আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة سبع وثلاثين

ذكر رفع أهل الشام المصاحف مكرا منهم بأهل العراق وخديعة

পৃষ্ঠা - ৬০৩৭


জাদআন আবু নাযরা সুত্রে আবু সাঈদ (বা) হতে এটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ সে বর্ণনায়
আছে, আবুসাঈদ (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহমোঃ বলেছেন-

,

ট্রু-টুট্টগুওশ্ব ’
;;ণ্ন্ন্ণ্ ¢“ শ্হ্নি

কিয়ামত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ না দু’টি বিরাট দল যুদ্ধে লিপ্ত হবে, তাদের উভয়ের
দাবি হয়ে এক ৷ তাদের এ অবস্থায় একটি অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে, দুই দলের মধ্যে সত্যের
অধিক নিকটবর্তী দলটি বিচ্ছিন্ন দলটিকে হত্যা করবে ৷

এছাড়া মাহ্দী ও ইসহাক সুফিয়ান মানসুর রিবৃঈ ইবন খিরাশ (হিরাশ) বারা ইবন
নাজিয়া কাহিনী র্সনদে ইবন মাসউদ (বা) হতে ইমাম আহমাদের হাদীস আগেও উল্লেখ করা
হয়েছে ৷ য ড়াতে ইবন মাসউদ (রা) বলেছেন, রাসুলুৰুান্াহমোঃ বলেছেন-

ষ্ষ্ষ্ষ্ষ্ষ্ষ্

মোঃ এ হ্নি ট্ট’১এ এ

ইসলামের চাকা পয়ত্রিশতম বা ছত্রিশতম বছরে হুমকির শিকার হয়ে ৷ যা সে সময় তারা
শেষ হয়ে যায় তবে তো তারা যে পথেই যাবে ৷ আর যদি তাদের দীন তাদের জন্য স্থিতিবান
থাকে, তবে তা স্থিতিবান থাকবে সত্তুর বছর ৷ তখন উমর (রা) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! এ
হিসাব কি বিগত দিনসহ কিংব৷ আগত দিনের? তিনিড্রু:ঢুট্রুৰু বললেন, না, বরং আগত দিনের ৷
ইব্রাহীম ইবনুল হুমড়ায়ন ইবন দীযীল তার আলী (রা)-এর সীরাত সংক্রান্ত সংকলন গ্রন্থে
হাদীস আবু নুআয়ম ফায্ল ইবন দুবায়ন শারীক মানসুর সনদে অনুরুপ রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ তার বর্ণনায় আরও আছ, আবু নুআয়ম শারীক ইবন আবদুল্লাহ নাখঈ মুজ৷ ৷লিদ
— আমির শা বী মাসরুক সনদে আবদুল্লাহ (ইবন আস উদ বা) হতে বর্ণিত ৩৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ণোগু আমাদের বললেনং :

ণ্ছুণ্ব্লুহুৰুঠু ৷ (;, , ৷
ইসলামের চাকা পয়ত্রিশ বছর পরে ধ্বংসের মুখোমুখি হবে, তখন তারা নিজেদের মধ্যে
আপোসরফা করে নিলে সত্ত্বর বছর পর্যন্ত নির্কিংব্ল দুনিয়া ভোগ করবে আর থুনাখুনি করলে
তাদের পুর্ববর্তীদের পথের আরােহী হবে ৷
ইবন দীযীল বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন উমরআবদুল্লাহ্ ইবন খিরাশ শায়বানী-আওয়াম

ইবন হাওশাব-ইবরাহীম তামীমী (রা) সনদে বর্ণিত ৩৷ ইব্রাহীম বলেন, রাসুলুল্লাহ্মোঃ ,
বলেছেন, বনুউমায়্যার এক ব্যক্তি



১ মুসনাদে ইমাম আহমাদ, ১ খ, ৩৯০, ৩৯৩, ৩৯৫ ৪৬১ পৃ; আবুদাউদ,কিতাবুল ফিতান-প্রারম্ব; হাকিম,
মুসতাদরকে, : খ, ৫২১ পৃ; হাকিমের মন্তব্য, এ হাদীসের সনদ প্রামাণ্য; তবে বুখারী ও মুসলিম এটি
রিওয়ায়াত করেন নি ৷ এ বিষয়ে যাহাবী হাকীমের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন ৷

৬৩


لَا يُمَكِّنُ أَحَدُهُمَا الْفِرَارَ مِنَ الْآخَرِ، فَإِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، وَلَمْ يَزَلْ ذَلِكَ دَأْبُهُمْ حَتَّى أَصْبَحَ النَّاسُ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَهُمْ كَذَلِكَ، وَصَلَّى النَّاسُ الصُّبْحَ إِيمَاءً وَهُمْ فِي الْقِتَالِ حَتَّى تَضَاحَى النَّهَارُ وَأَقْبَلَ النَّصْرُ، وَتُوَجَّهَ النَّصْرُ لِأَهْلِ الْعِرَاقِ عَلَى أَهْلِ الشَّامِ ; وَذَلِكَ أَنَّ الْأَشْتَرَ النَّخَعِيَّ صَارَتْ إِلَيْهِ إِمْرَةُ الْمَيْمَنَةِ - وَكَانَ مِنَ الشُّجْعَانِ الْأَبْطَالِ الَّذِينَ يَعْرِفُونَ الْحُرُوبَ وَلَا يَهَابُونَ الْقَتْلَ - فَحَمَلَ بِمَنْ فِيهَا عَلَى أَهْلِ الشَّامِ، وَتَبِعَهُ عَلِيٌّ فَانْفَضَّتْ غَالِبُ صُفُوفِ أَهْلِ الشَّامِ، وَلَمْ يَبْقَ إِلَّا الْهَزِيمَةُ وَالْكَسْرَةُ وَالْفِرَارُ. [ذِكْرُ رَفْعِ أَهْلِ الشَّامِ الْمَصَاحِفَ مَكْرًا مِنْهُمْ بِأَهْلِ الْعِرَاقِ وَخَدِيعَةً] فَعِنْدَ ذَلِكَ رَفَعَ أَهْلُ الشَّامِ الْمَصَاحِفَ فَوْقَ الرِّمَاحِ، وَقَالُوا: هَذَا بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ، قَدْ فَنِيَ النَّاسُ فَمَنْ لِلثِّغُورِ؟ وَمَنْ لِجِهَادِ الْمُشْرِكِينَ وَالْكُفَّارِ؟ وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ وَغَيْرُهُ مِنْ أَهْلِ التَّارِيخِ، أَنَّ الَّذِي أَشَارَ بِرَفْعِ الْمَصَاحِفِ هُوَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ، وَذَلِكَ لَمَّا رَأَى أَنَّ أَهْلَ الْعِرَاقِ قَدْ ظَهَرُوا وَانْتَصَرُوا، أَحَبَّ أَنْ يَنْفَصِلَ الْحَالُ، وَأَنْ يَتَأَخَّرَ الْأَمْرُ، فَإِنَّ كُلًّا مِنَ الْفَرِيقَيْنِ صَابِرٌ لِلْآخَرِ، وَالنَّاسُ
পৃষ্ঠা - ৬০৩৮


নিহত হওয়ার সময়ে ইসলামের চাকা ঘুরে (া)যাবে ৷ এক ব্যক্তি দ্বারা উসমান রাযিয়াল্লাহু
আনহু উদ্দেশ্য ৷ ইবন দীযীল আরও বলেহ্নো, হাকাম নাফি সাফ্ওয়ান ইবন আমৃর প্রবীণ
(শায়খ)গণ হতে বর্ণনা রাসুলুল্লাহ্ড়ো কে জনৈক আনসারী ব্যক্তির জানাযার জন্য আহ্বান
করা হলো ৷ তিনি যখন সেখানে বসে জানাযার অপেক্ষা করছিলেন তখন বললেন, ;;৷ ;;: §
তোমাদের কী অবস্থা হবে যখন তোমরা
মুসলমানদের (এরুর্পে) দু টি বিশাল দলের সং ঘাতের সম্মুখীন হবো তখন আবু বকর (রা)
বললেন, যে উম্মতের আ বুদ এক ও নবী এক, তাদের মধ্যেও কি এমন হবো তিনিড়ো
বললেন, হী৷ ৷ আবু বকর (বা) বললেন, আমি কি সে যুগ পাব ইয়া রাসুলাল্লাহ্? তিনিন্,;স্কু
বললেন, না ৷ উমর (রা) বললেন, তবে আমি কি তা দেখতে পাব ইয়া রাসুলাল্লাহ্? তিনিড়াে
বললেন, না ৷ উসমান (বা) বললেন, তবে আমি কি তা পাব ইয়া রাসুলাল্লাহ্৷ তিনি (সা)
বললেন, ষ্টু, ছুব্লুদ্বুপু ;-া ৷ ন্ট্রু; হ্যা, তোমাকে উপলক্ষ করেই তারা সংঘত-সংকটে আক্রান্ত
হবে৷ ,

উমর (রা) একবার ইবন আব্বাস (রা) কে জিজ্ঞেস করলেন, তারা কি রুপে মতবিরোধে
লিপ্ত হবে অথচ তাদের আল্লাহ্ এক, তাদের কিতাব এক এবং তাদের মিল্লাত ও মতবাদ এক?
ইবন আব্বাস (বা) বললেন, ৷
৷ অে ৷ ষ্অচিরেই এমন এক সম্প্রদায়ের উদৃঙ্ঘ হয়ে
যারা কুরআন সেরুপে বুঝর্বে না যেরুপে আমরা বুঝে থাকি, ফলে তারা তাতে মতবিরোধে লিপ্ত
হবে এবং যখন তারা কুরআনের ব্যাপারে মতবিরোধে লিপ্ত হবে তখন তারা যুদ্ধ-হানাহানি
করবে ৷ তখন উমর (বা) এ জবাবের স্বীকৃতি প্রদান করলেন ৷

ইবন দীযীল আরও বলেছেন, আবু নুআয়ম-সাঈদ ইবন আবদুর রহমান, যিনি আবু
হাযযার ভাইমুহান্মাদ ইবন সীরীন হতে, তিনি বলেন, উসমান (রা)-কে শহীদ করা হলে
আদী ইবন হাতিম (বা) বললেন, তার হত্যার ব্যাপারে দুটি ভেড়ীও গুতোগুতি করবে না ৷
(কোন সংঘাত দলাদলি হবে না ৷) পরে সিফফীন যুদ্ধে তার চোখ কুড়ে গেলে কেউ তাকে
বলল, (আপনি তো বলেছিলেন,) তার (উসমান) হত্যার ব্যাপারে দুটি ভেড়ীও গুভােগুতি করবে
না ! আদী (রা) বললেন, হ্যা, তবে অনেক চোখ কুড়ে দেওয়া হবে ৷

কাব আল আহরার (বা) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি সিফীন অঞ্চলে পথ চলার সময়
সেখানকার পাথর দেখে বললেন ং

,

;


— বনী ইসরইিল এ স্থানে নয়বার যুদ্ধ করেছে এবং আরববাসীরা এখানে দশমবার যুদ্ধ
করবে ৷ এমনকি বনী ইসরাঈল যে সব পাথর পরস্পরকে ছুড়ে মেরেছিল তারাও সে সব পাথর
পরস্পরকে ছুড়ে মারবে এবং যে ভাবে তারা খতম হয়েছিল এরাও সেভাবে খতম হবে ৷


يَتَفَانَوْنَ، فَقَالَ لِمُعَاوِيَةَ: إِنِّي قَدْ رَأَيْتُ أَمْرًا لَا يَزِيدُنَا إِلَّا اجْتِمَاعًا، وَلَا يَزِيدُ أَهْلَ الْعِرَاقِ إِلَّا تَفَرُّقًا وَاخْتِلَافًا، أَرَى أَنْ نَرْفَعَ الْمَصَاحِفَ وَنَدْعُوَهُمْ إِلَيْهَا، فَإِنْ أَجَابُوا كُلُّهُمْ إِلَى ذَلِكَ بَرَدَ الْقِتَالُ هَذِهِ السَّاعَةَ، وَإِنِ اخْتَلَفُوا فِيمَا بَيْنَهُمْ - بِأَنْ يَقُولَ بَعْضُهُمْ: نُجِيبُهُمْ. وَبَعْضُهُمْ: لَا نُجِيبُهُمْ. فَشِلُوا وَذَهَبَتْ رِيحُهُمْ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ سِياهٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، قَالَ: أَتَيْتُ أَبَا وَائِلٍ فِي مَسْجِدِ أَهْلِهِ أَسْأَلُهُ عَنْ هَؤُلَاءِ الْقَوْمِ الَّذِينَ قَتَلَهُمْ عَلِيٌّ بِالنَّهْرَوَانِ، فِيمَ اسْتَجَابُوا لَهُ وَفِيمَ فَارَقُوهُ، وَفِيمَ اسْتَحَلَّ قِتَالَهُمْ؟ فَقَالَ: كُنَّا بِصِفِّينَ، فَلَمَّا اسْتَحَرَّ الْقَتْلُ بِأَهْلِ الشَّامِ اعْتَصَمُوا بِتَلٍّ، فَقَالَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ لِمُعَاوِيَةَ: أَرْسَلَ إِلَى عَلِيٍّ بِمُصْحَفٍ فَادْعُهُ إِلَى كِتَابِ اللَّهِ فَإِنَّهُ لَنْ يَأْبَى عَلَيْكَ. فَجَاءَ بِهِ رَجُلٌ فَقَالَ: بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ كِتَابُ اللَّهِ {أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ أُوتُوا نَصِيبًا مِنَ الْكِتَابِ يُدْعَوْنَ إِلَى كِتَابِ اللَّهِ لِيَحْكُمَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ يَتَوَلَّى فَرِيقٌ مِنْهُمْ وَهُمْ مُعْرِضُونَ} [آل عمران: 23] فَقَالَ عَلِيٌّ: نَعَمْ، أَنَا أَوْلَى بِذَلِكَ، بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ كِتَابُ اللَّهِ. قَالَ فَجَاءَتْهُ الْخَوَارِجُ - وَنَحْنُ نَدْعُوهُمْ يَوْمَئِذٍ الْقُرَّاءَ - وَسُيُوفُهُمْ عَلَى عَوَاتِقِهِمْ، فَقَالُوا: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ مَا تَنْتَظِرُ بِهَؤُلَاءِ الْقَوْمِ الَّذِينَ
পৃষ্ঠা - ৬০৩৯
عَلَى التَّلِّ، أَلَا نَمْشِيَ إِلَيْهِمْ بِسُيُوفِنَا حَتَّى يَحْكُمَ اللَّهُ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ؟ فَتَكَلَّمَ سَهْلُ بْنُ حُنَيْفٍ، فَقَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّهَمُوا أَنْفُسَكُمْ، فَلَقَدْ رَأَيْتُنَا يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ - يَوْمَ الصُّلْحِ الَّذِي كَانَ بَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَبَيْنَ الْمُشْرِكِينَ - وَلَوْ نَرَى قِتَالًا لَقَاتَلْنَا، فَجَاءَ عُمَرُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَسْنَا عَلَى الْحَقِّ وَهُمْ عَلَى بَاطِلٍ؟ وَذَكَرَ تَمَامَ الْحَدِيثِ كَمَا تَقَدَّمَ فِي مَوْضِعِهِ. فَلَمَّا رُفِعَتِ الْمَصَاحِفُ، قَالَ أَهْلُ الْعِرَاقِ: نُجِيبُ إِلَى كِتَابِ اللَّهِ وَنُنِيبُ إِلَيْهِ. قَالَ أَبُو مِخْنَفٍ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ جُنْدُبٍ الْأَزْدِيُّ، عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عَلِيًّا قَالَ: عِبَادَ اللَّهِ، امْضُوا إِلَى حَقِّكُمْ وَصِدْقِكُمْ وَقِتَالِ عَدُوِّكُمْ ; فَإِنَّ مُعَاوِيَةَ وَعَمْرَو بْنَ الْعَاصِ وَابْنَ أَبِي مُعَيْطٍ وَحَبِيبَ بْنَ مَسْلَمَةَ وَابْنَ أَبِي سَرْحٍ وَالضَّحَّاكَ بْنَ قَيْسٍ، لَيْسُوا بِأَصْحَابِ دِينٍ وَلَا قُرْآنٍ، أَنَا أَعْرَفُ بِهِمْ مِنْكُمْ، وَقَدْ صَحِبْتُهُمْ أَطْفَالًا، وَصَحِبْتُهُمْ رِجَالًا، فَكَانُوا شَرَّ أَطْفَالٍ، وَشَرَّ رِجَالٍ، وَيْحَكُمُ! وَاللَّهِ إِنَّهُمْ مَا رَفَعُوهَا رَفْعَ مَنْ يَقْرَأُهَا وَيَعْمَلُ بِمَا فِيهَا وَإِنَّمَا رَفَعُوهَا خَدِيعَةً
পৃষ্ঠা - ৬০৪০

