আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة إحدى وعشرين

ذكر من توفي في هذه السنة

পৃষ্ঠা - ৫৬২৪


কুফায় ভারপ্রাপ্ত আমীর ছিলেন ৷ আর এ বছরেই হযরত আবু মুসা আশয়ারী (রা) কুম ও
কাশান শহর জয়লাভ করেন এবং সুহইিল ইবন আদী কিরমান শহর জয় করেন ৷

আল্লামা ওয়াকিদী হতে ইবন জারীর উল্লেখ করেন যে, আমর ইবনুল আস (বা)
সেনাবাহিনী নিয়ে তারাবলুসের দিকে অগ্নসর হন ৷ এটাকে বুরাকাহও বলা হয় ৷ তিনি এটাকে
প্রতি বছর (তর হাজার দীনার আদায় সাপেক্ষে সন্ধিপত্রের মাধ্যমে জয়লাভ করেন ৷

আল্লাম৷ ওয়াকিদী বলেন, “এ বছরেই আমর ইবনুল আস (রা) উকবা ইবন নাফি আল
ফিহরীকে যাৰিলাহ প্রেরণ করেন ৷ তিনি সন্ধিনামার ভিত্তিতে এটাকে জয়লাভ করেন ৷ এর
ফলে বুরাকাহ হতে যাৰিলাহ পর্যন্ত মুসলমানদের শাস্তি ভুমিতে পরিণত হয় ৷ তিনি আরো
বলেন, “আবদুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন উতবানের পর যিয়াদ ইবন হানৃযালাকে কুফায় আমীর
নিয়োগ করা হয় ৷ আর এ বছরেই তার পরিবর্তে আমার ইবন ইয়াসার (রা)-কে হযরত উমর
(রা) কুফায় আমীর নিযুক্ত করেন আর আবদুল্লাহ ইবন মাসুদ (রা)-কে বায়তুলমালের দায়িত্ব
অর্পণ করেন ৷ কুফাবাসিগণ আম্মারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেশ করেন ৷ ফলে আমার ইস্তফা
দেন ৷ হযরত উমর (রা) তাকে অব্যাহতি দিয়ে যুবইির ইবন মুতয়াম (রা)-কে আমীর নিযুক্ত
করেন ৷ পুনরায় যুবইির ইবন মুতয়ামকে অব্যাহতি দিয়ে মুগীরা ইবন শুবাহ (রা)-কে
দ্বিতীয়বার আমীর নিযুক্ত করেন ৷ হযরত উমর (রা)-এর মৃত্যু পর্যন্ত তিনি এ পদে বহাল
থাকেন ৷

আল্লামা ওয়াকিদী (র) বলেন : এ বছরেই হযরত উমর (রা) হজ্জ পালন করেন এবং
যায়িদ ইবন সাধিত (রা)-কে মদীনায় প্রতিনিধি হিসেবে রেখে যান ৷ কুফা ব্যতীত অন্যান্য
শহরের কর্যচারীবৃন্দ পুরানো পদে উমর (রা)-এর মৃত্যুর বছর পর্যন্ত বহাল থাকেন ৷ ’ আল্লামা
ওয়াকিদী (র) আরো বলেন, “এ বছরেই হিম্স নগরীতে হযরত খালিদ ইবন ওয়ালীদ
ইনতিকাল করেন ও তিনি উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) কে ওসীয়ত করে যান ৷ অন্যরা বলেন, ২৩
হিজরীতে তিনি ইনতিকাল করেন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন : মদীনায় ইনতিকাল করেন ৷
প্রথম অতিমতটি বিশুদ্ধ ৷ অন্যরা বলেনং এ বছরেই আল-আলা ইবন আল-হাদরড়ামী ইনতিকাল
করেন ৷ উমর (বা) তার পরিবর্তে হযরত আবুহ্ ব্য়রা (বা) যে আমীর নিযুক্ত করেন ৷ আবার
কেউ কেউ বলেনঃ আল-আলা এর পুর্বে ইনতিকাল করেন ৷

আল্লামা ওয়াকিদী হতে ইবন আবীর বর্ণনা করেন ও বলেন এ বছর দামেশকের আমীর
ছিলেন উমইির ইবন সাঈদ ৷ তিনি হিমৃস, হুরান, কানসাবীন এবং আলজোরিয়ারও আমীর
ছিলেন ৷ আমীর মুয়াবীযা (রা) আল-বলকা, আল জর্ডান প্যালেস্টাইন, সাওয়াইল, ইন৩ ৷কীয়াহ
ও অন্যান্য শহরের আমীর ছিলেন ৷

২১ হিজরীতে যারা ইনতিকাল করেছেন তাদের বিবরণ
খান্সিদ ইবন ওয়াণিদ (বা)

তার পুর্ণ নাম খালিদ ইবন আল-ওয়ালিদ ইবন আল-মুপীরা ইবন আবদুল্লাহ ইবন উমর
ইবনমাখবুম আল-কারাশী আল-মাখবুমী ৷ কুনিয়াত আবু সুলাইমান ৷ উপাধি সাইফুল্লাহ ৷
সুপ্রসিদ্ধ বাহাদুরস্তুদ্যা তিনি ছিলেন অন্যতম ৷ জ্বাহিলিয়তের যুন্থগ কিৎবা ইসলামের যুগে কখনও

আল-ৰিদায়া — ২৭


وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ فِيمَا حَكَاهُ عَنِ الْوَاقِدِيُّ: وَكَانَ أَمِيرَ دِمَشْقَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عُمَيْرُ بْنُ سَعِيدٍ، وَهُوَ أَيْضًا عَلَى حِمْصَ وَحَوْرَانَ وَقِنَّسْرِينَ وَالْجَزِيرَةِ، وَكَانَ مُعَاوِيَةُ عَلَى الْبَلْقَاءِ وَالْأُرْدُنِّ، وَفِلَسْطِينَ، وَالسَّوَاحِلِ وَأَنْطَاكِيَةَ وَغَيْرِ ذَلِكَ. [ذِكْرُ مَنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ] ِ أَعْنِي سَنَةَ إِحْدَى وَعِشْرِينَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ ابْنُ الْمُغِيرَةِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ مَخْزُومٍ الْقُرَشِيُّ، أَبُو سُلَيْمَانَ الْمَخْزُومِيُّ، سَيْفُ اللَّهِ، أَحَدُ الشُّجْعَانِ الْمَشْهُورِينَ، لَمْ يُقْهَرْ فِي جَاهِلِيَّةٍ وَلَا إِسْلَامٍ. وَأُمُّهُ عَصْمَاءُ بِنْتُ الْحَارِثِ، أُخْتُ لُبَابَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ، وَأُخْتُ مَيْمُونَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: أَسْلَمَ أَوَّلَ يَوْمٍ مِنْ صَفَرٍ سَنَةَ ثَمَانٍ، وَشَهِدَ مُؤْتَةَ وَانْتَهَتْ إِلَيْهِ الْإِمَارَةُ يَوْمَئِذٍ عَنْ غَيْرِ إِمْرَةٍ، فَقَاتَلَ يَوْمَئِذٍ قِتَالًا شَدِيدًا لَمْ يُرَ مِثْلُهُ، انْدَقَّتْ فِي
পৃষ্ঠা - ৫৬২৫


পরাজয় বরণ করেননি ৷ তবে মায়ের নাম আসমা বিনত আল-হারিস ৷ লুবাবাহ বিনত
আল-হারি স ও উঘুল মৃমিনীন মাইমুনাহ বিনত আল-হারিসের তগ্নি ৷

আল্লামা ওয়াকিদী (র) বলেন, “তিনি ৮ম হিত্তরীির সফর মাসের প্রথম তারিখ ইসলাম
গ্রহণ করেন ৷ মুতার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ৷ সেনাপতির নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়া ব্যতীত তিনি
সেনাপতির দায়িত্ব পালন করার সুযোগ পান ৷ ঐদিন তিনি এত ভীষণ যুদ্ধ করেন যা কেউ
কোন দিন দেখেনি ৷ তার হাতে নয়টি তলোয়াৱ ভেঙ্গে যায় ৷ আর তীর হাতে শুধুমাত্র ইয়ামানী
একটি তলোয়াৱ টিকে থাকে ৷ রাসুলুল্লাহ্গ্লুটু রশাদ করেন, “যায়িদ (রা) ঝাণ্ডা গ্রহণ করে
ও শাহাদতপ্রাপ্ত হয় ৷ তারপর জাফর (রা) ঝাণ্ডা গ্রহণ করে ও শাহাদত প্ৰড়াপ্ত হয় ৷ এরপর
আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা) ঝাণ্ডা গ্রহণ করে শাহাদতপ্রাপ্ত হয় ৷ তারপর আল্লাহর
তলোয়ারসমুহ্ হতে একটি তলোয়াৱ ঝাণ্ডা গ্রহণ করে এবং আল্লাহ তাআলা তার হাতেই বিজয়
দান করেন ৷

বর্ণিত রয়েছে ইয়ারমুক যুদ্ধের দিন খালিদ (রা)-এর টুপি নিচে পড়ে যায় ৷ আর তিনি
ছিলেন যুদ্ধে রত ৷ পরে তিনি এটার খোজে অত্যন্ত ব্যস্ত হয়ে পড়েন ৷ তাকে এ ব্যাপারে মৃদু
ভহ্সনা করা হয় তখন তিনি বলেন, এটার মধ্যে রাসুলুল্লাহ্ম্চ্প্হুৰু এর মাথা মুবারকের
অগ্রভাগের কিছু মুবারক চুল ছিল ৷ আর এগুলো যতদিন যুদ্ধে আমার সাথে ছিল এগুলোর
বদৌলতে আমি জয়লাভ করেছি ৷ ইমাম আহমদ (র) সংকলিত মুসনাদে, আলু ওয়ালীদ ইবন
মুসলিম ও ওয়াহশী ইবন হাবৃব এর মাধ্যমে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) হতে বর্ণিত রয়েছে
যে, তিনি যখন খালিদ (রা)-কে ইসলাম ধর্ম ত্যাগীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে নির্দেশ দেন,
তখন তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ড়ো ণ্ক বলতে শুনেছি ৷ তিনি বলেন, মহান আল্লাহর
বান্দা ও কুটুম্ব খালিদ ইবন আল ওয়ালিদ (রা) অত্যন্ত ভাল লোক ৷ আর খালিদ ইবন
অড়াল-ওয়ালিদ (রা) আল্লাহর তলোয়ারসমুহের একটি তলোয়াৱ ৷ এটাকে আল্লাহ তাআলা
কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে উন্মুক্ত রেখেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) আবদুল মালিক ইবন উমাইর (র) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, হযরত উমর (রা) যখন আবু উবাইদা (রা)-কে সিরিয়ার আমীর নিযুক্ত করেন এবং
খালিদ ইবন আল ওয়ালীদ (রা)-কে বরখাস্ত করেন, তখন খালিদ (রা) বলেন, “তোমাদের
কাছে মুসলিম উম্মাহর আমীন (বিশ্বস্ত ব্যক্তি)-কে প্রেরণ করা হয়েছে ৷ আমি রাসুলুল্পাহগ্লুষ্ঠু;ৰু
-ণ্ক বলতে শুনেছি ৷ তিনি বলেন, “এ উষ্মড়াহর আমীন (বিশ্বস্ত ব্যক্তি) হলেন আবু উবাইদা
ইবনুল জাৰ্বাহ ৷” তখন আবুউবাইদা (রা) বলেন, “আমি রাসুলুল্লাহ্লোঃ কে বলতে শুনেছি ৷
তিনি বলেন, “খালিদ (রা) আল্লাহর তলোয়াৱ সমুহের মধ্য হতে একটি তলোয়াৱ এবং অতি
উত্তম আত্মীয় যুবক ৷ ”

ইবন আসাকির (র) বিভিন্ন সাহাবীর মাধ্যমে বিজ্যি সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ সহীহ বুখারীতে
উল্লেখ রয়েছে ৷ খালিদ (রা) এর যাকাত ঠিকমত আদায় না করার অভিযোগের প্ৰতি উত্তরে
রাসুলুল্লাহমোঃ বলেন, “তবে খালিদ, তোমরা খালিদের উপর ত্তনুেম করছ ৷ কেননা, সে তার
যুদ্ধ বর্মগুলো আল্লাহর রাস্তায় ওয়াকফ করে দিয়েছে ৷ আর নিজেকেও আল্লাহর পথে বিলিয়ে
দিয়েছে ৷” র ড়াসুলুল্লাহ্ড়ো এর জীবদ্দশায় তিনি পবিত্র মক্কা বিজয়ে ও হুনাইনের যুদ্ধে


