আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة أربع وستين

إمارة معاوية بن يزيد بن معاوية

পৃষ্ঠা - ৬৮৩৭


তার সলাতে জ্যনাযা পড়ান তার ভাই খালিদ ৷ কেউ কেউ বলেন, উসমান ইবন আমবাসা
আবার কেউ কেউ বলেন, আল ওয়ালীদ ইবন উতবা আর এটাই বিশুদ্ধ ৷ কেননা, তিনি তাকে
জানাযার সালাত পড়ানাের জন্য ওসীয়ত করে গিয়েছিলেন, তার দাফন অনুষ্ঠানে মারওয়ান
ইবনৃল হাকাম উপস্থিত ছিলেন ৷ তার মৃত্যুর পরে আদ দাহ্হাক ইবন কইিস (রা) সিরিয়ার
মারওয়ানের রাজতৃ কায়েম করেন ৷ তাকে দামেশকের বাবুস সাগীর নামক স্থানের কবরস্থানে
দাফন করা হয় ৷ যখন তার মৃত্যু আসন্ন তখন তাকে বলা হয়, তুমি কি ওসীয়ত করবে না ?
তখন তিনি বলেন, আমি দুনিয়ার তিক্ততাকে পাথেয় হিসেবে আখিরাতে নিয়ে যাচ্ছি না ৷
দুনিয়ার স্বাদ আমি বনু উমাইয়ার জন্য রেখে যাচ্ছি ৷

তিনি ছিলেন অত্যন্ত ফর্সা, ঘন চুল, বড় চোখ, একটু কোকড়ানাে চুল, বড় নাক, বড় মাথা,
সুন্দর চেহারা, ঘন দাড়ি ও সুগঠিত দেহের অধিকারী ৷ আবু যুরআ আদ-দামেশকী বলেন,
মুআবিয়া ও তার দুই ভাই আবদুর রহমান ও ণ্খালিদ ছিলেন সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তম
ব্যক্তিবর্গ ৷ তার সম্বন্ধে আবদুল্লাহ ইবন হুমাম আল-বালবী নামক এক করি বলেন,


ইয়াযীদ তার পিতা হতে রাজ্য শাসন করার ক্ষমতা অর্জন করেছিল ৷ এখন হে মুআবিয়া !
ইয়াযীদ থেকে রাজ্য শাসনের দায়িত্ব তোমার কাছে এসে পড়েছে (এটা তুমি গ্রহণ কর) হে
বনু হারব ! (বনু উমাইয়া) এ দায়িত্বভার তোমাদের উপরই একের পর এক আসছে ৷ কাজেই
তোমরা এ দড়ায়িতৃ পালনে খারাপ উদ্দেশ্যের বশবর্তী হয়াে না ৷ কথিত আছে যে, ইবন ইয়াযীদ
একদিন জনগণের মাঝে তাদেরকে একত্রিত করার জন্য ঘোষণা করেন হ্া; ;,া ৰুা৷ অর্থাৎ
এখনই সালাত অনুষ্ঠিত হবে ৷ জনগণ উপস্থিত হল ৷ মুআব্লিয়া;ইবন ইয়াযীদ জনগণকে লক্ষ্য
করে বললেন, হে জনগণ ৷ আমাকে তোমাদের আমীর নিযুক্ত করা হয়েছে অথচ আমি এ
ব্যাপারে দুর্বল ৷ যদি তেড়ামরা চাও তাহলে আমি কোন একজন শক্তিশালী ব্যক্তির অনুকুলে
দায়িত্বভার ছেড়ে দোবা যেমন হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) হযরত উমর (রা)-এর অনুকুলে
ছেড়ে দিয়েছিলেন ৷ আর যদি তোমরা চাও আমি এ দায়িতুভার তোমাদের দু’সদস্যে গঠিত
পরামর্শ সভার অনুকুলে ছেড়ে দেই ৷ যেমন হযরত উমর (রা) ছেড়ে দিয়েছিলেন ৷ তাও আমি
দেব ৷ তোমাদের মধ্যে এ ধরনের কোন উপযুক্ত লোক নেই, ক্যাজই আমি তোমাদের বিষয়টি
তোমাদের উপরই ছেড়ে দিচ্ছি ৷ এখন তোমরা তোমাদের মধ্যে হতে তোমাদের জন্য একজন
উপযুক্ত আমীর নিযুক্ত কর ৷ তারপর তিনি মিম্বর থেকে নেমে আসলেন এবং নিদ্রা মঞ্জিলে
প্রবেশ করেন ৷ মৃত্যু পর্যন্ত তিনি আর তার মঞ্জিল থেকে জনসমক্ষে বের হননি ৷ কেউ কেউ
বলেন, তাকে কিছু পান করানো হয়েছিল ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, তাকে ভীরৰিদ্ধ করা
, হয়েছিল ৷ যখন তাকে দাফন করা হয় তখন তার দাফনে মারওয়ান উপস্থিত ছিলেন ৷ দাফন
কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর মারওয়ান বলেন, তোমরা কি জান, কাকে তোমরা দাফন বল্মছ ?
উপস্থিত জনতা বলল, হা, জানি ৷ আমরা ঘুআবিয়া ইবন ইয়াযীদকে দাফন করছি ৷ মারওয়ান
বললেন, তিনি আবু লাইলা যার সম্বন্ধে আরসাম আল ফাযারী করি বলেন,



