আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وثلاثين

الأحاديث الواردة في فضائل عثمان بن عفان

ذكر شيء من سيرته وهي دالة على فضيلته رضي الله عنه

ذكر شيء من سيرته وهي دالة على فضيلته رضي الله عنه

ذكر شيء من سيرته وهي دالة على فضيلته رضي الله عنه

পৃষ্ঠা - ৫৮৮১


;, ৷ স্পোা৷ ৷
হে আল্লাহ্ ! তোমার সন্তুষ্টি উসমানের কাম্য ৷ তইি তৃমিও তার প্রতি সন্তুষ্ট থাক ৷
অপর একটি হাদীস ’
আবু ইয়া লা সিনান ইবন ফররুখ জাবির (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে , রড়াসুলুল্পাহ্ন্ত্র
উসমান (রা)-কে আলিঙ্গনকালে বলেন :
দুনিয়া এবং আখিরাতে তুমি আমার অম্ভরঙ্গ সুহৃদ ৷
আরো একটি হাদীস
আবু দাউদ তায়ালিসী হাষ্মাদ ইবন সালামা আবদুল্লাহ ইবন হাওয়ালা সুত্রে বর্ণনা করে
বলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ড্রো বলেছেন :
ঠো-ন্
তােমার এমন এক জান্নড়াভী ব্যজিং উপর ভিড় জমাবে, যে লোকটি চাদরে আবৃত হয়ে
লোকদের নিকট থেকে বায়আত গ্রহণ করছে ৷ রাবী বলেন, আমরা উসমান ইবন আফ্ফান-এর

উপর ভিড় জমাই এবং আমরা দেখতে পইি যে, তিনি চাদর পরিধান করে লোকদের নিকট
থেকে বায়আত গ্রহণ করছেন ৷

উসমান (রা)-এর কিঞ্চিৎ জীবনালেখ্য, যা থেকে তার শ্রেষ্ঠতু বৈশিষ্টের প্রমাণ
পাওয়া যায়

ইবন মাসউদ (রা) বলেন, “উমর (রা) নিহত হলে আমরা আমাদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তির
হাতে বায়আত করি এবং আমরা কোন ত্রুটি করিনি ৷ অন্য বর্ণনায় আছে ও তারা উত্তম ব্যক্তির
নিকট বায়আত করেন; কিন্তু তারা কোন ত্রুটি করেন নি ৷ আসমাঈ আবুষ্ যিনাদ থেকে তার
পিতার বরাতে আমৃর ইবন উসমান ইবন আফ্ফান-এর জবানীতে বর্ণনা করে বলেন যে,
উসমান (রা)এ আংটিতে খচিত ছিল :



যিনি সৃষ্টি করে সুঠাম করেছেন, আমি তার প্রতি ঈমান এনেছি ৷’ আর মুহাম্মদ ইবন

মুবারক বলেন, আমি অবহিত আছি যে, উসমান (রা)-এর আৎটি অংকিত ছিল০ ং


উসমান মহান আল্লাহর প্রতি ঈমান এসেছে ৷ আর ইমাম বুখারী (র) তার ইতিহাস গ্রন্থে
উল্লেখ করেন৪ মুসা ইবন ইসমাঈল আমাকে বলেছেন যে, মুবারক ইবন ফুযা লা আমার নিকট
বর্ণনা করেন যে, আমি হাসানকে বলতে শুনেছি; লোকেরা যেসব কারণে উসমান (রা) এর
বিরুদ্ধে প্রতিশোধ্ গ্রহণ করে আমি তা জানতে পেয়েছি ৷ তুমি ঘোষণা করে দাও যে, মানুষের
কাছে যেদিনই আপতিত হয়, লোকেরা তাতে ধন-সম্পদ বন্টন করে নেয় ৷ তাদেরকে বলা হয় :


