আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ست وستين

مقتل عمر بن سعد بن أبي وقاص أمير الجيش الذين قتلوا الحسين

পৃষ্ঠা - ৬৯১৭


যারা ঘুসআবের কাছে পালিয়ে গিয়েছিল তাদের মধ্যে একজন ছিল মুহাম্মদ ইবনুল
আশআস ইবন কাইস ৷ যুখতার তার বাড়ী ঘর ধ্বংস করে তার স্থলে হুজর ইবন আদী বাড়ি
ঘর নির্মাণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন ৷ যেটা ইতিপুর্বে যিয়াদ ধ্বংস করে দিয়েছিল ৷

হযরত হুসাইন (বা) এর ঘাতক দলের নেতা উমর ইবন
সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাস (বা) এর হত্যাকাণ্ড

ওয়াকিদী বলেন, হযরত ইবন আবী ওয়াক্কাস (বা) একদিন উপবিষ্ট ছিলেন ৷ এমন সময়
তার এক গোলাম এসে উপস্থিত হয়, যার উভয় গোড়ালী যেয়ে রক্ত প্রবাহিত হচ্ছিল ৷ লাল
(বা) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার সঙ্গে এই আচরণ কে করল ? গোলাম বলল, আপনার
পুত্র উমর ৷ সাদ (রা) বললেন, হে আল্লাহ ! তুমি তাকে খুন কর এবং তার রক্ত প্রবাহিত কর ৷
সা’দ (বা) মুস্তজাবুদ্দাওয়াহ (এমন ব্যক্তি, যিনি দৃআ করলে তা অবশ্যই কবুল হয়) ছিলেন ৷
মুখতার যখন কুফার ক্ষমতা দখল করে, তখন উমর ইবন সাদ আবদুল্লাহ ইবন জাদা ইবন
হুবায়রার আশ্রয় গ্রহণ করে ৷ আবদুল্লাহ ইবনজাদা ছিলেন আলী (রা)-এর আত্মীয়তার সুত্রে
মুখতারের বন্ধু ৷ তিনি মুখতারের নিকট এসে উমর ইবন সাদ-এর জন্য নিরাপত্তা নিয়ে দেন
যার ভষ্যে ছিল এই “উমর ইবন সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাস (বা) তার ব্যক্তিসত্তা পরিবার
পরিজন ও সহায়-সম্পদের ক্ষেত্রে নিরাপদ, যতক্ষণ পর্যন্ত যে নিজ আবাসস্থল ও নিজ শহরে
অবস্থান করবে,ততক্ষণ না সে কোন ঘটনা সংঘটিত করবে ৷ শেষোক্ত শর্ত দ্বারা মুখতার
বুঝাতে চেয়েছিল্, যতক্ষণ পর্যন্ত যে পেশার পায়খান৷ না করবে ৷
উমর ইবন সাদ যখন জানতে পারল যে, খতার তাকে খুন করতে চায়, তখন সে এক রাতে
নিজ গৃহ থেকে বের হয়ে ঘুখতার কিংবা উবায়দুল্লাহ্ ইবন যিয়াদের উদ্দোশ্য রওয়ানা হয় ৷ কিন্তু
তার এক গোলাম ঘটনাটি সম্পর্কে যুখতারকে গোপনে অবহিত করে ৷ মুখতার বলল, ’এর চেয়ে
বড় ঘটনা আর কী হতে পারে ? কেউ কেউ বলেন, উমর-এর গোলাম উমরকেই বলেছিল, আপনি
আপনার বাসস্থান থেকে বের হবেন ? আপনি ফিরে যান ফলে উমর ইবন সাদ ফিরে যায় ৷
সকাল বেলা উমর মুখতারের্ নিকট লোক পাঠিয়ে জিজ্ঞাসা করে আপনি কি আপনার প্রদত্ত
নিরাপত্তার ব্যাপারে অটল আছেন ? কেউ কেউ বলেন, উমর ইবন সাদ নিজেই মৃখতারের
নিকট এসে বিষয়টা জানতে চায় ৷ যুখতার তাকে বলল, তুমি বস ৷ কারো কারো মতে উমর
ইবন সাদ আবদুল্লাহ ইবন জাদাকে মুখতারের নিকট প্রেরণ করেছিল ৷ ইবন জাদা
মুখতারকে জিজ্ঞাসা করে ৷ আপনি উমর ইবন সাদকে যে নিরাপত্তা প্রদান করেছিলেন তার
উপর কি অটল আছেন ? জবাবে মুখতারতাকে বলল, আপনি বসুন ৷ আবদুল্লাহ ইবন জাদা
বসলে মুখতার তার নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধানকে বলল, তুমি গিয়ে তার মাথাটা আমার নিকট
নিয়ে আস ৷ রক্ষী প্রধান গিয়ে উমর ইবন সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাসকে হত্যা করে যুখতারের
নিকট তার ছিন্ন মাথা নিয়ে আসে ৷
এক বর্ণনায় আছে, মুখতার এক রাতে বলল, আমি আগাযীকাল এমন এক ব্যক্তিকে হত্যা
করব, যার পা দু’টো বিশাল আকৃতির চক্ষুদ্বয় কােঠারাগত এবং ভ্রুযুপল স্ফীত ৷ যার হত্যাকাণ্ডে
মু’মিনপণ ও ভৈনকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতাগণ আনন্দিত হবে ৷ হাইছাম ইবন আ সওয়াদ সেখানে
