আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثمان وثلاثين

পৃষ্ঠা - ৬১৪৮


অপরিচিত লোক গিয়েছে কিনা ? তারা উত্তর দিত- না, কাউকে যেতে দেখিনি ৷ জ্যি একজন
লোক বললো আমি একটি লোককে এই বিধ্বস্ত ঘরে বসে থাকতে দেখেছি ৷ সেদিকে তাকিয়েই
সে বলে উঠল্যে, কাবার মালিকের কসম ! ঐ তো, ঐ দেখা যায় তাকে ৷

সন্ধানকারীরা বিধ্বস্ত ঘরটিতে প্রবেশ করে তাকে টেনে বের করে নিয়ে আসে ৷ এ সময়
পানির প্রচণ্ড পিপাসায় তার প্রাণ ওষ্ঠাগত প্রায় ৷ তখন মুহাম্মদ ইবন আবু বকরের ভাই আবদুর
রহমান ইবন আবু বকর আমর ইবন অড়াসের নিকট হাজির হয়ে বলেন, আমার ভাইকে কি এরুপ
নির্মমভাবে হত্যা করা হবে ? আবদুর রহমান ইবন আবু বকর আমর ইবন আসের সাথেই মিসর
এসেছিলেন ৷ তখন আমর ইবন আস মুআবিয়া ইবন খাদীজকে সংবাদ পাঠান যে, মুহাম্মদ ইবন
আবু বকরকে হত্যা না করে যেন আমার নিকট নিয়ে আসা হয় ৷ সংবাদ পেয়ে মুআবিয়া
বললো, তা কখনও হতে পারে না যে, ওরা (সিরীয়রা) কিনানাকে হত্যা করবে আর আমি
মুহাম্মদ ইবন আবু বকরকে ছেড়ে দিব ৷ অথচ সে উসমানের অন্যতম হত্যাকারী ৷ উসমানও
তখন তাদের কাছে পানি পান করতে চেয়েছিলেন ৷ মুহাম্মদ ইবন আবু বকর পান করার জন্যে
তাদের কাছে সামান্য পানি প্রার্থনা করেন ৷ মুআৰিয়া বললেন, তোমাকে যদি এক কোটা পানিও
পান করতে দিই তাহলে আল্পাহ্ কখনও আমাকে পানি পান করাবেন না ৷ তোমরা উসমড়ান
(রা)-কে পানি পান করতে বাধা প্রদান করেছিলে এবং সাওম পালনরত অবস্থায় তাকে হত্যা
করেছিলে ৷ আল্লাহ র্তাকে খাটি শরাব পান করাবার জন্যে নিয়ে গেছেন ৷

ইবন জারীয় লিখেছেন যে, মুহাম্মদ ইবন আবু বকর মুআবিয়া ইবন খাদীজ১ , আমর ইবন
আস, মুআবিয়া ও উসমড়ান ইবন আফফান থেকে এই একইরুপ আচরণ পায় ৷ যা হোক এ
সময় মুআবিয়া ইবন খাদীজ অত্যধিক £ক্রাধান্বিত হয়ে ওঠেন এবং সামনে গিয়ে তাকে হত্যা
করেন ৷ এরপর তার লাশ মৃত দুর্গন্ধময় গাধার সাথে একত্র করে আগুনে জানিয়ে দেন ৷ এ

ৎবাদ আয়েশা (রা) এর কাছে গেলে তিনি অত্যন্ত ভীত হয়ে পড়েন এবং মুহাম্মদের

পরিব্ড়ারবর্পকে নিজের কাছে নিয়ে নেন ৷ মুহাম্মদের পুত্র কাসিমও এর অন্তর্ভুক্ত ছিল ৷ তিনি
সকল সালাতের পর মুআবিয়া ও আমর ইবন আসের প্রতি অভিশাপ বর্ষণ করতেন ৷

ওয়াকিদী লিখেছেন : আমর ইবন আস চার হাজার সৈন্য নিয়ে মিসরে আসেন ৷ এ দলের
মধ্যে ছিল আবুল আওয়ার সুলামী ৷ মাসান্নাত নামক স্থানে এ দলের সাথে মিসরীয়দের মুকাবিলা
হয় ৷ উভয় পক্ষের ঘোরতর যুদ্ধের এক পর্যায়ে কিনানা ইবন বিশৃর ইবন ইতাব তৃব্জীবী নিহত
হয় ৷ তখন মুহাম্মদ ইবন আবু বকর সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে জাবালা ইবন মাসরুক নামক
এক ব্যক্তির কাছে আত্মগােপন করে ৷ কিন্তু গোপন সংবাদ পেয়ে মুআৰিয়া ইবন খাদীজ
লোকজন নিয়ে তাকে ঘিরে ফেলে ৷ মুহাম্মদ ইবন আবু বকর বেরিয়ে এসে তাদের সাথে যুদ্ধ
করে এবং নিহত হয় ৷ ওয়াকিদী বলেন, এ ঘটনা এ বছর সফর সালে সংঘটিত হয় ৷

ওয়াকিদী বলেন, মুহাম্মদ ইবন আবু বকরের নিহত হওয়ার পর আলী (রা) আশতার
নাখঈকে মিসরে প্রেরণ করেন ৷ কিতু! পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয় ৷ তিনি বলেন, এ সানরই শাবান
মাসে আযরুহ যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷ এ দিকে আমর ইবন আস ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে



১ ভিন্ন মতে হুদায়জ ৷

আল-বিদায়া — ৭১


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثَمَانٍ وَثَلَاثِينَ] [مَا وَقَعَ فِيهَا مِنَ الْأَحْدَاثِ] فِيهَا بَعَثَ مُعَاوِيَةُ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ إِلَى دِيَارِ مِصْرَ لِيَأْخُذَهَا مِنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ. وَاسْتَنَابَ مُعَاوِيَةُ عَمْرًا عَلَيْهَا، وَذَلِكَ كَمَا سَنُبَيِّنُهُ. وَقَدْ كَانَ عَلِيٌّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، اسْتَنَابَ عَلَيْهَا قَيْسَ بْنَ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، وَانْتَزَعَهَا مِنْ يَدِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي حُذَيْفَةَ، وَقَدْ كَانَ أَخَذَهَا مِنَ ابْنِ أَبِي سَرْحٍ نَائِبِ عُثْمَانَ عَلَيْهَا، وَكَانَ عُثْمَانُ قَدْ عَزَلَ عَنْهَا عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ، وَكَانَ عَمْرٌو هُوَ الَّذِي افْتَتَحَهَا، كَمَا تَقَدَّمَ ذَلِكَ، ثُمَّ إِنَّ عَلِيًّا عَزَلَ عَنْهَا قَيْسَ بْنَ سَعْدٍ، وَوَلَّى عَلَيْهَا مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي بَكْرٍ، وَكَانَ قَيْسٌ كُفْئًا لِمُعَاوِيَةَ وَعَمْرٍو، فَلَمَّا وُلِّيَ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ لَمْ يَكُنْ فِيهِ قُوَّةٌ تُعَادِلُ مُعَاوِيَةَ وَعَمْرًا، وَحِينَ عُزِلَ قَيْسُ بْنُ سَعْدٍ عَنْهَا رَجَعَ إِلَى الْمَدِينَةِ، ثُمَّ سَارَ إِلَى عَلِيٍّ بِالْعِرَاقِ فَكَانَ مَعَهُ. وَكَانَ مُعَاوِيَةُ يَقُولُ: وَاللَّهِ لَقَيْسُ بْنُ سَعْدٍ عِنْدَ عَلِيٍّ أَبْغَضُ إِلَيَّ مِنْ مِائَةِ أَلْفِ مُقَاتِلٍ تَكُونُ مَعَهُ بَدَلَهُ. فَلَمَّا فَرَغَ عَلِيٌّ مِنْ صِفِّينَ، وَبَلَغَهُ أَنَّ أَهْلَ مِصْرَ قَدِ اسْتَخَفُّوا بِمُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ ; لِكَوْنِهِ شَابًّا ابْنَ سِتٍّ وَعِشْرِينَ سَنَةً، أَوْ نَحْوَ ذَلِكَ عَزَمَ عَلِيٌّ عَلَى رَدِّ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ
পৃষ্ঠা - ৬১৪৯


মু আবিযার নিকট পত্র লেখেন ৷ তিনি জানান যে, মহান আল্লাহ আপনাকে মিসরের বিজয় দান
করেছেন ৷ এখানকার লোকজন আনুগত্য মেনে নিয়েছে এবৎ জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ৷
তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হয়েছে ৷ হিশাম ইবন মুহাম্মদ কালবী বলেন, মুহাম্মদ ইবন আবু
বকর নিহত হওয়ার পর মুহাম্মদ ইবন আবু হুযাইফার তৎপরতা বন্ধ হয়ে গেছে ৷ উসমান (বা)
হত্যার অনুপ্রেরণা দানকারীদের মধ্যে তিনিও ছিলেন অন্যত তম ৷ আমর ইবন আস তাকে
মু আবিয়ার নিকট পাঠিয়ে দেন ৷ মুহাম্মদ ইবন আবু হুযাইফ৷ আমীর মু আ ৷যিয়ড়ার মামাতে ৷ ভাই
হওয়ার কারণে আমর তাকে হত্যা করা থেকে বিরত থাকেন ৷

মু আবিযা তাকে ফিলিস্তীন কারাগারে বন্দী করে রাখেন ৷ কিন্তু কারাগার থেকে সে পালিয়ে
যায় এবং বালকা এলাকায় আবদুল্লাহ ইবন উমর ইবন জিলামর সাথে মিলিত হয় ৷ সেখানে এক
গুহার মধ্যে মুহাম্মদ ইবন আবু হুযাইফ৷ আত্মগােপন করে ৷ একটি বন্য গাধা আশ্রয় নেওয়ার
জন্যে ঐ গুহার কাছে আসে ৷ কিন্তু গুহার মধ্যে দৃষ্টি দিয়ে মানুষ দেখতে পিয়েই সে ছুটে
পালায় ৷ গাধড়ার এ কাগু দেখে সেখানে কর্মরত একদল কাঠুরিয়া বিস্মিত হয় ৷ তারা গুহার কাছে
গিয়ে মু ৷ম্মদকে দেখতে পায় ৷ এরপর সেখানে আরও লোকজনের আগমন ঘটতে থাকে ৷
আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন জিলামের মনে ভয় হলো যে, এরা তাকে মু আবিয়ার কাছে পাঠিয়ে
দিতে পারে এবং তিনি হয়তো তাকে ক্ষমা করে দিবেন ৷ এ কথা ভেবে সে তার শিরশ্চেদ করে
দেয় ৷ ইবনুল কা ৷লবী এ ঘটনা এরুপেই বণ্টা৷ করেছেন ৷ কিন্তুং ওয়াকিদী ও অন্যান্য ঐতিহাসিক
লিখেছেন যে মুহাম্মদ ইবন আবু হুজাইফা হিজরী ছত্রিশ সনে নিহত হয়েছেন ৷

ইব্রাহীম ইবন হুসাইন ইবন দীযবীল তার গ্রন্থে ণ্লখেন৪ আবদুল্লাহ ইবন সালিহ, ইবন
লাহইয়া, ইয়াযীদ ইবন হাবীব সুত্রে বর্ণিত ৩৷ আমর ইবন আল মিসরের জনৈক কিবভীর প্রচুর
অর্থ আটক করেন ৷ কেননা সে তার নিকট অবস্থান করতো এবং মুসলমানদের গোপন তথ্য
রোমে পাচার করে দিত ৷ এ ব্যাপারে সে তাদের সাথে নিয়মিত পত্র যোগাযোগ করতো ৷ এ
অপরাধে তিনি ঐ কিবভীর পঞ্চাশ উরদুবেরও বেশি দীনার আটক করেন ৷ আবু সালিহ বলেন,
এক উরদুবে ছয় ওয়ায়বাত এবং এক ওয়ায়বাত এক ৰুফীঘের সমান ৷ এক ওয়ায়বাতের মুল্য
হিসেব করে দেখা গেছে যে এর পরিমাণ র্দচ্ড়ায় উনচল্লিশ হাজার দীনার ৷ এ হিসেব মতে
কিবভীর থেকে আটককৃত অর্থের পরিমাণ প্রায় তেব কোটি দীনার ৷ আবু মাখসাফ তার সুত্রে
বলেন : আলী (রা)-এর কাছে যখন এ সংবাদ পৌছলো যে, মিসরের পতন হয়েছে, আমর
সেখানকার ক্ষমতা দখল করেছে, জনগণ তার ও মুআবিয়ার অ ৷নুপত্যে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে-
তখন তিনি জনতার উদ্দেশ্যে এক ভাষণ দেন ৷ ভাষণে তিনি তাদেরকে জিহাদের অনুপ্রেরণা
দান করেন, ধৈর্য ধারণ করতে বলেন এবং সিরিয়া ও মিসরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাওয়ার নির্দেশ
দেন ৷ এ উদ্দেশে তিনি তাদেরকে আগমীকাল কুফা ও হীরার মধ্যবভী জুরআ নামক স্থানে
একত্রিত হতে বলেন ৷

পরদিন তিনি তাে সেখানে গিয়ে অবস্থান করেন কিন্তু একজন সৈন্যও তখায় গেল না ৷
সন্ধ্য৷ ঘনিয়ে এলে তিনি দা ৷য়িতৃ শীল নেতৃবৃন্দকে ডেকে পাঠান ৷৩ তারা উপস্থিত হলে আলী (রা)
অত্যন্ত ভারাক্রাম্ভ হৃদয়ে তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন ৷ তিনি বলেন, যাবতীয় প্রশৎস সা আল্লাহর ৷
তিনি যা সিদ্ধান্ত করেছেন, তইি কার্যকর হয়েছে ৷ তিনি যা নির্ধারণ করেছেন, তাই বাস্তবায়িত


إِلَيْهَا، وَكَانَ عَلِيٌّ قَدْ جَعَلَهُ عَلَى شُرَطَتِهِ. وَقِيلَ: إِنَّهُ اسْتَمَرَّ بِقَيْسٍ عِنْدَهُ، وَوَلَّى الْأَشْتَرَ النَّخَعِيَّ مِصْرَ، وَقَدْ كَانَ نَائِبَهُ عَلَى الْمَوْصِلِ وَنَصِيبِينَ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ فَاسْتَقْدَمَهُ عَلَيْهِ، وَوَلَّاهُ مِصْرَ. فَلَمَّا بَلَغَ مُعَاوِيَةَ تَوْلِيَةُ الْأَشْتَرِ النَّخَعِيِّ مِصْرَ بَدَلَ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، وَعَلِمَ أَنَّ الْأَشْتَرَ سَيَمْنَعُهَا مِنْهُ ; لِجُرْأَتِهِ وَشَجَاعَتِهِ، فَسَارَ الْأَشْتَرُ إِلَيْهَا، فَلَمَّا بَلَغَ الْقُلْزُمَ اسْتَقْبَلَهُ الْجَايْسَارُ، وَهُوَ مُقَدَّمُ عَلِيٍّ عَلَى الْخَرَاجِ، فَقَدَّمَ إِلَيْهِ طَعَامًا، وَسَقَاهُ شَرَابًا مِنْ عَسَلٍ فَمَاتَ مِنْهُ، فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ مُعَاوِيَةَ وَعَمْرًا وَأَهْلَ الشَّامِ قَالُوا: إِنَّ لِلَّهِ لَجُنُودًا مِنْ عَسَلٍ. وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ فِي تَارِيخِهِ أَنَّ مُعَاوِيَةَ كَانَ قَدْ تَقَدَّمَ إِلَى هَذَا الرَّجُلِ فِي أَنْ يَحْتَالَ عَلَى الْأَشْتَرِ ; فَيَقْتُلَهُ، وَوَعَدَهُ عَلَى ذَلِكَ بِأُمُورٍ فَفَعَلَ ذَلِكَ. وَفِي هَذَا نَظَرٌ، وَبِتَقْدِيرِ صِحَّتِهِ فَإِنَّ مُعَاوِيَةَ يَسْتَجِيزُ قَتْلَ الْأَشْتَرِ ; لِأَنَّهُ مِنْ قَتَلَةِ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ مُعَاوِيَةَ وَأَهْلَ الشَّامِ فَرِحُوا فَرَحًا شَدِيدًا بِمَوْتِ الْأَشْتَرِ النَّخَعِيِّ وَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ عَلِيًّا تَأَسَّفَ عَلَى شَجَاعَتِهِ وَغَنَائِهِ، وَكَتَبَ إِلَى مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ بِاسْتِقْرَارِهِ وَاسْتِمْرَارِهِ بِدِيَارِ مِصْرَ، وَلَكِنَّهُ ضَعُفَ جَأْشُهُ مَعَ مَا كَانَ فِيهِ مِنَ
পৃষ্ঠা - ৬১৫০
الْخِلَافِ عَلَيْهِ مِنَ الْعُثْمَانِيَّةِ الَّذِينَ بِبَلَدِ خِرِبْتَا، وَقَدْ كَانُوا اسْتَفْحَلَ أَمْرُهُمْ حِينَ انْصَرَفَ عَلِيٌّ مِنْ صِفِّينَ وَكَانَ مِنْ أَمْرِ التَّحْكِيمِ مَا كَانَ، وَحِينَ نَكَلَ أَهْلُ الْعِرَاقِ عَنْ قِتَالِ أَهْلِ الشَّامِ مَعَهُ. وَقَدْ كَانَ أَهْلُ الشَّامِ لَمَّا انْقَضَتِ الْحُكُومَةُ بِدُومَةِ الْجَنْدَلِ سَلَّمُوا عَلَى مُعَاوِيَةَ بِالْخِلَافَةِ، وَقَوِيَ أَمْرُهُمْ جِدًّا. فَعِنْدَ ذَلِكَ جَمَعَ مُعَاوِيَةُ أُمَرَاءَهُ ; عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ، وَشُرَحْبِيلَ بْنَ السِّمْطِ، وَحَبِيبَ بْنَ مَسْلَمَةَ، وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، وَالضَّحَّاكَ بْنَ قَيْسٍ، وَبُسْرَ بْنَ أَبِي أَرْطَاةَ، وَأَبَا الْأَعْوَرِ السُّلَمِيَّ، وَحَمْزَةَ بْنَ سِنَانٍ الْهَمْدَانِيَّ، وَغَيْرَهُمْ، فَاسْتَشَارَهُمْ فِي الْمَسِيرِ إِلَى مِصْرَ فَاسْتَجَابُوا لَهُ، وَقَالُوا: سِرْ حَيْثُ شِئْتَ فَنَحْنُ مَعَكَ. وَعَيَّنَ مُعَاوِيَةُ نِيَابَتَهَا لِعَمْرِو بْنِ الْعَاصِ إِذَا فَتَحَهَا، فَفَرِحَ بِذَلِكَ عَمْرٌو، ثُمَّ قَالَ لِمُعَاوِيَةَ: أَرَى أَنْ تَبْعَثَ إِلَيْهِمْ رَجُلًا مَعَهُ جُنْدٌ مَأْمُونٌ عَارِفٌ بِالْحَرْبِ، فَإِنَّ بِهَا جَمَاعَةً مِمَّنْ يُوَالِي عُثْمَانَ فَيُسَاعِدُونَهُ عَلَى حَرْبِ مَنْ خَالَفَهُمْ،
পৃষ্ঠা - ৬১৫১


হয়েছে ৷ তিনি আমাকে পরীক্ষা নিচ্ছেন তোমাদের দ্বারা এবং ঐসব লোকের দ্বারা যাদেরকে
আমি নির্দেশ দিই ৷ কিন্তু তারা তা মানে না ৷ আহবান করি কিন্তু আহবানে সাড়া দেয় না ৷ এটা
কত বড় বিস্ময়কর ব্যাপার যে,মুআৰিয়া নিকৃষ্ট ও দুশ্চরিত্র লোকদের আহবান করলে কোন
সাহায্য অনুদান ছাড়াই বিনাবাক্যে তারা তার আহবানে সাড়া দেয় ৷ এক বছরে দুইবার কিখ্বা
তিনবার অভিযানে ডাক দিলেও তারা পুর্ণ আনুগত্য দেখায়, অভিযান যেখানে বা যাদের বিরুদ্ধে
হোক না কেন ৷ অথচ আমি যখন তোমাদের আহবান করি তখন তোমরা আমার থেকে পৃথক
হয়ে যাও অবাধ্য হও এবং আমার সাথে বিতর্কে লিপ্ত হও ৷ অথচ৫ তামরা জ্ঞানীগুণী ও
সমাজের উৎকৃষ্ট গ্রেণী, তদুপরি আমার পক্ষ থেকে সাহায্য অনুদানের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয় ৷

আলী (রা)-এর ভাষণ এ পর্যন্ত শেষ হলে মালিক ইবন কা’ব আওসী দাড়িয়ে উপ
লোকদেরকে আলীর নির্দেশ শুনতে, মানতে এবং আনুগত্য করতে আহবান জানান ৷ তার
আহবানে দু’হা ৷জার লোক সাড়া দেয় ও যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত হয় ৷ এই মালিক ইবন কা’বকেই

তাদের আমীর নিযুক্ত করা হয় ৷ তিনি তাদেরকে নিয়ে যাত্রা শুরু করেন ৷ পাচ দিন অতিবাত

হওয়ার পর মিসর থেকে একটি ণ্াল আগমন করে ৷ এ দলের লোকেরা মুহাম্মদ ইবন আবু
বকরের সাথে ছিল ৷ তারা ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে জানলে যুদ্ধ কি রকম হলো , মুহাম্মদ
ইবন আবু বকর কিভাবে নিহত হলেন এবং মিসরে আমরের শক্তি কিভাবে সৃদৃঢ় হয়েছে ৷ এ
সংবাদ জানার পর আলী (বা) লোক পাঠিয়ে মালিক ইবন কা’বকে মধ্যপথ থেকে ফিরিয়ে
আনেন ৷ কেননা তিনি আশংক৷ বোধ করলেন যে, মিসরে পৌছার আগেই সিরীয়দের পক্ষ হতে
এদের উপর হামলা হতে পারে ৷

এ দিকে ইরাকীরা আলী (রা) এর আদেশ নিষেধ অমান্য করা, তার বিরুদ্ধাচরণ করা এবং
তার কথা, কাজ ও নির্দেশ থেকে দুরে থাকার নীতিতে অটল হয়ে থাকলো ৷ কারণ তারা ছিল
মুর্থ, কাণ্ডজ্ঞানহীন, নীচমনা, দৃষ্কৃতিকারী ও অপরাধপ্রবণ ৷ এরপর আলী (রা) ইবন আব্বাসের
নিকট পত্র লেখেন ৷ তিনি ছিলেন আলীর পক্ষ থেকে বস রার শাসনকর্তা ৷ পত্রে তিনি ইরাকীদের
বিন্দ্বষ ও বিরোধিতার অভিযোগ করেন ৷ ইবন আব্বাস আলীর পত্রের জবাব দেন ৷ তিনি তাকে
সান্তুনা দেনও মুহাম্মদ ইবন আবুবকরের জন্যে শোক প্রকাশ করেন ৷ তাদের অন্যায় আচরণের
জন্যে ধৈর্য ধারণ ক রারও মানুষকে সংশোধন করার দিকে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ৷ কেননা
দুনিয়ার চেয়ে মহান আল্লাহর প্ৰতিদান অতি উত্তম ৷ পত্র দেওয়ার পর ইবন আব্বাস যিয়াদকে
স্থলাভিষিক্ত রেখে আলীর কাছে কুফায় চলে আসেন ৷ মুআবিয়৷ ইবন আবু সুফিয়ান এ সময়
আবদুল্লাহ ইবন আমর হাযরামীকে একটি পত্রসহ বসরায় প্রেরণ করেন ৷ তিনি বসরাবাসীকে
আমর ইবন আসের নির্দেশ মেনে নেওয়ার আহবান জানান ৷ ইবনুল হাযরামী বসরায় এসে বনু
তামীমের নিকট অবতরণ করেন ৷ বনু তামীম তাকে আশ্রয় দেয় ৷

সছুবাদ পেয়ে যিয়াদ আ’য়ুন ইবন যাবীআকে একদল লোকসহ তাদের কাছে প্রেরণ
করেন ৷ তখন উভয় দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয় এবং আ’য়ুন ইবন যাবীআ নিহত হন ৷ ইবন
আব্বাস বসরা থেকে চলে যাওয়ার পরে এখানে কি ঘটেছে সে বিষয়ে অবগত করে যিয়াদ
আলীর কাছে এক পত্র দেন ৷ তখন আলী (বা) জারিয়৷ ইবন কুদামা৩ তামীমীকে পঞ্চাশ জন
সৈনাসহ তার গোত্র বনুত তামীমের নিকট প্রেরণ করেন ৷ তিনি বনু৩ তামীমের উদ্দোশ্য একটি পত্র


فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: لَكِنْ أَرَى أَنْ أَبْعَثَ إِلَى شِيعَتِنَا مِمَّنْ هُنَالِكَ كِتَابًا نُعْلِمُهُمْ بِقُدُومِنَا عَلَيْهِمْ، وَنَبْعَثُ إِلَى مُخَالِفِينَا كِتَابًا نَدْعُوهُمْ فِيهِ إِلَى الصُّلْحِ. وَقَالَ مُعَاوِيَةُ لِعَمْرِو بْنِ الْعَاصِ: إِنَّكَ يَا عَمْرُو رَجُلٌ بُورِكَ لَكَ فِي الْعَجَلَةِ، وَإِنِّي امْرُؤٌ بُورِكَ لِي فِي التُّؤَدَةِ. فَقَالَ عَمْرٌو: اعْمَلْ مَا أَرَاكَ اللَّهُ، وَمَا أَرَى أَمْرَكَ وَأَمْرَهُمْ إِلَّا سَيَصِيرُ إِلَى الْحَرْبِ الْعَوَانِ. فَكَتَبَ عِنْدَ ذَلِكَ مُعَاوِيَةُ إِلَى مَسْلَمَةَ بْنِ مَخْلَدٍ الْأَنْصَارِيِّ، وَإِلَى مُعَاوِيَةَ بْنَ حُدَيْجٍ السَّكُونِيِّ - وَهُمَا رَئِيسَا الْعُثْمَانِيَّةِ بِبِلَادِ مِصْرَ وَكَانَا مِمَّنْ لَمْ يُبَايِعُ عَلِيًّا، وَلَمْ يَأْتَمِرْ بِأَمْرِ نُوَّابِهِ بِمِصْرَ فِي نَحْوٍ مَنْ عَشَرَةَ آلَافٍ - يُخْبِرُهُمْ بِقُدُومِ الْجَيْشِ إِلَيْهِمْ سَرِيعًا، وَبَعَثَ بِهِ مَعَ مَوْلًى لَهُ يُقَالُ لَهُ: سُبَيْعٌ. فَلَمَّا وَصَلَ الْكِتَابُ إِلَى مَسْلَمَةَ وَمُعَاوِيَةَ بْنِ حُدَيْجٍ فَرِحَا بِهِ وَرَدَّا جَوَابَهُ بِالِاسْتِبْشَارِ وَالْمُعَاوَنَةِ وَالْمُنَاصَرَةِ لَهُ، وَلِمَنْ يَبْعَثُهُ مِنَ الْجَيْشِ. فَعِنْدَ ذَلِكَ جَهَّزَ مُعَاوِيَةُ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ فِي سِتَّةِ آلَافٍ، وَخَرَجَ مَعَهُ مُوَدِّعًا وَأَوْصَاهُ بِتَقْوَى اللَّهِ وَالرِّفْقِ وَالْمَهْلِ وَالتُّؤَدَةِ، وَأَنْ يَقْتُلَ مَنْ قَاتَلَ وَيَعْفُوَ عَمَّنْ أَدْبَرَ، وَأَنْ يَدْعُوَ النَّاسَ إِلَى الصُّلْحِ وَالْجَمَاعَةِ، فَإِذَا أَنْتَ ظَهَرْتَ فَلْيَكُنْ أَنْصَارُكَ آثَرَ
পৃষ্ঠা - ৬১৫২
النَّاسِ عِنْدَكَ. فَسَارَ عَمْرٌو فَلَمَّا دَخَلَ مِصْرَ، اجْتَمَعَتْ عَلَيْهِ الْعُثْمَانِيَّةُ فَقَادَهُمْ، وَكَتَبَ إِلَى مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ: أَمَّا بَعْدُ، فَتَنَحَّ عَنِّي بِدَمِكَ، فَإِنِّي لَا أُحِبُّ أَنْ يُصِيبَكَ مِنِّي ظُفُرٌ ; فَإِنَّ النَّاسَ قَدِ اجْتَمَعُوا بِهَذِهِ الْبِلَادِ عَلَى خِلَافِكَ وَرَفْضِ أَمْرِكَ، وَنَدِمُوا عَلَى اتِّبَاعِكَ، فَهُمْ مُسْلِمُوكَ لَوْ قَدِ الْتَقَتْ حَلْقَتَا الْبِطَانِ، فَاخْرُجْ مِنْهَا فَإِنِّي لَكَ لَمِنَ النَّاصِحِينَ وَالسَّلَامُ. وَبَعَثَ إِلَيْهِ عَمْرٌو أَيْضًا بِكِتَابِ مُعَاوِيَةَ إِلَيْهِ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ غِبَّ الْبَغْيِ وَالظُّلْمِ عَظِيمُ الْوَبَالِ، وَإِنَّ سَفْكَ الدَّمِ الْحَرَامِ لَا يَسْلَمُ فَاعِلُهُ مِنَ النِّقْمَةِ فِي الدُّنْيَا، وَالتَّبِعَةِ الْمُوبِقَةِ فِي الْآخِرَةِ، وَإِنَّا لَا نَعْلَمُ أَحَدًا كَانَ أَشَدَّ خِلَافًا عَلَى عُثْمَانَ مِنْكَ حِينَ تَطْعَنُ بِمَشَاقِصِكَ بَيْنَ حُشَاشَتِهِ وَأَوْدَاجِهِ، ثُمَّ أَنْتَ تَظُنُّ أَنِّي عَنْكَ نَائِمٌ أَوْ لِفِعْلِكَ نَاسٍ، حَتَّى تَأْتِيَ فَتَتَأَمَّرَ عَلَى بِلَادٍ أَنْتِ بِهَا جَارِي، وَجُلُّ أَهْلِهَا أَنْصَارِي، وَقَدْ بَعَثْتُ إِلَيْكَ بِجُيُوشٍ يَتَقَرَّبُونَ إِلَى اللَّهِ بِجِهَادِكَ، وَلَنْ يُسَلِّمَكَ اللَّهُ مِنَ الْقَصَّاصِ أَيْنَمَا كُنْتَ، وَالسَّلَامُ. قَالَ: فَطَوَى مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْكِتَابَيْنِ، وَبَعَثَ بِهِمَا إِلَى عَلِيٍّ وَأَعْلَمَهُ بِقُدُومِ عَمْرٍو إِلَى مِصْرَ فِي جَيْشٍ مِنْ قِبَلِ مُعَاوِيَةَ ; فَإِنْ كَانَتْ لَكَ بِأَرْضِ مِصْرَ حَاجَةٌ فَابْعَثْ إِلَيَّ بِأَمْوَالٍ وَرِجَالٍ، وَالسَّلَامُ. فَكَتَبَ إِلَيْهِ عَلِيٌّ يَأْمُرُهُ
পৃষ্ঠা - ৬১৫৩


লিখে তার কাছে পাঠান ৷ এতে বনুত তামীমের অধিকাংশ লোক ইবন হাযরাযীর সমর্থন ত্যাগ
করে ৷ এরপর জারিয়া ইবন কুদামা আবদুল্লাহ ইবন আমর হাযরামীকে তার দলবলসহ একটি
ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখেন ৷ তাদের স০ খ্যা ছিল চল্লিশজন, মতান্তরে সত্তরজন ৷ এদের সবাইকে
তিনি আগুন দ্বারা পুড়িয়ে মারেন ৷ এর আগে তিনি তাদেরকে সুযোগ দেন ও সতর্ক করেন ৷
কিন্তু তারা তা গ্রহণ করেনি এবং৩ তাদের উদ্দেশ্য ত্যাগ করেনি ৷

অনুচ্ছেদ

ইবন জারীর এই বছরে (আটত্রিশ সালে) নাহ্রাওয়ানদের সাথে আলীর যুদ্ধ সংঘটিত
হওয়াকে সঠিক বলেছেন ৷ তার মতে হুরাইছ১ ইবন রাশিদ নাজীর বিদ্রোহও এ সনেই হুরাইছের
সাথে তার কওমের তিনশ লোক ছিল ৷ প্রথম থেকে সে আলী (না)-এর সাথে কুফায় থাকতো ৷
হঠাৎ একদিন আলীর সম্মুখে এসে সে বলতে লাগলো আলী ! আল্লাহর কলম! এখন থেকে
আর আপনার হুকুম মানবাে না ৷ আপনার পিছনে সালাত আদায় করবো না ৷ আপামীকাল
আপনার থেকে বিদায় নিব ৷

আলী (রা) বললেন, তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক! এ রকম যদি কর তা হলে
তোমার প্ৰতিপালকের নাফরমানী করবে, তোমার অংগীকার ভৎগ হবে এবং নিজের ক্ষতি
নিজেই করবে ৷ আচ্ছা বলো তাে, তুমি এ রকম কেন করতে চাও ? সে বললাে, আপনি
আল্লাহর কিতাবের উপরে মানুষকে বিচারক বানিয়েছেন এবং কঠিন অবস্থায় হক প্রতিষ্ঠার
ব্যা ৷রেঅ ন্াপনি দুর্বল ৷৩ তাছাড়া যারা জালিম তাদের দিকে আপনি ঝুকে পড়েছেন ৷ এ কারণে

আপনাকে আমরা তিরস্কার করি এবং আপনাকে (তাদেরকেং তাবারী) আমরা শাস্তি দিব ৷

আপনাদের সকলের থেকে (আলী ও মুআবিয়া) আমরা পৃথক হয়ে যাবো ৷ এরপর সে তার
সাথীদের কাছে চলে যায় এবং তাদেরকে নিয়ে বসরা অভিমুখে রওনা হয় ৷

আলী (রা) এদের উদ্দেশ্যে মাকাল ইবন কাইসকে প্রেরণ করেন এবং তার পশ্চাতে খালিদ
ইবন মাদান তাঈকে পাঠিয়ে দেন ৷ ব্যক্তি হিসেবে খালিদ (রা) ছিলেন যোগ্য, ধার্মিক, বীর ও
সাহসী ৷ আলী তাকে নির্দেশ দেন মা কালের কথা শুনতে ও তার আনুগত্য করতে ৷ উভয় দল
যখন একত্রেত হলো তখন সবাই মিলে এক বাহিনীতে পরিণত হয় ৷ এরপর তারা হুরাইছের
সন্ধানে বের হয় ৷ অবশেষে রাম হুরমুয পর্বতের কাছে তাকে পেয়ে যায় ৷ খালিদ (রা) বলেন,
আমরা ব্যুহ রচনা করে তাদের দিকে এগিয়ে গেলাম ৷ মাকাল ব্যুহের মাইমানাহ্ অংশের
দায়িতু দেন ইয়াযীদ ইবন মাকালকে এবং মাইসারাহ্ অংশের দায়িতৃ দেন মিনজাব ইবন রাশিদ
জাবীকে ৷ ওদিকে হুরাইছেৱ সাথে যে সব আরব ছিল তাদেরকে রাখে ম ইমানাহ অ০ শে এবং

তার অনুসারী কুর্দী ও অনারবদের রাখে মাইসা ৷রাহ্ অ০ শে ৷ মা কাল ইবন কাইস আমাদের মাঝে

ঘুরে ঘুরে ঘোষণা দেন০ : হে আল্লাহ্র বান্দাগণ ৷ শত্রুদের উপর প্রথমে আক্রমণ করো না,
দৃষ্টিকে অবনমিত রাখ ৷ কথা কম বল, শুধু তলোয়ার ও বর্শা দ্বারা আক্রমণ করবে ৷

এ যুদ্ধের জন্যে তোমাদের পুরস্কারের সুসৎবাদ আছে ৷ কেননা দীন পরি৩ ৷৷পকারী
লোকদের সাথে তোমরা যুদ্ধ করছো এবং এমন অনারবদের সাথে লড়াই করছো যারা খারাজ



১তাবাবী কামিল, ইবনুল আছামের ফুভুহ ও তাজরীদে হুরাইছের পরিবর্তে খিররীত বলা হয়েছে ৷


بِالصَّبْرِ وَبِمُجَاهَدَةِ الْعَدُوِّ، وَأَنَّهُ سَيَبْعَثُ إِلَيْهِ الرِّجَالَ وَالْأَمْوَالَ، وَيَمُدُّهُ بِالْجُيُوشِ. وَكَتَبَ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ إِلَى مُعَاوِيَةَ كِتَابًا فِي جَوَابِ مَا قَالَ وَفِيهِ غِلْظَةٌ. وَكَذَلِكَ كَتَبَ إِلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ كِتَابًا فِيهِ كَلَامٌ غَلِيظٌ. وَقَامَ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ فِي النَّاسِ فَخَطَبَهُمْ وَحَثَّهُمْ عَلَى الْجِهَادِ وَمُنَاجَزَةِ مَنْ قَصَدَهُمْ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ. وَتَقَدَّمَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ إِلَى مِصْرَ فِي جُيُوشِهِ، وَمَنْ لَحِقَ بِهِ مِنَ الْعُثْمَانِيَّةِ، وَالْجَمِيعُ فِي قَرِيبٍ مِنْ سِتَّةَ عَشَرَ أَلْفًا. وَرَكِبَ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ فِي قَرِيبٍ مِنْ أَلْفَيْ فَارِسٍ وَهُمُ الَّذِينَ انْتَدَبُوا مَعَهُ مِنْ أَهْلِ مِصْرَ، وَقَدَّمَ بَيْنَ يَدَيْ جَيْشِهِ كِنَانَةَ بْنَ بِشْرٍ، فَجَعَلَ لَا يَلْقَى أَحَدًا مِنَ الشَّامِيِّينَ إِلَّا قَاتَلَهُمْ حَتَّى يُلْحِقَهُمْ مَغْلُوبِينَ إِلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، فَبَعَثَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ إِلَيْهِ مُعَاوِيَةَ بْنَ حُدَيْجٍ، فَجَاءَهُ مِنْ وَرَائِهِ، وَأَقْبَلَ إِلَيْهِ الشَّامِيُّونَ حَتَّى أَحَاطُوا بِهِ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ ; فَتَرَجَّلَ عِنْدَ ذَلِكَ كِنَانَةُ وَهُوَ يَقُولُ: {وَمَا كَانَ لِنَفْسٍ أَنْ تَمُوتَ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ كِتَابًا مُؤَجَّلًا} [آل عمران: 145] الْآيَةَ [آلِ عِمْرَانَ: 145] . ثُمَّ قَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ، وَتَفَرَّقَ أَصْحَابُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَنْهُ، وَرَجَعَ يَمْشِي فَرَأَى خَرِبَةً فَأَوَى إِلَيْهَا، وَدَخَلَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ فُسْطَاطَ مِصْرَ، وَذَهَبَ مُعَاوِيَةُ بْنُ حُدَيْجٍ فِي طَلَبِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، فَمَرَّ بِعُلُوجٍ فِي الطَّرِيقِ فَقَالَ لَهُمْ: هَلْ مَرَّ بِكُمْ أَحَدٌ تَسْتَنْكِرُونَهُ؟ قَالُوا: لَا. فَقَالَ رَجُلٌ مِنْهُمْ: إِنِّي رَأَيْتُ رَجُلًا جَالِسًا فِي هَذِهِ الْخَرِبَةِ. فَقَالَ: هُوَ هُوَ وَرَبِّ الْكَعْبَةِ.
পৃষ্ঠা - ৬১৫৪
فَدَخَلُوا عَلَيْهِ فَاسْتَخْرَجُوهُ مِنْهَا - وَقَدْ كَادَ يَمُوتُ عَطَشًا - فَانْطَلَقَ أَخُوهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ إِلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، وَكَانَ قَدْ قَدِمَ مَعَهُ إِلَى مِصْرَ، فَقَالَ: أَيُقْتَلُ أَخِي صَبْرًا؟ فَبَعَثَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ إِلَى مُعَاوِيَةَ بْنِ حُدَيْجٍ أَنْ يَأْتِيَهُ بِمُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ وَلَا يَقْتُلَهُ. فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: كَلَّا وَاللَّهِ، أَيَقْتُلُونَ كِنَانَةَ بْنَ بِشْرٍ وَأَتْرُكُ مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي بَكْرٍ، وَقَدْ كَانَ فِي مَنْ قَتَلَ عُثْمَانَ، وَقَدْ سَأَلَهُمْ عُثْمَانُ الْمَاءَ فَلَمْ يَسْقُوهُ؟ وَقَدْ سَأَلَهُمْ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ أَنْ يَسْقُوهُ شَرْبَةً مِنَ الْمَاءِ. فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: لَا سَقَانِي اللَّهُ إِنْ سَقَيْتُكَ قَطْرَةً مِنَ الْمَاءِ أَبَدًا ; إِنَّكُمْ مَنَعْتُمْ عُثْمَانَ أَنْ يَشْرَبَ الْمَاءَ حَتَّى قَتَلْتُمُوهُ صَائِمًا مُحْرِمًا، فَتَلَقَّاهُ اللَّهُ بِالرَّحِيقِ الْمَخْتُومِ. وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي بَكْرٍ نَالَ مِنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ حُدَيْجٍ هَذَا وَشَتَمَهُ، وَمِنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، وَمِنْ مُعَاوِيَةَ وَمِنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ أَيْضًا ; فَعِنْدَ ذَلِكَ غَضِبَ مُعَاوِيَةُ بْنُ حُدَيْجٍ، فَقَدَّمَهُ فَقَتَلَهُ، ثُمَّ جَعَلَهُ فِي جِيفَةِ حِمَارٍ فَأَحْرَقَهُ بِالنَّارِ، فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ عَائِشَةَ جَزِعَتْ عَلَيْهِ جَزَعًا شَدِيدًا، وَضَمَّتْ عِيَالَهُ إِلَيْهَا، وَكَانَ فِيهِمُ ابْنُهُ الْقَاسِمُ، وَجَعَلَتْ تَدْعُو عَلَى مُعَاوِيَةَ وَعَمْرِو بْنِ الْعَاصِ دُبُرَ الصَّلَوَاتِ. وَذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ أَنَّ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ قَدِمَ مِصْرَ فِي أَرْبَعَةِ آلَافٍ، فِيهِمْ أَبُو الْأَعْوَرِ السُّلَمِيُّ، فَالْتَقَوْا مَعَ الْمِصْرِيِّينَ بِالْمُسَنَّاةِ فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا حَتَّى
পৃষ্ঠা - ৬১৫৫