يَدِهِ تِسْعَةُ أَسْيَافٍ، وَلَمْ تَثْبُتْ فِي يَدِهِ إِلَّا صَفِيحَةٌ يَمَانِيَةٌ. وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَخَذَ الرَّايَةَ زَيْدٌ فَأُصِيبَ، ثُمَّ أَخَذَهَا جَعْفَرٌ فَأُصِيبَ، ثُمَّ أَخَذَهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ فَأُصِيبَ، ثُمَّ أَخَذَهَا سَيْفٌ مِنْ سُيُوفِ اللَّهِ فَفَتَحَ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ» وَقَدْ رُوِيَ أَنَّ خَالِدًا سَقَطَتْ قَلَنْسُوَتُهُ يَوْمَ الْيَرْمُوكِ وَهُوَ فِي الْحَرْبِ، فَجَعَلَ يَسْتَحِثُّ فِي طَلَبِهَا، فَعُوتِبَ فِي ذَلِكَ، فَقَالَ: إِنَّ فِيهَا شَيْئًا مِنْ شَعْرِ نَاصِيَةِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَإِنَّهَا مَا كَانَتْ مَعِيَ فِي مَوْقِفٍ إِلَّا نُصِرْتُ بِهَا. وَقَدْ رُوِّينَا فِي " مُسْنَدِ أَحْمَدَ " مِنْ طَرِيقِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ وَحْشِيِّ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ وَحْشِيِّ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، أَنَّهُ لَمَّا أَمَّرَ خَالِدًا عَلَى حَرْبِ أَهْلِ الرِّدَّةِ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «فَنِعْمَ عَبْدُ اللَّهِ وَأَخُو الْعَشِيرَةِ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ، سَيْفٌ مِنْ سُيُوفِ اللَّهِ، سَلَّهُ اللَّهُ عَلَى الْكُفَّارِ وَالْمُنَافِقِينَ» وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْجُعْفِيُّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، قَالَ: اسْتَعْمَلَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَبَا عُبَيْدَةَ عَلَى الشَّامِ وَعَزَلَ خَالِدَ بْنَ
পৃষ্ঠা - ৫৬২৬
الْوَلِيدِ، فَقَالَ خَالِدٌ: بَعَثَ عَلَيْكُمْ أَمِينَ هَذِهِ الْأُمَّةِ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «أَمِينُ هَذِهِ الْأُمَّةِ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ» فَقَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: ( «خَالِدٌ سَيْفٌ مِنْ سُيُوفِ اللَّهِ، نِعْمَ فَتَى الْعَشِيرَةِ» . وَقَدْ أَوْرَدَهُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى، وَأَبِي هُرَيْرَةَ، وَمِنْ طُرُقٍ مُرْسَلَةٍ يُقَوِّي بَعْضُهَا بَعْضًا. وَفِي الصَّحِيحِ: «وَأَمَّا خَالِدٌ فَإِنَّكُمْ تَظْلِمُونَ خَالِدًا، وَقَدِ احْتَبَسَ أَدْرَاعَهُ وَأَعْتَادَهُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ» ". وَشَهِدَ الْفَتْحَ، وَشَهِدَ حُنَيْنًا، وَغَزَا بَنِي جَذِيمَةَ أَمِيرًا فِي حَيَاتِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَاخْتُلِفَ فِي شُهُودِهِ خَيْبَرَ. وَقَدْ دَخَلَ مَكَّةَ يَوْمَئِذٍ أَمِيرًا عَلَى طَائِفَةٍ مِنَ الْجَيْشِ، وَقَتَلَ خَلْقًا كَثِيرًا مِنْ قُرَيْشٍ، كَمَا قَدَّمْنَا ذَلِكَ مَبْسُوطًا فِي مَوْضِعِهِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَبَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِلَى الْعُزَّى - وَكَانَتْ لِهَوَازِنَ - فَكَسَرَ أَنْفَهَا أَوَّلًا، ثُمَّ دَعْثَرَهَا وَجَعَلَ يَقُولُ: يَا عُزَّ كُفْرَانَكِ لَا سُبْحَانَكِ ... إِنِّي رَأَيْتُ اللَّهَ قَدْ أَهَانَكِ ثُمَّ حَرَّقَهَا.
পৃষ্ঠা - ৫৬২৭


অংশগ্রহণ করেন ৷ আর বনু জুযাইমার বিরুদ্ধে সেনাপতি হিসেবে যুদ্ধ করেছেন ৷ তার খায়বার
যুদ্ধে অংশগ্রহণ সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে ৷ পবিত্র মক্কা বিজয়ের সময় তিনি সেনাবাহিনীর
একাংশের সেনাপতি হিসাবে পবিত্র মক্কায় প্রবেশ করেন ৷ আর কুরাইশ বংশের বহুলােককে
তিনি হত্যা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্,স্পাখ খালিদ (রা) কে আল-উজ্জার প্রতি প্রেরণ করেন ৷ আর
আলউজ্জা ছিল বনু হাওয়াযিনের দেবী ৷ হযরত খালিদ (রা) প্রথমত তার মাথা ভেঙ্গে দেয় ৷
তারপর তার দেহসর্বস্ব ভেঙ্গে ফেলে ৷ এ প্রসংগে তিনি বলেনঃ
ৰু৷ ;াট্রুদ্বুহ্র প্রুষ্টুছুাঠু

অর্থাৎ হে উজ্জা ৷ তোমার প্ৰতি ঘৃণা পোষণ করছি, তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি না ৷ আমি
বুঝতে পেয়েছি যে আল্লাহ্ তাআলা তোমাকে অপমানিত করবেন ৷ তারপর তিনি এটাকে
পুড়িয়ে দিলেন ৷

রাসুলুল্লাহ্দ্বুক্ট্র এর ইনতিকালের পর আবু বকর সিদ্দীক (রা) তাকে ইসলাম ত্যাগী ও
যাকাত আদায়ে অস্বীকৃতি ৩জ্ঞপেনকারীদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার জন্যে প্রেরণ করেন ৷ তিনি তা
কঠোর হস্তে দমন করেন ৷ তারপর ইরাকের দিকে তিনি মনোযোগ দিলেন ৷৩ তারপর তিনি
সিরিয়ার আগমন করলেন ৷ তিনি এসব অভিযানে এত সম্মান ও সফলতা অর্জন করেন যে,
এগুলো সম্বন্ধে অবগত হলে অন্তর ঠাণ্ডা হয়ে যায়, চোখ জুড়িয়ে যায় এবং কানে শুনলে অত্যন্ত
তৃপ্তি পাওয়া যায় ৷৩ তারপর উমর (রা)৩ তাকে সেনাপতির পদ থেকে বরখাস্ত করেন এবং আবু
উবাইদা (রা) কে উক্ত পদে অধিষ্ঠিত করেন ৷ তবে খালিদ (রা) £-ক যুদ্ধের পরামর্শদাতা
হিসাবে সেনাবাহিনীতে বহাল রাখেন ৷ তিনি ৷রাগশয্যায় মৃতু ভ্যু হওয়া পর্যন্ত সিরিয়ায়ই অবস্থান
করেন ৷

আবদুর রহমান ইবন আবু যিনাদ (র)-এর মাধ্যমে আল্লামা ওয়াকিদী বর্ণনা করেন যে,
যখন খালিদ (রা)-এর মৃত্যু নিকটবর্তী হয় তখন তিনি র্কাদতে থাকেন ও বলেন, “আমি অমুক
অমুক যুদ্ধে অংশ্যাহণ করেছি ৷ আমার শরীরে এক বিঘত জায়গাও বাকি নেই যেখানে কোন
তরবারির কিৎব৷ বর্শার অথবা তীরের আঘাত নেই ৷ আর এখন আমি আমার ব্লোগশয্যায় একটি
উটের ন্যায় স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করছি ৷ দুর্বলদের চোখ যেন না ঘুমায় ৷ অর্থাৎ সকলকে
সতর্ক থাকা প্রয়োজন বলে আমি বিশ্বাস রাখি ৷

আবু ইয়ালা (র) কইিস (ব) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন ৪খালিদ ইবন

আল-ওয়ালীদ (বা) বলেন, “যে রাতে আমার কাছে কোন নববধুর আগমন ঘটেছে কিত্ব৷ যে
রাতে আমাকে সন্তান হওয়ার সুসংবাদ প্রদান করা হয়েছে ঐ রাত থেকে অধিক প্রিয় নয়, যে
রাতে মুহাজির যােদ্ধাগণ কোন একটি সারীয়া বা ক্ষুদ্র সৈন্যদল প্রেরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে, কেননা
তারা প্রভ্যুষে শত্রুর মুকাবিলা করবে ৷”

আবু বকর ইবন আইয়াশ খইিসামা (র) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “এক
বোতল মর্দ নিয়ে একটি লোক খালিদ (রা)-এর কাছে আগমন করেন ৷ তখন খালিদ (রা)
বলেন : হে আল্লাহ্৷ এটাকে মধুতে পরিণত করে দাও ৷ অমনি মদ মধুতে রুপান্তরিত হয়ে
গেল ৷” এ হাদীসটি বিভিন্ন সুত্রে বর্ণিত হয়েছে ৷ এক সুত্রে বলা হয়েছে যে,এক ব্যক্তি খালিদ


وَقَدِ اسْتَعْمَلَهُ الصِّدِّيقُ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَلَى قِتَالِ أَهْلِ الرِّدَّةِ وَمَانِعِي الزَّكَاةِ، فَشَفَى وَاشْتَفَى. ثُمَّ وَجَّهَهُ إِلَى الْعِرَاقِ ثُمَّ إِلَى الشَّامِ، فَكَانَتْ لَهُ مِنَ الْمَقَامَاتِ مَا ذَكَرْنَاهَا مِمَّا تَقَرُّ بِهَا الْقُلُوبُ وَالْعُيُونُ، وَتَتَشَنَّفُ بِهَا الْأَسْمَاعُ. ثُمَّ عَزَلَهُ عُمَرُ عَنْهَا وَوَلَّى أَبَا عُبَيْدَةَ وَأَبْقَاهُ مُسْتَشَارًا فِي الْحَرْبِ، وَلَمْ يَزَلْ بِالشَّامِ حَتَّى مَاتَ عَلَى فِرَاشِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَقَدْ رَوَى الْوَاقِدِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: لَمَّا حَضَرَتْ خَالِدًا الْوَفَاةُ بَكَى، ثُمَّ قَالَ: لَقَدْ حَضَرْتُ كَذَا وَكَذَا زَحْفًا، وَمَا فِي جَسَدِي شِبْرٌ إِلَّا وَفِيهِ ضَرْبَةٌ بِسَيْفٍ، أَوْ طَعْنَةٌ بِرُمْحٍ، أَوْ رَمْيَةٌ بِسَهْمٍ، وَهَا أَنَا أَمُوتُ عَلَى فِرَاشِي حَتْفَ أَنْفِي كَمَا يَمُوتُ الْبَعِيرُ، فَلَا نَامَتْ أَعْيُنُ الْجُبَنَاءِ. وَقَالَ أَبُو يَعْلَى: ثَنَا شُرَيْحُ بْنُ يُونُسَ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسٍ قَالَ: قَالَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ: مَا لَيْلَةٌ تُهْدَى إِلَيَّ فِيهَا عَرُوسٌ، أَوْ أُبَشَّرُ فِيهَا بِغُلَامٍ، بِأَحَبَّ إِلَيَّ مِنْ لَيْلَةٍ شَدِيدَةِ الْجَلِيدِ فِي سَرِيَّةٍ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ أُصَبِّحُ بِهِمُ الْعَدُوَّ.
পৃষ্ঠা - ৫৬২৮
وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ خَيْثَمَةَ قَالَ: أُتِيَ خَالِدٌ بِرَجُلٍ مَعَهُ زِقُّ خَمْرٍ، فَقَالَ: اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ عَسَلًا. فَصَارَ عَسَلًا. وَلَهُ طُرُقٌ، وَفِي بَعْضِهَا: مَرَّ عَلَيْهِ رَجُلٌ مَعَهُ زِقُّ خَمْرٍ، فَقَالَ لَهُ خَالِدٌ: مَا هَذَا؟ قَالَ: خَلٌّ. فَقَالَ: اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ خَلًّا. فَلَمَّا رَجَعَ إِلَى أَصْحَابِهِ قَالَ: جِئْتُكُمْ بِخَمْرٍ لَمْ تَشْرَبِ الْعَرَبُ مِثْلَهُ. ثُمَّ فَتَحَهُ فَإِذَا هُوَ خَلٌّ، فَقَالَ: أَصَابَتْهُ وَاللَّهِ دَعْوَةُ خَالِدٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَقَالَ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثُمَامَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: الْتَقَى خَالِدٌ عَدُوًّا لَهُ، فَوَلَّى عَنْهُ الْمُسْلِمُونَ مُدْبِرِينَ وَثَبَتَ هُوَ وَأَخِي الْبَرَاءُ بْنُ مَالِكٍ، وَكُنْتُ بَيْنَهُمَا وَاقِفًا، قَالَ: فَنَكَسَ خَالِدٌ رَأْسَهُ سَاعَةً إِلَى الْأَرْضِ، ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ سَاعَةً - قَالَ: وَكَذَلِكَ كَانَ يَفْعَلُ إِذَا أَصَابَهُ مِثْلُ هَذَا - ثُمَّ قَالَ لِأَخِي الْبَرَاءِ: قُمْ. فَرَكِبَا، وَاخْتَطَبَ خَالِدٌ مَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَقَالَ: مَا هُوَ إِلَّا الْجَنَّةُ، وَمَا إِلَى الْمَدِينَةِ سَبِيلٌ. ثُمَّ حَمَلَ بِهِمْ فَهَزَمَ الْمُشْرِكِينَ. وَقَدْ حَكَى مَالِكٌ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَنَّهُ قَالَ لِأَبِي بَكْرٍ: اكْتُبْ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৫৬২৯


(রা)-৫ক অতিক্রম করছিলেন তার সাথে ছিল এক পাত্র কিংবা এক বোতল মদ ৷ খালিদ (রা)
প্রশ্ন করলেন, এটা কি : সে বলল, মধু তিনি বললেন, “হে আল্লাহ্ এটাকে সিরকা করে দাও ৷
সে যখন তার সাথীদের কাছে প্রত্যাবর্তন করল তখন সে বলল, আমি তোমাদের জন্যে এত
ভাল মদ এসেছি যা আববরা কােনদিনও পান করেনি ৷ এরপর সে পাত্র কিৎবা বােতলের মুখ
খুলল এবং৫ দেখল যে, এটা সিরকাম্ন ৷ তখন সে বলল, “আল্লাহর শপথ! এতে খালিদ (রা) এর
অভিশাপ লেগেছে ৷”

হাম্মাদ ইবন সালামাহ (র) আনাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একবার
খালিদ (রা) তার একজন শত্রুর সাথে সাক্ষাৎ করল ৷ মুসলমানগণ পরাজিত হয়ে তার থেকে
মুখ ফিরিয়ে নিল ৷ কিন্তু খালিদ (রা) ও আল-বারা ইবন মালিক-এর এক ভাই অটল রইলেন ৷
আর তাদের দু’জনেব মাঝে আমি দণ্ডায়মান ছিলাম ৷ খালিদ (বা) তার মাথা নিচু করলেন ও
মাটির দিকে ঘস্টাখানেক তাকিয়ে রইলেন ৷ তারপর মাথা উঠালেন ৫বং আকাশের দিকে ঘন্টা
খানেক তাকিয়ে রইলেন ৷ আর এরকম পরিস্থিতির শিকার হলে তিনি সব সময়ে এরুপ
করতেন ৷ তারপর তিনি আল-বারার ভাইকে বললেন, “প্রস্তুত হও ৷” দু’জন নওয়াব হলেন
এবং যে সব মুসলমান তার সাথে ছিলেন তাদেরকে সম্বোধন করে খালিদ (রা) বললেন,
জান্নাত ব্যতীত এটা আর কিছুই নয় ৷ পবিত্র মদীনায় প্রত্যাবর্ভনের কোন সুযোগ নেই ৷”
তারপর তিনি তাদেরকে আক্রমণ করলেন এবং মুশরিকদেরকে পরাজিত করলেন ৷

