আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثلاث وعشرين

فتح فسا ودارابجرد وقصة سارية بن زنيم

فتح فسا ودارابجرد وقصة سارية بن زنيم

পৃষ্ঠা - ৫৬৬৯

২৩ হিজরীর সুচনা

এ সনেই হযরত উমর উবনুল খাত্তাব (রা)-এর ওফাত ৷ আল্লামা ওয়াকিদী (র) ও আবু
মাশার (র) বলেন, “এ বছরেই ইসতিখার ও হামাদান বিজয় হয় ৷

আল্লামা সাইফ (র) বলেন, এটার বিজয় ছিল দ্বিতীয় তাওয়াজ-এর বিজয়ের পর ৷ তারপর
তিনি উল্লেখ করেন, যিনি পারস্যবাসীদের সাথে প্রচণ্ড যুদ্ধ করার পর তাওয়াজ জয় করেন তিনি
হলেন মাজাশি ইবন মাসুদ ৷ তিনি তাদের থেকে প্রচুর পনীম্তও অর্জন করেছিলেন ৷ তারপর
তিনি বাসিন্দাদের উপর কর ধার্য করেন এবং তারেদকে একটি নিরাপত্তানামা প্রদান করেন ৷
তারপর তিনি হযরত উমর (রা)এর কাছে বিজয়ের সংবাদ ও খুমুসের সরকারী অংশ প্রেরণ
করেন ৷

আল্লামা ওয়াকিদী (র) আরো উল্লেখ করেন যে, উসমান ইবন আবুল আস (রা) প্রচণ্ড
যুদ্ধের পর জাওর জয়লাভ করেন ৷ তারপর মুসলমানগণ ইখতিখার পুনরায় জয় করেন ৷
বাহরাইন জয় করার পথে আল-আলা ইবন আল-হাদরামী (রা)-এর সৈন্যরা একবার ইসতিখার
জয় করেছিলেন ৷ কিন্তু পরে বাসিন্দারা সন্ধি ভঙ্গ করে ৷ মুসলমান ও পারস্য সৈন্যরা একটি
জায়গায় মুখোমুখি হয়েছিল, তাকে তাউস বলা হয় ৷ তারপর হারবাদ কর আদায়ের শর্তে সন্ধি
করেন এবং বাসিন্দাদের জন্যে সন্ধিনামায় দিয়ে দেন ৷ এরপর তিনি খুমুসসহ বিজয়ের শুভ
সংবাদ জ্ঞাপন করে উমর (রা) এর কাছে দুত প্রেরণ করেন ৷

ইবন জারীৱ (র) বলেন, দুতদেরকে পুরস্কার দেওয়া হতো এবং তাদের প্রয়োজন মিটানাে
হতো ৷ রাসুলুল্লাহ্জ্জা ও তাদের সাথে এরুপ আচরণ করতেন ৷ তারপর শাহরাক সন্ধি ভঙ্গ
করল ও সন্ধিনামা বিনষ্ট করল ৷ যে পারস্যবাসীদেরাক উষ্কানি দিল ৷ তাই তারা সন্ধি ভঙ্গ
করল ৷ উসমান ইবন আবুল আস (বা) তার পুত্রকে এবং তাই হাকামকে তাদের দমনের জন্যে
প্রেরণ করেন ৷ তারা পারসাবাসীদের বিরুদ্ধে তুমুল যুদ্ধ করেন ৷ আল্লাহ্ তাআলা মুশরিক
সৈন্যদেরকে পৱাভৃত করেন ৷ আর হাকাম ইবন আবুল আস (র) শাহরাককে হত্যা করেন ৷
তার পুত্রও তার সাথে নিহত হয় ৷ আবু মাশার (র) বলেন, পারস্যের প্রথম যুদ্ধ এবং
ইসতিখারের দ্বিতীয়যুদ্ধ হযরত উসমান (রা)-এর আমলে ২৮ হিজরীতে সংঘটিত হয় ৷ আর
পারস্যের দ্বিতীয় যুদ্ধ ও জাওরের ঘটনা ২৯ হিজরীতে সংঘটিত হয় ৷

ফাসা ও দাৱ আৰ্জারদ-এর বিজয় এবং সারীয়া ইবন যুনইিম-এর কাহিনী

আল্লামা সইিফ্ (র) তার ওন্তাদদের থেকে উল্লেখ করেন যে, সারীয়া ইবন যুনাইম
ফাসাওদার আবজারদ এর অভিযানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন ৷ পারস্যবাসী ও কুর্দীদের মধ্য হতে
একটি বিরাট সৈন্যদল তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে জমায়েত হলো ৷ শত্রু সৈন্যের আধিক্য


