আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ست وستين

পৃষ্ঠা - ৬৮৯৭

হিজ্জী ৬৬ সন ন্

এ, বছরে অ ৷ ণ্ণ্৷ মুখ ৩৷ র ইবন আধু উবাইদ আস-সাকাফী আল-কায্যাব হযরত ইমাম
হুস৷ ৷ইন ইবন হযরত ৩আলী (রা) এর রক্তের প্রতিশোধ নেয়ার জন্যে কুফা য় সগ্রোম শুরু
করে এবং সেখানকার আমীর আবদুল্লাহ ইবন মুভী কে কুফ৷ থেকে বহিষ্কা র করে ৷ আর

তার কারণ ছিল নিম্নরুপং :

সুলাইমান ইবন সুরাদ (রা)-এর সঙ্গীগণ পরাজিত হয়ে কুফায় প্রত্যাবর্তন করে ৷ তখন
তারা আল-মুখতার ইবন আবু উবাইদকে জেলখানায় বন্দী পায় ৷ আলমুখতার সুলাইমান
ইবন সুরাদ (রা)-এর মৃত্যুতে তাদের কাছে পোকবার্তা প্রেরণ করে এবং বলে, আমি তার
স্থলে রয়েছি ৷ আমি হযরত ইমাম হুসাইন (রা)-এর হত্যাকারীহুদর অবশ্যই হত্যা করব ৷
রিফাআ ইবন শাদ্দাদ আল মুখতাহুরর কাছে পত্র লিখেন ৷ তিনি জইিশুত তাওয়াবীহুনর অন্তর্ভুক্ত
ছিলেন এবং এ সৈন্যদলের যারা অবশিষ্ট ছিলেন৩৷াহুদরহুক নিয়ে তিনি মদীনায় প্রত্যাবর্তন করেন ৷
রিফাআ ইবন৷ শা দ্দাদ তার পহুত্র লিখেন, আপনি যা পছন্দ করেন তা আমরা সমর্থন করি’ ৷ আল-
মুখতার তাদের কাছে অঙ্গীকার করতে থাকে ৩৩ তাদেরকে বিভিন্ন উপায়ে প্রলুব্ধ করতে থাকে ৷
আর শয়তান তো প্রতারণাপুর্ণ অঙ্গীকারই প্রদান করে থাকে ৷ সে তাদেরকে গোপনে পত্রলিখে
আর পহুত্রর মাধ্যমে তাদেরকে বহুল, তোমরা এ কথা শুনে সন্তুষ্ট হও যে, আমি যদি শত্রুহুদর
বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু করি তাহলে মাশরিক হতে মাগরিব পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে শত্রুহুদরহুক
নিরস্ত্র করে ছাড়হুব৷ এবং তাদেরকে আল্লাহর অনুপ্রহুহ পশুর গলিত চর্বহুনর স্তুপের ন্যায় পরিণত
করব ৷ তাদেরকে সমষ্টিগত ও এককভাহুব হত্যা করব ৷ তাদের মধ্য হতে যারা আমাদের সাথে
যোগ দেবে তাদেরকে আল্লাহ্ স্বাগত জানাবেন ও তাদেরকে সঠিক প খের দিক ন্ নির্দেশনা
দেবেন ৷ আর তাদের মধ্য হতে যারা আমাদের সাথে যোগ দেবে না ও আমাদেরকে অস্বীকার
করবে তাদেরকে আল্লাহ্ তার রহমত হতে দুরে সরিয়ে দেবেন ৷

যখন তাদের কাছে আল মুখতাহুরর এ পত্রটি পৌছল তারা তা মনােহুযাগ সহকারে পড়ল
এবং তার উত্তর প্রদান করল ও বলল, আমরা তা ই করব যা তুমি পছন্দ কর ৷ আর তুমি
যখনই ইচ্ছে পোষণ করবে তখনি আমরা তোমাকে জেহুলর তালা ভেঙে মুক্ত করব ৷ কিন্তু
আল-মুখতার কুফার আমীহুরর উপর জোর প্রয়োগ করে কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করাকে
পছন্দ করল না ৷ বরং সে সুক্ষ্ম বুদ্ধি প্রয়োগ করতে প্রয়াস পেল ৷ সে তার বোন সাফীয়ার
স্বামীর কাছে তার মুক্তির জন্যে সুপারিশ্৷ করতে পত্র লিখল ৷৩ তার বোন ছিলেন একজন সৎ
মহিলা ৷ তার স্বামী ছিলেন হযরত আবদুল্লাহ্ ইবন উমর ইবনুল খাত্তাব (বা) ৷ হযরত
আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) কুফার দুইজন আমীর আবদুল্লাহ ইবন ইয়াযীদ আল খা৩ামী এবং
ইব্রাহীম ইবন মুহাম্মদ ইবন তালহ৷ এর কাছে মুখ৩ তারের মুক্তির জন্য সুপারিশ করে একটি
পত্র লিহুখন ৷ এ পহুত্রর বিরোধিতা করা তাদের পক্ষে হুকানত্রুহুম সম্ভব ছিল না ৷ আবদুল্লাহ
ইবন উমর (রা)৩ তাদের কাছে লিখেছিলেন, আমার ও হু৩ আমাদের মধ্যে যে মহব্বত বিরাজ
করছে তা তোমরা জান ৷ আর আমার মধ্যে এবং মুখতাহুরর মধ্যে ণ্ন্ যে শ্বশুরালহুয়র দিক দিয়ে
আত্মীয়তা রয়েছে তাও তোমরা জান ৷ তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্যে আমি তােমাহুদরহুক;অনুহুরাধ্
করছি ৷ সালাম ৷ ইতি ৷




[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سِتٍّ وَسِتِّينَ] [وُثُوبُ الْمُخْتَارِ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ الثَّقَفِيِّ الْكَذَّابِ بِالْكُوفَةِ لِيَأْخُذَ بِثَأْرِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ] وَفِيهَا وَثَبَ الْمُخْتَارُ بْنُ أَبِي عُبَيْدٍ الثَّقَفِيُّ الْكَذَّابُ بِالْكُوفَةِ؛ لِيَأْخُذَ بِثَأْرِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ - فِيمَا يَزْعُمُ - وَأَخْرَجَ عَنْهَا عَامِلَهَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُطِيعٍ، وَكَانَ سَبَبُ ذَلِكَ أَنَّهُ لَمَّا رَجَعَ أَصْحَابُ سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدَ مَغْلُوبِينَ إِلَى الْكُوفَةِ وَجَدُوا الْمُخْتَارَ بْنَ أَبِي عُبَيْدٍ الْكَذَّابَ مَسْجُونًا، فَكَتَبَ إِلَيْهِمْ يُعَزِّيهِمْ وَيَعِدُهُمْ وَيُمَنِّيهِمْ وَمَا يَعِدُهُمُ الشَّيْطَانُ إِلَّا غُرُورًا، وَقَالَ لَهُمْ فِيمَا كَتَبَ بِهِ إِلَيْهِمْ خِفْيَةً: أَبْشِرُوا، فَإِنِّي لَوْ قَدْ خَرَجْتُ إِلَيْكُمْ جَرَّدْتُ فِيمَا بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ مِنْ أَعْدَائِكُمُ السَّيْفَ، فَجَعَلْتُهُمْ بِإِذْنِ اللَّهِ رُكَامًا، وَقَتَلْتُهُمْ فَذًّا وَتَوْأَمًا، فَرَحَّبَ اللَّهُ بِمَنْ قَارَبَ مِنْكُمْ وَاهْتَدَى، وَلَا يُبْعِدُ اللَّهُ إِلَّا مَنْ أَبَى وَعَصَى. فَلَمَّا وَصَلَهُمُ الْكِتَابُ
পৃষ্ঠা - ৬৮৯৮


তাকে তারা তলব করলেন এবং একদল সাহাবায়ে কিরাম তার যামিন হলেন ৷ আবদুল্লাহ
ইবন ইয়াযীদ তার কাছ থেকে অঙ্গীকার নিলেন যে, যদি সে মুসলমানদের উপর অতর্কিতে
হামলা চালিয়ে ক্ষতিসাধন করে তাহলে তাকে একশত উট কারা প্রাঙ্গণে যবেহ করতে হবে ৷
আর তার যত গোলাম ও বাদী থাকবে সকলে আযাদ হয়ে যাবে ৷ এ ব্যাপারে সে তাদের কাছে
চুক্তিবদ্ধ হল বংএ ঘরে বসে রইল ৷ আর মনে মনে বলতে লাগল, আল্লাহ এ দু টোকে ধ্বংস
করন্বক, তর অর্বম্পকে আল্লাহর শপথ দিচ্ছে ৷ আসলে আমি যখন কোন ব্যাপারে কা ৷জটি করব
না বলে শপথ করে ফেলি তার পর দেখি তা করা ভ ৷,ল তখন তা আমি কবি এবং এ শপখের
জন্যে কাফফার৷ আদায় করি ৷ আর অঙ্গীকারে যে একশত উটের কথা বলা হয়েছে এই
একশত উট কাবা শরীফের সামনে যবেহ করা এটা আমার জন্যে কিছুই নয় ৷ গোলাম ও ৰ্বাদী
মুক্তির ব্যাপারে আমার আকাক্ষে৷ এই যে, পুর্ণ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পারলে আমার কাছে
একটি গোলামও না থাকুক ৷ শীয়ারা তার কাছে জমায়েত হল এবং তার সাথীর সংখ্যা দিন
দিন বৃদ্ধি পেতে লাগল ৷ আর তারা গোপনে তার হাতে বায়আত করতে লাগল ৷ তার জন্যে
জনগণ থেকে যারা বায়আত গ্রহণ করতেন এবং লোকজনকে বায়আত করার জন্যে উদ্বুদ্ধ
করতেন তার ৷ছিলেন পাচজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ৷ তারা হলেন, আন সাইব ইবন মালিক আল-
দুৰুশআরী ইয়াযীদ ইবন অ নাস আহমদ ইবন শুমীত, বিফ৷ ৷আ ইবন শাদ্দাদ ও আবদুল্লাহ
ইব ব্ল শাদ্দাদ আল জুশামী ৷ দিন দিন তার শক্তি, জনপ্রিয়তা মান মর্যাদা ইত্যাদি দ্রুত বৃদ্ধি
পেতে লাগল ৷ এমনকি এ খবর ওনার পর আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) কুফ৷ তে আবদুল্লাহ
ইবন ইয়াযীদ ও ইবরাহীম ইবন মুহাম্মদ ইবন তালহাকে বরখাস্ত করেন এবং আবদুল্লাহ ইবন
মুত আল মাখযুমীকে আমীর নিয়োগ করে কুফায় প্রেরণ করেন ৷ আর আল হারিস ইবন
র্জব ক্ট্র:খ্ ইবন আবু রাবীআকে বসরায় আমীর নিয়োগ করে বসরায় প্রেরণ করেন ৷

৬৫ মহিজরীর রমাযান মাসে যখন আবদুল্লাহ ইবন মুতী আল মাখযুমী কুফায় প্রবেশ
করেন ; তখন তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে ভাযণ দান করেন এবং বলেন, আমীরুল মু’মিনীন
হযরত আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) আমাকে এখানে প্রেরণ করেছেন এবং আমাকে আদেশ
দিয়েছেন আমি যেন হযরত উমর ইবনুল খ ওাব (রা) ও উসমান ইবন আফফ ন (রা) এর
আদর্শ অনুযায়ী তে ৷মাদের মধ্যে শাসনকার্য পরিচালনা করি ৷ তখন আস সাযিব ইবন মালিক
আশ শীঅ৷ উঠে দাডালেন এবং বললেন, আমরা শুধু আলী ইবন আবু৩ তালিব (রা) এব আদর্শ
চাই ৷ আমরা উসমান (রা) এর আদর্শ চাই না ৷ তারপর তিনি হযরত উসমা ৷ (রা)-এব
সম্বন্ধে কিছু আপত্তিকর মন্তব্য করেন ৷ তিনি আরো বলেন, আমরা উমর (না)-এর আদর্শও
চাই না যদিও তিনি মানুষের জন্যে কল্যাণই চেয়েছিলেন ৷’ শীয়াদের কিছু আমীর-উমরাহও
তাকে সমর্থন করলেন ৷ আমীর তখন নীরব হয়ে গেলেন ৷ পরে বললেন, আমি এমন আদর্শ
অনুসরণ করব না তোমরা পছন্দ কর ৷ ’

এরপুলিশ অফিসার ইয়াস ইবন মুদারিব আল-বাজালী ইবন মুতী এর কাছে আগমন করলেন

ৎতাকে বললেন, যে লে৷ ৷কটি আপনার সাথে তক করছিল সে লোকটি মুখতারের সাথীদের

একজন ৷ আমরা মুখতার থেকে নিরাপদ নই ৷ আপনি তার কাছে লোক প্রেরণ করুন এবং
তাকে পুনরায় কয়েদ করুন ৷ কেননা আমার গুপ্তচরেরা আমাকে খবর দিয়েছে যে, লোকজন
আবার তার পেছনে জমায়েত হচ্ছে ৷ মিশরেও আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে ৷ কাজেই আপনার ,
এখানেও আন্দোলন আবার শুরু হওয়ার পথে ৷ তখন আবদুল্লাহ ইবন মুতী, যায়িদ ইবন

ওো৷া



قَرَءُوهُ سِرًّا وَرَدُّوا إِلَيْهِ: إِنَّا كَمَا تُحِبُّ، فَمَتَى أَحْبَبْتَ أَخْرَجْنَاكَ مِنْ مَحْبَسِكَ. فَكَرِهَ أَنْ يُخْرِجُوهُ مِنْ مَكَانِهِ عَلَى وَجْهِ الْقَهْرِ لِنُوَّابِ الْكُوفَةِ، فَتَلَطَّفَ فَكَتَبَ إِلَى زَوْجِ أُخْتِهِ صَفِيَّةَ - وَكَانَتِ امْرَأَةً صَالِحَةً - وَهُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ يَسْأَلُهُ أَنْ يَشَفَعَ فِي خُرُوجِهِ مِنْ مَحْبِسِهِ عِنْدَ نَائِبَيِ الْكُوفَةِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، وَإِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ، فَكَتَبَ ابْنُ عُمَرَ إِلَيْهِمَا يَشْفَعُ عِنْدَهُمَا فِيهِ فَلَمْ يُمْكِنْهُمَا رَدُّهُ، وَكَانَ فِيمَا كَتَبَ إِلَيْهِمَا ابْنُ عُمَرَ: قَدْ عَلِمْتُمَا مَا بَيْنِي وَبَيْنَكُمَا مِنَ الْوُدِّ وَمَا بَيْنِي وَبَيْنَ الْمُخْتَارِ مِنَ الْقَرَابَةِ وَالصِّهْرِ، وَأَنَا أُقْسِمُ عَلَيْكُمَا لَمَا خَلَّيْتُمَا سَبِيلَهُ، وَالسَّلَامُ. فَاسْتُدْعِيَا بِهِ فَضَمِنَهُ جَمَاعَةٌ مِنْ أَصْحَابِهِ، وَاسْتَحْلَفَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ إِنْ هُوَ بَغَى لِلْمُسْلِمِينَ غَائِلَةً فَعَلَيْهِ أَلْفُ بَدَنَةٍ يَنْحَرُهَا تُجَاهَ الْكَعْبَةِ، وَكُلُّ مَمْلُوكٍ لَهُ - مِنْ عَبْدٍ وَأَمَةٍ - حُرٌّ، فَالْتَزَمَ لَهُمَا بِذَلِكَ، وَلَزِمَ مَنْزِلَهُ، وَجَعَلَ يَقُولُ: قَاتَلَهُمَا اللَّهُ، أَمَّا حَلِفِي بِاللَّهِ، فَإِنِّي لَا أَحْلِفُ عَلَى يَمِينٍ فَأَرَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا إِلَّا كَفَّرْتُ عَنْ يَمِينِي، وَأَتَيْتُ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ، وَأَمَّا إِهْدَائِي أَلْفَ بَدَنَةٍ فَيَسِيرٌ، وَأَمَّا عِتْقِي مَمَالِيكِي فَوَدِدْتُ أَنَّهُ قَدِ اسْتَتَمَّ لِي هَذَا الْأَمْرُ وَلَا أَمْلِكُ مَمْلُوكًا وَاحِدًا. وَاجْتَمَعَتِ الشِّيعَةُ عَلَيْهِ، وَكَثُرَ أَصْحَابُهُ وَبَايَعُوهُ فِي السِّرِّ. وَكَانَ الَّذِي يَأْخُذُ الْبَيْعَةَ لَهُ وَيُحَرِّضُ النَّاسَ عَلَيْهِ خَمْسَةً ; وَهُمُ السَّائِبُ بْنُ مَالِكٍ الْأَشْعَرِيُّ، وَيَزِيدُ بْنُ أَنَسٍ، وَأَحْمَرُ بْنُ شُمَيْطٍ ; وَرِفَاعَةُ بْنُ شَدَّادٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَدَّادٍ الْجُشَمِيُّ، وَلَمْ يَزَلْ أَمْرُهُ يَقْوَى وَيَشْتَدُّ وَيَسْتَفْحِلُ وَيَرْتَفِعُ، حَتَّى عَزَلَ
পৃষ্ঠা - ৬৮৯৯


কুদদুমদু ও তার সাথে অন; এক অদুমীরব্লুক মুখতাব্লুরর কাছে প্রেরণ করেন৷ তারা মুখতাব্লুরর
কাছে প্রবেশ করলেন এবং তাকে বললেন, তুমি অদুমীরের ডাকে সাড়া দাও ৷ তখন সে কাপড়-
চে দুপড় পরিধান করল এবং সওয়দুরী তৈরীর জন্যে আদেশ দিল এবং তাদের সাথে মারার জন্য
পুর্ণ প্রস্তুতি নিল ৷ তখন যদুযিদ ইবন কুদদুমদু সুরায়ে অদুনফাব্লুলর ৩০ নং আয়াত দিলদুওযদু৩
করলেনং : ,
স্পো
— :এসৌংএ
স্মরণ কর ক ফিবগণ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তোমাকে বন্দী করার জন্যে, হত্যা
করার অথবা নির্বাসিত করার জন্য, তারা ষড়যন্ত্র করে এবং অদুল্লদুহ্ও কৌশল করেন, আর
অদুল্লদুহ্ই কৌশলীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ’ ৷
তখন মুখতার বিছদু নদুয় শুয়ে পড়ল এবং মোটা চদুদর শরীরে জড়িয়ে দিতে রলল ৷ দিব্লুজকে
অসুস্থ বলে প্রকাশ করল এবং বলল, অদুষী রকে আমার অবস্থা সম্পর্কে সংর রদুদ দিও’ ৷ প্রেরিত
দুজন ব্লুলাক তখন ফিব্লুর গেলেন এবং অদুমীরের কাছে মুখতাব্লুরর পক্ষ থেকে তার শদুরিরীক
অবস্থার কথদু জানালেন ৷ আমীর৩ দুব্লুদরব্লুক বিশ্বাস করলেন এবং মুখত দুরব্লুক পাকড়দুও করতে
নিষেধ করলেন ৷ এ রছুব্লুরই যখন মুহররম মদুস এলো তখন মুখতদুৱ ইমাম হুসইিন (রা) এর
রক্তের প্রতিশোধ ব্লুনযদুর জন্যে সং গ্রামে নামার মনস্থ করলেন ৷ যখন সে দৃঢ় স০ কল নিল
শীয়দুরা তার কাছে জমাব্লু য়ত হল এবং সৎগ্ৰামে লিপ্ত না হয়ে অন্য সময় সংগ্রাম বল্পা র পুরদুমর্শ
দিল ৷ আর অন্যদিকে তাদের এক দল ব্লুলদু দুকব্লুক মুহাম্মদ ইবনুল হদুনদুফ্রীরদুর্ নিকট্ প্রেরংদু করল
এবং মুখ তদুর্ও তার মিশন সম্পর্কে ৩ দুকে অবহিত করল ৷৩ তারা তার কদুদু;ছ জমাব্লুয়ত হওয়ার
পর মুহাম্মদ ইবনুল হদুনদুফীয়া তদুব্লুদরব্লুক ব্লুয ভ্দুষণ দিদুলনৃ তার সংক্ষিপ্তসার হল, তিনি
তাদেরকে বললেন, আমরা এটা অপছ ন্দ করি না যদি আল্লাহ তা অদুলা তার মদুখলুব্লু কর মধ্য
হতে কাউকে দিয়ে আমাদের সাহায্য সহায়তা করেন ৷ আর তারা এ দলটি যে মুহাম্মদ ইবনুল
হদুনদুফীয়দুর কাছে গমন করে এ সংবাদ মুখতদুরের কাছে ইতিমধ্যে পৌছে যায়৷ যে এটা
অপহুন্দ করল এবং ভর করতে লাগল কেউ না কেউ তার কাছে অসিল সংবাদ পরিবেশন
করে ৷ ব্লুকননদু মুহাম্মদ ইবনুল হদুনদুফীয়দুর অনুমতি ব্যভীতই ন্মুখতদুর সংগ্রামে ব্লুনব্লু মব্লুহু এবং
ম্হদুম্মদ ইবনুল হদুনদুফীয়দুর অনুসারীগংদু ওদুতদুদু বর্ভব্লুনর পুর্বেই ব্লুস সংগ্রামে বাদুপিয়ে পড়তে মনস্থু
করে ৷ সে তার অনুসারীদের জন্যে নঃানঃদুরুপ ছন্দময় বাক্যের মাধ্যমে জ্যানা;বন্ল্পনায় ও
অনুমদুব্লুন কথা বলছিল, যেমন গংদুকরদু ছন্দমফ্ল বদুক্যের মাধ্যমে নদুনদুরুপ অনুমদুব্লুন কথা বলে
থাকে ৷ যা হোক ব্লুশষ পর্যন্ত তার অনুম্যনই বদুম্ভৱ রুপ নিল ৷ এ দলটি যখন মুহাম্মদ ইবনুল
হদুনদুফীনদুর নিকট থেকে ফিরে আসল তখন তার মুহাম্মদ ইবনুল হদুনদুফীয়দুর নিকট থেকে
সম্মতি অর্জন করেছিল এবং মুহাম্মদ ইবনুল হদুনদুফীয়দু তাদেরকে ষুদু বলেছিলেন তা তাঃদু হুবহু
বর্ণনা করল ৷ মুহাম্মদ ইবনুল হদুনদুফীয়দুর; সাথে শীয়দুরা মুখতদুর ইবন অদুবু: উবদুইদকে নিয়ে
; সংগ্রাম করার ব্যাপারটি সম্পর্কে সুনিশ্চিত হল ৷
আবু য়িখনদু র্ফ হতে বর্থি৩ আছে, যে শীয়দু ব্লুন৩ দুরা মুখতদুরব্লুক বলল, তুমি ব্লুজনে ব্লুরথো,
কুফার সর ব্লুনতা আবদুল্লাহ ইবন মুভী র সাথে রব্লু;যব্লুছন এবং তারা সকলে আমাব্লুদর বিরোধী
দল ৷ তবে ইব্রাহীম ইবনু অদুশতদুর আন নদুখয়ী একাই যদি ব্লুতদুমদুর হ্দুব্লুত বদুয়অদু৩ করে
তাহলে অন্য কারো সহযোগিতা আমাদের দরকার হবে না া৩ তাই মুখতার একদল ব্লুলাকব্লুক
তার নিকট প্রেরণ করল যাতে তারা তাকে ইমাম হুসইিন (রা) এর রক্তের প্রতিশোধ্ ব্লুনয়দুর


عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ عَنِ الْكُوفَةِ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ يَزِيدَ، وَإِبْرَاهِيمَ بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ، وَبَعْثَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُطِيعٍ نَائِبًا عَلَيْهَا، وَبَعَثَ الْحَارِثَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ نَائِبًا عَلَى الْبَصْرَةِ. فَلَمَّا دَخَلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُطِيعٍ الْمَخْزُومِيُّ إِلَى الْكُوفَةِ، فِي رَمَضَانَ سَنَةَ خَمْسٍ وَسِتِّينَ، خَطَبَ النَّاسَ، وَقَالَ فِي خُطْبَتِهِ: إِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ أَمَرَنِي أَنْ أَسِيرَ فِيكُمْ بِسِيرَةِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ. فَقَامَ إِلَيْهِ السَّائِبُ بْنُ مَالِكٍ الْأَشْعَرِيُّ فَقَالَ: لَا نَرْضَى إِلَّا بِسِيرَةِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ الَّتِي سَارَ بِهَا فِي بِلَادِنَا، وَلَا نُرِيدُ سِيرَةَ عُثْمَانَ - وَتَكَلَّمَ فِيهِ - وَلَا سِيرَةَ عُمَرَ، وَإِنْ كَانَ لَا يُرِيدُ لِلنَّاسِ إِلَّا خَيْرًا. وَصَدَّقَهُ عَلَى مَا قَالَ بَعْضُ أُمَرَاءِ الشِّيعَةِ، فَسَكَتَ الْأَمِيرُ وَقَالَ: إِنِّي سَأَسِيرُ فِيكُمْ بِمَا تُحِبُّونَ مِنْ ذَلِكَ. وَجَاءَ صَاحِبُ الشُّرْطَةِ، وَهُوَ إِيَاسُ بْنُ مُضَارِبٍ الْعِجْلِيُّ إِلَى ابْنِ مُطِيعٍ فَقَالَ لَهُ: إِنَّ هَذَا الَّذِي رَدَّ عَلَيْكَ مِنْ رُءُوسِ أَصْحَابِ الْمُخْتَارِ، وَلَسْتُ آمَنُ الْمُخْتَارَ، فَابْعَثْ إِلَيْهِ فَارْدُدْهُ إِلَى السِّجْنِ، فَإِنَّ عُيُونِي قَدْ أَخْبَرُونِي أَنَّ أَمْرَهُ قَدِ اسْتَجْمَعَ لَهُ، وَكَأَنَّكَ بِهِ وَقَدْ وَثَبَ بِالْمِصْرِ. فَبَعَثَ إِلَيْهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُطِيعٍ زَائِدَةَ بْنَ قُدَامَةَ، وَأَمِيرًا آخَرَ مَعَهُ، فَدَخَلَا عَلَى الْمُخْتَارِ فَقَالَا لَهُ: أَجِبِ الْأَمِيرَ. فَدَعَا بِثِيَابِهِ وَأَمَرَ بِإِسْرَاجِ
পৃষ্ঠা - ৬৯০০
دَابَّتِهِ، وَتَهَيَّأَ لِلذَّهَابِ مَعَهُمَا، فَقَرَأَ زَائِدَةُ بْنُ قُدَامَةَ {وَإِذْ يَمْكُرُ بِكَ الَّذِينَ كَفَرُوا لِيُثْبِتُوكَ أَوْ يَقْتُلُوكَ أَوْ يُخْرِجُوكَ} [الأنفال: 30] الْآيَةَ. فَأَلْقَى الْمُخْتَارُ نَفْسَهُ وَأَمَرَ بِقَطِيفَةٍ أَنْ تُلْقَى عَلَيْهِ، وَأَظْهَرَ أَنَّهُ مَرِيضٌ، وَقَالَ: أَخْبِرَا الْأَمِيرَ بِحَالِي، فَرَجَعَا إِلَى ابْنِ مُطِيعٍ فَاعْتَذَرَا عَنْهُ، فَصَدَّقَهُمَا وَلَهَا عَنْهُ. فَلَمَّا كَانَ الْمُحَرَّمُ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ عَزْمَ الْمُخْتَارُ عَلَى الْخُرُوجِ لِطَلَبِ ثَأْرِ الْحُسَيْنِ - فِيمَا يَزْعُمُ - فَلَمَّا صَمَّمَ عَلَى ذَلِكَ اجْتَمَعَتْ عَلَيْهِ الشِّيعَةُ وَثَبَّطُوهُ عَنِ الْخُرُوجِ الْآنَ إِلَى وَقْتٍ آخَرَ، ثُمَّ أَنَفَذُوا طَائِفَةً مِنْهُمْ إِلَى مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ يَسْأَلُونَهُ عَنْ أَمْرِ الْمُخْتَارِ وَمَا دَعَاهُمْ إِلَيْهِ، فَلَمَّا اجْتَمَعُوا بِهِ كَانَ مُلَخَّصُ مَا قَالَ لَهُمْ: إِنَّا لَا نَكْرَهُ أَنْ يَنْصُرَنَا اللَّهُ بِمَنْ شَاءَ مِنْ خَلْقِهِ. وَقَدْ كَانَ الْمُخْتَارُ بَلَغَهُ مَخْرَجُهُمْ إِلَى مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ، فَكَرِهَ ذَلِكَ، وَخَشِيَ أَنْ يُكَذِّبَهُ فِيمَا أَخْبَرَ بِهِ عَنْهُ، فَإِنَّهُ لَمْ يَكُنْ بِإِذْنِ مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ، وَهَمَّ بِالْخُرُوجِ قَبْلَ رُجُوعٍ أُولَئِكَ، وَجَعَلَ يَسْجَعُ لَهُمْ سَجْعًا مِنْ سَجْعِ الْكُهَّانِ بِذَلِكَ، ثُمَّ كَانَ الْأَمْرُ عَلَى مَا سَجَعَ بِهِ. فَلَمَّا رَجَعُوا أَخْبَرُوهُ بِمَا قَالَ ابْنُ الْحَنَفِيَّةِ، فَعِنْدَ ذَلِكَ قَوِيَ أَمْرُ الشِّيعَةِ عَلَى الْخُرُوجِ مَعَ الْمُخْتَارِ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ. وَقَدْ رَوَى أَبُو مِخْنَفٍ أَنَّ أُمَرَاءَ الشِّيعَةِ قَالُوا لِلْمُخْتَارِ: اعْلَمْ أَنَّ جَمِيعَ أُمَرَاءِ
পৃষ্ঠা - ৬৯০১


জন্যে যারা প্রস্তুত তাদের দলে তাকে আহ্বান করতে পারে ৷ আর তারা যেন তাকে হযরত
আলী (রা)-এর সাথে তার পিতার সৃসম্পর্কের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে পারে ৷ এ প্রতিনিধি
দলটি যখন ইবরাহীম ইবনু আশতার আন নাখয়ীর নিকট গেল এবং তাকে উপরোক্ত আহবান
জানান্ তখন সে বলল, তােমাদের আহবানে আমি সাড়া দিলাম তবে আমার একটি শর্ত
রয়েছে যে তোমরা আমাকে তোমাদের যাবতীয় কাজের যেতৃতৃ প্রদান করবে ৷ ’ তারা বললেন,
ণ্ন্ কোন রকমে সম্ভব নয় ৷ কেননা ইমাম আল মাহদী মুখতারকে তার সাহায্যকারী ও
তহবনকারী হিসেবে ইতিমধ্যে আমাদের কাছে প্রেরণ করেছেন ৷ তখন ইবরাহীম ইবন
ভ্রপন্ণ্তড়ার নীরব হয়ে গেলেন ৷

তারপর এ প্রতিনিধি দলটি ঘুখতারের কাছে আগমন করে এবং তার কাছে ইবরাহীমের
র্দ্ধভ্রুদ্রুত বংনাি করে ৷ ঘুখতার তিন দিন সেখানে অবস্থান করল ৷ পরে তার দলের কয়েকজন
ন্ভ্র; হ রওয়ানা হল এবং ইবন আশতারের কাছে গিয়ে পৌছল ৷ ইবন আশতার তাকে দেখে
ন্ট্টয় পেল, তাকে সম্মান করল, তাকে শ্রদ্ধা করল এবং তার কাছে সবিনয়ে উপবেশন
করল ৰু তাকে তাদের সাথে সংগ্রামে যোগদান করার জন্যে আহবান জানাল এবং ইবনুল
হনন্ফীয়ার জবানীতে একটি লিখিত পত্র তাকে প্রদান করল ৷ সে পত্রে ইবনুল হানাফীয়া তাকে
তর শ্ন্দ্বযা সাথীদেরসহ সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়ার জন্য আহবান জানিয়েছিলেন ৷ তাকে আহলে
বইট্টতর সহায়তা প্রদান এবং তাদের রক্তের প্রতিশোধ নেয়ার জন্যে তড়াশুক বিশেষভাবে
অনুরোধ জানিয়েছিল ৷ ইবনুল আশতার এ পত্রটি পাওয়ার পর বলল, এর পুর্বে ইবনুল
হত্বনর্ধ্বফীয়ার সম্পর্কে ভিন্ন কথা আমার কাছে পৌছেছে ৷ মুখতার বলল, তখনকার পত্র এবং
এহুন্ন্কর পত্র এক কথা নয় এবং একই রকম গুরুত্বপুর্ণ নয় ৷ ইবনুল আশতার বলল, এমন
কে আছে যে সাক্ষ্য দেবে যে, এটা মুহাম্মদ ইবনুল হানাফীয়ার পত্র ? তখন মুখতারের
ণ্থীপুদর থেকে একটি দল সামনে এগিয়ে আসল এবং এ ব্যাপারে তারা সাক্ষ্য দিল ৷ ইবনুল
ভ্রশাভ্রড়ার তখন নিজের স্থান থেকে উঠে দীড়াল এবং মুখতারকে সেখানে বসাল আর তার হাতে
ন্থহ্বভ্রড়াত করল ৷ তারা তার জন্যে কিছু ফল-ফলাদি আনয়ন করল এবং মধু জাতীয় পানীয়ের
ব,দ্ববন্থ করল ৷

আশ-শাবী (বা) বলেন, আমি সেখানে উপ ত ছিলাম এবং ইবরাহীম ইবন আশতারের
ঐ ভেনিসের যাবতীয় কাজ আমি পর্যবেক্ষণ করছিলাম ৷ যখন মুখতার চলে গেল তখন
ইবরহীম ইবনুল আিশতার আমাকে বলল, হে শাবী ! তারা যে সাক্ষ্য প্রদান করল এ সম্বন্ধে
তোমার অভিমত কি ?’ তখন আমি বললাম, এরা শিক্ষিত লোক, নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ এবং
জনগণের মুখপাত্র, আমি মনে করি তারা যা জানে শুধু তাই তারা সাক্ষ্য দিচ্ছে ৷ ’ ইমাম শাবী
বা ন, তাদের দুর্নাম সম্পর্কে আমার মনে যা কিছু ছিল আমি ইবরাহীম ইবন আশতারের কাছে
তা গোপন রাখলাম ৷ কেননা আমি চাচ্ছিলাম তারা সকলে মিলে যেন হযরত ইমাম হুসাইন
(বা)-এর রক্তের প্রতিশোধ গ্রহণ করুক ৷ তাই আমি তাদের অভিমত অনুসারে মন্তব্য করলাম ৷
তারপর ইবরাহীম মুখতারের কাছে তার ঘরে বারবার দেখা সাক্ষাত করে এবং তার
অনুসারীদের সাথে যেপোযোগ রাখে ৷ তারপর শীআরা সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিল যে, তারা ৬৬
হিজরীর রবীউল আউয়াল মাসের ১৪ তারিখ বৃহস্পতিবার রাতে একযোগে বিদ্রোহ শুরু
করবে ৷ ৰু


الْكُوفَةِ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُطِيعٍ وَهُمْ أَلْبٌ عَلَيْنَا، وَإِنَّهُ إِنْ بَايَعَكَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْأَشْتَرِ النَّخَعِيُّ وَحَدَهُ أَغْنَانَا عَنْ جَمِيعِ مَنْ سِوَاهُ. فَبَعَثَ إِلَيْهِ الْمُخْتَارُ جَمَاعَةً مِنْ أَصْحَابِهِ يَدْعُونَهُ إِلَى الدُّخُولِ مَعَهُمْ فِي الْأَخْذِ بِثَأْرِ الْحُسَيْنِ، وَذَكَّرُوهُ سَابِقَةَ أَبِيهِ مَعَ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَالَ: قَدْ أَجَبْتُكُمْ إِلَى مَا سَأَلْتُمْ، عَلَى أَنْ أَكُونَ أَنَا وَلِيَّ أَمْرِكُمْ. فَقَالُوا: إِنَّ هَذَا لَا يُمْكِنُ؛ لِأَنَّ الْمَهْدِيَّ قَدْ بَعَثَ الْمُخْتَارَ إِلَيْنَا وَزِيرًا لَهُ وَدَاعِيًا إِلَيْهِ. فَسَكَتَ عَنْهُمْ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْأَشْتَرِ، فَرَجَعُوا إِلَى الْمُخْتَارِ فَأَخْبَرُوهُ، فَمَكَثَ ثَلَاثًا ثُمَّ خَرَجَ فِي جَمَاعَةٍ مِنْ رُءُوسِ أَصْحَابِهِ إِلَيْهِ، فَدَخَلَ عَلَى ابْنِ الْأَشْتَرِ فَقَامَ إِلَيْهِ وَاحْتَرَمَهُ وَأَكْرَمَهُ وَجَلَسَ إِلَيْهِ فَدَعَاهُ الْمُخْتَارُ إِلَى الدُّخُولِ مَعَهُمْ، وَأَخْرَجَ لَهُ كِتَابًا عَلَى لِسَانِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ يَدْعُوهُ إِلَى الدُّخُولِ مَعَ أَصْحَابِهِ مِنَ الشِّيعَةِ، فِيمَا قَامُوا فِيهِ مِنْ نُصْرَةِ آلِ بَيْتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَالْأَخْذِ بِثَأْرِ الْحُسَيْنِ. فَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْأَشْتَرِ: إِنَّهُ قَدْ جَاءَتْنِي كُتُبُ مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ بِغَيْرِ هَذَا النِّظَامِ، فَقَالَ الْمُخْتَارُ: إِنَّ هَذَا زَمَانٌ وَذَاكَ زَمَانٌ. فَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْأَشْتَرِ: فَمَنْ يَشْهَدُ أَنَّ هَذَا كِتَابُهُ. فَتَقَدَّمَ جَمَاعَةٌ مِنْ أَصْحَابِ الْمُخْتَارِ فَشَهِدُوا بِذَلِكَ. فَقَامَ ابْنُ الْأَشْتَرِ مِنْ مَجْلِسِهِ وَأَجْلَسَ الْمُخْتَارَ فِيهِ وَبَايَعَهُ، وَدَعَا لَهُمْ بِفَاكِهَةٍ وَشَرَابٍ مِنْ عَسَلٍ. قَالَ الشَّعْبِيُّ - وَكَانَ حَاضِرًا ذَلِكَ مِنْ أَمْرِهِمْ هُوَ وَأَبُوهُ -: فَلَمَّا انْصَرَفَ الْمُخْتَارُ، قَالَ لِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْأَشْتَرِ: يَا شَعْبِيُّ، وَمَاذَا تَرَى فِيمَا شَهِدَ بِهِ هَؤُلَاءِ؟ فَقُلْتُ: إِنَّهُمْ قُرَّاءٌ وَأُمَرَاءٌ وَوُجُوهُ النَّاسِ، وَلَا أَرَاهُمْ يُشْهِدُونَ إِلَّا بِمَا يَعْلَمُونَ. قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৬৯০২


অন্যদিকে ইবনুল মুভী এর কাছে তাদের এ সিদ্ধান্তের কথা পৌছল এবং তারা যা কিছু
পরামর্শ করেছিল তার সব কিছু সম্বন্ধে তিনি অবগত হলেন ৷ তাই তিনি কুফার চারদিকে
পুলিশ প্রেরণ করেন এবং প্ৰ৫৩ তাক পৃলিশ্ব প্রুঘান৫কত তার এলাকা থেকে যেন কেউ ৰিদ্রোহে
যোগদান না করতে পারে তা লক্ষ্য র ৷খৃার জন্যে নির্দেশ দিলেন ৷ মঙ্গলবার দিন রাতের বেলা
ইবরাহীম ইবনুল আশতার সম্প্রদায়ের একশত লোককে নিয়ে মুখতারের ঘরের উদ্দেশ্যে
রওয়ান৷ হয় ৷ তারা তাদের কাপড়ের নীচে যুদ্ধ বর্ম পবি৩ ছিল ৷ ইয়াস ইবন মুদাবির এর
সাথে রাস্তায় ইবরাহীম ইবন আশতার্কো ৫দৰুখা হয় ৷ তখন তিনি তাকে বললেন, ৫হ ইবনুল
আশতার ! এ সময় কোথায় যা৫চ্ছ৷ ? ৫তামার ব্যাপারটি স৫ন্দহজনক মনে হয়, আল্লাহর শপথ ৷
আমি তোমাকে ছাড়ব না যতক্ষণ পর্যন্ত ন ৷৫আমি তামা৫ক আমীরের কাছে নিয়ে বার এবং
তিনি তোমার সম্পর্কে তার সিদ্ধ৷ ৷ন্ত ঘোষণা করবেন ৷ ইবনুল আশতার তখন এক ব্যক্তি হতে
একটি বর্শ৷ হস্তগত করল এবং তার বুকে বিদ্ধ করে ফেলল ৷ তিনি তখন ৰুন্নিচে লুটি৫য় পড়ে
পেলেন ৷
, ইবনুল আশতার এক ব্যক্তিকে হুকুম দিল যেন সে তার মাথাটি কেটে ৫ফলে ৷ এ মস্তকটি
নিয়ে ইবনুল আশতার মুখতারের কাছে গমন করল এবং তার সামনে মস্তকটি রেখে দিল ৷
তাকে তখন মুখতার বলল, আল্লাহ্ তাআলা আপনাকে; শুভ সংবাদ প্রদান করুন ৷ এটা
অবশ্যই শুভ লক্ষণ ৷৩ তারপর ইব্রাহীম মুখ৩ তারকে বলল, আজ৫কই রাতে বিদ্রোহ শুরু হতে ন্ং
হবে ৷ তখন মুখতার অগ্নি প্রজ্জ্বলিত করার আদেশ দিল এবং তার সাথীদেরকে শ্লোগান ঘোষণা
করতে বলল ৷ ইয়৷ মানসুর আম্মিত ! ইয়৷ সারাতি হুসাইন ৷ তারপর মুখতার উঠে পড়ল এবং
যুদ্ধবর্য ও অস্ত্র পরিধান করতে লাগল ও বলতে লাগলশু ং

ইতিমধ্যে সমুজ্জ্বল ধ্বং সাব৫শ্াষগু৫লা, সুস্পষ্ট দুম্া৷লের অধির্কারী সওয়ারীগুল্যে, অতিরিক্ত
ভ্রমণের চাপে ক্ষীণকায় সওয়ারীগুলো জেনে নিয়েছে আমি আগামী দিনই যুদ্ধক্ষেত্রে যোদ্ধাদের
অগ্নবভী দলে যোগ দিচ্ছি’ ৷
মুখতারের সামনে ইবরাহীয় ইবন আশতার সৎগ্নামে বের হয়ে পড়ল ৷ শহরের বিভিন্ন
এলাকায় নিযুক্ত সরকারী শাসক ও গার্ডদেরকে আক্রমন করে তাদের এক এক করে তাদের
জায়গা থেকে উৎখাত করতে লাগল এবং মুথতারের স্লোগান ঘোষণা করতে লাগল ৷ অন্যদিকে
মুখতারও আবু উসমান আন-নাহদীকে প্রেরণ করে তার মাধ্যমে মুখতারের স্পেগান ঘোষণা
করতে লাগল ৷ স্লোগানটি ছিল ইয়৷ সারাতাল হুসাইন অর্থাৎ ৫হ হুসাই৫নর রক্তের প্রতিশোধ্
গ্রহণকারীগণ ! তারপর লোকজন এ স্পেগান শুনে এদিক সেদিক থেকে মুখতারের কাছে এসে
একত্রিত হতে লাগল ৷ শত্রুপক্ষ থেকে মুখতারের প্রতি শাবাস ইবন রিবঈ এগিয়ে আসল এবং
সে ও মুখতার দু’জনে তার ঘরের পাশে ভীষণ যুদ্ধে লিপ্ত হল ৷ মুখতারকে সে অবরুদ্ধ করল ৷
তার সাহায্যে ইবনুল আশ৩ার এগিয়ে আসল এবং মুখতার থেকে শাবাসকে বিতাড়িত করল ৷
শাবাস তাড়া ৫খ৫ব্ল ইবন মুভী এর দিকে প্রত্যাবর্তন করল এবং ইবন মুতী কে বলল যে, তার
, কাছে যেন আযীরদেরকে একত্রিত করা হয় এবং তিনি নিজেও যেন অপরাধ দম,৫ন তত্পর
হন ৷ কেননা মুথতারের ব্যাপারটি শক্তি সঞ্চয় করেছে ও প্রসিদ্ধি লাভ করেছে ৷ প্রত্যন্ত এলাকা



ণোমোঃ(হ্র৫াশ্রোা৪র্নো০ওোড়া৷

وَكَتَمْتُهُ مَا فِي نَفْسِي مِنِ اتِّهَامِهِمْ، وَلَكِنِّي كُنْتُ أُحِبُّ أَنْ يَخْرُجُوا لِلْأَخْذِ بِثَأْرِ الْحُسَيْنِ، وَكُنْتُ عَلَى رَأْيِ الْقَوْمِ. ثُمَّ جَعَلَ إِبْرَاهِيمُ يَخْتَلِفُ إِلَى الْمُخْتَارِ فِي مَنْزِلِهِ هُوَ وَمَنْ أَطَاعَهُ مِنْ قَوْمِهِ، ثُمَّ اتَّفَقَ رَأْيُ الشِّيعَةِ عَلَى أَنْ يَكُونَ خُرُوجُهُمْ لَيْلَةَ الْخَمِيسِ لِأَرْبَعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ ; سَنَةَ سِتٍّ وَسِتِّينَ. وَقَدْ بَلَغَ ابْنَ مُطِيعٍ أَمْرُ الْقَوْمِ وَمَا اشْتَوَرُوا عَلَيْهِ، فَبَعَثَ الشُّرَطَ فِي كُلِّ جَانِبٍ مِنْ جَوَانِبِ الْكُوفَةِ، وَأَلْزَمَ كُلَّ أَمِيرٍ بِحِفْظِ نَاحِيَتِهِ مِنْ أَنْ يَخْرُجَ مِنْهَا أَحَدٌ، فَلَمَّا كَانَ لَيْلَةُ الثُّلَاثَاءِ خَرَجَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْأَشْتَرِ قَاصِدًا إِلَى دَارِ الْمُخْتَارِ فِي مِائَةِ رَجُلٍ مِنْ قَوْمِهِ وَعَلَيْهِمُ الدُّرُوعُ تَحْتَ الْأَقْبِيَةِ، فَلَقِيَهُ إِيَاسُ بْنُ مُضَارِبٍ فَقَالَ لَهُ: أَيْنَ تُرِيدُ يَا ابْنَ الْأَشْتَرِ فِي هَذِهِ السَّاعَةِ؟ إِنَّ أَمَرَكَ لِمُرِيبٌ، فَوَاللَّهِ لَا أَدْعُكَ حَتَّى أُحْضِرَكَ إِلَى الْأَمِيرِ فَيَرَى فِيكَ رَأْيَهُ. فَتَنَاوَلَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْأَشْتَرِ رُمْحًا مِنْ يَدِ رَجُلٍ فَطَعَنَهُ فِي ثُغْرَةِ نَحْرِهِ، فَسَقَطَ وَأَمَرَ رَجُلًا فَاحْتَزَّ رَأْسَهُ، وَذَهَبَ بِهِ إِلَى الْمُخْتَارِ فَأَلْقَاهُ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَقَالَ لَهُ الْمُخْتَارُ بَشَّرَكَ اللَّهُ بِخَيْرٍ، فَهَذَا طَائِرٌ صَالِحٌ. ثُمَّ طَلَبَ إِبْرَاهِيمُ مِنَ الْمُخْتَارِ أَنْ يَخْرُجَ فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ، فَأَمَرَ الْمُخْتَارُ بِالنَّارِ أَنْ تُرْفَعَ، وَأَنْ يُنَادَى بِشِعَارِ أَصْحَابِهِ: يَا مَنْصُورُ أَمِتْ، يَا ثَارَاتِ الْحُسَيْنِ. ثُمَّ نَهَضَ الْمُخْتَارُ فَجَعْلَ يَلْبَسُ دِرْعَهُ وَسِلَاحَهُ وَهُوَ يَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ৬৯০৩
قَدْ عَلِمَتْ بَيْضَاءُ حَسْنَاءُ الطَّلَلْ ... وَاضِحَةُ الْخَدَّيْنِ عَجْزَاءُ الْكَفَلْ أَنِّي غَدَاةَ الرَّوْعِ مِقْدَامٌ بَطَلْ وَخَرَجَ بَيْنَ يَدَيْهِ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْأَشْتَرِ، فَجَعَلَ يَتَقَصَّدُ الْأُمَرَاءَ الْمُوَكَّلِينَ بِنَوَاحِي الْبَلَدِ، فَيَطْرُدُهُمْ عَنْ أَمَاكِنِهِمْ وَاحِدًا وَاحِدًا، وَيُنَادِي بِشِعَارِ الْمُخْتَارِ. وَبَعَثَ الْمُخْتَارُ أَبَا عُثْمَانَ النَّهْدِيَّ فَنَادَى بِشِعَارِ الْمُخْتَارِ: يَا ثَارَاتِ الْحُسَيْنِ. فَاجْتَمَعَ النَّاسُ إِلَيْهِ مِنْ هَاهُنَا وَهَاهُنَا، وَجَاءَ شَبَثُ بْنُ رِبْعِيٍّ فَاقْتَتَلَ هُوَ وَالْمُخْتَارُ عِنْدَ دَارِهِ وَحَصَرَهُ حَتَّى جَاءَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْأَشْتَرِ فَطَرَدَهُ عَنْهُ. فَرَجَعَ شَبَثٌ إِلَى ابْنِ مُطِيعٍ، وَأَشَارَ عَلَيْهِ بِأَنْ يَجْمَعَ الْأُمَرَاءَ إِلَيْهِ، وَأَنْ يَنْهَضَ بِنَفْسِهِ، فَإِنَّ أَمْرَ الْمُخْتَارِ قَدْ قَوِيَ وَاسْتَفْحَلَ، وَجَاءَتِ الشِّيعَةُ مِنْ كُلِّ فَجٍّ عَمِيقٍ إِلَى الْمُخْتَارِ، فَاجْتَمَعَ إِلَيْهِ فِي أَثْنَاءِ اللَّيْلِ قَرِيبٌ مِنْ أَرْبَعَةِ آلَافٍ، فَأَصْبَحَ وَقَدْ عَبَّى جَيْشَهُ وَصَلَّى بِهِمُ الصُّبْحَ، فَقَرَأَ فِيهَا: {وَالنَّازِعَاتِ غَرْقًا} [النازعات: 1] وَ {عَبَسَ وَتَوَلَّى} [عبس: 1] فِي الثَّانِيَةِ. قَالَ بَعْضُ مَنْ سَمِعَهُ: فَمَا سَمِعْتُ إِمَامًا أَفْصَحَ لَهْجَةً مِنْهُ. وَقَدْ جَهَّزَ ابْنُ مُطِيعٍ جَيْشًا؛ ثَلَاثَةَ آلَافٍ عَلَيْهِمْ شَبَثُ بْنُ رِبْعِيٍّ، وَأَرْبَعَةَ آلَافٍ أُخْرَى مَعَ رَاشِدِ بْنِ إِيَاسِ بْنِ مُضَارِبٍ، فَوَجَّهَ الْمُخْتَارُ إِبْرَاهِيمَ بْنَ الْأَشْتَرِ فِي سِتِّمِائَةِ فَارِسٍ وَسِتِّمِائَةِ رَاجِلٍ إِلَى رَاشِدِ بْنِ إِيَاسٍ، وَبَعْثَ نُعَيْمَ بْنَ هُبَيْرَةَ فِي ثَلَاثِمِائَةِ فَارِسٍ وَسِتِّمِائَةِ رَاجِلٍ إِلَى شَبَثِ بْنِ رِبْعِيٍّ. فَأَمَّا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْأَشْتَرِ فَإِنَّهُ هَزَمَ قِرْنَهُ رَاشِدَ
পৃষ্ঠা - ৬৯০৪

০ ৷ ৷ ৷ : ৷ ৷ ৷ :

থেকে শীয়ার৷ মুখতায়ের কাছে আগমন করল এবং রাতের মধ্যে প্রায় চার হাজার লোক তার
কাছে জমায়েত হল ৷ সে তাদেরকে নিয়ে ফজরের সা ৷ত আদায় করল ৷ আর সৈন্যরা সকলে
প্রস্তুত হয়ে গেল ৷ ফজরের সালাতের প্রথম রাকাআতে সে ৷ প্রুণ্,গ্র; ;াগ্রশুএ্া৷এ সুরাটি পাঠ
করল এবং দ্বিতীয় রাকাতে ন্ এ,ণ্, প্রুা; যারা এ সুরাদ্বয় ওনেছিল তাদের কেউ কেউ
বলেন এত সুন্দর লাহানে কোন ইমামকে এত বিশুদ্ধভ৷ ৷বে কিরআত পড়তে আমরা শুনিনি ৷
অন্যদিকে ইবন মুর্তী তার তিন হাজার সৈন্যকে তৈরী করল এবং শাবাস ইবন রিবঈকে
সেনাবাহিনীর সেনাপতি নিযুক্ত করল ৷ অন্য এক সেনাপতি রাশেদ ইবন ইয়াশ ইবন মুদারিব
এর নেতৃত্বে আরো চার হাজার সৈন্যকে তৈরী করল ৷ মুখতার ইবনুল আশতারকে ৬ শত
অশ্বারােহী এবং ৬ শত পদাতিক সৈন্যকে নিয়ে রাশেদ ইবন ইয়াসের মুকাবিলায় প্রেরণ করে ৷
আর নাঈম ইবন সুবাইরাহকে তিন শত অশ্বারোহী ও ছয়শত পদাতিক সৈন্যের সেনাপতি
হিসেবে শাবাস ইবন রিবঈর ঘুকাবিলায় প্রেরণ করে ৷ তারপর ইবনুল আর তার তার শত্রু
রাশেদ ইবন ইয়াসকে পরাজিত করে এবং তাকে হত্যা করে ৷ আর মুখতারের কাছে বিজয়ের
ৎবাদ প্রেরণ করে ৷ নাঈম ইবন সুবাইরাহ শাবাস ইবন রিবঈর সাথে মুকাবিলা করে ৷ শাবাস
তাকে পরাজিত করে ও হত্যা করে ৷ এরপর সে এগিয়ে আসে এবং মুখতা রকে অবরোধ করে ৷
ইবরাহীম ইবনৃল আশতারও তার কাছে আসল তখন হাসান ইবন ফ৷ ৷য়িদ ইবন আল আবসী
হাজার অশ্বারোহী সৈন্য নিয়ে ইবন মুর্তী র পক্ষ থেকে তার মুক৷ ৷বিলার জন্যে এগিয়ে আসে ৷
তারা দুজনে এক ঘন্টা যুদ্ধ করে ৷ ইবরাহীম হাসানকে পরাজিত করে এবং মুখতারের দিকে
রওয়ান৷ হয় ৷ আর দেখে যে, ঘুখতারকে ও তার সেনাবাহিনীকে শ্া৷রাস ইবন রিবঈ অবরুদ্ধ
করে রেখেছে ৷ সে এভাবে রইল যতক্ষণ না ইবরাহীম শএ দ্দেরকে বিতাড়িত করে ও তারা
প্ৰত্যাবর্তন করে ৷
ইবরাহীম মুখঃতারের দিকে মনোযোগ দিল এবং তারা সকলে মিলে কুফার বাইরে অন্যত্র
গমন করল ৷ ইবরাহীম ইবনুল আশতার মুখতারকে বলল, চল, আমরা রাজপ্রাসাদের দিকে
যাই ৷ কেননা ইবন মুতীকে এখন রক্ষা করার মত ওখানে কেউ নেই ৷ তাদের সাথে যা কিছু
মালপত্র ছিল তা তারা সেখানে রাখল এবং সেখানে তাদের দুর্বল সােকদেরকে বসিয়ে রাখল ৷
আর আবু উসমান আন নাহদীকে সেখানে প্রতিনিধি করা হল আর তার কাছে ইবনুল
আশতারকে প্রেরণ করা হল ৷ ঘুখতার তার সেনাবাহিনীকে তৈরী করল এবং রাজপ্রাসাদের
দিকে রওয়ানা হল ৷ এ স বাদ পেয়ে মুর্তী দু’হাজার সৈন্য নিয়ে আমর ইবনুল হ জ্জাজকে
প্রেরণ করল ৷ এদিকে ঘুখতারও ইয়াযীদ ইবন আনাসকে তার দিকে প্রেরণ করল ৷ তখন
ইয়াযীদ ইবন আনাস এবং ইবনুল আশ তার আল-কানাস৷ দরজা দিয়ে কুফার প্রবেশ করে ৷
অন্যদিকে ইবন মুর্তী শিমার ইবন য়ুল জাওশানকে দুহ ৷র সৈন্যসহ প্রেরণ করে ৷ এ
শিমারই হযরত ইমাম হুসাইন (রা) কে হ৩ তা৷ করেছিল ৷ মুখ৩ তার, সা দ ইবন মুনকায আল-
হামাদানীকে তার দিকে প্রেরণ করে আর মুখতার নিজেও রওয়ানা হয়ে শাবাস-এ এর গলি
পর্যন্ত পৌছে ৷
অন্যদিকে নওফল ইবন মাসাহিক ইবন আবদুল্লাহ ইবন মাখরাম৷ পাচ হাজার সৈন্য নিয়ে
প্রস্তুত রইল ৷ ইবন মুর্তী রাজপ্রাসাদ থেকে জনগণের কাছে বেরিয়ে আসল এবং শাবাস ইবন
রারীকে তার প্রতিনিধি নিযুক্ত করল ৷ এখন ইবনুল আশতা র ইবন মাসাহিকের সেনাবাহিনীর
দিকে এগিয়ে আসল ৷ তাদের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ বোধ গেল ৷ এ যুদ্ধে৩ তাওয়াবীন বাহিনীর

আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া-৬১


بْنَ إِيَاسٍ وَقَتْلَهُ وَأَرْسَلَ إِلَى الْمُخْتَارِ يُبَشِّرُهُ، وَأَمَّا نُعَيْمُ بْنُ هُبَيْرَةَ فَإِنَّهُ لَقِيَ شَبَثَ بْنَ رِبْعِيٍّ فَهَزَمَهُ شَبَثُ بْنُ رِبْعِيٍّ وَقَتْلَهُ وَجَاءَ فَأَحَاطَ بِالْمُخْتَارِ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ وَحَصَرَهُ، وَأَقْبَلَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْأَشْتَرِ نَحْوَ الْمُخْتَارِ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، فَاعْتَرَضَ لَهُ حَسَّانُ بْنُ فَائِدِ الْعَبْسِيُّ فِي نَحْوٍ مِنْ أَلْفَيْ فَارِسٍ مِنْ جِهَةِ ابْنِ مُطِيعٍ، فَاقْتَتَلُوا سَاعَةً، فَهَزَمَهُ إِبْرَاهِيمُ، ثُمَّ أَقْبَلَ نَحْوَ الْمُخْتَارِ، فَوَجَدَ شَبَثَ بْنَ رِبْعِيٍّ قَدْ حَصَرَ الْمُخْتَارَ وَجَيْشَهُ، فَمَا زَالَ حَتَّى طَرَدَهُمْ عَنْهُ، وَكَرُّوا رَاجِعِينَ. وَخَلَصَ إِبْرَاهِيمُ إِلَى الْمُخْتَارِ، وَارْتَحَلُوا مِنْ مَكَانِهِمْ ذَلِكَ إِلَى غَيْرِهِ فِي ظَاهِرِ الْكُوفَةِ فَقَالَ لَهُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْأَشْتَرِ: اعْمِدْ بِنَا إِلَى قَصْرِ الْإِمَارَةِ، فَلَيْسَ دُونَهُ أَحَدٌ يَرُدُّ عَنْهُ. فَوَضَعُوا مَا مَعَهُمْ مِنَ الْأَثْقَالِ وَأَجْلَسُوا هُنَالِكَ ضَعَفَةَ الْمَشَايِخِ وَالرِّجَالِ. وَاسْتَخْلَفَ الْمُخْتَارُ عَلَى مَنْ هُنَالِكَ أَبَا عُثْمَانَ النَّهْدِيَّ، وَبَعَثَ بَيْنَ يَدَيْهِ إِبْرَاهِيمَ بْنَ الْأَشْتَرِ، وَعَبَّأَ الْمُخْتَارُ جَيْشَهُ كَمَا كَانَ، وَسَارَ نَحْوَ الْقَصْرِ، فَبَعَثَ ابْنُ مُطِيعٍ عَمْرَو بْنَ الْحَجَّاجِ فِي أَلْفَيْ رَجُلٍ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ الْمُخْتَارُ يَزِيدَ بْنَ أَنَسٍ، وَسَارَ هُوَ وَابْنُ الْأَشْتَرِ أَمَامَهُ حَتَّى دَخَلَ الْكُوفَةَ مِنْ بَابِ الْكُنَاسَةِ، وَأَرْسَلَ ابْنُ مُطِيعٍ شَمِرَ بْنَ ذِي الْجَوْشَنِ - الَّذِي قَتَلَ الْحُسَيْنَ - فِي أَلْفَيْنِ آخَرَيْنِ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ الْمُخْتَارُ سَعِيدَ بْنَ مُنْقِذٍ الْهَمَذَانِيَّ، وَسَارَ الْمُخْتَارُ حَتَّى انْتَهَى إِلَى سِكَّةِ شَبَثٍ، وَإِذَا
পৃষ্ঠা - ৬৯০৫


বর্তমান আমীর রিফাআ ইবন শাদ্দাদ নিহত হয় ৷ আবদুল্লাহ ইবন সা দ ও তার সাথে একটি
দল নিহত হয় ৷ ইবনুল আশতার তাদের প্রতি হামলা করে এবং তাদেরকে পরাজিত করে ৷
ইবন মগােহিকের সওয়ারীর লাগাম পাকড়াও করার পর সে আত্মীয়তার বন্ধনের পরিচয় দেয়ায়
তাকে ছেড়ে দেয় ৷ ভবিষ্যতেও সে ইবনুল আশতারের এ মহানুভবতার কথা তুলতে পারেনি ৷ শ্
মুখতার তার সেনাবাহিনী নিয়ে কানাসার দিকে অগ্রসর হয় ৷ ইবন মুভীকে তার প্রাসাদে
তিনদিন যাবত নজরবন্দী করে রাখে ৷ ইবন মুতীর সাথে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গও বন্দী ছিলেন ৷
তবে আমর ইবন হুরাইস তাদের সাথে ছিলেন না ৷ কেননা তিনি তার ঘারই অবস্থান
করেছিলেন ৷ যখন মুভী এবং তার সাথীদের দুর্দশা চরমে উঠল তখন তিনি তাদের সাথে
পরামর্শ করতে লাগলেন যে, এখন কী করা যায় ? শাবাস ইবন রিবঈ বললেন, ইবন ষুভী
এবং অন্যদের জঃন্য মুখতার থেকে একটি নিরাপত্তানামা সংগ্রহ করা দরকার ৷ এ ব্যাপারে তার
কাছে প্রস্তাব পেশ করা উচিত ৷ ইবন মুভী বললেন, তা আমি কোন দিনও করব না ৷ আমাদের
আমীর তথা আমীরুল মু’মিনীনের প্রতি হিজায ও বসরার জনগণঅনুগত ৷

ইবন মুভীকে তখন বলা হল, তুমি যদি চাও গোপনে চলে যেতে পায় এবং তােমার সাথীর
সাথে মিলিত হতে ৩পার ৷ আর আমরা যে অবস্থায় আছি এ সম্বন্ধে তুমি তাকে অবহিত করতে
পার ৷ ভবিষ্যতে আমরা তার সাহায্য-সহায়তায় এবং তার রাষ্ট্র পরিচালনায় সবসময়
সহযোগিতার মনোভাব পোষণ করব তাও জানাতে পার ৷ যখন রাত হল, ইবনুল ষুভী
গোপনে বের হয়ে পড়লেন এবং আবু মুসা আশআয়ীর ঘরে প্রবেশ করলেন ৷ ভোরবেলায়
সভাসদবর্গ ইবনুল আখতার থেকে নিরাপত্তা চাইলে সে তাদেরকে নিরাপত্তা দেয় ৷ তারা তখন
প্রাসাদ থেকে বের হলেন এবং মুখতারের কাছে আগমন করলেন ৷ মুখতার রাজপ্রাসাদে প্রবেশ
করল এবং সেখানে রাত্রিযাপন করল ৷ অন্যদিকে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মসজিদে ও প্রাসাদের
দরজায় রাত্রিযাপন করল ৷ এরপর মুখত তার মসজিদে প্রবেশ করল ৷ মিম্বরে উগবিষ্ট হল এবং
জনগণের মাঝে একটি অলঙ্কারপুর্ণ বক্তব্য পেশ করল ৷ জনগণকে বায়আত করার জন্যে
আহবান করল এবং বলল, ঐ সভার শপথ ! যিনি আসমানকে করোড্ডা অত্যন্ত সুদৃঢ় ছাদ
এবং যমীনকে করেছেন সুদৃঢ় ও বিন্তুত রাস্তাঘাটে পরিপুর্ণ, তোমরা আমার হাতে যে বায়আত
করেছ তার থেকে সুস্পষ্ট ও সঠিক বায়আত আর কারো হাতে কােনদিন করনি ৷ তারপর

মুখতার মিম্বর হতে অবতরণ করল জনগণের মাঝে প্রবেশ করার এবং তাদের থেকে আল্লাহর

কিতাব ও রাসুল (সা) এর সুন্নাত অনুযায়ী বায়আত গ্রহণ করল ৷ আহলে বায়তের রক্তের
প্রতিশোধ নেয়ার জন্য তাদেরকে আহবান করল ৷

এরপর মুখতারের কাছে এক ব্যক্তি আগমন করল এবং সংবাদ পরিবেশন করল যে, ইবন
মুভী আবু মুসা আশ ৷আরী (রা) এর ঘরে অবস্থান করছে ৷ মুখতার তখন তার কথা না শোনার
ভাল করল ৷ তখন ঐ ব্যক্তি তিনবার তার বক্তৃব্যঢি পেশ করল এবং অবশেষে নীরব হয়ে
গেল ৷ যখন রাত এলো তখন মুখতার ইবন মুভী র কাছে লোক মারফত এক লাখ দিরহাম
প্রেরণ করল এবং তাকে বলল, তৃমি চলে যাও ৷ আমি তোমার স্থান দখল করে নিয়েছি ৷ ’ (এর
পুর্বে সে তার বন্ধু ছিল) ইবন মুভী বসরার চলে গেলেন কিন্তু পরাজিত অবস্থায় ইবন ন্ন্যুবাইর
(রা)-এর কাছে ফিরে যেতে অপছন্দ করলেন ৷

এদিকে মুখতার জনগণের প্রতি সদ্ব্যবহার দ্বারা অত্যন্ত প্রিয়পাত্র হতে লাগল ৷ সরকারী
কোষাগার হতে নব্বই লক্ষ দিরহাম হস্তগত করল ৷ তার সাথে যে সব সৈন্য উপস্থিত ছিল


نَوْفَلُ بْنُ مُسَاحِقِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَخْرَمَةَ فِي خَمْسَةِ آلَافٍ، وَخَرَجَ ابْنُ مُطِيعٍ مِنَ الْقَصْرِ فِي النَّاسِ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَيْهِ شَبَثَ بْنَ رِبْعِيٍّ، فَتَقَدَّمَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْأَشْتَرِ إِلَى الْجَيْشِ الَّذِي مَعَ نَوْفَلِ بْنِ مُسَاحِقٍ. فَهَزَمَهُمْ وَأَخَذَ بِلِجَامِ دَابَّةِ ابْنِ مُسَاحِقٍ فَمَتَّ إِلَيْهِ بِالْقَرَابَةِ، فَأَطْلَقَهُ، فَكَّانِ لَا يَنْسَاهَا بَعْدُ لِابْنِ الْأَشْتَرِ. ثُمَّ تَقَدَّمَ الْمُخْتَارُ بِجَيْشِهِ إِلَى الْكُنَاسَةِ وَحَصَرُوا ابْنَ مُطِيعٍ بِقَصْرِهِ ثَلَاثًا، وَمَعَهُ أَشْرَافُ النَّاسِ سِوَى عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ، فَإِنَّهُ لَزِمَ دَارَهُ، فَلَمَّا ضَاقَ الْحَالُ عَلَى ابْنِ مُطِيعٍ وَأَصْحَابِهِ اسْتَشَارَهُمْ فَأَشَارَ عَلَيْهِ شَبَثُ بْنُ رِبْعِيٍّ أَنْ يَأْخُذَ لَهُ وَلَهُمْ مِنَ الْمُخْتَارِ أَمَانًا، فَقَالَ: مَا كُنْتُ لِأَفْعَلَ هَذَا وَأَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ مُطَاعٌ بِالْحِجَازِ وَبِالْبَصْرَةِ. فَقَالَ لَهُ: فَإِنْ رَأَيْتَ أَنْ تَذْهَبَ بِنَفْسِكَ مُخْتَفِيًا حَتَّى تَلْحَقَ بِصَاحِبِكَ فَتُخْبِرَهُ بِمَا كَانَ مِنَ الْأَمْرِ، وَبِمَا كَانَ مِنَّا فِي نَصْرِهِ وَإِقَامَةِ دَوْلَتِهِ. فَلَمَّا كَانَ اللَّيْلُ خَرَجَ ابْنُ مُطِيعٍ مُخْتَفِيًا حَتَّى دَخَلَ دَارَ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ، فَلَمَّا أَصْبَحَ النَّاسُ أَخْذَ الْأُمَرَاءُ لَهُمْ أَمَانًا مِنْ أَمِيرِهِمُ ابْنِ الْأَشْتَرِ فَأَمَّنَهُمْ، فَخَرَجُوا مِنَ الْقَصْرِ وَجَاءُوا إِلَى الْمُخْتَارِ فَبَايَعُوهُ، وَجَاءَ الْمُخْتَارُ فَدَخْلَ الْقَصْرَ فَبَاتَ فِيهِ، وَأَصْبَحَ أَشْرَافُ النَّاسِ فِي الْمَسْجِدِ وَعَلَى بَابِ الْقَصْرِ، فَخَرَجَ الْمُخْتَارُ إِلَى الْمَسْجِدِ فَصَعِدَ الْمِنْبَرَ وَخَطَبَ النَّاسَ خُطْبَةً بَلِيغَةً، ثُمَّ دَعَا النَّاسَ إِلَى الْبَيْعَةِ وَقَالَ: فَوَالَّذِي جَعَلَ السَّمَاءَ سَقْفًا مَكْفُوفًا وَالْأَرْضَ فِجَاجًا سُبُلًا، مَا بَايَعْتُمْ بَعْدَ بَيْعَةِ عَلِيٍّ أَهْدَى مِنْهَا، ثُمَّ نَزَلَ فَدَخَلَ وَدَخَلَ النَّاسُ يُبَايِعُونَهُ عَلَى كِتَابِ اللَّهِ وَسُنَّةِ رَسُولِهِ، وَالطَّلَبِ بِثَأْرِ الْحُسَيْنِ وَأَهْلِ الْبَيْتِ، وَجَاءَ رَجُلٌ إِلَى الْمُخْتَارِ فَأَخْبَرَهُ أَنَّ ابْنَ مُطِيعٍ فِي دَارِ أَبِي مُوسَى،
পৃষ্ঠা - ৬৯০৬


