আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثلاث وعشرين

خبر سلمة بن قيس الأشجعي والأكراد

পৃষ্ঠা - ৫৬৭৫


দাব্বাহ ইবন মুহসিন আল-আনাষী, আবু মুসা আশয়ারী (রা)-এর বিরুদ্ধে হযরত উমর
(রা) এর কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ৷ তিনি’তার অভিযোগ নামায় ছয়টি অভিযোগ পেশ
করেন যেগুলোর মাধ্যমে তার উপর প্রতিহিং সার প্রতিশোধ নেওয়া উদ্দেশ্য নয় ৷৩ তাই উমর
(রা) তাকে তলব করেন এবং এগুলো সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করেন ৷ তিনি এগুলো সম্বন্ধে অনুশোচনা
করেন ও গ্রহণীয় কতিপয় কারণ প্রদর্শন করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন ৷ হযরত উমর (রা) এগুলো
শ্রবণ করেন ও গ্রহণ করেন ৷ আর তাকে তার দায়িত্বে ফেরত পাঠালেন এবং দাব্বাহও তার
প্রতিউত্তরে সন্তুষ্ট হয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করেন ৷ যখন হযরত উমর (রা) ইনতিকাল করেন
তখন আবুমুসা (রা) ছিলেন বসরার সালাত আদায়ের দায়িত্বে ৷

সালামাহ ইবন কইিস আল-অড়াশজায়ী ও কুর্দীদের সংবাদ

হযরত উমর (রা) সালামাহ ইবন কইিস আল-আশজারী (র)-কে একটি সারীয়াহর প্রধান
হিসেবে বহু গুরুত্বপুর্ণ নসীহত সহকারে প্রেরণ করেন ৷ সহীহ্ মুসলিমে হযরত বুরাইদা
(না)-এর মাধ্যমে এ হাদীসঢির মর্ম বর্ণিত রয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ট্ট-র্দুছু ইরশাদ করেন, “আল্লাহর
নামে যুদ্ধ কর এবং আল্লাহর সাথে যে কুফরী করে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর ৷ ” সালামাহ (র) ও
তার সাথীরা অগ্রসর হলেন এবং মুশরিকদের একটি বড় দলের মুখোমুখি হলেন ৷ তখন তারা
শত্রুদের সামনে তিনটি বিষয় উত্থাপন করেন ও যে কোন একটি কবুল করতে আহ্বান জানান ৷

প্রথমত তাদের কাছে ইসলাম গ্রহণ করার জন্যে দাওয়াত পেশ করেন ৷ তারা অস্বীকার
করার তাদেরকে কর প্রদানের জন্যে বলা হয় ৷ কর প্রদান অস্বীকার করার যুদ্ধের জন্যে আহ্বান
করা হয় ৷ এরপর তাদের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয় ৷ তাদের যােদ্ধাদেরকে হত্যা করা হয় এবং
যুদ্ধশেষে তাদের পরিবার-পরিজনকে বন্দী করা হয় এবং তাদের সম্পদ মুসলমানদের কাছে
গনীমত হিসেবে বিবেচিত হয় ৷ তারপর সালামাহ ইবন কইিস (র) হযরত উমর (রা)-এর কাছে
বিজয়ের সংবাদ ও গনীমতের মালসহ দুত প্রেরণ করেন ৷ উমর (রা) জনগণকে ভোজন
করাচ্ছিলেন ৷ দুতের আগমন সম্বন্ধে হযরত উমর (রা)-কে অবগত করানো হয় ৷ দুত খলীফার
সাথে তার বাড়িতে যান ৷ উষ্মে কুলসুম বিনত আলী (না)-এর ঘটনা সংঘটিত হয় ৷ তিনিও
হযরত তালহ৷ (বা) এবং অন্যান্যের ন্তীদের ন্যায় উন্নতমানের পোশাকের দাবি করেন ৷
খলীফা তাকে বলেন, তােমার জন্যে কি এটা যথেষ্ট নয় যে, তোমাকে বলা হয়, “হযরত
আলী (রা) এর কন্যা এবং আমীরুল মুমিনীন উমর (রা) এর শ্রী ৷ এসব বর্ণনার পর ইবন
জারীর (র) খলীফড়ার সাধারণ পানাহার ও মােটা পােশাকাদির বর্ণনা দেন ৷ তারপরও তিনি
মুহাজিরদের খবরাখবর, তাদের খাওয়া-পরার ও চালচলনের ধরনাদি ইত্যাদি বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, তাদের বৃক্ষস্বরুপ গোশত কি তারা ভক্ষণ করে না? এবং তাদের এ বৃক্ষস্বরুপ
গােশত ব্যতীত অন্য কোন উল্লেখযোগ্য খাদ্যসামষী কি ছিল না? আর খলীফার কাছে এক ঝুড়ি
মুক্তা উপহার হিসেবে উপস্থাপন ও এটা নিতে খলীফার অস্বীকৃতি এবং সৈন্যদের মধ্যে বন্টন
করে দেওয়ার নির্দেশ ইত্যাদির বিস্তারিত বর্ণনা পেশ করেন আল্লামা ইবন জারীর ৷
আল্পামা ইবন জারীর (র) বলেন, “এ বছরেই উমর (রা) রাসুলুল্পাহ্নোং এর
সহধর্মিণীদেরকে নিয়ে হজ্জব্রত পালন করেন ৷ আর এটাই ছিল তীর সর্বশেষ হজ্জ ৷ এ বছরেই


وَقَدْ سَارَ ضَبَّةُ بْنُ مِحْصَنٍ الْعَنَزِيُّ، فَاشْتَكَى أَبَا مُوسَى إِلَى عُمَرَ، وَذَكَرَ عَنْهُ أُمُورًا لَا يُنْقَمُ عَلَيْهِ بِسَبَبِهَا، فَاسْتَدْعَاهُ عُمَرُ، فَسَأَلَهُ عَنْهَا، فَاعْتَذَرَ مِنْهَا بِوُجُوهٍ مَقْبُولَةٍ فَسَمِعَهَا عُمَرُ وَقَبِلَهَا، وَرَدَّهُ إِلَى عَمَلِهِ وَعَذَرَ ضَبَّةَ فِيمَا تَأَوَّلَهُ. وَمَاتَ عُمَرُ وَأَبُو مُوسَى عَلَى صَلَاةِ الْبَصْرَةِ. [خَبَرُ سَلَمَةَ بْنِ قَيْسٍ الْأَشْجَعِيِّ وَالْأَكْرَادِ] بَعَثَهُ عُمَرُ أَمِيرًا عَلَى سَرِيَّةٍ، وَوَصَّاهُ بِوَصَايَا كَثِيرَةٍ بِمَضْمُونِ حَدِيثِ بُرَيْدَةَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ ": " «اغْزُوا بِسْمِ اللَّهِ قَاتِلُوا مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ» ". الْحَدِيثَ إِلَى آخِرِهِ. فَسَارُوا فَلَقَوْا جَمْعًا مِنَ الْمُشْرِكِينَ فَدَعَوْهُمْ إِلَى إِحْدَى ثَلَاثِ خِلَالٍ، فَأَبَوْا أَنْ يَقْبَلُوا وَاحِدَةً مِنْهَا، فَقَاتَلُوهُمْ فَقَتَلُوا مُقَاتَلَتَهُمْ، وَسَبَوْا ذَرَارِيَّهُمْ، وَغَنِمُوا أَمْوَالَهُمْ. ثُمَّ بَعَثَ سَلَمَةُ بْنُ قَيْسٍ رَسُولًا إِلَى عُمَرَ بِالْفَتْحِ وَبِالْغَنَائِمِ، فَذَكَرُوا وُرُودَهُ عَلَى عُمَرَ وَهُوَ يُطْعِمُ النَّاسَ، وَذَهَابَهُ مَعَهُ إِلَى مَنْزِلِهِ؛ كَنَحْوِ مَا تَقَدَّمَ مِنْ قِصَّةِ أُمِّ كُلْثُومٍ بِنْتِ عَلِيٍّ، وَطَلَبِهَا الْكُسْوَةَ كَمَا يَكْسُو طَلْحَةُ وَغَيْرُهُ أَزْوَاجَهُمْ، فَقَالَ: أَلَا يَكْفِيَكِ أَنْ يُقَالَ: بِنْتُ عَلِيٍّ وَامْرَأَةُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ! ثُمَّ ذَكَرَ طَعَامَهُ الْخَشِنَ وَشَرَابَهُ مِنْ سُلْتٍ، ثُمَّ شَرَعَ يَسْتَعْلِمُهُ عَنْ أَخْبَارِ الْمُهَاجِرِينَ،
পৃষ্ঠা - ৫৬৭৬


তিনি ইনতিকাল করেন ৷ তারপর ইবন জারীর (র) উমর (রা)-এর শহীদ হওয়ার পুর্ণ ও
বিস্তারিত বর্ণনা পেশ করেন ৷ হযরত উমর (রা)-এর জীবন কথার শেবাংশে এ নিয়ে বিস্তারিত
আলোচনা উপস্থাপন করা হয়েছে ৷

হযরত উমর (রা)-এর পুর্ণ নাম উমর ইবন আল-খাত্তাব ইবন ৰুফাইল ইবন আবদুল উয্যা
ইবন রাবাহ ইবন আবদুল্লাহ ইবন কারত ইবন রাবাহ ইবন আলী ইবন কা’ব ইবন লুই ইবন
গ্া৷লিব ইবন ফিহর ইবন মালিক ইবন আন-নাদড়ার ইবন কিনানাহ ইবন খুযাইমাহ ইবন
মুদরিকাহ ইবন ইলয়াছ ইবন মুদার ইবন নাযার ইবন মুয়াদ ইবন আদনান আল-কারাশী ৷ তার
কুনিয়াত আবু হাফ্স আল-আদভী ৷ তার উপাধি আল-ফারুক ৷ কেউ কেউ বলেন, কিতাবীরা
তাকে এ উপাধি দিয়েছিল ৷ তার মায়ের নাম ছিল হানতড়ামাহ বিনত হিশাম ৷ আবু জেহেল ইবন
হিশামের ভগ্নি ৷ ’

হযরত উমর (রা) যখন ইসলাম গ্রহণ করেন, তার বয়স ছিন ২৭ বছর ৷ তিনি বদর ও
উহুদ যুদ্ধসহ রাসুলুল্লাহ্লোঃ এর সাথে সবগুলো যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ৷ তিনি অনেকগুলো
সারীয়াহতে অংশগ্রহণ করেন ৷ কিছু সংখ্যক সারীয়াহ তিনি নিজেও পরিচালনা করেন ৷ তাকেই
প্রথম আমীরুল মুমিনীন বলা হয়েছিল ৷ তিনিই প্রথম পত্র লিখার সময় তারিখ লিখার নিয়ম
চালু করেছিলেন ৷ তিনিই প্রথম লোকজনকে সালাতে তারাবীহ পড়ার জন্যে একত্রিত
করেছিলেন ৷ তিনিই প্রথম মদীনায় ভৈনশ প্রহরার নীতি চালু করেছিলেন ৷ তিনিই সর্বপ্রথম সঙ্গে
বেত রাখতেন এবং বেত্রাঘাতে শাস্তি প্রদান করতেন ৷ কেউ মদ পান করলে তিনি তাকে ৮০টি
শৃবত্রাঘাতে শাস্তি প্রদান করতেন ৷ তিনি নতুন নতুন বিজয়ের সুচনা করেন ও নতুন নতুন
শহরের ভিত্তি প্রস্তর রাখেন ৷ তিনি সেনাবাহিনীকে সংস্কার করে কর ধার্য করেন ৷

হযরত উমর (রা)-এর আমলে মুসলিম সয়ােজ যথেষ্ট বিস্তার লাভ করে ৷ এ সকল বিজিত
অঞ্চল হতে যে ভুমি রাজস্ব বা খাজনা আদায় করা হতো তা-ই খারাজবা ভুমি কর নামে
পারিচিত ৷ অমুসলমান কৃষকদেরকে এ কর দিতে হতো ৷ সুষ্ঠু সামরিক প্রশাসনের জন্য
সাম্রাজ্যকে নয়টি সামরিক জেলায় বিভক্ত করা হয়েছিল-মদীনা, কুফা, বসরা, ফুস্তাত, মিসর,
দামেশক, হিমৃস, ফিলিস্তিন ও মসুল ৷ তিনি রাজস্ব বণ্টন নীতি প্রণয়ন করেন ৷ তিনি ভাতা
তালিকা প্রণয়ন করেন ৷ মুসলমানদের (আরব ও অনারব) নাম এবং কে কত বৃত্তি ও ভাতা
পারে তার পরিমাণ দিওয়ান বা ভাতা তালিকায় উল্লিখিত থাকত ৷ দিওয়ান বা ভাতা তালিকার
সৰ্বাগ্রে ছিলেন নৰীজীর পরিবড়ারবর্গ ও আত্মীয়স্বজন ৷ তিনিই উপচৌকন প্রদানের ব্যবস্থা
করেন ৷ খলীফা উমর (রা) বিচার ব্যবস্থা কাযীর উপর ন্যস্ত করেন ৷ প্রয়োজনে খলীফা স্বয়ং
কাযীর দরবারে উপস্থিত হয়ে নিজ অপরাধের জন্য আত্মপক্ষ সমর্থন করতেন ৷ হযরত উমর
(রা) শাসন কার্যের সুবিধার জন্যে সাম্রাজ্যকে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত করেছিলেন ৷ যেমন
সাওয়াদ, আহওয়ায, জিবাল, ফারিস ইত্যাদি ৷ সিরিয়ার সবটুকু ও সম্পুর্ণরুপে জয়লাভ
করেছিলেন ৷ তিনি আরো জয়লাভ করেন : ইরাক, মুসল, মিয়া ফারিকাইন, আমাদ, আর
মীনীয়াহ, মিসর ও ইসকান্দারীয়াহ ৷ তিনি যখন ইনতিকাল করেন তখন তার সৈন্যরা ছিল
রাই-এর শহরগুলো ৰিজয়ে ব্যস্ত ৷ তিনি জয়লাভ করেন : সিরিয়ার ইয়ারমুক , বসরা , দামেশক ,


وَكَيْفَ طَعَامُهُمْ وَأَشْعَارُهُمْ؟ وَهَلْ يَأْكُلُونَ اللَّحْمَ الَّذِي هُوَ شَجَرَتُهُمْ - وَلَا بَقَاءَ لِلْعَرَبِ دُونَ شَجَرَتِهِمْ؟ وَذَكَرَ عَرْضَهُ عَلَيْهِ ذَلِكَ السَّفَطَ مِنَ الْجَوْهَرِ، فَأَبَى أَنْ يَأْخُذَهُ وَأَقْسَمَ عَلَى ذَلِكَ، وَأَمَرَهُ بِأَنْ يَرُدَّهُ فَيُقَسَّمَ بَيْنَ الْغَانِمِينَ. وَقَدْ أَوْرَدَهُ ابْنُ جَرِيرٍ مُطَوَّلًا جِدًّا. وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ حَجَّ عُمَرُ بِأَزْوَاجِ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهِيَ آخِرُ حَجَّةٍ حَجَّهَا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. قَالَ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ كَانَتْ وَفَاتُهُ. ثُمَّ ذَكَرَ صِفَةَ مَقْتَلِهِ مُطَوَّلًا أَيْضًا، وَقَدْ ذَكَرْتُ ذَلِكَ مُسْتَقْصًى فِي آخِرِ " سِيرَةِ عُمَرَ "، فَلْيُكْتَبْ مِنْ هُنَاكَ إِلَى هُنَا. وَهُوَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ بْنِ نُفَيْلِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى بْنِ رِيَاحِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُرْطِ بْنِ رُزَاحَ بْنِ عَدِيِّ بْنِ كَعْبِ بْنِ لُؤَيِّ بْنِ غَالِبِ بْنِ فِهْرِ بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّضِرِ بْنِ كِنَانَةَ بْنِ خُزَيْمَةَ بْنِ مُدْرِكَةَ بْنِ إِلْيَاسَ بْنِ مُضَرَ بْنِ نِزَارِ بْنِ مَعْدِّ بْنِ عَدْنَانَ، الْقُرَشِيُّ، أَبُو حَفْصٍ الْعَدَوِيُّ، الْمُلَقَّبُ بِالْفَارُوقِ، قِيلَ: لَقَّبَهُ بِذَلِكَ أَهْلُ الْكِتَابِ. رُوِيَ ذَلِكَ عَنِ الزُّهْرِيِّ. وَأُمُّهُ حَنْتَمَةُ بِنْتُ هِشَامٍ أُخْتُ أَبِي جَهْلِ
পৃষ্ঠা - ৫৬৭৭


জর্ডান, বাইসান, তাবরীয়ড়াহ, জাবীয়া, ফিলিস্তীন, রামল্লা, আসকালান, গাযাহ, সাওয়াহিল,
কুদ্স, পশ্চিম তারাবলুস, বারাকাহ ৷

সিরিয়ার শহরগুলাের মধ্যে প্রসিদ্ধ হলো : বালাবাক, হিম্স, কুনসারীন, হড়ালব,
ইনতার্কীয়াহ ৷ আরো জয় করেন : আল জারীয়াহ, হুরান, রুহা, রাকাহ, নাসীবাইন, রাস-আইন,
শামসাত, আইন ওরদাহ, দিয়ার বকর, দিয়ার রাবীয়াহ, আরমীনীয়ার সর্ব শহর, ইরাকের
কাদেসীয়া, হীরাহ, নাহারসীর, সাবাত, কিসরার মাদায়েন, ফুরাত অঞ্চল, দজলা, আবেলাহ,
নিহাওয়ান্দ, হামাদান, রাই, কোমাস, খুরাসান, ইসতিখার, ইস্পড়াহান, সুস, মড়ারভ, ভৈনশাপুর,
জুরজান, আযারবাইজান ও অন্যান্য ৷ তার সৈন্যরা কয়েক বার নহর অতিক্রম করে ৷ তিনি
ছিলেন মহান আল্লাহর দরবারে অনুনয় বিনয়কারী, সাদাসিধে জীবন যাপনে অভ্যস্ত, সাধারণ ও
মোটা খাদন্দ্রব্য ভক্ষণকারী ৷ মহান আল্লাহর আইন প্রয়ােগে তিনি ছিলেন কঠোর ৷ চামড়া দিয়ে
তালি দেওয়া কাপড় পরিধান করতেন ৷ কাধে পানির মসক বহন করতেন অথচ তীর ভীষণ
ভয়ে মানুষ প্রকম্পিত ছিল ৷ গাধার খালি পিঠে আরোহণ করতে ন ৷ মুখসাজ পরানো উটে
চড়তেন ৷ তিনি খুব কম হাসতেন ৷ কারো সাথে হাসি তামাশা করতেন না ৷ তার আৎটিতে
নকশা ছিল ,ছুট্রুা;; ৷ , ;,;fl & ষ্ণ্হ্র হে উমর! মৃত্যুই যথেষ্ট ন র্ণীহতকাবা হিসেবে ৷

সুলুল্লাহশ্নো বলেন মহান আল্লাহর দীন সম্পর্কে আমার উম্মতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি

কঠোর হলেন উমর ৷ ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহর্চুট্রু বলেন৪ আসমানের
বাসিন্দাদের মধ্যে আমার দু জন ওয়াযীর রয়েছে এবং যমীনের বাসিন্দাদের মধ্যেও আমার
দু’জন ওয়াযীর রয়েছে ৷ আসমানের বাসিন্দাদের মধ্যেও আমার ওয়াযীর হলেন, জিবরাঈল ও
মীকাইল ৷ আর যমীনের বাসিন্দাদের মধ্যে আমার ওয়াযীর হলেন আবু বকর (রা), ও উমর
(রা) ৷ আর তারা দুজন হলেন কান ও চোখ সমতুল্য ৷

হযরত আয়িশা সিদ্দীকা (বা) হতে ৩বণিতি ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ খ্যাঃ ইরশাদ করেন,
“নিশ্চয়ই শয়তান উমর (রা) কে ভয় পায় ৷” তিনি আরো বলেন, “আমার উম্মতের মধ্যে
অত্যন্ত দয়ালু হলেন আবু বকর (রা) ৷ আর মহান আল্লাহর দীন প্রয়োগে সবচেয়ে বেশি কঠোর
হলেন উমর (রা) ৷ কেউ কেউ উমর (রা)-কে বলেন, “তৃমিই বিচার ৷ উত্তরে তিনি বলেন ,
“সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যে যিনি আমার অম্ভরকে তাদের জন্যে কৃপায় ভরে দিয়েছেন ৷ আর
তাদের অম্ভরকে আমার জন্যে ভয়ে পরিপুর্ণ করে দিয়েছেন ৷” উমর (রা) বলেন, মহান
আল্লাহর মাল হতে আমার জন্যে দুটি চাদর ব্যতীত কিছুই বৈধ নয় ৷ একটি চাদর শীতের
জন্যে আর অন্যটি গরমের জন্যে ৷ আমার পরিবারের খাদ্য হচ্ছে কুরাইশদের একজন সাধারণ
লোকের পরিবারের ন্যায় ৷ তারপর আমি একজন মুসলমান ৷” উমর (রা) যখন কাউকে কাজে
নিয়োগ করতেন তখন তার সাথে চুক্তি লিখে দিতেন এবং মুহাজিরদের কয়েকজনকে সাক্ষী
রাখতেন ৷ তার সাথে শর্ত আরোপ করতেন : সে বারঘুন ঘোড়ার আরোহণ করবে না, উচ্চ
মানের খাবার খাবে না, পাতলা কাপড় র্পরবে না এবং অভাৰী কিংবা যার প্রয়োজন আছে তার
জন্যে দ্বার বন্ধ করবে না ৷ উপরোক্ত কাজগুলোর যে কোন একটির বরখেলাফ করলে তাকে
শাস্তি পেতে হবে ৷


ابْنِ هِشَامٍ. أَسْلَمَ عُمَرُ وَعُمُرُهُ سَبْعٌ وَعِشْرُونَ سَنَةً، وَشَهِدَ بَدْرًا وَأُحُدًا وَالْمَشَاهِدَ كُلَّهَا مَعَ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَخَرَجَ فِي عِدَّةِ سَرَايَا وَكَانَ أَمِيرًا عَلَى بَعْضِهَا. وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ دُعِيَ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، وَأَوَّلُ مَنْ كَتَبَ التَّارِيخَ، وَجَمَعَ النَّاسَ عَلَى التَّرَاوِيحِ، وَأَوَّلُ مَنْ عَسَّ بِالْمَدِينَةِ، وَحَمَلَ الدِّرَّةَ وَأَدَّبَ بِهَا، وَجَلَدَ فِي الْخَمْرِ ثَمَانِينَ، وَفَتَحَ الْفُتُوحَ، وَمَصَّرَ الْأَمْصَارَ، وَجَنَّدَ الْأَجْنَادَ، وَوَضَعَ الْخَرَاجَ، وَدَوَّنَ الدَّوَاوِينَ، وَعَرَضَ الْأَعْطِيَةَ، وَاسْتَقْضَى الْقُضَاةَ، وَكَوَّرَ الْكُوَرَ؛ مِثْلَ السَّوَادِ، وَالْأَهْوَازِ، وَالْجِبَالِ، وَفَارِسَ وَغَيْرِهَا، وَفَتَحَ الشَّامَ كُلَّهُ، وَالْجَزِيرَةَ وَالْمَوْصِلَ وَمَيَّافَارِقِينَ، وَآمِدَ، وَأَرْمِينِيَةَ، وَمِصْرَ، وَإِسْكَنْدَرِيَّةَ، وَمَاتَ وَعَسَاكِرُهُ عَلَى بِلَادِ الرَّيِّ. فَتَحَ مِنَ الشَّامِ الْيَرْمُوكَ، وَبُصْرَى، وَدِمَشْقَ، وَالْأُرْدُنَّ، وَبَيْسَانَ، وَطَبَرِيَّةَ، وَالْجَابِيَةَ، وَفِلَسْطِينَ، وَالرَّمْلَةَ، وَعَسْقَلَانَ، وَغَزَّةَ، وَالسَّوَاحِلَ وَالْقُدْسَ. وَفَتَحَ مِصْرَ، وَإِسْكَنْدَرِيَّةَ، وَطَرَابُلُسَ الْغَرْبِ، وَبَرْقَةَ وَمِنْ مُدُنِ الشَّامِ بَعْلَبَكَّ، وَحِمْصَ، وَقِنَّسْرِينَ، وَحَلَبَ وَأَنْطَاكِيَةَ، وَفَتَحَ الْجَزِيرَةَ، وَحَرَّانَ، وَالرُّهَا، وَالرَّقَّةَ، وَنَصِيبِينَ، وَرَأْسَ عَيْنٍ، وَشِمْشَاطَ وَعَيْنَ وَرْدَةَ، وَدِيَارَ بَكْرٍ، وَدِيَارَ رَبِيعَةَ، وَبِلَادَ الْمَوْصِلِ، وَأَرْمِينِيَةَ جَمِيعَهَا. وَبِالْعِرَاقِ الْقَادِسِيَّةَ، وَالْحِيرَةَ، وَبَهُرَسِيرَ، وَسَابَاطَ، وَمَدَائِنَ كِسْرَى. وَكُورَةَ الْفُرَاتِ، وَدِجْلَةَ، وَالْأَبُلَّةَ، وَالْبَصْرَةَ، وَالْأَهْوَازَ، وَفَارِسَ وَنَهَاوَنْدَ، وَهَمَذَانَ، وَالرَّيَّ، وَقُومِسَ، وَخُرَاسَانَ، وَإِصْطَخْرَ، وَأَصْبَهَانَ، وَالسُّوسَ، وَمَرْوَ، وَنَيْسَابُورَ، وَجُرْجَانَ، وَأَذْرَبِيجَانَ، وَغَيْرَ ذَلِكَ، وَقَطَعَتْ جُيُوشُهُ النَّهْرَ مِرَارًا.
পৃষ্ঠা - ৫৬৭৮
وَكَانَ مُتَوَاضِعًا فِي اللَّهِ، خَشِنَ الْعَيْشِ، خَشِنَ الْمَطْعَمِ، شَدِيدًا فِي ذَاتِ اللَّهِ، يُرَقِّعُ الثَّوْبَ بِالْأَدِيمِ، وَيَحْمِلُ الْقِرْبَةَ عَلَى كَتِفَيْهِ، مَعَ عِظَمِ هَيْبَتِهِ، وَيَرْكَبُ الْحِمَارَ عُرْيًا، وَالْبَعِيرَ مَخْطُومًا بِاللِّيفِ، وَكَانَ قَلِيلَ الضَّحِكِ لَا يُمَازِحُ أَحَدًا، وَكَانَ نَقْشُ خَاتَمِهِ: كَفَى بِالْمَوْتِ وَاعِظًا يَا عُمَرُ. وَقَالَ النَّبِيُّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَشَدُّ أُمَّتِي فِي دِينِ اللَّهِ عُمَرُ» . وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «إِنَّ لِي وَزِيرَيْنِ مِنْ أَهْلِ السَّمَاءِ وَوَزِيرَيْنِ مِنْ أَهْلِ الْأَرْضِ فَوَزِيرَايَ مِنْ أَهْلِ السَّمَاءِ جِبْرِيلُ وَمِيكَائِيلُ، وَوَزِيرَايَ مِنْ أَهْلِ الْأَرْضِ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ، وَإِنَّهُمَا السَّمْعُ وَالْبَصَرُ» . وَعَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «إِنَّ الشَّيْطَانَ يَفْرَقُ مِنْ عُمَرَ» . وَقَالَ: «أَرْحَمُ أُمَّتِي أَبُو بَكْرٍ وَأَشُدُّهَا فِي دِينِ اللَّهِ عُمَرُ» . وَقِيلَ لِعُمَرَ: إِنَّكَ فَظٌّ. فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي مَلَأَ قَلْبِي لَهُمْ رُحْمًا، وَمَلَأَ قُلُوبَهُمْ لِي رُعْبًا. وَقَالَ عُمَرُ: لَا يَحِلُّ لِي مِنْ مَالِ اللَّهِ إِلَّا حُلَّتَانِ؛ حُلَّةٌ لِلشِّتَاءِ وَحُلَّةٌ لِلصَّيْفِ، وَقُوتُ أَهْلِي كَرَجُلٍ مِنْ قُرَيْشٍ لَيْسَ بِأَغْنَاهُمْ، ثُمَّ أَنَا
পৃষ্ঠা - ৫৬৭৯


কথিত আছে যে, যখন কোন ব্যক্তি উমর (রা)-এর সাথে কথা বলত আর কথা বলার মধ্যে
যদি হঠাৎ দু-একটি শব্দ মিথ্যা বলে ফেলত উমর (রা) তাকে বলতেন, “ এটা বন্ধ কর,” “ঐটা
বন্ধ কর” তখন লোকটি বলত আল্লাহর শপথ, আপনি যেটার কথা বলছেন এটাকে বাদ দিয়ে
আপনার সাথে আমি সঠিক বাক্যালাপ করেছি ৷

মুয়াবীয়া ইবন আবু সুফিয়ান (রা) বলেন, “আবু বকর (রা) দুনিয়াকে চান নাই এবং
দৃনিয়াও তাকে চায় নাই ৷ কিন্তু হযরত উমর (রা) কে দুনিয়া ঢেয়েছিল আর তিনি দুনিয়াকে চান
নাই ৷ অথচ আমরা দুনিয়ার বুকে ও পিঠে গড়াগড়ি পাচ্ছি” ৷ হযরত উমর (রা) কে একবার
ভহ্সনা করা হলো এবং তাকে বলা হলো যদি তুমি উত্তম খাবার থেতে৩ তাহলে তোমার কি
সত্যের উপর থাকাট৷ আরো মযবুত হতে তা না? তখন তিনি বললেন, নিঃসন্দেহে আমি আমার
দুই বন্ধুকে রাস্তায় ছেড়ে এসেছি ৷ তুমি যদি তাদেরকে রাস্তায় অবস্থান করা অবস্থায় পাও,
তাহলে তাদেরকে তুমি ঘরে পৌছে পাবে না ৷ তিনি যখন খলীফ৷ ছিলেন তখন তিনি পশমের
জুব্বা পরিধান করা ন্ন, জুব্বাটির কোন কোন জায়গায় চামড়ার তালি লাগানো ছিল ৷ তিনি
হাতে যেত নিয়ে বাজারে ঘোরাফেরা করতেন ৷ আর বেত দিয়ে মানুষকে শাসন করতেন ৷ যখন
কোন শস্য ক্ষেতের কাছ দিয়ে গমন করতেন তখন এগুলো মানুষের বাড়ি পেছিয়ে দিতেন যাতে
মানুষ এগুলো দিয়ে উপকৃত হতে পারে ৷

আব্বাস (বা) বলেন হযরত উমর (রা) এর আমার দুই কাধে ছিল চারটি চামড়ার তালি ৷
আর ই দাবেব মধ্যে ছিল চাহ্রাড়ার তালি ৷ তিনি মিম্বরে আরোহণ করে খুতবা৷ দিতেন অথচ তার
ইজার বা লুঙ্গীতে ছিল ১২টি অলি ৷ আর হজ্জ করতে গিয়ে মাত্র ১৬ দীনার খরচ করেছিলেন ৷
তারপরেও নিজের ছেলেকে বলেছিলেন যে, “আমরা অতিরিক্ত খরচ করেছি ৷ তিনি কোন কিছু
দ্বারা ছায়া গ্রহণ করতেন না ৷ শুধু তার একটি চাদর পাছেঃ উপর ছড়িয়ে দিতেন এবং তার নিচে
ছায়া গ্রহণ করতেন ৷ তার কোন র্তাবু বা শামিয়ানা ছিল না ৷

যখন তিনি বায়তুল মুকা দ্দাস বিজয় উপলক্ষে সিরিয়া এসেছিলেন তখন তিনি একটি ধুসর
ত্য়ের উর্টে র উপর আরোহণ করেছিলেন ৷৩ তার টাক পড়া মাথা রােদ্রে ঝলমল করছিল ৷ তার
কোন শিরাবরণ ছিল না বা কোন পাগড়িও ছিল না ৷ তার দুটো পা ব্জীনের দুপ্যাশ মিলে
গিয়েছিল ৷ সাওয়ারীতে কোন রেকাব ছিল না ৷ জ্যিনর ভিতরে ছিল একগােছা পশম ৷ আর
যখন উট থেকে অবতরণ করতেন তখন এটাই ছিল তার বিছান৷ ৷ আর তার ণ্বগটি ছিল
থেজুরের ছোবড়ার জাশে পুর্ণ ৷ যখন তিনি ঘুমাতেন এটাই ছিল তার বালিশ ৷ তার জামাটি ছিল
অমসৃণ কাপড়ের তৈরী ৷ দাগ পড়ে গেছে এবং পকেটও ছিড়ে গেছে ৷

বায়তৃল মুকাদ্দাসে যখন তিনি অবতরণ করেন তিনি বললেন, র্গায়েরশহরে সর্দারকে
আমার কাছে ডাক ৷ তারপর তারা তাকে ডাকল ৷ তিনি বললেন, আমার জামাটি ধৌত করে
দাও ৷ এটাকে একটু সেলাই কর ৷ আর আমাকে একটি জামা ধার দাও ৷ তিনি তখন একটি
€ক্ষীম বস্ত্র আনয়ন করলেন ৷ খলীফা প্রশ্ন করলেন, এটা কি কাপড় ? বলা হলো এটা ফৌম
বস্ত্র ৷ তিনি বললেন, ফৌম বস্ত্র কেন ? তখন তারা র্তাকে কাপড়টির গুণাগুণ সম্বন্ধে সংবাদ
পরিবেশন করেন ৷ তিনি তার স্বীয় জামা খুলে ফেলেন ৷ তখন তারা এটাকে ধৌত করেন এবং
এটাকে সেলাই করলেন ৷ তারপর তিনি এটা আবার পরিধান করলেন ৷ শহরের সর্দার বললেন,


رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ. وَكَانَ عُمَرُ إِذَا اسْتَعْمَلَ عَامِلًا كَتَبَ لَهُ عَهْدًا، وَأَشْهَدَ عَلَيْهِ رَهْطًا مِنَ الْمُهَاجِرِينَ، وَاشْتَرَطَ عَلَيْهِ أَنْ لَا يَرْكَبَ بِرْذَوْنًا، وَلَا يَأْكُلَ نَقِيًّا، وَلَا يَلْبَسَ رَقِيقًا، وَلَا يُغْلِقَ بَابَهُ دُونَ ذَوِي الْحَاجَاتِ، فَإِنْ فَعَلَ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ حَلَّتْ عَلَيْهِ الْعُقُوبَةُ. وَقِيلَ: إِنَّهُ كَانَ إِذَا حَدَّثَهُ الرَّجُلُ بِالْحَدِيثِ فَيَكْذِبُ فِيهِ الْكَلِمَةَ وَالْكَلِمَتَيْنِ، فَيَقُولُ عُمَرُ: احْبِسْ هَذِهِ احْبِسْ هَذِهِ. فَيَقُولُ الرَّجُلُ: وَاللَّهِ كُلُّ مَا حَدَّثْتُكُ بِهِ حَقٌّ غَيْرَ مَا أَرَدْتَنِي أَنْ أَحْبِسَهُ. وَقَالَ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ: أَمَّا أَبُو بَكْرٍ فَلَمْ يُرِدِ الدُّنْيَا وَلَمْ تُرِدْهُ، وَأَمَّا عُمَرُ فَأَرَادَتْهُ فَلَمْ يُرِدْهَا، وَأَمَّا نَحْنُ فَتَمَرَّغْنَا فِيهَا ظَهْرًا لِبَطْنٍ. وَعُوتِبَ عُمَرُ فَقِيلَ لَهُ: لَوْ أَكَلْتَ طَعَامًا طَيِّبًا، كَانَ أَقْوَى لَكَ عَلَى الْحَقِّ؟ فَقَالَ: إِنِّي تَرَكْتُ صَاحِبَيَّ عَلَى جَادَّةٍ فَإِنْ تَرَكْتُ جَادَّتَهُمَا لَمْ أُدْرِكْهُمَا فِي الْمَنْزِلِ. وَكَانَ يَلْبَسُ وَهُوَ خَلِيفَةٌ جُبَّةَ صُوفٍ مَرْقُوعَةً بَعْضُهَا بِأَدَمٍ، وَيَطُوفُ بِالْأَسْوَاقِ عَلَى عَاتِقِهِ الدِّرَّةُ يُؤَدِّبُ بِهَا النَّاسَ، وَإِذَا مَرَّ بِالنَّوَى وَغَيْرِهِ يَلْتَقِطُهُ وَيَرْمِي بِهِ فِي مَنَازِلِ النَّاسِ يَنْتَفِعُونَ بِهِ. وَقَالَ أَنَسٌ: كَانَ بَيْنَ كَتِفَيْ عُمَرَ أَرْبَعُ رِقَاعٍ، وَإِزَارُهُ مَرْقُوعٌ بِأَدَمٍ. وَخَطَبَ عَلَى الْمِنْبَرِ وَعَلَيْهِ إِزَارٌ فِيهِ اثْنَتَا عَشْرَةَ رُقْعَةً، وَأَنْفَقَ فِي حَجَّتِهِ سِتَّةَ عَشَرَ دِينَارًا، وَقَالَ
পৃষ্ঠা - ৫৬৮০


আপনি আরবের বাদশা আর এসব শহরে উটে আরোহণ মোটেই মানায় না ৷ একটি ঘোড়া
আনা হলো ৷ তার উপর একটি ভেলভেট কাপড় স্থাপন করা হলো ৷ জিন ও সেই, জিনের পাশে
থলেও নেই ৷ যখন ঘোড়াটি ভ্রমণ করতে লাগল তখন এটা দ্রুত চলতে লাগল ৷ খলীফার
সহযাত্রীকে খলীফ৷ বললেন, এটড়াকে থামাও ৷ আমি ধারণা করি নাই যে, মানুষও আবার
শয়তানের উপরে আরোহণ করে ৷ আমার উটটি আনয়ন কর ৷’ তারপর তিনি ঘোড়া হতে
নামলেন এবং নিজের উটের উপর আংরাহণ করেন ৷


لِابْنِهِ: قَدْ أَسْرَفْنَا. وَكَانَ لَا يَسْتَظِلُّ بِشَيْءٍ غَيْرَ أَنَّهُ كَانَ يُلْقِي كِسَاءَهُ عَلَى الشَّجَرِ وَيَسْتَظِلُّ تَحْتَهُ، وَلَيْسَ لَهُ خَيْمَةٌ وَلَا فُسْطَاطٌ. وَلَمَّا قَدِمَ الشَّامَ لِفَتْحِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، كَانَ عَلَى جَمَلٍ أَوْرَقَ تَلُوحُ صَلْعَتُهُ لِلشَّمْسِ لَيْسَ عَلَيْهِ قَلَنْسُوَةٌ وَلَا عِمَامَةٌ، قَدْ طَبَّقَ رِجْلَيْهِ بَيْنَ شُعْبَتِيِ الرَّحْلِ بِلَا رِكَابٍ، وَوِطَاؤُهُ كِسَاءٌ مِنْ صُوفٍ، وَهُوَ فِرَاشُهُ إِذَا نَزَلَ وَحَقِيبَتُهُ مَحْشُوَّةٌ لِيفًا، وَهِيَ وِسَادَتُهُ إِذَا نَامَ، وَعَلَيْهِ قَمِيصٌ مِنْ كَرَابِيسَ قَدْ دَسِمَ وَتَخَرَّقَ جَيْبُهُ، فَلَمَّا نَزَلَ قَالَ: ادْعُوا لِي رَأَسَ الْقَرْيَةِ. فَدَعَوْهُ فَقَالَ: اغْسِلُوا قَمِيصِي وَخَيِّطُوهُ وَأَعِيرُونِي قَمِيصًا. فَأُتِيَ بِقَمِيصِ كَتَّانٍ فَقَالَ: مَا هَذَا؟ فَقِيلَ: كَتَّانٌ. فَقَالَ: فَمَا الْكَتَّانُ؟ فَأَخْبَرُوهُ، فَنَزَعَ قَمِيصَهُ فَغَسَلُوهُ وَخَاطُوهُ ثُمَّ لَبِسَهُ، فَقِيلَ لَهُ: أَنْتَ مَلِكُ الْعَرَبِ، وَهَذِهِ بِلَادٌ لَا يَصْلُحُ فِيهَا رُكُوبُ الْإِبِلِ. فَأُتِيَ بِبِرْذَوْنٍ فَطَرَحَ عَلَيْهِ قَطِيفَةً بِلَا سَرْجٍ وَلَا رَحْلٍ، فَلَمَّا سَارَ جَعَلَ الْبِرْذَوْنُ يُهَمْلِجُ بِهِ، فَقَالَ لِمَنْ مَعَهُ: احْبِسُوا، مَا كُنْتُ أَظُنُّ أَنَّ النَّاسَ يَرْكَبُونَ الشَّيَاطِينَ، هَاتُوا جَمَلِي. ثُمَّ نَزَلَ وَرَكِبَ الْجَمَلَ. وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: كُنْتُ مَعَ عُمَرَ فَدَخَلَ حَائِطًا لِحَاجَتِهِ فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ - بَيْنِي وَبَيْنَهُ جِدَارُ الْحَائِطِ -: عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ! بَخٍ بَخٍ، وَاللَّهِ لِتَتَّقِيَنَّ اللَّهَ بُنَيَّ الْخَطَّابِ أَوْ لِيُعَذِّبَنَّكَ. وَقِيلَ إِنَّهُ حَمَلَ قِرْبَةً عَلَى عَاتِقِهِ، فَقِيلَ لَهُ
পৃষ্ঠা - ৫৬৮১
فِي ذَلِكَ فَقَالَ: إِنَّ نَفْسِي أَعْجَبَتْنِي فَأَرَدْتُ أَنْ أُذِلَّهَا. وَكَانَ يُصَلِّي بِالنَّاسِ الْعِشَاءَ، ثُمَّ يَدْخُلُ بَيْتَهُ فَلَا يَزَالُ يُصَلِّي إِلَى الْفَجْرِ. وَمَا مَاتَ حَتَّى سَرَدَ الصَّوْمَ، وَكَانَ فِي عَامِ الرَّمَادَةِ لَا يَأْكُلُ إِلَّا الْخُبْزَ وَالزَّيْتَ، حَتَّى اسْوَدَّ جِلْدُهُ وَيَقُولُ: بِئْسَ الْوَالِي أَنَا إِنْ شَبِعْتُ وَالنَّاسُ جِيَاعٌ. وَكَانَ فِي وَجْهِهِ خَطَّانِ أَسْوَدَانِ مِنَ الْبُكَاءِ، وَكَانَ يَسْمَعُ الْآيَةَ مِنَ الْقُرْآنِ فَيُغْشَى عَلَيْهِ، فَيُحْمَلُ صَرِيعًا إِلَى مَنْزِلِهِ، فَيُعَادُ أَيَّامًا لَيْسَ بِهِ مَرَضٌ إِلَّا الْخَوْفُ. وَقَالَ طَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ: خَرَجَ عُمَرُ لَيْلَةً فِي سَوَادِ اللَّيْلِ، فَدَخَلَ بَيْتًا، فَلَمَّا أَصْبَحْتُ ذَهَبْتُ إِلَى ذَلِكَ الْبَيْتِ، فَإِذَا عَجُوزٌ عَمْيَاءُ مُقْعَدَةٌ فَقُلْتُ لَهَا: مَا بَالُ هَذَا الرَّجُلِ يَأْتِيكِ؟ فَقَالَتْ: إِنَّهُ يَتَعَاهَدُنِي مُدَّةَ كَذَا وَكَذَا؛ يَأْتِينِي بِمَا يُصْلِحُنِي وَيُخْرِجُ عَنِّي الْأَذَى. فَقُلْتُ لِنَفْسِي: ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ يَا طَلْحَةُ أَعَثَرَاتِ عُمَرَ تَتَّبِعُ! وَقَالَ أَسْلَمُ مَوْلَى عُمَرَ: قَدِمَ الْمَدِينَةَ رُفْقَةٌ مِنْ تُجَّارٍ، فَنَزَلُوا الْمُصَلَّى، فَقَالَ عُمَرُ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ: هَلْ لَكَ أَنْ نَحْرُسَهُمُ اللَّيْلَةَ؟ قَالَ: نَعَمْ. فَبَاتَا يَحْرُسَانِهِمْ وَيُصَلِّيَانِ، فَسَمِعَ عُمَرُ بُكَاءَ صَبِيٍّ فَتَوَجَّهَ نَحْوَهُ، فَقَالَ لِأُمِّهِ: اتَّقِ اللَّهَ تَعَالَى وَأَحْسِنِي إِلَى صَبِيِّكِ. ثُمَّ عَادَ إِلَى مَكَانِهِ فَسَمِعَ بُكَاءَهُ، فَعَادَ إِلَى أُمِّهِ، فَقَالَ لَهَا مِثْلَ ذَلِكَ، ثُمَّ عَادَ مَكَانَهُ، فَلَمَّا كَانَ آخِرُ اللَّيْلِ سَمِعَ بُكَاءَ الصَّبِيِّ، فَأَتَى إِلَى أُمِّهِ، فَقَالَ لَهَا: وَيْحَكِ! إِنَّكِ أُمُّ سُوءٍ، مَالِي أَرَى ابْنَكِ لَا يَقَرُّ مُنْذُ اللَّيْلَةِ مِنَ الْبُكَاءِ؟ فَقَالَتْ: يَا عَبْدَ اللَّهِ إِنِّي أَشْغَلُهُ عَنِ الطَّعَامِ فَيَأْبَى ذَلِكَ. قَالَ: وَلِمَ؟
পৃষ্ঠা - ৫৬৮২


পেলেন ৷ তিনি ঐদিকে দৃষ্টিপাত করলেন এবং শিশুটির মাতাকে বললেন “আল্লাহ্কে ভয় কর
এবং তোমার শিশুঢির প্ৰতি সদর ব্যবহার কর ৷” হযরত উমর (রা)ত তার স্থানে ফিরে আসলেন ৷
পুনরায় কিছুক্ষণ পর হযরত উমর (রা) শিশুটির কান্ন৷ শুনলেন এবং শিশুটির মাতা র কাছে গমন
করলেন ও পুর্বের ন্যায় কথা বললেন ৷ তারপর নিজের স্থানে ফিরে আসলেন ৷ কিছুক্ষণ পর
পুনরায় হযরত উমর (রা) শিশুটির কান্ন৷ শুনলেন এবং শিশুটির মাত ৷র কাছে তিনি গমন
করলেন ও বললেন, “তোমার দুর্ভাগ্য, নিংসন্দেহে তুমি একজন নির্দয় মাতা ৷ সারারাত আমি
দেখেছি যে, তোমার শিশুটি কান্নাক৷ ৷টি করছে, শান্তি পাচ্ছে না, তার কারণ কি?

মহিলাটি বললেন, হে আল্লাহর বান্দা! আমি শি;শুটিকে দুধ খাওয়া থেকে বিরত রাখার
(মাই ছাড়হ্নাের) চেষ্টা করছি আর সে দুধ যেতে চায় ৷ এজন্য যে সারারাত অশান্তিতে রয়েছে ৷
খলীফা বললেন, “তুমি কেন এরুপ করছ?” মহিলাটি বললেন, কেননা হযরত ৩উমর (বা) শুধু
মাই ছাড়ানাে শিশুদের জন্যে খাদ্য বরাদ্দ রেখেছেন ৷ তিনি বললেন, “ ৫৩াণ্া৷র শিশুটির বয়স
কত ?” মহিলা বললেন, এইত ধরুন কয়েক মাস ৷ ” খলীফা বললেন, “ণ্তামার দুর্ভাগ্য, তুমি
শিশুটিকে এত তাড়াতাড়ি মাই ছাড়ানাের চেষ্টা করো না ৷” খলীফা যখন সালাতে ফজর আদায়
করছিলেন তখন তিনি কান্নায় কিরাত স্পষ্ট করে পড়তে প৩ারছিলেন না ৷ তিনি বলতে লাগলেন,
“উমরের দৃর্ভাগ্য সে যে কত মুসলিম শিশুর অনিষ্ট করছে ৷৩ তারপর তিনি এক আহ্বানকারীকে
ঘোষণা দিতে নির্দেশ দিলেন, “৫৩ ৷মর৷ অতি শীঘ্র শিশ্যুদঃ মইি ছাড়ানাের চেষ্টা করবে না ৷
কেননা আমরা প্রতোক মুসলিম শিশুর জন্যে খাদ্য বরাদ্দ করেছি ৷ বিভিন্ন অঞ্চলেও তিনিএ

আসলাম (র) বলেন, “এক রাতে আমি হযরত ৩উমর (রা) এর সাথে মদীনায় বাইরে বের
, হ-লাম ৷ কিছুক্ষণ পর আমরা একটিত তাবু দেখতে পেলাম ৷ আমরা তাষুর ভিতর গেলাম
দেখলাম একটি প্রসবােদ্যত৷ র্কাদছে ৷ হযরত উমর (রা)৩ তার অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন ৷
মহিলা বললেন, “আমি একজন আরব মাহলা, আমার কাছে কিছুই নেই ৷ ন্হযর৩ উমর (রা)
তখন ত্রুন্দন করলেন এবং তাড়াতাড়ি ত:র ঘরে প্রত্যাবর্তন করলেন ৷ নিজ শ্রী উম্মে কুলসুম
বিনত হযরত আলী (রা) কে বললেন, “আল্পাহ্ প্রদত্ত সুযোগের প্রেক্ষিতে তুমি কি নওয়াব
অর্জন করতে আগ্রহী ? এ বলে তিনি তাকে বিস্তারিত খবর জানালেন ৷ উত্তরে তিনি বললেন,
হীা ৷ খলীফ৷ এক বস্তা অ৷ ৷ট৷ ও এক পাত্র ঘি পিঠে উঠা ৷লেন এবং উম্মে ৰুন্নেসুম (রা)ও সন্তান
প্রসবের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সাথে বহন করলেন ৷ দু’জনেই তথায় আগমন করলেন উম্মে
কুলসুম ( ৷) মহিলার কাছে গমন করলেন এবং খলীফা তার স্বামীর সাথে বসে কথা বলতে
লাগলেন ৷ কিন্তু ল্যেকটি খলীফাকে চিনত না ৷ মহিলা একটি পুত্র সন্তান জন্য দিলেন ৷ তখন
উম্মে কৃলসুম (রা) বললেন, “হে আমীরুল ঘু’মিনীন ! আপনার সাথে কথোপকথনকারীকে তার
পুত্র সন্তান ভুমিষ্ঠের সুসংবাদ দিনৰুা” যখন ণ্লাকটি উম্মে কুলসুম (রা)-এর কথা শুনলেন,
অবাক হয়ে গেলেন এবং উমর (রা) এর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে লাগলেন ৷ হযরত উমর
(রা) বললেন, “এতে তোমার কোন ক্ষতি হবে না ৷ তারপর তিনি তাদেরকে প্রয়োজনীয়
খরচাদি ও সরঞ্জামাদ প্রদান করে বিদায় হন ৷


قَالَتْ: لِأَنَّ عُمَرَ لَا يَفْرِضُ إِلَّا لِلْمَفْطُومِ. قَالَ: وَكَمْ عُمُرُ ابْنِكِ؟ قَالَتْ: كَذَا وَكَذَا شَهْرًا. فَقَالَ: وَيْحَكِ! لَا تُعْجِلِيهِ عَنِ الْفِطَامِ. فَلَمَّا صَلَّى الصُّبْحَ وَهُوَ لَا يَسْتَبِينُ لِلنَّاسِ قِرَاءَتُهُ مِنَ الْبُكَاءِ. قَالَ: بُؤْسًا لِعُمَرَ، كَمْ قَتَلَ مِنْ أَوْلَادِ الْمُسْلِمِينَ. ثُمَّ أَمَرَ مُنَادِيهِ، فَنَادَى: لَا تُعْجِلُوا صِبْيَانَكُمْ عَنِ الْفِطَامِ، فَإِنَّا نَفْرِضُ لِكُلِّ مَوْلُودٍ فِي الْإِسْلَامِ. وَكَتَبَ بِذَلِكَ إِلَى الْآفَاقِ. وَقَالَ أَسْلَمُ: خَرَجْتُ لَيْلَةً مَعَ عُمَرَ إِلَى ظَاهِرِ الْمَدِينَةِ، فَلَاحَ لَنَا بَيْتُ شَعْرٍ فَقَصَدْنَاهُ، فَإِذَا فِيهِ امْرَأَةٌ تَمْخَضُ وَتَبْكِي، فَسَأَلَهَا عُمَرُ عَنْ حَالِهَا فَقَالَتْ: أَنَا امْرَأَةٌ عَرَبِيَّةٌ وَلَيْسَ عِنْدِي شَيْءٌ. فَبَكَى عُمَرُ وَعَادَ يُهَرْوِلُ إِلَى بَيْتِهِ، فَقَالَ لِامْرَأَتِهِ أُمِّ كُلْثُومٍ بِنْتِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ: هَلْ لَكِ فِي أَجْرٍ سَاقَهُ اللَّهُ إِلَيْكِ؟ وَأَخْبَرَهَا الْخَبَرَ، فَقَالَتْ: نَعَمْ. فَحَمَلَ عَلَى ظَهْرِهِ دَقِيقًا وَشَحْمًا، وَحَمَلَتْ أُمُّ كُلْثُومٍ مَا يَصْلُحُ لِلْوِلَادَةِ وَجَاءَا، فَدَخَلَتْ أُمُّ كُلْثُومٍ عَلَى الْمَرْأَةِ، وَجَلَسَ عُمَرُ مَعَ زَوْجِهَا - وَهُوَ لَا يَعْرِفُهُ - يَتَحَدَّثُ، فَوَضَعَتِ الْمَرْأَةُ غُلَامًا، فَقَالَتْ أُمُّ كُلْثُومٍ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ بَشِّرْ صَاحِبَكَ بِغُلَامٍ. فَلَمَّا سَمِعَ الرَّجُلُ قَوْلَهَا اسْتَعْظَمَ ذَلِكَ وَأَخَذَ يَعْتَذِرُ إِلَى عُمَرَ. فَقَالَ عُمَرُ: لَا بَأْسَ عَلَيْكِ. ثُمَّ أَوْصَلَهُمْ بِنَفَقَةٍ وَمَا يُصْلِحُهُمْ وَانْصَرَفَ. وَقَالَ أَسْلَمُ: خَرَجْتُ لَيْلَةً مَعَ عُمَرَ إِلَى حَرَّةِ وَاقِمٍ، حَتَّى إِذَا كُنَّا بِصِرَارٍ إِذَا بِنَارٍ فَقَالَ: يَا أَسْلَمُ هَاهُنَا رَكْبٌ قَدْ قَصَّرَ بِهِمُ اللَّيْلُ، انْطَلِقْ بِنَا
পৃষ্ঠা - ৫৬৮৩


আসলড়াম (র) আরো বলেন £ “হযরত উমর (রা)-এর সাথে এক রাত আমি ওয়াকিমের
পাথরীয় ভুখণ্ডের দিকে রওয়ানা হলাম ৷ আমরা যখন একটি উচু জায়গায় পৌছলাম, সেখানে
অগ্নি জ্বলতে দেখলাম ৷ খলীফা বললেন, “হে আসলাম! এখানে একটি কাফেলা রয়েছে ৷
কাফেলার সদস্যদেরকে নিয়ে রাত সংক্ষিপ্ত হয়ে গিয়েছে অর্থাৎ রাত তাদের জন্যে প্রতিকুল
অবস্থা সৃষ্টি করেছে ৷ কাজেই, তুমি তাদের কাছে আমাকে নিয়ে চল ৷ আমরা তাদের কাছে
গমন করলাম ৷ দেখলাম একজন মহিলা, তার সাথে রয়েছে কতগুলো শিশু সন্তান, চুলায় একটি
ডেগও বসানো রয়েছে ৷ মহিলার শিশুগুলাে খাদ্যের জন্যে কাদছিল ৷ খলীফা বললেন,
আসৃ-সালামু আলাইকুম হে আলোর সাথীগণ ৷মফ্লি৷ বললেন, ওয়া অন্মোইকুমুসৃসালাম ৷
খলীফা বললেন, তাদেরকে আমার নিকটে নিয়ে আসুন ৷ মহিলা বলল, “আপনি দয়া করে
তি৩ রে এগিয়ে আসুন ৷ তিনি এগিয়ে আসলেন এবং বললেন, “তোমাদের অবস্থা কি? মহিলা
বলল, “রাতে র ঠাণ্ডা আমাদেরকে কষ্ট দিচ্ছে ৷” তিনি বললেন, শিশু-সন্তানদের অবন্থ৷ কি, তারা
কেন কাদছেঃ মহিলা বলল, তারা ক্ষুধা র জ্বালায় কাদছে ৷” খলীফা বললেন, চুলায় উপর কি?’
মহিলা বলল, পানি গরম হচ্ছে, আর এর দ্বারা আমি তাদেরকে ব্যস্ত রাখছি যাতে তারা ঘুমিয়ে
পড়ে ৷ খলীফা হযরত উমর (রা) ও আমাদের মাঝে মহান আল্লাহ ইনসাফ করবেন ৷
মহিলার কথা শুনে উমর (রা) ক্রন্দন করলেন এবং আটা রাখার ঘরে প্রত্যাবর্তন করলেন ৷
এক বস্তা আটা ও এক পাত্র ঘি বের করলেন এবং বললেন, “ হে আসলাম ! এগুলো আমার পিঠে
উঠিয়ে দাও ৷” আমি বললাম, “আমিই আপনার পক্ষ থেকে বহন করছি ৷” তিনি বললেন,
“তুমি কি কিয়ামতের দিন আমার বোঝা বন্ ন করবেঃ” এরপর তিনি তা নিজে পিঠে উঠালেন ৷
আমি মহিলাটির কাছে গেলাম ৷ খলীফা পিঠ থেকে বোঝা নামালেন ৷ কিছু আটা বের করে
ডেগে রাখলেন এবং তাতে কিছু ঘি মিশালেন ৷ চুলায় আগুন ধৃরালেন এবং আগুন ধরাবারকালে
ফু দেয়ার সময় কিছুক্ষণের জন্যে ঘেড়ায়া ও দাড়ি একাকার হয়ে যায় ৷ তারপর তিনি ড়েগটি চুলা
থেকে নামালেন এবং মইিলাকে বললেন, “আমার কাছে একটি বাসন নিয়ে আস ৷ একটি বাসন
আনা হলো ৷ তিনি খাবার দিয়ে বাসনটি পুর্ণ করলেন ও খাওয়ার জন্যে শিশুদের সমনে
রাখলেন এবৎ বললেন, “তোমরা সকলে খা ও ৷ শিশুরা থেল এবং আত্মতৃপ্তি বোধ ক্যাল ৷ মহিলা
খলীফার জন্যে দু আ করতে লাগল কিন্তু (স৩ তাকে চিনে না ৷ শিশুরা ঘুমানাে পর্যন্ত খলীফা
সেখানে অবস্থান করলেন ৷ তারপর তাদের য ৷বভীয় খরচের ব্যবস্থা করে তিনি সেখান থেকে
বিদায় গ্রহণ করলেন ৷ এরপর তিনি আমার দিকে মুখ নিঃা৷লেন এবং বললেন, হে আসলাম!
ক্ষুধা তাদেরকে অদ্ভি৷ ৫রথেছে এবং কাদতে বাধ্য কক্লোছ ৷”
কথিত আছে যে, একদিন হযরত আলী ইবন আবু তালিব (রা) হযরত উমর (রা) কে
দেখলেন যে,৩ তিনি মদীনায় বাইরে দৌড়াচ্ছেন ৷ আলী (রা) তাকে বললেন, “হে আমীরুল
মুমিনীন ! কোথায় যাচ্ছেন?” তিনি বললেন, সাদকার উটগুলাে হতে একটি উট পালিয়ে গেছে ৷
আর আমি এটাকে খোজ করছি ৷ তিনি বললেন, “আপনার পরের খলীফাদের জন্যে অসুবিধা
সৃষ্টি করলেন ৷”
কথিত আছে যে, একদিন খলীফা হযরত উমর (রা) একটি বালিকাংক ক্ষুধায় র্কাপতে
দেখলেন ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এটা কে ন্’ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা)-এর কন্যা বললেন,

আল-ৰিদায়া — ৩২


إِلَيْهِمْ. فَأَتَيْنَاهُمْ فَإِذَا امْرَأَةٌ مَعَهَا صِبْيَانُ لَهَا، وَقِدْرٌ مَنْصُوبَةٌ عَلَى النَّارِ، وَصِبْيَانُهَا يَتَضَاغَوْنَ فَقَالَ عُمَرُ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا أَصْحَابَ الضَّوْءِ. قَالَتْ: وَعَلَيْكَ السَّلَامُ. قَالَ: أَدْنُو؟ قَالَتْ: ادْنُ أَوْ دَعْ. فَدَنَا فَقَالَ: مَا بَالُكُمْ؟ قَالَتْ: قَصَّرَ بِنَا اللَّيْلُ وَالْبَرْدُ. قَالَ: فَمَا بَالُ هَؤُلَاءِ الصِّبْيَةِ يَتَضَاغَوْنَ؟ قَالَتْ: مِنَ الْجُوعِ. فَقَالَ: وَأَيُّ شَيْءٍ عَلَى النَّارِ؟ قَالَتْ: مَاءٌ أُعَلِّلُهُمْ بِهِ حَتَّى يَنَامُوا، اللَّهُ بَيْنَنَا وَبَيْنَ عُمَرَ! فَبَكَى عُمَرُ وَرَجَعَ يُهَرْوِلُ إِلَى دَارِ الدَّقِيقِ، فَأَخْرَجَ عِدْلًا مِنْ دَقِيقٍ وَجِرَابَ شَحْمٍ، وَقَالَ: يَا أَسْلَمُ احْمِلْهُ عَلَى ظَهْرِي. فَقُلْتُ: أَنَا أَحْمِلُهُ عَنْكَ. فَقَالَ: أَنْتَ تَحْمِلُ وِزْرِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ! فَحَمَلَهُ عَلَى ظَهْرِهِ وَانْطَلَقْنَا إِلَى الْمَرْأَةِ، فَأَلْقَى عَنْ ظَهْرِهِ وَأَخْرَجَ مِنَ الدَّقِيقِ فِي الْقِدْرِ، وَأَلْقَى عَلَيْهِ مِنَ الشَّحْمِ، وَجَعَلَ يَنْفُخُ تَحْتَ الْقِدْرِ وَالدُّخَّانُ يَتَخَلَّلُ لِحْيَتَهُ سَاعَةً، ثُمَّ أَنْزَلَهَا عَنِ النَّارِ وَقَالَ: آتِنِي بِصَحْفَةٍ. فَأُتِيَ بِهَا، فَغَرَفَ فِيهَا، ثُمَّ جَعَلَهَا بَيْنَ يَدَيِ الصِّبْيَانِ، وَقَالَ: كُلُوا. فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا - وَالْمَرْأَةُ تَدْعُو لَهُ وَهِيَ لَا تَعْرِفُهُ - فَلَمْ يَزَلْ عِنْدَهُمْ حَتَّى نَامَ الصِّغَارُ، ثُمَّ أَوْصَلَهُمْ بِنَفَقَةٍ وَانْصَرَفَ فَقَالَ: يَا أَسْلَمُ، الْجُوعُ الَّذِي أَسْهَرَهُمْ وَأَبْكَاهُمْ. وَقِيلَ إِنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، رَأَى عُمَرَ وَهُوَ يَعْدُو إِلَى ظَاهِرِ الْمَدِينَةِ فَقَالَ لَهُ: إِلَى أَيْنَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ فَقَالَ: قَدْ نَدَّ بَعِيرٌ مِنْ إِبِلِ الصَّدَقَةِ فَأَنَا
পৃষ্ঠা - ৫৬৮৪
أَطْلُبُهُ. فَقَالَ: قَدْ أَتْعَبْتَ الْخُلَفَاءَ مِنْ بَعْدِكَ! وَقِيلَ: إِنَّهُ رَأَى جَارِيَةً تَتَمَايَلُ مِنَ الْجُوعِ فَقَالَ: مَنْ هَذِهِ؟ فَقَالَتِ ابْنَةُ عَبْدِ اللَّهِ: هَذِهِ ابْنَتِي. قَالَ: فَمَا بَالُهَا؟ فَقَالَتْ: إِنَّكَ تَحْبِسُ عَنَّا مَا فِي يَدِكَ فَيُصِيبُنَا مَا تَرَى. فَقَالَ: يَا عَبْدَ اللَّهِ بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ كِتَابُ اللَّهِ، وَاللَّهِ مَا أُعْطِيكُمْ إِلَّا مَا فَرَضَ اللَّهُ لَكُمْ، أَتُرِيدُونَ مِنِّي أَنْ أُعْطِيَكُمْ مَا لَيْسَ لَكُمْ فَأَعُودَ خَائِنًا! وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو حَرْزَةَ يَعْقُوبُ بْنُ مُجَاهِدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي عَمْرٍو قَالَ: «قُلْتُ لِعَائِشَةَ: مَنْ سَمَّى عُمَرَ الْفَارُوقَ؟ قَالَتِ: النَّبِيُّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ، وَأَوَّلُ مَنْ حَيَّاهُ بِهَا الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ، وَقِيلَ: غَيْرُهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ الْأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَتْنِي أُمُّ عَمْرٍو بِنْتُ حَسَّانَ الْكُوفِيَّةُ - وَكَانَ قَدْ أَتَى عَلَيْهَا مِائَةٌ وَثَلَاثُونَ سَنَةً - عَنْ أَبِيهَا، قَالَ: لَمَّا وَلِيَ عُمَرُ قَالُوا: يَا خَلِيفَةَ خَلِيفَةِ رَسُولِ اللَّهِ. فَقَالَ عُمَرُ: هَذَا أَمْرٌ يَطُولُ بَلْ أَنْتُمُ الْمُؤْمِنُونَ وَأَنَا أَمِيرُكُمْ. فَسُمِّيَ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. وَمُلَخَّصُ ذَلِكَ أَنَّ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، لَمَّا فَرَغَ مِنَ الْحَجِّ سَنَةَ ثَلَاثٍ
পৃষ্ঠা - ৫৬৮৫


এটা আমার মেয়ে ৷ খলীফা বললেন, এর কিহয়েছে ৷’ তিনি বললেন, “আপনার ইখতিয়ারে
যা আছে তা আমাদের থেকে উঠিয়ে দেওয়া ও বন্ধ করে দেওয়ার আমাদের এ দশা হয়েছে ৷
বল্যার পিতা আবদুল্পাহ্ (রা)-কে উদ্দেশ্য করে খলীফা বললেন, “হে আবদুল্লাহ! ণ্তামাদের ও
আমার মাঝে রয়েছে আল্লাহর কিতাব ৷ আল্লাহ্র শপথ ! আল্লাহ্ তাআলা ণ্তামাদের জ্যন্য যা
নির্ধারণ করে দিয়েছেন তা-ই আমি তােমাদেরকে প্রদান করছি ৷ তোমরা কি তাই; যে, যা
তোমাদের জন্যে নয় তা আমি তােমাদেরকে দান করি ?” তাহলে তো আমি খিয়ানতকারী
হিসেবে পরিগণিত ৩হব ৷ উপরোক্ত ঘটনাটি আল্লামা যুহরী হতে বর্ণিত ৷

আল্লামা ওয়াকিদী (র) আবু আমর (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “একদিন
আমি আয়িশা (রা) এর কাছে জিজ্ঞেস করলাম ৷ হযরত উমর ফারুক (রা) কে আমীরুল
মুমিনীন উপাধি কে দিয়েছেন ৷ হযরত আয়িশ্বা সিদ্দীকা (রা) বললেন, “রড়াসুলুল্পাহ্সাঃ৷ ”
তিনি বললেন, হ্যা উমর (রা) মু’মিনগণের আমীরই বটে ৷ এ উপাধিতে প্রথম তাকে যিনি
অভিনন্দন জ্ঞাপন করেছেন তিনি হলেন মুপীরা ইবন শুবাহ (রা) ৷ আবার কেউ কেউ বলেন
অন্য কেউ ৷ মহান আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত

ইবন জারীৱ (র) ১৩০ বছর বয়স্কা উষ্মে আমর বিনত হাসান আল-কুফী হতে তার
পিতার মাধ্যমে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “হযরত উমর (রা) যখন খলীফা নির্বাচিত হন
সাহবায়ে কিরাম তাকে ইয়া খালীফাতা রাসুলুল্লাহ অর্থাৎ “হে আল্লাহ্র রাসুলের খলীফা” বলে
সম্বোধন করেন ৷ তখন উমর (রা) বলেন, “এটাতাে অনেক বড় কথা বরং তোমরা মুমিন আর
আমি তোমাদের আমীর ৷ তখন থেকে তার নাম রাখা হয় আমীরুল মু মিনীন ৷

২৩ হিজরীতে উমর (রা) যখন হজ্জ আদায় করলেন ও আবতাহ নামক স্থানে অবতরণ
করেন, তখন তিনি মহান আল্পাহ্র কাছে দু আ করেন ও ফরিয়াদ করে বলেন যে, তার বয়স
বেশি হয়ে গিয়েছে ৷ তিনি দুর্বল হয়ে পড়েছেন ৷ প্রজাবর্গের সং খ্যা বেড়ে গেছে ৷ তইি কর্তব্যে
অবহেলার ভয় করছেন ৷ তিনি মহান আল্লাহ্র কাছে দরখাস্ত করেন যেন তার কাছে তাকে
নিয়ে নেন ৷ আর নবী ল্লে এর শহরে শাহাদত প্রদানে তিনি যেন তাকে ধন্য করেন ৷ সহীহ
হাদীসে প্রমাণিত হয়েছে যে, তিনি দুআর মধ্যে বলতেন, “হে আল্লাহ! আমি তোমার পথে
শাহাদত কামনা করি ৷ তোমার রাসুলের শহরে মৃত্যুবরণ করতে চাই ৷ আল্লাহ্ তাআলা তার এ
দুআ কবুল করেন এবং মদীনা মুনাওয়ারাতে শাহাদতের মাধ্যমে তার দুটি আবেদনই একত্রে
সংযোজিত হয় ৷ এরুপ সৌভাগ্য একটি অতি বিরল বস্তু ৷ আল্লাহ তাআলা যা চান তা অভিনয়
সুক্ষ্মভাবে সম্পন্ন করে নেন ৷

রোম নিবাসী অপ্লিপুজক বংশোদ্ভুত আবুলুলু ফীরোয নামক একটি গোলাম তাকে দুইদিকে
ধারাল খঞ্জর দ্বারা হঠাৎ আঘাত করে ৷ তিনি তখন মসজিদের মিহরাবে ফজরের সালাত আদায়
করছিলেন ৷ দিনটি ছিল বুধবার ৷ বছরের যুলহাজ্জাহ্ মাসের বাকি ছিল মাত্র চারদিন ৷ তাকে যে
তিনটি আঘাত কব্রেছিল ৷ কেউ কেউ বলেন, “ছয়টি আঘাত করেছিল, তন্মধ্যে একটি ফ্লি
নাভীর নিচে ৷ তাতে উদরের আবরক ঝিল্লি কেটে যায় ও তিনি দণ্ডায়মান অবস্থা থেকে নিচে
ঢলে পড়লেন ৷’ আবদুর রহমান ইবন আউফ (রা) ইমামতির জন্যে তার স্থলে র্দাড়ালেন ৷
কাফিরটি তার খঞ্জরসহ প্ৰত্যাৰ্র্ভন্ করল ও যাকে সামনে পেল তাকেই আঘাত করল ৷ এভাবে


وَعِشْرِينَ وَنَزَلَ بِالْأَبْطَحِ دَعَا اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ وَشَكَا إِلَيْهِ أَنَّهُ قَدْ كَبِرَتْ سِنُّهُ وَضَعُفَتْ قُوَّتُهُ، وَانْتَشَرَتْ رَعِيَّتُهُ وَخَافَ مِنَ التَّقْصِيرِ، وَسَأَلَ اللَّهَ أَنْ يَقْبِضَهُ إِلَيْهِ، وَأَنْ يَمُنَّ عَلَيْهِ بِالشَّهَادَةِ فِي بَلَدِ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَمَا ثَبَتَ عَنْهُ فِي " الصَّحِيحِ " أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ شَهَادَةً فِي سَبِيلِكَ، وَمَوْتًا فِي بَلَدِ رَسُولِكَ. فَاسْتَجَابَ اللَّهُ لَهُ هَذَا الدُّعَاءَ، وَجَمَعَ لَهُ بَيْنَ هَذَيْنَ الْأَمْرَيْنِ؛ الشَّهَادَةِ فِي الْمَدِينَةِ النَّبَوِيَّةِ. وَهَذَا عَزِيزٌ جِدًّا، وَلَكِنَّ اللَّهَ لَطِيفٌ لِمَا يَشَاءُ، تَبَارَكَ وَتَعَالَى. فَاتَّفَقَ لَهُ أَنْ ضَرَبَهُ أَبُو لُؤْلُؤَةَ فَيْرُوزُ الْمَجُوسِيُّ الْأَصْلِ، الرُّومِيُّ الدَّارِ، وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي فِي الْمِحْرَابِ صَلَاةَ الصُّبْحِ مِنْ يَوْمِ الْأَرْبِعَاءِ، لِأَرْبَعٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ بِخِنْجَرٍ ذَاتِ طَرَفَيْنِ، فَضَرَبَهُ ثَلَاثَ ضَرَبَاتٍ، وَقِيلَ: سِتَّ ضَرَبَاتٍ. إِحْدَاهُنَّ تَحْتَ سُرَّتِهِ قَطَعَتِ الصِّفَاقَ فَخَرَّ مِنْ قَامَتِهِ، وَاسْتَخْلَفَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ، وَرَجَعَ الْعِلْجُ بِخِنْجَرِهِ لَا يَمُرُّ بِأَحَدٍ إِلَّا ضَرَبَهُ، حَتَّى ضَرَبَ ثَلَاثَةَ عَشَرَ رَجُلًا مَاتَ مِنْهُمْ سِتَّةٌ، فَأَلْقَى عَلَيْهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَوْفٍ بُرْنُسًا فَانْتَحَرَ نَفْسَهُ، لَعَنَهُ اللَّهُ، وَحُمِلَ عُمَرُ إِلَى مَنْزِلِهِ وَالدَّمُ يَسِيلُ مَنْ جُرْحِهِ - وَذَلِكَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ - فَجَعَلَ يُفِيقُ ثُمَّ يُغْمَى عَلَيْهِ، ثُمَّ يُذَكِّرُونَهُ بِالصَّلَاةِ فَيُفِيقُ وَيَقُولُ: نَعَمْ، وَلَا حَظَّ فِي الْإِسْلَامِ لِمَنْ تَرَكَهَا. ثُمَّ صَلَّى فِي الْوَقْتِ، ثُمَّ سَأَلَ عَمَّنْ قَتَلَهُ مَنْ هُوَ؟ فَقَالُوا لَهُ أَبُو لُؤْلُؤَةَ غُلَامُ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ. فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي لَمْ يَجْعَلْ مَنِيَّتِي عَلَى يَدَيْ رَجُلٍ يَدَّعِي الْإِيمَانَ، وَلَمْ يَسْجُدْ لِلَّهِ سَجْدَةً. ثُمَّ قَالَ: قَبَّحَهُ اللَّهُ، لَقَدْ كُنَّا
পৃষ্ঠা - ৫৬৮৬


সে ১৩ জনকে আঘাত করল ৷ তন্মধ্যে ৬ জন মারা গেল ৷ আবদুল্লাহ ইবন আউফ (রা) তার
উপর বুর্মুস (আরব ও মুরদের পরিধেয় মস্তকাবরণ যুক্ত ঢিলেঢালা পরিচ্ছদ) নিক্ষেপ করেন, ,
তাতে সে আটকা পড়ে যায় এবং সে নিজেকে হত্যা করে ৷ উমর (রা) কে তার বাড়িতে নেওয়া
হয় ৷ তার জখমী থেকে রক্ত ঝরজ্জি ৷ আর এ ঘটনাটি ছিল সুর্যোদয়ের পুর্বের ৷ একবার তিনি
চেতনা পান আবার অচেতন হয়ে যান ৷

উপস্থিত লোকেরা তাকে সালাতের কথা স্মরণ করিয়েহ্নে৷ তখন তিনি চেতনা ফিরে পান
এবং বলেন, হ্যা, রে এ সালাতকে ছেড়ে দেবে তার ইসলামে কোন অংশ নেই ৷ তারপর
সময়ের মধ্যে তিনি সালাত আদায় করেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, কে তাকে হত্যা করেছে ৷
উপস্থিত জনতা বললেন, যে ছিল আবু লুলু, মুগীরা ইবন শুবাহ (রা)-এর গোলাম ৷ একথা শুনে
তিনি বললেন, “আল্লাহর সমস্ত প্ৰশ্াৎসা যিনি আমার মৃত্যু এমন ৷লাকের মাধ্যমে করলে নি যে
ঈমানের দাবি করে অথচ আল্লাহর দরবারে একটি সিজদাও করে না ৷” তারপর তিনি বলেন,
“আল্লাহ তাকে কুৎসিত করুন ৷ আমরা তাকে সৎকাজের পরামর্শ দিয়েছিলাম ৷ মুগীরা (বা)

তার উপর প্রত্যহ দুই দিরহাম কর ধার্য করেছিলেন ৷ তারপর তিনি উমর (রা) এর কাছে

আবেদন করেছিলেন যেন তিনি তার উপর আরোপিত কর বৃদ্ধি করে দেন ৷ কেননা, সে ছিল
কাঠমিন্তি, খােদাইকার ও কামার ৷

কাজেই হযরত উমর (রা) প্রতিমাসে একশ’ দিরহাম পর্যন্ত তার প্রতি আরোপিত কর বৃদ্ধি
করলেন ৷ তিনি তাকে আরো বলেন, “আমি জ নঙে পেয়েছি তুমি নাকি এমন চাকা তৈরি
করতে পায় যা বায়ু দ্বারা চলে ৷’ ’আবু লুলু বলল, আল্লাহর শপথ! আমি তোমার জন্যে এমন
এক চাকা তৈরি করব যা নিয়ে লোকজন প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যে আংলাচনামুখর থাকবে ৷’ তখন
সময় ছিল মঙ্গলবার বিকাল বেলা ৷ আর সে তাকে আঘাত করেছিল বুধবার ভোরে, যুল-হাজ্জাহ্
মাসের ২৬ তারিখ ৷ হযরত উমর (রা) ওসীয়ত করলেন যেন তার মৃত্যুর পর খিলাফক্কতর
নির্বাচনের বিষয়টি ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি পরামর্শ সভার উপর ন্যস্ত করা হয় ৷ এ ছয়জরুনর
প্রতি রাসুলুল্লাহ্মোঃতার জীবদ্দশায় সন্তুষ্ট ছিলেন ৷ তারা হলেন

হযরত উসমান (বা), হযরত আলী (বা), হযরত তাগ্রা (বা), হযরত যুবাইর (রা),
হযরত আবদুর রহমান ইবন আউফ (বা) ও হযরত সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা৷) ৷ তিনি
হযরত সাঈদ ইবন যক্ট্রয়িদ ইবন আমর ইবন নুফাইল আল-আদভী (রা)-কে তাদ্যো মধ্যে
উল্লেখ করেন নি ৷ কেননা, তিনি ছিলেন তার গোত্রের দো! ৷ আর খিলাফতেরুব্ধির্ব্যচনের
ব্যাপারে গোত্রীয় প্রভাবের তিনি আশংকা করেছিলেন ৷ স্ফোণের মধ্যে হতে যারা তার পরে
তার স্থলাভিষিক্ত হবেন তাদেরকে তাদের মর্যাদার স্তর অনুযায়ী জংকল্যাণ সম্পাদনের ওসীয়ত
করে যান ৷

জখমী হবার তিনদিন পরে তিনি মৃত্যুমুঠখ পতিত হন এবং রবিবার দিন ২৪ হিজরীর
মুহররমের ১লা তারিখ রাসুলুল্লাহ্স্পা এর হুজরায় হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) এর পার্শে
হযরত আয়িশা সিদ্দীকা (রা) এর অনুমতিক্রমে তাকে দাফন করা হয় ৷ আর ঐদিন আমীরুল
মু মিনীন হযরত ৩উসমান ইবন আফ্ফান (রা) এর খিলাফত আরম্ভ হয় ৷


أَمَرْنَا بِهِ مَعْرُوفًا. وَكَانَ الْمُغِيرَةُ قَدْ ضَرَبَ عَلَيْهِ فِي كُلِّ يَوْمٍ دِرْهَمَيْنِ، ثُمَّ سَأَلَ مِنْ عُمَرَ أَنْ يَزِيدَ فِي خَرَاجِهِ فَإِنَّهُ نَجَّارٌ نَقَّاشٌ حَدَّادٌ، فَزَادَ فِي خَرَاجِهِ إِلَى مِائَةٍ فِي كُلِّ شَهْرٍ، وَقَالَ لَهُ: لَقَدْ بَلَغَنِي أَنَّكَ تُحْسِنُ أَنْ تَعْمَلَ رَحًا تَدُورُ بِالْهَوَاءِ. فَقَالَ أَبُو لُؤْلُؤَةَ أَمَا وَاللَّهِ لَأَعْمَلَنَّ لَكَ رَحًا يَتَحَدَّثُ بِهَا النَّاسُ فِي الْمَشَارِقِ وَالْمَغَارِبِ - وَكَانَ هَذَا يَوْمَ الثُّلَاثَاءِ عَشِيَّةً - وَطَعَنَهُ صَبِيحَةَ الْأَرْبِعَاءَ لِأَرْبَعٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ. وَأَوْصَى عُمَرُ أَنْ يَكُونَ الْأَمْرُ شُورَى بَعْدَهُ فِي سِتَّةٍ مِمَّنْ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ عَنْهُمْ رَاضٍ؛ وَهُمْ عُثْمَانُ وَعَلِيٌّ وَطَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ وَسَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ، وَلَمْ يَذْكُرْ سَعِيدَ بْنَ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ الْعَدَوِيَّ فِيهِمْ ; لِكَوْنِهِ مِنْ قَبِيلَتِهِ، خَشْيَةَ أَنْ يُرَاعَى فِي الْإِمَارَةِ بِسَبَبِهِ، وَأَوْصَى مَنْ يُسْتَخْلَفُ بَعْدَهُ بِالنَّاسِ خَيْرًا عَلَى طَبَقَاتِهِمْ وَمَرَاتِبِهِمْ. وَمَاتَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ بَعْدَ ثَلَاثٍ، وَدُفِنَ يَوْمَ الْأَحَدِ مُسْتَهَلَّ الْمُحَرَّمِ مِنْ سَنَةِ أَرْبَعٍ وَعِشْرِينَ بِالْحُجْرَةِ النَّبَوِيَّةِ إِلَى جَانِبِ الصِّدِّيقِ، عَنْ إِذْنِ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، فِي ذَلِكَ، وَفِي ذَلِكَ الْيَوْمِ حَكَمَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: طُعِنَ عُمَرُ يَوْمَ الْأَرْبِعَاءِ لِأَرْبَعِ لَيَالٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ، وَدُفِنَ يَوْمَ الْأَحَدِ صَبَاحَ هِلَالِ الْمُحَرَّمِ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَعِشْرِينَ فَكَانَتْ وِلَايَتُهُ عَشْرَ سِنِينَ
পৃষ্ঠা - ৫৬৮৭
وَخَمْسَةَ أَشْهُرٍ وَأَحَدًا وَعِشْرِينَ يَوْمًا، وَبُويِعَ لِعُثْمَانَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ لِثَلَاثٍ مَضَيْنَ مِنَ الْمُحَرَّمِ. قَالَ: فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِعُثْمَانَ الْأَخْنَسِيِّ، فَقَالَ: مَا أُرَاكَ إِلَّا وَهِلْتَ، تُوُفِّيَ عُمَرُ لِأَرْبَعِ لَيَالٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ، وَبُويِعَ لِعُثْمَانَ لِلَيْلَةٍ بَقِيَتْ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ، فَاسْتَقْبَلَ بِخِلَافَتِهِ الْمُحَرَّمَ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَعِشْرِينَ. وَقَالَ أَبُو مَعْشَرٍ: قُتِلَ عُمَرُ لِأَرْبَعٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ تَمَامَ سَنَةِ ثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ، وَكَانَتْ خِلَافَتُهُ عَشْرَ سِنِينَ وَسِتَّةَ أَشْهُرٍ وَأَرْبَعَةَ أَيَّامٍ، وَبُويِعَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ. وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: حُدِّثْتُ عَنْ هِشَامِ بْنِ مُحَمَّدٍ، قَالَ: قُتِلَ عُمَرُ لِثَلَاثٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ، فَكَانَتْ خِلَافَتُهُ عَشْرَ سِنِينَ وَسِتَّةَ أَشْهُرٍ وَأَرْبَعَةَ أَيَّامٍ. وَقَالَ سَيْفٌ، عَنْ خُلَيْدِ بْنِ ذَفَرَةَ وَمُجَالِدٍ قَالَا: اسْتُخْلِفَ عُثْمَانُ لِثَلَاثٍ مِنَ الْمُحَرَّمِ، فَخَرَجَ فَصَلَّى بِالنَّاسِ صَلَاةَ الْعَصْرِ. وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَدَائِنِيُّ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ - أَوْ جَابِرٍ الْجُعْفِيِّ - عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الْأَشْجَعِيِّ وَعَامِرِ بْنِ أَبِي مُحَمَّدٍ، عَنْ أَشْيَاخٍ مِنْ