আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة أربع وستين

পৃষ্ঠা - ৬৮০৮


১৪ তারিখে মৃতুঘুখ পতিত হয় ৷ এ দু’ জন য আশা করছিল তা আল্লাহ পরিপুর্ণ করেন নি
বরং তাদেরকে অন্য বন্দদর চাইতে অধিক শচনীয়ভাব নিপাত করেন ৷ তাদের রাজতৃ
ছিনিয়ে নন ৷ এভাবে আল্লাহ তা জানা যাকে চান তার রাজ্য ছিনিয়ে নন ৷

হুসাইন ইবন নৃমইর সেনাবাহিনী নিয়ে মক্কার দিকে রণ্ডয়ন হয় এবং ওয়কিদীর

তাষমতে যুহররম মাসের ২৬ তারিখ স মক্কায় পৌছধ্ধ্ ৷ কেউ কউ বলেন, সাত তারিখে সে
মক্কায় পৌছে ৷ আবদুল্লাহ ইবন যুবইির (রা) এর সাথে মদীনর কিছু সম্রান্ত লোক যোগদান
করেন ৷ ইয়মমর বাসিন্দা নজদাহ ইবন আমির অলহানাফীও একদল সেনাবাহিনী নিয়ে
আবদুল্লাহ ইবন যুবইির (র)-এর সাথে যোগ দেয় যাতে তার সম্মিলিততাব সিরিয়ব সীদের
থেকে কবাক রক্ষা করতে পারে৷ হুসাইন ইবন নৃমইর মক্কার বাইরে অবতরণ করে ৷
আবদুল্লাহ ইবন যুরইর (রা) মক্কাবসী ও তার সাথে যারা যুক্ত হয়োছল তাদেরকে নিয়ে
হুসাইন ইবন ননইরর মোকাবেলয় বের হলেন ৷ তাদের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ হয় ৷ অল-মুনযির
ইবন যুবইির (রা) ও সিরিয়ার এক ব্যক্তি দ্বন্দ্ব যুদ্ধ নলপ্ত হয় এবং একে অন্যকে হত্যা করে ৷
সিরিয়বসীরা মক্কাবসীদের উপর প্রচ গু হামলা চালায় তাতে মক্কাবসীরা নাজেহাল হয়ে পড়ে
এবং আবদুল্লাহ ইবন যুবইির (রা) এর খচচর তাকে নিয়ে হীচট খয়ে পড়ে যায় ৷ এরপর
মিসওরর ইবন মখরামা ও মুসঅব ইবন আবদুর রহমান ইবন আউফ ঘুরে র্দড়ন, তার
দু জন মিলে আবদুল্লাহ ইবন যুবইির (রা) এর উপর হামলা প্রতিহত করেন তাদের সাথে
আরে একটি দল এসে হামলায় যোগ দিল ৷৩ তার সকলে মিলে আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা)-
এর পক্ষে যুদ্ধ করতে লাগলেন ৷ শষ পর্যন্ত তাদের সকলেই নিহত হন , বাকীদরকে নিয়ে
আবদুল্লাহ ইবন যুবইির (বা) রাত পর্যন্ত যুদ্ধে লিপ্ত থাকেন ৷ রাত ঘনিয়ে আমার তার যুদ্ধ
ক্ষেত্র থেকে ফিরে চলে গলেন ৷ তারপর তার মুহররম মাসের ৬৪ হিজরীর রবিউল, আউয়াল
মসর তিন তারিখ শনিবার দিন তার বাবা শরীফের উপর ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল এ
ক্ষেপণস্ত্রয় মধ্যর্য তার ক ব শরীফের উপর পাথর নিক্ষেপ করতে লাগল তারপর

আগুনের ফুলকী নিক্ষেপ করতে লাগল ৷ ফলে শনিবার দিন ক ব শরীফের দেয়ালে আগুন

ধরে যায় ও দেয়াল পুড়ে যায় ৷ এট ওয়কিদীর তার উপস্থিত জনতা বল তছিল ’


ক্ষপণস্ত্রর দোলক মাঠ তৈরির উজ্জ্বল ভাণ্ডের ন্যায় চকচক করতছিল এবং এটার
মাধ্যমে এ মসজিদের দেয়ালে পাথর ও অগ্নি নিক্ষেপ কর হয়্ছিল’ ৷

করি উমর হওত আস সুদুসী বলতে লাগল “উম্মে ফরওয়া (ক্ষপণাস্ত্রর নাম) এর কাজ
তোমরা কেমন দেখছ ? একদিন সফা ও মরওয় পাহড়দ্বয়র মধ্যে স তাদেরকে ধরে নিয়ে
আসবে
কউ কউ বলেন, ক বা শরীফ পুড়ে যাবার ব্যাপারে অন একটি ঘটনা দায়ী ৷ যার
মসজিদে ছিল তার ক বার পাশে আগুন ধরিয়ে দিল সই আগুন ক ব শরীফের গিলফর
একাংশ ধরে যায় ৷ আর এ আগুন কাব শরীফের ছদে ও ন্,ছদর কাঠ পর্যন্ত ছড়িয়ে যায় ৷
এভাবে কাব শরীফ পুড়ে যায় ৷ আবার কউ কেউ বলেন, ক র শরীফ পুড় যাওয়ার কারণ
ছিল এই যে, আবদুল্লাহ ইবন যুবইির (রা) অন্ধকার রত্রে মক্কার কােন একটি পাহাড়ে ৩কবীর
শুনতে পান তাতে তিনি মনে করলন,৩ ৩কবীর উচ্চারণকরীরা সম্ভবত সিরিয়াবসী শত্রু
তইি তিনি পাহাড়ে অবস্থিত লাকজনকে দেখার জন বশরি মাথায় আগুন স্থাপন করলেন



[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ أَرْبَعٍ وَسِتِّينَ] [حِصَارُ ابْنِ الزُّبَيْرِ لِمَكَّةَ] فَفِيهَا فِي أَوَّلِ الْمُحَرَّمِ مِنْهَا سَارَ مُسْلِمُ بْنُ عُقْبَةَ - بَعْدَ فَرَاغِهِ مِنْ حَرْبِ أَهْلِ الْمَدِينَةِ - إِلَى مَكَّةَ قَاصِدًا قِتَالَ ابْنِ الزُّبَيْرِ وَمَنِ الْتَفَّ عَلَيْهِ مِنَ الْأَعْرَابِ عَلَى مُخَالَفَةِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَيْهَا رَوْحَ بْنَ زِنْبَاعٍ، فَلَمَّا بَلَغَ ثَنِيَّةَ هَرْشَى بَعَثَ إِلَى رُءُوسِ الْأَجْنَادِ فَجَمَعَهُمْ، فَقَالَ: إِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ عَهِدَ إِلَيَّ إِنْ حَدَثَ بِي حَدَثُ الْمَوْتِ أَنْ أَسْتَخْلِفَ عَلَيْكَمْ حُصَيْنَ بْنَ نُمَيْرٍ السَّكُونِيَّ، وَوَاللَّهِ لَوْ كَانَ الْأَمْرُ لِي مَا فَعَلْتُ. ثُمَّ دَعَا بِهِ فَقَالَ: انْظُرْ يَابْنَ بَرْدَعَةِ الْحِمَارِ فَاحْفَظْ مَا أُوصِيكَ بِهِ. ثُمَّ أَمَرَهُ إِذَا وَصَلَ مَكَّةَ أَنْ يُنَاجِزَ ابْنَ الزُّبَيْرِ قَبْلَ ثَلَاثٍ، ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي لَمْ أَعْمَلْ عَمَلًا قَطُّ بَعْدَ شَهَادَةِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ أَحَبَّ إِلَيَّ مِنْ قَتْلِي أَهْلَ الْمَدِينَةِ وَلَا أَرْجَى عِنْدِي فِي الْآخِرَةِ، وَإِنْ دَخَلْتُ النَّارَ بَعْدَ ذَلِكَ إِنِّي لَشَقِيٌّ. ثُمَّ مَاتَ، قَبَّحَهُ اللَّهُ، وَدُفِنَ بِالْمُشَلَّلِ. فِيمَا قَالَهُ
পৃষ্ঠা - ৬৮০৯


বাতাস বর্শার মাথা থেকে অগ্নি স্ফুলিঙ্গ রুকন ইয়ামানী ও হা জার আসওয়াদে (কা৷ল৷ পাথরে)
ছড়িয়ে দেয় ৷ তাতে কাবা শরীফের গিলাফ ও ছাদের ,কাঠে আগুন ধরে যার, এবং কাবা
শরীফের গিলাফ ও ছাদের কাঠ পুড়ে যায় ৷ কালো পাথরের তিন জায়গায় ফাটল ধরে যায় ৷
ন্ কা বার অবরোধ রবীউস সানী মাসের পহেলা তারিখ পর্যন্ত স্থায়ী থাকে ৷ জনগণের কাছে
ইয়াযীদ ইবন মুআ বিয়ার মৃত্যু স বাদ পৌছে ৷ ইয়াযীদ ৬৪ হিজরীর রবীউস আউয়াল মাসের
১৪ তারিখ মৃত্যুমুখে পতিত হয়্ ৷ তখন তার বয়স ছিল ৩৫ কিংবা ৩৮ কিংবা ৩৯ বছর ৷ তার
রাজত্বের সময়কাল ছিল তিন বছর ৬ মাস কিং বা ৮ মাস ৷ সিরিয়া বাসীর৷ তখন পরাজয় বরণ
করল এবং অবমাননাকর অবস্থায় নিজ ৷দাশ্৷ যেম্মত গেল ৷ তখন যুদ্ধ থেমে গেল ও সন্তানের
অগ্নি সির্বাপিত হয়ে গেল ৷
কথিত আছে যে ইয়াযীদের মৃতৃটুর পরও সিরিয়াবাসীরা চল্লিশ দিন যাতে ৩আবদুরাহ্ ইবন
যুবইির (রা) ৷ক অবরোধ করে রেখেছিন ৷ এটাও উল্লেখ আছে যে, আব্দুল্লাহ ইবন যুবাইর
(রা) সিবিয়াবাসীাদর পুাবই ইয়াযী দের মৃতৃ৷ সম্পর্কে অবগত হয়েছিলেন, তখন তিনি তাদের
মধ্যে ঘোষণা কারাছিালন,’ ৷হ সিরিয়াৰাসীরা ৷ আল্পাহ্ তা আন৷ তোমাদের তাপুতাক ধ্বংস
করে দিয়েছেন, ৷ তামাদের মধ্যে যারা অন্য ৷লাকজনের ন্যায় আমাদের কাতারে প্রবেশ করতে
চায় তারা যেন প্রবেশ করে এবং যারা তোমাদের মধ্যে সিরিয়ার অবস্থিত তাদের ঘরে চলে
যেতে চায় তারা যেন চলে যায়৷ সিবিয়াবাসীরা মক্কাবাসীদের সংব বাদে বিশ্বাস করল না ৷
যতক্ষণ না তাদের কাছে সাধিত ইবন কাইস ইবন আল-কাইকা সত৷ খ্রর নিয়ে তাদের মাঝে
পৌছেছিল ৷ এটাও কথিত আছে যে, হুসাইন ইবন নুম্াইরকে আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা)
কথা বলার জন্য ৷সমাবাহিনীর দুই সারির মধ্যস্থিত স্থানে ডাকলেন দু জন একত্রিত হলেন কিন্তু
তাদের দু জনের ঘোড়ার মাথা ৷ বশ অসমতল দেখা গেল ৷ হসইিানর ঘোড়া সামনের দিকে

যেতে চায় কিন্তু সে তার জীব টোন ধরে রাখে ৷

আবদুল্লাহ ইবন যুবইির (রা) বললেন, তোমার কি হয়েছে ? ৷ঘাড়া৷ক্ সামনের দিকে
আসতে দিচ্ছ না কেন ? হুসাইন বলল, আমার ঘোড়ার দু পায়র নিচে কবুতঃাক পশুর মল
হাত খাদ্য গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে ৷ আমি ৷হারম শরীফের কবুতরকে পদদলিত করা
অপছন্দ করি ৷ আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) তাকে বললেন, তুমি এখানে এতর্টুকু সতর্কতা
অবলম্বন করছ অথচ অন্যদিকে তুমি মুসলমানদেরকে নির্বিচারে শুন্হ্ত্যা করই ৷ হুসাইন তা৷ক
বলল, আমাদেরকে অনুমতি দিন আমরা কা বা শরীফ তাওয়াফ করব এবং আমাদের দেশে
আমরা ফিরে যাব ৷ তারপর আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) অনুমতি দিলেন এবং তা র৷ তাওয়াফ
করলেন ৷

ইবন জারীর (রা) উল্লেখ করেনায, একরাত হুসাইন এবং আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা)
পরস্পর সাক্ষাৎ করার জন্য সময় নির্ধারণ করেন ৷ মক্কার বাইরে তারা দুজন একত্রিত হলেন,
হুসাইন আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা)শ্াক বলেন, যদি এ ৷লাকটি (ইয়াযীদ) মরে গিয়ে থাকে
তাহলে তার পরে এ ব্যাপারে আপনিই হবেন সকলের চাইতে বেশী হকদার ৷ সুতরাং আপনি
আসুন এবং আমার সাথে সিরিয়ার চলুন ৷ আল্লাহর শপথ ! আপনার সম্বন্ধে কোন ব্যক্তি
মতবিরোধ করাব ন৷ ৷ কথিত আছে যে, আবদুল্লাহ ইবন যুবইির (রা) এ ব্যাপারে তাকে
বিশ্বাস করলেন না এবং তার সাথে রুঢ় ভাষায় কথা বললেন ৷ হুসাইন ইবন নুমাইর আবদুল্লাহ
ইবন যুবইির (রা) এর প্রতি বিরক্ত বোধ করল এবং বলতে লাগল, আমি তাকে খিলাফত


الْوَاقِدِيُّ. وَسَارَ حُصَيْنُ بْنُ نُمَيْرٍ بِالْجَيْشِ نَحْوَ مَكَّةَ، فَانْتَهَى إِلَيْهَا لِأَرْبَعٍ بَقِينَ مِنَ الْمُحَرَّمِ فِيمَا قَالَهُ الْوَاقِدِيُّ. وَقِيلَ: لِسَبْعٍ مَضَيْنَ مِنْهُ. وَقَدْ تَلَاحَقَ بِابْنِ الزُّبَيْرِ جَمَاعَاتٌ مِمَّنْ بَقِيَ مِنْ أَشْرَافِ أَهْلِ الْمَدِينَةِ وَانْضَافَ إِلَيْهِ أَيْضًا نَجْدَةُ بْنُ عَامِرٍ الْحَنَفِيُّ مِنْ أَهْلِ الْيَمَامَةِ فِي طَائِفَةٍ مِنْ أَهْلِهَا ; لِيَمْنَعُوا الْبَيْتَ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ، فَنَزَلَ حُصَيْنُ بْنُ نُمَيْرٍ ظَاهِرَ مَكَّةَ، وَخَرَجَ إِلَيْهِ ابْنُ الزُّبَيْرِ فِي أَهْلِ مَكَّةَ وَمَنِ الْتَفَّ مَعَهُ، فَاقْتَتَلُوا ذَلِكَ الْيَوْمَ قِتَالًا شَدِيدًا، وَتَبَارَزَ الْمُنْذِرُ بْنُ الزُّبَيْرِ وَرَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ فَقَتَلَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا صَاحِبَهُ، وَحَمَلَ أَهْلُ الشَّامِ حَمْلَةً صَادِقَةً، فَانْكَشَفَ أَهْلُ مَكَّةَ، وَعَثَرَتْ بَغْلَةُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ بِهِ، فَكَرَّ عَلَيْهِ الْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ وَمُصْعَبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَطَائِفَةٌ، فَقَاتَلُوا دُونَهُ حَتَّى قُتِلُوا جَمِيعًا، وَصَابَرَهُمُ ابْنُ الزُّبَيْرِ حَتَّى اللَّيْلِ، فَانْصَرَفُوا عَنْهُ، ثُمَّ اقْتَتَلُوا فِي بَقِيَّةِ شَهْرِ الْمُحَرَّمِ وَصَفَرًا بِكَمَالِهِ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ السَّبْتِ ثَالِثُ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَسِتِّينَ، نَصَبُوا الْمَجَانِيقَ عَلَى الْكَعْبَةِ، وَرَمَوْهَا حَتَّى بِالنَّارِ، فَاحْتَرَقَ جِدَارُ الْبَيْتِ فِي يَوْمِ السَّبْتِ - هَكَذَا قَالَ الْوَاقِدِيُّ - وَهُمْ يَقُولُونَ:
পৃষ্ঠা - ৬৮১০


লাভের জন্য আহবান করছি আর তিনি আমার সাথে রুঢ় ভাষায় কথা বলছেন ৷ তারপর যে
তার সেনাবাহিনী নিয়ে সিবিয়ায় প্রত্যাবর্তন করল এবং বলতে লাগল আমি তাকে রাজত্বের
আশা দিচ্ছি আর তিনি কি আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন ?’
ন্ তারপর আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) হুসইিনের প্রতি রুক্ষ্ম ব্যবহার করার জন্য অনুতপ্ত
হলেন এবং একজন লোককে তার কাছে প্রেরণ করে তাকে বললেন, সিরিয়ার আমি যেতে
পারছি না কিন্তু আমার জন্য সেখান থেকে যায় আত গ্রহণ কর ৷ আমি৫ তামাদের নিরাপত্তা
বিধান করব এবং৫ তামাদের মধ্যে ন্যায় নীতি প্রতিষ্ঠা করব ৷ হুসইিন ইবন নুমাইর আবদুল্লাহ
ইবন যুবাইর (রা)-এর কাছে লোক প্রেরণ করল এবং ঐ লোকের মাধ্যমে তাকে বলল, এ
পরিবারের যারা খিলাফতের দাবী করেন তাদের সং থ্যা সিরিয়ার অনেক ৷

তারপর হুসইিন ইবন নুমইির ৫সনাবাহিনীসহ প্রত্যাবর্তন করে এবং মদীনা হয়ে গমন করলে
মদীন্নাবাসীদেরথেকে সম্মানের আশা করে কিন্তু তারা তার অবমাননা করেন ৷ আলী ইবন
হুসইিন ওরফে যয়নুল আবেদীন (র) হুসইিন ইবন নুমইির ও তার সেনাবাহিনীকে সম্মান করলেন
এবং হুসইিন ইবন নুমাইরকে এক প্রকার দানা উপহার দিলেন যেগুলোকে মরুভুমির লোকেরা
রান্না করে খায় ৷ আর তাদের পশুর জন্য দিলেন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘাস ৷ বহু উমাইয়া বংশীয়
লোক সেনাবাহিনীর সাথে সিরিয়ার প্রত্যাপমন করে এবং মুআরিয়া ইবন ইয়াযীদকে তাদের
খলীক৷ হিসেবে স্থলাভিষিক্ত দেখতে পায় ৷ কেননা, তার পিতা ইয়াযীদ তাকে মৃত্যুর সময়
দামেশকের খলী ফ৷ মনোনীত করার জন্য ওসীয়ত করে গিয়েছিলেন ৷ আল্লাইে অধিক পরিজ্ঞা ত ৷

ইয়াযীদ ইবন মু আবিয়াব জীবন কথা

তার পুর্ণ নাম ছিল আবু খাল্লিদ ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়া ইবন আবু সুফিয়ান সাখার ইবন
হারবইবুন উমাইয়া ইবন আরদিশামস আল-উমরী ৷ ২৫ ,২৬ অথবা ২নন্হিজরীতে তার জন্ম
হয় ৷ তার পিতার জীবদ্দশায় তার খিলাফতের বায়আত এ মর্মে গ্রহণ করাংহয়েছে যে, তার
পিতার মৃতু ৷র পর সে যুবরাজ হিসেবে গণ্য হবে ৷ তার পিতার মৃত্যুর পর ৬০ হিজরীর রজব
মাসের ১৫ তারিখ তার খিলাল্ডে পাকাপোক্ত করা হয় ৷৩ তার মৃত্যু পর্যন্ত ৬৪ সালের রবীউল
আউয়াল মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত, যে খলীফা হিসেবে বহাল থাকে ৷
তার মায়ের নাম ছিল মাইসুন বিনত মাবুল ইবন আনীফ ইবন দালঅ৷ ইবন নাফাস৷ ইবন
আদী ইবন যহীর ইবন হারিস৷ আল কালবী ৷ যে তার পিতা মু আবিয়৷ (বা) হতে বর্ণনা করেছে
যে তিনি বলেন, রাসুল (যা) বলেছেন, “আল্লাহ্ যে ব্যত্তিস্ম কল্যাণ চান তাকে শরীয়ষ্ঠের ইলম,
দান করেন ৷” ওযু সম্পর্কে তার থেকে আরো একটি হাদীস বজ্জি রয়েছে ৷ তার থেকে তার পুত্র
:, খালিদ ও আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান বর্ণনা করেছেন ৷ আবু যুরআ আদ-দামেশৃকী
ইয়াযীদকে সাহাবীদের পরবর্তী স্তরে উল্লেখ করেন ৷ আর সাহাবীদের মর্যাদা অতি উচু ৷
তিনি বলেন, তার বাব্লজ্জি কয়েকটি হাদীস রয়েছে ৷ তার ছিল মাৎসল, বিরাট দীর্ঘ সুন্দর
দেহ, অত্যধিক চুল, তার ছিল প্রকাণ্ড মাথার খুলি, বসন্তের দাগ পড়া ৫মাট৷ লম্বা আঙ্গুল ৷ য়ল্ান
সে তার মাতৃগর্ভে ছিল তখন তার পিতা তার মাতাকে তালাক দিয়েছিলেন ৷ তখন তার মা
ৰুস্বপ্লে ৫দখে যে তার থেকে একটি চাদ ৫বর হয়ে গেল ৷ ভৈস তখন তার মায়ের কাছে ৰুপ্নটি
বর্ণনা করল ৷৩ তার মাতা বললেন, যদি তুমি সত্যই এ স্বপ্নটি দেখে থাক তাহলে তুমি এমন
একটি সন্তান প্রসব করবে, যার হাতে খিলাফতের বায়আ ও করা হবে ৷

ামোঃ (হ্র ৫৷ ৷ব্র ৷৷€ র্নো০ €০া৷া



خَطَّارَةٌ مِثْلُ الْفَنِيقِ الْمُزْبِدِ ... نَرْمِي بِهَا أَعْوَادَ هَذَا الْمَسْجِدِ وَجَعَلَ عَمْرُو بْنُ حَوْطَةَ السَّدُوسِيُّ يَقُولُ: كَيْفَ تَرَى صَنِيعَ أُمِّ فَرْوَهْ ... تَأْخُذُهُمْ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَهْ وَأُمُّ فَرْوَةَ اسْمُ الْمَنْجَنِيقِ، وَقِيلَ: إِنَّمَا احْتَرَقَتْ ; لِأَنَّ أَهْلَ الْمَسْجِدِ جَعَلُوا يُوقِدُونَ النَّارَ وَهُمْ حَوْلَ الْكَعْبَةِ، فَعَلِقَتِ النَّارُ فِي بَعْضِ أَسْتَارِ الْكَعْبَةِ، فَسَرَتْ إِلَى أَخْشَابِهَا وَسُقُوفِهَا فَاحْتَرَقَتْ. وَقِيلَ: إِنَّمَا احْتَرَقَتْ لِأَنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ سَمِعَ التَّكْبِيرَ عَلَى بَعْضِ جِبَالِ مَكَّةَ فِي لَيْلَةٍ ظَلْمَاءَ، فَظَنَّ أَنَّهُمْ أَهْلُ الشَّامِ، فَرُفِعَتْ نَارٌ عَلَى رُمْحٍ لِيَنْظُرُوا مَنْ هَؤُلَاءِ الَّذِينَ عَلَى الْجَبَلِ، فَأَطَارَتِ الرِّيحُ شَرَرَةً مِنْ رَأَسِ الرُّمْحِ إِلَى مَا بَيْنَ الرُّكْنِ الْيَمَانِيِّ وَالْأَسْوَدِ مِنَ الْكَعْبَةِ، فَعَلِقَتْ فِي أَسْتَارِهَا وَأَخْشَابِهَا، فَاحْتَرَقَتْ وَاسْوَدَّ الرُّكْنُ، وَانْصَدَعَ فِي ثَلَاثَةِ أَمْكِنَةٍ مِنْهُ. وَاسْتَمَرَّ الْحِصَارُ إِلَى مُسْتَهَلِّ رَبِيعٍ الْآخِرِ، وَجَاءَ النَّاسَ نَعْيُ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، وَأَنَّهُ قَدْ مَاتَ لِأَرْبَعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَسِتِّينَ، وَهُوَ ابْنُ خَمْسٍ أَوْ ثَمَانٍ أَوْ تِسْعٍ وَثَلَاثِينَ سَنَةً، فَكَانَتْ وِلَايَتُهُ ثَلَاثَ سِنِينَ وَسِتَّةً أَوْ ثَمَانِيَةَ أَشْهُرٍ، فَحِينَئِذٍ خَمَدَتِ الْحَرْبُ وَطَفِئَتْ نَارُ الْفِتْنَةِ، وَيُقَالُ: إِنَّهُمْ مَكَثُوا يُحَاصِرُونَ ابْنَ الزُّبَيْرِ بَعْدَ مَوْتِ يَزِيدَ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً. وَيُذْكَرُ أَنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ
পৃষ্ঠা - ৬৮১১
عَلِمَ بِمَوْتِ يَزِيدَ قَبْلَ أَهْلِ الشَّامِ، فَنَادَى فِيهِمْ: يَا أَهْلَ الشَّامِ، قَدْ أَهْلَكَ اللَّهُ طَاغِيَتَكُمْ، فَمَنْ أَحَبَّ مِنْكُمْ أَنْ يَدْخُلَ فِيمَا دَخَلَ فِيهِ النَّاسُ فَلْيَفْعَلْ، وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَرْجِعَ إِلَى شَامِهِ فَلْيَرْجِعْ. فَلَمْ يُصَدِّقِ الشَّامِيُّونَ أَهْلَ مَكَّةَ فِيمَا أَخْبَرُوهُمْ بِهِ، حَتَّى جَاءَ ثَابِتُ بْنُ قَيْسِ بْنِ الْمُنَقَّعِ بِالْخَبَرِ الْيَقِينِ. وَيُذْكَرُ أَنَّ حُصَيْنَ بْنَ نُمَيْرٍ دَعَاهُ ابْنُ الزُّبَيْرِ لِيُحَدِّثَهُ بَيْنَ الصَّفَّيْنِ، فَاجْتَمَعَا حَتَّى اخْتَلَفَتْ رُءُوسُ فَرَسَيْهِمَا، وَجَعَلَتْ فَرَسُ حُصَيْنٍ تَنْفِرُ وَيَكُفُّهَا، فَقَالَ لَهُ ابْنُ الزُّبَيْرِ: مَا لَكَ؟ فَقَالَ: إِنَّ الْحَمَامَ تَحْتَ رِجْلَيْ فَرَسِي تَأْكُلُ مِنَ الرَّوَثِ، فَأَكْرَهُ أَنْ أَطَأَ حَمَامَ الْحَرَمِ. فَقَالَ لَهُ: تَفْعَلُ هَذَا وَأَنْتَ تَقْتُلُ الْمُسْلِمِينَ؟ ! فَقَالَ لَهُ حُصَيْنٌ: فَأْذَنْ لَنَا فَلْنَطُفْ بِالْكَعْبَةِ ثُمَّ نَرْجِعُ إِلَى بِلَادِنَا. فَأَذِنَ لَهُمْ فَطَافُوا. وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ حُصَيْنًا وَابْنَ الزُّبَيْرِ اتَّعَدَا لَيْلَةً أَنْ يَجْتَمِعَا، فَاجْتَمَعَا بِظَاهِرِ مَكَّةَ، فَقَالَ لَهُ حُصَيْنٌ: إِنْ كَانَ هَذَا الرَّجُلُ قَدْ هَلَكَ فَأَنْتَ أَحَقُّ النَّاسِ بِهَذَا الْأَمْرِ بَعْدَهُ، فَهَلُمَّ فَارْحَلْ مَعِي إِلَى الشَّامِ، فَوَاللَّهِ لَا يَخْتَلِفُ عَلَيْكَ اثَنَانِ.
পৃষ্ঠা - ৬৮১২


একদিন তার মাতা মাইসুন বলে তার মাথায় চুল জাচড়৷ চ্ছিল ৷ আর সে ছিল তখন ছোট
বালক ৷ তার পিতা মু আবিয়া (রা)ত তার অপর পত্নীর সাথে গ্যালারিতে বসে ছিলেন ৷ পত্নীর
নাম ছিল ফাখতা ৰিনত ফারজাহ ৷ যখন সে জাচড়ানাে সমাপ্ত করল তখন সে ইয়াযীদের দিকে
তকে কাল ও তখন তার খুব ভাল লাগল এবং সে সন্তানের কপালে চুমু থেল ৷ আমীর মুআবিয়া
(না) তখন বললেন১ ং

৷১া
“যখন মরে যাব এ সাজসজ্জা মৃত্যুর পর কোন কাজে আসবে না ৷ হে জাদুর
শোতাবর্ধনকারীৰু আমরা তখন তাকে পদদলিত করব ৷
ইয়াযীদ চলে যাচ্ছিল এবং ফাখতা তার প্রতি লক্ষ্য করছিল ৷ সে বলতে লাগল, তোমার
মায়ের পায়ের দুই নলীর মপাজর উপর আল্লাহর লানত পড়ুক ৷ মুআবিয়৷ (রা) বললেন,
জোন রেখো, আল্লাহর শপথ ৷ এ ৷ছালটিা তামার পুত্র আবদুল্লাহ থেকে উত্তম ৷ তার সন্ত ৷ন
আবদুল্লাহ ছিল নির্বোধ ৷ ফাখত৷ বলল, না, তা কখনও হতে পারে না ৷ আল্লাহর শপথ ৷
আপনি একে আমার সন্তানের উপর প্রাধান্য দিচ্ছেন ৷ আমীরউমুআবিয়া (বা) বললেন, আমি
এখনই তােসার কাছে প্রমাণ করব যাতে ভুমি ৷ত ৷মার বস৷ থেকে উঠার পুর্কেই তা স্পষ্টভাবে
জানতে পারবে ৷ তারপর আমীর মু অ বিযা (রা)ত তার ঐ পত্নীর ছেলে আবদুল্লাহাক ডাকলেন
এবং তাকে বললেন “আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এ বৈঠকে তুমি আমার কাছে যাই চইিবে তইি
আমি তোমাকে দান করব ৷” আবদুল্লাহ বলল, “আমার প্রয়োজন হল যে, তুমি আামকে একটি
সুন্দর কুকুর কিনে দিবে ৷ আর একটি মোট৷ তাজা গাধাৰু কিনে দািচুব ৷ আমীর মু আবিয়া (রা)
বললেন, হে আমার সন্তান ! তুমি একটি শাখা, তইি তুমি তোমার জন্য একটি শাখা কিনতে
ন্চাচ্ছ ৷ উঠ এখান থেকে বের হয়ে যাও ৷ তারপর তার মা৷ষ্টুক বললেন, কেমন দেখলে ?
এরপর ইয়ায়ীরকৈর্ডাকালন, এবৎবলালন, “আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, এ বৈঠাকঙু মি

যা চা ৷ইবে আমি তার সবটুকু তোমাকে প্রদান করব ৷ সুতরাংত ৷ত ৷মার যা খুশী আমার কামিছ
চাও ৷” ইয়াযীদ্ সিজদায় লুটিয়ে পড়ল এবং যখন মাথা উঠাসণ্ তখন বলল, সমস্ত প্রীণসে
আল্লাহর জনা,,দুযিনি আমীরুল মু’মিৰুনীনকে এতদিন পর্যস্তহায়াত দিয়েছেন এবং আমার
সম্বন্ধে এ অভিমত পেশ করার সুযোগ দিয়েছেন ৷ আমার প্রায়াজল্কিভুদ্বুহল ৷য,ন্ন্আপনার পরে
আপনি আমাকে যুবরাজ করে যাবেন এবং সকল মুসলমানদের ধোত্তাখবরষ্ নেবার দায়িত্ব
প্রদানৃ-করাবন ৷ আর আপনি যখন মক্কা থেকে ফিরে আসবেন তারপর থেকে ন্আমাকে হজ্জ
পালনের অনুমতি দিবেন এবং সকলের হজ্জ করোানারৰুৰুদায়িতৃ দিবেন ৷ সিরিয়াবাসীর
প্রাতৰুককে আপনি যে দান করেন তা৷ত দশ দীনার বৃদ্ধি করে দিবেন ৷ আর এটা আমার
সুপাব্রিশ্র বলে গণ্য করবেন ৷ বনু জুমাহ, বনু সাহাম ও বনু আদীর ইয়াতীনাসর প্রতি আপলি
লক্ষ্য রাখবেন ৷
আমীর মুআবিযা (রা) বললেন, বনু আমীর ইযাতীমদেরর্ণীথে ৷তামার কী সম্পর্ক ?
,ছুরাযীদ বলল, আমাকে সাহায্য করেছে এবং আমার ঘাৱর কাছে;ণ্তারা স্থনাতরিত হয়েছে ৷
ৰুআষীর মুআব্রিয়া (রা) বললোঃ আমি এসবগুলােই করে দিব ৷ এ বলে তার ৷চহারায় ঢুমু
াখালন ৷ তারপর তিনি ফাখগ্রক্রীনত কারজাহাক বললেন, কেমন হুাদখন্লে ?:ৰু সে বলল, হে
আষীৰুল মু’যিনীন ! আমার সক্ষ্ম;ন্ধ তাকে আপনিহুওসীয়ত করুন ৷ আপনি তার সম্বন্ধে আমার
চাইতে বেশী অবগত আছেন ৷ গ্রিষি৩খন তা কৰুলেন ৷ , ন্ , ,


فَيُقَالُ: إِنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ لَمْ يَثِقْ مِنْهُ بِذَلِكَ، وَأَغْلَظَ لَهُ فِي الْمَقَالِ، فَنَفَرَ مِنْهُ ابْنُ نُمَيْرٍ، وَقَالَ: أَنَا أَدْعُوهُ إِلَى الْخِلَافَةِ، وَهُوَ يُغْلِظُ لِي فِي الْمَقَالِ؟ ! ثُمَّ كَرَّ بِالْجَيْشِ رَاجِعًا إِلَى الشَّامِ، وَقَالَ: أَعِدُهُ بِالْمُلْكِ وَيَتَوَاعَدُنِي بِالْقَتْلِ؟ ! ثُمَّ نَدِمَ ابْنُ الزُّبَيْرِ عَلَى مَا كَانَ مِنْهُ إِلَيْهِ مِنَ الْغِلْظَةِ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ يَقُولُ لَهُ: أَمَّا الشَّامُ فَلَسْتُ آتِيهِ، وَلَكِنْ خُذْ لِيَ الْبَيْعَةَ عَلَى مَنْ هُنَاكَ، فَإِنِّي أُؤَمِّنُكُمْ وَأَعْدِلُ فِيكُمْ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ يَقُولُ لَهُ: إِنَّ مَنْ يَبْتَغِيهَا مِنْ أَهْلِ هَذَا الْبَيْتِ بِالشَّامِ لَكَثِيرٌ. فَرَجَعَ فَاجْتَازَ بِالْمَدِينَةِ، فَطَمِعَ فِيهِ أَهْلُهَا وَأَهَانُوهُمْ إِهَانَةً بَالِغَةً، وَأَكْرَمَهُمْ عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ، وَأَهْدَى لِحُصَيْنِ بْنِ نُمَيْرٍ قَتًّا وَعَلَفًا، وَارْتَحَلَتْ بَنُو أُمَيَّةَ مَعَ الْجَيْشِ إِلَى الشَّامِ، فَرَجَعُوا إِلَيْهِ وَقَدِ اسْتُخْلِفَ بِدِمَشْقَ مُعَاوِيَةُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ عَنْ وَصِيَّةٍ مِنْ أَبِيهِ لَهُ بِذَلِكَ. وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ أَعْلَمُ بِالصَّوَابِ. [تَرْجَمَةُ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ] وَهَذِهِ تَرْجَمَةُ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ هُوَ يَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ صَخْرِ بْنِ حَرْبِ بْنِ أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ، أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ أَبُو خَالِدٍ الْأُمَوِيُّ، وُلِدَ سَنَةَ خَمْسٍ أَوْ سِتٍّ أَوْ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ بِالْمَاطِرُونِ، وَقِيلَ: بِبَيْتِ رَأْسٍ. وَبُويِعَ لَهُ بِالْخِلَافَةِ فِي حَيَاةِ أَبِيهِ أَنْ يَكُونَ وَلِيَّ
পৃষ্ঠা - ৬৮১৩


অন্য এক বর্ণনায় আছে, ইয়াযীদকে যখন তার পিতা বললেন, আমার কাছে তোমার
প্রয়োজনের কথা বল ৷ ইয়াযীদ তখন বলেছিল, “আপনি আমাকে আগুন হতে রক্ষা করবেন ৷
“তিনি বললেন, কেমন করে ? ইয়াযীদ বলল, আমি হাদীসের কিভাবে পেয়েছি, “যে ব্যক্তি এ
উম্মতের কাজ তিন দিনের জন্য পরিচালনা করবে তার জন্য আল্লাহ্ তাআলা জাহান্নাম হারাম
করে দিবেন ৷ কাজেই আপনি আপনার পরে আমাকে প্রশাসনিক ব্যাপারে নিয়োগ প্রদান
করুন ৷ তখন তিনি তাকে রাষ্ট্ৰর দায়িত্বভার প্রদান করলেন ৷

আল আতাবী বলেন, একদিন মুআবিয়া (রা)৩ তার ছেলে ইয়াযীদকে দেখলেন, একটি
গোলামকে প্ৰহার করছে তখন তিনি তাকে বললেন,তু মি জেনে রেখো যে, আল্লাহ্ তা আল!
তোমাকে তার উপর শক্তি দান করেছেন, যে কি তোমার সমতুল্য ? তুমি কি এমন ব্যক্তিকে
প্রহার করছ না, যে তোমার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রাখে না ? আল্লাহর শপথ ! হিংসাকারীরা
প্রতিশোধ নেয়ার শক্তি আমাকে প্রতিশোধ থেকে বিরত রেখেছে ৷ শক্তি থাকা সত্বেও মাফ করে
দেয়ইি উত্তম ৷

আমি বলি, বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, রাসুল (সা) একদিন আবু মাসউদ (রা)-কে
দেখলেন ৷ তিনি তার এক গােলামকে প্রহার করছেন, তখন তিনি বললেন, জেনে ব্লেখো, হে
আবু মাসউদ ! আল্লাহ্ তোমাকে তার উপর যে শক্তি দান করেছেন তার চাইতে তিনি তোমার
উপর অধিক শক্তিশালী ৷” আতাবী বলেন, একদিন যিয়াদ বহু অর্থ-সম্পদ ও মণিমুক্তায় পরিপুর্ণ
একটি ঝুড়ি নিয়ে আমীর মুআবিয়া (রা)-এর কাছে আগমন করে ৷ আমীর মুআবিয়া (রা) খুব
খুশী হন ৷ যিয়াদ উঠে দাড়ায় এবং মিম্বরে আরোহণ করে ৷ এরপর গর্বসহকারে বর্ণনা করতে
লাগল, আমীর ঘুআবিয়া (রা)এর রাজত্ব ঠিক রাখার জং৷ সে ইরাক ভুখণ্ডে কি কি করেছে ৷
ইয়াযীদ তখন উঠে দাড়ায় এবং বলে, হে যিয়াদ ! তুমি যদি এরুপ করে থাক তাহলে জেনে রেখ
আমরা তোমাকে সাখীফের নেতৃত্ব থেকে কুরায়শের নেতৃত্বের কাগজ-কলম থেকে ফিরে পর্যন্ত
এবং যিয়াদ ইবন উবাইদ হতে বনু উমাইয়া ইবন হারবে স্থানান্তরিত করেছি ৷ আমীর মুআবিয়া ৷
(রা) বললেন, হে ইয়াযীদ ! ভুমি বসে পড়, তোমার মাতাপিতা কুরবান হোক !

আাত৷ ইবন সারির (বা) হতে বর্ণিত যে,৩ তিনি বলেছেন, “একদিন আমীর মুআবিয়া (বা)
তার ছেলে ইয়াযীদের প্রতি রাগ করেন এবং তার সঙ্গ ত্যাগ করেন ৷ তখন আহনাফ ইবন
কাইস তাকে বললেন, হে আমীরুল মুমিনীন ! এরা আমাদের সন্তান, এরা আমাদের হৃদয়ের
ফল, এরা আমাদের মান মর্যাদার স্তম্ভ, আমরা তাদের জন্য ছায়াবান ছাদ, তাদের জন্য সমতল
ভুমি ৷ যদি তারা রাগ করে তাহলে তাদেরকে খুশী করুন, যদি তারা কিছু চায় তাদেরকে তা
দান করুন তাদের পক্ষে কোন রুিবতকর অবস্থা সৃষ্টি করবেন না ৷ যদি করেন তাহলে আপনার
বেচে থাকাটা তাদের কাছে ক্লান্তিকর মনে হবে এবং তারা আপনার মৃত্যু কামনা করবে ৷
আমীর মু আবিয়৷ (বা) বললেন, হে আবু ৰাহার ! আল্লাহ্ তোমার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করুন ৷ আমীর
মুআবিয়া (বা) আরো বললেন, হে আমার গোলাম ! তুমি ইয়াযীদকে নিয়ে এসো এবং তাকে

, আমার সালাম দাও, আর তাকে বল, আমীরুল মু’মিনীন তোমাকে এক লক্ষ দিৱহাম ও এক

শতঢি মুল্যবান পোশাক দান করেছেন ৷ ইয়াযীদ বলল, আমীরুল মুমিনীনের কাছে কে
উপস্থিত ছিলেন ? গোলাম বলল, আহনাফ ৷ ইয়াযীদ বলল, অবশ্যই এগুলো আমি তার সাথে
ভাগাভাগি করে নেব ৷ তারপর সে আহনাফের কাছে ৫০ হাজার দিরহাম ও ৫ণ্ন্টি পোশাক
প্রেরণ করল ৷

আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া-৫৩
, ণোমোঃ(হ্রাশ্রোা৪র্নো০ওোড়া

الْعَهْدِ مِنْ بَعْدِهِ، ثُمَّ أَكَّدَ ذَلِكَ بَعْدَ مَوْتِ أَبِيهِ فِي النِّصْفِ مِنْ رَجَبٍ سَنَةَ سِتِّينَ، فَاسْتَمَرَّ مُتَوَلِّيًا إِلَى أَنْ تُوُفِّيَ فِي الرَّابِعَ عَشَرَ مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَسِتِّينَ. وَأُمُّهُ مَيْسُونُ بِنْتُ بَحْدَلِ بْنِ أُنَيْفِ بْنِ دُلْجَةَ بْنِ قُنَافَةَ بْنِ عَدِيِّ بْنِ زُهَيْرِ بْنِ حَارِثَةَ الْكَلْبِيِّ. رَوَى عَنْ أَبِيهِ مُعَاوِيَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " «مَنْ يُرِدِ اللَّهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ» ". وَحَدِيثًا آخَرَ فِي الْوُضُوءِ. وَعَنْهُ ابْنُهُ خَالِدٌ وَعَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ، وَقَدْ ذَكَرَهُ أَبُو زُرْعَةَ الدِّمَشْقِيُّ فِي الطَّبَقَةِ الَّتِي تَلِي الصَّحَابَةَ، وَهِيَ الْعُلْيَا، وَقَالَ: لَهُ أَحَادِيثُ. وَكَانَ كَثِيرَ اللَّحْمِ، عَظِيمَ الْجِسْمِ، كَثِيرَ الشَّعْرِ، جَمِيلًا طَوِيلًا، ضَخْمَ الْهَامَةِ، مُخَدَّدَ الْأَصَابِعِ غَلِيظَهَا، مُجَدَّرًا. وَكَانَ أَبُوهُ قَدْ طَلَّقَ أُمَّهُ وَهِيَ حَامِلٌ بِهِ، فَرَأَتْ فِي الْمَنَامِ أَنَّهُ خَرَجَ مِنْ قُبُلِهَا قَمَرٌ، فَقَصَّتْ رُؤْيَاهَا عَلَى أُمِّهَا فَقَالَتْ: إِنْ صَدَقَتْ رُؤْيَاكِ لَتَلِدِنَّ مَنْ يُبَايَعُ لَهُ بِالْخِلَافَةِ. وَجَلَسَتْ أُمُّهُ مَيْسُونُ يَوْمًا تُمَشِّطُهُ وَهُوَ صَبِيٌّ صَغِيرٌ، وَأَبُوهُ مُعَاوِيَةُ مَعَ زَوْجَتِهِ الْحَظِيَّةِ عِنْدَهُ فِي الْمَنْظَرَةِ، وَهِيَ فَاخِتَةُ بِنْتُ قَرَظَةَ، فَلَمَّا فَرَغَتْ مِنْ مَشْطِهِ نَظَرَتْ إِلَيْهِ، فَأَعْجَبَهَا فَقَبَّلَتْ بَيْنَ عَيْنَيْهِ، فَقَالَ مُعَاوِيَةُ عِنْدَ ذَلِكَ:
পৃষ্ঠা - ৬৮১৪
إِذَا مَاتَ لَمْ تُفْلِحْ مُزَيْنَةُ بَعْدَهُ ... فَنُوطِي عَلَيْهِ يَا مُزَيْنُ التَّمَائِمَا وَانْطَلَقَ يَزِيدُ يَمْشِي وَفَاخِتَةُ تُتْبِعُهُ بَصَرَهَا، ثُمَّ قَالَتْ: لَعَنَ اللَّهُ سَوَادَ سَاقَيْ أُمِّكَ. فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: أَمَا وَاللَّهِ إِنَّهُ لَخَيْرٌ مِنِ ابْنِكِ عَبْدِ اللَّهِ - وَهُوَ وَلَدُهُ مِنْهَا، وَكَانَ أَحْمَقَ - فَقَالَتْ فَاخِتَةُ: لَا وَاللَّهِ، وَلَكِنَّكَ تُؤْثِرُ هَذَا عَلَيْهِ. فَقَالَ: سَوْفَ أُبَيِّنُ لَكِ ذَلِكَ حَتَّى تَعْرِفِيهِ قَبْلَ أَنْ تَقُومِي مِنْ مَجْلِسِكِ هَذَا. ثُمَّ اسْتَدْعَى بِابْنِهَا عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَ لَهُ: إِنَّهُ قَدْ بَدَا لِي أَنْ أُعْطِيَكَ كُلَّ مَا تَسْأَلُنِي فِي هَذَا الْمَجْلِسِ. فَقَالَ: حَاجَتِي أَنْ تَشْتَرِيَ لِي كَلْبًا فَارِهًا وَحِمَارًا. فَقَالَ: يَا بُنَيَّ، أَنْتَ حِمَارٌ وَيُشْتَرَى لَكَ حِمَارٌ؟ ! قُمْ فَاخْرُجْ. ثُمَّ قَالَ لِأُمِّهِ: كَيْفَ رَأَيْتِ؟ ثُمَّ اسْتَدْعَى بِيَزِيدَ فَقَالَ: إِنِّي قَدْ بَدَا لِي أَنْ أُعْطِيَكَ كُلَّ مَا تَسْأَلُنِي فِي مَجْلِسِكَ هَذَا، فَسَلْنِي مَا بَدَا لَكَ. فَخَرَّ يَزِيدُ سَاجِدًا، ثُمَّ قَالَ حِينَ رَفَعَ رَأْسَهُ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي بَلَّغَ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ هَذِهِ الْمُدَّةَ، وَأَرَاهُ فِي هَذَا الرَّأْيِ، حَاجَتِي أَنْ تَعْقِدَ لِيَ الْعَهْدَ مِنْ بَعْدِكَ، وَتُوَلِّيَنِي الْعَامَ صَائِفَةَ الْمُسْلِمِينَ، وَتَأْذَنَ لِي فِي الْحَجِّ إِذَا رَجَعْتَ، وَتُوَلِّيَنِي الْمَوْسِمَ، وَتَزِيدَ أَهْلَ الشَّامِ عَشَرَةَ دَنَانِيرَ لِكُلِّ رَجُلٍ، وَتَجْعَلَ ذَلِكَ بِشَفَاعَتِي، وَتَفْرِضَ لِأَيْتَامِ بَنِي جُمَحٍ، وَأَيْتَامِ بَنِي سَهْمٍ، وَأَيْتَامِ بَنِي عَدِيٍّ. فَقَالَ: مَا لَكَ وَلِأَيْتَامِ بَنِي عَدِيٍّ؟ فَقَالَ: لِأَنَّهُمْ حَالَفُونِي وَانْتَقَلُوا إِلَى دَارِي. فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: قَدْ فَعَلْتُ ذَلِكَ كُلَّهُ. وَقَبَّلَ وَجْهَهُ. ثُمَّ قَالَ لِابْنَةِ قَرَظَةَ: كَيْفَ رَأَيْتِ؟ فَقَالَتْ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، أَوْصِهِ بِي فَأَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي. فَفَعَلَ وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّ يَزِيدَ لَمَّا قَالَ لَهُ أَبُوهُ: سَلْنِي
পৃষ্ঠা - ৬৮১৫







৪ ১৮ আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া

তাবারানী মুহাম্মদ ইবন আয়েশার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, ইয়াযীদ
তার যৌবনের প্রারম্ভে শরাবখোর ছিল ৷ সে আসর জমাত ৷ আমীর মুআবিয়া (বা) এ
ব্যাপারে অবগত হওয়ার পর তাকে নম্রভাবে নসীহত করাটা পছন্দ করেন ৷ তিনি বলেন, হে
আমার পুত্র ! আমিও তামাকে চাই না যে, তুমি ( তামার প্রয়োজন যেটাবে কোন অনৈতিকতার
আশ্রয় নিয়ে , যার দরুন তোমার ইজ্জত সম্মান বিনষ্ট হবে এবৎ£ তোমার শত্রু খুশী হবে৷ আর
তোমার বন্ধু এতে অসম্ভষ্ট হবে ৷৩ তারপর তিনি বলেন হে আমার পুত্র ! আমি তোমার জন্য
কিছু কবিতা আবৃত্তি করছি, এ গুলোর মাধ্যমে তুমি উপদেশ গ্রহণ কর এবং এগুলো সৎ রক্ষণ
কর ৷ তারপরও তিনি তার উদ্দেশ্যে নিম্নে বর্ণিত কবিতা ৷গুলো আবৃত্তি করলেন০ ং
;
“সম্মান অর্জনের ঘোজে দিনকে লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত কর, নিকটতম বন্ধুর বিচ্ছেদ সহ্য
কর ৷ যখন রাতের অন্ধকার নেমে আসে পাহারাদারের চোখ ঘুমে ঢুলুঢুলু করে, রাতে যা মনে
চায় তা ভোগ কর ৷ কেননা, বুদ্ধিমানের কাছে রাতই দিন হিসাবে গণ্য ৷ কত ফাসিককেই না
তুমি ইবাদতগুযার মনে করবে, অথচ রাতে বিস্ময়কর কাজে লিপ্ত থাকে ৷ রাত তার পর্দাসমুহ
দিয়ে তাকে ঢেকে রাখে ৷ তখন সে ৷নরাপদে ও অত্যন্ত তৃপ্তি সহকারে রাতযাপন করে ৷
নির্বোধের আনন্দ স্ফুর্তি থােলামেলা, প্রতিটি বিদ্বেষী শত্রু তা নিয়ে সমালোচনা করে ৷
, আমি বলি, “উপরোক্ত বিষয়টির মর্য কথা হাদীসে প্রতিফলিত হয়েছে যাতে বলা হয়েছে,
“যাকে এসব অপছন্দনীয় বস্তু সামগ্রী দ্বারা পরীক্ষা করা হয় সে যেন আল্লাহ প্রদত্ত পর্দায়
নিজেকে গোপন করে রাখে ৷ ”
আল মাদায়িনী বর্ণনা করেন, একদিন হযরত আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) আমীর
মুআবিয়৷ (রা)-এব কাছে একটি প্রতিনিধি দলের প্রধান হিসেবে আগমন করেন, সে যেন
হযরত আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা)-এর কাছে আসে এবং হযরত হাসান ইবন আলী (রা)
সম্পর্কে সান্তুনা বাণী পৌছায় ৷ ইয়াযীদ যখন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা)-এর কাছে প্রবেশ
করে তখন ইবন আব্বাস (রা) তাকে অভ্যর্থনা জানালেন এবং তাকে সম্মান দেখালেন, আর
তাকে সামনে বসালেন ৷ তারপর ইবন আব্বাস (রা)ত তার এ মজলিস সমাপ্ত করার ইচ্ছে
পোষণ করেন কিন্তু ইয়াযীদ তাতে আপত্তি করে এবং বলে যে, এটা পােকের মজলিস, এটা
আনন্দের মজলিস নয় ৷ এরপর হযরত ৩হাসান (রা)-এর কথা উল্লেখ করতে গিয়ে সে বলে,
আবু মুহাম্মাদের প্রতি আল্লাহ্ অশেষ ও অফুরন্ত রহমত বর্ষণ করুন, আল্লাহ্ আপনাকে মহান
পুরস্কারে ভুষিত করুন ৷ আল্লাহ আপনার মান-মর্যাদা বৃদ্ধি করুন, আল্লাহ্ আপনার উপর
পতিত মুসিবভ্রু তর উত্তম ও কল্যাণকর প্রতিদান প্রদান করুন এবং অতি উত্তম সওয়াব ও
পরিণাম আপনাকে দান করুন ৷ ইয়াযীদ যখন তার কাছ থেকে উঠে র্দাড়াল তখন ইবন
আব্বাস (রা) বলেন, যখন বনু হারাবের লোকেরা দুনিয়া থেকে বিদায় হয়ে চলে যাবে তখন
জনগণের শিক্ষিত সমাজও চলে যাবে ৷ তারপর তিনি একটি কবিতা আবৃত্তিকরেন ৷
“তারা অন্ধদের থেকে বিরত থাকেন, তাদের সাথে কথা বলেন না, তারা ধৈর্যশীল,
অপ্রপামীদের উত্তরণের মুল উৎস হিসাবে পরিগণিত




حَاجَتَكَ. قَالَ لَهُ يَزِيدُ: أَعْتِقْنِي مِنَ النَّارِ أَعْتَقَ اللَّهُ رَقَبَتَكَ مِنْهَا. قَالَ: وَكَيْفَ؟ قَالَ: لِأَنِّي وَجَدْتُ فِي الْأَثَرِ أَنَّهُ مَنْ تَقَلَّدَ أَمْرَ الْأُمَّةِ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ حَرَّمَهُ اللَّهُ عَلَى النَّارِ، فَاعْهَدْ إِلَيَّ بِالْأَمْرِ مِنْ بَعْدِكَ. فَفَعَلَ. وَقَالَ الْعُتْبِيُّ: رَأَى مُعَاوِيَةُ ابْنَهُ يَزِيدَ يَضْرِبُ غُلَامًا لَهُ، فَقَالَ لَهُ: سَوْأَةً لَكَ، أَتُضْرِبُ مَنْ لَا يَسْتَطِيعُ أَنْ يَمْتَنِعَ عَلَيْكَ؟ ! وَاللَّهِ لَقَدْ مَنَعَتْنِي الْقَدْرَةُ مِنْ ذَوِي الْإِحَنِ، وَإِنَّ أَحَقَّ مَنْ عَفَا لَمَنْ قَدَرَ. قُلْتُ: وَقَدْ ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحِ " أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى أَبَا مَسْعُودٍ يَضْرِبُ غُلَامًا لَهُ، فَقَالَ لَهُ: «اعْلَمْ أَبَا مَسْعُودٍ لَلَّهُ أَقَدْرُ عَلَيْكَ مِنْكَ عَلَيْهِ ".» قَالَ الْعُتْبِيُّ: وَقَدِمَ زِيَادٌ بِأَمْوَالٍ عَظِيمَةٍ وَبِسَفْطٍ مَمْلُوءٍ جَوْهَرًا عَلَى مُعَاوِيَةَ، فَسُرَّ بِذَلِكَ مُعَاوِيَةُ، فَقَامَ زِيَادٌ فَصَعِدَ الْمِنْبَرَ، ثُمَّ افْتَخَرَ بِمَا يَفْعَلُهُ بِأَرْضِ الْعِرَاقِ مِنْ تَمْهِيدِ الْمَمَالِكِ لِمُعَاوِيَةَ، فَقَامَ يَزِيدُ فَقَالَ: إِنْ تَفْعَلْ ذَلِكَ يَا زِيَادُ فَنَحْنُ نَقَلْنَاكَ مِنْ وَلَاءِ ثَقِيفٍ إِلَى قُرَيْشٍ، وَمِنَ الْقَلَمِ إِلَى الْمَنَابِرِ، وَمِنْ زِيَادِ بْنِ عُبَيْدٍ إِلَى حَرْبِ بْنِ أُمَيَّةَ. فَقَالَ لَهُ مُعَاوِيَةُ: اجْلِسْ فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي. وَعَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ وَغَيْرِهِ قَالَ: غَضِبَ مُعَاوِيَةُ عَلَى ابْنِهِ يَزِيدَ فَهَجَرَهُ،
পৃষ্ঠা - ৬৮১৬


ইয়াষীদ ছিল প্রথম ব্যক্তি যে ইয়াকুব ইবন সুফিয়ানের অভিমভে ৪৯ হিজরীতে
কনস্টানঢিনােপল শহরে যুদ্ধ করে ৷ আর খলীফা ইবন খাইয়াত বলেন, ৫০ হিজরীতে উক্ত যুদ্ধ
হয় ৷ রোম সাম্রাজ্যের এ শহরটির যুদ্ধ থেকে ফেরত আসার পর এ বছরেই ইয়াষীদ জনগণকে
নিয়ে হজ্জ আদায় করে ৷ ,

হাদীসে প্রমাণ রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন, রোম সাম্রাজ্যে প্রথম যে
সৈন্যদলটি যুদ্ধ করবে তাদের জন্য আল্লাহর তরফ থেকে ক্ষমা রয়েছে ৷ আর এ সৈন্য দলটিকে
রাসুল (সা) উম্মে হারাম (রা)এর ঘরে স্বপ্নে দেখেছিলেন ৷ উম্মে হারাম (রা) বলেছিলেন, হে
আল্লাহর রাসুল ! আপনি আল্লাহ্র কাছে দুআ করুন, তিনি যেন আমাকে তাদের দলভুক্ত
করেন ৷ রাসুল (সা) বললেন, তুমি হয়ে প্রথম দলের যােদ্ধাদের অন্তর্ভুক্ত ৷ উসমান ইবন
আফ্ফান (রা)-এর আমলে ২৭ হিজরীতে সাইপ্রাস বিজয় হয় ৷ আমীর মুআবিয়া (রা)
পরিচালিত সৈন্যদল যখন সাইপ্রাস যুদ্ধে রত ছিল তখন তাদের সাথে উম্মে হারাম (রা) যুদ্ধে
যোগদান করেছিলেন ৷ তারপর তিনি সইিপ্রাসে ইনতিকাল করেন ৷ ণ্ এরপর দ্বিতীয়
সেনাবাহিনীর আমীর ছিলেন তার পুত্র ইয়াষীদ ইবন মুআবিয়া উম্মে হারাম (রা) ইয়াযীদের
গুসনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারেন নি ৷ এটা ফ্লি নবুওয়াতের অন্যতম প্রধান দলীল ৷

হাফিজ ইবন আসাকিব মৃহাসিব অ ৷বদুল্লাহ ইবন মাসউদ (বা) হতে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন, আমার যুগের ব্যক্তিবর্গ উত্তম ৷ তারপর যারা
এর পরের যুগের, তারপর যারা এর পরের যুগের ৷” আবদুল্লাহ ইবন সাফীক হযরত আবু
হুরইির৷ (রা) এর বরাতে ৩রাসুল (সা) থেকে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেন ৷ যুরারাহ ইবন
আউফা বলেন, হাদীসে উল্লেখিত করন (০;ও) নবুওরাত প্রাপ্ত হয়েছেন তার সমাপ্তি ছিল
ইয়াষীদ ইবন মুআবিয়ার মৃত্যু ৷ আবু বকর ইবন অইিয়াশ বলেন, ইয়াষীদ ইবন মুআবিয়া
’ ৫১,৫২ ও ৫৩ হিজরীতে সােকজনকে নিয়ে হজ্জ আদায় করে ৷ ইবন আবুদ দুনিয়া আবু
বুকায়র ইবনআল আশজা হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, একদিন আমীর মুআবিয়া (রা)
ইয়াযীদকে বললেন, তোমাকে যখন খলীফা মনোনীত করা হবে তখন তুমি কী করবে ?
ইয়াষীদ বলল, হে আমীরুল মুমিনীন ! আল্লাহ ৷ আলা আপনার মঙ্গল করুন ৷ আমীর
মুআবিয়৷ (রা) বললেন, তুমি এ ব্যাপারে আমাকে কিছু সংবাদ পরিবেশন কর ৷ উত্তরে
ইয়াষীদ বলল, “ হে আমার আব্বা ! আল্লাহ্র শপথ আমি প্রজাদের ব্যাপারে হযরত উমর
ইবনুল খাত্তাব (রা) এর ন্যায় আচরণ করে যার ৷

মুআবিয়া (রা) বললেন, সুবহানাল্পাহ হে আমার পুত্র ! আমি হযরত উসমান ইবন
আফ্ফান (রা) এর ন্যায় আচরণ করতে চেষ্টা করেছি বিস্তু তা আমি পারিনি ৷ আর তুমি কেমন
করে হযরত উমর (রা)এর ন্যায় আচরণ করতে পারবো ওয়াকিদী (র) আবু বকর মারওয়ান
ইবন আবু সাঈদ ইবন আল মুয়াল্ল৷ হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমীর মুআবিয়া
(রা) মৃত্যুর সময় ইয়াযীদকে ওসীয়ত করার উদ্দেশ্যে বলেন, হে ইয়াষীদ ! তুমি আল্লাহ্কে
ভয় কর, খিলাফতের ব্যাপারটি আমি ইতিমধ্যেই সমাধ্৷ করে দিয়েছি ৷ আর যা মনোনীত
করার তা মনোনীত করেছি ৷ যদি এটা ভাল হয় তাহলে এটার দ্বারা আমি সৌভাগ্যবান হব,
আর যদি অন্যকিছু হয়, তাহলে এটা হবে আমার দুর্ভাগ্য ৷ জনগণের সাথে তুমি নরম ব্যবহার
করবে ৷ যে কথা তোমাকে কষ্ট দেয় কিংবা তোমার মান-মর্যাদা ক্ষুপ্ন করে তা শোনার পর
উপেক্ষা করবে ৷ এমন কাজ বরৈবে যা তোমার জািন্দগীকে সৃখময় করবে এবং তোমার


فَقَالَ لَهُ الْأَحْنَفُ بْنُ قَيْسٍ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، أَوْلَادُنَا ثِمَارُ قُلُوبِنَا، وَعِمَادُ ظُهُورِنَا، وَنَحْنُ لَهُمْ سَمَاءٌ ظَلِيلَةٌ وَأَرْضٌ ذَلِيلَةٌ، إِنْ غَضِبُوا فَأَرْضِهِمْ، وَإِنْ طَلَبُوا فَأَعْطِهِمْ، وَلَا تَكُنْ عَلَيْهِمْ ثِقْلًا فَيَمَلُّوا حَيَاتَكَ وَيَتَمَنَّوْا مَوْتَكَ. فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: لِلَّهِ دَرُّكَ يَا أَبَا بَحْرٍ، يَا غُلَامُ، ائْتِ يَزِيدَ فَأَقْرِئْهُ مِنِّي السَّلَامَ، وَقُلْ لَهُ: إِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ قَدْ أَمَرَ لَكَ بِمِائَةِ أَلْفِ دِرْهَمٍ، وَمِائَةِ ثَوْبٍ. فَقَالَ يَزِيدُ: مِنْ عِنْدِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ؟ فَقَالَ: الْأَحْنَفُ. فَقَالَ يَزِيدُ: لَا جَرَمَ، لَأُقَاسِمَنَّهُ. فَبَعَثَ إِلَى الْأَحْنَفِ بِخَمْسِينَ أَلْفًا وَخَمْسِينَ ثَوْبًا. وَقَالَ الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ زَكَرِيَّا الْغَلَابِيُّ، ثَنَا ابْنُ عَائِشَةَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: كَانَ يَزِيدُ فِي حَدَاثَتِهِ صَاحِبَ شَرَابٍ يَأْخُذُ مَأْخَذَ الْأَحْدَاثِ، فَأَحَسَّ مُعَاوِيَةُ بِذَلِكَ، فَأَحَبَّ أَنْ يَعِظَهُ فِي رِفْقٍ، فَقَالَ: يَا بُنَيَّ، مَا أَقْدَرَكَ عَلَى أَنْ تَصِيرَ إِلَى حَاجَتِكَ مِنْ غَيْرِ تَهَتُّكٍ يَذْهَبُ بِمُرُوءَتِكَ وَقَدْرِكَ. ثُمَّ قَالَ: يَا بُنَيَّ إِنِّي مُنْشِدُكَ أَبْيَاتًا، فَتَأَدَّبْ بِهَا وَاحْفَظْهَا. فَأَنْشَدَهُ: انْصَبْ نَهَارًا فِي طِلَابِ الْعُلَا ... وَاصْبِرْ عَلَى هَجْرِ الْحَبِيبِ الْقَرِيبِ حَتَّى إِذَا اللَّيْلُ أَتَى بِالدُّجَى ... وَاكْتَحَلَتْ بِالْغُمْضِ عَيْنُ الرَّقِيبِ فَبَاشِرِ اللَّيْلَ بِمَا تَشْتَهِي ... فَإِنَّمَا اللَّيْلُ نَهَارُ الْأَرِيبِ كَمْ فَاسِقٍ تَحْسَبُهُ نَاسِكًا ... قَدْ بَاشَرَ اللَّيْلَ بِأَمْرٍ عَجِيبٍ غَطَّى عَلَيْهِ اللَّيْلُ أَسْتَارَهُ ... فَبَاتَ فِي أَمْنٍ وَعَيْشٍ خَصِيبٍ
পৃষ্ঠা - ৬৮১৭
وَلَذَّةُ الْأَحْمَقِ مَكْشُوفَةٌ ... يَشْفَى بِهَا كُلُّ عَدُوٍّ غَرِيبِ قُلْتُ: وَهَذَا كَمَا جَاءَ فِي الْحَدِيثِ: " مَنِ ابْتُلِيَ بِشَيْءٍ مِنْ هَذِهِ الْقَاذُورَاتِ فَلْيَسْتَتِرْ بِسِتْرِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ". وَرَوَى الْوَاقِدِيُّ وَالْمَدَائِنِيُّ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ وَفَدَ إِلَى مُعَاوِيَةَ، فَأَمَرَ مُعَاوِيَةُ ابْنَهُ يَزِيدَ أَنْ يَأْتِيَهُ فَيُعَزِّيَهُ فِي الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ فَلَمَّا دَخَلَ عَلَى ابْنِ عَبَّاسٍ رَحَّبَ بِهِ وَأَكْرَمَهُ، وَجَلَسَ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَأَرَادَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَنْ يَرْفَعَ مَجْلِسَهُ، فَأَبَى وَقَالَ: إِنَّمَا أَجْلِسُ مَجْلِسَ الْمُعَزِّي لَا الْمُهَنِّي. ثُمَّ ذَكَرَ الْحَسَنَ، فَقَالَ: رَحِمَ اللَّهُ أَبَا مُحَمَّدٍ أَوْسَعَ الرَّحْمَةِ وَأَفْسَحَهَا، وَأَعْظَمَ اللَّهُ أَجْرَكَ وَأَحْسَنَ عَزَاءَكَ، وَعَوَّضَكَ مِنْ مُصَابِكَ مَا هُوَ خَيْرٌ لَكَ ثَوَابًا وَخَيْرٌ عُقْبَى. فَلَمَّا نَهَضَ يَزِيدُ مِنْ عِنْدِهِ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: إِذَا ذَهَبَ بَنُو حَرْبٍ ذَهَبَ حُلَمَاءُ النَّاسِ. ثُمَّ أَنْشَدَ مُتَمَثِّلًا: مَغَاضٍ عَنِ الْعَوْرَاءِ لَا يَنْطِقُونَهَا ... وَأَهْلُ وِرَاثَاتِ الْحُلُومِ الْأَوَائِلِ وَقَدْ كَانَ يَزِيدُ أَوَّلُ مَنْ غَزَا مَدِينَةَ قُسْطَنْطِينِيَّةَ فِي سَنَةِ تِسْعٍ وَأَرْبَعِينَ، فِي قَوْلِ يَعْقُوبَ بْنِ سُفْيَانَ. وَقَالَ خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ: سَنَةَ خَمْسِينَ. ثُمَّ حَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ بَعْدَ مَرْجِعِهِ مِنْ أَرْضِ الرُّومِ. وَقَدْ ثَبَتَ فِي الصَّحِيحِ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: أَوَّلُ جَيْشٍ يَغْزُو مَدِينَةَ
পৃষ্ঠা - ৬৮১৮


প্ৰজাবর্ণাকন্ তোমার জন্য বাধ্য করবে ৷ তুমি তোমার নিজেকে বাক-বিতগু৷ ও ক্রোধাচরণ হতে
রক্ষা করবে অন্যথায় তুমি তোমাকে এবং তোমার প্রজাবর্পকে ধ্বংস করবে ৷ মর্যাদাবান
ব্যক্তিবর্গের পছন্দে হস্তক্ষেপ, তাদেরকে অবমাননা বস্মা এবং তাদের বিরুদ্ধে গর্ব করা ইত্যাদি
হতে নিজেকে রক্ষা করবে ৷ তাদের সাথে অত্যন্ত নরম ব্যহার ব্ববে যেন তারা তোমাকে দুর্বল
মনে না করে এবং অভদ্র মনে না করে ৷ তাদের জন্য তুমি চাদরবিছিয়ে দেবে ৷ তাদেরকে

তোমার নিকটবর্তী করবে, তাদেরকে তে তামার নিকট থাকতে দেবে ৷

কেননা তারা তোমার সম্বন্ধে অবগত, তাদেরকে অবমাননা কংাবে না ৷ তাদের অধিকারকে
তুচ্ছ মনে করবে না তাহলে তারাও তোমার অবমাননা করবে এবং তোমার অধিকারকে তৃচ্ছ
মনে করবে ও তারা তোমার বদনাম করবে ৷ যখন তুমি কোন কাজ করতে ইচ্ছে পোষণ করবে
তখন পরহেযগার এবং যুরববী শ্রেণীর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ও বয়ােবৃদ্ধ ব্যক্তিবর্গকে ডেকে
একত্রিত করবে এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করবে, তাদের বিরোধিতা করবে না ৷ সিদ্ধান্ত ও
অভিমত গ্রহণে তুমি( তামাকে স্বেচ্ছাচাবিত৷ থেকে বিরত রাখবে ৷ কেননা, একজনের অভিমত
কোন অভিমতই নয় ৷ ’

তুমি যা জান এবং ৰুঝার প্রতি যদি কেউ তামাকে ইঙ্গিত করে তাহলে বুঝবে সে সত্য

বলছে আর এগুলো অর্থাৎ রম্ভীয় কার্যবিধিসমুহ তোমার শ্রী ও খাদিমদের থেকে গোপন
রাখবে ৷ নিজেকে পরিশুদ্ধ রাখবে তাহলে জনগণও তোমার জন্য পরিশুদ্ধ থাকবে ৷ জনগণের
কোনরুপ ক্ষতিসাধন করবে না তাহলে জনগণও তোমার ক্ষতিসাধন করতে তৎপর হবে না ৷
রীতিমত সালাত আদায় করবে ৷ আমি তোমাকে যা ওসীয়ত করলাম যদি তুমি এগুলো যথাযথ
পালন কর তাহলে জনগণ তোমার অধিকার সম্বন্ধে সচেতন হয়ে এবং তোমার রাজত্বের পরিধি
দিন দিন বেড়ে যাবে ৷ আর জনগণের চোখে তোমার মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে ৷ মক্কা ও
মদীনাবাসীদেয় মর্যাদা সম্পর্কে সচেতন থাকবে ৷

কেননা, তারাই তামার মুল ও ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ৷ সিরিয়াবাসীদের মানমর্যাদা অক্ষুপ্ন রাখবে ৷
কেননা, তারা তোমার অভ্যস্ত অনুগত ৷ বিভিন্ন শহরে পত্র লিখবে, এ পত্রের মাধ্যমে তোমার
সদিচ্ছা সম্বন্ধে তাদেরকে অবগত করবে ৷ তাতে তাদের আশা-আকাক্ষো প্রশস্ত হবে ৷ দেশের
কোন প্রত্যন্ত এলাকা থেকেও যদি কোন প্রতিনিধিদল তোমার কাছে আসে তাহলে তাদের প্রতি
- তুমি অনুগ্রহ করবে এবং তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে ৷ কেননা, তারা তাদের নিজেদের
ছাড়া অন্যদেরও মুখপাত্র ৷ কোন গীবতকারী ও নিন্দুকের কথা শুনবে না ৷ কেননা, তাদেরকে
আমি দেখেছি যে, তারা খারাপ উপদেষ্টা ৷ ণ্

অন্য এক বর্ণনায় আছে, আমীর মুআবিয়া (রা) ইয়াযীদকে বলেন, “মদীনায় আমার
ন্ একজন বন্ধু আছে তাকে তুমি সম্মান করবে ৷” ইয়াযীদ বলল, “তিনি কে ?” আমীর মু আবিয়া
(রা) বললেন, “তার নাম আবদুল্লাহ ইবন জা ফর ৷” আমীর মুআবিয়া (রা) এর মৃত্যুর পর
যখন আবদুল্লাহ ইবন জা ফর একটি প্রতিনিধিদলের প্রধান হিসেবে ইয়াষীদের কাছে আগমন
করেন তখন আমীর মুআবিয়৷ (রা) তাকে যে পরিমাণ উপচৌৰুকন দিতেন ইয়াযীদ তাকে তার
থেকে বেশী পরিমাণ উপচৌক্ন প্রদান করে ৷ আমীর মুআবিয়া (রা)-এর প্রদত্ত উপচৌকনেয়
পরিমাণ ছিল ছয় লক্ষ দিরহায আর ইয়াষীদের উপচৌকনের পরিমাণ ছিল দশ লক্ষ দিরহায ৷
আবদুল্লাহ ইবন জাফর বললেন, আপনার উপর আমার পিতামাত৷ কুরবান হোক ৷ একথা
শোনার পর ইয়াযীদ আরো দশ লক্ষ দিরহায তাকে প্রদান করে ৷ আবদুল্লাহ ইবন জাফর


قَيْصَرَ مَغْفُورٌ لَهُمْ. وَهُوَ الْجَيْشُ الثَّانِي الَّذِينَ رَآهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَنَامِهِ عِنْدَ أُمِّ حَرَامٍ بِنْتِ مِلْحَانَ، مِثْلَ الْمُلُوكِ عَلَى الْأَسِرَّةِ، فَقَالَتْ: ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ. فَقَالَ: " أَنْتِ مِنَ الْأَوَّلِينَ» يَعْنِي مِنَ الْجَيْشِ الْأَوَّلِ الَّذِينَ رَآهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَ الْمُلُوكِ عَلَى الْأَسِرَّةِ، يَرْكَبُونَ ثَبَجَ الْبَحْرِ، فَكَانَ أَمِيرَ الْأُولَى أَبُوهُ مُعَاوِيَةُ. حِينَ غَزَا قُبْرُسَ، فَفَتَحَهَا فِي سَنَةِ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ أَيَّامَ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، وَكَانَتْ مَعَهُمْ أُمُّ حَرَامٍ، فَمَاتَتَ هُنَالِكَ بِقُبْرُسَ، ثُمَّ كَانَ أَمِيرَ الْجَيْشِ الثَّانِي ابْنُهُ يَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، وَلَمْ تُدْرِكْ أُمُّ حَرَامٍ جَيْشَ يَزِيدَ هَذَا. وَذَلِكَ مِنْ أَكْبَرِ دَلَائِلَ النُّبُوَّةِ. كَمَا تَقَدَّمَ بَيَانُهُ. وَقَدْ أَوْرَدَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ هَاهُنَا الْحَدِيثَ الَّذِي رَوَاهُ مُحَاضِرٌ، عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «خَيْرُ النَّاسِ قَرْنِي، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ".» الْحَدِيثَ. وَكَذَلِكَ رَوَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَفِيقٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ. ثُمَّ أَوْرَدَ مِنْ طَرِيقِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي مُحَمَّدٍ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى قَالَ: الْقَرْنُ عِشْرُونَ وَمِائَةُ سَنَةٍ، فَبُعِثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي قَرْنٍ فَكَانَ آخِرَهُ مَوْتُ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ.
পৃষ্ঠা - ৬৮১৯


ইয়াষীদকে বললেন, আল্লাহর শপথ ৷ আপনার পরে আমি কারোর জন্য আমার পিতামাতা
কুরবান হোক একথা করে না ৷
আবদুল্লাহ ইবন জাফর বিশ লক্ষ দিরহাম উপচৌকন নিয়ে বের হয়ে য়াচ্ছিলেন, তখন
তিনি ইয়াযীদের দরজার কিছু সংখ্যক উট বোঝাইসহ বসে থাকতে দেখলেন ৷ এগুলো খুরাসান
থেকে হাদীয়া বহন করে নিয়ে এসেছিল আবদুল্লাহ ইবন জাফর ইয়াযীদের কাছে ফিরে
গেলেন এবং তার কাছে ঐ উটগুলো থেকে তিনটি উট চাইলেন, যাতে এগুলোতে চড়ে তিনি
হজ্জ ও উমরাহ্ করতে পারেন এবং প্রতিনিধি দলের প্রধান হিসেবে পুনরায় সিরিআয়
ইয়াযীদের কাছে আসতে পারেন ৷ ইয়াযীদ দারোয়ানকে বলল, দরজার পার্শে উপবিষ্ট উটগুলো
কী ? এ ব্যাপারে ইয়াযীদের জানা ছিল না ৷ দারােয়ান বলল, “হে আমীরুল মু ’মিনীন ! এখানে
চার শত উট আছে এগুলো খুরাসান থেকে বিভিন্ন ধরনের মালপত্র নিয়ে এসেছে ৷ আর
;,এগুলোর ড্প্নার বিভিন্ন ধরনের মালপত্র রয়েছে ৷ ইয়াযীদ বলল, এগুলো আবু জাফরকে
মালপত্রসহ দিয়ে দাও ৷ আবদুল্লাহ ইবন জ্বা ফর বলছিলেন তােমরা কি ইয়াযীদ সম্বন্ধে আমার
উত্তম ধারণা থাকায় আমাকে ভর্বৃসন৷ করছ ?’
ইয়াযীদের মধ্যে কিছু ভাল গুণও ছিল যথা দানশীল্তা, ধৈর্য, বাশ্মীতা, কবিতা রচনা,
সাহসিকতা, রাজ্য পরিচালনায় দক্ষতা ও পারদর্শীতা ৷ সে ছিল সুদর্শন এবং মিশুক ৷ তার মধ্যে
ছিল প্রচণ্ড ইদ্ভিয়ানুভুতি ৷ কোন কোন সময় সে সালাত ছেড়ে দিত ৷ অধিকাংশ সময় সালাত
ওয়াক্তের পর কায৷ আদায় করত ৷
ইমাম আহমদ (র) আবু আবদুর রহমান ও ওয়ালীদ ইবন ফাইল থেকে বর্ণনা করেছেন যে,
তিনি আবু সাঈদ খুদরী (রা) কে বলতে শুনেছেন আমি রাসুল (সা) কে বলতে ৩,শুনেছি তিনি
বলেছেন, আমার পরে ষ ট বছরের মাথায় এ রকম লোক হয়ে যারা সালাতকে নষ্ট করবে ও
ছেড়ে দিবে, ইদ্রিয়ানভুতির অনুসরণ করবে তারা অচিরেই কুকর্মের শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে ৷
তারপর আরো কিছু লোক আবির্ভুত ৩হবে যারা কুরআন৩ তিলাওয়াত করবে কিন্তু এ কুরআন
তাদের কণ্ঠ অতিক্রম করবে না ৷ তুতিন শ্রেণীর লোক কুরআন পাঠ করবে, মুমিন, মুনাফিক
এবং ফাজির বা ফাসিক ৷ ওয়ালীদ ইবন কাইসকে জিজ্ঞাসা করা হলো এ তিন শ্রেণীর লোক
হবে কারা ? উত্তরে তিনি বললেন, মুনাফিক কুরআনকে অস্বীক্যরকারী, ফাজির বা ফাসিক
কুরআনের উপর নিভরি করার ভাল করে আর মুমিন কুরআনের প্রতি অগাধ বিশ্বাস রাখে ৷ এটা
ইমাম আহমদ (র) এর একক বর্ণনা ৷
হাফিজ আবু ইয়ালা বলেন, আমি আবু সালিহকে বলতে শুনেছি, আবু হুরায়রা (রা)
বলেন, রাসুল (সা) বলেছেন, “তোমরা আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা কর ৭ : হিজরী থেকে
এবং কিশোরদের রাজতৃ থেকে ৷” যুবাইর ইবন বাক্কার আবদুর রহমান ইবন সাঈদ ইবন
যায়দ ইবন আমর ইবন নুফাইল হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়া
সম্পর্কে বলেন, , ন্
“হে ইদ্রিয়পরায়ণতার জন্য সালাতকে ধ্বংসকার্বী (হে ইয়াষীদ)তু মি আমাদের অন্তর্ভুক্ত
নওএবং তোমার মামাও আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয় ৷” বর্ণনাকারী বলেন, কেউ কেউ মনে করেন,
এ কবিতাটি মুসা ইয়াসারের রচিত ৷ আয-যুবাইর (রা) হতে বর্ণিত যে, তিনি একদিন তার
এক দাসীকে এ কবিতা দিয়ে গান গাইতে শুনলেন ৷ তইি তিনি তাকে প্রহার করলেন এবং


قَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ: ثُمَّ حَجَّ بِالنَّاسِ يَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ فِي سَنَةِ إِحْدَى وَخَمْسِينَ وَثِنْتَيْنِ وَخَمْسِينَ وَثَلَاثٍ وَخَمْسِينَ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، ثَنَا رِشْدِينُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ الْأَشَجِّ، أَنَّ مُعَاوِيَةَ قَالَ لِيَزِيدَ ابْنِهِ: كَيْفَ تُرَاكَ فَاعِلًا إِنْ وُلِّيتَ؟ قَالَ: يُمْتِعُ اللَّهُ بِكَ. قَالَ: لَتُخْبِرَنِّي. قَالَ: كُنْتُ وَاللَّهِ يَا أَبَهْ عَامِلًا فِيهِمْ عَمَلَ عُمَرِ بْنِ الْخَطَّابِ. فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: سُبْحَانَ اللَّهِ! يَا سُبْحَانَ اللَّهِ! ! وَاللَّهِ يَا بُنَيَّ لَقَدْ جَهَدْتُ عَلَى سِيرَةِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، فَمَا أَطَقْتُهَا. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبَى سَبْرَةَ، عَنْ مَرْوَانَ بْنِ أَبِي سَعِيدِ بْنِ الْمُعَلَّى قَالَ: قَالَ مُعَاوِيَةُ لِيَزِيدَ وَهُوَ يُوصِيهِ عِنْدَ الْمَوْتِ: يَا يَزِيدُ، اتَّقِ اللَّهَ فَقَدْ وَطَّأْتُ لَكَ هَذَا الْأَمْرَ، وَوُلِّيتَ مِنْ ذَلِكَ مَا وُلِّيتَ، فَإِنْ يَكُ خَيْرًا فَأَنَا أَسْعَدُ بِهِ، وَإِنْ كَانَ غَيْرَ ذَلِكَ شَقِيتَ بِهِ، فَارْفُقْ بِالنَّاسِ، وَأَغْمِضْ عَمَّا بَلَغَكَ مِنْ قَوْلٍ تُؤْذَى بِهِ وَتُنْتَقَصُ بِهِ، وَطَأْ عَلَيْهِ يَهْنِكَ عَيْشُكَ، وَتَصْلُحُ لَكَ رَعِيَّتُكَ، وَإِيَّاكَ وَالْمُنَاقَشَةَ وَحَمْلَ الْغَضَبِ، فَإِنَّكَ تُهْلِكُ نَفْسَكَ وَرَعِيَّتَكَ، وَإِيَّاكَ وَجَفْوَةَ أَهْلِ الشَّرَفِ، وَاسْتِهَانَتَهُمْ، وَالتَّكَبُّرَ عَلَيْهِمْ، لِنْ لَهُمْ لِينًا بِحَيْثُ لَا يَرَوْنَ
পৃষ্ঠা - ৬৮২০
مِنْكَ ضَعْفًا وَلَا خَوَرًا، وَأَوْطِئْهُمْ فِرَاشَكَ، وَقَرِّبْهُمْ إِلَيْكَ، وَأَدْنِهِمْ مِنْكَ، فَإِنَّهُمْ يَعْلَمُونَ لَكَ حَقَّكَ، وَلَا تُهِنْهُمْ وَلَا تَسْتَخِفَّ بِحَقِّهِمْ فَيُهِينُوكَ وَيَسْتَخِفُّوا بِحَقِّكَ وَيَقَعُوا فِيكَ، فَإِذَا أَرَدْتَ أَمْرًا فَادْعُ أَهْلَ السِّنِّ وَالتَّجْرِبَةِ مِنْ أَهْلِ الْخَيْرِ مِنَ الْمَشَايِخِ وَأَهْلِ التَّقْوَى، فَشَاوِرْهُمْ وَلَا تُخَالِفْهُمْ، وَإِيَّاكَ وَالِاسْتِبْدَادَ بِرَأْيِكَ ; فَإِنَّ الرَّأْيَ لَيْسَ فِي صَدْرٍ وَاحِدٍ، وَصَدِّقْ مَنْ أَشَارَ عَلَيْكَ إِذَا حَمَلَكَ عَلَى مَا تَعْرِفُ، ثُمَّ أَطِعْهُ فِيمَا أَشَارَ بِهِ، وَاخْزُنْ ذَلِكَ عَنْ نِسَائِكَ وَخَدَمِكَ، وَشَمِّرْ إِزَارَكَ، وَتَعَاهَدْ جُنْدَكَ، وَأَصْلِحْ نَفْسَكَ يَصْلُحْ لَكَ النَّاسُ، لَا تَدَعْ لَهُمْ فِيكَ مَقَالًا ; فَإِنَّ النَّاسَ نُزَّاعٌ إِلَى الشَّرِّ، وَاحْضُرِ الصَّلَاةَ، فَإِنَّكَ إِذَا فَعَلْتَ مَا أُوصِيكَ بِهِ عَرَفَ النَّاسُ لَكَ حَقَّكَ، وَعَظُمَتْ مَمْلَكَتُكَ، وَعَظُمَتْ فِي أَعْيُنِ النَّاسِ، وَاعْرِفْ شَرَفَ أَهْلِ الْمَدِينَةِ وَمَكَّةَ ; فَإِنَّهُمْ أَصْلُكَ وَعَشِيرَتُكَ، وَاحْفَظْ لِأَهْلِ الشَّامِ شَرَفَهُمْ ; فَإِنَّهُمْ أَنْصَارُكَ وَحُمَاتُكَ وَجُنْدُكَ الَّذِينَ بِهِمْ تَصُولُ، وَتَنْتَصِرُ عَلَى أَعْدَائِكَ، وَتَصِلُ إِلَى أَهْلِ طَاعَتِكَ، وَاكْتُبْ إِلَى أَهْلِ الْأَمْصَارِ بِكِتَابٍ تَعِدُهُمْ فِيهِ مِنْكَ الْمَعْرُوفَ ; فَإِنَّ ذَلِكَ يُنَشِّطُ آمَالُهُمْ، وَإِنْ وَفَدَ عَلَيْكَ وَافِدٌ مِنَ الْكُوَرِ كُلِّهَا فَأَحْسِنْ إِلَيْهِمْ وَأَكْرِمْهُمْ ; فَإِنَّهُمْ لِمَنْ وَرَاءَهُمْ، وَلَا تَسْمَعَنَّ قَوْلَ قَاذِفٍ وَلَا مَاحِلٍ ; فَإِنِّي رَأَيْتُهُمْ وُزَرَاءَ سُوءٍ. وَمِنْ وَجْهٍ آخَرَ أَنَّ مُعَاوِيَةَ قَالَ لِيَزِيدَ: إِنَّ لِي خَلِيلًا مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ فَأَكْرِمْهُ. قَالَ: وَمَنْ هُوَ؟ قَالَ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ فَلَمَّا وَفَدَ بَعْدَ مَوْتِ مُعَاوِيَةَ عَلَى يَزِيدَ أَضْعَفَ جَائِزَتَهُ الَّتِي كَانَ مُعَاوِيَةُ يُعْطِيهِ إِيَّاهَا، وَكَانَتْ جَائِزَتُهُ عَلَى مُعَاوِيَةَ سِتَّمِائَةِ
পৃষ্ঠা - ৬৮২১


বললেন “তুমি যেরুপ বলছ সেরুপ বলবে না বরং এরুপ বলবে “হে ইদ্রিয়পরায়ণতার জন্য
সালাতকে বিনষ্টকারী তুমি আমাদের অন্তভুক্তি ৷ তবে তোমার মামা আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয় ৷”
হাফিজ আবু ইয়ালাঙু বলেন, আবু উবাইদা (বা) হতে বর্ণিত রয়েছে যে, তিনি বলেছেন,
রাসুল (সা) ইরশাদ করেন যে আমার উম্ম৩ গণ ন্যায় বিচারের উপর দৃঢ় থাকবে, যতক্ষণ না
বনু উমাইয়ার একটি লোক তাদেরকে আঘাত করবে, সে ইয়াযীদ নামে পরিচিত হবে৷ এ
হাদীসটি মাকহুল ও আবু উবইিদা-এর মাঝে মুনকাতি, অর্থাৎ তাদের দু’জনের মাঝে একজন
, বর্ণনাকারী অনুপস্থিত ৷ কেউ ণ্কউ বলেন, এ হাদীসটি মুদাল অর্থাৎ সেখানে দু’বর্ণনাকারী
অনুপস্থিত !
ইবন আসাকির অন্য এক সনদে আবু উবাইদা (বা) হতে ৩বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসুল
(না) হতে বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা) বলেন, “আমার এ উম্মত ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত
থাকবে, যতক্ষণ না বনু উমইিয়া হতে ইয়াযীদ নামে একটি লোক “তাদের প্রতি সর্বপ্রথম
আঘাত হানবে ৷’ ইবন আসাকির বলেন, এ হাদীসটিও মুনকাত৷ এবং মাকহুল ও আবু সালাবা
এর মাঝে একজন বর্ণনাকারী অনুপস্থিত ৷
আবু ইয়ালা বলেন, আবুল আলীয়া হতে বর্ণিত রয়েছে যে তিনি বলেন, আমরা আবু যর
(রা) এর সাথে সিরিয়ার অবস্থান করছিলাম তখন আবুযর (রা) বললেন, “আমি রাসুল (সা)-
কে বলতে শুনেছি, “সর্বপ্রথম যে ব্যক্তি আমার সুন্নাতকে পরিবর্তন করবে, সে হবে বনু
উমাইয়ার একজন ৷” ইবন খুযাইমাও এ হাদীসটি আবু যর (বা) হতে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷
তবে তিনি এ প্রসঙ্গে একটি ঘটনাও উল্লেখ করেন ৷ তা হল : আবু য়র (রা) একযুদ্ধে
অংশগ্রহণ করেন ৷ সে যুদ্ধের সেনাপতি ছিলেন ইয়াযীদ ইবন আবু সুফিয়ান (রা) ৷ তখন
ইয়াযীদ এক ব্যক্তির একটি দামী জোরপুর্বক নিয়ে আসে ৷ লোকটি আবু বর (বা) এর কাছে
এসে ইয়াযীদের বিরুদ্ধে সাহায্য প্রার্থনা করে, যাতে ইয়াযীদ তার দামী ফেরত দেয় ৷ তারপর
আবু যর (রা) দাসীটি ফেরত দেয়ার জন্য ইয়াযীদকে অনুরোধ করেন ৷ দুজনের মধ্যে
বাকবিতণ্ডা হয় ৷ আবু যর (রা) তখন তাকে এ হাদীসটি শুনালেন ৷ তখন তিনি বাদীটিকে
ফেরত দিলেন এবং আবু যর (রা) কে বললেন, আপনার প্ৰতি ৩আল্লাহ্র শপথ ! ঐ ব্যক্তিটি কি
আমি ? আবুযর (রা) বললেন, “না ৷
অনুরুপভাবে ইমাম বুখারী (রা) ও তীর ইতিহাস গ্রন্থে হাদীসটি উল্লেখ করেন ৷ তারপর
ইমাম বুখারী (র) বলেন, এ হাদীসটির সনদ ত্রুটিযুক্ত (মালুল) ৷ কেননা, জানা নেই যে, আবু ,
যর (রা) উমর ইবনুল খাত্তাব ”(না)-এর যুগে সিরিয়া আগমন করেছিলেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন,
ইয়াযীদ ইবন আবু সুফিয়ান (রা) হযরত উমর (রা)-এর আমলে ইনতিকাল করেন ৷ তারপর
তার ভইি আমীরে মুআবিয়া (বা) তার স্থলাভিষিক্ত হন ৷ আব্বাস আদ দৌরী বলেন, আমি
ইবন মাঈনকে জিজ্ঞেস করলাম আবুল আলীয়া কি আবু যর (রা) থেকে শুনেছেন ? তিনি
বললেন, না বরং আবুল আলীয়া, আবুসুফিয়ান থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ তখন আমি বললাম, এ
আবুমুসলিম কে ? তিনি বললেন, আমার জানা নেই ৷
ইবন আসাকির, ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়া-এর দোষ ত্রুটি বর্ণনা করে বহু হাদীস বর্ণনা
করেছেন জ্যি এগুলো সব মিথ্যা ৷ কোন একটি বর্ণনাও শুদ্ধ বলে পরিলক্ষিত হয় না ৷ আমি
বলি, “আমি ইতিপুর্বে এগুলোর মধ্যকার সব চইিতে উত্তম কয়েকটি মুনক্যতি সনদে বর্ণনা
করেছি ৷


أَلْفٍ، فَأَعْطَاهُ يَزِيدُ أَلْفَ أَلْفٍ، فَقَالَ لَهُ: بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي. فَأَعْطَاهُ أَلْفَ أَلْفٍ أُخْرَى. فَقَالَ لَهُ ابْنُ جَعْفَرٍ: وَاللَّهِ لَا أَجْمَعُ أَبَوَيَّ لِأَحَدٍ بَعْدَكَ. وَلَمَّا خَرَجَ ابْنُ جَعْفَرٍ مِنْ عِنْدِ يَزِيدَ - وَقَدْ أَعْطَاهُ أَلْفَيْ أَلْفٍ - رَأْي عَلَى بَابِ يَزِيدَ بَخَاتِيَّ مُبَرِّكَاتٍ، قَدْ قَدِمَ عَلَيْهَا هَدِيَّةٌ مِنْ خُرَاسَانَ، فَرَجَعَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ إِلَى يَزِيدَ، فَسَأَلَهُ مِنْهَا ثَلَاثَ بَخَاتِيَّ لِيَرْكَبَ عَلَيْهَا إِلَى الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، وَإِذَا وَفَدَ إِلَى الشَّامِ عَلَى يَزِيدَ. فَقَالَ يَزِيدُ لِلْحَاجِبِ: مَا هَذِهِ الْبَخَاتِيُّ الَّتِي عَلَى الْبَابِ؟ - وَلَمْ يَكُنْ شَعَرَ بِهَا - فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، هَذِهِ أَرْبَعُمِائَةِ بُخْتِيَّةٍ جَاءَتْنَا مِنْ خُرَاسَانَ تَحْمِلُ أَنْوَاعَ الْأَلْطَافِ - وَكَانَ عَلَيْهَا أَنْوَاعٌ مِنَ الْأَمْوَالِ كُلِّهَا - فَقَالَ: اصْرِفْهَا إِلَى أَبِي جَعْفَرٍ بِمَا عَلَيْهَا. فَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ يَقُولُ: أَتَلُومُونَنِي عَلَى حُسْنِ الرَّأْيِ فِي هَذَا؟ ! يَعْنِي يَزِيدَ. وَقَدْ كَانَ يَزِيدُ فِيهِ خِصَالٌ مَحْمُودَةٌ مِنَ الْكَرَمِ وَالْحِلْمِ وَالْفَصَاحَةِ وَالشِّعْرِ وَالشَّجَاعَةِ وَحُسْنِ الرَّأْيِ فِي الْمُلْكِ، وَكَانَ ذَا جَمَالٍ، حَسَنَ الْمُعَاشَرَةِ وَكَانَ فِيهِ أَيْضًا إِقْبَالٌ عَلَى الشَّهَوَاتِ وَتَرْكُ بَعْضِ الصَّلَوَاتِ فِي بَعْضِ الْأَوْقَاتِ. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ، ثَنَا حَيْوَةُ، حَدَّثَنِي بَشِيرُ بْنُ أَبِي عَمْرٍو الْخَوْلَانِيُّ، أَنَّ الْوَلِيدَ بْنَ قَيْسٍ حَدَّثَهُ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «يَكُونُ خَلْفٌ مِنْ بَعْدِ سِتِّينَ سَنَةً أَضَاعُوا الصَّلَاةَ وَاتَّبَعُوا الشَّهَوَاتِ، فَسَوْفَ يَلْقَوْنَ غَيًّا، ثُمَّ يَكُونُ خَلْفٌ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لَا يُجَاوِزُ تَرَاقِيَهُمْ، وَيَقْرَأُ الْقُرْآنَ ثَلَاثَةٌ ; مُؤْمِنٌ وَمَنَافِقٌ وَفَاجِرٌ ".»
পৃষ্ঠা - ৬৮২২


আল হারিছ ইবন্ ৷ মিসকীন ও সুফিয়ান অ ৷রকাদ৷ ইবন আল মুসতা ৷যিল হতে বর্ণিত রয়েছে
যে, তিনি বলেছেন, “আমি উমর ইবনুল খাত্তাব (বা) কে বলতে শুনেছি, “কা বা ৷শরীফের
রবের শপথ ! আমি জেনে গিয়েছি কখন আরবরা ধ্বংস হয়ে যাবে ৷ যখন তাদের সর্দার হবে
এমন এক ব্যক্তি যে জাহিলিয়াতের কিছু জানে না এবং ইসলামেও তার কোন ব্যুৎপত্তি নেই ৷
আমি বলি, আমার মতে ইয়াযীদ ইবন ঘুআবিয়াকে সব চাইতে বেশী দোষী করা যায় তার
শরাব গানের জন্য এবং আরো কিছু অবৈধ কাজের জন্য ৷ আর হুসইিন (বা)-এর শাহাদাত
সম্বন্ধে তার বক্তব্য ছিল যে, “সে এটার হুকুম দেয়নি এবং এটাকে খারাপও মনে করেনি ৷
এর পুর্বেও আমি উল্লেখ করেছি যে, ইয়াযীদ বলেছিল, “যদি আমি সখানে থাকতাম তাহলে
মারজানার পুত্র অর্থাৎ উবাইদুল্পাহ ইবন যিয়াদ যা করেছে আমি তার সাথে তা করতাম না ৷”
যারা হযরত ইমাম হুসইিন (রা)-এর শির মুবারক নিয়ে দামেশকে পৌছেছিল তাদেরকে
ইয়াযীদ বলেছিল, “তার থেকে আনুগত্য আদায় করাই ছিল তোমাদের জন্য যথেষ্ট এটা
(হত্যা) নয় ৷ আর তাদেরকে ইয়াযীদ কোন প্রকার পুরস্কারই দেয়নি ৷ হুসইিন (রা)-এর
পরিবারের সদস্যদের প্ৰতি ইয়াযীদ সম্মান প্রদর্শন করে এবং তাদের যা কিছু সম্পদ হারিয়ে
গিয়েছিল তার থেকে কয়েকগুণ বেশী সম্পদ তাদেরকে প্রদান করে ৷ আর তাদেরকে বিরাট
আয়োজন করে মদীনায় পৌছিয়ে দিয়েছিল ৷ তার ঘরে হুসইিন (রা)এর পরিবারবর্গ তিনদিন
থাকাকালে হুসইিন (বা) এর জন্য ইয়াষীদের পরিবারবর্গ মাতম করেছিল ৷ কথিত আছে যে,
হুসইিন (রা) এর শাহাদতের সংবাদ ইয়াযীদের কাছে পৌছার পর প্রথমে যে খুব খুশী
হয়েছিল ৷ তারপর সে এটার জন্য লজ্জিত হয় ৷
আবু উবইিদা মা মার ইবনুল মুসান্ন৷ বলেন, ইউনুস ইবন হাবীব আল জারমী তার কাছে
বর্ণনা করেছেন, “ইবন যিয়াদ যখন হুসইিন (বা) এবং তার সাথীদেরকে হত্যা করে ও তাদের
মাথাগুল্যে ইয়াযীদের কাছে প্রেরণ করে, ইয়াযীদ হুসইিন (রা) শাহাদাত বরণ করার প্রথমত
খুশী হয়েছিল এবং ইবন যিয়াদের মর্যাদা তার কাছে সুপ্ৰতিষ্ঠিত হয়েছিল কিন্তু কিছুক্ষণ পরই
ইয়াযীদ সজ্জিত হয়ে পড়ল এবং বলতে লাগল, আমার কোন ক্ষতি হত না যদি তুমি কষ্ট করে
ও তাকে কষ্ট দিয়ে আমার কাছে৩ তাকে নিয়ে আসতে এবং তিনি যা চান তা প্রদানের আদেশ
দিতে , যদিও এটা ছিল আমার প্রতিপত্তি প্রদর্শনের ক্ষেত্র কিছুটা দৃর্বলতার লক্ষণ কিন্তু এটা ছিল
রাসুল (না)-এর মান-মর্যাদ৷ অধিকার এবং আত্মীয়তার হিফাজত ও তার প্ৰতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের
নামান্তর ৷
তারপর সে বলে, “ইবন মারজানার (উবইিদুল্লাহ ইবন যিয়াদ) উপর আল্লাহর লানত
বর্ধিত হোক, সে ইমাম হুসইিন (রা)-কে কষ্ট দিয়েছে এবং যুদ্ধ করতে বাধ্য করেছে অথচ
তিনি তার কাছে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন যেন তাকে যেখানে ইচ্ছা যেতে অনুমতি দেয়া হয়
কিংবা আমার কাছে তাকে নিয়ে আসা হয় অথবা মুসলিম রাৰ্ষ্ট্ৰর কোন একটি সীমান্তে যাওয়ার
অনুমতি দেয়৷ হয়, যতক্ষণ না আল্লাহ্তাআলা তার মৃত্যু দান করেন ৷ কিন্তু ইবন যিয়াদ তা
করেনি বরং সে তার কথা মান্য করেনি এবং সে তাকে হত্যা করে ৷ আর এ হত্যার জন্য সারা
বিশ্বের মুসলমানদের শত্রু হিসেবে আমাকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের অন্তরে শত্রুতার
বীজ বপণ করা হয়েছে ৷ আমার দ্বারা ইমাম হুসইিন (রা) এর নিহত হবার ব্যাপারটিকে জনগণ
জঘন্যতম অপরাধ বলে মনে করে ৷ অথচ আমার সাথে ইবন মারজানার (৩ তার উপর আল্লাহ্র
গজব অবতীর্ণ হোক, আল্লাহ্ তার অমঙ্গল করুন) এ ব্যাপারে কোন সম্পর্ক ছিল না ৷


