আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ست وستين

شخوص إبراهيم بن الأشتر إلى عبيد الله بن زياد

পৃষ্ঠা - ৬৯২৮

পরিচ্ছেদ

ইবন দ্রহ্বাবীর বলেন, এ বছর ইবরাহীম ইবন আশতার উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ এর নিন্ন্
পমন করেন ৷ তারিখটা ছিল যিলহয়ুজ্জর ২২ তারিখ ৷ আবু মিখনড়াফ তার শায়খদের
বংনাি করেছেন, ঘটনাটা ঘুখতারশ্এর জিবানড়াতুস নারী ও কিনাসাবাসীদের যুদ্ধ থেকে অরুৰুন্ন্;ণ্
হওয়ার পরের ৷ ইবনৃল আশতার দু’দিন পরই সিরিয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে রওয়াণ্শুান্া
হয়ে যান ৷ তার রওয়নাে হওয়ার তারিখটা ছিল ছেযট্টি হিজবীর যিলহজ্জ মাসের ২২ তা;রুিষ্
মুখতার তাকে ও তার সঙ্গীদেরকে বিদায় জানানোর জন্য বের হয় ৷ ঘুষতার-এর ৰিৰুণ্ণ্ন্প্রুন্
ব্যক্তিবর্গও বের হয় ৷ তারা একটি ছাইবর্ণ খচচরের পিঠে করে মুখতার-এর চেয়ার বহ?ন্
নিয়ে যায় ৷ এর উদ্দেশ্য ছিল, এর সাহায্য নিয়ে শত্রুর উপর জয়লাভ করা ৷ তারা ৫চয়ারণ্ডু
ভয় করছিল এবং দুআ করতে করতে চীৎকার করতে করতে ও বিনীত সুরে কাদতে কা৮দ্ব ;
এগিয়ে চলে ৷ ঘুখতার তাদেরকে তিনটি উপদেশ দিয়ে ফিরে যায় ৷ সে বলে, হে ইবণ্
আশতার ছ গোপনে ও প্রকাশ্যে আল্লাহ্কে ভয় করবে ৷ ঘুখতার-এর চেয়ারের চতুদি;
অবস্থানরত লোকগুলাে ইরনুল আশতারের সােকগুলো অবিরাম গতিতে এগিয়ে চলে ৷ ইবণ্ঙ্কুর্চু;ৰু
আশতার বলতে শুরু করে, হে আল্লাহ্ ! আমাদের নির্বোধ লােকগুলো বনী ইসরাঈলের রীদ্বন্রুণ্ৰুৰুৰুৰু
ন্যায় যা করেছে, তার জন্য তুমি আমাদেরকে পাকড়াও কর না ৷ যে সত্তার হাতে আমার
তার শপথ ! তারা গো-বৎসের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল ৷ ইবনৃল আশতার ও তার সন্২;ণ্ন্ :

ইবন জারীর বলেন, তুফায়ল ইবন জাদা ইবন হুরায়রার বর্ণনামতে এই চেয়ারটা সরুন্শু
, করে আনার কারণ ছিল-ঙুত্শেয়প ইধৃণ্৷ জাদা ইবৃপ হ্রায়র৷ বলেন, একদা আমি কিছু
হারিয়ে ফেলি ৷ আমি সেগুলো খুজৈ ফিরছিলাম ৷ আমি আমার এক প্রতিবেশীর নিকট গ্রিন্
অতিক্রম করলাম, যার একখানা ঢেয়ার ছিল যাতে বিপুল ধুলা-বালি পড়েছিল ৷ আমি মনে মনে
ভাবলাম, তাকে এই চেয়ারটার কথা বললে কেমন হয় ! আমি ফিরে গিয়ে চেয়ারটা অামৰুন্
নিকট পাঠিয়ে দেয়ার কথা বলে তার নিকট সংবাদ পাঠালাম ৷ তিনি চেয়ারটা পাঠিয়ে দিভৈশুওশ্ৰুন্শুদ্ব
আমি ঘুখতার-এর নিকট গিয়ে বললাম, আমি আপনার থেকে একটা বিষয় গোপন রাখছিভন্াণ্ ,
এখন ভাবছি বিষয়টা আপনাকে বলে ফেলি ৷ সে বললেন, বল কী বিষয়, আমি বললাম, এক ৮ ৷
চেয়ার জাদা ইবন হুরায়রা তাতে বসতেন ৷ তার বসার ধরন থেকে বুঝা যেত যে, তার

চেয়ারটার পরস্পরপত বিদ্যার নিদর্শন রয়েছে ৷ মুখতার বলল, সুবহানাল্লাহ্ ! তুমি বিষয়টা
বলতে আজকের দিন পর্যন্ত বিপুল করলে কেন ? ওটা আমার নিকট পাঠিয়ে দাও ৷ তুফায়ভ্রুন্ন্
ইবন জাদা বলেন, আমি চেয়ারটা তার নিকট ব্যির পেলাম ৷ সেটা ধৌত করা হল ৷ ফা:ন্’ৰু
একটি উজ্জ্বল কাঠ বেরিয়ে পড়ল যা তেল চকচক করেছিল ৷ মুখতার আমাকে বল হাক্তৰুর
দীন্যর প্রদান করার জন্য আদেশ করল ৷ তারপর ঘোষণা দেয়া হল, নামায়ের জন্নেয়াত
হবে মুখতার জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণে বলে পুর্ববর্তী জাত্যিামুহের মাঝে যা কিছু ঘটেছে, ন্ণ্ন্ন্ৰু
উম্মতের মধ্যেও তার অনুরুপ ঘটনা সংঘটিত হয়ে ৷ বনী ইসরাঈলের মাঝে একটি তাঃ :ন্




الطُّفَيْلِ بْنِ عَامِرٍ بِتَوْجِيهِ الْجُنُودِ إِلَيْهِ، فَنَزَلَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْجَدَلِيُّ بِذَاتِ عِرْقٍ حَتَّى تَلَاحَقَ بِهِ نَحْوٌ مِنْ مِائَةٍ وَخَمْسِينَ فَارِسًا، ثُمَّ سَارَ بِهِمْ حَتَّى دَخَلَ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ نَهَارًا جِهَارًا، وَهُمْ يَقُولُونَ: يَا ثَارَاتِ الْحُسَيْنِ. وَقَدْ أَعَدَّ ابْنُ الزُّبَيْرِ الْحَطَبَ لِابْنِ الْحَنَفِيَّةِ وَأَصْحَابِهِ لِيُحَرِّقَهُمْ بِهِ إِنْ لَمْ يُبَايِعُوا، وَقَدْ بَقِيَ مِنَ الْأَجَلِ يَوْمَانِ، فَعَمَدُوا - يَعْنِي أَصْحَابَ الْمُخْتَارِ - إِلَى مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ فَأَطْلَقُوهُ مِنْ سِجْنِ ابْنِ الزُّبَيْرِ، وَقَالُوا: إِنْ أَذِنْتَ لَنَا قَاتَلْنَا ابْنَ الزُّبَيْرِ فَقَالَ: إِنِّي لَا أَرَى الْقِتَالَ فِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ. فَقَالَ لَهُمُ ابْنُ الزُّبَيْرِ: لَيْسَ يَبْرَحُ وَتَبْرَحُونَ حَتَّى يُبَايِعَ وَتُبَايِعُوا مَعَهُ، فَامْتَنَعُوا عَلَيْهِ ثُمَّ لَحِقَهُمْ بَقِيَّةُ أَصْحَابِهِمْ، فَجَعَلُوا يَقُولُونَ وَهُمْ دَاخِلُونَ الْحَرَمَ: يَا ثَارَاتِ الْحُسَيْنِ فَلَمَّا رَأَى ابْنُ الزُّبَيْرِ ذَلِكَ مِنْهُمْ خَافَهُمْ وَكَفَّ عَنْهُمْ ثُمَّ أَخَذُوا مُحَمَّدَ ابْنَ الْحَنَفِيَّةِ وَأَخَذُوا مِنَ الْحَجِيجِ مَالًا كَثِيرًا فَسَارَ بِهِمْ حَتَّى دَخَلَ شِعْبَ عَلِيٍّ، وَاجْتَمَعَ مَعَهُ أَرْبَعَةُ آلَافِ رَجُلٍ فَقَسَّمَ بَيْنَهُمْ ذَلِكَ الْمَالَ، هَكَذَا أَوْرَدَهُ ابْنُ جَرِيرٍ وَفِي صِحَّتِهَا نَظَرٌ وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ وَكَانَ نَائِبُهُ بِالْمَدِينَةِ أَخَاهُ مُصْعَبًا، وَنَائِبُهُ عَلَى الْبَصْرَةِ الْحَارِثُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ وَقَدِ اسْتَحْوَذَ الْمُخْتَارُ عَلَى الْكُوفَةِ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ خَازِمٍ عَلَى بِلَادِ خُرَاسَانَ وَذَكَرَ حُرُوبًا جَرَتْ فِيهَا لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَازِمٍ يَطُولُ ذِكْرُهَا. [شُخُوصُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْأَشْتَرِ إِلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ] فَصْلٌ (شُخُوصُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْأَشْتَرِ إِلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ)
পৃষ্ঠা - ৬৯২৯


ছিল, যাকে উসিলা করে তারা সাহায্য প্রার্থনা করত ৷ আর নিশ্চয় এটি তারই মত ৷ তারপর
তার নির্দেশে চেয়ারটার কাপড় সরিয়ে ফেলা হল ৷ সাবাবিয়া নামক একটি দল দাড়িয়ে গেল ৷
তারা হাত উচু করে তিনবার তাকবীর ধ্বনি দিল ৷ কিন্তু শাবছ ইবন রিবয়ী র্দাড়িয়ে এর
প্রতিবাদ করলেন, তিনিত তাবুতকে এত সম্মান প্রদর্শন করা কুফরী কাজ বলে ঘোষণা দেয়ার
উপক্রয হন ৷ তিনি চেয়ারটা ভেঙে মসজিদ থেকে বের করে আরর্জন৷ ফেলার স্থানে ফেলে
দেয়ার জন্য ইঙ্গিত করেন ৷ মানুষ শাবছ ইবন রিবয়ীর এই ভুমিকার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
করে ৷ যা হোক, এদিকে উবায়দুল্লাহ্ ইবন যিয়াদৃ এসে পড়ে ৷ মুখতার আশতারকে প্রেরণ
করে ৷ সে তার সঙ্গে চেয়ারটা পাঠিয়ে দেয় ৷ রেশমী কাপড়ে ঢাক৷ চেয়ারটা একটি ছাইবর্ণ
খচচর বহন করে নিয়ে চলে, তার ডানে ছিল সাত ব্যক্তি ও বীয়ে সাত ব্যক্তি, তারা সিরীয়দের
সঙ্গে যুদ্ধ করে তাদেরকে পরাজিত করে এবং ইবন যিয়াদকে,হত্যা করে ৷ তখন জনমনে
চেয়ারটার মর্যাদা এত বেড়ে যায় যে, তারা এটিকে কেন্দ্র করে কুফরী পর্যন্ত পৌছে যায় ৷
তুফায়ল ইবন জাদ৷ বলেন, তখন আমি বললাম, ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্ন৷ ইলাইহি রাজিউন এবং
আমি আমার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হলাম ৷ মানুষের মাঝে এই চেয়ারটার সমালোচনা শুরু
হল এবং মানুষ-এর ব্যাপক দােষচর্চা করতে লাগল ৷ তারপরই চেয়ারটা গোপন করে ফেলা
হল, যা পরে আর দেখা যায় নি ৷
ইবনুল কালবী উল্লেখ করেছেন যে, হযরত ৩আলী (বা) যে চেয়ারটার বসতেন ,“মুখতার
জা দ৷ ইবন হুবায়রার উত্তরসুরীদের নিকট থেকে সেটি নিতে চেয়েছিল ৷ জবাবে তারা
বলল, গভর্নর যার কথা বলেছেন, আমাদের নিকট৫ তমন কিছু নেই ৷ কিন্তু; মুখতারৈর
পীড়াপীডিতে তারা বুঝে ফেলল, যে কোন একটা চেয়ার এনে দিলেই মুখতার তা গ্রহণ করে
ফেলবে ৷ সেমতে তারা কোন এক ঘর থেকে একটি চেয়ার মুখত তারকে এনে দিয়ে বলল,
ন্ এটিই সেটি ৷
তারপর শাবাম, শাকির ও মুখতার সমর্থন যেতৃবর্গ চেয়ারটাকে রেশমী কাপড় পরিয়ে
নেয় ৷ আবু মিখনাফ বর্ণনা করেন, মুসা ইবন আবু মুসা আশআরী সর্বপ্রথম এই চেয়ারটাকে
পর্দাবৃত করেন ৷ মানুষ একাজের জন্য তাকে তিরস্কার কালে তিনি এটিকে হাওশাব আল
বারসামীর নিকট নিয়ে যান ৷ হাওশাব বারসাযী ছিলেন তার বন্ধু ৷ মুখতার (আল্লাহ তার
অকল্যাণ করুন) এর মৃত্যু পর্যন্ত এটি তার নিকট থাকে ৷ এক বর্ণনায় আছে, মুখতার বলে
রেড়াত, তার সহচরগণ যে, এই চেয়ারটাকে সম্মান প্রদর্শন করছে, তা সে জানে না ৷ আশা
হামদানী এই চেয়ার সম্পর্কে বলেছেন-
চ্গ্লুাণ্





