আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ست وعشرين

পৃষ্ঠা - ৫৭২০

২৫ হিজরীর গ্ৰাবম্ভ

এ বছরেই ইসকন্দোরীয়ার বাসিন্দাগণ ওয়াদা অঙ্গীকার ভঙ্গ করেন ৷ বন্তুভ রোমের বাশোহ্
মুয়াবীল আল-খাসীরকে একটি নৌবহরসহ ইসকান্দারীয়ার বাসিন্দাদের কাছে প্রেরণ করলেন ৷
তারপর তারা জয়লাভের আশা পোষণ করে ও তাদের কৃত ওয়াদা অঙ্গীকার ভঙ্গ করে ৷ রবিউল
আউয়াল মাসে আমর ইবনুল আস (বা) তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন এবং যুদ্ধের মাধ্যমে ঐ
ভুখণ্ডটি জয় করেন ৷ কিন্তু সন্ধির মাধ্যমে শহরটি জয় করেন ৷ এ বছরেই হযরত উসমান ইবন
আফ্ফান (রা) লোকজনকে নিয়ে হজ্জ পালন করেন আছুণমা সাইফ (র)-এর বর্ণনা মতে ৷

উসমান (বা) , সাদ (রা)-কে কুফা হতে বরখাস্ত করেন এবং তার স্থলে আল-ওয়ালীদ
ইবন উকবা ইবন আবু মুয়ীতকে নিযুক্ত করেন ৷ হযরত উসমান (রা)-এর বিরুদ্ধে আনীত
অভিযােগগুলাের মধ্যে এটাও একটি ৷ এ বছরেই আমর ইবনুল আস (রা) , আবদুল্লাহ ইবন
সাদ ইবন আবু সারহ (র) কে পশ্চিম অঞ্চলের ভুখণ্ডগুলোতে যুদ্ধ করার জন্যে প্রেরণ করেন ৷
আফ্রিকায় যুদ্ধ করার জন্যে ইবন আবু সারহ (র) আমর ইবনুল আস (না)-এর কাছে অনুমতি
প্রার্থনা করেন ৷ তিনি তাকে অনুমতি দিলেন ৷ কথিত আছে যে, এ বছরেই হযরত উসমান (রা)
আমর ইবনুল আস (রা)-কে মিসর থেকে বরখাস্ত করেন এবং আবদুল্লাহ ইবন সাদ ইবন
আবু সারহ (র)কে তার স্থলে নিযুক্ত করেন ৷ কেউ কেউ বলেন, এ ঘটনাটি ২৭ হিজরীতে
সংঘটিত হয়েছিল ৷ এ সনেই আমীর মুয়াবীয়া (রা) আল হুসুন জয়লাভ করেন ৷ আর এ সনেই
আমীর মুয়াৰীয়া (রা) এর পুত্র ইয়াযীদ জন্মগ্রহণ করে ৷

২৬ হিজরীর প্রাৱম্ভ

আল্লামা ওয়াকিদী (র) বলেন, এ বছরেই হযরত উসমান (রা ) হেরেম শরীফের সীমানায়
খুটি পুনণির্মাণের আদেশ দেন ৷ আর মসজিদুল হারামের পরিধি বর্ধিত করেন ৷ এ বছরেই
হযরত উসমান (রা) সাদ (না)-কে কুফা হতে বরখাস্ত করেন এবং আল-ওয়ালীদ ইবন উকবা
(র)-কে নিয়োগ করেন ৷ হযরত সাদ (না)-এর বরখাস্তের কারণ ছিল এই যে, হযরত সাদ
(রা) বাইতৃল সাল হতে কিছু ঋণ গ্রহণ করেছিলেন ৷ ব্যয়তুলমালের দায়িত্বে নিয়োজিত হযরত
আব্দুল্লাহ ইবন মাসুদ (বা) ঋণ পরিশোধ করারজন্য হযরত সাদ (রা)-এর উপর চাপ সৃষ্টি
করেন কিন্তু তার পক্ষে ঐ সময় ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব ছিল না ৷ তাতে দুইজন কথাবার্তা
বলতে লাগলেন এবং দৃইজনের মধ্যে ভীষণতাবে কথা কাটাকাটি শুরু হয় ৷ হযরত উসমান


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سِتٍّ وَعِشْرِينَ] قَالَ الْوَاقِدِيُّ: فِيهَا أَمَرَ عُثْمَانُ بِتَجْدِيدِ أَنْصَابِ الْحَرَمِ، وَفِيهَا وَسَّعَ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ، وَفِيهَا عَزَلَ سَعْدًا عَنِ الْكُوفَةِ وَوَلَّى الْوَلِيدَ بْنَ عُقْبَةَ، وَكَانَ سَبَبُ عَزْلِ سَعْدٍ أَنَّهُ اقْتَرَضَ مِنِ ابْنِ مَسْعُودٍ مَالًا مِنْ بَيْتِ الْمَالِ فَلَمَّا تَقَاضَاهُ بِهِ ابْنُ مَسْعُودٍ وَلَمْ يَتَيَسَّرْ قَضَاؤُهُ تَقَاوَلَا وَجَرَتْ بَيْنَهُمَا خُصُومَةٌ شَدِيدَةٌ، فَغَضِبَ عَلَيْهِمَا عُثْمَانُ فَعَزَلَ سَعْدًا وَاسْتَعْمَلَ الْوَلِيدَ بْنَ عُقْبَةَ - وَكَانَ عَامِلًا لِعُمَرَ عَلَى عَرَبِ الْجَزِيرَةِ - فَلَمَّا قَدِمَهَا أَقْبَلَ عَلَيْهِ أَهْلُهَا، فَأَقَامَ بِهَا خَمْسَ سِنِينَ وَلَيْسَ عَلَى دَارِهِ بَابٌ وَكَانَ فِيهِ رِفْقٌ بِرَعِيَّتِهِ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَقَالَ غَيْرُهُ: وَفِيهَا افْتَتَحَ عُثْمَانُ بْنُ أَبِي الْعَاصِ سَابُورَ صُلْحًا عَلَى ثَلَاثَةِ آلَافِ أَلْفٍ وَثَلَاثِمِائَةِ أَلْفٍ.