উপস্থিত ছিলেন ৷ তিনি বুঝতে পারলেন, ঘুখতারের লক্ষ্য তো উমর ইবন সাদ ৷ তাই তিনি
নিজ পুত্র পারছানকে প্রেরণ করে তাকে সতর্ক করে দেন ৷ উমর ইবন সাদ বলে উঠল এটা


وَبَعْثَ الْمُخْتَارُ إِلَى حَكِيمِ بْنِ فُضَيْلٍ السِّنْبِسِيِّ - وَكَانَ قَدْ سَلَبَ الْعَبَّاسَ بْنَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ يَوْمَ قُتِلَ الْحُسَيْنُ - فَأُخِذَ، فَذَهَبَ أَهْلُهُ إِلَى عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ فَرَكِبَ لِيَشْفَعَ فِيهِ عِنْدَ الْمُخْتَارِ، فَخَشِيَ أُولَئِكَ الَّذِينَ أَخَذُوهُ أَنْ يَسْبِقَهُمْ عَدِيٌّ إِلَى الْمُخْتَارِ فَيُشَفِّعَهُ فِيهِ، فَقَتَلُوا حَكِيمًا قَبْلَ أَنْ يَصِلَ إِلَى الْمُخْتَارِ، فَدَخَلَ عَدِيٌّ فَشَفَعَ فِيهِ فَشَفَّعَهُ فِيهِ، فَلَمَّا رَجَعُوا وَقَدْ قَتَلُوهُ شَتَمَهُمْ عَدِيٌّ، وَقَامَ مُتَغَضِّبًا عَلَيْهِمْ، وَقَدْ تَقَلَّدَ مِنَّةَ الْمُخْتَارِ، وَبَعَثَ الْمُخْتَارُ إِلَى زَيْدِ بْنِ رُقَادٍ، وَكَانَ قَدْ قَتَلَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُسْلِمِ بْنِ عَقِيلٍ، فَلَمَّا أَحَاطَ الطَّلَبُ بِدَارِهِ خَرَجَ فَقَاتَلَهُمْ فَرَمَوْهُ بِالنَّبْلِ وَالْحِجَارَةِ حَتَّى سَقَطَ، ثُمَّ حَرَّقُوهُ وَبِهِ رَمَقُ الْحَيَاةِ، وَطَلَبَ الْمُخْتَارُ سِنَانَ بْنَ أَنَسٍ، الَّذِي كَانَ يَدَّعِي أَنَّهُ قَتَلَ الْحُسَيْنَ، فَوَجَدُوهُ قَدْ هَرَبَ إِلَى الْبَصْرَةِ أَوِ الْجَزِيرَةِ فَهُدِمَتْ دَارُهُ. وَكَانَ مُحَمَّدُ بْنُ الْأَشْعَثِ بْنِ قَيْسٍ مِمَّنْ هَرَبَ إِلَى مُصْعَبٍ فَأَمَرَ الْمُخْتَارُ بِهَدْمِ دَارِهِ، وَأَنْ يُبْنَى بِهَا دَارُ حَجَرِ بْنِ عَدِيٍّ الَّتِي كَانَ زِيَادٌ هَدَمَهَا. [مَقْتَلُ عُمَرَ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ أَمِيرِ الْجَيْشِ الَّذِينَ قَتَلُوا الْحُسَيْنَ] قَالَ الْوَاقِدِيُّ: كَانَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، جَالِسًا ذَاتَ يَوْمٍ ;
পৃষ্ঠা - ৬৯১৮


কীভাবে হতে পারে তিনি তে ৷ আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ৷ কফা আগমনের পর মুখতার
সেখানকার অধিবাসীদের সঙ্গে উত্তম আচরণ করে এবং উমর ইবন সা দকে নতুন কোন
ঘটনার অবতরণা না করার শর্তে লিখিত নিরাপত্তা প্রদান করেছিল ৷
আবু ঘুখানৃনাফ বলেন, আবু জাফর আল বাকির বলেছেন, মুখতারের উদ্দেশ্য ছিল
যতক্ষণ সে শৌচাগারে প্রবেশ করে তাতে শৌচকর্ম না করে ৷ বিষয়টা বুঝতে পেরে উমর ইবন
সা দ বিচলিত হয়ে পড়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছুটাছুঢি করতে শুরু করে ৷ শেষে আবার
নিজ গৃহেই ফিরে আসে ৷ মুখতার তার স্থান বদলেব সংবাদ পেয়ে বলল, কখনো নয় ৷ আল্লাহর
শপথ ! নিশ্চয় তার ঘাড় এমন একটি শিকল রয়েছে, যেটি তাকে উপুড় করে ফেলে দিয়ে ৷
সে যদি উড়েও বেড়ায় হুসাইন (রা)-এর রক্তঋণ তাকে ধরে ফেলরে এবং তাকে তার পা ধরে
নামিয়ে ফেলবে ৷ মুখতার তাকে ধরে আমার জন্য আবু আমরাকে প্রেরণ করে ৷ উমর ইবন
সা দ তার থেকে পালাতেন্ গিয়ে জুব্বায় জড়িয়ে পড়ে যায় ৷ আবু আম্মারা তরবাবি দ্বারা আঘাত
করে তাকে হত্যা করে ফেলে এবং তার মাথাটা নিজ আলখিল্লার নীচে লুকিয়ে এনে মুখতারের
সম্মুখে রেখে দেয় ৷ উমর ইবন সা দ এর পুত্র হাফ্স মুখত তারে নিকট বসা ছিল ৷ মুখতার তাকে
