আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة أربع وستين

وقعة مرج راهط ومقتل الضحاك بن قيس الفهري رضي الله عنه

وقعة مرج راهط ومقتل الضحاك بن قيس الفهري رضي الله عنه

পৃষ্ঠা - ৬৮৪৮

মারওয়ন রওয়ানা হন ৷ যখন আযরংআত নামক স্থানে ৷,প্া৷ছলেন তখন উবাইদুল্লাহ্
ইবন যিয়াদের সাথে তার নাক্ষাত হয় যে ইরাক থেকে আনছিল ৷ উবাইদুল্লাহ্ ইবন
যিয়াভৈদর সাথে ছিলেন হুমাইন ইবৃর্নইনৃমাইর এবং আমর ইবন সাঈদ ৷ তারা সকলে মিলে
মড়ারওয়ল্দোক উৎসাহিত করতে লাগালন, যেন তিনি নিজের জনা’নকলের কাছে বায়আতের
আহবান জানান৷ কেননা তিনি খিলাফতের ব্যাপারে আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর ণ্(রা) থেকে
অধিকতর যোগ্য ৷ আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (বা) মুসলিম জামায়াত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে
পড়েছেন এবং তিনজন খলীফা থেকে বায়অড়াত প্রত্যাহার করে রয়েছেন ৷ তারা সকলে
মিলে এ ব্যাপারে মারওয়াহ্ব ৷র উপর চাপ প্রয়োগ করতে লাগলেন যতক্ষণ না তিনি এ
ব্যাপারে রাষী হলেন ৷

উবাইদৃল্লাহ ইবন যিয়াদ তাকে বলল আমি এক্ষুণি দামেশকে অবস্থানরত আদ দাহহাক
(বা) এর কাছে যাচ্ছি ৷ আপনার স্বার্থে আমি তাকে পতারিত করব এবং৩ তার কাজের জন্য
াকেত অপমানিত করব ৷ এ কথাবলে সে দামেশকে চলে গেল এবং প্রতিদিনই তার কাছে
এবলার গমন করত ও প্রেমপ্রীর্ডি ভালবাসা, শ্রদ্ধা ইত্যাদি প্রদর্শন করত ৷ এরপর তাকে
জনগণের প্রতি নিজের জন্য বায়আত গ্রহণের আহবান আবদুল্লাহ ইবন যুব ইব (র ) এর
যায় তাতে প্রত্যাহার ইত্যাদি ব্যাপারে প্ররোচিত করে ৷ কেননা আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা)
থেকে মারওয়ান বেশী হকদার বলে সে প্রকাশ করতে লাগল ৷ ”

ইবন যিয়াদ তাকে আরো বলল, আপনি আমানত ও আনুগত্যের ব্যাপারে অত্যন্ত প্রসিদ্ধ ৷
আর আবদুল্লাহ ইবন যুব৷ ৷ইর (রা) জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন ৷ এরুপ কথায় প্রতা ন্ত
হয়ে আদদাহ্হাক (রা)৩ তিনদিন নর্যম্ভ জনগণকে তার প্ৰতি বায় আত করার জন্য আহবান
জানান ৷ কিন্তু কেউই তার ডাকে সাড়া দিল না ৷৩ তাই তিনি আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) এর
প্ৰতি যায় তাতে করার জন্য জনগণের প্রতি পুনরায় আহবান জ ৷নান কিন্তু এতে জনগণের কাছে
তার তাবয়ুর্তি ক্ষুগ্ন হয়ে পড়ল এরপর ইবন যিয়াদ তাকেবলল, আপনি যা চান আর অন্য
যায়৷ তা চায়,তার৷ শহর বন্দরেঅবতরণ করবে না তারা অবতরণ করবে মাঠে এবং আপনার
বিরুদ্ধে র্সেখানে তারা সেনাতলব করবে ৷ একথা শুনে আদদাহ্হাক (রা) মারজে রাহিত
নামক স্থানে আগমন করেন এবং সেখানে অবতরণ করেন ৷ ইবন যিয়াদ দামেশকে অবস্থান
করতে লাগলেন ৷ বনু উমাইয়া৩ তাদমুর নামক স্থানে অবস্থান করছিল ৷ আর খালিদ ও
আবদুল্লাহ আল জারীয়া নামক স্থানে তাদের মামা হাসৃসানের কাছে অবস্থান করছিল ৷ ইবন
যিয়াদ মারওয়ানের কাছে পত্র লিখে তাকে জনগণের কাছে স্বীয় নিজের দাবী প্রকাশ করার
জন্য জনগণকে আহবান জানান ৷ মারওয়ান খালিদ ইবন ইয়াষীদের মাতা উম্মে হাশিম বিনত
হাশিম উতবা ইবন রাবীআকে বিবাহ করেন ৷ তার বিষয়টি প্রসিদ্ধি লাভ করল এবং জনগণ
তার প্ৰতি বায়আত করল ও জনগণ তার সাথে ঐক্যমত ঘোষণা করল ৷ মারওয়ান আদ
দাবহহাক ইবন কাইসের প্ৰতি মারজে রাহিতে গমন করে ৷ সেখানে উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ

হুতার ভাই আব্বাদ ইবন যিয়াদও সেখানে হা ৷যির হয় ৷ মারওয়ানের সাহায্যে আগ৩ সৈন্য

সট্রুখা৷ দীড়ায় ১৩ হাজার ৷

মারওয়ানের পক্ষ থেকে দামেশকে যাকে শাসক নিয়োগ করা হয়৩ তার নাম ইয়াষী দ ইবন
আবুনৃনমর আর দামেশক হতে আদ দাহ্হাক(রা)এর নিযুক্ত শ্া৷নককে বের করে দেয়া হয় ৷
তিনি অস্ত্রশস্ত্র ও জনবল দিয়ে মারওয়ানকে সাহায্য করতে লাগলেন ৷ কারো কারো মতে; ঐ

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া৫৬

[وَقْعَةُ مَرْجِ رَاهِطٍ وَمَقْتَلُ الضَّحَّاكِ بْنِ قَيْسٍ الْفِهْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ] قَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ الضَّحَّاكَ كَانَ نَائِبَ دِمَشْقَ لِمُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، وَكَانَ يُصَلَّى عَنْهُ إِذَا اشْتَغَلَ أَوْ غَابَ، وَيُقِيمُ الْحُدُودَ، وَيَسُدُّ الْأُمُورَ، فَلَمَّا مَاتَ مُعَاوِيَةُ قَامَ بِأَعْبَاءِ بَيْعَةِ يَزِيدَ ابْنِهِ، ثُمَّ لَمَّا مَاتَ يَزِيدُ بَايَعَ النَّاسَ لِمُعَاوِيَةَ بْنِ يَزِيدَ، فَلَمَّا مَاتَ مُعَاوِيَةُ بْنُ يَزِيدَ بَايَعَهُ أَهْلُ دِمَشْقَ حَتَّى يَجْتَمِعَ النَّاسُ عَلَى إِمَامٍ، فَلَمَّا اتَّسَعَتِ الْبَيْعَةُ لِابْنِ الزُّبَيْرِ عَزَمَ عَلَى الْمُبَايَعَةِ لَهُ، فَخَطَبَ النَّاسَ يَوْمًا وَتَكَلَّمَ فِي يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ وَذَمَّهُ، فَقَامَتْ فِتْنَةٌ فِي الْمَسْجِدِ الْجَامِعِ، حَتَّى اقْتَتَلَ النَّاسُ فِيهِ بِالسُّيُوفِ، فَسَكَنَ النَّاسُ، ثُمَّ دَخَلَ دَارَ الْإِمَارَةِ مِنَ الْخَضْرَاءِ، وَأَغْلَقَ عَلَيْهِ الْبَابَ، ثُمَّ اتَّفَقَ مَعَ بَنِي أُمَيَّةَ عَلَى أَنْ يَرْكَبُوا إِلَى حَسَّانَ بْنِ مَالِكِ بْنِ بَحْدَلٍ وَهُوَ بِالْأُرْدُنِّ، فَيَجْتَمِعُوا عِنْدَهُ عَلَى مَنْ يَرَاهُ أَهْلًا لِلْإِمَارَةِ عَلَى النَّاسِ، وَكَانَ حِسَانُ يُرِيدُ أَنْ يُبَايِعَ لِابْنِ أُخْتِهِ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ، وَيَزِيدُ ابْنُ مَيْسُونَ، وَمَيْسُونُ بِنْتُ بَحْدَلٍ، فَلَمَّا رَكِبَ الضَّحَّاكُ مَعَهُمُ انْخَذَلَ بِأَكْثَرِ الْجَيْشِ، فَرَجَعَ إِلَى دِمَشْقَ، فَامْتَنَعَ بِهَا، وَبَعَثَ إِلَى أُمَرَاءِ الْأَجْنَادِ، فَبَايَعَهُمْ لِابْنِ الزُّبَيْرِ، وَسَارَ بَنُو أُمَيَّةَ وَمَعَهُمْ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ، وَعَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ، وَخَالِدٌ وَعَبْدُ اللَّهِ ابْنَا يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، حَتَّى اجْتَمَعُوا بِحَسَّانَ بْنِ مَالِكِ بْنِ بَحْدَلٍ بِالْجَابِيَةِ، وَلَيْسَ لَهُمْ قُوَّةً طَائِلَةً بِالنِّسْبَةِ إِلَى الضَّحَّاكِ بْنِ قَيْسٍ، فَعَزَمَ مَرْوَانُ عَلَى الرَّحِيلِ إِلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ لِيُبَايِعَهُ، وَيَأْخُذَ أَمَانًا مِنْهُ لِبَنِي أُمَيَّةَ، فَإِنَّهُ كَانَ قَدْ أَمَرَ
পৃষ্ঠা - ৬৮৪৯

মারও€া৷’ল রওয়নাে হন ৷ যখন আয়কআত নামক স্থানে পৌছলেন তখন উংা৷ইদুচুা৷হ্

ইবন ৷য়য়াদের সাথে তার লক্ষোত হয় যে ইরাক থেকে তা৷াছিন্ন্ম্ন্হ্ব ৷ উবাইদুল্লাহ ইবন
প্রিয়ান্দের সাথে ছিলেন হুসাইন ইবন ন্যুা৷ইর এবং আমর ইবন সাঈদ ৷ তারা সকলে মিলে
মাহ্ণ্ডেয়ড়ানকে উৎনাহিত করতে লাগনেন যেন তিনি নিজের জন্য সকরুণ্ৰুংার কাছে বায়আতের
আহবান জানান ৷ কেননা তিনি ৷ছি’ালাফাতর ব্যাপারে আবদুল্লাহ ইবন যুরাইর (বা ) থেকে
অধিকতর ন্ব,য়ম্পোা ৷ আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) মুসলিম জামায়াত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে
পড়েছেন এবং তিনজন খঃলীফা থেকে বায়আত প্রত্যাহার করে রয়েছেন ৷ তারা সকলে
মিলে এ বব্বাপারে মারওয়ানের উপর চাপ প্রয়োগ করতে লাগলেন, যতক্ষণ না তিনি এ
ব্যাপারে রাযী হলেন ৷
উঃবইিদুহুন্বাহ ইবন যিয়াদ তাকে বলল, আমি এক্ষুণি দামেশকে অবস্থানরত আর দাহ্হাক
(রা)-এর কাছে বাচ্ছি ৷ আপনার স্বার্থে আমি তাকে এতারিত করব এবং তার কাজের জন্য
তাকে অপমানিত করব ৷ এ কথা বলে সে দামেশকে চলে গেল এবং, প্ৰতিদিনই তার কাছে
একবার গমন করত ও প্রেম-প্রীতি ভালবাসা, শ্রদ্ধা ইত্যাদি প্রদর্শন করত ৷ এরপর তাকে
জনগৱণর প্ৰতি নিজের জন্য বায়আত গ্রহণের আহবান, আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (বা)-এয়
বায়আত প্রত্যাহার ইত্যাদি ব্যাপারে প্ররােচিত করে ৷ কেননা আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (বা)
থেকে মারওয়ান বেশী হকদার বলে সে প্রকাশ করতে লাগল ৷
ইবন যিয়াদ তাকে তা৷রাে বলল, আপনি আমানত ও আনৃপত্যের ব্যাপারে অত্যন্ত প্রসিদ্ধ ৷
আর আবদুরুৰুা৷হ ইবন য়ুবাইর ( রা ) জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন ৷ এরুপ কথায় প্রভাবিত
হভৈয় আদ-দাহহাক (বা) তিনদিন পর্যন্ত জনগণকে তার প্ৰতি বায়আত করার জন্য আহবান
জানান ৷ কিন্তু কেউই তার ডাকে সাড়া দিল না ৷ তাই তিনি আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা)এর
প্ৰতি বায়আত করার জন্য জনগণের প্রতি পুনরায় আহবান জানান কিন্তু এতে জনগণের কাছে
তার ভাবমুর্তি ক্ষুগ্ন হয়ে পড়ল এরপর ইবন যিয়াদ তাকে বলল, আপনি যা চান আর অন্য

বিরুদ্ধে সেখানে তারা সেনাতলব করবে ৷ একথা শুনে আদ-দাহহাক (বা) মারজে রাহিত
নামক স্থানে আগমন করেন এবং সেখানে অবতরণ করেন ৷ ইবন, যিয়াদ দামেশকে অবস্থান
করতে লাগলেন ৷ বনু উমাইয়া তাদমুর নামক স্থানে অবস্থান করছিল ৷ আর খালিদ ও
আবদুল্লাহ আল জারীয়া নামক স্থানে তাদের নামা হাসৃসানের কাছে অবস্থান করছিল ৷ ইবন
যিয়াদ মারওয়ানের কাছে পত্র লিখে তাকে জনগণের কাছে স্বীয় নিজের দাবী প্রকাশ করার
জন্য জনগণকে আহবান জানান ৷ মারওয়ান খালিদ ইবন ইয়ড়াযীদের মাতা উম্মে হাশিম বিনত
হাশিম উতবা ইবন রাবীআকে বিবাহ করেন ৷ তার বিষয়টি প্ৰসিদ্ধি লাভ করল এবং জনগণ
তার প্ৰতি বায়আত করল ও জনগণ তার সাথে ঐক্যমত ঘোষণা করল ৷ মারওয়ান আদ
দাহ্হাক ইবন কাইসের প্ৰতি মারজে রাহিতে গমন করে ৷ সেখানে উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ
এবং তার ভাই আব্বাদ ইবন যিয়াদও সেখানে হাযির হয় ৷ মারওয়ানের সাহায্যে আগত সৈন্য
সংখ্যা দাড়ায় ১৩ হাজার ৷

