আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة تسع وثلاثين

পৃষ্ঠা - ৬১৬৮

ইিজরী চল্লিশ সন

ইবন জারীর বলেনঃ এ বছরের অন্যতম উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো মু আবিয়া কতক বৃসর
ইবন আবু আরতাতকে তিন হাজার যোদ্ধাসহ হিজায অভিযানে প্রেরণ করা ৷ তিনি যিয়াদ ইবন
আবদুল্লাহ আল-বাকাঈর সুত্রে আওয়ানা থেকে বর্ণনা করেন ৷ সালিসদ্বয়ের রায় ঘোষণার পর
মুআবিয়া বনু লুওয়াই গোত্রের বৃসর ইবন আবু আরতাতকে একদল সৈন্যসহ প্রেরণ করেন ৷
তারা সিরিয়া থেকে যাত্রা করে পবিত্র মদীনায় পৌছে ৷ ঐ সময় পবিত্র মদীনায় আলীর
শাসনকর্তা ৷ছলেন আবু আইয়ুব আনসারী ৷ আগমনকারীদের ভয়ে আবু আইয়ুব কুফায় আলীর
কাছে চলে আসেন ৷ বৃসর বিনা বাধায় পবিত্র মদীনায় প্রবেশ করে ৷ এরপর তিনি মিন্বরে র্দাড়িয়ে
বলেন, হে দীনার ৷ হে নাজ্জার ! হে যুরাইক ! আমার নেতা কোথায় ? কোথায় আমার নেতা স্
গতকাল এখানেই তার হাতে আমি আনুণত্যের বায়আত গ্রহণ করেছি এখন তিনি কোরর ’
উসমান ইবন অড়াফ্ফানের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি এ কথা বলেন ৷ এরপর বলেন, হে
মদীনাবাসীরা মু আবিয়৷ যদি আমার থেকে অঙ্গীকার না নিতেন তা হলে পবিত্র মদীনার কোন
যুবক আজ হত্যার কবল থেকে রেহ ই পেতাে না ৷

এরপর তিনি মদীনাবাসীদের থেকে মুআবিয়ার পক্ষে বায়আত গ্রহণ করেন ৷ তারপর বন
সালামাহ গোত্রে দুত প্রেরণ করে এ সংবাদ জানান যে, আল্লাহর কসম ৷ তোমাদের কোন
নিরাপত্তা নেই , কোন বায়আত নেই যতক্ষণ না তোমরা জাবির ইবন আবদুল্লাহকে আমার কাছে
নিয়ে আস ৷ অর্থাৎ যতক্ষণ সে বায়বাত গ্রহণন না করে ৷ তখন জাবির ইবন আবদুল্লাহ উম্মুল
ঘু মিনীন উষ্মে সালামার কা ছেগ্ গিয়ে বলেন, আমাকে পরামর্শ দিন ৷ এদের কাছে ব্যয় আত গ্রহণ
স্পষ্ট ভ্রান্ত ৷ আবার বায় আত না করলে হত্যার আশংকা ৷ উম্মে সালামা পরামর্শ দিরু ন ও
বায়আত গ্রহণ করাই নিরাপদ বলে মনে হয় ৷ আমি আমার ছেলে উমরকে এবং জমে তা
আবদুল্লাহ ইবন যাম্আকে (উম্মে সালামার কন্যা য়য়নড়াবের স্বামী) বায়আত গ্রহণ করতে বলে
দিয়েছি ৷ এরপর জাবির এসে বায়আত গ্রহণ করেন ৷

বর্ণনাকারী বলেন, বৃসর পবিত্র মদীনায় কিছু বাড়িঘর ধ্বংস করে চলে যান এবং পবিত্র
মক্কায় পৌছেন ৷ সেখানে আবু মুসা আশআরী এই ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে পড়েন যে, হয়তো তাকে
হত্যা করা হবে ৷ কিন্তু বৃসর৩ তাকে সাত্তুনা দিয়ে বলেন, আমি রাসুলুল্লা মোঃ: এর কোন
সাহাবীর সাথে এরুপ আচরণ করবো না ৷ এরপর তিনি তার থেকে আলাদা হয়ে যান ৷ এ
ঘটনার কিছু পৃর্বে আবু মুসা ইয়ামানবাসীদের কাছে এক পত্রের মাধ্যমে জানিয়েছিলেন যে,
মু আবিয়ার পক্ষ থেকে একটি বাহিনী৫ তামাদের নিকট প্রেরিত হয়েছে ৷ যারা তার কর্তত্
মানতে অস্বীকার করবে তাদেরকে হত্যা করা হবে ৷ এরপর বৃসর ইয়ামানের উদ্দেশ্যে যাত্রা
করেন ৷ তথাকার শাসক উবাইদুল্লাহ ইবন আব্বাস পালিয়ে আলীর কাছে কুফায় চলে যান ৷


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ تِسْعٍ وَثَلَاثِينَ] [مَا وَقَعَ فِيهِ مِنْ أَحْدَاثٍ] فِيهَا فَرَّقَ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ جُيُوشًا كَثِيرَةً فِي أَطْرَافِ مُعَامَلَاتِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَذَلِكَ أَنَّ مُعَاوِيَةَ رَأَى بَعْدَ أَنْ وَلَّاهُ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ الْخِلَافَةَ بَعْدَ اتِّفَاقِهِ هُوَ وَأَبُو مُوسَى عَلَى خَلْعِ عَلِيٍّ وَعَزْلِهِ عَنِ الْأَمْرِ - أَنَّ وِلَايَتَهُ صَحِيحَةٌ، وَقَدْ وَقَعَتِ الْمَوْقِعَ، فَهُوَ الَّذِي تَجِبُ طَاعَتُهُ فِيمَا يَعْتَقِدُهُ، وَلِأَنَّ أَهْلَ الْعِرَاقِ قَدْ خَالَفُوا عَلِيًّا فَلَا يُطِيعُونَهُ، وَلَا يَأْتَمِرُونَ بِأَمْرِهِ، فَلَا يَحْصُلُ بِمُبَاشَرَتِهِ مَقْصُودُ الْوِلَايَةِ وَالْإِمَارَةِ، وَالْحَالَةُ هَذِهِ، فَأَنَا أَوْلَى مِنْهُ ; إِذْ كَانَتْ كَلِمَةُ أَهْلِ الشَّامِ وَمِصْرَ مَجْمُوعَةً عَلَيَّ، وَهُمْ طَائِعُونَ لِي، يَأْتَمِرُونَ بِأَمْرِي، وَكَلِمَتِي نَافِذَةٌ فِيهِمْ. فَعِنْدَ ذَلِكَ جَهَّزَ الْجُيُوشَ إِلَى أَطْرَافِ مَمْلَكَةِ عَلِيٍّ، فَكَانَ مِمَّنْ بَعَثَهُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ النُّعْمَانُ بْنُ بَشِيرٍ فِي أَلْفَيْ فَارِسٍ إِلَى عَيْنِ التَّمْرِ، وَعَلَيْهَا مَالِكُ بْنُ كَعْبٍ فِي أَلْفِ فَارِسٍ مَسْلَحَةً لِعَلِيٍّ، فَلَمَّا سَمِعُوا بِقُدُومِ الشَّامِيِّينَ
পৃষ্ঠা - ৬১৬৯
ارْفَضُّوا عَنْهُ فَلَمْ يَبْقَ مَعَ مَالِكٍ إِلَّا مِائَةُ رَجُلٍ، فَكَتَبَ عِنْدَ ذَلِكَ إِلَى عَلِيٍّ يُخْبِرُهُ بِأَمْرِ النُّعْمَانِ، فَنَدَبَ عَلِيٌّ النَّاسَ إِلَى إِغَاثَةِ مَالِكِ بْنِ كَعْبٍ، فَتَثَاقَلُوا عَلَيْهِ وَنَكَلُوا، وَلَمْ يُجِيبُوا إِلَى الْخُرُوجِ فَخَطَبَهُمْ عَلِيٌّ عِنْدَ ذَلِكَ، فَقَالَ فِي خُطْبَتِهِ: يَا أَهْلَ الْكُوفَةِ، كُلَّمَا سَمِعْتُمْ بِمِنْسَرٍ مِنْ مَنَاسِرِ أَهْلِ الشَّامِ قَدْ أَظَلَّكُمُ، انْجَحَرَ كُلُّ امْرِئٍ مِنْكُمْ فِي بَيْتِهِ، وَغَلَّقَ عَلَيْهِ بَابَهُ، انْجِحَارَ الضَّبِّ فِي جُحْرِهِ، وَالضَّبُعِ فِي وِجَارِهِ، الْمَغْرُورُ وَاللَّهِ مَنْ غَرَرْتُمُوهُ، وَمَنْ فَازَ بِكُمْ فَازَ بِالسَّهْمِ الْأَخْيَبِ، لَا أَحْرَارٌ عِنْدَ النِّدَاءِ، وَلَا إِخْوَانٌ ثِقَةٌ عِنْدَ النَّجَاءِ، إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، مَاذَا مُنِيتُ بِهِ مِنْكُمْ؟ عُمْيٌ لَا تُبْصِرُونَ، وَبُكْمٌ لَا تَنْطِقُونَ، وَصُمٌّ لَا تَسْمَعُونَ، إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. وَدَهَمَهُمُ النُّعْمَانُ بْنُ بَشِيرٍ فِي أَلْفَيْ مُقَاتِلٍ، وَلَيْسَ مَعَ مَالِكِ بْنِ كَعْبٍ إِلَّا مِائَةُ رَجُلٍ قَدْ كَسَرُوا جُفُونَ سُيُوفِهُمْ، وَاسْتَقْتَلُوا أُولَئِكَ، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ إِذْ جَاءَهُمْ نَجْدَةٌ مِنْ جِهَةِ مِخْنَفِ بْنِ سُلَيْمٍ مَعَ ابْنِهِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مِخْنَفٍ فِي خَمْسِينَ رَجُلًا، فَلَمَّا رَآهُمُ الشَّامِيُّونَ ظَنُّوا أَنَّهُمْ مَدَدٌ عَظِيمٌ، فَفَرُّوا هِرَابًا عَلَى وُجُوهِهِمْ، فَاتَّبَعَهُمْ مَالِكُ بْنُ كَعْبٍ فَقَتَلَ مِنْهُمْ ثَلَاثَةَ أَنْفُسٍ، وَذَهَبَ الْبَاقُونَ لَا يَلْوُونَ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৬১৭০


ইয়ামান ছেড়ে আসার সময় তিনি আবদুল্লাহ ইবন আবদুল মাদান হারিহীকে তার প্রতিনিধি করে
আসেন ৷ বুসর ইয়ামানে প্রবেশ করেই আবদুল্লাহ ও তার ছেলেকে হত্যা করেন ৷ বুসর
উবাইদুল্লাহ ইবন আব্বাসের সমুদয় সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেন ৷ তার দুই শিশু ছেলে আবদুর
রহমান ও কসমও বন্দী হয় ৷ বুসর শিশুদ্বয়কেও হত্যা করেন ৷ কথিত আছে, এই অভিযানের
বুসর অসংখ্য আলী সমর্থকদের হত্যা করেন ৷ মাগাযী ও সীরাত গ্রন্থকারদের নিকট এ ঘটনা
খুবই প্রসিদ্ধ৷ তবে এর যথার্থত৷ নিয়ে আমার সন্দেহ হয় ৷

বুসরের এসব কর্মকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে আলী (বা) জ্যবিয়া ইবন কুদ্যমাকে দুই হাজার
সৈন্যসহ এবং ওহাব ইবন মাসউদকে দুই হাজার সৈন্যসহ্ প্রেরণ করেন ৷ জারিয়াহ্ নাজরানে
পৌছে অবস্থান করেন এবং সেখানে উসমানের বহু সমর্থককে হত্যা করেন ৷ বুসর তার
বাহিনীসহ পলায়ন করেন ৷ জারিয়াহ্ তার পশ্চাদ্ধাবন করে পবিত্র মক্কায় পৌছাল ৷ জারিয়াহ্
মক্কাবাসীদের বলেন, তোমরা বায় আত গ্রহণ কর ৷ তারা বললাে, আমরা কার বায় আত গ্রহণ
করবো ? আমীরুল মু’মিনীন তো শেষ হয়ে গেছে৷ এখন আমরা আয় করে বায়আত গ্রহণ
করবো ? জারিয়াহ্ বললেন আলীর সমর্থকরা যার বায়আত গ্রহণ করে তোমরাও তার
বায আত গ্রহণ কর ৷ অবশেষে চাপের মুখে খ তারা ভয়ে বায আত গ্রহণ করলো ৷ এরপর
জারিয়াহ্ সেখান থেকে যাত্রা করে পবিত্র মদীনায় আসেন ৷ সেখানে এসে জানেন যে, আবু
হুরায়রা (রা) সালাতের ইমামতি করছেন ৷ জারিয়াহ্র সংবাদ পেয়ে তিনি সেখান থেকে পলায়ন
করেন ৷ জারিয়াহ্ বললেন, আল্লাহ্র কসম! আমি যদি আবু সাননুরকে ৷ (আবু হুরায়রাকে)
ধরতে পারতড়াম, তা হলে তার গর্দান উড়িয়ে দিতাম ৷ এরপর জারিয়াহ্ মদীনাবাসীদের বলেন,
তোমরা হাসান ইবন আলীর বায়আত গ্রহণ কর ৷ মদীনাবাসীরা হাসান ইবন আলীর বায়আত
গ্রহণ করে ৷ জারিয়াহ্ কিছু দিন পবিত্র মদীনা ৷য় অবস্থান করে কুফায় প্রত্যাবর্তন করেন ৷ আবু

হুরায়রা (রা) ফিরে এসে পবিত্র মদীনায় সালাতে র ইমামতি করেন ৷

ইবন জারীর বলেনং : এ বছরে আলী ও মু আৰিয়ার মধ্যে অনেক পত্র লেখালেখির পর সন্ধি
চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ৷ চুক্তিতে বলা হয়, উভয় পক্ষের মধ্যে আর ,কােন যুদ্ধ সংঘটিত হবে না ৷-
ইরাকের কর্তৃত্ব থাকবে আলীর হাতে এবং সিরিয়ার কর্তৃত্ব থাকবে মুআবিয়ার হাতে ৷ এক পক্ষ
অন্য পক্ষের উপর হামলা, সৈন্য চালনা ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম গ্রহণ করবে না ৷ ইবন জা ৷রীর
যিয়াদের সুত্রে ইবন ইসহাক থেকে চুক্তির সারমর্স এভাবে উল্লেখ করেছেন যে, মুআবিয়া
আলীর কাছে লেখেনং ষ্ঘুসলিম উম্মাহ একে অপরকে হত্মাকরেচলরুছ অর্থাৎ ইরাক তোমার
আর সিরিয়া আমার ৷ আলী (বা) এ প্রস্তাব সমর্থন করেন ৷ এরপর উভয় পক্ষ পরস্পর হত্যাকাণ্ড
থেকে বিরত ৩থাকে ৷ প্রত্যেকের সৈন্যবাস্থিনী নিজ নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয় ৷ তারপর এ
চুক্তিকে কেন্দ্র করে সবকিছু চলতে থাকে ৷

ইবন জারীরবলেন : এ বছরেই ইবন আব্বাস বসরার শাসনকর্তার পদ ছেড়ে দিয়ে পবিত্র
মক্কায় চলে আসেন ৷ অধিকাংশ সীরাত ৩গ্রন্থকার এ কথাই লিখেছেন ৷৩ তবে কিছু গ্রন্থকার এ মত
অস্বীকার করে বলেছেন যে, আলী ও মু আবিয়ার মধ্যে সন্ধি চুক্তি সম্পাদিত হওয়া পর্যন্ত তিনি
বসরার শাসনকর্তা হিসেবে বহাল থাকেন ৷ এমনকি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সময় ইবন আব্বাস


أَحَدٍ حَتَّى قَدِمُوا الشَّامَ وَلَمْ يَتِمَّ لَهُمْ مَا رَجَوْا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَفِيهَا: بَعَثَ مُعَاوِيَةُ سُفْيَانَ بْنَ عَوْفٍ فِي سِتَّةِ آلَافٍ إِلَى هِيتَ فَيُغِيرُ عَلَيْهَا، ثُمَّ يَأْتِي الْأَنْبَارَ وَالْمَدَائِنَ. فَسَارَ حَتَّى انْتَهَى إِلَى هِيتَ فَلَمْ يَجِدْ بِهَا أَحَدًا، ثُمَّ أَتَى الْأَنْبَارَ وَبِهَا مَسْلَحَةٌ لِعَلِيٍّ نَحْوٌ مَنْ خَمْسِمِائَةٍ، فَتَفَرَّقُوا وَلَمْ يَبْقَ فِيهَا إِلَّا مِائَةُ رَجُلٍ، فَقَاتَلُوا مَعَ قِلَّتِهِمْ وَصَبَرُوا حَتَّى قُتِلَ أَمِيرُهُمْ - وَهُوَ أَشْرَسُ بْنُ حَسَّانَ الْبَكْرِيُّ - فِي ثَلَاثِينَ رَجُلًا مِنْ أَصْحَابِهِ، وَاحْتَمَلَ الشَّامِيُّونَ مَا كَانَ بِالْأَنْبَارِ مِنَ الْأَمْوَالِ وَكَرُّوا رَاجِعِينَ إِلَى الشَّامِ، فَلَمَّا بَلَغَ عَلِيًّا مَا جَرَى لِأَهْلِ الْأَنْبَارِ، رَكِبَ بِنَفْسِهِ فَنَزَلَ بِالنُّخَيْلَةِ، فَقَالَ لَهُ النَّاسُ: نَحْنُ نَكْفِيكَ ذَلِكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا تَكْفُونَنِي وَلَا أَنْفُسَكُمْ، وَسَرَّحَ سَعِيدَ بْنَ قَيْسٍ فِي أَثَرِ الْقَوْمِ، فَسَارَ وَرَاءَهُمْ حَتَّى بَلَغَ هِيتَ فَلَمْ يَلْحَقْهُمْ فَرَجَعَ. وَفِيهَا: بَعَثَ مُعَاوِيَةُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعَدَةَ الْفَزَارِيَّ فِي أَلْفٍ وَسَبْعِمِائَةٍ إِلَى تَيْمَاءَ وَأَمَرَهُ أَنْ يُصَدِّقَ أَهْلَ الْبَوَادِي، وَمَنِ امْتَنَعَ مِنْ إِعْطَائِهِ فَلْيَقْتُلْهُ، ثُمَّ يَأْتِي الْمَدِينَةَ وَمَكَّةَ وَالْحِجَازَ. فَسَارَ إِلَى تَيْمَاءَ وَاجْتَمَعَ عَلَيْهِ بَشَرٌ كَثِيرٌ، فَلَمَّا بَلَغَ
পৃষ্ঠা - ৬১৭১
عَلِيًّا خَبَرُهُ بَعَثَ الْمُسَيَّبَ بْنَ نَجَبَةَ الْفَزَارِيَّ فِي أَلْفَيْ رَجُلٍ، فَالْتَقَوْا بِتَيْمَاءَ فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا عِنْدَ زَوَالِ الشَّمْسِ، وَحَمَلَ الْمُسَيَّبُ بْنُ نَجَبَةَ عَلَى ابْنِ مَسْعَدَةَ فَضَرَبَهُ ثَلَاثَ ضَرَبَاتٍ وَهُوَ لَا يُرِيدُ قَتْلَهُ بَلْ يَقُولُ لَهُ: النَّجَاءَ النَّجَاءَ. فَانْحَازَ ابْنُ مَسْعَدَةَ فِي طَائِفَةٍ مِنْ قَوْمِهِ إِلَى حِصْنٍ هُنَاكَ فَتَحَصَّنُوا بِهِ، وَهَرَبَ بَقِيَّتُهُمْ إِلَى الشَّامِ، وَانْتَهَبَتِ الْأَعْرَابُ مَا كَانَ جَمَعَهَ ابْنُ مَسْعَدَةَ مِنْ إِبِلِ الصَّدَقَةِ، وَحَاصَرَهُمُ الْمُسَيَّبُ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، ثُمَّ أَلْقَى الْحَطَبَ عَلَى الْبَابِ، وَأَلْهَبَ فِيهِ النَّارَ، فَلَمَّا أَحَسُّوا بِالْهَلَاكِ أَشْرَفُوا مِنَ الْحِصْنِ، وَمَتُّوا إِلَيْهِ بِأَنَّهُمْ مِنْ قَوْمِهِ، فَرَقَّ لَهُمْ وَأَطْفَأَ النَّارَ، فَلَمَّا كَانَ اللَّيْلُ فَتَحَ بَابَ الْحِصْنِ، وَخَرَجُوا مِنْهُ هِرَابًا إِلَى الشَّامِ، فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ شَبِيبٍ لِلْمُسَيَّبِ بْنِ نَجَبَةَ: سَرِّحْنِي أَلْحَقْهُمْ. فَقَالَ: لَا. فَقَالَ: غَشَشْتَ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ وَدَاهَنْتَ فِي أَمْرِهِمْ. وَفِيهَا: وَجَّهَ مُعَاوِيَةُ الضَّحَّاكَ بْنَ قَيْسٍ فِي ثَلَاثَةِ آلَافٍ، وَأَمَرَهُ أَنْ يُغِيرَ عَلَى أَطْرَافِ جَيْشِ عَلِيٍّ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ عَلِيٌّ حُجْرَ بْنَ عَدِيٍّ فِي أَرْبَعَةِ آلَافٍ، وَأَنْفَقَ فِيهِمْ كُلَّ وَاحِدٍ خَمْسِينَ دِرْهَمًا خَمْسِينَ دِرْهَمًا، فَالْتَقَوْا بِتَدْمُرَ فَقَتَلَ حُجْرٌ
পৃষ্ঠা - ৬১৭২


(বা) তথায় উপন্থিতও ছিলেন ৷ এ মত পােষণকারীদের মধ্যে আবুউবাইদাহ্ অন্যতম ৷ সামনে
এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে ৷

এরপর ইবন জারীর বসরা থেকে ইবন আব্বাসের চলে আসার কারণ বর্ণনা করেছেন ৷
তিনি বলেছেন, ইবন আব্বাস (বা) কোন এক ব্যাপারে আলাপ প্রসঙ্গে কাজী আবুল আসওয়াদ
দুয়ালীকে কিছু তিক্ত কথা বলেন ৷ আবুল আসওয়াদ আলীর নিকট ইবন আব্বাসের বিরুদ্ধে
লিখিত অভিযোগ করেন যে, ইবন আব্বাস বাইতুল মাল থেকে কিছু সম্পদ ব্যক্তিগতভাবে খরচ
করেছেন ৷ এ ব্যাপারে আপত্তি করার তিনি আমাকে অপদস্ত করেছেন ৷ অভিযোগ পেয়ে আলী
(রা) পত্রের মাধ্যমে ইবন আব্বাসকে তিরস্কার করেন এবং আবুল আসওয়াদকে তার আনুগত্য
থেকে মুক্ত করে দেন ৷ এতে ইবন আব্বাস মনঃক্ষুগ্ন হয়ে আলীর কাছে পত্র দিয়ে জানান যে,
আপনি আপনার পছন্দের লোককে এখানকার শাসক হিসেবে পাঠান ৷ আমি চলে যাচ্ছি-
সালাম ৷ এরপর ইবন আব্বাস তার মাতুল বনু হিলালসহ পবিত্র মক্কার দিকে রওয়ানা হন ৷ পুরা
বনু কাইস তার সঙ্গী হয় ৷ বস্তুত ইবন আব্বাস (বা) তার চাকুরীকালীন জমাকৃত অর্থ ও ফাই
থেকে প্রাপ্ত সম্পদ যা তার নিজস্ব মালিকাধীন ছিল এবং বায়তুলমালে সংরক্ষিত ছিল সেটাই
তিনি গ্রহণ করেছিলেন ৷ ইবন আব্বাস যখন যাত্রা শুরু করেন তখন বনু গানামসহ আরও কিছু
গোত্র এগিয়ে গিয়ে তাকে যাওয়া থেকে নিবৃত করার চেষ্টা করে ৷ ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে
সংঘর্ষ হয় ৷ অবশেষে বাদ প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে তিনি পবিত্র মক্কায় পৌছে যান ৷

আমীরুল মু’মিনীন আলী ইবন আবু তালিবের শাহাদাত
এ সম্পর্কে হাদীলে বর্ণিত ভবিষ্যদ্বাণী

আমীরুল মু’মিনীন আলী ইবন আবু তালিবের উপরে একের পর এক প্রতিকুল অবস্থা এসে
তাকে বাধগ্রেস্ত করতে থাকে ৷ তার সেনাবাহিনীর মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দু দেখা দেয় ৷ ইরাকবাসীরা তার
বিরোধিতা করে ৷ তার সঙ্গে থাকতে তারা অস্বীকৃতি জানায় ৷ পক্ষান্তরে, সিরিয়াবাসীদের
ন্ তৎপরতা অধিক জোরদার হয় ৷ ডড়ানে-বামে তথা চতৃর্দিক থেকে তারা প্রবেশ করতে থাকে ৷
তাদের বক্তব্য হলো দুই সালিসের রায়ের আলোকে মুআবিয়াই আমীর হওয়ার অধিকারী ৷
কেননা, তারা দু’জনই অড়ালীকে খিলাকত থেকে অপসারণ করেছেন ৷ আর খিলাফতের শুন্য
পদে আমর ইবন আস মুআবিয়াকে খলীফা হিসেবে মেনে নিয়েছেন ৷ এ কারণে সালিসি রায়ের
পর সিরিয়াবাসীরা মুআবিয়াকে আমীর উপাধিতে আখ্যায়িত করে ৷ সিরিয়াৰাসীদের শক্তি
ক্রমান্বয়ে যতই বাড়তে থাকে ইরাকবাসীদের শক্তি ততই দুর্বল হতে থাকে ৷ ইরাকীদের অবস্থা
হলো এই ; অথচ ঐ যুগে বিশ্ববাসীর মধ্যে তাদের আমীর আলী ইবন আবু তালিবই ছিলেন
সর্বোত্তম রক্তক্তি ৷ তিনি ছিলেন সবার চেয়ে বড় ইবাদতকারী, বড় ত্যাগী, বড় আলিম এবং মহান
আল্লাহ পাকের প্ৰতি বেশি ভীত ৷

এতােসব গুণাবলী থাকা সত্বেও তারা তার বিরোধিতা করে এবং তার থেকে সরে দাড়ায় ৷
ফলে, তিনি জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণ হয়ে উঠেন এবং মৃত্যু কামনা করেন ৷ ফিৎনার আধিক্য ও
পরীক্ষার প্রচণ্ড প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ ভুমিকা গ্রহণ করেন ৷ তিনি প্রায়ই বলতেন : কিসে
হতভাগ্যকে অটিকিয়ে ণ্রখেছে ৷ অর্থাৎ কেন সে অপেক্ষা করছে, কেন সে হত্যা করছে না ?


مِنْ أَصْحَابِ الضَّحَّاكَ تِسْعَةَ عَشَرَ رَجُلًا، وَقُتِلَ مِنْ أَصْحَابِ حُجْرٍ رَجُلَانِ، وَغَشِيَهُمُ اللَّيْلُ، فَتَفَرَّقُوا وَانْشَمَرَ الضَّحَّاكَ بِأَصْحَابِهِ فَارًّا إِلَى الشَّامِ. وَفِيهَا: سَارَ مُعَاوِيَةُ بِنَفْسِهِ فِي جَيْشٍ كَثِيفٍ حَتَّى بَلَغَ دِجْلَةَ، ثُمَّ كَرَّ رَاجِعًا. ذَكَرَهُ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ الْوَاقِدِيِّ بِإِسْنَادِهِ، وَأَبُو مَعْشَرَ مَعَهُ أَيْضًا. وَفِيهَا وَلَّى عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ زِيَادَ بْنَ أَبِيهِ عَلَى أَرْضِ فَارِسَ، وَكَانُوا قَدْ مَنَعُوا الْخَرَاجَ وَالطَّاعَةَ، وَسَبَبُ ذَلِكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ قَتْلِ الْعَلَاءِ بْنِ الْحَضْرَمِيِّ وَأَصْحَابِهِ بِالنَّارِ حِينَ حَرَّقَهُمْ جَارِيَةُ بْنُ قُدَامَةَ، كَمَا تَقَدَّمَ، فَلَمَّا اشْتُهِرَ هَذَا الصَّنِيعُ فِي الْبِلَادِ شَوَّشَ قُلُوبَ كَثِيرٍ مِنَ النَّاسِ، وَأَنْكَرُوهُ جِدًّا، وَاخْتَلَفُوا عَلَى عَلِيٍّ، وَمَنَعَ أَكْثَرُ أَهْلِ تِلْكَ النَّوَاحِي الْخَرَاجَ، وَلَا سِيَّمَا أَهْلُ فَارِسَ فَإِنَّهُمْ تَمَرَّدُوا وَأَخْرَجُوا عَامِلَهُمْ سَهْلَ بْنَ حُنَيْفٍ عَنْهُمْ، فَاسْتَشَارَ عَلِيٌّ النَّاسَ فِي مَنْ يُوَلِّيهِ عَلَيْهِمْ، فَأَشَارَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَجَارِيَةُ بْنُ قُدَامَةَ أَنْ يُوَلِّيَ عَلَيْهِمْ زِيَادَ بْنَ أَبِيهِ، فَإِنَّهُ صَلِيبُ الرَّأْيِ، عَالِمٌ بِالسِّيَاسَةِ. فَقَالَ عَلِيٌّ: هُوَ لَهَا، فَوَلَّاهُ عَلَى فَارِسَ وَكَرْمَانَ، فَجَهَّزَهُ إِلَيْهَا فِي أَرْبَعَةِ آلَافِ فَارِسٍ، فَسَارَ إِلَيْهَا فِي هَذِهِ السَّنَةِ، فَدَوَّخَ أَهْلَهَا
পৃষ্ঠা - ৬১৭৩
وَقَهَرَهُمْ حَتَّى اسْتَقَامُوا وَأَدَّوُا الْخَرَاجَ، وَرَجَعُوا إِلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ، وَسَارَ فِيهِمْ بِالْمَعْدَلَةِ وَالْأَمَانَةِ، حَتَّى كَانَ أَهْلُ تِلْكَ الْبِلَادِ يَقُولُونَ: مَا رَأَيْنَا سِيرَةً أَشْبَهَ بِسِيرَةِ كِسْرَى أَنُوشِرْوَانَ مِنْ سِيرَةِ هَذَا الْعَرَبِيِّ فِي اللِّينِ وَالْمُدَارَاةِ وَالْعِلْمِ بِمَا يَأْتِي وَمَا يَذْرُ، وَصَفَتْ لَهُ تِلْكَ الْبِلَادُ بِعَدْلِهِ وَعِلْمِهِ وَصَرَامَتِهِ، وَاتَّخَذَ لِلْمَالِ قَلْعَةً حَصِينَةً، فَكَانَتْ تُعْرَفُ بِقَلْعَةِ زِيَادٍ، ثُمَّ لَمَّا تَحَصَّنَ فِيهَا مَنْصُورٌ الْيَشْكُرِيُّ فِيمَا بَعْدَ ذَلِكَ، عُرِفَتْ بِهِ فَكَانَ يُقَالُ لَهَا: قَلْعَةُ مَنْصُورٍ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ بَعَثَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ عَلَى الْمَوْسِمِ، وَبَعَثَ مُعَاوِيَةُ يَزِيدَ بْنَ شَجَرَةَ الرَّهَاوِيَّ لِيُقِيمَ لِلنَّاسِ الْحَجَّ، فَلَمَّا اجْتَمَعَا بِمَكَّةَ تَنَازَعَا، وَأَبَى كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا أَنْ يُسَلِّمَ لِصَاحِبِهِ، فَاصْطَلَحَا عَلَى شَيْبَةَ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ الْحَجَبِيِّ، فَحَجَّ بِالنَّاسِ، وَصَلَّى بِهِمْ فِي أَيَّامِ الْمَوْسِمِ. قَالَ أَبُو الْحَسَنِ الْمَدَائِنِيُّ: لَمْ يَشْهَدْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ الْمَوْسِمَ فِي أَيَّامِ عَلِيٍّ حَتَّى قُتِلَ، وَالَّذِي نَازَعَهُ يَزِيدُ بْنُ شَجَرَةَ إِنَّمَا هُوَ قُثَمُ بْنُ الْعَبَّاسِ،
পৃষ্ঠা - ৬১৭৪


এরপর তিনি বলতেন : আল্লাহর কলম ! এটাকে (র্দাড়ির দিকে ইঙ্গিত) রঞ্জিত করবে এই
স্থানের (মাথার দিকে ইঙ্গিত) রক্ত ৷ যেমন ইমাম বায়হাকী হাকিমের সুত্রে ছালাবাহ্ ইবন
ইয়াষীদ থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আলী (রা) বলেছেন : ঐ সত্তার কসম ৷ যিনি বীজ
হতে চারা অং রিত করেন এবং বীর্য থেকে প্রাণী সৃষ্টি কারন, এটাকে অবশ্য এটা রঞ্জিত
করবে; অর্থাৎ দীড়িকে মস্তক রঞ্জিত করবে ৷ কাজেই কিসে সে হতভাগ্যকে আটকিয়ে রেখেছে?
তখন আবদুল্লাহ ইবন সাবা’ বললো, হে আমীরুল মু’মিনীন ৷ যদি কোন ব্যক্তি এহেন কাজ করে ,
তবে আমরা তাকে যবেহ করে দিব ৷ আলী (রা) বললেন, আমি তােমাদেরকে আল্লাহর শপথ
করে বলছি, আমার হত্যার প্রতিশোধ নিতে গিয়ে যেন এমন কেউ নিহত না হয় ফেআমাকে
হত্যা করেনি ৷ লোকজন বললো, হে আমীরুল মু’মিনীন ৷ আমাদের জন্যে কোন খলীফা নির্বাচন
করে যাবেন না ? তিনি বললেন, না ৷ বরং আমি তােমাদেরকে সেই অবস্থায় রেখে যেতে চাই,
যে অবস্থায় মহান আল্লাহর পিয়ারা রাসুল তােমাদেরকে রেখে গিয়েছিলেন ৷ লোকজন বললো,
আমাদেরকে শাসকৰিহীন অবস্থায় রেখে মহান আল্লাহর কাছে গিয়ে আপনি কি জওয়াব
দিবেন ? তিনি বললেন : আমি বলবো, হে আল্লাহ ! আপনি আমাকে তাদের খলীফা
বানিয়েছিলেন, যতদিন আপনার ইচ্ছা ছিল ৷ এরপর আপনি আমাকে উঠিয়ে এসেছেন ৷ আমি
আপনার হিফাজতে তাদেরকে রেখে এসেছি ৷ আপনি যদি চান তাদেরকে কল্যাণ দান করুন,
আর যদি আপনি চান তা ড়াদেরকে বিপর্যস্ত করুন ৷
ভিন্ন সুত্র

