জন্য বসরার গভর্নর নিযুক্ত করেন ৷ তারপর তাকে বরখাস্ত
করে আবদুল্লাহ ইবন ’আমর ইবন পায়লান ইবন সালামাকে ছয় মাসের জন্য নিয়োগদান
করেন ৷ তারপর তাকেও পদচ্যুত করে পঞ্চান্ন হিজরীতে বসরার গভর্নর নিয়োগ করেন ইবন
যিয়াদকে ৷ ইয়াযীদ যখন ৷খলাফতের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন, তখন তিনি বসরা ও কুফার
শাসনক্ষমতা ইবন যিয়াদের হাতে তুলে দেন ৷ ইবন যিয়াদ ইয়াযীদের শাসনামলে আল-বাইযা
(সাদা প্রাসাদ) নির্মাণ করেন এবং কিসরায় শ্বে৩ প্রাসাদের দরজাটা তাতে স্থাপন করেন এবং
মারবাদ সড়কের পার্শে নির্মাণ করেন আলহামরা (লাল প্রাসাদ) ৷ তিনি শীতকাল কাটালেন
আলষ্হামরায় আর গ্রীষ্মকাল কটিালেন আল-বাইযায় ৷

ঐতিহাসিকপণ লিখেছেন, এক ব্যক্তি ইবন যিয়াদের নিকট এসে বলল, আল্লাহ্ গভর্নরের
মঙ্গল করুন ৷ আমার শ্রী ইনতিকাল করেছে ৷ এখন আমি তার মাকে বিয়ে করতে চাই ৷ ইবন
যিয়াদ তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, অফিসে তুমি বেতন পাও কত ? লোকটি বলল, সাতশত
দিরহাম ৷ ইবন যিয়াদ তার পােলামকে ডেকে বললেন, এর বেতন থেকে চারশত দিরহাম
কমিয়ে দাও ৷ তারপর তাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, তোমার যা জ্ঞান, তাতে ৩নশতই তোমার
জন্য যথেষ্ট ৷ ঐতিহাসিকপণ বলেছেন, উম্মুল ফাজীজ ও তার স্বামী ইবন যিয়াদের নিকট
মামলা নিয়ে আসে ৷ মহিলা তার স্বামী থেকে বিবাহ বিচ্ছেদের দাবী জানায় ৷ আবুল ফাজীজ
বলল, আল্লাহ আমীরের মঙ্গল করুন ৷ পুরুষের জীবনের দুইভাগের শেষ ভাগ হল কল্যাণকর ৷
আর মহিলাদের জীবনের অকল্যাণকর অংশ হল জীবনের শেষ ভাগ ৷ ইবন যিয়াদ বললেন, তা
কভাবে প্ আবুল ফ৷ ৷জীজ বলল, পুরুষ যখন বয়ােবৃদ্ধ হয়, তখন তার জ্ঞান হয়, চিন্তা শক্তি
মজবুত হয় এবং অজ্ঞত৷ বিদুরিত হয় ৷ আর নারী যখন বয়ােবৃদ্ধা হয় ৷ তখন তার চরিত্র নষ্ট
হয়ে যায়, জ্ঞান কমে যায়, জরায়ু বন্ধ হয়ে যায় এবং জিহব৷ ধারাল হয়ে যায় ৷ তার কথা শুনে
ইবন যিয়াদ বললেন, তুমি সত্য বলেছ ৷ তুমি মহিলার হাত ধর এবং ফিরে যাও ৷ ইয়াহ্ইয়া


وَقِيلَ: إِنَّهُمْ أَرَادُوا أَنَّهُ يَلْحَنُ فِي قَوْلِهِ لَحْنًا وَهُوَ ضِدُّ الْإِعْرَابِ. وَقِيلَ: أَرَادُوا اللَّحْنَ الَّذِي هُوَ ضِدُّ الصَّوَابِ. وَهُوَ الْأَشْبَهُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَاسْتَحْسَنَ مُعَاوِيَةُ مِنْهُ السُّهُولَةَ فِي الْكَلَامِ وَأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ مِمَّنْ يَتَغَنَّى فِي كَلَامِهِ وَيُفَخِّمُهُ، وَيَتَشَدَّقُ فِيهِ، وَقِيلَ: أَرَادُوا أَنَّهُ كَانَتْ فِيهِ لُكْنَةٌ مِنْ كَلَامِ الْعَجَمِ ; فَإِنَّ أُمَّهُ مَرْجَانَةَ كَانَتْ سُرِّيَّةً، وَكَانَتْ بِنْتَ بَعْضِ مُلُوكِ الْأَعَاجِمِ ; يُزْدَجِرْدَ أَوْ غَيْرِهِ. قَالُوا: وَكَانَ فِي كَلَامِهِ شَيْءٌ مِنْ كَلَامِ الْعَجَمِ ; قَالَ يَوْمًا لِبَعْضِ الْخَوَارِجِ: أَهَرُورِيٌّ أَنْتَ؟ يَعْنِي: أَحَرُورِيٌّ أَنْتَ؟ وَقَالَ يَوْمًا: مِنْ كَاتَلَنَا كَاتَلْنَاهُ. أَيْ: مَنْ قَاتَلَنَا قَاتَلْنَاهُ، وَقَوْلُ مُعَاوِيَةَ: ذَاكَ أَظْرَفُ لَهُ؛ أَيْ أَجْوَدُ لَهُ حَيْثُ نَزَعَ إِلَى أَخْوَالِهِ، وَقَدْ كَانُوا يُوصَفُونَ بِحُسْنِ السِّيَاسَةِ وَجَوْدَةِ الرِّعَايَةِ وَمَحَاسِنِ الشِّيَمِ. ثُمَّ لَمَّا مَاتَ زِيَادٌ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَخَمْسِينَ وَلَّى مُعَاوِيَةُ عَلَى الْبَصْرَةِ سَمُرَةَ بْنَ جُنْدُبٍ سَنَةً وَنِصْفًا ثُمَّ عَزَلَهُ وَوَلَّى عَلَيْهَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ غَيْلَانَ بْنِ سَلَمَةَ سِتَّةَ أَشْهُرٍ، ثُمَّ عَزَلَهُ وَوَلَّى عَلَيْهَا ابْنَ زِيَادٍ سَنَةَ خَمْسٍ وَخَمْسِينَ. فَلَمَّا تَوَلَّى يَزِيدُ الْخِلَافَةَ جَمْعَ لَهُ بَيْنَ الْبَصْرَةِ وَالْكُوفَةِ، فَبَنَى فِي إِمَارَةِ يَزِيدَ الْبَيْضَاءَ، وَجَعَلَ بَابَ الْقَصْرِ الْأَبْيَضِ الَّذِي كَانَ لِكِسْرَى عَلَيْهَا، وَبَنَى الْحَمْرَاءَ وَهِيَ عَلَى سِكَّةِ الْمِرْبَدِ، فَكَانَ يَشْتُو فِي الْحَمْرَاءِ وَيَصِيفُ فِي الْبَيْضَاءِ. قَالُوا: وَجَاءَ رَجُلٌ إِلَى ابْنِ زِيَادٍ فَقَالَ: أَصْلَحَ اللَّهُ الْأَمِيرَ، إِنَّ امْرَأَتِي مَاتَتْ،
পৃষ্ঠা - ৬৯৪৫
وَإِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَتَزَوَّجَ أُمَّهَا. فَقَالَ لَهُ: كَمْ عَطَاؤُكَ فِي الدِّيوَانِ؟ فَقَالَ: سَبْعُمِائَةٍ، فَقَالَ: يَا غُلَامُ، حُطَّهُ مِنْ عَطَائِهِ أَرْبَعَمِائَةٍ. ثُمَّ قَالَ لَهُ: يَكْفِيكَ مَنْ فِقْهِكَ هَذَا ثَلَاثُمِائَةٍ! قَالُوا: وَتَخَاصَمَتْ أُمُّ الْفُجَيْعِ وَزَوْجُهَا إِلَيْهِ وَقَدْ أَحَبَّتِ الْمَرْأَةُ أَنْ تُفَارِقَ زَوْجَهَا، فَقَالَ أَبُو الْفُجَيْعِ: أَصْلَحَ اللَّهُ الْأَمِيرَ، إِنَّ خَيْرَ شَطْرَيِ الرَّجُلِ آخِرُهُ، وَإِنَّ شَرَّ شَطْرَيِ الْمَرْأَةِ آخِرُهَا. فَقَالَ لَهُ: وَكَيْفَ ذَلِكَ؟ فَقَالَ: إِنَّ الرَّجُلَ إِذَا أَسَنَّ اشْتَدَّ عَقْلُهُ، وَاسْتَحْكَمَ رَأْيُهُ، وَذَهَبَ جَهْلُهُ، وَإِنَّ الْمَرْأَةَ إِذَا أَسَنَّتْ سَاءَ خُلُقُهَا، وَقُلَّ عَقْلُهَا، وَعَقِمَ رَحِمُهَا، وَاحْتَدَّ لِسَانُهَا. فَقَالَ: صَدَقْتَ خُذْ بِيَدِهَا وَانْصَرِفْ. وَقَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ: أَمَرَ ابْنُ زِيَادٍ لِصَفْوَانَ بْنِ مُحْرِزٍ بِأَلْفَيْ دِرْهَمٍ فَسُرِقَتْ، فَقَالَ: عَسَى أَنْ يَكُونَ خَيْرًا. فَقَالَ أَهْلُهُ: كَيْفَ يَكُونُ هَذَا خَيْرًا؟ فَبَلَغَ ذَلِكَ ابْنُ زِيَادٍ، فَأَمَرَ لَهُ بِأَلْفَيْنِ آخَرَيْنِ، ثُمَّ وَجَدَ الْأَلْفَيْنِ فَصَارَتْ أَرْبَعَةَ آلَافٍ، فَكَانَ خَيْرًا. وَقِيلَ: لِهِنْدَ بِنْتِ أَسْمَاءَ بْنِ خَارِجَةَ - وَكَانَتْ قَدْ تَزَوَّجَتْ بِعِدَّةِ أَزْوَاجٍ مِنْ نُوَّابِ الْعِرَاقِ -: مَنْ أَعَزُّ أَزْوَاجِكِ عِنْدَكِ وَأَكْرَمُهُمْ عَلَيْكِ؟ فَقَالَتْ: مَا أُكْرِمَ النِّسَاءُ إِكْرَامَ بِشْرِ بْنِ مَرْوَانَ وَلَا هَابَ النِّسَاءُ هَيْبَةَ الْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ،
পৃষ্ঠা - ৬৯৪৬


ইবন মাঈন বলেন-, ইবন যিয়াদ সাফওয়ান ইবন মুহাররিযব্লুক দৃই হাজার দিরহাম দান করার
নির্দেশ প্রদান করেন ৷ কিন্তু সেগুলো চুরি হয়ে যায় তিনি বলেছেন, এটা হয়ত আমার জন্য
মঙ্গলজনক ৷ কিন্তু তার পরিবারের লোকজন বলল, এ আবার কল্যাণকর হয় কিডাঃধ্ ? কথাট
যিয়াদ-এর নিকট ব্লুপাছব্লুল তিনি আরো দু হাজার প্রদানের আদেশ দেন ৷ তারপরম্প্রথম প্রথম
দু’হাজারও পাওয়া যায় ৷ তাতে তার হয়ে যায় চার হাজার ৷ এভাবেই ঘটনাটা তার জন্যে
কল্যাণকয় প্রমাণিত হয় ৷
হিনদ ৰিনৃত আসম৷ ইবন খারিজাকে জিজ্ঞাসা করা হল-এই মহিলা ইবন যিয়াদ-এর পর
ইরাকের কয়েকজন গভর্নকে বিয়ে করেছিল-তোমার নিকট তোমার স্বামীদেরন্মধ্যে ব্লুক সব
চেয়ে বেশী সম্মানিত এবং কে তোমার প্রতি বেশী ব্লুয়হশীল ? হিনদ বলল, বাশীর ইবন
মারওয়ান-এর ন্যায় আর কেউ নারীকে সম্মান প্রদান করেনি আর হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ-এর
ন্যায় কেউ নারীকে অত আতং ত করেনি ৷ আর আমার কামনা কিয়ামত কায়েম হয়ে যাক,
আমি উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ-এর কথা শুনে এবং তাকে দেখে শান্তি লাভ করি ৷ উবাইদুল্লাহ্
ইবন যিয়াদ তাকে কুমারীরুপে বিবাহ করেছিলেন ৷
উসমান ইবন আবু শায়ব৷ জারীর ও মুগীরা সুত্রে ইব্রাহীম থেকে বর্ণনা করেছেন, ইবরাহীম
বলেছেন, যিনি সর্বপ্রথম ফরয নামাব্লুয সুরা বাস ও সুরা ফালাক সশব্লুব্দ তিলাওয়াত করেন,
তিনি হলেন ইবন যিয়াদ ৷ আমার মব্লুত-আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ অর্থাৎ কুফায় ৷ কেননা, ইবন
মাসউদ (রা)ত তার মসহাব্লুফ এই সুরা দুটো লিপিবদ্ধ করতেন না ৷ আর কুফার ফকীহগণ ইবন
মাসউদ (রা) এর বড় বড় শিষ্যদের থেকে ইল্ম অর্জন করতেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
ইবন যিয়াদ এর মধ্যে দুঃসাহস এবং অন্যায় ও অপ্রয়োজনীয় কাজের প্রবণতা ছিল ৷ যেমন
০ আবু ইয়ালা ও মুসলিম কর্তৃক হাসান থেকে বর্ণিত আছে তিনি বলেছেন, আয়িব ইবন আমর
উবাইদৃল্লাহ্ ইবন যিয়াদ এর নিকট এসে বললেন, বৎস ! আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) ব্লুক বলতে
শুব্লুনছি, শাসক গোষ্ঠীর মধ্যে সবচাইতে বেশী নিকৃষ্ট হল ঐ ব্যক্তি যে জালিম হয় ৷ অতএব
তুমি নিজেকে তাদের থেকে রক্ষা করে চল ৷’ শুনে ইবন যিয়াদ বললেন, বসুন, আপনি তো
রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর সাহাবীদের মধ্য থেকে ফেলনা ৷ তিনি বলব্লুলন,ত তাদের মাঝে আবার কেউ
ফেলনা ছিলেন নাকি ? ফেলনা তো হয় তাদের পরের লোকদের মাঝে ৷ হাসান থেকে
