আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ست وثلاثين من الهجرة

ذكر أعيان من قتل يوم الجمل

ذكر أعيان من قتل يوم الجمل

ذكر أعيان من قتل يوم الجمل

ذكر أعيان من قتل يوم الجمل

পৃষ্ঠা - ৫৯৬৯


হাষ্মাদ ইবন সালামা আলী ইবন যায়দ সুত্রে সাঈদ ইবনুল্ল মুসায়্যাব হতে বর্ণনা করেছেন,

তিনি বলেছেন, এক ব্যক্তি তালহা, যুবায়র, উসমান ও আলী (না)-এর বিরুপ সমালোচনা

করত ৷ সাদ (রা) নিষেধ করতেন এবং বল্তেন, আমার ভইিদের দুর্নাম কর না ৷ লােকটি তা
অমান্য করলে সাদ (বা) দুই রকেআত সালাতুআদয়ি করলেন এবং দুআ করলেন-“ইয়া
আল্লাহ! যে যা বলছে তা যদি আপনার ক্রোধেরকারণ হয় ত্বে আজ আমাকে তার ব্যাপারে
একটি নিদর্শন দেখিয়ে দিন এবং তাকে মানুষের জন্য শিক্ষণী য় করুন ! এ সময় সোকটি বের
হয়ে গেলে হঠাৎ একটি বুখতী (আরবী ঘোড়া, উট) মানুষের তিড়ের ভিতর হতে; এগিয়ে এসে
ণ্ৰুলাকটিকে আৎগিনায় ধ রে ফেলল এবং তাকে মেঝের পাথরের উপরে ফেলে দিয়ে বুকের চাগেণ্
পুিষে মেরে ফেলল ৷ সাঈদ (বা) বলেন, এ ঘটনার পরে আমি লোকদের দেখেছি যে, তারা
দৌড়ে দৌড়ে সাদ (রা)-এর কাছে বলছিল, আবু ইসহাক ৷ আপনাকে মুবারকবাদ৷ আপনার
দুআ কবুস হয়েছে ৷ ণ্

যুৰায়র ইবনুশ আওয়াম ইবন খুওয়ায়লিদ (বা)
বংশধারা : যুৰায়র ইবনুল আওয়াম ইবন খুওয়ায়লিদ ইবন আসাদ ইবন আবদুল উয্যা
ইবন কুসাই ইবন কিলাব ইবন মুররা ইবন কা ব ইবন লুঅইি ইবন গালিব ইবন ফিহ্ৱ ইবন
মালিক ইবনুন নায়র ইবন কিননাে আর কুরায়শী ৷ কুনিযাদ আবু আবদুল্পাহ্ ৷ তার মতো
রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর ফুফী সাফিয়্যা বিনত আবদুল মুত্তালিব ৷ তিনি প্রারম্ভিক যুগে ইসলাম
গ্রহণকারীদেরঝো অন্যতম ৷ তখন তার বয়স চিল মাত্র পনর বছর মতাস্তরে আরো অল্প কিংবা
অধিক ৷ তিনি প্রথমে হাবাশায় (আবিসিনিয়া ইথিওপিয়া ইরিত্রিয়া) ও পরে পবিত্র মদীনায়
হিজরত করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ শ্রুদ্বুর্টু সালামা ইবন সালামা (হুষ্১£ ব্লু,ৰু ২ণ্া) ইবন ওয়াক্শ-এর
সংগে তার ভ্রাতৃ সম্বন্ধ স্থাপন করে দেন ৷ তিনি সব কটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ৷ আহযাব
(খন্দক) যুদ্ধের সময় (এক রাতে) রাসুলুল্লাহ্ড্রোআহ্বান জানিয়ে বললেন,
ণ্ প্দ্বুব্লু ৷ “(সংগােপনে) কে শৃক্রদের সত্বাদ নিয়ে আসতে পারো যুবায়র (বা) বললেন,
“আমি ৷ রাসুলুল্লাহ্ পুষ্গ্ণ্ষ্ র্টু পুনরায় ঘোষণা দিলে ন্যুবায়র (রা) আহ্বানে সাড়া দিলেন ৷ আবার
ঘোষণা দিলে যুবায়র (রা)-ই সাড়া দিলেন ৷
তখন রাসুলুল্লাহস্রোবললেন ;, ৷ — প্রত্যেক
নবীর একজন একান্ত সহযোগী থাকে ৷ আমার একান্ত সহযোগী যুবায়ৰ (বা) ৷ ১ এটি র্বৃআলী (বা)
হতে যির্র হতে বর্ণিত হয়েছে ৷ যুৰায়র (বা) হতে বর্ণিত হয়েছে,, তিনি বলেছেন, বনু
কুরায়জার দিন রাসুলুল্পাহ্স্তের্তার পিতামাতাকে একত্রিত করেছেন (অর্থাৎ আরবীয় রীতি
অনুসারে তােমার জন্য আমার পিতা-মাতা উৎসর্ণীত’ কথাটি বলেছেন) ৷ একটি বর্ণনায় আছে
যে, যুবায়র (রা) ই ছিলেন ইসলামের পক্ষে প্রথম উরৰারিষ্টাত্তালনকারী এবং তা ছিল পবিত্র
মক্কার ঘটনা ৷ রাসুলুল্লাহ্প্নে ল্যাং ণ্ক হত্যা করা হয়েছে, সাহাৰীপণের কাছে এ স বাদ পৌছলে
যুৰায়র (বা) উ ন্মুক্ত তরাবব্লি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন এবং রাসুলুল্লাহ্মোঃ কে দেখৰার পর



১ দ্রও তাৰাকাতে ইবন সাদ, ৩১০৫; সীরাতে ইৰ্ন হিশমৈ, ৩৩-১০; আল্ ইসবােহ; ২৫৪৫; ঐ টীকা


قَالُوا: وَقَدْ عَلِمَ مَنْ بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ وَالْبَصْرَةِ بِالْوَقْعَةِ يَوْمَ الْوَقْعَةِ، وَذَلِكَ مِمَّا كَانَتِ النُّسُورُ تَخْطَفُهُ مِنَ الْأَيْدِي وَالْأَقْدَامِ فَيَسْقُطُ مِنْهَا هُنَالِكَ، حَتَّى إِنَّ أَهْلَ الْمَدِينَةِ عَلِمُوا بِذَلِكَ يَوْمَ الْجَمَلِ قَبْلَ أَنْ تَغْرُبَ الشَّمْسُ، وَذَلِكَ أَنَّ نَسْرًا مَرَّ بِهِمْ وَمَعَهُ شَيْءٌ فَسَقَطَ مِنْهُ فَإِذَا هُوَ كَفٌّ فِيهِ خَاتَمٌ نَقْشُهُ: عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَتَّابٍ. هَذَا مُلَخَّصُ مَا ذَكَرَهُ أَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ، رَحِمَهُ اللَّهُ عَنْ أَئِمَّةِ هَذَا الشَّأْنِ وَلَيْسَ فِيهِ مَا يَذْكُرُهُ أَهْلُ الْأَهْوَاءِ مِنَ الشِّيعَةِ وَغَيْرِهِمْ مِنَ الْأَحَادِيثِ الْمُخْتَلَقَةِ عَلَى الصَّحَابَةِ، وَالْأَخْبَارِ الْمَوْضُوعَةِ الَّتِي يَنْقُلُونَهَا بِمَا فِيهَا، وَإِذَا دُعُوا إِلَى الْحَقِّ الْوَاضِحِ أَعْرَضُوا عَنْهُ وَقَالُوا: لَنَا أَخْبَارُنَا وَلَكُمْ أَخْبَارُكُمْ. فَنَقُولُ لَهُمْ: {سَلَامٌ عَلَيْكُمْ لَا نَبْتَغِي الْجَاهِلِينَ} [القصص: 55] . [ذِكْرُ أَعْيَانِ مَنْ قُتِلَ يَوْمَ الْجَمَلِ] فَصْلٌ فِي ذِكْرِ أَعْيَانِ مَنْ قُتِلَ يَوْمَ الْجَمَلِ مِنَ السَّادَةِ النُّجَبَاءِ مِنَ الصَّحَابَةِ وَغَيْرِهِمْ مِنَ الْفَرِيقَيْنِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ وَقَدْ قَدَّمْنَا أَنَّ عِدَّةَ الْقَتْلَى نَحْوٌ مِنْ عَشَرَةِ آلَافٍ، وَأَمَّا الْجَرْحَى فَلَا
পৃষ্ঠা - ৫৯৭০


তরবারি খাপবদ্ধ করেন ৷ তিনি জান্নড়াতের আগাম সুসংবাদ প্রদত্ত দশজন (আশারা-ই
মুবাশশারা)-এর অন্যতম এবং পরবর্তী খলীফা নির্বাচনৈর জন্য উমর (রা) কর্তৃক মনোনীত ছয়
সদস্যের (নির্বাচনী বোডেরি) অন্যতম, যাদের প্রতি তুষ্ট থাকা অবস্থায় রাসুলুল্লাহ্লোঃ ওফাত
বরণ করেন ৷ ৰু
তিনি ছিলেন আবু বকর সিদ্দীক (রা)-কে সঙ্গদানকারী উত্তম সহযোগী এবং তার জামাতা-
আসমা বিনত আবু বকর (বা)-এর স্বামী ৷ তার ছেলে আব্দুল্লাহ ইবন যুবায়র (বা) হিজরতের
পরে জন্মগ্রহণকারী প্রথম মুসলিম সন্তান ৷
মুসলিম মুজাহিদ বাহিনীর সঙ্গে তিনি শাম গমন করেন এবং ইয়ারমুক যুদ্ধে অংশ্যাহণ
করেন ৷ তীর উপস্থিতি এ বাহিনীকে সৌভাগ্যমণ্ডিত করে এবং এ যুদ্ধে তিনি সমুন্নত সাহসিকতা
প্রদর্শন করে বিশাল অবদান রাখেন ৷ তিনি প্রতিপক্ষ রোমান বাহিনীর এ প্রান্ত হতে যে প্রান্ত
পর্যন্ত দুইবার তছুনছু করে দেন ৷ যুবায়র (রা) ছিলেন হযরত উসমান (রা)-এর পক্ষাবলম্বনকারী
ও তার পক্ষে প্রতিরোধকারী উল্লেখযােগ্যদের অন্যতম ৷ জামাল যুদ্ধের দিন আলী (রা) র্তাকে
পুর্বোল্লিখিত বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিলে তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে হতে পৃথক হয়ে পবিত্র মদীনা অভিমুখে
ফিরে যান ৷ পথিমধ্যে তিনি আহ্লাফ ইবন করেন (বা) এর গোত্রের নিবাস অতিক্রম করেন ৷ এ
গোত্রটি চলমান সংঘাতে নিরপেক্ষ অবস্থানে ছিল ৷ এ সময় এক ব্যক্তি কথিত মতে যার নাম
আহনাফ বলল, এ লোকঢির অবস্থা কাি সে লোকদের সমবেত করবেঃ পরে যখন তারা
পরস্পর মুখোমুখি হলো তখন যে নিজের ঘরে ফিরে যাচ্ছে কেনঃ তার প্রকৃত রহস্য কে
উদঘাটন করতে পারো তখন আবৃর ইবন জুরমুয়, ফাযালা ইবন হাবিস ও নুযায বনু তামীমের
একদল সদ্রাসীসহ তার অনুণমন করে ৷ বর্ণিত মতে তার তার কাছে পৌছে গেল পারস্পরিক
সহযোগিতায় তাকে হত্যা করে ৷
অন্য একটি বর্ণনা মতে আষর ইবন জুরমুয তার কাছে পৌছে গিয়ে র্তাকে বলল, আপনার
কাছে আমার একটি প্রয়োজন আছে ৷ তখন যুবায়র (বা) বললেন, কাছে এসো! তখন যুবায়র
(রা)-এর মাওলা (গোলাম) আতিয়া বলল, তীর সংগে অস্ত্র আছেঃ যুবায়র (বা) বললেন, তা
থাকলেও ৷ তখন আঘৃর এগিয়ে এসে তার সংগে কথা বলতে লাগল ৷ তখন সালাতের
সময় হয়ে গিয়েছিল ৷ যুবায়র (বা) তাকে বললেন, সালাত (আদায় করে নাই) ৷ আমর বলল,
সালাত ৷ যুবায়র (বা) সামনে দাড়িয়ে তীদেরসহ সালাত আদায় করতে লাগলেন, এ সময়
আমর ইবন জুরমুয তরবারি দ্বারা তাকে আঘাত করে হত্যা করে ফেলল ৷
অপর একটি বর্ণনা মতে আমৃর র্তাকে ওয়াদিসৃ সিবা নামের একটি উপত্যকায় পেয়ে
গেল ৷ তখন তিনি দিবা নিদ্রায় মগ্ন ছিলেন আমর অতর্কিত আক্রমণে তীকে হত্যা করল ৷ এ
বর্গনাটি অধিক প্রসিদ্ধ ৷ এ প্রসংগে তার সর্বশেষ ত্রী আতিকাহ্ বিনত যায়দ ইবন আমর ইবন
নুফায়ল-এর কবিতা এ মতটির অনুরুপ সাক্ষ্য বহন করে ৷ আতিকাহ্ এর পুর্বে উমর ইবনুল
খাত্তাব (রা)এর বিবাহে ছিলেন ৷ তিনিও শহীদ হয়েছিলেন এবং তার পুর্বে আতিকাহ্ আবদুল্লাহ
ইবন আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর শ্রী ছিলেন এবং আবদুল্লাহ্ (রা) ও শহীদ হয়েছিলেন ৷ যুবায়র
(বা) শহীদ হলে আতিকা (বা) একটি মর্মস্পর্শী শোকপথো রচনা করেছিলেন, তাতে আছে :


