আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثنتين وعشرين

غزو المسلمين بلاد خراسان مع الأحنف بن قيس

পৃষ্ঠা - ৫৬৬১


এক সময় রাতের বেলায় তিনি হাওদায়ে ঘুমিায়ছিলেন, তখন তার সাথীরা তাকে একটি
প্রতর, নদীর অগভীর অংশ শদিয়ে নিয়ে যাবার প্রাক্কালে তারা র্তাকে জাগ্রত করতে ইচ্ছা
পোষণ করেন যাতে তিনি সে প্রতর দিয়ে যাবার সময় জাগ্নত হয়ে ভয় না পায় ৷ যখন তারা
তাকে জাগ্রত করল তাদের উপর তিনি অত্যন্ত রাপান্বিত হলেন এবং বলতে লাগলেন, তােমরা
আমাকে বঞ্চিত ন্করা’ল নচেৎ মুসলমানদের এসব শহ্ার ও অন্যান্য শহরে থাকার সময়টুকু
আমি জ্যিন নিাভ্ পারতামধ্ ৷ আমি আমার এ ঘুমে দুেখত্তে ছিলাম আমি ও মুহাম্মদ মোঃ

মহান ক্ট্রন্া৷ল্লাছুক্ট্রৰু র্দুরবা৷র অবস্থান করছি ৷ মহান ং তার রাসুলুল্লাহ্ন্ণো ট্রুৰুাক বলছেন
াতামাদের বাজতু একর্শ বছার্দুর্কী জন্যে ৷ তিনি আরো বৃদ্ধি করুন ৷ আল্লাহ পাক

বললেই, একশত র্বিষ্দু৷ বছর ৷ তিনি বললেন, আরো বৃদ্ধি করুন ৷ তখনই তোমরা আমাকে
সজাগ করলে ৷ যদি তােমর৷ আমা৷ক আমার অবস্থায় র্থকেতে দিতে তাহলে আমি এ উম্মাহ-এর
এখা৷ন খাকার সমযর্টুকৃ ওজান নিাৰুছু পারতাম ৷

আহনাফ্ল ইয়ুন কাইস (রা) ও ড্রুপ্লুরাসান
আহনাফ্ ইবন কাইসৃ;ৰু (রা) হযরত উমর
দেশগুলোতে মুসলমানদের বিআঃআবাে বিন্তুত কর
করা হা৷ ৷ কেরনা, তিনি পারস্যবাসী ও
জন্যে উদ্বুদ্ধ করছে ৷ তাই এরা৷পারে হযরতৃ;
অনুমতিনিা৷লন এবং ত্া৷ক আমীর নিযুক্ত; কর৷ , র্তা৷ক খুরাসানের মাটিতে যুদ্ধ করার
নির্দেশ ছিলেন ৷ আহনাফ (রা ) একটি বিরাট ঘু ৰু বােনীি নিয়ে ইয়াযদগিরদের বিরুদ্ধে
যুদ্ধ করার জন্যে খুরাসান রওয়ানা হ্ন ৷ ত ৷রপল্গু৩ প্রবেশ করেন ও যুদ্ধের মাধ্যমে
হিরাত জয় করেন ৷ জার সৃহ্ার ইবনুফুলান আল তথায় আমীর নিযুক্ত করেন ৷ আর
তিনি;ক্লীজে মারভ ত্চুাশ্ান্শ্া৷হজান-এর দিকে অভিযান প্লবিচালনা করেন ৷ সেখানে ইয়ায়দপিরদ
অবস্থান করছিলেন ৷ ’
আহনাফ (রা) সাতরাফ ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন আশ-শাখীরকে নৈশাপুর এবং আল হারিস ,
ইবন হাসানা কু সৃারখস প্রেরণ করেন ৷ আহনাফ যখন মারভ আশ শাজান এর নিকটবর্তী হন
ইয়াযদগিরর্দমারভ আশ-শাহজান ত্যাগ করেন মারভ আর রোয এর দিকে রওয়ানা হন ৷, ষ্
আহনাফ (রা) মারভ আশ-শাহজানকে জয় করেন ও তথায় অবতরণ করেন ৷ মারর্তন্
আর ব্লোায আগমন করে ইয়াষদগিরদ তুর্কী বাদশা খাকানের কাছে তাকে সাহায্য করার জানা
পত্র লিখেন ৷ তিনি আসসাগরেদ বাদশার কাছে তাকে সাহায্য করার জন্যে আরো একটি পত্র
লিখেন ৷ তিনি সাহায্যের প্রার্থনা বদর চীনের রাদশাহৱ কাছেও একটি পত্র লিখেন ৷ আহনাফ
ইবন কাইস (বা) মারভ আর ঘোষের প্ৰতি অভিযান পরিচালনা করেন ৷ আর অন্যদিকে
ইৰুন আন নুমানকে মারভ আশশাহজানের আমীর নিযুক্ত করেন ৷ কুফাবাসীদের
তরফ হছুৎ চারজন আমীারর মার্কুক্টম আহনাফ (রা) এর কাছে সাহায্য সহায়তা পৌছে ৷ এ
চারজন আমীৰু হরুন্ান্াচ্ আল রন্ামাহ ইবন আন-নাদর আন-নাদরী, রিবয়ী ইবন আমির
আত শুামীমী, আবদুল্লাহ ইবন আবু উকাইল আস সাকাফী এবং ইবন উষ্মে গাজাল
ত্যাল হামাদানী ৷ যখন আহনাফ (রা) এর বাহিনী ইয়াযদগারাদর কাছে পৌছে তিনি বালখের








ট্ট -১ ৷ক পরামর্শ দিলেন যেন অনারব
এবং কিসরা ইয়াযদিগরদাক পরাজিত
, মুসলমানদের বিরুদ্ধে লড়াই করার
ন্ধুা৷(রা) আহনাফ ইবন কাইস (রা) ৷ক


