আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وثلاثين

تعليقات على مقتل عثمان رضي الله عنه

পৃষ্ঠা - ৫৮১৫


এবং তার সম্মুখে থাকা কুরআন মজীদ পদতলে পিষ্ট করে এবং কুরআন মজীদ ঘুরে উসমান
(রা)-এর সম্মুখে এসে স্থির হয় ৷ রক্ত কুরআন মজীদের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় ৷ এরপর সুদান
ইবন হমরান তরবারি নিয়ে এগিয়ে আসে ৷ ত্রী নাইলা বাধা দিতে গেলে তার হাতের আঙ্গুল
কটি৷ যায় ৷ ত্রী আহত হয়ে মুখ ফিরিয়ে চলে যান, লােকটি তার পাছায় আঘাত করে বলে-
কতো বড তার পড়াছা! তারপর আঘাত করে সে উসমান (রা) কে হত্যা করে ৷ এ সময় উসমান
(রা) এর ভৃত্য আগমন করে সুদানকে হত্যা করে ৷ ইতিমধ্যে কাত্রা’১ নামের জনৈক ব্যক্তি
এগিয়ে খলীফার তৃত্যাক হত্যা করে ৷

ইবন জারীর তাবারী উল্লেখ করেন যে, সন্ত্রড়াসীরা হযরত উসমান (রা)-কে হত্যা করার পর
তার মাথা বিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছিল; কিস্তু নারীরা চিৎকার জুড়ে দিয়ে মুখ চাপড়াতে শুরু করলে
ইবন আদীম বলে উঠে, তাকে ছেড়ে দাও, তখন তারা মস্তক বিচ্ছিন্ন না করে লাশ ফেলে চলে
যায় ৷ যেসব নারী চিৎকার করে তাদের মধেড্রু খলীফার শ্রীদ্বয় নইিলা এবং উম্মুল গনীন এবং তার
কন্যারাও ছিলেন ৷ এরপর এসব পাপিষ্ঠরা গৃহের আসবাবপত্রের দিকে মনাে ষেগে দেয়, লুণ্ঠন
চালায় ৷ আর লুটতরাজ তারা এজন্য করে যে, তাদের মধ্যে একজন বলেছিল আমাদের জন্য
তার রক্ত হালাল, আর মাল কি হালাল হবে না ৷ এর পরই তারা লুটতরাজ চালায় ৷ উসমান
(রা) এবং তার সঙ্গে নিহত অপর ব্যক্তিদ্বরের লাশ ভেতরে রেখে তারা গৃহের দরজা বন্ধ করে
দেয় ৷ সন্ত্রড়াসীরা গৃহের আঙ্গিনায় বের হলে উসমান (রা)-এর তৃত্য কাত্রার উপর হামলা
চালিয়ে তাকে হত্যা করে ৷ তখন তারা যে কোন জিনিসের নিকট দিয়ে গমন করছিল তাই
তুলে নিচ্ছিল ৷ এমনকি কুলসুম তজীবী নামক জনৈক ব্যক্তি শ্রী নাইলার চাদর ছিনিয়ে নিতে
উদ্যত হলে খলীফার জনৈক ভৃত্য তরবারির আঘাতে তাকে হত্যা করে ৷ পরে অবশ্য সে ভৃত্যও
নিহত হয় ৷

এরপর লোকেরা চিৎকার জুড়ে দেয় বায়তৃলমাল রক্ষা করো, সেদািক অগ্নসর হবে না ৷
বায়তৃল মাসের প্রহরীরা এ আওয়াজ শুনতে পেয়ে বলে : ৰ্বাচাও, ৰ্বাচাও, কারণ এসব লোককে
বলছে স র্ত্য প্রতিষ্ঠা এবং আমর বিল মারুফ ও নারী আনিল মৃনকার তথা সত্য ও ন্যায়ের
নির্দেশ এবং অন্যায়-অসত্য প্রতিরোধ ইত্যাদিই তাদের লক্ষ্য এ দাবিতে তারা সত্যবাদী নয় ৷ এ
উদ্দেশ্যে তাদের উত্থান বলে তারা যে দাবি করছে তা-ও তারা সত্য প্রমাণ করেনি ৷ তাদের
আসল লক্ষ্য হলো দুনিয়া অর্জন করা ৷’ কিন্তু তারা পরাজিত হয় এবং বিদ্রোহীদের আগমন
ঘটে ৷ এরা আগমন করে বায়ত্যুঃমাল লুট করে ৷ তাতে অঢেল সম্পদ রক্ষিত ছিল ৷

উসমান (রা) এর হত্যার পর সাহাৰীগণের প্রতিক্রিয়া

, এ হীন ঘৃণ্য জঘন্য ঘটনা সংঘটিত হলে সকলে স্তম্বিত হয়ে যান এবং সকল মানুষ এ
ঘটনার নিন্দা করে ৷ অজ্ঞ-মুর্য ও পাষণ্ড ৰিদ্রোহীদের অনেকেই এত্তন্যে লজ্জিত-অনুতপ্ত হয় ৷ এ
কর্ম দ্বারা তারা নিজেদেরকে বাছুর পুজারীন্বদ্যা অনুরুপ বিবেচনা করে, যাদের সম্পর্কে কালামে
মজীদে মহান আল্লাহ্ উল্লেখ করেছেন ং



১ তারীখে তাবারী, তারীখুন কামিল এবং তারীখে মাসউদী ইত্যাদি গ্রন্থে কাত্রা এর স্থলে কুতায়রা উল্লিখিত
হ্ম্নেৰুহু


جَسَدِهِ وَدَخَلَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ مِصْرَ بِالسَّيْفِ مُصْلَتًا فَقَالَ: وَاللَّهِ لَأَقْطَعَنَّ أَنْفَهُ. فَعَالَجَ الْمَرْأَةَ عَنْهُ، فَغَلَبَتْهُ، فَكَشَفَ عَنْهَا دِرْعَهَا مِنْ خَلْفِهَا حَتَّى نَظَرَ إِلَى مَتْنِهَا، فَلَمَّا لَمْ يَصِلْ إِلَيْهِ أَدْخَلَ السَّيْفَ بَيْنَ قُرْطِهَا وَمَنْكِبِهَا، فَقَبَضَتْ عَلَى السَّيْفِ فَقَطَعَ أَنَامِلَهَا، فَقَالَتْ يَا رَبَاحُ - لِغُلَامِ عُثْمَانَ أَسْوَدَ - يَا غُلَامُ ادْفَعْ عَنِّي هَذَا الرَّجُلَ. فَمَشَى إِلَيْهِ الْغُلَامُ فَضَرَبَهُ فَقَتَلَهُ، وَخَرَجَ أَهْلُ الْبَيْتِ يُقَاتِلُونَ عَنْ أَنْفُسِهِمْ، فَقُتِلَ الْمُغِيرَةُ بْنُ الْأَخْنَسِ وَجُرِحَ مَرْوَانُ. قَالَ: فَلَمَّا أَمْسَيْنَا قُلْنَا: إِنْ تَرَكْتُمْ صَاحِبَكُمْ حَتَّى يُصْبِحَ مَثَّلُوا بِهِ. فَاحْتَمَلْنَاهُ إِلَى بَقِيعِ الْغَرْقَدِ فِي جَوْفِ اللَّيْلِ، وَغَشِيَنَا سَوَادٌ مِنْ خَلْفِنَا فَهِبْنَاهُمْ وَكِدْنَا أَنْ نَتَفَرَّقَ عَنْهُ، فَنَادَى مُنَادِيهِمْ: أَنْ لَا رَوْعَ عَلَيْكُمْ، اثْبُتُوا إِنَّمَا جِئْنَا لِنَشْهَدَهُ مَعَكُمْ - وَكَانَ أَبُو خُنَيْسٍ يَقُولُ: هُمْ مَلَائِكَةُ اللَّهِ - فَدَفَنَّاهُ ثُمَّ هَرَبْنَا إِلَى الشَّامِ مِنْ لَيْلَتِنَا، فَلَقِينَا الْجَيْشَ بِوَادِي الْقُرَى عَلَيْهِمْ حَبِيبُ بْنُ مَسْلَمَةَ. [تَعْلِيقَاتٌ عَلَى مَقْتَلِ عُثْمَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ] فَصْلٌ (تَعْلِيقَاتٌ عَلَى مَقْتَلِ عُثْمَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ) وَلَمَّا وَقَعَ هَذَا الْأَمْرُ الْعَظِيمُ الْفَظِيعُ الشَّنِيعُ أُسْقِطَ فِي أَيْدِي النَّاسِ،
পৃষ্ঠা - ৫৮১৬


( ৷ট্রুটুদ্বুব্লুটু টু

তারা যখন অনুতপ্ত হলো এবং দেখলাে যে, তারা ৰিপথগামী হয়েছে তখন তরাে বলালা-
আমাদের পালনকর্তা যদি আমাদেরকে দয়া এবং ক্ষমা না করেন তবে তো আমরা নিশ্চিত
ক্ষতিগ্রস্ত হবো (আরাফ ৭ : ১৪৯) ৷’

হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার সময় যুবইির (রা) মদীনায় বাইরে ছিলেন ; এ সম্পর্কে জানতে
পেয়ে তিনি পাঠ করেন :

প্দু৷ ৷ট্রুা

নিঃসন্দেহে আমরা আল্লাহর জন্য এবং তার সমীপেই আমাদের সকলকে ফিরে যেতে হবে
(বাকারা ২ : ১৫৬) ৷

এরপর উসমান (রা)-এর রুহের কল্যাণ কামনা করেন ৷ উসমান (রা)-এর হত্যাকারীরা
লজ্জিত অনুতপ্ত হয়েছে জানতে পেয়ে তিনি বলেন : তারা ধ্বংস হোক ৷ তারপর তিনি আল্লাহ্
তাআলার নিম্নোক্ত বাণী তিলাওয়াত করেন :