[ذِكْرُ شَيْءٍ مِنْ سِيرَتِهِ وَهِيَ دَالَّةٌ عَلَى فَضِيلَتِهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ] فَصْلٌ فِي ذِكْرِ شَيْءٍ مِنْ سِيرَتِهِ وَهِيَ دَالَّةٌ عَلَى فَضِيلَتِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ: لَمَّا تُوُفِّيَ عُمَرُ بَايَعْنَا خَيْرَنَا وَلَمْ نَأْلُ. وَفِي رِوَايَةٍ: بَايَعُوا خَيْرَهُمْ وَلَمْ يَأْلُوا. وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، قَالَ: كَانَ نَقْشُ خَاتَمِ عُثْمَانَ: آمَنْتُ بِالَّذِي خَلَقَ فَسَوَّى. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُبَارَكِ: بَلَغَنِي أَنَّهُ كَانَ نَقْشُ خَاتَمِ عُثْمَانَ: آمَنَ عُثْمَانُ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ فِي " التَّارِيخِ ": ثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، ثَنَا مُبَارَكُ بْنُ فَضَالَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ الْحَسَنَ يَقُولُ: أَدْرَكْتُ عُثْمَانَ عَلَى مَا نَقَمُوا عَلَيْهِ، قَلَّمَا يَأْتِي عَلَى النَّاسِ يَوْمٌ إِلَّا وَهُمْ يَقْتَسِمُونَ فِيهِ خَيْرًا، يُقَالُ لَهُمْ: يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ، اغْدُوا عَلَى أَعْطِيَاتِكُمْ. فَيَأْخُذُونَهَا وَافِرَةً، ثُمَّ يُقَالُ لَهُمُ: اغْدُوا عَلَى أَرْزَاقِكُمْ. فَيَأْخُذُونَهَا وَافِرَةً، ثُمَّ يُقَالُ لَهُمُ: اغْدُوا عَلَى السَّمْنِ وَالْعَسَلِ، الْأَعْطِيَاتُ جَارِيَةٌ، وَالْأَرْزَاقُ دَارَّةٌ، وَالْعَدُوُّ مُتَّقًى، وَذَاتُ الْبَيْنِ حَسَنٌ، وَالْخَيْرُ
পৃষ্ঠা - ৫৮৮২


হে মুসলিম সমাজ ৷ ভোর বেলা তোমরা চলে যাও তোমাদের উপচৌকনের বস্তুর নিকট আর
তারা তা গ্রহণকরবে পর্যাপ্ত পরিমাণে ৷ এরপর তাদেরকে বলা হবে : প্রত্যুষে তোমরা গমন কর
ঘি আর মধুর নিকট ৷ ভোর বেলা তোমরা গমন কর তোমাদের ব্জীবিকশ্র নিকট এবং পর্যাপ্ত
পরিমাণে তা হস্তপত বল্ম ৷ দানতো রহমান, আর জীবিকাতো ঘুর্ণায়মান, দৃশমনতো পলায়মান,
পারস্পরিক সম্পর্ক চমৎকার, মঙ্গল আর কল্যাণতো অচেল, কোন মু’মিন মুমিনকে ভয় করবে
না, যার সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে সে তাে তার ভাই ৷ তার প্রীতি, শুভ কামনা আর ভালবাসার অংশ
এটাও: যে, সে তাদেরকে ওসিয়ত করবে যে, অদুর ভবিষ্যতে স্বজনপ্রীতি জন্ম নেবে ৷ যখন
এমন অবস্থা দেখা দেবে তখন তোমরা ধৈর্যধারণ করবে ৷

হাসান (রা) বলেন, স্বজনগ্রীতির মুখেও মু’মিন ব্যক্তি ধৈর্যধারণ করলে তার সমান, জীবিকা
এবং বিত্ত-বৈভবে প্রশস্ততা সৃষ্টি হয় ৷ বরং তারা বলেন ও না, আল্লাহর কসম, আমরা ধৈর্যে
তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হবো না ৷ আল্লাহ্র কসম, তারা না অবতীর্ণ হয়েছে আর
না তারা নিরাপদ হতে পােরছে ৷ দ্বিতীয় কথা, মুসলমানদের ব্যাপারে তরবারি জ্জি কােষবদ্ধ,
তারা যে কােষবদ্ধ তলোয়ার নিজেদের ক্ষেত্রে চালনা করেছে ৷ আল্লাহর কসম, কিয়ামতের দিন
পর্যন্ত তা উন্মুক্ত থাকবে ৷ আল্লাহ্র কসম, কিয়ামতের দিন পর্যন্ত আমি তো তরবারি কোষ মুক্তই
দেখতে পাচ্ছি ৷