মারওয়ানের পক্ষ থেকে দামেশকে যাকে শাসক নিয়োগ করা হয় তার নাম ইয়াষীদ ইবন
আবুননমর আর দামেশক হতে আদ দাহ্হাক(রা)এর নিযুক্ত শাসককে বের করে দেয়া হয় ৷
তিনি অস্ত্রশস্ত্র ও জনবল দািয় মারওয়ানকে সাহায্য করতে লাগলেন ৷ কারো কারো মতে,

আলন্বিদায়া ওয়ান নিহারা ৫৬


بِإِجْلَائِهِمْ عَنِ الْمَدِينَةِ، فَسَارَ حَتَّى وَصَلَ إِلَى أَذَرِعَاتٍ، فَلَقِيَهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ مُقْبِلًا مِنَ الْعِرَاقِ، فَاجْتَمَعَ بِهِ، وَمَعَهُ حُصَيْنُ بْنُ نُمَيْرٍ، وَعَمْرُو بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، فَحَسَّنُوا لَهُ أَنْ يَدْعُوَ إِلَى نَفْسِهِ ; فَإِنَّهُ أَحَقُّ بِذَلِكَ مِنِ ابْنِ الزُّبَيْرِ الَّذِي قَدْ فَارَقَ الْجَمَاعَةَ، وَخَلَعَ ثَلَاثَةً مِنَ الْخُلَفَاءِ، فَلَمْ يَزَالُوا بِمَرْوَانَ حَتَّى أَجَابَهُمْ إِلَى ذَلِكَ، وَقَالَ لَهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ: وَأَنَا أَذْهَبُ لَكَ إِلَى الضَّحَّاكِ إِلَى دِمَشْقَ، فَأَخْدَعُهُ لَكَ وَأَخْذُلُ أَمْرَهُ. فَسَارَ إِلَيْهِ وَجَعَلَ يَرْكَبُ إِلَيْهِ كُلَّ يَوْمٍ، وَيُظْهِرُ لَهُ الْوُدَّ وَالنَّصِيحَةَ وَالْمَحَبَّةَ، ثُمَّ حَسَّنَ لَهُ أَنْ يَدْعُوَ إِلَى نَفْسِهِ، وَيَخْلَعَ ابْنَ الزُّبَيْرِ، فَإِنَّكَ أَحَقُّ بِالْأَمْرِ مِنْهُ ; لِأَنَّكَ لَمْ تَزَلْ فِي الطَّاعَةِ مَشْهُورًا بِالْأَمَانَةِ، وَابْنُ الزُّبَيْرِ خَارِجٌ عَنِ النَّاسِ. فَدَعَا الضَّحَّاكُ النَّاسَ إِلَى نَفْسِهِ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، فَلَمْ يَصْعَدْ مَعَهُ، فَرَجَعَ إِلَى الدَّعْوَةِ لِابْنِ الزُّبَيْرِ، وَلَكِنِ انْحَطَّ بِهَا عِنْدَ النَّاسِ، ثُمَّ قَالَ لَهُ ابْنُ زِيَادٍ: إِنَّ مَنْ يَطْلُبُ مَا تَطْلُبُ لَا يَنْزِلُ الْمُدُنَ وَالْحُصُونَ، وَإِنَّمَا يَنْزِلُ الصَّحْرَاءَ، وَيَدْعُو بِالْجُنُودِ. فَبَرَزَ الضَّحَّاكُ إِلَى مَرْجِ رَاهِطٍ فَنَزَلَهُ، وَأَقَامَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ بِدِمَشْقَ وَمَرْوَانُ وَبَنُو أُمَيَّةَ بِتَدْمُرَ، وَخَالِدٌ وَعَبْدُ اللَّهِ عِنْدَ خَالِهِمْ حَسَّانَ بِالْجَابِيَةِ، فَكَتَبَ ابْنُ زِيَادٍ إِلَى مَرْوَانَ يَأْمُرُهُ أَنْ يُظْهِرَ دَعْوَتَهُ، فَدَعَا إِلَى نَفْسِهِ، وَتَزَوَّجَ بِأُمِّ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، وَهِيَ أُمُّ هَاشِمٍ بِنْتُ أَبِي هَاشِمِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ، فَعَظُمَ أَمْرُهُ
পৃষ্ঠা - ৬৮৫০


সময়, দামেশকের সহকারী প্রশাসক ছিলেন আবদুর রহমান ইবন উম্মুল হাকীম ৷ মারওয়ান
তার সেনাবাহিনীর ডান পার্শ্ব উবাইদৃল্লাহ্ ইবন যিয়াদকে নিযুক্ত করে এবং বাম পার্শেনিযুক্ত
করে আমর ইব ন সাঈদ আল আসকে ৷ আদ দাহ্হাক (বা) আর নুমান ইবন বাশীরের কাছে
লোক প্রেরণ করেন ৷ হিমসবাসীদের সেনাপতি ছিলেন শুরাহবীল ইবন যুলকালা ৷ আদ দাহ্হাক
সাহায্যে আরো এগিয়ে আসেন যুফর ইবন হাৰিছ আল কিলাবী ৷ তিনি ছিলেন
কিন্নাসারীনবাসীদের আমীর ৷
আদ দাহ্হাক (রা) এর সৈন্য সামন্ত ছিল ৩০ হাজার সেনাবাহিনীর ডান পাশে ছিলেন
যিয়াদ ইবন আমর আল ওকাইলী এবং বাম পাশে ছিলেন যাক রীয় ৷ ইবন শিমার আল
হিলালী ৷ উভয় পক্ষের সৈন্য যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিল এবং মারজ রাইিত,নামক স্থানে ২৯ দিন
যাবত তুমুল যুদ্ধ চলতে থাকে ৷ প্রতিদিন তাদের এক সেনাবাহিনী অন্য সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে
তুমুল যুদ্ধ করত ৷ তারপর উবাইদুল্লাহ্ মারওয়্ানকে ইঙ্গিত করল যাতে, সে শত্রু সৈন্যদেরকে
ৰুসন্ধির জন্য প্রতারণামুলক আহ্বান জানায় ৷ কেননা যুদ্ধের অপর নাম প্রতারণা ৷ আর সে
মারওয়ানকে বলল, আপনি এবং আপনার সাথীরাই ন্যায়ের জন্য সৎপ্রাম করছেন ৷ আর শত্রুরা
অসত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত ৩৷ সন্ধির কথাটি সেনাবাহিনীর মাঝে প্রচার হল ৷ তারপর মারওয়ানেহ্
ন্সাথীরা বিশ্বাসঘাতকত৷ করল এবং শত্রু সৈন্যদেরকে প্রচণ্ড যুদ্ধের মাধ্যমে হ্তু,া৷ ক্কুরমে
লাগল ৷ আদ দাহ্হাক (রা) অশেষ ধৈর্যধারণ করতে থাকেন ৷ শেষ পয়স্ত আর দাহ্হাক ইবন্
কাইস হুরা) যুদ্ধ ক্ষেত্রে নিহত হন৷ তাকে যে ণ্লাকটি হত্যা করে৩ তার নাম য়্াহ্ম৷ ইবন্
আবদুল্লাহ ৷ সে ছিল বনু কালরের অন্তর্ভুক্ত ৷ সে৩ তার প্রতি একটি খঞ্জর নিক্ষেপ করেছিল ৷
খঞ্জরটি তাঃক রিদ্ধ করে ব্লের হয়ে গিয়েছিল ৷ তিনি হতা৷কারীকে চিনতেন না ৷
মারওয়ান ও তার সাথীরা অ ৩ম্ভে ধৈর্যধারণ করেছিলেন, যতক্ষণ না শত্রুপক্ষদু তীর সৃম্মুখ
থেকে পলায়ন করে, মারওয়ান তখন ঘোষণা দিতে থাকেন, সাবধান ৷ যারুা ;প্ললায়ন করছে
তাদের পেছন দিয়ে আক্রমণ, করোনা ৷ তারপর আদ দাহ্হাক (রা)এর শির মারওয়ানের কাছে
আনা হল ৷ কেউ বেইি বলেন, যে ব্যক্তি আদ দাহ্হাক (রা) কে হত্যা করার জন্য প্রথম আঘাত
করেছিল৩ ৷র নাম রাওহ ইবন যাম্বা আল জুযামী ৷ পরে মারওয়ান ইবনুল হাকামের হাতেই
সিরিয়ার রাষ্ট স্থিতিশীল হয় ৷ বর্ণিত আছে যে, মারজ রাহিাতর দিন মারওয়ান নিজের প্রতি
লক্ষ্য করে খুব কান্নাকাটি করছিল এবং বলছিহুলন, এটা কি আমার জন্য দুর্ভাগ্য নয় যে, আমি
’ বৃদ্ধ হয়েছি এবং দুর্বল হয়ে পড়েছি, তারপরও রাজ্যের জন্য আমি তলােয়ার দিয়ে যুদ্ধ করছি ৷
আমি বলি তার খিলাফ্াত বেশীদিন স্থায়ী হয়নি ৷ তা ছিল মাত্র নয়মাস ৷ এ বিষয়ে পরে
বিস্তারিত আলোচনা করা হবে ৷

আদ-দাহ্হাক ইবন কাইস (রা) এর জীবন কাহিনী

তার পুর্ণ নাম ছিল আবু উমায়স আদ দাহ্হাক ইবন কাইস ইবন খালিদ আল আকবায়
ইবন ওহাব ইবন সালাব৷ ইবন ওয়াইল৷ ইবন আমর ইবন শাইবান ইবন সালাব৷ ইবন ওয়াইলা
ইবন আমর ইবন শ ৷৷হবান ইবন মাহারিব ইবন ফিহির ইবন মালিক আর ফিহরী ৷ বিশুদ্ধ মতে
তিনি ছিলেন একজন সাহাবী ৷ তিনি রাসুল (সা) থেকে কয়েকটি হাদীস শুনােছন ৷ একদল
াবিঈ৩ট্ তার থােক হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি ফাতিম৷ ৰিনত কাইস (রা) এর ভাই ৷
দিম৷ (রা)৩ তার থােক বয়সে দশ বছরের বড় ছিলেন ৷ হযরত আবুউবাইদ৷ ইবনুল জাররাহ


وَبَايَعَهُ النَّاسُ، وَاجْتَمَعُوا عَلَيْهِ، وَسَارَ إِلَى مَرْجِ رَاهِطٍ نَحْوَ الضَّحَّاكِ بْنِ قَيْسٍ، وَرَكِبَ إِلَيْهِ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ وَأَخُوهُ عَبَّادُ بْنُ زِيَادٍ، حَتَّى اجْتَمَعَ مَعَ مَرْوَانَ ثَلَاثَةَ عَشَرَ أَلْفًا، وَبِدِمَشْقَ مِنْ جِهَتِهِ يَزِيدُ بْنُ أَبِي النِّمْسِ، وَقَدْ أَخْرَجَ عَامِلَ الضَّحَّاكِ مِنْهَا، وَهُوَ يَمُدُّ مَرْوَانَ بِالسِّلَاحِ وَالرِّجَالِ وَغَيْرِ ذَلِكَ - وَيُقَالُ: كَانَ نَائِبَهُ عَلَى دِمَشْقَ يَوْمَئِذٍ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أُمِّ الْحَكَمِ - وَجَعَلَ مَرْوَانُ عَلَى مَيْمَنَتِهِ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ زِيَادٍ، وَعَلَى مَيْسَرَتِهِ عَمْرَو بْنَ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، وَبَعَثَ الضَّحَّاكُ إِلَى النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، فَأَمَدَّهُ النُّعْمَانُ بِأَهْلِ حِمْصَ عَلَيْهِمْ شُرَحْبِيلُ بْنُ ذِي الْكَلَاعِ، وَرَكِبَ إِلَيْهِ زُفَرُ بْنُ الْحَارِثِ الْكِلَابِيُّ فِي أَهْلِ قِنَّسْرِينَ، فَكَانَ الضَّحَّاكُ فِي ثَلَاثِينَ أَلْفًا، عَلَى مَيْمَنَتِهِ زِيَادُ بْنُ عَمْرٍو الْعُقَيْلِيُّ، وَعَلَى مَيْسَرَتِهِ زَكَرِيَّا بْنُ شَمِرٍ الْهِلَالِيُّ، فَتَصَافُّوا، وَتَقَاتَلُوا بِالْمَرْجِ عِشْرِينَ يَوْمًا، يَلْتَقُونَ فِي كُلِّ يَوْمٍ فَيَقْتَتِلُونَ قِتَالًا شَدِيدًا، ثُمَّ أَشَارَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ عَلَى مَرْوَانَ أَنْ يَدْعُوَهُمْ إِلَى الْمُوَادَعَةِ خَدِيعَةً ; فَإِنَّ الْحَرْبَ خُدْعَةٌ، وَأَنْتَ وَأَصْحَابُكَ عَلَى الْحَقِّ، وَهُمْ عَلَى الْبَاطِلِ. فَنُودِيَ فِي النَّاسِ بِذَلِكَ، ثُمَّ غَدَرَ أَصْحَابُ مَرْوَانَ، فَمَالُوا يَقْتُلُونَهُمْ قَتْلًا شَدِيدًا، وَصَبَرَ أَصْحَابُ الضَّحَّاكِ صَبْرًا بَلِيغًا، فَقُتِلَ الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ فِي الْمَعْرَكَةِ، قَتَلَهُ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: زُحْمَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ. مِنْ بَنِي كَلْبٍ، طَعَنَهُ بِحَرْبَةٍ، فَأَنْفَذَهُ وَلَمْ يَعْرِفْهُ. وَصَبَرَ
পৃষ্ঠা - ৬৮৫১


০ ৷ ৷ ৷ : ৷ ৷ ৷ :

আলশ্বিদায়৷ ওয়ান নিহায়৷ ৪ ৪৩

(বা) ছিলেন তার চাচা ৷ এটি ইবন আবু হ নিন (রা) এর বর্ণনা ৷ আবার কেউ কেউ বলেন,
তিনি সাহাবী ছিলেন না ৷

ওয়াকিদী (র) বলেন, নিনিন্ রাসুল (সা) কে’গ্যেয়ছেন এবং পুর্ণ বয়স্ক হওয়ার পুর্বে তিনি
বাসুল (সা) হতে হাদীস শুনেছেন ৷ ওয়াকিদী (র) এর অন্য একটি বর্ণনায় আছে যে, রাসুল
ন্ন্(সা) এর ওফাভৈতর দু বছর পুর্বে আদ দাহহাক জন্মগ্রহণ করেন ৷ তিনি দাব্লুমশক বিজয়ে
অংশগ্রহণ করেন এবং সেখানে বসবাস করেন ৷ দাব্লুমশকে বুরদা নদীর তীরে হিজরুয় যাইাবের
নিকটে তার একটি বাড়ী ছিল ৷ সিফফীব্লুনয় যুদ্ধের সময় তিনি আমীর মুআবিয়৷ (রা) এর
পক্ষে দাব্লু ম্শকবাসীদের আমীর ছিলেন ৷ আমীর মু আবিয়৷ (বা) যখন কুফা দখল করেন তখন
তিনি ৫৪ হিজরীতে ভুাহুক ব্লুসখানের প্রশাসক নিয়োগ করেন ৷
, ইমাম বুখৃা রী (র)৩ আর ইতিহাস গ্রন্থে বর্ণনা করেন, একদিন আদ দাহ্হাক (বা)