বলল, এই মাথাটা কি চিনতে পার ? হাফ্স বলল, হ্যা, এরপর আর বেচে থেকে আমার কোন
কল্যাণ নেই ৷ মুখতার বলল, ঠিক বলেছ ৷ তারপর মুখতারের নির্দোশ রতবারির আঘাতে
হাফ্স এর পর্দান উড়িয়ে আর মাথাটাও তার পিতার মাথার সঙ্গে রেখে দেয়৷ হল ৷ তারপর
মুখতার বলল, এটি হুসাইন (রা)-এর বদলা আর এটি আলী আকবর ইবন হুসাইন-এর
বদলা ৷ তবে দু’টো সমান নয় ৷ আল্পাহ্র শপথ হুসাইন (না)-এর বদলারুপে যদি আমি
কুরায়শের তিন চতুর্থাৎশকেও হত্যা করি তবু তা তার একটি আঙ্গুলের বদলা হবে না ৷ তারপর
মুখতার মস্তক দু’টোকে মুহাম্মদ ইবন আল হানাফিয়ার নিকট পাঠিয়ে দেয় এবং সঙ্গে এ
বিষয়ে একখান৷ পত্রও লিখে দেয় যার বিবরণ নিম্নরুপ-
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম ৷
মুখতার ইবন আবু উবায়দ এর পক্ষ থেকে মুহাম্মদ ইবন আলী (রা)-এর প্ৰতি ৷
হে হিদায়াতপ্রাপ্ত মহান ব্যক্তি ৷ আল্লাহ আপনার উপর শাস্তি বর্যণ করুন ৷ আমি সেই
আল্লাহর প্ৰশৎস৷ জ্ঞাপন করছি, যিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই ৷
হামদ ও সালাতের পর ৷ আল্লাহ আমাকে আপনাদের শত্রুদের প্রতি আযাব প্রেরণ
ৰু করেছেন ৷ এখন তাদের কেউ নিহত ৷ কেউ বন্দী ৷ কেউ দেশাম্ভরিত এবং কেউ পলাতক ৷
সকল প্রশংসা , সেইআল্লাহ্র যিনি আপনাদের ঘাতকদের হত্যা করেছেন এবং আপনার
সহায়তাকারীদের সাহায্য করেছেন ৷ আমি আপনার সমীপে উমর ইবন মধ্যে ও তার পুত্রের
মস্তক প্রেরণ করলাম ৷ আমি হুসাইন (রা) ও তার পরিবারের ঘাতকচক্রের যে ক’জনকেন্সস্তুব
হয়েছে হত্যা করেছি ৷ অবশিষ্টরাও আমাকে অক্ষম করতে পারবে না ৷ তাদের একজনও ভুপৃষ্ঠে
জীবিত থাকা পর্যন্ত আমি ক্ষান্ত হব না ৷ আপনি আমাকে আপনার মতামত লিখে প্রেরণ করুন ৷
হে হিদায়াতপ্রাপ্ত ! আমি সে অনুযায়ী কাজ করব ৷ আপনার উপর শান্তি, আল্লাহ্ৱ রহমত ও
, বরকত নাযিল হোক হে হিদায়াতপ্রাপ্ত
ইবন জারীর মুহাম্মদ ইবন হানাফিয়্যা এই পত্রের জবাব দিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেন
নি ৷ অথচ, তিনি এ বিষয়ে সবিস্তারে আলোচনা করেছেন এবং৩ ব দীর্ঘ আলোচনা মুখতার-
এর প্রতি তার সহমর্মিত৷ প্রমাণিত হয় ৷ সে জন্যই তিনি তার সৎ কলনে আবু মুখানৃনাফ লুত


إِذْ جَاءَ غُلَامٌ لَهُ، وَدَمُهُ يَسِيلُ عَلَى عَقِبَيْهِ، فَقَالَ لَهُ سَعْدٌ: مَنْ فَعَلَ بِكَ هَذَا؟ فَقَالَ: ابْنُكَ عُمَرُ. فَقَالَ سَعْدُ: اللَّهُمَّ اقْتُلْهُ وَأَسِلْ دَمَهُ. وَكَانَ سَعْدٌ مُسْتَجَابُ الدَّعْوَةِ، فَلَمَّا ظَهَرَ الْمُخْتَارُ عَلَى الْكُوفَةِ اسْتَجَارَ عُمَرُ بْنُ سَعْدٍ بِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْدَةَ بْنِ هُبَيْرَةَ، وَكَانَ صَدِيقًا لِلْمُخْتَارِ مِنْ قَرَابَتِهِ مِنْ عَلِيٍّ، فَأَتَى الْمُخْتَارَ فَأَخْذَ مِنْهُ لِعُمَرَ بْنِ سَعْدٍ أَمَانًا ; مَضْمُونُهُ أَنَّهُ آمِنٌ عَلَى نَفْسِهِ وَأَهْلِهِ وَمَالِهِ مَا أَطَاعَ وَلَزِمَ رَحْلَهُ وَمِصْرَهُ مَا لَمْ يُحْدِثْ حَدَثًا، وَأَرَادَ الْمُخْتَارُ مَا لَمْ يَأْتِ الْخَلَاءَ فَيَبُولَ أَوْ يَغُوطَ، وَلَمَّا بَلَغَ عُمَرُ بْنُ سَعْدٍ أَنَّ الْمُخْتَارَ يُرِيدُ قَتْلَهُ خَرَجَ مِنْ مَنْزِلِهِ لَيْلًا يُرِيدُ السَّفَرَ نَحْوَ مُصْعَبٍ أَوْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ فَنَمَى لِلْمُخْتَارِ بَعْضُ مَوَالِيهِ ذَلِكَ. فَقَالَ الْمُخْتَارُ: وَأَيُّ حَدَثٍ أَعْظَمُ مِنْ هَذَا؟ وَقِيلَ: إِنَّ مَوْلَاهُ قَالَ لَهُ ذَلِكَ، وَقَالَ لَهُ: تَخْرُجُ مِنْ مَنْزِلِكَ وَرَحْلِكَ؟ ارْجِعْ. فَرَجَعَ. وَلَمَّا أَصْبَحَ بَعْثَ إِلَى الْمُخْتَارِ يَقُولُ لَهُ: هَلْ أَنْتَ مُقِيمٌ عَلَى أَمَانِكَ؟ وَقِيلَ: إِنَّهُ أَتَى الْمُخْتَارَ يَتَعَرَّفُ مِنْهُ ذَلِكَ، فَقَالَ لَهُ الْمُخْتَارُ: اجْلِسْ. وَقِيلَ: إِنَّهُ أَرْسَلَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ جَعْدَةَ إِلَى الْمُخْتَارِ يَقُولُ لَهُ: هَلْ أَنْتَ مُقِيمٌ عَلَى أَمَانِكَ لَهُ؟ فَقَالَ لَهُ الْمُخْتَارُ: اجْلِسْ. فَلَمَّا جَلَسَ قَالَ الْمُخْتَارُ: لِصَاحِبِ حَرَسِهِ: اذْهَبْ فَأْتِنِي بِرَأْسِهِ، فَذَهَبَ إِلَيْهِ فَقَتَلَهُ، وَأَتَاهُ بِرَأْسِهِ. وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّ الْمُخْتَارَ قَالَ لَيْلَةً: لَأَقْتُلَنَّ غَدًا رَجُلًا عَظِيمَ الْقَدَمَيْنِ، غَائِرَ الْعَيْنَيْنِ، مُشْرِفَ الْحَاجِبَيْنِ، يُسَرُّ بِقَتْلِهِ الْمُؤْمِنُونَ وَالْمَلَائِكَةُ الْمُقَرَّبُونَ، وَكَانَ الْهَيْثَمُ بْنُ الْأَسْوَدِ حَاضِرًا فَوَقَعَ فِي نَفْسِهِ أَنَّهُ أَرَادَ عُمَرَ بْنَ سَعْدٍ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ ابْنُهُ
পৃষ্ঠা - ৬৯১৯
الْعُرْيَانُ فَأَنْذَرَهُ، فَقَالَ: كَيْفَ يَكُونُ هَذَا بَعْدَمَا أَعْطَانِي مِنَ الْعُهُودِ وَالْمَوَاثِيقِ؟ وَكَانَ الْمُخْتَارُ حِينَ قَدِمَ الْكُوفَةَ أَحْسَنَ السِّيرَةَ إِلَى أَهْلِهَا أَوَّلًا، وَكَتَبَ لِعُمَرَ بْنِ سَعْدٍ كِتَابَ أَمَانٍ إِلَّا أَنْ يُحْدِثَ حَدَثًا. قَالَ أَبُو مِخْنَفٍ: وَكَانَ أَبُو جَعْفَرٍ الْبَاقِرُ يَقُولُ: إِنَّمَا أَرَادَ الْمُخْتَارُ إِلَّا أَنْ يَدْخُلَ الْكَنِيفَ فَيُحَدِثَ فِيهِ. ثُمَّ إِنَّ عُمَرَ بْنَ سَعْدٍ قَلِقَ أَيْضًا، ثُمَّ جَعَلَ يَتَنَقَّلُ مِنْ مَحَلَّةٍ إِلَى مَحَلَّةٍ، ثُمَّ صَارَ أَمْرُهُ أَنَّهُ رَجَعَ إِلَى دَارِهِ، وَقَدْ بَلَغَ الْمُخْتَارَ انْتِقَالُهُ مِنْ مَوْضِعٍ إِلَى مَوْضِعٍ، فَقَالَ: كَلَّا وَاللَّهِ، إِنَّ فِي عُنُقِهِ سِلْسِلَةً تَرُدُّهُ لَوْ جَهِدَ أَنْ يَنْطَلِقَ مَا اسْتَطَاعَ، ثُمَّ أَصْبَحَ فَبَعْثَ إِلَيْهِ أَبَا عَمْرَةَ، فَدَخْلَ عَلَيْهِ، فَقَالَ: أَجِبِ الْأَمِيرَ، فَقَامَ عُمَرُ، فَعَثَرَ فِي جُبَّتِهِ، فَضَرَبَهُ أَبُو عَمْرَةَ بِالسَّيْفِ حَتَّى قَتَلَهُ، وَجَاءَ بِرَأْسِهِ فِي أَسْفَلِ قَبَائِهِ حَتَّى وَضَعَهُ بَيْنَ يَدَيِ الْمُخْتَارِ، فَقَالَ الْمُخْتَارُ لِابْنِهِ حَفْصِ بْنِ عُمَرَ - وَكَانَ جَالِسًا عِنْدَ الْمُخْتَارِ -: أَتَعْرِفُ هَذَا الرَّأْسَ؟ فَاسْتَرْجَعَ وَقَالَ: نَعَمْ، وَلَا خَيْرَ فِي الْعَيْشِ بَعْدَهُ، فَقَالَ: صَدَقْتَ، ثُمَّ أَمَرَ بِهِ فَضُرِبَتْ عُنُقُهُ، وَوُضِعَ رَأْسُهُ مَعَ رَأْسِ أَبِيهِ، ثُمَّ قَالَ الْمُخْتَارُ هَذَا بِالْحُسَيْنِ، وَهَذَا بِعَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ الْأَكْبَرِ، وَلَا سَوَاءَ، وَاللَّهِ لَوْ قَتَلْتُ بِهِ ثَلَاثَةَ أَرْبَاعِ قُرَيْشٍ مَا وَفُّوا أُنْمُلَةً مِنْ أَنَامِلِهِ. ثُمَّ بَعَثَ الْمُخْتَارُ بِرَأْسَيْهِمَا إِلَى مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ وَكَتَبَ إِلَيْهِ كِتَابًا فِي ذَلِكَ:
পৃষ্ঠা - ৬৯২০


ইবন ইয়াহইয়া-এর বিপুল পরিমাণ বর্ণনা উল্লেখ করেছেন ৷ অথচ, আবু মিখনাফ রাবী হিসাবে
অভিযুক্ত ৷ বিশেষত শীআ বিষয়ক আলোচনায় ৷ আর এই স্থানটি শীআদের জন্য খুবই
পছন্দৰীয় ৷ কেননা, এখানে হযরত হুসাইন (রা) ও তীর পরিবারের লোকজন হত্যাকাণ্ডের
প্রতিশোধ নেয়ার কথা রয়েছে আর তার খুনীদেরকে হত্যা করা যে আরশ্যকছিল্ তাতে কোন
সন্দেহ নেই এবং একাজে অগ্রণী ভুমিকা পালন করা ছিল সৌভাগ্যের বিষয় ৷ কিন্তু আল্লাহ এ
কাজটা মুখতার নামক একজন মিথ্যাবাদীর হাতে অর্পণ করেছেন ৷ যে তার প্রতি ওহী
আগমনের দাবি করে কাফির হয়ে গিয়েছিল ৷ রাসুল (সা) বলেছেন
নিশ্চয় আল্লাহ পাপিষ্ট লোক দ্বারা এই দীনকে শক্তিশা লী করে থাকেন ৷ (বুখারী, ফাতহুল
বারী ৭, : ৭ ১ এর বরাতে) আল্লাহ তা আলা মহাগ্নন্থ আল কুরআনে বলেন-
এা৷ৰু;,
এভাবে তাদের কৃতকর্মের জন্য আমি জালিমদের এক দলকে অন্য দলের বন্ধু করে যা ৷কি ৷
(আন আম৪ ১২৯) ন্
কবি বলেন-
৮,
সবহাতেরউপর আল্লাহর কুদরভী হাত বিদ্যামান এবং প্রত্যেক অ ত্যাচারীকে আরেক
অত্যাচারী দ্বার৷ নাজেহাল হতে হবে ৷ ’
সামনে লুখতারএর এমন আলোচনা আসছে, যা তার মিথ্যাবাদিতা, মনগড়৷ উক্তি এবং
তার আহলে বায়আত এর সাহায্যশ্স্হ্যোগিতা অসত্য মৌখিক দাবি প্রমাণিত করবে ৷ আসলে
এটি হল তার ছদ্মরুপ৩ তার আসল উদ্দেশ্য ছিল শী আ অধিবাসীদেরকে স্বপক্ষে টেনে আনা,
যাতে তারা তাকে ক্ষমতায় সুপ্রতিষ্ঠিত করে দেয় এবং৩ তাদের সহারতায় প্রতিপক্ষের উপর
আক্রমণ চালাতে পারে ৷
তারপর আল্লাহ তার উপর এমন এক ব্যক্তিকে ক্ষমতাসীন করেন, যে তার থেকে
প্রতিশোধ গ্রহণ করে ৷ এই সেই ক ৷য্যাব, (মিথ্যাবাদী) যার সম্পর্কে আসম৷ বিনৃত আবু বকর
সিদ্দীক (রা) বর্ণি৩ হাদীসে আছে যে, রাসুল (সা) বলেছেন
অচিরেই ছ কিফ গোত্রে একজন মিথ্যাবাদী ও একজন ধ্বং ৎসকাবীর আবির্ভাব ঘটবে ৷
(বায়হাকী, দালইিল খায়র পৃ ৪৮২ং মুসলিমেও অনুরুপ বর্ণনা রয়েছে)
এই মুখতারই হল সেই কায্যাব’ যে নিজেকে শীঅ৷ বলে মিথ্যা দাবি করত ৷ আর
মুবীর’ হলেন হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ ছাকাফী, যিনি খলীফ৷ আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান-এর
পক্ষ থেকে কুফার গভর্নর পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন ৷ এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা পরে আসছে ৷
হাজ্জাজ ছিলেন খলীফার বিপরীত চরিত্রের মানুষ ৷ তিনি ছিলেন নসিবী (কঠোর পালী বিরোধী)
সাহসী ও অত্যাচারী ৷৩ তবে তিনি মুখতার এর ন্যায় ধর্যচ্যুত ও নবুওয়াতের দা৷বদার ছিলেন
না ৷ তিনি এ দা৷বও করতে ন না যে, তার নিকট আল্লাহর তরফ থেকে ওহী আসে
ইবন জা ৷রীর বলেন, সে বছরই মুখ৩ তার মুছান্ন৷ ইবন মাখরাম৷ আল আবদীকে বসরা প্রেরণ
করে, সে বসরার অধিবাসীদেরকে যথাসম্ভব তার পক্ষে দাওয়াত প্রদান করবে ৷ ধ্মুছান্ন৷ ইবন


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ لِلْمَهْدِيِّ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ مِنَ الْمُخْتَارِ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ سَلَامٌ عَلَيْكَ أَيُّهَا الْمَهْدِيُّ فَإِنِّي أَحْمَدُ إِلَيْكَ اللَّهَ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، أَمَّا بَعْدُ: فَإِنَّ اللَّهَ بَعَثَنِي نِقْمَةً عَلَى أَعْدَائِكُمْ، فَهُمْ بَيْنَ قَتِيلٍ وَأَسِيرٍ وَطَرِيدٍ وَشَرِيدٍ، فَالْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي قَتَلَ قَاتِلَكُمْ وَنَصَرَ مُؤَازِرَكُمْ، وَقَدْ بَعَثْتُ إِلَيْكَ بِرَأْسِ عُمَرَ بْنِ سَعْدٍ وَابْنِهِ، وَقَدْ قَتَلْنَا مَنْ شَرَكَ فِي دَمِ الْحُسَيْنِ وَأَهْلِ بَيْتِهِ كُلَّ مَنْ قَدَرْنَا عَلَيْهِ، وَلَنْ يُعْجِزَ اللَّهَ مَنْ بَقِيَ، وَلَسْتُ بِمُنْحَجِمٍ عَنْهُمْ حَتَّى لَا يَبْلُغَنِي أَنَّ عَلَى أَدِيمِ الْأَرْضِ مِنْهُمْ إِرْمِيًّا فَاكْتُبْ إِلَيَّ أَيُّهَا الْمَهْدِيُّ بِرَأْيِكَ أَتَّبِعُهُ وَأَكُنْ عَلَيْهِ، وَالسَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا الْمَهْدِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ. وَلَمْ يَذْكُرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ مُحَمَّدًا ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ رَدَّ جَوَابَهُ، مَعَ أَنَّ ابْنَ جَرِيرٍ قَدْ تَقَصَّى هَذَا الْفَصْلَ وَأَطَالَ شَرْحَهُ، وَيَظْهَرُ مِنْ غُبُونِ كَلَامِهِ وَنِظَامِهِ قُوَّةُ وَجْدِهِ بِهِ وَغَرَامِهِ، وَلِهَذَا تَوَسَّعَ فِي إِيرَادِهِ بِرِوَايَاتِ أَبِي مِخْنَفٍ لُوطِ بْنِ يَحْيَى، وَهُوَ مُتَّهَمٌ فِيمَا يَرْوِيهِ، وَلَا سِيَّمَا فِي بَابِ التَّشَيُّعِ، وَهَذَا الْمَقَامُ لِلشِّيعَةِ فِيهِ غَرَامٌ وَأَيُّ غَرَامٍ، إِذْ فِيهِ الْأَخْذُ بِثَأْرِ الْحُسَيْنِ وَأَهْلِهِ مِنْ قَتَلَتِهِمْ وَالِانْتِقَامُ مِنْهُمْ. وَلَا شَكَّ أَنَّ قَتْلَ قَتَلَتِهِ كَانَ مُتَحَتِّمًا، وَالْمُبَادِرَةُ إِلَيْهِ كَانَ مَغْنَمًا، وَلَكِنْ إِنَّمَا قَدَّرَهُ اللَّهُ عَلَى يَدِ الْمُخْتَارِ الْكَذَّابِ الَّذِي صَارَ بِدَعْوَاهُ إِتْيَانَ الْوَحْيِ إِلَيْهِ كَافِرًا، وَقَدْ قَالَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ لِيُؤَيِّدُ هَذَا الدِّينَ بِالرَّجُلِ الْفَاجِرِ» وَقَالَ تَعَالَى فِي كِتَابِهِ الَّذِي هُوَ أَفْضَلُ مَا يَكْتُبُهُ الْكَاتِبُونَ: {وَكَذَلِكَ نُوَلِّي بَعْضَ الظَّالِمِينَ بَعْضًا بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ} [الأنعام: 129]
পৃষ্ঠা - ৬৯২১
وَقَالَ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ: وَمَا مِنْ يَدٍ إِلَّا يَدُ اللَّهِ فَوْقَهَا ... وَلَا ظَالِمٍ إِلَّا سَيُبْلَى بِظَالِمِ وَسَيَأْتِي فِي تَرْجَمَةِ الْمُخْتَارِ مَا يَدُلُّ عَلَى كَذِبِهِ وَافْتِرَائِهِ، وَادِّعَائِهِ نُصْرَةَ أَهْلِ الْبَيْتِ، وَهُوَ فِي نَفْسِ الْأَمْرِ مُتَسَتِّرٌ بِذَلِكَ لِيَجْمَعَ عَلَيْهِ رَعَاعًا مِنَ الشِّيعَةِ الَّذِينَ بِالْكُوفَةِ ; لِيُقِيمَ لَهُمْ دَوْلَةً وَيَصُولَ بِهِمْ وَيَجُولَ عَلَى مُخَالِفِيهِ صَوْلَةً. ثُمَّ إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى سَلَّطَ عَلَيْهِ مَنِ انْتَقَمَ مِنْهُ، وَهَذَا هُوَ الْكَذَّابُ الَّذِي قَالَ فِيهِ الرَّسُولُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَدِيثِ أَسْمَاءَ بِنْتِ الصِّدِّيقِ «إِنَّهُ سَيَكُونُ فِي ثَقِيفٍ كَذَّابٌ وَمُبِيرٌ» فَهَذَا هُوَ الْكَذَّابُ، وَهُوَ يُظْهِرُ التَّشَيُّعَ، وَأَمَّا الْمُبِيرُ فَهُوَ الْحَجَّاجُ بْنُ يُوسُفَ الثَّقَفِيُّ وَقَدْ وُلِّيَ الْكُوفَةَ مِنْ جِهَةِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ كَمَا سَيَأْتِي، وَكَانَ الْحَجَّاجُ عَكْسَ هَذَا؛ كَانَ نَاصِبِيًّا جَلْدًا ظَالِمًا غَاشِمًا، وَلَكِنْ لَمْ يَكُنْ فِي طَبَقَةِ هَذَا، يُتَّهَمُ عَلَى دِينِ الْإِسْلَامِ، وَدَعْوَى النُّبُوَّةِ، وَأَنَّهُ يَأْتِيهِ الْوَحْيُ مِنَ الْعَلِيِّ الْعَلَّامِ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ بَعَثَ الْمُخْتَارُ الْمُثَنَّى بْنَ مُخَرِّبَةَ الْعَبْدِيَّ إِلَى الْبَصْرَةِ يَدْعُو إِلَيْهِ مَنِ اسْتَطَاعَ مَنْ أَهْلِهَا، فَدَخَلَهَا وَابْتَنَى بِهَا مَسْجِدًا يَجْتَمِعُ إِلَيْهِ فِيهِ قَوْمُهُ فَجَعَلَ يَدْعُو إِلَى الْمُخْتَارِ ثُمَّ أَتَى مَدِينَةَ الرِّزْقِ، فَعَسْكَرَ عِنْدَهَا فَبَعَثَ إِلَيْهِ الْحَارِثُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ الْقُبَاعُ - وَهُوَ أَمِيرُ الْبَصْرَةِ قَبْلَ أَنْ يُعْزَلَ
পৃষ্ঠা - ৬৯২২


মদুখরদুমা রসরদুর অধিবাসীরা এই মসজিদে সমবেত হতে শুরু করলে মুছদুন্নদু ইবন মদুখরামদু
’ তাদেরকে মুখতারের প্রতি আহবান জানাতে শুরু করে ৷ তারপর আসে আল-ওয়দুরক (তাবারী
ও ইবন আহীরের বর্ণনায় রদুযক) শহরে ৷ এখানে সেণ্সদুমরিক ঘীটি পাড়ে ৷ ফলে হদুরিছ ইবন
আবদুল্লাহ্ ইবন রবীআ অদুল-কুবদু যিনি মুসআর-এর পুর্বে রসরদুর গভর্নর ছিলেন ৷ পুলিশ
প্রধান আব্বাস ইবনুল হুস ইন ও কায়স ইবনু ল হদুরছদুম এর সেনদুপতিত্বে বাহিনী প্রেরণ
করেন ৷ তার দুমৃছদুন্ন দুণ্দু ইবন মাখরামদু এর সঙ্গে যুদ্ধ করে তার করল থেকে শহর পুনরুদ্ধার
করেন এবং তার বাহিনীকে পর জি৩ করেন ৷ রনু আরদিল কায়স মুছদুন্নদুর বাহিনীর সাহায্যে
এগিয়ে এসেছিল ৷ ফলে হদুবিছ ইবন অদুবদুল্লদুহ্ত তাদের বিরুদ্ধে অভিযান প্রেরণ করেন ৷ উভয়
প ৷ৰু সংঘদুতে লিপ্ত পহয়ে পড়েন ৷ হারিছ ইবন আরদুল্লাহ্ উভয়ের মদুঝে মীমাংসদু করে দেয়ার
জন্য তা দুহনদুফ ইবন কায়স ও আমর (৩ তাবদুরী ও ইবনুল অদুহীরের বর্ণনায় উমর) ইবন আবদুর
রহমান আল মদুখবুমীকে প্রেরণ করেন ৷ মালিক ইবন মুসদুম্মা৩ তাদের সহযোগিতা করেন ৷
৩ দুদের মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষ সং ঘদুত ত্যাগ করে যার যার পথে চলে যায় ৷
মুছানদু ইবন মাখরামা ক্ষুদ্র একটি দল নিয়ে পরাজিত ও নিরস্ত্র অবস্থায় মুখতার এর নিকট
ফিরে যায় এবং আহনদু ফ প্রমুখ আমীরদের হাতে যে সন্ধি সমঝো৩ দু অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাকে
সে বিষয়ে অবহিত করে ৷ মুখতদুর৩ তাদের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠে এবং পত্র মদুরফত
তাদেরকে তার মিশনের প্ৰতি সমর্থন দদুনপুর্বক তার দলভুক্ত হওয়ার আহবান জানায় ৷ মুখতার
পত্রখদুনদু লিখে আহনদুফ ইবন কায়স এর নদুমে যার ভাষ্য নিম্নরুপ-
মুখতার এর পক্ষ থেকে আহনদুফ ইবন কায়স ও তার সমর্থনকারী আমীরদ্রের প্রতি ৩া
আশাকরি ভাল আছেন ৷ পর সংরদুদ,মুযদুর-এর বনু রবী আর জন্য ধ্বংস অরধদুরিত
আহনদুফ তার সম্প্রদদুয়কে জদুহদুন্নদুমে নিক্ষেপ করছে ৷ যেখান থেকে মুক্তিলাভ করা তাদের
পক্ষে সম্ভব হবে না ৷ তাকদীরে যা লিপিবদ্ধ হয়ে আছে৩ তার উপর আমার কান ক্ষমতা নেই ৷
আমি শুনতে পেরেছি৫ তামরা আমাকে কায্যদুর’ (মিথ্যাবদুদী) অদুখ্যদুয়িত করেছ ৷ শেদুন!
আমার পুর্বেও নবী-রদুসীলগণকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা হয়েছিণ ৷ আমি তো তাদের অপেক্ষা
উত্তম নই ৷
ইবন জা দুরীর বলেন, আবুস সারির সালাম ইবন জুনাদদু শদু বী থেকে বর্ণনদু করেন যে৩ ,তিনি
বলেছেন, একদিন আমি বসরা গমন করে এমন একটি মজলিসে উপবেশন করি, যেখানে
আহনাফ ইবন কায়স উপ তছিলেন ৷ এক ব্যক্তি আমাকে জিজ্ঞাসা কংল, আপনি কে ?
রনলদুম, আমি কুফদুর:ণ্অধিবাসী ৷ সে বলল, তোমরা আমাদের গোলাম ৷ আমি রললদুম, তা
কিভদুবে ? সে বলল, আমরদু তােমাদেরকে তোমাদের গোলাম মুখতার বাহিনীর হাত থেকে
রক্ষা করেছি ৷ আমি রললাম, হদুমাদদুনের জনৈক শেখ আমাদের ও তোমাদের ব্যাপারে কী
বলেছেন তা কি জান ? আহনদুফ বললেন, কী রল্যেছুন ? আমি রললদুম তিনি বলেছেন-

ণ্ষ্ষ্১



بِمُصْعَبٍ - جَيْشًا مَعَ عَبَّادِ بْنِ الْحُصَيْنِ أَمِيرِ الشُّرْطَةِ، وَقَيْسِ بْنِ الْهَيْثَمِ فَقَاتَلُوهُ وَأَخَذُوا مِنْهُ الْمَدِينَةَ، وَانْهَزَمَ أَصْحَابُهُ، وَكَانَ قَدْ قَامَ بِنُصْرَتِهِمْ بَنُو عَبْدِ الْقَيْسِ، فَبَعَثَ إِلَيْهِمُ الْجَيْشَ، فَبَعَثُوا إِلَيْهِ فَأَرْسَلَ الْأَحْنَفَ بْنَ قَيْسٍ، وَعَمْرَو بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيَّ لِيُصْلِحَا بَيْنَ النَّاسِ وَسَاعَدَهُمَا مَالِكُ بْنُ مِسْمَعٍ، فَانْحَجَزَ النَّاسُ بَعْضُهُمْ عَنْ بَعْضٍ وَرَجَعَ إِلَى الْمُخْتَارِ فِي نَفَرٍ يَسِيرٍ مِنْ أَصْحَابِهِ مَغْلُولًا مَغْلُوبًا مَسْلُوبًا، وَأَخْبَرَ الْمُخْتَارَ بِمَا وَقَعَ مِنَ الصُّلْحِ عَلَى يَدَيِ الْأَحْنَفِ وَغَيْرِهِ مِنْ أُولَئِكَ الْأُمَرَاءِ، وَطَمِعَ الْمُخْتَارُ فِيهِمْ، وَكَاتَبَهُمْ فِي أَنْ يَدْخُلُوا مَعَهُ فِيمَا هُوَ فِيهِ مِنَ الْأَمْرِ. وَكَانَ كِتَابُهُ إِلَى الْأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ: مِنَ الْمُخْتَارِ إِلَى الْأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ وَمَنْ قِبَلَهُ، فَسِلْمٌ أَنْتُمْ، أَمَّا بَعْدُ: فَوَيْلُ أُمِّ رَبِيعَةَ مِنْ مُضَرَ، وَإِنَّ الْأَحْنَفَ يُورِدُ قَوْمَهُ سَقَرَ، حَيْثُ لَا يَسْتَطِيعُ لَهُمُ الصَّدَرَ، وَإِنِّي لَا أَمْلِكُ لَكُمْ مَا قَدْ خُطَّ فِي الْقَدَرِ، وَقَدْ بَلَغَنِي أَنَّكُمْ تُسَمُّونِي كَذَّابًا، وَقَدْ كُذِّبَ الْأَنْبِيَاءُ مِنْ قَبْلِي، وَلَسْتُ بِخَيْرٍ مِنْهُمْ. وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنِي أَبُو السَّائِبِ سَلْمُ بْنُ جُنَادَةَ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ حَمَّادٍ، عَنْ حِبَّانِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ: دَخَلْتُ الْبَصْرَةَ فَقَعَدْتُ إِلَى حَلْقَةٍ فِيهَا الْأَحْنَفُ بْنُ قَيْسٍ، فَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ: مَنْ أَنْتَ؟ فَقُلْتُ: رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ. فَقَالَ: أَنْتُمْ مَوَالٍ لَنَا. قُلْتُ: وَكَيْفَ؟ قَالَ: قَدْ
পৃষ্ঠা - ৬৯২৩
أَنْقَذْنَاكُمْ مِنْ أَيْدِي عَبِيدِكُمْ مِنْ أَصْحَابِ الْمُخْتَارِ. قُلْتُ: تَدْرِي مَا قَالَ شَيْخٌ مِنْ هَمْدَانَ فِينَا وَفِيكُمْ؟ فَقَالَ الْأَحْنَفُ: وَمَا قَالَ؟ قُلْتُ: قَالَ: أَفَخَرْتُمْ أَنْ قَتَلْتُمْ أَعَبُدًا ... وَهَزَمْتُمْ مَرَّةً آلَ عَزَلْ فَإِذَا فَاخَرْتُمُونَا فَاذْكُرُوا ... مَا فَعَلْنَا بِكُمْ يَوْمَ الْجَمَلْ بَيْنَ شَيْخٍ خَاضِبٍ عُثْنُونَهُ ... وَفَتًى أَبْيَضَ وَضَّاحًا رِفَلْ جَاءَنَا يَهْدِجُ فِي سَابِغَةٍ ... فَذَبَحْنَاهُ ضُحًى ذَبْحَ الْحَمَلْ وَعَفَوْنَا فَنَسِيتُمْ عَفْوَنَا ... وَكَفَرْتُمْ نِعْمَةَ اللَّهِ الْأَجَلْ وَقَتَلْتُمْ بِحُسَيْنٍ مِنْهُمُ ... بَدَلًا مِنْ قَوْمِكُمْ شَرَّ بَدَلْ قَالَ: فَغَضِبَ الْأَحْنَفُ، وَقَالَ: يَا غُلَامُ، هَاتِ الصَّحِيفَةَ، فَأُتِيَ بِصَحِيفَةٍ فِيهَا: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، مِنَ الْمُخْتَارِ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ إِلَى الْأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ أَمَّا بَعْدُ: فَوَيْلُ أُمِّ رَبِيعَةَ مِنْ مُضَرَ، فَإِنَّ الْأَحْنَفَ يُورِدُ قَوْمَهُ سَقَرَ، حَيْثُ لَا يَقْدِرُونَ عَلَى الصَّدَرِ، وَقَدْ بَلَغَنِي أَنَّكُمْ تُكَذِّبُونِي، فَإِنْ كُذِّبْتُ فَقَدْ كُذِّبَتْ رُسُلٌ مِنْ قَبْلِي، وَلَسْتُ بِخَيْرٍ مِنْهُمْ، ثُمَّ قَالَ الْأَحْنَفُ: هَذَا مِنَّا أَوْ مِنْكُمْ.