আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة تسع وعشرين

পৃষ্ঠা - ৫৭২৬


ক্রন্দন করছ৷ আজকে এমন একটি দিন, যেদিনে মহান আল্লাহ্ ইসলাম এবং মুসলমানদেরকে
মহা সম্মান দান করেছেন ৷ তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্য তোমার, নিশ্চয়ই এরা ছিল একটি দুর্ধর্ষ জাতি
যাদের ছিল একজন পরাক্রমশালী রাজা ৷ তারা মহান আল্লাহর হুকুম বিনষ্ট করেছে ৷ তাই
তাদের অবস্থা যেরুপ তোমরা দেখছ ৷ মহান আল্লাহ্ তাদের উপর রা জবন্দীতু চাপিয়ে
দিয়েছেন ৷ মহান আল্লাহ যেই সম্প্রদায়ের উপর এরুপ রাজবন্দীৎ চাপিয়ােড্রো অ্যাংধ্যাপারে
মহান আল্লাহর কোন মাথা ব্যথা নেই” ৷
তিনি আরো বলেন, “ঐ জাতি মহান আল্লাহ্র কাছে কতই না নিকুষ্ট ক্কুক্কোড্রো ত্রমৃল্পেহুহ্রশুন্
ছকুম অমান্য করে ৷ তারপর আমীর মৃয়াবীয়া (বা) বাৎসরিক সাত হ্জাে ক্রীৰু
সাপেক্ষে তাদের সাথে সন্ধি করেন ও তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন ৷ এরপর ফান, তাবা সন্ধি ভঙ্গ
করার ইচ্ছে করল তখন উম্মে হারামের জন্যে যুদ্ধে যাওয়ার লক্ষে একটি খ্যাঃ আনা হালা
যেটাতে তিনি সওয়ার হলেন কিন্তু দৃর্ভাগ্যবশত তিনি তার থেকে নিচে পড়ে গেলেন এবং ভুা র্ঙ্কু
গর্দান ভেঙ্গে গেল ৷ এভাবে তিনি সেখানে মৃত্যুমুখে পতিত হন এবং সেখানেই তাকে ক্যরুন্থৰু
করা হলো ৷ সেখানকার লোকেরা তার কবরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করল এবং ৰিপদআেপদচু ও
দুর্সিক্ষর সময় তার কবরকে উসিলা করে তারা মহান আল্লাহ্র কাছে ফরিয়াদ করতো ৷ আর
বলত এটা একজন সৎ মহিলার কবর ৷
আল্লামা আল-ওয়াকিদী (র) বলেন, এ বছরেই হাবীব ইবন মাসলামা (র) রোম সাম্রাজ্যের
সুরীয়া শহরে যুদ্ধ করেন এবং হযরত উসমান (রা) নাইলা ণ্বিনত আলফারা ফাসাহ
আল-কালবীয়া (র)-কে বিয়ে করেন ৷ তিনি ছিলেন খৃন্টান মহিলা ৷ কিন্তু বিয়ের পুর্বে তিনি
ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ এ বছরেই হযরত উসমান (রা) পবিত্র মদীনায় আবৃ-যাও,র৷ নামক স্থানে
নিজের বাড়ি নির্মাণ করেন ৷ আর এ বছরেই আমীরুল মুমিনীন হযরত উসুম,র্বুন ইবন আফ্ফ্লান
(রা) লোকজনকে নিয়ে হজ্জ পালন করেন ৷



২৯ হিজরীর প্রারম্ভ

এ বছরেই হযরত উসমান ইবন আফফান (রা) আবু মুসা আ
থেকে তার ছয় বছর এ পদে থাকার পর, কেউ কেউ বলেন, তিন বখ্যাঃ খাভৃ করেন এবং
তথায় আবদুল্লাহ ইবন আমির ইবন কুরাইয ইবন রাবীয়াহ ইবন হাঞ্চাইবনৰুস্লাবঃদ শামসকে
আমীর নিয়োগ করেন ৷ আর তিনি ছিলেন হযরত উসমান ইবন আফ্ফান (রা) এর মামাভাে
ভাই ৷ তার জন্যে একত্র করা হয়েছিল আবু মুসা আল-আশয়ারী (রা)-এর সৈন্যদর্ল ও উসমান
ইবন আবুল অাস (রা)-এর সৈন্যদল ৷ তীর বয়স ছিল ২৫ বছর ৷ তারপর তিনি তথায় ৬ বছর
বসবাস করেন ৷ এ বছরেই আবদুল্লাহ ইবন আমির (র), আল্লাম৷ আল ওয়াকিদী (র) ও আবু
মাশার (ব)-এর মতানুযায়ী পারস্য জয় করেন ৷ আল্লামা সাইফ (ব) মনে করেন এ বছরের
পুর্বে এ বিজয়ের ঘটনা ঘটেছিল ৷

এ বছরেই উসমান ইবন আফফান (রা) মসজিদে নববীর পরিধি বিন্তুত করেন এবং এটাকে
চুনা দিয়ে নির্মাণ করেন ৷ এ চুনা বাতনে নাখলা নামক এক জায়গা থেকে আনা হতো ৷ এ




[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ تِسْعٍ وَعِشْرِينَ] فِيهَا عَزَلَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ أَبَا مُوسَى الْأَشْعَرِيَّ عَنِ الْبَصْرَةِ، بَعْدَ عِمَالَةِ سِتِّ سِنِينَ. وَقِيلَ: ثَلَاثٍ. وَأَمَّرَ عَلَيْهَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَامِرِ بْنِ كُرَيْزِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ حَبِيبِ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ، وَهُوَ ابْنُ خَالِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، وَجَمَعَ لَهُ بَيْنَ جُنْدِ أَبِي مُوسَى وَجُنْدِ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِ، وَلَهُ مِنَ الْعُمُرِ خَمْسٌ وَعِشْرُونَ سَنَةً، فَأَقَامَ بِهَا سِتَّ سِنِينَ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ افْتَتَحَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرٍ فَارِسَ، فِي قَوْلِ الْوَاقِدِيِّ وَأَبِي مَعْشَرٍ. زَعَمَ سَيْفٌ أَنَّهُ كَانَ قَبْلَ هَذِهِ السَّنَةِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَفِيهَا وَسَّعَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ مَسْجِدَ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَبَنَاهُ بِالْقَصَّةِ - وَهِيَ الْكِلْسُ، كَانَ يُؤْتَى بِهِ مِنْ بَطْنِ نَخْلٍ - وَالْحِجَارَةِ الْمَنْقُوشَةِ، وَجَعَلَ عُمُدَهُ حِجَارَةً مُرَصَّصَةً، وَسُقُفَهُ بِالسَّاجِ، وَجَعَلَ طُولَهُ سِتِّينَ وَمِائَةَ ذِرَاعٍ، وَعَرْضَهُ خَمْسِينَ وَمِائَةَ ذِرَاعٍ، وَجَعَلَ أَبْوَابَهُ سِتَّةً؛ عَلَى مَا كَانَتْ عَلَيْهِ فِي زَمَانِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ. ابْتَدَأَ بِنَاءَهُ فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْهَا. وَفِيهِ حَجَّ بِالنَّاسِ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ، وَضُرِبَ لَهُ بِمِنًى فُسْطَاطًا، فَكَانَ أَوَّلَ فُسْطَاطٍ ضَرَبَهُ عُثْمَانُ بِمِنًى، وَأَتَمَّ الصَّلَاةَ عَامَهُ هَذَا، فَأَنْكَرَ ذَلِكَ عَلَيْهِ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الصَّحَابَةِ؛ كَعَلِيٍّ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، حَتَّى قَالَ ابْنُ
পৃষ্ঠা - ৫৭২৭


নির্মাণের কাজে নকশা সম্বলিত পাথর ব্যবহার করা হয়েছিল ৷ স্তম্ভগুলাে ছিল সীসা মিশ্রিত
পাথরের, দ্বার দেওয়া হয়েছিল টীক কাঠের ৷ মসজিদটির দৈর্ঘ ছিল একশ ষাট হাত আর প্রস্থ
ছিল একশ পঞ্চাশ হাত ৷ ছয়টি দরজা রাখা হয়েহ্নিন্ ৷ উমর ইবনুল খাত্তাব (রা)-এর যুগে ও
অনুরুপ ছিল ৷ পুনর্নিমণি শুরু হয়েত্যি রবিউল আউয়াল মাসে ৷

এ বছরে হযরত উসমান (রা) দোকজনকে নিয়ে হজ্জ পালন করেন ৷ মিনার তার জন্যে
একটি বিরাট তড়াবু প্রস্তুত করা হয়েছিল ৷ আর এটিই প্রথম র্তাবু যা উসমান (রা)-এর জন্যে
মিনায় প্রস্তুত করা হয়েছিল ৷ ঐ বছর উসমান (রা) পুর্ণ নামায আদায় করেন বিন্দু একাধিক
সাহাবী হযরত উসমান (রা)-এর একাজকে পছন্দ করেন নাই ৷ যেমন হযরত আলী (রা),
হযরত আবদুর রহমান ইবন আউফ (রা), হযরত আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) ৷ হযরত
আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) বলেন, চার রাকাতের পরিবর্তে যদি কবুল হওয়া দু’রাকাত
আমার জন্যে হতো (কতই না ভাল হতো) ৷ হযরত উসমান (রা) যা করেছেন তা নিয়ে তার
সাথে আবদুর রহমান ইবন আউফ (রা)ও বিতর্ক করেছেন ৷

ইবন জারীর (র) বর্ণনা করেন, তিনি তাকে বলেছিলেন তৃমিতো পবিত্র মক্কায় বাড়িঘর
করে নিলে ৷ উত্তরে তিনি বললেন, তােমারতাে পবিত্র মদীনায় পরিবার রয়েছে ৷ আর মদীনায়
যেখানে তোমার পরিবার রয়েছে সেখানে তৃমিও বসবাস করছ ৷ হযরত আবদুর রহমান (রা)
বললেন, তায়েফে আমার সম্পদ রয়েছে ৷ ফেরত যাওয়ার পর আমি এটার ঘোজ-খবর নিতে
ইকুচ্ছ করেছি ৷ উত্তরে উসমান (রা) বলেন, তোমার এবং তায়েফের মধ্যে দুরত্ব হলো তিন
দিনের রাস্তা ৷ তিনি তখন বললেন, ইয়ামানের একটি দল বলেছিলেন : মুকীম ব্যক্তির নামায
দু’রাকাত ৷ কাজেই, তারা অনেক সময় আমাকে দুরাকাত নামায আদায় করতে দেখত ৷ আর
এটাই তারা দলীল হিসেবে গ্রহণ করত ৷ তখন তিনি তাকে বললেন, রাসুলুল্লাহ্ মোঃ এর উপর
ওহী নাযিল হতো, ঐ সময় ইসলামে দীক্ষিত সােকজনের সংখ্যা ছিল কম ৷ রাসুলুল্পাহ্জ্র
এখানে দু’রাকাত নামায আদায় করতেন এবং হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা)ও এখানে
(মিনার) দু’রাকাত নামায আদায় করতেন ৷ অনুরুপভাবে হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) ও
দু’রাকাত নামায পড়তেন ৷ আর তৃমিও তোমার খিলাফতের প্রথম দিকে দু’রাকাত সালাং
আদায় করেছ ৷ বর্ণনাকারী বলেন, একথার প্রতি উত্তরে হযরত উসমান (রা) যৌন রইলেন ৷
তারপর বললেন, এটা আমার নিজস্ব মতামত ৷


مَسْعُودٍ: لَيْتَ حَظِّي مِنْ أَرْبَعِ رَكَعَاتٍ رَكْعَتَانِ مُتَقَبَّلَتَانِ. وَقَدْ نَاظَرَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ فِيمَا فَعَلَهُ، فَرَوَى ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّهُ قَالَ: تَأَهَّلْتُ بِمَكَّةَ. فَقَالَ لَهُ: وَلَكَ أَهْلٌ بِالْمَدِينَةِ، وَإِنَّكَ تَقُومُ حَيْثُ أَهْلُكَ بِالْمَدِينَةِ. قَالَ: وَإِنَّ لِي مَالًا بِالطَّائِفِ أُرِيدُ أَنْ أَطَّلِعَهُ بَعْدَ الصَّدَرِ. قَالَ: إِنَّ بَيْنَكَ وَبَيْنَ الطَّائِفِ مَسِيرَةَ ثَلَاثٍ. فَقَالَ: وَإِنَّ طَائِفَةً مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ قَالُوا: إِنَّ الصَّلَاةَ بِالْحَضَرِ رَكْعَتَانِ. فَرُبَّمَا رَأَوْنِي أُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ فَيَحْتَجُّونَ بِي. فَقَالَ لَهُ: قَدْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَنْزِلُ عَلَيْهِ الْوَحْيُ وَالنَّاسُ يَوْمَئِذٍ الْإِسْلَامُ فِيهِمْ قَلِيلٌ، وَكَانَ يُصَلِّي هَاهُنَا رَكْعَتَيْنِ، وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي هَاهُنَا رَكْعَتَيْنِ، وَكَذَلِكَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، وَصَلَّيْتَ أَنْتَ رَكْعَتَيْنِ صَدْرًا مِنْ إِمَارَتِكَ: قَالَ: فَسَكَتَ عُثْمَانُ ثُمَّ قَالَ: إِنَّمَا هُوَ رَأْيٌ رَأَيْتُهُ.