আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وثلاثين

الأحاديث الواردة في فضائل عثمان بن عفان

مناقبه الكبار وحسناته العظيمة

পৃষ্ঠা - ৫৮৮৯


ওয়াকিদী ইবন আবু সুবব৷ আবুহ্ব ব্ায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেনং :
াকুা
গ্লুা৷ ৷,
সমান (বা) মাসাহিফের অনুলিপি প্রস্তুত করাবার পর আবু হুরায়রা (বা) তার সঙ্গে
সাক্ষাৎ করে বলেন, আপনি ঠিক কাজটি করেছেন ৷ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, রাসুলুল্লাহ্কুমোর্দু কে
আমি বলতে শুনেছি; আমার উম্মতের মধ্যে সেসব লোক আমাকে সব চাইতে বেশি ভালবাসার,
যদ্রা আমরে পরে আগমন করবে এবং আমাকে না দেখেও আমার প্রতি ঈমান আনবে এবং
কুলন্ত পত্রে যা আছে সে অনুযায়ী তারা আমল করবে ৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম; ঝুলন্ত পত্র কি?
শেষ পর্যন্ত আমি মাসাহিফ’ দেখলাম ৷ রাবী বলেন, এতে উসমান (রা) খুশি হয়ে আবু
হুরায়রাকে দশ হাজার (দিরহড়াম) পুরস্কার প্রদানের নির্দেশ দেন ৷ এরপর তিনি বলেনঃ আল্লাহর
কসম! আমি জানতাম না যে, আপনি আমাদের জন্য নবী করীমগ্লুস্কু এর হাদীসকে এভাবে
ধারণ করে রাখবেন ৷ তারপর লোকজনের নিকট মাসহিফের অন্যান্য যেসব ক৷ প ছিল, তিনি
সেদিকে মনোযোগ দেন এবং তার প্রস্তুত কপির থেকে ভিন্নতর কপিগুলে৷ জ্বালিয়ে ফেলেন, যেন
সেসব কপির কারণে জনমনে বিভেদ আর বিভ্রান্ত সৃষ্টি না হয় ৷ এ প্রসঙ্গে আবু বকর ইবন আবু
দাউদ কিতাবুল মাসাহিফ’ গ্রন্থে মুহাম্মদ ইবন বাশৃশার সুওয়াইদ ইবন গাফালা সুত্রে বর্ণনা
করেন যে, উসমড়ান (রা) মাসাহিফের কপি জ্বালিয়ে ফেলার পর আলী (রা) আমাকে
বলেছিলেন, তিনি একাজটি না করলে আমি অবশ্যই করতাম ৷’ অনুরুপভাবে আবু দাউদ
তায়ালিসি ও আমৃর ইবন মারয়ুফ শুব৷ সুত্রেও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ বায়হাকী প্রমুখ
মুহাম্মদ ইবন আবান ঈযার ইবন পাফালা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আমি শুনেছি ৷ সুওয়ইিদ
ইবন প্যফালা বলেন : আলী (রা) বলেছেন :


চে;া৷ ৷
লেড়াক সকল ৷ উসমানের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি থেকে বিরত থাক ৷ তোমরা বর্লছ, তিনি
কুরআন শরীফের কপি জ্বালিয়ে ফেলেছেন ৷ আল্লাহ্র কসম ! তিনি মুহাম্মদখ্যাঃ এর সাহাবীদের
পরামর্শক্রমেই তা জ্বালিয়েছেন ৷ তার উপর যে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছিল তা যদি আমার উপর
অর্পিত হতো৩ তা৩হলে তিনি যেমন করেছেন, আমিও তেমন করতাম ৷’

ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, উসমনে (রা) তার হাত ৩থেকে মাসহাফের কপি
নিয়ে জ্বালিয়ে ফেললে তিনি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে মাসাহিফের লেখক যায়দ ইবন সাধিত এর
চাইতে ইসলামে তার অগ্রগণ্য হওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন উত্থাপন করে তার সঙ্গী-সাথীদেরকে