قَالَ بَشِيرٌ: فَقُلْتُ لِلْوَلِيدِ: مَا هَؤُلَاءِ الثَّلَاثَةُ؟ قَالَ: الْمَنَافقُ كَافِرٌ بِهِ، وَالْفَاجِرُ يَتَأَكَّلُ بِهِ، وَالْمُؤْمِنُ يُؤْمِنُ بِهِ. تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو يَعْلَى: حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، ثَنَا الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ، ثَنَا كَامِلٌ أَبُو الْعَلَاءِ، سَمِعْتُ أَبَا صَالِحٍ، سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «تَعَوَّذُوا بِاللَّهِ مِنْ سَنَةِ سَبْعِينَ، وَمِنْ إِمَارَةِ الصِّبْيَانِ» ". وَرَوَى الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ، أَنَّهُ قَالَ فِي يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ: لَسْتَ مِنَّا وَلَيْسَ خَالُكَ مِنَّا ... يَا مُضَيِّعَ الصَّلَاةِ لِلشَّهَوَاتِ قَالَ: وَزَعَمَ بَعْضُ النَّاسِ أَنَّ هَذَا الشِّعْرَ لِمُوسَى بْنِ يَسَارٍ، وَيُعْرَفُ بِمُوسَى شَهَوَاتٍ. وَرُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَارِيَةً لَهُ تُغَنِّي بِهَذَا الْبَيْتِ فَضَرَبَهَا، وَقَالَ: قُولِي: أَنْتَ مِنَّا وَلَيْسَ خَالُكَ مِنَّا ... يَا مُضَيِّعَ الصَّلَاةِ لِلشَّهَوَاتِ وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو يَعْلَى: حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ مُوسَى، ثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ الْغَازِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " «لَا يَزَالُ هَذَا الْأَمْرُ قَائِمًا بِالْقِسْطِ حَتَّى يَثْلَمَهُ رَجُلٌ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ» ". وَحَدَّثَنَا الْحَكَمُ، ثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৬৮২৩
أَبِي عُبَيْدَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «لَا يَزَالُ أَمْرُ أُمَّتِي قَائِمًا بِالْقِسْطِ حَتَّى يَثْلَمَهُ رَجُلٌ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ يُقَالُ لَهُ: يَزِيدُ» ". وَهَذَا مُنْقَطِعٌ بَيْنَ مَكْحُولٍ وَأَبِي عُبَيْدَةَ، بَلْ مُعْضَلٌ. وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ صَدَقَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الدِّمَشْقِيِّ، عَنْ هِشَامِ بْنِ الْغَازِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ أَبِي ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيِّ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " «لَا يَزَالُ أَمْرُ هَذِهِ الْأُمَّةِ قَائِمًا بِالْقِسْطِ حَتَّى يَكُونَ أَوَّلَ مَنْ يَثْلَمُهُ رَجُلٌ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ يُقَالُ لَهُ: يَزِيدُ» ". ثُمَّ قَالَ: وَهُوَ مُنْقَطِعٌ أَيْضًا بَيْنَ مَكْحُولٍ وَأَبِي ثَعْلَبَةَ. وَقَالَ أَبُو يَعْلَى: حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، ثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَوْفٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ أَبِي الْمُهَاجِرِ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ قَالَ: كُنَّا مَعَ أَبِي ذَرٍّ بِالشَّامِ، فَقَالَ أَبُو ذَرٍّ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " «أَوَّلُ مَنْ يُغَيِّرُ سُنَّتِي رَجُلٌ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ» ". وَرَوَاهُ ابْنُ خُزَيْمَةَ عَنْ بُنْدَارٍ، عَنْ عَبْدِ الْوَهَّابِ بْنِ عَبْدِ الْمَجِيدِ، عَنْ عَوْفٍ، حَدَّثَنَا مُهَاجِرُ بْنُ أَبِي مَخْلَدٍ، حَدَّثَنِي أَبُو الْعَالِيَةِ، حَدَّثَنِي أَبُو مُسْلِمٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ، وَفِيهِ قِصَّةٌ، وَهِيَ أَنَّ أَبَا ذَرٍّ كَانَ فِي غَزَاةٍ، عَلَيْهِمْ يَزِيدُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ فَاغْتَصَبَ يَزِيدُ مِنْ رِجْلٍ جَارِيَةً، فَاسْتَعَانَ الرَّجُلُ بِأَبِي ذَرٍّ عَلَى يَزِيدَ
পৃষ্ঠা - ৬৮২৪


মদীনাবাসীর৷ যখন ইয়াযীদের আনুগ৩ তা থেকে বেরিয়ে আসল এবং তার বায়আত প্রত্যাহার
করল,৩ তারা ইবন মুভী ও ইবন হানযালাকে নিজেদের আমীর নিয়োজিত করল, তারা তার
জঘন্যতম শত্রু হওয়া সত্বেও তার সম্বন্ধে তারা শুধু মদ পান করার এবং অন্য কয়েকটি অবৈধ
কাজ করার অভিযোগ আনয়ন করে ৷ তারা তাকে কাফির হওয়ার অপবাদ দেয়নি যেমন কিছু
থেকে রাফিযীরা তাকে অপবাদ দিয়ে থাকে ৷ বরং তাদের কাছে সে ছিল ফাসিক ৷ আর
ফাসিকের বায়আত প্রত্যাহার করা বৈধ নয় ৷ কেননা, এতে ফিৎনা ফাসাদ বিশৃগ্রল৷ ও
অরাজকতা ইত্যাদি দেশে দেখা দেয় ৷ যেমন হয়েছিল হারবার ঘটনায় ৷ কেননা ইয়াযীদ
মদীনাবাসীদের কাছে এমন লোককে প্রেরণ করেছিল যে তাদেরকে আনুগত্যের দিকে ফিরিয়ে
আনবে এবং যে তাদেরকে তিন দিনের সময় দিয়েছিল ৷ যখন তারা অস্বীকার করে তখন
তাদেরকে সে হত্যা, লুষ্ঠন ইত্যাদি করে ৷ আর হাররাবাসীদেরকে হত্যা করাই ছিল যথেষ্ট ৷
কিন্তু ইবনযিয়াদ মদীনায় তিন দিন যথেচ্ছ অত্যাচার, লুণ্ঠন, হত্যা ইত্যাদির অনুমতি দেয়ায়
সীমালঙ্ঘন হয়ে যায় ৷ আর এর দরুন জঘন্যতম অন্যায় সংঘটিত হয়, যা পুর্বে বর্ণনা করা
হয়েছে ৷
আবদুল্লাহ ইবন উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) এবং রাসুল (না)-এর আহলে রাইতের বেশ
কয়েকজন সদস্য বায়আত প্রত্যাহার করেন নি এবং ইয়াযীদের হাতে বায়আত করার পর অন্য
কারো কাছে বায়আত করেন নি ৷ ইমাম আহমদ (রা) ইসমাঈল নাফি (বা) হতে বর্ণনা করেন
, যে, তিনি বলেছেন, জনগণ যখন ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়ার বায়আত প্রত্যাহার করেন,
আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) তার পরিবার পরিজনকে একত্রিত করেন এবং তাশাহুদ পাঠ
করেন ৷ তারপর বলেন, আল্লাহ্র হামদ ও রাসুল (রা) এর প্রতি দরুদ প্রেরণের পর বলছি যে,
আমরা এ লোকটির প্রতি ৩আল্লাহ্ ও তার রাসুল (সা) কে সাক্ষী রেখে বায়আত করেছি ৷ আমি
রাসুল (সা) হতে শুনেছি ৷ তিনি বলেন, “কিয়ামতে র দিন বিশ্বাসঘাতকের জন্য একটি ঝাণ্ডা
উত্তোলন করা হবে আর বল হবে এটা অমুকের বিশ্বসঘাতকতার আলামত ৷ বড়
বিশ্বাসঘাতকতার অন্তর্ভুক্ত হল আল্পাহ্র সাথে কাউকে অংশীদার করা ৷ আল্পাহ্ ও তার রাসুল
(না)-কে সাক্ষী রেখে কারো প্রতি বায়আত করা, তারপর তা ভঙ্গ করা, সুতরাং তোমাদের
কেউ যেন ইয়াযীদ থেকে বায়আত প্রত্যাহার না করে এবং খিলাফতের ব্যাপারে তোমাদের
কেউ যেন বাড়ারাড়ি না করে ৷ অন্যথায় আমার মধ্যে ও তার মধ্যে ফয়সালা করতে হবে ৷
মুসলিম ও তিরমিযী এ হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি অত্যন্ত
বিশুদ্ধ ৷ আবুল হাসান আলী ইবন মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবু সাঈফ আল মাদ্ায়িনী
আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) হতে অনুরুপ বর্ণনা পেশ করেন ৷
, যখন মদীনাবাসীরা ইয়াযীদের কাছ থেকে ফেরত আসেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন মুতী এবং
তার সাথীগণ, মুহাম্মদ ইবনুল হানাফীয়ায় কাছে গমন করেন এবং ইয়াযীদের বায়আত
প্রত্যাহার করার জন্য তাকে অনুরোধ করে ৷ তিনি তাদের অনুরোধ রক্ষা করতে অস্বীকার
করেন ৷ তখন আবদুল্লাহ ইবন মুভী বলেন, ইয়াযীদ মদ পান করে, সালাত আদায় করে না
এবংআল্লাহ্র কিতাবের হুকুম লঙ্ঘন করে ৷ মুহাম্মদ ইবনুল হানাফীয়্যা তাদেরকে বলেন,
তোমরা যেগুলো সম্বন্ধে বলছ এণ্ডালা করতে আমি কোন দিনও দেখিনি ৷ ইতিমধ্যে আমি তার
কাছে উপস্থিত ছিলাম এবং কিছুক্ষণ তার সাথে অবস্থান করেছিলাম, তাকে আমি রীতিমত
সালাত আদায় করতে দেখেছি ৷ কল্যাণ সাধনের এবং সুন্নাতকে জাকড়িয়ে ধরার উদ্দেশ্যে


أَنْ يَرُدَّهَا عَلَيْهِ، فَأَمَرَهُ أَبُو ذَرٍّ أَنْ يَرُدَّهَا عَلَيْهِ، فَتَلَكَّأَ، فَذَكَرَ أَبُو ذَرٍّ لَهُ الْحَدِيثَ فَرَدَّهَا، وَقَالَ يَزِيدُ لِأَبِي ذَرٍّ: نَشَدْتُكَ بِاللَّهِ أَهُوَ أَنَا؟ قَالَ: لَا. وَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي " التَّارِيخِ " وَأَبُو يَعْلَى عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُثَنَّى، عَنْ عَبْدِ الْوَهَّابِ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَالْحَدِيثُ مَعْلُولٌ، وَلَا يُعْرَفُ أَنَّ أَبَا ذَرٍّ قَدِمَ الشَّامَ زَمَنَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ. قَالَ: وَقَدْ مَاتَ يَزِيدُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ زَمَنَ عُمَرَ، فَوَلَّى مَكَانَهُ أَخَاهُ مُعَاوِيَةَ. وَقَالَ عَبَّاسٌ الدُّورِيُّ: سَأَلْتُ ابْنَ مَعِينٍ: أَسَمِعَ أَبُو الْعَالِيَةِ مِنْ أَبِي ذَرٍّ؟ قَالَ: لَا، إِنَّمَا يُرْوَى عَنْ أَبِي مُسْلِمٍ عَنْهُ. قُلْتُ: فَمَنْ أَبُو مُسْلِمٍ هَذَا؟ قَالَ: لَا أَدْرِي. وَقَدْ أَوْرَدَ ابْنُ عَسَاكِرَ أَحَادِيثَ فِي ذَمِّ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، كُلُّهَا مَوْضُوعَةٌ، لَا يَصِحُّ شَيْءٌ مِنْهَا، وَأَجْوَدُ مَا وَرَدَ مَا ذَكَرْنَاهُ ; عَلَى ضَعْفِ أَسَانِيدِهِ وَانْقِطَاعِ بَعْضِهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْحَسَنُ بْنُ أَبِي الْحَسَنِ: مَا أَفْسَدَ أَمْرَ النَّاسِ إِلَّا اثَنَانِ ; عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ يَوْمَ أَشَارَ عَلَى مُعَاوِيَةَ بِرَفْعِ الْمَصَاحِفِ يَوْمَ صِفِّينَ، فَحُمِلَتْ عَلَى رُءُوسِ الْأَسِنَّةِ، فَحَكَمَ الْخَوَارِجُ، وَقَالُوا: لَا حُكْمَ إِلَّا لِلَّهِ. فَلَا يَزَالُ هَذَا التَّحْكِيمُ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৬৮২৫

ফিকাহ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করতে দেখেছি ৷ তারা প্ বললেন, এটাতে৷ আপনার সৌজনে৷ তার ছিল
অভিনয় মাত্র ৷ তিনি তখন বললেন, এমন কি জিনিস আছে যার জন্য সে আমাকে ভয় করেছে
অথবা আমার থেকে কিছু আশা করেছে, তাই সে আমার প্রতিঅনৃনয় ও বিনয় প্রকাশ করেছে
? তোমরা যে বলেছ সে মদ পান করে, সে সম্পর্কে আমি কি খোজ খবর নিয়ে তোমাদেরকে
জানাবো ? যদি আমি এ সম্বন্ধে ঘোজখবর নিয়ে ওে ৷মাদেরকে অবহিত করি তাহলে দেখা
যাবে, তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ তার একাজে অশীৎদার আছ ৷ আর যদি আমি তােমাদেরকে
অবহিত করতে না পারিতাহলে যে সম্বন্ধে তোমরা আর না সে সম্বন্ধে সাক্ষ্য দেয়৷ তোমাদের
জন্য বৈধ হবে না ৷ তারা বলল, যদিও আমর৷ না দেখে থাকি তবুও এটা আমাদের কাছে
সত্য ৷ তখন তিনি তাদেরকে বললেন, কোন সাক্ষ্যদাতাকে আল্লাহ তা আলা এরুপ বলা পছন্দ
করেন না ৷ সুরাষ্কে৷ যুখরুফ এর : ৩ ৮৬ নং আয়াতে আল্লাহ তা আল৷ ইরশাদ করেন-
ষ্ঠে
ণ্-শ্শঃ

“আল্লাহর পরিবর্তে তারা যাদেরকে ডাকে সুপারিশের ক্ষমতা তাদের নেই ৷ তবে যারা
সত্য উপলব্ধি করে এটার সাক্ষ্য দ্বেয়৩ তারা বাভীত ৷” ৰু

আমি তোমাদের এসব কোন কাজে নেই ৷ তারা বলল, সম্ভবত আপনি ব্যতীত অন্য কেউ
এ ব্যাপারে নেতৃতু দিক এটা আপনি অপছন্দ করেন ৷র্তীামরা আপনাকে আমাদের এ কাজের
নেতৃত্ব প্রদান করব ৷ তিনি বললেন, , যেটা সম্বন্ধে তোমরা আমাকে বলেছ সে সস্বর্লেনৈতৃতু
দান করা অথর্চ কারো অধীনে থেকে যুদ্ধ করা আমি বৈধ মনে করি না ৷ তখন তারা বলল,
আপনি তো আপনার পিতার সাথে মিঃল যুদ্ধ করেছেন ৷ তিনি বললেন তাহলে আমার পিতার
মত একজনকে নিয়ে এসো এবং তিনি যে বিষয় যুদ্ধে করেছেন সেই রকম বিষয় আমার
সামনে উপস্থাপন কর ৷ তারা তখন বলল, আপনার পুত্র আবুল ক ৷সিমকে আমাদের সাথে যুদ্ধ
করতে অনুমতি দিন ৷ তিনি বললেন, যা : আমি তাদেরকে যদি অনুমতি দিতে পারতাম তাহলে
আমি নিজেই যুদ্ধ করতে যেতাম ৷ তারা বললেন, তাহলে উঠুন আপনি আমাদের সাথে এমন
জায়গায় আসুন যাতে লোকজন যুদ্ধ করতে উৎসাহ পায় ৷

তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ্ ! আমি কি ৰুম্ানুষকে ;এমন কাজের হুকুম দিতে পারি,:ছুযে কাজ

আট্া নিজে করি না এবং :যে নসীহত আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, আমিআল্লাহ্র্বু বান্দাদেরাক
প্রদান করবো তার প্রতি তুা৷মি রাযী থাকর নাণ্ড্রব্রুদ্রতারাছুক্ষাংলন, “তাহলে তো আমরা আপনাকে,
অপছন্দ করি ৷ ” তিনি বললেন, তাহলে আমি দোকদেরব্লু ক আল্লাহর প্রতি সাবরানত৷ অবলম্বন
করার জন্য পরামর্শ দেই ৷ আল্লাহর অসন্তুষ্টি নিয়ে মানুম্নাকখরণ্ড সুখ শান্তি লাত করতে পারে
না ৷ তারপর তিনি মক্কা য় চলে গেলেন ৷

আবুল কা ৷সিম আল বাপাবী যায়দ ইবন আসলাম তীর পিতা হতে বর্ণনা কারন যে তিনি
বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা)৩ তাকে নিয়ে আবদুল্লাহ ইবন মুভী এর ঘরে প্রবেশ
করেন ৷ যখন তিনি প্রবেব্৷ করেন তখন তিনি তাকে বলেন, স্বাপতম হে আবু আবদুর রহমান ৷
তার৷ তার জন্য একটি চাদরৰুবিছিরে দিলেন ৷ তিনি তখন বললেন আমি তোমার কাছে এসেছি
ষাড্রে আমি তোমাকে একটি হাদীস শোনা ৷তে পারি, যা আমি রাসুল (সা) থেকে শুনেছি ৷রাসুল
(সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন শাসট্কর আনুগত্য; প্রতা৷হার করবে কিয়৷ ৷ামণ্ তর দিন পেশ

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া-৫৪

يَوْمِ الْقِيَامَةِ، وَالْآخَرُ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ ; فَإِنَّهُ كَانَ عَامِلَ مُعَاوِيَةَ عَلَى الْكُوفَةِ فَكَتَبَ إِلَيْهِ مُعَاوِيَةُ يَقُولُ: إِذَا قَرَأْتَ كِتَابِي فَأَقْبِلْ مَعْزُولًا. فَأَبْطَأَ عَلَى مُعَاوِيَةَ فِي الْقُدُومِ، فَلَمَّا قَدِمَ عَلَيْهِ قَالَ لَهُ مُعَاوِيَةُ: مَا أَبْطَأَكَ عَنِّي؟ قَالَ: أَمْرٌ كُنْتُ أُوَطِّئُهُ وَأُهَيِّئُهُ. قَالَ: وَمَا هُوَ؟ قَالَ: الْبَيْعَةُ لِيَزِيدَ مِنْ بَعْدِكَ. قَالَ: وَقَدْ فَعَلْتَ ذَلِكَ؟ قَالَ: نَعَمْ. فَقَالَ: ارْجِعْ إِلَى عَمَلِكَ. فَلَمَّا خَرَجَ الْمُغِيرَةُ مِنْ عِنْدِهِ، قَالَ لَهُ أَصْحَابُهُ: مَا وَرَاءَكَ؟ قَالَ: وَضَعْتُ رِجْلَ مُعَاوِيَةَ فِي غَرْزِ غَيٍّ لَا يَزَالُ فِيهِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ. قَالَ الْحَسَنُ: فَمِنْ أَجْلِ ذَلِكَ بَايَعَ هَؤُلَاءِ أَبْنَاءَهُمْ، وَلَوْلَا ذَلِكَ لَكَانَتْ شُورَى بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ. وَقِيلَ: إِنَّ مُعَاوِيَةَ قِيلَ لَهُ: نَنْشُدُكَ اللَّهَ فِيمَنْ نَسْتَخْلِفُ عَلَى الْمُسْلِمِينَ فَقَالَ: لَمْ يَبْقَ إِلَّا ابْنِي وَأَبْنَاؤُهُمْ وَابْنِي أَحَقُّ. قَالَ الْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ عَنْ مِسْكِينٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ شَبِيبٍ عَنْ غَرْقَدَةَ، عَنِ الْمُسْتَظِلِّ قَالَ: سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يَقُولُ: قَدْ عَلِمْتُ وَرَبِّ الْكَعْبةِ مَتَى تَهْلِكُ الْعَرَبُ ; إِذَا سَاسَهُمْ مَنْ لَمْ يُدْرِكِ الْجَاهِلِيَّةَ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ قَدَمٌ فِي الْإِسْلَامِ. قُلْتُ: يَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ أَكْثَرُ مَا نُقِمَ عَلَيْهِ فِي عَمَلِهِ شُرْبُ الْخَمْرِ وَإِتْيَانُ بَعْضِ الْفَوَاحِشِ، فَأَمَّا قَتْلُ الْحُسَيْنِ فَإِنَّهُ - كَمَا قَالَ جَدُّهُ أَبُو سُفْيَانَ يَوْمَ أُحُدٍ - لَمْ يَأْمُرْ بِذَلِكَ، وَلَمْ يَسُؤْهُ. وَقَدْ قَدَّمْنَا أَنَّهُ قَالَ: لَوْ كُنْتُ أَنَا لَمْ أَفْعَلْ مَعَهُ مَا
পৃষ্ঠা - ৬৮২৬
فَعَلَهُ ابْنُ مَرْجَانَةَ. يَعْنِي عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ زِيَادٍ، وَقَالَ لِلرُّسُلِ الَّذِينَ جَاءُوا بِرَأْسِهِ: قَدْ كَانَ يَكْفِيكُمْ مِنَ الطَّاعَةِ دُونَ هَذَا. وَلَمْ يُعْطِهِمْ شَيْئًا، وَأَكْرَمَ آلَ بَيْتِ الْحُسَيْنِ، وَرَدَّ عَلَيْهِمْ جَمِيعَ مَا فُقِدَ لَهُمْ وَأَضْعَافَهُ، وَرَدَّهُمْ إِلَى الْمَدِينَةِ فِي تَجَمُّلٍ وَأُبَّهَةٍ عَظِيمَةٍ، وَقَدْ نَاحَ أَهْلُهُ فِي مَنْزِلِهِ عَلَى الْحُسَيْنِ مَعَ آلِهِ - حِينَ كَانُوا عِنْدَهُمْ - ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ. وَقِيلَ: إِنَّ يَزِيدَ فَرِحَ بِقَتْلِ الْحُسَيْنِ أَوَّلَ مَا بَلَغَهُ، ثُمَّ نَدِمَ عَلَى ذَلِكَ. فَقَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ مَعْمَرُ بْنُ الْمُثَنَّى: إِنَّ يُونُسَ بْنَ حَبِيبٍ الْجَرْمِيَّ حَدَّثَهُ قَالَ: لَمَّا قَتَلَ ابْنُ زِيَادٍ الْحُسَيْنَ وَبَنِي أَبِيهِ، بَعَثَ بِرُءُوسِهِمْ إِلَى يَزِيدَ، فَسُرَّ بِقَتْلِهِمْ أَوَّلًا، وَحَسُنَتْ بِذَلِكَ مَنْزِلَةُ ابْنِ زِيَادٍ عِنْدَهُ، ثُمَّ لَمْ يَلْبَثْ إِلَّا قَلِيلًا حَتَّى نَدِمَ، فَكَانَ يَقُولُ: وَمَا كَانَ عَلَيَّ لَوِ احْتَمَلْتُ الْأَذَى وَأَنْزَلْتُهُ فِي دَارِي وَحَكَّمْتُهُ فِيمَا يُرِيدُهُ، وَإِنْ كَانَ عَلَيَّ فِي ذَلِكَ وَكَفٌ وَوَهْنٌ فِي سُلْطَانِي ; حِفْظًا لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرِعَايَةً لِحَقِّهِ وَقَرَابَتِهِ. ثُمَّ يَقُولُ: لَعَنَ اللَّهُ ابْنَ مَرْجَانَةَ فَإِنَّهُ أَخْرَجَهُ وَاضْطَرَّهُ، وَقَدْ كَانَ سَأَلَهُ أَنْ يُخَلِّيَ سَبِيلَهُ أَوْ يَأْتِيَنِي أَوْ يَكُونَ بِثَغْرٍ مِنْ ثُغُورِ الْمُسْلِمِينَ حَتَّى يَتَوَفَّاهُ اللَّهُ تَعَالَى، فَلَمْ يَفْعَلْ، وَأَبَى عَلَيْهِ وَقَتَلَهُ، فَبَغَّضَنِي بِقَتْلِهِ إِلَى الْمُسْلِمِينَ، وَزَرَعَ لِي فِي قُلُوبِهِمُ الْعَدَاوَةَ، فَأَبْغَضَنِي الْبَرُّ وَالْفَاجِرُ بِمَا اسْتَعْظَمَ النَّاسُ مِنْ قَتْلِي حُسَيْنًا، مَا لِي وَلِابْنِ مَرْجَانَةَ، لَعَنَهُ اللَّهُ، وَغَضِبَ عَلَيْهِ.
পৃষ্ঠা - ৬৮২৭


করার মত তার কোন দলীল থাকবে না ৷ যে ব্যক্তি জামায়াত হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে সে
জাহিলিয়াণ্ডে র যুগের মৃত্যুবরণ করবে ৷ ইমাম মুসলিম অন্য এক সনদে হযরত আবদুল্লাহ ইবন
উমর (বা) হতে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেন ৷ ইসহাক ইবন আবদুল্লাহ অন্য এক সনদে এ
ন্ হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷ ল ইস (র) অন্য এক সনদে আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রা) এর হাতে

অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

আবৃ জা ফর আল বাকির (রা) বলেন, আবু তালিব ও আবদুল মুত্তালিব বংশ হতে কেউ
হারবার দিন ইয়াষীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন নি ৷ যখন মুসলিম ইবন উকব৷ মদীনায় আগমন
করেন তখন তিনি আবু জা ফর আল বাকির (রা) কে সম্মান করেন, তাকে নিজের মজলিসে
নিয়ে বসান এবং তাকে একটি নিরাপত্তা নামা লিখে দেন ৷
আল-মাদায়িনী (র) বর্ণনা করেন যে, মুসলিম ইবন উকব৷ রাওহ ইবন যাম্বাকে ইয়াষীদের

কাছে হারবার সৃসৎবাদ নিয়ে;£ ড্রুারণ করে ৷ যখন সেৰুতাকে যা কিছু ঘটেছে সব কিছু খুলে
বলল, তখনইয়াযীদ বলল, হায় ৷ আমার সম্প্রদায়ের না আমি কি হয়েছে ! তারপর সে আদ-
দাহহাক ইবন কাইস আল ফ্রিহরীকে ডাকল এবং তাকে বলল, মদীনাবাসীদের অরস্থাতু মি কি
দেখেছে৷ ? এখন তাদের কি দরকার বলে তুমি মনে করছ ? আদ দাহহাক বললেন, এখন
তাদের খাবার ও কিছু উপচৌকনের দরকার ৷ ইয়াযীদ তখন তাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ
,,খাবার ও উপচৌকন প্রেরণের জন্য আদেশ দিল ৷

উপরোক্ত বর্ণনাটি রাফিযীদের বর্ণনাকে মিথ্যা প্রমাণিত করছে ৷ কেননা, তারা বর্ণনা করেছে
যে, ইয়াযীদ মদীনাবাসীদের উপর কৃত অত্যাচার, উৎপীড়ন ও নির্যাতনে খুশী হয়েছিল এবং
তারা নিহত হওয়ার তার অন্তর শান্তি লাভ ক্যরছিল এবং৩ তারা আরো বলেছে যে, ইয়াযীদ
মদীনাবাসীদের দৃর্দশার কথা শুনে আনন্দিতণ্হরেভ্রইবন আয় যাবআরীর কবিতা পাঠ করেছিল ৷
আবু বকর মুহাম্মদ ইবন খালক ইবন আল মারযবান ইবনবিসাম আসমাঈ থেকে বর্ণনা
করেন যে, হারুনুর রশীদ ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়াএর নিম্ন বর্ণিত কবিতাগুলো আবৃত্তি করেন ও

অনুসন্ধানকারীর কাছে প্রকাশ পাবে যে, রাসুল (সা); এর চাচাতো বোন যার বংশধাপ চলে
আসছে আ ৷মির ইবন লুঔয়াই ও আৰ্দি মানাফের মাঝ থেকে যার রাপদাদ৷ মহান ব্যক্তিরর্পের
অন্তর্ভুক্ত ৷ তারপর পরব৩ঠু হুশধরদ্দের মানমর্যাদা তার থেকেই অনুপস্থিত ৷ তিনি মইা
সম্মানিত ও সাধারণ জনগণের মধ্যে শ্রেষ্ট সম্মানের অধিকারী ৷ তুমি তার মধ্যে কোন প্রকার
পরিৰ্র্তন্ ও অমনৃণ কিছু দেখতে পাত্রে না ৷ তার তাকে ঝিনুকের মধ্যে প্রঅপ্ত মণিমুক্তরে সাথে
তুলনা করা যায় ৷
যুবাইর ইবন আবু সুফিয়ান এর জন্য রচিত নিম্নবর্ণিত কবিতাওলো আমার কাছে আবৃত্তি
করেন, ,
, ন্ ণ্
ইয়াষীদের মৃত্যুর দুশ্চিন্তা ,প্রতাবের্তন করে সমস্ত সুখনান্তিকে হুইা৷ষ্ ন্ান্ করে ফেলে,
তারপর ;ৰুচোখ থেকে ৰুনিদ্রা বিদায়ন্নেয় ও বেশ কিছুদিনের জন্য ৰিরর্ত থাকে ৷ আমি
আকাশের তারকা (ইয়াযীদ)-ফেশ্গুরত্বেন্সহকারেপর্যবেক্ষণ করছি, ভৈদখতে পইি যে, তা


وَلَمَّا خَرَجَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ عَنْ طَاعَتِهِ وَخَلَعُوهُ، وَوَلَّوْا عَلَيْهِمُ ابْنَ مُطِيعٍ وَابْنَ حَنْظَلَةَ لَمْ يَذْكُرُوا عَنْهُ - وَهُمْ أَشَدُّ النَّاسِ عَدَاوَةً لَهُ - إِلَّا مَا ذَكَرُوهُ عَنْهُ مِنْ شُرْبِهِ الْخَمْرَ وَإِتْيَانِهِ بَعْضَ الْقَاذُورَاتِ، لَمْ يَتَّهِمُوهُ بِزَنْدَقَةٍ كَمَا يَقْذِفُهُ بِذَلِكَ بَعْضُ الرَّوَافِضِ، بَلْ قَدْ كَانَ فَاسِقًا، وَالْفَاسِقُ لَا يَجُوزُ خَلْعُهُ ; لِمَا يُؤَدِّي ذَلِكَ إِلَيْهِ مِنَ الْفِتْنَةِ وَوُقُوعِ الْهَرْجِ، كَمَا وَقَعَ زَمَنَ الْحَرَّةِ، فَإِنَّهُ بَعَثَ إِلَيْهِمْ مَنْ يَرُدُّهُمْ إِلَى الطَّاعَةِ، وَأَنْظَرَهُمْ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، فَلَمَّا لَمْ يَرْجِعُوا قَاتَلَهُمْ، وَقَدْ كَانَ فِي هَذَا كِفَايَةٌ، وَلَكِنَّهُ تَجَاوَزَ الْحَدَّ فِي أَمْرِهِ أَمِيرَ الْحَرْبِ أَنْ يُبِيحَ الْمَدِينَةَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، حَتَّى وَقَعَ بِسَبَبِ ذَلِكَ خَطَأٌ كَبِيرٌ وَفَسَادٌ عَرِيضٌ. وَقَدْ كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَجَمَاعَاتُ أَهْلِ بَيْتِ النُّبُوَّةِ مِمَّنْ لَمْ يَنْقُضِ الْعَهْدَ، وَلَا بَايَعَ أَحَدًا بَعْدَ بَيْعَتِهِ لِيَزِيدَ ; كَمَا قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عُلَيَّةَ، حَدَّثَنِي صَخْرُ بْنُ جُوَيْرِيَةَ، عَنْ نَافِعٍ قَالَ: لَمَّا خَلَعَ النَّاسُ يَزِيدَ بْنَ مُعَاوِيَةَ جَمَعَ ابْنُ عُمَرَ بَنِيهِ وَأَهْلَهُ، ثُمَّ تَشَهَّدَ، ثُمَّ قَالَ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّا بَايَعْنَا هَذَا الرَّجُلَ عَلَى بَيْعِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ، وَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " «إِنَّ الْغَادِرَ يُنْصَبُ لَهُ لِوَاءٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يُقَالُ: هَذِهِ غَدْرَةُ فُلَانٍ» ". وَإِنَّ مِنْ أَعْظَمِ الْغَدْرِ - إِلَّا أَنْ
পৃষ্ঠা - ৬৮২৮


উদীয়মান ৷৩ তা এাদক সেদিক ঘুরে ফিরে আলো প্রদান করে ৷ তারপর তাকে দেখতে পাই
সে যেন নিম্নভুযিবুত পতিত হয়ে গেছে ৷ সিরিয়ার একটি জায়গা মা৩ারুবুন যার উদ্দীপ্ত অস্তি
তু বিরাজমান ছিল ৷ ইয়াযীদের মৃত্যুতে অনুগত জনতার মাঝে যখন যুগের সমাপ্তিতে ধস
নেমে আসে, তখন সে আবুলাটি মা৩ারুবুনর উচ্চশৃঙ্গ নিম্নপামী হয়,: প্রাসাদের গম্বুজ তার
সাক্ষী, যার চতৃর্দিকে প্ৰজ্জ্বলিত যয়তুন বাতি ৩মৃত্যুর সংবাদ বহন করছে ৷ উপরোক্ত কবির
আরো কিছু কবিতা



অন্ধকার দুরীভুতকা ৷রী চীদের সাথে যখন তুমি তার চেহারাকে কোন একদিন তুলনা করলে
এবৎ অনিবার্যকাৱবুণ আমার মান-মর্যাদাও সংকীর্ণ রুপ ধারণ করে ৷ তখন সে আমাকে বলল,
;, আমাকে তুমি চীনের সাথে তুলনা করছু এতে আমার মান-মর্যাদ৷ ক্ষগ্ন হচ্ছে ৷ তবে তার জেনে

রাখা উচিত হয়, তার মান-মর্ষাদা ক্ষুগ্ন করার জন্য আমিই প্রথম গীবতকারী নই ৷ তুমি কি দেখ
না যে, চাদ যখন তার পুর্ণতায় পৌছে ও তার সাথে তুলনা করা হয় তা আমার বাহুর চাইতে
বেশী আলোকিত নয় ৷ সুতরাং এটা পর্বের বস্তু নয়কিংব৷ অসম্ভব নয় যদি তুমি আমার হাসিকে
চাদ, আমার চোখের পলককে জাদু এবং আমার চোখের কাল অক্ষিগোলক কে রাতের সাথে
তুলনা কর ৷

যুবাইর ইবন বাক্কার আবু মুহাম্মদ আল-জাযরী হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি ববুলবুছনঃ
মদীনায় একটি গায়িকা বাদী ছিল তার নাম সালামা ৷ সে বুচহারার দিক দিয়ে ছিল অন্য
মহিলাদের তুলনায় অতি উত্তম, বিবেক বুদ্ধি ও শরীরের গঠন আকৃতির দিক দিয়েও অন্য
রমর্ণীদের মধ্যে ছিল শ্রেষ্ঠ ৷ সে কুরআনও জানত এবং কবিতা রচনা ও আবৃত্তি করতে পারত
আবদুর রহমান ইবন হাসান এবং আহওয়াস ইবন যুহাম্মদত তার কাছে উঠাবস৷ করত ৷ সে
আল আহওয়াবুসর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে কিন্তু আবদুর রহমান ইবন হাস্সাবুনর প্রতি অনীহা
প্রদর্শন করে ৷৩ তাই আবদুর রহমান ইবন হাস্সান সিরিয়ার ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়ার কাছে
আগমন করে তার প্রশংসা করে ৷ আর বলে, হে আমীরুল মুমিনীন ! এ বাদীট৷ ৷শুধু
আপনাকেই মানায় ৷ আর রাতের বেলায় গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়ানাের জন্য এ খুবই উপযোগী ৷
ইয়াযীদ দুত প্রেরণ করে তাকে খরিদ করে সিবিয়৷ নিবুয় আসে ৷ বাদী তখন ইয়াযীদের কাছে
বড় মর্যাদা ও অধিকার অর্জন করল ৷ আর ইয়াযীদের কাছে যারা ছিল তাদের সকলের থেকে
ইয়াযীদ তাকে বেশী মর্যাদা দিল ৷ আবদুর রহমান ইবন হাসৃসান মদীনায় প্রত্যাবর্তন করল ৷
আল আহওয়াস এর কাছে গমন করে বুদখল সে খুবই বিমর্ষ ৷৩ তাই তাকে আরো বেশী ঢিত
াযুক্ত করার জন্য সে নিম্নবর্ণিত কবিতাগুলাে আবৃত্তি করল

া,

“হে প্রেমজ্বরে আক্রান্ত আহত ব্যক্তি ! যে প্রেমে পড়ে মুসীবতগ্রস্ত হয়েছে যাকে প্রেম ও
ভালবাসার স্তব্ধ করে দিয়েছে ৷ সকাল বেলা যখনই তার মা বাদ নেয়া হয় তখনই তাকে প্রেম
শরাবে বিভোর ও মত্ত দেখতে পাওয়া যায় ৷ সে য পছন্দ করে তার সব কিছুরই দ্বার হয়ে
পড়েছে তার কাছে রুদ্ধ ৷ তার যা অপছন্দ করে তার সব কিছুরই দ্বার রয়েছে তার কাছে
অবারিত ৷ত তার প্রেমিকা যার কাছে অবস্থান করছে সে তাকে শুধু নিজের জন্য নির্ধারণ করে


يَكُونَ الْإِشْرَاكَ بِاللَّهِ - أَنْ يُبَايِعَ رَجُلٌ رَجُلًا عَلَى بَيْعِ اللَّهِ وَرَسُولِهُ ثُمَّ يَنْكُثُ بَيْعَتَهُ، فَلَا يَخْلَعَنَّ أَحَدٌ مِنْكُمْ يَزِيدَ، وَلَا يُشْرِفَنَّ أَحَدٌ مِنْكُمْ فِي هَذَا الْأَمْرِ، فَيَكُونَ الصَّيْلَمُ بَيْنِي وَبَيْنَهُ. وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ وَالتِّرْمِذِيُّ، مِنْ حَدِيثِ صَخْرِ بْنِ جُوَيْرِيَةَ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو الْحَسَنِ عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَيْفٍ الْمَدَائِنِيُّ، عَنْ صَخْرِ بْنِ جُوَيْرِيَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، فَذَكَرَهُ مِثْلَهُ. قَالَ: وَمَشَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُطِيعٍ وَأَصْحَابُهُ إِلَى مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ فَأَرَادُوهُ عَلَى خَلْعِ يَزِيدَ، فَأَبَى، فَقَالَ ابْنُ مُطِيعٍ: إِنَّ يَزِيدَ يَشْرَبُ الْخَمْرَ وَيَتْرُكُ الصَّلَاةَ وَيَتَعَدَّى حُكْمَ الْكِتَابِ. فَقَالَ لَهُمْ: مَا رَأَيْتُ مِنْهُ مَا تَذْكُرُونَ، وَقَدْ حَضَرْتُهُ وَأَقَمْتُ عِنْدَهُ، فَرَأَيْتُهُ مُوَاظِبًا عَلَى الصَّلَاةِ، مُتَحَرِّيًا لِلْخَيْرِ، يَسْأَلُ عَنِ الْفِقْهِ، مُلَازِمًا لِلسُّنَّةِ. قَالُوا: فَإِنَّ ذَلِكَ كَانَ مِنْهُ تَصَنُّعًا لَكَ. فَقَالَ: وَمَا الَّذِي خَافَ مِنِّي أَوْ رَجَا حَتَّى يُظْهِرَ إِلَيَّ الْخُشُوعَ؟ ! أَفَأَطْلَعَكُمْ عَلَى مَا تَذْكُرُونَ مِنْ شُرْبِ الْخَمْرِ؟ فَلَئِنْ كَانَ أَطْلَعَكُمْ عَلَى ذَلِكَ إِنَّكُمْ لَشُرَكَاؤُهُ، وَإِنْ لَمْ يَكُنْ أَطْلَعَكُمْ فَمَا يَحِلُّ لَكُمْ أَنْ تَشْهَدُوا بِمَا لَمْ تَعْلَمُوا. قَالُوا: إِنَّهُ عِنْدَنَا لَحَقٌّ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ رَأَيْنَاهُ. فَقَالَ لَهُمْ: قَدْ أَبَى اللَّهُ ذَلِكَ عَلَى أَهْلِ الشَّهَادَةِ، فَقَالَ: {إِلَّا مَنْ شَهِدَ بِالْحَقِّ وَهُمْ يَعْلَمُونَ} [الزخرف: 86] . وَلَسْتُ مِنْ أَمْرِكُمْ فِي شَيْءٍ. قَالُوا: فَلَعَلَّكَ تَكْرَهُ أَنْ يَتَوَلَّى الْأَمْرَ غَيْرُكَ، فَنَحْنُ نُوَلِّيكَ أَمْرَنَا. قَالَ: مَا أَسْتَحِلُّ الْقِتَالَ عَلَى مَا تُرِيدُونَنِي
পৃষ্ঠা - ৬৮২৯
عَلَيْهِ تَابِعًا وَلَا مَتْبُوعًا. قَالُوا: فَقَدْ قَاتَلْتَ مَعَ أَبِيكَ. قَالَ جِيئُونِي بِمِثْلِ أَبِي أُقَاتِلُ عَلَى مِثْلِ مَا قَاتَلَ عَلَيْهِ. فَقَالُوا: فَمُرِ ابْنَيْكَ أَبَا هَاشِمٍ وَالْقَاسِمَ بِالْقِتَالِ مَعَنَا. قَالَ: لَوْ أَمَرْتُهُمَا قَاتَلْتُ. قَالُوا: فَقُمْ مَعَنَا مَقَامًا تَحُضُّ النَّاسَ فِيهِ عَلَى الْقِتَالِ. قَالَ: سُبْحَانَ اللَّهِ! آمُرُ النَّاسَ بِمَا لَا أَفْعَلُهُ وَلَا أَرْضَاهُ؟ ! إِذَا مَا نَصَحْتُ لِلَّهِ فِي عِبَادِهِ. قَالُوا: إِذًا نُكْرِهُكَ. قَالَ: إِذًا آمُرُ النَّاسَ بِتَقْوَى اللَّهِ، وَأَلَّا يُرْضُوا الْمَخْلُوقَ بِسَخَطِ الْخَالِقِ. وَخَرَجَ إِلَى مَكَّةَ. وَقَالَ أَبُو الْقَاسِمِ الْبَغَوِيُّ: ثَنَا مُصْعَبٌ الزُّبَيْرِيُّ، ثَنَا ابْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ دَخَلَ وَهُوَ مَعَهُ عَلَى ابْنِ مُطِيعٍ، فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهِ قَالَ: مَرْحَبًا بِأَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، ضَعُوا لَهُ وِسَادَةً. فَقَالَ: إِنَّمَا جِئْتُكَ لِأُحَدِّثَكَ حَدِيثًا سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " «مَنْ نَزَعَ يَدًا مِنْ طَاعَةٍ فَإِنَّهُ يَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ لَا حُجَّةَ لَهُ، وَمَنْ مَاتَ مُفَارِقَ الْجَمَاعَةِ فَإِنَّهُ يَمُوتُ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً» ". وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ بِهِ، وَتَابَعَهُ إِسْحَاقُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ. وَقَدْ رَوَاهُ اللَّيْثُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلَانَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، فَذَكَرَهُ. وَقَالَ أَبُو جَعْفَرٍ الْبَاقِرُ: لَمْ يَخْرُجْ أَحَدٌ مِنْ آلِ أَبِي طَالِبٍ وَلَا مِنْ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ أَيَّامَ الْحَرَّةِ، وَلَمَّا قَدِمَ مُسْلِمُ بْنُ عُقْبَةَ الْمَدِينَةَ أَكْرَمَ أَبِي وَأَدْنَى مَجْلِسَهُ، وَأَعْطَاهُ كِتَابَ أَمَانٍ. وَرَوَى الْمَدَائِنِيُّ، أَنَّ مُسْلِمَ بْنَ عُقْبَةَ بَعَثَ رَوْحَ بْنَ زِنْبَاعٍ إِلَى يَزِيدَ بِبِشَارَةِ
পৃষ্ঠা - ৬৮৩০


নিয়েছে ৷ প্রেমিক৷ থেকে সে ত্রাণ ও সুপন্ধি নিচ্ছে ৷ কেননা, সে হল আল্লাহর নির্ধারিত খলীফা,
যাকে ন্ অনুরাগ হতবিহ্বল করেছে সে তোমাকে আহ্যছ করে নিজ আত্মাকে মজবুত করেছে ৷ ”
বর্ণনাকাবী বলেন, আল ন্আহওয়াস জবাব প্রদান থেকে বিরত রইল ৷ তারপর প্রেমিকার
আসক্তি তাকেবিচলিত করতে লাগল ৷ তাই সে ইয়াযীদের নিকট আগমন করল এবং যথাসা ধ্য
সম্ভব তার উচ্চ প্রশংসা করল ৷ ইয়াযীদ তাকে সম্মান করল এবং আহওয়াস তার নিকট ন্ঠনুেগ্নহ
লাভ করল ৷ অন্যদিকে সালামা আহওয়াসের কাছে একজন সেবককে প্রেরণ করল এবং তাকে
উৎকােচ প্রদান করল যাকে সে আহওয়াসৃবে: সালাম৷ এর সাথে সাক্ষাতে র উদ্দেশ্যে ত র কাছে
প্রবেশ করানোর ব্যবস্থা করে দেয় ৷ সেবক এব্যাপারে ইয়াযীদকে অবহিত করল এবং তার থেকে
অনুমতি প্রার্থন৷ করল ৷ ইয়াযীদ বলল, “তার সম্পর্কে তোমার দায়িত্ব তুমি পালন করা” তখন
সেবক তার দায়িত্ব পালন করল এবং আহওয়াসকে তার নিকট প্ৰবেঃশর ব্যবস্থা করল ৷ অপর
পক্ষে ইয়াযীদ এমন এক জায়গায় বসল যেখানে সে দু’জনকেই দেখতে পারে ৷ তবে তারা কিন্তু
তাকে দেখতে পাচ্ছিল না ৷ র্বীদী আহওয়াসকে দেখা মাত্রই কেদে ফেলল এবং আহওয়াসও
র্কাদতে শুরু করল ৷ বীদী অন্য এক রাদীকে একটি চেয়ার আমার জন্য আদেশ করল ৷
আহওয়াস চেয়ারে বসল ৷ তাদের প্রত্যেকেই নিজ নিজ সাথীর প্রতি আসক্তির কথা ব্যক্ত করতে
লাগল ৷ তারা ন্দৃ’জনেইন্ভোর রাত পর্যন্ত কথাবার্তায় মপ্ন রইল ৷ অন্যদিকে কোন প্রকার সন্দেহ
, রইল না বরং ইয়াযীদের নিকট তাদের দু’জনের আসক্তির কথা সুস্পষ্ট হয়ে উঠল ৷ আহওয়াস
যখন উঠে যেতে লাগল তখন সে নিম্নের কবিতাটি বীদীর উদ্দেশ্যে পাঠ করলঃ
ষ্এ
সে
আমার অন্তয়াত্ম৷ এমন এক ব্যক্তির মহব্বাত অত্যন্ত পেরেশান ও চিন্তিত অবস্থায় রয়েছে,
যার জন্য আমি ধৈর্যধারণ করে জীবন যাপন করছি ৷”
জবাবে বাদী বলল,
“নিরাশ হয়ে বেভুশ থাকার পর প্রেমিকগ্যা আবারও জেগে উঠে ৷ আমিও নিরাশ হয়েছি
তবে প্রেমিকরা সব সময় এক অবস্থায় স্থির থাকেন ৷
আহওয়াস বলেন,
“বিশ্বস্ত বন্ধুর নৈরাশ্যে যে বন্ধু সান্তুন৷ লাভ করে সে অবশ্যই সফলকাম ৷ আমি জীবনে
যতদিন যাবত তোমার থেকে সান্তুন৷ পাবার চেষ্টা করব ৩তদিন যাবত তোমার প্ৰতি থাকবে
আমার ভক্তিপুর্ণ সালাম ও আনুগত্য’ ৷
প্রেমিক বীদী বলেন দ্ভ ,



الْحَرَّةِ، فَلَمَّا أَخْبَرَهُ بِمَا وَقَعَ قَالَ: وَاقَوْمَاهُ. ثُمَّ دَعَا الضَّحَّاكَ بْنَ قَيْسٍ الْفِهْرِيَّ فَقَالَ لَهُ: تَرَى مَا لَقِيَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ، فَمَا الرَّأْيُ الَّذِي يُجْبِرُهُمْ؟ قَالَ: الطَّعَامُ وَالْأَعْطِيَةُ. فَأَمَرَ بِحَمْلِ الطَّعَامِ إِلَيْهِمْ، وَأَفَاضَ عَلَيْهِمْ أَعْطِيَتَهُ. وَهَذَا خِلَافُ مَا ذَكَرَهُ كَذَبَةُ الرَّوَافِضِ عَنْهُ مِنْ أَنَّهُ شَمِتَ بِهِمْ وَشَفَى بِقَتْلِهِمْ، وَأَنَّهُ أَنْشَدَ - إِمَّا ذِكْرًا وَإِمَّا أَثَرًا - شِعْرَ ابْنِ الزِّبَعْرَى الْمُتَقَدِّمُ ذِكْرُهُ. وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ خَلَفِ بْنِ الْمَرْزُبَانِ بْنِ بَسَّامٍ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْقَاسِمِ، سَمِعْتُ الْأَصْمَعِيَّ يَقُولُ: سَمِعْتُ هَارُونَ الرَّشِيدَ يُنْشِدُ لِيَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ: إِنَّهَا بَيْنَ عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ ... حِينَ تَنْمِي وَبَيْنَ عَبْدِ مَنَافِ وَلَهَا فِي الْمُطَيَّبِينَ جُدُودٌ ... ثُمَّ نَالَتْ مَكَارِمَ الْأَخْلَافِ بِنْتُ عَمِّ النَّبِيِّ أَكْرَمُ مَنْ يَمْ ... شِي بِنَعْلٍ عَلَى التُّرَابِ وَحَافِي لَنْ تَرَاهَا عَلَى التَّبَذُّلِ وَالْغِلْ ... ظَةِ إِلَّا كَدُرَّةِ الْأَصْدَافِ وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: أَنْشَدَنِي عَمِّي مُصَعَبٌ لِيَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ: آبَ هَذَا الْهَمُّ فَاكْتَنَعَا ... وَأَمَرَّ النَّوْمُ فَامْتَنَعَا رَاعِيًا لِلنَّجْمِ أَرْقُبُهُ ... فَإِذَا مَا كَوْكَبٌ طَلَعَا
পৃষ্ঠা - ৬৮৩১


“হে আমার দুর্দশ!গ্নস্ত প্রেমিক ! আল্লাহর শপথ, আবারও আল্লাহর শপথ ! আমি তোমাকে
তখনও তুলতে পারব না, যতক্ষণ ন! আমার রুহ আমার গ্রস্থিগুলাে থেকে পৃথক হয়ে ৷”
-আহওয়াস বলল,

“ঐ ব্যক্তি ব্যর্থক!ম হয়নি যার প্রেমে অ!সক্ত হয়ে তুমি৩ !র পরিবার ও অর্থ সম্পদে
নয়নের পুভুলী হিসেবে সর্বদা বিরাজমান রয়েছ !”
বর্ণন!কারী বলেন, অ!হওয়!স র্বাদী থেকে বিদায় গ্রহণ করল এবং বের হয়ে গেল ! ইয়াযীদ
পেছন থেকে এসে তাকে ধরে কেলল এবং বাদীকেও ড!কল ৷ ইয়াযীদ তাদের দৃ’জনকে বলল,
গত রাতে তোমরা যা করেছ আমাকে বল এবং সত্য বলবে! তারপর তার! দু’জনেই
ইয়!যীদের নিকট তাদের একে অন্যের জন্য যে কবিতা পাঠ করেছে তাও তাকে বলল ! তার!
একটি কথাও পরিবর্তন করে বলেনি ৷ ইয়াযীদ গত রাতে য! শুনেছে তা তার! হুবহু বর্ণনা
করার ইয়াযীদ বাদীকে বল, “তুমি আহওয়াসকে ভ!লবাস ?” বাদী বলল, হাড়া, আল্লাহ্র শপথ
! হে আমীরুল মু মিনীন ! তারপর বাদী নিম্নে বর্ণিত কবিতাটি পাঠ করলেন,
অ!মদের দুজনের মধ্যে বিরাজ করছে অফুরন্ত প্রেম ও ভালবাসা যেমন অন্তর শরীরের
মধ্যে বিরাজ করে ৷ অন্তরকে কি কখনও শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা যায় ?”
ইয়াযীদ অ!হওয়!সকে বলল, তুমি তাকে ভালব!স স্ব আহওয়সে বলল, হা! আল্লাহর শপথ !
হে অ!মীরুল মু’মিনীন ! তারপর সে নিম্নে বর্ণিত কবিতাটি পাঠ করল :
,
“আমাদের দুজনের মধ্যে এমন অফুরন্ত ও উঃ ভালবাসা বিরাজ করছে য! একটি অগ্নি
লিখার ন্যায় ৷ ত! এলাকা জুড়ে কেবল ব্ল্তেই থাকে, এ ব্যাপারে আমি একটু বাড়িয়ে
বলিনি ৷” ইয়াযীদ্ব বলল, তোমরা দু’জনেই, তোমাদের মধ্যে উঃ ও উদঃ! তালব!স! বিরাজ
করছে বলে বলছ, তাই হে আহওয়াস ! তুমি তাকে নিয়ে যাও, সে তােম!রই জন্য ৷ তারপর
ইয়াযীদ অ!হওয়াসকে মুল্যবান উপচৌকন প্রদান করল ৷ অ!হওয়াস সম্ভষ্টচিত্তে তাকে নিয়ে
; হিজ!য প্রত্যাবর্তন করল ৷ এরুপও বর্ণিত রয়েছে যে, ইয়াযীদ যন্ত্রসংপীত, মদ পান, গানশোনা,
শিকার করা, সেবক নিয়ােপ,কুকুর পালন, ভেড়! বকরী ও অন্যান্য জন্তু এবং বাবরের মধ্যে
লড়াই বীধানাের ব্যাপারে প্রসিদ্ধি লাভ রুণ্রুকরেছিল ! প্রতিদিন সে মদ পান করত ৷ বানরকে
ন্ ঘোড়ার পিঠে বশি দিয়ে সময়ে সময়ে বেধে শহর প্রদক্ষিণ করতে, বানরকে সোনার মুকুট
পরাত ! ঘোড়া দৌড়ের প্রতিযােগি৩ !র অনুষ্ঠান করত ! যখন কোন বানর মরে যেত তখন তার
জন্য শোক বিল!প করত ৷ কথিত আছে যে, ইয়াষীদের মৃত্যুর কারণ ছিল যে, সে একদিন
একটি বানরকে উঠ!য়ে দােল! দিচ্ছিল ! আর অমনি একটি বানর তাকে কামড় দেয় ৷ কামড়ের
বিয়ে যে মারা যায় ৷ এ ছাড়! অন্যান্য কারণও ইতিহাসবিদগণ উল্লেখ করেছেন !


حَامَ حَتَّى إِنَّنِي لَأَرَى ... أَنَّهُ بِالْغَوْرِ قَدْ وَقَعَا وَلَهَا بِالْمَاطِرُونِ إِذَا ... أَكَلَ النَّمْلُ الَّذِي جَمَعَا نُزْهَةٌ حَتَّى إِذَا بَلَغَتْ ... نَزَلَتْ مِنْ جِلَّقَ بِيَعَا فِي قِبَابٍ وَسْطَ دَسْكَرَةٍ ... حَوْلَهَا الزَّيْتُونُ قَدْ يَنَعَا وَمِنْ شَعْرِهِ أَيْضًا: وَقَائِلَةٍ لِي حِينَ شَبَّهْتُ وَجْهَهَا ... بِبَدْرِ الدُّجَى يَوْمًا وَقَدْ ضَاقَ مَنْهَجِي تُشَبِّهُنِي بِالْبَدْرِ هَذَا تَنَاقُصٌ ... بِقَدْرِي وَلَكِنْ لَسْتُ أَوَّلَ مَنْ هُجِي أَلَمْ تَرَ أَنَّ الْبَدْرَ عِنْدَ كَمَالِهِ ... إِذَا بَلَغَ التَّشْبِيهَ عَادَ كَدُمْلُجِ فَلَا فَخْرَ إِنْ شَبَّهْتَ بِالْبَدْرِ مَبْسَمِي ... وَبِالسِّحْرِ أَجْفَانِي وَبِاللَّيْلِ مَدْعَجِي وَذَكَرَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ، عَنْ أَبِي مُحَمَّدٍ الْجَزَرِيِّ قَالَ: كَانَتْ بِالْمَدِينَةِ جَارِيَةٌ
পৃষ্ঠা - ৬৮৩২
مُغَنِّيَةٌ يُقَالُ لَهَا: سَلَّامَةُ. مِنْ أَحْسَنِ النِّسَاءِ وَجْهًا، وَأَتَمِّهِنَّ عَقْلًا وَأَحْسَنِهِنَّ حَدِيثًا، قَدْ قَرَأَتِ الْقُرْآنَ، وَرَوَتِ الشِّعْرَ وَقَالَتْهُ، وَكَانَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ حَسَّانَ وَالْأَحْوَصُ بْنُ مُحَمَّدٍ يَجْلِسَانِ إِلَيْهَا، فَعَلِقَتِ الْأَحْوَصَ، وَصَدَّتْ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، فَتَرَحَّلَ ابْنُ حَسَّانَ إِلَى يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ فَامْتَدَحَهُ، وَدَلَّهُ عَلَى سَلَّامَةَ وَجَمَالِهَا وَحُسْنِهَا وَفَصَاحَتِهَا، وَقَالَ: لَا تَصْلُحُ إِلَّا لَكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، وَأَنْ تَكُونَ مِنْ سُمَّارِكَ. فَأَرْسَلَ يَزِيدُ، فَاشْتُرِيَتْ لَهُ، وَحُمِلَتْ إِلَيْهِ، فَوَقَعَتْ مِنْهُ مَوْقِعًا عَظِيمًا، وَفَضَّلَهَا عَلَى جَمِيعِ مَنْ عِنْدَهُ، وَرَجَعَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ إِلَى الْمَدِينَةِ فَمَرَّ بِالْأَحْوَصِ، فَوَجَدَهُ مَهْمُومًا، فَأَرَادَ أَنْ يَزِيدَهُ إِلَى مَا بِهِ فَقَالَ: يَا مُبْتَلًى بِالْحُبِّ مَفْدُوحَا ... لَاقَى مِنَ الْحُبِّ تَبَارِيحَا أَفْحَمَهُ الْحُبُّ فَمَا يَنْثَنِي ... إِلَّا بِكَأْسِ الْحُبِّ مَصْبُوحَا وَصَارَ مَا يُعْجِبُهُ مُغْلَقًا ... عَنْهُ وَمَا يَكْرَهُ مَفْتُوحَا قَدْ حَازَهَا مَنْ أَصْبَحَتْ عِنْدَهُ ... يَنَالُ مِنْهَا الشَّمَّ وَالرِّيحَا خَلِيفَةُ اللَّهِ فَسَلِّ الْهَوَى ... وَعَزِّ قَلْبًا مِنْكَ مَجْرُوحَا قَالَ: فَأَمْسَكَ الْأَحْوَصُ عَنْ جَوَابِهِ، ثُمَّ غَلَبَهُ وَجْدُهُ عَلَيْهَا، فَرَحَلَ إِلَى يَزِيدَ، فَامْتَدَحَهُ، فَلَمَّا قَدِمَ عَلَيْهِ أَكْرَمَهُ وَقَرَّبَهُ وَحَظِيَ عِنْدَهُ، فَدَسَّتْ إِلَيْهِ سَلَّامَةُ خَادِمًا، وَأَعْطَتْهُ مَالًا عَلَى أَنْ يُدْخِلَهُ عَلَيْهَا، فَأَخْبَرَ الْخَادِمُ يَزِيدَ بِذَلِكَ، فَقَالَ: امْضِ لِرِسَالَتِهَا. فَفَعَلَ وَأَدْخَلَ الْأَحْوَصَ عَلَيْهَا، وَجَلَسَ يَزِيدُ فِي مَكَانٍ يَرَاهُمَا وَلَا
পৃষ্ঠা - ৬৮৩৩


আবদুর রহমান ইবন আবু মাদউর কোন একজন জ্ঞানী লোক থেকে বর্ণনা করেন যে
তিনি বলেছেন, ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়৷ সর্বশেষ যে বাক্যটি বলে মারা যায় তা হল নিম্নরুপ,
“হে আল্লাহ্ ! আমি যে বিষয়টি পছন্দ করিনি এবং আমি যার প্রতিবাদও করিনি তার জন্য
তুমি আমাকে শাস্তি দিও না ৷ আমার এবং উবায়দুল্লাহ ইবন যিয়াদের মধ্যে সুষ্ঠু ফয়সালা
করেন ৷ তার মােহরের নকশা ছিল ,ন্াঙুন্ণ্া৷ ওা৬ ৰু৷ অর্থাৎ আমি মহান আল্লাহর
প্রতি বিশ্বাস রখি ৷”

ইয়াযীদের মৃত্যু

ইয়াযীদ দামেশকের প্রতিবেশী প্রামগুলাের কোন একটিতে ৬৪ হিজরীতে রবীউল আউয়াল
মাসের ১৪ তারিখে, কারো কারো মতে, ১৫ তারিখ পরল্যেক গমন করে ৷ ৬০ হিজরীর রজব
মাসের ১৫ তারিখ তার পিতার মৃত্যুর পর তার খিলাফত শুরু হয় ৷ তার জন্ম ছিল ২৫, ৷ কেউ
কেউ বলেন, ২৬ আবার কারো কারো মতে ২৭ হিজরীতে ৷

তার রাজতুকালের শুফ্লু এবং সেটি দিবস সং খ্যার ব্যাপারে তীব্র মতভেদ পরিলক্ষিত হয় ৷
উপরে যা কিছু বর্ণনা করা হয়েছে, যদি কোন ব্যক্তি ভালরুপে এগুলোকে পর্যবেক্ষণ করে,
তাহলে এরুপ ছোটখাট মতভেদকে সে অতিক্রম করতে পারবে ৷

কোন কোন ইতিহাসবিদ বলেন, যখন সে মারা যায় তখন সে ৪০ বছর বয়স অতিক্রম
করে ৷ আল্লাহ্ই অধিক পরিজ্ঞাত ৷ তার মৃত্যুর পর তার লাশ দামেশকে আনা হয় এবং তার
মোঃ ভবিষ্যতে র আমীরুল মুমিনীন, ঘুআবিয়৷ ইবন ইয়াযীদ তার সালাতে জানাযা পড়ায়
এবং বাবুস সাগীর নামক স্থানের কবরস্থুানে তাকে দাফন করা হয় ৷ তার সময়ে কাযীউন
নামক একটি পাহাড়ের পাদদেশে একটি নদী খনন করা হয় ও “এটাকে প্রশস্ত করা হয় ৷ এ
নদীর নাম রাখা হয় নাহরে ইয়াযীদ ৷ পুর্বে এটা ছিল একটি ছোট নালার ন্যায় ৷ এরপর এটার
মাধ্যমে পানি প্রবাহিত কা কার জন্য এটাকে কয়েকগুণ প্রশস্ত করা হয় ৷

ইবন আসাকির বলেন, বাহরাইনের ক যী আবুল ফযল মুহাম্মদ ইবন আল ফযল ইবন
যুযাফ্ফর আল আবদী বলেন, “আমি একদিন স্বপ্নে ইয়াযীদ ইবন ঘুআবিয়া৷ক দেখলাম ৷
তখন আমি তাকে বললাম, আপনি কি ইমাম হুসইিন (রা) ৫ক হত্যা করেন নি ? উত্তরে তিনি
বললেন না’, তখন আমি তাকে বললাম, আল্লাহ্ কি আপনাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন ?৩ তিনি
বললেন, হ্য , আল্লাহ আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়েছেন ৷”

যে বর্ণনায় আছে যে, রাসুল (সা) একদিন ঘুআবিয়৷ (রা)১কে দেখলেন ৷ ঘুআবিয়া (রা)
ইয়াযীদকে কোলে নিয়েছেন ৷ তখন তিনি বললেন, “একজন জান্নাতী মানুষ একজন
জাহান্নামীকে বহন করছে সেটি শুদ্ধ নয় ৷ কেননা, ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়া রাসুল (সা) এর
আমলে জন্মঃাহণ করেনি ৷ কেননা হিজরণ্ডে তর বিশ বছর পর ইয়াযীদ জন্মদুাহণ করেছিল ৷”

আবু জাফর ইবন জারীর (র) বলেন, ইয়াযীদের সন্তান-সন্ততি ও তাদের সংখ্যা তাদের
মধ্যে প্রথম হল, ঘুআৰিয়৷ ইবন ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়া ৷ তার কুনীয়াত ছিল আবু লইিলা ৷

তার সম্বন্ধে কোন কবি বলেছেনং :



يَرَيَانِهِ، فَلَمَّا بَصُرَتِ الْجَارِيَةُ بِالْأَحْوَصِ بَكَتْ إِلَيْهِ وَبَكَى إِلَيْهَا، وَأَمَرَتْ فَأُلْقِيَ لَهُ كُرْسِيٌّ، فَقَعَدَ عَلَيْهِ، وَجَعَلَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا يَشْكُو إِلَى صَاحِبِهِ شِدَّةَ الشَّوْقِ، فَلَمْ يَزَالَا يَتَحَدَّثَانِ إِلَى السَّحَرِ، وَيَزِيدُ يَسْمَعُ كَلَامَهُمَا مِنْ غَيْرِ أَنْ يَكُونَ بَيْنَهُمَا رِيبَةٌ، حَتَّى إِذَا هَمَّ الْأَحْوَصُ بِالْخُرُوجِ قَالَ: أَمْسَى فُؤَادِيَ فِي هَمٍّ وَبَلْبَالِ ... مِنْ حُبِّ مَنْ لَمْ أَزَلْ مِنْهُ عَلَى بَالِ فَقَالَتْ: صَحَا الْمُحِبُّونَ بَعْدَ النَّأْيِ إِذْ يَئِسُوا ... وَقَدْ يَئِسْتُ وَمَا أَصْحُو عَلَى حَالِ فَقَالَ: مَنْ كَانَ يَسْلُو بِيَأْسٍ عَنْ أَخِي ثِقَةٍ ... فَعَنْكِ سَلَّامَ مَا أَمْسَيْتُ بِالسَّالِي فَقَالَتْ: وَاللَّهِ وَاللَّهِ لَا أَنْسَاكَ يَا شَجَنِي ... حَتَّى تُفَارِقَ مِنِّي الرُّوحُ أَوْصَالِي فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا خَابَ مَنْ أَمْسَى وَأَنْتِ لَهُ ... يَا قُرَّةَ الْعَيْنِ فِي أَهْلٍ وَفِي مَالِ قَالَ: ثُمَّ وَدَّعَهَا وَخَرَجَ، فَأَخَذَهُ يَزِيدُ، وَدَعَا بِهَا فَقَالَ: أَخْبِرَانِي عَمَّا كَانَ فِي لَيْلَتِكُمَا وَاصْدُقَانِي. فَأَخْبَرَاهُ وَأَنْشَدَاهُ مَا قَالَا، فَلَمْ يَخْرِمَا حَرْفًا، وَلَا غَيَّرَا شَيْئًا مِمَّا سَمِعَهُ. فَقَالَ لَهَا يَزِيدُ: أَتُحِبِّينَهُ؟ قَالَتْ: إِي وَاللَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ: حُبًّا شَدِيدًا جَرَى كَالرُّوحِ فِي جَسَدِي ... فَهَلْ يُفَرَّقُ بَيْنَ الرُّوحِ وَالْجَسَدِ فَقَالَ لَهُ: أَتُحِبُّهَا؟ فَقَالَ: إِي وَاللَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ: حُبًّا شَدِيدًا تَلِيدًا غَيْرَ مُطَّرِفٍ ... بَيْنَ الْجَوَانِحِ مِثْلَ النَّارِ يَضْطَرِمُ
পৃষ্ঠা - ৬৮৩৪
فَقَالَ يَزِيدُ: إِنَّكُمَا لَتَصِفَانِ حُبًّا شَدِيدًا، خُذْهَا يَا أَحْوَصُ فَهِيَ لَكَ. وَوَصَلَهُ صِلَةً سَنِيَّةً. فَرَجَعَ بِهَا الْأَحْوَصُ إِلَى الْحِجَازِ وَهُوَ قَرِيرُ الْعَيْنِ. وَقَدْ رُوِيَ أَنَّ يَزِيدَ كَانَ قَدِ اشْتَهَرَ بِالْمَعَازِفِ وَشُرْبِ الْخَمْرِ وَالْغِنَاءِ وَالصَّيْدِ وَاتِّخَاذِ الْغِلْمَانِ وَالْقِيَانِ وَالْكِلَابِ وَالنِّطَاحِ بَيْنَ الْكِبَاشِ وَالدِّبَابِ وَالْقُرُودِ، وَمَا مِنْ يَوْمٍ إِلَّا يُصْبِحُ فِيهِ مَخْمُورًا، وَكَانَ يَشُدُّ الْقِرْدَ عَلَى فَرَسٍ مُسَرَّجَةٍ بِحِبَالٍ وَيَسُوقُ بِهِ، وَيُلْبِسُ الْقِرْدَ قَلَانِسَ الذَّهَبِ، وَكَذَلِكَ الْغِلْمَانُ، وَكَانَ يُسَابِقُ بَيْنَ الْخَيْلِ، وَكَانَ إِذَا مَاتَ الْقِرْدُ حَزِنَ عَلَيْهِ. وَقِيلَ: إِنَّ سَبَبَ مَوْتِهِ أَنَّهُ حَمَلَ قِرْدَةً وَجَعَلَ يُنَقِّزُهَا فَعَضَّتْهُ. وَذَكَرُوا عَنْهُ غَيْرَ ذَلِكَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِصِحَّةِ ذَلِكَ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي مَذْعُورٍ: حَدَّثَنِي بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ قَالَ: آخِرُ مَا تَكَلَّمَ بِهِ يَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ: اللَّهُمَّ لَا تُؤَاخِذْنِي بِمَا لَمْ أُحِبُّهُ، وَلَمْ أُرِدْهُ، وَاحْكُمْ بَيْنِي وَبَيْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ. وَكَانَ نَقْشُ خَاتَمِهِ: آمَنْتُ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ. مَاتَ يَزِيدُ بِحُوَّارِينَ مِنْ قُرَى دِمَشْقَ فِي رَابِعَ عَشَرَ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ، وَقِيلَ: يَوْمَ الْخَمِيسِ لِلنِّصْفِ مِنْهُ. سَنَةَ أَرْبَعٍ وَسِتِّينَ، وَكَانَتْ وِلَايَتُهُ بَعْدَ مَوْتِ أَبِيهِ فِي مُنْتَصَفِ رَجَبٍ سَنَةَ سِتِّينَ، وَكَانَ مَوْلِدُهُ فِي سَنَةِ خَمْسٍ - وَقِيلَ: سَنَةَ سِتٍّ. وَقِيلَ: سَبْعٍ - وَعِشْرِينَ. وَمَعَ هَذَا فَقَدِ اخْتُلِفَ فِي سِنِّهِ وَمَبْلَغِ أَيَّامِهِ فِي الْإِمَارَةِ عَلَى أَقْوَالٍ كَثِيرَةٍ، وَإِذَا تَأَمَّلْتَ مَا ذَكَرْتُهُ لَكَ مِنْ هَذِهِ التَّحْدِيدَاتِ انْزَاحَ عَنْكَ الْإِشْكَالُ مِنْ هَذَا الْخِلَافِ، فَإِنَّ مِنْهُمْ مَنْ قَالَ: جَاوَزَ الْأَرْبَعِينَ حِينَ مَاتَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ حُمِلَ إِلَى دِمَشْقَ وَصَلَّى عَلَيْهِ ابْنُهُ مُعَاوِيَةُ بْنُ يَزِيدَ أَمِيرُ
পৃষ্ঠা - ৬৮৩৫


“আমি দেখতেছি, ফিৎন৷ ও সন্ত্রাসেব প্রাবম্ভ অতি আসন্ন, আবু লাইলার পরে, রাজত তারই
হবে, যে জয়লাভ করবে ৷ দ্বিতীয় হল, খালিদ ইবন ইয়ায়ীদ ৷ যার কুনীয়াত ছিল আবু হাশিম ৷
কথিত আছে যে, সে ছিল রসায়ন শাস্তে পারদর্শী ৷ তৃতীয় হল, আবু সুফিয়ান ৷ দ্বিতীয় ও
তৃভীয়জনেব মায়ের নাম ছিল উম্মে হাশিম বিনত আবু হাশি ৷ম ইবন উতব৷ ইবন রাবীআ ইবন
আবদি শামস ৷ ইয়াযীদের মৃত্যুর পর মারওয়ান ইবনুল হাকাম তাকে বিয়ে করেন ৷ তার
সম্বন্ধে কোন এক করি বলেন, »

শু

হে উম্মে খালিদ ! সৃপ্রভাত ৷ তবে বহু প্রচেষ্টাকারী উপবিষ্টের ন্যায় (অসফলকাম) ৷

চতুর্থ হল আবদুল আযীয ইবন ইয়ায়ীদ ৷ তাকে আসওয়ার বলা হত ৷ তিনি ছিলেন
আরবদের মধ্যে অভ্যস্ত প্রসিদ্ধ তীরন্দাজ ৷ তার মায়ের নাম ছিল উম্মে কুলসুম বিনত
আবদুল্লাহ ইবন আমির ৷ তার সম্বন্ধে করি বলেন,

— এ১ট্-ষ্থৰ্বা
লোকজন যখন আলোচনা করেন তখন “তারা মনে করেন যে, আসওয়াবই কুরায়শদের
মধ্যে গ্রেষ্ঠতম ৷ ”

উপরোক্ত চারজন ব্যক্তিত্ব ব্যতীত বিজ্যি মাতৃগর্ভে জন্ম নেয়া প্ তার পুত্র সন্তানদের মধ্যে আরো
ছিল, আবদুল্লাহ ইর আসগার, আবু বকর, উতবা, আবদুর রহমান, আর বাবী , মুহাম্মদ, ইয়ায়ীদ,
ৰু হারব, উমর ও উসষান ৷ তার যেটি ১৫জন পুত্র সন্তান ছিলেন ৷ আর যেয়ে সভানরা হলং
আতিকা, রামলা, উম্মে আবদুর রহমান, উম্মে ইয়ায়ীদ, উম্মে মুহাম্মদ ৷৩ তারা ছিল এ পাচজন ৷
ইয়াযীদের সব সন্তান পরবর্তীতে মারা যায় ৷ত তাদের কোন উত্তরাধিকারী পরিলক্ষিত হয়নি ৷

মু আবিয়৷ ইবন ইয়ায়ীদ ইবন মু আবিয়া-এর রাজতৃকাল

তার নাম ছিল মুআবিয়৷ আল-ৰুকুরাশী আল উমবী ৷৩ তার কুনীয়াত ছিল আবু আবদুর
, রহমান, কেউ বেল্ট বলেন, আবু ইয়ায়ীদ ৷ আবার ক্লেউ কেউ বলেন, আবু ইয়ালা ৷ তার
মায়ের নাম ছিল , উম্মে হ্াশিম্ বিনত আবু হাশিম ইবন উতৰা ইৰুব;স রাবীআ ৷ তার, পিতার
মৃত্যুর পর ৬৪ হিজরীর রবীউল আউয়াল মাসের ১৪ তারিখ তার হাতে শ্বায়আত গ্রহণ করা
হয় ৷ আর তিনি তার পিতার পরে পুর্ব থেকে খলীফা মনোনীত হয়েছিলেন ৷ তিনি ছিলেন
একজন পরহেযগার ও সৎ ব্যক্তি কিন্তু তার রাজতু দীর্ঘক ল পর্যন্ত স্থায়ী হয়নি ৷ কেউ কেউ
বলেন, তিনি ৪০ দিন রাষ্ট্র প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন৷ কেউ কেউ বলেন, ২০ দিন ৷
কেউ কেউ বলেন, ২ মাস আবার কেউ কেউ বলেন, দেড় মাস ৷ আবার কেউ কেউ বলেন,
তিন মাস বিশ দিন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, চার মাস ৷ আল্লাহ্ই অধিক পরিজ্ঞাত ৷ তিনি
তার রাজত্বকালে অসুস্থ ছিলেন, তিনি জনগাণর সাথে সাক্ষাত দিতেন না ৷ আদ দাহহাক
ইবন কাইস (রা) জনগণের সালাতেব ইমামতি করতেন এবং যাবতীয় কাজকর্মেব প্রতি লক্ষ্য
রাখতেন ৷ তারপর এই মুআবিয়৷ ইবন ইয়ায়ীদ একুশ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয় ৷ কেউ
কেউ বলেন, ২৩ বছর ১৮ দিন বয়সে তার মৃত্যু হয় ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, ১৯ বছর
আবার কেউ কেউ বলেন, ২০ বছর আবার কেউ কেউ বলেন, ২৫ বছর বয়সে তার মৃত্যু
হয় ৷ আল্লাহ্ই অধিক পরিজ্ঞাত ৷


الْمُؤْمِنِينَ، وَدُفِنَ بِمَقَابِرِ الْبَابِ الصَّغِيرِ، وَفِي أَيَّامِهِ وُسِّعَ النَّهْرُ الْمُسَمَّى بِيَزِيدَ، فِي ذَيْلِ جَبَلِ قَاسِيُونَ، وَكَانَ جَدْوَلًا صَغِيرًا، فَوَسَّعَهُ أَضْعَافَ مَا كَانَ يَجْرِي فِيهِ مِنَ الْمَاءِ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ بْنُ عَسَاكِرَ: حَدَّثَنَا أَبُو الْفَضْلِ مُحَمَّدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الْفَضْلِ بْنِ الْمُظَفَّرِ الْعَبْدِيُّ قَاضِي الْبَحْرَيْنِ مِنْ لَفْظِهِ وَكَتَبَهُ لِي بِخَطِّهِ قَالَ: رَأَيْتُ يَزِيدَ بْنَ مُعَاوِيَةَ فِي النَّوْمِ، فَقُلْتُ لَهُ: أَنْتَ قَتَلْتَ الْحُسَيْنَ؟ فَقَالَ: لَا. فَقُلْتُ: لَهُ: هَلْ غَفَرَ اللَّهُ لَكَ؟ قَالَ: نَعَمْ، وَأَدْخَلَنِي الْجَنَّةَ. قُلْتُ: فَالْحَدِيثُ الَّذِي يُرْوَى أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى مُعَاوِيَةَ يَحْمِلُ يَزِيدَ فَقَالَ: «رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ يَحْمِلُ رَجُلًا مِنْ أَهْلِ النَّارِ» ؟ فَقَالَ: لَيْسَ بِصَحِيحٍ. قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَهُوَ كَمَا قَالَ، فَإِنَّ يَزِيدَ بْنَ مُعَاوِيَةَ لَمْ يُولَدْ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَإِنَّمَا وُلِدَ بَعْدَ الْعِشْرِينَ مِنَ الْهِجْرَةِ. وَقَالَ أَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ: [ذِكْرُ أَوْلَادِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ وَعَدَدِهِمْ] فَمِنْهُمْ مُعَاوِيَةُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ يُكَنَّى أَبَا لَيْلَى، وَهُوَ الَّذِي يَقُولُ فِيهِ الشَّاعِرُ:
পৃষ্ঠা - ৬৮৩৬
إِنِّي أَرَى فِتْنَةً قَدْ حَانَ أَوَّلُهَا ... وَالْمُلْكُ بَعْدَ أَبِي لَيْلَى لِمَنْ غَلَبَا وَخَالِدُ بْنُ يَزِيدَ، يُكَنَّى أَبَا هَاشِمٍ، كَانَ يُقَالُ: إِنَّهُ أَصَابَ عِلْمَ الْكِيمْيَاءِ. وَأَبُو سُفْيَانَ، وَأُمُّهُمْ أُمُّ هَاشِمٍ بِنْتُ أَبِي هَاشِمِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ، وَقَدْ تَزَوَّجَهَا بَعْدَ يَزِيدَ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ وَهِيَ الَّتِي يَقُولُ فِيهَا الشَّاعِرُ: انْعَمِي أُمَّ خَالِدٍ ... رُبَّ سَاعٍ لِقَاعِدٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، وَيُقَالُ لَهُ: الْأُسْوَارُ. وَكَانَ مِنْ أَرَمَى الْعَرَبِ، وَأُمُّهُ أُمُّ كُلْثُومٍ بِنْتُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرٍ وَهُوَ الَّذِي يَقُولُ فِيهِ الشَّاعِرُ: زَعَمَ النَّاسُ أَنَّ خَيْرَ قُرَيْشٍ ... كُلِّهِمْ حِينَ يُذْكَرُ الْأُسْوَارُ وَعَبْدُ اللَّهِ الْأَصْغَرُ، وَأَبُو بَكْرٍ، وَعُتْبَةُ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ، وَالرَّبِيعُ، وَمُحَمَّدٌ، لِأُمَّهَاتِ أَوْلَادٍ شَتَّى.
পৃষ্ঠা - ৬৮৩৭


তার সলাতে জ্যনাযা পড়ান তার ভাই খালিদ ৷ কেউ কেউ বলেন, উসমান ইবন আমবাসা
আবার কেউ কেউ বলেন, আল ওয়ালীদ ইবন উতবা আর এটাই বিশুদ্ধ ৷ কেননা, তিনি তাকে
জানাযার সালাত পড়ানাের জন্য ওসীয়ত করে গিয়েছিলেন, তার দাফন অনুষ্ঠানে মারওয়ান
ইবনৃল হাকাম উপস্থিত ছিলেন ৷ তার মৃত্যুর পরে আদ দাহ্হাক ইবন কইিস (রা) সিরিয়ার
মারওয়ানের রাজতৃ কায়েম করেন ৷ তাকে দামেশকের বাবুস সাগীর নামক স্থানের কবরস্থানে
দাফন করা হয় ৷ যখন তার মৃত্যু আসন্ন তখন তাকে বলা হয়, তুমি কি ওসীয়ত করবে না ?
তখন তিনি বলেন, আমি দুনিয়ার তিক্ততাকে পাথেয় হিসেবে আখিরাতে নিয়ে যাচ্ছি না ৷
দুনিয়ার স্বাদ আমি বনু উমাইয়ার জন্য রেখে যাচ্ছি ৷

তিনি ছিলেন অত্যন্ত ফর্সা, ঘন চুল, বড় চোখ, একটু কোকড়ানাে চুল, বড় নাক, বড় মাথা,
সুন্দর চেহারা, ঘন দাড়ি ও সুগঠিত দেহের অধিকারী ৷ আবু যুরআ আদ-দামেশকী বলেন,
মুআবিয়া ও তার দুই ভাই আবদুর রহমান ও ণ্খালিদ ছিলেন সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তম
ব্যক্তিবর্গ ৷ তার সম্বন্ধে আবদুল্লাহ ইবন হুমাম আল-বালবী নামক এক করি বলেন,


ইয়াযীদ তার পিতা হতে রাজ্য শাসন করার ক্ষমতা অর্জন করেছিল ৷ এখন হে মুআবিয়া !
ইয়াযীদ থেকে রাজ্য শাসনের দায়িত্ব তোমার কাছে এসে পড়েছে (এটা তুমি গ্রহণ কর) হে
বনু হারব ! (বনু উমাইয়া) এ দায়িত্বভার তোমাদের উপরই একের পর এক আসছে ৷ কাজেই
তোমরা এ দড়ায়িতৃ পালনে খারাপ উদ্দেশ্যের বশবর্তী হয়াে না ৷ কথিত আছে যে, ইবন ইয়াযীদ
একদিন জনগণের মাঝে তাদেরকে একত্রিত করার জন্য ঘোষণা করেন হ্া; ;,া ৰুা৷ অর্থাৎ
এখনই সালাত অনুষ্ঠিত হবে ৷ জনগণ উপস্থিত হল ৷ মুআব্লিয়া;ইবন ইয়াযীদ জনগণকে লক্ষ্য
করে বললেন, হে জনগণ ৷ আমাকে তোমাদের আমীর নিযুক্ত করা হয়েছে অথচ আমি এ
ব্যাপারে দুর্বল ৷ যদি তেড়ামরা চাও তাহলে আমি কোন একজন শক্তিশালী ব্যক্তির অনুকুলে
দায়িত্বভার ছেড়ে দোবা যেমন হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) হযরত উমর (রা)-এর অনুকুলে
ছেড়ে দিয়েছিলেন ৷ আর যদি তোমরা চাও আমি এ দায়িতুভার তোমাদের দু’সদস্যে গঠিত
পরামর্শ সভার অনুকুলে ছেড়ে দেই ৷ যেমন হযরত উমর (রা) ছেড়ে দিয়েছিলেন ৷ তাও আমি
দেব ৷ তোমাদের মধ্যে এ ধরনের কোন উপযুক্ত লোক নেই, ক্যাজই আমি তোমাদের বিষয়টি
তোমাদের উপরই ছেড়ে দিচ্ছি ৷ এখন তোমরা তোমাদের মধ্যে হতে তোমাদের জন্য একজন
উপযুক্ত আমীর নিযুক্ত কর ৷ তারপর তিনি মিম্বর থেকে নেমে আসলেন এবং নিদ্রা মঞ্জিলে
প্রবেশ করেন ৷ মৃত্যু পর্যন্ত তিনি আর তার মঞ্জিল থেকে জনসমক্ষে বের হননি ৷ কেউ কেউ
বলেন, তাকে কিছু পান করানো হয়েছিল ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, তাকে ভীরৰিদ্ধ করা
, হয়েছিল ৷ যখন তাকে দাফন করা হয় তখন তার দাফনে মারওয়ান উপস্থিত ছিলেন ৷ দাফন
কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর মারওয়ান বলেন, তোমরা কি জান, কাকে তোমরা দাফন বল্মছ ?
উপস্থিত জনতা বলল, হা, জানি ৷ আমরা ঘুআবিয়া ইবন ইয়াযীদকে দাফন করছি ৷ মারওয়ান
বললেন, তিনি আবু লাইলা যার সম্বন্ধে আরসাম আল ফাযারী করি বলেন,



[إِمَارَةُ مُعَاوِيَةَ بْنِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ] أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَيُقَالُ: أَبُو يَزِيدَ. وَيُقَالُ: أَبُو لَيْلَى الْقُرَشِيُّ الْأُمَوِيُّ. وَأُمُّهُ أُمُّ هَاشِمٍ بِنْتُ أَبِي هَاشِمِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ، بُويِعَ لَهُ بَعْدَ مَوْتِ أَبِيهِ، وَكَانَ وَلِيَّ عَهْدِهِ مِنْ بَعْدِهِ فِي رَابِعَ عَشَرَ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَسِتِّينَ، وَكَانَ رَجُلًا صَالِحًا نَاسِكًا، وَلَمْ تَطُلْ مُدَّتُهُ. قِيلَ: إِنَّهُ مَكَثَ فِي الْمُلْكِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا. وَقِيلَ: عِشْرِينَ يَوْمًا. وَقِيلَ: شَهْرَيْنِ. وَقِيلَ: شَهْرًا وَنِصْفَ شَهْرٍ. وَقِيلَ: ثَلَاثَةَ أَشْهُرٍ وَقِيلَ: وَعِشْرِينَ يَوْمًا. وَقِيلَ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَكَانَ فِي مُدَّةِ وِلَايَتِهِ مَرِيضًا، لَمْ يَخْرُجْ إِلَى النَّاسِ، وَكَانَ الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ هُوَ الَّذِي يُصَلِّي بِالنَّاسِ، وَيَسُدُّ الْأُمُورَ. وَمَاتَ مُعَاوِيَةُ بْنُ يَزِيدَ هَذَا عَنْ إِحْدَى وَعِشْرِينَ سَنَةً وَقِيلَ: ثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ سَنَةً وَثَمَانِيَةَ عَشَرَ يَوْمًا. وَقِيلَ: تِسْعَ عَشْرَةَ سَنَةً. وَقِيلَ: عِشْرِينَ سَنَةً. وَقِيلَ: ثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ سَنَةً. وَقِيلَ: إِنَّمَا عَاشَ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ سَنَةً. وَقِيلَ: خَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَصَلَّى عَلَيْهِ أَخُوهُ خَالِدٌ، وَقِيلَ: عُثْمَانُ بْنُ عَنْبَسَةَ. وَقِيلَ: الْوَلِيدُ بْنُ عُتْبَةَ. وَهَذَا هُوَ الصَّحِيحُ، فَإِنَّهُ أَوْصَى إِلَيْهِ
পৃষ্ঠা - ৬৮৩৮


আমি দেখছি সন্তান ও বিশৃৎখল৷ মাথা চাড়াপি য ৷উঠেছে আবু লাইলার পর রাজতু তারই
হবে যে ৰুজার প্রয়োগ করতে পারবে ৷

ইতিহা ৷বিদগণ বলেন করি যেরুপ ৷বলেছিল বাস্তরেও সেরুপ ঘটেছিল ৷ আবু লাইলা
কাউঃক থ্লীফা ন্নোনীত না করেই ইনঙিকাল করেছিলেন তারপর আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর
হিজায দখল করে যেন ৷ দামেশৃক ,ও তার পার্শ্ববর্তী অন্যান্য ভুখণ্ড দখল করেন মারওরান
ইবনৃল হাকাম ৷ খুরাসানের বাসিন্দারা সাল্লাম ইবন যিরাদের হাতে বায়আত করেন ৷ এমনকি
সে জনণ্ ৷ণের কাছে থলীফ৷ হিসেবে ঘোষণা দেয় ৷ জনগণ তাকে অত্যন্ত ভালবাসত ৷ সালাম
জনগণের মধ্যে উত্তম আদর্শ স্থাপন করেন ৷ এ ন্-ন্উওম আদর্শের জন্যই তারা র্তাকে ভালবাসে
কিন্তু পরবভীকািলে র্তারা তাকে তাদের মধ্যে হতে অজ্ঞাত কারণে বহিষ্কার করে দেয় ৷ বসরার
খারিজীপণ ও কারীগণ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে এবংন নাফি ইবন আযরাককে

তাদের (ন্তৃ৷ নির্ধারণ করে ৷ আর তারা উৰাইদৃল্লাহ ইবন ব্লিয়াদকে বি ভ্রাড়িত করে দিল ৷ অথচ
তারাই তার হাতে বার আত করেছিল তাদের জন্য একজন নতু ন ইমাম নির্ধা ৷রণ করার লক্ষো
সে সিরিয়া চলে যায়৷ তার প্রভ্যাব৩ র্তনের পর বসরাবাসীরা আবদুল্লাহ ইবন হা৷রস ইবন
নাওফাল ওরফে বাব্বার হাতে বায়আত গ্রহণ করল ৷ বাব্বার মায়ের নাম হিন্দ বিন৩ আবু
সুফিয়ান ৷ হিমিরান ইবন আদী আস-সুদুসীাক বসরার পুলিশ বিভাগের প্রধান নিযুক্ত করা হল ৷
৬৪ হিজরীর জমাদিউস সানী মাসের পহেলা৩ তারিখ বাব্বার হাতে জনগণ বায় আত করল ৷
করি ফুারাজদাক এ ব্যাপারে নিম্নবর্ণিত কবিতাটি আবৃত্তি ওকরেন :

“আমি এমন সম্প্রদায়ের সাথে,, রাব্বার হাতে বায়আত গ্রহণ করেছি, যারা তাদের
অঙ্গীকারভৈক নি জোর ও নিঃ ৎকােচে প্রতিপালন করে থাকে ৷” রাব্ব৷ বসরাতে চার মাস বসবাস

করেন ৷ তারপর তিনি ৷নজের ঘরে বলে থাকেন ৷ তখন বসরার বাসিন্দাগণ আবদুল্লাহ ইবন
, যুবাইর (রা) এর নিকট বসরার অবস্থা সম্বন্ধে অবগত করিয়ে ,পত্র লিখেন ৷ তাতে আবদুল্লাহ
ইবন যুবাইর (রা) ও আন৷ স ইবন ম৷ ৷লিক (রা) এর কাছে পত্র লিখে র্তাকে আদেশ দেন যাতে
তিনি জনদুাণ কে নিয়ে দুইমাস সালাত আদায় করেন ৷ পরের ঘটনা আমরা কিছু পরেই“বনাি
করব ৷ অনাদিকে ইয়ামামায়্ নাজদ৷ ইবন আমির আল হানাফী বিদ্রোহ ঘোষণা করে ৷
স্রাহওযায ও পারস্য ভুখণ্ডের অন্যান্য অঞ্চলে বনু মাহুরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে ৷ এ সম্বন্ধে পরে
বিস্ত৷ রিত বর্ণনা পেশ করা হয়ে ৷

আলশ্বিদায়া ওয়ান নিহায়া৫৫

بِذَلِكَ، وَشَهِدَ دَفْنَهُ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ، وَكَانَ الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ هُوَ الَّذِي يُصَلِّي بِالنَّاسِ بَعْدَهُ حَتَّى اسْتَقَرَّ الْأَمْرُ لِمَرْوَانَ بِالشَّامِ، وَدُفِنَ بِمَقَابِرِ بَابِ الصَّغِيرِ بِدِمَشْقَ. وَلِمَا حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ قِيلَ لَهُ: أَلَا تُوصِي؟ فَقَالَ: لَا أَتَزَوَّدُ مَرَارَتَهَا وَأَتْرُكُ حَلَاوَتَهَا لِبَنِي أُمَيَّةَ. وَكَانَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، أَبْيَضَ شَدِيدَ الْبَيَاضِ، كَثِيرَ الشَّعْرِ، كَبِيرَ الْعَيْنَيْنِ، جَعْدَ الشَّعْرِ، أَقْنَى الْأَنْفِ، مُدَوَّرَ الرَّأْسِ، جَمِيلَ الْوَجْهِ دَقِيقَهُ، حَسَنَ الْجِسْمِ. قَالَ أَبُو زُرْعَةَ الدِّمَشْقِيُّ: مُعَاوِيَةُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ وَخَالِدٌ إِخْوَةٌ، وَكَانُوا مِنْ صَالِحِي الْقَوْمِ. وَقَالَ فِيهِ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ، وَهُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ هَمَّامٍ السَّلُولِيُّ: تَلَقَّاهَا يَزِيدٌ عَنْ أَبِيهِ ... فَدُونَكَهَا مُعَاوِي عَنْ يَزِيدَا أَدِيرُوهَا بَنِي حَرْبٍ عَلَيْكُمْ ... وَلَا تَرْمُوا بِهَا الْغَرَضَ الْبَعِيدَا وَيُرْوَى أَنَّ مُعَاوِيَةَ بْنَ يَزِيدَ هَذَا نَادَى فِي النَّاسِ: الصَّلَاةُ جَامِعَةٌ. ذَاتَ يَوْمٍ، فَاجْتَمَعَ النَّاسُ، فَقَالَ لَهُمْ فِيمَا قَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، إِنِّي قَدْ وُلِّيتُ أَمْرَكُمْ وَأَنَا ضَعِيفٌ عَنْهُ، فَإِنْ أَحْبَبْتُمْ تَرَكْتُهَا لِرَجُلٍ قَوِيٍّ، كَمَا تَرَكَهَا الصِّدِّيقُ لِعُمَرَ، وَإِنْ شِئْتُمْ تَرَكْتُهَا شُورَى فِي سِتَّةٍ مِنْكُمْ كَمَا تَرَكَهَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَلَيْسَ فِيكُمْ مَنْ هُوَ صَالِحٌ لِذَلِكَ، وَقَدْ تَرَكْتُ لَكُمْ أَمْرَكُمْ، فَوَلُّوا عَلَيْكُمْ مَنْ يَصْلُحُ لَكُمْ. ثُمَّ نَزَلَ
পৃষ্ঠা - ৬৮৩৯

আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (বা) এর রাজাশাসন

ইবন হাযাম ও অন্য একদল উলা মায়ে কিরাম মনে করেন আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা)
ছিলেন ঐ সময়কার আমীরুল মুমিনীন ৷ পুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইয়াযীদের যখন মৃত্যু
হয় তখন মক্কা থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করা হয় ৷ তারা আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা)-কে
যেরাও করে রেখেছিল ৷ আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা)ও বায়তৃল্লাহ্ব্র আশ্রয়প্রাথী ছিলেন ৷
হুসাইন ইবন নুমইির আস-সাকুনী যখন সেনাবাহিনী নিয়ে সিরিয়ার প্রত্যাবর্তন করেন,
আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) তখন হিজায ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিজেরুকৃ একচ্ছত্র
অধিকারী মনে করতে লাগলেন ৷ সেখানের জনগণ ইয়াযীদের পরে তার হাতে বায়আত
করল ৷ আর আবদুল্লাহ ইবন যুৰাইর (রা) কে মদীনায় শাসনকর্তা হিসেবে প্রেরণ করেন এবং
বনু উমাইয়াকে মদীনা থেকে বিতাড়িত করার নির্দেশ প্রদান করেন ৷ তিনি তাদেরকে বিতাড়িত
করেন এবং তারাও সিবিয়ায় চলে যায় ৷৩ তাদের মধ্যে ছিলেন মারওয়ান ইবন হাকাম এবং তার
পুত্র আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান ৷

তারপর বসরার বাসিন্দাগণ নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ বিগ্রহ ও নানারুপ বিশৃত্খলা কাটিয়ে
উঠার পর ৷রাত আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) ’ এর কাছে দুত প্রেরণ করেন ৷ তারা ছয় মাসের
কম সময়ের মধ্যে চার চার বার আমীর পরিবর্তন করেন ৷ তারপর তাদের মধ্যে বিশৃৎখলা

দেখা দেয় এবং তারা মক্কায় অবস্থানরত আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) এর কাছে লোক
প্রেরণ করেন ৷ তারা তাকে তাদের জন্য কিছু করার অনুরোধ জানান ৷ আবদুল্লাহ ইবন
ঘৃবাইর (বা) তখন আনাস ইবন মালিক (রা) এর কাছে পত্র লিখেন এবং বসরাবাসীদেরকে
নিয়ে নামায আদায় করার জন্য অনুরোধ জানান ৷ কথিত আছে, যে ব্যক্তি সর্বপ্রথম সেখানে
আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) এর পক্ষে জনগণ থেকে নাম আত গ্রহণ করেন তিনি হলেন
মুসআব ইবন আবদুর রহমান ৷ জনগণ বললেন, এটা খুবই কঠিন কাজ ৷ আবদুল্লাহ ইবন
জাফর এবং আবদুল্লাহ ইবন আলী ইবন আবু তালিবও হযরত ইবন যুরাইর এর পক্ষে
বায়আত করেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন্ ঘুবাইর (রা) হযরত আবদুল্লাহ ইবন উম (রা) ইবনুল
হানাফিরা ও আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা)-এর কাছে লোক প্রেরণ করেন যাতে তারা তার
পক্ষে বায়আত করেন কিন্তু তারা তা অস্বীকার করেন ৷ প্রায় তিন মাস কোন ইমাম বা
খলীফা ব্যতীত থাকার পর জনগণ রজব মাসে আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা)-এর হাতে
বায়আত করেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) কুফাবাসীদের কাছে আবদুর রহমান ইবন
ইয়াযীদ আল আনসারীকে নামায পড়ানাের জন্য প্রেরণ করেন এবং ইব্রাহীম ইবন মুহাম্মদ
ইবন৩ তালহ৷ ইবন উবইিদুল্লাহকে কর আদায়ের জন্য প্রেরণ করেন ৷ সমস্ত শহরের বাসিন্দারা

তার প্রতি আস্থা ব্যক্ত করেন ৷ তিনি তখন মিশরে লোক প্রেরণ করেন ৷ ফলে মিসরবাসীরা
তার পক্ষে বায়আত করেন এবং তিনি আবদুর রহমান ইবন জাহদারকে সেখানকার প্রশাসক
নিযুক্ত করেন ৷ আলজেরিয়ার জনগণ র্তার প্ৰতি আনুগত্য প্রকাশ করেন ৷ বসরায় আল-
হারিস ইবন আবদুল্লাহ ইবন রাবী আকে প্রেরণ করেন ৷ তারাও তার পক্ষে যায় তাতে
করেন ৷


وَدَخَلَ مَنْزِلَهُ، فَلَمْ يَخْرُجْ مِنْهُ حَتَّى مَاتَ، رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى. وَيُقَالُ: إِنَّهُ سُقِيَ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ طُعِنَ. وَقَدْ حَضَرَ مَرْوَانُ دَفْنَهُ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْهُ قَالَ مَرْوَانُ: أَتَدْرُونَ مَنْ دَفَنْتُمْ؟ قَالُوا: نَعَمْ مُعَاوِيَةَ بْنَ يَزِيدَ. فَقَالَ مَرْوَانُ: هُوَ أَبُو لَيْلَى الَّذِي قَالَ فِيهِ أَزْنَمُ الْفَزَارِيُّ: إِنِّي أَرَى فِتْنَةً تَغْلِي مَرَاجِلُهَا ... وَالْمُلْكُ بَعْدَ أَبِي لَيْلَى لِمَنْ غَلَبَا قَالُوا: كَانَ الْأَمْرُ كَمَا قَالَ. وَذَلِكَ أَنَّ أَبَا لَيْلَى تُوُفِّيَ عَنْ غَيْرِ عَهْدٍ مِنْهُ إِلَى أَحَدٍ فَتَغَلَّبَ عَلَى الْحِجَازِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَعَلَى دِمَشْقَ وَأَعْمَالِهَا مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ، وَبَايَعَ أَهْلُ خُرَاسَانَ سَلْمَ بْنَ زِيَادٍ حَتَّى يَتَوَلَّى عَلَى النَّاسِ خَلِيفَةٌ، فَسَارَ فِيهِمْ سَلْمٌ سِيرَةً حَسَنَةً أَحَبُّوهُ عَلَيْهَا، ثُمَّ أَخْرَجُوهُ مِنْ بَيْنِ أَظْهُرِهِمْ، وَخَرَجَ الْقُرَّاءُ وَالْخَوَارِجُ بِالْبَصْرَةِ، وَعَلَيْهِمْ نَافِعُ بْنُ الْأَزْرَقِ، وَطَرَدُوا عَنْهُمْ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ زِيَادٍ - بَعْدَ مَا كَانُوا بَايَعُوهُ عَلَيْهِمْ - حَتَّى يَصِيرَ لِلنَّاسِ إِمَامٌ، فَذَهَبَ إِلَى الشَّامِ بَعْدَ فُصُولٍ يَطُولُ ذَكَرُهَا، وَقَدْ بَايَعُوا بَعْدَهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ الْمَعْرُوفَ بِبَبَّةَ، وَأُمُّهُ هِنْدُ بِنْتُ أَبِي سُفْيَانَ، وَقَدْ جَعَلَ عَلَى شُرْطَةِ الْبَصْرَةِ هِمْيَانَ بْنَ عَدِيٍّ السَّدُوسِيَّ، فَبَايَعَهُ النَّاسُ فِي مُسْتَهَلِّ جُمَادَى الْآخِرَةِ، سَنَةَ أَرْبَعٍ وَسِتِّينَ، وَقَدْ قَالَ الْفَرَزْدَقُ: وَبَايَعْتُ أَقْوَامًا وَفَيْتُ بِعَهْدِهِمْ ... وَبَبَّةُ قَدْ بَايَعْتُهُ غَيْرَ نَادِمِ
পৃষ্ঠা - ৬৮৪০
فَأَقَامَ فِيهِمْ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ، ثُمَّ لَزِمَ بَيْتَهُ، فَكَتَبَ أَهْلُ الْبَصْرَةِ إِلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ، فَكَتَبَ ابْنُ الزُّبَيْرِ إِلَى أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ يَأْمُرُهُ أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ، فَصَلَّى بِهِمْ شَهْرَيْنِ، ثُمَّ كَانَ مَا سَنَذْكُرُهُ. وَخَرَجَ نَجْدَةُ بْنُ عَامِرٍ الْحَنَفِيُّ بِالْيَمَامَةِ، وَخَرَجَ بَنُو مَاحُوزَ فِي الْأَهْوَازِ وَفَارِسَ وَغَيْرِ ذَلِكَ، عَلَى مَا سَيَأْتِي تَفْصِيلُهُ قَرِيبًا. إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.
পৃষ্ঠা - ৬৮৪১


তারপর তিনি ইয়ামানে লোক প্রেরণ করেন ৷ ইয়ামানবাসীরাও তার পক্ষে বায়আত
করেন ৷ তিনি খুরাসাহুনও লোক প্রেরণ করেন ৷ খুরাসানবাসীরাও তার পক্ষে যায় তাতে করেন ৷
তিনি সিবিয়ায় আদ দাহহাক ইবন কাইস (রা) এর কাছে লোক হুপ্ৰরণ করেন ৷ তিনি
সিরিয়াবাসীদের থেকে বায়আত গ্রহণ করেন ৷ কেউ কেউ বলেন, দামেশ্ ক ও তার আশ-
পাশের জর্দানী শ্াহরসমুহের বাসিন্দার৷ আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) এর পক্ষে বায়আত
করেন নি ৷ কেননা ,হুসা ইন ইবন নুমাইর মক্কা থেকে সিরিয়ার প্ৰত্যাবর্ত্যনর পর সিরিয়াবাসীরা
মারওয়ান ইবনৃল হাকামের পক্ষে বায়আত করেন ৷ তবে খারিজীদের একটি দল আবদুল্লাহ
ইবন ষুব৷ ৷ইর (রা) কে সমর্থন করে ও তার পক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তোলে ৷ তাদের মধ্যে রয়েছে
নাফি ইবন আল আযরাক আবদুল্লাহ ইবন ইবাদ এবং তাদের সর্দারদের একটি বিরাট দল ৷

যখন খিলাফতের ব্যাপারে আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) এর বিষয়টি চুড়ান্ত আকার ধারণ
করে তখনই তারা তাদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগল তােম রা নিশ্চয়ই ভুল করলে, তোমরা
এ সোকটির (হযরত আবদুল্লাহ ইবন ঘুবাইর (রা)) সহযাে গী হ্য়ে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করলে
অথচ তোমরা জান না উসমান ইবন আফফার্ন (রা) ইবন আর্ফফান সম্বন্ধে অত্যন্ত জঘন্য
আকীদা পোষণ করতো ৷ সুতরাং তারা তার কাছে সমবেত হল এবং উসমান (রা) সম্পর্কে
তাকে প্রশ্ন করল ৷ তিনি তখন তাদের প্রশ্নের উত্তরে এমন কথা বললেন যা তাদ্রের পছন্দ হল
না ৷ তিনি তাদের জন্য হযরত উসমান (রা) এর ঐসব গুণাগুণ উল্লেখ করেন যা তার মধ্যে
পাওয়া যেত যেমন তার ঈমান ও দৃঢ় বিশ্বাস, ন্যায় বিচার, ইহসান, উত্তম চরিত্র, সত্য প্রকাশ
হওয়ার পর সত্যের প্রতি ঘৃণাণ্ পোষণ করতে লাগল এবং তার থেকে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে ইরাক
ও খুরাসানের বিভিন্ন শহরগুলােতে চলে গেল ৷ ওখানে তারা , তাদের পৃথক সত্তা, দীন, মাযহাব
ও আচার আচরণ নিয়ে বসবাস করতে লাগল, তাদের দল ও উপদলগুলো গুণে শেষ, করা যায়
না ৷ কেননা, মুর্থতা, বর্বরতা, বাতিল আকিদ৷ ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে তারা বিভিন্ন উপদলে
বিভক্ত হয়ে পডেছিল ৷ তা সত্তেওত তারা অধিকাংশ শহর ও অঞ্চলে প্রতিপত্তি অর্জন করেছিল,
পরে অবশ্য তারা সেখান থেকেও বিতাড়িত হয়েছিল ৷ অচিরেই আমরা তা আলোচনা করব ৷

মায়ওয়ান ইৰনুল হাকাংমর বায়আঃতর বিবরণ

ণ্ মারওয়ান ইবনুল হাকামের হাতে বায় আত গ্রহণের কারণ নিম্নরুপঃ হুসাইন ইবনলুমাইর
যখন হিজায ভুখণ্ড থেকে সিবিয়৷ প্ৰ৩া৷বর্তন করে ও উবাইদুল্লাহ ইবন যিয়াদ বসরা থেকে
সিরিয়া গমন করে বনু উমাইয়ার সদস্যগণ মদীনা থেকে সিরিয়ার স্থানান্তরিত হয় ৷ ঘুআবিয়া
ইবন ইয়াযীদের মৃ৩ার পর তারা সকলে মারওয়ান ইবনুল হাকামের কাছে একত্রিত হয় ৷
মুআবিয়া ইবন ইয়াযীদ দামেশকে হযরত আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) এর জন্য জনগণ
থেকৈ যায় তাতে গ্রহণের দৃঢ় স কল্প করেছিলেন ৷ দামেশকবাসীগণ আদ-দাহহাৰু ইবন কাইস
(রা) কে ক্ষমতা দিয়েছিলেন যাতে তিনি তাদের মধ্যে সং স্কার সাধন করেন এবং যাবতীয়
ব্যবস্থা ৷দি গ্রহণ করেন ৷ যার ফলে জনগণ তাদের জন্য নির্বাচিত একজন যোগ্য নতুন ইমামের
ছায়াতাল একত্রিত হতে পারেন ৷ আর আদ-দাহ্হাক (রা) হযরত আবদুল্লাহ ইবনুয-যুবাইর
(রা) এর জন্য যায় তাতে গ্রহণ করার ইচ্ছা পোষণ করেন ৷

আন নুমান ইবন বাশীর (বা) নাম প্রদেশে আবদুল্লাহ ইবনুম যুবাইর (রা)-এর জন্য
জনগণ থেকে বায়আত গ্রহণ করেন ৷ জাট্রুফর ইবন আবদুল্লাহ আল কিলাবী কিন্নাসারীনে


[إِمَارَةُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ] وَعِنْدَ ابْنِ حَزْمٍ وَطَائِفَةٍ أَنَّهُ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ آنَذَاكَ قَدْ قَدَّمْنَا أَنَّهُ لَمَّا مَاتَ يَزِيدُ أَقْلَعَ الْجَيْشُ عَنْ مَكَّةَ، وَهُمُ الَّذِينَ كَانُوا يُحَاصِرُونَ ابْنَ الزُّبَيْرِ وَهُوَ عَائِذٌ بِالْبَيْتِ، مَعَ أَمِيرِهِمْ حُصَيْنِ بْنِ نُمَيْرٍ السَّكُونِيِّ وَرَجَعُوا عَنْ مَكَّةَ إِلَى الشَّامِ وَاسْتَفْحَلَ أَمْرُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ بِالْحِجَازِ وَمَا وَالَاهَا، وَبَايَعَهُ النَّاسُ بَعْدَ يَزِيدَ بَيْعَةً عَامَّةً هُنَاكَ، وَاسْتَنَابَ عَلَى الْمَدِينَةِ أَخَاهُ عُبَيْدَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ، وَأَمَرَهُ بِإِجْلَاءِ بَنِي أُمَيَّةَ عَنِ الْمَدِينَةِ، فَأَجْلَاهُمْ فَرَحَلُوا إِلَى الشَّامِ، وَفِيهِمْ مَرْوَانُ وَابْنُهُ عَبْدُ الْمَلِكِ، ثُمَّ بَعَثَ أَهْلُ الْبَصْرَةِ إِلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ بَعْدَ حُرُوبٍ جَرَتْ بَيْنَهُمْ وَفِتَنٍ كَثِيرَةٍ يَطُولُ اسْتِقْصَاؤُهَا، غَيْرَ أَنَّهُمْ فِي أَقَلِّ مِنْ سِتَّةِ أَشْهُرٍ أَقَامُوا عَلَيْهِمْ نَحْوًا مِنْ أَرْبَعَةِ أُمَرَاءَ مِنْ بَيْنِهِمْ، ثُمَّ اضْطَرَبَتْ أُمُورُهُمْ، ثُمَّ بَعَثُوا إِلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ، وَهُوَ بِمَكَّةَ يَجْلِبُونَهُ إِلَى أَنْفُسِهِمْ، فَكَتَبَ إِلَى أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ لِيُصَلِّيَ بِهِمْ.
পৃষ্ঠা - ৬৮৪২
وَبَعَثَ ابْنُ الزُّبَيْرِ إِلَى أَهْلِ الْكُوفَةِ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ يَزِيدَ الْأَنْصَارِيَّ عَلَى الصَّلَاةِ، وَإِبْرَاهِيمَ بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَلَى الْخَرَاجِ، وَاسْتَوْثَقَ لَهُ الْمِصْرَانِ جَمِيعًا، وَأَرْسَلَ إِلَى أَهْلِ مِصْرَ فَبَايَعُوهُ. وَاسْتَنَابَ عَلَيْهَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ جَحْدَمٍ، وَأَطَاعَتْ لَهُ الْجَزِيرَةُ. وَبَعَثَ عَلَى الْبَصْرَةِ الْحَارِثَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ، وَبَعَثَ إِلَى الْيَمَنِ فَبَايَعُوهُ، وَإِلَى خُرَاسَانَ فَبَايَعُوهُ، وَإِلَى الضَّحَّاكِ بْنِ قَيْسٍ بِالشَّامِ فَبَايَعَ، وَقِيلَ: إِنَّ أَهْلَ دِمَشْقَ وَأَعْمَالَهَا مِنْ بِلَادِ الْأُرْدُنِّ لَمْ يُبَايِعُوهُ ; لِأَنَّهُمْ بَايَعُوا مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ لَمَّا رَجَعَ الْحُصَيْنُ بْنُ نُمَيْرٍ مِنْ مَكَّةَ إِلَى الشَّامِ، وَكَانَ قَدِ الْتَفَّ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ جَمَاعَةٌ مِنَ الْخَوَارِجِ يُدَافِعُونَ عَنْهُ ; مِنْهُمْ نَافِعُ بْنُ الْأَزْرَقِ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِبَاضٍ، وَجَمَاعَةٌ مِنْ رُءُوسِهِمْ، فَلَمَّا اسْتَقَرَّ أَمْرُهُ فِي الْخِلَافَةِ قَالُوا فِيمَا بَيْنَهُمْ: إِنَّكُمْ قَدْ أَخْطَأْتُمْ ; لِأَنَّكُمْ قَاتَلْتُمْ مَعَ هَذَا الرَّجُلِ، وَلَمْ تَعْلَمُوا رَأْيَهُ فِي عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ. وَكَانُوا يَنْتَقِصُونَ عُثْمَانَ، فَاجْتَمَعُوا إِلَيْهِ فَسَأَلُوهُ عَنْ عُثْمَانَ، فَأَجَابَهُمْ فِيهِ بِمَا يَسُوءُهُمْ، وَذَكَرَ لَهُمْ مَا كَانَ مُتَّصِفًا بِهِ مِنَ الْإِيمَانِ وَالتَّصْدِيقِ، وَالْعَدْلِ وَالْإِحْسَانِ وَالسِّيرَةِ الْحَسَنَةِ، وَالرُّجُوعِ إِلَى الْحَقِّ إِذَا تَبَيَّنَ لَهُ، فَعِنْدَ ذَلِكَ نَفَرُوا عَنْهُ، وَفَارَقُوهُ، وَقَصَدُوا بِلَادَ الْعِرَاقِ وَخُرَاسَانَ، فَتَفَرَّقُوا فِيهَا بِأَبْدَانِهِمْ وَأَدْيَانِهِمْ وَمَذَاهِبِهِمْ
পৃষ্ঠা - ৬৮৪৩


আবদুল্লাহ ইবনুয যুব হয় (বা) এর জন্য জনগণ থেকে বারআত গ্রহণ করেন ৷ নাযিল ইবন
কাইস ফিলিন্তিনের জনগণ থেকে আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রা) এর জন্য বায় আত গ্রহণ
করেন এবং সেখান থেকে রাওহ ইবন যায৷ আল জুযামীকে বইিষ্কার করে দেন ৷ অন্যদিকে
উবাইদুল্পাহ্ ইবন যিযাদ ও হুসা ৷ইন ইবন নুম৷ ৷ইর মারওয়ানের পাশে থেকে তাকে আমীর হবার
জন্য উৎসাহ দিচ্ছিল ৷ এমনকি শেষ পর্যন্ত তারা তাকে তার অভিমত পরিবতনের জন্য বাধ্য
করেছিল ৷ আর আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রা) এর মনোনীত কোন শাসক সিরিয়ার প্রবেশও
তার দ্বারা লিবিয়া হন্তগত করার পরিণতির জন্য তাকে ডীতশ্সন্ত্রস্ত করেছিল এবং তাকে
বলেছিল, আপনি কুরাশদের সম্মানিত সর্দার ৷৩ তাই আপনিই এই খিলাফতের বেশী হকদার ৷
ফলে তিনি হযরত আবদুল্লাহ ইবনুয যুব ইব (রা) এর প্ৰতি ওকৃত বায আত প্রত্যাহার করেন ৷
ইবন র্ডিংআং অংদ্স্কো করে মে, ৰ্নুউমইিরাব সদস্যগণ ব্য৩াত যদি কেউ খ্লীফা হন তাহলে
বিরাট ধ্ব সের সম্মুখীন হতে হবে ৷

এই অবস্থায়ত তারা সকলে বনু উমাইয়ার সদস্যদের ও ইয়ামনিরাসীদের নিয়ে মারওয়ানের
কাছে জমায়েত হল ৷ মারওয়ানও তাদের ইচ্ছা এবং আকাগ্রার প্রতি ৩একমত পোষণ করলেন ৷
আর বলতে লাগলেন, এখনও সময় শেষ হয়ে যায়নি ৷ হাসৃসান ইবন মালিক ইবন বাহদাল
আল-প্কালবী, আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (বা) হতে বায়আত প্রত্যাহার করার জন্য আদ-ষ্
দাহহাক ইবন কাইস (রা) কে পত্র লিখে ৷ বনু উমাইয়ার শক্তি ওন্সাহস ও দয়া, মায়ার কথা
উল্লেখ করে এবং জনগণের প্রতি তাদের সম্মান ও অ্যাধিকারের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় ৷
অন্য দিকে হাসসান ইবন মালিক বনু উমাইয়ার জন্য জর্দানবাসীদের কাছ থেকে যায় আত
গ্রহণ করেন ৷ তিনি তার বোনের :ছলে খালিদ ইবন ইয়াযীদ ইবন মুআৰিয়া ইবন আবু
সুফিয়ান এর প্ৰতি আহবান করছিলেন ৷ এ ব্যাপারে আদ-দাহহাকের কাছেও তিনি আরো
একটি পত্র প্রেরণ করেন এবং তাকে আদেশ করেন৩ তিনি যেন তার এ পত্রটি দামেশকবাসীদের
, উদ্দেশ্যে জ্বমুআর দিন মিস্বরে পাঠ করেন ৷ অন্য এক লোকের মাধ্যমে তিনি একটি পত্র পাঠান

যার নাম নাগিদাহ ইবন কুরাইব আত্তাবিজী ৷ ন্
কেউ কেউ বলেন, তিনি বনু কালবের একজন সদস্য এবং তিনি তাকে বললেন, যদি সে
জনগণের উদ্দেশ্যে পাঠ না করে তাহলে তৃমি নিজেই পাঠ করবে ৷ তারপর তাকে পত্রটি দিন

এবং সে আদ-দাহহাকের কাছে পৌছল ৷ সে তাকে পত্রটি পাঠ করতে আদেশ দিল কিন্তু তিনি
তা পালন করলেন না ৷ তারপর নাগিদাহ উঠে দাড়াল এবৎজ জনগণের উদ্দেশ্যে পত্রটি পাঠ
করল ৷ আমীরদের মধ্যে একদল এটাকে সত্য মনে করল ৷ আবার অন্যদল এটাকে মিথ্যা
ভাবতে লাগল ৷ এভাবে জনগণের মধ্যে বিরাট বিশৃগ্রলা দেখা দিল ৷

তখন খালিদ ইবন ইয়াযীদ ইবন ঘু আবিয়া মিম্বরে দু ’টি সিড়ির উপর র্দাড়ালেন এবং তিনি
ছিলেন বয়সে যুবক ৷ জনগণ শান্ত হলেন এবং আদ-দাহহাক (রা) মিম্বর থেকে নেমে গেলেন ৷
জনগণকে নিয়ে সালাতে ৩জুযুঅ৷ আদায় করলেন ৷ যারা নাগিদাহকে স৩ তা মনে করেছিল
তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ, করার জন্য আদ-দাহহাক ইবন কইিস (রা) হুকুম দিলেন ৷ কিন্তু
নাগিদাহ গোত্রের লোকজন বিদ্রোহ করে বসল এবং এভাবে তারা তাদেরকে কারাগার থেকে
বের করল ৷ আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রা) ও বনু উমাইয়া সম্বন্ধে দামেশকবাসীদের মধ্যে
অস্বস্তিকর অবস্থা বিরাজ করছিল ৷ জুমআর সালাতের পর বাবুল র্জীরুনে জনগণ সমাবেশ ও
মিছিল করে ৷ আর এ দিনটিকে ইয়াওমে জীরুন বলা হয় ৷


وَمَسَالِكِهِمُ الْمُخْتَلِفَةِ الْمُنْتَشِرَةِ، الَّتِي لَا تَنْضَبِطُ وَلَا تَنْحَصِرُ ; لِأَنَّهَا مُفَرَّعَةٌ عَلَى الْجَهْلِ وَقُوَّةِ النُّفُوسِ، وَالِاعْتِقَادِ الْفَاسِدِ، وَمَعَ هَذَا اسْتَحْوَذُوا عَلَى كَثِيرٍ مِنَ الْبُلْدَانِ وَالْكُوَرِ، حَتَّى انْتُزِعَتْ مِنْهُمْ بَعْدَ ذَلِكَ، عَلَى مَا سَنَذْكُرُهُ فِيمَا بَعْدُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ. [ذِكْرُ بَيْعَةِ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ] وَكَانَ سَبَبُ ذَلِكَ أَنَّ حُصَيْنَ بْنَ نُمَيْرٍ لَمَّا رَجَعَ مِنْ أَرْضِ الْحِجَازِ، وَارْتَحَلَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ مِنَ الْبَصْرَةِ إِلَى الشَّامِ، وَانْتَقَلَتْ بَنُو أُمَيَّةَ مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى الشَّامِ، اجْتَمَعُوا إِلَى مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ بَعْدَ مَوْتِ مُعَاوِيَةَ بْنِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، وَقَدْ كَانَ عَزَمَ عَلَى أَنْ يُبَايِعَ لِابْنِ الزُّبَيْرِ بِدِمَشْقَ، وَقَدْ بَايَعَ أَهْلُهَا الضَّحَّاكَ بْنَ قَيْسٍ عَلَى أَنْ يُصْلِحَ بَيْنَهُمْ وَيُقِيمَ لَهُمْ أَمْرَهُمْ حَتَّى تَجْتَمِعَ أُمَّةُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَالضَّحَّاكُ يُرِيدُ أَنْ يُبَايِعَ لِابْنِ الزُّبَيْرِ، وَقَدْ بَايَعَ لِابْنِ الزُّبَيْرِ النُّعْمَانُ بْنُ بَشِيرٍ بِحِمْصَ، وَبَايَعَ لَهُ زُفَرُ بْنُ الْحَارِثِ الْكِلَابِيُّ بِقِنَّسْرِينَ، وَبَايَعَ لَهُ نَاتِلُ بْنُ قَيْسٍ بِفِلَسْطِينَ، وَأَخْرَجَ مِنْهَا رَوْحَ بْنَ زِنْبَاعٍ الْجُذَامِيَّ، فَلَمْ يَزَلْ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ وَالْحُصَيْنُ بْنُ نُمَيْرٍ بِمَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ، حَتَّى ثَنَوْهُ عَنْ رَأْيِهِ، وَحَذَّرُوهُ مِنْ دُخُولِ سُلْطَانِ ابْنِ الزُّبَيْرِ وَمُلْكِهِ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৬৮৪৪

গ্দ্যেশ্বহ্ান্ন৷ বলেন জনগণ ওয়ালীদ ইবন উ৩ বা ইবন আবু সুফিয়ানকে তাদের আমীর
হিসেবে দেখতে চান ৷ কিন্তু তিনি অস্বীকার করেন এবং কয়েকদিনের মধ্যে তিনি মৃর্তুমুেখে
পতিত হন ৷ তারপর আদ দাহহাক ইবন কাইস (রা) জামে মসজিভৈদবসিশ্বরে আরোহণ
করলেন এবং জনপা:ণর সামনে থুতব৷ দিলেন ও ইয়াযীদ ইবন মুআৰিয়ার সমালোচনা
করলেন ৷ এমন সময় বনু কালবের একজন যুবক দণ্ডায়মান হয়ে তার সাথে থাকা একটি লাঠি
দ্বারা তাকে আঘাত করল ৷ জনপ০৷ নিজ নিজ তালায়ারে সজ্জিত হয়ে বলেছিলেন ৷ হঠাৎ
কয়েকজন দাড়িয়ে গেল এবং একে অন্যের উপর হামলা শুরু করে দিল ৷ এভাবে প্রচণ্ড সংঘ
দেখা ৷৷দল ৷ ইবন কাইস এবং তার সমর্থকরা আবদুল্লাহইবন যুবাইর (বা) এব প্রতি জনগণকে
আহবান করতে লাপলেন এবং তারা আদ-দাহহাক ইবন কাইসকে সত্রিয় সহযোগিতা করতে
লানলেন ৷

পক্ষাভরে বন কালবের সদস্যরা বনু উমাইয়ার দিকে জনগণকে আহবান করতে লাগল
এবং খালিদ ইবন ইয়াযীদ ইবন মু আবিয়া ইবন মু আবিয়া ৷র পক্ষে বায়আত ব্যক্ত করার জন্য
সকলকে আহবান করলেন ৷ তারা ইয়াযীদ এবং ইয়াযীদ পরিবারের প্রতি পক্ষপাতিতৃ করতে
লাগলেন ৷ তারপর আদ-দাহহাক ইবন কাইস (রা) উঠে দাড় ল এবং রাজপ্রাসাদে প্রবেশ
করলেন ৷ তিনি দরজা বন্ধ করে দিলেন এবং শনিবার ফজরের সালাতে র পুর্ব পর্যন্ত জনগণের

কাছে (বর হলেন না ৷ তারপর তিনি বনু উঘাইয়ার সদস্যদের নিকট লোক প্রেরণ করলেন এবং

তাদেরকে তার কাছে ডাকঃলন ৷ তারা তার কাছে আসলেন ৷ আর তাদের মধ্যে ছিলেন
মারওয়ান ইবনৃল হাকাম আমর ইবন সায়ীদ ইবনুল আন এবং ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়ার
দু আ ৷পুত্র খা৷নদও ওআবদুল্লাহ ৷

মাদায়িনী আরো ৷ন্বলে ৷, পুর্বে যা কিছু ঘটে গেছে তার জন্য আদ দাহহাক তাদের কাছে
ক্ষমা প্রাথন৷ করেন এবং তাদের সাথে ঐক্যমত স্থাপন করে হাস্সান ইবন মালিক আল
কালবীর কাছে গমন করতে রাজী হন ৷ যাতে তারা সকলে মিলে বনু উমাইয়৷ থেকে
যেকোন একজনকে আমীর নিযুক্ত করতে পারেন এবং সকলে মিলে তার পেছনে ঐক্যবদ্ধ
থাকবেন ৷ তারা যখন হাসসানের উদ্দোশ্য আল-জাবীয়ার দিকে গমন করছিলেন,
ঘুআবিয়া ইবন সাউর ইবন আল আখনাস দলবলসহ তাদের সামনে এসে উপস্থিত হলেন
এবং ইবন কাইসকে লক্ষ্য করে বলেন, তুমি আমাদেরকে আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা)-
এর প্রতি বাহৃাআত করার জন্য আহবান করেছিলে, আমরাও তােমার আহবানে সাড়া
দিায়ছিলাম কিন্তু এখন তুমি আবার এই বেদুইনটার কাছে যাচ্ছ যাতে সে তার বোনের পুত্র
খালিদ ইবন ইয়াযীদ ইবন মুআৰিয়াকে খলীফা নির্ধারণ করে ৷ আদ-দাহহাক তখন তাকে
বললেন এখন কী করা যায় ? তিনি বললেন, এখন আমরা যা খুশী তা ই প্রকাশ করবো,
চল আমরা আবদুল্লাহ ইবন যুবাই র (রা)-এর আনুগত্যের প্ৰতি সকলকে আহবান করি এবং
যারা অস্বীকার করবে৩ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করি ৷

এভাবে আদদাহহাক (রা) ও তার সাথীর৷ আবদুর হ ইবন যুবাইব (রা) এর প্ৰতি ঝুকে
পড়লেন এবং তিনি দামেশকে প্র৩ ৷৷বর্দ্রন করলেন, কাইস গোত্রও তার সমর্থকপণ দ্বারা গঠিত
সেনাবাহিনীর কিছু অংশসহ তিনি সেখানে অবস্থান করেন ৷ সেনাবাহিনীর বিভাগীয় প্রধানদের
কাছে লোক প্রেরণ করেন এবং জনগণ থেকে আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (বা) এর জন্য বায়আত

দ্যেলোঃপ্:পুিচা৷ম্রাদ্ভদ্দৌতদুতো৷র্শ্ব

الشَّامِ وَقَالُوا لَهُ: أَنْتَ شَيْخُ قُرَيْشٍ وَسَيِّدُهَا، فَأَنْتَ أَحَقُّ بِهَذَا الْأَمْرِ. وَالْتَفَّ عَلَيْهِ هَؤُلَاءِ كُلُّهُمْ مَعَ قَوْمِهِ بَنِي أُمَيَّةَ وَمَعَ أَهْلِ الْيَمَنِ، فَوَافَقَهُمْ، وَجَعَلَ يَقُولُ: مَا فَاتَ شَيْءٌ. وَكَتَبَ حَسَّانُ بْنُ مَالِكِ بْنِ بَحْدَلٍ الْكَلْبِيُّ إِلَى الضَّحَّاكِ بْنِ قَيْسٍ يَثْنِيهِ عَنِ الْمُبَايَعَةِ لِابْنِ الزُّبَيْرِ، وَيُعَرِّفُهُ أَيَادِيَ بَنِي أُمَيَّةَ عِنْدَهُ وَإِحْسَانَهُمْ إِلَيْهِ، وَيَذْكُرُ فَضْلَهُمْ وَشَرَفَهُمْ، وَقَدْ بَايَعَ حَسَّانُ بْنُ مَالِكٍ أَهْلَ الْأُرْدُنِّ لِبَنِي أُمَيَّةَ، وَهُوَ يَدْعُو إِلَى ابْنِ أُخْتِهِ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، وَبَعَثَ إِلَى الضَّحَّاكِ بِذَلِكَ، وَأَمَرَهُ أَنْ يَقْرَأَ كِتَابَهُ عَلَى أَهْلِ دِمَشْقَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ عَلَى الْمِنْبَرِ، وَبَعَثَ بِالْكِتَابِ مَعَ رَجُلٍ يُقَالُ لَهُ: نَاغِضَةُ بْنُ كُرَيْبٍ الطَّابِخِيُّ. وَقِيلَ: هُوَ مِنْ بَنِي كَلْبٍ. وَقَالَ لَهُ: إِنْ لَمْ يَقْرَأْهُ هُوَ عَلَى النَّاسِ فَاقْرَأْهُ أَنْتَ. وَأَعْطَاهُ نُسْخَةً بِهِ، فَسَارَ إِلَى الضَّحَّاكِ، فَأَمَرَهُ بِقِرَاءَةِ الْكِتَابِ، فَلَمْ يَقْبَلْ، فَقَامَ نَاغِضَةُ فَقَرَأَهُ عَلَى النَّاسِ، فَصَدَّقَهُ جَمَاعَةٌ مِنْ أُمَرَاءِ النَّاسِ، وَكَذَّبَهُ آخَرُونَ، وَثَارَتْ فِتْنَةٌ عَظِيمَةٌ بَيْنَ النَّاسِ، فَقَامَ خَالِدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ - وَهُوَ شَابٌّ حَدَثٌ - عَلَى دَرَجَتَيْنِ مِنَ الْمِنْبَرِ، فَسَكَّنَ النَّاسَ، وَنَزَلَ الضَّحَّاكُ فَصَلَّى بِالنَّاسِ الْجُمُعَةَ، وَأَمَرَ الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ بِأُولَئِكَ الَّذِينَ صَدَّقُوا نَاغِضَةَ أَنْ يُسْجَنُوا، فَثَارَتْ قَبَائِلُهُمْ، فَأَخْرَجُوهُمْ مِنَ السِّجْنِ، وَاضْطَرَبَ أَهْلُ دِمَشْقَ فِي ابْنِ الزُّبَيْرِ وَبَنِي أُمَيَّةَ، وَكَانَ اجْتِمَاعُ النَّاسِ وَوُقُوفُهُمْ بَعْدَ صَلَاةِ الْجُمُعَةِ بِبَابِ الْجَيْرُونِ، فَسُمِّيَ هَذَا الْيَوْمُ يَوْمَ جَيْرُونَ. قَالَ الْمَدَائِنِيُّ: وَقَدْ أَرَادَ النَّاسُ الْوَلِيدَ بْنَ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ عَلَى أَنْ يَتَوَلَّى
পৃষ্ঠা - ৬৮৪৫

৪৩৮ আল-বিদায়৷ ওয়াননিহায়া ন্

গ্রহণ করেন ৷ এ ঘটনা ৷প্রবাহ সম্বন্ধে আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা)-কে অবগত করানোর জন্য
তিনি তার কাছে একটি পত্র লিখেন ৷

এদিকে আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা)৩ তার পত্র পেয়ে মক্কাবাসীদেরকে তা জানান এবং
তার কাজের জন্য , ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তার কাছে অভিনন্দন পত্র প্রেরণ করেন ও তাকে
সিরিয়ার গভর্নর হিসেবে নিয়োগপত্র প্রেরণ করেন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, আদ-
দাহহাক (বা) নিজের জন্য খিলাফতেব বায়আত গ্রহণ করেছিলেন ৷ আল্লাহ্ই অধিক
জ্ঞাত ৷ মাদায়িনী (রা) উল্লেখ করেছেন, আদ দাহ্হাক (রা) প্রথমত আবদুল্লাহ ইবন
যুবাইর (বা) এর বায়আতে ব প্রতি আহবান জ নিয়েছিলেন ৷ তারপর উবাইদুল্লাহ্ ইবন
যিয়াদ তাকে নিজের জন্য বায়আত গ্রহণ করতে প্ররােচিত করেছিলেন ৷ এটা আসলে তার
ব্যাপারে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য এবং সে যা সমর্থন করত তার মধ্যে বিশৃৎখলা ঘটবাের
জন্য এরুপ পরামর্শ দিয়েছিলেন ৷ ,

তারপর আদ-দাহহ ক (রা)৩ তিন দিন পর্যন্ত নিজের জন্য বায়আর্ভের আহবান করলেন ৷
জনগণ তার উপর নাখোশ হল এবং বলতে লাগল, তুমি আমাদেরকে এক ব্যক্তির প্রতি
বায়আত গ্লুহণ করার জন্য আহবান করেছিলে ৷ আমরা তার প্রতি বায়আত করেছিলাম ৷
তারপর কোন কারণ ও অজুহাত ব্যতীত তুমি যে যায় তাতে প্রত্যাখ্যান করলে ৷ এরপর তুমি
তোমার নিজের প্রতি আমাদেরকে বায় আত করার জন্য আহবান কৃরছ ? তারপর তিনি
আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) এর বায়আৰ তর প্রতি প্রত্যাবর্তন করেন ৷ জনগণের কাছে তার
মর্যাদা অক্ষুণু হয় ৷ আর এটাই ইবন যিয়াদ চেয়েছিল ৷

আদ দাহ্হাক (রা) এর মারওয়া নের সাথে মিলিত হওয়া এবং পরে নিজের জন্য
বায়আতের আহবান করা, আবার মারওয়ান থেকে পৃথক হওয়া ইত্যাদি আদ দাহ্হাক (রা)
কে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য স ং ঘটিত করা হয়েছিল ৷ ইবন যিয়াদ দামেশকে
আদণ্দাহহাক (রা)-এর কাছে অবস্থান করে এবং প্রতিদিন তার কাছে, আসা-যাওয়৷ করে
সম্পর্ক করে ৷ তারপর ইবন যিয়াদ আদদাহহাক (বা) কে ইঙ্গিত করে যেন আদ-দাহহাক
দামেশক থেকে ময়দানে বের হয়ে পড়ে যায় আর সেনাকাহিনীকে তার দিকে আহবান করে
যাতে তার প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পায় ৷ আদ-দাহহাক মারজে রাহান্থ৩ র দিকে ৱওয়ান৷ হন এবং তার
সাতে যে সব সেনাবাহিনীর সদস্য ছিল তাদেরকে নিয়ে সেখানে অবতরণ করেন ৷ বনু
উমাইয়ার সদস্যরা ও: তাদের অনুগামী জর্দানবাসীরা এবং বনু কালবের হাসৃসান ইবন
মালিকের সম্প্রদায়ের লোকেরা সেখানে একত্রিত হল ৷

মারওয়ান যখন দেখলেন, আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর(রা)-এর প্রতি বায়-আত সুসম্পন্ন
হচ্ছে এবং রাষ্ট্রক্ষমতা তার অনুকুলে সুদৃঢ় হয়েছে তখন আবদুল্লাহ্ ইবন যুবাইর (বা) এর
প্রতি বাইয়া৷ত করার জন্য রওয়ান৷ হতে মনস্থ করলেন, যাতে তিনি বনু উমাইয়ায় জন্য
আবদুল্লাহ্ ইবন যুবাইর (রা) থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারেন ৷ মারওয়ান রওয়ানা
হবার পর অ ায়রুতাত নামক স্থানে গেলে ইবন যিয়াদ তার সাথে সাক্ষাত করে ৷ ইবন
যিয়াদ ইরাক থেকে আসছিল ৷ সে মারওয়ানকে সেখানে থামিয়ে দিল এবং তার
অভিমতকে পাল্টিয়ে দিল ৷ তার সাথে আমরৰুৰুইবন সাঈদ ইবনুল আস, হুসাইন ইবন
নুমাইর ইয়ামানের বাসিন্দা অন্যরা একত্রিত হল ৷ তারা সকলে মিলে মারওয়ানকে বলল,


عَلَيْهِمْ فَأَبَى، وَهَلَكَ فِي تِلْكَ اللَّيَالِي، ثُمَّ إِنَّ الضَّحَّاكَ بْنَ قَيْسٍ صَعِدَ مِنْبَرَ الْمَسْجِدِ الْجَامِعِ، فَخَطَبَهُمْ بِهِ، وَنَالَ مِنْ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، فَقَامَ إِلَيْهِ شَابٌّ مِنْ بَنِي كَلْبٍ، فَضَرَبَهُ بِعَصًا كَانَتْ مَعَهُ وَالنَّاسُ جُلُوسٌ مُتَقَلِّدِي سُيُوفَهُمْ، فَقَامَ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ، فَاقْتَتَلُوا فِي الْمَسْجِدِ قِتَالًا شَدِيدًا ; فَقَيْسٌ وَمَنْ لَفَّ لَفِيفَهَا يَدْعُونَ إِلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ وَيَنْصُرُونَ الضَّحَّاكَ بْنَ قَيْسٍ، وَبَنُو كَلْبٍ يَدْعُونَ إِلَى بَنِي أُمَيَّةَ وَإِلَى الْبَيْعَةِ لِخَالِدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، وَيَتَعَصَّبُونَ لِيَزِيدَ وَأَهْلِ بَيْتِهِ، فَنَهَضَ الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ، فَدَخَلَ دَارَ الْإِمَارَةِ وَأَغْلَقَ الْبَابَ، وَلَمْ يَخْرُجْ إِلَى النَّاسِ مِنْ يَوْمِ السَّبْتِ لِصَلَاةِ الْفَجْرِ، ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَى بَنِي أُمَيَّةَ، فَجَمَعَهُمْ إِلَيْهِ فَدَخَلُوا عَلَيْهِ، وَفِيهِمْ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ، وَعَمْرُو بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، وَخَالِدٌ وَعَبْدُ اللَّهِ ابْنَا يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ. قَالَ الْمَدَائِنِيُّ: فَاعْتَذَرَ إِلَيْهِمْ مِمَّا كَانَ مِنْهُ، وَاتَّفَقَ مَعَهُمْ أَنْ يَرْكَبَ مَعَهُمْ إِلَى حَسَّانَ بْنِ مَالِكٍ الْكَلْبِيَّ، فَيَتَّفِقُوا عَلَى رَجُلٍ يَرْتَضُونَهُ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ لِلْإِمَارَةِ، فَرَكِبُوا جَمِيعًا إِلَيْهِ، فَبَيْنَمَا هُمْ يَسِيرُونَ إِلَى الْجَابِيَةِ لِقَصْدِ حَسَّانَ، إِذْ جَاءَ ثَوْرُ بْنُ مَعْنِ بْنِ الْأَخْنَسِ فِي قَوْمِهِ قَيْسٍ، فَقَالَ لَهُ: إِنَّكَ دَعَوْتَنَا إِلَى بَيْعَةِ ابْنِ الزُّبَيْرِ فَأَجَبْنَاكَ، وَأَنْتَ ذَاهِبٌ إِلَى هَذَا الْأَعْرَابِيِّ لِيَسْتَخْلِفَ ابْنَ أُخْتِهِ خَالِدَ بْنَ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، فَقَالَ لَهُ الضَّحَّاكُ: فَمَا الرَّأْيُ؟ قَالَ: الرَّأْيُ أَنْ نُظْهِرَ مَا كُنَّا نُسِرُّ، وَأَنْ نَدْعُوَ إِلَى طَاعَةِ ابْنِ الزُّبَيْرِ وَنُقَاتِلُ عَلَيْهَا. فَمَالَ الضَّحَّاكُ بِمَنْ مَعَهُ، فَرَجَعَ إِلَى دِمَشْقَ فَأَقَامَ بِهَا بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْجَيْشِ مِنْ قَيْسٍ وَمَنْ لَفَّ لَفِيفَهَا، وَبَعَثَ إِلَى أُمَرَاءِ الْأَجْنَادِ، وَبَايَعَ النَّاسَ لِابْنِ الزُّبَيْرِ، وَكَتَبَ بِذَلِكَ إِلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ يُعْلِمُهُ بِذَلِكَ،
পৃষ্ঠা - ৬৮৪৬


আপনি কুরায়শদের একজন বয়ােবৃদ্ধ লোক ৷ অন্যদিকে খালিদ ইবন ইয়াযীদ একজন
যুবক এবং আবদুল্লাহ্ ইবন যুবাইর (বা) একজন গৌঢ় ৷ এক লোহ৷ দিয়ে অন্য এক
লােহাকে আঘাত করা যায় ৷ কাজেই আপনি এ যুবককের প্রতি আস্থা স্থাপন করবেন না ৷
তার উপর আপনি প্রভাব বিস্তার করুন ৷ আমরা আপনার হাতে বায়আত করছি ৷ আপনি
হ্াত বাড়িয়ে দিন ৷ মারওয়ান হাত বাড়িয়ে দিলেন এবং তারা সকলে ’ ৬৪ হিজরীর
যিলকা দ মাসের তিন তারিখ বুধবার আল জারীয়া নামক স্থানে তার হাতে বায় ত্মাত গ্রহণ
করেন ৷ এ ভাষাও ওয়াকিদী (র) এর ৷

এখানে বায়আতের কাজ শেষ হওয়ার পর মারওয়ান তার সাতে যারা ছিল তাদেরকে নিয়ে
আদ-দাহ্হাক ইবন কইিস (রা)-এব দিকে রওয়ানা হন ৷ তারা দুজন মারজে রাইিত নামক
স্থানে একে অন্যের মোকাবেলা করেন ৷ মারওয়ান ইবনুল হাকাম আদষ্দাহহাক (রা) এর উপর
জয়লাভ কারন এবং তীকে হত্যা করেন ৷ আর কাইসের গােত্রীয় সৈনদেলও তুমুল যুদ্ধ করে
যার নজীর অতিশয় বিরল ৷

ওয়াকিদী (র) প্রমুখ বলেন, উপরোক্ত ঘটনাটি ৬৫ হিজরীর মুহররম মাসে সং ঘটিত
হয়েছিল ৷ মুহাম্মদ ইবন সা দের একটি বর্ণনার দেখা যায়, আল ওয়াকিদী ও অন্যদের নতে এ
ঘটনাটি ঘটেছিল ৬৪ হিজরীর শেষের দিকে ৷

আল-লাইস, ইবন সাঈদ, ওয়াকিদী ,আল-মাদায়িনী, আবু সুলাইমান ইবন ইয়াযীদ, আবু
উবাইদ৷ প্রমুখ বলেন, “মারজ রাহব্ তে’র ঘটনাটি ৬৪ হিজরীর যিলহ্জ্জ্ব মাসের ১৫ তারিখ
সংঘটিত হয়েছিল ৷ আল্পাহ্ই অধিক পরিজ্ঞাত


فَذَكَرَهُ ابْنُ الزُّبَيْرِ لِأَهْلِ مَكَّةَ وَشَكَرَهُ عَلَى صَنِيعِهِ، وَكَتَبَ إِلَيْهِ بِنِيَابَةِ الشَّامِ، وَقِيلَ: بَلْ بَايَعَ النَّاسَ لِنَفْسِهِ بِالْخِلَافَةِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ أَيُّ ذَلِكَ كَانَ. وَالَّذِي ذَكَرَهُ الْمَدَائِنِيُّ أَنَّهُ إِنَّمَا دَعَا إِلَى بَيْعَةِ ابْنِ الزُّبَيْرِ أَوَّلًا، ثُمَّ حَسَّنَ لَهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ أَنْ يَدْعُوَ إِلَى نَفْسِهِ، وَذَلِكَ مَكْرٌ مِنْهُ بِهِ، فَدَعَا الضَّحَّاكُ إِلَى نَفْسِهِ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، فَنَقَمَ النَّاسُ عَلَيْهِ ذَلِكَ، وَقَالُوا: دَعَوْتَنَا إِلَى الْبَيْعَةِ لِرَجُلٍ فَبَايَعْنَاهُ، ثُمَّ خَلَعْتَهُ مِنْ غَيْرِ سَبَبٍ وَلَا عُذْرٍ، وَدَعَوْتَ إِلَى نَفْسِكَ! فَرَجَعَ إِلَى الْبَيْعَةِ لِابْنِ الزُّبَيْرِ، فَسَقَطَ بِذَلِكَ عِنْدَ النَّاسِ، وَذَلِكَ الَّذِي أَرَادَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ. وَكَانَ اجْتِمَاعُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ بِهِ بَعْدَ اجْتِمَاعِهِ بِمَرْوَانَ وَتَحْسِينِهِ لَهُ أَنْ يَدْعُوَ إِلَى نَفْسِهِ، ثُمَّ فَارَقَهُ لِيَخْدَعَ لَهُ الضَّحَّاكَ، فَنَزَلَ عِنْدَهُ بِدِمَشْقَ، وَجَعَلَ يَرْكَبُ إِلَيْهِ فِي كُلِّ يَوْمٍ، ثُمَّ أَشَارَ ابْنُ زِيَادٍ عَلَى الضَّحَّاكِ أَنْ يَخْرُجَ مِنْ دِمَشْقَ إِلَى الصَّحْرَاءِ وَيَدْعُوَ بِالْجُيُوشِ إِلَيْهِ لِيَكُونَ أَمْكَنَ لَهُ، فَرَكِبَ الضَّحَّاكُ إِلَى مَرْجِ رَاهِطٍ، فَنَزَلَ بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْجُنُودِ، وَعِنْدَ ذَلِكَ اجْتَمَعَتْ بَنُو أُمَيَّةَ وَمَنْ تَبِعَهَا بِالْأُرْدُنِّ، وَاجْتَمَعَ إِلَيْهِمْ مِنْ هُنَالِكَ مِنْ قَوْمِ حَسَّانَ بْنِ مَالِكٍ مِنْ بَنِي كَلْبٍ. وَلَمَّا رَأَى مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ مَا انْتَظَمَ مِنَ الْبَيْعَةِ لِابْنِ الزُّبَيْرِ، وَمَا اسْتَوْسَقَ لَهُ مِنَ الْمُلْكِ، عَزَمَ عَلَى الرَّحِيلِ إِلَيْهِ لِيُبَايِعَهُ وَلِيَأْخُذَ مِنْهُ أَمَانًا لِبَنِي أُمَيَّةَ، فَسَارَ حَتَّى بَلَغَ أَذْرِعَاتٍ فَلَقِيَهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ مُقْبِلًا مِنَ الْعِرَاقِ، فَصَدَّهُ عَنْ ذَلِكَ، وَهَجَّنَ رَأْيَهُ، وَاجْتَمَعَ إِلَيْهِ عَمْرُو بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، وَحُصَيْنُ بْنُ نُمَيْرٍ، وَابْنُ زِيَادٍ، وَأَهْلُ الْيَمَنِ وَخَلْقٌ، فَقَالُوا لِمَرْوَانَ: أَنْتَ كَبِيرُ قُرَيْشٍ وَرَئِيسُهَا، وَخَالِدُ بْنُ يَزِيدَ غُلَامٌ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ كَهْلٌ، وَإِنَّمَا يُقْرَعُ الْحَدِيدُ بَعْضُهُ بِبَعْضٍ، فَلَا تُبَارِهِ بِهَذَا الْغُلَامِ، وَارْمِ بْنحْرِكَ فِي نَحْرِهِ، وَنَحْنُ نُبَايِعُكَ، ابْسُطْ يَدَكَ. فَبَسَطَ يَدَهُ، فَبَايَعُوهُ
পৃষ্ঠা - ৬৮৪৭

মারজ রাহিত আদ-দাহ্হাক ইবন কাইস আল ফিহরী
(বা) এর হত্যার ঘটনা

মুআৰিয়া ইবন আবু সুফিয়ান (রা ) এর আমলে আদ দাহ্হাক (রা) দামৈশকের নায়িব ,
ছিলেন ৷ যখন মুআৰিয়া (রা ) ণ্ৰু তার সাথীরা কোন কাজে ব্যস্ত থাকতেন অথবা দামেশক
হতে অনুপস্থিত থাকাতন তখন আদ দাহ্হাক (রা) লোকদেরকে নিয়ে সালাত আদায়
করতেন ৷ তিনি অপরাধের বিচার করতেন এবং যাবতীয় কাজের দেখাশুনা করতেন ৷
আমীর মুআবিয়া ৷রা ) যখন ইনতিকাল করেন তখন আদ দাহ্হাক (রা) ইয়াযীদের পক্ষে
জনগণ থেকে বায়আত গ্রহণের দায়িৎ পালন করেন ৷ তারপর ইয়াযীদ :ৰুাখন মারা;যায়
জনগণ মুআবিয়৷ ইবন ইয়াযীদের অনুকুলে বায়আত করেন ৷ এরপর মুআবিয়৷ ইবন
ইয়াযীদ যখন মারা যায় জনগণ দামেশকে আদ দাহ্হাক (রা)এর হাতে এ মর্মে বায়আত
করেন যে, তিনি এমন ব্যবস্থাদি সম্পন্ন করবেন যাতে জনগণ একজন সুযোগ ইমামেৱ
পেছনে একত্রিত হতে পারেন »

তারপর আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা)-এর প্রতি; বায়আত করার কাজটি বিন্তুতি লাভ
করল, তখন তিনি আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা)এর হাতে বায়আত গ্রহ্যণর জন্য মনস্থ
করেন ৷ তিনি একদিন জনগদ্বণর সামনে খুতব৷ দেন এবং ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়ার ত্রুটিংন্লো
নিয়ে আলোচনা করেন ৷ জড়ামী মসজিদে বিশৃৎখলা দেখা দেয় ৷ এমনকি লোকজন তলােয়ার
নিয়ে যুদ্ধ শুরু করল ৷ কিছুক্ষণ পর জনগণ নীরব হলো ৷

আদ দাহ্হাক (রা) খজেরা নামক রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করেন এবং দরজায় তাল৷ লাগিয়ে
দেন ৷ পরে তিনি জর্দানে অবস্থানরত হাসৃসান ইবন মালিক ইবন বাহদালের কাছে বনু
উমাইয়ার সদস্যসহ পমন করতে একমত হন ৷ যাতে ৩তিনি উপযুক্ত ইমামের ব্যাপারে তার মত
ব্যক্ত করেন ৷ হাসৃসান তার বোনের ছেলে খালিদ ইবন ইয়াযীদের হাতে বায়আত করার জন্য
ইচ্ছা পোষণ করছিলেন, সেখানে ইয়াযীদ ইবন মাইসুন বিনত বাহদাল ও হাসৃসানের বোন
উপস্থিত ছিল ৷ তাদেরকে নিয়ে আদ্ দাহ্হাক (রা) যখন রওয়ান৷ হলেন অধিকাংশ
সেনাবাহিনী তার দল ত্যাগ কবণ্ ৷ ৷ত তাই তিনি দামেশকে ফিরে আসলেন এবং সেখানে অবস্থান
করাছলেন ৷ তিনি সেনাবাহিনীর বিভিন্ন বিভাগের প্রধানদের কাছে লোক প্রেরণ করেন ৷
অন্যদিকে বনু উমাইয়ার সদস্যরা মারওয়ান, আমর ইবন সাঈদ, ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়ার দুই
পুত্র খালিদ ও আবদুল্লাহ রওয়ান৷ হলেন এবং তারা আল-জাবীয়া নামক স্থানে হাসৃসান ইবন
মালিকের সাথে একত্রিত হলেন ৷ আদ দাহ্হাক ইবন কাইস (রা)শ্ এর তুলনায় তাদের
উল্লেখযোগ্য কোন শক্তিই ছিল না ৷ তাই মারওয়ান আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) এর হাতে

বায়আত গ্রহণ ও বনু ৬ম ইয়ার সদস্যদের জন্য একটি নিরাপত্তানাম৷ অর্জন করার জন্য
আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) এর কাছে যাওয়ার মনস্থ করলেন ৷ বনু উমাইয়ার সদস্যদের জন্য
নিরাপত্তা নামার প্রয়োজন ছিল অত্যধিক ৷ কেননা, আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) তাদেরকে
মদীনা থেকে বিতাড়িত করার হুকুম দিয়েছিলেন ৷


بِالْجَابِيَةِ فِي يَوْمِ الْأَرْبِعَاءِ لِثَلَاثٍ خَلَوْنَ مِنْ ذِي الْقِعْدَةِ، سَنَةَ أَرْبَعٍ وَسِتِّينَ. قَالَهُ الْوَاقِدِيُّ. فَلَمَّا تَمَهَّدَ لَهُ الْأَمْرُ سَارَ بِمَنْ مَعَهُ نَحْوَ الضَّحَّاكِ بْنِ قَيْسٍ، فَالْتَقَيَا بِمَرْجِ رَاهِطٍ، فَغَلَبَهُ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ، وَقَتَلَهُ وَقَتَلَ مِنْ قَيْسٍ مَقْتَلَةً لَمْ يُسْمَعْ بِمِثْلِهَا، عَلَى مَا سَيَأْتِي تَفْصِيلُهُ فِي أَوَّلِ سَنَةِ خَمْسٍ وَسِتِّينَ. فَإِنَّ الْوَاقِدِيَّ وَغَيْرَهُ قَالُوا: إِنَّمَا كَانَتْ هَذِهِ الْوَقْعَةُ فِي الْمُحَرَّمِ مِنْ أَوَّلِ سَنَةِ خَمْسٍ وَسِتِّينَ. وَفِي رِوَايَةِ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ الْوَاقِدِيِّ وَغَيْرِهِ قَالُوا: إِنَّمَا كَانَتْ فِي أَوَاخِرِ هَذِهِ السَّنَةِ. وَقَالَ اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، وَالْوَاقِدِيُّ، وَالْمَدَائِنِيُّ، وَأَبُو سُلَيْمَانَ بْنُ زَبْرٍ، وَأَبُو عُبَيْدَةَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ: كَانَتْ وَقْعَةُ مَرْجِ رَاهِطٍ لِلنِّصْفِ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَسِتِّينَ. وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৬৮৪৮

মারওয়ন রওয়ানা হন ৷ যখন আযরংআত নামক স্থানে ৷,প্া৷ছলেন তখন উবাইদুল্লাহ্
ইবন যিয়াদের সাথে তার নাক্ষাত হয় যে ইরাক থেকে আনছিল ৷ উবাইদুল্লাহ্ ইবন
যিয়াভৈদর সাথে ছিলেন হুমাইন ইবৃর্নইনৃমাইর এবং আমর ইবন সাঈদ ৷ তারা সকলে মিলে
মড়ারওয়ল্দোক উৎসাহিত করতে লাগালন, যেন তিনি নিজের জনা’নকলের কাছে বায়আতের
আহবান জানান৷ কেননা তিনি খিলাফতের ব্যাপারে আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর ণ্(রা) থেকে
অধিকতর যোগ্য ৷ আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (বা) মুসলিম জামায়াত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে
পড়েছেন এবং তিনজন খলীফা থেকে বায়অড়াত প্রত্যাহার করে রয়েছেন ৷ তারা সকলে
মিলে এ ব্যাপারে মারওয়াহ্ব ৷র উপর চাপ প্রয়োগ করতে লাগলেন যতক্ষণ না তিনি এ
ব্যাপারে রাষী হলেন ৷

উবাইদৃল্লাহ ইবন যিয়াদ তাকে বলল আমি এক্ষুণি দামেশকে অবস্থানরত আদ দাহহাক
(বা) এর কাছে যাচ্ছি ৷ আপনার স্বার্থে আমি তাকে পতারিত করব এবং৩ তার কাজের জন্য
াকেত অপমানিত করব ৷ এ কথাবলে সে দামেশকে চলে গেল এবং প্রতিদিনই তার কাছে
এবলার গমন করত ও প্রেমপ্রীর্ডি ভালবাসা, শ্রদ্ধা ইত্যাদি প্রদর্শন করত ৷ এরপর তাকে
জনগণের প্রতি নিজের জন্য বায়আত গ্রহণের আহবান আবদুল্লাহ ইবন যুব ইব (র ) এর
যায় তাতে প্রত্যাহার ইত্যাদি ব্যাপারে প্ররোচিত করে ৷ কেননা আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা)
থেকে মারওয়ান বেশী হকদার বলে সে প্রকাশ করতে লাগল ৷ ”

ইবন যিয়াদ তাকে আরো বলল, আপনি আমানত ও আনুগত্যের ব্যাপারে অত্যন্ত প্রসিদ্ধ ৷
আর আবদুল্লাহ ইবন যুব৷ ৷ইর (রা) জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন ৷ এরুপ কথায় প্রতা ন্ত
হয়ে আদদাহ্হাক (রা)৩ তিনদিন নর্যম্ভ জনগণকে তার প্ৰতি বায় আত করার জন্য আহবান
জানান ৷ কিন্তু কেউই তার ডাকে সাড়া দিল না ৷৩ তাই তিনি আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) এর
প্ৰতি যায় তাতে করার জন্য জনগণের প্রতি পুনরায় আহবান জ ৷নান কিন্তু এতে জনগণের কাছে
তার তাবয়ুর্তি ক্ষুগ্ন হয়ে পড়ল এরপর ইবন যিয়াদ তাকেবলল, আপনি যা চান আর অন্য
যায়৷ তা চায়,তার৷ শহর বন্দরেঅবতরণ করবে না তারা অবতরণ করবে মাঠে এবং আপনার
বিরুদ্ধে র্সেখানে তারা সেনাতলব করবে ৷ একথা শুনে আদদাহ্হাক (রা) মারজে রাহিত
নামক স্থানে আগমন করেন এবং সেখানে অবতরণ করেন ৷ ইবন যিয়াদ দামেশকে অবস্থান
করতে লাগলেন ৷ বনু উমাইয়া৩ তাদমুর নামক স্থানে অবস্থান করছিল ৷ আর খালিদ ও
আবদুল্লাহ আল জারীয়া নামক স্থানে তাদের মামা হাসৃসানের কাছে অবস্থান করছিল ৷ ইবন
যিয়াদ মারওয়ানের কাছে পত্র লিখে তাকে জনগণের কাছে স্বীয় নিজের দাবী প্রকাশ করার
জন্য জনগণকে আহবান জানান ৷ মারওয়ান খালিদ ইবন ইয়াষীদের মাতা উম্মে হাশিম বিনত
হাশিম উতবা ইবন রাবীআকে বিবাহ করেন ৷ তার বিষয়টি প্রসিদ্ধি লাভ করল এবং জনগণ
তার প্ৰতি বায়আত করল ও জনগণ তার সাথে ঐক্যমত ঘোষণা করল ৷ মারওয়ান আদ
দাবহহাক ইবন কাইসের প্ৰতি মারজে রাহিতে গমন করে ৷ সেখানে উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ

হুতার ভাই আব্বাদ ইবন যিয়াদও সেখানে হা ৷যির হয় ৷ মারওয়ানের সাহায্যে আগ৩ সৈন্য

সট্রুখা৷ দীড়ায় ১৩ হাজার ৷

মারওয়ানের পক্ষ থেকে দামেশকে যাকে শাসক নিয়োগ করা হয়৩ তার নাম ইয়াষী দ ইবন
আবুনৃনমর আর দামেশক হতে আদ দাহ্হাক(রা)এর নিযুক্ত শ্া৷নককে বের করে দেয়া হয় ৷
তিনি অস্ত্রশস্ত্র ও জনবল দিয়ে মারওয়ানকে সাহায্য করতে লাগলেন ৷ কারো কারো মতে; ঐ

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া৫৬

[وَقْعَةُ مَرْجِ رَاهِطٍ وَمَقْتَلُ الضَّحَّاكِ بْنِ قَيْسٍ الْفِهْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ] قَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ الضَّحَّاكَ كَانَ نَائِبَ دِمَشْقَ لِمُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، وَكَانَ يُصَلَّى عَنْهُ إِذَا اشْتَغَلَ أَوْ غَابَ، وَيُقِيمُ الْحُدُودَ، وَيَسُدُّ الْأُمُورَ، فَلَمَّا مَاتَ مُعَاوِيَةُ قَامَ بِأَعْبَاءِ بَيْعَةِ يَزِيدَ ابْنِهِ، ثُمَّ لَمَّا مَاتَ يَزِيدُ بَايَعَ النَّاسَ لِمُعَاوِيَةَ بْنِ يَزِيدَ، فَلَمَّا مَاتَ مُعَاوِيَةُ بْنُ يَزِيدَ بَايَعَهُ أَهْلُ دِمَشْقَ حَتَّى يَجْتَمِعَ النَّاسُ عَلَى إِمَامٍ، فَلَمَّا اتَّسَعَتِ الْبَيْعَةُ لِابْنِ الزُّبَيْرِ عَزَمَ عَلَى الْمُبَايَعَةِ لَهُ، فَخَطَبَ النَّاسَ يَوْمًا وَتَكَلَّمَ فِي يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ وَذَمَّهُ، فَقَامَتْ فِتْنَةٌ فِي الْمَسْجِدِ الْجَامِعِ، حَتَّى اقْتَتَلَ النَّاسُ فِيهِ بِالسُّيُوفِ، فَسَكَنَ النَّاسُ، ثُمَّ دَخَلَ دَارَ الْإِمَارَةِ مِنَ الْخَضْرَاءِ، وَأَغْلَقَ عَلَيْهِ الْبَابَ، ثُمَّ اتَّفَقَ مَعَ بَنِي أُمَيَّةَ عَلَى أَنْ يَرْكَبُوا إِلَى حَسَّانَ بْنِ مَالِكِ بْنِ بَحْدَلٍ وَهُوَ بِالْأُرْدُنِّ، فَيَجْتَمِعُوا عِنْدَهُ عَلَى مَنْ يَرَاهُ أَهْلًا لِلْإِمَارَةِ عَلَى النَّاسِ، وَكَانَ حِسَانُ يُرِيدُ أَنْ يُبَايِعَ لِابْنِ أُخْتِهِ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ، وَيَزِيدُ ابْنُ مَيْسُونَ، وَمَيْسُونُ بِنْتُ بَحْدَلٍ، فَلَمَّا رَكِبَ الضَّحَّاكُ مَعَهُمُ انْخَذَلَ بِأَكْثَرِ الْجَيْشِ، فَرَجَعَ إِلَى دِمَشْقَ، فَامْتَنَعَ بِهَا، وَبَعَثَ إِلَى أُمَرَاءِ الْأَجْنَادِ، فَبَايَعَهُمْ لِابْنِ الزُّبَيْرِ، وَسَارَ بَنُو أُمَيَّةَ وَمَعَهُمْ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ، وَعَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ، وَخَالِدٌ وَعَبْدُ اللَّهِ ابْنَا يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، حَتَّى اجْتَمَعُوا بِحَسَّانَ بْنِ مَالِكِ بْنِ بَحْدَلٍ بِالْجَابِيَةِ، وَلَيْسَ لَهُمْ قُوَّةً طَائِلَةً بِالنِّسْبَةِ إِلَى الضَّحَّاكِ بْنِ قَيْسٍ، فَعَزَمَ مَرْوَانُ عَلَى الرَّحِيلِ إِلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ لِيُبَايِعَهُ، وَيَأْخُذَ أَمَانًا مِنْهُ لِبَنِي أُمَيَّةَ، فَإِنَّهُ كَانَ قَدْ أَمَرَ
পৃষ্ঠা - ৬৮৪৯

মারও€া৷’ল রওয়নাে হন ৷ যখন আয়কআত নামক স্থানে পৌছলেন তখন উংা৷ইদুচুা৷হ্

ইবন ৷য়য়াদের সাথে তার লক্ষোত হয় যে ইরাক থেকে তা৷াছিন্ন্ম্ন্হ্ব ৷ উবাইদুল্লাহ ইবন
প্রিয়ান্দের সাথে ছিলেন হুসাইন ইবন ন্যুা৷ইর এবং আমর ইবন সাঈদ ৷ তারা সকলে মিলে
মাহ্ণ্ডেয়ড়ানকে উৎনাহিত করতে লাগনেন যেন তিনি নিজের জন্য সকরুণ্ৰুংার কাছে বায়আতের
আহবান জানান ৷ কেননা তিনি ৷ছি’ালাফাতর ব্যাপারে আবদুল্লাহ ইবন যুরাইর (বা ) থেকে
অধিকতর ন্ব,য়ম্পোা ৷ আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) মুসলিম জামায়াত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে
পড়েছেন এবং তিনজন খঃলীফা থেকে বায়আত প্রত্যাহার করে রয়েছেন ৷ তারা সকলে
মিলে এ বব্বাপারে মারওয়ানের উপর চাপ প্রয়োগ করতে লাগলেন, যতক্ষণ না তিনি এ
ব্যাপারে রাযী হলেন ৷
উঃবইিদুহুন্বাহ ইবন যিয়াদ তাকে বলল, আমি এক্ষুণি দামেশকে অবস্থানরত আর দাহ্হাক
(রা)-এর কাছে বাচ্ছি ৷ আপনার স্বার্থে আমি তাকে এতারিত করব এবং তার কাজের জন্য
তাকে অপমানিত করব ৷ এ কথা বলে সে দামেশকে চলে গেল এবং, প্ৰতিদিনই তার কাছে
একবার গমন করত ও প্রেম-প্রীতি ভালবাসা, শ্রদ্ধা ইত্যাদি প্রদর্শন করত ৷ এরপর তাকে
জনগৱণর প্ৰতি নিজের জন্য বায়আত গ্রহণের আহবান, আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (বা)-এয়
বায়আত প্রত্যাহার ইত্যাদি ব্যাপারে প্ররােচিত করে ৷ কেননা আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (বা)
থেকে মারওয়ান বেশী হকদার বলে সে প্রকাশ করতে লাগল ৷
ইবন যিয়াদ তাকে তা৷রাে বলল, আপনি আমানত ও আনৃপত্যের ব্যাপারে অত্যন্ত প্রসিদ্ধ ৷
আর আবদুরুৰুা৷হ ইবন য়ুবাইর ( রা ) জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন ৷ এরুপ কথায় প্রভাবিত
হভৈয় আদ-দাহহাক (বা) তিনদিন পর্যন্ত জনগণকে তার প্ৰতি বায়আত করার জন্য আহবান
জানান ৷ কিন্তু কেউই তার ডাকে সাড়া দিল না ৷ তাই তিনি আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা)এর
প্ৰতি বায়আত করার জন্য জনগণের প্রতি পুনরায় আহবান জানান কিন্তু এতে জনগণের কাছে
তার ভাবমুর্তি ক্ষুগ্ন হয়ে পড়ল এরপর ইবন যিয়াদ তাকে বলল, আপনি যা চান আর অন্য

বিরুদ্ধে সেখানে তারা সেনাতলব করবে ৷ একথা শুনে আদ-দাহহাক (বা) মারজে রাহিত
নামক স্থানে আগমন করেন এবং সেখানে অবতরণ করেন ৷ ইবন, যিয়াদ দামেশকে অবস্থান
করতে লাগলেন ৷ বনু উমাইয়া তাদমুর নামক স্থানে অবস্থান করছিল ৷ আর খালিদ ও
আবদুল্লাহ আল জারীয়া নামক স্থানে তাদের নামা হাসৃসানের কাছে অবস্থান করছিল ৷ ইবন
যিয়াদ মারওয়ানের কাছে পত্র লিখে তাকে জনগণের কাছে স্বীয় নিজের দাবী প্রকাশ করার
জন্য জনগণকে আহবান জানান ৷ মারওয়ান খালিদ ইবন ইয়ড়াযীদের মাতা উম্মে হাশিম বিনত
হাশিম উতবা ইবন রাবীআকে বিবাহ করেন ৷ তার বিষয়টি প্ৰসিদ্ধি লাভ করল এবং জনগণ
তার প্ৰতি বায়আত করল ও জনগণ তার সাথে ঐক্যমত ঘোষণা করল ৷ মারওয়ান আদ
দাহ্হাক ইবন কাইসের প্ৰতি মারজে রাহিতে গমন করে ৷ সেখানে উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ
এবং তার ভাই আব্বাদ ইবন যিয়াদও সেখানে হাযির হয় ৷ মারওয়ানের সাহায্যে আগত সৈন্য
সংখ্যা দাড়ায় ১৩ হাজার ৷

মারওয়ানের পক্ষ থেকে দামেশকে যাকে শাসক নিয়োগ করা হয় তার নাম ইয়াষীদ ইবন
আবুননমর আর দামেশক হতে আদ দাহ্হাক(রা)এর নিযুক্ত শাসককে বের করে দেয়া হয় ৷
তিনি অস্ত্রশস্ত্র ও জনবল দািয় মারওয়ানকে সাহায্য করতে লাগলেন ৷ কারো কারো মতে,

আলন্বিদায়া ওয়ান নিহারা ৫৬


بِإِجْلَائِهِمْ عَنِ الْمَدِينَةِ، فَسَارَ حَتَّى وَصَلَ إِلَى أَذَرِعَاتٍ، فَلَقِيَهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ مُقْبِلًا مِنَ الْعِرَاقِ، فَاجْتَمَعَ بِهِ، وَمَعَهُ حُصَيْنُ بْنُ نُمَيْرٍ، وَعَمْرُو بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، فَحَسَّنُوا لَهُ أَنْ يَدْعُوَ إِلَى نَفْسِهِ ; فَإِنَّهُ أَحَقُّ بِذَلِكَ مِنِ ابْنِ الزُّبَيْرِ الَّذِي قَدْ فَارَقَ الْجَمَاعَةَ، وَخَلَعَ ثَلَاثَةً مِنَ الْخُلَفَاءِ، فَلَمْ يَزَالُوا بِمَرْوَانَ حَتَّى أَجَابَهُمْ إِلَى ذَلِكَ، وَقَالَ لَهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ: وَأَنَا أَذْهَبُ لَكَ إِلَى الضَّحَّاكِ إِلَى دِمَشْقَ، فَأَخْدَعُهُ لَكَ وَأَخْذُلُ أَمْرَهُ. فَسَارَ إِلَيْهِ وَجَعَلَ يَرْكَبُ إِلَيْهِ كُلَّ يَوْمٍ، وَيُظْهِرُ لَهُ الْوُدَّ وَالنَّصِيحَةَ وَالْمَحَبَّةَ، ثُمَّ حَسَّنَ لَهُ أَنْ يَدْعُوَ إِلَى نَفْسِهِ، وَيَخْلَعَ ابْنَ الزُّبَيْرِ، فَإِنَّكَ أَحَقُّ بِالْأَمْرِ مِنْهُ ; لِأَنَّكَ لَمْ تَزَلْ فِي الطَّاعَةِ مَشْهُورًا بِالْأَمَانَةِ، وَابْنُ الزُّبَيْرِ خَارِجٌ عَنِ النَّاسِ. فَدَعَا الضَّحَّاكُ النَّاسَ إِلَى نَفْسِهِ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، فَلَمْ يَصْعَدْ مَعَهُ، فَرَجَعَ إِلَى الدَّعْوَةِ لِابْنِ الزُّبَيْرِ، وَلَكِنِ انْحَطَّ بِهَا عِنْدَ النَّاسِ، ثُمَّ قَالَ لَهُ ابْنُ زِيَادٍ: إِنَّ مَنْ يَطْلُبُ مَا تَطْلُبُ لَا يَنْزِلُ الْمُدُنَ وَالْحُصُونَ، وَإِنَّمَا يَنْزِلُ الصَّحْرَاءَ، وَيَدْعُو بِالْجُنُودِ. فَبَرَزَ الضَّحَّاكُ إِلَى مَرْجِ رَاهِطٍ فَنَزَلَهُ، وَأَقَامَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ بِدِمَشْقَ وَمَرْوَانُ وَبَنُو أُمَيَّةَ بِتَدْمُرَ، وَخَالِدٌ وَعَبْدُ اللَّهِ عِنْدَ خَالِهِمْ حَسَّانَ بِالْجَابِيَةِ، فَكَتَبَ ابْنُ زِيَادٍ إِلَى مَرْوَانَ يَأْمُرُهُ أَنْ يُظْهِرَ دَعْوَتَهُ، فَدَعَا إِلَى نَفْسِهِ، وَتَزَوَّجَ بِأُمِّ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، وَهِيَ أُمُّ هَاشِمٍ بِنْتُ أَبِي هَاشِمِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ، فَعَظُمَ أَمْرُهُ
পৃষ্ঠা - ৬৮৫০


সময়, দামেশকের সহকারী প্রশাসক ছিলেন আবদুর রহমান ইবন উম্মুল হাকীম ৷ মারওয়ান
তার সেনাবাহিনীর ডান পার্শ্ব উবাইদৃল্লাহ্ ইবন যিয়াদকে নিযুক্ত করে এবং বাম পার্শেনিযুক্ত
করে আমর ইব ন সাঈদ আল আসকে ৷ আদ দাহ্হাক (বা) আর নুমান ইবন বাশীরের কাছে
লোক প্রেরণ করেন ৷ হিমসবাসীদের সেনাপতি ছিলেন শুরাহবীল ইবন যুলকালা ৷ আদ দাহ্হাক
সাহায্যে আরো এগিয়ে আসেন যুফর ইবন হাৰিছ আল কিলাবী ৷ তিনি ছিলেন
কিন্নাসারীনবাসীদের আমীর ৷
আদ দাহ্হাক (রা) এর সৈন্য সামন্ত ছিল ৩০ হাজার সেনাবাহিনীর ডান পাশে ছিলেন
যিয়াদ ইবন আমর আল ওকাইলী এবং বাম পাশে ছিলেন যাক রীয় ৷ ইবন শিমার আল
হিলালী ৷ উভয় পক্ষের সৈন্য যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিল এবং মারজ রাইিত,নামক স্থানে ২৯ দিন
যাবত তুমুল যুদ্ধ চলতে থাকে ৷ প্রতিদিন তাদের এক সেনাবাহিনী অন্য সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে
তুমুল যুদ্ধ করত ৷ তারপর উবাইদুল্লাহ্ মারওয়্ানকে ইঙ্গিত করল যাতে, সে শত্রু সৈন্যদেরকে
ৰুসন্ধির জন্য প্রতারণামুলক আহ্বান জানায় ৷ কেননা যুদ্ধের অপর নাম প্রতারণা ৷ আর সে
মারওয়ানকে বলল, আপনি এবং আপনার সাথীরাই ন্যায়ের জন্য সৎপ্রাম করছেন ৷ আর শত্রুরা
অসত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত ৩৷ সন্ধির কথাটি সেনাবাহিনীর মাঝে প্রচার হল ৷ তারপর মারওয়ানেহ্
ন্সাথীরা বিশ্বাসঘাতকত৷ করল এবং শত্রু সৈন্যদেরকে প্রচণ্ড যুদ্ধের মাধ্যমে হ্তু,া৷ ক্কুরমে
লাগল ৷ আদ দাহ্হাক (রা) অশেষ ধৈর্যধারণ করতে থাকেন ৷ শেষ পয়স্ত আর দাহ্হাক ইবন্
কাইস হুরা) যুদ্ধ ক্ষেত্রে নিহত হন৷ তাকে যে ণ্লাকটি হত্যা করে৩ তার নাম য়্াহ্ম৷ ইবন্
আবদুল্লাহ ৷ সে ছিল বনু কালরের অন্তর্ভুক্ত ৷ সে৩ তার প্রতি একটি খঞ্জর নিক্ষেপ করেছিল ৷
খঞ্জরটি তাঃক রিদ্ধ করে ব্লের হয়ে গিয়েছিল ৷ তিনি হতা৷কারীকে চিনতেন না ৷
মারওয়ান ও তার সাথীরা অ ৩ম্ভে ধৈর্যধারণ করেছিলেন, যতক্ষণ না শত্রুপক্ষদু তীর সৃম্মুখ
থেকে পলায়ন করে, মারওয়ান তখন ঘোষণা দিতে থাকেন, সাবধান ৷ যারুা ;প্ললায়ন করছে
তাদের পেছন দিয়ে আক্রমণ, করোনা ৷ তারপর আদ দাহ্হাক (রা)এর শির মারওয়ানের কাছে
আনা হল ৷ কেউ বেইি বলেন, যে ব্যক্তি আদ দাহ্হাক (রা) কে হত্যা করার জন্য প্রথম আঘাত
করেছিল৩ ৷র নাম রাওহ ইবন যাম্বা আল জুযামী ৷ পরে মারওয়ান ইবনুল হাকামের হাতেই
সিরিয়ার রাষ্ট স্থিতিশীল হয় ৷ বর্ণিত আছে যে, মারজ রাহিাতর দিন মারওয়ান নিজের প্রতি
লক্ষ্য করে খুব কান্নাকাটি করছিল এবং বলছিহুলন, এটা কি আমার জন্য দুর্ভাগ্য নয় যে, আমি
’ বৃদ্ধ হয়েছি এবং দুর্বল হয়ে পড়েছি, তারপরও রাজ্যের জন্য আমি তলােয়ার দিয়ে যুদ্ধ করছি ৷
আমি বলি তার খিলাফ্াত বেশীদিন স্থায়ী হয়নি ৷ তা ছিল মাত্র নয়মাস ৷ এ বিষয়ে পরে
বিস্তারিত আলোচনা করা হবে ৷

আদ-দাহ্হাক ইবন কাইস (রা) এর জীবন কাহিনী

তার পুর্ণ নাম ছিল আবু উমায়স আদ দাহ্হাক ইবন কাইস ইবন খালিদ আল আকবায়
ইবন ওহাব ইবন সালাব৷ ইবন ওয়াইল৷ ইবন আমর ইবন শাইবান ইবন সালাব৷ ইবন ওয়াইলা
ইবন আমর ইবন শ ৷৷হবান ইবন মাহারিব ইবন ফিহির ইবন মালিক আর ফিহরী ৷ বিশুদ্ধ মতে
তিনি ছিলেন একজন সাহাবী ৷ তিনি রাসুল (সা) থেকে কয়েকটি হাদীস শুনােছন ৷ একদল
াবিঈ৩ট্ তার থােক হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি ফাতিম৷ ৰিনত কাইস (রা) এর ভাই ৷
দিম৷ (রা)৩ তার থােক বয়সে দশ বছরের বড় ছিলেন ৷ হযরত আবুউবাইদ৷ ইবনুল জাররাহ


وَبَايَعَهُ النَّاسُ، وَاجْتَمَعُوا عَلَيْهِ، وَسَارَ إِلَى مَرْجِ رَاهِطٍ نَحْوَ الضَّحَّاكِ بْنِ قَيْسٍ، وَرَكِبَ إِلَيْهِ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ وَأَخُوهُ عَبَّادُ بْنُ زِيَادٍ، حَتَّى اجْتَمَعَ مَعَ مَرْوَانَ ثَلَاثَةَ عَشَرَ أَلْفًا، وَبِدِمَشْقَ مِنْ جِهَتِهِ يَزِيدُ بْنُ أَبِي النِّمْسِ، وَقَدْ أَخْرَجَ عَامِلَ الضَّحَّاكِ مِنْهَا، وَهُوَ يَمُدُّ مَرْوَانَ بِالسِّلَاحِ وَالرِّجَالِ وَغَيْرِ ذَلِكَ - وَيُقَالُ: كَانَ نَائِبَهُ عَلَى دِمَشْقَ يَوْمَئِذٍ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أُمِّ الْحَكَمِ - وَجَعَلَ مَرْوَانُ عَلَى مَيْمَنَتِهِ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ زِيَادٍ، وَعَلَى مَيْسَرَتِهِ عَمْرَو بْنَ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، وَبَعَثَ الضَّحَّاكُ إِلَى النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، فَأَمَدَّهُ النُّعْمَانُ بِأَهْلِ حِمْصَ عَلَيْهِمْ شُرَحْبِيلُ بْنُ ذِي الْكَلَاعِ، وَرَكِبَ إِلَيْهِ زُفَرُ بْنُ الْحَارِثِ الْكِلَابِيُّ فِي أَهْلِ قِنَّسْرِينَ، فَكَانَ الضَّحَّاكُ فِي ثَلَاثِينَ أَلْفًا، عَلَى مَيْمَنَتِهِ زِيَادُ بْنُ عَمْرٍو الْعُقَيْلِيُّ، وَعَلَى مَيْسَرَتِهِ زَكَرِيَّا بْنُ شَمِرٍ الْهِلَالِيُّ، فَتَصَافُّوا، وَتَقَاتَلُوا بِالْمَرْجِ عِشْرِينَ يَوْمًا، يَلْتَقُونَ فِي كُلِّ يَوْمٍ فَيَقْتَتِلُونَ قِتَالًا شَدِيدًا، ثُمَّ أَشَارَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ عَلَى مَرْوَانَ أَنْ يَدْعُوَهُمْ إِلَى الْمُوَادَعَةِ خَدِيعَةً ; فَإِنَّ الْحَرْبَ خُدْعَةٌ، وَأَنْتَ وَأَصْحَابُكَ عَلَى الْحَقِّ، وَهُمْ عَلَى الْبَاطِلِ. فَنُودِيَ فِي النَّاسِ بِذَلِكَ، ثُمَّ غَدَرَ أَصْحَابُ مَرْوَانَ، فَمَالُوا يَقْتُلُونَهُمْ قَتْلًا شَدِيدًا، وَصَبَرَ أَصْحَابُ الضَّحَّاكِ صَبْرًا بَلِيغًا، فَقُتِلَ الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ فِي الْمَعْرَكَةِ، قَتَلَهُ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: زُحْمَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ. مِنْ بَنِي كَلْبٍ، طَعَنَهُ بِحَرْبَةٍ، فَأَنْفَذَهُ وَلَمْ يَعْرِفْهُ. وَصَبَرَ
পৃষ্ঠা - ৬৮৫১


০ ৷ ৷ ৷ : ৷ ৷ ৷ :

আলশ্বিদায়৷ ওয়ান নিহায়৷ ৪ ৪৩

(বা) ছিলেন তার চাচা ৷ এটি ইবন আবু হ নিন (রা) এর বর্ণনা ৷ আবার কেউ কেউ বলেন,
তিনি সাহাবী ছিলেন না ৷

ওয়াকিদী (র) বলেন, নিনিন্ রাসুল (সা) কে’গ্যেয়ছেন এবং পুর্ণ বয়স্ক হওয়ার পুর্বে তিনি
বাসুল (সা) হতে হাদীস শুনেছেন ৷ ওয়াকিদী (র) এর অন্য একটি বর্ণনায় আছে যে, রাসুল
ন্ন্(সা) এর ওফাভৈতর দু বছর পুর্বে আদ দাহহাক জন্মগ্রহণ করেন ৷ তিনি দাব্লুমশক বিজয়ে
অংশগ্রহণ করেন এবং সেখানে বসবাস করেন ৷ দাব্লুমশকে বুরদা নদীর তীরে হিজরুয় যাইাবের
নিকটে তার একটি বাড়ী ছিল ৷ সিফফীব্লুনয় যুদ্ধের সময় তিনি আমীর মুআবিয়৷ (রা) এর
পক্ষে দাব্লু ম্শকবাসীদের আমীর ছিলেন ৷ আমীর মু আবিয়৷ (বা) যখন কুফা দখল করেন তখন
তিনি ৫৪ হিজরীতে ভুাহুক ব্লুসখানের প্রশাসক নিয়োগ করেন ৷
, ইমাম বুখৃা রী (র)৩ আর ইতিহাস গ্রন্থে বর্ণনা করেন, একদিন আদ দাহ্হাক (বা)

সালাতে সুরায়ে সা দ তিলাণ্ডয়াত করেন এবং সালাতে নিলাওরাব্লুত র সিজদা আদায়

ন্ করেন ৷ কিন্তু আলকাম৷ (বা) ও আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) এর সাথীপণ সিজদার
ব;া৷পাব্লুর ,তার অনুসরণ করলেন না ৷ তারপর আমীর মুআবিয়া (রা) তাব্লুক দাব্লুমশৃব্লুকর
সহকারী প্রশাসক নিয়োগ করে নিজের কাছে রাখেন ৷ তার ইনতিকাল পর্যন্ত এ ব্যবস্থা
অব্যাহত থাকে পরে তার পুত্র ইয়াযীদ খলীফা মনোনীত হন এবং ইয়াযীদের পর তার মত
ান মু আবিয়া ইবন ইয়াযীদ খলীফা মনোনীত হন এবং দ্বিতীয় মুআবিয়ার মৃত পর্যন্ত তিনি
উক্ত পদে বহাল ছিলেন ৷ ,

ইমাম আহমদ (র) বলেন; আফফান ইবন মুসলিম হাসান বসরী (র) থেকে বর্ণনা করেন
যে,৩ তিনি বলেছেন, যখন ইয়াযীদ ইবন মুআব্রিয়া ইনতিকাল করেন তখন আদ দাহ্হাক্
ইবন কাইস (রা) আল হাইসড়াম (র) এর কাছে একটি পত্র লিখেন ও পত্রে বলেন, তোমার
,উপর আল্লাহর রহমত হউক ৷ৰু সালাম পর সমাচার এই যে, আমি রাসুল (সা) কে বলতে
শুব্লুনছি “কিয়মোঃতর পুর্বে অন্ধকার রাত্রির টুকরার ন্যায় ফিৎনা দেখা দিবে, মানুষের শরীরের
ন্যায় তরে অন্তরগু সে সময় মরে যাবে, দিনের সকালে মানুষ মু’মিন থাকবে কিন্তু বিকাব্লুল
সে হয়ে যাবে ফকির, আৰারসন্ধ্যায় মানুষ থাকবে মু মিনরু,কিন্ত ভোার হয়ে যাবে কাফির বহু
সম্প্রদায়ের লোকেরা দুনিয়ার সামান্য স্বার্থের জন্য চরিত্র ও ধর্মকে বিক্রি:কব্লুরৰু দিবে ৷
ইয়াযীদ ইবন ন্মুআবিয়া মার৷ গিয়েছে আর তোমরা আমাদের তাই, কাজেই; তোমরা
আমাদের সাথে প্রতিযোগিতা করে৷ না ৷ আ৷মব্লুদরকে আমাদের নিজের কাজ €স্বাধীনভাবে
করতে দাও ৷

ইবন আসাকির ইবন কুতাইবা ও অন্য বর্ণনাকাবীদেব বরাব্লুত বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, একদিন আদ দাহ্হাক ইবন কাইস (বা) আমীর মুআবিয়া (রা) এর ঘরে প্রবেশ
করলেন ৷ তপন আমীর মু আবিয়৷ (রা)ত তার জন্য একটি কবিতা পাঠ করলেন,
ধ্ ধ্ “আদ দাহহাক্ (রা) এর জন্য আর্মি বহু কিছু করেছি, এমনকি তাকে আমি উচচ মর্যাদার
ৰুৰু ধ্দািক টেট্রুন তুালছি য়দিও সে তার সম্প্রদায়ের মধ্যে নিম্ন শ্রেণীর লোক বলে পরিচিত ছিল ৷”
ন্ আ দ দাহ্হাক (বা) বলেন, “আমার সম্প্রদায়ের (লাব্লুকরা আসে যে, আমরা এমন লোক
যারা প্রায়শ যে তার উপরেই সওয়ার থাকে ৷ আমীর মুআৰিয়৷ (বা) বললেন, “ভুমি সত্য


مَرْوَانُ وَأَصْحَابُهُ صَبْرًا شَدِيدًا حَتَّى فَرَّ أُولَئِكَ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَنَادَى: لَا يُتْبَعُ مُدْبِرٌ. ثُمَّ جِيءَ بِرَأْسِ الضَّحَّاكِ، وَيُقَالُ: إِنَّ أَوَّلَ مَنْ بَشَّرَهُ بِقَتْلِهِ رَوْحُ بْنُ زِنْبَاعٍ الْجُذَامِيُّ. وَاسْتَقَرَّ مُلْكُ الشَّامِ بِيَدِ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ. وَرُوِيَ أَنَّهُ بَكَى عَلَى نَفْسِهِ يَوْمَ مَرْجِ رَاهِطٍ، فَقَالَ: أَبَعْدَ مَا كَبِرْتُ وَضَعُفْتُ صِرْتُ إِلَى أَنْ أَقْتُلَ النَّاسَ بِالسُّيُوفِ عَلَى الْمُلْكِ؟ ! قُلْتُ: وَلَمْ تَطُلْ مُدَّتُهُ فِي الْمُلْكِ إِلَّا تِسْعَةَ أَشْهُرٍ عَلَى مَا سَنَذْكُرُهُ. وَقَدْ كَانَ الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسِ بْنِ خَالِدٍ الْأَكْبَرِ بْنِ وَهْبِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ وَائِلَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ شَيْبَانَ بْنِ مُحَارِبِ بْنِ فِهْرِ بْنِ مَالِكٍ، أَبُو أُنَيْسٍ الْفِهْرِيُّ، أَحَدَ الصَّحَابَةِ عَلَى الصَّحِيحِ، وَقَدْ سَمِعَ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرَوَى عَنْهُ أَحَادِيثَ عِدَّةً، وَرَوَى عَنْهُ جَمَاعَةٌ مِنَ التَّابِعَيْنِ، وَهُوَ أَخُو فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ وَكَانَتْ أَكْبَرُ مِنْهُ بِعَشْرِ سِنِينَ، وَكَانَ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ عَمَّهُ. حَكَاهُ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ. وَزَعَمَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ لَا صُحْبَةَ لَهُ، وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: أَدْرَكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسَمِعَ مِنْهُ قَبْلَ الْبُلُوغِ. وَفِي رِوَايَةٍ عَنِ الْوَاقِدِيِّ أَنَّهُ قَالَ: وُلِدَ الضَّحَّاكُ قَبْلَ وَفَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِسَنَتَيْنِ.
পৃষ্ঠা - ৬৮৫২
وَقَدْ شَهِدَ فَتْحَ دِمَشْقَ وَسَكَنَهَا وَلَهُ بِهَا دَارٌ عِنْدَ حَجَرِ الذَّهَبِ، مِمَّا يَلِي نَهْرَ بَرَدَى، وَكَانَ عَلَى أَهْلِ دِمَشْقَ يَوْمَ صِفِّينَ مَعَ مُعَاوِيَةَ. وَلَمَّا أَخَذَ مُعَاوِيَةُ الْكُوفَةَ اسْتَنَابَهُ بِهَا فِي سَنَةِ أَرْبَعٍ وَخَمْسِينَ. وَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ فِي " التَّارِيخِ " أَنَّ الضَّحَّاكَ قَرَأَ سُورَةَ " ص " فِي الصَّلَاةِ بِالنَّاسِ بِالْكُوفَةِ، فَسَجَدَ فِيهَا فَلَمْ يُتَابِعْهُ عَلْقَمَةُ وَأَصْحَابُ ابْنِ مَسْعُودٍ فِي السُّجُودِ. ثُمَّ اسْتَنَابَهُ مُعَاوِيَةُ عِنْدَهُ عَلَى دِمَشْقَ، فَلَمْ يَزَلْ عِنْدَهُ حَتَّى مَاتَ مُعَاوِيَةُ، وَتَوَلَّى ابْنُهُ يَزِيدُ، ثُمَّ ابْنُ ابْنِهِ مُعَاوِيَةُ بْنُ يَزِيدَ ثُمَّ صَارَ أَمْرُهُ إِلَى مَا ذَكَرْنَا. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، أَنْبَأَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، أَنَّ الضَّحَّاكَ بْنَ قَيْسٍ كَتَبَ إِلَى قَيْسِ بْنِ الْهَيْثَمِ حِينَ مَاتَ يَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ: سَلَامٌ عَلَيْكَ، أَمَّا بَعْدُ، فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " «إِنَّ بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ فِتَنًا كَقِطَعِ اللَّيْلِ الْمُظْلِمِ، فِتَنًا كَقِطَعِ الدُّخَانِ، يَمُوتُ فِيهَا قَلْبُ الرَّجُلِ كَمَا يَمُوتُ بَدَنُهُ، يُصْبِحُ الرَّجُلُ مُؤْمِنًا وَيُمْسِي كَافِرًا، وَيُمْسِي مُؤْمِنًا وَيُصْبِحُ كَافِرًا، يَبِيعُ أَقْوَامٌ خَلَاقَهُمْ وَدِينَهُمْ بِعَرَضٍ مِنَ الدُّنْيَا قَلِيلٍ» ". وَإِنَّ يَزِيدَ بْنَ مُعَاوِيَةَ قَدْ مَاتَ، وَأَنْتُمْ إِخْوَانُنَا وَأَشِقَّاؤُنَا فَلَا تَسْبِقُونَا حَتَّى نَخْتَارَ لِأَنْفُسِنَا.
পৃষ্ঠা - ৬৮৫৩

বলে হ তোমরা এ ন ধরনর লোক যারা নব নময় যে ড়ব চালক হিসেবে ঘোড়ার নওয়াব
গক আর আমরা যাত্রী হিস্যেব নওয়াব থকি ” এর দ্বার আমীর মু অবিয় (রা) বুঝত
চোয়ছন,রুর ভোমর ঘোড়ার চলকও রকংবেক্ষণকরীৰু আর আমরা ঘোড়য় আরোহণকবী
য়ত্রী
নদির নীচে ঘোড়ার পিঠেব উপর যে চাদব বিছি য়ে দেয়া হয় যেমন উট ও অন্যান্য জাৰুনােয়রয়
পিঠে

বর্ণিত অ ছে যে একদিন দমেশকেব একজন মুযযযিন অদ দ হহাক (বা) (ক বলেন,
দ হক( (রা) বললেন, কন আমি অনহর শপথ আল্লাহর ওয়ম্ভে অপনব্লুক অপহুন্দ করি
ঘুয়
আপনি তয়নে রিয় করেন অর্থ ৎ লোক দেখাবার জন অযাপু লিখে থাকেন এরং অযান

ৰুহ্জে রার্হিতৈ র দিন, অদ দহহক (রা) নিহত হন আর অল-লর্হিন ইবন সা দ ,ৰুন্গুৰু

উবাই ওয়কদ ইবন যির ও মদছুনীয় নয় ইদিহসবিদদেব মতে তা ছিল ৬৪ ইিজরীর
য়লহজ্জ মসের ১৫ তদিখ ’





অন নু ন্ন্ ইবন বাশীব (বা)

এ বছরই আন নু মন ইবন বাশীব আল আনসারী (রা) নিহত হন ৩ তার মায়ের নম
ছিল, অম্মারা বিনত রাওয়াহ নুমন (রা) ছিলেন প্রথম সন্তান, যিনি ইিজরতের পরে
মদীনায় আনসারদেরমধ্যে প্রথম জন্ন্ন্ধ্রহণ ১ৰুৰুয়েনন্ আর তা ছিল ছয় হিজরীরজমদিউল
আউয়াল মাস জানর পর তরর্টুমতা তাকে নিয়ে রাসুল(স)ং এর দরবারে উপস্থিত হন
রাসুল (মা) তাকে তহ্নীক’ ন্শ্করান অর্থাৎ কিছু খেজুর চিবিয়ে তার খুখে দেন এবং তার

মাকে সুসং বদ দ্যো যে, সন্তানটি খুবই সুখে জীবন যাপন করবে ন্ন্ন্তোকটি শাহদাত ট্টৰুধয়র্চু ’ ’

করবে ও অনতে প্রবেশ করবে বস্তৰিকই আন নু গ্ ন্ ইবন রশীর (রা) সুৰ্;খ যিন্দেপী
অতিবাহিত করেন ত্ররৎ আমীর র্মু অৰিয় (রা) এর পক্ষে ৯ মস যাবত দিনি ককর
আমীর ছিলেন
তারংর তিনি সিরিয়ার বসবাস কারন এবং যেখানে চ্ৰুহুৰুণ্ ইবন উবাইদেব নন তিনি
প্ৰিচরপ তির অসন অলংকৃত করেন৷ আর হযরত আবুদ দারদা (রা) এর পর ফুযাল
বিচারপতি নিযুক্ত হয়েছিলেন হযরত আমীর মু অবিয় (রা) এর পক্ষে তিনি হিমস
প্রদ্যেশর : নয়িব ছিলেন তিনি ছিলেন ন্ ঐ-র্দুৰুৰুণ্মাক্তি যিনি; রসৃল ন্ (ল)ন্-এর বংশধ্রকে
ইয়ষীদের হুকু মে শুদমেশক হতে মদীনা ::স্সস্মানে ;( হ্রওদ্হিওর্বরৰুহু,দিত্তয়ছিত্তলনওন্ন্ তিনিই-রাসুল
( -সা) এর বংশধঘ্নে,র প্রতি ইহসন ককর, জন্য ইয়যীদ্ম,ক ক্ষাংর্শ্ব দনকৰেছিলেন ফলে
ইয়যীদ তাতৃদর জন্য সমবেদন প্রকাশ করে তাদের প্রতি ইহসানৃ করুন এবং তাদেরকে
নম্মন করে এরপর মরজ রাহিঙে ব ঘটনর দিন আদ দহ্হ ক ইবন কইন (রা) নিহত
হওয়ার, পুর্বে হিমবাসীদেব দ্বারা অন নুমন (রা) দাহ্ভুরুকে স্)হ্হয্য করেছিলেন শৃত্রু
য়ে হত্যা করে গ্রমটির নম দিল ষীবীন আর যে (লাকটি হতর্চু করেছিল তার নাম

, ষ্


وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ ابْنِ قُتَيْبَةَ، عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ الْفَرَجِ الرِّيَاشِيِّ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ بُوَيْهِ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ قَالَ: دَخَلَ الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ عَلَى مُعَاوِيَةَ فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: تَطَاوَلَتْ لِلضَّحَّاكِ حَتَّى رَدَدْتُهُ ... إِلَى حَسَبٍ فِي قَوْمِهِ مُتَقَاصِرِ فَقَالَ الضَّحَّاكُ: قَدْ عَلِمَ قَوْمُنَا أَنَّنَا أَحْلَاسُ الْخَيْلِ. فَقَالَ: صَدَقْتَ، أَنْتُمْ أَحْلَاسُهَا وَنَحْنُ فُرْسَانُهَا. يُرِيدُ: أَنْتُمْ رَاضَةٌ وَسَاسَةٌ، وَنَحْنُ الْفُرْسَانُ. وَأَرَى أَصْلَهُ مِنَ الْحِلْسِ، وَهُوَ كِسَاءٌ يَكُونُ تَحْتَ الْبَرْدَعَةِ، أَيْ يَلْزَمُ ظُهُورَهَا، كَمَا يَلْزَمُ الْحِلْسُ ظَهْرَ الْبَعِيرِ. وَرَوَى أَيْضًا أَنَّ مُؤَذِّنَ دِمَشْقَ قَالَ لِلضَّحَّاكِ بْنِ قَيْسٍ: وَاللَّهِ أَيُّهَا الْأَمِيرُ إِنِّي لَأُحِبُّكَ فِي اللَّهِ. فَقَالَ لَهُ الضَّحَّاكُ: وَلَكِنِّي وَاللَّهِ أُبْغِضُكَ فِي اللَّهِ. قَالَ: وَلِمَ؟ أَصْلَحَكَ اللَّهُ. قَالَ: لِأَنَّكَ تَتَرَاءَى فِي أَذَانِكَ، وَتَأْخُذُ أَجْرًا عَلَى تَعْلِيمِكَ. قُتِلَ الضَّحَّاكُ، رَحِمَهُ اللَّهُ، يَوْمَ مَرْجِ رَاهِطٍ، وَذَلِكَ لِلنِّصْفِ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ، سَنَةَ أَرْبَعٍ وَسِتِّينَ. قَالَهُ اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، وَأَبُو عُبَيْدٍ، وَالْوَاقِدِيُّ، وَابْنُ زَبْرٍ، وَالْمَدَائِنِيُّ. [قَتْلُ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرِ بْنِ سَعْدٍ الْأَنْصَارِيِّ] وَفِيهَا قُتِلَ النُّعْمَانُ بْنُ بَشِيرِ بْنِ سَعْدٍ الْأَنْصَارِيُّ وَأُمُّهُ عَمْرَةُ بِنْتُ
পৃষ্ঠা - ৬৮৫৪

থালিদ ইবন থালী আল মাযিনী খালী ইবন দাউদও মারজ রাইিতে নিহত হন ৷ আর ৷তনি
ছিলেন খালিদইবন খালীর দাদা ৷

আন নুমান ইবন বাশীর (রা) এর কন্যা তার শ্যেকপাথায় বলেন


য়দি ইবন মারনাহ ও তার পুত্র তোমার হত্যার পরিবর্তে তোমার প্রতিরক্ষায় যোগ দি৩
তাহলে তা মঙ্গলময় হত ! আর বনু উমাইয়ার সব ধ্বংস হয়ে যেত, তাদের মধ্যে একজন
বাকী থাকত না ৷ ডাকহরকরা আন নুমান ইবন বাশীর (রা)-এর মৃত্যুর সংবাদ পরিবেশন
করে ৷ সাহায্যকারী ববু কিলাবের জন্য অত্যন্ত আফমােস, তারা তার মাথা নিয়েৰিজয়ের
আকাজ্জ৷ করত ৷ কিন্তু ক্ষণস্থায়ী দুনিয়া তাদের আশা নিপাত করল ৷ আমি অবশ্য তোমার জন্য
গোপনে ক্রন্দন করব ৷অ আমি য়তদিন হ্া ৷বত দুনিয়ার হিংস্র জনগণের সাথে জীবন যাপন করন
ততদিন পর্যন্ত আমি তোমার জন্য ক্রন্দন করব ৷”

কাথত আছে যে, একদিন হামাদানের করি আশা আন নুমান ইবন বাশীর (রা)এর নিকট
গমন করেন ৷ তিনি তখন হিমস-এর শাসক ছিলেন এবং তিনি ছিলেন অসুস্থ ৷ আন নুমান
(রা) তাকে বললেন, তুমি কি জন্য এসেছ ? তিনি বললেন, যাতে আপনি আমার আত্মীয়তার
সম্পর্ক বহাল রাখেন ৷ আমার আত্মীয়তা সংরক্ষণ করেন এবং আমার ঋণ পরিশোধ করেন ৷
তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ ! আমার কাছে কিছুই নেই তবেআমি লোকজনকে বলব, যেন
তারা তোমাকে কিছু দান করে ৷৩ তারপর তিনি উঠে র্দাড়৷ ৷লেন এবং মিম্বরে আরোহণ করলেন ও
বললেন হে হিমসবাসীরা ! ইনি< তামদের কাছে কিছু সাহায্য প্রার্থনা ৷করছেন ৷৫ তোমরা কী
মনে কর ? তারা বললেন, আপনি আমাদের সম্পদ থেকে কিছু দেয়ার আদেশ করুন ৷ তিনি
তা অস্বীকার করেন ৷

তারপর তারা বললেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, আমাদের সম্পদ থেকে মাথা পিছু দুই
দীনার প্রদান করব ৷ আর তাদের আদম শুমারীর রেকর্ড অনুযায়ী তাদের মোট জনসং খ্যা ছিল
২০ হাজার ৷ আন নুমান (রা) বাইতু লমাল থেকে ৪০ হাজার দীনার অগ্রিম অর্পণ করলেন ৷ ’
জনসাধারণের নির্ধারি৩ ভাতা প্রদানের সময় মাথাপিছু দুই দীনার কেটে রাখলেন ৷

আন নুমান ইবন বাশীর (বা) যে সব নসীহত করেন তার কিছু অংশ নিম্নে বর্ণনা করা হল ৷
তিনি বলেন :

মোঃ৷ ম্রা

“সব চাইতে বড় ধ্বংসের বস্তু হল বাল৷ মুসীবতের সময় পাপেব “কাজ করা ৷”

ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান (রা) আল জাইসাম ইবন মালিক আত্তায়ী হতে বণ্নাি করেন ৷ তিনি
বলেন, আমি আন নুমান ইবন বাশীর (রা) কে মিম্বরে দাড়িয়ে বলতে শুনেছি, “আমি রাসুল
(সা) কে বলতে শুনেছি, শয়৩ ৷নের কিছু পর্বের বস্তু রয়েছে ৷ আর ঐ সব পর্বের বস্তুর মধ্য
থেকে একটি আল্লাহর নিয়ামত নিয়ে পর্ব করা ৷ আল্লাহ্র প্ৰতিদান নিয়ে পর্ব করা এবং আল্লাহ্
রান্দাদের উপর পর্ব করা, আল্লাহ্ ব্যতীত অন্যের সন্তুষ্টির জন্য কাগ্রিত বস্তুর অনুসন্ধান করা ৷
তীর বর্ণিত যে সব বিশুদ্ধ হাদীস পাওয়া যায় , সেগুলোর মধ্যে ইমাম বুখারী ও মুসলিমের
উল্লিখিত নিম্নের হাদীসটি অত্যন্ত সুপরিচিত ৷ রাসুল (সা) বলেন, ব্লু ন্া৷ ;, ন্ এ১াশুা৷ ;,া
“যা কিছু হালাল তা সুস্পষ্টভা বে বর্ণিত এবংয ৷কিছু হারাম তাও সুস্পষ্টভ৷ বে বর্ণি৩ ৷ এ দুটো


رَوَاحَةَ، وَكَانَ أَوَّلَ مَوْلُودٍ وُلِدَ بِالْمَدِينَةِ بَعْدَ الْهِجْرَةِ لِلْأَنْصَارِ، فِي جُمَادَى الْأُولَى سَنَةَ ثِنْتَيْنِ مِنَ الْهِجْرَةِ، «فَأَتَتْ بِهِ أُمُّهُ تَحْمِلُهُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَحَنَّكَهُ وَبَشَّرَهَا بِأَنَّهُ يَعِيشُ حَمِيدًا، وَيُقْتَلُ شَهِيدًا، وَيَدْخُلُ الْجَنَّةَ» ، فَعَاشَ فِي خَيْرٍ وَسَعَةٍ، وَوَلِيَ نِيَابَةَ الْكُوفَةِ لِمُعَاوِيَةَ تِسْعَةَ أَشْهُرٍ، ثُمَّ سَكَنَ الشَّامَ، وَوَلِيَ قَضَاءَهَا بَعْدَ فَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ، وَفَضَالَةُ بَعْدَ أَبِي الدَّرْدَاءِ. وَنَابَ بِحِمْصَ لِمُعَاوِيَةَ، وَهُوَ الَّذِي رَدَّ آلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمَدِينَةِ بِأَمْرِ يَزِيدَ لَهُ فِي ذَلِكَ، وَهُوَ الَّذِي أَشَارَ عَلَى يَزِيدَ بِالْإِحْسَانِ إِلَيْهِمْ وَقَالَ: عَامِلْهُمْ بِمَا كَانَ يُعَامِلُهُمْ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَوْ رَآهُمْ عَلَى هَذِهِ الْحَالَةِ. فَرَقَّ لَهُمْ يَزِيدُ، وَأَحْسَنَ إِلَيْهِمْ وَأَكْرَمَهُمْ، وَأَمَرَ بِإِكْرَامِهِمْ، ثُمَّ لَمَّا كَانَتْ وَقْعَةُ مَرْجِ رَاهِطٍ وَقُتْلُ الضَّحَّاكِ بْنِ قَيْسٍ، وَكَانَ النُّعْمَانُ قَدْ أَمَدَّهُ بِأَهْلِ حِمْصَ عَدَا عَلَيْهِ أَهِلُ حِمْصَ فَقَتَلُوهُ بِقَرْيَةٍ يُقَالُ لَهَا: يَيْرِينُ. قَتَلَهُ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: خَالِدُ بْنُ خَلِيٍّ الْكَلَاعِيُّ. وَقِيلَ: خَلِيُّ بْنُ دَاوُدَ. وَهُوَ جَدُّ خَالِدِ بْنِ خَلِيٍّ، وَقَدْ رَثَتْهُ ابْنَتُهُ حُمَيْدَةُ بِنْتُ النُّعْمَانِ فَقَالَتْ: لَيْتَ ابْنَ مُرْنَةَ وَابْنَهُ ... كَانُوا لِقَتْلِكَ وَاقِيَةْ وَبَنِي أُمَيَّةَ كُلَّهُمْ ... لَمْ تَبْقَ مِنْهُمْ بَاقِيَةْ جَاءَ الْبَرِيدُ بِقَتْلِهِ ... يَا لَلْكِلَابِ الْعَاوِيَةْ يَسْتَفْتِحُونَ بِرَأْسِهِ ... دَارَتْ عَلَيْهِمْ ثَانِيَةْ فَلْأَبْكِيَنَّ مُسِرَّةً ... وَلَأَبْكِيَنَّ عَلَانِيَةْ
পৃষ্ঠা - ৬৮৫৫


০ ৷ ৷ ৷ : ৷ ৷ ৷ :

৪৪৬ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

ব্যতীত যা কিছু আছে এগুলো হল সন্দেহযুক্ত বস্তু হতে সাবধানতা অবলম্বন করে সে তার দীন
ও সম্মানকে সুরক্ষিত-করলো, আর যে ব্যক্তি এসব সন্দেহযুক্ত বস্তুতে পতিত হলো, সে যেন
নিষিদ্ধ বস্তুতে পতিত হলো ৷ যেমন €কানাে রাখাল নিষিদ্ধ এলাকার চারদিকে পশু চরায়, যে
কোনো সময় নিষিদ্ধ এলাকায় পশু চবানাের আশং কা তার মধ্যে বিরাজ করে ৷ সাবধান !
প্রত্যেক শাসকের নিষিদ্ধ এলাকা রয়েছে, সাবধান ! আল্লাহর নিষিদ্ধ এলাকা তার ঘোষিত
নিষেধাবলী ৷ সাবধান ! শরীরে এমন এক টুকরো গোশত আছে যখন তা বিশুদ্ধ থাকে তখন
সারা শরীর বিশুদ্ধ থাকে ৷ আর যখন তা নষ্ট হয়ে যায় তখন সারা শরীরও নষ্ট হয়ে যায় ৷
সাবধান,আব সেটা হলো ক লব (অন্তর) ৷ ইমাম বুখারী ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷

আবু মিসহাব বলেন, আন নুমান ইবন বাশীহৃ৷ (রা) হযরত আবদুল্লাহ ইবন যুবইিব (রা)-
এর পক্ষ থেকে হিমস প্রদেশের শাসক ছিলেন ৷ যখন মারওয়ান খলীফা মনোনীত হন নুমান
ইবন বাশীর (র) সেখান থেকে পলায়ন করেন ৷ ন্ খালিদ ইবনখালীআল কিলাবীতার পিছু নেয়
এবং তাকে হত্যা করে ৷ আবু উবাইদ৷ প্রমুখ বলেন, এ বছরই উপরোক্ত ঘটনাটি ঘটেছিল ৷ ’

মুহাম্মদ ইবন সাদ নিজস্ব সনদে বর্ণনা করেন, একদিন হযরত আমীর মুআবিয়া (বা)
একটি অ৩ তান্ত সুন্দরী মহিলাংক বিবাহ করেন ৷ তারপর তার দুই স্তীর একজন মাইসুন অথবা
ফাখতাকে তার কাছে প্রেরণ করেন, যেন সে তাকে ভাল করে পর্যবেক্ষণ করে ৷ যখন সে
তাকে (দখল তখন তাকে অত্যন্ত পছন্দ করল ৷ তারপর সে আমীর মুআবিয়া-এর কাছে
ফেরত আসল ৷ আমীর মুআবিয়৷ (রা)তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তাকে তুমি কেমন ফ্লেখলে ?
সে বলল, “মইিলাটি অপুর্ব সুন্দরী তবে আমি তার নাভীব নীচে একটি কালো নিল দেখলাম ৷
আর আমি ধারণা করি যে, তার স্বামী কোন একদিন নিহত হবে এবং তার কোলে স্বামীর মাথা
রাখা হবে ৷

এরপর মুআবিয়৷ (রা)ত তাকে তালাক দিয়ে দেন এবং আর নু মান ইবন বাশীর (রা) তাকে
বিবাহ করেন ৷ যখন তিনি ৬৫ হিজরীতে নিহত হন তখন তার কোলে হযরত আন নু মান ইবন
বাশীরের মাথ৷ রাখা হয় ৷ সুলাইমান ইবন যীর বলেন, ৬৫ হিজরীতে আবার ক্লেউ কেউ বলেন
৬০ হিজরীতে ৷ তবে প্রথম তারিখটি বিশুদ্ধ ৷ , ৰু

মিসওয়ার ইবন মাখরাম৷ ইবন নওফাল ইনতিকাল করেন ৷ তিনি ছিলেন কিশোর সাহাবী ৷
তিনি কাব৷ ঘরের হাজরে আসওয়াদের নিকট সালাত আদায় করছিলেন ৷ এমন সময়
দুরপাল্লার ক্ষেপণাত্রের একটি পাথর তার উপর এসে পড়ে ৷ তিনি ছিলেন হযরত আবদুল্লাহ
ইবন যুবইিব (রা) এর পক্ষের লোক ৷ তিনি ঐসব ব্যক্তিত্বের অন্তর্গত ছিলেন, যারা মক্কা
অবরােধের সময় নিহত হন ৷৩ তার পুর্ণ নাম ছিল, আবু আবদুর রহমান আল মিসওয়ার ইবনুল

মাখরামা ইবন নণ্ডফাল আর যুহরী ৷ তার মায়ের নাম ছিল আতিকা, যিনি আবদুর রহমান ইবন

আউফ্ (রা) এর বোন ছিলেন ৷ তিনি সাহাবী ছিলেন এবংহাদীসও বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি
হযরত আমীর মুআবিয়া (রা) এর নিকট প্রতিনিধি হিস্যেব গমন করেছিলেন ৷ তিনি হযরত
উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) এর সাহচর্যে থাকতেন ৷

কেউ কেউ বলেন, তিনি ছিলেন এমন ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত যারা সওমে দাহার (একাধারে
কয়েকদিন রোয৷ রাখা) করতেন ,৷ যখন তিনি মক্কায় আগমন করতেন তখন প্রতিদিনের



১ মুল গ্রন্থে কাইসুন মুদ্রিত রয়েছে ৷


وَلَأَبْكِيَنَّكَ مَا حَيِيتُ ... مَعَ السِّبَاعِ الْعَادِيَةْ وَقِيلَ: إِنَّ أَعْشَى هَمْدَانَ قَدِمَ عَلَى النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ وَهُوَ عَلَى حِمْصَ وَهُوَ مَرِيضٌ، فَقَالَ لَهُ النُّعْمَانُ: مَا أَقْدَمَكَ؟ قَالَ: لِتَصِلَنِي وَتَحْفَظَ قَرَابَتِي وَتَقْضِيَ دَيْنِي. فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا عِنْدِي، وَلَكِنِّي سَائِلُهُمْ لَكَ شَيْئًا. ثُمَّ قَامَ فَصَعِدَ الْمِنْبَرَ، ثُمَّ قَالَ: يَا أَهْلَ حِمْصَ، إِنَّ هَذَا ابْنُ عَمِّكُمْ مِنَ الْعِرَاقِ، وَهُوَ يَسْتَرْفِدُكُمْ شَيْئًا فَمَا تَرَوْنَ؟ فَقَالُوا: احْتَكِمْ فِي أَمْوَالِنَا. فَأَبَى عَلَيْهِمْ، فَقَالُوا: قَدْ حَكَمْنَا مِنْ أَمْوَالِنَا، كُلُّ رَجُلٍ دِينَارَيْنِ - وَكَانُوا فِي الدِّيوَانِ عِشْرِينَ أَلْفَ رَجُلٍ - فَعَجَّلَهَا لَهُ النُّعْمَانُ مِنْ بَيْتِ الْمَالِ أَرْبَعِينَ أَلْفَ دِينَارٍ، فَلَمَّا خَرَجَتْ أَعْطِيَاتُهُمْ أَسْقَطَ مِنْ عَطَاءِ كُلِّ رَجُلٍ مِنْهُمْ دِينَارَيْنِ. وَمِنْ كَلَامِ النُّعْمَانِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَوْلُهُ: إِنَّ الْهَلَكَةَ كُلَّ الْهَلَكَةِ أَنْ تَعْمَلَ بِالسَّيِّئَاتِ فِي زَمَانِ الْبَلَاءِ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ أَبِي رَوَاحَةَ يَزِيدَ بْنِ أَيْهَمَ، عَنِ الْهَيْثَمِ بْنِ مَالِكٍ الطَّائِيِّ، سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ عَلَى الْمِنْبَرِ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ৬৮৫৬


অনুপস্থিতির জন্য সাতবার তাওযড়াফ করতেন এবং দু’রাকাআত সালাত আদায় করতেন ৷
কথিত আছে যে, তিনি কাদেসিয়ার যুদ্ধের দিন একটি রুবী পাথরে খচিত স্বর্ণের বদনা
পেয়েছিলেন ৷ তিনি জানতে ন না, এটা কী ? পারস্যের এক ব্যক্তিতার সাথে সাক্ষাত করলে
তাকেত তিনি এ বাংলার কথা বলেন ৷ তখন লোকটি তাকে বলল, দশ হাজার দীনারের পবিবহ্রত
এটা আমার কাছে বিক্রি করুন ৷ তখন তিনি বুঝতে পারলেন যে, এটান্ব তা একটি মুল্যবান
জিনিস ৷ তারপর তিনি এটা সহ একজন লোককে সা দ ইবন আবু ওয়াক্কাস (বা) এর নিকট
প্রেরণ করেন ৷ সেনাপতি এটাকে অতিরিক্ত গনীমতে র মান হিসেবে গণ্য করেন ও তার কাছে
বিশেষ দান হিসাবে ফেরত পাঠালেন ৷ তিনি তখন এটাকে এক লাখ দীনা রের বিনিময়ে বিক্রি
করেন ৷
ন্ আমী র মুআবিয়া (না) যখন ইননিক ল করেন তখন তিনি মক্কায় আগমন করেন এবং

ক্ষেপণাস্তের পাথর তাকে আঘাত করে ৷ তিনি তখন আব্দুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) এর পক্ষে
ছিলেন ৷ শত্রু সৈন্যরা কা ব৷ শরীফে পাথর নিক্ষেপ করেছিল ৷ পাচ দিন পর তিনি উপরোক্ত
আঘাতের কারণে ইনতিকাল করেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (বা) তাকে গোসল দেন ৷ আল
হজুনে যে সব লাশ নেয়া হয়েছিল তাদের সাথে তার লাশকেও সেখানে নেয়া হয় ৷ ঐ স্থানটি
লাশে পরিপুর্ণ হয়ে গিয়েছিল ৷ হযরত উমর ইবনুল পাতায় (বা) এর আমলে আল মিসওয়ার
ইবন আল মাখরাম৷ (রা) খাদ্য মজুদ করেছিলেন ৷ তারপর তিনি আকাশে একটি মেঘখণ্ড
ণ্দখলেন ৷ তখন তিনি এটা খারাপ মনে করলেন ৷ এর পরদিন সকালে যখন তিনি বাজারে
আগমন করেন তখন তিনি ঘোষণা দিলেন, যে আমার কাছে আগমন করবে তাকে আমি দান
করব ৷

হযরত উমর (রা) বলেন, হে আবু মাখরাম৷ ! তুমি কি পাগল হয়ে গেছ ? তিনি বললেন,

না ৷ আল্লাহর শ পথ ! হে আমীকল মু’মিনীন ! বরং আমি একটি যেঘখণ্ড দেখেছিলাম ৷ তখন
আমি এটাকে মানুষের জন্য খারাপ লক্ষণ মনে করেছিলাম ৷ তাই এ খাদ্যের দ্বারা কোন কিছু
লাভবান হওয়াটাও আমি খারাপ মনে করেছিলাম ৷ উমর (রা) তাকে বললেন, আল্লাহ্ তোমাকে
কল্যাণকর বিনিময় প্রদান করুন ৷ হিজরম্ভ তর দুবছুর পর আল মিসওয়ার (বা) জন্ম গ্রহণ

ন্ করেছিলেন ৷



’ আল-মুনযির ইবন যুবাইর ইবন আওয়াম (র)

হযরত উমর ইবনুল খ৷ ৷ত্তাব (রা) এর আমলে তিনি জনআেহগ করেন ৷ত তার মায়ের নাম ছিল
হযরত আসম৷ বিনত আবু বকর সিদ্দীক (রা) ৷ ইয়াষীদ ইবন মুআবিয়া এর সাথে আল
মুনযি র কনস্টানটিনােপল যুদ্ধে অং শগ্নহণ করেন ৷ হযরত আমীর ঘুআবিয়৷ (বা) এর কাছে
তিনি একটি প্রতিনিধিদলের প্রধান হিসেবে গমন করেছিলেন এবংত তাকে এক খণ্ড যমীন প্রদান
করেছিলেন ৷ তবে, এ অর্থ হস্তগত হওয়ার পুর্বেই হযরত আমীর মুআবিয়া (রা)ইনতিকাল
করেন ৷ আল মুনযির ইবন যুবাইর এবং উসমান ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাকীম ইবন হিযাম
, দিনের বেলায় সিবিয়াবাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেন এবং রাতের বেলায় তাদেরকে খাবার
খাওয়াতেন ৷ মক্কায় অবরেধে কালে তার ভাইসহ আল মুনযির মক্কায় নিহত হন ৷ যখন হযরত
আমীর মুআৰিয়া (রা) ইনতিকাল করেন তখন তিনি আল মুনবিরকে ওসীয়ত করেন যেন তিনি
তার কবরে অবতরণ করেন ৷ শ্


" «إِنَّ لِلشَّيْطَانِ مَصَالِيَ وَفُخُوخًا، وَإِنَّ مِنْ مَصَالِيهِ وَفُخُوخِهِ الْبَطَرَ بِنِعَمِ اللَّهِ، وَالْفَخْرَ بِعَطَاءِ اللَّهِ، وَالْكِبْرَ عَلَى عِبَادِ اللَّهِ، وَاتِّبَاعَ الْهَوَى فِي غَيْرِ ذَاتِ اللَّهِ» ". وَمِنْ أَحَادِيثِهِ الصِّحَاحِ الْحِسَانِ مَا سَمِعَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " «إِنَّ الْحَلَالَ بَيِّنٌ، وَإِنَّ الْحَرَامَ بَيِّنٌ، وَبَيْنَ ذَلِكَ أُمُورٌ مُشْتَبِهَاتٌ لَا يَعْلَمُهُنَّ كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ، فَمَنِ اتَّقَى الشُّبَهَاتِ فَقَدِ اسْتَبْرَأَ لِدِينِهِ وَعِرْضِهِ، وَمَنْ وَقَعَ فِي الشُّبُهَاتِ وَقَعَ فِي الْحَرَامِ، كَالرَّاعِي يَرْعَى حَوْلَ الْحِمَى يُوشِكُ أَنْ يَرْتَعَ فِيهِ، أَلَا وَإِنَّ لِكُلِّ مَلِكٍ حِمَى، أَلَا وَإِنَّ حِمَى اللَّهِ تَعَالَى مَحَارِمُهُ، أَلَا وَإِنَّ فِي الْجَسَدِ مُضْغَةً إِذَا صَلَحَتْ صَلَحَ لَهَا سَائِرُ الْجَسَدِ، وَإِذَا فَسَدَتْ فَسَدَ لَهَا سَائِرُ الْجَسَدِ، أَلَا وَهِيَ الْقَلْبُ» ". رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ. وَقَالَ أَبُو مُسْهِرٍ: كَانَ النُّعْمَانُ بْنُ بَشِيرٍ عَلَى حِمْصَ عَامِلًا لِابْنِ الزُّبَيْرِ، فَلَمَّا تَمَرْوَنَ أَهْلُ حِمْصَ خَرَجَ النُّعْمَانُ هَارِبًا، فَاتَّبَعَهُ خَالِدُ بْنُ خَلِيٍّ الْكَلَاعِيُّ فَقَتَلَهُ. قَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ: فِي هَذِهِ السَّنَةِ. وَقَدْ رَوَى مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ بِأَسَانِيدِهِ أَنَّ مُعَاوِيَةَ تَزَوُّجَ امْرَأَةً جَمِيلَةً جِدًّا، فَبَعَثَ إِحْدَى امْرَأَتَيْهِ مَيْسُونَ أَوْ فَاخِتَةَ ; لِتَنْظُرَ إِلَيْهَا. فَلَمَّا رَأَتْهَا أَعْجَبَتْهَا جِدًّا، ثُمَّ
পৃষ্ঠা - ৬৮৫৭
رَجَعَتْ إِلَيْهِ فَقَالَ: كَيْفَ رَأَيْتِيهَا؟ قَالَتْ: بَدِيعَةَ الْجَمَالِ، غَيْرَ أَنِّي رَأَيْتُ تَحْتَ سُرَّتِهَا خَالًا أَسْوَدَ، وَإِنِّي أَحْسَبُ أَنَّ زَوْجَهَا يُقْتَلُ وَيُلْقَى رَأْسُهُ فِي حِجْرِهَا. فَطَلَّقَهَا مُعَاوِيَةُ، وَتَزَوَّجَهَا النُّعْمَانُ بْنُ بَشِيرٍ فَلَمَّا قُتِلَ أُلْقِيَ فِي حِجْرِ امْرَأَتِهِ هَذِهِ. وَقَالَ أَبُو سُلَيْمَانَ بْنُ زَبْرٍ: قَتَلَ بِسَلَمْيَةَ سَنَةَ سِتٍّ وَسِتِّينَ. وَقَالَ غَيْرُهُ: سَنَةَ خَمْسٍ وَسِتِّينَ. وَقِيلَ: سَنَةَ سِتِّينَ. وَالصَّحِيحُ مَا ذَكَرْنَاهُ. وَفِيهَا تُوُفِّيَ الْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ بْنِ نَوْفَلٍ، صَحَابِيٌّ صَغِيرٌ، أَصَابَهُ حَجَرُ الْمَنْجَنِيقِ بِمَكَّةَ، وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلَّى فِي الْحِجْرِ.
পৃষ্ঠা - ৬৮৫৮

ক্ষুরআব ইবৃর আবদুর রহমান ইবন আউফ (র)

তিনি ছিলেন একজন দীনদাব বিদ্বান যুবক ৷ মক্কা অবরােধের সময় হযরত আবদুল্লাহ ইবন
ষুবাইর ব্যে ) এর সাথে মুসআব নিহত হন ৷ হারবার ঘটনায় যার৷ নিইত হায়ছেন তাদের মধ্যে
প্রসিদ্ধ হলের মুহাম্মাদ ইবন উবাই ইবন কা ব আবদুর রহমান ইবন আবু কা৩ড়াদাহ্ আবু
হা৷কম, মুয়ায , যইবন আল হারিস আল আনসারী৷ যাকে হযরত উমর (রা) লোকজনকে নিয়ে
সালাত আদায় করার জন্য ইমাম নিয়োগ করেছিলেন ৷ যয়ন বি বিরত উম্মে সালামার দৃসম্ভান
ঐদিন নিহত হয়েছিল ৷ যায়দ ইবন মুহাম্মদ ইবন সালাম৷ আল আনসারীও ঐ দিন নিহত
হয়েছিলেন তার সাথে তার সাত ভাই এবং তাদের ব্যতীত আরো অনেকেও নিহত হয়েছিল ৷

এ বছরই আল আখনাফ ইবন সুরাইক ইনতিকাল করেছিলেন ৷ তিনি মক্কা বিজয়ে অংশগ্রহণ
করেন এবং সিফফিনের যুদ্ধে হযরত আলী (রা) এর পক্ষে যুদ্ধ করেন ৷

, : ৬৪ হিজয়ীতে ৩বহু যুদ্ধ বিগ্নহ সংঘটিত হয়েছিল এবং পুর্বাঞ্চলীয় শহরগুলােতে ৩বহু বিপর্যয়
ছড়িয়ে পড়েছিল ৷ খুরাসানের শহরগুলােভে এক ব্যক্তি বিদ্রোহ ঘোষণা করে ৷ তার নাম
আবদুল্লাহ ইবন খাযিম ৷ সে রাট্রেরংকর্মকর্তাদেরকে পরাস্ত করে ও তাদেরকে দেশ থেকে
বিত৷ ৩ করে ৷ আর ইয়াযীদ ও তার পুত্র মুআবিয়ার মৃত্যুর পর এবং ঐসব অঞ্চাল
আৰ্দুল্লাহ্ ইবন যুবা ই র (রা) এর কর্তৃ তুসুপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার পুর্ব মুহুতে ^ঘটনাঢি ঘটেছিল ৷
তখন আবদুল্লাহ ইবন খাযিম্ ও আমব ইবন মারসাদের মধ্যে বহু যুদ্ধ সংঘটিত হয়,’র্বৈগুয়ুলার
বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে ৷ এসব যুদ্ধে একদল অন্যদলের উপর প্রভাব বিস্তার করার জন্য

ৎঘটিত হয়েছিল ৷

ওয়াকিদী (র) বলেন, যুআবিয়া ইবন ইয়াযীদের মৃত্যুর পর এ বছরেই অর্থাৎ ৬৪
হিজরীতে খুরাসানরাসীরা সালামা ইবন যিয়াদের হাতে বায়আত গ্রহণ করে এবং তাকে তারা
অত্যন্ত ভালবাসে ৷ এমনকি তারা ঐ বছরেই এক হাজার সন্তানের নাম তার নামানুসারে রাখে ৷
তারপর তার সাথে তারা বিশ্বাসঘাতকত৷ করে এবং মতবিরোধ করে ৷ সালামা তখন তাদের
মধ্যে হতে বের হয়ে গেল এবং মুহাল্লাৰ্ ইবন আবু সাফরাহকে তাদের আমীর হিসেবে রেখে
গেল ৷ এবছরই শীয়াদ্যো একটি দল কুফায় সুল৷ ৷ইমান ইবন সুরাদ (বা) এর কাছে সমবেত হয়
এবং আর নাথীলা নামক স্থানে একত্রিত হওয়ার অঙ্গিকার করে যাতে তারা হযরত ইমাম
হুসাইন ইবন আলী (রা)-এর খুনের প্রতিশোধ নিতে পারে ৷ এ ব্যাপারে তারা জোর প্রচেষ্টায়
রত ছিল আর এ ব্যাপারে তারা দৃঢ়সৎকল্প নিয়েছিল ৷

৬১ হিজরীর মুহবরমের দশ তারিখ ত্মাশুরার দিন কাররালট্রু ময়দানে হযরত ইমাম হু সইিন

(রা)-এর শাহাদাত বরণ করার ক্ষেত্রে তারা ৫যরুপ ভুমিকা পালন করেছিল তার জর্নটতারা

অত্যন্ত ল জ্জিত হয়েছিল ৷ তারা তার কাছে লোক প্রেরণ করেছিল, পত্র প্রেরণ করেছিল ৷
তারপর তিনি যখন তাদের কাছে আগমন করেছিলেন তখন তারা তীর পক্ষ ত্যাগ
করেছিল ৷৩ তার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল এবং তারা তাকে কোন প্রকার সাহায্য-সহায়তা
করে নি ৷ এখন তারা সংযোগের চেষ্টা করছে, যে সংযোগ এখন আর কোন উপকারে আসবে
না ৷ তারা প্রসিদ্ধ সাহাবী সুলাইমান ইবন সুরাদ (রা) এর ঘরে একত্রিত হয়্ আর তাদের মধ্যে
ছিলেন পাচজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ৷ তারা হলেন, সুলাইমার্ন ইবন সুরাদ সাহাৰী আল


[مِنْ أَحْدَاثِ سَنَةِ أَرْبَعٍ وَسِتِّينَ هِجْرِيَّةٍ] وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ - أَعْنَى سَنَةَ أَرْبَعٍ وَسِتِّينَ - جَرَتْ حُرُوبٌ كَثِيرَةٌ وَفِتَنٌ مُنْتَشِرَةٌ بِبِلَادِ الْمَشْرِقِ وَاسْتَحْوَذَ عَلَى بِلَادِ خُرَاسَانَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ خَازِمٍ. وَقَهَرَ عُمَّالَهَا وَأَخْرَجَهُمْ مِنْهَا، وَذَلِكَ بَعْدَ مَوْتِ يَزِيدَ وَابْنِهِ مُعَاوِيَةَ، قَبْلَ أَنْ يَسْتَقِرَّ مُلْكُ ابْنِ الزُّبَيْرِ عَلَى تِلْكَ النَّوَاحِي، وَجَرَتْ بَيْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَازِمٍ هَذَا وَبَيْنَ عَمْرِو بْنِ مَرْثَدٍ حُرُوبٌ يَطُولُ ذِكْرُهَا وَتَفْصِيلُهَا، اكْتَفَيْنَا بِذِكْرِهَا إِجْمَالًا ; إِذْ لَا يَتَعَلَّقُ بِتَفْصِيلِهَا كَبِيرُ فَائِدَةٍ، وَهِيَ حُرُوبُ فِتْنَةٍ وَقِتَالُ بُغَاةٍ بَعْضِهِمْ فِي بَعْضٍ، وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانِ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ - بَعْدَ مَوْتِ مُعَاوِيَةَ بْنِ يَزِيدَ - بَايَعَ أَهْلُ خُرَاسَانَ سَلْمَ بْنَ زِيَادِ بْنِ أَبِيهِ، وَأَحَبُّوهُ حَتَّى إِنَّهُمْ سَمَّوْا بِاسْمِهِ فِي تِلْكَ السَّنَةِ أَكْثَرَ مِنْ أَلْفِ غُلَامٍ مَوْلُودٍ، ثُمَّ نَكَثُوا وَاخْتَلَفُوا، فَخَرَجَ عَنْهُمْ سَلْمٌ، وَتَرَكَ عَلَيْهِمُ الْمُهَلَّبَ بْنَ أَبِي صُفْرَةَ.
পৃষ্ঠা - ৬৮৫৯


মুসায়া৷ব ইবন নৃজবাতুল ফাযারী ৷ হযরত আলী (রা)-এর নেতৃস্থানীয় সাথীদের অন্যতম
আবদুল্লাহ ইবন সাদ, ইবন নৃফাইল আল আযদী, আবদুল্লাহ ইবন ওয়াল আত্তায়ী, রিফাআ

তার? সকলে বিভিন্ন,ধরনের বক্তব্য ও নসীহত পেশ করার পর হযরত সুলাইমান ইবন সুরাদ
(রা) ৷ক তাদের ৷নত৷ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে ঐকামাত পৌাছন ৷ তারা পরস্পর ওয়াদা
অঙ্গিকার করেন চুক্তি করেন এবং আন নাখীলা (খেজুর বাগান) নামক স্থানে একত্রিত হওয়ার
দৃঢ় প্রত্যয় করেন ৷
৬৫ হিজরীাত তাদেরকে উপরোক্ত স্থানে যে ব্যক্তি আহবান করে নিয়ে যাবে তাও সাব্যস্থ
হলো ৷ তারপর তারা অর্থ, অস্ত্র, পা৷থয় ও রসদ ইত্যা দিসংগ্নহ করেন ৷
তাদের মধ্যে বক্তব্য পেশ করার জন্য আল মুসহাব ইবন নুজাৰা দণ্ডায়মান হ্লেন,
আল্লাহর প্রশং না ও গুণগান করলেন এবং বললেন, অতঃপর আমি আরয করি যে; আমরা
দীর্ঘ হায়াত ও সীমাহীন বিপর্যয়ের মাধ্যমে আমরা পরীক্ষার বস্তুতে পরিণত হয়েছিলাম ৷
আল্লাহ আমাদেরকে এসব দিয়ে পরীক্ষা করেছেন এবং আমাদেরকে রাসুল (সা) এর কন্যার
সন্তানের সাহায্যে৩ তিনি মিথ্যাবাদী ৷পয়েছেল্ ৷ আমরা তার কাছে পত্র লিখেছিলাষ ও তার
সাথে যোগাযোগ করেছিলাম ৷ তিনি আমাদেরকে সাহায্য করার জন্যে ছুটে এসেছিলেন ৷
কিন্তু আমরা তার সঙ্গ ত্যাগ করেছি, তার সাথে ওয়াদ৷ ৷হুালাফ করেছিল র্তাকে আমরা এমন
লোকদের কাছে পৌছিায দিয়েছি বাবা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, তার পরিবার-
পরিজনাক হত্যা করেছে তার ৷যাপ্য৩ ৷ সম্পন্ন আত্মীয়স্বজনাক হত্যা করেছে ৷ আমরা
তাদেরকে নিজেদের শক্তি দিয়ে সাহায্য করিনি এবং ভাষা দিাহ্াগু তাদের থেকে শত্রুকে
প্রতিহত করিনি ৷ আর তাদেরকে আমাদেরঅর্থ সম্পদ দিয়েও শক্তিশালী করিনি ৷ কাজেই
আমাদের সকালরাজনর্শ্বদৃর্ভাগ৷ ৷ এ দুর্ভাগ্য সর্বকালেই আমাদেরকে উৎপীড়ন করবে এবং
শান্তি দিবে না যতক্ষণ না তার হ৩ ত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ করি এবং যারা তার
উপরে অত ৷৷চার কাইছিল তাদের থেকে প্ৰতিশোধ গ্রহণ করি ৷ তাই আমরা তাদের বিরুদ্ধে
যুদ্ধ করব, যদিও তাতে আমাদের অর্থ খরচ হবে, আমাদের শহর বিনষ্ট হবে কিত্বা আমরা
নিহত হব ৷ হে জনগণ ! এ ব্যাপারে ৷তামর৷ সকলে মিলে এক ব্যক্তির ভুমিকার উপনীত
ৰু হবে, তোমাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে তওবা করবে ও প্রায়াজান তোমাদের জান দিাব ৷ আর
এটাই তোমাদের স্রষ্টার নিকট তোমাদের জন্য ৷শ্রয় ৷ তিনি নাতিদীর্ঘ বক্তব্য রাখেন ৷ তারপর
তারা তাদের সকল ভাইাযর নিকট পত্র লিখেন, যাত আগামী বছর তারা আন নাখীলা
নামক স্থানে সমবেত হন ৷
সুলাইমান ইবন সুরাদ (রা) আল-মাদায়িনের আমীর সাদ ইবন হুযাইফা ইবন আল , ;
ইয়ামানাক পত্র লিখেন এবং এ পরিকল্পনায় অং শগ্ন হণ করতে আহবান জানান ৷ তিনি তার
আহৰুা৷ন সাড়া দেন এবং আল মাদায়িানর বাসিন্দাদের হতে যারা তার বাধ্য তাদেরকেও এ
পবিকল্পন৷ রাতব্ায়নের ক্ষেত্রে অত্শ্াগ্রহণ করার জন্য আহবান জানান ৷ তারা সকলেই এ
আহবান করল করার জন্য এগিয়ে আসেন ৷ ’ তার প্রতি তার৷ ঝুকে পড়ালন এবং নির্দিষ্ট তারিখে
আন্ ৷ নাখীল৷ নামক ভুা৷ন সমবেত হওয়ার জন্য ওয়াদাবদ্ধ হলেন ৷ সা দ ইবন হুযাইফা
সুলাইমান ইরন সুরাদ (রা) এর কাছে বিস্তারিত জানিয়ে পত্র লিখেন ৷ আল মাদায়িনবাসীগণ

আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া-৫ ৭

وَفِيهَا اجْتَمَعَ مَلَأُ الشِّيعَةِ عَلَى سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ بِالْكُوفَةِ، وَتَوَاعَدُوا النَّخِيلَةَ ; لِيَأْخُذُوا بِثَأْرِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَمَا زَالُوا فِي ذَلِكَ مُجِدِّينَ، وَعَلَيْهِ عَازِمِينَ، مِنْ بَعْدِ مَقْتَلِ الْحُسَيْنِ بِكَرْبَلَاءَ فِي الْعَاشِرِ مِنَ الْمُحَرَّمِ سَنَةَ إِحْدَى وَسِتِّينَ، وَقَدْ نَدِمُوا عَلَى مَا كَانَ مِنْهُمْ مِنْ بَعْثِهِمْ إِلَيْهِ، فَلَمَّا حَصَلَ بِبِلَادِهِمْ خَذَلُوهُ وَتَخَلَّوْا عَنْهُ وَلَمْ يَنْصُرُوهُ. فَجَادَتْ بِوَصْلٍ حِينَ لَا يَنْفَعُ الْوَصْلُ فَاجْتَمَعُوا فِي دَارِ سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ وَهُوَ صَحَابِيٌّ جَلِيلٌ، وَكَانَ رُءُوسُ الْقَائِمِينَ فِي ذَلِكَ خَمْسَةً ; سُلَيْمَانَ بْنَ صُرَدٍ الصَّحَابِيَّ، وَالْمُسَيَّبَ بْنَ نَجَبَةَ الْفَزَارِيَّ أَحَدَ كِبَارِ أَصْحَابِ عَلِيٍّ، وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَعْدِ بْنِ نُفَيْلٍ الْأَزْدِيَّ، وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ وَالٍ التَّيْمِيَّ، وَرِفَاعَةَ بْنَ شَدَّادٍ الْبَجَلِيَّ، وَكُلُّهُمْ مِنْ أَصْحَابِ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَاجْتَمَعُوا كُلُّهُمْ بَعْدَ خُطَبٍ وَمَوَاعِظَ عَلَى تَأْمِيرِ سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ عَلَيْهِمْ، فَتَعَاهَدُوا وَتَعَاقَدْوا، وَتَوَاعَدُوا النُّخَيْلَةَ ; أَنْ يَجْتَمِعَ مَنْ يَسْتَجِيبُ لَهُمْ إِلَى ذَلِكَ الْمَوْضِعِ بِهَا فِي سَنَةِ خَمْسٍ وَسِتِّينَ، ثُمَّ جَمَعُوا مِنْ أَمْوَالِهِمْ وَأَسْلِحَتِهِمْ شَيْئًا كَثِيرًا وَأَعَدُّوهُ لِذَلِكَ.
পৃষ্ঠা - ৬৮৬০


এ বাপার একমত হওয়ায় কুফাবাসীগণ খুশী হলেন এবং এ ব্যাপারে তাদের আগ্নহ দেখে
তারা অত্যন্ত সন্তুষ্ট হলেনা

যখন ইয়াযাদ ইবন মুআবিয়া মারা যায় এবং তার পুত্র মু আবিয়াও কিছুদিন পর মারা
যায় তখন কৃফাবাসীরা খিলাফাতর ব্যাপারে আকাহ্মোপােযণ করতে লাগলেন এবং ধারণা
করতে লাগালনং যে সিরিয়াবাসীবা ইতিমধ্যে দুর্বল হয়ে পড়েছে ৷ তাদের মধ্যে: এরুপ
কোন সরল ব্যক্তি নেই, যে তাদের জন্য খিলাফত রক্ষা করতে পারে ৷ তাই তারা হযরত
সুলাইমান ইবন সুরাদ (রা)-এর সাথে সংগ্রামের ব্যাপারে আলোচনা করতে লাগালন এবং
নির্ধারিত সময়ের পুাবই আন, নাখীলানামক স্থানে পৌছাত আগ্রহপ্রকাশ করলেন ৷ তিনি
তাদেরকে একাজ নিষেধ করলেন এবং বললেন, না, ৩য তক্ষণ না আমাদের ভাইদের সাথে
কৃত ওয়াদামাতাবেক নির্ধারিত সময় সঞ্চয় করতেলাগলেন, অথচ সাধাবপছু;জনগণ এ
ব্যাপারে কোন প্রকার অবগত হয়নি ৷ তখন কুফাবাসীাদর অধিকাৎশালৰুকই কুফায নিযুক্ত
উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদের নায়িব আমর ইবন হুরাইসের দিকে ধাবিত হলো এবং তারা
র্ভাকে, প্রাসাদ থেকে বের করে দিন ৷ণ্ ,

অন্যদিকে তারা আমর ইবন মাসৃউদ ইব ,ন উমাইয়া ইবন খালফ ওরফে দাহরুজাট্রু এর সাথে
অভিন্ন মত পোষণ করে ৷ ত্যিন আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (বা) এর জন্য বায় আত করেন এবং
আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) এর পক্ষ থেকে কোন কর্মকর্তা নিয়োগ না আসা পর্যত টুনিই
যাবতীয় কাজ কামরাদখাশুনা করতে লাগলেন ৷ ; ৰুৰু;

৬৪ হিজরীর রমযা ন মাসের ২২৩ তারিখ শুক্রবার দিন আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) এর
পক্ষ থেকে দুজন আহীার কুফার আর্গমন করেন ৷ তাদের একজন হলেন আবদুল্লাহ ইবন
ইয়াযীদ আর খা৩ মীা তিনি যুদ্ধ বিগ্নহ ও সীমাত রক্ষায় নিয়াে জিত হন ৷

আর দ্বিভীরজন হলেন ইব্রাহীম ইবন মুহাম্মদ ইবন তালহা ইরন উবাইদুল্লাহ্ আত্তাইমী ৷
তিনি অর্থ ও কব ব্যবস্থার দায়িত্বে সম্পৃক্ত হন ৷ আর তাদের এ দু জনের আগমনের পুর্বে এ
মাসের ১৫ তারিখ শুক্রবার দিনব্লু আল নৃখ৩ তার ইবন আবু উ রাইদ কুফায় আগমন করেছিল ৷
(আর সে ই হল আল মুখ৩ তার ইবন আবু উবাইদ আস সাকাফী, আন কাযযাব) সে এসে
শীয়াদরাক দেখতে পেল যে তার সুলাই মান ইবন সুরা দ (রা) এর সাথে মিলিত হয়েছে ৷
তারা তাকে অত্যন্ত সম্মান করে আর তারাই যুদ্ধের জনা প্রস্তুত হয়ে রয়েছে ৷ আল য়ুখতার
যখন তাদের নিকই কুফায় আগমন করে তখন সে ইমাম মাহদীর ইমামত গ্রহণের প্রতি
প্, জনগণকে আহবান করে ৷ তিনি ;,ৰুহ্ালন, মুহাম্মদ ইবন আলী ইবন আবু৩ তালিব ৷ আর তিনিই
হলেন গোপনে মুহাম্মদ ইবনুল হানাফিয়া ৷ আল মুখড়াতর তাকে মাহদী উপাধিতে ভুষিত
করে

শীয়াদের অনেকেই তার অনুসারী হল এবং সুলাইমান ইবন সুরাদ (রা)াখকে বিচ্ছিন্ন
; হয়ে পড়েন ৷ এখন শীয়ারা দৃ’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে ৷৩ তাদের অধিকাৎশই সুলাইমান ইবন
সুরাদ (রা) এর সাথে মিলিত হয়ে জনগণাক ত্ারা হযরস্থুতু ইমাম হুনাইন (রা) এৰুন্ন্ন্ খুনের

প্রতিশ্নোধ নুেয়ার জন্য সং গ্রাম করতে উৎসৃাহিত করে ৷ আর অন্য একটি দল আল মুখতারব্র
সাহুথ মিলিত হয়ে জনগণকে মুহাম্মদ ইবনুল্ হানাফীয়্ার ইমামত প্রতিষ্ঠা করার জন্য সং গ্রাম
ন্ করতে উদ্বুদ্ধ করে ৷ তবে এ ব্যাপারে মুহাম্মদ ইবনুল হানাফিয়ার কোন আদেশ ছিল না ৷


وَكَتَبَ سُلَيْمَانُ بْنُ صُرَدٍ إِلَى سَعْدِ بْنِ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ، وَهُوَ بِالْمَدَائِنِ يَدْعُوهُ إِلَى ذَلِكَ، فَاسْتَجَابَ لَهُ، وَدَعَا إِلَيْهِ سَعْدٌ مَنْ أَطَاعَهُ مِنْ أَهْلِ الْمَدَائِنِ فَبَادَرُوا إِلَيْهِ بِالِاسْتِجَابَةِ وَالْقَبُولِ، وَتَمَالَئُوا عَلَيْهِ وَتَوَاعَدُوا النُّخَيْلَةَ فِي التَّارِيخِ الْمَذْكُورِ. وَكَتَبَ سَعْدٌ إِلَى سُلَيْمَانَ بِذَلِكَ، فَفَرِحَ أَهْلُ الْكُوفَةِ مِنْ مُوَافَقَةِ أَهْلِ الْمَدَائِنِ لَهُمْ عَلَى ذَلِكَ، وَتَنَشَّطُوا لِأَمْرِهِمُ الَّذِي تَمَالَئُوا عَلَيْهِ، فَلَمَّا مَاتَ يَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ وَابْنُهُ مُعَاوِيَةُ بَعْدَهُ بِقَلِيلٍ، طَمِعُوا فِي الْأَمْرِ، وَاعْتَقَدْوا أَنَّ أَهْلَ الشَّامِ قَدْ ضَعُفُوا، وَلَمْ يَبْقَ مَنْ يُقِيمُ لَهُمْ أَمْرًا، فَغَدَوْا إِلَى سُلَيْمَانَ، وَاسْتَشَارُوهُ فِي الظُّهُورِ وَأَنْ يَخْرُجُوا إِلَى النُّخَيْلَةِ قَبْلَ الْأَجَلِ، فَمَنَعَهُمْ مِنْ ذَلِكَ حَتَّى يَأْتِيَ الْأَجَلُ الَّذِي وَاعَدُوا إِخْوَانَهُمْ فِيهِ. ثُمَّ هُمْ فِي الْبَاطِنِ يُعِدُّونَ السِّلَاحَ وَالْقُوَّةَ، وَلَا يَشْعُرُ بِهِمْ جُمْهُورُ النَّاسِ، وَحِينَئِذٍ عَمَدَ جُمْهُورُ أَهْلِ الْكُوفَةِ إِلَى عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ نَائِبِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ عَلَى الْكُوفَةِ، فَأَخْرَجُوهُ مِنَ الْقَصْرِ، وَاصْطَلَحُوا عَلَى عَامِرِ بْنِ مَسْعُودِ بْنِ أُمَيَّةَ بْنِ خَلَفٍ الْمُلَقَّبُ دُحْرُوجَةَ، فَبَايَعَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، فَهُوَ يَسُدُّ الْأُمُورَ حَتَّى تَأْتِيَ نُوَّابُ ابْنِ الزُّبَيْرِ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ لِثَمَانٍ بَقِينَ مِنْ رَمَضَانَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ - أَعْنِي سَنَةَ أَرْبَعٍ وَسِتِّينَ - قَدِمَ أَمِيرَانِ إِلَى الْكُوفَةِ مِنْ جِهَةِ ابْنِ الزُّبَيْرِ ; أَحَدُهُمَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْخَطْمِيُّ عَلَى الْحَرْبِ وَالثَّغْرِ، وَالْآخَرُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ التَّيْمِيُّ عَلَى الْخَرَاجِ، وَقَدْ كَانَ قَدْمُ قَبْلَهُمَا إِلَى
পৃষ্ঠা - ৬৮৬১


০ ৷ ৷ ৷ : ৷ ৷ ৷ :

আল-ৰিদায়া ওয়ান নিহায়া ৪৫ ১

কিন্তু কিছু সং থ্যক লোক তার সম্বন্ধে অলৌকিক বহু কথা রচনা করতে লাগল এবং জনগণের
মধ্যে এগুলোর বহুল প্রচলন করতে লাগল যাতে তারা নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে
পারে ৷

আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) এর নিযুক্ত নায়িব আবদুল্লাহ ইবন ইয়াযীদ আল খাত মীর
কাছে গুপ্তচর এসে পৌছে এবং শীয়াদের দু দলের জনগণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা ও ইমাম
মাহদীর দিকে আহবান করার ব্যাপারে তাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় প্রদান করে এবং তাদের
াবরুদ্ধে দ্রুত প্রতিকার ও তাদের স্তব্ধ করার জন্য পুলিশ প্রেরণ ও তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা
ইত্যাদি নানা রুপ পন্থায় তাদের সৃষ্ট বিপর্যয় ও অরাজকতার মোকাবেলা করার জন্য ইঙ্গিত
প্রদান করে ৷ তাই হযরত আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (না)-এর প্রেরিত নায়িব আবদুল্লাহ ইবন
ইয়াযীদ আল খাতমী জনগণের মাঝে খুতৰা দেবার জন্য র্দাডালেন ৷ এসব লোক যা কিছু
করেছে এবং আরো কেউ হযরত ইমাম হুসইিন (রা) এর খুনের প্রতিশোধ গ্রহণ করার জন্য
;ইচ্ছা ব্যক্ত করেছে ইত্যাদি বর্ণনা করার পর আরো বলেন যে, তারা জানেন আমি হযরত ৩ই-মাম
হুসইিন (র) এর হত্যাকারীদের সাথে সম্পৃক্ত নই ৷ আল্লাহর শপথ! আমি ঐ লোকদের অস্ত
র্ভুক্ত যারা হযরত ইমাম হুসইিন (রা)-এর হত্যাকে একটি মুসিবত হিসেবে গণ্য করে ও খারাপ
মনে করেন (আল্লাহ তার প্রতি রহমত নাযিল করুন)াকেউ আমার সাথে প্রথমে খারাপ
ব্যবহার না করা পর্যন্ত আমি কারো সাথে বিবাদ-বিসশ্বাদে লিপ্ত হয় না ৷ এসব লোক যদি
ইমাম হুসইিন (রা)এর খুনের প্রতিশোধ নিতে চায় তাহলে তারা যেন আবদুল্লাহ ইবন
যিয়াদের প্রতি ধাবিত হয় ৷

কেননা, সেই ইমাম হুসইিন (রা) ও তার যোগ্য পরিবার পরিজনকে হত্যা করেছে ৷ কাজেই
তারা যেন তার থেকে প্ৰতিশোধ নেয় ৷ নিজের দোশর লোকদের বিরুদ্ধে যেন তারা এরুপ
প্ করে তাহলে এটা হবে দেশবাসীর জন্য মারাত্মক ক্ষতি ও তাদেরকে নির্মুল করার হীন প্রচেষ্টা
মাত্র ৷

তখন অন্য আমীর রৈাহীম ইবন মুহাম্মদ ইবন তালহ৷ উঠে র্দাড়ান এবং বলেন, হে জনগণ !

তােমাদেরকে যেন এই দুর্বলতা প্রকাশকারী কথা প্ৰতারিত না করে ৷ আল্লাহর শপথ ৷ আমরা
নিশ্চিাবে জানতে পেয়েছি যে, এ সম্প্রদায়ের লোকেরা আমাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে
ইচ্ছা পোষণ করছে ৷ আমরা তাদের পিতাকে পুত্রের পরিবর্তে ও পুত্রকে পিত ৷র পরিবর্তে
বন্ধুকে বন্ধুর পরিবর্তে এবং স্থানীয় নেতাকে তার অধীনস্থ লোকদের পরিবর্তে গ্রেফতার করব
এবং তাদরকে কারাগারে রাখব যতক্ষণ না তারা সত্যের পথেশু জ্যির আসবে এবং বশ্যতা
স্বীকার করবে ৷

একথা শুনে আল মুসায়িাব ইবন নাজাবাতৃল ফাযারী লাফ, দিয়ে উঠেন এবং তার কথা
কেটে বলতে থাকে, হে ওয়াদ৷ ভঙ্গকারীদের সন্তান ! তুমি কি আমাদেরকে তোমার তলোয়ার
ও জুলুমের ভয় দেখাচ্ছ ? আল্লাহ্র শপথ ! তুমি এর থেকে অনেক হীন ৷ আমরা তোমাকে
আমাদের প্রতি হিংস৷ রাখার জন্য তিরস্কার করছি না ৷ আমরা এখন চাই এ প্রাসাদ থেকে বের
হওয়ার পুর্বেই তোমাকে আমরা তোমার বাগ দাদার ঠিকানায় পৌছিয়ে দেব ৷ ইব্রাহীম ইবন
মুহাম্মদ ইবন তালহ৷ ৷এর সাথীদের মধ্যে হতে একদল কর্মকর্তা মুসাআব ইবন নাজারাকে
সাহায্য করে এবং তাদের মধ্যে বিরাট সংঘর্ষ দেখা দেয় ৷ আর এভাবে বিরটি দুর্ঘটনা ঘটে
যায় ৷ আবদুল্লাহ ইবন ইয়াযীদ আল খাতামী তখন মিম্বর থেকে নেমে যান ৷ উপস্থিত জনতা


الْكُوفَةِ بِجُمُعَةٍ وَاحِدَةٍ لِلنِّصْفِ مِنْ هَذَا الشَّهْرِ الْمُخْتَارِ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ - وَهُوَ الْمُخْتَارُ الثَّقَفِيُّ الْكَذَّابُ - فَوَجَدَ الشِّيعَةَ قَدِ الْتَفَتَ عَلَى سُلَيْمَانَ بْنَ صُرَدٍ، وَعَظَّمُوهُ تَعْظِيمًا زَائِدًا، وَهُمْ مُعِدُّونَ لِلْحَرْبِ، فَلَمَّا اسْتَقَرَّ الْمُخْتَارُ عِنْدَهُمْ، دَعَا فِي الْبَاطِنِ إِلَى إِمَامَةِ مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ، وَلَقَّبَهُ الْمَهْدِيَّ، فَاتَّبَعَهُ كَثِيرٌ مِنَ الشِّيعَةِ، وَفَارَقُوا سُلَيْمَانَ بْنَ صُرَدٍ وَصَارَتِ الشِّيعَةُ فِرْقَتَيْنِ ; الْجُمْهُورُ مِنْهُمْ مَعَ سُلَيْمَانَ يُرِيدُونَ الْخُرُوجَ عَلَى النَّاسِ لِلْأَخْذِ بِثَأْرِ الْحُسَيْنِ، وَفِرْقَةُ أَصْحَابِ الْمُخْتَارِ يُرِيدُونَ الْخُرُوجَ لِلدَّعْوَةِ إِلَى إِمَامَةِ مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ وَذَلِكَ عَنْ غَيْرِ أَمْرِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ وَرِضَاهُ، وَإِنَّمَا يَتَقَوَّلُونَ عَلَيْهِ لِيُرَوِّجُوا عَلَى النَّاسِ بِهِ، وَلِيَتَوَصَّلُوا إِلَى أَغْرَاضِهِمُ الْفَاسِدَةِ، وَجَاءَتِ الْعَيْنُ الصَّافِيَةُ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ الْخَطْمِيِّ نَائِبِ ابْنِ الزُّبَيْرِ بِمَا تَمَالَأَ عَلَيْهِ فِرْقَتَا الشِّيعَةِ عَلَى اخْتِلَافِهِمَا ; مِنَ الْخُرُوجِ عَلَى النَّاسِ وَالدَّعْوَةِ إِلَى مَا يُرِيدُونَ، وَأَشَارَ مَنْ أَشَارَ عَلَيْهِ بِأَنْ يُبَادِرَ إِلَيْهِمْ، وَيَحْتَاطَ عَلَيْهِمْ، وَيَبْعَثَ الشَّرَطَ وَالْمُقَاتِلَةَ فَيَقْمَعُهُمْ عَمَّا هُمْ مُجْمِعُونَ عَلَيْهِ مِنْ إِرَادَةِ الشَّرِّ وَالْفِتْنَةِ، فَقَامَ خَطِيبًا فِي النَّاسِ، وَذَكَرَ فِي خُطْبَتِهِ مَا بَلَغَهُ عَنْ هَؤُلَاءِ الْقَوْمِ، وَمَا أَجْمَعُوا عَلَيْهِ مِنَ الْأَمْرِ، وَأَنَّ مِنْهُمْ مَنْ يُرِيدُ الْأَخْذَ بِثَأْرِ الْحُسَيْنِ، وَلَقَدْ عَلِمُوا أَنِّي لَسْتُ مِمَّنْ قَتَلَهُ، وَإِنِّي وَاللَّهِ لَمِمَّنْ أُصِيبَ بِقَتْلِهِ، رَحِمَهُ اللَّهُ وَلَعَنَ قَاتِلَهُ، وَإِنِّي لَا أَتَعَرَّضُ لِأَحَدٍ قَبْلَ أَنْ يَبْدَأَنِي بِالشَّرِّ، وَإِنْ كَانَ هَؤُلَاءِ يُرِيدُونَ الْأَخْذَ بِثَأْرِ الْحُسَيْنِ، فَلْيَعْمِدُوا إِلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ،. فَإِنَّهُ هُوَ الَّذِي قَتَلَ الْحُسَيْنَ وَخِيَارَ أَهْلِهِ ; فَلْيَأْخُذُوا مِنْهُ بِالثَّأْرِ ; وَلَا يَخْرُجُوا بِسُيُوفِهِمْ عَلَى أَهْلِ بَلَدِهِمْ، فَيَكُونُ فِيهِ حَتْفُهُمْ وَاسْتِئْصَالُهُمْ. فَقَامَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ الْأَمِيرُ الْآخَرُ فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، لَا يَغُرَّنَّكُمْ مِنْ أَنْفُسِكُمْ كَلَامُ هَذَا الْمُدَاهِنِ، إِنَّا وَاللَّهِ قَدِ اسْتَيْقَنَّا أَنَّ قَوْمًا يُرِيدُونَ الْخُرُوجَ عَلَيْنَا،
পৃষ্ঠা - ৬৮৬২


দুই আমীরের মধ্যে মীমাৎসা করে দেবার ৫চষ্টা৷ করল ৷ কিন্তু তাদের জন্যে৩ তা সম্ভব হয়নি ৷
তারপর সুলাইমান ইবন সুরাদ (রা)-এব সাথী শীয়ারা তলেয়োার নিয়ে বের হয়ে আসে এবং
জনগ্যণর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার জন্য ইচ্ছা ব্যক্ত করে ৷ তইি সুলাইমান ইবন সুরাদ (রা)এর
সাথে তারা একত্র হয়ে জাযীরা অভিমুখে রওয়ানা হঙ্গো যায় ৷ তাদের ঘটনা অচিরেই বর্ণিত
হবে ৷

আল ঘুখতড়ার ইবন উবাইদ আস সাকাফী আল কাষযাব হযরত ইমাম হুসাইন (রা) এর
বিরোধিতার দিন থেকেই শীয়াদের প্রতি ঘৃণা , পোষণ করতে থাকেন ৷ সে ইরাকের
বাসিন্দাদেরকে নিয়ে সিরিয়ার দিকে রওয়ানা হয়ে যায় ৷৩ তারপর সে মাদায়িনে আশ্রয় নেয় ৷
আল মুখতার মাদায়িনের নায়িব তার চাচাকে ইঙ্গিত করে যেন হযরত ইমাম হুসা ইন (রা) ৫ক
বন্দী করে ইয়াযীদ ইবন যুআবিয়া (রা) এর কাছে প্রেরণ করা হয় ৷ তাহলে সে তার কাছ
থেকে সুম্যেপ সুবিধ৷ আদায় করতে পারবে ৷ কিন্তু মুখতারের চাচা এরুপ কাজ় থেকে বিরত
ন্ থাকেন ৷ এজন্য শীয়ারা মুখতারের প্ৰতি ঘৃণা করতে থাকে ৷ মুসলিম ইবন আকীলের কুফার
আগমনের প্রেক্ষিতে যাবতীয় ঘটনা ঘটার পর যখন ইবন যিয়া দ মুসলিম ইবন আকীলকে হত্যা
করে তখন মুখতার কুফার অবস্থান করে ৷

ইতিমধ্যে ইবন যিয়াদের কাছে খবর পৌছে যে, মুখতার বলছে, আমি মুসলিমের সাহাযাচর্থ
ন্ উঠে পড়ে লাগব এবং তার প্রতিশোধ গ্রহণ করব ৷ তখন ইবন যিয়াদ তাকে তার সামনে হাযির
করারৰুএরং তার হাতের লাঠি দিয়ে তার চোখে মুখে আরাত করে আহত করে দেয়৷ , আর
তাকে কারাগারে বন্দী করার জন্য হুকুম দেয় ৷ মুখতারের কারাগারে যাওয়ার সংবাদটি তার
বোনের কাছে যখন পৌছে তখন তিনি অত্যন্ত কান্নাকাটি করেনর্দুএবং তার জন্য বিলাপ করতে
থাকেন ৷ মুখতাররর বোন ছিলেন হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর ইবন খাত্তাব (রা) এর শ্রী ৷
তখন আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) ইয়াযীদ ইবন মু আবিয়ার কাছে একটি পত্র লিখেন ৷ ঐ পত্রে
তিনি যুখতারকে কারাগার থেকে মুক্তি দানের সুপারিশ করেন ৷

ইয়াযীদ তখন ইবন যিমাদেব কাছে লোক প্রেরণ করে বলে, যখনি ৫তামার কাছে এ পাত্রঢি
পৌছবে তখনি মুখতার ইবন উবাইদহ্রক কারাগার থেকে বের: করে ;৫দ বে ৷ ইবন যিয়াদ
বিরোধীতাকরার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং বাধ্য হয়ে তাকে ছেড়ে দেয় ৷ আর তাকে বলে,
ণ্’ন্ আমি যদি তোমাকে তিনদিন পর কুফার কোথাও দেখতে পইি তাহলে আমি তোমার শিরচ্ছেদ
করে ছাড়ব ৷ মুখতার তখন হিজায়ের দিকে রওয়ানা হয়ে গেল এবং মনে মনে বলল, আল্লাহর
শপথ ! আমি উবাইদুল্লৰুাহ্ ইবন যিয়াদের হাতে র আঙ্গুলগুলো কেটে ৫দবাে এবং হযরত ইমাম
হুসাইন (রা) এর পরিবর্তে এমন স খ্যক লোককে হত্যা করব, যত স খকে লোককে হত্যা
করা হয়েছিল ইয়াহইয়৷ ইবনযাকারিয়ার পরিবর্তে ৷

আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) যখন শক্তি সঞ্চয় করেন তখন যুখ৩ তার ইবন উবা,ইদ তার ,
হাতে বায়আত গ্রহণ করে ৷ আর তখন থেকে সে তার কাছে একজন বড় কর্মকর্তা হিসেবে গণ্য
হয় ৷ অন্যদিকে হুসাইন ইবন নুমইিব , যখন সিরিয়াৰাসীদ্যে৷ সহযােগিত ৷য় আবদুল্লাহ ইবন
যুবাইর (রা); কে অবরোধ করে তখন মুখতার আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (বা) এর পক্ষে প্রচণ্ড
যুদ্ধ করে কিন্তু যখন তার কাছে ইয়াযীদ ইবন ঘুআবিয়া এর মৃত্যু ও ইরাকবাসীদের



১ মুল গ্রন্থে ইয়াযী৫দর স্থলে মুআৰিয়ার নাম মুদিত রয়েছে ৷


وَلَنَأْخُذَنَّ الْوَالِدَ بِالْوَلَدِ وَالْوَلَدَ بِالْوَالِدِ، وَالْحَمِيمَ بِالْحَمِيمِ، وَالْعَرِيفَ بِمَا فِي عِرَافَتِهِ، حَتَّى يَدِينُوا بِالْحَقِّ وَيَذِلُّوا لِلطَّاعَةِ. فَوَثَبَ إِلَيْهِ الْمُسَيَّبُ بْنُ نَجَبَةَ الْفَزَارِيُّ فَقَطَعَ عَلَيْهِ كَلَامَهُ، فَقَالَ: يَابْنَ النَّاكِثِينَ أَتُهَدِّدُنَا بِسَيْفِكَ وَغَشْمِكَ؟ ! أَنْتَ وَاللَّهِ أَذَلُّ مِنْ ذَلِكَ، إِنَّا لَا نَلُومُكَ عَلَى بُغْضِنَا وَقَدْ قَتَلْنَا أَبَاكَ وَجَدَّكَ، وَإِنَّا لَنَرْجُوَ أَنَّ نُلْحِقَكَ بِهِمَا قَبْلَ أَنْ تَخْرُجَ مِنْ هَذَا الْقَصْرِ. وَسَاعَدَ الْمُسَيَّبَ بْنَ نَجَبَةَ بَعْضَ أَصْحَابِهِ، وَرَدَّ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ جَمَاعَةٌ مِنَ الْعُمَّالِ، وَجَرَتْ فِتْنَةٌ وَشَرٌّ كَثِيرٌ فِي الْمَسْجِدِ، فَنَزَلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْخَطْمِيُّ عَنِ الْمِنْبَرِ، وَحَاوَلُوا أَنْ يُوقِعُوا بَيْنَ الْأَمِيرَيْنِ، فَلَمْ يَتَّفِقْ لَهُمْ ذَلِكَ، ثُمَّ ظَهَرَتِ الشِّيعَةُ أَصْحَابُ سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ بِالسِّلَاحِ، وَأَظْهَرُوا مَا كَانَ فِي أَنْفُسِهِمْ مِنَ الْخُرُوجِ عَلَى النَّاسِ، وَرَكِبُوا مَعَ سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ فَقَصَدُوا نَحْوَ الْجَزِيرَةِ، فَكَانَ مِنْ أَمْرِهِمْ مَا سَنَذْكُرُهُ. وَأَمَّا الْمُخْتَارُ بْنُ أَبِي عُبَيْدٍ الثَّقَفِيُّ الْكَذَّابُ فَإِنَّهُ قَدْ كَانَ بَغِيضًا إِلَى الشِّيعَةِ مِنْ يَوْمِ طُعِنَ الْحَسَنُ، وَهُوَ ذَاهِبٌ إِلَى الشَّامِ بِأَهْلِ الْعِرَاقِ، فَلَجَأَ إِلَى الْمَدَائِنِ، فَأَشَارَ الْمُخْتَارُ عَلَى عَمِّهِ، وَهُوَ نَائِبُ الْمَدَائِنِ بِأَنْ يَقْبِضَ عَلَى الْحَسَنِ وَيَبْعَثَهُ إِلَى مُعَاوِيَةَ، فَيَتَّخِذُ بِذَلِكَ عِنْدَهُ الْيَدَ الْبَيْضَاءَ، فَامْتَنَعَ عَمُّهُ مِنْ ذَلِكَ، فَأَبْغَضَتْهُ الشِّيعَةُ بِسَبَبِ ذَلِكَ، فَلَمَّا كَانَ مِنْ أَمْرِ مُسْلِمِ بْنِ عَقِيلٍ مَا كَانَ، وَقَتَلَهُ ابْنُ زِيَادٍ، كَانَ الْمُخْتَارُ يَوْمَئِذٍ بِالْكُوفَةِ، فَبَلَغَ ابْنَ زِيَادٍ أَنَّهُ يَقُولُ: لَأَقُومَنَّ بِنَصْرَةِ مُسْلِمٍ، وَلَآخُذُنَّ بِثَأْرِهِ.
পৃষ্ঠা - ৬৮৬৩


বিশৃৎখলার সংবাদ পৌছে তখন কোন ব্যাপারে আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা)-এর প্রতি সে

অসস্তুষ্ট হয়ে যায় ৷ কথিত আছে যে, তিনি পাচ মাস যাবত তাকে কোন কাজ না দিয়ে বসিয়ে

ারখেছিনোং ৷ তারপর মুখতারহিজায থেকোৰব হয়ে কুফার দিকে রওয়ান৷ হয় ৷ সে শুক্রবার

দিন কৃফায প্রবেশ করে তখন কুফার লোকজন সালা৷তয় জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছিল ৷ সে

ন্ণ্াহুা৷ন্ৰ্ণ্ষ্ণ্ৰুাশ্ন্ৰু জায়পায়ই যেত ৷সত্থানের জনগণ তা৷ক সালাম করত ৰু ন্ ৰু > ণ্

আর সে বলত, আপনার বিজয়ের সুসৎবাদ গ্রহণ করুন তারপর সে মসজিদে প্রবেশ
করে ৷ আসারর সালাত আদায় পর্যন্ত যে সেখানে অবস্থান করে ৷ আকরের সালাত আদায়
করার পর জনগণের সামনে ৷ন আসে জনগণ তাক সালান করে এবং তার দিকে তাদের
নজর নিবন্ধ করে ৷ তারা তার প্রতি খৃব সম্মান প্রদর্শন করে ৷ সে৩ ৷দেবকে ইমাম নাহদী

মুহাম্মদ ইবন হানাফ্রিয়৷ ইমামদের প্রতি আহবান করতে শুক করে ৷ আহান বাইাতর জন্য
প্ৰশিশাধ ৷নযাঘুইচ্ছ৷ প্রকাশ করতে থাকে আর সে বলা৩ থাকে যে, আহান রাইতের

নম্মান জক্ষুগ্ন রপাে র জন্য এবং তাদের নর্যাদ৷ সমুন্নত করার জন্য ও তাদের প্রতিশোধ

পারপুর্ণভাব গ্রহণ করার জন্য যে এথীান এাসাছ ৷

, যে সব শীয়৷ সুলইি ম্রান ইবন সুরাদ (রা) এর ৷নতৃাতু একত্রিত হায়ছিল্ এবং নলাইমান
ইবন সুরাদ (রা) এর সাথে তারা বিদ্রোহের জন্া, ৩ৎপব হ্রার্দুব্ প্র৩ ব্রুাশ৷ করা হয়েছিল
তাদেরকে ৷স পালি ণালা জ করে এবৎ৩ ৷ ৷কে সমর্থন করার জন্য তাদেরকে প্রার৷ ৷চিত করে ও

তাদেরকে বলে : “আমি তোমাদের কাছে এসেছি হুকুমদা৩ তার পক্ষ থেকে ফযীলতের খনি

হতে, সব সন্তুষ্টির উৎস হতে ৩অর্থাৎ ইমাম মাহদীর তরফ থেকে এমন এক কাজ নিয়ে এসেছি

যার মধ্যে রয়েছে সমস্ত অসুস্থতার শিফা, সমস্ত বিপদ-আপদেয় মুক্তি, শত্রুর হত্যা ও ধ্বং স

এবং নিয়ামা৩ র পুর্ণতা ৷

তােমরা ৷জান ৷রাখা, সুলাইমান ইবন সৃরাদ (আল্লাহ তাকে এবং আমাদেরকে রহ মত
করুন) অত্যাচারীদের মধ্যে বড় অত্যাচ৷ ৷বী, ৷স হচ্ছে এমন একটি পুরনো মশক যার যাবতীয়
কাজে কোন অভিজ্ঞ৩ ৷ ৷নই, যুদ্ধ বিদ্যা সম্বন্ধে কোন ধারংা৷ নেই, যে ৷৩ ৷মাদেরকে নিয়ে
বিদ্রোহ করতে মনস্থ করেছে, সে নিজেকে মারবে এবং ৷তামাদরকেও মারবে ৷ অন্যদিকে
আমি এমনভাবে কাজ করব যার পরিকল্পনা আমাকে ইতিমধ্যে দেয়৷ হয়েছে এবং তা আমার
কাছে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে তোমাদের অন্তরের শাস্তি ৷ সতরাং

তোমরা আমার কথা শোন, আমার হুকুম মান্য কর তারপর তোমরা সুসং বাদ গ্রহণ কর এর ৎ

অন্যদেরকেও সুসৎবাদ প্রদান কর ৷ তোমরা জোন রেথো, যা কিছু তোমরা আশা করছ এবং

যা কিছু তোমরা পছন্দ কর এসব কিছু অর্জন করার জন্য আমিই জামিন ৷ তারপর শীয়াদেব

অনেকেই তার প্রতি ৩ঝুকে পড়ে ৷

কিন্তু অধিকাংশ শীয়াই হযরত সুলাইমানং ইবন সুরাদ ণ্ণ্(রা)প্-এর সাথে আন-নাখীলাহ

নামক স্থানে এসে সমবেত হয় তখন ইবন সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস, শাবাস ইবন রিবঈ ও

অন্যরা কুফার নাযিব আবদুল্লাহ ইবন ইয়াষীদাক বলে “মুখ৩ ৷র ইবন আবু উবা ৷ইদ তোমাদের

জন্য সুলাইমান ইবন সুরাদ (বা) হতে ৩াবশী ভয়ংকর ৷ তাই তিনি তার কাছে পুলিশ ৷প্রব ৷
করেন এবং পুলিশের লোকেরা তার ঘরের চতুর্দিাক অবরোধ করে ৷ তাকে পাকড়াও করা
হয় এবং হাতকড়৷ পরিায় , কারো কারো মতে বিনা হাত কড়ায় তাকে কারাগারে প্রেরণ করা


فَأَحْضَرَهُ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَضَرَبَ عَيْنَهُ بِقَضِيبٍ كَانَ بِيَدِهِ فَشَتَرَهَا، وَأَمَرَ بِسِجْنِهِ، فَلَمَّا بَلَغَ أُخْتَهُ سَجْنُهُ بَكَتْ وَجَزِعَتْ عَلَيْهِ، وَكَانَتْ تَحْتَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، فَكَتَبَ ابْنُ عُمَرَ إِلَى يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ يَشْفَعُ عِنْدَهُ فِي إِخْرَاجِ الْمُخْتَارِ مِنَ السِّجْنِ، فَبَعَثَ يَزِيدُ إِلَى ابْنِ زِيَادٍ أَنَّ سَاعَةَ وُقُوفِكَ عَلَى هَذَا الْكِتَابِ تُخْرِجُ الْمُخْتَارَ بْنَ أَبِي عُبَيْدٍ مِنَ السِّجْنِ، فَلَمْ يُمْكِنِ ابْنَ زِيَادٍ غَيْرُ ذَلِكَ، فَأَخْرَجَهُ وَقَالَ لَهُ: إِنْ وَجَدْتُكَ بِالْكُوفَةِ بَعْدَ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ ضَرَبْتُ عُنُقَكَ. فَخَرَجَ الْمُخْتَارُ إِلَى الْحِجَازِ وَهُوَ يَقُولُ: وَاللَّهِ لَأَقْطَعَنَّ أَنَامِلَ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ وَلَأَقْتُلَنَّ بِالْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ عَدَدَ مَنْ قُتِلَ عَلَى دَمِ يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا. فَلَمَّا اسْتَفْحَلَ أَمْرُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ بِمَكَّةَ بَايَعَهُ الْمُخْتَارُ بْنُ أَبِي عُبَيْدٍ، وَكَانَ مِنْ كِبَارِ الْأُمَرَاءِ عِنْدَهُ، وَلَمَّا حَاصَرَهُ الْحُصَيْنُ بْنُ نُمَيْرٍ وَأَهْلُ الشَّامِ قَاتَلَ الْمُخْتَارُ دُونَهُ أَشَدَّ الْقِتَالِ، فَلَمَّا بَلَغَهُ مَوْتُ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ وَاضْطِرَابُ أَهْلِ الْعِرَاقِ، نَقَمَ عَلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ فِي بَعْضِ الْأَمْرِ، وَخَرَجَ مِنَ الْحِجَازِ، فَقَصَدَ الْكُوفَةَ فَدَخَلَهَا فِي يَوْمِ جُمُعَةٍ، وَالنَّاسُ يَتَهَيَّئُونَ لِلصَّلَاةِ، فَجَعَلَ لَا يَمُرُّ بِمَلَأٍ مِنَ النَّاسِ إِلَّا سَلَّمَ، وَقَالَ: أَبْشِرُوا بِالنَّصْرِ وَالظَّفَرِ بِالْأَعْدَاءِ. وَدَخَلَ الْمَسْجِدَ فَصَلَّى إِلَى سَارِيَةٍ هُنَالِكَ، حَتَّى أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ، ثُمَّ صَلَّى مِنْ بَعْدِ الصَّلَاةِ حَتَّى صُلِّيَتِ الْعَصْرُ، ثُمَّ انْصَرَفَ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ النَّاسُ، وَأَقْبَلُوا إِلَيْهِ وَعَلَيْهِ وَعَظَّمُوهُ، وَجَعَلَ يَدْعُو إِلَى إِمَامِهِ الْمَهْدِيِّ مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ، وَيُظْهِرُ الِانْتِصَارَ لِأَهْلِ الْبَيْتِ، وَأَنَّهُ بِصَدَدِ أَنْ يُقِيمَ شِعَارَهُمْ، وَيُظْهِرَ مَنَارَهُمْ، وَيَسْتَوْفِيَ ثَأْرَهُمْ، وَيَقُولَ لِلنَّاسِ الَّذِينَ قَدِ اجْتَمَعُوا عَلَى سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ مِنَ الشِّيعَةِ، وَقَدْ خَشِيَ أَنْ يُبَادِرُوا إِلَى الْخُرُوجِ مَعَ سُلَيْمَانَ، فَجَعَلَ يُخَذِّلُهُمْ وَيَسْتَمِيلُهُمْ إِلَيْهِ، وَيَقُولُ لَهُمْ: إِنِّي
পৃষ্ঠা - ৬৮৬৪


হয় ৷ সেখানে তাকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্ষড্র থাকতে হয় এবং সেখানে সে অসুস্থ হয়ে

দু পৰুড় ৷

ন্ আবু মিখনন্ফ বলেন, ইয়াহইয়৷ হবৃন আবু ঈস৷ তার কাছে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন,
একদিন আমি হুমাইদ ইবন মুসলিম আল আযদীর সাথে মুখতাবহ্বক রোগ শয্যায় সেবা
ংশুশ্রুয৷ ও দেখানোর জন্য তার কাছে গেলাম তখন তাকে বল;ত শুনলাম “সাখ রসমুহের
ণ্প্রতিপালক খেজুর গাছ ও গাছ-গাহুড়াসমুহের প্রতিপালকৰু এবষ্ কলা৷র্গক্ামী সালাত
আদায়কাৰীদের প্রটিপালকের শপথ ও আমি প্রতিটি পরাক্রমশ্া৷লী শত্রুর বিরুদ্ধে সাহসী,
যত্কর হিন্দুড্রানী তন্ত্র,লায়ারে সজ্জিত এমন সুযােগ্য সৈনিক ও সাহায্য সহায়৩াকারী দলের
মাধ্যতুম যুদ্ধ করব যারা তানভিজ্ঞ নয় এবং যারা দুর্ধষ সৈনিকদের ভয়ে যুদ্ধের, ময়দান থেকে
সরে দাড়ায় না ৷
তারপর আমি যখন দীনের স্তন্তুকে ময়বুড় করে পগ্রিষ্ঠিত কবর মুসলিম জনগণের ব্যথা
বেদন৷ নিরসন করব মুসলিম জনতার অড্ররের অসুন্থ৩৷ নিবাময করতে পারর তখন আমি
দুনিয়ার নিয়ামতেয় জন্য ত্রুন্দন করব না এক মৃঙু ৷ যখন আমার নিকটবর্ণী হবে তখন আমি
অশ্রু বিসর্জন দিব না ৷
বর্ণনাকাবী বলেন যখনি আমি র্কাব্রগোরে ড্রাব বক্টাৰুছ যে৩াম র্তখনি (স কারাগার থেকে বের
হয়ে যাবার পুর্ঘমৃহুর্ত পর্যম্ভউপরোক্ত বাক্যগুলাে উচ্চকাি করতো ৷




قَدْ جِئْتُكُمْ مِنْ قِبَلِ وَلِيِّ الْأَمْرِ، وَمَعْدِنِ الْفَضْلِ، وَوَصِيِّ الْوَصِيِّ، وَالْإِمَامِ الْمَهْدِيِّ، بِأَمْرٍ فِيهِ الشِّفَاءُ، وَكَشْفُ الْغِطَاءِ، وَقَتْلُ الْأَعْدَاءِ، وَتَمَامُ النَّعْمَاءِ، وَأَنَّ سُلَيْمَانَ بْنَ صُرَدٍ يَرْحَمُنَا اللَّهُ وَإِيَّاهُ، إِنَّمَا هُوَ عَشَمَةٌ مِنَ الْعَشَمِ، وَشَنٌّ بَالٍ، لَيْسَ بِذِي تَجْرِبَةٍ لِلْأُمُورِ، وَلَا لَهُ عِلْمٌ بِالْحُرُوبِ، إِنَّمَا يُرِيدُ أَنْ يُخْرِجَكُمْ فَيَقْتُلَ نَفْسَهُ وَيَقْتُلَكُمْ، وَإِنِّي إِنَّمَا أَعْمَلُ عَلَى مَثَلٍ قَدْ مُثِّلَ لِي، وَأَمَرٍ قَدْ بُيِّنَ لِي، فِيهِ عِزُّ وَلِيِّكُمْ، وَقَتْلُ عَدُوِّكُمْ، وَشِفَاءُ صُدُورِكُمْ، فَاسْمَعُوا مِنِّي وَأَطِيعُوا أَمْرِي، ثُمَّ أَبْشِرُوا وَتَبَاشَرُوا، فَإِنِّي لَكُمْ بِكُلِّ مَا تَأْمَلُونَ وَتُحِبُّونَ كَفِيلٌ. فَالْتَفَّ عَلَيْهِ خَلْقٌ كَثِيرٌ مِنَ الشِّيعَةِ، وَلَكِنَّ الْجُمْهُورَ مِنْهُمْ مَعَ سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ، فَلَمَّا خَرَجُوا مَعَ سُلَيْمَانَ إِلَى النُّخَيْلَةِ قَالَ عُمَرُ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ وَشَبَثُ بْنُ رِبْعِيٍّ وَغَيْرِهِمَا لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ نَائِبِ الْكُوفَةِ: إِنَّ الْمُخْتَارَ بْنَ أَبِي عُبَيْدٍ أَشَدُّ عَلَيْكَمْ مِنْ سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ. فَبَعَثَ إِلَيْهِ الشُّرَطَ فَأَحَاطُوا بِدَارِهِ، فَأَخَذَهُ فَذَهَبَ بِهِ إِلَى السِّجْنِ مُقَيَّدًا. وَقِيلَ: بِغَيْرِ قَيْدٍ. فَأَقَامَ بِهِ مُدَّةً وَمَرِضَ فِيهِ. قَالَ أَبُو مِخْنَفٍ: فَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي عِيسَى أَنَّهُ قَالَ: دَخَلْتُ إِلَيْهِ مَعَ حُمَيْدِ بْنِ مُسْلِمٍ الْأَزْدِيِّ نَعُودُهُ وَنَتَعَاهَدُهُ، فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: أَمَا وَرَبِّ الْبِحَارِ، وَالنَّخِيلِ وَالْأَشْجَارِ، وَالْمَهَامِهِ وَالْقِفَارِ، وَالْمَلَائِكَةِ الْأَبْرَارِ، وَالْمُصْطَفَيْنَ الْأَخْيَارِ،
পৃষ্ঠা - ৬৮৬৫
لَأَقْتُلَنَّ كُلَّ جَبَّارٍ، بِكُلِّ لَدْنٍ خَطَّارٍ، وَمُهَنَّدٍ بَتَّارٍ، وَجُمُوعٍ مِنَ الْأَنْصَارِ، لَيْسُوا بِمِيلٍ أَغْمَارٍ، وَلَا بِعُزَّلٍ أَشْرَارٍ، حَتَّى إِذَا أَقَمْتُ عَمُودَ الدِّينِ، وَجَبَرْتُ صَدْعَ الْمُسْلِمِينَ، وَشَفَيْتُ غَلِيلَ صُدُورِ الْمُؤْمِنِينَ، وَأَدْرَكْتُ ثَأْرَ أَوْلَادِ النَّبِيِّينَ، لَمْ أَبْكِ عَلَى زَوَالِ الدُّنْيَا، وَلَمْ أَحْفِلْ بِالْمَوْتِ إِذَا دَنَا. قَالَ: وَكَانَ كُلَّمَا أَتَيْنَاهُ وَهُوَ فِي السِّجْنِ يُرَدِّدُ عَلَيْنَا هَذَا الْقَوْلَ حَتَّى خَرَجَ.
পৃষ্ঠা - ৬৮৬৬

আবদুল্লাহ্ ইবন যুবাইর (রা)-এর আমলে কাবা ঘরকে
ভেঙ্গে পনর্নির্মাণ করার বিবরণ

ইবন জারীর (র) বলেন, এ বছরেই অর্থাৎ ৬৪ হিজরীতে আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা)
কা বা ঘরকে ভেঙ্গে ফেলেন ৷ কেননা ক্ষেপণাস্তের মাধ্যমে কা বা ঘরের উপর পাথর নিক্ষেপ
কারার কারণে কা বা ঘরের দেয়ালগুলে৷ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল ৷ দেয়ালগুলো ভেঙে কা বা ঘরথানি
ইবরাহীম (আ) এর ভিত্তি প্রস্তর পর্বত পৌছে যান ৷ লোকজন তারই চতৃর্দিকে তাওয়াফ করত

তাবই পশ্চাতে সালা৩ আদায় করত ৷ হাজরে আসওয়াদকে একটি বড় বাক্সে রেশমী
কাপড়ে জড়িয়ে রাখা হয়েছিল ৷ কা ব৷ ঘরের যাবতীয় অলংকার, কাপড় চােপড় ও আতর খুশবু
আদি তত্ত্বাবধায়কের কাছে রাখা হয়েছিল যতক্ষণ না আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) রাসুল
(ইসা) এর কাজ্যিত আকৃতিতে কা বাঘরের পুনর্নির্মাণের কাজ সমাপ্ত করেন ৷ সহীহ বুখারী ও
সহীহ মুসলিমসহ অন্যান্য মুসনাদ ও সুনান গ্রন্থাদিতে বিভিন্ন সনদে উম্মুল মু’মিনীন হযরত
আভৈয়শ৷ সিদ্দিকা ৷(রা) থেকে বর্ণিত রয়েছে ৷ তিনি বলেন, রাসুল (সা) বলেন, “যদি তোমার
সম্প্রদায়ের লোকেরা নও মুসলিম না হতো তাহলে আমি কারা ঘরকে ভেঙে ফেলতাম এবং
হিজর (হাভীম) কে বা বায় ভেতরে ঢুাকয়ে দিতাম আর তার দুটো দরজা তৈরী করতাম ৷
এবল্টা পৃর্বদিকের দরজা আরেকটা পশ্চিম দিকের দরজা একটা দিয়ে মানুষ ঢুকত আর অন্যটি
দিয়ে বের হতো ৷ তার দবজ টি মাটির সমতলে সমান করে দিতাম ৷ তোমার সম্প্রদায়ের
লোকেরা তার দরজাটি উচু করে তৈরী করেছে যাতে তারা যাকে ইচ্ছা ঢুকতে অনুমতি দেবে-
আর যাকে ইচ্ছা ঢুকতে নিষেধ করবে ৷ তারপর আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) এমনভাবে কা বা
ঘর নির্মাণ করলেন য়েরুপ তার খালা উম্মুল ঘু মিনীন হযরত আয়েশ৷ ৷সিদ্দীকা ৷(রা) রাসুল (সা)-
এর পক্ষ থেপুক র্তাকৈ সংবাদ দিয়েছিলেন ৷, (আল্লাহ্ তাআলা র্তাকে যথাযােগ্য মঙ্গলময় পুরস্কার
প্রদান করুন) ৷ তারপর ৭৩ হিজরীতে যখন হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ কাব৷ ঘবকে দখল করে তখন
সে কাবাব উত্তর দেয়ালকে ভেঙে ফেলে এবং পুর্বের ন্যায় হাতীমংকৃকাবা ঘর থেকে বের করে
নেয় ৷ ঐ ধ্বংসকৃত পাথর কাবা শরীফের ভেতরে ঢুকিয়ে নেয় এবং এটাকে কা বার সাথে
জড়িয়ে দেয় ৷ ফলে কাব৷ শরীফের দরজা উচু হয়ে যায় ৷ পশ্চিম দিকের দরজাটি বন্ধ করে দেয়া
হয় ৷ আর এ চিহ্নগুলো আজ পর্যন্ত বিরাজ করছে ৷ আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান এরুপ্৷ করার
জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷৩ তার কাছে এ হাদীসঢি পৌছে নি ৷ যখন হাদীসঢি তার কাছে পৌছল
তিনি বললেন, আমরা যদি কা বাকে রেখে দিতাম, পরিবতস না কর৩ ৷ম তা হলে সেটাই হতো
পছন্দনীয় ৷ আল মাহদী ইবনুল মানসুয় (আব্বাসী খলীফা) হযরত অ ৷বদুল্লাহ্ ইবন যুবাইর (রা)
কর্তৃক নির্মিত আকৃতিতে কাবা ঘরটি পুনর্নিযাণ করার জন্য ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন, তিনি
তখনকার ইমাম মালিক ইবন আনাস (রা)-এর কাছে এ ব্যাপারে পরামর্শ চান ৷ হযরত মালিক
(র) বলেন, “শাসকরা কাব৷ ঘরোক খেলার সামগ্রী গণ্য করুক এটা আমি চাই না অর্থাৎ তারা
তাদের ইচ্ছানুযায়ী কা বা শরীফকে পুনর্নির্মাণ করবে ৷ আমি পছন্দ কার না ৷”এ এরুপ হবে
আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা)-এর মতে, অন্যরুপ হবে আবদুল মালিক হবৃন মারওয়ানের মতে
এবং অন্যরুপ হবে অন্য এক ব্যক্তির মতে ৷ আল্লাহ্ই অধিক পরিজ্ঞাত ৷


[ذِكْرُ هَدْمِ الْكَعْبةِ وَبِنَائِهَا فِي أَيَّامِ ابْنِ الزُّبَيْرِ] قَالَ أَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ هَدَمَ ابْنُ الزُّبَيْرِ الْكَعْبَةَ ; وَذَلِكَ لِأَنَّهُ مَالَ جِدَارُهَا مِمَّا رُمِيَتْ بِهِ مِنْ حِجَارَةِ الْمَنْجَنِيقِ، فَهَدَمَ الْجُدْرَانَ حَتَّى وَصَلَ إِلَى أَسَاسِ إِبْرَاهِيمَ، وَكَانَ النَّاسُ يَطُوفُونَ وَيُصَلُّونَ مِنْ وَرَاءِ ذَلِكَ، وَجَعَلَ الْحَجَرَ الْأَسْوَدَ فِي تَابُوتٍ فِي سَرَقَةٍ مِنْ حَرِيرٍ، وَادَّخَرَ مَا كَانَ فِي الْكَعْبَةِ مِنْ حُلِيٍّ وَثِيَابٍ وَطِيبٍ عِنْدَ الْخَزَّانِ، حَتَّى أَعَادَ ابْنُ الزُّبَيْرِ بِنَاءَهَا عَلَى مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُرِيدُ أَنْ يَبْنِيَهَا عَلَيْهِ مِنَ الشَّكْلِ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: لَمَّا أَرَادَ ابْنُ الزُّبَيْرِ هَدْمَ الْبَيْتِ شَاوَرَ النَّاسَ فِي هَدْمِهَا، فَأَشَارَ عَلَيْهِ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ وَعُبَيْدُ بْنُ عُمَيْرٍ بِذَلِكَ، وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: أَخْشَى أَنْ يَأْتِيَ بَعْدَكَ مَنْ يَهْدِمُهَا، فَلَا تَزَالُ تُهْدَمُ حَتَّى يَتَهَاوَنَ النَّاسُ بِحُرْمَتِهَا، وَلَكِنْ أَرَى أَنْ تُصْلِحَ مَا وَهَى مِنْهَا، وَتَدَعَ بَيْتًا أَسْلَمَ النَّاسُ عَلَيْهِ، وَأَحْجَارًا بُعِثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَيْهَا. فَقَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ: لَوِ احْتَرَقَ بَيْتُ أَحَدِكُمْ مَا رَضِيَ حَتَّى يُجَدِّدَهُ، فَكَيْفَ بِبَيْتِ رَبِّكُمْ؟ ! ثُمَّ إِنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ اسْتَخَارَ اللَّهَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، ثُمَّ غَدَا فِي الْيَوْمِ الرَّابِعِ، فَبَدَأَ يَنْقُضُ الرُّكْنَ إِلَى الْأَسَاسِ، فَلَمَّا وَصَلُوا إِلَى الْأَسَاسِ
পৃষ্ঠা - ৬৮৬৭
وَجَدُوا أَصْلًا بِالْحَجَرِ مُشَبَّكًا كَأَصَابِعِ الْيَدَيْنِ، فَدَعَا ابْنُ الزُّبَيْرِ خَمْسِينَ رَجُلًا وَأَشْهَدَهُمْ عَلَى ذَلِكَ، ثُمَّ بَنَى الْبَيْتَ وَأَدْخَلَ الْحَجَرَ فِيهِ، وَجَعَلَ لِلْكَعْبةِ بَابَيْنِ مَوْضُوعَيْنِ بِالْأَرْضِ ; بَابٌ يُدْخَلُ مِنْهُ وَبَابٌ يُخْرَجُ مِنْهُ، وَوَضَعَ الْحَجَرَ الْأَسْوَدَ بِيَدِهِ، وَشَدَّهُ بِفِضَّةٍ ; لِأَنَّهُ كَانَ قَدْ تَصَدَّعَ، وَجَعَلَ طُولَ الْكَعْبَةِ سَبْعَةً وَعِشْرِينَ ذِرَاعًا، وَكَانَ طُولُهَا سَبْعَةَ عَشَرَ ذِرَاعًا فَاسْتَقْصَرَهُ، وَزَادَ فِي وُسْعِ الْكَعْبَةِ عَشَرَةَ أَذْرُعٍ، وَلَطَّخَ جُدْرَانَهَا بِالْمِسْكِ، وَسَتَرَهَا بِالدِّيبَاجِ، ثُمَّ اعْتَمَرَ مِنْ مَسَاجِدِ عَائِشَةَ، وَطَافَ بِالْبَيْتِ، وَصَلَّى وَسَعَى، وَأَزَالَ مَا كَانَ حَوْلَ الْبَيْتِ وَفِي الْمَسْجِدِ مِنَ الْحِجَارَةِ وَالزُّبَالَةِ، وَمَا كَانَ حَوْلَهَا مِنَ الدِّمَاءِ، وَكَانَتِ الْكَعْبَةُ قَدْ وَهَتْ مِنْ أَعْلَاهَا إِلَى أَسْفَلِهَا مِنْ حِجَارَةِ الْمَنْجَنِيقِ، وَاسْوَدَّ الرُّكْنُ، وَانْصَدَعَ الْحَجَرُ الْأَسْوَدُ مِنَ النَّارِ الَّتِي كَانَتْ حَوْلَ الْكَعْبَةِ. وَكَانَ سَبَبُ تَجْدِيدِ ابْنِ الزُّبَيْرِ لَهَا مَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " وَغَيْرِهِمَا مِنَ الْمَسَانِيدِ وَالسُّنَنِ، مِنْ طُرُقٍ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَوْلَا حِدْثَانُ قَوْمِكِ بِكُفْرٍ لَنَقَضْتُ الْكَعْبَةَ وَلَأَدْخَلْتُ فِيهَا الْحَجَرَ، فَإِنَّ قَوْمَكِ
পৃষ্ঠা - ৬৮৬৮


ইবন জারীর (রা) বলেন, “এ বছরেই আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) লোকজনকে নিয়ে হজ্জ
আদায় করেন ৷ তার প ফ থেকে মদীনায় শাসনকর্তা ছিলেন, তার ভাই হযরত উবাইদুল্লাহ্
ইবন যুবাইর (রা) ৷ আর কুফার শাসনকর্তা ছিলেন আনদুন্মাহ্ ইবন ইয়াযীদ আল খাতামী এবং
কুফার বিচারপতি ছিলেন সাঈদ ইবন আলমবযাব ন ৷ ফিতনার কালে শুরাইহ (রা) বিচার
কাজ হতে বিরত ছিলেন ৷ বসরার শাসনকর্তা ছিলেন উমর ইবন মা মর আত্তাইমী এবং তার
বিচারপতি ছিলেন হিশাম ইবন হুব৷ ৷ইর৷ ৷ খুরাসানের শাসক ছিলেন আবদুল্লাহ ইবন খাযিম ৷ এ
বছরের শেষের দিকে মারজ রাহিতে র ঘটনা সংঘটিত হয় ৷ সিরিয়ার শাসন ক্ষমতায় মারওয়ান
ইবনুল হাকাম প্রতিষ্ঠিত হয় ৷ আর এটা সংঘটিত হয় আদদাহ্ক ইবন কাইস (রা) এর উপর
জয়লাভ করা এবং তাকে হত্যা করার পর ৷ কেউ কেউ বলেন, এ বছরেই মারও য়ান মিশর
প্রবেশ করেন এবং আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) এর পক্ষ থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত ন যিব হতে
শাসনভার দখল করেন ৷ উক্ত নায়িরের নাম ছিল আব্দুর রহমান ইবন জাহদার ৷ এভাবে
সিরিয়া, মিশর ও তার প্রদেশগুলােতে মারওয়ানের কতৃতু এ রন্ছরে ই প্রতিষ্ঠিত হয় ৷ আল্লাহ
তা আলাই অধিক পরিজ্ঞাত !
ওয়াকিদী (র) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) যখন কা বাঘব ভাঙ্গার মনস্থ করেন
তখন তিনি এ ব্যাপারে জনগণের সাথে পরামর্শ করেন ৷ অন্যদের মধ্যে জাৰির ইবন আবদুল্লাহ
(রা) ও উবাইদ ইবন উমাইর (বা) এ ব্যাপারে র্তাকে মতামত প্রদান করেন ৷ হযরত
আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) বলেন, আমার আশংকা হয় যে, তো৷মর পরে এমন এক ব্যক্তি
আসবে যে , এটাকে আবার ভাঙবে ৷ এভাবে ভাঙা হলে জনগণ কাবার ইবৃযত হুরমতের
অনুভুতি হারিয়ে ফেলবে ৷ তাই আমার মতে কা বা ঘরের যতটুকু নষ্ট হয়ে গেছে৩ ততটুকু ভুমি
মেরামত কর ৷” তারপর আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা)৩ তিন দিন ইস্তাখার৷ করেন ৷ চতুর্থ দিন
সকালে তিনি আর রুকনকে তেঙে তার মুল পর্যন্ত পৌছেন ৷ যখন তারা মুল পর্যন্ত পৌছে
পেলেন তখন তারা দেখতে পান যে, হাতের আঙুলের মত পাথরগুলে৷ একটির মধ্যে অপরটি
ঢুকে আছে ৷ আবদুল্লাহ ইবন যুব৷ ৷ইর (রা) পঞ্চাশ জন যুবককে ডাকলেন এবং এটাকে খননের
জন্য আদেশ দিলেন ৷ যখন তারা জড়ানাে পাথরগুলোকে শাবল দিয়ে সজোরে আঘাত করল
তখন সমস্ত মক্কা শরীফ কেপে উঠল ৷৩ তাই তিনি এটাকে ঐ অবস্থায় রখে দিলেন ৷ তারপর
তিনি এর উপরে পুনর্মিমাপ করেন ৷ কা বা শরীফের জন্য মাটির সমতলে দু’টি দরজা তৈরী
করেন ৷ একটি ঢোকার জন্য এবং অপরটি বের হবার জন্য ৷ আর হাজরে আসওয়াদকে তিনি
নিজ হাতে রেখে দিলেন এবং কথা দিয়ে এটাকে ৰ্বাধাই করে দিলেন ৷ কেননা এটা ফেটে
গিয়েছিল ৷ কাবা শরীফের গ্রন্থের দিক দিয়ে তিনি দশ হাত বৃদ্ধি করেন ৷ তার দেয়ালগুলো
মিশক আম্বর দ্বারা সুরভিত করেন ৷ সােন৷ বা রুপার কারুকার্য রচিত ব্লেশমী বস্ত্র দ্বারা কাবা
শরীফকে ঢেকে দেন ৷৩ তারপর তিনি উমরাহ্র উদ্দেশ্যে মসজিদে আয়েশ৷ হতে ৩ইহরাম বীধেন,
রাইতু ল্লাহ্ তাওয়াফ করেন, সালাত আদায় করেন ও সাঈ করেন ৷ কা বার আশে পাশের
আবর্জন৷ পরিষ্কার করালেন ৷ আর কা বা শরীফের আশে পাশে যে রক্ত ছিল তাও পরিষ্কার
করালেন ৷ কা বাঘর উপর থেকে নীচে পর্যন্ত ক্ষেপণাত্রের পাথর দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিল ৷
হাজরে আসওয়াদ কাৰা শরীফের পাশে পতিত অগ্নিশিখার দ্বারা বিদীর্ণ হয়ে গিয়েছিল ৷ হযরত
আবদুল্লাহ ইবন ;যুবা৷ইর (রা) কর্তৃক ফাইবার পুনর্নিমাণের কারণ সহীহ বুখারী ও সহীহ
মুসলিমে বর্ণিত হযরত আয়েশ৷ সিদ্দীক৷ (রা)-এর হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ ৰু


قَصَّرَتْ بِهِمُ النَّفَقَةُ، وَلَجَعَلْتُ لَهَا بَابًا شَرْقِيًّا وَبَابًا غَرْبِيًّا، يَدْخُلُ النَّاسُ مِنْ أَحَدِهِمَا وَيَخْرُجُونَ مِنَ الْآخَرِ، وَلَأَلْصَقْتُ بَابَهَا بِالْأَرْضِ، فَإِنَّ قَوْمَكِ رَفَعُوا بَابَهَا لِيُدْخِلُوا مَنْ شَاءُوا وَيَمْنَعُوا مَنْ شَاءُوا» ". فَبَنَاهَا ابْنُ الزُّبَيْرِ عَلَى ذَلِكَ كَمَا أَخْبَرَتْهُ بِهِ خَالَتُهُ عَائِشَةُ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَزَاهُ اللَّهُ خَيْرًا. ثُمَّ لَمَّا غَلَبَهُ الْحَجَّاجُ بْنُ يُوسُفَ فِي سَنَةِ ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ، كَمَا سَيَأْتِي، وَقَتَلَهُ وَصَلَبَهُ هَدَمَ الْحَائِطَ الشَّمَالِيَّ وَأَخْرَجَ الْحَجَرَ كَمَا كَانَ أَوَّلًا، وَأَدْخَلَ الْحِجَارَةَ الَّتِي هَدَمَهَا إِلَى جَوْفِ الْكَعْبَةِ فَرَضَّهَا فِيهَا، فَارْتَفَعَ الْبَابُ، وَسَدَّ الْغَرْبِيَّ، وَتِلْكَ آثَارُهُ إِلَى الْآنَ، وَذَلِكَ بِأَمْرِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ لَهُ فِي ذَلِكَ، وَلَمْ يَكُنْ بَلَغَهُ الْحَدِيثُ، فَلَمَّا بَلَغَهُ الْحَدِيثُ بَعْدَ ذَلِكَ قَالَ: وَدِدْنَا أَنَّا تَرَكْنَاهُ وَمَا تَوَلَّى مِنْ ذَلِكَ. وَقَدْ هَمَّ الْمَهْدِيُّ بْنُ الْمَنْصُورِ الْعَبَّاسِيُّ أَنْ يُعِيدَهَا عَلَى مَا بَنَاهَا ابْنُ الزُّبَيْرِ، وَاسْتَشَارَ الْإِمَامَ مَالِكَ بْنَ أَنَسٍ فِي ذَلِكَ، فَقَالَ: إِنِّي أَكْرَهُ أَنْ يَتَّخِذَهَا الْمُلُوكُ مَلْعَبَةً. يَعْنِي يَتَلَاعَبُونَ فِي بِنَائِهَا بِحَسْبِ آرَائِهِمْ، فَهَذَا يَرَى رَأْيَ ابْنِ الزُّبَيْرِ، وَهَذَا يَرَى رَأْيَ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ. وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ وَكَانَ
পৃষ্ঠা - ৬৮৬৯
عَامِلَهُ عَلَى الْمَدِينَةِ أَخُوهُ عُبَيْدَةُ، وَعَلَى الْكُوفَةِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْخَطْمِيُّ، وَعَلَى قَضَائِهَا سَعِيدُ بْنُ نِمْرَانَ، وَامْتَنَعَ شُرَيْحٌ أَنْ يَحْكُمَ فِي زَمَانِ الْفِتْنَةِ، وَعَلَى الْبَصْرَةٍ عُمَرُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْمَرٍ التَّيْمِيُّ وَعَلَى قَضَائِهَا هِشَامُ بْنُ هُبَيْرَةَ، وَعَلَى خُرَاسَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ خَازِمٍ. وَكَانَ فِي أَوَاخِرِ هَذِهِ السَّنَةِ وَقْعَةُ مَرْجِ رَاهِطٍ، كَمَا قَدَّمْنَا، وَقَدِ اسْتَقَرَّ مُلْكُ الشَّامِ لِمَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ بْنِ أَبِي الْعَاصِ، وَذَلِكَ بَعْدَ ظَفَرِهِ بِالضَّحَّاكِ بْنِ قَيْسٍ وَقَتْلِهِ لَهُ فِي الْوَقْعَةِ، كَمَا ذَكَرْنَا. وَقِيلَ: إِنَّ فِيهَا دَخَلَ مَرْوَانُ مِصْرَ وَأَخَذَهَا مِنْ نَائِبِهَا الَّذِي مِنْ جِهَةِ ابْنِ الزُّبَيْرِ، وَهُوَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ جَحْدَمٍ. وَاسْتَقَرَّتْ يَدُ مَرْوَانَ عَلَى الشَّامِ وَمِصْرَ وَأَعْمَالِهَا.