আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وثلاثين

ذكر بيعة علي، رضي الله عنه، بالخلافة

পৃষ্ঠা - ৫৯১৬


যাকে ইচ্ছা বহাল করবেন, আর যাকে খুশি বাদ দিবেন ৷ পরের দিন আবার তিনি হাযির হয়ে
বললেন : আমার মতে গভর্নরদেরকে পদচ্যুত করা হোক, যাতে আপনি জানতে পারেন কে
আপনার আনুগত্য করে, আর কে নাফরমানী করে ৷ আলী (রা) বিষয়টা হযরত ইবন আব্বাস
(রা)-এর নিকট উপস্থাপন করলে তিনি বললেন : তিনি গতকাল আপনাকে সঠিক উপদেশ
দিয়েছেন ৷ আর আজ আপনার সঙ্গে প্রতারণা করছেন ৷ মুগীরা ইবন ভাষা এ সম্পর্কে জানতে
পেরে বলেন, ঠিক কথা আমি তাকে উপদেশ দিয়েজ্জিঙ্কম, যখন উপদেশ মেনে নিলেন না তখন
প্রতারণা করলাম ৷ এরপর মুগীরা (বা) বের হয়ে মক্কা গমন করেন ৷ একদল সড়াহাবীও তার সঙ্গে
মক্কায় মিলিত হন, তাদের মধ্যে হযরত তালহা এবং যুবায়রও ছিলেন ৷ র্তারা উমরাহ্ করার
জন্য হযরত আলী (রা)-এর নিকট অনুমতি চাইলে তিনি তাদেরকে অনুমতি দান করেন ৷
তারপর হযরত ইবন আব্বাস (রা) পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন অঞ্চলে
প্রতিনিধিদের তাদের পদে বহাল রাখার ইঙ্গিত দেন, বিশেষ করে হযরত মুআবিয়াকে সিরিয়ার
বহাল রাখার পরামর্শ দেন ৷

হযরত ইবন আব্বাস (রা) আলী (রা) কে আরো বলেন, আমার আশা কা হচ্ছে, আপনি
মু আৰিয়াকে পদচ্যুত করলে তিনি আপনার নিকট উসমা (রা) এর রক্তের বদলা দাবি করবেন ৷
আর তালহা এবং যুবায়র-এর ব্যাপারেও আমি নিরাপদ বোধ করছি না ৷ র্তারাও এ ব্যাপারে
আপনার বিরুদ্ধে আপত্তি তুলতে পারেন ৷ তখন আলী (বা) বললেন, আমি এমনটি মনে করি
না; তুমি বরং সিরিয়ার গমন কর , আমি তোমাকে সেখানকার শাসনকর্তা নিযুক্ত করলাম ৷ তখন
ইবন আব্বাস (রা) আলী (রা)-কে বললেন : মুআরিয়া সম্পর্কে আমার আশংকা হচ্ছে, হযরত
উসমান (রা)-এর প্রতিশোধ হিসাবে তিনি আমাকে হত্যা করবেন, অথবা আপনার সঙ্গে
ভৈনকাট্যর কারণে তিনি আমাকে বন্দী করবেন ৷ বরং আপনি আমার হাতে হযরত মুআবিয়ার
নিকট পত্র লিখে দিন, যাতে তিনি তার ওয়াদা পুর্ণ করেন ৷ তখন আলী (রা) বললেন :
আল্লাহ্র কসম, এটা কখনো হবে না ৷ ’

তখন হযরত ইবন আব্বাস (রা) বললেন : আমীরম্স মু’মিনীন! রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর উক্তি
অনুযায়ী যুদ্ধ তো এক ধরনের কুটকৌশল, ৷ আল্পাহ্র কসম, আপনি যদি আমার কথা মেনে নেন
তাহলে তারা ফিরে এলে আমি অবশ্যই তাদেরকে হাষির করবো ৷ হযরত ইবন আব্বাস (রা)
আলী (রা)-কে নিষেধ করেন যে, আপনার মদীনা ত্যাগ করে ইরাক গমনকে যারা অভিনন্দিত
করে, তাদের কথায় আপনি কান দেবেন না ৷ কিন্তু আলী (রা) হযরত ইবন আব্বাস (রা) এর
কোন কথইি মানতে রাজী হননি ৷ বরং তিনি গ্রহণ করেন নানা শহর থেকে আগত খারিজী
সম্প্রদায়ের হর্ভাকর্তাদের পরামর্শ ৷

ইবন জারীর তাবারী বলেনং এ বছর কনক্টানটইিন ই বন হিরাক্লিয়াস এক হাজার জাহাজ
যােগে মুসলিম অঞ্চলে অভিযানের অন্ডিপ্রড়ায়ধ্ করলে আল্লাহ তাআলা ঝঞা বায়ু প্রেরণ করে
আপন শক্তি বলে তা ডুবিয়ে দেন ৷ তাদের সঙ্গে সকল নােক-লশকরও ডুবে মরে; রজাের সঙ্গে
একটা ন্মুন্দ্র দল কেবল রক্ষা পড়ায় ৷ বাদশাহ সিলিলিতে প্রবেশ করলে লোকেরা তার ড়ন্যে একটা
হাষ্মড়ামখানা প্রস্তুত করে তাকে সেখানে হত্যা করে ৷ লোকেরা তাকে বলে, ভুমি আমাদের
ণ্লাকজ্যাকে হত্যা করেছ ৷


عُمَرُ وَجَعَلَ الْأَمْرَ شُورَى فِي سِتَّةٍ أَحَدُهُمْ عَلِيٌّ، ثُمَّ خُلِصَ مِنْهُمْ بِعُثْمَانَ وَعَلِيٍّ - كَمَا قَدَّمْنَا - فَقُدِّمَ عُثْمَانُ عَلَى عَلِيٍّ، سَمِعَ وَأَطَاعَ. فَلَمَّا قُتِلَ عُثْمَانُ يَوْمَ الْجُمْعَةِ لِثَمَانِ عَشْرَةَ خَلَتْ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ سَنَةَ خَمْسَةٍ وَثَلَاثِينَ، عَلَى الْمَشْهُورِ عَدَلَ النَّاسُ إِلَى عَلِيٍّ فَبَايَعُوهُ قَبْلَ أَنْ يُدْفَنَ عُثْمَانُ، وَقِيلَ: بَعْدَ دَفْنِهِ. كَمَا تَقَدَّمَ، وَقَدِ امْتَنَعَ عَلِيٌّ مِنْ مُبَايَعَتِهِمْ، وَفَرَّ مِنْهُمْ إِلَى حَائِطِ بَنِي عَمْرِو بْنِ مَبْذُولٍ، وَأَغْلَقَ بَابَهُ وَامْتَنَعَ مِنْ قَبُولِ الْإِمَارَةِ حَتَّى تَكَرَّرَ قَوْلُهُمْ، فَجَاءَ النَّاسُ فَطَرَقُوا الْبَابَ وَوَلَجُوا عَلَيْهِ، وَجَاءُوا مَعَهُمْ بِطَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ، فَقَالُوا لَهُ: إِنَّ هَذَا الْأَمْرَ لَا يُمْكِنُ بَقَاؤُهُ بِلَا أَمِيرٍ، وَلَمْ يَزَالُوا بِهِ حَتَّى أَجَابَ. [ذِكْرُ بَيْعَةِ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بِالْخِلَافَةِ] فَيُقَالُ: إِنَّ أَوَّلَ مَنْ بَايَعَهُ طَلْحَةُ بِيَدِهِ الْيُمْنَى وَكَانَتْ شَلَّاءَ مِنْ يَوْمِ أُحُدٍ - لَمَّا وَقَى بِهَا رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، - فَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ: وَاللَّهِ إِنَّ هَذَا الْأَمْرَ لَا يَتِمُّ. وَخَرَجَ عَلِيٌّ إِلَى الْمَسْجِدِ فَصَعِدَ الْمِنْبَرَ وَعَلَيْهِ إِزَارٌ وَعِمَامَةُ خَزٍّ، وَنَعْلَاهُ فِي يَدِهِ، يَتَوَكَّأُ عَلَى قَوْسِهِ، فَبَايَعَهُ عَامَّةُ النَّاسِ، وَذَلِكَ يَوْمَ السَّبْتِ التَّاسِعَ عَشَرَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ سَنَةَ خَمْسٍ وَثَلَاثِينَ، وَيُقَالُ: إِنَّ طَلْحَةَ وَالزُّبَيْرَ إِنَّمَا بَايَعَاهُ بَعْدَ أَنْ طَلَبَهُمَا وَسَأَلَاهُ أَنْ
পৃষ্ঠা - ৫৯১৭

শুরু হলো হিজরী ৩৬ সাল

এ বছর শুরু হলে আমীরুল মু’মিনীন আলী ইবন আবু তালির্ব খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ
করেন ৷ শুরুতেই তিনি বিভিন্ন শহরে প্রতিনিধি নিয়োগ করেন ৷ উবায়দুল্লাহ ইবন আব্বাসকে
ইয়ামানে, সামুরা ইবন জুন্দুবকে বসরায়, আমারা ইবন শিহাবকে কুফায় ৷ কায়স ইবন সাদ
ইবন উবাদাকে মিসরে, এবং সিরিয়ার মুআবিয়ার পরিবর্তে সহল ইবন হ্নৰুইিফকে প্রতিনিধি
নিযুক্ত করেন ৷ হযরর সহল ইবন হুনাইফ রওয়ানা করেন ৷ তবুক পৌছে মুআবিয়ার ঘোড়
সওয়ারের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়৷ তারা জিজ্ঞেস করে, আপনি কো তিনি বললেন, আমীর ৷
তারা বলে, কিসের আমীরঃ তিনি বললেন, সিরিয়ায় ৷ তারা বললো : উসমান (রা) তোমাকে
প্রেরণ করে থাকলে স্বাগতম ৷ অন্যথায় ফিরে যাও ৷ তিনি বললেন, কী ঘটেছে তোমরা কি
শুননিঃ তারা বললো, শুনেছি বটে, ফলে তিনি আলী (রা)-এর নিকট ফিরে যান ৷ কায়স ইবন
সাদ সম্পর্কে মিসরৰাসী দ্বিমত পোষণ করে ৷ অধিকাংশ লোক তার পক্ষে ৰায়আত করে, কিন্তু
একদল বলে, উসমান (রা)-এর হত্যাকারীদেরকে হত্যা না করা পর্যন্ত আমরা বায়আত করবো
না ৷ বসরাবাসীও একই কথা বললো ৷ অন্মোরা ইবন শিহাব, যাকে কুফায় আমীর নিযুক্ত করা
হয়, হযরত উসমান (রা) এর প্রতিশোধ নেয়ার উদ্দেশ্যে তালহা ইবন খুওয়ইিলিদ তার পথ
বোধ করে ৷ ফলে তিনি আলী (রা) এর নিকট ফিরে এসে তাকে তা অবহিত করেন ৷ ফিতনা ও
অস্থিরতা বিস্তার লাভ করে এবং পরিস্থিতির অবনতি ঘটে এবং উষ্মতের ঐক্য বিন ষ্ট হয়ে যায় ৷

কুফাবাসীদের আনুগত্য ও ৰায়আত সম্পর্কে আবু মুসা (রা) হযরত আলী (রা)-কে লিখেন
যে, মুষ্টিমেয় লোক ছাড়া অন্যরা আনুগত্য স্বীকার করে নিয়েছে ৷ আর হযরত আলী (রা)
মুয়াবিয়ার নিকট অনেক পত্র প্রেরণ করেন, কিন্তু তিনি সেসব পত্রের কোন জবাব ণ্দন্ন্নি ৷
হযরত উসমান (রা) এর হত্যার পর তৃতীয় মাস সফর মাস পর্যন্ত বারবার এটা ঘটে ৷ এরপর
হযরত মুআবিয়া জনৈক ব্যক্তি মারফত একটা লিপি পাঠান ৷ লোকঢি তা নিয়ে হযরত আলী
(না)-এর নিকট গেলে তিনি বললেন, তোমার পেছনে কি রয়েছে : লোকঢি বলে : আমি এমন
এক সম্প্রদায়ের নিকট থেকে এসেছি, যারা কিসাস ব্যতীত কিছুই চায় না ৷ আমি ৭০ হাজার
শায়খ্যক-(তারীখে তাৰাৰী ও তারীখে কামিল-এ এ ক্ষেত্রে ৬০ হাজার বলা হয়েছে) উসমান
(না)-এর আমার নিচে ত্রুন্দনরত রেখে এসেছি ৷ আর তা দামেশকে মিন্বরের উপর আছে ৷
তখন আলী (রা) বললেন হে আল্পাহ্! আমি তোমার নিকট উসমানের রক্ত থেকে নিজেকে
যুক্ত ঘোষণা করছি ৷ ন্
এরপর মু আবিয়ার দুত আলী (রা) এর সম্মুখ থেকে বের হয়ে এলে যেসব খারেজী উসমান
(রা) কে হত্যা করেছিল তারা তাকেও হত্যা বরেতে উদ্যত হয় ৷ অনেক চেষ্টা করে লোকঢি
বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয় ৷ আর হযরত আলী (রা) সিরিয়াবাসীর সঙ্গে লড়াই করতে
ত্কল্পবদ্ধ হন ৷ তিনি মিসরে হযরত কায়স ইবন মধ্যে এবং কুফায় হযরত আবু মুসার নিকট এ


يُؤَمِّرُهُمَا عَلَى الْبَصْرَةِ وَالْكُوفَةِ، فَقَالَ لَهُمَا: بَلْ تَكُونَانِ عِنْدِي أَسْتَأْنِسُ بِكُمَا. وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَزْعُمُ أَنَّهُ لَمْ يُبَايِعْهُ طَائِفَةٌ مِنَ الْأَنْصَارِ ; مِنْهُمْ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ، وَكَعْبُ بْنُ مَالِكٍ، وَمَسْلَمَةُ بْنُ مَخْلَدٍ، وَأَبُو سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ، وَالنُّعْمَانُ بْنُ بَشِيرٍ، وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، وَرَافِعُ بْنُ خَدِيجٍ، وَفَضَالَةُ بْنُ عُبَيْدٍ، وَكَعْبُ بْنُ عُجْرَةَ. ذَكَرَهُ ابْنُ جَرِيرٍ، مِنْ طَرِيقِ الْمَدَائِنِيِّ، عَنْ شَيْخٍ مِنْ بَنِي هَاشِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَسَنِ. قَالَ الْمَدَائِنِيُّ: حَدَّثَنِي مَنْ سَمِعَ الزُّهْرِيَّ يَقُولُ: هَرَبَ قَوْمٌ مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى الشَّامِ وَلَمْ يُبَايِعُوا عَلِيًّا، وَلَمْ يُبَايِعْهُ قُدَامَةُ بْنُ مَظْعُونٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ، وَالْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ. قُلْتُ: وَهَرَبَ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ، وَالْوَلِيدُ بْنُ عُقْبَةَ، وَآخَرُونَ إِلَى الشَّامِ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: بَايَعَ النَّاسُ عَلِيًّا بِالْمَدِينَةِ، وَتَرَبَّصَ سَبْعَةُ نَفَرٍ لَمْ يُبَايِعُوا ; مِنْهُمُ ابْنُ عُمَرَ، وَسَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ، وَصُهَيْبٌ، وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ، وَسَلَمَةُ بْنُ سَلَامَةَ بْنِ وَقْشٍ، وَأُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، وَلَمْ يَتَخَلَّفْ أَحَدٌ مِنَ الْأَنْصَارِ إِلَّا بَايَعَ فِيمَا نَعْلَمُ. وَذَكَرَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ جَمَاعَةٍ مِنْ شُيُوخِهِ قَالُوا: بَقِيَتِ الْمَدِينَةُ خَمْسَةَ أَيَّامٍ بَعْدَ قَتْلِ عُثْمَانَ وَأَمِيرُهَا الْغَافِقِيُّ بْنُ حَرْبٍ، يَلْتَمِسُونَ مَنْ يُجِيبُهُمْ إِلَى الْقِيَامِ
পৃষ্ঠা - ৫৯১৮
بِالْأَمْرِ وَالْمِصْرِيُّونَ يُلِحُّونَ عَلَى عَلِيٍّ وَهُوَ يَهْرُبُ مِنْهُمْ إِلَى الْحِيطَانِ، وَيَطْلُبُ الْكُوفِيُّونَ الزَّبِيرَ، فَلَا يَجِدُونَهُ، وَالْبَصْرِيُّونَ يَطْلُبُونَ طَلْحَةَ فَلَا يُجِيبُهُمْ، فَقَالُوا فِيمَا بَيْنَهُمْ: لَا نُوَلِّي أَحَدًا مِنْ هَؤُلَاءِ الثَّلَاثَةِ. فَمَضَوْا إِلَى سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، فَقَالُوا: إِنَّكَ مِنْ أَهْلِ الشُّورَى. فَلَمْ يَقْبَلْ مِنْهُمْ، ثُمَّ جَاءُوا إِلَى ابْنِ عُمَرَ، فَأَبَى عَلَيْهِمْ، فَحَارُوا فِي أَمْرِهِمْ، ثُمَّ قَالُوا: إِنْ نَحْنُ رَجَعْنَا إِلَى أَمْصَارِنَا بِقَتْلِ عُثْمَانَ مِنْ غَيْرِ إِمْرَةٍ، اخْتَلَفَ النَّاسُ فِي أَمْرِهِمْ وَلَمْ نَسْلَمْ. فَرَجَعُوا إِلَى عَلِيٍّ فَأَلَحُّوا عَلَيْهِ، وَأَخَذَ الْأَشْتَرُ النَّخَعِيُّ بِيَدِهِ فَبَايَعَهُ وَبَايَعَهُ النَّاسُ، وَأَهْلُ الْكُوفَةِ يَقُولُونَ: أَوَّلُ مَنْ بَايَعَهُ الْأَشْتَرُ النَّخَعِيُّ. وَذَلِكَ يَوْمَ الْخَمِيسِ الرَّابِعُ وَالْعِشْرُونَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ، وَذَلِكَ بَعْدَ مُرَاجَعَةِ النَّاسِ لَهُمْ فِي ذَلِكَ، وَكُلُّهُمْ يَقُولُ: لَا يَصْلُحُ لَهَا إِلَّا عَلِيٌّ. فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ الْجُمُعَةِ وَصَعِدَ الْمِنْبَرَ، بَايَعَهُ مَنْ لَمْ يُبَايِعْهُ بِالْأَمْسِ، وَكَانَ أَوَّلَ مَنْ بَايَعَهُ طَلْحَةُ بِيَدِهِ الشَّلَّاءِ، فَقَالَ قَائِلٌ: إِنَّا لِلَّهِ، وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. ثُمَّ الزُّبَيْرُ، ثُمَّ قَالَ الزُّبَيْرُ: إِنَّمَا بَايَعْتُ عَلِيًّا وَاللُّجُّ عَلَى عُنُقِي. ثُمَّ رَاحَ إِلَى مَكَّةَ فَأَقَامَ بِهَا أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ، وَكَانَتْ هَذِهِ الْبَيْعَةُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ، وَكَانَ أَوَّلُ خُطْبَةٍ خَطَبَهَا أَنَّهُ حَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى أَنْزَلَ كِتَابًا
পৃষ্ঠা - ৫৯১৯


মর্মে পত্র লিখেন যে, তারা যেন যুদ্ধ করার নিমিত্ত লোকদের নিকট সাহায্য চায় ৷ হযরত
উসমান ইবন হুনইিফের নিকটও এ মর্মে বার্তা প্রেরণ করেন ৷ তিনি লোকজনের সঙ্গে কথা বলে
এ ব্যাপারে তাদেরকে অনুপ্রাণিত করেন ৷ প্রভৃতির সংকল্প নিয়ে তিনি মদীনা থেকে বের হন
এবং কুসাম ইবন আব্বাসকে মদীনায় স্থলাভিষিক্ত করে যান ৷ তিনি তার অনুগতদেরকে সঙ্গে
নিয়ে অবাধ এবং লোকদের সঙ্গে বায়আত করতে অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে লড়ইি করার
সংকল্প নিয়ে বের হন ৷ পুত্র হাসান তার কাছে এসে বলেন, পিতা ! এ সংকল্প পরিত্যাগ করুন ৷
কারণ, এতে মুসলমানদের রক্তপাত হবে আর নিজেদের মধ্যে মতবেধ সৃষ্টি হবে ৷ জ্যি আলী
(রা) পুত্রের এসব কথা মেনে নেননি ৷ বরং যুদ্ধের জন্য তিনি কৃত সংকল্প হন এবং সেনাবাহিনী
প্রস্তুত করেন ৷ মুহাম্মদ ইবনুল হানাফিয়ার হাতে তিনি পতাকা তুলে দেন ৷ আর ইবন আব্বাস
(রা)-কে ডান দিকের বাহিনীর নেতা করেন এবং আমর ইবন আবু সালমাকে করেন বাম দিকের
বাহিনীর নেতা ৷ ভিন্ন মতে বাম দিকের বাহিনীর নেতা নিযুক্ত করেন অমৃর ইবন সুফিয়ান ইবন
আব্দুল আসাদকে এবং অগ্রভাগের দায়িত্ব ন্যস্ত করেন আবু উবায়দার ভাতিজা আবু লায়লা ইবন
আমর ইবনুল জায়রাহ-এর উপর ৷ আর মদীনায় তার স্থলাভিষিক্ত নিযুক্ত করেন কুসাম ইবন
আব্বাসকে ৷ মদীনা থেকে সিরিয়ার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার ক্ষেত্রে আর কোন বাধা থাকলো না ৷
াশষ পর্যন্ত এমন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলো, যা তাকে এ কাজ থেকে নিবৃত্ত করলো ৷ সামনে সে
কথাই আমরা আলোচনা করবো ৷

জামাল (উটের) যুদ্ধের সুচনা
আইয়ামে তাশৃয়ীকের পর যখন উসমান (রা)-এর হত্যার ঘটনা ঘটে, তখন ফিতনা থেকে
বাচার জন্য নবী করীম মোঃ এর সহধর্মিনী উম্মুল মুমিনীনগণ সে বছর হজে গমন করেন ৷
লোকেরা যখন উসমান (রা)-এর হত্যা সম্পর্কে জানতে পারে তখন লোকজন মক্কা থেকে চলে
গেলেও তারা মক্কায় অবসস্থান করেন ৷ পরে তারাও মক্কা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর পুনরায়
মক্কায় প্রত্যাবর্ভা করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন ৷ আলী (রা)-এর পক্ষে বায়আত গৃহীত
হওয়ার পর পরিবেশ পরিস্থিতির দাবি আর ব্যাপক পরামর্শক্রমে জনমত তার পক্ষে আসে
যেসব খারিজী উসমান (রা)-কে হত্যা করেছিল, আলী (রা) তাদেরকে নাপছন্দ করতেন বটে,
জ্যি কালের আবর্তনের তিনি অপেক্ষা করছিলেন ৷ তিনি কামনা করতেন যে, সুযোগ এলে তিনি
তাদের থেকে আল্লাহ্র হক উসুল করবেন ৷ কিন্তু পরিস্থিতি এমন র্দাড়াল যে, তাৱইি তার উপর
প্রবল হয়ে উঠলো, তারা বড় বড় সাহাবীকে তার নিকট আসতে বারণ করলো ৷ এসময় বনু
উযইিয়া “এবং অন্যদের একটা দল মক্কায় পলায়ন করে চলে আসেন ৷ তালহা ও ষুৰায়র তার
নিকট উমরা করার অনুমতি চাইলে তিনি তাদেরকে অনুমতি দেন ৷ ’ তারা মক্কা গমন করলে
বিপুল লোক তাদের অনুসরণ করে ৷
আলী (বা) সিরিয়াবাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে মদীনাবাসীদেরকে তাতে যোগ
দানের আহ্বান জানালে তারা যোগদান করতে অস্বীকার করে ৷ এরপর তিনি আব্দুল্পাহ্ ইবন
উমর ইবনুল খাত্তাব (রা)-ণ্ক তলব করে তাকে সঙ্গী হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করেন ৷
জবাবে তিনি বলেন : আমিতো মদীনাবাসী এক (সাধারণ) মানুষ ৷ তারা যুদ্ধে গমন করলে
তাদের সকলের সঙ্গে অনুগতরুপে আমিও বের হবো ৷ তবে এ বছর যুদ্ধের জন্য আমি বের হব