ঠো১
০াপ্লুএ)াষ্কদ্বু



قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ سَارَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْأَشْتَرِ إِلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ وَذَلِكَ لِثَمَانٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ، وَقَالَ أَبُو مِخْنَفٍ عَنْ مَشَايِخِهِ: مَا هُوَ إِلَّا أَنْ فَرَغَ الْمُخْتَارُ مِنْ جَبَّانَةِ السَّبِيعِ وَأَهْلِ الْكُنَاسَةِ، فَمَا نَزَلَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْأَشْتَرِ إِلَّا يَوْمَيْنِ حَتَّى أَشْخَصَهُ إِلَى الْوَجْهِ الَّذِي كَانَ وَجَّهَهُ لَهُ لِقِتَالِ أَهْلِ الشَّامِ ; فَخَرَجَ يَوْمَ السَّبْتِ لِثَمَانٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ سَنَةَ سِتٍّ وَسِتِّينَ، وَخَرَجَ مَعَهُ الْمُخْتَارُ يُودِّعُهُ فِي وُجُوهِ أَصْحَابِهِ، وَخَرَجَ مَعَهُمْ خَاصَّةُ الْمُخْتَارِ، وَمَعَهُمْ كُرْسِيُّ الْمُخْتَارِ عَلَى بَغْلٍ أَشْهَبَ لِيَسْتَنْصِرُوا بِهِ عَلَى الْأَعْدَاءِ، وَهُمْ حَافُّونَ بِهِ يَدْعُونَ وَيَسْتَصْرِخُونَ وَيَسْتَنْصِرُونَ وَيَتَضَرَّعُونَ، فَرَجَعَ الْمُخْتَارُ بَعْدَ أَنْ وَصَّاهُ بِثَلَاثٍ ; قَالَ: يَا ابْنَ الْأَشْتَرِ، اتَّقِ اللَّهَ فِي سِرِّكَ وَعَلَانِيَتِكَ، وَأَسْرَعِ السَّيْرَ وَعَاجِلْ عَدُوَّكَ بِالْقِتَالِ. وَاسْتَمَرَّ أَصْحَابُ الْكُرْسِيِّ سَائِرِينَ مَعَ ابْنِ الْأَشْتَرِ، فَجَعْلَ ابْنُ الْأَشْتَرِ يَقُولُ: اللَّهُمَّ لَا تُؤَاخِذُنَا بِمَا فَعَلَ السُّفَهَاءُ مِنَّا، سُنَّةُ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، إِذْ عَكَفُوا عَلَى عِجْلِهِمْ. فَلَمَّا جَاوَزَ الْقَنْطَرَةَ إِبْرَاهِيمُ وَأَصْحَابُهُ انْصَرَفَ أَصْحَابُ الْكُرْسِيِّ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَكَانَ سَبَبُ اتِّخَاذِ هَذَا الْكُرْسِيِّ مَا حَدَّثَنِي بِهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৬৯৩০
أَحْمَدَ بْنِ شَبُّوَيْهِ، حَدَّثَنِي أَبِي، ثَنَا سُلَيْمَانُ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ يَحْيَى بْنِ طَلْحَةَ، حَدَّثَنِي مَعْبَدُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنِي طُفَيْلُ بْنُ جَعْدَةَ بْنِ هُبَيْرَةَ قَالَ: أَعْدَمْتُ مَرَّةً مِنَ الْوَرِقِ فَإِنِّي لَكَذَلِكَ إِذْ مَرَرْتُ بِبَابِ جَارٍ لِي لَهُ كُرْسِيٌّ قَدْ رَكِبَهُ وَسَخٌ شَدِيدٌ، فَخَطَرَ عَلَى بَالِي أَنْ لَوْ قُلْتُ فِي هَذَا، فَرَجَعْتُ فَأَرْسَلْتُ إِلَيْهِ أَنْ أَرْسِلْ إِلَيَّ بِالْكُرْسِيِّ، فَأَرْسَلَ بِهِ، فَأَتَيْتُ الْمُخْتَارَ فَقُلْتُ لَهُ: إِنِّي كُنْتُ أَكْتُمُكَ شَيْئًا وَقَدْ بَدَا لِي أَنْ أَذْكُرَهُ لَكَ. قَالَ: وَمَا هُوَ؟ قَالَ: قُلْتُ: كَرِّسِيٌّ كَانَ جَعْدَةُ بْنُ هُبَيْرَةَ يَجْلِسُ عَلَيْهِ كَأَنَّهُ يَرَى أَنَّ فِيهِ أَثَرَةً مِنْ عِلْمٍ. قَالَ: سُبْحَانَ اللَّهِ! فَأَخَّرْتَ هَذَا إِلَى الْيَوْمِ؟ ابْعَثْ إِلَيْهِ. قَالَ: فَجِئْتُ بِهِ وَقَدْ غُسِلَ فَخَرَجَ عُودًا نُضَارًا وَقَدْ تَشْرَّبَ الزَّيْتَ، فَأَمَرَ لِي بِاثْنَيْ عَشَرَ أَلْفًا، ثُمَّ نُودِيَ فِي النَّاسِ: الصَّلَاةَ جَامِعَةً. قَالَ: فَخَطَبَ الْمُخْتَارُ النَّاسَ فَقَالَ: إِنَّهُ لَمْ يَكُنْ فِي الْأُمَمِ الْخَالِيَةِ أَمْرٌ إِلَّا وَهُوَ كَائِنٌ فِي هَذِهِ الْأُمَّةِ مِثْلُهُ، وَإِنَّهُ قَدْ كَانَ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ التَّابُوتُ يُنْصَرُونَ بِهِ، وَإِنَّ هَذَا مِثْلُهُ. ثُمَّ أَمَرَ فَكُشِفَ عَنْهُ أَثْوَابُهُ، وَقَامَتِ السَّبَئِيَّةُ فَرَفَعُوا أَيْدِيَهُمْ وَكَبَّرُوا ثَلَاثًا، فَقَامَ شَبَثُ بْنُ رِبْعِيٍّ فَأَنْكَرَ عَلَى النَّاسِ وَكَادَ أَنْ يَكَفِّرَ مَنْ يَصْنَعُ بِهَذَا التَّابُوتِ هَذَا التَّعْظِيمَ، وَأَشَارَ بِأَنْ يُكْسَرَ
পৃষ্ঠা - ৬৯৩১


আমি তোমাদের ব্যাপারে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তোমরা ধর্মভ্যাগী ৷ আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি
হে শিরক-এর পুলিশ ! আমি ণ্তামাদেরকে জানি ৷
আমি শপথ করে বলছি, তোমাদের এই কুরসীতে কোন শান্তি নুেই, তার গায়ে যতই
কাপড় জডা ও না কেন ৷
আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমাদের মাঝে তাবুড় এ-র অনুরুপ কিছু নেই, যদিও
শবাম, নাহ্দ ও খাবিক তার চতৃর্পারুর্শ্বচক্কর দিচ্ছে ৷
আমি মুহাম্মদ এর বং শধরকে ভালোবাসি এবং আমি সেই ওহীরঅনুসারী, যা মাসহাফে
লিপিবদ্ধ হয়ে আছে ৷
আমি অনুসরণ ৷করি আবদুল্লাহ্কে ৷ কেননা, কুরায়শ এর সাদা-কা ৷লো কেশধারী এবং
দানশীল নেতৃবর্গ তার অনুগত ছিল ৷
মুতাওয়াক্কিল আল লা ইহী বলেছেন-
আবু ইসহ৷ ৷ক-এর নিকট যদি তোমার যাওয়া পড়ে তাহলে তাকে বলে দিও, আমি তোমাদের
কৃরসীকে অস্বীকার করি ৷
শাবাম তার কাঠের চার পাভৈর্শ্ব নাচছে আর৷ ৷৷কির তার জন্য ওহী বহন করে আনছে’ ৷
তাদের চোখ লাল বর্ণ ধারণ করেছে, যেন ওগুলো বড় ছোলা ৷
ওয়াকিদী বলেন, এ বছর মিশরে প্লেগ ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে বিপুল সংখ্যক মিশরীয়
মৃত্যু হয় এবং এ বছরই আবদুল আযীয ইবন মারওয়ান মিশরে দীনারের প্রথম চালু করে ৷
আর তিনিই সর্বপ্রথম মিশরে দীনার প্রথার প্রচলনকরীি ৷
মির আতু য্ যমান গ্রন্থের লেখক বলেনহ্র এ বছর আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান বইিভুল
মুকা ৷দ্দাসের সাকরা পাথরের উপর গম্বুজ এবং মসজিদুল আকসার ইমারত নির্মাণের কাজ শুরু
করেছিলেন ৷ এ নির্মাণ কাজ শেষ হয় ,৭৩ হিজরীতে ৷ এ কাজটি করার পেছনে কারণ ছিল,
আবদুল্লাহ্ ইবন যুবইির তখন মক্কার শাসনকর্তা ৷ তিনি মিন৷ ও আরাফার দিনে এবং লোকদের
মক্কায় অবস্থানক৷ বী ন সময়ে ভাষণ দান করতেন ৷ তিনি আবদুল মালিকের সমালোচনা করতেন
আর মারওয়ান এর রং শর নিন্দাবাদ করতেন ৷
তিনি বলতেন, নবী করীম (সা) হাকাম ও তার বৎশধরকে অভিশম্পাদ্ভ করেছেন ৷ হাকাম
রাসুল (সা) কর্তৃক বিতাড়িত ও অভিশপ্ত ব্যক্তি ৷ তিনি লোকদেরকে নিজের আনুগত্যের প্রতি
আহবান জানাতেন ৷ তিনি স্পষ্টভাষী যুবক ছিলেন ৷ ফলে সিরিয়ার অধিকাং শ মানুষ তার প্রতি
ঝুকে পড়ে ৷ এ সংবাদ আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান-এর নিকট পৌছে ণ্ যায় ৷ তিনি
লোকদেরকে হরুজ্জ যেতে নিষেধ করে দেন ৷ ফলে মানুষ তার প্ৰতি ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে ৷ এর
মােকাবেলায় তিনি বইিভুল যুকাদ্দাসের সাখরা পাথরের উপর গম্বুজ এবংমসজিদুল আকসার
ভবন নির্মাণ করেন ৷ তার উদ্দেশ্য ছিল, এর মাধ্যমে তিনি লোকদেরকে হজ্জ থেকে বিরত
রাখবেন এবং তাদের অন্তর জয় করবেন ৷ সিরিয়ার জনগণ বইিভুল মুকাদ্দাসের পাথরটার
নিকট অবস্থান গ্রহণ করত এবং বাবার চারপার্শে তাওয়াফ করার ন্যায় এটিরও চতৃর্পার্শে


وَيُخْرَجَ مِنَ الْمَسْجِدِ وَيُرْمَى بِهِ فِي الْحُشِّ، فَشَكَرَهَا النَّاسُ لِشَبَثِ بْنِ رِبْعِيٍّ فَلَمَّا قِيلَ: هَذَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ قَدْ أَقْبَلَ. وَبَعَثَ الْمُخْتَارُ إِبْرَاهِيمَ بْنَ الْأَشْتَرِ بَعْثَ مَعَهُ بِالْكُرْسِيِّ يُحْمَلُ عَلَى بَغْلٍ أَشْهَبَ قَدْ غُشِّيَ بِأَثْوَابِ الْحَرِيرِ، عَنْ يَمِينِهِ سَبْعَةٌ، وَعَنْ يَسَارِهِ سَبْعَةٌ، فَلَمَّا تَوَاجَهُوا مَعَ الشَّامِيِّينَ - كَمَا سَيَأْتِي - وَغَلَبُوا الشَّامِيِّينَ وَقَتَلُوا ابْنَ زِيَادٍ، ازْدَادَ تَعْظِيمُهُمْ لِهَذَا الْكُرْسِيِّ حَتَّى بَلَغُوا بِهِ الْكُفْرَ، قَالَ الطُّفَيْلُ بْنُ جَعْدَةَ فَقُلْتُ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. وَنَدِمْتُ عَلَى مَا صَنَعْتُ. وَتَكَلَّمَ النَّاسُ فِي هَذَا الْكُرْسِيِّ، وَكَثُرَ عَيْبُ النَّاسِ لَهُ فَغُيِّبَ حَتَّى لَا يُرَى بَعْدَ ذَلِكَ. وَذَكَرَ ابْنُ الْكَلْبَيِّ أَنَّ الْمُخْتَارَ طَلَبَ مِنْ آلِ جَعْدَةَ بْنِ هُبَيْرَةَ الْكُرْسِيَّ الَّذِي كَانَ عَلِيٌّ يَجْلِسُ عَلَيْهِ، فَقَالُوا: مَا عِنْدَنَا شَيْءٌ مِمَّا يَقُولُ الْأَمِيرُ. فَأَلَحَّ عَلَيْهِمْ حَتَّى عَلِمُوا أَنَّهُمْ لَوْ جَاءُوا بِأَيِّ كُرْسِيٍّ كَانَ لَقَبِلَهُ مِنْهُمْ، فَحَمَلُوا إِلَيْهِ كُرْسِيًّا مِنْ بَعْضِ الدُّورِ، فَقَالُوا: هَذَا هُوَ، فَخَرَجَتْ شِبَامٌ وَشَاكِرٌ وَسَائِرُ رُءُوسِ الْمُخْتَارِ بِهِ، وَقَدْ عَصَّبُوهُ بِالْحَرِيرِ وَالدِّيبَاجِ. وَحَكَى أَبُو مِخْنَفٍ أَنَّ أَوَّلَ مَنْ سَدَنَ هَذَا الْكُرْسِيَّ مُوسَى بْنُ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيُّ، ثُمَّ إِنَّهُ عُتِبَ عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ، فَدَفَعَهُ إِلَى حَوْشَبٍ الْبُرْسُمِيِّ، فَكَانَ صَاحِبَهُ حَتَّى هَلَكَ الْمُخْتَارُ، قَبَّحَهُ اللَّهُ. وَيُرْوَى أَنَّ الْمُخْتَارَ كَانَ يُظْهِرُ أَنَّهُ لَا يَعْلَمُ بِمَا يُعَظِّمُ أَصْحَابُهُ هَذَا الْكُرْسِيَّ.
পৃষ্ঠা - ৬৯৩২

০ ২ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

তাওয়াফ করত ৷ তারা ঈদের দিন এখানে কুরবানী করত ও মাথা মুণ্ডন করত ৷ এভাবে
আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান ইবন যুবায়র এর নিন্দাবাদের দ্বার প্ৰসারিত করেন ৷ ইবন
যুবায়র মক্কায় আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের নিন্দাবাদ করে বললেন, কিসরা ও খাজরার
রাজ প্রাসাদে কায়সারপণ যা যা করেছিলেন আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানও তা-ই করছেন,
যেমনটা করেছিলেন মুআবিয়া ৷ ,
আবদুল মালিক বাইতুল মুকাদ্দাসের মিনারের পরিকল্পনা হাতে নিয়ে এর জন্য মালা মাল ও
শ্রমিক পাঠিয়ে দেন এবং রাজা ইবন হায়াত ও তার গোলাম ইয়াযীদ ইবন সালামের হাতে
দায়িতু ভৃার অর্পণ করেন ৷ তিনি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নির্মাণকমী সংগ্রহ করে বাইতুল
প্ মুকাদ্দাস পাঠিয়ে দেন ৷ কাজের জন্য সেখানে বিপুল পরিমাণ মাল সরঞ্জাম প্রেরণ করেন ৷
তিনি রাজা ইবন হায়াত ও ইর্যাযীদকে প্রচুর মালামাল ব্যয় করে ফেলার এবং অবিরাম কাজ
করে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন ৷ তারা মুক্তহন্তে অর্থ ব্যয় করেন এবং বিপুল ব্যয় করেন ৷
তারা গম্বুজ নির্মাণ করে ফেলেন ৷ এটি সবচাইতে সুন্দর নির্মাণের রুপ লাভ করে ৷ গম্বুজটিতে
তারা রঙিন মর্মর পাথর বিছিয়ে দেন এবং গম্বুজের জন্য ঝুল তৈরি করেন ৷
একটি লাল পাথরের শীতের জন্য ৷ অপরটি চামড়ার ৷ গ্রীষ্মের জন্য ৷ গম্বুজটিকে তারা
নানা ধরনের পর্দা দ্বারা আচ্ছাদিত করে দেন এবং তাতে যেশক, আতর, গোলাপ ও জাফরান
প্রভৃতি সুগন্ধি প্রদান করে কো কিছু সেবক ও খাদিম নিয়োগ করেন ৷ তারা এসব সুপব্ধি দ্বারা
উন্নতমানের মহামুল্যবান সুপন্ধি প্রস্তুত করে রাতে গম্বুজ ও মসজিদে ধোয়া দিত ৷ ,তাঃ (
তারা সোনা ও রুপার অনেকগুলো ঝাড়বাতি এবং সােনা-রুপার শিকল সহ অনেক বি ছু হু৷ : ণ্া
করেন ৷ তাতে স্থাপন করেন, মেশক মাখানাে আগরবাতি ৷ তারা তাতে এবং মসজিদে নানা
রকম রঙ্গিন বিছানা বিছিয়ে দেন ৷ তারা যখন সুগন্ধি ছড়াতেন, দুরদুরাম্ভ থেকে তার স্যুাণ
পাওয়া যেত ৷ কেউ যদি বাইভু ল যুকাদ্দাস থেকে নিজ দেশে আসত কয়েকদিন পর্যন্ত তার
থেকে যেশক, আতর ও আপরবাতির সুঘাণ পাওয়া যেত এবং বুঝা যেত যে, লোকটা বাইতৃল
মুকাদ্দাস থেকে এসেছে এবং সে সাখরায়’ প্রবেশ করেছে ৷ বিপুল স০ খকে মানুষ সেই গম্বুজের
নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষণাবেক্ষণে র দায়িত্বে ছিল ৷ সেখানে বাইতৃল মুকাদ্দাসের সাখরার’ গম্বুজ অপেক্ষা
সুন্দর ও মনােরৰুম ইমারত দ্বিতীয়টি ছিল না ৷ তার প্রমাণ হল, মানুষ এই গম্বুজ পেয়ে কাব্য ও
হজ্জ থেকে বিরত হয়ে গিয়েছিল ৷ আরো প্রমাণ হল, মানুষ হজ্জ মওসুমে বাইতৃল মুকাদ্দাস
ব্যতীত অন্য কোথাও ইমারত টির দ্বারসমুহ ও বিভিন্ন স্থানেত তারা এসব অংকন করে রেখেছিল ৷
তাতে মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে, যা আমাদের যুগ পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে ৷
মোটকথা বই ল মুকাদ্দাসের সাখরার নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হওয়ার পর সুরম্য ও সুদৃশ্য
ইমারত হিসেবে ভু-পৃষ্ঠেত তার কোন নজীর রইল না ৷ তাতে নগীনা, মণি-মানিক্য, রৎ-বেরং-
এর পাথর মােজাইক ও নানা রকম চোখ ঝলসানাে বস্তুর কোন সীমা ছিল না ৷
ইমারতটির নির্মাণ কাজ সম্পুর্ণরুপে সমাপ্ত করার পর রাজা ইবন হায়াত ও ইয়াযীদ
ইবন সালাম এর নিকট ছয় লাখ মিছকাল অর্থ যেচে যায় ৷ কারো কারো মতে তার পরিমা৩ণ
ছিল তিন লাখ মিছকাল ৷ তারা আবদুল মালিক এর নিকট পত্র লিখে বিষয়টা অব
করেন ৷ আবদুল মালিক জবাবে লিখেন, আমি এগুলাে৫ আমাদেরকে দান করে দিয়ে দিলাম৩ ৷