[غَزْوُ الْمُسْلِمِينَ بِلَادَ خُرَاسَانَ مَعَ الْأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ] وَذَلِكَ أَنَّ الْأَحْنَفَ بْنَ قَيْسٍ هُوَ الَّذِي أَشَارَ عَلَى عُمَرَ بِأَنْ يَتَوَسَّعَ الْمُسْلِمُونَ بِالْفُتُوحَاتِ فِي بِلَادِ الْعَجَمِ، وَيُضَيِّقُوا عَلَى كِسْرَى يَزْدَجِرْدَ، فَإِنَّهُ هُوَ الَّذِي يَسْتَحِثُّ الْفُرْسَ وَالْجُنُودَ عَلَى قِتَالِ الْمُسْلِمِينَ، فَأَذِنَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فِي ذَلِكَ عَنْ رَأْيِهِ، وَأَمَّرَ الْأَحْنَفَ، وَأَمَرَهُ بِغَزْوِ بِلَادِ خُرَاسَانَ. فَرَكِبَ الْأَحْنَفُ فِي جَيْشٍ كَثِيفٍ إِلَى خُرَاسَانَ قَاصِدًا حَرْبَ يَزْدَجِرْدَ، فَدَخَلَ خُرَاسَانَ فَافْتَتَحَ هَرَاةَ عَنْوَةً وَاسْتَخْلَفَ عَلَيْهَا صُحَارَ بْنَ فُلَانٍ الْعَبْدِيَّ. ثُمَّ سَارَ إِلَى مَرْوِ الشَّاهِجَانِ وَفِيهَا يَزْدَجِرْدُ، وَبَعَثَ الْأَحْنَفُ بَيْنَ يَدَيْهِ مُطَرِّفَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ إِلَى نَيْسَابُورَ، وَالْحَارِثَ بْنَ حَسَّانَ إِلَى سَرْخَسَ، وَلَمَّا اقْتَرَبَ الْأَحْنَفُ مِنْ مَرْوِ الشَّاهِجَانِ، تَرَحَّلَ مِنْهَا يَزْدَجِرْدُ إِلَى مَرْوِ الرُّوذِ، فَافْتَتَحَ الْأَحْنَفُ مَرْوَ الشَّاهِجَانِ فَنَزَلَهَا، وَكَتَبَ يَزْدَجِرْدُ حِينَ نَزَلَ مَرْوَ الرُّوذِ إِلَى خَاقَانَ مَلِكِ التُّرْكِ يَسْتَمِدُّهُ، وَكَتَبَ إِلَى مَلِكِ الصُّغْدِ يَسْتَمِدُّهُ، وَكَتَبَ إِلَى مَلِكِ الصِّينِ يَسْتَعِينُهُ. وَقَصَدَهُ الْأَحْنَفُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৫৬৬২


দিকে স্থানান্তরিত হন ৷ ইয়াযদগিরদ বালাখে তার বিরুদ্ধে মুকাবিলা করেন ৷ আল্লাহ্ তাআলা
তাকে পরাজিত করেন এবং তিনি ও তার সেনাবাহিনীর যারা তার সাথে অবশিষ্ট ছিল পলায়ন
করেন ৷ তারপর তিনি নদী নহর অতিক্রম করলেন ৷ আহনাফ ইবন কইিস (রা) এর হাতে
খুরাসানের কর্তৃত্ব সুনিশ্চিত হবার পর তিনি প্রতিটি শহরে আমীর নিযুক্ত করেন ৷ আহনাফ (রা)
ফেরত রওয়ানা হন ও মারভ আর রােষে অবতরণ করেন ৷
তিনি উমর (রা)-এর কাছে খুরাসানের প্রদেশসমুহের মহান আল্লাহ্র দেওয়া বিজয়ের
সংবাদ জানিয়ে পত্র লিখেন ৷ পত্র প্রাপ্তির পর উমর (রা) বলেন, খুরাসান ও আমাদের মাঝে
আমি এক সাগর রক্ত (অগ্নি) এর আশংকা করেছিলাম ৷ হযরত আলী (রা) তাকে প্রশ্ন করলেন,
ৰ্টকেন, হে আমীরুল মু’মিনীন৷ তিনি বলেন, “কেননা, খুরাসানের বাসিন্দারা সম্প্রতি তিন তিন
বার ওয়াদা ভঙ্গ করেছে ৷ তৃভীয়বারে সীমালংঘন করছে ৷” আলী (রা) বলেন, “হে আমীরুল
মু’মিনীন ! মুসলমানদের ক্ষেত্রে এরুপ সংঘটিত না হয়ে তাদের মধ্যে সংঘটিত হওয়াটাই অধিক
৮সমীচীন বলে আমি মনে করি ৷ উমর (রা) আহনাফ (রা)-এর কাছে পত্র লিখলেন ও নহর
;অড্রিত্রুম্ করতে নিষেধ করেন এবং বলেন, তুমি খুরাসানের যে সব প্রদেশ জয়লাভ করেছ
; এগুলো র হিফাযত বা সংরক্ষণ কর ৷ ইয়াযদগিরদের দুত যখন তুর্কীৰাদশাহ্ খাকাংন আযম ও
সাহ্রাদের বাদশাহ্ গাওয়াকের কাছে পৌছল সে তাদের কাছে সংবাদ সঠিক মত পৌছাল তবে
তার তার ব্যাপারটি নিয়ে এত উদ্বিপ্ন হলেন না ৷ , ,
ইয়াযদগিরদ যখন নহর অতিক্রম করেন এবং তাদের শুহষ্কর পৌছেন তখন রাজা
বাদশ্যাস্ র নিয়মানুযায়ী তার সাহায্য করা তাদের উপর নির্ধারিত ও অত্যাবশ্যক হয়ে পড়ল ৷
রু আর হুতুর্কীর বাদশাহ্ খাকানে আযম তার সম্মানার্থে তার সাথে কিছুক্ষণ পথ চললেন ৷ তুর্কীয়
বাদ্যাহ্ খাকানের সহায়তার ইয়াযদগিরদ এক বিরাট সেনাবাহিনী নিয়ে প্রত্যাবৃভুনি করলেন ও
বলখে পুনং গমন করলেন এবং এটিকে পুনরুদ্ধার করলেন ৷ আহ্লাফ (রা) এর লোকজন
পশ্চর্ণীদপসরণ করেন এবং মরত আর রোধে আহনাফ (রা) এর কাছে আশ্রয় নেন ৷ মুশরিকরা
বলখ হতে বের হয়ে আসে এবং মারভ আর রোধের দিকে অগ্রসর হতে থাকে যেখানে আন্ ধ্নাফ
(রা) অবস্থান করছেন ৷ সেখানে তারা অবতরণ করে ৷ প্
অন দিকে আহনড়াফ (রা) কুফার ও বসরার বিশ হাজার সৈন্য নিয়ে তাদের মেকেৰুাবিলায়
বের হয়ে আসেন এবং এক ব্যক্তিকে অন্য ব্যক্তির কাছে শ্লো বলতে শুনেন ৷ যদি আমীর
বুদ্ধিমান হলো তাহলে তিনি এ পাহাড়ের র্পার্ষে অবস্থান মোঃনন এবং পাহাড়কে তার পিছনে
রাখবেন ও নদীঢিকে তার সামনে পরীখার ন্যায় গণ্য করহ্মেন ; ম্পোতিতে শত্রু সৈন্য শুধৃমার
এক দিক দিয়ে আক্রমণ করতে বাধ্য হয়ে ৷ পরদিন ষ্তােরবেলা আহনাফ (বা) মুসলিম প্
সৈন্যদেরকে প্রভৃতির নির্দেশ প্রদান করলেন এবং তারা স্তুাত্যেকে তাদের জন্যে নির্ধারিত স্থানে
অবস্থান নিলেন ৷ আর এটাই ছিল তাদের সফলতা ও বিজয়ের দৃশ্যত মুল চাবিকাক্টি ৷ অন্যদিকে
তুর্কী ও পারসিক সৈন্যরা ভয়াবহ ও অপ্ৰতিরােধ্য বহ্ন৷ সংখ্যায় আত্মপ্রকাশ করল ৷ আহনাফ
(রা)চ্লাকজ্যনর মাঝে বক্তব্য প্রদানের জন্যে দণ্ডায়সান হলেন এবং বলেন, “তোমরা সংখ্যায়
কম আর শত্রুর৷ স ণ্যায় অনেক ৷ এতে তোমরা যেন ডীতসন্ত্রস্ত না হয়ে পড় ৷ কেননা, আল্লাহ্
তা অলাে সুরায়ে বাকারায় ২৪৯ আয়াতে ইরশাদ করেনং :

আল-বিদায়া — ৩০


قَيْسٍ إِلَى مَرْوِ الرُّوذِ، وَقَدِ اسْتَخْلَفَ عَلَى مَرْوِ الشَّاهِجَانِ حَارِثَةَ بْنَ النُّعْمَانِ، وَقَدْ وَفَدَتْ إِلَى الْأَحْنَفِ أَمْدَادٌ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ مَعَ أَرْبَعَةِ أُمَرَاءَ. فَلَمَّا بَلَغَ مَسِيرَهُ إِلَى يَزْدَجِرْدَ، تَرَحَّلَ إِلَى بَلْخَ وَجَاءَ الْأَحْنَفُ، فَافْتَتَحَ مَرْوَ الرُّوذِ، ثُمَّ سَارَ وَرَاءَ يَزْدَجِرْدَ إِلَى بَلْخَ فَالْتَقَى مَعَهُ بِبَلْخَ يَزْدَجِرْدُ، فَهَزَمَهُ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، وَهَرَبَ هُوَ وَمَنْ بَقِيَ مَعَهُ مِنْ جَيْشِهِ، فَعَبَرَ النَّهْرَ. وَاسْتَوْثَقَ مُلْكُ خُرَاسَانَ عَلَى يَدَيِ الْأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ، وَاسْتَخْلَفَ فِي كُلِّ بَلْدَةٍ أَمِيرًا، وَرَجَعَ الْأَحْنَفُ فَنَزَلَ مَرْوَ الرُّوذِ، وَكَتَبَ إِلَى عُمَرَ بِمَا فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ مِنْ بِلَادِ خُرَاسَانَ بِكَمَالِهَا، فَقَالَ عُمَرُ: وَدِدْتُ أَنَّهُ كَانَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ خُرَاسَانَ بَحْرٌ مِنْ نَارٍ. فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: وَلِمَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ فَقَالَ: إِنَّ أَهْلَهَا سَيَنْقُضُونَ عَهْدَهُمْ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، فَيَجْتَاحُونَ فِي الثَّالِثَةِ. فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، لَأَنْ يَكُونُ ذَلِكَ بِأَهْلِهَا، أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ بِالْمُسْلِمِينَ. وَكَتَبَ عُمَرُ إِلَى الْأَحْنَفِ يَنْهَاهُ عَنِ الْعُبُورِ إِلَى مَا وَرَاءَ النَّهْرِ وَقَالَ: احْفَظْ مَا بِيَدِكَ مِنْ بِلَادِ خُرَاسَانَ. وَلَمَّا وَصَلَ رَسُولَا يَزْدَجِرْدَ إِلَى اللَّذَيْنِ اسْتَنْجَدَ بِهِمَا لَمْ يَحْتَفِلَا بِأَمْرِهِ، فَلَمَّا عَبَرَ يَزْدَجِرْدُ النَّهْرَ، وَدَخَلَ فِي بِلَادِهِمَا تَعَيَّنَ عَلَيْهِمَا إِنْجَادُهُ
পৃষ্ঠা - ৫৬৬৩

ন্ও

অর্থাৎ আল্পাহ্ব হক্যুম কত ক্ষুদ্রদল কত বৃহত্দলকে পরাভৃত করেছে ৷ আল্লাহ ধৈর্যশীলদের
সাথে রয়েছেন ৷”

তৃর্কীরা দিনের বেলায় যুদ্ধ করছিল কিন্তু আহনাফ্ (রা) উপলব্ধি করতে পারছেন না যে,
তারা রাত পর্যন্ত কোথায় গিয়ে পৌছবে ৷ তাই তিনি রাতের বেলায় তার অনুগামীদের অগ্রগামী
দলের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে খাকানের সেনাবাহিনীর প্রতি আঃসর হতে লাগলেন ৷ ভোর রাত

ঘনিয়ে আসলে তুর্কী সৈন্যদের থেকে একজন অশ্বারোহী সেনাবাহিনীর অগ্রে বের হয়ে আসল ৷

তার গলায় ছিল একটি ফিতা ৷ সে তার ঢোলে আঘাত করল তখন আহনাফ (বা) তার দিকে
অগ্রসর হলেন ৷ আর দুজনে তখন পরস্পর তীর নিক্ষেপ করতে শুরু করলেন ৷ আহনাফ (রা)
তার প্রতি একটি তীর নিক্ষেপ করেন ও তাকে হত্যা করতে সমর্থ হন ৷ সে মোকাবিলার সময়
যুদ্ধ কবিতা পইিতেহ্নিা : নিশ্চয়ই প্রতিটি সর্দারের অধিকার রয়েছে যে, যে যুদ্ধের ময়দানকে
স্বীয় রক্ত দ্বারা রঙ্গীন করবে ও সে নিঃশেষ হয়ে যাবে ৷ নিশ্চয়ই যুদ্ধ ক্ষেত্রে আবু হাফসের
তলোয়ারের আঘাতে একজন প্রবীণ ব্যক্তি ভুপাতিত হয়েছে ৷ আর এ যুদ্ধ ক্ষেত্রের শৃতিই
জাপরুক হয়ে, অন্নান হয়ে বিরাজমান থাকবে ৷

বর্ণনাকরী বলেন, তারপর একজন তুর্কী সৈন্য তার ফিতাটি পরিত্যক্ত সম্পদহিসেবে প্রাপ্ত
হলো ও তার জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হলো এভাবে দ্বিতীয় দোকটি বের হয়ে আসল ৷ তার গলায়
ছিল একটি ফিতা ও একটি ঢোল, যে তার ঢোলে আঘাত করছিল ৷ আহ্নাফ (রা) তার দিকেও
অগ্রসর হলেন এবং তাকেও হত্যা করলেন ৷ তার ফিতাটি পরিত্য ক্ত সম্পদ হিসেবে অন্য
একজন তুর্কী সৈন্য প্রাপ্ত হলো এবং তার স্থলাভিষিক্ত হলো ৷ এভাবে তৃতীয় ব্যক্তিটি বের হয়ে
আসল ৷ আহনাফ (বা) তাকেও হত্যা করেন এবং তার ফিতাটি নিয়ে নেন ৷ তারপর তিনি তার
সেনাদলে দ্রুত ফিরে আসেন ৷ এ ব্যাপারটি কোন তুর্কী সৈন্যই জানতে পারেনি ৷ আর তাদের
নিয়ম ছিল তারা তাদের, দুর্গ হতে যুদ্ধ করার জন্যে বের হয়ে আসতেন না যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের
মধ্য থেকে তিন জন সৌঢ় ব্যক্তি বের হয়ে আসতেন ৷ প্রথম ব্যক্তিটি প্রথমে তার ঢোল আঘাত
করত ৷ তারপর দ্বিতীয়জন, তারপর তৃতীয়জন ৷ তৃতীয় ব্যক্তির পর তারা সকলে যুদ্ধের জন্য
বের হয়ে আসত ৷ এ রাতে তৃতীয় ব্যক্তিটির পর যখন তৃর্কীরা যুদ্ধ করার জন্যে দুর্গ থেকে বের
হয়ে আসল তখন প্রথমত তাদের অবুষাঙ্করাহীরইি যুদ্ধের জন্যে অগ্রসর হলো ৷

বাদশাহ খ্যাঃপ্ৰুএডাবে অশ্বাৰুরাহীবদর বের ন্হম্নে আসার বিষয়টি কুলক্ষণ হিসেবে গণ্য
করলেন এবং তার সেনাবাহিনীকে বললেন, “এখানে আমাদের অবস্থান দীর্ঘায়িত হয়েছে ৷ আর
আমাদের শত্রু সৈন্যরা যুদ্ধক্ষেত্রে যেরুপ সফলতা অত্তনি করেছে আমরা ততদুর সফলতা অর্জন
করতে পারিনি ৷ এদের সাথে আমাদের যুদ্ধে কোন প্রকার কল্যাণ ও সফলতা বয়ে আসবে না ৷
কাজেই আমাদের নিয়ে দেশে চল ৷ এ কথা বলে তারা তাদের দেশে ফিরে গেল ৷ পক্ষস্তেরে
মুসসমানগণ সৃশরিকদের দুর্গ থেকে বের হয়ে আসবার অপেক্ষা করছিল কিন্তু তাদের কাউকে
তারা দেখতে গেল না ৷ পরে তাদের প্রত্যাবর্তনের খবর মুসলমানদের কাছে পৌছল ৷ অথচ
ইয়াযদগিরদ ও খাকান বাদশাহ্র সমিলিতভাবে আহনাফ্ ইৰ্ন কাইস (রা)-এর মোকাবিলার
যুদ্ধ করার জন্যে অবতীর্ণ হয়েছিলেন ৷ ইয়াযদগিরদ মারত আশাশাহজানেয় দিকে অগ্রসর


فِي شَرْعِ الْمُلُوكِ، فَسَارَ مَعَهُ خَاقَانُ الْأَعْظَمُ مَلِكُ التُّرْكِ، وَرَجَعَ يَزْدَجِرْدُ بِجُنُودٍ عَظِيمَةٍ فِيهِمْ مَلِكُ التَّتَارِ خَاقَانُ، فَوَصَلَ إِلَى بَلْخَ وَاسْتَرْجَعَهَا، وَفَرَّ عُمَّالُ الْأَحْنَفِ إِلَيْهِ إِلَى مَرْوِ الرُّوذِ، وَخَرَجَ الْمُشْرِكُونَ مِنْ بَلْخَ حَتَّى نَزَلُوا عَلَى الْأَحْنَفِ بِمَرْوِ الرُّوذِ، فَبَرَزَ الْأَحْنَفُ بِمَنْ مَعَهُ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ، وَأَهْلِ الْكُوفَةِ، وَالْجَمِيعُ عِشْرُونَ أَلْفًا، فَسَمِعَ رَجُلًا يَقُولُ لِآخَرَ: إِنْ كَانَ الْأَمِيرُ ذَا رَأْيٍ، فَإِنَّهُ يَقِفُ دُونَ هَذَا الْجَبَلِ، فَيَجْعَلُهُ وَرَاءَ ظَهْرِهِ، وَيُبْقِي هَذَا النَّهْرَ خَنْدَقًا حَوْلَهُ ; فَلَا يَأْتِيهِ الْعَدُوُّ إِلَّا مِنْ جِهَةٍ وَاحِدَةٍ، فَلَمَّا أَصْبَحَ الْأَحْنَفُ، أَمَرَ الْمُسْلِمِينَ فَوَقَفُوا فِي ذَلِكَ الْمَوْقِفِ بِعَيْنِهِ، وَكَانَ أَمَارَةَ النَّصْرِ وَالرُّشْدِ، وَجَاءَتِ الْأَتْرَاكُ وَالْفُرْسُ فِي جَمْعٍ عَظِيمٍ هَائِلٍ مُزْعِجٍ، فَقَامَ الْأَحْنَفُ فِي النَّاسِ خَطِيبًا فَقَالَ: إِنَّكُمْ قَلِيلٌ وَعَدُّوكُمْ كَثِيرٌ، فَلَا يَهُولَنَّكُمْ، فَ {كَمْ مِنْ فِئَةٍ قَلِيلَةٍ غَلَبَتْ فِئَةً كَثِيرَةً بِإِذْنِ اللَّهِ وَاللَّهُ مَعَ الصَّابِرِينَ} [البقرة: 249] . فَكَانَتِ التُّرْكُ يُقَاتِلُونَ بِالنَّهَارِ، وَلَا يَدْرِي الْأَحْنَفُ أَيْنَ يَذْهَبُونَ فِي اللَّيْلِ. فَسَارَ لَيْلَةً مَعَ طَلِيعَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ نَحْوَ جَيْشِ خَاقَانَ، فَلَمَّا كَانَ قَرِيبَ الصُّبْحِ، خَرَجَ فَارِسٌ مِنَ التُّرْكِ طَلِيعَةً، وَعَلَيْهِ طَوْقٌ، وَضَرَبَ بِطَبْلِهِ، فَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ الْأَحْنَفُ فَاخْتَلَفَا طَعْنَتَيْنِ فَطَعَنَهُ الْأَحْنَفُ فَقَتَلَهُ وَهُوَ يَرْتَجِزُ: إِنَّ عَلَى كُلِّ رَئِيسٍ حَقًّا ... أَنْ يَخْضِبَ الصَّعْدَةَ أَوْ يَنْدَقَّا إِنَّ لَنَا شَيْخًا بِهَا مُلَقَّى ... سَيْفَ أَبِي حَفْصِ الَّذِي تَبَقَّى قَالَ: ثُمَّ اسْتَلَبَ التُّرْكِيَّ طَوْقَهُ وَوَقَفَ مَوْضِعَهُ، فَخَرَجَ آخَرُ عَلَيْهِ طَوْقٌ وَمَعَهُ
পৃষ্ঠা - ৫৬৬৪


হলেন এবং এটাকে অবরোধ করলেন ৷ হারিসাহ ইৰ্ন আন-নুমান (রা) সেখানে অবস্থান
করছিলেন ৷ সেখানে ইয়াযদগারদের যেসব সম্পদ মাটির নিচে পুতে রাখা হয়েছিল তা তিনি
বের করে নিলেন ৷ তারপর তিনি ফিরে আসলেন ৷ বালখ বুণহরে খাকান তার অপেক্ষা করছিলেন
যাতে তিনি তথায় ফিরে আসেন ও

মুসলমানপণ আহনাফ (রা)-ণ্ক বললেন, “তাদেরকে পিছু ধাওয়া করার ব্যাপারে তোমার
মতামত কাি তিনি বললেন, তোমাদের জায়গায় তোমরা অবস্থান কর এবং তাদেরকে তাদের
অবস্থানে থাকতে দাও ৷ এ ব্যাপারে আহনাফ (রা) এর সিদ্ধান্তই সঠিক ৷ হাদীস শরীফে
এসেছে রাসুলুল্পাহ্ মোঃ ইরশাদ অর্থাৎ তৃর্কীরা
তােমাদেরকে যেখানে ছেড়ে গেছে সেখানে তাদেরকে থাকতে দাও ৷ সুরা আহযাব : ২৫ নং
আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

০ ) :

হ্এো

অর্থাৎ কাফিরদেরকে ক্রুদ্ধাবস্থায় বিরল মনােরথ হয়ে ফিরে যেতে আল্লাহ্ বাধ্য করলেন ৷
যুদ্ধে মু’মিনদের জন্য আল্লা ইে যথেষ্ট; আল্লাহ্ সর্বশক্তিমান, পরাত্রুমশালী ৷

কিসরা পরাভুত হয়ে দেশে দেশে ফিরতে বাধ্য হলেন ৷ তার প্রতিহিংসার তৃষ্ণা নির্বাপিত
হলো না, তার কোন সফলতা অর্জিত হলো না এবং তার কল্পিত বিজয়ও সুচিত হলো না বরং
যে ব্যক্তির কাছে তিনি সাহায্যের আশা করেছিলেন যে তার থেকে হতাশ হয়ে গেল, তার থেকে
দুরে সরে গেল এবং যাকে তিনি অত্যন্ত প্রয়োজন বোধ করেছিলেন যে তার থেকে নারায হয়ে
গেল ৷ আর তিনি এখন দ্বিধাদ্বস্থে পরিণত হলেন ৷ এদিক যাবেন, না সেদিক যাবেন কিইে স্থির
করতে পারছেন না ৷ আল্লাহ্ তাআলা সুরায়ে নিসার : ৮৮ নং আয়াতে ইরশাদ করেন ং

অর্থাৎ “এবং আল্লাহ্ কাউকেও পথভ্রষ্ট করলে তুমি তার জন্যে কখনও কোন পথ পাবে

না

তার ব্যাপারে তিনি চিন্তা করতে লাগলেন ৷ তিনি এখন কি করবেন৷ এবং কোথায় যাবেন্য
তিনি যখন বললেন, “আমি চীনে যাবার ইচ্ছে পোষণ করছি অথবা খাকানের সাথে তার দেখে
আমি চলে যাব, তখন তার সম্প্রদায়ের কিছু সংখ্যক বুদ্ধিমান লোক সৎ পরামর্শ দিলেন এবং
বললেন, “আমাদের সিদ্ধান্ত হলো আমরা যেন তাদের সাথে সন্ধি করি যারা আমাদের
প্রতিরক্ষার দায়িতু নেবে এবং তাদের জন্যে আমরা কিছু অর্থ প্রদান করব ৷ তাহলে আমরা
আমাদের দেশেই বাস করতে পারব এবং তারা হবে আমাদের প্রতিবেশী ৷ আর তারা হবে
আমাদের জন্যে অন্যদের চেয়ে বেশি হিতাকাক্তর্কী ৷” কিন্তু কিসরা তাদের এ অভিমতকে
প্রত্যাখ্যান করলেন ৷ তারপর তিনি চীনের বাদশাহর কাছে সাহায্য সহায়তা চেয়ে দুত
পাঠালেন ৷ চীনের বাদশা দু৩ কে ঐসব মুসলিমের গুণাবলী সম্বন্ধে নানা ধরনের প্রশ্ন করতে
লাগলেন যারা এ সকল দেশ জয় করেছে এবং এসব দেশের জনগণের যাবতীয় দায়িত্বভার


طَبْلٌ، فَجَعَلَ يَضْرِبُ بِطَبْلِهِ، فَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ الْأَحْنَفُ فَقَتَلَهُ أَيْضًا، وَاسْتَلَبَهُ طَوْقَهُ وَوَقَفَ مَوْضِعَهُ، فَخَرَجَ ثَالِثٌ فَقَتَلَهُ، وَأَخَذَ طَوْقَهُ ثُمَّ أَسْرَعَ الْأَحْنَفُ الرُّجُوعَ إِلَى جَيْشِهِ وَلَا يَعْلَمُ بِذَلِكَ أَحَدٌ مِنَ التُّرْكِ بِالْكُلِّيَّةِ. وَكَانَ مِنْ عَادَتِهِمْ أَنَّهُمْ لَا يَخْرُجُونَ مِنْ مَبِيتِهِمْ، حَتَّى يَخْرُجَ ثَلَاثَةٌ مِنْ كَهَوْلِهِمْ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ؛ يَضْرِبُ الْأَوَّلُ بِطَبْلِهِ، ثُمَّ الثَّانِي، ثُمَّ الثَّالِثُ، ثُمَّ يَخْرُجُونَ بَعْدَ الثَّالِثِ، فَلَمَّا خَرَجَتِ التُّرْكُ لَيْلَتَئِذٍ بَعْدَ الثَّالِثِ، فَأَتَوْا عَلَى فُرْسَانِهِمْ مُقَتَّلِينَ، تَشَاءَمَ بِذَلِكَ الْمَلِكُ خَاقَانُ وَتَطَيَّرَ، وَقَالَ لِعَسْكَرِهِ: قَدْ طَالَ مَقَامُنَا، وَقَدْ أُصِيبَ هَؤُلَاءِ الْقَوْمُ بِمَكَانٍ لَمْ نُصَبْ بِمِثْلِهِ، مَا لَنَا فِي قِتَالِ هَؤُلَاءِ الْقَوْمِ مِنْ خَيْرٍ، فَانْصَرِفُوا بِنَا. فَرَجَعُوا إِلَى بِلَادِهِمْ وَانْتَظَرَهُمُ الْمُسْلِمُونَ يَوْمَهُمْ ذَلِكَ؛ لِيَخْرُجُوا إِلَيْهِمْ مِنْ شِعْبِهِمْ، فَلَمْ يَرَوْا أَحَدًا مِنْهُمْ، ثُمَّ بَلَغَهُمُ انْصِرَافُهُمْ إِلَى بِلَادِهِمْ رَاجِعِينَ عَنْهُمْ. وَقَدْ كَانَ يَزْدَجِرْدُ - وَخَاقَانُ فِي مُقَابَلَةِ الْأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ وَمُقَاتِلَتِهِ - ذَهَبَ إِلَى مَرْوِ الشَّاهِجَانِ فَحَاصَرَ حَارِثَةَ بْنَ النُّعْمَانِ بِهَا وَاسْتَخْرَجَ مِنْهَا خِزَانَتَهُ الَّتِي كَانَ دَفَنَهَا بِهَا، ثُمَّ رَجَعَ وَانْتَظَرَهُ خَاقَانُ بِبَلْخَ حَتَّى رَجَعَ إِلَيْهِ. وَقَدْ قَالَ الْمُسْلِمُونَ لِلْأَحْنَفِ: مَا تَرَى فِي اتِّبَاعِهِمْ؟ فَقَالَ: أَقِيمُوا بِمَكَانِكُمْ وَدَعُوهُمْ. وَقَدْ أَصَابَ الْأَحْنَفُ فِي ذَلِكَ، فَقَدْ جَاءَ فِي الْحَدِيثِ: «اتْرُكُوا التُّرْكَ مَا تَرَكُوكُمْ» وَقَدْ رَدَّ اللَّهُ الَّذِينَ كَفَرُوا بِغَيْظِهِمْ لَمْ يَنَالُوا خَيْرًا وَكَفَى اللَّهُ الْمُؤْمِنِينَ الْقِتَالَ وَكَانَ اللَّهُ قَوِيًّا عَزِيزًا [الْأَحْزَابِ: 25] . وَرَجَعَ كِسْرَى خَاسِرًا الصَّفْقَةَ لَمْ يُشْفَ لَهُ غَلِيلٌ، وَلَا حَصَلَ عَلَى خَيْرٍ، وَلَا انْتَصَرَ كَمَا كَانَ فِي
পৃষ্ঠা - ৫৬৬৫

২৩৬৮ৰুংট্টইন্ষ্ন্ন্ আলৰিদায়া ওয়াননিহায়া

গ্রহণ করেছে ৷ দুত র্তাষ্কে মুস্লিম্দ্বেয় নান৷ গুণাবলী সম্বন্ধে অবহিত ব্বতে লাগল, তারা কেমন
করে ঘোড়া ও ,উটে আরোহণ করেন, তারা কে কি করেন আর তারা কেমন করে সালাত আদায়
করেন ৷

চীনের বাদশাহ প্রেরিত দুতের মাধ্যমে ইয়াযদগিরদ-এর কাছে লিখলেন : আমি ভোমার
কাছে এমন এক সৈন্যদল্ প্রেরণ করতে পারি যায় এক প্রান্ত থাকবে মারভে এবং অন্য প্রান্ত
থাকবে চীনে ৷ আর এ সেনাদলের ভাগ্যে কি জুটবে তাও আমি জানি না ৷ এ না জানাটা আমার
জন্যে কোন প্রতিবন্ধক্তা সৃষ্টি করবে না ৷ কিডু যে সম্প্রদায়ের গুণাবলী সম্পর্কে তোমার দুত
আমাকে অবহিত করেছে তার৷ যদি চায় তাহলে পাহাড়-পর্বতকে সমতল ভুমিতে পরিণত
করতে পারে ৷ আর আমি যদি তোমার সাহায্যে এগিয়ে’আসি তাহলে তারা তোমার দুত বর্ণিত
গুণের অধিকারী এখানে যতদিন থাকবে ততদিন তারা আমার সাথে সম্পর্ক জ্জি অবস্থায়
থাকবে ৷ কাংজং তুমি তাদের সাথে সন্ধি কর এবং তাদের সাথে সন্ধি করার জন্যে তুমি রাজী
হয়ে যাও ৷ তারপর কিসরা তার পরিবারবর্গসহ পরাভুত অবস্থায় বিভিন্ন শহরে যাযাবরেছু ন্যায়
বসবাস করেন এবং হযরত উসমান (রা)-এর খিলাফত শুরু হওয়ার দু বছর পর নিহত হন ৷
আহনাফ (রা) আল্লাহর দেওয়া বিজয় ও তুর্কীদের এবং তাদের সাথে অন্যান্যের পর্যাপ্ত সম্পদ
গনীমত হিসেবে প্রাপ্তির সংবাদ জানিয়ে হযরত উমর (রা)-এর কাছে পত্র লিখলেন ৷
তিনি আরো লিখলেন যে, তাদের সাথে প্রচণ্ড নড়ইি হয়েছে এবং তাদ্যোকে সাহায্য করার
জন্যে যারা এগিয়ে এসেছিন তাদেরকে আল্লাহ তাআলা ক্রুদ্ধাবস্থুায় বিফল মনােরথ হয়ে ফিরে
যেতে বাধ্য করেছেন৷ পত্র প্রাপ্তির পর হযরত উমর (রা) মিম্বরে র্দাড়ালেন এবং জনগণের
সামনে পত্রটি পাঠ করে শুনালেন ৷ তারপর হযরত উমর (রা) বলেন : নিশ্চয়ই আল্লাহ্
তাআলা মুহাষ্মদস্লে-কে হিদায়াত সহকারে প্রেরণ করেছেন এবং তার অনুসারীদের জন্যে

দুনিয়া ও আখিরাতের মঙ্গল ও পুণ্য প্রদানের অংগীকার করেছেন ৷ তিনি আরো বলেছেন :

“আল্লাহ তার রাসুলুল্পাহ্মোঃ কে পথনির্দেশ ও সত্য দীনসহ অপর সমস্ত দীনের উপর এটাকে
জয়যুক্ত করার জন্যে প্রেরণ করেছেন যদিও মুশরিকর ৷ এটাকে অপছন্দ করে ৷ সমস্ত প্রশংসা
আল্লাহর জন্যে যিনি স্বীয় ওয়াদা পুরণ করেছেন এবং স্বীয় সেনাবাহিনীকে প্রভুত সাহায্য
করেছেন ও দুর্লভ বিজয় দান করেছেন ৷

সাবধান! নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা আশা অগ্নি উপাসকদ্যো রাজতু, প্রডুতু ধ্বংস করে দািয়হ্নে৷ ৷

ঢোমোঃ অণণিত সেনাদসকে ক্রোঙ্গ করে দিয়েছেন ৷ এখন অবস্থা এরুপ দাড়িয়েছে যে,

মুসলমানদের ক্ষতি সাধনের জন্যে তারা তাদের দেশেরর্দুএক বিঘত জায়গারও মালিক নয়া

সাবধান ৷ নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআদা তোমাদেরকে তাদের ভুখণ্ড, সহায়-সম্পদ, ত্রী-পুত্র

ইত্যাদির উত্তরাধিকারী করে দিয়েছেন ৷ তিনি যাডে লক্ষ্য করতে পারবেন যে, তোমরা কেমন
আমল করছষ্ কাজেই তোমরা ভয়ডীতির মধ্যে তার আদেশ-নিষেধ্ প্রতিপাশন কর ৷ মহান
আল্লাহ তার প্রতিশ্রুতি পুরণ করবেন এবং ওয়াদাকৃত বন্তুও তােমাদেরকে প্রদান করবেন ৷
তোমরা মহান আল্লাহর হুকুমকে বিকৃত করবে না, যদি কর মহান আল্লাহ অন্যকে তোমাদের

স্থলাভিষিক্ত করবেন ৷ আমি উমর মুসলিম উষ্মাহর জন্যে ভয় করি তাদেরকে যেন পুর্ববত্মীদর-
ন্যায় শাস্তি প্রদান ব্ব৷ না হয় ৷”


زَعْمِهِ، بَلْ تَخَلَّى عَنْهُ مَنْ كَانَ يَرْجُو النَّصْرَ مِنْهُ، وَتَنَحَّى عَنْهُ وَتَبَرَّأَ مِنْهُ أَحْوَجَ مَا كَانَ إِلَيْهِ، وَبَقِيَ مُذَبْذَبًا لَا إِلَى هَؤُلَاءِ وَلَا إِلَى هَؤُلَاءِ وَمَنْ يُضْلِلِ اللَّهُ فَلَنْ تَجِدَ لَهُ سَبِيلًا. وَتَحَيَّرَ فِي أَمْرِهِ مَاذَا يَصْنَعُ؟ وَإِلَى أَيْنَ يَذْهَبُ؟ وَقَدْ أَشَارَ عَلَيْهِ بَعْضُ أُولِي النُّهَى مِنْ قَوْمِهِ حِينَ قَالَ: قَدْ عَزَمْتُ أَنْ أَذْهَبَ إِلَى بِلَادِ الصِّينِ أَوْ أَكُونَ مَعَ خَاقَانَ فِي بِلَادِهِ. فَقَالُوا: إِنَّا نَرَى أَنْ نُصَانِعَ هَؤُلَاءِ الْقَوْمَ، فَإِنَّ لَهُمْ ذِمَّةً وَدِينًا يَرْجِعُونَ إِلَيْهِ، فَنَكُونَ فِي بَعْضِ هَذِهِ الْبِلَادِ وَهُمْ مُجَاوَرِينَا، فَهُمْ خَيْرٌ لَنَا مِنْ غَيْرِهِمْ. فَأَبَى عَلَيْهِمْ كِسْرَى ذَلِكَ، ثُمَّ بَعَثَ إِلَى مَلِكِ الصِّينِ يَسْتَغِيثُ بِهِ وَيَسْتَنْجِدُهُ، فَجَعَلَ مَلِكُ الصِّينِ يَسْأَلُ عَنْ صِفَةِ هَؤُلَاءِ الْقَوْمِ الَّذِينَ قَدْ فَتَحُوا الْبِلَادَ وَقَهَرُوا رِقَابَ الْعِبَادِ، فَجَعَلَ يُخْبِرُهُ عَنْ صِفَتِهِمْ، وَكَيْفَ يَرْكَبُونَ الْخَيْلَ وَالْإِبِلَ، وَمَاذَا يَصْنَعُونَ، وَكَيْفَ يُصَلُّونَ. فَكَتَبَ مَعَهُ إِلَى يَزْدَجِرْدَ، إِنَّهُ لَمْ يَمْنَعْنِي أَنْ أَبْعَثَ إِلَيْكَ بِجَيْشٍ أَوَّلُهُ بِمَرْوَ وَآخِرُهُ بِالصِّينِ الْجَهَالَةُ بِمَا يَحِقُّ عَلَيَّ، وَلَكِنَّ هَؤُلَاءِ الْقَوْمَ الَّذِينَ وَصَفَ لِي رَسُولُكَ صِفَتَهُمْ ; لَوْ يُحَاوِلُونَ الْجِبَالَ لَهَدُّوهَا، وَلَوْ جِئْتُ لِنَصْرِكَ، أَزَالُونِي مَا دَامُوا عَلَى مَا وَصَفَ لِي رَسُولُكَ، فَسَالِمْهُمْ وَارْضَ مِنْهُمْ بِالْمُسَالَمَةِ. فَأَقَامَ كِسْرَى وَآلُ كِسْرَى فِي بَعْضِ الْبِلَادِ مَقْهُورِينَ، وَلَمْ يَزَلْ ذَلِكَ دَأْبُهُ حَتَّى قُتِلَ بَعْدَ سَنَتَيْنِ مِنْ إِمَارَةِ عُثْمَانَ، كَمَا سَنُورِدُهُ فِي مَوْضِعِهِ. وَلَمَّا بَعَثَ الْأَحْنَفُ بِكِتَابِ الْفَتْحِ، وَمَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مِنْ أَمْوَالِ التُّرْكِ وَمَنْ كَانَ مَعَهُمْ، وَأَنَّهُمْ قَتَلُوا مِنْهُمْ مَعَ ذَلِكَ مَقْتَلَةً عَظِيمَةً، ثُمَّ رَدَّهُمُ اللَّهُ بِغَيْظِهِمْ لَمْ
পৃষ্ঠা - ৫৬৬৬

আনগুবিদায়াওয়াননিহায়৷ ২ঙ্৭

আরামা ইবন কা সীর (র) বলেন, আমাদের ওস্তাদ হাফিজ আবু আবদুল্লাহ আয-যাহাবী
(র) ২২ হিজ়ৰী সনের ইতিহাস সম্বন্ধে বলেন, “এ বছরেই মুগীরা ইবন শু বাহ (রা) এর হাতে
আবারবাইজান বিজয় হয় ৷ ইবন ইসহাক (র)ও অনুরুপ বলেছেন ৷ কথিত আছে যে, তিনি
অযােরবাইজানৰাসীদের সাথে বাৎসরিক ৮০ লাখ দিব্হাম জিযিয়া আদায় সাপেক্ষে সন্ধি স্থাপন
করেন ৷

আবু উৰাইদা (রা) বলেন, “সিরিয়াবানীদের নিয়ে যুদ্ধের মাধ্যমে হাবীব ইবন সালামাহ
আল-ফি হয়ী (র) আযারৰাইজান জয়লাভ করেন ৷ তার সাথে কুফুাবাসিগণও ছিলেন ৷ তাদের
মধ্যে হুযাইফা (রা)ও ছিলেন ৷ তারপর তিনি এটাকে প্রচণ্ড যুদ্ধের পর জয়লাভ করেন ৷ মহান
আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত ৷ এ বছরেই হুযাইফা (রা) যুদ্ধের মাধ্যমে আদদিনুর জয়লাভ করেন ৷
পুর্বে সা ন (রা) এটাকে একবার জয় করেছিলেন কিন্তু বাসিন্দারা তাদের সন্ধি ভঙ্গ করে ৷
এ বছরেই হুযাইফা (রা) মাহে সান্দানকে যুদ্ধের মাধ্যমে জয়লাভ করেন ৷ সেখানের
বাসিন্দারা হযরত সাদ (রা)-এর সাথে সন্ধি ভঙ্গ করেছিল ৷ হযরত হুযাইফা (রা)-এর সাথে
বসরার অধিবাসিগণও যোগদান করেছিলেন ৷ তাদের সাথে কুফাবাসীরাও অংশগ্রহণ করেন ৷
তারপর তারা গনীমত বণ্টনে বিবাদ করেন ৷ উমর (রা) সিদ্ধান্ত লিখে পাঠান যে, গনীমত শুধু
তাদের জন্যে যারা যুদ্ধে অংশ্যাহণ করে ৷

আবু উবইিদা (রা) বলেন, তারপর হুযাইফা (রা) হামাদানে যুদ্ধ করেন এবং যুদ্ধের
মাধ্যমেই তা জয়লাভ কনে ৷ পুর্বে এটা কখনও বিজয় হয়নি ৷ এটাতেই হুযাইফা (রা)-এর
বিজয়সমুহের সমাপ্তি রচিত হয় ৷

বর্ণনাকারী বলেন যে, কথিত আছে মুগীরা (রা)-এর নির্দেশে জারীর ইবন আবদুল্লাহ তা
জয় করেন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, ২৪ হিত্তল্লীতে মুগীরা (রা) তা জয় করেন ৷

এ বছরেই জুরজান বিজয় হয় ৷ খালীফা (র) বলেন, এ বছরেই হযরত আমর ইবনুল আস
(রা) পশ্চিম তারাবলুস জয় করেন ৷ আবার কেউ কেউ এর পরবর্তী বছরে এটা বিজয় হয়েছিল
বলে দাবি করেন ৷ আল্লামা ইবন কালীর (র) বলেন, “এ সম্পর্কে পুর্বের বর্ণনাগুলোর তুলনায় এ
কয়েকটি বর্ণনায় কিছু বিশেষত্ব রয়েছে ৷

আল্লামা ইবন কালীর (র) বলেন, আল্পামা ওয়াকিদী, ইবন নুমইির, আয-যাহালী ও
আত-তিরসিসীর মতে এ বছরেই উবাই ইবন বা ব (রা) পরলোক গমন করেন ৷ পুর্বে উল্লেখ
করা হয়েছে যে,, এটা ১৯ হিজ্জীর ঘটনা ৷ মা দাদ ইবন ইয়াযীদ আশৃ-শাইবানী আযারবইিজান
যুদ্ধে অং শগ্নহণ করেন ৷ কিন্তু তিনি সাহাবী হািলন না ৷


يَنَالُوا خَيْرًا. فَقَامَ عُمَرُ عَلَى الْمِنْبَرِ وَقُرِئَ الْكِتَابُ بَيْنَ يَدَيْهِ، ثُمَّ قَالَ عُمَرُ: إِنَّ اللَّهَ بَعَثَ مُحَمَّدًا بِالْهُدَى، وَوَعَدَ عَلَى اتِّبَاعِهِ مَنْ عَاجِلِ الثَّوَابِ وَآجِلِهِ خَيْرَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، فَقَالَ: {هُوَ الَّذِي أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَى وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُونَ} [التوبة: 33] . فَالْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَنْجَزَ وَعْدَهُ، وَنَصَرَ جُنْدَهُ، أَلَا وَإِنَّ اللَّهَ قَدْ أَهْلَكَ مَلِكَ الْمَجُوسِيَّةِ وَفَرَّقَ شَمْلَهُمْ، فَلَيْسُوا يَمْلِكُونَ مِنْ بِلَادِهِمْ شِبْرًا يَضُرُّ بِمُسْلِمٍ، أَلَا وَإِنَّ اللَّهَ قَدْ أَوْرَثَكُمْ أَرْضَهُمْ وَدِيَارَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ وَأَبْنَاءَهُمْ؛ لِيَنْظُرَ كَيْفَ تَعْمَلُونَ، فَقُومُوا فِي أَمْرِهِ عَلَى وَجَلٍ، يُوفِ لَكُمْ بِعَهْدِهِ، وَيُؤْتِكُمْ وَعْدَهُ، وَلَا تُغِيرُوا فَيَسْتَبْدِلَ قَوْمًا غَيْرَكُمْ، فَإِنِّي لَا أَخَافُ عَلَى هَذِهِ الْأُمَّةِ أَنْ تُؤْتَى إِلَّا مِنْ قِبَلِكُمْ. وَقَالَ شَيْخُنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الذَّهَبِيُّ الْحَافِظُ فِي تَارِيخِ هَذِهِ السَّنَةِ - أَعْنِي سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَعِشْرِينَ -: وَفِيهَا فُتِحَتْ أَذْرَبِيجَانُ عَلَى يَدَيِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ. قَالَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ. فَيُقَالُ: إِنَّهُ صَالَحَهُمْ عَلَى ثَمَانِمِائَةِ أَلْفِ دِرْهَمٍ. وَقَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ: فَتَحَهَا حَبِيبُ بْنُ مَسْلَمَةَ الْفِهْرِيُّ بِأَهْلِ الشَّامِ عَنْوَةً، وَمَعَهُ أَهْلُ الْكُوفَةِ؛ فِيهِمْ حُذَيْفَةُ فَافْتَتَحَهَا بَعْدَ قِتَالٍ شَدِيدٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَفِيهَا افْتَتَحَ حُذَيْفَةُ الدِّينَوَرَ عَنْوَةً، بَعْدَ مَا كَانَ سَعْدٌ افْتَتَحَهَا فَانْتَقَضُوا عَهْدَهُمْ. وَفِيهَا افْتَتَحَ حُذَيْفَةُ مَاسَبَذَانَ عَنْوَةً - وَكَانُوا نَقَضُوا أَيْضًا عَهْدَ سَعْدٍ -
পৃষ্ঠা - ৫৬৬৭
وَكَانَ مَعَ حُذَيْفَةَ أَهْلُ الْبَصْرَةِ فَلَحِقَهُمْ أَهْلُ الْكُوفَةِ فَاخْتَصَمُوا فِي الْغَنِيمَةِ، فَكَتَبَ عُمَرُ: إِنَّ الْغَنِيمَةَ لِمَنْ شَهِدَ الْوَقْعَةَ. قَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ: ثُمَّ غَزَا حُذَيْفَةُ هَمَذَانَ فَافْتَتَحَهَا عَنْوَةً، وَلَمْ تَكُنْ فُتِحَتْ قَبْلَ ذَلِكَ، وَإِلَيْهَا انْتَهَى فُتُوحُ حُذَيْفَةَ. قَالَ: وَيُقَالُ: افْتَتَحَهَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بِأَمْرِ الْمُغِيرَةِ. وَيُقَالُ: افْتَتَحَهَا الْمُغِيرَةُ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَعِشْرِينَ. وَفِيهَا افْتُتِحَتْ جُرْجَانُ. قَالَ خَلِيفَةُ: وَفِيهَا افْتَتَحَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ أَطْرَابُلُسَ الْمَغْرِبِ. وَيُقَالُ: فِي السَّنَةِ الَّتِي بَعْدَهَا. قُلْتُ: وَفِي هَذَا كُلِّهِ غَرَابَةٌ بِالنِّسْبَةِ إِلَى مَا سَلَفَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ شَيْخُنَا وَفِيهَا تُوُفِّيَ أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ فِي قَوْلِ الْوَاقِدِيِّ، وَابْنِ نُمَيْرٍ، وَالذُّهْلِيِّ، وَالتِّرْمِذِيِّ. وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي سَنَةِ تِسْعَ عَشْرَةَ. مِعْضَدُ بْنُ يَزِيدَ الشَّيْبَانِيُّ، اسْتُشْهِدَ بِأَذْرَبِيجَانَ وَلَا صُحْبَةَ لَهُ.