(

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৪৯৯

হাদীসে যথার্থরুপে বর্ণিত হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ছুক্ষ্ণ ণ্ড্র বলেছেন :

শ্ শ্


শ্ , ৷ শ্ র্চ শ্ ৷ শ্ : ! শ্ শ্ শ্ ; শ্ শ্ শ্ ; , শ্ ; ণ্ ; ,




, আমি আমার পালনকর্তার কাছে দরখাস্ত করলাম যে, তারা যেন কোন ব্যাপক দৃর্ডিংক্ষ
শেষ না হয়ে যায় ৷ তিনি তা আমার জন্য মনৃজুর করলেন ৷ আমি তার কাছে দরখাস্ত করলাম
যে, আমার উম্মতের উপর বাইরের কোন শত্রুকে যেন এমন ক্ষমতা-প্রতিপত্তি না দেওয়া হয়
যাতে তারা উম্নতের প্রভড়াব-প্ৰতিপত্তি সম্পুর্ণ বিনাশ করে দিয়ে ৷ তিনি তা আমাকে দান
করলেন ৷ আমি আরও দরখাস্ত করলাম, তিনি যেন আমার উষ্মতের এক দলকে অপর দলের
উপর প্রতিপত্তি না দেন ৷ তিনি তা মঞ্জুর করলেন না১

বিষয়টি আমি
তোমাদের বিজ্যি দলে বিভক্ত করতে ও এক দলকে অপর দলের সংঘর্ষের স্বাদ আস্বাদন
বল্মতে-তিনিই সক্ষম সু রা আন আম ৬; আয়াতং : ৬৫) আঘাতের তাফসীর প্রসঙ্গে উল্লেখ
করেছি ৷ এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ্হুত্তু বলেছেঃ ১টুএ৷ ’ এটি তুলনামুলক সহজ ৷



১ মুসলিম, কিতাবুস স্কিতান, ৰাব-৫, হাদীস নং ২২১, ২২১৬


وَدَهَاءً وَمَكِيدَةً وَمَكْرًا وَتَخْذِيلًا لَكُمْ، وَكَسْرًا لِحِدَّتِكُمْ وَقِتَالِكُمْ، وَلَمْ يَبْقَ إِلَّا هَزِيمَتُهُمْ وَفِرَارُهُمْ وَنَصْرُكُمْ عَلَيْهِمْ. فَقَالُوا لَهُ: مَا يَسَعُنَا أَنْ نُدْعَى إِلَى كِتَابِ اللَّهِ فَنَأْبَى أَنْ نَقْبَلَهُ وَنُجِيبَ إِلَيْهِ. فَقَالَ لَهُمْ: إِنِّي إِنَّمَا أُقَاتِلُهُمْ لِيَدِينُوا بِحُكْمِ الْكِتَابِ ; فَإِنَّهُمْ قَدْ عَصَوُا اللَّهَ فِيمَا أَمَرَهُمْ بِهِ، وَتَرَكُوا عَهْدَهُ، وَنَبَذُوا كِتَابَهُ. فَقَالَ لَهُ مِسْعَرُ بْنُ فَدَكِيٍّ التَّمِيمِيُّ، وَزَيْدُ بْنُ حِصْنٍ الطَّائِيُّ ثُمَّ السِّنْبِسِيُّ فِي عِصَابَةٍ مَعَهُمَا مِنَ الْقُرَّاءِ الَّذِينَ صَارُوا بَعْدَ ذَلِكَ خَوَارِجَ: يَا عَلِيُّ أَجِبْ إِلَى كِتَابِ اللَّهِ إِذْ دُعِيتَ إِلَيْهِ وَإِلَّا دَفَعْنَاكَ بَرُمَّتِكَ إِلَى الْقَوْمِ، أَوْ نَفْعَلُ بِكَ مَا فَعَلْنَا بِابْنِ عَفَّانَ، إِنَّهُ لَمَّا تَرَكَ الْعَمَلَ بِكِتَابِ اللَّهِ قَتَلْنَاهُ، وَاللَّهِ لَتَفْعَلَنَّهَا أَوْ لَنَفْعَلَنَّهَا بِكَ. قَالَ: فَاحْفَظُوا عَنِّي نَهْيِي إِيَّاكُمْ وَاحْفَظُوا مَقَالَتَكُمْ لِي، أَمَّا أَنَا فَإِنْ تُطِيعُونِي فَقَاتِلُوا، وَإِنْ تَعْصُونِي فَاصْنَعُوا مَا بَدَا لَكُمْ. قَالُوا: فَابْعَثْ إِلَى الْأَشْتَرِ فَلْيَأْتِكَ وَيَكُفَّ عَنِ الْقِتَالِ. فَبَعَثَ إِلَيْهِ عَلِيٌّ لِيَكُفَّ عَنِ الْقِتَالِ. وَقَدْ ذَكَرَ الْهَيْثَمُ بْنُ عَدِيٍّ فِي كِتَابِهِ الَّذِي صَنَّفَهُ فِي الْخَوَارِجِ، فَقَالَ: قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: فَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْتَشِرِ الْهَمْدَانِيُّ، عَنْ مَنْ شَهِدَ صِفِّينَ، وَعَنْ نَاسٍ مِنْ رُءُوسِ الْخَوَارِجِ مِمَّنْ لَا يُتَّهَمُ عَلَى كَذِبٍ، أَنَّ عَمَّارَ بْنَ يَاسِرٍ كَرِهَ ذَلِكَ وَأَبَى،
পৃষ্ঠা - ৬০৪১

সালিসি ঘটনা

দীর্ঘ আলোচনা-পর্যালোচনা ও নীতিমালা লিখিত হওয়ার পর উভয় পক্ষ সালিসির মাধ্যমে
বিরোধ নিষ্পত্তি করতে সম্মত হয় ৷ আলোচনায় সাব্যস্ত হয় যে, আলী ও যুআবিয়া নিজ নিজ
পক্ষ হতে একজন করে বিচারক নিযুক্ত করবেন ৷ বিচারকদ্বয় ঐকমত্য হয়ে এমন একটি ব্যবস্থা
খুজে বের করবেন, যা সমস্ত মুসলমানের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয় ৷ সে মতে
আমীর মুআবিয়া তার পক্ষ হতে আমর ইবন আসকে বিচারক নিয়োগ করেন ৷ হযরত আলী
(রা) তার পক্ষ হতে আবদুল্লাহ ইবন আব্বাসকে নিয়োগ করতে চেয়েছিলেন (যদি তা করা
হতো তবে কতইনা মংগল হতো); কিন্তু এতে বাধ সাধলো কুররা সম্প্রদায় যাদের বর্ণনা
উপরে উল্লেখ করা হয়েছে ৷

তারা বললো, আমরা এ কাজে আবু মুসা আশআরী (রা) ব্যতীত অন্য কাউকে নিয়োগ
করতে রাজী নই ৷ হাইছাম ইবন আদী তার কিতাবুল খাওয়ারিজ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে,
আবু মুসা আশআরীর নাম সর্ব প্রথম যিনি প্রস্তাব করেন, তিনি আশআছ ইবন কাইস ৷
ইয়ামনবাসীরা তার প্রভাব সমর্থন করে ৷ তারা যুক্তি দেখায় যে, আবু মুসা আশআরী (রা)
মানুষকে এ ফিৎনায় ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত হওয়া থেকে নিবৃত রাখার চেষ্টা করেছেন ৷ গৃহযুদ্ধের
সময় তিনি এলাকা ত্যাগ করে হিজাযের সীমান্ত এলাকায় গিয়ে অবস্থান করেন ৷ আবদুল্লাহ
ইবন আব্বানের প্রস্তাব প্ৰভ্যাথ্যাত হলে হযরত আলী আশতারকে বিচারক নিয়োগ করতে চান ৷
তখন তার পক্ষের প্ৰতিবাদী গ্রুপ বলতে লাগলো, সে-ই তাে যুদ্ধের আগুন লাগিয়েছে এবং মাটি
রক্তে রঞ্জিত করেছে ৷

অনন্যোপায় হয়ে হযরত আলী (রা) বসলেন : তোমাদের যা ইচ্ছে তাই কর ৷ এ সময়
আহনাফ হযরত আলীকে সম্বোধন করে বললো : আপনি নিশ্চিতভাবে প্রভাবিত হতে যাচ্ছেন ৷
জড় পাথরের ন্যায় এক ব্যক্তিকে আপনার বিচারক নিয়োগ করা হচ্ছে ৷ প্রতিপক্ষের সাথে
বুঝাপড়া করতে হলে আদর মধ্য হতে এমন এক ব্যক্তিকে বাছাই করতে হবে যে তাদের
কাছে নিজেকে ঘনিষ্ঠ করে তুলে ধরবে তাদের হাতের মুঠােয় চলে যাবে; কিন্তু মনের দিক
থেকে নক্ষত্রের ন্যায় দুরে অবস্থান করবে ৷ কাজেই আমাকে যদি আপনি বিচারক নিয়োগ করতে
নাও চান, তবে আমাকে অন্তত দ্বিতীয় বা তৃতীয ব্যক্তি হিসেবে নিযুক্ত করুন ৷ তাদের যেকোন
মারপদ্রাচ আমি বুঝতে ও কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হলো, বিৎ আমি আপনার পক্ষে যে পব্রুাচ দিব
তা যদি ওরা খুলতে সক্ষম হয় তবে সাথে সাথেণ্অনুরুপ কিংবা তার চেয়ে অধিক সুক্ষ্ম আরো
ভুমিকা রাখছিল্ তারা আবু মুসা আশআরী ব্যতীত অন্য কাউকে বিচারক নিয়োগ করতে রাজি
হলো না ৷


وَقَالَ فِي عَلِيٍّ بَعْضَ مَا أَكْرَهُ ذِكْرَهُ، ثُمَّ قَالَ عَمَّارٌ: مَنْ رَائِحٌ إِلَى اللَّهِ قَبْلَ أَنْ يَبْتَغِيَ غَيْرَ اللَّهِ حَكَمًا؟ فَحَمَلَ فَقَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَكَانَ مِمَّنْ دَعَا إِلَى ذَلِكَ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ مِنْ سَادَاتِ الشَّامِيِّينَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ ; قَامَ فِي أَهْلِ الْعِرَاقِ فَدَعَاهُمْ إِلَى الْمُوَادَعَةِ وَالْكَفِّ وَتَرْكِ الْقِتَالَ وَالِائْتِمَارِ بِمَا فِي الْقُرْآنِ، وَذَلِكَ عَنْ أَمْرِ مُعَاوِيَةَ لَهُ فِي ذَلِكَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، وَكَانَ مِمَّنْ أَشَارَ عَلَى عَلِيٍّ بِالْقَبُولِ وَالدُّخُولِ فِي ذَلِكَ الْأَشْعَثُ بْنُ قَيْسٍ الْكِنْدِيُّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَرَوَى أَبُو مِخْنَفٍ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ أَنَّ عَلِيًّا لَمَّا بَعَثَ إِلَى الْأَشْتَرِ قَالَ: قُلْ لَهُ: إِنَّ هَذِهِ سَاعَةٌ لَيْسَ يَنْبَغِي أَنْ تُزِيلَنِي عَنْ مَوْقِفِي فِيهَا، إِنِّي قَدْ رَجَوْتُ أَنْ يَفْتَحَ اللَّهُ عَلَيَّ فَلَا تُعْجِلْنِي. فَرَجَعَ الرَّسُولُ - وَهُوَ يَزِيدُ بْنُ هَانِئٍ - إِلَى عَلِيٍّ فَأَخْبَرَهُ بِمَا قَالَ الْأَشْتَرُ، وَصَمَّمَ الْأَشْتَرُ عَلَى الْقِتَالِ لِيَنْتَهِزَ الْفُرْصَةَ، فَارْتَفَعَ الْهَرْجُ وَعَلَتِ الْأَصْوَاتُ، فَقَالَ أُولَئِكَ الْقَوْمُ لِعَلِيٍّ: وَاللَّهِ مَا نَرَاكَ إِلَّا أَمَرْتَهُ أَنْ يُقَاتِلَ. فَقَالَ عَلِيٌّ: أَرَأَيْتُمُونِي سَارَرْتُ الرَّسُولَ، أَلَمْ أَبْعَثْ إِلَيْهِ جَهْرَةً وَأَنْتُمْ تَسْمَعُونَ؟ فَقَالُوا: فَابْعَثْ إِلَيْهِ فَلْيَأْتِكَ وَإِلَّا وَاللَّهِ اعْتَزَلْنَاكَ. فَقَالَ عَلِيٌّ لِيَزِيدَ بْنِ هَانِئٍ: وَيْحَكَ! قُلْ لَهُ: أَقْبِلْ إِلَيَّ فَإِنَّ الْفِتْنَةَ قَدْ وَقَعَتْ. فَلَمَّا رَجَعَ إِلَيْهِ يَزِيدُ بْنُ هَانِئٍ وَأَبْلَغَهُ مَا قَالَ عَلِيٌّ أَنَّهُ يُقْبِلُ إِلَيْهِ، جَعَلَ
পৃষ্ঠা - ৬০৪২
الْأَشْتَرُ يَتَمَلْمَلُ وَيَقُولُ: وَيْحَكَ! أَلَا تَرَى مَا نَحْنُ فِيهِ مِنَ النَّصْرِ، وَلَمْ يَبْقَ إِلَّا الْقَلِيلُ؟ فَقُلْتُ: أَيُّمَا أَحَبُّ إِلَيْكَ ; أَنْ تَرْجِعَ أَوْ يَقْتَلَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ كَمَا قُتِلَ عُثْمَانُ؟ ثُمَّ مَاذَا تُغْنِي عَنْكَ نَصْرَتُكُ هَاهُنَا؟ قَالَ: فَأَقْبَلَ الْأَشْتَرُ إِلَى عَلِيٍّ وَتَرَكَ الْقِتَالَ، فَقَالَ الْأَشْتَرُ: يَا أَهْلَ الْعِرَاقِ، يَا أَهْلَ الذُّلِّ وَالْوَهْنِ، أَحِينَ عَلَوْتُمُ الْقَوْمَ، وَظَهَرْتُمْ وَظَنُّوا أَنَّكُمْ لَهُمْ قَاهِرُونَ ; رَفَعُوا الْمَصَاحِفَ يَدْعُونَكُمْ إِلَى مَا فِيهَا، وَقَدْ وَاللَّهِ تَرَكُوا مَا أَمَرَ اللَّهُ بِهِ فِيهَا، وَسُنَّةَ مَنْ أُنْزِلَ عَلَيْهِ الْقُرْآنُ، فَلَا تُجِيبُوهُمْ، أَمْهِلُونِي فَإِنِّي قَدْ أَحْسَسْتُ بِالْفَتْحِ. قَالُوا: لَا. قَالَ: أَمْهِلُونِي عَدْوَ الْفَرَسِ فَإِنِّي قَدْ طَمِعْتُ فِي النَّصْرِ. قَالُوا: إِذًا نَدْخُلُ مَعَكَ فِي خَطِيئَتِكَ. ثُمَّ أَخَذَ الْأَشْتَرُ يُنَاظِرُ أُولَئِكَ الْقُرَّاءَ الدَّاعِينَ إِلَى إِجَابَةِ أَهْلِ الشَّامِ بِمَا حَاصِلُهُ: إِنْ كَانَ أَوَّلُ قِتَالِكُمْ لِهَؤُلَاءِ حَقًّا فَاسْتَمِرُّوا عَلَيْهِ، وَإِنْ كَانَ بَاطِلًا فَاشْهَدُوا لِقَتْلَاكُمْ بِالنَّارِ. فَقَالُوا: دَعْنَا مِنْكَ فَإِنَّا لَا نُطِيعُكَ وَلَا صَاحِبَكَ أَبَدًا، وَنَحْنُ قَاتَلْنَا هَؤُلَاءِ فِي اللَّهِ وَتَرَكْنَا قِتَالَهُمْ لِلَّهِ. فَقَالَ لَهُمُ الْأَشْتَرُ: خُدِعْتُمْ وَاللَّهِ فَانْخَدَعْتُمْ، وَدُعِيتُمْ إِلَى وَضْعِ الْحَرْبِ فَأَجَبْتُمْ يَا أَصْحَابَ السُّوءِ، كُنَّا نَظُنُّ صَلَاتَكُمْ زَهَادَةً فِي
পৃষ্ঠা - ৬০৪৩


অবশেষে আবু মুসা আশআরীই আলীর পক্ষে বিচারক নিযুক্ত হলেন ৷ ঐ সময় তিনি দুরে
নির্বাসন জীবন-যাপন করছিলেন ৷৩ তাকে নিয়ে আমার জন্যে দুত প্রেরণ করা হলো ৷ দুত তাকে
সংবাদ জানানো যে, জনগণ যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় একমত হয়েছে ৷ এ সৎ বাদ শুনে তিনি
বলে উঠলেন আল-হামদৃ লিল্লাহ’ ৷ কিত্তু এরপরই যখন জানানো হলো যে, আপনাকে বিচ৷ রক
নিযুক্ত করা হয়েছে, তখন তিনি বললেন ইন্ন৷ লিল্লাহি ওয়া ইন্ন৷ ইলাইহি রাজিউন ৷ ’ দুতগণ
তাকে নিয়ে এসে হযরত আলীর কাছে হাজির করলেন ৷ অতঃপর উভয় পক্ষের মধ্যে নিম্নলিখিত
চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ৷ প্রথমে লেখা হয় : ,
( অর্থাৎ এই চুক্তিপত্র য ৷ আমীরুল মু মিনীন আলী ইবন আবু৩ তালিব কতৃক সম্পাদিত
হলো ৷) এটুকু লেখা হলে আমর ইবন আস প্রতিবাদ করে লেখককে বলেন, আমীরুল মু মিনীন
শব্দ লেখা যাবে না ৷ শুধু আলী ও তার পি৩ ৷র নাম লিখুন ৷ তিনি আপনাদের আমীর হতে
পারেন ৷ আমাদের আমীর নন ৷ আহনাফ বললেন, তা হবে না ৷ আমীরুল মু ’মিনীন লেখতেই
হবে ৷ হযরত আলী (বা) বললেন : আমীরুল মু’মিনীন শব্দটি কেটে দাও এবং শুধু আলী ইবন
আবু তালিব লিখ ৷ এ কথা বলে তিনি হুদাইবিয়ার সন্ধির ঘটনা দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেন ৷
সে দিন সন্ধি পত্রে মুহান্মাদুর রাসুলুল্লাহ্’ লেখা হলে পবিত্র মক্কাবাসীরা আপত্তি করে বলেছিল
মুহাম্মদৃর রাসুলুল্লাহ্’ লেখা যাবে না, বরৎ লেখতে হবে মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ৷ এরপর
লেখক চুক্তিপত্রে লিখল০ ং

এ ৷ ৷
এা৷

অর্থ : এই চুক্তিপত্র আলী ইবন আবুতালিব ও মুআবিয়া ইবন আবু সুফিয়ানের পারস্পরিক
সম্মতিক্রমে লিখিত হলো ৷ আলী ইরাকবাসী ও তাদের সমর্থক মুসলমানদের পক্ষ হতে বিচারক
নিযুক্ত করলেন ৷ আর মুআবিয়া সিরিয়াবাসী ও তার অনুগামী মুমিন মুসলমানদের পক্ষ হতে
বিচারক নিয়োগ করলেন ৷ আমরা অবশ্যই মহান আল্লাহর হুকুম ও তার কিতাবের সিদ্ধান্ত মেনে
নিতে বাধ্য থাকবাে ৷ আমরা তাই বাচিয়ে রাখবাে যা আল্লাহ পাক বাচিয়ে রেখেছেন এবং তাই
খতম করবো যা আল্লাহ্ পাক খতম করে দিয়েছেন ৷ বিচারকদ্বয় অর্থাৎ আবু মুসা আশআরী ও
আমর ইবন আস মহান আল্লাহর কিতাবে যা পারে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে ৷ আর যদি মহান
আল্লাহর কিভাবে পাওয়া না যায়, তবে সুন্নাতে রাসুলের সাহায্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে ৷ যা
আমাদের মাঝে ন্যায় নীতির মাধ্যমে ঐকম৩ ত্য সৃষ্টি করবে বিভক্তি এনে দিবে না ৷


الدُّنْيَا وَشَوْقًا إِلَى لِقَاءِ اللَّهِ، فَلَا أَرَى فِرَارَكُمْ إِلَّا إِلَى الدُّنْيَا مِنَ الْمَوْتِ، يَا أَشْبَاهَ النِّيبِ الْجَلَّالَةِ، مَا أَنْتُمْ بِرَبَّانِيِّينَ بَعْدَهَا، فَابْعُدُوا كَمَا بَعِدَ الْقَوْمُ الظَّالِمُونَ. فَسَبُّوهُ وَسَبَّهُمْ فَضَرَبُوا وَجْهَ دَابَّتِهِ بِسِيَاطِهِمْ، وَجَرَتْ بَيْنَهُمْ أُمُورٌ طَوِيلَةٌ، وَرَغِبَ أَكْثَرُ النَّاسِ مِنَ الْعِرَاقِيِّينَ وَالشَّامِيِّينَ بِكَمَالِهِمْ إِلَى الْمُصَالَحَةِ وَالْمُسَالَمَةِ مُدَّةً لَعَلَّهُمْ يَتَّفِقُونَ عَلَى أَمْرٍ يَكُونُ فِيهِ مَصْلَحَةٌ لِحَقْنِ دِمَاءِ الْمُسْلِمِينَ، فَإِنَّ النَّاسَ قَدْ تَفَانَوْا فِي هَذِهِ الْمُدَّةِ، وَلَا سِيَّمَا فِي هَذِهِ الثَّلَاثَةِ الْأَيَّامِ الْمُتَأَخِّرَةِ الَّتِي كَانَ آخِرُهَا لَيْلَةَ الْجُمُعَةُ، وَهِيَ لَيْلَةُ الْهَرِيرِ. وَقَدْ صَبَرَ كُلٌّ مِنَ الْجَيْشَيْنِ لِلْآخَرِ صَبْرًا لَمْ يُرَ مِثْلَهُ لِمَا كَانَ فِيهِمْ مِنَ الشُّجْعَانِ وَالْأَبْطَالِ مَا لَيْسَ يُوجَدُ مِثْلُهُمْ فِي الدُّنْيَا، وَلِهَذَا لَمْ يَفِرَّ أَحَدٌ عَنْ أَحَدٍ بَلْ صَبَرُوا حَتَّى قُتِلَ مِنَ الْفَرِيقَيْنِ - فِيمَا ذَكَرَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ - سَبْعُونَ أَلْفًا ; خَمْسَةٌ وَأَرْبَعُونَ أَلْفًا مِنْ أَهْلِ الشَّامِ وَخَمْسَةٌ وَعِشْرُونَ أَلْفًا مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ. قَالَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ ; مِنْهُمْ مُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ، وَسَيْفٌ وَغَيْرُهُ. وَزَادَ أَبُو الْحَسَنِ بْنُ الْبَرَاءِ: وَكَانَ فِي أَهْلِ الْعِرَاقِ خَمْسَةٌ وَعِشْرُونَ
পৃষ্ঠা - ৬০৪৪


এরপর উভয় বিচারক তাদের নিজেদের ক্ষেত্রে ও পরিবারবর্গের জন্যে আলী, মুআবিয়া
এবং উভয়ের সৈন্যবাহিনীর নিকট থেকে নিরাপত্তার অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করে ৷ তারা
আরও প্রতিশ্রুতি নেয় যে, সকল উম্মত তাদেরকে বিচার কাজে সহযোগিতা করবে ৷ দুই পক্ষের
সকল মু মিন মুসলমান চুক্তি অনুযায়ী চলতে বাধ্য থাকবে ৷ আগামী রমযান পর্যন্ত বিচারের
সময় নির্ধারণ করা হয় ৷ তবে বিচারকদ্বয় যদি প্রয়োজন মনে করেন এবং একমত হয়ে সময়
আরও কিছু বাড়াতে চান, তা পারবেন ৷ ইিজৰী ৩৭ সালের সফর মাসের ১৩ তারিখ বুধবারে এ
চুক্তিনামা লেখা হয় ৷ সিদ্ধান্ত হয় যে, সালিস বিচারের জন্যে আলী ও মুআবিয়৷ রমযান মাসে
দুমাতৃল জানদাল’ নামক স্থানে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন ৷ প্রতেকে বিচারকের সাথে নিজ নিজ
পক্ষের চারশ করে লোক থাকবে ৷ আগামী রমযানে যদি দৃমাতু ল জানদালে বিচারকদ্বয় বসতে
না পারেন, তা হলে পরের বছর যে কোন সময় তারা আষ্রাহ্ নামক স্থানে বসে সালিসির কাজ
সম্পন্ন করবেন ৷

হাইছাম তার কি৩ তাবুল খাওয়ারিজ’ গ্রন্থে লিখেছেন৪ আশ আছ ইবন কইিস লিখিত
চুক্তিপত্রটি নিয়ে মুআবিয়ার কাছে যান ৷ তিনি পড়ে দেখেন,৩ তাতে আলীর নামের সাথে
আমীরুল মু’মিনীন লেখা হয়েছে ৷ তখন তিনি বললেন, আলী যদি আমীরুল মু’মিনীন হয়, তা
হলে তো আমরা তার সাথে যুদ্ধ করতাম না ৷ এখানেকৈবল তার নামটি থাকবে ৷ অবশ্য প্রথম
দিকে ইসলাম গ্রহণের জন্যে এবং অন্যান্য বৈশ্যিষ্ট্যর প্রাধান্য থাকার কারণে তার নাম আমার
নামের আগে আসবে ৷ আশআছ ইবন কইিস আলীর কাছে ফিরে এসে মুআবিয়৷ যেভাবে
বলেছেন সেভাবে চুক্তিপত্র লেখেন ৷ হাইছাম আরও উল্লেখ করেছেন যে, সিরিয়াবাসীর৷ ’
চুক্তিপরু;৷ ন্ মুআবিয়ৰর নামের পুর্বে আলীর নাম লেখতে এবং সিরিয়াবাসীদের নামের পুর্বে
ইরাকবাসীদের নাম উল্লেখ করায় আপত্তি জানায় ৷ ফলে দুটি চুক্তিনামা লেখা হয় ৷ একটিতে
আলীর পুর্বে মু আবিয়ার নাম এবং ইরাকবাসীর পুর্বে সিরিয়াবাসীর নাম উল্লেখ করা হয় এবং ঐ
চুক্তিনামাটি সিরিয়াবাসীদের কাছে দেওয়া হয় ৷

আর অপরটিতে আলী ও ইরাকীদের নাম প্রথমে লিখে পরে মুআবিয়া ও সিরীয়দের নাম
উল্লেখ করা হয় এবং তা ইরাকীদের হাতে ন্যস্ত করা হয় ৷ সালিস নিষুক্তিকালে হযরত আলীর
সেনাবাহিনীর মধ্য থেকে নিম্নোক্ত দশ ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন যথা : আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস,
আশআছ ইবন কইিস আল-কিনৃদী, সাঈদইবন কাইস আল-হামাদানী ৷ আবদুল্লাহ ইবন
তুফাইল আল ষুআফিরী,১ হাজার ইবন ইয়াষীদ আল-কিনদী,২ ওয়ারক৷ ইবন সুমড়ায়া
আল-আজালী, আবদুল্লাহ ইবন বিলাল আল-আজালী, ৩ উক্বা ইবন যিয়াদ আল-আনসারী,
ইয়াষীদ ইবন জুহ্ফা আত্৩ায়মী৪ এবং মালিক ইবন ক৷ ব আল-হামাদানী ৷ অপর দিকে সিরীয়
বাহিনীর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন নিম্নোক্ত দশজন যথাং : আবুল আ ওয়ার আস-সুলামী,
হাবিব ইবন মাসলামাহ্, আবদুর রহমান ইবন খালিদ ইবন ওয়ালীদ, মুখারিক ইবন হারিছ



১ তাবারী ও কামিলে : আল-আমিয়ী

২ তাবারী ও কামিলে আদী;

৩ তাবারী ও কামিল : আল মহল;

৪ তাবারী ও কামিল : হুজজিয়্যা : আখবারুত তিওয়াল : হুজজিয়দ্রতুন নাকায়ী ৷


بَدْرِيًّا. قَالَ: وَكَانَ بَيْنَهُمْ فِي هَذِهِ الْمُدَّةِ تِسْعُونَ زَحْفًا. وَاخْتَلَفَا فِي مُدَّةِ الْمُقَامِ بِصِفِّينَ ; فَقَالَ سَيْفٌ: سَبْعَةُ أَشْهُرٍ أَوْ تِسْعَةُ أَشْهُرٍ. وَقَالَ أَبُو الْحَسَنِ بْنُ الْبَرَاءِ: مِائَةٌ وَعَشَرَةُ أَيَّامٍ. قُلْتُ: وَمُقْتَضَى كَلَامِ أَبِي مِخْنَفٍ أَنَّهُ كَانَ مِنْ مُسْتَهَلِّ ذِي الْحِجَّةِ فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ لِثَلَاثَ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ صَفَرٍ، وَذَلِكَ ثَلَاثَةٌ وَسَبْعُونَ يَوْمًا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الزُّهْرِيُّ: بَلَغَنِي أَنَّهُ كَانَ يُدْفَنُ فِي الْقَبْرِ الْوَاحِدِ خَمْسُونَ نَفْسًا. هَذَا كُلُّهُ مُلَخَّصٌ مِنْ كَلَامِ ابْنِ جَرِيرٍ، وَابْنِ الْجَوْزِيِّ فِي كِتَابِهِ " الْمُنْتَظَمِ ". وَقَدْ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ يَعْقُوبَ بْنِ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي الْيَمَانِ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: كَانَ أَهْلُ الشَّامِ سِتِّينَ أَلْفًا فَقُتِلَ مِنْهُمْ عِشْرُونَ أَلْفًا، وَكَانَ أَهْلُ الْعِرَاقِ مِائَةً وَعِشْرِينَ أَلْفًا فَقُتِلَ مِنْهُمْ أَرْبَعُونَ أَلْفًا. وَحَمَلَ الْبَيْهَقِيُّ هَذِهِ الْوَقْعَةَ عَلَى الْحَدِيثِ الَّذِي أَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৬০৪৫
هُرَيْرَةَ. وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ طَرِيقٍ أُخْرَى، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: «لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَقْتَتِلَ فِئَتَانِ عَظِيمَتَانِ يُقْتَلُ بَيْنَهُمَا مَقْتَلَةٌ عَظِيمَةٌ وَدَعْوَاهُمَا وَاحِدَةٌ» . وَرَوَاهُ مُجَالِدٌ، عَنْ أَبِي الْحَوَارِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ مَرْفُوعًا مِثْلَهُ. وَرَوَاهُ الثَّوْرِيُّ، عَنِ ابْنِ جُدْعَانَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَقْتَتِلَ فِئَتَانِ عَظِيمَتَانِ دَعَوَاهُمَا وَاحِدَةٌ ; فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ إِذْ مَرَقَتْ مِنْهُمَا مَارِقَةٌ تَقْتُلُهُمْ أَوْلَى الطَّائِفَتَيْنِ بِالْحَقِّ» . وَقَدْ تَقَدَّمَ مَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنِ ابْنِ مَهْدِيٍّ وَإِسْحَاقَ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ نَاجِيَةَ الْكَاهِلِيِّ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، «إِنَّ رَحَى الْإِسْلَامِ سَتَزُولُ لِخَمْسٍ وَثَلَاثِينَ أَوْ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ، فَإِنْ يَهْلَكُوا فَسَبِيلُ مَنْ هَلَكَ، وَإِنْ يَقُمْ لَهُمْ دِينُهُمْ يَقُمْ لَهُمْ سَبْعِينَ عَامًا. فَقَالَ عُمَرُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَمِمَّا مَضَى أَمْ مِمَّا بَقِيَ؟
পৃষ্ঠা - ৬০৪৬


আয়ু-যুবইিদী, ওয়াইল ইবন আলকামাহ্ আল আদাবী১ আলকামাহ্ ইবন ইয়াযীদ আল-হাযরার্মী,
হামযা ইবন মালিক আল-হামাদানী, সুবড়ায়’ ইবন ইয়াযীদআল-হাযরামী, উত্বাহ্ ইবন আবু
সুফিয়ান (র্মুআবিয়ার ভাই) এবং ইয়াষী দ ইবন হুর আল আবাসী ৷ চুক্তিপত্র লেখা শেষ হলে
আশআছ ইবন কইিস তা জনগণের সামনে পড়ে শুনান এবং উভয় পক্ষের কাছে পেশ করেন ৷
এরপর লোকজন নিজ নিজ পক্ষের মৃতদের কবর দেওয়ার কাজ শুরু করেন ৷

যুহরী বলেন, আমার নিকট সংবাদ পৌছেছে যে, এক এক কবরে পঞ্চাশ করে লাশ দাফন
করা হয় ৷ এ যুদ্ধে হযরত আলীর হাতে সিরিয়ার বহু সৈন্য বন্দী হয় ৷ যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগের
প্রাক্কালে তিনি এদেরকে মুক্ত করে দেন ৷ এদের সমপরিমাণ বা তার কাছাকাছি সংখ্যক ইরাকী
সৈন্যও আমীর মুআবিয়ার হাতে বন্দী হয় ৷ সিরীয় বন্দীদের হত্যা করা হয়েছে ধারণা করে
মুআবিয়৷ এদেরকে হত্যা করার উদ্যোগ নেন ৷ বিতু তারা যখন মুক্ত হয়ে ফিরে আসলো তখন
মুআবিয়াও এদেরকে ছেড়ে দেন ৷ কথিত আছে, ইয্দ গোত্রের আমর ইবন আওস নামক এক
ব্যক্তি মুআবিয়ার বন্দীদের অন্তর্ভুক্ত ছিল্ন্ত্র ৷ মুআবিয়া তাকে হত্যা করতে সংকল্প করেন ৷ অবস্থা
দেখে সে বললো, আমার উপর দয়া করুন ৷ আপনি আমার মামা ৷ মুআবিয়া বললেন, দুর হ ৷
আমি আবারও তার কিসের মামা ? আমর বলল, রাসুলুল্লাহশ্ল্যাং এর শ্রী উষ্মে হাবীবা হলেন
মুমিনগণের জননী, এবং আমি র্তার ছেলে ৷২ আর আপনি হলেন উষ্মে হাবীবার ভাই, তাই
আপনি আমার মামা ৷ এ কথা শুনে মুআৰিয়া হ্তবাক হয়ে যান এবংতাকে আযাদ করে দেন ৷

আবদুর রহমান ইবন যিয়াদ্ ইবন আনআম সিফ্ফীন যুদ্ধে অংশ্যাহণকারীদের কথা উল্লেখ
পুর্বক বলেন ং তারা ছিল আরব সম্প্রদায় ৷ জাহিলী যুগে একজনের সাথে অন্যের পরিচয় ছিল ৷
ইসলামে এসে তাদের পারস্পরিক মিলন ঘটে ৷ তাদের মধ্যে ছিল ণ্পাত্রীয়ন্ প্রীতিন্ ও ইসলামের
শিক্ষা-অড়াদর্শ ৷ তাই যুদ্ধক্ষেত্রে৩ তারা পরস্পর ধৈর্যের পরাকাষ্ঠ৷ দেখায় এবং পলায়ন করতে
সংকোচ বোধ করে ৷ যুদ্ধের ময়দানে যখন তারা একে অন্যের মুকাবিলায় আসে তখন এই
বাহিনীর সৈন্য ঐ বাহিনীতে এবং ঐ বাহিনীর সৈন্য এই বাহিনীতে ঢুকে পড়ে ৷ এরপর তাদের
আপনজ্যাদের লাশ খুজে বের করে দাযপ্স করে দিত ৷ শা বী বলেন, এরা সব জান্না৩ তবাসী ৷ শ্
একজনের সাথে অন্যজনের সাক্ষাৎ হওয়ার পর কেউ কাউকে ছেড়ে যায়নি ৷

বাৰিব্জী সম্প্রদায়ের উত্তর

সালিসি চুক্তির পর আশআছ ইবন কইিস তামীম গোত্রের নেতৃস্থানীয় লোকদের কাছে
চুজািামাটি পড়ে শুনান ৷ সেখানে ছিল রাবীআ ইবন হানজালাহ্ বংশের সন্তান উরওয়াহ্ ইবন



১ তাৰাৰী ও কামিলে এ নাম নেই ৷ যেখানে এর পরিবর্তে যামাল ইবন আমর আল-উযরীর নাম আছে ৷
উপস্থিতপণের নামের জন্যে দ্ৰ£ তাৰাবী ৬খ, পৃ-৩০; কামিল ৩খ, পৃ ৩১৮, ৩১৯; আখবারুত-তিওয়াল,
পৃ ১৯৫, ১৯৬ ৷

২ ইতিহাসের সকল গ্রন্থ এ ব্যাপারে একমত যে, আবু সুফিয়ানের কন্যা উষ্মে হাবীৰার (রামালা) প্রথম স্বামী
ছিল উবাইদুল্লাহ ইবনজাহাশ ৷ ইসলাম গ্রহণ করে তারা উডযে হিজঃাত করে আকিসিনিয়ায় চলে যায় ৷
সেখানে উঃাইদৃস্লাহ খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষিত হয়; কািস্তু, উষ্মে হাবীবা মুসলমানই থেকে যায় ৷ বলা হয়েছে যে, তার
বল্যা হাবীবা আবিসিনিয়ায় জন্মগ্রহণ করে ৷ সন্ধির বছর ৬ন্ঠ ইিজ্জীতে রাসুসুল্লাহ্ ল্লে নাজ্জাশীর কাছে
দুত পাঠিয়ে চারশ ব্বিহাম ম্হরে তাকে বিবাহ করেন ৷ তারপর খালিদ ইবন সাঈদ এবং আমর ইবন অসে
উষ্মে হাবীবাকে পবিত্র মদীনায় নিয়ে আসে ৷ ইতিহাসের কোন উৎস থেকেই জানা যায় না যে, আমর নামে
তার কোন পুত্র ছিল; কিহ্ব৷ ইষ্দ গোত্রের কোন পুরুষের সাথে তার বিবাহ জ্জি ৷


قَالَ: بَلْ مِمَّا بَقِيَ.» وَقَدْ رَوَاهُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ دِيزِيلَ فِي كِتَابٍ جَمَعَهُ فِي سِيرَةِ عَلِيٍّ ; رَوَاهُ عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي نُعَيْمٍ الْفَضْلِ بْنِ دُكَيْنٍ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ مَنْصُورٍ بِهِ مِثْلَهُ. وَقَالَ أَيْضًا: حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، ثَنَا شَرِيكُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ النَّخَعِيُّ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنْ رَحَى الْإِسْلَامِ سَتَزُولُ بَعْدَ خَمْسٍ وَثَلَاثِينَ سَنَةً ; فَإِنْ يَصْطَلِحُوا فِيمَا بَيْنَهُمْ يَأْكُلُوا الدُّنْيَا سَبْعِينَ عَامًا رَغَدًا، وَإِنْ يَقْتَتِلُوا يَرْكَبُوا سَنَنَ مَنْ كَانَ قَبْلَهُمْ» . وَقَالَ ابْنُ دِيزِيلَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ خِرَاشٍ الشَيْبَانَيُّ، عَنِ الْعَوَّامِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَدُورُ رَحَى الْإِسْلَامِ عِنْدَ قَتْلِ رَجُلٍ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ» يَعْنِي عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَهَذَا مُرْسَلٌ. وَقَالَ أَيْضًا: حَدَّثَنَا الْحَكَمُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ الْأَشْيَاخِ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، دُعِيَ إِلَى جِنَازَةِ رَجُلٍ مِنَ الْأَنْصَارِ فَقَالَ وَهُوَ قَاعِدٌ يَنْتَظِرُهَا: " كَيْفَ أَنْتُمْ إِذَا رَأَيْتُمْ خَيَلَيْنَ فِي الْإِسْلَامِ؟ ".
পৃষ্ঠা - ৬০৪৭
قَالُوا: أَوَ يَكُونُ ذَلِكَ فِي أُمَّةٍ إِلَهُهَا وَاحِدٌ وَنَبِيُّهَا وَاحِدٌ؟ قَالَ: " نَعَمْ ". قَالَ أَبُو بَكْرٍ: أَفَأُدْرِكُ ذَلِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " لَا ". قَالَ عُمَرُ: أَفَأُدْرِكُ ذَلِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " لَا ". قَالَ عُثْمَانُ: أَفَأُدْرِكُ ذَلِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: نَعَمْ! بِكَ يُنْشِئُونَ الْحَرْبَ» . وَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخُطَّابِ لِابْنِ عَبَّاسٍ: كَيْفَ يَخْتَلِفُونَ وَإِلَهُهُمْ وَاحِدٌ وَقَبِيلَتُهُمْ وَاحِدَةٌ؟ فَقَالَ: إِنَّهُ سَيَجِيئُ قَوْمٌ لَا يَفْهَمُونَ الْقُرْآنَ كَمَا نَفْهَمُ فَيَخْتَلِفُونَ فِيهِ، فَإِذَا اخْتَلَفُوا اقْتَتَلُوا. فَأَقَرَّ عُمَرُ بِذَلِكَ. وَقَالَ أَيْضًا: حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، ثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ - أَخُو أَبِي حَمْزَةَ - ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ قَالَ: لَمَّا قُتِلَ عُثْمَانُ قَالَ عَدِيُّ بْنُ حَاتِمٍ: لَا يَنْتَطِحُ فِي قَتْلِهِ عَنْزَانِ. فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ صِفِّينَ فُقِئَتْ عَيْنُهُ، فَقِيلَ: لَا يَنْتَطِحُ فِي قَتْلِهِ عَنْزَانِ! فَقَالَ: بَلَى، وَتُفْقَأُ عُيُونٌ كَثِيرَةٌ. وَرُوِيَ عَنْ كَعْبِ الْأَحْبَارِ أَنَّهُ مَرَّ بِصِفِّينَ، فَرَأَى حِجَارَتَهَا فَقَالَ: لَقَدِ اقْتَتَلَ فِي هَذَا الْمَوْضِعِ بَنُو إِسْرَائِيلَ تِسْعَ مَرَّاتٍ، وَإِنَّ الْعَرَبَ سَتَقْتَتِلُ فِيهَا الْعَاشِرَةَ، حَتَّى يَتَقَاذَفُوا بِالْحِجَارَةِ الَّتِي تَقَاذَفَ بِهَا بَنُو إِسْرَائِيلَ، وَيَتَفَانَوْا كَمَا تَفَانَوْا. وَقَدْ ثَبَتَ فِي الْحَدِيثِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «سَأَلْتُ رَبِّي أَنْ لَا