(রাজস্ব) দেওয়া বন্ধ করেছে যারা চোর এবং কুর্দী ক ফির ৷ আমি যখন আক্রমণ করবো
তখন তোমরা একযোগে তীব্র গতিতে বাপিয়ে পড়বে ৷ এরপর তিনি তার বাহনকে১ দু বার সাড়া
দেন ৷ তৃতীয় বার সাড়া দিয়ে আক্রমণ শুরু করেন ৷ সাথে সাথে আমরাও সকলে একযোগে
আক্রমণ করি ৷ আল্লাহর কলম! আমাদের আক্রমণের মুখে তারা এক ঘণ্টাও টিকে থাকতে
পারেনি ৷ পরাজিত হয়ে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে পালিয়ে যায় ৷ অনারব ও কুর্দীদের মধ্য হতে প্রায়
তিনশজনকে আমরা হত্যা করি ৷ হুরা ৷ইছ পা ৷লিয়ে আসয়াফে তার কওমের লোকদের কাছে চলে
যায় ৷ সেখানে তার কওমের প্রচুর লোকজন বসবাস করতো ৷ ম৷ কালের বাহিনী তার পিছনে
পিছনে ছুটে যায় এবং সমুদ্র তীরে তার কওমের লোকজননহ তাকে হত্যা করে ৷ নুমান ইবন
সুহবান হুরা ৷ইছকে হত্যা করে ৷ এবং যুদ্ধক্ষেত্রে তার সাথে আরও একশ’ সত্তরজন নিহত হয় ৷

ইবন জারীর এ ঘটনা ছাড়াও এমন বহু ঘটনা উল্লেখ করেছেন যাতে খারিজীদের সাথে
আলীর পক্ষের লোকদের মধ্যে যুদ্ধ স০ ঘটিত হয় ৷ এরপর ইবন জারীর বলেন : উমর ইবন
শাইবাহ্ যুজাহিদ সুত্রে শ ৷৷ বী থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আলী (রা) যখন নাহরাওয়ানদের
হত্যা করেন তখন বিপুল সংখ্যক লোক তার বিরুদ্ধে চলে যায় ৷ তার আশপাশের লোকজন
বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং বনু নাজিয়াহ্ বিরোধিতা শুরু করে ৷ এ সুযোগে ইবনুল লহাযরাম৷ বসরায়
অভিযান চালায় ৷ পাহাড়ী লোকেরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে ৷ যারা থারাজ দিত তারা খারাজ
দেওয়া বন্ধ করতে উদ্যত ৩হয় ৷ পারস্যবাসীরা সাহ্ল ইবন হনাইফকে সেখান থেকে বের করে
দেয় ৷ তিনি ছিলেন পারস্যের শাসনকর্তা ৷ তখন ইবন আব্বাস ষিয়াদ ইবন আৰীহীকে পারস্যের
শাসনকর্তা নিয়োণ করতে পরামর্শ দেন ৷ আলী (রা) তাকে পারস্যের শাসনকর্তা নিয়োগ
করেন ৷ পরের বছর তিনি বিপুল সং খ্যক সৈন্য নিয়ে পারস্য যান এবৎহু খারাজ আদায় করতে
তাদেরকে সম্মত করেন ৷

হিজরী আট ত্রিশ সালে যে সব সাহাবীর ইনতিকাল হয়

১ সাহ্ল ইবন হুনাইফ ইবন ওয়াহিব ইবন আলীম২ ইবন ছা’লাবাহ্ আল আনসারী
আল-আওসী ৷ তিনি রৰুন্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ৷ উহুদ যুদ্ধে বিপর্যয়ের সময়ও ময়দানে
অবিচল থাকেন ৷ এ ছাড়া ইসলামের সকল যুদ্ধে তিনি উপস্থিত থাকেন ৷ তিনি আলীর পক্ষে
থাকেন এবং তার সাথে সকল যুদ্ধে অংশ নেন ৷ কেবল উষ্টের যুদ্ধে যেতে পারেননি ৷ কেননা এ
সময় আলী (রা)৩ তা ৷কে পবিত্র মদীনায় থাকার দায়িতৃ প্রদান করেন ৷ আটত্রিশ সনো৩ তিনি কুফায়
ইস্তিকাল করেন ৷ আলী পাচ বা ছয়ত তাকবীরে তার নামড়ায়ে জানাযা পড়ান এবং বলেন, সাহ্ল
ইবন হুনইিফ একজন বদরী সাহাবী (রা) ৷

২ সানওয়ান ইবন বাইযাহ্ সুহাইল ইবন বাইযার ভাই ৷ ইসলামের সবক’টি যুদ্ধে তিনি
অংশগ্রহণ করেন এবং আটত্রিশ সালের রমযান মাসে ইনতিকাল করেন ৷ তার কোন
উত্তরাধিকারী ছিল না ৷



১ তাবারীতে আছে পতাকা একৎ কামিলে আছে মাথা ৷
২ ইসাবাহ ২৮ ৭; ইসতিআব ২৯২; আল আর্কীম ৷


قُتِلَ كِنَانَةُ بْنُ بِشْرِ بْنِ غَيَّاثِ التُّجِيبِيُّ، فَهَرَبَ عِنْدَ ذَلِكَ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ فَاخْتَبَأَ عِنْدَ رَجُلٍ يُقَالُ لَهُ: جَبَلَةُ بْنُ مَسْرُوقٍ. فَدَلَّ عَلَيْهِ فَجَاءَ مُعَاوِيَةُ بْنُ حُدَيْجٍ وَأَصْحَابُهُ فَأَحَاطُوا بِهِ فَخَرَجَ إِلَيْهِمْ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ فَقَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَكَانَ ذَلِكَ فِي صَفَرٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَلَمَّا قُتِلَ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ بَعَثَ عَلِيٌّ الْأَشْتَرَ النَّخَعِيَّ إِلَى مِصْرَ فَمَاتَ فِي الطَّرِيقِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ: وَكَانَتْ أَذْرُحُ فِي شَعْبَانَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَيْضًا، فَلَمَّا قُتِلَ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، كَتَبَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ إِلَى مُعَاوِيَةَ يُخْبِرُهُ بِمَا كَانَ مِنَ الْأَمْرِ، وَأَنَّ اللَّهَ قَدْ فَتَحَ عَلَيْهِ بِلَادَ مِصْرَ وَرَجَعُوا إِلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ. وَقَدْ زَعَمَ هِشَامُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْكَلْبِيُّ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي حُذَيْفَةَ بْنِ عُتْبَةَ مُسِكَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ بَعْدَ مَقْتَلِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ - وَكَانَ مِنْ جُمْلَةِ الْمُحَرِّضِينَ عَلَى قَتْلِ عُثْمَانَ - فَبَعَثَهُ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ إِلَى مُعَاوِيَةَ وَلَمْ يُبَادِرْ إِلَى قَتْلِهِ ; لِأَنَّهُ ابْنُ خَالِ مُعَاوِيَةَ، فَحَبَسَهُ مُعَاوِيَةُ بِفِلَسْطِينَ فَهَرَبَ مِنَ السِّجْنِ - وَكَانَ مُعَاوِيَةُ يُحِبُّ نَجَاتَهُ فِيمَا يَرَوْنَ - فَلَحِقَهُ رَجُلٌ مِنْ خَثْعَمَ يُقَالُ لَهُ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ ظَلَامٍ - وَكَانَ عُثْمَانِيًّا شُجَاعًا - بِأَرْضِ الْبَلْقَاءِ مِنْ بِلَادِ حَوْرَانَ، فَاخْتَفَى مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي حُذَيْفَةَ فِي غَارٍ، فَجَاءَتْ حُمُرُ وَحْشٍ لِتَأْوِيَ إِلَى ذَلِكَ الْغَارِ، فَلَمَّا رَأَتْهُ فِيهِ نَفَرَتْ فَتَعَجَّبَ
পৃষ্ঠা - ৬১৫৬
مِنْ نَفْرَتِهَا جَمَاعَةُ الْحَصَّادِينَ الَّذِينَ هُنَالِكَ، فَذَهَبُوا إِلَى الْغَارِ، فَوَجَدُوا مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي حُذَيْفَةَ، فَخَشِيَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ظَلَامٍ أَنْ يَرُدَّهُ إِلَى مُعَاوِيَةَ فَيَعْفُوَ عَنْهُ، فَضَرَبَ عُنُقَهُ هُنَالِكَ. ذَكَرَ ذَلِكَ ابْنُ الْكَلْبِيِّ. وَقَدْ ذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ وَغَيْرُهُ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي حُذَيْفَةَ قُتِلَ فِي سَنَةِ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ، كَمَا قَدَّمْنَا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ دِيزِيلَ فِي كِتَابِهِ: ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ أَنَّ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ اسْتَحَلَّ مَالَ قِبْطِيٍّ مِنْ قِبْطِ مِصْرَ ; لِأَنَّهُ اسْتَقَرَّ عِنْدَهُ أَنَّهُ كَانَ يُظْهِرُ الرُّومَ عَلَى عَوْرَاتِ الْمُسْلِمِينَ - يَكْتُبُ إِلَيْهِمْ بِذَلِكَ - فَاسْتَخْرَجَ مِنْ مَالِهِ بِضْعًا وَخَمْسِينَ إِرْدَبًّا دَنَانِيرَ. قَالَ أَبُو صَالِحٍ: وَالْإِرْدَبُّ سِتُّ وَيْبَاتٍ، وَالْوَيْبَةُ مِثْلُ الْقَفِيزِ، وَاعْتَبَرْنَا الْوَيْبَةَ فَوَجَدْنَاهَا تِسْعًا وَثَلَاثِينَ أَلْفَ دِينَارٍ. قُلْتُ: فَعَلَى هَذَا يَكُونُ مَبْلَغُ مَا أَخَذَ مِنْهُ ثَلَاثَةَ عَشَرَ أَلْفَ أَلْفِ دِينَارٍ. قَالَ أَبُو مِخْنَفٍ بِإِسْنَادِهِ: وَلَمَّا بَلَغَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ مَقْتَلُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، وَمَا كَانَ مِنَ الْأَمْرِ، وَتَمَلُّكُ عَمْرٍو مِصْرَ، وَاجْتِمَاعُ النَّاسِ عَلَيْهِ وَعَلَى مُعَاوِيَةَ، قَامَ فِي النَّاسِ خَطِيبًا، فَحَثَّهُمْ عَلَى الْجِهَادِ وَالصَّبْرِ وَالْمَسِيرِ إِلَى أَعْدَائِهِمْ
পৃষ্ঠা - ৬১৫৭


৩ সুহাইল ইবন সিনান ইবন মালিক রুমী ৷ তার পুর্ব পুরুষ ছিল ইয়ামানী ৷ তার কুনিয়াত আবু
ইয়াহ্ইয়া ইবন কাসিত ৷ তার পিতা কিংবা চাচা আইলায় কিসরার (পারস্য সম্রাট) কর্মর্চারী
ছিলেন ৷ ঘুসেল শহরে দজলা নদীর তীরে ভিন্ন মতে ফোরাত নদীর তীরে তারা বসবাস
করতেন ৷ সুহইিবের বাল্যকালে রোমানরা তাদের এলাকা আক্রমণ করে এবং তাকে বন্দী করে
নিয়ে যায় ৷ কিছুকাল সেখানে বন্দী থাকার পর বনু কালবের লোকেরা সুহাইবকে কিনে নেয় ৷
বনু কালব তাকে পবিত্র মক্কায় বিক্রীর জন্য নিয়ে যায় ৷ আবদুল্লাহ ইবন জাদআন তাকে ক্রয়
করে মুক্ত করে দেয় ৷ এরপর তিনি পবিত্র মক্কায় অবস্থান করতে থাকেন ৷ রাসুলুল্লাহ্হুদ্বুহুব্লু যখন
আবির্ভুত হন তখন সুহাইব তার উপর ঈমান আনেন ৷ প্রাথমিক পর্যায়ে ঈমান গ্রহণকারীদের
মধ্যে তিনি অন্যতম ৷ তেত্রিশজন লোক ইসলাম গ্রহণ করার পর সুহাইব ও আমার একই দিনে
মুসলমান হন ৷

তিনি ছিলেন সেই সব অসহায়দের একজন যাদেরকে মহান আল্লাহর পথে শাস্তি দেওয়া
হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্হুট্রুছুন্; এর হিজরতের কয়েক দিন পর সুহাইব হিজরত করেন ৷ ঘুশরিকরা তাকে
হিজরত থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য পথে বাধা দিল ৷ সুহাইব তাদের আগমনের উদ্দেশ্য বুঝতে
পেরে চামড়ার ব্যাগ থেকে তীর বের করে সামনে রেখে দিয়ে তাদের উদ্দেশ্যে বললেন :
আল্লাহর কলম! তোমরা জান যে, তীর নিক্ষেপে আমি তোমাদের চেয়ে অধিক পারদর্শী ৷
আল্লাহ্র কলম ! আমার কাছে তোমরা কিছুতেই আসতে পারবে না ৷ যারাই আসতে চেষ্টা করবে
এক একট তীর মেরে আমি প্রত্যেককে হত্যা করবো ৷ তীর শেষ হয়ে গেলে তলোয়ার দ্বারা
হত্যা করবো ৷ আর যদি তোমাদের উদ্দেশ্য অর্থ হয়ে থাকে তা হলে আমার অর্থের সন্ধান
দিচ্ছি ৷ দেখ অমুক জায়গায় মাটির নিচে তা পেড়াতা আছে ৷ এরপর তারা ফিরে যায় এবং তা
নির্দেশিত স্থান থেকে পুতে রাখা অর্থ তুলে নেয় ৷ সুহাইব যখন পবিত্র মদীনায় পৌছে তখন


রাসুলুল্লাহ্রুম্পোশ্ ৩াকে দেখে বললেন : আবু ইয়াহ্ইয়া (সুহাইব) লাভজনক ব্যবসা করেছে ৷ এ


সময় মহান আল্লাহ কুরআনের এ আয়াত নাজিল করেন :


মানুষের মধ্যে এমন ল্যেকও আছে যে আল্লাহর সস্তুষ্টি লাভার্থে আত্মবিক্রী করে থাকে ৷
আল্লাহ্ তার বন্দোদের প্রতি অত্যন্ত দয়ালু (বাকারা : ২০ ৭) ৷

হাম্মাদ ইবন সালমা আলী ইবন ইয়াযীদ সুত্রে সাঈদ ইবন ঘুসায়িাব থেকে বর্ণনা করেন
যে, সুহাইব বদর, উহুদ ও পরবর্তী যুদ্ধসমুহে অংশ্যাহণ করেন ৷ ওমর (রা) যখন পরামর্শের
মাধ্যমে কার্য সম্পাদনের নীতি গ্রহণ করেন তখন সুহাইবই সালাতের ইমামতি করতেন ৷
উসমান (রা)-কে নিয়োগ করা পর্যন্ত তিনি এ মর্যাদার অধিষ্ঠিত থাকেন ৷

উমরের ওয়াসিয়াত অনুযায়ী তিনিই তার জানাযা সালাতের ইমামতি করেন ৷ সুহাইব
ছিলেন উমরের অন্তরঙ্গ সাথী ৷ তার গায়ের রং ছিল গাঢ় লাল ৷ বেশি লম্বাও না, বেটেও না ৷
জোড় ভ্র৷ এবং মাথায় ঘন চুল ৷ তার কথায় ছিল প্রচুর জড়তা ৷ অত্যন্ত মর্যাদা ও দীনদারী থাকা
সত্বেও তার মধ্যে রসিকতা ও হাস্যরসের প্রবণতা দেখা যেত ৷ বর্ণিত আছে, একদা রাসুলুল্লাহ্
ংহুষ্টুতাকে তাজা র্কাকুড়া থেতে দেখে বললেন : তোমার চোখ উঠেছে আর তৃ তাজা র্কাকুড়া


مِنَ الشَّامِيِّينَ وَالْمِصْرِيِّينَ، وَوَاعَدَهُمُ الْجَرَعَةَ بَيْنَ الْكُوفَةِ وَالْحِيرَةِ، فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ خَرَجَ يَمْشِي إِلَيْهَا حَتَّى نَزَلَهَا فَلَمْ يَخْرُجْ إِلَيْهِ مِنْهُمْ أَحَدٌ، فَلَمَّا كَانَ الْعَشِيُّ بَعَثَ إِلَى أَشْرَافِهِمْ، فَدَخَلُوا عَلَيْهِ وَهُوَ حَزِينٌ كَئِيبٌ، فَقَامَ فِيهِمْ خَطِيبًا فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ عَلَى مَا قَضَى مِنْ أَمْرٍ، وَقَدَّرَ مِنْ فِعْلٍ، وَابْتَلَانِي بِكُمْ، وَبِمَنْ لَا يُطِيعُ إِذَا أَمَرْتُ، وَلَا يُجِيبُ إِذَا دَعَوْتُ، أَوَلَيْسَ عَجَبًا أَنَّ مُعَاوِيَةَ يَدْعُو الْجُفَاةَ الطَّغَامَ فَيَتَّبِعُونَهُ بِغَيْرِ عَطَاءٍ وَلَا مَعُونَةٍ وَيُجِيبُونَهُ فِي السَّنَةِ الْمَرَّتَيْنِ وَالثَّلَاثَ إِلَى أَيِّ وَجْهٍ شَاءَ، وَأَنَا أَدْعُوكُمْ - وَأَنْتُمْ أُولُو النُّهَى وَبَقِيَّةُ النَّاسِ - عَلَى الْمَعُونَةِ وَالْعَطَاءِ فَتَتَفَرَّقُونَ وَتَنْفِرُونَ عَنِّي وَتَعْصُونِي وَتَخْتَلِفُونَ عَلَيَّ؟ فَقَامَ إِلَيْهِ مَالِكُ بْنُ كَعْبٍ الْهَمْدَانِيُّ، ثُمَّ الْأَرْحَبِيُّ، فَنَدَبَ النَّاسَ إِلَى امْتِثَالِ أَمْرِ عَلِيٍّ، وَالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ لَهُ، فَانْتَدَبَ أَلْفَانِ، فَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ مَالِكَ بْنَ كَعْبٍ هَذَا، فَسَارَ بِهِمْ خَمْسًا ثُمَّ قَدِمَ عَلَى عَلِيٍّ جَمَاعَةٌ مِمَّنْ كَانَ مَعَ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، بِمِصْرَ فَأَخْبَرُوهُ كَيْفَ وَقَعَ الْأَمْرُ، وَكَيْفَ قُتِلَ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، وَكَيْفَ اسْتَقَرَّ أَمْرُ عَمْرٍو بِهَا. فَبَعَثَ إِلَى مَالِكِ بْنِ كَعْبٍ فَرَدَّهُ مِنَ الطَّرِيقِ ; وَذَلِكَ أَنَّهُ خَشِيَ عَلَيْهِمْ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ قَبْلَ وُصُولِهِمْ إِلَى مِصْرَ.
পৃষ্ঠা - ৬১৫৮
وَاسْتَقَرَّ أَمْرُ الْعِرَاقِيِّينَ عَلَى مُخَالَفَةِ عَلِيٍّ فِيمَا يَأْمُرُهُمْ بِهِ وَيَنْهَاهُمْ عَنْهُ، وَالْخُرُوجِ عَلَيْهِ، وَانْتِقَادِ أَحْكَامِهِ، وَرَدِّ أَقْوَالِهِ، وَحَلِّ إِبْرَامِهِ ; لِجَهْلِهِمْ وَقِلَّةِ عَقْلِهِمْ وَجَفَائِهِمْ وَغِلْظَتِهِمْ وَفُجُورِ كَثِيرٍ مِنْهُمْ. وَلَمَّا جَاءَ عَلِيًّا الْخَبَرُ عَنْ مِصْرَ وَمَا حَلَّ بِهَا، وَقَتْلُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، حَزِنَ عَلَى مُحَمَّدٍ حُزْنًا كَثِيرًا، وَتَرَحَّمَ وَرُئِيَ الْحُزْنُ وَالْكَآبَةُ عَلَيْهِ، مَعَ مَا اجْتَمَعَ عَلَيْهِ مِنْ مُخَالَفَةِ أَهْلِ الْعِرَاقِ لَهُ، ثُمَّ قَالَ لِلنَّاسِ: إِنِّي وَاللَّهِ بِمَوَاضِعِ الْحَرْبِ لَجَدِيرٌ خَبِيرٌ، وَإِنِّي لَأَعْرِفُ وَجْهَ الْحَزْمِ، وَأَقُومُ فِيكُمْ بِالرَّأْيِ الْمُصِيبِ فَأَسْتَصْرِخُكُمْ مُعْلِنًا، وَأُنَادِيكُمْ نِدَاءَ الْمُسْتَغِيثِ، وَلَا أَرَى فِيكُمْ مُغِيثًا، وَلَا تَسْمَعُونَ لِي قَوْلًا، وَلَا تُطِيعُونَ لِي أَمْرًا حَتَّى تَصِيرَ بِيَ الْأُمُورُ إِلَى عَوَاقِبِ الْمَسَاءَةِ، فَأَنْتُمْ وَاللَّهِ الْقَوْمُ لَا يُدْرَكُ بِكُمْ ثَأْرٌ، دَعَوْتُكُمْ إِلَى غِيَاثِ إِخْوَانِكُمْ مُنْذُ خَمْسِينَ لَيْلَةً فَتَجَرْجَرْتُمْ جَرْجَرَةَ الْجَمَلِ الْأَشْدَقِ، وَتَثَاقَلْتُمْ إِلَى الْأَرْضِ تَثَاقُلَ مَنْ لَيْسَتْ لَهُ نِيَّةٌ فِي جِهَادِ الْعَدُوِّ وَلَا اكْتِسَابِ الْأَجْرِ، ثُمَّ خَرَجَ إِلَيَّ مِنْكُمْ مَرَايِبُ كَأَنَّمَا يُسَاقُونَ إِلَى الْمَوْتِ وَهُمْ يَنْظُرُونَ فَأُفٍّ لَكُمْ. ثُمَّ كَتَبَ عَلِيٌّ عِنْدَ ذَلِكَ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ - وَهُوَ نَائِبُهُ عَلَى الْبَصْرَةِ - يَشْكُو إِلَيْهِ مَا يَلْقَاهُ مِنَ النَّاسِ مِنَ الْمُخَالَفَةِ وَيَقُولُ: إِنِّي دَعَوْتُهُمْ إِلَى غَوْثِ إِخْوَانِهِمْ ; فَمِنْهُمْ مَنْ أَتَى كَارِهًا، وَمِنْهُمُ الْمُعْتَذِرُ كَاذِبًا، أَسْأَلُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَ لِي مِنْهُمْ فَرَجًا
পৃষ্ঠা - ৬১৫৯


খাচ্ছা সুহাইবের একটি চোখ তখন চােখওঠা রোগে তৃগছিল ! সুহাইব জবাব দিলেন, আমি
আমার ভাল চোখের এক কিনারা দিয়ে খাচ্ছি ৷ জওয়াব শুনে রাসৃলুল্লাহ্র্দুআঃ হেসে দিলেন ৷
হিজরী আটত্রিশ সালে৩ তিনি পবিত্র মদীনায় ইনতিক৷ ৷ল করেন ৷ কেউ ণ্কউ তার ইনতিকা ৷লেব্র
সাল উনচল্লিশ বলে উল্লেখ করেছেন ৷ মৃতু ত্যকালে সুহাইবের বয়স হয়েছিল সত্তর বছরের কিছু
বেশি ৷ ,

৪ মুহাম্মদ ইবন আবু বকর সিদ্দীক (রা) ৷ তিনি নবী করীমমোঃ: এর জীবদ্দশায় বিদায়
হবুজ্জর প্রাক্কালে হেরেম শরীফের মধ্যে এক বৃক্ষের নিচে ভুমিষ্ঠ হন ৷ তার মাতার নাম আসমা
বিনত উমাইস ৷ আবু বকর সিদ্দীকের ইনতিকালের সময় উপস্থিত হলে আপন শ্রী আসমাকে
গোসল করাবার ওয়াসিয়াত করে যান ৷ সে অনুযায়ী আসমা তাকে গোসল করান ৷ স্বামীর মৃত্যুর
ইদ্দত শেষ হলে আলী (রা) আসমাকে বিবাহ করেন ৷ তখন থেকে মুহাম্মদ আলীর তত্তুাবধানে
লালিতপালিত হয় ৷ আলী (বা) খলীফা হওয়ার পর মিসরে কাইস ইবন সাদ ইবন উবাদার
পরে মুহাম্মদকে তার প্রতিনিধি নিয়োগ করেন ৷ হিজরী আটত্রিশ সন আরম্ভ হলে মুআবিয়া
আমর ইবন আসকে মিসর অভিযানে প্রেরণ করেন ৷ আমর মিসর দখল করে মুহাম্মদ ইবন আবু
বকবকে হত্যা করেন ৷ তখন তার বয়স হয়েছিল ত্রিশ থেকে দুরত্ব কম ৷

৫ আসমা বিনত ৩৬মাইস ইবন মা’বাদ ইবন হারিছ আল খাছ আমিয়্যা ৷ তিনি পবিত্র মক্কায়
ইসলাম গ্রহণ করেন এবং স্বামী জা ফর ইবন আবুতা ৩ালিবের সাথে হাবশ্া৷য় হিজরত করেন এবং
পরে তার সাথে খাইবারে আগমন করেন ৷ জা ফর ইবন আবু তালিবের ঔর পুন ভ্রা৷বদৃল্লাহ,
মুহাম্মদ ও আওন জনুছোহণ করে ৷ মুতার যুদ্ধে জাফর শহীদ হলে আবু বকর সিদ্দীক আসমাকে
বিবাহ করেন ৷ এখানে মুহাম্মদ ইবন আবু বকর জন্মগ্রহণ করেন, যিনি পরবর্তীকালে মিস সরের
আমীর হন ৷ এরপর৩ণ্ আবু বকর সিদ্দীকের মৃত্যু হলে আ ৷লী ইবন আবৃত তালিব আসম্যকে বিবাহ
করেন ৷ তার ঔরসে ইয়াহ্ইয়াখ্ ন্ আগুনের জন্য হয় ৷ আসমা বিনত উমাইন উম্মুল মু মিনীন
মায়মুন৷ বিনত হারিসের বৈপিত্রেয় বোন ৷ অনুরুপ তিনি আব্বাসের শ্রী উম্মুল ফজলেরও
বৈপিত্রেয় বোন ৷ আসমার বৈপিত্রেয় বোন মোট নয়জন ৷ আসমার সহোদরা বোন সালম৷ বিনত
উমাইস আব্বাসের শ্রী ৷ তার ঔরসে সালমার এক কন্যা সন্তান জন্ম হয়, নাম আম্মার৷ ৷


وَمَخْرَجًا وَأَنْ يُرِيحَنِي مِنْهُمْ عَاجِلًا، وَلَوْلَا مَا أُحَاوِلُ مِنَ الشَّهَادَةِ لَأَحْبَبْتُ أَنْ لَا أَبْقَى مَعَ هَؤُلَاءِ يَوْمًا وَاحِدًا، عَزْمُ اللَّهِ لَنَا وَلَكُمْ عَلَى تَقْوَاهُ وَهُدَاهُ، إِنَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ. وَالسَّلَامُ. فَرَدَّ عَلَيْهِ ابْنُ عَبَّاسٍ يُسَلِّيهِ عَنِ النَّاسِ، وَيُعَزِّيهِ فِي مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، وَيَحُثُّهُ عَلَى مُلَاطَفَةِ النَّاسِ وَالصَّبْرِ عَلَى مُسِيئِهِمْ، فَإِنَّ ثَوَابَ اللَّهِ خَيْرٌ وَأَبْقَى. وَقَالَ لَهُ: إِنَّ النَّاسَ رُبَّمَا تَثَاقَلُوا ثُمَّ نَشَطُوا، فَارْفُقْ بِهِمْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. ثُمَّ رَكِبَ ابْنُ عَبَّاسٍ مِنَ الْبَصْرَةِ إِلَى عَلِيٍّ، وَهُوَ بِالْكُوفَةِ، وَاسْتَخْلَفَ ابْنُ عَبَّاسٍ عَلَى الْبَصْرَةِ زِيَادًا. وَفِي هَذَا الْعَامِ بَعَثَ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ كِتَابًا مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو الْحَضْرَمِيِّ إِلَى أَهْلِ الْبَصْرَةِ يَدْعُوهُمْ إِلَى الْإِقْرَارِ بِمَا حَكَمَ لَهُ بِهِ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ، فَلَمَّا قَدِمَهَا نَزَلَ عَلَى بَنِي تَمِيمٍ فَأَجَارُوهُ، فَنَهَضَ إِلَيْهِ زِيَادٌ وَبَعَثَ إِلَيْهِ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ أَعْيَنَ بْنَ ضُبَيْعَةَ فِي جَمَاعَةٍ مِنَ النَّاسِ، فَثَارُوا إِلَيْهِمْ فَاقْتَتَلُوا فَقُتِلَ أَعْيَنُ بْنُ ضُبَيْعَةَ أَمِيرُ السَّرِيَّةِ الَّتِي بَعَثَهَا عَلِيٌّ، فَكَتَبَ نَائِبُ ابْنِ عَبَّاسٍ زِيَادٌ إِلَى عَلِيٍّ يُعْلِمُهُ بِمَا وَقَعَ بِالْبَصْرَةِ مِنَ الْمُخَالَفَةِ بَعْدَ خُرُوجِ ابْنِ عَبَّاسٍ مِنْهَا، فَبَعَثَ عِنْدَ ذَلِكَ عَلِيٌّ جَارِيَةَ بْنَ قُدَامَةَ التَّمِيمِيَّ فِي خَمْسِينَ رَجُلًا إِلَى قَوْمِهِ بَنِي
পৃষ্ঠা - ৬১৬০
تَمِيمٍ، وَكَتَبَ مَعَهُ كِتَابًا إِلَيْهِمْ، فَرَجَعَ أَكْثَرُهُمْ عَنِ ابْنِ الْحَضْرَمِيِّ فَقَصَدَهُ جَارِيَةُ فَحَصَرَهَ فِي دَارٍ هُوَ وَجَمَاعَةٌ مَعَهُ - قِيلَ: كَانَ عَدَدُهُمْ أَرْبَعِينَ رَجُلًا. وَقِيلَ: سَبْعِينَ - فَحَرَّقَهُمْ بِالنَّارِ، بَعْدَ أَنْ أَعْذَرَ إِلَيْهِمْ وَأَنْذَرَهُمْ ; فَلَمْ يَقْبَلُوا وَلَمْ يَرْجِعُوا عَمَّا جَاءُوا لَهُ مِنْ جِهَةِ مُعَاوِيَةَ. فَصْلٌ (قِتَالُ عَلِيٍّ بَنِي نَاجِيَةَ مِنَ الْخَوَارِجِ) وَقَدْ صَحَّحَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ قِتَالَ عَلِيٍّ لِأَهْلِ النَّهْرَوَانِ كَانَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَكَذَلِكَ خُرُوجُ الْخِرِّيتِ بْنِ رَاشِدٍ النَّاجِيِّ كَانَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَيْضًا، وَكَانَ مَعَ الْخِرِّيتِ ثَلَاثُمِائَةِ رَجُلٍ مِنْ قَوْمِهِ بَنِي نَاجِيَةَ - وَكَانَ مَعَ عَلِيٍّ بِالْكُوفَةِ - فَجَاءَ إِلَى عَلِيٍّ فَقَامَ بَيْنَ يَدَيْهِ وَقَالَ: وَاللَّهِ يَا عَلِيُّ لَا أُطِيعُ أَمْرَكَ وَلَا أُصَلِّي خَلْفَكَ إِنِّي لَكَ غَدًا لَمُفَارِقٌ. فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ، إِذًا تَعْصِي رَبَّكَ، وَتَنْقُضُ عَهْدَكَ، وَلَا تَضُرُّ إِلَّا نَفْسَكَ، وَلِمَ تَفْعَلُ ذَلِكَ؟ قَالَ: لِأَنَّكَ حَكَّمْتَ فِي الْكِتَابِ، وَضَعُفْتَ عَنْ قِيَامِ الْحَقِّ إِذْ جَدَّ الْجِدُّ، وَرَكَنْتَ إِلَى الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ، فَأَنَا عَلَيْكَ زَارٍ وَعَلَيْكَ نَاقِمٌ، وَإِنَّا لَكُمْ جَمِيعًا مُبَايِنُونَ. ثُمَّ رَجَعَ إِلَى أَصْحَابِهِ فَسَارَ بِهِمْ نَحْوَ بِلَادِ الْبَصْرَةِ، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ عَلِيٌّ مَعْقِلَ بْنَ قَيْسٍ، ثُمَّ أَرْدَفَهُ بِخَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ
পৃষ্ঠা - ৬১৬১

হিজরী উনচল্লিশ সাল

এই সনে ঘুআবিয়া ইবন আবু সুফিয়ান আলী ইবন আবু তালিবের শাসনাধীন বিভিন্ন
অঞ্চলে প্রচুর সৈন্যবাহিনী প্রেরণ করেন ৷ কেননা তিনি দেখলেন যে, আবু মুসা আশআরী ও
আমর ইবন আন ঐকমত্য হয়ে আলীকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করেছে এবং তদন্থলে আমর
ইবন আস ঘুআৰিয়াকে ক্ষমতায় বসিয়েছে ৷ কাজেই, এমতাবস্থায় তার ক্ষমতা গ্রহণের এক
অপুর্ব সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ৷ তাই তার ধারণা মতে এখন থেকে তারই আনুগত্য করা সকলের
উপর অপরিহার্য ৷ তিনি আরও দেখলেন যে, ইরাকী সৈন্যরা অধিকাব্শ ক্ষেত্রে আলীর আনুগত্য
করছে না এবং তার আদেশ-নির্দেশ মানছে না ৷ এ অবস্থায় আলীর ক্ষ তা লাভের আশা কখনই
পুরণ হবে না ৷ কাজেই ঘুআবিয়া বুঝে নিলেন যে, এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে তিনি ক্ষমতা
অর্জনের অধিকতর যোগ্য ৷

এ বছরে তিনি যাদেরকে বিভিন্ন অঞ্চল দখলের জন্যে প্রেরণ করেন তাদের মধ্যে নুমান
ইবন বশীর অন্যতম ৷ দুই হাজার অশ্বারােহী সৈন্য দিয়ে ভাবে তিনি তান্ইনৃত-তদ্বমত্ত্বরাে পাঠান !
সেখানে মালিক ইবন কাব আরহাবী আলীর পক্ষ হতে এক হাজার সশস্ত্র অশ্বারোহী সৈন্যসহ
সীমান্ত পাহারায় নিয়োজিত ছিল ৷ সিরীয় সৈন্যদের আগমনের সংবাদ শুনে মালিকের সৈন্যরা
তাকে ফেলে পালিয়ে চলে যায় ৷ মালিক ইবন কাবের নিকট মাত্র একশ’ সৈন্য অবশিষ্ট থাকে ৷
মালিক ঘটনার বিবরণ দিয়ে আলীর কাছে পত্র পাঠান ৷ আলী তখন মালিক ইবন কাবের
সাহায্যার্থে যাওয়ার জন্যে সৈন্যদের আহবান জানান ৷ কিন্তু সৈন্যরা বিভিন্ন ধরনের বানােয়টি
ওজর আপত্তি তুলে ধরে, কাপুরুষতু প্রদর্শন করে এবং যুদ্ধে যেতে কেউই রাযী হলো না ৷ তখন
আলী তাদের উদ্দেশ্যে নিম্নোক্ত ভাষণ দেন ৷

তিনি বলেন : হে কুফাবড়াসী৷ তোমরা যখনই কোন সিরীয় বাহিনীর আগমন বার্তা পাও,
তখন গৃহাভ্যন্তরে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দাও ৷ যেমন গোসাপ তার গর্ভে এবং গোরখোর
তার আশ্রয়স্থুলে প্রবেশ করে ৷ আল্লাহর কসম ! তোমরা যাকে প্রতরণা কর সে প্ৰতারণার র্ফাদে
পড়ে যায় ৷ আর যে তোমাদের উপর বিজয় লাভ করে যে সঠিক তীর ব্যবহারের দ্বারাই বিজয়
লাভ করে থাকে ৷ আহবান করলে কোন যোগ্য লোক মিলে না ৷ পরামর্শের সময় আন্থাভাজন
কোন ভাই এগিয়ে আসে না ৷ আমরা আল্লাহর জন্যে এবং তার দিকেই আমাদের প্রত্যাবর্তন ৷
আমি তোমাদের নিকট যা প্রত্যাশা করেছিলাম, সে ব্যাপারে তোমরা অন্ধ, কিছুই দেখছো না ৷



১ আইনুত-তামার : কুফার পশ্চিমে আম্বারের কাছে অবস্থিত ৷ হিজরী বার সনে আবু বকর সিদ্দীকের আমলে
থালিদ ইবন ওয়ালীদের নেতৃত্বে মুসলমানরা এ অঞ্চলটি দখল করে ৷


الطَّائِيِّ - وَكَانَ مِنْ أَهْلِ الصَّلَاحِ وَالدِّينِ وَالْبَأْسِ وَالنَّجْدَةِ - وَأَمَرَهُ أَنْ يَسْمَعَ لَهُ وَيُطِيعَ، فَلَمَّا اجْتَمَعُوا صَارُوا جَيْشًا وَاحِدًا، ثُمَّ خَرَجُوا فِي آثَارِ الْخِرِّيتِ وَأَصْحَابِهِ فَلَحِقُوهُمْ، وَقَدْ أَخَذُوا فِي جِبَالِ رَامَهُرْمُزَ قَالَ: فَصَفَفْنَا لَهُمْ ثُمَّ أَقْبَلْنَا إِلَيْهِمْ، فَجَعَلَ مَعْقِلٌ عَلَى مَيْمَنَتِهِ يَزِيدَ بْنَ مَعْقِلَ، وَعَلَى مَيْسَرَتِهِ مِنْجَابَ بْنَ رَاشِدٍ الضَّبِّيَّ، وَوَقَفَ الْخِرِّيتُ فِي مَنْ مَعَهُ مِنَ الْعَرَبِ فَكَانُوا مَيْمَنَةً، وَجَعَلَ مَنِ اتَّبَعَهُ مِنَ الْأَكْرَادِ وَالْعُلُوجِ مَيْسَرَةً. قَالَ: وَسَارَ فِينَا مَعْقِلُ بْنُ قَيْسٍ فَقَالَ: عِبَادَ اللَّهِ لَا تَبْدَأُوا الْقَوْمَ وَغُضُّوا أَبْصَارَكُمْ، وَأَقِلُّوا الْكَلَامَ، وَوَطِّنُوا أَنْفُسَكُمْ عَلَى الطَّعْنِ وَالضَّرْبِ، وَأَبْشِرُوا فِي قِتَالِهِمْ بِالْأَجْرِ، إِنَّمَا تُقَاتِلُونَ مَارِقَةً مَرَقَتْ مِنَ الدِّينِ، وَعُلُوجًا كَسَرُوا الْخَرَاجَ، وَلُصُوصًا وَأَكْرَادًا، فَإِذَا حَمَلْتُ فَشُدُّوا شَدَّةَ رَجُلٍ وَاحِدٍ. ثُمَّ تَقَدَّمَ فَحَرَّكَ دَابَّتَهُ تَحْرِيكَتَيْنِ، ثُمَّ حَمَلَ عَلَيْهِمْ فِي الثَّالِثَةِ وَحَمَلْنَا مَعَهُ جَمِيعًا، فَوَاللَّهِ مَا صَبَرُوا لَنَا سَاعَةً وَاحِدَةً حَتَّى وَلَّوْا مُنْهَزِمِينَ، وَقَتَلْنَا مِنَ الْعُلُوجِ وَالْأَكْرَادِ نَحْوًا مِنْ ثَلَاثِمِائَةٍ، وَفَرَّ الْخِرِّيتُ مُنْهَزِمًا حَتَّى لَحِقَ بِأَسْيَافَ - وَبِهَا جَمَاعَةٌ مِنْ قَوْمِهِ كَثِيرَةٌ - فَاتَّبَعُوهُ فَقَتَلُوهُ مَعَ جَمَاعَةٍ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৬১৬২
أَصْحَابِهِ بِسَيْفِ الْبَحْرِ، قَتَلَهُ النُّعْمَانُ بْنُ صُهْبَانَ، وَقُتِلَ مَعَهُ فِي الْمَعْرَكَةِ مِائَةٌ وَسَبْعُونَ رَجُلًا. ثُمَّ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ وَقَعَاتٍ كَثِيرَةً كَانَتْ فِيهَا بَيْنَ أَصْحَابِ عَلِيٍّ وَالْخَوَارِجِ. ثُمَّ قَالَ: حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ شَبَّةَ، ثَنَا أَبُو الْحَسَنِ - يَعْنِي الْمَدَائِنِيَّ - عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ، عَلِيِّ بْنِ مُجَاهِدٍ، قَالَ: قَالَ الشَّعْبِيُّ: لَمَّا قَتَلَ عَلِيٌّ أَهْلَ النَّهْرَوَانِ، خَالَفَهُ قَوْمٌ كَثِيرُونَ، وَانْتَقَضَتْ أَطْرَافُهُ وَخَالَفَهُ بَنُو نَاجِيَةَ، وَقَدِمَ ابْنُ الْحَضْرَمِيِّ إِلَى الْبَصْرَةِ، وَانْتَقَضَ أَهْلُ الْجِبَالِ، وَطَمِعَ أَهْلُ الْخَرَاجِ فِي كَسْرِهِ، وَأَخْرَجُوا سَهْلَ بْنَ حُنَيْفٍ مِنْ فَارِسَ - وَكَانَ عَامِلًا عَلَيْهَا لِعَلِيٍّ - فَأَشَارَ ابْنُ عَبَّاسٍ بِزِيَادِ بْنِ أَبِيهِ أَنْ يُوَلِّيَهُ إِيَّاهَا فَوَلَّاهُ إِيَّاهَا، فَسَارَ إِلَيْهَا فِي السَّنَةِ الْآتِيَةِ فِي جَمْعٍ كَثِيرٍ، فَوَطِئَهُمْ حَتَّى أَدَّوُا الْخَرَاجَ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَغَيْرُهُ: وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ قُثَمُ بْنُ الْعَبَّاسِ، نَائِبُ عَلِيٍّ عَلَى مَكَّةَ، وَكَانَ أَخُوهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ نَائِبَ الْيَمَنِ، وَأَخُوهُمَا
পৃষ্ঠা - ৬১৬৩


মুক, কোন কথাই বলছে৷ না ৷ বধির, কোন কথাই কানে প্রবেশ করছে না ৷ আমরা সবইি
আল্লাহর জন্যে এবং তার কাছেই আমাদের প্রত্যাবর্তন ৷ তখন নু মান ইবন বশীর তাদের উপর
আক্রমণ করে এবং প্রচণ্ড লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয় ৷ এ দিকে মালিক ইবন কা বের সাথে একশ
জন মাত্র সৈন্য ছিল ৷ তারা যুদ্ধ করতে করতে তলোয়ারের ধার ভেঙ্গে ফেলে এবং মৃত্যুর জন্যে
প্রস্তুত হয়ে যায় ৷ অবস্থা যখন এ রকমতখন মুখনাফ ইবন সুলাইমের পক্ষ থেকে তার পুত্র
আবদুর রহমান ইবন মুখনাফ পঞ্চাশজন সৈন্যসহ তাদের সাহায্যেং এগিয়ে আসে ৷ সিরীয়রা
এদেরকে দেখে মনে করে যে, বিশাল সাহায্যকারী বাহিনী এসে গেছে ৷৩ তাই তারা রণে ভঙ্গ
দিয়ে পলায়ন করে ৷ মালিক ইবন কা ব তাদের পশ্চাদ্ধাবন করে তিনজনকে হত্যা করে ৷
অবশিষ্টর৷ বেচে যেতে সমর্থ হয় ৷ ফলে এ যাত্রার তাদের উদ্দেশ্য সফল হলো না ৷

মুআবিয়া এ বছরে সুফিয়া ন ইবন আওফের নেতৃত্বে ছয় হাজার সৈন্য দিয়ে অভিযানে
প্রেরণ করেন ৷ তাকে প্রথমে হীত এবং পরে আম্বার ও মাদ ইন আ মণের নির্দেশ দেন ৷
সুফিয়ান প্রথমে হীৎ পৌছে ৷ কিন্তু সেখানে কোন বাধার সম্মুখীন না হওয়ায় সেখান থেকে
আম্বারে চলে আসে ৷ এখানে আলীর পাচশত সৈন্য প্রস্তুত ছিল ৷ কিন্তু কিছু আগে এরা বিক্ষিপ্ত
হয়ে পড়ায় তখন সেখানে মাত্র একশ’ সৈন্য বিদ্যমান ছিল ৷ সং খ্যায় কম থাকার কারণে
সুফিয়ান তাদের সাথে যুদ্ধ করে ৷ এরা ধৈর্যের সাথে ল চ্ ই চালিয়ে যায় ৷ অবশেষে তাদের
আমীর আশরান ইবন হাসান বাকরী নিহত হয় এবং তার দলের আরও ত্রিশজন প্রাণ হারায় ৷
সুফিয়ান আম্বারে লুন্ঠন চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ সম্পদ নিয়ে সিরিয়া প্রত্যাবর্তন করে ৷ আলী
এ সংবাদ পেয়ে নিজেই তাদেরকে ধরার জন্যে যাত্রা করেন এক নুখাইলায় অবতরণ করেন ৷
সেখানে লোকজন তাকে বললো, ণ্হ আমীরুল মু মিনীনা আপনার যাওয়া লাগবে না ৷ আমরাই
আপনার জন্যে যক্ষুণ্ণ্ষ্ট ৷ মালী বললেন, আল্লাহর কসম ৷ তোমরা আমার জন্যেও যথেষ্ট নও ৷
তিনি সা দ ইবন কাইসকে সিরীয় বাহিনীর পশ্চাদ্ধাবনে প্রেরণ করেন ৷ সা দ শত্রুদের সন্ধানে
হীত পর্যন্ত পৌছেও না পেয়ে ফিরে আসেন ৷

আমীর মুআৰিরাএ সনে আবদুল্লাহ ইবন মাসআদা ফাযারীকে যাকাত আদায় করার জন্যে
এক হাজার সাতশ ভৈষ্ন্ ৷ন্যসহ তাইমাহ অঞ্চলে প্রেরণ করেন৷ এ এলাকার বেদুঈন ও গ্রাম্য
লোকদের থেকে যাকাত ও সাদকা গ্রহণের দায়িত্বে তিনি নিয়োজিত হন ৷ মুআবিয়া তাকে
আরও নির্দো৷ দিলেন যে, কেউ যাকাত দিতে অস্বীকার করলে তাকে হত্যা করবে ৷ এরপর
পবিত্র মদীনা, মক্কা ও হিজহ্বয থেকে যাকাত আদায় করার নির্দেশও তাকে দেন ৷ এরপর
আবদুল্লাহ ইবনা৷সআদা তাইমাহ্ চলে যান ৷ সেখানে অস ৎখ্য লোক তার কাছে ভিড় জমায় ৷ণ্শ্
আলী এ সংবাদ জানতে পেরে মুসায়িাব ইবন নাজরাহ্ ফাযারীকে দুই হাজার সৈন্যসহ
আবদুল্লাহ্র বিরুদ্ধে প্রেরণ করেন ৷ উভয় পক্ষের মধ্যে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয় ৷৩ তাইমাহ্ এলাকার এ যুদ্ধ
চলে সুয পশ্চিম আকাশে হোল যাওয়া পর্যন্ত ৷

মুসায়া৷ব ইবন নাজরাহ্ এ সময় ইবন মাসআদার উপর আক্রমণ করে এবং তিনবার
তরবারির আঘাত হানেন ৷ তবে এ সব আঘাতে তিনি তাকে হত্যা করতে চাননি ৷ বরং তাকে



১ সিরিয়ার সীমান্ত জুড়ে বিস্তীর্ণ এলাকার নাম তাইমাহ্ ৷
আল-বিদায়া — ৭২


عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ نَائِبَ الْبَصْرَةِ، وَأَخُوهُمْ تَمَّامُ بْنُ عَبَّاسٍ نَائِبَ الْمَدِينَةِ، وَعَلَى خُرَاسَانَ خَالِدُ بْنُ قُرَّةَ الْيَرْبُوعِيُّ، وَقِيلَ: ابْنُ أَبْزَى، وَاسْتَقَرَّتْ مِصْرُ بِيَدِ مُعَاوِيَةَ، فَاسْتَنَابَ عَلَيْهَا عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [ذِكْرُ مَنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنَ الْأَعْيَانِ] سَهْلُ بْنُ حُنَيْفِ بْنِ وَاهِبِ بْنِ الْعُكَيْمِ بْنِ ثَعْلَبَةَ الْأَنْصَارِيُّ الْأَوْسِيُّ، شَهِدَ بَدْرًا، وَثَبَتَ يَوْمَ أُحُدٍ، وَحَضَرَ بَقِيَّةَ الْمَشَاهِدِ، وَكَانَ صَاحِبًا لِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَقَدْ شَهِدَ مَعَهُ مَشَاهِدَهُ كُلَّهَا أَيْضًا غَيْرَ الْجَمَلِ، فَإِنَّهُ كَانَ قَدِ اسْتَخْلَفَهُ عَلَى الْمَدِينَةِ. وَمَاتَ سَهْلُ بْنُ حُنَيْفٍ فِي هَذِهِ السَّنَةِ بِالْكُوفَةِ، وَصَلَّى عَلَيْهِ عَلِيٌّ فَكَبَّرَ عَلَيْهِ خَمْسًا، وَقِيلَ: سِتًّا. وَقَالَ: إِنَّهُ مِنْ أَهْلِ بَدْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. صَفْوَانُ بْنُ بَيْضَاءَ أَخُو سُهَيْلِ بْنِ بَيْضَاءَ، شَهِدَ الْمَشَاهِدَ كُلَّهَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ فِي رَمَضَانَ مِنْهَا، وَلَيْسَ لَهُ عَقِبٌ. صُهَيْبُ بْنُ سِنَانِ بْنِ مَالِكٍ أَبُو يَحْيَى الرُّومِيُّ، وَأَصْلُهُ مِنَ الْيَمَنِ،
পৃষ্ঠা - ৬১৬৪


বলছিলেন, “চলে যাও ” “চলে যাও ৷ তখন ইবন মাসআদা তার দলের এক অংশকে নিয়ে
নিকটবর্তী একটি দুর্গে আশ্রয় নেয় এবং অন্য অংশ সিরিয়ার পালিয়ে যায় ৷ এ দিকে ইবন
নাজ়রার সংগৃহীত যাকাতের উটগুলাে বেদুঈনরা লুট করে নিয়ে যায় ৷ মুসায়্যাব ইবন নাজরাহ্
তিন দিন পর্যন্ত দুর্গটি ঘেরাও করে রাখেন ৷ তিন দিন পর দুর্গের প্রবেশ দ্বারে এক খণ্ড কাষ্ঠ
রেখে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন ৷ দুর্গের লোকগণ তাদের নিশ্চিত ধ্বংস বুঝতে পেরে দুর্গের
উপর থেকে উকি মেরে মৃসায়্যাবের কাছে আকৃতি আমার এবং স্ব-গোত্রীয় লোকের উপর করুণা
প্রদর্শনের আবেদন জানায় ৷ এতে তাদের অস্তরে দয়ার উদ্রেক হয় এবং আগুন নিভিয়ে দেয় ৷
রাত্রিকালে দুর্গের পতন হয় এবং ইবন মাসআদ৷ দলবলসহ সিরিয়া পালিয়ে যায় ৷ তখন আবদুর
রহমান ইবন শাবীব মুসায়্যাব ইবন নাজরাকে ওদের পশ্চাতে ধাওয়৷ করে পাকড়াও করার
প্রস্তাব দেয় ৷ কিন্তু, মুসায়্যাব তাতে অসম্মতি জ্ঞাপন করেন ৷ আবদুর রহমান তখন বললো,
আপনি আমীরুল মু’মিনীনকে ঘেড়াকা দিলেন আর ওদের উপর করুণা দেখালেন ৷

এ বছরে মুআবিয়া যাহ্হাক ইবন ক ইসকে তিন হাজার সৈন্যসহ প্রেরণ করেন এবং
আলীর অনুগত ৩সৈন্যদের উপর হামলাও লুট তরাজ করার নির্দেশ দেন ৷ এ স০ বাদ পেয়ে আলী

চার হাজার সৈন্যসহ হাজার ইবন আদীকে প্রেরণ করেন ৷ তিনি তাদের প্রত্যেকের জন্যে পঞ্চাশ

দিরহাম করে বার কারন ৷ তাদসুর নামক স্থানে উভয় পক্ষের মুকাবিলা হয় ৷ যাহ্হাকের দলের
উনিশজন ও হাজারের পক্ষের দৃজন নিহত হয় ৷ রাত্রিবেলা যুদ্ধ দ্ধ হলে যাহ্হাক তার
লোকজনসহ সিরিয়ার পালিয়ে যায় ৷

এ সনে মুআবিয়া নিজেও বিরাট বাহিনীসহ অভিযানে বের হন এবং দজলা পর্যন্ত এসে
ঘুরেফিরে সিরিয়ার প্রত ৷৷বর্তন করেন ৷ এ ঘটনা মুহাম্মদ ইবন সা দ ওয়াকিদীর সুত্রে এবং আবু
মাশ ৷৷রও বর্ণনা করেছেন ৷

এ বছরে আলী (রা) যিয়াদ ইবন আৰীহিকে পারস্যের শাসনকর্তা নিয়োগ করেন ৷
পা ৷রস্যবাসীর৷ খারাজ দেওয়া বন্ধ করে দেয় এবংঅ আলীর আনুগত্য পরিহার করে ৷ ইতিপুর্বে এর
কারণ উল্লেখ করা হয়েছে যে, জারিয়াহ্ ইবন কুদামাহ্ ইবনুল হাযরামী ও তার
সঙ্গী-সাথীদেরকে একটি ঘরে আবদ্ধ করে আগুনে পুড়িয়ে মারে ৷ এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে
মানুষের অন্তর আলীর প্রতি বীত শ্রদ্ধ হয়ে ওঠে ৷৩ তারা আলীর ৰিবাে ৷ ধত৷ করে এবং ঐ অঞ্চলের
অধিকাত্শ লোক খারাজ দেওয়া বন্ধ করে দেয় ৷ বিশ্বে যে করে পারস্যের অধিবাসীরা বেশি ক্ষিপ্ত
হয় ৷ তারা বিদ্রোহ ঘোষণা করে এবং তথাকার শাসক সাহ্ল ইবন হুনাইফকে বহিষ্কার করে ৷
আটত্রিশ সনের আলোচনায় এ বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে ৷ আলী (বা) তখন পারস্যে নতুন
শাসক নিয়োগ করার ব্যাপারে তার লোকদের সাথে পরামর্শ করেন ৷ ইবন আব্বাস ও জারিয়াহ্
ইবন কুদামাহ্ যিয়াদ ইবন আবীহির নাম প্রস্তাব করেন ৷ কা ৷রণ যিয়াদ দৃঢ় সংকল্পের অধিকারী ও

রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় সমৃদ্ধ ৷ আ ৷লী এ প্রস্তাবে সম্মতি ৩দেন ৷ তিনি তাকে চার হাজার অশ্বারােহীসহ

পারস্য ও কিরমানের শাসক হিসেবে প্রেরণ করেন ৷ তিনি এ বছরেই তথায় গিয়ে লোকজনকে
সতর্ক করে দেন এবং আনুগত্য না করলে ভয়াবহ পরিণতির ব্যাপারে সাবধান বাণী উচ্চারণ
করেন ৷ শেষ পর্যন্ত তারা আনুগত্য মেনে নেয় এবং খারাজসহ অন্যান্য সরকারী প্রাপ্য
যথাযথভাবে প্রদান করতে থাকে ৷ যিয়াদ পারস্যবাসীদের কাছে ইনসাফ ও আমানতের মুর্ত


مِنْ قَاسِطَ، وَكَانَ أَبُوهُ أَوْ عَمُّهُ عَامِلًا لِكِسْرَى عَلَى الْأُبُلَّةِ، وَكَانَتْ مَنَازِلُهُمْ عَلَى دِجْلَةَ عِنْدَ الْمَوْصِلِ - وَقِيلَ: عَلَى الْفُرَاتِ - فَأَغَارَتْ عَلَى بِلَادِهِمُ الرُّومُ، فَأَسَرَتْهُ وَهُوَ صَغِيرٌ، فَأَقَامَ عِنْدَهُمْ حِينًا، ثُمَّ اشْتَرَتْهُ بَنُو كَلْبٍ، فَحَمَلُوهُ إِلَى مَكَّةَ، فَابْتَاعَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جُدْعَانَ، فَأَعْتَقَهُ، وَأَقَامَ بِمَكَّةَ حِينًا، فَلَمَّا بُعِثَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، آمَنَ بِهِ قَدِيمًا هُوَ وَعَمَّارُ بْنُ يَاسِرٍ فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ بَعْدَ بِضْعَةٍ وَثَلَاثِينَ رَجُلًا، وَكَانَ مِنَ الْمُسْتَضْعَفِينَ الَّذِينَ يُعَذَّبُونَ فِي اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، «وَلَمَّا هَاجَرَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، هَاجَرَ صُهَيْبٌ بَعْدَهُ بِأَيَّامٍ، فَلَحِقَهُ قَوْمٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ يُرِيدُونَ أَنْ يَصُدُّوهُ عَنِ الْهِجْرَةِ، فَلَمَّا أَحَسَّ بِهِمْ نَثَلَ كِنَانَتَهُ بَيْنَ يَدَيْهِ وَقَالَ لَهُمْ: وَاللَّهِ لَقَدْ عَلِمْتُمْ أَنِّي مِنْ أَرْمَاكُمْ رَجُلًا، وَوَاللَّهِ لَا تَصِلُونَ إِلَيَّ حَتَّى أَقْتُلَ بِكُلِّ سَهْمٍ مِنْ هَذِهِ رَجُلًا مِنْكُمْ، ثُمَّ أُقَاتِلَكُمْ بِسَيْفِي حَتَّى أُقْتَلَ، وَإِنْ كُنْتُمْ تُرِيدُونَ الْمَالَ فَأَنَا أَدُلُّكُمْ عَلَى مَالِي، هُوَ مَدْفُونٌ فِي مَكَانِ كَذَا وَكَذَا، فَانْصَرَفُوا عَنْهُ فَأَخَذُوا مَالَهُ، فَلَمَّا قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ لَهُ: رَبِحَ الْبَيْعُ أَبَا يَحْيَى» . وَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى {وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَشْرِي نَفْسَهُ ابْتِغَاءَ مَرْضَاةِ اللَّهِ وَاللَّهِ رَءُوفٌ بِالْعِبَادِ} [البقرة: 207] .
পৃষ্ঠা - ৬১৬৫
وَرَوَاهُ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ قَالَ: وَشَهِدَ صُهَيْبٌ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَلَمَّا طُعِنَ عُمَرُ، كَانَ صُهَيْبٌ هُوَ الَّذِي يُصَلِّي بِالنَّاسِ أَيَّامَ الشُّورَى حَتَّى تَعَيَّنَ عُثْمَانُ، وَهُوَ الَّذِي صَلَّى عَلَى عُمَرَ، وَكَانَ لَهُ صَاحِبًا وَصَدِيقًا. وَكَانَ صُهَيْبٌ أَحْمَرَ شَدِيدَ الْحُمْرَةِ، لَيْسَ بِالطَّوِيلِ وَلَا بِالْقَصِيرِ، أَقْرَنَ الْحَاجِبَيْنِ كَثِيرَ الشَّعَرِ، وَكَانَ فِي لِسَانِهِ عُجْمَةٌ شَدِيدَةٌ، وَكَانَ مَعَ فَضْلِهِ وَدِينِهِ فِيهِ دُعَابَةٌ وَفُكَاهَةٌ وَانْشِرَاحٌ. رُوِيَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، رَآهُ يَأْكُلُ بِقِثَّاءٍ رُطَبًا وَهُوَ أَرْمَدُ إِحْدَى الْعَيْنَيْنِ، فَقَالَ: أَتَأْكُلُ رُطَبًا وَأَنْتَ أَرْمَدُ؟ فَقَالَ: إِنَّمَا آكُلُ مِنْ نَاحِيَةِ عَيْنِي الصَّحِيحَةِ، فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مِنْ قَوْلِهِ» . وَكَانَتْ وَفَاتُهُ بِالْمَدِينَةِ سَنَةَ ثَمَانٍ وَثَلَاثِينَ، وَقِيلَ: سَنَةَ تِسْعٍ وَثَلَاثِينَ. وَقَدْ نَيَّفَ عَلَى السَّبْعِينَ. مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، وُلِدَ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ تَحْتَ الشَّجَرَةِ عِنْدَ الْمَحْرَمِ. وَأَمُّهُ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ، وَلَمَّا احْتُضِرَ الصِّدِّيقُ
পৃষ্ঠা - ৬১৬৬


প্রতীক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন ৷ এমনকি সে দেশের লোক এ রকম উক্তি করতে
থাকে যে, আমরা পারস্য সম্রাট আনওশেরোয়ানের কোমলত ৷, উদার৩ ৷ ও দুরদর্শিত৷ তথা তার
সার্বিক চরিত্রের সাথে এই আরব শাসকের চরিত্রের চেয়ে অধিক সাদৃশ্য আর কোন ব্যক্তিকে
দেখিনি ৷ দেশটি সত্যিই তার ন্যায়নীতি, তা ৷র জ্ঞান ও তার দৃঢ় সংকল্পের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে
ওঠে ৷ তিনি সেখানে সরকা ৷রী সম্পদ র ৷খার জন্যে একটি সুরক্ষিত দুর্গ নির্মাণ করেন ৷ যিয়াদ
দুর্গ নামে ত৷ প্রসিদ্ধি লাভ করে ৷ পরবভীকািলে মানসুর আশকারীও সেখানে দুর্গ নির্মাণ করেন ৷
তা ম ৷নসুর দুর্গ নামে খ্যাত
ওয়াকিদী বলেন : এ বছর হত্তজ্জর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দিয়ে আলী (রা) আবদুল্লাহ ইবন
আব্বাসকে আমীরে হজ্জ করে পবিত্র মক্কায় পাঠান ৷ অপরদিকে মুআবিয়া মানুষকে নিয়ে হজ্জ
পালনের উদ্দেশ্যে ইয়াযীদ ইবন সা খবুরাকে আমীরে হজ্জ করে পবিত্র মক্কায় প্রেরণ করেন ৷
উভয়ে পবিত্র মক্কা পৌছব৷ র পর পরস্পর দ্বরুন্দু লিপ্ত হয় ৷ কেউ কাউকে মেনে নিতে রাজি নয় ৷
অবশেষে উভয়ের মধ্যে স ন্ধ হয় ৷৩ তার৷ ঐকমত হয়ে শাইবাহ্ ইবন উসমান ইবন আবু তালহা
হজ্যে ৷রীকেত্ম্ ন্৷ ৷রে হজ্জ বানায় ৷ তিনিই সে বছর সকল হাজীকে নিয়েহ হজ্জ পালন করেন এবং
হাজ্জর দিনগুলােতে সালাতের ইমামতি করেন ৷
আবুল হাসান মদােইনী বলেন, আলীর খিলাফতকালে এবং তার শাহাদাতের পুর্ব পর্যন্ত
কোন বছরই হজ্জ প লন করেননি ৷ ইয়াষীদ হবন সাখৰুরার সাথে যায় দ্বন্দু হয় এবং শাইবাহ্
ইবনইম্স ৬ণ্ব্মানাক আমারে হজ্জ করতে ঐকমত্য হয় তিনি হলেন ক ৷সাম ইবন আব্বাস ৷ ইবন
৩ারীর বলেন, আবুল হাসান মাদাইনীর ন্যায় আবু ঘুনআবও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন
জারীর বলেন০ বিাভিন্ন প্রদেশে আলীর সেইসব শাসনক৩ ৷ এ বছরও নিয়োজিত থাকেন, যারা
গত বছরে কর্মরত ছিলেন ৷ আটাত্রশ সনের বর্ণনায় আমরা তাদের নাম উল্লেখ করেছি
ব্যতিক্রম কেবল ইবন আব্বাসের ক্ষেত্রে ৷ কেননা তিনি এ বছর বসর৷ ছেড়ে দিয়ে কুফায় চলে
আসেন এবং যিয়াদ ইবন আবীহিকে বসরায়৩ ৷র স্থলাভিষিক্ত করেন ৷ তারপর এ সনের মধ্যেই
যিয়াদ হবন আবীইি ;রন্৷ ও কিরমানের শাসনকর্তা হয়ে সেখানে চলে যান ৷

এ বছরে যেসব বিশিষ্ট ব্যক্তি ইনতিকাল করেন

১ সা দ আল কুরাজী৪ তিনি রাসুলুল্লাহ্র্চুদ্বু:ৰু-এর যামানায় কুব৷ মসজিদের মু৩ ওয়াবৃযিন
ছিলেন ৷ উার (রা) খলীফ৷ হওয়ার পর তিনি তাকে মসজিদে নববীতে মুওয়াবৃবিন করেন ৷ তার
পিতা ছিলেন আম্মার ইবন ইয়াসিয়ের মুক্ত গোলাম ৷ আবু বকর, উমর ও আলীর সময়ে তিনি
বর্শ৷ বহন করে ঈদপাহে নিয়ে যেতেন ৷ দীর্ঘকাল যাবত তার বংশে মুওয়াঘৃযিনের পদ বহাল
ছিল
২ উকবাহ্ ইবন আমর ইবন ছালাবাহ্ আবু মাসউদ বদরী ৷ সঠিক বর্ণনা মতে তিনি বদর
যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন নি ৷ অবশ্য তিনি বদরের পানির নিকট বসবাস করতেন ৷ আকাবার
শপথকারীদের মধ্যে তিনি অন্যত তম ৷ তিনি ছিলেন প্রথম সারির সাহাবীগণের অন্তর্ভুক্ত ৷ আলী
(রা ) এর সময় সিফ্ফীন ও অন্যান্য যুদ্ধকালে তিনি কুফায় আলীর প্রতিনিধি হিসেবে থাকতেন ৷


أَوْصَى أَنْ تُغَسِّلَهُ أَسْمَاءُ فَغَسَّلَتْهُ، ثُمَّ لَمَّا انْقَضَتْ عِدَّتُهَا تَزَوَّجَهَا عَلِيٌّ فَنَشَأَ مُحَمَّدٌ فِي حِجْرِهِ، فَلَمَّا صَارَتْ إِلَيْهِ الْخِلَافَةُ اسْتَنَابَهُ عَلَى مِصْرَ بَعْدَ قَيْسِ بْنِ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، كَمَا تَقَدَّمَ ذَلِكَ، فَلَمَّا كَانَتْ هَذِهِ السَّنَةُ قُتِلَ بِبِلَادِ مِصْرَ، وَلَهُ مِنَ الْعُمُرِ دُونَ الثَّلَاثِينَ، رَحِمَهُ اللَّهُ وَرَضِيَ عَنْهُ. وَحَزِنَتْ عَلَيْهِ عَائِشَةُ وَعَلِيٌّ وَغَيْرُهُمَا. أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسِ بْنِ مَعْدِ بْنِ الْحَارِثِ الْخَثْعَمِيَّةِ، وَهِيَ أُمُّ مُحَمَّدٍ الْمَذْكُورِ، أَسْلَمَتْ قَدِيمًا بِمَكَّةَ وَهَاجَرَتْ مَعَ زَوْجِهَا جَعْفَرِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ إِلَى الْحَبَشَةِ، وَقَدِمَتْ مَعَهُ إِلَى خَيْبَرَ، وَلَهَا مِنْهُ عَبْدُ اللَّهِ، وَمُحَمَّدٌ، وَعَوْنٌ. وَلَمَّا قُتِلَ جَعْفَرٌ بِمُؤْتَةَ، تَزَوَّجَهَا بَعْدَهُ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ، فَوَلَدَتْ لَهُ مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي بَكْرٍ أَمِيرَ مِصْرَ. ثُمَّ لَمَّا مَاتَ الصِّدِّيقُ تَزَوَّجَهَا بَعْدَهُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، فَوَلَدَتْ لَهُ يَحْيَى وَعَوْنًا، وَهِيَ أُخْتُ مَيْمُونَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ
পৃষ্ঠা - ৬১৬৭
لِأُمِّهَا. وَكَذَلِكَ هِيَ أُخْتُ أُمِّ الْفَضْلِ امْرَأَةِ الْعَبَّاسِ لِأُمِّهَا، وَكَانَ لَهَا مِنَ الْأَخَوَاتِ لِأُمِّهَا تِسْعُ أَخَوَاتٍ، وَهِيَ أُخْتُ سَلْمَى بِنْتِ عُمَيْسٍ امْرَأَةِ الْعَبَّاسِ الَّتِي لَهُ مِنْهَا بِنْتٌ اسْمُهَا عُمَارَةُ.