আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة سبع وثلاثين

قصة التحكيم

পৃষ্ঠা - ৬০৪৮


উযায়না (উযায়না মাতার নাম, পিতার নাম জারীর) ৷ সে আবু বিলাল ইবন মিরদাস ইবন
জারীর-এর ভাই ৷ সে দাড়িয়ে বলল, তোমরা কি ধর্মীয় বিষয়ে ফয়সালার জন্যে মানুষকে
বিচারক নিয়োগ করছো ? এ কথা বলেই সে আশআছ ইবন কইিসের বাহনের পশ্চাৎ ভাগে
তরবারি দিয়ে আঘাত হানলাে ৷ এতে আশআছ ও তার কওমের লোকেরা অত্যন্ত রাপাষিত হয় ৷
ফলে আহনাফ ইবন কাইস ও তাদের গোত্রের নেতৃস্থানীয় একটি দল এসে আশআছ ইবন
কইিসের কাছে এ ব্যাপারে ক্ষমা প্রার্থনা করে ৷ খারিজী সম্প্রদায়ের ধারণা মতে যিনি সর্ব প্রথম
তাদেরকে নেতৃত্ব দেন তিনি হলেন আবদুল্লাহ ইবন ওহাৰ্ রাসিবী ৷ গ্রন্থক্ারের মতে প্রথমটাই
সঠিক ৷ আলীর পক্ষের কিছু সংখ্যক লোক মারা কৃবৃরা নামে পরিচিত ছিল তারা ঐ ব্যক্তির মতে
উদ্বুদ্ধ হয় এবং ঘোষণা দেয় ধ্পুা৷ ১৷ ৷ ণ্ব্লু ১’ (আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও হুকুম দেওয়ার
এখতিয়ার নেই) ৷ এ কারণে এ দলকে মাহ্কামিয়্যা নামে অভিহিত করা হয় ৷১ তারপর
লোকজন যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে নিজ নিজ এলাকার দিকে রওয়ানা হয়ে যায় ৷ মুআবিয়া তার
সৈন্য-সামম্ভ নিয়ে দামেশকে যায় ৷ আর হযরত আলী (রা) কুফার উদ্দেশ্যে হীত-এর পথ ধরে
অগ্রসর হন ৷ তিনি যখন কুফায় পৌছেন, তখন শুনতে পান এক ব্যক্তি বলছে, আলী
গিয়েছিলাে ৷ কিন্তু শুন্য হাতে ফিরে এসেছে ৷

এ কথা শুনে হযরত আলী (বা) বললেন, যাদেরকে আমরা ছেড়ে এসেছি তারা অবশ্যই
ওদের তুলনায় উত্তম ৷ তিনি কবিতায় বললেন :


অর্থাৎ, তোমার ভাই হওয়ার যোগ্য সে, সময়ের বিবর্তন যদি তোমাকে দীর্ঘ দিন বিপর্যস্ত
করে রাখে, তখন যে তোমার পাশে সহানুভুতির মন নিয়ে সর্বক্ষণ অবস্থান করে ৷ কিন্তু ঐ ব্যক্তি
তােমার ভাই হওয়ার যোগ্য নয়; যখন তোমার উপর নানা রকম বিপদ এসে তোমাকে জর্জরিত
করছে আর সে তখন তিরস্কারের বলি ছুড়ছে ৷

এরপর হযরত আলী (বা) আল্লাহ্কে স্মরণ করতে করতে কুফার রাজপ্রাসাদে প্রবেশ
করেন ৷ তিনি যখন কুফা নগরীর দ্বারপ্রান্তে পৌছেন, তখন তার বাহিনীর প্রায় বার হাজার লোক
তার থেকে আলাদা হয়ে যায় ৷ এরাই ইতিহাসে খারিজী সালে বিখ্যাত ৷ তারা আলীর সাথে
একই শহরে বসবাস করতে অস্বীকার করে এবং হারুরা নামক স্থানে গিয়ে অবস্থান করে ৷
তাদের মতে হযরত আলী (রা) কয়েকটি অন্যায় কাজে জড়িত হয়ে পড়েছেন যার দরুন তারা
আর তাকে মেনে নিতে পারছে না ৷ আলী (বা) তাদের সাথে কথা বলার জন্যে আবদুল্লাহ ইবন



১ মিলাল ওয়ান নাহাল পৃ; ৫০; আল-ফিরকে বায়নাল ফিরাক পৃ ৫১ ৷ গ্রন্থদ্বয়ে বলা হয়েছে, প্রথম মাহ্কামার
কথা ৷ শাহ্রাস্তানীং বলেন, এরা ঐসব লোক যারা সালিসদ্বুয়ের নিযুক্তির পর আলীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে
এবং হারুরায় সমবেত , হয় ৷ এদেরকে হারুরিয়্যাহ্ বলা হয় ৷ তাদের সংখ্যা জ্জি বার হাজার এবং নেতৃত্বে
ছিল ইবনুল কাওয়া, ইতাব ইবন আ’ওয়ার এবং আবদুল্লাহ ইবন ওহাব আর রাসিবী ৷ বর্ণিত আছে,
খারিব্জীদের মধ্য থেকে সর্ব প্রথম তরবারি উত্তোলন করে উরওয়াহ্ ইবন জারীর বা ইবন উযায়নাহ্ সে
মিরদাস খারিব্জীর ভাই ৷ নাহরাওয়ানের যুদ্ধে সে রক্ষা পায় এবং মুআবিয়ার রাজতুকাল পর্যন্ত বেচে থাকে ৷
অবশেষে যিয়াদ ইবন আৰিহী তাকে হত্যা করে ৷


يُهْلِكَ أُمَّتِي بِسِنَةٍ عَامَّةٍ فَأَعْطَانِيهَا، وَسَأَلْتُهُ أَنْ لَا يُسَلِّطُ عَلَيْهِمْ عَدُوًّا مِنْ غَيْرِهِمْ، فَيَسْتَبِيحَ بَيْضَتَهُمْ فَأَعْطَانِيهَا، وَسَأَلْتُهُ أَنْ لَا يُسَلِّطُ بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ فَمَنَعَنِيهَا» . ذَكَرْنَا ذَلِكَ عِنْدَ تَفْسِيرِ قَوْلُهُ تَعَالَى: {أَوْ يَلْبِسَكُمْ شِيَعًا وَيُذِيقَ بَعْضَكُمْ بَأْسَ بَعْضٍ} [الأنعام: 65] . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، هَذَا أَهْوَنُ. [قِصَّةُ التَّحْكِيمِ] ثُمَّ تَرَاوَضَ الْفَرِيقَانِ بَعْدَ مُكَاتَبَاتٍ وَمُرَاجَعَاتٍ يَطُولُ ذِكْرُهَا عَلَى التَّحْكِيمِ وَهُوَ أَنْ يُحَكِّمَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنَ الْأَمِيرَيْنِ - عَلِيٌّ وَمُعَاوِيَةُ - رَجُلًا مِنْ جِهَتِهِ، ثُمَّ يَتَّفِقَ الْحَكَمَانِ عَلَى مَا فِيهِ الْمَصْلَحَةُ لِلْمُسْلِمِينَ. فَوَكَّلَ مُعَاوِيَةُ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ وَأَرَادَ عَلِيٌّ أَنْ يُوَكِّلَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ - وَلَيْتَهُ فَعَلَ - وَلَكِنَّهُ مَنَعَهُ الْقُرَّاءُ الْخَوَارِجُ مِمَّنْ ذَكَرْنَا، وَقَالُوا: لَا نَرْضَى إِلَّا بِأَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ. وَذَكَرَ الْهَيْثَمُ بْنُ عَدِيٍّ فِي كِتَابِ " الْخَوَارِجِ " لَهُ أَنَّ أَوَّلَ مَنْ أَشَارَ بِأَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ الْأَشْعَثُ بْنُ قَيْسٍ، وَتَابَعَهُ أَهْلُ الْيَمَنِ، وَوَصَفُوهُ بِأَنَّهُ كَانَ يَنْهَى النَّاسَ عَنِ الْفِتْنَةِ وَالْقِتَالِ، وَكَانَ أَبُو مُوسَى قَدِ اعْتَزَلَ فِي بَعْضِ أَرْضِ الْحِجَازِ، قَالَ
পৃষ্ঠা - ৬০৪৯


আব্বাসকে প্রেরণ করেন ৷ ইবন আব্বাস তাদের কাছেগ্ গিয়ে তাদের অভিযোগ শোনেন ও
জওয়াব দেন ৷ ফলে তাদের অধিকাং শ লোক মত পরিবর্তন করে ফিরে আসে, আর অবশিষ্টরা
আপন মতে অনড় থাকে ৷ হযরত আলী (রা)৩ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হন ৷ যে বর্ণনা সামনে
বিস্তারিতভাবে আসছে ৷

এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, সর্বসম্মত সহীহ্ হাদীসে এই খারিজী সম্প্রদায়ের প্রতি
ইঙ্গিত করা হয়েছে ৷ যেমন বাসুলুল্লাহ, , বলেছেন, জনগণের মধ্যে যখন বিভৈদ সৃষ্টি হবে,
তখন একদল লোক ইসলাম থেকে বেরিয়ে ভ্রান্ত পথে চলে যাবে ৷ কোন বর্ণনায় আছে
মুসলমানদের মধ্যে যখন বিভেদ সৃষ্টি হবে; আবার কোন বর্ণনায় আছে আমার উম্মতের মধ্যে
যখন বিভেদ সৃষ্টি হবে ৰু ৷ তখন বিভেদকারী দৃ’দলের মধ্যে যারা উত্তম তারা ওদেরকে হত্যা
করবে ৷ এ হাদীসটি বিভিন্ন সুত্রে শব্দের বিভিন্ন পার্থক্যসহ বর্ণিত হয়েছে ৷

ইমাম আহমদ বলেনং আমাদের কাছে ওয়াকী ও আফ্ফান ইবন কা ৷সিম ইবন ফজল আবু
নাদরার সুত্রে আবু সাঈদ (খুদরী) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্মোঃ বলেছেন :
মুসলমানদের মধ্যে পারস্পরিক দ্বরুন্দুর সময় একদল লোক দীন থেকে বেরিয়ে যাবে ৷ তখন

বিবদমান দল দু ঢির মধ্যে যারা ন্যায়ের কাছাকাছি তারা এদেরকে হত্যা করবে ৷ ইমাম মুসলিম

এ হাদীস শাইবান ইবন ফাররুখ থেকে কাসিম ইবন মুহাম্মদের সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম আহমদ বলেন, আমাদের নিকট আবু আওয়ানা কাতাদ৷ থেকে, তিনি আবু নাদরা থেকে,
তিনি আবু সাঈদ খুদরী থেকে, তিনি রাসুলুল্লাহ্ঙ্কুছুফু থেকে বর্ণনা করেছেন যে, আমার উম্মত
দৃ’দলে বিভক্ত হয়ে যাবে ৷ এদের মধ্য থেকে আর একটি দলের উদ্ভব হবে ৷ ঐ দু’দলের মধ্যে
শ্রেষ্ঠ দল এদেরকে হত্যা করবে ৷ ইমাম মুসলিমও এ হাদীস কাতাদা ও আবু দাউদ ইবন আবু
হিন্দ থেকে আবু নাদয়ার সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম আহমদ বলেন, আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন ইবন আদী ৷ তিনি সুলাইমান
থেকে,৩ তিনি আবু নাদরাহ্ থেকে ৷ তিনি আবু সাঈদ থেকে যে, রাসুলুল্লাহ্মোঃ একবার একদল
লোক সম্পর্কে আলোচনা করলেন ৷ যারা হবে তার উম্মতের অর্ভর্তুক্ত ৷ মানুষের মধ্যে মত
বিরোধের সময় এদের উদ্ভব হবে ৷ তাদের মাথা থাকবে মুণ্ডিত ৷ সৃষ্টিকুলের মধ্যে তারা সবচেয়ে
নিকৃষ্ট ৷ বিদ্যমান দু’টি দলের মধ্যে যারা সত্যের অধিক নিকটবর্তী তারা এদেরকে হত্যা করবে ৷
আবু সাঈদ বলেন, হে ইরাকবাসী! তােমরাই তাদেরকে হত্যা করে দিয়েছে৷ ৷ ইমাম আহমদ
বলেন, আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করেছে মুহাম্মদ ইবন জ্বা ফুর ৷ তিনি আওফ থেকে, তিনি
আবু নাদরাহ্ থেকে, তিনি আবু সাঈদ খুদরী থােক ৷ তিনি বলেন, বাসুলুল্লাহট্রুৰুৰুট্রুট্ট বলেছেন § :
আমার উষ্মত দু দলে বিভক্ত হয়ে ৷ এদের মধ্য থেকে তৃতীয় আর একটি দল আবির্ভুত হবে ৷
এদেরকে হত্যা করবে উক্ত দুই দলের মধ্যে যারা সত্যের অধিক নিকটবর্তী ৷ আহমদ এ হাদীস
ইয়াহ্ইয়া কাত্তানের সুত্রে আওফ আ’রাবীর থেকেও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ এভাবে হাদীসটি
আবু নাদরা মুনষির ইবন মালিক ইবন কিত্আতা আবাদী থেকে বিভিন্ন সুত্রে বর্ণিত হয়েছে ৷
আবু নাদরাহ্ একজন উচ্চ পর্যায়ের ছিকাহ্ রাবী ৷ ইমাম মুসলিমও এ হাদীস সুফিয়ান
ছাওরী-হাবীব ইবন আবু ছাবিত দাহ্হাক মাশরিকী সনদে আবু সাঈদ থেকে অনুরুপ বর্ণনা
করেছেন ৷

আল-বিদড়ায়া ৬৪


عَلِيٌّ: فَإِنِّي أَجْعَلُ الْأَشْتَرَ حَكَمًا. فَقَالُوا: وَهَلْ سَعَّرَ، الْأَرْضَ إِلَّا الْأَشْتَرُ؟ قَالَ: فَاصْنَعُوا مَا شِئْتُمْ. فَقَالَ الْأَحْنَفُ لِعَلِيٍّ: وَاللَّهِ لَقَدْ رَمَيْتَ بِحَجَرٍ، إِنَّهُ لَا يَصْلُحُ لِهَؤُلَاءِ الْقَوْمِ إِلَّا رَجُلٌ مِنْهُمْ يَدْنُو مِنْهُمْ حَتَّى يَصِيرَ فِي أَكُفِّهِمْ، وَيَبْعُدُ عَنْهُمْ حَتَّى يَصِيرَ بِمَنْزِلَةِ النَّجْمِ، فَإِنْ أَبَيْتَ أَنْ تَجْعَلَنِي حَكَمًا فَاجْعَلْنِي ثَانِيًا أَوْ ثَالِثًا، فَإِنَّهُ لَنْ يَعْقِدَ عُقْدَةً إِلَّا حَلَلْتُهَا، وَلَا يَحُلَّ عُقْدَةً عَقَدْتُهَا إِلَّا عَقَدْتُ لَكَ أُخْرَى مِثْلَهَا أَوْ أَحْكَمَ مِنْهَا. قَالَ: فَأَبَوْا إِلَّا أَبَا مُوسَى الْأَشْعَرِيَّ. فَذَهَبَتِ الرُّسُلُ إِلَى أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ - وَكَانَ قَدِ اعْتَزَلَ - فَلَمَّا قِيلَ لَهُ: إِنَّ النَّاسَ قَدِ اصْطَلَحُوا. قَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ. قِيلَ لَهُ: وَقَدْ جُعِلْتَ حَكَمًا. فَقَالَ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. ثُمَّ أَخَذُوهُ حَتَّى أَحْضَرُوهُ إِلَى عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَكَتَبُوا بَيْنَهُمْ كِتَابًا هَذِهِ صُورَتُهُ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ هَذَا مَا تَقَاضَى عَلَيْهِ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ اكْتُبِ اسْمَهُ وَاسْمَ أَبِيهِ هُوَ أَمِيرُكُمْ وَلَيْسَ بِأَمِيرِنَا. فَقَالَ الْأَحْنَفُ: لَا تَكْتُبْ إِلَّا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ عَلِيٌّ: امْحُهُ، وَاكْتُبْ: هَذَا مَا قَاضَى عَلَيْهِ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، ثُمَّ اسْتَشْهَدَ عَلِيٌّ بِقِصَّةِ الْحُدَيْبِيَةِ حِينَ امْتَنَعَ أَهْلُ مَكَّةَ مِنْ قَوْلِهِ: هَذَا مَا قَاضَى عَلَيْهِ مُحَمَّدٌ رَسُولُ
পৃষ্ঠা - ৬০৫০
اللَّهِ. فَامْتَنَعَ الْمُشْرِكُونَ مِنْ ذَلِكَ، وَقَالُوا: اكْتُبْ: هَذَا مَا قَاضَى عَلَيْهِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ. فَكَتَبَ الْكَاتِبُ: هَذَا مَا قَاضَى عَلَيْهِ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَمُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ ; قَاضَى عَلِيٌّ عَلَى أَهْلِ الْعِرَاقِ وَمَنْ مَعَهُمْ مِنْ شِيعَتِهِمْ وَالْمُسْلِمِينَ، وَقَاضَى مُعَاوِيَةُ عَلَى أَهْلِ الشَّامِ وَمَنْ كَانَ مَعَهُ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ، إِنَّا نَنْزِلُ عِنْدَ حُكْمِ اللَّهِ وَكِتَابِهِ، وَنُحْيِي مَا أَحْيَا اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، وَنُمِيتُ مَا أَمَاتَ اللَّهُ، فَمَا وَجَدَ الْحَكَمَانِ فِي كِتَابِ اللَّهِ - وَهُمَا أَبُو مُوسَى الْأَشْعَرِيُّ وَعَمْرُو بْنُ الْعَاصِ - عَمِلَا بِهِ وَمَا لَمْ يَجِدَا فِي كِتَابِ اللَّهِ، فَالسُّنَّةُ الْعَادِلَةُ الْجَامِعَةُ غَيْرُ الْمُتَفَرِّقَةِ. ثُمَّ أَخَذَ الْحَكَمَانِ مِنْ عَلِيٍّ وَمُعَاوِيَةَ وَمِنَ الْجُنْدَيْنِ مِنَ الْعُهُودِ وَالْمَوَاثِيقِ عَلَى أَنَّهُمَا آمِنَانِ عَلَى أَنْفُسِهِمَا وَأَهْلِهِمَا، وَالْأُمَّةُ لَهُمَا أَنْصَارٌ عَلَى الَّذِي يَتَقَاضَيَانِ عَلَيْهِ وَيَتَّفِقَانِ، وَعَلَى الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ مِنَ الطَّائِفَتَيْنِ كِلَيْهِمَا عَهْدُ اللَّهِ وَمِيثَاقُهُ أَنَّهُمْ عَلَى مَا فِي هَذِهِ الصَّحِيفَةِ، وَأَجَّلَا الْقَضَاءَ إِلَى رَمَضَانَ، وَإِنْ أَحَبَّا أَنْ يُؤَخِّرَا ذَلِكَ عَلَى تَرَاضٍ مِنْهُمَا، وَكُتِبَ فِي يَوْمِ الْأَرْبِعَاءِ لِثَلَاثَ عَشْرَةَ خَلَتْ مِنْ صَفَرٍ، سَنَةَ سَبْعٍ وَثَلَاثِينَ، عَلَى أَنْ يُوَافِيَ عَلِيٌّ وَمُعَاوِيَةُ مَوْضِعَ الْحَكَمَيْنِ بِدُومَةِ الْجَنْدَلِ فِي رَمَضَانَ، وَمَعَ كُلِّ وَاحِدٍ مِنَ الْحَكَمَيْنِ أَرْبَعُمِائَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ، فَإِنْ لَمْ يَجْتَمِعَا لِذَلِكَ اجْتَمَعَا مِنَ الْعَامِ الْمُقْبِلِ بِأَذْرُحَ.
পৃষ্ঠা - ৬০৫১


উল্লেখিত হাদীসটি রাসুলুল্লাহ্প্রোলাং-এর নবুওয়াত প্রমাণকারী হাদীসসমুহের অত্তভুক্তি ৷
কেননা নবী “আঃ এ সম্পর্কে যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন বাস্তবক্ষেত্রে তা সে রকমই পাওয়া
গিয়েছে ৷ এ হাদীস থেকে আরও জানা যায় যে, সিরিয়া বাহিনী ও ইরাক বাহিনী উভয় দলই
মুসলমান ৷ রাফিযী সম্প্রদায় ও নির্বো ধ মুর্থ লোকেরা সিরীয় পক্ষকে যে কাফির বলে অভিহিত
করে তা আদৌ ঠিক নয় ৷ হাদীস থেকে আরও বোঝা যায় যে, দৃ’পক্ষের মধ্যে আলীর পক্ষহ
ছিল সত্যের অধিক নিকটবর্তী ৷ আহ্লে সুন্নাত ওয়াল জামআেতের মাযহাব এই যে, হযরত
অেলীেজ্জিনস্রঠিকগ্মরস্থান্সে ন্সাঃল্লুস্রাল্ডিংম্বস্থিলেন মুজতাহিদ ৷ আল্লাহ চাইলে তিনি পুরস্কৃত
হবেন ৷ কিৎ আলী যেহেতু ইমাম ছিলেন, সে জন্যে তিনি দ্বিগুণ পুরস্কার পারেন ৷ সহীহ
বুখড়ারীতে এ প্রসঙ্গে আমর ইবন আসের হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্মোঃ বলেছেন :
শাসক যখন ইজতিহাদ (সঠিক সিদ্ধান্তের জন্যে সাধ্যমত চেষ্টা) করে, এবং সঠিক সিদ্ধান্তে
উপনীত হয়, তা হলে সে পাবে দু’টি পুরস্কার ৷ আর যদি ইজতিহাদ করে ভুল সিদ্ধান্তে পৌছে,
তবেসে পারে একটি পুরস্কার ৷ খারিজীদের সাথে হযরত আলীর যুদ্ধের বর্ণনা সামনে আসছে ৷
সেই সাথে মাখদাজের বংনািও করা হবে, যার সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্প্লুক্ট্র-এর ভবিষ্যদ্বাণী হুবহু
মিলে যাওয়ায় হযরত আলীর মনে প্রশান্তি আসে এবং তিনি শুকরানা সিজদা আদায় করেন ৷

অনুচ্ছেদ

ইতিপুর্বে আলোচনা করা হয়েছে যে, সিফফীনের ঘটনার পরে হযরত আলী সিরিয়া থেকে
প্রত্যাবর্তন করে কুফায় চলে আসেন ৷ তিনি যখন কুফায় প্রবেশ করেন, তখন তার বাহিনীর
একটি অংশ পৃথক হয়ে যায় ৷ কারও মতে তাদের সংখ্যা ছিল ছয় হাজার, কারও মতে বার
হাজার ৷ কারও মতে বার হাজারের কম ৷ এরা হযরত আলীর পক্ষ ত্যাগ করে পৃথক হয়ে যায়
এবং তার বিরুদ্ধে কতিপয় অভিযোগ এসে তার প্রতিপক্ষ হয়ে দাড়ায় ৷ এদেরকে বোঝবাের
জন্যে হযরত আলী (রা) আবদুল্লাহ ইবন আব্বাসকে প্রেরণ করেন ৷ তিনি গিয়ে তাদের সাথে
আলোচনা করেন ও অভিযোগের জওয়াব দেন ৷ বন্তুত এ সব অভিযোগ ছিল ভিত্তিহীন ৷ কেবল
সন্দেহের বশবর্তী হয়ে তারা এ অভিযোগগুভৈলা এনেছিল ৷ আলোচনার ফলে কিছু লোক তাদের
মত পরবর্তন করল ৷ আর কিছু লোক আপন ভ্রান্ত মতে অটল রয়ে গেল ৷

এক বর্ণনা মতে হযরত আলী (রা) তাদের কাছে যান, তাদের অভিযোগ দুর করেন এবং
তাদের মতামত পরিবর্তন করাতে সক্ষম হন ৷ ফলে তারা আলীর সাথে কুফায় প্রবেশ করে এবং
তার সাথে থাকার প্রতিজ্ঞা করে ৷ কিত্তু পরে তারা প্রতিজ্ঞা ভৎগ করে এবং নিজেদের মধ্যে
পারস্পরিক প্রতিজ্ঞার মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হয় যে, এখন থেকে তারা গো১ §,,<fl, , ৷
ৰু£৷ ৷ ষ্ ন্; — অর্থাৎ সৎ কাৰোর আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করতে থাকবে এবং মানুষের
কাছে এর প্রচার করবে ৷ তারা নাহরাওয়ান নামক স্থানেসংঘবদ্ধ হয় ৷ হযরত আলী সেখানে
তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন ৷ ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ সামনে আসছে ৷ ইমাম আহমদ
বলেন ৪ ইসহাক ইব ন ঈসা তিবা উবাইদৃল্লাহ্ ইবন আমার ইবন আমর আল-কারী থেকে ,
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, ইরাকে হযরত আলীর প্রত্যাবর্ত্যনর কয়েক দিন পুর্বে আবদুল্লাহ ইবন
শাদৃদাদ হযরত আয়েশা (রা)-এর নিকট আগমন করে ৷ আমরা তখন তার কাছে বসা ফ্লিাম ৷
তিনি বললেন, হে আবদুল্লাহ ইবন শাদৃদাদা আমি তোমার কাছে যা জিজ্ঞেস করবো সে বিষয়ে ণ্


وَقَدْ ذَكَرَ الْهَيْثَمُ بْنُ عَدِيٍّ فِي كِتَابِهِ " الْخَوَارِجِ " أَنَّ الْأَشْعَثَ بْنَ قَيْسٍ لَمَّا ذَهَبَ إِلَى مُعَاوِيَةَ بِالْكِتَابِ وَفِيهِ: هَذَا مَا قَاضَى عَبْدُ اللَّهِ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيٌّ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ قَالَ مُعَاوِيَةُ: لَوْ كَانَ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ لَمْ أُقَاتِلْهُ، وَلَكِنْ لِيَكْتُبِ اسْمَهُ وَلِيَبْدَأْ بِهِ قَبْلَ اسْمِي لِفَضْلِهِ وَسَابِقَتِهِ. فَرَجَعَ إِلَى عَلِيٍّ فَكَتَبَ كَمَا قَالَ مُعَاوِيَةُ. وَذَكَرَ الْهَيْثَمُ أَنَّ أَهْلَ الشَّامِ أَبَوْا أَنْ يَبْدَأُوا بِاسْمِ عَلِيٍّ قَبْلَ مُعَاوِيَةَ، وَبِاسْمِ أَهْلِ الْعِرَاقِ قَبْلَهُمْ، حَتَّى كُتِبَ كِتَابَانِ ; كِتَابٌ لِهَؤُلَاءِ وَكِتَابٌ لِهَؤُلَاءِ بِمَا أَرَادُوا. وَهَذِهِ تَسْمِيَةُ مَنْ شَهِدَ عَلَى هَذَا الْكِتَابِ وَالتَّحْكِيمِ مَنْ جَيْشِ عَلِيٍّ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ، وَالْأَشْعَثُ بْنُ قَيْسٍ الْكِنْدِيُّ، وَسَعِيدُ بْنُ قَيْسٍ الْهَمْدَانِيُّ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الطُّفَيْلِ الْعَامِرِيُّ، وَحُجْرُ بْنُ عَدِيٍّ الْكِنْدِيُّ، وَوَرْقَاءُ بْنُ سُمَيٍّ الْبَجَلِيُّ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحِلٍّ الْعِجْلِيُّ، وَعُقْبَةُ بْنُ زِيَادٍ الْحَضْرَمِيُّ،
পৃষ্ঠা - ৬০৫২
وَيَزِيدُ بْنُ حُجَيَّةَ التَّمِيمِيُّ، وَمَالِكُ بْنُ كَعْبٍ الْهَمْدَانِيُّ. فَهَؤُلَاءِ عَشَرَةٌ. وَأَمَّا مِنَ الشَّامِيِّينَ فَعَشَرَةٌ آخَرُونَ ; وَهُمْ أَبُو الْأَعْوَرِ السُّلَمِيُّ، وَحَبِيبُ بْنُ مَسْلَمَةَ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، وَمُخَارِقُ بْنُ الْحَارِثِ الزُّبَيْدِيُّ، زِمْلُ بْنُ عَمْرٍو الْعُذْرِيُّ، وَعَلْقَمَةُ بْنُ يَزِيدَ الْحَضْرَمِيُّ، وَحَمْزَةُ بْنُ مَالِكٍ الْهَمْدَانِيُّ، وَسُبَيْعُ بْنُ يَزِيدَ الْحَضْرَمِيُّ، وَعُتْبَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ أَخُو مُعَاوِيَةَ، وَيَزِيدُ بْنُ الْحُرِّ الْعَبْسِيُّ. وَخَرَجَ الْأَشْعَثُ بْنُ قَيْسٍ بِذَلِكَ الْكِتَابِ يَقْرَأُهُ عَلَى النَّاسِ وَيَعْرِضُهُ عَلَيْهِمْ مِنَ الطَّائِفَتَيْنِ. ثُمَّ شَرَعَ النَّاسُ فِي دَفْنِ قَتْلَاهُمْ. قَالَ الزُّهْرِيُّ: بَلَغَنِي أَنَّهُ كَانَ يُدْفَنُ فِي كُلِّ قَبْرٍ خَمْسُونَ نَفْسًا. وَكَانَ عَلِيٌّ قَدْ أَسَرَ جَمَاعَةً مِنْ أَهْلِ الشَّامِ فَلَمَّا أَرَادَ الِانْصِرَافَ عَنْ صِفِّينَ أَطْلَقَهُمْ، وَكَانَ مِثْلُهُمْ أَوْ قَرِيبٌ