আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وثلاثين

الأحاديث الواردة في فضائل عثمان بن عفان

فيما ورد في فضائله مع غيره

فيما ورد في فضائله مع غيره

فيما ورد في فضائله مع غيره

فيما ورد في فضائله مع غيره

فيما ورد في فضائله مع غيره

فيما ورد في فضائله مع غيره

পৃষ্ঠা - ৫৮৪৮


তইি রাত্রের অন্ধকারে আমরা তার মৃতদেহে বাকী আল-পারকাদ কবরন্থানে নিয়ে যাই আর
পেছন থেকে আমাদেরকে লোকদের কারা আচ্ছন্ন করে নেয় ৷ লোকজন ছুটে এলে আমরা
তাদেরকে দেখে ভয় পাই ৷ র্তাকে রেখে আমাদের ছুত্রভঙ্গ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল ৷ এ সময়
হঠাৎ তাদের ঘোষক ঘোষণা দেয় : না, তোমাদের জন্য কোন ভয় নেই, র্দাড়াও, আমরাতো
এসেছি কেবল তোমাদের সঙ্গে যোগ দেয়ার জন্য ৷
আর আবু হুবাইশ বলতেন ও তারা ছিলেন আল্লাহর ফেরেশতা তইি আমরা তার লাশ দাফন
করে সে রাত্রেই সিরিয়ার পালিয়ে যাই ৷ ওয়াদিল কুরায় একটা সৈন্যদলের সঙ্গে আমাদের
সাক্ষাৎ হয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন হাবীব ইবন মাসলামা ৷ এ দলটি এসেছিল উসমান (রা)এর
সাহায্যার্থে, আমরা তাদেরকে খলীফার হত্যা ও দাফন সম্পর্কে অবহিত করি ৷
আবু উমর ইবন আব্দুল বার বলেন : লোকেরা উসমান (রা)-কে হাশকাওকাব’ নামক স্থানে
দাপন করেছে ৷ আর উসমান (রা) নিজে এ স্থানটি ক্রয় করে বাকী আল-গারকাদের অন্তর্ভুক্ত
করে দিয়েছিলেন ৷ অতীত মনীষীদের একজনকে উসমান (রা) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে কি
চমৎকারই না জবাব দিয়েছিলেন :
তিনি পুণ্যবানদের আমীর ছিলেন আর পাপাচারীদের হাতে নিহত হয়েছেন ৷ যারা র্তাকে
অপদন্থ করেছে ৷ তারা নিজেরইি হয়েছে অপদস্থু আর যারা তার সাহায্য করেছে, তারা হয়েছে
সাহায্যপ্রাপ্ত ৷ ’

আর আমাদের শায়খ আবু আব্দুল্লাহ সাহাবী উসমান (রা)-এর জীবনী, ফযীলত, গ্রেষ্ঠতৃ ও
গুণ-বৈশিষ্ট্য আলোচনা শেষে এ মন্তব্য করার পর


(যারা তাকে হত্যা করেছে বা তীর শক্রতায় একমত হয়েছে তারা তাকে হত্যা করে তাকে
আল্লাহর ক্ষমা ও দয়ার দিকে পাঠিয়েছে ৷ পক্ষান্তরে যারা র্তাকে অপদস্থ করেছে তারা হয়েছে
অপদন্থ আর জীবন হয়েছে পংকিল) এ উক্তি উদ্ধৃত করার পর তিনি বলেন, আর তার পরে
আমীর মু’আবিয়া এবং তার সন্তানরা রাজত্ব লাভ করেন এবং এর তার উষীর হন মারওয়ান
এবং তার সন্তানদের মধ্যে আটজন ৷ এরা তার জীবনকে দীর্ঘ করে তোলে এবং তার ফষীলত
আর গুণবৈশ্যিষ্ট্য জীবনকে ভরে তোলে ৷ তারপর তার চাচাতো ভাইয়েরা আশি বছরের অধিক
কাল রাজত্ব করে ৷ কর্তৃতুতো সুমহান আল্লাহর যিনি সকলের উরুর্ধ্ব ৷ এটাই শায়খ আবু

আদুঃাড়াহ যাহাবীর হুবহু শব্দমালা ৷

উসমান (রা)-এর ফষীলত বিষয়ে কতিপয় হাদীস
উসমান (রা)-এর পরিচিতি :

তিনি উসমান ইবন আফফান ইবন আবুল আস ইবন উমইিয়্যা ইবন আবদ শামস ইবন
আবদ মানাফ ইবন কুসইি ইবন কিলাব ইবন মুররা ইবন কাব ইবন লুয়ইি ইবন গালিব ইবন


وَقَدْ كَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، حَسَنَ الشَّكْلِ، مَلِيحَ الْوَجْهِ، كَرِيمَ الْأَخْلَاقِ، ذَا حَيَاءٍ كَثِيرٍ، وَكَرَمٍ غَزِيرٍ، يُؤْثِرُ أَهْلَهُ وَأَقَارِبَهُ فِي اللَّهِ تَأْلِيفًا لِقُلُوبِهِمْ مِنْ مَتَاعِ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا الْفَانِي ; لَعَلَّهُ يُرَغِّبُهُمْ فِي إِيثَارِ مَا يَبْقَى عَلَى مَا يَفْنَى، كَمَا كَانَ النَّبِيُّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يُعْطِي أَقْوَامًا وَيَدَعُ آخَرِينَ ; يُعْطِي أَقْوَامًا خَشْيَةَ أَنْ يَكُبَّهُمُ اللَّهُ عَلَى وُجُوهِهِمْ فِي النَّارِ، وَيَكِلُ آخَرِينَ إِلَى مَا جَعَلَ اللَّهُ فِي قُلُوبِهِمْ مِنَ الْهُدَى وَالْإِيمَانِ، وَقَدْ عَابَهُ بِسَبَبِ هَذِهِ الْخَصْلَةِ أَقْوَامٌ، كَمَا عَابَ بَعْضُ الْخَوَارِجِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي الْإِيثَارِ. وَقَدْ قَدَّمْنَا ذَلِكَ فِي غَزْوَةِ حُنَيْنٍ حَيْثُ قَسَّمَ غَنَائِمَهَا. وَقَدْ وَرَدَتْ أَحَادِيثُ كَثِيرَةٌ فِي فَضْلِ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، نَذْكُرُ مَا تَيَسَّرَ مِنْهَا إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، وَبِهِ الثِّقَةُ ; وَهِيَ قِسْمَانِ: [فِيمَا وَرَدَ فِي فَضَائِلِهِ مَعَ غَيْرِهِ] الْأَوَّلُ: فِيمَا وَرَدَ فِي فَضَائِلِهِ مَعَ غَيْرِهِ فَمِنْ ذَلِكَ: الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ ": حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ أَنَّ أَنَسًا حَدَّثَهُمْ قَالَ: «صَعِدَ النَّبِيُّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أُحُدًا وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ فَرَجَفَ، فَقَالَ: " اسْكُنْ أُحُدُ - أَظُنُّهُ ضَرَبَهُ بِرِجْلِهِ - فَلَيْسَ عَلَيْكَ إِلَّا نَبِيٌّ وَصِدِّيقٌ وَشَهِيدَانِ» تَفَرَّدَ بِهِ دُونَ مُسْلِمٍ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: ثَنَا قُتَيْبَةُ، ثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَانَ عَلَى حِرَاءَ هُوَ وَأَبُو بَكْرٍ
পৃষ্ঠা - ৫৮৪৯


যিহ্র ইবন মালিক ইবনুল নযর ইবন কিনানা ইবন খুযায়ম৷ ইবনমুদরিক৷ ইবন ইয়াস ইবন
মুযার ইবন নিযার ইবন সার্দ ইবন আদনান, আবু আমৃর ও আবু আব্দুল্লাহ আল-কুরশী
আল-উমাবী, আমীরপ্স মু’মিনীন, যুন নুরাইন, দুই হিজরতের অধিকারী এবং রাসুল করীমব্লুদ্বুহুদ্বু
এর দু’ কন্যার স্বামী ৷ তার মাতা আরওয়া বিনুত কুরায়য ইবন রবীআ ইবন আব্দ শামস ৷ আর
তার মাতার মাতা অর্থাৎ নানী উম্মু হাকীম আর্ল-বায়দা বিনৃত আবদুল মুত্তালিব রাসুল করীম
ছুষ্; হুটু এর ফুফী ৷ তিনি ছিলেন তাদের অন্যতম যাদেরকে জান্নাতের সাক্ষ্য দেওয়া হয়েছে,
আশারা মুবাশৃশারার একজন ৷ ছয়জনের সমন্বয়ে গঠিত শুরার অন্যতম সদস্য ৷ সে ছয়জনের
মধ্য থেকে যে তিনজনের জন্য খিলাফত নির্ধারণ করা হয়, তিনি ছিলেন তাদের অন্যতম ৷
তারপর আনসার এবং মুহাজিরদের ঐকমতোর ভিত্তিতে তার জন্য খিলাফত নির্ধারিত করা হয় ৷
ফলে তিনি ছিলেন ঘুলাফায়ে রাশেদীনের তৃতীয় জন, সতপেথ প্রাপ্ত ইমামদের অন্যতম ৷ যাদের
আনুগত্য ও অনুসরণ করার জন্য সকলেই ছিলেন নির্দেশিত ও আদিষ্ট ৷

ইসলাম প্রচারের সুচনাকালে তিনি আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর হাতে ইসলাম গ্রহণ
করেন ৷ হাফিজ আসাকির-এর বর্ণনা অনুযায়ী তার ইসলাম গ্রহণের কাহিনী বিস্ময়কর ৷ তীর
বর্ণনার সার কথা এই :

রাসুলুল্লাহ্ ণ্প্ন্ন্ এৱ কন্যাদের মধ্যে রুকাইয়া ছিলেন অতি সুন্দরী ৷ তিনি যখন জানতে