একাধিক ব্যক্তি হাসান বসরী সুত্রে বর্ণনা করেন : আমি শুনেছি, উসমান (রা) খুতৰায়
কবুতর জবাই করার আর কুকুর নিধনের নির্দেশ দিতেন ৷ লাইফ ইবন উমর বর্ণনা করেন যে,
মদীনাবাসীদের কেউ কেউ কবুতর লালন করেন এবং তাদের কেউ কেউ গুলতির গুলিও
ছোড়েন ৷ তাই উসমান (রা) বনু লাইসের জনৈক ব্যক্তিকে এ কাজ তদারক করার জন্য
নিয়োজিত করেন এবং ণ্লাকটি কবুতরের পালক কর্তা করে এবং গুলতি ভেঙ্গে ফেলে ৷ আর
তা হচ্ছে গুলতির গুলি ৷

মুহাম্মদ ইবন সা দ কানাষী সুত্রে খালিদ ইবন মাখলাদ সুত্রে মুহাম্মদ ইবন হিলালের বরাতে
আর তিনি স্থানীয় সুত্রে যিনি উসমান (রা)-এর অবরুদ্ধ দিন তার নিকট গমন করতেন ইনি
হিলাল নামে এক পুত্র সন্তান প্রসব কারন ৷ একদা তিনি তার দাদীকে দেখতে না পেয়ে (খোজ
নেন) ৷ তাকে বলা হয় যে, অন্য রাত্রে তিনি এক পুত্র সন্তান প্রসব করেছেন ৷ তার দাদী বলেন,
উসমান (বা) আমার নিকট ৫০ ব্বিহাম এবং এক টুকরা সুমলানী চাদর প্রেরণ করে বলেন,
এটা তোমার নবজাত পুত্র“ সন্তানের জন্যে দান ও পোশাক ৷ শিশু সন্তানের বয়স এক বছর পুর্ণ
হলে আমরা শিশুর ভাতাব্র পরিমাণ একশ দিরহামে উন্নীত করবো ৷

যুবাইর ইবন আবু বকর মুহাম্মদ ইবন সালাম সুত্রে ইবন বাককাহ্-এর বরাতে বলেন,
ইবন সাঈদ ইবন ইয়ারবু ইবন আতুকা আল-মাখবুমী বলেন০ যৌবনে একদা দুপুরে আমি
গমন করি, আর আমার সঙ্গে ছিল একটা পাখি, যা আমি মসজিদে ছেড়ে দিতাম ৷ আর মসজিদ
ছিল আমাদের এলাকার মধ্যে ৷ হঠাৎ দেখতে পাই এক সুদর্শন শায়গমথোর নিচে ইট বা ইটের
টুকরা দিয়ে শুয়ে আছেন ৷ আমি দাড়িয়ে শায়খের সৌন্দর্য দর্শনে অচ্ছিত হচ্ছিলাম ৷ শায়খ
চোখ খুলে কালেন৪ যুবক, কে তুমিঃ আমি তাকে জানালাম ৷ হঠাৎ দেখতে পাই তার নিকটে
এক যুবক ঘুমাচ্ছে ৷ শায়খ ঘুবককে ডাকলেন, কিন্তু যে কোন জবাব দেয় না ৷ ফলে শায়খ


كَثِيرٌ، وَمَا مِنْ مُؤْمِنٍ يَخَافُ مُؤْمِنًا، مَنْ لَقِيَهُ فَهُوَ أَخُوهُ مَنْ كَانَ ; أُلْفَتُهُ وَنَصِيحَتُهُ وَمَوَدَّتُهُ، قَدْ عَهِدَ إِلَيْهِمْ أَنَّهَا سَتَكُونُ أَثَرَةً، فَإِذَا كَانَتْ فَاصْبِرُوا. قَالَ الْحَسَنُ: فَلَوْ أَنَّهُمْ صَبَرُوا حِينَ رَأَوْهَا لَوَسِعَهُمْ مَا كَانُوا فِيهِ مِنَ الْعَطَاءِ وَالرِّزْقِ وَالْخَيْرِ الْكَثِيرِ، قَالُوا: لَا وَاللَّهِ مَا نُصَابِرُهَا. فَوَاللَّهِ مَا رُدُّوا وَمَا سَلِمُوا، وَالْأُخْرَى كَانَ السَّيْفُ مُغْمَدًا عَنْ أَهْلِ الْإِسْلَامِ فَسَلُّوهُ عَلَى أَنْفُسِهِمْ، فَوَاللَّهِ مَا زَالَ مَسْلُولًا إِلَى يَوْمِ النَّاسِ هَذَا، وَايْمُ اللَّهِ إِنِّي لِأُرَاهُ سَيْفًا مَسْلُولًا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ. وَقَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ، عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ، قَالَ: سَمِعْتُ عُثْمَانَ يَأْمُرُ فِي خُطْبَتِهِ بِذَبْحِ وَقَتْلِ الْكِلَابِ. وَرَوَى سَيْفُ بْنُ عُمَرَ أَنَّ أَهْلَ الْمَدِينَةِ اتَّخَذَ بَعْضُهُمُ الْحَمَامَ، وَرَمَى بَعْضُهُمْ بِالْجُلَاهِقَاتِ، فَوَكَّلَ عُثْمَانُ رَجُلًا مِنْ بَنِي لَيْثٍ يَتَتَبَّعُ ذَلِكَ، فَيَقُصُّ الْحَمَامَ وَيَكْسِرُ الْجُلَاهِقَاتِ، وَهِيَ قِسِيُّ الْبُنْدُقِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَنْبَأَنَا الْقَعْنَبِيُّ، وَخَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ هِلَالٍ، عَنْ جَدَّتِهِ - وَكَانَتْ تَدْخُلُ عَلَى عُثْمَانَ وَهُوَ مَحْصُورٌ - فَوَلَدَتْ هِلَالًا، فَفَقَدَهَا يَوْمًا، فَقِيلَ لَهُ: إِنَّهَا قَدْ وَلَدَتْ هَذِهِ اللَّيْلَةَ غُلَامًا. قَالَتْ: فَأَرْسَلَ إِلَيَّ بِخَمْسِينَ دِرْهَمًا وَشُقَيْقَةً سُنْبُلَانِيَّةً، وَقَالَ: هَذَا عَطَاءُ ابْنِكِ وَكِسْوَتُهُ، فَإِذَا مَرَّتْ بِهِ سَنَةٌ رَفَعْنَاهُ إِلَى مِائَةٍ.
পৃষ্ঠা - ৫৮৮৩
وَرَوَى الزُّبَيْرُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَلَّامٍ، عَنِ ابْنِ دَابٍ، قَالَ: قَالَ ابْنُ سَعِيدِ بْنِ يَرْبُوعِ بْنِ عَنْكَثَةَ الْمَخْزُومِيُّ: انْطَلَقْتُ وَأَنَا غُلَامٌ فِي الظَّهِيرَةِ وَمَعِي طَيْرٌ أُرْسِلُهُ فِي الْمَسْجِدِ، وَالْمَسْجِدُ يُبْنَى، فَإِذَا شَيْخٌ جَمِيلٌ حَسَنُ الْوَجْهِ نَائِمٌ، تَحْتَ رَأْسِهِ لَبِنَةٌ أَوْ بَعْضُ لَبِنَةٍ، فَقُمْتُ أَنْظُرُ إِلَيْهِ أَتَعَجَّبُ مِنْ جَمَالِهِ، فَفَتَحَ عَيْنَيْهِ، فَقَالَ: مَنْ أَنْتَ يَا غُلَامُ؟ فَأَخْبَرْتُهُ، فَنَادَى غُلَامًا نَائِمًا، قَرِيبًا مِنْهُ، فَلَمْ يَجُبْهُ، فَقَالَ لِيَ: ادْعُهُ. فَدَعَوْتُهُ، فَأَمَرَهُ بِشَيْءٍ وَقَالَ لِيَ: اقْعُدْ. قَالَ: فَذَهَبَ الْغُلَامُ فَجَاءَ بِحُلَّةٍ، وَجَاءَ بِأَلْفِ دِرْهَمٍ، وَنَزَعَ ثُوبِي وَأَلْبَسَنِي الْحُلَّةَ، وَجَعَلَ الْأَلْفَ دِرْهَمٍ فِيهَا، فَرَجَعْتُ إِلَى أَبِي فَأَخْبَرْتُهُ، فَقَالَ: يَا بُنَيَّ مَنْ فَعَلَ هَذَا بِكَ؟ فَقُلْتُ: لَا أَدْرِي إِلَّا أَنَّهُ رَجُلٌ فِي الْمَسْجِدِ نَائِمٌ لَمْ أَرَ قَطُّ أَحْسَنَ مِنْهُ. قَالَ: ذَاكَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ: أَخْبَرَنِي يَزِيدُ بْنُ خَصِيفَةَ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عُثْمَانَ التَّيْمِيَّ عَنْ صَلَاةِ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ؟ قَالَ: إِنْ شِئْتَ أَخْبَرْتُكَ عَنْ صَلَاةِ عُثْمَانَ؟ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৫৮৮৪


আমাকে বললেন, আমি তাকে ডেকে তৃললে শায়খ তাকে একটা কিছু কাজের হুকুম দিয়ে
আমাকে বললেন, বলো ৷ যুবকটি গিয়ে একটা চাদর এবং এক হাজার দিরহাম নিয়ে আসে ৷
তিনি আমার গায়ের বস্ত্র খুলে আমাকে চাদরটা পরিধান করলে এবং এক হাজার দিরহাম
চ্াদরের ভেতর রাখেন ৷ আমি আমার পিতার নিকট গমন করে তাকে সবকিছু জানাই ৷ তিনি
বললেন, বৎস৷ কে তোমার সঙ্গে এমন কাজ করেছেন? বললাম, জানি না, তবে মসজিদে
একজন লোক শুয়ে আছেন, তার চাইতে সুন্দর মানুষ আমি আর কখনো দেখিনি ৷ পিতা বললেন
: ইনিই তো আর্মীরুল মুমিনীন উসমান ইবন আফ্ফান ৷

ইবন জুরাইজ সুত্রে আব্দুর রাজ্জাক ইয়াষীদ ইবন খাসী ফা সুত্রে আবুস সাইব ইবন
ইয়াযীদ-এর বরাতে বলেন : জ্যানক ব্যক্তি আব্দুর রহমান ইবন উসমান তামীমীকে জিজ্ঞেস
করেন ৷ এটা কি উসমান (রা)-এর বিপরীতে তালহা ইবন উবায়দুল্পাহ্র নামায়ঃ তিনি বললেন,
হ্যা ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, আজ রাত্রে আমি অবশ্যই আলহাজব অর্থাৎ মাকামে
ইবরাহীমে দলের উপর বিজয়ী হতো ৷ আমি যখন র্দাড়ালাম তখন দেখি এক ব্যক্তি মস্তক আবৃত
করে আমাকে কংকর নিক্ষেপ করছেন ৷ রাবী বলেন, আমি লক্ষ্য করে দেখি, উসমান (রা)
আমাকে কংকর নিক্ষেপ করছেন ৷ আম তার থেকে একটু পেছনে সরে আসি ৷ তিনি নামায
পড়ছিলেন এবং কুরআন তিলাওয়াতের সাজদা করছিলেন ৷ আমি যখন বললাম, এটাভাে হলো
ফজ্বরের আমান, তখন তিনি এক রাকআত বিত্রের নামায আদায় করে চলে গেলেন, অন্য
কোন নামায আদায় করলেন না ৷ একাধিক সুত্রে একথাও বর্ণিত আছে যে, তিনি হভ্রুজ্জর
মওসুমে হাজার আসওয়াদের নিকট এক রাকআতে পেটি৷ কুরআন করীম তিলাওয়াত
করেছেন ৷ আর এটা ছিল আমীরুল মু’মিনীন উসমান (রা)-এর অভ্যাস ৷ এ কারণে ইবন উমর
(রা) থেকে আমরা বর্ণনা করেছি যে, আল্লাহর বাণী৪

শ্ #


যে ব্যক্তি রাত্রির বিভিন্ন নামে সাজদাবনত হয়ে এবং দাড়িয়ে আনুগত্য প্রকাশ করে, এবং

তার পালনকর্তার অনুগ্রহ প্রত্যাশা করে, সে কি সমান, যে তা করে না (সুরা যুমার ৩৯১; ৯)
তিনি বলেন, ইনি হলেন উসমান (রা) ৷ আল্লাহ্ তা আলার বাণী ং

(র্ষী
সে ব্যক্তি আর যে ব্যক্তি সুবিচারের নির্দেশ দেয় এবং সে নিজে রয়েছে সরল পথেশ্ উভয়
কি সমান হতে পারে ? (সুরা নাহল ১৬ : ৭৬) ৷ রাবী বলেন, ইনি হলেন উসমান ইবন
আফ্ফান (রা) ৷
হাসৃসান ইবন সাবিত (রা) বলেন :
তারা হত্যা করেছে এমন এক ব্যক্তিকে, যার মাথার চুল সাদা-কালো ৷ যার সাজদার চিহ্ন
ছিল এই যে, তিনি রাত্রি অতিবাহিত করতেন তাসবীহ আর তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে ৷


نَعَمْ. قَالَ: قُلْتُ لَأَغْلِبَنَّ اللَّيْلَةَ النَّفَرَ عَلَى الْحَجَرِ - يَعْنِي الْمَقَامَ - فَلَمَّا قُمْتُ إِذَا رَجُلٌ يَزْحَمُنِي مُقَنَّعًا، قَالَ: فَالْتَفَتُّ فَإِذَا بِعُثْمَانَ فَتَأَخَّرْتُ عَنْهُ، فَصَلَّى فَإِذَا هُوَ يَسْجُدُ سُجُودَ الْقُرْآنِ حَتَّى إِذَا قُلْتُ: هَذَا هُوَ أَذَانُ الْفَجْرِ. أَوْتَرَ بِرَكْعَةٍ لَمْ يُصَلِّ غَيْرَهَا، ثُمَّ انْطَلَقَ. وَقَدْ رُوِيَ هَذَا مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ أَنَّهُ صَلَّى بِالْقُرْآنِ الْعَظِيمِ فِي رَكْعَةٍ وَاحِدَةٍ عِنْدَ الْحَجَرِ الْأَسْوَدِ، أَيَّامَ الْحَجِّ. وَقَدْ كَانَ هَذَا مِنْ دَأْبِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَلِهَذَا رُوِّينَا عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {أَمَّنْ هُوَ قَانِتٌ آنَاءَ اللَّيْلِ سَاجِدًا وَقَائِمًا يَحْذَرُ الْآخِرَةَ وَيَرْجُو رَحْمَةَ رَبِّهِ} [الزمر: 9] قَالَ: هُوَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ. وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {هَلْ يَسْتَوِي هُوَ وَمَنْ يَأْمُرُ بِالْعَدْلِ وَهُوَ عَلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ} [النحل: 76] . قَالَ: هُوَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ. وَقَالَ حَسَّانُ: ضَحَّوْا بِأَشْمَطَ عُنْوَانُ السُّجُودِ بِهِ ... يُقَطِّعُ اللَّيْلَ تَسْبِيحًا وَقُرْآنَا وَقَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ: ثَنَا إِسْرَائِيلُ بْنُ مُوسَى، سَمِعْتُ الْحَسَنَ يَقُولُ: قَالَ عُثْمَانُ: لَوْ أَنَّ قُلُوبَنَا طَهُرَتْ مَا شَبِعْنَا مِنْ كَلَامِ رَبِّنَا، وَإِنِّي لَأَكْرَهُ أَنْ يَأْتِيَ عَلَيَّ يَوْمٌ لَا أَنْظُرُ فِي الْمُصْحَفِ، وَمَا مَاتَ عُثْمَانُ حَتَّى خَرَقَ مُصْحَفَهُ مِنْ كَثْرَةِ مَا
পৃষ্ঠা - ৫৮৮৫
يُدِيمُ النَّظَرَ فِيهِ. وَقَالَ أَنَسٌ وَمُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ: قَالَتِ امْرَأَةُ عُثْمَانَ يَوْمَ الدَّارِ: اقْتُلُوهُ أَوْ دَعُوهُ فَوَاللَّهِ لَقَدْ كَانَ يُحْيِي اللَّيْلَ بِالْقُرْآنِ فِي رَكْعَةٍ. وَقَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ: إِنَّهُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، كَانَ لَا يُوقِظُ أَحَدًا مِنْ أَهْلِهِ إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ لِيُعِينَهُ عَلَى وُضُوئِهِ، إِلَّا أَنْ يَجِدَهُ يَقْظَانَ، وَكَانَ يَصُومُ الدَّهْرَ، وَكَانَ يُعَاتَبُ فَيُقَالُ لَهُ: لَوْ أَيْقَظْتَ بَعْضَ الْخَدَمِ؟ فَيَقُولُ: لَا، اللَّيْلُ لَهُمْ يَسْتَرِيحُونَ فِيهِ. وَكَانَ إِذَا اغْتَسَلَ لَا يَرْفَعُ الْمِئْزَرَ عَنْهُ، وَهُوَ فِي بَيْتٍ مُغْلَقٍ عَلَيْهِ، وَلَا يَرْفَعُ صُلْبَهُ جَيِّدًا مِنْ شِدَّةِ حَيَائِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.