فِدًى لِلْأَكْرَمِينَ بَنِي هِلَالٍ ... عَلَى عِلَّاتِهِمْ أَهْلِي وَمَالِي هُمُ سَنُّوا الْجَوَائِزَ فِي مَعَدٍّ ... فَعَادَتْ سُنَّةً أُخْرَى اللَّيَالِي رِمَاحُهُمُ تَزِيدُ عَلَى ثَمَانٍ ... وَعَشْرٍ قَبْلَ تَرْكِيبِ النِّصَالِ [مَنَاقِبُهُ الْكِبَارُ وَحَسَنَاتُهُ الْعَظِيمَةُ] فَصْلٌ (مَنَاقِبُهُ الْكِبَارُ وَحَسَنَاتُهُ الْعَظِيمَةُ) وَمِنْ مَنَاقِبِهِ الْكِبَارِ وَحَسَنَاتِهِ الْعَظِيمَةِ أَنَّهُ جَمَعَ النَّاسَ عَلَى قِرَاءَةٍ وَاحِدَةٍ، وَكَتَبَ الْمُصْحَفَ عَلَى الْعَرْضَةِ الْأَخِيرَةِ، الَّتِي دَرَّسَهَا جِبْرِيلُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي آخِرِ سِنِي حَيَاتِهِ، وَكَانَ سَبَبُ ذَلِكَ أَنَّ حُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ كَانَ فِي بَعْضِ الْغَزَوَاتِ، وَقَدِ اجْتَمَعَ فِيهَا خَلْقٌ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ مِمَّنْ يَقْرَأُ عَلَى قِرَاءَةِ الْمِقْدَادِ بْنِ الْأَسْوَدِ وَأَبِي الدَّرْدَاءِ، وَجَمَاعَةٌ مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ مِمَّنْ يَقْرَأُ عَلَى قِرَاءَةِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ وَأَبِي مُوسَى، وَجَعَلَ مَنْ لَا يَعْلَمُ بِسَوَغَانِ الْقِرَاءَةِ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ يُفَضِّلُ قِرَاءَتَهُ عَلَى قِرَاءَةِ غَيْرِهِ، وَرُبَّمَا خَطَّأَ الْآخَرَ أَوْ كَفَّرَهُ، فَأَدَّى ذَلِكَ إِلَى اخْتِلَافٍ شَدِيدٍ وَانْتِشَارٍ فِي الْكَلَامِ السَّيِّئِ بَيْنَ النَّاسِ، فَرَكِبَ حُذَيْفَةُ إِلَى عُثْمَانَ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، أَدْرِكْ هَذِهِ الْأُمَّةَ قَبْلَ أَنْ تَخْتَلِفَ فِي كِتَابِهَا كَاخْتِلَافِ الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى فِي كُتُبِهِمْ. وَذَكَرَ لَهُ مَا شَاهَدَ مِنَ اخْتِلَافِ النَّاسِ فِي الْقِرَاءَةِ، فَعِنْدَ ذَلِكَ جَمَعَ عُثْمَانُ الصَّحَابَةَ وَشَاوَرَهُمْ فِي ذَلِكَ، وَرَأَى أَنْ يَكْتُبَ الْمُصْحَفَ عَلَى حَرْفٍ وَاحِدٍ، وَأَنْ يَجْمَعَ النَّاسَ فِي سَائِرِ الْأَقَالِيمِ عَلَى الْقِرَاءَةِ بِهِ دُونَ مَا سِوَاهُ ; لِمَا رَأَى فِي ذَلِكَ مِنْ مَصْلَحَةِ كَفِّ الْمُنَازَعَةِ وَدَفْعِ
পৃষ্ঠা - ৫৮৯০


নিজেদের মাসাহিফেরকপি গোপনে বেধে রাখার নির্দেশ দেন ৷ এ সময় তিনি এ আয়াতটি
তিলাওয়াত করেন :

আর কেউ কিছু গোপন করলে কিয়ামতের দিন যে তা নিয়ে উপস্থিত হয়ে ৷ (সুরা আলে
ইমরান ৩ : ১৬১)

তাই উসমান (রা)৩ তাকে পত্র লিখে সাহারা ই কিরামের অনুসরণের প্রতি ৩অড়াহ্বান জানান
যে, যে বিষয়ে তারা একমত হয়েছেন তাতেই কল্যাণ, ঐক্য এবং অনৈকের প্রতিষেধ্ক নি৩
রয়েছে ৷ ফলে তিনি তার মত থেকে ফিরে আসেন, আনুগত্য আর অনুসরণের দিকে ফিরে
আসেন এবং অনৈক্য বর্জনের পক্ষে রায় দেন ৷ তাদের সকলের প্রতি ৩আল্লাহ্ সভুষ্ট থাকুন ৷