সালাতে সুরায়ে সা দ তিলাণ্ডয়াত করেন এবং সালাতে নিলাওরাব্লুত র সিজদা আদায়

ন্ করেন ৷ কিন্তু আলকাম৷ (বা) ও আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) এর সাথীপণ সিজদার
ব;া৷পাব্লুর ,তার অনুসরণ করলেন না ৷ তারপর আমীর মুআবিয়া (রা) তাব্লুক দাব্লুমশৃব্লুকর
সহকারী প্রশাসক নিয়োগ করে নিজের কাছে রাখেন ৷ তার ইনতিকাল পর্যন্ত এ ব্যবস্থা
অব্যাহত থাকে পরে তার পুত্র ইয়াযীদ খলীফা মনোনীত হন এবং ইয়াযীদের পর তার মত
ান মু আবিয়া ইবন ইয়াযীদ খলীফা মনোনীত হন এবং দ্বিতীয় মুআবিয়ার মৃত পর্যন্ত তিনি
উক্ত পদে বহাল ছিলেন ৷ ,

ইমাম আহমদ (র) বলেন; আফফান ইবন মুসলিম হাসান বসরী (র) থেকে বর্ণনা করেন
যে,৩ তিনি বলেছেন, যখন ইয়াযীদ ইবন মুআব্রিয়া ইনতিকাল করেন তখন আদ দাহ্হাক্
ইবন কাইস (রা) আল হাইসড়াম (র) এর কাছে একটি পত্র লিখেন ও পত্রে বলেন, তোমার
,উপর আল্লাহর রহমত হউক ৷ৰু সালাম পর সমাচার এই যে, আমি রাসুল (সা) কে বলতে
শুব্লুনছি “কিয়মোঃতর পুর্বে অন্ধকার রাত্রির টুকরার ন্যায় ফিৎনা দেখা দিবে, মানুষের শরীরের
ন্যায় তরে অন্তরগু সে সময় মরে যাবে, দিনের সকালে মানুষ মু’মিন থাকবে কিন্তু বিকাব্লুল
সে হয়ে যাবে ফকির, আৰারসন্ধ্যায় মানুষ থাকবে মু মিনরু,কিন্ত ভোার হয়ে যাবে কাফির বহু
সম্প্রদায়ের লোকেরা দুনিয়ার সামান্য স্বার্থের জন্য চরিত্র ও ধর্মকে বিক্রি:কব্লুরৰু দিবে ৷
ইয়াযীদ ইবন ন্মুআবিয়া মার৷ গিয়েছে আর তোমরা আমাদের তাই, কাজেই; তোমরা
আমাদের সাথে প্রতিযোগিতা করে৷ না ৷ আ৷মব্লুদরকে আমাদের নিজের কাজ €স্বাধীনভাবে
করতে দাও ৷

ইবন আসাকির ইবন কুতাইবা ও অন্য বর্ণনাকাবীদেব বরাব্লুত বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, একদিন আদ দাহ্হাক ইবন কাইস (বা) আমীর মুআবিয়া (রা) এর ঘরে প্রবেশ
করলেন ৷ তপন আমীর মু আবিয়৷ (রা)ত তার জন্য একটি কবিতা পাঠ করলেন,
ধ্ ধ্ “আদ দাহহাক্ (রা) এর জন্য আর্মি বহু কিছু করেছি, এমনকি তাকে আমি উচচ মর্যাদার
ৰুৰু ধ্দািক টেট্রুন তুালছি য়দিও সে তার সম্প্রদায়ের মধ্যে নিম্ন শ্রেণীর লোক বলে পরিচিত ছিল ৷”
ন্ আ দ দাহ্হাক (বা) বলেন, “আমার সম্প্রদায়ের (লাব্লুকরা আসে যে, আমরা এমন লোক
যারা প্রায়শ যে তার উপরেই সওয়ার থাকে ৷ আমীর মুআৰিয়৷ (বা) বললেন, “ভুমি সত্য


