আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وثلاثين

الأحاديث الواردة في فضائل عثمان بن عفان

مناقبه رضي الله عنه

পৃষ্ঠা - ৫৮৮৭


(আ) যেভবে রাসুলুল্পাহ্ঘ্নে কে কুরআন মজীদ পাঠ করে শোনান, উসমান (রা) সে ধারায়
কুরআন মজীদ লিপিবদ্ধ করান ৷ এর একটা কারণও আছে তা এই যে, হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান
(বা) কোন এক যুদ্ধে অংশ্যাহণ করেন ৷ সিরিয়ার বিপুল লোক এ যুদ্ধে শরীক ছিল ৷ এরা
তিলাওয়াত করতেন মিকদাদ ইবনুল আসওয়াদ এবং আবু দারদার রীতি অনুযায়ী ৷ আর
ইরাকের লোকেরা তিলাওয়াত করতো আব্দুল্লাহ ইবন মাসৃউদ এবং আবু মুসা (আশআরী) এর
রীতি অনুযায়ী ৷

সাত হরফ তথা সাত রীতি অনুযায়ী কুরআন তিলাওয়াত জায়িয একথা যার জানা ছিল না
যে নিজের কিরাআতকে আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (বা) ও আবু মুসা (রা)-এর কিরাআতের
চাইতে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান করতো, আবার সাত রীতিতে কুরআন তিলাওয়াত জায়িয এটা যার জানা
ছিল না যে নিজের কিরাঅড়াতকে অপরের কিরাআতের উপর গ্রেষ্ঠতৃ দিত ৷ কখনো কখনো
অপরকে অপরাধী এমন কি কাফির বলেও তাদেরকে আখ্যায়িত করত এতে প্রচণ্ড মতবিরোধ
দেখা দেয় এবং জনগণের মধ্যে কটুক্তি ছড়িয়ে পড়ে ৷ হযরত হুযাইফা (রা) সওয়ারীতে
আরোহণ করে উসমনে (রা)-এর নিকট আগমন করে বললেন, আযীরুল মু’মিনীন!
ইহুদী-নাসারা তাদের কিতাবের ব্যাপারে যেমন মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে, এই উম্মত তেমন
অবস্থায় পতিত হওয়ার পুর্বেই সংশোধনের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন ৷ ’ কিরাতের ব্যাপারে প্রত্যক্ষ
অভিজ্ঞতার কথাও তিনি উল্লেখ করেন ৷

উসমান (বা) এ প্রসঙ্গে সাহাবীপণকে সমবেত করে তাদের কাছে পরামর্শ চান ৷ এ রীতিতে
কুরআন লিপিবদ্ধ করা এবং সকল অঞ্চলের ণ্লাকদেরকে এ ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ করার পক্ষে তিনি
মত প্রকাশ করেন ৷ এ ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন রীতি চলতে দেওয়া বাইনীয় নয় ৷ তার মতে বিরোধ
নিষ্পত্তি আর মতপার্থক্য নিরসনের উপায় এতেই নিহিত রয়েছে ৷ আবু বকর সিদ্দীক (রা) ন্
মাসহাফের যে কপিঢি সংগ্রহ করার জন্য যায়দ ইবন সাবিত (রা) কে নির্দেশ দিয়ে ছিলেন,
আবু বকর (রা)-এর জীবদ্দশায় যা তার কাছে ছিল, পরে তা ছিল উমর (রা) এর নিকট এবং
তার পরবর্তীকালে তা সংরক্ষিত ছিল উন্মুল মু’মিনীন হাফসা (রা)-এর নিকট, সে কপিঢি তিনি
তলব করে জানান এবং যায়দ ইবন সাধিত আনসারীকে (নব পর্যায়ে) কুরআন মজীদ লিপিবদ্ধ
করার নির্দেশ দেন ৷