তাদের সকলকে প্রচুর পরিমাণ অর্থকড়ি প্রদান করল এবং আবদুল্লাহ ইবন কামিল আল
ইয়াশকুরীকে পুলিশ অফিসার নিযুক্ত করল ৷ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিকটবর্তী করল ৷ তারা
তার সভাসদবর্গ হিসেবে পরিগণিত হলেন ৷ এতে দাস বংশের লোকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠল যারা
তাকে সদাসর্বদ৷ সাহায্য-সহায়তা করত ৷ তারা তার দেহরক্ষী আবু আম্মার৷ কাইসানকে
(ওজাইনার আযাদকৃত গোলাম) বলল, তাকে হত্যা করার জন্য এগিয়ে যাও ৷ আল্লাহর শপথ ৷
আবু ইসহাক (মুখতার) আরবদেরকে অগ্নাধিকার দিয়েছে এবং আমাদেরকে প্রত্যাখ্যান
করেছে ৷ আবু আম্মার৷ ৷অস্বীকার করলেন এবং বললেন, না, বরং তারা আমাদের এবং
আমরাও তাদের ৷ তারপর বলেন, সুরায়ে সাজদা৪ ২২ আল্লাহ তা আলা ইরশ ৷৷দ করেন৪ ৷ণ্া
অবশ্যই অপরাধীদেরকে শাস্তি দিয়ে থাকি ৷ আবু
আম্মার৷ তাদেরকে আরো বলেন তামর৷ সন্তুষ্ট হয়ে যাও ৷ কেননা তিনি তােমাদেরকে
দলপতির আসনে আসীন করাবেন এবং তে ৷মাদেরকে নিকটবর্তীও করবেন ৷’ এ মন্তব্যটি
তাদের কাছে খুব ভাল লাগল এবং তারা নীরব হয়ে গেল ৷

তারপর মুখতার ইরাক ও খুরাসান ভুখণ্ডের বিভিন্ন এলাকায়, শহরে ও প্রদেশে আমীর
প্রেরণ করে ৷ ঝাণ্ডা উত্তোলন করে ৷ বিভিন্ন ব্যজিংর্পকে শাসনক্ষমতা প্রদান ও বিভিন্ন এলাকার
দায়িত্বভার অর্পণ ইত্যাদি কার্যসমুহ সুসম্পন্ন ক্যাতে লাগল ৷ লোকজনকে নিয়ে সকাল ও
বিকালে দররার অনুষ্ঠিত করতে লাগল ৷ তাদের মাঝে সিদ্ধান্ত দিতে লাগল ৷ যখন এ
কাজগুলো ব্যাপক আকার ধারণ করল তখন সে শুরইিহকে কাজী নিযুক্ত করে ৷ শীআদের
একটি দল শুরইিহ সম্বন্ধে আপত্তি উত্থাপন করল এবং বলল, তিনি হুজর ইবন আদীর বিপক্ষে
সাক্ষ্য দেন ৷ তিনি হানী ইবন উরওয়ার কাছে পৌছান নি, যেমন তাকে সেখানে পাঠ নো
হয়েছিল এবং আলী ইবন আবু তালিব (রা) তাকে বিচার বিভাগ থেকে বরখাস্ত করেছিলেন ৷
শুরাইহ যখন এরুপ অভিযোগের কথা শুনলেন, তখন তিনি অসুস্থতার ডান করলেন এবং
নিজের ঘরে অবস্থান করতে লাগলেন ৷ তারপর মুখতার তার স্থলে আবদুল্লাহ ইবন উতব৷ ইবন
মাসউদঃক কাজী নিয়োগ করে পরে তাকে বরখাস্ত করে এবং তার স্থলে আবদুল্লাহ ইবন
মালিক আত্তায়ীকে কাজী নিযুক্ত করে ৷

তারপর মুখতার হযরত ইমাম হুস্াইন (রা) এর হত্যাকারীদেরশুক খুজতে লাগল এবং ভদ্র

অভদ্র যাকে পেল তাকেই হত্যা ক্যাল ৷ মুখতারের এরুপ করার কারণ ছিল নিম্নরুপ০

উবইিদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদকে মারওয়ান দামেশৃক হতে সুসজ্জিত করে কুফার প্রেরণ করে
এবং নির্দেশ দেয় যদি সে কুফা জয়লাভ করতে পারে তাহলে সে যেন সেখানে তিনদিন যাবত
নরহত্যা চালু রা খে ৷ তাই উৰাইদুল্লাহ্ৰুইবন যিয়াদ কুফার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হল ৷ রাস্তায় সে
জইিশুত তাওয়াবীনের সাথে দেখা পায় এবং তাদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় ৷ যেমনটি বর্ণিত
হয়েছে ৷ তারপর সে আইনে ওয়ারদার হত্যাকাণ্ডের পর অগ্রসর হতে থাকে এবং আল-জাযীরা
(ইরাক) পৌছে ৷ সেখানে সে কইিসে গাইলান গোত্রের সাথে মুখোমুখি হয় ৷ আর তারা ছিল
আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) এর সাহায্যকারীদের অন্তর্ভুক্ত ৷ অন্যদিকে মারজ রাহিতের দিন
মারওয়ান তুমুল সংঘর্ষের সম্মুখীন হয় ৷ তবে শত্রুগণ তার বিরুদ্ধে, পরবর্তীতে তার পুত্র
আবদুল মালিকের বিরুদ্ধে সংগ্রামে লিপ্ত ছিল ৷ উবাইদৃল্লাহ্ যেহেতু কইিসে গাইলানের সাথে
যুদ্ধে মপ্ন ছিল সেহেতু সে মারজ রাহিতের যুদ্ধ থেকে বিরত ছিল এবং ঘুসেলে০ গিয়ে এরপর
পৌছল ৷ আর সেখানের নায়িবকে তিকরীতে র দিকে বিতাড়িত করল ৷


فَأَرَاهُ أَنَّهُ لَا يَسْمَعُ قَوْلَهُ، حَتَّى كَرَّرَ ذَلِكَ ثَلَاثًا، كُلُّ ذَلِكَ يُرِيهِ أَنَّهُ لَا يَسْمَعُ قَوْلَهُ. فَسَكَتَ الرَّجُلُ، فَلَمَّا كَانَ اللَّيْلُ بَعْثَ الْمُخْتَارُ إِلَى ابْنِ مُطِيعٍ بِمِائَةِ أَلْفِ دِرْهَمٍ وَقَالَ لَهُ: اذْهَبْ فَقَدْ أُخْبِرْتُ بِمَكَانِكَ، - وَكَانَ لَهُ صَدِيقًا قَبْلَ ذَلِكَ - فَذَهَبَ ابْنُ مُطِيعٍ إِلَى الْبَصْرَةِ وَكْرِهَ أَنْ يَرْجِعَ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ وَهُوَ مَغْلُوبٌ. وَشَرَعَ الْمُخْتَارُ يَتَحَبَّبُ إِلَى النَّاسِ بِحُسْنِ السِّيرَةِ وَوَجَدَ فِي بَيْتِ الْمَالِ تِسْعَةَ آلَافِ أَلْفٍ، فَأَعْطَى الْجَيْشَ الَّذِينَ حَضَرُوا مَعَهُ الْقِتَالَ نَفَقَاتٍ كَثِيرَةً. وَاسْتَعْمَلَ عَلَى شُرْطَتِهِ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ كَامِلٍ الشَّاكِرِيَّ، وَقَرَّبَ أَشْرَافَ النَّاسِ فَكَانُوا جُلَسَاءَهُ، فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَى الْمَوَالِي الَّذِينَ قَامُوا بِنَصْرِهِ، وَقَالُوا لِأَبِي عَمْرَةَ كِيسَانَ مَوْلَى عُرَيْنَةَ، وَكَانَ عَلَى حَرَسِهِ: قَدَّمَ وَاللَّهِ أَبُو إِسْحَاقَ الْعَرَبَ وَتَرَكَنَا، فَأَنْهَى ذَلِكَ أَبُو عَمْرَةَ إِلَيْهِ، فَقَالَ: بَلْ هُمْ مِنِّي وَأَنَا مِنْهُمْ، ثُمَّ قَالَ {إِنَّا مِنَ الْمُجْرِمِينَ مُنْتَقِمُونَ} [السجدة: 22] فَقَالَ لَهُمْ أَبُو عَمْرَةَ: أَبْشِرُوا فَإِنَّهُ سَيَقْتُلُهُمْ وَيُقَرِّبُكُمْ فَأَعْجَبَهُمْ ذَلِكَ وَسَكَتُوا. ثُمَّ إِنَّ الْمُخْتَارَ بَعَثَ الْأُمَرَاءَ إِلَى النَّوَاحِي وَالْبُلْدَانِ وَالْأَقَالِيمِ وَالرَّسَاتِيقِ مِنْ أَرْضِ الْعِرَاقِ وَخُرَاسَانَ، وَعَقَدَ الْأَلْوِيَةَ وَالرَّايَاتِ. وَقَرَّرَ الْإِمَارَةَ وَالْوِلَايَاتِ، وَجَعَلَ يَجْلِسُ لِلنَّاسِ غُدْوَةً وَعَشِيَّةً يَحْكُمُ بَيْنَهُمْ فَلَمَّا طَالَ ذَلِكَ عَلَيْهِ اسْتَقْضَى شُرَيْحًا،
পৃষ্ঠা - ৬৯০৭
فَتَكَلَّمَ فِي شُرَيْحٍ طَائِفَةٌ مِنَ الشِّيعَةِ، وَقَالُوا إِنَّهُ شَهِدَ عَلَى حُجْرِ بْنِ عَدِيٍّ، وَإِنَّهُ لَمْ يُبَلِّغْ عَنْ هَانِئِ بْنِ عُرْوَةَ مَا أَرْسَلَهُ بِهِ، وَقَدْ كَانَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ عَزَلَهُ عَنِ الْقَضَاءِ، فَلَمَّا بَلَغَ شُرَيْحًا ذَلِكَ تَمَارَضَ وَلَزِمَ بَيْتَهُ، فَجَعَلَ الْمُخْتَارُ مَكَانَهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، ثُمَّ عَزَلَهُ وَجَعَلَ مَكَانَهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَالِكٍ الطَّائِيَّ قَاضِيًا. [تَتْبُّعُ الْمُخْتَارِ لِقَتَلَةِ الْحُسَيْنِ] فَصْلٌ (تَتَبُّعُ الْمُخْتَارِ لِقَتَلَةِ الْحُسَيْنِ) ثُمَّ شَرَعَ الْمُخْتَارُ يَتَتَبَّعُ قَتَلَةَ الْحُسَيْنِ مِنْ شَرِيفٍ وَوَضِيعٍ فَيَقْتُلُهُ، وَكَانَ سَبَبُ ذَلِكَ أَنْ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ زِيَادٍ كَانَ قَدْ جَهَّزَهُ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ مِنْ دِمَشْقَ لِيَدْخُلَ الْكُوفَةَ، فَإِنْ هُوَ ظَفِرَ بِهَا فَلْيُبِحْهَا ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، وَجَعَلَ لَهُ مَا غَلَبَ عَلَيْهِ مِنَ الْبِلَادِ، فَسَارَ ابْنُ زِيَادٍ قَاصِدًا الْكُوفَةَ فَلَقِيَ جَيْشَ التَّوَّابِينَ بِعَيْنِ الْوَرْدَةِ - كَمَا ذَكَرْنَا - ثُمَّ سَارَ حَتَّى انْتَهَى إِلَى الْجَزِيرَةِ فَوَجَدَ بِهَا قَيْسَ عَيْلَانَ، وَهُوَ مِنْ أَنْصَارِ ابْنِ الزُّبَيْرِ، وَقَدْ كَانَ مَرْوَانُ أَصَابَ مِنْهُمْ قَتْلَى كَثِيرَةً يَوْمَ مَرْجِ رَاهِطٍ، وَهُمْ أَلْبٌ عَلَيْهِ، وَعَلَى ابْنِهِ عَبْدِ الْمَلِكِ مِنْ بَعْدِهِ، فَتَعَوَّقَ عَنِ الْمَسِيرِ سَنَةً وَهُوَ مُحَاصِرٌ قَيْسَ عَيْلَانَ بِالْجَزِيرَةِ، ثُمَّ وَصَلَ إِلَى الْمَوْصِلِ، فَانْحَازَ نَائِبُهَا عَنْهُ إِلَى تَكْرِيتَ، وَكَتَبَ
পৃষ্ঠা - ৬৯০৮
৪৮৪ আল-ৰিদায়া ওয়ান নিহায়া

উক্ত ঘটনা সম্বন্ধে অবগত করানোর জন্যে সে মুখতারের কাছে একটি পত্র লিখে ৷ তখন
মুখতার ইয়াযীদ ইবন আনাসকে তিন হাজার সৈন্যসহ প্রেরণ করে আর তাকে বলে, “তুমি
যাও, আমি তোমাকে বারংবার জনবল দিয়ে সাহা ৷ করব ৷’ ইয়াযীদ তখন তাকে বলল,
আমাকে তুমি শুধু দুআর দ্বারা সাহায্য করলেই চলবে ৷ জনবলের কোন সাহায্যের প্রয়োজন
নেই ৷ মুয়তার ইয়াযীদকে বিদায় দেয়ার জন্যে তার সাথে কুফার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত গমন করে

তাকে বিদায় দান করে এবং তার জন্যে দু আ করে ও তাকে বলে, প্রতিদিন আমার কাছে যেন

তোমার সংবাদ পৌছে ৷ আর যখন তুমি দুশমনের সাথে মুকাবিলা করবে তখন তাকে মবণ
আঘাত হানবে, শত্রুকে কোন প্রকার ফুরসৎ দিয়ে বা ৷

ইবন যিয়াদ যখন শত্রুর সন্নিকটে পৌছল তখন সে দু’টি বিশেষ দলকে বিন্যস্ত করে ৷
একটি দলের প্রধান হল রাবীআ ইবন মুখারিক ৷ আর তার সৈন্য সংখ্যা হল তিন হাজার ৷
অন্য একটি দলের প্রধান হল আবদুল্লাহ্ ইবন হামালা ৷ তার সৈন্য সংখ্যাও তিন হাজার ৷
তারপর যে এ দু বিশেষ সৈন্যদলের প্রধানদ্বয়কে বলল, তোমাদের এ দুজনের মধ্যে যে
হবে অগ্রগামী সে ই হবে আমীর ৷ আর যদি প্রতিযোগিতায় দু’জনেই বরাবর হও তাহলে
তোমাদের মধ্যে যে বয়সে বড় সেশ্ই হবে আমীর ৷ রাবীআ ইবন মুখারিক ইয়াষীদ ইবন
আনাসেব দিকে অগ্রসর হল এবং তারা দুজনেই কুফার সংলগ্ন গুমুসেল ভুখণ্ডের এ পার্শে
পরস্পর মিলিত হল ৷ তারা একে অন্যের মুখোমুখি অবস্থান নিল ৷ ইয়াষীদ ইবন আনাস
ছিলেন অ৩ ম্ভে অসুস্থ ৷ তিনি তা সত্বেও সম্প্রদায়ের সোকদেরকে জিহাদের জন্য উৎসা৩
করছিলেন এবং জিহাদের ময়দানে চতুর্দিকে ঐকাস্তিক পর্যবেক্ষক হিসেবে প্রদক্ষিণ
করছিলেন এবং জনগণকে বলছিলেন, যদি আমি মারা পড়ি তাহলে তোমাদের আমীর
হবেন আবদুল্লাহ্ ইবন দামরা আল-ফাষারী ৷ যে এখন মইিমানার (ডান বাহুর) প্রধান ৷
আর যদি সেও মারা পড়ে তাহলে তোমাদের প্রধান হবেন মুসইব ইবন আবু মুসইর ৷ যে
এখন মাইসারার (বাম বাহুর) প্রধান ৷

ওয়ারাকা ইবন খালিদ আল-আসাদী ছিলেন অশ্বারােহীদের প্রধান ৷ আর তারা এ চারজন
ছিলেন সেনাবাহিনীর প্রধান কর্মকর্তা ৷ ৬৬ হিজরীর আরাফাতের দিন সকালে তারান্ন্সিরিয়ার
সৈন্যদের সাথে তুমুল যুদ্ধে লিপ্ত হয় ৷ উভয় সৈন্যদলের ডান ও বাম বাহু ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় ৷
তারপর ওয়ারাকা শ্াত্রু সৈন্যদের অশ্বারােহীদের উপর হামলা চালায় ও তাদেরকে পরাজিত
করে ৷ তাই সিরিয়ার সৈন্যরা পালিয়ে প্রাণরক্ষা করতে বাধ্য হয় ৷ তাদের আমীর রাবীআ ইবন
মুখারিক নিহত হয় ৷ সিরিয়ানদের সেনা ছাউনিতে যা কিছু পাওয়া গেল মুখতারের সৈন্যরা হস্ত
গত করে নেয় ৷ পালিয়ে যাওয়া সৈন্যরা প্রত্যাবর্তন করে, তাদের দ্বিতীয় আমীর আবদুল্লাহ
ইবন হামালার সাথে মিলিত হয় ৷ আমীর তখন বলেন, তোমাদের সংবাদ কী ? তারা তাকে
সংবাদ দেয় ৷ তিনি তখন তাদেরকে নিয়ে প্রত্যাবর্তন করেন এবং ইয়াষীদ ইবন আনাসের
’ দিকে রওয়ানা হন ৷ ইশার সময় তারা সেখানে পৌছেন ৷ জনগণ খুব ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে রাত
কটিাল ৷ “সকাল বেলাতারা সেনাবাহিনীর আগমন ও প্রস্থান সম্বন্ধে অবগত হল আর এ
ন্ ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছিল ৬৬ হিজরীর কুরবানীর ঈদের দিনে ৷ দৃ’ভৈসন্যদলের মধ্যে প্রচণ্ড যুদ্ধ

বাধল ৷ যুখত তারের সেনাবাহিনী সিরিয়ার সেনাবাহিনীকে পরাজিত করল ৷ তারা শত্রুদের আমীর

আবদুল্লাহ্ ইবন হামালাকে হত্যা করে তাদের সেনা ছাউনিতে যা কিছু ছিল তা হস্তগত করল ৷
আর তাদের তিনশত সৈন্যকে বন্দী করল এবং এদেরকে নিয়ে সেনাবাহিনীর লোকেরা ইয়াষীদ


إِلَى الْمُخْتَارِ يُعْلِمُهُ بِذَلِكَ، فَنَدَبَ الْمُخْتَارُ يَزِيدَ بْنَ أَنَسٍ فِي ثَلَاثَةِ آلَافٍ اخْتَارَهَا، وَقَالَ لَهُ: إِنِّي سَأُمِدُّكَ بِالرِّجَالِ بَعْدَ الرِّجَالِ. فَقَالَ لَهُ لَا تُمِدَّنِي إِلَّا بِالدُّعَاءِ، وَخَرَجَ مَعَهُ الْمُخْتَارُ إِلَى ظَاهِرِ الْكُوفَةِ فَوَدَّعَهُ وَدَعَا لَهُ، وَقَالَ لَهُ: لِيَكُنْ خَبَرُكَ فِي كُلِّ يَوْمٍ عِنْدِي، وَإِذَا لَقِيتَ عَدُوَّكَ فَنَاجِزْهُمْ، وَلَا تُؤَخِّرْ فُرْصَةً. وَلَمَّا بَلَغَ خَبَرُ مَخْرَجِهِمْ مِنَ الْكُوفَةِ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ زِيَادٍ جَهَّزَ بَيْنَ يَدَيْهِ سَرِيَّتَيْنِ إِحْدَاهُمَا مَعَ رَبِيعَةَ بْنِ مُخَارِقٍ ثَلَاثَةُ آلَافٍ، وَالْأُخْرَى مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَمْلَةَ ثَلَاثَةُ آلَافٍ، وَقَالَ: أَيُّكُمْ سَبَقَ فَهُوَ الْأَمِيرُ، وَإِنْ سَبَقْتُمَا مَعًا فَالْأَمِيرُ عَلَى النَّاسِ أَسَنُّكُمَا، فَسَبَقَ رَبِيعَةُ بْنُ مُخَارِقٍ إِلَى يَزِيدَ بْنِ أَنَسٍ فَالْتَقَيَا فِي طَرَفِ أَرْضِ الْمَوْصِلِ مِمَّا يَلِي الْكُوفَةَ، فَتَوَاقَفَا هُنَالِكَ، وَيَزِيدُ بْنُ أَنَسٍ مَرِيضٌ مُدْنَفٌ، وَهُوَ مَعَ ذَلِكَ يُحَرِّضُ قَوْمَهُ عَلَى الْجِهَادِ وَيَدُورُ عَلَى الْأَرْبَاعِ وَهُوَ مَحْمُولٌ مُضْنًى رَاكِبٌ عَلَى حِمَارٍ، وَهُوَ يَقُولُ لِقَوْمِهِ: يَا شُرْطَةَ اللَّهِ، اصْبِرُوا تُؤَجَرُوا، وَقَاتِلُوا عَدُوَّكُمْ تَظْفَرُوا، ثُمَّ نَزَلَ فَوُضِعَ لَهُ سَرِيرُهُ بَيْنَ الصَّفَّيْنِ، وَقَالَ لِقَوْمِهِ: قَاتِلُوا عَنْ أَمِيرِكُمْ إِنْ شِئْتُمْ أَوْ فِرُّوا عَنْهُ، وَقَالَ لِلنَّاسِ: إِنْ هَلَكْتُ فَالْأَمِيرُ عَلَى النَّاسِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ضَمْرَةَ الْعُذْرِيُّ رَأْسُ الْمَيْمَنَةِ، فَإِنْ هَلَكَ فَسِعْرُ بْنُ أَبِي سِعْرٍ رَأْسُ الْمَيْسَرَةِ. وَكَانَ وَرْقَاءُ بْنُ عَازِبٍ الْأَسَدِيُّ عَلَى الْخَيْلِ، وَهُوَ وَهَؤُلَاءِ، الثَّلَاثَةُ أُمَرَاءُ
পৃষ্ঠা - ৬৯০৯


ইবন আমাদের কাছে আগমন করল ৷ ইয়াযীদ ইবন আনাস আহত অবস্থায় মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে
কাতরাচ্ছি৫লন ৷ তিনি বন্দী৫দৃর৫ক হত্যা করার জন্যে হুকুম দিলেন ৷
৫সইদিনই ইয়াযীদ ইবন অ ৷নাস মৃত্যুযু৫খ পতিত হলেন ৷ তার জানাযার সালাত পড়ান তারই
নায়িব ওয়ারাকা ইবন আমির ৷ তিনি ত কে দাফন৩ করেন এবং তার নিজের সাথীদের কাছে
লজ্জিত তার মর্যাদা ক্ষুগ্ন হয় ৷ তার সাথীরা গোপনে কুফার দিকে প্রত্যাবর্তন করার মনস্থ করল ৷
ওয়ারাকা তাদেরকে বললেন, হে আমার সম্প্রদায়ের লোকেরা ৷ তোমাদের অভিমত কী ? আমার
কাছে এ সংবাদ পৌছেছে যে, ইবন যিয়দি ৮০ হাজার সিরিয়াল সৈন্য নিয়ে এগিয়ে আসছে ৷
আমি মনে করি তাদের মুকাবিলা করার জন্যে৫ আমাদের শক্তি ৫নই ৷ আর আমাদের আমীরও
নিহত ৩হয়ে৫ছন ৷ আবার আমাদের কিছু সংখ্যক সৈন্যও ছত্রভঙ্গ হয়ে গিয়েছে ৷ তইি এখন যদি
আমরা আমাদের শহরে প্রত্যাবর্তন করি আর প্রকাশ করি যে, আমরা আমাদের আমীরের জন্য
দুঃখিত হয়ে প্রত্যাবর্তন করেছি তাহলে এটা আমাদের জন্য শত্রুর সাথে মুকাবিলা করে
পরাজিত হয়ে প্রত্যাবর্তন করার চইিতে ৫শ্রয় নয় কি ? শেষ পর্যন্ত আমীরপণ এ কথার উপরে
সিদ্ধান্ত নেন এবং তারা কুফার প্রত্যাবর্তন করেন ৷ যখন কুফাবাসীদের কাছে তাদের
প্রত্যাবর্ত৫নর খবর ও ইয়াযীদ ইবন আনাসের মৃত্যুর খবর পৌছে তখন কুফাবাসীরা মুখতারকে
নিয়ে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে ৷ তারা বলতে লাগে, ৫হ কুফাবাসীরা ইয়াযীদ ইবন আনাস
যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত হয়েছেন ৷ তার পরাজিত সৈন্যরা প্রত্যাবর্তন করেছে, তাই অচিরেই তোমাদের
কাছে ইবন যিয়াদ আগমন করবে, ৫তামাদের৫ক নির্মুল করবে ও তোমাদের ক্ষেত-খামার ধ্বংস
করে ফেল বে ৷’

তারপর তারা মুখতা৫রর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার সিদ্ধান্ত নিল আর বলতে লাগল, মুখতার
মিথ্যাবাদী ৷’ তাই তারা মুখতা৫রর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য এবং তাকে তাদের মধ্য হতে
বহিষ্কার করার জন্যে ঐকমত্যে পৌছে ৷ তারা বিশ্বাস করে যে, যুখতার তাদের গণ্যমান্য
ব্যক্তিব৫র্গব উপর দাসদেরকে প্রাধান্য দিয়েছে ৷ আর মুখতার মনে করে যে, ইবনুল হানাফিয়্যা
হযরত ইমাম হুসায়ন (ব্রা)-এর রক্তের প্রতিশোধ নেয়ার জন্যে তাকে নির্দেশ দিয়েছেন ৷ অথচ
তিনি তাকে এ ধরনের কোন নির্দেশ প্রদান করেন নি ৷ মুখতাব এসব কথা নিজে রচনা করেছে

, বলে তারা বিশ্বাস করে ৷;ন্ র্ট৩ ভাই ৩ ৷ব৷ তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার জন্যে ইব্রাহীম ইবন আখতার

কুফা থেকে বের হয়ে যাওয়ার অ৫পক্ষ৷ করতে লাগল ৷ মুখতার তাকে নিয়োগ দিয়েজ্যি যাতে
৫স সাত হাজার সৈন্য নিয়ে ইবন ষিয়াদের বিরুদ্ধে মুকাবিলায় জন্যে বের হয়ে পড়ে ৷ তাই
ইবনুল আশ৩ ৷র যখন বের হয়ে পড়ল তখন গণ্যমান্য ব্যক্তিরা যারা ইমাম হুসায়ন (রা) এর
বিরুদ্ধে হত্যাযজ্ঞ চালি৫য়ছিল কিংবা হত্যার সাথে আদৌ সম্পৃক্ত ছিলেন না, উভয় প্রকারের
লোকজন শাবাস ইবন রিবঈ এর ঘরে একত্রিত হলেন এবং তারা সকলে ঘুখতারের বিরুদ্ধে
যুদ্ধ করার জন্যে একমত হলেন ৷ এরপর তারা সক্রিয় হয়ে উঠলেন এবং প্রত্যেকটি গোত্র
তাদের সর্দার৫ক নিয়ে কুফার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান গ্রহণ করলেন ৷ শেষ পর্যন্ত তারা শাহী
মহলের দিকে রওয়ানা হলেন ৷
এদিকে মুখ৩ তার আমব ইবন শুবাকে ডাক হরকরা হিসেবে ইব্রাহীম ইবনুল আশতারের
, কাছে প্রেরণ করে, যাতে ইব্রাহীম ইবনুল আশতার মুখ৩ ৷৩৫রর কাছে দ্রুত প্রত্যাবর্তন করে ৷
আবার মুখতাব জনগণের কাছেও ৫লাক প্রেরণ করে এবং তাদেরকে ব৫ল , কী জন্য তোমরা
অসন্তুষ্ট হয়েছ ? তোমরা যা চাওসবকিছু করতে আমি প্রসিংতি দিচ্ছি ৷ এ কথা বলে আসলে


الْأَرْبَاعِ، وَكَانَ ذَلِكَ فِي يَوْمِ عَرَفَةَ مِنْ سَنَةِ سِتٍّ وَسِتِّينَ عِنْدَ إِضَاءَةِ الصُّبْحِ، فَاقْتَتَلُوا هُمْ وَالشَّامِيُّونَ قِتَالًا شَدِيدًا، وَاضْطَرَبَتْ كُلٌّ مِنَ الْمَيْمَنَتَيْنِ وَالْمَيْسَرَتَيْنِ، ثُمَّ حَمَلَ وَرْقَاءُ عَلَى الْخَيْلِ فَهَزَمَهَا، وَفَرَّ الشَّامِيُّونَ، وَقُتِلَ أَمِيرُهُمْ رَبِيعَةُ بْنُ مُخَارِقٍ، وَاحْتَازَ جَيْشُ الْمُخْتَارِ مَا فِي عَسْكَرِهِمْ، وَرَجَعَ فُرَّارُهُمْ فَلَقَوُا الْأَمِيرَ الْآخَرَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ حَمْلَةَ فَقَالَ: مَا خَبَرُكُمْ؟ فَأَخْبَرُوهُ فَرَجَعَ بِهِمْ وَسَارَ بِهِمْ نَحْوَ يَزِيدَ بْنِ أَنَسٍ فَانْتَهَى إِلَيْهِمْ عِشَاءً، فَبَاتَ النَّاسُ مُتَحَاجِزِينَ، فَلَمَّا أَصْبَحُوا تَوَاقَفُوا عَلَى تَعْبِئَتِهِمْ وَذَلِكَ يَوْمَ الْأَضْحَى مِنْ سَنَةِ سِتٍّ وَسِتِّينَ، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا فَهَزَمَ جَيْشُ الْمُخْتَارِ جَيْشَ الشَّامِيِّينَ أَيْضًا، وَقَتَلُوا أَمِيرَهُمْ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ حَمْلَةَ، وَاحْتَوَوْا عَلَى مَا فِي مُعَسْكَرِهِمْ، وَأَسَرُوا مِنْهُمْ ثَلَاثَمِائَةِ أَسِيرٍ، فَجَاءُوا بِهِمْ إِلَى يَزِيدَ بْنِ أَنَسٍ وَهُوَ عَلَى آخَرِ رَمَقٍ، فَأَمَرَ بِضَرْبِ أَعْنَاقِهِمْ. وَمَاتَ يَزِيدُ بْنُ أَنَسٍ مِنْ يَوْمِهِ ذَلِكَ، وَصَلَّى عَلَيْهِ خَلِيفَتُهُ وَرْقَاءُ بْنُ عَامِرٍ وَدَفَنَهُ، وَسَقَطَ فِي أَيْدِي أَصْحَابِهِ وَجَعَلُوا يَتَسَلَّلُونَ رَاجِعِينَ إِلَى الْكُوفَةِ، فَقَالَ لَهُمْ وَرْقَاءُ: يَا قَوْمُ مَاذَا تَرَوْنَ؟ إِنَّهُ قَدْ بَلَغَنِي أَنَّ ابْنَ زِيَادٍ قَدْ أَقْبَلَ فِي ثَمَانِينَ أَلْفًا مِنَ الشَّامِ، وَلَا أَرَى لَكُمْ بِهِمْ طَاقَةً، وَقَدْ هَلَكَ أَمِيرُنَا وَتَفَرَّقَ عَنَّا طَائِفَةٌ مِنَ الْجَيْشِ مِنْ أَصْحَابِنَا، فَلَوِ انْصَرَفْنَا رَاجِعِينَ إِلَى بِلَادِنَا وَنُظْهِرُ أَنَّا إِنَّمَا انْصَرَفْنَا حُزْنًا مِنَّا عَلَى أَمِيرِنَا لَكَانَ خَيْرًا لَنَا مِنْ أَنْ نَلْقَاهُمْ فَيَهْزِمُونَا، وَنَرْجِعَ مَغْلُوبِينَ. فَاتَّفَقَ رَأْيُ الْأُمَرَاءِ عَلَى ذَلِكَ، فَرَجَعُوا إِلَى الْكُوفَةِ. فَلَمَّا بَلَغَ خَبَرُهُمْ أَهْلَ الْكُوفَةِ وَأَنَّهُمْ قَدْ كَرُّوا رَاجِعِينَ، وَبَلَغَهُمْ أَنَّ يَزِيدَ بْنَ أَنَسٍ قَدْ هَلَكَ، أَرْجَفَ أَهْلُ الْكُوفَةِ بِالْمُخْتَارِ، وَقَالُوا: قُتِلَ يَزِيدُ بْنُ أَنَسٍ فِي الْمَعْرَكَةِ
পৃষ্ঠা - ৬৯১০
وَانْهَزَمَ جَيْشُهُ وَعَمَّا قَلِيلٍ يَقْدَمُ عَلَيْكُمُ ابْنُ زِيَادٍ فَيَسْتَأْصِلُكُمْ وَيَشْتَفُّ خَضْرَاءَكُمْ، ثُمَّ تَمَالَئُوا عَلَى الْخُرُوجِ عَلَى الْمُخْتَارِ وَقَالُوا: هُوَ كَذَّابٌ، وَاتَّفَقُوا عَلَى حَرْبِهِ وَقِتَالِهِ وَإِخْرَاجِهِ مِنْ بَيْنِ أَظْهُرِهِمْ، وَقَالُوا: هُوَ كَذَّابٌ قَدْ قَدَّمَ مَوَالِيَنَا عَلَى أَشْرَافِنَا، وَزَعَمَ أَنَّ مُحَمَّدَ ابْنَ الْحَنَفِيَّةِ قَدْ أَمَرَهُ بِالْأَخْذِ بِثَأْرِ الْحُسَيْنِ، وَهُوَ لَمْ يَأْمُرْهُ بِشَيْءٍ، وَإِنَّمَا هُوَ مُتَقَوِّلٌ عَلَيْهِ. وَانْتَظَرُوا بِخُرُوجِهِمْ عَلَيْهِ أَنْ يَخْرُجَ مِنَ الْكُوفَةِ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْأَشْتَرِ فَإِنَّهُ قَدْ عَيَّنَهُ الْمُخْتَارُ أَنْ يَخْرُجَ فِي سَبْعَةِ آلَافٍ لِلِقَاءِ ابْنِ زِيَادٍ فَلَمَّا خَرَجَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْأَشْتَرِ اجْتَمَعَ أَشْرَافُ النَّاسِ مِمَّنْ كَانَ فِي جَيْشِ قَتَلَةِ الْحُسَيْنِ وَغَيْرِهِمْ فِي دَارِ شَبَثِ بْنِ رِبْعِيٍّ وَأَجْمَعُوا أَمْرَهُمْ عَلَى قِتَالِ الْمُخْتَارِ، ثُمَّ وَثَبُوا فَرَكِبَتْ كُلُّ قَبِيلَةٍ مَعَ أَمِيرِهَا فِي نَاحِيَةٍ مِنْ نَوَاحِي الْكُوفَةِ وَقَصَدُوا قَصْرَ الْإِمَارَةِ، وَبَعَثَ الْمُخْتَارُ عَمْرَو بْنَ تَوْبَةَ بَرِيدًا إِلَى إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْأَشْتَرِ لِيَرْجِعَ إِلَيْهِ سَرِيعًا، وَبَعَثَ الْمُخْتَارُ إِلَى أُولَئِكَ يَقُولُ لَهُمْ: مَاذَا تَنْقِمُونَ؟ فَإِنِّي أُجِيبُكُمْ إِلَى جَمِيعِ مَا تَطْلُبُونَ، وَإِنَّمَا يُرِيدُ أَنْ يُثَبِّطَهُمْ عَنْ مُنَاهَضَتِهِ حَتَّى يَقْدَمَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْأَشْتَرِ وَقَالَ: إِنْ كُنْتُمْ لَا تُصَدِّقُونِي فِي أَمْرِ مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ فَابْعَثُوا مِنْ جِهَتِكُمْ وَأَبْعَثُ مِنْ جِهَتِي مَنْ يَسْأَلُهُ عَنْ ذَلِكَ. وَلَمْ يَزَلْ يُطَاوِلُهُمْ حَتَّى قَدِمَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْأَشْتَرِ بَعْدَ ثَلَاثٍ، فَانْقَسَمَ هُوَ وَالنَّاسُ فِرْقَتَيْنِ فَتَكَفَّلَ الْمُخْتَارُ بِأَهْلِ الْيَمَنِ، وَتَكَفُّلَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْأَشْتَرِ
পৃষ্ঠা - ৬৯১১


মুখতার তাদেরকে মুখতা৫রর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ “করা থেকে নিরুৎসাহিত করতে প্রয়াস পায় ৷
যাতে এরই মধ্যে ইবরাহীম ইবনুল আশতার তার কাছে প্রত্যাবর্তন করতে পারে ৷ মুখতার
আরো বলে, যদি তোমরা মুহাম্মদ ইবনুল হানাফিয়্যার নির্দো৷ সম্বন্ধে আমাকে বিশ্বাস না কর,
তাই সে তোমরা তোমাদের পক্ষ থেকে কিছু লোক প্রেরণ কর আমিও আমার পক্ষ থেকে কিছু
লোক প্রেরণ করব ৷ তারা উভয় দল মিলে এ সম্বন্ধে তাকে জিজ্ঞেস করবে ৷’ মুখতার তাদের
সাথে দীর্ঘসুত্রিতার আশ্রয় দেয় যাতে তিন দিন পর ইবনুল আশতার তার কাছে আগমন করতে
পারে ৷ এখন জনগণ ও মুখতার দু দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে ৷ মুখতার ইয়ামানবাসীদের দায়িতু
৫নয় ৷ আর ইবনুল আশ৩ার মুদারদের দায়িতু ৫নয় ৷ মুদরে৫দর আমীর হল শাবাস ইবন
রিবঈ ৷ এ সিদ্ধান্তঢি মুখতা৫রর ইংপি৫৩ই নেয়া হ৫য়ছিল ৷ ইবনুল আশতার নিজ সম্প্রদায়
ইয়ামনবাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাষী ছিল না ৷ সে তাদের প্ৰতি ছিল উদার বিস্তু মুখতার তাদের
বিরুদ্ধে মাি অত্যন্ত কঠোর ৷ শ্

তারপর কুফার আশেপাশে জনগণ যুদ্ধ কািহে লিপ্ত হয়ে পড়ল এবং উভয় পক্ষের বহু
লোকজন হতাহত হল ৷ তাদের মধ্যে বিরাজমান বিরাে৫ধর বর্ণনা অত্যন্ত দীর্ঘ ৷ যেসব
গণমােন্য লোক নিহত হন তাদের মধ্যে প্রসিদ্ধ ছিলেন, আবদুর রহমান ইবন সাঈদ ইবন
কাইস আল-রুিন্দী ৷ তার সম্প্রদায়ের সাতশত আশিজন লোক নিহত হয় ৷

বনু মৃদা৫রর নিহতের সংখ্যা হল ৫তর এর অধিক ৷ এ দিনটি জারানাতুস সাবী’
(দুঃসাহসীকদের গোরন্তান) নামে প্রসিদ্ধ ছিল ৷ আর তা ছিল ৬৬হিজরীর যিলহাজ্জ মাসের ২৪
, তারিখ বুধবারগ্

তারপর মুখতারই তাদের উপর জয়লাভ করে ৷ সে তাদের পাচশত ব্যক্তিকে বন্দী করে ৷
যখন তার কাছে তাদেরকে হাযির করা হয় তখন সে তাদেরকে বলে, ৫তামা৫দর মধ্যে যারা
হযরত ইমাম হুসাইন ণ্(রা)-এর শাহাদা৫তর যুদ্ধে অত্শ্যাহণ ক৫রছি৫ল, তাদেরকে তোমরইি
হত্যা কর ৷ তারপর তাদের মধ্য হতে এরুপ দৃ’শ চল্লিশ জনকে হত্যা করা হল ৷ আর যারা
মুখতা৫রর অনুমতি ব্যতীত ক৫য়দী৫দর কষ্ট গিয়েছিল এবং তাদের সাথে দুবৰিহার করেছিল ৷

তাদেরকেও হত্যা করা হল ৷ অবশিষ্টদের৫ক ৫ছড়ে দেয়৷ হল ৷

আমর ইবনুল হাজ্জাজ আযযুবাইদী পালিয়ে যায় ৷ সে ছিল হযরত ৩ইমাম হুসাইন (রা) এর
বিরুদ্ধে পরিচালিত যুদ্ধে অ০ শ গ্রহণকারী৫দর একজন ৷ তারপর সে কোথায় যে নিরুদ্দেশ হয়ে
গেল তা আর কারো জানা নেই ৷ ৫য ক্ষুদ্র দলটি হযরত ইমাম হুসাইন (রা) ৫ক হত্যা করেছিল
যে তার আমীর ছিল ৷ ন্

শিমার ইবন যুল জাওশা৫নর নিহত হওয়ার ঘটনা

কুফারপণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বসরায় মুসআব ইবন যুবাইর (রা) এর কাছে পালি৫য়যানৰু আর
যে সব ব্যক্তি আপন জান বাচাবার জন্যে পালিয়ে যায় তাদের মধ্যে একজন ছিল শিমার ইবন
যুল জাওশান (আল্লাহ তার অকল্যাণ করুন) ৷ তখন আল-মুখতারযারনাব নায়ী তার এক
৫গালাম৫ক তার অন্বেষণে প্রেরণ করে ৷ যখন যারনাব শিমা৫রর নিকটবর্তী হল, শিমার তার
সাথী৫দর৫ক বলল, তোমরা অগ্রসর হও এবং আমাকে এমনভাবে পেছনে রেখে যাও যেন মনে
হয় তোমরা আমাকে পেছনে ফেলে রেখে পালিয়ে যা৫চ্ছা, তাহলে এ গদতি ৫লাকটি আমার
প্রতি প্ৰলুব্ধ হর্বে ৷ এরপর তারা অগ্রসর হতে লাগল এব০ শিমার পিছে পিছে চলতে লাগল ৷


بِمُضَرَ، وَعَلَيْهِمْ شَبَثُ بْنُ رِبْعِيٍّ، وَكَانَ ذَلِكَ بِإِشَارَةِ الْمُخْتَارِ، حَتَّى لَا يَتَوَلَّى ابْنُ الْأَشْتَرِ النَّخَعِيُّ قِتَالَ قَوْمِهِ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ فَيَحْنُوَ عَلَيْهِمْ، وَكَانَ الْمُخْتَارُ شَدِيدًا عَلَيْهِمْ. ثُمَّ اقْتَتَلَ النَّاسُ فِي نَوَاحِي الْكُوفَةِ قِتَالًا عَظِيمًا، وَكَثُرَتِ الْقَتْلَى بَيْنَهُمْ مِنَ الْفَرِيقَيْنِ وَجَرَتْ فُصُولٌ وَأَحْوَالٌ حَرْبِيَّةٌ يَطُولُ اسْتِقْصَاؤُهَا، وَقُتِلَ جَمَاعَةٌ مِنَ الْأَشْرَافِ؛ مِنْهُمْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَعِيدِ بْنِ قَيْسٍ الْكِنْدِيُّ، وَسَبْعُمِائَةٍ وَثَمَانُونَ رَجُلًا مِنْ قَوْمِهِ، وَقُتِلَ مِنْ مُضَرَ بِضْعَةَ عَشَرَ رَجُلًا، وَيُعَرَفُ هَذَا الْيَوْمُ بِجَبَّانَةِ السَّبِيعِ. وَكَانَ ذَلِكَ يَوْمَ الْأَرْبِعَاءِ لِسِتٍّ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ سَنَةَ سِتٍّ وَسِتِّينَ ثُمَّ كَانَتِ النُّصْرَةُ لِلْمُخْتَارِ عَلَيْهِمْ، وَأَسَرَ مِنْهُمْ خَمْسَمِائَةِ أَسِيرٍ، فَعَرَضُوا عَلَى الْمُخْتَارِ فَقَالَ: انْظُرُوا مَنْ كَانَ مِنْهُمْ شَهِدَ مَقْتَلَ الْحُسَيْنِ فَاقْتُلُوهُ، فَقُتِلَ مِنْهُمْ مِائَتَانِ وَأَرْبَعُونَ رَجُلًا، وَقَتَلَ أَصْحَابُهُ مِنْهُمْ مَنْ كَانَ يُؤْذِيهِمْ وَيُسِيءُ إِلَيْهِمْ بِغَيْرِ أَمْرِ الْمُخْتَارِ، ثُمَّ أَطْلَقَ الْبَاقِينَ، وَهَرَبَ عَمْرُو بْنُ الْحَجَّاجِ الزُّبِيدِيُّ، وَكَانَ مِمَّنْ شَهِدَ قَتْلَ الْحُسَيْنِ فَلَا يُدْرَى أَيْنَ ذَهَبَ مِنَ الْأَرْضِ. [ذِكْرُ مَقْتَلِ شَمِرِ بْنِ ذِي الْجَوْشَنِ، أَمِيرِ السَّرِيَّةِ الَّتِي قَتَلَتْ حُسَيْنًا] وَهَرَبَ أَشْرَافُ الْكُوفَةِ إِلَى الْبَصْرَةِ إِلَى مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ وَكَانَ مِمَّنْ هَرَبَ
পৃষ্ঠা - ৬৯১২

যারনাব তার নাগালে এল অমনি শিমার তার দিকে ঘুরে র্দাড়াল এবং তার পিঠে জোরে আঘাত
কব৫ ৷ ৷ এভাবে সে তাকে হত্যা করল ৷ শিমার ত কে রাস্তায় ফেলে চলে গেল ৷ শিমার বসরায়
মুসআব ইবন যুবাইরের কাছে একটি পত্র লিখে এবং এ পরে সে তাকে তার কাছে তার
আগমনের ব্যাপাভ্রুর ভয় দেখায় ৷
জাবানাতৃস সাবী ঘটনার পর যারা পালিয়ে গিয়েছিল তারা বসরায় মুসআরের কাছে
পালিয়ে এসেছিল ৷ কালবানীয়৷ নামক গ্রামে যে সব শক্তসমর্থ সদস্য আগমন করেছিল
তাদের মধ্য হতে একজন শক্তিমান ব্যক্তি মারফত শিমার পত্রটি প্রেরণ করেছিল ৷ প্রামটি
একটি টিলার পাশে ও একটি নদীর ধারে অবস্থিত ছিল ৷ লোকটি পত্র নিয়ে রওয়ানা
হওয়ার পর অন্য একটি শক্তিমানের সাথে সাক্ষাত করে ৷ সে তখন তাকে জিজ্ঞেস কবে,
কোথায় যাচ্ছ ? সে বলল, মুসআবের কাছে যাচিছ ৷ সে আবার জিজ্ঞেস করল, কার কাছ
থেকে আসছ ? যে বলল, শিমারের কাছ থেকে এসেছি ৷ তখন উক্ত লোকটি বলল, আমার
সাথে আমার মনিবের কাছে চল ৷ আর তার মনিব ছিলেন আবু আম্মারা যিনি ছিলেন
মুখতা রের প্রধান প্রহরী ৷ তিনি শিমারকে খোজ করার জন্যই ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন ৷ লোকটি
শিমারের ঠিকানায় খোজ দিল ৷ আবু আম্মারা তখনি তার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন ৷
শিমারের সাথীরা তার থাকার জায়গা পরিবর্তন করার জন্যে পরামর্শ দিয়েছিল কিন্তু সে
তাদেরকে তাচ্ছিল্য ভরে বলেছিল, এরা সব যিথুাকের গোষ্ঠী ৷ আল্লাহ্র শপথ ৷ আমি
তিনদিন পর্যন্ত এখান থেকে কোথাও না গিয়ে তাদেরকে ত ত-সস্ত্রস্ত করতে থাকর এবং
তাদের অন্তর আত ত্মা কাপিয়ে দেবে৷ ৷ যখন রাত এলো আবু আম্মারা তাদের অশ্বারোহী
সৈন্যদের উপর অতর্কিতে হামলা চালালেন এবং তাদেরকে অন্যত্র যাবার জন্যে নওয়াব
হতে ৎবা যুদ্ধাস্ত্র পরিধান করতে বাধ্য করল ৷
শিমার ইবন যুল জাওশান গর্জে উঠল এবং শত্রুদের প্রতি তীর নিক্ষেপ করল ৷ সে তখন
ছিল বিবস্ত্র ৷ তারপর সে তার র্তাবুচত প্রবেশ করল এবং সেখান থেকে একটি তলোয়ার নিয়ে
বের হল ও নিম্নের কবিতাটি আবৃত্তি করল :
তোমরা একটি সাহসী সিংহকে তার গুহ৷ থেকে আগত করলে যার জীবনযাত্রা অত্যন্ত
হিংস্র এবং যে শত্রুর পিঠের উপরের অংশে সজােরে আঘাত করে থাকে ৷ যে কোন দিনও
শত্রুদের পক্ষ থেকে পরাজয়ের মুখ দেখেনি ৷ আর যে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে শুধুমাত্র যোদ্ধা অথবা
হত্যাকারী বিজয়ী হিসেবে ঘরে প্রত্যাবর্তন করে ৷ যে শত্রুকে আঘাতে আঘাতে বাঝর৷ করে
দেয় এবং সংগ্রাযীকে জীবনের জন্যে তৃপ্তিদাণ্ন করে ৷’
তারপর সে নিজেকে হিফাজত করতে লাগল ৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত যে নিহত হল ৷ তার
সাথীগণ পরাজয় বরণ করে ৷ যখন তারা তাকবীরের আওয়াজ শুনল এবং ঘুখত তারের সাথীদের
নিম্রবর্ণিত বাক্যটিকে উচ্চারণ করতে শুনল তখন তারা বুঝতে পারল যে, শিমার (আল্পাহ্ তার
অমঙ্গল করুন) নিহত হয়েছে ৷ বাক্যটি ছিল নিম্নরুপ
আল্লাহ্ মহান, শয়তানটি নিহত হয়েছে ৷’
আবু মিখনাফ, ইউনুস ইবন আবু ইসহাক হতে বর্ণন৷ করেন যে, তিনি বলেছেন, যখন
মুখতার জাবানাতৃস সাবী (দুঃসাহসিকদের গোরস্তান) হতে প্রত্যাবর্তন করে ও রাজপ্রাসাদের


لِقَصْدِهِ شَمِرُ بْنُ ذِي الْجَوْشَنِ - قَبَّحَهُ اللَّهُ - فَبَعَثَ الْمُخْتَارُ فِي أَثَرِهِ غُلَامًا لَهُ يُقَالُ لَهُ: زَرْبِيٌّ. فَلَمَّا دَنَا مِنْهُ قَالَ شَمِرٌ لِأَصْحَابِهِ: تَقَدَّمُوا وَذَرُونِي وَرَاءَكُمْ بِصِفَةِ أَنَّكُمْ قَدْ هَرَبْتُمْ وَتَرَكْتُمُونِي حَتَّى يَطْمَعَ فِيَّ هَذَا الْعِلْجُ. فَسَاقُوا وَتَأَخَّرَ شَمِرٌ فَأَدْرَكَهُ زَرْبِيٌّ فَعَطْفَ عَلَيْهِ شَمِرٌ، فَدَقَّ ظَهْرَهُ فَقَتَلَهُ، وَسَارَ شَمِرٌ وَتَرْكَهُ، وَكَتَبَ كِتَابًا إِلَى مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ وَهُوَ بِالْبَصْرَةِ يُنْذِرُهُ بِقُدُومِهِ عَلَيْهِ، وَوِفَادَتِهِ إِلَيْهِ، وَكَانَ كُلُّ مَنْ فَرَّ مِنْ هَذِهِ الْوَقْعَةِ يَهْرُبُ إِلَى مُصْعَبٍ بِالْبَصْرَةِ، وَبَعَثَ شَمِرٌ الْكِتَابَ مَعَ عِلْجٍ مِنْ عُلُوجِ قَرْيَةٍ قَدْ نَزَلَ عِنْدَهَا يُقَالُ لَهَا الْكَلْتَانِيَّةُ عِنْدَ نَهْرٍ إِلَى جَانِبِ تَلٍّ هُنَاكَ، فَذَهَبَ ذَلِكَ الْعِلْجُ فَلَقِيَهُ عِلْجٌ آخَرُ فَقَالَ لَهُ: إِلَى أَيْنَ تَذْهَبُ؟ قَالَ: إِلَى مُصْعَبٍ. قَالَ مِمَّنْ؟ قَالَ مِنْ شَمِرٍ. فَقَالَ: اذْهَبْ مَعِي إِلَى سَيِّدِي. وَإِذَا سَيِّدُهُ أَبُو عَمْرَةَ أَمِيرُ حَرَسِ الْمُخْتَارِ، وَهُوَ قَدْ رَكِبَ فِي طَلَبِ شَمِرٍ، فَدَلَّهُ الْعِلْجُ عَلَى مَكَانِهِ فَقَصَدَهُ أَبُو عَمْرَةَ، وَقَدْ أَشَارَ أَصْحَابُ شَمِرٍ عَلَيْهِ أَنْ يَتَحَوَّلَ مِنْ مَكَانِهِ ذَلِكَ فَقَالَ لَهُمْ: هَذَا كُلُّهُ فَرَقٌ مِنَ الْكَذَّابِ، وَاللَّهِ لَا أَرْتَحِلُ مِنْ هَاهُنَا إِلَى ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ حَتَّى أَمْلَأَ قُلُوبَهُمْ رُعْبًا، فَلَمَّا كَانَ اللَّيْلُ كَابَسَهُمْ أَبُو عَمْرَةَ فِي الْخَيْلِ فَأَعْجَلَهُمْ أَنْ يَرْكَبُوا أَوْ يَلْبَسُوا أَسْلِحَتَهُمْ، وَثَارَ إِلَيْهِمْ شَمِرُ بْنُ ذِي الْجَوْشَنِ فَطَاعَنَهُمْ بِرُمْحِهِ وَهُوَ عُرْيَانُ، ثُمَّ دَخَلَ خَيْمَتَهُ فَاسْتَخْرَجَ مِنْهَا سَيْفًا وَهُوَ يَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ৬৯১৩


দিকে গমন করে, তখন বন্দী সৃরাকা ইবন মিরদ!স উচচস্বরে মুখতারকে পেছন থেকে ডেকে
বলল,

হে বিন্যস্তকারীদের মধ্যে উত্তম ! হে যুদ্ধ ময়দানে অবতরণকারী সৈনিকদের উত্তম ! £হ
প্রতিপালকের আহবানে সিয়!ম পালনে ও সিজদ!কারীদেব! মধ্যে উত্তম ! আজকের দিনে আমার
প্রতি একটু ইহসান করুন ৷
বর্ণনাকারী বলেন, মুখতার তখন কারাগারে লোক প্রেরণ করল ৷ একরাত তাকে সেখানে
কয়েদী হিসেবে রাখা হল এবং পরদিন তাকে ছেড়ে দেয়! হল ৷ সে তখন যুখতারের দিকে
এগিয়ে গেল এবং বলতে লাগল,
সাবধান ! আবু ইসহ!কের নিকট সং বাদ পরিবেশন কর যে, আমাদের উপর যে সগ্রামে
বা!পিয়ে পড়া একান্ত জরুরী ছিল সে সংগ্রামে আমরা বা!পিয়ে পড়েছি ৷ আমরা সংগ্রামে বের
হয়েছি, আমাদের দুর্বলদেরকে আমরা কোন দ!য়িতুই প্রদান করিনি ৷ আমাদের সংগ্রাম ছিল
অহমিক!য় ও ত্রুঢিতে পরিপুর্ণ ৷ আমরা শত্রুকে তাদের যুদ্ধ সারিতে হীন মনে করেছি ৷ যখন
আমরা তাদের সাথে মুকাবিল! করি তখন তাঃদর পেয়েছি সুদের ন্যায় ক্ষণস্থ!য়ী ও অপকারী ৷
আমরা তাদের বিরুদ্ধে ঘর থেকে বের হয়েছি যখন আমরা তাদেরকে এবং তাদের সম্প্রদায়কে
আমাদের বিরুদ্ধে বের হতে দেখেছি ৷ তাদের থেকে পেয়েছি আমরা আঘাত, পেষপ ও
মারাত্মক হিং স! বিদ্বেষ ৷ ফলে আমরা বক্রতা অবলম্বন করেছি ! তোমাদের দৃশমনকে বিচ্ছিন্ন
সৈন্যদল প্রেরণের মাধ্যমে আমরা প্রতিনিয়ত সাহায্য করেছি ৷ দৃশমন দলটি ইমাম হুসইিন
(রা)-এর শাহ্!দাতের কারণ হয়েছিল ৷ তার! আমাদের থেকে এমন সাহায্যপ্রাপ্ত হয়েছিল যেমন
বদরের দিন ও হুস!য়নের যুদ্ধে শত্রুর মুক!বিলার দিন হযরত মুহাম্মদ (স!) সাহায্যপ্রাপ্ত
হয়েছিলেন ৷ যখন তুমি রষ্ট্র ক্ষম৩ !র অধিকারী হও তখন তুমি ক্ষমার চোখে দেখ যাবতীয়
অপরাধকে ৷ আমরা ণ্ডুযদি ক্ষমতার অধিকারী হত!ম তাহলে আমরাও রাষ্ট্র পরিচালনা করত!ম
এবং কোন কোন সময় আমরা অন্যায় আচরণও করত!ম ৷ সুতরাং তুমি আমাদের তাওবা কবুল
কর ৷ আর তুমি আমাকে তোমার ক্ষমার ঋণী কর তাহলে আমি তোমার কাছে চিরকৃতজ্ঞ
ন্ থাকব
সুর!কা ইবন মিরদাস শপথ করে বলছিল যে, সে আসম!ন ও যমীনের মধ্যবর্তী ফাকা
জায়গায় সাদা কালে! রঙের অশ্বে আরোহী ফিরিশত!দের অবলোকন করেছে যদিও তাকে
শুধুমাত্র ঐ সব ফিরিশতার একজনই তাকে বন্দী করেছে ৷ ,
মুখতার তখন তাকে মিম্বরে উঠে জনগণের কাছে এ খবরঢি পরিবেশন করার জন্যে নির্দেশ
দিল ৷ সুরাক! মিম্বরে আরোহণ করল এবং এ সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করল ৷ যখন সে
মিযর হতে অবতরণ করল, মুখতার তার সাথে একান্তে মিলিত হল’ এবং তাকে বলল, আমি
জানি যে ,তুমি ফিরিশত!দেরকে দেখনি ৷৩ তবে আমি চাই তোমার এ বক্তব্যের কারণে তোমাকে
যেন আর আমি হত্যা ন! করি ৷ এটা সত্যি কথা যে, আমি তোমাকে হত্যা করব ন! ৷ সুতরাং
তুমি যেখানে ইচ্ছে সেখানেই চলে যেতে পার ৷ তবে তুমি যেন আমার স!থীদের মধ্যে কোন


نَبَّهْتُمُ لَيْثَ عَرِينٍ بَاسِلَا ... جَهْمًا مُحَيَّاهُ يَدُقُّ الْكَاهِلَا لَمْ يُرَ يَوْمًا عَنْ عَدُوٍّ نَاكِلَا ... إِلَّا كَذَا مُقَاتِلًا أَوْ قَاتِلَا يُبْرِحْهُمُ ضَرْبًا وَيُرْوِي الْعَامِلَا ثُمَّ مَا زَالَ يُنَاضِلُ عَنْ نَفْسِهِ حَتَّى قُتِلَ، فَلَمَّا سَمِعَ أَصْحَابُهُ، وَهُمْ مُنْهَزِمُونَ صَوْتَ التَّكْبِيرِ وَقَوْلَ أَصْحَابِ الْمُخْتَارِ: اللَّهُ أَكْبَرُ قُتِلَ الْخَبِيثُ. عَرَفُوا أَنَّهُ قَدْ قُتِلَ، قَبَّحَهُ اللَّهُ. قَالَ أَبُو مِخْنَفٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ قَالَ: وَلَمَّا خَرَجَ الْمُخْتَارُ مِنْ جَبَّانَةِ السَّبِيعِ، وَأَقْبَلَ إِلَى الْقَصْرِ - يَعْنِي مُنْصَرَفَهُ مِنَ الْقِتَالِ - نَادَاهُ سُرَاقَةُ بْنُ مِرْدَاسٍ بِأَعْلَى صَوْتِهِ، وَكَانَ فِي الْأَسْرَى: امْنُنْ عَلَيَّ الْيَوْمَ يَا خَيْرَ مَعَدْ ... وَخَيْرَ مَنْ حَلَّ بِشِحْرٍ وَالْجَنَدْ وَخَيْرَ مَنْ لَبَّى وَصَامَ وَسَجَدْ قَالَ: فَبَعَثَهُ إِلَى السِّجْنِ، فَاعْتَقَلَهُ لَيْلَةً، ثُمَّ أَطْلَقُهُ مِنَ الْغَدِ، فَأَقْبَلَ إِلَى الْمُخْتَارِ، وَهُوَ يَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ৬৯১৪


প্রকার বিভ্রান্তি সৃষ্টি না কর ৷ তখন সুরাকা রসরায় মুসআব ইবন যুবাইর এর কাছে চলে গেল
এবং যেতে যেতে বলতে লাগল,
শৃা
সাবধান ৷ আবু ইসহাক (ঘুখতার) কে সং বাদ দাও যে, আ ৷মি নিঃসন্দেহে সাদাকালাে রঙের
ঘোড়ার উপর চান্দ্রমাসের শেষ তিন র এ অসজ্জিত সত্তাদের অরলোকন করেছি ৷ তোমাদের
অভিমতকে আমি প্রত্যাখ্যান করেছি এবং মৃত্যু পর্যন্ত (তমাদের উপর হামলা করাকে আমার
কাছে মানতে পরিণত করেছি ৷ তুমি যেটা লক্ষ্য করনি আমার দু’চোখ তা অবলোকন করেছে ৷
আমরা প্রকৃতপক্ষে সকলেই কমবেশী তুচ্ছ বিষয়াদি সম্বন্ধে জানি ৷ শত্রুপণ যখন কিছু তথ্য
সম্বন্ধে কথা বলে তখন আমিওাদেরকে মিথুকে আখ্যায়িত করি ৷ আর যখন তারা ঘর থেকে
সংগ্রামের উদ্দেশ্যে বের হয় তখন আমি তাদের সাথে যুদ্ধ করার জন্যে আমার প্রয়োজনীয়
হাতিয়ার পরিধান করে থাকি ৷
ইতিহাসবিদপণ বলেন, তারপর আল-মুখতার তার সাথীদের সামনে খুতর৷ দেয় এবং ইমাম
হুসায়ন (রা) কে যারা হত্যা করেছিল ও কুফায়ত তারা বসবাস করছিল তাদের বিরুদ্ধে এ
খুতবায় সাথীদেরকে উত্তেজিত করে ৷ তখন তারা বলতে থাকে, যে সব সম্প্রদায় ইমাম
হুসায়ন (রা)-কে হত্যা করেছে তাদেরকে দুনিয়ার জীবিত থেকে নিরাপদে চলাফেরা করতে
আমরা অনুমতি দেবে৷ না ৷ মুখতার আরো বলে : “মুহাম্মদ (না)-এর বংশধরদের সাহায্যকারী
হিসেবে আমি আমার শত্রুর দৃষ্টিতে কতইনা খারাপ লোক ৷ এ জন্যই তোমরা আমাকে
মিথ্যারাদী বলে আখ্যায়িত করেছ ৷ আমি শত্রুদের বিরুদ্ধে আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা
করছি ৷ সমস্ত প্রশং সা আল্লাহ্র জন্যে যিনি আমাকে তলােয়ার সদৃশ করেছেন, তাই তাদেরকে
আমি প্রতিনিয়ত আঘাত করছি, তিনি আমাকে বর্শা সদৃশ করেছেন,৩ তাই আমি তাদের প্রতি
নিক্ষিপ্ত হচ্ছি, তিনি আমাকে আরো করেছেনত তাদের ধনুকের জ্যা অন্বেষণকারী এবং মানবতার
অধিকার প্রতিষ্ঠাকারী ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বংশধরকে যারা হত্যা করেছে তাদের হত্যা করাই
আল্লাহর কর্তব্যে পরিণত হয়েছে ৷ যারা তাদের হক বিনষ্ট করেছে তাদেরকে অবমাননা করাও
আল্লাহ্র দায়িত্বে পরিণত হয়েছে ৷ তারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বংশধরকে আহবান করেছে
তারপর তারা তাদের পিছু ধাওয়৷ করেছে ফলে তোমরা তাদেরকে হত্যা করার সুযোগ
পেয়েছে৷ ৷ আমি যতক্ষণ পর্যন্ত খুনীদের থেকে এ পৃথিবীটাকে পবিত্র করতে না পারব এবং
তাদের মধ্যে যারা শহরে রয়েছে তাদের বিতাড়িত করতে না পারব ততক্ষণ পর্যন্ত আমি পানীয়
ও আহার তৃপ্তিসহ ভক্ষণ করব না ৷ত তারপর থুনীদের যারা কুফায় বসবাস করছিল তাদেরকে
মুখতার ঘোজ করতে লাগল ৷ তার সাথীরা খুনীদেরকে নিয়ে এসে তার সামনে র্দাড় করাত ৷
সে তখন তাদেরকে তাদের কৃত অপরাধ অনুযায়ী বিভিন্ন পন্থায় হত্যা করার নির্দো৷ প্রদান
করত ৷ তাদের মধ্যে কাউকে পুড়িয়ে যেরেছিল, কাউকে কাউকে তার বিভিন্ন অঙ্গ কেটে ফেলা
হত ৷ মৃত্যু পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত অবস্থায় রেখে দেয়৷ হত ৷ তাদের মধ্যে কাউকে কাউকে মৃত্যু পর্যন্ত
বর্শায় বিদ্ধ করে রেখে দেয়৷ হত ৷
তার সাথীরা একদিন মালিক ইবন রশিরকে তার সামনে আনয়ন করল ৷ তখন আল-
মুখতার তাকে বলল, তুমি কি হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) এর জামা তার শরীর থােক খুলে
ফেলেছিলে ? সে বলল, আমরা যুদ্ধের জন্যে বের হতে ৩বাধ্য হয়েছিলাম ৷ আমরা যুদ্ধ করতে
রাজী ছিলাম না ৷ সুতরাং আমাদের উপর ইহসান করুন ৷ ঘুখতার নির্দেশ দিল যে, তার হাত-

আল্রুবিদ্যয়া ওয়ান নিহায়া-৬২
ণোমোঃ(হ্রাশ্রোা৪র্নো০ওোন্া৷

أَلَا أَخْبِرْ أَبَا إِسْحَاقَ أَنَّا ... نَزَوْنَا نَزْوَةً كَانَتْ عَلَيْنَا خَرَجْنَا لَا نَرَى الضُّعَفَاءَ شَيْئًا ... وَكَانَ خُرُوجُنَا بَطَرًا وَحَيْنًا نَرَاهُمْ فِي مَصَافِهِمُ قَلِيلًا ... وَهُمْ مِثْلُ الدَّبَا حِينَ الْتَقَيْنَا بَرَزْنَا إِذْ رَأَيْنَاهُمْ فَلَمَّا ... رَأَيْنَا الْقَوْمَ قَدْ بَرَزُوا إِلَيْنَا رَأَيْنَا مِنْهُمُ ضَرْبًا وَطَحْنًا ... وَطَعْنًا صَائِبًا حَتَّى انْثَنَيْنَا نُصِرْتَ عَلَى عَدُوِّكَ كُلَّ يَوْمٍ ... بِكُلِّ كَتِيبَةٍ تَنْعَى حُسَيْنَا كَنَصْرِ مُحَمَّدٍ فِي يَوْمِ بَدْرٍ ... وَيَوْمَ الشِّعْبِ إِذْ لَاقَى حُنَيْنَا فَأَسْجِحْ إِذْ مَلَكْتَ فَلَوْ مَلَكْنَا ... لَجُرْنَا فِي الْحُكُومَةِ وَاعْتَدَيْنَا تَقَبَّلْ تَوْبَةً مِنِّي فَإِنِّي ... سَأَشْكُرُ إِذْ جَعَلْتَ النَّقْدَ دَيْنَا وَجَعَلَ سُرَاقَةُ بْنُ مِرْدَاسٍ يَحْلِفُ أَنَّهُ رَأَى الْمَلَائِكَةَ تَقَاتِلُ عَلَى الْخُيُولِ الْبُلْقِ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ، وَأَنَّهُ لَمْ يَأْسِرْهُ إِلَّا وَاحِدٌ مِنْ أُولَئِكَ الْمَلَائِكَةِ، فَأَمَرَهُ الْمُخْتَارُ أَنْ يَصْعَدَ الْمِنْبَرَ فَيُخْبِرُ النَّاسَ بِذَلِكَ. فَصَعِدَ الْمِنْبَرَ فَأَخْبَرَ النَّاسَ بِذَلِكَ، فَلَمَّا نَزَلَ خَلَا بِهِ الْمُخْتَارُ، فَقَالَ لَهُ: إِنِّي قَدْ عَرَفْتُ أَنَّكَ لَمْ تَرَ الْمَلَائِكَةَ، وَإِنَّمَا أَرَدْتَ
পৃষ্ঠা - ৬৯১৫
بِقَوْلِكَ هَذَا أَنِّي لَا أَقْتُلُكَ، وَلَسْتُ أَقْتُلُكَ فَاذْهَبْ حَيْثُ شِئْتَ لَا تُفْسِدْ عَلَيَّ أَصْحَابِي. فَذَهَبَ سُرَاقَةُ إِلَى الْبَصْرَةِ إِلَى مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ وَجَعَلَ يَقُولُ: أَلَا أَبْلِغْ أَبَا إِسْحَاقَ أَنِّي ... رَأَيْتُ الْبُلْقَ دُهْمًا مُصْمِتَاتِ كَفَرْتُ بِوَحْيِكُمْ وَجَعَلْتُ نَذْرًا ... عَلَيَّ قِتَالَكُمْ حَتَّى الْمَمَاتِ رَأَتْ عَيْنَايَ مَا لَمْ تُبْصِرَاهُ ... كِلَانَا عَالِمٌ بِالتُّرَّهَاتِ إِذَا قَالُوا أَقُولُ لَهُمْ كَذَبْتُمْ ... وَإِنْ خَرَجُوا لَبِسْتُ لَهُمْ أَدَاتِي قَالُوا: ثُمَّ خَطَبَ الْمُخْتَارُ أَصْحَابَهُ فَحَرَّضَهُمْ فِي خُطْبَتِهِ تِلْكَ عَلَى تَتَبُّعِ مَنْ قَتَلَ الْحُسَيْنِ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ الْمُقِيمِينَ بِهَا، فَقَالَ: مَا دِينُنَا تَرْكُ قَوْمٍ قَتَلُوا حُسَيْنًا يَمْشُونَ فِي الدُّنْيَا أَحْيَاءً آمِنِينَ، بِئْسَ نَاصِرُ آلِ مُحَمَّدٍ، إِنِّي إِذًا كَذَّابٌ كَمَا سَمَّيْتُمُونِي أَنْتُمْ، فَإِنِّي بِاللَّهِ أَسْتَعِينُ عَلَيْهِمْ، فَالْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَعَلَنِي سَيْفًا أَضْرِبُهُمْ، وَرُمْحًا أَطْعَنُهُمْ، وَطَالِبَ وَتْرِهِمْ، وَالْقَائِمَ بِحَقِّهِمْ، وَإِنَّهُ كَانَ حَقًّا عَلَى اللَّهِ أَنْ يَقْتُلَ مَنْ قَتَلَهُمْ، وَأَنْ يُذِلَّ مَنْ جَهِلَ حَقَّهُمْ، فَسَمُّوهُمْ ثُمَّ اتْبَعُوهُمْ حَتَّى تَقْتُلُوهُمْ، فَإِنَّهُ لَا يَسُوغُ لِيَ الطَّعَامُ وَالشَّرَابُ حَتَّى أُطَهِّرَ الْأَرْضَ
পৃষ্ঠা - ৬৯১৬


প্া৷গুব্লুল৷ ব্লুকব্লুট ফেল ৷ তারপর তার সাথীরা তার বা৷পারে অনুরুপ করল ৷ তাকে ঘরের বাইরে
ফেলে রাখা হল ৷ ছটযন্ট করতে করতে সে মারা গেল ৷ আবদুল্লাহ ইবন উসাইদ আল জুহানী
এবং অন্যব্লুকও গােচনীয়তাবে হত্যা করা হল ৷

হযরত ইমাম হুসাইন (রা) এর শির মুবারক বিচ্ছিন্নকারী
খাওলী ইবন ইয়াযীদ আল-আসবাহীর হত্যা

মুখতার তার পাহারাদার আবু আম্মারাকে খাওলী ইবন ইয়াযীদ আল আসহাবীর কাছে
প্রেরণ করল ৷ সে তার দলবল নিয়ে তার ঘরে হানা দিল ৷ তখন তার স্তী ঘর থেকে বের হয়ে
আসল ৷ তারা ৩ কে খাওলী সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করল ৷ তার শ্রী উচচস্বব্লুর বলল, যে কোথায় আছে
তা আমি জানি না ৷ অন্যদিকে যে ঘরে সে লুকিয়েছিল তার দিকে হাতে ইশারা করল ৷ যে
রাতে তার স্বামী হযরত ইমাম হুসায়ন (রা) এর শির মুবাবক নিয়ে তার কাছে আগমন
করেছিল, যে তার স্বামীর প্রতি অতাস্ত ক্ষুব্ধ হয়েছিল এবং তাকে তিরস্কার করেছিল ৷ তার শ্রীর
নাম ছিল আল আবুক বিনত মালিক ইবন নাহার ইবন আকরাব আলহাদরামী ৷ তারা তার
খোজে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করল এবং তাকে পাওয়া গেল ৷ তার মাথার উপর ছিল বীশের
তৈরী একটি বড় ঝুড়ি ৷ তারা তাকে গ্রেফতার করে মুখতারের নিকট নিয়ে আসল ৷ মুখতার
তার ঘরের নিকব্লুটই তাকে হত্যা করার জন্যে নির্দেশ দিন ৷ তারপর তাকে পুড়িয়ে ব্লুফলারও
হুকুম দিল ৷
মুখতায় হার্কীয ইবন ফুদইিল আসসানবাসীর কাছে লোক প্রেরণ করে ৷ সে হযরত ইমাম
হুসাইন (রা) এর নিহত হবার দিন আব্বাস ইবন আলী ইবন আবৃত তালিবকে অপহরণ
করেছিল ৷৩ তাকে পাকড়াও করা হল ৷ তার পরিবার পরিজন মুখত তারের কাছে সুপারিব্লুশর জন্য
আদী ইবন হাতিম (রা) এর কাছে গমন করল ৷ যারা তাকে পাকড়াও করেছিল তারা তাদের
পৌছার পুর্বে আদী ইবন হাতিম (রা) এর মুখত তারের নিকট পৌছার পুর্বে আশংকা করল ৷৩ তাই
তারা মুখতাব্লুরর নিকট পৌছার পুকৌ তাকে হত্যা করে ফেলল ৷ তারপর আদী ইবন হাতিম
যুখতাব্লুরর নিকট প্রবেশ করেন, হাকীম সম্বন্ধে সুপারিশ করেন ৷ যুখতারত তার সুপারিশ যঞ্জুর
করেন ৷ যখন মুখতারের সাথীরা ফেরত পৌছল তখন দেখা গেল মুখতাব্লুরর কাছে পৌছার
পুর্বেই হার্কীমকে তারা হত্যা করে ফেলেছে ৷ আদী ইবন হাতিম (বা) তাদেরকে তিরস্কার
করেন এবং তাদের উপর রাগান্বিত হন ৷ তিনি মুখত তারের সহানুভুতি প্রদর্শনের জন্যও
মুখতারকে ধন্যবাদ জানান ৷
মুখতার ইয়াযীদ ইবন ওয়ারাকার নিকট লোক প্রেরণ করে৷ সে আবদুল্লাহ্ ইবন মুসলিম
ইবন আকীলকে হত্যা করেছিল ৷ যখন তাকে গ্রেফতারের জন্যে তার ঘরে লোক প্রেরণ করা
হন, তখন সে ঘর থেকে বের হয়ে পড়ল ও যাদেরকে প্রেরণ করা হয়েছিল তাদের সাথে সে
সংঘর্ষে অবতীর্ণ হল ৷ তারা তার প্রতি তীর ও পাথর নিক্ষেপ করল ৷ সে মৃত্যুর কবব্লুল ঢব্লুল
পড়ল ৷ তারপর তারা মুমুর্য অবস্থুায়ত তাকে পুড়িয়ে মারল ৷
মুখতার সিনান ইবন আনর্টসব্লুক তলব করল ৷ সিনান দা বী করত যে, সে হযরত ইমাম
হুসাইন (রা) কে হত্যা করেছে ৷ মুখতারেব সাথীরা দেখতে পায় যে, সে বসরা কিং বা জ্বাযিরায়
পালিয়ে গিয়েছে ৷ তার বাড়ীঘর ধ্বংস করে দেয়া হল ৷


مِنْهُمْ، وَأَنْفِي مَنْ فِي الْمِصْرِ مِنْهُمْ، ثُمَّ جَعَلَ يَتَتَبَّعُ مَنْ فِي الْكُوفَةِ مِنْهُمْ وَكَانُوا يَأْتُونَ بِهِمْ حَتَّى يُوقَفُوا بَيْنَ يَدَيْهِ، فَيَأْمُرُ بِقَتْلِهِمْ عَلَى أَنْوَاعٍ مِنَ الْقِتْلَاتِ مِمَّا يُنَاسِبُ مَا فَعَلُوا، وَمِنْهُمْ مَنْ حَرَّقَهُ بِالنَّارِ، وَمِنْهُمْ مَنْ قَطَعَ أَطْرَافَهُ وَتَرَكَهُ حَتَّى مَاتَ، وَمِنْهُمْ مَنْ يُرْمَى بِالنِّبَالِ حَتَّى يَمُوتَ، فَأَتَوْهُ بِمَالِكِ بْنِ بَشِيرٍ، فَقَالَ لَهُ الْمُخْتَارُ: أَنْتَ الَّذِي نَزَعْتَ بُرْنُسَ الْحُسَيْنِ عَنْهُ؟ فَقَالَ: خَرَجْنَا وَنَحْنُ كَارِهُونَ، فَامْنُنْ عَلَيْنَا. فَقَالَ: اقْطَعُوا يَدَيْهِ وَرِجْلَيْهِ. فَفَعَلُوا بِهِ ذَلِكَ، ثُمَّ تَرَكُوهُ يَضْطَرِبُ حَتَّى مَاتَ، وَقَتَلَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَسَيْدٍ الْجُهَنِيَّ وَغَيْرَهُ شَرَّ قِتْلَةٍ. [مَقْتَلُ خَوْلِيِّ بْنِ يَزِيدَ الْأَصْبَحِيِّ الَّذِي احْتَزَّ رَأْسَ الْحُسَيْنِ] بَعْثَ إِلَيْهِ الْمُخْتَارُ أَبَا عَمْرَةَ صَاحِبَ حَرَسِهِ، فَكَبَسَ بَيْتَهُ، فَخَرَجَتْ إِلَيْهِمُ امْرَأَتُهُ، فَسَأَلُوهَا عَنْهُ، فَقَالَتْ: لَا أَدْرِي أَيْنَ هُوَ. وَأَشَارَتْ بِيَدِهَا إِلَى الْمَكَانِ الَّذِي هُوَ مُخْتَفٍ فِيهِ، وَكَانَتْ تُبْغِضُهُ مِنْ لَيْلَةِ قَدِمَ بِرَأْسِ الْحُسَيْنِ مَعَهُ إِلَيْهَا، وَكَانَتْ تَلُومُهُ عَلَى ذَلِكَ، وَاسْمُهَا الْعَيُوفُ بِنْتُ مَالِكِ بْنِ نَهَارِ بْنِ عَقْرَبٍ الْحَضْرَمِيِّ، فَدَخَلُوا عَلَيْهِ فَوَجَدُوهُ قَدْ وَضَعَ عَلَى رَأْسِهِ قَوْصَرَّةً، فَحَمَلُوهُ إِلَى الْمُخْتَارِ، فَأَمَرَ بِقَتْلِهِ قَرِيبًا مِنْ دَارِهِ وَأَنْ يُحَرَّقَ بَعْدَ ذَلِكَ.
পৃষ্ঠা - ৬৯১৭


যারা ঘুসআবের কাছে পালিয়ে গিয়েছিল তাদের মধ্যে একজন ছিল মুহাম্মদ ইবনুল
আশআস ইবন কাইস ৷ যুখতার তার বাড়ী ঘর ধ্বংস করে তার স্থলে হুজর ইবন আদী বাড়ি
ঘর নির্মাণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন ৷ যেটা ইতিপুর্বে যিয়াদ ধ্বংস করে দিয়েছিল ৷

হযরত হুসাইন (বা) এর ঘাতক দলের নেতা উমর ইবন
সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাস (বা) এর হত্যাকাণ্ড

ওয়াকিদী বলেন, হযরত ইবন আবী ওয়াক্কাস (বা) একদিন উপবিষ্ট ছিলেন ৷ এমন সময়
তার এক গোলাম এসে উপস্থিত হয়, যার উভয় গোড়ালী যেয়ে রক্ত প্রবাহিত হচ্ছিল ৷ লাল
(বা) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার সঙ্গে এই আচরণ কে করল ? গোলাম বলল, আপনার
পুত্র উমর ৷ সাদ (রা) বললেন, হে আল্লাহ ! তুমি তাকে খুন কর এবং তার রক্ত প্রবাহিত কর ৷
সা’দ (বা) মুস্তজাবুদ্দাওয়াহ (এমন ব্যক্তি, যিনি দৃআ করলে তা অবশ্যই কবুল হয়) ছিলেন ৷
মুখতার যখন কুফার ক্ষমতা দখল করে, তখন উমর ইবন সাদ আবদুল্লাহ ইবন জাদা ইবন
হুবায়রার আশ্রয় গ্রহণ করে ৷ আবদুল্লাহ ইবনজাদা ছিলেন আলী (রা)-এর আত্মীয়তার সুত্রে
মুখতারের বন্ধু ৷ তিনি মুখতারের নিকট এসে উমর ইবন সাদ-এর জন্য নিরাপত্তা নিয়ে দেন
যার ভষ্যে ছিল এই “উমর ইবন সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাস (বা) তার ব্যক্তিসত্তা পরিবার
পরিজন ও সহায়-সম্পদের ক্ষেত্রে নিরাপদ, যতক্ষণ পর্যন্ত যে নিজ আবাসস্থল ও নিজ শহরে
অবস্থান করবে,ততক্ষণ না সে কোন ঘটনা সংঘটিত করবে ৷ শেষোক্ত শর্ত দ্বারা মুখতার
বুঝাতে চেয়েছিল্, যতক্ষণ পর্যন্ত যে পেশার পায়খান৷ না করবে ৷
উমর ইবন সাদ যখন জানতে পারল যে, খতার তাকে খুন করতে চায়, তখন সে এক রাতে
নিজ গৃহ থেকে বের হয়ে ঘুখতার কিংবা উবায়দুল্লাহ্ ইবন যিয়াদের উদ্দোশ্য রওয়ানা হয় ৷ কিন্তু
তার এক গোলাম ঘটনাটি সম্পর্কে যুখতারকে গোপনে অবহিত করে ৷ মুখতার বলল, ’এর চেয়ে
বড় ঘটনা আর কী হতে পারে ? কেউ কেউ বলেন, উমর-এর গোলাম উমরকেই বলেছিল, আপনি
আপনার বাসস্থান থেকে বের হবেন ? আপনি ফিরে যান ফলে উমর ইবন সাদ ফিরে যায় ৷
সকাল বেলা উমর মুখতারের্ নিকট লোক পাঠিয়ে জিজ্ঞাসা করে আপনি কি আপনার প্রদত্ত
নিরাপত্তার ব্যাপারে অটল আছেন ? কেউ কেউ বলেন, উমর ইবন সাদ নিজেই মৃখতারের
নিকট এসে বিষয়টা জানতে চায় ৷ যুখতার তাকে বলল, তুমি বস ৷ কারো কারো মতে উমর
ইবন সাদ আবদুল্লাহ ইবন জাদাকে মুখতারের নিকট প্রেরণ করেছিল ৷ ইবন জাদা
মুখতারকে জিজ্ঞাসা করে ৷ আপনি উমর ইবন সাদকে যে নিরাপত্তা প্রদান করেছিলেন তার
উপর কি অটল আছেন ? জবাবে মুখতারতাকে বলল, আপনি বসুন ৷ আবদুল্লাহ ইবন জাদা
বসলে মুখতার তার নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধানকে বলল, তুমি গিয়ে তার মাথাটা আমার নিকট
নিয়ে আস ৷ রক্ষী প্রধান গিয়ে উমর ইবন সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাসকে হত্যা করে যুখতারের
নিকট তার ছিন্ন মাথা নিয়ে আসে ৷
এক বর্ণনায় আছে, মুখতার এক রাতে বলল, আমি আগাযীকাল এমন এক ব্যক্তিকে হত্যা
করব, যার পা দু’টো বিশাল আকৃতির চক্ষুদ্বয় কােঠারাগত এবং ভ্রুযুপল স্ফীত ৷ যার হত্যাকাণ্ডে
মু’মিনপণ ও ভৈনকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতাগণ আনন্দিত হবে ৷ হাইছাম ইবন আ সওয়াদ সেখানে
উপস্থিত ছিলেন ৷ তিনি বুঝতে পারলেন, ঘুখতারের লক্ষ্য তো উমর ইবন সাদ ৷ তাই তিনি
নিজ পুত্র পারছানকে প্রেরণ করে তাকে সতর্ক করে দেন ৷ উমর ইবন সাদ বলে উঠল এটা


وَبَعْثَ الْمُخْتَارُ إِلَى حَكِيمِ بْنِ فُضَيْلٍ السِّنْبِسِيِّ - وَكَانَ قَدْ سَلَبَ الْعَبَّاسَ بْنَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ يَوْمَ قُتِلَ الْحُسَيْنُ - فَأُخِذَ، فَذَهَبَ أَهْلُهُ إِلَى عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ فَرَكِبَ لِيَشْفَعَ فِيهِ عِنْدَ الْمُخْتَارِ، فَخَشِيَ أُولَئِكَ الَّذِينَ أَخَذُوهُ أَنْ يَسْبِقَهُمْ عَدِيٌّ إِلَى الْمُخْتَارِ فَيُشَفِّعَهُ فِيهِ، فَقَتَلُوا حَكِيمًا قَبْلَ أَنْ يَصِلَ إِلَى الْمُخْتَارِ، فَدَخَلَ عَدِيٌّ فَشَفَعَ فِيهِ فَشَفَّعَهُ فِيهِ، فَلَمَّا رَجَعُوا وَقَدْ قَتَلُوهُ شَتَمَهُمْ عَدِيٌّ، وَقَامَ مُتَغَضِّبًا عَلَيْهِمْ، وَقَدْ تَقَلَّدَ مِنَّةَ الْمُخْتَارِ، وَبَعَثَ الْمُخْتَارُ إِلَى زَيْدِ بْنِ رُقَادٍ، وَكَانَ قَدْ قَتَلَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُسْلِمِ بْنِ عَقِيلٍ، فَلَمَّا أَحَاطَ الطَّلَبُ بِدَارِهِ خَرَجَ فَقَاتَلَهُمْ فَرَمَوْهُ بِالنَّبْلِ وَالْحِجَارَةِ حَتَّى سَقَطَ، ثُمَّ حَرَّقُوهُ وَبِهِ رَمَقُ الْحَيَاةِ، وَطَلَبَ الْمُخْتَارُ سِنَانَ بْنَ أَنَسٍ، الَّذِي كَانَ يَدَّعِي أَنَّهُ قَتَلَ الْحُسَيْنَ، فَوَجَدُوهُ قَدْ هَرَبَ إِلَى الْبَصْرَةِ أَوِ الْجَزِيرَةِ فَهُدِمَتْ دَارُهُ. وَكَانَ مُحَمَّدُ بْنُ الْأَشْعَثِ بْنِ قَيْسٍ مِمَّنْ هَرَبَ إِلَى مُصْعَبٍ فَأَمَرَ الْمُخْتَارُ بِهَدْمِ دَارِهِ، وَأَنْ يُبْنَى بِهَا دَارُ حَجَرِ بْنِ عَدِيٍّ الَّتِي كَانَ زِيَادٌ هَدَمَهَا. [مَقْتَلُ عُمَرَ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ أَمِيرِ الْجَيْشِ الَّذِينَ قَتَلُوا الْحُسَيْنَ] قَالَ الْوَاقِدِيُّ: كَانَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، جَالِسًا ذَاتَ يَوْمٍ ;
পৃষ্ঠা - ৬৯১৮


কীভাবে হতে পারে তিনি তে ৷ আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ৷ কফা আগমনের পর মুখতার
সেখানকার অধিবাসীদের সঙ্গে উত্তম আচরণ করে এবং উমর ইবন সা দকে নতুন কোন
ঘটনার অবতরণা না করার শর্তে লিখিত নিরাপত্তা প্রদান করেছিল ৷
আবু ঘুখানৃনাফ বলেন, আবু জাফর আল বাকির বলেছেন, মুখতারের উদ্দেশ্য ছিল
যতক্ষণ সে শৌচাগারে প্রবেশ করে তাতে শৌচকর্ম না করে ৷ বিষয়টা বুঝতে পেরে উমর ইবন
সা দ বিচলিত হয়ে পড়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছুটাছুঢি করতে শুরু করে ৷ শেষে আবার
নিজ গৃহেই ফিরে আসে ৷ মুখতার তার স্থান বদলেব সংবাদ পেয়ে বলল, কখনো নয় ৷ আল্লাহর
শপথ ! নিশ্চয় তার ঘাড় এমন একটি শিকল রয়েছে, যেটি তাকে উপুড় করে ফেলে দিয়ে ৷
সে যদি উড়েও বেড়ায় হুসাইন (রা)-এর রক্তঋণ তাকে ধরে ফেলরে এবং তাকে তার পা ধরে
নামিয়ে ফেলবে ৷ মুখতার তাকে ধরে আমার জন্য আবু আমরাকে প্রেরণ করে ৷ উমর ইবন
সা দ তার থেকে পালাতেন্ গিয়ে জুব্বায় জড়িয়ে পড়ে যায় ৷ আবু আম্মারা তরবাবি দ্বারা আঘাত
করে তাকে হত্যা করে ফেলে এবং তার মাথাটা নিজ আলখিল্লার নীচে লুকিয়ে এনে মুখতারের
সম্মুখে রেখে দেয় ৷ উমর ইবন সা দ এর পুত্র হাফ্স মুখত তারে নিকট বসা ছিল ৷ মুখতার তাকে
বলল, এই মাথাটা কি চিনতে পার ? হাফ্স বলল, হ্যা, এরপর আর বেচে থেকে আমার কোন
কল্যাণ নেই ৷ মুখতার বলল, ঠিক বলেছ ৷ তারপর মুখতারের নির্দোশ রতবারির আঘাতে
হাফ্স এর পর্দান উড়িয়ে আর মাথাটাও তার পিতার মাথার সঙ্গে রেখে দেয়৷ হল ৷ তারপর
মুখতার বলল, এটি হুসাইন (রা)-এর বদলা আর এটি আলী আকবর ইবন হুসাইন-এর
বদলা ৷ তবে দু’টো সমান নয় ৷ আল্পাহ্র শপথ হুসাইন (না)-এর বদলারুপে যদি আমি
কুরায়শের তিন চতুর্থাৎশকেও হত্যা করি তবু তা তার একটি আঙ্গুলের বদলা হবে না ৷ তারপর
মুখতার মস্তক দু’টোকে মুহাম্মদ ইবন আল হানাফিয়ার নিকট পাঠিয়ে দেয় এবং সঙ্গে এ
বিষয়ে একখান৷ পত্রও লিখে দেয় যার বিবরণ নিম্নরুপ-
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম ৷
মুখতার ইবন আবু উবায়দ এর পক্ষ থেকে মুহাম্মদ ইবন আলী (রা)-এর প্ৰতি ৷
হে হিদায়াতপ্রাপ্ত মহান ব্যক্তি ৷ আল্লাহ আপনার উপর শাস্তি বর্যণ করুন ৷ আমি সেই
আল্লাহর প্ৰশৎস৷ জ্ঞাপন করছি, যিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই ৷
হামদ ও সালাতের পর ৷ আল্লাহ আমাকে আপনাদের শত্রুদের প্রতি আযাব প্রেরণ
ৰু করেছেন ৷ এখন তাদের কেউ নিহত ৷ কেউ বন্দী ৷ কেউ দেশাম্ভরিত এবং কেউ পলাতক ৷
সকল প্রশংসা , সেইআল্লাহ্র যিনি আপনাদের ঘাতকদের হত্যা করেছেন এবং আপনার
সহায়তাকারীদের সাহায্য করেছেন ৷ আমি আপনার সমীপে উমর ইবন মধ্যে ও তার পুত্রের
মস্তক প্রেরণ করলাম ৷ আমি হুসাইন (রা) ও তার পরিবারের ঘাতকচক্রের যে ক’জনকেন্সস্তুব
হয়েছে হত্যা করেছি ৷ অবশিষ্টরাও আমাকে অক্ষম করতে পারবে না ৷ তাদের একজনও ভুপৃষ্ঠে
জীবিত থাকা পর্যন্ত আমি ক্ষান্ত হব না ৷ আপনি আমাকে আপনার মতামত লিখে প্রেরণ করুন ৷
হে হিদায়াতপ্রাপ্ত ! আমি সে অনুযায়ী কাজ করব ৷ আপনার উপর শান্তি, আল্লাহ্ৱ রহমত ও
, বরকত নাযিল হোক হে হিদায়াতপ্রাপ্ত
ইবন জারীর মুহাম্মদ ইবন হানাফিয়্যা এই পত্রের জবাব দিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেন
নি ৷ অথচ, তিনি এ বিষয়ে সবিস্তারে আলোচনা করেছেন এবং৩ ব দীর্ঘ আলোচনা মুখতার-
এর প্রতি তার সহমর্মিত৷ প্রমাণিত হয় ৷ সে জন্যই তিনি তার সৎ কলনে আবু মুখানৃনাফ লুত


إِذْ جَاءَ غُلَامٌ لَهُ، وَدَمُهُ يَسِيلُ عَلَى عَقِبَيْهِ، فَقَالَ لَهُ سَعْدٌ: مَنْ فَعَلَ بِكَ هَذَا؟ فَقَالَ: ابْنُكَ عُمَرُ. فَقَالَ سَعْدُ: اللَّهُمَّ اقْتُلْهُ وَأَسِلْ دَمَهُ. وَكَانَ سَعْدٌ مُسْتَجَابُ الدَّعْوَةِ، فَلَمَّا ظَهَرَ الْمُخْتَارُ عَلَى الْكُوفَةِ اسْتَجَارَ عُمَرُ بْنُ سَعْدٍ بِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْدَةَ بْنِ هُبَيْرَةَ، وَكَانَ صَدِيقًا لِلْمُخْتَارِ مِنْ قَرَابَتِهِ مِنْ عَلِيٍّ، فَأَتَى الْمُخْتَارَ فَأَخْذَ مِنْهُ لِعُمَرَ بْنِ سَعْدٍ أَمَانًا ; مَضْمُونُهُ أَنَّهُ آمِنٌ عَلَى نَفْسِهِ وَأَهْلِهِ وَمَالِهِ مَا أَطَاعَ وَلَزِمَ رَحْلَهُ وَمِصْرَهُ مَا لَمْ يُحْدِثْ حَدَثًا، وَأَرَادَ الْمُخْتَارُ مَا لَمْ يَأْتِ الْخَلَاءَ فَيَبُولَ أَوْ يَغُوطَ، وَلَمَّا بَلَغَ عُمَرُ بْنُ سَعْدٍ أَنَّ الْمُخْتَارَ يُرِيدُ قَتْلَهُ خَرَجَ مِنْ مَنْزِلِهِ لَيْلًا يُرِيدُ السَّفَرَ نَحْوَ مُصْعَبٍ أَوْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ فَنَمَى لِلْمُخْتَارِ بَعْضُ مَوَالِيهِ ذَلِكَ. فَقَالَ الْمُخْتَارُ: وَأَيُّ حَدَثٍ أَعْظَمُ مِنْ هَذَا؟ وَقِيلَ: إِنَّ مَوْلَاهُ قَالَ لَهُ ذَلِكَ، وَقَالَ لَهُ: تَخْرُجُ مِنْ مَنْزِلِكَ وَرَحْلِكَ؟ ارْجِعْ. فَرَجَعَ. وَلَمَّا أَصْبَحَ بَعْثَ إِلَى الْمُخْتَارِ يَقُولُ لَهُ: هَلْ أَنْتَ مُقِيمٌ عَلَى أَمَانِكَ؟ وَقِيلَ: إِنَّهُ أَتَى الْمُخْتَارَ يَتَعَرَّفُ مِنْهُ ذَلِكَ، فَقَالَ لَهُ الْمُخْتَارُ: اجْلِسْ. وَقِيلَ: إِنَّهُ أَرْسَلَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ جَعْدَةَ إِلَى الْمُخْتَارِ يَقُولُ لَهُ: هَلْ أَنْتَ مُقِيمٌ عَلَى أَمَانِكَ لَهُ؟ فَقَالَ لَهُ الْمُخْتَارُ: اجْلِسْ. فَلَمَّا جَلَسَ قَالَ الْمُخْتَارُ: لِصَاحِبِ حَرَسِهِ: اذْهَبْ فَأْتِنِي بِرَأْسِهِ، فَذَهَبَ إِلَيْهِ فَقَتَلَهُ، وَأَتَاهُ بِرَأْسِهِ. وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّ الْمُخْتَارَ قَالَ لَيْلَةً: لَأَقْتُلَنَّ غَدًا رَجُلًا عَظِيمَ الْقَدَمَيْنِ، غَائِرَ الْعَيْنَيْنِ، مُشْرِفَ الْحَاجِبَيْنِ، يُسَرُّ بِقَتْلِهِ الْمُؤْمِنُونَ وَالْمَلَائِكَةُ الْمُقَرَّبُونَ، وَكَانَ الْهَيْثَمُ بْنُ الْأَسْوَدِ حَاضِرًا فَوَقَعَ فِي نَفْسِهِ أَنَّهُ أَرَادَ عُمَرَ بْنَ سَعْدٍ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ ابْنُهُ
পৃষ্ঠা - ৬৯১৯
الْعُرْيَانُ فَأَنْذَرَهُ، فَقَالَ: كَيْفَ يَكُونُ هَذَا بَعْدَمَا أَعْطَانِي مِنَ الْعُهُودِ وَالْمَوَاثِيقِ؟ وَكَانَ الْمُخْتَارُ حِينَ قَدِمَ الْكُوفَةَ أَحْسَنَ السِّيرَةَ إِلَى أَهْلِهَا أَوَّلًا، وَكَتَبَ لِعُمَرَ بْنِ سَعْدٍ كِتَابَ أَمَانٍ إِلَّا أَنْ يُحْدِثَ حَدَثًا. قَالَ أَبُو مِخْنَفٍ: وَكَانَ أَبُو جَعْفَرٍ الْبَاقِرُ يَقُولُ: إِنَّمَا أَرَادَ الْمُخْتَارُ إِلَّا أَنْ يَدْخُلَ الْكَنِيفَ فَيُحَدِثَ فِيهِ. ثُمَّ إِنَّ عُمَرَ بْنَ سَعْدٍ قَلِقَ أَيْضًا، ثُمَّ جَعَلَ يَتَنَقَّلُ مِنْ مَحَلَّةٍ إِلَى مَحَلَّةٍ، ثُمَّ صَارَ أَمْرُهُ أَنَّهُ رَجَعَ إِلَى دَارِهِ، وَقَدْ بَلَغَ الْمُخْتَارَ انْتِقَالُهُ مِنْ مَوْضِعٍ إِلَى مَوْضِعٍ، فَقَالَ: كَلَّا وَاللَّهِ، إِنَّ فِي عُنُقِهِ سِلْسِلَةً تَرُدُّهُ لَوْ جَهِدَ أَنْ يَنْطَلِقَ مَا اسْتَطَاعَ، ثُمَّ أَصْبَحَ فَبَعْثَ إِلَيْهِ أَبَا عَمْرَةَ، فَدَخْلَ عَلَيْهِ، فَقَالَ: أَجِبِ الْأَمِيرَ، فَقَامَ عُمَرُ، فَعَثَرَ فِي جُبَّتِهِ، فَضَرَبَهُ أَبُو عَمْرَةَ بِالسَّيْفِ حَتَّى قَتَلَهُ، وَجَاءَ بِرَأْسِهِ فِي أَسْفَلِ قَبَائِهِ حَتَّى وَضَعَهُ بَيْنَ يَدَيِ الْمُخْتَارِ، فَقَالَ الْمُخْتَارُ لِابْنِهِ حَفْصِ بْنِ عُمَرَ - وَكَانَ جَالِسًا عِنْدَ الْمُخْتَارِ -: أَتَعْرِفُ هَذَا الرَّأْسَ؟ فَاسْتَرْجَعَ وَقَالَ: نَعَمْ، وَلَا خَيْرَ فِي الْعَيْشِ بَعْدَهُ، فَقَالَ: صَدَقْتَ، ثُمَّ أَمَرَ بِهِ فَضُرِبَتْ عُنُقُهُ، وَوُضِعَ رَأْسُهُ مَعَ رَأْسِ أَبِيهِ، ثُمَّ قَالَ الْمُخْتَارُ هَذَا بِالْحُسَيْنِ، وَهَذَا بِعَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ الْأَكْبَرِ، وَلَا سَوَاءَ، وَاللَّهِ لَوْ قَتَلْتُ بِهِ ثَلَاثَةَ أَرْبَاعِ قُرَيْشٍ مَا وَفُّوا أُنْمُلَةً مِنْ أَنَامِلِهِ. ثُمَّ بَعَثَ الْمُخْتَارُ بِرَأْسَيْهِمَا إِلَى مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ وَكَتَبَ إِلَيْهِ كِتَابًا فِي ذَلِكَ:
পৃষ্ঠা - ৬৯২০


ইবন ইয়াহইয়া-এর বিপুল পরিমাণ বর্ণনা উল্লেখ করেছেন ৷ অথচ, আবু মিখনাফ রাবী হিসাবে
অভিযুক্ত ৷ বিশেষত শীআ বিষয়ক আলোচনায় ৷ আর এই স্থানটি শীআদের জন্য খুবই
পছন্দৰীয় ৷ কেননা, এখানে হযরত হুসাইন (রা) ও তীর পরিবারের লোকজন হত্যাকাণ্ডের
প্রতিশোধ নেয়ার কথা রয়েছে আর তার খুনীদেরকে হত্যা করা যে আরশ্যকছিল্ তাতে কোন
সন্দেহ নেই এবং একাজে অগ্রণী ভুমিকা পালন করা ছিল সৌভাগ্যের বিষয় ৷ কিন্তু আল্লাহ এ
কাজটা মুখতার নামক একজন মিথ্যাবাদীর হাতে অর্পণ করেছেন ৷ যে তার প্রতি ওহী
আগমনের দাবি করে কাফির হয়ে গিয়েছিল ৷ রাসুল (সা) বলেছেন
নিশ্চয় আল্লাহ পাপিষ্ট লোক দ্বারা এই দীনকে শক্তিশা লী করে থাকেন ৷ (বুখারী, ফাতহুল
বারী ৭, : ৭ ১ এর বরাতে) আল্লাহ তা আলা মহাগ্নন্থ আল কুরআনে বলেন-
এা৷ৰু;,
এভাবে তাদের কৃতকর্মের জন্য আমি জালিমদের এক দলকে অন্য দলের বন্ধু করে যা ৷কি ৷
(আন আম৪ ১২৯) ন্
কবি বলেন-
৮,
সবহাতেরউপর আল্লাহর কুদরভী হাত বিদ্যামান এবং প্রত্যেক অ ত্যাচারীকে আরেক
অত্যাচারী দ্বার৷ নাজেহাল হতে হবে ৷ ’
সামনে লুখতারএর এমন আলোচনা আসছে, যা তার মিথ্যাবাদিতা, মনগড়৷ উক্তি এবং
তার আহলে বায়আত এর সাহায্যশ্স্হ্যোগিতা অসত্য মৌখিক দাবি প্রমাণিত করবে ৷ আসলে
এটি হল তার ছদ্মরুপ৩ তার আসল উদ্দেশ্য ছিল শী আ অধিবাসীদেরকে স্বপক্ষে টেনে আনা,
যাতে তারা তাকে ক্ষমতায় সুপ্রতিষ্ঠিত করে দেয় এবং৩ তাদের সহারতায় প্রতিপক্ষের উপর
আক্রমণ চালাতে পারে ৷
তারপর আল্লাহ তার উপর এমন এক ব্যক্তিকে ক্ষমতাসীন করেন, যে তার থেকে
প্রতিশোধ গ্রহণ করে ৷ এই সেই ক ৷য্যাব, (মিথ্যাবাদী) যার সম্পর্কে আসম৷ বিনৃত আবু বকর
সিদ্দীক (রা) বর্ণি৩ হাদীসে আছে যে, রাসুল (সা) বলেছেন
অচিরেই ছ কিফ গোত্রে একজন মিথ্যাবাদী ও একজন ধ্বং ৎসকাবীর আবির্ভাব ঘটবে ৷
(বায়হাকী, দালইিল খায়র পৃ ৪৮২ং মুসলিমেও অনুরুপ বর্ণনা রয়েছে)
এই মুখতারই হল সেই কায্যাব’ যে নিজেকে শীঅ৷ বলে মিথ্যা দাবি করত ৷ আর
মুবীর’ হলেন হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ ছাকাফী, যিনি খলীফ৷ আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান-এর
পক্ষ থেকে কুফার গভর্নর পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন ৷ এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা পরে আসছে ৷
হাজ্জাজ ছিলেন খলীফার বিপরীত চরিত্রের মানুষ ৷ তিনি ছিলেন নসিবী (কঠোর পালী বিরোধী)
সাহসী ও অত্যাচারী ৷৩ তবে তিনি মুখতার এর ন্যায় ধর্যচ্যুত ও নবুওয়াতের দা৷বদার ছিলেন
না ৷ তিনি এ দা৷বও করতে ন না যে, তার নিকট আল্লাহর তরফ থেকে ওহী আসে
ইবন জা ৷রীর বলেন, সে বছরই মুখ৩ তার মুছান্ন৷ ইবন মাখরাম৷ আল আবদীকে বসরা প্রেরণ
করে, সে বসরার অধিবাসীদেরকে যথাসম্ভব তার পক্ষে দাওয়াত প্রদান করবে ৷ ধ্মুছান্ন৷ ইবন


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ لِلْمَهْدِيِّ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ مِنَ الْمُخْتَارِ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ سَلَامٌ عَلَيْكَ أَيُّهَا الْمَهْدِيُّ فَإِنِّي أَحْمَدُ إِلَيْكَ اللَّهَ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، أَمَّا بَعْدُ: فَإِنَّ اللَّهَ بَعَثَنِي نِقْمَةً عَلَى أَعْدَائِكُمْ، فَهُمْ بَيْنَ قَتِيلٍ وَأَسِيرٍ وَطَرِيدٍ وَشَرِيدٍ، فَالْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي قَتَلَ قَاتِلَكُمْ وَنَصَرَ مُؤَازِرَكُمْ، وَقَدْ بَعَثْتُ إِلَيْكَ بِرَأْسِ عُمَرَ بْنِ سَعْدٍ وَابْنِهِ، وَقَدْ قَتَلْنَا مَنْ شَرَكَ فِي دَمِ الْحُسَيْنِ وَأَهْلِ بَيْتِهِ كُلَّ مَنْ قَدَرْنَا عَلَيْهِ، وَلَنْ يُعْجِزَ اللَّهَ مَنْ بَقِيَ، وَلَسْتُ بِمُنْحَجِمٍ عَنْهُمْ حَتَّى لَا يَبْلُغَنِي أَنَّ عَلَى أَدِيمِ الْأَرْضِ مِنْهُمْ إِرْمِيًّا فَاكْتُبْ إِلَيَّ أَيُّهَا الْمَهْدِيُّ بِرَأْيِكَ أَتَّبِعُهُ وَأَكُنْ عَلَيْهِ، وَالسَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا الْمَهْدِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ. وَلَمْ يَذْكُرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ مُحَمَّدًا ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ رَدَّ جَوَابَهُ، مَعَ أَنَّ ابْنَ جَرِيرٍ قَدْ تَقَصَّى هَذَا الْفَصْلَ وَأَطَالَ شَرْحَهُ، وَيَظْهَرُ مِنْ غُبُونِ كَلَامِهِ وَنِظَامِهِ قُوَّةُ وَجْدِهِ بِهِ وَغَرَامِهِ، وَلِهَذَا تَوَسَّعَ فِي إِيرَادِهِ بِرِوَايَاتِ أَبِي مِخْنَفٍ لُوطِ بْنِ يَحْيَى، وَهُوَ مُتَّهَمٌ فِيمَا يَرْوِيهِ، وَلَا سِيَّمَا فِي بَابِ التَّشَيُّعِ، وَهَذَا الْمَقَامُ لِلشِّيعَةِ فِيهِ غَرَامٌ وَأَيُّ غَرَامٍ، إِذْ فِيهِ الْأَخْذُ بِثَأْرِ الْحُسَيْنِ وَأَهْلِهِ مِنْ قَتَلَتِهِمْ وَالِانْتِقَامُ مِنْهُمْ. وَلَا شَكَّ أَنَّ قَتْلَ قَتَلَتِهِ كَانَ مُتَحَتِّمًا، وَالْمُبَادِرَةُ إِلَيْهِ كَانَ مَغْنَمًا، وَلَكِنْ إِنَّمَا قَدَّرَهُ اللَّهُ عَلَى يَدِ الْمُخْتَارِ الْكَذَّابِ الَّذِي صَارَ بِدَعْوَاهُ إِتْيَانَ الْوَحْيِ إِلَيْهِ كَافِرًا، وَقَدْ قَالَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ لِيُؤَيِّدُ هَذَا الدِّينَ بِالرَّجُلِ الْفَاجِرِ» وَقَالَ تَعَالَى فِي كِتَابِهِ الَّذِي هُوَ أَفْضَلُ مَا يَكْتُبُهُ الْكَاتِبُونَ: {وَكَذَلِكَ نُوَلِّي بَعْضَ الظَّالِمِينَ بَعْضًا بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ} [الأنعام: 129]
পৃষ্ঠা - ৬৯২১
وَقَالَ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ: وَمَا مِنْ يَدٍ إِلَّا يَدُ اللَّهِ فَوْقَهَا ... وَلَا ظَالِمٍ إِلَّا سَيُبْلَى بِظَالِمِ وَسَيَأْتِي فِي تَرْجَمَةِ الْمُخْتَارِ مَا يَدُلُّ عَلَى كَذِبِهِ وَافْتِرَائِهِ، وَادِّعَائِهِ نُصْرَةَ أَهْلِ الْبَيْتِ، وَهُوَ فِي نَفْسِ الْأَمْرِ مُتَسَتِّرٌ بِذَلِكَ لِيَجْمَعَ عَلَيْهِ رَعَاعًا مِنَ الشِّيعَةِ الَّذِينَ بِالْكُوفَةِ ; لِيُقِيمَ لَهُمْ دَوْلَةً وَيَصُولَ بِهِمْ وَيَجُولَ عَلَى مُخَالِفِيهِ صَوْلَةً. ثُمَّ إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى سَلَّطَ عَلَيْهِ مَنِ انْتَقَمَ مِنْهُ، وَهَذَا هُوَ الْكَذَّابُ الَّذِي قَالَ فِيهِ الرَّسُولُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَدِيثِ أَسْمَاءَ بِنْتِ الصِّدِّيقِ «إِنَّهُ سَيَكُونُ فِي ثَقِيفٍ كَذَّابٌ وَمُبِيرٌ» فَهَذَا هُوَ الْكَذَّابُ، وَهُوَ يُظْهِرُ التَّشَيُّعَ، وَأَمَّا الْمُبِيرُ فَهُوَ الْحَجَّاجُ بْنُ يُوسُفَ الثَّقَفِيُّ وَقَدْ وُلِّيَ الْكُوفَةَ مِنْ جِهَةِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ كَمَا سَيَأْتِي، وَكَانَ الْحَجَّاجُ عَكْسَ هَذَا؛ كَانَ نَاصِبِيًّا جَلْدًا ظَالِمًا غَاشِمًا، وَلَكِنْ لَمْ يَكُنْ فِي طَبَقَةِ هَذَا، يُتَّهَمُ عَلَى دِينِ الْإِسْلَامِ، وَدَعْوَى النُّبُوَّةِ، وَأَنَّهُ يَأْتِيهِ الْوَحْيُ مِنَ الْعَلِيِّ الْعَلَّامِ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ بَعَثَ الْمُخْتَارُ الْمُثَنَّى بْنَ مُخَرِّبَةَ الْعَبْدِيَّ إِلَى الْبَصْرَةِ يَدْعُو إِلَيْهِ مَنِ اسْتَطَاعَ مَنْ أَهْلِهَا، فَدَخَلَهَا وَابْتَنَى بِهَا مَسْجِدًا يَجْتَمِعُ إِلَيْهِ فِيهِ قَوْمُهُ فَجَعَلَ يَدْعُو إِلَى الْمُخْتَارِ ثُمَّ أَتَى مَدِينَةَ الرِّزْقِ، فَعَسْكَرَ عِنْدَهَا فَبَعَثَ إِلَيْهِ الْحَارِثُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ الْقُبَاعُ - وَهُوَ أَمِيرُ الْبَصْرَةِ قَبْلَ أَنْ يُعْزَلَ
পৃষ্ঠা - ৬৯২২


মদুখরদুমা রসরদুর অধিবাসীরা এই মসজিদে সমবেত হতে শুরু করলে মুছদুন্নদু ইবন মদুখরামদু
’ তাদেরকে মুখতারের প্রতি আহবান জানাতে শুরু করে ৷ তারপর আসে আল-ওয়দুরক (তাবারী
ও ইবন আহীরের বর্ণনায় রদুযক) শহরে ৷ এখানে সেণ্সদুমরিক ঘীটি পাড়ে ৷ ফলে হদুরিছ ইবন
আবদুল্লাহ্ ইবন রবীআ অদুল-কুবদু যিনি মুসআর-এর পুর্বে রসরদুর গভর্নর ছিলেন ৷ পুলিশ
প্রধান আব্বাস ইবনুল হুস ইন ও কায়স ইবনু ল হদুরছদুম এর সেনদুপতিত্বে বাহিনী প্রেরণ
করেন ৷ তার দুমৃছদুন্ন দুণ্দু ইবন মাখরামদু এর সঙ্গে যুদ্ধ করে তার করল থেকে শহর পুনরুদ্ধার
করেন এবং তার বাহিনীকে পর জি৩ করেন ৷ রনু আরদিল কায়স মুছদুন্নদুর বাহিনীর সাহায্যে
এগিয়ে এসেছিল ৷ ফলে হদুবিছ ইবন অদুবদুল্লদুহ্ত তাদের বিরুদ্ধে অভিযান প্রেরণ করেন ৷ উভয়
প ৷ৰু সংঘদুতে লিপ্ত পহয়ে পড়েন ৷ হারিছ ইবন আরদুল্লাহ্ উভয়ের মদুঝে মীমাংসদু করে দেয়ার
জন্য তা দুহনদুফ ইবন কায়স ও আমর (৩ তাবদুরী ও ইবনুল অদুহীরের বর্ণনায় উমর) ইবন আবদুর
রহমান আল মদুখবুমীকে প্রেরণ করেন ৷ মালিক ইবন মুসদুম্মা৩ তাদের সহযোগিতা করেন ৷
৩ দুদের মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষ সং ঘদুত ত্যাগ করে যার যার পথে চলে যায় ৷
মুছানদু ইবন মাখরামা ক্ষুদ্র একটি দল নিয়ে পরাজিত ও নিরস্ত্র অবস্থায় মুখতার এর নিকট
ফিরে যায় এবং আহনদু ফ প্রমুখ আমীরদের হাতে যে সন্ধি সমঝো৩ দু অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাকে
সে বিষয়ে অবহিত করে ৷ মুখতদুর৩ তাদের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠে এবং পত্র মদুরফত
তাদেরকে তার মিশনের প্ৰতি সমর্থন দদুনপুর্বক তার দলভুক্ত হওয়ার আহবান জানায় ৷ মুখতার
পত্রখদুনদু লিখে আহনদুফ ইবন কায়স এর নদুমে যার ভাষ্য নিম্নরুপ-
মুখতার এর পক্ষ থেকে আহনদুফ ইবন কায়স ও তার সমর্থনকারী আমীরদ্রের প্রতি ৩া
আশাকরি ভাল আছেন ৷ পর সংরদুদ,মুযদুর-এর বনু রবী আর জন্য ধ্বংস অরধদুরিত
আহনদুফ তার সম্প্রদদুয়কে জদুহদুন্নদুমে নিক্ষেপ করছে ৷ যেখান থেকে মুক্তিলাভ করা তাদের
পক্ষে সম্ভব হবে না ৷ তাকদীরে যা লিপিবদ্ধ হয়ে আছে৩ তার উপর আমার কান ক্ষমতা নেই ৷
আমি শুনতে পেরেছি৫ তামরা আমাকে কায্যদুর’ (মিথ্যাবদুদী) অদুখ্যদুয়িত করেছ ৷ শেদুন!
আমার পুর্বেও নবী-রদুসীলগণকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা হয়েছিণ ৷ আমি তো তাদের অপেক্ষা
উত্তম নই ৷
ইবন জা দুরীর বলেন, আবুস সারির সালাম ইবন জুনাদদু শদু বী থেকে বর্ণনদু করেন যে৩ ,তিনি
বলেছেন, একদিন আমি বসরা গমন করে এমন একটি মজলিসে উপবেশন করি, যেখানে
আহনাফ ইবন কায়স উপ তছিলেন ৷ এক ব্যক্তি আমাকে জিজ্ঞাসা কংল, আপনি কে ?
রনলদুম, আমি কুফদুর:ণ্অধিবাসী ৷ সে বলল, তোমরা আমাদের গোলাম ৷ আমি রললদুম, তা
কিভদুবে ? সে বলল, আমরদু তােমাদেরকে তোমাদের গোলাম মুখতার বাহিনীর হাত থেকে
রক্ষা করেছি ৷ আমি রললাম, হদুমাদদুনের জনৈক শেখ আমাদের ও তোমাদের ব্যাপারে কী
বলেছেন তা কি জান ? আহনদুফ বললেন, কী রল্যেছুন ? আমি রললদুম তিনি বলেছেন-

ণ্ষ্ষ্১



بِمُصْعَبٍ - جَيْشًا مَعَ عَبَّادِ بْنِ الْحُصَيْنِ أَمِيرِ الشُّرْطَةِ، وَقَيْسِ بْنِ الْهَيْثَمِ فَقَاتَلُوهُ وَأَخَذُوا مِنْهُ الْمَدِينَةَ، وَانْهَزَمَ أَصْحَابُهُ، وَكَانَ قَدْ قَامَ بِنُصْرَتِهِمْ بَنُو عَبْدِ الْقَيْسِ، فَبَعَثَ إِلَيْهِمُ الْجَيْشَ، فَبَعَثُوا إِلَيْهِ فَأَرْسَلَ الْأَحْنَفَ بْنَ قَيْسٍ، وَعَمْرَو بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيَّ لِيُصْلِحَا بَيْنَ النَّاسِ وَسَاعَدَهُمَا مَالِكُ بْنُ مِسْمَعٍ، فَانْحَجَزَ النَّاسُ بَعْضُهُمْ عَنْ بَعْضٍ وَرَجَعَ إِلَى الْمُخْتَارِ فِي نَفَرٍ يَسِيرٍ مِنْ أَصْحَابِهِ مَغْلُولًا مَغْلُوبًا مَسْلُوبًا، وَأَخْبَرَ الْمُخْتَارَ بِمَا وَقَعَ مِنَ الصُّلْحِ عَلَى يَدَيِ الْأَحْنَفِ وَغَيْرِهِ مِنْ أُولَئِكَ الْأُمَرَاءِ، وَطَمِعَ الْمُخْتَارُ فِيهِمْ، وَكَاتَبَهُمْ فِي أَنْ يَدْخُلُوا مَعَهُ فِيمَا هُوَ فِيهِ مِنَ الْأَمْرِ. وَكَانَ كِتَابُهُ إِلَى الْأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ: مِنَ الْمُخْتَارِ إِلَى الْأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ وَمَنْ قِبَلَهُ، فَسِلْمٌ أَنْتُمْ، أَمَّا بَعْدُ: فَوَيْلُ أُمِّ رَبِيعَةَ مِنْ مُضَرَ، وَإِنَّ الْأَحْنَفَ يُورِدُ قَوْمَهُ سَقَرَ، حَيْثُ لَا يَسْتَطِيعُ لَهُمُ الصَّدَرَ، وَإِنِّي لَا أَمْلِكُ لَكُمْ مَا قَدْ خُطَّ فِي الْقَدَرِ، وَقَدْ بَلَغَنِي أَنَّكُمْ تُسَمُّونِي كَذَّابًا، وَقَدْ كُذِّبَ الْأَنْبِيَاءُ مِنْ قَبْلِي، وَلَسْتُ بِخَيْرٍ مِنْهُمْ. وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنِي أَبُو السَّائِبِ سَلْمُ بْنُ جُنَادَةَ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ حَمَّادٍ، عَنْ حِبَّانِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ: دَخَلْتُ الْبَصْرَةَ فَقَعَدْتُ إِلَى حَلْقَةٍ فِيهَا الْأَحْنَفُ بْنُ قَيْسٍ، فَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ: مَنْ أَنْتَ؟ فَقُلْتُ: رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ. فَقَالَ: أَنْتُمْ مَوَالٍ لَنَا. قُلْتُ: وَكَيْفَ؟ قَالَ: قَدْ
পৃষ্ঠা - ৬৯২৩
أَنْقَذْنَاكُمْ مِنْ أَيْدِي عَبِيدِكُمْ مِنْ أَصْحَابِ الْمُخْتَارِ. قُلْتُ: تَدْرِي مَا قَالَ شَيْخٌ مِنْ هَمْدَانَ فِينَا وَفِيكُمْ؟ فَقَالَ الْأَحْنَفُ: وَمَا قَالَ؟ قُلْتُ: قَالَ: أَفَخَرْتُمْ أَنْ قَتَلْتُمْ أَعَبُدًا ... وَهَزَمْتُمْ مَرَّةً آلَ عَزَلْ فَإِذَا فَاخَرْتُمُونَا فَاذْكُرُوا ... مَا فَعَلْنَا بِكُمْ يَوْمَ الْجَمَلْ بَيْنَ شَيْخٍ خَاضِبٍ عُثْنُونَهُ ... وَفَتًى أَبْيَضَ وَضَّاحًا رِفَلْ جَاءَنَا يَهْدِجُ فِي سَابِغَةٍ ... فَذَبَحْنَاهُ ضُحًى ذَبْحَ الْحَمَلْ وَعَفَوْنَا فَنَسِيتُمْ عَفْوَنَا ... وَكَفَرْتُمْ نِعْمَةَ اللَّهِ الْأَجَلْ وَقَتَلْتُمْ بِحُسَيْنٍ مِنْهُمُ ... بَدَلًا مِنْ قَوْمِكُمْ شَرَّ بَدَلْ قَالَ: فَغَضِبَ الْأَحْنَفُ، وَقَالَ: يَا غُلَامُ، هَاتِ الصَّحِيفَةَ، فَأُتِيَ بِصَحِيفَةٍ فِيهَا: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، مِنَ الْمُخْتَارِ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ إِلَى الْأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ أَمَّا بَعْدُ: فَوَيْلُ أُمِّ رَبِيعَةَ مِنْ مُضَرَ، فَإِنَّ الْأَحْنَفَ يُورِدُ قَوْمَهُ سَقَرَ، حَيْثُ لَا يَقْدِرُونَ عَلَى الصَّدَرِ، وَقَدْ بَلَغَنِي أَنَّكُمْ تُكَذِّبُونِي، فَإِنْ كُذِّبْتُ فَقَدْ كُذِّبَتْ رُسُلٌ مِنْ قَبْلِي، وَلَسْتُ بِخَيْرٍ مِنْهُمْ، ثُمَّ قَالَ الْأَحْنَفُ: هَذَا مِنَّا أَوْ مِنْكُمْ.
পৃষ্ঠা - ৬৯২৪



তোমরা কতিপয় দাসকে হত্যা করেছ এবং একদা আলে আদ্লকে পরাজিত করেছ,
তাতেই কি তোমরা গৌরব করছ ?

যখন তোমরা আমাদের সঙ্গে গৌরবই করছে, তো জামাল যুদ্ধের দিন আমরা তোমাদের
সঙ্গে কী আচরণ করেছিলাম সে কথা স্মরণ কর ৷’

সেদিন প্রবীণ লোকেরা রক্তে রঞ্জিত হয়ে গিয়েছিল এবং তরুণরা হয়ে পড়েছিল দুর্বল ৷

তারা বর্যপরিহিত অবস্থায় ময়দানে এসেছিল আর আমরা ৩াদেরকে সকাল বেলা উট
জবাই করার ন্যায় জবাই করেছি ৷

সেদিন আমরা তে ৷মাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছিলাম, কিন্তু তোমরা আমাদের ক্ষমার কথা
ভুলে গেছ এবং আল্লাহর নিয়ামতের ন ৷শুকরী করেছ ৷

তোমরা হুসাইনের বিনিময়ে তোমাদের সম্প্রদায়ের পরিবর্তে তাদের মন্দ লোকদের হত্যা

করেছ ৷ ’

বর্ণনাকারী বলেন, শুনে আহনাফ ক্রোধান্বিত হয়ে গেলেন এবং বললেন, এই ছেলে ৷

চিরকুটটা নিয়ে আলো ৷ তাতে লিখা ছিল : ’
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
মুখতার ইবন আবুউবায়দ এর পক্ষ থেকে আহনাফ ইবন কায়সএর প্রতি ৷
সংবাদ, মুযার-এর বনু রবীআর জন্য ধ্বংস অবধারিত ৷ আহনাফ তার সম্প্রদায়কে

জাহান্নামে নিক্ষেপ করছে, যেখান থেকে মুক্তিলাভ করা তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না ৷ আমার
নিকট সংবাদ পৌছেছে যে, তোমরা আমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করছ ৷ যদি তোমরা আমাকে
মিথ্যা প্রতিপন্ন করে থাকে, তাহলে আমার পুর্বেও রাসুলগণকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা হয়েছিল ৷
আমিও তা তাদের অপেক্ষা উত্তম মানুষ নই ৷

তারপর আহনাফ বললেন,এ লোকঢি আমাদের সম্প্রদায়ের লোক নাকি তোমাদের ?

পরিচ্ছেদ

মুখতার যখন জানতে পারল যে, ইবন যুবায়র৩ তাদের কারণে নির্বুম সময় অতিবাহিত
করছেন, এবং আবদুল মালিকের পক্ষ থেকে ইবন যিয়াদের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক
সিরিয়বাহিনী অপ্রতািরাধ্য গতিতে এগিয়ে আসছে, তখন সে ইবন যুবায়র-এর সঙ্গে কৃত্রিম
আচরণ দেখাতে এবং প্রতারণামুলক কাজ করতে শুরু করে ৷ সে ইবন যুবায়র-এর প্রতি পত্র
লিখে

আমি আপনার হাতে আপনার আনুগত্য ও হি৩ কামনার বায় আত গ্রহণ করেছিলাম ৷ কিন্তু
পরে যখন দেখলাম যে, আপনি আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন, তখন আমি আপনার
থেকে দুরে সরে যাই ৷ এখন যদি আপনি আপনার অঙ্গীকারে বহাল থাকেন, তাহলে আমিও
আপনার আনুগত্যে বহাল আছি ৷

মুখতার তার এই পত্র শীআদের থেকে সম্পুর্ণ গোপন রাখে ৷ কেউ যদি সে ব্যাপারে কিছু
বলত ,তখন সে প্রকাশ করত যে, যে এ ব্যাপারে কিছুই জানে না ৷ মুখতার-এর পত্রখানা ইবন
যুব ইব-এব নিকট পৌছলে তিনি লোকটা সত্যবাদী না মিথ্যাবাদী তা যাচাই করার ইচ্ছা
করেন ৷ তিনি উমর ইবন আবদুর রহমান ইবন হারিছ ইবন হিশামকে ডেকে বললেন, আপনি


[مُصَانَعَةُ الْمُخْتَارِ ابْنَ الزُّبَيْرِ يُرِيدُ خِدَاعَهُ] فَصْلٌ (مُصَانَعَةُ الْمُخْتَارِ ابْنَ الزُّبَيْرِ يُرِيدُ خِدَاعَهُ) وَلَمَّا عَلِمَ الْمُخْتَارُ أَنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ لَا يَنَامُ عَنْهُمْ، وَأَنَّ جَيْشَ الشَّامِ مِنْ قِبَلِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ يَقْصِدُونَهُ مَعَ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ فِي جَمْعٍ كَثِيرٍ لَا يُرَامُ، شَرَعَ يُصَانِعُ ابْنَ الزُّبَيْرِ، يُرِيدُ خِدَاعَهُ وَالْمَكْرَ بِهِ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ إِنِّي كُنْتُ بَايَعْتُكَ عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَالنُّصْحِ لَكَ، فَلَمَّا رَأَيْتُكَ قَدْ أَعْرَضْتَ عَنِّي تَبَاعَدْتُ عَنْكَ، فَإِنْ كُنْتَ عَلَى مَا أَعْهَدُ مِنْكَ فَأَنَا عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ لَكَ. وَالْمُخْتَارُ يُخْفِي هَذَا كُلَّ الْإِخْفَاءِ عَنِ الشِّيعَةِ، فَإِذَا ذَكَرَ لَهُ أَحَدٌ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ أَظْهَرَ لَهُمْ أَنَّهُ أَبْعَدُ النَّاسِ مِنْ ذَلِكَ. فَلَمَّا وَصَلَ كِتَابُهُ إِلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ أَرَادَ أَنْ يَعْلَمَ أَصَادِقٌ أَمْ كَاذِبٌ؟ فَدَعَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ الْمَخْزُومِيُّ، فَقَالَ لَهُ: تَجَهَّزْ إِلَى الْكُوفَةِ فَقَدْ وَلَّيْتُكَهَا. فَقَالَ: وَكَيْفَ وَبِهَا الْمُخْتَارُ؟ فَقَالَ: إِنَّهُ يَزْعُمُ أَنَّهُ سَامِعٌ لَنَا مُطِيعٌ، وَأَعْطَاهُ قَرِيبًا مِنْ أَرْبَعِينَ أَلْفًا يَتَجَهَّزُ بِهَا، فَسَارَ، فَلَمَّا كَانَ بِبَعْضِ الطَّرِيقِ لَقِيَهُ زَائِدَةُ بْنُ قُدَامَةَ مِنْ جِهَةِ الْمُخْتَارِ فِي خَمْسِمِائَةِ فَارِسٍ مُلْبِسَةٍ، وَمَعَهُ سَبْعُونَ أَلْفًا مِنَ الْمَالِ، وَقَدْ تَقَدَّمَ إِلَيْهِ الْمُخْتَارُ فَقَالَ لَهُ: أَعْطِهِ الْمَالَ، فَإِنْ هُوَ انْصَرَفَ وَإِلَّا فَأَرِهِ الرِّجَالَ فَقَاتِلْهُ حَتَّى يَنْصَرِفَ، فَلَمَّا رَأَى عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجِدَّ قَبَضَ الْمَالَ وَسَارَ إِلَى الْبَصْرَةِ فَاجْتَمَعَ هُوَ وَابْنُ مُطِيعٍ بِهَا عِنْدَ أَمِيرِهَا الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبَى رَبِيعَةَ وَذَلِكَ قَبْلَ وُثُوبِ الْمُثَنَّى بْنِ مُخَرِّبَةَ - كَمَا تَقَدَّمَ - وَقَبْلَ وُصُولِ مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ إِلَيْهَا. وَبَعْثَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ ابْنَ عَمِّهِ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ الْحَكَمِ فِي جَيْشٍ إِلَى وَادِي الْقُرَى ; لِيَأْخُذُوا الْمَدِينَةَ مِنْ نُوَّابِ ابْنِ الزُّبَيْرِ وَكَتَبَ الْمُخْتَارُ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৬৯২৫


কুফ৷ ৷যাওয়ার জন্য প্রস্তুত নিন, আমি আপনাকে কুফাব গ৩ নর নিযুক্ত করেছি ৷ উমর ইবন
আবদুর রহমান বললেন তা কি করে হয় ? মুখতা র না কুফ৷ র গ৩ নব ? ইবন যুবায়র উমর
ইবন আবদুর রহমানকে প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য প্রায় চল্লিশ হাজ৷ র দিরহাম প্রদান করেন ৷ উমর
ইবন আবদুর রহমান রওয়ান৷ হভৈয় যান ৷ মাঝপথে মুখতার কর্তৃক প্রেরিত যায়েদ৷ ইবন কুদামা
তার যুথোমুখী হয় ৷ তার সঙ্গে হাজার দিরহাম মুল্যের সম্পদ ছিল ৷ মুখতার তাকে আগাম
নির্দেশ দিয়ে রেখেছিল যে, তাকে সম্পদ গুলো দিয়ে দিও ৷ যদি সে ফিরে যায়, তো ভাল ৷
অন্যথায় তার সঙ্গে যুদ্ধ করবে, যতক্ষণ না সে ফিরে যায় ৷ উমর ইবন আবদুর রহমান সুযোগ
পেয়ে সম্পদ নিয়ে বসরা ফিরে যান ৷ সেখানে তিনি এবং ইবন মুর্তী সেখানকার গভর্নর হারিছ
ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবু রাবীআর সঙ্গে মিলিত হন ৷ এটা মুছান্ন৷ ইবন মাখরামার হামলার
পুর্বের ঘটনা যেমনটা বলা হয়েছে ৷ এটা মুসআব ইবন যুবায়র এর বসরা পৌছার আগের
ঘটনাও বটে ৷

এদিকে আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান তার চাচাভাে ভাই আবদুল মালিক ইবন হারিছ
ইবন আল হাকামকে ইবন যুবায়র-এর প্রতিনিধিদের কবল থেকে মদীনা দখলের লক্ষো
একদল সৈন্যসহ ওয়াদিলকুর৷ র উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেন ৷ মুখতার ইবন যুবায়র এর নিকট পত্র
লিখে, আপনি চা ৷ইলে আমি তা ৷পানার সাহায্য করব ৷ কবর ৷৩ তার উদ্দেশ্য ছিল ইবন যুবায়র-
এর সঙ্গে প্রতারণা করা ৷ ইবন যুরায়র জবাবে লিখেনঃ তুমি যদি আমার অনুগত হয়ে থাক,
তাহলে তাতে আমার আপত্তি নেই ৷ তুমি সিরিয় যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য করার
জন্য ওয়াদিলকুরায় সৈন্য প্রেরণ কর ৷ মুখতার শুরাহবীল ইবন ওয়ারস আল হামদানীর
সেনাপতিত্বে তিন হাজার সৈন্যের একটি বাহিনী প্রস্তুত করে ফেলে ৷ তাদের মধ্যে আরব
যোদ্ধা ছিল অনুর্ধ্ব সাতশত জন ৷ মুখতার সেনাপতি শুরাহবীলকে বলল, তুমি রওয়ান৷ হয়ে
যাঙ্ এবং মদীনায় গিয়ে ঢুকে পড় ৷ তারপর আমার নিকট পত্র লিখে আমার নির্দেশ পৌছা
পর্যন্ত অপেক্ষা কর ৷ তার উদ্দেশ্য ছিল, ইবন যুবায়র থেকে মদীনায় দখল ছিনিয়ে নেয়া ৷
তারপর মক্কায় গিয়ে সেখানে ইবন যুবায়রকে অবরুদ্ধ করে ফেলা ৷

ইবন যুবায়র আভক্ষা করলেন যে, যুখতার৩ তাকে ধোক৷ দেয়ার উদ্দেশ্যে এই বাহিনী প্রেরণ
করে থাকবে ৷ তাই তিনি আক্কাস ইবন সাহ্ল ইবন সা দ আস স ঈদীকে দু হাজ র সৈন্যসহ
প্রেরণ করেন এবং তাকে নির্দেশ ৷দেন যেন তিনি বেদুঈনদের সাহায্য গ্রহণ করেন ৷ তাকে বলে
দেন, যদি দেখ তারা আমার আনুগত্য করছে, তবে£ তা ভাল, অন্যথায় কৌশল অবলম্বন
করবে, যেন আল্লাহ তাদেরকে ধ্বপ্ স করে দেন ৷ আব্বাস ইবন সাহল রওয়ান৷ হয়ে যান ৷ পথে
রকীম নামক স্থানে ইবন ওয়ারস এর সঙ্গে তার সাক্ষাৎ ঘটে ৷ ইবন ওয়ারস তখন তার
সৈন্যদের মাঝে অবস্থান করছিল ৷ সেখানকার জলাশয়ের কাছে৩ তারা দু’জন মিলিত হয় ৷
আব্বাস ইবন ওয়ারসকে জিজ্ঞ৷ ৷সা করেন, আপনারা ইবন যুবায়র এর আনুগত্যে নেই কি ?
ইবন ওয়ারস বলল, অবশ্যই আছি ৷ আব্বাস বললেন, ইবন যুবায়র আমাকে আদেশ করেছেন,
যেন আয়রা ওয়াদিলকুরা গিয়ে সেখানে অবস্থানরত সিরীয় সৈন্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করি ৷ ইবন
ওয়ারস বলল, আমাকে আপনার আনুগত্য করার আদেশ দেয়৷ হয় নি ৷ আমার প্রতি নির্দেশ
হলো, আমি মদীনা প্রবেশ করে আমার মালিকের নিকট পত্র লিখব ৷ তারপর তিনিই আমাকে
আদেশ প্রদান করবেন ৷ এতেই আব্বাস তার মতলর বুঝে ফেললেন ৷ কিন্তু তিনি যে বিষয়টা
বুঝে ফেলেছেন তা প্রকাশ করলেন না ৷ তিনি বললেন, তোমার সিদ্ধান্ত যথার্থ ৷ কাংজ্জী তুমি


ابْنِ الزُّبَيْرِ: إِنْ أَحْبَبْتَ أَنْ أَمُدَّكَ بِمَدَدٍ، وَإِنَّمَا يُرِيدُ الْمُخْتَارُ خَدِيعَتَهُ وَمُكَايَدَتَهُ فَكَتَبَ إِلَيْهِ ابْنُ الزُّبَيْرِ إِنْ كُنْتَ عَلَى طَاعَتِي فَلَسْتُ أَكْرَهُ ذَلِكَ، فَابْعَثْ بِجُنْدٍ إِلَى وَادِي الْقُرَى لِيَكُونُوا مَدَدًا لَنَا عَلَى قِتَالِ الشَّامِيِّينَ فَجَهَّزَ الْمُخْتَارُ ثَلَاثَةَ آلَافٍ عَلَيْهِمْ شُرَحْبِيلُ بْنُ وَرْسٍ الْهَمْدَانِيُّ لَيْسَ فِيهِمْ مِنَ الْعَرَبِ إِلَّا سَبْعُمِائَةٍ، وَقَالَ لَهُ: سِرْ حَتَّى تَدْخُلَ الْمَدِينَةَ فَإِنْ دَخَلَهَا فَاكْتُبْ إِلَيَّ حَتَّى يَأْتِيَكَ أَمْرِي، وَإِنَّمَا يُرِيدُ أَخْذَ الْمَدِينَةِ مِنَ ابْنِ الزُّبَيْرِ، ثُمَّ يَرْكَبُ بَعْدَ ذَلِكَ إِلَى مَكَّةَ لِيُحَاصِرَ ابْنَ الزُّبَيْرِ بِهَا، وَخَشِيَ ابْنُ الزُّبَيْرِ أَنْ يَكُونَ الْمُخْتَارُ بَعَثَ ذَلِكَ الْجَيْشَ مَكْرًا فَبَعَثَ الْعَبَّاسَ بْنَ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيَّ فِي أَلْفَيْنِ وَأَمْرَهُ أَنْ يَسْتَعِينَ بِالْأَعْرَابِ وَقَالَ لَهُمْ: إِنْ رَأَيْتُمُوهُمْ فِي طَاعَتِي وَإِلَّا فَكَايِدُوهُمْ حَتَّى نُهْلِكَهُمْ. فَأَقْبَلَ الْعَبَّاسُ بْنُ سَهْلٍ حَتَّى لَقِيَ ابْنَ وَرْسٍ بِالرَّقِيمِ وَقَدْ تَعَبَّى ابْنُ وَرْسٍ فِي جَيْشِهِ، فَاجْتَمَعَا عَلَى مَاءٍ هُنَالِكَ فَقَالَ لَهُ الْعَبَّاسُ: أَلَسْتُمْ فِي طَاعَةِ ابْنِ الزُّبَيْرِ؟ فَقَالَ بَلَى. قَالَ فَإِنَّهُ قَدْ أَمَرَنِي أَنْ نَذْهَبَ إِلَى وَادِي الْقُرَى فَنُقَاتِلُ مَنْ بِهِ مِنَ الشَّامِيِّينَ، فَقَالَ لَهُ ابْنُ وَرْسٍ: فَإِنِّي لَمْ أُومَرْ بِطَاعَتِكَ، وَإِنَّمَا أُمِرْتُ أَنْ أَدْخُلَ الْمَدِينَةَ، ثُمَّ أَكْتُبَ إِلَى صَاحِبِي فَيَأْمُرَنِي بِأَمْرِهِ. فَفَهِمَ عَبَّاسٌ مَغْزَاهُ، وَلَمْ يُظْهِرْ لَهُ أَنَّهُ فَطِنَ لِذَلِكَ، فَقَالَ لَهُ: رَأْيُكَ أَفْضَلُ، فَاعْمَلْ مَا بَدَا لَكَ، ثُمَّ نَهَضَ الْعَبَّاسُ مِنْ عِنْدِهِ، وَبَعَثَ إِلَيْهِمُ الْجُزُرَ وَالْغَنَمَ وَالدَّقِيقَ، وَقَدْ كَانَ عِنْدَهُمْ حَاجَةٌ أَكِيدَةٌ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৬৯২৬

বা খুশী কর ৷ আব্বাস তার নিকট থেকে উঠে চলে যান এবং তাদের নিকট উট ছাপল ও আটা
পাঠিয়ে দেন ৷ সে মুহুর্তে তাদের এসবের তীব্র প্রয়োজন ছিল ৷৩ তারা ছিল প্রচণ্ড ক্ষুধার্ত ৷ তার৷
পশুগুলাে যবাই করে রান্না করে এবং রুটি তৈরি করে সেই জলাশয়ের নিকট বসে আহার
করে ৷ আব্বাস ইবন সাহ্ল রাতের বেলা তাদের উপর আক্রমণ করে তাদের সেনাপতিসহ
প্রায় সত্তরজন সৈন্যকে হত্যা করেন এবং বিপুল সং খ্যককে বন্দী করেন ৷ পরে বন্দীদের
অধিকাংশকে হত্যা করে ফেলেন ৷ স্বল্প সংখ্যক সৈন্য ব্যর্থতা নিয়ে মুখতার-এর নিকট ফিরে
যায় ৷

আবু মিখৃনাফ বলেন আবু ইউসুফ আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, আব্বাস ইবন সাহ্ল
যখন তাদের নিকট পৌছেন, তখন তিনি বলছিলেন-

,

আমি সাহ্ল এর পুত্র ৷ আমি কাপুরুষ অশ্বারােহী নই ৷ ভেড়ার পাল যখন পেছনে সরে
পড়ে তখন আমি হ৩ তবাককারী বীর ও সম্মুখে অ্যাসরমান ব্যক্তি ৷ আমি যুদ্ধের সময় তরবারি
হাতে বিখ্যাত বীর যােদ্ধার মাথায় চড়ে বসি ৷ ফলে সে পিছু হটতে বাধ্য হয় ৷’

মুখতার এর নিকট যখন তাদের সংবাদ পৌছে, তখন সে তার সঙ্গীদের মাঝে দাড়িয়ে
ভাষণ প্রদান করে ৷ সে বলল-

দুষ্ট পাপিষ্ঠ চক্র নেককার ভাল মানুগুলোকে হত্যা করেছে ৷ তোমরা জেনে রাখ, এটি ছিল
একটি ভাপ্যলিপি অবধারিত ঘটনা ৷

তারপর সে সালিহ ইবন মাসউদ আল খাছআমী এর মাধ্যমে মুহাম্মদ ইবন হানাফিয়্যার
নিকট একখানা পত্র লিখে ৷ তাতে সে উল্লেখ করে ছুয, সে তার সাহায্যে মদীনায় উদ্দেশ্যে
একদল সৈন্য প্রেরণ করেছিল, কিন্তু ইবন যুবায়র-এর বাহিনী তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা
করেছে ৷ এখন যদি আপনি সম্মতি দেন যে, আমি আরো একদল সৈন্য মদীনায় উদ্দেশ্যে
প্রেরণ করি এবং আপনি আপনার পক্ষ থেকে তাদের নিকট এক দুত প্রেরণ করবেন, তবে তা
ই করুন ৷ ইবন হানাফিয়্যা জবাবে লিখেন

আল্লাহ পাকের আনুগত্যই আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় ৰিষর ৷ অতএব তুমি গোপনে
প্রকা৷শ্য সকল ক্ষেত্রে আল্লাহ্র আনুগত্য কর ৷ জোন রাখ, আমি যদি যুদ্ধ করতে চাইতাম,
তাহলে দেখতে লোকজন আমার দিকে ছুটে আসছে ৷ আমাকে সাহায্যকারী লোকের সংখ্যা
প্রচুর ৷ কিন্তু আমি তাদেরকে দুরে সরিয়ে রাখি এবং আমার জন্য আল্লাহ্ব পক্ষ থেকে
ফায়সালা না হওয়া পর্যন্ত ধৈর্যধারণ করি ৷ আল্লাহ্ই শ্রেষ্ঠ ফঘায়সালাকারী ৷

তিনি সালিহ ইবন মাসউদকে বললেন, আপনি গিয়ে মুখতারকে বলুন, সে যেন আল্লাহ্কে
ভয় করে চলে এবং রক্তপাত থেকে বিরত থাকে ৷ মুহাম্মদ ইবন হানাফিয়্যা এর পত্রখানা পেয়ে
মুখতার বলল, আমি সৎকর্ম ও সরঞ্জাম পুঞ্জিভুত করতে এবং কুফর ও বিশ্বাঘাতকতাকে ছুড়ে
ফেলতে নির্দেশিত হয়েছি ৷
ইবন জারীর মাদায়িনী ও আবু মিখৃনাফ সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, ইবন যুবায়র (রা) ইবনুল

হানাফিয়্যা এবং কুফার সা৩ রজন সম্রাম্ভ ব্যক্তিকে আটক করে তার হাতে বায় আত গ্রহণের
জন্য চাপ দেন ৷ কিন্তু তারা সর্বজন স্বীকৃত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারো হাতে বায়আত গ্রহণ

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া-৬৩

ذَلِكَ، وَجُوعٌ كَثِيرٌ فَجَعَلُوا يَذْبَحُونَ وَيَطْبُخُونَ وَيَخْتَبِزُونَ وَيَأْكُلُونَ عَلَى ذَلِكَ الْمَاءِ، فَلَمَّا كَانَ اللَّيْلُ بَيَّتَهُمْ عَبَّاسُ بْنُ سَهْلٍ فَقَتَلَ أَمِيرَهُمْ وَطَائِفَةً مِنْهُمْ نَحْوًا مِنْ سَبْعِينَ وَأَسَرَ مِنْهُمْ خَلْقًا كَثِيرًا فَقَتَلَ أَكْثَرَهُمْ وَرَجَعَ الْقَلِيلُ مِنْهُمْ إِلَى الْمُخْتَارِ وَإِلَى بِلَادِهِمْ خَائِبِينَ. قَالَ أَبُو مِخْنَفٍ: فَحَدَّثَنِي يُوسُفُ أَنَّ عَبَّاسَ بْنَ سَهْلٍ انْتَهَى إِلَيْهِمْ وَهُوَ يَقُولُ: أَنَا ابْنُ سَهْلٍ فَارِسٌ غَيْرُ وَكَلْ ... أَرْوَعُ مِقْدَامٌ إِذَا الْكَبْشُ نَكَلْ وَأَعْتَلِي رَأْسَ الطِّرِمَّاحِ الْبَطَلْ ... بِالسَّيْفِ يَوْمَ الرَّوْعِ حَتَّى يُنْخَزَلْ فَلَمَّا بَلَغَ خَبَرُهُمُ الْمُخْتَارَ قَامَ فِي أَصْحَابِهِ خَطِيبًا فَقَالَ: إِنَّ الْفُجَّارَ الْأَشْرَارَ قَتَلُوا الْأَبْرَارَ الْأَخْيَارَ، أَلَا إِنَّهُ كَانَ أَمْرًا مَأْتِيًّا وَقَضَاءً مَقْضِيًّا، ثُمَّ كَتَبَ إِلَى مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ مَعَ صَالِحِ بْنِ مَسْعُودٍ الْخَثْعَمِيِّ كِتَابًا يَذْكُرُ فِيهِ أَنَّهُ بَعَثَ إِلَى الْمَدِينَةِ جَيْشًا لِنُصْرَتِهِ فَغَدَرَ بِهِمْ جَيْشُ ابْنِ الزُّبَيْرِ فَإِنْ رَأَيْتَ أَنْ أَبْعَثَ جَيْشًا آخَرَ إِلَى الْمَدِينَةِ وَتَبْعَثُ مِنْ قِبَلِكَ رُسُلًا إِلَيْهِمْ فَافْعَلْ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ ابْنُ الْحَنَفِيَّةِ: أَمَّا بَعْدُ: فَإِنَّ أَحَبَّ الْأُمُورِ كُلِّهَا إِلَيَّ مَا أُطِيعُ اللَّهَ فِيهِ، فَأَطِعِ اللَّهَ فِيمَا أَسْرَرْتَ وَأَعْلَنْتَ، وَاعْلَمْ أَنِّي لَوْ أَرَدْتُ الْقِتَالَ لَوَجَدْتُ النَّاسَ إِلَيَّ سِرَاعًا، وَالْأَعْوَانَ لِي كَثِيرَةً، وَلَكِنِّي أَعْتَزِلُهُمْ وَأَصْبِرُ حَتَّى يَحْكُمَ اللَّهُ لِي وَهُوَ خَيْرُ الْحَاكِمِينَ، وَقَالَ لِصَالِحِ بْنِ مَسْعُودٍ: قُلْ لِلْمُخْتَارِ فَلْيَتَّقِ اللَّهَ وَلْيَكْفُفْ عَنِ الدِّمَاءِ. فَلَمَّا انْتَهَى إِلَيْهِ كِتَابُ مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ
পৃষ্ঠা - ৬৯২৭


করতে অসম্মত ছিলেন ৷ ফলে ইবন যুবায়র তাদেরকে হুমকি প্রদান করেন, ভয় প্রদর্শন করেন
এবং যমযমের এলাকায় বেধে রাখেন ৷ তারা মুখতার ইবনআবু উবায়দ-এর নিকট সাহায্য
<চয়ে পত্র লিখেন যে, ইবন যুবায়র আমাদেরকে হত্যা করার ও আগুনে পুড়িয়ে মারার হুমকি
প্রদান করেছেন ৷ আপনারা আমাদেরকে এমন অসহায় অবস্থায় ফেলে রাখবেন না, যেমনটি
বিপন্ন করেছিলেন হুসাইন (রা) ও তার পরিবারকে ৷ মুখতার শীআদেরকে একত্রিত করে
পত্রখানা পাঠ করে শোনার এবং বলে, এটি আহলে বাইতের আর্তনাদ ৷ তারা তোমাদের প্রতি
আর্তনাদ করেছেন ও সাহায্য প্রাহুনাি করেছেন ৷ মুখতার এ বিষয়টা নিয়ে মানুষের মাঝে
দাড়িয়ে যায় এবং বলে, আবু ইসহাক নই, যদি না আমি আপনাদেরকে পরিপুর্ণ সাহায্য করি
এবং তাদের প্রতি স্রোতের পর স্রোতের ন্যায় অশ্বারােহী সৈন্য প্রেরণ করি ৷ ইবনুল কাহেলিয়া
(ইবন যুবায়র) না হওয়া পর্যন্ত আমার এ অভিযান অব্যাহত থাকবে ৷ তারপর সে আবু
আবদুল্লাহ জ নাদীকে সত্তরজন, যাবয়ান ইবন উমর আ৩ তাইমীকে চারজন, আবুল
যুতামারকে একশত, হানী ইবন কায়সকে একশত এবং উমায়র ইবন কায়সকে চল্লিশজন
শক্তিশালী অশ্বারােহীসহ প্রেরণ করে এবং ভুফায়ল ইবন আমির-এর মাধ্যমে মুহাম্মদ ইবন
হানাফিয়্যার প্রতি সৈন্য প্রেরণের কথা উল্লেখ করে একখান৷ পত্র প্রেরণ করে ৷
আবু আবদুল্লাহ আ ৷ল-জাদালী যাতে-ইরক নামক স্থানে অবতরণ করে ৷ এখানে প্রায় একশত
পঞ্চাশজন অশ্বারোহী সৈন্য তার সঙ্গে যোগ দেয় ৷ তারপর তা ৷দের নিয়ে সে দিনের বেলা প্রকাশ্যে
মসজিদুল হলো যে ঢুকে পড়ে ৷ তখন “ইয়া ছারাতিল হুসইিন” (হুসাইনের হত্যার প্রতিশো ৷৷ধ চইি)
স্নাপান দিচ্ছিল ৷ ইবন হানাফিয়্যা ও তার সঙ্গীগণ যদি ইবন যুবায়র এর হাতে বায় আত গ্রহণ না
করেন তাহলে তাদের পুড়িয়ে হত্যা করার লক্ষে ইবন যুবায়র কাঠ যোগাড় করে ব্লেখেছিলেন ৷
নির্ধারিত মেয়াদের দু ’দিন বাকী থাকতে মুখতারের বাহিনী মুহাম্মদ ইবন৷ হানা নাফিয়্যার নিকট গিয়ে
পৌছে এবং তাকে ইবন যুবায়রশ্এর কয়েদখানা থেকে মুক্ত করে ফেলে ৷ তারা মুহাম্মদ ইবন
হানা ৷ফিয়্যাকে বলল, আপনি অনুমতি দিনে আমরা ইবন যুবায়র-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব ৷ জবাবে
তিনি বললেন, আমি মসজিদৃল হারামে যুদ্ধ করা সমর্থন করি না ৷৩ তখন ইবন যুবায়র তাদেরকে
বললেন, মুহাম্মদ ইবন হান ফিয়্যা এবং সঙ্গে তােমরাও আমার হাতে বায়আত না করা পর্যন্ত
আমরাও ওখান থেকে সরব না ৷ তােমরাও সরতে পারবে না ৷ কিন্তু তারা তা প্রত্যাখ্যান করল ৷
ইতিমধ্যে৩ ৷দের অবশিষ্ট সৈন্যরাও এসে পৌছে যায় এবং “ইয়৷ ছারাতিল হুসইিন স্লোগা ন দিয়ে
মসজিদুল হারামে ঢুকে পড়ে ৷ অবস্থা দেখে ইবন যুবায়র ভয় পেয়ে যান এবং তাদের থােক হাত
গুটিয়ে নেন ৷ তারপর তারা মুহাম্মদ ইবন হানাফিয়্যাকে নিয়ে রওয়ানা হয়ে যায় ৷ যাওয়ার সময়
তারা হ জীদের থেকে বিপুল পরিমাণ মালামাল ছিনিয়ে নেয় ৷ এসব নিয়ে তারা শি আরে আলীতে
প্রবেশ ৷করে ৷ সেখানে চার হাজার লোকের সমাগম ঘটে ৷ তারা ছিনিয়ে আনা মালামাল পরস্পর
ভাগাভাগি করে নেয় ৷ ইবন জারীর ঘটনাট৷ এভ৷ ৷বেই বর্ণনা করেছেন ৷৩ তবে এর বিশুদ্ধত৷ নিয়ে
বিতর্কের অবকাশ রয়েছে ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
ইবন জারীর বলেন, আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর সে বছর হজ্জ পরিচালনা করেন ৷ তখন
মদীনায় তার স্থলাভিষিক্ত ছিলেনত রে ভাই ঘুসআব আর বসরায় ছিলেন আবদুল্লাহ্ ইবন আবু
রবী য়৷ ৷ কুফার শাসন ক্ষমতা ছিল মুখতার এর হাতে এবং থােরাসান শহরের শাসন ক্ষমতা
ছিল আবদুল্লাহ ইবন খাযিম এর হাতে ৩৷ ইবন জারীর আবদুল্লাহ ইবন খাযিম-এর কয়েকটি
যুদ্ধের দীর্ঘ কাহিনীও উল্লেখ করেছেন ৷


قَالَ: إِنِّي قَدْ أُمِرْتُ بِجَمْعِ الْبِرِّ وَالْيُسْرِ، وَبِطَرْحِ الْكُفْرِ وَالْغَدْرِ. وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ مِنْ طَرِيقِ الْمَدَائِنِيِّ، وَأَبَى مِخْنَفٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ عَمَدَ إِلَى ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ وَسَبْعَةَ عَشَرَ رَجُلًا مِنْ أَشْرَافِ أَهْلِ الْكُوفَةِ فَحَبَسَهُمْ حَتَّى يُبَايِعُوهُ، فَكَرِهُوا أَنْ يُبَايِعُوا إِلَّا مَنِ اجْتَمَعَتْ عَلَيْهِ الْأُمَّةُ فَتَهَدَّدَهُمْ وَتَوَعَّدَهُمْ وَاعْتَقَلَهُمْ بِزَمْزَمَ، فَكَتَبُوا إِلَى الْمُخْتَارِ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ يَسْتَصْرِخُونَهُ وَيَسْتَنْصِرُونَهُ وَيَقُولُونَ لَهُ: إِنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ قَدْ تَوَعَّدَنَا بِالْقَتْلِ وَالْحَرِيقِ فَلَا تَخْذُلُونَا كَمَا خَذَلْتُمُ الْحُسَيْنَ وَأَهْلَ بَيْتِهِ. فَجَمَعَ الْمُخْتَارُ الشِّيعَةَ وَقَرَأَ عَلَيْهِمُ الْكِتَابَ وَقَالَ: هَذَا كِتَابُ الْمَهْدِيِّ وَصَرِيخُ أَهْلِ الْبَيْتِ، قَدْ أَصْبَحُوا مَحْصُورِينَ يَنْتَظِرُونَ الْقَتْلَ وَالتَّحْرِيقَ. وَقَالَ: لَسْتُ أَبَا إِسْحَاقَ إِنْ لَمْ أَنْصُرْهُمْ نَصْرًا مُؤَزَّرًا، وَإِنْ لَمْ أُسَرِّبْ إِلَيْهِمُ الْخَيْلَ كَالسَّيْلِ يَتْلُوهُ السَّيْلُ، حَتَّى يَحِلَّ بِابْنِ الْكَاهِلِيَّةِ الْوَيْلُ. ثُمَّ وَجَّهَ أَبَا عَبْدِ اللَّهِ الْجَدَلِيَّ فِي سَبْعِينَ رَاكِبًا مِنْ أَهْلِ الْقُوَّةِ، وَظَبْيَانَ بْنَ عُمَارَةَ التَّمِيمِيَّ فِي أَرْبَعِمِائَةٍ، وَأَبَا الْمُعْتَمِرِ فِي مِائَةٍ، وَهَانِئَ بْنَ قَيْسٍ فِي مِائَةٍ، وَعُمَيْرَ بْنَ طَارِقٍ فِي أَرْبَعِينَ، وَيُونُسَ بْنَ عِمْرَانَ فِي أَرْبَعِينَ، وَكَتَبَ إِلَى مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ مَعَ
পৃষ্ঠা - ৬৯২৮

পরিচ্ছেদ

ইবন দ্রহ্বাবীর বলেন, এ বছর ইবরাহীম ইবন আশতার উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ এর নিন্ন্
পমন করেন ৷ তারিখটা ছিল যিলহয়ুজ্জর ২২ তারিখ ৷ আবু মিখনড়াফ তার শায়খদের
বংনাি করেছেন, ঘটনাটা ঘুখতারশ্এর জিবানড়াতুস নারী ও কিনাসাবাসীদের যুদ্ধ থেকে অরুৰুন্ন্;ণ্
হওয়ার পরের ৷ ইবনৃল আশতার দু’দিন পরই সিরিয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে রওয়াণ্শুান্া
হয়ে যান ৷ তার রওয়নাে হওয়ার তারিখটা ছিল ছেযট্টি হিজবীর যিলহজ্জ মাসের ২২ তা;রুিষ্
মুখতার তাকে ও তার সঙ্গীদেরকে বিদায় জানানোর জন্য বের হয় ৷ ঘুষতার-এর ৰিৰুণ্ণ্ন্প্রুন্
ব্যক্তিবর্গও বের হয় ৷ তারা একটি ছাইবর্ণ খচচরের পিঠে করে মুখতার-এর চেয়ার বহ?ন্
নিয়ে যায় ৷ এর উদ্দেশ্য ছিল, এর সাহায্য নিয়ে শত্রুর উপর জয়লাভ করা ৷ তারা ৫চয়ারণ্ডু
ভয় করছিল এবং দুআ করতে করতে চীৎকার করতে করতে ও বিনীত সুরে কাদতে কা৮দ্ব ;
এগিয়ে চলে ৷ ঘুখতার তাদেরকে তিনটি উপদেশ দিয়ে ফিরে যায় ৷ সে বলে, হে ইবণ্
আশতার ছ গোপনে ও প্রকাশ্যে আল্লাহ্কে ভয় করবে ৷ ঘুখতার-এর চেয়ারের চতুদি;
অবস্থানরত লোকগুলাে ইরনুল আশতারের সােকগুলো অবিরাম গতিতে এগিয়ে চলে ৷ ইবণ্ঙ্কুর্চু;ৰু
আশতার বলতে শুরু করে, হে আল্লাহ্ ! আমাদের নির্বোধ লােকগুলো বনী ইসরাঈলের রীদ্বন্রুণ্ৰুৰুৰুৰু
ন্যায় যা করেছে, তার জন্য তুমি আমাদেরকে পাকড়াও কর না ৷ যে সত্তার হাতে আমার
তার শপথ ! তারা গো-বৎসের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল ৷ ইবনৃল আশতার ও তার সন্২;ণ্ন্ :

ইবন জারীর বলেন, তুফায়ল ইবন জাদা ইবন হুরায়রার বর্ণনামতে এই চেয়ারটা সরুন্শু
, করে আনার কারণ ছিল-ঙুত্শেয়প ইধৃণ্৷ জাদা ইবৃপ হ্রায়র৷ বলেন, একদা আমি কিছু
হারিয়ে ফেলি ৷ আমি সেগুলো খুজৈ ফিরছিলাম ৷ আমি আমার এক প্রতিবেশীর নিকট গ্রিন্
অতিক্রম করলাম, যার একখানা ঢেয়ার ছিল যাতে বিপুল ধুলা-বালি পড়েছিল ৷ আমি মনে মনে
ভাবলাম, তাকে এই চেয়ারটার কথা বললে কেমন হয় ! আমি ফিরে গিয়ে চেয়ারটা অামৰুন্
নিকট পাঠিয়ে দেয়ার কথা বলে তার নিকট সংবাদ পাঠালাম ৷ তিনি চেয়ারটা পাঠিয়ে দিভৈশুওশ্ৰুন্শুদ্ব
আমি ঘুখতার-এর নিকট গিয়ে বললাম, আমি আপনার থেকে একটা বিষয় গোপন রাখছিভন্াণ্ ,
এখন ভাবছি বিষয়টা আপনাকে বলে ফেলি ৷ সে বললেন, বল কী বিষয়, আমি বললাম, এক ৮ ৷
চেয়ার জাদা ইবন হুরায়রা তাতে বসতেন ৷ তার বসার ধরন থেকে বুঝা যেত যে, তার

চেয়ারটার পরস্পরপত বিদ্যার নিদর্শন রয়েছে ৷ মুখতার বলল, সুবহানাল্লাহ্ ! তুমি বিষয়টা
বলতে আজকের দিন পর্যন্ত বিপুল করলে কেন ? ওটা আমার নিকট পাঠিয়ে দাও ৷ তুফায়ভ্রুন্ন্
ইবন জাদা বলেন, আমি চেয়ারটা তার নিকট ব্যির পেলাম ৷ সেটা ধৌত করা হল ৷ ফা:ন্’ৰু
একটি উজ্জ্বল কাঠ বেরিয়ে পড়ল যা তেল চকচক করেছিল ৷ মুখতার আমাকে বল হাক্তৰুর
দীন্যর প্রদান করার জন্য আদেশ করল ৷ তারপর ঘোষণা দেয়া হল, নামায়ের জন্নেয়াত
হবে মুখতার জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণে বলে পুর্ববর্তী জাত্যিামুহের মাঝে যা কিছু ঘটেছে, ন্ণ্ন্ন্ৰু
উম্মতের মধ্যেও তার অনুরুপ ঘটনা সংঘটিত হয়ে ৷ বনী ইসরাঈলের মাঝে একটি তাঃ :ন্




الطُّفَيْلِ بْنِ عَامِرٍ بِتَوْجِيهِ الْجُنُودِ إِلَيْهِ، فَنَزَلَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْجَدَلِيُّ بِذَاتِ عِرْقٍ حَتَّى تَلَاحَقَ بِهِ نَحْوٌ مِنْ مِائَةٍ وَخَمْسِينَ فَارِسًا، ثُمَّ سَارَ بِهِمْ حَتَّى دَخَلَ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ نَهَارًا جِهَارًا، وَهُمْ يَقُولُونَ: يَا ثَارَاتِ الْحُسَيْنِ. وَقَدْ أَعَدَّ ابْنُ الزُّبَيْرِ الْحَطَبَ لِابْنِ الْحَنَفِيَّةِ وَأَصْحَابِهِ لِيُحَرِّقَهُمْ بِهِ إِنْ لَمْ يُبَايِعُوا، وَقَدْ بَقِيَ مِنَ الْأَجَلِ يَوْمَانِ، فَعَمَدُوا - يَعْنِي أَصْحَابَ الْمُخْتَارِ - إِلَى مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ فَأَطْلَقُوهُ مِنْ سِجْنِ ابْنِ الزُّبَيْرِ، وَقَالُوا: إِنْ أَذِنْتَ لَنَا قَاتَلْنَا ابْنَ الزُّبَيْرِ فَقَالَ: إِنِّي لَا أَرَى الْقِتَالَ فِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ. فَقَالَ لَهُمُ ابْنُ الزُّبَيْرِ: لَيْسَ يَبْرَحُ وَتَبْرَحُونَ حَتَّى يُبَايِعَ وَتُبَايِعُوا مَعَهُ، فَامْتَنَعُوا عَلَيْهِ ثُمَّ لَحِقَهُمْ بَقِيَّةُ أَصْحَابِهِمْ، فَجَعَلُوا يَقُولُونَ وَهُمْ دَاخِلُونَ الْحَرَمَ: يَا ثَارَاتِ الْحُسَيْنِ فَلَمَّا رَأَى ابْنُ الزُّبَيْرِ ذَلِكَ مِنْهُمْ خَافَهُمْ وَكَفَّ عَنْهُمْ ثُمَّ أَخَذُوا مُحَمَّدَ ابْنَ الْحَنَفِيَّةِ وَأَخَذُوا مِنَ الْحَجِيجِ مَالًا كَثِيرًا فَسَارَ بِهِمْ حَتَّى دَخَلَ شِعْبَ عَلِيٍّ، وَاجْتَمَعَ مَعَهُ أَرْبَعَةُ آلَافِ رَجُلٍ فَقَسَّمَ بَيْنَهُمْ ذَلِكَ الْمَالَ، هَكَذَا أَوْرَدَهُ ابْنُ جَرِيرٍ وَفِي صِحَّتِهَا نَظَرٌ وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ وَكَانَ نَائِبُهُ بِالْمَدِينَةِ أَخَاهُ مُصْعَبًا، وَنَائِبُهُ عَلَى الْبَصْرَةِ الْحَارِثُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ وَقَدِ اسْتَحْوَذَ الْمُخْتَارُ عَلَى الْكُوفَةِ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ خَازِمٍ عَلَى بِلَادِ خُرَاسَانَ وَذَكَرَ حُرُوبًا جَرَتْ فِيهَا لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَازِمٍ يَطُولُ ذِكْرُهَا. [شُخُوصُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْأَشْتَرِ إِلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ] فَصْلٌ (شُخُوصُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْأَشْتَرِ إِلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ)
পৃষ্ঠা - ৬৯২৯


ছিল, যাকে উসিলা করে তারা সাহায্য প্রার্থনা করত ৷ আর নিশ্চয় এটি তারই মত ৷ তারপর
তার নির্দেশে চেয়ারটার কাপড় সরিয়ে ফেলা হল ৷ সাবাবিয়া নামক একটি দল দাড়িয়ে গেল ৷
তারা হাত উচু করে তিনবার তাকবীর ধ্বনি দিল ৷ কিন্তু শাবছ ইবন রিবয়ী র্দাড়িয়ে এর
প্রতিবাদ করলেন, তিনিত তাবুতকে এত সম্মান প্রদর্শন করা কুফরী কাজ বলে ঘোষণা দেয়ার
উপক্রয হন ৷ তিনি চেয়ারটা ভেঙে মসজিদ থেকে বের করে আরর্জন৷ ফেলার স্থানে ফেলে
দেয়ার জন্য ইঙ্গিত করেন ৷ মানুষ শাবছ ইবন রিবয়ীর এই ভুমিকার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
করে ৷ যা হোক, এদিকে উবায়দুল্লাহ্ ইবন যিয়াদৃ এসে পড়ে ৷ মুখতার আশতারকে প্রেরণ
করে ৷ সে তার সঙ্গে চেয়ারটা পাঠিয়ে দেয় ৷ রেশমী কাপড়ে ঢাক৷ চেয়ারটা একটি ছাইবর্ণ
খচচর বহন করে নিয়ে চলে, তার ডানে ছিল সাত ব্যক্তি ও বীয়ে সাত ব্যক্তি, তারা সিরীয়দের
সঙ্গে যুদ্ধ করে তাদেরকে পরাজিত করে এবং ইবন যিয়াদকে,হত্যা করে ৷ তখন জনমনে
চেয়ারটার মর্যাদা এত বেড়ে যায় যে, তারা এটিকে কেন্দ্র করে কুফরী পর্যন্ত পৌছে যায় ৷
তুফায়ল ইবন জাদ৷ বলেন, তখন আমি বললাম, ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্ন৷ ইলাইহি রাজিউন এবং
আমি আমার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হলাম ৷ মানুষের মাঝে এই চেয়ারটার সমালোচনা শুরু
হল এবং মানুষ-এর ব্যাপক দােষচর্চা করতে লাগল ৷ তারপরই চেয়ারটা গোপন করে ফেলা
হল, যা পরে আর দেখা যায় নি ৷
ইবনুল কালবী উল্লেখ করেছেন যে, হযরত ৩আলী (বা) যে চেয়ারটার বসতেন ,“মুখতার
জা দ৷ ইবন হুবায়রার উত্তরসুরীদের নিকট থেকে সেটি নিতে চেয়েছিল ৷ জবাবে তারা
বলল, গভর্নর যার কথা বলেছেন, আমাদের নিকট৫ তমন কিছু নেই ৷ কিন্তু; মুখতারৈর
পীড়াপীডিতে তারা বুঝে ফেলল, যে কোন একটা চেয়ার এনে দিলেই মুখতার তা গ্রহণ করে
ফেলবে ৷ সেমতে তারা কোন এক ঘর থেকে একটি চেয়ার মুখত তারকে এনে দিয়ে বলল,
ন্ এটিই সেটি ৷
তারপর শাবাম, শাকির ও মুখতার সমর্থন যেতৃবর্গ চেয়ারটাকে রেশমী কাপড় পরিয়ে
নেয় ৷ আবু মিখনাফ বর্ণনা করেন, মুসা ইবন আবু মুসা আশআরী সর্বপ্রথম এই চেয়ারটাকে
পর্দাবৃত করেন ৷ মানুষ একাজের জন্য তাকে তিরস্কার কালে তিনি এটিকে হাওশাব আল
বারসামীর নিকট নিয়ে যান ৷ হাওশাব বারসাযী ছিলেন তার বন্ধু ৷ মুখতার (আল্লাহ তার
অকল্যাণ করুন) এর মৃত্যু পর্যন্ত এটি তার নিকট থাকে ৷ এক বর্ণনায় আছে, মুখতার বলে
রেড়াত, তার সহচরগণ যে, এই চেয়ারটাকে সম্মান প্রদর্শন করছে, তা সে জানে না ৷ আশা
হামদানী এই চেয়ার সম্পর্কে বলেছেন-
চ্গ্লুাণ্





ঠো১
০াপ্লুএ)াষ্কদ্বু



قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ سَارَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْأَشْتَرِ إِلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ وَذَلِكَ لِثَمَانٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ، وَقَالَ أَبُو مِخْنَفٍ عَنْ مَشَايِخِهِ: مَا هُوَ إِلَّا أَنْ فَرَغَ الْمُخْتَارُ مِنْ جَبَّانَةِ السَّبِيعِ وَأَهْلِ الْكُنَاسَةِ، فَمَا نَزَلَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْأَشْتَرِ إِلَّا يَوْمَيْنِ حَتَّى أَشْخَصَهُ إِلَى الْوَجْهِ الَّذِي كَانَ وَجَّهَهُ لَهُ لِقِتَالِ أَهْلِ الشَّامِ ; فَخَرَجَ يَوْمَ السَّبْتِ لِثَمَانٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ سَنَةَ سِتٍّ وَسِتِّينَ، وَخَرَجَ مَعَهُ الْمُخْتَارُ يُودِّعُهُ فِي وُجُوهِ أَصْحَابِهِ، وَخَرَجَ مَعَهُمْ خَاصَّةُ الْمُخْتَارِ، وَمَعَهُمْ كُرْسِيُّ الْمُخْتَارِ عَلَى بَغْلٍ أَشْهَبَ لِيَسْتَنْصِرُوا بِهِ عَلَى الْأَعْدَاءِ، وَهُمْ حَافُّونَ بِهِ يَدْعُونَ وَيَسْتَصْرِخُونَ وَيَسْتَنْصِرُونَ وَيَتَضَرَّعُونَ، فَرَجَعَ الْمُخْتَارُ بَعْدَ أَنْ وَصَّاهُ بِثَلَاثٍ ; قَالَ: يَا ابْنَ الْأَشْتَرِ، اتَّقِ اللَّهَ فِي سِرِّكَ وَعَلَانِيَتِكَ، وَأَسْرَعِ السَّيْرَ وَعَاجِلْ عَدُوَّكَ بِالْقِتَالِ. وَاسْتَمَرَّ أَصْحَابُ الْكُرْسِيِّ سَائِرِينَ مَعَ ابْنِ الْأَشْتَرِ، فَجَعْلَ ابْنُ الْأَشْتَرِ يَقُولُ: اللَّهُمَّ لَا تُؤَاخِذُنَا بِمَا فَعَلَ السُّفَهَاءُ مِنَّا، سُنَّةُ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، إِذْ عَكَفُوا عَلَى عِجْلِهِمْ. فَلَمَّا جَاوَزَ الْقَنْطَرَةَ إِبْرَاهِيمُ وَأَصْحَابُهُ انْصَرَفَ أَصْحَابُ الْكُرْسِيِّ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَكَانَ سَبَبُ اتِّخَاذِ هَذَا الْكُرْسِيِّ مَا حَدَّثَنِي بِهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৬৯৩০
أَحْمَدَ بْنِ شَبُّوَيْهِ، حَدَّثَنِي أَبِي، ثَنَا سُلَيْمَانُ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ يَحْيَى بْنِ طَلْحَةَ، حَدَّثَنِي مَعْبَدُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنِي طُفَيْلُ بْنُ جَعْدَةَ بْنِ هُبَيْرَةَ قَالَ: أَعْدَمْتُ مَرَّةً مِنَ الْوَرِقِ فَإِنِّي لَكَذَلِكَ إِذْ مَرَرْتُ بِبَابِ جَارٍ لِي لَهُ كُرْسِيٌّ قَدْ رَكِبَهُ وَسَخٌ شَدِيدٌ، فَخَطَرَ عَلَى بَالِي أَنْ لَوْ قُلْتُ فِي هَذَا، فَرَجَعْتُ فَأَرْسَلْتُ إِلَيْهِ أَنْ أَرْسِلْ إِلَيَّ بِالْكُرْسِيِّ، فَأَرْسَلَ بِهِ، فَأَتَيْتُ الْمُخْتَارَ فَقُلْتُ لَهُ: إِنِّي كُنْتُ أَكْتُمُكَ شَيْئًا وَقَدْ بَدَا لِي أَنْ أَذْكُرَهُ لَكَ. قَالَ: وَمَا هُوَ؟ قَالَ: قُلْتُ: كَرِّسِيٌّ كَانَ جَعْدَةُ بْنُ هُبَيْرَةَ يَجْلِسُ عَلَيْهِ كَأَنَّهُ يَرَى أَنَّ فِيهِ أَثَرَةً مِنْ عِلْمٍ. قَالَ: سُبْحَانَ اللَّهِ! فَأَخَّرْتَ هَذَا إِلَى الْيَوْمِ؟ ابْعَثْ إِلَيْهِ. قَالَ: فَجِئْتُ بِهِ وَقَدْ غُسِلَ فَخَرَجَ عُودًا نُضَارًا وَقَدْ تَشْرَّبَ الزَّيْتَ، فَأَمَرَ لِي بِاثْنَيْ عَشَرَ أَلْفًا، ثُمَّ نُودِيَ فِي النَّاسِ: الصَّلَاةَ جَامِعَةً. قَالَ: فَخَطَبَ الْمُخْتَارُ النَّاسَ فَقَالَ: إِنَّهُ لَمْ يَكُنْ فِي الْأُمَمِ الْخَالِيَةِ أَمْرٌ إِلَّا وَهُوَ كَائِنٌ فِي هَذِهِ الْأُمَّةِ مِثْلُهُ، وَإِنَّهُ قَدْ كَانَ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ التَّابُوتُ يُنْصَرُونَ بِهِ، وَإِنَّ هَذَا مِثْلُهُ. ثُمَّ أَمَرَ فَكُشِفَ عَنْهُ أَثْوَابُهُ، وَقَامَتِ السَّبَئِيَّةُ فَرَفَعُوا أَيْدِيَهُمْ وَكَبَّرُوا ثَلَاثًا، فَقَامَ شَبَثُ بْنُ رِبْعِيٍّ فَأَنْكَرَ عَلَى النَّاسِ وَكَادَ أَنْ يَكَفِّرَ مَنْ يَصْنَعُ بِهَذَا التَّابُوتِ هَذَا التَّعْظِيمَ، وَأَشَارَ بِأَنْ يُكْسَرَ
পৃষ্ঠা - ৬৯৩১


আমি তোমাদের ব্যাপারে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তোমরা ধর্মভ্যাগী ৷ আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি
হে শিরক-এর পুলিশ ! আমি ণ্তামাদেরকে জানি ৷
আমি শপথ করে বলছি, তোমাদের এই কুরসীতে কোন শান্তি নুেই, তার গায়ে যতই
কাপড় জডা ও না কেন ৷
আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমাদের মাঝে তাবুড় এ-র অনুরুপ কিছু নেই, যদিও
শবাম, নাহ্দ ও খাবিক তার চতৃর্পারুর্শ্বচক্কর দিচ্ছে ৷
আমি মুহাম্মদ এর বং শধরকে ভালোবাসি এবং আমি সেই ওহীরঅনুসারী, যা মাসহাফে
লিপিবদ্ধ হয়ে আছে ৷
আমি অনুসরণ ৷করি আবদুল্লাহ্কে ৷ কেননা, কুরায়শ এর সাদা-কা ৷লো কেশধারী এবং
দানশীল নেতৃবর্গ তার অনুগত ছিল ৷
মুতাওয়াক্কিল আল লা ইহী বলেছেন-
আবু ইসহ৷ ৷ক-এর নিকট যদি তোমার যাওয়া পড়ে তাহলে তাকে বলে দিও, আমি তোমাদের
কৃরসীকে অস্বীকার করি ৷
শাবাম তার কাঠের চার পাভৈর্শ্ব নাচছে আর৷ ৷৷কির তার জন্য ওহী বহন করে আনছে’ ৷
তাদের চোখ লাল বর্ণ ধারণ করেছে, যেন ওগুলো বড় ছোলা ৷
ওয়াকিদী বলেন, এ বছর মিশরে প্লেগ ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে বিপুল সংখ্যক মিশরীয়
মৃত্যু হয় এবং এ বছরই আবদুল আযীয ইবন মারওয়ান মিশরে দীনারের প্রথম চালু করে ৷
আর তিনিই সর্বপ্রথম মিশরে দীনার প্রথার প্রচলনকরীি ৷
মির আতু য্ যমান গ্রন্থের লেখক বলেনহ্র এ বছর আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান বইিভুল
মুকা ৷দ্দাসের সাকরা পাথরের উপর গম্বুজ এবং মসজিদুল আকসার ইমারত নির্মাণের কাজ শুরু
করেছিলেন ৷ এ নির্মাণ কাজ শেষ হয় ,৭৩ হিজরীতে ৷ এ কাজটি করার পেছনে কারণ ছিল,
আবদুল্লাহ্ ইবন যুবইির তখন মক্কার শাসনকর্তা ৷ তিনি মিন৷ ও আরাফার দিনে এবং লোকদের
মক্কায় অবস্থানক৷ বী ন সময়ে ভাষণ দান করতেন ৷ তিনি আবদুল মালিকের সমালোচনা করতেন
আর মারওয়ান এর রং শর নিন্দাবাদ করতেন ৷
তিনি বলতেন, নবী করীম (সা) হাকাম ও তার বৎশধরকে অভিশম্পাদ্ভ করেছেন ৷ হাকাম
রাসুল (সা) কর্তৃক বিতাড়িত ও অভিশপ্ত ব্যক্তি ৷ তিনি লোকদেরকে নিজের আনুগত্যের প্রতি
আহবান জানাতেন ৷ তিনি স্পষ্টভাষী যুবক ছিলেন ৷ ফলে সিরিয়ার অধিকাং শ মানুষ তার প্রতি
ঝুকে পড়ে ৷ এ সংবাদ আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান-এর নিকট পৌছে ণ্ যায় ৷ তিনি
লোকদেরকে হরুজ্জ যেতে নিষেধ করে দেন ৷ ফলে মানুষ তার প্ৰতি ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে ৷ এর
মােকাবেলায় তিনি বইিভুল যুকাদ্দাসের সাখরা পাথরের উপর গম্বুজ এবংমসজিদুল আকসার
ভবন নির্মাণ করেন ৷ তার উদ্দেশ্য ছিল, এর মাধ্যমে তিনি লোকদেরকে হজ্জ থেকে বিরত
রাখবেন এবং তাদের অন্তর জয় করবেন ৷ সিরিয়ার জনগণ বইিভুল মুকাদ্দাসের পাথরটার
নিকট অবস্থান গ্রহণ করত এবং বাবার চারপার্শে তাওয়াফ করার ন্যায় এটিরও চতৃর্পার্শে


وَيُخْرَجَ مِنَ الْمَسْجِدِ وَيُرْمَى بِهِ فِي الْحُشِّ، فَشَكَرَهَا النَّاسُ لِشَبَثِ بْنِ رِبْعِيٍّ فَلَمَّا قِيلَ: هَذَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ قَدْ أَقْبَلَ. وَبَعَثَ الْمُخْتَارُ إِبْرَاهِيمَ بْنَ الْأَشْتَرِ بَعْثَ مَعَهُ بِالْكُرْسِيِّ يُحْمَلُ عَلَى بَغْلٍ أَشْهَبَ قَدْ غُشِّيَ بِأَثْوَابِ الْحَرِيرِ، عَنْ يَمِينِهِ سَبْعَةٌ، وَعَنْ يَسَارِهِ سَبْعَةٌ، فَلَمَّا تَوَاجَهُوا مَعَ الشَّامِيِّينَ - كَمَا سَيَأْتِي - وَغَلَبُوا الشَّامِيِّينَ وَقَتَلُوا ابْنَ زِيَادٍ، ازْدَادَ تَعْظِيمُهُمْ لِهَذَا الْكُرْسِيِّ حَتَّى بَلَغُوا بِهِ الْكُفْرَ، قَالَ الطُّفَيْلُ بْنُ جَعْدَةَ فَقُلْتُ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. وَنَدِمْتُ عَلَى مَا صَنَعْتُ. وَتَكَلَّمَ النَّاسُ فِي هَذَا الْكُرْسِيِّ، وَكَثُرَ عَيْبُ النَّاسِ لَهُ فَغُيِّبَ حَتَّى لَا يُرَى بَعْدَ ذَلِكَ. وَذَكَرَ ابْنُ الْكَلْبَيِّ أَنَّ الْمُخْتَارَ طَلَبَ مِنْ آلِ جَعْدَةَ بْنِ هُبَيْرَةَ الْكُرْسِيَّ الَّذِي كَانَ عَلِيٌّ يَجْلِسُ عَلَيْهِ، فَقَالُوا: مَا عِنْدَنَا شَيْءٌ مِمَّا يَقُولُ الْأَمِيرُ. فَأَلَحَّ عَلَيْهِمْ حَتَّى عَلِمُوا أَنَّهُمْ لَوْ جَاءُوا بِأَيِّ كُرْسِيٍّ كَانَ لَقَبِلَهُ مِنْهُمْ، فَحَمَلُوا إِلَيْهِ كُرْسِيًّا مِنْ بَعْضِ الدُّورِ، فَقَالُوا: هَذَا هُوَ، فَخَرَجَتْ شِبَامٌ وَشَاكِرٌ وَسَائِرُ رُءُوسِ الْمُخْتَارِ بِهِ، وَقَدْ عَصَّبُوهُ بِالْحَرِيرِ وَالدِّيبَاجِ. وَحَكَى أَبُو مِخْنَفٍ أَنَّ أَوَّلَ مَنْ سَدَنَ هَذَا الْكُرْسِيَّ مُوسَى بْنُ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيُّ، ثُمَّ إِنَّهُ عُتِبَ عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ، فَدَفَعَهُ إِلَى حَوْشَبٍ الْبُرْسُمِيِّ، فَكَانَ صَاحِبَهُ حَتَّى هَلَكَ الْمُخْتَارُ، قَبَّحَهُ اللَّهُ. وَيُرْوَى أَنَّ الْمُخْتَارَ كَانَ يُظْهِرُ أَنَّهُ لَا يَعْلَمُ بِمَا يُعَظِّمُ أَصْحَابُهُ هَذَا الْكُرْسِيَّ.
পৃষ্ঠা - ৬৯৩২

০ ২ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

তাওয়াফ করত ৷ তারা ঈদের দিন এখানে কুরবানী করত ও মাথা মুণ্ডন করত ৷ এভাবে
আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান ইবন যুবায়র এর নিন্দাবাদের দ্বার প্ৰসারিত করেন ৷ ইবন
যুবায়র মক্কায় আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের নিন্দাবাদ করে বললেন, কিসরা ও খাজরার
রাজ প্রাসাদে কায়সারপণ যা যা করেছিলেন আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানও তা-ই করছেন,
যেমনটা করেছিলেন মুআবিয়া ৷ ,
আবদুল মালিক বাইতুল মুকাদ্দাসের মিনারের পরিকল্পনা হাতে নিয়ে এর জন্য মালা মাল ও
শ্রমিক পাঠিয়ে দেন এবং রাজা ইবন হায়াত ও তার গোলাম ইয়াযীদ ইবন সালামের হাতে
দায়িতু ভৃার অর্পণ করেন ৷ তিনি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নির্মাণকমী সংগ্রহ করে বাইতুল
প্ মুকাদ্দাস পাঠিয়ে দেন ৷ কাজের জন্য সেখানে বিপুল পরিমাণ মাল সরঞ্জাম প্রেরণ করেন ৷
তিনি রাজা ইবন হায়াত ও ইর্যাযীদকে প্রচুর মালামাল ব্যয় করে ফেলার এবং অবিরাম কাজ
করে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন ৷ তারা মুক্তহন্তে অর্থ ব্যয় করেন এবং বিপুল ব্যয় করেন ৷
তারা গম্বুজ নির্মাণ করে ফেলেন ৷ এটি সবচাইতে সুন্দর নির্মাণের রুপ লাভ করে ৷ গম্বুজটিতে
তারা রঙিন মর্মর পাথর বিছিয়ে দেন এবং গম্বুজের জন্য ঝুল তৈরি করেন ৷
একটি লাল পাথরের শীতের জন্য ৷ অপরটি চামড়ার ৷ গ্রীষ্মের জন্য ৷ গম্বুজটিকে তারা
নানা ধরনের পর্দা দ্বারা আচ্ছাদিত করে দেন এবং তাতে যেশক, আতর, গোলাপ ও জাফরান
প্রভৃতি সুগন্ধি প্রদান করে কো কিছু সেবক ও খাদিম নিয়োগ করেন ৷ তারা এসব সুপব্ধি দ্বারা
উন্নতমানের মহামুল্যবান সুপন্ধি প্রস্তুত করে রাতে গম্বুজ ও মসজিদে ধোয়া দিত ৷ ,তাঃ (
তারা সোনা ও রুপার অনেকগুলো ঝাড়বাতি এবং সােনা-রুপার শিকল সহ অনেক বি ছু হু৷ : ণ্া
করেন ৷ তাতে স্থাপন করেন, মেশক মাখানাে আগরবাতি ৷ তারা তাতে এবং মসজিদে নানা
রকম রঙ্গিন বিছানা বিছিয়ে দেন ৷ তারা যখন সুগন্ধি ছড়াতেন, দুরদুরাম্ভ থেকে তার স্যুাণ
পাওয়া যেত ৷ কেউ যদি বাইভু ল যুকাদ্দাস থেকে নিজ দেশে আসত কয়েকদিন পর্যন্ত তার
থেকে যেশক, আতর ও আপরবাতির সুঘাণ পাওয়া যেত এবং বুঝা যেত যে, লোকটা বাইতৃল
মুকাদ্দাস থেকে এসেছে এবং সে সাখরায়’ প্রবেশ করেছে ৷ বিপুল স০ খকে মানুষ সেই গম্বুজের
নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষণাবেক্ষণে র দায়িত্বে ছিল ৷ সেখানে বাইতৃল মুকাদ্দাসের সাখরার’ গম্বুজ অপেক্ষা
সুন্দর ও মনােরৰুম ইমারত দ্বিতীয়টি ছিল না ৷ তার প্রমাণ হল, মানুষ এই গম্বুজ পেয়ে কাব্য ও
হজ্জ থেকে বিরত হয়ে গিয়েছিল ৷ আরো প্রমাণ হল, মানুষ হজ্জ মওসুমে বাইতৃল মুকাদ্দাস
ব্যতীত অন্য কোথাও ইমারত টির দ্বারসমুহ ও বিভিন্ন স্থানেত তারা এসব অংকন করে রেখেছিল ৷
তাতে মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে, যা আমাদের যুগ পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে ৷
মোটকথা বই ল মুকাদ্দাসের সাখরার নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হওয়ার পর সুরম্য ও সুদৃশ্য
ইমারত হিসেবে ভু-পৃষ্ঠেত তার কোন নজীর রইল না ৷ তাতে নগীনা, মণি-মানিক্য, রৎ-বেরং-
এর পাথর মােজাইক ও নানা রকম চোখ ঝলসানাে বস্তুর কোন সীমা ছিল না ৷
ইমারতটির নির্মাণ কাজ সম্পুর্ণরুপে সমাপ্ত করার পর রাজা ইবন হায়াত ও ইয়াযীদ
ইবন সালাম এর নিকট ছয় লাখ মিছকাল অর্থ যেচে যায় ৷ কারো কারো মতে তার পরিমা৩ণ
ছিল তিন লাখ মিছকাল ৷ তারা আবদুল মালিক এর নিকট পত্র লিখে বিষয়টা অব
করেন ৷ আবদুল মালিক জবাবে লিখেন, আমি এগুলাে৫ আমাদেরকে দান করে দিয়ে দিলাম৩ ৷


وَقَدْ قَالَ فِي هَذَا الْكُرْسِيِّ أَعْشَى هَمْدَانَ: شَهِدْتُ عَلَيْكُمْ أَنَّكُمْ سَبَئِيَّةٌ ... وَإِنِّي بِكُمْ يَا شُرْطَةَ الشِّرْكِ عَارِفُ وَأُقْسِمُ مَا كُرْسِيُّكُمْ بِسَكِينَةٍ ... وَإِنْ كَانَ قَدْ لُفَّتْ عَلَيْهِ اللَّفَائِفُ وَأَنْ لَيْسَ كَالتَّابُوتِ فِينَا وَإِنْ سَعَتْ ... شِبَامٌ حَوَالَيْهِ وَنَهْدٌ وَخَارِفُ وَإِنِّي امْرُؤٌ أَحْبَبْتُ آلَ مُحَمَّدٍ ... وَتَابَعْتُ وَحَيًا ضُمِّنَتْهُ الْمَصَاحِفُ وَتَابَعْتُ عَبْدَ اللَّهِ لَمَّا تَتَابَعَتْ ... عَلَيْهِ قُرَيْشٌ شُمْطُهَا وَالْغَطَارِفُ وَقَالَ الْمُتَوَكِّلُ اللَّيْثِيُّ: أَبْلِغْ أَبَا إِسْحَاقَ إِنْ جِئْتَهُ ... أَنِّي بِكُرْسِيِّكُمْ كَافِرُ تَنْزُوا شِبَامٌ حَوْلَ أَعْوَادِهِ ... وَتَحْمِلُ الْوَحَيَ لَهُ شَاكِرُ مُحْمَرَّةً أَعْيُنُهُمْ حَوْلَهُ ... كَأَنَّهُنَّ الْحِمَّصُ الْحَادِرُ قُلْتُ: هَذَا وَأَمْثَالُهُ مِمَّا يَدُلُّ عَلَى قِلَّةِ عَقْلِ الْمُخْتَارِ وَأَتْبَاعِهِ وَضَعْفِهِ وَقِلَّةِ عِلْمِهِ وَكَثْرَةِ جَهْلِهِ وَرَدَاءَةِ فَهْمِهِ وَتَرْوِيجِهِ الْبَاطِلَ عَلَى أَتْبَاعِهِ وَتَشْبِيهِهِ الْبَاطِلَ بِالْحَقِّ لِيُضِلَّ بِهِ الطَّغَامَ وَيَجْمَعَ عَلَيْهِ جُهَّالَ الْعَوَامِّ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ وَقَعَ فِي مِصْرَ طَاعُونٌ هَلَكَ فِيهِ خَلْقٌ كَثِيرٌ مِنْ أَهْلِهَا، وَفِيهَا ضَرَبَ الدَّنَانِيرَ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مَرْوَانَ بِمِصْرَ وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ ضَرَبَهَا بِهَا.
পৃষ্ঠা - ৬৯৩৩
قَالَ صَاحِبُ مِرْآةَ الزَّمَانِ: وَفِيهَا ابْتَدَأَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ بِبِنَاءِ الْقُبَّةِ عَلَى صَخْرَةِ بَيْتِ الْمُقَدَّسِ، وَعِمَارَةِ الْجَامِعِ الْأَقْصَى، وَكَمَلَتْ عِمَارَتُهُ فِي سَنَةِ ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ، وَكَانَ السَّبَبُ فِي ذَلِكَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ كَانَ قَدِ اسْتَوْلَى عَلَى مَكَّةَ، وَكَانَ يَخْطُبُ فِي أَيَّامِ مِنًى وَعَرَفَةَ، وَمُقَامَ النَّاسِ بِمَكَّةَ، وَيَنَالُ مِنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَيَذْكُرُ مَسَاوِئَ بَنِي مَرْوَانَ، وَيَقُولُ: إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَعَنَ الْحَكَمَ وَمَا نَسَلَ، وَإِنَّهُ طَرِيدُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَعِينُهُ، وَكَانَ يَدْعُو إِلَى نَفْسِهِ، وَكَانَ فَصِيحًا، فَمَالَ مُعْظَمُ أَهْلِ الشَّامِ إِلَيْهِ، وَبَلَغَ ذَلِكَ عَبْدَ الْمَلِكِ فَمَنْعَ النَّاسِ مِنَ الْحَجِّ فَضَجُّوا، فَبَنَى لَهُمُ الْقُبَّةَ عَلَى الصَّخْرَةِ وَالْجَامِعَ الْأَقْصَى ; لِيَشْغَلَهُمْ بِذَلِكَ عَنِ الْحَجِّ وَيَسْتَعْطِفَ قُلُوبَهُمْ وَكَانُوا يَقِفُونَ عِنْدَ الصَّخْرَةِ وَيَطُوفُونَ حَوْلَهَا كَمَا يَطُوفُونَ حَوْلَ الْكَعْبَةِ، وَيَنْحَرُونَ يَوْمَ الْعِيدِ وَيَحْلِقُونَ رُءُوسَهُمْ فَفَتَحَ بِذَلِكَ عَلَى نَفْسِهِ بَابَ تَشْنِيعِ ابْنِ الزُّبَيْرِ عَلَيْهِ، فَكَانَ يُشَنِّعُ عَلَيْهِ بِمَكَّةَ وَيَقُولُ ضَاهَى بِهَا فِعْلَ الْأَكَاسِرَةِ فِي إِيوَانِ كِسْرَى، وَالْخَضْرَاءَ كَمَا فَعَلَ مُعَاوِيَةُ، وَنَقْلَ الطَّوَافَ مِنْ بَيْتِ اللَّهِ إِلَى قِبْلَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَنَحْوَ ذَلِكَ. وَلَمَّا أَرَادَ عَبْدُ الْمَلِكِ بِنَاءَهَا سَارَ مِنْ دِمَشْقَ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ وَمَعَهُ الْأَمْوَالُ وَالْعُمَّالُ، وَوَكَّلَ بِالْعَمَلِ رَجَاءَ بْنَ حَيْوَةَ، وَيَزِيدَ بْنَ سَلَّامٍ مَوْلَاهُ، وَجَمَعَ الصُّنَّاعَ وَالْمُهَنْدِسِينَ فَأَمْرَهُمْ فَصَوَّرُوا لَهُ الْقُبَّةَ فِي صَحْنِ الْمَسْجِدِ فَأَعْجَبَهُ، وَبَنَى لِلْمَالِ بَيْتًا شَرْقِيَّ الْقُبَّةِ، وَشَحَنَهُ بِالْمَالِ، وَأَمَرَ رَجَاءَ بْنَ حَيْوَةَ، وَيَزِيدَ أَنْ يُفْرِغَا
পৃষ্ঠা - ৬৯৩৪


তারা পুনরায় পত্র লিখেন, সম্ভব হলে আমরা আমাদের স্তীল্যেকদের অলংকার দ্বারা এই
মসজিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতাম ৷ আবদুল মালিক জবাবে লিখলেন, তোমরা যদি এগুলো
গ্রহণ করতে অস্বীকার কর, তাহলে এই অর্থও গম্বুজ ও দরজায় ব্যয় করে ফেল ৷ শেষ পর্যন্ত
ফল এই দীড়াল যে, নতুন-পুরাতন সোনার প্রলেপের কারণে গম্বুজকে আর গম্বুজ বলে শনাক্ত
করার কারো সাধ্য ছিল না ৷ পরব৩ ত আবু জাফর আল মানসুর যখন খলীফা নিযুক্ত হন,
তখন একশত চল্লিশ হিজরীতে তিনি বাইতুলমুকাদ্দাস গমন করেন ৷ তিনি মসজিদটিকে ভন্ম
অবস্থায় দেখতে পান ৷ ফলে তিনি দ্বারসমুহ ও গম্বুজের পায়ে মােশানাে সোনা ও পাতগুলো
খুলে ফেলার নির্দেশ প্রদান করেন ৷ মানুষ তার নির্দেশ বাস্তবায়ন করল ৷ মসজিদটি ছিল
লম্বাটে ৷ খলীফা আবু জাফর আল-মানসুর মসজিদটির দৈর্ঘ্য কমিয়ে প্রস্থ বৃদ্ধি করারও আদেশ
প্রদান করেন ৷ মেরামত সম্পন্ন হওয়ার পর সম্মুখস্থ দরজা সংলগ্ন গষুজের উপর লিখে দেয়া




অর্থাৎ আযীরুল মু’মিনীন আবদুল মালিক কর্তৃক পুনঃনির্মিত নির্মাণ কাল বাষট্টি হিজরী ৷
মসজিদটির দৈর্ঘ্য ছিল কিক্যার দিক থেকে উত্তর দিকে ৭৬৫ হাত এবং প্রস্থ ৪৬০ হাত ৷
বাইতুল মুকাদ্দাস বিজিত হয়েছিল ষোল হিজরীতে ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷




الْأَمْوَالَ إِفْرَاغًا، وَلَا يَتَوَقَّفَا فِيهِ، فَبَثُّوا النَّفَقَاتِ وَأَكْثَرُوا فَبَنَوُا الْقُبَّةَ الَّتِي هِيَ الْيَوْمَ قَائِمَةٌ، وَبَنَوْا مِنْ نَاحِيَةِ الْقِبْلَةِ سَبْعَ قِبَابٍ، وَالْقُبَّةُ الَّتِي بَاقِيَةٌ الْيَوْمَ عَلَى الْمِحْرَابِ هِيَ أَوْسَطُهَا، وَلَمَّا تَمَّ بِنَاءُ الْقُبَّةِ عَمِلَ لَهَا جَلَّالَيْنِ ; أَحَدُهُمَا مِنْ لَبُّودٍ أَحْمَرَ لِلشِّتَاءِ، وَالْآخَرُ مِنْ أُدُمٍ لِلصَّيْفِ، وَحَفَّ الصَّخْرَةَ بِدَرَابِزِينَ مِنَ السَّاجِ الْمُطَعَّمِ بِالْيَشْمِ، وَخَلْفَ الدَّرَابِزِينِ سُتُورٌ مِنَ الدِّيبَاجِ مُرْخَاةً بَيْنَ الْعُمُدِ، وَكَانَتِ السَّدَنَةُ كُلَّ خَمِيسٍ وَاثْنَيْنٍ يَذُوِّبُونَ الْمِسْكَ، وَالْعَنْبَرَ وَالْمَاوَرْدَ وَالزَّعْفَرَانَ وَيَعْمَلُونَ مِنْهُ غَالِيَةً، وَيُخَمِّرُونَهَا مِنَ اللَّيْلِ ثُمَّ يَدْخُلُ الْخَدَمُ الْحَمَّامَ مِنَ اللَّيْلِ
পৃষ্ঠা - ৬৯৩৫
فَيَغْتَسِلُونَ وَيَتَطَيَّبُونَ، وَيَلْبَسُونَ ثِيَابَ الْوَشْيِ، وَيَشُدُّونَ أَوْسَاطَهُمْ بِالْمَنَاطِقِ الْمُحَلَّاةِ بِالذَّهَبِ وَيُخْلِّقُونَ الصَّخْرَةَ، ثُمَّ يَضَعُونَ الْبَخُورَ فِي مَجَامِرِ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ، وَفِيهَا الْعُودُ الْقَمَارِيُّ الْمَغْلِيُّ بِالْمِسْكِ، وَيُرْخِي السَّدَنَةُ السُّتُورَ فَتَخْرُجُ تِلْكَ الرَّائِحَةُ فَتَمْلَأُ الْمَدِينَةَ كُلَّهَا، ثُمَّ يُنَادِي مُنَادٍ: أَلَا إِنَّ الصَّخْرَةَ قَدْ فُتِحَتْ، فَمَنْ أَرَادَ الزِّيَارَةَ فَلْيَأْتِ، فَيُقْبِلُ النَّاسُ مُبَادِرِينَ، فَيُصَلُّونَ وَيَخْرُجُونَ، فَمَنْ وُجِدَتْ مِنْهُ رَائِحَةُ الْبَخُورِ قَالَ النَّاسُ: هَذَا كَانَ الْيَوْمَ فِي الصَّخْرَةِ. وَأَبْوَابُ الصَّخْرَةِ أَرْبَعَةٌ، عَلَى كُلِّ بَابٍ عَشَرَةٌ مِنَ الْحَجَبَةِ، الْبَابُ الشَّمَالِيُّ يُسَمَّى بَابَ الْجَنَّةِ، وَالشَّرْقِيُّ بَابَ إِسْرَائِيلَ، وَالْغَرْبِيُّ بَابَ جِبْرِيلَ، وَالْقِبْلِيُّ بَابَ الْأَقْصَى، وَكَانُوا يُشْعِلُونَهَا بِدُهْنِ الْبَانِ، وَلَا يَدْخُلُهَا أَحَدٌ غَيْرَ أَيَّامِ الزِّيَارَةِ سِوَى الْخَدَمِ، وَكَانَ لِلْحَرَمِ عِشْرُونَ بَابًا، وَكَانَ فِيهِ أَلْفَ عَمُودٍ مِنَ الرُّخَامِ، وَفِي السُّقُوفِ سِتُّونَ أَلْفَ خَشَبَةٍ مِنَ السَّاجِ الْمَنْقُوشِ، وَمِنَ الْقَنَادِيلِ خَمْسَةُ آلَافِ قِنْدِيلٍ، وَكَانَ فِيهِ أَرْبَعُمِائَةِ سِلْسِلَةٍ، كُلُّ سِلْسِلَةٍ أَلْفُ رِطْلٍ شَامِيٍّ، طُولُ السَّلَاسِلِ ثَلَاثُونَ أَلْفَ ذِرَاعٍ، وَكَانَ يُوقَدُ فِي الصَّخْرَةِ كُلَّ لَيْلَةٍ مِائَةُ شَمْعَةٍ، وَكَذَا فِي الْأَقْصَى، وَكَانَ يُوقَدُ فِي الْقَنَادِيلِ كُلَّ لَيْلَةٍ مِنَ الزَّيْتِ الْمَفْتُولِ قِنْطَارٌ، وَكَانَ فِي الْحَرَمِ خَمْسُونَ قُبَّةً، وَمِنْ أَلْوَاحِ الرَّصَاصِ سَبْعُونَ أَلْفَ لَوْحٍ، وَكَانَ فِي الْحَرَمِ ثَلَاثُمِائَةِ خَادِمٍ ابْتَاعُوا مِنْ بَيْتِ الْمَالِ مِنَ الْخُمْسِ، كُلَّمَا مَاتَ وَاحِدٌ قَامَ وَلَدُهُ بَعْدَهُ مَقَامَهُ، وَيَقْبِضُونَ أَرْزَاقَهُمْ مِنْ بَيْتِ الْمَالِ شَهْرًا بِشَهْرٍ، وَكَانَ فِي الْحَرَمِ مِائَةُ