আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وثلاثين

ذكر مجيء الأحزاب إلى عثمان للمرة الثانية من مصر

পৃষ্ঠা - ৫৭৭৩


সচেতন নয় এবং বিবেকের দিক দিয়েও বুদ্ধিমান নয় ৷ আল্লাহর শপথ ! আমি তাকে দেখেছি
যে, সে আপনাকে মাঠে নামিয়ে দেবে আর উঠাতে পারবে না ৷ এরপর আর আমি আপনার
ব্যাপারে মাথা ঘামানাের জন্যে আপনার কাছে আসর না ৷ আপনি আপনার মর্যাদা হারিয়ে
ফেলেছেন এবং আপনার ব্যাপারে আপনি প্রভাবিত হয়ে পড়েছেন ৷ একথা বলে তিনি বের হয়ে
গেছেন ৷ হযরত আলী (রা) বের হয়ে যাওয়ার পর হযরত উসমান (রা)-এর শ্রী হযরত নইিলা
(বা) ঘরে প্রবেশ করলেন এবং বললেন, আমি কি কথা বলতে পারি, না চুপ করে থাকবঃ
খলীফা বললেন, কথা বল’ ৷ তিনি বলেন, হযরত আলী (রা)-এর কথা আমি সব শ্যুনছি ৷ তিনি
আর আপনার কাছে আসবেন না ৷ আপনি মারওয়ানের কথামত চলছেন ৷

খলীফা বললেন, “এখন আমি কি করব?” হযরত নইিলা (রা) বললেন, আপনি শুধুমাত্র
অংশীদারহীন আল্লাহকে ভয় রব্রুন এবং আপনার পুর্ববর্তী দুই খলীফার নীতি অনুসরণ করুন ৷
কেননা, আপনি যদি মারওয়ানের কথা শুনেন, তাহলে সে আপনাকে ধ্বংস করে দিয়ে ৷ কেননা,
মহান আল্লাহর কাছে মারওয়ানের কোন সম্মান, ভয়, মহব্বত কিছুই নেই ৷ আপনি আলী
(রা)-এর কাছে লোক প্রেরণ করুন এবং তার থেকে উপস্থিত সংকট কটিড়ান্যের জন্য পরামর্শ
গ্রহণ করুন ৷ কেননা, তিনি আপনার নিকটাত্মীয় ৷ তিনি আপনার কথা আমান্য রল্মবেন না ৷”

বর্ণনাকারী বলেন, হযরত উসমান (রা) হযরত আলী (রা)-এর কাছে লোক পাঠালেন ৷
কিন্তু , হযরত আলী (বা) জানতে অস্বীকার করলেন এবং বললেন, আমিতো তাকে জানিয়ে
দিয়েছি যে, আমি আর পুনরায় আসর না ৷

বর্ণনাকারী বলেন, “মারওয়ানেল্লু কাছে যখন হযরত নাইলা (রা)-এর কথােপকথনের
সংবাদ পৌছে তখন তিনি হযরত উসমান (রা)এর কাছে আসেন এবং বলেন, আমি কি কোন
কথা বলতে পারি, না চুপ করে থাকর? হযরত উসমান (রা) বলেন, বল’ ৷ মারওয়ান বললেন,
“নিশ্চয়ই নইিলা বিনত আলফারা ফাসাহ ৷ হযরত উসমান (রা) বলেন, “তাকে তৃ
এমনভাবে স্মরণ করো না যে, আমি তোমার প্রতি অসস্তুষ্ট হব ৷ কেননা আল্লাহর শপথ ৷ সে
আমার কাছে তোমার চেয়ে বেশি সৎ উপদেশ প্রদানকারিণী ৷

বর্ণনাকারী বলেন, এর পর মারওয়ান ক্ষান্ত হলেন ৷

দ্বিতীয় বার মিসর থেকে উসমান (রা)এর কাছে বিজ্যি দলের আগমন
বিভিন্ন শহরের বাষিন্দাপণের কাছে যখন মারওয়ান-এর দান্তিক আচরণ ও তার কারণে

হযরত উসমান (রা)-এর প্রতিহযরত আলী (রা)-এর ৫ক্রাধের খবর পৌছায় এবং অবস্থার

কোন পরিবর্তন ব্যতীত, হযরত উসমান (রা)-এর পুর্বের ইে খলীফার নিয়ম পদ্ধতি পালিত না
হওয়ায় মিসর, কৃষ্ণ! ও রসরার বাসিন্দরাে খলীফার বিরুদ্ধে পরস্পর যোগাযোগ করতে লাগল ৷
পবিত্র মদীনায় অবস্থানরত সাহাবী যেমন হযরত আলী (রা), হযরত তালহ্৷ (রা), হযরত
যুবাইর (রা)-এর লিখিত জাল পত্রাদির মাধ্যমে তারা জনগণকে হযরত উসমান (রা) এর হত্যা
ও দীনের সাহায্যের জন্য আহ্বান আমার এবং এটাকে হাল যমানার শ্রেষ্ঠ জিহাদ বলে ঘোষণা
করে ৷ সাইফ ইবন উমর আত্তামীমী (র) মুহাম্মদ, তালহা আবু হারিসা ও আবু উসমান থেকে
উল্লেখ করেন ৷ তারা বলেন, ৩৫ হিজরীর সাওয়াল মাসে মিসরের বাসিন্দারা ৪জন নেতার

আলবিদায়া ৪০


فَجَاءَ إِلَى عُثْمَانَ فَقَالَ: أَتَكَلَّمُ أَوْ أَسْكُتُ؟ فَقَالَ: تَكَلَّمْ. فَقَالَ: إِنَّ نَائِلَةَ بِنْتَ الْفَرَافِصَةِ، فَقَالَ عُثْمَانُ: لَا تَذْكُرْهَا بِحَرْفٍ فَأَسُوءَ لَكَ وَجْهَكَ، فَهِيَ وَاللَّهِ أَنْصَحُ لِي مِنْكَ. قَالَ: فَكَفَّ مَرْوَانُ. [ذِكْرُ مَجِيءِ الْأَحْزَابِ إِلَى عُثْمَانَ لِلْمَرَّةِ الثَّانِيَةِ مِنْ مِصْرَ] َ وَغَيْرِهَا فِي شَوَّالٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ وَسَبَبُ ذَلِكَ أَنَّ أَهْلَ الْأَمْصَارِ لَمَّا بَلَغَهُمْ خَبَرُ مَرْوَانَ وَغَضَبُ عَلِيٍّ عَلَى عُثْمَانَ بِسَبَبِهِ، وَوَجَدُوا الْأَمْرَ عَلَى مَا كَانَ عَلَيْهِ لَمْ يَتَغَيَّرْ، وَتَكَاتَبَ أَهْلُ مِصْرَ وَأَهْلُ الْكُوفَةِ وَأَهْلُ الْبَصْرَةِ وَتَرَاسَلُوا، وَزُوِّرَتْ كُتُبٌ عَلَى لِسَانِ الصَّحَابَةِ الَّذِينَ بِالْمَدِينَةِ وَعَلَى لِسَانِ عَلِيٍّ وَطَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ، يَدْعُونَ النَّاسَ إِلَى قِتَالِ عُثْمَانَ وَنَصْرِ الدِّينِ، وَأَنَّهُ أَكْبَرُ الْجِهَادِ الْيَوْمَ. وَقَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ التَّمِيمِيُّ، عَنْ مُحَمَّدٍ وَطَلْحَةَ وَأَبِي حَارِثَةَ وَأَبِي عُثْمَانَ - وَقَالَهُ غَيْرُهُمْ أَيْضًا - قَالُوا: لَمَّا كَانَ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ خَمْسٍ وَثَلَاثِينَ، خَرَجَ أَهْلُ مِصْرَ فِي أَرْبَعِ رِفَاقٍ عَلَى أَرْبَعَةِ أُمَرَاءَ؛ الْمُقَلِّلُ لَهُمْ يَقُولُ: سِتُّمِائَةٍ. وَالْمُكَثِّرُ يَقُولُ: أَلْفٌ. عَلَى الرِّفَاقِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عُدَيْسٍ الْبَلَوِيُّ، وَكِنَانَةُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৫৭৭৪


নেতৃত্বে : ভাগে পবিত্র মদীনায় রণ্ডয়ানা হয় ৷ তাদের সং খ্যা কম বর্ণনকােরী বলেন, তারা
ছিলেন ছয়শত আর অধিক বর্ণনাকারী বলেন, তারা ছিলেন এক হাজার জন ৷ ঢারজ্যা নেতা
হলেন নিম্নরুপং আবদুর রহমা ন ইবন উদাইস আল বালভী, কিননােহ ইবন বশর আল-লইিসী,
সুদান ইবন হুমরান আনরুস্যকুলী এবং কাতীরাহআস-সাকুনী আর সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন আল
গাফিকী ইবন হার্ব আল আকী ৷ তারা হাজীর বেশে ভ্রমণ করতে থাকেন ৷ আর তাদের সাথে
ছিল ইবনুস সাওদা ৷ তিনি ছিলেন মুলত যিঘী ৷ তারপর ইসলাম প্রকাশ করে এবং বিভিন্ন
রকমের বিদয়াতী কথা ও কাজ প্রচলন করেন ৷

কুফাবাসীরাও চার নেতার নেতৃত্বে : ভাগে পবিত্র মদীনায় রওয়ানা হন ৷ চারজন নেতা
হলেন নিম্নরুপ ং

যায়িদ ইবন সুহান, আল আশতাব্ল আন-নাখয়ী, যিয়াদ ইবন আন-নাদর আল-হারিসী ও
আবদুল্লাহ আল-আসাম ৷ তাদের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন আমর ইবন আল-আসাম ৷

বসরাবাসীরাও চারজন নেতার নেতৃত্বে চারটি পতাকা সহকারে পবিত্র মদীনায় দিকে
রওয়ানা হন ৷ তারা হলেন নিম্নরুপ হুকাইম ইবন জাবিল্লাহ আল-আরদী, বশর ইবন সুরাইহ
ইবন দাৰীয়া আল-কাহসী, যুরাই ইবন উব্বাদ আলআবদী ও ইবনুল মুহতারাশ ৷ সার্বিক
দায়িত্বে ছিলেন হারকুস ইবন ষুহইির আসশ্সাদী ৷

মিসরের বাসিন্দারা হযরত আলী ইবন আবু তালিব (রা) এর আমীর হওয়ার প্রতি
আগ্রহী ৷ কুফার বাসিন্দারা হযরত আযযুবাইর (রা) কে আমীর নির্বাচন করতে চায় এবং
রসরার বাসিন্দারা হযরত তালহা (রা)এর আমীর হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে ৷
প্রত্যেকটি দলই নিজেদের কাজটি অতি শীঘ্রই সম্পন্ন হবে বলে কোন সন্দেহ পোষণ করছে না ৷
তাই প্রতিটি দল তাদের শহর থেকে রওয়ানা হয় এবং পবিত্র মদীনায় আশপাশ পর্যন্ত পৌছে ৷
তাদের পত্রে তারা একে অন্যের সাথে ওয়াদাবদ্ধ হয়েছিল ৷ সেই মুতাবিক শাওয়াল মাসে
একদল যুখাশাব এ অবতরণ করেন ৷

অন্য একদল আল আওয়সে এ এবং অধিকাংশ লোক যুল মারওয়াত এ অবতরণ করেন ৷
তারা পবিত্র মদীনাবাসী হতে৩ ভীত ছিল বিধায় পৌছার পুকেহ তারা গুপ্তচর প্রেরণ করে
লোকজনের খবরাখবর নেয় ৷ তারা হশুজ্জা জন্যে এসেছে এবং অন্য কোন উদ্দেশে! আসে নাই
বলে প্রকাশ করে ৷ আর তাদের কেউ কেউ কিছু সং খ্যক কর্মচারীর ব্যাপারে ক্ষমা চাওয়ার জন্যে
এসেছে বলেও প্রকাশ করে ৷ তারা প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা করে ৷ প্রতিটি ণ্লাইে তাদের
প্রবেশকে অপছন্দ করে এবং তাদেরকে নিষেধও করে ৷ তথাপি তারা নির্ডয়ে পবিত্র মদীনায়
নিকটবর্তী হতে থাকে ৷

মিসরীর একটি দল হযরত আলী (রা)-এর কাছে গমন করে ৷ তিনি আহজারিয যাইত
নামক স্থানে সেনাবাহিনীর মাঝে অবস্থান করছিলেন ৷ তার পায়ে ছিল পাতলা চাদর এবং মাথায়
ছিল ইয়ামানী লাল পাপড়ি ৷ তিনি তলোয়ার কােমরে বেধে ছিলেন ৷ তার পারে কোন জানা ছিল
না ৷ যারা সমবেত হয়েছিল তাদের প্রেক্ষিতে তিনি তার ছেলে হযরত ইমাম হাসান (রা)-ণ্ক
হযরত উসমান (রা)এর কাছে প্রেরণ কারন ৷ মিসরীয়রা হযরত আলী (রা)-কে সালাম দিল ৷
হযরত আলী (বা) তাদের সাথে উভৈচ্চঙ্কস্বরে কথা বলেন এবং তাদেরকে তাড়িয়ে দেন ৷ আর
বলেন, “সৎলােকেরা আসে যে,: খুব মারওয়া ও যুল ’খাশারে অবস্থানকারী সেনাদল, মুহাম্মদ


بِشْرٍ التُّجِيبِيُّ، وَعُرْوَةُ بْنُ شُيَيْمٍ اللِّيثِيُّ، وَسَوْدَانُ بْنُ حُمْرَانَ السُّكُونِيُّ، وَقُتَيْرَةُ السُّكُونِيُّ، وَعَلَى الْقَوْمِ جَمِيعًا الْغَافِقِيُّ بْنُ حَرْبٍ الْعَكِّيُّ، وَخَرَجُوا فِيمَا يُظْهِرُونَ لِلنَّاسِ حُجَّاجًا، وَمَعَهُمُ ابْنُ السَّوْدَاءِ، وَكَانَ أَصْلُهُ ذِمِّيًّا، فَأَظْهَرَ الْإِسْلَامَ وَأَحْدَثَ بِدَعًا قَوْلِيَّةً وَفِعْلِيَّةً - قَبَّحَهُ اللَّهُ - وَخَرَجَ أَهْلُ الْكُوفَةِ فِي أَرْبَعِ رِفَاقٍ، وَأُمَرَاؤُهُمْ زَيْدُ بْنُ صُوحَانَ، وَالْأَشْتَرُ النَّخَعِيُّ، وَزِيَادُ بْنُ النَّضْرِ الْحَارِثِيُّ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْأَصَمِّ، وَعَلَى الْجَمِيعِ عَمْرُو بْنُ الْأَصَمِّ، وَخَرَجَ أَهْلُ الْبَصْرَةِ أَيْضًا فِي أَرْبَعِ رَايَاتٍ مَعَ حَكِيمِ بْنِ جَبَلَةَ الْعَبْدِيِّ، وَبِشْرِ بْنِ شُرَيْحِ بْنِ ضُبَيْعَةَ الْقَيْسِيِّ، وَذُرَيْحِ بْنِ عَبَّادٍ الْعَبْدِيِّ، وَابْنِ مُحَرِّشٍ الْحَنَفِيِّ، وَعَلَيْهِمْ كُلِّهِمْ حُرْقُوصُ بْنُ زُهَيْرٍ السَّعْدِيُّ. وَأَهْلُ مِصْرَ مُصِرُّونَ عَلَى وِلَايَةِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَأَهْلُ الْكُوفَةِ عَازِمُونَ عَلَى تَأْمِيرِ الزُّبَيْرِ، وَأَهْلُ الْبَصْرَةِ
পৃষ্ঠা - ৫৭৭৫


স্রষ্ এর উক্তি মুতাবিক অভিশপ্ত ৷ ক্বাজেই তোমরা ফেরত যাও ৷ মহান আল্লাহ্ যেন
তােমাভৈদঃাকে ভোরের আলো না দেখায় ৷” তারা বলেন, জি হ্যা এ বলে তারা তার কাছ থেকে
চলে গেল ৷ বসরাবাসীরা তালহাহ্ (রা)-এর কাছে আগমন করল ৷ তিনি আলী (রা)-এর পাশে
অন্য একটি দল দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে পড়েছিলেন ৷ তিনিও যারা সমবেত হয়েছিল তাদের
প্রেক্ষিতে নিচজ্যা দুই পুত্রকে হযরত উসমান (রা)-এর কাছে প্রেরণ করেন ৷ বসরাবাসীরা হযরত
তালহা (রা)-ণ্ক সালাম দিলেন ৷ তখন তিনি তাদের সাথে উভৈদঃস্বরে কথা বললেন এবং
তাদেরকে তাড়িয়ে দিলেন ৷

আর আলী (রা) মিসরীয়দেরকে যেরুপ বলেছিলেন তিনিও বসরাবাসীদেরকে এরুপ
বললেন ৷ কুফাবাসীদের ক্ষেত্রেও হযরত যুবাইর (রা) অনুরুপ আচরণ করলেন ৷ তারপর
প্রত্যেকটি দলই তাদের সম্প্রদায়ের কাছে ফেরত রওয়ানা হলো এবং তারা প্রকাশ করতে লাগল
যে, তারা তাদের শহরে ফিরে যাচ্ছে ৷ ফেরত পথে কয়েক দিন ভ্রমণ করার পর তারা পুনরায়
পবিত্র মদীনায় দিকে প্রত্যাবর্তন করে এবং কিছু ক্ষণের মধ্যেই পবিত্র মদীনাবাসীরা তাদের
তাকবীরের আওয়াজ শুনতে পেল ৷ দেখা গেল, লোকগুলাে পবিত্র মদীনায় প্রবেশ করল ৷
তারপর শহরটিকে ঘেরাও করে ফেলল ৷ তাদের অধিকাত্শই ছিল হযরত উসমান ইবন
আফ্ফান (রা)-এর ঘরের চারদিকে ৷ তারা লোকজনকে বলতে লাগল, যে বিরত থাকবে যে
নিরাপত্তা ভোগ করবে ৷ লোকজন বিরত রইল ৷ তারা তাদের ঘরে অবস্থান করতে লাগল ৷
এভাবে কয়েকদিন চলে গেল ৷

এসব ঘটনা যটছে বিক্ষ্ম সাধারণ লোকজন জানে না বিদ্রোহীরা কি করছে এবং কাকে তারা
লক্ষ্যবন্তু নির্ধারণ করছে ৷ এর মধ্যে আমীরুল মু’মিনীন হযরত উসমান (রা) ঘর থেকে বের হন
এবং মসজিদে নামায পড়ান ৷ পবিত্র মদীনাবাসীগণ তার ৫ পছান নামায পড়েন ৷ অন্যান্য
সাহাবী সন্ত্রড়াসীদের কাছে যান এবং তাদেরকে ফেরত চলে যাবার জন্যে বার বার অনুরোধ
করেন ৷ এমনকি আলী (রা) মিসরীয়দেরকে বললেন, “তোমাদের চলে যাওয়ার পর, অভিমত
পাল্টানাের পর তোমরা আবার কেন ফিরে এসেহাে ?” উত্তরে তারা বলল, আমরা একটি
দুতের কাছে একটি পত্র পেলাম সে পত্রে আমাদেরকে হত্যা করার জন্যে বলা হয়েছে ৷
বসরাবাসীরাও হযরত তালহা (রা)-এর কাছে অনুরুপ বক্তব্য পেশ করল এবং কুফাবাসীরাও
যুবইির (রা)-এর কাছে অনুরুপ বক্তব্য পেশ করল ৷

আর প্রত্যেক শহরের লােৰুক্য৷ বলল যে, আমরা আমা দক্সে সাখীদের সাহায্য করার জন্যে
এসেছি ৷ সাহাবীরা তাদেরকে বললেন, তোমরা এ ব্যাপারে কেমন করে অবগত হলো
তােমরাও পৃথক পৃথকতাৰে বিদায় নিলে এবং তোমাদের মধ্যে কয়েক মঞ্জিলের দুরত্ব বিরাজ
করছে ৷ তাই এটা তোমাদ্যে৷ পরিকল্পিত ব্যাপার বলেই মনে হয় ৷ তারা বলল, আমরা যা
চেয়েছি তা আমাদেরকে করতে দাও ৷ এ লোকটির আমাদের কোন প্রায়াজন নেই ৷ সে যেন
আমাদেরকে ছেড়ে চলে যায় এবং আমরাও তার থেকে পৃথক হয়ে যাই ৷ এটার দ্বারা তারা
বুঝাতে চায় যে, যদি খলীফা খিলাফত থেকে সরে র্দাড়ান তাহলে তারা ত ড়াকে নিরাপত্তা
সহকারে থাকতে দিবে ৷ ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, মিসৰীররা যখন তাদের দেশের দিকে ফেরত
যেতে চেয়েছিল খনত তারা রাস্তায় একটি দুতকে দেখতে পেল যে, সে অতি ৩দ্রুত ভ্রমণ ব্বছে ৷


مُصَمِّمُونَ عَلَى تَوْلِيَةِ طَلْحَةَ. لَا تَشُكُّ كُلُّ فِرْقَةٍ أَنَّ أَمْرَهَا سَيَتِمُّ، فَسَارَ كُلُّ طَائِفَةٍ مِنْ بَلَدِهِمْ حَتَّى تَوَافَوْا حَوْلَ الْمَدِينَةِ - كَمَا تَوَاعَدُوا فِي كُتُبِهِمْ - فِي شَهْرِ شَوَّالٍ فَنَزَلَ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ بِذِي خُشُبٍ، وَطَائِفَةٌ بِالْأَعْوَصِ، وَالْجُمْهُورُ بِذِي الْمَرْوَةِ، وَهُمْ عَلَى وَجَلٍ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ، فَبَعَثُوا قُصَّادًا وَعُيُونًا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ؛ لِيَخْتَبِرُوا النَّاسَ وَيُخْبِرُوهُمْ أَنَّهُمْ إِنَّمَا جَاءُوا لِلْحَجِّ لَا لِغَيْرِهِ، وَلِيَسْتَعْفُوا هَذَا الْوَالِي مِنْ بَعْضِ عُمَّالِهِ، مَا جِئْنَا إِلَّا لِذَلِكَ، وَاسْتَأْذَنُوا فِي الدُّخُولِ، فَكُلُّ النَّاسِ أَبَى دُخُولَهُمْ، وَنَهَى عَنْهُ، فَتَجَاسَرُوا وَاقْتَرَبُوا مِنَ الْمَدِينَةِ. وَجَاءَتْ طَائِفَةٌ مِنَ الْمِصْرِيِّينَ إِلَى عَلِيٍّ وَهُوَ فِي عَسْكَرٍ عِنْدَ أَحْجَارِ الزَّيْتِ، عَلَيْهِ حُلَّةُ أَفْوَافٍ، مُعْتَمٌّ بِشَقِيقَةٍ حَمْرَاءَ يَمَانِيَةٍ، مُتَقَلِّدًا السَّيْفَ، وَلَيْسَ عَلَيْهِ قَمِيصٌ، وَقَدْ سَرَّحَ ابْنَهُ الْحَسَنَ إِلَى عُثْمَانَ فِي مَنِ اجْتَمَعَ إِلَيْهِ، فَسَلَّمَ عَلَيْهِ الْمِصْرِيُّونَ فَصَاحَ بِهِمْ وَأَطْرَدَهُمْ وَقَالَ: لَقَدْ عَلِمَ الصَّالِحُونَ أَنَّ جَيْشَ ذِي الْمَرْوَةِ وَذِي خُشُبٍ مَلْعُونُونَ عَلَى لِسَانِ مُحَمَّدٍ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَارْجِعُوا لَا صَبَّحَكُمُ اللَّهُ. قَالُوا: نَعَمْ. وَانْصَرَفُوا مِنْ عِنْدِهِ عَلَى ذَلِكَ، وَأَتَى الْبَصْرِيُّونَ طَلْحَةَ وَهُوَ فِي جَمَاعَةٍ أُخْرَى إِلَى جَنْبِ عَلِيٍّ - وَقَدْ أَرْسَلَ ابْنَيْهِ إِلَى عُثْمَانَ - فَسَلَّمُوا عَلَيْهِ، فَصَاحَ بِهِمْ وَأَطْرَدَهُمْ وَقَالَ لَهُمْ كَمَا قَالَ عَلِيٌّ لِأَهْلِ مِصْرَ، وَكَذَلِكَ كَانَ رَدُّ الزُّبَيْرِ عَلَى أَهْلِ الْكُوفَةِ. فَرَجَعَ كُلُّ فَرِيقٍ مِنْهُمْ إِلَى قَوْمِهِمْ وَأَظْهَرُوا لِلنَّاسِ أَنَّهُمْ رَاجِعُونَ إِلَى بُلْدَانِهِمْ، وَسَارُوا أَيَّامًا رَاجِعِينَ، ثُمَّ
পৃষ্ঠা - ৫৭৭৬
كَرُّوا عَائِدِينَ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَمَا كَانَ غَيْرَ قَلِيلٍ حَتَّى سَمِعَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ التَّكْبِيرَ، وَإِذَا الْقَوْمُ قَدْ زَحَفُوا عَلَى الْمَدِينَةِ وَأَحَاطُوا بِهَا، وَجُمْهُورُهُمْ عِنْدَ دَارِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، وَقَالُوا لِلنَّاسِ: مَنْ كَفَّ يَدَهُ فَهُوَ آمِنٌ. فَكَفَّ النَّاسُ وَلَزِمُوا بُيُوتَهُمْ، وَأَقَامَ النَّاسُ عَلَى ذَلِكَ أَيَّامًا. هَذَا كُلُّهُ وَلَا يَدْرِي النَّاسُ مَا الْقَوْمُ صَانِعُونَ وَلَا عَلَى مَا هُمْ عَازِمُونَ، وَفِي كُلِّ ذَلِكَ وَأَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ يَخْرُجُ مِنْ دَارِهِ فَيُصَلِّي بِالنَّاسِ، فَيُصَلِّي وَرَاءَهُ أَهْلُ الْمَدِينَةِ وَأُولَئِكَ الْآخَرُونَ، وَذَهَبَ الصَّحَابَةُ إِلَى هَؤُلَاءِ يُؤَنِّبُونَهُمْ وَيَعْذِلُونَهُمْ عَلَى رُجُوعِهِمْ، حَتَّى قَالَ عَلِيٌّ لِأَهْلِ مِصْرَ: مَا رَدُّكُمْ بَعْدَ ذَهَابِكُمْ وَرُجُوعِكُمْ عَنْ رَأْيِكُمْ؟ فَقَالُوا: وَجَدْنَا مَعَ بَرِيدٍ كِتَابًا بِقَتْلِنَا. وَكَذَلِكَ قَالَ الْبَصْرِيُّونَ لِطَلْحَةَ، وَالْكُوفِيُّونَ لِلزُّبَيْرِ. وَقَالَ أَهْلُ كُلِّ مِصْرَ: إِنَّمَا جِئْنَا لِنَنْصُرَ أَصْحَابَنَا. فَقَالَ لَهُمُ الصَّحَابَةُ: كَيْفَ عَلِمْتُمْ بِذَلِكَ مِنْ أَصْحَابِكُمْ وَقَدِ افْتَرَقْتُمْ وَصَارَ بَيْنَكُمْ مَرَاحِلُ؟ إِنَّمَا هَذَا أَمْرٌ اتَّفَقْتُمْ عَلَيْهِ. فَقَالُوا: ضَعُوهُ عَلَى مَا أَرَدْتُمْ، لَا حَاجَةَ لَنَا فِي هَذَا الرَّجُلِ، لِيَعْتَزِلْنَا وَنَحْنُ نَعْتَزِلُهُ. يَعْنُونَ أَنَّهُ إِنْ نَزَلَ عَنِ الْخِلَافَةِ تَرَكُوهُ آمِنًا. وَكَانَ الْمِصْرِيُّونَ - فِيمَا ذُكِرَ - لَمَّا رَجَعُوا إِلَى بِلَادِهِمْ وَجَدُوا فِي الطَّرِيقِ بَرِيدًا يَسِيرُ، فَأَخَذُوهُ، فَفَتَّشُوهُ، فَإِذَا مَعَهُ فِي إِدَوَاةٍ كِتَابٌ عَلَى لِسَانِ عُثْمَانَ فِيهِ الْأَمْرُ بِقَتْلِ طَائِفَةٍ مِنْهُمْ، وَبِصَلْبِ آخَرِينَ، وَبِقَطْعِ أَيْدِي آخَرِينَ مِنْهُمْ وَأَرْجُلِهِمْ. وَكَانَ عَلَى الْكِتَابِ طَابَعٌ بِخَاتَمِ عُثْمَانَ وَالْبَرِيدُ أَحَدُ غِلْمَانِ عُثْمَانَ، وَعَلَى جَمَلِ عُثْمَانَ، فَلَمَّا رَجَعُوا جَاءُوا بِالْكِتَابِ وَدَارُوا بِهِ عَلَى النَّاسِ، فَكَلَّمَ النَّاسُ أَمِيرَ
পৃষ্ঠা - ৫৭৭৭


তখন তারা তাকে ধরে ফেলল এবং তারা তার দেহ ও মাল-পত্র তল্লাশি করল ৷ একটি পাত্রের
মধ্যে একটি পত্র পাওয়া গেল ৷ পত্রে দেখা গেল হযরত উসমান (বা) তাদের কয়েকজনকে
হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন, কয়েকজ্যাকে শুলে চড়াবার হুকুম দিয়েছেন ও অন্য কয়েকজনেৱ হাত
পা কেটে ফেলার আদেশ দিয়েছেন ৷ পত্রের মধ্যে উসমান (রা)-এর সীলমােহৱ ছিল ৷ আর
দুতটি ছিল হযরত উসমান (রা) এর একজন গোলাম ৷ আবার উটটিও ছিল হযরত উসমান
(রা) এরই ৷ যখন বিদ্রোহীরা ফেরত আসল তারা তখন পত্রটি সঙ্গে নিয়ে আসল এবং ঘুরে ঘুরে
লোকজনকে তা প্রদর্শন করতে লাগল ৷

এ সম্পর্কে জ্যাগণ আমীরুল মু’মিনীনকে জিজ্ঞেস করলেন ৷ তিনি বলেন, এটার সম্পর্কে
আমার বিরুদ্ধে প্রমাণ পেশ করতে হবে ৷ আল্লাহর শপথ ! আমি এটা লিখিও নইি কিংবা হুকুমও
করি নইি ৷ আর এ ব্যাপারে আমি কোন প্রকার অবইিতও নই ৷ সীলমােহৱ কোন কোন , সময়
জালও হয়ে থাকে ৷ সত্য বলে ধারণাকারীরা এটাকে সত্য ও সঠিক বলে গণ্য করল ৷ আর জাল
বলে ধারণাকারীরা এটাকে জাল বলে আখ্যায়িত করল ৷ কথিত আছে যে, মিসরের বাসিন্দারা
আবদুল্লাহ ইবন সা দ ইবন সারহকে বরখাস্ত করে মুহাম্মদ ইবন আবু বকরকে তাদের আমীর
নিযুক্ত করার জন্যে হযরত উসমান (রা) এর কাছে আবেদন করেছিল ৷ হযরত উসমান (রা)
এতদসম্পর্কে তাদের আবেদন মঞ্জুর করেছিলেন ৷ তারপর তারা যখন মুহাম্মদ ইবন আবু বকর
ও অন্যান্যকে হত্যা করার নির্দেশ সম্বলিত পত্রটিসহ দুতটি ধরতে গেল, তারা পত্রঢি নিয়ে
পবিত্র মদীনায় ফিরে আসল এবং খলীফা হযরত উসমান (রা)-এর উপর অত্যন্ত চাপ প্রয়োগ
করতে লাগল ৷ আর ঘুরে ঘুরে জনগণকেও পত্রটি দেখাতে লাগল যা অনেক লোকের অতরে
সন্দেহের সৃষ্টি করলো ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ও আবদুর রহমান ইবন ইয়াসার এর মাধ্যমে বর্ণিত ৷ ইবন জারীর
(র) বলেন, মিসরের প্ৰতি হযরত উসমান (রা) এর পক্ষ থেকে লিখিত পত্রটি যার কাছে পাওয়া
গিয়েছিল তার নাম ছিল আবুল আওয়ার আসসালামী আর উটটি ছিল হযরত উসমান
(রা)-এর ৷ ইবন জারীর (র) উপরোক্ত সুত্রে আরো বলেন, হযরত উসমান (রা)-এর হত্যা
করার জন্যে সাহাবায়ে কিরাম পবিত্র মদীনায় বিভিন্ন অঞ্চলে পত্র দিয়ে পবিত্র মদীনায় আগমন
করার আহ্বানসুচক বর্ণনাটি সাহাবায়ে কিরামেব উপর যিথ্যারোপ করা ব্যতীত অন্য কিছুই
নয় ৷ তাদের নামে জাল পত্র লেখা হয়েছিল যেমন হযরত আলী (রা) , হযরত তালহ্৷ (রা) ও
হযরত যুবাইর (রা)-এর নামে খারিব্জীদের কাছে জাল পত্র লেখা হয়েছিল ৷ তারা ঐ পত্র
অস্বীকার করেছিল ৷ অনুরুপভাবে এ পত্রটিও হযরত উসমান (রা)এর পক্ষ থেকে লেখা
হয়েজ্জি ৷ তিনি এ ব্যাপারে কোন নির্দেশ দেন নাই কিংবা তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না ৷

এ দিনগুলোতে হযরত উসমান (রা) লোকজ়নদেরকে নিয়ে জামায়াতে নামায আদায়
করছিলেন ৷ আর মুসল্লীরা ছিলেন তার কাছে মাটি থেকেও অধম ৷ কোন এক জুমার দিন
খলীফা হযরত উসমান (রা) মিম্বরে দণ্ডায়মান ছিলেন ৷ তার হাতে ছিল একটি লাঠি যার উপর
ভর দিয়ে রাসুলুল্পাহ্মোঃ খুতবা প্রদান করতেন ৷ আবু বকর (রা), উমর (রা)ও এ লাঠিটি
ব্যবহার ক্যাতেন ৷ বিদ্রোহী লোকদের একজন দাড়িয়ে গেল ৷ সে খলীফাকে পালি দিল এবং
তাকে আক্রমণ করল ৷ আর তাকে মিম্বর থেকে নামিয়ে দিল ৷ ঐ দিন থেকে জনগণ তার
খিলাফত সম্বন্ধে সন্দেহ করতে লাগল ৷


الْمُؤْمِنِينَ فِي ذَلِكَ، فَقَالَ: بَيِّنَةٌ عَلَيَّ بِذَلِكَ، وَإِلَّا فَوَاللَّهِ لَا كَتَبْتُ وَلَا أَمْلَيْتُ، وَلَا دَرَيْتُ بِشَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ، وَالْخَاتَمُ قَدْ يُزَوَّرُ عَلَى الْخَاتَمِ. فَصَدَّقَهُ الصَّادِقُونَ فِي ذَلِكَ، وَكَذَّبَهُ الْكَاذِبُونَ. وَيُقَالُ: إِنَّ أَهْلَ مِصْرَ كَانُوا قَدْ سَأَلُوا مِنْ عُثْمَانَ أَنْ يَعْزِلَ عَنْهُمُ ابْنَ أَبِي سَرْحٍ وَيُوَلِّيَ مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي بَكْرٍ، فَأَجَابَهُمْ إِلَى ذَلِكَ فَلَمَّا رَجَعُوا وَجَدُوا ذَلِكَ الْبَرِيدَ وَمَعَهُ الْكِتَابُ بِقَتْلِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ وَآخَرِينَ مَعَهُ، فَرَجَعُوا وَقَدْ حَنِقُوا عَلَيْهِ حَنَقًا شَدِيدًا، وَطَافُوا بِالْكِتَابِ عَلَى النَّاسِ فَدَخَلَ ذَلِكَ فِي أَذْهَانِ كَثِيرٍ مِنَ النَّاسِ. وَرَوَى ابْنُ جَرِيرٍ، مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَمِّهِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّ الَّذِي كَانَ مَعَهُ هَذِهِ الرِّسَالَةُ مِنْ جِهَةِ عُثْمَانَ إِلَى مِصْرَ أَبُو الْأَعْوَرِ السُّلَمِيُّ عَلَى جَمَلٍ لِعُثْمَانَ. وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ، مِنْ هَذِهِ الطَّرِيقِ أَنَّ الصَّحَابَةَ كَتَبُوا إِلَى الْآفَاقِ مِنَ الْمَدِينَةِ يَأْمُرُونَ النَّاسَ بِالْقُدُومِ عَلَى عُثْمَانَ لِيُقَاتِلُوهُ. وَهَذَا كَذِبٌ عَلَى الصَّحَابَةِ، وَإِنَّمَا كُتِبَتْ كُتُبٌ مُزَوَّرَةٌ عَلَيْهِمْ، كَمَا كَتَبُوا مِنْ جِهَةِ عَلِيٍّ وَطَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ إِلَى الْخَوَارِجِ كُتُبًا مُزَوَّرَةً عَلَيْهِمْ أَنْكَرُوهَا، وَهَكَذَا زُوِّرَ هَذَا الْكُتَّابُ عَلَى عُثْمَانَ أَيْضًا، فَإِنَّهُ لَمْ يَأْمُرْ بِهِ وَلَمْ يَعْلَمْ بِهِ أَيْضًا. وَاسْتَمَرَّ عُثْمَانُ يُصَلِّي بِالنَّاسِ فِي تِلْكَ الْأَيَّامِ كُلِّهَا، وَهُمْ أَحْقَرُ فِي عَيْنِهِ مِنَ التُّرَابِ، فَلَمَّا كَانَ فِي بَعْضِ الْجُمُعَاتِ وَقَامَ عَلَى الْمِنْبَرِ، وَفِي يَدِهِ الْعَصَا الَّتِي كَانَ يَعْتَمِدُ عَلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي خُطْبَتِهِ، وَكَذَلِكَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، مِنْ بَعْدِهِ، فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ مِنْ أُولَئِكَ فَسَبَّهُ وَنَالَ مِنْهُ، وَأَنْزَلَهُ عَنِ الْمِنْبَرِ،
পৃষ্ঠা - ৫৭৭৮


অনুরুপভাবে আল-ওয়াকিদী (র) উসামা ইবন যায়িদ (বা) ও ইয়াহ্ইয়াহ ইবন আবদুর
রহমান (র)-এর মাধ্যমে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি হযরত উসমান (রা)-এর দিকে
লক্ষ্য করছিলাম ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর ব্যবহৃত লাঠির উপর ডঃ দিয়ে খুতবা দিচ্ছিলেন,
যে লাঠির উপর ভর দিয়ে হযরত আবু বকর (বা) ও হযরত উমর (রা) খুতবা পাঠ করতেন ৷
তখন জাহ জাহ নামক এক ব্যক্তি তাকে বলল, “দীড়াও হে বুড়াে আহমক ! তারপর এ বিষয়
হতে অবতরণ কর” এই বলে সে লাঠিটি কেড়ে নিন এবং তার ডান ছুাটুর উপর জোরে আঘাত
করল ৷ লাঠির টুকরো পায়ের নলীতে ঢুকে গেল ও জখমী হলো ৷ উসমান (রা) মিম্বর থেকে
নেমে গেলেন এবং লোকজন র্তাকে ও লঠিটি উঠিয়ে নিয়ে গেলেন ৷ তিনি ছিলেন অচেতন ৷
পরে এ জখমীতে ক্ষত রোগ সৃষ্টি হয় ও তাতে পোকা দেখা দেয় ৷ এ ঘটনার পর একবার
কিংবা দুইবার তিনি বের হয়েছিলেন ৷ তারপর তিনি অবরােধে পতিত হন ও শহীদ হন ৷

ইবন জারীর (র) নাফি (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আল-জাহ জাহ আল
পিফারী হযরত উসমান (রা)-এর হাতের লাঠি ধরেছিল এবং তা দিয়ে তার হীটুতে আঘাত
করেছিল ৷ আর ঐ জায়গায় জখমী হয়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছিল ৷ ’

আল্লামা আল-ওয়াকিদী (র) ইবন আবু হাবীবা হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
একদিন হযরত উসমান (রা) জনগণের মাঝে খুতবা দেন ৷ আমর ইবনুল আ’স (রা) বলেন,
হে আমীরুল মু’মিনীন ৷ আপনি ধ্বংস যানে আরোহণ করেছেন ৷ আর আমরাও আপনার সাথে
তাতে আরোহণ করেছি ৷ কাজেই আপনি তওবা করুন, আমরাও আপনার সাথে তাওৰা করব ৷
উসমান (বা) কিবলামুখী হন এবং দুইহাত উত্তোলন করেন ৷ ইবন আবু হাবীবা বলেন, আমি
আর তাকে কোন দিনও এরুপ ক্রন্দনরত অবস্থায় দেখিনি ৷ এরপর তিনি একদিন খুতবা দেন ৷
এমন সময় জাহ জাহ গিফারী তার দিকে এগিয়ে আসল এবং চিৎকার দিয়ে বলল, হে উসমান ৷
সাবধান! এ উটনিটি আমি নিয়ে এসেছি তার উপর রয়েছে একটি লম্বা জামা, একটি গলবন্ধনী ৷
তুমি মিম্বর হতে নেমে আস ৷ তোমাকে লম্বা জামাটিতে ঢুকাব, তোমার গলায় গলবন্ধনী পরিয়ে
দেব এবং তোমাকে জখমী উটনীর উপর উঠিয়ে নেৰ ৷ তারপর ণ্তামাকে আমরা ধোয়ার
পাহাড়ে নিক্ষেপ করব ৷ উসমান (বা) বলেন, “আল্লাহ তোমার মন্দ করুন এবং তুমি যা নিয়ে
আসছ তাও মন্দে পরিণত করুন ৷ তারপর উসমান (রা) মিম্বর হতে নেমে আসলেন ৷ ইবন আবু
হাবীবা বলেন, “আর এটা ছিল সর্বশেষ দিন, তাকেআমি দেখেছি ৷”

আল্লামা আল ওয়াকিদী (র) আমির ইবন সা৷দ (র) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন :
সর্বপ্রথম যে ব্যক্তি উসমান (রা)-এ্যার সাথে দুর্ব্যাবহার করার দুঃসাহসকঃরজ্জি সে ছিল
জাৰিল্লাহ ইবন আমর আস-সড়ায়িদী ৷ একবার উসমান (বা) তার কাছ দিয়ে অতিক্রা করছেন ৷
সে ছিল তার সম্প্রদায়ের মজলিসে ৷ আর তার হাতে ছিল একটি গলবন্ধনী ৷ যখন উসমান (বা)
সম্প্রদায়ের কাছে আসলেন ও সালাম করলেন, ম্পোড়ায়ের লোকেরা সালামের উত্তর দিলেন ৷
জাবিল্লাহ বলল, তোমরা কেন তার সালামের উত্তর দিচ্ছা তিনি এমন একটি লোক, যিনি এটা
করেছেন, ওটা করেছেন ইত্যাদি ৷ আবার উসমান (রা)-এর দিকে মুখ ফিরিয়ে বলে, আল্লাহ্র
শপথ’ ৷ আমি তোমার গলায় এ গলবন্ধনী পরিয়ে দেবাে কিৎবা তুমি তোমার আত্মীয়কে ছেড়ে
দেবে ৷ উসমান (বা) বললেন, কোনৃ আত্মীয়ঃ আল্লাহর শপথ, আমিও জনগণকে নিজের


فَطَمِعَ النَّاسِ فِيهِ مِنْ يَوْمَئِذٍ، كَمَا قَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَاطِبٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: بَيْنَا أَنَا أَنْظُرُ إِلَى عُثْمَانَ يَخْطُبُ عَلَى عَصَا النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، الَّتِي كَانَ يَخْطُبُ عَلَيْهَا وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ، فَقَالَ لَهُ جَهْجَاهُ: قُمْ يَا نَعْثَلُ فَانْزِلْ عَنْ هَذَا الْمِنْبَرِ. وَأَخَذَ الْعَصَا فَكَسَرَهَا عَلَى رُكْبَتِهِ الْيُمْنَى فَدَخَلَتْ شَظِيَّةٌ مِنْهَا فِيهَا، فَبَقِيَ الْجُرْحُ حَتَّى أَصَابَتْهُ الْأَكِلَةُ فَرَأَيْتُهَا تُدَوِّدُ، فَنَزَلَ عُثْمَانُ وَحَمَلُوهُ وَأَمَرَ بِالْعَصَا فَشَدُّوهَا، فَكَانَتْ مُضَبَّبَةً، فَمَا خَرَجَ بَعْدَ ذَلِكَ الْيَوْمِ إِلَّا خَرْجَةً أَوْ خَرْجَتَيْنِ، حَتَّى حُصِرَ فَقُتِلَ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ أَنَّ جَهْجَاهًا الْغِفَارِيَّ أَخَذَ عَصَا كَانَتْ فِي يَدِ عُثْمَانَ فَكَسَرَهَا عَلَى رُكْبَتِهِ، فَرُمِيَ فِي ذَلِكَ الْمَكَانِ بِأَكِلَةٍ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَحَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ أَبِي حَبِيبَةَ قَالَ: خَطَبَ عُثْمَانُ النَّاسَ فِي بَعْضِ أَيَّامِهِ فَقَالَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّكَ قَدْ رَكِبْتَ نَهَابِيرَ وَرَكِبْنَاهَا مَعَكَ، فَتُبْ نَتُبْ. فَاسْتَقْبَلَ عُثْمَانُ
পৃষ্ঠা - ৫৭৭৯


সাহায্যকারী হিসেবে গ্রহণ করছি ৷ তখন যে বলল, তুমি মারওয়ানরুক নির্বাচন করেছ; তুমি
মুয়াবীয়াকে নির্বাচন করেছ; তুমি আবদুল্লাহ ইবন আমির ইবন কুরাইযকে নির্বাচন করেছ; তুমি
আবদুল্লাহ ইবন সাদ ইবন আবু সারহ-এর ন্যায় দোকজনকে নির্বাচন করেছ ৷ তাদের মধ্যে
এমন লোক আছে যার দৃর্ণাম বর্ণনায় কুরআনের আয়াত নাযিল হয়েছে এবং রাসুলুল্পাহ্ঙ্কুঙ্কুশু
তার রক্ত মুৰাহ করে দিয়েব্ছন ৷

বর্ণনাকারী বলেন, হযরত উসমান (রা) সেখান থেকে চলে আসেন এবং সোকজনও তার
বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম মন্তব্য করতে থাকে ৷

আল্লামা ওয়াকিদী (র) উসমান ইবন আশ-শারীদ (র) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, “একদিন উসমান (রা) জাবিল্লাহ ইবন আমর আস-সায়ীদি-এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন ৷
সে ছিল তার বাড়ির সম্মুখে এবং তার সাথে ছিল একটি গলবন্ধনী ৷ উসমান (রা)-ণ্ক সে দেশে
বলল, “হে বুড়াে বোকা ! আল্লাহ্র শপথ, আমি অবশ্যই তোমাকে হত্যা করব এবং আমি
অবশ্যই তোমাকে জখমী উটের উপর উঠার ৷ আর আমি অবশ্যই ,তােমাকে উত্তপ্ত অগ্নির দিকে
বের করে নিয়ে যাব ৷” তারপর আবার যে হযরত উসমান (রা) এর কাছে আগমন করল এবং
হযরত উসমান (রা) ছিলেন মিম্বরের উপর, যে তাকে মিম্বর থেকে নামিয়ে দিল ৷

সাইফ ইবন উমর (র) উল্লেখ করেন যে, উসমান (রা) জুমার দিন সােকজনকে নিয়ে
সালাত আদায় করার পর মিম্বরে উঠলেন এবং জনগণকে খুতবা দিলেন ৷ তিনি তার খুতবায়
বলেন, উপস্থিত জ্যিদেশী ব্যক্তিবর্গ! মহান আল্পাহ্কে ভয় কর ৷ আল্লাহ্কে ভয় কর ৷ আল্লাহ্র
শপথ, নিশ্চয়ই পবিত্র মদীনাবাসী তোমাদের সম্বন্ধে জানেন যে, তোমরা রাসুলুল্লাহ্ন্ব্লু,শ্ন এর
ভাষায় অভিশ্বপ্ত ৷ তইি তোমরা সঠিক কাজ করে ভ্রম সংশোধন কর ৷ কেননা, আল্লাহ্ রাববুল
আলামীন ভাল কাজের মাধ্যমে মন্দ কাজের পরিণাম মিটিয়ে দেন ৷ তখন মুহাম্মদ ইবন
মাসলামা (রা) উঠে র্দাড়ালেন এবং বললেন, আমি এ ব্যাপারে সাক্ষ্য দিচ্ছি ৷ হুকইিম ইবন
জাবিল্লাহ তাকে গিয়ে ধরনের এবং বসিয়ে দিলেন ৷ তারপর যায়িদ ইবন সাধিত (রা) দাড়ান্সেনঃ
এবং বললেন, হযরত উসমান (রা)-এর উক্তি আল্লাহর কিতাবেও দেখতে পাওয়া যায় ৷
অন্যদিকে থেকে মুহাম্মদ ইবন মুরাইরাহ লাফ দিয়ে উঠলেন এবং যায়িদ ইবন সাধিত (রা)-এর
কাছে গেলেন এবং তাকে বসিয়ে দিলেন ও বললেন, এটা খুব খারাপ কথা ৷” সকলে উত্তেজিত
হয়ে পড়লেন ’এবং বিদ্রোহীরা ণ্লাকজঃনর উপর প্রস্তর নিক্ষেপ করতে লাগল ৷ আর বিদ্রোহীরা
এভাবে তাদেরকে মসজিদ থেকে বের করে দিল ৷ এরপর তারা হযরত উসমান (রা)-এর প্রতি
প্রস্তর নিক্ষেপ করতে লাগল ৷ এরপর তিনি অচেতন হয়ে ফিরে থেকে নিচে পড়ে গেলেন ৷
তারপর তাকে উঠানাে হলো এবং তাকে বয়ে নিয়ে যাওয়া হলো ৷

শ্মিসরৰাসী নােকজনের মধ্য হতে নিম্নবর্ণিত তিনজন ব্যতীত অন্য কাউকেও তাদের
সাহায্যকারী মনে করত না ৷ তারা হলেন : মুহাম্মদ ইবন আবু বকর (বা), মুহাম্মদ ইবন জাফর ন্
(বা) এবং আমার ইবন ইয়াসার (রা) ৷

হযরত আলী (রা), হযরত তালহা (রা) ও হযরত যুৰাইর (রা) অন্য লোকজনের সাথে
হযরত উসমান (রা)-এর সেবা শুশ্রুষার জন্যে এবং নিজেদের দুঃ দৃর্দশ ৷ ও জনগণের
দুঃখ-দুর্দশা তার কাছে পেশ করার লক্ষে হযরত উসমান (রা)এর কাছে উপস্থিত হলেন ৷


الْقِبْلَةَ وَشَهَرَ يَدَيْهِ قَالَ أَبُو حَبِيبَةَ: فَلَمْ أَرَ يَوْمًا أَكْثَرَ بَاكِيًا وَلَا بَاكِيَةً مِنْ يَوْمِئِذٍ. ثُمَّ لَمَّا كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ خَطَبَ النَّاسَ فَقَامَ إِلَيْهِ جَهْجَاهُ الْغِفَارِيُّ فَصَاحَ: يَا عُثْمَانُ أَلَا إِنَّ هَذِهِ شَارِفٌ قَدْ جِئْنَا بِهَا عَلَيْهَا عَبَاءَةٌ وَجَامِعَةٌ، فَانْزِلْ فَلْنُدْرِجْكَ فِي الْعَبَاءَةِ، وَلْنَطْرَحْكَ فِي الْجَامِعَةِ، وَلْنَحْمِلْكَ عَلَى الشَّارِفِ، ثُمَّ نَطْرَحْكَ فِي جَبَلِ الدُّخَانِ. فَقَالَ عُثْمَانُ: قَبَّحَكَ اللَّهُ وَقَبَّحَ مَا جِئْتَ بِهِ. ثُمَّ نَزَلَ عُثْمَانُ. قَالَ أَبُو حَبِيبَةَ: وَكَانَ آخِرَ يَوْمٍ رَأَيْتُهُ فِيهِ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ: كَانَ أَوَّلَ مَنِ اجْتَرَأَ عَلَى عُثْمَانَ بِالْمَنْطِقِ السَّيِّئِ جَبَلَةُ بْنُ عَمْرٍو السَّاعِدِيُّ، مَرَّ بِهِ عُثْمَانُ وَهُوَ فِي نَادِي قَوْمِهِ، وَفِي يَدِ جَبَلَةَ جَامِعَةٌ، فَلَمَّا مَرَّ عُثْمَانُ سَلَّمَ فَرَدَّ الْقَوْمُ، فَقَالَ جَبَلَةُ لِمَ تَرُدُّونَ عَلَيْهِ؟ رَجُلٌ قَالَ كَذَا وَكَذَا. ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى عُثْمَانَ فَقَالَ: وَاللَّهِ لَأَطْرَحَنَّ هَذِهِ الْجَامِعَةَ فِي عُنُقِكَ أَوْ لَتَتْرُكَنَّ بِطَانَتَكَ هَذِهِ. فَقَالَ عُثْمَانُ: أَيُّ بِطَانَةٍ؟ فَوَاللَّهِ إِنِّي لِأَتَخَيَّرُ النَّاسُ. فَقَالَ: مَرْوَانَ تَخَيَّرْتَهُ؟! وَمُعَاوِيَةَ تَخَيَّرْتَهُ؟! وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَامِرِ بْنِ كُرَيْزٍ تَخَيَّرْتَهُ؟! وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَعْدِ
পৃষ্ঠা - ৫৭৮০
بْنِ أَبِي سَرْحٍ تَخَيَّرْتَهُ؟! مِنْهُمْ مَنْ نَزَلَ الْقُرْآنُ بِدَمِهِ، وَأَبَاحَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، دَمَهُ. قَالَ: فَانْصَرَفَ عُثْمَانُ فَمَا زَالَ النَّاسُ مُجْتَرِئِينَ عَلَيْهِ إِلَى هَذَا الْيَوْمِ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ رَافِعِ بْنِ نُقَاخَةَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الشَّرِيدِ قَالَ: مَرَّ عُثْمَانُ عَلَى جَبَلَةَ بْنِ عَمْرٍو السَّاعِدِيِّ وَهُوَ بِفَنَاءِ دَارِهِ، وَمَعَهُ جَامِعَةٌ فَقَالَ: يَا نَعْثَلُ، وَاللَّهِ لِأَقْتُلُنَّكَ وَلَأَحْمِلَنَّكَ عَلَى قَلُوصٍ جَرْبَاءَ، وَلِأُخْرِجُنَّكَ إِلَى حَرَّةِ النَّارِ. ثُمَّ جَاءَهُ مَرَّةً أُخْرَى وَعُثْمَانُ عَلَى الْمِنْبَرِ فَأَنْزَلَهُ عَنْهُ. وَذَكَرَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ أَنَّ عُثْمَانَ بَعْدَ أَنْ صَلَّى بِالنَّاسِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ صَعِدَ الْمِنْبَرَ فَخَطَبَهُمْ أَيْضًا، فَقَالَ فِي خُطْبَتِهِ: يَا هَؤُلَاءِ الْعِدَا اللَّهَ اللَّهَ! فَوَاللَّهِ إِنَّ أَهْلَ الْمَدِينَةِ لَيَعْلَمُونِ أَنَّكُمْ مَلْعُونُونَ عَلَى لِسَانِ مُحَمَّدٍ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَامْحُوَا الْخَطَأَ بِالصَّوَابِ، فَإِنَّ اللَّهَ لَا يَمْحُو السَّيِّئَ إِلَّا بِالْحَسَنِ. فَقَامَ مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ فَقَالَ: أَنَا أَشْهَدُ بِذَلِكَ. فَأَخَذَهُ حَكِيمُ بْنُ جَبَلَةَ فَأَقْعَدَهُ، فَقَامَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ فَقَالَ: إِنَّهُ فِي الْكِتَابِ. فَثَارَ إِلَيْهِ مِنْ نَاحِيَةٍ أُخْرَى مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي قُتَيْرَةَ فَأَقْعَدَهُ وَقَالَ فَأَفْظَعَ، وَثَارَ الْقَوْمُ