একাধিক ব্যক্তি বর্ণনা করেছেন যে, উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ অসুস্থ মাকিল ইবন ইয়াসার (রা)-
ব্লুক দেখতে গেলে তিনি তাকে বললেন, আমি তোমাকে এমন একটি হাদীস বর্ণনা করব, যা
আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে শুব্লুনছি ৷ তিনি (সা) বলেছেন, আল্লাহ যাকে প্ৰজ৷ প্রতিপালনের
দায়িতৃ প্রদান করেন, যে যদি তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা অবস্থায় মারা যায়, তাহলে আল্পাহ্
তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন ৷ ণ্
একাধিক ব্যক্তি বর্ণনা করেছেন, মাকিব্লুলর ইনতিকাব্লুলর পর উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ তার
জানাযা পড়াব্লুলন বব্লুট, কিংব্র তার দাফব্লুন উপস্থিত হন নি ৷ গৌড়৷ ওজর দেখিয়ে তিনি প্রাসাদে
চলে গিয়েছিলেন ৷৩ তার একটি দুঃসাহসিক কাজ ছিল, হযরত হুসাইন (রা) কে তার সম্মুখে
উপস্থিত করার নির্দেশ প্রদান করা যদিও এতে তিনি নিহত হন ৷ অথচ, হুসাইন (রা)ত তার প্ৰতি
আবেদন ক্যরছিব্লুলন, হয় আমাকে ইয়াযীদের নিকট যেতে দাও, কিংবা মক্কায় অথবা কোন
এক সীমান্তে চলে যাওয়ার সুযোগ দাও ৷ ইবন যিয়াদ এর কর্তব্য ছিল তার এই আবেদব্লুন
সাড়া দেয়া ৷ কিন্তু শিমার ইবন যুল যাওশান তাকে পরামর্শ দিল, ভাবে আপনার নিকট


وَوَدِدْتُ أَنَّ الْقِيَامَةَ قَدْ قَامَتْ، فَأَرَى عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ زِيَادٍ وَأَشْتَفِي مِنْ حَدِيثِهِ وَالنَّظَرِ إِلَيْهِ. وَكَانَ أَبَا عُذْرِهَا وَقَدْ تَزَوَّجَتْ بِالْآخَرِينَ أَيْضًا. وَقَالَ عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ جَرِيرٍ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَوَّلُ مَنْ جَهَرَ بِالْمُعَوِّذَتَيْنِ فِي الْمَكْتُوبَةِ ابْنُ زِيَادٍ. قُلْتُ: يَعْنِي - وَاللَّهُ أَعْلَمُ - فِي الْكُوفَةِ، فَإِنَّ ابْنَ مَسْعُودٍ كَانَ لَا يَكْتُبُهُمَا فِي مُصْحَفِهِ، وَكَانَ فُقَهَاءُ الْكُوفَةِ عَنْ كُبَرَاءِ أَصْحَابِ ابْنِ مَسْعُودٍ يَأْخُذُونَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ كَانَتْ فِي ابْنِ زِيَادٍ جُرْأَةٌ وَإِقْدَامٌ وَمُبَادَرَةٌ إِلَى مَا لَا يَجُوزُ، وَمَا لَا حَاجَةَ لَهُ بِهِ. ثَبَتَ فِي الْحَدِيثِ الَّذِي رَوَاهُ أَبُو يَعْلَى، وَمُسْلِمٌ، كِلَاهُمَا عَنْ شَيْبَانَ بْنِ فَرُّوخَ، عَنْ جَرِيرٍ، عَنِ الْحَسَنِ، أَنَّ عَائِذَ بْنَ عَمْرٍو دَخْلَ عَلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ فَقَالَ: أَيْ بُنَيَّ، إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ شَرَّ الرِّعَاءِ الْحُطَمَةُ، فَإِيَّاكَ أَنْ تَكُونَ مِنْهُمْ» . فَقَالَ لَهُ: اجْلِسْ، فَإِنَّمَا أَنْتَ مِنْ نُخَالَةِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ: وَهَلْ كَانَ فِيهِمْ نُخَالَةٌ؟ إِنَّمَا كَانَتِ النُّخَالَةُ بَعْدَهُمْ وَفِي غَيْرِهِمْ. وَقَدْ رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ، عَنِ الْحَسَنِ أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ زِيَادٍ دَخَلَ عَلَى مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ يَعُودُهُ فَقَالَ: إِنِّي مُحَدِّثُكَ بِحَدِيثٍ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৬৯৪৭
أَنَّهُ قَالَ «مَا مِنْ رَجُلٍ اسْتَرْعَاهُ اللَّهُ رَعِيَّةً يَمُوتُ يَوْمَ يَمُوتُ وَهُوَ غَاشٌّ لَهُمْ، إِلَّا حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ» . وَقَدْ ذَكَرَ غَيْرُ وَاحِدٍ أَنَّهُ لَمَّا مَاتَ مَعْقِلٌ صَلَّى عَلَيْهِ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ وَلَمْ يَشْهَدْ دَفْنَهُ، وَاعْتَذَرَ بِمَا لَيْسَ يُجْدِي شَيْئًا، وَرَكِبَ إِلَى قَصْرِهِ. وَمِنْ جَرَاءَتِهِ إِقْدَامُهُ عَلَى الْأَمْرِ بِإِحْضَارِ الْحُسَيْنِ إِلَى بَيْنِ يَدَيْهِ وَإِنْ قُتِلَ دُونَ ذَلِكَ. وَكَانَ الْوَاجِبُ عَلَيْهِ أَنْ يُجِيبَهُ إِلَى سُؤَالِهِ الَّذِي سَأَلَهُ فِيمَا طَلَبَ مِنْ ذَهَابِهِ إِلَى يَزِيدَ، أَوْ إِلَى مَكَّةَ، أَوْ إِلَى أَحَدِ الثُّغُورِ، فَلَمَّا أَشَارَ عَلَيْهِ شَمِرُ بْنُ ذِي الْجَوْشَنِ بِأَنَّ الْحَزْمَ أَنْ يُحْضَرَ عِنْدَكَ وَأَنْتَ تُسَيِّرُهُ بَعْدَ ذَلِكَ إِلَى حَيْثُ شِئْتَ مِنْ هَذِهِ الْخِصَالِ أَوْ غَيْرِهَا، فَوَافَقَ شَمِرًا عَلَى مَا أَشَارَ بِهِ مِنْ إِحْضَارِهِ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَأَبَى الْحُسَيْنُ أَنْ يَحْضُرَ عِنْدَهُ لِيَقْضِيَ فِيهِ بِمَا يَرَاهُ ابْنُ مَرْجَانَةَ، وَقَدْ تَعِسَ وَخَابَ وَخَسِرَ، فَلَيْسَ لِابْنِ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَحْضُرَ بَيْنَ يَدَيِ ابْنِ مَرْجَانَةَ الْخَبِيثِ. وَقَدْ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَنَا الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ، وَمَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ قَالَا: حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلَامِ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ كُرْدُوسٍ، عَنْ حَاجِبِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ قَالَ: دَخَلْتُ مَعَهُ الْقَصْرَ حِينَ قُتِلَ الْحُسَيْنُ، قَالَ: فَاضْطَرَمَ فِي وَجْهِهِ نَارًا - أَوْ كَلِمَةً نَحْوَهَا - فَقَالَ بِكُمِّهِ هَكَذَا عَلَى وَجْهِهِ، وَقَالَ: لَا تُحَدِّثَنَّ بِهَذَا أَحَدًا. وَقَالَ شُرَيْكٌ، عَنْ مُغِيرَةَ قَالَ: قَالَتْ مَرْجَانَةُ لِابْنِهَا عُبَيْدِ اللَّهِ: يَا خَبِيثُ، قَتَلْتَ ابْنَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَا تَرَى الْجَنَّةَ أَبَدًا.
পৃষ্ঠা - ৬৯৪৮


উপস্থিত করইি ভাল হবে এবং তারপর আপনি তাকে নিয়ে এগুলো বা অন্য যা খুশী তা ই
করবেন ৷ তিনি তার এই পরামশ্ইি গ্রহণ করলেন ৷ এদিকে হ্স ইন (রা)ত তার সম্মুখে উপস্থিত
হগ্লোজােস্বীকার করলেন যে, মারজানার পুত্র য৷ খুশী সিদ্ধ ন্ত নিক ৷ পরিণামে তিনি শহীদই
হলেন ৷ মারজানার অপদার্থ ছেলেটার সম্মুখে উপস্থিত হওয়া রাসুল-কন্যার পুত্রের পক্ষে ,
শ্যেভনীয় ছিল না ৷ মুহাম্মদ ইবন সা দ ফজল ইবন দাকীন ও মাকিল ইবন কারদুস সুত্রে
উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ এর সঙ্গে তার প্রাসাদে প্রবেশ করি ৷ সংবাদ গুশানার পর তার
ঢেহারায় আগুন বা অনুরুপ ছিল জ্বলজ্বল করে ওঠে ৷ তিনি তার হাতে র আস্তিন ধরে ইশারায়
চেহারায় অবন্থাট৷ প্রকাশ করেন এবং বললেন, তুমি এ সংবাদ কাউকে বলবে না ৷ শারীক
ইবন মুগীর৷ বলেন, মারজানা তার পুত্র উবাইদুল্লাহ্কে বলেছিল, নরাধঘ৷ তুই রাসুল-কন্যার
পুত্রকে থুন করলি ? তুই কখনো জান্নাত চোখে দেখবি না ৷
আমরা পুর্বে উল্লেখ করে এসেছি, ইয়াযীদ ইবন মু আ ৷বিয়ার মৃত্যুর পর (বসরা-কুফা) উভয়
নগরীতে মানুষ জনগণের এক নেতার অধীনে ঐক্যবদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত সময়ের জন্যে
উবায়দুল্পাহ্র হাতে বড়ায়আত গ্রহণ করে ৷ পরে তারা তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে এবং তাকে
তাদের মধ্য থেকে বের করে দেয় ৷ তিনি সিরিয়া চলে গিয়ে মারওয়ান-এর সঙ্গে যোগ দেন
এবং মারওয়ানকে খিলাফতের ক্ষমতা হাতে নিয়ে নেয়া ও জনগণকে নিজের প্রতি আহবান
করার জন্য উৎসাহিত করলেন ৷ অবশেষে মারওয়ান তা-ই করলেন এবং যাহহাক ইবন কারন-
এর বিরুদ্ধাচরণ শুরু করলেন ৷ তারপর উবাইদুল্লাহ্ যাহহাকইবন কায়স এর নিকট গিয়ে তার
সঙ্গে অবস্থান করা শুরু করলেন ৷ এক পর্যায়ে তাকে দামেশক থেকে মারজে বাহিতের দিকে
নিয়ে যান ৷ তারপর ইবন যুবইিরকে ত্যাগ করে জনগণকে তার নিজের হাতে বায়আত গ্রহণ
করার জন্য ইবন যিয়াদ যাহ্হাককে উৎসাহিত করেন ৷ যাহ্হাকৰু শ্চ৷ ই করলেন ৷ পরিণামে তার
শৃৎখলা লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল এবং মারজে রাহিতে যাহহাক ও বিপুল সংখ্যক মানুষের হত্যাকাণ্ডসহ
যা ঘটবার তা সংঘটিত হল ৷ মারওয়ান শাসন ক্ষমতা হাতে নেয়ার পর ইবন যিয়াদকে একদল
সৈন্যসহ ইরাক প্রেরণ করেন ৷ ফলে তিনি এবং তাওরাকারী বাহিনী সুলাইমান ইবন সুরাদ এর
সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হন এবং তাদরেকে পরাজিত করেন ৷ তিনি সেই বাহিনীটি নিয়ে কুফা
অভিমুখে অগ্রসর হতে থাকেন ৷ পথে ইবন যুবইির প্রেরিত জাষীরাবাসী শত্রু বাহিনী তাদের
গতিরোধ করে ৷ তারপর অপ্রত্যাশিতভাবে ইবনুল আশতার সাত হাজার সৈন্য নিয়ে তার
মুখোমুখি হন ৷ আর ইবন যিয়াদ এর সঙ্গে ছিল তার কয়েকগুণ সৈন্য ৷ কিন্তু ইবনুল আশতার
তার বিরুদ্ধে জয়লাভ করেন এবং মওসেলের মাত্র পাচ যনযিল দুরে আল খাষির নদীর তীরে
ইবন যিয়াদকে নির্যমতা ৷বে হত্যা করে ফেলেন ৷
আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, ঘটনাটি ঘটেছিল আশুরার দিন ৷ এই সেই দিন যেদিন
শহীদ হয়েছিলেন হযরত হুসাইন (বা) ৷ তারপর ইবনুল আশতার ইবন যিয়াদের মাথাটা
মুখতার এর নিকট পাঠিয়ে দেন ৷ সঙ্গে প্রেরণ করেনহুসাইন ইবন নুমাইর, শুরাহবীল বিল
কালা এবং তাদের নেতৃস্থানীয় আরো মানুষের ছিন্ন মস্তক ৷ মুখতার তাতে আনন্দিত হন ৷
ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান ইউসুফ ইবন মুসা ইবন জরীর সুত্রে ইয়াযীদই ধ্বৃন আবু যিয়াদ থেকে
বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, মারজানার পুত্র এবং তার সহচরদের মস্তকগুলাে বহন করে
এনে যখন মুখতার এর সম্মুখে ছুড়ে ফেলা হল, তখন সরু একটি সাপ এসে মস্তকগুলোর
মধ্যে ঢুকে পড়ল ৷ এক পর্যায়ে সাপটি মারজানাব পুত্রের মুখ দিয়ে ঢুকে নাসারন্দ্র দিয়ে বেরিয়ে


وَقَدْ قَدَّمْنَا أَنْ يَزِيدَ بْنَ مُعَاوِيَةَ لَمَّا مَاتَ بَايَعَ النَّاسُ فِي الْمِصْرَيْنِ لِعُبَيْدِ اللَّهِ حَتَّى يَجْتَمِعَ النَّاسُ عَلَى إِمَامٍ، ثُمَّ خَرَجُوا عَلَيْهِ فَأَخْرَجُوهُ مِنْ بَيْنِ أَظْهُرِهِمْ، فَسَارَ إِلَى الشَّامِ فَاجْتَمَعَ بِمَرْوَانَ، وَحَسَّنَ لَهُ أَنْ يَتَوَلَّى الْخِلَافَةَ وَيَدْعُوَ إِلَى نَفْسِهِ، فَفَعَلَ ذَلِكَ، فَكَانَ مِنْ أَمْرِهِ مَا تَقَدَّمَ مَعَ الضَّحَّاكِ بْنِ قَيْسٍ. ثُمَّ سَيَّرَهُ مَرْوَانُ فِي جَيْشٍ إِلَى الْعِرَاقِ، فَالْتَقَى بِعَيْنِ الْوَرْدَةِ مَعَ سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدَ وَمَنْ كَانَ مَعَهُ مِنَ الْجَيْشِ الَّذِينَ يُسَمُّونَهُ جَيْشَ التَّوَّابِينَ فَكَسَرَهُمْ، وَاسْتَمَرَّ قَاصِدًا الْكُوفَةَ فِي ذَلِكَ الْجَيْشِ، فَتَعَوَّقَ فِي الطَّرِيقِ بِسَبَبِ مَنْ كَانَ يُمَانِعُهُ فِي أَرْضِ الْجَزِيرَةِ مِنَ الْأَعْدَاءِ مِمَّنْ بَايَعَ لِابْنِ الزُّبَيْرِ، ثُمَّ اتَّفَقَ خُرُوجُ ابْنِ الْأَشْتَرِ إِلَيْهِ فِي سَبْعَةِ آلَافٍ، وَكَانَ مَعَ ابْنِ زِيَادٍ أَضْعَافُ ذَلِكَ، وَلَكِنْ ظَفَرَ بِهِ ابْنُ الْأَشْتَرِ، فَقَتَلَهُ شَرَّ قِتْلَةٍ، عَلَى شَاطِئِ نَهْرِ الْخَازِرِ قَرِيبًا مِنَ الْمَوْصِلِ بِخَمْسِ مَرَاحِلَ. قَالَ أَبُو أَحْمَدَ الْحَاكِمُ: وَكَانَ ذَلِكَ يَوْمَ عَاشُورَاءَ. قُلْتُ: وَهُوَ الْيَوْمُ الَّذِي قُتِلَ فِيهِ الْحُسَيْنُ. ثُمَّ بَعَثَ ابْنُ الْأَشْتَرِ بِرَأْسِهِ إِلَى الْمُخْتَارِ وَمَعَهُ رَأْسُ حُصَيْنِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَشُرَحْبِيلَ بْنِ ذِي الْكَلَاعِ وَجَمَاعَةٍ مِنْ رُؤَسَاءِ أَصْحَابِهِمْ، فَسُرَّ بِذَلِكَ الْمُخْتَارُ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنِي يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৬৯৪৯
يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ قَالَ: لَمَّا جِيءَ بِرَأْسِ ابْنِ مَرْجَانَةَ وَأَصْحَابِهِ، طُرِحَتْ بَيْنَ يَدِيِ الْمُخْتَارِ، فَجَاءَتْ حَيَّةٌ دَقِيقَةٌ تَخَلَّلَتِ الرُّءُوسَ حَتَّى دَخَلَتْ فِي فَمِ ابْنِ مَرْجَانَةَ وَخَرَجَتْ مِنْ مِنْخَرِهِ، وَدَخَلَتْ فِي مِنْخَرِهِ وَخَرَجَتْ مِنْ فَمِهِ، وَجَعَلَتْ تَدْخُلُ وَتَخْرُجُ مَنْ رَأَسِهُ مِنْ بَيْنِ الرُّءُوسِ، وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ بِلَفْظٍ آخَرَ فَقَالَ: حَدَّثَنَا وَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، قَالَ: لَمَّا جِيءَ بِرَأْسِ عُبَيْدِ اللَّهِ وَأَصْحَابِهِ نُضِّدَتْ فِي الْمَسْجِدِ فِي الرَّحَبَةِ، فَانْتَهَيْتُ إِلَيْهِمْ وَهُمْ يَقُولُونَ: قَدْ جَاءَتْ، قَدْ جَاءَتْ. فَإِذَا حَيَّةٌ قَدْ جَاءَتْ تَخَلَّلُ الرُّءُوسَ حَتَّى دَخَلَتْ فِي مِنْخَرَيْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ فَمَكَثَتْ هُنَيْهَةً ثُمَّ خَرَجَتْ فَذَهَبَتْ حَتَّى تَغَيَّبَتْ، ثُمَّ قَالُوا: قَدْ جَاءَتْ، قَدْ جَاءَتْ. فَفَعَلَتْ ذَلِكَ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا. قَالَ التِّرْمِذِيُّ: وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَقَالَ أَبُو سُلَيْمَانَ بْنُ زَبْرٍ: وَفِي سَنَةِ سِتٍّ وَسِتِّينَ قَالُوا: فِيهَا قُتِلَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ، وَالْحُصَيْنُ بْنُ نُمَيْرٍ، وَلِيَ قَتْلَهُمَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْأَشْتَرِ، وَبَعَثَ بِرُءُوسِهِمَا إِلَى الْمُخْتَارِ فَبَعَثَ بِهِمَا إِلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ، فَنُصِبَتْ بِمَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ. وَهَكَذَا حَكَى ابْنُ عَسَاكِرَ، عَنْ أَبِي أَحْمَدَ الْحَاكِمِ وَغَيْرِهِ، أَنَّ ذَلِكَ كَانَ فِي سَنَةِ سِتٍّ وَسِتِّينَ - زَادَ أَبُو أَحْمَدَ: فِي يَوْمِ عَاشُورَاءَ - وَسَكَتَ ابْنُ عَسَاكِرَ عَنْ ذَلِكَ، وَالْمَشْهُورُ أَنَّ