আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة سبع وعشرين

পৃষ্ঠা - ৫৭২১
[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ] [مَا وَقَعَ فِيهَا مِنْ أَحْدَاثٍ] قَالَ الْوَاقِدِيُّ وَأَبُو مَعْشَرٍ: وَفِيهَا عَزَلَ عُثْمَانُ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ عَنْ مِصْرَ وَوَلَّى عَلَيْهَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ - وَكَانَ أَخَا عُثْمَانَ لِأُمِّهِ - وَهُوَ الَّذِي شَفَعَ لَهُ يَوْمَ الْفَتْحِ حِينَ كَانَ أَهْدَرَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، دَمَهُ. وَكَانَ يَكْتُبُ الْوَحْيَ ثُمَّ ارْتَدَّ عَنِ الْإِسْلَامِ، فَأَبَاحَ دَمَهُ يَوْمَ الْفَتْحِ. وَهَذَا أَيْضًا مِمَّا نُقِمَ عَلَى عُثْمَانَ. [غَزْوَةُ إِفْرِيقِيَّةَ] أَمَرَ عُثْمَانُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ أَنْ يَغْزُوَ بِلَادَ إِفْرِيقِيَّةَ، فَإِذَا فَتَحَهَا اللَّهُ عَلَيْهِ فَلَهُ خُمْسُ الْخُمْسِ مِنَ الْغَنِيمَةِ نَفْلًا. فَسَارَ إِلَيْهَا فِي عَشَرَةِ آلَافٍ فَافْتَتَحَهَا؛ سَهْلَهَا وَجَبَلَهَا، وَقَتَلَ خَلْقَا كَثِيرًا مِنْ أَهْلِهَا، ثُمَّ اجْتَمَعُوا عَلَى الطَّاعَةِ وَالْإِسْلَامِ، وَحَسُنَ إِسْلَامُهُمْ، وَأَخَذَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدٍ خُمْسَ الْخُمْسِ مِنَ الْغَنِيمَةِ، وَبَعَثَ بِأَرْبَعَةِ أَخْمَاسِهِ إِلَى عُثْمَانَ، وَقَسَمَ أَرْبَعَةَ أَخْمَاسِ الْغَنِيمَةِ بَيْنَ الْجَيْشِ فَأَصَابَ الْفَارِسُ ثَلَاثَةَ آلَافِ دِينَارٍ وَالرَّاجِلُ أَلْفَ دِينَارٍ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَصَالَحَهُ بِطْرِيقُهَا عَلَى أَلْفَيْ أَلْفِ دِينَارٍ وَخَمْسِمِائَةِ أَلْفِ دِينَارٍ وَعِشْرِينَ أَلْفِ دِينَارٍ فَأَطْلَقَهَا كُلَّهَا عُثْمَانُ فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ لِآلِ الْحَكَمِ.
পৃষ্ঠা - ৫৭২২


(রা) দুইজনের উপর রন্গাম্বিত হন এবং মধ্যে (রা)-ণ্ক বরখাস্ত করেন ও আল-ওয়ালীদ ইবন
উকবা (র)-কে আমীর নিযুক্ত করেন ৷ তিনি হযরত উমর (রা)-এর আমলেও আরব বদ্বীপের
আমীর ছিলেন ৷ তিনি যখন কুফায় আগমন করেন, কুফায় বাসিন্দাগণ স্বাগত আমার এবং তিনি
এখানে ৫ বছর বসবাস করেন ৷ তার দঃজায় কোন দারােয়ান ছিল না৷ আর তিনি ছিলেন
প্রজাদের প্ৰতি খুবই দয়ালু ৷ আল্লামা ওয়াকিদী (র) বলেন, এ বছরেই হযরত উসমান ইবন
আফফান (বা) লোকজন নিয়ে হজ্জত পালন করেন ৷ অন্যরা বল্যেছা, এ সনেই উসমান ইবন
আবুল আস (রা) ৩৩ লক্ষ দিরহাম আদায়ের শর্তে সন্ধিরু মাধ্যমে সাবুর জয়লাভ করেন ৷

২৭ হিত্তরীির প্রারম্ভ

আৱামা আলওয়াকিদী (র) ও আবু মাশার বলেন, এ সনেই হযরত উসমান (রা) আমর
ইবনুল আস (রা)-কে মিসর থেকে বরখাস্ত করেন এবং আবদুল্লাহ ইবন সাদ ইবন আবু সারহ
(র)-কে তথায় আমীর নিযুক্ত করেন ৷ আর তিনি তার মায়ের দিক দিয়ে হযরত উসমান
(রা)-এর ভাই ছিলেন ৷ পবিত্র মক্কা বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ্ল্লী যখন তার বিরুদ্ধে হুলিয়ড়া
জারি করেছিলেন তখন হযরত উসমান (বা) তার জন্যে সুপারিশ করেছিলেন ৷

আফ্রিকার যুদ্ধ

হযরত উসমান (রা) আফ্রিকার মোঃলােতে যুদ্ধ করার জন্যে আবদুল্লাহ ইবন সাদ ইবন
আবু সারহ (র)-কে নির্দেশ দেন ৷ যদি তার মাধ্যমে আল্লাহ্ তাআলা বিজয় দান করেন তাহলে
তার জন্যে থাকবে পঞ্চমাৎশের এক-পঞ্চমাৎশ ৷ দশহাজার সৈন্য নিয়ে তিনি আফ্রিকা অভিযানে
রওয়ানা-হন ৷ আফ্রিকার সমতল ভুমি ও পাহাড়সমুহ জয়লাভ করেন এবং বড়াসিন্দাদের অনেক
লোককে তিনি হত্যা করেন ৷ তারপর তারা ইসলাম গ্রহণ ও বাধ্যতা ম্বীকারে একমত হন ৷
তারা পরে উত্তম ইসলামের অধিকারী হন ৷ আবদুল্লাহ ইবন সাদ ইবন আবু সারহ (র)
গনীমতের পঞ্চমাংশের এক-পঞ্চমাংশ গ্রহণ করেন এবং চার-পঞ্চমাংশ হযরত উসমান
(রা)-এর নিকট প্রেরণ করেন ৷ আর গনীমতের চার-পঞ্চামাংশ তিনি সৈন্যদের মধ্যে বণ্টন
করেন ৷ তাতে প্রতি অশ্বারোহী “তিন হাজার দীনার এবং প্রত্যেক পদাতিক সৈন্য এক হাজার
দীনার লাভ করেন ৷ আল্পামা ওয়াকিদী (র) বলেন, ২০ লক্ষ ২১ হাজার দীনারের বিনিময়ে তিনি
সন্ধি করেন ৷ এসব দীনার হযরত উসমান (রা) একই দিনে হাকামের বংশধরদের জন্যে বরাদ্দ
করেন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, মারওয়ানের বংশধরদের জন্য বরাদ্দ করেন ৷
আন্দুলুসের যুদ্ধ

আফ্রিকার বিজয় হওয়ার পর হযরত উসমান (রা) আবদুল্লাহ ইবন নাফি ইবন আবদুল
কাইস ও আবদুল্লাহ ইবন নাফি ইবন আল-হাসীন ফিহরীদ্বয়কে অতি সত্র আন্দুলুসে অভিযান

পরিচালনা করার জন্যে নির্দেশ প্রদান করলেন ৷ তারা দুইজন সমুদ্রপথে আন্দুলুস আগমন

করলেন ৷ যারা আন্দুলুসে পৌছেন তাদের উদ্দেশ্যে হযরত উসমান (বা) এ মর্মে একটি পত্র
লিখেনং নিশ্চয়ই কুসতানতানীয়া সমুদ্রপথে বিজয় হবে ৷ আর তোমরা যখন আন্দুলুস জয়লাভ
করবে তখন শেষ যামানায় যারা কুসতানতানীয়া জয়লাভ করবে তোমরা তাদের পুণ্যে
অংশীদার হবে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তারা কুসতানতানীয়ায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং
জয়লাভ করেন ৷


وَيُقَالُ: لِآلِ مَرْوَانَ. [غَزْوَةُ الْأَنْدَلُسِ] لَمَّا افْتُتِحَتْ إِفْرِيقِيَّةُ بَعَثَ عُثْمَانُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ نَافِعِ بْنِ الْحُصَيْنِ وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ نَافِعِ بْنِ عَبْدِ قَيْسٍ مِنْ فَوْرِهِمَا إِلَى الْأَنْدَلُسِ، فَأَتَيَاهَا مِنْ قِبَلِ الْبَحْرِ، وَكَتَبَ عُثْمَانُ إِلَى الَّذِينَ خَرَجُوا إِلَيْهَا يَقُولُ: إِنَّ الْقُسْطَنْطِينِيَّةَ إِنَّمَا تُفْتَحُ مِنْ قِبَلِ الْبَحْرِ، وَأَنْتُمْ إِذَا فَتَحْتُمُ الْأَنْدَلُسَ فَأَنْتُمْ شُرَكَاءُ لِمَنْ يَفْتَتِحُ قُسْطَنْطِينِيَّةَ فِي الْأَجْرِ آخِرَ الزَّمَانِ، وَالسَّلَامُ. قَالَ: فَسَارُوا إِلَيْهَا فَافْتَتَحُوهَا. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. [وَقْعَةُ جُرْجِيرَ وَالْبَرْبَرِ مَعَ الْمُسْلِمِينَ] لَمَّا قَصَدَ الْمُسْلِمُونَ - وَهُمْ عِشْرُونَ أَلْفًا - إِفْرِيقِيَّةَ وَعَلَيْهِمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ، وَفِي جَيْشِهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، صَمَدَ إِلَيْهِمْ مَلِكُ الْبَرْبَرِ جُرْجِيرُ فِي عِشْرِينَ وَمِائَةِ أَلْفٍ. وَقِيلَ: فِي مِائَتَيْ أَلْفٍ. فَلَمَّا تَرَاءَى الْجَمْعَانِ أَمَرَ جَيْشَهُ فَأَحَاطُوا بِالْمُسْلِمِينَ هَالَةً، فَوَقَفَ الْمُسْلِمُونَ فِي مَوْقِفٍ لَمْ يُرَ أَشْنَعَ مِنْهُ وَلَا أَخْوَفَ عَلَيْهِمْ
পৃষ্ঠা - ৫৭২৩


বাৱৰারের রাজা জারজীরের ঘটনা

যখন দশ হাজার মুসলমান সৈন্য আফ্রিকা অভিমুখে রওয়ানা হলেন ৷ তাদের আমীর ছিলেন
আবদুল্লাহ ইবন সাদ ইবন আবু সারহ (র) ৷ আর ঐ সেনাবাহিনীতে ছিলেন আবদুল্লাহ ইবন
উমর (রা) ও আবদুল্লাহ ইবন আবযুবইির (রা) ৷ তখন বারবারের রাজা জারব্জীর এক লক
বিশ হাজার সৈন্য ৷ কেউ কেউ বলেন, দুলক্ষ সৈন্য নিয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে অগ্রসর হন ৷
দুই সৈন্যদল যখন মুখোমুখি হন তখন রাজা তার সৈন্যদের নির্দেশ দিলেন এবং সৈন্যরা
মুসলমানদেরকে বৃত্তের ন্যায় ঘেরাও করে ফেলল ৷ মুসলমানরা এমন এক অবস্থার শিকার
হলেন যার থেকে অধিক খারাপ এবং অধিক ভয়াবহ কল্পনা করা যায় না ৷

আবদুল্লাহ ইবন অন্য-যুবইির (রা) বলেন, “এ ভয়াবহ অবস্থায় আমি সৈন্যদের পেছন
থেকে রাজা জারজীরের দিকে লক্ষ্য করলাম ৷ সে একটি ঘোড়ার উপরে চড়ে আছে এবং দু’টি
দাসী ময়ুরের পাখা দিয়ে তাকে ছায়া দিয়ে রেখেছে ৷ আমি আবদুক্টাহ ইবন সাদ ইবন আবু
সারহ (র)-এর নিকটে পেলাম এবং আমার সাথে একজন লোক প্রেরণের জন্যে প্রার্থনা
করলাম যে লোক আমার পেছন দিক দিয়ে পাহারাশ্র্দুদবে ৷ আমি রাজার দিকে অগ্রসর হলাম ৷
আমার সাথে কয়েকজন বাহাদুর ব্যক্তি তৈরি হয়ে আসলেন এবং আমার পেছন দিকে পাহারা
দিতে লাগলেন ৷ আমি আরো সম্মুখে অগ্রসর হলাম এবং রাজার দিকে যতগুপুলা লাইন ছিল তা
খগুন করে রাজার কাছে পৌছতে চেষ্টা করলাম ৷ তারা ধারণা করল, আমি হয়ত কোন একটি
পত্র নিয়ে রাজার দিকে অগ্রসর হচ্ছি ৷ যখন আমি একেবারে তীর নিকটবর্তী হলাম তখন তিনি
আমার তরফ থেকে কিছু খারাপ জড়াচ করলেন এবং তার ঘোড়াটি নিয়ে অতি দ্রুত পলায়ন
করতে চেষ্টা করলেন ৷ আমি একেবারে তার সামনে এসে পড়লাম এবং তার প্রতি বর্শা দিয়ে
আঘাত করলাম ও পরে তলোয়ার দিয়ে তার উপরে সজােরে আঘাত করলাম এবং তার মাথাটা
ধরে ফেললাম ৷ আর তার মাথাটা বর্শার মাথায় রেখে দিলাম ও জোরে তাক্বীর বললাম ৷

বারবার রজাের এরুপ শোচনীয় অবস্থা দেখে তার সাথীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল এবং তারা
বিড়ালের ন্যায় পলায়ন করতে লাগল ৷ মুসলমানগণ তাদের পিছু ধাওয়া করলেন, কিছু সংখ্যক
লোককে হত্যা করলেন ৷ আবার কিছু সংখ্যককে বন্দী করলেন ৷ তারা প্রচুর পনীমতের
ধন-সম্পদ অর্জন করলেন ও বিরাট একটি দলকে শেষের দিকে বন্দী করলেন ৷ এ যুদ্ধটি যে
শহরে সংঘটিত হয়েছিল তার নাম সাবীতালা যার দৃরতু হলো কইিরওয়ান থেকে দু’দিনের
রাস্তা ৷ এটা ছিল সর্বপ্রথম ঘটনা যেখানে আবদুল্লাহ ইবন যুবইির (রা) বীরত্বের জন্যে প্রসিদ্ধি
লাভ করেছিলেন ৷

আল্লামা আল-ওয়াকিদী (র) বলেন, “এ বছরেই হযরত উসমান ইবন আবুল আস
(না)-এর হাতে ইসতিখড়ার দ্বিতীয়বারের মত বিজয় হয় ৷ এ বছরেই আমীরে মুয়াবীয়া (রা)
কুনসারীনে যুদ্ধ করেন ৷ আর এ বছরেই হযরত উসমান ইবন আফ্ফান (রা) লোকঅনকে নিয়ে
হজ্জব্রত পালন করেন ৷ ইবন জারীর (র) বলেন, কেউ কেউ বলেন যে, এ বছরেই আমীর
মুয়াবীয়া (রা) সাইপ্রাসে যুদ্ধ করেন ৷ আল্লামা ওয়াকিদী (র) আরো বলেন, এ ঘটনাটি ঘটেজ্জি
২৮ হিজরীতে ৷ অন্যদিকে আবু মাশার (র) বলেন, ৩৩ হিজরীতে আমীর মুয়াবীয়া (বা) এ যুদ্ধ
করেন ৷ মহান আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত ৷


مِنْهُ. قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ: فَنَظَرْتُ إِلَى الْمَلِكِ جُرْجِيرَ مِنْ وَرَاءِ الصُّفُوفِ وَهُوَ رَاكِبٌ عَلَى بِرْذَوْنٍ وَجَارِيَتَانِ تُظِلَّانِهِ بِرِيشِ الطَّوَاوِيسِ، فَذَهَبْتُ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ، فَسَأَلْتُهُ أَنْ يَبْعَثَ مَعِيَ مَنْ يَحْمِي ظَهْرِي وَأَقْصِدُ الْمَلِكَ، فَجَهَّزَ مَعِي جَمَاعَةً مِنَ الشُّجْعَانِ. قَالَ: فَأَمَرَ بِهِمْ فَحَمَوْا ظَهْرِي، وَذَهَبْتُ حَتَّى اخْتَرَقْتُ الصُّفُوفَ إِلَيْهِ - وَهُمْ يَظُنُّونَ أَنِّي فِي رِسَالَةٍ إِلَى الْمَلِكِ - فَلَمَّا اقْتَرَبْتُ مِنْهُ أَحَسَّ مِنِّي الشَّرَّ فَفَرَّ عَلَى بِرْذَوْنِهِ، فَلَحِقْتُهُ فَطَعَنْتُهُ بِرُمْحِي، وَذَفَفْتُ عَلَيْهِ بِسَيْفِي، وَأَخَذْتُ رَأْسَهُ فَنَصَبْتُهُ عَلَى رَأْسِ الرُّمْحِ، وَكَبَّرْتُ فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ الْبَرْبَرُ فَرِقُوا وَفَرُّوا كَفِرَارِ الْقَطَا، وَأَتْبَعَهُمُ الْمُسْلِمُونَ يَقْتُلُونَ وَيَأْسِرُونَ، فَغَنِمُوا غَنَائِمَ جَمَّةً، وَأَمْوَالًا كَثِيرَةً، وَسَبْيًا عَظِيمًا، وَذَلِكَ بِبَلَدٍ يُقَالُ لَهُ: سُبَيْطِلَةُ. عَلَى يَوْمَيْنِ مِنَ الْقَيْرَوَانِ. فَكَانَ هَذَا أَوَّلَ مَوْقِفٍ اشْتَهَرَ فِيهِ أَمْرُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَعَنْ أَبِيهِ وَأَصْحَابِهِمَا أَجْمَعِينَ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ افْتُتِحَتْ إِصْطَخْرُ ثَانِيَةً عَلَى يَدَيْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِ، وَفِيهَا غَزَا مُعَاوِيَةُ قِنَّسْرِينَ. وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: قَالَ بَعْضُهُمْ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ غَزَا مُعَاوِيَةُ قُبْرُسَ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: كَانَ ذَلِكَ فِي سَنَةِ ثَمَانٍ وَعِشْرِينَ. وَقَالَ أَبُو مَعْشَرٍ: غَزَاهَا مُعَاوِيَةُ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَثَلَاثِينَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.