وَقَدْ قَالَ فِي هَذَا الْكُرْسِيِّ أَعْشَى هَمْدَانَ: شَهِدْتُ عَلَيْكُمْ أَنَّكُمْ سَبَئِيَّةٌ ... وَإِنِّي بِكُمْ يَا شُرْطَةَ الشِّرْكِ عَارِفُ وَأُقْسِمُ مَا كُرْسِيُّكُمْ بِسَكِينَةٍ ... وَإِنْ كَانَ قَدْ لُفَّتْ عَلَيْهِ اللَّفَائِفُ وَأَنْ لَيْسَ كَالتَّابُوتِ فِينَا وَإِنْ سَعَتْ ... شِبَامٌ حَوَالَيْهِ وَنَهْدٌ وَخَارِفُ وَإِنِّي امْرُؤٌ أَحْبَبْتُ آلَ مُحَمَّدٍ ... وَتَابَعْتُ وَحَيًا ضُمِّنَتْهُ الْمَصَاحِفُ وَتَابَعْتُ عَبْدَ اللَّهِ لَمَّا تَتَابَعَتْ ... عَلَيْهِ قُرَيْشٌ شُمْطُهَا وَالْغَطَارِفُ وَقَالَ الْمُتَوَكِّلُ اللَّيْثِيُّ: أَبْلِغْ أَبَا إِسْحَاقَ إِنْ جِئْتَهُ ... أَنِّي بِكُرْسِيِّكُمْ كَافِرُ تَنْزُوا شِبَامٌ حَوْلَ أَعْوَادِهِ ... وَتَحْمِلُ الْوَحَيَ لَهُ شَاكِرُ مُحْمَرَّةً أَعْيُنُهُمْ حَوْلَهُ ... كَأَنَّهُنَّ الْحِمَّصُ الْحَادِرُ قُلْتُ: هَذَا وَأَمْثَالُهُ مِمَّا يَدُلُّ عَلَى قِلَّةِ عَقْلِ الْمُخْتَارِ وَأَتْبَاعِهِ وَضَعْفِهِ وَقِلَّةِ عِلْمِهِ وَكَثْرَةِ جَهْلِهِ وَرَدَاءَةِ فَهْمِهِ وَتَرْوِيجِهِ الْبَاطِلَ عَلَى أَتْبَاعِهِ وَتَشْبِيهِهِ الْبَاطِلَ بِالْحَقِّ لِيُضِلَّ بِهِ الطَّغَامَ وَيَجْمَعَ عَلَيْهِ جُهَّالَ الْعَوَامِّ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ وَقَعَ فِي مِصْرَ طَاعُونٌ هَلَكَ فِيهِ خَلْقٌ كَثِيرٌ مِنْ أَهْلِهَا، وَفِيهَا ضَرَبَ الدَّنَانِيرَ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مَرْوَانَ بِمِصْرَ وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ ضَرَبَهَا بِهَا.
পৃষ্ঠা - ৬৯৩৩
قَالَ صَاحِبُ مِرْآةَ الزَّمَانِ: وَفِيهَا ابْتَدَأَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ بِبِنَاءِ الْقُبَّةِ عَلَى صَخْرَةِ بَيْتِ الْمُقَدَّسِ، وَعِمَارَةِ الْجَامِعِ الْأَقْصَى، وَكَمَلَتْ عِمَارَتُهُ فِي سَنَةِ ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ، وَكَانَ السَّبَبُ فِي ذَلِكَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ كَانَ قَدِ اسْتَوْلَى عَلَى مَكَّةَ، وَكَانَ يَخْطُبُ فِي أَيَّامِ مِنًى وَعَرَفَةَ، وَمُقَامَ النَّاسِ بِمَكَّةَ، وَيَنَالُ مِنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَيَذْكُرُ مَسَاوِئَ بَنِي مَرْوَانَ، وَيَقُولُ: إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَعَنَ الْحَكَمَ وَمَا نَسَلَ، وَإِنَّهُ طَرِيدُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَعِينُهُ، وَكَانَ يَدْعُو إِلَى نَفْسِهِ، وَكَانَ فَصِيحًا، فَمَالَ مُعْظَمُ أَهْلِ الشَّامِ إِلَيْهِ، وَبَلَغَ ذَلِكَ عَبْدَ الْمَلِكِ فَمَنْعَ النَّاسِ مِنَ الْحَجِّ فَضَجُّوا، فَبَنَى لَهُمُ الْقُبَّةَ عَلَى الصَّخْرَةِ وَالْجَامِعَ الْأَقْصَى ; لِيَشْغَلَهُمْ بِذَلِكَ عَنِ الْحَجِّ وَيَسْتَعْطِفَ قُلُوبَهُمْ وَكَانُوا يَقِفُونَ عِنْدَ الصَّخْرَةِ وَيَطُوفُونَ حَوْلَهَا كَمَا يَطُوفُونَ حَوْلَ الْكَعْبَةِ، وَيَنْحَرُونَ يَوْمَ الْعِيدِ وَيَحْلِقُونَ رُءُوسَهُمْ فَفَتَحَ بِذَلِكَ عَلَى نَفْسِهِ بَابَ تَشْنِيعِ ابْنِ الزُّبَيْرِ عَلَيْهِ، فَكَانَ يُشَنِّعُ عَلَيْهِ بِمَكَّةَ وَيَقُولُ ضَاهَى بِهَا فِعْلَ الْأَكَاسِرَةِ فِي إِيوَانِ كِسْرَى، وَالْخَضْرَاءَ كَمَا فَعَلَ مُعَاوِيَةُ، وَنَقْلَ الطَّوَافَ مِنْ بَيْتِ اللَّهِ إِلَى قِبْلَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَنَحْوَ ذَلِكَ. وَلَمَّا أَرَادَ عَبْدُ الْمَلِكِ بِنَاءَهَا سَارَ مِنْ دِمَشْقَ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ وَمَعَهُ الْأَمْوَالُ وَالْعُمَّالُ، وَوَكَّلَ بِالْعَمَلِ رَجَاءَ بْنَ حَيْوَةَ، وَيَزِيدَ بْنَ سَلَّامٍ مَوْلَاهُ، وَجَمَعَ الصُّنَّاعَ وَالْمُهَنْدِسِينَ فَأَمْرَهُمْ فَصَوَّرُوا لَهُ الْقُبَّةَ فِي صَحْنِ الْمَسْجِدِ فَأَعْجَبَهُ، وَبَنَى لِلْمَالِ بَيْتًا شَرْقِيَّ الْقُبَّةِ، وَشَحَنَهُ بِالْمَالِ، وَأَمَرَ رَجَاءَ بْنَ حَيْوَةَ، وَيَزِيدَ أَنْ يُفْرِغَا
পৃষ্ঠা - ৬৯৩৪


তারা পুনরায় পত্র লিখেন, সম্ভব হলে আমরা আমাদের স্তীল্যেকদের অলংকার দ্বারা এই
মসজিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতাম ৷ আবদুল মালিক জবাবে লিখলেন, তোমরা যদি এগুলো
গ্রহণ করতে অস্বীকার কর, তাহলে এই অর্থও গম্বুজ ও দরজায় ব্যয় করে ফেল ৷ শেষ পর্যন্ত
ফল এই দীড়াল যে, নতুন-পুরাতন সোনার প্রলেপের কারণে গম্বুজকে আর গম্বুজ বলে শনাক্ত
করার কারো সাধ্য ছিল না ৷ পরব৩ ত আবু জাফর আল মানসুর যখন খলীফা নিযুক্ত হন,
তখন একশত চল্লিশ হিজরীতে তিনি বাইতুলমুকাদ্দাস গমন করেন ৷ তিনি মসজিদটিকে ভন্ম
অবস্থায় দেখতে পান ৷ ফলে তিনি দ্বারসমুহ ও গম্বুজের পায়ে মােশানাে সোনা ও পাতগুলো
খুলে ফেলার নির্দেশ প্রদান করেন ৷ মানুষ তার নির্দেশ বাস্তবায়ন করল ৷ মসজিদটি ছিল
লম্বাটে ৷ খলীফা আবু জাফর আল-মানসুর মসজিদটির দৈর্ঘ্য কমিয়ে প্রস্থ বৃদ্ধি করারও আদেশ
প্রদান করেন ৷ মেরামত সম্পন্ন হওয়ার পর সম্মুখস্থ দরজা সংলগ্ন গষুজের উপর লিখে দেয়া




অর্থাৎ আযীরুল মু’মিনীন আবদুল মালিক কর্তৃক পুনঃনির্মিত নির্মাণ কাল বাষট্টি হিজরী ৷
মসজিদটির দৈর্ঘ্য ছিল কিক্যার দিক থেকে উত্তর দিকে ৭৬৫ হাত এবং প্রস্থ ৪৬০ হাত ৷
বাইতুল মুকাদ্দাস বিজিত হয়েছিল ষোল হিজরীতে ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷




الْأَمْوَالَ إِفْرَاغًا، وَلَا يَتَوَقَّفَا فِيهِ، فَبَثُّوا النَّفَقَاتِ وَأَكْثَرُوا فَبَنَوُا الْقُبَّةَ الَّتِي هِيَ الْيَوْمَ قَائِمَةٌ، وَبَنَوْا مِنْ نَاحِيَةِ الْقِبْلَةِ سَبْعَ قِبَابٍ، وَالْقُبَّةُ الَّتِي بَاقِيَةٌ الْيَوْمَ عَلَى الْمِحْرَابِ هِيَ أَوْسَطُهَا، وَلَمَّا تَمَّ بِنَاءُ الْقُبَّةِ عَمِلَ لَهَا جَلَّالَيْنِ ; أَحَدُهُمَا مِنْ لَبُّودٍ أَحْمَرَ لِلشِّتَاءِ، وَالْآخَرُ مِنْ أُدُمٍ لِلصَّيْفِ، وَحَفَّ الصَّخْرَةَ بِدَرَابِزِينَ مِنَ السَّاجِ الْمُطَعَّمِ بِالْيَشْمِ، وَخَلْفَ الدَّرَابِزِينِ سُتُورٌ مِنَ الدِّيبَاجِ مُرْخَاةً بَيْنَ الْعُمُدِ، وَكَانَتِ السَّدَنَةُ كُلَّ خَمِيسٍ وَاثْنَيْنٍ يَذُوِّبُونَ الْمِسْكَ، وَالْعَنْبَرَ وَالْمَاوَرْدَ وَالزَّعْفَرَانَ وَيَعْمَلُونَ مِنْهُ غَالِيَةً، وَيُخَمِّرُونَهَا مِنَ اللَّيْلِ ثُمَّ يَدْخُلُ الْخَدَمُ الْحَمَّامَ مِنَ اللَّيْلِ
পৃষ্ঠা - ৬৯৩৫
فَيَغْتَسِلُونَ وَيَتَطَيَّبُونَ، وَيَلْبَسُونَ ثِيَابَ الْوَشْيِ، وَيَشُدُّونَ أَوْسَاطَهُمْ بِالْمَنَاطِقِ الْمُحَلَّاةِ بِالذَّهَبِ وَيُخْلِّقُونَ الصَّخْرَةَ، ثُمَّ يَضَعُونَ الْبَخُورَ فِي مَجَامِرِ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ، وَفِيهَا الْعُودُ الْقَمَارِيُّ الْمَغْلِيُّ بِالْمِسْكِ، وَيُرْخِي السَّدَنَةُ السُّتُورَ فَتَخْرُجُ تِلْكَ الرَّائِحَةُ فَتَمْلَأُ الْمَدِينَةَ كُلَّهَا، ثُمَّ يُنَادِي مُنَادٍ: أَلَا إِنَّ الصَّخْرَةَ قَدْ فُتِحَتْ، فَمَنْ أَرَادَ الزِّيَارَةَ فَلْيَأْتِ، فَيُقْبِلُ النَّاسُ مُبَادِرِينَ، فَيُصَلُّونَ وَيَخْرُجُونَ، فَمَنْ وُجِدَتْ مِنْهُ رَائِحَةُ الْبَخُورِ قَالَ النَّاسُ: هَذَا كَانَ الْيَوْمَ فِي الصَّخْرَةِ. وَأَبْوَابُ الصَّخْرَةِ أَرْبَعَةٌ، عَلَى كُلِّ بَابٍ عَشَرَةٌ مِنَ الْحَجَبَةِ، الْبَابُ الشَّمَالِيُّ يُسَمَّى بَابَ الْجَنَّةِ، وَالشَّرْقِيُّ بَابَ إِسْرَائِيلَ، وَالْغَرْبِيُّ بَابَ جِبْرِيلَ، وَالْقِبْلِيُّ بَابَ الْأَقْصَى، وَكَانُوا يُشْعِلُونَهَا بِدُهْنِ الْبَانِ، وَلَا يَدْخُلُهَا أَحَدٌ غَيْرَ أَيَّامِ الزِّيَارَةِ سِوَى الْخَدَمِ، وَكَانَ لِلْحَرَمِ عِشْرُونَ بَابًا، وَكَانَ فِيهِ أَلْفَ عَمُودٍ مِنَ الرُّخَامِ، وَفِي السُّقُوفِ سِتُّونَ أَلْفَ خَشَبَةٍ مِنَ السَّاجِ الْمَنْقُوشِ، وَمِنَ الْقَنَادِيلِ خَمْسَةُ آلَافِ قِنْدِيلٍ، وَكَانَ فِيهِ أَرْبَعُمِائَةِ سِلْسِلَةٍ، كُلُّ سِلْسِلَةٍ أَلْفُ رِطْلٍ شَامِيٍّ، طُولُ السَّلَاسِلِ ثَلَاثُونَ أَلْفَ ذِرَاعٍ، وَكَانَ يُوقَدُ فِي الصَّخْرَةِ كُلَّ لَيْلَةٍ مِائَةُ شَمْعَةٍ، وَكَذَا فِي الْأَقْصَى، وَكَانَ يُوقَدُ فِي الْقَنَادِيلِ كُلَّ لَيْلَةٍ مِنَ الزَّيْتِ الْمَفْتُولِ قِنْطَارٌ، وَكَانَ فِي الْحَرَمِ خَمْسُونَ قُبَّةً، وَمِنْ أَلْوَاحِ الرَّصَاصِ سَبْعُونَ أَلْفَ لَوْحٍ، وَكَانَ فِي الْحَرَمِ ثَلَاثُمِائَةِ خَادِمٍ ابْتَاعُوا مِنْ بَيْتِ الْمَالِ مِنَ الْخُمْسِ، كُلَّمَا مَاتَ وَاحِدٌ قَامَ وَلَدُهُ بَعْدَهُ مَقَامَهُ، وَيَقْبِضُونَ أَرْزَاقَهُمْ مِنْ بَيْتِ الْمَالِ شَهْرًا بِشَهْرٍ، وَكَانَ فِي الْحَرَمِ مِائَةُ