মালিক (র) উমর ইবন আল খাত্তাব (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি আবু বকর (রা) কে
বললেন, খালিদ (রা) কে তুমি পত্র লিখে জানিয়ে দাও, সে যেন তোমার অনুমতি ব্যতীত কোন
বকরী কিংবা উট কাউকে প্রদান না করে ৷ আবু বকর (রা) খালিদ (বা) এর কাছে অনুরুপ পত্র
লিখলেন ৷ খালিদ (রা) প্রতিউত্তরে খলীফা আবু বকর সিদ্দীক (রা)-৫ক লিখলেন ৷ তুমি আমার
আমলের ক্ষেত্রে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না ৷ আর যদি কর তাহলে তোমার ব্যাপার
নিয়ে তুমি থাকবে ৷ অর্থাৎ আমার সাথে ৫৩ ড়ামার কোন সম্পর্ক থাকবে না ৷ এ পত্রের প্রেক্ষিতে
হযরত উমর (রা) তাকে বরখাস্ত করার ইং গিত করলেন ৷ আবু বকর (রা) তখন বললেন,
“খালিদ (রা) এর পরিবর্তে ৩৫ক কাজ করবে ? উমর (রা) বললেন, আমি করব ৷’ তিনি
বললেনং তৃমিষ্ এরপর উমর (রা) প্রস্তুতি নিলেন ৷ তারপর কতিপয় সাহাবায়ে কিরাম
খলীফার নিকট আগমন করলেন এবং উমর (রা)-৫ক মদীনায় ও খালিদ (রা)-৫ক সিরিয়ার
বলবৎ রাখার জন্যে ইংগিত করলেন ৷ আর খলীফা তাই করলেন ৷ যখন উমর (রা) খলীফা হন
তিনি খালিদ (রা)-এর কাছে অনুরুপ পত্র লিখলেন এবং খালিদ (রা)ও অনুরুপ প্রতিউত্তর প্রদান
করলেন ৷ উমর (রা) তাকে বরখাস্ত করলেন এবং বললেন, যে ব্যাপারে আবু বকর (রা)-৫ক
নির্দেশ দেওয়ার জন্যে আল্লাহ্ তাআলা আমাকে তওফিক ৫দননি তা আমি নিজেই জারি করব ৷

ইমাম বুখারী (র) তার কিতাব আত-তারীখ,-এ ও অন্যান্য ইয়াসার ইবন সৃমাই
আল-বারনী (ব)-এর মাধ্যমে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন : খালিদ (রা) এর অব্যাহতি সম্পর্কে
জাবীয়া নামক স্থানে হযরত উমর (রা)-এর দুঃখ প্রকাশকালে তাকে বলতে শুনেছি ৷ তিনি
বলেন, আমি তাকে এ সম্পদ মুহাজিব অনাথদের জন্যে সংরক্ষণ করার নির্দেশ প্রদান
করেছিলাম কিন্তু যে সাধারণ অভাবপ্রস্ত, ধনী ও বাকপটুদের মধ্যে বণ্টন করে ৫ফলেছে ৷


خَالِدٍ أَنْ لَا يُعْطِيَ شَاةً وَلَا بَعِيرًا إِلَّا بِأَمْرِكَ. فَكَتَبَ أَبُو بَكْرٍ إِلَى خَالِدٍ بِذَلِكَ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ خَالِدٌ: إِمَّا أَنْ تَدَعَنِي وَعَمَلِي، وَإِلَّا فَشَأْنَكَ بِعَمَلِكَ. فَأَشَارَ عَلَيْهِ عُمَرُ بِعَزْلِهِ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: مَنْ يُجْزِي عَنِّي جَزَاةَ خَالِدٍ؟ قَالَ عُمَرُ: أَنَا. قَالَ: فَأَنْتَ. فَتَجَهَّزَ عُمَرُ حَتَّى أُنِيخَتِ الظَّهْرُ فِي الدَّارِ، ثُمَّ جَاءَ الصَّحَابَةُ فَأَشَارُوا عَلَى الصِّدِّيقِ بِإِبْقَاءِ عُمَرَ بِالْمَدِينَةِ وَإِبْقَاءِ خَالِدٍ بِالشَّامِ، فَلَمَّا وَلِيَ عُمَرُ كَتَبَ إِلَى خَالِدٍ بِذَلِكَ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ خَالِدٌ بِمِثْلِ ذَلِكَ، فَعَزَلَهُ، وَقَالَ: مَا كَانَ اللَّهُ لِيَرَانِيَ آمُرُ أَبَا بَكْرٍ بِشَيْءٍ لَا أُنْفِذُهُ أَنَا. وَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ فِي " التَّارِيخِ "، وَغَيْرِهِ، مِنْ طَرِيقِ عَلِيِّ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ نَاشِرَةَ بْنِ سُمَيٍّ الْيَزَنِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ عُمَرَ يَعْتَذِرُ إِلَى النَّاسِ بِالْجَابِيَةِ مِنْ عَزْلِ خَالِدٍ، فَقَالَ: أَمَرْتُهُ أَنْ يَحْبِسَ هَذَا الْمَالَ عَلَى ضَعَفَةِ الْمُهَاجِرِينَ، فَأَعْطَاهُ ذَا الْبَأْسِ، وَذَا الشَّرَفِ وَاللِّسَانِ، وَأَمَّرْتُ أَبَا عُبَيْدَةَ. فَقَالَ أَبُو عَمْرِو بْنُ حَفْصِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৫৬৩০


এজন্যে আমি আবু উবাইদা (রা)-কে আমীর নিযুক্ত করেছি ৷” তখন আবু আমর ইবন হাফস
ইবন আল-মুপীরা বলেন, হে উমর ৷ (রা) তোমার দুঃখ প্রকাশ সঠিক হয়নি ৷ যাকে রাসুলুল্লাহ্
হ্র’প্ষ্ষ্ ,ৰু আমীর নিযুক্ত করেছেন তাকে তুমি অব্যাহতি দিয়েছ, যে ঝাণ্ডা রাসুলুল্লাহ্স্লেউত্তোলন
করেছেন তুমি তা অবনত করেছ, যে তলোয়ার আল্লাহ্ তাআলা কােষমুক্ত রেখেছেন তুমি তা
কােষযুক্ত করে দিলে ৷ আর তুমি আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করছ এবং তুমি তোমার মামাতো
ভইিয়ের সাথে হিংসা করছ ৷” তখন উমর (রা) বলেন, তুমি আমার নিকট-আত্মীয় ৷ এটা সত্য
যে, বয়সের অপরিপকৃতা তোমার চাচাভো ভইিয়ের মধ্যে ক্রোধ উদ্রেক করে থাকে ৷

আল্লামা ওয়াকিদী, মুহাম্মদ ইবন সাঈদ ও অন্যরা বলেন : হযরত খালিদ ইবন ওয়ালীদ
(রা) হিম্সৃ শহর থেকে এক মাইল দুরবর্তি জায়গায় ২১ হিজরীতে ইনতিকাল করেন এবং
ইনতিকলের সময় উমর ইবন আল খাত্তাব (রা)-কে ওসীয়ত করেন ৷ আল্লামা দাহীম ও অন্যরা
বলেন, “তিনি মদীনায় ইনতিকাল করেন ৷ প্রথম অভিমতটিই বিশুদ্ধ ৷ উমর (রা)-এর ভহ্সনা
সম্বন্ধেও পুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ খালিদ (রা) আল-আশৃয়াস ইবন কাইসকে দশ হাজার
দিরহাম প্রদান করেছিলেন ৷ এজন্যে উমর (রা) খালিদ (রা)-কে ভব্লুসনা করেন এবং তার
সম্পদ থেকে বিশ হাজার দিরহাম আদায় করেন ৷ পুর্বে খালিদ (রা)-এর প্ৰতি উমর (রা)-এর
ভহ্সনার কথা আরো উল্লেখ করা হয়েছে ৷ খালিদ (রা)-এর হাম্মামে প্রবেশ করা ও (মদ হারাম
হবার পুর্বে) মদের সাথে লেব্রে ফুলের নির্যাস মিশ্রিত করে শরীরে মাথার অভিযোগে উমর (রা)
তাকে অভিযুক্ত করেন ৷ উত্তরে খালিদ (রা) এসব ধুয়ে-যুছে ফেলার কথা ব্যক্ত করেন ৷

খালিদ (বা) হতে বর্ণিত রয়েছে যে, তিনি তার একজন শ্ৰীকে তালাক দেন ও বলেন, আমি
তাকে কোন সন্দেহের কারণে তালাক দেই নইি ৷ তবে, সে আমার কাছে থাকাকালীন রুগ্ন
হয়নি (মাসিক হয়নি) ৷ তার শরীরেও এ রুগ্নতার কোন চিহ্ন দেখা যায়নি, তার মাথা কিংবা
শরীরে যে কোন অংশে তার প্রতিফলনের ছাপ পড়েনি ৷

আল্পামা সইিফ (র) এবং অন্যরাও বর্ণনা করেন, “উমর (রা) যখন খালিদ (রা)-কে সিরিয়া
থেকে এবং আল-মুসান্না ইবন হারিসা (রা)-কে ইরাক থেকে অব্যাহতি দেন তখন তিনি বলেন,
আমি তাদের এ দৃজনকে এজন্যে অব্যাহতি দিয়েছি তাহলে জনগণ বুঝতে পারবে যে, তারা
এ দৃজনই ইসলামের সাহায্য করেননি বরং আল্লাহ্ তাআলইি ইসলামের সাহায্য করেছেন এবং
তিনিই সমস্ত শক্তির উৎস ৷”

আল্লামা সাইফ (র) আরো বংনাি করেন হযরত উমর (রা) যখন খালিদ (রা)-কে
কুনসারীন হতে অব্যাহতি দেন ও যা কিছু তার থেকে নেওয়া সম্ভব ছিল তা নিয়ে নেন তখন
তিনি বলেন : তুমি আমার কাছে সম্মানের অধিকারী এবং তুমি আমার কাছে অতি প্রিয় ৷ আর
এর পর হতে এমন কোন আচরণ আমি তোমার সাথে করব না যা তোমার খারাপ লাগবে ৷

আল-আসমায়ী (র) ইমাম আশ-শারী (র) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “উমর
(রা) ও খালিদ (রা) যখন যুবক ছিলেন একবার তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায় ৷ খালিদ (মা)
ছিলেন উমর (রা)-এর মামাতো ভইি ৷ খালিদ (রা) উমর (রা)-এর পায়ের নলি ভেঙ্গে দেয় ৷
তারপর চিকিৎসা করা হয় ও ভাল হয়ে যায় ৷ আর এটইি তাদের মধ্যে শত্রুতার কারণ বলে
অনেকের ধারণা ৷


الْمُغِيرَةِ: مَا اعْتَذَرْتَ يَا عُمَرُ، لَقَدْ نَزَعْتَ عَامِلًا اسْتَعْمَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَوَضَعْتَ لِوَاءً رَفَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَغْمَدْتَ سَيْفًا سَلَّهُ اللَّهُ، وَلَقَدْ قَطَعْتَ الرَّحِمَ، وَحَسَدْتَ ابْنَ الْعَمِّ. فَقَالَ عُمَرُ: إِنَّكَ قَرِيبُ الْقَرَابَةِ، حَدِيثُ السِّنِّ، مُغْضَبٌ فِي ابْنِ عَمِّكَ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ: مَاتَ سَنَةَ إِحْدَى وَعِشْرِينَ بَقَرْيَةٍ عَلَى مِيلٍ مِنْ حِمْصَ، وَأَوْصَى إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَقَالَ دُحَيْمٌ وَغَيْرُهُ: مَاتَ بِالْمَدِينَةِ. وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ. وَقَدَّمْنَا فِيمَا سَلَفَ تَعْزِيرَ عُمَرَ لَهُ حِينَ أَعْطَى الْأَشْعَثَ بْنَ قَيْسٍ عَشَرَةَ آلَافٍ، وَأَخْذَهُ مِنْ مَالِهِ عِشْرِينَ أَلْفًا أَيْضًا. وَقَدَّمْنَا عَتْبَهُ عَلَيْهِ لِدُخُولِهِ الْحَمَّامَ وَتَدَلُّكِهُ بَعْدَ النُّورَةِ بِدَقِيقِ عُصْفُرٍ مَعْجُونٍ بِخَمْرٍ، وَاعْتِذَارَ خَالِدٍ إِلَيْهِ بِأَنَّهُ صَارَ غَسُولًا. وَرُوِّينَا عَنْ خَالِدٍ أَنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَةً مِنْ نِسَائِهِ وَقَالَ: إِنِّي لَمْ أُطَلِّقْهَا عَنْ رِيبَةٍ، وَلَكِنَّهَا لَمْ تَمْرَضْ عِنْدِي وَلَمْ يُصِبْهَا شَيْءٌ فِي بَدَنِهَا وَلَا رَأْسِهَا، وَلَا فِي شَيْءٍ
পৃষ্ঠা - ৫৬৩১
مِنْ جَسَدِهَا. وَرَوَى سَيْفٌ وَغَيْرُهُ أَنَّ عُمَرَ قَالَ حِينَ عَزَلَ خَالِدًا عَنِ الشَّامِ، وَالْمُثَنَّى بْنَ حَارِثَةَ عَنِ الْعِرَاقِ. إِنَّمَا عَزَلْتُهُمَا لِيَعْلَمَ النَّاسُ أَنَّ اللَّهَ نَصَرَ الدِّينَ لَا يَنْصُرُهُمَا، وَأَنَّ الْقُوَّةَ لِلَّهِ جَمِيعًا. وَرَوَى سَيْفٌ أَيْضًا أَنَّ عُمَرَ قَالَ حِينَ عَزَلَ خَالِدًا عَنْ قِنَّسْرِينَ وَأَخَذَ مِنْهُ مَا أَخَذَ: إِنَّكَ عَلَيَّ لِكَرِيمٌ، وَإِنَّكَ عِنْدِي لِعَزِيزٌ، وَلَنْ يَصِلَ إِلَيْكَ مِنِّي أَمْرٌ تَكْرَهُهُ بَعْدَ ذَلِكَ. وَقَدْ قَالَ الْأَصْمَعِيُّ، عَنْ سَلَمَةَ عَنْ بِلَالٍ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ قَالَ: اصْطَرَعَ عُمَرُ وَخَالِدٌ وَهُمَا غُلَامَانِ - وَكَانَ خَالِدٌ ابْنَ خَالِ عُمَرَ - فَكَسَرَ خَالِدٌ سَاقَ عُمَرَ، فَعُولِجَتْ وَجُبِرَتْ، وَكَانَ ذَلِكَ سَبَبَ الْعَدَاوَةِ بَيْنَهُمَا. وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ قَالَ: دَخَلَ خَالِدٌ عَلَى عُمَرَ وَعَلَيْهِ قَمِيصُ حَرِيرٍ، فَقَالَ عُمَرُ: مَا هَذَا يَا خَالِدُ؟ فَقَالَ:
পৃষ্ঠা - ৫৬৩২


আল আসমায়ী (র) মুহাম্মদ ইবন সীরীন হতেও বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
“একবার খালিদ (রা) উমর (রা)-এর কাছে আগমন করেন ৷ তিনি একটি ব্লেশমী জামা পরিধান
করেছিলেন ৷ উমর (রা) বলেন : এটা কি? হে খালিদ! খালিদ (রা) বলেন, “এটাতে কোন
ক্ষতি নেই হে আমীরুল মুমিনীন! আবদুর রহমান ইবন আউফ্ (বা) কি এরুপ জামা পরিধান
করেন নি?” তখন তিনি বলন, “তুমি কি ইবন আউফের মত? ইবন আউফের জন্যে যা প্রাযাজ্য
তাকি তোমার জন্যেও প্রযোজ্য? আমি চাই যারা ঘরে আছে তারা প্রত্যেকেই যেন তার সামনে
অবস্থিত আমার অংশটুকু আকড়িয়ে ধরে ৷” মুহাম্মদ ইবন সীরীন (র) বলেন, “তারা সকলে
মিলে জামাটিকে ছিড়ে ফেলল ৷ আর তার কোন কিছুই বাকি রইল না ৷”

আবদুল্লাহ ইবন আল-মৃবারক (র) আবু ওয়াবিল (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, যখন খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রা)-এর মৃত্যু আসন্ন তখন তিনি বলেন, “আমি মহান
আল্লাহ্র রাহে শাহাদত কামনা করেছিলাম কিন্তু আমি আমার ভাগ্যের কারণে বিছানায়
মৃত্যুবরণ করছি ৷ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ৷ এর পর ঐ রাত থেকে কোন আমল আমার কাছে অধিক
প্রিয় নয়, যে রাতটি যাপনকালে আমি যুদ্ধের ঢাল সংগ্রহে ব্যস্ত থাকি এবং যতক্ষণ না আমি
কাফিরদের উপর সাড়াশি আক্রমণ পরিচালনা করি ৷ আর সকাল পর্যন্ত আকাশ বৃষ্টি বর্ষণের
মাধ্যমে আমাকে স্বাগত জানাতে থাকে ৷ ” তারপর তিনি বলেন, “যখন আমি মরে যাব তখন
তোমরা আমার হাতিয়ার ও ঘোড়াঢিকে মহান আল্লাহ্র রাস্তায় দান করে দেবে ৷ ’ যখন তিনি
ইনতিকাল করেন উমর (বা) তার জানাযায় বের হলেন ৷ বর্ণনাকারী এ প্রসঙ্গে হযরত উমর
(রা)-এর বাণীটি উল্লেখ করেন ৷ তিনি বলেছিলেন, “ওয়ালীদের বংশের স্তীলোকদের প্ৰতি
কোন বিধি-নিষেধ নেই, তারা খালিদ (রা)-এর জন্যে অশ্রুপাত করবে যতক্ষণ না এটা নাকা ও
লাকলাকার আকার ধারণ না করে ৷ ” ইবনুল মুখতার বর্ণনাকারী বলেন, নাকা হচ্ছে মাথায় মাটি
নিক্ষেপ করা এবং লাকলাকা হচ্ছে উভৈচ্চ€হারে ক্রন্দন করা ৷

ইমাম বুখারী (র) তীর সহীহ কিতাবের মধ্যে তালীক হিসেবে বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন,
“উমর (রা) বলেছেন, তাদেরকে আবু সুলাইমান (খালিদ) (রা)-এর জন্যে ক্রন্দন করতে
অনুমতি দেওয়া হলো যতক্ষণ না এটা নাকা’ ও লাকলাকা হয় ৷

মুহাম্মদ ইবন সাদ (রা) শাকীক ইবন সালামাহ (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, “যখন খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রা) ইনতিকাল করেন বনু আল-মুপীরার শ্রীলোকেরা
খালিদ (রা)-এর ঘরে একত্রিত হন এবং খালিদ (রা)-এর জন্যে ক্রন্দন করতে থাকেন ৷ উমর
(রা)-কে জানানো হলো যে, তারা খালিদ (রা)-এর ঘরে একত্রিত হয়েছে এবং তার জন্যে তারা
কান্নকােটি করছে ৷ তারা আপনাকে এমন কিছু শুনাতে বদ্ধপরিকর যা আপনি খারাপ মনে
করেন ৷ তাই আপনি তাদের কাছে লোক প্রেরণ করেন এবং তাদেরকে এরুপ করতে নিষেধ
করুন ৷ তখন উমর (রা) বলেন, “তাদের উপর কৌন বিধি-নিষেধ নেই তারা আবু সুলাইমানের
জন্যে অশ্রুপাত করতে পারবে যতক্ষণ না তার মধ্যে নাকা’ কিংবা লাকলাকা’ না হয় ৷ নাকা
হচ্ছে মাথায় মাটি নিক্ষেপ করা এবং লাকলাকা হচ্ছে উভৈচ্চ৪স্বরে ক্রন্দন করা ৷ ইমাম বুখারী (র)
তীর আত-তারীখ ( ৰুদ্ভুৰু , গ্র ৷) গ্রন্থে আল-আমাশের মাধ্যমে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷


وَمَا بَأْسُهُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، أَلَيْسَ قَدْ لَبِسَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ؟ فَقَالَ: وَأَنْتَ مِثْلُ ابْنِ عَوْفٍ! وَلَكَ مِثْلُ مَا لِابْنِ عَوْفٍ! عَزَمْتُ عَلَى مَنْ بِالْبَيْتِ إِلَّا أَخَذَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ بِطَائِفَةٍ مِمَّا يَلِيهِ. قَالَ: فَمَزَّقُوهُ حَتَّى لَمَّ يَبْقَ مِنْهُ شَيْءٌ. وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُخْتَارِ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ بَهْدَلَةَ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ - ثُمَّ شَكَّ حَمَّادٌ فِي أَبِي وَائِلٍ - قَالَ: لَمَّا حَضَرَتْ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ الْوَفَاةُ قَالَ: لَقَدْ طَلَبْتُ الْقَتْلَ فِي مَظَانِّهِ فَلَمْ يُقَدَّرْ لِي إِلَّا أَنْ أَمُوتَ عَلَى فِرَاشِي، وَمَا مِنْ عَمَلِي شَيْءٌ أَرْجَى عِنْدِي بَعْدَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، مِنْ لَيْلَةٍ بِتُّهَا وَأَنَا مُتَتَرِّسٌ وَالسَّمَاءُ تَهُلُّنِي نَنْتَظِرُ الصُّبْحَ، حَتَّى نُغِيرَ عَلَى الْكُفَّارِ. ثُمَّ قَالَ: إِذَا أَنَا مِتُّ فَانْظُرُوا إِلَى سِلَاحِي وَفَرَسِي فَاجْعَلُوهُ عُدَّةً فِي سَبِيلِ اللَّهِ. فَلَمَّا تُوُفِّيَ خَرَجَ عُمَرُ عَلَى جِنَازَتِهِ، فَذَكَرَ قَوْلَهُ: مَا عَلَى نِسَاءِ آلِ الْوَلِيدِ أَنْ يَسْفَحْنَ عَلَى خَالِدٍ مِنْ دُمُوعِهِنَّ، مَا لَمْ يَكُنْ نَقْعًا أَوْ لَقْلَقَةً. قَالَ ابْنُ الْمُخْتَارِ: النَّقْعُ: التُّرَابُ عَلَى الرَّأْسِ، وَاللَّقْلَقَةُ: الصَّوْتُ. وَقَدْ عَلَّقَ الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ " بَعْضَ هَذَا فَقَالَ: وَقَالَ عُمَرُ: دَعْهُنَّ يَبْكِينَ عَلَى أَبِي سُلَيْمَانَ، مَا لَمْ يَكُنْ نَقْعٌ أَوْ لَقْلَقَةٌ. وَالنَّقْعُ: التُّرَابُ عَلَى الرَّأْسِ، وَاللَّقْلَقَةُ: الصَّوْتُ.
পৃষ্ঠা - ৫৬৩৩
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَنَا وَكِيعٌ وَأَبُو مُعَاوِيَةَ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ قَالُوا: حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ شَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ قَالَ: لَمَّا مَاتَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ اجْتَمَعَ نِسْوَةُ بَنِي الْمُغِيرَةِ فِي دَارِ خَالِدٍ يَبْكِينَ عَلَيْهِ، فَقِيلَ لِعُمَرَ: إِنَّهُنَّ قَدِ اجْتَمَعْنَ فِي دَارِ خَالِدٍ، وَهُنَّ خُلَقَاءُ أَنْ يُسْمِعْنَكَ بَعْضَ مَا تَكْرَهُ، فَأَرْسِلْ إِلَيْهِنَّ فَانْهَهُنَّ. فَقَالَ عُمَرُ: وَمَا عَلَيْهِنَّ أَنْ يُرِقْنَ مِنْ دُمُوعِهِنَّ عَلَى أَبِي سُلَيْمَانَ، مَا لَمْ يَكُنْ نَقْعًا أَوْ لَقْلَقَةً. وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي " التَّارِيخِ " مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ بِنَحْوِهِ. وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ بِشْرٍ: وَقَالَ مُحَمَّدٌ: مَاتَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ بِالْمَدِينَةِ فَخَرَجَ عُمَرُ فِي جِنَازَتِهِ وَإِذَا أُمُّهُ تَنْدُبُهُ وَتَقُولُ: أَنْتَ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ أَلْفٍ مِنَ الْقَوْ ... مِ إِذَا مَا كَبَتْ وُجُوهُ الرِّجَالِ فَقَالَ عُمَرُ: صَدَقْتِ، إِنْ كَانَ لَكَذَلِكَ. وَقَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ مُبَشِّرٍ، عَنْ سَالِمٍ قَالَ: فَأَقَامَ خَالِدٌ فِي
পৃষ্ঠা - ৫৬৩৪


ইসহাক ইবন বাশার ও মুহাম্মদ বলেন, “খালিদ ইবন ওয়াদীল (রা) পবিত্র মদীনায়
ইনতিকাল করেন ৷ ৷ উমর (বা) তার জানাযায় বের হলেন ৷ তখন খালিদ (রা)-এর মাতা তার
ত্সা করতেগ্ গিয়ে বলেন, “হাজার হাজার সম্প্রদায় হতেও তুমি উত্তম যখন মানুষের চেহারা
পালঢিয়ে যায় ৷ অর্থাৎ মৃত ট্রুামুখে পতিত হয় ৷ উমর (রা) বলেন, “আপনি সত্য বলেছেন,
আল্লাহর শপথ সে এরকমই ছিল ৷
আল্পামা সাইফ ইবন উমর (র) সালিম (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
“খালিদ (বা) মদীনায় অবস্থান করতে লাগলেন ৷ যখন উমর (রা) অনুভব করতে লাগলেন যে
তার প্রতি জনগণের যে একটি ভ্রান্ত ধারণার ব্যাপারে তিনি ভয় করছিলেন তা ক্রমশ হান
পাচ্ছে, তখন হজ্জ থেকে আসার পর তিনি তাকে আমীর নিযুক্ত করার ইচ্ছে পোষণ করেন ৷
ন্ খালিদ (রা) এরপর অসুস্থ হয়ে পড়ালন ৷ আর এ সময় মায়ের সাথে সাক্ষাৎ করার জন্যতিনি
ছিলেন পবিত্র মদীনায় বাইরে ৷ যাকে তিনি বলেন, “আমাকে আমার হিজরতের স্থানে নিয়ে
যাও ৷ তখন তিনি তাকে নিয়ে মদীনায় আগমন করলেন ও সেবা-শুশ্রাষা করলেন ৷ উমর (র )
হজ্জ থেকে ফেরার পথে তিন দিনের রান্তার মাথায় তার সাথে মােলাকাত হওয়ায় প্রশ্ন
করেছিলেন ৷ কোন জরুরী স বাদ আছে কাি খালিদ (বা) উত্তরে বলেছিলেন, “নিজকেত ৷রী
মনে হচ্ছে অর্থাৎ অসুস্থ বোধ হচ্ছে ৷
পবিত্র মদীনা পৌছার পর এক রাতে তিনি তিনবার পড়শী খালিদ (রা) এর খোজ খবর
নেন ৷ যখন তিনি ইনতিকাল করেন উমর (রা) সং বাদ পাওয়ার পর তার জন্যে ব্যখিত হন€
ইন্ন৷ লিল্লাহে ওয়া ইন্ন৷ ইলাহি রাজিউন (চু,,ঝুৰুশু৷ ৷ ;া, <া৷ , ৷) পাঠ করেন ৷ আর
দাফন কাফলের ব্যবস্থ৷ সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত তার খোজ খবর নিতে থাকেন ৷ যারা ক্রন্দনকারিগী
ছিলেন তারা প্রাণভরে ক্রন্দন করলেন ৷ উমর (রা) কে বলা হলো,তু মি কি তাদের ক্রন্দন শুনছ
না? তাদেরকে কেন বাধা দিচ্ছ না? উমর (রা) বললেন, “কুৰইিশের মহিলাদের জন্যে ক্রন্দন
করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে যতক্ষণ না নাকাও লাকলাকা’ হবে ৷ “অর্থাৎ যদি তারা মাথায়
মাটি ছিটাবার মত গর্হিত কাজ না করে এবং উভৈচ্চঘ্রস্বরে ত্রুন্দন না করে, তাহলে তাদের আবু
সুলাইমানের জন্যে অশ্রুপাত করার অনুমতি ৩রয়েছে ৷ উমর (রা) যখন তার জানাযায় বের
হলেন তখন একজন সম্মানিত ৷ মহিলাকে ক্রন্দনরত অবস্থায় দেখলেন যিনি বলছিলেন,
সােকজনের চেহারা যখন পাল্টিয়ে যায় অর্থাৎ তারা ইনতিকাল করে ৩ খন তাদের মত হাজার
হাজার লোক থেকে তুমি অধিক ভাল ৷ তারা সাহসী আর তুমি আবু আশবাল (সিংহ শাবকদের
পিতা) সিংহরুপী দামার ইবন জাহান থেকেও তুমি বেশি সাহসী ৷ র্তারা খুবই দানশীল ৷ আর
তুমি পাহাড়-পর্বত সমুহে প্লাৰিত বন্যা থেকেও বেশি ব্যাপক এবং দ্রুতগামী দানশীল ৷ উমর
(রা) বললেন, “এ ভদ্র মহিলাটি কে ? উত্তরে বলা হলো, তার মা’ তিনি বললেন, “তিনি কি
তার মা ? অন্যথায় তার জন্যে তিন দিনের গােকের অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৷ হযরত উমর
(রা) জানার জন্যে প্রশ্ন করলেন, খালিদ (রা)-এর শোক শেষে কুরাইশ মহিলাদের কান্না
থেমেছেঃ বর্ণনাকারী বলেন, তারপর উমর (বা) তার আগমন ও একরাতে তিনবার অসুস্থ
প্রত্যিবশীর ঘোজ-খবর নেওয়ার প্রক্রিয়াটি নিজের জীবনে আরো অনুশীলন করেন ৷ করি
গােকতাপের বর্ণনায় মন্তব্য করেন :


الْمَدِينَةِ حَتَّى إِذَا ظَنَّ عُمَرُ أَنْ قَدْ سَبَكَهُ وَبَصَّرَ النَّاسَ، حَجَّ وَقَدْ عَزَمَ عَلَى تَوْلِيَتِهِ، وَاشْتَكَى خَالِدٌ بَعْدُ وَهُوَ خَارِجٌ مِنَ الْمَدِينَةِ زَائِرًا لِأُمِّهِ، فَقَالَ لَهَا: أَحْدِرُونِي إِلَى مُهَاجِرِي. فَقَدِمَتْ بِهِ الْمَدِينَةَ وَمَرَّضَتْهُ، فَلَمَّا ثَقُلَ وَأَظَلَّ قُدُومُ عُمَرَ، لَقِيَهُ لَاقٍ عَلَى مَسِيرَةِ ثَلَاثٍ صَادِرًا عَنْ حَجِّهِ، فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: مَهْيَمْ؟ فَقَالَ: خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ ثَقِيلٌ لِمَا بِهِ. فَطَوَى ثَلَاثًا فِي لَيْلَةٍ، فَأَدْرَكَهُ حِينَ قَضَى، فَرَقَّ عَلَيْهِ وَاسْتَرْجَعَ، وَجَلَسَ بِبَابِهِ حَتَّى جُهِّزَ، وَبَكَتْهُ الْبَوَاكِي، فَقِيلَ لِعُمَرَ: أَلَا تَسْمَعُ، أَلَا تَنْهَاهُنَّ؟ فَقَالَ: وَمَا عَلَى نِسَاءِ قُرَيْشٍ أَنْ يَبْكِينَ أَبَا سُلَيْمَانَ، مَا لَمْ يَكُنْ نَقْعٌ وَلَا لَقْلَقَةٌ. فَلَمَّا خَرَجَ لِجِنَازَتِهِ رَأَى عُمَرَ امْرَأَةً مُحْتَزِمَةً تَبْكِيهِ وَتَقُولُ: أَنْتَ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ أَلْفٍ مِنَ النَّا ... سِ إِذَا مَا كَبَتْ وُجُوهُ الرِّجَالِ أَشُجَاعٌ فَأَنْتَ أَشْجَعُ مِنْ لَيْ ... ثِ عَرِينٍ جَهْمٍ أَبِي أَشْبَالِ
পৃষ্ঠা - ৫৬৩৫


সয়ব্যথায় বাধিত অনুশোচনাকারিগণ তাদের উপর অবতীর্ণ মুসীবতের প্রেক্ষিতে ক্রন্দনে
রত রয়েছেন কিন্তু যারা পাহাড়ের ন্যায় অবিচল ও অনড়, র্তারা ক্রন্দন করেন না ৷ যাদের জন্যে
হে ক্রন্দনকারী তুমি র্কাদছ তারা স্বর্ণ ও পঞ্চাশ হতে একশ পর্যন্ত বিরাট বিরাট উটের চেয়েও
অধিক মুল্যবান ৷ তারা এতই অনুলচারত্ন যে, তাদের পরবর্তি সম্প্রদায় তাদের মর্যাদার পৌছার
আকাআ করেছিল কিন্তু তারা তাদের পরিপুর্ণতার উৎসগুলোর নিকটেও পৌছতে পারেনি ৷

অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে যে, উমর (রা) খালিদ (রা) এর মাঝে বলেছিলেন, আপনি কি
খালিদ (রা) কি০ বা খালিদ (রা) এর পুরস্কারকে ক্রন্দন করে খর্ব করতে চানঃ উত্তরে তিনি
বলেন, আমি তোমার কাছে চইি যে, তুমি স্বীয় হাত, রং দ্বারা র০ :ত্গীন করার আগ পর্যন্ত এ
ব্যাপারে আমার কাছে কোন ব্যাখ্যা দাবি করবে না ৷ অর্থাৎ এ ব্যাপারে তোমার কোন প্রশ্ন আমি
পছন্দ করি না ৷ উপরোক্ত সকল বর্ণনা খালিদ (রা)-এর মৃত্যু মদীনায় সংঘটিত হয়েছে বলে
প্রমাণ করে ৷ আর এটা সমর্থন করছেন দাহীম, আবদুর রহমান ইবন ইব্রাহীম আদ-দামেশকী ৷
কিন্তু জমল্ র ইতিহাসবিদদের মতামত হচ্ছে, “তিনি ২১ হিজরীতে হিমসৃ নামক শহরে
ইনতিক৷ ৷ল করেন ৷ এসব ইতিহাসবিদের মধ্যে রয়েছেন আল্লামা ওয়াকিদী, তার লেখক মুহাম্মদ
ইবন সাদ, আবু উবাইদ আল-কাসিম ইবন সালাম, ইব্রাহীম ইবন আলমানযার, মুহাম্মদ
ইবন আবদুল্লাহ ইবন নুমাইর , আবু আবদুল্লাহ আল-উস্ফরী, মুসা ইবন আযুব, আবু সুলাইমান
ইবন আবু মুহাম্মদ ও অন্যান্য ৷

আল্লামা ওয়াকিদী আরো বলেন, হযরত খালিদ (রা) উমর (রা)-কে ওসীয়ত করেছিলেন ৷
মুহাম্মদ ইবন সাদ, ওয়াকিদী ও অন্যান্য ইতিহাসবিদের থেকে বর্ণনা করেন ৷ তারা বলেন,
উমর (রা) খালিদ (রা) কে বরখাস্ত করার পর খালিদ (রা) মদীনা আগমন করেন এবং উমরা
করেন ৷ তারপরে সিরিয়ার ফিরে যান ৷ তিনি ২১ হিজরীতে ইনতিকাল করার পুর্ব মুহ্রর্ত পর্যন্ত
তথয়ে অবস্থান করেন ৷

আল্লামা ওয়কিদী বর্ণনা করেন, “একবার উমর (রা) কয়েকজন হাজী সাহেবকে মসজিদে
কুবায় সালাত আদায় করতে দেখলেন ৷ তিনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, আপনারা সিরিয়ার
কােন্ জায়গা থেকে এসেছেন? তারা বললেন, ইিম্স শহর থেকে ৷” তিনি বললেন
আপনাদের কাছে কি কোন সংবাদ আছে ?৩ তারা বললেন, হ্যা, খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রা)
ইনতিকাল করেছেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, হযরত উমর (রা) ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলইিহি
রাত্তিউিন পাঠ করলেন এবং বললেন, আল্লাহর শপথ ৷ তিনি ছিলেন দৃশমনের মুকাবিলায়
প্ৰতিরােধক ও পবিত্র চরিত্ররান ৷ তখন আলী (রা) তাকে বললেন, “তাহলে তুমি তাকে কেন
বরখাস্ত করলো উত্তরে তিনি বললেন, “মর্যাদাবান ও বকেপটু লোকদের জন্যে সম্পদ ব্যয়
করার ৷ অন্য এক বর্ণনায় আছে, উমর (রা) আলী (রা)-কে বলেছেন “আমার থেকে যা কিছু
হয়েছে তার জন্যে আমি লজ্জিত

মুহাম্মদ ইবন সাদ কাইস ইবন আবু হাযিম হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, যখন
খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রা) ইনতিকাল করেন তখন উমর (রা) বলেন, “আবু সুলায়মান
(রা)-কে আল্লাহ্ রহম করুন ৷ আমরা তার সম্বন্ধে অনেক কিছু সন্দেহ করেছিলাম বিন্দু তার
মধ্যে এগুলো ছিল না ৷” জুয়ইিরিয়া নাফি হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন-যখন খালিদ (রা)


أَجَوَادٌ فَأَنْتَ أَجْوَدُ مِنْ سَيْ لِ دِيَاسٍ يَسِيلُ بَيْنَ الْجِبَالِ فَقَالَ عُمَرُ: مَنْ هَذِهِ؟ فَقِيلَ: أُمُّهُ. فَقَالَ: أُمُّهُ، وَالْإِلَهِ - ثَلَاثًا - هَلْ قَامَتِ النِّسَاءُ عَنْ مِثْلِ خَالِدٍ! قَالَ: فَكَانَ عُمَرُ يَتَمَثَّلُ فِي طَيِّهِ تِلْكَ الثَّلَاثَ فِي لَيْلَةٍ وَفِي قُدُومِهِ: تُبَكِّي مَا وَصَلْتَ بِهِ النَّدَامَى ... وَلَا تَبْكِي فَوَارِسَ كَالْجِبَالِ أُولَئِكَ إِنْ بَكَيْتَ أَشَدُّ فَقْدًا ... مِنَ الْأَذْهَابِ وَالْعَكَرِ الْجَلَالِ تَمَنَّى بَعْدَهُمْ قَوْمٌ مَدَاهُمْ ... فَلَمْ يَدْنُوا لَأَسْبَابِ الْكَمَالِ وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّ عُمَرَ قَالَ لِأُمِّ خَالِدٍ: أَخَالِدًا وَأَجْرَهُ تَرْزَئِينَ! عَزَمْتُ عَلَيْكِ أَنْ لَا تَبِيتِي حَتَّى تَسْوَدَّ يَدَاكِ مِنَ الْخِضَابِ.
পৃষ্ঠা - ৫৬৩৬
وَهَذَا كُلُّهُ مِمَّا يَقْتَضِي مَوْتَهُ بِالْمَدِينَةِ النَّبَوِيَّةِ، وَإِلَيْهِ ذَهَبَ دُحَيْمٌ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، وَلَكِنَّ الْمَشْهُورَ عَنِ الْجُمْهُورِ؛ وَهُمُ الْوَاقِدِيُّ، وَكَاتِبُهُ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ، وَأَبُو عُبَيْدٍ الْقَاسِمُ بْنُ سَلَّامٍ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَأَبُو عَمْرٍو الْعُصْفُرِيُّ، وَمُوسَى بْنُ أَيُّوبَ، وَأَبُو سُلَيْمَانَ بْنُ أَبِي مُحَمَّدٍ، وَغَيْرُهُمْ، أَنَّهُ مَاتَ بِحِمْصَ سَنَةَ إِحْدَى وَعِشْرِينَ. زَادَ الْوَاقِدِيُّ: وَأَوْصَى إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَقَدْ رَوَى مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ الْوَاقِدِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي الزِّنَادِ وَغَيْرِهِ، قَالُوا: قَدِمَ خَالِدٌ الْمَدِينَةَ بَعْدَ مَا عَزَلَهُ عُمَرُ، فَاعْتَمَرَ ثُمَّ رَجَعَ إِلَى الشَّامِ فَلَمْ يَزَلْ بِهَا حَتَّى مَاتَ فِي سَنَةِ إِحْدَى وَعِشْرِينَ. وَرَوَى الْوَاقِدِيُّ أَنَّ عُمَرَ رَأَى حُجَّاجًا يُصَلُّونَ بِمَسْجِدِ قُبَاءَ. فَقَالَ: أَيْنَ نَزَلْتُمْ بِالشَّامِ؟ قَالُوا: بِحِمْصَ. قَالَ: فَهَلْ مِنْ مُغَرِّبَةِ خَبَرٍ؟ قَالُوا: نَعَمْ، مَاتَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ قَالَ: فَاسْتَرْجَعَ عُمَرُ وَقَالَ: كَانَ وَاللَّهِ سَدَّادًا لِنُحُورِ الْعَدُوِّ، مَيْمُونَ النَّقِيبَةِ. فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: فَلِمَ عَزَلْتَهُ؟ قَالَ: لِبَذْلِهِ الْمَالَ لِذَوِي الشَّرَفِ وَاللِّسَانِ. وَفِي رِوَايَةٍ
পৃষ্ঠা - ৫৬৩৭


ইনৃতিকাল করেন তখন তার কাছে শুধুমাত্র তার একটি ঘোড়া, একটি সোলাম ও একটি
হাতিয়ার পাওয়া গিয়েছিল ৷

আন-কাব্জী আন-মাআফা ইবন যাকারিয়া আল-হারীরী আবু আ’লী আল-হারনামী
হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “হিসাম ইবন আল-মুহতারী বনু মাখযােমের কিছু সংখ্যক
লোক সহকারে হযরত উমর ইবন আল খাত্তাব (রা)-এর কাছে আগমন করেন ৷ উমর (রা)
তাকে বলেন, হে হিসড়াম ! খালিদ (রা) সম্বন্ধে রচিত তোমার কবিতাটি আমাকে এববাের শুনাও ৷
তখন তিনি তা তাকে শুনালেন ৷ হযরত উমর (রা) বলেন, তুমি আবু সুলইিমান (রা)-এর
প্রশংসা বর্ণনায় ত্রুটি করেছ ৷ কেননা, তিনি শিবৃক ও শির্কের প্রতি আশ্রয় গ্রহণকারীকে
অবমাননা করতে পছন্দ করতেন যদিও তার হিংসুবেরাে তাকে মহান আল্লাহর অসন্তুষ্টির শিকার
করতে চেষ্টা করতেন ৷ তারপর উমর (রা) বলেন, “বনু তামীমের ভাইয়ের রচিত কবিতার
জন্যে মহান আল্লাহ তাকে ধ্বংস করুন ৷” কবিতাটি ছিল নিম্নরুপ :

যিনি চলে গেছেন তার মােকাবিলায় যিনি দুনিয়ার জীবিত থাকবেন তাকে বলে দাও সে
যেন আখিরাতের জন্যে তৈরি হয় ৷ সে যেন মৃত্যুর কাছাকাছি বিচরণ করছে ৷ আমার মৃত্যুর পর
যারা জীবিত থাকবে তাদের জীবন আমার জন্যে কোন উপকারে আসবে না ৷ আর যে আমার
পুর্বে মৃত্যুবরণ করেছে তার মৃত্যু আমার জন্যে চিরস্থায়ী মঙ্গল বহন করে আনবে না ৷

অতঃপর উমর (রা) বলেন, “আবু সুলাইমানকে আল্লাহ তা আলা রহম করুন ৷ তার জন্যে
আল্লাহ্ তা আলার দরবারে তথা আখিরাতে যে নিয়ামত মওজুদ রয়েছে তা তার দুনিয়ার
নিয়ামত হতে উত্তম ৷ তিনি যখন মৃত্যুবরণ করেন তখন তিনি ছিলেন সৌভাগ্যান ৷ তিনি
প্ৰশংসনীয় জীবন যাপন করেছেন তার যুগকে তা স্বীকার করতে দেখি নাই ৷

তুলাইহা ইবন খুওয়ইিন্সিদ

তার পুর্ণ নাম তৃলইিহা ইবন খুওয়ইিলিদ ইবন নওফল ইবন নাদ লাহ ইবন আল-আশতার
ইবন জড়াহওয়ান ইবন ফাক্য়ান ইবন তারীফ ইবন উমর ইবন কায়ীর ইবন আল-হারিস ইবন
সালাবাহ ইবন দাউদ ইবন আসাদ ইবন খুযাইমাহ আল-আসাদী আন-ফাকয়ানী ৷ তিনি
ঘুশরিকদের পক্ষ হতে যারা খব্দবেৰ যুদ্ধে যোগদান করেছিল তাদের মধ্যে ছিলেন অন্যতম ৷
তারপর ৯ম হিজরীতে ইসলাম গ্রহণ করে ৷ পবিত্র মদীনায় রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর কাছে আগমন
করে ৷ রাসুলুল্লাহ্ ট্ট এর ইনতিকালের পর আবুবকঃ৷ সিদ্দীক (রা) এর আমলে মুরতাদ হয়ে
যায় এবং নবুয়তের দাবি করেন ৷

ইবন আসাকির বর্ণনা করেন যে, সে রাসুলুল্লাহ্জাে-এর জীবদ্দশায় নবুয়তের দাবি করে
এবং তার পুত্র খায়াল রাসুলুল্লাহ্জ্জ-এর কাছে আগমন করে ৷ রাসুলুল্পাহ্ক্রোতাকে জিজ্ঞেস
করেন, তোমার বাপের কাছে না আসে তার নাম কি? উত্তরে সে বলল, তিনি হলেন সাদের
অধিকারী-তিনি মিথ্যা বলেন না, বিশ্বাস ভঙ্গ করেন না এবং তিনি যেরুপ আছেন ঐরুপ অন্য
কেউ হতে পারেন না ৷ রাসুলুল্লাহ্মোঃ মনে মনে বলেন, যে বড় মর্যাদার অধিকারী একজন
ফিরিশতার নাম উল্লেখ করেছে ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্মোঃতার ছেলেকে বলেন, আল্লাহ্ তোমার
ধ্বংস করুন শাহাদত যেন তোমার জন্যে হারাম করে দেন ৷ সে যেমনি এসেছিল রাসুলুল্লাহ্
স্রতাকে এভাবে ফেরত পাঠালেন ৷

২৮


أَنَّ عُمَرَ قَالَ لِعَلِيٍّ: نَدِمْتُ عَلَى مَا كَانَ مِنِّي. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ الْحُمَيْدِيُّ، ثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، قَالَ: سَمِعْتُ قَيْسَ بْنَ أَبِي حَازِمٍ يَقُولُ: لَمَّا مَاتَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ قَالَ عُمَرُ: رَحِمَ اللَّهُ أَبَا سُلَيْمَانَ، لَقَدْ كُنَّا نَظُنُّ بِهِ أُمُورًا مَا كَانَتْ. وَقَالَ جُوَيْرِيَةُ عَنْ نَافِعٍ قَالَ: لَمَّا مَاتَ خَالِدٌ لَمْ يُوجَدْ لَهُ إِلَّا فَرَسُهُ وَغُلَامُهُ وَسِلَاحُهُ، فَقَالَ عُمَرُ: رَحِمَ اللَّهُ أَبَا سُلَيْمَانَ، إِنْ كُنَّا لَنَظُنُّهُ عَلَى غَيْرِ هَذَا. وَقَالَ الْقَاضِي الْمُعَافَى بْنُ زَكَرِيَّا الْجَرِيرِيُّ: ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْعَبَّاسِ الْعَسْكَرِيُّ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي سَعْدٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ حَمْزَةَ اللَّخْمِيُّ، ثَنَا أَبُو عَلِيٍّ الْحِرْمَازِيُّ قَالَ: دَخَلَ هِشَامُ بْنُ الْبَخْتَرِيِّ فِي نَاسٍ مِنْ بَنِي مَخْزُومٍ عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، فَقَالَ لَهُ: يَا هِشَامُ، أَنْشِدْنِي شِعْرَكَ فِي خَالِدٍ. فَأَنْشَدُهُ، فَقَالَ: قَصَّرْتَ فِي الثَّنَاءِ عَلَى أَبِي سُلَيْمَانَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، إِنَّهُ كَانَ لِيُحِبُّ أَنْ يُذِلَّ
পৃষ্ঠা - ৫৬৩৮
الشِّرْكَ وَأَهْلَهُ، وَإِنْ كَانَ الشَّامِتُ بِهِ لَمُتَعَرِّضًا لِمَقْتِ اللَّهِ. ثُمَّ قَالَ عُمَرُ: قَاتَلَ اللَّهُ أَخَا بَنِي تَمِيمٍ مَا أَشْعَرَهُ: فَقُلْ لِلَّذِي يَبْقَى خِلَافَ الَّذِي مَضَى ... تَهَيَّأْ لِأُخْرَى مِثْلِهَا فَكَأَنْ قَدِ فَمَا عَيْشُ مَنْ قَدْ عَاشَ بَعْدِي بِنَافِعِي ... وَلَا مَوْتُ مَنْ قَدْ مَاتَ يَوْمًا بِمُخْلِدِي ثُمَّ قَالَ عُمَرُ: رَحِمَ اللَّهُ أَبَا سُلَيْمَانَ، مَا عِنْدَ اللَّهِ خَيْرٌ لَهُ مِمَّا كَانَ فِيهِ، وَلَقَدْ مَاتَ فَقِيدًا، وَعَاشَ حَمِيدًا، وَلَكِنْ رَأَيْتُ الدَّهْرَ لَيْسَ بِقَابِلٍ. طُلَيْحَةُ بْنُ خُوَيْلِدٍ ابْنُ نَوْفَلِ بْنِ نَضْلَةَ بْنِ الْأَشْتَرِ بْنِ حَجْوَانَ بْنِ فَقْعَسِ بْنِ طَرِيفِ بْنِ عَمْرِو بْنِ قُعَيْنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ دُودَانَ بْنِ أَسَدِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৫৬৩৯


হযরত আবু বকর (রা)-এর আমলে সংঘটিত রিদ্দারযুদ্ধে থায়ালকে হত্যা করা হয় ৷
উকাশাহ ইবন মুহসিন (র) তাকে হত্যা করেন ৷ এরপর তৃলইিহা উকাশাহ (র)-কে হত্যা
করে ৷ মুসলমানদের সাথে তার অনেক ঘটনাই ঘটে ৷ তারপর আল্লাহ্ তাআলা তাকে খালিদ
ইবন ওয়ালীদ (রা)-এর হাতে অপমানিত করেন ৷ তার সৈন্যদল ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল ও পলায়ন
করল ৷ তিনি সিরিয়ার প্রবেশ করেন এবং আসে জুফনাহ-এ অবতরণ করেন ৷ লজ্জার কারণে
আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর ইনতিকাল পর্যন্ত তিনি তথায় অবস্থান করেন ৷ তারপর তিনি
পুনরায় ইসলাম গ্রহণ করেন এবং উমরা পালন করেন ৷ পরে এসে হযরত উমর (রা)-এর কাছে
আত্মসমর্পণ করেন ৷

হযরত উমর (রা) তাকে বলেন, আমার কাছ থেকে তুমি দুরে চলে যাও ৷ কেননা, তুমি ন্
দু’জন সৎলোকেৱ হত্যাকারী ৷ একজন হলেন উকাশাহ ইবন মুহসিন এবং অন্যজন হলেন
সাবিত ইবন আক্রাম ৷ তখন তিনি বলেন, হে আমীরুল মুমিনীন ! তারা দুজন ব্যক্তি
যাদেরকে আল্লাহ তাআলা আমার হাতে সম্মান প্রদান করেছেন ৷ তাদের হাতে আমাকে
অপমান করেন নি ৷ তখন উমর (রা) তড়ারকথা পছন্দ করেন এবং তার প্রতি সন্তুষ্ট হন ৷ তিনি
আমীরদের কাছে লিখবেন যেন তৃলাইহা তাদেরকে পরামর্শ দান করেন ৷ তবে যেন তাকে
কোন প্রকার নেতৃত্ব দান করা না হয় ৷ তারপর তিনি জিহাদ করার জন্যে সিরিয়ার ফিরে
আসেন ৷ এরপর ইয়ারমুক ও অন্যান্য যুদ্ধে তিনি অংশ্যাহণ করেন ৷ যেমন, কাদেসিয়া ও
পারস্যবাসীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নিহাওয়ান্দের যুদ্ধ ৷ তিনি ছিলেন প্রসিদ্ধ ও খ্যাতিমান
বাহাদৃরদের অন্যতম ৷ এসব ঘটনার পর তিনি উত্তম ইসলামের অধিকারী হন ৷ মুহাম্মদ ইবন
সাদ র্তাকে চতুর্থ স্তরের সাহাবীদের মধ্যে গণ্য করেন ৷ তিনি বলেন, তাকে তার কঠোরতা,
সমরদক্ষতা ও বাহাদুরীর কারণে এক হাজার অশ্বারোহীর সমান গণ্য করা হতো ৷

আবু নসর ইবন মাকুলা বলেন, তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ এরপর ইসলাম প্রত্যাখ্যান
করেন ৷ পুনরায় ইসলাম গ্রহণ করেন এবং উত্তম ইসলামের অধিকারী হন ৷ আর তাকে এক
হাজার অশ্বারােহী সৈন্যের সমতুল্য মনে করা হতো ৷ তার ইসলাম প্রত্যাখ্যান ও নবুয়তের দাবি
করার সময় মুসলমানগণ তার সাথীদের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ করেছে এ সম্পর্কে রচিত তার
কয়েকটি পংক্তি নিচে উল্লেখ করা হলো ৷ তিনি বলেন, এসব লোক সম্বন্ধে তোমাদের কি
ধারণা : যাদের বিরুদ্ধে তোমরা যুদ্ধ করছ তারা মুসলমান না হলেও তারা কি মানুষ নন?
যাদের বহু ছেলে মেয়ে ও মহিলা রয়েছে তাদেরকে যদি যুদ্ধের সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়
তাহলে তারা থায়ালকে হত্যা করার জন্যে এগিয়ে যাবে না ৷ কেননা, আমি তাদের শত্রুপক্ষের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার লক্ষে তাদের জন্যে এমন একটি দলকে প্রস্তুত রেখেছি যারা বার বার
হামলা করে শত্রুদেরকে ছত্রাকের ন্যায় কচুকাটা করে দেবে ৷ এ দলটিকে তুমি এক সময়
দেখবে সমরাস্ত্র নিয়ে সুরক্ষিত দল হিসেবে প্ৰদশ্নীিতে রয়েহ্নো; আবার এক সময়ে ণ্দখবে
কোন প্রকার শান শওকত প্রদর্শন না করে তারা ছুদ্মৰেশে রয়েছে ৷ আবার একদিন তাদেরকে
মহা সমারােহে ঝলমল করতে দেখবে ৷ আবার একদিন দেখবে পবিত্র মদীনায় আশেপাশের
শহরতলিতে বিশ্রামে রত ৷ বিকাল বেলায় যুদ্ধের ময়দানে আমি ইবন আকরাম ও অন্ধ
উকাশাহকে হত্যা করি ৷


خُزَيْمَةَ، الْأَسَدِيُّ الْفَقْعَسِيُّ، كَانَ مِمَّنْ شَهِدَ الْخَنْدَقَ مِنْ نَاحِيَةِ الْمُشْرِكِينَ، ثُمَّ أَسْلَمَ سَنَةَ تِسْعٍ، وَوَفَدَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِلَى الْمَدِينَةِ، ثُمَّ ارْتَدَّ بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي أَيَّامِ الصِّدِّيقِ، وَادَّعَى النُّبُوَّةَ كَمَا تَقَدَّمَ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّهُ ادَّعَى النُّبُوَّةَ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَّ ابْنَهُ حِبَالًا قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَأَلَهُ: " مَا اسْمُ الَّذِي يَأْتِي إِلَى أَبِيكَ؟ ". فَقَالَ: ذُو النُّونِ الَّذِي لَا يَكْذِبُ وَلَا يَخُونُ، وَلَا يَكُونُ كَمَا يَكُونُ. فَقَالَ: " لَقَدْ سَمَّى مَلَكًا عَظِيمَ الشَّأْنِ ". ثُمَّ قَالَ لِابْنِهِ: " قَتَلَكَ اللَّهُ وَحَرَمَكَ الشَّهَادَةَ ". وَرَدَّهُ كَمَا جَاءَ، فَقُتِلَ حِبَالٌ فِي الرِّدَّةِ فِي بَعْضِ الْوَقَائِعِ، قَتَلَهُ عُكَّاشَةُ بْنُ مِحْصَنٍ ثُمَّ قَتَلَ طُلَيْحَةُ عُكَّاشَةَ، وَلَهُ مَعَ الْمُسْلِمِينَ وَقَائِعُ. ثُمَّ خَذَلَهُ اللَّهُ عَلَى يَدَيْ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ وَتَفَرَّقَ جُنْدُهُ، فَهَرَبَ حَتَّى دَخَلَ الشَّامَ، فَنَزَلَ عَلَى آلِ جَفْنَةَ، فَأَقَامَ عِنْدَهُمْ حَتَّى مَاتَ الصِّدِّيقُ - حَيَاءً مِنْهُ - ثُمَّ رَجَعَ إِلَى الْإِسْلَامِ وَاعْتَمَرَ، ثُمَّ جَاءَ يُسَلِّمُ عَلَى عُمَرَ فَقَالَ لَهُ: اغْرُبْ عَنِّي فَإِنَّكَ قَاتِلُ الرَّجُلَيْنِ الصَّالِحَيْنِ؛ عُكَّاشَةَ بْنِ مِحْصَنٍ وَثَابِتِ بْنِ أَقْرَمَ. فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، هُمَا رَجُلَانِ أَكْرَمَهُمَا اللَّهُ عَلَى يَدَيَّ وَلَمْ يُهِنِّي بِأَيْدِيهِمَا. فَأَعْجَبَ عُمَرَ كَلَامُهُ وَرَضِيَ عَنْهُ، وَكَتَبَ لَهُ بِالْوَصَاةِ إِلَى الْأُمَرَاءِ أَنْ يُشَاوَرَ وَلَا يُوَلَّى شَيْئًا مِنَ الْأَمْرِ، ثُمَّ عَادَ إِلَى الشَّامِ مُجَاهِدًا، فَشَهِدَ الْيَرْمُوكَ وَبَعْضَ حُرُوبٍ، كَالْقَادِسِيَّةِ
পৃষ্ঠা - ৫৬৪০


আল্লামা সাইফ (র) জাবির ইবন আবদুল্পাহ্ (রা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
আল্লাহ্র শপথ ৷ যিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই ৷ কাদেসিয়ার যুদ্ধে অৎশগ্রহণকারীদের
মধ্যে এমন কাউকে দেখি নইি যে আখিরাতের সাথে দৃনিয়াও চায় ৷ আমরা তিন ব্যক্তিকে
সন্দেহ করেছিলাম কিন্তু , তাদের মধ্যে আমানত ও পরহেযপারীৱ এতো অভাব দেখি নইি যেরুপ
আমরা মনে করেছিলাম ৷ তারা হলেন, তুলইিহা ইবন খুওয়ালিদ আল-আসাদী, আমর ইবন
মাদীকারাব ও কইিস ইবন মাকশুহ ৷ ইবন আসাকির বলেন, আবুল হুসাইন মুহাম্মদ ইবন
আহমদ ইবন আল-ফারান আল ওরীক উল্লেখ করেছেন যে, ২১ হিজরীতে নিহাওয়ান্দ যুদ্ধে
আনৃ-নুমান ইবন ঘুকরিন ও আমর ইবন মাদীকারাব (রা)-এর সাথে ভৃলইিহা (রা) শাহাদত
লাভ করেন ৷

আমর ইবন মাদী কারাব (রা)

তার পুর্ণ নামও আবু সাওর আমর ইবন মাদীকারাব ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন আমর ইবন
আসিম ইবন আমর ইবন যুবইিদ আল-আসগার ইবন রাবীয়াহ ইবন সালামাহ ইবন মাযিন
ইবন রাবীয়াহ ইবন সইিবাহ যুবইিদ আল-আকৰার ইবন আল-হাবিস ইবন দু’ ফ ইবন সা’ দ
আল-আশীরাহ ইবন মায্হড়াজ অড়ায-যুবাইদী আল মাযাহিজী ৷ তিনি অশ্বারােহী খ্যাতিসম্পন্ন
বাহাদুর ষোদ্ধাদের অন্যতম ৷ ৯ম হিজরীতে রাসুলুল্লা পুষ্হু;খ ট্রু এর কাছে আগমন করেন ৷ আবার
কেউ কেউ বলেন, “ ১ :ম হিজরীতে মুরা দের প্রতিনিধি দলে ছিলেন ৷

কেউ কেউ বলেন, তার সম্প্রদায়ের যুবাইদের প্রতিনিধি দলে ছিলেন তিনি ৷ তিনি
আল-আসওয়াদ আল-আনাসীর সাথে ইসলামকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ৷ খালিদ ইবন সায়ীদ
ইবনুল আসকে তাকে দমনের জন্যে প্রেরণ করা হয় ৷ তাদের মধ্যে যুদ্ধ হয় ৷ খালিদ ইবন
সায়ীদ তার কাধে তলোয়ার মারেন কিন্তু তিনি ও তার সম্প্রদায় যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে পলায়ন করে ৷

তার বাকানাে যায় না এরুপ তলােয়ারটি খালিদ (রা) গনীমত হিসেবে হস্তগত করেন ৷ তারপর

তাকে বন্দী করেন এবং আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর কাছে প্রেরণ করেন ৷ তিনি তাকে সতর্ক
করেন, ভহ্সনা করেন এবং তওবা বা অনুশোচনা করতে বলেন ৷ তখন তিনি তওবা করেন
এবং এরপর উত্তম ইসলামের অধিকারী হন ৷ তারপর তাকে সিরিয়ার প্রেরণ করা হয় ৷ তিনি
ইয়ারমুকের যুদ্ধে অং শগ্রহণ করেন ৷ পরে উমর (রা) তাকে সা দ (রা) এর নিকট যেতে বলেন
এবং আমীরদের কাছে পত্র লিখেন যাতে তিনি তাদেরকে পরামর্শ প্রদান করেন ৷ কোন নেতৃত্ব
যেন তাকে দেওয়া না হয় ৷ এভাবে আল্লাহ্ তাআলা তার মাধ্যমে ইসলাম ও মুসলমানাদরকে
উপকৃত করেন এবং তিনি কাদেসিয়ার যুদ্ধে কাষিৰদের জন্যে বিপর্যয় সৃষ্টি করেন ৷

কেউ কেউ বলেন, তিনি কাদেসিয়ার শহীদ হন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, “তিনি
নিহাওরান্দে শহীদ হন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, রােযা নামী একটি গ্রামে তিনি তৃষ্ণার্ত
অবস্থায় মারা যান ৷ আর এসব ঘটনা ঘটে ২১ হিজরীতে ৷ তার সম্প্রদায়ের যারা তার জন্যে
গােকগাথা প্রণয়ন করেছেন তাদের একজন বলেনং অশ্বারোহীরা যেদিন বারুযা গ্রাম আক্রমণ
করেন সেদিন তারা ঐ গ্রামে এক ব্যক্তিকে ছেড়ে আসে যিনি ভীরু নন এবং অদক্ষও নন ৷
কাজেই যুবাইদকে বরং মাযহাজ গোত্রের সকলকে বলে দাও তোমরা আবু সাওরকে হ বিষেছ
যিনি ছিলেন যুদ্ধের সেরা সৈনিক ও সর্দার ৷


وَنَهَاوَنْدَ الْفُرْسِ، وَكَانَ مِنَ الشُّجْعَانِ الْمَذْكُورِينَ، وَالْأَبْطَالِ الْمَشْهُورِينَ، وَقَدْ حَسُنَ إِسْلَامُهُ بَعْدَ هَذَا كُلِّهِ. وَذَكَرَهُ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ فِي الطَّبَقَةِ الرَّابِعَةِ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَقَالَ: كَانَ يُعَدُّ بِأَلْفِ فَارِسٍ؛ لِشِدَّتِهِ وَشَجَاعَتِهِ وَبَصَرِهِ بِالْحَرْبِ. وَقَالَ أَبُو نَصْرِ بْنُ مَاكُولَا: أَسْلَمَ ثُمَّ ارْتَدَّ ثُمَّ أَسْلَمَ وَحَسُنَ إِسْلَامُهُ، وَكَانَ يُعْدَلُ بِأَلْفِ فَارِسٍ. وَمِنْ شِعْرِهِ أَيَّامَ رِدَّتِهِ وَادِّعَائِهِ النُّبُوَّةَ فِي قَتْلِ الْمُسْلِمِينَ أَصْحَابُهُ: فَمَا ظَنُّكُمْ بِالْقَوْمِ إِذْ تَقْتُلُونَهُمْ ... أَلَيْسُوا وَإِنْ لَمْ يُسْلِمُوا بِرِجَالِ فَإِنْ تَكُ أَذْوَادٌ أُصِبْنَ وَنِسْوَةٌ ... فَلَمْ يَذْهَبُوا فِرْغًا بِقَتْلِ حِبَالِ نَصَبْتُ لَهُمْ صَدْرَ الْحِمَالَةِ إِنَّهَا ... مُعَاوِدَةٌ قَتْلَ الْكُمَاةِ نَزَالِ فَيَوْمًا تَرَاهَا فِي الْجَلَالِ مَصُونَةً ... وَيَوْمًا تَرَاهَا غَيْرَ ذَاتِ جَلَالِ
পৃষ্ঠা - ৫৬৪১
وَيَوْمًا تُضِيءُ الْمَشْرِفِيَّةُ نَحْوَهَا ... وَيَوْمًا تَرَاهَا فِي ظِلَالِ عَوَالِي عَشِيَّةَ غَادَرْتُ ابْنَ أَقْرَمَ ثَاوِيًا ... وَعُكَّاشَةَ الْغُنْمِيَّ عِنْدَ مَجَالِ وَقَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ مُبَشِّرِ بْنِ الْفُضَيْلِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، مَا اطَّلَعْنَا عَلَى أَحَدٍ مِنْ أَهْلِ الْقَادِسِيَّةِ يُرِيدُ الدُّنْيَا مَعَ الْآخِرَةِ، وَلَقَدِ اتَّهَمْنَا ثَلَاثَةَ نَفَرٍ، فَمَا رَأَيْنَا كَمَا هَجَمْنَا عَلَيْهِ مِنْ أَمَانَتِهِمْ وَزُهْدِهِمْ؛ طُلَيْحَةُ بْنُ خُوَيْلِدٍ، وَعَمْرُو بْنُ مَعْدِيكَرِبَ، وَقَيْسُ بْنُ الْمَكْشُوحِ. قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: ذَكَرَ أَبُو الْحَسَنِ مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ الْقَوَّاسِ الْوَرَّاقُ، أَنَّ طُلَيْحَةَ اسْتُشْهِدَ بِنَهَاوَنْدَ سَنَةَ إِحْدَى وَعِشْرِينَ مَعَ النُّعْمَانِ بْنِ مُقَرِّنٍ، وَعَمْرِو بْنِ مَعْدِيكَرِبَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. عَمْرُو بْنُ مَعْدِيكَرِبَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عُصْمِ بْنِ عَمْرِو بْنِ
পৃষ্ঠা - ৫৬৪২


আমর ইবন মাদীকারাব (রা) ছিলেন দক্ষ কবিদের অন্যতম ৷ তার রচিত কবিতার কিছু
অংশ নিম্নে প্রদত্ত হলো ৷
আমি আমার সামান্য প্রস্তুতি, শক্তি ও বর্শার (অদ্রের) দৈন্যের নিন্দা জ্ঞাপন করছি ৷ আর
প্রতিটি সহজ সরল বিষয়কে জটিল আকার রুপদানকারীর সমালোচনা করছি ৷ আমি নিজকে
ডত্সনা করছি এজন্যে আমি আমার যৌবন শেষ করে দিচ্ছি ৷ আর্ত্যা৷দকারীৱ প্রতি সাহসী ব্যক্তি
বর্গের সমভিব্যহারে আমি আমার অপর্যাপ্ত প্রতিউওরের সমালোচনা করছি ৷ ফলে আমার শরীর
দুর্বলহয়ে যায় ৷ আমি আমার গর্দানকে তলোয়ার বহন করার কাজ থেকে বিরত রাখছি ৷
সম্প্রদায়ের ধৈর্য শেষ হওয়ার পরও আমার ধৈর্ষ বাকি থেকে যায় ৷ ৷ আর আমার সম্প্রদায়ের
পাথেয় শেষ হবার পুর্বে আমার পাথেয় শেষ হয়ে যায় ৷ কাইস আমার সাথে সাক্ষাৎ করার
আকাড্ডা করছে আমিও তাকে ভালবাসি ৷ আমার ভালবাসার গভীরতইি বা কোথায় ৷ নির্বোধ
ব্যক্তিদের মধ্যে যে আমার দুঃখ প্ৰকাশকে গ্রহণ করবে না সে আমার উদ্দেশ্য জানার জন্যে
নিজে নিজে লক্ষ্যবিহীন ঘুরে বেড়াবে ৷ আমি চাই তার হায়াত আর সে চায় আমার মৃত্যু ৷ করি
সর্বশেষে বলেন : তোমার দুঃখ প্রকাশকে যে গ্রহণ করে সে তোমার বন্ধু ৷
তার থেকে তালবীয়া পাঠ সম্বন্ধে একটি হাদীস বর্ণিত আছে ৷ তার থেকে শুরাহবীল ইবন
আল কাকা বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমরা জাহিলীয়াতের যুগে যখন তালবীয়া পাঠ
করতাম তখন বলতাম : তোমার কাছে উপস্থিত, সম্মানার্থে তোমার কাছে ওযর পেশ করছি
এটা যুবাইদ৷ তোমার কাছে এসেছে অনুগত হয়ে ৷ তাদেরকে নিয়ে এসেছে টেরা চোখ বিশিষ্ট
ক্ষীণকায় উট্রিগুলাে ৷ এগুলো অতিক্রম করে এসেছে উচু;নিচু ভুখণ্ড, পাহাড়, পর্বত ও খোলা
জায়গা ৷ তারপর এগুলো মুর্তিগুলোকে পালি ও নির্জনে ছেড়ে আসল ৷ “আসর (রা) বলেন,
এখন আমরা তালবীয়া নিম্নরুপ পাঠ করে থাকি যা আমাদেরকে রাসুলুল্লাহ্তাঃ শিক্ষা দিয়েছেনঃ
হে আল্লাহ্ ৷ তোমার কাছে আমি উপস্থিত, তোমার কাছে আমি উপস্থিত, তোমার কোন শরীক
নইি, তোমার কাছে আমি উপস্থিত ৷ নিশ্চয়ই প্রশংসা ও নিয়ামত এবং কর্তৃতু তােমারই ৷
তোমার কোন শরীক নাই ৷

আল-আ লা ইবন আলহাদ্রামী (বা)

তিনি ছিলেন রাসুলুল্লাহ্ফ্লোৰু এর পক্ষ থেকে বাহরাইনের আমীর ৷ রাসুলুল্পাহ্-ক্তে এর
ইনতিকালের পর আবু বকর সিদ্দীক (রা) ও উমর (রা) তাকে উক্ত পদে বলবৎ রাখেন ৷ পুর্বে

ন্;:ৰুট্যাং করা হয়েছে যে, তিনি ১৪ হিজরীতে ইনতিকাল করেন ৷ ইতিহাসবিদদের মধ্যে কেউ

কেউ বলেন যে, তিনি ২১ হিজরী পর্যন্ত হায়াত পেয়েছেন ৷ উমর (না) তাকে বাহরাইন থেকে
অব্যাহতি দিয়েছিলেন এবং আবু হুরায়রা (রা)-কে তার স্থলাভিষিক্ত করেছিলেন ৷ উমর (রা)
র্তাকে কুফার আমীর নিযুক্ত করেছিলেন ৷ ক্লিত্তু হজ্জ থেকে প্রত্যাবর্তনকালে কুফা পৌছার পুর্বে
তিনি ইনতিকাল করেন ৷ পুর্বেও এ ব্যাপারে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ মহান আল্লাহ্ অধিক জ্ঞাত ৷

আল্পামা ইবন কাসীর (র) বলেন ;ভ্ট্রুইও৷ ৷ ৰুৰুাট্র নামক কিভাবে তার বিবরণ আমি উল্লেখ
করেছি ৷ পানির উপর সৈন্যসামন্ত নিয়ে পরিভ্রমর্ণসহ অন্যান্য অলৌকিক ঘটনাও উক্ত কিভাবে
উল্লেখ করা হয়েছে ৷


زُبَيْدٍ الْأَصْغَرِ - وَهُوَ مُنَبِّهُ - بْنُ رَبِيعَةَ بْنِ سَلَمَةَ بْنِ مَازِنَ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ مُنَبِّهِ بْنِ زُبَيْدٍ الْأَكْبَرِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ صَعْبِ بْنِ سَعْدِ الْعَشِيرَةِ بْنِ مُذْحِجٍ، الزُّبَيْدِيُّ الْمُذْحِجِيُّ، أَبُو ثَوْرٍ، أَحَدُ الْفُرْسَانِ الْمَشَاهِيرِ الْأَبْطَالِ، وَالشُّجْعَانِ الْمَذَاكِيرِ، قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، سَنَةَ تِسْعٍ، وَقِيلَ: عَشْرٍ. مَعَ وَفْدِ مُرَادٍ، وَقِيلَ: فِي وَفْدِ مُرَادٍ، وَقِيلَ: فِي وَفْدِ زُبَيْدٍ قَوْمِهِ. وَقَدِ ارْتَدَّ مَعَ الْأَسْوَدِ الْعَنْسِيِّ، فَسَارَ إِلَيْهِ خَالِدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، فَقَاتَلَهُ فَضَرَبَهُ خَالِدُ بْنُ سَعِيدٍ بِالسَّيْفِ عَلَى عَاتِقِهِ فَهَرَبَ وَقَوْمُهُ، وَقَدِ اسْتَلَبَ خَالِدٌ سَيْفَهُ الصَّمْصَامَةَ، ثُمَّ أُسِرَ وَدُفِعَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ فَأَنَّبَهُ وَعَاتَبَهُ وَاسْتَتَابَهُ، فَتَابَ وَأَنَابَ وَحَسُنَ إِسْلَامُهُ بَعْدَ ذَلِكَ، فَسَيَّرَهُ إِلَى الشَّامِ، فَشَهِدَ الْيَرْمُوكَ، ثُمَّ أَمَرَهُ عُمَرُ بِالْمَسِيرِ إِلَى سَعْدٍ، وَكَتَبَ بِالْوَصَاةِ بِهِ، وَأَنْ يُشَاوَرَ وَلَا يُوَلَّى شَيْئًا، فَنَفَعَ اللَّهُ بِهِ الْإِسْلَامَ وَأَهْلَهُ، وَأَبْلَى بَلَاءً حَسَنًا يَوْمَ الْقَادِسِيَّةِ. وَقِيلَ: إِنَّهُ قُتِلَ بِهَا. وَقِيلَ: بِنَهَاوَنْدَ. وَقِيلَ: مَاتَ عَطَشًا فِي بَعْضِ الْقُرَى، يُقَالُ لَهَا: رَوْذَةُ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَذَلِكَ كُلُّهُ سَنَةَ إِحْدَى
পৃষ্ঠা - ৫৬৪৩
وَعِشْرِينَ، فَقَالَ بَعْضُ مَنْ رَثَاهُ مَنْ قَوْمِهِ: لَقَدْ غَادَرَ الرُّكْبَانُ يَوْمَ تَحَمَّلُوا ... بِرَوْذَةَ شَخْصًا لَا جَبَانًا وَلَا غَمْرَا فَقُلْ لِزُبَيْدٍ بَلْ لِمُذْحِجَ كُلِّهَا ... رُزِئْتُمْ أَبَا ثَوْرٍ قَرِيعَكُمُ عَمْرَا وَكَانَ عَمْرُو بْنُ مَعْدِيكَرِبَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، مِنَ الشُّعَرَاءِ الْمُجِيدِينَ، فَمِنْ شِعْرِهِ: أَعَاذِلَ عُدَّتِي بَدَنِي وَرُمْحِي ... وَكُلُّ مُقَلَّصٍ سَلِسِ الْقِيَادِ أَعَاذِلَ إِنَّمَا أَفْنَى شَبَابِي ... إِجَابَتِيَ الصَّرِيخَ إِلَى الْمُنَادِي مَعَ الْأَبْطَالِ حَتَّى سَلَّ جِسْمِي ... وَأَقْرَحَ عَاتِقِي حَمْلُ النِّجَادِ وَيَبْقَى بَعْدَ حِلْمِ الْقَوْمِ حِلْمِي ... وَيَفْنَى قَبْلَ زَادِ الْقَوْمِ زَادِي
পৃষ্ঠা - ৫৬৪৪


আন-নুমান ইৰ্ন মুকরিন ইৰ্ন আয়িয আন-মাযানী (বা)
তিনি ছিলেন নিহাওয়ান্দ যুদ্ধের আমীর ও একজন মর্যাদাবান সাহাবী ৷ তিনি তার সম্প্রদায়

মুযইিনা গোত্রের চারশ আরােহী নিয়ে রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর কাছে আগমন করেন ৷ তারপর তিনি
বসরায় বসবাস করেন ৷ হযরত উমর (যা) তাকে সৈন্যদের সেনাপতি হিসেবে নিহাওয়ান্দ
প্রেরণ করেন ৷ এরপর আল্লাহ্ তাআলা তার হাতে বিরাট বিজয় দান করেন ৷ ঐসব শহরে
প্রতিপত্তি স্থাপনের তওফীক আল্লাহ্ তাকে প্রদান করেন এবং ঐসব এলাকার জনগণকে তার
বশীভৃত করেছেন ৷ কিয়ামত পর্যন্ত তথায় মুসলমানদের প্রভাব বিস্তার করে দেন ৷ তাকে
আল্লাহ্ তাআলা দুনিয়া ও আখিরাতের সফলতা দান করেন এবং তার ন্প্রিয়ও একমাত্র কাম্য
মহান আল্পাহ্র পথে শাহাদত দান করেন ৷ আল্লাহ্ তাআলা তার মহা পবিত্র কুরআনুল করীমে
অন্যদের মধ্যে তার সম্বন্ধেও ইরশাদ করেন ৷




fl : ণ্




অর্থাৎ আল্লাহ মুমিনদের নিকট হতে তাদের জীবন ও সম্পদ ক্রয় করে নিয়েছেন; তাদের

জন্য জান্নাত-এর বিনিময়ে ৷ তারা আল্লাহ্র পথে সংগ্রাম করে, নিধন করে ও নিহত হয় ৷

তাওরাত, ইঞ্জিন ও কুরআনে এ সম্বন্ধে তাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি রয়েছে ৷ নিজ প্রতিজ্ঞা পালনে

আল্লাহ্ অপেক্ষা প্গ্রেষ্ঠতর কে আছে ? তোমরা যে সওদা করেছ সে সওদার জন্য আনন্দ কর
এবং ঐটাই মহাসাফল্য ৷ (সুরায়ে তাওবা : ১১১)


تَمَنَّى أَنْ يُلَاقِينِي قُيَيْسٌ ... وَدِدْتُ وَأَيْنَمَا مِنِّي وِدَادِي فَمَنْ ذَا عَاذِرِي مِنْ ذِي سَفَاهٍ ... يَرُودُ بِنَفْسِهِ شَرَّ الْمَرَادِ أُرِيدُ حَيَاتَهُ وَيُرِيدُ قَتْلِي ... عَذِيرَكَ مِنْ خَلِيلِكَ مِنْ مُرَادِ لَهُ حَدِيثٌ وَاحِدٌ فِي التَّلْبِيَةِ رَوَاهُ شَرَاحِيلُ بْنُ الْقَعْقَاعِ عَنْهُ، قَالَ: كُنَّا نَقُولُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ إِذَا لَبَّيْنَا: لَبَّيْكَ تَعْظِيمًا إِلَيْكَ عُذْرَا ... هَذِي زُبَيْدٌ قَدْ أَتَتْكَ قَسْرَا تَعْدُو بِهَا مُضَمَّرَاتٌ شَزْرَا ... يَقْطَعْنَ خَبْتًا وَجِبَالًا وَعْرًا قَدْ تَرَكُوا الْأَوْثَانَ خِلْوًا صِفْرَا قَالَ عَمْرٌو: فَنَحْنُ نَقُولُ الْآنَ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ كَمَا عَلَّمَنَا رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ، لَا شَرِيكَ لَكَ.
পৃষ্ঠা - ৫৬৪৫
الْعَلَاءُ بْنُ الْحَضْرَمِيِّ، أَمِيرُ الْبَحْرَيْنِ لِرَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَقَرَّهُ عَلَيْهَا أَبُو بَكْرٍ ثُمَّ عُمَرُ. تَقَدَّمَ أَنَّهُ تُوُفِّيَ سَنَةَ أَرْبَعَ عَشْرَةَ. وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ: إِنَّهُ تَأَخَّرَ إِلَى سَنَةِ إِحْدَى وَعِشْرِينَ. وَعَزَلَهُ عُمَرُ عَنِ الْبَحْرَيْنِ وَوَلَّى مَكَانَهُ أَبَا هُرَيْرَةَ، وَأَمَّرَهُ عُمَرُ عَلَى الْكُوفَةِ فَمَاتَ قَبْلَ أَنْ يَصِلَ إِلَيْهَا مُنْصَرَفَهُ مِنَ الْحَجِّ. كَمَا قَدَّمْنَا ذَلِكَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي دَلَائِلَ النُّبُوَّةِ قَصَّتْهُ فِي سَيْرِهِ بِجَيْشِهِ عَلَى وَجْهِ الْمَاءِ وَمَا جَرَى لَهُ مِنْ خَرْقِ الْعَادَاتِ. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. النُّعْمَانُ بْنُ مُقَرِّنِ بْنِ عَائِذٍ الْمُزَنِيُّ، أَمِيرُ وَقْعَةِ نَهَاوَنْدَ، صَحَابِيٌّ جَلِيلُ الْقَدْرِ، قَدِمَ مَعَ قَوْمِهِ مِنْ مُزَيْنَةَ فِي أَرْبَعِمِائَةِ رَاكِبٍ، ثُمَّ سَكَنَ الْبَصْرَةَ، وَبَعَثَهُ الْفَارُوقُ أَمِيرًا عَلَى الْجُنُودِ إِلَى نَهَاوَنْدَ، فَفَتَحَ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ فَتْحًا عَظِيمًا، وَمَكَّنَ اللَّهُ لَهُ فِي تِلْكَ الْبِلَادِ، وَمَكَّنَهُ مِنْ رِقَابِ أُولَئِكَ الْعِبَادِ، وَمَكَّنَ بِهِ لِلْمُسْلِمِينَ هُنَالِكَ إِلَى يَوْمِ التَّنَادِ، وَمَنَحَهُ النَّصْرَ فِي الدُّنْيَا وَيَوْمَ يَقُومُ الْأَشْهَادُ، وَأَتَاحَ لَهُ بَعْدَمَا أَرَاهُ مَا أَحَبَّ شَهَادَةً عَظِيمَةً، وَذَلِكَ غَايَةُ الْمُرَادِ، فَكَانَ مِمَّنْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى فِي حَقِّهِ فِي كِتَابِهِ الْمُبِينِ وَهُوَ صِرَاطُهُ الْمُسْتَقِيمُ: {إِنَّ اللَّهَ اشْتَرَى مِنَ الْمُؤْمِنِينَ أَنْفُسَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ بِأَنَّ لَهُمُ الْجَنَّةَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَيَقْتُلُونَ وَيُقْتَلُونَ وَعْدًا عَلَيْهِ حَقًّا فِي التَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيلِ وَالْقُرْآنِ وَمَنْ أَوْفَى بِعَهْدِهِ مِنَ اللَّهِ فَاسْتَبْشِرُوا بِبَيْعِكُمُ الَّذِي بَايَعْتُمْ بِهِ وَذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ} [التوبة: 111] . [التَّوْبَةِ: 111]