يُحْصَوْنَ كَثْرَةً. وَلَمْ يَكُنْ فِي الْفَرِيقَيْنِ مِنَ الصَّحَابَةِ إِلَّا الْقَلِيلُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا إِسْمَاعِيلُ، ثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ قَالَ: هَاجَتِ الْفِتْنَةُ وَأَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَشَرَاتُ أُلُوفٍ، فَلَمْ يَحْضُرْهَا مِنْهُمْ مِائَةٌ، بَلْ لَمْ يَبْلُغُوا ثَلَاثِينَ. وَقَالَ أَحْمَدُ أَيْضًا: ثَنَا إِسْمَاعِيلُ - هُوَ ابْنُ عُلَيَّةَ - ثَنَا مَنْصُورُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ: قَالَ الشَّعْبِيُّ: لَمْ يَشْهَدِ الْجَمَلَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، غَيْرَ عَلِيٍّ، وَعَمَّارٍ، وَطَلْحَةَ، وَالزُّبَيْرِ، فَإِنْ جَاءُوا بِخَامِسٍ فَأَنَا كَذَّابٌ. قُلْتُ: قَدْ حَضَرَهَا عَائِشَةُ، وَابْنُ الزُّبَيْرِ، وَالْحَسَنُ، وَالْحُسَيْنُ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، وَسَهْلُ بْنُ حُنَيْفٍ، وَآخَرُونَ. فَمِمَّنْ قُتِلَ يَوْمَئِذٍ فِي الْمَعْرَكَةِ طَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ كَعْبِ بْنِ سَعْدِ بْنِ تَيْمِ بْنِ مُرَّةَ بْنِ كَعْبِ بْنِ لُؤَيِّ بْنِ غَالِبِ بْنِ فِهْرِ بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّضْرِ بْنِ كِنَانَةَ، أَبُو مُحَمَّدٍ الْقُرَشِيُّ التَّيْمِيُّ.
পৃষ্ঠা - ৫৯৭১


-’;শ্ষ্শ্ষ্ধ্ )ইশ্
টু
মোঃ
ইবনৃ জুরমুয বিশ্বাসঘাতকতা করেছে যুদ্ধের দিনের সংগীন পরিস্থিতির এক দুঃসাহ
ঘোড়সওয়ারকে, যে কখনও পলায়ন করে না ৷
হে আমর ! তুমি তাকে সতর্কতার অবকাশ দিলে তুমি অবশ্যই দেখতে পেতে যে, সে
ভয়ার্ত হৃদকম্পে অস্থির চিত্ত-সচেতন নয় এবং তার হাতও কম্পিত নয় ৷
তোমার মা তোমাকে হারিয়ে পুত্র গােকে শোকাতৃরা হোক ! তুমি যে সকাল-বিকালে
বিচরণকারী বিদ্যমানদের মধ্য হতে তার সমতৃল্যকে ঘায়েল করার সুযোগ পেয়ে গেলে ৷ ১
কত সংকটেই সে ঝাপিয়ে পড়েছে, যা হতে তাকে ফিরিয়ে রাখতে পারেনি ভোর (ঘেটে
বল্লমের) আক্রমণ হে উই ঢিবির ব্যাঙের ছাত৷ ( র পুত) ৷২
কসম আমার প্রতিপালক আল্লাহ্র! তুই খুন কারছিস অবশ্যই একজন মুসলিমকে এবং
ভোর জন্য সাব্যস্ত রয়েছে স্বেচ্ছায় হত্যাকারীর কঠিন সাজা ৷
আমর ইবন জুরমুয যুবায়র (রা)-কে হত্যা করার পর তার গর্দান কেটে তা নিয়ে আলী
(রা)-এর কাছে উপস্থিত হলো ৷ তার ধারণা ছিল এ কর্মের কারণে যে “আলী (রা) এর বিশেষ
মর্যাদার অধিকারী হবে ৷’ সে প্রবেশের অনুমতি চাইলে আলী (রা) বললেন, তাকে অনুমতি
দিও না এবং তাকে জাহান্নামের সুসংবাদ’ শুনিয়ে দাও ৷ অপর এক বর্ণনায় আছে, আলী (রা)
বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ত্রু-কে বলতে শুনেছি সাফিয়া
(রা)এর পুত্রহন্তাকে জাহান্নামের সুসংবাদ দাও ৷”
ইবন্ জুরমুয যুবায়র (রা)-এর তরবারি নিয়ে আলী (রা)-এর কাছে উপস্থিত হলে তিনি
বললেন, “এ তরবারি-ই সুদীর্ঘকাল রাসুলুল্লাহ্স্র এর উপর হতে সংবল্ট দুরীভুত করেছে ৷ ”
বর্ণনা মতে, আলী (রা)-এর এ বক্তব্য শোনার পর আমর ইবন জুরমুয আত্মহত্যা করে ৷
অপর বর্ণনায় যুসআব ইবনুয যুবায়র (রা) ইরাকের ক্ষমতার মসনদারোহী হওয়া পর্যন্ত যে
বেচে ছিল ৷ যুসআব (রা) ইরাকে ক্ষমতাসীন হলে সে আত্মগােপন করে ৷ তখন মুসআবকে
অবহিত করা হলো যে, ইবন জুরমুয এখানে কোথাও আত্মগােপন করে আছে ৷ আপনি কি তার
ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নিবেনঃ যুসআব (রা) বললেন, “তাকে বলে দাও, সে নিরাপদ, সে
জনসমক্ষে জীবন যাপন করতে পারে ৷ আল্লাহর সময় ! আমি তাকে যুবায়র (রা) হত্যার মিরাসে
দণ্ডিত করব না ৷ কেননা, আমার দৃচিত সে যুবায়র (রা)-এর সমপর্ষায়ে হওয়া থেকে অতি তৃচ্ছ ৷




র্চে - ,-, , ৰু ,,; ড্রু ন্ষ্ অর্থ : তোমার মা পুত্র শোকে শোকাতৃরা হোক ৷ তুমি যেথায় বিচরণ কর সেথায়
বিগতদের মধ্যে তুমি কি তার সমতুল্য কাউকে নাপালে পেয়েছ ৷

২ তাবকােতে ;,এে ৷ স্থলে প্রুপ্রু; ৷ আছে ৷ অর্থ মাটির উচু তুপ, উই পােকাৱ ঢিৰি ৷

৫ ৭


وَيُعْرَفُ بِطَلْحَةَ الْخَيْرِ، وَطَلْحَةَ الْفَيَّاضِ ; لِكَثْرَةِ بِرِّهِ، وَكَثْرَةِ جُودِهِ. أَسْلَمَ قَدِيمًا عَلَى يَدَيْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، فَكَانَ نَوْفَلُ بْنُ خُوَيْلِدِ بْنِ الْعَدَوِيَّةِ يَشُدُّهُمَا فِي حَبْلٍ وَاحِدٍ، وَلَا تَسْتَطِيعُ بَنُو تَيْمٍ أَنْ تَمْنَعَهُمَا مِنْهُ، وَلِذَلِكَ كَانَ يُقَالُ لِطَلْحَةَ وَأَبِي بَكْرٍ: الْقَرِينَانِ. وَقَدْ هَاجَرَ وَآخَى رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بَيْنَهُ وَبَيْنَ أَبِي أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ، وَشَهِدَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، الْمَشَاهِدَ كُلَّهَا إِلَّا بَدْرًا، فَإِنَّهُ كَانَ بِالشَّامِ فِي تِجَارَةٍ وَقِيلَ: فِي رِسَالَةٍ ; لِهَذَا ضَرَبَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بِسَهْمِهِ وَأَجْرِهِ مِنْ بَدْرٍ. وَكَانَتْ لَهُ يَوْمَ أُحُدٍ الْيَدُ الْبَيْضَاءُ وَشُلَّتْ يَدُهُ يَوْمَئِذٍ ; لِأَنَّهُ وَقَى بِهَا رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاسْتَمَرَّتْ كَذَلِكَ إِلَى أَنْ مَاتَ. وَكَانَ الصِّدِّيقُ إِذَا حَدَّثَ عَنْ يَوْمِ أُحُدٍ يَقُولُ: ذَاكَ يَوْمٌ كَانَ كُلُّهُ لِطَلْحَةَ. وَقَدْ قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَوْمَئِذٍ: " «أَوْجَبَ طَلْحَةُ» ". وَذَلِكَ أَنَّهُ كَانَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، دِرْعَانِ، فَأَرَادَ أَنْ يَنْهَضَ وَهُمَا عَلَيْهِ لِيَصْعَدَ صَخْرَةً هُنَالِكَ فَمَا اسْتَطَاعَ فَطَأْطَأَ لَهُ طَلْحَةُ، فَصَعِدَ عَلَى ظَهْرِهِ حَتَّى اسْتَوَى عَلَيْهَا، وَقَالَ: " «أَوْجَبَ طَلْحَةُ» ". وَهُوَ أَحَدُ الْعَشْرَةِ الْمَشْهُودُ لَهُمْ بِالْجَنَّةِ، وَأَحَدُ السِّتَّةِ أَصْحَابِ الشُّورَى، وَقَدْ
পৃষ্ঠা - ৫৯৭২


যুবায়র (রা) বিশাল সম্পদ ও বিপুল দান-সাদাকার অধিকারী ছিলেন ৷ জামাল যুদ্ধের দিন
তিনি তার (জ্যেষ্ঠ) পুত্র আবদুল্লাহ্ (রা)-কে ওয়াসী নিয়ের্গেকরেছিলেন ৷ তিনি শাহাদাতবৱণ
করলে হিসাব করে দেখা গেল যে, তার ঋণের পরিমাণ রয়েছে বইিশ লাখ, > যা পরিশোধ করে
দেওয়া হয় ৷ তারপর অবগ্রিষ্টি সম্পদ হতে একতৃতীয়াংশ তার ওসীয়ত অনুসারে পৃথক করা
হয় এবং অবশি দৃই-তৃতীয়াংশ ওয়ারিসদের মধ্যে বন্টন করা হয় ৷ মিরাস বণ্টনে তার চার শ্রীর
প্রত্যেকে তাদের সম্মিলিত প্রাপ্য অষ্টমাংশের চতুর্থাংশ যা পেয়েছিল তার পরিমাণ ছিল যার লাখ
দিরহাম (রৌপ্য মুদ্রা) ৷২ এ হিসাব অনুসারে ওয়ারিসদের সামগ্রি প্রাপ্য ছিল (১ ২,০০০০০
×৪×৮ ৷ তিন কোটি চৌরাশি লাখ এবং ওসিয়াতের পরিমাণ ছিল এক কোটি নিরানব্বই লাখ
এবং মিরাস ও ওসিয়াতের পরিমাণ ছিল এক কোটি বিরানব্বই লাখ এবং মিরাস ও
ওয়াসিয়াতের সমষ্টি ছিল পাচ কোটি ছিয়াত্তর লাখ এবং ঋণ, ওয়াসিয়াতে ও মিবাসের সার্বিক
সমষ্টি ছিল পাচ কোটি আটানব্বই লাখ দিরহাম ৷ (এখানে বিষয়টির বিশদ বিবরণ দেওয়া হলো
এ কারণে যে, সহীহ বুখারীতে উদ্ধৃত এতদসংক্রান্ত (পরিমাণের) বিবরণে আপত্তি রয়েছে
বিধায় বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ সৎগত ছিল ৷ (মহান আল্লাহ্ সমধিক অবহিত ৷)
বিশাল পরিমাণের দান-খয়রাত এবং বিপুল অনুদানে অভ্যস্ত হওয়া সত্বেও যুবাযর (বা) এ
অত্যধিক সম্পদের সুত্র ছিল জিহাদে প্রাপ্ত তার গনীমতের হিসৃসা, গনীমতের পঞ্চমাংশের
পঞ্চুমাংশ হতে তার মাতার প্রাপ্ত অংশ, পরিচ্ছন্ন বরকতময় বাণিজ্য এবং অন্যান্য পবিত্র
স্বত্সমুহ ৷ একটি বর্ণনায় আছে, তার এক হাজার গোলাম দৈনন্দিন তাদের উপার্জন লব্ধ আর
তাকে অর্পণ করত ৷ কোন কোন দিন তাদের এ সমুদয় আয় সাদাকা করে দিতেন ৷ (মহান
আল্লাহ্ তার প্রতি সন্তুষ্ট হন ও তাকে তৃষ্ট করুন ৷) তার হত্যার ঘটনাটি ঘটেছিল ছত্রিশ হিজরীর
জুমাদাল উখরা মাসের দশম দিন বৃহস্পতিবার ৷ তখন তার বয়স হয়েছিল ষাটোর্ধ ছয় কিংবা
সাত (৬৬৬৭) বছর ৷ তার গায়ের বর্ণ ছিল বাদামী এবং দেহ ছিল মধ্যম মাপের, উচ্চতাও
স্বাভাবিক গােশতপুর্ণ ৷ তার মুখে ছিল হালকা দাড়ি ৷ (রাযিয়াল্লাহ আনহু)

ছত্রিশ হিজরীর অপরাপর মটনাপঞ্জী

আলী (রা) মিসরীয় অঞ্চলসমুহের জন্য কায়স ইবন সাদ ইবন উসামা (রা)-কে নাযির
(গভর্নর) নিযুক্ত করে পাঠড়ালেন ৷ উসমান (রা)-এর খিলাফাতকালে এ পদে নিয়োজিত ছিলেন
আবদুল্লাহ্ ইবন সাদ ইবন আবু সারাহ ৷ এর পুর্ববর্তী ঘটনা ছিল নিম্নরুপ : মিসরীয়
খড়ারিজীদের যে দলটি উসমান (রা)এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহে অশেগ্রহণ করেছিল যে আবদুল্লাহ
ইবন সাবা ইবনুস সাওদা-র নেতৃত্বে ৰিদ্রোহে অংশগ্রহণ করেছিল এবং দলটি প্রস্তুত করে
দিয়েছিল মুহাম্মদ ইবন আবু হুযায়ফা ইবন উৎবা ৷ মুহাম্মদের পিতা আবু হুযায়ফা (রা)
ইয়ামামার যুদ্ধে শাহাদাতবৱণ করার সময় উসমান (রা)কে ছেলের ব্যাপারে ওসিয়াত করে
গিয়েছিলেন ৷ উসমান (রা) শিশুটিকে নিজ দায়িত্বে গ্রহণ করে নিলেন এবং নিজ বাড়িতে ও স্বীয়



১ এ বিশাল কাজের প্রকৃত রহস্য ছিল এই যে, লোকেরা যুৰায়র (না)-এর বিশ্বস্ততার কারণে তার কাছে তাদের
অর্থ সম্পৃদ আমানত রাখার জন্য নিয়ে আসত ৷ তিনি আমানতের কঠিন দায় থেকে বাচার জন্য সে,অর্থ ঋণ
রুপে গ্রহণ করতেন, যাতে মালিকদের জন্য তা ফেরত পাওয়া নিশ্চিত হয়ে যায় ৷ অনুবাদক ৷

২ ইবন সাদেৱ বর্ণনায় এগার লাখ ৷


صَحِبَ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَحْسَنَ صُحْبَتَهُ حَتَّى تُوُفِّيَ وَهُوَ عَنْهُ رَاضٍ، وَكَذَلِكَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ. فَلَمَّا كَانَتْ قَضِيَّةُ عُثْمَانَ اعْتَزَلَ عَنْهُ، فَنَسَبَهُ بَعْضُ النَّاسِ إِلَى تَحَامُلٍ عَلَيْهِ ; فَلِهَذَا لَمَّا حَضَرَ يَوْمَ الْجَمَلِ وَاجْتَمَعَ بِهِ عَلِيٌّ فَوَعَظَهُ، تَأَخَّرَ فَوَقَفَ فِي بَعْضِ الصُّفُوفِ، فَجَاءَهُ سَهْمٌ غَرْبٌ فَوَقَعَ فِي رُكْبَتِهِ. وَقِيلَ: فِي رَقَبَتِهِ. وَالْأَوَّلُ أَشْهَرُ، وَانْتَظَمَ السَّهْمُ مَعَ سَاقِهِ خَاصِرَةَ الْفَرَسِ، فَجَمَحَ بِهِ حَتَّى كَادَ يُلْقِيهِ وَجَعَلَ يَقُولُ: إِلَيَّ عِبَادَ اللَّهِ. فَأَدْرَكَهُ مَوْلًى لَهُ فَرَكِبَ وَرَاءَهُ وَأَدْخَلَهُ الْبَصْرَةَ، فَمَاتَ بِدَارٍ فِيهَا. وَيُقَالُ: إِنَّهُ مَاتَ بِالْمَعْرَكَةِ، وَإِنَّ عَلِيًّا لَمَّا دَارَ بَيْنَ الْقَتْلَى رَآهُ فَجَعَلَ يَمْسَحُ عَنْ وَجْهِهِ التُّرَابَ وَقَالَ: رَحْمَةُ اللَّهِ عَلَيْكَ أَبَا مُحَمَّدٍ، يَعِزُّ عَلَيَّ أَنْ أَرَاكَ مُجَدَّلًا تَحْتَ نُجُومِ السَّمَاءِ. ثُمَّ قَالَ: إِلَى اللَّهِ أَشْكُو عُجَرِي وَبُجَرِي، وَاللَّهِ لَوَدِدْتُ أَنِّي كُنْتُ مِتُّ قَبْلَ هَذَا الْيَوْمِ بِعِشْرِينَ سَنَةً. وَيُقَالُ: إِنَّ الَّذِي رَمَاهُ بِهَذَا السَّهْمِ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ، وَقَالَ لَأَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ: قَدْ كَفَيْتُكَ رَجُلًا مِنْ قَتَلَةِ عُثْمَانَ. وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ الَّذِي رَمَاهُ غَيْرُهُ. وَهَذَا عِنْدِي أَقْرَبُ وَإِنْ كَانَ الْأَوَّلُ مَشْهُورًا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَكَانَ يَوْمَ الْخَمِيسِ لِعَشْرٍ خَلَوْنَ مِنْ جُمَادَى الْآخِرَةِ سَنَةَ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ. وَدُفِنَ طَلْحَةُ إِلَى جَانِبِ الْكَلَّاءِ وَكَانَ عُمُرُهُ سِتِّينَ سَنَةً. وَقِيلَ: بِضْعًا وَسِتِّينَ سَنَةً.
পৃষ্ঠা - ৫৯৭৩
وَكَانَ آدَمَ وَقِيلَ: أَبْيَضَ. حَسَنَ الْوَجْهِ كَثِيرَ الشَّعْرِ، إِلَى الْقِصَرِ أَقْرَبَ، وَكَانَتْ غَلَّتُهُ فِي كُلِّ يَوْمٍ أَلْفَ دِرْهَمٍ وَرَوَى حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ، عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَجُلًا رَأَى طَلْحَةَ فِي مَنَامِهِ وَهُوَ يَقُولُ: حَوِّلُونِي عَنْ قَبْرِي فَقَدْ آذَانِي الْمَاءُ. ثَلَاثَ لَيَالٍ، فَأَتَى ابْنَ عَبَّاسٍ - وَكَانَ نَائِبًا عَلَى الْبَصْرَةِ - فَأَخْبَرَهُ فَاشْتَرَوْا لَهُ دَارًا بِالْبَصْرَةِ بِعَشَرَةِ آلَافِ دِرْهَمٍ فَحَوَّلُوهُ مِنْ قَبْرِهِ إِلَيْهَا، فَإِذَا هُوَ قَدِ اخْضَرَّ مِنْ جَسَدِهِ مَا يَلِي الْمَاءَ، وَإِذَا هُوَ كَهَيْئَتِهِ يَوْمَ أُصِيبَ. وَقَدْ وَرَدَتْ لَهُ فَضَائِلُ كَثِيرَةٌ ; فَمِنْهَا مَا رَوَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي عَاصِمٍ: حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ عِيسَى بْنِ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «سَمَّانِي رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَوْمَ أُحُدٍ طَلْحَةَ الْخَيْرِ، وَيَوْمَ الْعُسْرَةِ طَلْحَةَ الْفَيَّاضَ، وَيَوْمَ حُنَيْنٍ طَلْحَةَ الْجُودِ» . وَقَالَ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ: ثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، ثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ يَحْيَى، عَنْ مُوسَى وَعِيسَى، ابْنَيْ طَلْحَةَ، عَنْ أَبِيهِمَا «أَنَّ نَاسًا مِنْ
পৃষ্ঠা - ৫৯৭৪


তত্ত্বাবধানে তাকে লালন-পালন করলেন এবং তার প্রতিণ্অতিশয় অনুগ্রহ করলেন মুহাম্মদ
ইবাদত ও পৃথিবীর প্রতি নির্মোহ স্বভাব নিয়ে বেড়ে উঠল ৷ এক সময় সে উসমান (রা) এর
কাছে তাকে কোন কর্মে নিয়োগের আবেদন করলে তিনি বললেন, তুমি যখনই এ বিষয়ের
যোগ্য হবে আমি£ তামাকে কমে নিযুক্ত করব ৷ এত সে মনে মনে উসমান (রা) এর প্রতি ৩ক্ষুব্ধ
হলো এবং যুদ্ধে যাওয়ার জন্য উসমান (রা)-এর নিকট অনুমতি প্রার্থনা করল ৷ তিনি অনুমতি
প্রদান করলেন, যে তখন মিসরীয় অঞ্চলের উদ্দেশ্যে বের হলো এবং মিসরের আমীর আব্দুল্লাহ
ইবন সাদ ইবন আবু সারাহ-এর সঙ্গে মুওয়ারী যুদ্ধে অংশগহণ করল ৷ (পুর্ববর্তী বিবরণ দ্রব্য)
এ সময় সে উসমান (রা) এর বিরুপ সমালোচনার লিপ্ত হলো এবং এতো মুহাম্মদ ইবন আবু
বকর (রা) তাকে সহযোগিতা করল ৷ আমীর ইবন আবু সারাহ উসমান (রা) এর কাছে এ
দুইজনের ব্যাপারে অভিযোগ সম্বলিত পত্র পাঠালেন ৷ উসমান (বা) বিষয়টির প্রতি গুরুতু
আরোপ করলেন না ৷ মুহাম্মদ ইবন আবু হুযায়ফার আচরণ পুর্বানুরুপ চলতে থার্কল এবং এক
সময় সে উসমান (রা) এর বিরুদ্ধে পুর্বোল্লিখিত দলটি তৈরি করল ৷

উসমান (রা) (পবিএ মদীনায়) অবরুদ্ধ হওয়ার সং বাদ অবগত হয়ে সে মিসরের ক্ষমতা
দখল করল এবং আবদুল্লাহ ইবন স৷ দ ইবন আবু সারাহকে সেখান থেকে বের করে দিল ৷ সে
সেখানে সালাতের ইমামতি করতে লাগল ৷ ইবন আবু সারাহ পথিমধ্যে আমীরুল মু’মিনীন
উসমান (রা) এর শহীদ হওয়ার স বাদ অবগত হয়ে ইন্ন৷ লিল্লাহি ওয়া ইন্ন৷ ইলাইহি রাজিউন
পাঠ করলেন ৷ তিনি আরও অবগত ৩হলেন যে, আলী (বা) কায়স ইবন সাদ ইবন উসামা
(রা)-কে মিসরের আমীর নিযুক্ত করে পাঠিয়েছেন ৷ মুহাম্মদ ইবন আবু হুযায়ফা মিসরের
ক্ষমতায় এক বছুরও অধিষ্ঠিত থাকতে না পারার বিষয়টি বিতাড়িত আমীর আবদৃল্লাহ্কে
আনন্দিত করল ৷ এ অবস্থায় আবদুল্লাহ ইবন সা দ শামে মু আ ৷বিয়া (রা) এর কাছে চলে গেলেন
এবং তাকে মিসরের ঘটনাবলী ও মুহ৷ মদ ইবন আবু হুযায়ফার ক্ষম৩ ৷ দখলের বিষয়টি অব
করলেন ৷
মু আবিয়৷ (রা) ও আমুর ইবনুল আস (রা) মুহাম্মদ ইবন আবু হুযায়ফাকে মিসর হতে
বিতাড়িত করার উদ্দেশ্যে অভিযান বেরিয়ে পড়লেন ৷ কেননা, সে ছিল উসমান (রা) কে শহীদ
করার কাজে সহায়তা দানকারীদের মধ্যে উল্পেখভৈযাগ্যদের অন্যতম ৷ অথচ উসমান (রা)-ই
তাকে লালন পালনের দায়িতৃ সুচারুরুপে পালন করেছিলেন এবং তার প্ৰতি অনুগ্রহ
করেছিলেন ৷৩ তারা দুইজন বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেও মিসরে প্রবেশ করতে সমর্থ হলেন
না ৷ তখন তারা যুদ্ধের কুটকৌশল অবলম্বন করতে থাকলেন ৷ ফলে এক সময় মুহাম্মদ এক
হাজার লোক নিয়ে আরীফের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে এসে সেখানকার দৃর্ণে অবস্থান গ্রহণ করল ৷
আমৃর ইবনুল আস (বা) তার বিরুদ্ধে মিনজানীক (কামান) দ্বারা আক্রমণ চালাতে থাকলেন ৷
ফলে সে ত্রিশজন সংপীসহ আত্মসমর্পণ করলে তাদের হত্যা করা হলো ৷ (এ বিবরণ মুহাম্মদ
ইবন জারীর তাবারীর)

অপরদিকে আলী (রা) এর পক্ষ হতে ৩নিয়োগপ্রাপ্ত কায়স ইবন সাদ ইবন উবাদা (বা)
মিসর অভিমুখে রওয়ান৷ করলেন এবং সাত জন সঙ্গীসহ মিসরে প্রবেশ করলেন ৷ তিনি মিম্বরে
উঠে আমীরুল মু মিনীন অ৷ লী (রা)-এর পত্র পাঠ করে শো ৷নালেন-(পত্রডাষ্য)


أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالُوا لِأَعْرَابِيٍّ جَاءَ يَسْأَلُ عَمَّنْ قَضَى نَحْبَهُ فَقَالُوا: سَلْ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَأَلَهُ فِي الْمَسْجِدِ فَأَعْرَضَ عَنْهُ، ثُمَّ سَأَلَهُ فَأَعْرَضَ عَنْهُ، ثُمَّ اطَّلَعْتُ مِنْ بَابِ الْمَسْجِدِ وَعَلَيَّ ثِيَابٌ خُضْرٌ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ: " أَيْنَ السَّائِلُ؟ ". قَالَ: هَا أَنَا ذَا. فَقَالَ: " هَذَا مِمَّنْ قَضَى نَحْبَهُ» ". وَقَالَ أَبُو الْقَاسِمِ الْبَغَوِيُّ ثَنَا دَاوُدُ بْنُ رُشَيْدٍ، ثَنَا مَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثَنَا الصَّلْتُ بْنُ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَرَادَ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى شَهِيدٍ يَمْشِي عَلَى رِجْلَيْهِ فَلْيَنْظُرْ إِلَى طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ» وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الْأَشَجُّ، ثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنُ مَنْصُورٍ الْعَنَزِيُّ - اسْمُهُ النَّضْرُ - ثَنَا عُقْبَةُ بْنُ عَلْقَمَةَ الْيَشْكَرِيُّ: سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ يَقُولُ: «سَمِعَتْ أُذُنَايَ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: " طَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ جَارَايَ فِي الْجَنَّةِ» " وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عَلِيٍّ أَنَّهُ قَالَ: إِنِّي لَأَرْجُو أَنْ أَكُونَ أَنَا وَطَلْحَةُ
পৃষ্ঠা - ৫৯৭৫



৷ এ ৷ ণ্;ণু;;

এ ৷ ণ্,হ্র৷ ৷;; ড্রুঞ এ;;,,
«
মোঃ ব্লুফোৰু১গ্লু
ণ্পু,
;প্রু;;ঞ
ৰুড়া;া, এ ৷
হ্)ক্রোন্
ৰু১১া;প্ ন্ন্ন্, ৷এ
ণপ্১)গ্লু
ৰিসমিল্লাহির রহমানির রহীম আল্লাহর বান্দা আলী আমীরুল মুমিনীনের পক্ষ হতে
মুনিন-মুসলিমগণের মধ্য হতে যাদের কাছে আমার এ ঘোষণাপত্র পৌছবে তাদের প্রতি,
সালামুন আলায়কুম আমি যে আল্লাহর বহু বহু প্রশংসা করছি, যিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই ৷
তারপর, আল্লাহ তার উত্তম অনুগ্রহ, নিপুণতা ও কুশলত তা সুত্রে ইসলামকে তার জন্য, এবং তার
ফেরেশতাগণ ও রাসুলগণের জন্য মনোনীত দীনরুপে গ্রহণ করেছেন ৷ সে দীন সহকারে তার
বন্দোদের কাছে রাসুলগণকে প্রেরণ করেছেন এবং তার সৃষ্টির মধ্য হতে ৩নির্বাচিত দেয় যে দীনের

