আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة أربعين من الهجرة النبوية

صورة الوصية التي تركها علي بن أبي طالب رضي الله عنه

صورة الوصية التي تركها علي بن أبي طالب رضي الله عنه

صورة الوصية التي تركها علي بن أبي طالب رضي الله عنه

صورة الوصية التي تركها علي بن أبي طالب رضي الله عنه

صورة الوصية التي تركها علي بن أبي طالب رضي الله عنه

পৃষ্ঠা - ৬১৯২


ইবন মুলজিম যখন আঘাত করে তখন মুখে এই কথা উচ্চারণ করে :


অর্থাধ্ আল্লাহ ছাড়া কারও হুকুম করার অধিকার নেই ৷ হে আলী ! তোমারও নেই এবং
তে ৷মার অনুসারীদেরও নেই ৷ এ সময় সে নিম্নের আয়াতটি তিলাওয়াত করে ং

ব্লু ৷

৷ ;,ৰুট্রু

অর্থাধ্রু মানুষের মধ্যে এমন লােকও আছে, যে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভার্থে আত্ম-বিক্রয় করে
থাকে ৷ আল্লাহ তার বান্দাগণের প্রতি ৩অতান্ত দয়র্দ্র ৷ (সুরা বাকারা০ ং ২০ ৭)
আলী (রা) তখন আ৩ তায়ীকে ধরার জন্যে চিৎকার করে লোকজনকে আহ্বান করেন ৷
ওয়ারদান পালিয়ে যাবার সময় হাযরা-মাওতের এক লোক তাকে ধরে ফেলে ও হত্যা করে ৷
শাবীব পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় ৷ লোকে চেষ্টা করেও তাকে ধরতে পারেনি ৷ ইবন মুলজিম ধৃত
হয় ৷ সালাতে ইমামতি করার জন্যে আলী জা দাতা ইবন হুবাইর৷ ইবন আবু ওহাবকে নির্দেশ
দন ৷ তিনি ফজরের সালাতে ইমামতি করেন ৷ আলীকে তার গৃহে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ এরপর
আবদুর রহমান ইবন মুলজিমকে ঘাড়মোড়৷ অবস্থায়৩ তার সামনে হাযির করা হয় ৷ আলী (রা)
বললেন, হে আলু হ্রদুশমন! আমি কি তে ৷মার সাথে উত্তম ব্যবহার করবো না ৷ যে কারো
হ্যা ৷ আলী বললেন, তুমি এ কাজ কেন করলো সে বললো, আমি চল্লিশ দিন যাবত এ তরবাব্লি
ধার দিয়েছি এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছি যেন সৃষ্টি জগতে র সবচেয়ে নিকৃষ্ট লোক এ
তরবারির আঘাতে হত হয় ৷
আলী (রা) বললেন, আমি দেখছি এর দ্বারা তোমাকে হত্যা করা হবে এবং তৃমিই হবে সৃষ্টি
জগতের নিকৃষ্টতম লোক ৷ এরপর আলী সবাইকে লক্ষ্য করে বললেন, আমি যদি মারা যাই,
তবে কিসাস হিসেবে তাকে হত্যা করবে ৷ আর যদি বেচে যাই তা হলে আমিই সিদ্ধান্ত নিব
তার ব্যাপারে ৷ক করা যায় ৷ এ সময় জুনদুব ইবন আবদুল্লাহ আলী (রা)-কে জিজ্ঞেস করেন,
আপনার যদি মৃত্যু হয়ে যায়, তা হলে আমরা কি হাসানের নিকট বায়আত গ্রহণ করবো? তিনি
বললেন : আমি তোমাদেরকে আদেশও করছি না, নিষেধও করছি না ৷ এ ব্যাপারে কি করবে
তোমরাই ভাল জান ৷ সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে আলীর মৃত্যুর সময় ঘনািয় এলো ৷
তিনি বারবার কালেমায়ে তাওহীদ পড়তে থাকেন এ ৷ ৰু৷ ৷ ন্থএ ৷ ৰু৷ আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন ইলাহ
নেই ৷ এ কালেম৷ ব্যতীত অন্য কোন কথা তিনি মুর্থেউঙ্গর্চারণ করেননি ৷ তবে কেউ কেউ
বলেন, সর্বশেষে ত ৷র মুখে নিম্নের আয়াতটি উচ্চারিত হয় :

( ব্লু ! — শ্ ব্লু শ্ শ্ ব্লু ৷

অর্থাৎ কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে যে তা দেখবে এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম
করলে সে তাও দেখবে ৷ (সুরা যিলযাল : ৭ ৮) ৷

এরপর তিনি তার ইে ছেলে হাসান ও হুসাইনকে ডেকে উপদেশ দেন : সকল ব্যাপারে
আল্লাহ্কে ভয় করে চলবে, সালাত কায়েম করবে ৷ যাকাত আদায় করবে, ক্রোধ নিবারণ
করবে, সেলায়ে ব্লেহেমী রক্ষা করবে, মুর্থদের ব্যাপারে ধৈর্যধারণ করবে, দীনের গভীর জ্ঞান


وَكَظْمِ الْغَيْظِ، وَصِلَةِ الرَّحِمِ، وَالْحِلْمِ عَنِ الْجَاهِلِ، وَالتَّفَقُّهِ فِي الدِّينِ، وَالتَّثَبُّتِ فِي الْأَمْرِ، وَالتَّعَاهُدِ لِلْقُرْآنِ، وَحُسْنِ الْجِوَارِ، وَالْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ، وَالنَّهْيِ عَنِ الْمُنْكَرِ، وَاجْتِنَابِ الْفَوَاحِشِ، وَوَصَّاهُمَا بِأَخِيهِمَا مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ، وَوَصَّاهُ بِمَا وَصَّاهُمَا بِهِ، وَأَنْ يُعَظِّمَهُمَا وَلَا يَقْطَعَ أَمْرًا دُونَهُمَا، وَكَتَبَ ذَلِكَ كُلَّهُ فِي كِتَابِ وَصِيَّتِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ. [صُورَةُ الْوَصِيَّةِ الَّتِي تَرَكَهَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ] وَصُورَةُ الْوَصِيَّةِ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، هَذَا مَا أَوْصَى بِهِ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ ; أَنَّهُ يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، أَرْسَلَهُ بِالْهُدَى وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُونَ، ثُمَّ إِنَّ صِلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ، لَا شَرِيكَ لَهُ، وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ، أُوصِيكَ يَا حَسَنُ وَجَمِيعَ وَلَدِي وَأَهْلِي وَمَنْ بَلَغَهُ كِتَابِي بِتَقْوَى اللَّهِ رَبِّكُمْ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ، وَاعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللَّهِ جَمِيعًا وَلَا تَفَرَّقُوا، فَإِنِّي سَمِعْتُ أَبَا الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ «إِنَّ صَلَاحَ ذَاتِ الْبَيْنِ أَفْضَلُ مِنْ عَامَّةِ الصَّلَاةِ وَالصِّيَامِ ".» انْظُرُوا إِلَى ذَوِي أَرْحَامِكُمْ فَصِلُوهُمْ يُهَوِّنِ اللَّهُ عَلَيْكُمُ الْحِسَابَ، اللَّهَ اللَّهَ فِي الْأَيْتَامِ ; فَلَا تُعْفُوا أَفَوَاهَهُمْ وَلَا يُضَيَّعُنَّ بِحَضْرَتِكُمْ، وَاللَّهَ اللَّهَ فِي جِيرَانِكُمْ ; فَإِنَّهُمْ وَصِيَّةُ نَبِيِّكُمْ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مَا زَالَ يُوصِي بِهِمْ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُورَثِّهُمْ، وَاللَّهَ اللَّهَ فِي الْقُرْآنِ ; فَلَا يَسْبِقَنَّكُمْ إِلَى الْعَمَلِ بِهِ غَيْرُكُمْ، وَاللَّهَ اللَّهَ فِي الصَّلَاةِ ; فَإِنَّهَا عَمُودُ دِينِكُمْ، وَاللَّهَ اللَّهَ فِي بَيْتِ رَبِّكُمْ، فَلَا يَخْلُوَنَّ
পৃষ্ঠা - ৬১৯৩


অত্যাচার না হয় ৷ তোমাদের নবীর সাহাবীগণের ব্যাপারে আল্লাহ্কে ”ভয় কর ৷ কেননা
রাসুলুল্লাহ্স্লোতাদের সম্পর্কে সৎযত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন ৷

ফকীর ও মিসকীনদের ব্যাপারে আল্পাহ্কে ভয় কর ৷ তাদেরকে তোমাদের সমাজের
অন্তর্ভুক্ত করে রেখো ৷ তোমাদের অধীনস্থ দাস-দাসীদের ব্যাপারে আল্লাহ্কে ভয় কর ৷ কেননা,
তার জীবনের সর্বশেষ উপদেশ দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন : আমি দুই শ্রেণীর দুর্বলদের
ব্যাপারে সদর হতে তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছি ৷ তারা হলো, নারী ও দাস-দাসী ৷ সলােত,
সালাত, আল্লাহর ব্যাপারে কোন নিন্দুকের নিন্দার পরোয়া করো না, এ মনোভাব তোমাদেরকে
তাদের ক্ষতি থেকে রক্ষা করবে যারাৰুতামাদের আক্রমণ করতে চায় কিৎবা যারা তোমাদের
উপর বিদ্রোহ করতে চায় ৷ মানুষের সাথে সদালাপ কর ৷ মহান আল্লাহ্ তোমাদেরকে সে
আদেশই করেছেন ৷ সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ করা ত্যাগ করো না ৷ যদি এ
নীতি অবলম্বন কর, তা হলে নিকৃষ্ট লোকদের হাতে নেতৃত্ব চলে যাবে ৷ তখন তোমরা দৃআ
করবে, কিন্তু সে দৃআ কবুল হবে না ৷ পারস্পরিক সম্পর্ক রক্ষড়া করবে এবং একে অপরের জন্যে
অর্থ-সম্পদ ব্যয় করবে ৷ কারও দোষ-ত্রুটি অন্বেষণ করা, সম্পর্ক ছিন্ন করা ও অনৈক্য সৃষ্টি করা
থেকে সাবধান থাকবে ৷ ভাল কাজে ও তাক্ওয়ামুলক কাজে একে অপরের সহযোগিতা কর ;
পাপ কাজে ও সীমালংঘনমুলক কাজে কারও সহযোগিতা করে৷ না ৷ আল্লাহ্কে সদা-সর্বদা ভয়
করিও ৷ তিনি কঠিন শাস্তি দানকারী ৷

আহলে বাইতের কোন ক্ষতি করা থেকে আল্লাহ তোমাদেরকে রক্ষা করুন ৷ তোমাদের নবী
করীমইদ্বুন্,,ষ্দ্বু তোমাদের উপর হিফাট্রু’ষ্াক্কতর দায়িত্ব অর্পণ করে গেছেন ৷ আমি তােমাদেরকে মহান
আল্লাহ্র দায়িত্বে রেখে যাচ্ছি ৷ আসৃসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমড়াতৃল্লাহ্ ৷ এরপর তিনি সকল
কথা বন্ধ করে কেবল এ৷ ৷ ৰু৷ ৷ টুএ ৷ কালেমা পড়তে থাকেন ৷ এক পর্যায়ে তার নির্ধারিত
নিঃশ্বাস শেষ হয়ে যায় ৷ সার্থেসারুন্থ পার্থিব জীবনের চির অবসান ঘটে ৷ তার ইন্তিকালে
তারিখ চল্লিশ হিজরী সনের রমযান মাস ৷
ইন্তিকালের পর আলী (রা)-কে তার দুই ছেলে হাসান ও হুসাইন এবংআবদুল্লাহ ইবন
জাফর গোসল করার ৷ হাসান জানাযা নামাযের ইমামতি করেন, তিনি নয় তাকৰীরে জানাযার
সালাত আদায় করেন ৷ ১ ইমাম আহমাদ বলেন : আবু আহমাদ যুবাইরী ন্বু ইয়াহ্ইয়া
থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, ইবন মুলজিম যখন আলীকে আঘাত করে ৷ তখন তিনি তাদেরকে
বলেন, তোমরা তার সাথে সেরুপ আচরণ কর, যেমন রাসুলুল্লাহ্ধৃৰুমোঃ যে ব্যক্তিকে হত্যা করতে
চাইতেন তখন বলতেন ওকে হত্যা কর, তারপরে পুড়িয়ে দাও ৷ বর্ণিত আছে যে, ইবন
মুলজি মকে যখন আলীর সামনে দীড় বহ্বান হয় তখন আলী তনয়া উম্মে কুলসুম তাকে লক্ষ্য
করে বলেন, ধিক তোমাকে ! কেন তুমি আমীরুল মুৰ্টমিনীনকে মারতে গেলো সে বললাে, আমি
তো তোমার পিতাকে যেরেছি ৷ উম্মে কুলসুম বললাে, এতে তার কোন ক্ষতি হবে না ৷ ইবন
মুলজিম বললাে, তা হলে তোমরা র্কাদছো কেন ? আল্লাহ্র কসম! আমি তার উপর এমন জোরে
তলোয়ার যেরেছি, যদি তা গোটা শহরবাসীর উপর মারতাম তা হলে সকলের মৃত্যুর জন্যে



১ ইবন সাদ্৩ ৩৮ : চার তাকবীর এবং মুরুজুষ্ যাহাব ২ : ৬১ : সাত তাকবীর ৷


مِنْكُمْ مَا بَقِيتُمْ ; فَإِنَّهُ إِنْ تُرِكَ لَمْ تُنَاظَرُوا، وَاللَّهَ اللَّهَ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ ; فَإِنَّ صِيَامَهُ جُنَّةٌ مِنَ النَّارِ، وَاللَّهَ اللَّهَ فِي الْجِهَادِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ بِأَمْوَالِكُمْ وَأَنْفُسِكُمْ، وَاللَّهَ اللَّهَ فِي الزَّكَاةِ ; فَإِنَّهَا تُطْفِئُ غَضَبَ الرَّبِّ، وَاللَّهَ اللَّهَ فِي ذِمَّةِ نَبِيِّكُمْ ; لَا تُظْلَمَنَّ بَيْنَ ظَهْرَانَيْكُمْ، وَاللَّهَ اللَّهَ فِي أَصْحَابِ نَبِيِّكُمْ ; فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْصَى بِهِمْ، وَاللَّهَ اللَّهَ فِي الْفُقَرَاءِ وَالْمَسَاكِينِ فَأَشْرِكُوهُمْ فِي مَعَاشِكُمْ، وَاللَّهَ اللَّهَ فِيمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ، فَإِنَّ آخِرَ مَا تَكَلَّمَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ قَالَ: «أُوصِيكُمْ بِالضَّعِيفَيْنِ ; نِسَائِكُمْ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ ".» الصَّلَاةَ الصَّلَاةَ، لَا تَخَافُنَّ فِي اللَّهِ لَوْمَةَ لَائِمٍ يَكْفِكُمْ مَنْ أَرَادَكُمْ وَبَغَى عَلَيْكُمْ، وَقُولُوا لِلنَّاسِ حُسْنًا كَمَا أَمَرَكُمُ اللَّهُ، وَلَا تَتْرُكُوا الْأَمْرَ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيَ عَنِ الْمُنْكَرِ، فَيُوَلَّى الْأَمْرَ شِرَارُكُمْ ثُمَّ تَدْعُونَ فَلَا يُسْتَجَابُ لَكُمْ، وَعَلَيْكُمْ بِالتَّوَاصُلِ وَالتَّبَاذُلِ، وَإِيَّاكُمْ وَالتَّدَابُرَ وَالتَّقَاطُعَ وَالتَّفَرُّقَ، وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ، وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ حَفِظَكُمُ اللَّهُ مِنْ أَهْلِ بَيْتٍ، وَحَفِظَ فِيكُمْ نَبِيَّكُمْ، أَسْتَوْدِعُكُمُ اللَّهَ، وَأَقْرَأُ عَلَيْكُمُ السَّلَامَ وَرَحْمَةَ اللَّهِ. ثُمَّ لَمْ يَنْطِقْ إِلَّا بِلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، حَتَّى قُبِضَ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ. وَقَدْ غَسَّلَهُ ابْنَاهُ الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، وَصَلَّى عَلَيْهِ الْحَسَنُ، فَكَبَّرَ عَلَيْهِ تِسْعَ تَكْبِيرَاتٍ. قَالَ الْهَيْثَمُ بْنُ عَدِيٍّ حَدَّثَنِي رَجُلٌ مَنْ بَجِيلَةَ، عَنْ مَشْيَخَةِ قَوْمِهِ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ مُلْجَمٍ رَأَى امْرَأَةً مِنْ تَيْمِ الرَّبَابِ يَقُولُ لَهَا: قَطَامِ. كَانَتْ مِنْ أَجْمَلِ النِّسَاءِ، تَرَى رَأْيَ الْخَوَارِجِ، قَدْ قَتَلَ عَلِيٌّ قَوْمَهَا عَلَى هَذَا
পৃষ্ঠা - ৬১৯৪


যথেষ্ট হতো ৷ আল্লাহর কসম ৷ আমি এক মাস যাবত এ তরবারি শান দিয়েছি ৷ এক হাজার
দিরহাম দিয়ে এটা খরিদ করেছি এবং এক হাজার দিরহাম খরচ করে বিষ মিশিয়ে শান
দিয়েছি »
হাইছাম ইবন আদী বলেনং বুজাইলা গোত্রের জনৈক ব্যক্তি তার কওমের প্রবীচ্াদের থেকে
আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, আবদুর রহমান ইবন ঘুলজিম তামামে রাবাবের এক
মহিলাকে দেখতে পায় ৷ নাম তার কাতাম ৷ মহিলাটি ছিল অত্যন্ত সুন্দবী ৷ সে থারিজীদের
মতবাদ সম্পর্কে অবগত হয় ৷ এই মতবাদ পোষণ করার কারণেই আলা (বা) তার ক ওমেব
লোকদের হত্যা করেছে ৷ ইবন মুলজিম তাকে দেখেই তার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে এবং তাকে
বিয়ে করার প্রস্তাব দেয় ৷ মহিলা বললো, তোমাকে বিবাহ করতে পারি যদি তুমি আমাকে তিন
হাজার দিরহাম, একজন গোলাম ও একজন দ সী দিতে পার ৷ ইবন মুল্য জম সব শর্ত মেনে
নিয়ে তাকে বিবাহ করে ৷ এরপর তার সাথে বাসর যাপন হলে মহিলা বললাে এই মিঞাট্রুবি ৩ান
আমাকে রঞ্জিত করেছে৷ এখন অন্যকে রঞ্জিত কর ৷ তখন ইবন মুলজিম অত্রে সজ্জিত
বেরিয়ে পড়ে ৷ মহিলাও তার সাথে বেরিয়ে যায় ৷ সে ইবন মুলজ্যিমর জন্যে মসজিদেরহ মধ্যে
একটি গম্বুজ তৈরি করে ৷ আলী আসৃ-সালাত আসৃ-সালাত বলতে বলতে ঘর থেকে বেরিয়ে
মসজিদের দিকে আসেন ৷ আবদুর রহমান তার পেছনে পেছনে চলে ৷ এক পর্যায়ে তলোয়ার
দ্বারা তার মাথার তালুতে সাজারে আঘাত করে ৷ ইবন জ বীর বান্ ,এ বিষয়ে ইবন আবু
মাইয়াস আল মুরাদী কবিতায় বলেন :
ট্রুন্ ; গ্লুৰ্টএ্১’ ৷ ছু;১াদ্বু
ণ্ঞ
অর্থ : কাতামের বিবাহে সে চড়৷ মুল্যের মহর হীকানাে হয়েছে, আরব-আজমের আর কোন
উপায় বদান্য ব্যক্তি এ রকম করেছে কিনা দেখিনি তা হলো৩ তিন হাজার দিরহাম, একজন
গোলাম, একজন দাসী ও ত্তীক্ষ্ণ তরবারি দ্বারা আলীকে হত্যা করা ৷
কাজেই, ;ন্য মহর মুল্যবান হলে আলীর মহর সবচেয়ে বেশি মুংাবােন এবং অনব্রানা
হত্যা হত্যার মধ্যে গণ্য হলেও সবই ইবন ঘুলজিমের হত্যার চেয়ে নিম্নমানের ৷
এ কবিতাগুলাে ইবন জাবীর ইবন শাসের বলে দাবি করেন ৷ ইবন শসের নিম্নের কবিতা ও
ইবন জাবীর উল্লেখ করেছেন :
৷ স্ফো
৷ ,ষ্ন্ষ্ ন্;প্রু
৷ ,ট্রুচুগ্লু
অর্থ৪ হে আবু হাসান ইমাম হায়দার! তোমার সাথে কোন কল্যাণ নেই ৷ কেননা আমরা
তোমাকে আঘাত করে রক্ত করিয়ে দিয়েছি ৷
আমরা তলোয়ার চালিয়ে তার শাসন থেকে দেশ কে মুক্ত কয়ে ছি ৷ কেননা তিনি দান্তিক ও
অত্যাচ৷ ৷রী হয়ে উঠেছিলেন ৷


الرَّأْيِ، فَلَمَّا أَبْصَرَهَا عَشِقَهَا فَخَطَبَهَا، فَقَالَتْ: لَا أَتَزَوَّجُكَ إِلَّا عَلَى ثَلَاثَةِ آلَافٍ وَعَبْدٍ وَقَيْنَةٍ وَقَتْلِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ فَتَزَوَّجَهَا عَلَى ذَلِكَ، فَلَمَّا بَنَى بِهَا قَالَتْ لَهُ: يَا هَذَا، قَدْ فَرَغْتُ مِنْ حَاجَتِكَ، فَافْرُغْ مِنْ حَاجَتِي. فَخَرَجَ مُلْبَسًا سِلَاحُهُ، وَخَرَجَتْ فَضَرَبَتْ لَهُ قُبَّةً فِي الْمَسْجِدِ، وَخَرَجَ عَلِيٌّ يَقُولُ: الصَّلَاةَ الصَّلَاةَ. فَأَتْبَعَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ، فَضَرَبَهُ بِالسَّيْفِ عَلَى قَرْنِ رَأْسِهِ، فَقَالَ الشَّاعِرُ - قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: هُوَ ابْنُ مَيَّاسٍ الْمُرَادِيُّ -: وَلَمْ أَرَ مَهْرًا سَاقَهُ ذُو سَمَاحَةٍ ... كَمَهْرِ قَطَامٍ بَيِّنًا غَيْرَ مُعْجَمِ ثَلَاثَةُ آلَافٍ وَعَبْدٌ وَقَيْنَةٌ ... وَقَتْلُ عَلِيٍّ بِالْحُسَامِ الْمُصَمَّمِ فَلَا مَهْرَ أَغْلَى مِنْ عَلِيٍّ وَإِنْ غَلَا ... وَلَا قَتْلَ إِلَّا دُونَ قَتْلِ ابْنِ مُلْجَمِ وَلِابْنِ مَيَّاسٍ فِي قَتْلِهِمْ عَلِيًّا: وَنَحْنُ ضَرَبْنَا يَا لَكَ الْخَيْرُ حَيْدَرًا ... أَبَا حَسَنٍ مَأْمُومَةً فَتَفَطَّرَا وَنَحْنُ خَلَعْنَا مُلْكَهُ مِنْ نِظَامِهِ ... بِضَرْبَةِ سَيْفٍ إِذْ عَلَا وَتَجَبَّرَا
পৃষ্ঠা - ৬১৯৫


ঘটনাক্রাম ঐ সময় আমরের ভীষণ পেটে ব্যথা হওয়ায় তিনি মসজিদে আসতে পারেন নি ৷ তার
স্থলাভিষিক্ত করে খারিজা ইবন আবু হাবিবাকে পাঠিয়ে দেন ৷ খারিজা ছিলেন বনু আমির ইবন
লুওয়ইি এর লোক এবং আমর ইবন আসের অন্যতম পুলিশ অফিসার ৷ খারিজী তাকে আমর
ইবন আস মনে করে একই আঘাতে হত্যা চুড়ান্ত করে ফেলে ৷ লোকজন খারিজীকে ধরে
ফেলে ৷ প্রকৃত অবস্থা জানার পর সে বললাে, আমি£ ত৷ চেয়েছিলাম আমরকে মারতে, কিন্তু
আল্লাহ্ মারতে চেয়েছেন খারিজিয়্যাকে ৷ এরপর হত্যাকারীকে নাক-কান কেটে বধ করা হয় ৷

কারও বর্ণনা মতে ,উপরোক্ত মন্তব্যটি আমর ইবন আসের ৷ খ৷ রিজীকে ধরে তার কাছে হাজিং
করা হলে, তিনি জিজ্ঞেস করেন, এর কি হয়েছে ? লোকজন বললাে, যে আপনার স্থলা৩ ৷তিষিক্ত
খারিজিয়্যাকে হত্যা করেছে ৷ তখন আমরের নির্দেশে তার শিরচ্ছেদ করা হয় ৷

যা হোক আলীর মৃত্যুর পর তীর ছেলে হাসান নয় তাকবীরে তার সালাতে জানায৷ আদায়
করেন ৷ এরপর কুফার ৷ ররাজপ্রা সাদে তাকে দাফন করা হয় ৷ কেননা আশংকা ছিল, বাইরে দাফন
করা হলে খাবিজীরা কবর খুড়ে ত ৷ব লাশ নিয়ে যেতে ৷ ৷ আলীর দাফন সংক্রান্ত এটাই প্রসিদ্ধ
কথা ৷ কেউ কেউ বলেছেন, আণ্া৷র মরদেহ কাফন পরিয়ে তার বাহনের উপর রেখে দেওয়া
হয় ৷ বাহন তাকে নিয়ে উধাও হয়ে যায় ৷ কেউ আর জানতে পারেনি বাহন কোথায় তাকে
নিয়ে গেছে ৷ এ মতটি সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন ও অলীক, অজ্ঞতাপ্ৰসুত, বিবেকও শরী আত পরিপন্থী ৷
আলীর ভক্ত অধিকাং শ রাফিষীর বিশ্বাস যে, নড়াজাফের মাশহ নামক স্থানে আলীর কবর
অবস্থিত ৷ কিন্তু তাদের এ ৷বশ্বাসের কোন প্রমাণ বা ভিত্তি নেই ৷ বরং বলা হয়ে যাকে যে,
রাফিযীরা যেটাকে আলার কবর মনে করে প্রকৃতপক্ষে সেটা মুগীরা ইবন শু বার কবর ৷ যেমন
খতীবে বাগদাদী হাফিজ আবু নুআইমের সুত্রে, আবু বকর তালিহী, মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ
হাজরামী হাফিজ এর মধ্যে ম মাতার থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, শীআ সম্প্রদায় নাজাফে যে
কববটিকে আলীর কবর বলে শ্রদ্ধা করে, তারা যদি জ ৷নতে৷ যে, প্রকৃতপক্ষে এটা কার কবর,
তা হলে এর উপর তারা পাথর নিক্ষেপ করতে ৷ ৷ আসলে এটা মুগীরা ইবন ও বার কবর ৷

ওয়াকিদী বলেন : আবু বকর ইবন আবদৃল্লাহ্ ইবন আবু সুবরাত৷ সুত্রে ইসহাক ইবন
আবদুল্লাহ ইবন আবু ফারওর৷ থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি আবু জাফর মুহাম্মদ ইবন
আলী বাকিরকে জিজ্ঞেস করলাম যে, আলী যখন শহীদ হন, তখন তার বয়স কত হয়েছিলা
তিনি বললেন, তেষট্টি বছর ৷ আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, তাকে কোথায় দাফন করা হয়েছেঃ
তিনি জানালেন তাকে রাত্রিবেল৷ কুফায় দাফন করা হয় ৷ তবে দাফনের স্থানটি গোপন রাখা
হয় ৷ জাফর সাদিক হতে এক বর্ণনা মতে মৃতুক্যেলে আলীর বয়স ছিল অটিান্ন বছর ৷ ওয়ার্কিদী
বলেছেন, কুফায় জামে মসজিদের সম্মুখে আলীকে দাফন করা হয় ৷ কিন্তু, প্রসিদ্ধ মতে
রাজপ্রাসাদেই দাফন করা হয় ৷

খতীবে বাগদাদী আবু নুআইম ফযল ইবন দৃকাইন থেকে বর্ণনা করেনং হাসান ওহুস সাইন
আলীর নাশ কুফ৷ থেকে স্থান৷ তর করে পবিত্র মদীনায় নিয়ে যায় এবং বাকী“ নামক গোরস্তানে
ফাতিমা ৷র কবরের পাশে দাফন করে ৷ ণ্কান কেন বর্ণনায় এসেছে যে, পবিত্র মদীনায় নেওয়ার
জন্যে লাশ উটের পিঠে উঠাবার পর উটঢি পথ হারিয়ে গায়ের হয়ে যায় ৷ তার গোত্রের মধ্য
দিয়ে যাওয়ার সময় তারা উটের পিঠে মাল আছে মনে করে উটটি আটক করে ৷ কিত্তু তারা

৭৪


وَنَحْنُ كِرَامٌ فِي الْهَيَاجِ أَعِزَّةٌ إِذَا الْمَوْتُ بِالْمَوْتِ ارْتَدَى وَتَأَزَّرَا وَقَدِ امْتَدَحَ ابْنَ مُلْجَمٍ بَعْضُ الْخَوَارِجِ الْمُتَأَخِّرِينَ فِي زَمَنِ التَّابِعِينَ، وَهُوَ عِمْرَانُ بْنُ حِطَّانَ - وَكَانَ أَحَدَ الْعُبَّادِ مِمَّنْ يَرْوِي عَنْ عَائِشَةَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " - فَقَالَ فِيهِ: يَا ضَرْبَةً مِنْ تَقِيٍّ مَا أَرَادَ بِهَا ... إِلَّا لِيَبْلُغَ مِنْ ذِي الْعَرْشِ رِضْوَانًا إِنِّي لَأَذْكُرُهُ يَوْمًا فَأَحْسَبُهُ ... أَوْفَى الْبَرِيَّةِ عِنْدَ اللَّهِ مِيزَانًا وَأَمَّا صَاحِبُ مُعَاوِيَةَ - وَهُوَ الْبُرَكُ - فَإِنَّهُ حَمَلَ عَلَيْهِ وَهُوَ خَارِجٌ إِلَى صَلَاةِ الْفَجْرِ فِي هَذَا الْيَوْمِ، فَضَرَبَهُ بِالسَّيْفِ، وَقِيلَ: بِخِنْجَرٍ مَسْمُومٍ. فَجَاءَتِ الضَّرْبَةُ فِي وَرْكِهِ فَجَرَحَتْ أَلْيَتُهُ، وَمُسِكَ الْخَارِجِيُّ فَقُتِلَ، وَقَدْ قَالَ لِمُعَاوِيَةَ: اتْرُكْنِي فَإِنِّي أُبَشِّرُكَ بِبِشَارَةٍ. فَقَالَ: وَمَا هِيَ؟ فَقَالَ: إِنَّ أَخِي قَدْ قَتَلَ فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ قَالَ: فَلَعَلَّهُ لَمْ يَقْدِرْ عَلَيْهِ. قَالَ: بَلَى، إِنَّهُ لَا حَرَسَ مَعَهُ. فَأَمَرَ بِهِ فَقُتِلَ، وَجَاءَ الطَّبِيبُ إِلَى مُعَاوِيَةَ فَقَالَ: إِنَّ جُرْحَكَ مَسْمُومٌ ; فَإِمَّا أَنْ أَكْوِيَكَ وَإِمَّا أَنْ أَسْقِيَكَ شَرْبَةً فَيَذْهَبُ السُّمُّ، وَلَكِنْ يَنْقَطِعُ نَسْلُكَ. فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: أَمَّا النَّارُ فَلَا طَاقَةَ لِي بِهَا، وَأَمَّا النَّسْلُ فَفِي يَزِيدَ وَعَبْدِ اللَّهِ مَا تَقَرُّ بِهِ عَيْنِي. فَسَقَاهُ شَرْبَةً، فَبَرِأَ مِنْ أَلَمِهِ وَجِرَاحِهِ، وَانْقَطَعَ النَّسْلُ وَسَلِمَ مِنْ ذَلِكَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَمِنْ حِينَئِذٍ عُمِلَتِ الْمَقْصُورَةُ فِي الْمَسْجِدِ الْجَامِعِ، وَجُعِلَ الْحَرَسُ حَوْلَهَا فِي حَالِ السُّجُودِ، فَكَانَ أَوَّلَ مَنِ اتَّخَذَهَا مُعَاوِيَةُ ; لِهَذِهِ الْحَادِثَةِ.
পৃষ্ঠা - ৬১৯৬


দেখলাে উটের পিঠে রক্ষিত সিন্দুকের মধ্যে একজন অজ্ঞাত মানুষের লাশ ৷ তখন তারা লাশসহ
সিন্দুক মাটির নিচে পুতে রাখে ৷ ফলে কেউ জানতে পারলো না যে, তার কবর কোথায় ৷ এ
ঘটনাও খতীব বর্ণনা করেছেন ৷ হাফিজ ইবন আসাকির হাসান থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, আমি আলীর লাশ জাদাহ্ পরিবারের কোন এক ঘরের একটি কক্ষে দাফন করেছি ৷
আবদুল মালিক ইবন উমাইর থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, খালিদ ইবন আবদুল্লাহ যখন
তার ছেলে ইয়াযীদের ঘরের ভিত্তি খনন করান তখন খননকারীরা মাটির নিচ থেকে একটি লাশ
ংতৃলেআনে ৷ লাশটির মাথার চুল ও দাড়ি ধবধবে সাদা ও তরতাজা ৷ মনে হয় যেন গতকালই
দাফন করা হয়েছে ৷ খালিদ লাশটিকে পুড়িয়ে ফেলার উদ্যোগ নেন ৷ কিন্তু শীঘ্রই আল্লাহ তার
মনের পরিবর্তন করে দেন ৷ ফলে তিনি কিবাতের তৈরি কাপড় এনে তাতে জড়িয়ে ও খােশবু
লাগিয়ে পুনরায় যে স্থানে দাফন করে রাখেন ৷ বংনািকারীগণ বলেন, ঐ স্থানটি মসজিদের
সম্মুখে সবুজ দরজা বরাবর এক মুচির বাড়িতে অবস্থিত ৷ ঐ স্থানে কোন লোক গিয়ে স্থির
থাকতে পারে না ৷ অস্থিরতার চাপে ফিরে আসতে হয় ৷ জাফর ইবন মুহাম্মদ সাদিক থেকে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আলীর সালাতে জানাযা রাতে পড়া হয় এবং কুফায় দাফন করা হয় ৷
তীর কবরের স্থানটি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে ৷ তবে রাজষ্প্রাসাদের নিকটেই অবস্থিত ৷ ইবন কালবী
বলেন : আলী (রা)-কে দাফন করার সময় হাসান, হুসাইন, ইবন হানাফিয়াহ, আবদুল্লাহ ইবন
জাফর ও আহলে বাইতের সদস্যবর্গ উপ ত ছিলেন ৷ তারা কুফায় উচ্চ ভুমিতে তাকে দাফন
করেন ৷ তবে কবরের কোন চিহ্ন তারা রাখেন নি ৷ খারিজীসহ অন্যান্য শত্রুর অনিষ্টের আশংকা
থেকে রক্ষা করতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয় ৷ ’
মোটকথা, আলী (রা) হিজরী চল্লিশ সনের সতেরই রমযান জুমুআর দিন ফজরের সময়
শহীদ হন ৷ কেউ বলেছেন, তিনি রবিউল আওয়াল মাংস শহীদ হয়েছেন ৷ কিদ্ভু প্রথম মতই
সঠিক ও প্রসিদ্ধ ৷ কুফায় র্তাকে দাফন করা হয় ৷ তখন তার বয়স হয়েছিল তেষট্টি বছর ৷
ওয়াকিদী, ইবন জারীর ও অন্য ঐতিহাসিকগণ একেই সঠিক বলে অভিহিত করেছেন ৷ কারও
মতে তীর বয়স হয়েছিল পয়ষট্টি বছর এবং কারও মতে আটষট্টি বছর ৷ তার থিলাফতকাল ছিল
মাত্র চার বছর নয় মাস ৷ যখন আলী (রা)-এর শাহাদত লাভ হয়, তখন হাসান (রা) ইবন
মুলজিমকে সামনে আনার আদেশ দেন ৷ তাকে সামনে আনা হলে সে হাসানকে বললো, আমি
আপনার কাছে একটি আবেদন করতে চাই ৷ হাসান বললেন, কি আবেদন, বল ? ইবন মুলজিম
বললাে , আমি হাতিমে কাবায় বসে আল্লাহর নিকট অঙ্গীকার করেছিলাম যে, হয় আমি আলী ও
মুআবিয়াকে হত্যা করবো, না হয় নিজে মারা যাবো ৷ এখন যদি আপনি আমাকে ছেড়ে দিন
তবে আমি আপনাকে এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, আমি তাকে হত্যা করতে সক্ষম না হই কিংবা
হত্যা করে জীবিত থাকি তবে আল্লাহর কসম আমি ফিরে এসে আপনার নিকট আত্মসমর্পণ
করবো ৷ হাসান বললেন, কখনও না ৷ এখনই তোমাকে জাহান্নামে পাঠ্যবাে ৷ এরপর তিনি
অগ্রসর হয়ে তাকে হত্যা করেন ৷ লোকজন তাকে ধরে আবর্জনার তুপের মধ্যে নিক্ষেপ করে ৷
তারপর তাকে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়৷ কেউ কেউ বর্ণনা করেছেন যে, আবদুল্লাহ ইবন
জাফর ইবন মুলজিমের দুই হাত ও দুই পা কেটে দেয় ৷ উভয় চোখ উপড়ে ফেলে ৷
এতদসাত্ত্বও ইবন মুলজিম ইকরা বিসমি রাব্বিকাল লাযি খালাক’ সুরা সম্পুর্ণ পাঠ করে ৷


وَأَمَّا صَاحِبُ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ - وَهُوَ عَمْرُو بْنُ بَكْرٍ - فَإِنَّهُ كَمَنَ لَهُ لِيَخْرُجَ إِلَى الصَّلَاةِ، فَاتَّفَقَ أَنْ عَرَضَ لِعَمْرِو بْنِ الْعَاصِ مَغَصٌ شَدِيدٌ فِي تِلْكَ اللَّيْلَةِ، فَلَمْ يَخْرُجْ إِلَّا نَائِبُهُ إِلَى الصَّلَاةِ، وَهُوَ خَارِجَةُ بْنُ أَبِي حَبِيبَةَ، مِنْ بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ، وَكَانَ عَلَى شُرْطَةِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، فَحَمَلَ عَلَيْهِ الْخَارِجِيُّ فَقَتَلَهُ، وَهُوَ يَعْتَقِدُهُ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ فَلَمَّا أَخَذَ الْخَارِجِيُّ قَالَ: أَرَدْتُ عَمْرًا وَأَرَادَ اللَّهُ خَارِجَةَ. فَأَرْسَلَهَا مَثَلًا، ثُمَّ قُتِلَ، قَبَّحَهُ اللَّهُ، وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ الَّذِي قَالَهَا عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ. وَذَلِكَ حِينَ جِيءَ بِالْخَارِجِيِّ فَقَالَ: مَا هَذَا؟ قَالُوا: قَتَلَ نَائِبَكَ خَارِجَةَ. فَقَالَ الْخَارِجِيُّ: وَاللَّهِ مَا أَرْدْتُ إِلَّا إِيَّاكَ. فَقَالَ عَمْرٌو: أَرَدْتَنِي وَأَرَادَ اللَّهُ خَارِجَةَ. ثُمَّ أَمَرَ بِهِ فَضُرِبَتْ عُنُقُهُ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ عَلِيًّا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، لَمَّا مَاتَ صَلَّى عَلَيْهِ ابْنُهُ الْحَسَنُ، فَكَبَّرَ عَلَيْهِ تِسْعَ تَكْبِيرَاتٍ، وَدُفِنَ بِدَارِ الْإِمَارَةِ بِالْكُوفَةِ ; خَوْفًا عَلَيْهِ مِنَ الْخَوَارِجِ أَنْ يَنْبُشُوا عَنْ جُثَّتِهِ، هَذَا هُوَ الْمَشْهُورُ، وَمَنْ قَالَ: إِنَّهُ حُمِلَ عَلَى رَاحِلَتِهِ، فَذَهَبَتْ بِهِ فَلَا يُدْرَى أَيْنَ ذَهَبَتْ. فَقَدْ أَخْطَأَ وَتَكَلَّفَ مَا لَا عِلْمَ لَهُ بِهِ، وَلَا يُسِيغُهُ عَقْلٌ وَلَا شَرْعٌ، وَمَا يَعْتَقِدُهُ كَثِيرٌ مِنْ جَهَلَةِ الرَّوَافِضِ مِنْ أَنَّ قَبْرَهُ بِمَشْهَدِ النَّجَفِ، فَلَا دَلِيلَ عَلَى ذَلِكَ وَلَا أَصْلَ لَهُ، وَيُقَالُ: إِنَّمَا ذَاكَ قَبْرُ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ حَكَاهُ الْخَطِيبُ الْبَغْدَادِيُّ عَنْ أَبِي نُعَيْمٍ الْحَافِظِ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ الطَّلْحِيِّ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৬১৯৭


এরপর তার জিহ্বা কর্তন করার উদ্যোগনিলে সে চিৎকার করে বলতে থাকে আমার
জীবনের এমন একটা মুহুর্তও কাটাতে চইি না, যে মুহুর্তে আমি আল্লাহর যিকির করতে পারবো
না ৷ এরপর তার জিহ্বা কর্তন করে হত্যা করা হয় এবং একটা বান্থশব্র ঝুড়িতে রেখে আগুন
দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় ৷ ইবন্ জারীর বলেন : আমার কাছে হারিছ বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি
ইবন সাদের সুত্রে মুহাম্মদ ইবন উমর থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন : আলী (রা) হিজরী
চল্লিশ সনে ৫তষট্টি বছর বয়সে জুমুআর দিনে আঘাত প্রাপ্ত হন ৷ এরপর জুমুআর দিন ও
শনিবার পর্যন্ত বেচে থাকেন ৷ রবিবার রাতে তিনি ইনতিকাল করেন ৷ তখন রমযান মাস শেষ
হতে এগার দিন বাকি ছিল ৷ ওয়াকিদী বলেন দলীল প্রমাণে এ মত তই আমাদের নিকট
গ্রহণযোগ্য ৷

আলী (না)-এর শ্রী, পুত্র ও কন্যাদের বর্ণনা
ইমাম আহমাদ বলেনং হাজ্জ জ্জাজ আলী থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, হাসানের জন্ম

হলে রাসুলুল্লাহ্ন্ধুফুঞ্চা এসে বললেন, আমার নাতিঢিকে আমাকে দেখাও, তোমরা এর কি নাম
রেখেছ ৷ আমি বললাম, ওর নাম রেখেছি হারব ৷ রাসুলুল্লাহৰু;ৰুৰুছু বললেন না, তার নাম হবে
হাসান ৷ এরপর হুসাইন জনাগ্নহণ করলে রাসুলুল্লাহ্ইর্দুক্ট্রএসে বললেন, আমার নাতিঢিকে নিয়ে
এলো, তোমরা এর কি নাম রেখেছ ? আমি বললাম, ওর নাম রেখেছি হারব ৷ তিনি বললেন
না ওর নাম হবে হুস৷ ৷ইন ৷ এরপর তৃতীয় ছেলে জন্য হলে রাসুলুল্লাহ্হ্র,ণুত্যুঃ এসে বললেন, আমার
নাতিঢিকে আমার কাছে নিয়ে এসো, তোমরা এর কে নাম রেখেছ? আমি বললাম, হারব ৷ তিনি
বললেন, না, ওর নাম মুহসিন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্স্নে ,,, ষ্বললেন, আমি হারুন (আ) এ-র
ছেলেগণের নাম অনুসারে এদের নাম রেখেছি ৷৩ তার ছেলেগণের নাম ছিল শাবার, ওবাইর ও
মুশাবির ৷ মুহাম্মদ ইবন সাদ সালিম ইবন আবুল৷ জা’দ থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন আলী
(বা) বলেছেন আমি একজন যুদ্ধ পছন্দ লোক ৷৩ তাই হাসান জন্ম হলে আমি তার নাম রাখি

হারব (যুদ্ধ) ৷ এরপর হাদীসের বাকি অংশ পুর্বের অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ কিন্তু তিনি তৃতীয়
ছেলের উল্লেখ করেননি ৷ কোন কোন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, আলী (রা) প্রথমে হাসানের
নাম হামযাহ্ ও হুসাইনের নাম জা ফর রাখেন ৷ পরে রাসুলুল্লাহ্রু ক্ষাণ্ণ্ এ নাম পরিবর্তন করে
দেন ৷

আলী (রা) এর প্ৰথমা শ্রী রাসুলুল্লাহ্:পু;ত্ত্ব; এর কন্যা ফাতিমা ৷ বদর যুদ্ধের পর তিনি

ফাতিমাকে ঘরে তুলে আনেন ৷ তার গর্ভে হাসান ও হুসা ৷ইন জন্মঃাহণ করেন ৷ বর্ণিত হয্যেছ,যে,,
মুহসিন নামে তভীয় ছেলে জন্মগ্নন্থ রুণ করে ৷ কিন্তু শিশুকালেই মারা যায় ৷ যয়নাব কৃবরা ও উম্মে
কুলসুম নামে ফাতিমার দুই কন্যা জনাগ্নহণ করে ৷ এই উম্মে কুলসুমকে উমর ইবন খাত্তাব
বিবাহ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর ইনতিকালের ছয় মাস পরে ফা ৷তিমার ইনতিকাল হয় ৷ এই
সময়ের মধ্যে আলী (বা) অন্য কাউকে বিবাহ করেননি ৷ তবে ফাতিমার ইনতিকা ৷লের পর আলী
(রা) অনেকগুলো বিবাহ করেন ৷ তন্মধ্যে কয়েকজন আলীর জীবদ্দশায় মারা যান ৷
কয়েকজনকে তালাক দেন ৷ শাহাদতের সময় চার শ্রী রেখে যান ৷

তার অন্যান্য শ্ৰীর মধ্যে একজন হলেন উম্মুল বানীন বিনত হারাম ৷ হারাম হলো আবুল
মাজান ইবন খালিদ ইবন রবীঅড়াহ্ ইবন কাব ইবন আমির ইবন কিলাব ৷ এই ত্রীর গর্ভে


مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْحَضْرَمِيِّ الْحَافِظِ، هُوَ مُطَيَّنٌ، أَنَّهُ قَالَ: لَوْ عَلِمَتِ الشِّيعَةُ قَبْرَ هَذَا الَّذِي يُعَظِّمُونَهُ بِالنَّجَفِ لَرَجَمُوهُ بِالْحِجَارَةِ، هَذَا قَبْرُ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَبْرَةَ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي فَرْوَةَ قَالَ: سَأَلْتُ أَبَا جَعْفَرٍ مُحَمَّدَ بْنَ عَلِيٍّ الْبَاقِرَ: كَمْ كَانَ سِنُّ عَلِيٍّ يَوْمَ قُتِلَ؟ قَالَ: ثَلَاثًا وَسِتِّينَ سَنَةً. قُلْتُ: أَيْنَ دُفِنَ؟ قَالَ: دُفِنَ بِالْكُوفَةِ لَيْلًا، وَقَدْ غُبِّيَ عَنِّي دَفْنُهُ. وَفِي رِوَايَةٍ عَنْ جَعْفَرٍ الصَّادِقِ أَنَّهُ كَانَ عُمْرُهُ يَوْمَ قُتِلَ ثَمَانِيَةً وَخَمْسِينَ سَنَةً. وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ عَلِيًّا دُفِنَ قِبْلَيَّ الْمَسْجِدِ الْجَامِعِ مِنَ الْكُوفَةِ. قَالَهُ الْوَاقِدِيُّ. وَالْمَشْهُورُ أَنَّهُ دُفِنَ بِدَارِ الْإِمَارَةِ. وَقِيلَ: بِحَائِطِ جَامِعِ الْكُوفَةِ. وَقَدْ حَكَى الْخَطِيبُ الْبَغْدَادِيُّ عَنْ أَبِي نُعَيْمٍ الْفَضْلِ بْنِ دُكَيْنٍ أَنَّ الْحَسَنَ وَالْحُسَيْنَ حَوَّلَاهُ فَنَقَلَاهُ إِلَى الْمَدِينَةِ فَدَفَنَاهُ بِالْبَقِيعِ عِنْدَ قَبْرِ زَوْجَتِهِ فَاطِمَةَ أُمِّهِمَا. وَقِيلَ: إِنَّهُمْ لَمَّا حَمَلُوهُ عَلَى الْبَعِيرِ ضَلَّ مِنْهُمْ، فَأَخَذَتْهُ طَيِّئٌ يَظُنُّونَهُ مَالًا، فَلَمَّا رَأَوْا أَنَّ الَّذِي فِي الصُّنْدُوقِ مَيِّتٌ، وَلَمْ يَعْرِفُوا مَنْ هُوَ دَفَنُوا الصُّنْدُوقَ بِمَا فِيهِ، فَلَا يَعْلَمُ أَحَدٌ أَيْنَ قَبْرُهُ. حَكَاهُ الْخَطِيبُ أَيْضًا.
পৃষ্ঠা - ৬১৯৮


করে ৷ তিনি অবশ্যই একজন উচ্চ স্তরের মুসলমান ছিলেন ৷ কিন্তু তইি বলে তিনি মানুষ বা
নিষ্পাপ ছিলেন না ৷ তার পি৩াও মা’ সুম নন ৷ এমনকি তার ৷প৩ ৷র (আলীর) পুর্বেকার
খুলাফায়ে রাশিদীন বাবা ছিলেন তারা তার পিতার তুলনায় শ্রেষ্ঠ ও অধিক মযাদাসম্পন্ন ছিলেন ৷
তারাও নিশ্চিত না সৃম ছিলেন না ( ণ্ষ্৷ ৷ ন্১ ৷ ১ৰু ৷ প্রু ৷ ) এ বিষয়ের আলোচনা যথান্থানে

সঠিকভাবে করা আছে ৷

আলী (রা)-এর বেশ কিছু উষ্মে ওলাদ ছিল ৷১ ন্তাদের থেকেও অনেক সন্তান জন্মগ্রহণ
করে ৷ কাোনা, তিনি চার শ্রী ও উনিশ উষ্মে ওলাম্পোরখেস্মৃতুাবরণ করেন ৷ এসকউঃম্মাওলাদের
এমন অনেক সন্তান আছে যাদের মায়ের সঠিক পরিচয় জানা যায়নি ৷ যেমন উম্মে হানী,
মাইমুনা, যয়নাব আস-সুগরা, রামালা আল-কুবরা, উম্মে কুলসুম আস-সুগরা, ফাতিম৷ উমামা,
খাদীজা উম্মুল কিরাম, উম্মে জা’ফর, উম্মে সালমা ও জুমানা ৷ ইবন জারীর বলেন, আলীর
সর্বমোট সন্তানদের মধ্যে পুরুষ চৌদ্দজন এবং মহিলা সতেরজন ৷ ২ ওয়াকিদী বলেন : আলীর
সন্তানদের মধ্যে মাত্র পাচ জনের বংশধার৷ চালু ছিল ৷ তারা হলেন হাসান, হুসাইনৰু মুহাম্মদ
ইবনুল হানফিয়াহ্, আব্বাস ইবনুল কিলাবিয়াহ্ ও উমর ইবনুত তাগলিবিয়া ৷

ইবন জারীর বলেন : ইবন সিনান আল-কামাম ত্থালিদ ইবন জাবির থেকে বর্ণিত ৷
তিনি বলেন, আলী (রা) শহীদ হলে তার ছেলে হাসান র্দাড়িয়ে এক ভাষণে বলেন : তোমরা
এমন এক ব্যক্তিকে এমন এক রাতে হত্যা করলে যে রাতে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছিল ৷ যে রাতে
ঈসা ইবন মারইয়ামকে আসমানে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছিল এবং যে রাতে মুসা (আ)-এর সাথী
ইউশা’ ইবন নুনকে শহীদ বল্পা হয়েছিল ৷ আল্লাহ্র কসম তার মত মহান ব্যক্তি তার পুর্বেও
আগমন করেনি আর তার পরেও আগমন করবে না ৷ আল্লাহর কসম ৷ রাসুলুল্লাহ্ ;ণ্,ট্রুপ্পুদ্বু তাকে
কোন অভিযানে প্রেরণ করলে জিবরাঈল ফেরেশতা থাকতেন তার ডান পাশে এবং মিকাঈল
ফেরেশতা থাকতেন তার বাম পাশে ৷ আল্লাহর কসম ৷ তিনি ফিতনার মুকাবিলা করার জন্যে
আটশ কি বা নয়শ’ চাল ও মস্তকাবরণ রেখে গেছেন ৷ এ হাদীস অত্যন্ত গরীব ৷ এর বক্তব্যের
মধ্যে আপত্তিকর কথা রয়েছে ৷ আবু ইয়া’ লাও মিসকীানর সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম আহমদ বলেন : ওয়াকী’ , হুবাইরা থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, একবারু হা৷নান
ইবন আলী আমাদের উদ্দেশ্যে এক ভাষণে বলেন ং গতকাল তোমাদের মাঝ থােক জো এক
ব্যক্তি বিদায় নিয়েছে, যার ইলুম ও জ্ঞা ৷নের ধারেকাছে তার পুর্বেও কেউ আসতে পা৷ ঝত্রি আর
পরেও কেউ আনতে পারবে না ৷ রাসুলুল্লাহ্,,ন্ট্ লোঃহ্যতে ঝাণ্ডা তুলে দিয়ে মোঃ অজ্যিানে
প্রেরণ করলে জিবরাঈল (আ) তার ডানপ্যাশ এবং মিকাঈল (আ) বামপাশ থক্যেত৷ ৷ বিজয়
না হওয়া পর্যন্ত তারা তার থেকে বিচ্ছিন্ন হতে তা না ৷ যাইদ আল-আথী ও ও আইব ইবন খালিদ
আবু ইসহাক থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ হাসান তার বক্তৃতায় আরও বলেন, শ্া৷হাদাতের
সময় তিনি সা৩ শ দিরহাম রেখে গেছেন ৷



১ উম্মে ওলাদ সেই দাসীকে বলে যে, মালিকের ঔরসে সন্তান অথবা সন্ততির জন্য দিয়েছে ৷
২ ইবন সা দের মতে উনিশজন ৷


وَرَوَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ قَالَ: دَفَنْتُ عَلِيًّا فِي حُجْرَةٍ مِنْ دُورِ آلِ جَعْدَةَ. وَعَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ قَالَ: لَمَّا حَفَرَ خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ أَسَاسَ دَارِ ابْنِهِ يَزِيدَ اسْتَخْرَجُوا شَيْخًا مَدْفُونًا أَبْيَضَ الرَّأْسِ وَاللِّحْيَةِ، كَأَنَّمَا دُفِنَ بِالْأَمْسِ، فَهَمَّ بِإِحْرَاقِهِ، ثُمَّ صَرَفَهُ اللَّهُ عَنْ ذَلِكَ إِلَى غَيْرِهِ، فَاسْتَدْعَى بِقَبَاطِيَّ فَلَفَّهُ فِيهَا، وَطَيَّبَهُ وَتَرَكَهُ مَكَانَهُ. قَالُوا: وَذَلِكَ الْمَكَانُ بِحِذَاءِ بَابِ الْوَرَّاقِينَ مِمَّا يَلِي قِبْلَةَ الْمَسْجِدِ فِي بَيْتِ إِسْكَافٍ، وَمَا يَكَادُ يَقِرُّ فِي ذَلِكَ الْمَوْضِعِ أَحَدٌ إِلَّا انْتَقَلَ مِنْهُ . وَعَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ الصَّادِقِ قَالَ: صُلِّيَ عَلَى عَلِيٍّ لَيْلًا، وَدُفِنَ بِالْكُوفَةِ، وَعُمِّيَ مَوْضِعُ قَبْرِهِ، وَلَكِنَّهُ عِنْدَ قَصْرِ الْإِمَارَةِ. وَقَالَ ابْنُ الْكَلْبِيِّ: شَهِدَ دَفْنَهُ فِي اللَّيْلِ الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ وَابْنُ الْحَنَفِيَّةِ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ وَغَيْرُهُمْ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِمْ، فَدَفَنُوهُ فِي ظَاهِرِ الْكُوفَةِ وَعَمُّوا قَبْرَهُ ; خِيفَةً عَلَيْهِ مِنِ الْخَوَارِجِ وَغَيْرِهِمْ. وَحَاصِلُ الْأَمْرِ أَنْ عَلِيًّا قُتِلَ لَيْلَةَ الْجُمْعَةِ سَحَرًا، وَذَلِكَ لِسَبْعَ عَشْرَةَ خَلَتْ مِنْ رَمَضَانَ مِنْ سَنَةِ أَرْبَعِينَ. وَقِيلَ: إِنَّهُ قُتِلَ فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ. وَالْأَوَّلُ هُوَ الْأَصَحُّ
পৃষ্ঠা - ৬১৯৯


গোলাম ক্রায়ব জন্যেও তিনি এ অর্থ সংরক্ষণ করেছিলেন ৷ ইমাম আহমাদ বলেন৪ হাজ্জাজ
আলী থেকে বর্ণিত ৩৷ তিনি বলেছেন, আমি একবার রাসুলুল্লাহ্ন্তুম্বুৰুরু এব সাথে ছিলাম ৷
তখন ক্ষুধার যন্ত্রণায় আমি পেটে পাথর বেধে রেখেছিলাম ৷ আর আজ আমার যাকাতের
পরিমাণ চল্লিশ হাজার দিরহাম ৷ আসওয়াদের সুত্রে শারীক থেকেও অনুরুপ বর্ণিত হয়েছে ৷ এ

বণর্নায় আছে, আলী বলেন, আমার যাক৷ তে র পরিমাণ চল্লিশ হাজার দীনার ৷

আমীরুল মুমিনীন আলী ইবন আবু তালিবের
কতিপয় ফযীলত (বৈশিষ্ট্য)

আলী (রা) এর ফযীলত বা গ্রেষ্ঠত্নে র একটি দিক হলো, যে দশজনের জান্নাতে যাওয়ার
ঘোষণা দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে বংশীয় সুত্রে৩ তািন রাসুলুল্লাহ্মোঃ-এর সবচেয়ে নিকটতম
ব্যক্তি ৷ কেননা তিনি হলেন আলী ইবন আবু৩ তালিব ইবন আবদুল মুত্তালিব ৷ আবদুল
মুত্তালিবের নাম শাইবা ইবন হাশিম ৷ হাশিমের নাম আমর ইবন আবদে মানড়াফ ৷ আবদে
মানাফের নাম ঘুপীরা ইবন কুসায় ৷ কুসায় এর নাম যাইদ ইবন কিলাব ইবন ঘুরর৷ ইবন কাব
ইবন লুওয়াই ইবন পালিব ইবন ফিহ্র ইবন মালিক ইবন নাযর ইবন কিনানা ইবন খুয়াইমা
ইবন মুদরিকা ইবন ইলয়াস ইবন ঘুযার ইবন নাযার ইবন সাদ ইবন আদনান ৷ আলীর
কুনিয়াত আবুল হাসান আল কুরা ৷ইশী আল হাশিমী ৷ র ৎশীয় সুত্রে৩ তিনি রাসুলুল্লাহ্ছুথাঃদ্বুব্লু এর
চাচাত তা ৷ই ৷ আলীর মাতার নাম ফাতিমা বিনত আসাদ ইবন হাশিম ইবন আবদে মানাফ ৷
যুবাইর ইবন বাকার বলেন : ফাতিমা প্রথম হাশিমী মহিলা যিনি হাশিমী সন্তান (আলী) কে
জন্মদান করেন ৷ ফাতিমা ইসলাম গ্রহণ করেনও ণ্ হিজরত করেন ৷ আলীর পিতা রাসুলুল্লাহ্হুছুহুছু,ণ্ডু
এর স্নেহময় দয়ালু চাচা আবু তালিব ৷ ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বলও ওএকাধিক বংশ বিশেষজ্ঞ
ও পণ্ডিতবর্গ বলেছেন যে, আবুতালিবের নাম ছিল আবদে মান ড়াফ ৷

রাফিযী সম্প্রদায়ের বিশ্বাস যে, আবু৩ তালিবের নাম ইমরান ৷ তরা বলে কুরআনে
নিম্বো ল্লিখিত আয়াতে ইমরানের বংশধর বলতে আবু৩ তালিবের বংশধর বুঝানো হয়েছে যথা০ :

অর্থাৎ নিশ্চয়ই আল্লাহ আদমকে, নুহকে ও ইবরাহীমের বংশধর এবং ইমরানের বৎশধরকে
বিশ্বজগতে মনোনীত করেছেন (আলে ইমরান : ৩৩) ৷
এ ব্যাপারে রাফিযীরা দারুণ ভুলে নিমজ্জিত ৷ আল্লাহর উদ্দেশ্যের পরিপন্থী এ মনগড়া
ব্যাখ্যা দেওয়ার পুর্বে তারা কুরআনের এ আঘাতের পুর্বাপর সম্পর্কে কিছুমাত্র চিন্তা করে
দেখেনি ৷ কেননা, এ আয়াতে র পরেই মহান আল্লাহ্ ইরশাদ করেন :

¢ ষ্ ; ৷

ষ্ ’ ’ fl
১ন্



১ মাসউদী : মুরুজুম-যাহাব, ২৪৬১ ও ইবনুল আছাম : ফুতুহ, ৪১ ৪৬ এভাবে বর্ণিত হয়েছে ৷ তবে ফুত্ই
গ্রন্থে এ কথা অতিরিক্ত আছে যে, হাসান বলেছেন, এ অর্থ বাইতৃল সালে ফেরত দেওয়ার জন্যে তিনি
আমাকে নির্দেশ দিয়ে গেছেন ৷


الْأَشْهَرُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَدُفِنَ بِالْكُوفَةِ، عَنْ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ سَنَةً، وَصَحَّحَهُ الْوَاقِدِيُّ وَابْنُ جَرِيرٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ، وَقِيلَ: عَنْ خَمْسٍ وَسِتِّينَ. وَقِيلَ: عَنْ ثَمَانٍ وَخَمْسِينَ سَنَةً. رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَكَانَتْ خِلَافَتُهُ أَرْبَعَ سِنِينَ وَتِسْعَةَ أَشْهُرٍ. فَلَمَّا مَاتَ عَلِيٌّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، اسْتَدْعَى الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ بِابْنِ مُلْجَمٍ، فَقَالَ: لَهُ ابْنُ مُلْجَمٍ: إِنِّي أَعْرِضُ عَلَيْكَ خَصْلَةً. قَالَ: وَمَا هِيَ؟ قَالَ: إِنِّي كُنْتُ عَاهَدْتُ اللَّهَ عِنْدَ الْحَطِيمِ أَنْ أَقْتُلَ عَلِيًّا وَمُعَاوِيَةَ أَوْ أَمُوتَ دُونَهُمَا، فَإِنْ خَلَّيْتَنِي ذَهَبْتُ إِلَى مُعَاوِيَةَ، عَلَى أَنِّي إِنْ لَمْ أَقْتُلْهُ أَوْ قَتَلْتُهُ وَبَقِيتُ، فَلَكَ عَلَيَّ عَهْدُ اللَّهِ أَنْ أَرْجِعَ إِلَيْكَ حَتَّى أَضَعَ يَدِي فِي يَدِكَ. فَقَالَ لَهُ الْحَسَنُ: كَلَّا وَاللَّهَ حَتَّى تُعَايِنَ النَّارَ. ثُمَّ قَدَّمَهُ فَقَتَلَهُ، ثُمَّ أَخَذَهُ النَّاسُ فَأَدْرَجُوهُ فِي بِوَارِيَّ، ثُمَّ أَحْرَقُوهُ بِالنَّارِ. وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ جَعْفَرٍ قَطَعَ يَدَيْهِ وَرَجْلَيْهِ وَكُحِلَتْ عَيْنَاهُ، وَهُوَ مَعَ ذَلِكَ يَقْرَأُ سُورَةَ {اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ} [العلق: 1] إِلَى آخِرِهَا، ثُمَّ جَاءُوا لِيَقْطَعُوا لِسَانَهُ فَجَزِعَ، وَقَالَ: إِنِّي أَخْشَى أَنْ تَمُرَّ عَلَيَّ سَاعَةٌ لَا أَذْكُرُ اللَّهَ فِيهَا. ثُمَّ قَطَعُوا لِسَانَهُ، ثُمَّ قَتَلُوهُ ثُمَّ حَرَقُوهُ فِي قَوْصَرَّةٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرَوَى ابْنُ جَرِيرٍ قَالَ: حَدَّثَنِي الْحَارِثُ، ثَنَا ابْنُ سَعْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