আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وثلاثين

ذكر صفته رضي الله عنه

পৃষ্ঠা - ৫৮২৪


হে আল্লাহ, আমাকে ক্ষমা কর ; আমার ধারণা তুমি আমাকে ক্ষমা করবে না ৷” আমি
তাকে বললাম, হে তুা৷ল্লাহ্র বন্দো তুমি যা বলছ, এমন কথাতে৷ কাউকে বলতে শুনিনি ৷ সে
বললো, আমি আলুাহ্র সঙ্গে অঙ্গীকার করি যে, আমি যদি উসমান (রা)-এর ঢেহারায়
চপেটাঘাত করার সুযোগ’ পাই তবে অবশ্যই তা করবো ৷ নিহত হওয়ার পর তাকে গৃহে
খাটিয়ায় রাখা হয় আর তার জানাযার নামায পড়ার জন্য লোকজন আসছিল, তখন নামায
পড়ার ভাগ করে আমিও সেখানে প্রবেশ করি ৷ তাকে একাকী পেয়ে তার চেহারা থেকে কাপড়
হটিংয় আমি তাকে চপেটাঘাত করি ৷ এর ফলে আমার ডান হাত শুষ্ক হয়ে পড়ে ৷ ইবনৃ সীরীন
বলেন, আমি তার ডান হাত শুষ্ক দেখতে পাই, তা যেন কাঠের টুকরো আর কি! তারপর তারা
উসমান (রা) এর দু’জ্যা৩ ভ্যত্যর লাশ ঘর থেকে বের করে, যারা তার সঙ্গে গৃহে খুন হয় ৷ তারা
ছিল সাবীহ এবং নাজীহ ৷ হামা তাওকাবে উসমান (রা) এর পাশে তাদের লাশও দাফন করা
হয় ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, খারেজীরা (বিদ্রোহীরা) এদের দুজনের লাশ দাফন করতে
দেয়নি, বরং তারা পদাঘাত করতে করতে তাদের লাশ নিয়ে সমতল ভুমিতে ফেলে দেয় এবং
শিয়াল-কুকুর তা খেয়ে ফেলে ৷ আমীর মুআবিয়৷ তার শাসনামলে উসমান (রা) এর কবরের

যতু নেন এবংজ ৷ন্নাতৃল বাকী এবং তার কবরের মধ্যন্থলে একটি প্রাচীর নির্মাণ করান ৷ উসমান
(রা)-এর কবরের পাশে লাশ দাফন করার জন্য তিনি লোকজনকে ৷নর্দেশ দেন ৷ ৷ ফলে তা
মুসলমানদের কবরের সঙ্গে মিশে যায় ৷

উসমান (রা)-এর গুণ ও বৈশিষ্ট্য

উসমান (রা)-এর চেহারা ছিল সুদর্শন, গায়ের চামড়া ছিল পাতলা, দাড়ি ছিল বড় (ও
বন) , দেহ ছিল মাঝারি ধরনের ৷ হাড়ের জোড়া ছিল বড়, দু’ র্কাধের মধ্যখানে দুরতৃ ছিল
অনেক, মাথার চুল ছিল প্রচুর (এবং ঘন), র্দাত ছিল পরিপাটি এবং রং ছিল তামাটে ৷ কেউ
কেউ বলেন, তার ঢেহারায় বসভের কিছু চিহ্ন ছিল ৷ যুহরী থেকে বর্ণিত, তার চেহারা এবং র্দাত
ছিল সুন্দর, দেহ ছিল মধ্যমাকৃতির, মস্তকের সম্মুখ ভাগের চুল ছিল না, পায়ের গোছা কাি
সুডোল ৷ তিনি কাল খিযাব ব্যবহার করতে ন ৷ তিনি সোনা দিয়ে র্দাত বাধহন ৷ তার বুক আর
বাহুতে পশম ছিল ৷

ঐতিহাসিক ওয়াকিদী ইবন; আবু সুবৃরা, সাঈদ ইবন আবু যায়দ, যুহরী উবায়দুল্লাহ ইৰ্নৃ
উতব৷ সুত্রে বর্ণনা করেন উসমান (রা) যেদিন নিহত হন, সেদিন তার কােষাধ্যক্ষের নিকট
৩০ কোটি ৫ লক্ষ দিরহাম এবং ১ লক্ষ দীনার ছিল ৷ এসবই লুট্পাট হয় এবং নিঃশেষ হয়
যায় ৷ ১এছাড়াও রাবৃযায় তার এক হাজার উট ছিল ৷ সাদকা করা অনেক জিনিসও তিনি রেখে
যান ৷ এ সব রয়েছে বি’ রে আরীস, খায়বার এবং ওয়াদিল কুরায় ৷ এগুলােও ২ লক্ষ দীনারের
সম্পদ আর ফিরে রুমা তো নবী কৰীম মোঃ এর জীবদ্দশায়ই তিনি ক্রয় করে আল্লাহর রাস্তায়
দান করে দিয়েছিলেন ৷



১ ওয়াকিদী সুত্রে ইবন সাদের বর্ণনায় আছে ; ৫০ লক্ষ দীনার (৩৭৬) ৷ কােষাধ্যক্ষের নিকট তার ৫০ লক্ষ
দীনার এবং ১ লক্ষ দিরহাম ছিল ৷ এছাড়া ওয়াদিল কৃর৷ হুনায়ন ইত্যাদী স্থানে ১ লক্ষ দীনার মুল্যের
তৃ-সম্পত্তি ছিল ৷ তিনি অনেক উট ও অশ্ব রেখে যান (২৩৬৭) ৷


[ذِكْرُ صِفَتِهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ] كَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، حَسَنَ الْوَجْهِ، رَقِيقَ الْبَشَرَةِ، كَبِيرَ اللِّحْيَةِ، مُعْتَدِلَ الْقَامَةِ، عَظِيمَ الْكَرَادِيسِ، بَعِيدَ مَا بَيْنَ الْمَنْكِبَيْنِ، كَثِيرَ شَعْرِ الرَّأْسِ، حَسَنَ الثَّغْرِ، فِيهِ سُمْرَةٌ. وَقِيلَ: بَيَاضٌ. وَقِيلَ: كَانَ فِي وَجْهِهِ شَيْءٌ مِنْ آثَارِ الْجُدَرِيِّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَعَنِ الزُّهْرِيِّ: كَانَ حَسَنَ الْوَجْهِ وَالشَّعْرِ، مَرْبُوعًا، أَضْلَعَ، أَرْوَحَ الرِّجْلَيْنِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، ثَنَا سَالِمٌ أَبُو جُمَيْعٍ، ثَنَا الْحَسَنُ وَذَكَرَ عُثْمَانَ وَشِدَّةَ حَيَائِهِ فَقَالَ: إِنْ كَانَ لَيَكُونُ فِي الْبَيْتِ وَالْبَابُ عَلَيْهِ مُغْلَقٌ، فَمَا يَضَعُ عَنْهُ الثَّوْبَ لِيُفِيضَ عَلَيْهِ الْمَاءَ ; يَمْنَعُهُ الْحَيَاءُ أَنْ يُقِيمَ صُلْبَهُ. وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، ثَنَا هُشَيْمٌ قَالَ: زَعَمَ أَبُو الْمِقْدَامِ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ أَبِي الْحَسَنِ قَالَ: دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ فَإِذَا أَنَا بِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ
পৃষ্ঠা - ৫৮২৫
مُتَوَكِّئٌ عَلَى رِدَائِهِ، فَأَتَاهُ سَقَّاءَانِ يَخْتَصِمَانِ فَقَضَى بَيْنَهُمَا، ثُمَّ أَتَيْتُهُ فَنَظَرْتُ إِلَيْهِ فَإِذَا رَجُلٌ حَسَنُ الْوَجْهِ، بِوَجْنَتَيْهِ نَكَتَاتُ جُدَرِيٍّ، وَإِذَا شَعْرُهُ قَدْ كَسَا ذِرَاعَيْهِ. وَقَالَ وَاقِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ: حَدَّثَنِي مَنْ رَأَى عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ ضَبَّبَ أَسْنَانَهُ بِالذَّهَبِ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي سَبْرَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي زَيْدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ قَالَ: كَانَ لِعُثْمَانَ عِنْدَ خَازِنِهِ يَوْمَ قُتِلَ ثَلَاثُونَ أَلْفَ أَلْفَ دِرْهَمٍ، وَخَمْسُمِائَةِ أَلْفِ دِرْهَمٍ، وَخَمْسُونَ وَمِائَةُ أَلْفِ دِينَارٍ، فَانْتُهِبَتْ وَذَهَبَتْ، وَتَرَكَ أَلْفَ بَعِيرٍ بِالرَّبَذَةِ، وَتَرَكَ صَدَقَاتٍ كَانَ تَصَدَّقَ بِهَا ; بِبِئْرِ أَرِيسٍ، وَخَيْبَرَ، وَوَادِي الْقُرَى قِيمَةَ مِائَتَيْ أَلْفِ دِينَارٍ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، ثَنَا أَرْطَاةُ بْنُ الْمُنْذِرِ، ثَنَا أَبُو عَوْنٍ الْأَنْصَارِيُّ «أَنَّ عُثْمَانَ قَالَ لِابْنِ مَسْعُودٍ: هَلْ أَنْتَ مُنْتَهٍ عَمَّا بَلَغَنِي عَنْكَ؟