هَادِيًا بَيَّنَ فِيهِ الْخَيْرَ وَالشَّرَّ، فَخُذُوا بِالْخَيْرِ وَدَعُوا الشَّرَّ، إِنَّ اللَّهَ حَرَّمَ حُرُمًا مُجْمَلَةً، وَفَضَّلَ حُرْمَةَ الْمُسْلِمِ عَلَى الْحُرُمِ كُلِّهَا، وَشَدَّ بِالْإِخْلَاصِ وَالتَّوْحِيدِ حُقُوقَ الْمُسْلِمِينَ، وَالْمُسْلِمُ مَنْ سَلِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ إِلَّا بِالْحَقِّ، لَا يَحِلُّ أَذَى مُسْلِمٍ إِلَّا بِمَا يَجِبُ، بَادِرُوا أَمْرَ الْعَامَّةِ، وَخَاصَّةُ أَحَدِكُمُ الْمَوْتُ، فَإِنَّ النَّاسَ أَمَامَكُمْ وَإِنَّمَا خَلْفَكُمُ السَّاعَةُ تَحْدُوكُمْ فَتَخَفَّفُوا تَلْحَقُوا، فَإِنَّمَا يَنْتَظِرُ النَّاسُ أُخْرَاهُمُ، اتَّقُوا اللَّهَ عِبَادَهُ فِي عِبَادِهِ وَبِلَادِهِ، إِنَّكُمْ مَسْئُولُونَ حَتَّى عَنِ الْبِقَاعِ وَالْبَهَائِمِ، أَطِيعُوا اللَّهَ وَلَا تَعْصُوهُ، وَإِذَا رَأَيْتُمُ الْخَيْرَ فَخُذُوا بِهِ وَإِذَا رَأَيْتُمُ الشَّرَّ فَدَعُوهُ: {وَاذْكُرُوا إِذْ أَنْتُمْ قَلِيلٌ مُسْتَضْعَفُونَ فِي الْأَرْضِ} [الأنفال: 26] فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ خُطْبَتِهِ قَالَ الْمِصْرِيُّونَ: خُذْهَا إِلَيْكَ وَاحْذَرَنْ أَبَا الْحَسَنْ ... إِنَّا نُمِرُّ الْأَمْرَ إِمْرَارَ الرَّسَنْ صَوْلَةَ أَقْوَامٍ كَأَسْدَادِ السُّفُنْ ... بِمَشْرَفِيَّاتٍ كَغُدْرَانِ اللَّبَنْ
পৃষ্ঠা - ৫৯২০
وَنَطْعُنُ الْمُلْكَ بِلِينٍ كَالشَّطَنْ حَتَّى يُمَرَّنَّ عَلَى غَيْرِ عَنَنْ فَقَالَ عَلِيٌّ مُجِيبًا لَهُمْ: إِنِّي عَجَزْتُ عَجْزَةً لَا أَعْتَذِرْ ... سَوْفَ أَكِيسُ بَعْدَهَا وَأَسْتَمِرْ أَرْفَعُ مِنْ ذَيْلِيَ مَا كُنْتُ أَجُرْ ... وَأَجْمَعُ الْأَمْرَ الشَّتِيتَ الْمُنْتَشِرْ إِنْ لَمْ يُشَاغِبْنِي الْعَجُولُ الْمُنْتَصِرْ ... أَوْ يَتْرُكُونِي وَالسِّلَاحُ يُبْتَدَرْ وَكَانَ عَلَى الْكُوفَةِ أَبُو مُوسَى الْأَشْعَرِيُّ عَلَى الصَّلَاةِ، وَعَلَى الْحَرْبِ الْقَعْقَاعُ بْنُ عَمْرٍو، وَعَلَى الْخَرَاجِ جَابِرُ بْنُ فُلَانٍ الْمُزَنِيُّ، وَعَلَى الْبَصْرَةِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرٍ، وَعَلَى مِصْرَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ، وَقَدْ تَغَلَّبَ عَلَيْهِ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي حُذَيْفَةَ، وَعَلَى الشَّامِ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، وَنُوَّابُهُ ; عَلَى حِمْصَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، وَعَلَى قِنَّسْرِينَ حَبِيبُ بْنُ مَسْلَمَةَ، وَعَلَى الْأُرْدُنِّ أَبُو الْأَعْوَرِ، وَعَلَى فِلَسْطِينَ عَلْقَمَةُ بْنُ حَكِيمٍ، وَعَلَى أَذْرَبِيجَانَ الْأَشْعَثُ بْنُ قَيْسٍ، وَعَلَى قَرْقِيسْيَاءَ جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيُّ، وَعَلَى حُلْوَانَ عُتَيْبَةُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৫৯২১


না ৷ এরপর ইবন উমর প্রস্তুত হয়ে মক্কার উদ্দেশ্যে বের হয়ে যান ৷ একই বছর ইয়ামান থেকে
ইয়ালা ইবন উমইিয়াও মক্কায় আগমন করেন (সঠিক নামটা হলো ইয়ালা ইবন মুনৃয়া) ৷ ইনি
ছিলেন ইয়ামনে উসমান (রা)-এর নিযুক্ত গভর্নর ৷ তার সঙ্গে ছিল ৬ শত উট এবং ৬ লাখ
দিবহাম ড্রো ৷ (তাবারীও কামিল গ্রন্থে এমনই উল্লিখিত হয়েছে; জ্যি ইবনুল আসাম-এর ফুতুহ্
গ্রন্থে বলা হয়েছে : শত উট) ৷ বসরা থেকে আব্দুল্লাহ্ ইবন আমেরও মক্কায় আগমন করেন,
যিনি সেখানে হযরত উসমান (রা)-এর প্রতিনিধি ছিলেন ৷ বেশ কিছু বড় বড় সাহাৰী এবং উম্মুল
মু’মিনীনগণও মক্কায় সমবেত হন ৷ হযরত আয়েশা (রা) উসমান (না)-এর রক্তের বদলা দাবি
করে ভাষণ দান করে লোকজনকে উদ্দীপ্ত করেন, যেস সব লোক হত্বরম শহরে হারাম মাসে
উসমান (রা)কে হত্যা করেছে, তাদের সম্পর্কে তিনি তীর ব্যক্তিগত, মতের কথাও উল্লেখ
করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ক্রেএর প্রতিবেশী হওয়ার বিষয়টাও বিবেচনা না করে তারা রক্তপাত
করেছে এবং ধন-সম্পদ লুটপাট করেছে ৷ জ্যাতা হযরত আয়েশা (রা)-এর প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন
করে আমার যে, এ ব্যাপারে আপনি যা ভাল মনে করবেন তাতে আমাদের সমর্থন থাকবে ৷

তারা জানায় যে, আপনি যেখানে গমন করেন, আমরা আপনার সঙ্গে থাকবাে ৷ কেউ
বললো, আমরা সিরিয়া যাবো ৷ আবার কেউ বললো, হযরত আয়েশা (রা)-এর ব্যাপারে
মুয়াবিয়ার সিদ্ধান্তই যথেষ্ট ৷ তারা তার দিকে এগিয়ে গেলে তারাই প্রবল থাকতো তাদের
ইচ্ছা-অভিপ্রায় অনুযায়ী সকল কাজ সম্পন্ন হতো ৷ কারণ, বড় বড় সাহাৰী তাদের সঙ্গে ছিলেন ৷
অন্যরা বললো : আমরা মদীনায় যাবো, আলী (রা)-এর নিকট দাবি জানাবাে, তিনি যেন
উসমান (রা) , এর হত্যাকায়ীদ্যোকে আমাদের হাতে ন্যস্ত করেন ৷ এরপর তাদেরকে হত্যা করা
হবে ৷ অন্যরা বললো : বরং আমরা বসরা গমন করবো, অশ্বারোহী আর পদাতিক দ্বারা শক্তি
সঞ্চয় করবো এবং উসমান (রা)-এর হত্যাকারীদের মধ্যে যারা সেখানে রয়েছে, তাদের
থেকেই আমরা (প্রতিশোধ অভিযান) শুরু করবো ৷

সকলের সষ্মতিক্রমে এ মতই স্থির হয় ৷ আর অন্যান্য উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা
(রা)-এর সঙ্গে মদীনা গমন করার ব্যাপারে একমত ছিলেন ৷ বসরা গমন বল্পার ব্যাপারে সকলে
একমত হলে উম্মুল মু’মিনীনগণ সেখান থেকে এই বলে ফিরে যান যে, আমরা মদীনা ছাড়া
অন্য কোথাও যাবো না ৷ ইয়া’লা ইবন উমাইয়া লোকদের প্রস্তুত করেন এবং তাদের জন্য ৬
শত উট এবং ৬ লাখ দিরহাম ব্যয় করেন ৷ ইবনুল আমান এর ফু-তুহ গ্রন্থে ষাট হজাের দীনার
উল্লেখ করা হয়েছেন ৷ ইবন আমেরও অনেক মাল দ্বারা তাদ্যোকে প্রস্তুত করেন ৷ উঘুল
মুমিনীন হাফসা বিনৃত উমর বসরা গমন করার ব্যাপারে হযরত আলো (রা)এর সঙ্গে একমত
হন ৷ তবে তার ভইি আব্দুল্লাহ্ এ থেকে তাকে বিরত রাখেন ৷ এবং তিনি নিজেও মদীনা ছাড়া
অন্য কোথাও গমন করতে অস্বীকার করেন ৷ করে এক হজোর অশ্যারাহীসহ হযরত আয়েশা
রওয়ানা হন ৷ জ্যি মতে তাদের সঙ্গে ছিলেন মক্কা-মদীনার নয় শত অশ্বারােহীর দল ৷ তাদের

সঙ্গে অন্যরাও যোগ দেয় ৷ ফলে তাদের সংখ্যা দাড়ায় তিনহজোর অশ্বারোহী ৷

আর উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা) আসৃফার নামক উটের পিঠে হাওদায় সওয়ার ছিলেন ৷
ইয়ালা ইবন উমইিয়া উরাইনা নামে জনৈক ব্যত্তিল্ম নিকট দুশ দীনার , ভিন্ন মতে ৮০ দীনার বা
,কম বেশি দামে উটটি ক্রয় করেছিলেন ৷ আয়েশা (রা)-কে বািদয় জানাতে উম্মুল মুমিনীনগণ
তার সঙ্গে যাতু ইরক নামক স্থান পর্যন্ত এগিয়ে আসেন ৷ সেখানে তার র্তাকে বিদায় জানাতে


النَّهَّاسِ، وَعَلَى مَاهَ مَالِكُ بْنُ حَبِيبٍ، وَعَلَى هَمَذَانَ النُّسَيْرُ. هَذَا مَا ذَكَرَهُ ابْنُ جَرِيرٍ مِنْ نُوَّابِ عُثْمَانَ الَّذِينَ تُوَفِّيَ وَهُمْ نُوَّابُ الْأَمْصَارِ، وَكَانَ عَلَى بَيْتِ الْمَالِ عُقْبَةُ بْنُ عَمْرٍو، وَعَلَى قَضَاءِ الْمَدِينَةِ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ. وَلَمَّا قُتِلَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ خَرَجَ النُّعْمَانُ بْنُ بَشِيرٍ وَمَعَهُ قَمِيصُ عُثْمَانَ مُضَمَّخٌ بِدَمِهِ، وَمَعَهُ أَصَابِعُ نَائِلَةَ الَّتِي أُصِيبَتْ حِينَ جَاحَفَتْ عَنْهُ بِيَدِهَا، فَقُطِعَتْ مَعَ بَعْضِ الْكَفِّ فَوَرَدَ بِهِ عَلَى مُعَاوِيَةَ بِالشَّامِ، فَوَضَعَهُ مُعَاوِيَةُ عَلَى الْمِنْبَرِ لِيَرَاهُ النَّاسُ، وَعَلَّقَ الْأَصَابِعَ فِي كُمِّ الْقَمِيصِ، وَنَدَبَ النَّاسَ إِلَى الْأَخْذِ بِثَأْرِ هَذَا الدَّمِ وَصَاحِبِهِ، فَتَبَاكَى النَّاسُ حَوْلَ الْمِنْبَرِ، وَجَعَلَ الْقَمِيصُ يُرْفَعُ تَارَةً وَيُوضَعُ تَارَةً، وَالنَّاسُ يَتَبَاكَوْنَ حَوْلَهُ سَنَةً، وَحَثَّ بَعْضُهُمْ بَعْضًا عَلَى الْأَخْذِ بِثَأْرِهِ، وَاعْتَزَلَ أَكْثَرُ النَّاسِ النِّسَاءَ فِي هَذَا الْعَامِ، وَقَامَ فِي النَّاسِ مُعَاوِيَةُ وَجَمَاعَةٌ مِنَ الصَّحَابَةِ مَعَهُ يُحَرِّضُونَ النَّاسَ عَلَى الْمُطَالَبَةِ بِدَمِ عُثْمَانَ مِمَّنْ قَتَلَهُ مِنْ أُولَئِكَ الْخَوَارِجِ ; مِنْهُمْ عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ، وَأَبُو الدَّرْدَاءِ، وَأَبُو أُمَامَةَ، وَعَمْرُو بْنُ عَبَسَةَ، وَغَيْرُهُمْ مِنَ الصَّحَابَةِ وَمِنَ التَّابِعِينَ ;
পৃষ্ঠা - ৫৯২২
شَرِيكُ بْنُ خُبَاشَةَ، وَأَبُو مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيُّ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ غَنْمٍ، وَغَيْرُهُمْ مِنَ التَّابِعِينَ. وَلَمَّا اسْتَقَرَّ أَمْرُ بَيْعَةِ عَلِيٍّ دَخَلَ عَلَيْهِ طَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ وَرُءُوسُ الصَّحَابَةِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، وَطَلَبُوا مِنْهُ إِقَامَةَ الْحُدُودِ، وَالْأَخْذَ بِدَمِ عُثْمَانَ. فَاعْتَذَرَ إِلَيْهِمْ بِأَنَّ هَؤُلَاءِ لَهُمْ مَدَدٌ وَأَعْوَانٌ، وَأَنَّهُ لَا يُمْكِنُهُ ذَلِكَ يَوْمَهُ هَذَا، فَطَلَبَ مِنْهُ الزُّبَيْرُ أَنْ يُوَلِّيَهُ إِمْرَةَ الْكُوفَةِ لِيَأْتِيَهُ بِالْجُنُودِ، وَطَلَبَ مِنْهُ طَلْحَةُ أَنْ يُوَلِّيَهُ إِمْرَةَ الْبَصْرَةِ لِيَأْتِيَهُ مِنْهَا بِالْجُنُودِ، لِيَتَقَوَّى بِهِمْ عَلَى شَوْكَةِ هَؤُلَاءِ الْخَوَارِجِ، وَجَهَلَةِ الْأَعْرَابِ الَّذِينَ كَانُوا مَعَهُمْ فِي قَتْلِ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَالَ لَهُمَا: حَتَّى أَنْظُرَ فِي هَذَا. وَدَخَلَ عَلَيْهِ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ عَلَى إِثْرِ ذَلِكَ فَقَالَ لَهُ: إِنِّي أَرَى أَنْ تُقِرَّ عُمَّالَكَ عَلَى الْبِلَادِ، فَإِذَا أَتَتْكَ طَاعَتُهُمُ اسْتَبْدَلْتَ بَعْدَ ذَلِكَ بِمَنْ شِئْتَ وَتَرَكْتَ مَنْ شِئْتَ. ثُمَّ جَاءَهُ مِنَ الْغَدِ فَقَالَ لَهُ: إِنِّي أَرَى أَنْ تَعْزِلَهُمْ لِتَعْلَمَ مَنْ يُطِيعُكَ مِمَّنْ يَعْصِيكَ. فَعَرَضَ ذَلِكَ عَلِيٌّ عَلَى ابْنِ عَبَّاسٍ فَقَالَ: لَقَدْ نَصَحَكَ بِالْأَمْسِ وَغَشَّكَ الْيَوْمَ. فَبَلَغَ ذَلِكَ الْمُغِيرَةَ فَقَالَ: نَعَمْ نَصَحْتُهُ فَلَمَّا لَمْ يَقْبَلْ غَشَشْتُهُ. ثُمَّ خَرَجَ الْمُغِيرَةُ فَلَحِقَ
পৃষ্ঠা - ৫৯২৩


গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ৷ লোকেরা কৃত্রিম কান্নড়াও র্কাদে ৷ এ দিনটি ইয়াওমুন নহীব’ তথা
উভৈচ্চ৪স্বরে কান্নার দিন নামে পরিচিত ৷ ণ্লাকেরা বসরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় ৷ আয়েশা
(রা) এর নির্দেশক্রমৈ তীর ভাপ্নে আব্দুল্লাহ্ ইবন যুবইির (তাবারীর বর্ণনা মতে আব্দুর রহমান
ইবন আত্তাব ইবন আসীদ) লোকদের নামাষে ইমহুমতি করেন এবং মারওয়ান ইবনুল হাকাম
নামায়ের সময় আমান দেন ৷ রাত্রিবেলা পথ অতিত্রুমকালে তারা হাওয়াব’ নামক কুপের কাছে
পৌছে কুকুরের আওয়াজ শুনতে পান ৷ আয়েশা (বা) জিজ্ঞেস করেন, এ স্থানটিৱ কি নাম ৷
লোকেরা বললো হাওয়াব ৷ তিনি এক হাতের উপর অপর হস্ত স্থাপন করে বললেন,
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলইিইি রাজিউন, আমি ফিরে যেতে চাই ৷ জিজ্ঞেস করা হলো, কেন :
তিনি বললেনং :
মোঃ
ষ্ ন্ ৷ ,;৷ ৷ ষ্ ন্১াব্লু
আমি রাসুল মোঃ ণ্ক তার ত্রীদের সম্পর্কে বলতে শুনেছি : হার ! আমি যদি জানতাম,
তোমাদের মধ্যে কারজন্য হাওয়াবের কুকুর ক্রন্দন করর্বে ৷ ’ তারপর তিনি উটের বাহুতে আঘাত
করে তাকে বসান এবং বলেন : আমাকে ফিরিয়ে নাও, আমাকে ফিরিয়ে নাও, আল্লাহ্র কসম !
আমিইতাে হলাম হাওয়াব কুয়াের অধিৰাসিনী ৷ ’ ইতােপুর্বে সুত্র আর শ্ন্দেমালা যােগে আমরা
দালাইলুন নবুওয়ড়াত অধ্যায়ে হাদীসটি উল্লেখ করেছি ৷ তইি লোকজনও তাদের উট একদিন
একরাত্র সেখানে বসিয়ে রাখে ৷ এরপর আব্দুল্লাহ্ ইবন যুবায়র (রা) তাকে বললেন :
যে আপনাকে বলেছে যে, এটা হাওয়াব কুয়াে, সে মিথ্যা বলেছে ৷ (ইবন যুবায়র আয়েশা
(রা)-এর নিকট ৫০ জন লোক হাযির করেন, যারা এ মর্মে সাক্ষ্য দান করেন যে, এটা হাওয়াব
কুয়াে নয় ৷ আর এ ছিল ইসলামে সর্বপ্রথম মিথ্যা সাক্ষ্য) ৷ এরপর লোকেরা বলে উঠে : র্বাচাও ৷
র্বাচাও ! এ যে আলী ইবন আবু তালিরের সৈন্যরা এগিয়ে আসছে ৷ চল বসরা অভিমুখে
রওয়ানা হও ৷ বসরার নিকট পৌছে তিনি আহনাফ ইবন করেন এবং অন্যান্য প্রধান ব্যক্তির
নিকট এ মর্মে পত্র প্রেরণ করেন যে, তিনি বসরার নিকট এসে মোঃছন ৷ তখন উসমান ইবন
হুনইিফ, ইমরান ইবন হুসইিন এবং আবুল আসওয়ড়াদদুয়েলীকে তার নিকট প্রেরণ করেন, যাতে
তারা জানত্বে পারেন যে, তার আগমনের হেতু কি ৷ র্তারা তার কাছে গিয়ে জানতে চান যে, কি
জন্য তার আগমন? তিনি তাদেরকে জানান যে, যে জন্য তিনি এসেছেন তা হলো উসমান
(রা)-এর হত্যার প্রতিশোধ দাবি করা ৷ কারণ, অন্যায়ডাবে হারাম মাসে হারম নগরীতে তিনি
নিহত হয়েছেন ৷ এ সময় তিনি কুরআন মজীদের নিম্নোক্ত আয়াত তিলাওয়াত করেন০





শ্শ্শ্শ্শ্শ্



بِمَكَّةَ، وَلَحِقَ جَمَاعَةٌ مِنْهُمْ طَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ بِمَكَّةَ، وَكَانُوا قَدِ اسْتَأْذَنُوا عَلِيًّا فِي الِاعْتِمَارِ فَأَذِنَ لَهُمْ، ثُمَّ إِنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ أَشَارَ عَلَى عَلِيٍّ بِاسْتِمْرَارِهِ بِنُوَّابِهِ فِي الْبِلَادِ إِلَى حِينِ يَتَمَكَّنُ الْأَمْرُ، وَأَنْ يُقِرَّ مُعَاوِيَةَ خُصُوصًا عَلَى الشَّامِ وَقَالَ لَهُ: إِنِّي أَخْشَى إِنْ عَزَلْتَهُ عَنْهَا أَنْ يُطَالِبَكَ بِدَمِ عُثْمَانَ، وَلَا آمَنُ طَلْحَةَ وَالزُّبَيْرَ أَنْ يَكِرَّا عَلَيْكَ بِسَبَبِ ذَلِكَ. فَقَالَ عَلِيٌّ: إِنِّي لَا أَرَى هَذَا، وَلَكِنِ اذْهَبْ أَنْتَ إِلَى الشَّامِ فَقَدْ وَلَّيْتُكَهَا. فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: إِنِّي أَخْشَى مِنْ مُعَاوِيَةَ أَنْ يَقْتُلَنِي بِعُثْمَانَ، أَوْ يَحْبِسَنِي لِقَرَابَتِي مِنْكَ، وَلَكِنِ اكْتُبْ إِلَى مُعَاوِيَةَ فَمَنِّهِ وَعِدْهُ. فَقَالَ عَلِيٌّ: وَاللَّهِ إِنَّ هَذَا مَا لَا يَكُونُ أَبَدًا. فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِنَّ الْحَرْبَ خَدْعَةٌ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَوَاللَّهِ لَئِنْ أَطَعْتَنِي لَأُورِدَنَّهُمْ بَعْدَ صَدْرِهِمْ. وَنَهَى ابْنُ عَبَّاسٍ عَلِيًّا فِيمَا أَشَارَ عَلَيْهِ أَنْ يَقْبَلَ مِنْ هَؤُلَاءِ الَّذِينَ يُحَسِّنُونَ لَهُ الدُّخُولَ إِلَى الْعِرَاقِ، وَمُفَارَقَةَ الْمَدِينَةِ، فَأَبَى عَلَيْهِ ذَلِكَ كُلَّهُ، وَطَاوَعَ أَمْرَ أُولَئِكَ الْأُمَرَاءِ مِنْ أُولَئِكَ الْخَوَارِجِ مِنْ أَهْلِ الْأَمْصَارِ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ قَصَدَ قُسْطَنْطِينُ بْنُ هِرَقْلَ بِلَادَ
পৃষ্ঠা - ৫৯২৪
الْمُسْلِمِينَ فِي أَلْفِ مَرْكَبٍ، فَأَرْسَلَ اللَّهُ عَلَيْهِ قَاصِفًا مِنَ الرِّيحِ فَغَرَّقَهُ اللَّهُ بِحَوْلِهِ وَقُوَّتِهِ وَمَنْ مَعَهُ، وَلَمْ يَنْجُ مِنْهُمْ أَحَدٌ إِلَّا الْمَلِكُ فِي شِرْذِمَةٍ قَلِيلَةٍ مِنْ قَوْمِهِ، فَلَمَّا دَخَلَ صِقِلِّيَةَ عَمِلُوا لَهُ حَمَّامًا فَدَخَلَهُ فَقَتَلُوهُ فِيهِ وَقَالُوا: أَنْتَ قَتَلْتَ رِجَالَنَا.