আবু দাউদ৩ ন্:ইয়ালিসী তার মুসনাদ গ্রন্থে বলেন ? শরীক উসমান ইবন ঘুগীরার সুত্রে
যাইদ ইবন ও হার থেকে বর্ণনা করেন, খারিজী সম্প্রদায়ের কিছু লোক আলীর কাছে এসে
বললো : আল্লাহ্কে ভয় করুন ৷ কেননা, আপনি মৃত ৷ আলী বললেন : না, ঐ সত্তার কলম!
যিনি বীজ থেকে উদ্গত করেন এবং প্রাণী সৃষ্টি করেন, আমি নিহত ৷ এই জায়গায় আঘাত করা
হবে এবং এটাকে রঞ্জিত করবে ৷ এ কথা বলার সময় তিনি দাড়ির দিকে ইঙ্গিত করেন ৷ এটা
প্ৰতিশ্রুত অঙ্গীকার এবং চুড়ান্ত ফয়সালা, যে মিথ্যা কথা বলে সে ধ্বংস ৷

অপর সুত্র

হাফিজ আবু ইয়ালা বলেনং সুওয়ায়িদ ইবন সাঈদ সুহাইব থেকে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেন, আলী (বা) বলেছেন রাসুলুল্লাহ্ স্;;ন্ণ্ ;আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, প্রাচীন যুগের হত ৩ভাগ্য
ব্যক্তি কে ? আ৷ ৷ বললড়াম, সালিহ (আ) এর উন্থীকে হত্যাকারী ৷ তিনি বললেন, জওয়াব ঠিক
হয়েছে ৷ এবার বলং শেষ যুগের ন্হতভাগ্য ব্যক্তি কে? আমি বাংলায়, ইয়ং রলোঃহ্ ! এর
জওয়াব আমার জানা সেই ৷ তিনি বললেন, যে হচ্ছে ঐ ব্যক্তি যে ওে ৷মার এই স্থানে আঘাত
করবে ৷ এ কথা বলার সময়ও তিনি মাথার তালুর দিকে ইঙ্গিত করেন এবং এটা এটাকে রঞ্জিত
করবে ৷ অর্থাৎ মাথার রক্তে দাড়ি রঞ্জিত হবে ৷ এ কারণে তিনি প্রায়ই বলতে ন, আমি চ ই
তোমাদের মধ্যকার সেই হত ভাগ্য ব্যক্তি যদি তৎপর হত্ত তো

আলী (রা) থেকে আরেক সুত্র

ইমাম আহমদ বলেনং ং ওয়াকী’ আবদুল্লাহ ইবন সারা’ থেকে বর্ণিত ৩৷ তিনি বলেন,
আমি শুনেছি আলী (রা) বলতেন, এইটা এইটাকে রঞ্জিত করবে ৷ কাজেই হতভাগ্য ব্যক্তিঢি


حَتَّى اصْطَلَحَا عَلَى شَيْبَةَ بْنِ عُثْمَانَ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَكَمَا قَالَ أَبُو الْحَسَنِ الْمَدَائِنِيُّ قَالَ أَبُو مَعْشَرٍ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَأَمَّا عُمَّالُ عَلِيٍّ عَلَى الْأَمْصَارِ فَهُمُ الَّذِينَ ذَكَرْنَا فِي السَّنَةِ الْمَاضِيَةِ، غَيْرَ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ كَانَ قَدْ سَارَ مِنَ الْبَصْرَةِ إِلَى الْكُوفَةِ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَى الْبَصْرَةِ زِيَادَ بْنَ أَبِيهِ، ثُمَّ سَارَ زِيَادٌ فِي هَذِهِ السَّنَةِ إِلَى فَارِسَ وَكَرْمَانَ كَمَا ذَكَرْنَا. [ذِكْرُ مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] سَعْدُ الْقَرَظِ مُؤَذِّنُ مَسْجِدِ قُبَاءٍ فِي زَمَانِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا وَلِيَ عُمَرُ الْخِلَافَةَ وَلَّاهُ أَذَانَ الْمَسْجِدِ النَّبَوِيِّ، وَكَانَ أَصْلُهُ مَوْلًى لِعَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، وَهُوَ الَّذِي كَانَ يَحْمِلُ الْعَنَزَةَ بَيْنَ يَدِيْ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ وَعَلِيٍّ إِلَى الْمُصَلَّى يَوْمَ الْعِيدِ، وَبَقِيَ الْأَذَانُ فِي ذُرِّيَّتِهِ مُدَّةً طَوِيلَةً. عُقْبَةُ بْنُ عَمْرِو بْنِ ثَعْلَبَةَ، أَبُو مَسْعُودٍ الْبَدْرِيُّ، سَكَنَ مَاءَ بَدْرٍ
পৃষ্ঠা - ৬১৭৫
فَنُسِبَ إِلَيْهِ، وَلَمْ يَشْهَدِ الْوَقْعَةَ بِبَدْرٍ عَلَى الصَّحِيحِ، وَقَدْ شَهِدَ الْعَقَبَةَ، وَهُوَ مِنْ سَادَاتِ الصَّحَابَةِ، وَكَانَ يَنُوبُ لِعَلِيٍّ بِالْكُوفَةِ إِذَا خَرَجَ مِنْهَا إِلَى الْقِتَالِ.