ষ্ধ্ষ্

পারলেন যে, রাসুলুল্লাহ্ন্র্দুক্ট্র তার কন্যা রুকাইয়াকে তার চাচাতাে ভাইউ তবা ইবন আবু
লাহাবের নিকট বিবাহ দিয়েছেন তখন তিনি গুাকে বিবাহ করতে না পাবার জন্য আফসোস
করেন ৷ তিনি দুঃখিত হয়ে গৃ হে ফিরে যান ৷ পরিবারে অন্যান্যের সঙ্গে তিনি র্তব্ৰ খাল৷ সওদা
ৰিনত কুরায়যকে দেখতে পান ৷ আর তার খাল৷ সওদা ছিলেন দানক্যরিণী ৷ খালা র্তাকে
বললেন সৃসৎবাদ গ্রহণ কর ৷ তোমার জন্য তিন দফা অভিনন্দন ৷ একের পর এক তিন দফা,
এরপর তিন দফা আবার আরো তিন দফা, পরে আরো এক দফা, যাতে পুর্ণ হয় দশ দফা ৷
তোমার কাছে মঙ্গল এসেছে আর তুমি রক্ষা পেয়েছ অমঙ্গল আর অকলা৷ণ থেকে ৷ আল্লাহর
কসম, তুমি বিবাহ করবে ফুলের মতো খাটি সুন্দর রমণীকে ৷৩ তমি নিজেও কুমার আর কুমারীর
সঙ্গেই ণ্৩ামার মিলন হবে ৷ আমিত তাকে পেয়েছি মর্যাদার বিচারে মহান মর্যাদার অধিকারী
ব্যক্তির কন্যা হিসাবে ৷৩ তমি এমন এক কর্মের ভিত্তি স্থাপন করেছ, যা উচু ও মজবুত করবে
মর্যাদাকে ৷ উসমান (রা) বলেন,৩ তার কথায় আমি বিস্মিত হ৩লাম, কারণ,৩ তিনি আমাকে এমন
এক নারীর সুসংবাদ দিচ্ছেন, যে নারী বিবাহ করেছে আমি ছাড়া অপর কাউকে ৷ তখন আমি
বললাম, খালাজান আপনি কি বলছেন ? তিনি বললেন

হে উসমান মি লাভ করেছ সৌন্দর্য আর ভাষা ৷ এই যে নবী, তার সঙ্গে রয়েছে প্রমাণ,
প্রেরণ করেছেন তাকে প্রতিশোধ গ্রহণকারী স৩ ত্যসহ ৷ তার কাছে এসেছে তানযীল ও ফুরকান ৷
সুতরা তুমি তার অনুসরণ কর, মুর্তি যেন ৫৩ামার বিনাশ সাধন না করে ৷ বর্ণনাকারী বলেন,
তখন আমি অর্থাৎ উসমান (রা) তাকে বললাম, আপনি এমন একটা কথা বলছেন, যা আমাদের
দেশে এখনো প্রকাশ পায়নি, সংঘটিত হয়নি ৷ তখন তিনি বললেন :


وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ وَعَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَطَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ، فَتَحَرَّكَتِ الصَّخْرَةُ فَقَالَ النَّبِيُّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اهْدَأْ فَمَا عَلَيْكَ إِلَّا نَبِيٌّ أَوْ صِدِّيقٌ أَوْ شَهِيدٌ» . ثُمَّ قَالَ: وَفِي الْبَابِ: عَنْ عُثْمَانَ، وَسَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ، وَابْنِ عَبَّاسٍ، وَسُهَيْلِ بْنِ سَعْدٍ، وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، وَبُرَيْدَةَ الْأَسْلَمِيِّ، وَهَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ. قُلْتُ: وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، عَنْ عُثْمَانَ فِي خُطْبَتِهِ يَوْمَ الدَّارِ، وَقَالَ عَلَى ثَبِيرٍ حَدِيثٌ آخَرُ: وَهُوَ مَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ قَالَ: «كُنْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي حَائِطٍ، فَأَمَرَنِي بِحِفْظِ الْبَابِ، فَجَاءَ رَجُلٌ يَسْتَأْذِنُ، فَقُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: أَبُو بَكْرٍ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ ". ثُمَّ جَاءَ عُمَرُ فَقَالَ: " ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ ". ثُمَّ جَاءَ عُثْمَانُ فَقَالَ: " ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ عَلَى بَلْوَى تُصِيبُهُ ". فَدَخَلَ وَهُوَ يَقُولُ: اللَّهُمَّ صَبْرًا. وَفِي رِوَايَةٍ: اللَّهُ الْمُسْتَعَانُ» . رَوَاهُ عَنْهُ قَتَادَةُ، وَأَيُّوبُ السِّخْتِيَانِيُّ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: وَقَالَ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ: حَدَّثَنَا
পৃষ্ঠা - ৫৮৫০



মুহাম্মদ ইবন আব্দুল্লাহ আল্লাহর পক্ষ থেকে রাসুল,৩ তিনি উপস্থাপন করেছেন তা তানযীল
তথা ওহীর বাণী ৷ যা দিয়ে তিনি আল্লাহর দিকে আহ্বান জানান ৷ তারপর খালা আবার বলেন :
ৰু ;এ১
তার আলোইতে৷ (একমাত্র) আলো, আর তার উপস্থাপিত দীনইতে৷ কল্যাণ (ও মঙ্গল),
তার নির্দেশই সাফল্য, আর তীর প্রতিপক্ষই ৰিফল, উপত্যকার পর উপত্যকা তার অনুগত,
কোন কাজে আসবে না চিৎকার, যদিও গলায় জমা হোক না কেন, ক্ষয়ক্ষতির হাড় যতই টানা
পডুক না কেন আর তীর যতই দীর্ঘ হোক না কেন ৷
উসমান (রা) বলেন, আমি চিন্তা করতে করতে পথ অতিত্রণ্ ম করছি ৷ম ৷ আবু বকর
(রা) এর সাথে সাক্ষাৎ হলে আমি তাকে জানালাম ৷ তিনি বললেন, উসমান! তোমার জন্য
আফসোস ভুমিতে ৷ একজন বিচক্ষণ ব্যক্তি, স৩ মিথ্যা তো তোমার কাছে গোপন থাকতে
পারে না ৷ আমার জাতির লোকেরা যেসব মুতিরি পুজা করছে, সেগুলো কী? সেসব কি নির্বাক
পাথরের তৈরি নয় যা শোনেও না, দেখেও না, লাভ-ক্ষতি কিছুই করতে পারে না ? তিনি
বলেন, আমি বললাম, নিশ্চয়ই ৷ আল্লাহর কসম, সেগুলো এরুপই ৷ তখন তিনি বললেন,
আল্লাহর কসম, তোমার খালা ঠিকই বলেছেন ৷ ইনি আল্লাহর রাসুল মুহাম্মদ ইবন আব্দুল্লাহ,
আল্লাহ র্তাকে প্রেরণ করেছেন সৃষ্টিকৃলের নিকট রিসালাতের দায়িত্ব দিয়ে ৷ তুমি কি তীর নিবল্ট
গমন করতে পারা তাই আমরা রাসুলুল্পাহ্মোঃ এর নিকট সমবেত হই ৷ তিনি বললেন, হে
উসমান, আল্লাহর হক স্বীকার করে নাও ৷ কারণ, অমি তে ৷মার আর সৃষ্টির প্ৰতি আল্লাহর
রাসুল ! তিনি বলেন, আল্লাহর কসম, রাসুল এর কথা শ্রবণ করে আমি নিজেকে সংবরণ
করতে পারিনি, ফলে আমি ইসলাম গ্রহণ করি এবং সাক্ষ্য দেই যে, এক আল্লাহ ছাড়া কোন
ইলাহ নেই, তার কোন শরীক নেই ৷ তারপর অনতিবিলন্বে আমি রুকাইয়া বিনৃত রাসুলুল্পাহ্কে
বিবাহ করি ৷ এ প্রসঙ্গে বলা হয় :
সর্বে৷ ৷ত্তম দম্পতি যা মানুষ দেখতে ৩পেয়েছে, রুকইিয়া এবং তার স্বামী উসমান (রা) ৷
এ প্রসঙ্গে সা দী বিন ত কুরায়য বলেন :
৷ র্চো)া৷ন্ ৰুন্এে
৮;১১া৷ স্পো ৷


عَاصِمٌ الْأَحْوَلُ وَعَلِيُّ بْنُ الْحَكَمِ، سَمِعَا أَبَا عُثْمَانَ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ بِنَحْوِهِ، وَزَادَ عَاصِمٌ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَانَ قَاعِدًا فِي مَكَانٍ فِيهِ مَاءٌ قَدِ انْكَشَفَ عَنْ رُكْبَتَيْهِ، أَوْ رُكْبَتِهِ، فَلَمَّا دَخَلَ عُثْمَانُ غَطَّاهَا. وَهُوَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " أَيْضًا، مِنْ حَدِيثِ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي مُوسَى وَفِيهِ: أَنَّ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ دَلَّيَا أَرْجُلَهُمَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ فِي بَابِ الْقُفِّ وَهُوَ فِي الْبِئْرِ، وَجَاءَ عُثْمَانُ فَلَمْ يَجِدْ لَهُ مَوْضِعًا فَجَلَسَ نَاحِيَةً. قَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ فَأَوَّلْتُ ذَلِكَ قُبُورَهُمُ ; اجْتَمَعَتْ وَانْفَرَدَ عُثْمَانُ. وَقَدْ وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ قَالَ: قَالَ نَافِعُ بْنُ الْحَارِثِ: «خَرَجْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى دَخَلَ حَائِطًا فَقَالَ لِي: " أَمْسِكْ عَلَيَّ الْبَابَ ". فَجَاءَ حَتَّى جَلَسَ عَلَى الْقُفِّ وَدَلَّى رِجْلَيْهِ، فَضُرِبَ الْبَابُ فَقُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ فَقَالَ: أَبُو بَكْرٍ. قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا أَبُو بَكْرٍ. قَالَ: " ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ ". فَدَخَلَ فَجَلَسَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَلَى الْقُفِّ وَدَلَّى رِجْلَيْهِ فِي الْبِئْرِ، ثُمَّ ضُرِبَ الْبَابُ، فَقُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: عُمَرُ. قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا عُمَرُ. قَالَ: " ائْذَنْ لِي وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ ". فَفَعَلْتُ فَجَاءَ فَجَلَسَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَلَى الْقُفِّ وَدَلَّى رِجْلَيْهِ فِي
পৃষ্ঠা - ৫৮৫১


আল্লাহ্ উসমানকে হিদায়াত করেছেন সত্যের দিকে আমার কথা মতে
আল্লাহ্ তাকে পথ দেখিয়েছেন, আর আল্লাহ্ভাে পথ দেখান সত্যের দিকে ৷ তইি তিনি
অনুসরণ করেছেন মুহাম্মদশ্নো এর সঠিক মতামত, আর পরামর্শ দ্বারা তিনি সত্য থেকে

ৰিচ্যুত হন না ৷ সত্যসহ প্রেরিত (নবী) বিবাহ দিয়েছেন তার নিকট নিজ কন্যা, ফলে তারা
উতয়ে হয়েছেন পুণিঘিার চাদের মত, যা মিলিত হয়েছে আকাশ প্রান্তে সুর্যের সঙ্গে ৷

হে হাশিমী তনয়, তােমাতে উৎসর্গ আমার প্রাণ,

আর তৃমিতাে আল্লাহর আমীন’ প্রেরিত হয়েছ তুমি সৃষ্টিকৃলের তবে ৷

বর্ণনড়াকারী বলেন, তারপর পরদিন প্রত্যুষে উসমান ইবন মায্উন, আবু উবায়দ, আব্দুর
রহমান ইবন আউফ, আবু সালমা ইবন আব্দুল আসাদ এবং আরকাম ইবন আবুল আরকামকে
নিয়ে আবু বকর (রা) উপস্থিত হলেন ৷ তারা সকলেই ইসলাম কবুল করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্স্লো
ংর সঙ্গে যারা সমবেত হন, তারা হলেন সর্বমোট ৩৮ জন ৷ উসমান (রা) তার শ্রী রুকাইয়া
ৰিনৃত রাসুলুল্লাহ্ন্গাং’কু-রুক সঙ্গে নিয়ে সর্বপ্রথম আবিসিনিয়ায় হিজরত করেন ৷ তারপর হাবশা
থেকে মক্কা য় ফিরে আসেন এবং পরে মদীনায় হিজরত করেন ৷ বদর যুদ্ধের সময় রাসুলের
কন্যার সেবায় তিনি নিয়োজিত ছিলেন ৷ এ কারণে তিনি মদীনায় অবস্থান করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
মোঃ র্তাকে গনীমতের অংশ দান করেন এবং তিনি এ জন্য প্রতিদানও লাভ করেন ৷ ফলে বদর
যুদ্ধে অংশ্যাহণকাবীদের মধ্যে৩ তাকে শুমার করা হয়, রুকাইয়্যা ইনতিকাল করলে বাসুলুল্লাহ্
ষ্ৰুণ্শ্লের্তার সঙ্গে রুকাইয়ার বোন উম্মে কুলসুমকে বিবাহ দান করেন, তার সঙ্গে চর্যে উম্মে

ষ্ৰ্প্ষ্গ্

কৃলসুমও ইনতিকাল করলে রাসুলুল্লাহ্ মোঃ বালছিলেন০ ং
;;াওষ্ঞ

আমার যদি অপর কোন কন্যা থাকতো তবে তাকেও আমি উসমানএর কাছে বিবাহ
দিতাম ৷ ’ তিনি উহুদ যুদ্ধে শরীক হন এবং সেদিন যারা পলায়ন করেছিল , তিনিও ছিলেন তাদের
অন্তর্ভুক্ত ৷ আল্লাহ্ তাআলা তাদেরকে ক্ষমা করার স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন ৷ খন্দক আর
হুদায়ৰিয়ার যুদ্ধেও তিনি অংশগ্রহণ করেছেন ৷ হুদায়ৰিয়ার দিন রাসুলুল্লাহ্ মোঃ তার এক হাতে
উসমান (রা)-এর পক্ষ থেকে বায়য়াত গ্রহণ করেন ৷ খায়বর অভিযান আর উমরাতৃল কাযায়ও
তিনি অংশগ্রহণ করেছেন ৷ মক্কা বিজয় অভিযান, হাওয়াযিন, তায়িফ অভিযান আর তাবুক
যুদ্ধেও তিনি অংশগ্রহণ করেন ৷ জায়শুল উসরা (সংকীর্ণতার বাহিনী) তথা তাবুক
অভিযাত্রীদলকে তিনি সজ্জিত করেন, তাদেরসাজ সরঞ্জাম যোগান দেন ৷ আব্দুর রহমান ইবন
খাবার সুত্রে ইতিপুর্বে আলোচনা করা হয়েছে যে, এদিন তিনি তিন শ উট নিয়ে হাজির
হয়েছিলেন, সঙ্গে ছিল প্রয়োজনীয় সাজ-সরঞ্জাম ৷ আব্দুর রহমান ইবন সামুরা থেকে বর্ণিত যে,
সেদিন তিনি এক হাজার দীনার এনে রাসুলুল্লাহ্ঘ্নে এর কোলে ঢেলে দিয়েছিলেন ৷ তখন
আল্লাহর নবী মোঃ বলেছিলেন :

আজকের পর উসমান (রা) যা কিছু করে তাতে তার কোন ক্ষতি হবে না ৷ কথাটা তিনি
দৃবার বলেন ৷’ তিনি বিদায় হচ্ছে রাসুলুল্লাহ্মোঃ-এর সঙ্গে হজ্জ করেন এবং রাসুলুল্লাহ্মোঃ


الْبِئْرِ، ثُمَّ ضُرِبَ الْبَابُ فَقُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: عُثْمَانُ. قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا عُثْمَانُ. قَالَ: " ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ مَعَهَا بَلَاءٌ ". فَأَذِنْتُ لَهُ وَبَشَّرْتُهُ بِالْجَنَّةِ، فَجَلَسَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَدَلَّى رِجْلَيْهِ فِي الْبِئْرِ» . هَكَذَا وَقَعَ فِي هَذِهِ الرِّوَايَةِ. وَقَدْ أَخْرَجَهُ أَبُو دَاوُدَ وَالنِّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي سَلَمَةَ. فَيُحْتَمَلُ أَنَّ أَبَا مُوسَى وَنَافِعُ بْنُ عَبْدِ الْحَارِثِ كَانَا مُوَكَّلَيْنِ بِالْبَابِ، أَوْ أَنَّهَا قِصَّةٌ أُخْرَى وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ عَفَّانَ، عَنْ وُهَيْبٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ يُحَدِّثُ، وَلَا أَعْلَمُهُ إِلَّا عَنْ نَافِعِ بْنِ عَبْدِ الْحَارِثِ: «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، دَخَلَ حَائِطًا فَجَلَسَ عَلَى قُفِّ الْبِئْرِ، فَجَاءَ أَبُو بَكْرٍ فَاسْتَأْذَنَ فَقَالَ لِأَبِي مُوسَى: " ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ ". ثُمَّ جَاءَ عُمَرُ فَقَالَ: " ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ ". ثُمَّ جَاءَ عُثْمَانُ فَقَالَ: " ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ وَسَيَلْقَى بَلَاءً» وَهَذَا السِّيَاقُ أَشْبَهُ مِنَ الْأَوَّلِ، عَلَى أَنَّهُ قَدْ رَوَاهُ النِّسَائِيُّ، مِنْ حَدِيثِ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نَافِعِ بْنِ عَبْدِ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ، أَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ
পৃষ্ঠা - ৫৮৫২


তার প্রতি সন্তুষ্ট-এমন অবস্থায় রাসুলুল্লাহ্ স্লে এর ওফাত হয়েছে ৷ তিনি আবু বকর (রা)-এর
উত্তম সঙ্গী ছিলেন এবং তার ইনতিকালের সময় তিনি তার (উসমড়ানের) উপর সন্তুষ্ট ছিলেন ৷
তার উপর সত্ত্ব ষ্ট থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে ৷ তিনি উমর (রা)-এর সাহচর্য গ্রহণ করেন
এবং তিনি ছিলেন তার উত্তম সহচর এবং ইনতিকালের সময়ও একে অপরের প্রতি সত্তুষ্ট ছিল ৷
৬ ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত শুরার তিনি ছিলেন অন্যতম সদস্য ৷ বরং তিনি ছিলেন তাদের মধ্যে
উত্তম, পরে এ সম্পর্কে আলোচনা আসছে ৷

উমর (রা)-এর পর তিনি খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং তার হাতে আল্লাহ অনেক
দেশ আর শহর জয় করান ৷ ফলে ইসলামী রাষ্টের সীমা বহুদুর পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয় ৷
দুর-দুরান্তে ছড়িয়ে পড়ে মুহাম্মদী রাষ্ট্র ব্যবস্থা ৷ আর প্রড়াচ্য-প্রতীচ্যে ছড়িয়ে পড়ে মুস্তাফ্াবী
পয়গাম ৷ মানুষের নিকট প্রকাশ পড়ায় মহান আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণীর সভ্যতা :




তােমাদের মধ্যে যারা ঈমান আসে ও লেক আমল করে আল্পাহ্ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি
দিতেছেন যে, তিনি অবশ্যই তাদেরকে পৃাথবীতে প্রতিনিধিত্ব দান করবেন, যেমন তিনি
প্রতিনিধিত্ব দান করেছিলেন তাদের পুর্ববর্তীদেরকে এবং৩ তিনি অবশ্যই তাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত
করবেন তাদের দীনকে, যা তিনি পছন্দ করেছেন তাদের জন্য এবং ভয়ভীতির পরিবর্তে
অবশ্যই তিনি তাদেরকে নিরাপত্তা দান করবেন (সুরা নুর ২৪৪ ৫৫) ৷

সত্য প্রমাণ করেছেন আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণীও :
৷ হো৷ ৷ ’ ,ট্রা


তিনি সে সত্তা যিনি তার রাসুলকে প্রেরণ করেছেন হিদায়াত ও মত দীনসহ, যাতে তাকে
সমস্ত দীনের উপর জয়যুক্ত করেন যদিও মুশরিকরা এটাকে অপ্রীতিকর জ্ঞান করে’ (সুরা
তাওবা ৯ : ৩৩) !