৷ —

ম্বুও

ওরা তো কেবল এক মহানাদের অপেক্ষায় আছে যা তাদেরকে আঘাত করবে তাদের
বাকবিতণ্ডাকালে ৷ তখন তারা ওসীয়ত করতে সমর্থ হবে না আর না সমর্থ হয়ে তাদের
পরিবার-পরিজনের নিকট ফিরে যেতে ৷ (সুরা ইয়াসীন ৩৬ং ৪৯) ৷

আলী (বা) এ সম্পর্কে জানতে পেরে তার জন্য আল্লাহ্র রহমত কামনা করেন ৷ আর
হত্যাকারীরা লজ্জিত-অনুতপ্ত হয়েছে জানতে পেরে তিনি তিলাওয়াত করেন


৷ ব্লু শ্ শ্

যেমন শয়তানের দৃষ্টান্ত, সে মানুষকে বলে, কুফ্রী কর ৷ তারপর সে কুফ্ররী করলে তখন
সে বলে আমি তোমার থেকে মুক্ত, আমি আল্লাহ্ রাববুল আলামীনকে ভয় করি (সুরা হাশর
৫৯ : ১৬) ৷
সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস (বা) এ সম্পর্কে জানতে পেরে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন
এবং রহমতের জন্য দৃআ করেন ৷ আর হত্যাকারীদের প্রসঙ্গে তিলাওয়াত করেন ং

৷ ৷

ঠুাট্র

বল, আমি কি তােমাদেরকে সংবাদ দেবো কর্মে বিশেষ ক্ষতিগ্রস্তদের ৷ তারা ওরা, পার্থিব

জীবনে যাদের প্রচেষ্টা পশু হয়; অথচ তারা ধারণা করে যে ভাল কাজই তারা করে যাচ্ছে
(কাহফ্ ১৮ : ১০৩১০৪)


فَأَعْظَمُوهُ جِدًّا، وَنَدِمَ أَكْثَرُ هَؤُلَاءِ الْجَهَلَةِ الْخَوَارِجِ عَلَى مَا صَنَعُوا، وَأَشْبَهُوا مَنْ تَقَدَّمَهُمْ مِمَّنْ قَصَّ اللَّهُ عَلَيْنَا خَبَرَهُمْ فِي كِتَابِهِ الْعَزِيزِ، مِنَ الَّذِينَ عَبَدُوا الْعِجْلَ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَلَمَّا سُقِطَ فِي أَيْدِيهِمْ وَرَأَوْا أَنَّهُمْ قَدْ ضَلُّوا قَالُوا لَئِنْ لَمْ يَرْحَمْنَا رَبُّنَا وَيَغْفِرْ لَنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ} [الأعراف: 149] وَلَمَّا بَلَغَ الزُّبَيْرَ مَقْتَلُ عُثْمَانَ - وَكَانَ قَدْ خَرَجَ مِنَ الْمَدِينَةِ - قَالَ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. ثُمَّ تَرَحَّمَ عَلَى عُثْمَانَ، وَبَلَغَهُ أَنَّ الَّذِينَ قَتَلُوهُ نَدِمُوا فَقَالَ: تَبًّا لَهُمْ. ثُمَّ تَلَا قَوْلَهُ تَعَالَى: {مَا يَنْظُرُونَ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً تَأْخُذُهُمْ وَهُمْ يَخِصِّمُونَ فَلَا يَسْتَطِيعُونَ تَوْصِيَةً وَلَا إِلَى أَهْلِهِمْ يَرْجِعُونَ} [يس: 49] الْآيَةَ [الْحَشْرِ: 16] . وَلَمَّا بَلَغَ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ قَتْلُ عُثْمَانَ اسْتَغْفَرَ لَهُ، وَتَرَحَّمَ عَلَيْهِ، وَتَلَا فِي حَقِّ الَّذِينَ قَتَلُوهُ: {قُلْ هَلْ نُنَبِّئُكُمْ بِالْأَخْسَرِينَ أَعْمَالًا الَّذِينَ ضَلَّ سَعْيُهُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَهُمْ يَحْسَبُونَ أَنَّهُمْ يُحْسِنُونَ صُنْعًا} [الكهف: 103] [الْكَهْفِ: 103، 104] . ثُمَّ قَالَ سَعْدٌ: اللَّهُمَّ أَنْدِمْهُمْ ثُمَّ خُذْهُمْ. وَقَدْ أَقْسَمَ بَعْضُ السَّلَفِ بِاللَّهِ أَنَّهُ مَا مَاتَ أَحَدٌ مِنْ قَتَلَةِ عُثْمَانَ إِلَّا مَقْتُولًا. رَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ. وَهَكَذَا يَنْبَغِي أَنْ يَكُونَ؛ لِوُجُوهٍ مِنْهَا، دَعْوَةُ سَعْدٍ الْمُسْتَجَابَةُ، كَمَا ثَبَتَ فِي