আবু ইসহাক আব্দুর রহমান ইবন ইয়াযীদের বরাতে বর্ণনা করেন যে, আব্দুল্লাহ ইবন
মাসউদ (রা) মিনার’ মসজিদে প্রবেশ করে জিজ্ঞেস করেন : আমীরুল মুমিনীন যােহরের
নামায কয় রাকাআত আদায় করেছেন ৷ লোকেরা জবাব দিলেন চার রাকাআত ৷ তখন
লোকেরা বললাে, আপনি তো আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ঘ্নে আবু
বকর এবং উমর (রা) দৃ’রাকাআত নামায আদায় করেছেন?৩ তিনি বললেন, হী৷ এখনো আমি
সে হাদীসই গােনাচ্ছি, তবে কিনা আমি ইখতিলাফ পছন্দ করি না ৷ সহীহ হাদীসে আছে যে,
ইবন মাসউদ (রা) বলেন, বার রাক আংতর মধ্যে মকবুল দৃ রাক আ৩ ও যদি আমার হিস্যায়
পড়তে৷ ! ’

আমাশ ঘুআবিয়া ইব ন কুররা সুত্রে ওয়াসািত তার শায়খদের বরাতে বলেন : উসমান
(রা) মিনার যােহরের নামায চার রাকআত আদায় করেন ৷ হযরত আব্দুল্লীহ ইবন মাসউদএ
সম্পর্কে জানতে পেরে তাকে দােষারোপ করেন ৷ এরপর ইবন মাসউদ তার নিজগৃহে আসবে
চার রাক আত নামায আদায় করলে তাকে বলা হয়, উসমানকে দােষারোপ করে আপনি নিজে
চার রাকাআত নামায আদায় করলেন ৷’ শ্জংাবে তিনি বলেন, আমি মতভেদকে পছন্দ করি
না ৷ ’ অপর বর্ণনামতে মতভেদ আছে ৷ খুটিনাটি বিষয়ে উসমান (রা)-এর অনুসরণের ক্ষেত্রে
ইবন মাসউদের যখন এ অবস্থা, তখন মুল কুরআনের ক্ষেত্রে তার অনুসরণের কি অবস্থা হবো
আর কুরআন মজীদ তিলাওয়াত্তে র ক্ষেত্রে যে রীতি ৩অনুসরণের জন্য জোর দিয়েছেন, তারইবা
কি অবস্থা হবে ৷

ইমাম যুহরী প্রমুখ উল্লেখ করেছেন যে, উসমান (রা) পুর্ণ নামায আদায় করেন রদ্দুদের
আশংকায় ; যাতে তারা একথা বিশ্বাস না করে বলে যে, দৃরাকআত নামাযই ফরয ৷ , কেউ কেউ
বলেন, বরং তিনি মক্কায় স্থায়িভাবে বাস করেছিলেন ৷ ইয়ালা প্রমুখ ইকরাম৷ ইবন ইব্রাহীম
সুত্রে আবদুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান ইবনুল হারিস ইবন আবু যুবাব৩ তার পিতার বরাতে বর্ণনা
করেন যে উসমান (রা) তাদেরকে নিয়ে মিনার চার আক আত নামায আদায় করেছেন ৷
তারপর জনতারদিকে মুখ করে বলেন যে, আমি রাসুলুল্লাহ্ড্রে ণ্ক বলতে শ্যুনছি :

ব্লু ,ট্রুও ৷১া
“কোন ব্যক্তি কোন শহরে বিবাহ করলে যে ব্যক্তি সে শহরের বাসিন্দা হয়ে যায় ৷” আর
আমি সেখানে পুর্ণ নামায পড়েছি, কারণ সেখানে আগমন করার পর আমি সেখানে বিবাহ