আল্লাহ্র নবীর নিম্নোক্ত বাণীও সত্য প্রতিপন্ন হয়েছে :
কায়সারের বিনাশের পর আর কোন কায়সার হবে না; তেমনি কিসৃরার বিনাশের পর আর

কোন কিসৃরা হবে না ৷ যার হাতে আমার জীবন তার শপথ ৷ তোমরা অবশ্যই তাদের সঞ্চিত
ধন-ভাণ্ডাৱ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করবে ৷

উসমান (রা)-এর শাসনামলে এসব কিছুই সত্য প্রতিপন্ন হয়েছে ৷ হয়েছে বাস্তবে
রুপায়িত ৷ আল্পাহ্ তার প্রতি রহম করুন এবপ্ সন্তুষ্ট থাকুন ৷

আলবিদায়া ৪৬


وَمُحَمَّدِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: «كُنْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَاءَ أَبُو بَكْرٍ فَاسْتَأْذَنَ، فَقَالَ: " ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ ". ثُمَّ جَاءَ عُمَرُ فَاسْتَأْذَنَ، فَقَالَ: " ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ ". ثُمَّ جَاءَ عُثْمَانُ فَاسْتَأْذَنَ فَقَالَ: " ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ ". قَالَ: قُلْتُ: فَأَيْنَ أَنَا؟ قَالَ: " أَنْتَ مَعَ أَبِيكَ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبَزَّارُ، وَأَبُو يَعْلَى مِنْ حَدِيثِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، بِنَحْوِ مَا تَقَدَّمَ. حَدِيثٌ آخَرٌ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، ثَنَا لَيْثٌ، حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْعَاصِ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعُثْمَانَ حَدَّثَاهُ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ اسْتَأْذَنَ عَلَى النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ مُضْطَجِعٌ عَلَى فِرَاشِهِ لَابِسٌ مِرْطَ عَائِشَةَ، فَأَذِنَ لِأَبِي بَكْرٍ وَهُوَ كَذَلِكَ، فَقَضَى إِلَيْهِ حَاجَتَهُ، ثُمَّ انْصَرَفَ، فَاسْتَأْذَنَ عُمَرُ فَأَذِنَ لَهُ وَهُوَ عَلَى تِلْكَ الْحَالَةِ، فَقَضَى إِلَيْهِ حَاجَتَهُ ثُمَّ انْصَرَفَ، قَالَ عُثْمَانُ: ثُمَّ اسْتَأْذَنْتُ عَلَيْهِ، فَجَلَسَ وَقَالَ: " اجْمَعِي عَلَيْكِ ثِيَابَكِ ". فَقَضَيْتُ إِلَيْهِ حَاجَتِي ثُمَّ انْصَرَفْتُ. فَقَالَتْ عَائِشَةُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَالِي لَا أَرَاكَ فَزِعْتَ لِأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ كَمَا فَزِعْتَ لِعُثْمَانَ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ عُثْمَانَ رَجُلٌ حَيِيٌّ، وَإِنِّي خَشِيتُ إِنْ أَذِنْتُ لَهُ عَلَى تِلْكَ الْحَالَةِ لَا يُبْلِغُ إِلَيَّ حَاجَتَهُ» . قَالَ اللَّيْثُ: وَقَالَ جَمَاعَةُ النَّاسِ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ لِعَائِشَةَ: «أَلَا أَسْتَحِي مِمَّنْ تَسْتَحِي مِنْهُ الْمَلَائِكَةُ!» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৫৮৫৩


তিনি ছিলেন সুদর্শন, লাবণ্যময় চেহারার অধিকারী, উত্তম চরিত্রের অধিকারী, অতিমাত্রায়
লজ্জাশীল এবং বড় মাপের দানশীল ৷ আল্লাহ্র রাস্তায় স্বজন আর আত্মীয়বর্ণাক তিনি
অগ্ৰাধিকার দান করতে ন ৷ তিনি এটা করতেন তাদের অন্তর জয় করার নিমিত্ত আর এজন্য তিনি
নম্বর জীবনের তৃচ্ছ৫ ভোগের বস্তুর উপর সব কিছুকে অগ্রাধিকার দান করতেন ৷ নশ্বরের উপর
অবিনশ্বরকে অ্যাধিকার দানের ক্ষেত্রে উদ্বুদ্ধ অনুপ্রাণিত করার জন্যই হয়তাে৩ তিনি এমনটি
করতেন যেমন নবী কবীম ভ্রুারুন্ণ্ষ্ কিছু লোককে দান করতেন আর কিছু লোককে বাদ দিতেন ৷
যেমন তিনি কিছু লোককে দান করতেন, যাতে আল্পাহ্ তা আলা তাদের মুখঃমগুলকে অগ্নিতে দগ্ধ
হওয়া থেকে রক্ষা করেন আর অন্যদেরকে ছাড়তেন; কারণ, আল্লাহ্ তাদের অস্তরে হিদায়াত ও
ঈমান গচ্ছিত রেখেছেন ৷ তার এ স্বভাবের কারণে কিছু লোক তার বিরুদ্ধে আপত্তি উত্থাপন
করেছে, যথা খারিজীরা রাসুলুল্লাহ্গ্লুকুদ্বু এর বিরুদ্ধেও অভিযোগ উত্থাপন করেছিল ৷ হুনইিন
যুদ্ধে গনীমতের মাল বণ্টন প্রসঙ্গে ইতিপুর্বে আমরা তা আলোচনা করেছি ৷

উসমান (রা) এর ফযীলত তথা গুণ-বৈশিষ্ট্য আর শ্রেষ্ঠতু বিষয়ে অনেক হাদীস বর্ণিত
হয়েছে ৷ সেসব থেকে আমরা যথাসম্ভব আলোচনা করবো ইনশা আল্লাহ তা আলা, আমরা র্তারই
উপর নির্ভর করছি ৷ এ হাদীসসমুহ দৃ ধরনের : ১ সেগুলােতে তার ফষীলতের সঙ্গে অন্যদের
ফযীলতও বর্ণিত হয়েছে ৷ ২ যেসব হাদীসে কেবল উসমান (রা) এর ফযীলত বর্ণিত হয়েছে ৷

প্রথম শ্রেণীর হাদীস
ইমাম বুখারী (র) মুসাদ্দাদ (র) আনাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন :
মুসাদ্দাদ আনাস (রা) সুত্রে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, একদিন নবী করীম ব্লুনুলাং, উহুদ
পাহাড়ে আরোহণ করেন, তখন র্তার সঙ্গে ছিলেন আবুবকর, উমর এবং উসমান (রা) ৷ উহুদ
পাহাড় কেপে উঠলে রাসুলুল্লাহ্-হুত্ত্ব ন্ষ্কবললেন উহুদ শান্ত হও ৷ রাবী বলেন, আমার মনে হয়,
তিনি পর্বতে পদাঘাত করে বললেন তোমার উপর আছেন একজন নবী, একজন সিদ্দীক এবং
দু’জন শহীদ ৷ ইমাম বুখারী এককভাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম তিরমিযী আব্দুল আযীয আবু হুবাযব৷ সুত্রে বর্ণনা করে বলেন ;;
০া
একদা রাসুল কয়ীম ন্;স্ন্ হেরা প ৩ছিলেন, তীর সঙ্গে আরো ছিলেন আবুবকর, উমর,
উসমান, আলী ইবন আবু৩ তালিব এবং তালহা ও যুৰায়র (রা)ও ৷ পর্বতের একটা পাথর

নডাচড়া করলে রাসুলে করীম-ন্ প্;; ন্প্ণ্শ্প্;বললেন : শান্ত হও, স্থির থাক, তোমার উপর নবী, সিদ্দীক
এবং শহীদ ছাড়া আর কেউ নেই ৷ একই অধ্যায়ে উসমান, সাঈদ ইবন যায়দ, ইবন আব্বাস,


حَدِيثِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ بِهِ، وَمِنْ حَدِيثِ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ بِهِ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي حَرْمَلَةَ، عَنْ عَطَاءٍ وَسُلَيْمَانَ ابْنَيْ يَسَارٍ، وَأَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ. وَرَوَاهُ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ، مِنْ حَدِيثِ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ. وَرَوَاهُ جُبَيْرُ بْنُ نُفَيْرٍ، وَعَائِشَةُ بِنْتُ طَلْحَةَ عَنْهَا. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَسَارٍ سَمِعْتُ عَائِشَةَ بِنْتَ طَلْحَةَ تَذْكُرُ عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَانَ جَالِسًا كَاشِفًا عَنْ فَخِذِهِ، فَاسْتَأْذَنَ أَبُو بَكْرٍ، فَأَذِنَ لَهُ وَهُوَ عَلَى حَالِهِ، ثُمَّ جَاءَ عُمَرُ فَاسْتَأْذَنَ، فَأَذِنَ لَهُ وَهُوَ عَلَى حَالِهِ، ثُمَّ اسْتَأْذَنَ عُثْمَانُ فَأَرْخَى عَلَيْهِ ثِيَابَهُ، فَلَمَّا قَامُوا قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، اسْتَأْذَنَ عَلَيْكَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ فَأَذِنْتَ لَهُمَا وَأَنْتَ عَلَى حَالِكَ، فَلَمَّا اسْتَأْذَنَ عُثْمَانُ أَرْخَيْتَ عَلَيْكَ ثِيَابَكَ! فَقَالَ: «يَا عَائِشَةُ أَلَا أَسْتَحِي مِنْ رَجُلٍ، وَاللَّهِ إِنَّ الْمَلَائِكَةَ تَسْتَحِي مِنْهُ» ! .
পৃষ্ঠা - ৫৮৫৪


সহল ইবন সাদ, আনাস ইবন মালিক, ইয়াষীদ আসলাষী (রা) থেকে হাদীস বর্ণিত আছে ৷
হাদীসটি সহীহ ৷ আমি বলি, আৰুদ্দারদাও হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷ ইমাম তিরমিষী (র) উসমান
(রা) থেকে অবারাবের দিন তার ভাষণেও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন, উসমান (রা)
সাবীর এর উপর দাড়িয়ে এ ভাষণ দান করেন ৷

অপর একটি হাদীস

হাদীসটি আবু উসমান মাহদী সুত্রে আবু মুসা আশআরী থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন :
একদা আমি রাসুলুল্লাহ্ «—« এর সঙ্গে একটা বাগানে জ্জিাম, তিনি আষ্কাক্লো দরজা হিফাজতের

ষ্ৰ্ষ্ ষ্ষ্স্ষ্ধ্

নির্দোণ করেন, তখন জনৈক ব্যক্তি এসে অনুমতি প্রার্থনা করলে আমি জিজ্ঞেস করলাম, কে ?

ষ্ৰ্ গ্যে’ ষ্

তিনি বললেন : আবু বকর ৷ তখন রাসুল :::: বললেন০ ষ্
;
তাকে (ভেতরে প্রবেশ করার) অনুমতি দাও এবং জান্নাতের সুসৎ বাদ দাও ৷ তারপর উমর
(রা) আগমন করলে রাসুলুৰুা৷হ্মেং মোঃ বললেন, তাকে অনুমতি দাও এবং জান্নাতের থােশখবর
দাও ৷ এরপর উসমান (রা) আগমন করলে রাসুল শ্ল্ শ্ত্ত্ব; বললেন তাকে অনুমতি দাও এবং
তাকে যে বিপদে পতিত হতে হবে, সে জন্য জান্নাতের সুসংবাদ দাও ৷ তিনি একথা বলতে
বলতে ভিতরে প্রবেশ করলেন : হে আল্লাহ্ ৷ সবর চাই, সবর ৷ অপর এক বর্ণনায় আছে :
আল্লাহ্র নিকট সাহায্য কামান করছি ৷ কাতাদা এবং আইউব সাখৃতিয়ানী আবু মুসা আশআরী
সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷ ইমাম বুখারী (র) হাম্মাদ ইবন যায়দ আবু মুস৷ আশআরী

প্শ্

সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ আর আসিম অতিরিক্ত যোগ করে বলেন যে, রাসুল প্ষ্শ্ন্ এক

প্ৰ্ষ্শ্ষ্ধ্

স্থানে উপবিষ্ট ছিলেন ৷ এ সময় তার দৃছুাটু বা এক ছুাটু খুলে যায় ৷ উসমান (বা) প্রবেশ করলে

রাসুলুল্লাহ্ :::;ণ্;৩ ৩৷ ঢেকে নেন ৷ আর বুখারী-মৃসলিমে হাদীসটি সাঈদ ইবনুল মৃসাইয়িব সুত্রে
আবু মুসার বরাতে বর্ণিত হয়েছে ৷ আর তাতে একথাও আছে ং

া প্রুএন্ ণ্াশু শুশ্১ এ ণ্ান্এ রুশ্রা এ>শু ণ্ন্ষ্ক্ষো১; ৷ান্ ন্ম্পো ণ্ওম্, ৷ৰু৷ ১
আবু বকর এবং উমর (রা) রাসুল শ্ষ্ণ্ট্রু,ন্শ্;ষ্ট্রুএর সঙ্গে তাদের পদদ্বয় কৃয়াের পাড়ে ঝুলিয়ে

রাখেন, এ সময় উসমান (রা) আগমন করে কোন স্থান পেলেন না ৷ সাঈদ বলেন, আমি এর এ
অর্থ করি যে, তাদের কবর একসঙ্গে হবে, আর উসমান (রা) থাকবেন পৃথক করার ৷ ’

ইমাম আহমদ ইয়াষীদ ইবন মারওয়ান নাফি ইবনুল হারিস সুত্রে বর্ণনা করেন :

আমি রাসুলে ৰুরীম্শ্ণ্ন্ শ্প্ষ্ষ্ন্ষ্ -এর সঙ্গে বেরিয়ে আসলে তিনি একটা বাগানে প্রবেশ করেন
এবং বলেন ং আমার জন্য দরজা বন্ধ রাখ’ ৷ তিনি আগমন করে কৃপের পাড়ে বসে পা ঝুলিয়ে
দেন ৷ এসময় দরজায় আঘাত করা হলে আমি জিজ্ঞেস করলাম; কে? বলালনং আবুবকর ৷
আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহা ইনি আবু বকর ৷ তিনি বললেনং তাকে অনুমতি দাও এবং


تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. طَرِيقٌ أُخْرَى عَنْ حَفْصَةَ: رَوَاهُ الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ، وَأَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ عَنْ رَوْحِ بْنِ عُبَادَةَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو خَالِدٍ عُثْمَانُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَدَنِيِّ، حَدَّثَتْنِي حَفْصَةُ، فَذَكَرَ مِثْلَ حَدِيثِ عَائِشَةَ، وَفِيهِ: فَقَالَ «أَلَا اسْتَحِي مِمَّنْ تَسْتَحِي مِنْهُ الْمَلَائِكَةُ!» . طَرِيقٌ أُخْرَى عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، ثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، ثَنَا النَّضْرُ - هُوَ ابْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَبُو عُمَرَ الْخَزَّازُ الْكُوفِيُّ - عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَلَا أَسْتَحِي مِمَّنْ تَسْتَحِي مِنْهُ الْمَلَائِكَةُ ;» عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ. ثُمَّ قَالَ الْبَزَّارُ: لَا نَعْلَمُهُ يُرْوَى عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ إِلَّا بِهَذَا الْإِسْنَادِ. قُلْتُ: هُوَ عَلَى شَرْطِ التِّرْمِذِيِّ، وَلَمْ يُخَرِّجُوهُ. طَرِيقٌ أُخْرَى عَنِ ابْنِ عُمَرَ: قَالَ الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدِّمِيُّ، ثَنَا أَبُو مَعْشَرٍ، حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ
পৃষ্ঠা - ৫৮৫৫


জান্নড়াতের সুসংবাদ দাও ৷ তিনি ভেতরে প্রবেশ করে কুয়াের পাড়ে বসে কুয়ার দুই পা ঝুলিয়ে
দেন ৷ তারপর দরজায় করাঘাত হলে আমি জিজ্ঞেস করি : ফে৷ তিনি বললেন? উমর ৷ তখন
আমি বললাম : ইয়া রাসুলাল্লাহ ! ইনি উমর ৷ তিনি বললেন : তাকে অনুমতি দাও এবং
জান্নাতের সুসংবাদ দাও ৷ আমি তইি করলাম ৷ তিনি আগমন করে রাসুলড্রোথ এর পাশে বসে
কুয়ার পা ছড়িয়ে দেন ৷ এরপর দরজায় আঘাত হলে আমি বললাম : কে তিনি বললেন :
উসমান ৷ আমি বললাম : ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ৷ ইনি উসমান ৷ তিনি বললেন : তাকে অনুমতি দাও
এবং জান্নড়াতের সুসংবাদ দাও ৷ তবে জান্নাতের সঙ্গে বিপদাপদ আর পরীক্ষাও আছে ৷ আমি
তাকে অনুমতি দিলাম এবং জান্নাতের সুসংবাদও দিলাম ৷ তিনি (ভেতরে প্রবেশ করতঃ) রাসুলে
করীমড্রে এর সঙ্গে পাড়ে বসে কুয়ার পাদ্বয় ঝুলিয়ে দেন ৷ এ রিওয়ায়াতে এরুপই বর্ণিত
হয়েছে ৷ ইমাম আবু দাউদ (র) ও ইমাম নাসাঈ আবু সালমা সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
হতে পারে আবু মুসা এবং নাফি ইবন আব্দুল হারিস উভয়ই দরজায় নিয়োজিত ছিলেন ৷ অথবা
এটা ভিন্ন ঘটনা ৷

ইমাম আহমদ (র) আফ্ফান নাফি ইবন আব্দুল হারিস সুত্রে বর্ণনা করে বলেন :

রাসুলুল্পাহ্হুহুআং ৰু একটা বাগানে প্রবেশ করে কুয়ার পাড়ে বসলেন ৷ আবু বকর (বা) আগমন
করে অনুমতি চইিলে তিনি আবু মুসা (রা)-কে বললেন ও তাকে অনুমতি দাও এবং জান্নড়াতের
সুসংবাদ দাও ৷ এরপর উমর (রা) এলে বললেন ও তাকে অনুমতি দাও এবং জান্নাতের সুসংবাদ
দাও ৷ এরপর উসমান (রা) আগমন করলে তিনি বললেন : তাকে অনুমতি দাও এবং জান্নাতের
সুসংবাদ দাও ৷ অদুর ভবিষ্যতে সে বিপদের সম্মুখীন হয়ে ৷ এ বর্ণনা ধারা প্রথম বর্ণনার সাথে
বেশি সামঞ্জস্যপুর্ণ ৷ পক্ষাম্ভরে ইমাম নাসাঈ (র) সালিহ্ ইবন কায়সান আবু মুসা আশআরী
সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ আল্পাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইমাম আহমদ (র) ইয়াযীদ আব্দুল্লাহ ইবন আমর সুত্রে বর্ণনা করে বলেন ং

আমি রাসুলুল্লাহ্মোঃএর সঙ্গে ছিলাম, এমন সময় আবু বকর (রা) আগমন করে অনুমতি
চাইলে তিনি বলেন : র্তাকে অনুমতি দাও এবং জান্নাতের সুসংবাদ দাও ৷ এরপর উমর (রা)
আগমন করলে তিনি বললেন ও তাকে অনুমতি দাও এবং জান্নাতের সুসংবাদ দাও ৷ রাৰী বলেনঃ
আমি বললাম : তবে আমি কোথায় থাকবাে ? তিনি বললেন : তুমি তোমার পিতার সঙ্গে
থাকবে ৷ ইমাম আহমদ এককভাবে হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷ বাঘৃযার ও আবুইয়ালা আনাস ইবন
মালিক (রা) সুত্রে পুর্ববর্তী বর্ণনার মতো হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
অপর একটি হাদীস

ইমাম আহমদ লাইস সাঈদ ইবনুল আন সুত্রে বর্ণনা করে বলেন

স্পো



بْنُ عُمَرَ بْنِ أَبَانَ، حَدَّثَنِي أَبِي - عُمَرُ بْنُ أَبَانَ - عَنْ أَبِيهِ قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ يَقُولُ: بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، جَالِسٌ وَعَائِشَةُ وَرَاءَهُ إِذِ اسْتَأْذَنَ أَبُو بَكْرٍ فَدَخَلَ، ثُمَّ اسْتَأْذَنَ عُمَرُ فَدَخَلَ، ثُمَّ اسْتَأْذَنَ سَعْدُ بْنُ مَالِكٍ فَدَخَلَ، ثُمَّ اسْتَأْذَنَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ وَرَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَتَحَدَّثُ كَاشِفًا عَنْ رُكْبَتِهِ فَمَدَّ ثَوْبَهُ عَلَى رُكْبَتِهِ حِينَ اسْتَأْذَنَ عُثْمَانُ، وَقَالَ لِامْرَأَتِهِ: اسْتَأْخِرِي. فَتَحَدَّثُوا سَاعَةً ثُمَّ خَرَجُوا، فَقَالَتْ عَائِشَةُ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ دَخَلَ أَبِي وَأَصْحَابُهُ، فَلَمْ تُصْلِحْ ثَوْبَكَ عَلَى رُكْبَتِكَ وَلَمْ تُؤَخِّرْنِي عَنْكَ. فَقَالَ النَّبِيُّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَلَا أَسْتَحِي مِنْ رَجُلٍ تَسْتَحِي مِنْهُ الْمَلَائِكَةُ! وَالَّذِي نَفْسُ رَسُولِ اللَّهِ بِيَدِهِ إِنَّ الْمَلَائِكَةَ لَتَسْتَحْيِي مِنْ عُثْمَانَ، كَمَا تَسْتَحِي مِنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ، وَلَوْ دَخَلَ وَأَنْتِ قَرِيبٌ مِنِّي لَمْ يَتَحَدَّثْ وَلَمْ يَرْفَعْ رَأْسَهُ حَتَّى يَخْرُجَ» . هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَفِيهِ زِيَادَةٌ عَلَى مَا قَبْلَهُ، وَفِي إِسْنَادِهِ ضَعْفٌ. قُلْتُ: وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى، وَزَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ.
পৃষ্ঠা - ৫৮৫৬


৷ ৷ ১া
১া
ৰু

আয়িশা (রা) ও উসমান (রা) বর্ণনা করেন যে, আবু বকর (রা) রাসুলুল্লাহ্মোঃ মোঃ এর নিকট
অনুমতি চাইলেন, এসময় তিনি আয়িশা (রা) এর চাদর মুড়িওট্টদািয় বিছানায় শুয়ে ছিলেন, তিনিণ্;:
আবু বকর (রা) কে অনুমতি দেন, আর তিনি তখনও চাদর মুড়ি দিয়ে ছিলেন ৷ তিনি
প্রয়োজনের কথা র্তাকে বলে চলে গেলেন ৷ তারপর উমর (রা) অনুমতি চইিলে তাকে অনুমতি
দিলেন ৷ আর তিনি তখনও যে অবস্থায় ছিলেন ৷ তিনি রাসুল মোঃ কে প্রয়োজনের কথা বলে
গমন করেন ৷ উসমান (রা) বলেন তারপর আমি তার নিকট অনুমতি চইিলে তিনি বলে
পড়লেন এবং বললেন : তোমার কাপড় ঠিক করে নাও ৷ আমি তাকে আমার প্রয়োজনের কথা
বলে ফিরে আসি ৷ তখন আয়িশা (রা) বললেন : ইয়া রাসুলাল্লাহ! কি ব্যাপার ৷ উসমান
(রা)-এর আগমনে আপনাকে যতটা বিব্লত দেখেছি, আবু বকর ও উমর (রা)এর জন্য কেন
ততটা বিব্লত দেখিনি৷ তখন রাসুল ড্রুল্ বললেন : উসমান (বা) একজন লজ্জাশীল ব্যক্তি,
আমার আশংকা হয়েছিল, যে অবস্থায় আমি তাকে অনুমতি দান করলে তিনি তার প্রয়োজন
আমার নিকট পৌছাতে পারতেন না ৷

লইিস বলেন, একদল লোক বলেছেন যে, রাসুল মোঃ আয়িশা (রা)-ণ্ক বলেছেন : আমি
কি যে ব্যক্তিকে লজ্জা পাবাে না,যে ব্যক্তিকে ফেরেশতারা লজ্জা করেন?’ ইমাম মুসলিম (র)
মুহাম্মদ ইবন আবু হারমালা আয়িশা সুত্রেও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ আবু ইয়ালা আল
মুসিলী সুহইিল সুত্রে তার পিতার বরাভে আয়িশা (রা) থেকেও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
জুবাইর ইবন নুফাইর আয়িশা বিনতে তালহা সুত্রে আয়িশা (রা) থেকেও হাদীসটি বর্ণনা
করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) মারওয়ান উঘুল মুমিনীন আয়িশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ মোঃ ন্ একদা উরু উন্মুক্ত করে বলেছিলেন ৷ এমন সময় আবু বকর (বা) অনুমতি
চইিলেন, অথচ তিনি একই অবস্থায় ছিলেন ৷ পরে উমর (রা) আগমন করে অনুমতি চইিলে সে
অবন্থায়ই র্তাকে অনুমতি দিলেন৷ এরপর উসমান (রা) অনুমতি চইিলে রাসুললোঃ গায়ে
কাপড় টেনে দেন ৷ তারা সকলে উঠে র্দড়োলে আমি বললাম :

৫হ আল্লাহ্র রাসুল! আবু বকর ও উমর (রা) অনুমতি চইিলে আপনি একই অবস্থায়
(নির্বিকার) ছিলেন, কিন্তু উসমান (রা) অনুমতি চইিলে আপনি পায়ে কাপড় টেনে দিলেন (এর
কারণ কি ৷) তখন রাসুলঘ্নে ল্যাং বললেন


হে আয়িশা ! ফেরেশতারা যে ব্যক্তিকে লজ্জা পায়, আমরা কি তাকে লজ্জা করবো না? ’


وَرَوَى أَبُو مَرْوَانَ الْقُرَشِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «عُثْمَانُ حَيِيٌّ تَسْتَحِي مِنْهُ الْمَلَائِكَةُ» . حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، «أَرْحَمُ أُمَّتِي أَبُو بَكْرٍ، وَأَشَدُّهَا فِي دِينِ اللَّهِ عُمَرُ، وَأَشَدُّهَا حَيَاءً عُثْمَانُ، وَأَعْلَمُهَا بِالْحَلَالِ وَالْحَرَامِ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ، وَأَقْرَؤُهَا لِكِتَابِ اللَّهِ أُبَيٌّ، وَأَعْلَمُهَا بِالْفَرَائِضِ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، وَلِكُلِّ أُمَّةٍ أَمِينٌ، وَأَمِينُ هَذِهِ الْأُمَّةِ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، وَالنِّسَائِيُّ، وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ "، وَ " مُسْلِمٍ " آخِرُهُ " «وَلِكُلِّ أُمَّةٍ أَمِينٌ، وَأَمِينُ هَذِهِ الْأُمَّةِ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ» ". وَقَدْ رَوَى هُشَيْمٌ عَنْ كَوْثَرِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ مِثْلَ حَدِيثِ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَوْ نَحْوَهُ.
পৃষ্ঠা - ৫৮৫৭


হাফসা সুত্রে অপর এক বর্ণনা
হাসান ইবন আরড়াফা হাফসা সুত্রে আয়েশা (রা) এর অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷

ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে অপর বংনাি

হাফিয আবু বকর বায্যার আবু কুরাইব ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন
বাসুলুল্লাহশু;:: বলেছেন : উসমান ইবন আফফান, যাকে ফেরেশতারা লজ্জা করে , আমরা কি
ভাবে লজ্জা করবো না? তারপর ইমাম বায্যার বলেন : ইবন আব্বাস সুত্রেই কেবল হাদীসটি
বর্ণিত আছে ৷ অপর কোন সুত্রে বর্ণিত আছ বলে আমার জানা নেই ৷ আমি বলি , হাদীসটি ইমাম

তিরমিযীর শর্তানুযায়ী বর্ণিত ৷ অন্যান্য ইমাম হাদীসটি বর্ণনা করেন নি ৷

ইবন উমর (রা) থেকে ভিন্ন সুত্রের বর্ণনা
তাবারানী আব্দুল্লাহ্ ইবন আহমদ আবু উমর ইবন আব্বান সুত্রে পিতার বরাতে
বলেন, আমি আব্দুল্লাহ্ ইবন উমরকে বলতে শুনেছিষ্ ং

একদা রাসুলুল্লাহ্ৰাদাওউগবিষ্ট ছিলেন, আর তার পেছনে ছিলেন আ য়েশা (রা) ৷ এমন সময়
আবু বকর (রা) অনুমতি নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলেন, পরে উমর (রা)ও অনুমতি নিয়ে ভেতরে
প্রবেশ করলেন, তারপর সাদ ইবন মালিক অনুমতি নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেন; তারপর
অনুমতি নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেন উসমান ইবন আফ্ফান, তখন রাসুল ,ৰু ইাটু উন্মুক্ত
অবস্থায় কথা বলছিলেন ৷ উসমান (রা) অনুমতি চাইলে রাসু হুষ্“-;ৰুহ্:হাটুর উপর কাপড় টেনে
দিলেন আর তার শ্রী আয়েশা (রা) কে বললেনং তুমি এক দিকে সরে যাও ৷ ধ্তারা সকলে
কিছুক্ষণ কথা বলে বেরিয়ে গেলে আয়েশ্ ৷৷ (রা) বললেন ?; হে আল্লাহ্র নবী আমার পিতা আর
সঙ্গীরা আপনার নিকট এলেন, তখন আপনি ছুাটুর উপর কাপড় টেনে দিলেন না, আর
আমাকেও পেছনে সরে যেতে বললেন না (এর কারণ কি?) তখন আল্লাহর নবীগ্লু;হু৮ বললেন :
সে ব্যক্তিকে ফেরেশতারা লজ্জা পড়ায়, তাকে কি আমি লজ্জা পারে৷ না? যার হাতে আমার জীবন,
তার শপথ! ফেরেশতারা যেমনি আ ল্লাহ্ ও তার রাসুলকে লজ্জা পান, তেমনি লজ্জা ৷পান উসমান
(রা) কেও ৷ তিনি যদি ভেতরে প্রবেশ করতেন আর তুমি আমার কাছ থাকতে তাহলে৩ তিনি
কোন কথা না বলে মাথাও না তৃলেই চলে যেতে ন ৷ এ সুত্রে হাদীসটি গরীব এবং তাতে আগের
বর্ণনার অতিরিক্ত আছে ৷ আর৩ তার সনদেও দুর্বলত ৷ আছে ৷ আমি বলি, এ অধ্যায়ে আলী (রা)
আব্দুল্লাহ্ ইবন আবু আউফা এবং যায়দ ইবন সাবিত থেকেও হাদীস বর্ণিত ৩আছে ৷ আর আবু

প্৭ fl ন্শ্ ১

মারওয়ান আল-কুরায়শী , আবু হুরায়রা সুত্রে বর্ণনা করে বলেন যে, রাসুল ;;ৰু:: বলেছেন :
উসমান (রা) এমনই লজ্জাশীল যে, ফেরেশতারাও তাকে লজ্জা করেন’ ৷
অপর একট হাদীস

ইমাম আহমদ (র) ওয়াকী আনাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করে রাসুলে করীমন্;:দ্বুহু
বলেছেন ;

ণ্১,া


حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ رَبِّهِ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنِي الزُّبَيْدِيُّ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهُ كَانَ يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: ( «أُرِيَ اللَّيْلَةَ رَجُلٌ صَالِحٌ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ نِيطَ بِرَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَنِيطَ عُمَرُ بِأَبِي بَكْرٍ، وَنِيطَ عُثْمَانُ بِعُمَرَ» . قَالَ جَابِرٌ: فَلَمَّا قُمْنَا مِنْ عِنْدِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قُلْنَا: أَمَّا الرَّجُلُ الصَّالِحُ فَرَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَمَّا مَا ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مِنْ نَوْطِ بَعْضِهِمْ لِبَعْضٍ فَهُمْ وُلَاةُ هَذَا الْأَمْرِ الَّذِي بَعَثَ اللَّهُ بِهِ نَبِيَّهُ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ حَرْبٍ، ثُمَّ قَالَ: وَرَوَاهُ يُونُسُ وَشُعَيْبٌ، فَلَمْ يَذْكُرَا عُمَرَ. حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ - عُمَرُ بْنُ سَعْدٍ - ثَنَا بَدْرُ بْنُ عُثْمَانَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مَرْوَانَ، عَنْ أَبِي عَائِشَةَ، عَنِ ابْنِ
পৃষ্ঠা - ৫৮৫৮





আমার উম্মতের মধ্যে সবচাইতে দয়াবান আবু বকর (বা) আর আল্লাহ্র দীনের ক্ষেত্রে
সবচইিতে কঠোর উমর (বা) আর তাদের মধ্যে লজ্জার দিক থেকে সবচইিতে কঠোর উসমান
(বা), আর হালাল-হারামের ব্যাপারে সবচইিতে বড় জ্ঞানী মুআয ইবন জাৰাল (রা), আর
আল্লাহ্র কিতড়াবের সবচইিতে বড় কারী উবাই (বা), আর তাদের মধ্যে ফরায়েষের ক্ষেত্রে
সবচাইতে বড় আলিম হলেন যায়দ ইবন সাবিত (রা) ৷ আর প্রা৩ ত্যক উম্মতের জন্য একজন
আমানতদার আছেন , আর এ উম্মতের আমানতদার হলেন আবু উবায়দা ইবনুল জার্রাহ্ (রা)া
অনুরুপভাবে ইমাম তিরমিষী (র ) ইমাম নাসাঈ (র) ও ইমাম ইবন মাজাহ্ খালিদ আল-হড়ায্যা
সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ আর ইমাম তিরমিষী হাদীসটিকে হাসানসহীহ্’ বলে উল্লেখ
করেছেন ৷ আর সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হাদীসের শেষে আছে; প্রত্যেক
উম্মতের একজন আমীন রয়েছেন, আর এ উম্মতের আমীন’ হলেন আবু উবায়দা ইবনুল
জাররাহ্’ ৷

অনুরুপভাবে হইিসাম কুরীয সুত্রে আনাস (বা) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷

অপর একটি হাদীস

ইমাম আহমদ (র) ইয়াযীদ ইবন আব্দ রাব্বিহী জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রা) সুত্রে
বর্ণনা করেন যে, তিনি হাদীস বর্ণনা করতেন যে, বাসুলুল্লাহশ্রুটুদ্বু বলেছেন

আজ রাত্রে আমাকে একজন নেককার লোক দেখানো হয়েছে যে, আবু বকর (রা-)-কে
রাসু fl এর সঙ্গে মিলানাে হয়েছে ৷ আর উমর (রা)-কে মিলানাে হয়েছে আবু বকর
(রা)-এর সঙ্গে, আর উসমান (রা)-কে মিলানাে হয়েছে উমর (রা)-এর সঙ্গে ৷ আমরা যখন
রাসুলুল্পাহ্মোঃ এর নিকট থেকে উঠে র্দাড়ালাম তখন বললাম৪ নেককার লেকটিতো
বাসুলুল্লাহৰু ৷ অবশ্য রাসুল মোঃ যে তাদের একজনের সঙ্গে অন্যজনের মিলনের কথা
বলেছেন, তারা হলেন এ দীনের শাসকবৃন্দ, যে দীনসহ আল্লাহ তা আলা তার নবীকে প্রেরণ
করেছেন ৷ ইমাম আবু দাউদ (র) হাদীসটি আম্র ইবন উসমান (র) সুত্রে মুহাম্মদ ইবন হড়ারব
সুত্রে বর্ণনা করে বলেন : ইউনুস এবং শুয়াইবও হাদীসটি যুহরী সুত্রে বর্ণনা করেছেন, তবে

তারা উমরের কথা উল্লেখ করেন নি ৷

ইমাম আহমদ (ব ) আবু দাউদ (রা) উমর ইবন সাদ ইবন উমর (রা) সুত্রে বর্ণনা
করেন ং একদা ভোরে সুর্যোদয়ের পর রাসুলুল্লাহ্মোঃআমাদের নিকট আগমন করে বলেন :

ফজরের পুর্বে আমি দেখতে পাই, যেন আমাকে কুনজী আর দাড়িপাল্লা দেওয়া হয়েছে ৷
মড়াকালীদ হলো চাবি, আর মাওয়াযীন হলো যা দ্বারা (বান্দাদের আমল) ওযন করা হয় ৷ এক
পাল্লায় আমাকে রাখা হয়, অপর পাল্লার রাখা হয় আমার উষ্মতকে ৷ আর তাদের সঙ্গে আমাকে
ওযন করা হলে আমিই ভারী হই ৷ তারপর আবু বকর (রা) -কে এনে ওযন করা হলে তিনি
সমান সমান হলেন ৷ পরে উমর (রা)-কে এনে ওযন করা হলে তিনিও সমান সমান হলেন ৷
এরপর উসমান (রা)-কে এনে ওযন করা হলে তিনিও ওযনে সমান হলেন ৷ তারপর দীড়িপাল্লা
উপরে উঠিয়ে নেয়া হয় ৷ ইমাম আহমদ (রা) এককন্ডাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷


عُمَرَ قَالَ: خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ذَاتَ غَدَاةٍ بَعْدَ طُلُوعِ الشَّمْسِ فَقَالَ: «رَأَيْتُ قُبَيْلَ الْفَجْرِ كَأَنِّي أُعْطِيتُ الْمَقَالِيدَ وَالْمَوَازِينَ، فَأَمَّا الْمَقَالِيدُ فَهَذِهِ الْمَفَاتِيحُ، وَأَمَّا الْمَوَازِينُ فَهِيَ الَّتِي تَزِنُونَ بِهَا، فَوُضِعْتُ فِي كِفَّةٍ، وَوُضِعَتْ أُمَّتِي فِي كِفَّةٍ، فَوُزِنْتُ بِهِمْ فَرَجَحْتُ، ثُمَّ جِيءَ بِأَبِي بَكْرٍ فَوُزِنَ بِهِمْ فَوَزَنَ، ثُمَّ جِيءَ بِعُمَرَ فَوُزِنَ فَوَزَنَ، ثُمَّ جِيءَ بِعُثْمَانَ فَوَزَنَ بِهِمْ، ثُمَّ رُفِعَتْ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، ثَنَا عَمْرُو بْنُ وَاقِدٍ، ثَنَا يُونُسُ بْنُ مَيْسَرَةَ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنِّي رَأَيْتُ أَنِّي وُضِعْتُ فِي كِفَّةٍ وَأُمَّتِي فِي كِفَّةٍ فَعَدَلْتُهَا، ثُمَّ وُضِعَ أَبُو بَكْرٍ فِي كِفَّةٍ وَأُمَّتِي فِي كِفَّةٍ فَعَدَلَهَا، ثُمَّ وُضِعَ عُمَرُ فِي كِفَّةٍ وَأُمَّتِي فِي كِفَّةٍ فَعَدَلَهَا، ثُمَّ وُضِعَ عُثْمَانُ فِي كِفَّةٍ وَأُمَّتِي فِي كِفَّةٍ فَعَدَلَهَا» . حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ أَبُو يَعْلَى: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُطِيعٍ، ثَنَا هُشَيْمٌ، عَنِ الْعَوَّامِ، عَمَّنْ حَدَّثَهُ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «لَمَّا أَسَّسَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مَسْجِدَ الْمَدِينَةِ جَاءَ بِحَجَرٍ فَوَضَعَهُ، وَجَاءَ أَبُو بَكْرٍ بِحَجَرٍ فَوَضَعَهُ، وَجَاءَ عُمَرُ بِحَجَرٍ فَوَضَعَهُ، وَجَاءَ عُثْمَانُ بِحَجَرٍ فَوَضَعَهُ، قَالَتْ: فَسُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَنْ ذَلِكَ، فَقَالَ: هَذَا أَمْرُ الْخِلَافَةِ مِنْ بَعْدِي» وَقَدْ تَقَدَّمَ هَذَا الْحَدِيثُ فِي بِنَاءِ مَسْجِدِهِ أَوَّلَ
পৃষ্ঠা - ৫৮৫৯


ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান ইিশাম ইবন আমার (বা) মুয়ায ইবন জাবাল (রা) সুত্রে বর্ণনা
করে বলেন, রাসুলে কবীমমোঃ মোঃপুর্বের হাদীসের অনুরুপ বলেছেন ৷

আরো একটি হাদীস
আবু ইয়ালা আব্দুল্লাহ্ ইবন মুতী আয়েশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করে বলেন :
মদীনায় মসজিদের ভিত্তি স্থাপনকালে রাসুলুল্লাহ্মোঃ একটা পাথর এনে স্থাপন করলেন ৷
এরপর আবু বকর (রা) একটা পাথর এনে স্থাপন করলেন; পরে উমর (রা) এসে একটা পাথর
এনে স্থাপন করলেন এবং এরপরে উসমান (রা) একটা পাথর এনে স্থাপন করলেন ৷ বর্ণনাকারী
(আয়েশা) (রা) বলেন : এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্স্লে কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন :
আমার পর এরাই হবেন খিলাফতের দায়িত্বে নিয়োজিত আমীর ৷ মদীনায় রাসুল মোঃ এর
আগমনের শুরুতে মসজিদের ভিত্তি স্থাপন প্রসঙ্গে হাদীসটি আলোচিত হয়েছে ৷ অনুরুপভাবে
দালাইলুন নবুয়ত অধ্যায়ে যুহ্রী সুত্রে অপর এক ব্যক্তির মারফ্তে আবু যর (রা)-এর বরাতে
রাসুলুল্লাহ্হুশুক্ষুৰু এবং আবু বকর, উমর, উসমান (রা)-এর হাতে কংকরের তাসবীহ পাঠ প্রসঙ্গে
হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে ৷ কোন কোন বর্ণনায় আছে তখন রাসুলর্ন্তশৃক্ট্রবলেন :
এটা হচ্ছে নবুয়াতের খিলাফত ৷
সফীনা সুত্রে বর্ণিত হাদীস পরে আসছে, যাতে রাসুলুল্লাহ্ক্রোবলোছন :
ঞশ্ঞা হুও১গ্রা
আমার পরে ৩০ বৎসর খিলাফত ব্যবস্থা চালু থাকবে, তারপর আসবে রাজতন্ত্র ৷ ’ মোট

এই ৩০ বৎসর মুদ্দতের মধ্যে বাস্তববাদী আলিমদের সর্বসম্মত মত অনুযায়ী উসমান (রা)-এর
১২ বৎসরও অন্তর্ভুক্ত ৷ সাইয়িদ্রদুল মুরসালীনমোঃ এ সম্পর্কে পুৰ্বাহে অবহিত করেছিলেন ৷

অপর একটি হাদীস ণ্

রাসুলুল্পাহ্জ্যে থেকে বিভিন্ন সুত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি ১০ জনের জন্য জামাতের সাক্ষ্য
“দানকরেছেন, নৰীকরীমমোঃ চ্এর স্পষ্ট উক্তি মতে উসমান (রা)-ও ছিলেন সে দশ জনের
অন্যতম ৷
আরো একটি হাদীস

ইমাম ৰুখারী (র) মুহাম্মদ ইবন হাতিম ইবন উমর (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন :



مَقْدِمِهِ الْمَدِينَةَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ. وَكَذَلِكَ تَقَدَّمَ فِي دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ فِي تَسْبِيحِ الْحَصَا فِي يَدِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، ثُمَّ فِي كَفِّ أَبِي بَكْرٍ، ثُمَّ فِي كَفِّ عُمَرَ، ثُمَّ فِي كَفِّ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. وَفِي بَعْضِ الرِّوَايَاتِ: فَقَالَ: رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: هَذِهِ خِلَافَةُ النُّبُوَّةِ وَسَيَأْتِي حَدِيثُ سَفِينَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «الْخِلَافَةُ بَعْدِي ثَلَاثُونَ سَنَةً ثُمَّ تَكُونُ مُلْكًا» فَكَانَتْ وِلَايَةُ عُثْمَانَ، وَمُدَّتُهَا ثِنْتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً، مِنْ جُمْلَةِ هَذِهِ الثَّلَاثِينَ بِلَا خِلَافٍ بَيْنِ الْعُلَمَاءِ الْعَامِلِينَ، كَمَا أَخْبَرَ بِهِ سَيِّدُ الْمُرْسَلِينَ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعَلَى آلِهِ وَصَحْبِهِ أَجْمَعِينَ. حَدِيثٌ آخَرُ: وَهُوَ مَا رُوِيَ مِنْ طُرُقٍ مُتَعَدِّدَةٍ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ شَهِدَ لِلْعَشَرَةِ بِالْجَنَّةِ، وَعُثْمَانُ مِنْهُمْ بِنَصِّ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَلَى ذَلِكَ. حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ بَزِيعٍ، ثَنَا شَاذَانُ، ثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ الْمَاجِشُونُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، «عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: كُنَّا فِي زَمَنِ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَا نَعْدِلُ بِأَبِي بَكْرٍ أَحَدًا، ثُمَّ عُمَرَ، ثُمَّ عُثْمَانَ، ثُمَّ نَتْرُكُ أَصْحَابَ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَا نُفَاضِلُ بَيْنَهُمْ» . تَابَعَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৫৮৬০


নবী করীমমোঃএর যমানায় আমরা কাউকে আবু বকর-এর সমকক্ষ মনে করতাম না ৷
তারপর উমর, এবং তারপর উসমান (না)-এর সঙ্গে কাউকে সমান জ্ঞান করতাম না ৷ তারপর
আমরা নবী করীমভ্রুম্যু এর সাহাৰীদের ব্যাপারে কাউকে অন্যের উপর শ্রেষ্ঠতু দিতাম না ৷
আব্দুল্লাহ্ ইবন সালিহ ইবন আব্দুল আযীয অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ইমাম বুখারী এককভাবে
হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ হাদীসটি ইসমাঈল ইবন আইয়াশ, ফরজ ইবন ফুযালা ইয়াহইয়া
ইবন সাঈদ আনসারী থেকে, তিনি নাফি সুত্রে ইবন উমর (রা)-এর বরাতে বর্ণনা করেছেন ৷
আবুইয়ালা আবু মাশার ইবন উমর সুত্রেও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷

ইবন উমর (রা) থেকে অন্য এক সুত্রে বর্ণিত হাদীস
ইমাম আহমদ (র) আবু মুআবিয়া ইবন উমর (রা) সুত্রে বর্ণনা করে বলেন :
ণ্ট্রু ঞ্জে
আমরা রাসুল করীমপ্লো : এবং তবে সাহাবী আবু বকর, উমর এবং উসমান (রা)-কে শ্রেষ্ঠ
জ্ঞান করতাম, তারপর চুপ থাকতাম ৷

জ্যি ভাষায় ইবন উমর (না) থেকে অপর এক বর্ণনা

হাফিয আবু বকর বাযষার অড়ামৃর ইবন আলী সালিম সুত্রে, তিনি তার পিতা সুত্রে
বর্ণনা করেন : ,

নবী করীমঘ্নে এর যমানায় আমরা বল্তাম : আবু বকর, উমর এবং উসমান (রা) অর্থাৎ
খিলাফতের পরম্পরার ক্ষেত্রে ৷

এ হাদীসের ইসনড়াদ শায়খাইন তথা বুখারী-মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী বিশুদ্ধ ৷ তবে তারা
হাদীসটি উদ্ধৃত করেননি ৷ অবশ্য ইমাম বাষ্যাৱ বলেনঃ এ হাদীসটি ইবন উমর থেকে বিভিন্ন
সুত্রে বর্ণিত আছে : ,

আমরা বলতাম আবু বকর, উমর এবং উসমান (রা) তারপর অন্যদের মধ্যে কাউকে
কারো উপর শ্রেষ্ঠৎ দিতাম না ৷ আর উমর ইবন মুহাম্মদ হাফিয-ই হাদীস ছিলেন না ৷ আর এটা
প্রকাশ পায় তার হাদীসে, যখন তিনি সালিম ছাড়া অন্য সুত্রে বর্ণনা করেন তখন কিছুই বলেন
না ৷ আর হাদীসটি দৃর্বলদের একাধিক ব্যক্তি যুহরী সুত্রে সালিম-এর বরাতে আর তিনি তার
পিতার সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ আর হাফিয ইবন আসাকির ইবন উমর থেকে সকল সুত্র একত্র
করার উদ্যোগ নিয়ে ভাল কাজ করেছেন ৷, অবশ্য তাবারানী সাঈদ ইবন অব্দে রাব্বিহী
ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ ন্ষ্ণ্ণ্ষ্ণ্ বন্লছেন :

জান্নাতে একটি বৃক্ষ আছে, অথবা জান্নাতে কোন বৃক্ষ নেই! আলী ইবন হাম্বল সন্দেহ
করেন যাতে লইিলাহ৷ ইল্লাহু মুহাষ্মাক্যু রাসুলুল্লাহ্ন্ক্তে লেখা সেই, লেখা সেই যাতে আবু বকর
সিদ্দীক, উমর ফ্ারুক এবং উসমান যুনৃনুরইিন লেখা সেই ৷ হাদীসটি যঈফ তথা দুর্বল এবং এ
হাদীসের সনদে এমন লোক রয়েছে, যার সম্পর্কে বিতর্ক রয়েছে ৷ আর হাদীসটি (নাফারাত)
ত্রুটি থেকেও মুক্ত নয় ৷ মহান আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

আল-বিদায়া — : ৭


عَبْدِ الْعَزِيزِ. تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ. وَرَوَاهُ إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، وَالْفَرَجُ بْنُ فَضَالَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ. وَرَوَاهُ أَبُو يَعْلَى، عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ، عَنِ اللَّيْثِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ بِهِ. طَرِيقٌ أُخْرَى عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ثَنَا سُهَيْلُ بْنُ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: كُنَّا نَعُدُّ وَرَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَيٌّ وَأَصْحَابُهُ مُتَوَافِرُونَ ; أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ، ثُمَّ نَسْكُتُ. طَرِيقٌ أُخْرَى عَنِ ابْنِ عُمَرَ بِلَفْظٍ آخَرَ: قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ وَعُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ قَالَا: ثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «كُنَّا نَقُولُ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ،
পৃষ্ঠা - ৫৮৬১
يَعْنِي فِي الْخِلَافَةِ» . وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ عَلَى شَرْطِ الشَّيْخَيْنِ، وَلَمْ يُخَرِّجَاهُ، لَكِنْ قَالَ الْبَزَّارُ: وَهَذَا الْحَدِيثُ قَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ مِنْ وُجُوهٍ، وَعُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ لَمْ يَكُنْ بِالْحَافِظِ، وَذَلِكَ فِي حَدِيثِهِ مُتَبَيَّنٌ إِذَا رَوَى عَنْ غَيْرِ سَالِمٍ. وَقَدْ رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الضُّعَفَاءِ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ بِهِ، وَقَدِ اعْتَنَى الْحَافِظُ - ابْنُ عَسَاكِرَ بِجَمْعِ طُرُقِهِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ فَأَفَادَ وَأَجَادَ. فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدَوَيْهِ الصَّفَّارُ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ جَمِيلٍ الرَّقِيُّ، أَنَا جَرِيرٌ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فِي الْجَنَّةِ شَجَرَةٌ أَوْ مَا فِي