আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وثلاثين

الأحاديث الواردة في فضائل عثمان بن عفان

ذكر زوجاته وبنيه وبناته، رضي الله عنه

পৃষ্ঠা - ৫৮৯৪


১ আনাস ইবন মুআয ইবন আনাস ইবন কায়স আল-আনসারী অড়ান-নাজ্জারী : ইনি
সকল যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ৷ আল্লাহর তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকুন ৷

২ আওস ইবনুস সামিত ৷ উবাদা ইবনুস সামিত আনসারীর তাই ৷ বদর যুদ্ধে অংশগ্নহণ
করেন ৷ আল্লাহ্ তাআলার বাণী :

ব্লু;;ব্লু ১১
(

আল্লাহ্ অবশ্যই শ্রবণ করেছেন যে নারীর কথা, যে তার স্বামীর ব্যাপারে তোমার সঙ্গে
বিতণ্ডা করছে এবং আল্লাহর নিকট ফবিয়াদ করছে ৷ আর আল্লাহ শ্রবণ করেন তোমাদের
সংলাপ, আর আল্লাহ্ সর্বশ্রেড়াতা, সর্বদ্রষ্ট৷ (মুজাদালা ৫৮৪ ১) ৷ আলোচ্য আয়াতে বর্ণিত
বিতণ্ডাকারী নারীর স্বামী হলেন আওস ৷ আর তার শ্রী ছিলেন খাওলা বিনুত সা লাৰা ৷

৩ আওস ইবন খাওলী আনসারী ৷ ইনি বনী হুবলার সদস্য ৷ ইনি বদর যুদ্ধে অংশ্যাহণ
করেছেন ৷ আনসারদের মধ্যে রাসুলুল্পাহ্মোঃ এর গোসল এবং রাসুলের স্বজনদের সাথে কবরে
অবতরণকারীদের মধ্যে তিনি একক ব্যক্তিত্ব ৷

৪ আল-হ্ব ইবন কায়স ৷ ইনি ছিলেন আনসারদের মধ্যে সর্দার ৷ কিন্তু ইনি ছিলেন কৃপণ
এবং নিফাকের অভিযোগে অভিযুক্ত ৷ কথিত আছে যে, ইনি বায়আতৃর রিদওয়ানে উপস্থিত

থেকেও বায়আত করেন নি ৷ বরং তিনি নিজের উটের আড়ালে আত্মগােপন করে থাকেন ৷ আর
তার সষ্পর্কেই কুরআন মজীদের নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল হয় :

শ্শ্শ্শ্শ্শ্শ্ : ৷, ধ্

( ষ্ষ্ণ্

আর তাদের মধ্যে এমন লোকও আছে যে বলে, আমাকে অব্যাহতি দাও এবং আমাকে
বিপদে ফেলবে না সাবধান! ওরইি বিপদে পতিত হয়েছে আর জাহান্নামতো পরিবেষ্টন করেই
রয়েছে কাফিরদেরকে (তাওৰা ৯ : ৪৯) ৷ কারো কারো মতে তিনি তাওব৷ করে ইসলামে ফিরে
আসেন ৷ মহান আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

৫ প্রসিদ্ধ করি আল-হাতিয়া ৷ কারো কারো মতে তার নাম জারওয়াল ৷ তিনি আবু
মুলইিকা কুনিয়াতে পরিচিত ৷ বনু আবাস গোত্রের এ সদস্য জাহিলী যুগ এবং ইসলামী যুগের
প্রথম দিক পেয়েছিলেন ৷ বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে বেড়িয়ে তিনি শাসকদের প্রশংসা করে
দান-দক্ষিণা লাভ করতেন ৷ বলা হয় যে, তা সত্বেও ইনি ছিলেন কৃপণ ৷ একদা সফরকালে
শ্রীকে বিদায় জানান এই বলে :

বছর গণনা করবে যখন আমি বহির্পত হই অনুপন্থিতির ভরে ৷ আর ত্যাগ কর মাসগুলি
(গণনা করা) ৷ কারণ,মাসভাে ক্ষীণ ! তিনি প্রশংসা আর নিন্দা উভয়ই করতে পারতেন ৷ তার
কিছু উত্তম কবিতা আছে ৷ আমীরুল মু’মিনীন উমর ইবনুল খাত্তাব (রা)-এর সম্মুখে পঠিত
কবিতার মধ্যে তিনি পছন্দ করেছেন এমন একটা কবিতা এই :


خَرَجُوا فِي زَمَانِ عُثْمَانَ اجْتَمَعَ عَلَيْهِمُ النَّاسُ، وَصَارَ لِكُلِّ وَاحِدٍ أَصْحَابٌ، وَطَمِعَ كُلُّ قَوْمٍ فِي تَوْلِيَةِ صَاحِبِهِمُ الْإِمَارَةَ الْعَامَّةَ بَعْدَ عُثْمَانَ، فَاسْتَعْجَلُوا مَوْتَهُ، وَاسْتَطَالُوا حَيَاتَهُ، حَتَّى وَقَعَ مَا وَقَعَ مِنْ بَعْضِ أَهْلِ الْأَمْصَارِ، كَمَا تَقَدَّمَ، فَإِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَزِيزِ الْحَكِيمِ، الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ. [ذِكْرُ زَوْجَاتِهِ وَبَنِيهِ وَبَنَاتِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ] تَزَوَّجَ بِرُقَيَّةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَوُلِدَ لَهُ مِنْهَا عَبْدُ اللَّهِ، وَبِهِ كَانَ يُكَنَّى، بَعْدَ مَا كَانَ يُكَنَّى فِي الْجَاهِلِيَّةِ بِأَبِي عَمْرٍو، ثُمَّ لَمَّا تُوُفِّيَتْ، تَزَوَّجَ بِأُخْتِهَا أُمِّ كُلْثُومٍ، ثُمَّ تُوُفِّيَتْ، فَتَزَوَّجَ بِفَاخِتَةَ بِنْتِ غَزْوَانَ بْنِ جَابِرٍ، فَوُلِدَ لَهُ مِنْهَا عُبَيْدُ اللَّهِ الْأَصْغَرُ. وَتَزَوَّجَ بِأُمِّ عَمْرٍو بِنْتِ جُنْدُبِ بْنِ عَمْرٍو الْأَزْدِيَّةِ، فَوَلَدَتْ لَهُ عَمْرًا، وَخَالِدًا، وَأَبَانَ وَعُمَرَ، وَمَرْيَمَ، وَتَزَوَّجَ بِفَاطِمَةَ بِنْتِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ الْمَخْزُومِيَّةِ، فَوَلَدَتْ لَهُ الْوَلِيدَ وَسَعِيدًا. وَتَزَوَّجَ أُمَّ الْبَنِينَ بِنْتَ عُيَيْنَةَ بْنِ حِصْنٍ الْفِزَارِيَّةَ، فَوَلَدَتْ لَهُ عَبْدَ الْمَلِكِ، وَيُقَالُ: وَعُتْبَةَ. وَتَزَوَّجَ رَمْلَةَ بِنْتَ شَيْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ قُصَيٍّ، فَوَلَدَتْ لَهُ عَائِشَةَ، وَأُمَّ أَبَانَ، وَأُمَّ عَمْرٍو ; بَنَاتِ عُثْمَانَ. وَتَزَوَّجَ نَائِلَةَ بِنْتَ الْفَرَافِصَةِ بْنِ الْأَحْوَصِ بْنِ عَمْرِو بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ حِصْنِ بْنِ ضَمْضَمِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ جَنَابِ بْنِ كَلْبٍ، فَوَلَدَتْ لَهُ مَرْيَمَ وَيُقَالُ: وَعَنْبَسَةَ.
পৃষ্ঠা - ৫৮৯৫



যে ভাল কাজ করবে যে এর পুরস্কার হারাবে না ৷ আল্লাহ এবং মানুষের নিকট সুনাম
বিলীন হয় না ৷’

৬ খুৰায়ব ইবন ইয়াসাফ ইবন উতবা আল আনসারী বদর যুদ্ধে অংশ্যাহণকারীদের
অন্যতম ৷

৭ সালমান ইবন রবী আ আল-রাহিলী ৷ তাকে সুহ্বা বলা হতো ৷ ইনি ছিলেন উল্লেখযোগ্য
বীর বাহাদুর এবং মশহুর ঘোড় সওয়ারদের অন্যতম ৷ উমর (রা)ও তাকে কুফায় কাযীর পদে
নিযুক্ত করেন ৷ উসমান (রা)-এর শাসনামলে তাকে তৃবইৰ্টদের সঙ্গে যুদ্ধ করার দায়িত্বে নিযুক্ত
করা হয় ৷ তুর্কী ফ্রান্সে বালঞ্জার নামক স্থানে তিনি নিহত হন ৷ সেখানে সিন্দুকে তাকে দাফন
করা হয় ৷ দৃর্ভিক্ষকালে তুর্কীরা তার উসীলায় বৃষ্টি বর্ষণ কামনা করে ৷

৮ আব্দুল্লাহ ইবন হুসাফা ইবন কায়স আল-কুরশী আসৃসাহমী ৷ তিনি এবং তার ভাই
কায়স হাবশায় হিজরত করেন ৷ ইনি ছিলেন বিশিষ্ট সাহাবীদের অন্যতম ৷ ইনিই রাসুলুল্লাহ্
মোঃ কে জিজ্ঞেস করেছিলেন :


হে আল্লাহর রাসুল ! আমার পিতা তো” আর রাসুলুল্লাহ্মোঃ কারো প্রতি অসন্তুষ্ট হলে
তাকে তার পিতা ছাড়া অন্যের নামে ডাকতেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ভ্রু বললেন৪ তােমার পিতা
ছযাফা’ ৷ আল্লাহর রাসুল তাকে ফিগরার নিকট (দুত হিসাবে) প্রেরণ করেন ৷ আর তিনি১
বুসরার প্রধান ব্যক্তির নিকট যে পত্র হস্তান্তর করেন ৷ আর বুসরার সে প্রধান ব্যক্তি একজন
লোক মারফত র্তাকে হেরাক্লিয়াসের কাছে নিয়ে যান ৷ যা ইতিপুর্বে আলোচনা করা হয়েছে ৷
উমর ইবনুল খাত্তাবের শাসনামলে রােমকরা ৮০ জন লোকের সঙ্গে র্তাকেও বন্দী করে ৷ কুফরী
অবলম্বন করতে তারা চাপ দিলেও তিনি তা অস্বীকার করেন তখন বাদশাহ র্তাকে বলে :

আমার মাথায় চুমু দাও আমি সঙ্গী-সাথী মুসলিমসহ ৫৩ ড়ামাকে মুক্তি দেবাে ৷ তিনি তার
মাথায় চুমাে দিলে তাকে মুক্তি দেয়া হয় ৷ তিনি মুক্তি লাভ করে হযরত উমর (রা)-এর সঙ্গে
সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি বলেন
তোমার মাথায় চুমু খাওয়া প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য ৷ এই বলে তিনি সকলের আগে তীর
মাথায় চুমু খান ৷ আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকুন ৷
৯ আব্দুল্লাহ ইবন সুরাকা ইবনুল মুতামির আল আদবী, ইনি ছিলেন উহুদ যুদ্ধে

অংশগ্রহণকারী সাহাবী ৷ যুহ্রীর ধারণা, ইনি বদর যুদ্ধেও শরীক ছিলেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল
জানেন ৷



১ এখানে কিছু তথ্য ৰিভ্রাট হয়েছে ৷ বুসরার শাসকের নিকট ংক্রোাহক ছিলেন দিহ্য়া কালবী (দ্র হযরত
মুহাষ্মদঃ মুস্তফা মাওলানা তফাজ্জল হোসইিন (পৃ ৬৮৩)


وَقُتِلَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَعِنْدَهُ أَرْبَعٌ ; نَائِلَةُ، وَرَمْلَةُ، وَأُمُّ الْبَنِينَ، وَفَاخِتَةُ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ طَلَّقَ أُمَّ الْبَنِينَ وَهُوَ مَحْصُورٌ. فَصْلٌ تَقَدَّمَ فِي دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، وَأَبُو دَاوُدَ، مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ نَاجِيَةَ الْكَاهِلِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «إِنَّ رَحَى الْإِسْلَامِ سَتَدُورُ لِخَمْسٍ وَثَلَاثِينَ، أَوْ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ، أَوْ سَبْعٍ وَثَلَاثِينَ، فَإِنْ يَهْلِكْ فَسَبِيلُ مَا هَلَكَ، وَإِنْ يَقْمْ لَهُمْ دِينُهُمْ، يَقُمْ لَهُمْ سَبْعِينَ عَامًا ". قَالَ: فَقَالَ عُمَرُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَبِمَا مَضَى أَمْ بِمَا بَقِيَ؟ قَالَ: " بَلْ بِمَا بَقِيَ» وَفِي لَفْظٍ لَهُ وَلِأَبِي دَاوُدَ: " «تَدُورُ رَحَى الْإِسْلَامِ لِخَمْسٍ وَثَلَاثِينَ، أَوْ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ» . الْحَدِيثَ، وَكَأَنَّ هَذَا الشَّكَّ مِنَ الرَّاوِي، وَالْمَحْفُوظُ فِي نَفْسِ الْأَمْرِ: " خَمْسٍ وَثَلَاثِينَ ". فَإِنَّ فِيهَا قُتِلَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عُثْمَانُ، عَلَى الصَّحِيحِ. وَقِيلَ: سَنَةَ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ. وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ. وَكَانَتْ أُمُورٌ شَنِيعَةٌ فَظِيعَةٌ، وَلَكِنَّ اللَّهَ سَلَّمَ وَوَقَى بِحَوْلِهِ وَقُوَّتِهِ فَلَمْ يَكُنْ بِأَسْرَعَ مِنْ أَنْ بَايَعَ النَّاسُ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللَّهُ