আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثمان وعشرين

পৃষ্ঠা - ৫৭২৪

২৮ হিজরীর প্রারম্ভ সাইপ্রাসের বিজয়

আল্লামা আলওয়াকিদী (র)-এর অনুকরণে ইবন জারীর (র) এ বছরেই সাইপ্রাসের
’ বিজয়ের কথা উল্লেখ করেছেন ৷ সাইপ্রাস সিরিয়ার পরিশ্চমঞ্চিলের একটি স্বতন্ত্র সামুদ্রিক দ্বীপ ৷
দামেশকের সংলগ্ন উপকুলীয় অঞ্চলের দিকে তার একটি লম্বা লেজ অবস্থিত ৷ আর
পশ্চিমাঞ্চলের দিকেই তার চওড়া ভাগ ৷ তাতে রয়েছে বহু ফল-ফলাদি ও খনি ৷

এটা একটি সুন্দর শহর ৷ এ শহরের বিজয় হয়েছিল মুয়াবীয়া ইবন আবু সুফিয়ান (রা) এর
হাতে ৷ মুসলমানদের একটি বিরাট সেনাবাহিনী এ শহরে আগমন করেন ৷ তাদের মধ্যে ছিলেন
উবাদা ইবন আস-সামিত, তার শ্রী উম্মে হারাম বিনত মিলহড়ান ৷৩ তার ঘটনা পুর্বে উল্লেখ করা
হয়েছে ৷ একদিন রাসুলুল্লাহ্ম্পে ত তার ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন ৷ তারপর তিনি জাগ্রত হয়ে হাসতে
লাগলেন ৷ তিনি বলেন, হে আল্লান্ ৰুর রাসুল ! আপনি কেন হাসছেনঃ রাসুলুল্লাহ্দ্বুক্ট্র বলেন
“আমার উম্মতের মধ্য হতে কিছু সংখ্যক লোককে আমার সামনে পেশ করা হলো যারা
সিংহাসনে উপবিষ্ট বাদশাহদের ন্যায় এ সাগরে জাহাজের মধ্যে উপবিষ্ট রয়েছে ৷ তখন তিনি
বললেন, “হে আল্লাহ্র রাসুল র্ষন্ট্রুন্থি ! আপনি মহান আল্লাহ্র কাছে দুআ করুন যেন তিনি
আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করেন ৷ বড়াসুলুল্লাহ ট্রুন্ট্র বলেন “আপনি তাদের মধ্যে একজন ৷ ”
তারপর রাসুলুল্লাহ্ন্হুনাং র্দু-,ঘুমিয়ে পড়লেন ও পরে জাগ্রত হলেন ৷ এবড়ারও তিনি হাসছিাল এবং
পুর্বের ন্যায় উ ক্তি করলেন ৷ উম্মে হারাম বলেন, হে আল্লাহ্র রাসুল ! আপনি আমার জন্যে
দুঅ৷ করুন, আল্লাহ্র যেন তাদের মধ্যে আমাকে অন্তর্ভুক্ত করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ ইইদ্বুরুইরশন্দে
করেন, “আপনি তাদের প্রথম সারির মধ্যে গণ্য হবেন ৷ এরপর তিনি এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন
এবং সেখানে মৃত্যুমুখে পতিত ৩হন ৷ তারপর কুসতানতানীয়ার যুদ্ধ সংঘটিত ৩হয় যা পরে উল্লেখ
করা হবে ৷

বন্তুত আমীর মুয়াবীয়া (রা) সমুদ্র আভষানে বের হলেন ৷ কিছু সং খ্যক জাহাজ নিয়ে তিনি
প্রসিদ্ধ সাইপ্রাস দ্বীপের প্রতি অভিযান শুরু করেন ৷ তার সাথে ছিল মুসলমানদের এক বিরাট
বাহিনী ৷ এ অভিযান হযরত উসমান ইবন আফফান (রা)-এর অনুমতিক্রমে সংঘটিত হয়েছিল ৷
প্রথমত আমীর মুরাবীয়৷ (বা) খলীফার কাছে এ ব্যাপারে অনুমতি চেয়েছিলেন ৷ পুর্বে তিনি
হযরত উমর ইবন খাত্তাব (রা)-এর কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু হযরত উমর (রা)
মুসলমানদেরকে এ বিরাট সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এ পর্যায়ে হামলা করতে নিষেধ করেন ৷
কেননা, অবস্থা প্রতিকুল বিধায় তাদের সকলের ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আশংক ছিল ৷

হযরত উসমান (বা) খলীফা হওয়ার পর এ ব্যাপারে আমীর মুয়াবীয়া (রা) খলীফাকে
বারবার অনুরোধ করার পর তিনি তাতে সম্মাত দিলেন ৷ তইি তিনি নৌযানে আরোহণ করে
তথায় পৌছলেন ৷ অন্য দিক দিয়ে আবদুল্লাহ ইবন সাদ ইবন আবু সারহ (র) কিছু সংখ্যক
সৈন্য নিয়ে তার সাথে মিলিত হন ৷ উভয় সেনাবাহিনী দ্বীপের বাসিন্দাদের মোকাবিলা করেন ৷
তারা একটি বিরটি শত্রু সৈন্যদলকে হত্যা করেন এবং বহু লোককে বন্দী করেন ও পর্যাপ্ত
পরিমাণ উৎকৃষ্ট গনীমত অর্জন করেন ৷ যখন কয়েদীদেরকে নিয়ে আসা হলো তখন আবু দারদা
(রা) ক্রন্দন করছিলেন, তাকে জুবাইর ইবন নুফাইর (বা) বলেন, হে আবু সারদা (বা) ! তুমি


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثَمَانٍ وَعِشْرِينَ] َ فَتْحُ قُبْرُسَ فَفِيهَا ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ فَتْحَ قُبْرُسَ تَبَعًا لِلْوَاقِدِيِّ وَهِيَ جَزِيرَةٌ غَرْبِيُّ بِلَادِ الشَّامِ فِي الْبَحْرِ مُخْلَصَةٌ وَحْدَهَا، وَلَهَا ذَنَبٌ مُسْتَطِيلٌ إِلَى نَحْوِ السَّاحِلِ مِمَّا يَلِي دِمَشْقَ، وَغَرْبِيُّهَا أَعْرَضُهَا، وَفِيهَا فَوَاكِهُ كَثِيرَةٌ وَمَعَادِنُ، وَهِيَ بَلَدٌ جَيِّدٌ، وَكَانَ فَتْحُهَا عَلَى يَدَيْ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، رَكِبَ إِلَيْهَا فِي جَيْشٍ كَثِيفٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ وَمَعَهُ عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ وَزَوْجَتُهُ أُمُّ حَرَامٍ بِنْتُ مِلْحَانَ الَّتِي تَقَدَّمَ حَدِيثُهَا فِي ذَلِكَ حِينَ «نَامَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي بَيْتِهَا ثُمَّ اسْتَيْقَظَ يَضْحَكُ فَقَالَتْ: مَا أَضْحَكَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ فَقَالَ: " أُنَاسٌ مِنْ أُمَّتِي عُرِضُوا عَلَيَّ يَرْكَبُونَ ثَبَجَ هَذَا الْبَحْرِ مِثْلَ الْمُلُوكِ عَلَى الْأَسِرَّةِ ". فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ. فَقَالَ: " أَنْتِ مِنْهُمْ ". ثُمَّ نَامَ فَاسْتَيْقَظَ وَهُوَ يَضْحَكُ فَقَالَ مِثْلَ ذَلِكَ فَقَالَتْ: ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ. فَقَالَ: " أَنْتِ مِنَ الْأَوَّلِينَ ".» فَكَانَتْ فِي هَذِهِ الْغَزْوَةِ وَمَاتَتْ بِهَا، وَكَانَتِ الثَّانِيَةُ عِبَارَةً عَنْ غَزْوَةِ قُسْطَنْطِينِيَّةَ بَعْدَ هَذَا، كَمَا سَنَذْكُرُهُ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ مُعَاوِيَةَ رَكِبَ الْبَحْرَ فِي مَرَاكِبَ فَقَصَدَ الْجَزِيرَةَ الْمَعْرُوفَةَ بِقُبْرُسَ، وَمَعَهُ جَيْشٌ عَظِيمٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَذَلِكَ بِأَمْرِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، لَهُ فِي ذَلِكَ بَعْدَ سُؤَالِهِ إِيَّاهُ. وَقَدْ كَانَ سَأَلَ فِي ذَلِكَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، فَأَبَى أَنْ يُمَكِّنَهُ مِنْ حَمْلِ الْمُسْلِمِينَ عَلَى هَذَا الْخَلْقِ الْعَظِيمِ الَّذِي لَوِ اضْطَرَبَ
পৃষ্ঠা - ৫৭২৫
لَهَلَكُوا عَنْ آخِرِهِمْ فَلَمَّا كَانَ عُثْمَانُ أَلَحَّ مُعَاوِيَةُ عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ، فَأَذِنَ لَهُ، فَرَكِبَ فِي الْمَرَاكِبِ فَانْتَهَى إِلَيْهَا، وَوَافَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ إِلَيْهَا مِنَ الْجَانِبِ الْآخَرِ، فَالْتَقَيَا عَلَى أَهْلِهَا فَقَتَلُوا خَلْقًا كَثِيرًا، وَسَبَوْا سَبَايَا كَثِيرَةً، وَغَنِمُوا مَالًا جَزِيلًا جَيِّدًا. وَلَمَّا جِيءَ بِالْأُسَارَى جَعَلَ أَبُو الدَّرْدَاءِ يَبْكِي، فَقَالَ لَهُ جُبَيْرُ بْنُ نُفَيْرٍ: أَتَبْكِي وَهَذَا يَوْمٌ أَعَزَّ اللَّهُ فِيهِ الْإِسْلَامَ وَأَهْلَهُ؟ فَقَالَ: وَيْحَكَ إِنَّ هَذِهِ كَانَتْ أُمَّةً قَاهِرَةً لَهُمْ مُلْكٌ فَلَمَّا ضَيَّعُوا أَمْرَ اللَّهِ صَيَّرَهُمْ إِلَى مَا تَرَى سَلَّطَ اللَّهُ عَلَيْهِمُ السِّبَاءَ، وَإِذَا سُلِّطَ عَلَى قَوْمٍ السِّبَاءُ فَلَيْسَ لِلَّهِ فِيهِمْ حَاجَةٌ. وَقَالَ: مَا أَهْوَنَ الْعِبَادَ عَلَى اللَّهِ تَعَالَى إِذَا تَرَكُوا أَمْرَهُ! ثُمَّ صَالَحَهُمْ مُعَاوِيَةُ عَلَى سَبْعَةِ آلَافِ دِينَارٍ فِي كُلِّ سَنَةٍ، وَهَادَنَهُمْ. فَلَمَّا أَرَادُوا الْخُرُوجَ مِنْهَا قُدِّمَتْ لِأُمِّ حَرَامٍ بَغْلَةٌ لِتَرْكَبَهَا، فَسَقَطَتْ عَنْهَا فَانْدَقَّتْ عُنُقُهَا فَمَاتَتْ هُنَاكَ. فَقَبْرُهَا هُنَالِكَ يُعَظِّمُونَهُ وَيَسْتَسْقُونَ بِهِ، وَيَقُولُونَ: قَبْرُ الْمَرْأَةِ الصَّالِحَةِ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ غَزَا حَبِيبُ بْنُ مَسْلَمَةَ سُورِيَةَ مِنْ أَرْضِ الرُّومِ. وَتَزَوَّجَ عُثْمَانُ نَائِلَةَ بِنْتَ الْفَرَافِصَةِ الْكَلْبِيَّةَ، وَكَانَتْ نَصْرَانِيَّةً فَأَسْلَمَتْ قَبْلَ الدُّخُولِ بِهَا، وَفِيهَا بَنَى عُثْمَانُ دَارَهُ - بِالْمَدِينَةِ الزَّوْرَاءَ. وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.