আব্দুল্লাহ ইবন যুবায়র আসড়াদী এবং আব্দুর রহমান ইবনুল হারিস ইবন হিমাশ
আল-মাখয়ুমীর উপস্থিতিতে সাঈদ ইবনুল আস আল উমযীএর পঠন-“এর মাধ্যমে এই কপি
প্রস্তুত করা হবে ৷ তিনি তাদেরকে এ নির্দেশও দান করেন যে, কোন ক্ষেত্রে মতভেদ দেখা দিলে
যেন কুরায়শের ভাষা-রীতি অনুযায়ী লিপিবদ্ধ করা হয় ৷ সিরিয়াবাসীদের জন্য মাসহাফের একটা
কপি লিপিবদ্ধ করা হয়, আরেকটা কপি করা হয় মিসরৰাসীদের জন্য ৷ বসৃরা এবং কুফায় ভিন্ন
ভিন্ন কপি প্রেরণ করা হয় ৷ মক্কা, মদীনা এবং ইয়ামানেও কপি প্রেরণ করা হয় ৷ মাসহাফের এ
কপিগুবলা ইমাম’ নামে অভিহিত ৷ এসব কপি, বরং এর কোন একটিও উসমান (রা)-এর নিজ
হাতে লেখা নয় ৷ এসব লিপিবদ্ধ করা হয়েছে যায়দ ইবন সাবিতের হাতে ৷ তারপরও এটাকে
মাসহাফে উসযানী’ বলা হয়, কারণ, তার নির্দেশে ভুাৱই শাসনামলে এবং তারই নেতৃত্বে এ
কপি সংকলিত এবং লিপিবদ্ধ করা হয়েছে ৷ যেমন বলা হয় হিরাক্লিয়াসের দীনার’ অর্থাৎ তার

শাসনামলে প্রবতিতি মুদ্রা ৷


ابْنَ آدَمَ، إِنْ غَفَلْتَ عَنْ نَفْسِكَ وَلَمْ تَسْتَعِدَّ لَهَا، لَمْ يَسْتَعِدَّ لَهَا غَيْرُكَ، وَلَا بُدَّ مِنْ لِقَاءِ اللَّهِ، فَخُذْ لِنَفْسِكَ وَلَا تَكِلْهَا إِلَى غَيْرِكَ. وَالسَّلَامُ. وَقَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ بَدْرِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ عَمِّهِ قَالَ: آخَرُ خُطْبَةٍ خَطَبَهَا عُثْمَانُ فِي جَمَاعَةٍ: إِنَّ اللَّهَ إِنَّمَا أَعْطَاكُمُ الدُّنْيَا لِتَطْلُبُوا بِهَا الْآخِرَةَ، وَلَمْ يُعْطِكُمُوهَا لِتَرْكَنُوا إِلَيْهَا، إِنَّ الدُّنْيَا تَفْنَى وَإِنَّ الْآخِرَةَ تَبْقَى، لَا تُبْطِرَنَّكُمُ الْفَانِيَةُ وَلَا تَشْغَلَنَّكُمْ عَنِ الْبَاقِيَةِ، فَآثِرُوا مَا يَبْقَى عَلَى مَا يَفْنَى، فَإِنَّ الدُّنْيَا مُنْقَطِعَةٌ، وَإِنَّ الْمَصِيرَ إِلَى اللَّهِ، اتَّقُوا اللَّهَ فَإِنَّ تَقْوَاهُ جُنَّةٌ مِنْ بَأْسِهِ، وَوَسِيلَةٌ عِنْدَهُ، وَاحْذَرُوا مِنَ اللَّهِ الْغِيَرَ، وَالْزَمُوا جَمَاعَتَكُمْ، لَا تَصِيرُوا أَحْزَابًا {وَاذْكُرُوا نِعْمَةَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ كُنْتُمْ أَعْدَاءً فَأَلَّفَ بَيْنَ قُلُوبِكُمْ فَأَصْبَحْتُمْ بِنِعْمَتِهِ إِخْوَانًا} [آل عمران: 103] إِلَى آخِرِ الْآيَتَيْنِ [آلِ عِمْرَانَ: 103، 104] . [مَنَاقِبُهُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ] فَصْلٌ (مَنَاقِبُهُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ) قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ قَيْسٍ الْأَسَدِيُّ، عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ قَالَ: سَمِعْتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ وَالْمُؤَذِّنُ يُقِيمُ الصَّلَاةَ، وَهُوَ يَسْتَخْبِرُ النَّاسَ يَسْأَلُهُمْ عَنْ أَخْبَارِهِمْ وَأَسْعَارِهِمْ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثَنَا يُونُسُ - يَعْنِي ابْنَ عُبَيْدٍ - حَدَّثَنِي عَطَاءُ بْنُ فَرُّوخَ مَوْلَى الْقُرَشِيِّينَ أَنَّ عُثْمَانَ اشْتَرَى مِنْ رَجُلٍ أَرْضًا فَأَبْطَأَ
পৃষ্ঠা - ৫৮৮৮
عَلَيْهِ، فَلَقِيَهُ فَقَالَ: مَا مَنَعَكَ مِنْ قَبْضِ مَالِكَ؟ قَالَ: إِنَّكَ غَبَنْتَنِي، فَمَا أَلْقَى مِنَ النَّاسِ أَحَدًا إِلَّا وَهُوَ يَلُومُنِي. قَالَ: أَوَذَلِكَ يَمْنَعُكَ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَاخْتَرْ بَيْنَ أَرْضِكَ وَمَالِكَ. ثُمَّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَدْخَلَ اللَّهُ الْجَنَّةَ رَجُلًا كَانَ سَهْلًا ; مُشْتَرِيًا، وَبَائِعًا، وَقَاضِيًا، وَمُقْتَضِيًا» . وَرَوَى ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ طَلْحَةَ لَقِيَ عُثْمَانَ وَهُوَ خَارِجٌ إِلَى الْمَسْجِدِ، فَقَالَ لَهُ طَلْحَةُ: إِنَّ الْخَمْسِينَ أَلْفًا الَّتِي لَكَ عِنْدِي قَدْ حَصَلَتْ، فَأَرْسِلْ مَنْ يَقْبِضُهَا. فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ: إِنَّا قَدْ وَهَبْنَاكَهَا لِمُرُوءَتِكَ. وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ: اسْتَعْمَلَ ابْنُ عَامِرٍ قَطَنَ بْنَ عَوْفٍ الْهِلَالِيَّ عَلَى كَرْمَانَ، فَأَقْبَلَ جَيْشٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ - أَرْبَعَةُ آلَافٍ - وَجَرَى الْوَادِي فَقَطَعَهُمْ عَنْ طَرِيقِهِمْ، وَخَشِيَ قَطَنٌ الْفَوْتَ فَقَالَ: مَنْ جَازَ الْوَادِي فَلَهُ أَلْفُ دِرْهَمٍ. فَحَمَلُوا أَنْفُسَهُمْ عَلَى الْعُظْمِ، فَكَانَ إِذَا جَازَ الرَّجُلُ مِنْهُمْ قَالَ قَطَنٌ: أَعْطُوهُ جَائِزَتَهُ. حَتَّى جَازَوْا جَمِيعًا وَأَعْطَاهُمْ أَرْبَعَةَ آلَافِ دِرْهَمٍ، فَأَبَى ابْنُ عَامِرٍ أَنْ يَحْسِبَهَا لَهُ، فَكَتَبَ بِذَلِكَ إِلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، فَكَتَبَ عُثْمَانُ أَنِ احْسِبْهَا لَهُ، فَإِنَّهُ إِنَّمَا أَعَانَ الْمُسْلِمِينَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، فَمِنْ ذَلِكَ الْيَوْمِ سُمِّيَتِ الْجَوَائِزُ لِإِجَازَةِ الْوَادِي، فَقَالَ الْكِنَانِيُّ ذَلِكَ: