আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة أربعين من الهجرة النبوية

باب ذكر شيء من فضائل أمير المؤمنين علي بن أبي طالب رضي الله عنه

حديث المؤاخاة

পৃষ্ঠা - ৬২১২


বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি ইয়াহ্ইয়া ইবন হ্রাষ্মাদ থেকে তিনি আবু আওয়ালা থেকে তিনি আবু
বালজ থেকে তিনি আমর ইবন মইিমুন থেকে বর্ণনা করেন ৷
আমর ইবন মইিমুন বলেন ৪ আমি ইবন আব্বাসের কাছে বসা ছিলাম ৷ এমন সময় তার
কাছে নয়জন লোকের একটি দল এসে বললো, হে ইবন আব্বাস ! ৷ হয় আপনি উঠে আমাদের
নিকট আসুন; না হয় ঐ লোকগুলোকে সরিয়ে দিন ৷ ইবন আব্বাস বললেন, আমিই তোমাদের
নিকট আসছি ৷ এ সময়ে তার চোখ ভাল হ্নিা অন্ধ হয়ে যাননি ৷ এরপর তারা ইবন আব্বাসের
সাথে কথা শুরু করলো এবং অনেক আলোচনা করলো ৷ তারা কি বলেছিল, আমরা তা জানতে
পারিনি ৷,এরপর তিনি আমাদের কাছে এলেন এবং কাপড় ঝাড়তে ঝাড়তে উফ-তৃফ করে
বললেন, ওরা এমন এক ব্যক্তির সমালোচনা করছে যে দশজন জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্তদের
অন্যতম ৷ তারা এমন এক ব্যক্তির নিন্দা-মন্দ করছে র্ষার সম্পর্কে নবী করীমক্রেবলেছিলেন :
আমি এমন এক ব্যক্তিকে এবার পাঠাব যাকে আল্লাহ্ কখনও ব্যর্থ করবেন না এবং যে আল্পাহ্
ও তার রাসুলকে ভালবাসে ৷
ইবন আব্বাস বলেন, ঐ মর্যাদা লাভের জন্যে অনেকেই উদগ্রীব হয়েছিল ৷ অবশেষে নবী
করীমল্লে বললেন, আলী কােথায়ঃ লোকেরা জানানো, সে চাক্কি দিয়ে অটো পিষছে ৷ তিনি
বললেন, তোমাদের মধ্য হতে কেউ অটিড়া পিষুক ৷ এরপর আলী (বা) আসলেন ৷ তার চোখওঠা
রোগ হয়েছিল ৷ যার ফলে চোখ মেলে দেখতে পারছিলেন না ৷ নবী করীমমোঃ তার দৃ চোখে
ফুক দিলেন৷ এরপর পতাকা তিনবার ঝাকি দিয়ে আলীর কাছে প্রদান করেন ৷ এ সময় তিনি
সাফিয়া বিন ৩ হাই ইবন আখতাবের নিকট যান ৷ ইবন আব্বাস বলেনং রাসুলুল্লাহ্র্মাগু:;
অমুককে সুরা তাওবার ঘোষণড়াসহ (পবিত্র মক্কায়) প্রেরণ করেন ৷ কিন্তু তার পেছনে পেছনে
আলীকেও পাঠান ৷ তিনি সেটা গ্রহণ করেন ৷ নবী করীমহ্রহু দ্বুতখন বলেন, এটা নিয়ে সে ই
যেতে পারবে যে আমার এবং আমি তার ৷ ইবন আব্বাস বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ন্::::; তার চাচাত
ভাইদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের মধ্যে কে দুনিয়ার ও আখিরাতে আমার সাথে থাকতে
আগ্রহী তাদের মধ্য হতে কেউ এ আহ্বানে সাড়া দিলাে না ৷ তখন আলী (বা) তার সাথেই
বসা ছিলেন ৷ তিনি বললেন, দুনিয়া ও আখিরাতে আমি আপনার সাথে থাকতে আগ্রহী ৷ এরপর
তিনি তাকে রেখে তাদের প্রবীণদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের মধ্যে কে ইহকালে ও পরকালে
আমার সংগী হতে চাও ৷ এ আহ্বানেও কেউ সাড়া দিল না ৷ আমি ইহ কালে ও পরকালে
আপনার সঙ্গী হতে চাই ৷ তখন রাসুলণ্প্লো মোঃ বললেন, দুনিয়ার এবং আখিরাতে তৃমিই আমার
সঙ্গী ৷
ইবন আব্বাস বলেন : খাদীজা (রা)-এর পরে ইসলাম গ্রহণকারী প্রথম ব্যক্তি হলেন আলী
(রা) ৷ একবার রাসুলুল্লাহ্ মোঃ তার কাপড় আলী, ফাতিমা, হাসান ও হুসাইনের মাথার উপর
রেখে নিম্নের আয়াতটি পাঠ করেন :



অর্থাৎ হে নবী পরিবার! আল্লাহ্ তো কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দুর করতে
এবং তােমাদেরকে সম্পুর্ণরুপে পবিত্র করতে ৷ (সুরা আহ্যাব ৩৩) ৷


[حَدِيثُ الْمُؤَاخَاةِ] قَالَ الْحَاكِمُ: حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْجُنَيْدُ، ثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ جَعْفَرٍ الْقُرَشِيُّ، ثَنَا الْعَلَاءُ بْنُ عَمْرٍو وَالْحَنَفِيُّ، ثَنَا أَيُّوبُ بْنُ مُدْرِكٍ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ: «لَمَّا آخَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ النَّاسِ آخَى بَيْنَهُ وَبَيْنَ عَلِيٍّ» . ثُمَّ قَالَ الْحَاكِمُ: لَمْ نَكْتُبْهُ مِنْ حَدِيثِ مَكْحُولٍ إِلَّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَكَانَ الْمَشَايِخُ يُعْجِبُهُمْ هَذَا الْحَدِيثُ ; لِكَوْنِهِ مِنْ رِوَايَةِ أَهْلِ الشَّامِ. قُلْتُ: وَفِي صِحَّةِ هَذَا الْحَدِيثِ نَظَرٌ، وَوَرَدَ مِنْ حَدِيثِ أَنَسٍ وَابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِعَلِيٍّ «أَنْتَ أَخِي فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ» . وَكَذَلِكَ مَنَّ طَرِيقِ زَيْدِ بْنِ أَبِي أَوْفَى، وَابْنِ عَبَّاسٍ، وَمَحْدُوجِ بْنِ زَيْدٍ الذُّهْلِيِّ، وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، وَعَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، وَأَبِي ذَرٍّ، وَعَلِيٍّ نَفْسِهِ، نَحْوَ ذَلِكَ، وَأَسَانِيدُهَا كُلُّهَا ضَعِيفَةٌ لَا يَقُومُ بِشَيْءٍ مِنْهَا حُجَّةٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ جَاءَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ أَنَّهُ قَالَ: أَنَا عَبْدُ اللَّهِ وَأَخُو رَسُولِهِ، لَا يَقُولُهَا بَعْدِي إِلَّا كَذَّابٌ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: ثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى الْقَطَّانُ الْبَغْدَادِيُّ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ قَادِمٍ،
পৃষ্ঠা - ৬২১৩


ইবন আব্বাস ববুলন, আলী বাসুলুল্লাহ্ট্টদু,ট্ট এর কাপড়ের ন্যায় কাপড় খরিদ করে তার
স্থানে শুয়ে থাকেন ৷ সে সময় মুশবিকরা রাসুলুল্লাহ্মোঃ-কে হত আর পরিকল্পনা নিয়েছিল ৷ আবু
বকর (বা) যে রাতে রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর ঘরে আসেন ৷ আলী (বা) খনত ঘৃমিয়ে ছিলেন ৷ আবু
বকর মনে করছেন আল্লাহর নবী শুয়ে আছেন ৷ তাই তিনি ডাক দিলেন ইয়৷ নবী আল্লাহ্! আলী
(বা) জেগে উঠে বললেন, আল্লাহ্র নবী ৰিরে মায়মুনার দিকে বেরিয়ে গেছেন ৷ আপনি সেখানে
তার কাছে চলে যান ৷ তখন আবু বকর (রা) তথায় গিয়ে তাকে পেয়ে যান এবং এক সাথে
গুহায় প্রবেশ করেন ৷ ইবন আব্বাস বলেন, রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর প্রতি যেভাবে প্রস্তর নিক্ষেপ
করা হতো সেতা বুব আলীর প্রতিও প্রস্তর বর্ষ ণ করা হতে তা ৷ তিনি তার জা ৷য়গায় অবস্থান করেন ৷
আলী (রা) মাথায় কাপড় পেচিবুয় রাখেন ৷ ভোর হওয়ার পুর্বে তা থােলেন না ৷ যখন ভোর হয়
খনত মাথার থেকে কাপড় খুলে রাখেন ৷ মুশরিকরা তাকে বললো, তুমি নিকৃষ্ট লোক ৷ আমরা
তোমার সঙ্গীর উদ্দেশে ৷ এসেছি ৷ তিনি এখানে নেই ৷ অথচ তুমি রয়েছো ৷ এটা আমাদের জা না
ছিল না ৷ ইবন আব্বাস বলেন, বাসুলুল্লাহ ণ্ণ্ৰ্ যখন তাবুক যুদ্ধে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন, তখন
আলী (না) এসে তাকে বলেন, আমি কি আপনার সঙ্গী হবো? র ৷সুলুল্লাহ্ মোঃ বললেন, না৷ এ
জওয়াব শুনে আলী (রা) কাদবুত থাকেন ৷ রাসুলুল্লাহ্র্চুখা বললেন, হারুন যেমন মুসার
স্থলাভিষিক্ত ছিলেন, তমি কি তদ্র্যপ আমার স্থলাভিষিক্ত হতে ৩সন্তুষ্ট নও ?৩ তবুব পার্থক্য এই যে,
হারুন নবী ছিলেন আর তুমি নবী নও ৷ আমি চলে যাব আর তুমি আমার স্থলাভিষিক্ত থাকবে
না তা হয় না ৷ রাসুলুল্লাহ্ :::::: তাকে বলেছেন, সকল মুমিবুনর জন্যে তুমি আমার ওয়ালী
থাকবে, আমার বিদা য়ের পর ৷ ইবন আব্বাস ববুলন০ ং আলীর দরজা ব্যতীত মসজিদে যাওয়ার
সকল দরজা তিনি বন্ধ করে দেন ৷ কাজেই, জুনুবী অবস্থায় তিনি মসজিদে প্রবেশ করতেন ৷
কেননা এই দরজাই ছিল তার যাতায়াতের পথ ৷ এটা ব্যতীত যাতায়াতের ৩ন কোন পথ ছিল
না ৷ ইবন আব্বাস বলেন, রাসুলুল্লাহ্,,, বলেছেন, আমি যার মাওলা আলওে তার মাওল৷ ৷
রাসুলুল্লাহ্প্লো :-;::: বলেছেন ং আল্লাহ কুরআনের মাধ্যমে আমাদেরকে জানিয়েছেন যে, বৃক্ষতবুল
যারা ব ইআ নিয়েছিল তাদের প্ৰতি মহান আল্লাহ সভুষ্ট হয়েছেন ৷ এরপরে কি তিনি
৩াস্৷ ৷াদেরবুক বলেছেন যে, তিনি তাদের প্রতি ৩অসন্তুষ্ট হয়ে গেছেন? ইবন আব্বাস বলেন উমর
যখন বলেছিল, আমাকে অনুমতি দিন এ মুনাফিকের অর্থাৎ হাতির ইবন আবু বালতার পর্দান
উড়িয়ে দিহ ৷ তখন নবী করীমন্মোঃহ্রউমরকে বলেছিলেন, তুমি কি জান, মহান আল্লাহ আহলে
বদরদের প্রতি সদর হয়ে বলে দিয়েছেন, বু৩ আমরা যা ইচ্ছে তাই কর ৷ আমি তােমাদেরবুক ক্ষমা
করে দিয়েছি ৷ শ্
ইমাম তিরমিযী এ হাদীসের কিছু অংশ শু’বার সুত্রে আবুবালজ ইয়াহ্ইয়া ইবন আবু
সুলাইম থেকে বর্ণনা করে গরীব বলে অভিহিত করেছেন ৷ ইমাম নাসাঈও এর কিছু অংশ
মুহাম্মদ ইবন মুছান্নার সুত্রে ইয়৷ হ্ইয়৷ ইবন হাষ্মাদ থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ বুখারী তার তারিখে
বলেন৪ উমর ইবন আবদুল ওহাব রামাহী ইমরান ইবন হুসাইন থেকে বর্ণিত ৷ তিনি ববুলন,
রাসুলুল্পাহ্শ্যেগুব লেছিলেন০ আমি এ পতাকা এমন একজনকে দিব যে আল্লাহ ও তার রাসুলকে
ভালবাসে এবং তাকেও আল্লাহ্ ও তার রাসুল ভালবাসেন ৷ এরপর তিনি আলীবুক ডেকে
পাঠান ৷ আলী চোখের পীড়ায় ভুগছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্মোঃ ,,, তার চক্ষুদ্বয়ে কুক দেন এবং পতাকা


ثَنَا عَلِيُّ بْنُ صَالِحِ بْنِ حَيٍّ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ جُمَيْعِ بْنِ عُمَيْرٍ التَّيْمِيِّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: آخَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَصْحَابِهِ، فَجَاءَ عَلِيٌّ تَدْمَعُ عَيْنَاهُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، آخَيْتَ بَيْنَ أَصْحَابِكَ وَلَمْ تُؤَاخِ بَيْنِي وَبَيْنَ أَحَدٍ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَنْتَ أَخِي فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ ".» ثُمَّ قَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ، وَفِيهِ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أَوْفَى. وَقَدْ شَهِدَ عَلِيٌّ بَدْرًا، وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعُمَرَ «وَمَا يُدْرِيكَ لَعَلَّ اللَّهَ قَدِ اطَّلَعَ عَلَى أَهْلِ بَدْرٍ فَقَالَ: اعْمَلُوا مَا شِئْتُمْ فَقَدْ غَفَرْتُ لَكُمْ» . وَبَارَزَ يَوْمَئِذٍ كَمَا تَقَدَّمَ. وَكَانَتْ لَهُ الْيَدُ الْبَيْضَاءُ وَدَفَعَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَّايَةَ يَوْمَئِذٍ وَهُوَ ابْنُ عِشْرِينَ سَنَةً. قَالَهُ الْحَكَمُ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: وَكَانَتْ تَكُونُ مَعَهُ رَايَةُ الْمُهَاجِرِينَ فِي الْمَوَاقِفِ كُلِّهَا. وَكَذَلِكَ قَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ وَقَتَادَةُ. وَقَالَ خَيْثَمَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْأَطْرَابُلُسِيُّ الْحَافِظُ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَازِمٍ
পৃষ্ঠা - ৬২১৪
بْنِ أَبِي غَرَزَةَ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبَانٍ، ثَنَا نَاصِحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْمُحَلِّمِيُّ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: قَالُوا: «يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَنْ يَحْمِلُ رَايَتَكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ؟ قَالَ " وَمَنْ عَسَى أَنْ يَحْمِلَهَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِلَّا مَنْ كَانَ يَحْمِلُهَا فِي الدُّنْيَا ; عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ» . وَهَذَا إِسْنَادٌ ضَعِيفٌ. وَرَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَلَا يَصِحُّ أَيْضًا. وَقَالَ الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ: حَدَّثَنِي عَمَّارُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْحَنْظَلِيِّ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ قَالَ: «نَادَى مُنَادٍ فِي السَّمَاءِ يَوْمَ بَدْرٍ: لَا سَيْفَ إِلَّا ذُو الْفَقَارِ، وَلَا فَتَى إِلَّا عَلِيٌّ» . قَالَ الْحَافِظُ بْنُ عَسَاكِرَ: وَهَذَا مُرْسَلٌ، وَإِنَّمَا تَنَفَّلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَيْفَهُ ذَا الْفَقَارِ يَوْمَ بَدْرٍ ثُمَّ وَهَبَهُ لِعَلِيٍّ بَعْدَ ذَلِكَ. وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ مَعْمَرِ بْنِ الْمُثَنَّى قَالَ: كَانَ لِوَاءُ الْمُشْرِكِينَ يَوْمَ بَدْرٍ مَعَ طَلْحَةَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، فَقَتَلَهُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ. فَفِي ذَلِكَ يَقُولُ الْحَجَّاجُ بْنُ عِلَاطٍ السَّلَمِيُّ لِلِهِ أَيُّ مُذَبِّبٍ عَنْ حُرْمَةٍ ... أَعْنِي ابْنَ فَاطِمَةَ الْمُعَمَّ الْمُخْوَلَا
পৃষ্ঠা - ৬২১৫


তার হাতে তুলে দেন ৷ এরপর তার চেহারা অন্য দিকে না ঘুরাতে তই চক্ষুদ্বয় ভাল হয়ে যায় এবং
এরপর আর কখনও তার চোখে ,কােন পীড়া হয়নি ৷ আবুল কাসিম বগবী এ হাদীস ইসহাক
ইবন ইব্রাহীম ইমরানের সনদে বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম নাসাঈ এ হাদীস আব্বাস
আম্বারীর সুত্রে উমর ইবন আবদ্যুন্ ওহাব থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

এ সম্পর্কে আবু সাঈদের বর্ণনা : ইমাম আহমাদ বলেন : মৃসআব ইবন মিকদাস ও
হাব্জীন ইবন মুছান্না আবু সাঈদ খুদরী থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্স্ফো শ্ল্যাংপতাকা
হাতে নিয়ে বাকি দিয়ে বললেন, এ পতাকার হক আদায় করতে কে গ্রহণ করতে চাও ৷ এক
ব্যক্তি অগ্রসর হয়ে বললো, আ ৷মি ৷ রাসুলুল্লাহ্ মোঃ তাকে বললেন, তুমি ফিরে যাও এরপর
আর এক ব্যক্তি এপিংয়ুএসে বললো, আমি ৷ রাস লুল্লাহ্মোঃ ,তাকেও বললেন, তুমি ফিরে যাও ৷
তারপর নবী করীমজ্যো :;;ন্: বললেন, সেই সত্তার কসম ! যিনি মুহাম্মদের ঢেহারাকে সম্মানিত
করেছেন, আমি এ পতাকা এমন এক ব্যক্তিকে দেব যে পলায়ন করবে না ৷ তারপর আলী (রা)
এগিয়ে আসলেন ৷ তিনি পতাকা নিয়ে যুদ্ধে গমন করেন৷ মহান আল্লাহ তার হাতে খাইবাব ও
ফাদাক-এর বিজয় দান করেন৷ তিনি এ বিজিত দৃএলাকা থেকে খেজুর ও চট নিয়ে ফিরে
আসেন ৷ আবু ইয়া’লা এ হাদীস হুসাইন ইবন মুহাম্মাদের সুত্রে ইসরাঈল থেকে বর্ণনা করেছেন ৷
এ বর্ণনার শুরুতে আছে যুবাইর এসে বললো, আমি ৷ রাসুলুল্লাহ্ ট্রুণ্ন্দ্বু বললেন, তুমি যাও ৷
এরপর অন্য একজন এলে রাসুলুল্লাহ্ড়ােতাকেও বললেন, তুমি যাও ৷ এরপর হাদীসের বাকি
অংশ তিনি উপরের অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷

এ সম্পর্কে আলী ইয়ুন আবু তালিৰের বর্ণনা ও ইমাম আহমাদ বলেন, ওয়াকী’ আবু
লাইলা থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমার পিতা আলী (রা)-এর সাথে সফর করতেন ৷ আলীর
অভ্যাস ছিল জ্যি শীতকালে গরমের কাপড় পরতের্ন এবং গ্রীষ্মকাল শীতের কাপড় পরিধান
করতেন ৷ আবু লাইলার পিতাকে লোকজন বললো, এ রকম করার কারণ যদি আপনি তাকে
জিজ্ঞেস করতেন ৷ এরপর তিনি এর কারণ সম্পর্কে আলীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জওয়াবে
বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ্ন্মোঃ, আমাকে ডেকে পাঠান ৷ তখন খাইবারের যুদ্ধ চলছিল ৷ আমি
ছিলাম চোখওঠা রোগে আক্রান্ত ৷ আমি এসে বললাম, হে আল্লাহ্র রাসুল! আমি তাে চোখওঠ্য
রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছি ৷ তিনি আমার চোখে থুক দিয়ে বললেন, হে আল্লাহ্ ! তুমি এর
থেকে গরম ও শীত স্ফোদুর করে দাও ৷ তখন থেকে আর কখনও আমি গরম ও শীত অনুভব করি
না ৷ রাসুলুলুাহ্মোঃ , এরপর বললেন, আমি এমন এক ব্যক্তির কাছে পতাকা দেব, যে আল্লাহ
ও তার রাসুলকেভ ৩ালরাসে এবং তাকেও আল্লাহ্ ও তার রাসুল ভালবাসেন ৷ সে যুদ্ধের ময়দান
থেকে পলায়ন করবে না ৷ নবী কবীমমোঃ এর সাহাবাপণ এ মর্যাদা পাওয়ার তীব্র আগ্রহ
দেখায় ৷ অবশেষে তিনি তা আমাকে প্রদান করেন ৷ অনেবেইি এ হাদীস মুহাম্মাদ ইবন আবদুর
রহমান ইবন আবু লাই লার থেকে তার পিতার সুত্রে আলী থেকে দীর্ঘাকার বর্ণনা করেছেন ৷
আবুইয়ালা বলেনং যুহাইর, জারীর, মুগীরাহ্, উষ্মে কাইম সনদে বর্ণিত ৷ উষ্মে কাইম বলেন,
আমি আলীকে এ কথা বলতে শুনেছি যে, খাইবাব যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ ন্ আমার মুখে হাত
বসিয়ে, চোখে থুক দিয়ে ও আমাকে পতাকা দিয়ে দেন ৷ সে দিন থেকে আর কখনও আমি
চোখের রোগে আক্রান্ত হইনি এবং ব্যথাও অনুভব করিনি ৷


جَادَتْ يَدَاكَ لَهُ بِعَاجِلِ طَعْنَةٍ تَرَكَتْ طُلَيْحَةَ لِلْجَبِينِ مُجَدَّلَا ... وَشَدَدْتَ شِدَّةَ بَاسِلٍ فَكَشَفْتَهُمْ بِالْحَقِّ إِذْ يَهْوُونَ أَخْوَلَ أَخْوَلَا ... وَعَلَلْتَ سَيْفَكَ بِالدِّمَاءِ وَلَمْ تَكُنْ لِتَرُدَّهُ حَرَّانَ حَتَّى يَنْهَلَا وَشَهِدَ بَيْعَةَ الرِّضْوَانِ، وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {لَقَدْ رَضِيَ اللَّهُ عَنِ الْمُؤْمِنِينَ إِذْ يُبَايِعُونَكَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ} [الفتح: 18] الْآيَاتَ [الْفَتْحِ: 18] . وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَنْ يَدْخُلَ أَحَدٌ بَايَعَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ النَّارَ» . وَقَدْ ثَبَتَ فِي الصِّحَاحِ وَغَيْرِهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَوْمَ خَيْبَرَ «لَأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ غَدًا رَجُلًا يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ، لَيْسَ بِفَرَّارٍ، يَفْتَحُ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ ". فَبَاتَ النَّاسُ يَدُوكُونَ أَيُّهُمْ يُعْطَاهَا، حَتَّى قَالَ عُمَرُ: مَا أَحْبَبْتُ الْإِمَارَةَ إِلَّا يَوْمَئِذٍ. فَلَمَّا أَصْبَحَ أَعْطَاهَا عَلِيًّا، فَفَتَحَ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ» . وَرَوَاهُ جَمَاعَةٌ، مِنْهُمْ ; مَالِكٌ، وَيَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَيَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَجَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ، وَحَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، وَعَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْمُخْتَارِ، وَخَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ سُهَيْلٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ. وَأَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ. وَرَوَاهُ ابْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৬২১৬
سَعْدٍ. أَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ "، وَقَالَ فِي حَدِيثِهِ «فَدَعَا بِهِ رَسُولُ اللَّهِ وَهُوَ أَرْمَدُ، فَبَصَقَ فِي عَيْنَيْهِ فَبَرَأَ» . وَرَوَاهُ إِيَاسُ بْنُ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ عَنْ أَبِيهِ، وَيَزِيدُ بْنُ أَبِي عُبَيْدٍ عَنْ مَوْلَاهُ سَلَمَةَ أَيْضًا، وَحَدِيثُهُ عَنْهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ ". وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي بُرَيْدَةُ بْنُ سُفْيَانَ بْنِ فَرْوَةَ الْأَسْلَمِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْأَكْوَعِ قَالَ: «بَعْثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ بِرَايَتِهِ إِلَى بَعْضِ حُصُونِ خَيْبَرَ فَقَاتَلَ ثُمَّ رَجَعَ وَلَمْ يَكُنْ فَتْحٌ وَقَدْ جَهَدَ، ثُمَّ بَعَثَ الْغَدَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَقَاتَلَ ثُمَّ رَجَعَ وَلَمْ يَكُنْ فَتْحٌ وَقَدْ جَهَدَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ غَدًا رَجُلًا يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ، يَفْتَحُ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ، لَيْسَ بِفَرَّارٍ ". قَالَ: سَلَمَةُ: فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيًّا وَهُوَ أَرْمَدُ، فَتَفَلَ فِي عَيْنَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: " خُذْ هَذِهِ الرَّايَةَ فَامْضِ بِهَا حَتَّى يَفْتَحَ اللَّهُ عَلَيْكَ " قَالَ سَلَمَةُ: فَخَرَجَ وَاللَّهِ يُهَرْوِلُ بِهَا هَرْوَلَةً، وَإِنَّا لَخَلْفَهُ نَتَّبِعُ أَثَرَهُ حَتَّى رَكَزَ رَايَتَهُ فِي رَجَمٍ مِنْ حِجَارَةٍ تَحْتَ الْحِصْنِ، فَاطَّلَعَ إِلَيْهِ يَهُودِيٌّ مِنْ رَأْسِ الْحِصْنِ، فَقَالَ: مَنْ أَنْتَ؟ قَالَ عَلِيُّ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৬২১৭


এ সম্পর্কে সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাসের বর্ণনা : বুখারী ও মুসলিমে আছে তারা হতে
সাদ ইবন ইব্রাহীম ইবন সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাসের সুত্রে তার পিতা সাদ ইবন আবু
ওয়াক্কাস থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ্:;ণো একবার আলীকে বললেন, হারুন যেমন মুসার
স্থলাভিষিক্ত ছিলেন, ড্ডাপ তুমি কি আমার স্থলাভিষিক্ত হতে রাজী নওণ্ তবে পার্থক্য এই যে,
আমার পরে কোন নবী নেই ৷ আহমদ, মুসলিম ও তিরমিষী বলেন, কুতাইবা ইবন সাঈদ,
হাতিম ইবন ইসমাঈল, বুকাইর ইবন মিসমার, আমির ইবন সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস সনদে
তার পিতা থের্কেবর্ণিত ৷ তিনি বলেন, মুআবিয়া ইবন আবু সুফিয়ান সা’দকে বলেছিল, আবু
তৃরাবকে পালাগাল করতে তোমার বাধা কিসের ? সাদ বলেছিলেন, তিনটি বিষয়ের স্মরণ
আমাকে এ কাজে বাধা দেয় ৷ যে৩ তিনটি বিষয় আল্লাহর রাসুল তাকে বলেছিলেন এর একঢিও
যদি আমার সম্পর্কে বলা হতে তা তা হলে আমি মুল্যবান লাল উটের মালিক হওয়ার থেকেও
অধিক খুশি হতাম

আমি আল্লাহর রাসুলকে বলতে শুনেছি যখন তিনি কোন এক যুদ্ধে আলী (রা) কে
বাড়িতে রেখে যেতে চেয়েছিলেন ৷ আলী বলেছিলেন, হে আল্লাহর রাসুল ! আপনি কি আমাকে
নারী ও শিশুদের তত্ত্বাবধানের জন্যে রেখে যেতে চাচ্ছেনঃ রাসুলুল্লাহ্ত্রুতখন বলেছিলেন,
হারুন যেমন মুসার প্রতিনিধি ছিলেন ড্ডাপ তুমি কি আমার প্রতিনিধি থাকতে রাষী নও : অবশ্য
আমার পরে কোন নবী নেই ৷ খাইবারের যুদ্ধের সময় আমি রাসুলুল্লাহঅ্যাংকে বলতে শুনেছি,
আমি এমন এক ব্যক্তিকে পতাকা দেব যে আল্লাহ ও তার রাসুলকে ভালবাসে এবং তাকেও
আল্লাহ ও তার রাসুল ভালবাসেন ৷ সাদ বলেন, আমি মনে মনে এই মর্যাদা পাওয়ার আশা
করছিলাম ৷ শেষে তিনি আলী (রা)-কে ডেকে আনতে বলেন ৷ চোখের রোগে আক্রান্ত অবস্থায়
আলীকে তার নিকট আন৷ হলো ৷ রাসুলুল্লাহ্ স্-দ্,র্দু আলীর চোখে কিছু থুথু লাগিয়ে দেন এবং
তার কাছে পতাকা প্রদান করেন ৷ আল্লাহ পাক তাকে সে যুদ্ধে বিজয় দান করেন ৷

কুরআন মজীদের এ আয়াতটি যখন নাজিল হয়ং :

অর্থাৎ ভুমি বল, এসো, আমরা আহ্বান করি আমাদের ছেলেগণকে ও তোমাদের
ছেলেগণকে ৷ আমাদের নারীগণকে ও তোমাদের নারীগণকে ৷ আমাদের নিজেদেরকে ও
তোমাদের নিজেদেরকে (আল ইমরানং ৬১) ৷

তখন রাসুলুল্লাহ্হ্গ্লুৰুক্ট্রআলী, ফাতিমা, হাসান ও হুসাইনব্লু-ক শুজ্যো করে বলেন, হে
আল্লাহ্৷ এরা আমার আহ্ল ও পরিবারের লোক ৷ মুসলিম, তিরমিষী ও নসোঈ এ হাদীস সাঈদ
ইবন মুসায়িাবের সুত্রে সা দ থেকে বর্ণনা করেন ৷ তাতে আছে, রাসুলুল্পাহ্ট্যাংট্রুআলীকে
বললেন, আমার স্থলে তুমি সে রকম, যে রকম ছিল মুসার স্থলে হারুন ৷ তিরমিষী বলেন, সা দ
থেকে সাঈদের সুত্রে বর্ণনাটি গরীব ৷ ইমাম আহমদ বলেন, আহমাদ যুবইিরী আবদুল্লাহ
ইবন উমর সনদে সাদ থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ড়াে যখন তাবুক যুদ্ধে বের হন
তখন আলী (রা) কে প্রতিনিধি হিসেবে রেখে যান ৷ আলী (বা) বললেন, আমাকে যুদ্ধে না নিয়ে
বাড়িতে রেখে যাচ্ছেন : তখন বাসুলুল্লাহ বললেন, তুমি কি এতে সত্তুষ্ট নও যে, আমার

৭৬


أَبِي طَالِبٍ قَالَ الْيَهُودِيُّ: عَلَيْتُمْ وَمَنْ أَنْزَلَ التَّوْرَاةَ عَلَى مُوسَى. قَالَ: فَمَا رَجَعَ حَتَّى فَتَحَ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ» . وَقَدْ رَوَاهُ عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، عَنْ عَطَاءٍ مَوْلَى السَّائِبِ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ وَفِيهِ أَنَّهُ هُوَ الَّذِي جَاءَ بِهِ يَقُودُهُ وَهُوَ أَرْمَدُ، حَتَّى بَصَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي عَيْنَيْهِ فَبَرَأَ. رِوَايَةُ بُرَيْدَةَ بْنِ الْحُصَيْبِ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، ثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ وَاقِدٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، حَدَّثَنِي بُرَيْدَةُ بْنُ الْحُصَيْبِ قَالَ: حَاصَرْنَا خَيْبَرَ، فَأَخْذَ اللِّوَاءَ أَبُو بَكْرٍ، فَانْصَرَفَ وَلَمْ يُفْتَحْ لَهُ، ثُمَّ أَخَذَهُ مِنَ الْغَدِ عُمَرُ، فَخَرَجَ فَرَجَعَ وَلَمْ يُفْتَحْ لَهُ، وَأَصَابَ النَّاسَ يَوْمَئِذٍ شِدَّةٌ وَجَهْدٌ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِنِّي دَافِعٌ اللِّوَاءَ غَدًا إِلَى رَجُلٍ يُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَيُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ، لَا يَرْجِعُ حَتَّى يُفْتَحَ لَهُ " قَالَ: وَبِتْنَا طَيِّبَةً أَنْفُسُنَا أَنَّ الْفَتْحَ غَدًا. قَالَ: فَلَمَّا أَصْبَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى الْغَدَاةَ، ثُمَّ قَامَ قَائِمًا، فَدَعَا بِاللِّوَاءِ وَالنَّاسُ عَلَى مَصَافِّهِمْ، فَدَعَا عَلِيًّا وَهُوَ أَرْمَدُ، فَتَفَلَ فِي عَيْنَيْهِ، وَدَفَعَ إِلَيْهِ اللِّوَاءَ، فَفُتِحَ لَهُ» . قَالَ بُرَيْدَةُ: وَأَنَا فِيمَنْ تَطَاوَلَ لَهَا. وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ بِهِ أَطْوَلَ مِنْهُ، ثُمَّ رَوَاهُ أَحْمَدُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ
পৃষ্ঠা - ৬২১৮


স্থলে তোমার সেই মর্যাদা, যেমন মুসার স্থলে ছিল হারুনের মর্যাদা ৷ তবে পার্থক্য এই যে,
আমার পরে কোন নবী নেই ৷ হাদীসের উল্লিখিত সনদ খুবই উৎকৃষ্ট ৷ তবে গ্রন্থকারগণ এর
তাখরীজ করেনি ৷
হাসান ইবন আরফাহ্ আবাদী বলেন : মুহাম্মদ ই বৃন হাযিম আবু মুআৰিয়া যড়ারীর
সা’দ ইবন আবু ওয়াক্কাস থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, একবার মুআবিয়া হরুজ্জ আগমন
করেন ৷ সা’দ ইবন আবু ওয়াক্কাস তার কাছে আসেন ৷ তারাআলীর বিষয় নিয়ে আলোচনা
করলে সা’দ বলেন, আলীর বিশেষ তিনটি মর্যাদা আছে৷ ৷তন্মধ্যে একটি মর্যড়াদড়াও যদি আমার প্
“থাকতােতা হলে দুনিয়া ও তার মধ্যের যাবতীয় সম্পদের মালিক হওয়ার চেয়েও বেশি খুশি
হতাম ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্স্লো:-কে বলতে শুনেছি যে, আমি যার অভিভাবক, আলীও তার
অভিভাবক ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্মোঃ কে আরও বলতে শুনেছি যে, আপামীকাল আমি এমন
একজনকে পতাকা দেব যে আল্লাহ্ ও তার রাসুলকে ভালবাসে এবং তড়াকেও আল্লাহ্ ও তার
রাসুল তা ৷লব৷ সেন ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্ইর্টুৰুদ্বু কে এ কথাও বলতে শুনেছি যে, আমার স্থলে তোমার
সেই তু,মিক৷ মুসার স্থলে হারুনের ছিল সেই ভুমিকা ৷ তবে পাংকাি এই যে, আমার পরে কোন
নবী নেই ৷ এ বর্ণনার সনদ হাসান ৷ কিন্তু ঘুহাশ্ম ৷দ্দিসগণ এর তাখরীজ করেনি ৷
আবু যুরআ দামিশকী বলেনং : আহমাদ ইবন খালিদ যাহাবী আবু সাঈদ আবু নাজীহ
থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, মুআৰিয়া যখন হজ্জ করতে আসেন, তখন সা’দ ইবন আবু
ওয়াক্কাসের হাত ধরে বলেন, হে আবু ইসহ্াক ! আমরা এমন এক কাওম যাদেরকে ধারাবাহিক
ঘুদ্ধরিঃাহ হজ্জ পালন থেকে দীর্ঘ দিন দুরে সরিয়ে রেখেছে ৷ ফলে হবুজ্জ্বর অনেক নিয়ম-নীতি
প্রায় তুলে যেতে বচসছি ৷ কাজেই তুমি তাওয়াফ কর ৷ আমরা তোমাকে অনুসরণ করে তাওয়াফ
করবো ৷ আবুনড়াজীহ বলেন, হজ্জ সম্পন্ন হলে ঘু আবিয়া তাকে বিশ্বে যে পরামর্শ গৃহে নিয়ে যান
এবং নিজের আসনের উপরে অতি নিকটে তাকে বসান ৷ এরপর আলী ইবন আবু৩ তালিবের
প্রসঙ্গ তুলে তার সমালোচনা করতে থাকেন ৷ তখন সা দ বললেন, আপনি আমাকে আপনার
গৃহে এনে নিজের আসনে বসতে দিয়ে আলীর সমালোচনা করছেন এবং তাকে পালাপাল
দিচ্ছেন ৷ আল্লাহর কসম তার তিনটি বিশ্বে যে মর্যাদার একটি মর্যাদাও যদি আমার থাকতো তা
হলে সুর্য য৷ কিছুর উপরে উদিত হয় সে সবের মালিক হওয়ার চেয়েও অধিক সন্তুষ্ট হতামা
তাবুক যুদ্ধের প্রাক্কালে তাকে রাসুলুল্লাহ্ র্চুট্রু,ট্টয৷ বলেছিলন, তা যদি আমাকে বলতেন ৷ তাকে
বলেছিলেন, আমার স্থুলেতু মি সেরুপ, যেরুপ ছিল মুসার স্থলে হ রুন ৷ অবশ্য আমার পরে
কোন নবী সেই ৷৩ তবে সুর্য যার উপর উদিত হয় তার মালিক হওয়ার চেয়েও আমি অধিক খুশি
হতাম ৷ খাইবারের যুদ্ধের সময় তিনি আলী (রা) কে বা বলেছিলেন তা যদি আমার ক্ষেত্রে
বলতেন ৷
তিনি বলেছিলেন, আমি এমন একজনকে পতাকা প্রদান করবো যে আল্লাহ ও তার
রাসুলকে ভালবাসে এবং তড়াকেও আল্লাহ ও তার রাসুল ভালবাসেন ৷ তার হাতে আল্লাহ বিজয়
দান করবেন ৷ সে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালাবার লোক নয় ৷ তবে সুর্য যার উপর উদিত হয় তার
অধিকারী হওয়ার চেয়েও আমি অধিক খুশি হত তাম ৷ আর আমি যদি তার কন্যার স্বামী হতাম
এবং তার গর্ভে আমার সন্তান জন্মলাভ করতো তা হলে সুর্য যার উপর উদয় হয়ত তার মালিক


وَرَوْحٍ، كِلَاهُمَا عَنْ عَوْفٍ، عَنْ مَيْمُونٍ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْكُرْدِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ بِهِ نَحْوَهُ، وَأَخْرَجَهُ النَّسَائِيُّ عَنْ بُنْدَارٍ عَنْ غُنْدَرٍ بِهِ، وَفِيهِ الشِّعْرُ. رِوَايَةُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ: وَرَوَاهُ هُشَيْمٌ عَنِ الْعَوَّامِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، فَذَكَرَ سِيَاقَ حَدِيثِ بُرَيْدَةَ. وَرَوَاهُ كَثِيرٌ النَّوَّاءُ عَنْ جُمَيْعِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ نَحْوَهُ، وَفِيهِ قَالَ عَلِيٌّ: فَمَا رَمِدْتُ بَعْدَ يَوْمَئِذٍ. وَرَوَاهُ أَحْمَدُ عَنْ وَكِيعٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ أَسِيدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ كَمَا سَيَأْتِي. رِوَايَةُ ابْنِ عَبَّاسٍ: قَالَ أَبُو يَعْلَى: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ، ثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بَلْجٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ غَدًا رَجُلًا يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ ". فَقَالَ: " أَيْنَ عَلِيٌّ؟ " قَالُوا: يَطْحَنُ. قَالَ: وَمَا أَحَدٌ مِنْهُمْ يَرْضَى أَنْ يَطْحَنَ، فَأَتَى بِهِ، فَدَفَعَ إِلَيْهِ الرَّايَةَ، فَجَاءَ بِصَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيِّ بْنِ أَخْطَبَ» . وَهَذَا غَرِيبٌ مِنْ هَذَا
পৃষ্ঠা - ৬২১৯
الْوَجْهِ، وَهُوَ مُخْتَصَرٌ مِنْ حَدِيثٍ طَوِيلٍ. وَرَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ حَمَّادٍ، عَنْ أَبِي عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بَلْجٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فَذَكَرَهُ بِتَمَامِهِ، فَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، ثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، ثَنَا أَبُو بَلْجٍ، ثَنَا عَمْرُو بْنُ مَيْمُونٍ قَالَ: إِنَّى لَجَالِسٌ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ إِذْ أَتَاهُ تِسْعَةُ رَهْطٍ، فَقَالُوا: يَا ابْنَ عَبَّاسٍ، إِمَّا أَنْ تَقُومَ مَعَنَا وَإِمَّا أَنْ يُخَلُّونَا هَؤُلَاءِ. فَقَالَ: بَلْ أَقْوَمُ مَعَكُمْ. قَالَ: وَهُوَ يَوْمَئِذٍ صَحِيحٌ قَبْلَ أَنْ يَعْمَى، قَالَ: وَابْتَدَءُوا فَتَحَدَّثُوا فَلَا نَدْرِي مَا قَالُوا. قَالَ: فَجَاءَ يَنْفُضُ ثَوْبَهُ وَيَقُولُ: أُفْ وَتُفْ، وَقَعُوا فِي رَجُلٍ لَهُ عَشْرٌ، وَقَعُوا فِي رَجُلٍ قَالَ لَهُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَأَبْعَثَنَّ رَجُلًا لَا يُخْزِيهِ اللَّهُ أَبَدًا، يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ ". قَالَ: فَاسْتَشْرَفَ لَهَا مَنِ اسْتَشْرَفَ، قَالَ: " أَيْنَ عَلِيٌّ؟ " قَالُوا: هُوَ فِي الرَّحَا يَطْحَنُ. قَالَ: وَمَا كَانَ أَحَدُكُمْ لِيَطْحَنَ قَالَ: فَجَاءَ وَهُوَ أَرْمَدُ لَا يَكَادُ أَنْ يُبْصِرَ، فَنَفَثَ فِي عَيْنَيْهِ، ثُمَّ هَزَّ الرَّايَةَ ثَلَاثًا، فَأَعْطَاهُ إِيَّاهَا، فَجَاءَ بِصَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيِّ بْنِ أَخْطَبَ» . قَالَ «ثُمَّ بَعَثَ فُلَانًا بِسُورَةِ " التَّوْبَةِ "، فَبَعَثَ عَلِيًّا خَلْفَهُ، فَأَخَذَهَا مِنْهُ، قَالَ: " لَا يَذْهَبُ بِهَا إِلَّا رَجُلٌ مِنِّي وَأَنَا مِنْهُ» . قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৬২২০


হওয়ার চেয়ে নিজেকে অধিক ধন্য মনে করতাম ৷ আজকের পর আর কখনও আমি আপনার
সাথে কোন গৃহে প্রবেশ করবো না ৷ এরপর সা’দ তার চাদর বোড়ে সেখান থেকে বেরিয়ে
আসেন ৷
আহমাদ বলেনং : মুহাম্মদ ইবন জাফর সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস থেকে বর্ণিত ৷
তিনি বলেন, রাসুলুল্পাহ্ :::: পবিত্র মদীনায় আলী (রা) কে৩ তার স্থলাভিষিক্ত রেখে যুদ্ধে গমন
করেন ৷ আলী (বা) বললেন, হে আল্লাহ্র রাসুল ! আপনি আমাকে নারী ও শিশুদের মধ্যে
আপনার স্থলাভিষিক্ত করছেন ? রাসুলুল্লাহ্ফ্তে বললেন, তুমি কি আমার স্থলে হারুনের ন্যায়
মুসার স্থলে থাকতে রাজী নও ? তবে আমার পরে কোন নবী নেই ৷ এ হাদীসের সনদ বুখারী ও
মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ ৷ অবশ্য তারা এ সনদ তাখরীজ করেনি ৷ এ হাদীস আবু
আ ওয়ালাহ্ আ মাশের সুত্রে হাকাম ইবন মুস আব থেকে এবং তিনি তার পিতা থেকে অনুরুপ
বর্ণনা করেছেন ৷ আবু দাউদ তায়ালিমীও এ হাদীস শু বাহ্ আসিম, মুস আব সনদে তার পিতা
থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহমাদ বলেনং : বনু হাশিমের মাওলা আবু সাঈদ
আয়িশাহ বিনত সা দ তার পিতা থেকে বর্ণিত ৩৷ র ৷সুলুল্লাহ্প্লো মোঃ এর সাথে আলীও বের হয়ে
যান ৷ ছানিয়াতৃল বিদায় পৌছে দেখেন আলী (বা) কাদছে এবং কেদে কেদে বলছে যারা
যুদ্ধে যেতে অক্ষম আপনি আমাকে তাদের সাথে রেখে যাচ্ছেন ? রাসুলুল্পাহ্ মোঃ বললেন , তু
কি রাষী নও আমার থেকে সেই মর্যাদার থাকতে, যে মর্যাদার ছিল৷ হ রুন মুসার থেকে ৷ তবে
নবুওয়ত ব্যতীত ৷ এ বিওয়ায়েতে র সনদও সহীহ ৷ তবে তারা এর তাখরীজ করেনি ৷ বেশ কিছু
ত্খ্যক রাবী আয়েশা বিনত স৷ দের সুত্রে তার পিতা থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷
হাফিজ ইবন আসাকির বলেন : সাহাবাদের একটি দল রাসুলুল্লাহ্ স্পো মোঃথেকে এ হাদীস
বর্ণনা করেছেন ৷ যথা : উমর, আলী, ইবন আব্বাস, আবদুল্লাহ ইবন জা ফর, মু আবিয়া, জাবির
ইবন আবদুল্লাহ, জাবির ইবন সামুরাহ্ ৷ আবু সাঈদ, বারা ইবন আমির, যাইদ ইবন আরকাম,
যাইদ ইবন আবু আওফা, নাবীত ইবন শারীত, হাবাশী ইবন জুনাদা, মালিক ইবন হুওয়ায়রিছ,
আনাস ইবন মালিক, আবুল ফযল, উম্মে সালমা, আসমা বিনত উমাইস ও ফাতিমা বিনত
হামযা ৷ ইবন আ ৷সাকির তার ইতিহাস গ্রন্থে এ সব হাদীস বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন ৷ এভাবে
তিনি তার সাথী-সঙ্গী, সমালোচক ও গবেষক সকলের সামনে বিষয়টি উন্মুক্ত করে দিয়েছেন-
উমর (না)-এর বর্ণনা ও আবু ইয়ালা বলেন, আবদুল্লাহ ইবন উমর আবু হুরায়রা
সনদে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, উমর (রা) বলেছেন, আলী ইবন আবু তালিবকে তিনটি মর্যাদা দান
করা হয়েছে ৷ একটি মর্যাদাও যদি আমার থাকতো, তা হলে আমর নিকট তা মুল্যবান লাল
উটের চেয়েও অধিক প্রিয় হতো ৷ তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, হে আমীরুল মু’মিনীন! সে
মর্ষদাগুলি কি? তিনি বললেন, রন্াসুলুহৃা৷হ্মোঃআং এর কন্যা ফাতিমাকে বিবাহ করা, মসজিদে
রাসুলুলুাহ্ত্রুএর সাথে তার বসবাসের ব্যবস্থা ৷ ফলে রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর জন্যে মসজিদে
যা হালাল ছিল আলীর জন্যেও তা হালাল হয় এবং খাইবার যুদ্ধে তার হাতে পতাকা ৮প্রদান ৷ এ
ছাড়া আরও বিভিন্ন সুত্রে এ হাদীস উমর (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে ৷


وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِبَنِي عَمِّهِ " «أَيُّكُمْ يُوَالِينِي فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ؟ " فَأَبَوْا. قَالَ: وَعَلِيٌّ مَعَهُ جَالِسٌ، فَقَالَ عَلِيٌّ: أَنَا أُوَالِيكَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ. قَالَ: " أَنْتَ وَلِيِّي فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ ". قَالَ: فَتَرَكَهُ، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى رَجُلٍ مِنْهُمْ، فَقَالَ: " أَيُّكُمْ يُوَالِينِي فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ؟ " فَأَبَوْا، فَقَالَ عَلِيٌّ: أَنَا أُوَالِيكَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ. فَقَالَ: " أَنْتَ وَلِيِّي فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ» ". قَالَ: وَكَانَ أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ مِنَ النَّاسِ بَعْدَ خَدِيجَةَ. قَالَ ( «وَأَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَوْبَهُ، فَوَضَعَهُ عَلَى عَلِيٍّ وَفَاطِمَةَ وَحَسَنٍ وَحُسَيْنٍ، فَقَالَ {إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا} [الأحزاب: 33] » [الْأَحْزَابِ: 18] . قَالَ: وَشَرَى عَلِيٌّ نَفْسَهُ ; لَبِسَ ثَوْبَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ نَامَ مَكَانَهُ. قَالَ: وَكَانَ الْمُشْرِكُونَ يَرُومُونَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَاءَ أَبُو بَكْرٍ وَعَلَيٌّ نَائِمٌ، وَأَبُو بَكْرٍ يَحْسَبُ أَنَّهُ نَبِيُّ اللَّهِ، فَقَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ. فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: إِنَّ نَبِيَّ اللَّهِ قَدِ انْطَلَقَ نَحْوَ بِئْرِ مَيْمُونٍ فَأَدْرِكْهُ. قَالَ: فَانْطَلَقَ أَبُو بَكْرٍ، فَدَخَلَ مَعَهُ الْغَارَ. قَالَ: وَجَعَلَ عَلِيٌّ يُرْمَى بِالْحِجَارَةِ كَمَا كَانَ يُرْمَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَتَضَوَّرُ، وَقَدْ لَفَّ رَأْسَهُ فِي الثَّوْبِ، لَا يُخْرِجُهُ حَتَّى أَصْبَحَ، ثُمَّ كَشَفَ عَنْ رَأْسِهِ، فَقَالُوا: إِنَّكَ لَئِيمٌ، كَانَ صَاحِبُكَ نَرْمِيهِ فَلَا يَتَضَوَّرُ، وَأَنْتَ تَتَضَوَّرُ، وَقَدِ اسْتَنْكَرْنَا ذَلِكَ. قَالَ: وَخَرَجَ يَعْنِي، رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بِالنَّاسِ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: أَخْرُجُ مَعَكَ؟ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا ". فَبَكَى عَلِيٌّ، فَقَالَ: «أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى إِلَّا أَنَّكَ لَسْتَ بِنَبِيٍّ، إِنَّهُ لَا
পৃষ্ঠা - ৬২২১
يَنْبَغِي أَنْ أَذْهَبَ إِلَّا وَأَنْتَ خَلِيفَتِي» قَالَ: وَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَنْتَ وَلِيِّي فِي كُلِّ مُؤْمِنٍ بَعْدِي ".» قَالَ: وَسَدَّ أَبْوَابَ الْمَسْجِدِ غَيْرَ بَابِ عَلِيٍّ. قَالَ: فَيَدْخُلُ الْمَسْجِدَ جُنُبًا، وَهُوَ طَرِيقُهُ لَيْسَ لَهُ طَرِيقٌ غَيْرُهُ. قَالَ: وَقَالَ «مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَإِنَّ مَوْلَاهُ عَلِيٌّ» " قَالَ: وَأَخْبَرَنَا اللَّهُ فِي الْقُرْآنِ أَنَّهُ قَدْ رَضِيَ عَنْ أَصْحَابِ الشَّجَرَةِ فَعَلِمَ مَا فِي قُلُوبِهِمْ، فَهَلْ حَدَّثَنَا أَنَّهُ سَخِطَ عَلَيْهِمْ بَعْدُ؟ ! قَالَ: «وَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعُمَرَ حِينَ قَالَ: ائْذَنْ لِي لِأَضْرِبَ عُنُقَهُ. يَعْنِي حَاطِبَ بْنَ أَبِي بَلْتَعَةَ قَالَ: " وَكُنْتُ فَاعِلًا؟ ! وَمَا يُدْرِيكَ لَعَلَّ اللَّهَ قَدِ اطَّلَعَ عَلَى أَهْلِ بَدْرٍ، فَقَالَ: اعْمَلُوا مَا شِئْتُمْ فَقَدْ غَفَرْتُ لَكُمْ» وَقَدْ رَوَى التِّرْمِذِيُّ بَعْضَهُ مِنْ طَرِيقِ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي بَلْجٍ يَحْيَى بْنِ أَبِي سُلَيْمٍ وَاسْتَغْرَبَهُ، وَأَخْرَجَ النَّسَائِيُّ بَعْضَهُ أَيْضًا عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُثَنَّى، عَنْ يَحْيَى بْنِ حَمَّادٍ بِهِ. رِوَايَةُ عِمْرَانَ: قَالَ الْبُخَارِيُّ فِي " التَّارِيخِ ": ثَنَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ الرِّيَاحِيُّ، ثَنَا مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَأَدْفَعَنَّ الرَّايَةَ إِلَى رَجُلٍ يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ ". فَبَعَثَ إِلَى عَلِيٍّ وَهُوَ أَرْمَدُ، فَتَفَلَ
পৃষ্ঠা - ৬২২২


ইবন উমরের বর্ণনাং ইমাম আহমাদ বলেন, ওয়াকী ইবন উমর থেকে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেন, রাসুণুল্লাহ্মোঃ-এ্যার সময় আমরা বলতাম মানুষের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি আবু বকর,
তারপরে উমর (রা) ৷ অথচ আবু তালিবের ছেলেকে এমন তিনটি মর্যাদা দেওয়া হয়েছে যেগুলো
আমাকে দেওয়া হলে মুল্যবান লাল উটের মালিক হওয়ার থেকেও অধিক খুশি হতাম ৷ এরপর
তিনি উক্ত তিনটি বিষয় উল্লেখ করেন ৷ আহমাদ ও তিরমিযী আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ ইবন
আকীল সুত্রে জ ৷বির থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্পাহ্সাঃ মোঃআলী (রা) কে বলেছিলেন,ত
কি অ ৷নন্দবােধ কর না যে, আমার কাছে৩ তে ৷মার সেই মর্যাদা, যেমন ছিল মুসার কাছে হারুনের
মর্যাদা ? অবশ্য আমার পরে আর কোন নবী নেই ৷ আহমাদ এ হাদীস আতিয়্যার সুত্রে আবু
সাইদ থেকে রাসুলুল্লাহ্,র্দুল্পঃ এর অনুরুপ বর্ণনা উদ্ধৃত করেছেন যে, আমার পক্ষ থেকে তুমি
মুসার পক্ষ হতে হারুনের ন্যায় ৷ তবে আমার পরে কোন নবী ৫ন্ইি ৷ তিবরানী এ হাদীস আবদুল
আযীয ইবন হাকীমের সুত্রে ইবন উমর থেকে মারকু’ (সরাসরি) বর্ণনা করেছেন ৷ সালমা ইবন
কুহ্াইল এ হাদীস আমির ইবন সা দ থেকে তিনি৩ ৷র পিতা থেকে তিনি উম্মে সালামা থেকে
বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ :শাথদ্ষ্ৰুৰুআলী (রা)-কে বলেছিলেন,তু মি কি সন্তুষ্ট নও যে, আমার
কাছে তোমার সেই মর্যাদা, যেমনটি ছিল মুসার কাছে হারুনের মর্যাদা, তবে আমার পরে কোন
নবী নেই ৷ সালামা বলেন, আমি বনু মাওহাবের এক মুক্ত গোলামকে বলতে শুনেছি, তিনি
বলতেন আমি ইবন আব্বাসকে বলতে শ্যুনছি নবী করীমব্লুক্ট্রক্ট্রব্লু অনুরুপ বলেছেন ৷

আলী (বা) এর সাথে ফাতিমাতৃয্ যােহরার বিবাহ
সুফিয়ান ছাওরী বলেন : ইবন আবুনাব্জীহতার পিতা আবুনাজীহ থেকে বর্ণনা করেন যে,
এক ব্যক্তি কুফার মসজিদের মিম্বরে আলী (রা) কে বলতে শুনেছেন ৷ আলী (রা) বলেছেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ট্রু;;:ন্ৰু এর কন্যা ফাতিমাকে বিবাহ করার প্রস্তাব দেওয়ার সংকল্প করি ৷ কিন্তু মনে
মনে ভাবলাম, আমার তাে কিছুই নেই ৷ আবার চিন্তা করলাম আমার সাথে রাসুলুল্লাহ্:,ন্স্ট্ ;ন্ধ্রএর
সুসম্পর্ক ও আত্মীয়তার বন্ধন আছে ৷ তাই আমি শেষ পর্যন্ত বিবাহের প্রস্তাব দিয়ে ফেললাম ৷
তখন রাসুলুল্লাহ্মোঃবললেন, তোমার কাছে কি কো ন অর্থ-সম্পদ আছে ? আমি বললাম না ৷
তিনি বললেন, আমি অমুক দিন তোমাকে হা৩ তমী১ বর্ষ দিয়েছিলাম, সেটি কোথায় ? আমি
বললাম, সেটি আমার নিকট আছে ৷
রাসুলুল্লাহ্ন্,ন্ণ্ষ্ণ্ণ্ বললেন, তুমি ফাতিমাকে (মহ্র বাবদ) এটি দিয়ে দাও ৷ আমি দিয়ে
দিলাম ৷ ৩ খন তিনি আমার সাথে ফাতিমাকে বিবাহ দিলেন ৷ এরপর যে রাতে আমি তাকে ঘরে
আনলাম তখন ঘাসুলুল্লাহখ্যাঃবললেন আমি তোমাদের কাছে না আসা পর্যন্ত? তামরা কিছু
বলাবলি করে৷ না ৷ কিছু সময় পর তিনি আমাদের কাছে আসেন ৷ তখন আমাদের গায়ের উপর
একটি শাল বা চাদর ছড়িয়ে দেওয়া ছিল ৷৩ তার আগমনে আমরা বিচলিত ৩হয়ে পড়লাম, তিনি
বললেন, তোমরা তোমাদের স্থানে থাক ৷ তারপর তিনি এক পেয়ালা পানি আনিয়ে তাতে দু’আ
পড়ে আমার ও ফাতিমার গায়ে ছিটিয়ে দিলেন ৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্া
আপনার নিকট আমি বেশি প্রিয় না ফাতিম৷ ? তিনি বললেন, যে আমার কাছে বেশি প্রিয়, আর
তুমি আমার কাছে তার তুলনায় অধিক আদরের ৷



১ হাতমা ইবন মুহারিবের দিকে সম্পর্ক করে বলা হয়েছে ৷ কেননা, সে বর্ম নির্মাণ করতো ৷


فِي عَيْنَيْهِ وَأَعْطَاهُ الرَّايَةَ، فَمَا رَدَّ وَجْهَهُ حَتَّى فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ، وَمَا اشْتَكَاهُمَا بَعْدُ» . وَرَوَاهُ أَبُو الْقَاسِمِ الْبَغَوِيُّ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ أَبِي مُوسَى الْهَرَوِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ هَاشِمٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنْ عِمْرَانَ، فَذَكَرَهُ، وَأَخْرَجَهُ النَّسَائِيُّ عَنْ عَبَّاسٍ الْعَنْبَرِيِّ، عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْوَهَّابِ بِهِ. رِوَايَةُ أَبِي سَعِيدٍ: فِي ذَلِكَ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُصْعَبُ بْنُ الْمِقْدَامِ وَحُجَيْنُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَا: ثَنَا إِسْرَائِيلُ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عِصْمَةَ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ يَقُولُ «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَذَ الرَّايَةَ فَهَزَّهَا ثُمَّ قَالَ: " مَنْ يَأْخُذُهَا بِحَقِّهَا؟ " فَجَاءَ فُلَانٌ فَقَالَ: أَنَا. فَقَالَ: " أَمِطْ ". ثُمَّ جَاءَ رَجُلٌ آخَرُ، فَقَالَ: أَنَا. فَقَالَ: " أَمِطْ ". ثُمَّ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " وَالَّذِي أَكْرَمَ وَجْهَ مُحَمَّدٍ لَأُعْطِيَنَّهَا رَجُلًا لَا يَفِرُّ ". فَجَاءَ عَلِيٌّ، فَانْطَلَقَ حَتَّى فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ خَيْبَرَ وَفَدَكَ، وَجَاءَ بِعَجْوَتِهِمَا وَقَدِيدِهِمَا» . وَرَوَاهُ أَبُو يَعْلَى عَنْ حُسَيْنِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، وَقَالَ فِي سِيَاقِهِ:
পৃষ্ঠা - ৬২২৩


নাসাঈ এ হাদীস আবদুল করীম ইবন সালীতের সুত্রে, তিনি ইবন বুরাইদা থেকে, তিনি
তার পিতা বুরাইদা থেকে উপরোক্ত বর্ণনার চেয়ে আরও বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন ৷ এ বর্ণনায়
আছে যে, আলী ফাতিমার ওয়ালীমা খাওয়্যানার জন্যে সা’দ-এর থেকে একটি দুম্বা ও কয়েকজন
আনসারের কাছ থেকে কিছু খাদ্য সংগ্রহ করেন ৷ আরও আছে যে, তাদের গায়ে পানি ছিটিয়ে
দেওয়ার পর দৃ’আ করেছিলেন যে, হে আল্লাহ্৷ তাদের দাস্পত্য সম্পর্কে আপনি বরকত দান
করুন ৷ মুহাম্মদ ইবন কাহীর আওযায়ী থেকে, তিনি ইয়াহ্ইয়া ইবন আবু কাহীর থেকে, তিনি
আবু সালামা থেকে, তিনি আবু হুরায়রা থেকে বর্ণনা করেন ৷ আবু হুরায়রা বলেন, আলী (রা)
রাসুলুল্লাহ্র্ন্ত গাং এর নিকট ফাতিমাকে বিবাহ করার প্রস্তাব দিলে তিনি ফাতিমার কাছে গিয়ে;
বললেন, হে প্রিয় কন্যা ও আমার চাচাতো ভাই আলী তোমাকে বিবাহ করার প্রস্তাব দিয়েছে ৷ এ
সম্পর্কে তোমার মতামত কি? প্রস্তাব শ্যুন ফাতিমা কিছুক্ষণ র্কাদলেন ৷ তার পর বললেন,
আব্বাজান ! মনে হয় আপনি আমাকে এক কুরাইশ ফর্কীরের কাছে সপে দিতে চাচ্ছেনা
রাসুলুল্লাহ্আঃ বললেন, যেই সত্তা আমাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন তার কসম ! আসমানের
উপর থেকে আল্লাহ্র নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত আমি এ সম্পর্কে মুখ খুলিনি ৷ তখন ফাতিমা
বললেন, আল্লাহ্ ও তার রাসুল যাতে খুশি, আমিও তাতে সন্তুষ্ট ৷ এ কথার পর রাসুলুল্লাহ্ স্রদ্বুস্টু
ফাতিমার কাছ থেকে বেরিয়ে আসেন ৷ মুসলমস্ফোণ তার কাছে এসে জড়ো হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্
মোঃ বললেন, হে আলী ! তুমি নিজেই প্রস্তাব দাও ৷

তখন আলী (রা) বললেন, সেই আল্লাহ্র প্রশংসা যার ক্ষয় নেই এবং ইনি আল্লাহ্র রাসুল
মুহাম্মদ-ক্তেচারশ দিরহাম মহরের বিনিময়ে তার কন্যাকে আমার নিকট বিবাহ দিয়েছেন ৷
এখন তিনি যা বলেন, তোমরা তা শুনাে ও সাক্ষী থাকে৷ ৷ সাহাবাগণ বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্
মোঃ ; আপনার মতামত কি : তিনি বললেন, তোমরা সাক্ষী থাক, আমি আমার কন্যাকে তার
সাথে বিবাহ দিয়েছি ৷ এ বর্ণনা করেছেন ইবন আসাকির ৷ কিন্তু তিনি মুনকার রাবী ৷ আলী ও
ফাতিমার বিবাহকে কেন্দ্র করে বহু সংখ্যক ঘুনকার ও মাওয়ু হাদীস বর্ণিত হয়েছে কিতাব দীর্ঘ
হওয়ার আশংকায় আমরা সেগুলি বর্ণনা-করা থেকে বিরত থাকলাম ৷ তবে হাফিজ ইবন
আসাকির তার ইতিহাস গ্রন্থে উত্তম সনদে কতিপয় হাদীস বর্ণনা করেহ্নেষ্ক ৷ ওয়াকী আবু
খালিদের সুত্রে শা’বী থেকে বর্ণনা করেন যে, আলী (বা) বলেছেন : দৃম্বার একটি চামড়া ব্যতীত
আমাদের আর কোন আলবাব ছিল না ৷ এ চামড়ার এক পাৰুশ আমরা ঘুমেআেম আর অন্য পাশে
ফাতিমা অটো পিষভাে ৷ শাবী থেকে মুজানিদের বর্ণনায় আছে যে, দিনের বেলা ঐ চামড়ার
উপর উটকে ঘাস খেতে দিতাম এবং ফাতিমা ব্যতীত এর অন্য কোন বন্ত্রদিম ছিল না ৷

আরও একটি হাদীস

ইমাম আহমদ বলেন : মুহাম্মদ ইবন জা’ফর সাইদ ইবন আরকাম থেকে বর্ণিত ৷
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্মোঃ-এর কয়েকজন সাহাবীর ঘর থেকে সরাসরি মসজিদে যাওয়ার পথ
ছিল ৷ একদিন রাসুলুল্পাহ্আঃ ঘোষণা করে দেন যে, আলীর পথ ব্যতীত অন্য সকলের পথ
বন্ধ করে দাও ণ্৷ রাবী বলেন, এ ঘোষণা দেওয়ার পর লোকের মধ্যে কানা-ঘুষা চলতে থাকে ৷
রাসুলুল্লাহ্ড্রো তা বুঝতে পেরে লোকদের সম্মুখে দাড়িয়ে ভাষণে বলেন : সকল প্রশংসা
আল্লাহ্র ৷ সকল গুণগান তার ৷ এরপর কথা হচ্ছে, আমি আলীর পথ ব্যতীত অন্য সকলের পথ


فَجَاءَ الزُّبَيْرُ فَقَالَ: أَنَا. فَقَالَ: " أَمِطْ ". ثُمَّ جَاءَ آخَرُ فَقَالَ: " أَمِطْ ". وَذَكَرَهُ، تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. رِوَايَةُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ فِي ذَلِكَ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى عَنِ الْمِنْهَالِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى قَالَ: كَانَ أَبِي يَسْمُرُ مَعَ عَلِيٍّ، وَكَانَ عَلِيٌّ يَلْبَسُ ثِيَابَ الصَّيْفِ فِي الشِّتَاءِ وَثِيَابَ الشِّتَاءِ فِي الصَّيْفِ، فَقِيلَ لَهُ: لَوْ سَأَلْتَهُ. فَسَأَلَهُ، فَقَالَ «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ إِلَيَّ وَأَنَا أَرْمَدُ الْعَيْنِ يَوْمَ خَيْبَرَ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي أَرْمَدُ الْعَيْنِ. فَتَفَلَ فِي عَيْنِي وَقَالَ: " اللَّهُمَّ أَذْهِبْ عَنْهُ الْحَرَّ وَالْبَرْدَ» فَمَا وَجَدْتُ حَرًّا وَلَا بَرْدًا مُنْذُ يَوْمَئِذٍ، وَقَالَ: " «لَأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ رَجُلًا يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ لَيْسَ بِفَرَّارٍ» " فَتَشَرَّفَ لَهَا أَصْحَابُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَعْطَانِيهَا. تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَقَدْ رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ الْمِنْهَالِ، زَادَ بَعْضُهُمْ: وَالْحَكَمِ بْنِ عُتَيْبَةَ. وَرَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيٍّ بِهِ مُطَوَّلًا. وَقَالَ أَبُو يَعْلَى: حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، ثَنَا جَرِيرٌ عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ أُمِّ مُوسَى، قَالَتْ: سَمِعْتُ عَلِيًّا يَقُولُ: «مَا رَمِدْتُ وَلَا صُدِّعْتُ مُنْذُ مَسَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجْهِي وَتَفَلَ فِي عَيْنِي يَوْمَ خَيْبَرَ وَأَعْطَانِي الرَّايَةَ» .
পৃষ্ঠা - ৬২২৪
رِوَايَةُ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍّ فِي ذَلِكَ: ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِعَلِيٍّ «أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى غَيْرَ أَنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدِي؟» . قَالَ أَحْمَدُ وَمُسْلِمٌ وَالتِّرْمِذِيُّ: حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، ثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ مِسْمَارٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: أَمَرَ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ سَعْدًا، فَقَالَ: مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تَسُبَّ أَبَا تُرَابٍ؟ فَقَالَ: أَمَّا مَا ذَكَرْتُ ثَلَاثًا قَالَهُنَّ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَا، لَأَنْ تَكُونَ لِي وَاحِدَةٌ مِنْهُنَّ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ حُمْرِ النَّعَمِ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لِعَلِيٍّ - وَخَلَّفَهُ فِي بَعْضِ مَغَازِيهِ فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، تُخَلِّفُنِي مَعَ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - " أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى إِلَّا أَنَّهُ لَا نُبُوَّةَ بَعْدِي؟» وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ يَوْمَ خَيْبَرَ " «لَأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ رَجُلًا يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ ". قَالَ: فَتَطَاوَلْتُ لَهَا. قَالَ: " ادْعُوا لِي عَلِيًّا ". فَأُتِيَ بِهِ أَرْمَدَ، فَبَصَقَ فِي عَيْنَيْهِ، وَدَفَعَ الرَّايَةَ إِلَيْهِ، فَفَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ» ، «وَلَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ {فَقُلْ تَعَالَوْا نَدْعُ أَبْنَاءَنَا وَأَبْنَاءَكُمْ وَنِسَاءَنَا وَنِسَاءَكُمْ وَأَنْفُسَنَا وَأَنْفُسَكُمْ} [آل عمران: 61] . دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيًّا وَفَاطِمَةَ وَحَسَنًا وَحُسَيْنًا فَقَالَ: " اللَّهُمَّ هَؤُلَاءِ أَهْلِي» " ثُمَّ قَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَقَدْ رَوَاهُ أَحْمَدُ وَمُسْلِمٌ
পৃষ্ঠা - ৬২২৫


বন্ধ করতে বলেছি ৷ এ নিয়ে তোমাদের মধ্যে নানা রকম কথা চলছে ৷ তবে জেনে রাখ, আমি
নিজের সিদ্ধান্তে কারও পথ বন্ধ করিনি এবং কারও পথ খোলা রাখিনি ৷ বরং আমাকে এ
প্ ব্যাপারে আদেশ করা হয়েছে ৷ আর আমি যে আদেশ পালন করেছি ৷ আবুল আশহাব
বারা’ ইবন আযিব থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ইতিপুর্বে আহমদ ও নাসাঈর বর্ণিত আবু
আওয়ড়ানার সুত্রে ইবন আব্বাসের দীর্ঘ হাদীস উল্লেখ“ করা হয়েছে ৷ সেখানেও আলীর
দরজা ব্যতীত অন্যান্য দরজা বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ৷ ও না আবু বালজ থেকেও
অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
অনুরুপ আবু ইয়৷ লা সা দ ইবন আবু ওয়াক্কাস থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ ;র্দু:হুহৃ
মসজিদের সকল দরজা বন্ধ করে দেন এবং কেবল আলীর দরজা খোলা রাখেন ৷ এতে কিছু
লোক কানা-ঘুষ৷ করে ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ মোঃ বলে দেন যে, তার দরজা আ মি খোলা রাখিনি
বরং আল্লাহই খোলা রেখেছেন ৷ এ হাদীসের সাথে বুখারী শরীফে বর্ণিত সে হাদীসের কোন
বিরোধ নেই ৷ যেখানে বলা হয়েছে যে, মুমুর্বৃকালে রাসুলুল্লাহ্ হ পুমোঃ ,বলেছিন্লন, মসজিদে সরাসরি
প্রবেশের সকল পথ বন্ধ করে দাও, কেবল আবু বকর সিদ্দীকের পথ খোলা রাখ ৷ কেননা
আলীর ক্ষেত্রে তার পথ খোলা রাখার কথা বলেছিলেন তিনি জীবিত থাকাকালে ৷ কেননা
ফাতিমাকে তার ঘর থেকে পিতার ঘরে আসার প্রয়োজন ছিল ৷৩ তার প্রতি সদর হয়ে তিনি এ
রকম করেছিলেন ৷ কিন্তু তার ইনতিকালের পরে প্রয়োজন আর থাকেনি ৷ তখন আবু বকর
সিদ্দীকের জন্যে পথ খোলা রাখার প্রয়োজন হয় ৷ কেননা রাসুলুল্লাহ্ক্রে ধু এর পরে তিনি ছিলেন
মুসলমানদের খলীফ ৷ ৷ মসজিদে গিয়ে মানুষকে নিয়ে তাকে সালাতের ইমামতি করতে হতো ৷
রাসুলের এ উক্তির মধ্যে পরবভীকািলে আবুবকরের খিলাফতের প্রতি প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত রয়েছে ৷
তিরমিষী বলেন : আলী ইবন মুনযির আবু সাঈদ থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুভুম্’ড়াহ্মোঃআলী (রা)-কে বলেছিলেন, হে আলী ! মসজিদের মধ্যে আমি এবং তুমি ব্যতীত
অন্য কারও জন্যে জুনুবী হওয়া বৈধ নয় ৷ আলী ইবন মুনযির বলেন, আমি যিরার ইবন
সুরাদকে জিজ্ঞেস করলাম, এ হাদীসটির অর্থ কি ৷ যিরার বললেন, এর অর্থ হলো, আমি এবং
তুমি ব্যতীত জুনুবী অবস্থায় মসজিদের ভিতর দিয়ে যেতে পারবে না ৷ এরপর তিরমিষী বলেন,
এ হাদীস হাসান গরীব ৷ উল্লিখিত সনদ ব্যতীত অন্য কোন সুত্রে এ হাদীস আমাদের জানা
নেই ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসমাঈল অবশ্য এ হাদীস শুনেছেন ৷ ইবন আসাকির এ হাদীস কাহীরুন
নাওয়ার সুত্রে আতিয়্যার মাধ্যমে আবু সাঈদ থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ এরপর ইৰ্ন
আসাকির আবুনুঅইিমের সুত্রে উম্মে সালামা থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্
ক্রোরােগাক্রাম্ভ অবস্থায় ঘর থেকে বেরিয়ে মসজিদের শেষ প্রান্তে গিয়ে উচ্চকণ্ঠে ঘোষণা দেন
যে, কোন জুনুবী কিৎবা কোন হায়িজ৷ নারীর জন্যে মসজিদে অবস্থান করা অথবা মসজিদের
ভিতর দিয়ে যাতায়াত করা হড়ালাল নয় ৷ তবে কেবল মুহাম্মদ, তার শ্রীগণ, আলী ও ফাতিমা
বিনত মুহাম্মদের জন্যে হালাল আছে ৷ সাবধান ! আমি তোমাদের কাছে নাম প্রকাশ করে দিলাম
যাতে তোমরা বিভ্রান্ত না হও ৷ এ হাদীসের সনদ গরীব ৷ তা ছাড়া এর মধ্যে অন্য দুর্বলতাও
আছে ৷ এরপর ইবন আসাকির আবু রাফি’ বর্ণিত হাদীসও উল্লেখ করেছেন ৷ কিন্তু তার সনদেও
গারাবাত আছে ৷ ন্


وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ سَعْدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِعَلِيٍّ «أَنْتَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى» وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: وَيُسْتَغْرَبُ مِنْ رِوَايَةِ سَعِيدٍ عَنْ سَعْدٍ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ الزُّبَيْرِيُّ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ - يَعْنِي عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ - عَنْ سَعْدٍ قَالَ: لَمَّا خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى تَبُوكَ خَلَّفَ عَلِيًّا، فَقَالَ: أَتُخَلِّفُنِي؟ قَالَ «أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى غَيْرَ أَنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدِي؟» وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ. وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، سَمِعْتُ إِبْرَاهِيمَ بْنَ سَعْدٍ يُحَدِّثُ عَنْ سَعْدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ لَعَلِيٍّ: " «أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى؟» " أَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ بِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو سَعِيدٍ مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ، ثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ، حَدَّثَنَا الْجُعَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجُعْفِيُّ، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهَا، أَنَّ عَلِيًّا
পৃষ্ঠা - ৬২২৬
خَرَجَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى جَاءَ ثَنِيَّةَ الْوَدَاعِ، وَعَلِيٌّ يَبْكِي يَقُولُ: تُخَلِّفُنِي مَعَ الْخَوَالِفِ؟ فَقَالَ «أَوَ مَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى إِلَّا النُّبُوَّةَ؟» . وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ أَيْضًا، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ. وَقَالَ الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ الْعَبْدِيُّ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَازِمٍ أَبُو مُعَاوِيَةَ الضَّرِيرُ، عَنْ مُوسَى بْنُ مُسْلِمٍ الشَّيْبَانِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَابِطٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ قَالَ: قَدِمَ مُعَاوِيَةُ فِي بَعْضِ حِجَّاتِهِ، فَأَتَاهُ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ فَذَكَرُوا عَلِيًّا، فَقَالَ سَعْدُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَهُ ثَلَاثَ خِصَالٍ، لَأَنْ تَكُونَ لِي وَاحِدَةٌ مِنْهُنَّ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا، سَمِعْتُهُ يَقُولُ «مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فِعَلِيٌّ مَوْلَاهُ» . وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: «لَأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ غَدًا رَجُلًا يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ» وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: " «أَنْتَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى إِلَّا أَنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدِي» . إِسْنَادُهُ حَسَنٌ، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ. وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ الدِّمَشْقِيُّ: ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ الْوَهْبِيُّ أَبُو سَعِيدٍ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: لَمَّا حَجَّ مُعَاوِيَةُ أَخْذَ بِيَدِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ فَقَالَ: يَا أَبَا إِسْحَاقَ، إِنَّا قَوْمٌ قَدْ أَجْفَانَا هَذَا الْغَزْوُ عَنِ الْحَجِّ حَتَّى
পৃষ্ঠা - ৬২২৭


আর একটি হাদীস
হাকিম ও আরও কতিপয় গ্রন্থকার সাঈদ ইবন জুবইিরের সুত্রে ইবন আব্বাসের মাধ্যমে
বুরাইদা ইবন হুদইিব থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আলীর সাথে আমি ইয়ামান যুদ্ধে যাই ৷
সেখানে আমি তার থেকে একটা অসংগত কাজ দেখতে পাই ৷ রাসুলুল্লা মোঃএর কাছে এসে
আমি আলীর প্রসঙ্গ তুলে যে বিষয়টি উল্লেখ করি এবং তার ব্যাপারে নিন্দাসুচক কথা বলি ৷
এতে দেখলাম রাসুলুল্লাহ্জাে এর চেহারা পরিবর্তন হয়ে গেছে ৷ তিনি বললেন, হে বুরাইদা
আমি কি মু মিনগণের জন্যে তাদের নিজেদের অপেক্ষা অধিক কল্যাণকামী নই ৷ আমি বললাম,
হ্যা ইয়া রাসুলাল্লাহ্!৩ তিনি বললেন, আমি যার অভিভাবক আলীও তার অভিভাবক ৷
’ ইমাম আহমদ বলেন : ইবন নুমাইর বুরাইদা থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্
স্রইয়ামান অভিযানে দুটি দল প্রেরণ করেন ৷ এক দলের নেতৃত্বে ছিলেন আলী ইবন আবু
ন্নালিব এবং অন্য দলের অধিনায়ক ছিলেন খালিদ ইবন ওয়ালীদ ৷ যাত্রাকালে তিনি বলে দেন
য, দৃ’দল একত্রিত হলে উভয় দলের নেতা হবে আলী ৷ আর যখন দৃ’দল পৃথক হয়ে যাবে
তখন দৃ’জনের প্রত্যেকেই স্বস্ব বাহিনীর নেতৃত্ব দিবে ৷ রাবী বুরাইদা বলেন, ইয়ামানের বসু
ধায়িদার্ সাথে আমাদের মুকাবিলা হয় ৷ আমরা সম্মিলিততাবে যুদ্ধে অংশ্যাহণ করি ৷ যুদ্ধে
মুসলমানরা মুশরিকদের উপর বিজয় লাভ করে ৷ ফলে তাদের যুবক যােদ্ধাদের আমরা হত্যা
করি এবং শ্রী ও সন্তানদের বন্দী করি ৷ বন্দীদের মধ্য হতে এক মহিলাকে আলী নিজের জন্যে
রেখে দেন ৷
বুরাইদা বলেন : খালিদ ইবন ওয়ালীদ এ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে একটি পত্রসহ আমাকে
রাসুলুল্পাহ্ ;ণ্ণ্;ণ্শ্প্ষ্মোঃষ্,ষ্ এর নিকট প্রেরণ করেন ৷ আমি এসে রাসুলুল্লাহ্জােএর কাছে যথারীতি
পত্রটি পৌছে দিই ৷ পত্রটি তিনি একজনকে দিয়ে পড়িয়ে শুনেন ৷ আমি দেখলাম, রাসুলুল্লাহ্
—“ : : এর চেহারায় ক্রোধের চিহ্ন ফুটে উঠেছে ৷ আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ষ্ আমাকে ক্ষমা
করুন ৷ আপনি আমাকে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে পাঠিয়েছেন এবং তার আনুগত্য করতে নির্দেশ
দিয়েছেন ৷ সে হিসেবে তিনি আমাকে যে পত্র দিয়ে পাঠিয়েছেন আমি তা আপনার নিকট পৌছে
দিয়েছি মাত্র ৷ তখনরাসুলুল্লাহ্র্দুআঃ বললেন, আলীর সমালোচনা করো না ৷ কেননা, সে আমার
থেকে এবং আমি তার থেকে ৷ আমার পরে সে হবে তোমাদের অভিভাবক ৷ হাদীসের এ ভাষ্য
মুনকার ৷ এর এক রাবী আজলাহ একজন শীআ ৷ এ জাতীয় রাবীর বর্ণনা গ্রহণষেগ্যে নয়, যখন
সে একা বর্ণনাকারীহয় ৷ অবশ্য তার ন্যায় আরও একজন এটা বর্ণনা করেছেন ৷ কিন্তু যে
আত্তলােহ অপেক্ষা অধিক দুর্বল ৷
এ সম্পর্কে মাহফুজ বর্ণনা হলে; সেটি যা আহমদ বর্ণনা করেছেন ওয়ার্কী’ থেকে, তিনি
আ মাশ থেকে, তিনি যা দ ইবন উবাইদাহ্ থেকে, তিনি আবদুল্লাহ ইবন বুরাইদাহ থেকে,৩ তিনি
তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন ৷ বুরাইদাহ বলেন, রাসুলুল্লাহ্ হুশ্ণ্ণ্ৰ্,ৰু বলেছেন, আমি যার
অভিভাবক আলীও তার অভিভাবক ৷ হাসান ইবন আরফাহ্ এবং আহমদও আমাশ থেকে এ
বর্ণনা করেছেন ৷ নাসাঈ আবু কুরাইবের সুত্রে আবু ঘুআবিয়া থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
আহমাদ বলেন : রাওহু ইবন আলী ইবন সুওয়ায়িদ ইবন ঘুনজাওফ আবদুল্লাহ্ ইবন
বুরাইদাহ সুত্রে তার পিতা বৃরইিদাহ্ থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্আঃ আলী


كِدْنَا أَنْ نَنْسَى بَعْضَ سُنَنِهِ، فَطُفْ نَطُفْ بِطَوَافِكَ. قَالَ: فَلَمَّا فَرَغَ أَدْخَلَهُ دَارَ النَّدْوَةِ، فَأَجْلَسَهُ مَعَهُ عَلَى سَرِيرِهِ، ثُمَّ ذَكَرَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ فَوَقَعَ فِيهِ، فَقَالَ: أَدْخَلْتَنِي دَارَكَ، وَأَجْلَسْتَنِي عَلَى سَرِيرِكَ، ثُمَّ وَقَعْتَ فِي عَلِيٍّ تَشْتُمُهُ؟ ! وَاللَّهِ لَأَنْ يَكُونَ فِي إِحْدَى خِلَالِهِ الثَّلَاثِ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ يَكُونَ لِي مَا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ، وَلَأَنْ يَكُونَ لِي مَا قَالَ لَهُ حِينَ غَزَا تَبُوكَ " «أَلَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى إِلَّا أَنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدِي؟» . أَحَبُّ إِلَيَّ مِمَّا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ، وَلَأَنْ يَكُونَ لِي مَا قَالَ لَهُ يَوْمَ خَيْبَرَ " «لَأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ رَجُلًا يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ، يَفْتَحُ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ، لَيْسَ بِفَرَّارٍ» . أَحَبُّ إِلَيَّ مِمَّا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ، وَلَأَنْ أَكُونَ صِهْرَهُ عَلَى ابْنَتِهِ، وَلِي مِنْهَا مِنَ الْوَلَدِ مَا لَهُ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ يَكُونَ لِي مَا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ، لَا أَدْخُلُ عَلَيْكَ دَارًا بَعْدَ هَذَا الْيَوْمِ. ثُمَّ نَفَضَ رِدَاءَهُ ثُمَّ خَرَجَ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ قَالَ «خَلَّفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، تُخَلِّفُنِي فِي النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ؟ قَالَ: " أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى غَيْرَ أَنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدِي؟» . إِسْنَادُهُ عَلَى شَرْطِهِمَا، وَلَمْ يُخْرِجَاهُ. وَهَكَذَا رَوَاهُ أَبُو عَوَانَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ عَنِ الْحَكَمِ عَنْ مُصْعَبٍ، عَنْ أَبِيهِ. وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ مُصْعَبٍ، عَنْ أَبِيهِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهَا.
পৃষ্ঠা - ৬২২৮
قَالَ الْحَافِظُ بْنُ عَسَاكِرَ: وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَمَاعَةٌ مِنَ الصَّحَابَةِ ; مِنْهُمْ عُمَرُ، وَعَلِيٌّ، وَابْنُ عَبَّاسٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، وَمُعَاوِيَةُ، وَجَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَجَابِرُ بْنُ سَمُرَةَ، وَأَبُو سَعِيدٍ، وَالْبَرَاءُ بْنُ عَازِبٍ، وَزَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ، وَزَيْدُ بْنُ أَبِي أَوْفَى، وَنُبَيْطُ بْنُ شُرَيْطٍ، وَحُبْشِيُّ بْنُ جُنَادَةَ، وَمَالِكُ بْنُ الْحُوَيْرِثِ، وَأَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، وَأَبُو الْفِيلِ، وَأُمُّ سَلَمَةَ، وَأَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ، وَفَاطِمَةُ بِنْتُ حَمْزَةَ. وَقَدْ تَقَصَّى الْحَافِظُ بْنُ عَسَاكِرَ هَذِهِ الْأَحَادِيثِ فِي تَرْجَمَةِ عَلِيٍّ فِي " تَارِيخِهِ " فَأَجَادَ وَأَفَادَ، وَبَرَزَ عَلَى النُّظَرَاءِ وَالْأَشْبَاهِ وَالْأَنْدَادِ، رَحِمَهُ رَبُّ الْعِبَادِ يَوْمَ التَّنَادِ. رِوَايَةُ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِي ذَلِكَ: قَالَ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنِي سُهَيْلُ بْنُ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ عُمَرُ: لَقَدْ أُعْطِيَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ ثَلَاثَ خِصَالٍ، لَأَنْ تَكُونَ لِي خَصْلَةٌ مِنْهَا أَحَبُّ إِلَيَّ مَنْ حُمْرِ النَّعَمِ. قِيلَ: وَمَا هُنَّ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ قَالَ: تَزْوِيجُهُ فَاطِمَةَ بِنْتَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَسُكْنَاهُ الْمَسْجِدَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَا يَحِلُّ لِي فِيهِ مَا يَحِلُّ لَهُ، وَالرَّايَةُ يَوْمَ خَيْبَرَ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عُمَرَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ. رِوَايَةُ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَنْ وَكِيعٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ أَسِيدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: كُنَّا نَقُولُ فِي زَمَانِ رَسُولِ