مَعَ الْفُرْسِ، فَهَزَمَ اللَّهُ جُيُوشَ الْمُشْرِكِينَ، وَقَتَلَ الْحَكَمُ بْنُ أَبِي الْعَاصِ شَهْرَكَ، وَقَتَلَ ابْنَهُ مَعَهُ أَيْضًا. وَقَالَ أَبُو مَعْشَرٍ: كَانَتْ فَارِسُ الْأُولَى وَإِصْطَخْرُ الْآخِرَةُ سَنَةَ ثَمَانٍ وَعِشْرِينَ فِي إِمَارَةِ عُثْمَانَ، وَكَانَتْ فَارِسُ الْآخِرَةَ وَوَقْعَةُ جَوْرَ فِي سَنَةِ تِسْعٍ وَعِشْرِينَ. [فَتْحُ فَسَا وَدَارَابْجِرْدَ وَقِصَّةُ سَارِيَةَ بْنِ زُنَيْمٍ] ذَكَرَ سَيْفٌ عَنْ مَشَايِخِهِ أَنَّ سَارِيَةَ بْنَ زُنَيْمٍ قَصَدَ فَسَا وَدَارَابْجِرْدَ، فَاجْتَمَعَ لَهُ جُمُوعٌ مِنَ الْفُرْسِ وَالْأَكْرَادِ عَظِيمَةٌ، وَدَهَمَ الْمُسْلِمِينَ مِنْهُمْ أَمْرٌ عَظِيمٌ وَجَمْعٌ كَثِيرٌ، فَرَأَى عُمَرُ فِي تِلْكَ اللَّيْلَةِ فِيمَا يَرَى النَّائِمُ مَعْرَكَتَهُمْ وَعَدَدَهُمْ فِي وَقْتٍ مِنَ النَّهَارِ، وَأَنَّهُمْ فِي صَحْرَاءَ، وَهُنَاكَ جَبَلٌ إِنِ اسْتَنَدُوا إِلَيْهِ لَمْ يُؤْتَوْا إِلَّا مِنْ وَجْهٍ وَاحِدٍ، فَنَادَى مِنَ الْغَدِ: الصَّلَاةُ جَامِعَةٌ. حَتَّى إِذَا كَانَتِ السَّاعَةُ الَّتِي رَأَى أَنَّهُمُ اجْتَمَعُوا فِيهَا، خَرَجَ إِلَى النَّاسِ وَصَعِدَ الْمِنْبَرَ فَخَطَبَ النَّاسَ وَأَخْبَرَهُمْ بِصِفَةِ مَا رَأَى، ثُمَّ قَالَ: يَا سَارِيَةُ، الْجَبَلَ الْجَبَلَ! ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْهِمْ، وَقَالَ: إِنَّ لِلَّهِ جُنُودًا، وَلَعَلَّ بَعْضَهَا أَنْ يُبَلِّغَهُمْ. قَالَ: فَفَعَلُوا مَا قَالَ عُمَرُ، فَنَصَرَهُمُ اللَّهُ عَلَى عَدُوِّهِمْ، وَفَتَحُوا الْبَلَدَ. وَذَكَرَ سَيْفٌ فِي رِوَايَةٍ أُخْرَى عَنْ شُيُوخِهِ، أَنَّ عُمَرَ بَيْنَمَا هُوَ يَخْطُبُ يَوْمَ
পৃষ্ঠা - ৫৬৭০


ও তাদের প্রকাগু আয়োজনে মুসলমানগণ হতভম্ব ও আতংকিত হয়ে পড়লেন ৷ যুদ্ধের ণ্পুর্বরাতে
হযরত উমর (রা) মুসলিম ও শত্রু সৈন্য সংখ্যা এবং দিনের নির্দিষ্ট সময়ে সংঘটিত তাদের যুদ্ধ
স্বপ্নে দেখলেন ৷ আর মুসলমান সৈন্যদেরকে ময়দানে প্রতিকুলঅবন্থায় অবস্থান করতে
দেখলেন ৷ অথচ তাদের পাশেই রয়েছে পাহাড় ৷ যদি তারা পাহাড়কে পিছে ণ্রনে , শত্রুর
মোকাবিলা করে তাহলে শত্রুরা তাদের প্রতি মাত্র এক দিক দিয়ে হামলা করতে সক্ষম হবে ৷

পরদিন ঐ নির্দিষ্ট সময়ে ঘোষণা করা হলো ’ন্হ্রাপু ’ওব্লুান্এ ৷ দোকজ্যা যখন জমায়েত
হলো ৷ হযরত উমর (রা) জনসমক্ষে বের হলেন ও যিম্বরে আরোহণ করেন এবং জনগণকে
সাম্বাধ্নর্কিরেন ৷ আর তিনি যা স্বপ্নে দেখেছেন এ জ্যোং-তদ্যেকে সংবাদ দিলেন ৷ এরপর
বললেন, ইয়া সারীয়াতাহ আল-জাবাল, আল-জাবাল অর্থাৎ হে সারীয়াহ পাহাড়ে আশ্রয় নাও,
পাহাড়ে আশ্রয় নাও ৷ তারপর তিনি উপস্থিত জনতার প্রতি মুখ ফিরালেন এবং বললেন,
“আল্লাহর বহু সৈন্য-সামত্ত রয়েছে হয়ত কিছু অংশ মুসলিম সৈন্যদের সাহায্যে আসবে ৷
বর্ণনাকারী বলেন, উমর (রা) যেরুপ বললেন সৈন্যরাও অনুরুপ বরেলেন ৷ এরপর আল্লাহ্
তাআলা তাদেরকে তাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে সাহায্য দান করলেন এবং তারা শহরটি জয়
করলেন ৷

আল্লামা সাইফ্ (র) তার ওস্তাদগণের মাধ্যমে অন্য এক বর্ণনায় উল্পেখকারন যে, একদিন

উমর (রা) জুমার খুতবা প্রদান কালে বললেন, হে যুনইিমের পুত্র সারীয়াহ পাহাড়, পাহাড়
অর্থাৎ তোমরা পাহাড়ে আশ্রয় গ্রহণ কর ৷ তারপর মুসলমানগণ তথায় অবস্থিত পাহাড়ে আশ্রয়
নিলেন ৷ তাই শক্ররা শুধুমাত্র এক দিক দিয়ে আক্রমণ করার সুযোগ পেল ৷ শত্রুদের বিরুদ্ধে
মুসলমানদেরকে আল্লাহ্ তাআলা সাহায্য করলেন ৷ তারা শহরটি জয় করলেন এবং পর্যাপ্ত
পরিমাংণ সালে গনীমত অর্জন করলেন ৷ গনীমতের মধ্যে এক ঝুড়ি মুক্তা ছিল অন্যতম ৷ হযরত
উমর (রা)-ঝে হাদীয়া হিসেবে প্রদান করার জন্যে সারীয়াহ (র) মুসলমানদের কাছে অনুমতি
প্রার্থনা করলেন ৷ তারা অনুমতি দিলেন ৷ উক্ত ঝুড়িটি যখন দুতের মাধ্যমে খুমুসের সাথে হযরত
উমর (রা) এর কাছে পৌছল, দুত খুমুস নিয়ে হযরত উমর (রা)-এর কাছে হাযির হলো তখন
সে দেখল যে, হযরত উমর (রা) তার হাতে একটি ছড়ি নিয়ে মুসলমানদেরকে খাদ্য
খাওয়ইিতেছেন ৷ উমর (রা) যখন তাকে দেখলেন তখন তাকে বললেন, বস, অথচ তিনি তাকে
চিনতে পারেন নি ৷ লোকটি বসলেন এবং অন্য লোকদের সাথে খাদ্য গ্রহণ করলেন ৷ যখন
তারা খাবার খাওয়া শেষ করলেন, উমর (বা) তার ঘরে প্রত্যাবর্তন করেন এবং নােকটিও তার
পেছনে পেছনে তার ঘরে গমন করলেন ৷ প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা করলেন ৷ যলীফা তাকে
অনুমতি প্রদান করলেন এবং তার সামনে রুটি, যায়তুন তেল ও লবণ রাখা হলো ৷ খলীফা
তাকে বললেন, নিকটে আস ও খাও ৷ খলীফার শ্রী স্বীয় কক্ষে উপবিষ্ট ছিলেন ৷ খলীফা তার
ন্নীহুৰু বলতে লাগলেন হে৷ তুমি কি বের হয়ে আসবে ও খাবেঃ তিনি বললেন, আমি তোমার
কাছে একজন লোকের উপস্থিতি অনুভব করছি ৷ তিনি বললেন, হ্যা, খলীফার, শ্রী বললেন, যদি
তুমি চাও যে আমি পুরুষদের সামনে আসা-যাওয়া করি তাহলে আমাকে আমার এ কাপড়ের
পরিবর্তে অন্য একটি ভাল কাপড় খরিদ করে দেবে ৷


الْجُمُعَةِ إِذْ قَالَ: يَا سَارِيَةُ بْنَ زُنَيْمٍ، الْجَبَلَ الْجَبَلَ! فَلَجَأَ الْمُسْلِمُونَ إِلَى جَبَلٍ هُنَاكَ، فَلَمْ يَقْدِرِ الْعَدُوُّ عَلَيْهِمْ إِلَّا مِنْ جِهَةٍ وَاحِدَةٍ، فَأَظْفَرَهُمُ اللَّهُ بِهِمْ، وَفَتَحُوا الْبَلَدَ، وَغَنِمُوا شَيْئًا كَثِيرًا، فَكَانَ مِنْ جُمْلَةِ ذَلِكَ سَفَطٌ مِنْ جَوْهَرٍ، فَاسْتَوْهَبَهُ سَارِيَةُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ لِعُمَرَ، فَلَمَّا وَصَلَ إِلَيْهِ مَعَ الْأَخْمَاسِ، قَدِمَ الرَّسُولُ بِالْخُمْسِ فَوَجَدَ عُمَرَ قَائِمًا فِي يَدِهِ عَصَا، وَهُوَ يُطْعِمُ الْمُسْلِمِينَ سِمَاطَهُمْ، فَلَمَّا رَآهُ عُمَرُ قَالَ لَهُ: اجْلِسْ. وَلَمْ يَعْرِفْهُ. فَجَلَسَ الرَّجُلُ فَأَكَلَ مَعَ النَّاسِ، فَلَمَّا فَرَغُوا انْطَلَقَ عُمَرُ إِلَى مَنْزِلِهِ، وَأَتْبَعَهُ الرَّجُلُ، فَاسْتَأْذَنَ فَأَذِنَ لَهُ، وَإِذَا هُوَ قَدْ وُضِعَ لَهُ خُبْزٌ وَزَيْتٌ وَمِلْحٌ، فَقَالَ: ادْنُ فَكُلْ. قَالَ: فَجَلَسْتُ، فَجَعَلَ يَقُولُ لِامْرَأَتِهِ: أَلَا تَخْرُجِينَ يَا هَذِهِ فَتَأْكُلِينَ؟ فَقَالَتْ: إِنِّي أَسْمَعُ حِسَّ رَجُلٍ عِنْدَكَ. فَقَالَ: أَوَمَا تَرْضَيْنَ أَنْ يُقَالَ: أُمُّ كُلْثُومٍ بِنْتُ عَلِيٍّ وَامْرَأَةُ عُمَرَ! فَقَالَتْ: مَا أَقَلَّ غَنَاءَ ذَلِكَ عَنِّي. ثُمَّ قَالَ لِلرَّجُلِ: ادْنُ فَكُلْ، فَلَوْ كَانَتْ رَاضِيَةً لَكَانَ أَطْيَبَ مِمَّا تَرَى. فَأَكَلَا، فَلَمَّا فَرَغَا، قَالَ: أَنَا رَسُولُ سَارِيَةَ بْنِ زُنَيْمٍ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ: مَرْحَبًا وَأَهْلًا. ثُمَّ أَدْنَاهُ حَتَّى مَسَّتْ رُكْبَتُهُ رُكْبَتَهُ، ثُمَّ سَأَلَهُ عَنِ الْمُسْلِمِينَ، ثُمَّ سَأَلَهُ عَنْ سَارِيَةَ بْنِ زُنَيْمٍ، فَأَخْبَرَهُ، ثُمَّ ذَكَرَ لَهُ شَأْنَ السَّفَطِ مِنَ الْجَوْهَرِ، فَأَبَى أَنْ يَقْبَلَهُ وَأَمَرَ بِرَدِّهِ إِلَى الْجُنْدِ. وَقَدْ سَأَلَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ رَسُولَ سَارِيَةَ عَنِ الْفَتْحِ فَأَخْبَرَهُمْ، فَسَأَلُوهُ: هَلْ سَمِعُوا صَوْتًا يَوْمَ الْوَقْعَةِ؟ قَالَ: نَعَمْ، سَمِعْنَا قَائِلًا يَقُولُ: يَا سَارِيَةُ، الْجَبَلَ! وَقَدْ كِدْنَا نَهْلِكُ فَلَجَأْنَا إِلَيْهِ فَفَتَحَ اللَّهُ عَلَيْنَا.
পৃষ্ঠা - ৫৬৭১


খলীফা বললেন, “তুমি কি এটাতে খুশি নও যে, তোমাকে বলা হয়ে থাকে হযরত আলী
(রা)এর কন্যা উষ্মে কুল্সুম্ এবং হযরত উমর (না)-এর ত্রীণ্ তিনি বললেন, এটা আমার জন্যে
কম সৌভাংগ্যর নয় ৷ তারপর খলীফা দোকটিকে বললেন, তুমি অসে এবং খাও , যদি আমার ত্রী
রাজী হতো তাহলে এটা হতো উত্তম ৷ খলীফা ও লোকটি এ দুজনে খেতে বসলেন, এবং
খাওয়ার শেষে লোকটি বলল, “হে আমীরুল মু’মিনীন ৷ আমি সারীয়াহ ইবন যুনাইম (র)-এর
দুত ৷ খলীফা বললেন মারহাবা, সুস্বাগতম’ খলীফা তাকে আরো নিকটে বসালেন এমনকি
খলীফার ইার্টুর সাথে তার ইাটু স্পর্শ করল ৷ তারপর খলীফা মুসলমানদের সম্বন্ধে জিজ্ঞেস
করলেন এবং সারীয়াহ ইবন যুনাইম (র) সম্বন্ধেও জিজ্ঞেস করলেন ৷ লোকটি খলীফাৱ কাছে
বিস্তারিত প্রতিবেদন পেশ করল ৷

তারপর লোকটি খলীফার কাছে মুক্তার ঝুড়িটির কথা উল্লেখ করলেন কিন্তু খলীফা তা
গ্রহণ করলেন না এবং সৈন্যদের কাছে ফেরত পাঠ্বাের নির্দেশ প্রদান করলেন ৷ মদীনায়
বাসিন্দাগণ সারীয়াহর দুতকে বিজয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন ৷ লোকটি তাদের কাছে সংবাদ
পরিবেশন করলেন ৷ তারপর তারা র্তাকে জ্যিজ্ঞস করলেন, ঘটনার দিন কি তোমরা কোন
আওয়াজ শুনেছিলাে, লোকটি বলল হ্যা’ আমরা একজন ব্যক্তিকে বলতে শুনেছি ৷ তিনি
বলছিলেন, হে সারীয়াহ আল-জাবাল ! আল-জ্বাবাল! আমরা ধ্বংসের মুখোমুখি হয়ে
গিয়েছিলড়াম ৷ তারপর আমরা পাহাড়ের দিকে আশ্রয় নিলাম এবং আল্লাহ্ তাআলা আমাদেরকে
বিজয় দান করলেন ৷ আল্লামা সাইফ (র) ও মুজালিদ (র) এবং ইমাম শাবী (র)-এর মাধ্যমে
অনুরুপ বর্ণনা পেশ করেন ৷

আবদুল্লাহ ইবন ওহাব (র) ইবন উমর (রা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
একবার হযরত উমর (রা) একটি অভিযানে সেনাদল প্রেরণ করেন এবং সারীয়াহ নামক এক
ব্যক্তিকে আমীর নিযুক্ত করেন ৷ ইতোমধ্যে উমর (রা) জনগণের উদ্দেশ্যে খুতবাহ পাঠ করার
সময় উভৈচ্চ৪স্বরে বলতে লাগলেন ; অর্থাৎ হে
সারীয়াহ! পাহাড়ে আশ্রয় নাও ৷ তিনবার বললেন ৷ যুদ্ধশেষে সেনাপতির দুত আগমন করলে
হযরত উমর (রা) তাকে জিজ্ঞেস করলেন ৷ তোমরা কি যুদ্ধের সময় কোন আওয়াজ শুনেছিলো
তখন দুত বলল, হে আমীরুল মু মিনীনা আমাদের পরাজিত হবার উপক্রম হয়েছিল

এমতাবস্থায় আমরা একজন আহ্বানকারীকে তিনবার আহ্বান করতে শুনলাম, “হে সারীয়াহা

পাহাড়ে আশ্রয় নাও ৷ আমরা পাহাড়কে আমাদের পেছনে রাখলাম ৷ তারপর আল্লাহ তা আলা
শক্রসেনাদেরকে পরাস্ত করলেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, হযরত উমর (না)-কে বলা হলো নিশ্চয়ই ন্
আপনিই উভৈচ্চঙ্কস্বরে এটা বলছিলেন ৷

আস্লামা ওয়াকিদী (র) হযরত ইবন উমর (রা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
“উমর (রা) একদা মিম্বরে দাড়িয়ে বলেন, “হে সারীয়াহ ইবন যুনাইম, পাহাড়ে আশ্রয় নাও ৷
লোকজন বুঝতে পারেনি যে, তিনি কি বলছেন ৷ তারপর সারীয়াহ ইবন যুনাইম (র) মদিনায়
এসে হযরত উমর (রা)এর সাথে সাক্ষাত করেন এবং বলেন, হে আমীরুন ন্মুমিনীনা আমরা
শত্রু দ্বগ্লুরা পরিৰেষ্টিত হয়ে পড়েজ্জিড়াম ৷ আমরা এমনভাবে আমাদের দিনষ্টন্লো কালাতির্পাত


ثُمَّ رَوَاهُ سَيْفٌ عَنْ مَجَالِدٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ بِنَحْوِ هَذَا. وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ عَنِ ابْنِ عَجْلَانَ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ عُمَرَ وَجَّهَ جَيْشًا وَرَأَّسَ عَلَيْهِمْ رَجُلًا يُقَالُ لَهُ: سَارِيَةُ. قَالَ: فَبَيْنَمَا عُمَرُ يَخْطُبُ فَجَعَلَ يُنَادِي: يَا سَارِيَ الْجَبَلَ! ثَلَاثًا. ثُمَّ قَدِمَ رَسُولُ الْجَيْشِ فَسَأَلَهُ عُمَرُ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ هُزِمْنَا فَبَيْنَمَا نَحْنُ كَذَلِكَ إِذْ سَمِعْنَا مُنَادِيًا: يَا سَارِيَةُ الْجَبَلَ! ثَلَاثًا. فَأَسْنَدْنَا ظُهُورَنَا بِالْجَبَلِ فَهَزَمَهُمُ اللَّهُ. قَالَ: فَقِيلَ لِعُمَرَ: إِنَّكَ كُنْتَ تَصِيحُ بِذَلِكَ وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ حَسَنٌ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي نَافِعُ بْنُ أَبِي نُعَيْمٍ، عَنْ نَافِعٍ مَوْلَى ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ عُمَرَ قَالَ عَلَى الْمِنْبَرِ: يَا سَارِيَةُ بْنَ زُنَيْمٍ الْجَبَلَ! فَلَمْ يَدْرِ النَّاسُ مَا يَقُولُ حَتَّى قَدِمَ سَارِيَةُ بْنُ زُنَيْمٍ الْمَدِينَةَ عَلَى عُمَرَ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ كُنَّا مُحَاصِرِي الْعَدُوِّ، فَكُنَّا نُقِيمُ الْأَيَّامَ لَا يَخْرُجُ عَلَيْنَا مِنْهُمْ أَحَدٌ نَحْنُ فِي خَفْضٍ مِنَ الْأَرْضِ وَهُمْ فِي حِصْنٍ عَالٍ، فَسَمِعْتُ صَائِحًا يُنَادِي بِكَذَا وَكَذَا: يَا سَارِيَةُ بْنَ زُنَيْمٍ الْجَبَلَ! فَعَلَوْتُ بِأَصْحَابِي الْجَبَلَ، فَمَا كَانَ إِلَّا سَاعَةً حَتَّى فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْنَا. وَقَدْ رَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ اللَّالِكَائِيُّ، مِنْ طَرِيقِ مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ بِنَحْوِهِ، وَفِي صِحَّتِهِ مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ نَظَرٌ.
পৃষ্ঠা - ৫৬৭২


করছিলাম যে, তাদের মধ্য থেকে কেউ আমাদের কাছে আগমন করেনি ৷ আমরা অবস্থান
করছিলাম অপেক্ষাকৃত নীচুভুমিতে ৷ আর শত্রুর৷ অবস্থান করছিল উচু দুর্ণে ৷ তারপর আমি
একজন আহ্বানকারীকে এরুপ আহ্বান করতে শুনলাম, তিনি আহ্বান করছেন, হে সারীয়াহ
ইবন যুনাইম “পাহাড়ে আশ্রয় নাও ৷ তখন আমি আমার সাথীদের নিয়ে পাহাড়ে আশ্রয়
নিলাম ৷ কিছুক্ষণের মধ্যে আল্লাহ তা আলা আমাদেরকে বিজয় দান করলেন ৷ হাফিজ আবুল
কাসিম আলালকা ৷রীও হযরত ইবন উমর (বা) হতে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ তবে এ সনদের
শুদ্ধতায় মতভেদ রয়েছে
আল্লামা ওয়াকিদী (র) উসামা ইবন যায়িদ (রা) ও আবু সুল৷ ৷ইমান (র) এর মাধ্যমে বর্ণনা
করেন ৷ তারা বলেন, “একদিন হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) জুমার সালাত আদায় করার
জন্যে ঘরের বের হন ৷ তারপর তিনি মিম্বরে আরোহণ করেন ও এক পর্যায়ে উক্ট্রচ্চ৪স্বরে বলতে
লাগলেন, হে সারীয়াহ ইবন যুনাইম, পাহাড়ের আশ্রয় নাও, হে সারীয়াহ ইবন যুনাইম পাহাড়ে
আশ্রয় নাও ৷ যে ব্যক্তি বকরীর সাথে নেকড়ে চবড়াতে চায় তার ষ্টুছুবউ সীমালংঘন হয়ে থাকে ৷
ণরপর তিনি থুতব৷ সমাপ্ত করলেন ৷ ও ন্
তারপর হযরত উমর (রা) এর কাছে সারীয়াহ (রা) এর পএ পৌছে ৷ পত্রে লেখা ছিল,

নিশ্চয়ই জুমার দিন অতটার সময় যখন হযরত উমর (রা) ঘর থেকে বের হয়ে মিম্বরে
দণ্ডায়মান হয়ে কথা বলছিলেন, তখন আল্লাহ্ তাআলা আমাদেরকে বিজয় দান করলেন ৷
সারীয়াহ (র) বলেন, আমি আওয়াজ শুনেছিলাম, হে সারীয়াহ ইর্বৃন যুনাইম! পাহাড়ে আশ্রয়
নাও, হে সারীয়াহ ইবন যুন৷ ৷ইম! পাহাড়ে আশ্রয় নাও ৷ যে ব্যক্তি বকরীর সাথে নেকড়ে চরড়াতে
চায় তার উপর সীমালং ঘন হয়ে থাকে ৷ তারপবু আমার সাথীদেবকে নিয়ে আমি পাহাড়ে
চড়লাম ৷ এর পুর্বে আমরা ছিলাম উপত্যকার নিম্নণ্ডুমাি৩ ৷ আমরা শ্াত্রু দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে
পড়েহ্নিা৷ম ৷ তারপর আল্লাহ তা আলা আ গ্াদ্বেৰুবেষ্াবিজ্য় দান করনুেন ৷ হযরত উমর (রা) কে
জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, একথাটি কেমন করে হয়েছিল? ট্রুহযরক ৩উমব (রা) বলেন, আল্লাহর
শপথ আমার মুখে য৷ এসেছিল তা ই আমি বলেছি লাম্ ৷ উপরের বর্ণনাটি বিভিন্ন সুত্রের
সমন্বয়ে পেশ করা হলো ৷

কিরমান, সিজিস্তান ও মাকরানের বিজয়

আল্লামা সাইফ (র) এর মাধ্যমে তার ওস্তাদদের কাহু থেকে বর্ণনায় ২ব ন জারীর (র)
বলেন, সুহাইল ইবন আদী (র) এর হাতে কিরমান বিজয় হয়েছিল আর তাকে সাহায্য করেছিল
“আবদুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ ইবন উ৩বান (র) ৷ কেউ কেউ বলেন, আবদুল্লাহ ইবন বুদাইল ইবন
ওরাকা আল খাযায়ী এর হাতে কিরমান বিজয় হয়েছিল ৷ প্রচণ্ড যুদ্ধের পর আসিম ইবন আমর
(র) এর হাতে সিজিস্তান বিজয় হয় ৷ দেশটির সীমানা ছিল বিন্তুত আর র্শহরগুলৌ ছিল
বিক্ষিপ্ত ৷ এটা ছিল আস-সানাদ হতে বালখের নদী পর্যন্ত এলাকায় বিন্তুত ৷ এদেশের বাসিন্দারা
তাদের সীমান্তে ও প্রধান প্রধান শহরগুলােতে পুর্বে কান্দাহায়বাসী ও তৃর্কীদের সাথে যুদ্ধে মগ্ন
থাকত ৷ আল-হাকাম ইবন আমর(র)-এর হাতে সাকরান বিজয় হয় ৷ তাকে সাহায্য করেন,
বাশহাব ইবন আল-মাখারিক ইবন শিহাব (র), সুহাইল ইবন আদী (র) ও আবদুল্লাহ ইবন
আবদুল্লাহ (র) ৷ আস-সানাদের বাদশাহর বির্ব্লুন্দ্ধে তারা যুদ্ধ করেন ৷ আল্পাহ্ তাআ,লা

আল-ৰিদায়া — ৩১


وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيهِ، وَأَبُو سُلَيْمَانَ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ زَيْدٍ، قَالَا: خَرَجَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِلَى الصَّلَاةِ فَصَعِدَ الْمِنْبَرَ ثُمَّ صَاحَ: يَا سَارِيَةُ بْنَ زُنَيْمٍ الْجَبَلَ! يَا سَارِيَةُ بْنَ زُنَيْمٍ الْجَبَلَ! ظَلَمَ مَنِ اسْتَرْعَى الذِّئْبَ الْغَنَمَ. ثُمَّ خَطَبَ حَتَّى فَرَغَ، فَجَاءَ كِتَابُ سَارِيَةَ إِلَى عُمَرَ: إِنَّ اللَّهَ قَدْ فَتَحَ عَلَيْنَا يَوْمَ الْجُمُعَةِ سَاعَةَ كَذَا وَكَذَا - لِتِلْكَ السَّاعَةِ الَّتِي خَرَجَ فِيهَا عُمَرُ فَتَكَلَّمَ عَلَى الْمِنْبَرِ - قَالَ سَارِيَةُ: فَسَمِعْتُ صَوْتًا: يَا سَارِيَةُ بْنَ زُنَيْمٍ، الْجَبَلَ! يَا سَارِيَةُ بْنَ زُنَيْمٍ الْجَبَلَ! ظَلَمَ مَنِ اسْتَرْعَى الذِّئْبَ الْغَنَمَ. فَعَلَوْتُ بِأَصْحَابِيَ الْجَبَلَ، وَنَحْنُ قَبْلَ ذَلِكَ فِي بَطْنِ وَادٍ وَنَحْنُ مُحَاصِرُو الْعَدُوِّ فَفَتَحَ اللَّهُ عَلَيْنَا. فَقِيلَ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ: مَا ذَلِكَ الْكَلَامُ؟ فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا أَلْقَيْتُ لَهُ بَالًا؛ شَيْءٌ أُلْقِيَ عَلَى لِسَانِي. فَهَذِهِ طُرُقٌ يَشُدُّ بَعْضُهَا بَعْضًا. ثُمَّ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ، مِنْ طَرِيقِ سَيْفٍ، عَنْ شُيُوخِهِ، فَتْحَ كِرْمَانَ عَلَى يَدَيْ سُهَيْلِ بْنِ عَدِيٍّ، وَأَمَدَّهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِتْبَانَ. وَقِيلَ: عَلَى يَدَيْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُدَيْلِ بْنِ وَرْقَاءَ الْخُزَاعِيِّ. وَذَكَرَ فَتْحَ سِجِسْتَانَ عَلَى يَدَيْ عَاصِمِ بْنِ عَمْرٍو، بَعْدَ قِتَالٍ شَدِيدٍ
পৃষ্ঠা - ৫৬৭৩
وَكَانَتْ ثُغُورُهَا مُتَّسِعَةً وَبِلَادُهَا مُتَبَايِنَةً مَا بَيْنَ السِّنْدِ إِلَى نَهْرِ بَلْخَ، وَكَانُوا يُقَاتِلُونَ الْقَنْدَهَارَ وَالتُّرْكَ مِنْ ثُغُورِهَا وَفُرُوجِهَا. وَذَكَرَ فَتْحَ مُكْرَانَ عَلَى يَدَيِ الْحَكَمِ بْنِ عَمْرٍو، وَأَمَدَّهُ شِهَابُ بْنُ الْمُخَارِقِ بْنِ شِهَابٍ وَسُهَيْلُ بْنُ عَدِيٍّ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، فَاقْتَتَلُوا مَعَ مَلِكِ السِّنْدِ، فَهَزَمَ اللَّهُ جُمُوعَ السِّنْدَ، وَغَنِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْهُمْ غَنِيمَةً عَظِيمَةً، وَكَتَبَ الْحَكَمُ بْنُ عَمْرٍو بِالْفَتْحِ، وَبَعَثَ بِالْأَخْمَاسِ مَعَ صُحَارٍ الْعَبْدِيِّ، فَلَمَّا قَدِمَ عَلَى عُمَرَ سَأَلَهُ عَنْ أَرْضِ مُكْرَانَ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، أَرْضٌ سَهْلُهَا جَبَلٌ، وَمَاؤُهَا وَشَلٌ، وَثَمَرُهَا دَقَلٌ، وَعَدُوُّهَا بَطَلٌ، وَخَيْرُهَا قَلِيلٌ، وَشَرُّهَا طَوِيلٌ، وَالْكَثِيرُ بِهَا قَلِيلٌ، وَالْقَلِيلُ بِهَا ضَائِعٌ، وَمَا وَرَاءَهَا شَرٌّ مِنْهَا. فَقَالَ عُمَرُ: أَسَجَّاعٌ أَنْتَ أَمْ مُخْبِرٌ؟ فَقَالَ: لَا بَلْ مُخْبِرٌ. فَكَتَبَ عُمَرُ إِلَى الْحَكَمِ بْنِ عَمْرٍو أَنْ لَا يَغْزُوَ بَعْدَ ذَلِكَ مُكْرَانَ، وَلْيَقْتَصِرُوا عَلَى مَا دُونَ النَّهْرِ. وَقَدْ قَالَ الْحَكَمُ بْنُ عَمْرٍو فِي ذَلِكَ لَقَدْ شَبِعَ الْأَرَامِلُ غَيْرَ فَخْرٍ ... بِفَيْءٍ جَاءَهُمُ مِنْ مُكَّرَانِ