الِاخْتِلَافِ، فَاسْتَدْعَى بِالصُّحُفِ الَّتِي كَانَ الصِّدِّيقُ أَمَرَ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ بِجَمْعِهَا، وَكَانَتْ عِنْدَ الصِّدِّيقِ أَيَّامَ حَيَاتِهِ، ثُمَّ كَانَتْ عِنْدَ عُمَرَ، فَلَمَّا تُوُفِّيَ صَارَتْ إِلَى حَفْصَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، فَاسْتَدْعَى بِهَا عُثْمَانُ وَأَمَرَ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ الْأَنْصَارِيَّ أَنْ يَكْتُبَ، وَأَنْ يُمْلِيَ عَلَيْهِ سَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ الْأُمَوِيُّ، بِحَضْرَةِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ الْأَسَدِيِّ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ الْمَخْزُومِيِّ، وَأَمَرَهُمْ إِذَا اخْتَلَفُوا فِي شَيْءٍ أَنْ يَكْتُبُوهُ بِلُغَةِ قُرَيْشٍ، فَكَتَبَ لِأَهْلِ الشَّامِ مُصْحَفًا وَلِأَهْلِ مِصْرَ آخَرَ، وَبَعَثَ إِلَى الْبَصْرَةِ مُصْحَفًا وَإِلَى الْكُوفَةِ بِآخَرَ، وَأَرْسَلَ إِلَى مَكَّةَ مُصْحَفًا وَإِلَى الْيَمَنِ مِثْلَهُ، وَأَقَرَّ بِالْمَدِينَةِ مُصْحَفًا، وَيُقَالُ لِهَذِهِ الْمَصَاحِفِ: الْأَئِمَّةُ. وَلَيْسَتْ كُلُّهَا بِخَطِّ عُثْمَانَ، بَلْ وَلَا وَاحِدٌ مِنْهَا، وَإِنَّمَا هِيَ بِخَطِّ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، وَإِنَّمَا يُقَالُ لَهَا: الْمَصَاحِفُ الْعُثْمَانِيَّةُ ; نِسْبَةً إِلَى أَمْرِهِ وَزَمَانِهِ وَإِمَارَتِهِ. كَمَا يُقَالُ: دِينَارٌ هِرَقْلِيُّ. أَيْ ضُرِبَ فِي زَمَانِهِ وَدَوْلَتِهِ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي سَبْرَةَ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - وَرَوَاهُ غَيْرُهُ، مِنْ وَجْهٍ آخَرَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - قَالَ: «لَمَّا نَسَخَ عُثْمَانُ الْمَصَاحِفَ دَخَلَ عَلَيْهِ أَبُو هُرَيْرَةَ، فَقَالَ: أَصَبْتَ وَوُفِّقْتَ، أَشْهَدُ لَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: " إِنَّ أَشَدَّ أُمَّتِي حُبًّا لِي قَوْمٌ يَأْتُونَ مِنْ بَعْدِي يُؤْمِنُونَ بِي وَلَمْ يَرَوْنِي يَعْمَلُونَ بِمَا فِي الْوَرَقِ الْمُعَلَّقِ " فَقُلْتُ: أَيُّ وَرَقٍ؟ حَتَّى رَأَيْتُ الْمَصَاحِفَ. قَالَ: فَأَعْجَبَ ذَلِكَ عُثْمَانَ، وَأَمَرَ لِأَبِي هُرَيْرَةَ بِعَشَرَةِ آلَافٍ، وَقَالَ:
পৃষ্ঠা - ৫৮৯১


করেছি ৷ আর এ হাদীসঢি সহীহ নয় ৷ কারণ, রাসুলুল্লাহ্ ষ্ঘ্নেউমৃরাতৃল কাষায় হযরত মায়মুনা
(রা) কে বিবাহ করেন ৷ কিন্তু তিনি তো তখন সেখানে পুরো নামায আদায় করেন নি ৷ কেউ
কেউ বলেন, হযরত ৩উসমান (রা) এর এ ব্যাখ্যা করেছেন যে, তিনি সেখানেই থাকুন না কেন,
সেখানেই তো তিনি আমীরুল মু মিনীন ৷ আর এভাবেই হযরত আয়িশা ব্যাখ্যা করে পুর্ণ নামায
আদায় করেছেন ৷ কিংব্লু৷ তাদের এ ব্যাখ্যা সম্বন্ধেও কথা থেকে যায় ৷ কারণ রাসুলুল্পাহ্ড়াে
যেখানেই থাকেন, তিনি রাসুলই থাকেন; তা সত্বেও তিনি সফরে পুর্ণ নামায আদায় করেন নি ৷
আর হযরত উসমান (বা) যে ৰিষয়টার উপর আস্থা রাখতে ন তা এই যে, তিনি প্রতি বছর
(হম্ভজ্জর) মৌসুমে গভর্নরদের উপস্থিতি বাধ্যতামুলক করেছিলেন এবং তিনি প্ৰজাদের লিখে
জানান যে, তাদের মধ্যে যে ব্যক্তির অধিকার হরণ হয়েছে সে যেন উপস্থিত হয় (হজ্ঞোর)
মৌসুমে, আমি শাসনকর্তার নিকট থেকে তার অধিকার আদায় করেদেবাে ৷
আর উসমান (রা) অনেক বড় বড় সাহাবীকে অনুমতি দান করেছিলেন, তারা যে কোন
শহরে ইচ্ছা সফর করতে পারতেন ৷ পক্ষান্তরে হযরত উমর (বা) এ ব্যাপারে তাদের উপর
কড়াকড়ি আরোপ করেছিলেন ৷ এমনকি যুদ্ধে যোগদানের ক্ষেত্রেও তিনি কড়াকাড়ি আরোপ
করেন ৷ তিনি বলতেন :
“আমার আশংকা হয় যে, তোমরা তাে দুনিয়া দেখবে আর দুনিয়ার সন্তানরা দেখবে
তােমৰুদেরকে ৷’ কিন্তু উসমান (রা)-এর শাসনকালে তারা যখন বের হন তখন তাদের কাছে
লােকন্ধ্ৰ,ন জড়ো হয় ৷ আর প্রত্যেকের সাথী জুটে এবং উসমান (রা)-এর পর প্রত্যেবেইি আশা
পেষেণ করে যে, তার সঙ্গীই নেতৃত্ব কর্তৃতু লাভ করবেন ৷ আর এ কারণেই তারা তাড়াতাড়ি
তার শুভ্যুপ্ কামনা করে এবং তার জীবনকাল তাদের নিকট দীর্ঘ ঠেকে ৷ শেষ পর্যন্ত কোন কোন
শহরের বাসিন্দাদের দ্বারা বিস্ময়কর ঘটনা সংঘটিত হয় যে সম্পর্কে ইতিপুর্বে আলোচনা করা
হয়েছে ৷
প্রুা৷ ,ন্ৰুন্৷ ৷ এে
ট্রট্রুা;;ট্রু ৷
আমরা সকলেই আল্লাহর জন্য, তার সমীপেই ফিরে যেতে হবে আমাদেরকে ৷ মহা
প্রতাপশালী মহাজ্ঞা ৷নী অ ৷ল্লাহ্ ছাড়া কারো কোন ক্ষমতা নেই ৷ যিনি সর্বোচ্চ তিস্টিং শ্রেষ্ঠ ৷
উসমান (না)-এর শ্রী, পুত্র-কন্যা প্রসঙ্গ
রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর কন্যা রুকাইয়্যা (রা)-কে তিনি বিবাহ করেন ৷ তার গর্ভে তার এক
পুত্র সন্তান আবদুল্লাহ্র জন্ম হয় ৷ এ সন্তানের নামানুসারে তিনি (আবু আব্দুল্লাহ) কুনিয়াত বা
উপন;ম ধারণ করেন ৷ আর জাহিলী যুগে তার কুনিয়াত ছিল আবু আমৃর ৷ রুকাইয়্যা ইন্তিকাল
করলে তিনি তার শ্রীর বোন উম্মে কুলসুম (রা)-কে বিবাহ করেন ৷ ইনি ইস্তিকাল করলে তিনি

কাথ্তা বিনৃত গাযওয়ান ইবন জাবিরকে বিবাহ করেন ৷ এর গর্ভে তার উবড়ায়দুল্লাহ আল-
আসগর নামে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয় ৷ তারপর তিনি বিবাহ করেন উম্মু অড়াম্র বিনৃত জুন্দুব


وَاللَّهِ مَا عَلِمْتُ أَنَّكَ لَتَحْبِسُ عَلَيْنَا حَدِيثَ نَبِيِّنَا، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. ثُمَّ عَمَدَ إِلَى بَقِيَّةِ الْمَصَاحِفِ الَّتِي بِأَيْدِي النَّاسِ مِمَّا يُخَالِفُ مَا كَتَبَهُ فَحَرَقَهُ ; لِئَلَّا يَقَعَ بِسَبَبِهِ اخْتِلَافٌ» ، فَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي دَاوُدَ فِي كِتَابِ " الْمَصَاحِفِ ": حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ قَالَا: ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ سُوَيْدِ بْنِ غَفَلَةَ قَالَ: قَالَ لِي عَلِيٌّ حِينَ حَرَقَ عُثْمَانُ الْمَصَاحِفَ: لَوْ لَمْ يَصْنَعْهُ هُوَ لَصَنَعْتُهُ. وَهَكَذَا رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، وَعَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، عَنْ شُعْبَةَ مِثْلَهُ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ وَغَيْرُهُ، مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبَانَ - زَوْجِ أُخْتِ حُسَيْنٍ - عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ قَالَ: سَمِعْتُ الْعَيْزَارَ بْنَ جَرْوَلَ، سَمِعْتُ سُوِيدَ بْنَ غَفَلَةَ قَالَ: قَالَ عَلِيٌّ: أَيُّهَا النَّاسُ، إِيَّاكُمْ وَالْغُلُوَّ فِي عُثْمَانَ، يَقُولُونَ: حَرَقَ الْمَصَاحِفَ. وَاللَّهِ مَا حَرَقَهَا إِلَّا عَنْ مَلَأٍ مِنْ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَوْ وَلِيتُ مِثْلَ مَا وَلِيَ لَفَعَلْتُ مِثْلَ الَّذِي فَعَلَ.
পৃষ্ঠা - ৫৮৯২


ইবন আমৃর আল-আযদিয়াকে ৷ এর গর্ভে উমর, খালি দ, আবান এবং মারইয়ামের জন্ম হয় ৷
তারপর তিনি বিবাহ করেন ফাতিমা বিনতুল ওয়ালীদ ইবন আবদ শাম্স আল-মাখৃবুমিয়াকে
এবং এর গর্ভে দৃট্জ্জা পুত্র সন্তান ওয়ালীদ এবং সাঈদের জন্ম হয় ৷

এরপর তিনি বিবাহ করেন উম্মুল বানীন ৰিনৃত উয়ইিনা ইবন হিসান আল-ফাযারিয়াকে
এবং এর গর্ভে আব্দুল মালিকের জন্ম হয় ৷ কেউ কেউ বলেন, এর গর্ভে উতবারও জন্ম হয় ৷
এরপর তিনি বিবাহ করেন রামলা ৰিনৃত শায়বা ইবন রবীআ ইবন আবদ শাম্স ইবন অব্দে
মানাফ ইবনংকুসাইকে এবং এর গর্তোআঃয়শা, উম্মু জানান এবং উন্মু আম্রৰুন্যুমে, তিনজন কন্যা ৰু-ৰুণ্ৰুৰু
সন্তানের জন্ম হয় ৷“ এরপর তিনি বিবাহ করেন নায়েলা বিনতৃল ফারাকিসা ইবনুল আহওয়াস
ইবন আম্র ইবন সালাবা ইবন হিসৃন ইবন যামযাম ইবন আদী ইবন হাইয়্যান ইবন
কুলাইবকে ৷ এর গর্ভে তার এক কন্যা সন্তান মতান্তরে আম্বাসা নামে কন্যা সন্তানের জন্ম হয় ৷
নিহত হওয়ার সময় তার চারজন শ্রী ছিলেন ৷ তারা হলেন নায়েলা, রামলা , উম্মুল বানীন এবং
ফাখৃতা ৷ কারো কারো মতে অবরোধকালে তিনি উম্মুল বানীনকে তালাক দেন ৷

রাসুলুল্লাহ্ হুখৃষ্ণ্ন্ৰুট্রু এর একটি হাদীস ইতিপুর্বে দালাইলুন নুবুওয়াত’ অধ্যায়ে একটি হাদীস
বর্ণিত হয়েছে, যা ইমাম আহমদ (র) এবং ইমাম আবু দাউদ (র) সুফিয়ান সাওরী
আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলে করীমড্রো বলেছেন :


ইসলামের চাকা ঘুরবে ৩৫, ৩৬ বা ৩৭ বছরে ৷ তা যদি ধ্বংস হয় তবে তা হবে সে
পখেই, আর যদি তাদের দীন টিকে থাকে তবে তা থাকবে ৭০ বছর ৷ তখন উমর (রা)
বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ৷ যা গত হয়েছে তা নিয়ে, না যা অবশিষ্ট আছে তা নিয়ো তিনি
বললেন, বরং যা অবশিষ্ট আছে, তা নিয়ে ৷ ইযারুম আহমদ ও আবু দাউদের ভাষায় বলা হয়েছেঃ


৩৫ বা ৩৬ বহ্ব ইসলামের চাকা আবর্তিত হবে ৷ আর এই সন্দেহ বর্ণনড়াকারীর পক্ষ
থেকে ৷ আর মুলত সংরক্ষিত হচ্ছে ৩৫ বছর ৷ আর এই ৩৫ বছরের মাথায়ই হযরত উসমান
(বা) নিহত হন ৷ এটিইি বিশুদ্ধ কথা ৷ জ্যি মতে ৩৬ সালের মাথায় আমীরুলমুমিনীন উসমান-’
(বা) নিহত হয়েছেন ৷ প্রথম মতঢিই বিশুদ্ধ ৷ আর তখন বীতৎস কাণ্ড ঘটে যায় ৷ তবে আল্লাহ্
তাআলা তীর শক্তি আর ক্ষমতা বলে রক্ষা করেছেন ৷ তইি অতি দ্রুত লোকেরা আলী ইবন
আবু তালিবের হাতে বায়আত করে ৷ আল্লাহ্ তার প্রতি সস্তুষ্ট থাকুন ৷ ব্যাপার ঠিকঠাক হয়ে
যায় এবং অস্থিরতা দুর হয়ে স্থিরতা ফিরে আসে ৷ কিন্তু উটের যুদ্ধ আর সিফ্ফিনের ময়দানে
এমন কিছু ঘটনা ঘটে যার, যা আমরা শিগগিরই বর্ণনা করবো ইনশ্যঅলোঃহ্ তাআল৷ ৷

উসমান (রা) এর শাসনামলে যাদের ইনতিকাল হয় এবং যাদের ওফাতের তারিখ নির্দিষ্ট
করে জানা নেই ৷

৫০


وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ أَنَّهُ تَعَتَّبَ لَمَّا أُخِذَ مِنْهُ مُصْحَفُهُ فَحُرِّقَ، وَتَكَلَّمَ فِي تَقَدُّمِ إِسْلَامِهِ عَلَى زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ الَّذِي كَتَبَ الْمَصَاحِفَ، وَأَمَرَ أَصْحَابَهُ أَنْ يَغُلُّوا مَصَاحِفَهُمْ، وَتَلَا قَوْلَهُ تَعَالَى {وَمَنْ يَغْلُلْ يَأْتِ بِمَا غَلَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ} [آل عمران: 161] فَكَتَبَ إِلَيْهِ عُثْمَانُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَدْعُوهُ إِلَى اتِّبَاعِ الصَّحَابَةِ فِيمَا أَجْمَعُوا عَلَيْهِ مِنَ الْمَصْلَحَةِ فِي ذَلِكَ، وَجَمْعِ الْكَلِمَةِ، وَعَدَمِ الِاخْتِلَافِ، فَأَنَابَ وَأَجَابَ إِلَى الْمُتَابَعَةِ وَتَرَكَ الْمُخَالَفَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ. وَقَدْ قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ: عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ دَخَلَ مَسْجِدَ مِنًى، فَقَالَ: كَمْ صَلَّى أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ الظُّهْرَ؟ قَالُوا: أَرْبَعًا. فَصَلَّى ابْنُ مَسْعُودٍ أَرْبَعًا، فَقَالُوا: أَلَمْ تُحَدِّثْنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ صَلَّوْا رَكْعَتَيْنِ؟ فَقَالَ: نَعَمْ، وَأَنَا أُحَدِّثُكُمُوهُ الْآنَ، وَلَكِنْ أَكْرَهُ الِاخْتِلَافَ. وَفِي " الصَّحِيحِ " أَنَّ ابْنَ مَسْعُودٍ قَالَ: لَيْتَ حَظِّي مِنْ أَرْبَعِ رَكَعَاتٍ رَكْعَتَانِ مُتَقَبَّلَتَانِ. وَقَالَ الْأَعْمَشُ: حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ قُرَّةَ - بِوَاسِطٍ - عَنْ أَشْيَاخِهِ قَالُوا: صَلَّى عُثْمَانُ الظُّهْرَ بِمِنًى أَرْبَعًا، فَبَلَغَ ذَلِكَ ابْنَ مَسْعُودٍ، فَعَابَ عَلَيْهِ، ثُمَّ صَلَّى بِأَصْحَابِهِ الْعَصْرَ فِي رَحْلِهِ أَرْبَعًا، فَقِيلَ لَهُ: عِبْتَ عَلَى عُثْمَانَ وَصَلَّيْتَ أَرْبَعًا؟ فَقَالَ: إِنِّي أَكْرَهُ الْخِلَافَ. وَفِي رِوَايَةٍ: الْخِلَافُ شَرٌّ. فَإِذَا كَانَ هَذَا مُتَابَعَةً مِنَ
পৃষ্ঠা - ৫৮৯৩
ابْنِ مَسْعُودٍ عُثْمَانَ فِي هَذَا الْفَرْعِ، فَكَيْفَ بِمُتَابَعَتِهِ إِيَّاهُ فِي أَصْلِ الْقُرْآنِ، وَالِاقْتِدَاءِ بِهِ فِي التِّلَاوَةِ الَّتِي عَزَمَ عَلَى النَّاسِ أَنْ يَقْرَأُوا بِهَا لَا بِغَيْرِهَا؟ وَقَدْ حَكَى الزُّهْرِيُّ وَغَيْرُهُ أَنَّ عُثْمَانَ إِنَّمَا أَتَمَّ الصَّلَاةَ خَشْيَةً عَلَى الْأَعْرَابِ أَنْ يَعْتَقِدُوا أَنَّ فَرْضَ الصَّلَاةِ رَكْعَتَانِ. وَقِيلَ: بَلْ قَدْ تَأَهَّلَ بِمَكَّةَ. فَرَوَى أَبُو يَعْلَى وَغَيْرُهُ، مِنْ حَدِيثِ عِكْرِمَةَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ أَبِي ذُبَابٍ، عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عُثْمَانَ صَلَّى بِهِمْ بِمِنًى أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْهِمْ، فَقَالَ: إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «إِذَا تَزَوَّجَ الرَّجُلُ بِبَلَدٍ فَهُوَ مِنْ أَهْلِهِ» وَإِنِّي أَتْمَمْتُ لِأَنِّي تَزَوَّجْتُ بِهَا مُنْذُ قَدِمْتُهَا. وَهَذَا الْحَدِيثُ لَا يَصِحُّ، وَقَدْ تَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي عُمْرَةِ الْقَضَاءِ بِمَيْمُونَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ وَلَمْ يُتِمَّ الصَّلَاةَ. وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ عُثْمَانَ تَأَوَّلَ أَنَّهُ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ حَيْثُ كَانَ. وَهَكَذَا تَأَوَّلَتْ عَائِشَةُ فَأَتَمَّتْ. وَفِي هَذَا التَّأْوِيلِ نَظَرٌ ; فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، هُوَ رَسُولُ اللَّهِ حَيْثُ كَانَ، وَمَعَ هَذَا مَا أَتَمَّ الصَّلَاةَ فِي الْأَسْفَارِ. وَمِمَّا كَانَ يَعْتَمِدُهُ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ أَنَّهُ كَانَ يُلْزِمُ عُمَّالَهُ بِحُضُورِ الْمَوْسِمِ كُلَّ عَامٍ، وَيَكْتُبُ إِلَى الرَّعَايَا: مَنْ كَانَتْ لَهُ عِنْدَ أَحَدٍ مِنْهُمْ مَظْلِمَةٌ فَلْيُوَافِ إِلَى الْمَوْسِمِ، فَإِنِّي آخُذُ لَهُ حَقَّهُ مِنْ عَامِلِهِ. وَكَانَ عُثْمَانُ قَدْ سَمَحَ لِكَثِيرٍ مِنْ كِبَارِ الصَّحَابَةِ فِي الْمَسِيرِ حَيْثُ شَاءُوا مِنَ الْبِلَادِ، وَكَانَ عُمَرُ يَحْجُرُ عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ، حَتَّى وَلَا فِي الْغَزْوِ وَيَقُولُ: إِنِّي أَخَافُ أَنْ تَرَوُا الدُّنْيَا أَوْ أَنْ يَرَاكُمْ أَبْنَاؤُهَا. فَلَمَّا