مَرْوَانُ وَأَصْحَابُهُ صَبْرًا شَدِيدًا حَتَّى فَرَّ أُولَئِكَ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَنَادَى: لَا يُتْبَعُ مُدْبِرٌ. ثُمَّ جِيءَ بِرَأْسِ الضَّحَّاكِ، وَيُقَالُ: إِنَّ أَوَّلَ مَنْ بَشَّرَهُ بِقَتْلِهِ رَوْحُ بْنُ زِنْبَاعٍ الْجُذَامِيُّ. وَاسْتَقَرَّ مُلْكُ الشَّامِ بِيَدِ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ. وَرُوِيَ أَنَّهُ بَكَى عَلَى نَفْسِهِ يَوْمَ مَرْجِ رَاهِطٍ، فَقَالَ: أَبَعْدَ مَا كَبِرْتُ وَضَعُفْتُ صِرْتُ إِلَى أَنْ أَقْتُلَ النَّاسَ بِالسُّيُوفِ عَلَى الْمُلْكِ؟ ! قُلْتُ: وَلَمْ تَطُلْ مُدَّتُهُ فِي الْمُلْكِ إِلَّا تِسْعَةَ أَشْهُرٍ عَلَى مَا سَنَذْكُرُهُ. وَقَدْ كَانَ الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسِ بْنِ خَالِدٍ الْأَكْبَرِ بْنِ وَهْبِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ وَائِلَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ شَيْبَانَ بْنِ مُحَارِبِ بْنِ فِهْرِ بْنِ مَالِكٍ، أَبُو أُنَيْسٍ الْفِهْرِيُّ، أَحَدَ الصَّحَابَةِ عَلَى الصَّحِيحِ، وَقَدْ سَمِعَ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرَوَى عَنْهُ أَحَادِيثَ عِدَّةً، وَرَوَى عَنْهُ جَمَاعَةٌ مِنَ التَّابِعَيْنِ، وَهُوَ أَخُو فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ وَكَانَتْ أَكْبَرُ مِنْهُ بِعَشْرِ سِنِينَ، وَكَانَ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ عَمَّهُ. حَكَاهُ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ. وَزَعَمَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ لَا صُحْبَةَ لَهُ، وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: أَدْرَكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسَمِعَ مِنْهُ قَبْلَ الْبُلُوغِ. وَفِي رِوَايَةٍ عَنِ الْوَاقِدِيِّ أَنَّهُ قَالَ: وُلِدَ الضَّحَّاكُ قَبْلَ وَفَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِسَنَتَيْنِ.
পৃষ্ঠা - ৬৮৫২
وَقَدْ شَهِدَ فَتْحَ دِمَشْقَ وَسَكَنَهَا وَلَهُ بِهَا دَارٌ عِنْدَ حَجَرِ الذَّهَبِ، مِمَّا يَلِي نَهْرَ بَرَدَى، وَكَانَ عَلَى أَهْلِ دِمَشْقَ يَوْمَ صِفِّينَ مَعَ مُعَاوِيَةَ. وَلَمَّا أَخَذَ مُعَاوِيَةُ الْكُوفَةَ اسْتَنَابَهُ بِهَا فِي سَنَةِ أَرْبَعٍ وَخَمْسِينَ. وَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ فِي " التَّارِيخِ " أَنَّ الضَّحَّاكَ قَرَأَ سُورَةَ " ص " فِي الصَّلَاةِ بِالنَّاسِ بِالْكُوفَةِ، فَسَجَدَ فِيهَا فَلَمْ يُتَابِعْهُ عَلْقَمَةُ وَأَصْحَابُ ابْنِ مَسْعُودٍ فِي السُّجُودِ. ثُمَّ اسْتَنَابَهُ مُعَاوِيَةُ عِنْدَهُ عَلَى دِمَشْقَ، فَلَمْ يَزَلْ عِنْدَهُ حَتَّى مَاتَ مُعَاوِيَةُ، وَتَوَلَّى ابْنُهُ يَزِيدُ، ثُمَّ ابْنُ ابْنِهِ مُعَاوِيَةُ بْنُ يَزِيدَ ثُمَّ صَارَ أَمْرُهُ إِلَى مَا ذَكَرْنَا. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، أَنْبَأَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، أَنَّ الضَّحَّاكَ بْنَ قَيْسٍ كَتَبَ إِلَى قَيْسِ بْنِ الْهَيْثَمِ حِينَ مَاتَ يَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ: سَلَامٌ عَلَيْكَ، أَمَّا بَعْدُ، فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " «إِنَّ بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ فِتَنًا كَقِطَعِ اللَّيْلِ الْمُظْلِمِ، فِتَنًا كَقِطَعِ الدُّخَانِ، يَمُوتُ فِيهَا قَلْبُ الرَّجُلِ كَمَا يَمُوتُ بَدَنُهُ، يُصْبِحُ الرَّجُلُ مُؤْمِنًا وَيُمْسِي كَافِرًا، وَيُمْسِي مُؤْمِنًا وَيُصْبِحُ كَافِرًا، يَبِيعُ أَقْوَامٌ خَلَاقَهُمْ وَدِينَهُمْ بِعَرَضٍ مِنَ الدُّنْيَا قَلِيلٍ» ". وَإِنَّ يَزِيدَ بْنَ مُعَاوِيَةَ قَدْ مَاتَ، وَأَنْتُمْ إِخْوَانُنَا وَأَشِقَّاؤُنَا فَلَا تَسْبِقُونَا حَتَّى نَخْتَارَ لِأَنْفُسِنَا.