আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وثلاثين

الأحاديث الواردة في فضائل عثمان بن عفان

في ذكر شيء من خطبه

পৃষ্ঠা - ৫৮৮৬


সুফিয়ান ইবন উয়ায়না বলেন৪ ইসরাঈল ইবন মুসা আমাকে জানান যে, আমি হাসা নকে
বলতে শুনেছি, উসমান (রা) বলেছেনং :

ষ্


আমাদের অন্তর পাকা-পবিত্র হলে আল্লাহ্র কালামে আমাদের অন্তর কখনো পরিতৃপ্ত হবে
না ৷ আমার উপর এমন কোন দিন আসুক যে দিন আমি কালাম পাক-এর দিকে দৃষ্টি দেবাে না
এটা আমার নিকট পছন্দ নয় ৷ ক্রমাগত দৃষ্টি দানের ফলে ইনতিক্যলের পুর্বে উসমান (রা)-এর
কুরআন শরীফের পাতা ছিড়ে যায় ৷ জানান এবং মুহাম্মদ ইবন সীরীন বলেন :

পৃহবন্দীর দিনে উসমান (রা)-এর শ্রী বলেন :
৷ প্রু১ গ্রা;; , ৷ ণ্প্রুা;ন্ ৷

তােমরা হয় তাকে হত্যা কর, অথবা তাকে ছেড়ে দাও ৷ আল্লাহ্র কসম৷ তিনি এক
রাকআতে গোটা কুরআন তিলাওয়াতে রাত্রি অতিবাহিত করেন ৷ একাধিক ব্যক্তি বলেন,
উসমান (রা) রাত্রে জাগ্রত হয়ে উবু করার কাজে সহায়তা করার জন্য কাউকে ঘুম থেকে
জাগাতেন না ৷ কেউ জাগ্রত থাকলে তার সাহায্য নািতন ৷ তিনি সারা বছর রােযা পালন
করতেন ৷ কেউ যদি ভভুসনার সুরে তাকে বলতাে : যদি কোন খাদিমকে জাগ্রত করতেন !
জবাবে তিনি বলতেন : না, রাত্র তো তাদের বিশ্রামের জন্য ৷ গোসল করার সময়ও তিনি
তহ্বন্দ তৃলতেন না (পরনের কাপড় খুলতেন না) অথচ বদ্ধ ঘরে তিনি তো আছেন ৷
অতিমাত্রায় লজ্জাশীল৩ যে কারণে তিনি কােমর ভালভাবে সোজা করতেন না ৷ আল্লাহ্৩ তার প্রতি
সন্তুষ্ট থাকুন ৷
তার ভাষণের কিছু নমুনা

ওয়াকিদী ইব্রাহীম ইবন ইসমা ঈল ইবন আব্দুর রহমান ইবন আন্দুল্লাহ্ ইবন আবু রবী আ

আলমাখবুমী সুত্রে৩ তার পিতার বরাতে বলেন যে, খিলাফতের বায় আত গ্রহণ করার পর
উসমান (বা) জনতার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে এসে তাদের সম্মুখে ভাষণ দান করেন ৷

মহান আল্লাহ্র হামৃদ ও ছানার পর ভাষণে তিনি বলেন :
৷ ধ্,ৰু ৷

“লোক সকল! সমস্ত আরােহণের সুচনা কঠিন হয় ৷ আজকের পরও দিন আছে ৷ আমি যদি

বেচে থাকি তবে তোমাদের সামনে অনেক ভাষণ আসবে যথাযথভাবে ৷ তবে আমিতে৷ ৰা’মী
নই, অবশ্য আল্লাহ্ তাআলা আমাকে ভাষণ দান করা শিক্ষা দেবেন ৷ ১



১ তবকাত; ইবন সাদ ৩৬২ আল-ইবনুল ফারীদ ২১৩৩, শুরা সদস্যদের শপথ শেষে তাবাৰী অপর একটা
ভাৰণেও উল্লেখ করেছেন ৷ তবােরী বলেন, যুহ্দ ৷ দৃনিয়াকে তুচ্ছ জ্ঞান করা এবং দুনিয়ার দিকে আকৃষ্ট না
হওয়ার ক্ষেত্রে উসমান ইবন আফ্ফান (বা) ছিলেন এক আদর্শ নমুনা (তাবারী ৫৪ ৫) ৷

৪৯


[فِي ذِكْرِ شَيْءٍ مِنْ خُطَبِهِ] فَصْلٌ فِي ذِكْرِ شَيْءٍ مِنْ خُطَبِهِ قَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ الْمَخْزُومِيُّ، عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عُثْمَانَ لَمَّا بُويِعَ خَرَجَ إِلَى النَّاسِ فَخَطَبَهُمْ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ أَوَّلَ كُلِّ مَرْكَبٍ صَعْبٌ، وَإِنَّ بَعْدَ الْيَوْمِ أَيَّامًا، وَإِنْ أَعِشْ تَأْتِكُمُ الْخُطْبَةُ عَلَى وَجْهِهَا، وَمَا كُنَّا خُطَبَاءَ، وَسَيُعَلِّمُنَا اللَّهُ. وَقَالَ الْحَسَنُ: خَطَبَ عُثْمَانُ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا اللَّهَ فَإِنَّ تَقْوَى اللَّهِ غُنْمٌ، وَإِنَّ أَكْيَسَ النَّاسِ مَنْ دَانَ نَفْسَهُ وَعَمِلَ لِمَا بَعْدَ الْمَوْتِ، وَاكْتَسَبَ مِنْ نُورِ اللَّهِ نُورًا لِظُلْمَةِ الْقَبْرِ، وَلْيَخْشَ عَبْدٌ أَنْ يَحْشُرَهُ اللَّهُ أَعْمَى وَقَدْ كَانَ بَصِيرًا، وَقَدْ يَكْفِينِي الْحَكِيمُ جَوَامِعَ الْكَلِمِ، وَالْأَصَمُّ يُنَادَى مِنْ مَكَانٍ بَعِيدٍ، وَاعْلَمُوا أَنَّ مَنْ كَانَ اللَّهُ مَعَهُ لَمْ يَخَفْ شَيْئًا، وَمَنْ كَانَ اللَّهُ عَلَيْهِ فَمَنْ يَرْجُو بَعْدَهُ؟ وَقَالَ مُجَاهِدٌ: خَطَبَ عُثْمَانُ فَقَالَ: ابْنَ آدَمَ، اعْلَمْ أَنَّ مَلَكَ الْمَوْتِ الَّذِي وُكِّلَ بِكَ لَمْ يَزَلْ يُخْلِفُكَ وَيَتَخَطَّى إِلَى غَيْرِكَ مُنْذُ أَنْتَ فِي الدُّنْيَا، وَكَأَنَّهُ قَدْ تَخَطَّى غَيْرَكَ إِلَيْكَ وَقَصَدَكَ، فَخُذْ حِذْرَكَ وَاسْتَعِدَّ لَهُ، وَلَا تَغْفُلْ فَإِنَّهُ لَا يَغْفُلُ عَنْكَ، وَاعْلَمْ