[إِمَارَةُ مُعَاوِيَةَ بْنِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ] أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَيُقَالُ: أَبُو يَزِيدَ. وَيُقَالُ: أَبُو لَيْلَى الْقُرَشِيُّ الْأُمَوِيُّ. وَأُمُّهُ أُمُّ هَاشِمٍ بِنْتُ أَبِي هَاشِمِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ، بُويِعَ لَهُ بَعْدَ مَوْتِ أَبِيهِ، وَكَانَ وَلِيَّ عَهْدِهِ مِنْ بَعْدِهِ فِي رَابِعَ عَشَرَ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَسِتِّينَ، وَكَانَ رَجُلًا صَالِحًا نَاسِكًا، وَلَمْ تَطُلْ مُدَّتُهُ. قِيلَ: إِنَّهُ مَكَثَ فِي الْمُلْكِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا. وَقِيلَ: عِشْرِينَ يَوْمًا. وَقِيلَ: شَهْرَيْنِ. وَقِيلَ: شَهْرًا وَنِصْفَ شَهْرٍ. وَقِيلَ: ثَلَاثَةَ أَشْهُرٍ وَقِيلَ: وَعِشْرِينَ يَوْمًا. وَقِيلَ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَكَانَ فِي مُدَّةِ وِلَايَتِهِ مَرِيضًا، لَمْ يَخْرُجْ إِلَى النَّاسِ، وَكَانَ الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ هُوَ الَّذِي يُصَلِّي بِالنَّاسِ، وَيَسُدُّ الْأُمُورَ. وَمَاتَ مُعَاوِيَةُ بْنُ يَزِيدَ هَذَا عَنْ إِحْدَى وَعِشْرِينَ سَنَةً وَقِيلَ: ثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ سَنَةً وَثَمَانِيَةَ عَشَرَ يَوْمًا. وَقِيلَ: تِسْعَ عَشْرَةَ سَنَةً. وَقِيلَ: عِشْرِينَ سَنَةً. وَقِيلَ: ثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ سَنَةً. وَقِيلَ: إِنَّمَا عَاشَ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ سَنَةً. وَقِيلَ: خَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَصَلَّى عَلَيْهِ أَخُوهُ خَالِدٌ، وَقِيلَ: عُثْمَانُ بْنُ عَنْبَسَةَ. وَقِيلَ: الْوَلِيدُ بْنُ عُتْبَةَ. وَهَذَا هُوَ الصَّحِيحُ، فَإِنَّهُ أَوْصَى إِلَيْهِ
পৃষ্ঠা - ৬৮৩৮


আমি দেখছি সন্তান ও বিশৃৎখল৷ মাথা চাড়াপি য ৷উঠেছে আবু লাইলার পর রাজতু তারই
হবে যে ৰুজার প্রয়োগ করতে পারবে ৷

ইতিহা ৷বিদগণ বলেন করি যেরুপ ৷বলেছিল বাস্তরেও সেরুপ ঘটেছিল ৷ আবু লাইলা
কাউঃক থ্লীফা ন্নোনীত না করেই ইনঙিকাল করেছিলেন তারপর আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর
হিজায দখল করে যেন ৷ দামেশৃক ,ও তার পার্শ্ববর্তী অন্যান্য ভুখণ্ড দখল করেন মারওরান
ইবনৃল হাকাম ৷ খুরাসানের বাসিন্দারা সাল্লাম ইবন যিরাদের হাতে বায়আত করেন ৷ এমনকি
সে জনণ্ ৷ণের কাছে থলীফ৷ হিসেবে ঘোষণা দেয় ৷ জনগণ তাকে অত্যন্ত ভালবাসত ৷ সালাম
জনগণের মধ্যে উত্তম আদর্শ স্থাপন করেন ৷ এ ন্-ন্উওম আদর্শের জন্যই তারা র্তাকে ভালবাসে
কিন্তু পরবভীকািলে র্তারা তাকে তাদের মধ্যে হতে অজ্ঞাত কারণে বহিষ্কার করে দেয় ৷ বসরার
খারিজীপণ ও কারীগণ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে এবংন নাফি ইবন আযরাককে

তাদের (ন্তৃ৷ নির্ধারণ করে ৷ আর তারা উৰাইদৃল্লাহ ইবন ব্লিয়াদকে বি ভ্রাড়িত করে দিল ৷ অথচ
তারাই তার হাতে বার আত করেছিল তাদের জন্য একজন নতু ন ইমাম নির্ধা ৷রণ করার লক্ষো
সে সিরিয়া চলে যায়৷ তার প্রভ্যাব৩ র্তনের পর বসরাবাসীরা আবদুল্লাহ ইবন হা৷রস ইবন
নাওফাল ওরফে বাব্বার হাতে বায়আত গ্রহণ করল ৷ বাব্বার মায়ের নাম হিন্দ বিন৩ আবু
সুফিয়ান ৷ হিমিরান ইবন আদী আস-সুদুসীাক বসরার পুলিশ বিভাগের প্রধান নিযুক্ত করা হল ৷
৬৪ হিজরীর জমাদিউস সানী মাসের পহেলা৩ তারিখ বাব্বার হাতে জনগণ বায় আত করল ৷
করি ফুারাজদাক এ ব্যাপারে নিম্নবর্ণিত কবিতাটি আবৃত্তি ওকরেন :

“আমি এমন সম্প্রদায়ের সাথে,, রাব্বার হাতে বায়আত গ্রহণ করেছি, যারা তাদের
অঙ্গীকারভৈক নি জোর ও নিঃ ৎকােচে প্রতিপালন করে থাকে ৷” রাব্ব৷ বসরাতে চার মাস বসবাস

করেন ৷ তারপর তিনি ৷নজের ঘরে বলে থাকেন ৷ তখন বসরার বাসিন্দাগণ আবদুল্লাহ ইবন
, যুবাইর (রা) এর নিকট বসরার অবস্থা সম্বন্ধে অবগত করিয়ে ,পত্র লিখেন ৷ তাতে আবদুল্লাহ
ইবন যুবাইর (রা) ও আন৷ স ইবন ম৷ ৷লিক (রা) এর কাছে পত্র লিখে র্তাকে আদেশ দেন যাতে
তিনি জনদুাণ কে নিয়ে দুইমাস সালাত আদায় করেন ৷ পরের ঘটনা আমরা কিছু পরেই“বনাি
করব ৷ অনাদিকে ইয়ামামায়্ নাজদ৷ ইবন আমির আল হানাফী বিদ্রোহ ঘোষণা করে ৷
স্রাহওযায ও পারস্য ভুখণ্ডের অন্যান্য অঞ্চলে বনু মাহুরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে ৷ এ সম্বন্ধে পরে
বিস্ত৷ রিত বর্ণনা পেশ করা হয়ে ৷

আলশ্বিদায়া ওয়ান নিহায়া৫৫

بِذَلِكَ، وَشَهِدَ دَفْنَهُ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ، وَكَانَ الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ هُوَ الَّذِي يُصَلِّي بِالنَّاسِ بَعْدَهُ حَتَّى اسْتَقَرَّ الْأَمْرُ لِمَرْوَانَ بِالشَّامِ، وَدُفِنَ بِمَقَابِرِ بَابِ الصَّغِيرِ بِدِمَشْقَ. وَلِمَا حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ قِيلَ لَهُ: أَلَا تُوصِي؟ فَقَالَ: لَا أَتَزَوَّدُ مَرَارَتَهَا وَأَتْرُكُ حَلَاوَتَهَا لِبَنِي أُمَيَّةَ. وَكَانَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، أَبْيَضَ شَدِيدَ الْبَيَاضِ، كَثِيرَ الشَّعْرِ، كَبِيرَ الْعَيْنَيْنِ، جَعْدَ الشَّعْرِ، أَقْنَى الْأَنْفِ، مُدَوَّرَ الرَّأْسِ، جَمِيلَ الْوَجْهِ دَقِيقَهُ، حَسَنَ الْجِسْمِ. قَالَ أَبُو زُرْعَةَ الدِّمَشْقِيُّ: مُعَاوِيَةُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ وَخَالِدٌ إِخْوَةٌ، وَكَانُوا مِنْ صَالِحِي الْقَوْمِ. وَقَالَ فِيهِ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ، وَهُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ هَمَّامٍ السَّلُولِيُّ: تَلَقَّاهَا يَزِيدٌ عَنْ أَبِيهِ ... فَدُونَكَهَا مُعَاوِي عَنْ يَزِيدَا أَدِيرُوهَا بَنِي حَرْبٍ عَلَيْكُمْ ... وَلَا تَرْمُوا بِهَا الْغَرَضَ الْبَعِيدَا وَيُرْوَى أَنَّ مُعَاوِيَةَ بْنَ يَزِيدَ هَذَا نَادَى فِي النَّاسِ: الصَّلَاةُ جَامِعَةٌ. ذَاتَ يَوْمٍ، فَاجْتَمَعَ النَّاسُ، فَقَالَ لَهُمْ فِيمَا قَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، إِنِّي قَدْ وُلِّيتُ أَمْرَكُمْ وَأَنَا ضَعِيفٌ عَنْهُ، فَإِنْ أَحْبَبْتُمْ تَرَكْتُهَا لِرَجُلٍ قَوِيٍّ، كَمَا تَرَكَهَا الصِّدِّيقُ لِعُمَرَ، وَإِنْ شِئْتُمْ تَرَكْتُهَا شُورَى فِي سِتَّةٍ مِنْكُمْ كَمَا تَرَكَهَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَلَيْسَ فِيكُمْ مَنْ هُوَ صَالِحٌ لِذَلِكَ، وَقَدْ تَرَكْتُ لَكُمْ أَمْرَكُمْ، فَوَلُّوا عَلَيْكُمْ مَنْ يَصْلُحُ لَكُمْ. ثُمَّ نَزَلَ
পৃষ্ঠা - ৬৮৩৯

আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (বা) এর রাজাশাসন

ইবন হাযাম ও অন্য একদল উলা মায়ে কিরাম মনে করেন আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা)
ছিলেন ঐ সময়কার আমীরুল মুমিনীন ৷ পুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইয়াযীদের যখন মৃত্যু
হয় তখন মক্কা থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করা হয় ৷ তারা আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা)-কে
যেরাও করে রেখেছিল ৷ আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা)ও বায়তৃল্লাহ্ব্র আশ্রয়প্রাথী ছিলেন ৷
হুসাইন ইবন নুমইির আস-সাকুনী যখন সেনাবাহিনী নিয়ে সিরিয়ার প্রত্যাবর্তন করেন,
আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) তখন হিজায ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিজেরুকৃ একচ্ছত্র
অধিকারী মনে করতে লাগলেন ৷ সেখানের জনগণ ইয়াযীদের পরে তার হাতে বায়আত
করল ৷ আর আবদুল্লাহ ইবন যুৰাইর (রা) কে মদীনায় শাসনকর্তা হিসেবে প্রেরণ করেন এবং
বনু উমাইয়াকে মদীনা থেকে বিতাড়িত করার নির্দেশ প্রদান করেন ৷ তিনি তাদেরকে বিতাড়িত
করেন এবং তারাও সিবিয়ায় চলে যায় ৷৩ তাদের মধ্যে ছিলেন মারওয়ান ইবন হাকাম এবং তার
পুত্র আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান ৷

তারপর বসরার বাসিন্দাগণ নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ বিগ্রহ ও নানারুপ বিশৃত্খলা কাটিয়ে
উঠার পর ৷রাত আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) ’ এর কাছে দুত প্রেরণ করেন ৷ তারা ছয় মাসের
কম সময়ের মধ্যে চার চার বার আমীর পরিবর্তন করেন ৷ তারপর তাদের মধ্যে বিশৃৎখলা

দেখা দেয় এবং তারা মক্কায় অবস্থানরত আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) এর কাছে লোক
প্রেরণ করেন ৷ তারা তাকে তাদের জন্য কিছু করার অনুরোধ জানান ৷ আবদুল্লাহ ইবন
ঘৃবাইর (বা) তখন আনাস ইবন মালিক (রা) এর কাছে পত্র লিখেন এবং বসরাবাসীদেরকে
নিয়ে নামায আদায় করার জন্য অনুরোধ জানান ৷ কথিত আছে, যে ব্যক্তি সর্বপ্রথম সেখানে
আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) এর পক্ষে জনগণ থেকে নাম আত গ্রহণ করেন তিনি হলেন
মুসআব ইবন আবদুর রহমান ৷ জনগণ বললেন, এটা খুবই কঠিন কাজ ৷ আবদুল্লাহ ইবন
জাফর এবং আবদুল্লাহ ইবন আলী ইবন আবু তালিবও হযরত ইবন যুরাইর এর পক্ষে
বায়আত করেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন্ ঘুবাইর (রা) হযরত আবদুল্লাহ ইবন উম (রা) ইবনুল
হানাফিরা ও আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা)-এর কাছে লোক প্রেরণ করেন যাতে তারা তার
পক্ষে বায়আত করেন কিন্তু তারা তা অস্বীকার করেন ৷ প্রায় তিন মাস কোন ইমাম বা
খলীফা ব্যতীত থাকার পর জনগণ রজব মাসে আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা)-এর হাতে
বায়আত করেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) কুফাবাসীদের কাছে আবদুর রহমান ইবন
ইয়াযীদ আল আনসারীকে নামায পড়ানাের জন্য প্রেরণ করেন এবং ইব্রাহীম ইবন মুহাম্মদ
ইবন৩ তালহ৷ ইবন উবইিদুল্লাহকে কর আদায়ের জন্য প্রেরণ করেন ৷ সমস্ত শহরের বাসিন্দারা

তার প্রতি আস্থা ব্যক্ত করেন ৷ তিনি তখন মিশরে লোক প্রেরণ করেন ৷ ফলে মিসরবাসীরা
তার পক্ষে বায়আত করেন এবং তিনি আবদুর রহমান ইবন জাহদারকে সেখানকার প্রশাসক
নিযুক্ত করেন ৷ আলজেরিয়ার জনগণ র্তার প্ৰতি আনুগত্য প্রকাশ করেন ৷ বসরায় আল-
হারিস ইবন আবদুল্লাহ ইবন রাবী আকে প্রেরণ করেন ৷ তারাও তার পক্ষে যায় তাতে
করেন ৷


وَدَخَلَ مَنْزِلَهُ، فَلَمْ يَخْرُجْ مِنْهُ حَتَّى مَاتَ، رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى. وَيُقَالُ: إِنَّهُ سُقِيَ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ طُعِنَ. وَقَدْ حَضَرَ مَرْوَانُ دَفْنَهُ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْهُ قَالَ مَرْوَانُ: أَتَدْرُونَ مَنْ دَفَنْتُمْ؟ قَالُوا: نَعَمْ مُعَاوِيَةَ بْنَ يَزِيدَ. فَقَالَ مَرْوَانُ: هُوَ أَبُو لَيْلَى الَّذِي قَالَ فِيهِ أَزْنَمُ الْفَزَارِيُّ: إِنِّي أَرَى فِتْنَةً تَغْلِي مَرَاجِلُهَا ... وَالْمُلْكُ بَعْدَ أَبِي لَيْلَى لِمَنْ غَلَبَا قَالُوا: كَانَ الْأَمْرُ كَمَا قَالَ. وَذَلِكَ أَنَّ أَبَا لَيْلَى تُوُفِّيَ عَنْ غَيْرِ عَهْدٍ مِنْهُ إِلَى أَحَدٍ فَتَغَلَّبَ عَلَى الْحِجَازِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَعَلَى دِمَشْقَ وَأَعْمَالِهَا مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ، وَبَايَعَ أَهْلُ خُرَاسَانَ سَلْمَ بْنَ زِيَادٍ حَتَّى يَتَوَلَّى عَلَى النَّاسِ خَلِيفَةٌ، فَسَارَ فِيهِمْ سَلْمٌ سِيرَةً حَسَنَةً أَحَبُّوهُ عَلَيْهَا، ثُمَّ أَخْرَجُوهُ مِنْ بَيْنِ أَظْهُرِهِمْ، وَخَرَجَ الْقُرَّاءُ وَالْخَوَارِجُ بِالْبَصْرَةِ، وَعَلَيْهِمْ نَافِعُ بْنُ الْأَزْرَقِ، وَطَرَدُوا عَنْهُمْ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ زِيَادٍ - بَعْدَ مَا كَانُوا بَايَعُوهُ عَلَيْهِمْ - حَتَّى يَصِيرَ لِلنَّاسِ إِمَامٌ، فَذَهَبَ إِلَى الشَّامِ بَعْدَ فُصُولٍ يَطُولُ ذَكَرُهَا، وَقَدْ بَايَعُوا بَعْدَهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ الْمَعْرُوفَ بِبَبَّةَ، وَأُمُّهُ هِنْدُ بِنْتُ أَبِي سُفْيَانَ، وَقَدْ جَعَلَ عَلَى شُرْطَةِ الْبَصْرَةِ هِمْيَانَ بْنَ عَدِيٍّ السَّدُوسِيَّ، فَبَايَعَهُ النَّاسُ فِي مُسْتَهَلِّ جُمَادَى الْآخِرَةِ، سَنَةَ أَرْبَعٍ وَسِتِّينَ، وَقَدْ قَالَ الْفَرَزْدَقُ: وَبَايَعْتُ أَقْوَامًا وَفَيْتُ بِعَهْدِهِمْ ... وَبَبَّةُ قَدْ بَايَعْتُهُ غَيْرَ نَادِمِ
পৃষ্ঠা - ৬৮৪০
فَأَقَامَ فِيهِمْ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ، ثُمَّ لَزِمَ بَيْتَهُ، فَكَتَبَ أَهْلُ الْبَصْرَةِ إِلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ، فَكَتَبَ ابْنُ الزُّبَيْرِ إِلَى أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ يَأْمُرُهُ أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ، فَصَلَّى بِهِمْ شَهْرَيْنِ، ثُمَّ كَانَ مَا سَنَذْكُرُهُ. وَخَرَجَ نَجْدَةُ بْنُ عَامِرٍ الْحَنَفِيُّ بِالْيَمَامَةِ، وَخَرَجَ بَنُو مَاحُوزَ فِي الْأَهْوَازِ وَفَارِسَ وَغَيْرِ ذَلِكَ، عَلَى مَا سَيَأْتِي تَفْصِيلُهُ قَرِيبًا. إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.