জন্য বিশিষ্ট করেছেন ৷

তিনি এ উস্মতকে যে সব বিষয় দিয়ে মহিমাম্বিত করেছেন এবং যে ফযীলত ও শ্রেষ্ঠৎ দিয়ে
বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছে তার অন্যতম হচ্ছে মুহাম্মদমোঃ কে প্রেরণ করা, যিনি তাদের কিতাব,
হিকম৩ , এবং ফরয ও সুন্নাতের তা লীম দিবেন যাতে তারা হিদায়াত প্রাপ্ত হয়; তাদের
সমবেত করেছেন যাতে তারা বিভেদ-বিভক্তি হতে রক্ষা পড়ায়, তাদের পরিশুদ্ধ করেছেন যাতে
তারা পবিত্র হয়, তাদের তাওফীক দান করেছেন যাতে তারা ভ্রান্তির শিকার না হয় ৷ তিনি এসব

বিষয়ে তার দায়িত্ব সম্পাদন করলে মহান আল্লাহ তীকে নিজের কাছে তুলে নিলেন আল্লাহ
তাআলার রহমত, সালাম ও বরকত তার উপর বর্ষিত হোক ৷


وَالزُّبَيْرُ وَعُثْمَانُ مِمَّنْ قَالَ اللَّهُ {وَنَزَعْنَا مَا فِي صُدُورِهِمْ مِنْ غِلٍّ إِخْوَانًا عَلَى سُرُرٍ مُتَقَابِلِينَ} [الحجر: 47] . وَقَالَ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ رَجُلًا كَانَ يَقَعُ فِي طَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ وَعُثْمَانَ وَعَلِيٍّ، فَجَعَلَ سَعْدٌ يَنْهَاهُ وَيَقُولُ: لَا تَقَعْ فِي إِخْوَانِي. فَأَبَى فَقَامَ سَعْدٌ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ إِنْ كَانَ هَذَا مُسْخِطًا لَكَ فِيمَا يَقُولُ، فَأَرِنِي فِيهِ الْيَوْمَ آيَةً وَاجْعَلْهُ لِلنَّاسِ عِبْرَةً. فَخَرَجَ الرَّجُلُ فَإِذَا هُوَ بِبُخْتِيٍّ يَشُقُّ النَّاسُ فَأَخَذَهُ بِالْبَلَاطِ، فَوَضَعَهُ بَيْنَ كِرْكِرَتِهِ وَالْبَلَاطِ فَسَحَقَهُ حَتَّى قَتَلَهُ. قَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ: فَأَنَا رَأَيْتُ النَّاسَ يَتَّبِعُونَ سَعْدًا وَيَقُولُونَ: هَنِيئًا لَكَ أَبَا إِسْحَاقَ أُجِيبَتْ دَعْوَتُكَ. وَالزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ بْنِ خُوَيْلِدِ، بْنِ أَسَدِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى بْنِ قُصَيِ بْنِ كِلَابِ بْنِ مُرَّةَ بْنِ كَعْبِ بْنِ لُؤَيِّ بْنِ غَالِبِ بْنِ فِهْرِ بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّضْرِ بْنِ كِنَانَةَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْقُرَشِيُّ الْأَسَدِيُّ
পৃষ্ঠা - ৫৯৭৬


তার পরে মুসলিম জাতি দুই জন পুণ্যবান আমীরকে খলীফা মনোনীত করল ৷ তারা
কিতাব-সৃন্নাহ অনুসারে আমল করে উত্তম আদর্শ স্থাপন করলেন ৷ তারা সুন্নাতে তর সীমা অতিক্রম
করলেন না ৷ পরে মহান আল্লাহ তাদের ওফাত দান করলেন ৷ মহান আল্লাহ তাদের প্রতি ৩রহম
করুন! তাদের পরে আর একজন দায়িত্ব গ্রহণ করলেন যিনি কিছু কিছু নতুন বিষয় উদ্ভাবন
করলেন ৷ এতে উম্মত সমালোচনা করার সুযোগ পেল, তারা তার প্ৰতি বিক্ষুব্ধ হলো এবং
র্দ-বদল সংঘটিত করল ৷

পরে তারা আমার কাছে এসে আমার হাতে বায়আত গ্রহণ করল ৷ কাজেই আমি মহান
আল্লাহর কাছে তার হিদায়াত প্রার্থনা করছি এবং তাক্ওয়ার জন্য তার সাহায্য প্রার্থনা করছি ৷
শুনে রাখ আমার কাছে তোমাদের প্রাপ্য-অধিকার এই যে, আ ৷মি মহান আল্লাহর কিতা ৷ব ও তার
রসুলের সুন্নাত অনুসারে আমল করব, তার বিধান অনুসারে তোমাদের তত্ত্বাবধান করব এবং
অসাক্ষাতেও তোমাদের মঙ্গল কামনা করব ৷ মহান আল্লাহ্র কাছেই সাহায্য প্রার্থনা, মহান
আল্লাহ্ই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনিই অতি উত্তম কম বিধায়ক ৷

আমি কায়স ইবন স৷ দ ইবন উবাদা (রা)-কে তোমাদের আমীর নিযুক্ত করে পাঠালাম
তোমরা তাকে পরিপুর্ণ সহাযাগিতা করবে তার সঙ্গে কাধে র্কাধ মিলিয়ে চলবে এবং সত্যের
ব্যাপারে তাকে সহায়তা প্রদান করবে ৷ আমি তাকে তোমাদের সৎকর্মপরায়ণদের প্রতি
সদাচরণ করার, বিশৃৎখলা সৃষ্টিকারীদের কঠোর হাতে দমন করার এবং তোমাদের সাধারণ
জনতা ও বিশিষ্টদের প্রতি উদারত ন্৷ প্রদর্শনের আদেশ ৷দিয়েছি ৷ আমি তার স্বতাব-আচরণের
প্রাত তুষ্ট রয়েছি এবং তার যোগ্যতা দক্ষতা ওক লা৷ণমুখীপ্ কর্ম স্ৎপরতার প্রাত আশাবাদা৷

আমি মহান আল্লাহর কাছে আমার ও তোমাদের জন্য পুত-পবিত্র আমল, বিপুল সাওয়াব ও
বিস্তীর্ণ রহমত প্রার্থনা করছি

ওয়াসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতু ল্লাহি ওয়া বারাকাতৃহু ৷১ ছত্রিশ হিজরী সনের সফর
মাসের ঘটনাবলী প্রসঙ্গে আবদুল্লাহ ইবন আবু রাফি লিখেছেন, পত্রপাঠ সমাপ্তির পর কায়স
ইবন সাদ র্দা ড়িয়ে ভাষণ দিলেন এবং জনতাকে অ৷ লী (রা) এর অনুকুলে বায়আতের আহ্বান
জানালেন ৷ জনত৷ দাডিয়ে তার হাতে যায় তাতে গ্রহণ করল ৷ সমগ্র মিসর অঞ্চল তার আনুগত্য
স্বীকার করে নিল ৷ শুধু যারাবাত নামের একটি জনপদ ছিল এর ব্যতিক্রম২ ৷ যারাবাতের
বাসিন্দারা উসমান (রা) এর হত্যাকে একটি মারাত্মক বিষয় মনে করত ৷ বাসিন্দারা ছিল
অভিজাত শ্রেণীর ও নেতৃস্থানীয় ৷ তাদের জনসং খ্যা ছিল প্রায় দশ হাজার এবং তাদের নেতা
ছিলেন ইয়াযীদ ইবনুল হারিছ মিদলাব্জী ৷৩ তারা কায়স ইবন সা দ (রা) এর কাছে প্রতিনিধি
পাঠালে তিনি ৩ ৷দের সঙ্গে আপোসরফা করে নেন ৷

এছাড়া মাসলাম৷ ইবন মিদলাজ আনসারীও বায়আত গ্রহণ হতে দুরে অবস্থান করেন ৷
কায়সও তাকে পীড়াপীড়ি না করে তার সঙ্গে সমঝোতার আচরণ করেন ৷



১ পত্র ভাষ্য তাৰারীর তারীখ হতে উদ্ধৃত ৷ দ্র৪ ৫খ ২২৭ পৃ

২ তাবারী ও বিদায়ার মুল গ্রন্থে জনপদটির নাম যারাবাত বলা হয়েছে ৷ কামিলে (৩২৬৯) যারনাব বলা
হয়েছে ৷ ইয়াকুবের মতে যানাব অধিক শুদ্ধ ৷ য়ারবাত আলেকজাদ্রিয়ার পার্শ্ববর্তী একটি অঞ্চল, যা পরে
অনাবাদ হয়ে যায় ৷ (মুজামুল বুলদান, শিরোনাম)


وَأُمُّهُ صَفِيَّةُ بِنْتُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ ; عَمَّةُ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَسْلَمَ الزُّبَيْرُ قَدِيمًا وَعُمُرُهُ خَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً، وَقِيلَ: أَقَلُّ. وَقِيلَ: أَكْثَرُ. وَهَاجَرَ إِلَى الْحَبَشَةِ ثُمَّ إِلَى الْمَدِينَةِ فَآخَى رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بَيْنَهُ وَبَيْنَ سَلَمَةَ بْنِ سَلَامَةَ بْنِ وَقْشٍّ، وَقَدْ شَهِدَ الْمَشَاهِدَ كُلَّهَا، وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَوْمَ الْأَحْزَابِ: " مَنْ يَأْتِينَا بِخَبَرِ الْقَوْمِ؟ ". فَقَالَ: أَنَا. ثُمَّ نَدَبَ النَّاسَ فَانْتَدَبَ الزُّبَيْرُ، ثُمَّ نَدَبَهُمْ، فَانْتَدَبَ الزُّبَيْرُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «إِنَّ لِكُلِّ نَبِيٍّ حَوَرِايًّا وَحَوَارِيَّ الزُّبَيْرُ» " ثَبَتَ ذَلِكَ مِنْ رِوَايَةِ زِرٍّ، عَنْ عَلِيٍّ، وَثَبَتَ عَنِ الزُّبَيْرِ أَنَّهُ قَالَ: «جَمَعَ لِي رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَبَوَيْهِ يَوْمَ بَنِي قُرَيْظَةَ» . وَرُوِيَ أَنَّهُ أَوَّلُ مَنْ سَلَّ سَيْفًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ ; وَذَلِكَ بِمَكَّةَ حِينَ بَلَغَ الصَّحَابَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ قَدْ قُتِلَ فَجَاءَ الزُّبَيْرُ شَاهِرًا سَيْفَهُ حَتَّى رَأَى رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَشَامَ سَيْفَهُ. وَهُوَ أَحَدُ الْعَشَرَةِ الْمَشْهُودِ لَهُمْ بِالْجَنَّةِ، وَأَحَدُ السِّتَّةِ الَّذِينَ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ عَنْهُمْ رَاضٍ. وَصَحِبَ الصِّدِّيقَ فَأَحْسَنَ صُحْبَتَهُ، وَكَانَ خَتَنَهُ عَلَى ابْنَتِهِ
পৃষ্ঠা - ৫৯৭৭
أَسْمَاءَ، وَابْنُهُ عَبْدُ اللَّهِ مِنْهَا ; أَوَّلُ مَوْلُودٍ وُلِدَ لِلْمُسْلِمِينَ بَعْدَ الْهِجْرَةِ. وَخَرَجَ مَعَ النَّاسِ إِلَى الشَّامِ مُجَاهِدًا، فَشَهِدَ الْيَرْمُوكَ فَتَشَرَّفُوا بِحُضُورِهِ، وَكَانَتْ لَهُ بِهَا الْيَدُ الْبَيْضَاءُ، وَالْهِمَّةُ الْعَلْيَاءُ، اخْتَرَقَ جُيُوشُ الرُّومِ وَصُفُوفَهُمْ مِنْ بَيْنِ النَّاسِ مَرَّتَيْنِ مِنْ أَوَّلِهِمْ إِلَى آخِرِهِمْ. وَكَانَ مِنْ جُمْلَةِ مَنْ دَافَعَ عَنْ عُثْمَانَ وَجَاحَفَ عَنْهُ. فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ الْجَمَلِ ذَكَّرَهُ عَلِيٌّ بِمَا ذَكَّرَهُ بِهِ - كَمَا تَقَدَّمَ - فَرَجَعَ عَنِ الْقِتَالِ، وَكَرَّ رَاجِعًا إِلَى الْمَدِينَةِ، فَمَرَّ بِقَوْمِ الْأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ - وَكَانُوا قَدِ اعْتَزَلُوا الْفَرِيقَيْنِ - فَقَالَ قَائِلٌ مِنْهُمْ ; يُقَالُ: هُوَ الْأَحْنَفُ: مَا بَالَ هَذَا جَمَعَ بَيْنَ النَّاسِ حَتَّى إِذَا الْتَقَوْا كَرَّ رَاجِعًا إِلَى أَهْلِهِ؟ مَنْ رَجُلٌ يَكْشِفُ لَنَا خَبَرَهُ؟ فَاتَّبَعَهُ عَمْرُو بْنُ جُرْمُوزٍ وَفَضَالَةُ بْنُ حَابِسٍ، وَنُفَيْعٌ فِي طَائِفَةٍ مِنْ غُوَاةِ بَنِي تَمِيمٍ، فَيُقَالُ: إِنَّهُمْ لَمَّا أَدْرَكُوهُ تَعَاوَنُوا عَلَيْهِ حَتَّى قَتَلُوهُ. وَيُقَالُ: بَلْ أَدْرَكَهُ عَمْرُو بْنُ جُرْمُوزٍ، فَقَالَ لَهُ عَمْرٌو: إِنَّ لِي إِلَيْكَ حَاجَةً. فَقَالَ: ادْنُ. فَقَالَ مَوْلَى الزُّبَيْرِ ; وَاسْمُهُ عَطِيَّةُ: أَرَى مَعَهُ سِلَاحًا. فَقَالَ: وَإِنْ كَانَ. فَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ فَجَعَلَ يُحَادِثُهُ وَحَانَ وَقْتُ الصَّلَاةِ، فَقَالَ لَهُ الزُّبَيْرُ: الصَّلَاةُ. فَقَالَ: الصَّلَاةُ. فَتَقَدَّمَ الزُّبَيْرُ لِيُصَلِّيَ بِهِمَا، فَطَعَنَهُ عَمْرُو بْنُ جُرْمُوزٍ فَقَتْلَهُ. وَيُقَالُ: بَلْ أَدْرَكَهُ عَمْرٌو بِوَادٍ يُقَالُ لَهُ: وَادِي السِّبَاعِ. وَهُوَ نَائِمٌ فِي الْقَائِلَةِ، فَهَجَمَ عَلَيْهِ فَقَتَلَهُ. وَهَذَا الْقَوْلُ هُوَ الْأَشْهَرُ، وَيَشْهَدُ لَهُ شَعْرُ امْرَأَتِهِ عَاتِكَةُ بِنْتُ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ، وَكَانَ آخَرَ
পৃষ্ঠা - ৫৯৭৮


এ সময় মুআবিয়া ইবন আবুসুফইয়ান (রা) মিসরের আমীর কায়স-এর কাছে বিশেষ পত্র
পাঠালেন ৷ তিনি তখন প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ সমগ্র শাম ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সুসংহত ক্ষমতার
অধিকারী ৷ রোমান সীমান্ত পর্যন্ত অঞ্চলসমুহ ও উপকুলবর্তী অঞ্চলও তার সুদৃঢ় নিয়ন্ত্রণাধীন ৷
সাইপ্রাস দ্বীপপুঞ্জ এবৎ আল জাযীরার রাহা, হাররান কারকীখিয়া প্রভৃতি জনপদও তার
কর্তৃতুাধীন ৷ এছাড়া জামল যুদ্ধে পরাজিত উসমান সকলে তার আশ্রয়ে সমবেত হয়েছিল ৷
আশতার নাখঈ মুআবিয়া (রা)-এর নায়িবগণের কর্তৃতৃ হতে এ সকল অঞ্চল দখল করে
নেওয়ার পরিকল্পনা করলে মুআবিয়া (বা) তার বিরুদ্ধে আবদুর রহমান ইবন খালিদ ইবন ল
ওয়ালীদ (রা)-কে প্রেরণ করেন ৷ আশতার পালিয়ে আত্মরক্ষা করে ৷ ফলে এ সমগ্র অঞ্চলে
মুআবিয়া (রা)-এর কর্তৃত্ব প্রতিপত্তি সুসংহত হয়ে যায় ৷ তিনি কায়স ইবন সাদ (রা)-এর
নিকট পত্র লিখলেন উসমান (রা) এর খুনের বদলার দাবিতে সোচ্চার হওয়ার এবৎ এ প্রসঙ্গে
তিনি যে কর্মতৎপরত৷ পরিচালিত করছেনত তাতে তাকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে ৷

মু আবিয৷ (রা) কায়সকে এ প্রতিশ্রুতিও দিলেন যে উদ্দেশ্য সম্পন্ন হলে যতদিন তার হাতে
ক্ষমতা থাকবে ততদিন কায়স দুই ইরাকে (কুফা ও বসরায়) তার নায়িব পদে অধিষ্ঠিত
থাকবেন ৷ পত্র কায়স-এর নিকট পৌছল ৷ তিনি ছিলেন বিচক্ষণ ও সতর্ক লোক ৷ তিনি
মুআবিয়৷ (রা)-এর অনুকুলে কিংবা প্ৰতিকুলে অবস্থান নিলেন না এবং কুশলতার সংগে
নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণে যতুবান হয়ে সৌহার্দামুলক পত্র পাঠালেন ৷ তাকে এরুপ করতে
হয়েছিল আলী (বা ) হতে তার দুরে শাম অঞ্চল হতে নিকটে অবস্থানের কারণে এবং মুআবিয়া
(রা ) এর বিশাল বাহিনীর কারণে ৷ সুতরাং কায়স মুআবিয়া (রা) এর সংগে নিরাপদ দুরত্ব রক্ষা
করে র্তাকে এড়িয়ে থাকার পন্থা অবলম্বন করলেন এবং তাকে যে বিষয়ের প্রতি আহ্বান করা
হয়েছিল তাতে বিরুদ্ধাচরণও করলেন না, আবার স্বতঃস্ফুর্ত সাড়াও দিলেন না ৷

মুআবিয়৷ (বা) ও ছিলেন বিচক্ষণ কুটকুশলী ৷ তিনি কায়সের কাছে স্পষ্ট ভাষ্যে লিখে
পাঠালেন, “ তুমি আমার সঙ্গে ধরি মাছ না ছুই পানি’ এবৎ কাল-পরশু ও করি করছি
আচরণ করে যেতে পারবে না ৷ তুমি আমার স্বপক্ষ কিৎব৷ প্রতিপক্ষ এ বিষয়টি আমার কাছে
স্পষ্ট হয়ে যাওয়া অপরিহার্য ৷” তখন কায়সও চুড়ান্ত কথা লিখে পাঠালেন, আমি আলী ,
(রা)-এর সঙ্গে রয়েছি ৷ কেননা, (আমার দৃষ্টিতে)৩ তিনি বিষয়টির (াখলাফতের) আপনার চেয়ে
অগ্ৰাধিকইরী’ ৷ এ পত্র মুআবিয়া (রা) এর কাছে পৌছলে তিনি কায়সের ব্যাপারে নিরাশ হয়ে
গেলেন ৷ এবং পত্রের আদান প্রদান হতে বেরত ৱইলেন ৷

এ সময় কোন কোন শামবাসী এ গুজব ছড়িয়ে দিল যে, কায়স ইবন সা দ ইরাকীদের
সহযােগি৩ ৷র প্রতি উদ্বুদ্ধ করে শামবাসীদের সঙ্গে গোপনে পত্র যোগাযোগ করছে ৷ অপর দিকে
ইবন জারীরের বর্ণনা মতে কায়স এর নামে শ্মু আবিয়া (রা) এর হাতে বায় আত করার ৷ববরণ
সম্বলিত একটি বানােয়াট পত্র প্রকাশ লাভ করল ৷ মহান আল্লাহ্ই এর য়থার্থত৷ সম্পর্কে সম্যক
অবহিত২ ৷



১ মুআবিয়া ইবন আবুসুফইয়ান (রা) ও কায়স ইবন সাদ (রা)-এর পুরস্কারের প্রতি প্রেরিত পত্র-ভাষ্যের জন্য
দ্রষ্টব্য তাবারী, ৫খ, ২২৮-২২৯ এবং আল কামিল ৩খ ২৬৯-২৭০ ৷
২ তাবারীর বর্ণনা অনুসারে এ জালপত্রের ভাষ্য দ্ৰষ্টব্য তাবারী, ৫খ, ২৩০ পৃ


مَنْ تَزَوَّجَهَا - وَكَانَتْ قَبْلَهُ تَحْتَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَقُتِلَ عَنْهَا أَيْضًا، وَكَانَتْ قَبْلَ عُمَرَ تَحْتَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ فَقُتِلَ عَنْهَا - فَلَمَّا قُتِلَ الزُّبَيْرُ رَثَتْهُ بِقَصِيدَةٍ جَيِّدَةِ الشِّعْرِ مَحْكَمَةِ الْمَعْنَى، فَقَالَتْ: غَدَرَ ابْنُ جُرْمُوزٍ بِفَارِسِ بُهْمَةٍ ... يَوْمَ اللَّقَاءِ وَكَانَ غَيْرَ مُعَرِّدِ يَا عَمْرُو لَوْ نَبَّهْتَهُ لَوَجَدْتَهُ ... لَا طَائِشًا رَعِشَ الْجَنَانِ وَلَا الْيَدِ ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ أَنْ ظَفَرْتَ بِمِثْلِهِ ... مِمَّنْ بَقِي مِمَّنْ يَرُوحُ وَيَغْتَدِي كَمْ غَمْرَةٍ قَدْ خَاضَهَا لَمْ يَثْنِهِ ... عَنْهَا طِرَادُكَ يَا ابْنَ فَقْعِ الْقَرْدَدِ وَاللَّهِ رَبِّي إِنْ قَتَلْتَ لَمُسْلِمًا ... حَلَّتْ عَلَيْكَ عُقُوبَةُ الْمُتَعَمِّدِ وَلَمَّا قَتَلَهُ عَمْرُو بْنُ جُرْمُوزٍ احْتَزَّ رَأْسَهُ وَذَهَبَ بِهِ إِلَى عَلِيٍّ، وَرَأَى أَنَّ ذَلِكَ يَحْصُلُ لَهُ بِهِ حُظْوَةٌ عِنْدَهُ، فَاسْتَأْذَنَ فَقَالَ عَلِيٌّ: لَا تَأْذَنُوا لَهُ وَبَشِّرُوهُ بِالنَّارِ. وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّ عَلِيًّا قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «بِشِّرْ قَاتِلَ ابْنِ صَفِيَّةَ
পৃষ্ঠা - ৫৯৭৯


আলী (রা)-এর কাছে এ পত্রের সংবাদ পৌছালে তাির্নি কায়সের ব্যাপারে সন্দিহান হলেন
এবং তাকে যারবাতবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার আদেশ দিলেন, যারা আলী
(রা) এর অনুকুলে বায়আত করা হতে বিরত ছিল ৷

জবাবে কায়স যাববাভীর সং খ্যা অধিক হওয়ার কারণে এবং সমাজের অভিজাত শ্রেণী
হওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে অভিযানে অপারগতার কথা জ নিয়ে পত্র পাঠালেন ৷ তিনি
লিখলেন আপনি আমার (অ নুগণ্ডে ৷র) প্রতি সন্দিহান হওয়ার কারণে যদি আমাকে যাচাই করব
উদ্দেশ্যে আদেশ প ৷ঠিয়ে থাকেন৩ ৩বে মিসরে আপনার নায়িব রুপে অন্য কাউকে নিযুক্ত করে
পাঠাবেন, তখন আলী (রা) আশ্াতার নাখঈকে মিসরের প্রশাসক (গভর্নর) নিয়োগ করে
পাঠালেন ৷ আশতার মিসর অভিমুখে বওয়ানা করল ৷ কুলযুম বন্দরের কাছে পৌছলে আশতার
মধু দিয়ে তৈ শরবত পান করল এবং তাতেই তার মৃত্যু হয়ে গেল ৷ এ সংবাদ শামবাসীদের
কাছে পৌছলে তারা মন্তব্য করল, মহান আল্লাহর মধু-বাহিনীও আছে ৷

আলী (রা) এর কাছে আশ তারের মৃত্যু সংবাদ পৌছলে তিনি মুহাম্মদ ইবন আবু বকর
(রা) কে মিসরের আমার নিযুক্ত করে পাঠালেন ৷ (আশত তারের নিযুক্তি ও মৃত্যুর বর্ণনাটি প্রামাণ্য
নয়) অপর এক বর্ণনা মতে, যা অধিক প্রামাণ্য আলী (রা) কায়স ইবন সা দ (রা)-এর পরে
(প্রথমেই) মুহাম্মদ ইবন আবু বকর (রা) কে নিযুক্ত করে পাঠিয়েছিলেন ৷ কায়স মদীনায় ফিরে
গেলেন এবং সাহল ইবন হুনায়ফকে সঙ্গে নিয়ে আ ৷লী (রা) এর সঙ্গে সাক্ষাত করলেন ৷ করেন
তার অপাবকতার বিষয়টি ব্যক্ত করলে আলী (বা) তা গ্রহণ করলেন; পরে কায়স ও সাহ্ল
আলী (রা) এর সঙ্গে সিফফীন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন ৷ (পরবর্তী আলোচনা দ্রষ্টব্য)

ন্ পরবর্তী সময়ে সিফফীন যুদ্ধ পর্যন্ত মুহাম্মদ ইবন আবু বকর ভীতিকর প্ৰতিপত্তির সংগে
মিসরীয় অঞ্চলের শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিল ৷ সিফফীন যুদ্ধ সংঘটিত হলে এ ব ৎ
মিসরবাসীদের কাছে মুআবিয়া (রা) ও তার অনুগামী শামবাসীদের ইরাফীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে
অবতীর্ণ হওয়ার সং বাদ পৌছল ৷ বিবদমান পক্ষদ্বয় সমঝোতা ও আপোসবফার সিদ্ধান্তে
উপনীত ৩হওয়াব সংবাদ অিবগত হলে মিসরীয়রা মুহাম্মদ ইবন আবু বকরের ব্যাপারে আশাম্বিত
হলো এবং তার প্রকাশ্য শক্রতায অবতীর্ণ হওয়ার দুঃসাহস দেখাল ৷ (তার পার্শ্ববর্তী অবস্থার
বিবরণ আমরা পরে ৩পস্থাপনঃ করব ৷)

অড়ামুর ইবনুল আস (বা) এর বিষয়টি ছিল এই যে, তিনি উসমান (রা) এর খুনের
প্রতিশোধের দাবিতে একাত্মতা পোষণ করে মু আবিয়া (রা)-এর প্রতি আনুগত্যেব যায় তাতে
করেছিলেন ৷ ইতিপুর্বে ৰিদ্রোহীরা পবিত্র মদীনা অবরােধের উদ্দেশ্যে অগ্রগামী হলে আমর (বা)
পবিত্র মদীনা হতে বের হয়ে গিয়েছিলেন, যাতে তাকে উসমান (রা) এর হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী না
হতে হয় ৷ এছাড়া উসমান (রা) কর্তৃক তাকে মিসরের শাসন ক্ষমতা হতে অব্যাহতি প্রদান করে
তার স্থলে আবদুল্লাহ ইবন সাদ ইবন আবু সারাহ্কে নিযুক্ত করার কারণে তিনি খলীফার প্রতি
ক্ষুব্ধ ছিলেন ৷ এই ক্ষোভ নিয়ে পবিত্র মাদীনা থেকে বের হয়ে গেলেন এবং জর্দানের নিকটবর্তী
একটি স্থানে অব৩ রণ করলেন ৷ উসমান (বা) শহীদ হওয়ার পর অড়ামুর (রা) মুআবিয়া

(রা)-এর কাছে চলে গেলেন এবৎত ৷র ৷প্রতি অ ৷নুগত্যের যায় তাতে করলেন (যেমন পুবে বর্ণি৩
হয়েছে) ৷


بِالنَّارِ» . وَدَخَلَ ابْنُ جُرْمُوزٍ وَمَعَهُ سَيْفُ الزُّبَيْرِ، فَقَالَ عَلِيٌّ: إِنَّ هَذَا السَّيْفَ طَالَمَا فَرَّجَ الْكَرْبَ عَنْ وَجْهِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَيُقَالُ: إِنَّ عَمْرَو بْنَ جُرْمُوزٍ لَمَّا سَمِعَ ذَلِكَ قَتَلَ نَفْسَهُ. وَقِيلَ: بَلْ عَاشَ إِلَى أَنْ تَأَمَّرَ مُصْعَبُ بْنُ الزُّبَيْرِ عَلَى الْعِرَاقِ، فَاخْتَفَى مِنْهُ، فَقِيلَ لِمُصَعَبٍ: إِنَّ عَمْرَو بْنَ جُرْمُوزٍ هَاهُنَا وَهُوَ مُخْتَفٍ، فَهَلْ لَكَ فِيهِ؟ فَقَالَ: مُرُوهُ فَلْيَظْهَرْ فَهُوَ آمِنٌ، وَاللَّهِ مَا كُنْتُ لِأُقِيدَ لِلزُّبَيْرِ مِنْهُ فَهُوَ أَحْقَرُ مِنْ أَنْ أَجْعَلَهُ عِدْلًا لِلزُّبَيْرِ. وَقَدْ كَانَ الزُّبَيْرُ ذَا مَالٍ جَزِيلٍ وَصَدَقَاتٍ دَارَّةٍ كَثِيرَةٍ جِدًّا، وَلَمَّا كَانَ يَوْمُ الْجَمَلِ أَوْصَى إِلَى ابْنِهِ عَبْدِ اللَّهِ، فَلَمَّا قُتِلَ وَجَدُوا عَلَيْهِ مِنَ الدَّيْنِ أَلْفَيْ أَلْفٍ وَمِائَتَيْ أَلْفٍ فَوَفَّوْهَا عَنْهُ، وَأَخْرَجُوا بَعْدَ ذَلِكَ ثُلُثَ مَالِهِ الَّذِي كَانَ أَوْصَى بِهِ، ثُمَّ قُسِمَتِ التَّرِكَةُ بَعْدَ ذَلِكَ، فَأَصَابَ كُلَّ وَاحِدَةٍ مِنْ زَوْجَاتِهِ - وَكُنَّ أَرْبَعًا - مِنْ رُبُعِ الثُّمُنِ، أَلْفُ أَلْفٍ وَمِائَتَا أَلْفِ دِرْهَمٍ ; فَعَلَى هَذَا يَكُونُ مَجْمُوعُ مَا قُسِمَ بَيْنَ الْوَرَثَةِ ثَمَانِيَةً وَثَلَاثِينَ أَلْفَ أَلْفٍ وَأَرْبَعَمِائَةِ أَلْفٍ، وَالثُّلُثُ الْمُوصَى بِهِ تِسْعَةَ عَشَرَ أَلْفَ أَلْفٍ وَمِائَتَيْ أَلْفٍ، فَالْجُمْلَةُ سَبْعَةٌ وَخَمْسُونَ أَلْفَ أَلْفٍ وَسِتُّمِائَةِ أَلْفٍ، وَالدَّيْنُ الْمُخْرَجُ قَبْلَ ذَلِكَ أَلْفَا أَلْفٍ وَمِائَتَا أَلْفٍ، فَعَلَى هَذَا يَكُونُ جَمِيعُ مَا تَرَكَهُ مِنَ الدَّيْنِ وَالْوَصِيَّةِ وَالْمِيرَاثِ تِسْعَةً وَخَمْسِينَ أَلْفَ أَلْفٍ وَثَمَانِمِائَةِ أَلْفٍ، وَإِنَّمَا نَبَّهْنَا عَلَى هَذَا ; لِأَنَّهُ وَقَعَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مَا فِيهِ نَظَرٌ يَنْبَغِي أَنْ يُنَبَّهَ لَهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ جَمَعَ مَالَهُ هَذَا بَعْدَ الصَّدَقَاتِ الْكَثِيرَةِ، وَالْمَآثِرِ الْوَثِيرَةِ، مِنَ الْحَلَالِ، مِمَّا أَفَاءَ اللَّهُ
পৃষ্ঠা - ৫৯৮০


পরিচ্ছেদ
ইরাকৰাসী ও শামবাসীদের মধ্যে সংঘটিত সিফফীনের যুদ্ধ

ইসমাঈল ইবন উল্যয়্যা-অইিয়ুব-মুহন্মোদ ইবন সীরীন সুত্র পরষ্পরায় বর্ণিত ইমামৃণ্
আহমাদ-এর রিওয়ায়াত পুর্বে উল্লিখিত হয়েছে, যাতে তিনি বলেছেন; ফিতন৷ বিস্তার লাভ
করল, তখন রাসুলুল্লাহ্মোঃএব সাহাবীগণের সংখ্যা ছিল দশবিশ হাজার ৷ এ ফিতনায় তড়াদের
একশ জনও উপস্থিত ছিলেন না বরং উপস্থিতিদের সংখ্যা ত্রিশ পর্যন্ত ও পৌছেছিল না ৷” ইমাম
আহমাদ আরও বলেছেন, উমায়্যা ইবন খুলুদ বর্ণনা করেছেন যে, তিনি শুবাকে বললেন, আবু
শায়বা হাকাম সুত্রে আবদুর রহমান ইবন আবু লায়লা হতে বর্ণনা করেছেন যে, “সত্তবজন বদরী
সাহাবী সিফ্ফীন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন ৷

ও বা বললেন, আবু শায়বা অসত্য বলেছেন ৷ আল্লাহর কসম! আমরা এ বিষয়ে হাকামের
সংগে আলোচনা করেছি ৷ তাতে আমরা বদরীদের মধ্যে শুধু খুযায়মা ইবন ছাবিত (রা) ব্যতীত
আর কারো সিফ্ফীন অংশগ্রহণের তথ্য ব্যক্ত করতে দেখিনি ৷ কেউ কেউ বলেছেন, অন্যতম
বদরী সাহাবী সাহ্ল ইবন হুনায়ফ (রা)ও সিফফীনে উপস্থিত ছিলেন ৷ তদ্র্যপ আবু আইয়ুব
আনসারী (রা) ৷ এ বর্ণনা দিয়েছেন আমাদের শায়খ ইবন তায়মিয়া (র) তার আররাদ্দু আলার
রাফিযা (ধ্; ৷ , ৷ া;া,া) কিভাবে ৷ ইবন বাত্তা তার সনদে যুবায়র ইবনুল আশাজু
(বা) হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন, জেনে রাখ, উসমান (রা)-এর হত্যার পর বদরী
সাহাবীপণ র্তাদের গৃহ-অভন্তেরকে আকড়ে থাকেন এবং তারা শুধু কবরের উদ্দেশ্যেই গৃহত্যাপ
করেছেন ৷

অপরদিকে আলী ইবন আবু৩ তালিব রাযিয়াল্লাহু আনহু জামাল যুদ্ধ পরিসমাপ্তির পর বসরায়
প্রবেশ করলেন এবং উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা) পবিত্র মক্কার প্ৰত্যাবর্তনের ইচ্ছা করলে
র্তাকে সসম্মানে বিদায় জ্ঞাপন করলেন, এপর তিনি কুফার উদ্দেশ্যে বসরা ত্যাগ করলেন ৷
আবদুর রহমান ইবন উবায়দ হতে আবুল কানুদ-এর বর্ণনায় আছে, ছত্রিশ হিজরী সনের রজব
মাসের বার তারিখে আলী (রা) কুফায় প্রবেশ করলেন ৷ লোকেরা তাকে কসরে আবইয়াযে
(শ্বেত ভবনহোয়াইট হাউস) অবস্থান গ্রহণের আবেদন করলেও তিনি বললেন, না, উমর ইবনুল
খাত্তাব (রা) সেখানে অবস্থান করা পছন্দ করতেন না, এ কারণে আমিও সেখানে অবস্থান করা
পছন্দ করি না ৷

তিনি রাহবায় অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিলেন এবং কেদ্রীয় মসজিদে (জ্যমিআজামে) দুই
রাকআত সালাত আদায়ের পর ভাষণ দিলেন ৷ ভাষণে তিনি কল্যাণ ও তাল কাজে উদ্বুদ্ধ
করলেন এবং মন্দ কাজ হতে নিষেধ করলেন ৷ এ ভাষণে তিনি কুফাবাসীদের প্রশংসা করলেন ৷
পরে তিনি জারীর ইবন আবদুল্লাহ (রা) ও আশা আছ ইবন কায়স (রা)-এর কাছে তাদের
শাসনাধীন অঞ্চলের জনতার ৰায়আত গ্রহণ করে তার কাছে আমার জন্য পত্রাদেশ পাঠালেন ৷
-জারীর উসমান (রা)এর সময়কাল হতে হামাদানের শাসনকর্তা ছিলেন এবং আশআছ ও



১ ৰিদায়ার মুল প্রস্থ, মুরুজুবৃ যাহাব ও আল আযাৰারুৎ তিওয়ালে ১২ রজব বলা হয়েছে ৷ ফুতুহু ইবনিল
আহাম ২৩৪ ৭-এ ১৬ রজব বলা হয়েছে ৷


عَلَيْهِ مِنَ الْجِهَادِ، وَمِنْ خُمُسِ الْخُمُسِ مِمَّا يَخْتَصُّ بِهِ مِنْهُ، وَمِنَ التِّجَارَةِ الْمَبْرُورَةِ. وَقَدْ قِيلَ: إِنَّهُ كَانَ لَهُ أَلْفُ مَمْلُوكٍ يُؤَدُّونَ إِلَيْهِ الْخَرَاجَ، فَرُبَّمَا تَصَدَّقَ فِي بَعْضِ الْأَيَّامِ بِخَرَاجِهِمْ كُلِّهِمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ. وَكَانَ قَتْلُهُ يَوْمَ الْخَمِيسَ لِعَشَرٍ خَلَوْنَ مِنْ جُمَادَى الْآخِرَةِ سَنَةَ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ، وَقَدْ نَيَّفَ عَلَى السِّتِّينَ سَنَةً بِسِتٍّ أَوْ سَبْعٍ، وَكَانَ أَسْمَرَ رَبْعَةً مِنَ الرِّجَالِ، مُعْتَدِلَ اللَّحْمِ خَفِيفَ اللِّحْيَةِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ أَعْنِي سَنَةَ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ، وَلَّى عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ نِيَابَةَ الدِّيَارِ الْمِصْرِيَّةِ لِقَيْسِ بْنِ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، وَكَانَ عَلَى نِيَابَتِهَا فِي أَيَّامِ عُثْمَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ، فَلَمَّا تَوَجَّهَ أُولَئِكَ الْأَحْزَابُ مِنْ خَوَارِجِ الْمِصْرِيِّينَ إِلَى عُثْمَانَ لِيَقْتُلُوهُ وَكَانَ الَّذِي جَهَّزَهُمْ إِلَيْهِ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَبَأٍ - الْمَعْرُوفُ بِابْنِ السَّوْدَاءِ - مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي حُذَيْفَةَ بْنِ عُتْبَةَ، وَكَانَ لَمَّا قُتِلَ أَبُوهُ بِالْيَمَامَةِ قَدْ أَوْصَى بِهِ إِلَى عُثْمَانَ، فَكَفَلَهُ وَرَبَّاهُ فِي حِجْرِهِ وَمَنْزِلِهِ، وَأَحْسَنَ إِلَيْهِ إِحْسَانًا كَثِيرًا، وَنَشَأَ فِي عِبَادَةٍ وَزَهَادَةٍ، وَسَأَلَ مِنْ عُثْمَانَ أَنْ يُوَلِّيَهُ عَمَلًا، فَقَالَ لَهُ: مَتَى مَا صِرْتَ أَهْلًا لِذَلِكَ وَلَّيْتُكَ. فَتَعَتَّبَ فِي نَفْسِهِ عَلَى عُثْمَانَ، فَسَأَلَ مِنْ عُثْمَانَ أَنْ يَخْرُجَ إِلَى الْغَزْوِ فَأَذِنَ لَهُ، فَقَصَدَ الدِّيَارَ الْمِصْرِيَّةَ وَحَضَرَ مَعَ أَمِيرِهَا عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ غَزْوَةَ الصَّوَارِي، كَمَا قَدَّمْنَا. وَشَرَعَ يَنْتَقِصُ عُثْمَانَ،
পৃষ্ঠা - ৫৯৮১
رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَسَاعَدَهُ عَلَى ذَلِكَ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، فَكَتَبَ بِذَلِكَ ابْنُ أَبِي سَرْحٍ إِلَى عُثْمَانَ يَشْكُوهُمَا إِلَيْهِ، فَلَمْ يَعْبَأْ بِهِمَا عُثْمَانُ شَيْئًا، وَلَمْ يَزَلْ ذَلِكَ دَأْبُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي حُذَيْفَةَ حَتَّى اسْتَنْفَرَ أُولَئِكَ إِلَى عُثْمَانَ، فَلَمَّا بَلَغَهُ أَنَّهُمْ قَدْ حَصَرُوا عُثْمَانَ، تَغَلَّبَ عَلَى الدِّيَارِ الْمِصْرِيَّةِ، وَأَخْرَجَ مِنْهَا ابْنَ أَبِي سَرْحٍ، وَصَلَّى بِالنَّاسِ فِيهَا، فَلَمَّا كَانَ ابْنُ أَبِي سَرْحٍ بِبَعْضِ الطَّرِيقِ جَاءَهُ الْخَبَرُ بِقَتْلِ عُثْمَانَ، فَقَالَ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. وَبَلَغَهُ أَنَّ عَلِيًّا قَدْ بَعَثَ عَلَى إِمْرَةِ مِصْرَ قَيْسَ بْنَ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، فَشَمِتَ بِمُحَمَّدِ بْنِ أَبِي حُذَيْفَةَ إِذْ لَمْ يُمَتَّعْ بِمُلْكِ الدِّيَارِ الْمِصْرِيَّةِ سَنَةً. وَسَارَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ إِلَى الشَّامِ إِلَى مُعَاوِيَةَ، فَأَخْبَرَهُ بِمَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِ بِدِيَارِ مِصْرَ، وَأَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي حُذَيْفَةَ قَدِ اسْتَحْوَذَ عَلَيْهَا، فَسَارَ مُعَاوِيَةُ وَعَمْرُو بْنُ الْعَاصِ إِلَيْهِ لِيُخْرِجَاهُ مِنْهَا ; لِأَنَّهُ مِنْ أَكْبَرِ الْأَعْوَانِ عَلَى قَتْلِ عُثْمَانَ، مَعَ أَنَّهُ كَانَ قَدْ رَبَّاهُ وَكَفَلَهُ وَأَحْسَنَ إِلَيْهِ، فَعَالَجَا دُخُولَ مِصْرَ فَلَمْ يَقْدِرَا، فَلَمْ يَزَالَا يَخْدَعَانِهِ حَتَّى خَرَجَ إِلَى الْعَرِيشِ فِي أَلْفِ رَجُلٍ فَتَحَصَّنَ بِهَا، وَجَاءَهُ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ فَنَصَبَ عَلَيْهِ الْمَنْجَنِيقَ حَتَّى نَزَلَ فِي ثَلَاثِينَ مِنْ أَصْحَابِهِ فَقُتِلُوا. ذَكَرَهُ مُحَمَّدُ بْنُ جَرِيرٍ ثُمَّ سَارَ إِلَى مِصْرَ قَيْسُ بْنُ سَعْدٍ بِوِلَايَةٍ مِنْ عَلِيٍّ، فَدَخَلَهَا فِي سَبْعَةِ نَفَرٍ،
পৃষ্ঠা - ৫৯৮২


§

উসমান (রা)-এর সময়কাল হতে আযারবাইজ্যানর শাসনকর্তা ছিলেন ৷ তারা এ আদেশ
প্রতিপালনকরলে ন ৷
পরে আলী (রা) ত র প্ৰতি আনুগঅের বায় আতের আ হ্বান জানিয়ে মু আৰিযা (রা) এর
কাছে পত্র পাঠাবাৱ ইচ্ছা করলে জারীর ইবন আব্দুল্লাহ (রা) বললেন, আমীরম্স মু মিনীন, তার
কাছে আমাকে যেতে দিন! কেননা, তার সংগে আমার হৃদ্যতার সম্পর্ক রয়েছে ৷ কাজেই আমি
আপনার অনুকুলে তার বায়আত হাসিল করার আশা রাখি ৷ ’ আশতার বলল ৷ হে আমীরুল
মু’মিনীন ! তাকে পাঠাবেন না ! আমার আশংকা হয় যে, সে তার (মুআবিয়া) পক্ষ অবলম্বন
করবে ৷ আলী (রা) বললেন, তাকেই যেতে দাও ৷
এভাবে আলী (রা) তাকে পাঠিয়ে দিলেন এবং তার হাতে ঘুআবিয়া (রা)-এর কাছে একটি
পত্র লিখে পাঠালেন ৷ পত্রে তিনি তাকে মুহাজির ও আনসারদের তার বায়আতে সমবেত
হওয়ার কথা অবহিত করলেন এবং জামাল যুদ্ধের আদ্যোপান্ত অবহিত করলেন ৷ তিনি
মুআবিয়া (রা) লোকদের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করে তার রায় আতের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার
আহ্বান জানালেন ৷ ১
জারীর ইবন আবদুল্লাহ্ (রা) মুআবিয়া (রা)-এর কাছে পৌছে পত্রটি তার হাতে সমর্পণ
করলেন ৷ মৃআবিয়া (রা) আমর ইবনুল আস (রা) ও শামের নেতৃস্থানীয়দের উপস্থিত করে
তাদের কাছে এ বিষয়ে পরামর্শ চাইলেন ৷৩ তারা উসমান হত্যাকারীদের হত্যা করা অথবা
তাদের শাম কতৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া ব্যভীত বায় আত করার ব্যাপারে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন
করল ৷ অন্যথায় তারা আলী (রাণ্এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা এবং উসমান হত্যাকারীদের হত্যা না
করা পর্যন্ত আলী (রা) এর হাতে রায় আত না করার সিদ্ধান্ত নিল ৷ জারীর (রা) আলী
(রা)-এর কাছে ফিরে এসে তাকে প্রতিপক্ষের ব;ক্তব্য অবহিত করলেন ৷
এ সময় আশতার বলল, হে আমীরুল মুমিনীন ৷ আমি কি জারীর (রা)-কে পাঠাবাৱ
ব্যাপারে আপনাকে নিষেধ করেছিলাম না ? আপনি আমাকে পাঠালে মুআবিয়া (বা) যে কোন
র্ফাক ফৌবহ্ব বের করলে আমি তা রুদ্ধ করে দিতাম৷ জরুির (বা) বললেন, তুমি সেখানে
গেলে তাে তারা উসমান (রা)-এব্র রক্তের বদলে তোমাকে ক্যু করেই ফেলত ৷ আশতার বলল,
আল্লাহ্র কসম আপনি আমাকে পা ঠ্যলে মুআবিয়া (রা)-এর সঙ্গে সওয়ালজ্রওয়াব আমাকে
পরিশ্রান্ত করত না এবং আমি তাকে চিন্তা-ভাবনা করার ব্যাপারে ব্যস্ত করে দিতাম ৷ ইতিপুর্বে
আমার কথা শুনলে (আলী রা) তোমাকে ও তোমার মত অন্য লোকগুলিকে বন্দী করে ফেলতেন
এবং তাতে এ উম্মতের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসে যেত ৷ এসব কথায় জারীর (রা) রাগ্যষিত হয়ে
উঠে চলে গেলেন এবং কফ্লেকীসিয়ায় অবস্থান করতে লাপলেন ৷ তিনি পত্র পাঠিয়ে মুআবিয়া
(রা) তার ও আশতারের মধ্যকার কথাবার্তা সম্পর্কে অবহিত করলেন ৷ মু ন্সাৰিয়া (রা) জারীর
(রা) কে তার কাছে চলে যাওয়ার জন্য পত্র লিখবেন ৷



১ ফুতুহ ইবনিল আছাম ২৩৫২-এর বর্ণনায় মুআবিয়া (রা)-এর বরাবরে একটি পত্র লিখে তা হাজ্জাজ ইৰ্ন
আমৃর ইবন পাযিয়্যা আনসায়ীর হাতে পাঠিয়েছিক্রো ৷ এটা ছিল মুআবিয়া থুৰা)-এর কাছে জাৰীর ইবন
আবদুল্লাহ্ (রা)ষ্কে পাঠাবাৱ পুর্বের ঘটনা ৷ জ্বারীর (রা)-এর মাধ্যমে প্রেরিত পত্রের জন্য দেখুন আল
আখবারুৎ তিওয়ান ১৫৭ পৃ; ফুতুহু ইবনুল আছাম্ ২য়; ৩৭৪ পৃ)

আল-ৰিদায়া ৫৮


فَرَقِيَ الْمِنْبَرَ وَقَرَأَ عَلَيْهِمْ كِتَابَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ فِيهِ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ عَلِيٍّ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ إِلَى مَنْ بَلَغَهُ كِتَابِي هَذَا مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ، سَلَامٌ عَلَيْكُمْ، فَإِنِّي أَحْمَدُ اللَّهَ إِلَيْكُمْ كَثِيرًا الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ اللَّهَ بِحُسْنِ صَنِيعِهِ وَتَقْدِيرِهِ وَتَدْبِيرِهِ اخْتَارَ الْإِسْلَامَ دِينًا لِنَفْسِهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَرُسُلِهِ، وَبَعَثَ بِهِ الرُّسُلَ إِلَى عِبَادِهِ، وَخَصَّ بِهِ مَنِ انْتَخَبَ مِنْ خَلْقِهِ، فَكَانَ مِمَّا أَكْرَمَ اللَّهُ بِهِ هَذِهِ الْأُمَّةَ وَخَصَّهُمْ بِهِ مِنَ الْفَضِيلَةِ أَنْ بَعَثَ مُحَمَّدًا، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَالْفَرَائِضَ وَالسَّنَةَ ; لِكَيْمَا يَهْتَدُوا، وَجَمَعَهُمْ لِكَيْلَا يَتَفَرَّقُوا، وَزَكَّاهُمْ لِكَيْ يَتَطَهَّرُوا، وَوَفَّقَهُمْ لِكَيْلَا يَجُورُوا، فَلَمَّا قَضَى مِنْ ذَلِكَ مَا عَلَيْهِ قَبَضَهُ اللَّهُ إِلَيْهِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ وَبَرَكَاتُهُ وَرَحْمَتُهُ، ثُمَّ إِنَّ الْمُسْلِمِينَ اسْتَخْلَفُوا بَعْدَهُ أَمِيرَيْنِ صَالِحَيْنِ، عَمِلَا بِالْكِتَابِ، وَأَحْسَنَا السِّيرَةَ وَلَمْ يَعْدُوَا السُّنَّةَ، ثُمَّ تَوَفَّاهُمَا اللَّهُ تَعَالَى، فَرَحِمَهُمَا اللَّهُ، ثُمَّ وَلَّى بَعْدَهُمَا وَالٍ أَحْدَثَ أَحْدَاثًا، فَوَجَدَتِ الْأُمَّةُ عَلَيْهِ مَقَالًا فَقَالُوا، ثُمَّ نَقَمُوا عَلَيْهِ فَغَيَّرُوا، ثُمَّ جَاءُونِي فَبَايَعُونِي، فَأَسْتَهْدِي اللَّهَ بِهُدَاهُ، وَأَسْتَعِينُهُ عَلَى التَّقْوَى، أَلَا وَإِنَّ لَكُمْ عَلَيْنَا الْعَمَلَ بِكِتَابِ اللَّهِ وَسُنَّةِ رَسُولِ اللَّهِ، وَالْقِيَامَ عَلَيْكُمْ بِحَقِّهِ، وَالنُّصْحَ لَكُمْ بِالْغَيْبِ - وَاللَّهُ الْمُسْتَعَانُ وَحَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ - وَقَدْ بَعَثْتُ إِلَيْكُمْ قَيْسَ بْنَ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، فَوَازِرُوهُ وَكَانِفُوهُ وَأَعِينُوهُ عَلَى الْحَقِّ، وَقَدْ أَمَرْتُهُ
পৃষ্ঠা - ৫৯৮৩


পরে আমীরুল ঘু’মিনীন আলী (বা) শামে পমনের উদ্দেশ্যে কুফা হতে প্রস্থান করলেন এবং
নুযায়লা নামক স্থানে সেনা সমাবেশ করতে লাগলেনঃ ৷ কুফায়৩ তিনি আবু মাসউদ উক্বা ইবন
আমির বদরী আনসারী (রা) কে তার স্থলাভিষিক্ত নিয়োগ করলেন ৷ এ সময় একদল তাকে
নিজে কুফায় অবস্থা ন করে শামের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী পাঠাবা ড়ার পরামর্শ দিয়েছিল এবং অপর
দল স্বয়ং র্তাকেই সেনাবাহিনী নিয়ে কুফা৩ ত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছিল ৷

মুআবিয়া (রা) এর কাছে আলী (রা) নিজেই বাহিনী নিয়ে বেরিয়ে পড়ার সং বাদ
£পাছাল ; তিনি আমব্ল ইৰনুল আস (রা)-এর কাছে এ বিষয়ে পরামর্শ জিজ্ঞেস করলেন ৷
আমর (বা) বললেন, আপনিও নিজেই বেরিয়ে পড়ুন ৷ তখন আমর (বা) জনতার সামনে
ভাষণ দিলেন ৷ ভাষণে তিনি বললেন, জামাল যুদ্ধে কুফা ও বসরার নেতৃস্থানীয় ল্যেকগুলাে
নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে ৷ আলীর সঙ্গে মাত্র গুটিকতক ল্যেকই রয়েছে যারা ইতিপুর্বে
খলীফা ও আমীরুল মুমিনীন উসমান ইবন আফ্ফান (রা)-কে শহীদ করেছেন ৷ কাজেই
সাবধান! ভোমাদের সত্য ও হক নষ্ট করার ব্যাপারে আল্লাহ্কে ভয় কর ৷ এবং তোমাদের
রক্তের দাবি পরিত্যাগ করার ব্যাপারে মহান আল্লাহ্কে ভয় কর ৷ অপরদিকে শামের
সেনাবাহিনীর কাছে পত্রাদেশ পাঠানো হলে৩ তারা উপস্থিত হলো ৷ সেনানায়কদের ছোট-বড়
পতাকা প্রদান করা হলো ৷ এভাবে শামবাসীরাও সার্বিক প্রস্তুতি ৩গ্রহণ করে ফেরােতের পথে
সিফ্ফীন অভিমুখে রওয়ানা করল ৷ যে দিক থেকে আলী ইবন আবু তালিব (বা) এগিয়ে
আসছিলেন ৷

আলী (রা)ও সমবেত বাহিনী য়ে শামেব উদ্দেশ্যে নুযায়লা ত্যাগ করলেন ৷ হাকাম ইবন
উইয়ায়ন৷ হ তে আবু ইসরাঈল বর্গা৷ করেছেন, “আলী (রা)এর বাহিনীতে আশিজন বদরী
সাহাবী এবং (হুদায়বিয়ার) বৃক্ষছায়ায় বার আত গ্রহণীকারী একশত পঞ্চাশ জন সড়াহাবী
ছিলেন ৷ ১ এ বিবরণ ইবন দযীদ (া ব্লু;)-এর বর্ণিত ৷

আলী (বা) তার পরিভ্রমণ পথে জনৈক রাহিবের সাক্ষাত লাভ করলেন ৷ রাহিব প্রসঙ্গে

হুসায়ন ইবন দীযীল তার কি৩াবে ইয়াহইয়৷ ইবন আবদুল্লাহ কারাদীসী নাসৃর ইবন

মুযাহিম আঘৃর ইবন সা ম ঘুসলিম আ ওয়া র হাববা আলু উরানী সুত্র পদ্বুাম্পরায় উদ্ধৃত
করেছেন ৷ হাব্বা উরানী বলেন, আলী (রা) রাক্কায় (আর রাশীদে) উপনীত হয়ে ফোরাত
তীরবর্তী বালবাখ নামক স্থানে তাবু স্থাপন করলেন ৷ এ সময় জনৈক রাহিব তার ইবড়াদতখানা
থেকে বেরিয়ে আলী (রা) এর কাছে আগমন করলেন ৷ রাহিব আলী (রা) কে বললেন,
আমাদের কাছে একখানা কিতাব আছে যা পুরুষানুত্রুমে আমাদের হাতে পৌছেছে ৷ যা ঈসা
ইবন মড়ারইয়ড়াম (আলাইহিমাস সালাম) এর সাহাবীগণ লিখেছিলেন আমি কি তবে আপনাকে
পড়ে শোনার ? “আলী (বা) বললেন, ছুা৷ ৷ তখন রাহিব সে কিতাব (লিখনী) পড়ে পােনাল-
(পত্র ভাষা)

াৰু ১ন্হ্রএ




بِالْإِحْسَانِ إِلَى مُحْسِنِكُمْ، وَالشِّدَّةِ عَلَى مُرِيبِكُمْ، وَالرِّفْقِ بِعَوَامِّكُمْ وَخَوَاصِّكُمْ، وَهُوَ مِمَّنْ أَرْضَى هَدْيَهُ وَأَرْجُو صَلَاحَهُ وَنَصِيحَتَهُ، أَسْأَلُ اللَّهَ لَنَا وَلَكُمْ عَمَلَا زَاكِيًا، وَثَوَابًا جَزِيلًا، وَرَحْمَةً وَاسِعَةً، وَالسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ. وَكَتَبَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي رَافِعٍ فِي صَفَرٍ سَنَةَ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ. قَالَ: ثُمَّ قَامَ قَيْسُ بْنُ سَعْدٍ فَخَطَبَ النَّاسَ وَدَعَاهُمْ إِلَى الْبَيْعَةِ لِعَلِيٍّ، فَقَامَ النَّاسُ فَبَايَعُوهُ، وَاسْتَقَامَتْ لَهُ طَاعَةُ بِلَادِ مِصْرَ سِوَى قَرْيَةٍ مِنْهَا يُقَالُ لَهَا: خِرِبْتَا. فِيهَا أُنَاسٌ قَدْ أَعْظَمُوا قَتْلَ عُثْمَانَ، وَكَانُوا سَادَةَ النَّاسِ وَوُجُوهَهُمْ، وَكَانُوا فِي نَحْوٍ مِنْ عَشْرَةِ آلَافٍ - مِنْهُمْ بُسْرُ بْنُ أَبِي أَرْطَاةَ، وَمَسْلَمَةُ بْنُ مُخَلَّدٍ، وَمُعَاوِيَةُ بْنُ حُدَيْجٍ، وَجَمَاعَةٌ مِنَ الْأَكَابِرِ - وَعَلَيْهِمْ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: يَزِيدُ بْنُ الْحَارِثِ الْمُدْلَجِيُّ. وَبَعَثُوا إِلَى قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ فَوَادَعَهُمْ، وَكَذَلِكَ مَسْلَمَةُ بْنُ مُخَلَّدٍ الْأَنْصَارِيُّ تَأَخَّرَ عَنِ الْبَيْعَةِ فَتَرَكَهُ قَيْسٌ وَوَادَعَهُ. ثُمَّ كَتَبَ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ بَعْدَ أَنِ اسْتَوْثَقَ لَهُ أَمْرُ الشَّامِ بِحَذَافِيرِهِ إِلَى أَقْصَى بِلَادِ الرُّومِ وَالسَّوَاحِلِ - وَجَزِيرَةُ قُبْرُسَ أَيْضًا تَحْتَ
পৃষ্ঠা - ৫৯৮৪





র্সএ ,প্রুষ্ ৷ ¢,¢ ৷ ,
ব্রাহ্রৰু
বিসমিল্লাহির, রাহমানির রাহীম ৷ রহমান রহীম আল্লাহর নামে, যিনি তার সিদ্ধান্তপত্রে এ
সিদ্ধ ৷ন্ত দিয়েছেন, তার লিখনীভে লিখেছেন এবং তার ফরমানপত্রে লিপিবদ্ধ করেছেন যে, তিনি
উস্বী (নিরক্ষর) দের মধো তাদেরই মধ্য হতে তএকজন রাসুল পাঠাবেন যিনি তাদের কিতাবও
হিকমতের তা লীম দিবেন, তাদের পরিশুদ্ধ করবেন এবং তাদের আল্লাহর পথের দিক নির্দেশনা
প্রদান করবেন ৷ তিনি কর্কশভাষী হবেন না, রুঢ় স্বভ্যবী হবেন না ৷ হাটে-বাজারে হৈ চৈকারী
হবেন না, এবং মন্দেব প্রতিদান মন্দ দিয়ে দিবেন না ৷ বরৎ ক্ষমা করবেন, মাক্তনাি করবেন ৷
তার উষ্মত হবে অধিক হড়ামদ-প্রশৎসাকারী, তারা প্রতিটি চড়াই-উৎরাইয়ে এবং উর্ধারোহ ণ
ও নিম্নগমনে আল্লাহর প্রশংসা করবে ৷ তাদের জিহ্বা অবনমিত (সিক্ত) থাকবে না ইলাহা
ইল্লাল্লাহ ও আল্লাহ আকবার ধ্বনিতে ,যে কেউ তার বিরুদ্ধাচরণ করবে তার বিরুদ্ধে আল্লাহ
তাকে সাহায্য করবেন ৷ আল্লাহ্ তাকে ওফাত দিলে তার উম্মত মতৰিরোধে লিপ্ত হবে ৷ পরে
তারা একতাবদ্ধ হয়ে যতদিন আল্লাহর ইচ্ছা যে অবস্থায় থাকবে ৷ পরে আবার তারা মতৰিরোরুধ্
লিপ্ত হবে ৷ পরে তার উম্মা৩ তর একজন লোক এ ফোরাত নদীর তীর দিয়ে পথ অতিক্রম
করবেন, যিনি ন্যায়ের আদেশ করবেন, এবং অন্যায়ে নিষেধ করবেন, সতাণ্ন্যায়ের ফয়সালা
দিবেন, বিধানকে অবপতিত-অবদমিত করবেন না ৷ দুনিয়া তার কাছে প্রচণ্ড ঝড়াে হাওয়ার
দিনের ছাইয়ের চেয়েষ্ অথবা বর্গনাম্ভরে মাটির চেয়ে তৃচ্ছ হবে ৷ মৃত্যু তার কাছে পানি পান
করার চেয়ে সহজতর হবে ৷ তিনি গোপনে আল্লাহ্কে ভয় করবেন, প্রকাশ্যে কল্যাণ-কামনা
করবেন, আল্লাহর ব্যাপারে কোন সমালােচনাকারীর সমালোচনাকে ভয় করবেন না ৷
জনপদসমুহের বাসিন্দাদের যে কেউ সে নবীকে পেয়ে৩ তার প্ৰতি ঈমান আনবে তার নওয়াব

হবে আমার সন্তুষ্টি ও জান্নাত ৷ আর যে ব্যক্তি সে পুণ্যবান বান্দাকেপারেসে য়েনভ্যকেন্সাহয্যেপ্ন্ন্ ’

করে ৷ কেননা, তার সংগে নিহত হওয়া হবে শাহাদতের মর্যাদা ৷”

অতঃপর রাহিব আলী (না)-কে বললেন, “কাজেই আমি আপনার সঙ্গেই থাকর এবং
কখনও বিচ্ছিন্ন হব না যাতে আপনার যে পরিণতি ৩হবে আমারও সে পরিণতি ৩হয় ৷” তখন
আলী (রা) কাদলেন এবং বললেন, “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র যিনি আমাকে তার কাছে বিস্মৃত
করে রাখেন নি এবং তার পুণ্যবা নদের কিভাবে আমাকে উল্লেখ করেছেন ৷ পরে রাহিব ইসলাম
গ্রহণ করে আলী (রা) এর সঙ্গে চলতে লাগল ৷ এরপর হতে যে আলী (রা) এর সঙ্গে ছিল
এবং সিফ্ফীন যুদ্ধে শাহাদাতবরণ করেছিল ৷


حُكْمِهِ يَأْتِيِهِ حِمْلُهَا - وَبَعْضِ بِلَادِ الْجَزِيرَةِ ; كَالرُّهَا وَحَرَّانَ وَقَرْقِيسِيَاءَ وَغَيْرِهَا، وَقَدْ أَتَاهُ الَّذِينَ هَرَبُوا يَوْمَ الْجَمَلِ مِنَ الْعُثْمَانِيَّةِ، وَقَدْ أَرَادَ الْأَشْتَرُ انْتِزَاعَ هَذِهِ الْبِلَادِ مِنْ نُوَّابِ مُعَاوِيَةَ، فَبَعْثَ إِلَيْهِ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ فَفَرَّ مِنْهُ الْأَشْتَرُ وَهَرَبَ، وَاسْتَقَرَّ أَمْرُ مُعَاوِيَةَ عَلَى تِلْكَ الْبِلَادِ، فَلَمَّا اسْتَوْسَقَتْ لَهُ الْبِلَادُ كَمَا ذَكَرْنَا، كَتَبَ إِلَى قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ يَدْعُوهُ إِلَى الْقِيَامِ بِطَلَبِ دَمِ عُثْمَانَ، وَأَنْ يَكُونَ مُؤَازِرًا لَهُ عَلَى مَا هُوَ بِصَدَدِهِ مِنَ الْقِيَامِ فِي ذَلِكَ، وَوَعَدَهُ أَنْ يَكُونَ نَائِبَهُ عَلَى الْعِرَاقَيْنِ إِذَا تَمَّ لَهُ الْأَمْرُ مَا دَامَ سُلْطَانًا. فَلَمَّا بَلَغَهُ الْكِتَابُ - وَكَانَ قَيْسُ رَجُلًا حَازِمًا - لَمْ يُخَالِفْهُ وَلَمْ يُوَافِقْهُ، بَلْ بَعَثَ يُلَاطِفُ مَعَهُ الْأَمْرَ ; وَذَلِكَ لِبُعْدِهِ عَنْ عَلِيٍّ وَقُرْبِهِ مِنْ بِلَادِ الشَّامِ وَمَا مَعَ مُعَاوِيَةَ مِنَ الْجُنُودِ، فَسَالَمَهُ قَيْسٌ وَتَارَكَهُ وَلَمْ يُوَافِقْهُ عَلَى مَا دَعَاهُ إِلَيْهِ، وَلَا خَالَفَهُ عَلَيْهِ. فَكَتَبَ مُعَاوِيَةُ إِلَيْهِ: إِنَّهُ لَا يَسَعُكَ مَعِيَ تَسْوِيفُكَ بِي، وَخَدِيعَتُكَ لِي، وَلَا بُدَّ أَنْ أَعْلَمَ أَنَّكَ سَلْمٌ لِي أَوْ عَدُوٌّ - وَكَانَ مُعَاوِيَةُ حَازِمًا أَيْضًا. فَكَتَبَ إِلَيْهِ - قَيْسٌ لَمَّا صَمَّمَ عَلَيْهِ: إِنِّي مَعَ عَلِيٍّ ; إِذْ هُوَ أَحَقُّ بِالْأَمْرِ مِنْكَ. فَلَمَّا بَلَغَ
পৃষ্ঠা - ৫৯৮৫
ذَلِكَ مُعَاوِيَةَ، يَئِسَ مِنْهُ وَرَجَعَ عَنْهُ. ثُمَّ أَشَاعَ بَعْضُ أَهْلِ الشَّامِ أَنَّ قَيْسًا يُكَاتِبُهُمْ فِي الْبَاطِنِ وَيُمَالِئُهُمْ عَلَى أَهْلِ الْعِرَاقِ. وَرَوَى ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّهُ جَاءَهُمْ مِنْ جِهَتِهِ كِتَابٌ مُزَوَّرٌ بِمُبَايَعَةِ قَيْسٍ مُعَاوِيَةَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ بِصِحَّتِهِ. فَلَمَّا جَاءَ الْكِتَابُ إِلَى عَلِيٍّ اتَّهَمَهُ، وَكَتَبَ إِلَيْهِ أَنْ يَغْزُوَ أَهْلَ خِرِبْتَا الَّذِينَ تَخَلَّفُوا عَنِ الْبَيْعَةِ، فَبَعَثَ يَعْتَذِرُ إِلَيْهِ بِأَنَّهُمْ كَثِيرٌ عَدَدُهُمْ، وَهُمْ وُجُوهُ النَّاسِ، وَكَتَبَ إِلَيْهِ: إِنْ كُنْتَ إِنَّمَا أَمَرْتَنِي بِهَذَا لِتَخْتَبِرَنِي ; لِأَنَّكَ اتَّهَمْتَنِي فِي طَاعَتِكَ، فَابْعَثْ عَلَى عَمَلِكَ بِمِصْرَ غَيْرِي. فَبَعَثَ عَلِيٌّ الْأَشْتَرَ النَّخَعِيَّ، فَسَارٍ إِلَيْهَا فَلَمَّا بَلَغَ الْقُلْزُمَ شَرِبَ شَرْبَةً مِنْ عَسَلٍ فَكَانَ فِيهَا حَتْفُهُ. فَبَلَغَ ذَلِكَ أَهْلَ الشَّامِ فَقَالُوا: إِنَّ لِلَّهِ جُنْدًا مِنْ عَسَلٍ. فَلَمَّا بَلَغَ عَلِيًّا مَهْلِكُ الْأَشْتَرِ، بَعَثَ مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي بَكْرٍ عَلَى إِمْرَةِ مِصْرَ، وَقَدْ قِيلَ - وَهُوَ الْأَصَحُّ -: إِنَّهُ إِنَّمَا وَلَّاهُ مِصْرَ بَعْدَ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ فَارْتَحَلَ قَيْسٌ إِلَى الْمَدِينَةِ، ثُمَّ رَكِبَ هُوَ وَسَهْلُ بْنُ حُنَيْفٍ إِلَى عَلِيٍّ فَاعْتَذَرَ إِلَيْهِ قَيْسُ بْنُ سَعْدٍ فَعَذَرَهُ عَلِيٌّ، وَشَهِدَا مَعَهُ صِفِّينَ، كَمَا سَنَذْكُرُهُ. فَلَمْ يَزَلْ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ قَائِمَ الْأَمْرِ مَهْنِيًّا بِالدِّيَارِ الْمِصْرِيَّةِ، حَتَّى كَانَتْ وَقْعَةُ صِفِّينَ، وَبَلَغَ أَهْلَ مِصْرَ صَبْرُ مُعَاوِيَةَ وَمَنْ مَعَهُ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ فِي قِتَالِ أَهْلِ الْعِرَاقِ، وَصَارُوا إِلَى