আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثنتين وعشرين

فتح الباب

পৃষ্ঠা - ৫৬৫১


অন্যদিকে তারই পশোপাশি উতবা ইবন ফারকাদ (র)ও শহরের পর শহর জয়লাভ করতে
লাপলেন ৷ তারপর এ মর্মে উতবা ফারকাদ-এর কাছে উমর (রা)-এর একটি পত্র আসল ৷
তাতে নির্দেশ ছিল বুকইির যেন “আল বাব-এর দিকে আসর হন এবং তার স্থলে সামকেকে
সহকারী প্রতিনিধি নিয়োগ করা হয় ৷ আযারবাইজানের সম্পুর্ণটা উমর (রা) উতবাহ ইবন
ফারকাদের অধীনে অর্পণ করেন এবং বুকইির ইসকান্দীয়াযকে তার কাছে সমর্পণ করেন ৷ আর
উমর (রা) যেভাবে সামনে অগ্রসর হওয়ার আদেশ দিয়েছেন সেভাবে তিনি আল-বাবের দিকে
অগ্রসর হন ৷ ইতিহাসবিদগপ বলেন, বাহরাম ইবন ফারখষাদ, উৎৰা ইবন কক্তরকাদের বিরুদ্ধে
প্রতিরােধ্ গড়ে তোলে কিন্তু উৎবা তাকে পরাজিত করেন ৷ ফলে বাহরাম পলায়ন করে ৷
ইসকান্দীয়াষের কাছে যখন সংবাদ পৌছল তখন তিনি বুকইিরের কাছে বন্দী অবস্থায় বললেন,
এখন সন্ধি পরিপুর্ণ হলো এবং যুদ্ধের অগ্নি নির্বাপিত হলো ৷ তিনি বুকাইরের সাথে সন্ধি করেন ৷
উৎবা ইবন ফারহাদও সবহ্মেত্রে সন্ধি করেন ৷ বন্তুত আযারবাইজান সন্ধির মাধ্যমে
মুসলমানদের দখলে আসে ৷ এ সংবাদ পরিবেশন করে উৎবাহ (র) ও বুকাইর (র) হযরত উমর
(রা)এর নিকৰ্ট পত্র লিখেন এবং খুমসের গনীমতের সরকারী অংশও প্রেরণ করেন ৷
আযারবইিজান পুরোপুরি দখল করার পর উৎবাহ বাসিন্দাদের জন্যে একটি নিরাপত্তা ও
সন্ধিনামা লিপিবদ্ধ করে দেন ৷

আল বারের বিজয়

আল্লামা ইবন জারীর (র) বলেন, সইিফ (র) বলেন, এ বছরেই উমর ইবন আল-খাত্তাব
(রা) , এ যুদ্ধে সুরাকাহ ইবন আমর (রা)-কে আমীর নিযুক্ত করে একটি পত্র লিখেন ৷ সুরাকাহ,
ইবন আমর (রা)-এর উপাধি ছিল যুননুর ৷ সেনাবাহিনীর অগ্রভাগে থাকার জন্যে আবদুর
রহমান ইবন রাবীয়াহকে নিয়ােগপত্র দেন ৷ তাকেও যুন-নুর বলা হতো ৷ সেনাবাহিনীর এক
বাহুতে হুযাইফা ইবন উসইিদ এবং অন্য বাহুতে বুকইির ইবন আবদুল্লাহ লইিসীকে
তত্ত্বাবধানের জ্যন্য দায়িত্ব অর্পণ করেন ৷ সুরাকাহ ইবন আমর (না) আল-বাবের প্রতি সকলকে
অগ্রসর হতে নির্দেশ দিলেন ৷ আর গনীমত বণ্টানর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সালমান ইবন
রাবীয়াহকে ৷

হযরত উমর (রা) এর সৈন্যবিন্যাস ও নির্দেশ যুতাবিক সেনাবাহিনী সামনের দিকে অগ্রসর
হলো ৷ সেনাবাহিনীর অপ্রভাগের দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা আবদুর রহমান ইবন রড়াবীয়াহ
যখন আল-বাবে অবস্থানরর্ত শত্রু পক্ষের আরমানীয় প্রশাসক শাহার বারাষের কাছে আগমন
করেন ৷ তখন তিনি আবদুর রহমানের কাছে একটি আবেদন পেশ করেন ৷ এ আবেদনে তিনি
তার কাছে নিরাপত্তা প্রার্কা৷ করেন ৷ আবদুর রহমান ইবন রাবীয়াহ তাকে নিরাপত্তা দেন ৷ এ
আরমানীয় প্রশাসক এমন একটি প্রশাসকের পরিবারের অন্তর্ভুক্ত যে বনু ইসরাঈলকে হত্যা
করেছিল এবং আদিযুস্থ;গ সিরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল ৷ প্রশাসক, আবদুর রহমান ইবন
রাবীয়াহ-এর কাছে আগমন করেন ও আরষী পেশ করেন যে, তাকে যেন তারা মুসলমানদের
প্রতি আকৃষ্ট ও মুসলমানদের ইিতাকাজ্জী মনে করেন ৷
আবদুর রহমান ইবন রাবীয়াহ বলেন, আমার উপরস্থ ব্যক্তি আছেন তার কাছে আপনি

আপনার আরবী পেশ করুন ৷ তাই তিনি তাকে সেনাবাহিনীর আমীর সুরাকাহ ইবন আমর

আল্-বিদায়া ২৯


إِلَيْهِ، وَكَتَبَ عُتْبَةُ - حِينَ انْتَهَتْ إِلَيْهِ إِمْرَةُ أَذْرَبِيجَانَ - لِأَهْلِهَا كِتَابَ أَمَانٍ وَصُلْحٍ. [فَتْحُ الْبَابِ] قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَزَعَمَ سَيْفٌ أَنَّهُ كَانَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ؛ كَتَبَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ كِتَابًا بِالْإِمْرَةِ عَلَى هَذِهِ الْغَزْوَةِ لِسُرَاقَةَ بْنِ عَمْرٍو - الْمُلَقَّبِ بِذِي النُّورِ - وَجَعَلَ عَلَى مُقَدِّمَتِهِ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ رَبِيعَةَ، وَيُقَالُ لَهُ: ذُو النُّورِ أَيْضًا. وَجَعَلَ عَلَى إِحْدَى الْمُجَنَّبَتَيْنِ حُذَيْفَةَ بْنَ أُسَيْدٍ، وَعَلَى الْأُخْرَى بُكَيْرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ اللِّيثِيَّ - وَكَانَ قَدْ تَقَدَّمَهُمْ إِلَى الْبَابِ - وَعَلَى الْمَقَاسِمِ سَلْمَانُ بْنُ رَبِيعَةَ. فَسَارُوا كَمَا أَمَرَهُمْ عُمَرُ، وَعَلَى تَعْبِئَتِهِ، فَلَمَّا انْتَهَى مُقَدَّمُ الْعَسَاكِرِ - وَهُوَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ رَبِيعَةَ - إِلَى الْمَلِكِ الَّذِي هُنَاكَ عِنْدَ الْبَابِ وَهُوَ شَهْرَبْرَازُ مَلِكُ أَرْمِينِيَّةَ وَهُوَ مِنْ بَيْتِ الْمَلِكِ الَّذِي قَتَلَ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَغَزَا الشَّامَ فِي قَدِيمِ الزَّمَانِ، فَكَتَبَ شَهْرَبْرَازُ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ وَاسْتَأْمَنَهُ، فَأَمَّنَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ رَبِيعَةَ، فَقَدِمَ عَلَيْهِ الْمَلِكُ، فَأَنْهَى إِلَيْهِ أَنَّ صَغْوَهُ إِلَى الْمُسْلِمِينَ، وَأَنَّهُ مُنَاصِحٌ لِلْمُسْلِمِينَ. فَقَالَ لَهُ: إِنَّ فَوْقِيَ رَجُلًا