আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة سبع وثلاثين

ذكر من توفي في هذه السنة من الأعيان

পৃষ্ঠা - ৬১৪১

হিজরী আটত্রিশ সন

এ সনেই আমীর মুআবিয়া আমর ইবন আসকে মিসরে প্রেরণ করেন ৷ তিনি মুহক্ষেদ ইবন
আবু বকরের কাছ থেকে মিসর দখল করে নেন ৷ মুআবিয়া আমরকে তথার শাসক নিয়োগ
করেন ৷ এ সব ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ পরে দেওয়া হবে ৷ এর আগে হযরত আলী (রা) কাইস
ইবন সা’দ ইবন উবাদাকে মিসরের শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন এবং মুহাম্মদ ইবন হুজাইফার
কবজা থেকে মিসরকে যুক্ত করেন ৷ উসমান (রা)-কে যখন অবরোধ করা হয় তখন আবদুল্লাহ
ইবন সড়াদ ইবন আবু সারাহকে তথায় কাজ করতে ধারণ করা হয় ৷ উসমান (রা) মিসরের
কবৃত্বি থেকে আমর ইবন আসকে অপসারণ করে আবদুল্লাহ ইবন সাদ ইবন আবু সারাহকে
তথায় নিয়োগ দিয়েছিলেন ৷

পুর্বেই আলোচনা করা হয়েছে যে, এই আমর ইবন আসই মিসর জয় করেছিলেন ৷ এরপর
আলী (রা) কাইস ইবন সা’দকে পরিবর্তন করে মুহাম্মদ ইবন আবু বকরকে মিসরের শাসনভার
অর্পণ করেন ৷ পরে অবশ্য আলী (বা) কাইস ইবন সাদকে পরিবর্তন করার জন্যে অনুশোচনা
করেন ৷ কাইসকে পরিবর্তন করার কারণ এটাই ছিল যে, তিনি ছিলেন মু’আবিয়া ও আমরের
সম পর্যায়ের ৷ মুহাম্মদ ইবন আবু বকরের মধ্যে সেই যোগ্যতা ছিল না, যার দ্বারা তিনি
মুআবিযা ও আমরের মুকাবিলা করতে পারেন ৷ কাইস ইবন সড়াদ অপসারিত হওয়ার পর
পবিত্র মদীনায় প্রত্যাবর্তন করেন এবং সেখান থেকে আলীর কাছে ইরাকে চলে আসেন ৷
মুআৰিয়া বলতেন, আল্লাহর কসম ৷ আলীর কাছে এক লাখ যোদ্ধা থাকার বদলে শুধু কাইস
ইবন সাদ থাকায় আমি বেশি বিচলিত ৷ সিফ্ফীন যুদ্ধে কাইস আলীর সংগে ছিলেন ৷ সিফ্ফীন
থেকে ফিরে আসার পর আলী (বা) জানতে পারেন যে, মিসরবাসী মুহাম্মদ ইবন আবু বকরকে
তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না ৷ কেননা তখন তার বয়স ছিল মাত্র ছাব্বিশ বছর বা তার কাছাকাছি ৷
তখন তিনি মিসরের শাসনভার কাইস ইবন সাদ কিত্ৰা আশৃতার নাখঈর উপর ন্যস্ত করার
সিদ্ধান্ত নেন ৷ কাইস ইবন সা’দকেতিনি সেনাধ্যক্ষ পদে অল্টিত করেছিলেন ৷ মাংঅ্যাংঙ্কর
নাখঈ ছিলেন মুসিল ও নাসিবীন প্রদেশে আলীর শাসনকর্তা ৷

সিফ্ফীনের পরে আলী (রা) আশৃতড়ারকে নিজের কাছে ডেকে পাঠান এবং মিসরের
শাসনভার তার উপর অর্পণ করেন ৷ মুআবিয়া যখন শুনতে পেলেন যে, মিসরের শাসনভার
মুহাম্মদ ইবন আবু বকরের পরিবর্তে আশৃতার নাখঈর উপর ন্যস্ত করা হয়েছে, তখন তিনি
ভীষণ চিন্তিত হয়ে পড়েন ৷ কেননা তিনি ইতিমধ্যেই মুহাম্মদ ইবন আবু বকরের হাত থেকে
মিসর ছিনিয়ে নেয়ার জন্যে লালায়িত হয়ে পড়েছিলেন ৷ কিভৃ তিনি জানতেন যে, আশতারের
বীরৎ ও বুদ্ধিমত্তা এ উদ্দেশ্য সফল হতে দিবে না ৷ আশতার মিসরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা


وَثَلَاثِينَ. وَصَحَّحَهُ ابْنُ جَرِيرٍ قُلْتُ: وَهُوَ الْأَشْبَهُ كَمَا سَنُنَبِّهُ عَلَيْهِ فِي السَّنَةِ الْآتِيَةِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ - أَعْنِي سَنَةَ سَبْعٍ وَثَلَاثِينَ - عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ ; نَائِبُ عَلِيٍّ عَلَى الْيَمَنِ وَمَخَالِفِيهَا، وَكَانَ نَائِبَ مَكَّةَ قُثَمُ بْنُ الْعَبَّاسِ، وَعَلَى الْمَدِينَةِ تَمَّامُ بْنُ عَبَّاسٍ. وَقِيلَ: سَهْلُ بْنُ حُنَيْفٍ وَعَلَى الْبَصْرَةِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ، وَعَلَى قَضَائِهَا أَبُو الْأَسْوَدِ الدُّئَلِيُّ، وَعَلَى مِصْرَ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، وَأَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيٌّ مُقِيمٌ بِالْكُوفَةِ، وَمُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ بِالشَّامِ مُسْتَحْوِذٌ عَلَيْهَا. قُلْتُ: وَمِنْ نِيَّتِهِ أَنْ يَأْخُذَ بِلَادَ مِصْرَ مِنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ. [ذِكْرُ مَنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنَ الْأَعْيَانِ] خَبَّابُ بْنُ الْأَرَتِّ بْنِ جَنْدَلَةَ بْنِ سَعْدِ بْنِ خُزَيْمَةَ، كَانَ قَدْ أَصَابَهُ سِبَاءٌ فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَاشْتَرَتْهُ أُمُّ أَنْمَارٍ الْخُزَاعِيَّةُ، الَّتِي كَانَتْ تَخْتِنُ النِّسَاءَ، وَهِيَ أُمُّ سِبَاعِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى الَّذِي قَتَلَهُ حَمْزَةُ يَوْمَ أُحُدٍ. حَالَفَ خَبَّابٌ بَنِي زُهْرَةَ. أَسْلَمَ خَبَّابٌ قَدِيمًا قَبْلَ دَارِ الْأَرْقَمِ، وَكَانَ مِمَّنْ يُؤْذَى فِي اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ فَيَصْبِرُ
পৃষ্ঠা - ৬১৪২


শুরু করেন ৷ তিনি যখন কৃলযুম১ পর্যন্ত পৌছেন, তখন ঐ এলাকার খারাজ আদায়কারী
খানেসৃতার২ তাকে অভ্যর্থনা জানায় ৷ সে আশৃতারকে সযাদর করে খাদ্য ও বিষ মিশ্রিত মধুর
শরবত পরিবেশন করে ৷ পানড়াহারের পর বিষক্রিয়ায় তিনি সেখানেই মৃত্যুর কোলে চলে
পড়েন ৷ এ সংবাদ যখন মুআবিযা, অড়ামর ও সিরিয়াবাসীর নিকট পৌছে তখন তারা বলে ওঠে
যে, মধুর মধ্যেও আল্লাহর সৈন্য থাকে ৷

ইবন জারীর তার ইতিহাস গ্রন্থে লেখেন যে, মুআবিয়া স্বয়ং এই ব্যক্তির কাছে গিয়ে
আশৃতারকে হত্যা করতে বলেছিলেন এবং বিনিময়ে তাকে অনেক কিছু দেয়ার ওয়াদা
করেছিলেন ৷৩ সে কারণে ঐ ব্যক্তি আশৃতারকে কৌশলে হত্যা করে ৷ তবে এ বর্ণনা ব্যাখ্যার
দাবি রাখে ৷ যদি বর্ণনাটিকে সঠিক ধরা হয় তা হলে বলা যায় যে, মুআবিয়া আশৃতারকে হত্যা
করা বৈধ মনে করেছিলেন ৷ কেননা, আশৃতার ছিলেন উসমানের অন্যতম হত্যাকারী ৷ প্রকৃত
ব্যাপার হলো আশৃতার নাখঈর মৃত্যুতে মুআবিয়া ও সিরিয়াবাসী আনন্দে ফেটে পড়ে ৷ আলী
(রা) যখন আশৃতারের মৃত্যু সংবাদ শুনেন তখন দুঃখে-গােকে ভেৎগে পড়েন ৷ এমন একজন
বীর পুরুষকে হারিয়ে তিনি আফস্যেস প্রকাশ করতে থাকেন ৷ তিনি মুহাম্মদ ইবন আবু বকরকে
মিসরে স্থায়িভাবে শাসনকার্য অব্যাহত রাখার জন্যে চিঠি প্রেরণ করেন ৷৪ কিন্তু মুহাম্মদ ইবন
আবু বকর ছিলেন দুর্বল-চিত্তের অধিকারী ৷ তদুপরি মিসরের খারবাতা অঞ্চলের বাসিন্দারা ছিল
উসমানের সমর্থক ৷ তারাও ছিল আলী ও মুহাম্মদ ইবন আবু বকরের বিরুদ্ধে সোচ্চার ৷ তারা
তাদের বিরোধিতাকে আরও জোরদার করে তুলে যখন আলী সিফফীন থেকে প্রত্যাবর্তন করেন
এবং সালিস-কার্যক্রম ভেৎগে যায় ও ইরার্কীরা সিরীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অনীহা প্রকাশ করে ৷

দৃমাতুল-জ্যনদালের সালিস-রিচার ভেৎগে যাওয়ার পর সিরিয়াবাসীরা মুআবিয়াকে খলীফা
হিসেবে মেনে নেয় এবং তাদের রাজনৈতিক শক্তিকে সুসংহত করে ৷ এ সময় মুআবিয়া তার
নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদেরকে একত্রিত করেন যথা : অড়ামর ইবন অড়াস, শুরাহবীল ইবন সামিত,
আবদুর রহমান ইবন খালিদ ইবন ওয়ড়ালীদ, যাহ্হাক ইবন কাইস, বুসার ইবন আবু আরতাত,
আবুল আ’ওয়ার সুলামী , হামযা ইবন সিনান প্রমুখ ৷ তিনি মিসর অভিযান সম্পর্কে এদের নিকট
পরামর্শ চান ৷ তারা সবাই একবাকে জানিয়ে দেয়, আপনি যেথায় ইচ্ছা সেথায় চলুন, আমরা
আপনার সাথে আছি (এ ;)১১১ ; ;-প্রু ;গ্লু) ৷ মুআবিযা ঘোষণা দিলেন, মিসর
বিজিত হলে অড়ামর ইবন আস হবে সেখানকার শাসনকর্তা ৷ এ কথা শুনে অড়ামর ইবন অসে
অত্যন্ত খুশি হন ৷

অড়ামর ইবন অসে তখন মুআবিয়াকে বললেন, আমি মনে করি আপনি এখনই মিসরে কিছু
লোক প্রেরণ করুন এবং তাদের সাথে এমন একজন লোক দিন যে হবে বিশ্বস্ত ও যুদ্ধ সম্পর্কে



১ পবিত্র মক্কা ও মিসরের পথে একটি স্থানের নাম কৃলযুম ৷ এ থেকে বাহরে কৃলযুম নাম হয়েছে ৷

২ তাবারীতে আছে জায়েসতার ৷

৩ তাবারী ৬৫৪ , কামিল ৩৩৫৩ দ্ৰ মুআৰিয়া ওয়াদা করেছিলেন যে,আমার ও তোমার জীবদ্দশায় তোমার
থেকে থারাজ নেওয়া হবে না ৷ মুরুজুয-যাহাব-ৰিশ বছর খারাজ মাফ ৷

৪ মুরুজুয-যাহাব ২৪ ৫৫ দ্ৰ মুহাম্মদ ইবন আবু বকরের নিহত হওয়ার পর আশতারকে মিসরে প্রেরণ করা
হয় ৷ কিন্দীর উলাতৃ মিসর পৃ : ৬-মুহম্মেদ ইবন আবু বকর ৩৭ সালের রমযান মাসে আশতারের মৃত্যুর পর
ক্ষমতায় বসেন ৷


وَيَحْتَسِبُ، وَهَاجَرَ وَشَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا مِنَ الْمَشَاهِدِ. قَالَ الشَّعْبِيُّ: دَخَلَ خَبَّابٌ يَوْمًا عَلَى عُمَرَ فَأَكْرَمَ مَجْلِسَهُ، وَقَالَ: مَا أَحَدٌ أَحَقُّ بِهَذَا الْمَجْلِسِ مِنْكَ إِلَّا بِلَالٌ. فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِنَّ بِلَالًا كَانَ يُؤْذَى وَكَانَ لَهُ مَنْ يَمْنَعُهُ، وَإِنِّي كُنْتُ لَا نَاصِرَ لِي، وَاللَّهِ لَقَدْ سَلَقُونِي يَوْمًا فِي نَارٍ أَجَّجُوهَا وَوَضَعَ رَجُلٌ مِنْهُمْ رِجْلَهُ عَلَى صَدْرِي فَمَا اتَّقَيْتُ الْأَرْضَ إِلَّا بِظَهْرِي، ثُمَّ كَشَفَ عَنْ ظَهْرِهِ فَإِذَا هُوَ قَدْ بَرِصَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَلَمَّا مَرِضَ دَخَلَ عَلَيْهِ نَاسٌ مِنَ الصَّحَابَةِ يَعُودُونَهُ، فَقَالُوا: أَبْشِرْ غَدًا تَلْقَى الْأَحِبَّةَ ; مُحَمَّدًا وَحِزْبَهُ. فَقَالَ: وَاللَّهِ إِخْوَانِي مَضَوْا لَمْ يَأْكُلُوا مِنْ أَجْرِهِمْ شَيْئًا، وَإِنَّا قَدْ أَيْنَعَتْ لَنَا ثَمَرَتُهَا فَنَحْنُ نَهْدِبُهَا، يَعْنِي الدُّنْيَا فَهَذَا الَّذِي يَهُمُّنِي. قَالُوا: وَتُوُفِّيَ بِالْكُوفَةِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَنْ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ سَنَةً، وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ دُفِنَ بِظَاهِرِ الْكُوفَةِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. خُزَيْمَةُ بْنُ ثَابِتِ بْنِ الْفَاكِهِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ سَاعِدَةَ الْأَنْصَارِيُّ، ذُو الشَّهَادَتَيْنِ، وَكَانَتْ رَايَةُ بَنِي خَطْمَةَ مَعَهُ يَوْمَ الْفَتْحِ، وَشَهِدَ صِفِّينَ مَعَ عَلِيٍّ، وَقُتِلَ يَوْمَئِذٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. سَفِينَةُ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَدْ قَدَّمْنَا تَرْجَمَتَهُ فِي الْمَوَالِي الْمَنْسُوبِينِ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৬১৪৩
النَّبِيِّ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ. عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْأَرْقَمِ بْنِ أَبِي الْأَرْقَمِ: أَسْلَمَ عَامَ الْفَتْحِ وَكَتَبَ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَدْ تَقَدَّمَ مَعَ كُتَّابِ الْوَحْيِ. عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُدَيْلِ بْنِ وَرْقَاءَ الْخُزَاعِيُّ، قُتِلَ يَوْمَ صِفِّينَ، وَكَانَ أَمِيرَ مَيْمَنَةِ عَلِيٍّ فَأَخَذَهَا بَعْدَهُ الْأَشْتَرُ. عَبْدُ اللَّهِ بْنُ خَبَّابِ بْنِ الْأَرَتِّ، وُلِدَ فِي زَمَنِ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ مَوْصُوفًا بِالْخَيْرِ، قَتَلَهُ الْخَوَارِجُ، كَمَا قَدَّمْنَا بِالنَّهْرَوَانِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، فَلَمَّا جَاءَ عَلِيٌّ قَالَ لَهُمْ: أَعْطُونَا قَتَلَتَهُ ثُمَّ أَنْتُمْ آمِنُونَ. فَقَالُوا: كُلُّنَا قَتَلَهُ. فَقَتَلَهُمْ. عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ، أَحَدُ كُتَّابِ الْوَحْيِ، أَسْلَمَ قَدِيمًا وَكَتَبَ الْوَحْيَ، ثُمَّ ارْتَدَّ عَنِ الْإِسْلَامِ، ثُمَّ عَادَ إِلَى الْإِسْلَامِ عَامَ الْفَتْحِ، وَاسْتَأْمَنَ لَهُ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، - وَكَانَ أَخَاهُ لِأُمِّهِ - وَحَسُنَ إِسْلَامُهُ، وَقَدْ وَلَّاهُ عُثْمَانُ نِيَابَةَ مِصْرَ بَعْدَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، فَغَزَا إِفْرِيقِيَّةَ وَبِلَادَ النُّوبَةِ، وَفَتَحَ الْأَنْدَلُسَ، وَغَزَا ذَاتَ الصَّوَارِي مَعَ الرُّومِ فِي الْبَحْرِ، فَقَتَلَ مِنْهُمْ مَا صَبَغَ وَجْهَ الْمَاءِ مِنَ الدِّمَاءِ،
পৃষ্ঠা - ৬১৪৪


অভিজ্ঞ ৷ কেননা সেখানে উসমান (রা) সমর্থক একটি দল আছে ৷ বিরুদ্ধবাদীদের সাথে যুদ্ধের
সময় এদের সহযোগিতা পাওয়া যাবে ৷ মুআবিয়া বললেন, আমি ভাল মনে করছি যে, ওখানে
আমাদের গ্রুপের যারা আছে তাদের নিকট আমি এই মর্মে একটি পত্র দিব যে মিসর অভিযানে
এখান থেকে সৈন্য প্রেরণ করা হচ্ছে ৷ আর ৰিরুদ্ধবাদীদের নিকটও একটি পত্র দিব এই মর্মে
যে, তারা যেন আমাদের লোকদের সাথে সন্ধি করে নেয় ৷ মুআবিয়া আমরকে বললেন, তোমার
মধ্যে আছে দ্রুত কাজ করার স্বভাব, আর আমার মধ্যে আছে ধীর-ন্থিরভাবে কাজ করার নীতি ৷

আমর বললেন, আল্লাহ আপনাকে যে বুঝ দিয়েছেন সেমতে কাজ করুন ৷ আল্লাহর কসম !
আপনার ও তাদের মাঝে শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ অবধারিত ৷ তখন মুআবিয়া মাসলামা ইবন-মুখাল্লাদ
আনসারী ও মুআৰিয়া ইবন খাদীজের নিকট পত্র লিখলেন ৷ এরাদু’জন হলেন মিসরে উসমানী
গ্রুপের শীর্ষ নেতা ৷ এ গ্রুপের লোকেরা কখনও আলীর বাইআত গ্রহণ করেনি এবং মিসরে
তার প্রতিনিধির কোন নির্দেশ মেনে নেয়নি ৷ এদের সংখ্যা প্রায় দশ হাজার ৷ তাদেরকে জানিয়ে
দেওয়া হয় যে, শীঘ্রই মিসর আক্রমণকারী সেনাদল সেখানে পৌছবে ৷ মুআবিয়হ্ব তার মুক্ত
গোলাম সুবায় এর নিকট পত্র দিয়ে প্রেরণ করেন ৷ মুআবিয়ার পত্র যখন মড়াসলামা ও মুআবিয়া
ইবন খাদীজের হস্তগত হয়, তখন তারা অত্যন্ত খুশি হয় এবং অর্থ ও সৈন্য দিয়ে সার্বিক
সাহায্য-সহ্যযাগিতড়ার সুসংবাদ দিয়ে মুআবিয়ার পত্রের জওয়াব লিথে পাঠায় ৷ মিসরের খবর
জানার পর মুআবিয়া ছয় হাজার সৈনাসহ আমর ইবন আসকে তথায় প্রেরণ করেন ৷ আমরকে
বিদায় করার সময় মুআবিয়া কিছুদুর পর্যন্ত ত্মাসর হন ৷ এ সময় তিনি আমরকে আল্লাহ্র ভয়
জাগ্রত রাখতে, দয়া প্রদর্শন করতে, সুযোগ দিতে ও ধীর মন্তিষ্কে কাজ করার উপদেশ দেন ৷
তিনি আরও বলেন, যারা যুদ্ধ করতে চায় তাদের সাথে যুদ্ধ করবে; আর যারা যুদ্ধৃ থেকে
পিছিয়ে থাকবে তাদের ক্ষমা করে দিবে এবং সাধারণভাবে মানুষকে সন্ধি-সমঝেক্রতা ও ঐক্যের
দিকে আহ্বান জানাবে ৷ বিজয় লাভ করলে তোমার সাহায্যকাবীদের উচিত মর্যাদা দিয়ে ৷

এসব আনুষ্ঠানিকতা শেষে আমর ইবন আস মিসরের পথে যাত্রা করেন ৷ তিনি মিসরে
পৌছলে সেখানকার উসমানী গ্রুপ তার সংগে“ মিলিত হয় এবং তিনি তাদের নেতৃত্ব দেন ৷
এরপর আমর ইবন আস মুহাম্মদ ইবন আবুৰকরের কাছে এক পত্র লিখে পাঠান ৷ পত্রের মর্ম
এই : আপনি ক্ষমতা ত্যাগ করুন ৷ আমি চাই না আমার পক্ষ থেকে আপনার কোন ক্ষতি
হোক ৷ এ শহরের লোকজন আপনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, আপনার শাসন প্রত্যাখ্যান
করেছে, আপনার আনুগতেক্ত অপমান বোধ করছে ৷ এরা আপনাকে পরিত্যাগৃ করেছে ৷ আপনি
যদি উটের পেটে বাধা বস্তা ফেলে দেন, এরা তা আপনাকে ৫ফ্তেল্ডিং ৷ সুতরাং এ দেশ
ছেড়ে আপনি চলে যান ৷ আমি আপনার তাকাজ্জী ৷ এরপর সালাম ৷

আমর নিজের পত্রের সাথে মুআবিয়ার লিখিত পত্রটিও মুহাম্মদ ইবন আবু বকরের কাছে
পাঠিয়ে দেন ৷ মুআবিয়ার পত্রের বক্তব্য এই : বিদ্রোহ ও জুলুমের পশ্চাতে থাকে ভয়ংকর
বিপর্যয় ৷ যে ব্যক্তি হারাম উপায়ে রক্তপাত ঘটায় সে দুনিয়ার লাঞ্চুনা ও আখিরাতের শাস্তি
থেকে রেহাই পেতে পারে না ৷ উসমড়ানের বিরুদ্ধে তোমার চেয়ে কঠিন ভুমিকা আর কারও ছিল
বলে আমাদের জানা নেই ৷ তুমিশ্ই তো তার কান ও ঘাড়ের মাঝখানে চাপাতি দ্বারা আঘাত
করেছিলে৷ এরপরও তুমি মনে করেছ যে তোমার ব্যাপারে আমরা ঘুমিয়ে আছি কিৎবা ওসব


ثُمَّ لَمَّا حُصِرَ عُثْمَانُ تَغَلَّبَ عَلَيْهِ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي حُذَيْفَةَ، وَأَخْرَجَهُ مِنْ مِصْرَ، فَمَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ وَهُوَ مُعْتَزِلٌ عَلِيًّا وَمُعَاوِيَةَ فِي صَلَاةِ الْفَجْرِ بَيْنَ التَّسْلِيمَتَيْنِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. عَمَّارُ بْنُ يَاسِرٍ أَبُو الْيَقْظَانِ الْعَبْسِيُّ مِنْ عَبْسِ الْيَمَنِ، وَهُوَ حَلِيفُ بَنِي مَخْزُومٍ، أَسْلَمَ قَدِيمًا وَكَانَ مِمَّنْ يُعَذَّبُ فِي اللَّهِ هُوَ وَأَبُوهُ وَأُمُّهُ سُمَيَّةُ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ أَوَّلُ مَنِ اتَّخَذَ مَسْجِدًا فِي بَيْتِهِ يَتَعَبَّدُ فِيهِ. وَقَدْ شَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا. وَقَدْ قَدَّمْنَا كَيْفِيَّةَ مَقْتَلِهِ يَوْمَ صِفِّينَ، وَكَانَ مَعَ عَلِيٍّ، وَأَخْبَرَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ تَقْتُلُهُ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ. وَرَوَى التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ الْحَسَنِ، عَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «إِنَّ الْجَنَّةَ تَشْتَاقُ إِلَى ثَلَاثَةٍ ; عَلِيٍّ وَعَمَّارٍ وَسَلْمَانَ» . وَرَوَى الثَّوْرِيُّ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ هَانِئِ بْنِ هَانِئٍ، عَنْ عَلِيٍّ «أَنَّ عَمَّارًا اسْتَأْذَنَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: مَرْحَبًا بِالطَّيِّبِ الْمُطَيَّبِ» . وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحُسَيْنِ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنِي نَصْرٌ، ثَنَا سُفْيَانُ
পৃষ্ঠা - ৬১৪৫
الثَّوْرِيُّ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي عَمَّارٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُرَحْبِيلَ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: ( «لَقَدْ مُلِئَ عَمَّارٌ إِيمَانًا إِلَى مُشَاشِهِ» . وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُعَلَّى، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ: مَا مِنْ أَحَدٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَشَاءُ أَنْ أَقُولَ فِيهِ إِلَّا عَمَّارَ بْنَ يَاسِرٍ، فَإِنَّهُ حُشِيَ مَا بَيْنِ أَخْمَصِ قَدَمَيْهِ إِلَى شَحْمَةِ أُذُنَيْهِ إِيمَانًا. وَحَدَّثَنَا يَحْيَى، ثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَنَا هُشَيْمٌ، عَنِ الْعَوَّامِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، «عَنْ عَلْقَمَةَ قَالَ: أَتَيْتُ أَهْلَ الشَّامِ فَلَقِيتُ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ فَحَدَّثَنِي، قَالَ: كَانَ بَيْنِي وَبَيْنَ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ كَلَامٌ فِي شَيْءٍ، فَشَكَانِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا خَالِدُ لَا تُؤْذِ عَمَّارًا ; فَإِنَّهُ مَنْ يَبْغَضْ عَمَّارًا يَبْغَضْهُ اللَّهُ، وَمَنْ يُعَادِ عَمَّارًا يُعَادِهِ اللَّهُ قَالَ: فَعَرَضْتُ لَهُ بَعْدَ ذَلِكَ فَسَلَلْتُ مَا فِي
পৃষ্ঠা - ৬১৪৬


ভুলে গিয়েছি ৷ম্র সে কারণেই তুমি ঐ শহরে এসে শাসন চালাবার সাহস দেখঃাচ্ছ ৷ অথচ
ওখানকার অধিকাত্শ অর্ধিবাসী আমার সমর্থক ৷ আমি তোমার বিরুদ্ধে এমন এক বাহিনী
পাঠিয়েছি যারা তোমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করাকে মহড়ান আল্লাহর ট্রুনকট্য লাভের উপায় মনে করে ৷
তুমি যেখড়ানেই থাক, আল্লাহ তোমাকে মৃত্যুদণ্ড থেকে রক্ষা করবেন না ৷ এরপর সালাম ৷

বর্ণনড়াকারী বলেন, মুহাম্মদ ইবন আবু বকর উভয় পত্র একত্রে আলীর কাছে পাঠিয়ে দেন ৷
সেই সাথে র্তাকে অবহিত করেন যে, মুআবিয়ার পক্ষ থেকে সৈন্যবাহিনীসহ আমর ইবন আস
মিসরে এসে গেছে ৷ এখন যদি মিসরকে আপনার দখলে রাখা প্রয়োজন মনে করেন তবে
আমার নিকট সৈন্য ও সম্পদ দ্রুত পাঠিয়ে দিন ৷ এরপর সালাম ৷ চিঠির জওয়াবে আলী (রা)
মুহাম্মদ ইবন আবু বকরকে লিখে পাঠান যে, ধৈর্য ধারণ কর ও শক্রদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে
যাও ৷ আমি শীঘ্রই৫ আমার নিকট সৈন্য ও সম্পদ প্রেরণ করছি ৷ এছাড়াও সাধ্যমত সৈন্য
সরবরাহ করে তোমাকে সাহায্য করা হবে ৷

আলী (রা) এর জওয়াব পেয়ে মুহাম্মদ ইবন আবুবকর মু আবিয়া ৷র নিকটত ৷র চিঠির কড়া
উত্তর পাঠান ৷ অনুরুপভাবে আমর ইবন আসের নিকটও শক্ত ভাষায়৩ ৷র চিঠির জওয়াব প্রেরণ
করেন ৷ এরপর মুহাম্মদ ইবন আবু বকর জনতার উদ্দেশ্যে এক ভাষণ দেন ৷ তিনি তাদেরকে
জিহাদে উদ্বুদ্ধ করেন এবং সিরীয় বাহিনীর মুকাবিলা করার নির্দেশ দেন ৷ ইতিমধ্যে আমর ইবন
আস তার সৈন্যবাহিনীসহ মিসরে পৌছে গেছেন ৷ মিসরের উসমানী গ্রুপও তার সাথে যুক্ত
হয়েছে ৷ সবমিলে আমরের বাহিনীতে সৈন্য সংখ্যা দীড়ালো প্রায় ষোল হজ্যের ৷ মুহাম্মদ ইবন
আবু বকরের আহ্বানে মিসরের দুই হাজার অশ্বারোহী সৈন্য সাড়া দেয় ৷ তিনি তাদেরকে নিয়ে
অগ্রসর হন ৷ মুহাম্মদ ইবন আবু বকর তার বাহিনীর সম্মুখ ৩ ৷গে কিনানা ইবন বিশৃরকে রাখেন ৷
কিনানা বীর বিক্রমে যুদ্ধ চালিয়ে যান ৷ সিরিয়ার সৈন্য সামনে পড়া মত্রেই তাকে হত্যা করতে
থাকেন ৷ অবশেষে তারা কিনানার চাপে কােণঠাসা হয়ে আমর ইবন আসের নিকট ফিরে যায় ৷
আমর ইবন আস তখন কিনানার বিরুদ্ধে মুআবিয়া ইবন খাদীজকে পাঠান ৷ তিনি কিনানাকে
পশ্চাৎদিক থেকে আক্রমণ করেন ৷ সিরিয়ার অন্যান্য সৈন্য সম্মুখ দিক দিয়ে আক্রমণ চালায় ৷
এভাবে কিনানা চতৃর্দিক থেকে শত্রু পরিবেষ্টিত হয়ে পড়েন ৷ তিনি তখন অশ্ব থেকে মাটিতে
নেমে যুদ্ধ করেন এবং নিম্নোক্ত আয়াত পাঠ করতে থাকেন


অর্থ : আল্লাহ্র অনুমতি ব্যতীত কা ৷রও মৃত্যু হতে পারে না, যেহেতু এর মেয়াদ অবধারিত
(আলে-ইমরান : ১৪৫) ৷

এরপর যুদ্ধ করতে করতে এক পর্যায়ে তিনি নিহত হন ৷ কিনানার নিহত হওয়ার সাথে
সাথে মুহাম্মদ ইবন আবু বকরের সৈন্যরা রণে তংগ দিয়ে বিক্ষিপ্তভাবে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন
করে ৷ এদিকে মুহাম্মদ ইবন আবু বকর রণক্ষেত্র থেকে ফিরে যাওয়ার সময় পথে একটি বিধ্বস্ত
ঘর দেখে তার মধ্যে আত্মগােপন করেন ৷ আমর ইবন আস মিসরের ফুসতাত শহরে চলে যান ৷
মু আবিয়া ইবন খাদীজ মুহাম্মদ ইবন আবু বকরের সন্ধানে বের হন ৷ পথে স০ বাদ নিতে নিতে
তিনি অগ্রসর হন ৷ যার সংগে দেখা হতো তাকে তিনি জিজ্ঞেস করতেন এ পথ দিয়ে কোন


نَفْسِهِ.» وَلَهُ أَحَادِيثُ كَثِيرَةٌ فِي فَضَائِلِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. قُتِلَ عَمَّارٌ يَوْمَ صِفِّينَ عَنْ إِحْدَى وَقِيلَ: ثَلَاثٍ. وَقِيلَ: أَرْبَعٍ وَتِسْعِينَ سَنَةً. طَعَنَهُ أَبُو الْغَادِيَةِ فَسَقَطَ، ثُمَّ أَكَبَّ عَلَيْهِ رَجُلٌ فَاحْتَزَّ رَأْسَهُ، ثُمَّ اخْتَصَمَا إِلَى مُعَاوِيَةَ أَيُّهُمَا قَتَلَهُ. فَقَالَ لَهُمَا عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ: اتَّئِدَا فَوَاللَّهِ إِنَّكُمَا لَتَخْتَصِمَانِ فِي النَّارِ. فَسَمِعَهَا مِنْهُ مُعَاوِيَةُ فَلَامَهُ عَلَى تَسْمِيعِهِ إِيَّاهُمَا ذَلِكَ. فَقَالَ لَهُ عَمْرٌو: وَاللَّهِ إِنَّكَ لَتَعْلَمُ ذَلِكَ، وَلَوَدِدْتُ أَنِّي مِتُّ قَبْلَ هَذَا الْيَوْمِ بِعِشْرِينَ سَنَةً. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي الْحَسَنُ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ عُمَارَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَاصِمٍ أَنَّ عَلِيًّا صَلَّى عَلَيْهِ، وَلَمْ يُغَسِّلْهُ، وَصَلَّى مَعَهُ عَلَى هَاشِمِ بْنِ عُتْبَةَ، فَكَانَ عَمَّارٌ مِمَّا يَلِي عَلِيًّا، وَهَاشِمٌ إِلَى نَحْوِ الْقِبْلَةِ. قَالُوا: وَقُبِرَ هُنَالِكَ. وَكَانَ آدَمَ اللَّوْنِ، طَوِيلًا، بَعِيدَ مَا بَيْنَ الْمَنْكِبَيْنِ، أَشْهَلَ الْعَيْنَيْنِ، رَجُلًا لَا يُغَيِّرُ شَيْبَهُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. الرُّبَيِّعُ بِنْتُ مُعَوِّذِ بْنِ عَفْرَاءَ، أَسْلَمَتْ قَدِيمًا وَكَانَتْ تَخْرُجُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِلَى الْغَزَوَاتِ فَتُدَاوِي الْجَرْحَى، وَتَسْقِي الْمَاءَ لِلْكَلْمَى وَغَيْرِهِمْ، وَرَوَتْ
পৃষ্ঠা - ৬১৪৭
أَحَادِيثَ كَثِيرَةً. وَقَدْ قُتِلَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ فِي أَيَّامِ صِفِّينَ خَلْقٌ كَثِيرٌ وَجَمٌ غَفِيرٌ ; فَقِيلَ: قُتِلَ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ خَمْسَةٌ وَأَرْبَعُونَ أَلْفًا، وَمِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ خَمْسَةٌ وَعِشْرُونَ أَلْفًا. وَقِيلَ: قُتِلَ مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ أَرْبَعُونَ أَلْفًا مِنْ مِائَةٍ وَعِشْرِينَ أَلْفًا، وَقُتِلَ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ عِشْرُونَ أَلْفًا مِنْ سِتِّينَ أَلْفًا. وَبِالْجُمْلَةِ فَقَدْ كَانَ فِي قَتْلَى الْفَرِيقَيْنِ أَعْيَانٌ وَمَشَاهِيرُ يَطُولُ اسْتِقْصَاؤُهُمْ. وَفِيمَا ذَكَرْنَا كِفَايَةٌ. وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ.